৩৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর রাহের মুজাহিদগনকে বাহন ও অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করা এবং তাদের পরিবারবর্গের দেখা-শুনা করার ফাযীলাত
৪৭৯৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أُبْدِعَ بِي فَاحْمِلْنِي فَقَالَ ” مَا عِنْدِي ” . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أَدُلُّهُ عَلَى مَنْ يَحْمِلُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ ” .
আবূ মাস’ঊদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “আমার বাহন হালাক হয়ে গেছে, আপনি আমাকে একটি বাহন দিন।” তিনি বললেনঃ আমার কাছে তো তা নেই। সে সময় এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি এমন এক ব্যক্তির সন্ধান তাকে দিচ্ছি, যে তাকে বাহন দিতে পারে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন ভাল ‘আমালের পথ প্রদর্শন করে, তার জন্যে ‘আমালকারীর সমান সাওয়াব রয়েছে। (ই.ফা. ৪৭৪৬, ই.সে. ৪৭৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৪
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪৭৪৭, ই.সে. ৪৭৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ح
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ فَتًى، مِنْ أَسْلَمَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ الْغَزْوَ وَلَيْسَ مَعِي مَا أَتَجَهَّزُ قَالَ “ ائْتِ فُلاَنًا فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ تَجَهَّزَ فَمَرِضَ ” . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَيَقُولُ أَعْطِنِي الَّذِي تَجَهَّزْتَ بِهِ قَالَ يَا فُلاَنَةُ أَعْطِيهِ الَّذِي تَجَهَّزْتُ بِهِ وَلاَ تَحْبِسِي عَنْهُ شَيْئًا فَوَاللَّهِ لاَ تَحْبِسِي مِنْهُ شَيْئًا فَيُبَارَكَ لَكِ فِيهِ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আসলাম গোত্রের জনৈক যুবক বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি যুদ্ধে যেতে চাই অথচ আমার কাছে যুদ্ধোপকরণ বলতে কিছুই নেই। তখন তিনি বললেন, অমুকের কাছে যাও, সে যুদ্ধের জন্য সজ্জিত হয়েছিল; কিন্তু পরে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তখন সে ব্যক্তি তার কাছে গেল এবং বলল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আপনি যেন সেসব যুদ্ধ সামগ্রী আমাকে দিয়ে দেন যার দ্বারা আপনি নিজে সজ্জিত হয়েছিলেন। তখন সে ব্যক্তি (সম্ভবত: তার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে) বলল, হে অমুক! আমি যে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হয়েছিলাম তা একে দিয়ে দাও এবং তার মধ্য থেকে কিছুই রেখে দিও না। আল্লাহর কসম! তার সামান্যতম অংশও যেন তুমি রেখে না দাও তাহলে আল্লাহ তাতে তোমাকে বারাকাত দান করবেন। (ই.ফা. ৪৭৪৮, ই.সে. ৪৭৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৬
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الطَّاهِرِ، قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، وَقَالَ، سَعِيدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ، بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَهُ فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ فَقَدْ غَزَا ” .
যায়দ ইবনু খালিদ জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন গাজীকে যুদ্ধসাজে সজ্জিত করে দিল, সেও জিহাদ করলো, যে ব্যক্তি কোন গাজীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবারবর্গের দেখাশুনা করলো, সেও জিহাদই করলো। (অর্থাৎ, সেও জিহাদকারীর সমান সাওয়াব লাভ করবে)। (ই.ফা. ৪৭৪৯, ই.সে. ৪৭৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، الْمُعَلِّمُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنَ جَهَّزَ غَازِيًا فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ فَقَدْ غَزَا ” .
যায়দ ইবনু খালিদ জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে জিহাদকারী কোন গাজীকে যুদ্ধসাজে সজ্জিত করে দিল সেও জিহাদই করলো, আর যে ব্যক্তি কোন গাজীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবার-পরিজনের পরিচর্যা করলো, সেও জিহাদই করলো। (ই. ফা. ৪৭৫০, ই,সে, ৪৭৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৮
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثًا إِلَى بَنِي لِحْيَانَ – مِنْ هُذَيْلٍ – فَقَالَ “ لِيَنْبَعِثْ مِنْ كُلِّ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا وَالأَجْرُ بَيْنَهُمَا ” .
আবূ সা’ঈদ কুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুয়ায়ল বংশের অন্তর্ভুক্ত বানূ লিহ্ইয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী পাঠান। তখন তিনি বলেন, প্রতি দু’ব্যক্তির একজন যেন বাহিনীতে যোগদান করে, তবে সাওয়াব তারা দু’জনেই লাভ করবে। (ই,ফা, ৪৭৫১, ই,সে, ৪৭৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৯
وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْوَارِثِ – قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ بَعَثَ بَعْثًا . بِمَعْنَاهُ .
আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বাহিনী পাঠান। অবশিষ্ট হাদীস পূর্বরূপ। (ই,ফা, ৪৭৫২, ই,সে, ৪৭৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০০
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ مُوسَى – عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) হতে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করছেন। (ই.ফা. ৪৭৫৩, ই.সে. ৪৭৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০১
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ إِلَى بَنِي لَحْيَانَ ” لِيَخْرُجْ مِنْ كُلِّ رَجُلَيْنِ رَجُلٌ ” . ثُمَّ قَالَ لِلْقَاعِدِ ” أَيُّكُمْ خَلَفَ الْخَارِجَ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ بِخَيْرٍ كَانَ لَهُ مِثْلُ نِصْفِ أَجْرِ الْخَارِجِ ” .
আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লিহ্ইয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী পাঠান। তখন তিনি বললেন, প্রতি দু’ব্যক্তির মধ্যে একজনকে অবশ্যই যুদ্ধে বেরিয়ে যাওয়া উচিত, তারপর তিনি বাড়ীতে অবস্থানকারীদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যকার যে কেউ যুদ্ধে গমনকারীর পরিবার-পরিজন ও তার সহায়-সম্পদের দেখাশুনা করবে সেও গমনকারীর অর্ধেক সাওয়াব লাভ করবে। (ই.ফা. ৪৭৫৪, ই.সে. ৪৭৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯. অধ্যায়ঃ
মুজাহিদদের রমণীদের পবিত্রতা এবং তাতে খিয়ানাতকারীদের পাপ
৪৮০২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ حُرْمَةُ نِسَاءِ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ كَحُرْمَةِ أُمَّهَاتِهِمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ مِنَ الْقَاعِدِينَ يَخْلُفُ رَجُلاً مِنَ الْمُجَاهِدِينَ فى أَهْلِهِ فَيَخُونُهُ فِيهِمْ إِلاَّ وُقِفَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَأْخُذُ مِنْ عَمَلِهِ مَا شَاءَ فَمَا ظَنُّكُمْ ” .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুজাহিদদের রমণীদের ইজ্জত রক্ষা বাড়ীতে অবস্থাকারীদের জন্যে তাদের মাতাদের ইজ্জতের তুল্য। বাড়ীতে অবস্থানকারী যে ব্যক্তিই কোন মুজাহিদের পক্ষে তার পরিবার বর্গের দেখাশুনার দায়িত্বে থাকে এবং তাতে সে কোনরূপ খিয়ানত বা বিশ্বাস ভঙ্গ করে, কিয়ামাতের দিন সে মুজাহিদকে তার সম্মুখে দাঁড় করানো হবে এবং সে তার খিয়ানতকারীর নেক ‘আমল থেকে যে পরিমাণ ইচ্ছা নিয়ে যাবে। তোমাদের ধারণা কী? (অর্থাৎ, সে কি আর কম নেবে? সমুদয় সাওয়াবই সে কেড়ে নিয়ে যাবে।) (ই,ফা, ৪৭৫৫, ই,সে, ৪৭৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . بِمَعْنَى حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাকী অংশ, সাওরী (রহঃ)-এর অনুরূপ। (ই.ফা. ৪৭৫৬, ই.সে.৪৭৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৪
وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَعْنَبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ” فَقَالَ فَخُذْ مِنْ حَسَنَاتِهِ مَا شِئْتَ ” . فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” فَمَا ظَنُّكُمْ ” .
‘আলকামাহ্ ইবনু মারসাদ (রহঃ) হতে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আরও রিওয়ায়াত করেন যে, মুজাহিদকে বলা হবে তুমি তার নেক ‘আমল থেকে যে পরিমাণ ইচ্ছা নিয়ে নাও। এ কথাটি বলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন, তোমাদের কী ধারণা? (মুজাহিদ কি তখন তার কোন সাওয়াব আর বাকী রাখবে?) (ই.ফা. ৪৭৫৭, ই.সে. ৪৭৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০. অধ্যায়ঃ
ওযরগ্রস্ত ব্যক্তিদের থেকে জিহাদের আবশ্যকতা নিষ্পতিত হওয়া।
৪৮০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ الْبَرَاءَ، يَقُولُ فِي هَذِهِ الآيَةِ لاَ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْدًا فَجَاءَ بِكَتِفٍ يَكْتُبُهَا فَشَكَا إِلَيْهِ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ ضَرَارَتَهُ فَنَزَلَتْ { لاَ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ} قَالَ شُعْبَةُ وَأَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ رَجُلٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي هَذِهِ الآيَةِ لاَ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ بِمِثْلِ حَدِيثِ الْبَرَاءِ وَقَالَ ابْنُ بَشَّارٍ فِي رِوَايَتِهِ سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ .
আবূ ইসহাক্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বারা (রাঃ)-কে কুরআন মাজীদের আয়াতঃ “মু’মিনদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারা সমান নয়” সম্পর্কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়দ (রাঃ)-কে একটি হাড় নিয়ে আসতে আদেশ করলেন এবং তিনি তাতে তা লিখলেন। তখন ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) তাঁর (অন্ধত্বের) ওজর সম্পর্কে অনুযোগ করলেন। এ বিষয়ে নাযিল হলোঃ “মু’মিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে তারা সমান নয়।”
শু’বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমার কাছে সা’দ ইবনু ইব্রাহীম বর্ণনা করেছেন এক ব্যক্তি সূত্রে তিনি যায়দ (রহঃ) হতে এ আয়াত সম্পর্কে “যারা বসে থাকে তারা সমান নয়।” বাকী হাদীস বারা (রাঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ। ইবনু বাশ্শার তাঁর বর্ণনায় বলেছেন, সা’দ ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে তিনি এক ব্যক্তি থেকে তিনি যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে। (ই.ফা. ৪৭৫৭, ই.সে. ৪৭৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ { لاَ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} كَلَّمَهُ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَنَزَلَتْ { غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ}
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন (আরবী) আয়াত নাযিল হলো, তখন ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) সে ব্যাপারে তাঁর (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর) সঙ্গে আলাপ করলেন। তখন নাযিল হলো (আরবী) অর্থাৎ, যাদের কোন ওজর নেই। (ই,ফা, ৪৭৫৯, ই,সে, ৪৭৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪১. অধ্যায়ঃ
শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া
৪৮০৭
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، – وَاللَّفْظُ لِسَعِيدٍ – أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ أَيْنَ أَنَا يَا، رَسُولَ اللَّهِ إِنْ قُتِلْتُ قَالَ “ فِي الْجَنَّةِ ” . فَأَلْقَى تَمَرَاتٍ كُنَّ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ . وَفِي حَدِيثِ سُوَيْدٍ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ .
‘আম্র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি (এসে) বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি যদি (আল্লাহর রাস্তায়) নিহিত হই তবে কোথায় থাকবো। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, জান্নাতে। লোকটি তখন তার হাতের খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলো, অবশেষে শহীদ হলো। সুওয়াইদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে, উহুদ যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল। (ই,ফা, ৪৭৬০, ই,সে, ৪৭৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّبِيتِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ حَدَّثَنَا عِيسَى – يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ – عَنْ زَكَرِيَّاءَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّبِيتِ – قَبِيلٍ مِنَ الأَنْصَارِ – فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّكَ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ . ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ عَمِلَ هَذَا يَسِيرًا وَأُجِرَ كَثِيرًا ” .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বানূ নবীতের এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলো। তিনি বলেন, আহ্মাদ ইবনু জানাব মিস্সীসী (রহঃ)… বারা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের অন্তর্ভুক্ত একটি কবীলা বানূ নাবীতের এক ব্যক্তি আসলো এবং বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আপনি তাঁর বান্দা ও রসূল। তারপর সে অগ্রসর হলো এবং যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলো। এমনকি শেষ পর্যন্ত সে শহীদ হলো। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সে খুবই সহজ কাজ করলো তবে তাকে প্রচুর সাওয়াব দেয়া হয়েছে। (ই.ফা।। ৪৭৬১, ই.সে. ৪৭৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ – وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ – قَالُوا حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – وَهُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ – عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُسَيْسَةَ عَيْنًا يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَ وَمَا فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ أَدْرِي مَا اسْتَثْنَى بَعْضَ نِسَائِهِ قَالَ فَحَدَّثَهُ الْحَدِيثَ قَالَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ فَقَالَ ” إِنَّ لَنَا طَلِبَةً فَمَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا فَلْيَرْكَبْ مَعَنَا ” . فَجَعَلَ رِجَالٌ يَسْتَأْذِنُونَهُ فِي ظُهْرَانِهِمْ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ ” لاَ إِلاَّ مَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا ” . فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَتَّى سَبَقُوا الْمُشْرِكِينَ إِلَى بَدْرٍ وَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ يُقَدِّمَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَى شَىْءٍ حَتَّى أَكُونَ أَنَا دُونَهُ ” . فَدَنَا الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” قُومُوا إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ ” . قَالَ يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ الأَنْصَارِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَنَّةٌ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ قَالَ ” نَعَمْ ” . قَالَ بَخٍ بَخٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا يَحْمِلُكَ عَلَى قَوْلِكَ بَخٍ بَخٍ ” . قَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ رَجَاءَةَ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِهَا . قَالَ ” فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِهَا ” . فَأَخْرَجَ تَمَرَاتٍ مِنْ قَرْنِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ مِنْهُنَّ ثُمَّ قَالَ لَئِنْ أَنَا حَيِيتُ حَتَّى آكُلَ تَمَرَاتِي هَذِهِ إِنَّهَا لَحَيَاةٌ طَوِيلَةٌ – قَالَ – فَرَمَى بِمَا كَانَ مَعَهُ مِنَ التَّمْرِ . ثُمَّ قَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বুসায়সা (রাঃ)-কে আবূ সুফ্ইয়ানের বাণিজ্যিক কাফিলার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে পাঠান। তারপর তিনি ফিরে আসলেন। তখন আমি ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাড়া ঘরে আর কেউই ছিল না। রাবী বলেন, আমি স্মরণ করতে পারছি না, তিনি (আনাস) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন সহধর্মিণীর কথাও বলেছেন কি-না। এরপর তিনি সমুদয় ঘটনা বর্ণনা করলেন। অতঃপর বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন এবং (লোকজনকে লক্ষ্য করে) তিনি বললেন, আমি দুশমনের খোঁজে বের হচ্ছি। যার সওয়ারী মওজুদ আছে সে যেন আমাদের সঙ্গে সওয়ার হয়ে যায়। তখন কিছুলোক মাদীনার উপরাঞ্চল থেকে তাদের সওয়ারী নিয়ে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেন, না; কেবল যাদের সওয়ারী প্রস্তুত আছে তারাই যাবে। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ রওনা করলেন এবং মুশরিকদের পূর্বেই বদরে গিয়ে পৌছলেন। এর পরপরই মুশরিকরা এসে পৌঁছলো। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের কেউ যেন কোন ব্যাপারে আমার অগ্রবর্তী না হয়, যতক্ষন না আমি তার সামনে থাকি। এরপর মুশরিকরা নিকটবর্তী হলো। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। রাবী বলেন, ‘উমায়র ইবনু হুমাম আনসারী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার ন্যায়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ‘উমায়র বলে উঠলেন, বাহ্, বাহ্, কী চমৎকার! তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বাহ্, বাহ্ বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো হে? তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! বরং আল্লাহ্র কসম! আমি তার অধিবাসী হওয়ার আশায়ই এরূপ বলেছি। তখন তিনি বললেন, তুমি নিশ্চয়ই তার অধিবাসী (হবে)। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাঁর তূণ থেকে কয়েকটি খেজুর বের করলেন এবং তা খেতে লাগলেন। তারপর বললেন, আমি যদি এ খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত বেঁচে থাকি তবে তাও হবে এক দীর্ঘ জীবন। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাঁর কাছে রক্ষিত খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিলেন তারপর জিহাদে প্রবৃত্ত হলেন এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন। (ই,ফা, ৪৭৬২, ই,সে, ৪৭৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ، بِحَضْرَةِ الْعَدُوِّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ ” . فَقَامَ رَجُلٌ رَثُّ الْهَيْئَةِ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى آنْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ هَذَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمَ . ثُمَّ كَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ فَأَلْقَاهُ ثُمَّ مَشَى بِسَيْفِهِ إِلَى الْعَدُوِّ فَضَرَبَ بِهِ حَتَّى قُتِلَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি- আর তিনি ছিলেন তখন শত্রুর মুখোমুখি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নিশ্চয়ই জান্নাতের দরজাসমূহ রয়েছে তরবারির ছায়ার নীচে। তখন আলুথালু এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো এবং বলল, হে আবূ মূসা! আপনি কি নিজে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন সে ব্যক্তি তাঁর সাথীবর্গের কাছে ফিরে গেলো। তারপর বলল, আমি তোমাদেরকে (বিদায়ী) সালাম জানাচ্ছি। এরপর সে তার তরবারির কোষ ভেঙ্গে ফেলে তা দূরে নিক্ষেপ করলো। তারপর নিজ তরবারিসহ শত্রুদের কাছে গিয়ে তা দিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে গেল। (ই.ফা. ৪৭৬৩, ই.সে. ৪৭৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا أَنِ ابْعَثْ مَعَنَا رِجَالاً يُعَلِّمُونَا الْقُرْآنَ وَالسُّنَّةَ . فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ سَبْعِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُمُ الْقُرَّاءُ فِيهِمْ خَالِي حَرَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَدَارَسُونَ بِاللَّيْلِ يَتَعَلَّمُونَ وَكَانُوا بِالنَّهَارِ يَجِيئُونَ بِالْمَاءِ فَيَضَعُونَهُ فِي الْمَسْجِدِ وَيَحْتَطِبُونَ فَيَبِيعُونَهُ وَيَشْتَرُونَ بِهِ الطَّعَامَ لأَهْلِ الصُّفَّةِ وَلِلْفُقَرَاءِ فَبَعَثَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فَعَرَضُوا لَهُمْ فَقَتَلُوهُمْ قَبْلَ أَنْ يَبْلُغُوا الْمَكَانَ . فَقَالُوا اللَّهُمَّ بَلِّغْ عَنَّا نَبِيَّنَا أَنَّا قَدْ لَقِينَاكَ فَرَضِينَا عَنْكَ وَرَضِيتَ عَنَّا – قَالَ – وَأَتَى رَجُلٌ حَرَامًا خَالَ أَنَسٍ مِنْ خَلْفِهِ فَطَعَنَهُ بِرُمْحٍ حَتَّى أَنْفَذَهُ . فَقَالَ حَرَامٌ فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ “ إِنَّ إِخْوَانَكُمْ قَدْ قُتِلُوا وَإِنَّهُمْ قَالُوا اللَّهُمَّ بَلِّغْ عَنَّا نَبِيَّنَا أَنَّا قَدْ لَقِينَاكَ فَرَضِينَا عَنْكَ وَرَضِيتَ عَنَّا ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কতিপয় লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক দিন যাঁরা আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ্ শিক্ষা দেবেন। তখন তিনি আনসারদের সত্তর ব্যক্তিকে তাদের সাথে পাঠালেন। তাদেরকে কুররা (ক্বারী সমাজ) বলা হতো। এঁদের মধ্যে আমার মামা হারামও ছিলেন। তাঁরা কুরআন তিলওয়াত করতেন এবং রাত্রে এর অর্থ অনুধাবন ও শিক্ষায় নিমগ্ন থাকতেন, আর দিনের বেলায় জলাশয়ে গিয়ে পানি এনে মাসজিদে রাখতেন এবং কাঠ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে বিক্রি লব্ধ অর্থে সুফ্ফাবাসীগণ এবং নিঃস্ব ফকীরদের জন্যে আহার্য সামগ্রী ক্রয় করতেন। এঁদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। ওরা তাঁদের উপর আক্রমণ করলো এবং তাঁরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছার পূর্বেই তাঁদেরকে হত্যা করলো। তখন তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ ! আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের নাবীর নিকট সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে, আমরা আপনার সন্নিধানে পৌছে গিয়েছি এবং আপনার প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছি। আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন। রাবী বলেন, এক লোক আনাস (রাঃ)-এর মামা হারাম (রাঃ)-এর পিছন দিক দিয়ে এসে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করে হত্যা (শহীদ) করে দিল। হারাম (রাঃ) বলে উঠলেন, কা’বার প্রভুর কসম! আমি সাফল্যমন্ডিত হয়েছি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমাদের ভাইগন নিহত হয়েছেন। আর (অন্তিম মুহূর্তে) তাঁরা বলেছেন, হে আল্লাহ! আমাদের নাবীকে সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে, আমরা আপনার সন্নিধানে পৌছে গেছি এ অবস্থায় যে, আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট। (ই.ফা. ৪৭৪৬, ই.সে. ৪৭৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ عَمِّيَ الَّذِي سُمِّيتُ بِهِ لَمْ يَشْهَدْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَدْرًا – قَالَ – فَشَقَّ عَلَيْهِ قَالَ أَوَّلُ مَشْهَدٍ شَهِدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غُيِّبْتُ عَنْهُ وَإِنْ أَرَانِيَ اللَّهُ مَشْهَدًا فِيمَا بَعْدُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَرَانِيَ اللَّهُ مَا أَصْنَعُ – قَالَ – فَهَابَ أَنْ يَقُولَ غَيْرَهَا – قَالَ – فَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ – قَالَ – فَاسْتَقْبَلَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَالَ لَهُ أَنَسٌ يَا أَبَا عَمْرٍو أَيْنَ فَقَالَ وَاهًا لِرِيحِ الْجَنَّةِ أَجِدُهُ دُونَ أُحُدٍ – قَالَ – فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ – قَالَ – فَوُجِدَ فِي جَسَدِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ بَيْنِ ضَرْبَةٍ وَطَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ – قَالَ – فَقَالَتْ أُخْتُهُ عَمَّتِيَ الرُّبَيِّعُ بِنْتُ النَّضْرِ فَمَا عَرَفْتُ أَخِي إِلاَّ بِبَنَانِهِ . وَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ { رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلاً} قَالَ فَكَانُوا يُرَوْنَ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার যে চাচার নামানুসারে আমার নামকরণ করা হয়েছে সে আনাস (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি। রাবী বলেন, এটা ছিল তাঁর জন্যে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি (প্রায়ই) বলতেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম যে যুদ্ধটি করেছিলেন, তাতে আমি শরীক হতে পারলাম না। এরপর যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে তাঁর কোন যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দান করেন তাহলে আমি কী করি তা আল্লাহ দেখবেন। রাবী বলেন, এর বেশী কিছু বলতে তিনি ভয় পেতেন। তারপর উহুদ যুদ্ধের দিন তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। রাবী বলেন, সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) যখন অগ্রসর হলেন তখন আনাস (রাঃ) তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবূ ‘আম্র! কোথায় (যাচ্ছো)? আহা! জান্নাতের ঘ্রাণ আমি উহুদ প্রান্ত থেকে পাচ্ছি। রাবী বলেন, তারপর তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়ে গেলেন। রাবী বলেন, তারপর তাঁর মৃত লাশে আশিটিরও অধিক তরবারি, বর্শা ও তীরের চিহ্ন পাওয়া যায়। রাবী আনাস (রাঃ) বলেন, তাঁর বোন এবং আমার ফুফু রুবাইয়্যি’ বিনতু নায্র (রাঃ) বলেন, (শহীদের ক্ষত-বিক্ষত দেহের) কেবল তাঁর আঙ্গুলের জোড়া দেখেই তাঁকে আমি সনাক্ত করেছি। (অন্য কোন পরিচয়ই অবশিষ্ট ছিল না।) তখন আয়াত নাযিল হলোঃ “এরা হচ্ছে সেসব ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণ করে দেখিয়েছে। তাদের কেউ অঙ্গীকার ইতোমধ্যেই পূরণ করে ফেলেছে, আর কেউ তার প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা মোটেই পরিবর্তিত হয়নি”-(সুরা আহযাব ৩৩ঃ২৩)। রাবী বলেন, সাহাবীগণ মনে করতেন যে এ আয়াতটি তাঁর এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীদের সম্পর্কেই নাযিল হয়েছিল। (ই.ফা. ৪৭৬৫, ই.সে. ৪৭৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪২. অধ্যায়ঃ
যে আল্লাহর কালিমা সমুন্নত করার উদ্দেশে যুদ্ধ করে সে আল্লাহর পথের মুজাহিদ
৪৮১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، الأَشْعَرِيُّ أَنَّ رَجُلاً، أَعْرَابِيًّا أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُقَاتِلُ لِلْمَغْنَمِ وَالرَّجُلُ يُقَاتِلُ لِيُذْكَرَ وَالرَّجُلُ يُقَاتِلُ لِيُرَى مَكَانُهُ فَمَنْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ أَعْلَى فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” .
আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, জৈনেক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলো, হে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এক ব্যক্তি গনীমাত লাভের জন্য যুদ্ধ করে, অন্য এক ব্যক্তি স্মরণীয় হওয়ার জন্য, আর এক ব্যক্তি যুদ্ধ করে নিজের উচ্চমর্যাদা প্রদর্শনের জন্যে। এগুলার মধ্যে কোনটি আল্লাহর পথে বলে গন্য হবে? তখন রসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কালিমা সমুন্নত করার উদ্দেশে যুদ্ধ করে সে ব্যক্তিই আল্লাহর পথে (যুদ্ধ করে)। (ই.ফা. ৪৭৬৬, ই.সে. ৪৭৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي، مُوسَى قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُقَاتِلُ شَجَاعَةً وَيُقَاتِلُ حَمِيَّةً وَيُقَاتِلُ رِيَاءً أَىُّ ذَلِكَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হলো, যে ব্যক্তি বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য যুদ্ধ করে, যে ব্যক্তি গোত্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য যুদ্ধ করে, যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশে যুদ্ধ করে এগুলোর মধ্যে কোনটি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ (বলে গন্য হবে)? তখন (জবাবে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে ব্যক্তি এ উদ্দেশে যুদ্ধ করে যে, আল্লাহর বাণী সমুন্নত হবে, (কেবল) সে আল্লাহর রাস্তায় (বলে গন্য হবে)। ( ই.ফা. ৪৭৬৭, ই.সে. ৪৭৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৫
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُقَاتِلُ مِنَّا شَجَاعَةً . فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)–এর কাছে এলাম এবং আরয করলাম , হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য লড়াই করে। তারপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। ( ই.ফা. ৪৭৬৮, ই. সে. ৪৭৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৬
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي، مُوسَى الأَشْعَرِيِّ أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْقِتَالِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ الرَّجُلُ يُقَاتِلُ غَضَبًا وَيُقَاتِلُ حَمِيَّةً قَالَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهِ – وَمَا رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهِ إِلاَّ أَنَّهُ كَانَ قَائِمًا – فَقَالَ “ مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” .
আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আল্লাহর পথে যুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করলো। তখন সে ব্যক্তি বলল, এক ব্যক্তি ক্রোধের বশে যুদ্ধ করে এবং গোত্রের টানে যুদ্ধ করে। তখন তিনি তার দিকে মাথা তুলে তাকালেন। তাঁর এ মাথা তোলা শুধু এজন্যই ছিল যে , সে লোকটি দন্ডায়মান অবস্থায় ছিল। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এজন্য যুদ্ধ করে যে, আল্লাহর বানী সমুন্নত হবে, কেবল সে আল্লাহর রাহে (যুদ্ধ করে)। ( ই. ফা. ৪৭৬৯, ই. সে. ৪৭৭০ )
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩. অধ্যায়ঃ
লোক দেখানো এবং খ্যাতির উদ্দেশে যে যুদ্ধ করে সে জাহান্নামের যোগ্য হয়
৪৮১৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ لَهُ نَاتِلُ أَهْلِ الشَّامِ أَيُّهَا الشَّيْخُ حَدِّثْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اسْتُشْهِدَ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ قَاتَلْتُ فِيكَ حَتَّى اسْتُشْهِدْتُ . قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لأَنْ يُقَالَ جَرِيءٌ . فَقَدْ قِيلَ . ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ وَعَلَّمَهُ وَقَرَأَ الْقُرْآنَ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ تَعَلَّمْتُ الْعِلْمَ وَعَلَّمْتُهُ وَقَرَأْتُ فِيكَ الْقُرْآنَ . قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ تَعَلَّمْتَ الْعِلْمَ لِيُقَالَ عَالِمٌ . وَقَرَأْتَ الْقُرْآنَ لِيُقَالَ هُوَ قَارِئٌ . فَقَدْ قِيلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ . وَرَجُلٌ وَسَّعَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَعْطَاهُ مِنْ أَصْنَافِ الْمَالِ كُلِّهِ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهُ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ مَا تَرَكْتُ مِنْ سَبِيلٍ تُحِبُّ أَنْ يُنْفَقَ فِيهَا إِلاَّ أَنْفَقْتُ فِيهَا لَكَ قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ فَعَلْتَ لِيُقَالَ هُوَ جَوَادٌ . فَقَدْ قِيلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ ثُمَّ أُلْقِيَ فِي النَّارِ ” .
সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা লোকজন যখন আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছিল, তখন সিরিয়াবাসী নাতিল (রহঃ) বললেন, হে শায়খ! আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট থেকে শুনেছেন এমন একখানা হাদীস আমাদেরকে শুনান। তিনি বলেন, হ্যাঁ! (শুনাবো)। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাঁকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ তাঁর নিয়ামাতরাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তার সবটাই চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে।) তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, এর বিনিময়ে ‘কী আমাল করেছিলে?’ সে বলবে, আমি তোমারই পথে যুদ্ধ করেছি এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি বরং এ জন্যেই যুদ্ধ করেছিলে যাতে লোকে তোমাকে বলে, তুমি বীর। তা বলা হয়েছে, এরপর নির্দেশ দেয়া হবে। সে মতে তাকে উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তারপর এমন এক ব্যক্তির বিচার করা হবে যে জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ করেছে এবং কুরআন মাজীদ অধ্যয়ন করেছে। তখন তাকে হাযির করা হবে। আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রদত্ত নি’আমাতের কথা তাকে বলবেন এবং সে তা চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে।) তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, এত বড় নি’আমাত পেয়ে বিনিময়ে তুমি কী করলে? জবাবে সে বলবে, আমি জ্ঞান অর্জন করেছি এবং তা শিক্ষা দিয়েছি এবং তোমারই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কুরআন অধ্যয়ন করেছি। জবাবে আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি তো জ্ঞান অর্জন করেছিলে এজন্যে যাতে লোকে তোমাকে জ্ঞানী বলে। কুরআন তিলাওয়াত করেছিলে এ জন্যে যাতে লোকে বলে, তুমি একজন ক্বারী। তা বলা হয়েছে। তারপর নির্দেশ দেয়া হবে, সে মতে তাকেও উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তারপর এমন এক ব্যক্তির বিচার হবে যাকে আল্লাহ তা’আলা সচ্ছলতা এবং সর্ববিধ বিত্ত-বৈভব দান করেছেন। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে প্রদত্ত নি’আমাতসমূহের কথা তাঁকে বলবেন। সে তা চিনতে পারবে (স্বীকারোক্তিও করবে।) তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, ‘এসব নি’আমাতের বিনিময়ে তুমি কী ‘আমল করেছো?’ জবাবে সে বলবে, সম্পদ ব্যয়ের এমন কোন খাত নেই যাতে সম্পদ ব্যয় করা তুমি পছন্দ কর, আমি সে খাতে তোমার সন্তুষ্টির জন্যে ব্যয় করেছি। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছো। তুমি বরং এ জন্যে তা করেছিলে যাতে লোকে তোমাকে ‘দানবীর’ বলে অভিহিত করে। তা বলা হয়েছে। তারপর নির্দেশ দেয়া হবে। সে মতে তাকেও উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (ই.ফা. ৪৭৭০, ই.সে. ৪৭৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৮
وَحَدَّثَنَاهُ عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ تَفَرَّجَ النَّاسُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ لَهُ نَاتِلُ الشَّامِ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ .
সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। তিনি তাঁর বর্ণনায় ‘তাফাররাকা’-এর স্থলে ‘তাফাররাজা’ এবং ‘নাতিল আহলিশ শাম’-এর স্থলে ‘নাতিলুশ শাম’ বলে উল্লেখ করেছেন। অবশিষ্ট হাদীস খালিদ ইবনু হারিস (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৭৭১, ই.সে. ৪৭৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪. অধ্যায়ঃ
যুদ্ধ করে যারা গনীমাত লাভ করল ও যারা করেনি তাঁদের সাওয়াবের পরিমাণ সম্পর্কে
৪৮১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ، شُرَيْحٍ عَنْ أَبِي هَانِئٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا مِنْ غَازِيَةٍ تَغْزُو فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُصِيبُونَ الْغَنِيمَةَ إِلاَّ تَعَجَّلُوا ثُلُثَىْ أَجْرِهِمْ مِنَ الآخِرَةِ وَيَبْقَى لَهُمُ الثُّلُثُ وَإِنْ لَمْ يُصِيبُوا غَنِيمَةً تَمَّ لَهُمْ أَجْرُهُمْ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে বাহিনী আল্লাহর পথে জিহাদ করলো এবং তাতে গনীমাত লাভ করলো তারা এ দুনিয়াতেই আখিরাতের দুই-তৃতীয়াংশ বিনিময় নগদ পেয়ে গেল। তাদের জন্য কেবল এক-তৃতীয়াংশ বিনিময় অবশিষ্ট রইলো। আর যে বাহিনী কোন গনীমাত লাভ করলো না, তাদের পূর্ণ বিনিময়ই পাওনা রয়ে গেল। (ই.ফা. ৪৭৭২, ই.সে. ৪৭৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২০
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ غَازِيَةٍ أَوْ سَرِيَّةٍ تَغْزُو فَتَغْنَمُ وَتَسْلَمُ إِلاَّ كَانُوا قَدْ تَعَجَّلُوا ثُلُثَىْ أُجُورِهِمْ وَمَا مِنْ غَازِيَةٍ أَوْ سَرِيَّةٍ تُخْفِقُ وَتُصَابُ إِلاَّ تَمَّ أُجُورُهُمْ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ বাহিনী মাত্রই যারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করলো এবং গনীমাত লাভ করলো, তারপর নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করলো তাঁরা আখিরাতের দুই-তৃতীয়াংশ বিনিময়ই নগদ পেয়ে গেল। যারা খালি হাতে বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ফিরে আসলো, তাদের পুরো বিনিময়ই পাওনা রয়ে গেল। (ই.ফা. ৪৭৭৩, ই.সে. ৪৭৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫. অধ্যায়ঃ
নিয়্যাত অনুসারে ‘আমালের সাওয়াব, জিহাদ প্রভৃতি ‘আমালও এর অন্তর্ভুক্ত
৪৮২১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لاِمْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ” .
‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক ‘আমালের ফলাফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল এবং কোন ব্যক্তি কেবল তাই লাভ করবে যা সে নিয়্যাত করে। যার হিজরাত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উদ্দেশ্যে, তার হিজরাত আল্লাহ ও রসূলের উদ্দেশ্য হিজরাত বলে গণ্য হবে, আর যার হিজরাত পার্থিব কোন মহিলাকে বিবাহের গ্রহণের উদ্দেশে হবে তার হিজরাত সে উদ্দেশের হিজরাত বলেই গণ্য হবে। (ই.ফা. ৪৭৭৪, ই.সে. ৪৭৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ يَعْنِي الثَّقَفِيَّ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى، بْنِ سَعِيدٍ بِإِسْنَادِ مَالِكٍ وَمَعْنَى حَدِيثِهِ وَفِي حَدِيثِ سُفْيَانَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَلَى الْمِنْبَرِ يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সুফ্ইয়ান (রহঃ) সূ্ত্র থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারে উপবিষ্ট অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বরাতে বলতে শুনেছি …..। (ই.ফা. ৪৭৭৫, ই.সে. ৪৭৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৬. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর পথে শাহাদাত কামনা করা মুস্তাহাব
৪৮২৩
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ طَلَبَ الشَّهَادَةَ صَادِقًا أُعْطِيَهَا وَلَوْ لَمْ تُصِبْهُ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা করে আল্লাহ তাকে তা (অর্থাৎ, তার সাওয়াব) দিয়ে থাকেন যদিও সে শাহাদাত লাভের সুযোগ না পায়। (ই.ফা. ৪৭৭৬, ই.সে. ৪৭৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৪
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ – قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ، بْنِ حُنَيْفٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ سَأَلَ اللَّهَ الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ بَلَّغَهُ اللَّهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ ” . وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ فِي حَدِيثِهِ ” بِصِدْقٍ ” .
সাহ্ল ইবনু হুনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর নিকট শাহাদাত প্রার্থনা করে আল্লাহ তা’আলা তাকে শহীদের মর্যাদায় অভিষিক্ত করবেন যদিও সে আপন শয্যায় ইন্তিকাল করে। (ই.ফা. ৪৭৭৭, ই.সে. ৪৭৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর পথে জিহাদ না করে এমন কি জিহাদের আকাঙ্ক্ষা না করে যে মারা যায় তার পরিণাম অশুভ
৪৮২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ الأَنْطَاكِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ وُهَيْبٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَهُ مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ ” . قَالَ ابْنُ سَهْمٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ فَنُرَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো, অথচ কখনো জিহাদ করলো না বা জিহাদের কথা তার মনে কোন দিন উদিতও হলো না, সে যেন মুনাফিকের মৃত্যুবরণ করলো।
‘আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) বলেন, আমাদের মত হলো, এ হুকুম একান্তই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগের জন্য প্রযোজ্য। (ই.ফা. ৪৭৭৮, ই.সে. ৪৭৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮. অধ্যায়ঃ
অসুস্থতা বা ওযরের কারণে যে জিহাদে যেতে পারলো না, তার সাওয়াব
৪৮২৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ فَقَالَ “ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ لَرِجَالاً مَا سِرْتُمْ مَسِيرًا وَلاَ قَطَعْتُمْ وَادِيًا إِلاَّ كَانُوا مَعَكُمْ حَبَسَهُمُ الْمَرَضُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা কোন এক যুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ মাদীনায় এমন কতিপয় লোক রয়েছে যারা তোমাদের প্রতিটি পথ চলায় এবং প্রান্তর অতিক্রম করায় তোমাদেরই সঙ্গে রয়েছে। (সাওয়াব লাভের বেলায়)। রোগ ব্যাধি তাদেরকে আটকে রেখেছে।(ই.ফা. ৪৭৭৯, ই.সে. ৪৭৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৭
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ، يُونُسَ كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ وَكِيعٍ “ إِلاَّ شَرِكُوكُمْ فِي الأَجْرِ ” .
আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আ’মাশ (রহঃ) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ওয়াকী’ (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে “তাঁরা প্রতিদান পাওয়ার ক্ষেত্রে তোমাদের সঙ্গে শরীক রয়েছেন।” (ই.ফা. ৪৭৮০, ই.সে. ৪৭৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯. অধ্যায়ঃ
সামুদ্রিক জিহাদের মাহাত্ম্য
৪৮২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي، طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ وَكَانَتْ أُمُّ حَرَامٍ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ ثُمَّ جَلَسَتْ تَفْلِي رَأْسَهُ فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ مُلُوكًا عَلَى الأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ ” . يَشُكُّ أَيَّهُمَا قَالَ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَدَعَا لَهَا ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” . كَمَا قَالَ فِي الأُولَى قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ قَالَ ” أَنْتِ مِنَ الأَوَّلِينَ ” . فَرَكِبَتْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ الْبَحْرَ فِي زَمَنِ مُعَاوِيَةَ فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মু হারাম বিনতু মিলহান (রাঃ)-এর ঘরে যেতেন। তিনি তাঁকে আপ্যায়ন করতেন। উম্মু হারাম (রাঃ) ছিলেন, ‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ)-এর স্ত্রী। একদা তিনি তাঁর ঘরে গেলেন এবং তিনি তাঁকে (চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী) আপ্যায়ন করলেন। তারপর তিনি তাঁর (রসূলুল্লাহর) মাথার উকুন দেখতে বসলেন এবং এ অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘুমিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি যখন জাগ্রত হলেন তখন তিনি হাসছিলেন। উম্মু হারাম (রাঃ) বলেন, আমি তখন বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার হাসির কারণ কী? তিনি বললেন, আমার উম্মাতের এমন কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হলো, যারা আল্লাহর পথের যোদ্ধারূপে রাজা-বাদশাহের ন্যায় সাগর পৃষ্ঠে সিংহাসনে আসীন হবেন। অথবা বলেছেন, রাজা-বাদশাহ্র মতো সিংহাসনে আসীন হবেন। রাবী সন্দেহ পোষণ করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন্ বাক্যটি বলেছেন। উম্মু হারাম (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন! যেন তিনি আমাকেও তাদের সঙ্গে শামিল করেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর জন্যে দু’আ করলেন। এরপর তিনি মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। আবার জেগে হাসতে লাগলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনাকে কিসে হাসাচ্ছে? তিনি বললেন, আমার উম্মাতের কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হয়, আল্লাহর পথের যোদ্ধারূপে….. পূর্বের বাক্যের অনুরূপ। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন! তিনি যেন আমাকেও তাদের সঙ্গে শামিল করেন। তিনি বললেন, তুমি হবে তাদের প্রথম সারির একজন।
তারপর উম্মু হারাম বিনতু মিলহান মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর ‘আমালে (সত্যিসত্যি) সমুদ্রপৃষ্ঠে (সাইপ্রাসের যুদ্ধ উপলক্ষে) আরোহণ করেন এবং সমুদ্র থেকে বের হওয়ার কালে সওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। (ই.ফা. ৪৭৮১, ই.সে. ৪৭৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৯
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أُمِّ حَرَامٍ، وَهْىَ خَالَةُ أَنَسٍ قَالَتْ أَتَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَقَالَ عِنْدَنَا فَاسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي قَالَ ” أُرِيتُ قَوْمًا مِنْ أُمَّتِي يَرْكَبُونَ ظَهْرَ الْبَحْرِ كَالْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ ” . فَقُلْتُ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ قَالَ ” فَإِنَّكِ مِنْهُمْ ” . قَالَتْ ثُمَّ نَامَ فَاسْتَيْقَظَ أَيْضًا وَهُوَ يَضْحَكُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَقُلْتُ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . قَالَ ” أَنْتِ مِنَ الأَوَّلِينَ ” . قَالَ فَتَزَوَّجَهَا عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ بَعْدُ فَغَزَا فِي الْبَحْرِ فَحَمَلَهَا مَعَهُ فَلَمَّا أَنْ جَاءَتْ قُرِّبَتْ لَهَا بَغْلَةٌ فَرَكِبَتْهَا فَصَرَعَتْهَا فَانْدَقَّتْ عُنُقُهَا .
আনাস (রাঃ)-এর খালা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের ঘরে এলেন এবং আমাদের এখানেই মধ্যাহ্ন বিশ্রাম করলেন। তারপর তিনি যখন জাগলেন তখন তিনি হাসছিলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার হাসবার কারণ কী? আপনার প্রতি আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক! তখন জবাবে তিনি বললেন, আমাকে (স্বপ্নে) দেখানো হলো যে, আমার উম্মাতের মধ্যকার একদল লোক রাজা-বাদশাহ্দের সিংহাসনে আরোহণের মতো সমুদ্রপৃষ্ঠে আরোহণ করবে। তখন আমি আরয করলাম, আপনি আমার জন্য দু’আ করুন যেন তিনি আমাকে তাদের সঙ্গে শামিল করে নেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তাদের মধ্যে শামিল থাকবে। তারপর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এবং পুনরায় জেগে আবারও হাসতে থাকেন। আমি তাঁকে কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি পূর্বের মতো উত্তর দিলেন। অতঃপর আমি বললাম, আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন যেন তিনি আমাকে তাদের সঙ্গে শামিল রাখেন। তিনি বললেন, তুমি হবে তাদের প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত।
রাবী বলেন, পরবর্তীকালে ‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ) তাঁকে বিয়ে করেন। তিনি সমুদ্রযুদ্ধে যাত্রা করেন এবং তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে যান। যখন তিনি ফিরে আসছিলেন তখন একটি খচ্চর তাঁর সামনে আনা হলো। তিনি তাতে আরোহণ করলেন তখন খচ্চরটি তাঁকে নীচে ফেলে দেয়। তাতে তাঁর ঘাড় ভেঙ্গে যায়। (এবং এভাবে তিনি শহীদ হন।) (ই.ফা. ৪৭৮২, ই.সে. ৪৭৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩০
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ حَبَّانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ خَالَتِهِ أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ، أَنَّهَا قَالَتْ نَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا قَرِيبًا مِنِّي ثُمَّ اسْتَيْقَظَ يَتَبَسَّمُ – قَالَتْ – فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَضْحَكَكَ قَالَ “ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ يَرْكَبُونَ ظَهْرَ هَذَا الْبَحْرِ الأَخْضَرِ ” . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
আনাস (রাঃ)-এর খালা উন্মু হারাম বিনত মিলহান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে এলেন এবং মধ্যাহ্ন বিশ্রাম করলেন তারপর মুচকি হাসতে হাসতে জাগলেন। তিনি বলেন, আমি তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার হাসবার কারণ কি? তিনি বললেন ; আমার উম্মাতের একদল লোককে আমার সামনে পেশ করা হলো যারা ঐ সবুজ সাগরের বুকে আরোহণ করবে …..। তারপর হাম্মাদ ইব্ন যায়দের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩১
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْنَةَ مِلْحَانَ خَالَةَ أَنَسٍ فَوَضَعَ رَأْسَهُ عِنْدَهَا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ وَمُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ .
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনাস (রাঃ)-এর খালা বিনত মিলহান (রাঃ)-এর কাছে এলেন এবং তার কাছে বিশ্রাম গ্রহণ করলেন। তারপর ইসহাক ইব্ন আবু তালহা ও মুহাম্মদ ইব্ন ইয়াহইয়া ইব্ন হাব্বান (রাঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর রাহে প্রহরায় থাকার ফযীলত
৪৮৩২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السَّمِطِ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ خَيْرٌ مِنْ صِيَامِ شَهْرٍ وَقِيَامِهِ وَإِنْ مَاتَ جَرَى عَلَيْهِ عَمَلُهُ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُهُ وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ وَأَمِنَ الْفَتَّانَ ” .
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, একটি দিবস ও একটি রাতের সীমান্ত প্রহরা একমাস সিয়াম পালন এবং ইবাদতে রাত জাগার চাইতেও উত্তম। আর যদি এ অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে, তাতে তার এ আমলের সাওয়াব জারী থাকবে। এবং তার (শহীদসুলভ) রিযিক অব্যাহত রাখা হবে এবং সে ব্যক্তি ফিৎনাবাজদের থেকে নিরাপদে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৩
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السَّمِطِ، عَنْ سَلْمَانَ الْخَيْرِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ اللَّيْثِ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى .
সালমান আল-খায়র (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আয়ুব ইব্ন মূসা (রাঃ) থেকে লায়সের হাদীসের অনুরূপ অর্থযুক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১. অধ্যায়ঃ
শহীদের বর্ণনা
৪৮৩৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ وَجَدَ غُصْنَ شَوْكٍ عَلَى الطَّرِيقِ فَأَخَّرَهُ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ ” . وَقَالَ ” الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ الْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْغَرِقُ وَصَاحِبُ الْهَدْمِ وَالشَّهِيدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ” .
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একব্যক্তি পথ চলাকালে একটি কাঁটাযুক্ত গাছের ডাল রাস্তায় পেয়ে তা সরিয়ে দিল, তখন আল্লাহ্ তা’আলা তার এ কাজের মূল্যায়ন করলেন এবং (প্রতিদানে) তাকে মার্জনা করে দিলেন। তিনি আরও বললেনঃ শহীদ পাঁচ প্রকার : ১. প্লেগগ্রস্ত ২. উদরাময়গ্রস্ত ৩. ডুবন্ত (ডুবে মৃত) ৪. কোন কিছু চাপা পড়ে মৃত এবং ৫. মহান মহিয়ান আল্লাহর রাহে (প্রাণদানকারী) শহীদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৫
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا تَعُدُّونَ الشَّهِيدَ فِيكُمْ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ شَهِيدٌ قَالَ ” إِنَّ شُهَدَاءَ أُمَّتِي إِذًا لَقَلِيلٌ ” . قَالُوا فَمَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ مَاتَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ مَاتَ فِي الطَّاعُونِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ مَاتَ فِي الْبَطْنِ فَهُوَ شَهِيدٌ ” . قَالَ ابْنُ مِقْسَمٍ أَشْهَدُ عَلَى أَبِيكَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ قَالَ ” وَالْغَرِيقُ شَهِيدٌ ” .
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তোমাদের মধ্যকার কাদেরকে শহীদ বলে গণ্য কর? তারা বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে নিহত হয় সেই তো শহীদ। ” তিনি বললেনঃ তবে তো আমার উম্মাতের শহীদের সংখ্যা অতি অল্প হবে। তখন তারা বললেন, তা হলে তারা কারা ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ রাহে নিহত হয় সে শহীদ। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে সেও শহীদ। যে ব্যক্তি প্লেগে মারা যায় সে শহীদ যে ব্যক্তি উদরাময়ে মারা যায় সেও শহীদ। ইব্ন মিকসাম (রাঃ) বলেন, আমি তোমার পিতার উপর এ হাদীসের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আরও বলেছেন, এবং পানিতে ডুবে মারা যায় এমন ব্যক্তিও শহীদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৬
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِهِ قَالَ سُهَيْلٌ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مِقْسَمٍ أَشْهَدُ عَلَى أَبِيكَ أَنَّهُ زَادَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ “ وَمَنْ غَرِقَ فَهُوَ شَهِيدٌ ” .
সুহায়ল (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সুহায়ল (রাঃ) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইব্ন মিকসাম (রাঃ) বলেন, আমি তোমার ভাইয়ের উপর এ হাদীসের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি তাতে এতটুকুও অধিক বলেছেন, যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মরলো সেও শহীদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مِقْسَمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَزَادَ، فِيهِ “ وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ ” .
মুহাম্মদ ইবন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুহাম্মদ ইব্ন হাতিম (রাঃ) এ সনদের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতটুকু বর্ধিত বলেছেন, যে ব্যক্তি ডুবে মরলো, সেও শহীদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৮
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، قَالَتْ قَالَ لِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ بِمَا مَاتَ يَحْيَى بْنُ أَبِي عَمْرَةَ قَالَتْ قُلْتُ بِالطَّاعُونِ . قَالَتْ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الطَّاعُونُ شَهَادَةٌ لِكُلِّ مُسْلِمٍ ” .
হাফসা বিনত সীরীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়াহইয়া ইব্ন আবূ ‘আমরা কিসে মারা গেলেন? আমি বললাম, প্লেগগ্ৰস্ত হয়ে। তিনি (হাফসা) বলেন, তখন তিনি (আনাস) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্লেগ হচ্ছে প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তির জন্যে শাহাদত স্বরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৯
وَحَدَّثَنَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ .
আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২. অধ্যায়ঃ
তিরন্দাযীর ফযীলত এবং এতে উৎসাহ প্রদান এবং তা শিক্ষা করে ভুলে যাওয়ার নিন্দা
৪৮৪০
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ، ثُمَامَةَ بْنِ شُفَىٍّ أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ “ وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ ”
উকবা ইবন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বারের উপর আসীন অবস্থায় আমি বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ তা’আলার বাণী “এবং তোমরা তাদের মুকাবিলায় শক্তি সঞ্চয় করে রাখো। ” জেনে রাখো, এ শক্তি হচ্ছে তীরন্দায়ী, জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দায়ী, জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দায়ী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪১
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ سَتُفْتَحُ عَلَيْكُمْ أَرَضُونَ وَيَكْفِيكُمُ اللَّهُ فَلاَ يَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَلْهُوَ بِأَسْهُمِهِ ” .
উকবা ইবন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমি বলতে শুনেছি, অচিরেই অনেক ভূ-খণ্ড তোমাদের পদানত হবে। আর শক্রদের মুকবিলায় আল্লাহই তোমাদের জন্যে যথেষ্ট হবেন। তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন তীর দ্বারা খেলার (তীরন্দায়ীর) অভ্যাস ত্যাগ না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪২
وَحَدَّثَنَاهُ دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْهَمْدَانِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
উকবা ইবন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উকবা ইব্ন আমির (রাঃ) এর বরাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شَمَاسَةَ، أَنَّ فُقَيْمًا اللَّخْمِيَّ، قَالَ لِعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ تَخْتَلِفُ بَيْنَ هَذَيْنِ الْغَرَضَيْنِ وَأَنْتَ كَبِيرٌ يَشُقُّ عَلَيْكَ . قَالَ عُقْبَةُ لَوْلاَ كَلاَمٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ أُعَانِهِ . قَالَ الْحَارِثُ فَقُلْتُ لاِبْنِ شُمَاسَةَ وَمَا ذَاكَ قَالَ إِنَّهُ قَالَ “ مَنْ عَلِمَ الرَّمْىَ ثُمَّ تَرَكَهُ فَلَيْسَ مِنَّا أَوْ قَدْ عَصَى ” .
ফুকায়ম লাখমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উকবা ইব্ন আমির (রাঃ)-কে বললেন, এই দুই লক্ষ্যস্থলের মধ্যে বারবার আনাগোনা করা এই বৃদ্ধ বয়সে নিশ্চয়ই আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে থাকবে। তিনি বললেন, আমি যদি একটি কথা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট থেকে না শুনতাম, তবে এ কষ্ট করতাম না। রাবী হারিছ বলেন, আমি ইব্ন শামাসাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, সে কথাটি কি? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি তীর পরিচালনা শিখলো তারপর তার অভ্যাস ছেড়ে দিল সে আমাদের (উম্মতের দলভুক্ত) নয়। অথবা তিনি বলেছেন, সে পাপ করলো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণীঃ আমার উম্মতের একদল লোক হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তাদের বিরোধিতা তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারবে না
৪৮৪৪
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ كَذَلِكَ ” . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ قُتَيْبَةَ ” وَهُمْ كَذَلِكَ ” .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ; আমার উন্মাতের একটি দল লোক সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত (অবিচল) থাকবে। তাদের সঙ্গ ত্যাগ করে কেউ তাদের কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। এমন কি এভাবে আল্লাহর আদেশ (অর্থাৎ কিয়ামত) এসে পড়বে আর তারা যেমনটি ছিল তেমনটিই থাকবে। কুতায়বা বর্ণিত হাদীসে “আর তারা তেমনি থাকবে” অংশটুকু নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدَةُ كِلاَهُمَا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ – عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لَنْ يَزَالَ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى النَّاسِ حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ ” .
মুগীরা ইবন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মাতের একদল লোক সর্বদাই মানব জাতির উপর বিজয়ী (প্রভাব বিস্তারকারী) থাকবে। এমন কি এভাবে তাদের কাছে আল্লাহর আদেশ এসে পড়বে, তাদের বিজয়ী থাকাবস্থায়ই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৬
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَرْوَانَ سَوَاءً .
সমস্যা? রিপোর্ট করুন!
মুগীরা ইবন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। মারওয়ানের হাদীসের সম্পূর্ণ অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ لَنْ يَبْرَحَ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا يُقَاتِلُ عَلَيْهِ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ” .
জাবির ইবন সামুরা (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন ; এ দ্বীন (ইসলাম) সর্বদা কায়েম থাকবে। মুসলমানদের একটি দল এর পক্ষে লড়তে থাকবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৮
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মাতের একটি জামাআত সর্বদাই সত্যের সপক্ষে লড়তে থাকবে, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত বিজয়ী (প্রভাবশালী) রূপে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৯
حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، بْنِ جَابِرٍ أَنَّ عُمَيْرَ بْنَ هَانِئٍ، حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ، عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي قَائِمَةً بِأَمْرِ اللَّهِ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ أَوْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ عَلَى النَّاسِ ” .
উমায়র ইবন হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুআবিয়া (রাঃ)-কে মিম্বরের উপর (আসীন অবস্থায়) বলতে শুনেছি “আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মাতের একটি জামাআত আল্লাহর আদেশের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যারা তাদের সঙ্গ (সহায়তা) ত্যাগ করবে বা বিরোধিতা করবে, তারা তাদের কোনই অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না। এভাবে আল্লাহর আদেশ (তথা কিয়ামত) এসে পড়বে আর তারা তখনও লোকের উপর বিজয়ী থাকবে। ”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫০
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، – وَهُوَ ابْنُ بُرْقَانَ – حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، ذَكَرَ حَدِيثًا رَوَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ أَسْمَعْهُ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى مِنْبَرِهِ حَدِيثًا غَيْرَهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَلاَ تَزَالُ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ عَلَى مَنْ نَاوَأَهُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
ইয়ামীদ ইবন আসান্ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মুআবিয়া ইব্ন আবূ সুফিয়ান (রাঃ)-কে এমন একটি হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যা ছাড়া নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বরাতে অন্য কোন হাদীস মিম্বরের উপর থেকে বলতে তাকে আমি শুনিনি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের ব্যুৎপত্তি (সমঝ) দিয়ে থাকেন এবং মুসলমানদের একটি দল সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে লড়াই করবে। যারা তাদের প্রতি বিরূপ ভাব পোষণ করবে অথবা তাদের বিরুদ্ধে থাকবে তারা তাদের উপর বিজয়ী থাকবে। কিয়ামত অবধি এভাবে চলতে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫১
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُمَاسَةَ الْمَهْرِيُّ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مَسْلَمَةَ بْنِ مُخَلَّدٍ وَعِنْدَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ عَلَى شِرَارِ الْخَلْقِ هُمْ شَرٌّ مِنْ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ لاَ يَدْعُونَ اللَّهَ بِشَىْءٍ إِلاَّ رَدَّهُ عَلَيْهِمْ . فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ أَقْبَلَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ فَقَالَ لَهُ مَسْلَمَةُ يَا عُقْبَةُ اسْمَعْ مَا يَقُولُ عَبْدُ اللَّهِ . فَقَالَ عُقْبَةُ هُوَ أَعْلَمُ وَأَمَّا أَنَا فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَزَالُ عِصَابَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى أَمْرِ اللَّهِ قَاهِرِينَ لِعَدُوِّهِمْ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ السَّاعَةُ وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ ” . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَجَلْ . ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ رِيحًا كَرِيحِ الْمِسْكِ مَسُّهَا مَسُّ الْحَرِيرِ فَلاَ تَتْرُكُ نَفْسًا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنَ الإِيمَانِ إِلاَّ قَبَضَتْهُ ثُمَّ يَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ عَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ .
আবদুর রাহমান ইবন শুমাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি মাসলামা ইব্ন মুখাল্লাদ (রাঃ)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, কিয়ামত কেবল তখনই কায়েম হবে যখন সৃষ্টির নিকৃষ্টতম লোকরা থাকবে, ওরা জাহিলিয়াত সম্প্রদায়ের লোকদের চাইতেও নিকৃষ্ট হবে। তারা আল্লাহর কাছে যে বস্তুর জন্যই দু’আ করবে তিনি তা প্রত্যাখান করবেন। তারা যখন এ আলোচনায় ছিলেন এমন সময় উকবা ইব্ন আমির (রাঃ) সেখানে এলেন। তখন মাসলামা (রাঃ) বললেন, হে উকবা, শুনুন, আবদুল্লাহ কি বলছেন? তখন উকবা (রাঃ) বললেন, তিনিই তা অধিক জানেন। তবে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মাতের একটি দল আল্লাহর বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে লড়ে যাবে। তারা তাদের শক্রদের মুকাবিলায় অত্যন্ত প্রতাপশালী হবে। যারা বিরোধিতা করবে, তারা তাদের কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। এভাবে চলতে চলতে তাদের নিকট কিয়ামত এসে যাবে আর তার এর উপরই প্রতিষ্ঠিত থাকবে। আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, হ্যা। তারপর আল্লাহ একটি বায়ু প্রবাহ প্রেরণ করবেন, সে বায়ু প্রবাহটি হবে কস্তূরীর সুঘ্ৰাণের ন্যায়। এবং তার পরশ হবে রেশমের পরশের মত। সে বায়ু এমন একটি লোককেও অবশিষ্ট রাখবে না যার অন্তরে একটি দানা পরিমাণ ঈমান থাকবে। তাদের সকলকে তা কবজ করে নেবে। তারপর কেবল নিকৃষ্ট লোকগুলোই বাকী থাকবে এবং তাদের উপরই কিয়ামত কায়েম হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَزَالُ أَهْلُ الْغَرْبِ ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ” .
সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পশ্চিম দেশীয়রা বরাবর হক্বের উপর বিজয়ী থাকবে কিয়ামাত পর্যন্ত। [৪২] (ই. ফা. ৪৮০৫, ই. সে. ৪৮০৬)
[৪২] অর্থাৎ আরব বা শামবাসী। (মুখতাসার শরহে মুসলিম লিন নাবাবী, ৫ম খন্ড, ১৮৫ পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪. অধ্যায়ঃ
সফরের সময় জীবজন্তুর সুবিধাদি লক্ষ্য করা ও পথে রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ হওয়া
৪৮৫৩
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا سَافَرْتُمْ فِي الْخِصْبِ فَأَعْطُوا الإِبِلَ حَظَّهَا مِنَ الأَرْضِ وَإِذَا سَافَرْتُمْ فِي السَّنَةِ فَأَسْرِعُوا عَلَيْهَا السَّيْرَ وَإِذَا عَرَّسْتُمْ بِاللَّيْلِ فَاجْتَنِبُوا الطَّرِيقَ فَإِنَّهَا مَأْوَى الْهَوَامِّ بِاللَّيْلِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা উর্বর ভূমি দিয়ে চলাচল করো তখন উটকে ভূমি থেকে তার পাওনা আদায় করতে দিও। আর যখন দুর্ভিক্ষগ্রস্থ ভূমি দিয়ে পথ অতিক্রম করো তখন তাড়াতাড়ি অতিক্রম করবে এবং যখন কোথাও রাত্রি যাপনের জন্য অবতরণ করবে, তখন রাস্তায় অবস্থান করবে না। কেননা তা হচ্ছে জন্তুদের রাতে চলার পথ এবং ছোট ছোট অনিষ্টকর প্রাণীদের রাত্রিকালীন আশ্রয়স্থল। (ই. ফা. ৪৮০৬, ই. সে. ৪৮০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا سَافَرْتُمْ فِي الْخِصْبِ فَأَعْطُوا الإِبِلَ حَظَّهَا مِنَ الأَرْضِ وَإِذَا سَافَرْتُمْ فِي السَّنَةِ فَبَادِرُوا بِهَا نِقَيَهَا وَإِذَا عَرَّسْتُمْ فَاجْتَنِبُوا الطَّرِيقَ فَإِنَّهَا طُرُقُ الدَّوَابِّ وَمَأْوَى الْهَوَامِّ بِاللَّيْلِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যখন উর্বর ভূমি দিয়ে পথ অতিক্রম কর, তখন উটকে ভূমি থেকে তার অংশ দাও (অর্থাৎ তাদেরকে কিছুক্ষণ বিচরণের জন্যে ছেড়ে দাও)। আর যখন দুর্ভিক্ষগ্রস্থ বা অনুর্বর ভূমি দিয়ে পথ অতিক্রম কর তখন তাড়াতাড়ি (তাদের চলার শক্তি বাকী থাকতে) তা অতিক্রম করে যাও। আর যখন রাত্রি যাপনের জন্য কোথাও অবতরণ কর, তখন পথ (তাঁবু খাটানো) থেকে সরে থাকবে। কেননা তা হচ্ছে জীবজন্তু ও সাপ বিচ্ছু ইত্যাদির রাত্রিবেলার আশ্রয়স্থল। (ই. ফা. ৪৮০৭, ই. সে. ৪৮০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৫. অধ্যায়ঃ
সফর কষ্টের একটা অংশ, প্রয়োজন সেরে মুসাফিরের তাড়াতাড়ি পরিজনদের কাছে ফিরে আসা মুস্তাহাব
৪৮৫৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، وَأَبُو مُصْعَبٍ الزُّهْرِيُّ وَمَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ قُلْتُ لِمَالِكٍ حَدَّثَكَ سُمَىٌّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنَ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ فَإِذَا قَضَى أَحَدُكُمْ نَهْمَتَهُ مِنْ وَجْهِهِ فَلْيُعَجِّلْ إِلَى أَهْلِهِ ” . قَالَ نَعَمْ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ সফর ক্লেশের অংশ, তা তোমাদের কোন ব্যাক্তির ঘুম ও পানাহারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং তোমাদের কাজ শেষ হয়ে গেলেই সে যেন দ্রুততার সাথে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যায়। রাবী ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) বলেন, আমি (রাবী) মালিককে বললাম, সুমাই কি আপনাকে আবূ হূরাইরাহ (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন? তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই. ফা. ৪৮০৮, ই. সে. ৪৮০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬. অধ্যায়ঃ
সফর থেকে রাতে অতর্কিতে ঘরে ফেরা মাকরূহ
৪৮৫৬
حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ إِسْحَاقَ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَطْرُقُ أَهْلَهُ لَيْلاً وَكَانَ يَأْتِيهِمْ غُدْوَةً أَوْ عَشِيَّةً
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো (গভীর) রাতে (সফর থেকে ঘরে) পরিবার-পরিজনের নিকট আসতেন না; বরং সকালে বা সন্ধ্যায় তাঁদের নিকট আসতেন। (ই. ফা. ৪৮০৯, ই. সে. ৪৮১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৭
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ لاَ يَدْخُلُ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, তবে এতে (আরবী) -এর স্থলে (আরবী) বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮১০, ই.সে. ৪৯১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৮
حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ ذَهَبْنَا لِنَدْخُلَ فَقَالَ “ أَمْهِلُوا حَتَّى نَدْخُلَ لَيْلاً – أَىْ عِشَاءً – كَىْ تَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ وَتَسْتَحِدَّ الْمُغِيبَةُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা এক অভিযানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- এর সঙ্গে ছিলাম। তারপর আমরা যখন মাদীনায় আসলাম এবং ঘরে ফিরতে উদ্যত হলাম তখন তিনি বললেন, একটু অপেক্ষা কর, আমরা রাতে বা সন্ধ্যায় বাড়ীতে প্রবেশ করবো এতে যাদের সহধর্মিণীদের চুল অবিন্যস্ত তারা নিজেদের চুল বিন্যস্ত করে নিবে এবং যাদের স্বামী প্রবাসে ছিল তারা গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করার অবকাশ পাবে। (ই.ফা. ৪৮১১, ই.সে. ৪৯১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا قَدِمَ أَحَدُكُمْ لَيْلاً فَلاَ يَأْتِيَنَّ أَهْلَهُ طُرُوقًا حَتَّى تَسْتَحِدَّ الْمُغِيبَةُ وَتَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি রাতের বেলা সফর থেকে ফিরে তখন সে যেন রাতের আগন্তুকের মতো অতর্কিতভাবে পরিবারবর্গের কাছে গিয়ে উপস্থিত না হয় যাতে দীর্ঘকাল অনুপস্থিত স্বামীর স্ত্রী তার গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করার এবং এলোমেলো চুলবিশিষ্টা নারী তার চুল বিন্যাস করার সুযোগ পায়। (ই.ফা. ৪৮১২, ই.সে. ৪৯১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬০
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
সাইয়্যার (রহঃ) হতে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৪৮১৩, ই.সে. ৪৯১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَطَالَ الرَّجُلُ الْغَيْبَةَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ طُرُوقًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি দীর্ঘ সফরের পর বাড়ী ফিরে তখন রাতের অপ্রত্যাশিত আগন্তুকের মতো পরিবারের নিকট উপস্থিত হতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮১৪, ই.সে. ৪৯১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬২
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪৮১৫, ই.সে. ৪৯১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَارِبٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَطْرُقَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ لَيْلاً يَتَخَوَّنُهُمْ أَوْ يَلْتَمِسُ عَثَرَاتِهِمْ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি রাতের বেলা অতর্কিত ঘরে ফিরে তার স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ পোষণ করতে কিংবা দোষ-ত্রুটি খোঁজ করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৪৮১৬, ই.সে. ৪৯১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৪
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ سُفْيَانُ لاَ أَدْرِي هَذَا فِي الْحَدِيثِ أَمْ لاَ . يَعْنِي أَنْ يَتَخَوَّنَهُمْ أَوْ يَلْتَمِسَ عَثَرَاتِهِمْ .
সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত হাদীস বর্ণিত। ‘আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, সুফইয়ান (রহঃ) বলেছেন, “তাদের প্রতি সন্দেহ পোষণ ও দোষ-ত্রুটি খোঁজা প্রসঙ্গটি” হাদীসে আছে কি-না তা আমার জানা নেই। (ই.ফা. ৪৮১৭, ই.সে. ৪৯১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৫
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَارِبٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِكَرَاهَةِ الطُّرُوقِ وَلَمْ يَذْكُرْ يَتَخَوَّنُهُمْ أَوْ يَلْتَمِسُ عَثَرَاتِهِمْ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে অতর্কিত রাত্রিতে ঘরে ফিরা মাকরূহ হওয়া সংক্রান্ত কথা রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি ” তাদের প্রতি সন্দেহ পোষণ ও দোষ-ত্রুটি খোঁজা “বাক্যটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪৮১৮, ই.সে. ৪৯১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস