তিরমিজি সালাত (নামাজ) অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২১১ – ২৭০

৪৫. অনুচ্ছেদঃ

পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদের পরিপূরক

২১১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَسْكَرٍ الْبَغْدَادِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ إِلاَّ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ‏.‏ وَأَبُو حَمْزَةَ اسْمُهُ دِينَارٌ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে বলে, “হে আল্লাহ্! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের তুমিই প্রভু! তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নৈকট্য ও মর্যাদা দান কর এবং তাঁকে তোমার ওয়াদাকৃত প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও” তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত ওয়াজিব হবে।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৭২২), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং (মুনকাদিরের বর্ণনায়) গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদিরের নিকট হতে শুয়াইব ইবনু আবী হামযাহ ব্যাতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবূ হামযাহ এর নাম দীনার।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬. অনুচ্ছেদঃ

আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু’আ ব্যর্থ হবে না

২১২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَأَبُو أَحْمَدَ وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِي إِيَاسٍ، مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الدُّعَاءُ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু’আ ফেরত দেয়া হয় না।

সহীহ, মিশকাত-(৬৭১), ইরওয়া-(২৪৪), সহীহ আবূ দাঊদ-(৫৩৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনাসের হাদীসটি হাসান সহীহ্। ইবনু ইসহাকও তাঁর সনদ পরম্পরায় আনাস (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অনুচ্ছেদঃ

আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের উপর কত ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন

২১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ فُرِضَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ الصَّلَوَاتُ خَمْسِينَ ثُمَّ نُقِصَتْ حَتَّى جُعِلَتْ خَمْسًا ثُمَّ نُودِيَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّهُ لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ وَإِنَّ لَكَ بِهَذِهِ الْخَمْسِ خَمْسِينَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَبِي ذَرٍّ وَأَبِي قَتَادَةَ وَمَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মিরাজের রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছিল। অতঃপর কমাতে কমাতে পাঁচ ওয়াক্তে সীমাবদ্ধ করা হয়। অতঃপর ঘোষণা করা হল, হে মুহাম্মাদ! আমার নিকট কথার কোন অদল বদল নাই। তোমার জন্য এই পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব রয়েছে।

সহীহ। বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উবাদা ইবনু সামিত, তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ, আবূ কাতাদা, আবূ যার, মালিক ইবনু সাসাআ এবং আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনাসের হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অনুচ্ছেদঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ফাযীলাত

২১৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ كَفَّارَاتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ مَا لَمْ تُغْشَ الْكَبَائِرُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَنَسٍ وَحَنْظَلَةَ الأُسَيِّدِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্তের নামায এবং জুমু’আর নামায হতে পরবর্তী জুমু’আর নামাযে তার মাঝখানে সংঘটিত (ছোটখাট) গুনাহসমূহের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) হয়ে যায়; তবে শর্ত হল কাবীরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকতে হবে।

সহীহ। তা’লীকুর রাগীব-(১/১৩৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে জাবির, আনাস ও হানযালা আল-উসায়দী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রার হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অনুচ্ছেদঃ

জামা’আতে নামযে আদায়ের ফাযীলাত

২১৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ عَلَى صَلاَةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَى نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ تَفْضُلُ صَلاَةُ الْجَمِيعِ عَلَى صَلاَةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَامَّةُ مَنْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا قَالُوا ‏”‏ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ ابْنَ عُمَرَ فَإِنَّهُ قَالَ ‏”‏ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির একাকি আদায়কৃত নামাযের উপর জামা’আতে আদায়কৃত নামাযের সাতাশ গুন বেশি মর্যাদা রয়েছে।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৭৮৯), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, উবাই ইবনু কা’ব, মুআয ইবনু জাবাল, আবূ সাঈদ, আবূ হুরায়রা ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু উমারের হাদীসটি হাসান সহীহ।

একইভাবে নাফি হতে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে একই অর্থের অপর একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে আছেঃ “জামা’আতের নামায একাকি নামাযের তুলনায় সাতাশ গুন বেশি মর্যাদা রাখে।’’

এ সম্পর্কিত অন্যান্য সব বর্ণনায়ই পঁচিশ গুনের কথা উল্লেখ রয়েছে, শুধু ইবনু উমারের বর্ণনায় সাতাশ গুনের কথা উল্লেখ আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ صَلاَةَ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ وَحْدَهُ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তির জামা’আতের নামায তার একাকি নামাযের তুলনায় পঁচিশ গুন (সাওয়াব) বৃদ্ধি পায়।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৭৮৬, ৭৮৭), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০. অনুচ্ছেদঃ

আযান শুনে যে ব্যক্তি তাতে সাড়া না দেয় (জামা’আতে উপস্থিত না হয়)

২১৭

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَتِي أَنْ يَجْمَعُوا حُزَمَ الْحَطَبِ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ أُحَرِّقَ عَلَى أَقْوَامٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَمُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَالُوا مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا عَلَى التَّغْلِيظِ وَالتَّشْدِيدِ وَلاَ رُخْصَةَ لأَحَدٍ فِي تَرْكِ الْجَمَاعَةِ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, আমি আমার যুবকদের কাঠের স্তুপ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেই, অতঃপর নামায আদায়ের নির্দেশ দেই এবং ইক্বামাত বলা হবে (নামায শুরু হয়ে যাবে), অতঃপর যেসব লোক নামাযে উপস্থিত হয়নি তাদের (ঘরে) আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেই।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৭৯১), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, আবূ দারদা, ইবনু ‘আব্বাস, মু’আয ইবনু আনাস ও জাবির (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বহু সংখ্যক সাহাবী হতে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনার পরও জামা’আতে উপস্থিত হয়নি তার কোন নামায নেই। কিছু বিশেষজ্ঞ ‘আলিম বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামা’আতের গুরুত্ব বুঝাতে এবং জামা’আতে অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ভর্ৎসনা করার জন্য এরূপ বলেছেন। কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া কারো পক্ষে জামা’আতে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি নাই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮

قَالَ مُجَاهِدٌ وَسُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ رَجُلٍ، يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ لاَ يَشْهَدُ جُمُعَةً وَلاَ جَمَاعَةً قَالَ هُوَ فِي النَّارِ ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ هَنَّادٌ حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ عَنْ لَيْثٍ عَنْ مُجَاهِدٍ ‏.‏ قَالَ وَمَعْنَى الْحَدِيثِ أَنْ لاَ يَشْهَدَ الْجَمَاعَةَ وَالْجُمُعَةَ رَغْبَةً عَنْهَا وَاسْتِخْفَافًا بِحَقِّهَا وَتَهَاوُنًا بِهَا ‏.‏

মুজাহিদ থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল, সে দিনভর রোযা রাখে এবং রাতভর নামায আদায় করে, কিন্তু জুমু‘আ ও জামা‘আতে উপস্থিন হয় না। তিনি বললেন, সে জাহান্নামী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হান্নাদ মুহারেবী হতে তিনি লাইস হতে তিনি মুজাহিদ হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

সনদ দুর্বল, মুজাহিদ এ হাদীসের নিম্নরূপ ব্যাখ্যা করেছেনঃ যে ব্যক্তি জামা‘আতকে তুচ্ছ ও হালকাজ্ঞান করে এরূপ করবে সে জাহান্নামী হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি একাকী নামায আদায়ের পর আবার জামা’আত পেল

২১৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ الْعَامِرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَجَّتَهُ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ وَانْحَرَفَ إِذَا هُوَ بِرَجُلَيْنِ فِي أُخْرَى الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّيَا مَعَهُ فَقَالَ ‏”‏ عَلَىَّ بِهِمَا ‏”‏ ‏.‏ فَجِيءَ بِهِمَا تُرْعَدُ فَرَائِصُهُمَا فَقَالَ ‏”‏ مَا مَنَعَكُمَا أَنْ تُصَلِّيَا مَعَنَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا قَدْ صَلَّيْنَا فِي رِحَالِنَا ‏.‏ قَالَ فَلاَ تَفْعَلاَ إِذَا صَلَّيْتُمَا فِي رِحَالِكُمَا ثُمَّ أَتَيْتُمَا مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَصَلِّيَا مَعَهُمْ فَإِنَّهَا لَكُمَا نَافِلَةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مِحْجَنٍ الدِّيلِيِّ وَيَزِيدَ بْنِ عَامِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَالُوا إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ وَحْدَهُ ثُمَّ أَدْرَكَ الْجَمَاعَةَ فَإِنَّهُ يُعِيدُ الصَّلَوَاتِ كُلَّهَا فِي الْجَمَاعَةِ وَإِذَا صَلَّى الرَّجُلُ الْمَغْرِبَ وَحْدَهُ ثُمَّ أَدْرَكَ الْجَمَاعَةَ قَالُوا فَإِنَّهُ يُصَلِّيهَا مَعَهُمْ وَيَشْفَعُ بِرَكْعَةٍ ‏.‏ وَالَّتِي صَلَّى وَحْدَهُ هِيَ الْمَكْتُوبَةُ عِنْدَهُمْ ‏.‏

জাবির ইবনু ইয়াযীদ ইবনু আসওয়াদ (রাঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (ইয়াযীদ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তাঁর বিদায় হাজ্জে উপস্থিত ছিলাম। আমি তাঁর সাথে (মিনায় অবস্থিত) মসজিদে খাইফে ফযরের নামায আদায় করলাম। নামায শেষ করে তিনি মোড় ফিরলেন। তিনি লোকদের এক প্রান্তে দুই ব্যক্তিকে দেখলেন, তারা তাঁর সাথে নামায আদায় করেনি। তিনি বললেনঃ এদেরকে আমার নিকট নিয়ে এসো। তাদেরকে নিয়ে আসা হল, (কিন্তু ভয়ে) তাদের ঘাড়ের রগ কাঁপছিল। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ আমার সাথে নামায আদায় করতে তোমাদের উভয়কে কিসে বাঁধা দিল? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা বাড়িতে নামায আদায় করে এসেছি। তিনি বললেনঃ এরূপ আর করবেনা। তোমরা বাড়িতে নামায আদায়ের পর যদি মসজিদে এসে জামা’আত হতে দেখ, তাহলে তাদের সাথে আবার নামায আদায় করবে। এটা তোমাদের উভয়ের জন্য নফল হবে।

সহীহ্‌। মিশকাত-(১১৫২), সহীহ আবূ দাঊদ-(৫৯০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে মিহজান ও ইয়াযীদ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইয়াযিদ ইবনু আসওয়াদের হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, কোন ব্যক্তি একাকি নামায আদায়ের পর আবার জামা’আত পেলে পুনরায় নামায আদায় করে নেবে। যদি সে মাগরিবের নামায একাকি আদায়ের পর আবার জামা’আত পায় তাহলে জামা’আতের সাথে তিন রাক’আত পড়ার পর সে আরো এক রাক’আত মিলিয়ে আদায় করবে। সে পূর্বে একাকী যে নামায আদায় করল সেটা তাদের মতে ফরয হিসেবে গণ্য হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অনুচ্ছেদঃ

মসজিদে এক জামা’আত হয়ে যাবার পর আবার জামা’আত করা

২২০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ النَّاجِيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ وَقَدْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ أَيُّكُمْ يَتَّجِرُ عَلَى هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ فَصَلَّى مَعَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي مُوسَى وَالْحَكَمِ بْنِ عُمَيْرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنَ التَّابِعِينَ قَالُوا لاَ بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ الْقَوْمُ جَمَاعَةً فِي مَسْجِدٍ قَدْ صُلِّيَ فِيهِ جَمَاعَةً ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ آخَرُونَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُصَلُّونَ فُرَادَى ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَمَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ يَخْتَارُونَ الصَّلاَةَ فُرَادَى ‏.‏ وَسُلَيْمَانُ النَّاجِيُّ بَصْرِيٌّ وَيُقَالُ سُلَيْمَانُ بْنُ الأَسْوَدِ ‏.‏ وَأَبُو الْمُتَوَكِّلِ اسْمُهُ عَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এমন সময় (মসজিদে) আসল যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায আদায় করে নিয়েছেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কে এই ব্যক্তির সাথে ব্যবসা করতে চায়? এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল এবং তার সাথে নামায আদায় করল।

সহীহ্‌। মিশকাত-(১১৪৬), ইরওয়া–(৫৩৫), রাওযুন নাযীর–(৯৭৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ উমামা, আবূ মূসা ও হাকাম ইবনু ‘উমাইর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ সা’ঈদ বর্ণিত হাদীসটি হাসান। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা এবং তাবিঈদের মতেঃ মসজিদে জামা’আত হওয়ার পর কিছু লোক একত্র হয়ে আবার জামা’আত করে নামায আদায় করে নিলে এতে কোন দোষ নেই। ইমাম আহমাদ এবং ইসহাকও এমন কথা বলেছেন। অপর একদল বিদ্বান বলেছেন, প্রথম জামা’আত হওয়ার পরে আসা লোকেরা একাকি নামায আদায় করবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, মালিক ও শাফিঈ একাকি নামায আদায় করা পছন্দ করেছেন। সুলায়মান আন-নাজী বাসরীকে সুলাইমান ইবনু আসওয়াদও বলা হয়। আবুল মুতাওয়াক্কিলের নাম আলী ইবনু দাঊদ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অনুচ্ছেদঃ

ফযর ও ‘ইশার নামায জামা’আতে আদায়ের ফাযীলাত

২২১

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ لَهُ قِيَامُ نِصْفِ لَيْلَةٍ وَمَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ لَهُ كَقِيَامِ لَيْلَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَعُمَارَةَ بْنِ رُوَيْبَةَ وَجُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُفْيَانَ الْبَجَلِيِّ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَأَبِي مُوسَى وَبُرَيْدَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُثْمَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ عُثْمَانَ مَوْقُوفًا وَرُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُثْمَانَ مَرْفُوعًا ‏.‏

উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এশার নামায জামা’আতের সাথে আদায় করে তার জন্য অর্ধরাত (নফল) নামায আদায়ের সাওয়াব রয়েছে। যে ব্যক্তি ‘ইশা ও ফযরের নামায জামা’আতের সাথে আদায় করে তার জন্য সারারাত (নফল) নামায আদায়ের সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে।

সহীহ। সহীহ আবূ দাঊদ-(৫৫৫), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার, আবূ হুরায়রা, আনাস, ‘উমারাহ ইবনু রুআইবা, জুনদাব, উবাই ইবনু কা’ব, আবূ মূসা ও বুরাইদা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ উসমান হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। আব্দুর রহমানের সূত্রে হাদীসটি উসমান হতে মাওকুফভাবেও বর্ণিত হয়েছে । আবার বিভিন্ন সূত্রে উসমান হতে মাওফূরূপেও বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جُنْدَبِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ تُخْفِرُوا اللَّهَ فِي ذِمَّتِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জুনদাব ইবনু সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি ফযরের নামায আদায় করল সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেল। অতএব তোমরা আল্লাহ তা’আলার হিফাজাতকে চূর্ণ কর না, তুচ্ছ মনে কর না।

সহীহ। তালীকুর রাগীব-(১/১৪১, ১৬৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৩

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ أَبُو غَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ الْكَحَّالِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ بُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مَرْفُوعٌ هُوَ صَحِيحٌ مُسْنَدٌ وَمَوْقُوفٌ إِلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُسْنَدْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

বুরাইদা আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যারা অন্ধকার পার হয়ে মসজিদে যায় তাদেরকে কিয়ামাতের দিনের পরিপূর্ণ নূরের সুখবর দাও।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৭৭৯-৭৮১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি এই সনদে মারফূ গারীব। সহীহ্‌ সনদে হাদীসটি মাওকুফ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অনুচ্ছেদঃ

প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর ফাযীলাত

২২৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُبَىٍّ وَعَائِشَةَ وَالْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الأَوَّلِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِي مَرَّةً ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষ লোকদের জন্য প্রথম কাতার হচ্ছে সবচেয়ে ভাল এবং খুবই খারাপ হচ্ছে সবার পেছনের কাতার। স্ত্রী লোকদের জন্য সবার পেছনের কাতার সবচেয়ে ভাল এবং খুবই খারাপ হচ্ছে প্রথম কাতার।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(১০০০-১০০১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে জাবির, ইবনু ‘আব্বাস, আবূ সা’ঈদ, উবাই, ‘আয়িশাহ, ইরযাব ইবনু সারিয়াহ ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রার হাদীসটি হাসান সহীহ।

বর্ণিত আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম কাতারের লোকদের জন্য তিনবার এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকদের জন্য একবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৫

وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ أَنَّ النَّاسَ يَعْلَمُونَ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَىٍّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা যদি জানতে পারত আযান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে কত সাওয়াব রয়েছে, তাহলে তাদের এতো ভীড় হত যে, শেষ পর্যন্ত লটারি করে ঠিক করতে হত (কে আযান দেবে এবং কে প্রথম কাতারে দাঁড়াবে)।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৯৯৮), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী, তিনি মা’ন হতে, তিনি মালিক হতে, তিনি সুমাই হতে তিনি আবূ সালিহ হতে তিনি আবূ হুরায়রা হতে তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৬

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ হাদীসটি কুতাইবা মালিকের সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

৫৫. অনুচ্ছেদঃ

কাতার সমান্তরাল করা সম্পর্কে

২২৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَوِّي صُفُوفَنَا فَخَرَجَ يَوْمًا فَرَأَى رَجُلاً خَارِجًا صَدْرُهُ عَنِ الْقَوْمِ فَقَالَ ‏”‏ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَالْبَرَاءِ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مِنْ تَمَامِ الصَّلاَةِ إِقَامَةُ الصَّفِّ ‏”‏ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُوَكِّلُ رِجَالاً بِإِقَامَةِ الصُّفُوفِ فَلاَ يُكَبِّرُ حَتَّى يُخْبَرَ أَنَّ الصُّفُوفَ قَدِ اسْتَوَتْ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ أَنَّهُمَا كَانَا يَتَعَاهَدَانِ ذَلِكَ وَيَقُولاَنِ اسْتَوُوا ‏.‏ وَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ تَقَدَّمْ يَا فُلاَنُ تَأَخَّرْ يَا فُلاَنُ ‏.‏

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাতারসমূহ সমান করে দিতেন। একদিন তিনি (ঘর হতে) বের হয়ে এসে দেখলেন, এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সারিগুলো সোজা করে দাঁড়াবে, অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের মুখমণ্ডলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৯৯৪), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু সামুরা, বারাআ, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আনাস, আবূ হুরায়রা ও’ আয়িশাহ্‌ (রাঃ) হতেও বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ নু’মান ইবনু বাশীরের হাদীসটি হাসান সহীহ।

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ কাতার ঠিক করা নামায পরিপূর্ণ করার অন্তর্ভুক্ত।

‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি কাতার ঠিক করার জন্য একজন লোক নিযুক্ত করতেন। যে পর্যন্ত না তাঁকে জানানো না হত যে, কাতার সোজা হয়েছে সে পর্যন্ত তিনি তাকবির (তাহরীমা) বলতেন না। উসমান এবং আলী (রাঃ) এদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন এবং তারা বলতেন, তোমরা সোজা হও। আলী (রাঃ) তো নাম ধরেই বলতেন, অমুক একটু আগাও, অমুক একটু পিছাও।’’

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশঃ তোমাদের মধ্যকার বুদ্ধিমান ও জ্ঞানীরা আমরা নিকটে দাঁড়াবে

২২৮

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لِيَلِيَنِي مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلاَمِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ وَلاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ وَإِيَّاكُمْ وَهَيْشَاتِ الأَسْوَاقِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَالْبَرَاءِ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ يَلِيَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ لِيَحْفَظُوا عَنْهُ ‏.‏ قَالَ وَخَالِدٌ الْحَذَّاءُ هُوَ خَالِدُ بْنُ مِهْرَانَ يُكْنَى أَبَا الْمُنَازِلِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ يُقَالُ إِنَّ خَالِدًا الْحَذَّاءَ مَا حَذَا نَعْلاً قَطُّ إِنَّمَا كَانَ يَجْلِسُ إِلَى حَذَّاءٍ فَنُسِبَ إِلَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَأَبُو مَعْشَرٍ اسْمُهُ زِيَادُ بْنُ كُلَيْبٍ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা বয়স্ক ও বুদ্ধিমান তারা যেন আমার নিকটে দাঁড়ায়; অতঃপর যারা (উভয় গুণে) এদের নিকটবর্তী; অতঃপর যারা এদের নিকটবর্তী। আঁকাবাঁকা (কাতরে) দাঁড়িও না, তাতে তোমাদের অন্তরসমূহ আলাদা হয়ে যাবে। সাবধান! মসজিদকে বাজারে পরিণত কর না (হৈ চৈ করে)।

সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ-(৬৭৯), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উবাই ইবনু কা’ব, আবূ মাসঊদ, আবূ সা’ঈদ, বারাআ ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু মাসঊদের হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

বর্ণিত আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাজির ও আনসারদের নিজের নিকট দাঁড়ানোকে পছন্দ করতেন। উদ্দেশ্য ছিল তাঁর নিকট হতে তারা (নামাযের নিয়ম কানুন সঠিকভাবে) শিখে নেবে।

খালিদ আল-হায্‌যা তিনি হলেন, খালিদ ইবনু মিহরান, উপনাম আবুল মানাযিল। তিরমিযী বলেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে বলতে শুনেছি, বলা হয়ে থাকে যে, খালিদ আল-হায্‌যা কখনো জুতা পরিধান করেননি। হায্‌যা’র নিকট বসতেন বলে তাকে হায্‌যা বলা হয়। আবূ মা’শার-এর নাম যিয়াদ ইবনু কুলাইব ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অনুচ্ছেদঃ

খাম্বাসমূহের (খুঁটির) মাঝখানে কাতার করা মাকরূহ

২২৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ هَانِئِ بْنِ عُرْوَةَ الْمُرَادِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ مَحْمُودٍ، قَالَ صَلَّيْنَا خَلْفَ أَمِيرٍ مِنَ الأُمَرَاءِ فَاضْطَرَّنَا النَّاسُ فَصَلَّيْنَا بَيْنَ السَّارِيَتَيْنِ فَلَمَّا صَلَّيْنَا قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ كُنَّا نَتَّقِي هَذَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ قُرَّةَ بْنِ إِيَاسٍ الْمُزَنِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مَنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَفَّ بَيْنَ السَّوَارِي ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي ذَلِكَ ‏.‏

আবদুল হামীদ ইবনু মাহমূদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা জনৈক আমীরের পেছনে নামায আদায় করলাম। লোকের এত ভীড় হল যে, আমরা বাধ্য হয়ে দুই খুঁটির মাঝখানে নামাযে দাঁড়ালাম। যখন নামায শেষ করলাম, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে (এভাবে দাঁড়ানো) এড়িয়ে যেতাম।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(১০০২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে কুররা ইবনু ইয়াস আল-মুযানী (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমাম আহমাদ ও ইসহাকের মতে, দুই খুঁটির মাঝখানে নামাযের কাতার করা মাকরূহ। কিছু বিশেষজ্ঞ ‘আলিম এর অনুমতি দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অনুচ্ছেদঃ

কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা

২৩০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ أَخَذَ زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ بِيَدِي وَنَحْنُ بِالرَّقَّةِ فَقَامَ بِي عَلَى شَيْخٍ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ فَقَالَ زِيَادٌ حَدَّثَنِي هَذَا الشَّيْخُ أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَالشَّيْخُ يَسْمَعُ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ وَابِصَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَقَالُوا يُعِيدُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُجْزِئُهُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى حَدِيثِ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَيْضًا قَالُوا مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ يُعِيدُ ‏.‏ مِنْهُمْ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى وَوَكِيعٌ ‏.‏ وَرَوَى حَدِيثَ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ رِوَايَةِ أَبِي الأَحْوَصِ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ حُصَيْنٍ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هِلاَلاً قَدْ أَدْرَكَ وَابِصَةَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْحَدِيثِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ ‏.‏

হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যিয়াদ ইবনু আবুল যা’দ আমার হাত ধরলেন। এ সময়ে আমরা রাক্কা নামক জায়গায় ছিলাম। তিনি আমাকে এক মুরুব্বির নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন আসাদ গোত্রের ওয়াবিসা ইবনু মা’বাদ (রাঃ)। যিয়াদ বললেন, আমাকে এই মুরুব্বি বলেছেন, এক ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিল। মুরুব্বি লোকটি শুনছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আবার নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(১০০৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আলী ইবনু শাইবান ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ওয়াবিসার হাদীসটি হাসান। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা মাকরূহ বলেছেন। তাঁরা আরো বলেছেন, কেউ এভাবে নামায আদায় করলে তাকে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এ মত গ্রহণ করেছেন। অপর দল বলেছেন, নামায হয়ে যাবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এমত গ্রহণ করেছেন। কূফাবাসীদের একদল ওয়াবিসার হাদীসের ভিত্তিতে বলেছেন, সারির পিছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলে তা আবার আদায় করতে হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন হাম্মাদ, ইবনু আবূ লাইলা ও ওয়াকী’।

হিলাল ইবনু ইয়াসাফের নিকট হতে প্রাপ্ত হুসাইনের হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন আবুল আহওয়াস যিয়াদ ইবনু আবুল যাদ হতে, তিনি ওয়াবিসা হতে বর্ণনা করেছেন। হুসাইনের হাদীস হতে জানা যায়, হিলাল ওয়াবিসার সাক্ষাত পেয়েছেন। এ ব্যাপারে হাদীস বিশারদদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। কিছু লোক বলেছেন, হিলালের নিকট হতে ‘আমর ইবনু মুরার হতে বর্ণিত হাদীসটি বেশি সহীহ। আবার কিছু লোক বলেছেন, হিলালের নিকট হতে হুসাইনের বর্ণিত হাদীসটি অধিক সহীহ্‌। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ শেষের বর্ণনাটিই বেশি সহীহ। কেননা এই বর্ণনাটি হিলাল ছাড়াও অন্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، أَنَّ رَجُلاً، صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَإِنَّهُ يُعِيدُ ‏.‏

ওয়াবিসা ইবনু মা’বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আবার নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন।

সহীহ্‌। দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আমি জারূদকে বলতে শুনেছি, তিনি ওয়াকীকে বলতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলে তাকে আবার ঐ নামায আদায় করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অনুচ্ছেদঃ

দুই ব্যক্তির একসাথে নামায আদায় করা

২৩২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَأْسِي مِنْ وَرَائِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ قَالُوا إِذَا كَانَ الرَّجُلُ مَعَ الإِمَامِ يَقُومُ عَنْ يَمِينِ الإِمَامِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি এক রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নামায আদায় করলাম। আমি তাঁর বাম পাশে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার মাথার পেছনের চুল ধরে আমাকে তাঁর ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন।

সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ-(৬২৩,১২৩৩), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘আব্বাসের হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা ও তাদের পরবর্তীদের মতে, ইমামের সাথে মাত্র একজন মুক্তাদী হলে সে তার (ইমামের) ডান পাশে দাঁড়াবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০. অনুচ্ছেদঃ

তিন ব্যক্তি একসাথে নামায আদায় করা

২৩৩

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كُنَّا ثَلاَثَةً أَنْ يَتَقَدَّمَنَا أَحَدُنَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا كَانُوا ثَلاَثَةً قَامَ رَجُلاَنِ خَلْفَ الإِمَامِ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ صَلَّى بِعَلْقَمَةَ وَالأَسْوَدِ فَأَقَامَ أَحَدَهُمَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرَ عَنْ يَسَارِهِ وَرَوَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেঃ আমরা যখন তিনজন এক সাথে নামায আদায় করি তখন আমদের একজন যেন সামনে এগিয়ে যায় (ইমামতির জন্য)।

সনদ দূর্বল

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, জাবির এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সামুরার হাদীসটি হাসান গারীব। বিশেষজ্ঞ আলিমগণ বলেছেন, তিনজন লোক হলে দুইজন ইমামের পেছনে দাঁড়াবে। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি আলকামা ও আসওয়াদকে সাথে নিয়ে নামায আদায় করলেন। একজনকে তাঁর ডান পাশে এবং অপরজনকে তাঁর বাম পাশে দাঁড় করালেন। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কেও এরূপ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ ইসমাঈল ইবনু মুসলিমের স্মরণশক্তির সমালোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬১. অনুচ্ছেদঃ

ইমামের সাথে পুরুষ ও স্ত্রীলোক উভয় ধরনের মুক্তাদী থাকলে

২৩৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَدَّتَهُ، مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَتْهُ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ قُومُوا فَلْنُصَلِّ بِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قَدِ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ فَنَضَحْتُهُ بِالْمَاءِ فَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَفَفْتُ عَلَيْهِ أَنَا وَالْيَتِيمُ وَرَاءَهُ وَالْعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا كَانَ مَعَ الإِمَامِ رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ قَامَ الرَّجُلُ عَنْ يَمِينِ الإِمَامِ وَالْمَرْأَةُ خَلْفَهُمَا ‏.‏ وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ فِي إِجَازَةِ الصَّلاَةِ إِذَا كَانَ الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَقَالُوا إِنَّ الصَّبِيَّ لَمْ تَكُنْ لَهُ صَلاَةٌ وَكَأَنَّ أَنَسًا كَانَ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحْدَهُ فِي الصَّفِّ ‏.‏ وَلَيْسَ الأَمْرُ عَلَى مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقَامَهُ مَعَ الْيَتِيمِ خَلْفَهُ فَلَوْلاَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَعَلَ لِلْيَتِيمِ صَلاَةً لَمَا أَقَامَ الْيَتِيمَ مَعَهُ وَلأَقَامَهُ عَنْ يَمِينِهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَقَامَهُ عَنْ يَمِينِهِ ‏.‏ وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلاَلَةٌ أَنَّهُ إِنَّمَا صَلَّى تَطَوُّعًا أَرَادَ إِدْخَالَ الْبَرَكَةِ عَلَيْهِمْ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নানী মুলাইকা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাওয়াত করলেন। তিনি তাঁর জন্য খাবার তৈরী করলেন। তিনি তা খেলেন, অতঃপর বললেনঃ উঠো, তোমাদের সাথে নামায আদায় করব। আনাস (রাঃ) বলেন, নামায আদায়ের জন্য আমি একটি কালো পুরানো চাটাই নিলাম। এটাকে পরিস্কার ও নরম করার জন্য পানি ছিটিয়ে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উপর দাঁড়ালেন। আমি এবং ইয়াতীম (ছেলে)-ও তার উপর তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম। বুড়ো নানী আমাদের পেছনে দাঁড়ালেন। তিনি আমাদের নিয়ে এভাবে দুই রাক’আত নামায আদায় করার পর চলে গেলেন।

-সহিহ, বুখারি-মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনাসের হাদীসটি হাসান সহীহ। বিশেষজ্ঞ ‘আলিমগণ এ হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যদি ইমাম ছাড়া মুক্তাদীর সংখ্যা পুরুষ স্ত্রী মিলিয়ে দু’জন হয় তবে পুরুষ লোকটি ইমামের ডান পাশে এবং স্ত্রীলোকটি তাদের পেছনে দাঁড়াবে। কিছু ‘আলিম এ হাদীসের দ্বারা প্রমাণ করেছেন যে, কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে কোন ব্যাক্তি নামায আদায় করলে তার নামায জায়িয হবে। কেননা আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে একা দাঁড়িয়েছিলেন। যেসব বালক তার সাথে দাঁড়িয়েছিল তাদের উপর তো নামায ফরযই হয়নি। (তিরমিযী বলেন,) কিন্তু এ দলীল বাস্তব ঘটনার পরিপন্থী। কেননা আনাসের সাথে বাচ্চাদের দাঁড় করানো এটাই প্রমান করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বালকদের জন্যও নামাযের ব্যবস্থা করেছেন। অন্যথায় তিনি আনাসকে তাঁর ডান পাশেই দাঁড় করাতেন। মূসা ইবনু আনাস হতে আনাসের সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (আনাস) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নামায আদায় করলেন। তিনি তাকে নিজের ডান পাশে দাঁড় করালেন। এ হাদীস দ্বারা এটাও প্রমান হয় যে, তাদের ঘরে বারকাত হওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নফল আদায় করেছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২. অনুচ্ছেদঃ

কে ইমাম হওয়ার যোগ্য

২৩৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ أَقْدَمُهُمْ سِنًّا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَمَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ وَعَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالُوا أَحَقُّ النَّاسِ بِالإِمَامَةِ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ وَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ ‏.‏ وَقَالُوا صَاحِبُ الْمَنْزِلِ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا أَذِنَ صَاحِبُ الْمَنْزِلِ لِغَيْرِهِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ بِهِ ‏.‏ وَكَرِهَهُ بَعْضُهُمْ وَقَالُوا السُّنَّةُ أَنْ يُصَلِّيَ صَاحِبُ الْبَيْتِ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَقَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَلاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَإِذَا أَذِنَ فَأَرْجُو أَنَّ الإِذْنَ فِي الْكُلِّ وَلَمْ يَرَ بِهِ بَأْسًا إِذَا أَذِنَ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِهِ ‏.‏

আওস ইবনু যাম’আজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরা’আন বেশি ভাল পড়তে জানে সে লোকদের ইমামতি করবে। যদি কুর’আন পাঠে সবাই সমান হয়, তাহলে যে ব্যক্তি বেশি হাদীস (সুন্নাহ) জানে। যদি সুন্নাহর বেলায়ও সবাই সমান হয়, তাহলে যে ব্যক্তি প্রথম হিজরাত করেছে। যদি এ ব্যাপারেও সবাই সমান হয়, তাহলে যে ব্যক্তি বয়সে বড়। কোন ব্যক্তি যেন অন্যের অধিকার ও প্রভাবিত এলাকায় তার সম্মতি ছাড়া ইমামতি না করে এবং তার অনুমতি ছাড়া তার বাড়িতে তার নিদিষ্ট আসনে না বসে। মাহমূদ বলেন, ইবনু নুমাইর তাঁর হাদীসে (আকসারুহুম সিন্নান-এর স্থলে) ‘আকদামুহুম সিন্নান’ বর্ণনা করেছেন (যে ব্যক্তি বয়জ্যেষ্ঠ)।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৯৮০), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, আনাস ইবনু মালিক, মালিক ইবনু হুয়াইরিস ও ‘আমর ইবনু সালামাহ্‌ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ মাসঊদের হাদীসটি হাসান সহীহ।

এ হাদীসের আলোকে বিদ্বানগণ বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদীসে রাসূলে বেশি জ্ঞানী, সে-ই লোকদের ইমামতি করার বেশি হকদার। তাঁরা আরো বলেছেন, বাড়ির মালিক ইমামতি করার ব্যাপারে বেশি হকদার। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বাড়ির মালিকের সম্মতি বলে যে কেউ ইমামতি করতে পারে। কিন্তু অনেকে এটা পছন্দ করেননি। তাঁরা বলেছেন, বাড়ির মালিকের ইমামতি করাটাই সুন্নাত। ইমাম আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বানীঃ “ অন্যের অধিকার ও প্রভাবিত এলাকায় কেউ যেন ইমামতি না করে এবং তার সম্মানের আসনে সম্মতি ছাড়া না বসে’’-এখানে বসার সম্মতি দিলে তার মধ্যে ইমামতি করার আজ্ঞাও নিহিত রয়েছে। অনুমতি সাপেক্ষে ইমামতি করতেও দোষ নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩. অনুচ্ছেদঃ

ইমাম নামায সংক্ষিপ্ত করবে

২৩৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَمَّ أَحَدُكُمُ النَّاسَ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمُ الصَّغِيرَ وَالْكَبِيرَ وَالضَّعِيفَ وَالْمَرِيضَ فَإِذَا صَلَّى وَحْدَهُ فَلْيُصَلِّ كَيْفَ شَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَمَالِكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي وَاقِدٍ وَعُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ اخْتَارُوا أَنْ لاَ يُطِيلَ الإِمَامُ الصَّلاَةَ مَخَافَةَ الْمَشَقَّةِ عَلَى الضَّعِيفِ وَالْكَبِيرِ وَالْمَرِيضِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو الزِّنَادِ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ذَكْوَانَ ‏.‏ وَالأَعْرَجُ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الْمَدِينِيُّ وَيُكْنَى أَبَا دَاوُدَ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ লোকদের ইমামতি করলে সে যেন (নামায) সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে ছোট বালক, দুর্বল ও অসুস্থ লোক থাকতে পারে। যখন সে একাকি নামায আদায় করে, বয়োবৃদ্ধ তখন নিজ ইচ্ছামত (দীর্ঘ করে) আদায় করতে পারে।

সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ-(৭৫৯), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে ‘আদী ইবনু হাতিম, আনাস, জাবির ইবনু সামুরা, মালিক ইবনু ‘আবদুল্লাহ, আবূ ওয়াকিদ, ‘উসমান ইবনু আবুল আস, আবূ মাসঊদ, জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রার হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। দুর্বল, বৃদ্ধ ও রুগ্নদের কষ্ট হওয়ার আশংকায় বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, ইমাম যেন নামায লম্বা না করে।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবুয্‌ যান্‌নাদের নাম আব্দুল্লাহ ইবনু যাকওয়ান। আল-আ’রাজ হলেন, ‘আব্দুর রহমান ইবনু হুরমুজ আল-মাদীনী তার উপনাম আবু দাঊদ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَخَفِّ النَّاسِ صَلاَةً فِي تَمَامٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاسْمُ أَبِي عَوَانَةَ وَضَّاحٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَأَلْتُ قُتَيْبَةَ قُلْتُ أَبُو عَوَانَةَ مَا اسْمُهُ قَالَ وَضَّاحٌ ‏.‏ قُلْتُ ابْنُ مَنْ قَالَ لاَ أَدْرِي كَانَ عَبْدًا لاِمْرَأَةٍ بِالْبَصْرَةِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সব লোকের চেয়ে অধিক সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গ নামায আদায়কারী ছিলেন। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সহীহ্। বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ আউয়ানাহ’র নাম ওয়ায্‌যাহ্। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আমি কুতাইবাকে জিজ্ঞেস করলাম, আবূ আউয়ানাহ’র নাম কি? তিনি বললেন, ওয়ায্‌যাহ্। জিজ্ঞেস করলাম, কার ছেলে? তিনি বললেন, জানি না। তিনি বাসরার এক মহিলার দাস ছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪. অনুচ্ছেদঃ

নামায শুরু এবং শেষ করার বাক্য

২৩৮

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، طَرِيفٍ السَّعْدِيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ وَلاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بــ‏”‏الْحَمْدُ‏”‏ وَسُورَةٍ _ فِي فَرِيضَةٍ أَوْ غَيْرِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ وَحَدِيثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي هَذَا أَجْوَدُ إِسْنَادًا وَأَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ وَقَدْ كَتَبْنَاهُ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الْوُضُوءِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ أَنَّ تَحْرِيمَ الصَّلاَةِ التَّكْبِيرُ وَلاَ يَكُونُ الرَّجُلُ دَاخِلاً فِي الصَّلاَةِ إِلاَّ بِالتَّكْبِيرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبَانَ مُسْتَمْلِيَ وَكِيعٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ لَوِ افْتَتَحَ الرَّجُلُ الصَّلاَةَ بِسَبْعِينَ اسْمًا مِنْ أَسْمَاءِ اللَّهِ وَلَمْ يُكَبِّرْ لَمْ يُجْزِهِ وَإِنْ أَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ أَمَرْتُهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ ثُمَّ يَرْجِعَ إِلَى مَكَانِهِ فَيُسَلِّمَ إِنَّمَا الأَمْرُ عَلَى وَجْهِهِ ‏.‏ قَالَ وَأَبُو نَضْرَةَ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ قُطَعَةَ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নামাযের চাবি হল পবিত্রতা; তার তাহরীম হল শুরুতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা; তার তাহলীল হল (শেষে) সালাম বলা। যে ব্যক্তি আলহামদু লিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) ও অন্য সূরা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি, চাই তা ফরয নামায হোক বা সুন্নাত নামায।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(২৭৫-২৭৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান।

এ অনুচ্ছেদ আলী ও আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সনদের বিচারে আলী (রাঃ)-এর হাদীস আবূ সা’ঈদের হাদীসের তুলনায় বেশি শক্তিশালী ও সহীহ যা তাহারাত অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ করেছি।

নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা ও তাবিঈগণ এ হাদীসের ভিত্তিতে বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায শুরু করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মত ব্যক্ত করেছেন যে আল্লাহু আকবার বলা ছাড়া কেউ নামাযের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। আবদুর রহমান ইবনু মাহদী বলেছেন, কোন লোক যদি আল্লাহ তা’আলার নিরানব্বই নামের যে কোন সত্তরটি নাম নিয়ে নামায শুরু করে কিন্তু ‘আল্লাহু আকবার’ না বলে, তাহলে তার নামায হবে না। আর সালাম ফিরানোর আগ মুহূর্তে যদি কারো ওযূ ছুটে যায়, তাহলে আমি তাকে হুকুম করব, সে যেন আবার ওযূ করে নিজ স্থানে এসে সালাম ফিরায়। এ হাদীসের জাহিরী আপাতদৃষ্ট অর্থই গ্রহণযোগ্য হবে। আবূ নাদরাহ’র নাম আল-মুনযির ইবনু মালিক ইবনু কুতায়াহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫. অনুচ্ছেদঃ

তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করা এবং ছাড়িয়ে দেয়া

২৩৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَمْعَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَبَّرَ لِلصَّلاَةِ نَشَرَ أَصَابِعَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ سِمْعَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ مَدًّا ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ يَحْيَى بْنِ الْيَمَانِ وَأَخْطَأَ يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাযের জন্য তাকবীর তাহরীমা বলতেন তখন হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে ছড়িয়ে দিতেন।

যঈফ, তা’লীক আলা ইবনু খুযাইমাহ (৪৫৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ হুরাইরার হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এক বর্ণনায় শব্দগুলো নিম্নরূপ-

“আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাযে প্রবেশ করতেন, তখন উভয় হাত খাড়া করে (আঙ্গুল ফাঁক করে) উত্তোলন করতেন।” (তিরমিযী বলেন,) শেষোক্ত বর্ণনাটি ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামানের বর্ণনার চেয়ে বেশি সহীহ। ইবনুল ইয়ামান এ হাদীসের রিওয়ায়াতে ভুল করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০

قَالَ وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سِمْعَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ مَدًّا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ الْيَمَانِ وَحَدِيثُ يَحْيَى بْنِ الْيَمَانِ خَطَأٌ ‏.‏

সাঈদ ইবনু সামআন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাযে দাঁড়াতেন, তখন নিজের উভয় হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে উপরে তুলতেন।

সহীহ্। সিফাতুস্ সালাত-(৬৭), তালীক আ’লা ইবনু খুযাইমাহ-(৪৫৯), সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৭৩৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান বলেছেন, এই হাদীসটি ইয়াহ্ইয়া ইবনুল ইয়ামানের হাদীস হতে অধিক সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬. অনুচ্ছেদঃ

তাকবীরে উলার ফাযীলাত

২৪১

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ طُعْمَةَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَنَسٍ مَوْقُوفًا وَلاَ أَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ مَا رَوَى سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ طُعْمَةَ بْنِ عَمْرٍو عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏

وَإِنَّمَا يُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ الْبَجَلِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَوْلُهُ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، هَنَّادٌ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ الْبَجَلِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَرَوَى إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَهُوَ حَدِيثٌ مُرْسَلٌ وَعُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ لَمْ يُدْرِكْ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَبِيبُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ يُكْنَى أَبَا الْكَشُوثَى وَيُقَالُ أَبُو عُمَيْرَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা’আতে নামায আদায় করতে পারলে তাকে দুটি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়ঃ জাহান্নাম হতে নাজাত এবং মুনাফিকী হতে মুক্তি।

হাসান। তা’লীকুর রাগীব-(১/১৫১), সহীহাহ্- (২৬৫২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি আনসের নিকট হতে একাধিক সূত্রে মাওকূফ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লমের কথা নয়, আনাসের কথা হিসাবে)। হাবীব ইবনু আবী সাবিত ব্যাতীত অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি মারফূরূপে বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বরং হাদীসটি হাবীব ইবনু আবী হাবীব আল-বাজালীর সূত্রে আনাস হতে মাওকূফ রূপে বর্ণিত হয়েছে। অপর একটি সূত্রে দেখা যায়, আনাস (রাঃ) ‘উমার (রাঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লমের নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনাটি অসংরক্ষিত এবং মুরসাল। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বলেন, হাবীব ইবনু আবী হবীবের উপনাম আবূ কাশূসা বা আবূ উমাইরাহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭. অনুচ্ছেদঃ

নামায শুরু করে যা পাঠ করতে হয়

২৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الرِّفَاعِيِّ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ بِاللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ أَشْهَرُ حَدِيثٍ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَقَدْ أَخَذَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَأَمَّا أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ فَقَالُوا بِمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ ‏”‏ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ‏”‏ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ ‏.‏ وَقَدْ تُكُلِّمَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ كَانَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ يَتَكَلَّمُ فِي عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الرِّفَاعِيِّ وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে নামায আদায় করতে উঠে প্রথমে তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন, অতঃপর এই দুআ পাঠ করতেনঃ সুবহানাকা আল্লাহুমা………ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। অর্থাৎ “হে আল্লাহ! তুমি মহাপবিত্র, তোমার জন্যই প্রশংসা, তোমার নাম বারকাতপূর্ণ, তোমার মর্যাদা সর্বোচ্চ এবং তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।” অতঃপর তিনি বলতেনঃ ‘আল্লাহু আকবার কাবীরা’ অতঃপর বলতেনঃ ‘আউযু বিল্লাহিস……..ওয়া নাফাসিহি’। অর্থাৎ “অভিশপ্ত শাইত্বান এবং তার কুমন্ত্রণা, ঝাড়ফুঁক ও যাদুমন্ত্র হতে আমি সর্বশ্রোতা ও সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী আল্লাহ তা’আলার নিকটে আশ্রয় চাই”।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৮০৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আলী, আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, আয়িশাহ্, জাবির, জুবাইর ইবনু মুত’ইম ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ সাঈদের হাদীসটি অধিক মাশহুর।

একদল বিদ্বান এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। কিন্তু বেশিরভাগ বিদ্বান বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘সুবহানাকা……..ইলাহা গাইরুকা’ পর্যন্ত পড়তেন। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব ও ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে এরূপই বর্ণিত আছে। বেশিরভাগ তাবিঈ ও অন্যান্যরা এই হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। (তিরমিযী বলেন,) আবূ সা’ঈদের হাদীসটি সমালোচিত হয়েছে। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ এ হাদীসের এক রাবী ‘আলী ইবনু ‘আলীর সমালোচনা করেছেন (দুর্বল বলেছেন)। ইমাম আহমাদ বলেছেন, এ হাদীসটি সহীহ নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، وَيَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَالَ ‏ “‏ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَحَارِثَةُ قَدْ تُكُلِّمَ فِيهِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏ وَأَبُو الرِّجَالِ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَدِينِيُّ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামায শুরু করতেন তখন বলতেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুমা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৮০৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি আমরা উল্লেখিত সনদ পরম্পরায়ই জেনেছি। এ হাদীসের এক রাবী হারিসা ইবনু আবূ রিজালের স্মরণক্তির সমালোচনা করা হয়েছে। আবূ রিজালের নাম মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান আল-মাদীনী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৮. অনুচ্ছেদঃ

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” সশব্দে পাঠ না করা প্রসঙ্গে

২৪৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَايَةَ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ سَمِعَنِي أَبِي، وَأَنَا فِي الصَّلاَةِ، أَقُولُ‏:‏ ‏(‏بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ‏)‏ فَقَالَ لِي أَىْ بُنَىَّ مُحْدَثٌ إِيَّاكَ وَالْحَدَثَ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَبْغَضَ إِلَيْهِ الْحَدَثُ فِي الإِسْلاَمِ يَعْنِي مِنْهُ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ وَمَعَ عُمَرَ وَمَعَ عُثْمَانَ فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَقُولُهَا فَلاَ تَقُلْهَا إِذَا أَنْتَ صَلَّيْتَ فَقُلِ‏:‏ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَغَيْرُهُمْ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يَجْهَرَ بِـ ‏(‏بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ قَالُوا وَيَقُولُهَا فِي نَفْسِهِ ‏.‏

ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা (আবদুল্লাহ) আমাকে নামাযের মধ্যে শব্দ করে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পাঠ করতে শুনলেন। তিনি বললেন, হে বৎস! এটা তো বিদ’আত; বিদ’আত হতে সাবধান হও। তারপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবাদের চেয়ে অন্য কাউকে ইসলামে বিদ’আতের প্রচলন করার প্রতি এত বেশী ঘৃণা ও শত্রুতা পোষণ করতে দেখিনি। তিনি আরও বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকার (রাঃ), উমার (রাঃ) ও উসমান (রাঃ)-এর সাথে নামায আদায় করেছি। কিন্তু তাদের কাউকে বিসমিল্লাহ সশব্দে পাঠ করতে শুনিনি। অতএব তুমিও সশব্দে পাঠ কর না। যখন তুমি নামায আদায় করবে তখন ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’-এর মাধ্যমে কিরা’আত শুরু করবে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৮১৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফালের হাদিসটি হাসান। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা (রাঃ) এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন (তাসমিয়া চুপে-চুপে পাঠ করেছেন)। আবূ বাকার (রাঃ), উমার (রাঃ), উসমান (রাঃ) ও আলী (রাঃ) তাঁদের অন্যতম। বেশিরভাগ তাবিঈ এই মতের অনুসারী। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাক এ মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, তাসমিয়া জোরে পাঠ করবে না, বরং আস্তে পাঠ করবে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯. অনুচ্ছেদঃ

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” সশব্দে পাঠ করা

২৪৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ بِـ ‏(‏بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ ‏.‏ وَقَدْ قَالَ بِهَذَا عِدَّةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو هُرَيْرَةَ وَابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ رَأَوُا الْجَهْرَ بِـ ‏(‏بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ ‏.‏ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ حَمَّادٍ هُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ ‏.‏ وَأَبُو خَالِدٍ يُقَالُ هُوَ أَبُو خَالِدٍ الْوَالِبِيُّ وَاسْمُهُ هُرْمُزُ وَهُوَ كُوفِيٌّ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ দিয়ে নামায শুরু করতেন।

সনদ দুর্বল

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদ খুব একটা শক্তিশালী নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আবূ হুরাইরা, ইবনু উমার, ইবনু আব্বাস ও ইবনু যুবাইর (রাঃ)। তাবিঈদের একদল এই মত গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন, সূরা ফাতিহা ও অন্যান্য সূরার মত বিসমিল্লাহও সশব্দে পাঠ করতে হবে। ইমাম শাফিঈ এই মত সমর্থন করেছেন। ইসমাঈল ইবনু হাম্মাদ তিনি ইবনু আবূ সুলাইমান এবং আবূ খালিদের নাম হুরমুয তিনি কুফী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭০. অনুচ্ছেদঃ

সূরা ফাতিহার মাধ্যমে নামাযের কিরা’আত শুরু করা

২৪৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ يَفْتَتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِـ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ كَانُوا يَسْتَفْتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِـ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِـ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ مَعْنَاهُ أَنَّهُمْ كَانُوا يَبْدَءُونَ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ قَبْلَ السُّورَةِ وَلَيْسَ مَعْنَاهُ أَنَّهُمْ كَانُوا لاَ يَقْرَءُونَ ‏(‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ ‏.‏ وَكَانَ الشَّافِعِيُّ يَرَى أَنْ يُبْدَأَ بِـ‏(‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ وَأَنْ يُجْهَرَ بِهَا إِذَا جُهِرَ بِالْقِرَاءَةِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকার, ‘উমার ও উসমান (রাঃ) ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন’ দিয়ে নামাযের কিরা’আত শুরু করতেন।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৮১৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা, তাবিঈন ও তাবা তাবিঈন এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন’ (অর্থাৎ সূরা ফাতিহা) দিয়েই নামাযের কিরা’আত শুরু করেছেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, এ হাদীসের তাৎপর্য হল, নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকার, ‘উমার ও উসমান (রাঃ) অন্য সূরা পাঠের পূর্বে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। এর অর্থ এই নয় যে, তাঁরা বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন না। ইমাম শাফিঈর মত হল ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ দিয়েই কিরা’আত শুরু করতে হবে এবং যখন সূরা ফাতিহা উচ্চস্বরে পাঠ করা হবে তখন “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” ও উচ্চস্বরে পাঠ করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১. অনুচ্ছেদঃ

ফাতিহাতুল কিতাব ছাড়া নামায হয় না

২৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْعَدَنِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ وَأَبِي قَتَادَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُبَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَعِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَغَيْرُهُمْ قَالُوا لاَ تُجْزِئُ صَلاَةٌ إِلاَّ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ كُلُّ صَلاَةٍ لَمْ يُقْرَأْ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ اخْتَلَفْتُ إِلَى ابْنِ عُيَيْنَةَ ثَمَانِيَةَ عَشْرَ سَنَةً وَكَانَ الْحُمَيْدِيُّ أَكْبَرَ مِنِّي بِسَنَةٍ ‏.‏ وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ حَجَجْتُ سَبْعِينَ حَجَّةً مَاشِيًا عَلَى قَدَمَىَّ ‏.‏

উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৮৩৭), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরায়রা, ‘আয়িশাহ্, আনাস, আবূ কাতাদা ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘উবাদার হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাহাবী এ হাদীস অনুযায়ী ‘আমল করেছেন। ‘‘উমার ইবনুল খাত্তাব, ‘আলী ইবনু আবী তালিব, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ, ‘ইমরান ইবনু হুসাইন ও অপরাপর সাহাবী (রাঃ) বলেছেন, সূরা ফাতিহা পাঠ করা না হলে নামায হবে না। ‘আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) বলেন: “যে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয়নি ঐ নামায অসম্পূর্ণ” ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ মত গ্রহণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২. অনুচ্ছেদ:

‘আমীন’ বলা সম্পর্কে

২৪৮

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ‏:‏ ‏(‏غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏)‏ فَقَالَ ‏”‏ آمِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ يَرَوْنَ أَنَّ الرَّجُلَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّأْمِينِ وَلاَ يُخْفِيهَا ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ ‏:‏ ‏(‏ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏)‏ فَقَالَ ‏”‏ آمِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ حَدِيثُ سُفْيَانَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ فِي هَذَا وَأَخْطَأَ شُعْبَةُ فِي مَوَاضِعَ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ وَإِنَّمَا هُوَ حُجْرُ بْنُ عَنْبَسٍ وَيُكْنَى أَبَا السَّكَنِ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ عَلْقَمَةَ وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَقَالَ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ وَإِنَّمَا هُوَ وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ حَدِيثُ سُفْيَانَ فِي هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ ‏.‏ قَالَ وَرَوَى الْعَلاَءُ بْنُ صَالِحٍ الأَسَدِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ نَحْوَ رِوَايَةِ سُفْيَانَ ‏.‏

ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম অলায্-যাল্লীন” পাঠ করতে এবং ‘আমীন’ বলতে শুনেছি। আমীন বলতে গিয়ে তিনি নিজের কণ্ঠস্বর দীর্ঘ ও উচ্চ করলেন।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৮৫৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আলী ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন: ওয়াইল ইবনু হুজরের হাদীসটি হাসান। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবা, তাবিঈন ও তাদের পরবর্তীগণ ‘আমীন’ স্বশব্দে বলার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং নিঃশব্দে বলতে নিষেধ করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মত গ্রহণ করেছেন। শুবা এ হাদীসটি সালামা ইবনু কুহাইলের সূত্রে তিনি হুজরের সূত্রে, তিনি ‘আলকামার সূত্রে, তিনি তাঁর পিতা ওয়াইলের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে: “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম অলায-যাল্লীন’ পাঠ করলেন, অতঃপর নীচু স্বরে ‘আমীন’ বললেন।” –শাজ। সহীহ আবূ দাঊদ-(৮৬৩)।

আবূ ‘ঈসা বলেন: আমি মুহাম্মাদকে (বুখারীকে) বলতে শুনেছি, এ বিষয়ে শু’বার হাদীসের তুলনায় সুফিয়ানের হাদীস বেশি সহীহ। কেননা শু’বা এ হাদীসের কয়েকটি স্থানে ভুল করেছেন।

যেমন তিনি বলেছেন (আরবী) অথচ হবে (আরবী) দ্বিতীয়তঃ তিনি ‘আলক্বামার নাম বাড়িয়ে বলেছেন, অথচ তিনি হাদীসের রাবী নন।

এখানে সনদ হবে (আরবী) তৃতীয়তঃ তিনি বর্ণনা করেছেন (আরবী) অথচ হবে (আরবী)

আবূ ‘ঈসা বলেন: আমি আবূ যুরআকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শু’বার হাদীসের চেয়ে সুফিয়ানের হাদীসটি বেশি সহীহ। আল-আলা ইবনু সালিহ আল-আসাদী সালামা ইবনু কুহাইল হতে সুফিয়ানের বর্ণনা অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯

قَالَ أَبُو عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ صَالِحٍ الأَسَدِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ سُفْيَانَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ ‏.‏

আবূ ‘ঈসা থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর মুহাম্মাদ ইবনু আবান, তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু নুমাইর হতে, তিনি ‘আলা ইবনু সালিহ আল-আসাদী হতে তিনি সালামাহ ইবনু কুহাইল হতে তিনি হুজর ইবনু আনবাস হতে, তিনি ওয়াইল ইবনু হুজর হতে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সালামা ইবনু কুহাইলের সূত্রে সুফিয়ানের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

সহীহ্। দেখুন পূর্বের-(২৪৮ নং) হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩. অনুচ্ছেদ:

আমীন বলার ফাযীলাত

২৫০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ইমাম যখন ‘আমীন’ বলবে তোমরাও তখন আমীন বলবে। কেননা যার আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে সাথে হবে তার পূর্বেকার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৮৫১), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন: আবূ হুরায়রার হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪. অনুচ্ছেদঃ

দুই বিরতি স্থান

২৫১

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ سَكْتَتَانِ حَفِظْتُهُمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَقَالَ حَفِظْنَا سَكْتَةً ‏.‏ فَكَتَبْنَا إِلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ بِالْمَدِينَةِ فَكَتَبَ أُبَىٌّ أَنْ حَفِظَ سَمُرَةُ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ فَقُلْنَا لِقَتَادَةَ مَا هَاتَانِ السَّكْتَتَانِ قَالَ إِذَا دَخَلَ فِي صَلاَتِهِ وَإِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ وَإِذَا قَرَأَ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ الضَّالِّينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ يُعْجِبُهُ إِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ أَنْ يَسْكُتَ حَتَّى يَتَرَادَّ إِلَيْهِ نَفَسُهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ لِلإِمَامِ أَنْ يَسْكُتَ بَعْدَ مَا يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ وَبَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ الْقِرَاءَةِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ وَأَصْحَابُنَا ‏.‏

সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে দু’টি বিরতিস্থান মুখস্থ করে নিয়েছি। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) এতে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, আমি একটি মাত্র বিরতিস্থান মুখস্থ করেছি। (সামুরা বলেন, এর মীমাংসার জন্য) আমরা মাদীনায় উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-এর কাছে পত্র লেখলাম। তিনি উত্তরে লেখে জানালেন, সামুরাই সঠিকভাবে মুখস্থ রেখেছে। সাঈদ বলেন, আমরা কাতাদাকে প্রশ্ন করলাম, বিরতি দু’টো কোন কোন জায়গায়? তিনি বলেন, যখন তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযে প্রবেশ করতেন (তাকবীরে তাহরীমা বাঁধার পর) এবং যখন কিরা’আত শেষ করতেন। পরে তিনি (কাতাদা) বললেন, যখন তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘অলায-যআল্লীন’ পাঠ করতেন। রাবী বলেন, কিরা’আত পাঠের পর তিনি ভালভাবে নিঃশ্বাস নেয়া পর্যন্ত বিরতি দেওয়া খুবই পছন্দ করতেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৮৪৪, ৮৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, সামুরার হাদিসটি হাসান। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম নামায শুরু করার পর এবং কিরা’আত শেষ করার পর ইমামের জন্য বিরতি দেওয়াকে মুস্তাহাব বলেছেন। ইমাম আহমাদ, ইসহাক ও আমাদের (তিরমিযীর) সঙ্গীরা এ মতের সমর্থক।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫. অনুচ্ছেদ:

নামাযের মধ্যে ডান হাত বাঁ হাতের উপর রাখা

২৫২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَؤُمُّنَا فَيَأْخُذُ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَغُطَيْفِ بْنِ الْحَارِثِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ هُلْبٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ يَرَوْنَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَضَعَهُمَا فَوْقَ السُّرَّةِ ‏.‏ وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَضَعَهُمَا تَحْتَ السُّرَّةِ ‏.‏ وَكُلُّ ذَلِكَ وَاسِعٌ عِنْدَهُمْ ‏.‏ وَاسْمُ هُلْبٍ يَزِيدُ بْنُ قُنَافَةَ الطَّائِيُّ ‏.‏

কাবীসা ইবনু হুলব (রাঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (হুলব) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ইমামতি করতেন এবং (দাঁড়ানো অবস্থায়) নিজের ডান হাত দিয়ে বাঁ হাত ধরতেন।

হাসান, ইবনু মাজাহ-(৮০৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ওয়াইল ইবনু হুজর, গুতাইফ ইবনু হারিস, ইবনু ‘আব্বাস, ইবনু মাসঊদ ও সাহল ইবনু সাদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

আবূ ‘ঈসা বলেন: হুলব এর হাদীসটি হাসান। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবা, তাবিঈন ও তাবা-তাবিঈন এ হাদীসের ভিত্তিতে মত দিয়েছেন যে, নামাযের মধ্যে ডান হাত বাঁ হাতের উপর রাখতে হবে। কারো কারো মতে হাত নাভির উপরে বাঁধতে হবে; আবার কারো কারো মতে নাভির নীচে বাঁধতে হব। তাঁরা এরূপও বলেছেন যে, নাভির উপরে-নীচে যে কোন স্থানে হাত বাঁধার অবকাশ আছে। হুলব এর নাম ইয়াযিদ ইবনু কুনাফা আত্-তাঈ।

নাভীর নীচে হাত বাঁধা কোন কোন বিদ্বানগণের অভিমত মাত্র। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন সহীহ্ হাদীস নয়-অনুবাদক।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬. অনুচ্ছেদ:

রুকূ-সাজদাহ্র সময়ে তাকবীর বলা

২৫৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُ فِي كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ وَقِيَامٍ وَقُعُودٍ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ وَأَبِي مُوسَى وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَغَيْرُهُمْ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَعَلَيْهِ عَامَّةُ الْفُقَهَاءِ وَالْعُلَمَاءِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (নামাযরত অবস্থায়) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেকবার উঠা, নীচু হওয়া, দাঁড়ানো ও বসার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। আবূ বাকার এবং ‘‘উমার (রাঃ)-ও এরূপ আমল করতেন।

সহীহ। ইরওয়া-(৩৩০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরায়রা, আনাস, ইবনু ‘উমার, আবূ মালিক আশআরী, আবূ মূসা, ‘ইমরান ইবনু হুসাইন, ওয়াইল ইবনু হুজর এবং ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

আবূ ‘ঈসা বলেন: ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদের হাদীসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা যেমন আবূ বাক্র, ‘উমার, উসমান ও আলী (রাঃ), তাঁদের পরবর্তীগণ এবং সমস্ত ফিক্হবিদ ও বিশেষজ্ঞ আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭. অনুচ্ছেদ:

একই বিষয় সম্পর্কিত

২৫৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْحَسَنِ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُكَبِّرُ وَهُوَ يَهْوِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ قَالُوا يُكَبِّرُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَهْوِي لِلرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নামাযে) নীচের দিকে যেতে তাকবীর বলতেন।

সহীহ্। ইরওয়া-(৩৩১), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন: এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সাহাবয়ি কিরাম ও তাবিঈনেরও এই মত রুকূ-সাজদাহ্য় যাওয়ার সময় ঝুকে পড়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮. অনুচ্ছেদ:

রুকূর সময় উভয় হাত উত্তোলন করা (রফউল ইয়াদাইন)

২৫৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ‏.‏ وَزَادَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي حَدِيثِهِ وَكَانَ لاَ يَرْفَعُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ ‏.‏

সালিম (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন, আমি দেখেছি, যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায শুরু করতেন, তখন নিজের কাঁধ পর্যন্ত হাত তুলতেন এবং যখন রুকূতে যেতেন এবং রুকূ হতে উঠতেন (তখনও এরূপ করতেন)। ইবনু আবূ ‘উমার তাঁর বর্ণিত হাদীসে আরো বলেছেন, ‘কিন্তু তিনি (রাসূলুল্লাহ) (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই সাজদাহ্র মাঝখানে হাত তুলতেন না।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৮৫৮), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন: ইবনু উমারের বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬

قَالَ أَبُو عِيسَى حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ، وَعَلِيٍّ، وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، وَمَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، وَأَنَسٍ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ وَأَبِي حُمَيْدٍ وَأَبِي أُسَيْدٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَأَبِي قَتَادَةَ وَأَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ وَجَابِرٍ وَعُمَيْرٍ اللَّيْثِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَبِهَذَا يَقُولُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَأَنَسٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَغَيْرُهُمْ وَمِنَ التَّابِعِينَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَعَطَاءٌ وَطَاوُسٌ وَمُجَاهِدٌ وَنَافِعٌ وَسَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ وَغَيْرُهُمْ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَمَعْمَرٌ وَالأَوْزَاعِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ قَدْ ثَبَتَ حَدِيثُ مَنْ يَرْفَعُ يَدَيْهِ وَذَكَرَ حَدِيثَ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ وَلَمْ يَثْبُتْ حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الآمُلِيُّ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ زَمْعَةَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ يَرَى رَفْعَ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ وَقَالَ يَحْيَى وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ كَانَ مَعْمَرٌ يَرَى رَفْعَ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ بْنَ مُعَاذٍ يَقُولُ كَانَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَعُمَرُ بْنُ هَارُونَ وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِذَا افْتَتَحُوا الصَّلاَةَ وَإِذَا رَكَعُوا وَإِذَا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ ‏.‏

আবূ ‘ঈসা থেকে বর্ণিতঃ

ফাযল ইবনু সাবাহ বাগদাদী তিনি সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ হতে তিনি যুহরী হতে এই সনদ পরম্পরায় ইবনু আবী উমারের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

সহীহ্। দেখুন পূর্বের হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘উমার, ‘আলী, ওয়াইল ইবনু হুজর, মালিক ইবনু হুয়াইরিস, আনাস, আবূ হুরায়রা, আবূ হুমাইদ, আবূ উসাইদ, সাহল ইবনু সাদ, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা, আবূ কাতাদা, আবূ মূসা আশ’আরী, জাবির ও উমাইর লাইসী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবা যেমন, ইবনু ‘উমার, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ, আবূ হুরায়রা, আনাস, ইবনু ‘আব্বাস, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) ও আরো অনেকে; তাবিঈদের মধ্যে হাসান বাসরী, ‘আতা, তাউস, মুজাহিদ, নাফি’, সালিম ইবনু আবদুল্লাহ, সা’ঈদ ইবনু যুবাইর প্রমুখ রুকূতে যাওয়া এবং রুকূ হতে উঠার সময় ‘রফউল ইয়াদাইন’ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। ইমাম মালিক মা’মার, আওযায়ী ইবনু ‘উয়াইনাহ ইমাম ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এই মত গ্রহণ করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, হাত উত্তোলন সম্পর্কিত হাদীস সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুপ্রমাণিত। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) যে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধু একবার রফউল ইয়াদাইন করেছেন, অতঃপর আর কখনো করেননি এ হাদীসটি প্রমাণিত নয় এবং প্রতিষ্ঠিতও নয়। আমাকে এ কথা আহমাদ ইবনু আবদাহ্ বলেছেন, তিনি ওয়াহ্ব ইবনু যামআর সূত্রে তিনি সুফিয়ান ইবনু আবদুল মালিকের সূত্রে এবং তিনি আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের সূত্রে পেয়েছেন।

জারুদ ইবনু মু’আয বলেন: সুফইয়ান ইবনু উয়াইনা, ‘উমার ইবনু হারুন, নায্র ইবনু শুমাইল প্রমুখ ইমামগণ নামায শুরু করতে রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ হতে উঠার সময় রফউল ইয়াদাইন করতেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমবার ব্যতীত নামাযে আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন করেননি

২৫৭

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏

‘আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর (নিয়মে) নামায আদায় করে দেখাব না? তিনি (‘আবদুল্লাহ) নামায আদায় করলেন, কিন্তু প্রথম বার (তাকবীরে তাহরীমার সময়) ছাড়া আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন করেননি।

সহীহ্। সিফাতুস সালাত, মূল-মিশকাত-(৮০৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে বারা ইবনু আযিব (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু মাসঊদের হাদীসটি হাসান। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা ও তাবিঈন এ হাদীসের অনুকূলে মত দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ এই মত গ্রহণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০. অনুচ্ছেদঃ

রুকূতে দুই হাত দুই হাঁটুতে রাখা

২৫৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ لَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عَنْهُ إِنَّ الرُّكَبَ سُنَّتْ لَكُمْ فَخُذُوا بِالرُّكَبِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي حُمَيْدٍ وَأَبِي أُسَيْدٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَأَبِي مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ لاَ اخْتِلاَفَ بَيْنَهُمْ فِي ذَلِكَ إِلاَّ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَبَعْضِ أَصْحَابِهِ أَنَّهُمْ كَانُوا يُطَبِّقُونَ ‏.‏ وَالتَّطْبِيقُ مَنْسُوخٌ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

আবূ ‘আবদুর রাহমান আস-সুলামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমাদের বললেন, রুকূতে হাঁটুতে হাত রাখা তোমাদের জন্য সুন্নাত। অতএব তোমরা হাঁটুতে হাত রাখ।

সনদ সহীহ্।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে সা’দ, আনাস, আবূ হুমাইদ, আবূ উসাইদ, সাহল ইবনু সা’দ, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা ও আবূ মাসঊদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ উমারের হাদীসটি হাসান সহীহ। সাহাবা, তাবিঈন ও তাবি তাবিঈনের মধ্যে রুকূর সময় হাঁটুতে হাত রাখার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে যা বর্ণিত হয়েছে (রুকূর সময় দুই হাত একত্রে মিলিয়ে দুই ঊরুর মাঝখানে রাখা) তার সাথে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য বিশেষজ্ঞ আলিমগণ বলেন, তাঁর বর্ণনাটি মানসুখ (বাতিল) হয়ে গেছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯

قَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ كُنَّا نَفْعَلُ ذَلِكَ فَنُهِينَا عَنْهُ وَأُمِرْنَا أَنْ نَضَعَ الأَكُفَّ عَلَى الرُّكَبِ ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ سَعْدٍ بِهَذَا ‏.‏ وَأَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ الْمُنْذِرِ ‏.‏ وَأَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ اسْمُهُ مَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ ‏.‏ وَأَبُو حَصِينٍ اسْمُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَاصِمٍ الأَسَدِيُّ ‏.‏ وَأَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَبِيبٍ ‏.‏ وَأَبُو يَعْفُورٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ ‏.‏ وَأَبُو يَعْفُورٍ الْعَبْدِيُّ اسْمُهُ وَاقِدٌ وَيُقَالُ وَقْدَانُ وَهُوَ الَّذِي رَوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى ‏.‏ وَكِلاَهُمَا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা প্রথমে এরূপ করতাম (দুই হাত একসাথে মিলিয়ে দুই রানের মাঝখানে রাখতাম)। কিন্তু পরে আমাদেরকে এমনটি করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং রুকূর সময় হাঁটুর উপর হাত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৮৭৩), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

মুস’আব ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে তাঁর পিতা সা’দের সূত্রেও উপরে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুমাইদ সায়িদী’র নাম আব্দুর রহমান ইবনু সা’দ ইবনুল মুনযির, আবূ উসাইদের নাম মালিক ইবনু রাবিয়্যাহ, আবূ হুসাইনের নাম উসমান ইবনু ‘আসিম, আবূ ‘আব্দুর রহমান সুলামীর নাম ‘আব্দুল্লাহ ইবনু হাবীব। আবূ ইয়া’ফূর-এর নাম ‘আব্দুর রহমান ইবনু উবাইদ। আবূ ইয়া’কূব আবদী’র নাম ওয়াক্বিক। আর ইনিই ‘আব্দুল্লাহ ইবনু আবী আউফা হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এরা উভয়েই কুফাবাসী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১. অনুচ্ছেদঃ

রুকূ অবস্থায় উভয় হাত পেটের পার্শ্বদেশ হতে পৃথক রাখা

২৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَذَكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكَعَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ كَأَنَّهُ قَابِضٌ عَلَيْهِمَا وَوَتَّرَ يَدَيْهِ فَنَحَّاهُمَا عَنْ جَنْبَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ يُجَافِيَ الرَّجُلُ يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏

‘আব্বাস ইবনু সাহল থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আবূ হুমাইদ, আবূ সা’ঈদ, সাহল ইবনু সা’দ এবং মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) একত্র হলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামায সম্পর্কে একে অপরের সংগে আলাপ করছিলেন। আবূ হুমাইদ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামায আদায়ের নিয়ম সম্পর্কে আমি তোমাদের চেয়ে অনেক ভাল জানি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূর সময় দুই হাত দুই হাঁটুতে রাখলেন। তিনি হাত দু’টোকে টানা তীরের মত (সোজা) রাখলেন এবং পার্শ্বদেশ হতে পৃথক (ফাঁক) করে রাখলেন।

সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৭২৩), মিশকাত-(৮০১), সিফাতুস সালাত-(১১০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুমাইদ-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। বিশেষজ্ঞগণ রুকূ সাজদাহ্‌র সময় উভয় হাত পার্শ্বদেশ (পেট) হতে পৃথক রাখার নিয়মই অবলম্বন করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২. অনুচ্ছেদঃ

রুকূ-সাজদাহ্‌র তাসবীহ

২৬১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَزِيدَ الْهُذَلِيِّ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا رَكَعَ أَحَدُكُمْ فَقَالَ فِي رُكُوعِهِ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَدْ تَمَّ رُكُوعُهُ وَذَلِكَ أَدْنَاهُ ‏.‏ وَإِذَا سَجَدَ فَقَالَ فِي سُجُودِهِ سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَدْ تَمَّ سُجُودُهُ وَذَلِكَ أَدْنَاهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ ‏.‏ عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ لَمْ يَلْقَ ابْنَ مَسْعُودٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ أَنْ لاَ يَنْقُصَ الرَّجُلُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ مِنْ ثَلاَثِ تَسْبِيحَاتٍ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ أَسْتَحِبُّ لِلإِمَامِ أَنْ يُسَبِّحَ خَمْسَ تَسْبِيحَاتٍ لِكَىْ يُدْرِكَ مَنْ خَلْفَهُ ثَلاَثَ تَسْبِيحَاتٍ ‏.‏ وَهَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন তোমাদের কেউ রুকূ করবে তখন রুকূতে তিনবার “সুবাহানা রব্বিয়াল আযীম” (আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি) বলবে। তাহলে তার রুকূ পূর্ণ হবে। আর এটা হল সর্বনিম্ন পরিমাণ। যখন সে সিজদা করবে তখন সিজদায় তিনবার “সুবহানা রব্বিয়াল আলা” বলবে। তাহলে তার সিজদা পূর্ণ হবে। আর এটা হল সর্বনিম্ন পরিমাণ।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৮৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে হুযাইফা ও উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর হাদীসের সনদ মুত্তাসিল নয় (অর্থাৎ, এটা সনদসূত্র কর্তিত হাদীস)। কেননা ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর সাথে আওন ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবার দেখা হয়নি।

বিশেষজ্ঞ আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁরা রুকূ ও সিজদায় তিন তাসবীহ-এর কম না বলাই মুস্তাহাব বলেছেন। ইবনুল মুবারাক বলেছেন, আমি ইমামের জন্য পাঁচ বার তাসবীহ বলা মুস্তাহাব মনে করি। এতে মুক্তাদী ধীরেসুস্থে তিন তাসবীহ পাঠ করে নিতে পারবে। ইসহাক ইবনু ইবরাহীমও অনুরূপ কথা বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ، يُحَدِّثُ عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ ‏”‏ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي سُجُودِهِ ‏”‏ سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى ‏”‏ ‏.‏ وَمَا أَتَى عَلَى آيَةِ رَحْمَةٍ إِلاَّ وَقَفَ وَسَأَلَ وَمَا أَتَى عَلَى آيَةِ عَذَابٍ إِلاَّ وَقَفَ وَتَعَوَّذَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নামায আদায় করছেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) রুকূতে ‘সুবহানা রব্বিয়াল আযীম’ এবং সিজদায় ‘সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা’ বলতেন। যখনই কোন রাহমাত সম্পর্কিত আয়াতে আসতেন, তখনই তিনি সামনে অগ্রসর হওয়া বন্ধ রেখে ‘রাহমাত’ চাইতেন। যখনই তিনি কোন শাস্তি সম্পর্কিত আয়াতে আসতেন, তখন সামনে অগ্রসর হওয়া বন্ধ রেখে শাস্তি হতে আশ্রয় চাইতেন।

সহীহ। মিশকাত-(৮৮১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩

قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، نَحْوَهُ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ حُذَيْفَةَ، هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ أَنَّهُ صَلَّى بِاللَّيْلِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏

ইমাম তিরমিযী থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্‌শার ‘আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী হতে, তিনি শু’বা হতে স্বীয় সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

সহীহ্। দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হুযাইফা হতে অন্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাতে তিনি রাত্রে নামায আদায় করেছেন বলে উল্লেখ আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩. অনুচ্ছেদঃ

রুকূ-সাজদাহ্‌তে কুর’আন পাঠ নিষেধ

২৬৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمُعَصْفَرِ وَعَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الرُّكُوعِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ كَرِهُوا الْقِرَاءَةَ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏

‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেনঃ কাচ্ছি নামক রেশমী কাপড় ও কড়া লাল রং- এর কাপড় পরতে, সোনার আংটি পরতে এবং রুকূর মধ্যে কুর’আনের আয়াত পাঠ করতে।

সহীহ্। মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আলী (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা ও তাদের পরবর্তী বিদ্বানগণ রুকূ ও সাজদাহ্‌র মধ্যে কুর’আনের আয়াত পাঠ করা মাকরূহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি রুকূ ও সাজদাহ্‌তে পিঠ সোজা করে না

২৬৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ الْبَدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لا تُجْزِئُ صَلاَةٌ لاَ يُقِيمُ فِيهَا الرَّجُلُ يَعْنِي صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَرِفَاعَةَ الزُّرَقِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ يَرَوْنَ أَنْ يُقِيمَ الرَّجُلُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ مَنْ لَمْ يُقِمْ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فَصَلاَتُهُ فَاسِدَةٌ لِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تُجْزِئُ صَلاَةٌ لاَ يُقِيمُ الرَّجُلُ فِيهَا صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏”‏ ‏.‏ وَأَبُو مَعْمَرٍ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَخْبَرَةَ ‏.‏ وَأَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ الْبَدْرِيُّ اسْمُهُ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو ‏.‏

আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রুকূ ও সাজদাহ্‌তে পিঠ স্থিরভাবে সোজা করে না তার নামায সহীহ হয় না।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৮৭০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আলী ইবনু শাইবান, আনাস, আবূ হুরায়রা ও রিফা’আহ আয-যুরাকী হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ মাসঊদের এ হাদীসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাদের পরবর্তীদের মত অনুসারে রুকূ এবং সাজদাহ্য় পিঠ স্থিরভাবে সোজা করতে হবে। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেন, যে ব্যক্তি রুকূ-সাজদাহ্য় পিঠ স্থিরভাবে সোজা না করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীসের তাৎপর্য অনুযায়ী তার নামায বিফল হয়ে যাবে।

আবূ মা’মার এর নাম ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সাখবারাহ, আবূ মাসঊদ আনসারী এর নাম উকবা ইবনু ‘আমর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৫. অনুচ্ছেদঃ

রুকূ হতে মাথা উঠানোর সময় যা বলতে হবে

২৬৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، حَدَّثَنِي عَمِّي، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ‏ “‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ أَبِي أَوْفَى وَأَبِي جُحَيْفَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ قَالَ يَقُولُ هَذَا فِي الْمَكْتُوبَةِ وَالتَّطَوُّعِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْكُوفَةِ يَقُولُ هَذَا فِي صَلاَةِ التَّطَوُّعِ وَلاَ يَقُولُهَا فِي صَلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا يُقَالُ الْمَاجِشُونِيُّ لأَنَّهُ مِنْ وَلَدِ الْمَاجِشُونِ ‏.‏

‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ হতে মাথা উঠানোর সময় বলতেনঃ “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ মিলআস সামাওয়াতি ওয়া মিলআল আরযি ওয়া মিলআ মা বাইনাহুমা ওয়া মিলআ মাশি’তা মিন শাই-ইম বাদু”।

সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৭৩৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার, ইবনু ‘আব্বাস, ইবনু আবূ আওফা, আবূ জুহাইফা ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

একদল মনীষী এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। ইমাম শাফিঈ এই মত গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন, ফরয ও অন্যান্য সব নামাযেই এই দু’আ পাঠ করতে হবে। কোন কোন কুফাবাসী (ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর মতানুসারীগণ) বলেছেন, এই দু’আ ফরয নামাযে পাঠ করবে না, নাফল ও অন্যান্য নামাযে পাঠ করবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬. অনুচ্ছেদঃ

একই বিষয়

২৬৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ أَنْ يَقُولَ الإِمَامُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَيَقُولُ مَنْ خَلْفَ الإِمَامِ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ وَغَيْرُهُ يَقُولُ مَنْ خَلْفَ الإِمَامِ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ مِثْلَ مَا يَقُولُ الإِمَامُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইমাম যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে, তোমরা তখন ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বল। কেননা যার কথা ফেরেশতাদের কথার সাথে মিলে যাবে তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাউদ-(৭৯৪), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাদের পরবর্তীগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ইমাম রুকূ হতে উঠতে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বলবে এবং তার পেছনের লোকেরা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলবে। ইমাম আহমাদ এই মত দিয়েছেন। ইবনু সীরীন ও অপরাপর মনীষীগণ বলেছেন, ইমামের মত মুক্তাদীরাও ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলবে। ইমাম শাফিঈ ও ইসহাস এই মত প্রকাশ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭. অনুচ্ছেদঃ

সিজদার সময় হাঁটু দু’টি রাখার পর দুই হাত রাখতে হবে

২৬৮

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَجَدَ يَضَعُ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ وَإِذَا نَهَضَ رَفَعَ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ ‏.‏ قَالَ زَادَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي حَدِيثِهِ قَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَلَمْ يَرْوِ شَرِيكٌ عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ مِثْلَ هَذَا عَنْ شَرِيكٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَرَوْنَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ وَإِذَا نَهَضَ رَفَعَ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ ‏.‏ وَرَوَى هَمَّامٌ عَنْ عَاصِمٍ هَذَا مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ وَائِلَ بْنَ حُجْرٍ ‏.‏

ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি- তিনি যখন সিজদা করতেন তখন মাটিতে হাত রাখার আগে হাঁটু রাখতেন এবং যখন তিনি (সিজদা হতে) উঠতেন তখন হাঁটু উঠানোর আগে হাত উঠাতেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৮৮২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান ইবনু আলী তাঁর হাদীসে উল্লেখ করেছেন, ইয়াযীদ ইবনু হারূন বলেছেন। আসিমের নিকট হতে শারীক শুধু এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। শারীক ছাড়া আর কেউ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।

বেশিরভাগ মনীষীই এ হাদীসের উপর আমল করেছেন এবং বলেছেন, সিজদায় যাওয়ার সময় মাটিতে প্রথমে হাঁটু ও পরে হাত রাখতে হবে এবং উঠার সময় আগে হাত ও পরে হাঁটু তুলতে হবে।

হাম্মাম আসিমের নিকট হতে এ হাদীস মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতে ওয়াইল ইবনু হুজরের নাম উল্লেখ করেননি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮৮. অনুচ্ছেদঃ

একই বিষয়বস্তু

২৬৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَبْرُكُ فِي صَلاَتِهِ بَرْكَ الْجَمَلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُهُ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ তার নামাযে কি উটের মত ভর দিয়ে বসবে?

সহীহ্। মিশকাত-(৮৯৯), ইরওয়া-(২/৭৮), সহীহ আবূ দাঊদ-(৭৮৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কেননা এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র আবুয যিনাদের সূত্রেই জেনেছি। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সা’ঈদ আল-মাকবুরী তাঁর পিতার সূত্রে আবূ হুরায়রার নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ আল-কাত্তন ও অন্যরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু সা’ঈদ আল-মাকবুরীকে যঈফ (দুর্বল) বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৯. অনুচ্ছেদঃ

নাক ও কপাল দিয়ে সাজদাহ্ করা

২৭০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَجَدَ أَمْكَنَ أَنْفَهُ وَجَبْهَتَهُ مِنَ الأَرْضِ وَنَحَّى يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يَسْجُدَ الرَّجُلُ عَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ فَإِنْ سَجَدَ عَلَى جَبْهَتِهِ دُونَ أَنْفِهِ فَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُجْزِئُهُ ‏.‏ وَقَالَ غَيْرُهُمْ لاَ يُجْزِئُهُ حَتَّى يَسْجُدَ عَلَى الْجَبْهَةِ وَالأَنْفِ ‏.‏

আবূ হুমাইদ আস-সায়েদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন তখন নিজের নাক ও কপাল যমিনের সাথে লাগিয়ে রাখতেন, উভয় হাত পাঁজর হতে আলাদা রাখতেন এবং হাতের তালু কাঁধ বরারব রাখতেন।

সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৭২৩), মিশকাত (৮০১), সিফাতুস সালাত (১২৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস, ওয়াইল ইবনু হুজর ও আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুমাইদের হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আলিমগণের মতে, নাক ও কপাল দিয়ে সাজদাহ্ করতে হবে। যদি শুধু কপাল দিয়ে সাজদাহ্ করা হয় এবং নাক মাটিতে না ঠেকান হয় তবে এক দল আলিমের মতে নামায হয়ে যাবে। কিন্তু অন্য দলের মতে নাক ও কপাল মাটিতে না ঠেকালে নামায সম্পূর্ণ হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি