Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

স্বপ্নের ব্যাখ্যা pdf

স্বপ্নের ব্যাখ্যা Pdf Book Details

স্বপ্নের ব্যাখ্যা Pdf
লেখক ইবনে সিরিন
ধরন বিষয়ভিত্তিক তাফসীর
ভাষা বাংলা
প্রকাশক এমদাদিয়া পুস্তকালয়
প্রকাশকাল *
পৃষ্ঠা ১৪৭
ফাইল সাইজ ৫২.১ MB
ফাইল টাইপ PDF

স্বপ্নের ব্যাখ্যা Pdf Book Description

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা pdf – Shopner bekkha pdf – ইবনে সিরিন: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবুওয়াতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, বাকী আছে কেবল মুবাশশিরাত (সুসংবাদ)। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, মুবাশশিরাত কী? তিনি বললেন: ভালো স্বপ্ন”।

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা pdf

এ হাদীস থেকে আমরা যা জানতে পারলাম:

এক. স্বপ্ন নবুওয়াতের একটি অংশ। নবী ও রাসূলদের কাছে জিবরীল যেমন সরাসরি অহী নিয়ে আসতেন, তেমনি স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার নবী ও রাসূলদের কাছে প্রত্যাদেশ পাঠাতেন।

দুই. মুসলিম জীবনে স্বপ্ন শুধু একটি স্বপ্ন নয়। এটা হতে পারে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে স্বপ্নদ্রষ্টার প্রতি একটি বার্তা।

তিন. আল মুবাশশিরাত অর্থ সুসংবাদ। সঠিক স্বপ্ন যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে, তা স্বপ্ন দ্রষ্টার জন্য একটি সুসংবাদ। হাদীসে এসেছে, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“দিন যত যেতে থাকবে, কিয়ামত নিকটে হবে, মুমিনদের স্বপ্নগুলো তত মিথ্যা হতে দূরে থাকবে। ঈমানদারের স্বপ্ন হল নবুওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ”।

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

“তোমাদের মধ্যে যে লোক যত বেশি সত্যবাদি হবে তার স্বপ্ন তত বেশি সত্যে পরিণত হবে”।

এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম:

এক. মুমিনের জীবনে স্বপ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেয়ামত যত নিকটে আসবে ঈমানদারের স্বপ্ন তত বেশি সত্য হতে থাকবে।

দুই. ঈমানদারের জীবনে স্বপ্ন এত গুরুত্ব রাখে যে, তাকে নবুওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের এক ভাগ বলা হয়েছে।

তিন. মানুষ যত বেশি সততা ও সত্যবাদিতার চর্চা করবে সে ততবেশি সত্য স্বপ্ন দেখতে পাবে।

স্বপ্নের ব্যাখ্যা ইবনে সিরিন বই পিডিএফ

চার. যদি কেউ চায় সে সত্য স্বপ্ন দেখেব, সে যেন সৎ, সততা ও সত্যবাদিতার সাথে জীবন যাপন করে। হাদীসে এসেছে, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

“যে নিদ্রার মধ্যে আমাকে দেখে সে যেন বাস্তবেই আমাকে দেখেছে। কারণ, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না”।

এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম:

এক. যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখবে সে সত্যি সত্যিই তাকে দেখেছে।

দুই. শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাবে মানুষ স্বপ্ন দেখে থাকে। শয়তান মানুষকে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখাতে পারে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আকৃতি ধরে ধোকা দিতে পারে না।

তিন. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখা একটি সৌভাগ্য। খুব কম ঈমানদারই আছেন, যারা এ সৌভাগ্যটি অর্জন করেছেন।

স্বপ্ন দেখলে করণীয়

হাদীসে এসেছে: আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন:

“তোমাদের কেউ যদি এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে, তাহলে জানবে যে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে। তখন সে যেন আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করে ও অন্যদের কাছে বর্ণনা করে। আর যদি স্বপ্ন অপছন্দের হয়, তাহলে বুঝে নেবে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তখন সে শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে আর এ স্বপ্নের কথা কারো কাছে বলবে না। কারণ খারাপ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না”।

Shopner bekkha ibn Sirin pdf download

এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম:

এক. যা কিছু ভালো স্বপ্ন, সেটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাবের কারণে দেখে থাকে।

দুই. ভালো স্বপ্ন দেখলে এমন ব্যক্তির কাছে বলা যাবে, যে তাকে ভালোবাসে। যে ভালোবাসে না, এমন ব্যক্তির কাছে কোনো স্বপ্নের কথা বলা যাবে না। হতে পারে সে ভালো স্বপ্নটির একটি খারাপ ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে দেবে।

তিন. ভালো স্বপ্ন দেখলে আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করতে হবে।

চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলা উচিৎ নয়।

পাঁচ. খারাপ স্বপ্ন দেখলে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়া মাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে বলতে হবে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম।

হাদীসে এসেছে: আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। কেউ স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে বাম পাশে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে আর শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। (এভাবে বলবে, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম) তাহলে এ স্বপ্ন তাকে ক্ষতি করতে পারবে না”।

এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম:

এক. ভালো স্বপ্ন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।

দুই. খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে এসে থাকে।

Shopner bekkha Bangla book pdf

তিন. খারাপ স্বপ্ন দেখলে সাথে সাথে তিনবার বাম দিকে থুথু ফেলে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানের রাজীম বলতে হবে। তবে সত্যিকার থুথু ফেলবে না। মানে মুখ থেকে পানি নির্গত হবে না। শুধু আওয়াজ করবে। কেননা হাদীসে নাফাস শব্দ এসেছে। যার অর্থ এমন হাল্কা থুথু যাতে পানি বা শ্লেষ্মা নেই।

চার. এই আমলটা করলে খারাপ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।

হাদীসে এসেছে: জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“যদি তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে না, তাহলে তিনবার বাম দিকে থুথু দেবে! আর তিন বার শয়তান থেকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশ্রয় চাবে! (আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম বলবে) আর যে পার্শ্বে শুয়েছিল, তা পরিবর্তন করবে। (অর্থাৎ পার্শ্ব পরিবর্তন করে শুবে।)”

হাদীস থেকে আমরা শিখতে পারলাম:

এক. খারাপ স্বপ্ন দেখলে তিনবার বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা ও তিনবার আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম বলা তারপর পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া সুন্নাত।

দুই. পার্শ্ব পরিবর্তন করা মানে হল, ডান কাতে শুয়ে থাকলে বাম দিকে ফিরবে। তেমনি বাম কাতে শুয়ে থাকলে ডানে ফিরবে।

স্বপ্নের ব্যাখ্যা Pdf Writer Description

Share the Pdf Book স্বপ্নের ব্যাখ্যা

Rate the Pdf Book স্বপ্নের ব্যাখ্যা

Related posts

Scroll to Top