মুসলিম প্রশাসন ও নেতৃত্ব অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৪৫৯৫ – ৪৬৮৯

১. অধ্যায়ঃ

জনগণ কুরায়শদের অনুগামী এবং খিলাফত কুরায়শদের মধ্যে সীমিত

৪৫৯৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِيَانِ الْحِزَامِيَّ ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ زُهَيْرٍ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ عَمْرٌو رِوَايَةً ‏ “‏ النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِي هَذَا الشَّأْنِ مُسْلِمُهُمْ لِمُسْلِمِهِمْ وَكَافِرُهُمْ لِكَافِرِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “জনগণ প্রশাসনিক ব্যাপারে কুরায়শদের অনুসারী। মুসলিমরা তাঁদের মুসলিমদের এবং কাফিররা তাঁদের কাফিরদের অনুসারী। (ই.ফা. ৪৫৫০, ই.সে. ৪৫৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫৯৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِي هَذَا الشَّأْنِ مُسْلِمُهُمْ تَبَعٌ لِمُسْلِمِهِمْ وَكَافِرُهُمْ تَبَعٌ لِكَافِرِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) যে সকল হাদীস রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেন তন্মধ্যে একটি হল যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ লোকজন এ ব্যাপারে কুরায়শদের অনুসারী। মুসলিমরা মুসলিমদের অনুসারী এবং কাফেররা কাফেরদের অনুসারী। (ই.ফা. ৪৫৫১, ই.সে. ৪৫৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫৯৭

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ লোকজন ভাল-মন্দ উভয় ব্যাপারেই কুরায়শদের অনুসারী। (ই.ফা. ৪৫৫২, ই.সে. ৪৫৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫৯৮

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَزَالُ هَذَا الأَمْرُ فِي قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنَ النَّاسِ اثْنَانِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এ কৃতিত্ব সর্বদা কুরায়শদের মধ্যেই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়ায় দু’টি লোকও বেঁচে থাকবে। (ই.ফা. ৪৫৫৩, ই.সে. ৪৫৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫৯৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ح وَحَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْوَاسِطِيُّ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ الطَّحَّانَ – عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ هَذَا الأَمْرَ لاَ يَنْقَضِي حَتَّى يَمْضِيَ فِيهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ تَكَلَّمَ بِكَلاَمٍ خَفِيَ عَلَىَّ – قَالَ – فَقُلْتُ لأَبِي مَا قَالَ قَالَ ‏”‏ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। তখন আমরা তাঁকে বলতে শুনলাম, শাসন কর্তৃত্ব ধারাবাহিক চলতে থাকবে যতক্ষণ না উম্মাতের মধ্যে বারজন খলীফা অতিবাহিত হবেন। তারপর তিনি অস্ফুট আওয়াজে কিছু বললেন, যা আমি শুনতে পেলাম না। তখন আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী বললেন? তিনি বললেন যে, তিনি বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কুরায়শ বংশ থেকে। (ই.ফা. ৪৫৫৪, ই.সে. ৪৫৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০০

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ يَزَالُ أَمْرُ النَّاسِ مَاضِيًا مَا وَلِيَهُمُ اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ تَكَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَلِمَةٍ خَفِيَتْ عَلَىَّ فَسَأَلْتُ أَبِي مَاذَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, মুসলিম শাসন থাকবে যতক্ষণ না তাদের মধ্যে বারজন শাসক শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। জাবির (রহঃ) বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিছু কথা বললেন, যা আমি শুনতে পাইনি। তাই আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী বললেন? তিনি বললেন, তিনি বলেছেনঃ সবাই কুরায়শ বংশ থেকে হবে। (ই.ফা. ৪৫৫৫, ই.সে. ৪৫৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০১

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ أَمْرُ النَّاسِ مَاضِيًا ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি তাতে “লোকদের মধ্যে শাসন ক্ষমতা অব্যাহত গতিতে চলতে থাকবে” কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৫৫৬, ই.সে. ৪৫৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০২

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ يَزَالُ الإِسْلاَمُ عَزِيزًا إِلَى اثْنَىْ عَشَرَ خَلِيفَةً ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ كَلِمَةً لَمْ أَفْهَمْهَا فَقُلْتُ لأَبِي مَا قَالَ فَقَالَ ‏”‏ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, বারজন খলীফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম প্রবল শক্তিধর অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কী বললেন, আমি তা বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী বলেছেন? তিনি বললেন, বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কুরায়শ বংশ থেকে। (ই.ফা. ৪৫৫৭, ই.সে. ৪৫৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ، بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يَزَالُ هَذَا الأَمْرُ عَزِيزًا إِلَى اثْنَىْ عَشَرَ خَلِيفَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ تَكَلَّمَ بِشَىْءٍ لَمْ أَفْهَمْهُ فَقُلْتُ لأَبِي مَا قَالَ فَقَالَ ‏”‏ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, শাসন কর্তৃত্ব অতি শক্তিশালী থাকবে বারজন খলীফা পর্যন্ত। রাবী বলেন, তারপর তিনি কিছু বললেন, যা আমি বুঝতে পারিনি। তাই আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী বললেন? তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তাঁদের সকলেই হবে কুরায়শ বংশের। [৪১] (ই.ফা. ৪৫৫৮, ই.সে. ৪৫৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪১] কাজী আয়াত (রহঃ) বলেন, জটিলতা দাঁড়ায় শাসকদের সংখ্যা বিষয়ে। এর জবাব হলো নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মৃত্যু পরবর্তী ৩০ বছরে ৫ জন খলীফার [ইমাম হাসান (রাঃ)-সহ] খিলাফাত ছিল নুবূওয়াতের আদলে। বাকীদের খিলাফাত হবে ‘খিলাফাতে আম’ বা সাধারণ খিলাফাত। (মুখতাসার শারহে মুসলিম লিন নাবাবী, ৫ম খণ্ড, ১১২ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০৪

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَزْهَرُ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ انْطَلَقْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعِي أَبِي فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ لاَ يَزَالُ هَذَا الدِّينُ عَزِيزًا مَنِيعًا إِلَى اثْنَىْ عَشَرَ خَلِيفَةً ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ كَلِمَةً صَمَّنِيهَا النَّاسُ فَقُلْتُ لأَبِي مَا قَالَ قَالَ ‏”‏ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। আমার সাথে আমার পিতাও ছিলেন। আমি তখন তাঁকে বলতে শুনলাম, এ ধর্ম শক্তিমত্তাসম্পন্ন, সংরক্ষিত থাকবে বারজন খলীফা অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। তারপর তিনি কোন্‌ কথা বললেন, লোকজনের কথাবার্তার দরুন আমি তা বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতাকে বললাম, তিনি কী বললেন? তিনি বললেন, বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কুরায়শ বংশের লোক। (ই.ফা. ৪৫৫৯, ই.সে. ৪৫৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ – عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ مَعَ غُلاَمِي نَافِعٍ أَنْ أَخْبِرْنِي بِشَىْءٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَكَتَبَ إِلَىَّ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ جُمُعَةٍ عَشِيَّةَ رُجِمَ الأَسْلَمِيُّ يَقُولُ ‏”‏ لاَ يَزَالُ الدِّينُ قَائِمًا حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ أَوْ يَكُونَ عَلَيْكُمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ عُصَيْبَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَفْتَتِحُونَ الْبَيْتَ الأَبْيَضَ بَيْتَ كِسْرَى أَوْ آلِ كِسْرَى ‏”‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ كَذَّابِينَ فَاحْذَرُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ إِذَا أَعْطَى اللَّهُ أَحَدَكُمْ خَيْرًا فَلْيَبْدَأْ بِنَفْسِهِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ أَنَا الْفَرَطُ عَلَى الْحَوْضِ ‏”‏ ‏.‏

‘আমের ইবনু সা’আদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট আমার গোলাম নাফি’র মাধ্যমে চিঠি প্রেরণ করলাম যে, আপনি আমাকে এমন কিছু সম্পর্কে অবহিত করুন যা আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন। রাবী বলেন, তিনি আমাকে লিখলেনঃ জুমু’আর দিন সন্ধ্যায় যে দিন (মায়েজ) আসলামীকে রজম (ব্যাভিচারজনিত অপরাধের শাস্তি হিসেবে পাথর মেরে হত্যা) করা হয়, সেদিন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, এ দ্বীন অব্যাহতভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে যতক্ষণ কিয়ামাত কায়িম হয় অথবা তোমরা বারজন খলীফা কর্তৃক শাসিত হও, এঁদের সকলেই হবে কুরায়শ থেকে। আমি তাঁকে আরও বলতে শুনেছি, মুসলিমদের একটি ছোট্ট দল জয় করবে শ্বেতভবন যা কিসরা কিংবা কিসরা বংশীয় রাজমহল। আমি আরও বলতে শুনেছি, “কিয়ামাতের প্রাক্কালে অনেক মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব হবে, তোমরা তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।” আমি তাঁকে আরও বলতে শুনেছি, “তোমাদের কাউকে যখন আল্লাহ কল্যাণ (সম্পদ) দান করেন তখন সে নিজের এবং তার পরিবারস্থ লোকজন দ্বারা ব্যয় শুরু করবে।” আমি তাঁকে আরও বলতে শুনেছি, “হাওযে (কাউসারে) আমি তোমাদের অগ্রগামী হবো।” (ই.ফা. ৪৫৬০, ই.সে. ৪৫৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُهَاجِرِ، بْنِ مِسْمَارٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّهُ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ سَمُرَةَ الْعَدَوِيِّ حَدِّثْنَا مَا، سَمِعْتَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ حَاتِمٍ ‏.‏

‘আমীর ইবনু সা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু সামুরাহ্‌ ‘আদাবীর কাছে চিঠি প্রেরণ করেন যে, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে যা জেনেছেন তা বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি… পরবর্তী অংশ হাতিমের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৫৬১, ই.সে. ৪৫৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

খলীফা মনোনয়ন করা এবং বর্জন করা

৪৬০৭

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَضَرْتُ أَبِي حِينَ أُصِيبَ فَأَثْنَوْا عَلَيْهِ وَقَالُوا جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا ‏.‏ فَقَالَ رَاغِبٌ وَرَاهِبٌ قَالُوا اسْتَخْلِفْ فَقَالَ أَتَحَمَّلُ أَمْرَكُمْ حَيًّا وَمَيِّتًا لَوَدِدْتُ أَنَّ حَظِّي مِنْهَا الْكَفَافُ لاَ عَلَىَّ وَلاَ لِي فَإِنْ أَسْتَخْلِفْ فَقَدِ اسْتَخْلَفَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي – يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ – وَإِنْ أَتْرُكْكُمْ فَقَدْ تَرَكَكُمْ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ حِينَ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা যখন আহত হলেন তখন আমি তাঁর কাছে গিয়ে উপস্থিত হই। লোকজন তাঁর প্রশংসা করল তারপর বলল, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন! তিনি তখন বললেন, আমি আশাবাদী ও শঙ্কিত। তখন লোকেরা বললো, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করে যান। তখন তিনি বললেন, আমি কি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায়ই তোমাদের বোঝা বহন করব? আমার আকাঙ্খা খিলাফাতের ব্যাপারে আমার ভাগ্যে শুধু নিষ্কৃতি লাভ হোক। আমার উপর কোন অভিযোগও অর্পিত না হোক, আর আমি লাভবানও না হই। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি (তবে তার দৃষ্টান্ত) আমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি [অর্থাৎ- আবূ বকর (রাঃ)] খলীফা মনোনীত করে গেছেন, আর যদি আমি তোমাদের (খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই) ছেড়ে যাই, তবে আমাদের উত্তম যিনি ছিলেন (অর্থাৎ- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার (নীতির) উপরেই তোমাদের রেখে গেছেন।

রাবী ‘আবদুল্লাহ (ইবনু ‘উমার) বলেন, তিনি যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কথা উল্লেখ করলেন তখনই আমি বুঝেছি যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। (ই.ফা. ৪৫৬২, ই.সে. ৪৫৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬০৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَأَلْفَاظُهُمْ، مُتَقَارِبَةٌ قَالَ إِسْحَاقُ وَعَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ فَقَالَتْ أَعَلِمْتَ أَنَّ أَبَاكَ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ قَالَ قُلْتُ مَا كَانَ لِيَفْعَلَ ‏.‏ قَالَتْ إِنَّهُ فَاعِلٌ ‏.‏ قَالَ فَحَلَفْتُ أَنِّي أُكَلِّمُهُ فِي ذَلِكَ فَسَكَتُّ حَتَّى غَدَوْتُ وَلَمْ أُكَلِّمْهُ – قَالَ – فَكُنْتُ كَأَنَّمَا أَحْمِلُ بِيَمِينِي جَبَلاً حَتَّى رَجَعْتُ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَسَأَلَنِي عَنْ حَالِ النَّاسِ وَأَنَا أُخْبِرُهُ – قَالَ – ثُمَّ قُلْتُ لَهُ إِنِّي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ مَقَالَةً فَآلَيْتُ أَنْ أَقُولَهَا لَكَ زَعَمُوا أَنَّكَ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ وَإِنَّهُ لَوْ كَانَ لَكَ رَاعِي إِبِلٍ أَوْ رَاعِي غَنَمٍ ثُمَّ جَاءَكَ وَتَرَكَهَا رَأَيْتَ أَنْ قَدْ ضَيَّعَ فَرِعَايَةُ النَّاسِ أَشَدُّ قَالَ فَوَافَقَهُ قَوْلِي فَوَضَعَ رَأْسَهُ سَاعَةً ثُمَّ رَفَعَهُ إِلَىَّ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَحْفَظُ دِينَهُ وَإِنِّي لَئِنْ لاَ أَسْتَخْلِفْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَسْتَخْلِفْ وَإِنْ أَسْتَخْلِفْ فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَدِ اسْتَخْلَفَ ‏.‏ قَالَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ فَعَلِمْتُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيَعْدِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا وَأَنَّهُ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হাফসাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি কি জান যে, তোমার পিতা কাউকে খলীফা মনোনীত করছেন না? আমি বললাম, তিনি এমনটি করবেন না। তিনি বললেন, তিনি তা-ই করবেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তখন আমি এ মর্মে শপথ করলাম যে, আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলাপ করবো। এরপর আমি নীরব থাকলাম। পরের দিন ভোর পর্যন্ত আমি তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করিনি। রাবী বলেন, আমার মনে হলো যে, আমি আমার শপথের পাহাড় বহন করছি। অবশেষে আমি ফিরে এলাম এবং তাঁর [‘উমার (রাঃ)-এর] কাছে প্রবেশ করলাম। তিনি আামার কাছে লোকদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আমি তাঁকে তা জানালাম। তারপর আমি তাঁকে বললাম, আমি লোকজনকে একটি কথা বলাবলি করতে শুনে আমি তা আপনাকে বলবো বলে শপথ করেছি। লোকেরা বলছে যে, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। অথচ আপনার যদি কোন উটের রাখাল বা ছাগলের রাখাল থাকে আর সে তার পাল পরিত্যাগ করে আপনার কাছে চলে আসে, তা হলে আপনি নিশ্চয়ই মনে করবেন যে, সে পশুপালের সর্বনাশ করেছে। মানুষের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারটি তার চাইতেও গুরুতর। আমার কথা তাঁর অন্তরে রেখাপাত করলো এবং তিনি কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে থাকলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, অবশ্যই মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত আল্লাহ তাঁর দ্বীনের হিফাযাত করবেন। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি তবে আবূ বকর (রাঃ) খলীফা মনোনীত করে গেছেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ করলেন, তখনই আমি বুঝে ফেলি যে, তিনি আর কাউকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সমকক্ষ করবেন না এবং তিনি কাউকে খলীফাও মনোনীত করে যাবেন না। (ই.ফা. ৪৫৬৩, ই.সে. ৪৫৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

নেতৃত্ব, প্রার্থনা ও ক্ষমতার লোভ নিষিদ্ধ

৪৬০৯

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ أُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ‘আবদুর রহমান! তুমি শাসন ক্ষমতা চাইবে না। কারণ যদি চাওয়ার মাধ্যমে তা পাও, তবে তার দয়িত্ব তোমার উপর ন্যস্ত হবে। আর যদি তুমি চাওয়া ছাড়া তা পেয়ে যাও, তবে এ ব্যাপারে তুমি (আল্লাহর তরফ থেকে) সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।

[দ্রষ্টব্য হাদীস ৪২৮১] (ই.ফা. ৪৫৬৪, ই.সে. ৪৫৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১০

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ، بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، وَمَنْصُورٍ، وَحُمَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ، وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৪৫৬৫, ই.সে. ৪৫৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَرَجُلاَنِ مِنْ بَنِي عَمِّي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِّرْنَا عَلَى بَعْضِ مَا وَلاَّكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏.‏ وَقَالَ الآخَرُ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّا وَاللَّهِ لاَ نُوَلِّي عَلَى هَذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهُ وَلاَ أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (একদা) আমি এবং আমার দু’চাচাত ভাই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। দু’জনের একজন বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! মহান আল্লাহ আপনাকে যে সমস্ত রাজ্যের কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন তার কতক অংশে আমাদেরকে প্রশাসক নিযুক্ত করুন। অপরজনও অনুরূপ বলল। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে নেতৃত্বে বসাই না, যে সেটির জন্য প্রার্থী হয় এবং যে তার জন্য লালায়িত হয়। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৪৫২৬] (ই.ফা. ৪৫৬৬, ই.সে. ৪৫৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১২

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَاتِمٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعِي رَجُلاَنِ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِي وَالآخَرُ عَنْ يَسَارِي فَكِلاَهُمَا سَأَلَ الْعَمَلَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَاكُ فَقَالَ ‏”‏ مَا تَقُولُ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَطْلَعَانِي عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمَا وَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُمَا يَطْلُبَانِ الْعَمَلَ ‏.‏ قَالَ وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى سِوَاكِهِ تَحْتَ شَفَتِهِ وَقَدْ قَلَصَتْ فَقَالَ ‏”‏ لَنْ أَوْ لاَ نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسِ ‏”‏ ‏.‏ فَبَعَثَهُ عَلَى الْيَمَنِ ثُمَّ أَتْبَعَهُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ قَالَ انْزِلْ وَأَلْقَى لَهُ وِسَادَةً وَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ مُوثَقٌ قَالَ مَا هَذَا قَالَ هَذَا كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ ثُمَّ رَاجَعَ دِينَهُ دِينَ السَّوْءِ فَتَهَوَّدَ قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَقَالَ اجْلِسْ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ ثُمَّ تَذَاكَرَا الْقِيَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا مُعَاذٌ أَمَّا أَنَا فَأَنَامُ وَأَقُومُ وَأَرْجُو فِي نَوْمَتِي مَا أَرْجُو فِي قَوْمَتِي ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন (একদা) আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার সাথে আশ’আরী বংশের দু’জন লোক ছিল। তাদের একজন ছিল আমার ডানে অপরজন আমার বামে। তারা দু’জনই (পদে) নিযুক্তি প্রার্থনা করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন মেসওয়াক করছিলেন। তখন তিনি (আমাকে লক্ষ্য করে) বললেন, হে আবূ মূসা অথবা হে ‘আবদুল্লাহ! তুমি কী বল? তিনি বলেন, আমি বললাম, যে পবিত্র সত্তা আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম! তাদের অন্তরে যে কী রয়েছে সে সম্পর্কে তারা আমাকে মোটেও জানায়নি, আর আমি মোটেও টের পাইনি যে, তারা আপনার কাছে (পদে) নিযুক্তি প্রার্থনা করবে। রাবী বলেন, আমি যেন (স্পষ্টই) তাঁর ওষ্ঠ মুবারকের নীচে মিসওয়াক দেখতে পাচ্ছি। তখন তিনি বললেন, আমরা আমাদের কোন কাজে কখনো এমন লোককে নিযুক্তি প্রদান করি না- যে তার জন্য লালায়িত। বরং তুমি যাও। হে আবূ মূসা! অথবা তিনি বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ! অতঃপর তিনি তাঁকে ইয়ামানের গভর্নর করে পাঠালেন। এরপর তিনি মু’আয ইবনু জাবালকে তাঁর সাহায্যার্থে পাঠালেন। তিনি (মু’আয) যখন তাঁর (আবূ মূসার) নিকট গিয়ে পৌঁছলেন, তখন তিনি বললেনঃ অবতরণ করুন এবং সাথে সাথে তিনি একটি আসন পেতে দিলেন। তখন তাঁর নিকট হাত পা বাঁধা অবস্থায় একটি লোক ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : এ লোকটি কে? উত্তরে তিনি বললেন, লোকটি প্রথমে ইয়াহূদী ছিল, তারপর সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরপর সে আবার তার বাতিল ধর্মে ফিরে যায় এবং ইয়াহূদী হয়ে যায়। মু’আয (রাঃ) বললেন, যতক্ষণ আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিধান অনুসারে তাকে হত্যা করা না হবে, ততক্ষণ আমি বসবো না। এরূপ তারা তিনবার কথোপকথন করলেন। এরপর তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে হত্যা করা হলো। তারপর তারা রাত্রি জাগরণ (তাহাজ্জুদ) সম্পর্কে পরস্পরের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করলেন। তাঁদের মধ্যে মু’আয (রাঃ) বললেন- আমার অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি (রাত্রির কিয়দংশে) নিদ্রাও যাই আবার (কিয়দংশে) ‘ইবাদাতে জাগরণও করি এবং আমার নিদ্রায়ও সেরূপ সাওয়াবই প্রত্যাশা করি যেরূপ সাওয়াব প্রত্যাশা করি আমার জাগরণ ও ‘ইবাদাতে। (ই.ফা. ৪৫৬৭, ই.সে. ৪৫৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

নিষ্প্রয়োজনে ক্ষমতায় যাওয়া অনভিপ্রেত

৪৬১৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَزِيدَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ حُجَيْرَةَ الأَكْبَرِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ تَسْتَعْمِلُنِي قَالَ فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى مَنْكِبِي ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّكَ ضَعِيفٌ وَإِنَّهَا أَمَانَةٌ وَإِنَّهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْىٌ وَنَدَامَةٌ إِلاَّ مَنْ أَخَذَهَا بِحَقِّهَا وَأَدَّى الَّذِي عَلَيْهِ فِيهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি কি আমাকে প্রশাসক পদে প্রদান করবেন? রাবী বলেন, তিনি তখন তাঁর হাত দিয়ে আমার কাঁধে আঘাত করে বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি দুর্বল অথচ এটি হচ্ছে একটি আমানাত। আর কিয়ামাতের দিন এ হবে লাঞ্ছনা ও অনুশোচনা। তবে যে এর হক সম্পূর্ণ আদায় করবে তার কথা ভিন্ন। (ই.ফা. ৪৫৬৮, ই.সে. ৪৫৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১৪

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنِ الْمُقْرِئِ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ سَالِمِ، بْنِ أَبِي سَالِمٍ الْجَيْشَانِيِّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِنِّي أَرَاكَ ضَعِيفًا وَإِنِّي أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي لاَ تَأَمَّرَنَّ عَلَى اثْنَيْنِ وَلاَ تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে আবূ যার! আমি দেখছি তুমি দুর্বল প্রকৃতির লোক আর আমি তোমার জন্য তাই পছন্দ করি, যা আমি নিজের জন্য পছন্দ করি। কোন দু’ব্যক্তির উপরও কর্তৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করো না এবং ইয়াতীমের সম্পদের দায়িত্বশীল হতে যেয়ো না। (ই.ফা. ৪৫৬৯, ই.সে. ৪৫৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা ও অত্যাচারী শাসকের পরিণাম, শাসিতদের প্রতি কোমল আচরণ ও কঠোরতা বর্জন

৪৬১৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو، – يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ – عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ وَأَبُو بَكْرٍ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ زُهَيْرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْمُقْسِطِينَ عِنْدَ اللَّهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُورٍ عَنْ يَمِينِ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ وَكِلْتَا يَدَيْهِ يَمِينٌ الَّذِينَ يَعْدِلُونَ فِي حُكْمِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ وَمَا وَلُوا ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: ন্যায় বিচারকগণ (কিয়ামাতের দিন) আল্লাহর নিকটে নূরের মিম্বারসমূহে মহামহিম দয়াময় প্রভুর ডানপার্শ্বে উপবিষ্ট থাকবেন। তাঁর উভয় হাতই ডান হাত (অর্থাৎ- সমান মহিয়ান)। যারা তাদের শাসনকার্যে তাদের পরিবারের লোকদের ব্যাপারে এবং তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বসমূহের ব্যাপারে সুবিচার করে। (ই.ফা. ৪৫৭০, ই.সে. ৪৫৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১৬

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ شُمَاسَةَ قَالَ أَتَيْتُ عَائِشَةَ أَسْأَلُهَا عَنْ شَىْءٍ، فَقَالَتْ مِمَّنْ أَنْتَ فَقُلْتُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ ‏.‏ فَقَالَتْ كَيْفَ كَانَ صَاحِبُكُمْ لَكُمْ فِي غَزَاتِكُمْ هَذِهِ فَقَالَ مَا نَقَمْنَا مِنْهُ شَيْئًا إِنْ كَانَ لَيَمُوتُ لِلرَّجُلِ مِنَّا الْبَعِيرُ فَيُعْطِيهِ الْبَعِيرَ وَالْعَبْدُ فَيُعْطِيهِ الْعَبْدَ وَيَحْتَاجُ إِلَى النَّفَقَةِ فَيُعْطِيهِ النَّفَقَةَ فَقَالَتْ أَمَا إِنَّهُ لاَ يَمْنَعُنِي الَّذِي فَعَلَ فِي مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَخِي أَنْ أُخْبِرَكَ مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي بَيْتِي هَذَا ‏ “‏ اللَّهُمَّ مَنْ وَلِيَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِي شَيْئًا فَشَقَّ عَلَيْهِمْ فَاشْقُقْ عَلَيْهِ وَمَنْ وَلِيَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِي شَيْئًا فَرَفَقَ بِهِمْ فَارْفُقْ بِهِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু শুমাসাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একদা ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট কোন এক ব্যাপারে প্রশ্ন করার জন্য গেলাম। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথাকার লোক? আমি জবাব দিলাম, আমি একজন মিসরবাসী। তখন তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন তোমাদর সে গৃহযুদ্ধকালীন গভর্নর (মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর) কেমন লোক ছিলেন? রাবী বলেন, আমরা তো তার নিকট থেকে অন্যায়মূলক কিছু পাইনি। যদি আমাদের কোন ব্যক্তির উট মারা যেতো তিনি তাকে উট দিতেন। গোলাম মারা গেলে গোলাম দিতেন, কারো জীবিকার প্রয়োজন হলে তিনি তাকে তা প্রদান করতেন। তখন তিনি বললেন, আমার সহোদর মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকরের সাথে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আমার এ ঘরে যা বলতে শুনেছি তা তোমাকে অবহিত করা থেকে আমাকে বিরত রাখতে পারছি না। (তিনি বলেছিলেন) হে আল্লাহ! যে আমার উম্মাতের কোনরূপ কর্তৃত্বভার লাভ করে এবং তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ করে তুমি তার প্রতি রূঢ় হও, আর যে আমার উম্মাতের উপর কোনরূপ কর্তৃত্ব লাভ ক’রে তাদের প্রতি নম্র আচরণ করে তুমি তার প্রতি নম্র ও সদয় হও। (ই.ফা. ৪৫৭১, ই.সে. ৪৫৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১৭

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ حَرْمَلَةَ، الْمِصْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ

‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৫৭২, ই.সে. ৪৫৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَالأَمِيرُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى بَيْتِ بَعْلِهَا وَوَلَدِهِ وَهِيَ مَسْئُولَةٌ عَنْهُمْ وَالْعَبْدُ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُ أَلاَ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূ্ত্র থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্ববান এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ‘আমীর বা নেতা তার অধীনস্থ লোকদের উপর দায়িত্ববান এবং সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের উপর দায়িত্বশীল, সে তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী স্বীয় স্বামীর বাড়ী ও সন্তানের উপর দায়িত্ববান, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। গোলাম তার মুনিবের মাল-সম্পদের উপর দায়িত্ববান, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ওহে! তোমাদের প্রত্যেকেই (স্ব-স্ব স্থানে) একজন দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (ই.ফা. ৪৫৭৩, ই.সে. ৪৫৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬১৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي الْقَطَّانَ – كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، جَمِيعًا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ – ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، كَلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ عَنْ نَافِعٍ، ‏.‏

আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, ইবনু নুমায়র, ইবনু মুসান্না ও ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু সা’ঈদ সকলেই ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে অন্য সানাদে আবূ রাবী’ ও আবূ কামিল, যুহায়র ইবনু হারব মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ ও হারূন ইবনু সা’ঈদ আইলী (রহঃ) সকলেই নাফি’ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৫৭৪, ই.সে. ৪৫৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২০

قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، بِهَذَا مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ عَنْ نَافِعٍ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরে বর্ণিত হাদীসটি লায়স ‘আন্ নাফি’-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৪৫৭৪, ই.সে. ৪৫৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنَّهُ قَدْ قَالَ ‏ “‏ الرَّجُلُ رَاعٍ فِي مَالِ أَبِيهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ‏”‏ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, তারপর নাফি’ (রহঃ) সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী বর্ণনা করতে শুনেছি। যুহরী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, আমার মনে হয় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পুরুষ তার পিতার সম্পদের উপর দায়িত্ববান এবং সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (ই.ফা. ৪৫৭৫, ই.সে. ৪৫৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২২

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي رَجُلٌ، سَمَّاهُ وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْمَعْنَى ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ মর্মে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৪৫৭৬, ই.সে. ৪৫৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২৩

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ عَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ الْمُزَنِيَّ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ عَلِمْتُ أَنَّ لِي حَيَاةً مَا حَدَّثْتُكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏

হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ মা’কিল ইবনু ইয়াসারকে দেখতে যান যে অসুখে পরবর্তীতে তিনি মারা যান। মা’কিল তাঁকে বলেনঃ আমি তোমার কাছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট থেকে আমার শ্রুত হাদীস বর্ণনা করবো। যদি আমি জানতাম যে, আমার আরও আয়ু আছে তবে আমি তোমার কাছে তা বর্ণনা করতাম না। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে বান্দাকে আল্লাহ প্রজা সাধারণের উপর দায়িত্বশীল করেন অথচ সে যখন মারা যায় তখনও সে তার প্রজা সাধারণের প্রতি প্রতারণাকারী থাকে তবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দেন। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৩৬৩] (ই.ফা. ৪৫৭৭, ই.সে. ৪৫৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২৪

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ دَخَلَ ابْنُ زِيَادٍ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَهُوَ وَجِعٌ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي الأَشْهَبِ وَزَادَ قَالَ أَلاَّ كُنْتَ حَدَّثْتَنِي هَذَا، قَبْلَ الْيَوْمِ قَالَ مَا حَدَّثْتُكَ أَوْ، لَمْ أَكُنْ لأُحَدِّثَكَ ‏.‏

হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু যিয়াদ (রহঃ) মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-কে দেখতে গেলেন। তিনি তখন গুরুতর রোগাগ্রস্ত। তারপর আবূল আশহাব (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী অতিরিক্ত এও বলেছেন, আপনি ইতোপূর্বে এ হাদীস আমার নিকট কেন ব্যক্ত করেননি? তিনি বলেন, আমি তোমার কাছে ব্যক্ত করিনি, অথবা বলেছেন আমি তো তোমাদের কাছে ব্যক্ত করতে চাইনি। (ই.ফা. ৪৫৭৮, ই.সে. ৪৫৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، أَنَّإِنِّي مُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ لَوْلاَ أَنِّي فِي الْمَوْتِ لَمْ أُحَدِّثْكَ بِهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ أَمِيرٍ يَلِي أَمْرَ الْمُسْلِمِينَ ثُمَّ لاَ يَجْهَدُ لَهُمْ وَيَنْصَحُ إِلاَّ لَمْ يَدْخُلْ مَعَهُمُ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মালীহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)-এর পীড়িত অবস্থায় তাকে দেখতে যান। তখন মা’কিল (রাঃ) তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি এমন একটি হাদীস তোমার কাছে বর্ণনা করবো, যদি আমি মৃত্যুর মুখোমুখি না হতাম তবে তোমার কাছে তা বর্ণনা করতাম না। আমি রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, এমন ‘আমীর যার উপর মুসলিমদের শাসন ক্ষমতা অর্পিত হয় অথচ এরপর সে তাদের কল্যাণ সাধনে চেষ্টা না করে বা তাদের মঙ্গল কামনা না করে; আল্লাহ তাঁকে তাদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। (ই.ফা. ৪৫৭৯, ই.সে. ৪৫৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২৬

وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنِي سَوَادَةُ بْنُ أَبِي، الأَسْوَدِ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ، مَرِضَ فَأَتَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ يَعُودُهُ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ الْحَسَنِ عَنْ مَعْقِلٍ، ‏.‏

আবূল আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) পীড়িত হলেন। তখন ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) তাঁকে রোগগ্রস্ত অবস্থায় দেখতে যান। অবশিষ্ট অংশ মা’কিল থেকে হাসান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৫৮০, ই.সে. ৪৫৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২৭

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو، – وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ أَىْ بُنَىَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ اجْلِسْ فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ وَهَلْ كَانَتْ لَهُمْ نُخَالَةٌ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ وَفِي غَيْرِهِمْ ‏.‏

হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জনৈক সাহাবী আয়েয ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) একদা ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ (রহঃ)-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, বৎস! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি “নিকৃষ্টতম রাখাল হচ্ছে অত্যাচারী শাসক।” তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে সাবধান থাকবে। তখন সে বললো, বসে পড়! তুমি হচ্ছো নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাহাবীগণের উচ্ছিষ্টের ন্যায়। জবাবে তিনি বললেন, তাঁদের মধ্যেও কি উচ্ছিষ্ট রয়েছে? উচ্ছিষ্ট তো তাদের পরবর্তীদের এবং অন্যান্যদের মধ্যে। (ই.ফা. ৪৫৮১, ই.সে. ৪৫৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

গনীমাতের মাল আত্মসাৎ করা কঠিন হারাম

৪৬২৮

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي، زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَذَكَرَ الْغُلُولَ فَعَظَّمَهُ وَعَظَّمَ أَمْرَهُ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ بَعِيرٌ لَهُ رُغَاءٌ يَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي ‏.‏ فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ ‏.‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ فَرَسٌ لَهُ حَمْحَمَةٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي ‏.‏ فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ ‏.‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ شَاةٌ لَهَا ثُغَاءٌ يَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي ‏.‏ فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ ‏.‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ نَفْسٌ لَهَا صِيَاحٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي ‏.‏ فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ ‏.‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ رِقَاعٌ تَخْفِقُ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي ‏.‏ فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ ‏.‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ صَامِتٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নিকট (ভাষণ দিতে) দাঁড়ালেন এবং গনীমাতের মাল আত্মসাৎ প্রসঙ্গে আলোচনা করলেন। তিনি এর উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করলেন। তারপর বললেন, আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামাত দিবসে যেন এমন অবস্থায় উপস্থিত না পাই যে, চিৎকাররত উট তার ঘাড়ের উপর সওয়ার হয়ে আছে, আর সে আরয করছে, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে সাহায্য করুন! তখন আমি বলবো : তোমার ব্যাপারে আমার কিছুই করার ক্ষমতা নেই। আমি (এর পূর্বেও) তোমাকে (এ ব্যাপারে) জানিয়ে দিয়েছি। আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামাতের দিন যেন এমন অবস্থায় উপস্থিত না পাই যে, চিৎকাররত ঘোড়া তার কাঁধের উপর সওয়ার হয়ে আছে আর সে আরয করছে, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। তখন আমি বলবো, তোমার ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই, আমি তো (এর পূর্বে) তোমাকে (এ ব্যাপারে) জানিয়ে দিয়েছি। আমি তোমাদের কাউকে যেন কিয়ামাত দিবসে এমন অবস্থায় উপস্থিত না পাই যে, কোন আর্তনাদরত ব্যক্তিকে সে বয়ে নিয়ে আসছে আর আরয করছে, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলবো, তোমার ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র কিছু করার নেই। আর আমি (ইতোপূর্বেই তা) তোমার নিকট প্রচার করেছি। আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামাতের দিন এমন অবস্থায় যেন উপস্থিত না পাই যে, তার ঘাড়ের উপর পতপত করে কাপড় উড়ছে আর সে ফরিয়াদ করছে, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলবো যে, তোমার ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই। আমি তো (ইতোপূর্বেই তা) তোমাকে জানিয়ে দিয়েছি। আর এমন যেন না হয় যে, কিয়ামাতের দিন তোমাদের মধ্যকার কাউকে এ অবস্থায় পাই যে, তার ঘাড়ে স্বর্ণ, রৌপ্য বয়ে নিয়ে আসবে আর আরয করবে, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলবো, তোমাকে সাহায্য করার কোন সাধ্য আমার নেই, আমি তো (পূর্বেই সে বিষয়ে) তোমাকে জানিয়ে দিয়েছি। (ই.ফা. ৪৫৮২, ই.সে. ৪৫৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬২৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، وَعُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِمِثْلِ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ عَنْ أَبِي حَيَّانَ، ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসমা’ঈল (রহঃ)-এর সূত্রে আবূ হাইয়্যান (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৫৮৩, ই.সে. ৪৫৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩০

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغُلُولَ فَعَظَّمَهُ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ قَالَ حَمَّادٌ ثُمَّ سَمِعْتُ يَحْيَى بَعْدَ ذَلِكَ يُحَدِّثُهُ فَحَدَّثَنَا بِنَحْوِ مَا حَدَّثَنَا عَنْهُ أَيُّوبُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গনীমাতের মাল ‘আত্মসাৎকরণ’ এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে উল্লেখ করেন। এভাবে তিনি পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৫৮৪, ই.সে. ৪৫৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩১

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ خِرَاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে উল্লেখিত রাবীদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৫৮৫, ই.সে. ৪৫৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

সরকারী কর্মচারীদের উপহার গ্রহণ নিষিদ্ধ

৪৬৩২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ اسْتَعْمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مِنَ الأَسْدِ يُقَالُ لَهُ ابْنُ اللُّتْبِيَّةِ – قَالَ عَمْرٌو وَابْنُ أَبِي عُمَرَ عَلَى الصَّدَقَةِ – فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ هَذَا لَكُمْ وَهَذَا لِي أُهْدِيَ لِي قَالَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ ‏”‏ مَا بَالُ عَامِلٍ أَبْعَثُهُ فَيَقُولُ هَذَا لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي ‏.‏ أَفَلاَ قَعَدَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ أَوْ فِي بَيْتِ أُمِّهِ حَتَّى يَنْظُرَ أَيُهْدَى إِلَيْهِ أَمْ لاَ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَنَالُ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ جَاءَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى عُنُقِهِ بَعِيرٌ لَهُ رُغَاءٌ أَوْ بَقَرَةٌ لَهَا خُوَارٌ أَوْ شَاةٌ تَيْعِرُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْنَا عُفْرَتَىْ إِبْطَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ‏”‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ ‏.‏

আবূ হুমায়দ সা’ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসাদ গোত্রের এক ব্যক্তিকে কর্মচারী নিযুক্ত করলেন- যাকে ইবনুল লুত্বিয়্যাহ্ নামে অভিহিত করা হতো। রাবী ‘আম্‌র ও ইবনু আবূ ‘উমার বলেন, যাকাত আদায়ের জন্য। যখন সে ফিরে এলো, তখন সে বললো, এটি আপনাদের (অর্থাৎ- বায়তুল মালের) এবং ওটি আমাকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। রাবী বলেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মিম্বারের উপরে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করার পর বললেন, সে কর্মচারীর কী হলো, যাকে আমি (আদায়কারীরূপে) প্রেরণ করলাম, আর সে (যেমন দিয়ে আসে তেমন) বলে! ওটা আপনাদের আর এটি আমাকে উপঢৌকন দেয়া হয়েছে? সে তার পিতার বা মাতার ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন যে তাকে উপঢৌকন দেয়া হয় কি-না? মুহাম্মাদের প্রাণ যে পবিত্র সত্তার হাতে তাঁর কসম! যে কেউ এরূপ সম্পদের কিছুমাত্র কুক্ষিগত করবে, কিয়ামাতের দিন তাই সে তার ঘাড়ে বহন করে নিয়ে আসবে- তার ঘাড়ের উপর চিৎকাররত উট হবে অথবা হাম্বা-হাম্বারত গাভী হবে অথবা চিৎকাররত বকরী হবে। তারপর তিনি দু’হাত উপরের দিকে উঠিয়ে ধরলেন, এমনকি তাঁর বগলের শুভ্রতা আমাদের দৃষ্টিগোচর হলো। তিনি বললেন, “হে আল্লাহ! আমি কি তোমার নির্দেশ পৌঁছিয়ে দিয়েছি?” এ কথা তিনি দু’বার বললেন। (ই.ফা. ৪৫৮৬, ই.সে. ৪৫৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ اسْتَعْمَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ابْنَ اللُّتْبِيَّةِ – رَجُلاً مِنَ الأَزْدِ – عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَ بِالْمَالِ فَدَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذِهِ هَدِيَّةٌ أُهْدِيَتْ لِي ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَفَلاَ قَعَدْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأُمِّكَ فَتَنْظُرَ أَيُهْدَى إِلَيْكَ أَمْ لاَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ سُفْيَانَ ‏.‏

আবূ হুমায়দ সা’ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আয্দ গোত্রের ইবনুল লুত্বিয়্যাহ্ নামক এক ব্যক্তিকে যাকাত উসূলের উদ্দেশে কর্মচারী নিয়োগ করেন। সে যখন (যাকাতের উসূলকৃত) মালামাল নিয়ে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট অর্পণ করলো, তখন সে বলল, এগুলো হচ্ছে আপনাদের, আর ওটা আমাকে উপঢৌকন স্বরূপ দেয়া হয়েছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তোমার পিতা-মাতার ঘরে বসে থেকে দেখলে না কেন, তোমার জন্য উপঢৌকনাদি প্রেরিত হয় কি-না? তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খুৎবাহ্ দিতে দাঁড়ালেন। এরপর রাবী সুফ্ইয়ান (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা দেন। (ই.ফা. ৪৫৮৭, ই.সে. ৪৫৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ اسْتَعْمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مِنَ الأَزْدِ عَلَى صَدَقَاتِ بَنِي سُلَيْمٍ يُدْعَى ابْنَ الأُتْبِيَّةِ فَلَمَّا جَاءَ حَاسَبَهُ قَالَ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذَا هَدِيَّةٌ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَهَلاَّ جَلَسْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأُمِّكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ هَدِيَّتُكَ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ خَطَبَنَا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنِّي أَسْتَعْمِلُ الرَّجُلَ مِنْكُمْ عَلَى الْعَمَلِ مِمَّا وَلاَّنِي اللَّهُ فَيَأْتِي فَيَقُولُ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذَا هَدِيَّةٌ أُهْدِيَتْ لِي ‏.‏ أَفَلاَ جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ حَتَّى تَأْتِيَهُ هَدِيَّتُهُ إِنْ كَانَ صَادِقًا وَاللَّهِ لاَ يَأْخُذُ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنْهَا شَيْئًا بِغَيْرِ حَقِّهِ إِلاَّ لَقِيَ اللَّهَ تَعَالَى يَحْمِلُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَلأَعْرِفَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ لَقِيَ اللَّهَ يَحْمِلُ بَعِيرًا لَهُ رُغَاءٌ أَوْ بَقَرَةً لَهَا خُوَارٌ أَوْ شَاةً تَيْعِرُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رُئِيَ بَيَاضُ إِبْطَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ‏”‏ ‏.‏ بَصُرَ عَيْنِي وَسَمِعَ أُذُنِي ‏.‏

আবূ হুমায়দ আস্-সা’ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আয্দ গোত্রের এক ব্যক্তিকে বানূ সুলায়ম গোত্রের যাকাত উসূল করার জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করেন। লোকটিকে ইবনু উত্বিয়্যাহ্ বলে ডাকা হতো। যখন সে (কাজ সম্পাদন করে) আসলো, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হিসাব-নিকাশ চাইলেন। সে বলল, এগুলো হচ্ছে আপনাদের মাল আর ওটা (আমাকে প্রদত্ত) উপঢৌকন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তোমার পিতা-মাতার ঘরে বসে থাকলে না কেন? তোমার উপঢৌকন পৌঁছাতো, যদি তুমি সত্যবাদী হও। তারপর তিনি আমাদেরকে লক্ষ্য করে খুৎবাহ্ দিলেন। তাতে আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, “আমি তোমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তিকে কোন কাজে নিযুক্ত করি যার দায়িত্ব আল্লাহ আমার উপর বর্তিয়েছেন। তারপর সে (কর্ম সম্পাদন করে) এসে বলে, এটা আপনাদের মাল আর এটা আমাকে উপঢৌকন স্বরূপ দেয়া হয়েছে। সে কেন তার পিতা-মাতার ঘরে বসে রইলো না তার উপঢৌকন সেখানে তার কাছে এসে পৌঁছতো, যদি সে সত্যবাদী হয়ে থাকে? আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যকার যে কেউ তার প্রাপ্য ব্যতিরেকে সেসব সম্পদের অংশবিশেষও কুক্ষিগত করবে, কিয়ামাতের দিন সে তা বহন ক’রে আল্লাহ তা‘আলার সমীপে উপস্থিত হবে। তোমাদের মধ্যকার যে কেউ চিৎকাররত উট, গাভী বা বকরী বহত করতঃ আল্লাহর সমীপে উপস্থিত হবে, আমি তাকে পুরোপুরি চিনতে পারবো। তারপর তিনি দু’হাত এমনভাবে ঊর্ধ্বে তুললেন যে তাঁর বগলদ্বয়ের শুভ্রতা দেখা গেল। তিনি বলছিলেন, হে আল্লাহ! আমি কি (তোমার নির্দেশ) পৌঁছে দিয়েছি? (রাবী বলেন, সে দৃশ্যটি) আমার চোখ দেখেছে এবং সে বক্তব্য আমার কান শুনেছে। (ই.ফা. ৪৫৮৮, ই.সে. ৪৫৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩৬

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ذَكْوَانَ، – وَهُوَ أَبُو الزِّنَادِ – عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَ رَجُلاً عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَ بِسَوَادٍ كَثِيرٍ فَجَعَلَ يَقُولُ هَذَا لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ إِلَىَّ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ عُرْوَةُ فَقُلْتُ لأَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ أَسَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مِنْ فِيهِ إِلَى أُذُنِي ‏.‏

‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে সদাকাহ্ উসূলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করেন। সে প্রচুর মাল নিয়ে আসলো আর বলতে লাগলো এটা আপনাদের আর ওটা আমাকে উপহার দেয়া হয়েছে। তারপর রাবী অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) বলেন, আমি আবূ হুমায়দ আস্-সা’ইদী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম আপনি নিজে কি তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট থেকে শুনেছেন? জবাবে তিনি বললেন, তাঁর পবিত্র মুখ থেকে সরাসরি আমার কানে শুনেছি। (ই.ফা. ৪৫৯০, ই.সে. ৪৫৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي، خَالِدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَكَتَمَنَا مِخْيَطًا فَمَا فَوْقَهُ كَانَ غُلُولاً يَأْتِي بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ أَسْوَدُ مِنَ الأَنْصَارِ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْبَلْ عَنِّي عَمَلَكَ قَالَ ‏”‏ وَمَا لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُكَ تَقُولُ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَأَنَا أَقُولُهُ الآنَ مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَلْيَجِئْ بِقَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ فَمَا أُوتِيَ مِنْهُ أَخَذَ وَمَا نُهِيَ عَنْهُ انْتَهَى ‏”‏ ‏.‏

‘আদী ইবনু ‘উমাইরাহ্‌ আল-কিন্দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমরা তোমাদের মধ্যে যাকে আদায়কারী নিযুক্ত করি, আর সে একটি সূঁচ পরিমাণ বা তার চাইতেও কম মাল আমাদের কাছে গোপন করে, তাই আত্মসাৎ বলে গণ্য হবে এবং তা নিয়েই কিয়ামতের দিন সে উপস্থিত হবে। রাবী বলেন, তখন একজন কৃষ্ণকায় আনসারী (সাহাবী) তাঁর দিকে অগ্রসর হলেন, আমি যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছি। তিনি আরয করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনার দায়িত্বভার আপনি বুঝে নিন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার কি হয়েছে? তিনি আরয করলেন, আমি আপনাকে এরূপ এরূপ (কঠিন ভাষা) বলতে শুনেছি। তখন তিনি বললেন, আমি এখনও বলছি, তোমাদের মধ্যকার যাকেই আমি কর্মচারী নিযুক্ত করি আর সে অল্প বিস্তর যা-ই আদায় করে এনে উপস্থিত করে, তারপর তাকে যা-ই দেয়া হয় তা-ই গ্রহণ করে এবং যা থেকে নিষেধ করা হয় তা থেকে বিরত থাকে (তার জন্য ভয়ের কারণ নেই)। (ই.ফা. ৪৫৯১, ই.সে. ৪৫৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩৮

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.‏

ইসমা’ঈল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৪৫৯২, ই.সে. ৪৫৯৪/ক)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৩৯

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ أَبِي خَالِدٍ أَخْبَرَنَا قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

‘আদী ইবনু ‘আমীর আল-কিন্দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অনুরূপ বলতে শুনেছি। (ই.ফা. ৪৫৯৩, ই.সে. ৪৫৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

পাপের কাজ ছাড়া অন্য সব ব্যাপারে শাসকের আনুগত্য আবশ্যক এবং পাপ কাজের ক্ষেত্রে (আনুগত্য) হারাম

৪৬৪০

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ نَزَلَ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأَمْرِ مِنْكُمْ‏}‏ فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُذَافَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَدِيٍّ السَّهْمِيِّ بَعَثَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ ‏.‏ أَخْبَرَنِيهِ يَعْلَى بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

ইবনু জুরায়জ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (মহান আল্লাহর বাণী) “হে মু’মিনগণ! আল্লাহ ও রসূল এবং তোমাদের মধ্যকার শাসকের আনুগত্য করবে”-(সূরা আন্‌ নিসা ৪: ৫৯) আয়াতটি ‘আবদুল্লাহ ইবনু হুযাফাহ্‌ ইবনু কায়স ইবনু ‘আদী সাহমী (রাঃ)-এর শানে নাযিল হয়েছে। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠিয়েছিলেন। ইয়া’লা ইবনু মুসলিম, সা’ঈদ ইবনু জুবায়রের সূত্রে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৫৯৪, ই.সে. ৪৫৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ يَعْصِنِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَمَنْ يُطِعِ الأَمِيرَ فَقَدْ أَطَاعَنِي وَمَنْ يَعْصِ الأَمِيرَ فَقَدْ عَصَانِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো, সে আল্লাহর আনুগত্য করলো আর যে আমার অবাধ্যতা করলো সে আল্লাহর অবাধ্যতা করলো। যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো আর যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো। (ই.ফা. ৪৫৯৫, ই.সে. ৪৫৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪২

وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُر ” وَمَنْ يَعْصِ الأَمِيرَ فَقَدْ عَصَانِي

আবূ যিনাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি “যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো” অংশটুকু উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৫৯৬, ই.সে. ৪৫৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৩

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَمَنْ أَطَاعَ أَمِيرِي فَقَدْ أَطَاعَنِي وَمَنْ عَصَى أَمِيرِي فَقَدْ عَصَانِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে আমার আনুগত্য করলো, সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই আনুগত্য করলো। আর যে আমার অবাধ্যতা করলো সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই অবাধ্যতা করলো। আর যে ব্যক্তি আমার নিযুক্ত ‘আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো, আর যে ব্যক্তি আমার নিযুক্ত ‘আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো। (ই.ফা. ৪৫৯৭, ই.সে. ৪৫৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ سَوَاءً ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৫৯৮, ই.সে. ৪৬০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৫

وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، مِنْ فِيهِ إِلَى فِيَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، سَمِعَ أَبَا عَلْقَمَةَ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِهِمْ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে উপরোক্ত রাবীগণের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৫৯৯, ই.সে. ৪৬০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৬০০, ই.সে. ৪৬০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৭

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ وَقَالَ ‏ “‏ مَنْ أَطَاعَ الأَمِيرَ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ أَمِيرِي وَكَذَلِكَ فِي حَدِيثِ هَمَّامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এ হাদীসে ‘আমীরী’ শব্দের স্থলে “আমীর” শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে হাম্মাম (রহঃ)-এর সূত্রে আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৪৬০১, ই.সে. ৪৬০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৮

وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ يَعْقُوبَ، قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عَلَيْكَ السَّمْعَ وَالطَّاعَةَ فِي عُسْرِكَ وَيُسْرِكَ وَمَنْشَطِكَ وَمَكْرَهِكَ وَأَثَرَةٍ عَلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তুমি অবশ্যই ‘আমীরের কথা শুনবে এবং মানবে তোমার সংকটকালে ও স্বাভাবিক সময়ে, অনুরাগ ও বিরাগে এবং যখন তোমার উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে তখনও। (ই.ফা. ৪৬০২, ই.সে. ৪৬০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৪৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ خَلِيلِي أَوْصَانِي أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পরম বন্ধু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন, আমি যেন (‘আমীরের নির্দেশ) শুনি ও মানি যদি ‘আমীর হাত-পা কর্তিত দাসও হয়। (ই.ফা. ৪৬০৩, ই.সে. ৪৬০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫০

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، بْنُ شُمَيْلٍ جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ فِي الْحَدِيثِ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) ও ইসহাক্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রিওয়ায়াতে আছে “হাত-পা কাটা হাবশী গোলামও যদি ‘আমীর হয় (তবুও তার আনুগত্য করবে)।” (ই.ফা. ৪৬০৪, ই.সে. ৪৬০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫১

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ كَمَا قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ عَبْدًا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত হাদীসে আছে “হাত-পা কাটা গোলাম”। (ই.ফা. ৪৬০৫, ই.সে. ৪৬০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَدَّتِي، تُحَدِّثُ أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ يَقُولُ ‏ “‏ وَلَوِ اسْتُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا ‏”‏ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার দাদী থেকে শুনেছি, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিদায় হাজ্জের ভাষণ দেয়ার সময় তাঁকে বলতে শুনেছেন “যদি তোমাদের উপর একজন গোলামকেও কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় আর সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুসারে পরিচালনা করে, তবে তোমরা তার কথা শুনবে এবং মেনে চলবে।” (ই.ফা. ৪৬০৬, ই.সে. ৪৬০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৩

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ عَبْدًا حَبَشِيًّا ‏.‏

শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রিওয়ায়াতে ‘হাবশী গোলাম’ শব্দটি আছে। (ই.ফা. ৪৬০৭, ই.সে. ৪৬০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعًا ‏.‏

আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ থেকে বর্ণিতঃ

আছে “হাত-পা কাটা হাবশী গোলাম”। (ই.ফা. ৪৬০৮, ই.সে. ৪৬১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৫

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ حَبَشِيًّا مُجَدَّعًا وَزَادَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى أَوْ بِعَرَفَاتٍ ‏

‘আবদুর রহমান ইবনু বিশর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রিওয়ায়াতে “হাত-পা কাটা হাবশী” শব্দদ্বয়ের উল্লেখ নেই। তাতে বর্ধিত এতটুকু আছে- তিনি (বর্ণনাকারিণী ইয়াহ্ইয়া ইবনু হুসায়নের দাদী) মিনায় অথবা ‘আরাফাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এরূপ বলতে শুনেছেন। (ই.ফা. ৪৬০৯, ই.সে. ৪৬১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৬

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي، أُنَيْسَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ الْحُصَيْنِ، قَالَ سَمِعْتُهَا تَقُولُ، حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةَ الْوَدَاعِ – قَالَتْ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْلاً كَثِيرًا ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ “‏ إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ – حَسِبْتُهَا قَالَتْ – أَسْوَدُ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا ‏”‏ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু হুসায়ন-এর দাদী উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাবী ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু হুসায়ন বলেন যে, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি- আমি বিদায় হজ্জে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে হজ্জ আদায় করি। তিনি (রাবী) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন অনেক কথাই বলেছিলেন। এরপর আমি তাঁকে বলতে শুনলাম, যদি তোমাদের উপর কোন হাত-পা কাটা গোলামকেও ‘আমীর নিযুক্ত করা হয় (ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু হুসায়ন বলেন)- আমার ধারণা হয় তিনি (দাদী আরও) বলেছেন- কালো (অর্থাৎ- কৃষ্ণকায় হাবশী গোলাম) আর সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুসারে পরিচালিত করে তবে তোমরা তার কথা শুনবে এবং মানবে। (ই.ফা. ৪৬১০, ই.সে. ৪৬১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ إِلاَّ أَنْ يُؤْمَرَ بِمَعْصِيَةٍ فَإِنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রহঃ)-এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তির অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হচ্ছে শোনা ও মানা তার প্রতিটি প্রিয় ও অপ্রিয় ব্যাপারে যতক্ষণ না তাকে আল্লাহর অবাধ্যতার আদেশ করা হয়। যদি আল্লাহর অবাধ্যতার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয় তাহলে তা শুনবেও না এবং মানবেও না। (ই. ফা. ৪৬১১, ই. সে. ৪৬১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৮

وَحَدَّثَنَاهُ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كِلاَهُمَا، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

যুহায়র ইবনু হারব, এবং মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪৬১২, ই. সে. ৪৬১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৫৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّعليه وسلم بَعَثَ جَيْشًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلاً فَأَوْقَدَ نَارًا وَقَالَ ادْخُلُوهَا ‏.‏ فَأَرَادَ نَاسٌ أَنْ يَدْخُلُوهَا وَقَالَ الآخَرُونَ إِنَّا قَدْ فَرَرْنَا مِنْهَا ‏.‏ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِلَّذِينَ أَرَادُوا أَنْ يَدْخُلُوهَا ‏”‏ لَوْ دَخَلْتُمُوهَا لَمْ تَزَالُوا فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ لِلآخَرِينَ قَوْلاً حَسَنًا وَقَالَ ‏”‏ لاَ طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ ‏”‏ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি সেনাবাহিনী পাঠান এবং এক ব্যক্তিকে তার ‘আমীর নিযুক্ত করে দেন। সে একটি অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত করলো এবং তাদেরকে তাতে ঝাঁপ দিতে নির্দেশ দিল। একদল লোক তাতে ঝাঁপ দিতে প্রস্ততি নিলো এবং অপর একদল বলল, আমরা (ইসলাম গ্রহনের মাধ্যমে তো) আগুন থেকেই পালিয়ে এসেছি। (সুতরাং আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না) যথাসময়ে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দরবারে সে ব্যাপারটি উত্থাপিত হল। তখন তিনি যারা আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত হয়েছিল তাদের কে লক্ষ্য করে বললেন, যদি তোমরা তাতে প্রবেশ করতে তবে কিয়ামত পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে। পক্ষান্তরে অপরদলকে লক্ষ্য করে তিনি ভাল কথা বললেন। তিনি আরো বললেন, আল্লাহর অবাধ্যতা হয় এমন কাজে অনুগত্য নেই। আনুগত্য কেবলই ভাল কাজে। (ই. ফা. ৪৬১৩, ই. সে. ৪৬১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬০

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ – وَتَقَارَبُوا فِي اللَّفْظِ – قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْمَعُوا لَهُ وَيُطِيعُوا فَأَغْضَبُوهُ فِي شَىْءٍ فَقَالَ اجْمَعُوا لِي حَطَبًا ‏.‏ فَجَمَعُوا لَهُ ثُمَّ قَالَ أَوْقِدُوا نَارًا ‏.‏ فَأَوْقَدُوا ثُمَّ قَالَ أَلَمْ يَأْمُرْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَسْمَعُوا لِي وَتُطِيعُوا قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ فَادْخُلُوهَا ‏.‏ قَالَ فَنَظَرَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَقَالُوا إِنَّمَا فَرَرْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ النَّارِ ‏.‏ فَكَانُوا كَذَلِكَ وَسَكَنَ غَضَبُهُ وَطُفِئَتِ النَّارُ فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ لَوْ دَخَلُوهَا مَا خَرَجُوا مِنْهَا إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ ‏”‏ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন এক অভিযানে একটি বাহিনী প্রেরণ করলেন এবং জনৈক আনসারীকে তাদের ‘আমীর নিযুক্ত করে দিলেন। তাদেরকে তার কথা শুনতে ও আনুগত্য করতে আদেশ করলেন। তারপর কোন বিষয়ে তারা তাকে রাগান্বিত করে তুলল। সে তখন বলল, আমার জন্য কাঠ কুড়িয়ে এনে একত্রিত করো। তারা তা করলো। এরপর সে বলল, আগুন প্রজ্বলিত করো। তখন তারা আগুন প্রজ্বলিত করল। তারপর সে বলল, রসূলুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি তোমাদেরকে আমার কথা শুনার এবং আমার কথা আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি? তারা বলল, জী-হ্যা। তখন সে বলল, তাহলে তোমরা এবার এই আগুনে ঝাঁপ দাও। তখন তারা পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকাতে শুরু করলো। তারপর তারা জবাব দিল-আমরা তো এ আগুন থেকে বাঁচার জন্যই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) –এর শরণাপন্ন হয়েছি। তারা আগুনে ঝাঁপ দিলেন না। তার ক্রোধ প্রশমিত হল এবং আগুন নিভিয়ে দেওয়া হল। তারপর যখন তারা ফিরে এলো এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট বিষয়টি উত্থাপন করলো তখন তিনি বললেন, যদি তারা তখন আগুনে ঝাঁপ দিতো, তাহলে আর বেরোতে পারতো না। আনুগত্য কেবল সৎ কাজে। (ই. ফা. ৪৬১৪, ই. সে. ৪৬১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

আ’মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪৬১৫, ই. সে. ৪৬১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَعَلَى أَثَرَةٍ عَلَيْنَا وَعَلَى أَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ وَعَلَى أَنْ نَقُولَ بِالْحَقِّ أَيْنَمَا كُنَّا لاَ نَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ ‏.‏

‘উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) –এর হাতে বাই’আত হলাম এ মর্মে যে, আমরা শুনবো ও মানবো, সংকটের সময় ও স্বাচ্ছন্দ্যের সময়, খুশির অবস্থায় ও অপছন্দের অবস্থায় এবং আমাদের উপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দিলেও। আর এ মর্মে যে, আমরা যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্ব বরণ করে নিতে কোনরূপ কোন্দল করবো না। আর এ মর্মে যে, আমরা যেখানেই থাকবো হক কথা বলব। আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভর্ৎসনাকারীর ভর্ৎসনাকে ভয় করবো না। (ই.ফা. ৪৬১৬, ই. সে. ৪৬১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬৩

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ إِدْرِيسَ – حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلاَنَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

‘উবাদাহ ইবনু ওয়ালীদ থেকে বর্ণিতঃ

‘উবাদাহ ইবনু ওয়ালীদের হাদীসের বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪৬১৭, ই. সে. ৪৬১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬৪

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ يَزِيدَ، – وَهُوَ ابْنُ الْهَادِ – عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ ‏.‏

‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাতে বাই’আত হই। এরপর ইবনু ইদ্রিস –এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৪৬১৮, ই. সে. ৪৬১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبِ بْنِ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي بُكَيْرٌ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ جُنَادَةَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَقُلْنَا حَدِّثْنَا أَصْلَحَكَ اللَّهُ، بِحَدِيثٍ يَنْفَعُ اللَّهُ بِهِ سَمِعْتَهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ دَعَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَايَعْنَاهُ فَكَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ بَايَعَنَا عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي مَنْشَطِنَا وَمَكْرَهِنَا وَعُسْرِنَا وَيُسْرِنَا وَأَثَرَةٍ عَلَيْنَا وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ قَالَ ‏ “‏ إِلاَّ أَنْ تَرَوْا كُفْرًا بَوَاحًا عِنْدَكُمْ مِنَ اللَّهِ فِيهِ بُرْهَانٌ ‏”‏ ‏.‏

যুনাদাহ ইবনু আবূ উমাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা ‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) –এর খিদমাতে গেলাম। তখন তিনি রোগগ্রস্ত। আমরা আরয করলাম, আল্লাহ্‌ আপনাকে আরোগ্য করুন। আমাদেরকে এমন কোন হাদীস বলুন-যা দ্বারা আল্লাহ্‌ আমাদেরকে উপকৃত করবেন, যা আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট থেকে শুনেছেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে ডাকলেন এবং আমরা বাই’আত হলাম। তিনি তখন আমাদেরকে যে শপথ গ্রহন করান তার মধ্যে ছিল- আমরা শুনবো ও মেনে চলব, আমাদের খুশি অবস্থায় ও বিরক্ত অবস্থায় ,আমাদের সংকটে ও স্বাচ্ছন্দ্যে এবং আমাদের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিলেও সুযোগ্য ব্যক্তির সাথে আমরা নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল করবো না। তিনি বলেন- যাবৎ না তোমরা তার মধ্যে প্রকাশ্য কুফর দেখতে পাবে এবং তোমাদের কাছে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আল্লাহর সুস্পষ্ট প্রমান থাকবে। (ই. ফা. ৪৬১৯,এ ই. সে. ৪৬২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

শাসক যখন আল্লাহ্‌ভীতির আদেশ দেন এবং ন্যায় বিচার করেন তখন তার জন্য পুরস্কার রয়েছে

৪৬৬৬

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَعَدَلَ كَانَ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرٌ وَإِنْ يَأْمُرْ بِغَيْرِهِ كَانَ عَلَيْهِ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) –এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমাম বা শাসক ঢাল সরূপ। তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করা হয় এবং শত্রুর ক্ষতি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সে যদি তাকওয়া বা আল্লাহভীতি ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে শাসনকার্য পরিচালনা করে, তবে তার জন্য সে পুরস্কার হবে। আর যদি ন্যায় ব্যতীত অন্য কিছু আদেশ করে তবে সে পাপের জন্য দায়ী হবে। (ই. ফা. ৪৬২০, ই. সে. ৪৬২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

যে খলীফার কাছে প্রথম বাই’আত হবে তাকে অগ্রাধিকার দিবে।

৪৬৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ قَاعَدْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ خَمْسَ سِنِينَ فَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الأَنْبِيَاءُ كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَإِنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي وَسَتَكُونُ خُلَفَاءُ فَتَكْثُرُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ ‏”‏ فُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ وَأَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হাযিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) –এর সাথে পাঁচ বছর থেকেছি। আমি তার কাছে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ বানী ইসরাঈলদের পরিচালনা করতেন নাবীগন। তাঁদের মধ্যেকার একজন নবী মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নবী তার স্থলাভিষিক্ত হতেন। আমার পরে আর কোন নবী নেই বরং খলীফাগণ হবেন এবং তারা সংখ্যায় প্রচুর হবেন। তখন সাহাবীগন বললেনঃ তাহলে আপনি (এ ব্যাপারে) আমাদেরকে কি আদেশ করেন? তিনি বললেন, যার হাতে প্রথম বাই’আত বা অনুগত্যের শপথ করবে, তাঁরই অনুগত্য করবে এবং তাঁদেরকে তাঁদের হক প্রদান করবে, আল্লাহ্‌ই তাদেরকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তারা কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে। (ই. ফা. ৪৬২১, ই. সে. ৪৬২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، بْنُ إِدْرِيسَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ فُرَاتٍ، عَنْ أَبِيهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

হাসান ইবনু ফুরাত (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৪৬২২, ই. সে. ৪৬২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ، وَهْبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّهَا سَتَكُونُ بَعْدِي أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَأْمُرُ مَنْ أَدْرَكَ مِنَّا ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ تُؤَدُّونَ الْحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ وَتَسْأَلُونَ اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমার পরে স্বজনপ্রীতি ও তোমাদের অপছন্দনীয় অনেক কিছু ঘটবে। তখন সাহাবাগণ বললেন, আমাদের মধ্যকার যাঁরা তা পাবে তাঁদের ব্যাপারে আপনার নির্দেশ কি হে আল্লাহর রসূল? তিনি বললেন, তোমাদের উপর আরোপিত দায়িত্ব তোমরা পালন করে যাবে, আর তোমাদের প্রাপ্য হক তোমরা আল্লাহ্‌র কাছে চাইবে। (ই. ফা. ৪৬২৩, ই. সে. ৪৬২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭০

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ، قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ جَالِسٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ وَالنَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَيْهِ فَأَتَيْتُهُمْ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَمِنَّا مَنْ يُصْلِحُ خِبَاءَهُ وَمِنَّا مَنْ يَنْتَضِلُ وَمِنَّا مَنْ هُوَ فِي جَشَرِهِ إِذْ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ جَامِعَةً ‏.‏ فَاجْتَمَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ وَيُنْذِرَهُمْ شَرَّ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ وَإِنَّ أُمَّتَكُمْ هَذِهِ جُعِلَ عَافِيَتُهَا فِي أَوَّلِهَا وَسَيُصِيبُ آخِرَهَا بَلاَءٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا وَتَجِيءُ فِتْنَةٌ فَيُرَقِّقُ بَعْضُهَا بَعْضًا وَتَجِيءُ الْفِتْنَةُ فَيَقُولُ الْمُؤْمِنُ هَذِهِ مُهْلِكَتِي ‏.‏ ثُمَّ تَنْكَشِفُ وَتَجِيءُ الْفِتْنَةُ فَيَقُولُ الْمُؤْمِنُ هَذِهِ هَذِهِ ‏.‏ فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ وَيَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَلْتَأْتِهِ مَنِيَّتُهُ وَهُوَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَلْيَأْتِ إِلَى النَّاسِ الَّذِي يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى إِلَيْهِ وَمَنْ بَايَعَ إِمَامًا فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ إِنِ اسْتَطَاعَ فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا عُنُقَ الآخَرِ ‏”‏ ‏.‏ فَدَنَوْتُ مِنْهُ فَقُلْتُ لَهُ أَنْشُدُكَ اللَّهَ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَهْوَى إِلَى أُذُنَيْهِ وَقَلْبِهِ بِيَدَيْهِ وَقَالَ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ هَذَا ابْنُ عَمِّكَ مُعَاوِيَةُ يَأْمُرُنَا أَنْ نَأْكُلَ أَمْوَالَنَا بَيْنَنَا بِالْبَاطِلِ وَنَقْتُلَ أَنْفُسَنَا وَاللَّهُ يَقُولُ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ وَلاَ تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا‏}‏ قَالَ فَسَكَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ أَطِعْهُ فِي طَاعَةِ اللَّهِ وَاعْصِهِ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদ রাব্বিল কা’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে প্রবেশ করলাম। তখন আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আস (রাঃ) কা’বার ছায়ায় বসেছিলেন। লোকজন তাকে চারপাশ থেকে ঘিরেছিল। আমি তাদের নিকট গেলাম এবং তাঁর পাশেই বসে পড়লাম। তখন তিনি বললেন, কোন সফরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। আমরা একটি অবস্থান গ্রহণ করলাম। আমাদের মধ্যেকার কেউ তখন তার তাঁবু ঠিকঠাক করছিল, কেউ তীর ছুঁড়ছিল, কেউ তার পশুপাল দেখাশুনা করছিল। এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নকীব হাঁক দিল নামাযের ব্যবস্থা প্রস্তুত! তখন আমরা গিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে মিলিত হলাম। তিনি বললেন, আমার পূর্বে এমন কোন নবী অতিবাহিত হননি যাঁর উপর এ দায়িত্ব বর্তায়নি যে, তিনি তাদের জন্য যে মঙ্গলজনক ব্যাপার জানতে পেরেছেন তা উম্মাতদেরকে নির্দেশনা দেননি এবং তিনি তার জন্য যে অনিষ্টকর ব্যাপার জানতে পেরেছেন, সে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করেননি। আর তোমাদের এ উম্মাত (উম্মাতে মুহাম্মাদ)-এর প্রথম অংশে তার কল্যাণ নিহিত এবং এর শেষ অংশ অচিরেই নানাবিধ পরীক্ষা ও বিপর্যয়ের এবং এমন সব ব্যাপারের সম্মুখীন হবে, যা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় হবে। এমন সব বিপর্যয় একাদিক্রমে আসতে থাকবে যে , একটি অপরটিকে ছোট প্রতিপন্ন করবে। একটি বিপর্যয় আসবে তখন মু’মিন ব্যক্তি বলবে – এটা আমার জন্য ধ্বংসাত্মক, তারপর যখন তা দূর হয়ে অপর বিপর্যয়টি আসবে তখন মুমিন ব্যক্তি বলবে, আমি তো শেষ হয়ে যাচ্ছি ইত্যাদি। সুতরাং যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে চায় এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চায় –তার মৃত্যু যেন এমন অবস্থায় আসে যে, সে আল্লাহ্‌ ও আখিরাতের দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং সে যেন মানুষের সাথে এমনি আচরণ করে যে আচরণ সে নিজের জন্য পছন্দ করে। আর যে ব্যক্তি কোন ইমাম (বা নেতার) হাতে বাই’আত হয় –আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে তার হাতে হাত দিয়ে এবং অন্তরে সে ইচ্ছা পোষণ করে, তবে সে যেন সাধ্যনুসারে তার অনুগত্য করে যায়। তারপর যদি অপর কেউ তার সাথে (নেতৃত্ব লাভের অভিলাষে) ঝগড়ায় প্রবৃত্ত হয় তবে ঐ পরবর্তী জনের গর্দান উড়িয়ে দেবে। (রাবী বলেন) তখন আমি তাঁর নিকটে ঘেঁষলাম এবং তাঁকে বললাম, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র কসম দিয়ে বলছি সত্যিই আপনি (নিজ কানে) কি তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট থেকে শুনেছেন? তখন তিনি তাঁর দু’কান ও অন্তঃকরণের দিকে দু’হাত দিয়ে ইশারা করে বললেন, আমার দু’কান তা শুনেছে এবং আমার অন্তঃকরণ তা সংরক্ষণ করেছে। তখন আমি তাঁকে লক্ষ্য করে বললাম, ঐ যে আপনার চাচাতো ভাই মু’আবিয়্যাহ (আল্লাহ্‌ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন) তিনি আমাদেরকে আদেশ দেন যেন আমরা আমাদের পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করি আর নিজেদের মধ্যে পরস্পরে হানাহানি করি অথচ আল্লাহ্‌ বলেছেন, ‘‘ হে মুমিনগণ ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, ব্যবসার মাধ্যমে পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে ব্যতীত এবং তোমরা পরস্পরে হানাহানি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান’’ –(সূরা আন নিসা ৪: ২৯)। রাবী বলেন, তখন তিনি কিছুক্ষণের জন্য চুপ থাকলেন। তারপর বললেন, আল্লাহ্‌র অনুগত্যের ব্যাপারসমূহে তুমি তার আনুগত্য করবে এবং আল্লাহ্‌র অবাধ্যতার বিষয়গুলোতে তার অবাধ্যতা করবে। (ই. ফা. ৪৬২৪, ই. সে. ৪৬২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪৬২৫, ই. সে. ৪৬২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭২

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُنْذِرِ، إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ، أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ، رَبِّ الْكَعْبَةِ الصَّائِدِيِّ قَالَ رَأَيْتُ جَمَاعَةً عِنْدَ الْكَعْبَةِ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ الأَعْمَشِ ‏.‏

‘আব্দুর রহমান ইবনু ‘আবদ রাব্বিল কা’বাহ সায়িদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একদল লোককে কা’বার নিকট দেখলাম। অতঃপর আ’মাশ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪৬২৬, ই. সে. ৪৬২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

শাসকের যুলুম ও অন্যায় পক্ষপাতিত্বের সময় ধৈর্যধারণের আদেশ

৪৬৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ خَلاَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَلاَ تَسْتَعْمِلُنِي كَمَا اسْتَعْمَلْتَ فُلاَنًا فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوْنِي عَلَى الْحَوْضِ ‏”‏ ‏.‏

উসায়দ ইবনু হুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক আনসার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করলো এবং বললো আপনি ওমুককে যেভাবে কর্মচারী নিযুক্ত করেছেন, সেভাবে আমাকেও কি কর্মচারী নিয়োগ করবেন না? তখন তিনি বললেন, আমার পরে তোমরা অনেক পক্ষপাতিত্ব দেখবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে যে পর্যন্ত না তোমরা হাওয (কাওসার)-এ আমার সাথে মিলিত হও। (ই. ফা. ৪৬২৭, ই. সে. ৪৬২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭৪

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يُحَدِّثُ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ خَلاَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ

উসায়দ ইবনু হুরায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক আনসার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করল। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪৬২৮, ই. সে. ৪৬২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭৫

وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَقُلْ خَلاَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

শু’বাহ (রহঃ) হতেও উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে একান্তে মিলিত হন’’ বর্ণনা করেননি। (ই. ফা. ৪৬২৮, ই. সে. ৪৬৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলেও শাসকদের অনুগত থাকা

৪৬৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلَ سَلَمَةُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قَامَتْ عَلَيْنَا أُمَرَاءُ يَسْأَلُونَا حَقَّهُمْ وَيَمْنَعُونَا حَقَّنَا فَمَا تَأْمُرُنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ فَجَذَبَهُ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ وَقَالَ ‏ “‏ اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا فَإِنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

ওয়ায়িল হাযরামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সালামাহ ইবনু ইয়াযীদ আল জু’ফী (রহঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এ মর্মে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্‌র নাবী! যদি আমাদের উপর এমন শাসকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তারা তাদের হক তো আমাদের কাছে দাবী করে কিন্ত আমাদের হক তারা দেয় না। এমতাবস্থায় আপনি আমাদের কে কি করতে বলেন? তিনি তার উত্তর এড়িয়ে গেলেন। তিনি আবার তাঁকে প্রশ্ন করলেন। আবার তিনি এড়িয়ে গেলেন। এভাবে প্রশ্নকারী দ্বিতীয় ও তৃতীয়বারও একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলেন। তখন আশ’আস ইবনু কায়স (রাঃ) তাকে (সালামাকে) টেনে নিলেন এবং বললেন, তোমরা শুনবে এবং মানবে। কেননা তাদের উপর আরোপিত দায়িত্বের বোঝা তাদের উপর বর্তাবে আর তোমাদের উপর আরোপিত দায়িত্বের বোঝা তোমাদের উপর বর্তাবে। (ই. ফা. ৪৬২৯, ই. সে. ৪৬৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَقَالَ فَجَذَبَهُ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا فَإِنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

সিমাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। এ বর্ণনাতে আছে, “আশ ‘আস ইবনু কায়স তাকে টেনে নিলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা শুনবে ও মানবে। কেননা তাদের দায়িত্বের বোঝা তাদের উপর এবং তোমাদের দায়িত্বের বোঝা তোমাদের উপর বর্তাবে।” (ই.ফা. ৪৬৩০, ই.সে. ৪৬৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ

ফিতনার যুগে (দাঙ্গা ও দুর্যোগ অবস্থায়) মুসলিমদের জমা’আত আঁকড়ে থাকা অত্যাবশ্যক এবং কুফরের দিকে আহবানকারীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার নির্দেশ

৪৬৭৮

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ، جَابِرٍ حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، يَقُولُ كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الْخَيْرِ فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ فَقُلْتُ هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ وَفِيهِ دَخَنٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ قَالَ ‏”‏ قَوْمٌ يَسْتَنُّونَ بِغَيْرِ سُنَّتِي وَيَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ قَوْمٌ مِنْ جِلْدَتِنَا وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَرَى إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ ‏”‏ فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ عَلَى أَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ইদ্রীস খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমি হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, লোকজন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কল্যাণের বিষয়ে প্রশ্ন করতো আর আমি তাঁর নিকট প্রশ্ন করতাম অকল্যাণ সম্পর্কে এ ভয়ে যে, পরে না তা আমাকে পেয়ে বসে। তাই আমি (কোন এক সময়) প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা ছিলাম অজ্ঞতা ও অমঙ্গলের মধ্যে। তারপর আল্লাহ আমাদের জন্য এ কল্যাণ প্রদান করলেন। এ কল্যাণের পরও কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হাঁ। তারপর আমি বললাম, ঐ অকল্যাণের পর কি আবার কল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হাঁ, তবে তাতে ধুম্রতা আছে। আমি বললাম, কী সে ধুম্রতা? তিনি বললেন, তখন এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হিদায়াতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হিদায়াত তুমি খুঁজবে। দেখবে তাদের মধ্যে ভাল মন্দ উভয়টাই। তখন আমি আরয করলাম, এ কল্যাণের পর কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হাঁ, জাহান্নামের দরজার দিকে আহ্বানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে তারা তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করবে। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাদের পরিচয় ব্যক্ত করুন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের বর্ণ হবে আমাদেরই মতো এবং তারা আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যদি সে পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তবে আমাদেরকে আপনি কী করতে বলেন? তিনি বললেন, তোমরা মুসলিমদের জামা’আত ও ইমামের সাথে আকঁড়ে থাকবে। আমি বললাম, যদি তাদের কোন জামা’আত বা ইমাম না থাকে? তিনি বললেন, তা হল সে সব বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে তুমি আলাদা থাকবে-যদিও তুমি একটি বৃক্ষমূল দাঁত দিয়ে আকঁড়ে থাক এবং এ অবস্থায়ই মৃত্যু তোমার নাগাল পায়। (ই.ফা. ৪৬৩১, ই.সে. ৪৬৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৭৯

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَسْكَرٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ حَسَّانَ – حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، قَالَ قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا بِشَرٍّ فَجَاءَ اللَّهُ بِخَيْرٍ فَنَحْنُ فِيهِ فَهَلْ مِنْ وَرَاءِ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قُلْتُ هَلْ وَرَاءَ ذَلِكَ الشَّرِّ خَيْرٌ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَهَلْ وَرَاءَ ذَلِكَ الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ كَيْفَ قَالَ ‏”‏ يَكُونُ بَعْدِي أَئِمَّةٌ لاَ يَهْتَدُونَ بِهُدَاىَ وَلاَ يَسْتَنُّونَ بِسُنَّتِي وَسَيَقُومُ فِيهِمْ رِجَالٌ قُلُوبُهُمْ قُلُوبُ الشَّيَاطِينِ فِي جُثْمَانِ إِنْسٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَدْرَكْتُ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ تَسْمَعُ وَتُطِيعُ لِلأَمِيرِ وَإِنْ ضُرِبَ ظَهْرُكَ وَأُخِذَ مَالُكَ فَاسْمَعْ وَأَطِعْ ‏”‏ ‏.‏

হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন- আমি আরয করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা ছিলাম অকল্যাণের মধ্যে; তারপর আল্লাহ আমাদের জন্য কল্যাণ নিয়ে আসলেন। আমরা তাতে অবস্থান করছি। এ কল্যাণের পিছনে কি আবার কোন কল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, এ কল্যাণের পিছনে কি আবার কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমি বললাম, তা কিভাবে? তিনি বললেন, আমার পরে এমন সব নেতার উদ্ভব হবে, যারা আমার হিদায়াতে হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে না এবং আমার সুন্নাতও তারা অবলম্বন করবে না। অচিরেই তাদের মধ্যে এমন সব ব্যক্তির উদ্ভব হবে, যাদের আত্মা হবে মানব দেহে শাইতানের আত্মা। রাবী বলেন, তখন আমি বললাম, তখন আমরা কী করবো হে আল্লাহর রসূল! যদি আমরা সে পরিস্থিতির সম্মুখীন হই? বললেন, তুমি আমীরের কথা শুনবে এবং মানবে যদি তোমার পিঠে বেত্রাঘাত করা হয় বা তোমার ধন-সম্পদ কেড়েও নেয়া হয়, তবুও তুমি শুনবে এবং মানবে। (ই.ফা. ৪৬৩২, ই.সে. ৪৬৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮০

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ بْنُ، جَرِيرٍ عَنْ أَبِي قَيْسِ بْنِ رِيَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مَنْ خَرَجَ مِنَ الطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ فَمَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً وَمَنْ قَاتَلَ تَحْتَ رَايَةٍ عُمِّيَّةٍ يَغْضَبُ لِعَصَبَةٍ أَوْ يَدْعُو إِلَى عَصَبَةٍ أَوْ يَنْصُرُ عَصَبَةً فَقُتِلَ فَقِتْلَةٌ جَاهِلِيَّةٌ وَمَنْ خَرَجَ عَلَى أُمَّتِي يَضْرِبُ بَرَّهَا وَفَاجِرَهَا وَلاَ يَتَحَاشَ مِنْ مُؤْمِنِهَا وَلاَ يَفِي لِذِي عَهْدٍ عَهْدَهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি (‘আমীরের) আনুগত্য থেকে বেরিয়ে গেল এবং ‘জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যুবরণ করল। আর যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীন নেতৃত্বের পতাকাতলে যুদ্ধ করে, গোত্রপ্রীতির জন্য ক্রুদ্ধ হয় অথবা গোত্র প্রীতির দিকে আহ্বান করে অথবা গোত্রের সাহায্যার্থে যুদ্ধ করে (আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন ব্যাপার থাকে না) আর তাতে নিহত হয়, সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যুবরণ করে। আর যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের উপর আক্রমণ করে, আমার উম্মাতের ভালমন্দ সকলকেই নির্বিচারে হত্যা করে। মু’মিনকেও রেহাই দেয় না এবং যার সাথে সে ও’য়াদাবদ্ধ হয় তার ও’য়াদাও রক্ষা করে না, সে আমার কেউ নয়, আমিও তার কেউ নই। (ই.ফা. ৪৬৩৩, ই.সে. ৪৬৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮১

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ غَيْلاَنَ، بْنِ جَرِيرٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ رِيَاحٍ الْقَيْسِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَقَالَ ‏ “‏ لاَ يَتَحَاشَى مِنْ مُؤْمِنِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৪৬৩৪, ই.সে. ৪৬৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮২

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ رِيَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ خَرَجَ مِنَ الطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ ثُمَّ مَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً وَمَنْ قُتِلَ تَحْتَ رَايَةٍ عُمِّيَّةٍ يَغْضَبُ لِلْعَصَبَةِ وَيُقَاتِلُ لِلْعَصَبَةِ فَلَيْسَ مِنْ أُمَّتِي وَمَنْ خَرَجَ مِنْ أُمَّتِي عَلَى أُمَّتِي يَضْرِبُ بَرَّهَا وَفَاجِرَهَا لاَ يَتَحَاشَ مِنْ مُؤْمِنِهَا وَلاَ يَفِي بِذِي عَهْدِهَا فَلَيْسَ مِنِّي ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আনুগত্য থেকে বেরিয়ে গেল এবং জামা’আত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং মৃত্যুবরণ করলো, সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যুবরণ করলো এবং যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীন নেতৃত্বের পতাকাতলে যুদ্ধ করে, গোত্রের টানে ক্রুদ্ধ হয় এবং গোত্র প্রীতির জন্যেই যুদ্ধ করে। সে আমার উম্মাত নয়। আর যে ব্যক্তি আমার ‘উম্মাত থেকে বেরিয়ে আমার ‘উম্মাতেরই পূণ্যবান ও পাপাচারী সকলের গর্দান কাটে, মু’মিনদেরকেও রেহাই দেয় না এবং যার সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় তার অঙ্গীকারও পালন করে না, সে আমার উম্মাত নয়। ( ই.ফা. ৪৬৩৫, ই.সে. ৪৬৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ أَمَّا ابْنُ الْمُثَنَّى فَلَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَدِيثِ وَأَمَّا ابْنُ بَشَّارٍ فَقَالَ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না এবং ইবনু বাশ্শার থেকে বর্ণিতঃ

এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু ইবনু মুসান্না তাঁর বর্ণনায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উল্লেখ করেননি।

পক্ষান্তরে ইবনু বাশ্শার তাঁর বর্ণনায় “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন” বলে উল্লেখ করেছেন যা উপর্যুক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৬৩৬, ই.সে. ৪৬৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৪

حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي، رَجَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، يَرْوِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ فَمِيتَةٌ جَاهِلِيَّةٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার আমীরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে যা সে অপছন্দ করে, তবে সে যেন ধৈর্যের পথ অবলম্বন করে। কেননা যে ব্যক্তি জামা’আত থেকে সামান্য পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যুই বরণ করলো। (ই.ফা. ৪৬৩৭, ই.সে. ৪৬৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৫

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا الْجَعْدُ، حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، الْعُطَارِدِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَرِهَ مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا فَلْيَصْبِرْ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ خَرَجَ مِنَ السُّلْطَانِ شِبْرًا فَمَاتَ عَلَيْهِ إِلاَّ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ‘আমীরের কোন কার্যকলাপ অপছন্দ করে, তার উচিত ধৈর্যধারণ করা। কেননা যে কোন ব্যক্তিই শাসকের থেকে (তার আনুগত্য থেকে) বেরিয়ে গিয়ে বিঘৎ পরিমাণ সরে যাবে এবং তারপর এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, তার মৃত্যু জাহিলিয়্যাতের মৃত্যু হবে। (ই.ফা. ৪৬৩৮, ই.সে. ৪৬৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৬

حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي، مِجْلَزٍ عَنْ جُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قُتِلَ تَحْتَ رَايَةٍ عُمِّيَّةٍ يَدْعُو عَصَبِيَّةً أَوْ يَنْصُرُ عَصَبِيَّةً فَقِتْلَةٌ جَاهِلِيَّةٌ ‏”‏ ‏.‏

জুনদাব ইবনু ‘আবদুল্লাহ বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীন নেতৃত্বের পতাকাতলে যুদ্ধ করে, গোত্র প্রীতির দিকে আহ্বান জানায় এবং গোত্রপ্রীতির কারণেই সাহায্য করে, তার মৃত্যু জাহিলিয়্যাতের মৃত্যু। (ই.ফা. ৪৬৩৯, ই.সে. ৪৬৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৭

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، – وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ – عَنْ زَيْدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ حِينَ كَانَ مِنْ أَمْرِ الْحَرَّةِ مَا كَانَ زَمَنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ اطْرَحُوا لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ وِسَادَةً فَقَالَ إِنِّي لَمْ آتِكَ لأَجْلِسَ أَتَيْتُكَ لأُحَدِّثَكَ حَدِيثًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ خَلَعَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ لَقِيَ اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ حُجَّةَ لَهُ وَمَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِي عُنُقِهِ بَيْعَةٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً ‏”‏ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুতী’ (রাঃ)-এর নিকট এলেন তখন হার্রা (হৃদয় বিদারক)- এর ঘটনা ঘটেছে এবং যুগটা ছিল ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়ার যুগ। তখন তিনি (ইবনু মুতী) বললেন, আবূ ‘আবদুর রহমানের জন্য বিছানা পেতে দাও। তখন তিনি বললেন, আমি তোমার কাছে বসতে আসিনি, এসেছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যে হাদীস শুনেছি তা তোমাকে শুনাতে। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি (আমীরের) আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিয়ে মৃত্যুবরণ করে সে কিয়ামাতের দিন আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হবে যে তার কোন দলীল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো আর তার ঘাড়ে আনুগত্যের কোন চুক্তি নেই তার মৃত্যু জাহিলিয়্যাতের মৃত্যু হবে। (ই.ফা. ৪৬৪০, ই.সে. ৪৬৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৮

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ أَتَى ابْنَ مُطِيعٍ ‏.‏ فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

ইবনু নুমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৪৬৪১, ই.সে. ৪৬৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৮৯

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

‘আমর ইবনু ‘আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’ (রহঃ) বর্ণিত উক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৪৬৪২, ই.সে. ৪৬৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস