লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু অর্থ ও ফজিলত

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ১০০ বার পড়ার ফজিলত, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু, la ilaha illallah wahdahu la sharika lahu lahul mulku bangla

লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু-ওয়াহদাহু-লা-শারিকালাহু-লাহুল-মুলকু-অর্থ-ও-ফজিলত

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু অর্থ ও ফজিলত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু অর্থ কি, পড়ার ফজিলত, কখন পড়তে হয় ইত্যাদি।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু অর্থ কি

لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই, তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু পড়ার ফজিলত

হাদিস নং ১

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন কদীর।” অর্থাৎ- ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই; তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা; তিনিই সব বিষয়ের উপর শক্তিধর’- যে লোক এ দু‘আ প্রতিদিনে একশ’ বার পাঠ করে সে দশজন গোলামমুক্ত করার পুণ্য অর্জন হয়, তার (‘আমালনামায়) একশ’ নেকী লেখা হয় এবং তার হতে একশ’ পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়।

আর তা ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত শাইতান (তার কুমন্ত্রণা) হতে তার জন্যে রক্ষাকারী হয়ে যায়! সেদিন সে যা পুণ্য অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশি পুণ্যবান কেউ হবে না! তবে কেউ তার চাইতে বেশি ‘আমাল করলে তার কথা আলাদা। আর যে লোক দিনে একশ’ বার “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্দিহী”! অর্থাৎ- ‘আমি আল্লাহর সপ্রশংসা সহ তার পরিবত্রতা বর্ণনা করছি’ পাঠ করবে, তার সমস্ত পাপ মিটিয়ে দেয়া হবে, যদি ও তা সমুদ্রের ফেনার সম পরিমাণ হয়।

সহীহ মুসলিম: ৬৭৩৫

হাদিস নং ২

আমর ইবনু মাইমুন (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

যে ব্যক্তি দশবার “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন কদীর।” অর্থাৎ- ‘আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, তিনি-ই সব বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ শক্তিধর’ পাঠ করবে সে যেন ইসমা‘ঈল (‘আঃ)-এর বংশের চারজন গোলামকে মুক্তি করে দিলেন।

সহীহ মুসলিম: ৬৭৩৭

হাদিস নং ৩

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, একদা আবূ যার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! ধনীরা তো সওয়াবে অগ্রগামী হয়ে যাচ্ছে। আমরা যেমন সলাত আদায় করি, তেমন তারাও সলাত আদায় করে, আমরা যেমন সওম পালন করি, তারাও তেমন সওম পালন করে। কিন্তু তারা তাদের অতিরিক্ত ধন-সম্পদ দান-খয়রাত করে। (দান খয়রাতের জন্য) আমাদের তো পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ যার! আমি কি তোমাকে এমন দুটি বাক্য শিক্ষা দিবো না যা পাঠ করলে তুমি তোমার চেয়ে অগ্রগামীদের সমপর্যায় হতে পারবে এবং তোমার পিছনের লোকেরাও তোমাকে অতিক্রম করতে পারবে না?

তবে তার কথা ভিন্ন যে তোমার মতো আমল করে। তিনি বললেন, হাঁ, নিশ্চয়। তিনি বললেনঃ তুমি প্রত্যেক সলাতের পর তেত্রিশবার ‘আল্লাহু আকবার’, তেত্রিশবার ‘আলহামদু লিল্লাহ’, তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’ এবং শেষে একবার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর” বলবে। কেউ এ দু’আ পড়লে তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমাণ হলেও তা ক্ষমা হবে। সহীহ: কিন্তু: “কেউ এ দু’আ পড়লে তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমাণ হলেও তা ক্ষমা হবে।” তার এ কথাটুকু মুদরাজ।

সুনানে আবু দাউদ: ১৫০৪

হাদিস নং ৪

আবূ আইয়্যাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ভোরে (ঘুম থেকে) উঠে বলবে, ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হাম্‌দু ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শারীক নেই। সাম্রাজ্য তাঁরই, প্রশংসাও তাঁর এবং তিনি সকল জিনিসের উপর সবচেয়ে শক্তিশালী।)। তার জন্য এ দু‘আ ইসমা‘ঈল বংশীয় একটি চাকর মুক্ত করার সমতুল্য হবে এবং তার জন্য দশটি সাওয়াব লিখা হবে ও তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, আর তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং (সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত) সে শয়তান হতে হিফাযাতে থাকবে। আর যদি সে ব্যক্তি এ দু‘আ সন্ধ্যায় পড়ে তাহলে আবার সকালে (ঘুম হতে) ওঠার পূর্ব পর্যন্ত অনুরূপ সাওয়াব ও মর্যাদা পেতে থাকবে!

বর্ণনাকারী বলেন, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে স্বপ্নে দেখল এবং বলল, হে আল্লাহর রসূল! আবূ ‘আইয়্যাশ আপনার নাম করে এসব কথা বলে। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আবূ ‘আইয়্যাশ সত্য কথা বলছে।

মিশকাতুল মাসাবিহ: ২৩৯৫

হাদিস নং ৫

মুগীরা ইবনে শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের সালাম ফিরানোর পর কোন দু’আ পাঠ করতেন তা জানার জন্য মু’আবিয়াহ (রাঃ) মুগীরাহ ইবনু শু’বাহর কাছে পত্র লিখলেন। অতঃপর মুগীরাহ (রাঃ) মু’আবিয়াহর (রাঃ) নিকট পত্রের জবাব লিখে পাঠালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি’আ লিমা আ’ত্বায়তা ওয়ালা মু’ত্বি’আ লিমা মানা’তা ওয়ালা ইয়ানফা’উ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ।”

সুনানে আবু দাউদ: ১৫০৫

হাদিস নং ৬

আবু সাঈদ ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” বললে সে সময় তার প্রভু তার কথাটি সত্য বলে অনুমোদন দেন এবং বলেনঃ আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমিই মহান। আর যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক), তখন বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি এক। যখন বান্দা বলে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি এক, আমার কোন অংশীদার নেই।

যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তাঁরই রাজত্ব, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, রাজত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমার জন্যই। যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন অনিষ্ট বা উপকার করার ক্ষমতা কারো নেই), তক্ষনি আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি ছাড়া (আমার সহযোগিতা ব্যতীত) অকল্যাণ দূর করা ও মঙ্গল লাভ করার সামর্থ্য কারো নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলতেনঃ যে লোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই বাক্যগুলো পাঠ করল, তারপর মৃত্যুবরণ করল, জাহান্নামের আগুন তাকে ভক্ষণ করবে না। সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯৪)।

জামে’ আত-তিরমিজি: ৩৪৩০

হাদিস নং ৭

আমর ইবনু শু‘আয়ব থেকে বর্ণিত:

তাঁর পিতা শু‘আয়ব হতে, তিনি তাঁর দাদা [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল দু‘আর শ্রেষ্ঠ দু‘আ হলো ‘আরাফার দিনের দু‘আ আর শ্রেষ্ঠ কালিমাহ্ (যিকির) যা আমি পাঠ করেছি ও আমার পূর্ববর্তী নাবীগণ পাঠ করেছেন তা হলো, ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শারীক নেই। তাঁরই রাজত্ব। তার জন্যই সকল প্রশংসা। তিনি সকল শক্তির আঁধার।)

মিশকাতুল মাসাবীহ: ২৫৯৮

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু অর্থ ও ফজিলত

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ১০০ বার পড়ার ফজিলত, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু বাংলা অর্থ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ফজিলত

la ilaha illallah wahdahu la sharika lahu lahul mulku bangla, la ilaha illallahu wahdahu la sharika lahu lahul mulku bangla

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থ ও ফজিলত

জাজাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কি? Jazakallah Khairan meaning in Bengali

মাশাআল্লাহ অর্থ কি? Mashallah Meaning in Bengali

ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি? Fi Amanillah meaning Bangla

ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন অর্থ কি

ইবাদাত কবুলের আমল

যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল

ঘুম থেকে উঠে যে দোয়া পড়বেন

যে ছোট্ট দোয়ায় রয়েছে বড় বড় ৫ পুরস্কার