কিতাবুত তাওহীদ pdf. Kitabut Tauhid Bangla pdf: পরম করুনাময় দয়াময় আল্লাহর নামে, সমস্ত প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ তাঁর রহমত ও শান্তি নাযিল করুন মুহাম্মাদের ওপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও তাঁর সাহাবীগণের ওপর।
আল্লাহ তা’আলার বাণী: “আর আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা কেবল আমার ইবাদাত করবে।” [আয-যারিয়াত: ৫৬]
আল্লাহ আরও বলেছেন, “আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং পরিহার কর তাগূতকে।” [আন-নাহল ৩৬]
কিতাবুত তাওহীদ pdf
এবং আল্লাহর বাণী, “আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।” [আল-ইসরা: ২৩-২৪]
আল্লাহর বাণী: “আর তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না।” [আন-নিসা: ৩৬]
আল্লাহর বাণী: “বলুন, ‘এসো, তোমাদের রব তোমাদের উপর যা হারাম করেছেন তোমাদেরকে তা তিলাওয়াত করি, তা হচ্ছে, “তোমারা তাঁর সাথে কোনো শরীক করবে না, পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে, দারিদ্রের ভয়ে তোমার তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, আমরাই তোমাদেরকে ও তাদেরকে রিযক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক, অশ্লীল কাজের ধারে-কাছেও যাবে না। আল্লাহ্ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তোমরা তাকে হত্যা করবে না। তোমাদেরকে তিনি এ নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা বুঝতে পার।”
কিতাবুত তাওহীদ pdf download
আর ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ছাড়া তোমারা তার সম্পত্তির ধারে-কাছেও যাবে না এবং পরিমাপ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে। আমরা কাউকেও তার সাধ্যের চেয়ে বেশী ভার অর্পণ করি না। আর যখন তোমারা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে, স্বজনের সম্পর্কে হলেও এবং আল্লাহকে দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (১৫২) আর এ পথই আমার সরল পথ। কাজেই তোমরা এর অনুসরণ কর এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমারা তাকওয়ার অধিকারী হও।” [আল-আন’আম: ১৫১- ১৫৩]
ইবন মাস’উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মোহরাঙ্কিত অসিয়ত দেখতে চায়, সে যেন আল্লাহ তা’আলার এ বাণী পড়ে নেয়: “তুমি বলো, এসো তোমাদের রব তোমাদের উপর যা হারাম করেছেন তা পড়ে শুনাই। আর তা হলো, তোমরা তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক করবে না।” আল্লাহর নিম্নের বাণী পর্যন্ত: “আর এটাই হচ্ছে আমার সরল, সোজা পথ।” আয়াত।
মুআয ইবন জাবাল রাদিয়াললাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে একটি গাধার পিঠে বসে ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, “হে মু’আয, তুমি কি জানো, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক রয়েছে আর আল্লাহর উপর বান্দার কী হক আছে?” আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, ‘বান্দার উপর আল্লাহর হক হচ্ছে তারা তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হচ্ছে, যারা তার সাথে কাউকে শরিক করবে না তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন না।” আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কি এ সুসংবাদ লোকদেরকে জানিয়ে দেব না? তিনি বললেন, “তুমি তাদেরকে এ সুসংবাদ দিওনা, তাহলে তারা অলস বসে থাকবে।” হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
কিতাবুত তাওহীদ মাকতাবাতুস সুন্নাহ pdf
পরিচ্ছেদটিতে অনেক মাসআলা রয়েছে:
এক: জিন ও মানুষ সৃষ্টির হিকমত
দুই: ইবাদত হচ্ছে কেবলই তাওহীদ। কারণ এটা নিয়েই বিবাদ।
তিন: যে তাওহীদ বাস্তবায়ন করল না, সে আল্লাহর ইবাদতও করল না। এ কথার মধ্যে আল্লাহর বাণী “এবং আমি যার ইবাদত করি তোমরা তার ইবাদাতকারী নও।” এর অর্থ নিহিত আছে।
চার: রাসূলদের পাঠানোর হিকমত।
পাঁচ: রিসালাহ সকল উম্মতকে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে।
ছয়: নবীগণের দীন এক ও অভিন্ন।
সাত: বড় মাসআলা হচ্ছে, তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত ইবাদতের মর্যাদা অর্জন করা যায় না! এতে রয়েছে আল্লাহর নিম্নের বাণীর মর্মার্থ: “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল।”
আট: তাগুত শব্দটি আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ইবাদত করা হয়, তাদের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
নয়: সালাফে-সালেহীনের কাছে সূরা আন’আমের উল্লেখিত তিনটি মুহকাম আয়াতের বিরাট মর্যাদার কথা জানা যায়! এতে দশটি মাসআলা রয়েছে। তার প্রথমটিই হচ্ছে; শিরক থেকে নিষেধ করা।
দশ: সূরা ইসরায় কতগুলো মুহকাম আয়াত রয়েছে। এবং তাতে আঠারোটি মাসআলা রয়েছে। যা আল্লাহ তাঁর নিম্নের বাণী দ্বারা সূচনা করেছেন: “আল্লাহর সাথে অন্য কোনো ইলাহ সাব্যস্ত করো না; করলে নিন্দিত ও লাঞ্চিত হয়ে বসে পড়বে।” আর আল্লাহ তা শেষ করেছেন তাঁর নিম্নের বাণী দ্বারা: “আর তুমি আল্লাহর সাথে আরেকজন ইলাহ সাব্যস্ত করো না। ফলে জাহান্নামে অপমান অপদস্থ করে নিক্ষেপ করা হবে।” আল্লাহ তা’আলা এ মাসআলাগুলোর গুরুত্বের ওপর তাঁর নিম্নোক্ত বাণী দ্বারা আমাদেরকে সতর্ক করেছেন: “এটি তোমার রব তোমার প্রতি যে হিকমত ওহী হিসেবে প্রেরণ করেছে তারই অংশ।”
Kitabut Tauhid Bangla pdf
এগারো: সূরা নিসার ‘আল- হুকুকুল আশারা” [বা দশটি হক] নামক আয়াতটিকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিম্নের বাণী দ্বারা শুরু করেছেন, “আর তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না।”
বারো: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর সময় তাঁর অসিয়তের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন।
তের: আমাদের উপর আল্লাহ তা’আলার হকসমূহ জানা।
চৌদ্দ: আল্লাহর ওপর বান্দার হকসমূহ জানা, যখন বান্দাগণ তাঁর হক আদায় করবে।
পনেরো: অধিকাংশ সাহাবী এই মাসআলা জানেন না।
ষোল: কোনো বিশেষ স্বার্থে ইলম গোপন রাখা বৈধ।
সতের: মুসলিমকে যেসব বিষয় আনন্দ দান করে তার সুসংবাদ দেয়া
আঠারো: আল্লাহর রহমতের প্রশস্ততার ওপর ভরসা করে অলস হওয়ার
উনিশ: জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি যা জানে না সে বিষয়ে আল্লাহ ও তার রাসূল ভালো জানেন- বলা।
বিশ: কাউকে বাদ রেখে অন্য কাউকে ইলম দানে বিশেষিত করার বৈধতা।
একুশ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিনয়। কারণ, তিনি গাধার পিঠে চড়েছেন তার পেছনে আরেকজনকে সঙ্গী করে।
বাইশ: সাওয়ারীর ওপর কাউকে পেছনে নেয়া বৈধ।
তেইশ: মু’আয ইবন জাবালের ফজিলত।
চব্বিশ: এই মাসআলাটির মর্যাদা অনেক বড়।