মুসলিম সাহাবা (রাঃ) গণের ফজিলত (মর্যাদা) অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৬২৯৫ – ৬৩৯৩

৩৬. অধ্যায়ঃ

হাতিব ইবনু আবূ বালতা‘আহ্ এবং বদরী সহাবীগণ (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৯৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ، – وَهُوَ كَاتِبُ عَلِيٍّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، رضى الله عنه وَهُوَ يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ فَقَالَ ‏”‏ ائْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ فَانْطَلَقْنَا تَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا فَإِذَا نَحْنُ بِالْمَرْأَةِ فَقُلْنَا أَخْرِجِي الْكِتَابَ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا مَعِي كِتَابٌ ‏.‏ فَقُلْنَا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ ‏.‏ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا فَأَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا فِيهِ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا حَاطِبُ مَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ – قَالَ سُفْيَانُ كَانَ حَلِيفًا لَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا – وَكَانَ مِمَّنْ كَانَ مَعَكَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ لَهُمْ قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنَ النَّسَبِ فِيهِمْ أَنْ أَتَّخِذَ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ بِهَا قَرَابَتِي وَلَمْ أَفْعَلْهُ كُفْرًا وَلاَ ارْتِدَادًا عَنْ دِينِي وَلاَ رِضًا بِالْكُفْرِ بَعْدَ الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَدَقَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ‏}‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ وَزُهَيْرٍ ذِكْرُ الآيَةِ وَجَعَلَهَا إِسْحَاقُ فِي رِوَايَتِهِ مِنْ تِلاَوَةِ سُفْيَانَ ‏.‏

উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে যুবায়র ও মিকদাদ (রাঃ)-কে (বিশেষ কাজে) প্রেরণ করে বললেনঃতোমরা দ্রুত ‘আওযায়ে খাখ’ (মাদীনার সন্নিকটবর্তী একটি জায়গার নাম) যাও। সেখানে উষ্ট্রারোহিণী এক নারী রয়েছে তার কাছে একটি গোপনীয় পত্র রয়েছে। তোমরা তার নিকট হতে সেটা নিয়ে এসো। আমরা ঘোড়ার পৃষ্ঠে আরোহিত হয়ে ছুটে চললাম। সেখানে আমরা জনৈক নারীকে দেখতে পেলাম। আমরা তাকে বললাম, পত্র বের করে দাও। সে বলল, আমার নিকট কোন পত্র নই। আমরা বললাম, তোমাকে পত্র বের করতেই হবে, আর না হলে গায়ের বস্ত্র খুলতে বাধ্য হব। তারপর সে তার চুলের বেণীর মাঝখান থেকে পত্র বের করে দিল। তখন আমরা তা নিয়ে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। পত্র খুলে দেখা গেল যে, তা হাতিব ইবনু আবূ বালতা (রাঃ)-এর পক্ষ হতে মাক্কার কতিপয় মুশরিকের প্রতি লিখিত একটি চিঠি ছিল। তিনি এ চিঠিতে রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতক গুরুত্বপূর্ণ কাজের লুকানো তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃহে হাতিব! তুমি এমন কাজ কেন করলে? সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার ব্যাপারে অনুগ্রহ করে দ্রুত রায় ঘোষণা করবেন না। আমি এমন একজন লোক, কুরায়শদের সঙ্গে যার সম্পর্ক রয়েছে (কিন্তু আমি তাদের বংশের কেউ নেই)। সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেন, তিনি তাদের মিত্র ছিলেন, কিন্তু তাদের (বংশোদ্ভূত) গোত্রভুক্ত ছিলেন না। আর আপনার মুহাজির সহাবীদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন সেখানে আছে, যাদের মাধ্যমে তাঁদের পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। তাই আমি স্থির করলাম যে, কুরায়শদের সাথে যখন আমা্র কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই তখন এমন কোন কাজ করি যার দ্বারা আমার পরিবার-পরিজন মুক্তি পেতে পারে। আমি এ কাজটি এজন্য করিনি যে, আমি কাফির হয়ে গেছি অথবা মুরতাদ হয়েছি দ্বীন থেকে। আর আমি ইসলাম কবূলের পরে কুফরের প্রতি আসক্ত হইনি। তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃসে সত্যই বলেছে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাকে অনুমতি দিন, আমি এ মুনাফিকের গর্দান কেটে দিব। তখন তিনি বললেন, সে তো বদর যুদ্ধে শারীক হয়েছিল এবং তুমি কি জান না যে, আল্লাহ বদরী সহাবীদের সম্পর্কে অধিক অবহিত আছেন। তিনি বলেছেন: “তোমরা যা খুশী করতে পারো, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।” এরপর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন- “হে মু’মিনগণ! আমার ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না”- (সুরাহ্ আল মুমতাহিনাহ্ ৬০: ১)।

আবূ বকর ও যুহায়র বর্ণিত হাদীসে আয়াতের বর্ণনা নেই। আর ইসহাক্ তাঁর বর্ণনায় আয়াতটিকে সুফ্ইয়ানের তিলাওয়াত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৬১৭৬, ই.সে. ৬২২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، ح وَحَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – كُلُّهُمْ عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا مَرْثَدٍ الْغَنَوِيَّ وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ وَكُلُّنَا فَارِسٌ فَقَالَ ‏ “‏ انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا امْرَأَةً مِنَ الْمُشْرِكِينَ مَعَهَا كِتَابٌ مِنْ حَاطِبٍ إِلَى الْمُشْرِكِينَ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এবং আবূ মারসাদ গানাবী ও যুবায়র ইবনুল ‘আও্ওয়াম (রাঃ)-কে প্রেরণ করলেন। আমরা সকলে অশ্বারোহী ছিলাম। তিনি বললেনঃতোমরা ‘রাওযায়ে খাখ’ নামক জায়গার দিকে রওনা হয়ে যাও। সেখানে এক মুশরিকা নারী রয়েছে। তার কাছে হাতিবের পক্ষ হতে মুশরিকদের নিকটে লেখা একটি পত্র রয়েছে। তারপর তিনি (বর্ণনাকারী) ‘আলী (রাঃ) হতে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি‘ বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬১৭৭, ই.সে. ৬২২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৯৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ عَبْدًا، لِحَاطِبٍ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْكُو حَاطِبًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَذَبْتَ لاَ يَدْخُلُهَا فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাতিবের এক দাস রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁর বিপক্ষে অভিযোগ উথপান করল। সে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হাতিব অবশ্যই জাহান্নাম ঢুকবে। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন তুমি মিথ্যা বলেছ, সে জাহান্নামে প্রবেশকরবে না। কারণ সে বদর যুদ্ধে ও হুদাইবিয়ার প্রান্তরে উপস্থিত হয়েছিল। ( সহীহ মুসলিম হাদীস নং- ৬২৯৭) (ই.ফা.৬১৭৮, ই.সে.৬২২২)

অধ্যায়ঃ হাতিব ইবনু আবূ বালতা’আহ এবং বাদরী সাহাবীগণ (রাঃ) এর ফযিলত।৫ম খন্ড ৪৪৮ পৃষ্টা, আহলে হাদীস লাইব্রেরী ঢাকা প্রকাশিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭. অধ্যায়ঃ

বাই‘আতে রিযওয়ানে অংশগ্রহনকারী আসহাবে শাজারাহ (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৯৮

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَخْبَرَتْنِي أُمُّ مُبَشِّرٍ، أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عِنْدَ حَفْصَةَ ‏”‏ لاَ يَدْخُلُ النَّارَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ أَحَدٌ ‏.‏ الَّذِينَ بَايَعُوا تَحْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَانْتَهَرَهَا فَقَالَتْ حَفْصَةُ ‏{‏ وَإِنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا‏}‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ قَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا‏}‏

জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাকে উম্মু মুবাশশার (রাঃ) অবহিত করেছেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে হাফসাহ (রাঃ) এর নিকট বলতে শুনেছেন, আল্লাহ চান তো বৃক্ষের নীচে বসে বাই’আতে রিযওয়ানে অংশগ্রহনকারীদের কেউই জাহান্নামে ঢুকবে না। তিনি (হাফসাহ) বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! (কেন যাবে না) তখন তিনি তাকে নিন্দাবাদ করলেন। হাফসাহ (রাঃ) বলেছিলেন আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, তোমাদের মাঝে এমন কেউ নেই যে তা অতিক্রম না করবে অর্থৎ- পুলসিরাত। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তো এও বলেছেন;যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে আমি তাদের মুক্তি দিব এবং যালিমদেরকে হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত অবস্থায় রেখে দিব। (সূরাহ মারইয়াম ১৯: ৭১-৭২) (ই.ফা.৬১৭৯, ই.সে. ৬২২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অধ্যায়ঃ

আবূ মূসা আশ‘আরী ও আবূ ‘আমির আশ‘আরী (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৯৯

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، قَالَ أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ نَازِلٌ بِالْجِعْرَانَةِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ أَلاَ تُنْجِزُ لِي يَا مُحَمَّدُ مَا وَعَدْتَنِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَبْشِرْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الأَعْرَابِيُّ أَكْثَرْتَ عَلَىَّ مِنْ ‏”‏ أَبْشِرْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي مُوسَى وَبِلاَلٍ كَهَيْئَةِ الْغَضْبَانِ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ هَذَا قَدْ رَدَّ الْبُشْرَى فَاقْبَلاَ أَنْتُمَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالاَ قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ فِيهِ وَمَجَّ فِيهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اشْرَبَا مِنْهُ وَأَفْرِغَا عَلَى وُجُوهِكُمَا وَنُحُورِكُمَا وَأَبْشِرَا ‏”‏ ‏.‏ فَأَخَذَا الْقَدَحَ فَفَعَلاَ مَا أَمَرَهُمَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَادَتْهُمَا أُمُّ سَلَمَةَ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ أَفْضِلاَ لأُمِّكُمَا مِمَّا فِي إِنَائِكُمَا ‏.‏ فَأَفْضَلاَ لَهَا مِنْهُ طَائِفَةً ‏.‏

আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সেবায় ছিলাম। সে সময় তিনি মাক্কাহ ও মাদীনার মাঝামাঝি জি’রানাহ নামধারী জায়গায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর সাথে বিলালও (রাঃ) ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট এক আরব বেদুঈন এলো। সে বলল হে মুহাম্মাদ! আপনি আমাকে যে ওয়া’দা দিয়েছেন তা কি পূরণ করবেন না? তখন রাসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তুমি সুখবর গ্রহণ করো। তারপর সে তাঁকে (রাসূলুল্লাহ্কে) বলল, আপনি তো অনেকবারই বলেছেন সুখবর গ্রহণ করো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত আবূ মূসা ও বিলালের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন. দেখ এ লোকটি সুখবর প্রত্যাখ্যান করেছে। অতএব তোমরা উভয়ে এগিয়ে এসো। তখন তাঁরা উভয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা এগিয়ে এসেছি, আপনার সুখবর গ্রহণ করেছি। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি পানি ভর্তি পাত্র আনালেন। তিনিতাঁর দু হাত ও মুখমন্ডল ধুইলেন এবং তাতে কুলি করলেন। তারপর তিনি বললেন, তোমরা দুজনে এ থেকে পানি পান করো এবং তোমাদের মুখমন্ডলে ও বুকে জড়িয়ে দাও। আর তোমরা দুজনে সুখবর কবূল করো। তারা উভয়ে পেয়ালাটি গ্রহন করলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশ মুতাবিক কাজ করলেন। তখন উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ (রাঃ) পর্দার অন্তরাল হতে তাদেঁর উভয়কে ডেকে বললেন, তোমাদের মায়ের জন্য তোমাদের পেয়ালায় কিছু পানি রেখে দাও। তারপর তাঁরা অবশিষ্ট পানি হতে তাঁকে অল্প পরিমাণ দিলেন। (ই.ফা.৬১৮০, ই.সে. ৬২২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩০০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ – وَاللَّفْظُ لأَبِي عَامِرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا فَرَغَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ حُنَيْنٍ بَعَثَ أَبَا عَامِرٍ عَلَى جَيْشٍ إِلَى أَوْطَاسٍ فَلَقِيَ دُرَيْدَ بْنَ الصِّمَّةِ فَقُتِلَ دُرَيْدٌ وَهَزَمَ اللَّهُ أَصْحَابَهُ فَقَالَ أَبُو مُوسَى وَبَعَثَنِي مَعَ أَبِي عَامِرٍ – قَالَ – فَرُمِيَ أَبُو عَامِرٍ فِي رُكْبَتِهِ رَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي جُشَمٍ بِسَهْمٍ فَأَثْبَتَهُ فِي رُكْبَتِهِ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ يَا عَمِّ مَنْ رَمَاكَ فَأَشَارَ أَبُو عَامِرٍ إِلَى أَبِي مُوسَى فَقَالَ إِنَّ ذَاكَ قَاتِلِي تَرَاهُ ذَلِكَ الَّذِي رَمَانِي ‏.‏ قَالَ أَبُو مُوسَى فَقَصَدْتُ لَهُ فَاعْتَمَدْتُهُ فَلَحِقْتُهُ فَلَمَّا رَآنِي وَلَّى عَنِّي ذَاهِبًا فَاتَّبَعْتُهُ وَجَعَلْتُ أَقُولُ لَهُ أَلاَ تَسْتَحْيِي أَلَسْتَ عَرَبِيًّا أَلاَ تَثْبُتُ فَكَفَّ فَالْتَقَيْتُ أَنَا وَهُوَ فَاخْتَلَفْنَا أَنَا وَهُوَ ضَرْبَتَيْنِ فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ فَقَتَلْتُهُ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى أَبِي عَامِرٍ فَقُلْتُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ قَتَلَ صَاحِبَكَ ‏.‏ قَالَ فَانْزِعْ هَذَا السَّهْمَ فَنَزَعْتُهُ فَنَزَا مِنْهُ الْمَاءُ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي انْطَلِقْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلاَمَ وَقُلْ لَهُ يَقُولُ لَكَ أَبُو عَامِرٍ اسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ قَالَ وَاسْتَعْمَلَنِي أَبُو عَامِرٍ عَلَى النَّاسِ وَمَكَثَ يَسِيرًا ثُمَّ إِنَّهُ مَاتَ فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي بَيْتٍ عَلَى سَرِيرٍ مُرْمَلٍ وَعَلَيْهِ فِرَاشٌ وَقَدْ أَثَّرَ رِمَالُ السَّرِيرِ بِظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَنْبَيْهِ فَأَخْبَرْتُهُ بِخَبَرِنَا وَخَبَرِ أَبِي عَامِرٍ وَقُلْتُ لَهُ قَالَ قُلْ لَهُ يَسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهُ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعُبَيْدٍ أَبِي عَامِرٍ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَوْقَ كَثِيرٍ مِنْ خَلْقِكَ أَوْ مِنَ النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ وَلِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاسْتَغْفِرْ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ ذَنْبَهُ وَأَدْخِلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُدْخَلاً كَرِيمًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بُرْدَةَ إِحْدَاهُمَا لأَبِي عَامِرٍ وَالأُخْرَى لأَبِي مُوسَى ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু বাররাদ আবূ আমির আশ’আরী ও আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা(রহঃ) আবূ বুরদাহ (রাঃ) এর পিতার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন হুনায়ন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন তখন আবূ আমির (রাঃ) কে একটি বাহিনীর পরিচালনায় দিয়ে আওতাস অভিযানে পাঠান। তিনি দুরায়দ ইবনু সিম্মার পরস্পর একত্রিত হলেন। দুরায়দ ইবনু সিম্মাহ মৃত্যুবরণ করলো এবং আল্লাহ তার বাহিনীকে বিজিত করলেন। তারপর আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আবূ আমিরের সাথে প্রেরণ করেছিলেন। আবূ আমিরের হাঁটুতে তীরের আঘাত লেগেছিল। বানী জুশাম সম্প্রদায়ের এক লোক সে তীরটি নিক্ষেপ করেছিল। এ তীরটি তার হাঁটুতে বিদ্ধ হয়েছিল। তখন আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং বললাম, চাচাজান! কে আপনাকে তীর বিদ্ধ করেছে? তখন আবূ আমির-এর ইঙ্গিতে আবূ মূসা (রাঃ) কে জানালেন, ঐ আমার ঘাতক, যাকে তুমি দেখতে পাচ্ছ, সে আমাকে তীরবিদ্ধ করেছে। আবূ মূসা (রাঃ)বলেন আমি তাকে আক্রমণ করে মারার ইচ্ছা পোষণ করলাম। আমি তার মুখোমুখি হলাম। সে আমাকে দেখামাত্র লুকিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে আক্রমণ করে বলছিলাম, হে বেহায়া, বেপরোয়া! পালাচ্ছ কেন? তুমি কি আরবীয় নও? বীরত্ব আছে তো দাঁড়িয়ে যাও, ভাগছো কেন? তখন সে থামল। তারপর সে ও আমি পরস্পর মুখোমুখি হলাম। আমরা পরস্পরে দুবার পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করলাম। আমি তাকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে ধরাশায়ী করলাম এবং শেষাবধি মেরে ফেললাম। তারপর আমি আমির (রাঃ)এর নিকট পত্যাবর্তন করে বললাম, আল্লাহ আপনার ঘাতককে মেরে ফেলেছেন। তখন আবূ আমির (রাঃ) বললেন, এ তীরটি বের করে নাও। আমি তৎক্ষণাৎ তা বের করে ফেললাম। তখন তা থেকে পানি (রক্ত) বের হচ্ছিল। তারপর তিনি বললেন, হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যাও এবং আমার পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম পৌছে দিও। আর তাঁর নিকট গিয়ে আবেদন করবে, আবূ আমির আপনাকে তার জন্য মাগফিরাতের দু’আ চেয়েছেন। তিনি (আবূ মূসা) বলেন, উপস্থিত লোকদের সামনে আবূ আমির আমাকে এ দায়িত্ব দিলেন এবং কতক সময় স্থির থাকলেন। তারপর তিনি জান্নাতবাসীদের মধ্যে গণ্য হলেন। আমি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গেলাম এবং তাঁর সেবায় উপস্থিত হলাম্ তখন তিনি চাটাইপাতা খাটের উপর ছিলেন এবং ঐ খাটের উপর চাদর ছিল না। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পৃষ্ঠে ও পাঁজরে চাটাইয়ের চিহ্ন বসে গিয়েছিল। তারপর আমি তাঁর নিকট আমাদের ও আবূ আমিরের সংবাদ দিলাম এবং আমি তাঁকে বললাম, তিনি (আবূ আমির)বলেছেন. তাঁর জন্য আপনাকে মাগফিরাতের দু’আ কামনা করতে। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি আনালেন এবং তা দ্বারা ওযূ করলেন। তারপর দু’হাত তুলে বললেন. হে আল্লাহ! উবায়দ আবূ আমিরকে ক্ষমা করে দাও। তখন আমি তাঁর দু বগলের শুভ্রতা দেখছিলাম। পুনরায় তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তাকে কিয়ামাতের দিন তোমার মাখলূকের মাঝে কিংবা মানুষের মধ্যে অনেকের উপরে জায়গা দিও। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার জন্যও মাগফিরাতের দু’আ করুন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আল্লাহ! আব্দুল্লাহ ইবনু কায়সের গুনাহ মাফ করে দাও এবং তাকে কিয়ামাতের দিনে সম্মানজনক জান্নাতে প্রবেশ করাও।

আবূ বুরদাহ (রাঃ) বলেন, একটি দু’আ আবূ আমিরের জন্য এবং অপরটি আবূ মূসা আশ’আরীর জন্য। (ই.ফা.৬১৮১, ই.সে. ৬২২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অধ্যায়ঃ

আশ‘আরী গোত্রের লোকজনের ফযিলত

৬৩০১

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي لأَعْرِفُ أَصْوَاتَ رُفْقَةِ الأَشْعَرِيِّينَ بِالْقُرْآنِ حِينَ يَدْخُلُونَ بِاللَّيْلِ وَأَعْرِفُ مَنَازِلَهُمْ مِنْ أَصْوَاتِهِمْ بِالْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ وَإِنْ كُنْتُ لَمْ أَرَ مَنَازِلَهُمْ حِينَ نَزَلُوا بِالنَّهَارِ وَمِنْهُمْ حَكِيمٌ إِذَا لَقِيَ الْخَيْلَ – أَوْ قَالَ الْعَدُوَّ – قَالَ لَهُمْ إِنَّ أَصْحَابِي يَأْمُرُونَكُمْ أَنْ تَنْظُرُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি অবশ্যই আশ’আরী বন্ধুদের কুরআন তিলাওয়াতের কন্ঠস্বর দিয়ে বুঝতে পারি যখন রাতে তারা প্রবেশ করেন। আর রাতের বেলা তাদের কন্ঠস্বরের দ্বারা তাদের আবাসস্থল চিহ্নিত করতে পারি যদিও দিনের বেলা আমি তাদের মনযিলসমূহ দেখিনি। তাদের মাঝে আছে একজন প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী লোক। যখন সে শত্রুপক্ষের বাহন অথবা খোদ শত্রুর মুখোমুখি করে তখন তাদের উদ্দেশে বলে, আমাদের লোকজন তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন, একটু অবকাশ দাও অথবা একটু অপেক্ষা করো। অর্থাৎ- আমরাও তৈরি। (হাদীসটি সহীহ মুসলিম ৬৩০১) (ই.ফা.৬১৮২, ই.সে. ৬২২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩০২

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، قَالَ أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الأَشْعَرِيِّينَ إِذَا أَرْمَلُوا فِي الْغَزْوِ أَوْ قَلَّ طَعَامُ عِيَالِهِمْ بِالْمَدِينَةِ جَمَعُوا مَا كَانَ عِنْدَهُمْ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ اقْتَسَمُوهُ بَيْنَهُمْ فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ بِالسَّوِيَّةِ فَهُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আশ’আরী সম্প্রদায়ের লোকজন যখন যুদ্ধের মাঠে উপস্থিত হয় কিংবা বলা হয়েছে মাদীনাতে তাঁদের পরিবার-পরিজনের যখন খাদ্যের অভাব দেখা দেয় তখন তাঁদের নিকট যা কিছু থাকে তা এক বস্ত্রে একত্রিত করে নেয়। তারপর তা নিজেদের একটি পেয়ালা দিয়ে সমভাবে ভাগ করে নেয়। তখন তিনি বললেন তাঁরা আমার হতে এবং আমি তাঁদের হতে। অর্থাৎ- আমি তাঁদের প্রতি খুশী। (ই.ফা.৬১৮৩, ই.সে.

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অধ্যায়ঃ

আবূ সুফইয়ান ইবনু হারব (রাঃ)-এর ফযিলত

৬৩০৩

حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ، – وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْيَمَامِيُّ – حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ الْمُسْلِمُونَ لاَ يَنْظُرُونَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَلاَ يُقَاعِدُونَهُ فَقَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا نَبِيَّ اللَّهِ ثَلاَثٌ أَعْطِنِيهِنَّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِنْدِي أَحْسَنُ الْعَرَبِ وَأَجْمَلُهُ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ أُزَوِّجُكَهَا قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَمُعَاوِيَةُ تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَتُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو زُمَيْلٍ وَلَوْلاَ أَنَّهُ طَلَبَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ لأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُسْئَلُ شَيْئًا إِلاَّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুসলিমরা আবূ সুফইয়ানের প্রতি দৃষ্টি দিতেন না এবং তাঁর সাথে উঠা-বসা করতেন না। তখন তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, হে আল্লাহর নাবী! তিনটি জিনিস আমাকে দিন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (আবূ সুফইয়ান) বললেন আমার নিকট আরবের সবচেয়ে উত্তম ও সুন্দরী উম্মু হাবীবাহ বিনতু আবূ সুফইয়ান(রাঃ) আছে তাকে আমি আপনার সাথে বিবাহ দিব। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন হ্যাঁ। আবূ সুফইয়ান (রাঃ)পুনরায় বললেন, আমার পুত্র মু’আবিয়াহকে আপনি ওয়াহী লেখক নিযুক্ত করুন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন হ্যাঁ। আবূ সূফইয়ান (রাঃ) বললেন আমাকে কাফিরদের বিপক্ষে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিন, যেমন আমি (ইসলাম গ্রহণের পূর্বে) মুসলিমদের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করেছিলাম। তিনি বললেন আচ্ছা। আবূ যুমায়ল (রাঃ) বলেন, যদি তিনি এসব ব্যাপারে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আবেদন না করতেন তাহলে তিনি তা দিতেন না। কারণ, তাঁর (আবূ সুফইয়ান (রাঃ) এর নিকট চাওয়া হলে তিনি হ্যাঁ বলতেন। (ই.ফা.৬১৮৪, ই.সে. ৬২২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১. অধ্যায়ঃ

জা’ফার ইবনু আবু তালিব, আসমা বিনতু ‘উমায়স ও তাদের নৌ সফর-সঙ্গীদের ফাজীলাত

৬৩০৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنِي بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ بَلَغَنَا مَخْرَجُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ أَنَا وَأَخَوَانِ لِي أَنَا أَصْغَرُهُمَا أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ وَالآخَرُ أَبُو رُهْمٍ – إِمَّا قَالَ بِضْعًا وَإِمَّا قَالَ ثَلاَثَةً وَخَمْسِينَ أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلاً مِنْ قَوْمِي – قَالَ فَرَكِبْنَا سَفِينَةً فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَأَصْحَابَهُ عِنْدَهُ فَقَالَ جَعْفَرٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنَا هَا هُنَا وَأَمَرَنَا بِالإِقَامَةِ فَأَقِيمُوا مَعَنَا ‏.‏ فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا – قَالَ – فَوَافَقْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَأَسْهَمَ لَنَا – أَوْ قَالَ أَعْطَانَا مِنْهَا – وَمَا قَسَمَ لأَحَدٍ غَابَ عَنْ فَتْحِ خَيْبَرَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ لِمَنْ شَهِدَ مَعَهُ إِلاَّ لأَصْحَابِ سَفِينَتِنَا مَعَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ قَسَمَ لَهُمْ مَعَهُمْ – قَالَ – فَكَانَ نَاسٌ مِنَ النَّاسِ يَقُولُونَ لَنَا – يَعْنِي لأَهْلِ السَّفِينَةِ – نَحْنُ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ ‏.‏

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যখন আমাদের নিকট রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হিজরাতের সংবাদ পৌঁছাল তখন আমরা ইয়ামানে ছিলাম। তারপর আমি ও আমার দু’ভাই তাঁর নিকট মিলিত হওয়ার জন্য হিজরত করলাম। আমি ছিলাম সে দুজনের ছোট। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম ছিল আবূ বুরদাহ (রাঃ) অন্যজন ছিলেন আবূ রুহম (রাঃ) তিনি হয়ত বলেছেন, তখন পঞ্চাশ জনের কিছু বেশি, নয়ত বলেছেন তিপ্পান্ন জন অথবা বাহান্ন জন ব্যক্তি আমাদের সম্প্রদায় ছিল। আমরা একটি নৌকায় আরোহিত হলাম। নৌকাটি আমাদের নিয়ে আবিসিনিয়ার সন্নিকটে উপস্থিত হলো, যেখানে বাদশাহ ছিলেন নাজাশী। তখন আমরা তাঁর নিকট জা’ফার ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ও তাঁর সাথীদের দেখা পেলাম। তারপর জা’ফর(রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছেন এবং অবস্থান করার আদেশ দিয়েছেন। অতএব আপনারা আমাদের সাথে অবস্থান করুন। তিনি বলেন আমরা তাঁর সাথে থাকতে লাগলাম, পরিশেষে আমরা সকলে একসাথে মাদীনাহ প্রত্যাবর্তন করলাম। তিনি বলেন তারপর খাইবার বিজয়কালে আমরা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে একত্রিত হলাম্ তিনি আমাদেরও গনীমাতের সম্পদের অংশ দিলেন কিংবা তিনি বলেছেন, তিনি তা হতে আমাদেরও প্রদান করেছেন। তিনি তাঁর সাথে যারা যুদ্ধের মাঠে সমবেত হয়েছিল তাদের ছাড়া কাউকে গনীমাতের অংশ দান করেননি। তবে জা’ফর ও তাঁর সাথীদের সাথে আমাদের নৌকায় আরোহী সাথীদেরও তাঁদের সাথে অংশ প্রদান করেছিলেন। রাবী বলেন, লোকদের মধ্যে কেউ আমাদের অর্থাৎ-নৌকা আরোহীদের বলে বেড়াত যে, আমরা তোমাদের অগ্রে হিজরাতকারী। (ই.ফা.৬১৮৫, ই.সে. ৬২২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩০৫

قَالَ فَدَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ – وَهِيَ مِمَّنْ قَدِمَ مَعَنَا – عَلَى حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَائِرَةً وَقَدْ كَانَتْ هَاجَرَتْ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِيمَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِ فَدَخَلَ عُمَرُ عَلَى حَفْصَةَ وَأَسْمَاءُ عِنْدَهَا فَقَالَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَسْمَاءَ مَنْ هَذِهِ قَالَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ الْحَبَشِيَّةُ هَذِهِ الْبَحْرِيَّةُ هَذِهِ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ فَنَحْنُ أَحَقُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْكُمْ ‏.‏ فَغَضِبَتْ وَقَالَتْ كَلِمَةً كَذَبْتَ يَا عُمَرُ كَلاَّ وَاللَّهِ كُنْتُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُطْعِمُ جَائِعَكُمْ وَيَعِظُ جَاهِلَكُمْ وَكُنَّا فِي دَارِ أَوْ فِي أَرْضِ الْبُعَدَاءِ الْبُغَضَاءِ فِي الْحَبَشَةِ وَذَلِكَ فِي اللَّهِ وَفِي رَسُولِهِ وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَطْعَمُ طَعَامًا وَلاَ أَشْرَبُ شَرَابًا حَتَّى أَذْكُرَ مَا قُلْتَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ كُنَّا نُؤْذَى وَنُخَافُ وَسَأَذْكُرُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَسْأَلُهُ وَوَاللَّهِ لاَ أَكْذِبُ وَلاَ أَزِيغُ وَلاَ أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ عُمَرَ قَالَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيْسَ بِأَحَقَّ بِي مِنْكُمْ وَلَهُ وَلأَصْحَابِهِ هِجْرَةٌ وَاحِدَةٌ وَلَكُمْ أَنْتُمْ أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ يَأْتُونِي أَرْسَالاً يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ مَا مِنَ الدُّنْيَا شَىْءٌ هُمْ بِهِ أَفْرَحُ وَلاَ أَعْظَمُ فِي أَنْفُسِهِمْ مِمَّا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو بُرْدَةَ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَإِنَّهُ لَيَسْتَعِيدُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنِّي ‏.‏

রাবী (আব্দুল্লাহ ইবনু বাররাদ আশ’আরী) (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অতঃপর আমাদের নৌকায় সফর সঙ্গিনী আসমা বিনতু উমায়স (রাঃ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হন। যাঁরা নাজাশীর নিকট হিজরাত করেছিলেন, তিনি ছিলেন তাঁদের একজন। ইত্যবসরে উমার(রাঃ) হাফসার নিকট আসলেন। তখন আসমা বিনতু উমায়স (রাঃ) তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন। তখন উমার (রাঃ)আসমাকে দেখে বললেন, ইনি কে? হাফসাহ (রাঃ) বললেন তিনি আসমা বিনতু উমায়স। উমার (রাঃ) বললেন ইনিই কি হাবশায় হিজরাতকারিণী, নৌকায় আরোহণকারিণী? তখন আসমা (রাঃ) বললেন জি হ্যাঁ। উমার (রাঃ) বললেন, হিজরাতের দৃষ্টিকোণে আমরা তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী। অতএব তোমাদের চেয়ে আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্বন্ধে বেশি হকদার। তখন আসমা (রাঃ) রাগান্বিত স্বরে বললেন, হে উমার! কথাটি সঠিক নয়। কক্ষনো সঠিক হতে পারে না আল্লাহর শপথ! তোমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে ছিলে। তিনি তোমাদের ক্ষুধার্তদের খাবার দান করতেন, অজ্ঞদের জ্ঞানের আলো বিতরণ করতেন। আর আমরা আবিসিনিয়ায় প্রবাসে বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অবস্থান করছিলাম। এটা ছিল শুধু আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সান্নিধ্য লাভের জন্যই। আল্লাহর শপথ! তুমি যা বলেছ তা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আলোচনা না করা পর্যন্ত আমি কোন খাবার খাব না এবং পানীয় দ্রব্যও ছুঁবো না। আমার (বিদেশ বিভুঁইয়ে) সার্বক্ষণিক বিপদ ও ভয়ভীতির মাঝে দিনাতিপাত করতাম। আমি ব্যাপারটি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উত্থাপন করব এবং প্রশ্ন করব। আল্লাহর শপথ! আমি মিথ্যাচার করব না, বিপথগামীও হব না এবং প্রকৃত ঘটনার চেয়ে বাড়িয়েও কিছু বলব না। রাবী বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন তখন আসমা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর নাবী! উমার (রাঃ) এই এই বলেছেন। তখনরসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন আমার প্রতি তোমাদের তুলনায় তার হক অধিক নেই। কারণ, তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের জন্য আছে কেবল একটি হিজরাত। আর তোমাদের নৌকারোহীদের জন্য আছে দু’টি হিজরাত। তিনি আসমা (রাঃ) বলেন, আমি আবূ মূসা (রাঃ) ও নৌকারোহীদের দলবেঁধে এসে আমার নিকট এ হাদীসটি প্রশ্ন করতে দেখেছি। তাঁদের বিষয়ে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন তাঁদের নিকট এর চেয়ে বেশি আনন্দদায়ক এবং বড় ও মহৎ কোন ব্যাপার ছিল না। আবূ বুরদাহ (রাঃ) বলেন যে, আসমা (রাঃ) বলেছেন, আমি আবূ মূসা (রাঃ) কে দেখেছি তিনি আমার নিকট হতে এ হাদীস আনন্দের আতিশয্যে বারবার শুনতে চাইতেন। (ই.ফা.৬১৮৫, ই.সে. ৬২২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪২. অধ্যায়ঃ

সালমান (রাঃ), সুহায়ব (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ)এর ফযিলত।

৬৩০৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، بْنِ قُرَّةَ عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ، أَتَى عَلَى سَلْمَانَ وَصُهَيْبٍ وَبِلاَلٍ فِي نَفَرٍ فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا أَخَذَتْ سُيُوفُ اللَّهِ مِنْ عُنُقِ عَدُوِّ اللَّهِ مَأْخَذَهَا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَتَقُولُونَ هَذَا لِشَيْخِ قُرَيْشٍ وَسَيِّدِهِمْ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ ‏ “‏ يَا أَبَا بَكْرٍ لَعَلَّكَ أَغْضَبْتَهُمْ لَئِنْ كُنْتَ أَغْضَبْتَهُمْ لَقَدْ أَغْضَبْتَ رَبَّكَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُمْ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ يَا إِخْوَتَاهْ أَغْضَبْتُكُمْ قَالُوا لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ يَا أُخَىَّ ‏.‏

আয়িয ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ সুফইয়ান (রাঃ) একদল লোকের সঙ্গে সালমান ফারসী (রাঃ), সুহায়ব (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ) এর নিকট আসলেন। তখন তাঁরা বললেন, আল্লাহর তলোয়ারসমূহ আল্লাহর শত্রুদের ঘাড়ে ঠিকসময়ে তার লক্ষ্যস্থলে এসে পড়েনি। রাবী বলেন, আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, তোমরা কি একজন বয়োবৃদ্ধ কুরায়শ নেতাকে এরূপ কথা বলছ? তারপর তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁকে ব্যাপারটি জানালেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃহে আবূ বাকর! তুমি মনে হয় তাদের অসন্তষ্ট করেছো। তুমি যদি তাদের অসন্তষ্ট করে থাক তবে তুমি তোমার প্রতি পালককেই অসন্তষ্ট করলে। তারপর আবূ বাকর (রাঃ) তাঁদের নিকট এসে বললেন, হে আমার ভাইয়েরা! আমি তোমাদের অসন্তষ্ট করেছি, তাই না? তারা বললেন না হে আমার ভাই! আল্লাহ আপনাকে মাফ করুন। (ই.ফা.৬১৮৬, ই.সে. ৬২৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩. অধ্যায়ঃ

আনসারদের (রাঃ) ফযিলত।

৬৩০৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، – وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ – قَالاَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ فِينَا نَزَلَتْ ‏{‏ إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلاَ وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا‏}‏ بَنُو سَلِمَةَ وَبَنُو حَارِثَةَ وَمَا نُحِبُّ أَنَّهَا لَمْ تَنْزِلْ لِقَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا‏}‏ ‏.‏

জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “তোমাদের দু’টি দল যখন কাপুরুষতা ও সাহসহীনতা দেখাবার জন্য প্রস্তত হয়েছিল, অথচ আল্লাহই সাহায্যকারী হিসেবে বর্তমান ছিলেন”- (সূরাহ আ-লি ইমরান ১২২) এ আয়াতটি আমাদের অর্থাৎ- বনূ সালিমাহ ও বনূ হারিসাহ সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। আর আমরা পছন্দ করতাম না যে এ আয়াতটি অবতীর্ণ না হোক। কারণ, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন: আল্লাহ এদের দু’জনের সাহায্যকারী ও অভিভাবক। (ই.ফা.৬১৮৭, ই.সে. ৬২৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَلأَبْنَاءِ الأَنْصَارِ وَأَبْنَاءِ أَبْنَاءِ الأَنْصَارِ ‏”‏ ‏.‏

যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: হে আল্লাহ! আনসারদের মাফ করুন, মাফ করে দিন তাদের সন্তানদের ও নাতী-নাতনীদেরকে। ই.ফা.৬১৮৮, ই.সে. ৬২৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩০৯

وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা.৬১৮৮, ই.সে. ৬২৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১০

حَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عَمَّارٍ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ – أَنَّ أَنَسًا، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَغْفَرَ لِلأَنْصَارِ – قَالَ – وَأَحْسِبُهُ قَالَ ‏ “‏ وَلِذَرَارِيِّ الأَنْصَارِ وَلِمَوَالِي الأَنْصَارِ ‏”‏ ‏.‏ لاَ أَشُكُّ فِيهِ ‏.‏

ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) তাকে শুনিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। রাবী বলেন, আমি মনে করি যে, তিনি বলেছেন: আনসারদের সন্তান-সন্ততি ও তাদের গোলামদের জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। “এতে আমার কোন সংশয় নেই। (ই.ফা.৬১৮৯, ই.সে. ৬২৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১১

حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، – وَهُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ – عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى صِبْيَانًا وَنِسَاءً مُقْبِلِينَ مِنْ عُرْسٍ فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُمْثِلاً فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَنْتُمْ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَىَّ اللَّهُمَّ أَنْتُمْ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَىَّ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الأَنْصَارَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু বালক ও নারীকে কোন এক উৎসব-অনুষ্ঠান থেকে আসতে দেখেন। তখন তিনি তাদের সামনে গিয়ে বললেনঃআল্লাহর শপথ! তোমরা (আনসাররা) আমার নিকট সবচেয়ে পছন্দের লোক, আমার নিকট তোমরা সবচেয়ে প্রিয় লোক। (ই.ফা.৬১৯০, ই.সে.৬২৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ غُنْدَرٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَخَلاَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لأَحَبُّ النَّاسِ إِلَىَّ ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ‏.‏

হিশাম ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, জনৈক আনসারী নারী রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলেন। রাবী বলেন তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে নীরবে আলাপ করছিলেন এবং বলছিলেন যাঁর হাতে আমার জীবন সে সত্তার শপথ, তোমরা আমার নিকট সবচেয়ে পছন্দের লোক। তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। (ই.ফা.৬১৯১, ই.সে. ৬২৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১৩

حَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

শু’বাহ (রাঃ) এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা.৬১৯১, ই.সে. ৬২৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الأَنْصَارَ كَرِشِي وَعَيْبَتِي وَإِنَّ النَّاسَ سَيَكْثُرُونَ وَيَقِلُّونَ فَاقْبَلُوا مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَاعْفُوا عَنْ مُسِيئِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আনসারগণ আমার পরম শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর লোকের সংখ্যা অনবরত বৃদ্ধি পাবে এবং আনসারদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকবে। অতএব তাদের ভাল আচরণগুলো গ্রহণ করো এবং তাদের অসদাচরণ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখ। (ই.ফা.৬১৯২, ই.সে. ৬২৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪. অধ্যায়ঃ

আনসারগণের উত্তম গৃহসমূহ।

৬৩১৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَيْرُ دُورِ الأَنْصَارِ بَنُو النَّجَّارِ ثُمَّ بَنُو عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ بَنُو سَاعِدَةَ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ سَعْدٌ مَا أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ قَدْ فَضَّلَ عَلَيْنَا ‏.‏ فَقِيلَ قَدْ فَضَّلَكُمْ عَلَى كَثِيرٍ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আনসারদের ঘরসমূহের মাঝে সবচেয়ে ভাল ঘর হলো বানূ নাজ্জার সম্প্রদায়ের, তারপর বানূ আশহালের ঘর, তারপর বানূ হারিস ইবনু খাযরাজের ঘর, তারপরহলো বানূ সাইদাহ সম্প্রদায়ের গৃহ। আনসারদের প্রত্যেকটি গৃহেই কল্যাণ বিরাজ করছে। সা’দ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উপর অন্যদের গুরুত্ব দিয়েছেন। লোকেরা বলল, তোমাদেরকেও অনেকের উপর স্থান দিয়েছেন। (ই.ফা.৬১৯৩, ই.সে. ৬২৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১৬

حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعْتُ أَنَسًا، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ উসায়দ আনসারী (রাঃ) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা.৬১৯৪, ই.সে. ৬২৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَذْكُرُ فِي الْحَدِيثِ قَوْلَ سَعْدٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু তিনি তার বর্ণিত হাদীসে সা’দ(রাঃ) এর উক্তিটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা.৬১৯৫, ই.সে. ৬২৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ عَبَّادٍ – حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُسَيْدٍ، خَطِيبًا عِنْدَ ابْنِ عُتْبَةَ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَيْرُ دُورِ الأَنْصَارِ دَارُ بَنِي النَّجَّارِ وَدَارُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ وَدَارُ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ وَدَارُ بَنِي سَاعِدَةَ ‏”‏ ‏.‏ وَاللَّهِ لَوْ كُنْتُ مُؤْثِرًا بِهَا أَحَدًا لآثَرْتُ بِهَا عَشِيرَتِي ‏.‏

ইব্রাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু তালহাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ উসায়দ (রাঃ) কে ইবনু উতবার নিকট ভাষণ দিতে শুনেছি যে, তিনি বলেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন আনসারদের গৃহসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম গৃহ বানূ নাজ্জারের ঘর, বানূ আশহালের ঘর, বানূ হারিস ইবনু খাযরাজের ঘর এবং বানূ সা’ইদার ঘর। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি যদি আনসাদের উপরে কাউকে মর্যাদায় অগ্রাধিকার দিতাম তাহলে আমার কাওমকে অগ্রাধিকার দিতাম। (ই.ফা.৬১৯৬, ই.সে. ৬২৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩১৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، قَالَ شَهِدَ أَبُو سَلَمَةَ لَسَمِعَ أَبَا أُسَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ يَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَيْرُ دُورِ الأَنْصَارِ بَنُو النَّجَّارِ ثُمَّ بَنُو عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ بَنُو سَاعِدَةَ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ قَالَ أَبُو أُسَيْدٍ أُتَّهَمُ أَنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ كُنْتُ كَاذِبًا لَبَدَأْتُ بِقَوْمِي بَنِي سَاعِدَةَ ‏.‏ وَبَلَغَ ذَلِكَ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ فَوَجَدَ فِي نَفْسِهِ وَقَالَ خُلِّفْنَا فَكُنَّا آخِرَ الأَرْبَعِ أَسْرِجُوا لِي حِمَارِي آتِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَكَلَّمَهُ ابْنُ أَخِيهِ سَهْلٌ فَقَالَ أَتَذْهَبُ لِتَرُدَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْلَمُ أَوَلَيْسَ حَسْبُكَ أَنْ تَكُونَ رَابِعَ أَرْبَعٍ ‏.‏ فَرَجَعَ وَقَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ وَأَمَرَ بِحِمَارِهِ فَحُلَّ عَنْهُ ‏.‏

আবূ উসায়দ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ সালামাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন আনসারদের গৃহের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে বানূ নাজ্জারের ঘর, এরপর বানূ আব্দুল আশহালের ঘর এরপর বানূ হারিস ইবনু খাযরাজের ঘর এরপর বানূ সা’ইদার ঘর। তাছাড়া প্রত্যেক আনসারীর গৃহেই কল্যাণ বিরাজ করছে। আবূ সালামাহ (রহঃ) বলেন, আবূউসায়দ (রাঃ) বলেছেন আমি যদি মিথ্যাচার করতাম তাহলে আমি বংশ বানূ সা’ইদাহ দিয়ে আরম্ভ করতাম। তাতে আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর অপবাদকারীরূপে গণ্য হতাম। ব্যাপারটি সা’দ ইবনু উবাদাহ(রাঃ) এর কাছে পৌঁছালে তিনি অস্বস্তিবোধ করলেন এবং তিনি বললেন, আমাদের পেছনে দেয়া হয়েছে। অতএব আমরা চার জনের মধ্যে চতুর্থ (শেষ) স্থান পড়ে গেছি। আমার গাধার পৃষ্ঠে গদি লাগাও আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট চলে যাব। তাঁর সাথে তাঁর ভাইয়ের ছেলে সাহলের কথোপকথন হচ্ছিল। সে বলেছিল, আপনি কি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট প্রতিবাদ জানানোর জন্য যাবেন বরং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বাধিক জ্ঞাত? চার জনের মাঝে চতুর্থ হওয়া কি আপনার জন্য যথেষ্ট নয়? তখন তিনি থামলেন এবংবললেন, আল্লাহ ও তাঁর রসূল সর্বাধিক জ্ঞাত। তারপর তিনি তার গাধার জিন খুলতে নির্দেশ দিলেন এবং তা খুলে ফেলা হলো। (ই.ফা.৬১৯৭, ই.সে. ৬২৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيِّ بْنِ بَحْرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا أُسَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ خَيْرُ الأَنْصَارِ أَوْ خَيْرُ دُورِ الأَنْصَارِ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ فِي ذِكْرِ الدُّورِ وَلَمْ يَذْكُرْ قِصَّةَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ رضى الله عنه ‏.‏

আবূ উসায়দ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন যে, সর্বাধিক উত্তম আনসার কিংবা আনসারদের সবচেয়ে উত্তম গৃহ বর্ণনা করার ক্ষেত্রে তাদের বর্ণিত হাদীসের অবিকল। কিন্ত তিনি তার বর্ণনায় সা’দ ইবনু উবাদার কাহিনী বর্ণনা করেননি। (ই.ফা.৬১৯৮, ই.সে. ৬২৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২১

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي مَجْلِسٍ عَظِيمٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ‏”‏ أُحَدِّثُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الأَنْصَارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ بَنُو عَبْدِ الأَشْهَلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ثُمَّ مَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ بَنُو النَّجَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ثُمَّ مَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ثُمَّ مَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ بَنُو سَاعِدَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ثُمَّ مَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ فِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ مُغْضَبًا فَقَالَ أَنَحْنُ آخِرُ الأَرْبَعِ حِينَ سَمَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَارَهُمْ فَأَرَادَ كَلاَمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ رِجَالٌ مِنْ قَوْمِهِ اجْلِسْ أَلاَ تَرْضَى أَنْ سَمَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَارَكُمْ فِي الأَرْبَعِ الدُّورِ الَّتِي سَمَّى فَمَنْ تَرَكَ فَلَمْ يُسَمِّ أَكْثَرُ مِمَّنْ سَمَّى ‏.‏ فَانْتَهَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ عَنْ كَلاَمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ ইবনু মাসউদ থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলিমদের এক বিরাট সমাবেশে বলেছেন আমি কি লোকেদেরকে আনসারদের সর্বাপেক্ষা ভাল গৃহ সম্বন্ধে উল্লেখ করব? তখন তারা বললেন জ্বি হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন বানূ আব্দুল আশহাল। তাঁরা বললেন তারপর কারা? হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি বললেন তারপর বানূ নাজ্জার। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারপর কারা? তিনি বললেন, এরপর বানূ হারিস ইবনু খাযরাজ। তাঁরা বললেন এরপর কারা হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি বললেন, বানূ সা’ইদাহ। তাঁরা বললেন, তারপর কারা? তখন তিনি বললেন, প্রত্যেক আনসারীর গৃহে কল্যাণ বিরাজ করছে তখন সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) রাগতস্বরে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমরা কি চারের মাঝে সর্বশেষ? যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নামোল্লেখ করলেন তখন তিনি তাঁর কথার বিরুদ্ধাচরণ করার আকাঙ্ক্ষা করছিলেন। তখন তাঁর সম্প্রদায়ের কতক ব্যক্তি তাঁকে বলল, আপনি বসে পড়ুন। আপনি কি এতে খুশী নন যে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে চারটি সম্প্রদায়ের কথা বলেছেন তন্মধ্যে আপনার সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন? যাদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন তাদের চাইতে যাদের কথা তিনি বর্ণনা করেননি তাদের সংখ্যাই তো বেশি। তখন সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথার প্রত্যুত্তর করা হতে বিরত থাকলেন। (ই.ফা.৬১৯৯, ই.সে.৬২৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫. অধ্যায়ঃ

আনসারগণের উত্তম সান্নিধ্য।

৬৩২২

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ، عَرْعَرَةَ – وَاللَّفْظُ لِلْجَهْضَمِيِّ – حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ فِي سَفَرٍ فَكَانَ يَخْدُمُنِي فَقُلْتُ لَهُ لاَ تَفْعَلْ ‏.‏ فَقَالَ إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ الأَنْصَارَ تَصْنَعُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا آلَيْتُ أَنْ لاَ أَصْحَبَ أَحَدًا مِنْهُمْ إِلاَّ خَدَمْتُهُ ‏.‏ زَادَ ابْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ فِي حَدِيثِهِمَا وَكَانَ جَرِيرٌ أَكْبَرَ مِنْ أَنَسٍ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ بَشَّارٍ أَسَنَّ مِنْ أَنَسٍ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমি জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ বাজালী (রাঃ) এর সাথে এক সফরে বের হলাম। এ সফরে তিনি আমার সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। তখন আমি তাকে বললাম, এমন করবে না তিনি বললেন, আমি নিশ্চিত দেখেছি যে, আনসারগণ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে এমন খিদমাত করতেন। তখন আমি শপথ করেছি যে, আমি যখন আনসারদের কারো সঙ্গী হব তখন তাঁর সেবায় থাকব। ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার তাদের বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন অর্থাৎ- জারীর আনাসের চাইতে বড় ছিলেন এবং ইবনু বাশশার বলেছেন, তিনি আনাসের চেয়ে বৃদ্ধ ও বেশি বয়স্ক ছিলেন। (ই.ফা.৬২০০, ই.সে. ৬২৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬. অধ্যায়ঃ

গিফার ও আসলাম গোত্রের জন্য রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দু’আ

৬৩২৩

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ যার (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: গিফার সম্প্রদায়কে আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন এবং আসলাম সম্প্রদায়ের লোকদের আল্লাহ তা’আলা নিরাপত্তা দিয়েছেন। (ই.ফা.৬২০১, ই.সে. ৬২৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، الْجَوْنِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ائْتِ قَوْمَكَ فَقُلْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ যারগিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন: তুমি তোমার সম্প্রদায়ের নিকট যাও এবং বলে দাও যে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আসলাম গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা নিরাপত্তা বিধান করেছেন এবং গিফার গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন। (ই.ফা.৬২০২, ই.সে. ৬২৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২৫

حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

শু’বাহ (রাঃ) হতে অত্র সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা.৬২০৩, ই.সে. ৬২৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

 

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ، الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

 

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

 

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ نُمَيْرٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح

 

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، كُلُّهُمْ قَالَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا ‏”‏ ‏.‏

সুওয়াইদ ইবনু সা’ঈদ ও ইবনু আবূ উমার(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অপর সানাদে উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ), অন্য সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ), অন্য একসানাদে মুহাম্মাদ ইবনু রাফি …. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে। অপর এক সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ),অন্য সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) অপর এক সূত্রে সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) জারীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা আসলাম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দান করেছেন এবং গিফার গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন। (ই.ফা.৬২০৪, ই.সে. ৬২৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২৭

وَحَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ خُثَيْمِ بْنِ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا أَمَا إِنِّي لَمْ أَقُلْهَا وَلَكِنْ قَالَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আসলাম গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা নিরাপত্তা বিধান করেছেন এবং গিফার গোত্রের লোকেদের আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন। কিন্তু এ কথা আমি বলিনি বরং আল্লাহ তা’আলাই বলেছেন। (ই.ফা. ৬২০৫, ই.সে. ৬২৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২৮

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ خُفَافِ بْنِ إِيمَاءَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةٍ ‏ “‏ اللَّهُمَّ الْعَنْ بَنِي لِحْيَانَ وَرِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

খুফাফ ইবনু ঈমা আল-গিফারী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সালাতের দু’আয় বলেছেন: হে আল্লাহ! বানু লিহয়্যান, রি’ল, যাকওয়ান ও উসাইয়্যাহ গোত্রের উপর অভিসম্পাত করো। কারণ, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। আর গিফারকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন এবং আসলামকে নিরাপত্তা বিধান করেছেন। (ই.ফা. ৬২০৬, ই.সে. ৬২৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩২৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ، عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَعُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: গিফার গোত্রের লোকেদেরকে আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন, আসলাম গোত্রের লোকেদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন এবং ‘উসাইয়্যাহ গোত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। (ই.ফা. ৬২০৭, ই.সে. ৬২৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩০

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَالْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ وَفِي حَدِيثِ صَالِحٍ وَأُسَامَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ عَلَى الْمِنْبَرِ ‏.‏

ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত। কিন্তু সালিহ ও উসামাহ বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৬২০৮, ই.সে. ৬২৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩১

وَحَدَّثَنِيهِ حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي ابْنُ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ مِثْلَ حَدِيثِ هَؤُلاَءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

আবূ সালামাহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন যে, ইবনু উমার (রাঃ) পূর্ববর্তী হাদীসের অবিকল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন। (ই.ফা. ৬২০৮, ই.সে. ৬২৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অধ্যায়ঃ

গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশজা, মুযাইনাহ, তামীম, দাওস ও তাইয়ী গোত্রের ফযিলত

৬৩৩২

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – وَهُوَ ابْنُ هَارُونَ – أَخْبَرَنَا أَبُو مَالِكٍ، الأَشْجَعِيُّ عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الأَنْصَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ وَغِفَارُ وَأَشْجَعُ وَمَنْ كَانَ مِنْ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ مَوَالِيَّ دُونَ النَّاسِ وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ مَوْلاَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ আইয়ূব (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আনসার, মুযাইনাহ, জুহাইনাহ, গিফার, আশজা এবং বানূ ‘আবদুল্লাহ আমার বন্ধুমানুষ, অন্যরা নয়। আর আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল এদের অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষক। (ই.ফা. ৬২০৯, ই.সে. ৬২৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَغِفَارُ وَأَشْجَعُ مَوَالِيَّ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُونَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কুরায়শ, আনসার, মুযাইনাহ, জুহাইনাহ, আসলাম, গিফার, আশজা আমার বন্ধু মানুষ। আর আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রসূল ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষক নেই। (ই.ফা. ৬২১০, ই.সে. ৬২৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي الْحَدِيثِ قَالَ سَعْدٌ فِي بَعْضِ هَذَا فِيمَا أَعْلَمُ ‏.‏

সা’দ ইবনু ইবরাহীম (রা) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত আছে। তবে সা’দ তাঁর বর্ণিত হাদীসে কোন কোন সময় বলেছেন, “আমার জানা মতে”। (ই.ফা. ৬২১১, ই.সে. ৬২৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ مِنْ جُهَيْنَةَ أَوْ جُهَيْنَةُ خَيْرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي عَامِرٍ وَالْحَلِيفَيْنِ أَسَدٍ وَغَطَفَانَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আসলাম, গিফার, মুযাইনাহ এবং যারা জুহাইনাহ গোত্রের অন্তর্ভূক্ত অথবা জুহাইনাহ গোত্র বাণূ তামীম, বানু আমির এবং তাদের দু’মিত্র আসাদ ও গাতফানের তুলনায় উত্তম। (ই.ফা. ৬২১২, ই.সে. ৬২৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ، الآخَرَانِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ الأَعْرَجِ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَغِفَارُ وَأَسْلَمُ وَمُزَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ مِنْ جُهَيْنَةَ أَوْ قَالَ جُهَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ مِنْ مُزَيْنَةَ خَيْرٌ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَسَدٍ وَطَيِّئٍ وَغَطَفَانَ ‏”‏ ‏.‏

আরাজ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সে সত্তার শপথ! যাঁর নিয়ন্ত্রণে মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবন! গিফার, আসলাম, মুযাইনাহ এবং যারা জুহাইনার অন্তর্ভূক্ত তাঁরা আল্লাহর নিকট কিয়ামাতের দিনে উত্তম বলে গণ্য হবেন আসাদ, তাইয়ী ও গাতফান গোত্র হতে। (ই.ফা. ৬২১৩, ই.সে. ৬২৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৭

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِيَانِ ابْنَ عُلَيَّةَ – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لأَسْلَمُ وَغِفَارُ وَشَىْءٌ مِنْ مُزَيْنَةَ وَجُهَيْنَةَ أَوْ شَىْءٌ مِنْ جُهَيْنَةَ وَمُزَيْنَةَ خَيْرٌ عِنْدَ اللَّهِ – قَالَ أَحْسِبُهُ قَالَ – يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَسَدٍ وَغَطَفَانَ وَهَوَازِنَ وَتَمِيمٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আসলাম, গিফার, মুযাইনাহ ও জুহাইনার কিয়দংশ কিংবা জুহাইনাহ ও মুযাইনার কিছু লোক আল্লাহর নিকট বর্ণনাকারী বলেন যে, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, কিয়ামাত দিবসে আসাদ, গাতফান, হাওয়াযিন ও তামীম গোত্রের তুলনায় উত্তম বলে গণ্য হবে। (ই.ফা. ৬২১৪, ই.সে. ৬২৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، سَمِعْتُ عَبْدَ، الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّمَا بَايَعَكَ سُرَّاقُ الْحَجِيجِ مِنْ أَسْلَمَ وَغِفَارَ وَمُزَيْنَةَ – وَأَحْسِبُ جُهَيْنَةَ – مُحَمَّدٌ الَّذِي شَكَّ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ – وَأَحْسِبُ جُهَيْنَةَ – خَيْرًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي عَامِرٍ وَأَسَدٍ وَغَطَفَانَ أَخَابُوا وَخَسِرُوا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهُمْ لأَخْيَرُ مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ مُحَمَّدٌ الَّذِي شَكَّ ‏.‏

আবূ বাকর (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আকরা ইবনু হাবিস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলেন। তারপর তিনি বললেন, আপনার হাতে বাইআত কবূল করেছেন আসলাম, গিফার ও মুযাইনার হাজীদের মালপত্র লুটপাটকারী, আর আমি মনে করি জুহাইনাহও এর অন্তর্ভূক্ত। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি তাই মনে করো? যদি আসলাম, গিফার, মুযাইনাহ এবং আমি মনে করি জুহাইনাহ ও বানূ তামীম, বানূ আমির, আসাদ ও গাতফানের তুলনায় উত্তম। আর তাহলে এরা ক্ষতির মুখোমুখি হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে সত্তার শপথ! যাঁর নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন, অবশ্যই এরা তাদের তুলনায় উত্তম। কিন্তু ইবনু আবূ শাইবার হাদীসে “মুহাম্মাদ সন্দেহে নিপতিত” কথাটির বর্ণনা নেই। (ই.ফা. ৬২১৫, ই.সে. ৬২৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৩৯

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي سَيِّدُ بَنِي، تَمِيمٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ الضَّبِّيُّ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ قَالَ ‏ “‏ وَجُهَيْنَةُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ أَحْسِبُ ‏.‏

বানূ তামীম সম্প্রদায়ের দলপতি মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াকূব যাববিয়্যি এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি তার বর্ণনায় বলেছেন ‘এবং জুহাইনাহ’ এবং ‘আমি ধারণা করি’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬২১৬, ই.সে. ৬২৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪০

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ خَيْرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَمِنْ بَنِي عَامِرٍ وَالْحَلِيفَيْنِ بَنِي أَسَدٍ وَغَطَفَانَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন: আসলাম, গিফার, মুযাইনাহ ও জুহাইনার লোকজন বানূ তামীম, বানূ আমির এবং তাদের দু’মিত্র আসাদ ও গাতফানের তুলনায় উত্তম। (ই.ফা. ৬২১৭, ই.সে. ৬২৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ح وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহ) থেকে বর্ণিতঃ

অপর সানাদে আমর আন নাকিদ (রহ) … আবূ বিশর (রা)-এর সূত্রে এ সানাদে অবিকল বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৬২১৮, ই.সে. ৬২৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ جُهَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَغِفَارُ خَيْرًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَطَفَانَ وَعَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ ‏”‏ ‏.‏ وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهُمْ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ ‏”‏ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ جُهَيْنَةُ وَمُزَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَغِفَارُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাকর (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা কি জান যে, জুহাইনাহ, আসলাম, গিফার গোত্র বাণূ তামীম, বানূ আবদুল্লাহ ইবনু গাতফান ও আমির ইবনু সা’সা’আহ-এর তুলনায় উত্তম? তখন তিনি তাঁর কথাগুলো উচ্চ:স্বরে বলেছিলেন। তখন তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা ধ্বংস হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন তিনি বললেন, অবশ্যই এরা তাদের তুলনায় উত্তম। কিন্তু আবূ কুরায়ব (রহ)-এর বর্ণিত হাদীসে “তোমরা কি জান যে, জুহাইনাহ, মুযাইনাহ, আসলাম ও গিফার”-উক্তিটির বর্ণনা আছে। (ই.ফা. ৬২১৯, ই.সে. ৬২৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪৩

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ أَتَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ لِي إِنَّ أَوَّلَ صَدَقَةٍ بَيَّضَتْ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوُجُوهَ أَصْحَابِهِ صَدَقَةُ طَيِّئٍ جِئْتَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আদী ইবনু হাতিম (রহ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর নিকট আসলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, সর্বপ্রথম যে সাদাকাহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীদের মুখমন্ডল চমকিত করেছিল তা হচ্ছে তাইয়ী সম্প্রদায়ের সাদাকাহ- যা তুমি নিজে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে এসেছিলে। (ই.ফা. ৬২২০, ই.সে. ৬২৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَدِمَ الطُّفَيْلُ وَأَصْحَابُهُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ دَوْسًا قَدْ كَفَرَتْ وَأَبَتْ فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهَا ‏.‏ فَقِيلَ هَلَكَتْ دَوْسٌ فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَائْتِ بِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তুফায়ল ও তাঁর সঙ্গীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! দাওস সম্প্রদায় কুফরী অবলম্বন করেছে এবং ইসলাম কবূলে স্বীকৃতি দেয়নি। অতএব আপনি তাদের বিপক্ষে বদদু’আ করুন। তখন বলা হলো, দাওস ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি বলেন, “হে আল্লাহ! দাওসকে হিদায়াত দান করো এবং তাদেরকে (আমার নিকট) এনে দাও”। (ই.ফা. ৬২২১, ই.সে. ৬২৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لاَ أَزَالُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ مِنْ ثَلاَثٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ هُمْ أَشَدُّ أُمَّتِي عَلَى الدَّجَّالِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَجَاءَتْ صَدَقَاتُهُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَذِهِ صَدَقَاتُ قَوْمِنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَتْ سَبِيَّةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَعْتِقِيهَا فَإِنَّهَا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যুরআহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, আমি তিনটি কারণে বানূ তামীমকে ভালবাসতে থাকব। এ তিনটি ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তারা আমার উম্মাতের মধ্যে দাজ্জালের উপর সবচেয়ে বেশী শক্তিধর। রাবী বলেন, যখন তাদের সাদাকাহ আসলো তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএটা আমার জাতির সদাকাহ। রাবী বলেন, তাদের গোত্রের এক নারী ‘আয়িশা (রা)-এর বন্দিনী ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএকে আযাদ করে দাও। কারণ, সে ইসমাঈল (আঃ)-এর সন্তানদের একজন। (ই.ফা. ৬২২২, ই.সে. ৬২৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪৬

وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لاَ أَزَالُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ بَعْدَ ثَلاَثٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا فِيهِمْ ‏.‏ فَذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বানূ তামীম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তিনটি কথা শোনার পর আমি তাদের পছন্দ করতে শুরু করি। তারপর তিনি পূর্বের ন্যায় অবিকল বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬২২২, ই.সে. ৬২৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪৭

وَحَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ الْمَازِنِيُّ، إِمَامُ مَسْجِدِ دَاوُدَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ ثَلاَثُ خِصَالٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَنِي تَمِيمٍ لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُمْ بَعْدُ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِهَذَا الْمَعْنَى غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ هُمْ أَشَدُّ النَّاسِ قِتَالاً فِي الْمَلاَحِمِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الدَّجَّالَ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বানূ তামীম গোত্রের তিনটি বৈশিষ্ট বর্ণনা করতে শুনেছি। তারপর হতে আমি তাদের পছন্দ করতে আরম্ভ করি। অতঃপর তিনি এ অনুরূপ অর্থে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন। কিন্তু এ বর্ণনায় দাজ্জালের কথা বর্ণনা করেননি। এর জায়গায় “এরা যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী বীরত্ব প্রদর্শনকারী ছিলেন।” কথাটি বলেছেন আর দাজ্জালের কথা উল্লেখ করেননি। (ই. ফা. ৬২২৩, ই. সে. ৬৩৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অধ্যায়ঃ

সর্বোত্তম ব্যক্তিদের বিবরণ

৬৩৪৮

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَجِدُونَ النَّاسَ مَعَادِنَ فَخِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الإِسْلاَمِ إِذَا فَقُهُوا وَتَجِدُونَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ فِي هَذَا الأَمْرِ أَكْرَهُهُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ فِيهِ وَتَجِدُونَ مِنْ شِرَارِ النَّاسِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ব্যক্তিদের খনিজ ও গুপ্তধনের ন্যায় দেখতে পাবে। অতএব যারা জাহিলী যুগে উত্তম ছিল তারা ইসলামেও উত্তম বলে বিবেচিত হবে। যখন তারা দীনী জ্ঞানের অধিকারী হবে। কিংবা তোমরা এ ব্যাপারে অর্থাৎ ইসলামে উত্তম ব্যক্তি দেখতে পাবে যারা তার পূর্বে চরমভাবে ইসলামকে ঘৃণা করত। আর তোমরা সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি হিসেবে দেখতে পাবে সে সকল লোককে, যারা দ্বিমুখী চরিত্রের লোক- এরা এ দলের নিকট একমুখী কথা বলে পুনরায় অপর এক দলের নিকট এসে আরেক ধরনের রূপ নিয়ে উপস্থিত হয়। [দ্রষ্টব্য হাদীস ২৬২০] (ই. ফা. ৬২২৪, ই. সে. ৬৩৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৪৯

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

 

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَجِدُونَ النَّاسَ مَعَادِنَ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي زُرْعَةَ وَالأَعْرَجِ ‏”‏ تَجِدُونَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ فِي هَذَا الشَّأْنِ أَشَدَّهُمْ لَهُ كَرَاهِيَةً حَتَّى يَقَعَ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানব সম্পদ খনির ন্যায় মূল্যবান দেখতে পাবে। তার পরবর্তী অংশ যুহরীর হাদীসের অনুরূপ। কিন্তু আবূ যুর’আহ্ ও আ’রাজের বর্ণিত হাদীসঃ অর্থাৎ-“তোমরা কতক লোককে সর্বোত্তম ব্যক্তি(৩৯) হিসেবে পাবে যারা এতে পতিত হওয়া এটাকে খুব বেশি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। (ই. ফা. ৬২২৫, ই. সে. ৬৩৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৯] সর্বোত্তম ব্যক্তি বলতে যেমন উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ), খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ), ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ) ইকরামাহ ইবনু আবু জাহল (রাঃ) সাহল ইবনু আমর (রাঃ) ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অধ্যায়ঃ

কুরায়শ নারীদের ফযিলত

৬৩৫০

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ – قَالَ أَحَدُهُمَا صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ ‏.‏ وَقَالَ الآخَرُ نِسَاءُ قُرَيْشٍ – أَحْنَاهُ عَلَى يَتِيمٍ فِي صِغَرِهِ وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বোত্তম মহিলা তারাই যারা উষ্ট্রে আরোহণ করে। রাবীদের একজন বলেন, কুরায়শ নারীই নেক বখ্ত সতী-সাধ্বী। অন্যজন বলেন, কুরাইশী ইয়াতীমদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ও মেহেরবান এবং তারা তাদের স্বামীর ধন-সম্পদের প্রতি বিশ্বস্ত রক্ষক। (ই. ফা. ৬২২৬, ই. সে. ৬৩৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫১

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ أَرْعَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ يَتِيمٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তার বর্ণনায় একটু আলাদা আছে-“শৈশবে তারা তাদের শিশুদের প্রতি অত্যন্ত দয়াশীল” এবং তিনি . . . ‘ইয়াতীম’ শব্দটি বলেননি। (ই. ফা. ৬২২৭, ই. সে. ৬৩৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫২

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ نِسَاءُ قُرَيْشٍ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ أَحْنَاهُ عَلَى طِفْلٍ وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ وَلَمْ تَرْكَبْ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ بَعِيرًا قَطُّ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, উটের পিঠে আরোহণকারিণী মহিলাদের মধ্যে কুরাইশী মহিলারা সর্বোত্তম নারী। তারা শিশুদের প্রতি স্নেহশীল এবং স্বামীর ধন-সম্পদের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত রক্ষক।

রাবী বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) এভাবেই বলতেন। আর মারইয়াম বিনতু ‘ইমরান (রাঃ) কক্ষনো উটে সওয়ার হননি। (ই. ফা. ৬২২৮, ই. সে. ৬৩৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫৩

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ كَبِرْتُ وَلِيَ عِيَالٌ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ তালিবের কন্যা উম্মু হানী (রাঃ) এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। তখন তিনি বললেন, যে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি তো বার্ধক্যে পৌছে গেছি এবং আমার সন্তানাদিও রয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উটে আরোহন কারিণীদের মধ্যে (তুমি) সর্বোত্তম নারী। তারপর মা’মার (রাবী) ইউনুস বর্ণিত হাদীসের হুবহু উল্লেখ করেন। কিন্তু তার বর্ণনায় এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেন, অর্থাৎ -“তারা শৈশবে সন্তানের প্রতি খুবই স্নেহশীল ও যত্নশীল”। (ই. ফা. ৬২২৯, ই. সে. ৬৩৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫৪

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ عَبْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح

 

وَحَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উটে আরোহণকারিণী নারীদের মধ্যে কুরাইশী সৎ নারীরাই উত্তম। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের প্রতি শৈশবে যত্নবান এবং স্বামীর ধন-সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে বিশ্বস্ত দায়িত্বশীল। (ই. ফা. ৬২৩০, ই. সে. ৬৩৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫৫

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الأَوْدِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ مَخْلَدٍ – حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، – وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ – حَدَّثَنِي سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَعْمَرٍ هَذَا سَوَاءً ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত মা’মার এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৬২৩১, ই. সে. ৬৩৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০. অধ্যায়ঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) এর পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃসম্পর্ক স্থাপন করার বিবরণ

৬৩৫৬

حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آخَى بَيْنَ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَبَيْنَ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) ও আবূ তালহাহ্ (রাঃ) এর মাঝে ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছিলেন। (ই. ফা. ৬২৩২, ই. সে. ৬৩৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫৭

حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، قَالَ قِيلَ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ بَلَغَكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ حِلْفَ فِي الإِسْلاَمِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَنَسٌ قَدْ حَالَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ قُرَيْشٍ وَالأَنْصَارِ فِي دَارِهِ ‏.‏

আলিম ইবনুল আহওয়াল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে প্রশ্ন করা হলো, আপনার নিকট কি এ মর্মে রিওয়ায়াত পৌঁছেছে যে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে কোন হলফ-মৈত্রী স্থাপন নেই? তখন আনাস (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরায়াশ ও আনসারদের মাঝে তাঁর গৃহে বসেই বন্ধুত্ব চুক্তি করেছিলেন। (ই.ফা. ৬২৩৩,ই.স ৬২৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ، سُلَيْمَانَ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ حَالَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ قُرَيْشٍ وَالأَنْصَارِ فِي دَارِهِ الَّتِي بِالْمَدِينَةِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরায়েশ ও আনসারদের মাঝে মাদীনাতে তাঁর গৃহে বসেই সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। (ই.ফা. ৬২৩৪,ই.স ৬২৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ حِلْفَ فِي الإِسْلاَمِ وَأَيُّمَا حِلْفٍ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لَمْ يَزِدْهُ الإِسْلاَمُ إِلاَّ شِدَّةً ‏”‏ ‏.‏

জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে অবৈধ চুক্তির কোন অবকাশ নেই। তবে জাহিলী যুগে ভাল কাজের উদ্দেশ্যে যে সব চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তা ইসলামে আরও মজবুত ও শক্তিশালী করে দিয়েছে। (ই.ফা. ৬২৩৫, ই.স ৬২৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ্ এর উপস্থিতি তাঁর সহাবাদের নিরাপত্তা ছিল এবং সহাবাগণের উপস্থিতি সমগ্র উন্মাতের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ামক ছিল

৬৩৬০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانَ، كُلُّهُمْ عَنْ حُسَيْنٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، – عَنْ مُجَمِّعِ بْنِ يَحْيَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْنَا الْمَغْرِبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قُلْنَا لَوْ جَلَسْنَا حَتَّى نُصَلِّيَ مَعَهُ الْعِشَاءَ – قَالَ – فَجَلَسْنَا فَخَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ ‏”‏ مَا زِلْتُمْ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّيْنَا مَعَكَ الْمَغْرِبَ ثُمَّ قُلْنَا نَجْلِسُ حَتَّى نُصَلِّيَ مَعَكَ الْعِشَاءَ قَالَ ‏”‏ أَحْسَنْتُمْ أَوْ أَصَبْتُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ وَكَانَ كَثِيرًا مِمَّا يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ ‏”‏ النُّجُومُ أَمَنَةٌ لِلسَّمَاءِ فَإِذَا ذَهَبَتِ النُّجُومُ أَتَى السَّمَاءَ مَا تُوعَدُ وَأَنَا أَمَنَةٌ لأَصْحَابِي فَإِذَا ذَهَبْتُ أَتَى أَصْحَابِي مَا يُوعَدُونَ وَأَصْحَابِي أَمَنَةٌ لأُمَّتِي فَإِذَا ذَهَبَ أَصْحَابِي أَتَى أُمَّتِي مَا يُوعَدُونَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বুরদাহ (রাঃ) এর পিতা সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমরা বললাম, আমরা যদি তাঁর সাথে ইশার সালাত আদায় করা পর্যন্ত উপবিষ্ট হতে পারতাম (তা হলে কতই না ভালো হতো)। রাবী বলেন, আমরা বসে থাকলাম। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আসলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা এখনো পর্যন্ত এখানে উপবিষ্ট আছ? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল আমরা আপনার সাথে মাগরিবের সলাত আদায় করেছি। তারপর আমরা বললাম যে ইশার সলাত আপনার সাথে আদায় করার জন্য বসে অপেক্ষা করি। তিনি বললেনঃ তোমরা অনেক ভাল করেছ কিংবা তোমরা ঠিক করেছ। তিনি (রাবী) বলেন, তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকাশের দিকে মাথা তুললেন এবং তিনি অধিকাংশ সময়ই আকাশের পানে তাঁর মাথা তুলতেন। অতঃপর তিনি বললেন তারকারাজি অবস্থানের কারণেই আকাশ স্থিতিশীল রয়েছে। তারকারাজি যখন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে তখন আকাশের জন্য ওয়া’দাকৃত বিপদ আসন্ন হবে (অর্থ্যাৎ- কিয়ামাত এসে যাবে এবং আসমান ফেটে চৌচির হয়ে যাবে)। আর আমি আমার সাহাবাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা স্বরুপ। আমি যখন বিদায় নিব তখন আমার সাহাবাদের উপর ওয়া’দাকৃত সময় এসে সমুপস্থিত হয়ে যাবে (অর্থ্যাৎ – ফিতনা-ফাসাদ ও দ্বন্দ সংঘাত লেগে যাবে)। আর আমার সাহাবাগণ সকল উন্মাতের জন্য রক্ষাকবচ স্বরুপ। আমার সাহাবীগণ যখন বিদায় হয়ে যাবে তখন আমার উন্মাতের উপর ওয়া’দাকৃত বিষয় উপস্থিত হবে। [৪০] (ই.ফা. ৬২৩৬, ই.স ৬২৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪০] অর্থ্যাৎ – শিরক, বিদ’আত ছড়িয়ে পড়বে, ফিতনাহ-ফাসাদের আর্বিভাব হবে, শাইতানের শিঙ উদয় হবে, নাসারাদের রাজত্ব কায়েম হবে, মাক্কাহ ও মাদীনার অবমাননা করা হবে।, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে ইত্যাদি। (ইমাম নাবাবী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২.অধ্যায়ঃ

সহাবাহ, তাবিঈ ও তাবি তাব’ঈগণের ফাযীলত

৬৩৬১

حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ سَمِعَ عَمْرٌو، جَابِرًا يُخْبِرُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَغْزُو فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ فَيُقَالُ لَهُمْ فِيكُمْ مَنْ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ ‏.‏ نَعَمْ فَيُفْتَحُ لَهُمْ ثُمَّ يَغْزُو فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ فَيُقَالُ لَهُمْ فِيكُمْ مَنْ رَأَى مَنْ صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ نَعَمْ ‏.‏ فَيُفْتَحُ لَهُمْ ثُمَّ يَغْزُو فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ فَيُقَالُ لَهُمْ هَلْ فِيكُمْ مَنْ رَأَى مَنْ صَحِبَ مَنْ صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ نَعَمْ ‏.‏ فَيُفْتَحُ لَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) এর সানাদে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ লোকদের উপর এমন সময় আসবে, তখন তাদের একদল জিহাদে লিপ্ত থাকবে। তারপর তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, তোমাদের মাঝে এমন কেউ আছেন যিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রত্যক্ষ করেছেন? তারা সমস্বরে বলবে, জ্বি হ্যাঁ। তাঁরা তখন বিজয়ী হবে। তারপর মানুষের মাঝখান থেকে একদল জিহাদ করতে থাকবে। তাদের প্রশ্ন করা হবে, তোমাদের মাঝে এমন কোন লোক আছেন কি, যিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবাগণকে প্রত্যক্ষ করেছেন? তারা তখন সমস্বরে বলে উঠবে, জ্বি হ্যাঁ। তখন তারা জয়ী হবে। অতঃপর লোক অপর একটি দল যুদ্ধ করতে থাকবে। তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে, তোমাদের মাঝে এমন কেউ কি আছেন, যিনি সহাবীদের সাহচর্য অর্জনকারী অর্থ্যাৎ- তাবি’ঈকে প্রত্যক্ষ করেছেন? তখন লোকেরা বলবে, জি হ্যাঁ। তখন তাদের বিজয় চলে আসবে। (ই.ফা. ৬২৩৭, ই.স ৬২৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬২

حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي، الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ زَعَمَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يُبْعَثُ مِنْهُمُ الْبَعْثُ فَيَقُولُونَ انْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ فِيكُمْ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيُوجَدُ الرَّجُلُ فَيُفْتَحُ لَهُمْ بِهِ ثُمَّ يُبْعَثُ الْبَعْثُ الثَّانِي فَيَقُولُونَ هَلْ فِيهِمْ مَنْ رَأَى أَصْحَابَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيُفْتَحُ لَهُمْ بِهِ ثُمَّ يُبْعَثُ الْبَعْثُ الثَّالِثُ فَيُقَالُ انْظُرُوا هَلْ تَرَوْنَ فِيهِمْ مَنْ رَأَى مَنْ رَأَى أَصْحَابَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَكُونُ الْبَعْثُ الرَّابِعُ فَيُقَالُ انْظُرُوا هَلْ تَرَوْنَ فِيهِمْ أَحَدًا رَأَى مَنْ رَأَى أَحَدًا رَأَى أَصْحَابَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيُوجَدُ الرَّجُلُ فَيُفْتَحُ لَهُمْ بِهِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোজনের উপর এমন সময় আসবে, যখন তাদের মাঝখান থেকে কোন অভিযাত্রী দল পাঠানো হবে। তারপর মানুষেরা কথোপকথন করবে, সন্ধান করো, তোমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগণের কাউকে পাও কি না। তখন কোন একজন সাহাবী পাওয়া যাবে। তারপর তাঁর কারণে তাদের বিজয় অর্জিত হবে। এরপর দ্বিতীয় সেনাদল পাঠানো হবে। তখন মানুষেরা বলবে, তোমাদের মাঝে এমন কোন লোক আছেন কি, যিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীদের প্রত্যক্ষ করেছেন? তখন একজন (তাবিঈ)-কে পাওয়া যাবে। এরপর তাদের বিজয় লাভ হবে। তারপর তৃতীয় সেনাদল পাঠানো হবে। তখন প্রশ্ন করা হবে, খোঁজ করে দেখ, তাদের মাঝে তাদের কাউকে দেখতে পাও কি না, যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীদের সাহচর্য লাভকারী অর্থাৎ তাবিঈদের অন্তর্ভূক্ত। তারপর চতুর্থ সেনাদল যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। তখন জিজ্ঞেস করা হবে দেখ, তোমরা এদের মাঝে এমন কাউকে পাও কি-না, যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীদের সাহচর্য অর্জনকারীদের সাহচর্য লাভ করেছে অর্থাৎ কোন তাবি-তাবিঈকে প্রত্যক্ষ করেছে? তখন এক লোককে পাওয়া যাবে। অতঃপর তার কারণে তাদের বিজয় লাভ হবে। (ই.ফা. ৬২৩৮, ই.স ৬২৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَيْرُ أُمَّتِي الْقَرْنُ الَّذِينَ يَلُونِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَذْكُرْ هَنَّادٌ الْقَرْنَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ قُتَيْبَةُ ‏”‏ ثُمَّ يَجِيءُ أَقْوَامٌ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মাঝে সর্বাধিক উত্তম তারাই যারা আমার যুগের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকেরা (অর্থ্যাৎ সাহাবাগণ)। তারপর তাদের সন্নিকটবর্তী সংযুক্ত যুগের লোক (অর্থ্যাৎ তাবি’ঈগণ)। তারপর তাদের সংযুক্ত যুগ (অর্থ্যাৎ তাবি তাবি‘ঈগণ)। অতঃপর এমন সম্প্রদায়ের উদ্ভব হবে যারা শপথের পূর্বে সাক্ষী দিবে এবং সাক্ষীর পূর্বে শপথ করবে। আর হান্নাদ তার হাদীসে (যুগ বা সময় ) কথাটি বর্নণা করেননি এবং কুতাইবাহ বলেছেন অতঃপর অনেক সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হবে। (ই.ফা. ৬২৩৯, ই.স ৬২৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ النَّاسِ خَيْرٌ قَالَ ‏ “‏ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ تَبْدُرُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ وَتَبْدُرُ يَمِينُهُ شَهَادَتَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ كَانُوا يَنْهَوْنَنَا وَنَحْنُ غِلْمَانٌ عَنِ الْعَهْدِ وَالشَّهَادَاتِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হলো সর্বোত্তম লোক কে? তিনি বললেনঃ আমার যুগের লোক, তারপর তাদের সন্নিকটবর্তী যুগ, তারপর তাদের সন্নিকটবর্তী যুগ। তারপর এমন এক সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হবে, যাদের সাক্ষীর পূর্বে শপথ ত্বরান্বিত হবে এবং শপথের পূর্বে সাক্ষী সংঘটিত হবে।

 

ইবরাহীম বলেছেন আমাদের শৈশবে লোকেরা আমাদেরকে শপথ এবং সাক্ষ্য দান হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৬২৪০, ই.স ৬২৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، بِإِسْنَادِ أَبِي الأَحْوَصِ وَجَرِيرٍ بِمَعْنَى حَدِيثِهِمَا وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবুল আহওয়াস ও জারীরের সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

মানসূর হতে অবিকল বর্ণিত। তবে তাদের উভয়ের হাদীসেঃ (রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো) বর্ননা নেই। (ই.ফা. ৬২৪১, ই.স ৬২৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৬

وَحَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ السَّمَّانُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَلاَ أَدْرِي فِي الثَّالِثَةِ أَوْ فِي الرَّابِعَةِ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ يَتَخَلَّفُ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ সর্বোত্তম লোক আমার যুগের লোক (অর্থ্যাৎ সাহাববীগণ)। তারপর তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট (অর্থ্যাৎ তা’বিঈগণ)। তারপর তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট (অর্থ্যাৎ তাবি তা’বিঈগণ)। তারপর তিনি বলেন তৃতীয় অথবা চতুর্থটি সর্ম্পকে আমি অজ্ঞাত। তিনি (রাবী) বলেন তারপর তাদের পরবর্তীতে এমন লোক আসবে যাদের কেউ কেউ শপথের পূর্বে সাক্ষী দেবে এবং সাক্ষ্যের পূর্বে শপথ করবে। (ই.ফা. ৬২৪২, ই.স ৬২৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৭

حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، بْنُ سَالِمٍ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَيْرُ أُمَّتِي الْقَرْنُ الَّذِينَ بُعِثْتُ فِيهِمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَذَكَرَ الثَّالِثَ أَمْ لاَ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ يَخْلُفُ قَوْمٌ يُحِبُّونَ السَّمَانَةَ يَشْهَدُونَ قَبْلَ أَنْ يُسْتَشْهَدُوا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন সর্বোত্তম লোক তারা, যাদের মাঝে আমি আদিষ্ট হয়েছি (অর্থাৎ সাহাবাগণ)। তারপর তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন (অর্থাৎ তা’বিঈগণ)। আর আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। তারপর তিনি তৃতীয়টি বর্নণা করেছেন কিনা আমার মনে নেই। রাবী বলেন তারপর এমন এক সম্প্রদায়ের উদ্ভব হবে যারা মোটা-সোটা হওয়া পছন্দ করবে এবং সাক্ষ্য দিতে ডাকার আগেই সাক্ষ্য প্রদান করবে। (ই.ফা. ৬২৪৩, ই.স ৬২৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي بِشْرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ شُعْبَةَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَلاَ أَدْرِي مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ‏.‏

আবূ বিশর (রাঃ) থেকে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অনুরুপ বর্ণিত। তবে শু’বাহ বর্ণিত হাদীসে এতটুকু আলাদা রয়েছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন আমার স্মরণ নেই যে, তিনি দু’বার নাকি তিনবার বলেছেন।(ই.ফা. ৬২৪৪, ই.স ৬২৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ غُنْدَرٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ، حَدَّثَنِي زَهْدَمُ بْنُ، مُضَرِّبٍ سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ خَيْرَكُمْ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِمْرَانُ فَلاَ أَدْرِي أَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ قَرْنِهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ‏”‏ ثُمَّ يَكُونُ بَعْدَهُمْ قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلاَ يُسْتَشْهَدُونَ وَيَخُونُونَ وَلاَ يُتَّمَنُونَ وَيَنْذُرُونَ وَلاَ يُوفُونَ وَيَظْهَرُ فِيهِمُ السِّمَنُ ‏”‏ ‏.‏

ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম আমার যুগের লোকেরা। তারপর তাদের সন্নিকটবতী যুগ। তারপর তাদের সন্নিকটবতী যুগ। ইরান (রাঃ) বলেন আমি স্মরণে নেই যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাঁর যুগের পর দুযুগের নাকি তিন যুগের কথা বলে বর্নণা করেছেন। তারপর তাদের পরবর্তীতে এমন এক জাতির উদ্ভব হবে যারা সাক্ষ্য প্রদান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য তলব করা হবে না। আর তারা খিয়ানত করতে থাকবে আমানতদারী রক্ষা করবে না। তারা মানৎ করবে কিন্তু তা পূরণ করবে না। আর তাদের দেহে মোটা-সোটা হওয়া প্রকাশ পাবে। (ই.ফা. ৬২৪৫, ই.স ৬২৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭০

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، الْعَبْدِيُّ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِمْ قَالَ لاَ أَدْرِي أَذَكَرَ بَعْدَ قَرْنِهِ قَرْنَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ شَبَابَةَ قَالَ سَمِعْتُ زَهْدَمَ بْنَ مُضَرِّبٍ وَجَاءَنِي فِي حَاجَةٍ عَلَى فَرَسٍ فَحَدَّثَنِي أَنَّهُ سَمِعَ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ يَحْيَى وَشَبَابَةَ ‏”‏ يَنْذُرُونَ وَلاَ يَفُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ بَهْزٍ ‏”‏ يُوفُونَ ‏”‏ ‏.‏ كَمَا قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ ‏.‏

শু’বাহ (রাঃ) এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত। আর তাদের অর্থাৎ ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ, বাহয ও শাবাবাহ বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেছেন, আমার স্মরণে নেই যে তিনি কি তাঁর যুগের পর দুই যুগ কিংবা তিন যুগের কথা বর্নণা করেছেন কিনা। শাববাহ বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেছেন, আমি যাহদাম ইবনু মুদরাব হতে শুনেছি। তিনি আমার নিকট ঘোড়ার পৃষ্ঠে সওয়ার হয়ে এক বিশেষ দরকারে এসেছিলেন। তারপর তিনি আমাকে হাদীস শুনান যে তিনি ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে শুনেছেন। আর ইয়াহইয়া ও বাহয বর্ণিত হাদীসে বর্নণা রয়েছে – “ তারা মানৎ করবে কিন্তু তা পূরণ করবে না”। আর বাহয বর্ণিত হাদীসে ইবনু জা’ফার এর বর্নণানুযায়ী শব্দটার বর্নণা রয়েছে। (শাব্দিক পার্থক্য থাকলেও হাদীসের মূল কথা একই) । (ই.ফা. ৬২৪৬, ই.স ৬২৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭১

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كِلاَهُمَا، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏”‏ خَيْرُ هَذِهِ الأُمَّةِ الْقَرْنُ الَّذِينَ بُعِثْتُ فِيهِمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ فِي حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ قَالَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَذَكَرَ الثَّالِثَ أَمْ لاَ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ زَهْدَمٍ عَنْ عِمْرَانَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ هِشَامٍ عَنْ قَتَادَةَ ‏”‏ وَيَحْلِفُونَ وَلاَ يُسْتَحْلَفُونَ ‏”‏ ‏.‏

ইমরান ইবনু হুসায়নের সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীসটি বর্ণিত। এ বর্ণনায় রয়েছে এ উন্মাতের সর্বোত্তম হলো তারাই, যাদের মাঝে আমি আদিষ্ট হয়েছি (অর্থ্যাৎ সাহাবাগণ)। আবূ আওয়ানাহ বর্ণিত হাদীসে বর্ধিত রয়েছে যে, তিনি বলেন আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত, তিনি তৃতীয়টি বর্ণনা করেছেন কিনা? ইমরান থেকে যাহদম বর্ণিত হাদীসের অর্থানুসারে। কাতাদা (রহঃ) সানাদে হিশাম বর্ণিত এতটুকু অতিরিক্ত রয়েছে যে, অর্থাৎ “তারা শপথ করতে থাকবে কিন্তু তাদের নিকট শপথ চাওয়া হবে না।” (ই.ফা. ৬২৪৭, ই.স ৬২৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَشُجَاعُ بْنُ مَخْلَدٍ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، – وَهُوَ ابْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ – عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْبَهِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ النَّاسِ خَيْرٌ قَالَ ‏ “‏ الْقَرْنُ الَّذِي أَنَا فِيهِ ثُمَّ الثَّانِي ثُمَّ الثَّالِثُ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন এক লোক রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করল সর্বোত্তম লোক কে? তিনি বললেন, সে যুগ যাতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। এরপর দ্বিতীয় যুগ, তারপর তৃতীয় যুগ। (ই.ফা. ৬২৪৮, ই.স ৬২৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ্ এর বাণী: যারা এখন বর্তমানে আছে একশ বছরের মাথায় কোন লোক ভু-পৃষ্ঠে অবশিষ্ট থাকবে না।

৬৩৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ عَبْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ سُلَيْمَانَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ صَلاَةَ الْعِشَاءِ فِي آخِرِ حَيَاتِهِ فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ فَقَالَ ‏ “‏ أَرَأَيْتَكُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ فَإِنَّ عَلَى رَأْسِ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَوَهَلَ النَّاسُ فِي مَقَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِلْكَ فِيمَا يَتَحَدَّثُونَ مِنْ هَذِهِ الأَحَادِيثِ عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ وَإِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ ‏.‏ أَحَدٌ يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنْ يَنْخَرِمَ ذَلِكَ الْقَرْنُ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জীবনের শেষ প্রান্তে একরাতে আমাদের সাথে ইশার সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে বললেন, এ রাত্র সর্ম্পকে তোমরা কি ধারনা পোষণ করো? কারণ এর একশ বছরের মাথায় যারা আজ পৃথিবীর পৃষ্ঠে বিদ্যমান রয়েছে তাদের কেউ জীবিত থাকবে না।

ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, তখন লোকেরা একশ বছর সংশ্লিষ্ট এসব হাদীসের বর্ননায় দ্বিধায পড়ে গেল। অবশ্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ”আজ যারা পৃথিবী পৃষ্ঠে বর্তমান আছে তাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।” দ্বারা একথা বুঝাতে চেয়েছেন যে, যুগের পরিসমাপ্তি হয়ে যাবে।(ই.ফা. ৬২৪৯, ই.স ৬২৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭৪

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، وَرَوَاهُ، اللَّيْثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ مَعْمَرٍ كَمِثْلِ حَدِيثِهِ ‏.‏

মা’মার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহুরী (রহঃ) সূত্রে তাঁর হাদীসের অবিকল রিওয়াত করেছেন। (ই.ফা. ৬২৫০, ই.স ৬২৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭৫

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِشَهْرٍ ‏ “‏ تَسْأَلُونِي عَنِ السَّاعَةِ وَإِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَأُقْسِمُ بِاللَّهِ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ تَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর ওফাতের এক মাস আগে বলতে শুনেছি যে, আমাকে তোমরা কিয়ামাত সন্মধ্যে প্রশ্ন করছ, কিন্তু তার ইলমতো আল্লাহরই নিকট। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি যে, পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার উপর একশ বছর পূরণ হবে। (অর্থাৎ আজ হতে থেকে একশ বছরের মাথায় বর্তমানে জীবিত ব্যক্তিরা বাকী থাকবে না। (ই.ফা. ৬২৫১, ই.স ৬৩৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭৬

حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشَهْرٍ ‏.‏

ইবনু জুরায়জের সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি “ তাঁর ইন্তেকালের এক মাস আগে” উক্তিটি বর্ননা করেননি।(ই.ফা. ৬২৫১, ই.স ৬৩০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭৭

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، كِلاَهُمَا عَنِ الْمُعْتَمِرِ، قَالَ ابْنُ حَبِيبٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ذَلِكَ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشَهْرٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ ‏ “‏ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ الْيَوْمَ تَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ وَهْىَ حَيَّةٌ يَوْمَئِذٍ ‏”‏ ‏.‏

 

وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، صَاحِبِ السِّقَايَةِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ ذَلِكَ وَفَسَّرَهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ نَقْصُ الْعُمُرِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর ইন্তিকালের একমাস আগে বা অনুরূপ সময়ে বলেছিলেন যে, যেসব প্রাণী বর্তমান জীবিত আছে, তাদের উপর একশ’ বছর শেষ হতেই তারা আর অবশিষ্ট থাকবে না।

‘আস্ সিকায়াহ্’ গ্রন্থকার ‘আবদুর রহমান (রাঃ) … জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সুত্রে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল বর্ণিত হয়েছে। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) “আয়ুষ্কাল ক্ষীণ হয়ে গেছে” বলে উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা করেছেন। (ই.ফা. ৬২৫২, ই.সে. ৬৩০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، بِالإِسْنَادَيْنِ جَمِيعًا ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ ও সুলাইমান তাইমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সবাই তাঁর অবিকল রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৬২৫৩, ই.সে. ৬৩০২)

(আরবি)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৭৯

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، عَنْ دَاوُدَ، وَاللَّفْظُ، لَهُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَمَا رَجَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ تَبُوكَ سَأَلُوهُ عَنِ السَّاعَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَأْتِي مِائَةُ سَنَةٍ وَعَلَى الأَرْضِ نَفْسٌ مَنْفُوسَةٌ الْيَوْمَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূক যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তন শেষে লোকেরা তাঁকে কিয়ামত সম্বন্ধে প্রশ্ন করল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একশ’ বছর পরিসমাপ্তি হলে এখানকার কোন লোক আর অবশিষ্ট থাকবে না। (ই.ফা. ৬২৫৪, ই.সে. ৬৩০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৮০

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ تَبْلُغُ مِائَةَ سَنَةٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ سَالِمٌ تَذَاكَرْنَا ذَلِكَ عِنْدَهُ إِنَّمَا هِيَ كُلُّ نَفْسٍ مَخْلُوقَةٍ يَوْمَئِذٍ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন প্রাণ (লোক) একশ’ বছর পর্যন্ত পৌঁছবে না। তখন সালিম (রাঃ) বললেন, আমরা এ বিষয়টি তাঁর (জাবির) নিকট বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, এ কথা দ্বারা আজ পর্যন্ত যে সকল নবজাতক পয়দা হয়েছে- সকলকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে। (ই.ফা. ৬২৫৫, ই.সে. ৬৩০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অধ্যায়ঃ

সহাবাগণকে গালি দেয়া বা কুৎসা রটনা করা হারাম

৬৩৮১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِي لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার সাহাবীগণকে কুৎসা করো না। তোমরা আমার সহাবীদের কুৎসা করবে না। সে সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন, তোমাদের মাঝে কেউ যদি উহুদ পর্বতের ন্যায় স্বর্ণ খরচ করে তবুও তাঁদের কারোর এক মুদ কিংবা অর্ধ মুদের সমতুল্য হবে না। (ই.ফা. ৬২৫৬, ই.সে. ৬৩০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৮২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ قَالَ كَانَ بَيْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَبَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ شَىْءٌ فَسَبَّهُ خَالِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَسُبُّوا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِي فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَوْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ ও ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-এর মাঝে (অপ্রীতিকর) একটা কিছু ঘটেছিল। তখন খালিদ (রাঃ) তাঁকে গাল-মন্দ করেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমার সহাবীদের কাউকে গাল-মন্দ করবে না। কারণ, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বতের সমতুল্য স্বর্ণ খরচ করে তবুও তাঁদের এক মুদ অথবা অর্ধ মুদের ন্যায় হবে না। (ই.ফা. ৬২৫৭, ই.সে. ৬৩০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِ جَرِيرٍ وَأَبِي مُعَاوِيَةَ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ شُعْبَةَ وَوَكِيعٍ ذِكْرُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ আশাজ্জ ও আবূ কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অপর সূত্রে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রাঃ) … অন্য সুত্রে ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশ্শার (রাঃ) … আ’মাশ (রাঃ) হতে জারীর ও আবূ মু’আবিয়ার সানাদে তাঁদের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে শু’বাহ ও ওয়াকী’-এর হাদীসে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) ও খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ)-এর বর্ণনা নেই। (ই.ফা. ৬২৫৮, ই.সে. ৬৩০৭) –৬৪

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অধ্যায়ঃ

উওয়াইস আল কারানী (রাঃ)-এর ফযিলত

৬৩৮৪

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، أَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ، وَفَدُوا، إِلَى عُمَرَ وَفِيهِمْ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ يَسْخَرُ بِأُوَيْسٍ فَقَالَ عُمَرُ هَلْ هَا هُنَا أَحَدٌ مِنَ الْقَرَنِيِّينَ فَجَاءَ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَقَالَ عُمَرُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ رَجُلاً يَأْتِيكُمْ مِنَ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ أُوَيْسٌ لاَ يَدَعُ بِالْيَمَنِ غَيْرَ أُمٍّ لَهُ قَدْ كَانَ بِهِ بَيَاضٌ فَدَعَا اللَّهَ فَأَذْهَبَهُ عَنْهُ إِلاَّ مَوْضِعَ الدِّينَارِ أَوِ الدِّرْهَمِ فَمَنْ لَقِيَهُ مِنْكُمْ فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

উসায়র ইবনু জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কূফার একটি প্রতিনিধি দল ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে আগমন করলো। তাঁদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তিও ছিল, যে উওয়াইস (রাঃ)-কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, এখানে কারানী গোষ্ঠীর কোন ব্যক্তি আছে কি? তখন সে লোকটি আসলো। এরপর ‘উমার (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের নিকট ইয়ামান থেকে এক ব্যক্তি আগমন করবে, যে ‘উওয়াইস’ নামে খ্যাত। ইয়ামানে তাঁর মা ছাড়া আর কেউ থাকবে না। তার কুষ্ঠরোগ হয়েছিল। সে আল্লাহর নিকট দু’আ করার পরিবর্তে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগ দূর করে দেন। কিন্তু কেবল মাত্র এক দীনার কিংবা এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট থাকে। তোমাদের মাঝখান থেকে কেউ যদি তাঁর দেখা পায় সে যেন নিজের জন্য তাঁর নিকট মাগফিরাতের দু’আ প্রার্থনা করে। (ই.ফা. ৬২৫৯, ই.সে. ৬৩০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৮৫

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ سَلَمَةَ – عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ خَيْرَ التَّابِعِينَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ أُوَيْسٌ وَلَهُ وَالِدَةٌ وَكَانَ بِهِ بَيَاضٌ فَمُرُوهُ فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, অবশ্যই তাবি’ঈনদের মধ্যে সে লোক শ্রেষ্ঠ যে ‘উওয়াইস’ নামে খ্যাত। তাঁর একমাত্র মা আছেন এবং তাঁর কুষ্ঠরোগ হয়েছিল। তোমরা তাঁর নিকট অনুরোধ করবে যেন সে তোমাদের মাগফিরাতের জন্য দু’আ কামনা করে। (ই.ফা. ৬২৬০, ই.সে. ৬৩০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৮৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا – وَاللَّفْظُ، لاِبْنِ الْمُثَنَّى – حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِذَا أَتَى عَلَيْهِ أَمْدَادُ أَهْلِ الْيَمَنِ سَأَلَهُمْ أَفِيكُمْ أُوَيْسُ بْنُ عَامِرٍ حَتَّى أَتَى عَلَى أُوَيْسٍ فَقَالَ أَنْتَ أُوَيْسُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ مِنْ مُرَادٍ ثُمَّ مِنْ قَرَنٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ بِكَ بَرَصٌ فَبَرَأْتَ مِنْهُ إِلاَّ مَوْضِعَ دِرْهَمٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ لَكَ وَالِدَةٌ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ يَأْتِي عَلَيْكُمْ أُوَيْسُ بْنُ عَامِرٍ مَعَ أَمْدَادِ أَهْلِ الْيَمَنِ مِنْ مُرَادٍ ثُمَّ مِنْ قَرَنٍ كَانَ بِهِ بَرَصٌ فَبَرَأَ مِنْهُ إِلاَّ مَوْضِعَ دِرْهَمٍ لَهُ وَالِدَةٌ هُوَ بِهَا بَرٌّ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ فَافْعَلْ ‏”‏ ‏.‏ فَاسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ فَاسْتَغْفَرَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَيْنَ تُرِيدُ قَالَ الْكُوفَةَ ‏.‏ قَالَ أَلاَ أَكْتُبُ لَكَ إِلَى عَامِلِهَا قَالَ أَكُونُ فِي غَبْرَاءِ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَىَّ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ حَجَّ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ فَوَافَقَ عُمَرَ فَسَأَلَهُ عَنْ أُوَيْسٍ قَالَ تَرَكْتُهُ رَثَّ الْبَيْتِ قَلِيلَ الْمَتَاعِ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ يَأْتِي عَلَيْكُمْ أُوَيْسُ بْنُ عَامِرٍ مَعَ أَمْدَادِ أَهْلِ الْيَمَنِ مِنْ مُرَادٍ ثُمَّ مِنْ قَرَنٍ كَانَ بِهِ بَرَصٌ فَبَرَأَ مِنْهُ إِلاَّ مَوْضِعَ دِرْهَمٍ لَهُ وَالِدَةٌ هُوَ بِهَا بَرٌّ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ فَافْعَلْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَى أُوَيْسًا فَقَالَ اسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ قَالَ أَنْتَ أَحْدَثُ عَهْدًا بِسَفَرٍ صَالِحٍ فَاسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ قَالَ اسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ قَالَ أَنْتَ أَحْدَثُ عَهْدًا بِسَفَرٍ صَالِحٍ فَاسْتَغْفِرْ لِي ‏.‏ قَالَ لَقِيتَ عُمَرَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَاسْتَغْفَرَ لَهُ ‏.‏ فَفَطِنَ لَهُ النَّاسُ فَانْطَلَقَ عَلَى وَجْهِهِ ‏.‏ قَالَ أُسَيْرٌ وَكَسَوْتُهُ بُرْدَةً فَكَانَ كُلَّمَا رَآهُ إِنْسَانٌ قَالَ مِنْ أَيْنَ لأُوَيْسٍ هَذِهِ الْبُرْدَةُ

উসায়র ইবনু জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর অভ্যাস ছিল, যখন ইয়ামানের কোন সাহায্যকারী ফৌজ তাঁর নিকট আসত তখন তিনি তাঁদের প্রশ্ন করতেন, তোমাদের মাঝে কি উওয়াইস ইবনু আমির রয়েছে? পরিশেষে তিনি উওয়াইসকে পান। তখন তিনি বললেন, তুমি কি উওয়াইস ইবনু ‘আমির? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি প্রশ্ন করলেন, মুরাদ গোষ্ঠীর কারান কাওমের? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জানতে চাইলেন, তোমার কি কুষ্ঠরোগ হয়েছিল এবং তা নিরাময় হয়েছে, শুধুমাত্র এক দিরহাম জায়গা ছাড়া? তিনি বললেন, হ্যাঁ। প্রশ্ন করলেন, তোমার মা আছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ “তোমাদের নিকট মুরাদ গোষ্ঠীর কারান বংশের উওয়াইস ইবনু ‘আমির ইয়ামানের সাহায্যকারী দলের সাথে আসবে। তাঁর কুষ্ঠরোগ ছিল। পরে তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন। কেবলমাত্র এক দিরহাম ব্যতীত। তাঁর মা রয়েছেন। সে তাঁর প্রতি অতি সেবাপরায়ণ। এমন লোক আল্লাহর উপর শপথ করে নিলে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন। সুতরাং তুমি যদি তোমার জন্য তাঁর নিকট মাফফিরাতের দু’আ প্রার্থনার সুযোগ পাও তাহলে তা করবে।” কাজেই আপনি আমার জন্য মাগফিরাতের দু’আ কামনা করুন। তখন উওয়াইস (রাঃ) তাঁর মাগফিরাতের জন্য দু’আ প্রার্থনা করলেন। তারপর ‘উমার (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি কোথায় যেতে চাও? তিনি বললেন, কুফাহ্ অঞ্চলে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি কি তোমার জন্য কূফার প্রশাসকের নিকট চিঠি লিখে দিব? তিনি বললেন, আমি বিনীত ও দারিদ্র-পীড়িত লোকদের মধ্যে অবস্থান করাই পছন্দ করি। রাবী বলেন, পরবর্তী বছরে তাঁদের অভিজাত লোকেদের মাঝে এক লোক হাজ্জ করতে আসলো এবং ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে তাঁর দেখা হলো। তখন তিনি তাকে উওয়াইস কারানী (রাঃ)-এর অবস্থা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলেন। সে বলল, আমি তাঁকে নিঃস্ব দরিদ্র অবস্থায় রেখে এসেছি। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের নিকট কারান বংশের মুরাদ গোত্রের উওয়াইস ইবনু ‘আমির (রাঃ) ইয়ামানের একদল সাহায্যকারীদের সাথে আসবে। তাঁর ছিল কুষ্ঠরোগ। সে তা থেকে নিরাময় লাভ করে, এক দিরহাম জায়গা ছাড়া। তাঁর মা আছেন, সে তাঁর প্রতি অতি সেবাপরায়ণ। সে যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তা পূরণ করে দেন। তোমরা নিজের জন্য তাঁর নিকট মাগফিরাত-এর দু’আ কামনা করুন। তিনি বললেন, আপনি তো নেক সফর থেকে সবেমাত্র এসেছেন। কাজেই আপনি আমার জন্য মাগফিরাতের দু’আ প্রার্থনা করুন। সে লোক বলল, আপনি আমার জন্য মাগফিরাতের দু’আ কামনা করুন। উওয়াইস (রাঃ) বললেন, আপনি সদ্য নেক সফর থেকে এসেছেন, আপনি আমার মাগফিরাতের জন্য দু’আ করুন। অতঃপর তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি কি ‘উমার (রাঃ)-এর দেখা পেয়েছেন? সে বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি তাঁর জন্য মাগফিরাতের দু’আ কামনা করলেন। তখন লোকেরা তাঁর মর্যাদা সম্বন্ধে অবগত হলেন। এরপর তিনি তাঁর সামনে চললেন।

উসায়র বলেন, আমি তাঁকে একটি ডোরাদার চাদর পরিয়ে দিলাম। অতঃপর কোন লোক যখন তাঁকে দেখতো তখন জানতে চাইতো, উওয়াইসের নিকট এ চাদরটি কোত্থেকে আসলো? (ই.ফা.৬২৬১, ই.সে. ৬৩১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অধ্যায়ঃ

মিসরবাসীদের জন্য নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওয়াসীয়াত

৬৩৮৭

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَرْمَلَةُ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ، سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ شُمَاسَةَ الْمَهْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ أَرْضًا يُذْكَرُ فِيهَا الْقِيرَاطُ فَاسْتَوْصُوا بِأَهْلِهَا خَيْرًا فَإِنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِمًا فَإِذَا رَأَيْتُمْ رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلاَنِ فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَاخْرُجْ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَرَّ بِرَبِيعَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنَىْ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ يَتَنَازَعَانِ فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَخَرَجَ مِنْهَا ‏.‏

আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শীঘ্রই তোমরা এমন একটি ভূখন্ড বিজয় লাভ করবে, সেখানে কী রাতের (দিরহাম বা দীনারের অংশবিশেষ) প্রচলন আছে। তোমরা সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে সদাচরণ করবে। কেননা তোমাদের উপর তাদের প্রতি আছে যিম্মাদারী এবং আত্মীয়তা। তোমরা যদি সেখানে দু’জন লোককে একটি ইটের জায়গার ব্যাপারে বিবাদ করতে দেখো তাহলে সেখান থেকে চলে আসবে।

রাবী বলেন, তারপর সুরাহ্বীল ইবনু হাসানার পুত্রদ্বয় রাবী’আহ্ ও ‘আবদুর রহমানের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ইটের স্থান নিয়ে বিবাদ করতে দেখলেন। তিনি তখন সেখান থেকে চলে আসলেন। (ই.ফা. ৬২৬২, ই.সে. ৬৩১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৮৮

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ حَرْمَلَةَ الْمِصْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ، عَنْ أَبِي، ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ مِصْرَ وَهِيَ أَرْضٌ يُسَمَّى فِيهَا الْقِيرَاطُ فَإِذَا فَتَحْتُمُوهَا فَأَحْسِنُوا إِلَى أَهْلِهَا فَإِنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِمًا ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ ذِمَّةً وَصِهْرًا فَإِذَا رَأَيْتَ رَجُلَيْنِ يَخْتَصِمَانِ فِيهَا فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَاخْرُجْ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَرَأَيْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ وَأَخَاهُ رَبِيعَةَ يَخْتَصِمَانِ فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَخَرَجْتُ مِنْهَا ‏.‏

আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শীঘ্রই তোমরা মিশর বিজয় লাভ করবে। সেটা এমন একটি দেশ, যেখানে ‘কীরাত’ নামে মুদ্রা খ্যাত। তোমরা যখন সে দেশ বিজয় লাভ করবে তখন সেখানকার অধিবাসীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে। কারণ তাদের জন্য দায়িত্ব ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। কিংবা তিনি বলেছেনঃ যিম্মাদারী ও বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তোমরা যখন সেখানে দু’জন লোককে একটি ইটের স্থান নিয়ে বিবাদ করতে দেখবে তখন সেখান থেকে চলে আসবে। আবূ যার (রাঃ) বলেন, তারপর আমি যখন ‘আবদুর রহমান ইবনু শুরাহ্বীল ইবনু হাসান ও তাঁর ভাই রাবী’আকে একটি ইটের স্থান নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করতে দেখলাম তখন আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। (ই.ফা. ৬২৬৩, ই.সে. ৬৩১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অধ্যায়ঃ

‘উমানের (ওমান দেশের) অধিবাসীগণের ফযিলত

৬৩৮৯

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي الْوَازِعِ، جَابِرِ بْنِ عَمْرٍو الرَّاسِبِيِّ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ، يَقُولُ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً إِلَى حَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَسَبُّوهُ وَضَرَبُوهُ فَجَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ أَنَّ أَهْلَ عُمَانَ أَتَيْتَ مَا سَبُّوكَ وَلاَ ضَرَبُوكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বারযাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে কোন এক আরব গোত্রের নিকট প্রেরণ করলেন। তারা তাঁকে গালি-গালাজ ও মারধর করল। সে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁকে কাহিনী বর্ণনা করল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি বংশধরগণের নিকট যেতে তাহলে তারা তোমাকে গালিও দিত না এবং মারধরও করত না। (ই.ফা. ৬২৬৪, ই.সে. ৬৩১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অধ্যায়ঃ

সাকীফ গোত্রের মিথ্যাবাদী ও নির্বিচার হত্যাকারীর বিবরণ

৬৩৯০

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيَّ – أَخْبَرَنَا الأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي نَوْفَلٍ، رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى عَقَبَةِ الْمَدِينَةِ – قَالَ – فَجَعَلَتْ قُرَيْشٌ تَمُرُّ عَلَيْهِ وَالنَّاسُ حَتَّى مَرَّ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنْ كُنْتَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولاً لِلرَّحِمِ أَمَا وَاللَّهِ لأُمَّةٌ أَنْتَ أَشَرُّهَا لأُمَّةٌ خَيْرٌ ‏.‏ ثُمَّ نَفَذَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَبَلَغَ الْحَجَّاجَ مَوْقِفُ عَبْدِ اللَّهِ وَقَوْلُهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَأُنْزِلَ عَنْ جِذْعِهِ فَأُلْقِيَ فِي قُبُورِ الْيَهُودِ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُمِّهِ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ فَأَبَتْ أَنْ تَأْتِيَهُ فَأَعَادَ عَلَيْهَا الرَّسُولَ لَتَأْتِيَنِّي أَوْ لأَبْعَثَنَّ إِلَيْكِ مِنْ يَسْحَبُكِ بِقُرُونِكِ – قَالَ – فَأَبَتْ وَقَالَتْ وَاللَّهِ لاَ آتِيكَ حَتَّى تَبْعَثَ إِلَىَّ مَنْ يَسْحَبُنِي بِقُرُونِي – قَالَ – فَقَالَ أَرُونِي سِبْتَىَّ ‏.‏ فَأَخَذَ نَعْلَيْهِ ثُمَّ انْطَلَقَ يَتَوَذَّفُ حَتَّى دَخَلَ عَلَيْهَا فَقَالَ كَيْفَ رَأَيْتِنِي صَنَعْتُ بِعَدُوِّ اللَّهِ قَالَتْ رَأَيْتُكَ أَفْسَدْتَ عَلَيْهِ دُنْيَاهُ وَأَفْسَدَ عَلَيْكَ آخِرَتَكَ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَقُولُ لَهُ يَا ابْنَ ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ أَنَا وَاللَّهِ ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكُنْتُ أَرْفَعُ بِهِ طَعَامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَعَامَ أَبِي بَكْرٍ مِنَ الدَّوَابِّ وَأَمَّا الآخَرُ فَنِطَاقُ الْمَرْأَةِ الَّتِي لاَ تَسْتَغْنِي عَنْهُ أَمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنَا ‏ “‏ أَنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا ‏”‏ ‏.‏ فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَرَأَيْنَاهُ وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلاَ إِخَالُكَ إِلاَّ إِيَّاهُ – قَالَ – فَقَامَ عَنْهَا وَلَمْ يُرَاجِعْهَا ‏.‏

আবূ নাওফিল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি (মাক্কায়) ‘উকবাতুল মাদীনাহ্ নামে ঘাঁটিতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে (শুলীকাষ্ঠে ঝুলতে) দেখতে পেলাম। রাবী বলেন, তখন অন্যান্য লোকজন তাঁর কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। পরিশেষ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর কাছ দিয়ে যাওয়াকালে বললেন, আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া আবূ খুবায়ব! আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া আবূ খুবায়ব! আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া আবূ খুবায়ব! আল্লাহ্‌র শপথ! আমি অবশ্য আপনাকে এ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। আল্লাহ্‌র শপথ! আমি অবশ্য আপনাকে এ থেকে নিষেধ করছিলাম, আমি অবশ্য আপনাকে এ থেকে নিষেধ করছিলাম। আল্লাহ্‌র শপথ! আমি যদ্দুর জানি আপনি ছিলেন সর্বাধিক সিয়াম পালনকারী, সর্বাধিক সলাত আদায়কারী এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক সম্মিলনকারী। আল্লাহর শপথ, শ্রেষ্ঠ উম্মাতের দৃষ্টিতে আজ আপনি (আপনার মতো মহৎ ব্যক্তিত্ব) নিকৃষ্ট মানুষে গণ্য হয়েছেন। তারপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) সেখান হতে প্রত্যাবর্তন করলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর এ অবস্থান (থামা) ও তাঁর বক্তব্য হাজ্জাজের নিকট পৌঁছল। তখন সে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রের নিকট লোক প্রেরণ করল এবং তাঁকে শূলীর উপর থেকে নামানো হলো। তারপর ইয়াহূদীদের কবরস্থানে তাঁকে নিক্ষিপ্ত করা হলো। তারপর সে তাঁর মা আসমা বিন্ত আবূ বকর (রাঃ)-কে ডেকে নেয়ার জন্য দূত পাঠায়। তিনি তাঁর নিকট আসতে অস্বীকৃতি জানালেন। হাজ্জাজ আবার তাঁর নিকট লোক পাঠাল তাঁকে তাঁর নিকট আসার জন্য এই বলে যে, তোমাকে অবশ্যই আসতে হবে। অন্যথায় তোমার নিকট এমন লোক পাঠাব যে, তোমাকে চুল ধরে টেনে নিয়ে আসবে। রাবী বললেন, এরপরও তিনি অস্বীকৃতি জানালেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সে পর্যন্ত তোমার নিকট আসব না যতক্ষণ না তুমি আমার নিকট এমন লোক পাঠাবে যে, আমার চুলে ধরে টেনে নিয়ে আসবে। রাবী বলেন, তারপর হাজ্জাজ বলেন, আমার জুতা নাও। তারপর সে জুতা পরল এবং সদর্পে আসমা বিন্ত আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছল এবং সে বলল, তুমি তো দেখলে আল্লাহর শত্রুর সাথে আমি কী ব্যবহার করেছি। তিনি বললেন, “হ্যাঁ আমি তোকে দেখছি, তুই তাঁর দুনিয়া বরবাদ করে দিয়েছিস। আর সে তোর আখিরাত নষ্ট করে দিয়েছে। আমি জানতে পেরেছি যে, তুই তাকে (তিরস্কার স্বরূপ) দু’টি কোমরবন্ধনীর ছেলে বলে সম্বোধন করে থাকিস। আল্লাহর শপথ! আমিই দু’ কোমরবন্ধ ব্যবহার কারিণী। এর একটির মাঝে আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর খাদ্যদ্রব্য বেঁধে তুলে রাখতাম যাতে বাহনের পশু থেকে খেয়ে ফেলতে না পারে। অপরটি হলো যা স্ত্রীলোকের জন্য প্রয়োজন। জেনে রাখো, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, সাকীফ সম্প্রদায়ে এক মিথ্যুকের এবং নরহত্যাকারীর অভ্যুদয় হবে। মিথ্যুককে তো আমরা সকলে দেখেছি, আমি রক্ত প্রবাহকারী তোমাকে ব্যতীত আর কাউকে মনে করছি না।” এ কথা শুনে হাজ্জাজ উঠে দাঁড়াল এবং আসমা (রাঃ)-এর কথার কোন প্রত্যুত্তর করল না। (ই.ফা. ৬২৬৫, ই.সে. ৬৩১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অধ্যায়ঃ

পারস্যবাসীর (ইরান অধিবাসীদের) ফযিলত

৬৩৯১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ جَعْفَرٍ الْجَزَرِيِّ، عَنِ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ كَانَ الدِّينُ عِنْدَ الثُّرَيَّا لَذَهَبَ بِهِ رَجُلٌ مِنْ فَارِسَ – أَوْ قَالَ مِنْ أَبْنَاءِ فَارِسَ – حَتَّى يَتَنَاوَلَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

দ্বীন যদি আকাশের দূরবর্তী সুরাইয়া তারকারাজির নিকট থাকত তবে ইরানের যে কোন লোক তা নিয়ে আসত; কিংবা তিনি বলেছেন, কোন ইরানী সন্তান তা নিয়ে নিত। (ই.ফা. ৬২৬৬, ই.সে. ৬৩১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩৯২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ نَزَلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْجُمُعَةِ فَلَمَّا قَرَأَ ‏{‏ وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ‏}‏ قَالَ رَجُلٌ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَلَمْ يُرَاجِعْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى سَأَلَهُ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا – قَالَ – وَفِينَا سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ – قَالَ – فَوَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى سَلْمَانَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ لَوْ كَانَ الإِيمَانُ عِنْدَ الثُّرَيَّا لَنَالَهُ رِجَالٌ مِنْ هَؤُلاَءِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরাতুল জুমু’আহ্ নাযিল হলো। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন- “আর (এ রসূলের আগমন) অপরাপর ব্যক্তিদের জন্যও যারা এখনো তাদের (মু’মিনদের) সাথে এসে একত্রিত হয়নি”- (সূরাহ্ জুমু’আহ্ ৬২:৩)। তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এ লোকেরা কারা? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কোন প্রত্যুত্তর করলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’বার অথবা তিনবার তাঁকে প্রশ্ন করল। বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের মাঝে তখন সালমান ফারিসী (রাঃ) ছিলেন। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত সালমান (রাঃ)-এর উপর রাখলেন; তারপর বললেন, ঈমান যদি সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির নিকট (অর্থাৎ- বহু দূরে) থাকত তবে অবশ্যই তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা সেখানে পৌঁছে যেত। (ই.ফা. ৬২৬৭, ই.সে. ৬৩১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ “মানুষ সে একশ’ উটের ন্যায়, যার মাঝে সওয়ারীর উপযুক্ত একটিও নেই”

৬৩৯৩

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لِمُحَمَّدٍ – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَجِدُونَ النَّاسَ كَإِبِلٍ مِائَةٍ لاَ يَجِدُ الرَّجُلُ فِيهَا رَاحِلَةً ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মানুষদের মধ্যেও উটের দৃষ্টান্ত খুঁজে পাবে। আর তা হচ্ছে কোন লোক একশ’ উটের মধ্যে একটি আরোহণের উপযুক্ত উটের সন্ধান পাবে না। (অনুরূপভাবে মানুষের মাঝেও একজন যথেষ্ট দায়িত্ববান মানুষ পাওয়া যাবে না)। (ই.ফা. ৬২৬৮, ই.সে. ৬৩১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Book

Scroll to Top