মুসলিম সালাম অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৫৬৫৪ – ৫৭৫৪

২৭. অধ্যায়ঃ

মুখের কিনারা দিয়ে ঔষধ খাওয়া প্রসঙ্গে

৫৬৫৪

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ أَبِي، عَائِشَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَدَدْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ فَأَشَارَ أَنْ لاَ تَلُدُّونِي ‏.‏ فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ ‏.‏ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَبْقَى أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلاَّ لُدَّ غَيْرُ الْعَبَّاسِ فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অসুস্থতার সময় তাঁর মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম; তখন তিনি ইঙ্গিত করেলন যে, আমার মুখে ওষুধ দিও না। আমরা বললাম, এটা ওষুধের প্রতি রোগীর অনীহার কারণ। অতঃপর যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেন, তোমাদের সবার মুখের কিনারায় ওষুধ ঢেলে দেয়া হবে- তবে ‘আব্বাস ছাড়া; কেননা তিনি তোমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন না।

(ই. ফা. ৫৫৭৩, ই. সে. ৫৫৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮. অধ্যায়ঃ

ভারতীয় চন্দন দ্বারা চিকিৎসা করা- সেটাই কুস্‌ত

৫৬৫৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ، أُخْتِ عُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ قَالَتْ دَخَلْتُ بِابْنٍ لِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ فَبَالَ عَلَيْهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَرَشَّهُ ‏.‏

‘উক্কাশাহ্‌ ইবনু মিহ্‌সান-এর ভগ্নি উম্মু কায়স বিনতু মিহ্‌সান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার এক ছেলেকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম, সে তখনও (সাধারণ) খাবার গ্রহণের বয়সে পৌঁছেনি- বাচ্চাটি তাঁর শরীরে প্রস্রাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং তা ছিটিয়ে দিলেন।

(ই. ফা. ৫৫৭৪, ই. সে. ৫৫৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫৬

قَالَتْ وَدَخَلْتُ عَلَيْهِ بِابْنٍ لِي قَدْ أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ مِنَ الْعُذْرَةِ فَقَالَ ‏ “‏ عَلاَمَهْ تَدْغَرْنَ أَوْلاَدَكُنَّ بِهَذَا الْعِلاَقِ عَلَيْكُنَّ بِهَذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ مِنْهَا ذَاتُ الْجَنْبِ يُسْعَطُ مِنَ الْعُذْرَةِ وَيُلَدُّ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ ‏”‏ ‏.‏

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আর একবার আমি আমার (এক) ছেলেকে নিয়ে তাঁর নিকট প্রবেশ করলাম- যার গলদেশে ব্যথার কারণে আমি তার (নাসারন্ধ্রে পাকানো নেকড়া দ্বারা) যন্ত্রনা সারানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি বললেন, নেকড়ার এ প্রক্রিয়ায় তোমাদের ছেলে-মেয়ের গলার ব্যথার চিকিৎসা করো কেন? তোমরা (বরং) হিন্দুস্তানী চন্দন ব্যবহার করবে। কারণ এতে সাতটি (রোগের) নিরাময় আছে। তন্মধ্যে একটি (আরবি) গলা ব্যথায় নাকে হিন্দী চন্দনের নির্যাস দেয়া হবে, আর (আরবি) চোয়ালের এক পার্শ্ব দিয়ে ঢেলে দেয়া হবে। (ই. ফা. ৫৫৭৪, ই. সে. ৫৫৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫৭

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ، – وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ اللاَّتِي بَايَعْنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ أُخْتُ عُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ أَحَدِ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ – قَالَ أَخْبَرَتْنِي أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِابْنٍ لَهَا لَمْ يَبْلُغْ أَنْ يَأْكُلَ الطَّعَامَ وَقَدْ أَعْلَقَتْ عَلَيْهِ مِنَ الْعُذْرَةِ – قَالَ يُونُسُ أَعْلَقَتْ غَمَزَتْ فَهِيَ تَخَافُ أَنْ يَكُونَ بِهِ عُذْرَةٌ – قَالَتْ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عَلاَمَهْ تَدْغَرْنَ أَوْلاَدَكُنَّ بِهَذَا الإِعْلاَقِ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ – يَعْنِي بِهِ الْكُسْتَ – فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ مِنْهَا ذَاتُ الْجَنْبِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ্‌ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উম্মু কায়স বিনতু মিহ্‌সান (রাঃ) তিনি ছিলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর হাতে বাই‘আত গ্রহণকারিণী প্রথম পর্যায়ের মুহাজির নারীগণের অন্যতমা। আর তিনি হলেন বানূ আসাদ ইবনু খুযাইমার একজন সদস্য ‘উক্কাশাহ্‌ ইবনু মিহ্‌সান (রাঃ) -এর ভগ্নি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (উম্মু কায়স) আমাকে সংবাদ জানিয়েছন যে, তিনি তার একটি ছেলেকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলেন, যে তখনও (সাধারণ) খাদ্য খাওয়ার উপযোগী হয়নি। আর তখন তিনি পাকানো নেকড়া নাসারন্দ্রে ঢুকিয়ে ঐ ছেলেটির গলা ব্যাথা সাড়ানোর ব্যবস্থা করে ছিলেন। বর্ণনাকারী ইউনুস (রহঃ) বলেন, (আরবি) অর্থ (আরবি) অর্থাৎ- ঘাড়ের আশেপাশে ব্যথা বা রক্ত জমার আশঙ্কায় নাসিকারন্ধ্রে নেকড়া ঢুকিয়ে নিরাময়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা পাকানো নেকড়া ঢুকিয়ে তোমাদের বাচ্চাদের নিরাময়ের বন্দোবস্ত করো কেন? তোমরা (বরং) এ ভারতীয় চন্দন ব্যবহার করবে, কেননা তাতে নিশ্চয়ই সাতটি (রোগের) ওষুধ আছে। তার মধ্যে (আরবি) একটি। (ই. ফা. ৫৫৭৫, ই. সে. ৫৬০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৫৮

قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ وَأَخْبَرَتْنِي أَنَّ ابْنَهَا ذَاكَ بَالَ فِي حَجْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَاءٍ فَنَضَحَهُ عَلَى بَوْلِهِ وَلَمْ يَغْسِلْهُ غَسْلاً ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আমাকে আরও জানিয়েছেন যে, তার ঐ ছেলেটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোলে প্রস্রাব করে দিল। সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামান্য পানি নিয়ে আসতে বললেন এবং তার প্রস্রাবের উপর ঢেলে দিলেন, কিন্তু একেবারে পুরোপুরি ধুলেন না।

(ই. ফা. ৫৫৭৫, ই. সে. ৫৬০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯. অধ্যায়ঃ

কালো জিরা দিয়ে চিকিৎসাকরণ

৫৬৫৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُمَا أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ ‏”‏ ‏.‏ وَالسَّامُ الْمَوْتُ ‏.‏ وَالْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ الشُّونِيزُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, কালো জিরা সকল প্রকার রোগের উপশম আছে-তবে ‘আস্‌সাম’ ব্যতীত। আর ‘আস্‌সা-ম’ হলো মৃত্যু। এর ‘আল হাব্বাতুস্‌ সাওদা’ হলো (স্থানীয় ভাষায়) ‘শূনীয’ (অর্থাৎ- কালো জিরা)।

(ই. ফা. ৫৫৭৬, ই. সে. ৫৬০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬০

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ عُقَيْلٍ وَفِي حَدِيثِ سُفْيَانَ وَيُونُسَ الْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلِ الشُّونِيزُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তাহির (রহঃ) …… আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (পূর্বোক্ত) ‘উকায়ল (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে (দ্বিতীয় সানাদে) সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) ও (প্রথম সূত্রে) ইউনুস (রহঃ)-এর হাদীসে ‘আল হাব্বাতুস্‌ সাওদা রয়েছে। (তার বিশ্লেষণে) তিনি ‘শূণীয’ শব্দটি বলেননি। (ই. ফা. ৫৫৭৬, ই. সে. ৫৬০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ دَاءٍ إِلاَّ فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ مِنْهُ شِفَاءٌ إِلاَّ السَّامَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা‘ইদ ও ইবনু হুজর (রহঃ) …আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালো জিরায় যার আরোগ্যতা নেই। (ই. ফা ৫৫১৫, ই. সে ৫৬০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০. অধ্যায়ঃ

তালবীনাহ্‌- (সাগু-বার্লি তরল হালুয়া) রোগীর অন্তরের জন্য প্রশান্তিদায়ক

৫৬৬২

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا كَانَتْ إِذَا مَاتَ الْمَيِّتُ مِنْ أَهْلِهَا فَاجْتَمَعَ لِذَلِكَ النِّسَاءُ ثُمَّ تَفَرَّقْنَ إِلاَّ أَهْلَهَا وَخَاصَّتَهَا – أَمَرَتْ بِبُرْمَةٍ مِنْ تَلْبِينَةٍ فَطُبِخَتْ ثُمَّ صُنِعَ ثَرِيدٌ فَصُبَّتِ التَّلْبِينَةُ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ كُلْنَ مِنْهَا فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ التَّلْبِينَةُ مَجَمَّةٌ لِفُؤَادِ الْمَرِيضِ تُذْهِبُ بَعْضَ الْحُزْنِ ‏”‏ ‏.‏

‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল মালিক ইবনু শু‘আয়ব ইবনু লায়স ইবনু সা‘দ (রহঃ) ‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তাঁর নীতি ছিল যে, যখন তার পরিবারের কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করতো এবং সে প্রেক্ষিতে মহিলাগণ একত্রিত হত, তারপরে পরিবারের লোক ও বিশিষ্ট (আত্নীয়) ছাড়া অবশিষ্টরা চলে যেত, তখন তিনি এক ডেকচি তালবীনাহ্‌ রান্না করার আদেশ দিতেন। তা রান্না করা হত; অতঃপর ‘সারীদ’ প্রস্তুত করে তালবীনাহ্‌ তার উপর ঢেলে দেয়া হত। অতঃপর তিনি বলতেন, এটা হতে তোমরা খাও। কারণ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি ‘তালবীনাহ্‌’ রোগীর মনে প্রশান্তি দেয় এবং দুঃখ কিছুটা লাঘব করে। (ই.ফা. ৫৫৭৮, ই. সে. ৫৬০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১. অধ্যায়ঃ

মধু পানে চিকিৎসা প্রসঙ্গ

৫৬৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ أَخِي اسْتَطْلَقَ بَطْنُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اسْقِهِ عَسَلاً ‏”‏ ‏.‏ فَسَقَاهُ ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ إِنِّي سَقَيْتُهُ عَسَلاً فَلَمْ يَزِدْهُ إِلاَّ اسْتِطْلاَقًا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ جَاءَ الرَّابِعَةَ فَقَالَ ‏”‏ اسْقِهِ عَسَلاً ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَقَدْ سَقَيْتُهُ فَلَمْ يَزِدْهُ إِلاَّ اسْتِطْلاَقًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَدَقَ اللَّهُ وَكَذَبَ بَطْنُ أَخِيكَ ‏”‏ ‏.‏ فَسَقَاهُ فَبَرَأَ ‏.‏

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বলল, আমার ভাইয়ের উদারাময় হচ্ছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধুপান করালো। তারপর এসে বলল, আমি তাকে মধু পান করিয়েছি কিন্তু তার পীড়া আরও বেড়ে গেছে। তিনি এভাবে তিনবার বললেন। অতঃপর লোকটি চতুর্থবার এসে বললে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে মধু পান করাও। লোকটি বলল, মধুপান করিয়েছি কিন্তু উদারাময় ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহই সত্য বলেছেন, তোমার ভাইয়ের পেটের যন্ত্রণাটি মিথ্যা। অতঃপর পুনরায় তাকে পান করালে সুস্থ হয়ে গেল।

(ই. ফা. ৫৫৭৯, ই. সে. ৫৬০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬৪

وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي ابْنَ عَطَاءٍ – عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ أَخِي عَرِبَ بَطْنُهُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ ‏ “‏ اسْقِهِ عَسَلاً ‏”‏ ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ شُعْبَةَ ‏.‏

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বলল, আমার ভাইয়ের উদারাময় হয়েছে। তিনি বললেন, তাকে মধু পান করাও। … হাদীসের বাকী অংশটুকু শু‘বাহ্‌ বর্ণিত হাদীসের অর্থেই বর্ণিত হয়েছেন।

(ই. ফা. ৫৫৭৯, ই. সে. ৫৬০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২. অধ্যায়ঃ

প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৬৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَأَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَسْأَلُ، أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الطَّاعُونِ فَقَالَ أُسَامَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ الطَّاعُونُ رِجْزٌ أَوْ عَذَابٌ أُرْسِلَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو النَّضْرِ ‏”‏ لاَ يُخْرِجُكُمْ إِلاَّ فِرَارٌ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আমির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর আব্বা সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) -কে এ মর্মে প্রশ্ন করতে শুনেছেন যে, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট প্লেগ সম্বন্ধে কি শুনেছেন? তখন উসামাহ্‌ (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্লেগ একটি ‘আযাব যা বানী ইস্‌রাঈল অথবা (বর্ণনা সংশয়) যারা তোমাদের আগে ছিল তাদের উপরে প্রেরণ করা হয়েছিল। অতএব তোমরা কোন মহল্লায় প্লেগের ব্যাপারে শুনলে সেখানে যেও না। আর কোন এলাকায় প্লেগ চোখে পড়লে এবং তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাকলে সেখান হতে বের হয়ে যাবে না।

বর্ণনাকারী আবূ নায্‌র (রহঃ) বলেছেন, শুধু পলায়নের লক্ষ্যে সে জায়গা ছেড়ে যেও না।

(ই.ফা. ৫৫৮০, ই. সে. ৫৬০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ، – وَنَسَبَهُ ابْنُ قَعْنَبٍ فَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ – عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ، بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الطَّاعُونُ آيَةُ الرِّجْزِ ابْتَلَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ نَاسًا مِنْ عِبَادِهِ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ فَلاَ تَدْخُلُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَفِرُّوا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثُ الْقَعْنَبِيِّ وَقُتَيْبَةَ نَحْوَهُ ‏.‏

উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্লেগ শাস্তির প্রতীক। মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ তা‘আলা তা দ্বারা তাঁর বান্দাদের কথিপয় ব্যক্তিকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। তাই কোন অঞ্চলে এর প্রভাবের খবর পেলে তোমরা সেথায় যেও না এবং তোমরা কোন অঞ্চলে অবস্থানকালে সেখানে প্লেগ লক্ষ্য করলে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে না।

এ বর্ণনা কা‘নাব (রহঃ) -এর। আর কুতাইবাহ্‌ (রহঃ) -এর বর্ণনাও সে রকম।

(ই. ফা. ৫৫৮১, ই. সে. ৫৬০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رِجْزٌ سُلِّطَ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَوْ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ فَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا فِرَارًا مِنْهُ وَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا ‏”‏ ‏.‏

উসামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এ প্লেগ একটি গযব, যা তোমাদের পূর্বেকার লোকদের উপর অথবা বানী-ইস্রাঈলের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং কোন অঞ্চলে তা লক্ষ্য করলে তা থেকে পালানোর জন্য সে অঞ্চল ছেড়ে যেওনা এবং কোন অঞ্চলে প্লেগ লক্ষ্য করলে সেথায় অনুপ্রবেশ ও করো না।

(ই.ফা. ৫৫৮২, ই.সে. ৫৬০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬৮

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو، بْنُ دِينَارٍ أَنَّ عَامِرَ بْنَ سَعْدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الطَّاعُونِ، فَقَالَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَا أُخْبِرُكَ عَنْهُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هُوَ عَذَابٌ أَوْ رِجْزٌ أَرْسَلَهُ اللَّهُ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ نَاسٍ كَانُوا قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا عَلَيْهِ وَإِذَا دَخَلَهَا عَلَيْكُمْ فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا فِرَارًا ‏”‏ ‏.‏

‘আমির ইবনু সা‘দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক লোক সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) -কে প্লেগ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) বললেন, আমি সে ব্যাপারে তোমাকে সংবাদ দিচ্ছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তা একটি গযব অথবা একটি মহামারী যা আল্লাহ তা‘আলা বানী ইস্‌রাঈলের একটি উপদল কিংবা তোমাদের পূর্বেকার কোন একদল ব্যক্তির উপরে প্রেরণ করেছিলেন। অতএব কোন অঞ্চলে তার কথা তোমরা জানলে সেথায় তোমরা প্রবেশ করো না; তদ্রুপ কোন তোমাদের উপর তা এসে পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না।

(ই.ফা. ৫৫৮৩, ই.সে. ৫৬১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৬৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ عَمْرِو بْنِ، دِينَارٍ بِإِسْنَادِ ابْنِ جُرَيْجٍ نَحْوَ حَدِيثِهِ ‏.‏

আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ রাবী‘ সুলাইমান ইবনু দাঊদ, কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা‘ঈদ ও আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রাঃ) ‘আম্‌র ইবনু দীনার (রহঃ) হতে ইবনু জারায়জ (রহঃ) -এর সূত্রে তাঁর বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৫৮৪, ই.সে. ৫৬১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭০

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ أَوِ السَّقَمَ رِجْزٌ عُذِّبَ بِهِ بَعْضُ الأُمَمِ قَبْلَكُمْ ثُمَّ بَقِيَ بَعْدُ بِالأَرْضِ فَيَذْهَبُ الْمَرَّةَ وَيَأْتِي الأُخْرَى فَمَنْ سَمِعَ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ يَقْدَمَنَّ عَلَيْهِ وَمَنْ وَقَعَ بِأَرْضٍ وَهُوَ بِهَا فَلاَ يُخْرِجَنَّهُ الْفِرَارُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তাহির আহ্‌মাদ ইবনু ‘আম্‌র ও হারমালাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) …..উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেন, এ রোগ একটি মহামারী যা দ্বারা তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক উম্মতকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অতঃপর তা জমিনেই রয়ে গেছে, তাই এক সময় তা চলে যায় ও আরেক সময় তা ফিরে আসে। অতএব যে লোক কোন অঞ্চলে এ রোগের কথা শুনতে পারে সে যেন কোনক্রমেই সেখানে না যায়, আর যে লোক কোথাও থাকা অবস্থায় সেথায় তা এসে পড়ে যেখান হতে যেন সে পালিয়ে না যায়। (ই.ফা. ৫৫৮৫, ই.সে. ৫৬১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ يُونُسَ نَحْوَ حَدِيثِهِ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ কামিল জাহ্‌দারী (রহঃ) …..যুহরী (রহঃ) হতে ইউনুস (রহঃ) -এর সূত্রে তার বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৫৫৮৬, ই.সে. ৫৬১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حَبِيبٍ، قَالَ كُنَّا بِالْمَدِينَةِ فَبَلَغَنِي أَنَّ الطَّاعُونَ قَدْ وَقَعَ بِالْكُوفَةِ فَقَالَ لِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ وَغَيْرُهُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ فَوَقَعَ بِهَا فَلاَ تَخْرُجْ مِنْهَا وَإِذَا بَلَغَكَ أَنَّهُ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ عَمَّنْ قَالُوا عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ يُحَدِّثُ بِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقَالُوا غَائِبٌ – قَالَ – فَلَقِيتُ أَخَاهُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ شَهِدْتُ أُسَامَةَ يُحَدِّثُ سَعْدًا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ رِجْزٌ أَوْ عَذَابٌ أَوْ بَقِيَّةُ عَذَابٍ عُذِّبَ بِهِ أُنَاسٌ مِنْ قَبْلِكُمْ فَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا وَإِذَا بَلَغَكُمْ أَنَّهُ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَبِيبٌ فَقُلْتُ لإِبْرَاهِيمَ آنْتَ سَمِعْتَ أُسَامَةَ يُحَدِّثُ سَعْدًا وَهُوَ لاَ يُنْكِرُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মদীনায় ছিলাম। তখন আমার নিকট সংবাদ আসলো যে, কূফায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। তখন ‘আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) প্রমুখ সাহাবাগণ আমাকে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম): যখন তুমি কোন অঞ্চলে অবস্থান করবে সেখানে তা প্রকাশ পেলে সেখান থেকে বের হয়ো না। আর যদি তোমার নিকট খবর পৌঁছে যে, তা কোন অঞ্চলে রয়েছে, তাহলে সেখানে গমন করো না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম- এ বর্ণনা কার পক্ষ হতে? তাঁরা বললেন, ‘আমির ইবনু সা‘দ (রহঃ) হতে-তিনি তা বর্ণনা করে থাকেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি তাঁর নিকট গেলাম। তারা বলল, তিনি গৃহে নেই। তখন আমি তাঁর ভাই ইব্‌রাহীম ইবনু সা‘দ (রহঃ) -এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, উসামাহ্‌ (রাঃ) যখন সা‘দকে হাদীস শুনাচ্ছিলেন, তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, এ রোগ একটি মহামারী অথবা একটি ‘আযাব কিংবা ‘আযাবের অবশিষ্টাংশ-যা দ্বারা তোমাদের পূর্বেকার কতিপয় লোককে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। অতএব কোন অঞ্চলে তোমাদের অবস্থানকালে যদি তা থাকে সে সময় সেখান থেকে তোমরা বের হয়ো না। আর যদি তোমাদের নিকট খবর আসে যে, তা কোন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে, তবে সেখানে গমন করো না।

হাবীব (রহঃ) বলেন, তখন আমি ইব্‌রাহীম (রহঃ) -কে বললাম, আপনি কি শুনেছেন যখন উসামাহ্‌ (রাঃ) সা‘দ (রাঃ) -এর নিকট হাদীস বর্ণনা করেছিলেন, আর তিনি তা অস্বীকার করেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

(ই.ফা. ৫৫৮৭, ই.সে. ৫৬১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৩

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قِصَّةَ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ ‏.‏

শু‘বাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু‘আয (রহঃ) …..শু‘বাহ্‌ (রহঃ)-এর সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি হাদীসের শুরুতে ‘আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) সম্পর্কিত ঘটনা পেশ করেননি। (ই.ফা. ৫৫৮৮, ই.সে. ৫৬১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ شُعْبَةَ ‏.‏

সা‘দ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) ….সা‘দ ইবনু মালিক (রাঃ) খুযাইমাহ্‌ ইবনু সাবিত (রাঃ) ও উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর শু‘বাহ (রহঃ) -এর হাদীসের অনুরুপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৫৮৯, ই.সে. ৫৬১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৫

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ كَانَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَسَعْدٌ جَالِسَيْنِ يَتَحَدَّثَانِ فَقَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

ইব্‌রাহীম ইবনু সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাসাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) ও সা‘দ (রাঃ) বসে বসে আলাপ করছিলেন। তাঁরা উভয়ে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (পূর্বোল্লেখিত) বর্ণনাকারীদের হাদীসের মতো।

(ই.ফা. ৫৫৯০, ই.সে. ৫৬১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৬

وَحَدَّثَنِيهِ وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي الطَّحَّانَ – عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ حَبِيبِ، بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

ইব্‌রাহীম ইবনু সা‘দ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ওয়াহ্‌ব ইবনু বাকিয়্যাহ্‌ (রহঃ) …..ইব্‌রাহীম ইবনু সা‘দ ইবনু মালিক (রাঃ) তাঁর পিতা (সা‘দ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোল্লিখিত বর্ণনাকারীদের হাদীসের হুবাহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৫৯০, ই.সে. ৫৬১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ، الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغَ لَقِيَهُ أَهْلُ الأَجْنَادِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ عُمَرُ ادْعُ لِيَ الْمُهَاجِرِينَ الأَوَّلِينَ ‏.‏ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ قَدْ خَرَجْتَ لأَمْرٍ وَلاَ نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَرَى أَنْ تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ ‏.‏ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِيَ الأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ لَهُ فَاسْتَشَارَهُمْ فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلاَفِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَا هُنَا مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ ‏.‏ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ رَجُلاَنِ فَقَالُوا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلاَ تُقْدِمْهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ ‏.‏ فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ إِنِّي مُصْبِحٌ عَلَى ظَهْرٍ فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ – وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُ خِلاَفَهُ – نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَتْ لَكَ إِبِلٌ فَهَبَطْتَ وَادِيًا لَهُ عِدْوَتَانِ إِحْدَاهُمَا خَصْبَةٌ وَالأُخْرَى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الْخَصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ وَإِنْ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَكَانَ مُتَغَيِّبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثُمَّ انْصَرَفَ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া তামীমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া তামীমী (রহঃ) …..‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, ‘উমার (রাঃ) শামের (সিরিয়ার) দিকে রওয়ানা হলেন। ‘সার্‌গ’ নামক স্থান পর্যন্ত পৌছালে ‘আজনাদ’ অধিবাসীদের (প্রতিনিধি ও অধিনায়ক) আবূ ‘উবাইদাহ্‌ ইবনু জার্‌রাহ্‌ ও তাঁর সহকর্মী গণ তাঁর সাথে দেখা করলেন। তখন তাঁরা সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরাম্ভ হয়েছে।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন-প্রাথমিক যুগের মুহাজিরদের আমার নিকট ডেকে আন। আমি তাদেরকে ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাঁদেরকে সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরাম্ভ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাঁদের কাছে থেকে পরামর্শ চাইলেন। অতঃপর তাঁরা দ্বন্দে পড়ে গেল। তাঁদের কেউ কেউ বলল, আপনি একটি বিশেষ কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, তাই আমরা আপনার ফিরে যাওয়া যথাযথ মনে করি না। আর কেউ কেউ বললেন, আপনার সঙ্গে অনেক প্রবীণ লোক এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ রয়েছেন। তাই আমরা তাঁদেরকে এ মহামারীর সম্মুখে ছেড়ে দেয়া যুক্তিসঙ্গত মনে করি না। তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! তারপর বললেন, আনসারীদের আমার নিকট ডেকে আনো। আমি তাঁদেরকে তাঁর নিকট ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাঁদের কাছেও পরামর্শ চাইলেন। তাঁরা মুহাজিরদের পন্থা অনুকরণ করলেন এবং মুহাজিরগণের মতো তাঁদের মধ্যেও দ্বিমত সৃষ্টি হলো। তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! তারপর তিনি বললেন, (মক্কা) বিজয়ের পূর্বে হিজরতকারী কুরায়শের মুরুব্বীদের যারা এখানে আছেন, তাঁদের আমার নিকট পাঠাও। আমি তাঁদেরকে ডেকে আনলাম। তাঁদের দু’জনও কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করলেন না। তাঁরা (সকলেই) বললেন, আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি যে, আপনি লোকদের নিয়ে ফিরে যান এবং তাঁদেরকে এ মহামারীর দিকে ঠেলে দিবেন না। তখন ‘উমার(রাঃ) লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন, আমি ভোরে সাওয়ারীর উপর থাকবো, তোমরাও ভোরে সাওয়ারীর উপর আরোহণ করবে। তখন আবূ ‘উবাইদাহ্‌ ইবুন জার্‌রাহ্‌ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র তাকদীর হতে ভেগে যাওয়া ? তখন ‘উমার(রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘উবাইদাহ্! তুমি ছাড়া অন্য কেউ এমন করলে, (রাবী বলেন) ‘ উমার (রাঃ) তাঁর বিরুদ্ধাচারণ অপছন্দ করতেন। (তিনি বললেন) হ্যাঁ! আমরা আল্লাহ্‌র তাক্‌দীর হতে আল্লাহ্‌রই তাক্‌দীরের দিকে পলায়ন করছি। তোমার যদি একপাল উট থাকে আর তুমি একটি উপত্যকায় অবতীর্ণ হও যার দু’টি প্রান্তর রয়েছে, যার একটি সবুজ শ্যামল, অপরটি তৃণশূন্য; সে ক্ষেত্রে তুমি যদি সবুজ শ্যামল প্রান্তরে (উট) চরাও, তাহলে আল্লাহ্‌র তাকদীরেই সেখানে চরাবে আর যদি তৃণশূন্য প্রান্তরে চরাও, তাহলেও আল্লাহ্‌র তাকদীরেই সেখানে চরাবে। রাবী বলেন, এ সময়ে ‘আবদুল রহমান ইবনু ‘আওফ(রাঃ) এলেন, তিনি (এতক্ষণ) তাঁর কোন প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমার নিকট (হাদীসের) ‘ইল্‌ম রয়েছে। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা কোন এলাকায় সেটার খবর শুনতে পাও, তখন তার উপরে (দুঃসাহস দেখিয়ে) এগিয়ে যাবে না। আর যখন কোন দেশে তোমাদের সেখানে থাকা অবস্থায় তা দেখা যায়, তখন তা হতে পলায়ন করে বেরিয়ে পড়ো না।

 

বর্ণনাকারী বলেন, তখন ‘উমার(রাঃ) আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলেন। অতঃপর চলে গেলেন।

 

(ই.ফা. ৫৫৯১, ই.সে. ৫৬১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৮

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَزَادَ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ قَالَ وَقَالَ لَهُ أَيْضًا أَرَأَيْتَ أَنَّهُ لَوْ رَعَى الْجَدْبَةَ وَتَرَكَ الْخَصْبَةَ أَكُنْتَ مُعَجِّزَهُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَسِرْ إِذًا ‏.‏ قَالَ فَسَارَ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ فَقَالَ هَذَا الْمَحِلُّ ‏.‏ أَوْ قَالَ هَذَا الْمَنْزِلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏.‏

মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ), মুহাম্মাদ ইবনু রাফি‘ ও ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) মা‘মার (রহঃ) উপরোক্ত সূত্রে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবুহু বর্ণনা করেছেন। মা‘মার (রহঃ)-এর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন [‘উমার(রাঃ)] আবূ ‘উবাইদাহ্‌কে আরো বললেন, বলো তো, সে যদি তৃণশূন্য উপত্যকায় চড়ায় আর সবুজ শ্যামল উপত্যকা পরিত্যাগ করে তাহলে তুমি কি তাকে ব্যর্থ সাব্যস্ত করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ! তিনি বললেন, তাহলে এবার চলো। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে সফর করে তিনি মদীনায় এসে বললেন, এটি অবস্থান স্থল অথবা তিনি বললেন, ইনশাআল্লাহ, এটি অবতরণ স্থল। (ই. ফা. ৫৫৯২, ই. সে. ৫৬২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৭৯

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তাহির (রহঃ) ও হারমালাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সানাদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেননি যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৫৫৯২, ই. সে. ৫৬২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮০

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ عُمَرَ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا جَاءَ سَرْغَ بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ ‏.‏ فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ ‏.‏ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ سَرْغَ ‏.‏ وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ إِنَّمَا انْصَرَفَ بِالنَّاسِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির ইবনু রাবী‘আহ্‌ থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার (রাঃ) শামের দিকে সফরে বের হলেন, ‘সার্‌গ’ পর্যন্ত গমন করলে তাঁর নিকটে (খবর) আসল যে, শামে মহামারী লক্ষ্য করা গেছে। তখন ‘আবদুর রহ্‌মান ইবনু ‘আওফ(রাঃ) তাঁকে সংবাদ দিলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যখন কোন অঞ্চলে মহামারীর (সংবাদ) শুনবে, তখন তার দিকে অগ্রসর হবে না। আর যখন কোন অঞ্চলে সেটা দেখা দিবে, আর তোমরা সেখানে রয়েছো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে বের হয়ে যেও না। অতঃপর ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সার্‌গ হতে প্রত্যাবর্তন করলেন।

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (ইবনু ‘উমার) (রাঃ) হতে ইবনু শিহাব (রহঃ) -এর বর্ণনাতে রয়েছে যে, ‘আবদুর রহ্‌মান ইবনু ‘আওফ(রাঃ) -এর হাদীসের অনুসরণে ‘উমার(রাঃ) লোকদের নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।

(ই. ফা. ৫৫৯৩, ই. সে. ৫৬২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩. অধ্যায়ঃ

সংক্রমণ, কুলক্ষণ, হামাহ্, অনাহারে পেট কামড়ানো কীট, নক্ষত্রের প্রভাবে বর্ষণ ও পথ বিভ্রমের ভূত-প্রেতের অস্তিত্ব নেই; তবে অসুস্থ উটের মালিক তার উট সুস্থ উটের কাছে নিয়ে আসবে না

৫৬৮১

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لأَبِي الطَّاهِرِ – قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ حِينَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا بَالُ الإِبِلِ تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ فَيَجِيءُ الْبَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ فِيهَا فَيُجْرِبُهَا كُلَّهَا قَالَ ‏”‏ فَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(এ হাদীস সে সময়ের) যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সংক্রমণ ব্যাধি, ক্ষুধায় পেট কামড়ানো পোকা (বা সফর মাসের অগ্রপশ্চাৎকরণ) ও মৃত মানুষের আত্না হতে পেঁচার জন্ম বলতে কিছু নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তাহলে সে উট পালের কি অবস্থা, যা কোন বালুকাময় ভূমিতে থাকে যা ব্যাধিমুক্ত বলবান। অতঃপর সেখানে খোচ-পাঁচড়া আক্রান্ত (কোন) উট এসে তাদের মধ্য প্রবেশ করে তাদের সবগুলোকে পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? তিনি বললেন, তাহলে প্রথম (উট) টিকে কে সংক্রমিত করেছিল?

(ই. ফা. ৫৫৯৪, ই. সে. ৫৬২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮২

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও হামাহ্‌-এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! বর্ণনাকারী ইউনুস (রহঃ) কর্তৃক রিওয়ায়াতকৃত হাদীসের অবিকল।

(ই. ফা. ৫৫৯৫, ই. সে. ৫৬২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৩

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سِنَانُ بْنُ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ عَدْوَى ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ أَعْرَابِيٌّ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ وَصَالِحٍ ‏.‏ وَعَنْ شُعَيْبٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ ابْنُ أُخْتِ نَمِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রমণ বলতে কিছু নেই…..। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব দন্ডায়মান হলো, ….এর পরের অংশ ইউনুস ও সালিহ্‌ (রহঃ) এর হাদিসের মত বর্ণনা করেছেন। (পূর্বোক্ত সুত্রে) সায়িব ইবনু ইয়াযীদ ইবনু উখ্‌তু নামির (রহঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সংক্রামক ব্যাধি, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা এবং হামাহ্‌ বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। (ই. ফা. ৫৫৯৬, ই. সে. ৫৬২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৪

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، – وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ – قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ عَدْوَى ‏”‏ ‏.‏ وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ ‏”‏ ‏.‏

 

قَالَ أَبُو سَلَمَةَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُهُمَا كِلْتَيْهِمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَمَتَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِهِ ‏”‏ لاَ عَدْوَى ‏”‏ ‏.‏ وَأَقَامَ عَلَى ‏”‏ أَنْ لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ذُبَابٍ – وَهُوَ ابْنُ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ – قَدْ كُنْتُ أَسْمَعُكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ تُحَدِّثَنَا مَعَ هَذَا الْحَدِيثِ حَدِيثًا آخَرَ قَدْ سَكَتَّ عَنْهُ كُنْتَ تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ عَدْوَى ‏”‏ ‏.‏ فَأَبَى أَبُو هُرَيْرَةَ أَنْ يَعْرِفَ ذَلِكَ وَقَالَ ‏”‏ لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ ‏”‏ ‏.‏ فَمَا رَآهُ الْحَارِثُ فِي ذَلِكَ حَتَّى غَضِبَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَرَطَنَ بِالْحَبَشِيَّةِ فَقَالَ لِلْحَارِثِ أَتَدْرِي مَاذَا قُلْتُ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ‏.‏ قُلْتُ أَبَيْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَلَعَمْرِي لَقَدْ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ عَدْوَى ‏”‏ ‏.‏ فَلاَ أَدْرِي أَنَسِيَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَوْ نَسَخَ أَحَدُ الْقَوْلَيْنِ الآخَرَ

আবূ সালামাহ্‌ ইবনু ‘আবদুর রহ্‌মান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রমণ (এর অস্তিত্ব) নেই। তিনি আরও বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যাধিযুক্ত উটপালের মালিক (অসুস্থ উটগুলোকে) সুস্থ উটপালের মালিকের (উটের) ধারে কাছে আনবে না।

(ই. ফা. ৫৫৯৭, ই. সে. ৫৬২৬)

আবূ সালামাহ্‌ (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) এ দু’টি হাদীসই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করতেন। অতঃপর আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) তাঁর (প্রথম হাদীসের) ‘সংক্রমণ নেই’ বলা হতে চুপ থাকেন এবং অসুস্থ উটপালের মালিক সুস্থ উটপালের মালিকের নিকট আনবে না-এ বর্ণনায় অটল থাকেন। বর্ণনাকারী বলেন, (একদিন) আল্‌ হারিস ইবনু আবূ যুবাব (রহঃ) -তিনি আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) -এর চাচাত ভাই বললেন, হে আবূ হুরায়রা! আমি তো আপনাকে বলতে শুনতাম, আপনি এ হাদীসের সঙ্গে আরও একটি হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করতেন, যা বর্ণনায় আপনি এখন নিশ্চুপ রয়েছেন। আপনি বলতেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘সংক্রমণ নেই’। তখন আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) অস্বীকার করলেন এবং বললেন, অসুস্থ পালের মালিক সুস্থ পালের মালিকের নিকট নিয়ে যাবে না। তখন হারিস(রহঃ) এ নিয়ে তাঁর সাথে তর্ক লিপ্ত হলেন। ফলে আবু হুরায়রা (রাঃ) গোস্বা হয়ে হাবশী ভাষায় কিছু বললেন। তিনি হারিস (রহঃ) -কে বললেন, তুমি কি বুঝতে পেরেছো আমি কি বলেছি? তিনি বললেন, না। আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) বললেন, আমি বলেছি, আমি অস্বীকার করছি।

আবূ সালামাহ্‌ (রহঃ) বলেন, আমার জীবনের কসম! আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) নিশ্চই আমাদের নিকট হাদীস রিওয়ায়াত করতেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ‘সংক্রমণ নেই’। এখন আমি জানি না যে, আবূ হুরায়রা্‌(রাঃ) ভুলে গেলেন, নাকি একটি দ্বারা অপরটিকে রহিত করে দিয়েছেন [২৮]

(ই. ফা. ৫৫৯৭, ই. সে. ৫৬২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮] মুলতঃ কথা হল যে, সংক্রমন বলতে কিছু নেই। এটাই বাস্তব সত্য ও ইসলামী আকীদাহ। তবে অসুস্থ উটপালকে সুস্থ উটপালের নিকট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ সংক্রমনের প্রতি বিশ্বাস করে নয়; বরং সতর্কতা ও পরিছন্নতার প্রতি লক্ষ্য করে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৫

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي وَقَالَ، الآخَرَانِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنُونَ ابْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ عَدْوَى ‏”‏ ‏.‏ وَيُحَدِّثُ مَعَ ذَلِكَ ‏”‏ لاَ يُورِدُ الْمُمْرِضُ عَلَى الْمُصِحِّ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রমণ (-এর বাস্তবতা) নেই- ঐ সঙ্গে এও বর্ণনা করতেন, পালের মালিক (তার) অসুস্থ উট অন্য মালিকের সুস্থ উটপালের নিকট নিয়ে আসবে না। অবশিষ্টাংশ বর্ণনাকারী ইউনুস (রহঃ) -এর হাদীসের হুবহু। (ই.ফা. ৫৫৯৮, ই.সে. ৫৬২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৬

حَدَّثَنَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহ্‌মান দারিমী (রহঃ) …..যুহ্‌রী (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবাহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই. ফা. ৫৫৯৯, ই. সে. ৫৬২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ هَامَةَ وَلاَ نَوْءَ وَلاَ صَفَرَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণে পেঁচা, নক্ষত্র (প্রভাবে বর্ষণ) ও (ক্ষুধায় পেট কামড়ানো) পোকা- এসবের অস্তিত্ব নেই।

(ই.ফা. ৫৬০০, ই.সে. ৫৬২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ غُولَ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ ও (মাঠে ময়দানে পথ ভুলানো নানা রঙ্গে রূপধারী) ভূত-প্রেত (এর অস্তিত্ব) নেই।

(ই.ফা. ৫৬০১, ই.সে. ৫৬৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৮৯

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمِ بْنِ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – وَهُوَ التُّسْتَرِيُّ – حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ غُولَ وَلاَ صَفَرَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, পথ ভুলানো ভূত এবং ক্ষুধায় পেট কামড়ানো পোকা (এর অস্তিত্ব) নেই।

(ই.ফা. ৫৬০২, ই.সে. ৫৬৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ غُولَ ‏”‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُ أَبَا الزُّبَيْرِ يَذْكُرُ أَنَّ جَابِرًا فَسَّرَ لَهُمْ قَوْلَهُ ‏”‏ وَلاَ صَفَرَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ الصَّفَرُ الْبَطْنُ ‏.‏ فَقِيلَ لِجَابِرٍ كَيْفَ قَالَ كَانَ يُقَالُ دَوَابُّ الْبَطْنِ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ يُفَسِّرِ الْغُولَ ‏.‏ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ هَذِهِ الْغُولُ الَّتِي تَغَوَّلُ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, সংক্রামক ব্যাধি, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও পথ ভুলানো ভূত (এর অস্তিত্ব) নেই।

(বর্ণনাকারী বলেন) আমি আবূ যুবায়র (রহঃ) -কে তাঁর শিষ্যদের নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী (আরবি) এর ব্যাখ্যা দিতে শুনেছি। আবূ যুবায়র (রহঃ) বলেছেন, (আরবি) হলো (আরবি) পেটের পোকা। জাবির (রাঃ) কে প্রশ্ন করা হল- কি রকম? তিনি বললেন, ‘ কথিত পেটের পোকাসমূহ’।

বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (আরবি) এর বিশ্লেষণ করেন নি। আবূ যুবায়র (রহঃ) বলেছেন, তা সেসব যারা বিভিন্ন রূপ ধরে মানুষ কে রাস্তা ভুলায়।

(ই.ফা. ৫৬০৩, ই.সে. ৫৬৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪. অধ্যায়ঃ

অশুভ লক্ষণ, সুলক্ষণ ও সম্ভব্য অপয়া বিষয়বস্তুর বিবরণ

৫৬৯১

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ طِيَرَةَ وَخَيْرُهَا الْفَأْلُ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْفَأْلُ قَالَ ‏”‏ الْكَلِمَةُ الصَّالِحَةُ يَسْمَعُهَا أَحَدُكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, কোন কুলক্ষণ নেই। তবে তার মাঝে উত্তম হল ফাল তথা শুভ-লক্ষণ। বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! ‘ফাল’ কি? তিনি বললেন, (যেমন) এমন কিছু কথা উত্তম, যা তোমাদের কেউ শুনতে পায়।

(ই.ফা. ৫৬০৪, ই.সে. ৫৬৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯২

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ ح وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عُقَيْلٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعْتُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ شُعَيْبٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَمَا قَالَ مَعْمَرٌ ‏.‏

যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল মালিক ইবনু শু’আয়ব ইবনু লায়স, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহ্‌মান দারিমী (রহঃ) যুহ্‌রী (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন।

 

তবে বর্ণনাকারী ‘উকায়ল(রহঃ) -এর হাদীস আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত’। তিনি ‘আমি শুনেছি’ বলেন নি। আর রাবী শু‘আয়ব (রহঃ) তাঁর হাদীসে বলেছেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি’ , যেমন মা’মার (রহঃ) বলেছেন। (ই.ফা. ৫৬০৫, ই.সে. ৫৬৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৩

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَيُعْجِبُنِي الْفَأْلُ الْكَلِمَةُ الْحَسَنَةُ الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রমণ ও কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই; তবে ফাল ও শুভলক্ষণ (অর্থাৎ – ভাল শব্দ তথা উত্তম কথা) আমাকে বিমোহিত করে।

(ই.ফা. ৫৬০৬, ই.সে. ৫৬৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৪

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَيُعْجِبُنِي الْفَأْلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قِيلَ وَمَا الْفَأْلُ قَالَ ‏”‏ الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -এর সানাদে মালিক (রহঃ) -এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সংক্রমণ ও কুলক্ষণ(এর বৈধতা) নেই। তবে আমাকে আনন্দ দেয় ফাল ও সুলক্ষণ। বর্ণনাকারী বলেন, তখন বলা হলো, ফাল কী? তিনি বললেন, উত্তম কথা। (ই.ফা. ৫৬০৭, ই.সে. ৫৬৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৫

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنِي مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُخْتَارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَتِيقٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَأُحِبُّ الْفَأْلَ الصَّالِحَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সংক্রমণ ও অশুভ লক্ষণ নেই। আর আমি পছন্দ করি উত্তম ফাল তথা ভাল কথা।

(ই.ফা. ৫৬০৮, ই.সে. ৫৬৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৬

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ هَامَةَ وَلاَ طِيَرَةَ وَأُحِبُّ الْفَأْلَ الصَّالِحَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সংক্রমণ, পেঁচা ও কু-ধারণা (বিশ্বাসের বৈধতা) নেই; আর আমি ভাল ‘ফাল’ পছন্দ করি।

(ই.ফা. ৫৬০৯, ই.সে ৫৬৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৭

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ يَحْيَى قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حَمْزَةَ، وَسَالِمٍ، ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الشُّؤْمُ فِي الدَّارِ وَالْمَرْأَةِ وَالْفَرَسِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অশুভ লক্ষণ আছে ঘর, নারী ও ঘোড়ায়।

(ই.ফা. ৫৬১০, ই.সে. ৫৬৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حَمْزَةَ، وَسَالِمٍ، ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَإِنَّمَا الشُّؤْمُ فِي ثَلاَثَةٍ الْمَرْأَةِ وَالْفَرَسِ وَالدَّارِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রমণ ও অশুভ বলতে কিছু নেই; তবে অশুভ লক্ষণ আছে তিনটি বস্তুতে স্ত্রী, ঘোড়া ও বাড়িতে।

(ই.ফা. ৫৬১১, ই.সে. ৫৬৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬৯৯

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، وَحَمْزَةَ، ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، وَحَمْزَةَ، ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، إِسْحَاقَ ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الشُّؤْمِ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ لاَ يَذْكُرُ أَحَدٌ مِنْهُمْ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ الْعَدْوَى وَالْطِّيَرَةَ غَيْرُ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবূ ‘উমার (রাঃ) …… ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) -এর দু’পুত্র সালিম ও হামযাহ্‌ (রহঃ) তাঁদের পিতার সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া, ‘আম্‌র আন্‌ নাকিদ ও যুহায়র ইবনু হার্‌ব (রহঃ) সালিম (রহঃ) তাঁর পিতার সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, ‘আমর আন্‌ নাকিদ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, ‘আবদুল মালিক ইবনু শু’আয়ব ইবনু লায়স (রহঃ) , ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান দারিমী (রহঃ) সালিম (রহঃ) তাঁর পিতার সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অশুভ লক্ষণের ব্যাপারে বর্ণনাকারী মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ ছাড়া এঁদের কেউ ইবনু ‘উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে সংক্রমণ ও অশুভ উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫৬১২, ই.সে. ৫৬৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০০

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنْ يَكُنْ مِنَ الشُّؤْمِ شَىْءٌ حَقٌّ فَفِي الْفَرَسِ وَالْمَرْأَةِ وَالدَّارِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আহ্‌মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু হাকাম (রহঃ) ….ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যদি কোন কিছুতে অশুভ বলতে কিছু থাকে, তা হবে ঘোড়া, গৃহ ও মেয়ে লোক এটা সত্য। (ই.ফা. ৫৬১৩, ই.ফা. ৫৬৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০১

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَقُلْ ‏ “‏ حَقٌّ ‏”‏ ‏.‏

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) শু’বাহ (রহঃ) উপরোল্লিখিত সূত্রে একই হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি [আরবীতে হাক্ক] (এটা সত্য) শব্দটি বলেননি। (ই.ফা. ৫৬১৪, ই.সে. ৫৬৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০২

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي عُتْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنْ كَانَ الشُّؤْمُ فِي شَىْءٍ فَفِي الْفَرَسِ وَالْمَسْكَنِ وَالْمَرْأَةِ ‏”‏ ‏.‏

হামযাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌র ইবনু ইসহাক্‌ (রহঃ) …. হামযাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সানাদে তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি অশুভ লক্ষণ কোন কিছুতে থেকে থাকে তাহলে তা রয়েছে ঘোড়া, ঘর-বাড়ি ও নারীর মাঝে। (ই.ফা. ৫৬১৫, ই.সে. ৫৬৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০৩

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ، سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنْ كَانَ فَفِي الْمَرْأَةِ وَالْفَرَسِ وَالْمَسْكَنِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الشُّؤْمَ ‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি তা থাকে তাহলে নারী, ঘোড়া ও ঘর-বাড়ি অর্থাৎ- অশুভ লক্ষণ।

(ই.ফা. ৫৬১৬, ই.সে. ৫৬৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌র ইবনূ আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) ….. সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৬১৭, ই.সে ৫৬৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০৫

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، يُخْبِرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنْ كَانَ فِي شَىْءٍ فَفِي الرَّبْعِ وَالْخَادِمِ وَالْفَرَسِ ‏”‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম হান্‌যালী (রহঃ) আবূ যুবায়র (রহঃ) ……… জাবির (রাঃ) থেকে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কিছুতে যদি (অশুভ লক্ষণ) থেকে থাকে, তাহলে ঘর (আবাসস্থল), খাদিম ও ঘোড়া (এ তিনটি জিনিসে) রয়েছে। (ই.ফা. ৫৬১৮, ই.সে. ৫৬৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অধ্যায়ঃ

জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন নিষিদ্ধ

৫৭০৬

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُمُورًا كُنَّا نَصْنَعُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلاَ تَأْتُوا الْكُهَّانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ كُنَّا نَتَطَيَّرُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُهُ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِهِ فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ ‏”‏ ‏.‏

মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কিছু কর্মকান্ড আমরা অজ্ঞতার যুগে করতাম, (তার মধ্যে একটি হল) আমরা জ্যোতিষীর নিকট যেতাম। তিনি বললেন, আর জ্যোতিষীর নিকটে যেয়ো না। আমি বললাম, আমরা (নানা পদ্ধতিতে) ভাগ্য গণনা করতাম। তিনি বললেন, সেটি এমন একটি জিনিস, যা তোমাদের কেউ তার মনে উপলব্ধি করে, তবে সেটি যেন তোমাদের (কাজ-কর্ম হতে) বিরত না রাখে।

(ই.ফা. ৫৬১৯, ই.সে. ৫৬৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০৭

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنِي حُجَيْنٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُثَنَّى – حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَ مَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ غَيْرَ أَنَّ مَالِكًا فِي حَدِيثِهِ ذَكَرَ الطِّيَرَةَ وَلَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْكُهَّانِ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু রাফি, ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম, আবদ ইবনু হুমায়দ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে ইউনুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তবর্ণনাকারী মালিক (রহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে ‘শুভাশুভ’ এর কথা উল্লেখ করেছেন। তাতে জ্যোতিষী এরব্যাপারটি উল্লেখ নেই। (ই. ফা. ৫৬২০, ই. সে. ৫৬৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ مُعَاوِيَةَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ قَالَ ‏ “‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ ‏”‏ ‏.‏

মু’আবিয়াহ ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) … মু’আবিয়াহ ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, মু’আবিয়াহ (রাঃ) হতে আবূ সালামাহ (রহঃ) এর সানাদে যুহরী (রহঃ) এর অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্ত ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ) বর্ধিত করে বলেছেন, আমি (মু’আবিয়াহ) বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা রেখা এঁকে(ভাগ্য নির্ধারণ) করে থাকে। তিনি বললেন, নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা অঙ্কন (ভাগ্য নির্ণয়) করতেন। সুতরাং যার রেখা তাঁর (রেখার) অবিকল হবে তা সেরূপই (সত্যই।) (ই. ফা. ৫৬২১, ই.সে. ৫৬৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭০৯

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْكُهَّانَ كَانُوا يُحَدِّثُونَنَا بِالشَّىْءِ فَنَجِدُهُ حَقًّا قَالَ ‏ “‏ تِلْكَ الْكَلِمَةُ الْحَقُّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ فَيَقْذِفُهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ وَيَزِيدُ فِيهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জ্যোতিষীরা কোন ব্যাপারে আমাদের কোন কথা বলত, অতঃপর তা আমরাবাস্তবে প্রত্যক্ষ করতাম। তিনি বললেন, সেটি একটি বাস্তব সত্য কথা, যা কোন জ্বিন চুরি করে এনে সেটি তার দোসর ঠাকুরের কর্ণে প্রবেশ করাতো, আর সে তার সঙ্গে একশ’টি অবাস্তব মিথ্যা জুড়ে দিত।

(ই. ফা. ৫৬২২, ই. সে.৫৬৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১০

حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – وَهْوَ ابْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ سَأَلَ أُنَاسٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْكُهَّانِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَيْسُوا بِشَىْءٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّهُمْ يُحَدِّثُونَ أَحْيَانًا الشَّىْءَ يَكُونُ حَقًّا ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تِلْكَ الْكَلِمَةُ مِنَ الْجِنِّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ فَيَقُرُّهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ قَرَّ الدَّجَاجَةِ فَيَخْلِطُونَ فِيهَا أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ كَذْبَةٍ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদল লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জ্যোতিষীদের ব্যাপারে জানতে চাইলো। সে সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন, ওরা (বাস্তব) কোন কিছুর উপরে (প্রতিষ্ঠিত) নয়। তারা বলল, হে আল্লাহর রসূল! তারা তো প্রায় সময় এমন কিছু বিষয়ে (আগাম) কথা বলে, যা বাস্তব হয়ে যায়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ঐ (একটি) কথা বাস্তব সত্যের অন্তর্ভুক্ত, যা জ্বিনেরা চুরি করে নিয়ে আসে এবং মুরগীর মতো কুট কুট করে তা তার দোসরের শ্রবণশক্তিতে ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তিতে তারা তার সঙ্গে শতাধিক মিথ্যা জুড়ে দেয়।

(ই. ফা. ৫৬২৩, ই. সে.৫৬৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১১

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ رِوَايَةِ مَعْقِلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তাহির (রহঃ) …. ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে যুহরী (রহঃ) হতে মা’কিল (রহঃ) এর হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৫৬২৪, ই. সে.৫৬৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১২

حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ حَسَنٌ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، وَقَالَ، عَبْدٌ حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي رَجُلٌ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُمْ بَيْنَمَا هُمْ جُلُوسٌ لَيْلَةً مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رُمِيَ بِنَجْمٍ فَاسْتَنَارَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَاذَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا رُمِيَ بِمِثْلِ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ كُنَّا نَقُولُ وُلِدَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ عَظِيمٌ وَمَاتَ رَجُلٌ عَظِيمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِنَّهَا لاَ يُرْمَى بِهَا لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنْ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى اسْمُهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا سَبَّحَ حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثُمَّ سَبَّحَ أَهْلُ السَّمَاءِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ التَّسْبِيحُ أَهْلَ هَذِهِ السَّمَاءِ الدُّنْيَا ثُمَّ قَالَ الَّذِينَ يَلُونَ حَمَلَةَ الْعَرْشِ لِحَمَلَةِ الْعَرْشِ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ فَيُخْبِرُونَهُمْ مَاذَا قَالَ – قَالَ – فَيَسْتَخْبِرُ بَعْضُ أَهْلِ السَّمَوَاتِ بَعْضًا حَتَّى يَبْلُغَ الْخَبَرُ هَذِهِ السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَتَخْطَفُ الْجِنُّ السَّمْعَ فَيَقْذِفُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ وَيُرْمَوْنَ بِهِ فَمَا جَاءُوا بِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَهُوَ حَقٌّ وَلَكِنَّهُمْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণের মধ্যে আনসারদের জনৈক ব্যক্তি আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, তাঁরা এক রাত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বসা ছিলেন। সে সময় একটি নক্ষত্র পতিত হলো, যার দরুন আলোকিত হয়ে উঠল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন, এ ধরনের (তারকা) পতিত হলে অজ্ঞতার যুগে তোমরা কি বলতে? তারা বলল, আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই অধিক ভাল জানেন। আমরা বলতাম, আজ রাতে মনে হয় কোন মহান লোকের ভুমিষ্ঠ হয়েছে অথবা কোন মহান লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জেনে রাখো যে, তা কারো মৃত্যু কিংবা কারো জন্মের কারণে পতিত হয় না; কল্যাণময় ও মহান নামের অধিকারী আমাদের প্রতিপালক যখন কোন বিষয়ের সমাধান দেন, তখন আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তাসবীহ পাঠ করে। অতঃপর তাসবীহ পাঠ করে সে আকাশের ফেরেশতারা, যারা তাদের পার্শ্ববর্তী; পরিশষে তাসবীহ পাঠ এ নিকটবর্তী (পৃথিবীর) আসমানের অধিবাসীদের পর্যন্ত পৌছে। অতঃপর আরশ বহনকারীদের (ফেরেশতা) পার্শ্ববতী যারা তাঁরা আরশ বহনকারীদের বলে তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন? সে সময় তিনি তাদের যা কিছু বলেছেন, তারা সে সংবাদ বর্ণনা করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আসমান সমূহের অধিবাসীরা একে অপরকে সংবাদ আদান-প্রদান করে। পরিশেষে এ নিকটবর্তীআকাশে সংবাদ পৌছে। সে সময় জ্বিনেরা অতর্কিতে গোপন খবরটি শুনে নেয় এবং তাদের দোসর জ্যোতিষীদের নিকট পৌছিয়ে দেয়, আর সাথে অতিরিক্ত কিছু জুড়ে দেয়। ফলে যা তারা ঠিকঠাকভাবে নিয়ে আসতে পারে, তাই ঠিক হয়; তবে তারা তাতে (কথামালা) সুবিন্যস্ত ও সংযোজন করে।

(ই. ফা. ৫৬২৫, ই. সে.৫৬৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১৩

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ، شَبِيبٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ – كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ يُونُسَ، قَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَخْبَرَنِي رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ الأَنْصَارِ وَفِي حَدِيثِ الأَوْزَاعِيِّ ‏”‏ وَلَكِنْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ ‏”‏ وَلَكِنَّهُمْ يَرْقَوْنَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ فِي حَدِيثِ يُونُسَ وَقَالَ اللَّهُ ‏”‏ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ مَعْقِلٍ كَمَا قَالَ الأَوْزَاعِيُّ ‏”‏ وَلَكِنَّهُمْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহায়র ইবনু হারব আবূ তাহির হারমালাহ ও সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) … যুহরী (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্ত ইউনুস (রহঃ) বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনসার সাহাবীগণের কতিপয় লোক আমাকে বলেছেন। আর আওযা’ঈ (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তবে তারা সেটার মধ্যে (কথামালা) সুবিন্যস্ত ও সংযোজিত করে দেয়। আর ইউনুস (রহঃ) এর হাদীসে আছে, এত তারা অতিরিক্ত ও অতিরঞ্জিত করে। ইউনুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে বাড়িয়ে বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “পরিশেষে যখন তাদের অন্তর হতে সংশয় দূর করে দেয়া হয়, সে সময় তারা বলে, তোমাদে স্রষ্টা কি বললেন? তারা বলে ঠিকই বলেছেন”- (সূরাহ সাবা ৩৪: ২৩) । আর মা’লিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আওযা’ঈ (রহঃ) যেমন বলেছেন, তবে তাতে তারা সুবিন্যস্ত ও সংযোজিত করে এরই উল্লেখআছে। (ই. ফা. ৫৬২৬, ই. সে.৫৬৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلاَةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না আনাযী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কতক স্ত্রীর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে লোক ‘আররাফ’ [২৯] (অর্থাৎ হারানো জিনিসের সংবাদদাতা) এর (গণকের) নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল চল্লিশ রাত্রি তার কোন সলাত গ্রহনযোগ্য হবে না। (ই. ফা. ৫৬২৭, ই. সে.৫৬৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯] হারানো জিনিসের সংবাদদাতা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬. অধ্যায়ঃ

কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি হতে বেঁচে থাকা

৫৭১৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ ‏”‏ ‏.‏

আমর ইবনু শারীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) … আমর ইবনু শারীদ (রাঃ) এর সানাদে তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্য জনৈক কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট (খবর) পাঠালেন যে, আমরা তোমকে বাই‘আত করে নিয়েছি, তুমি ফিরে যাও। [৩০] (ই. ফা. ৫৬২৮, ই. সে.৫৬৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০] হাদিসে কুষ্ঠ রোগীর সাথে একত্রে পানাহার ও উঠা বসার বিবরন পাওয়া যায়। অতএব সুন্নাহ মতে, তাদের ঘৃণা ও একঘরে করে সম্ভাব্য ও সাধারন সতর্কতা অবলম্বন বিধেয় ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭. অধ্যায়ঃ

সর্প ইত্যাদি হত্যা প্রসঙ্গ

৫৭১৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ ذِي الطُّفْيَتَيْنِ فَإِنَّهُ يَلْتَمِسُ الْبَصَرَ وَيُصِيبُ الْحَبَلَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিষ্ঠে দুটি শুভ্র রেখাযুক্ত বিষধর সার্প হত্যা করার আদৈশ দিয়েছে। কারণ সেটা চোখের জ্যোতি হরণ করে নেয় এবং গর্ভস্থিত সন্তানের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে।

(ই. ফা. ৫৬২৯, ই. সে.৫৬৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১৭

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ الأَبْتَرُ وَذُو الطُّفْيَتَيْنِ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) হিশাম (রহঃ) … উপরোল্লিখিত সূ্রেত হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন, ‘লেজ বিহীন পিঠে দু’টি শুভ্র রেখাযুক্ত সর্প’।

(ই.ফা. ৫৬৩০, ই.সে. ৫৬৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১৮

وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ وَذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَسْتَسْقِطَانِ الْحَبَلَ وَيَلْتَمِسَانِ الْبَصَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقْتُلُ كُلَّ حَيَّةٍ وَجَدَهَا فَأَبْصَرَهُ أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَوْ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يُطَارِدُ حَيَّةً فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ ‏.‏

সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আম্‌র ইবনু মুহাম্মাদ আন্‌ নাকিদ (রহঃ) … সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা সূ্ত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন সব সাপ যেগুলোর পিঠে দু’টি শুভ্র রেখাযুক্ত ও লেজবিহীন সাপ মেরে ফেলে। কারণ, এ দু’টি গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের দৃষ্টি কেড়ে নেয়।

 

বর্ণনাকারী বলেন, তাই ইবনু ‘উমার (রহঃ) যে কোন সর্প পেলে সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলতেন। (একদিন) আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল মুন্‌যির (রহঃ) কিংবা যায়দ ইবনু খাত্তাব (রহঃ) তাকে লক্ষ্য করলেন যে, তিনি একটি সাপ মারার জন্য ছুটছেন। তখন তিনি [আবূ লুবাবাহ্‌ বা যায়দ (রহঃ) ] বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর বাড়িতে বসবাসকারী (সাপ) হত্যা করতে বারণ করেছেন!

(ই.ফা. ৫৬৩১, ই.সে. ৫৬৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭১৯

وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ يَقُولُ ‏\”‏ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ وَالْكِلاَبَ وَاقْتُلُوا ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَلْتَمِسَانِ الْبَصَرَ وَيَسْتَسْقِطَانِ الْحَبَالَى ‏\”‏ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَنُرَى ذَلِكَ مِنْ سُمَّيْهِمَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ سَالِمٌ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَلَبِثْتُ لاَ أَتْرُكُ حَيَّةً أَرَاهَا إِلاَّ قَتَلْتُهَا فَبَيْنَا أَنَا أُطَارِدُ حَيَّةً يَوْمًا مِنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ مَرَّ بِي زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ أَوْ أَبُو لُبَابَةَ وَأَنَا أُطَارِدُهَا فَقَالَ مَهْلاً يَا عَبْدَ اللَّهِ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِهِنَّ ‏.‏ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ نَهَى عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমি কুকুর ধ্বংসের নির্দেশ প্রদান করতে শুনেছি- তিনি বলতেন, সাপ আর কুকুরগুলো মেরে ফেল। আর (বিশেষত) পিঠে ডোরাকাটা ও লেজকাটা সাপ মেরে ফেল। কেননা, এ দু’টি মানুষের চোখের শক্তি কেড়ে নেয় এবং গর্ভবতীদের গর্ভপাত ঘটায়। (সানাদের মধ্যবর্তী) বর্ণনাকারী যুহ্‌রী (রহঃ) বলেন, আমাদের অনুমানে সেটি তাদের বিষের কারণে; তবে এ ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলাই সর্বাধিক জ্ঞাত।

বর্ণনাকারী সালিম (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, তারপরে আমার অবস্থা এমন হলো যে, কোন সর্প দেখলেই আমি তাকে হত্যা না করে ছাড়তাম না। একদিনের ঘটনা, আমি গৃহে অবস্থান করে এমন একটি একটি সাপ ধাওয়া করছিলাম। তখান যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) অথবা আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) আমর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর আমি ধাওয়া করছিলাম। তিনি বললেন, থামো! হে ‘আবদুল্লাহ! তখন আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো এদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপ ধ্বংস করতে বারণও করেছেন।

(ই.ফা. ৫৬৩২, ই.সে. ৫৬৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২০

وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ، حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ صَالِحًا، قَالَ حَتَّى رَآنِي أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ وَزَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالاَ إِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ ‏”‏ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ ‏”‏ ‏.‏

যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারমালাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া, ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ ও হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) যুহ্‌রী (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে (শেষ সানাদে) বর্ণনাকারী সালিহ্‌ (রহঃ) বলেছেন, ‘পরিশেষে আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল মুন্‌যির (রাঃ) এবং’ যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে প্রত্যক্ষ করলেন… এবং তাঁরা উভয়ে বললেন যে, তিনি ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপ হত্যা করতে বারণ করেছেন।

 

আর (প্রথম সূত্রের) বর্ণনাকারী ইউসুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- ‘সব ধরনের সাপ মেরে ফেল’। তিনি ‘পিঠে ডোরাকাটা বিশিষ্ট ও লেজকাটা সাপ’ কথাটি উল্লেখ করেননি।

 

(ই.ফা. ৫৬৩২, ই.সে. ৫৬৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَاللَّفْظُ، لَهُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ، كَلَّمَ ابْنَ عُمَرَ لِيَفْتَحَ لَهُ بَابًا فِي دَارِهِ يَسْتَقْرِبُ بِهِ إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَجَدَ الْغِلْمَةُ جِلْدَ جَانٍّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ الْتَمِسُوهُ فَاقْتُلُوهُ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ لاَ تَقْتُلُوهُ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু রুম্‌হ ও কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) … নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সঙ্গে তাঁর গৃহে তাঁর জন্য একটি দরজা খুলে নেয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন-যেটা দ্বারা তিনি মাসজিদের দিকে চলাচলের রাস্তা কাছাকাঠি করতে পারবেন। তখন কিশোররা (দেয়াল খুঁড়তে গিয়ে) একটি সাপের খোলস পেল। সে সময় ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, ওটিকে সন্ধান করে বের করে হত্যা কর। তখন আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) বললেন, তোমরা সেটিকে হত্যা করো না। কারণ, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপগুলোকে হত্যা করতে বারণ করেছেন।

 

(ই.ফা. ৫৬৩৩, ই.সে. ৫৬৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২২

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقْتُلُ الْحَيَّاتِ كُلَّهُنَّ حَتَّى حَدَّثَنَا أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ الْبَدْرِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ جِنَّانِ الْبُيُوتِ فَأَمْسَكَ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) সব ধরনের সাপ মেরে ফেলতেন। পরিশেষ আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু আবদুল মুন্‌যির আল-বাদ্‌রী (রাঃ) আমাদের হাদীস শুনালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গৃহের সাপগুলোকে হত্যা করতে বারণ করেছেন। অতঃপর তিনি [ইবনু ‘উমার (রাঃ)] তা থেকে সংযত রইলেন।

(ই.ফা. ৫৬৩৪, ই.সে. ৫৬৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا لُبَابَةَ، يُخْبِرُ ابْنَ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ ‏.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’ (রহঃ) খবর দিয়েছেন যে, তিনি আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) -কে ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট (হাদীসের) সংবাদ দিতে শুনেছেন এ মর্মে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গৃহের (ছোট-খাটো) সাপগুলো হত্যা করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৩৫, ই.সে. ৫৬৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৪

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ ‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ও আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) … ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে …. (ভিন্ন সূত্রে) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা যুবা’ঈ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে এ মর্মে বর্ণিত যে, আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) তাঁকে (হাদীসের) সংবাদ দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়ী-ঘরে অবস্থানকারী সাপগুলো হত্যা করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৩৬, ই.সে. ৫৬৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي الثَّقَفِيَّ – قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ الأَنْصَارِيَّ، – وَكَانَ مَسْكَنُهُ بِقُبَاءٍ فَانْتَقَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ – فَبَيْنَمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ جَالِسًا مَعَهُ يَفْتَحُ خَوْخَةً لَهُ إِذَا هُمْ بِحَيَّةٍ مِنْ عَوَامِرِ الْبُيُوتِ فَأَرَادُوا قَتْلَهَا فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ إِنَّهُ قَدْ نُهِيَ عَنْهُنَّ – يُرِيدُ عَوَامِرَ الْبُيُوتِ – وَأُمِرَ بِقَتْلِ الأَبْتَرِ وَذِي الطُّفْيَتَيْنِ وَقِيلَ هُمَا اللَّذَانِ يَلْتَمِعَانِ الْبَصَرَ وَيَطْرَحَانِ أَوْلاَدَ النِّسَاءِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) .. নাফি’ (রহঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল মুন্‌যির আনসারী (রাঃ) কুবায় বসবাস করতেন। অতঃপর তিনি স্থান পরিবর্তন করে মাদীনায় (মাসজিদে নাবাবীর সন্নিকটে) আসলেন। এমতাবস্থায় যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর [আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) -এর] সঙ্গে উপবিস্ট ছিলেন এবং তাঁর জন্য ছোট আাকরে একটি দরজা খুলছিলেন। অকস্মাৎ সে সময় তাঁরা বাড়ি ঘরে অবস্থানকারী একটি সাপ লক্ষ্য করলেন। তারা ওটিকে হত্যা করতে অগ্রসর হলে আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেগুলো মেরে ফেলতে বারণ করেছেন। তিনি (ওগুলো বলে) বাড়ি-ঘরে অবস্থানকারী সাপ বুঝাতে চেয়েছে। আর লেজকাটা ও পিঠে দু’টি সাদা দাগ বিশিষ্ট সাপ মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়ে যে, সে (সাপ) দু’টি এমন, যারা চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় এবং নারীদের গর্ভপাত ঘটায়।

(ই.ফা. ৫৬৩৭, ই.সে. ৫৬৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৬

وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ عِنْدَنَا ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَوْمًا عِنْدَ هَدْمٍ لَهُ فَرَأَى وَبِيصَ جَانٍّ فَقَالَ اتَّبِعُوا هَذَا الْجَانَّ فَاقْتُلُوهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو لُبَابَةَ الأَنْصَارِيُّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي تَكُونُ فِي الْبُيُوتِ إِلاَّ الأَبْتَرَ وَذَا الطُّفْيَتَيْنِ فَإِنَّهُمَا اللَّذَانِ يَخْطِفَانِ الْبَصَرَ وَيَتَتَبَّعَانِ مَا فِي بُطُونِ النِّسَاءِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর ভেঙ্গে ফেলা একটি দেয়ালের নিকট ছিলেন। অতঃপর একটি সাপের খোলস দেখতে পেয়ে বললেন, একে সন্ধান করে তা হত্যা কর। আবূ লুবাবাহ্‌ আনসারী (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি সেসব সাপ হত্যা করতে বারণ করেছেন যেগুলো বাড়ি-ঘরে অবস্থান করে; কিন্তু লেজ কাটা ও পিঠে দু’টি সাদা দাগযুক্ত সাপ (হত্যা করতে বলেছেন)। কারণ এ দু’টি এমন যারা দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নেয় এবং স্ত্রীলোকদের গর্ভপাত ঘটায়।

(ই.ফা. ৫৬৩৭, ই.সে. ৫৬৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৭

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، أَنَّ نَافِعًا، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ مَرَّ بِابْنِ عُمَرَ وَهُوَ عِنْدَ الأُطُمِ الَّذِي عِنْدَ دَارِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَرْصُدُ حَيَّةً بِنَحْوِ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট দিয়ে গেলেন। সে সময় ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) -এর গৃহের নিকট অবস্থিত দালানের কাছে ছিলেন। তখন তিনি একটি সাপ হত্যা করার জন্য লুকিয়ে ছিলেন। শেষাংশ লায়স ইবনু সা’দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মতো।

(ই.ফা. ৫৬৩৯, ই.সে. ৫৬৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى وَإِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ وَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ ‏{‏ وَالْمُرْسَلاَتِ عُرْفًا‏}‏ ‏.‏ فَنَحْنُ نَأْخُذُهَا مِنْ فِيهِ رَطْبَةً إِذْ خَرَجَتْ عَلَيْنَا حَيَّةٌ فَقَالَ ‏”‏ اقْتُلُوهَا ‏”‏ ‏.‏ فَابْتَدَرْنَاهَا لِنَقْتُلَهَا فَسَبَقَتْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَقَاهَا اللَّهُ شَرَّكُمْ كَمَا وَقَاكُمْ شَرَّهَا ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে একটি (পাহাড়ী) গুহায় ছিলাম। সে সময় কেবল (আরবী) (সূরা আল-মুরসালাত) তার উপরে অবতীর্ণ হয়েছিল, আর আমরা তাঁর কণ্ঠ থেকে তা সতেজভাবে (সরাসরি) শুনছিলাম। অকস্মাৎ একটি সাপ আমাদের সম্মুখে বের হয়ে আসলো। তিনি বললেন, তোমরা ওটাকে হত্যা করো। আমরা হতা করার জন্য তার পিছনে দৌড় প্রতিযোগিতা আরম্ভ করলাম। কিন্তু সে আমাদের হারিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ওকে তোমাদের অনিষ্ট থেকে হিফাযাত করেছেন, যেমন তিনি তোমাদের হিফাযাত করেছেন তার অনিষ্ট হতে।

(ই.ফা. ৫৬৪০, ই.সে. ৫৬৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭২৯

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ ও ‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) … আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৪১, ই.সে. ৫৬৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩০

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ مُحْرِمًا بِقَتْلِ حَيَّةٍ بِمِنًى ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ‘মুহ্‌রিম’ লোককে মিনায় একটি সাপ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

(ই.ফা. ৫৬৪২, ই.সে. ৫৬৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩১

وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَأَبِي مُعَاوِيَةَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে একটি (পাহাড়ী) গুহায় অবস্থান করছিলাম। বাকী অংশ জারীর (রহঃ) ও আবূ মু’আবিয়াহ্‌ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মতই।

(ই.ফা. ৫৬৪৩, ই.সে. ৫৬৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩২

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ صَيْفِيٍّ، – وَهُوَ عِنْدَنَا مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ – أَخْبَرَنِي أَبُو السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فِي بَيْتِهِ قَالَ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى يَقْضِيَ صَلاَتَهُ فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا فِي عَرَاجِينَ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا حَيَّةٌ فَوَثَبْتُ لأَقْتُلَهَا فَأَشَارَ إِلَىَّ أَنِ اجْلِسْ ‏.‏ فَجَلَسْتُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ فَقَالَ أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ كَانَ فِيهِ فَتًى مِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ – قَالَ – فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْخَنْدَقِ فَكَانَ ذَلِكَ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَنْصَافِ النَّهَارِ فَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنَهُ يَوْمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خُذْ عَلَيْكَ سِلاَحَكَ فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ قُرَيْظَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَخَذَ الرَّجُلُ سِلاَحَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَإِذَا امْرَأَتُهُ بَيْنَ الْبَابَيْنِ قَائِمَةً فَأَهْوَى إِلَيْهَا الرُّمْحَ لِيَطْعُنَهَا بِهِ وَأَصَابَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَهُ اكْفُفْ عَلَيْكَ رُمْحَكَ وَادْخُلِ الْبَيْتَ حَتَّى تَنْظُرَ مَا الَّذِي أَخْرَجَنِي ‏.‏ فَدَخَلَ فَإِذَا بِحَيَّةٍ عَظِيمَةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَانْتَظَمَهَا بِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَرَكَزَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْحَيَّةُ أَمِ الْفَتَى قَالَ فَجِئْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ وَقُلْنَا ادْعُ اللَّهَ يُحْيِيهِ لَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

হিশাম ইবন যুহ্‌রাহ্‌ (রহঃ) -এর মুক্ত গোলাম আবূ সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) -এর নিকট তাঁর গৃহে ঢুকলেন। তিনি বলেন, সে সময় আমি তাঁকে সলাতরত অবস্থায় পেলাম এবং তাঁর সলাত শেষ করা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষায় বসে থাকলাম। সে সময় গৃহের কোণে রেখে দেয়া খেজুর ডালের স্তুপের মাঝে কিচু একটার নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। আমরা দেখতে পেলাম যে, এটি একটি সাপ। আমি সেটিকে হত্যা করার জন্য লাফ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। তখন তিনি (সলাতে থেকেই) ইঙ্গিত করলেন যে, বসে থাকে। সলাত সমাপ্ত করে গৃহের একটি ঘরের দিকে ইশারা করে বললেন, এ ঘরটি কি তুমি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি বললেন, সেখানে নববিবাহিত আমাদের এক যুবক থাকত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে বের হলাম। ঐ যুবক মধ্যাহ্নের সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি চেয়ে নিত এবং তার পরিবারের নিকট ফিরে যেত। একদিন সে (যথারীতি) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি কামনা করলে তিনি তাকে বললেন, তোমার যুদ্ধাস্ত্র তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। কারণ, আমি তোমার উপরে বানূ কুরাইযাহ্‌ (ইয়াহূদীদের আক্রমণ) -এর সংশয়করছি। ব্যক্তিটি তার অস্ত্র নিয়ে (গৃহে) প্রত্যাবর্তন করল। সেখানে সে তার (সদ্য বিবাহিতা) স্ত্রীকে দু’দরজার মাঝে দণ্ডায়মান অবন্থায় লক্ষ্য করল এবং (তার প্রতি সন্দিহান হয়ে) তাকে বল্লম দিয়ে আঘাত হানার উদ্দেশে তা তার দিকে স্থির করে ধরল। আত্মসম্মানবোধ তাকে পেয়ে বসেছিল। তখন সে (স্ত্রী) বলল, তোমার বল্লমটি নিজের নিকট সংযত রাখো এবং ঘরে প্রবেশ করো। তুমি যাতে তা দেখতে পারো, যা আমাকে বের হতে বাধ্য করেছে। সে গৃহে ঢুকেই দেখতে পেল যে, এক বিশালাকার সাপ বিছানার উপরে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। সে এর প্রতি বল্লম স্থিত করে তার মাধ্যমে এটিকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর বের হয়ে তা (বল্লমটি) বাড়ীর মধ্যেই পুঁতে রাখল। সে সময় তা নড়ে চড়ে তাকে ছোবল মারলো এবং (ক্ষণিকের মধ্যে) সাপ কিংবা যুবক এ দু’জনের কে বেশী দ্রুত মৃত্যুবরণকারী ছিল তা আঁচ করা গেল না। বর্ণনাকারী [আবূ সা’ঊদ (রাঃ)] বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে যেয়ে ঘটনাটি বিবরণ দিয়ে তাঁকে বললাম, আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, তিনি যেন আমাদের মাঝে তাকে আবার তাজা করে দেন। সে সময় তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বললেন, মাদীনায় কিছু জিন রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই, (সাপ ইত্যাদিরূপে) তাদের কিয়দংশ তোমরা লক্ষ্য করলে তাকে তিন দিন সাবধান সংকেত দিবে; তারপরে তোমাদের সম্মুখে (তা) প্রকাশ পেলে তাকে হত্যা করবে। কারণ, সে একটি (অবাধ্য) শাইতান, (অর্থাৎ, সে মুসলিম নয়)।

(ই.ফা. ৫৬৪৪, ই.সে. ৫৬৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩৩

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ أَسْمَاءَ بْنَ عُبَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، يُقَالُ لَهُ السَّائِبُ – وَهُوَ عِنْدَنَا أَبُو السَّائِبِ – قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَبَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ إِذْ سَمِعْنَا تَحْتَ، سَرِيرِهِ حَرَكَةً فَنَظَرْنَا فَإِذَا حَيَّةٌ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ صَيْفِيٍّ وَقَالَ فِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ لِهَذِهِ الْبُيُوتِ عَوَامِرَ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْهَا فَحَرِّجُوا عَلَيْهَا ثَلاَثًا فَإِنْ ذَهَبَ وَإِلاَّ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّهُ كَافِرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ لَهُمُ ‏”‏ اذْهَبُوا فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) -এর নিকট গমন করলাম। আমরা উপবিষ্ট ছিলাম, এমতাবস্থায় অকস্মাৎ তাঁর খাটের নীচে একটা নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। তাকিয়ে দেখি যে, সেটা একটা সাপ… ঘটনা সহ হাদীসটি (পূর্বোল্লিখিত) সাইফী (রহঃ) হতে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে তিনি বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; এসব গৃহে আরও কতক অধিবাসী রয়েছে। সুতরাং সে রকমের কোন কিছু তোমরা লক্ষ্য করলে তাদের প্রতি তিনবার সাবধান বাণী উচ্চারণ করবে, এতে যদি (তারা) চলে যায় তো ভাল! নতুবা তোমরা তাকে হত্যা করবে। কারণ সে কাফির (অবাধ্য)। আর তিনি তাদের (মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের) বললেন, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের সঙ্গীকে দাফন করো। (ই.ফা. ৫৬৪৫, ই.সে. ৫৬৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩৪

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، حَدَّثَنِي صَيْفِيٌّ، عَنْ أَبِي السَّائِبِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ قَدْ أَسْلَمُوا فَمَنْ رَأَى شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الْعَوَامِرِ فَلْيُؤْذِنْهُ ثَلاَثًا فَإِنْ بَدَا لَهُ بَعْدُ فَلْيَقْتُلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূসা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনায় জিনদের এমন একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই যে লোক এসব গৃহের অধিবাসী (সাপ ইত্যাদির রূপধারী) এ ধরনের কোন কিছু দেখতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সাবধানী সংকেত দেয়; তারপরও যদি তার সম্মুখে তা প্রকাশ পায় তবে সে যেন তা হত্যা করে ফেলে, কারণ একট (অবাধ্য) শাইতান। (ই.ফা. ৫৬৪৬, ই.সে. ৫৬৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অধ্যায়ঃ

কাঁকলাস (টিকটিকি) মেরে ফেলা মুস্তাহাব

৫৭৩৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ، بْنِ شَيْبَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا بِقَتْلِ الأَوْزَاغِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ أَمَرَ ‏.‏

উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে কাঁকলাস মেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে (শুধু) ‘নির্দেশ করেছেন’ রয়েছে, (অর্থাৎ, ‘তাকে’ শব্দটি নেই)।

(ই.ফা. ৫৬৪৭, ই.সে. ৫৬৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩৬

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، اسْتَأْمَرَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي قَتْلِ الْوِزْغَانِ فَأَمَرَ بِقَتْلِهَا ‏.‏ وَأُمُّ شَرِيكٍ إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ ‏.‏ اتَّفَقَ لَفْظُ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي خَلَفٍ وَعَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ وَحَدِيثُ ابْنِ وَهْبٍ قَرِيبٌ مِنْهُ ‏.‏

উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে কাঁকলাস হত্যা করার বিষয়ে বিধান জানতে চাইলেন, তখন তিনি তাকে তা মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন।

 

উম্মু শারীক (রাঃ) হলেন বানূ ‘আমির ইবনু লুওয়াই সম্প্রদায়ের জনৈক স্ত্রীলোক। এ হাদীসের রিওয়ায়াতে ইবনু আবূ খালাফ ও ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) -এর শব্দ অভিন্ন। আর ইবনু ওয়াহ্‌ব (রহঃ) (প্রথম সূত্রে) -এর বর্ণিত হাদীস (এর শব্দ) -এর পাশাপাশি। (ই.ফা. ৫৬৪৮, ই.সে. ৫৬৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِ الْوَزَغِ وَسَمَّاهُ فُوَيْسِقًا ‏.‏

‘আমির ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) -এর পিতা [সা’ঈদ (রাঃ) ] থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁকলাস হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাকে ‘ছোট্ট ফাসিক’ ‘ক্ষুদে দুষ্কৃতিকারী’ নাম দিয়েছেন।

(ই.ফা. ৫৬৪৯, ই.সে. ৫৬৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩৮

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلْوَزَغِ ‏ “‏ الْفُوَيْسِقُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ حَرْمَلَةُ قَالَتْ وَلَمْ أَسْمَعْهُ أَمَرَ بِقَتْلِهِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁকলাসকে ‘ছোট্ট ফাসিক’ বলেছেন।

হারামালাহ (রহঃ) বর্ধিতাকারে বর্ণনা করেন যে, তিনি [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেছেন যে, (তবে) আমি তাঁকে তা হত্যা করার আদেশ দিতে শুনিনি।

(ই.ফা. ৫৬৫০, ই.সে. ৫৬৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৩৯

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَتَلَ وَزَغَةً فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الأُولَى وَإِنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الثَّانِيَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে যে লোক কাঁকলাস মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত পরিমাণ সাওয়াব। আর যে লোক দ্বিতীয় আঘাতে তাকে হত্যা করবে, তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, প্রথমবারের চাইতে কম। আর তৃতীয় আঘাতে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, তবে দ্বিতীয়বারের থেকে কম।

(ই.ফা. ৫৬৫১, ই.সে. ৫৬৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنِي ابْنَ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، كُلُّهُمْ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ خَالِدٍ عَنْ سُهَيْلٍ إِلاَّ جَرِيرًا وَحْدَهُ فَإِنَّ فِي حَدِيثِهِ ‏ “‏ مَنْ قَتَلَ وَزَغًا فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ كُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَفِي الثَّانِيَةِ دُونَ ذَلِكَ وَفِي الثَّالِثَةِ دُونَ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) সূ্ত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সুহায়ল (রহঃ) হতে সংকলিত খালিদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মার্থ সম্পন্ন হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু শুধামাত্র (অনুরূপ সানাদের) বর্ণনাকারী জাবীর (রহঃ) (এর বর্ণনায় ভিন্নতা রয়েছে) , তাঁর বর্নিত হাদীসে আছে, যে লোক প্রথম আঘাতে কাঁকলাস হত্যা করবে, তার জন্য একশ’ সাওয়াব লেখা হয়, আর দ্বিতীয় আঘাতে এর চেয়ে কম আর তৃতীয় আঘাতে তার থেকে কম (সাওয়াব লেখা হয়)। (ই.ফা. ৫৬৫২, ই.সে. ৫৬৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنِي ابْنَ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ سُهَيْلٍ، حَدَّثَتْنِي أُخْتِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ سَبْعِينَ حَسَنَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ্‌ (রহঃ) … আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম আঘাতে (হত্যা করতে পারলে) সত্তরটি সাওয়াব। (ই.ফা. ৫৬৫৩, ই.সে. ৫৬৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অধ্যায়ঃ

পিঁপড়া মারার নিষেধাজ্ঞা

৫৭৪২

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَنَّ نَمْلَةً قَرَصَتْ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَفِي أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَهْلَكْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, একটি পিঁপড়া নবীদের কোন নবীকে কামড় দিলে তিনি পিঁপড়ার বসতি সম্বন্ধে আদেশ দিলেন, ফলে তা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। সে সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট এ প্রেক্ষিতে ওয়াহী নাযিল করলেন যে, একটি (মাত্র) পিঁপড়া তোমাকে কামড় দিল, তাতেই কিনা সমস্ত উম্মাত ও সৃষ্টিকূলের এমন একটি সৃষ্টি জাতিকে জ্বালিয়ে দিলে যারা আল্লাহর তাসবীহ্‌ পাঠ করছিল?

(ই.ফা. ৫৬৫৪, ই.সে. ৫৬৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجِهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নবীদের মধ্যে কোন একজন নবী একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান নিলেন, সে সময় একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিল। তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশ করলে তার আসবাবপত্র গাছ তলা হতে সরিয়ে ফেলা হলো। তারপর তাদের পিঁপড়া সম্বন্ধে নির্দেশ দিলে তাদের বাসা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তখন আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী প্রেরণ করলেন, এমতাবস্থায় একটি মাত্র (অপরাধী) পিঁপড়াকে (শাস্তি) দিলেন না কেন?

(ই.ফা. ৫৬৫৫, ই.সে. ৫৬৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪৪

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجِهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا وَأَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فِي النَّارِ – قَالَ – فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ হলো সেসব হাদীস যা আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, এ বলে তিনি কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করলেন, (সেগুলোর একটি হলো) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নবীকূলের একজন নবী একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান করলেন, তখন একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিল, সে সময় তিনি তার আসবাবপত্র (বের করার) বিষয়ে আদেশ দিলে তা বৃক্ষের নিচ থেকে বের করা হলো এবং তিনি নির্দেশ দিলে পিঁপড়াগলো আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট ওয়াহী প্রেরণ করলেন, এহেন অবস্থায় একটি মাত্র পিঁপড়াকে (শাস্তি) দিলেন না কেন?

(ই.ফা. ৫৬৫৬, ই.সে. ৫৬৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অধ্যায়ঃ

বিড়াল হত্যা করা হারাম

৫৭৪৫

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক স্ত্রী লোককে একটি বিড়ালের জন্য ‘আযাব দেয়া হয় এজন্য যে, সে বিড়ালটিকে আটকে রেখেছিল, পরিশেষে সে-টি মারা গেল। যার জন্য সে জাহান্নামে গেল। যে মেয়ে লোকটি বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমিনের পোকা মাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে।

(ই.ফা. ৫৬৫৭, ই.সে. ৫৬৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪৬

وَحَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ مَعْنَاهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাস্‌র ইবনু ‘আলী জাহ্‌যামী (রহঃ) … আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৫৮, ই.সে. ৫৬৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪৭

وَحَدَّثَنَاهُ هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مَعْنِ بْنِ عِيسَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রহঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ রকম বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৫৯, ই.সে. ৫৬৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ لَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَسْقِهَا وَلَمْ تَتْرُكْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি মেয়ে লোককে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হয়। সে নিজেও বিড়ালটিকে পানাহর করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি যাতে করে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে।

(ই.ফা. ৫৬৬০, ই.সে. ৫৬৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৪৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدُ، بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِمَا ‏”‏ رَبَطَتْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ ‏”‏ حَشَرَاتِ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম (রহঃ) উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁদের উভয়ের বর্ণিত হাদীসে আছে, ‘সে তাকে আটকে রাখল’। (এছাড়া প্রথম সানাদের) বর্ণনাকারী আবূ মু’আবিয়াহ্‌ (রহঃ) -এর বর্ণিত হাদীসে আছে, জমিনের ‘কীটপতঙ্গ’। অর্থাৎ (আরবী) শব্দের স্থানে (আরবী) অর্থ একই) শব্দ আছে। (ই.ফা. ৫৬৬১, ই.সে. ৫৬৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৫০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (পূর্বোল্লিখিত সানাদের) বর্ণনাকারী হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৫১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) … আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৬৩, ই.সে. ৫৬৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪১. অধ্যায়ঃ

যে কোন পশু পাখীকে পান করানো ও খাবার দেওয়ার ফযীলাত

৫৭৫২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ فَوَجَدَ بِئْرًا فَنَزَلَ فِيهَا فَشَرِبَ ثُمَّ خَرَجَ فَإِذَا كَلْبٌ يَلْهَثُ يَأْكُلُ الثَّرَى مِنَ الْعَطَشِ فَقَالَ الرَّجُلُ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا الْكَلْبَ مِنَ الْعَطَشِ مِثْلُ الَّذِي كَانَ بَلَغَ مِنِّي ‏.‏ فَنَزَلَ الْبِئْرَ فَمَلأَ خُفَّهُ مَاءً ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ حَتَّى رَقِيَ فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّ لَنَا فِي هَذِهِ الْبَهَائِمِ لأَجْرًا فَقَالَ ‏”‏ فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জনৈক লোক কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, এমতাবস্থায় সে খুব তৃষ্ণার্ত হলো। সে একটি কূপ দেখতে পেয়ে তাতে নেমে পড়ল এবং পানি পান করল। তারপর সে বেরিয়ে এলো। সে সময় দেখতে পেল যে, (তৃষ্ণায় কাতর) একটি কুকুর জিভ বের করে হাঁপাচ্ছে আর মাটি চাটছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, কুকুরটিকে আমার মতো তীব্র তৃষ্ণায় পেয়েছে। তখন সে কুয়ায় নামল এবং তার (চামড়ার) মোজায় পানি ভরল। তারপরে সে তার মুখ বন্ধ করে উপরে উঠল এবং কুকুরটিকে পান করাল। মহান আল্লাহতার (এ ‘আমালের) কদর করলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। (সাহাবীগণ) প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ রসূল! তাহলে কি আমাদের জন্য এসব প্রাণীর ব্যাপারেও (সদাচরণে) সওয়াব রয়েছে? তিনি বললৈন, প্রতিটি ‘তাজা কলিজায়’ সাওয়াব রয়েছে।

(ই.ফা. ৫৬৬৪, ই.সে. ৫৬৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৫৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَنَّ امْرَأَةً بَغِيًّا رَأَتْ كَلْبًا فِي يَوْمٍ حَارٍّ يُطِيفُ بِبِئْرٍ قَدْ أَدْلَعَ لِسَانَهُ مِنَ الْعَطَشِ فَنَزَعَتْ لَهُ بِمُوقِهَا فَغُفِرَ لَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, এক বেশ্যা নারী কোন এক গরমের দিনে একটি কুকুরকে একটি কুয়ার পাশে ঘুরতে দেখতে পেল। সেটি তৃষ্ণায় তার জিভ বের করে হাঁপাচ্ছিল। তখন সে তার (চামড়ার) মোজা দ্বারা তার জন্য পানি তুলে আনল এবং পান করাল। অবশেষে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো। (ই.ফা. ৫৬৬৫, ই.সে. ৫৬৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭৫৪

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ قَدْ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ فَنَزَعَتْ مُوقَهَا فَاسْتَقَتْ لَهُ بِهِ فَسَقَتْهُ إِيَّاهُ فَغُفِرَ لَهَا بِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি কুকুর একটি (পানি ভর্তি) কূপের চতুর্দিকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তৃষ্ণায় যে প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছি।। সে সময় বানী ইসরাঈলের পতিতাদের এক পতিতা তাকে লক্ষ্য করলো এবং (দয়াদ্র হয়ে) সে তার (চামড়ার) মোজা খুলে ফেলল এবং তার জন্য পানি উঠিয়ে এনে তাকে পান করিয়ে দিল। যার কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো।

(ই.ফা. ৫৬৬৬, ই.সে. ৫৬৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস