মুসলিম পানীয় বস্তু অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৫২২০ – ৫২৭৮

২১. অধ্যায়ঃ

ঝোল খাওয়া জায়িয এবং লাউ খাওয়া মুস্তাহাব আর মেযবান অপছন্দ না করলে, মেহমান হয়েও একই দস্তরখানে উপবেশনকারীদের একজন অন্যজনকে এগিয়ে দেয়া জায়িয।

৫২২০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنَّ خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَهُ ‏.‏ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَذَهَبْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى ذَلِكَ الطَّعَامِ فَقَرَّبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُبْزًا مِنْ شَعِيرٍ وَمَرَقًا فِيهِ دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ مِنْ حَوَالَىِ الصَّحْفَةِ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ مُنْذُ يَوْمَئِذٍ ‏.‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক দর্জি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জন্য কিছু খাদ্য প্রস্তত করে তাঁকে দাওয়াত করলো। আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) বলেন, সে দা’ওয়াতে আমি ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সম্মুখে যবের রুটি, ঝোল বিশিষ্ট লাউ ও শুকনো গোশত পেশ করা হলো। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে লক্ষ্য করলাম, তিনি থালার চারপাশে থেকে লাউ সন্ধান করেছেন। সেদিন থেকে আমিও লাউ পছন্দ করতে লাগলাম। (ই. ফা. ৫১৫২, ই. সে. ৫১৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২২১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فَجِيءَ بِمَرَقَةٍ فِيهَا دُبَّاءٌ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ مِنْ ذَلِكَ الدُّبَّاءِ وَيُعْجِبُهُ – قَالَ – فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ جَعَلْتُ أُلْقِيهِ إِلَيْهِ وَلاَ أَطْعَمُهُ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ أَنَسٌ فَمَا زِلْتُ بَعْدُ يُعْجِبُنِي الدُّبَّاءُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দা’ওয়াত করলো। আমি ও তাঁর সাথে গেলাম। তরকারী আনা হলো যাতে লাউ ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে লাউগুলো খেতে লাগলেন। লাউ তাঁর নিকট ভাল লাগছিল। তিনি বলেন, এ অবস্থা দেখে স্বয়ং আমি না খেয়ে এগুলো তাঁর নিকট বাড়িয়ে দিতে লাগলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর থেকে সব সময় লাউ আমার প্রিয় খাবার হয়ে যায়। (ই. ফা. ৫১৫৩, ই. সে. ৫১৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২২২

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، وَعَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَزَادَ قَالَ ثَابِتٌ فَسَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ فَمَا صُنِعَ لِي طَعَامٌ بَعْدُ أَقْدِرُ عَلَى أَنْ يُصْنَعَ فِيهِ دُبَّاءٌ إِلاَّ صُنِعَ ‏.‏

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক দর্জি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে দা’ওয়াত করলো। রাবী অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, সাবিত (রহঃ) বলেছেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, অতঃপর আমার জন্য যদি আহার তৈরী করা হতো এবং এতে আমি লাউ দিতে সমর্থ হলে তাই করা হতো। (ই. ফা. ৫১৫৪, ই. সে. ৫১৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২. অধ্যায়ঃ

খেজুরের বিচি খেজুরের বাহিরে ফেলা মুস্তাহাব এবং মেজবানের জন্য মেহমানের দু’আ করা, সৎ মেহমান থেকে দু’আ চাওয়া ও মেহমানের তাতে সাড়া দেয়া মুস্তাহাব।

৫২২৩

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ، بْنِ خُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي – قَالَ – فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا وَوَطْبَةً فَأَكَلَ مِنْهَا ثُمَّ أُتِيَ بِتَمْرٍ فَكَانَ يَأْكُلُهُ وَيُلْقِي النَّوَى بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ وَيَجْمَعُ السَّبَّابَةَ وَالْوُسْطَى – قَالَ شُعْبَةُ هُوَ ظَنِّي وَهُوَ فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ إِلْقَاءُ النَّوَى بَيْنَ الإِصْبَعَيْنِ – ثُمَّ أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ الَّذِي عَنْ يَمِينِهِ – قَالَ – فَقَالَ أَبِي وَأَخَذَ بِلِجَامِ دَابَّتِهِ ادْعُ اللَّهَ لَنَا فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইব্‌নে বুস্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার আব্বার কাছে আসলেন। আমরা তাঁর সম্মুখে কিছু খাবার ও ওয়াতবাহ (খেজুর চূর্ণ, পনির ও ঘি যোগে তৈরী এক প্রকার খাদ্য) পেশ করলাম। তিনি তা হতে খেলেন। অতঃপর খেজুর নিয়ে আসলে তিনি তা খেতে লাগলেন। আর বিচিগুলো মধ্যমা ও সাহাদাত অঙ্গুলি একত্র করে দু’আঙ্গুলের মাঝখান দিয়ে ফেলতে লাগলেন। শু’বাহ্‌ বলেন, এটা আমার অনুমান। তবে ইন্‌শা আল্লাহ্‌ এতে দু’আঙ্গুলের মাঝখানে দিয়ে বীজ ফেলার কথাটি আছে। অতঃপর তাঁর নিকটে সুপেয় আনা হলে তিনি তা পান করেন। পরে তিনি তাঁর ডান পাশের লোককে দিলেন। ‘আব্দুল্লাহ ইব্‌নে বুস্‌র (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমার আব্বা তাঁর সাওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ্‌র নিকট প্রার্থনা করুন। তখন তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ্‌! তুমি তাঁদের রিযকে বারাকাত দাও, তাঁদের ক্ষমা করো এবং তাঁদের প্রতি দয়া করো। (ই. ফা. ৫১৫৫, ই. সে. ৫১৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২২৪

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَشُكَّا فِي إِلْقَاءِ النَّوَى بَيْنَ الإِصْبَعَيْنِ ‏.‏

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লেখিত সূত্রে হাদীস টি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা দু’জনেই দু’আঙ্গুলের মধ্য দিয়ে বিচি ফেলে দেয়ার ব্যাপারে শু’বাহর সন্দেহের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫১৫৬, ই.সে.৫১৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩. অধ্যায়ঃ

শশা ও তাজা খেজুরের সংমিশ্রণে আহার করা।

৫২২৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ الْهِلاَلِيُّ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا – إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ الْقُثَّاءَ بِالرُّطَبِ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইব্‌নে জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে সতেজ খেজুরের সঙ্গে শশা খেতে লক্ষ্য করেছি। (ই. ফা. ৫১৫৭, ই. সে. ৫১৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪. অধ্যায়ঃ

আহারকারীর বিনয়-নম্রতা মুস্তাহাব এবং তার উপবেশনের নিয়ম-কানুন।

৫২২৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ كِلاَهُمَا عَنْ حَفْصٍ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُقْعِيًا يَأْكُلُ تَمْرًا ‏.‏

আনাস ইব্‌নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জানুদ্বয় উচ্চে তুলে উপরি বৈঠকে খেজুর খেতে লক্ষ্য করেছি। (ই. ফা. ৫১৫৮, ই.সে. ৫১৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২২৭

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَمْرٍ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُهُ وَهُوَ مُحْتَفِزٌ يَأْكُلُ مِنْهُ أَكْلاً ذَرِيعًا ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ أَكْلاً حَثِيثًا ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট শুকনো খেজুর আনা হলে তিনি তা ভাগ করতে লাগলেন এবং স্বয়ং জানুদ্বয় তুলে উপরি বৈঠক অবস্থায় জলদি এগুলো থেকে আহার করছিলেন। যুহায়র (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবী) শব্দের স্থান (আরবী) শব্দ বর্ণিত হয়েছে। (দু’টি শব্দের একই অর্থ – দ্রুত)। (ই.ফা. ৫১৫৯, ৫১৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫. অধ্যায়ঃ

জামা’আতে আহারকারীর জন্য এক লোকমায় দু’টি করে খেজুর ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ, তবে যদি সঙ্গীরা অনুমতি দেয় (তবে জায়িয)।

৫২২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ جَبَلَةَ بْنَ سُحَيْمٍ قَالَ كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَرْزُقُنَا التَّمْرَ – قَالَ – وَقَدْ كَانَ أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَئِذٍ جُهْدٌ وَكُنَّا نَأْكُلُ فَيَمُرُّ عَلَيْنَا ابْنُ عُمَرَ وَنَحْنُ نَأْكُلُ فَيَقُولُ لاَ تُقَارِنُوا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الإِقْرَانِ إِلاَّ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الرَّجُلُ أَخَاهُ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ لاَ أُرَى هَذِهِ الْكَلِمَةَ إِلاَّ مِنْ كَلِمَةِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ يَعْنِي الاِسْتِئْذَانَ ‏.‏

জাবালাহ্‌ ইব্‌নে সুহায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নে যুবায়র (রাঃ) আমাদেরকে খাদ্য হিসেবে খেজুর দিতেন। তৎকালীন সময় লোকেরা অনাহারে পতিত হয়েছিল। আমরা তাই খেয়ে থাকতাম। একবার আমরা খাবার খাচ্ছিলাম। তখন ইব্‌নে ‘উমার (রাঃ) আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা একাধিক খেজুর এক সঙ্গে খেও না। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সাথে একাধিক খেজুর খেতে বারণ করেছেন। তবে যদি কেউ তার (সাথী) ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে নেয় (তাহলে খেতে পারে)।

 

শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা হয়, অনুমতি নেয়ার কথাটা ইব্‌নে ‘উমার (রাঃ)-এরই কথা। (ই. ফা. ৫১৬০, ই.সে. ৫১৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২২৯

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ، الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا قَوْلُ شُعْبَةَ وَلاَ قَوْلُهُ وَقَدْ كَانَ أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَئِذٍ جَهْدٌ ‏.‏

উবাইদুল্লাহ ইব্‌নু মু’য়ায মুহাম্মাদ ইব্‌নু বাশশার শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁদের হাদীসে (অনুমতি সম্পর্কে) শু’বাহ (রহঃ) –এর কথা এবং জাবালাহ (রহঃ) এর এ কথা নেই যে, ‘তখন মানুষ অনাহারে পতিত হয়েছিল’। (ই. ফা. ৫১৬১, ৫১৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩০

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ سُحَيْمٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقْرِنَ الرَّجُلُ بَيْنَ التَّمْرَتَيْنِ حَتَّى يَسْتَأْذِنَ أَصْحَابَهُ ‏.‏

জাবালাহ ইব্‌নে সুহায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) –কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথীদের অনুমতি ব্যতীত কোন লোকের এক সাথে দু’টি করে খেজুর ভক্ষন করা হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫১৬২, ই.সে. ৫১৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬. অধ্যায়ঃ

খেজুর ইত্যাদি খাদ্য পরিবারের লোকজনের জন্য সঞ্চিত রাখা।

৫২৩১

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَجُوعُ أَهْلُ بَيْتٍ عِنْدَهُمُ التَّمْرُ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে পরিবারে লোকদের নিকট খেজুর আছে, তারা অনাহার থাকে না। ( ই. ফা. ৫১৬৩, ই.সে. ৫১৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ طَحْلاَءَ، عَنْ أَبِي، الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَائِشَةُ بَيْتٌ لاَ تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهُ يَا عَائِشَةُ بَيْتٌ لاَ تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهُ أَوْ جَاعَ أَهْلُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আয়িশাহ! যে গৃহে খেজুর নেই সে গৃহের মানুষজন ক্ষুধার্ত। এ কথাটি তিনি দু’বার বা তিনবার বলেছিলেন। (ই.ফা. ৫১৬৪, ই.সে. ৫১৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭. অধ্যায়ঃ

মাদীনার খেজুরের মর্যাদা।

৫২৩৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَكَلَ سَبْعَ تَمَرَاتٍ مِمَّا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا حِينَ يُصْبِحُ لَمْ يَضُرَّهُ سُمٌّ حَتَّى يُمْسِيَ ‏”‏ ‏.‏

সা’দ ইব্‌নু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে, লোক মাদীনার উভয় সীমান্তের মধ্যে উৎপাদিত খেজুরের সাতটি করে প্রতি সকালে আহার করে সন্ধ্যা অবধি কোন বিষ তাঁর অনিষ্ট করতে পারে না। (ই.ফা. ৫১৬৫, ই. সে. ৫১৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَامِرَ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَعْدًا، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ ‏”‏ ‏.‏

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া (মদীনার উৎপন্ন এক জাতীয় উৎকৃষ্ট মানের খেজুর) আহার করে, সেদিন তাঁকে কোন বিষ বা যাদু অনিষ্ট করতে পারে না। (ই.ফা. ৫১৬৬, ই.সে.৫১৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩৫

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا أَبُو بَدْرٍ، شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ كِلاَهُمَا عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ وَلاَ يَقُولاَنِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবনে আবূ ‘উমার মারওয়ান আল-ফাযারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ভিন্ন সূত্রে ইসহাক্ ইব্‌নে ইবরাহীম (রহঃ) আবূ বদর শুজা’ ইব্‌নে ওয়ালীদ (রহঃ) হতে, তাঁরা দু’জনেই হাশিম (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তারা উভয়ে ‘আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বলতে শুনেছি’ উক্তিটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫১৬৭, ই.সে. ৫১৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ شَرِيكٍ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي نَمِرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ فِي عَجْوَةِ الْعَالِيَةِ شِفَاءً أَوْ إِنَّهَا تِرْيَاقٌ أَوَّلَ الْبُكْرَةِ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার উঁচু ভূমির ‘আজওয়াহ্‌ খেজুরে শিফা (রোগমুক্তি) রয়েছে। কিংবা তিনি বলেছেন, এগুলো প্রতি সকালে খাবারে বিষমুক্ত ঔষধের কাজ করে। (ই.ফা.৫১৬৮, ই.সে. ৫১৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮. অধ্যায়ঃ

কামআহ্ [১] -এর ফাযীলাত ও এর মাধ্যমে চোখের চিকিৎসা

৫২৩৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَعُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو، بْنِ نُفَيْلٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ ইবনু ‘আম্‌র ইবনু নুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, কামআহ্ মান্না জাতীয়। আর এর নিগৃহীত রস চোখের জন্য উপশম। (ই.ফা. ৫১৬৯, ই.সে. ৫১৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ، عُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, কামআহ্ মান্না জাতীয় এবং এর রস চোখের জন্য উপশম।

(ই.ফা. ৫১৭০, ই.সে. ৫১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৩৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ لَمَّا حَدَّثَنِي بِهِ الْحَكَمُ لَمْ أُنْكِرْهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অবিকল বর্ণিত রয়েছে।

শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, হাকাম (রহঃ) যখন আমার নিকট হাদীসটি রিওয়ায়াত করলেন, তখন আমি ‘আবদুল মালিক (রহঃ)-এর হাদীসটিকে আর “গারীব” (অর্থাৎ- যে হাদীসের সনদে শুধুমাত্র কোন একজন বর্ণনাকারী থাকে) মনে করলাম না। (ই.ফা. ৫১৭১, ই.সে. ৫১৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ ইবনু ‘আম্‌র ইবনু নুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কামআহ্ মান্না জাতীয় (উদ্ভিদ) যা বানী ইস্রাঈলের উপর আল্লাহ নাযিল করেছিলেন এবং এটা হতে নিগৃহীত রস চোখের উপশম। (ই.ফা. ৫১৭২, ই.সে. ৫১৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪১

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُوسَى وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কামআহ্ মান্না জাতীয় (উদ্ভিদ) যা মহান আল্লাহ মূসা (‘আঃ)-এর উপর নাযিল করেছিলেন এবং এর রস চোখের জন্য নিরাময়। (ই.ফা. ৫১৭৩, ই.সে. ৫১৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو، بْنَ حُرَيْثٍ يَقُولُ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাম্আহ্ এক প্রকারের মান্না জাতীয় (উদ্ভিদ) যা মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করেছিলেন বানী ইস্রাঈলের উপর। আর এটির রস চোখের জন্য ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

(ই.ফা. ৫১৭৪, ই.সে. ৫১৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪৩

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ، شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ فَلَقِيتُ عَبْدَ الْمَلِكِ فَحَدَّثَنِي عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাম্আহ্ মান্না জাতীয় এক প্রকার উদ্ভিদ। এর রস চোখের জন্য এক প্রকার ঔষধ। (ই.ফা. ৫১৭৫, ই.সে. ৫১৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯. অধ্যায়ঃ

কালো কাবাস (পিলু ফল)-এর ফাযীলাত

৫২৪৪

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَرِّ الظَّهْرَانِ وَنَحْنُ نَجْنِي الْكَبَاثَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَيْكُمْ بِالأَسْوَدِ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّكَ رَعَيْتَ الْغَنَمَ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ وَهَلْ مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ رَعَاهَا ‏”‏ ‏.‏ أَوْ نَحْوَ هَذَا مِنَ الْقَوْلِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ‘মার্রুয যাহ্রান’ নামক জায়গায় কাবাস (পিলু ফল) সংগ্রহ করেছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাত্থেকে শুধু কালোগুলো সংগ্রহ। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সে সময় বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সম্ভবত বকরী চরিয়েছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। সকল নবীই বকরী চরিয়েছেন (বর্ণনাকারী বলেন) কিংবা তিনি শুধু এ ধরনের কোন কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৫১৭৬, ই.সে. ৫১৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০. অধ্যায়ঃ

সিরকার ফাযীলাত এবং তা সালুন হিসেবে ব্যবহার করা প্রসঙ্গে

৫২৪৫

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نِعْمَ الأُدُمُ – أَوِ الإِدَامُ – الْخَلُّ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সিরকা তো খুব মজাদার সালুন। (ই.ফা. ৫১৭৭, ই.সে. ৫১৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪৬

وَحَدَّثَنَاهُ مُوسَى بْنُ قُرَيْشِ بْنِ نَافِعٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ الْوُحَاظِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ “‏ نِعْمَ الأُدُمُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَشُكَّ ‏.‏

সুলাইমান ইবনু বিলাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। তবে তিনি (… আরবি) বলেছেন (…আরবি) বলে শব্দের মাঝে কোন সংশয় প্রকাশ করেননি। (ই.ফা. ৫১৭৮, ই.সে. ৫১৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَأَلَ أَهْلَهُ الأُدُمَ فَقَالُوا مَا عِنْدَنَا إِلاَّ خَلٌّ ‏.‏ فَدَعَا بِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ بِهِ وَيَقُولُ ‏ “‏ نِعْمَ الأُدُمُ الْخَلُّ نِعْمَ الأُدُمُ الْخَلُّ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গৃহের লোকদের নিকট সালুন চাইলে তাঁরা বললো, সিরকা ব্যতীত আমাদের নিকট ভিন্ন কিছু নেই। সে সময় তিনি তাই নিয়ে আসতে বললেন এবং খাওয়ার সময় বললেন, সিরকা কত ভাল তরকারি, সিরকা কত চমৎকার তরকারি! (ই.ফা. ৫১৭৯, ই.সে. ৫১৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪৮

حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِي ذَاتَ يَوْمٍ إِلَى مَنْزِلِهِ فَأَخْرَجَ إِلَيْهِ فِلَقًا مِنْ خُبْزٍ فَقَالَ ‏”‏ مَا مِنْ أُدُمٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا لاَ إِلاَّ شَىْءٌ مِنْ خَلٍّ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ الْخَلَّ نِعْمَ الأُدُمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ جَابِرٌ فَمَا زِلْتُ أُحِبُّ الْخَلَّ مُنْذُ سَمِعْتُهَا مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ طَلْحَةُ مَا زِلْتُ أُحِبُّ الْخَلَّ مُنْذُ سَمِعْتُهَا مِنْ جَابِرٍ ‏.‏

নাফি’ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে স্বীয় ঘরে গেলেন। (খাদেম) এক খণ্ড রুটি তাঁর সম্মুখে পেশ করলে তিনি বললেনঃ কোন তরকারি কি নেই? তারা বলল, না। তবে অল্প কিছু সিরকা রয়েছে। তিনি বললেন, সিরকা তো ভাল তরকারি।

জাবির (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ কথা শুনার পর আমি সিরকা পছন্দ করতে থাকি। তাল্হাহ্ (রহঃ) বলেন, আমিও জাবির (রাঃ)-এর কাছে এ কথা শুনার পর হতে সিরকা পছন্দ করতে লাগলাম। (ই.ফা. ৫১৮০, ই.সে. ৫১৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৪৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ طَلْحَةَ، بْنِ نَافِعٍ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِهِ إِلَى مَنْزِلِهِ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ إِلَى قَوْلِهِ ‏ “‏ فَنِعْمَ الأُدُمُ الْخَلُّ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একদা) তার হাত ধরে স্বীয় ঘরে গেলেন। অতঃপর রাবী সিরকা কত উত্তম তরকারি- পর্যন্ত ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এর পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫১৮১, ই.সে. ৫১৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي، زَيْنَبَ حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ، طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِي دَارِي فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَشَارَ إِلَىَّ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَأَخَذَ بِيَدِي فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَى بَعْضَ حُجَرِ نِسَائِهِ فَدَخَلَ ثُمَّ أَذِنَ لِي فَدَخَلْتُ الْحِجَابَ عَلَيْهَا فَقَالَ ‏”‏ هَلْ مِنْ غَدَاءٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا نَعَمْ ‏.‏ فَأُتِيَ بِثَلاَثَةِ أَقْرِصَةٍ فَوُضِعْنَ عَلَى نَبِيٍّ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُرْصًا فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَخَذَ قُرْصًا آخَرَ فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَىَّ ثُمَّ أَخَذَ الثَّالِثَ فَكَسَرَهُ بِاثْنَيْنِ فَجَعَلَ نِصْفَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَنِصْفَهُ بَيْنَ يَدَىَّ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ مِنْ أُدُمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ إِلاَّ شَىْءٌ مِنْ خَلٍّ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَاتُوهُ فَنِعْمَ الأُدُمُ هُوَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার গৃহে বসা ছিলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে ইঙ্গিত করলে আমি তাঁর নিকট উঠে গেলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর আমরা চললাম। পরিশেষে তিনি তাঁর কোন এক সহধর্মিণীর ঘরে এসে ঢুকলেন। অতঃপর তিনি আমাকে প্রবেশাধিকার দিলে আমি পর্দার ভিতরে ঢুকলাম। তিনি বললেনঃ কিছু খাবার আছে কি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। পরে তিন টুকরো রুটি আনা হলো এবং তা দস্তরখানে রাখা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি টুকরো নিয়ে তাঁর সম্মুখে রাখলেন। অপর একটি নিয়ে আমার সম্মুখে রাখলেন। অতঃপর তৃতীয় টুকরোটি দু’খণ্ড করলেন এবং এটির অর্ধেক তাঁর সামনে অবশিষ্ট অর্ধেক আমার সামনে রাখলেন। এরপর বললেনঃ কোন সালুন আছে কি? তাঁরা বললেনঃ সামান্য পরিমাণ সিরকা আছে। তিনি বললেন, তাই নিয়ে আসো। সেটা তো খুব ভালো তরকারি। (ই.ফা. ৫১৮২, ই.সে. ৫১৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১. অধ্যায়ঃ

রসুন খাওয়া বৈধ এবং যে লোক বড়দের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করে এটা তার জন্য খাওয়া পরিহার করা কর্তব্য, অন্যান্য দুর্গন্ধযুক্ত বস্তুর বিধানও তাই

৫২৫১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ أَكَلَ مِنْهُ وَبَعَثَ بِفَضْلِهِ إِلَىَّ وَإِنَّهُ بَعَثَ إِلَىَّ يَوْمًا بِفَضْلَةٍ لَمْ يَأْكُلْ مِنْهَا لأَنَّ فِيهَا ثُومًا فَسَأَلْتُهُ أَحَرَامٌ هُوَ قَالَ ‏ “‏ لاَ وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ مِنْ أَجْلِ رِيحِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا كَرِهْتَ ‏.‏

আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কোন খাদ্য নিয়ে আসলে তিনি সামান্য খেতেন আর বাকীটুকু আমার নিকট প্রেরণ করতেন। একদা তিনি এমন কিছু খাবার প্রেরণ করলেন যা হতে তিনি কিছুই আহার করেনি। কেননা তাতে রসুন ছিল। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম, এটা কি নিষিদ্ধ? তিনি বললেন, না। তবে গন্ধের কারণে ওটা আমার কাছে অপছন্দনীয়।

তিনি বললেন, তাহলে আমিও তা পছন্দ করবো না, যা আপনি পছন্দ করেননি।

(ই.ফা. ৫১৮৩, ই.সে. ৫১৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৫১৮৪, ই.সে. ৫১৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫৩

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ، – وَاللَّفْظُ مِنْهُمَا قَرِيبٌ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، – فِي رِوَايَةِ حَجَّاجِ بْنِ يَزِيدَ أَبُو زَيْدٍ الأَحْوَلُ – حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَفْلَحَ، مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عَلَيْهِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي السُّفْلِ وَأَبُو أَيُّوبَ فِي الْعُلْوِ – قَالَ – فَانْتَبَهَ أَبُو أَيُّوبَ لَيْلَةً فَقَالَ نَمْشِي فَوْقَ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَتَنَحَّوْا فَبَاتُوا فِي جَانِبٍ ثُمَّ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ السُّفْلُ أَرْفَقُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لاَ أَعْلُو سَقِيفَةً أَنْتَ تَحْتَهَا ‏.‏ فَتَحَوَّلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْعُلْوِ وَأَبُو أَيُّوبَ فِي السُّفْلِ فَكَانَ يَصْنَعُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا فَإِذَا جِيءَ بِهِ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِهِ فَيَتَتَبَّعُ مَوْضِعَ أَصَابِعِهِ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فِيهِ ثُومٌ فَلَمَّا رُدَّ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقِيلَ لَهُ لَمْ يَأْكُلْ ‏.‏ فَفَزِعَ وَصَعِدَ إِلَيْهِ فَقَالَ أَحَرَامٌ هُوَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا تَكْرَهُ أَوْ مَا كَرِهْتَ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى ‏.‏

আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(হিজরাতের সময়) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গৃহে মেহমান হলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবস্থান করতেন নীচ তলায় এবং আবূ আইয়ূব (রাঃ) অবস্থান করতেন উপর তলায়। একদা রাত্রে আবূ আইয়ূব (রাঃ) জাগ্রত হয়ে বললেন, আমরা তো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার উপর চলাফেরা করি। তখন তিনি সে স্থান হতে দূরে গিয়ে এক কোণে রাত্রি যাপন করলেন। অতঃপর (সকালে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তিনি ব্যাপারটি জানালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, নীচ তলায়েই অনেক সুবিধা। তখন তিনি বললেন, আপনি নীচে থাকবেন এমন ছাদে আমি উঠবো না। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপর তলায় এবং আবূ আইয়ূব (রাঃ) নীচ তলায় জায়গা পরিবর্তন করলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করতেন যখন (অবশিষ্ট) খাদ্য ফেরত আনা হতো, তখন তিনি জানতে চাইতেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন্ জায়গায় তাঁর আঙ্গুল স্পর্শ করেছেন। অতঃপর তাঁর আঙ্গুলের স্থান অনুসরণ করে সেখান থেকে খেতেন। একবার তিনি তাঁর জন্য খানা প্রস্তুত করলেন, যার মধ্যে রসুন ছিল। তাঁর নিকট ফেরত নিয়ে আসলে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আঙ্গুল স্পর্শের স্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তাঁকে বলা হলো, তিনি এগুলো খাননি। তিনি হতভম্ব হয়ে গেলেন এবং তাঁর কাছে গেলেন। তিনি বললেন, তাহলে আপনি যা পছন্দ করেন না, আমিও তা পছন্দ করি না।

তিনি বলেন, নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সে সময় ওয়াহী আসত। (ই.ফা. ৫১৮৫, ই.সে. ৫১৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২. অধ্যায়ঃ

মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফাযীলাত

৫২৫৪

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي مَجْهُودٌ ‏.‏ فَأَرْسَلَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عِنْدِي إِلاَّ مَاءٌ ‏.‏ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُخْرَى فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى قُلْنَ كُلُّهُنَّ مِثْلَ ذَلِكَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عِنْدِي إِلاَّ مَاءٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مَنْ يُضِيفُ هَذَا اللَّيْلَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ هَلْ عِنْدَكِ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَتْ لاَ إِلاَّ قُوتُ صِبْيَانِي ‏.‏ قَالَ فَعَلِّلِيهِمْ بِشَىْءٍ فَإِذَا دَخَلَ ضَيْفُنَا فَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَأَرِيهِ أَنَّا نَأْكُلُ فَإِذَا أَهْوَى لِيَأْكُلَ فَقُومِي إِلَى السِّرَاجِ حَتَّى تُطْفِئِيهِ ‏.‏ قَالَ فَقَعَدُوا وَأَكَلَ الضَّيْفُ ‏.‏ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ قَدْ عَجِبَ اللَّهُ مِنْ صَنِيعِكُمَا بِضَيْفِكُمَا اللَّيْلَةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, আমি চরম অনাহারে ভুগছি। তিনি তাঁর কোন এক সহধর্মিণীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনি বললেন, যে স্রষ্টা আপনাকে সঠিক দীনসহ পাঠিয়েছেন তাঁর কসম! আমার নিকট পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তিনি অপর এক স্ত্রীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এভাবে তাঁরা সবাই একই কথা বললেন যে, সে সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার কাছে পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন তিনি বললেন, আজ রাত্রে লোকটির কে অতিথিপরায়ণ হবে? আল্লাহ তার উপর দয়া করুন! তখন এক আন্সারী লোক উঠে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি। অতঃপর লোকটিকে নিয়ে আন্সারী নিজ বাড়িতে গেলেন এবং তাঁর সহধর্মিণীকে বললেন, তোমার নিকট কিছু আছে কি? সে বলল না। তবে সন্তানদের জন্য অল্প কিছু খাবার আছে। তিনি বললেন, তুমি তাদের কিছু একটা দিয়ে ব্যস্ত রাখো। আর যখন অতিথি ঘরে ঢুকবে, তখন তুমি আলোটা নিভিয়ে দেবে। আর তাকে বুঝাবে যে, আমরাও খাবার খাচ্ছি। সে (মেহমান) যখন খাওয়া আরম্ভ করবে তখন তুমি আলোর পাশে যেয়ে সেটা নিভিয়ে দেবে। রাবী বলেন, অতঃপর তারা বসে থাকলেন এবং অতিথি খেতে শুরু করলো। সকালে তিনি (আনসারী) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলে, তিনি বললেনঃআজ রাত্রে অতিথির সঙ্গে তোমাদের উভয়ের ব্যবহারে আল্লাহ খুশী হয়েছেন। (ই.ফা. ৫১৮৬, ই.সে. ৫১৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي، حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ‏.‏ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ بَاتَ بِهِ ضَيْفٌ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ إِلاَّ قُوتُهُ وَقُوتُ صِبْيَانِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ نَوِّمِي الصِّبْيَةَ وَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَقَرِّبِي لِلضَّيْفِ مَا عِنْدَكِ – قَالَ – فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ‏}‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক আনসারী লোকের বাড়িতে এক অতিথি রাত কাটালেন। তাঁর কাছে তাঁর ও সন্তানদের জন্য অল্প কিছু খাদ্য ব্যতীত আর কিছু ছিল না। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন, বাচ্চাদের ঘুমিয়ে দাও, আলোটা বন্ধ করে দাও এবং তোমার নিকট যা কিছু আছে তাই অতিথির জন্য পেশ করো। রাবী বলেন, এরপর এ আয়াতটি নাযিল হয় : “তারা তাদের উপর অপরকে প্রাধান্য দেয়, যদিও তারা অনাহারে থাকে”- (সূরা আল হাশ্র ৫৯ : ৯) (ই.ফা. ৫১৮৭, ই.সে. ৫১৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫৬

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُضِيفَهُ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ مَا يُضِيفُهُ فَقَالَ ‏ “‏ أَلاَ رَجُلٌ يُضِيفُ هَذَا رَحِمَهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو طَلْحَةَ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَذَكَرَ فِيهِ نُزُولَ الآيَةِ كَمَا ذَكَرَهُ وَكِيعٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মেহমান হয়ে এক লোক তাঁর নিকট এলেন। কিন্তু তাঁর কাছে এমন কিছু ছিল না যা দিয়ে তিনি সে ব্যক্তির আপ্যায়ন করবেন। তখন তিনি বললেন, এর মেহমানদারী করার মতো কেউ কি আছে? আল্লাহ তার উপর দয়া করুক! এ সময় আবূ তাল্হাহ্ নামক এক আনসারী লোক দাঁড়ালেন এবং লোকটিকে আপন গৃহে নিয়ে গেলেন। অতঃপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীসটি জারীর (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। আর তিনি ওয়াকী’ (রহঃ)-এর মতো আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কথাও বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৮৮, ই.সে. ৫২০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِقْدَادِ، قَالَ أَقْبَلْتُ أَنَا وَصَاحِبَانِ، لِي وَقَدْ ذَهَبَتْ أَسْمَاعُنَا وَأَبْصَارُنَا مِنَ الْجَهْدِ فَجَعَلْنَا نَعْرِضُ أَنْفُسَنَا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْهُمْ يَقْبَلُنَا فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقَ بِنَا إِلَى أَهْلِهِ فَإِذَا ثَلاَثَةُ أَعْنُزٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ احْتَلِبُوا هَذَا اللَّبَنَ بَيْنَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَكُنَّا نَحْتَلِبُ فَيَشْرَبُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنَّا نَصِيبَهُ وَنَرْفَعُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَصِيبَهُ – قَالَ – فَيَجِيءُ مِنَ اللَّيْلِ فَيُسَلِّمُ تَسْلِيمًا لاَ يُوقِظُ نَائِمًا وَيُسْمِعُ الْيَقْظَانَ – قَالَ – ثُمَّ يَأْتِي الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي ثُمَّ يَأْتِي شَرَابَهُ فَيَشْرَبُ فَأَتَانِي الشَّيْطَانُ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَقَدْ شَرِبْتُ نَصِيبِي فَقَالَ مُحَمَّدٌ يَأْتِي الأَنْصَارَ فَيُتْحِفُونَهُ وَيُصِيبُ عِنْدَهُمْ مَا بِهِ حَاجَةٌ إِلَى هَذِهِ الْجُرْعَةِ فَأَتَيْتُهَا فَشَرِبْتُهَا فَلَمَّا أَنْ وَغَلَتْ فِي بَطْنِي وَعَلِمْتُ أَنَّهُ لَيْسَ إِلَيْهَا سَبِيلٌ – قَالَ – نَدَّمَنِي الشَّيْطَانُ فَقَالَ وَيْحَكَ مَا صَنَعْتَ أَشَرِبْتَ شَرَابَ مُحَمَّدٍ فَيَجِيءُ فَلاَ يَجِدُهُ فَيَدْعُو عَلَيْكَ فَتَهْلِكُ فَتَذْهَبُ دُنْيَاكَ وَآخِرَتُكَ ‏.‏ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ إِذَا وَضَعْتُهَا عَلَى قَدَمَىَّ خَرَجَ رَأْسِي وَإِذَا وَضَعْتُهَا عَلَى رَأْسِي خَرَجَ قَدَمَاىَ وَجَعَلَ لاَ يَجِيئُنِي النَّوْمُ وَأَمَّا صَاحِبَاىَ فَنَامَا وَلَمْ يَصْنَعَا مَا صَنَعْتُ – قَالَ – فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ كَمَا كَانَ يُسَلِّمُ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلَّى ثُمَّ أَتَى شَرَابَهُ فَكَشَفَ عَنْهُ فَلَمْ يَجِدْ فِيهِ شَيْئًا فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ الآنَ يَدْعُو عَلَىَّ فَأَهْلِكُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي وَأَسْقِ مَنْ أَسْقَانِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَعَمَدْتُ إِلَى الشَّمْلَةِ فَشَدَدْتُهَا عَلَىَّ وَأَخَذْتُ الشَّفْرَةَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الأَعْنُزِ أَيُّهَا أَسْمَنُ فَأَذْبَحُهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هِيَ حَافِلَةٌ وَإِذَا هُنَّ حُفَّلٌ كُلُّهُنَّ فَعَمَدْتُ إِلَى إِنَاءٍ لآلِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مَا كَانُوا يَطْمَعُونَ أَنْ يَحْتَلِبُوا فِيهِ – قَالَ – فَحَلَبْتُ فِيهِ حَتَّى عَلَتْهُ رَغْوَةٌ فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَشَرِبْتُمْ شَرَابَكُمُ اللَّيْلَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اشْرَبْ ‏.‏ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اشْرَبْ ‏.‏ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَلَمَّا عَرَفْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَوِيَ وَأَصَبْتُ دَعْوَتَهُ ضَحِكْتُ حَتَّى أُلْقِيتُ إِلَى الأَرْضِ – قَالَ – فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِحْدَى سَوْآتِكَ يَا مِقْدَادُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَانَ مِنْ أَمْرِي كَذَا وَكَذَا وَفَعَلْتُ كَذَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا هَذِهِ إِلاَّ رَحْمَةٌ مِنَ اللَّهِ أَفَلاَ كُنْتَ آذَنْتَنِي فَنُوقِظَ صَاحِبَيْنَا فَيُصِيبَانِ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُبَالِي إِذَا أَصَبْتَهَا وَأَصَبْتُهَا مَعَكَ مَنْ أَصَابَهَا مِنَ النَّاسِ ‏.‏

মিক্‌দাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রচুর খাদ্য সংকটে আমার ও আমার দু’সাথীর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রুতিশক্তি কমে যায়। অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের নিকটে নিজেদের উত্থাপন করতে লাগলাম। কিন্তু তাঁদের কেউ আমাদের কথা শুনলেন না। সবশেষে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করলে তিনি আমাদের সাথে নিয়ে তার পরিবারের নিকটে গেলেন। সেখানে তিনটি বকরী ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা দুধ দোহন করবে। এ দুধ আমরা বণ্টন করে পান করবো। তিনি বলেন, এরপর থেকে আমরা দুধ দোহন করতাম। আমাদের সবাই যার যার অংশ পান করতো। আর আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য তাঁর অংশ উঠিয়ে রাখতাম। মিকদাদ (রাঃ) বলেন, তিনি রাত্রে এসে এমনভাবে সালাম দিতেন যাতে নিদ্রারত লোক উঠে না যায় এবং জাগ্রত লোক শুনতে পায়। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মাসজিদে এসে সলাত আদায় করতেন। প্রত্যাবর্তন করে দুধ পান করতেন। একদা রাতে আমার নিকটে শাইতান আগমন করলো। আমি তো আমার অংশ পান করে ফেলেছিলাম। সে বলল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারীদের নিকটে গেলে তারা তাঁকে উপঢৌকন দিবে এবং তাদের নিকটে তাঁর এ অল্প দুধের প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে যাবে। অতঃপর আমি এসে সেটুকুও পান করে ফেললাম। দুধ যখন উত্তমভাবে আমার পেটে ঢুকে গেলে আমি বুঝলাম, এ দুধ বের করার আর কোন উপায় নেই তখন শইতান আমার থেকে দূরে সরে গিয়ে বলল, তোমার ধ্বংস হোক, তুমি একি করলে! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুধ পান করে ফেলেছ? তিনি জাগ্রত হয়ে যখন তা পাবেন না, তখন তোমার উপর বদ-দু’আ করবেন এতে তুমি সর্বনাশ হয়ে যাবে এবং তোমার ইহকাল ও পরকাল নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমার শরীরে একটা চাদর ছিল। আমি যদি তা আমার পাদ্বয়ের উপর রাখি তাহলে আমার মাথা বের হয়ে পড়ে, আর যদি আমি তা আমার মাথার উপর রাখি তাহলে আমার পদদ্বয় বেরিয়ে পড়ে। কিছুতেই আমার ঘুম আসছিল না। আমার সাথীদ্বয় তো নিদ্রাচ্ছন্ন ছিল। তারা তো আমার মতো কাজ করেনি। তিনি বলেন অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করে যেভাবে সালাম করতেন সেভাবেই সালাম করলেন। অতঃপর তিনি মাসজিদে এসে সলাত আদায় করলেন। অতঃপর দুধের নিকটে এসে ঢাকনা খুলে সেখানে কিছুই পেলেন না। এরপর তিনি নিজ মাথা আকাশের দিকে তুললেন। আমি তখন (মনে মনে) বললাম, এখনই হয়তো আমার উপর তিনি বদ্দু’আ করবেন, আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাবো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! যে লোক আমার খাবারের ব্যবস্থা করে তুমি তার খাদ্যের ব্যবস্থা কর। আর যে আমাকে পান করায় তাকে তুমি পান করাও। মিকদাদ (রাঃ) বলেন, তখন আমি চাদরটি নিয়ে গায়ে বাঁধলাম এবং একটি ছুরি নিলাম, অতঃপর (এ ভেবে) বকরীগুলোর কাছে গেলাম যে, এদের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি মোটাতাজা আমি সেটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য যাবাহ করবো। সেখানে গিয়ে দেখলাম, সেটি দুধে পরিপূর্ণ এবং অন্যান্য সব বকরীও দুধে স্বয়ংস্পূর্ণ। অতঃপর আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের একটি বাসন নিয়ে এলাম যার মধ্যে তাঁরা দুধ দোহাতেন না। তিনি [মিকদাদ (রাঃ)] বলেন, আমি তার মধ্যেই দুধ দোহন করলাম, এমনকি বাসনের উপরের অংশ ফেনা ফেসে উঠলো। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আগমন করলাম। তিনি বললেন, তোমরা কি রাত্রের দুধ পান করেছো? তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি পান করুন। তিনি পান করে আমাকে দিলেন। আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিতৃপ্ত হয়ে গেছেন এবং আমি তাঁর নেক দু’আ পেয়ে গেছি, তখন আমি খুশীতে হাসতে হাসতে মাটিতে নুয়ে পড়লে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে মিকদাদ! এটা তোমার এক মন্দকাজ? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার এ ঘটনা ঘটে গেছে। কিংবা তিনি বলেছেন, আমার দ্বারা এরূপ কাজ হয়ে গেছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা একমাত্র আল্লাহ্‌র মেহেরবানী! তুমি কেন আমাকে জানালে না? আমরা আমাদের সঙ্গীদ্বয়কে জাগাতাম, তাহলে তারাও এর অংশ পেত। তিনি বলেন, আমি তখন বললাম, যে মহান স্রষ্টা আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন তাঁর কসম! আপনি যখন পেয়েছেন এবং আমি যখন আপনার সঙ্গে ভাগ পেয়েছি, তখন ভিন্ন কোন ব্যক্তি পাওয়া না পাওয়ার আমি তোয়াক্কা করি না। (ই.ফা. ৫১৮৯, ই.সে. ৫২০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫৮

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

সুলাইমান ইবনু মুগীরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৫১৯০, ই.সে. ৫২০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৫৯

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، الأَعْلَى جَمِيعًا عَنِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ – حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، – وَحَدَّثَ أَيْضًا، – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثِينَ وَمِائَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ ‏”‏ ‏.‏ فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ فَعُجِنَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَبَيْعٌ أَمْ عَطِيَّةٌ – أَوْ قَالَ – أَمْ هِبَةٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لاَ بَلْ بَيْعٌ ‏.‏ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً فَصُنِعَتْ وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَوَادِ الْبَطْنِ أَنْ يُشْوَى ‏.‏ قَالَ وَايْمُ اللَّهِ مَا مِنَ الثَّلاَثِينَ وَمِائَةٍ إِلاَّ حَزَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُزَّةً حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهُ وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَأَ لَهُ – قَالَ – وَجَعَلَ قَصْعَتَيْنِ فَأَكَلْنَا مِنْهُمَا أَجْمَعُونَ وَشَبِعْنَا وَفَضَلَ فِي الْقَصْعَتَيْنِ فَحَمَلْتُهُ عَلَى الْبَعِيرِ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা একশ’ ত্রিশ জন ব্যক্তি (এক সফরে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের মাঝে কারো নিকট খাবার আছে কি? দেখা গেল, এক লোকের নিকটে এক সা’ বা সমপরিমাণ খাদ্য রয়েছে। তা (মিশিয়ে) খামীর করা হলো। অতঃপর এলামেলো চুলে দীর্ঘাঙ্গ এক মুশ্রিক লোক কিছু ছাগল হাঁকিয়ে নিয়ে আসলো। নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এগুলো বিক্রি করে দিবে না উপঢৌকন হিসেবে দিবে? কিংবা উপঢৌকন শব্দের স্থলে তিনি দান করবে বলেছিলেন। লোকটি বলল, না; আমি বরং বিক্রি করবো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট থেকে একটি বকরী ক্রয় করলেন। বকরীটা যাবাহ করা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কলিজা ভূনা করতে নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র শপথ! একশ’ ত্রিশজনের মাঝে একজনও এমন ছিলনা যাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এক টুকরো কলিজা দেননি। যারা সমবেত ছিল তাদেরকে তো তখনই দিয়েছেন। আর যারা উপস্থিত ছিল না তাদের জন্য পৃথকভাবে তুলে রেখেছেন।

 

বর্ণনাকারী বলেন, গোশ্ত দুটি বাসনে বণ্টন করে রাখলেন। আমরা সবাই তৃপ্তি সহকারে খেলাম। তরপরও বাসন দু’টিতে গোশত অতিরিক্ত থাকলো। আমি তা উটের উপর বহন করে নিয়ে গেলাম। কিংবা তিনি (রাবী) যেভাবে রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫১৯১, ই.সে. ৫২০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬০

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، الْقَيْسِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ الْمُعْتَمِرِ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ – حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ، كَانُوا نَاسًا فُقَرَاءَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً ‏ “‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَلاَثَةٍ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ وَانْطَلَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ وَأَبُو بَكْرٍ بِثَلاَثَةٍ – قَالَ – فَهُوَ وَأَنَا وَأَبِي وَأُمِّي – وَلاَ أَدْرِي هَلْ قَالَ وَامْرَأَتِي وَخَادِمٌ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْتِ أَبِي بَكْرٍ – قَالَ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعِشَاءُ ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى نَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ – أَوْ قَالَتْ – ضَيْفِكَ قَالَ أَوَمَا عَشَّيْتِهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ قَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوهُمْ – قَالَ – فَذَهَبْتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ وَقَالَ يَا غُنْثَرُ ‏.‏ فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ كُلُوا لاَ هَنِيئًا ‏.‏ وَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَدًا – قَالَ – فَايْمُ اللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا – قَالَ – حَتَّى شَبِعْنَا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا هِيَ كَمَا هِيَ أَوْ أَكْثَرُ ‏.‏ قَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا قَالَتْ لاَ وَقُرَّةِ عَيْنِي لَهِيَ الآنَ أَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مِرَارٍ – قَالَ – فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ – يَعْنِي يَمِينَهُ – ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ – قَالَ – وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَقْدٌ فَمَضَى الأَجَلُ فَعَرَّفْنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ إِلاَّ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসহাবে সুফ্ফার মানুষজন দরিদ্র ছিলেন। তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার বললেনঃ যার কাছে দু’জনের খাদ্য আছে সে যেন তৃতীয় এক জনকে নিয়ে যায়। আর যার নিকটে চার জনের খাদ্য রয়েছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। কিংবা রাবী যেভাবে বর্ণনা করেছেন। রাবী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) তিনজনকে সাথে নিয়ে আগমন করলেন। আর আল্লাহ্‌র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশজনকে নিয়ে রওনা হলেন। আমার পরিবারে আমরা ছিলাম তিনজন আমি, আমার আব্বা ও আমার আম্মা। রাবী বলেন, আমি জানি না, তিনি বলেছেন কি-না যে, আমার সহধর্মিণী আমাদের ও আবূ বকরের গৃহে শারীক খাদিম। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাড়িতে রাতের খাবার খেলেন। অতঃপর তিনি প্রতীক্ষা করলেন। পরিশেষে ‘ইশার সলাত আদায় করা হলো। সলাত শেষে ফিরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিদ্রাচ্ছন্ন হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রতীক্ষা করলেন। অতঃপর আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় রাত্রির কিছু অংশ পার হতে তিনি (বাড়িতে) প্রত্যাবর্তন করলেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, অতিথি রেখে দেরী করলেন কেন? তিনি বললেন, কেন? তুমি কি তাঁদের রাত্রের খাবার খাওয়াওনি? তাঁর সহধর্মিণী বললেন, আপনি না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা খাবার খেতে নারাজ। কয়েক বারই খাবার দেয়া হয়েছে কিন্তু মেহমানরা তাঁদের কথা হতে ফিরে আসেনি। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আমি যেয়ে পালিয়ে রইলাম। তিনি বললেন, হে নির্বোধ! অতঃপর তিনি আমাকে বকাঝকা করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, ভাল হলো না। আপনারা খাবার গ্রহণ করুন। তিনি আরও বললেন, আল্লাহ্‌র শপথ! আমি এ খাবার গ্রহণ করবো না। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমরা যে লোকমাই মুখে দিচ্ছিলাম তার নীচে এর থেকে বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে আবূ বকর (রাঃ) খাবারের প্রতি খেয়াল করে দেখলেন, তা যেমন ছিল তেমনি আছে বা তার চেয়েও বেশী হয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, হে উখ্ত (বোন) বানী ফিরাস! একি অবস্থা, তিনি বললেন, কিছু না। আমার চোখের প্রশান্তি এগুলো যা আগে ছিল তার থেকে তিন গুণ বর্ধিত হয়েছে। ‘আবদুর রহমান বলেন, অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) কিছু খেয়ে বললেন, ওটা অর্থাৎ- শপথটা ছিল শাইতানের নিকট থেকে, তারপর আরও এক লোকমা খেলেন। অতঃপর সেগুলো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে চললেন। আমিও তার নিকটে সকাল পর্যন্ত ছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের এবং কোন এক গোত্রের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা ছিল। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আমরা (বারটি দল করে) বার জন ব্যক্তি নিযুক্ত করলাম। প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে অনেক ব্যক্তি ছিল। আল্লাহই ভাল জানেন, প্রত্যেক লোকের সাথে কতজন ব্যক্তি ছিল। তাদের প্রত্যেকের কাছে এ খাদ্য প্রেরণ করা হলো এবং তারা সকলেই সে খাবার খেলেন। কিংবা রাবী যেভাবে বর্ননা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৯২, ই.সে. ৫২০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ الْعَطَّارُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ نَزَلَ عَلَيْنَا أَضْيَافٌ لَنَا – قَالَ – وَكَانَ أَبِي يَتَحَدَّثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ – قَالَ – فَانْطَلَقَ وَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ افْرُغْ مِنْ أَضْيَافِكَ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جِئْنَا بِقِرَاهُمْ – قَالَ – فَأَبَوْا فَقَالُوا حَتَّى يَجِيءَ أَبُو مَنْزِلِنَا فَيَطْعَمَ مَعَنَا – قَالَ – فَقُلْتُ لَهُمْ إِنَّهُ رَجُلٌ حَدِيدٌ وَإِنَّكُمْ إِنْ لَمْ تَفْعَلُوا خِفْتُ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْهُ أَذًى – قَالَ – فَأَبَوْا فَلَمَّا جَاءَ لَمْ يَبْدَأْ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنْهُمْ فَقَالَ أَفَرَغْتُمْ مِنْ أَضْيَافِكُمْ قَالَ قَالُوا لاَ وَاللَّهِ مَا فَرَغْنَا ‏.‏ قَالَ أَلَمْ آمُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ قَالَ وَتَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ‏.‏ قَالَ فَتَنَحَّيْتُ – قَالَ – فَقَالَ يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوْتِي إِلاَّ جِئْتَ – قَالَ – فَجِئْتُ فَقُلْتُ وَاللَّهِ مَا لِي ذَنْبٌ هَؤُلاَءِ أَضْيَافُكَ فَسَلْهُمْ قَدْ أَتَيْتُهُمْ بِقِرَاهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يَطْعَمُوا حَتَّى تَجِيءَ – قَالَ – فَقَالَ مَا لَكُمْ أَلاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ – قَالَ – فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ – قَالَ – فَقَالُوا فَوَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ ‏.‏ قَالَ فَمَا رَأَيْتُ كَالشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ قَطُّ وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ أَنْ لاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ قَالَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الأُولَى فَمِنَ الشَّيْطَانِ هَلُمُّوا قِرَاكُمْ – قَالَ – فَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَسَمَّى فَأَكَلَ وَأَكَلُوا – قَالَ – فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَرُّوا وَحَنِثْتُ – قَالَ – فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ ‏ “‏ بَلْ أَنْتَ أَبَرُّهُمْ وَأَخْيَرُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ تَبْلُغْنِي كَفَّارَةٌ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার কিছু অতিথি আমাদের গৃহে আসলেন। (বর্ণনাকারী বলেন)। আমার আব্বা রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কথোপকথন করতেন। তাই তিনি যাওয়ার সময় বললেন, হে ‘আবদুর রহমান! মেহমাদারীর সব কাজ সুন্দরভাবে শেষ করবে। ‘আবদুর রহমান বলেন, রাত হলে আমি অতিথিদের আহার নিয়ে আসলাম। কিন্তু তারা খেতে সম্মত হলেন না। তারা বললেন, যতক্ষণ গৃহের মালিক এসে আমাদের সঙ্গে না খাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা খাবো না। আমি তাঁদের বললাম, তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত লোক। আপনারা যদি খাওয়া-দাওয়া না করেন তাহলে আমার শঙ্কা হচ্ছে তার পক্ষ হতে আমাকে হয়তো বকাঝকা শুনতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা কেউ সম্মত হলোই না। আমার আব্বা এসে শুরুতেই তাঁদের সংবাদ নিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি অতিথিপরায়ণের কাজ শেষ করেছো? তাঁরা বললো, না। আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা সমাপ্ত করিনি। তিনি বললেন, আমি কি ‘আবদুর রহমানকে আদেশ দিয়ে যাইনি? ‘আবদুর রহমান বলেন, আমি তাঁর চোখের পলক হতে আড়ালে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, হে ‘আবদুর রহমান! আমি আরও সরে গেলাম। তিনি আবার বললেন, ওরে নির্বোধ! আমি শপথ করে তোমাকে বলছি যদি তুমি আমার শব্দ শুনে থাকো তাহলে উপস্থিত হও। তিনি বলেন, তখন আমি উপস্থিত হয়ে বললাম, আল্লাহ্‌র শপথ! আমার কোন দোষ নেই। আপনার অতিথিদের প্রশ্ন করে দেখুন। আমি তাঁদের আহার নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু আপনি না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা খেতে রাযী হলেন না। তখন তিনি (অতিথিদের) বললেন, আপনাদের কি হয়েছে? আপনারা কেন আমাদের পরিবেশন কবূল করেননি। ‘আবদুর রহমান বলেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র শপথ! আজ রাতে খাবো না। অতিথিরাও শপথ করে বলল, যতক্ষণ আপনি না খাবেন ততক্ষণ আমরাও খাব না। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আজকের রাত্রের মতো এতো মন্দ রাত আমি আর দেখিনি। আফসোস, তোমরা কেন আমাদের আপ্যায়ন কবূল করবে না? তিনি বললেন, প্রথমে যা হয়েছে তা শাইতানের তরফ হতে হয়েছে। তোমরা খাবার নিয়ে আসো। রাবী বলেন, অতঃপর খাবার নিয়ে আসলে তিনি ‘বিসমিল্লাহ্’ পড়ে খাওয়া শুরু করলেন। তাঁরাও খাওয়া শুরু করলো। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যেয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! তারা তো শপথ পূর্ণ করেছে। কিন্তু আমি শপথ ভেঙ্গে ফেলেছি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বরং তুমি সবচেয়ে বেশী সৎকর্মশীল এবং উত্তম ব্যক্তি। ‘আবদুর রহমান বলেন, কাফ্ফারার কথা আমার নিকটে পৌঁছেনি।

(ই.ফা. ৫১৯৩, ই.সে. ৫২০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩. অধ্যায়ঃ

সামান্য খাদ্য সমানভাবে বণ্টনের ফাযীলাত এবং দু’জনের খাবার তিন জনের জন্য যথেষ্ট হওযা প্রসঙ্গে

৫২৬২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ طَعَامُ الاِثْنَيْنِ كَافِي الثَّلاَثَةِ وَطَعَامُ الثَّلاَثَةِ كَافِي الأَرْبَعَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’জনের খাদ্য তিনজনের জন্য এবং তিনজনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৫১৯৪, ই.সে. ৫২০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِي الاِثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاِثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ وَطَعَامُ الأَرْبَعَةِ يَكْفِي الثَّمَانِيَةَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ إِسْحَاقَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ لَمْ يَذْكُرْ سَمِعْتُ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, একজনের খাদ্য দু’জনের জন্য পর্যাপ্ত এবং দু’জনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট, এমনিভাবে চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।

ইসহাক্ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনি “আমি শুনেছি” কথাটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫১৯৫, ই.সে. ৫২০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬৪

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ ‏.‏

জাবির (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হাদীসের হুবহু বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৫১৯৬, ই.সে. ৫২০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِي الاِثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاِثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজনের খাদ্য দু’জনের জন্য পর্যাপ্ত এবং দু’জনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৫১৯৭, ই.সে. ৫২০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ طَعَامُ الرَّجُلِ يَكْفِي رَجُلَيْنِ وَطَعَامُ رَجُلَيْنِ يَكْفِي أَرْبَعَةً وَطَعَامُ أَرْبَعَةٍ يَكْفِي ثَمَانِيَةً ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ এক লোকের খাবার দু’লোকের জন্য যথেষ্ট। দু’লোকের খাদ্য চার লোকের জন্য যথেষ্ট। আর চারজনের খাদ্য আটজনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। (ই.ফা.৫১৯৮, ই.সে. ৫২১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪. অধ্যায়ঃ

ঈমানদার লোক এক আঁতে খায় আর কাফির লোক সাত আঁতে খায়

৫২৬৭

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ وَالْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কাফির লোক সাত আঁতে খায় আর মু’মিন খায় এক আঁতে। [১৩] (ই.ফা. ৫১৯৯, ই.সে. ৫২১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩]অর্থাৎ মু’মিন আল্লাহর নাম নিয়ে খায়, এতে তার খাবারে বারাকাত হয়এবং অল্প খাবারই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় কিন্তু কাফিরের অবস্থার বিপরীত তার খাবারে বারাকাত হয় না সে অনেক খাবার খায় তাও তার তৃপ্তি হয় না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ، حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২০০, ই.সে. ৫২১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৬৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ، بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ نَافِعًا، قَالَ رَأَى ابْنُ عُمَرَ مِسْكِينًا فَجَعَلَ يَضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَيَضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ – قَالَ – فَجَعَلَ يَأْكُلُ أَكْلاً كَثِيرًا – قَالَ – فَقَالَ لاَ يُدْخَلَنَّ هَذَا عَلَىَّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ الْكَافِرَ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ ‏”‏ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক মিসকীন কে প্রত্যক্ষ করলেন, সে শুধু সম্মুখে হাত মারছে এবং এভাবে সে প্রচুর খাবার শেষ করে ফেলেছে। তিনি (নাফি’) বলেন, তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তুমি এ জাতীয় লোককে আর কখনো আমার নিকটে নিয়ে আসবেনা। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, কাফির লোক সাত আঁতে ভক্ষণ করে। (ই.ফা. ৫২০১, ই.সে. ৫২১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭০

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، وَابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঈমানদার লোক এক আঁতে ভক্ষণ করে আর কাফির লোক সাত আঁতে ভক্ষণ করে। (ই.ফা. ৫২০২, ই.সে. ৫২১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭১

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكَرِ ابْنَ عُمَرَ ‏.‏

জাবির (রাঃ) এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত আছে। এখানে রাবী ‘উমার (রাঃ)-এর কথা বর্ণনা করেন নি। (ই.ফা. ৫২০৩, ই.সে. ৫২১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭২

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মু’মিন একআঁতে খায় এবং কাফির সাত আঁতে খায়। (ই.ফা. ৫২০৪, ই.সে. ৫২১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে তাঁদের সবার হাদীসের হুবহু বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫২০৫, ই.সে. ৫২১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ، أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَافَهُ ضَيْفٌ وَهُوَ كَافِرٌ فَأَمَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ فَحُلِبَتْ فَشَرِبَ حِلاَبَهَا ثُمَّ أُخْرَى فَشَرِبَهُ ثُمَّ أُخْرَى فَشَرِبَهُ حَتَّى شَرِبَ حِلاَبَ سَبْعِ شِيَاهٍ ثُمَّ إِنَّهُ أَصْبَحَ فَأَسْلَمَ فَأَمَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ فَشَرِبَ حِلاَبَهَا ثُمَّ أَمَرَ بِأُخْرَى فَلَمْ يَسْتَتِمَّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمُؤْمِنُ يَشْرَبُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَشْرَبُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক কাফির লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অতিথি হলো। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বকরীর দুধ দোহন করতে নির্দেশ দিলেন। দুধ দোহন শেষ হলে ব্যক্তিটি সে দুধটুকু পান করলো। এরপর অন্য একটি বকরী দোহন করা হলে সে তাও পান করলো। পুনরায় আরেকটি দোহন করা হলে সে টার দুধও সে পান করলো। এভাবে সে সাতটি বকরীর দুধপান করে ফেলল। পরবর্তী দিন সকালে সেই ইসলাম গ্রহণ করলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় তার জন্য একটি বকরীর দুধ দোহন করার নির্দেশ দিলে তখন সে আর তার পুরো টুকু পান করতে পারল না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মু’মিন একআঁতে পান করে। আর কাফির সাতআঁতে পান করে। (ই.ফা. ৫২০৬, ই.সে. ৫২১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অধ্যায়ঃ

খাবারের দোষ-ত্রুটি প্রসঙ্গে

৫২৭৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا عَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا قَطُّ كَانَ إِذَا اشْتَهَى شَيْئًا أَكَلَهُ وَإِنْ كَرِهَهُ تَرَكَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সময় কোন খাদ্যকে মন্দ বলেননি। কোন খাদ্য প্রিয় হলে খেয়েছেন আর পছন্দ না হলে ছেড়ে দিয়েছেন। [১৪] (ই.ফা. ৫২০৭, ই.সে. ৫২১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪]সকল খাদ্যই আল্লাহর নি’আমাত, কোন খাদ্য একজনের জন্য রুচিসম্মত না হলে ও অপরের জন্য তা পছন্দনীয় হতে পারে। তাই কোন খাদ্য কে মন্দ বলা উচিত নয়, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা অপছন্দ করতেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭৬

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সনদে অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫২০৮, ই.সে. ৫২২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭৭

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

আ’মাশ হতে উল্লেখিত সনদ থেকে বর্ণিতঃ

হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫২০৯, ই.সে. ৫২২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَعَمْرٌو النَّاقِدُ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي يَحْيَى مَوْلَى آلِ جَعْدَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَابَ طَعَامًا قَطُّ كَانَ إِذَا اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَهِهِ سَكَتَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কক্ষনো কোন খাদ্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করতে দেখিনি। তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইচ্ছা জাগলে খেতেন আর অনিচ্ছা হলে চুপ থাকতেন। (ই.ফা. ৫২১০, ই.সে.)

আবূ কুরায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ)……… আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত রয়েছে। (ই.ফা. ৫২১১, ই.সে. ৫২২২-৫২২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস