মুসলিম ফিতনাসমুহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৭১২৭ – ৭২৩৩

১. অধ্যায়ঃ

ফিতনাসমূহ নিকটবর্তী হওয়া ও ইয়া’জূজ মা’জূজ-এর প্রাচীর খুলে যাওয়া

৭১২৭

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ، بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَيْقَظَ مِنْ نَوْمِهِ وَهُوَ يَقُولُ ‏”‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَعَقَدَ سُفْيَانُ بِيَدِهِ عَشَرَةً ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ ‏”‏ ‏.‏

যাইনাব বিনতু জাহ্‌শ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বললেনঃ ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’-এর নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত ফিতনায় আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়া’জূজ-মা’জূজ এর দেয়াল এতটুকু পরিমাণ খুলে গেছে। এ সময় সুফ্‌ইয়ান নিজ হাত দ্বারা [১0] দশের গিট বানালেন।

তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মাঝে নেক লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার অধিক পরিমাণে হবে। (ই.ফা. ৬৯৭১, ই.সে. ৭০২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১0] নিজ হাতের শাহাদাত ও বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা একত্র করে গোলাকার বানিয়ে দেখালেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১২৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، أَبِي عُمَرَ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَزَادُوا فِي الإِسْنَادِ عَنْ سُفْيَانَ، فَقَالُوا عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ حَبِيبَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، ‏.‏

যুহরী (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে তারা ……… অর্থাৎ সানাদে হাবীবার নাম অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৯৭২, ই.সে. ৭০৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১২৯

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ أَخْبَرَتْهَا أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَزِعًا مُحْمَرًّا وَجْهُهُ يَقُولُ ‏”‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَحَلَّقَ بِإِصْبَعِهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ ‏”‏ ‏.

নবী (সাঃ)-এর স্ত্রী যাইনাব বিনতু জাহ্শ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় বের হলেন। তখন তাঁর বারাকাতময় চেহারা লাল বর্ণ ধারণ করলো। তিনি বলছিলেন, ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’। আরব বিশ্বের আগত অকল্যাণের দরুন বড়ই পরিতাপ যা প্রায় ঘনিয়ে আসছে। আজ ইয়া’জূজ মা’জূজ এর প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এ সময় তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শাহাদাত আঙ্গুলির দ্বারা বেড় বানালেন।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সা)! আমাদের মাঝে অনেক সৎ লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে। (ই.ফা. ৬৯৭৩, ই.সে. ৭০৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩০

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ ‏.

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে ইউনুস (রহঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

যুহরী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৯৭৪, ই.সে. ৭০৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ، اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَعَقَدَ وُهَيْبٌ بِيَدِهِ تِسْعِينَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আজ ইয়া’জূজ ও মা’জূজ পরিবেষ্টিত প্রাচীর এ পরিমাণ উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এ সময় রাবী [উহায়ব (রহঃ)] নিজ হাতের দ্বারা নব্বই সংখ্যার গিরা বা বেড়ী তৈরি করে দেখালেন।

(ই.ফা. ৬৯৭৫, ই.সে. ৭০৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

বাইতুল্লাহ শরীফের দিকে (যুদ্ধ) অগ্রগামী সেনাদল মাটিতে ধ্বসে যাবে

৭১৩২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ ابْنِ الْقِبْطِيَّةِ، قَالَ دَخَلَ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ وَأَنَا مَعَهُمَا، عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فَسَأَلاَهَا عَنِ الْجَيْشِ الَّذِي يُخْسَفُ بِهِ وَكَانَ ذَلِكَ فِي أَيَّامِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَعُوذُ عَائِذٌ بِالْبَيْتِ فَيُبْعَثُ إِلَيْهِ بَعْثٌ فَإِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ خُسِفَ بِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ بِمَنْ كَانَ كَارِهًا قَالَ ‏”‏ يُخْسَفُ بِهِ مَعَهُمْ وَلَكِنَّهُ يُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى نِيَّتِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ هِيَ بَيْدَاءُ الْمَدِينَةِ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু কিব্তিয়্যাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হারিস ইবনু আবূ রাবী‘আহ্ এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু সুফ্ইয়ান (রহঃ) দু’জনেই উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে ছিলাম। তাঁরা তাকে ঐ বাহিনী সম্বন্ধে প্রশ্ন করলেন, যারা ভূমিতে ধ্বসে যাবে। তখন ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর খিলাফাতকাল ছিল। উত্তরে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জনৈক আশ্রয় গ্রহণকারী বাইতুল্লাহ শরীফে আশ্রয় গ্রহণ করবে। তখন তার বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করা হবে। তারা যখন “বাইদা” নামক এক মাঠে অবস্থান নিবে তখন তারা ভূমিতে ধ্বসে যাবে। এ কথা শুনে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! ঐ লোকের ব্যাপারে এ কি করে প্রযোজ্য হতে পারে যে অসন্তুষ্ট হৃদয়ে এ অভিযানে শামিল হয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন, তাদের সঙ্গে তাকে সহ ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। তবে কিয়ামাতের দিন তার উত্থান হবে স্বীয় নিয়্যাতের ভিত্তিতে।

বর্ণনাকারী আবূ জা‘ফার (রহঃ) বলেন, এ “বাইদা” হলো মাদীনার নিকটবর্তী স্থান। (ই.ফা. ৬৯৭৬, ই.সে. ৭০৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩৩

حَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِ قَالَ فَلَقِيتُ أَبَا جَعْفَرٍ فَقُلْتُ إِنَّهَا إِنَّمَا قَالَتْ بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ فَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ كَلاَّ وَاللَّهِ إِنَّهَا لَبَيْدَاءُ الْمَدِينَةِ ‏.

‘আবদুল ‘আযীয ইবনু রুফাই’ (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাতে আছে, আমি আবূ জা’ফার (রহঃ)-এর সঙ্গে দেখা করে বললাম, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) তো “বাইদা” নামক এক ময়দানের কথা বলেছেন। আবূ জা’ফার (রহঃ) বললেন, কক্ষনো নয়, আল্লাহর শপথ! এতো মাদীনার “বাইদা” মাঠ। (ই.ফা. ৬৯৭৭, ই.সে. ৭০৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩৪

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ صَفْوَانَ، سَمِعَ جَدَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ صَفْوَانَ، يَقُولُ أَخْبَرَتْنِي حَفْصَةُ، أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَيَؤُمَّنَّ هَذَا الْبَيْتَ جَيْشٌ يَغْزُونَهُ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ يُخْسَفُ بِأَوْسَطِهِمْ وَيُنَادِي أَوَّلُهُمْ آخِرَهُمْ ثُمَّ يُخْسَفُ بِهِمْ فَلاَ يَبْقَى إِلاَّ الشَّرِيدُ الَّذِي يُخْبِرُ عَنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَشْهَدُ عَلَيْكَ أَنَّكَ لَمْ تَكْذِبْ عَلَى حَفْصَةَ وَأَشْهَدُ عَلَى حَفْصَةَ أَنَّهَا لَمْ تَكْذِبْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

হাফসাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, একটি বাহিনী এ কা’বা গৃহের বিপক্ষে যুদ্ধ করার ইচ্ছা করবে। তারপর তারা যখন “বাইদা” নামক এক ময়দানে পদার্পণ করবে তখন তাদের মাঝের অংশটি ভূমিতে ধ্বসে যাবে। এ সময় অগ্রভাগের সৈন্যরা পশ্চাতের সৈন্যদেরকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকতে থাকবে। অতঃপর প্রত্যেকেই ভূমিতে ধ্বসে যাবে। বেঁচে যাওয়া একটি ব্যক্তি ছাড়া তাদের কেউ আর বাকী থাকবে না। সে-ই তাদের সম্বন্ধে অন্যদেরকে খবর দিবে। এ কথা শুনে এক লোক বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি হাফসাহ্ (রাঃ)-এর উপর মিথ্যারোপ করনি এবং হাফসাহ্ (রাঃ)-এর সম্বন্ধেও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনিও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর মিথ্যারোপ করেননি। (ই.ফা. ৬৯৭৮, ই.সে. ৭০৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩৫

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ، عَمْرٍو حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ سَيَعُوذُ بِهَذَا الْبَيْتِ – يَعْنِي الْكَعْبَةَ – قَوْمٌ لَيْسَتْ لَهُمْ مَنَعَةٌ وَلاَ عَدَدٌ وَلاَ عُدَّةٌ يُبْعَثُ إِلَيْهِمْ جَيْشٌ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ خُسِفَ بِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يُوسُفُ وَأَهْلُ الشَّأْمِ يَوْمَئِذٍ يَسِيرُونَ إِلَى مَكَّةَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ أَمَا وَاللَّهِ مَا هُوَ بِهَذَا الْجَيْشِ ‏.‏ قَالَ زَيْدٌ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ الْعَامِرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنِ الْحَارِثِ، بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكٍ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْجَيْشَ الَّذِي ذَكَرَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ ‏.‏

উম্মুল মু’মিনীন হাফসাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন সম্প্রদায় এ গৃহ তথা কা‘বার দায়িত্ব গ্রহণ করবে, যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে না, থাকবে না তার উল্লেখযোগ্য সৈন্য সংখ্যা এবং থাকবে না তাদের আসবাব-সামগ্রী। তাদের বিপক্ষে একটি সৈন্যদল পাঠানো হবে। তারা উদ্ভিদ শূন্য এক ময়দানে আসতেই তাদেরকে ভূমিতে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে।

বর্ণনাকারী ইউসুফ (রহঃ) বলেন, এ সময় সিরিয়াবাসীরা মাক্কাবাসীদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য আসছিল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাফওয়ান (রহঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! তারা এ সৈন্যবাহিনী নয়।

বর্ণনাকারী যায়দ (রহঃ) উম্মুল মু’মিনীন থেকে ইউসুফ ইবনু মাহিক-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাফ্ওয়ান (রহঃ) যে সৈন্যদলের কথা বর্ণনা করেছেন তিনি সে বাহিনীর কথা বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৬৯৭৯, ই.সে. ৭০৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ، الْحُدَّانِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ عَبِثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَنَامِهِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ صَنَعْتَ شَيْئًا فِي مَنَامِكَ لَمْ تَكُنْ تَفْعَلُهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ الْعَجَبُ إِنَّ نَاسًا مِنْ أُمَّتِي يَؤُمُّونَ بِالْبَيْتِ بِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ لَجَأَ بِالْبَيْتِ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالْبَيْدَاءِ خُسِفَ بِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الطَّرِيقَ قَدْ يَجْمَعُ النَّاسَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ فِيهِمُ الْمُسْتَبْصِرُ وَالْمَجْبُورُ وَابْنُ السَّبِيلِ يَهْلِكُونَ مَهْلَكًا وَاحِدًا وَيَصْدُرُونَ مَصَادِرَ شَتَّى يَبْعَثُهُمُ اللَّهُ عَلَى نِيَّاتِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় হাত পা নাড়ালেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আজ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আপনি এমন আচরণ করেছেন, যা আগে আপনি কখনো করেননি। তিনি বললেনঃ আশ্চর্যের বিষয় এই যে, কুরায়শ বংশীয় জনৈক লোক বাইতুল্লাহ শরীফে আশ্রয় গ্রহণ করবে। তার কারণে আমার উম্মাতের একদল লোক বাইতুল্লাহর উপর আক্রমণের ইচ্ছা করবে। তারা রওনা হয়ে গাছপালাশূন্য মায়দানে আসতেই তাদের ভূমিতে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। এ কথা শুনে আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিভিন্ন ধরনের মানুষই তো রাস্তা দিয়ে চলে। উত্তরে তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদের মাঝে কেউ তা স্বেচ্ছায় আগমনকারী, কেউ অপারগ, আবার কেউ পথিক মুসাফির। তারা সবাই এক সঙ্গেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে বিভিন্ন মিল্লাতের অনুসারী হিসেবে তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তাদের নিয়্যাতের ভিত্তিতে উত্থিত করবেন। (ই.ফা. ৬৯৮০, ই.সে. ৭০৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

বৃষ্টি বর্ষণের মতো বিপদাপদ পতিত হওয়া

৭১৩৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَشْرَفَ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى إِنِّي لأَرَى مَوَاقِعَ الْفِتَنِ خِلاَلَ بُيُوتِكُمْ كَمَوَاقِعِ الْقَطْرِ ‏”‏ ‏.‏

উসামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনার সুউচ্চ এক অট্টালিকার উপর আরোহী হয়ে বললেন, আমি যা কিছু দেখি তোমরা কি তা দেখছ? আমি তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টিপাতের মতো দুর্যোগ নিপতিত হবার স্থানসমূহ দেখতে পাচ্ছি। [১১] (ই.ফা. ৬৯৮১, ই.সে. ৭০৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১১] এটা নাবী (সাঃ)-এর বিশেষ মু‘জিযা। তিনি (সাঃ) অদূর ভবিষ্যতে কিয়ামাতের নিকটবর্তী সময়ে এ পৃথিবীতে কি ধরনের, কত প্রকারের ফিত্‌নাহ্ আসবে তা প্রত্যক্ষ করে সে কথা বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩৮

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণিতে আছে। (ই.ফা. ৬৯৮২, ই.সে. ৭০৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৩৯

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَالْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ، الآخَرَانِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ حَدَّثَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ سَتَكُونُ فِتَنٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي مَنْ تَشَرَّفَ لَهَا تَسْتَشْرِفُهُ وَمَنْ وَجَدَ فِيهَا مَلْجَأً فَلْيَعُذْ بِهِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, যা উপবিষ্ট ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি তখন চলমান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর চলমান ব্যক্তি তখন দ্রুতগামী ব্যক্তি হতে ভাল থাকবে। যে ব্যক্তি সে ফিতনায় যখন জড়িয়ে পড়বে তাকে সে ফিতনা ধ্বংস করে দিবে। আর যে ব্যক্তি কোন আশ্রয়স্থল পাবে, তার সেটা দ্বারা আশ্রয় নেয়া বাঞ্ছনীয়।

(ই.ফা. ৬৯৮৩, ই.সে. ৭০৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪০

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَالْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ، الآخَرَانِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُطِيعِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، ‏.‏ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا إِلاَّ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، يَزِيدُ ‏ “‏ مِنَ الصَّلاَةِ صَلاَةٌ مَنْ فَاتَتْهُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ ‏”‏ ‏.‏

নাওফাল ইবনু মু‘আবিয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর এ হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আবূ বকর (রাঃ) এতে সলাতের কথা বর্ধিত উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সলাতসমূহের মধ্যে এমন একটি সলাত আছে যার সে সলাত ছুটে গেল তার যেন পরিবার-পরিজন ও সমুদয় ধন-সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল। [১২] (ই.ফা. ৬৯৮৪, ই.সে. ৭০৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪১

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَكُونُ فِتْنَةٌ النَّائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْيَقْظَانِ وَالْيَقْظَانُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي فَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَسْتَعِذْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অচিরেই ফিতনা দেখা দিবে। তখন ঘুমন্ত লোক জাগ্রত লোক থেকে ভাল থাকবে। আর জাগ্রত ব্যক্তি তখন দাঁড়ানো ব্যক্তি থেকে ভাল থাকবে এবং দণ্ডায়মান লোক দ্রুতগামী লোক হতে ভাল থাকবে। তখন যদি কোন লোক আশ্রয়স্থল অথবা মুক্তস্থান পায় তবে তাতে তার আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত। (ই.ফা. ৬৯৮৫, ই.সে. ৭০৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪২

حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، الشَّحَّامُ قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَفَرْقَدٌ السَّبَخِيُّ، إِلَى مُسْلِمِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ فِي أَرْضِهِ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ فَقُلْنَا هَلْ سَمِعْتَ أَبَاكَ يُحَدِّثُ فِي الْفِتَنِ حَدِيثًا قَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يُحَدِّثُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ أَلاَ ثُمَّ تَكُونُ فِتْنَةٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي فِيهَا وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي إِلَيْهَا أَلاَ فَإِذَا نَزَلَتْ أَوْ وَقَعَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ إِبِلٌ وَلاَ غَنَمٌ وَلاَ أَرْضٌ قَالَ ‏”‏ يَعْمِدُ إِلَى سَيْفِهِ فَيَدُقُّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ ثُمَّ لْيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أُكْرِهْتُ حَتَّى يُنْطَلَقَ بِي إِلَى أَحَدِ الصَّفَّيْنِ أَوْ إِحْدَى الْفِئَتَيْنِ فَضَرَبَنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ أَوْ يَجِيءُ سَهْمٌ فَيَقْتُلُنِي قَالَ ‏”‏ يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

‘উসমান আশ্ শাহ্‌হাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুসলিম ইবনু আবূ বকরাহ্ (রহঃ) তার স্বীয় ভূমিতে ছিলেন। এমতাবস্থায় আমি ও ফারকাদ সাবাখী তার নিকট গেলাম এবং তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি আপনার আব্বাকে বিপদাপদ সম্পর্কে কোন হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমি আবূ বকরাহ্ (রহঃ)-কে এ কথা বর্ণনা করতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচিরেই দুর্যোগ দেখা দিবে। সাবধান, সেখানে ফিতনা দেখা দিবে। তখন বসে থাকা লোক চলমান লোক থেকে নিরাপদ থাকবে। আর চলমান লোক তখন দ্রুতগামী লোক হতে ভাল থাকবে। সাবধান যখন ফিতনা আপতিত হবে অথবা সংঘটিত হবে, এমতাবস্থায় যে ব্যক্তি উটের মালিক সে তার উট নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। আর যার বকরী আছে সে তার বকরী নিয়ে ব্যস্ত থাকুক এবং যার জমিন আছে সে তার জমিন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকুক। এ কথা শুনে তখন জনৈক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যার উট, বকরী ও জমিন কিছুই নেই, সে কি করবে? জবাবে তিনি বললেন, সে তার তরবারি হাতে ধারণ করতঃ প্রস্তরাঘাতে সেটার ধারালো তীক্ষ্ন অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে। অতঃপর সে নিরাপদে থাকা সম্ভব হলে নিরাপদে থাকুক। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এ সময় জনৈক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যদি চাপ সৃষ্টি করে দু’সারির কোন একটিতে অথবা দু’দলের কোন এক দলে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়, আর কোন এক লোক তার তরবারি দিয়ে আমাকে আঘাত করে বা তীর এসে আমার গায়ে লাগে এবং আমাকে সে মেরে ফেলে, তবে আমার অবস্থা কি হবে? উত্তরে তিনি বললেন, তবে সে তার এবং তোমার পাপের বোঝা বহন করবে এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামে পতিত হবে। (ই.ফা. ৬৯৮৬, ই.সে. ৭০৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ عُثْمَانَ الشَّحَّامِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ حَدِيثُ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادٍ إِلَى آخِرِهِ وَانْتَهَى حَدِيثُ وَكِيعٍ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏ “‏ إِنِ اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.

‘উসমান আশ্ শাহ্‌হাম (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবূ ‘আদী (রহঃ)-এর হাদীসটি হাম্মাদ-এর হাদীসের অবিকল শেষ পর্যন্ত বর্ণিত আছে। কিন্তু ……………….. অর্থাৎ “নিরাপদে থাকা সম্ভব হলে নিরাপদে থাকুক” পর্যন্ত ওয়াকী’ (রহঃ)-এর হাদীসটি সমাপ্ত হয়েছে। এর পরবর্তী অংশটি তিনি আর বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৬৯৮৭, ই.সে. ৭০৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

দু’জন মুসলিম যখন তরবারিসহ পরস্পর মুখোমুখি হয়

৭১৪৪

حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ خَرَجْتُ وَأَنَا أُرِيدُ، هَذَا الرَّجُلَ فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ يَا أَحْنَفُ قَالَ قُلْتُ أُرِيدُ نَصْرَ ابْنِ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي عَلِيًّا – قَالَ فَقَالَ لِي يَا أَحْنَفُ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ أَوْ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏”‏ إِنَّهُ قَدْ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ ‏”‏ ‏.

আহনাফ ইবনু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি বের হলাম। এ লোকটিকে সহযোগিতা করা আমার অভিপ্রায় ছিল। এমন সময় আবূ বকরাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলো। তখন তিনি বললেন, হে আহ্নাফ! তুমি কোথায় যেতে চাচ্ছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচাত ভাই ‘আলী (রাঃ)-কে সহযোগিতা করার জন্য আমি যেতে চাচ্ছি। আহ্নাফ (রাঃ) বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, হে আহ্নাফ! চলে যাও। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি এ কথা বলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলিম তরবারি নিয়ে পরস্পর যুদ্ধ করে তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি দু’জনেই জাহান্নামী হবে। এ কথা শুনে আমি বললাম অথবা বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! হত্যাকারীর অবস্থা তো এ-ই, তবে নিহত ব্যক্তির অপরাধ কি? জবাবে তিনি বললেন, সে তার সাথীকে হত্যা করার প্রচেষ্টায় জড়িয়ে ছিল। (ই.ফা. ৬৯৮৮, ই.সে. ৭০৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪৫

وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ، وَالْمُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.

আবূ বাকরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি দু’জন মুসলিম তরবারি নিয়ে পরস্পর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তবে হত্যাকারী ও নিহত দু’ ব্যক্তিই জাহান্নামী হবে। (ই.ফা. ৬৯৮৯, ই.সে. ৭০৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪৬

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، مِنْ كِتَابِهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي كَامِلٍ عَنْ حَمَّادٍ، إِلَى آخِرِهِ ‏.‏

আইয়ূব (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আবূ কামিল-এর সানাদে হাম্মাদ-এর বর্ণিত হাদীসের অবিকল শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৯৯০, ই.সে. ৭০৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا الْمُسْلِمَانِ حَمَلَ أَحَدُهُمَا عَلَى أَخِيهِ السِّلاَحَ فَهُمَا فِي جُرُفِ جَهَنَّمَ فَإِذَا قَتَلَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ دَخَلاَهَا جَمِيعًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাকরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যদি দু’জন মুসলিমের একজন তার অন্য ভাইয়ের উপর অস্ত্র ধারণ করে তবে তারা দু’জনেই জাহান্নামের প্রান্তে এসে উপনীত হয়। তারপর যখন তাদের একজন অন্য সাথীকে হত্যা করে ফেলে, তখন তারা উভয়েই জাহান্নামে প্রবেশ করে। (ই.ফা. ৬৯৯১, ই.সে. ৭০৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ وَتَكُونُ بَيْنَهُمَا مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ وَدَعْوَاهُمَا وَاحِدَةٌ ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে এই যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত ঐ পর্যন্ত কায়িম হবে না, যে পর্যন্ত না দু’টি বড় দল পরস্পর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হবে। অথচ তাদের উভয়ের দাবী হবে একই। (ই.ফা. ৬৯৯২, ই.সে. ৭০৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৪৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَكْثُرَ الْهَرْجُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا الْهَرْجُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الْقَتْلُ الْقَتْلُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামাত ততক্ষণ পর্যন্ত কায়িম হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ‘হার্জ’ বেড়ে যায়। সহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! ‘হার্জ’ কি? উত্তরে তিনি বললেন, হত্যা, হত্যা। (ই.ফা. ৬৯৯৩, ই.সে. ৭০৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

এ উম্মাতের এক অংশ অন্য অংশ দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়া

৭১৫০

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَبْيَضَ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي أَنْ لاَ يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَأَنْ لاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَإِنَّ رَبِّي قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لاَ يُرَدُّ وَإِنِّي أَعْطَيْتُكَ لأُمَّتِكَ أَنْ لاَ أُهْلِكَهُمْ بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَأَنْ لاَ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ يَسْتَبِيحُ بَيْضَتَهُمْ وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بِأَقْطَارِهَا – أَوْ قَالَ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا – حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا وَيَسْبِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا ‏”‏ ‏.‏

সাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা গোটা পৃথিবীকে সংকুচিত করে আমার সম্মুখে রেখে দিলেন। অতঃপর আমি এর পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেছি। পৃথিবীর যে অংশটুকু গুটিয়ে আমার সম্মুখে রাখা হয়েছিল সে পর্যন্ত আমার উম্মাতের কর্তৃত্ব পৌঁছবে। আমাকে লাল (স্বর্ণ) ও সাদা (রৌপ্য) দু’প্রকারের গুপ্তধন দেয়া হয়েছে। আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার রবের কাছে এ দু’আ করেছি, যেন তিনি তাদেরকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন এবং যেন তিনি তাদের উপর নিজেদের ছাড়া এমন কোন শত্রুকে চাপিয়ে না দেন যারা তাদের দলকে ভেঙ্গে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিবে। এ কথা শুনে আমার পালনকর্তা বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি যা সিদ্ধান্ত করি তা কখনো পরিবর্তন হয় না, আমি তোমার দু‘আ কবূল করেছি। আমি তোমার উম্মাতকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করব না এবং তাদের উপর তাদের নিজেদের ছাড়া অন্য এমন কোন শত্রুকে চাপিয়ে দেব না যারা তাদের সমষ্টিকে বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোক একত্রিত হয়ে প্রচেষ্টা করে না কেন। তবে মুসলিমগণ নিজের মধ্যে পরস্পর একে অপরকে হত্যা করবে এবং একে অপরকে বন্দী করবে। [১৩] (ই.ফা. ৬৯৯৪, ই.সে. ৭০৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩] উম্মাতে মুহাম্মাদের মধ্যে পূর্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত উম্মাতসমূহের ধ্বংস হবার সমস্ত কারণ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এ উম্মাতকে ধ্বংস না করার কারণ নাবী (সা)-এর উক্ত দু’আ এবং মহান আল্লাহ কর্তৃক সে দু’আ কবূলের ঘোষণা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫১

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى زَوَى لِيَ الأَرْضَ حَتَّى رَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَأَعْطَانِي الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَبْيَضَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ ‏.

সাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পৃথিবীকে গুটিয়ে আল্লাহ তা‘আলা আমার সম্মুখে উপস্থিত করলেন। আমি এর পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত দেখে নিলাম, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে লাল (স্বর্ণ) ও সাদা (রৌপ্য) দু’টি ধন-ভাণ্ডার দান করেছেন। অতঃপর কাতাদাহ্ (রহঃ) আইয়ূব-এর সূত্রে আবূ কিলাবাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৯৯৫, ই.সে. ৭০৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْبَلَ ذَاتَ يَوْمٍ مِنَ الْعَالِيَةِ حَتَّى إِذَا مَرَّ بِمَسْجِدِ بَنِي مُعَاوِيَةَ دَخَلَ فَرَكَعَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّيْنَا مَعَهُ وَدَعَا رَبَّهُ طَوِيلاً ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَيْنَا فَقَالَ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ سَأَلْتُ رَبِّي ثَلاَثًا فَأَعْطَانِي ثِنْتَيْنِ وَمَنَعَنِي وَاحِدَةً سَأَلْتُ رَبِّي أَنْ لاَ يُهْلِكَ أُمَّتِي بِالسَّنَةِ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُهْلِكَ أُمَّتِي بِالْغَرَقِ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يَجْعَلَ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ فَمَنَعَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

সা‘দ (রাযিঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা ‘আলিয়াহ্ হতে এসে বানূ মু‘আবিয়ায় অবস্থিত মাসজিদের সন্নিকটে গেলেন। অতঃপর তিনি উক্ত মাসজিদে প্রবেশ করে দু’রাক‘আত সলাত আদায় করলেন। আমরাও তাঁর সাথে সলাত আদায় করলাম। এ সময় তিনি তাঁর প্রতিপালকের নিকট দীর্ঘ সময় দু’আ করলেন এবং দু’আ শেষে আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন। তারপর তিনি বললেন, আমি আমার প্রতিপালকের কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেছি। তন্মধ্যে তিনি আমাকে দু‘টি প্রদান করেছেন এবং একটি প্রদান করেননি। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করেছিলাম, যেন তিনি আমার উম্মাতকে দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন। তিনি আমার এ দু‘আ কবূল করেছেন। তাঁর নিকট এ-ও প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমার উম্মাতকে পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস না করেন। তিনি আমার এ দু’আও কবূল করেছেন। আমি তাঁর নিকট এ মর্মেও দু’আ করেছিলাম যে, যেন মুসলিমরা পরস্পর একে অপরের বিপক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে। তিনি আমার এ দু’আ কবূল করেননি। (ই.ফা. ৬৯৯৬, ই.সে. ৭০৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫৩

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ الأَنْصَارِيُّ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَقْبَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَمَرَّ بِمَسْجِدِ بَنِي مُعَاوِيَةَ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ ‏.

‘আমির ইবনু সা‘দ (রাযিঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সহাবাদের একটি দলের মাঝে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কোথাও থেকে আসলেন। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানূ মু‘আবিয়ায় অবস্থিত মাসজিদের কাছে গেলেন। অতঃপর তিনি ইবনু নুমায়র-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৯৯৭, ই.সে. ৭০৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নাবী (সাঃ)-এর সংবাদ প্রদান

৭১৫৪

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، كَانَ يَقُولُ قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ وَمَا بِي إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسَرَّ إِلَىَّ فِي ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يُحَدِّثْهُ غَيْرِي وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُ مَجْلِسًا أَنَا فِيهِ عَنِ الْفِتَنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَعُدُّ الْفِتَنَ ‏ “‏ مِنْهُنَّ ثَلاَثٌ لاَ يَكَدْنَ يَذَرْنَ شَيْئًا وَمِنْهُنَّ فِتَنٌ كَرِيَاحِ الصَّيْفِ مِنْهَا صِغَارٌ وَمِنْهَا كِبَارٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حُذَيْفَةُ فَذَهَبَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ كُلُّهُمْ غَيْرِي ‏.

আবূ ইদরীস খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) বলেন, আমার ও কিয়ামাতের মধ্যবর্তী সময়ের মাঝে ঘটমান বিপদাপদ সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত। বস্তুতঃ বিষয়টি এমন নয় যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্যদের কাছে বর্ণনা না করে শুধুমাত্র আমার কাছেই এ ব্যাপারটি বর্ণনা করেছেন। তবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। এতে তিনি ফিতনার ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করছিলেন। আর এগুলোর তিনটি এমন, যা কোন কিছু্কেই ছাড় দিবে না। এর কিছু সংখ্যক গ্রীষ্মের ঝাঞ্ঝা বায়ুর মতো। আবার কিছু সংখ্যক ছোট এবং কিছু সংখ্যক বড়।

হুযাইফাহ্ (রাঃ) বলেন, উক্ত মাজলিসে উপস্থিত লোকদের মধ্যে আমি ছাড়া প্রত্যেকেই এ দুনিয়া হতে চির বিদায় নিয়েছেন। (ই.ফা. ৬৯৯৮, ই.সে. ৭০৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫৫

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَامًا مَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ حَدَّثَ بِهِ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ قَدْ عَلِمَهُ أَصْحَابِي هَؤُلاَءِ وَإِنَّهُ لَيَكُونُ مِنْهُ الشَّىْءُ قَدْ نَسِيتُهُ فَأَرَاهُ فَأَذْكُرُهُ كَمَا يَذْكُرُ الرَّجُلُ وَجْهَ الرَّجُلِ إِذَا غَابَ عَنْهُ ثُمَّ إِذَا رَآهُ عَرَفَهُ ‏.‏

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে কিয়ামাত পর্যন্ত যা কিছু হবে, সকল বিষয় ফিতনার কথা বর্ণনা করলেন। তারপর যে স্মরণ রাখবার সে স্মরণ রাখল এবং যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেল। তিনি বলেন, আমার এ সঙ্গীগণ জানেন যে, তন্মধ্যে কতক বিষয় এমন আছে, যা আমি ভুলে গেছি। কিন্তু সেটা সংঘটিত হতে দেখে আমার তা আবার মনে পড়ে যায়। যেরূপ কোন লোক দূরে চলে গেলে তার চেহারার কথা মানুষ ভুলে যায়। অতঃপর তাকে দেখে সে চিনে নেয়। [১৪] (ই.ফা. ৬৯৯৯, ই.সে. ৭০৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪] এ হাদীস থেকে এ কথা বুঝার কোন সুযোগ নেই যে, নাবী মুহাম্মাদ (সা) গায়ব জানতেন। বরং নবী (সাঃ) কর্তৃক বর্ণিত শারী’আতের প্রতিটি কথা ওয়াহীভিত্তিক এবং সে রকম একটি ওয়াহিভিত্তিক কথা যে, মানুষ কিয়ামাতের পূর্ব পর্যন্ত কি কি মুসীবাতের সম্মুখীন হবে সেটা তিনি ওয়াহীর মাধ্যমে আগেই জেনে উম্মাতকে জানিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫৬

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏

আ‘মাশ (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অর্থাৎ “যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে” পর্যন্ত অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসের পরবর্তী অংশটুকু সুফইয়ান (রহঃ) বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৭০০০, ই.সে. ৭০৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ، بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى أَنْ تَقُومَ السَّاعَةُ فَمَا مِنْهُ شَىْءٌ إِلاَّ قَدْ سَأَلْتُهُ إِلاَّ أَنِّي لَمْ أَسْأَلْهُ مَا يُخْرِجُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ مِنَ الْمَدِينَةِ

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কিয়ামাত পর্যন্ত ঘটমান সমূদয় ফিতনা সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন। ফিতনা সম্পর্কীয় কতক বিষয় সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি। তবে মাদীনাবাসীকে কোন্ কারণে মাদীনাহ্ হতে বের করা হবে সে সম্পর্কে আমি তাঁকে প্রশ্ন করিনি। (ই.ফা. ৭০০১, ই.সে. ৭০৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৭০০২, ই.সে. ৭০৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৫৯

وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، – قَالَ حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، – أَخْبَرَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ، أَخْبَرَنَا عِلْبَاءُ بْنُ أَحْمَرَ، حَدَّثَنِي أَبُو زَيْدٍ، – يَعْنِي عَمْرَو بْنَ أَخْطَبَ – قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْفَجْرَ وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى حَضَرَتِ الظُّهْرُ فَنَزَلَ فَصَلَّى ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى حَضَرَتِ الْعَصْرُ ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ فَأَخْبَرَنَا بِمَا كَانَ وَبِمَا هُوَ كَائِنٌ فَأَعْلَمُنَا أَحْفَظُنَا ‏.‏

আবূ যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে ফজরের সলাত আদায় করলেন। তারপর মিম্বারে আরোহণ করে ভাষণ দিলেন। পরিশেষে যুহরের সলাতের সময় উপস্থিত হলে তিনি মিম্বার হতে নেমে সলাত আদায় করলেন। তারপর পুনরায় মিম্বারে উঠে তিনি ভাষণ দিলেন। এবার আসরের সলাতের ওয়াক্ত হলে তিনি মিম্বার থেকে নেমে সলাত আদায় করে পুনরায় মিম্বারে উঠলেন এবং আমাদেরকে লক্ষ্য করে খুতবাহ্ দিলেন, এমনকি সূর্যাস্ত হয়ে গেল, এ ভাষনে তিনি আমাদেরকে পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে ইত্যকার সম্বন্ধে সংবাদ দিলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, যে লোক এ কথাগুলো সর্বাধিক মনে রেখেছেন আমাদের মধ্যে এ সম্বন্ধে তিনিই সবচেয়ে বেশী জানেন। (ই.ফা. ৭০০৩, ই.সে. ৭০৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

সমুদ্রের তরঙ্গের মতো যে ফিতনা তরঙ্গায়িত হবে

৭১৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي، مُعَاوِيَةَ قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ كَمَا قَالَ قَالَ فَقُلْتُ أَنَا ‏.‏ قَالَ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ وَكَيْفَ قَالَ قَالَ قُلْتُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَنَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ يُكَفِّرُهَا الصِّيَامُ وَالصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ لَيْسَ هَذَا أُرِيدُ إِنَّمَا أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ – قَالَ – فَقُلْتُ مَا لَكَ وَلَهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا قَالَ أَفَيُكْسَرُ الْبَابُ أَمْ يُفْتَحُ قَالَ قُلْتُ لاَ بَلْ يُكْسَرُ ‏.‏ قَالَ ذَلِكَ أَحْرَى أَنْ لاَ يُغْلَقَ أَبَدًا ‏.‏ قَالَ فَقُلْنَا لِحُذَيْفَةَ هَلْ كَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ مَنِ الْبَابُ قَالَ نَعَمْ كَمَا يَعْلَمُ أَنَّ دُونَ غَدٍ اللَّيْلَةَ إِنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ ‏.‏ قَالَ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ مَنِ الْبَابُ فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ سَلْهُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ عُمَرُ ‏.‏

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় তিনি বললেন, ফিতনা বিষয়ক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী তোমাদের কার মনে আছে? আমি বললাম, আমার মনে আছে। এ কথা শুনে তিনি বললেন, ব্যস! তুমি তো খুব সাহসী। তিনি কি বলেছেন, বলো? তারপর আমি বললাম, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, স্বীয় নাফ্স, সন্তান-সন্ততি এবং প্রতিবেশীর ব্যাপারে মানুষ যে ফিতনায় জড়িত হয়, তার সিয়াম, সলাত, সদাকাহ্ এবং সৎকার্যের আদেশ ও অসৎকার্যে বাধা দানই হলো এগুলোর জন্য কাফ্ফারাহ্। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি তো এ ফিতনার ব্যাপারে শুনতে চাইনি। বরং সমুদ্রের তরঙ্গমালার মতো যে ফিতনা নিপতিত হতে থাকবে, আমি তো শুধু তাই শুনতে চেয়েছি। তখন আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ ফিতনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক, এতে আপনার উদ্দেশ্য কি? এ ফিতনা ও আপনার মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার অন্তরায় রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করলেন, এ দ্বার কি ভাঙ্গা হবে, না খোলা হবে? আমি বললাম, না, ভাঙ্গা হবে না, বরং খোলা হবে। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) বললেন, তবে তো তা আর কক্ষনো বন্ধ হবে না। বর্ণনাকারী শাকীক (রহঃ) বলেন, আমরা হুযাইফাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, কে সে দ্বার, ‘উমার (রাঃ) তা কি জানতেন? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগামী দিনের পর রাত্র, এ কথাটি যেমন জানতেন, ঠিক তদ্রূপ ঐ বিষয়টিও তিনি জানতেন।

হুযাইফাহ্ (রাঃ) বলনে, আমি তাঁকে ভুল হাদীস শুনাইনি। শাকীক (রহঃ) বলেন, কে সে দরজা, এ বিষয়ে হুযাইফাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করতে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম। তাই আমরা মাসরূক (রহঃ)-কে বললাম, আপনি তাঁকে প্রশ্ন করুন।

তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন। হুযাইফাহ্ (রাঃ) বললেন, এ দরজা হচ্ছে স্বয়ং ‘উমার (রাঃ)। (ই.ফা. ৭০০৪, ই.সে. ৭০৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَفِي حَدِيثِ عِيسَى عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، يَقُولُ ‏.‏

আ‘মাশ (রাযিঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আবূ মু‘আবিয়ার অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে ‘ঈসা (রহঃ)-এর সানাদে শাকীক (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেছেন, আমি হুযাইফাহ্ (রাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি। (ই.ফা. ৭০০৫, ই.সে. ৭০৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬২

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ عُمَرُ مَنْ يُحَدِّثُنَا عَنِ الْفِتْنَةِ، وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ، بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) বললেন, ফিতনা সম্পর্কীয় হাদীস আমাকে কে শুনাতে পারবে? তারপর সুফ্ইয়ান (রহঃ) পূর্ববর্তীদের হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০০৬, ই.সে. ৭০৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ، عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ جُنْدُبٌ جِئْتُ يَوْمَ الْجَرَعَةِ فَإِذَا رَجُلٌ جَالِسٌ فَقُلْتُ لَيُهَرَاقَنَّ الْيَوْمَ هَا هُنَا دِمَاءٌ ‏.‏ فَقَالَ ذَاكَ الرَّجُلُ كَلاَّ وَاللَّهِ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ ‏.‏ قَالَ كَلاَّ وَاللَّهِ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ ‏.‏ قَالَ كَلاَّ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَحَدِيثُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنِيهِ ‏.‏ قُلْتُ بِئْسَ الْجَلِيسُ لِي أَنْتَ مُنْذُ الْيَوْمِ تَسْمَعُنِي أُخَالِفُكَ وَقَدْ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ تَنْهَانِي ثُمَّ قُلْتُ مَا هَذَا الْغَضَبُ فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهِ وَأَسْأَلُهُ فَإِذَا الرَّجُلُ حُذَيْفَةُ ‏.‏

মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জুনদুব (রাঃ) বললেন, আমি জারা‘আয় (কূফার সন্নিকটবর্তী একটি স্থানে) আসলাম। দেখলাম এক লোক বসে আছে। আমি বললাম, আজ তো এখানে কয়েকটি খুন হবে। এ কথা শুনে লোকটি বলল, কক্ষনো না। আল্লাহর শপথ! খুন হবে না। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! অবশ্যই খুন হবে। সে আবারো বলল, আল্লাহর শপথ! খুন কক্ষনো হবে না। এ ব্যাপারে আমি একটি হাদীস শুনেছি, যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। আমি বললাম, আজ থেকে তুমি আমার একজন অপ্রীতিকর সঙ্গী। কারণ তুমি শুনতে পাচ্ছ যে, আমি তোমার বিরুদ্ধাচারণ করছি। অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস শুনা সত্ত্বেও তুমি আমাকে নিষেধ করছ না। তারপর আমি বললাম, এ অসন্তুষ্টির কি কারণ? তাই আমি তার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং তাকে প্রশ্ন করলাম পরে জানতে পেলাম, তিনি হলেন হুযাইফাহ্ (রাঃ)। (ই.ফা. ৭০০৭, ই.সে. ৭০৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত ফুরাত তার মধ্যস্থিত পাহাড়সম স্বর্ণ উন্মোচন না করে

৭১৬৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَحْسِرَ الْفُرَاتُ عَنْ جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ يَقْتَتِلُ النَّاسُ عَلَيْهِ فَيُقْتَلُ مِنْ كُلِّ مِائَةٍ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ وَيَقُولُ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ لَعَلِّي أَكُونُ أَنَا الَّذِي أَنْجُو ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামাত সংঘটিত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না ফুরাত তার মধ্যস্থিত স্বর্ণের পাহাড় বের করে দেয়। লোকেরা এ নিয়ে যুদ্ধ করবে এবং একশতের মধ্যে নিরানব্বই জন মৃত্যুবরণ করবে। তাদের সকলেই বলবে, আমার মনে হয় আমি জীবন্ত থাকব। (ই.ফা. ৭০০৮, ই.সে. ৭০৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬৫

وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَزَادَ فَقَالَ أَبِي إِنْ رَأَيْتَهُ فَلاَ تَقْرَبَنَّهُ ‏.‏

সুহায়ল (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এতে বর্ধিত বর্ণনা করেছেন যে, আমার পিতা বলেছেন, যদি তোমরা ঐ পাহাড় দেখো তবে তোমরা এর নিকটেও যেও না। (ই.ফা. ৭০০৯, ই.সে. ৭০৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬৬

حَدَّثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ، سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ السَّكُونِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُوشِكُ الْفُرَاتُ أَنْ يَحْسِرَ عَنْ كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍ فَمَنْ حَضَرَهُ فَلاَ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শীঘ্রই ফুরাত তার গর্ভস্থিত স্বর্ণভাণ্ডার বের করে দিবে। সুতরাং এ সময় যারা উপস্থিত থাকবে তারা যেন এ থেকে কিছুই গ্রহণ না করে। (ই.ফা. ৭০১০, ই.সে. ৭০৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬৭

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُوشِكُ الْفُرَاتُ أَنْ يَحْسِرَ عَنْ جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ فَمَنْ حَضَرَهُ فَلاَ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শীঘ্রই ফুরাত তার গর্ভস্থিত পাহাড়সম স্বর্ণ বের করে দিবে। তাই এ সময় যারা সমুপস্থিত থাকবে তারা যেন এ থেকে কিছুই গ্রহণ না করে। (ই.ফে. ৭০১১, ই. সে. ৭০৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ وَأَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي مَعْنٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، قَالَ كُنْتُ وَاقِفًا مَعَ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ فَقَالَ لاَ يَزَالُ النَّاسُ مُخْتَلِفَةً أَعْنَاقُهُمْ فِي طَلَبِ الدُّنْيَا ‏.‏ قُلْتُ أَجَلْ ‏.‏ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ يُوشِكُ الْفُرَاتُ أَنْ يَحْسِرَ عَنْ جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ فَإِذَا سَمِعَ بِهِ النَّاسُ سَارُوا إِلَيْهِ فَيَقُولُ مَنْ عِنْدَهُ لَئِنْ تَرَكْنَا النَّاسَ يَأْخُذُونَ مِنْهُ لَيُذْهَبَنَّ بِهِ كُلِّهِ قَالَ فَيَقْتَتِلُونَ عَلَيْهِ فَيُقْتَلُ مِنْ كُلِّ مِائَةٍ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو كَامِلٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ وَقَفْتُ أَنَا وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ فِي ظِلِّ أُجُمِ حَسَّانَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু নাওফাল (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তিনি বললেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করতঃ মানুষ জাগতিক সম্পদ উপার্জনের কাজে সর্বদা নিয়োজিত থাকবে। আমি বললাম, হ্যাঁ, ঠিকই। তখন তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, শীঘ্রই ফুরাত তার গর্ভস্থিত স্বর্ণসম পর্বত বের করে দিবে। এ কথা শুনামাত্রই লোকজন সেদিকে চলতে রওনা হবে। সেখানকার লোকেরা বলবে, আমরা যদি লোকদেরকে ছেড়ে দেই তবে তারা সমস্ত কিছুই নিয়ে চলে যাবে। এ নিয়ে তারা পরস্পর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে এবং এতে একশতের মধ্যে নিরানব্বই জন লোকই নিহত হবে।

বর্ণনাকারী আবূ কামিল (রহঃ) তার হাদীস উল্লেখ করেছেন যে, আমি এবং উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) হাস্‌সান-এর কিল্লার ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম (ই.ফা. ৭০১২, ই.সে. ৭০৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৬৯

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِعُبَيْدٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ مَوْلَى خَالِدِ بْنِ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنَعَتِ الْعِرَاقُ دِرْهَمَهَا وَقَفِيزَهَا وَمَنَعَتِ الشَّأْمُ مُدْيَهَا وَدِينَارَهَا وَمَنَعَتْ مِصْرُ إِرْدَبَّهَا وَدِينَارَهَا وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ ‏”‏ ‏.‏ شَهِدَ عَلَى ذَلِكَ لَحْمُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَدَمُهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইরাক তার রৌপ্য মুদ্রা এবং কাফীয দিতে বারণ করবে। সিরিয়াও তার মুদ এবং স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানাবে। অনুরূপভাবে মিসরও তাদের আরদাব এবং স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানাবে। পরিশেষে তোমরা পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে, তোমরা পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে, তোমরা পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে। এ কথার প্রতি আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ)-এর রক্ত-গোশ্‌ত সাক্ষ্য দিচ্ছে। (ই.ফা. ৭০১৩, ই.সে. ৭০৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

কুস্তনতিনিয়া (ইস্তাম্বুলের একটি শহর) বিজয়, দাজ্জালের আগমন এবং ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম (আ 🙂 –এর অবতরণ

৭১৭০

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَنْزِلَ الرُّومُ بِالأَعْمَاقِ أَوْ بِدَابِقَ فَيَخْرُجُ إِلَيْهِمْ جَيْشٌ مِنَ الْمَدِينَةِ مِنْ خِيَارِ أَهْلِ الأَرْضِ يَوْمَئِذٍ فَإِذَا تَصَافُّوا قَالَتِ الرُّومُ خَلُّوا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الَّذِينَ سَبَوْا مِنَّا نُقَاتِلْهُمْ ‏.‏ فَيَقُولُ الْمُسْلِمُونَ لاَ وَاللَّهِ لاَ نُخَلِّي بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ إِخْوَانِنَا ‏.‏ فَيُقَاتِلُونَهُمْ فَيَنْهَزِمُ ثُلُثٌ لاَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ أَبَدًا وَيُقْتَلُ ثُلُثُهُمْ أَفْضَلُ الشُّهَدَاءِ عِنْدَ اللَّهِ وَيَفْتَتِحُ الثُّلُثُ لاَ يُفْتَنُونَ أَبَدًا فَيَفْتَتِحُونَ قُسْطُنْطِينِيَّةَ فَبَيْنَمَا هُمْ يَقْتَسِمُونَ الْغَنَائِمَ قَدْ عَلَّقُوا سُيُوفَهُمْ بِالزَّيْتُونِ إِذْ صَاحَ فِيهِمُ الشَّيْطَانُ إِنَّ الْمَسِيحَ قَدْ خَلَفَكُمْ فِي أَهْلِيكُمْ ‏.‏ فَيَخْرُجُونَ وَذَلِكَ بَاطِلٌ فَإِذَا جَاءُوا الشَّأْمَ خَرَجَ فَبَيْنَمَا هُمْ يُعِدُّونَ لِلْقِتَالِ يُسَوُّونَ الصُّفُوفَ إِذْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَيَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ فَأَمَّهُمْ فَإِذَا رَآهُ عَدُوُّ اللَّهِ ذَابَ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ فَلَوْ تَرَكَهُ لاَنْذَابَ حَتَّى يَهْلِكَ وَلَكِنْ يَقْتُلُهُ اللَّهُ بِيَدِهِ فَيُرِيهِمْ دَمَهُ فِي حَرْبَتِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না রোমীয় (সিরিয়ার অন্তর্গত) সেনাবাহিনী আ‘মাক অথবা দাবিক নহরের কাছে অবতীর্ণ হবে। তখন তাদের মুকাবিলায় মাদীনাহ্‌ হতে এ দুনিয়ার সর্বোত্তম মানুষেরর এক দল সৈন্য বের হবে। তারপর উভয় দল সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হবার পর রোমীয়গণ বলবে, তোমরা ঐ সমস্ত লোকেদের থেকে পৃথক হয়ে যাও, যারা আমাদের লোকেদেরকে বন্দী করেছে। আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করব। তখন মুসলিমগণ বলবে, আল্লাহর শপথ! আমরা আমাদের ভাইদের থেকে কক্ষনো সম্পর্কচ্ছেদ করব না। পরিশেষে তাদের পরস্পর যুদ্ধ হবে। এ যুদ্ধে মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশ সৈন্য পলায়নপর হবে। আল্লাহ তা‘আলা কক্ষনো তাদের তাওবাহ্‌ গ্রহণ করবেন না। সৈন্যদের এক তৃতীয়াংশ নিহত হবে এবং তারা হবে আল্লাহর কাছে শহীদানের মাঝে সর্বোত্তম শাহীদ। আর সৈন্যদের অপর তৃতীয়াংশ বিজয়ী হবে। জীবনে আর কক্ষনো তারা ফিত্‌নায় আক্রান্ত হবে না। তারাই কুস্তুনতিনিয়া বিজয় করবে। তারা নিজেদের তালোয়ার যাইতুন বৃক্ষে লটকিয়ে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ভাগ করতে থাকবে। এমতাবস্থায় তদের মধ্যে শাইতান উচ্চৈঃস্বরে বলতে থাকবে, দাজ্জাল তোমাদের পেছনে তোমাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে চলে এসেছে। এ কথা শুনে মুসলিমরা সেখান থেকে বের হবে। অথচ এ ছিল মিথ্যা সংবাদ। তারা যখন সিরিয়া পৌঁছবে তখন দাজ্জালের আগমন ঘটবে। যখন মুসলিম বাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে এবং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান হতে শুরু করা মাত্র সলাতের সময় হবে। অতঃপর ‘ঈসা (‘আঃ) অবতরণ করবেন এবং সলাতে তাদের ইমামাত করবেন। আল্লাহর শত্রু তাকে দেখামাত্রই বিচলিত হয়ে যাবে যেমন লবণ পাণিতে মিশে যায়। যদি ‘ঈসা (‘আঃ) তাকে এমনিই ছেড়ে দেন তবে সেও নিজে নিজেই বিগলিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। অবশ্য আল্লাহ তা‘আলা ‘ঈসা (‘আঃ)-এর হাতে তাকে হত্যা করবেন এবং তার রক্ত ‘ঈসা (‘আঃ)-এর বর্শাতে তিনি তাদেরকে দেখিয়ে দিবেন। (ই.ফা. ৭০১৪, ই.সে. ৭০৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

রোমীয়রা সংখ্যাধিক্য হলে কিয়ামত সংঘটিত হবে

৭১৭১

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ الْمُسْتَوْرِدُ الْقُرَشِيُّ عِنْدَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ تَقُومُ السَّاعَةُ وَالرُّومُ أَكْثَرُ النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو أَبْصِرْ مَا تَقُولُ ‏.‏ قَالَ أَقُولُ مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ إِنَّ فِيهِمْ لَخِصَالاً أَرْبَعًا إِنَّهُمْ لأَحْلَمُ النَّاسِ عِنْدَ فِتْنَةٍ وَأَسْرَعُهُمْ إِفَاقَةً بَعْدَ مُصِيبَةٍ وَأَوْشَكُهُمْ كَرَّةً بَعْدَ فَرَّةٍ وَخَيْرُهُمْ لِمِسْكِينٍ وَيَتِيمٍ وَضَعِيفٍ وَخَامِسَةٌ حَسَنَةٌ جَمِيلَةٌ وَأَمْنَعُهُمْ مِنْ ظُلْمِ الْمُلُوكِ ‏.‏

মুসতাওরিদ আল কুরাশী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ)-এর নিকট বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, রোমীয়দের সংখ্যা যখন সবচেয়ে বেশী হবে তখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। এ কথা শুনা মাত্র ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) তাকে বললেন, কি বলছ, চিন্তা-ভাবনা করে বলো। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে যা শুনেছি আমি তাই বর্ণনা করছি। তারপর ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) বললেন, তুমি যদি বলো, তবে সত্যই বলছ। কেননা তাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে। প্রথমতঃ ফিত্‌নার সময় তারা সবচেয়ে বেশী ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে থাকে। দ্বিতীয়তঃ মুসীবাতের পর দ্রুত তাদের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে। তৃতীয়তঃ যুদ্ধু থেকে পলায়নের পর সর্বপ্রথম তারা আক্রমণ করতে সক্ষম হয় এবং, চতুর্থতঃ মিস্‌কীন, ইয়াতীম ও দুর্বলের জন্য তারা সবচেয়ে বেশী শুভাকাঙ্ক্ষী। অতঃপর পঞ্চমতঃ সুন্দর গুণটি হলো এই যে, তারা শাসকবর্গের অত্যাচারকে অধিক প্রতিহত করে। (ই.ফা. ৭০১৫, ই.সে. ৭০৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৭২

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ، أَنَّ عَبْدَ الْكَرِيمِ بْنَ الْحَارِثِ، حَدَّثَهُ أَنَّ الْمُسْتَوْرِدَ الْقُرَشِيَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ تَقُومُ السَّاعَةُ وَالرُّومُ أَكْثَرُ النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَبَلَغَ ذَلِكَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فَقَالَ مَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تُذْكَرُ عَنْكَ أَنَّكَ تَقُولُهَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ الْمُسْتَوْرِدُ قُلْتُ الَّذِي سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَالَ عَمْرٌو لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ إِنَّهُمْ لأَحْلَمُ النَّاسِ عِنْدَ فِتْنَةٍ وَأَجْبَرُ النَّاسِ عِنْدَ مُصِيبَةٍ وَخَيْرُ النَّاسِ لِمَسَاكِينِهِمْ وَضُعَفَائِهِمْ ‏.‏

মুসতাওরিদ আল কুরাশী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, যখন রোমীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী হবে তখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। এ খবর ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ)-এর কাছে পৌঁছার পর তিনি বললেন, এ কোন্‌ ধরনের হাদীস, যে সম্পর্কে লোকেরা বলছে যে, এ নাকি তুমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করছ? উত্তরে মুস্‌তাওরিদ (রাঃ) তাকে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যা শুনেছি আমি তাই বলছি। একথা শুনে ‘আম্‌র (রাঃ) বললেন, তুমি যদি বলে থাকো তা ঠিকই আছে। কেননা তারা ফিত্‌নার সময় সবচেয়ে বেশী ধৈর্য ধারণ করে এবং মুসীবাতের পর আবার দ্রুত তাদের স্বাভাবিক অবস্থাই ফিরে আসে। তারা সর্বদা মিস্‌কীন এবং অক্ষম মানুষের জন্য অধিক শুভাকাঙ্ক্ষী। (ই.ফা. ৭০১৬, ই.সে. ৭০৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

দাজ্জালের আবির্ভাবের সময় রোমীয়দের অধিক পরিমাণে যুদ্ধে অগ্রগামী হওয়া

৭১৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، الْعَدَوِيِّ عَنْ يُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ هَاجَتْ رِيحٌ حَمْرَاءُ بِالْكُوفَةِ فَجَاءَ رَجُلٌ لَيْسَ لَهُ هِجِّيرَى إِلاَّ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ جَاءَتِ السَّاعَةُ ‏.‏ قَالَ فَقَعَدَ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَقَالَ إِنَّ السَّاعَةَ لاَ تَقُومُ حَتَّى لاَ يُقْسَمَ مِيرَاثٌ وَلاَ يُفْرَحَ بِغَنِيمَةٍ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا – وَنَحَّاهَا نَحْوَ الشَّأْمِ – فَقَالَ عَدُوٌّ يَجْمَعُونَ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ وَيَجْمَعُ لَهُمْ أَهْلُ الإِسْلاَمِ ‏.‏ قُلْتُ الرُّومَ تَعْنِي قَالَ نَعَمْ وَتَكُونُ عِنْدَ ذَاكُمُ الْقِتَالِ رَدَّةٌ شَدِيدَةٌ فَيَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُونَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلاَّ غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُونَ حَتَّى يَحْجُزَ بَيْنَهُمُ اللَّيْلُ فَيَفِيءُ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ ثُمَّ يَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُونَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلاَّ غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُونَ حَتَّى يَحْجُزَ بَيْنَهُمُ اللَّيْلُ فَيَفِيءُ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ ثُمَّ يَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُونَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلاَّ غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُونَ حَتَّى يُمْسُوا فَيَفِيءُ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الرَّابِعِ نَهَدَ إِلَيْهِمْ بَقِيَّةُ أَهْلِ الإِسْلاَمِ فَيَجْعَلُ اللَّهُ الدَّبْرَةَ عَلَيْهِمْ فَيَقْتُلُونَ مَقْتَلَةً – إِمَّا قَالَ لاَ يُرَى مِثْلُهَا وَإِمَّا قَالَ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا – حَتَّى إِنَّ الطَّائِرَ لَيَمُرُّ بِجَنَبَاتِهِمْ فَمَا يُخَلِّفُهُمْ حَتَّى يَخِرَّ مَيْتًا فَيَتَعَادُّ بَنُو الأَبِ كَانُوا مِائَةً فَلاَ يَجِدُونَهُ بَقِيَ مِنْهُمْ إِلاَّ الرَّجُلُ الْوَاحِدُ فَبِأَىِّ غَنِيمَةٍ يُفْرَحُ أَوْ أَىُّ مِيرَاثٍ يُقَاسَمُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعُوا بِبَأْسٍ هُوَ أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ فَجَاءَهُمُ الصَّرِيخُ إِنَّ الدَّجَّالَ قَدْ خَلَفَهُمْ فِي ذَرَارِيِّهِمْ فَيَرْفُضُونَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ وَيُقْبِلُونَ فَيَبْعَثُونَ عَشَرَةَ فَوَارِسَ طَلِيعَةً ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي لأَعْرِفُ أَسْمَاءَهُمْ وَأَسْمَاءَ آبَائِهِمْ وَأَلْوَانَ خُيُولِهِمْ هُمْ خَيْرُ فَوَارِسَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ يَوْمَئِذٍ أَوْ مِنْ خَيْرِ فَوَارِسَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ يَوْمَئِذٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ ‏.‏

ইউসায়র ইবনু জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার কূফা নগরীতে লাল ঝঞ্ঝা বিশিষ্ট বায়ু প্রবাহিত হলো। এমন সময় জনৈক লোক কূফায় এসে বলল যে, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ! সতর্ক হও, কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না উত্তরাধিকার সম্পদ অবণ্টিত থাকবে এবং যতক্ষণ না মানুষেরা গনীমাতের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ না করবে। তারপর তিনি নিজ হাত দ্বারা সিরিয়ার প্রতি ইশারা করে বললেন, আল্লাহর শত্রুরা একত্রিত হবে মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য এবং মুসলিমগণও তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য একত্রিত হবে। এ কথা শ্রবণে আমি বললাম, আল্লাহর শত্রু বলে আপনাদের উদ্দেশ্য হলো রোমীয় (খ্রীষ্টান) সম্প্রদায়। তিনি বললেন, হ্যাঁ! এবং তখন ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তখন মুসলিম জাতি একটি দল অগ্রে প্রেরণ করবে, তারা মৃত্যুর জন্য সম্মুখে এগিয়ে যাবে। বিজয় অর্জন করা ছাড়া তারা প্রত্যাবর্তন করবে না। এরপর পরস্পর তাদের মধ্যে যুদ্ধ হবে। যুদ্ধ করতে করতে রাত্রি অতিবাহিত হয়ে যাবে। তারপর দু‘ পক্ষের সৈন্য জয়লাভ করা ছাড়াই ফিরে চলে যাবে। যুদ্ধের জন্য মুসলিমদের যে দলটি এগিয়ে গিয়েছিল তারা প্রত্যেকেই মৃতুবরণ করবে। অতঃপর পরবর্তী দিন মুসলিমগণ মৃতুর জন্য অপর একটি দল সামনে পাঠাবে। তারা সবাই মৃতুবরণ করবে। অতঃপর পরবর্তী দিন মুসলিমগণ মৃতুর জন্য অপর একটি দল সামনে পাঠাবে। তারা বিজয়ী না হয়ে ফিরবে না। এদিনও পরস্পরের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ হবে। পরিশেষে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। উভয় বাহিনী বিজয়লাভ করা ছড়াই স্বীয় শিবিরে প্রত্যাবর্তন করবে। যে দলটি সামনে ছিল তারা সরে যাবে। অতঃপর তৃতীয় দিন আবার মুসলিমগণ মৃতু বা বিজয়ের উদ্দেশে অপর একটি বাহিনী পাঠাবে। এ যুদ্ধ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকবে। পরিশেষে বিজয়লাভ করা ছাড়াই উভয় বাহিনী প্রত্যাবর্তন করবে। তবে মুসলিম বাহীনীর সামনের সেনাদলটি শাহীদ হয়ে যাবে। তারপর যুদ্ধের চতুর্থ দিনে অবশিষ্ট মুসলিমগণ সকলেই যুদ্ধের জন্য সামনে এগিয়ে যাবে। সে দিন কাফিরদের উপর আল্লাহ ত‘আলা অকল্যাণ চক্র চাপিয়ে দিবেন। তারপর এমন যুদ্ধ হবে যা জীবনে কেউ দেখবে না অথবা জীবনে কেউ দেখেনি। পরিশেষে তাদের শরীরের উপর পাখী উড়তে থাকবে। পাখী তাদেরকে অতিক্রম করবে না; এমতাবস্থায় তা মাটিতে পড়ে নিহত হবে। একশ’ মানুষ বিশিষ্ট গোত্রে, মাত্র এক লোক বেঁচে থাকবে। এমন সময় কেমন করে গনীমাতের সম্পদ নিয়ে লোকেরা আনন্দোৎসব করবে এবং কেমন করে উত্তরাধিকার সম্পদ ভাগ করা হবে। এমতাবস্থায় মুসলিমগণ আরেকটি ভয়ানক বিপদের খবর শুনতে পাবে এবং এ মর্মে একটি শব্দ তাদের কাছে পৌঁছবে যে, দাজ্জাল তাদের পেছনে তাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে চলে এসেছে। এ সংবাদ শুনতেই তারা হাতের সমস্ত কিছু ফেলে দিয়ে রওনা হয়ে যাবে এবং দশজন অশ্বারোহী ব্যক্তিকে সংবাদ সংগ্রাহক দল হিসেবে প্রেরণ করবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, দাজ্জালের খবর সংগ্রাহক দলের প্রতিটি লোকের নাম, তাদের বাপ-দাদার এবং তাদের ঘোড়ার রং সম্পর্কেও জ্ঞাত আছি। এ পৃথিবীর সর্বোত্তম অশ্বারোহী দল সেদিন তারাই হবে।

ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) তাঁর রিওয়ায়াতের মধ্যে (আরবী আছে)-এর স্থলে (আরবী আছে) উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ জাবির-এর ছেলের নাম ইউসায়র-এর স্থলে উসায়র বলেছেন। (ই.ফা. ৭০১৭, ই.সে. ৭০৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৭৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ، هِلاَلٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ يُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ مَسْعُودٍ فَهَبَّتْ رِيحٌ حَمْرَاءُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنُ عُلَيَّةَ أَتَمُّ وَأَشْبَعُ ‏.‏

ইউসায়র ইবনু জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু মাস‘উদ (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন লাল রক্তিম ঝঞ্ঝা বিশিষ্ট বায়ু প্রবাহিত হলো। তারপর তিনি পূর্বের মতো অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনু ‘উলাইয়্যার হাদীসটি পরিপূর্ণ এবং প্রশান্তিদায়ক। (ই.ফা. ৭০১৮, ই.সে. ৭০৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৭৫

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، – يَعْنِي ابْنَ هِلاَلٍ – عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ كُنْتُ فِي بَيْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَالْبَيْتُ مَلآنُ – قَالَ – فَهَاجَتْ رِيحٌ حَمْرَاءُ بِالْكُوفَةِ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ ‏.

উসায়র ইবনু জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ)-এর গৃহে ছিলাম। গৃহটি তখন লোকে লোকারণ্য ছিল। ইবনু উসায়র-এর ন্যায় তিনিও বললেন, তখন কূফা নগরীতে লাল রক্তিম ঝঞ্ঝা বিশিষ্ট বায়ু প্রবাহিত হলো। (ই.ফা. ৭০১৯, ই.সে. ৭০৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

দাজ্জালের আগমনের পূর্বে মুসলিমগণ যে সকল বিজয় অর্জন করবে

৭১৭৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُتْبَةَ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ – قَالَ – فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَوْمٌ مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ عَلَيْهِمْ ثِيَابُ الصُّوفِ فَوَافَقُوهُ عِنْدَ أَكَمَةٍ فَإِنَّهُمْ لَقِيَامٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ – قَالَ – فَقَالَتْ لِي نَفْسِي ائْتِهِمْ فَقُمْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ لاَ يَغْتَالُونَهُ – قَالَ – ثُمَّ قُلْتُ لَعَلَّهُ نَجِيٌّ مَعَهُمْ ‏.‏ فَأَتَيْتُهُمْ فَقُمْتُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ – قَالَ – فَحَفِظْتُ مِنْهُ أَرْبَعَ كَلِمَاتٍ أَعُدُّهُنَّ فِي يَدِي قَالَ ‏ “‏ تَغْزُونَ جَزِيرَةَ الْعَرَبِ فَيَفْتَحُهَا اللَّهُ ثُمَّ فَارِسَ فَيَفْتَحُهَا اللَّهُ ثُمَّ تَغْزُونَ الرُّومَ فَيَفْتَحُهَا اللَّهُ ثُمَّ تَغْزُونَ الدَّجَّالَ فَيَفْتَحُهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ نَافِعٌ يَا جَابِرُ لاَ نَرَى الدَّجَّالَ يَخْرُجُ حَتَّى تُفْتَحَ الرُّومُ ‏.‏

নাফি’ ইবনু ‘উত্‌বাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন পশ্চিম দিক হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এক দল লোক আসলো। তাদের শরীরে ছিল পশমের কাপড়। তারা এক টিলার কাছে এসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে দেখা করল। এ সময় তারা ছিল দাঁড়ানো এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন বসাবস্থায়। তখন আমার মন আমাকে বলল, তুমি যাও এবং তাদের ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাঝে গিয়ে দাঁড়াও, যেন তারা প্রতারণা করে তাকে হত্যা করতে না পারে। আবার আমার মনে হলো, সম্ভবতঃ তিনি তাদের সঙ্গে কোন গোপন আলাপরত আছেন। তথাপিও আমি গেলাম এবং তাদের ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাঝে দাঁড়িয়ে রইলাম। এমন সময় আমি তাঁর থেকে চারটি কথা আয়ত্ত করলাম এবং তা আমার হাত দ্বারাই গণনা করলাম। তিনি বললেন, তোমরা জাযিরাতুল আরবে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তা বিজিত করে দিবেন। অতঃপর পারস্যবাসীদের সঙ্গে লড়াই করবে, আল্লাহ তাও তোমাদের আয়ত্তে এনে দিবেন। এরপর রোমীয়দের সঙ্গে লড়াই করবে, আল্লাহ তা‘আলা এতেও তোমাদের বিজয় দান করবেন। পরিশেষে তোমরা দাজ্জালের সঙ্গে লড়াই করবে, এখানেও আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন।

বর্ণনাকারী নাফি‘ (রহঃ) বলেন, হে জাবির! আমাদের মনে হয় রোম বিজিতের পর দাজ্জালের আগমন ঘটবে। (ই.ফা. ৭০২০, ই.সে. ৭০৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ

কিয়ামতের আগে যেসব নিদর্শন দৃশ্য হবে

৭১৭৭

حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ فُرَاتٍ، الْقَزَّازِ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ اطَّلَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ فَقَالَ ‏”‏ مَا تَذَاكَرُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَذْكُرُ السَّاعَةَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صلى الله عليه وسلم وَيَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلاَثَةَ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ ‏.

হুযাইফাহ্‌ ইবনু আসীদ আল গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমরা (বিভিন্ন বিষয়ে) আলোচনা করছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন এবং প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি বিষয়ে আলোচনা করছ? উত্তরে তাঁরা বললেন, আমরা কিয়ামতের ব্যাপারে আলোচনা করছি। এ কথা শুনে তিনি বললেন, ততক্ষন পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষন না তোমরা দশটি বিশেষ আলামত দেখবে।

তারপর তিনি ধুম্র, দজ্জাল, দাব্বা, পশ্চিমাকাশ হতে সূর্যোদয় হওয়া, মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা (‘আঃ)-এর অবতরণ, ইয়া‘জূজ মা‘জূজ এবং তিনবার ভূখণ্ড ধ্বসে যাওয়া তথা পূর্ব দিকে ভূখণ্ড ধ্বস, পশ্চিম দিকে ভূখণ্ড ধ্বস এবং আরব উপদ্বীপে ভূখণ্ড ধ্বসের কথা বর্ণনা করলেন। এ আলামতসমূহের পর এক অগ্নুৎপাতের প্রকাশিত হবে, যা তাদেরকে ইয়ামান থেকে হাশরের মাঠ পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। (ই.ফা. ৭০২১, ই.সে. ৭০৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৭৮

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ، حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي غُرْفَةٍ وَنَحْنُ أَسْفَلَ مِنْهُ فَاطَّلَعَ إِلَيْنَا فَقَالَ ‏”‏ مَا تَذْكُرُونَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا السَّاعَةَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ السَّاعَةَ لاَ تَكُونُ حَتَّى تَكُونَ عَشْرُ آيَاتٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ فِي جَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَالدُّخَانُ وَالدَّجَّالُ وَدَابَّةُ الأَرْضِ وَيَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَطُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنَارٌ تَخْرُجُ مِنْ قُعْرَةِ عَدَنٍ تَرْحَلُ النَّاسَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ ‏.‏ مِثْلَ ذَلِكَ لاَ يَذْكُرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ أَحَدُهُمَا فِي الْعَاشِرَةِ نُزُولُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ الآخَرُ وَرِيحٌ تُلْقِي النَّاسَ فِي الْبَحْرِ ‏.‏

আবূ সারীহাহ্‌ হুযাইফাহ্‌ ইবনু আসীদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় কক্ষে ছিলেন। আর আমরা তাঁর নীচে বসে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি আমাদের নিকট আসলেন এবং প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি বিষয়ে আলোচনা করছিলে। আমরা বললাম, কিয়ামত সম্বন্ধে কথা বলছিলাম। এ কথা শুনে তিনি বললেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত কায়িম হবে না যতক্ষন না দশটি আলামত প্রকাশিত হবে। পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তে ভূখণ্ড ধ্বস, পশ্চিমপ্রান্তে ভূখণ্ড ধ্বস, আরব উপদ্বীপে ভূখণ্ড ধ্বস, ধূয়া ছড়িয়ে পড়া, দাজ্জালের বহিঃপ্রকাশ, দাব্বাতুল আর্‌য প্রকাশ পাওয়া, ইয়া‘জূজ-মা‘জূজ বের হওয়া, পশ্চিমপ্রান্ত হতে সূর্যোদয় হওয়া এবং সর্বশেষ “আদ্‌ন” দেশের প্রান্ত হতে আগুন উত্থিত হবে যা লোকেদেরকে তাড়িয়ে এক স্থানে একত্রিত করবে।

শু‘বাহ্‌ (রহঃ) বলেন, এ বর্ণনায় দশম আলামতের কথা নেই। তবে অন্য বর্ণনাই দশম আলামত হিসেবে কোথাও ‘ঈসা (‘আঃ)-এর অবতরণের কথা উল্লেখ রয়েছে, আবার কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সর্বশেষ এমন দমকা হাওয়া প্রবাহিত হবে, যা মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। (ই.ফা. ৭০২২, ই.সে. ৭০৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৭৯

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غُرْفَةٍ وَنَحْنُ تَحْتَهَا نَتَحَدَّثُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَأَحْسِبُهُ قَالَ تَنْزِلُ مَعَهُمْ إِذَا نَزَلُوا وَتَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ قَالَ أَحَدُ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ نُزُولُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَقَالَ الآخَرُ رِيحٌ تُلْقِيهِمْ فِي الْبَحْرِ ‏.

আবূ সারীহাহ্‌(রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক গৃহের ভিতর ছিলেন। আমরা তার নীচে বসা ছিলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী হাদীসটি পূর্বের অবিকল বর্ণনা করেছেন।

শু‘বাহ্‌ (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেনঃ তারা যেখানে অবতরণ করবে আগুনও সেখানে অবতরণ করবে এবং তারা যেখানে দ্বিপ্রহরে কাইলূলা করবে আগুনও সেখানে তাদের সাথে থাকবে।

বর্ণনাকারী শু‘বাহ্‌ (রহঃ) বলেন, এক লোক আবূ সারীহার এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। তবে মারফু‘ হিসেবে তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি। এতে জনৈক লোক বলেছেন, দশম নিদর্শনটি হলো, ‘ঈসা (‘আঃ)- এর অবতরণ। কিন্তু অপর লোক বলেছেন, দশম নিদর্শনটি হলো, তখন এমন প্রবলবেগে বায়ু প্রবাহিত হবে, যা মানুষদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। (ই.ফা. ৭০২৩, ই.সে. ৭০৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮০

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ، قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ فَأَشْرَفَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِ مُعَاذٍ وَابْنِ جَعْفَرٍ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ، الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ، بِنَحْوِهِ قَالَ وَالْعَاشِرَةُ نُزُولُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ ‏.‏

আবূ সারীহাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছিলাম, এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সম্মুখে আসলেন। অতঃপর তিনি মু’আয ও ইবনু আবূ জা‘ফার-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন।

তিনি তার হাদীসের শেষভাগে বর্ণনা করেছেন যে, দশম নিদর্শনটি হলো, মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা (আঃ)-এর অবতরণ।

বর্ণনাকারী শু’বাহ্‌ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) এ হাদীসটি মারফূ’ হিসেবে উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৭০২৪, ই.সে. ৭০৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অধ্যায়ঃ

ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না হিজাযভূমি থেকে অগ্নি প্রকাশিত হবে

৭১৮১

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ تُضِيءُ أَعْنَاقَ الإِبِلِ بِبُصْرَى ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না হিজাযভূমি থেকে একটি অগ্নি প্রকাশিত হবে। যা বুসরায় অবস্থান রত উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত করবে। (ই.ফা. ৭০২৫, ই.সে. ৭০৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

কিয়ামাতের পূর্বে মাদীনার ঘর-ভাড়ি ও অট্টালিকার বর্ণনা

৭১৮২

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَبْلُغُ الْمَسَاكِنُ إِهَابَ أَوْ يَهَابَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زُهَيْرٌ قُلْتُ لِسُهَيْلٍ فَكَمْ ذَلِكَ مِنَ الْمَدِينَةِ قَالَ كَذَا وَكَذَا مِيلاً ‏.‏

আবু হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন, মাদিনার (মানুষের) বাড়ি ঘর “ইহাব” অথবা “ইয়াহাব” পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।

যুহায়র (রহঃ) বলেন, আমি সুহায়ল (রহঃ)- কে প্রশ্ন করলাম, সেটা মাদীনাহ্ হতে কত দূরে হবে? তিনি বললেন, এতো এতো মাইল দূরে অবস্থিত। (ই.ফা. ৭০২৬, ই.সে. ৭০৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَيْسَتِ السَّنَةُ بِأَنْ لاَ تُمْطَرُوا وَلَكِنِ السَّنَةُ أَنْ تُمْطَرُوا وَتُمْطَرُوا وَلاَ تُنْبِتُ الأَرْضُ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অনাবৃষ্টির কারণেই কেবল দুর্ভিক্ষ হবে না। বরং অধিক বৃষ্টিপাত হতে থাকবে এবং জামিন কোন কিছু উৎপাদন করবে না (ফলে তা দুর্ভিক্ষের কারণ হয়ে থাকে)। (ই.ফা. ৭০২৭, ই.সে. ৭০৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

ফিত্‌নাহ্‌ পূর্ব দিকে থেকে আত্নপ্রকাশ করবে, যেদিক থেকে শাইতানের শিং উদিত হবে

৭১৮৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُسْتَقْبِلُ الْمَشْرِقِ يَقُولُ ‏ “‏ أَلاَ إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا أَلاَ إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্বমুখী ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে, ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-যেখান থেকে শাইতানের শিং উদিত হবে। (ই.ফা. ৭০২৮, ই.সে. ৭০৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮৫

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ، سَعِيدٍ كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، قَالَ الْقَوَارِيرِيُّ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ، عُمَرَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عِنْدَ بَابِ حَفْصَةَ فَقَالَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ ‏ “‏ الْفِتْنَةُ هَا هُنَا مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ‏.‏ وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ فِي رِوَايَتِهِ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ بَابِ عَائِشَةَ ‏.

ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাফসাহ্‌ (রাঃ)-এর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর আঙ্গুল দ্বারা পূর্বপ্রান্তের দিকে ইশারা করে বললেন, ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-যেদিক থেকে শাইতানের শিং উদিত হবে। এ কথাটি তিনি দু’ বা তিনবার বলেছেন।

বর্ণনাকারী ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। (ই.ফা. ৭০২৯, ই.সে. ৭০৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮৬

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَهُوَ مُسْتَقْبِلُ الْمَشْرِقِ ‏ “‏ هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্বমুখী হয়ে বললেনঃ ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-অবশ্যই ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-যেখান থেকে শাইতানের শিং উদিত হবে। (ই.ফা. ৭০৩০, ই.সে. ৭০৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْتِ عَائِشَةَ فَقَالَ ‏ “‏ رَأْسُ الْكُفْرِ مِنْ هَا هُنَا مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏‏ يَعْنِي الْمَشْرِقَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশা (রাঃ) এর ঘর থেকে বের হয়ে বললেনঃ কুফরীর উৎস এদিক থেকে –যেদিক থেকে শাইতানের শিং উদিত হবে। অর্থাৎ-পূর্ব দিক থেকে।(ই.ফা. ৭০৩১, ই. সে. ৭০৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮৮

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ – أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُشِيرُ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَيَقُولُ ‏”‏ هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏”‏ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পূর্বদিকে ইশারা করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি একথা বলতে শুনেছি যে, সাবধান! ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে, সাবধান ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-এভাবে তিনবার উল্লেখ করে তিনি বললেন, যেদিক থেকে শাইতানের দুই শিং উদিত হবে। অর্থাৎ পূর্বদিক হতে।(ই.ফা. ৭০৩২, ই. সে. ৭০৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانَ، وَوَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَأَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ الْوَكِيعِيُّ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبَانَ – قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ عُمَرَ يَقُولُ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ مَا أَسْأَلَكُمْ عَنِ الصَّغِيرَةِ وَأَرْكَبَكُمْ لِلْكَبِيرَةِ سَمِعْتُ أَبِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ الْفِتْنَةَ تَجِيءُ مِنْ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ ‏”‏ مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏ وَأَنْتُمْ يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ وَإِنَّمَا قَتَلَ مُوسَى الَّذِي قَتَلَ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ خَطَأً فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ ‏{‏ وَقَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّيْنَاكَ مِنَ الْغَمِّ وَفَتَنَّاكَ فُتُونًا‏}‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ سَالِمٍ لَمْ يَقُلْ سَمِعْتُ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, হে ইরাকবাসী! আমি তোমাদেরকে সগীরা গুনাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করছি না এবং যারা কাবীরাহ্‌ গুনাহ্‌ করছে তাদের সম্পর্কেও প্রশ্ন করছি না। আমি আমার পিতা ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলতেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিজ হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারা করে বলতে শুনেছি, ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে আসবে-যেদিক থেকে শাইতানের দুই শিং উদিত হয়। অথচ তোমরা পরস্পর একে অপরের উপর হানাহানি করছ। [অবশ্য মুসা (আঃ) ফির’আওনের বংশ হতে এক লোককে ভুলবশতঃ হত্যা করেছিলেন।] অতঃপর মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “(হে মুসা!) এবং তুমি এক লোককে হত্যা করেছ, তারপর আমি তোমাকে চিন্তামুক্ত করে দিলাম। আমি তোমাকে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করেছি।“ (সুরাহ্‌ তা-হা-২০:৪০)।

বর্ণনাকারী আহ্‌মাদ ইবনু ‘উমার (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় (—আরবী—) “আমি সালিম হতে শুনেছি” না বলে (—আরবী—) “সালিম হতে” এরূপ বলেছেন। (ই.ফা. ৭০৩৩, ই. সে. ৭০৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

দাওস গোত্রীয় লোকেরা যুল খালাস-এর পূজা করার পূর্বে কিয়ামাত কায়িম হবে না

৭১৯০

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَضْطَرِبَ أَلَيَاتُ نِسَاءِ دَوْسٍ حَوْلَ ذِي الْخَلَصَةِ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَتْ صَنَمًا تَعْبُدُهَا دَوْسٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِتَبَالَةَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত কায়িম হবে না যতক্ষণ না দাওস গোত্রীয় নারীদের নিতম্ব যুলখালাসাহ্‌ মূর্তির কাছে আন্দোলিত হবে। যুলখালাসাহ্‌ একটি মূর্তি ছিল, দাওস গোত্রীয় লোকেরা জাহিলী যুগে ‘তাবালাহ্‌’ নামক স্থানে এর পূজা করত। (ই.ফা. ৭০৩৪, ই. সে. ৭০৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯১

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَأَبُو مَعْنٍ زَيْدُ بْنُ يَزِيدَ الرَّقَاشِيُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي مَعْنٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ يَذْهَبُ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ حَتَّى تُعْبَدَ اللاَّتُ وَالْعُزَّى ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كُنْتُ لأَظُنُّ حِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ ‏{‏ هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ‏}‏ أَنَّ ذَلِكَ تَامًّا قَالَ ‏”‏ إِنَّهُ سَيَكُونُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ رِيحًا طَيِّبَةً فَتَوَفَّى كُلَّ مَنْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَيَبْقَى مَنْ لاَ خَيْرَ فِيهِ فَيَرْجِعُونَ إِلَى دِينِ آبَائِهِمْ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, রাত্র ও দিন শেষ হবে না, যতক্ষণ না লাত ও উয্‌যা দেবতার পূজা আবার শুরু করা হয়। এ কথা শুনে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ নাযিল করেছেন- “তিনিই তাঁর রসূলকে পাঠিয়েছেন হিদায়াত ও সত্য দীনসহ, সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করার জন্য, যদিও মুশরিকরা তা পছন্দ করে না”- (সূরাহ্‌ আত্‌ তাওবাহ্‌ ৯:৩৩ ও আস্‌ সাফ ৬১:৯)। এ আয়াত নাযিলের পর আমি তো মনে করেছিলাম যে, এ প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূর্ণ করা হবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তা অবশ্যই হবে। তবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন ততদিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। অতঃপর তিনি এক মনোরম বাতাস প্রেরণ করবেন। ফলে যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান আছে তাঁদের প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করবে। পরিশেষে যাদের মাঝে কোন প্রকার কল্যাণ নেই তারাই শুধু বেঁচে থাকবে। অতঃপর তারা আবার পিতৃ-পুরুষদের (ধর্মের (শির্‌কের) দিকে ফিরে যাবে। (ই.ফা. ৭০৩৫, ই. সে. ৭০৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯২

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، – وَهُوَ الْحَنَفِيُّ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، بْنُ جَعْفَرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

’আব্দুল হামীদ ইবনু জা’ফার হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৩৬, ই. সে. ৭০৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অধ্যায়ঃ

কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, এমনকি এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতে গিয়ে মুসীবাতের কারণে মৃত ব্যক্তির স্থানে হওয়ার কামনা করবে

৭১৯৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَمُرَّ الرَّجُلُ بِقَبْرِ الرَّجُلِ فَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي مَكَانَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না এক লোক অপর লোকের কবরের নিকট গিয়ে বলবে, হায়! আমি যদি তার স্থলে থাকতাম। (ই.ফা. ৭০৩৭, ই. সে. ৭০৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبَانَ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى يَمُرَّ الرَّجُلُ عَلَى الْقَبْرِ فَيَتَمَرَّغُ عَلَيْهِ وَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ مَكَانَ صَاحِبِ هَذَا الْقَبْرِ وَلَيْسَ بِهِ الدِّينُ إِلاَّ الْبَلاَءُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, আমি তাঁর কসম করে বলছি, দুনিয়া নিঃশেষ হবে না যতক্ষণ না এক লোক কবরের নিকট গিয়ে সেটার উপর গড়াগড়ি করে বলবে, হায়! এ কবরবাসীর স্থলে যদি আমি হতাম। তার নিকট দ্বীন থাকবে না; থাকবে শুধু বিপদাপদ। (ই.ফা. ৭০৩৮, ই. সে. ৭০৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯৫

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، عَنْ يَزِيدَ، – وَهُوَ ابْنُ كَيْسَانَ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لاَ يَدْرِي الْقَاتِلُ فِي أَىِّ شَىْءٍ قَتَلَ وَلاَ يَدْرِي الْمَقْتُولُ عَلَى أَىِّ شَىْءٍ قُتِلَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ঐ সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন, মানুষের কাছে এমন এক সময় আগমন করবে, যখন হত্যাকারী জানবে না যে, কি দোষে সে হত্যা করলো এবং নিহত লোকও জানবে না যে, কি দোষে সে নিহত হলো। (ই.ফা. ৭০৩৯, ই. সে. ৭০৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯৬

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانَ، وَوَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ أَبِي إِسْمَاعِيلَ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ يَوْمٌ لاَ يَدْرِي الْقَاتِلُ فِيمَ قَتَلَ وَلاَ الْمَقْتُولُ فِيمَ قُتِلَ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ كَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ الْهَرْجُ ‏.‏ الْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبَانَ قَالَ هُوَ يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي إِسْمَاعِيلَ ‏.‏ لَمْ يَذْكُرِ الأَسْلَمِيَّ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সে সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন, দুনিয়া ধ্বংস হবে না যে পর্যন্ত না মানুষের কাছে এমন এক যুগ আসে, যখন হত্যাকারী জানবে না যে, কি দোষে সে অন্যকে হত্যা করেছে এবং নিহত লোকও জানবে না যে, কি দোষে তাকে হত্যা করা হচ্ছে। জিজ্ঞেস করা হলো, কিভাবে এমন অত্যচার হবে? তিনি জবাবে বললেন, সে যুগটা হবে হত্যার যুগ। এরূপ যুগের হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়েই জাহান্নামী হবে।

বর্ণনাকারী আবান হলো, ইয়াযীদ ইবনু কাইসান। তিনি ইসমা’ঈল (রহঃ) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ইসমা’ঈলের বংশ-পরিচয়মূলক (আরবী শব্দ) শব্দটি তিনি বর্ণনা করেননি।

(ই.ফা. ৭০৪০, ই. সে. ৭০৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُخَرِّبُ الْكَعْبَةَ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আবিসিনিয়ার এক লোক কা’বা ঘরকে ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ করবে; তার উভয় পায়ের নলা ছোট ছোট হবে। (ই.ফা. ৭০৪১, ই. সে. ৭০৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯৮

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُخَرِّبُ الْكَعْبَةَ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবিসিনিয়ার এক লোক কা’বা ঘরকে ধ্বংস করবে; তার উভয় পায়ের নলা ছোট ছোট হবে। (ই.ফা. ৭০৪২, ই. সে. ৭০৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ ثَوْرِ بْنِ، زَيْدٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ يُخَرِّبُ بَيْتَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ছোট ছোট নলা বিশিষ্ট আবিসিনিয়ার এক লোক আল্লাহ তা’আলার ঘরকে ধ্বংস করবে। (ই.ফা. ৭০৪৩, ই. সে. ৭০৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০০

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ ثَوْرِ بْنِ، زَيْدٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ رَجُلٌ مِنْ قَحْطَانَ يَسُوقُ النَّاسَ بِعَصَاهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না কাহ্‌তান গোত্র হতে এক লোকের আগমন ঘটবে, যে লোকেদেরকে লাঠি দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। (ই.ফা. ৭০৪৪, ই. সে. ৭১০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْكَبِيرِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْحَكَمِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَذْهَبُ الأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى يَمْلِكَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْجَهْجَاهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ هُمْ أَرْبَعَةُ إِخْوَةٍ شَرِيكٌ وَعُبَيْدُ اللَّهِ وَعُمَيْرٌ وَعَبْدُ الْكَبِيرِ بَنُو عَبْدِ الْمَجِيدِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাত দিন শেষ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না জাহ্‌জাহ্‌ নামে কোন লোক শাসনকর্তা হবে।

মুসলিম বলেন, রাবী ‘আবদুল কাবীর তারা চার ভাই-শারীক, ‘উবাইদুল্লাহ, ‘উমায়র ও ‘আবদুল কাবীর। তারা সবাই ‘আবদুল মাজীদের সন্তান। (ই.ফা. ৭০৪৫, ই. সে. ৭১০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي عُمَرَ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়াই করবে, যাদের চেহারা হবে চামড়া জড়ানো ঢালের মতো মাংসল। কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা এমন এক জাতির সঙ্গে লড়াই করবে, যাদের জুতা হবে পশমের তৈরি। (ই.ফা. ৭০৪৬, ই. সে. ৭১০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৩

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না তোমরা এমন দলের সঙ্গে লড়াই করবে যারা পশমী জুতা পরিধান করবে। তাদের চেহারা হবে চামড়া জড়ানো ঢালের মতো মজবুত ও চেপ্টা। (ই.ফা. ৭০৪৭, ই. সে. ৭১০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا صِغَارَ الأَعْيُنِ ذُلْفَ الآنُفِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়াই না করবে, যাদের জুতা হবে পশমের তৈরি। কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়াই না করবে যাদের চক্ষু হবে ছোট ছোট এবং নাক হবে বাঁকা ও মোটা। (ই.ফা. ৭০৪৮, ই. সে. ৭১০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ الْمُسْلِمُونَ التُّرْكَ قَوْمًا وُجُوهُهُمْ كَالْمَجَانِّ الْمُطْرَقَةِ يَلْبَسُونَ الشَّعَرَ وَيَمْشُونَ فِي الشَّعَرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিম বাহিনী তুর্কীদের সঙ্গে লড়াই না করবে। তারা এমন এক সম্প্রদায়, যাদের চেহারা হবে চামড়া জড়ানো ঢালের মতো মাংসল। তারা পশমের তৈরি পোশাক পরিধান করবে এবং পশমের উপর হাঁটবে। (ই.ফা. ৭০৪৯, ই. সে. ৭১০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৬

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ، بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تُقَاتِلُونَ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ حُمْرُ الْوُجُوهِ صِغَارُ الأَعْيُنِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কিয়ামাতের আগে তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়াই করবে, যাদের জুতা হবে পশমের। তাদের মুখমন্ডল চামড়া জড়ানো ঢালের মতো মাংসল এবং রক্ত বর্ণ হবে এবং তাদের চোখ হবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র। (ই.ফা. ৭০৫০, ই. সে. ৭১০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৭

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ يُوشِكُ أَهْلُ الْعِرَاقِ أَنْ لاَ يُجْبَى إِلَيْهِمْ قَفِيزٌ وَلاَ دِرْهَمٌ ‏.‏ قُلْنَا مِنْ أَيْنَ ذَاكَ قَالَ مِنْ قِبَلِ الْعَجَمِ يَمْنَعُونَ ذَاكَ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ يُوشِكَ أَهْلُ الشَّأْمِ أَنْ لاَ يُجْبَى إِلَيْهِمْ دِينَارٌ وَلاَ مُدْىٌ ‏.‏ قُلْنَا مِنْ أَيْنَ ذَاكَ قَالَ مِنْ قِبَلِ الرُّومِ ‏.‏ ثُمَّ سَكَتَ هُنَيَّةً ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي خَلِيفَةٌ يَحْثِي الْمَالَ حَثْيًا لاَ يَعُدُّهُ عَدَدًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لأَبِي نَضْرَةَ وَأَبِي الْعَلاَءِ أَتَرَيَانِ أَنَّهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالاَ لاَ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, শীঘ্রই ইরাকবাসীরা না খাদ্যশস্য পাবে না দিরহাম পাবে। আমরা প্রশ্ন করলাম, কি কারণে এ বিপদ সংঘটিত হবে? তিনি বললেন, অনারবদের কারণে। তারা তা (খাদ্যশস্য বা দিরহাম) দেয়া বন্ধ করে দিবে। তিনি পুনরায় বললেন, অচিরেই সিরিয়াবাসীদের নিকট কোন দীনার আসবে না এবং কোন খাদ্যশস্যও আসবে না। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, এ বিপদ কোন্‌ দিক থেকে আবির্ভাব হবে? তিনি বললেন, রোমের দিক থেকে। অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ নীরব থেকে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মাতের শেষভাগে একজন খলীফা হবে, সে হাত ভরে ভরে ধন-সম্পদ দান করবে, গুণে গুণে দিবে না।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবূ নাযরাহ্‌ ও আবুল ‘আলাকে প্রশ্ন করলাম, আপনাদের ধারণায় ইনি কি খলীফা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয? তারা উত্তরে বললেন, না। (ই.ফা. ৭০৫১, ই.সে. ৭১০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৮

وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، – يَعْنِي الْجُرَيْرِيَّ – بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

জুরাইরী (রহ:) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন।(ই.ফা. ৭০৫২, ই.সে. ৭১০৭[ক])

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২০৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ، بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – كِلاَهُمَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مِنْ خُلَفَائِكُمْ خَلِيفَةٌ يَحْثُو الْمَالَ حَثْيًا لاَ يَعُدُّهُ عَدَدًا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ حُجْرٍ ‏”‏ يَحْثِي الْمَالَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের খলিফাগণের মধ্যে একজন খলীফা এমন হবে, যে হাত ভরে ভরে দান করবে এবং মালের কোন গণনাই করবে না।

ইবনু হুজ্‌র (রহ:)-এর রিওয়ায়াতে (–) এর স্থলে (–) বর্ণিত আছে (অর্থ একই)। (ই.ফা. ৭০৫৩, ই.সে. ৭১০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১০

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ خَلِيفَةٌ يَقْسِمُ الْمَالَ وَلاَ يَعُدُّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আখিরী যুগে এমন খলীফার আগমন ঘটবে, সে ধন-সম্পদ ভাগ করবে কিন্তু কোন প্রকার গণনা করবে না। (ই.ফা. ৭০৫৪, ই.সে. ৭১০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي، نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাযিঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৫৫, ই.সে. ৭১১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نَضْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْ، هُوَ خَيْرٌ مِنِّي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَمَّارٍ حِينَ جَعَلَ يَحْفِرُ الْخَنْدَقَ وَجَعَلَ يَمْسَحُ رَأْسَهُ وَيَقُولُ ‏ “‏ بُؤْسَ ابْنِ سُمَيَّةَ تَقْتُلُكَ فِئَةٌ بَاغِيةٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ আল খুদ্‌রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার থেকে সেরা লোক আমাকে জানিয়েছেন যে, আম্মার (রাঃ) যখন পরিখা খনন করছিলেন তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথায় হাত রেখে তাঁকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ইবনু সুমাইয়্যার জন্য দুঃখ হয়। একটি বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে। (ই.ফা. ৭০৫৬, ই.সে. ৭১১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৩

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاذِ بْنِ عَبَّادٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَهُرَيْمُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ قَالُوا أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ النَّضْرِ أَخْبَرَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي أَبُو قَتَادَةَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ أُرَاهُ يَعْنِي أَبَا قَتَادَةَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ خَالِدٍ وَيَقُولُ ‏”‏ وَيْسَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ يَقُولُ ‏”‏ يَا وَيْسَ ابْنِ سُمَيَّةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাসলামাহ্ (রহ:) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে নায্র-এর হাদীসের মধ্যে আছে যে, (–) অর্থাৎ আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি আবূ কাতাদাহ্ আমাকে জানিয়েছেন এবং খালিদ ইবনুল হারিস-এর হাদীসের মধ্যে আছে, (–)। অর্থাৎ- সে লোকটি হলো, আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ)। খালিদের হাদীসের মধ্যে (–)–এর পরিবর্তে (–) বা (–) উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ ইবনু সুমাইয়্যাহ্ তোমার জন্য দুঃখ ও দারিদ্রতা অপেক্ষা করছে। (ই.ফা. ৭০৫৭, ই.সে. ৭১১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ، مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ قَالَ عُقْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ خَالِدًا، يُحَدِّثُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَمَّارٍ ‏ “‏ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ‏”‏ ‏.

উম্মু সালামাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সা) আম্মার (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তোমাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। (ই.ফা. ৭০৫৮, ই.সে. ৭১১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৫

وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، وَالْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِمَا، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৫৯, ই.সে. ৭১১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَقْتُلُ عَمَّارًا الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আম্মারকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। (ই.ফা. ৭০৬০, ই.সে. ৭১১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ يُهْلِكُ أُمَّتِي هَذَا الْحَىُّ مِنْ قُرَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ ‏”‏ لَوْ أَنَّ النَّاسَ اعْتَزَلُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ فِي مَعْنَاهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কুরায়শের এ সম্প্রদায়টি আমার উম্মাতকে ধ্বংস করবে। এ কথা শুনে সহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আমাদেরকে কি আদেশ করবেন? উত্তরে তিনি বললেন, লোকেরা যদি তাদের থেকে পৃথক হয়ে যেত। (ই.ফা. ৭০৬১, ই.সে. ৭১১৬)

আহ্‌মাদ ইবনু ইব্‌রাহীম আদ্‌ দাওরাকী (রহ:) ….. শু’বাহ্‌ (রহ:) হতে এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৬২, ই.সে. ৭১১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৮

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي عُمَرَ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَدْ مَاتَ كِسْرَى فَلاَ كِسْرَى بَعْدَهُ وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلاَ قَيْصَرَ بَعْدَهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفَقَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي ابْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ سُفْيَانَ وَمَعْنَى حَدِيثِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিসরা (পারস্য রাজ) মারা গেছে। অতঃপর পারস্য রাজ আর হবে না। আর যখন রোম সম্রাট ধ্বংস হবে তারপর আর কোন রোম সম্রাট হবে না। কসম ঐ প্রতিপালকের, যাঁর হাতে আমার জীবন, অবশ্যই তাদের ধন-সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে বিলিয়ে দেয়া হবে। (ই.ফা. ৭০৬৩, ই.সে. ৭১১৮)

হারমালাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া অপর সূত্রে ইবনু রাফি’ ও ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ (রহ:) ….. যুহরী (রহ:) হতে সুফ্‌ইয়ান (রহ:)-এর সানাদে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৬৪, ই.সে. ৭১১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২১৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هَلَكَ كِسْرَى ثُمَّ لاَ يَكُونُ كِسْرَى بَعْدَهُ وَقَيْصَرُ لَيَهْلِكَنَّ ثُمَّ لاَ يَكُونُ قَيْصَرُ بَعْدَهُ وَلَتُقْسَمَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হাদীস হচ্ছে এই যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পারস্য রাজ মারা গেছে, তারপর আর কেউ পারস্য রাজ হবে না। রোম সম্রাট অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর আর কোন রোম সম্রাট হবে না। তাদের ধনভাণ্ডার আল্লাহ্‌র পথে বণ্টন করে দেয়া হবে। (ই.ফা. ৭০৬৫, ই.সে. ৭১১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلاَ كِسْرَى بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ سَوَاءً ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: পারস্য রাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। তারপর আর কোন পারস্য রাজ হবে না। অতঃপর জাবির (রাঃ) আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ)-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৬৬, ই.সে. ৭১২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ، بْنِ حَرْبٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَتَفْتَحَنَّ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَوْ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ كَنْزَ آلِ كِسْرَى الَّذِي فِي الأَبْيَضِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُتَيْبَةُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ‏.‏ وَلَمْ يَشُكَّ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, অবশ্যই মুসলিম অথবা মু’মিনদের একটি দল যা আব্‌ইয়ায নামক বালাখানায় সংরক্ষিত পারস্য রাজ্যের ধনভাণ্ডার অধিকার করবে।

বর্ণনাকারী কুতাইবাহ্‌ দ্বিধাহীনভাবে মুসলিমদের কথা উল্লেখ করেছেন এবং কোন প্রকার সন্দেহ করেননি। (ই.ফা. ৭০৬৭, ই.সে. ৭১২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ ‏.‏

সিমাক ইবনু হার্‌ব (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) হতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি আবূ আওয়ানাহ্‌ (রহ:)-এর হাদীসের অবিকল। (ই.ফা. ৭০৬৮, ই.সে. ৭১২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ ثَوْرٍ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ الدِّيلِيُّ – عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ سَمِعْتُمْ بِمَدِينَةٍ جَانِبٌ مِنْهَا فِي الْبَرِّ وَجَانِبٌ مِنْهَا فِي الْبَحْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَغْزُوَهَا سَبْعُونَ أَلْفًا مِنْ بَنِي إِسْحَاقَ فَإِذَا جَاءُوهَا نَزَلُوا فَلَمْ يُقَاتِلُوا بِسِلاَحٍ وَلَمْ يَرْمُوا بِسَهْمٍ قَالُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَيَسْقُطُ أَحَدُ جَانِبَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثَوْرٌ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ ‏”‏ الَّذِي فِي الْبَحْرِ ثُمَّ يَقُولُوا الثَّانِيَةَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَيَسْقُطُ جَانِبُهَا الآخَرُ ثُمَّ يَقُولُوا الثَّالِثَةَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَيُفَرَّجُ لَهُمْ فَيَدْخُلُوهَا فَيَغْنَمُوا فَبَيْنَمَا هُمْ يَقْتَسِمُونَ الْمَغَانِمَ إِذْ جَاءَهُمُ الصَّرِيخُ فَقَالَ إِنَّ الدَّجَّالَ قَدْ خَرَجَ ‏.‏ فَيَتْرُكُونَ كُلَّ شَىْءٍ وَيَرْجِعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কি ঐ শহরের কথা শুনেছ, যার একদিকে স্থলভাগ এবং একদিকে জলভাগ? উত্তরে সহাবাগণ বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! শুনেছি। অতঃপর তিনি বললেন, কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ইসহাক্‌ (‘আঃ)-এর সন্তানদের সত্তর হাজার লোক এ শহরের লোকদের সঙ্গে লড়াই না করবে। তারা শহরের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছাবে কোন অস্ত্র দ্বারা যুদ্ধ করবে না এবং কোন তীরও চালাবে না; বরং তারা একবার ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ ‘ওয়াল্ল-হু আকবার’ বলবে, সাথে সাথে এর এক প্রান্ত ধ্বসে যাবে।

বর্ণনাকারী সাওর (রহ:) বলেন, আমার যতদূর মনে পড়ে, আমার নিকট বর্ণনাকারী লোক সমুদ্রস্থিত প্রান্তের কথা বলেছিলেন। অতঃপর দ্বিতীয়বার তারা ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ ও ‘ওয়াল্ল-হু আকবার’ বলবে। এতে শহরের অপর প্রান্ত ধ্বসে যাবে। এরপর তারা তৃতীয়বার ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ ও ‘ওয়াল্ল-হু আকবার’ বলবে। তখন তাদের শহরের দ্বার খুলে দেয়া হবে। তারা যখন তাতে প্রবেশ করে গনীমাতের মাল ভাগাভাগিতে ব্যতিব্যস্ত থাকবে, তখন কেউ উচ্চৈ:স্বরে বলে উঠবে, দাজ্জালের আগমন ঘটেছে। এ কথা শুনা মাত্রই তারা ধন-সম্পদ ফেলে দেশে ফিরে যাবে। (ই.ফা. ৭০৬৯, ই.সে. ৭১২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৪

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ الدِّيلِيُّ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.‏

সাওর ইবনু যায়দ আদ্ দীলী (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭০৭০, ই.সে. ৭১২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَتُقَاتِلُنَّ الْيَهُودَ فَلَتَقْتُلُنَّهُمْ حَتَّى يَقُولَ الْحَجَرُ يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ ‏”‏ ‏.

ইবনু উমার (রাযিঃ)-এর সূত্রে নাবী (সা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, অবশ্যই ইয়াহূদীরা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে এবং তোমরা তাদেরকে হত্যা করবে। পরিশেষে পাথর (সন্ধান দিয়ে) বলবে, হে মুসলিম! এ-ই যে ইয়াহূদী। এসো, তুমি তাকে হত্যা কর। (ই.ফা. ৭০৭১, ই.সে. ৭১২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৬

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ ‏ “‏ هَذَا يَهُودِيٌّ وَرَائِي ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু সা’ঈদ (রহ:) উক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে (–) রয়েছে অর্থাৎ-‘এই আমার পিছনে ইয়াহূদী লুকিয়ে আছে’। (ই.ফা. ৭০৭২, ই.সে. ৭১২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، يَقُولُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَقْتَتِلُونَ أَنْتُمْ وَيَهُودُ حَتَّى يَقُولَ الْحَجَرُ يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ وَرَائِي تَعَالَ فَاقْتُلْهُ ‏”‏ ‏.

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা এবং ইয়াহুদী সম্প্রদায় পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হবে। অবশেষে পাথর বলবে, হে মুসলিম! এই যে আমার পিছনে ইয়াহূদী লুকিয়ে আছে, এসো তুমি তাকে হত্যা কর। (ই.ফা. ৭০৭৩, ই.সে. ৭১২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৮

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تُقَاتِلُكُمُ الْيَهُودُ فَتُسَلَّطُونَ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَقُولَ الْحَجَرُ يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ وَرَائِي فَاقْتُلْهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইয়াহূদী সম্প্রদায় তোমাদের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হবে। তারপর তোমরা তাদের উপর জয়ী হবে। এমনকি পাথর বলে উঠবে, ‘হে মুসলিম!এই তো ইয়াহূদী আমার পিছনে আছে, তুমি তাকে হত্যা কর।’ (ই.ফা. ৭০৭৪, ই.সে. ৭১২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ الْمُسْلِمُونَ الْيَهُودَ فَيَقْتُلُهُمُ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى يَخْتَبِئَ الْيَهُودِيُّ مِنْ وَرَاءِ الْحَجَرِ وَالشَّجَرِ فَيَقُولُ الْحَجَرُ أَوِ الشَّجَرُ يَا مُسْلِمُ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا يَهُودِيٌّ خَلْفِي فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ ‏.‏ إِلاَّ الْغَرْقَدَ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرِ الْيَهُودِ ‏”‏ ‏.

আবু হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিমদের সঙ্গে ইয়াহূদী সম্প্রদায়ের যুদ্ধ না হবে।মুসলিমগণ তাদেরকে হত্যা করবে। ফলে তারা পাথর বা গাছের পিছনে লুকিয়ে থাকবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে, ‘ হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইয়াহূদী আমার পিছনে লুকিয়ে আছে। এসো, তাকে হত্যা কর।’ কিন্তু ‘গারকাদ’ নামক গাছ দেখিয়ে দিবে না। কারণ এটা হচ্ছে ইয়াহূদীদের সহায়তাকারী গাছ। (ই.ফা. ৭০৭৫, ই.সে. ৭১২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৩০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ كَذَّابِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ فِي حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে এ উক্তি করতে শুনেছি, কিয়ামাতের আগে কতক মিথ্যাবাদ ব্যক্তির আগমন ঘটবে।

তবে আবুল আহ্‌ওয়াস-এর বর্ণনায় এ কথা বর্ধিত বর্ণিত রয়েছে যে, আমি জাবির (রাঃ)- কে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সা) থেকে এ কথা শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, শুনেছি। (ই.ফা. ৭০৭৬, ই.সে. ৭১৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৩১

وَحَدَّثَنِي ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ سِمَاكٌ وَسَمِعْتُ أَخِي، يَقُولُ قَالَ جَابِرٌ فَاحْذَرُوهُمْ ‏.‏

সিমাক (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণনা করেছেন। সিমাক (রহঃ)বলেন, আমি আমার ভাইকে বলতে শুনেছি।

তিনি বলেন, জাবির (রাঃ)বলেছেন, তোমরা তাদের থেকে সতর্ক থাকবে। (ই.ফা. ৭০৭৭, ই.সে. ৭১৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৩২

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – وَهُوَ ابْنُ مَهْدِيٍّ – عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلاَثِينَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আগমন হয়। আগমনের পর তারা প্রত্যেকেই দাবী করবে, সে আল্লাহর রসূল। (ই.ফা. ৭০৭৮, ই.সে. ৭১৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৩৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ يَنْبَعِثَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে (আরবি) এর স্থলে (আরবি) বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৭০৭৯, ই.সে. ৭১৩৩

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস