মুসলিম সালাম অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫৫৩৯ – ৫৬৫৩

১. অধ্যায়ঃ

আরোহী পথচারীকে এবং কম সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম করবে

৫৫৩৯

حَدَّثَنِي عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ، مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي زِيَادٌ، أَنَّ ثَابِتًا، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي وَالْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সওয়ারী পদচারীকে, পদচারী বসে থাকা লোককে এবং কম সংখ্যক লোক বেশি সংখ্যক লোককে সালাম করবে।

(ই.ফা. ৫৪৬১, ই.সে. ৫৪৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

সালামের উত্তর দেয়া রাস্তায় বসার হক

৫৫৪০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ كُنَّا قُعُودًا بِالأَفْنِيَةِ نَتَحَدَّثُ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ عَلَيْنَا فَقَالَ ‏”‏ مَا لَكُمْ وَلِمَجَالِسِ الصُّعُدَاتِ اجْتَنِبُوا مَجَالِسَ الصُّعُدَاتِ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا إِنَّمَا قَعَدْنَا لِغَيْرِ مَا بَاسٍ قَعَدْنَا نَتَذَاكَرُ وَنَتَحَدَّثُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِمَّا لاَ فَأَدُّوا حَقَّهَا غَضُّ الْبَصَرِ وَرَدُّ السَّلاَمِ وَحُسْنُ الْكَلاَمِ ‏”‏ ‏.‏

ইসহাক্‌ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ তাল্‌হার আব্বা [‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা (গৃহের সম্মুখের উন্মুক্ত) উঠানে বসে গল্প-গুজব করতেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন এবং আমাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বললেন, রাস্তা-ঘাটে বসে বৈঠকে করা তোমাদের কি আচরণ? রাস্তাঘাটে মাজলিস করা তোমরা ছেড়ে দাও। আমরা বললাম, আমরা তো কাউকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশে বসিনি। আমরা শলা-পরামর্শ ও আলোচনা করছি। তিনি বললেন, যদি তা না করলেই নয়, তাহলে রাস্তার হক আদায় করবে- আর তা হলো চোখ নিচু রাখা, সালামের উত্তর দেয়া এবং ভাল কথা বলা।

(ই.ফা. ৫৪৬২, ই.সে. ৫৪৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ، بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ بِالطُّرُقَاتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَنَا بُدٌّ مِنْ مَجَالِسِنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا أَبَيْتُمْ إِلاَّ الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا حَقُّهُ قَالَ ‏”‏ غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الأَذَى وَرَدُّ السَّلاَمِ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা পথে বৈঠক করা হতে সাবধান থাকো। তারা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের উপায় নেই। সেখানে আমরা আলাপচারিতায় থাকি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিতান্তই যদি তোমাদের বসতেই হয়, তাহলে তোমরা রাস্তার হক আদায় করবে। তারা প্রশ্ন করলেন, রাস্তার হক কি? তিনি বললেন, দৃষ্টি নিচু রাখা, (কাউকে) কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা, সালামের উত্তর দেয়া এবং সৎ কাজের নির্দেশ করা ও মন্দ কাজে বাধা প্রদান করা।

(ই.ফা. ৫৪৬৩, ই.সে. ৫৪৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، رَافِعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ هِشَامٍ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – كِلاَهُمَا عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৪৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৪৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্‌ সালামের উত্তর দেয়া

৫৫৪৩

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ ‏”‏ ‏.‏ ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ، الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَمْسٌ تَجِبُ لِلْمُسْلِمِ عَلَى أَخِيهِ رَدُّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ كَانَ مَعْمَرٌ يُرْسِلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَأَسْنَدَهُ مَرَّةً عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। অপর বর্ণনায় ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচটি ব্যাপারে মুসলিমের জন্যে তার ভাইয়ের সম্পর্কে ওয়াজিব। ১. সালামের উত্তর দেয়া, ২. হাঁচিদাতাকে (তার ‘আলহাম্‌দু লিল্লাহ্‌’ বলার উত্তরে) ইয়ারহামুকুল্লাহ বলে দু’আ করা, ৩. দা’ওয়াত কবূল করা, ৪. অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং ৫. জানাযার সঙ্গে শারীক হওয়া।

(রাবী) ‘আবদুর রায্‌যাক (রহঃ) বলেন, মা’মার (রহঃ) এ হাদীস যুহরী (রহঃ) হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করতেন, তারপর তিনি ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) -এর সানাদে আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) হতে পূর্ণ সানাদে রিওয়ায়াত করেছেন।

(ই.ফা. ৫৪৬৫, ই.সে. ৫৪৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ مَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ إِذَا لَقِيتَهُ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَإِذَا دَعَاكَ فَأَجِبْهُ وَإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَهُ وَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ فَسَمِّتْهُ وَإِذَا مَرِضَ فَعُدْهُ وَإِذَا مَاتَ فَاتَّبِعْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিমের প্রতি মুসলিমের হক ছয়টি। প্রশ্ন করা হলো- সেগুলো কী, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, (সেগুলো হলো-) ১. কারো সাথে তোমার দেখা হলে তাকে সালাম করবে, ২. তোমাকে দা’ওয়াত করলে তা তুমি কবূল করবে, ৩. সে তোমার নিকট ভাল উপদেশ চাইলে, তুমি তাকে ভাল উপদেশ দিবে, ৪. সে হাঁচি দিয়ে ‘আলহাম্‌দু লিল্লাহ’ বললে, তার জন্যে তুমি (ইয়ারহামুকাল্লাহ্‌ বলে) রহ্‌মাতের দু’আ করবে, ৫. সে পীড়িত হলে তার সেবা-শুশ্রুষা করবে এবং ৬. সে মৃত্যুবরণ করলে তার (জানাযার) সাথে যাবে।

(ই.ফা. ৫৪৬৬, ই.সে. ৫৪৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

আহলে কিতাব (ইয়াহূদী-নাসারা) -কে আগে সালাম করার নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের সালামের উত্তর দেয়ার বিবরণ

৫৫৪৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আহলে কিতাবের কেউ যদি তোমাদের সালাম করে তোমরা (শুধু এতটুকু) বলবে- ওয়া ‘আলাইকুম- (তোমাদের প্রতিও)।

(ই.ফা. ৫৪৬৭, ই.সে. ৫৪৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪৬

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسٍ، أَنَّعليه وسلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْنَا فَكَيْفَ نَرُدُّ عَلَيْهِمْ قَالَ ‏ “‏ قُولُوا وَعَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে প্রশ্ন করলেন, আহলে কিতাবরা তো আমাদের সালাম দিয়ে থাকে, আমরা কেমন করে তাদের উত্তর দিব? তিনি বললেন, তোমরা বলবে, “ওয়া ‘আলাইকুম”।

(ই.ফা. ৫৪৬৮, ই.সে. ৫৪৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى بْنِ يَحْيَى – قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمُوا عَلَيْكُمْ يَقُولُ أَحَدُهُمُ السَّامُ عَلَيْكُمْ فَقُلْ عَلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহুদীরা যে সময় তোমাদের প্রতি সালাম দেয়, সে সময় তাদের কেউ বলে “আস্‌সামু ‘আলাইকুম” (তোমাদের মরণ হোক)। তখন তুমি বলবে ‘ওয়া আলাইকা’- (তোমারও-হোক)।

(ই.ফা. ৫৪৬৯, ই.সে. ৫৪৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪৮

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فَقُولُوا وَعَلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু উমার (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন- তখন তোমরা বলবে “ওয়া আলাইকুম” অর্থাৎ তোমারও (মৃত্যু হোক)। (ই.ফা. ৫৪৭০, ই.সে. ৫৪৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৪৯

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتَأْذَنَ رَهْطٌ مِنَ الْيَهُودِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكُمْ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ بَلْ عَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ أَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ ‏”‏ قَدْ قُلْتُ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ইয়াহূদী রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট (দেখা করার জন্যে) অনুমতি চাইল। তারা সে সময় বলল, (–) তোমাদের মরণ হোক! তখন আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বললেন, (–) “বরং তোমাদের উপরে মরণ ও লা’নাত হোক। ” তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আয়িশাহ্‌! আল্লাহ্‌ তা’আলা সকল বিষয়ে সহনশীলতা পছন্দ করেন। আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বললেন, আপনি কি তাদের কটূক্তি শুনেননি? তিনি বললেন, আমিও তো বলে দিয়েছি “ওয়া আলাইকুম” (তোমাদের উপরেও)।

(ই.ফা. ৫৪৭১, ই.সে. ৫৪৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫০

حَدَّثَنَاهُ حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِمَا جَمِيعًا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَدْ قُلْتُ عَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرُوا الْوَاوَ ‏.‏

যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহ্‌রী (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

তবে এ দু’জনের বর্ণিত হাদীসে আছে যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তো বলেছি- ‘আলাইকুম’ (তোমাদের উপরে) তারা ‘وَ ‘ অব্যয়টির উল্লেখ করেননি।

(ই.ফা. ৫৪৭২, ই.সে. ৫৪৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫১

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُنَاسٌ مِنَ الْيَهُودِ فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ قُلْتُ بَلْ عَلَيْكُمُ السَّامُ وَالذَّامُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا عَائِشَةُ لاَ تَكُونِي فَاحِشَةً ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا سَمِعْتَ مَا قَالُوا فَقَالَ ‏”‏ أَوَلَيْسَ قَدْ رَدَدْتُ عَلَيْهِمُ الَّذِي قَالُوا قُلْتُ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কয়েকজন ইয়াহূদী আসলো। তারা বলল- (–) হে আবুল কাসিম! তোমার মৃত্যু হোক। তিনি বললেন, (–) তোমাদের উপরেও। আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম- (–) বরং তোমাদের মৃত্যু ও অপমান হোক। সে সময় রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আয়িশাহ্‌! তুমি অশ্লীলভাষী হয়ো না। তিনি বললেন, তারা কি বলেছে, তা কি আপনি শুনেননি? তিনি বললেন, তারা যা বলেছিল, তা-ই কি আমি তাদের ফিরিয়ে দেইনি? আমি যা বলেছি- ‘ওয়া আলাইকুম’ তোমাদের উপরেও।

(ই.ফা. ৫৪৭৩, ই.সে. ৫৪৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫২

حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَفَطِنَتْ بِهِمْ عَائِشَةُ فَسَبَّتْهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَهْ يَا عَائِشَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْفُحْشَ وَالتَّفَحُّشَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ وَإِذَا جَاءُوكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللَّهُ‏}‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আ’মাশ (রহঃ) উপরোক্ত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন, আয়িশাহ্‌ (রাঃ) তাদের চক্রান্ত বুঝে ফেললেন এবং তাদের বকা দিলেন। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, চুপ কর, হে আয়িশাহ্‌! কারন আল্লাহ্‌ তা’আলা অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা পছন্দ করেন না। তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সে সময় মহামহিমান্বিত আল্লাহ্‌ অবতীর্ণ করলেন- ‘আর যারা তারা (ইয়াহূদীরা) আপনার নিকট আসে, সে সময় তারা আপনাকে এমন (কতিপয় বাক্য বলে) সম্ভাষণ করে, যেমন (বাক্য দ্বারা) আল্লাহ্‌ আপনাকে সম্ভাষণ করেননি…..” (সূরাহ্‌ আল-মুজালাদাহ্‌ ৫৮ : ৮) আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (ই.ফা. ৫৪৭৪, ই.সে. ৫৪৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫৩

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَلَّمَ نَاسٌ مِنْ يَهُودَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ وَغَضِبَتْ أَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ ‏”‏ بَلَى قَدْ سَمِعْتُ فَرَدَدْتُ عَلَيْهِمْ وَإِنَّا نُجَابُ عَلَيْهِمْ وَلاَ يُجَابُونَ عَلَيْنَا ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহূদীদের কিছু লোক রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সালাম দিল। তারা বলল- ‘আস্‌সামু আলাইকা ইয়া আবাল কাসিম’। তিনি বললেন, “ওয়া আলাইকুম”। তখন আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বললেন, সে সময় তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন- তারা কি বলল, আপনি কি শোনেননি? তিনি বললেন- হ্যাঁ, শুনেছি এবং তাদের উপর তা ফিরিয়ে দিয়েছি। তাদের বিপক্ষে আমাদের (প্রার্থনা) মঞ্জুর করা হয় কিন্তু আমাদের বিপক্ষে তাদের (প্রার্থনা) কবূল করা হয় না।

(ই.ফা. ৫৪৭৫, ই.সে. ৫৪৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَلاَ النَّصَارَى بِالسَّلاَمِ فَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ فِي طَرِيقٍ فَاضْطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারাদের আগে বাড়িয়ে সালাম করো না এবং তাদের কাউকে রাস্তায় দেখলে তাকে রাস্তার পাশে চলতে বাধ্য করো।

(ই.ফা. ৫৪৭৬, ই.সে. ৫৪৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ، بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، كُلُّهُمْ عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ وَكِيعٍ ‏”‏ إِذَا لَقِيتُمُ الْيَهُودَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ فِي أَهْلِ الْكِتَابِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ جَرِيرٍ ‏”‏ إِذَا لَقِيتُمُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يُسَمِّ أَحَدًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ ‏.‏

ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ওয়াকী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে- ‘যখন তোমরা ইয়াহূদীদের সাথে সাক্ষাৎ করবে…’। আর শু’বাহ্‌ (রহঃ) হতে গৃহীত ইবনু জা’ফার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে- ‘তিনি আহলে কিতাব সমন্ধে বলেছেন’। … আর জারীর (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে- ‘যখন তোমরা তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবে’ … তিনি মুশরিকদের কোন দলের নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫৪৭৭, ই.সে. ৫৪৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

শিশুদের সালাম করা মুস্তাহাব

৫৫৫৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى غِلْمَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল বালকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে সময় তিনি তাদের সালাম দিলেন।

(ই.ফা. ৫৪৭৮, ই.সে. ৫৫০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫৭

وَحَدَّثَنِيهِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

সাইয়্যার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

৫৫৫৭-(…/…) …..ইসমা‘ঈল ইবনু সালিম (রহঃ) সাইয়্যার (রহঃ) -এর সানাদে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৪৭৮, ই.সে. ৫৫০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৫৮

وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارٍ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَحَدَّثَ ثَابِتٌ أَنَّهُ كَانَ يَمْشِي مَعَ أَنَسٍ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَحَدَّثَ أَنَسٌ أَنَّهُ كَانَ يَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ‏.‏

সাইয়্যার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাবিত বুনানী (রহঃ) -এর সাথে হাঁটতে ছিলাম। তিনি একদল কিশোরের নিকট দিয়ে গমনের সময় তাদের সালাম দিলেন এবং (তখন) সাবিত (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি আনাস (রাঃ) -এর সাথে পায়ে হেঁটে চলছিলেন। তিনি (আনাস) একদল কিশোরের নিকট দিয়ে গেলেন এবং তাদের সালাম দিলেন, আনাস (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি (একবার) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে পায়ে হেঁটে চলছিলেন, তিনি, নাবী, (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিশোরদের নিকট দিয়ে চললেন এবং তাদের সালাম দিলেন।

(ই.ফা. ৫৪৭৯ ই.সে. ৫৫০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

পর্দা তুলে দেয়া বা অপর কোন আলামতকে ‘অনুমতি’ বানানো বৈধ

৫৫৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُوَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذْنُكَ عَلَىَّ أَنْ يُرْفَعَ الْحِجَابُ وَأَنْ تَسْتَمِعَ سِوَادِي حَتَّى أَنْهَاكَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, আমার নিকট তোমার জন্যে প্রবেশাধিকার হলো পর্দা উঠিয়ে রাখা এবং (ঘরে) আমার আলাপচারিতা শুনতে পাওয়া। যে পর্যন্ত না আমি তোমাকে বারণ করি।

(ই.ফা. ৫৪৮০, ই.সে. ৫৫০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬০

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

হাসান ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও ইস্‌হাক ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ….. হাসান ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৪৮১, ই.সে. ৫৫০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্যে মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়ার বৈধতা

৫৫৬১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَتْ سَوْدَةُ بَعْدَ مَا ضُرِبَ عَلَيْهَا الْحِجَابُ لِتَقْضِيَ حَاجَتَهَا وَكَانَتِ امْرَأَةً جَسِيمَةً تَفْرَعُ النِّسَاءَ جِسْمًا لاَ تَخْفَى عَلَى مَنْ يَعْرِفُهَا فَرَآهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ يَا سَوْدَةُ وَاللَّهِ مَا تَخْفَيْنَ عَلَيْنَا فَانْظُرِي كَيْفَ تَخْرُجِينَ ‏.‏ قَالَتْ فَانْكَفَأَتْ رَاجِعَةً وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي وَإِنَّهُ لَيَتَعَشَّى وَفِي يَدِهِ عَرْقٌ فَدَخَلَتْ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي خَرَجْتُ فَقَالَ لِي عُمَرُ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَتْ فَأُوحِيَ إِلَيْهِ ثُمَّ رُفِعَ عَنْهُ وَإِنَّ الْعَرْقَ فِي يَدِهِ مَا وَضَعَهُ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لَكُنَّ أَنْ تَخْرُجْنَ لِحَاجَتِكُنَّ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ يَفْرَعُ النِّسَاءَ جِسْمُهَا ‏.‏ زَادَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ هِشَامٌ يَعْنِي الْبَرَازَ ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পর্দার বিধান আমাদের উপরে আসার পর সাওদাহ্‌ (রাঃ) তার প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন, তিনি ছিলেন স্বাস্থ্যবতী, দেহাকৃতিতে তিনি মহিলাদের উপরে থাকতেন; যারা তাঁকে চিনতো, তাদের নিকট নিজেকে আড়াল করতে পারতেন না। তখন উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাকে দেখতে পেয়ে বললেন, হে সাওদাহ্‌! আল্লাহ্‌র কসম! তুমি আমাদের নিকট আড়াল করতে পারবে না। চিন্তা করে দেখো, কিভাবে তুমি বের হচ্ছো? আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনে তিনি ফিরে আসলেন। সে সময় রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরে ছিলেন এবং রাতে আহার করছিলেন। তাঁর হাতে সে সময় গোশ্‌তের টুকরো একটি হাড় ছিল। সাওদাহ্‌ (রাঃ) (প্রবেশ করে বললেন,) হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি বের হয়েছিলাম, উমার আমাকে এ এ কথা বলেছে। আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বলেন, সে সময় আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ করেন। অতঃপর তাঁর উপর হতে (ওয়াহীর) অবস্থা উঠিয়ে নেয়া হয় এবং হাড়টি তখনও তাঁর হাতেই ছিল, তা তিনি রেখে দেননি। তখন তিনি বললেন, তোমাদের দরকারে বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে (এ বর্ণনা আবূ কুরায়ব-এর)।

আবূ বাক্‌র (রহঃ) বর্ণিত বর্ণনায় রয়েছে-“তাঁর দেহাকৃতি নারীদের ঊর্ধ্বে থাকত”। আবূ বাক্‌র (রহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে বেশি বর্ণনা করেছেন যে, বর্ণনাকারী হিশাম (রহঃ) বলেছেন, (আরবি) অর্থাৎ-পায়খানার প্রয়োজনে।

(ই.ফা. ৫৪৮২, ই.সে. ৫৫০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬২

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ وَكَانَتِ امْرَأَةً يَفْرَعُ النَّاسَ جِسْمُهَا ‏.‏ قَالَ وَإِنَّهُ لَيَتَعَشَّى ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ কুরায়ব (রহঃ) ….. হিশাম (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ছিলেন এমন এক নারী, যার শরীর অন্যদের তুলনায় উঁচু থাকত। তিনি (আরও) বলেছেন, আর তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের খাবার গ্রহণ করছিলেন। (ই.ফা. ৫৪৮৩, ই.সে. ৫৫০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬৩

وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সুওয়াইদ ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) ….. হিশাম (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৪৮৩, ই.সে. ৫৫০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُنَّ يَخْرُجْنَ بِاللَّيْلِ إِذَا تَبَرَّزْنَ إِلَى الْمَنَاصِعِ وَهُوَ صَعِيدٌ أَفْيَحُ وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْجُبْ نِسَاءَكَ ‏.‏ فَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ فَخَرَجَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي عِشَاءً وَكَانَتِ امْرَأَةً طَوِيلَةً فَنَادَاهَا عُمَرُ أَلاَ قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا سَوْدَةُ ‏.‏ حِرْصًا عَلَى أَنْ يُنْزِلَ الْحِجَابَ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْحِجَابَ ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রীগণ প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়ার (প্রস্রাব-পায়খানায় যাওয়ার) সময় রাতের বেলা ‘মানাসি’-এর দিকে বেরিয়ে যেতেন। ‘মানাসি’ হলো প্রশস্ত খোলা জায়গা। ওদিকে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতেন- আপনার স্ত্রীগণের প্রতি পর্দার বিধান আরোপ করুন। কিন্তু রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটি করেননি। একরাতে ‘ইশার সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী সাওদাহ্‌ বিনতু যাম্‌‘আহ্‌ (রাঃ) বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাঙ্গী নারী। উমার (রাঃ) তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন, হে সাওদাহ্‌! আমরা তোমাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার বিধান অবতীর্ণ করার প্রতি দৃঢ় প্রত্যাশায় তিনি এমন করলেন।

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বলেন, তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা পর্দা-বিধি অবতীর্ণ করলেন।

(ই.ফা. ৫৪৮৪, ই.সে. ৫৫০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬৫

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

৫৫৬৫-(…/…) আম্‌র ইন্‌ নাকিদ (রহঃ) ….. ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত হাদীস সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৪৮৫, ই.সে. ৫৫০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

নির্জনে আজ্‌নাবিয়্যাহ্‌ [২৪] মেয়েলোকের নিকট অবস্থান করা এবং তার নিকট প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধকরণ

৫৫৬৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَلاَ لاَ يَبِيتَنَّ رَجُلٌ عِنْدَ امْرَأَةٍ ثَيِّبٍ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ نَاكِحًا أَوْ ذَا مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! কোন পুরুষ কোন বয়স্কা নারীর সাথে কিছুতেই রাত্রি যাপন করবে না; তবে যদি সে তার স্বামী হয় কিংবা মাহ্‌রাম হয় (তাহলে করতে পারে)।

(ই.ফা. ৫৪৮৬, ই.সে. ৫৫১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪] যে নারীর সঙ্গে কোন পুরুষের বিবাহ বন্ধন স্থায়ীভাবে বৈধ- ইসলামী শারী‘আতে সে নারীকে ঐ পুরুষের জন্য ‘আজ্নাবিয়্যাহ্’ তথা বেগানাহ্ বলা হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلَى النِّسَاءِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَرَأَيْتَ الْحَمْوَ قَالَ ‏”‏ الْحَمْوُ الْمَوْتُ ‏”‏ ‏.‏

উকবাহ্‌ ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! (বেগানাহ) নারীদের নিকট তোমরা প্রবেশ করা পরিত্যাগ করো। সে সময় আনসারীদের এক লোক বলল- দেবর সম্পর্কে আপনার কি মতামত? তিনি বললেন- দেবর তো মৃত্যু তুল্য।

(ই.ফা. ৫৪৮৭, ই.সে. ৫৫১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬৮

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، وَاللَّيْثِ، بْنِ سَعْدٍ وَحَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ وَغَيْرِهِمْ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ، حَدَّثَهُمْ بِهَذَا الإِسْنَادِ، مِثْلَهُ ‏.‏

ইয়াযীদ আবূ হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তাহির (রহঃ) ….. ইয়াযীদ আবূ হাবীব (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৪৮৮, ই.সে. ৫৫১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৬৯

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ اللَّيْثَ بْنَ سَعْدٍ، يَقُولُ الْحَمْوُ أَخُ الزَّوْجِ وَمَا أَشْبَهَهُ مِنْ أَقَارِبِ الزَّوْجِ ابْنُ الْعَمِّ وَنَحْوُهُ ‏.‏

ইবনু ওয়াহ্‌ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ওয়াহ্‌ব (রহঃ) বলেন, লায়স ইবনু সা’দ (রহঃ) -কে আমি বলতে শুনেছি যে, (–) শব্দের অর্থ স্বামীর ভাই (দেবর-ভাসুর) এবং স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে তার (স্বামীর ভাইয়ের) সমপর্যায়ের চাচাত ভাই প্রমুখ। (ই.ফা. ৫৪৮৯, ই.সে. ৫৫১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭০

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ بَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ حَدَّثَهُ أَنَّ نَفَرًا مِنْ بَنِي هَاشِمٍ دَخَلُوا عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ وَهِيَ تَحْتَهُ يَوْمَئِذٍ فَرَآهُمْ فَكَرِهَ ذَلِكَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ لَمْ أَرَ إِلاَّ خَيْرًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَرَّأَهَا مِنْ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ ‏”‏ لاَ يَدْخُلَنَّ رَجُلٌ بَعْدَ يَوْمِي هَذَا عَلَى مُغِيبَةٍ إِلاَّ وَمَعَهُ رَجُلٌ أَوِ اثْنَانِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) [‘আবদুর রহ্‌মান ইবনু জুবায়র (রাঃ) -এর নিকট] থেকে বর্ণিতঃ

(বানূ) হাশিম সম্প্রদায়ের একদল লোক আসমা বিনতু উমায়স (রাঃ) -এর নিকট প্রবেশ করলো। তারপর আবূ বাক্‌র সিদ্দীক (রাঃ) ও (গৃহে) প্রবেশ করলেন, তখন তিনি [আসমা (রাঃ) ], তাঁর সহধর্মিণী ছিলেন। তাদের দেখতে পেয়ে ঐ বিষয়টি (অনুমতি ছাড়া প্রবেশ) অপছন্দ করলেন। তিনি তা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আলোচনা করলেন এবং (এ কথাও) বললেন, ‘অকল্যাণ কিছুই দেখিনি’। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআল্লাহ্‌ অবশ্যই তাকে এ থেকে পবিত্র রেখেছেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে দাঁড়িয়ে বললেন, আমার আজকের এ দিনের পরে কোন পুরুষ তার সঙ্গে একজন পুরুষ বা দু’জন পুরুষ ছাড়া কোন মহিলার নিকট প্রবেশ করবে না যার স্বামী উপস্থিত নেই।

(ই.ফা. ৫৪৯০, ই.সে. ৫৫১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা পেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কু-ধারণা কে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব

৫৫৭১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ مَعَ إِحْدَى نِسَائِهِ فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَدَعَاهُ فَجَاءَ فَقَالَ ‏”‏ يَا فُلاَنُ هَذِهِ زَوْجَتِي فُلاَنَةُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كُنْتُ أَظُنُّ بِهِ فَلَمْ أَكُنْ أَظُنُّ بِكَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণের কোন একজনের সাথে ছিলেন, সে সময় তাঁর নিকট দিয়ে এক লোক যাচ্ছিল। তিনি তাকে ডাকলেন। সে (কাছে) আসলে তিনি বললেন, ওহে! এটা আমার অমুক স্ত্রী। সে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! অপর কারো সম্বন্ধে আমি মন্দ ধারণা করলেও হয়ত করতাম, কিন্তু আপনার সম্বন্ধে তো মন্দ ধারণা করতাম না। সে সময় রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শাইতান মানুষের রক্ত সঞ্চারণের শিরায় শিরায় চলাফেরা করে থাকে।

(ই.ফা. ৫৪৯১, ই.সে. ৫৫১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭২

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ – قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ لأَنْقَلِبَ فَقَامَ مَعِيَ لِيَقْلِبَنِي ‏.‏ وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَرًّا ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

সাফিয়্যাহ্‌ বিনতু হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফরত ছিলেন। আমি রাত্রিতে তাঁর সাথে দেখা করতে এলাম। (কিছু সময়) তাঁর সাথে কথা বললাম, এরপর ফিরে যাওয়ার জন্যে উঠলাম। তিনিও আমাকে বিদায় দেয়ার জন্যে আমার সঙ্গে উঠলেন। (বর্ণনাকারী বলেন) , সে সময় তার [সাফিয়্যাহ্‌ (রাঃ) ] বাসস্থান ছিল উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) -এর ঘরে। তখন (সেখান দিয়ে) আনসারীদের দু’জন লোক গমন করছিলেন। তারা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে (এক মহিলার সঙ্গে) দেখতে পেয়ে জলদি যেতে লাগল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেনঃ তোমরা দু’জন আস্তে আস্তে যাও। এ কিন্তু সাফিয়্যাহ্‌ বিনতু হুয়াই (আমার স্ত্রী)। তারা দু’জন বলল, সুব্‌হানাল্লাহ্‌! হে আল্লাহ্‌র রসূল (আমরা তো কিছু ভাবিনি) ! তিনি বললেন, শাইতান মানুষের শিরায় শিরায় চলাফেরা করে। আর আমি আশঙ্কা করলাম যে, শাইতান তোমাদের দু’জনের মনে কোন মন্দ ধারণা ঢেলে দিবে অথবা (বর্ণনা সন্দেহ) এ বিষয়ে কোন কিছু তৈরি করতে পারে।

(ই.ফা. ৫৪৯২, ই.সে. ৫৫১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭৩

وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ وَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَعْمَرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ يَجْرِي ‏”‏ ‏.‏

আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী সাফিয়্যাহ্‌ (রাঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রমাযানের শেষ দশকে মাসজিদে (নাবাবীতে) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ই’তিকাফের সময় তিনি তাঁর সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁর সাথে কিছু সময় আলোচনা করলেন, তারপর প্রত্যাবর্তনের জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -ও তাঁকে বিদায় দিতে উঠে দাঁড়ালেন …..। অতঃপর (পূর্ববর্তী হাদীসের রাবী) মা’মার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, শাইতান মানুষের রক্ত সঞ্চারণের শিরায় শিরায় পৌঁছে। “প্রবাহিত হয়” বলেননি। (বরং তিনি এ বর্ণনায় (আরবি) বলেছেন, তিনি (আরবি) বলেন নি

(ই.ফা. ৫৪৯২, ই.সে. ৫৫১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

কোন মাজলিসে উপস্থিত হয়ে ফাঁকা স্থান পেলে সেখানে বসে পড়া; নচেৎ সবার পিছনে বসা

৫৫৭৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّالله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَالنَّاسُ مَعَهُ إِذْ أَقْبَلَ نَفَرٌ ثَلاَثَةٌ فَأَقْبَلَ اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَهَبَ وَاحِدٌ ‏.‏ قَالَ فَوَقَفَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَرَأَى فُرْجَةً فِي الْحَلْقَةِ فَجَلَسَ فِيهَا وَأَمَّا الآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ وَأَمَّا الثَّالِثُ فَأَدْبَرَ ذَاهِبًا فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ عَنِ النَّفَرِ الثَّلاَثَةِ أَمَّا أَحَدُهُمْ فَأَوَى إِلَى اللَّهِ فَآوَاهُ اللَّهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَاسْتَحْيَا فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ওয়াকিদ লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে আমাদের মধ্যে বসা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে সাহাবীগণের এক দলও ছিল। এ সময় তিনজনের একটি জামা‘য়াত সামনে আসলো। এদের দু’জন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দিকে অগ্রসর হলো, আর একজন চলে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, তারা দু’জন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সম্মুখে থেমে গেল। তারপর তাদের একজন সমাবেশের মধ্যে একটু খোলা জায়গা দেখতে পেয়ে সেখানে বসে গেল, দ্বিতীয়জন তাদের (মাজলিসের) পিছনে বসল আর তৃতীয় লোক পেছনে ফিরে চলে গেল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাজলিস) সমাপ্ত করে বললেন, শুন! তিনজনের ক্ষুদে দলটি সম্বন্ধে কি আমি তোমাদের সংবাদ দিব না?- তাদের একজন তো আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় নিল, আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে আশ্রয় দিলেন। আর একজন লজ্জা সংকোচ করল, আল্লাহ্‌ তার লজ্জা-(এর মর্যাদা) রক্ষা করলেন। আর তৃতীয়জন মুখ ফিরিয়ে নিলো, আল্লাহ্‌ তা’আলাও তার হতে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলেন।

(ই.ফা. ৫৪৯৩, ই.সে. ৫৫১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭৫

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَرْبٌ، – وَهُوَ ابْنُ شَدَّادٍ – ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ، أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَهُ فِي، هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ فِي الْمَعْنَى ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আবূ তাল্‌হাহ্‌ (রহঃ) এ সূত্রে তার নিকট হুবহু অর্থের হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।

(ই.ফা. ৫৪৯৪, ই.সে. ৫৫১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

আগে এসে বসা বৈধ অবস্থান থেকে কোন মানুষকে উঠিয়ে দেয়া হারাম

৫৫৭৬

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُقِيمَنَّ أَحَدُكُمُ الرَّجُلَ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কখনো কোন লোককে তার বসার জায়গা হতে উঠিয়ে দিয়ে সেথায় না বসে। (ই.ফা. ৫৪৯৫, ই.সে. ৫৫২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهْوَ الْقَطَّانُ – ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي الثَّقَفِيَّ – كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ وَابْنُ نُمَيْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُقِيمُ الرَّجُلُ الرَّجُلَ مِنْ مَقْعَدِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ وَلَكِنْ تَفَسَّحُوا وَتَوَسَّعُوا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু উমার (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন লোক কোন লোককে তার বসার স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেথায় বসবে না বরং তোমরা (বলবে) প্রশস্ত করে দাও, জায়গা বিস্তার করে দাও। (ই.ফা. ৫৪৯৬, ই.সে. ৫৫২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، بْنُ حَبِيبٍ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ – كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِي الْحَدِيثِ ‏ “‏ وَلَكِنْ تَفَسَّحُوا وَتَوَسَّعُوا ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ فِي حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ قُلْتُ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَغَيْرِهَا ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (উপরোক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী) লায়স (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এদের বর্ণিত হাদীসে “বরং তোমরা বিস্তৃত করে দাও, প্রশস্ত করে দাও” (কথাটি) বর্ণনা করেননি। আর (তৃতীয় সানাদের) বর্ণনাকারী ইবনু জুরায়জ বর্ধিত রিওয়ায়াত করেছেন যে, আমি নাফি’কে প্রশ্ন করলাম- (এ বিধান) জুমু’আর দিনের জন্য? তিনি বললেন, জুমু’আহ ও অন্যান্য (সকল) দিবসের জন্যে। (ই.ফা. ৫৪৯৭, ই.সে. ৫৫২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৭৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُقِيمَنَّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ ثُمَّ يَجْلِسُ فِي مَجْلِسِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا قَامَ لَهُ رَجُلٌ عَنْ مَجْلِسِهِ لَمْ يَجْلِسْ فِيهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন তার ভাইকে তার বসার জায়গা হতে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে না বসে। আর ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর আচরন ছিল যে, কোন লোক তাঁর জন্যে নিজের বসার স্থান থেকে উঠে গেলে তিনি সেথায় বসতেন না। (ই.ফা. ৫৪৯৮, ই.সে. ৫৫২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৮০

وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

মা’মার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) , ‘আবদুর রাযযাক ও মা’মার (রহঃ) হতে উপরোক্ত সুত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৪৯৯, ই.সে. ৫৫২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৮১

وَحَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – وَهُوَ ابْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ – عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُقِيمَنَّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ لْيُخَالِفْ إِلَى مَقْعَدِهِ فَيَقْعُدَ فِيهِ وَلَكِنْ يَقُولُ افْسَحُوا ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ জুমু’আর দিনে তোমাদের কেউ (মাসজিদের কাতার হতে) তার ভাইকে উঠিয়ে দিয়ে তার বসার জায়গায় বসবে না বরং সে বলব, ‘বিস্তার করে দিন’। (ই.ফা. ৫৫০০, ই.সে. ৫৫২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

কেউ আসন ছেড়ে উঠে গিয়ে আবার ফিরে আসলে সে অধিক হকদার হবে

৫৫৮২

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، وَقَالَ، قُتَيْبَةُ أَيْضًا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – كِلاَهُمَا عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ ‏”‏ مَنْ قَامَ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ‘তোমাদের কেউ’ যখন (তার স্থান থেকে) (কিছু সময়ের জন্যে) উঠে যায়…… এ বর্ণনা কুতাইবাহ (রাঃ) -এর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) -এর এবং অপর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী আবূ ‘আওয়ানাহ (রহঃ) -এর বর্ণিত হাদীসে আছে, যে লোক তার জায়গা ছেড়ে উঠে যাওয়ার পর আবার সেখানে ফিরে আসে, তাহলে সে সেই স্থানে (পুনরায় বসার ব্যাপারে) বেশি হকদার। (ই.ফা. ৫৫০১, ই.সে. ৫৫২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ

পরিচয়বিহীন (অমুহরিম) নারীদের নিকট হিজড়াকে প্রবেশে বাধাদান

৫৫৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَيْضًا – وَاللَّفْظُ هَذَا – حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ، بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ مُخَنَّثًا، كَانَ عِنْدَهَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْبَيْتِ فَقَالَ لأَخِي أُمِّ سَلَمَةَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أُمَيَّةَ إِنْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ الطَّائِفَ غَدًا فَإِنِّي أَدُلُّكَ عَلَى بِنْتِ غَيْلاَنَ فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ ‏.‏ قَالَ فَسَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ لاَ يَدْخُلْ هَؤُلاَءِ عَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক হিজড়া তার নিকট বসা ছিল। সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে ছিলেন। সে উম্মু সালামাহ (রাঃ) -এর ভাইকে বলতে লাগল-হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়াহ! যদি আগামী দিনে আল্লাহ্ তা’আলা আপনাদেরকে ‘তায়িফ’ বিজয়ী করেন, তাহলে আমি আপনাকে ‘গাইলান-কন্যাকে দেখাব, সে ‘চার’টি নিয়ে সম্মুখে আসে আর ‘আট’টি নিয়ে পশ্চাৎদিকে যায়।[২৫] রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ ধরনের কথা বলতে শুনে বললেন, এ যেন তোমাদের নিকট প্রবেশ না করে।

(ই.ফা. ৫৫০২, ই.সে. ৫৫২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫] অর্থাৎ চলার সময় তার মেদ স্ফীত পেটের সম্মুখে থেকে চারটি ভাঁজ আর পেছন থেকে আট টি ভাঁজ পরিলক্ষিত হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৮৪

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُخَنَّثٌ فَكَانُوا يَعُدُّونَهُ مِنْ غَيْرِ أُولِي الإِرْبَةِ – قَالَ – فَدَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا وَهُوَ عِنْدَ بَعْضِ نِسَائِهِ وَهُوَ يَنْعَتُ امْرَأَةً قَالَ إِذَا أَقْبَلَتْ أَقْبَلَتْ بِأَرْبَعٍ وَإِذَا أَدْبَرَتْ أَدْبَرَتْ بِثَمَانٍ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَلاَ أَرَى هَذَا يَعْرِفُ مَا هَا هُنَا لاَ يَدْخُلَنَّ عَلَيْكُنَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَحَجَبُوهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক হিজড়া, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সহধর্মিণীগণের নিকট প্রবেশ করত। মানুষজন তাকে বুদ্ধি জ্ঞানহীন হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত মনে করত। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন গৃহে প্রবেশ করলেন, তখন সে তাঁর কোন এক স্ত্রীর নিকট ছিল আর সে এক মহিলার (দেহ সৌষ্ঠবের) বর্ণনা দিয়ে বলছিল- ‘যখন সম্মুখে অগ্রসর হয় তখন চার (ভাঁজ) নিয়ে অগ্রসর হয় এবং যখন পশ্চাতে ফিরে তখন আটটি নিয়ে ফিরে যায়। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সাবধান! এ তো দেখছি এখানকার (নারী রহস্যের) বিষয়াদি বুঝে শুনে। সে যেন তোমাদের নিকট কখনো প্রবেশ না করে। তিনি [আয়িশাহ (রাঃ) ] বলেন, তারপর তারা তার থেকে পর্দা করতো।

(ই.ফা. ৫৫০৩, ই.সে. ৫৫২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অধ্যায়ঃ

অজ্ঞাত নারী পথ-শ্রান্ত হলে তাকে আরোহণের পিছে বসিয়ে দেয়া বৈধ

৫৫৮৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ تَزَوَّجَنِي الزُّبَيْرُ وَمَا لَهُ فِي الأَرْضِ مِنْ مَالٍ وَلاَ مَمْلُوكٍ وَلاَ شَىْءٍ غَيْرَ فَرَسِهِ – قَالَتْ – فَكُنْتُ أَعْلِفُ فَرَسَهُ وَأَكْفِيهِ مَئُونَتَهُ وَأَسُوسُهُ وَأَدُقُّ النَّوَى لِنَاضِحِهِ وَأَعْلِفُهُ وَأَسْتَقِي الْمَاءَ وَأَخْرِزُ غَرْبَهُ وَأَعْجِنُ وَلَمْ أَكُنْ أُحْسِنُ أَخْبِزُ وَكَانَ يَخْبِزُ لِي جَارَاتٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَكُنَّ نِسْوَةَ صِدْقٍ – قَالَتْ – وَكُنْتُ أَنْقُلُ النَّوَى مِنْ أَرْضِ الزُّبَيْرِ الَّتِي أَقْطَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَأْسِي وَهْىَ عَلَى ثُلُثَىْ فَرْسَخٍ – قَالَتْ – فَجِئْتُ يَوْمًا وَالنَّوَى عَلَى رَأْسِي فَلَقِيتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَدَعَانِي ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ إِخْ إِخْ ‏”‏ ‏.‏ لِيَحْمِلَنِي خَلْفَهُ – قَالَتْ – فَاسْتَحْيَيْتُ وَعَرَفْتُ غَيْرَتَكَ فَقَالَ وَاللَّهِ لَحَمْلُكِ النَّوَى عَلَى رَأْسِكِ أَشَدُّ مِنْ رُكُوبِكِ مَعَهُ ‏.‏ قَالَتْ حَتَّى أَرْسَلَ إِلَىَّ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَ ذَلِكَ بِخَادِمٍ فَكَفَتْنِي سِيَاسَةَ الْفَرَسِ فَكَأَنَّمَا أَعْتَقَتْنِي ‏.‏

আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যুবায়র (রাঃ) আমাকে বিবাহ করলেন, সে সময় একটি ঘোড়া কোন যোগ্য সম্পদ, গোলাম বা অন্য কোন কিছু দুনিয়াতে তার ছিল না। তিনি বলেন, আমি তার ঘোড়াটাকে ঘাস খাওয়াতাম, তার পারিবারিক কাজকর্মেও সঙ্গ দিতাম। আমি তার যত্ন নিতাম, তার পানিবাহী উটের জন্যে খর্জুর বীচি কুড়াতাম, তাকে ঘাস খাওয়াতাম, পানি নিয়ে আসতাম, তার ঢোল ইত্যাদি মেরামত করতাম এবং (রুটির জন্য) আটা মাখতাম। তবে আমি ভাল রুটি বানাতে পারতাম না। তাই আমার কতিপয় আনসারী সাথীর মনিরা আমাকে রুটি পাকিয়ে দিত। তারা ছিল স্বার্থহীন রমণী। আমি যুবায়র-এর জমি থেকে যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জায়গীর রূপে দিয়েছিলেন (সেখান থেকে) খেজুর বীচি (কুড়িয়ে) আমার মাথায় করে বয়ে আনতাম। সে (জমি) ছিল এক ক্রোসের দু’-তৃতীয়াংশ (প্রায় দু’মাইল) দূরে অবস্থিত। তিনি বলেন, আমি একদিন আসছিলাম আর বীচি(-র বোঝা) আমার মাথায় ছিল। (পথে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দেখা পেলাম, সে সময় তাঁর সাথে সাহাবীগণের একটি ক্ষুদ্র দল ছিল। তিনি আমাকে ডাকলেন এবং (তাঁর বাহন উটটিকে বসাবার জন্যে) ইখ ইখ (আওয়াজ) করলেন যাতে আমাকে সেটির পেছনে উঠিয়ে নিতে পারেন। তিনি [আসমা (রাঃ) ] বলেন, আমি লজ্জাবোধ করলাম আর আমি ছিলাম তোমার [যুবায়র (রযিঃ) ] আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি [যুবায়র (রাঃ) ] বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমার মাথায় করে বীচি বয়ে আনাটা (আমার নিকট) তাঁর সাথে তোমার আরোহণের চাইতে অনেক কঠিন (ও কষ্টকর)। তিনি বলেন, অতঃপর (আব্বা) আবূ বাকর (রাঃ) আমার নিকট একটি খাদিম প্রেরণ করলেন। ঘোড়াটি দেখা-শুনার কাজে সে আমার পক্ষে যথেষ্ট হয়ে গেল। সে যেন আমাকে এ দায়িত্ব হতে মুক্ত করেছিল।

(ই.ফা. ৫৫০৪, ই.সে. ৫৫২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ أَسْمَاءَ، قَالَتْ كُنْتُ أَخْدُمُ الزُّبَيْرَ خِدْمَةَ الْبَيْتِ وَكَانَ لَهُ فَرَسٌ وَكُنْتُ أَسُوسُهُ فَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْخِدْمَةِ شَىْءٌ أَشَدَّ عَلَىَّ مِنْ سِيَاسَةِ الْفَرَسِ كُنْتُ أَحْتَشُّ لَهُ وَأَقُومُ عَلَيْهِ وَأَسُوسُهُ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ إِنَّهَا أَصَابَتْ خَادِمًا جَاءَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَبْىٌ فَأَعْطَاهَا خَادِمًا ‏.‏ قَالَتْ كَفَتْنِي سِيَاسَةَ الْفَرَسِ فَأَلْقَتْ عَنِّي مَئُونَتَهُ فَجَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ يَا أُمَّ عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ فَقِيرٌ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَ فِي ظِلِّ دَارِكِ ‏.‏ قَالَتْ إِنِّي إِنْ رَخَّصْتُ لَكَ أَبَى ذَاكَ الزُّبَيْرُ فَتَعَالَ فَاطْلُبْ إِلَىَّ وَالزُّبَيْرُ شَاهِدٌ فَجَاءَ فَقَالَ يَا أُمَّ عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ فَقِيرٌ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَ فِي ظِلِّ دَارِكِ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا لَكَ بِالْمَدِينَةِ إِلاَّ دَارِي فَقَالَ لَهَا الزُّبَيْرُ مَا لَكِ أَنْ تَمْنَعِي رَجُلاً فَقِيرًا يَبِيعُ فَكَانَ يَبِيعُ إِلَى أَنْ كَسَبَ فَبِعْتُهُ الْجَارِيَةَ فَدَخَلَ عَلَىَّ الزُّبَيْرُ وَثَمَنُهَا فِي حَجْرِي ‏.‏ فَقَالَ هَبِيهَا لِي ‏.‏ قَالَتْ إِنِّي قَدْ تَصَدَّقْتُ بِهَا ‏.‏

ইবনু আবু মুলাইকাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসমা (রাঃ) বলেছেন, আমি পারিবারিক কাজে যুবায়র (রাঃ) -এর সেবা করতাম। তার একটি ঘোড়া ছিল। আমি (-ই) তা দেখাশুনা করতাম। ঘোড়াটির দেখাশুনা করার চেয়ে কোন কর্ম আমার নিকট ভারী ছিল না। আমি তার জন্যে ঘাস যোগাড় করতাম, তার দেখাশুনা ও সেবা-পরিচর্যা করতে থাকতাম। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি একটি খাদিম পেলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট কিছু যুদ্ধবন্দী এলে তিনি তাকে একটি খাদিম দিলেন। তিনি [আসমা (রাঃ) ] বলেন, সে (খাদিম) ঘোড়ার দেখাশুনায় আমার জন্যে যথেষ্ট হলো এবং আমি দায়িত্বমুক্ত হলাম।

তখন এক অভাবী লোক আমার নিকট এসে বলল, হে ‘আবদুল্লাহর মা! আমি একজন অভাবী মানুষ, আপনার গৃহের ছায়ায় বসে বেচাকেনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তিনি বললেন, তোমাকে আমি অনুমতি দিয়ে ফেললে যুবায়র (রাঃ) (সম্ভবত) তা বাতিল করবে। তাই এক কাজ করো, যুবায়র (রাঃ) উপস্থিত থাকা অবস্থায় তুমি এসে আমার নিকট প্রস্তাব করবে। ঠিক সময় এসে সে বলল, হে ‘আবদুল্লাহর মা! আমি একজন অভাবী মানুষ, আপনার গৃহের ছায়ায় বসে বেচাকেনা করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, আমার গৃহ ব্যতীত তোমার জন্যে মাদীনায় আর কোন স্থান নেই (কি)? সে সময় যুবায়র (রাঃ) তাকে বললেন, একটা অভাবী মানুষকে ক্রয়-বিক্রয় করতে দিতে তুমি বাঁধা হয়ে দাড়াঁচ্ছো কেন? তারপর সে (সেথায়) ক্রয়-বিক্রয় করে (বেশকিছু) আয় করল, আমি খাদিমটি তার নিকট বিক্রি করে দিলাম। এ সময় যুবায়র (রাঃ) আমার নিকট প্রবেশ করল-তখন ও তার (বিক্রয়কৃত) মুল্য আমার কোলের উপর ছিল। সে বলল ওগুলো আমাকে দান করে দাও। তিনি বলেন, (আমি বললাম) , আমি ওগুলো সদাকাহ করে দিয়েছি।

(ই.ফা. ৫৫০৫, ই.সে. ৫৫৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

তৃতীয় ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাকে রেখে দু’জনের চুপি চুপি কথা বলা নিষিদ্ধ

৫৫৮৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ ثَلاَثَةٌ فَلاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ وَاحِدٍ ‏”‏ ‏.‏

‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তিনজন থাকবে, তখন একজনকে রেখে দু’জনে কানে কানে কথা বলবে না।

(ই.ফা. ৫৫০৬, ই.সে. ৫৫৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৮৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ – كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَيُّوبَ بْنَ مُوسَى، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫৫০৭, ই.সে. ৫৫৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا – جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَلاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ الآخَرِ حَتَّى تَخْتَلِطُوا بِالنَّاسِ مِنْ أَجْلِ أَنْ يُحْزِنَهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা তিনজন হবে, তখন দু’জন আর একজনকে বাদ দিয়ে দু’জনে চুপিচুপি কথা বলবে না, যে পর্যন্ত না অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মিশে যাও- এ কারণে যে, তাহলে তাকে দুর্ভাবনায় ফেলে দিবে।

(ই.ফা. ৫৫০৮, ই.সে. ৫৫৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯০

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَابْنُ نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَلاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ صَاحِبِهِمَا فَإِنَّ ذَلِكَ يُحْزِنُهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা তিনজন হবে, তখন দু’জন তাদের সঙ্গীকে বাদ দিয়ে কানাঘুষা করবে না, (কারণ) তা তাকে দুর্ভাবনায় ফেলবে।

(ই.ফা. ৫৫০৯, ই.সে. ৫৫৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯১

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

আল্‌ আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম ও ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) ….. আল্‌ আ’মাশ (রহঃ) -এর সানাদে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৫১০, ই.সে. ৫৫৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

চিকিৎসা, ব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক

৫৫৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ يَزِيدَ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ إِذَا اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَقَاهُ جِبْرِيلُ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ ‏.‏

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হয়ে পড়লে জিব্‌রীল (‘আঃ) এ দু’আ পড়ে তাঁকে ফুঁকে দিতেন, তিনি বলতেন, আল্লাহ্‌র নামে-তিনি আপনাকে (ব্যাধি) সুস্থতা দান করুন, সব ব্যাধি থেকে আপনাকে মুক্ত করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে এবং যখন সে হিংসা করে এবং সকল প্রকার কুদৃষ্টি ব্যক্তির ক্ষতি হতে।

(ই.ফা. ৫৫১১, ই.সে. ৫৫৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯৩

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ جِبْرِيلَ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ فَقَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ ‏.‏

সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জিবরীল (‘আঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আগমন করে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (জিবরীল) বললেনঃ আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব আত্মার খারাবী অথবা কুদৃষ্টি হতে আল্লাহ আপনাকে মুক্তি দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি।

(ই.ফা. ৫৫১২, ই.সে. ৫৫৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْعَيْنُ حَقٌّ ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ হলো ঐ সমস্ত (হাদীস) , যা আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। এরপর তিনি কয়েকটি হাদীস আলোচনা করেন। সেগুলোর অন্যতম একটি হলো- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুদৃষ্টির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাস্তব।

(ই.ফা. ৫৫১৩, ই.সে. ৫৫৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯৫

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ خِرَاشٍ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنِ ابْنِ، طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْعَيْنُ حَقٌّ وَلَوْ كَانَ شَىْءٌ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ‘কুদৃষ্টির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাস্তব’। কোন বিষয় যদি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত, তাহলে ‘কুদৃষ্টি’ ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত এবং তোমাদের (কুদৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের) -কে গোসল করতে বলা হলে তোমরা গোসল করাবে। [২৬] (ই.ফা. ৫৫১৪, ই.সে. ৫৫৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬] বদনযর-এর চিকিৎসারূপে বিশেষ পদ্ধতিতে বদ ন‌যরওয়ালা ব্যক্তির বিভিন্ন অঙ্গ ধোয়া পানি দিয়ে রোগীকে বিশেষ কায়দায় গোসল করানো হয়। এটা পরীক্ষিত ও সুন্নাহ্‌ স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। এ হাদীসে সে গোসলের কথাই বলা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

যাদুকরণ

৫৫৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَحَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَهُودِيٌّ مِنْ يَهُودِ بَنِي زُرَيْقٍ يُقَالُ لَهُ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ – قَالَتْ – حَتَّى كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَفْعَلُ الشَّىْءَ وَمَا يَفْعَلُهُ حَتَّى إِذَا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَوْ ذَاتَ لَيْلَةٍ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ دَعَا ثُمَّ دَعَا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ أَشَعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ أَفْتَانِي فِيمَا اسْتَفْتَيْتُهُ فِيهِ جَاءَنِي رَجُلاَنِ فَقَعَدَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي وَالآخَرُ عِنْدَ رِجْلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ الَّذِي عِنْدَ رَأْسِي لِلَّذِي عِنْدَ رِجْلَىَّ أَوِ الَّذِي عِنْدَ رِجْلَىَّ لِلَّذِي عِنْدَ رَأْسِي مَا وَجَعُ الرَّجُلِ قَالَ مَطْبُوبٌ ‏.‏ قَالَ مَنْ طَبَّهُ قَالَ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ ‏.‏ قَالَ فِي أَىِّ شَىْءٍ قَالَ فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ ‏.‏ قَالَ وَجُبِّ طَلْعَةِ ذَكَرٍ ‏.‏ قَالَ فَأَيْنَ هُوَ قَالَ فِي بِئْرِ ذِي أَرْوَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَتَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ مَاءَهَا نُقَاعَةُ الْحِنَّاءِ وَلَكَأَنَّ نَخْلَهَا رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أَحْرَقْتَهُ قَالَ ‏”‏ لاَ أَمَّا أَنَا فَقَدْ عَافَانِي اللَّهُ وَكَرِهْتُ أَنْ أُثِيرَ عَلَى النَّاسِ شَرًّا فَأَمَرْتُ بِهَا فَدُفِنَتْ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লাবীদ ইবনু আ’সাম নামে বানূ যুরায়ক সম্প্রদায়ের এক ইয়াহূদী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে যাদু করল। তিনি বলেন, এ যাদুর কারণে এমনও হত যে, রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্মরণ হত যে কোন (পার্থিব) কাজ তিনি করছেন, অথচ (প্রকৃতভাবে) তিনি তা করছেন না। পরিশেষে একদিনে কিংবা এক রাত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করলেন; আবার দু’আ করলেন, আবার দু’আ করলেন। অতঃপর বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্‌! তুমি কি অনুধাবন করতে পেরেছো যে, আল্লাহ আমাকে সে ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন, যে ব্যাপারে আমি তাঁর নিকট সমাধান চেয়েছিলাম? (তা এভাবে যে) (দু’জন ফেরেশ্‌তা) দু’লোক (মানুষের বেশ ধরে) আমার নিকট আসলো। তাদের একজন আমার মস্তকের নিকট এবং অপরজন আমার পায়ের নিকট বসল। অতঃপর আমার মাথার নিকটের লোক পায়ের নিকটের লোককে অথবা আমার পায়ের নিকটের লোকটি আমার মাথার নিকটের লোকটিকে বলল, লোকটির ব্যাধি কি? (অপরজন) বলল, ‘যাদুগ্রস্ত’। (প্রথম জন) বলল, কে তাকে যাদু করেছে? (দ্বিতীয় জন) বলল- লাবীদ ইবনু আ’সাম। (প্রথমজন) বলল, কোন জিনিসে? (দ্বিতীয় জন) বলল- চিরুনি, (আঁচড়ানোর সময় চিরুনীর সঙ্গে) উঠা চুল, (আরও) বলল, পুরুষ খেজুরের ফুলের বেষ্টনীতে। (প্রথমজন) বলল, তা কোথায়? (দ্বিতীয় জন) বলল- ‘যী আরওয়ান’ কুয়ায়।

তিনি [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কতিপয় সহাবীকে সাথে নিয়ে সেথায় আসলেন। তারপর (ফিরে এসে) বললেন, হে ‘আয়িশাহ্‌! আল্লাহ্‌র কসম, সে (কূপের) পানি যেন ‘মেন্দীপাতা ভিজানো’ (পানি) এবং সেখানকার খেজুর গাছ যেন শাইতানের মস্তিষ্ক।

তিনি বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আপনি তা (জনসমক্ষে) পুড়ে ফেললেন না কেন? তিনি বললেন, না, (আমি তা উচিত মনে করেনি)। কেননা, আল্লাহ আমাকে তো রোগমুক্ত করেছেন-আর লোকদেরকে কোন অকল্যাণে উত্তেজিত করা অপছন্দ করছি। আমি সে ব্যাপারে নির্দেশ দিলাম। ফলে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

(ই.ফা. ৫৫১৫, ই.সে. ৫৫৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُحِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ أَبُو كُرَيْبٍ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ وَقَالَ فِيهِ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْبِئْرِ فَنَظَرَ إِلَيْهَا وَعَلَيْهَا نَخْلٌ ‏.‏ وَقَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَخْرِجْهُ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ أَفَلاَ أَحْرَقْتَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ فَأَمَرْتُ بِهَا فَدُفِنَتْ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জাদু করা হলো …… আবূ কুবায়ব (রহঃ) এ হাদীসটি বিস্তারিত বর্ণনাসহ (উপরোক্ত) ইবনু নুমায়র (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তাতে এ কথাটিও বলেছেন-পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কূপের নিকট গমন করলেন এবং সেটির (চার) দিকে লক্ষ্য করলেন। তাতে একটি খেঁজুর গাছ রয়েছে। তিনি [‘আয়িশা (রাঃ) ] আরও বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আপনি তা (লোকালয়ে) বের করে ফেলেন। এ বর্ণনায় জ্বালিয়ে দেয়ার অংশটি বর্ণনা করেননি এবং আমি সে সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তা মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো, (কথাটিও) বর্ণনা করেননি।

(ই.ফা. ৫৫১৬, ই.সে. ৫৫৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অধ্যায়ঃ

বিষ

৫৫৯৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ، بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ امْرَأَةً، يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ فَأَكَلَ مِنْهَا فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ أَرَدْتُ لأَقْتُلَكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَكِ عَلَى ذَاكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَوْ قَالَ ‏”‏ عَلَىَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالُوا أَلاَ نَقْتُلُهَا قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا زِلْتُ أَعْرِفُهَا فِي لَهَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ইয়াহূদী নারী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বিষ মেশানো ছাগলের গোশ্‌ত নিয়ে আসলো। তিনি সেখান হতে (কিয়দংশ) খেলেন। অতঃপর তাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিয়ে আসা হলো। তিনি তার কাছে (সে কেন এমন করলো) এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলল, আমি আপনাকে হত্যা করার ইচ্ছা করছিলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ এ বিষয়ে তোমাকে ক্ষমতা দিবেন না অথবা তিনি বললেনঃ আমার উপরে ক্ষমতা দিবেন এমন নয়। বর্ণনাকারী বলেন, তারা (সাহাবীগণ) বললেন, আমরা কি তাকে ‘হত্যা’ করবো না? তিনি বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর থেকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আল্‌জিভ ও তালুতে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমি সর্বদা লক্ষ্য করতাম।

(ই.ফা. ৫৫১৭, ই.সে. ৫৫৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫৯৯

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، – سَمِعْتُ هِشَامَ، بْنَ زَيْدٍ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ يَهُودِيَّةً، جَعَلَتْ سَمًّا فِي لَحْمٍ ثُمَّ أَتَتْ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ خَالِدٍ ‏.‏

হিশাম ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যে, একজন ইয়াহূদী নারী গোশতে বিষ মিশিয়ে তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিয়ে আসলো। …… (উপরোক্ত রিওয়ায়াতের) বর্ণনাকারী খালিদ (রহঃ) -এর বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী হাদীস বর্ণনা করেছেন।

(ই.ফা. ৫৫১৮, ই.সে. ৫৫৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অধ্যায়ঃ

রোগীকে ঝাড়ফুঁক , মন্ত্র করা মুস্তাহাব

৫৬০০

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، زُهَيْرٌ – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اشْتَكَى مِنَّا إِنْسَانٌ مَسَحَهُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَثَقُلَ أَخَذْتُ بِيَدِهِ لأَصْنَعَ بِهِ نَحْوَ مَا كَانَ يَصْنَعُ فَانْتَزَعَ يَدَهُ مِنْ يَدِي ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاجْعَلْنِي مَعَ الرَّفِيقِ الأَعْلَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَذَهَبْتُ أَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ قَدْ قَضَى ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের কোন মানুষ পীড়িত হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাত দ্বারা তাকে মুছে দিতেন, তারপর বলতেনঃ (আরবী) সমস্যা বিদূরিত করে দিন, হে জনগণের পালনকর্তা! আর সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনার সুস্থতা ও মুক্তি ছাড়া আর কোন (প্রকৃতপক্ষে নির্ভরযোগ্য) শিফা নেই। এমন নিরাময় করুন যার পর কোন রোগ-ব্যাধি বাকী না থাকে।

পরবর্তীতে যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পীড়িত হলেন তখন অসুখে অতি দূর্বল হয়ে পড়লেন, সে সময় আমি তাঁর হাত তুলে ধরলাম- যাতে আমিও তেমন করে (মুছে) দিতে পারি তিঁনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেমন করে (মুছে) দিতেন। কিন্তু তিঁনি আমার হাত থেকে তাঁর হাত টেনে (ছাড়িয়ে) নিলেন। অতঃপর বললেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে মহান সঙ্গীর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন! তিনি [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, হঠাৎ আমি দেখলাম যে, তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন (ইন্তেকাল করেছেন)।

(ই.ফা. ৫৫১৯, ই.সে. ৫৫৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ سُفْيَانَ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِ جَرِيرٍ ‏.‏ فِي حَدِيثِ هُشَيْمٍ وَشُعْبَةَ مَسَحَهُ بِيَدِهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ مَسَحَهُ بِيَمِينِهِ ‏.‏ وَقَالَ فِي عَقِبِ حَدِيثِ يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ فَحَدَّثْتُ بِهِ مَنْصُورًا فَحَدَّثَنِي عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِهِ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) হতে জারীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কিন্তু হুশায়ম ও শুবাহ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- তিনি তাঁর হস্ত দ্বারা তাকে (রোগীকে) মুছে দিলেন। আর (সুফ্‌ইয়ান) সাওরী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে-তিনি তাঁর ‘ডান’ হস্ত দ্বারা তাকে মুছে দিলেন। আর সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) -এর সূত্রে আ’মাশ (রহঃ) হতে ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অবশিষ্টাংশে বর্ণনাকারী বলেছেন- পরে আমি এ হাদীস মানসূর (রহঃ) -কে শুনালে তিনি ইব্‌রাহীম (রহঃ) মাসরূক (রহঃ) ও ‘আয়িশা (রাঃ) হতে হুবহু হাদীস বর্ণনা করে আমাকে শুনালেন। (ই.ফা. ৫৫২০, ই.সে. ৫৫৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০২

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا عَادَ مَرِيضًا يَقُولُ ‏ “‏ أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ اشْفِهِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন রোগগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে বলতেনঃ (আরবী) “সমস্যা বিদূরিত করে দিন হে লোকেদের প্রতিপালনকারী! তাঁকে সুস্থ করে দিন, আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনার শিফা ব্যাতিত কোন শিফা নেই- এমন শিফা, যার পরে কোন রোগ-ব্যাধি বাকী থাকে না। ”

(ই.ফা. ৫৫২১, ই.সে. ৫৫৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০৩

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَى الْمَرِيضَ يَدْعُو لَهُ قَالَ ‏”‏ أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ فَدَعَا لَهُ وَقَالَ ‏”‏ وَأَنْتَ الشَّافِي ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন রোগগ্রস্থ ব্যক্তির নিকট গেলে তার জন্য দু’আ করতেন। তিনি বলতেনঃ (আরবী)

“বিপদাপদ সমস্যা বিদূরিত করে দিন হে মানুষের প্রতিপালক! আর আরোগ্য দান করুন। আপনিই আরোগ্য দানকারী, আপনার শিফা ছাড়া কোন শিফা নেই; এমন সুস্থতা দিন, যার পরে কোন রোগ-ব্যাধি বাকী না থাকে। ” কিন্তু আবূ বাক্‌র (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে- তার জন্যে দু’আ করতেন এবং বলতেন (আরবী)। এছাড়া তিনি বলেছেন, আর আপনিই সুস্থতা দানকারী।

(ই.ফা. ৫৫২২, ই.সে. ৫৫৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০৪

وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، وَمُسْلِمُ بْنُ صُبَيْحٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ وَجَرِيرٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বর্ণনা (উপরোল্লিখিত) আবূ ‘আওয়ানাহ্‌ এবং জারীর (রহঃ) -এর হাদীসের অবিকল।

(ই.ফা. ৫৫২৩, ই.সে. ৫৫৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَرْقِي بِهَذِهِ الرُّقْيَةِ ‏ “‏ أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ بِيَدِكَ الشِّفَاءُ لاَ كَاشِفَ لَهُ إِلاَّ أَنْتَ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’আ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতেন- (আরবী) “হে জনগণের প্রতিপালক! বিপদাপদ সমস্যা বিদূরিত করুন; আপনার কাছেই রয়েছে উপশম। আপনি ছাড়া আর কেউ-ই (বিপদ) দূরকারী নেই। ”

(ই.ফা. ৫৫২৪, ই.সে. ৫৫৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ কুবায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ কুবায়ব (রহঃ) ও ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) হিশাম (রহঃ) -এর সানাদে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৫২৫, ই.সে. ৫৫৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অধ্যায়ঃ

মু‘আববিযাত[২৭] সূরাহ পড়ে ঝাড়ফুঁক করা এবং দম করা

৫৬০৭

حَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ هِشَامِ، بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَرِضَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ نَفَثَ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ فَلَمَّا مَرِضَ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ جَعَلْتُ أَنْفُثُ عَلَيْهِ وَأَمْسَحُهُ بِيَدِ نَفْسِهِ لأَنَّهَا كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً مِنْ يَدِي ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ بِمُعَوِّذَاتٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পরিবারবর্গের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ‘মু’আব্‌বিযাত’ সূরাগুলো পড়ে তাকে ফুঁক দিতেন। পরবর্তীতে তিনি যখন মৃত্যুরোগে আক্রান্ত হলেন তখন আমি তাকে ফুঁক দিতে লাগলাম এবং তাঁর-ই হাত দিয়ে তাঁর দেহটি মুছে দিতে লাগলাম। কেননা আমার হাতের তুলনায় তাঁর হাতটি ছিল অনেক বারাকাতপূর্ণ। আর ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আইয়ূব (রহঃ) ‘মু’আব্‌বিযাত’ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করতেন।

(ই.ফা. ৫৫২৬, ই.সে. ৫৫৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৭] সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস কে মু’আববি্যাত বলা হয়

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اشْتَكَى يَقْرَأُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَيَنْفُثُ فَلَمَّا اشْتَدَّ وَجَعُهُ كُنْتُ أَقْرَأُ عَلَيْهِ وَأَمْسَحُ عَنْهُ بِيَدِهِ رَجَاءَ بَرَكَتِهَا ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ‘মু’আব্‌বিযাত’ পাঠ করে স্বশরীরে দম করতেন। তাঁর ব্যাধি কঠিন রূপ ধারণ করলে আমি তা পড়ে তাঁর হাত দ্বারা তাঁর দেহটি মুছে দিতাম ঐ হাতের বারাকাতের আশায়।

(ই.ফা. ৫৫২৭, ই.সে. ৫৫৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬০৯

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي زِيَادٌ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِ مَالِكٍ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِهِ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَحَدٍ مِنْهُمْ رَجَاءَ بَرَكَتِهَا ‏.‏ إِلاَّ فِي حَدِيثِ مَالِكٍ وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ وَزِيَادٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بَالْمُعَوِّذَاتِ وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে মালিকের সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মালিকের হাদীস ছাড়া তাদের কারো হাদীসে ‘তাঁর হাতের বারাকাতের আশায়’ কথাটি নেই। ইউনুস (রহঃ) ও যিয়াদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে-নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হয়ে গেলে নিজেকে ‘মু’আব্‌বিযাত’ দ্বারা দম করতেন এবং নিজ হস্তে স্বশরীরে মুছতেন। (ই.ফা. ৫৫২৮, ই.সে. ৫৫৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১. অধ্যায়ঃ

চোখলাগা, পার্শ্বঘা, বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া ও দুরাবস্থা হতে (মুক্তির জন্য) ঝাড়ফুঁক করা মুস্তাহাব

৫৬১০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنِ الرُّقْيَةِ، فَقَالَتْ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِ بَيْتٍ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الرُّقْيَةِ مِنْ كُلِّ ذِي حُمَةٍ ‏.‏

আস্‌ওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) -কে ঝাড়ফুঁক সম্বন্ধে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারীদের একটি পরিবারকে যে কোন বিষধর প্রানীর বিষক্রিয়া হতে মুক্তির জন্যে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।

(ই.ফা. ৫৫২৯, ই.সে. ৫৫৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِ بَيْتٍ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الرُّقْيَةِ مِنَ الْحُمَةِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারীদের একটি গৃহের লোকদের বিষাক্ত জন্তুর বিষক্রিয়া থেকে (রোগমুক্তি লাভের আশায়) ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।

(ই.ফা. ৫৫৩০, ই.সে. ৫৫৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي عُمَرَ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اشْتَكَى الإِنْسَانُ الشَّىْءَ مِنْهُ أَوْ كَانَتْ بِهِ قَرْحَةٌ أَوْ جَرْحٌ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِإِصْبَعِهِ هَكَذَا وَوَضَعَ سُفْيَانُ سَبَّابَتَهُ بِالأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَهَا ‏”‏ بِاسْمِ اللَّهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا لِيُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ ‏”‏ يُشْفَى ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ زُهَيْرٌ ‏”‏ لِيُشْفَى سَقِيمُنَا ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়ম করে ছিলেন যে, মানুষ তার (শরীরের) কোথাও অসুস্থতা অনুভব করলে অথবা তাতে কোন ফোঁড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত (হয়ে) থাকলে- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আঙ্গুল দ্বারা এ রকম করতেন- (এ কথা বলে এভাবে করার ধরণ বুঝানোর জন্য)। বর্ণনাকারী সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) তার বুড়ো আঙ্গুলটি জমিনে রাখলেন- অতঃপর তা তুলে নিলেন এবং সে সময় এ দু’আ পড়তেন (আরবী) অর্থাৎ- আল্লাহর নামে- আমাদের জমিনের ধূলামাটি আমাদের কারো (মুখের) লালার সঙ্গে (মিলিয়ে) -আমাদের পালনকর্তার আদেশে তা দিয়ে আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য লাভের উদ্দেশে (মালিশ করছি)। তবে ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) (তার বর্ণনাতে) বলেছেন- (আরবী) ‘শিফা দান করা হয়। ’

এবং যুহায়র (রহঃ) বলেছেন, (আরবী) ‘আমাদের রোগীর সুস্থতা লাভের উদ্দেশে।’ (ই.ফা. ৫৫৩১, ই.সে. ৫৫৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُهَا أَنْ تَسْتَرْقِيَ مِنَ الْعَيْنِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।

(ই.ফা. ৫৫৩২, ই.সে. ৫৫৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

মিস’আর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ….. মিস’আর (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৫৩৩, ই.সে. ৫৫৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৫

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، شَدَّادٍ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنِي أَنْ أَسْتَرْقِيَ مِنَ الْعَيْنِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কুদৃষ্টি হতে (বাঁচার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।

(ই.ফা. ৫৫৩৪, ই.সে. ৫৫৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، فِي الرُّقَى قَالَ رُخِّصَ فِي الْحُمَةِ وَالنَّمْلَةِ وَالْعَيْنِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিষাক্ত জন্তুর বিষক্রিয়া, পার্শ্বঘা ও চোখলাগা থেকে (বাঁচার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

(ই.ফা. ৫৫৩৫, ই.সে. ৫৫৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ، بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَسَنٌ، – وَهُوَ ابْنُ صَالِحٍ – كِلاَهُمَا عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرُّقْيَةِ مِنَ الْعَيْنِ وَالْحُمَةِ وَالنَّمْلَةِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ سُفْيَانَ يُوسُفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুদৃষ্টি লাগা, বিষাক্ত জন্তুর বিষক্রিয়া ও বিষাক্ত পার্শ্বঘা থেকে বেঁচে থাকতে ঝাড়ফুঁকের অনুমতি দিয়েছেন।

(ই.ফা. ৫৫৩৬, ই.সে ৫৫৬১) সুফইয়ান ইউসুফ ইবনু ‘আবদুল্লাহর ইবনু হারিস-এর সূত্রে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৮

حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، الزُّبَيْدِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِجَارِيَةٍ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَأَى بِوَجْهِهَا سَفْعَةً فَقَالَ ‏ “‏ بِهَا نَظْرَةٌ فَاسْتَرْقُوا لَهَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي بِوَجْهِهَا صُفْرَةً ‏.‏

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর গৃহে একটি বালিকার মুখমন্ডলে (কালো বা হলুদ) দাগ লক্ষ্য করে বললেন, তার কুদৃষ্টি লেগেছে, তার জন্য ঝাড়ফুঁক করো। অর্থাৎ তার চেহারায় হলুদ দাগ পড়ার কারণে।

(ই.ফা. ৫৫৩৭, ই.সে ৫৫৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬১৯

حَدَّثَنِي عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ رَخَّصَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لآلِ حَزْمٍ فِي رُقْيَةِ الْحَيَّةِ وَقَالَ لأَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ ‏”‏ مَا لِي أَرَى أَجْسَامَ بَنِي أَخِي ضَارِعَةً تُصِيبُهُمُ الْحَاجَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ لاَ وَلَكِنِ الْعَيْنُ تُسْرِعُ إِلَيْهِمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْقِيهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ ارْقِيهِمْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাযম পরিবারকে সাপের ছোবলে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দেন এবং আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ) -কে বললেন, আমার ভাই [জা‘ফার (রাঃ)] এর ছেলে-মেয়েদের কি হলো যে, তাদের শরীর আমি দুর্বল দেখতে পাচ্ছি? তাদের কি অভাব দেখা দিয়েছে? তিনি (আসমা) বললেন, না কিন্তু তাদের উপর তাড়াতাড়ি কুনযর লেগে যায়। তিনি বললেন, তুমি তাদের ঝাড়-ফুঁক কর। তিনি বললেন, তখন আমি তাঁর নিকট (দু‘আটি) উপস্থাপন করলাম। তিনি বললেন, (ঠিক আছে) তুমি তাদের ঝাড়ফুঁক করে দাও।

(ই.ফা. ৫৫৩৮, ই.সে. ৫৫৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَرْخَصَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي رُقْيَةِ الْحَيَّةِ لِبَنِي عَمْرٍو ‏.‏

قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ وَسَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَدَغَتْ رَجُلاً مِنَّا عَقْرَبٌ وَنَحْنُ جُلُوسٌ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرْقِي قَالَ ‏ “‏ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَفْعَلْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানু ‘আমরকে সাপের ছোবলে আক্রান্ত রোগীর ঝাড়ফুঁকের অনুমতি দেন। আবূ যুবায়র (রহঃ) আরও বলেছেন-আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে আরও বলতে শুনেছি যে, একটি বিছা আমাদের এক লোককে ছোবল দিল। আমরা সেথায় রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বসাছিলাম। তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি (তাকে) ঝেড়ে দেই? তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন লোক যদি তার ভাইয়ের (কোনও) উপকার করতে পারে, সে যেন (তা) করে।

(ই.ফা. ৫৫৩৯, ই.সে. ৫৫৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২১

وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَرْقِيهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَمْ يَقُلْ أَرْقِي ‏.‏

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) (থেকে) উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেছেন-তখন ব্যক্তিদের মাঝে এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি তাকে ঝাড়ফুঁক করতে পারি? তিনি (শুধু) ‘ঝাড়ফুঁক করি’ বলেননি (বরং ‘তাকে’ শব্দটিও বলেছেন)। (ই.ফা. ৫৫ ৪০, ই.সে ৫৫৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ لِي خَالٌ يَرْقِي مِنَ الْعَقْرَبِ فَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرُّقَى – قَالَ – فَأَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الرُّقَى وَأَنَا أَرْقِي مِنَ الْعَقْرَبِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَفْعَلْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার একজন মামা ছিলেন, যিনি বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়ফুঁক করতেন। এ সময় (একদিন) রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সব ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেন। সে সময় তিনি (আমার মামা) তাঁর খিদমাতে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি ঝাড়ফুঁক হারাম করে দিয়েছেন। হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি তো বিছার ছোবল থেকে আত্মরক্ষার্থে ঝাড়ফুঁক করে থাকি? তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের কোন উপকার করতে সমর্থ হলে সে যেন তা করে।

(ই.ফা. ৫৫৪১, ই.সে. ৫৫৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২৩

وَحَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ)….. আ‘মাশ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৫৪২, ই.সে. ৫৫৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرُّقَى فَجَاءَ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَنَا رُقْيَةٌ نَرْقِي بِهَا مِنَ الْعَقْرَبِ وَإِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الرُّقَى ‏.‏ قَالَ فَعَرَضُوهَا عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ مَا أَرَى بَأْسًا مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَنْفَعْهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এক সময়) ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিলেন। অতঃপর ‘আমর ইবনু হাযম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের নিকট একটি ঝাড়ফুঁক ছিল, যা দিয়ে আমরা বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়ফুঁক করতাম, এখন আপনি তো ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী [জাবির (রাঃ)] বলেন, তারা তা তাঁর নিকট উপস্থাপন করল। তখন তিনি বললেন, কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার ভাইয়ের কোনও উপকার করতে সমর্থ হলে সে যেন তার উপকার করে।

(ই.ফা. ৫৫৪৩, ই.সে. ৫৫৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২. অধ্যায়ঃ

শিরক মুক্ত ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই

৫৬২৫

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ‏”‏ ‏.‏

‘আওফ ইবনু মালিক আশজা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আবেদন করলাম-হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই-যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে।

(ই.ফা. ৫৫৪৪, ই.সে. ৫৫৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩. অধ্যায়ঃ

কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দু‘আ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ

৫৬২৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا فى سَفَرٍ فَمَرُّوا بِحَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَلَمْ يُضِيفُوهُمْ ‏.‏ فَقَالُوا لَهُمْ هَلْ فِيكُمْ رَاقٍ فَإِنَّ سَيِّدَ الْحَىِّ لَدِيغٌ أَوْ مُصَابٌ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ نَعَمْ فَأَتَاهُ فَرَقَاهُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ الرَّجُلُ فَأُعْطِيَ قَطِيعًا مِنْ غَنَمٍ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهَا ‏.‏ وَقَالَ حَتَّى أَذْكُرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا رَقَيْتُ إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏ فَتَبَسَّمَ وَقَالَ ‏”‏ وَمَا أَدْرَاكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ خُذُوا مِنْهُمْ وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ مَعَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কিছু সংখ্যক সহাবী কোন এক সফরে ছিলেন, তাঁরা কোন একটি আরব সম্প্রদায়ের বসতির নিকট দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকালে তাদের নিকট মেহমানদারীর ব্যাপারে বললেন। কিন্তু তারা তাদের আতিথেয়তা করল না। পরে তাদেরকে তারা বলল, তোমাদের দলে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? কারণ, বসতির সর্দারকে সাপে দংশন করেছেন অথবা (বর্ণনাকারীর সংশয়ে তারা বলল-) বিপদগ্রস্থ হয়েছে। সে সময় এক লোক বলল, হ্যাঁ। তারপরে সে তার নিকট গমন করে সূরা আল আল-ফাতিহাহ্ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করল। যার দরুন ব্যক্তিটি ভাল হয়ে গেল এবং ঝাড়ফুঁককারীকে বকরীর একটি ক্ষুদ্র পাল দেয়া হলো। সে তা নিতে আপত্তি জানালো এবং সে বলল, যতক্ষন তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বর্ণনা না করি-(ততক্ষন গ্রহণ করতে পারি না)। অতঃপর সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বিষয়টি তাঁর নিকট বর্ণনা করে সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর শপথ! আমি ফাতিহাতুল কিতাব ছাড়া ভিন্ন কোন কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিনি। সে সময় তিনি মৃদু হাসঁলেন এবং বললেন, তুমি কি করে বুঝলে যে, তা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? অতঃপর বললেন, তাদের নিকট থেকে তা নিয়ে নাও এবং তোমাদের সঙ্গে আমার জন্যও একাংশ রেখো।

(ই.ফা. ৫৫৪৫, ই.সে. ৫৫৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ كِلاَهُمَا عَنْ غُنْدَرٍ، مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَجَعَلَ يَقْرَأُ أُمَّ الْقُرْآنِ وَيَجْمَعُ بُزَاقَهُ وَيَتْفُلُ فَبَرَأَ الرَّجُلُ ‏.‏

আবূ বিশর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে (ওঝা) উম্মুল কুরআন-সূরা আল-ফাতিহাহ্ পাঠ করতে লাগল এবং তার থু-থু একত্রে করে থুক দিতে লাগল। ফলে ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে গেল।

(ই.ফা ৫৫৪৬, ই.সে. ৫৫৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَخِيهِ، مَعْبَدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ نَزَلْنَا مَنْزِلاً فَأَتَتْنَا امْرَأَةٌ فَقَالَتْ إِنَّ سَيِّدَ الْحَىِّ سَلِيمٌ لُدِغَ فَهَلْ فِيكُمْ مِنْ رَاقٍ فَقَامَ مَعَهَا رَجُلٌ مِنَّا مَا كُنَّا نَظُنُّهُ يُحْسِنُ رُقْيَةً فَرَقَاهُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ فَأَعْطَوْهُ غَنَمًا وَسَقَوْنَا لَبَنًا فَقُلْنَا أَكُنْتَ تُحْسِنُ رُقْيَةً فَقَالَ مَا رَقَيْتُهُ إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لاَ تُحَرِّكُوهَا حَتَّى نَأْتِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ مَا كَانَ يُدْرِيهِ أَنَّهَا رُقْيَةٌ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ مَعَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা একটি স্থানে নামলাম। অতঃপর আমাদের নিকট একটি মহিলা এসে বলল, এলাকার সর্দারকে সাপে কেটেছে, তোমাদের মাঝে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? সে সময় আমাদের এক লোক উঠে তার সাথে গেল- সে যে সুন্দর ঝাড়ফুঁক করতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না। সে সূরা আল-ফাতিহা দ্বারা তাকে ঝাড়ফুঁক করল। এতে সে সুস্থ হয়ে গেল। তখন তারা তাকে একপাল বকরী দিল এবং আমাদের দুধ পান করাল। আমরা বললাম, তুমি কি ভাল ঝাড়ফুঁক করতে জানতে? সে বলল, আমি তো সূরা আল-ফাতিহাহ্ ব্যতীত আর কিছু দিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করিনি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বললাম, তোমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গমন না করা পর্যন্ত ঐ বকরীগুলোকে এখান হতে নিয়ে যেওনা। তারপরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁর নিকট তা পেশ করলাম। তিনি বললেন, সে-কি করে বুঝল যে, এ সূরাটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা বকরীগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যে তোমাদের সাথে একটি অংশ রেখ।

(ই.ফা. ৫৫৪৭, ই.সে. ৫৫৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬২৯

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَامَ مَعَهَا رَجُلٌ مِنَّا مَا كُنَّا نَأْبِنُهُ بِرُقْيَةٍ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ………. হিশাম (রহঃ) এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন-সে সময় তার সঙ্গে আমাদের এক লোক উঠে দাঁড়াল-যাকে আমরা ঝাড়ফুঁক বিষয়ে (পারদর্শী) মনে করতাম না। (ই.ফা. ৫৫৪৮, ই.সে. ৫৫৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪. অধ্যায়ঃ

ঝাড়ফুঁকের সময় আক্রান্ত জায়গায় হাত রাখা মুস্তাহাব

৫৬৩০

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ الثَّقَفِيِّ، أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعًا يَجِدُهُ فِي جَسَدِهِ مُنْذُ أَسْلَمَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ضَعْ يَدَكَ عَلَى الَّذِي تَأَلَّمَ مِنْ جَسَدِكَ وَقُلْ بِاسْمِ اللَّهِ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏.‏ وَقُلْ سَبْعَ مَرَّاتٍ أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ ‏”‏ ‏.‏

‘উসমান ইবনু আবুল ‘আস-সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উসমান ইবনু আবুল ‘আস-সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একটি ব্যথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি ইসলাম গ্রহণের পর থেকে তার দেহে অনুভব করছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার শরীরের যে অংশ ব্যথাযুক্ত হয়, তার উপরে তোমার হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লা-হ’ বলবে এবং সাতবার বলবে-

“আল্লাহ এবং তাঁর ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি-যা আমি অনুভব করি এবং যা ধারণা করি তার অনিষ্ট হতে।”

(ই. ফা. ৫৫৫১, ই. সে. ৫৫৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫. অধ্যায়ঃ

সালাতে কুমন্ত্রণাদাতা শাইতান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৫৬৩১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلاَتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خِنْزِبٌ فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلاَثًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي ‏.‏

‘আবদুল আ’লা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল আ’লা (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, ‘উসমান ইবনু আবুল আস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন-হে আল্লাহর রসূল! শাইতান আমার, আমার সালাত ও কিরাআতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সব কিছুতে গোলমাল বাধিয়ে দেয়। তখন রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এটা এক (প্রকারের) শাইতান-যার নাম ‘খিনযিব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আঊযুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থু থু ফেলবে। তিনি বলেন, তারপরে আমি তা করলাম আর আল্লাহ আমার হতে তা দূর করে দিলেন। (ই.ফা. ৫৫৫০, ই.সে. ৫৫৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩২

حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِ سَالِمِ بْنِ نُوحٍ ثَلاَثًا ‏.‏

তিনি ‘উসমান ইবনু আবূল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ………..তিনি ‘উসমান ইবনু আবূল আস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলেন। তারপর অবিকল (হাদীস) বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সালিম ইবনু নূহ্ ‘তিনবার এর কথাটি তার হাদীসে বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৫৫১, ই.সে. ৫৫৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩৩

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

‘উসমান ইবনু আবুল আস্-সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল!……. অতঃপর তাদের বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন।

(ই.ফা. ৫৫৫২, ই.সে. ৫৫৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬. অধ্যায়ঃ

প্রতিটি রোগের প্রতিকার রয়েছে এবং চিকিৎসা করা মুস্তাহাব

৫৬৩৪

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَأَبُو الطَّاهِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ فَإِذَا أُصِيبَ دَوَاءُ الدَّاءِ بَرَأَ بِإِذْنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারূন ইবনু মা‘রূফ এবং আবূ তাহির ও আহমাদ ইবনু ‘ঈসা (রহঃ) ……জাবির (রাঃ) এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন-প্রতিটি ব্যাধির প্রতিকার রয়েছে। অতএব রোগে যথাযথ ঔষধ প্রয়োগ করা হলে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ হয়। (ই.ফা. ৫৫৫৩, ই.সে. ৫৫৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩৫

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَأَبُو الطَّاهِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ عَاصِمَ بْنَ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَادَ الْمُقَنَّعَ ثُمَّ قَالَ لاَ أَبْرَحُ حَتَّى تَحْتَجِمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ فِيهِ شِفَاءً ‏”‏ ‏.‏

‘আসিম ইবনু ‘উমার ইবনু কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আল-মুকাননা’ (রহঃ) কে অসুস্থতার দরুন দেখতে গেলেন। কিছুক্ষন পরে তিনি বললেন-যে পর্যন্ত না তুমি শিঙ্গা লাগাবে সে পর্যন্ত আমি স্থান ত্যাগ করব না। কারণ, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, তাতে শিফা রয়েছে।

(ই.ফা. ৫৫৫৪, ই.সে. ৫৫৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩৬

حَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، قَالَ جَاءَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي أَهْلِنَا وَرَجُلٌ يَشْتَكِي خُرَاجًا بِهِ أَوْ جِرَاحًا فَقَالَ مَا تَشْتَكِي قَالَ خُرَاجٌ بِي قَدْ شَقَّ عَلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ يَا غُلاَمُ ائْتِنِي بِحَجَّامٍ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ مَا تَصْنَعُ بِالْحَجَّامِ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أُرِيدُ أَنْ أُعَلِّقَ فِيهِ مِحْجَمًا ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ إِنَّ الذُّبَابَ لَيُصِيبُنِي أَوْ يُصِيبُنِي الثَّوْبُ فَيُؤْذِينِي وَيَشُقُّ عَلَىَّ ‏.‏ فَلَمَّا رَأَى تَبَرُّمَهُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِنْ كَانَ فِي شَىْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ خَيْرٌ فَفِي شَرْطَةِ مَحْجَمٍ أَوْ شَرْبَةٍ مِنْ عَسَلٍ أَوْ لَذْعَةٍ بِنَارٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ بِحَجَّامٍ فَشَرَطَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ ‏.‏

‘আসিম ইবনু ‘উমার ইবনু কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের পরিবারে এলেন, তখন জনৈক লোক খুজলী-পাঁচড়ায় অথবা (বর্ণনা সংশয়) -তিনি বললেন, আঘাতে অসুস্থ হয়েছিল। তিনি বললেন, তুমি কি অসুস্থতাবোধ করছো? সে বলল-আমার খুজলি-পাঁচড়া আমাকে ভয়স্কর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। তিনি তখন (খাদিমকে) বললেন, হে যুবক! আমার নিকট একজন শিঙ্গা প্রয়োগকারী (বৈদ্য) নিয়ে আসো। তখন তিনি তাকে বললেন, বৈদ্যকে দিয়ে আপনি কি করবেন, হে আবূ ‘আবদুল্লাহ? তিনি বললেন, আমি তাতে একটা শিঙ্গার নল ঝুলাতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ! মাছি আমার শরীরে বসলে কিংবা কাপড়ের ছোঁয়া আমার শরীরে লাগলে তা-ই আমাকে বেদনা দেয় এবং আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে- (তাহলে শিঙ্গার বেদনা কি করে সহ্য করবো)? তারপরে তিনি যখন ঐ ব্যাপারে তার ধৈর্যহারা লক্ষ্য করলেন তখন বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের ব্যবস্থাপত্রের কোন কিছুতে যদি কল্যাণ থেকে থাকে তাহলে তা শিঙ্গার নল অথবা মধুর শরবত পান অথবা আগুনের সেঁকে রয়েছে। রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আরও) বলেছেন-(নিতান্ত প্রয়োজন না পড়লে আমি গরম লোহার সেঁক লাগিয়ে চিকিৎসা করা অপছন্দ করি। বর্ণনাকারী বলেন, সে একজন শিঙ্গাবিদ (বৈদ্য) নিয়ে এলো, সে তার শিঙ্গা লাগাল। ফলে ব্যথানুভুতি বিদুরিত হয়ে গেল।

(ই.ফা. ৫৫৫৫, ই.সে. ৫৫৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، اسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحِجَامَةِ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَبَا طَيْبَةَ أَنْ يَحْجُمَهَا ‏.‏ قَالَ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ كَانَ أَخَاهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ أَوْ غُلاَمًا لَمْ يَحْتَلِمْ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কুতাইবাহ্ ইবনু সা’ঈদ এবং মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ (রহঃ) …… জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শিঙ্গা লাগানোর বিষয়ে অনুমতি চাইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে শিঙ্গা লাগিয়ে দেয়ার জন্য আবূ তাইবাহ্ (রাঃ) কে নির্দেশ করলেন।

বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় যে, তিনি (ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী) বলেছেন যে, সে ছিল তাঁর দুধ ভাই অথবা নাবালক কিশোর। (ই. ফা. ৫৫৫৬, ই. সে. ৫৫৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ طَبِيبًا فَقَطَعَ مِنْهُ عِرْقًا ثُمَّ كَوَاهُ عَلَيْهِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) এর নিকট জনৈক ডাক্তার প্রেরণ করলেন। সে তার একটি ধমনী কর্তন করে দিল, পরে লোহা গরম করে (রক্ত বন্ধ করার জন্য) তাতে সেঁক দিয়ে দিল। (ই. ফা. ৫৫৫৭, ই. সে. ৫৫৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৩৯

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرَا فَقَطَعَ مِنْهُ عِرْقًا ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ), ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) …… আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি ‘সে তাঁর একটি ধমনী কর্তন করে দিল’- কথাটি বর্ণনা করেননি। (ই. ফা. ৫৫৫৮, ই. সে. ৫৫৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪০

وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سُفْيَانَ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رُمِيَ أُبَىٌّ يَوْمَ الأَحْزَابِ عَلَى أَكْحَلِهِ فَكَوَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সুফ্ইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বিশ্র ইবনু খালিদ…… আবূ সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেন, আমি জাবির (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, খন্দক যুদ্ধে উবাই (রাঃ) এর হাত (কিংবা পা) এর মূল ধমনীতে তীর লাগানো হলো, তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে লোহা গরম করে দাগ দিলেন। (ই. ফা. ৫৫৫৯, ই. সে.৫৫৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رُمِيَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فِي أَكْحَلِهِ – قَالَ – فَحَسَمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ بِمِشْقَصٍ ثُمَّ وَرِمَتْ فَحَسَمَهُ الثَّانِيَةَ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) এর মূল রগে তীর লাগানো হলো। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্বহস্তে একটি তীর ফলক দ্বারা তার রগ কর্তন করে দাগ দিয়ে দিলেন। তারপর তা ফুলে উঠলে দ্বিতীয়বার দাগ দিয়ে দিলেন।

(ই. ফা. ৫৫৬০, ই. সে. ৫৫৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪২

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَأَعْطَى الْحَجَّامَ أَجْرَهُ وَاسْتَعَطَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আহ্মাদ ইবনু সা’ঈদ ইবনু সাখ্র দারিমী (রহঃ) …… ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) শিঙ্গা নিলেন ও শিঙ্গাবিদকে তার বিনিময় দিলেন এবং একবার তিনি নাকে ঔষধের ফোটা নিলেন। (ই. ফা. ৫৫৬১, ই. সে. ৫৫৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৩

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَقَالَ، أَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ لاَ يَظْلِمُ أَحَدًا أَجْرَهُ ‏.‏

‘আম্‌র ইবনু ‘আমির আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিঙ্গা নিয়েছিলেন – আর তিনি (যথার্থ পারিশ্রমিকও দিয়েছিলেন- কেননা, তিনি) মজুরির বিষয়ে কারো প্রতি যুল্ম করতেন না।

(ই. ফা. ৫৫৬২, ই. সে. ৫৫৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৪

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহায়র ইবনু হার্ব (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) …… ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সানাদে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ জ্বর হলো জাহান্নামের উত্তাপ তাই পানি দিয়ে তাকে শীতল করো। (ই. ফা. ৫৫৬৩, ই. সে. ৫৫৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৫

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ شِدَّةَ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু নুমায়র ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) …… ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সানাদে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জ্বরের প্রচন্ডতা আসে জাহান্নামের তাপ হতে। তাই পানি দিয়ে তোমরা তাকে শীতল করবে। (ই. ফা. ৫৫৬৪, ই. সে. ৫৫৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৬

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ – كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَطْفِئُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ; তাই তাকে পানি দিয়ে নিভিয়ে দাও।

(ই. ফা. ৫৫৬৫, ই. সে. ৫৫৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَطْفِئُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আহ্‌মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু হাকাম (রহঃ) এবং হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) …… ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ; তাই তাকে পানি দিয়ে শীতল করে দাও। (ই. ফা. ৫৫৬৬, ই. সে. ৫৫৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) …… ‘আয়িশা (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ; তাই তাকে পানি দ্বারা শীতল করো। (ই. ফা. ৫৫৬৭, ই. সে. ৫৫৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৪৯

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، وَعَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) …… হিশাম (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই. ফা. ৫৫৬৮, ই. সে. ৫৫৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، أَنَّهَا كَانَتْ تُؤْتَى بِالْمَرْأَةِ الْمَوْعُوكَةِ فَتَدْعُو بِالْمَاءِ فَتَصُبُّهُ فِي جَيْبِهَا وَتَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ ابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ إِنَّهَا مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏

আসমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার নিকট জ্বরাক্রান্ত কোন স্ত্রীলোককে নিয়ে আসা হলে তিনি পানি নিয়ে আসতে বলতেন। এরপর তা তার বক্ষের উপর ঢেলে দিতেন এবং বলতেন- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তাকে পানি দিয়ে শীতল করো। তিনি আরও বলেছেন, তা জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ।

(ই. ফা. ৫৫৬৯, ই. সে. ৫৫৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ صَبَّتِ الْمَاءَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ جَيْبِهَا ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ ‏ “‏ أَنَّهَا مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو أَحْمَدَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ কুরায়ব (রহঃ) …… হিশাম (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে [আবূ কুরায়ব (রহঃ) -এর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী] ইবনু নুমায়র (রহঃ) – এর বর্ণিত হাদীসে আছে- ‘তার (রোগিনী) ও তার জামার ফাঁকা জায়গার মধ্যে পানি প্রবাহিত করে দিতেন’।

আর (অন্য ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী) উসামাহ্‌ (রহঃ) -এর হাদীসে ‘তা জাহান্নামের সঞ্চিত তাপ’ কথাটি তিনি বর্ণনা করেননি। (ই. ফা. ৫৫৭০, ই. সে. ৫৫৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫২

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ، بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ جَدِّهِ، رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ الْحُمَّى فَوْرٌ مِنْ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবায়াহ্‌ ইবনু রিফা‘আহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হান্নাদ ইবনু সারী (রহঃ) …… ‘আবায়াহ্‌ ইবনু রিফা‘আহ্‌ (রহঃ) -এর সানাদে তাঁর দাদা রাফি‘ ইবনু খাদিজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমি বলতে শুনেছি যে, জ্বর জাহান্নামের তীব্র উত্তাপের অংশ বিশেষ, তাই তোমরা তাকে পানি দ্বারা শীতল করো। (ই. ফা. ৫৫৭১, ই. সে. ৫৫৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، حَدَّثَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ الْحُمَّى مِنْ فَوْرِ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا عَنْكُمْ بِالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو بَكْرٍ ‏”‏ عَنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ قَالَ أَخْبَرَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌র ইবনু শাইবাহ্‌ (রহঃ) …… মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) , মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ও আবূ বাক্‌র ইবনু নাফি‘ (রহঃ) …… রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) রিওয়ায়াত করেন, তিনি বলেন, আমি রসূলিল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ হতে (উদ্ভূত) । তাই তোমাদের পক্ষ হতে তাকে পানি দিয়ে শীতল করো। তবে বর্ণনাকারী আবূ বাক্‌র (রহঃ) ‘তোমাদের পক্ষ হতে’ অংশটুকু বর্ণনা করেননি। (ই. ফা. ৫৫৭২, ই. সে. ৫৫৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস