তিরমিজি পবিত্রতা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৭৪ – ১৪৮

৫৬. অনুচ্ছেদঃ

বায়ু নির্গত হলে ওযূ করা সম্পর্কে

৭৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ وُضُوءَ إِلاَّ مِنْ صَوْتٍ أَوْ رِيحٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, (বায়ুর) শব্দ অথবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত পুনরায় ওযূ ফরজ নয়।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৫১৫), মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الْمَسْجِدِ فَوَجَدَ رِيحًا بَيْنَ أَلْيَتَيْهِ فَلاَ يَخْرُجْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَعَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الْعُلَمَاءِ أَنْ لاَ يَجِبَ عَلَيْهِ الْوُضُوءُ إِلاَّ مِنْ حَدَثٍ يَسْمَعُ صَوْتًا أَوْ يَجِدُ رِيحًا ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ إِذَا شَكَّ فِي الْحَدَثِ فَإِنَّهُ لاَ يَجِبُ عَلَيْهِ الْوُضُوءُ حَتَّى يَسْتَيْقِنَ اسْتِيقَانًا يَقْدِرُ أَنْ يَحْلِفَ عَلَيْهِ ‏.‏ وَقَالَ إِذَا خَرَجَ مِنْ قُبُلِ الْمَرْأَةِ الرِّيحُ وَجَبَ عَلَيْهَا الْوُضُوءُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ মাসজিদে থাকা অবস্থায় যদি তার নিতম্বের মাঝখান হতে বায়ুর আভাস পায়, তাহলে সে যেন শব্দ অথবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত (মাসজিদ হতে) বের না হয়।

সহীহ। সহীহ আবু দাউদ-(১৬৯), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبَلُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তির ওযূ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় ওযূ না করা পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তার নামায কবুল করেন না।

সহীহ। আবু দাউদ- (৫৪), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অনুচ্ছেদঃ

ঘুমালে ওযূ ভেঙ্গে যায় বা নতুন করে ওযূ করা ফরয হয়ে যায়

৭৭

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، – كُوفِيٌّ – وَهَنَّادٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الدَّالاَنِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَامَ وَهُوَ سَاجِدٌ حَتَّى غَطَّ أَوْ نَفَخَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ قَدْ نِمْتَ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْوُضُوءَ لاَ يَجِبُ إِلاَّ عَلَى مَنْ نَامَ مُضْطَجِعًا فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو خَالِدٍ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সিজদারত অবস্থায় ঘুমাতে দেখলেন। এমনকি তিনি নাক ডাকলেন, তারপর তিনি নামাযরত অবস্থায়ই দাঁড়ালেন। (নামায শেষে) আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যে ঘুমালেন? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি শুয়ে ঘুমায় শুধু তার জন্যই ওযূ করা ওয়াজিব। কেননা যখন কেউ শুয়ে ঘুমায় তখন তার শরীরের বন্ধনসমূহ শিথিল হয়ে যায়।

যঈফ, যঈফ আবু দাঊদ (২৫), মিশকাত (৩১৮।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ খালিদের নাম ইয়াযিদ ইবনু আব্দুর রহমান। এ অনুচ্ছেদে আইশা, ইবনু মাসউদ ও আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও আছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنَامُونَ ثُمَّ يَقُومُونَ فَيُصَلُّونَ وَلاَ يَتَوَضَّئُونَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ صَالِحَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ عَمَّنْ نَامَ قَاعِدًا مُعْتَمِدًا فَقَالَ لاَ وُضُوءَ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَبَا الْعَالِيَةِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِي الْوُضُوءِ مِنَ النَّوْمِ فَرَأَى أَكْثَرُهُمْ أَنْ لاَ يَجِبَ عَلَيْهِ الْوُضُوءُ إِذَا نَامَ قَاعِدًا أَوْ قَائِمًا حَتَّى يَنَامَ مُضْطَجِعًا ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا نَامَ حَتَّى غُلِبَ عَلَى عَقْلِهِ وَجَبَ عَلَيْهِ الْوُضُوءُ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ مَنْ نَامَ قَاعِدًا فَرَأَى رُؤْيَا أَوْ زَالَتْ مَقْعَدَتُهُ لِوَسَنِ النَّوْمِ فَعَلَيْهِ الْوُضُوءُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাগণ (বসে বসে) ঘুমাতেন, অতঃপর দাঁড়াতেন এবং নামায আদায় করতেন, কিন্তু ওযূ করতেন না।

সহীহ্‌। ইরওয়া- (১১৪), সহীহ্‌ আবূ দাঊদ- (১৯৪), মিশকাত- (৩১৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। আমি সালিহ ইবনু ‘আবদুল্লাহকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নিজ পাছায় ভর দিয়ে বসে বসে ঘুমায় আমি (সালিহ) তার সম্পর্কে ইবনুল মুবারাককে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ তাকে পুনরায় ওযূ করতে হবে না।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ সা’ঈদ ইবনু আবূ ‘আরুবা কাতাদার সূত্রে ইবনু ‘আব্বাসের আভিমত রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি সনদের মধ্যে আবুল ‘আলিয়ার নামও উল্লেখ করেননি এবং ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বক্তব্যও মারফূ হিসাবে বর্ণনা করনেনি।

ঘুমের দ্বারা ওযূ নষ্ট হওয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। বেশিরভাগ মত হল, যদি বসে বসে অথবা দাঁড়িয়ে ঘুমানো হয় তবে ওযূ নষ্ট হবে না; কিন্তু শুয়ে ঘুমালে পুনরায় ওযূ করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক ও আহমাদ এ মত ব্যক্ত করেছেন। ইসহাক বলেন, ঘুমানোর ফলে যদি বোধশক্তি লোপ পায় তবে আবার ওযূ করতে হবে। শাফিঈ বলেন, যে ব্যক্তি বসে বসে ঘুমাল এবং স্বপ্ন দেখল অথবা ঘুমের ঘোরে তার ঊরু স্থানচ্যুত হল, তাকে ওযূ করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অনুচ্ছেদঃ

আগুন যে জিনিসের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে তার সংস্পর্শে আসলে পুনরায় ওযূ করা সম্পর্কে

৭৯

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْوُضُوءُ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ وَلَوْ مِنْ ثَوْرِ أَقِطٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَتَوَضَّأُ مِنَ الدُّهْنِ أَنَتَوَضَّأُ مِنَ الْحَمِيمِ قَالَ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا ابْنَ أَخِي إِذَا سَمِعْتَ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ تَضْرِبْ لَهُ مَثَلاً ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَبِي طَلْحَةَ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأَبِي مُوسَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْوُضُوءَ مِمَّا غَيَّرَتِ النَّارُ وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ عَلَى تَرْكِ الْوُضُوءِ مِمَّا غَيَّرَتِ النَّارُ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আগুনে রান্না করা খাদ্য খেলে ওযূ করতে হবে; তা পনিরের একটা টুকরাই হোক না কেন। ” (আবূ হুরাইরাকে এ কথা বর্ণনা করতে শুনে) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, আমরা কি তৈল ব্যবহার করলেও ওযূ করব, আমরা কি গরম পানি পান করলেও ওযূ করব? আবূ হুরাইরা (রাঃ) বললেন, হে ভাইয়ের ছেলে! যখন তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন হাদীস শুনতে পাও তার সামনে উদাহরণ পেশ কর না।

হাসান। ইবনু মাজাহ-(৪৮৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উম্মু হাবীবা, উম্মু সালামা, যাইদ ইবনু সাবিত, আবূ তালহা, আবূ আইউব ও আবূ মূসা (রাঃ) হতেও বর্ণনা করা হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, আগুন যে জিনিসের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে তা ব্যবহার করলে ওযূ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ সাহাবা, তাবিঈন ও তাদের পরবর্তীদের মতে, আগুনে স্পর্শ করা জিনিসের ব্যবহার ও পানাহারে ওযূ করার প্রয়োজন নেই।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অনুচ্ছেদঃ

আগুনের তাপ দ্বারা পরিবর্তিত জিনিস ব্যবহারে ওযূর প্রয়োজন নেই

৮০

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، سَمِعَ جَابِرًا، ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَذَبَحَتْ لَهُ شَاةً فَأَكَلَ وَأَتَتْهُ بِقِنَاعٍ مِنْ رُطَبٍ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ تَوَضَّأَ لِلظُّهْرِ وَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَتَتْهُ بِعُلاَلَةٍ مِنْ عُلاَلَةِ الشَّاةِ فَأَكَلَ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي رَافِعٍ وَأُمِّ الْحَكَمِ وَعَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ وَأُمِّ عَامِرٍ وَسُوَيْدِ بْنِ النُّعْمَانِ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَلاَ يَصِحُّ حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ فِي هَذَا الْبَابِ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ إِنَّمَا رَوَاهُ حُسَامُ بْنُ مِصَكٍّ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَالصَّحِيحُ إِنَّمَا هُوَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هَكَذَا رَوَى الْحُفَّاظُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ رَأَوْا تَرْكَ الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ ‏.‏ وَهَذَا آخِرُ الأَمْرَيْنِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ نَاسِخٌ لِلْحَدِيثِ الأَوَّلِ حَدِيثِ الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কোথাও যাবার উদ্দেশ্যে) বের হলেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি এক আনসার মহিলার বাড়ীতে গেলেন। সে তাঁর জন্য একটি বকরী যাবাহ করল। তিনি তা খেলেন। অতঃপর সে তাঁর জন্য পাত্রে করে তাজা খেজুর আনলো। তিনি তা হতে খেলেন, অতঃপর যুহরের নামাযের ওযূ করলেন এবং নামায আদায় করলেন। মহিলাটি বকরীর অবশিষ্ট গোশত হতে কিছু গোশ্‌ত তাঁকে দিলেন। তিনি তা খেলেন এবং আসরের নামায আদায় করলেন, কিন্তু ওযূ করেননি।

হাসান সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ- (১৮৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ বক্‌র সিদ্দীক, ইবনু ‘আব্বাস, ইবনু মাসঊদ, আবূ রাফি’, উম্মুল হাকাম, ‘আমর ইবনু উমাইয়া, উম্মু ‘আমির, সুআঈদ ইবনু নু’মান ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। কিন্তু সনদের বাছবিচারে তা সহীহ নয়, বরং ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) যে হাদীসটি সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন, সেটিই সহীহ। এ হাদিসটি একাধিক সূত্রে ইবনু ‘আব্বাসের নিকট হতে বর্ণিত হয়েছে। সনদের দিক হতে এটা বেশি সহীহ। এ হাদীসটি ‘আতা ইবনু ইয়াসার, ইকরিমা, মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর ইবনু আতা, আলী ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস আরো অনেকে ইবনু ‘আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন। তারা আবূ বাক্‌রের কথা উল্লেখ করেননি। আর এটিই অধিক সহীহ্‌।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ বেশিরভাগ সাহাবা, তাবিঈ ও তার পরবর্তী বিদ্বানগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। অর্থাৎ আগুনে রান্না করা জিনিস খেলে পুনরায় ওযূর দরকার নেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। তাদের মতে, এ হাদীসটির মাধ্যমে পূর্ববর্তী হাদীসের কার্যকারীতা বাতিল হয়ে গেছে।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৬০. অনুচ্ছেদঃ

উটের গোশত খেলে ওযূ নষ্ট হওয়া সম্পর্কে

৮১

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوُضُوءِ مِنْ لُحُومِ الإِبِلِ فَقَالَ ‏”‏ تَوَضَّئُوا مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَسُئِلَ عَنِ الْوُضُوءِ مِنْ لُحُومِ الْغَنَمِ فَقَالَ ‏”‏ لاَ تَتَوَضَّئُوا مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَأُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ لَمْ يَرَوُا الْوُضُوءَ مِنْ لُحُومِ الإِبِلِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏

বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উটের গোশত খেলে আবার ওযূ করতে হবে কি না এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হল। তিনি বললেনঃ উটের গোশত খাওয়ার পর ওযূ কর। তাঁকে আবার বকরীর গোশত খেলে ওযূ করতে হবে কি না এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল। তিনি বললেন এতে (বকরীর গোশত খেলে) তোমরা ওযূ করো না।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৪৯৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু সামুরা ও উসাইদ ইবনু হুযাইর (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাজ্জাজ ইবনু আরতাত তাঁর সনদ পরম্পরায় এ হাদীসটি উসাইদ ইবনু হুযাইর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তবে বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনাকৃত হাদীসটি সহীহ। এ হাদীসটি উবাইদাহ যাব্বী বর্ণনা করেছেন ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্দিল্লাহ আলরাজী হতে তিনি ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা হতে, তিনি জিল গুররাহ্‌ জুহানী হতে। আর হাম্মাদ ইবনু সালামা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন হাজ্জাজ ইবনু আরতাহ হতে। তিনি ভুলবশতঃ বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি উসাইদ ইবনু হুদাইর হতে। সঠিক কথা হলো- ‘আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ আলরাজী হতে তিনি ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা হতে তিনি বারাআ ইবনু ‘আযিব হতে বর্ণনা করেছেন।

ইসহাক বলেন, এ অনুচ্ছেদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করা দু’টি সর্বাধিক সহীহ হাদীস রয়েছে। একটির রাবী বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) এবং অপরটির রাবী জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ)।

ইমাম ইসহাক ও আহমাদের মতে, উটের গোশত খেলে ওযূ করতে হবে কিন্তু কিছু তাবেয়ী’ বিদ্বান, সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের মতে ওযূ করতে হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১. অনুচ্ছেদঃ

যৌনাংগ স্পর্শ করলে ওযূ থাকবে কিনা

৮২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ بُسْرَةَ بِنْتِ صَفْوَانَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلاَ يُصَلِّ حَتَّى يَتَوَضَّأَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَرْوَى ابْنَةِ أُنَيْسٍ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ هَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ هَذَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ بُسْرَةَ ‏.‏

বুসরা বিনতু সাফওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি (ওযূ করার পর) নিজের যৌনাংগ স্পর্শ করেছে, সে যেন আবার ওযূ না করা পর্যন্ত নামায না আদায় করে।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৪৭৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উম্মু হাবীবা, আবূ আইউব, আবূ হুরাইরা, আরওয়া বিনতু উনাইস, ‘আয়িশাহ্‌, জাবির, যাইদ ইবনু খালিদ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। তিনি আরো বলেন, আরো অনেকেই এভাবে হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি বুসরা হতে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩

وَرَوَى أَبُو أُسَامَةَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَرْوَانَ، عَنْ بُسْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، بِهَذَا ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে হিশাম, আবূ উসামা, আবুল যিনাদ ও অন্য রাবীগণ হতে বর্ণনা করেছেন।

সহীহ্‌। দেখুন পূর্বোক্ত হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪

وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو الزِّنَادِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ بُسْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ بُسْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الأَوْزَاعِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ بُسْرَةَ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ حَدِيثُ أُمِّ حَبِيبَةَ فِي هَذَا الْبَابِ صَحِيحٌ وَهُوَ حَدِيثُ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ ‏.‏ وَقَالَ مُحَمَّدٌ لَمْ يَسْمَعْ مَكْحُولٌ مِنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَرَوَى مَكْحُولٌ عَنْ رَجُلٍ عَنْ عَنْبَسَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَكَأَنَّهُ لَمْ يَرَ هَذَا الْحَدِيثَ صَحِيحًا ‏.‏

আবুল যিনাদ ওরওয়ার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

আবুল যিনাদ ওরওয়ার সূত্রে বুসরা হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করছেন।

সহীহ্‌। দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একাধিক সাহাবী ও তাবিঈন এই মত দিয়েছেন যে, যৌনাংগ স্পর্শ করলে ওযূ নষ্ট হবে। ইমাম আওযাঈ, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও এ কথাই বলেছেন। মুহাম্মাদ (ইমাম বুখারী) বলেন, এ অনুচ্ছেদে বুসরা (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হাদীসই বেশি সহীহ। আবূ যুর’আহ্‌ বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হাদীসটি বেশি সহীহ। এর সনদসূত্রটি এরূপঃ ‘আলা ইবনু হারিস-মাকহূল হতে, তিনি আনবাসা ইবনু আবূ সুফিয়ান হতে, তিনি উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, আনবাসা ইবনু আবূ সুফিয়ান হতে মাকহূল কখনও কিছু অবগত হননি। মাকহূল এক ব্যক্তির সূত্রে আনবাসা হতে এটা ছাড়া অন্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি (বুখারী) উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হাদীসটি সহীহ মনে করেন না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২. অনুচ্ছেদঃ

যৌনাংগ স্পর্শ করলে ওযূ নষ্ট হবে না

৮৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ، هُوَ الْحَنَفِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ وَهَلْ هُوَ إِلاَّ مُضْغَةٌ مِنْهُ أَوْ بَضْعَةٌ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَعْضِ التَّابِعِينَ أَنَّهُمْ لَمْ يَرَوُا الْوُضُوءَ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَابْنِ الْمُبَارَكِ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي مُحَمَّدِ بْنِ جَابِرٍ وَأَيُّوبَ بْنِ عُتْبَةَ ‏.‏ وَحَدِيثُ مُلاَزِمِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَدْرٍ أَصَحُّ وَأَحْسَنُ ‏.‏

কাইস ইবনু তালক্ব ইবনু ‘আলী আল-হানাফী হতে তাঁর পিতার (তালকের) সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

কাইস ইবনু তালক্ব ইবনু ‘আলী আল-হানাফী হতে তাঁর পিতার (তালকের) সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ‘এটা (যৌনাংগ) তাঁর দেহের একটা অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়। ’ (অথবা রাবীর সন্দেহ) তিনি ‘বুয্‌আহ’ (টুকরা, অংশ) শব্দ বলেছেন।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৪৮৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে, আবূ ‘ঈসা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবী ও কিছু সংখ্যক তাবিঈ যৌনাংগ স্পর্শ করলে আবার ওযূ করা দরকার আছে বলে মনে করেন না। ইবনুল মুবারাক ও কূফাবাসীদের এটাই উপস্থাপিত মত।

এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি বেশি সহীহ। এ হাদীসটি অপর এক সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ সূত্রে দু’জন রাবী- ‘মুহাম্মাদ ইবনু জাবির’ ও ‘আইউব ইবনু উতবা’ সম্পর্কে কিছু হাদীস পারদর্শী ব্যক্তি বিভিন্ন কথা বলেছেন। অতএব মুলাযিম ইবনু ‘আমরের বর্ণনাটিই বেশি সহীহ এবং উত্তম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩. অনুচ্ছেদঃ

চুমু দিলে ওযূ করতে হবে না

৮৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ وَأَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَ بَعْضَ نِسَائِهِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَنْ هِيَ إِلاَّ أَنْتِ قَالَ فَضَحِكَتْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ قَالُوا لَيْسَ فِي الْقُبْلَةِ وُضُوءٌ ‏.‏ وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالأَوْزَاعِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْقُبْلَةِ وُضُوءٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ ‏.‏ وَإِنَّمَا تَرَكَ أَصْحَابُنَا حَدِيثَ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا لأَنَّهُ لاَ يَصِحُّ عِنْدَهُمْ لِحَالِ الإِسْنَادِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ الْعَطَّارَ الْبَصْرِيَّ يَذْكُرُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ قَالَ ضَعَّفَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ هَذَا الْحَدِيثَ جِدًّا ‏.‏ وَقَالَ هُوَ شِبْهُ لاَ شَىْءَ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يُضَعِّفُ هَذَا الْحَدِيثَ وَقَالَ حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عُرْوَةَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَهَا وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ وَهَذَا لاَ يَصِحُّ أَيْضًا ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لإِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ سَمَاعًا مِنْ عَائِشَةَ ‏.‏ وَلَيْسَ يَصِحُّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَابِ شَيْءٌ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রীকে চুমু খেলেন, অতঃপর নামায আদায় করতে গেলেন, কিন্তু তিনি (নতুন করে) ওযূ করেননি। উরওয়া বলেন, আমি বললাম, তা আপনি (‘আয়িশাহ্‌) ছাড়া আর কেউ নয়। এতে তিনি হেসে দিলেন।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৫০২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ একইভাবে একাধিক সাহাবা ও তাবিঈ এ ধরনের হাদীস বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসীগণ (ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর মতানুসারীগণ) বলেন, চুমু দিলে ওযূ নষ্ট হয় না। মালিক ইবনু আনাস,আওযাঈ, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের মতে চুমু দিলে ওযূ নষ্ট হয়। এটা একাধিক ফিক্‌হবিদ সাহাবা ও তাবিঈর মত। তিরমিযী বলেন, আমাদের সাথীরা এ প্রসঙ্গে ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি বাদ দিয়েছেন। কেননা সনদের দিক হতে হাদীসটি সহীহ নয়। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এ হাদীস বিশ্বাস যোগ্য নয়। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলও (বুখারী) এ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। কেননা হাবীব ইবনু আবূ সাবিত উরওয়ার নিকট হতে কিছুই শুনেননি। ইবরাহীম তাইমী হতেও ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছেঃ “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে চুমু খেলেন কিন্তু ওযূ করলেন নয়া। ” এ বর্ণনাটিও সহীহ নয়, কেননা ইবরাহীম তাইমী ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট হতে কিছু শুনার সুযোগ পেয়েছেন বলে আমাদের কোন তথ্য জানা নেই।

মোটকথা, এ অনুচ্ছেদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪. অনুচ্ছেদঃ

বমি করলে বা নাক দিয়ে রক্ত বের হলে ওযু নষ্ট হওয়া সম্পর্কে

৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، – وَهُوَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ الْكُوفِيُّ وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ فَتَوَضَّأَ ‏.‏ فَلَقِيتُ ثَوْبَانَ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ صَدَقَ أَنَا صَبَبْتُ لَهُ وَضُوءَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَابْنُ أَبِي طَلْحَةَ أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَأَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنَ التَّابِعِينَ الْوُضُوءَ مِنَ الْقَىْءِ وَالرُّعَافِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ فِي الْقَىْءِ وَالرُّعَافِ وُضُوءٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَدْ جَوَّدَ حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ وَحَدِيثُ حُسَيْنٍ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَرَوَى مَعْمَرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ فَأَخْطَأَ فِيهِ فَقَالَ عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الأَوْزَاعِيَّ وَقَالَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ وَإِنَّمَا هُوَ مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বমি করলেন, ফলে তিনি ইফতার করলেন। অতঃপর ওযূ করলেন। মাদান বলেন, আমি দামিশকের মাসজিদে সাওবান (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে তাঁকে এ কথা বললাম। তিনি বললেন, আবূ দারদা (রাঃ) ঠিকই বলেছেন, এ সময় আমি তাঁর (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) ওযূর পানি ঢেলেছিলাম।

-সহীহ। ইরওয়া- (১১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈর মতে বমি করলে বা নাক দিয়ে খুন বের হলে ওযূ নষ্ট হবে এবং নতুন করে ওযূ করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাক এ মত পোষণ করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বমি হলে অথবা নাক দিয়ে রক্ত বের হলে পুনরায় ওযূ করতে হবে না। ইমাম মালিক ও শাফিঈ এ মত দিয়েছেন।

হুসাইন আল-মু‘আল্লিম এ হাদীসটিকে নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী বলেছেন। এ অনুচ্ছেদে হুসাইনের হাদীসটি অধিকতর সহীহ। অপর একটি সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি মা‘মার ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবী কাসীর হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি ভুল করে বলেছেন, ইয়া‘ঈশ ইবনুল ওয়ালীদ খালিদ ইবনু মা‘দান হতে তিনি আবুদ দারদা হতে। তিনি এতে আওযাঈর উল্লেখ করেননি। আর তিনি বলেছেন, খালিদ ইবনু মা‘দান। প্রকৃতপক্ষে তিনি হলেন, মা‘দান ইবনু আবী ত্বালহা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫. অনুচ্ছেদঃ

নাবীয দিয়ে ওযূ করা

৮৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي فَزَارَةَ، عَنْ أَبِي زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ سَأَلَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا فِي إِدَاوَتِكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ نَبِيذٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ تَمْرَةٌ طَيِّبَةٌ وَمَاءٌ طَهُورٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَتَوَضَّأَ مِنْهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَأَبُو زَيْدٍ رَجُلٌ مَجْهُولٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ لاَ يُعْرَفُ لَهُ رِوَايَةٌ غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْوُضُوءَ بِالنَّبِيذِ مِنْهُمْ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يُتَوَضَّأُ بِالنَّبِيذِ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ إِنِ ابْتُلِيَ رَجُلٌ بِهَذَا فَتَوَضَّأَ بِالنَّبِيذِ وَتَيَمَّمَ أَحَبُّ إِلَىَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَوْلُ مَنْ يَقُولُ لاَ يُتَوَضَّأُ بِالنَّبِيذِ أَقْرَبُ إِلَى الْكِتَابِ وَأَشْبَهُ لأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ‏:‏ ‏”‏فإِن لَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে প্রশ্ন করলেনঃ তোমার পাত্রে কি আছে? আমি বললাম, নাবীয (খেজুর দ্বারা তৈরী শরবত)। তিনি বললেনঃ খেজুর পবিত্র এবং পানিও পবিত্র। ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, তারপর তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দিয়ে ওযূ করলেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৮৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি শুধু আবূ যাইদ হতে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে। অথচ আবূ যাইদ হাদীস বিশারদদের নিকট অপরিচিত ব্যক্তি। এ বর্ণনাটি ছাড়া আর কোথাও তাঁর বর্ণনা জানা যায়নি। কিছু বিদ্বান বলেন, খেজুর ভিজানো পানি (নাবীয) দিয়ে ওযূ করা জায়িয। সুফিয়ান সাওরী ও অন্যরা এ মত দিয়েছেন। শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের মতে খেজুর ভিজানো পানি দিয়ে ওযূ হবে না। ইসহাক বলেন, যদি পানি পাওয়া না যায় তাহলে নাবীয দিয়ে ওযূ করবে, তারপর তায়াম্মুম করে নেয়াই আমার নিকট পছন্দনীয়। আবূ ঈসা বলেন, যারা বলেন নাবীয দিয়ে ওযূ না করা উচিৎ, তাদের এ মত কুরআনের বাণীর সাথে সামঞ্জস্যশীল কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ “যদি তোমরা পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর” – সূরা নিসাঃ ৪৩। আর নাবীয তো পানি নয়, অতএব এটা দ্বারা ওযূ করা জায়িয নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬. অনুচ্ছেদঃ

দুধ পান করে কুলি করা

৮৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ لَبَنًا فَدَعَا بِمَاءٍ فَمَضْمَضَ وَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ لَهُ دَسَمًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْمَضْمَضَةَ مِنَ اللَّبَنِ وَهَذَا عِنْدَنَا عَلَى الاِسْتِحْبَابِ وَلَمْ يَرَ بَعْضُهُمُ الْمَضْمَضَةَ مِنَ اللَّبَنِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধ পান করে পানি আনতে বললেন, অতঃপর কুলি করলেন এবং বললেনঃ দুধে তৈলাক্ত পদার্থ (চর্বি) আছে।

সহীহ। ইবনু মাজাহ (৪৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে সাহল ইবনু সা‘দ ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। কেউ কেউ দুধ পান করার পর কুলি করা মুস্তাহাব মনে করেন, আমাদের অভিমতও তাই। আবার কেউ কুলি করা দরকার মনে করেন না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭. অনুচ্ছেদঃ

বিনা ওযূতে সালামের উত্তর দেওয়া মাকরূহ

৯০

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزُّبَيْرِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، سَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبُولُ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَإِنَّمَا يُكْرَهُ هَذَا عِنْدَنَا إِذَا كَانَ عَلَى الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ ‏.‏ وَقَدْ فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ ذَلِكَ ‏.‏ وَهَذَا أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ وَعَلْقَمَةَ بْنِ الْفَغْوَاءِ وَجَابِرٍ وَالْبَرَاءِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সালাম করল, তখন তিনি প্রস্রাব করছিলেন। তিনি তার সালামের জবাব দেননি।

হাসান সহীহ্। ইরওয়া (৫৪) সহীহ্ আবূ দাঊদ (১২-১৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। আমাদের মতে মলত্যাগ বা পেশাবরত অবস্থায় সালামের জবাব দেওয়া মাকরূহ। কিছু বিশেষজ্ঞ এ হাদীসের তাৎপর্য এটাই বলেছেন। এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হাদীসসমূহের মধ্যে এ হাদীসটি সর্বাধিক হাসান। মুহাজির ইবনু কুনফুয, ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানযালা, আলক্বামা ইবনু ফাগওয়া, জাবির ও বারাআ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৬৮. অনুচ্ছেদঃ

কুকুরের উচ্ছিষ্ট সম্পর্কে

৯১

حَدَّثَنَا سَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ يُغْسَلُ الإِنَاءُ إِذَا وَلَغَ فِيهِ الْكَلْبُ سَبْعَ مَرَّاتٍ أُولاَهُنَّ أَوْ أُخْرَاهُنَّ بِالتُّرَابِ وَإِذَا وَلَغَتْ فِيهِ الْهِرَّةُ غُسِلَ مَرَّةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا وَلَمْ يُذْكَرْ فِيهِ ‏”‏ إِذَا وَلَغَتْ فِيهِ الْهِرَّةُ غُسِلَ مَرَّةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কুকুর কোন পাত্রে মুখ দিলে তা সাতবার ধুতে হবে, প্রথম অথবা শেষবার মাটি দ্বারা ঘষতে হবে। বিড়াল যদি তাতে মুখ দেয় তবে একবার ধোয়াই যথেষ্ট।

সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাউদ (৬৪-৬৬), মুসলিম অনুরূপ; কিন্তু তাতে বিড়ালের উল্লেখ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের এটাই মত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) এর মাধ্যমে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তাতে এ বর্ণনা টুকু নেইঃ “বিড়াল পাত্রে মুখ দিলে একবার ধুতে হবে। ”

এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯. অনুচ্ছেদঃ

বিড়ালেন উচ্ছিষ্ট (ঝুটা) সম্পর্কে

৯২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ حُمَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَكَانَتْ، عِنْدَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، دَخَلَ عَلَيْهَا ‏.‏ قَالَتْ فَسَكَبْتُ لَهُ وَضُوءًا قَالَتْ فَجَاءَتْ هِرَّةٌ تَشْرَبُ فَأَصْغَى لَهَا الإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ أَتَعْجَبِينَ يَا بِنْتَ أَخِي فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّمَا هِيَ مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ أَوِ الطَّوَّافَاتِ ‏”‏ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْعُلَمَاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِثْلِ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ لَمْ يَرَوْا بِسُؤْرِ الْهِرَّةِ بَأْسًا ‏.‏ وَهَذَا أَحَسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَقَدْ جَوَّدَ مَالِكٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ وَلَمْ يَأْتِ بِهِ أَحَدٌ أَتَمَّ مِنْ مَالِكٍ ‏.‏

কাবাশা বিনতু কা’ব ইবনি মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ কাতাদা (রাঃ) এর পুত্রবধূ ছিলেন। আবূ কাতাদা (শ্বশুর) তাঁর নিকট এলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর জন্য ওযূর পানি ঢাললাম। তিনি বলেনঃ একটি বিড়াল এসে তা পান করতে লাগল। তিনি পাত্রটি কাত করে ধরলেন আর বিড়ালটি পানি পান করতে থাকল। কাবশা বলেন, তিনি (শ্বশুর) দেখলেন, আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি বললেন, হে ভাইঝি! তুমি কি আশ্চর্য হচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “বিড়াল অপবিত্র নয়। এটা তোমাদের আশেপাশে বিচরণকারী অথবা বিচরণকারিণী। ”

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৩৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

কেউ কেউ মালিক হতে বর্ণনা করেছেন যে, কাবশা কাতাদার স্ত্রী ছিলেন। সঠিক হলো কাতাদার ছেলের স্ত্রী ছিলেন।

এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্ ও আবূ হুরাইরা (রা) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসিটি হাসান সহীহ।

বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা, তাবিঈন ও পরবর্তীদের মতে বিড়ালের ঝুটা নাপাক নয়। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ মত দিয়েছেন। এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি অধিকতর হাসান। ইমাম মালিকের তুলনায় আরো উত্তম সনদে আর কেউ এ হাদীসটি বর্ণনা করতে পারেননি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০. অনুচ্ছেদঃ

মোজার উপর মাসিহ করা

৯৩

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ بَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقِيلَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا قَالَ وَمَا يَمْنَعُنِي وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَكَانَ يُعْجِبُهُمْ حَدِيثُ جَرِيرٍ لأَنَّ إِسْلاَمَهُ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏ هَذَا قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ يَعْنِي كَانَ يُعْجِبُهُمْ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ وَالْمُغِيرَةِ وَبِلاَلٍ وَسَعْدٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَسَلْمَانَ وَبُرَيْدَةَ وَعَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ وَأَنَسٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَيَعْلَى بْنِ مُرَّةَ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَأُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ وَأَبِي أُمَامَةَ وَجَابِرٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَابْنِ عُبَادَةَ وَيُقَالُ ابْنُ عِمَارَةَ وَأُبَىُّ بْنُ عِمَارَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ جَرِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

হাম্মাম ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) পেশাব করলেন, অতঃপর ওযূ করলেন এবং মোজার উপর মাসিহ করলেন। তাঁকে বলা হল, আপনি এরূপ করছেন? তিনি বললেন, কোন জিনিস আমাকে বাধা দিবে? আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এরূপ করতে দেখেছি। হাম্মাম বলেন, জারীরের এ হদীস সবারই ভাল লাগত। কেননা তিনি সূরা মায়িদাহ্ অবতীর্ণ হওয়ার পর মুসলমান হয়েছেন।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ (৫৪৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উমার, আলী, হুযাইফা, মুগীরা, বিলাল, সা’দ, আবূ আইউব, সালমান, বুরাইদা, আমর ইবনু উমাইয়া, আনাস, সাহল ইবনু সা‘দ, ইয়া‘লা ইবনু মুররা, উবাদা ইবনুস সামিত, উসামা ইবনু শারীক, আবু উমামা, জাবির এবং উসামা ইবনু যাইদ, ইবনু উবাদাহ বা ইবনু উমারাহ বা উবাই ইবনু উমারাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

আবূ ‘ঈসা বলেন, জারীর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪

وَيُرْوَى عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، قَالَ رَأَيْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقُلْتُ لَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ أَقَبْلَ الْمَائِدَةِ أَمْ بَعْدَ الْمَائِدَةِ فَقَالَ مَا أَسْلَمْتُ إِلاَّ بَعْدَ الْمَائِدَةِ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ زِيَادٍ التِّرْمِذِيُّ عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ جَرِيرٍ ‏.‏ قَالَ وَرَوَى بَقِيَّةُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ جَرِيرٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ مُفَسِّرٌ لأَنَّ بَعْضَ مَنْ أَنْكَرَ الْمَسْحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ تَأَوَّلَ أَنَّ مَسْحَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْخُفَّيْنِ كَانَ قَبْلَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ وَذَكَرَ جَرِيرٌ فِي حَدِيثِهِ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏

শাহার ইবনু হাওশাব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি জারীর ইবনু আবদুল্লাহকে ওয়ূ করতে এবং মোজার উপর মাসিহ করতে দেখলাম। আমি এ ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। তিনি বললেন, আমি রাসূলুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ওযূ করতে এবং মোজার উপর মাসিহ করতে দেখেছি। আমি (শাহর) তাঁকে (জারীরকে) প্রশ্নে করলাম, সেটা কি সূরা মাইদা অবতীর্ণ হওয়ার আগে না পরে? তিনি বললেন আমি তো সূরা মাইদা অবতীর্ণ হওয়ার পরেই ইসলাম গ্রহণ করেছি।

সহিহ। ইরওয়া (১/১৩৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি কুতাইবা বর্ণনা করেছেন খালিদ ইবনু যিয়াদ আত্-তিরমিযী হতে তিনি মুক্বাতিল হতে তিনি শাহর ইবনু হাওশাব হতে তিনি জারীর হতে। আর বাক্বিয়্যাহ্ বর্ণনা করেছেন ইবরাহীম ইবনু আদহাম হতে তিনি মুক্বাতিল ইবনু হাইয়্যান হতে। তিনি শাহর ইবনু হাওশাব হতে তিনি জারীর হতে। এ হাদীস কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা পেশ করছে। কেননা একদল লোক মোজার উপর মাসিহ করা অসঙ্গত মনে করেন। তারা এ ব্যাখ্যায় বলেন, সূরা মায়িদাহ্ অবতীর্ণ হওয়ার আগে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজার উপর মাসিহ করেছিলেন। অথচ হাদীসের রাবী জারীর (রাঃ) উল্লেখ করেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সূরা মায়িদাহ্ অবতীর্ণ হওয়ার পরই মোজার উপর মাসিহ করতে দেখেছেন (তাই এ হাদীস যেন ওযূ সম্পর্কিত আয়াতের ব্যাখ্যা)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১. অনুচ্ছেদঃ

মুসাফির ও মুকীম ব্যক্তির মোজার উপর মাসাহ করা

৯৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ، عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ سُئِلَ عَنِ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ ‏ “‏ لِلْمُسَافِرِ ثَلاَثَةٌ وَلِلْمُقِيمِ يَوْمٌ ‏”‏ ‏.‏ وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ أَنَّهُ صَحَّحَ حَدِيثَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ فِي الْمَسْحِ ‏.‏ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ بْنُ عَبْدٍ وَيُقَالُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي بَكْرَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَصَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ وَعَوْفِ بْنِ مَالِكٍ وَابْنِ عُمَرَ وَجَرِيرٍ ‏.‏

খুযাইমাহ্ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট মোজার উপর মাসাহ করা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ “মুসাফিরের জন্য তিন (দিন) এবং মুকীমের জন্য এক (দিন)”।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ (৫৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

ইয়াহ্ইয়া ইবনু মা‘ঈন হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি উপরোক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ আব্দুল্লাহ আল-জাদালী’র নাম ‘আবদ ইবনু ‘আবদ, এত্ত বলা হয়েছে যে, তার নাম ‘আব্দুল্লাহ রহমান ইবনু ‘আবদ। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ অনুচ্ছেদে আলী, আবূ বাকার, আবূ হুরাইরা, সাফওয়ান ইবনু ‘আসসাল, আওফ ইবনু মালিক, ইবনু উমার ও জারীর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ وَحَمَّادٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعْ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ مِنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ حَدِيثَ الْمَسْحِ ‏.‏ وَقَالَ زَائِدَةُ عَنْ مَنْصُورٍ كُنَّا فِي حُجْرَةِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ وَمَعَنَا إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ فَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْعُلَمَاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا يَمْسَحُ الْمُقِيمُ يَوْمًا وَلَيْلَةً وَالْمُسَافِرُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ لَمْ يُوَقِّتُوا فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالتَّوْقِيتُ أَصَحُّ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ عَاصِمٍ ‏.‏

সাফওয়ান ইবনু ‘আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা যখন সফরে থাকতাম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিতেন, আমরা যেন নাপাকির গোসল ছাড়া তিন দিন তিন রাত আমাদের মোজা না খুলি; এমনকি এমনকি মলত্যাগ-পেশাব ও ঘুম হতে ওঠার পর ওযূ করার সময়ও (মোজা না খুলি)।

হাসান। ইবনু মাজাহ (৪৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। হাকমি ইবনু ‘উতাইবা ও হাম্মাদ-ইবরাহীশ নাখঈর সূত্রে, তিনি আবূ আবদুল্লাহ আল- জাদালীর সূত্রে, তিনি খুযাইমার সূত্রে মোজার উপর মাসিহ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনাটি সহীহ নয়। ‘আলী ইবনু মাদীনী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ বলেছেন, শু’বা বলেছেন, আবূ আবদুল্লাহ আল-জাদলীর নিকট হতে ইবরাহীম নাখাঈ মাসিহ সম্পর্কিত হাদীস শুনেননি। যায়িদাহ মানসূর হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমরা ইবরাহীম তাইমীর ঘরে বসা ছিলাম। ইবরাহীশ নাখাঈও অমাদের সাথে ছিলেন। তখন ইবরাহীম তাইমী আমাদের নিকট ‘আমর ইবনু মাইমূনের সূত্রে, তিনি আবদুল্লাহ আল-জাদালীর সূত্রে, তিনি খুযাইমা ইবনু সাবিতের সূত্রে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে ‘মোজার উপর সামিহ’ সম্পর্কিথ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (ইমাম বুখারী) বলেন, এ অনুচ্ছেদে সাফওয়ান ইবনু ‘আসসাল আল-মুরাদী (রা) হতে বর্ণিথ হাদীসটি বেশি উত্তম।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ বিশেষজ্ঞ সাহাবা, তাবিঈও পরবর্তী যুগের ফিক্হবিদ যেমন সুফিয়ান সাত্তরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিউ, আহমাদ ও ইসহাকের মতে মুসাফির ব্যক্তি তিন দিন তিন রাত এবং মুক্বীম ব্যক্তি এক দিন একরাত পর্যন্ত মোজার উপর মাসিহ করতে পারবে।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ কিছ বিদ্বান যেমন মালিখ ইবনু আনাস মোজার উপর মাসিহ করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করেননি। কিন্তু সময়সীমা নির্ধারিত করাটাই বেশি সহীহ। এই হাদীসটি সাফওয়ান ইবনু ‘আসসাল হতে আসিম ব্যতীত অন্য সূতেও বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭২. অনুচ্ছেদঃ

মোজার উপরের দিক ও নীচের দিক মাসিহ করা

৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ، عَنْ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ أَعْلَى الْخُفِّ وَأَسْفَلَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ مَعْلُولٌ لَمْ يُسْنِدْهُ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ غَيْرُ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ وَمُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالاَ لَيْسَ بِصَحِيحٍ لأَنَّ ابْنَ الْمُبَارَكِ رَوَى هَذَا عَنْ ثَوْرٍ عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ قَالَ حُدِّثْتُ عَنْ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ مُرْسَلٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْمُغِيرَةَ ‏.‏

মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজার উপরের অংশ মাসিহ করেছেন এবং নীচের অংশও মাসিহ করেছেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৫৫০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈদের এটাই সিদ্ধান্ত যে, মোজার উপর ও নীচের দিক মাসিহ করতে হবে। ইমাম মালিক, শাফিঈ এবং ইসহাকেরও এই মত।

এই হাদীসটি ত্রুটি যুক্ত। ওয়ালিদ ইবনু মুসলিম ব্যতীত অন্য কেহই সাওর ইবনু ইয়াযীদের দিকে এর সম্পৃক্ততা বর্ণনা করেন নাই। আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ যুরআহ্‌ এবং ইসমাঈলকে এই হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় তারা বলেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। কেননা ইবনুল মুবারাক হাদীসটি সাওর হতে রাজা ইবনু হাইওয়ার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি মুগীরার সচীব হতে মুরসাল ভাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি উহাতে মুগীরার নাম উল্লেখ করেননি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩. অনুচ্ছেদঃ

মোজার বাহিরের দিক মাসাহ করা

৯৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ عَلَى ظَاهِرِهِمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْمُغِيرَةِ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ حَدِيثُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا يَذْكُرُ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ ‏ “‏ عَلَى ظَاهِرِهِمَا ‏”‏ ‏.‏ غَيْرَهُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَحْمَدُ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَكَانَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ يُشِيرُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ ‏.‏

মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর মোজা দুটির উপরিভাগ মাসাহ করতে দেখেছি।

হাসান সহীহ্‌। মিশকাত- (৫২২), সহীহ আবূ দাঊদ- (১৫১-১৫২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন: মুগীরার বর্ণনা করা হাদীসটি হাসান। এই হাদীসটি আব্দুর রহমান ইবনু আবী জিনাদ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা জিনাদ হতে তিনি উরওয়াহ হতে তিনি মুগীরা হতে বর্ণনা করেছেন। আবূ জিনাদ ব্যতীত অন্য কেউ উরওয়ার সূত্রে মুগীরা হতে মুজার উপর মাসিহ করার কথা উল্লেখ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আর এটাই (মুজার উপরিভাগ মাসিহ করা) অনেক বিদ্বানের অভিমত। সুফিয়ান সাওরী ও আহমাদ এ হাদীসের উপর আমল করেছেন। মুহাম্মাদ বলেন, মালিক এ হাদীসের রাবী আবদুর রহমান ইবনু আবূ যিনাদের দিকে ইঙ্গিত করতেন (দুর্বল বলতেন)।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭৪. অনুচ্ছেদঃ

জাওরাব ও জুতার উপর মাসাহ করা

৯৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ هُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَالنَّعْلَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَالُوا يَمْسَحُ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ نَعْلَيْنِ إِذَا كَانَا ثَخِينَيْنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ صَالِحَ بْنَ مُحَمَّدٍ التِّرْمِذِيَّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُقَاتِلٍ السَّمَرْقَنْدِيَّ يَقُولُ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي حَنِيفَةَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ وَعَلَيْهِ جَوْرَبَانِ فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا ثُمَّ قَالَ فَعَلْتُ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ أَكُنْ أَفْعَلُهُ مَسَحْتُ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَهُمَا غَيْرُ مُنَعَّلَيْنِ ‏.‏

মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূ করলেন এবং জাওরাব ও জুতার উপর মাসাহ করলেন।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৫৫৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন: হাদীসটি হাসান সহীহ। একাধিক বিশেষজ্ঞ যেমন, সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আমহাদ ও ইসহাক বলেছেন, জাওরাবের উপর মাসিহ করা যাবে, তার সাথে জুতা না পরা হলেও। এটা যখন মোটা বস্ত্রের হবে। এ অনুচ্ছেদে আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

আবূ ‘ঈসা বলেন: আমি সালিহ ইবনু মুহাম্মাদ আত্‌-তিরমিযীর নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আবূ মুকাতিল সামার কান্দীকে বলতে শুনেছি, আমি ইমাম আবূ হানীফার নিকট ঐ অসুখের সময় উপস্থিত হলাম যে অসুখে তিনি ইনতিকাল করেছেন। তিনি পানি আনতে বললেন, অতঃপর ওযূ করলেন তার পায়ে জাওরাবা ছিল, তিনি তার উপর মাসাহ করলেন আর বললেন, আজ আমি এমন একটি কাজ করলাম, যা আমি পূর্বে করিনি। আমি জাওরাবার উপর মাসাহ করেছি অথচ তার সাথে জুতা ছিল না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫. অনুচ্ছেদঃ

পাগড়ীর উপর মাসাহ করা

১০০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْعِمَامَةِ ‏.‏ قَالَ بَكْرٌ وَقَدْ سَمِعْتُ مِنِ ابْنِ الْمُغِيرَةِ ‏.‏ قَالَ وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ أَنَّهُ مَسَحَ عَلَى نَاصِيَتِهِ وَعِمَامَتِهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ ذَكَرَ بَعْضُهُمُ الْمَسْحَ عَلَى النَّاصِيَةِ وَالْعِمَامَةِ وَلَمْ يَذْكُرْ بَعْضُهُمُ النَّاصِيَةَ ‏.‏ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ بِعَيْنِي مِثْلَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ وَسَلْمَانَ وَثَوْبَانَ وَأَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَسٌ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الأَوْزَاعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَالُوا يَمْسَحُ عَلَى الْعِمَامَةِ ‏.‏ وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ لاَ يَمْسَحُ عَلَى الْعِمَامَةِ إِلاَّ أَنْ يَمْسَحَ بِرَأْسِهِ مَعَ الْعِمَامَةِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ بْنَ مُعَاذٍ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعَ بْنَ الْجَرَّاحِ يَقُولُ إِنْ مَسَحَ عَلَى الْعِمَامَةِ يُجْزِئُهُ لِلأَثَرِ ‏.‏

মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূ করলেন এবং মোজা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করলেন।

সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ- (১৩৭, ১৩৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

বাক্‌র বলেন, আমি এ হাদীসটি ইবনু মুগীরার নিকট শুনেছি। মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্‌শার অন্য এক স্থানে এ হাদীসে বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথার সম্মুখভাগ এবং পাগড়ীর উপর মাসাহ করলেন।

এ হাদীসটি মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ)-এর নিকট হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এদের মধ্যে কিছু রাবী বর্ণনা করেছেন, “তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথার সম্মুখভাগ ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন। ” আর কিছু রাবী শুধু পাগড়ীর কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু মাথার সম্মুখ ভাগের কথা উল্লেখ করেননি।

আবু ‘ঈসা বলেন: আমি আহমাদ ইবনু হাসানকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আহ্‌মাদ ইবনু হাম্বাল (রহ:) বলেছেন, আমি স্বচক্ষে ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তানের মত ভালো লোক দেখিনি। এ অনুচ্ছেদে ‘আমর ইবনু উমাইয়া, সালমান, সাওবান ও আবূ উমামা (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, মুগীরার হাদীসটি হাসান সহীহ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবী যেমন, আবূ বাক্‌র, উমার ও আনাস (রাঃ) পাগড়ীর উপর মাসাহ করার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। ইমাম আওযাঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈগণ বলেছেন, শুধু পাগড়ীর উপর মাসাহ করা যাবে না, এর সাথে মাথাও মাসাহ করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবনু আনাস, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এ মত ব্যক্ত করেছেন। আবূ ঈসা বলেন: আমি জারুদ ইবনু মু’আযকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন: আমি ওয়াকী’ ইবনুল জাররাহকে বলতে শুনেছি, কোন ব্যক্তি যদি শুধু পাগড়ীর উপর মাসাহ করে তবে তার জন্য তাই যথেষ্ট হবে সাহাবা হতে বর্ণিত আছারের কারণে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ ‏.‏

বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন।

সহীহ। ইবনু মাজাহ (৫৬১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، هُوَ الْقُرَشِيُّ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ السُّنَّةُ يَا ابْنَ أَخِي ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْعِمَامَةِ فَقَالَ أَمِسَّ الشَّعَرَ الْمَاءَ ‏.‏

আবূ উবাইদা ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্মার ইবনু ইয়াসার (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে মোজার উপর মাসাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, হে ভাতিজা! এটা সুন্নাত। আমি আবার তাঁকে পাগড়ীর উপর মাসাহ করা সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, (মাথার) চুল পানি স্পর্শ করাও।

সনদ সহীহ্‌।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৭৬. অনুচ্ছেদঃ

নাপাকির গোসল

১০৩

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غُسْلاً فَاغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ بِشِمَالِهِ عَلَى يَمِينِهِ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ فَأَفَاضَ عَلَى فَرْجِهِ ثُمَّ دَلَكَ بِيَدِهِ الْحَائِطَ أَوِ الأَرْضَ ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَذِرَاعَيْهِ ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثًا ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَجَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর খালা মাইমূনা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি সহবাসজনিত নাপাকির গোসল করলেন। তিনি বাঁ হাত দিয়ে পানির পাত্র ডান হাতের উপর কাত করলেন, উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুলেন, অতঃপর পানির পাত্রে হাত ঢুকিয়ে পানি তুলে লজ্জাস্থানে দিলেন, অতঃপর দেয়ালে অথবা মাটিতে হাত ঘষলেন, অতঃপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন, অতঃপর তিনবার মাথায় পানি ঢাললেন। অতঃপর সমস্ত শরীরে পানি ঢাললেন। অতঃপর (গোসলের) জায়গা থেকে সরে গিয়ে পা দুটো ধুলেন।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৫৭৩), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে উম্মু সালামাহ্‌, জাবির, আবূ সা’ঈদ, জুবাইর ইবনু মুত’ইম ও আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَغْتَسِلَ مِنَ الْجَنَابَةِ بَدَأَ فَغَسَلَ يَدَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهُمَا الإِنَاءَ ثُمَّ غَسَلَ فَرْجَهُ وَيَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ يُشَرِّبُ شَعْرَهُ الْمَاءَ ثُمَّ يَحْثِي عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ حَثَيَاتٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ أَنَّهُ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ يُفْرِغُ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ يُفِيضُ الْمَاءَ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَقَالُوا إِنِ انْغَمَسَ الْجُنُبُ فِي الْمَاءِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ أَجْزَأَهُ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নাপাকির জন্য গোসল করতে ইচ্ছা করতেন, তখন পানির পাত্রে হাত দেয়ার আগে উভয় হাত ধোয়ার মাধ্যমে গোসল শুরু করতেন। অতঃপর তিনি লজ্জাস্থান ধুতেন এবং নামাজের ওযূর মত ওযূ করতেন। অতঃপর চুলের ভেতরে পানি পৌঁছাতেন এবং মাথায় তিন আঁজলা পানি ঢালতেন।

সহীহ। ইরওয়া- (১৩২), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। বিদ্বানগণ নাপাকির গোসলের এ পদ্ধতিই গ্রহণ করেছেন। প্রথমে নামাযের ওযূর মত ওযূ করবে, অতঃপর তিনবার মাথায় পানি ঢালবে, অতঃপর সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করবে, অতঃপর উভয় পা ধুবে। ‘আলিমগণ এ পদ্ধতিই অনুসরণ করেন। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, নাপাক ব্যক্তি ওযূ না করেই যদি পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে তাহলে তার গোসল হয়ে যাবে। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মত দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭. অনুচ্ছেদঃ

গোসলের সময় নারীরা চুলের বাঁধন খুলবে কি?

১০৫

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أَشُدُّ ضَفْرَ رَأْسِي أَفَأَنْقُضُهُ لِغُسْلِ الْجَنَابَةِ قَالَ ‏”‏ لاَ إِنَّمَا يَكْفِيكِ أَنْ تَحْثِينَ عَلَى رَأْسِكِ ثَلاَثَ حَثَيَاتٍ مِنْ مَاءٍ ثُمَّ تُفِيضِينَ عَلَى سَائِرِ جَسَدِكِ الْمَاءَ فَتَطْهُرِينَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا أَنْتِ قَدْ تَطَهَّرْتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا اغْتَسَلَتْ مِنَ الْجَنَابَةِ فَلَمْ تَنْقُضْ شَعْرَهَا أَنَّ ذَلِكَ يُجْزِئُهَا بَعْدَ أَنْ تُفِيضَ الْمَاءَ عَلَى رَأْسِهَا ‏.‏

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার মাথার চুলে শক্ত বেনী বাঁধি। আমি কি নাপাকি গোসল করার সময় তা খুলে দেব? তিনি বললেনঃনা, তুমি তোমার মাথায় তিন আঁজল পানি ঢাল, তারপর তোমার সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত কর এবং এভাবে পবিত্র হও। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বললেনঃএভাবে তুমি নিজেকে পবিত্র করলে।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৬০৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। বিশেষজ্ঞ ‘আলিমদের মতে মহিলাদের নাপাকির গোসলের সময় চুলের বেণী খোলার প্রয়োজন নেই, সম্পূর্ণ মাথায় পানি প্রবাহিত করাই যথেষ্ট।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮. অনুচ্ছেদঃ

প্রতিটি চুলের নীচে নাপাকি রয়েছে

১০৬

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ وَجِيهٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَحْتَ كُلِّ شَعْرَةٍ جَنَابَةٌ فَاغْسِلُوا الشَّعَرَ وَأَنْقُوا الْبَشَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْحَارِثِ بْنِ وَجِيهٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ وَهُوَ شَيْخٌ لَيْسَ بِذَاكَ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ ‏.‏ وَقَدْ تَفَرَّدَ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ وَيُقَالُ الْحَارِثُ بْنُ وَجِيهٍ وَيُقَالُ ابْنُ وَجْبَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রতিটি চুলের নীচে নাপাকি আছে। অতএব চুলগুলো ভাল করে ধৌত কর এবং শরীর ভাল করে পরিষ্কার কর।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৫৯৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আলী ও আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও আছে। আবূ ঈসা বলেন, হারিস ইবনু ওয়াজীহ (রঃ)-এর হাদীসটি গারীব। কেননা রাবী হারিস ইবনুল ওয়াজীহ অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। এ বর্ণনাটি শুধু তাঁর মাধ্যমেই আমাদের নিকটে পৌছেছে। আরো কিছু ইমাম তাঁর নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আর তিনি এককভাবে মালিক ইবনু দীনার হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হারিস ইবনু ওয়াজীহকে ইবনু ওয়াজবাহ্‌ও বলা হয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯. অনুচ্ছেদঃ

গোসলের পর ওযূ করা

১০৭

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَوَضَّأُ بَعْدَ الْغُسْلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ أَنْ لاَ يَتَوَضَّأَ بَعْدَ الْغُسْلِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোসল করার পর ওযূ করতেন না।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৫৭৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈদের এটাই মত যে, গোসলের পর ওযূ করার দরকার নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০. অনুচ্ছেদঃ

পুরুষের লজ্জাস্থান ও স্ত্রীর লজ্জাস্থান একত্রে মিলিত হলে গোসল করা ওয়াজিব

১০৮

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِذَا جَاوَزَ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ فَعَلْتُهُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاغْتَسَلْنَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পুরুষাংগের খাতনার স্থান স্ত্রীর (যৌনাংগের) খাতনার স্থান অতিক্রম করলে গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। আমি (‘আয়িশাহ্‌) ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছি, অতঃপর আমরা গোসল করেছি।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৬০৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ্‌, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ও রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا جَاوَزَ الْخِتَانُ الْخِتَانَ وَجَبَ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏”‏ إِذَا جَاوَزَ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَعَائِشَةُ وَالْفُقَهَاءِ مِنَ التَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا إِذَا الْتَقَى الْخِتَانَانِ وَجَبَ الْغُسْلُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক লজ্জাস্থান অপর লজ্জাস্থানে প্রবেশ করলে গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়।

সহীহ্‌। পূর্বের হাদীসের কারণে, ইরওয়া-(১/১২১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি তাঁর নিকট হতে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এক খাতনার স্থান অন্য খাতনার স্থান অতিক্রম করলে গোসল ওয়াজিব হবে। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা যেমন, আবূ বাকার, উমার, উসমান, আলী ও ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) এবং তাদের পরবর্তী কালের ফিক্‌হবিদ যেমন, সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, (স্বামী-স্ত্রী উভয়ের) দুই যৌনাংগ একত্রে মিলে গেলেই গোসল ওয়াজিব হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১. অনুচ্ছেদঃ

বীর্যপাতের ফলে গোসল ওয়াজিব হয়

১১০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ إِنَّمَا كَانَ الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ رُخْصَةً فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ ثُمَّ نُهِيَ عَنْهَا ‏.‏

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “বীর্যপাতের ফলেই গোসল ওয়াজিব হয়” এ অনুমতি ইসলামের প্রথম যুগে ছিল, অতঃপর তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(৬০৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَإِنَّمَا كَانَ الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ ثُمَّ نُسِخَ بَعْدَ ذَلِكَ ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَرَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّهُ إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فِي الْفَرْجِ وَجَبَ عَلَيْهِمَا الْغُسْلُ وَإِنْ لَمْ يُنْزِلاَ ‏.‏

ইমাম যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইমাম যুহ্‌রী (রহঃ) হতে এই সূত্রে উপরের হাদীসের মত হাদীস বর্ণনা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘বীর্যপাত হলেই শুধু গোসল ফরয হয়’ এ সুযোগে ইসলামের প্রথম দিকে ছিল, অতঃপর তা রহিত করা হয়। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবী হতে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন উবাই ইবনু কা’ব ও রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ)। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের এটাই অভিমত যে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হলেই উভয়ের উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়, যদিও বীর্যপাত না হয়।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

১১২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ فِي الاِحْتِلاَمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ نَجِدْ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ عِنْدَ شَرِيكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو الْجَحَّافِ اسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ وَكَانَ مَرْضِيًّا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرِ وَطَلْحَةَ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “বীর্যপাত হলেই গোসল ওয়াজিব” এই হুকুম ইহতিলামের (স্বপ্নদোষের) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ইহতিলামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অংশটুকুর সনদ দুর্বল। আর সেটা মাওকূফ। হাদীসের বাকী অংশ সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৬০৬-৬০৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, আমি জারূদকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি (জারূদ) ওয়াকী’কে বলতে শুনেছি, আমি শারীকের নিকট এ হাদীসটি পেয়েছি। আবুল জাহ্‌হাফের নাম দাঊদ ইবনু আবূ ‘আওফ। সুফইয়ান সাওরী হতে বর্ণিত তিনি বলেন, তিনি একজন অতিপরিচিত বিশ্বস্ত লোক ছিলেন।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে উসমান ইবনু আফফান, আলী ইবনু আবী তালিব, যুবাইর, তালহা, আবূ আইউব ও আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ‘বীর্যপাতের ফলেই গোসল ওয়াজিব হয়। ’ সহীহ, ইবনু মাযাহ ৬০৬-৬০৭।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৮২. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি ঘুম হতে জেগে (কাপড় বা বিছানা) ভিজা দেখতে পেল অথচ তার স্বপ্নদোষের কথা স্মরণ হচ্ছে না

১১৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ الْخَيَّاطُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، هُوَ الْعُمَرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلاَ يَذْكُرُ احْتِلاَمًا قَالَ ‏”‏ يَغْتَسِلُ ‏”‏ ‏.‏ وَعَنِ الرَّجُلِ يَرَى أَنَّهُ قَدِ احْتَلَمَ وَلَمْ يَجِدْ بَلَلاً قَالَ ‏”‏ لاَ غُسْلَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ تَرَى ذَلِكَ غُسْلٌ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ إِنَّ النِّسَاءَ شَقَائِقُ الرِّجَالِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ حَدِيثَ عَائِشَةَ فِي الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلاَ يَذْكُرُ احْتِلاَمًا ‏.‏ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ إِذَا اسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ فَرَأَى بِلَّةً أَنَّهُ يَغْتَسِلُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَحْمَدَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ إِنَّمَا يَجِبُ عَلَيْهِ الْغُسْلُ إِذَا كَانَتِ الْبِلَّةُ بِلَّةَ نُطْفَةٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَإِذَا رَأَى احْتِلاَمًا وَلَمْ يَرَ بِلَّةً فَلاَ غُسْلَ عَلَيْهِ عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল যে, সে ঘুম থেকে জেগে ভিজা দেখতে পাচ্ছে কিন্তু স্বপ্নদোষের কথা মনে করতে পারছে না। তিনি বললেন, সে গোসল করবে। অপর এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল যে, তার স্বপ্নদোষ হয়েছে কিন্তু বীর্যপাতের কোন আলামাত দেখতে পাচ্ছে না। তিনি বললেনঃ “তাকে গোসল করতে হবে না। ” উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন স্ত্রীলোক যদি এমনটি দেখতে পায় (স্বপ্নদোষ হয়) তবে তাকে কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, স্ত্রীলোকেরা পুরুষদেরই অংশ।

সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ- (২৩৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমার-উবাইদুল্লাহ ইবনু উমারের সূত্রে ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর হাদীসটির অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন। তিনি স্বপ্নদোষের কথা উল্লেখ করেননি। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সা‘ঈদ এ হাদীসের এক রাবী আবদুল্লাহকে হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা এবং তাবিঈদের মতে কোন ব্যক্তি ঘুম হতে উঠে ভিজা দেখতে পেলে তাকে গোসল করতে হবে। এটা সুফিয়ান সাওরী এবং আহমাদেরও অভিমত। কিছু বিশেষজ্ঞ তাবিঈ বলেছেন, বীর্যপাতের ফলে যদি কাপড় ভিজে থাকে তবে গোসল করতে হবে। এটা ইমাম শাফিঈ ও ইসহাকের মত। স্বপ্নদোষ হয়েছে কিন্তু বীর্যপাত হয়নি, এ অবস্থায় সকল ইমামের মতে গোসল করার দরকার নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩. অনুচ্ছেদঃ

বীর্য এবং বীর্যরস (মযী)

১১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو السَّوَّاقُ الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمَذْىِ فَقَالَ ‏”‏ مِنَ الْمَذْىِ الْوُضُوءُ وَمِنَ الْمَنِيِّ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏”‏ مِنَ الْمَذْىِ الْوُضُوءُ وَمِنَ الْمَنِيِّ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বীর্যরস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেনঃ “বীর্যরস বের হলে ওযূ করতে হবে, এবং বীর্যপাত হলে গোসল করতে হবে”।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৫০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘বীর্যরসে ওযূ এবং বীর্যপাতে গোসল’ রাসূলুল্লাহ নাবী ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীসটি আলী (রাঃ)-এর নিকট হতে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল বিশেষজ্ঞ সাহাবা এবং তাবিঈদের এই মত। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও এই অভিমতই দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪. অনুচ্ছেদঃ

কাপড়ে বীর্যরস লেগে গেলে কি করতে হবে

১১৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدٍ، هُوَ ابْنُ السَّبَّاقِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ كُنْتُ أَلْقَى مِنَ الْمَذْىِ شِدَّةً وَعَنَاءً فَكُنْتُ أُكْثِرُ مِنْهُ الْغُسْلَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَأَلْتُهُ عَنْهُ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا يُجْزِئُكَ مِنْ ذَلِكَ الْوُضُوءُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِمَا يُصِيبُ ثَوْبِي مِنْهُ قَالَ ‏”‏ يَكْفِيكَ أَنْ تَأْخُذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَتَنْضَحَ بِهِ ثَوْبَكَ حَيْثُ تَرَى أَنَّهُ أَصَابَ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ فِي الْمَذْىِ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْمَذْىِ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يُجْزِئُ إِلاَّ الْغَسْلُ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُجْزِئُهُ النَّضْحُ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ أَرْجُو أَنْ يُجْزِئَهُ النَّضْحُ بِالْمَاءِ ‏.‏

সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বীর্যরস বের হওয়ার কারণে আমি কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিলাম। কেননা এ কারণে আমাকে প্রায়ই গোসল করতে হত। আমি ব্যাপারটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বর্ণনা করলাম এবং তার বিধান জানতে চাইলাম। তিনি বললেনঃ “এটা বের হলে তোমার জন্য ওযূই যথেষ্ট”। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তা যদি আমার কাপড়ে লেগে যায়, তবে কি করব? তিনি বললেনঃ “এক আঁজলা পানি তোমার কাপড়ের যে অংশে বীর্যরস দেখতে পাও সেখানে ছিটিয়ে দাও, এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। “

হাসান। ইবনু মাজাহ- (৫০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। মযীর ব্যাপারে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের এই হাদীসের মত অন্য কোন হাদীস আমাদের জানা নেই। কাপড়ে বীর্যরস লেগে গেলে এর হুকুম সম্পর্কে ‘আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাফিঈ ও ইসহাকের মতে কাপড় ধুতে হবে। কেউ কেউ বলেন, মযী লাগার জায়গায় পানি ঢেলে দেওয়াই যথেষ্ট। ইমাম আহমাদ বলেন, আমার মতে পানি ছিটিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৮৫. অনুচ্ছেদঃ

কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে

১১৬

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ ضَافَ عَائِشَةَ ضَيْفٌ فَأَمَرَتْ لَهُ بِمِلْحَفَةٍ صَفْرَاءَ فَنَامَ فِيهَا فَاحْتَلَمَ فَاسْتَحْيَا أَنْ يُرْسِلَ بِهَا وَبِهَا أَثَرُ الاِحْتِلاَمِ فَغَمَسَهَا فِي الْمَاءِ ثُمَّ أَرْسَلَ بِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَ أَفْسَدَ عَلَيْنَا ثَوْبَنَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَفْرُكَهُ بِأَصَابِعِهِ وَرُبَّمَا فَرَكْتُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصَابِعِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا فِي الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ يُجْزِئُهُ الْفَرْكُ وَإِنْ لَمْ يُغْسَلْ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ رِوَايَةِ الأَعْمَشِ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو مَعْشَرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ وَحَدِيثُ الأَعْمَشِ أَصَحُّ ‏.‏

হাম্মাম ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ)-এর বাড়িতে একজন মেহমান এল, তিনি তার জন্য হলুদ রংয়ের একটি চাদর বিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। সে তাতে শুয়ে গেল। (ঘুমের মধ্যে) তার স্বপ্নদোষ হল। সে চাদরটি এ অবস্থায় ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করল। তাই সে তা পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিল। অতঃপর ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট তা পাঠিয়ে দিল। তিনি বললেন, সে আমাদের কাপড়টি খারাপ করে দিল কেন? আঙ্গুল দিয়ে খুঁটে খুঁটে বীর্য তুলে ফেলাই তার জন্য যথেষ্ট ছিল। কখনো কখনো আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় হতে আঙ্গুল দিয়ে শুক্র খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলতাম।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৫৩৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। অনেক সাহাবা তাবেঈ এবং একাধিক ফকীহ যেমন সুফিয়ান সাওরী, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, যদি কাপড়ে বীর্য লেগে যায় তবে তা খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলাই যথেষ্ট, যদিও তা ধোয়া না হয়। মানসূর হতে তিনি ইবরহীম হতে, তিনি হাম্মাম ইবনুল হারিস হতে তিনি ‘আয়িশাহ্‌ হতে, আ‘মাশের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ মা‘শার এই হাদীসটি ইবরহীম হতে, তিনি আসওয়াদ হতে তিনি ‘আয়িশাহ্‌ হতে বর্ণনা করেছেন। তবে আ‘মাশের সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সবচাইতে সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬. অনুচ্ছেদঃ

কাপড় হতে বীর্য ধোয়া

১১৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا غَسَلَتْ مَنِيًّا مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ عَائِشَةَ أَنَّهَا غَسَلَتْ مَنِيًّا مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – لَيْسَ بِمُخَالِفٍ لِحَدِيثِ الْفَرْكِ لأَنَّهُ وَإِنْ كَانَ الْفَرْكُ يُجْزِئُ فَقَدْ يُسْتَحَبُّ لِلرَّجُلِ أَنْ لاَ يُرَى عَلَى ثَوْبِهِ أَثَرُهُ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْمَنِيُّ بِمَنْزِلَةِ الْمُخَاطِ فَأَمِطْهُ عَنْكَ وَلَوْ بِإِذْخِرَةٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় হতে বীর্য ধুয়ে ফেলেছেন।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (৫৩৬), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসটির বিরোধী নয়। যদিও খুঁটে খুঁটে বীর্য তুলে ফেললেই যথেষ্ট তবুও কোন ব্যক্তির কাপড়ে এর দাগ না থাকাই ভালো। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, বীর্য হচ্ছে নাকের কফের মত। তোমার কাপড় হতে তা দূর করে ফেল, এমনকি ইযখির ঘাস দিয়ে হলেও।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭. অনুচ্ছেদঃ

গোসল না করে নাপাক অবস্থায় ঘুমিয়ে যাওয়া

১১৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنَامُ وَهُوَ جُنُبٌ وَلاَ يَمَسُّ مَاءً ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো কখনো নাপাক অবস্থায় ঘুমিয়ে যেতেন, এমনকি পানি স্পর্শও করতেন না।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৫৮১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا قَوْلُ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَغَيْرِهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ، وَاحِدٍ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَتَوَضَّأُ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الأَسْوَدِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ ‏.‏ وَيَرَوْنَ أَنَّ هَذَا غَلَطٌ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏

ওয়াকী থেকে বর্ণিতঃ

ওয়াকী সুফিয়ানের বরাতে আবূ ইসহাকের সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ সা’ঈদ ইবনুল মুসায়্যাব প্রমুখের এই মত। আসওয়াদের সূত্রে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমের পূর্বে ওযূ করতেন। আসওয়াদের সূত্রে বর্ণিত আবূ ইসহাকের হাদীস হতে এই হাদীসটি অধিক সহীহ্। আবূ ইসহাক হতে এই হাদীসটি শু’বা, সাওরী আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন। তারা মনে করেন আবূ ইসহাক এ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে ভুলের শিকার হয়েছেন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৮৮. অনুচ্ছেদঃ

নাপাক ব্যক্তির ঘুমের পূর্বে ওযূ করা

১২০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيَنَامُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَالُوا إِذَا أَرَادَ الْجُنُبُ أَنْ يَنَامَ تَوَضَّأَ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ ‏.‏

‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করলেন, আমদের কেউ কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে ওযূ করে নেবে।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৫৮৫), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আম্মার, ‘আয়িশাহ্, জাবির, আবূ সা’ঈদ ও উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি সর্বাধিক উত্তম ও অধিকতর সহীহ্। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈ যেমন, সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ ও ইসহাক বলেন, নাপাক ব্যক্তি যদি ঘুমাতে চায় তবে ঘুমানোর আগে ওযূ করে নিবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৯. অনুচ্ছেদঃ

নাপাক ব্যক্তির সাথে মুসাফাহা করা (হাতে হাত মিলানো)

১২১

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَهُ وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ فَانْبَجَسْتُ أَىْ فَانْخَنَسْتُ فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ ‏”‏ أَيْنَ كُنْتَ أَوْ أَيْنَ ذَهَبْتَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الْمُسْلِمَ لاَ يَنْجُسُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ لَقِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جُنُبٌ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي مُصَافَحَةِ الْجُنُبِ وَلَمْ يَرَوْا بِعَرَقِ الْجُنُبِ وَالْحَائِضِ بَأْسًا ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ فَانْخَنَسْتُ يَعْنِي تَنَحَّيْتُ عَنْهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথে সাক্ষাত করলেন। তখন তিনি (আবূ হুরাইরা) নাপাক ছিলেন। তিনি (আবূ হুরাইরা) বলেন, আমি চুপচাপ সরে গেলাম এবং গোসল করে তাঁর নিকট এলাম। তিনি বললেন, এতক্ষণ কোথায় ছিলে, অথবা কোথায় গিয়েছিলে? আমি বললাম, আমি নাপাক ছিলাম। তিনি বললেনঃ “মুমিন ব্যক্তি কখনও নাপাক হয় না”।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৫৩৪), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে হুযাইফা ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘ইন খানাসতু’ শব্দের অর্থ হলো, আমি তার নিকট থেকে দূরে সরে গেলাম। বিদ্বানগণ নাপাক অবস্থায় পরস্পরকে মুসাফাহা করার অনুমতি দিয়েছেন। তাদের মতে, নাপাক ব্যক্তির ঘাম এবং ঋতুবতী মহিলার ঘামের মধ্যে কোন অপবিত্রতা (নাপাক) নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯০. অনুচ্ছেদঃ

পুরুষদের মত স্ত্রীলোকদেরও যখন স্বপ্নদোষ হয়

১২২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ بِنْتُ مِلْحَانَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ تَعْنِي غُسْلاً إِذَا هِيَ رَأَتْ فِي الْمَنَامِ مِثْلَ مَا يَرَى الرَّجُلُ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ إِذَا هِيَ رَأَتِ الْمَاءَ فَلْتَغْتَسِلْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ قُلْتُ لَهَا فَضَحْتِ النِّسَاءَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ الْفُقَهَاءِ أَنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا رَأَتْ فِي الْمَنَامِ مِثْلَ مَا يَرَى الرَّجُلُ فَأَنْزَلَتْ أَنَّ عَلَيْهَا الْغُسْلَ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالشَّافِعِيُّ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ وَخَوْلَةَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ ‏.‏

উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মিলহান কন্যা উম্মু সুলাইম (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! হক কথা বলতে আল্লাহ তা’আলা লজ্জাবোধ করেন না। অতএব কোন নারীর পুরুষদের মত স্বপ্নদোষ হলে কি তাকে গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, যখন সে পানির (বীর্যপাতের) চিহ্ন দেখতে পায় তখন যেন গোসল করে নেয়। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে বললাম, হে উম্মু সুলাইম! আপনি তো নারীদের অপমান করলেন।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৬০০), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্। ফিকহ্বিদগণ এ ব্যাপারে একমত যে, কোন স্ত্রীলোকের পুরুষের মত স্বপ্নদোষ হলে এবং বীর্যপাত হলে তাকে গোসল করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী এবং শাফিঈও একথা বলেছেন। এ অনুচ্ছেদে উম্মু সুলাইম, খাওলা, ‘আয়িশাহ্ ও আনাস (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১. অনুচ্ছেদঃ

গোসলের পর শরীর গরম করার জন্য স্ত্রীর শরীরের সাথে লেগে যাওয়া

১২৩

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حُرَيْثٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ رُبَّمَا اغْتَسَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ جَاءَ فَاسْتَدْفَأَ بِي فَضَمَمْتُهُ إِلَىَّ وَلَمْ أَغْتَسِلْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ بِإِسْنَادِهِ بَأْسٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا اغْتَسَلَ فَلاَ بَأْسَ بِأَنْ يَسْتَدْفِئَ بِامْرَأَتِهِ وَيَنَامَ مَعَهَا قَبْلَ أَنْ تَغْتَسِلَ الْمَرْأَةُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও কখনও নাপাকির গোসল করে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরতেন শরীর গরম করার জন্য। আমি তাঁকে আমার সাথে জড়িয়ে নিতাম (ঠান্ডা দূর করার জন্য)। অথচ আমি তখনও নাপাকির গোসল করিনি।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৫৮০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ঈসা বলেন এ হাদীসের সনদে কোন ত্রুটি নেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈদের মতে, কোন ব্যক্তি নাপাকির গোসল করে এসে নাপাক স্ত্রীকে জড়িয়ে নিয়ে শরীর গরম করলে এবং তার সাথে ঐ অবস্থায় ঘুমিয়ে গেলে কোন দোষ নেই। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাক ও এইমত দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯২. অনুচ্ছেদঃ

নাপাক ব্যক্তি পানি না পেলে তায়াম্মুম করবে

১২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ بُجْدَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ طَهُورُ الْمُسْلِمِ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ عَشْرَ سِنِينَ فَإِذَا وَجَدَ الْمَاءَ فَلْيُمِسَّهُ بَشَرَتَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ مَحْمُودٌ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ إِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ وَضُوءُ الْمُسْلِمِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ بُجْدَانَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَلَمْ يُسَمِّهِ ‏.‏ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ الْفُقَهَاءِ أَنَّ الْجُنُبَ وَالْحَائِضَ إِذَا لَمْ يَجِدَا الْمَاءَ تَيَمَّمَا وَصَلَّيَا ‏.‏ وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَرَى التَّيَمُّمَ لِلْجُنُبِ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْهُ أَنَّهُ رَجَعَ عَنْ قَوْلِهِ فَقَالَ يَتَيَمَّمُ إِذَا لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পবিত্র মাটি মুসলমানদের জন্য পবিত্রতাকারী, যদিও সে দশ বছর ধরে পানি না পায়। যখন সে পানি পাবে তখন নিজের শরীরে যেন পানি পৌঁছায় (গোসল করে)। এটাই (তার জন্য) উত্তম। মাহমূদ তার বর্ণিত হাদীসে এরূপ উল্লেখ করেছেনঃ পবিত্র মুসলমানদের জন্য ওযূ গোসলের (বিকল্প) উপকরণ।

সহীহ্। মিশকাত-(৫৩০), সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৩৫৭), ইরওয়া-(১৫৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা, আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ও ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ খালিদ আলহাজ্জা হতে এই হাদীসটি আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন এই হাদীসটি আইয়ূব আবূ কিলাবা হতে তিনি বনু-আমির গোত্রের এক ব্যক্তি হতে তিনি আবূ যার হতে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হাসান। জামহুর ফুকাহাদের এটাই মত যে, নাপাক ব্যক্তি ও ঋতুবতী মহিলা (ঋতুশেষে) পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি না পেলে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নাপাক ব্যক্তির জন্য পানি না পেলেও তায়াম্মুম জায়িয মনে করেন না। বর্ণিত আছে যে, তিনি তাঁর এ অভিমত পরবর্তী কালে প্রত্যাহার করেছেন বলেও উল্লেখ আছে। অতঃপর তিনি পানি না পাওয়া গেলে তায়াম্মুম করে নেবে। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, মালিক, আহমাদ অ ইসহাক এ মতেরই সমর্থক।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩. অনুচ্ছেদঃ

ইস্তিহাযা (রক্তপ্রদর)

১২৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ ‏”‏ لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ ‏”‏ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ إِذَا جَاوَزَتْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا اغْتَسَلَتْ وَتَوَضَّأَتْ لِكُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুবাইশের কন্যা ফাতিমা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন ইস্তিহাযার রোগিণী, কখনও পবিত্র হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দেব? তিনি বললেনঃ “না, এটা একটা শিরার রক্ত, হায়িয নয়। যখন তোমার হায়িয শুরু হবে,নামায ছেড়ে দেবে। যখন হায়িযের সময়সীমা শেষ হবে, তোমার শরীর হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে (গোসল করে নেবে) এবং নামায আদায় করবে”।

আবূ মুআবিয়া তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, (হায়িযের মুদ্দাত শেষ হওয়ার পর) প্রত্যেক নামাযের জন্য ওযূ কর (নামায আদায় কর), যতক্ষণ পরবর্তী (হায়িযের) সময় না আসে।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৬২১), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর এই হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা এবং তাবিঈনের এই মত। সুফিয়ান সাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ বলেন, ইস্তিহাযার রোগিণী হায়িযের সময়সীমা পার হলে গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামযের জন্য (নতুন করে) ওযূ করবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪. অনুচ্ছেদঃ

ইস্তিহাযার রোগিণী প্রতি ওয়াক্তে ওযূ করবে

১২৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ ‏ “‏ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي ‏”‏ ‏.‏

‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইস্তিহাযার রোগিণী সম্পর্কে বলেনঃ ইতোপূর্বে সে যে কয়দিন ঋতুবতী থাকতো ততদিন নামায ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামযের সময় নতুন করে ওযূ করবে এবং রোযা রাখবে ও নামায আদায় করবে।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৬২৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ تَفَرَّدَ بِهِ شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقُلْتُ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ جَدُّ عَدِيٍّ مَا اسْمُهُ فَلَمْ يَعْرِفْ مُحَمَّدٌ اسْمَهُ وَذَكَرْتُ لِمُحَمَّدٍ قَوْلَ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ أَنَّ اسْمَهُ دِينَارٌ فَلَمْ يَعْبَأْ بِهِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِنِ اغْتَسَلَتْ لِكُلِّ صَلاَةٍ هُوَ أَحْوَطُ لَهَا وَإِنْ تَوَضَّأَتْ لِكُلِّ صَلاَةٍ أَجْزَأَهَا وَإِنْ جَمَعَتْ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ أَجْزَأَهَا ‏.‏

‘আলী ইবনু হুজ্‌র থেকে বর্ণিতঃ

‘আলী ইবনু হুজ্‌র হতেও শুরাইক এর সূত্রে উপরের হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসের রাবী শারীক একাই আবূ ইয়াকযানের নিকট হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আমি ইমাম বুখারীকে এই হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি `আদীর দাদার নাম বলতে পারেননি। আমি তাঁর নিকট ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মু’ঈনের কথা উল্লেখ করলাম যে, তিনি ‘আদীর দাদার নাম দীনার বলেছেন। কিন্ত বুখারী তা নির্ভরযোগ্য মনে করলেন না। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেন, যদি ইস্তিহাযার রোগিণী প্রত্যেক নামাযের সময় গোসল করে তাহলে এটা উত্তম। আর যদি শুধু ওযূ করে নেয় তবে তাও জায়িয। সে যদি এক গোসলে দুই ওয়াক্ত নামায আদায় করে তবে তাও যথেষ্ট (অর্থাৎ এক গোসলে যুহর-আসর, দ্বিতীয় গোসলে মাগরিব-ইশা এবং তৃতীয় গোসলে ফযরের নামায আদায় করা) ।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৯৫. অনুচ্ছেদঃ

ইস্তিহাযার রোগিণীর একই গোসলে দুই ওয়াক্তের নামায আদায় করা

১২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصِّيَامَ وَالصَّلاَةَ قَالَ ‏”‏ أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ فَتَلَجَّمِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ فَاتَّخِذِي ثَوْبًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي فَإِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي وَصَلِّي فَإِنَّ ذَلِكِ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَوِيتِ عَلَى ذَلِكِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَهُوَ أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَشَرِيكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَمِّهِ عِمْرَانَ عَنْ أُمِّهِ حَمْنَةَ إِلاَّ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ طَلْحَةَ وَالصَّحِيحُ عِمْرَانُ بْنُ طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا كَانَتْ تَعْرِفُ حَيْضَهَا بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ وَإِقْبَالُهُ أَنْ يَكُونَ أَسْوَدَ ‏.‏ وَإِدْبَارُهُ أَنْ يَتَغَيَّرَ إِلَى الصُّفْرَةِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ وَإِنْ كَانَتِ الْمُسْتَحَاضَةُ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ قَبْلَ أَنْ تُسْتَحَاضَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَتُصَلِّي وَإِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ وَلَمْ يَكُنْ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ وَلَمْ تَعْرِفِ الْحَيْضَ بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ ‏.‏ وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ الْمُسْتَحَاضَةُ إِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ فِي أَوَّلِ مَا رَأَتْ فَدَامَتْ عَلَى ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِذَا طَهُرَتْ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ حَيْضٍ فَإِذَا رَأَتِ الدَّمَ أَكْثَرَ مِنْ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِنَّهَا تَقْضِي صَلاَةَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا ثُمَّ تَدَعُ الصَّلاَةَ بَعْدَ ذَلِكَ أَقَلَّ مَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَهُوَ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَقَلِّ الْحَيْضِ وَأَكْثَرِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلاَثَةٌ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَأْخُذُ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَرُوِيَ عَنْهُ خِلاَفُ هَذَا ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ أَقَلُّ الْحَيْضِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَأَكْثَرُهُ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالأَوْزَاعِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَأَبِي عُبَيْدٍ ‏.‏

হামনা বিনতু জাহ্‌শ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি গুরুতরভাবে ও অত্যধিক পরিমাণে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বিধান জিজ্ঞেস করতে এবং ব্যাপারটা তাঁকে জানাতে আসলাম। আমি আমার বোন যাইনাব বিনতি জাহ্‌শের ঘরে তাঁর দেখা পেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি গুরুতররূপে ও অত্যধিক পরিমানে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে কি হুকুম করেন? এটা আমাকে রোযা-নামাযে বাধা দিচ্ছে। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের উপদেশ দিচ্ছি; এটা রক্ত শোষণ করবে। তিনি (হামনা) বলেন, এটা তার চেয়েও বেশি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি (নির্দিষ্ট স্থানে কাপড়ের) লাগাম বেঁধে নাও। তিনি (হামনা) বললেন, এটা তার চেয়েও বেশি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। তিনি বললেন, এটা আরো অধিক গুরুতর, আমি পানি প্রবাহের মত রক্তক্ষরণ করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাকে দু’টো নির্দেশ দিচ্ছি, এর মধ্যে যেটাই তুমি অনুসরণ করবে তা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যদি তুমি উভয়টিই করতে পার তাহলে তুমিই ভাল জান ( কোনটি অনুসরণ করবে )। অতঃপর তিনি তাকে বললেনঃ এটা শাইতানের একটা আঘাত ছাড়া আর কিছু নয় (অতএব চিন্তার কিছু নেই)।

এক. তুমি হায়িযের সময়সীমা ছয় দিন অথবা সাত দিন ধরে নিবে। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহ তা’আলার জ্ঞানে রয়েছে। অতঃপর তুমি গোসল করবে। তুমি যখন মনে করবে যে, তুমি পবিত্র হয়ে গেছ তখন (মাসের অবশিষ্ট ) চব্বিশ দিন অথবা তেইশ দিন নামায আদায় করবে এবং রোযা রাখবে। এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। তুমি প্রতি মাসে এরূপ করবে, যেভাবে অন্য মেয়েরা তাদের হায়িযের সময়ে এবং তোহরের (পবিত্রতার) সময়ে নিজেদের হায়িযের সময়সীমা ও তুহরের সময়সীমা গণনা করে থাকে।

দুই. যদি তুমি যুহরের নামায পিছিয়ে আনতে এবং আসরের নামায এগিয়ে আনতে পার তাহলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করে যুহর ও আসর উভয় নামায একত্রে আদায় করে নাও। এভাবে মাগরিবের নামায পিছিয়ে আনতে এবং ইশার নামায এগিয়ে আনতে পার এবং গোসল করে উভয় নামায এক সাথে আদায় করতে পারলে তাই করবে। তুমি যদি ফযরের নামাযের জন্যও গোসল করতে পার তাহলে তাই করবে এবং রোযাও রাখবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দু’টি বিকল্প নির্দেশের মধ্যে শেষেরটিই আমার নিকট বেশি পছন্দনীয়।

হাসান। ইবনু মাজাহ- (৬২৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ । হাদীসটি ‘আমর ইবনু রাক্কী, ইবনু জুরাইজ এবং শারীক আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আক্কীল হতে তিনি ইবরহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু তালহা হতে তিনি তার চাচা ইমরান হতে, তিনি তার মা হামনাহ হতে বর্ণনা করেছেন । ইবনু জুরাইজ তার বর্ণনায় ‘উমার ইবনু তালহা বলেছেন । সঠিক হলো, ‘ইমরান ইবনু তালহা । আমি মুহাম্মাদকে (বুখারীকে) এ হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটি হাসান সহীহ্‌ হাদীস । অনুরুপভাবে আহমাদ ইবনু হাম্বালও বলেছেন, এটা হাসান সহীহ হাদীস ।

ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেন, যদি ইস্তিহাযার রোগিণী হায়িযের শুরু এবং শেষ বুঝতে পারে, তবে রক্তস্রাব যখন আরম্ভ হয় তখন তার রং হয় কালো এবং শেষের দিকে তা হলুদ বর্ণ ধারন করে । এ ধরনের মহিলাদের জন্য ফাতিমা বিনতু আবূ হুবাইশ হতে বর্ণিত হাদীসের নির্দেশ প্রযোজ্য ।

পূর্বে নিয়মিত ঋতুস্রাব হয়েছে এবং পরে ইস্তিহাযার রোগ দেখা দিয়েছে এরূপ মহিলার কর্তব্য হচ্ছে, হায়িযের নির্দিষ্ট দিন কয়টির নামায ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য পৃথকভাবে ওযূ করে নামায আদায় করবে । কোন মহিলার যদি রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং পূর্ব হতে কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা বা অভ্যাসও না থাকে যে, কত দিন হায়িয হয়; এরূপ মহিলার ক্ষেত্রে হামনা বিনতু জাহ্‌শ হতে বর্ণনাকৃত হাদীসের হুকুম প্রযোজ্য । আবূ ‘উবাইদও এরূপ বলেন । ইমাম শাফিঈ বলেন, ইস্তিহাযার রোগিণীর যদি প্রথম হায়িয হয়ে থাকে এবং তা পনের দিন অথবা তার কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়, তবে তার এ দিনগুলো হায়িযের মধ্যে গণ্য হবে ।

এ কয়দিন সে নামায আদায় করবে না । পনের দিনের পরও যদি রক্তস্রাব চলতে থাকে তবে (উক্ত পনের দিনের মধ্যে) চৌদ্দ দিনের নামায কাযা হিসেবে আদায় করবে এবং এক দিনের নামায ছেড়ে দিবে । কেননা (ইমাম শাফিঈর মতে) হায়িযের নিম্নতম মুদ্দাত এক দিন ।

আবূ ‘ঈসা বলেন,হায়িযের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মুদ্দাত নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, হায়িযের সর্বনিম্ন সীমা তিন দিন এবং সর্বোচ্চ সীমা দশদিন । সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ (ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর আনুসারীগণ) একথা বলেছেন । ইবনুল মুবারাক এ মতটিই গ্রহণ করেছেন । অপর একদল বিদ্বান, যাদের মধ্যে আতা ইবনু আবূ রাবাহ্‌ও রয়েছেন, বলেছেন, হায়িযের নিম্নতম মুদ্দাত এক দিন এক রাত এবং সর্বোচ্চ মুদ্দাত পনের দিন (ও রাত) । ইমাম আওযাঈ, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ, ইসহাক ও আবূ ‘উবাইদ এ অভিমত দিয়েছেন ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬. অনুচ্ছেদঃ

ইস্তিহাযার রোগিণী প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করবে

১২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ اسْتَفْتَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ ابْنَةُ جَحْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ صَلِّي ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏ قَالَ قُتَيْبَةُ قَالَ اللَّيْثُ لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَلَكِنَّهُ شَيْءٌ فَعَلَتْهُ هِيَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتِ اسْتَفْتَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْمُسْتَحَاضَةُ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏ وَرَوَى الأَوْزَاعِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাহ্‌শ কন্যা উম্মু হাবীবা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফাতোয়া জানতে চাইলেন। তিনি বললেন, আমি সর্বদা ইস্তিহাযার রোগে আক্রান্ত থাকি এবং কখনও পবিত্র হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দেব? তিনি বললেনঃ “না, এটা একটি শিরার রক্ত; তুমি গোসল করে নামায আদায় করবে। ” অতঃপর তিনি (উম্মু হাবীবা) প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করতেন।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৬২৬), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

কুতাইবা বলেন, লাইস বলেছেন, ইবনু শিহাব (তাঁর বর্ণনায়) একথা উল্লেখ করেননি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু হাবীবাকে প্রত্যেক নামাযের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন । বরং তিনি স্বেচ্ছায় একাজ করতেন (নিজের ইজতিহাদের ভিত্তিতে) ।

আবূ ‘ঈসা বলেন, যুহরীও ‘আমরার সূত্রে, তিনি ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর সূত্রে এ হদীসটি বর্ণনা করেছেন। কোন কোন মনীষীর মতে ইস্তিহাযার রোগিণীকে প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করতে হবে। ‘আওযায়ী ও যুহরী হতে পূর্বোক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭. অনুচ্ছেদঃ

ঋতুবতী নারী ছুটে যাওয়া নামায কাযা করবে না

১৩০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَتَقْضِي إِحْدَانَا صَلاَتَهَا أَيَّامَ مَحِيضِهَا فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قَدْ كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ فَلاَ تُؤْمَرُ بِقَضَاءٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ الْحَائِضَ لاَ تَقْضِي الصَّلاَةَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ الْفُقَهَاءِ لاَ اخْتِلاَفَ بَيْنَهُمْ فِي أَنَّ الْحَائِضَ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلاَ تَقْضِي الصَّلاَةَ ‏.‏

মুআযাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করল, আমাদের কেউ তার হায়িয চলাকালীন সময়ের নামায কি পরে আদায় করবে? তিনি (‘আয়িশাহ্‌) বললেন, তুমি কি হারূরা এলাকার বাসিন্দা (খারিজী)? আমাদের কাউকে মাসিক ঋতু চলাকালীন ছুটে যাওয়া নামায পরবর্তীতে কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৬৩১), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ । ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট হতে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, ঋতুবতী নারীকে তার ছুটে যাওয়া নামায পরবর্তী সময়ে কাযা করতে হবে না । সমস্ত ফিক্‌হবিদ এ ব্যাপারে একমত । হায়িযগ্রস্তা মহিলাকে তার ছুটে যাওয়া নামায কাযা করতে হবে না, কিন্তু রোযার কাযা করতে হবে, এ ব্যাপারেও ফিক্‌হবিদদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮. অনুচ্ছেদঃ

নাপাক ব্যক্তি ও ঋতুবর্তী নারী কুরআন তিলাওয়াত করবে না

১৩১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَقْرَإِ الْجُنُبُ وَلاَ الْحَائِضُ ‏”‏ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا لاَ تَقْرَأُ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْئًا إِلاَّ طَرَفَ الآيَةِ وَالْحَرْفَ وَنَحْوَ ذَلِكَ وَرَخَّصُوا لِلْجُنُبِ وَالْحَائِضِ فِي التَّسْبِيحِ وَالتَّهْلِيلِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ إِنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ عَيَّاشٍ يَرْوِي عَنْ أَهْلِ الْحِجَازِ وَأَهْلِ الْعِرَاقِ أَحَادِيثَ مَنَاكِيرَ ‏.‏ كَأَنَّهُ ضَعَّفَ رِوَايَتَهُ عَنْهُمْ فِيمَا يَنْفَرِدُ بِهِ ‏.‏ وَقَالَ إِنَّمَا حَدِيثُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَهْلِ الشَّأْمِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ أَصْلَحُ مِنْ بَقِيَّةَ وَلِبَقِيَّةَ أَحَادِيثُ مَنَاكِيرُ عَنِ الثِّقَاتِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ ذَلِكَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ঋতুবর্তী নারী ও নাপাক ব্যক্তি (যার উপর গোসল ফরয) কুরআনের কোন অংশ তিলাওয়াত করবে না।

মুনকার, ইবনু মাজাহ (৫৯৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীস ও আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি ইসমা’ঈল ইবনু ‘আইয়াশ একটি মাত্র সনদে সূত্রেই বর্ণনা করেছেন যে, নাপাক ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্তা নারী কুরআন তিলাওয়াত করবে না। এ সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা উপরোক্ত হাদীস জানতে পারিনি। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈ এটাই বলেছেন। তাদের পরবর্তীগণ যেমন, সুফইয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেনঃ নাপাক ও হায়িয অবস্থায় কুরআনের কোন অংশ তিলাওয়াত করবে না; কিন্তু কোন আয়াতের অংশবিশেষ অথবা শব্দ ইত্যাদি পাঠ করতে পারবে। তাঁরা নাপাক ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্তা নারীকে তাসবীহ-তাহলীল (সুবহানাল্লাহ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ইত্যাদি) পড়ার অনুমতি দিয়েছেন।

ইমাম তিরমিযী বলেনঃ আমি মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, এ হাদীসের এক রাবী ইসমাঈল ইবনু ‘আইয়াশ, হিজায ও ইরাকবাসীদের হতে অস্বীকৃত (মুনকার) হাদীসগুলো বর্ণনা করে থাকে। ইমাম বুখারী তাদের সূত্রে বর্ণিত তার এ ধরনের একক বর্ণনাগুলোকে য‘ঈফ বলতে চান। তিনি আরো বলেছেন, সিরীয়াবাসীদের নিকট হতে বর্ণিত ইসমা‘ঈল ইবনু ‘আইয়াশের হাদীসগুলো শক্তিশালী। আহমাদ ইবনু হাম্বাল বলেছেনঃ ইসমা‘ঈল ইবনু ‘আইয়াশ বাকিয়ার তুলনায় অনেক ভাল। কেননা বাকিয়া সিকাহ রাবীদের বরাতে মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আহমাদ ইবনু হাসান আমাকে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বালকে এ কথা বলতে শুনেছি।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

৯৯. অনুচ্ছেদঃ

ঋতুবতীর সাথে একই বিছানায় ঘুমানো

১৩২

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا حِضْتُ يَأْمُرُنِي أَنْ أَتَّزِرَ ثُمَّ يُبَاشِرُنِي ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَمَيْمُونَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যখন ঋতুবতী হতাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিতেনঃ ‘তুমি শক্ত করে পাজামা বেঁধে নাও। অতঃপর তিনি আমাকে আলিঙ্গন করতেন।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (২৬০), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উম্মু সালামাহ্‌ ও মাইমূনাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)- এর হাদীসটি হাসান সহীহ । একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈ এটাই বলেছেন (ঋতুবতীর সাথে একত্রে ঘুমানো যাবে) । ইমাম শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও এই মত দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০. অনুচ্ছেদঃ

ঋতুবতী ও নাপাক ব্যক্তির সাথে একত্রে পানাহার এবং তাদের উচ্ছিষ্ট (ঝুটা) সম্পর্কে

১৩৩

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَرَامِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ مُوَاكَلَةِ الْحَائِضِ فَقَالَ ‏ “‏ وَاكِلْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ لَمْ يَرَوْا بِمُوَاكَلَةِ الْحَائِضِ بَأْسًا ‏.‏ وَاخْتَلَفُوا فِي فَضْلِ وَضُوئِهَا فَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ بَعْضُهُمْ وَكَرِهَ بَعْضُهُمْ فَضْلَ طَهُورِهَا ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হায়িযগ্রস্তা নারীর সাথে একত্রে পানাহার সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ তার সাথে খাও।

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (৬৫১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্‌ এবং আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব । জামহুর উলামাদের মতে, হায়িযগ্রস্তার সাথে একত্রে পানাহার কোন দোষ নেই । কিন্তু স্ত্রীলোকদের ওযূ করার পর অবশিষ্ট পানি ব্যবহার করা সম্পর্কে মতের অমিল আছে । কেউ কেউ এটা ব্যবহার করার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ মাকরূহ বলেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১. অনুচ্ছেদঃ

হায়িয অবস্থায় মাসজিদ হতে কিছু আনা

১৩৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَتْ لِي عَائِشَةُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ نَاوِلِينِي الْخُمْرَةَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ إِنِّي حَائِضٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِي يَدِكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ نَعْلَمُ بَيْنَهُمُ اخْتِلاَفًا فِي ذَلِكَ بِأَنْ لاَ بَأْسَ أَنْ تَتَنَاوَلَ الْحَائِضُ شَيْئًا مِنَ الْمَسْجِدِ ‏.‏

কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) আমাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিলেনঃ “হাত বাড়িয়ে মাসজিদ হতে আমাকে মাদুরটি এনে দাও। ” তিনি (‘আয়িশাহ্‌) বলেন, আমি বললাম, আমি হায়িযগ্রস্তা। তিনি বললেনঃ তোমার হায়িয তো তোমার হাতে নয়।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৬৩২), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার ও আবূ হুরাইরা (রাঃ)- এর হাদীসও রয়েছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ । হায়িযগ্রস্তা নারী মাসজিদ হতে হাত বাড়িয়ে কোন কিছু তুলে আনতে পারে, এ ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে কোন মতবিরোধ নেই ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২. অনুচ্ছেদঃ

ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করা অধিক গুনাহের কাজ

১৩৫

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَبَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حَكِيمٍ الأَثْرَمِ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى لاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمٍ الأَثْرَمِ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى التَّغْلِيظِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ أَتَى حَائِضًا فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِينَارٍ ‏”‏ ‏.‏ فَلَوْ كَانَ إِتْيَانُ الْحَائِضِ كُفْرًا لَمْ يُؤْمَرْ فِيهِ بِالْكَفَّارَةِ ‏.‏ وَضَعَّفَ مُحَمَّدٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ ‏.‏ وَأَبُو تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيُّ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে অথবা স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে অথবা গনক ঠাকুরের নিকটে যায়- সে মুহাম্মাদ সাল্লল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৬৩৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে আবূ তামীমা, তাঁর হতে হাকীম আল-আসরাম – এই সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই । (আবূ তামীমার বিশ্বস্ততা সম্পর্কে কোন কোন হাদীস বিশারদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন- অনুবাদক) । মনীষীগণ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘অবতীর্ণ করা জিনিসের প্রতি অবিশ্বাস করে’-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা তিরস্কার ও ধমকের সুরে বলেছেন। কেননা উল্লেখিত কাজ করলে কেউ কাফির হয়ে যায় না । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে এরূপ বর্ণনাও আছে, তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করে সে যেন একটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) সাদকা করে। ”

হায়িযগ্রস্তার সাথে সহবাস করা যদি কুফরীর পর্যায়ভুক্ত হত, তাহলে এর পরিবর্তে সাদকা করার নির্দেশ দেয়া হত না । ইমাম বুখারীও সনদের দৃষ্টিকোণ হতে হাদীসটি য’ঈফ বলেছেন । আবূ তামীমা আল-হুজাইমী’র নাম তারীফ ইবনু মুজালিদ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩. অনুচ্ছেদঃ

ঋতুবতীর সাথে সহবাসের কাফফারা

১৩৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّجُلِ يَقَعُ عَلَى امْرَأَتِهِ وَهِيَ حَائِضٌ قَالَ ‏ “‏ يَتَصَدَّقُ بِنِصْفِ دِينَارٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে হায়িয চলাকালীন সময়ে সহবাস করে তার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “সে অর্ধ দীনার সাদকা করবে”।

সহীহ্‌ – এই শব্দে “এক দীনার বা অর্ধ দীনার” – সহীহ্‌ আবূ দাউদ -(২৫৬), ইবনু মাজাহ-(৬৪০)। হাদীসে বর্ণিত অর্ধ দীনার এই শব্দে হাদীসটি য’ঈফ, য’ঈফ আবূ দাঊদ-(৪২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১৩৭

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ السُّكَّرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ دَمًا أَحْمَرَ فَدِينَارٌ وَإِذَا كَانَ دَمًا أَصْفَرَ فَنِصْفُ دِينَارٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْكَفَّارَةِ فِي إِتْيَانِ الْحَائِضِ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَوْقُوفًا وَمَرْفُوعًا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ يَسْتَغْفِرُ رَبَّهُ وَلاَ كَفَّارَةَ عَلَيْهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ قَوْلِ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ بَعْضِ التَّابِعِينَ مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَهُوَ قَوْلُ عَامَّةِ عُلَمَاءِ الأَمْصَارِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন রক্ত লাল থাকে তখন (সহবাস করলে) এক দীনার, আর যখন রক্ত পীতবর্ণ ধারণ করে তখন অর্ধ দীনার।

য’ঈফ। এই বিশ্লেষণ সহীহ সনদে মাওকূফ, সহীহ আবূ দাঊদ-(২৫৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ‘ঋতুবতীর সাথে সহবাস করার কাফফারা’ সম্পর্কিত হাদীস ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্রে দুইভাবে অর্থাৎ ‘মাওকূফ এবং মারফূ’ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ কাফফারা আদায়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এই মতের সমর্থক। ইবনুল মুবারাক বলেন, সহবাসকারীকে কোন কাফফারা দিতে হবে না, বরং সে আল্লাহ তা’আলার নিকটে তাওবা করবে। কিছু তাবিঈও তাঁর অনুরূপ মত দিয়েছেন। সা’ঈদ ইবনু জুবাইর ও ইবরাহীম নাখঈও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। এটাই অধিকাংশ বিদ্বানগণের অভিমত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪. অনুচ্ছেদঃ

কাপড় হতে হায়িযের রক্ত ধুয়ে ফেলা

১৩৮

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الثَّوْبِ يُصِيبُهُ الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ حُتِّيهِ ثُمَّ اقْرُصِيهِ بِالْمَاءِ ثُمَّ رُشِّيهِ وَصَلِّي فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَسْمَاءَ فِي غَسْلِ الدَّمِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الدَّمِ يَكُونُ عَلَى الثَّوْبِ فَيُصَلِّي فِيهِ قَبْلَ أَنْ يَغْسِلَهُ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ إِذَا كَانَ الدَّمُ مِقْدَارَ الدِّرْهَمِ فَلَمْ يَغْسِلْهُ وَصَلَّى فِيهِ أَعَادَ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ الدَّمُ أَكْثَرَ مِنْ قَدْرِ الدِّرْهَمِ أَعَادَ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ ‏.‏ وَلَمْ يُوجِبْ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ عَلَيْهِ الإِعَادَةَ وَإِنْ كَانَ أَكْثَرَ مِنْ قَدْرِ الدِّرْهَمِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يَجِبُ عَلَيْهِ الْغَسْلُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ قَدْرِ الدِّرْهَمِ وَشَدَّدَ فِي ذَلِكَ ‏.‏

আসমা বিনতু আবী বাকার সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হায়েইযের রক্ত লাগা কাপড়ের বিধান সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আঙ্গুল দিয়ে খুঁটে খুঁটে তা তুলে ফেল, অতঃপর পানি দিয়ে তা আঙ্গুলের মাধ্যমে মলে নাও, অতঃপর তাতে পানি গড়িয়ে দাও, অতঃপর তা পরে নামায আদায় কর।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৬২৯), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা ও উম্মু ক্বাইস (রাঃ)-এর হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, আসমা (রহঃ)-এর এ হাদীসটি হাসান সহীহ। কাপড়ে হায়িযের রক্ত লেগে গেলে তা না ধুয়ে নামায আদায় করা যাবে কি না এ ব্যাপারে বিদ্বানদের মধ্যে মতের অমিল আছে। তাবিঈদের মধ্যে কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি কাপড়ের রক্ত এক দিরহাম পরিমাণ হয় এবং তা না ধুয়েই ঐ কাপড় পরেই নামায আদায় করা হয় তাহলে নামায আবার আদায় করতে হবে। অপর দল বলেছে, রক্তের পরিমাণ এক দিরহামের বেশি হলেই আবার নামায আদায় করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী ও ইবনুল মুবারাক একথা বলেছেন। কিছু সংখ্যক তাবেঈ এবং আহমাদ ও ইসহাকের মতে রক্তের পরিমাণ এক দিরহামের বেশি হলেও নতুন করে নামায আদায় করতে হবে না। ইমাম শাফিঈর মতে, কাপড়ে এক দিরহামের কম পমান রক্ত লাগলেও তা ধুয়ে নেয়া ওয়াজিব। তিনি এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫. অনুচ্ছেদঃ

নিফাসগ্রস্তা নারী কত দিন নামায রোযা থেকে বিরত থাকবে

১৩৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَهْلٍ عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ وَاسْمُ أَبِي سَهْلٍ كَثِيرُ بْنُ زِيَادٍ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى ثِقَةٌ وَأَبُو سَهْلٍ ثِقَةٌ ‏.‏ وَلَمْ يَعْرِفْ مُحَمَّدٌ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَهْلٍ ‏.‏ وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ عَلَى أَنَّ النُّفَسَاءَ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا إِلاَّ أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي ‏.‏ فَإِذَا رَأَتِ الدَّمَ بَعْدَ الأَرْبَعِينَ فَإِنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا لاَ تَدَعُ الصَّلاَةَ بَعْدَ الأَرْبَعِينَ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْفُقَهَاءِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ إِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ خَمْسِينَ يَوْمًا إِذَا لَمْ تَرَ الطُّهْرَ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ وَالشَّعْبِيِّ سِتِّينَ يَوْمًا ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে নিফাসগ্রস্তা মহিলারা চল্লিশ দিন বসে থাকত। আমরা ওয়ারস ঘাস পিষে তা দিয়ে আমাদের চেহারার দাগ তুলতাম।

হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৬৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র আবূ সাহলের সূত্রে মুসসাহ আল-আজ দিয়াহ এর বরাতে উম্মু সালামাহ হতে জানতে পেরেছি। ইমাম বুখারী বলেন, আলী ইবনু আবদুল আ’লা ও আবূ সাহল সিক্বাহ রাবী। মুহাম্মাদও (বুখারী) এ হাদীসটি আবূ সাহলের সূত্রে জেনেছে। আবূ সাহলের নাম কাছীর ইবনু যিয়াদ।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষজ্ঞ সাহাবা, তাবিঈন ও তাদের পরবর্তীদের মধ্যে এ ব্যাপারে অভিন্ন মত রয়েছে যে, নিফাসগ্রস্তা মহিলারা চল্লিশ দিন পর্যন্ত নামায আদায় করবে না। হ্যাঁ, যদি চল্লিশ দিনের পূর্বে পবিত্র হয়ে যায় তবে গোসল করে নামায শুরু করে দেবে। যদি চল্লিশ দিন পরো রক্তস্রাব চলতে থাকে, তবে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের মতে চল্লিশ দিন পর আর নামায ছাড়া থাকা যাবে না। বেশিরভাগ ফিকহবিদেরও এই ফাতোয়া। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (এবং ইমাম আবূ হানীফাও) এই কথাই বলেছেন। হাসান বাসরী পঞ্চাশ দিন এবং আতা ইবনু আবূ রাবাহ ও শাবী ষাট দিন নামায ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, যদি ঋতুস্রাব চলতেই থাকে।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১০৬. অনুচ্ছেদঃ

একই গোসলে একাধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করা

১৪০

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ فِي غُسْلٍ وَاحِدٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ أَنْ لاَ بَأْسَ أَنْ يَعُودَ قَبْلَ أَنْ يَتَوَضَّأَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ هَذَا عَنْ سُفْيَانَ فَقَالَ عَنْ أَبِي عُرْوَةَ عَنْ أَبِي الْخَطَّابِ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ وَأَبُو عُرْوَةَ هُوَ مَعْمَرُ بْنُ رَاشِدٍ ‏.‏ وَأَبُو الْخَطَّابِ قَتَادَةُ بْنُ دِعَامَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ ابْنِ أَبِي عُرْوَةَ عَنْ أَبِي الْخَطَّابِ ‏.‏ وَهُوَ خَطَأٌ وَالصَّحِيحُ عَنْ أَبِي عُرْوَةَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই গোসলে তাঁর স্ত্রীদের নিকট যেতেন (একাধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করে একবারেই গোসল করতেন)।

সহীহ। ইবনু মাজাহ –(৫৮৮), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ রাফি (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। একাধিক বিশেষজ্ঞেই মত দিয়েছে যে, ওযূ না করে দ্বিতীয়বার সহবাস করায় কোন দোষ নেই। হাসান বাসরী তাদের অন্তর্ভুক্ত। আনাস (রাঃ)-এর এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ সুফিয়ান হতে, তিনি আবূ উরওয়া হতে তিনি আবুল খাত্তাব হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর আবূ উরওয়া হলেন মা’মার ইবনু রাশিদ। আবুল খাত্তাব হলেন, কাতাদা ইবনু দি’আমাহ।

আবূ ‘ঈসা বলেন ঃ কেউ কেউ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ হতে, তিনি সুফিয়ান হতে, তিনি ইবনু আবী উরওয়া হত্র, তিনি আবুল খাত্তাব হতে বর্ণনা করেছেন। আর এই বর্ণনাটি ভুল। সঠিক হলো আবূ উরওয়া।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭. অনুচ্ছেদঃ

দ্বিতীয় বার সহবাস করতে চাইলে ওযূ করে নেবে

১৪১

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُودَ فَلْيَتَوَضَّأْ بَيْنَهُمَا وُضُوءًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَالَ بِهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُودَ فَلْيَتَوَضَّأْ قَبْلَ أَنْ يَعُودَ ‏.‏ وَأَبُو الْمُتَوَكِّلِ اسْمُهُ عَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ ‏.‏ وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর যদি আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযূ করে নেয়।

সহীহ। ইবনু মাজাহ-(৫৮৭), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ সা’ঈদ (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। উমার (রাঃ)-ও দ্বিতীয় সহবাসের পূর্বে ওযূ করার কথা বলেছেন। বিদ্বানগণ বলেন, কোন ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চাইলে সে যেন দ্বিতীয়বার সহবাস করার আগে ওযূ করে নেয়। আবূ মোতাওয়াক্কিল এর নাম আলী ইবনু দাউদ। আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)-এর নাম সা’দ ইবনু মালিক ইবনু সিনান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৮. অনুচ্ছেদঃ

নামায শুরু হওয়ার সময়ে কারো মলত্যাগের প্রয়োজন হলে সে প্রথমে মলত্যাগ করে নেবে

১৪২

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ، قَالَ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَأَخَذَ بِيَدِ رَجُلٍ فَقَدَّمَهُ وَكَانَ إِمَامَ قَوْمِهِ وَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَوَجَدَ أَحَدُكُمُ الْخَلاَءَ فَلْيَبْدَأْ بِالْخَلاَءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَثَوْبَانَ وَأَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ هَكَذَا رَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ ‏.‏ وَرَوَى وُهَيْبٌ وَغَيْرُهُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَالاَ لاَ يَقُومُ إِلَى الصَّلاَةِ وَهُوَ يَجِدُ شَيْئًا مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ ‏.‏ وَقَالاَ إِنْ دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ فَوَجَدَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَلاَ يَنْصَرِفْ مَا لَمْ يَشْغَلْهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ وَبِهِ غَائِطٌ أَوْ بَوْلٌ مَا لَمْ يَشْغَلْهُ ذَلِكَ عَنِ الصَّلاَةِ ‏.‏

হিশাম ইবনু উরওয়া (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

আব্দুল্লাহ ইবনু আল-আরক্বাম সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি (উরওয়া) বলেন, একদা নামাযের ইকামাত হয়ে গেল। তিনি (আব্দুল্লাহ) এক ব্যক্তির হাত ধরে তাকে সামনে ঠেলে দিলেন। তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনু আরকাম) স্বীয় গোত্রে ইমাম ছিলেন (নামায শেষে)। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ “নামাযের ইকামাত হয়ে যাওয়ার পর তোমাদের কারো মলত্যাগের প্রয়োজন হলে প্রথমে সে মলত্যাগ করে নেবে। “

সহীহ। ইবনু মাজাহ – (৬১৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ, আবূ হুরাইরা, সাওবান ও আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। আব্দুল্লাহ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)-এর হাদীসটি মালিক ইবনু আনাস ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ আল ক্বাত্তান আরো অনেকে হিশাম ইবনু উরওয়া হতে তিনি তিনি তার পিতা হতে তিনি জনৈক ব্যক্তি হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আরকাম হতে বর্ণনা করেছেন।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবা ও তাবিঈর এটাই ফাতোয়া (মলত্যাগের প্রয়োজন আগে সারে নেবে)। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এই মত সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন, প্রাকৃতিক প্রয়োজন অনুভূত হলে তা না সেরে নামাযে দাঁড়াবে না। হ্যাঁ যদি নামাযশুরু করার পর প্রাকৃতিক প্রয়োজন অনুভূত হয় তবে নামায আদায় করতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত গোলমাল ও বাধা বিঘ্নের সৃষ্টির না হয়। কিছু আলিম বলেছেন, প্রাকৃতিক প্রয়োজনের কারণে যে পর্যন্ত নামাযের মধ্যে অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, ততক্ষন পায়খানা-পেশাবের বেগ নিয়ে নামায আদায় করতে কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯. অনুচ্ছেদঃ

চলাচলের পথের ময়লা আবর্জনা লাগলে ওযূ করা

১৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أُمِّ وَلَدٍ، لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَتْ قُلْتُ لأُمِّ سَلَمَةَ إِنِّي امْرَأَةٌ أُطِيلُ ذَيْلِي وَأَمْشِي فِي الْمَكَانِ الْقَذِرِ فَقَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ نَتَوَضَّأُ مِنَ الْمَوْطَإِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا وَطِئَ الرَّجُلُ عَلَى الْمَكَانِ الْقَذِرِ أَنَّهُ لاَ يَجِبُ عَلَيْهِ غَسْلُ الْقَدَمِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَطْبًا فَيَغْسِلَ مَا أَصَابَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَارَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أُمِّ وَلَدٍ لِهُودِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ وَهُوَ وَهَمٌ وَلَيْسَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ابْنٌ يُقَالُ لَهُ هُودٌ وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ أُمِّ وَلَدٍ لإِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ وَهَذَا الصَّحِيحُ ‏.‏

আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফের উম্মু ওয়ালাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (উম্মু ওয়ালাদ) বলেন, আমি উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে বললাম, আমি আমার কাপড়ের আঁচলের নীচের দিকে লম্বা করে দেই এবং ময়লা-আবর্জনার স্থান দিয়ে চলাচল করি (এর বিধান কি)। তিনি বললেন, রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরবর্তী পবিত্র জায়গার মাটি এটাকে পবিত্র করে দেয়।

সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৫৩১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি আরো একটি সূত্রে বর্ণীত আছে, এ অনুচ্ছেদে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে। তিনি বলেন ঃ “আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নামায আদায় করতাম এবং পথের ময়লা আবর্জনা লাগার কারণে ওযূ করতাম না”।

আবূ ঈসা বলেন, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মত হল, যদি কোন ব্যক্তি ময়লাযুক্ত যমিনের উপর দিয়ে চলাচল করে তবে তার পা ধয়া ওয়াজিব নয়। হ্যাঁ ময়লা যদি ভিজা হয় এবং শুকনা না হয় তাহলে ময়লা লাগার জায়গা টুকু ধুয়ে নেবে।

আবূ ঈসা বলেনঃ হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক মালিক ইবনু আলাস হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু উমারাহ হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম হতেতিনি হুদ ইবনু ‘আব্দুর রহমানের উম্মু ওয়ালাদ হতে তিনি উম্মু সালামাহ হতে বর্ণনা করেছেন। এটি বিভ্রাট। হুদ নামে ‘আব্দুর রহমান ইবনু আউফের কোন ছেলে নেই। বরং বর্ণনাটি ইবরাহীম ইবনু আব্দুররহমান ইবনু ‘আউফের উম্মু ওয়ালাদ তিনি উম্মু স্লামাহ হতে বর্ণনা করেছে। এটাই সঠিক।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১০. অনুচ্ছেদঃ

তায়াম্মুম সম্পর্কিত হাদীস

১৪৪

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلاَّسُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِالتَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَمَّارٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمَّارٍ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَلِيٌّ وَعَمَّارٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ مِنْهُمُ الشَّعْبِيُّ وَعَطَاءٌ وَمَكْحُولٌ قَالُوا التَّيَمُّمُ ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَجَابِرٌ وَإِبْرَاهِيمُ وَالْحَسَنُ قَالُوا التَّيَمُّمُ ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ وَضَرْبَةٌ لِلْيَدَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَمَّارٍ فِي التَّيَمُّمِ أَنَّهُ قَالَ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمَّارٍ أَنَّهُ قَالَ تَيَمَّمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ ‏.‏ فَضَعَّفَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ حَدِيثَ عَمَّارٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي التَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ لَمَّا رُوِيَ عَنْهُ حَدِيثُ الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَخْلَدٍ الْحَنْظَلِيُّ حَدِيثُ عَمَّارٍ فِي التَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَحَدِيثُ عَمَّارٍ تَيَمَّمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ لَيْسَ هُوَ بِمُخَالِفٍ لِحَدِيثِ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ لأَنَّ عَمَّارًا لَمْ يَذْكُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُمْ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا قَالَ فَعَلْنَا كَذَا وَكَذَا فَلَمَّا سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِالْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ فَانْتَهَى إِلَى مَا عَلَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا أَفْتَى بِهِ عَمَّارٌ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي التَّيَمُّمِ أَنَّهُ قَالَ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ فَفِي هَذَا دَلاَلَةٌ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى مَا عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَّمَهُ إِلَى الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ يَقُولُ لَمْ أَرَ بِالْبَصْرَةِ أَحْفَظَ مِنْ هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَابْنِ الشَّاذَكُونِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلاَّسِ ‏.‏ قَالَ أَبُو زُرْعَةَ وَرَوَى عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ حَدِيثًا ‏.‏

‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মুখমন্ডল এবং উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সহীহ। সহীহ আবূ দাঊদ- (৩৫০, ৩৫৩), বুখারী ও মুসলিম আরো পূর্ণ রূপে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে, আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আম্মার (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ‘আম্মারের নিকট হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

একাধিক সাহাবী যেমন, আলী, ‘আম্মার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) এবং তাবিঈদের মধ্যে শাবী, ‘আতা ও মাকহূল বলেন, মুখমন্ডল ও উভয় হাতের জন্য একবার মাত্র (তায়াম্মুমের বস্তুর উপর) হাত মারতে হবে। আহমাদ ও ইসহাক এ মত সমর্থন করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ যেমন, ইবনু ‘উমার (রাঃ), জাবির (রাঃ), ইবরাহীম নাখঈ ও হাসান বাসরী বলেন, মুখমন্ডলের জন্য একবার হাত মারতে হবে এবং উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত মাসাহ করতে একবার হাত মারতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এ মত সমর্থন করেছেন। ‘আম্মার (রাঃ) হতে কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি তায়াম্মুমের ব্যাপারে মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কথা বলেছেন। ‘আম্মার (রাঃ) হতে আরো বর্ণীত আছে, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কাঁধ ও বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করেছি।

কিছু বিশেষজ্ঞ ‘আলিম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে ‘আম্মার (রাঃ) বর্ণিত তায়াম্মুম সম্পর্কিত হাদীসটিকে (যাতে চেহারা ও উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করতে বলা হয়েছে) য’ঈফ বলেছেন। কেননা তিনিই আবার কাঁধ ও বগল পর্জন্ত তায়াম্মুম করার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার হাদীসটি সহীহ। কাঁধ ও বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করার হাদীসটিও সাংঘর্ষিক নয়। কেননা ‘আম্মার (রাঃ) এ হাদীসে এরূপ বলেননি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে এট আকরতে বলেছে। বরং তিনি নিজের পক্ষ হতে বলেছে, ‘আমরা এরূপ করেছি’। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস্ললামের নিকট তায়াম্মুম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শিক্ষা অনুযায়ী তাঁর ইন্তিকালের পর তিনি ‘মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত’ তায়াম্মুম করার ফাতোয়াই দিতেন। আর এই ফাতোয়া একথারই প্রমাণ যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে যেভাবে তায়াম্মুমের শিক্ষা দিয়েছেন ইন্তিকালের পূর্বেও তিনি তাই অনুসরণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবূ যুরআ ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দুল হাকামকে বলতে শুনেছি বাসরাতে তিন ব্যক্তির চাইতে অধিক হাফিজ ব্যক্তি দেখিনি। তারা হলেন, ‘আলী ইবনু মাদীনী ইবনুশ শাযাকুনী ‘আমর ইবনু আলী আল-ফাললাস। আবূ যুরআ বলেন, আফফান ইবনু মুসলিম ‘আমর ইবনু ‘আলী হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنِ التَّيَمُّمِ، فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ فِي كِتَابِهِ حِينَ ذَكَرَ الْوُضُوءَ‏:‏ ‏(‏فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إلى المَرَافِقِ‏)‏، وَقَالَ في التَّيَمُّمِ‏:‏ ‏(‏فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ‏)‏ وَقَالَ‏:‏ ‏(‏وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيِهْمَا‏)‏ فَكَانَتِ السُّنَّةُ في القَطْعِ الكَفَّينِ، إِنَّمَا هُوَ الوَجْهُ وَالكَفَّانِ، يَعْنِي التَّيَمُّمَ‏”‏‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁকে তায়াম্মুম প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওযূর বিধান উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মহান গ্রন্থে বলেছেনঃ “তোমাদের মুখমন্ডল ও দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর” (সূরা মাইদাঃ ৬)। তিনি তায়াম্মুম প্রসঙ্গে বলেছেনঃ “(মাটির ওপর হাত মেরে তা দিয়ে) নিজেদের মুখমন্ডল ও হাত মাসিহ করে নাও” (সূরা মাইদাঃ ৬)। তিনি (চোরের শাস্তি প্রসঙ্গে) বলেছেনঃ “চোর পুরুষ হোক আর নারী-উভইয়ের হাত কেটে দাও” (সূরা মাইদাঃ ৩৮)। আর চোরের হাত কাটার সুন্নাত তরীকা হল ‘হাতের কব্জি পর্যন্ত কাটা’। এ হতে জানা গেল হাত বলতে হাতের কব্জি পর্যন্তই বুঝায়। এজন্য তায়াম্মুমে মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসিহ করতে হবে।

সনদ দূর্বল

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১১১. অনুচ্ছেদঃ

নাপাক না হলে যে কোন অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে

১৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، وَعُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، وَابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ عَلَى كُلِّ حَالٍ مَا لَمْ يَكُنْ جُنُبًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَبِهِ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ ‏.‏ قَالُوا يَقْرَأُ الرَّجُلُ الْقُرْآنَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ وَلاَ يَقْرَأُ فِي الْمُصْحَفِ إِلاَّ وَهُوَ طَاهِرٌ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, শরীর নাপাক না হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সর্বাবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করাতেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৫৯৪) ইরওয়া (১৯২, ৪৮৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আলী (রাঃ)-এর এই হাদীসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈনের মতে কোন লোক বিনা ওযূতে মুখস্থ কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে; কিন্তু কুরআন স্পর্শ করে তিলাওয়াত করতে হলে ওযূ করা প্রয়োজন। সুফিয়ান সাওরী শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মতের সমর্থক।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১১২. অনুচ্ছেদঃ

মাটিতে পেশাব লাগলে তার বিধান

১৪৭

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ الْمَسْجِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَصَلَّى فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا ‏.‏ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا ‏”‏ ‏.‏ فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ بَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَأَسْرَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَهْرِيقُوا عَلَيْهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ أَوْ دَلْوًا مِنْ مَاءٍ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বিদুইন এসে মাসেজিদে (নবাবীতে) প্রবেশ করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন (ঐ স্থানে) বসা ছিলেন। লোকটি নামায আদায় করল। তারপর সে নামায শেষে বলল,‘হে আল্লাহ! তুমি আমার উপর ও মুহাম্মাদের উপর অনুগ্রহ কর; আমদের সাথে আর কাউকে রাহাম কর না। ” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ“তুমি প্রশস্ত রাহমাতকে সংকীর্ণ করে দিলে। ” লোকটি কিছুক্ষণের মধ্যে মাসজিদে পেশাব করে দিল। লোকেরা দ্রুত তার দিকে এগিয়ে গেল (আক্রমণ করার জন্য)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তিনি আবার বললেনঃ তোমাদেরকে সহজ পথ অবলম্বনকারী বা দয়াশীল করে পাঠানো হয়েছে; কঠোরতা করার জন্য পাঠানো হয়নি।

সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৫২৯),বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৮

قَالَ سَعِيدٌ قَالَ سُفْيَانُ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، نَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ وَوَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى يُونُسُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-ও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৪০৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, ইবনু ‘আব্বাস ও ওয়াসিলা ইবনুল আসকা’(রাঃ) হতেও বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। কোন কোন মনীষীর মতে, পেশাবের জায়গাতে পানি ঢেলে দিলে তা পবিত্র হয়ে যায়। আহমাদ এবং ইসহাকও এই অভিমত দিয়েছেন। এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে অপর একটি সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস