সালাম ও সালামের উত্তর বা জবাব সঠিক উচ্চারণ কি?

সালাম, সালামের উত্তর, সালামের উত্তর কি, সালামের জবাব, সালামের সঠিক উচ্চারণ, সালাম এর উত্তর, ওয়ালাইকুম সালাম, ওয়া আলাইকুমুস সালাম, সালাম দেওয়ার নিয়ম, সালাম শব্দের অর্থ কি, সম্পূর্ণ সালাম, সালামের উত্তর দেওয়া কি, ওয়ালাইকুমুস সালাম, সালামের ফজিলত, সালামের উত্তর ইংরেজিতে, ওলাইকুম সালাম, আস সালামু আলাইকুম, সালাম দেওয়া কি, সালামের সঠিক জবাব, পায়ে ধরে সালাম করা কি জায়েজ

সালাম-ও-সালামের-উত্তর-বা-জবাব-সঠিক-উচ্চারণ-কি

সালাম ও সালামের উত্তর বা জবাব সঠিক উচ্চারণ কি?

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সালাম ও সালামের উত্তর বা জবাব সঠিক উচ্চারণ কি, সালামের ফজিলত কি, সালাম দেওয়ার নিয়ম কি, সালাম শব্দের অর্থ কি, সালাম দেওয়া কি, সালামের উত্তর দেওয়া কি, পায়ে ধরে সালাম করা কি জায়েজ, খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া যাবে কি, অমুসলিমদের সালাম দেওয়ার বিধান কি ইত্যাদি।

সালাম শব্দের অর্থ কি

আরবি সালাম (سَلَام) শব্দের অর্থ হলো- শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, আরাম, আনন্দ ইত্যাদি।

সালাম আরবি

السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

সালাম সঠিক উচ্চারণ

আস-সালামু আলাইকুম, ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ।

সালাম বাংলা অর্থ

আপনার উপর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

সালামের উত্তর বা জবাব আরবি

وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

সালামের উত্তর বা জবাব সঠিক উচ্চারণ

ওয়া আলাইকুমুস সালাম, ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ।

সালামের উত্তর বা জবাব বাংলা অর্থ

আপনার উপরও শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

সালামের ফজিলত

কুরআনের বাণী

আল্লাহ তাআলা বলেন,

“হে মুমিনগণ, তোমরা নিজদের গৃহ ছাড়া অন্য কারও গৃহে প্রশে করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর”। [সূরা নূর, আয়াত: ২৭]  

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,

“তবে তোমরা যখন কোন ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা নিজদের উপর সালাম করবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদনস্বরূপ”। [সূরা নূর, আয়াত: ৬১]

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,

“আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে”। [সূরা নিসা, আয়াত: ৮৬]

 আল্লাহ তাআলা বলেন,

“তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে? যখন তারা তার কাছে আসল এবং বলল, সালাম, উত্তরে সেও বলল, সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক”। [সূরা জারিয়াত, আয়াত: ২৫, ২৬]

হাদিসের বাণী

হাদিস নং ১

আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলামে কোন আমলটি সর্ব উত্তম? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বললেন, মানুষকে খানা খাওয়ানো এবং তুমি যাকে চিনো আর যাকে চিনো না সবাইকে সালাম দেয়া”।

বুখারি, হাদিস: ১৮/১১, মুসলিম, হাদিস: ৩৯, আবু-দাউদ, হাদিস: ৫১৯৪।

হাদিস নং ২

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,

“আল্লাহ্ তা‘আলা আদম আ. কে সৃষ্টি করার পর বললেন, যাও! তুমি ঐ সব ফেরেশতার জামাত যারা বসে আছে তাদের সালাম দাও। তারা তোমাকে কি উত্তর দেয়, তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর। কারণ, তারা যা উত্তর দেবে তা হবে তোমার ও তোমার বংশধরদের সালাম। তখন আদম আ. গিয়ে ফেরেশতাদের বলল,  السلام عليكم، অর্থাৎ ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক’ এর উত্তরে তারা বলল, السلام عليك ورحمة الله ‘তোমার উপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক’ তারা উত্তর দিতে গিয়ে আল্লাহর রহমত শব্দটিকে বাড়াল”।

বুখারি, হাদিস: ৬, ২/১১, মুসলিম, হাদিস: ২৮৪১।

হাদিস নং ৩

আবু উমারা-আল বারা ইব্‌ন আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আমাদের সাতটি বিষয়ে নির্দেশ দেন: রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সালাতে অংশ গ্রহণ করা, হাঁচির উত্তর দেয়া, দুর্বলদের সাহায্য করা, অত্যাচারিত লোককে সহযোগিতা করা, সালামের প্রসার করা, শপথকারীকে মুক্ত করা”।

বুখারি ৯০/৩, ১৫, ১৬/১১ এবং মুসলিম: ২০৬৬।

হাদিস নং ৪

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,

“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলেয়ে দেব যা করলে, তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালো বাসবে? তারপর তিনি বললেন, তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর”।

মুসলিম: ৫৪, আবু-দাউদ: ৫১৯৩, তিরমিযী: ২৬৮৯।

হাদিস নং ৫

আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, হে মানব সকল! তোমরা সালামের প্রসার কর, মানুষকে খানা খাওয়াও, আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখ, আর মানুষ যখন ঘুমায়, তখন তুমি সালাত আদায় কর। তাহলে তুমি নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

তিরমিযী: ২৪৮৭; আহমদ ৪৫১/৫; ইবনে মাজাহ: ১৩৩৫, ৩২৫১; দারমী ৩৪০/১ হাদিসটির সনদ বিশুদ্ধ। হাকেম হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেছেন; পৃ: ১৩/৩ ইমাম যাহাবী তার সাথে সহমত পোষণ করেন। হাকেমের নিকট আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত হাদিস দ্বারা এ হাদিসের সাক্ষ্য বিদ্যমান, পৃ: ১২৯/৪।

সালাম দেওয়ার নিয়ম

যে সালাম দেবে, তার জন্য মোস্তাহাব হল, «السلام عليكم ورحمة الله وبركاته» বলা। অর্থাৎ, তোমাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। এখানে বহুবচন অর্থাৎ, ‘তোমাদের’ শব্দ ব্যবহার করা সুন্নত। যদিও যাকে সালাম দেবে, সে একা বা একজন হয়। এটাই উত্তম। আর সালামের উত্তর দাতা বলবে, “وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته” অর্থাৎ, তোমাদের উপরও শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। উত্তর দেয়ার সময় وعليكم বলবে। এখানে و [ওয়াও] নিয়ে আসবে।

এক- ইমরান ইব্‌ন হুছাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর নিকট এসে বলল, «السلام عليكم» রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ তার সালামের উত্তর দিলে লোকটি বসল। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলল “দশ”। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, السلام عليكم ورحمة الله রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ তার সালামের উত্তর দেয়ার পর লোকটি বসল। তার সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বললেন, “বিশ”। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, السلام عليكم ورحمة الله وبركاته، রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ তার সালামের উত্তর দিয়ে বলল, “ত্রিশ”। 

আবু দাউদ: ৫১৯৫, তিরমিযী: ২৬৯০, হাদিসটির সনদ শক্তিশালী যেমনটি বললেন, হাফেয ইবনে হাজার ফতহুল বারীতে পৃ: ৫/১১, আর ইমাম বুখারি হাদিসটিকে আবু হুরাইরা রা হতে আদাবুল মুফরাদে বর্ণনা করেন।

দুই- আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আমাকে বলেন, ‘এ হল, জিবরীল তোমাকে সালাম দিয়েছে’। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’ বলেন, আমি বললাম, «وعليه السلام ورحمة الله وبركاته»। “তার উপর সালাম রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক”। বুখারি ও মুসলিমের বিভিন্ন বর্ণনায় এ রকমই বর্ণিত। তবে কোন কোন বর্ণনায় “وبركاته” কে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে উভয় বর্ণনাতে কোন অসুবিধা নাই। কারণ, নির্ভরযোগ্যদের বর্ধিত করণ গ্রহণযোগ্য।

বুখারি ৮৩/৭, ৪৭৯/১০, এবং মুসলিম ২৪৪৭।

তিন- আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ যখন কোনো বিষয়ে কথা বলতেন, তিনবার বলতেন, যাতে তার কথা স্পষ্ট হয়। আর যখন কোন কাওমের কাছে আসতেন, তাদের তিনি তিনবার সালাম দিতেন”। (তিনবার সালাম দেওয়ার) বিষয়টি তখন প্রযোজ্য, যখন সে কাওমের লোক বেশী হয়।  

বুখারি ২২/১১, তিরমিযী: ২৭২৪।

চার- মিকদাদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ এর স্বীয় বর্ণনায় বর্ণিত, দীর্ঘ হাদিসটিতে তিনি বলেন,

“আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর জন্য তার দুধের ভাগটি তুলে রাখতাম। তিনি রাতে এসে এমনভাবে সালাম দিতেন, যাতে কোনো ঘুমন্ত ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগত না, তবে যারা জাগ্রত তারা তার সালাম শুনতে পেত। একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আমাদের মাঝে আসলেন এবং তিনি এসে যেভাবে সালাম দেয়ার সেভাবে সালাম দিল”।

মুসলিম: ২০৫৫।

পাঁচ- আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ মসজিদের ভিতরে এক দল নারীর মজলিস অতিক্রম করছিলেন। তিনি তাদের সালাম দিলেন এবং হাত দিয়ে ইশারা করলেন”।

তিরমিযী: ২৬৯৮, আবু-দাউদ: ৫২০৪।

এ হাদিসটির অর্থ, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ মুখে উচ্চারণ ও ইশারা দুটিই করেন। আবু-দাউদ এর বর্ণনা এ অর্থটি সমর্থন করে। কারণ, তাতে বলা হয়, “فسلم علينا” ‘তিনি আমাদের সালাম দেন’।

ছয়: আবু জুরাই আল হুজাইমী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

“আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর দরবারে এসে বললাম, عليك السلام يا رسول الله،  ‘হে আল্লাহর রাসূল তোমার উপর সালাম’। তিনি বললেন, عليك السلام، বলবে না, কারণ, عليك السلام মৃত লোকের অভিবাদন”।

আবু-দাউদ: ৪০৮৪, তিরমিযী: ২৭২২, আহমদ: ৬৪/৫ এবং হাদিসটির সনদ বিশুদ্ধ।

সালাম দেওয়া কি

সালাম দেয়া সুন্নত। আল্লাহ তাআলা বলেন,

“হে মুমিনগণ, তোমরা নিজদের গৃহ ছাড়া অন্য কারও গৃহে প্রশে করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেবে”। [সূরা নূর, আয়াত: ২৭]

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলে দেব, যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালো বাসবে? তারপর তিনি বললেন, তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর”। মুসলিম।

সালামের উত্তর দেওয়া কি

সালামের উত্তর দেয়া ফরযে কিফায়াহ। যদি উপস্থিত লোক একজন হয়, তবে তাকেই সালামের উত্তর দিতে হবে। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,

“আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে”। [সূরা নিসা, আয়াত: ৮৬]

 আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে মারফু হাদিস বর্ণিত, তিনি বলেন,

“যখন কোন জামাত অতিক্রম করে, তখন তাদের থেকে যে কোন একজনের সালাম যথেষ্ট হবে এবং কোন মজলিস হতে যে কোন একজন সালামের উত্তর দিলে তা সকলের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে”। আবু দাউদ হাদীস নং ৫২১০।

পায়ে ধরে সালাম করা কি জায়েজ

পায়ে ধরে সালাম করা শরিয়ত সম্মত নয়। এটা সালামের কোন পদ্ধতি নয়। মুখে সালাম দেয়াই ইসলামের বিধান। যদি বলা হয় পায়ে হাত দিয়ে সালাম নয় শুধুমাত্র পায়ে হাত দিয়ে সম্মান করা হয় তবুও সেটা ইসলামী শরীয়ত সম্মত নয়।

খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া যাবে কি

খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া বা সালামের উত্তর দেওয়া যাবে। এত কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

অমুসলিমদের সালাম দেওয়ার বিধান

অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা ইহূদী ও নাছারাদেরকে প্রথমে সালাম দিবে না। (মুসলিম, মিশকাত হা: ৪৬৩৫)। তবে যদি তারা সালাম দেয় তবে শুধু ‘ওয়াআলাইকুম’ বলে উত্তর দিতে হবে। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা: ৪৬৩৭)।

সালাম ইংরেজি বানান

As-Salamu Alaykum wa Rahmatullah

সালামের উত্তর ইংরেজি বানান

Wa-Alaykumus-Salam wa Rahmatullah

সালাম ও সালামের উত্তর বা জবাব সঠিক উচ্চারণ কি?

সালাম, সালামের উত্তর, সালামের উত্তর কি, সালামের জবাব, সালামের সঠিক উচ্চারণ, সালাম এর উত্তর, ওয়ালাইকুম সালাম, ওয়া আলাইকুমুস সালাম, সালাম দেওয়ার নিয়ম, সালাম শব্দের অর্থ কি, সম্পূর্ণ সালাম, সালামের উত্তর দেওয়া কি, ওয়ালাইকুমুস সালাম, সালামের ফজিলত, সালামের উত্তর ইংরেজিতে, ওলাইকুম সালাম, আস সালামু আলাইকুম, সালাম দেওয়া কি, সালামের সঠিক জবাব, পায়ে ধরে সালাম করা কি জায়েজ, ওয়ালাইকুম সালাম ইংরেজি বানান, সালামের জবাব দেওয়া কি, সালাম দেওয়া কি ওয়াজিব, সালাম দিলে কত নেকি, সালাম অর্থ কি, সালামের উওর, খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া যাবে কি, সালাম এর সঠিক উচ্চারণ, অমুসলিমদের সালাম দেওয়ার বিধান, মা বাবার পায়ে ধরে সালাম করা কি জায়েজ, সালাম সম্পর্কে হাদিস, পা ধরে সালাম করা কি জায়েজ, সালাম আরবি

ওলাইকুম সালাম এর ইংরেজি, সালাম কিভাবে দিতে হয়, সঠিক সালাম, সালামের উত্তর দেওয়া কি ওয়াজিব, সালাম আরবিতে, সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা কি জায়েজ, সালামের উত্তর বাংলা, সালামের উত্তর আরবি, সালামের উত্তর আরবিতে, সালামের অর্থ কি, সালামের উত্তর কিভাবে দিতে হয়, সালামের সঠিক উত্তর, সালামের উত্তর কি english, অমুসলিমদের সালামের জবাব, সালামের জবাব ইংরেজিতে, সালামের সঠিক উচ্চারণ ইংরেজিতে, সালামের উত্তর কি ইংরেজিতে, সালামের গুরুত্ব, সালামের হাদিস, হিন্দুদের সালামের উত্তর, সালামের উত্তর english, ইংরেজিতে সালামের উত্তর, সালামের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব, সালামের অর্থ, সালামের জবাব আরবিতে, সালামের শুদ্ধ উচ্চারণ, সালামের সঠিক জবাব কোনটি, সালামের উপকারিতা

সালাম ও সালামের উত্তর বা জবাব সঠিক উচ্চারণ কি?

salam answer, salam reply, wa alaykumu s-salam, reply of salam, salam er jobab, answer of salam, wa alaikumus salam in arabic, salam meaning, salam er uttor, salamer uttor, salamer uttor ki, salamer answer, salamer jobab, salamer sothik jobab, salamer uttor deya ki, salamer uttor bangla

দুধ খাওয়ার দোয়া ও খাবার খাওয়ার দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও রিযিক বৃদ্ধির আমল

সন্তানের জন্য দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ. Sontaner Jonno Dua Bangla

ইসমে আজম দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ. Isme Azam Dua Bangla

সূরা কাহাফ এর ফজিলত. সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত

ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি? Fi Amanillah meaning Bangla

ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন অর্থ কি

আসসালামু আলাইকুম

সালামের সঠিক নিয়ম

‘সালাম’ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কী?

ওয়ালাইকুমুস-সালাম

Scroll to Top