নফসের বিরুদ্ধে লড়াই বই pdf download: আচ্ছা বলুন তাে শুধুমাত্র শয়তান-ই যদি আমাদেরকে গুমরাহ করে, তাে শয়তানকে গুমরাহ করেছে কে? শয়তান-ই যদি আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করে, তাে শয়তানকে পথভ্রষ্ট করলাে কে? শয়তানের পূর্বে তাে কোনাে শয়তান ছিল না, তাহলে শয়তানকে দিকভ্রান্ত করলাে কে? শয়তানকে দিকভ্রান্ত করেছে তার নফস। নফস তাকে অহংকারী বানিয়েছে। নফস তাকে উদ্যত করেছে। নফস তাকে দিশেহারা করেছে। নফস তাকে পথভ্রষ্ট করেছে। এতদসত্ত্বেও, কেন আজ নফসের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন?!
কেন আজ আমরা সবাই নফসের কাছে শেকলবন্দি? উচিত তাে ছিল, আমরা নফসকে শেকলবন্দি করব; কিন্তু উল্টো, সে আমাদের শেকলবন্দি করেছে। তাই তাে, আমরা নামাজ থেকে দূরে; নেক কাজ থেকে বিরত। অশ্লীল কাজে জড়িত; পাপের সাগরে ডুবন্ত।
নফস বলা হয়, মানুষের কামনা, বাসনা, চাহিদা ইত্যাদি -কে। এক কথায় যাকে বলা হয় প্রবৃত্তি। আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টির সময় তার স্বভাবে কতিপয় চাহিদা দান করেছেন। যেমন: আহারের চাহিদা, যৌবনের চাহিদা, কর্তৃত্বের চাহিদা, ক্ষমতার চাহিদা, লােভ-লালসা ইত্যাদি। সব গুলােকে এক কথায়, ‘জৈবিক চাহিদা’ বলা যায়। আর এগুলােই হলাে নফস বা প্রবৃত্তি।
নফস তার বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে আবার তিন প্রকার। মূলত নফস একটি, কিন্তু কাল পরিক্রমায়, স্বভাবের তাড়নায় ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করে। তাই বলা যায়—অবস্থানের দিক দিয়ে নফস তিন প্রকার।