বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সূর্য ঘুরে না পৃথিবী ঘুরে। প্রথমে প্রমাণ করব যে পৃথিবী ঘুরে না, চলাচল করে না বরং তা স্থির। এর প্রথম প্রমান হচ্ছে কোরআনে বা হাদিছে কোথাও বলা হয়নি যে, পৃথিবী ঘুরে। যখনই দিন রাত্রির কথা এসেছে তখনই বলা হয়েছে যে, সূর্য ও চন্দ্র সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে চলে। কিন্তু কোথাও বলা হয়নি যে পৃথিবী চলাচল করে। আর দ্বিতীয় প্রমাণ হচ্ছে একটি হাদিস, ইমাম তাবারানি র. বর্ণনা করেন যে, ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুল স. বলেছেন বায়তুল মামুর আকাশে অবস্থিত। তাকে যুরাহ নামে অবিহিত করা হয়। বায়তুল্লাহর ঠিক বরাবর উপরে তার অবস্থান। উপর থেকে পড়ে গেলে তা ঠিক বায়তুল্লাহর উপরই পড়বে। এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, পৃথিবী ঘুরে না বা চলাচল করে না। যদি পৃথিবীর আহ্নিক গতি থাকত তবে বায়তুল মামুর আকাশ থেকে পড়লে বায়তুল্লাহ অর্থাৎ কাবার উপর এসে পড়তো না। এবং যদি বার্ষিক গতি থাকত তবে বায়তুল মামুর কাবার উপর এসে পড়া কেন পৃথিবীর উপরই এসে পড়তো না।
এবার আমরা প্রমাণ করবে যে, সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে যার কারনে দিন রাত্রির আবর্তন হয়। কোরআনে অনেকগুলো আয়াত রয়েছে এর প্রমাণে।
মহান আল্লাহ বলেন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র; সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। সূরা আম্বিয়া আয়াত নং—৩৩।
তিনি আরও বলেন, তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে; তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন; প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
এছাড়াও একটি হাদিসে এর প্রমাণ রয়েছে
আবু হুরায়রা রা. বলেন, নবী স. বলেছেন, কোন একজন নবী জিহাদ করেছিলেন; তিনি জিহাদে গেলেন এবং আসরের সালাতের সময় কিংবা এর কাছাকাছি সময়ে একটি জনপদের নিকটে আসলেন; তখন তিনি সূর্যকে বললেন, তুমিও আদেশ পালনকারী আর আমিও আদেশ পালনকারী। হে আল্লাহ্! সূর্যকে থামিয়ে দিন। তখন তাকে থামিয়ে দেয়া হল। অবশেষে আল্লাহ তাকে বিজয় দান করেন। এ হাদিস থেকে বুঝা গেল যে, সূর্যই ঘুরে যার কারনে দিন রাত্রির আবর্তন ঘটে।
সূতরাং হে মুসলিম ভাই ও বোন, আমরা যার উপর বসবাস করছি তার ব্যাপারেই যদি আমাদের এমন ভুল ধারণা থাকে তবে আমাদের সব জ্ঞানই তো এলোমেলো হয়ে যাবে। তাই সকল ক্ষেত্রে আমাদের উচিত কোরআন ও হাদিস থেকে সমাধান নেয়া।