সকল প্রশংসা শুধুই আল্লাহর যিনি আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করে ঈমানের মতো মহা-মূল্যবান সম্পদ দান করেছেন এবং সাথে সাথে সেই সম্পদ রক্ষার কার্যকরি পদ্ধতিও শিক্ষা দিয়েছেন। শত কোটি দুরুদ ও সালাম সাইয়্যেদুল মুজাহিদীন নবীউস-সাইফ নবীউল-মালাহিম রাহমাতুল লিল আলামীনের উপর যিনি বদর থেকে উহুদ, উহুদ থেকে খন্দক, খন্দক থেকে হুনাইন এভাবে মাত্র দশ বছরে ২৭ টি রণাঙ্গনে নিজের পবিত্র রক্ত ও ঘাম ঝরিয়ে এবং ৫৬ টি রণাঙ্গনে সাহাবায়ে কেরামের কাফেলা প্রেরণ করে তার জীবদ্ধশায়ই মোট ৮৩ টি লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়ে উম্মতকে একটি সুরক্ষিত দীন উপহার দিয়ে গেছেন এবং নিজের দান্দান মোবারক শহীদ করে ও নিজের শত শত প্রাণপ্রিয় সাহাবায়ে কেরামের জীবন উৎসর্গ করে কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল উম্মতকে এই মহান দীনের হেফাজত ও সংরক্ষণের বিশুদ্ধ পদ্ধতি শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ! যে শিক্ষার ফলে আজ দেড় হাজার বছরের দীর্ঘ পরিক্রমায় এসেও আমরা বিশ্বব্যাপী সেই দীনের জন্য নিজেদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গকারী একটি রক্ত পিচ্ছিল কাফেলার বিজয়ী পদচারণা দেখতে পাই। যেই কাফেলার নিকট এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় সকল সুপারপাওয়ার তথা পরাশক্তি তাদের পরাজয়ের স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে এবং বর্তমানেও হচ্ছে। ইন শা’ আল্লাহ ভবিষ্যতেও হতেই থাকবে। আর হক-বাতিলের এই জয়-পরাজয়ের বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের নাম “গাজওয়াতুল হিন্দ” তথা হিন্দুস্তানের লড়াই। যা নিয়েই রচিত এই গ্রন্থটি। আলহামদুলিল্লাহ মাত্র দুই মাসে যার প্রথম সংস্করণ নিঃশেষ হয়ে যাওয়াই প্রমান করে বাংলাদেশী পাঠকদের নিকট বিষয়টির গুরুত্ব কতোটা অপরিসীম।
একে একে পাঁচ মাসে শেষ হয় প্রায় ৬ হাজার কপি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলা ভাষায় এই ক্ষুদ্র পুস্তিকাটিই একমাত্র অবলম্বন। এ ছাড়া বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে অন্য কোন গ্রন্থ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। এ বিষয়টির শূন্যতা ও গুরুত্ব অনুধাবন করেই আমাদের বর্তমান সংস্করটি। যা সত্যানুসন্ধানী পাঠককে গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য কিছুটা হলেও যথাযথ ও পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই যে সকল পাঠক পূর্বের বইটি সংগ্রহ করেছেন তাদের জন্য বর্তমান সংস্করণটিও সংগ্রহ করা একান্ত জরুরি বলে মনে করছি।
অবশেষে প্রার্থনা আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যথাযথভাবে গাজওয়াতুল হিন্দ ও মালহামা তথা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার তাওফিক দান করুন। ক্ষুদ্র এ কাজটি লেখক এবং পাঠক ও প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য কাল হাশরে নাজাতের জরিয়া বানান। শাহাদাতে উমা নসীব করুন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।