বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী কর্তৃক রচিত সংক্ষিপ্ত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন এর সব খন্ডের pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন ১ম খণ্ড
তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন ২য় খণ্ড
কুরআন মাজীদের অর্থ ও মর্মের শিক্ষাদান এবং আয়াতের ভেতর তাদাব্দুর তথা চিন্তা-ভাবনার পথ সুগম করার জন্য আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় উলামায়ে কিরাম বিপুল খেদমত আনজাম দিয়েছেন; তাদের বহুমুখী সেবার মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় কুরআন মাজীদের তরজমা ও ব্যাখ্যামূলক টীকা লেখার বিষয়টা সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ; সম্ভবত এক্ষেত্রে উর্দু ভাষার পাল্লা অন্যসব ভাষা অপেক্ষা ভারী হবে; কেননা এ জাতীয় কাজ উর্দু ভাষায় অনেক বেশি হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা সাম্প্রতিককালে আমাদের মুহতারাম উস্তায হযরত মাওলানা মুহাম্মদ তাকী উছমানী, .. (তাঁর বরকত দীর্ঘস্থায়ী হােক) -এর দ্বারা এ ধারার অতি মূল্যবান কাজ নিয়েছেন; সম্প্রতি ‘আসান তরজমায়ে কুরআন’ নামে তার তরজমা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক টীকা প্রকাশ পেয়েছে; প্রকাশনার এক বছর পূর্ণ না হতেই তার একাধিক সংস্করণ বের হয়ে গেছে; নাম দ্বারাই এ তরজমার মূল বৈশিষ্ট্য অনুমান করা যায়।
ব্যাখ্যামূলক টীকার উপকারিতা সম্পর্কে হযরাতুল-উস্তায নিজেই বলেছেন; ব্যাখ্যামূলক টীকায় কেবল এই বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে যে, যেখানে মর্ম অনুধাবনে কোন জটিলতা দেখা দেয়; সেখানে যেন পাঠক টীকার সাহায্য গ্রহণ করতে পারে; দীর্ঘ তাফসীরী আলােচনা ও তাত্ত্বিক পর্যালােচনার পেছনে পড়া হয়নি; কেননা আল্লাহ তা’আলার মেহেরবানীতে সেজন্য বড়-বড় তাফসীরগ্রন্থ রয়েছে; হাঁ সংক্ষিপ্ত টীকায় আঁকা-ছাঁকা কথা পেশ করার চেষ্টা করা হয়েছে, যেসব কথা বিপুল পড়াশােনার পর অর্জিত হয়েছে।
তরজমা ও টীকার উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যাবলীর প্রতি লক্ষ্য করে গ্রন্থখানিকে বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য বাংলায় অনুবাদ করার প্রয়ােজন অনুভূত হয়; কিন্তু অনুবাদের ভেতর কুরআন মাজীদের অর্থ ও মর্মের প্রতিস্থাপন খুব সহজ ব্যাপার নয়; বরং এটা অতি স্পর্শকাতর, কাজ; এ জন্য এমন অনুবাদক দরকার, যিনি হবেন পরিপক্ক যােগ্যতাসম্পন্ন আলেম এবং যিনি কুরআনের ভাষা, বর্ণনাশৈলী ও কুরআনী উলূমে ভালাে দখল রাখেন; সেই সঙ্গে যে ভাষায় অনুবাদ করা হবে, তাতে অন্ততপক্ষে এতটুকু দক্ষতা থাকতে হবে, যাতে কুরআনের অর্থ ও মর্মকে যতদূর সম্ভব কোন রকম হ্রাস-বৃদ্ধি ছাড়া সাবলীল-স্বচ্ছন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে সক্ষম হবেন।
আবার এস্থলে যেহেতু মাঝখানে উর্দু ভাষার মধ্যস্থতা রয়েছে, তাই উর্দু ভাষার সাথে পরিচয় থাকাও জরুরী; মাওলানা মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান খান ছাহেব এ খেদমত সম্পর্কে আমার সাথে মাশওয়ারা করলে আমি উপরে বর্ণিত ব্যাপারগুলােকে বিবেচনায় রেখে বললাম, জনাব মাওলানা আবুল বাশার সাহেব (আ.ব. ম. সাইফুল ইসলাম) যদি এ কাজটি করে দেন, তবে ইনশাআল্লাহ খুবই পছন্দসই কাজ হবে; কেননা তিনি যেমন সমঝদার, তেমনি দায়িত্বশীলও বটে; আবার এ রকম কাজে তার অভিজ্ঞতাও ভালাে।
সুতরাং তিনি এ প্রস্তাব পছন্দ করলেন এবং আমাকেই তার সাথে কথা বলার দায়িত্ব দিলেন; সে মতে আমি জনাব মাওলানার খেদমতে এ দরখাস্ত পেশ করলাম; তিনি সদয় সম্মতি জানালেন; অতঃপর আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করে কাজ শুরু করে দিলেন; আলহামদুলিল্লাহ! প্রথম খণ্ডের কাজ শেষ হয়ে এখন তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে; আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এর দ্বারা উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন, মাওলানার কলব ও কলমে অধিকতর বরকত দান করুন এবং তাঁর দ্বারা উম্মতের বেশি বেশি খেদমত নিন।