আবু দাউদ যাকাত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১৬২৬ – ১৭০০

অনুচ্ছেদ-২৪

কাকে যাকাত দিবে এবং ধনী কাকে বলে?

১৬২৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ سَأَلَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خُمُوشٌ – أَوْ خُدُوشٌ – أَوْ كُدُوحٌ – فِي وَجْهِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْغِنَى قَالَ ‏”‏ خَمْسُونَ دِرْهَمًا أَوْ قِيمَتُهَا مِنَ الذَّهَبِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ لِسُفْيَانَ حِفْظِي أَنَّ شُعْبَةَ لاَ يَرْوِي عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ سُفْيَانُ فَقَدْ حَدَّثَنَاهُ زُبَيْدٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি পর্যাপ্ত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করে, সে ক্বিয়ামাতের দিন তার মুখমন্ডলে অসংখ্য যখম, নখের আঁচড় ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উপস্থিত হবে। কেউ জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! সম্পদশালী কে? তিনি বললেনঃ পঞ্চাশ দিরহাম অথবা এ মূল্যের স্বর্ণ (যার আছে)।১৬২৬

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬২৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ قَالَ نَزَلْتُ أَنَا وَأَهْلِي، بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَقَالَ لِي أَهْلِي اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلُهُ فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مِنْ حَاجَتِهِمْ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلاً يَسْأَلُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ ‏”‏ ‏.‏ فَتَوَلَّى الرَّجُلُ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ وَهُوَ يَقُولُ لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُعْطِي مَنْ شِئْتَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَغْضَبُ عَلَىَّ أَنْ لاَ أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَلَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عَدْلُهَا فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الأَسَدِيُّ فَقُلْتُ لَلَقِحَةٌ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ وَالأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَسْأَلْهُ فَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ شَعِيرٌ أَوْ زَبِيبٌ فَقَسَمَ لَنَا مِنْهُ – أَوْ كَمَا قَالَ – حَتَّى أَغْنَانَا اللَّهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ كَمَا قَالَ مَالِكٌ ‏.

‘আত্বা ইবনু ইয়াসার হতে বনী আসাদের এক ব্যক্তির সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ও আমার পরিবার-পরিজন বাকী’ আল-গার্কাদ (ক্ববরস্থানে) যাত্রাবিরতী করি। আমার স্ত্রী বললো, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে গিয়ে আমাদের আহারের জন্য কিছু খাবার চান। পরিবারের প্রত্যেকেই তাদের প্রযোজন বর্ণনা করলো। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে গিয়ে দেখি, এক লোক তাঁর নিকট কিছু চাইছে। আর রসূলুল্লাহ বললেন, আমার কাছে তোমাকে দেয়ার মতো কিছু নাই। অতঃপর লোকটি রাগান্বিত অবস্থায় একথা বলতে বলতে চলে গেলো যে, আমার জীবনের শপথ! আপনি কেবল আপনার পছন্দের লোককেই দিয়ে থাকেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ ব্যক্তি আমার উপর এ জন্যই ক্ষুদ্ধ হয়েছে যে, আমি তাকে দিতে পারলাম না। তোমাদের যে কেউ ভিক্ষা করে, অথচ তার এক ‘উকিয়া বা তার সমপরিমান সম্পদ আছে, সে তো উত্যক্ত করার জন্যই ভিক্ষা করে। আসাদী লোকটি বলেন, (আমি ভাবলাম) আমাদের একটি উষ্ট্রী আছে, যা উকিয়া চাইতে উত্তম, এক উকিয়া হচ্ছে চল্লিশ দিরহাম। অতঃপর আমি তার কাছে কিছু না চেয়েই ফিরে আসি। পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট কিছু যব ও কিশমিশ এলে তিনি তা থেকে আমাদেরকেও একভাগ দিলেন, অথবা বর্ণনাকার যেমন বলেছেন। এমনকি মহান আল্লাহ আমাদেরকে সম্পদশালী করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬২৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ “‏ مَنْ سَأَلَ وَلَهُ قِيمَةُ أُوقِيَّةٍ فَقَدْ أَلْحَفَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ نَاقَتِي الْيَاقُوتَةُ هِيَ خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ خَيْرٌ مِنْ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا فَرَجَعْتُ فَلَمْ أَسْأَلْهُ شَيْئًا زَادَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ وَكَانَتِ الأُوقِيَّةُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا ‏.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ভিক্ষা চায়, অথচ তার কাছে এক উকিয়া মূল্যের সম্পদ আছে, সে নিশ্চিত অসংগতভাবে ভিক্ষা চাইল। আমি (মনে মনে) বললাম, আমার ইয়াকুত নামক উষ্টীটি তো এক উকিয়ার চেয়েও উত্তম। হিশাম বলেন, চল্লিশ দিরহামের চাইতে উত্তম। অতঃপর তার কাছে কিছু না চেয়েই আমি ফিরে আসি। হিশাম তার বর্ণনায় আরো বলেন, রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে এক উকিয়া ছিল চল্লিশ দিরহামের সমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬২৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، حَدَّثَنَا سَهْلُ ابْنُ الْحَنْظَلِيَّةِ، قَالَ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ وَالأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ فَسَأَلاَهُ فَأَمَرَ لَهُمَا بِمَا سَأَلاَ وَأَمَرَ مُعَاوِيَةَ فَكَتَبَ لَهُمَا بِمَا سَأَلاَ فَأَمَّا الأَقْرَعُ فَأَخَذَ كِتَابَهُ فَلَفَّهُ فِي عِمَامَتِهِ وَانْطَلَقَ وَأَمَّا عُيَيْنَةُ فَأَخَذَ كِتَابَهُ وَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَكَانَهُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَتَرَانِي حَامِلاً إِلَى قَوْمِي كِتَابًا لاَ أَدْرِي مَا فِيهِ كَصَحِيفَةِ الْمُتَلَمِّسِ ‏.‏ فَأَخْبَرَ مُعَاوِيَةُ بِقَوْلِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ سَأَلَ وَعِنْدَهُ مَا يُغْنِيهِ فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ ‏”‏ مِنْ جَمْرِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا يُغْنِيهِ وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَمَا الْغِنَى الَّذِي لاَ تَنْبَغِي مَعَهُ الْمَسْأَلَةُ قَالَ ‏”‏ قَدْرُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ ‏”‏ أَنْ يَكُونَ لَهُ شِبَعُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ أَوْ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ حَدَّثَنَا بِهِ مُخْتَصِرًا عَلَى هَذِهِ الأَلْفَاظِ الَّتِي ذُكِرَتْ ‏.‏

সাহল ইবনুল হানযালিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘উয়াহইনাহ ইবনু হিস্ন ও আকরা’ ইবনু হাবিস (রাঃ) রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট এসে কিছু চাইলে তিনি তাদেরকে তা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে তা লিখার জন্য মু‘আবিয়াহ (রাঃ) -কে আদেশ করেন। অতঃপর আকরা’ নিদের্শনামা নিয়ে তা ভাঁজ করে নিজের পাগরীর ভেতর ঢুকিয়ে চলে গেলেন। কিন্তু ‘উয়াইনাহ তার পত্রখানা নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাড়িতে এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি চান যে, আমি ‘মুতালাম্মিসের’ মতো এমন একটি পত্র নিয়ে আমার সম্প্রদায়ের নিকট যাই যে, আমি নিজেও পত্রের বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ? মু‘আবিয়াহ (রাঃ) তার বক্তব্য রসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানালেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি ভিক্ষা করে, অথচ তার নিকট এ পরিমাণ সম্পদ আছে যা তাকে ভিক্ষা হতে বিরত রাখতে পারে তার এ কাজ কেবল আগুনই বৃদ্ধি করে। বর্ণনাকরী আন-নুফাইলীর অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ সে জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুনের কয়লাই বৃদ্ধি করলো। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! কি পরিমাণ সম্পদ ভিক্ষা হতে বিরত রাখতে পারে? নুফাইলী অন্যত্র বর্ণনা করেন, কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে ভিক্ষা করা অনুচিত? তিনি বলেছেনঃ সকাল ও বিকাল খাওয়ার জন্য যথেষ্ট হয় এ পরিমাণ সম্পদ থাকা। নুফাইলী অন্যত্র বর্ণনা করেন, একদিন ও একরাত অথবা বলেছেন, একরাত ও একদিন তৃপ্তি সহকারে খেতে যথেষ্ট হয় এ পরিমাণ সম্পদ।

ইমাম আবূ দাউস (রহঃ) বলেন, আমি এখানে যে শব্দগুলোর দিয়ে হাদীস বর্ণনা করেছি নুফাইলী আমাদেরকে তা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ بْنِ غَانِمٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيَّ، أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ الْحَارِثِ الصُّدَائِيَّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَايَعْتُهُ فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلاً قَالَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَعْطِنِي مِنَ الصَّدَقَةِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمْ يَرْضَ بِحُكْمِ نَبِيٍّ وَلاَ غَيْرِهِ فِي الصَّدَقَاتِ حَتَّى حَكَمَ فِيهَا هُوَ فَجَزَّأَهَا ثَمَانِيَةَ أَجْزَاءٍ فَإِنْ كُنْتَ مِنْ تِلْكَ الأَجْزَاءِ أَعْطَيْتُكَ حَقَّكَ ‏”‏ ‏.‏

যিয়াদ ইবনুল হারিস আস-সুদায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমি রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে দিয়ে তাঁর নিকট বায়‘আত গ্রহণ করি। অতঃপর তিনি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করে বলেন, এ সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললো, আমাকে সদাক্বাহ দিন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ মহান আল্লাহ যাকাত বিতরণের ব্যাপারে কোনো নবী এবং অন্য কারোর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন। বরং তিনি এ বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি তা আট ভাগে বিভক্ত করেছেন। সুতরাং যদি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হও, তাহলে আমি তোমাকে তোমর প্রাপ্য প্রদান করবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

১৬৩০. দারাকুতনী, বায়হাক্বী। এর সানদে ‘আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ আফরিক্বীর স্মরণশক্তি দুর্বল। ইবনু মাঈন ও নাসায়ী তাকে দুর্বল বলেছেন। দারাকুতনী বলেন, তিনি শক্তিশারী নন। আহমাদ তাকে বাজে বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَالأُكْلَةُ وَالأُكْلَتَانِ وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لاَ يَسْأَلُ النَّاسَ شَيْئًا وَلاَ يَفْطِنُونَ بِهِ فَيُعْطُونَهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি একটি বা দু’টি খেজুর অথবা এক বা দুই লোকমা খাবারের জন্য ঘুরে বেড়ায় সে প্রকৃত মিসকীন নয়। বরং প্রকৃত মিসকীন ঐ ব্যক্তি যে লোকদের নিকট চায় না এবং তারাও তার অবস্থা অবহিত নয় যে, তাকে কিছু দান করবে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَأَبُو كَامِلٍ – الْمَعْنَى – قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ قَالَ ‏”‏ وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الْمُتَعَفِّفُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ مُسَدَّدٌ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ لَيْسَ لَهُ مَا يَسْتَغْنِي بِهِ الَّذِي لاَ يَسْأَلُ وَلاَ يُعْلَمُ بِحَاجَتِهِ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ فَذَاكَ الْمَحْرُومُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مُسَدَّدٌ ‏”‏ الْمُتَعَفِّفُ الَّذِي لاَ يَسْأَلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ جَعَلاَ الْمَحْرُومَ مِنْ كَلاَمِ الزُّهْرِيِّ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, …… পূবোর্ক্ত হাদীসের অনুরূপ। প্রকৃত মিসকীন ঐ ব্যক্তি, যে অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রাখে। মুসাদ্দাদ আরো বলেন, তার নিকট নিজেকে অভাবমুক্ত রাখার মত সম্পদ নেই, তা সত্ত্বেও সে চায় না, এবং লোকেরাও তার অভাব সম্পর্কে অবহিত নয় যে, তাকে কিছু দান করবে। বস্তুত এমন ব্যক্তি নিঃস্ব।

 

সহীহঃ তার একথা বাদেঃ “এমন ব্যক্তি নিঃস্ব।” কেননা তা মাক্বতু’ এবং যুহরীর উক্তিঃ বুখারী ও মুসলিম।

 

মুসাদ্দাদ তার বর্ণনায় “এ ব্যক্তিই মুতা‘আফ্ফিফ যে চেয়ে বেড়ায় না।” এ বাক্যটি উল্লেখ করেননি ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু সাওর ও ‘আবদুর রাযযাক্ব, মা‘মার হতে বর্ণনা করেন যে, ‘আল-মাহরূম’ শব্দটি যুহরীর উক্তি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، قَالَ أَخْبَرَنِي رَجُلاَنِ، أَنَّهُمَا أَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ يَقْسِمُ الصَّدَقَةَ فَسَأَلاَهُ مِنْهَا فَرَفَعَ فِينَا الْبَصَرَ وَخَفَضَهُ فَرَآنَا جَلْدَيْنِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنْ شِئْتُمَا أَعْطَيْتُكُمَا وَلاَ حَظَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ وَلاَ لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ ‏”‏ ‏.‏

উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘আদী উবনুল খিয়ার (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু’ ব্যক্তি আমাকে সংবাদ দেন যে, তারা বিদায় হাজ্জের সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট উপস্থিত হন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সদাক্বাহ বিতরণ করছিলেন। তারা উভয়ে তাঁর কাছে যাকাত হতে কিছু চাইলেন। তিনি আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আবার চোখ নামালেন। তিনি দেখলেন, তারা উভয়েই স্বাস্থ্যবান। তিনি বললেনঃ তোমরা চাইলে আমি তোমাদের দিবো, কিন্তু এতে ধনী ও কর্মক্ষম ব্যক্তির অংশ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩৪

حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى الأَنْبَارِيُّ الْخُتَّلِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ رَيْحَانَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ وَلاَ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سُفْيَانُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ كَمَا قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ سَعْدٍ قَالَ ‏”‏ لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ ‏”‏ ‏.‏ وَالأَحَادِيثُ الأُخَرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضُهَا ‏”‏ لِذِي مِرَّةٍ قَوِيٍّ ‏”‏ ‏.‏ وَبَعْضُهَا ‏”‏ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَطَاءُ بْنُ زُهَيْرٍ إِنَّهُ لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو فَقَالَ إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَحِلُّ لِقَوِيٍّ وَلاَ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধনী এবং সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য যাকাত হালাল নয়।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, শু‘বাহ (রঃ) সা‘দ হতে বর্ণনা করেন যে, কর্মক্ষম শক্তিশালী ব্যক্তি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

ধনী হওয়া সত্ত্বেও যার জন্য যাকাত গ্রহণ জায়িয

১৬৩৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ إِلاَّ لِخَمْسَةٍ لِغَازٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ لِعَامِلٍ عَلَيْهَا أَوْ لِغَارِمٍ أَوْ لِرَجُلٍ اشْتَرَاهَا بِمَالِهِ أَوْ لِرَجُلٍ كَانَ لَهُ جَارٌ مِسْكِينٌ فَتُصُدِّقَ عَلَى الْمِسْكِينِ فَأَهْدَاهَا الْمِسْكِينُ لِلْغَنِيِّ ‏”‏ ‏.‏

আত্বা ইবনু ইয়াসার (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধনীর জন্য যাকাত গ্রহণ হালাল নয়। তবে পাঁচ শ্রেনীর ধনীর জন্য তা জায়িযঃ (১) আল্লাহর পথে জিহাদরত ব্যক্তি (২) যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী (৩) ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি (৪) কোন ধনী ব্যক্তির দরিদ্রের প্রাপ্ত যাকাতের মাল নিজ অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা (৫) মিসকীন প্রতিবেশী তার প্রাপ্ত যাকাত হতে ধনী ব্যক্তিকে উপঢৌকন দেয়া।

 

সহীহঃ পরবর্তী হাদীসের কারণে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ زَيْدٍ كَمَا قَالَ مَالِكٌ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ زَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنِي الثَّبْتُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন …. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ ভাবার্থ বর্ণিত।

 

সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عِمْرَانَ الْبَارِقِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ إِلاَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوِ ابْنِ السَّبِيلِ أَوْ جَارٍ فَقِيرٍ يُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ فَيُهْدِي لَكَ أَوْ يَدْعُوكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ فِرَاسٌ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ধনী ব্যক্তির জন্য যাকাত নেয়া হালাল নয়। তবে সে আল্লাহর পথে জিহাদেরত থাকলে অথবা মুসাফির হলে অথবা দরিদ্র প্রতিবেশী প্রাপ্ত যাকাত হতে তাকে উপঢৌকনস্বরূপ কিছু দিলে অথবা তোমাকে দাওয়াত করে খাওয়ালে তা বৈধ। [১৬৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

(১৬৩৭) আহমাদ, ইবনু খুযাইমাহ (হা: ২৩৬৮) এর সানাদে ‘আতিয়্যাহ আওফী দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৬

এক ব্যক্তিকে কি পরিমাণ মাল যাকাত দেয়া যায় ?

১৬৩৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّائِيُّ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، زَعَمَ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَدَاهُ بِمِائَةٍ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ – يَعْنِي دِيَةَ الأَنْصَارِيِّ الَّذِي قُتِلَ بِخَيْبَرَ ‏.

বুশাইর ইবনু ইয়াসার (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাহল ইবনু আবূ হাসমাহ (রাঃ) নামক এক আনসারী তাকে বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দিয়াত হিসেবে একশো যাকাতের উট দান করেছেন। অর্থাৎ সেই আনসারীর দিয়াত যিনি খায়বারে নিহত হয়েছিলেন।)

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম দীর্ঘভাবে। সামনে তা আসছে (৪৫২০ নং হাদীসে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

যে অবস্থায় যাকাত চাওয়া জায়িয

১৬৩৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمَسَائِلُ كُدُوحٌ يَكْدَحُ بِهَا الرَّجُلُ وَجْهَهُ فَمَنْ شَاءَ أَبْقَى عَلَى وَجْهِهِ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَ إِلاَّ أَنْ يَسْأَلَ الرَّجُلُ ذَا سُلْطَانٍ أَوْ فِي أَمْرٍ لاَ يَجِدُ مِنْهُ بُدًّا ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ভিক্ষাবৃত্তি হচ্ছে ক্ষতবিক্ষতকারী। মানুষ এর দ্বারা স্বীয় মুখমন্ডল ক্ষতবিক্ষত করে। কাজেই যার ইচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তি করে স্বীয় মুখকে ক্ষতবিক্ষত রাখুক। আর যে ইচ্ছে তা পরিহার করুক। তবে রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে চাওয়া কিংবা নিরুপায় হয়ে কিছু চাওয়ার বিষয়টি ভিন্ন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ الْعَدَوِيُّ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ، قَالَ تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثَلاَثَةٍ رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ‏”‏ ‏.‏ ‏”‏ وَرَجُلٌ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَتْ فُلاَنًا الْفَاقَةُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ – أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ – ثُمَّ يُمْسِكُ وَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا ‏”‏ ‏.

ক্বাবীসাহ ইবনু মুখারিক আল-হিলালী (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি অন্যের ঋণের জামিনদার হলাম। পরে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গেলে তিনি বললেনঃ হে ক্বাবীসাহ ! আমাদের কাছে যাকাতের মাল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। আমরা তা থেকে তোমাকে কিছু দেয়ার নির্দেশ দিবো। পরে তিনি বললেন, হে ক্বাবীসাহ ! তিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো জন্য সওয়াল করা বৈধ নয়। (১) যে ব্যক্তি কোন ঋণের জামিনদার হয়েছে ঋণ পরিশোধ করা পর্যন্ত তার জন্য সওয়াল করা হালাল, পরিশোধ হয়ে গেলে সে বিরত থাকবে। (২) যে ব্যক্তির সমস্ত মাল আকস্মিক দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে গেছে, তার জীবন ধারণের পরিমাণ সম্পদ পাওয়া পর্যন্ত তার জন্য সওয়াল করা হালাল। (৩) যে ব্যক্তি দুর্ভিক্ষ কবলিত, এমনকি তার গোত্র-সমাজের তিনজন বিবেচক ও সুধী ব্যক্তি বলে যে, অমুক ব্যক্তি দুর্ভিক্ষ পীড়িত। তখন জীবন ধারণের পরিমাণ সম্পদ পাওয়া পর্যন্ত তার জন্য সওয়াল করা বৈধ, এরপর তা থেকে বিরত থাকবে। অতঃপর বলেন, হে ক্বাবীসাহ ! এ তিন প্রকারের লোক ছাড়া অন্যদের জন্য সওয়াল করা হারাম এবং কেউ করলে সে হারাম ভক্ষণ করলো। (১৬৪০)

 

সহীহ : মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَخْضَرِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُهُ فَقَالَ ‏”‏ أَمَا فِي بَيْتِكَ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بَلَى حِلْسٌ نَلْبَسُ بَعْضَهُ وَنَبْسُطُ بَعْضَهُ وَقَعْبٌ نَشْرَبُ فِيهِ مِنَ الْمَاءِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ائْتِنِي بِهِمَا ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ بِهِمَا فَأَخَذَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ وَقَالَ ‏”‏ مَنْ يَشْتَرِي هَذَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ رَجُلٌ أَنَا آخُذُهُمَا بِدِرْهَمٍ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَنْ يَزِيدُ عَلَى دِرْهَمٍ ‏”‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا قَالَ رَجُلٌ أَنَا آخُذُهُمَا بِدِرْهَمَيْنِ ‏.‏ فَأَعْطَاهُمَا إِيَّاهُ وَأَخَذَ الدِّرْهَمَيْنِ وَأَعْطَاهُمَا الأَنْصَارِيَّ وَقَالَ ‏”‏ اشْتَرِ بِأَحَدِهِمَا طَعَامًا فَانْبِذْهُ إِلَى أَهْلِكَ وَاشْتَرِ بِالآخَرِ قَدُومًا فَأْتِنِي بِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ بِهِ فَشَدَّ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُودًا بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ ‏”‏ اذْهَبْ فَاحْتَطِبْ وَبِعْ وَلاَ أَرَيَنَّكَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا ‏”‏ ‏.‏ فَذَهَبَ الرَّجُلُ يَحْتَطِبُ وَيَبِيعُ فَجَاءَ وَقَدْ أَصَابَ عَشَرَةَ دَرَاهِمَ فَاشْتَرَى بِبَعْضِهَا ثَوْبًا وَبِبَعْضِهَا طَعَامًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَذَا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تَجِيءَ الْمَسْأَلَةُ نُكْتَةً فِي وَجْهِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَصْلُحُ إِلاَّ لِثَلاَثَةٍ لِذِي فَقْرٍ مُدْقِعٍ أَوْ لِذِي غُرْمٍ مُفْظِعٍ أَوْ لِذِي دَمٍ مُوجِعٍ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক আনসারী ব্যক্তি এসে ভিক্ষা চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তোমার ঘরে কিছু আছে কি? সে বললো, একটি কম্বল আছে, যার কিছু অংশ আমরা পরিধান করি এবং কিছু অংশ বিছাই। একটি পাত্রও আছে, তাতে আমরা পানি পান করি। তিনি বললেন, সেগুলো আমার কাছে নিয়ে এসো, লোকটি তা নিয়ে এলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হাতে নিয়ে বললেনঃ এ দুটি বস্তু কে কিনবে? এক ব্যক্তি বললো, আমি এগুলো এক দিরহামে নিবো। তিনি দুইবার অথবা তিনবার বললেনঃ কেউ এর অধিক মূল্য দিবে কি? আরেকজন বললো, আমি দুই দিরহামে নিতে পারি। তিনি ঐ ব্যক্তিকে তা প্রদান করে দিরহাম দু’টি নিলেন এবং ঐ আনসারীকে তা প্রদান করে বললেনঃ এক দিরহামে খাবার কিনে পরিবার-পরিজনকে দাও এবং আরেক দিরহাম দিয়ে একটি কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো। লোকটি তাই করলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বহস্তে তাতে একটি হাতল লাগিলে দিয়ে বললেনঃযাও, তুমি কাঠ কেটে এনে বিক্রি করো। পনের দিন যেন আমি আর তোমাকে না দেখি। লোকটি চলে গিয়ে কাঠ কেটে বিক্রি করতে লাগলো। অতঃপর সে আসলো, তখন তার নিকট দশ দিরহাম ছিলো। সে এর থেকে কিছু দিয়ে কাপড় এবং কিছু দিয়ে খাবার কিনলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ভিক্ষা করে বেড়ানোর চেয়ে এ কাজ তোমার জন্য অধিক উত্তম। কেননা ভিক্ষার কারণে ক্বিয়ামাতের দিন তোমার মুখমন্ডলে একটি বিশ্রী কালো দাগ থাকতো। ভিক্ষা করা তিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারোর জন্য বৈধ নয়। (১) ধুলা-মলিন নিঃস্ব ভিক্ষুকের জন্য ; (২) ঋণে জর্জরিত ব্যক্তি ; (৩) যার উপর রক্তপণ আছে, অথচ সে তা পরিশোধ করতে অক্ষম। (১৬৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

(১৬৪১) তিরমিযী (অধ্যায় : যাকাত, হা: ১২১৮), নাসায়ী (অধ্যায় : ব্যবসা, হা: ৪৫২০), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : তিজারাত, হা: ২১৯৮), আহমাদ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৮

ভিক্ষাবৃত্তি অপছন্দনীয়

১৬৪২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ، – يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ – عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَبِيبُ الأَمِينُ، أَمَّا هُوَ إِلَىَّ فَحَبِيبٌ وَأَمَّا هُوَ عِنْدِي فَأَمِينٌ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ تِسْعَةً فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ‏.‏ وَكُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ قُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ حَتَّى قَالَهَا ثَلاَثًا فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا فَبَايَعْنَاهُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَعَلاَمَ نُبَايِعُكَ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَتُصَلُّوا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَتَسْمَعُوا وَتُطِيعُوا ‏”‏ ‏.‏ وَأَسَرَّ كَلِمَةً خُفْيَةً قَالَ ‏”‏ وَلاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ كَانَ بَعْضُ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُهُ فَمَا يَسْأَلُ أَحَدًا أَنْ يُنَاوِلَهُ إِيَّاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ هِشَامٍ لَمْ يَرْوِهِ إِلاَّ سَعِيدٌ ‏.‏

‘আওফ ইবনু মালিক (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা সাতজন অথবা আটজন অথবা নয়জন রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বাই’আত গ্রহণ করবে না? অথচ আমরা কয়েকদিন আগেই বাই’আত নিয়েছি, তাই আমরা বললাম, আমরা তো আপনার কাছে বাই’আত হয়েছি। এমনকি তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। অতঃপর আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে বাই’আত গ্রহণ করলাম। একজন বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমরা তো বাই’আত করেছি, তাহলে এখন আবার কিসের উপর বাই’আত হবো? তিনি বললেনঃ তোমরা এক আল্লাহর ‘ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করবে এবং আমীরের কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করবে। তিনি সংক্ষেপে নিচু স্বরে বললেনঃ মানুষের কাছে কিছু সওয়াল করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, এদের কেউই (সফরে) একটি ছড়ি নীচে পড়ে গেলেও অন্যকে তা তুলে দিতে অনুরোধ করেননি। (১৬৪২)

 

সহীহ : মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ وَكَانَ ثَوْبَانُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَكَفَّلَ لِي أَنْ لاَ يَسْأَلَ النَّاسَ شَيْئًا وَأَتَكَفَّلَ لَهُ بِالْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ ثَوْبَانُ أَنَا ‏.‏ فَكَانَ لاَ يَسْأَلُ أَحَدًا شَيْئًا ‏.‏

সাওবান (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে নিশ্চয়তা দিবে যে, সে অন্যের কাছে কিছু চাইবে না, তাহলে আমি তার জান্নাতের যিম্মাদার হবো। সাওবান (রাঃ) বলেন, আমি। এরপর তিনি কারো কাছে কিছু সওয়াল করেননি। (১৬৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

কারো নিকট কিছু চাওয়া থেকে বিরত থাকা

১৬৪৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَاسًا، مِنَ الأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى إِذَا نَفِدَ مَا عِنْدَهُ قَالَ ‏ “‏ مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ وَمَا أَعْطَى اللَّهُ أَحَدًا مِنْ عَطَاءٍ أَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট কতিপয় আনসারী কিছু চাইলে তিনি তাদেরকে দান করলেন, তারা পুনরায় চাইলে তিনি তাদেরকে পুনরায় দান করলেন। এভাবে দান করতে করতে তাঁর সম্পদ শেষ হয়ে গেলো। তখন তিনি বললেনঃ আমার কাছে সম্পদ থাকলে আমি তোমাদেরকে না দিয়ে তা জমা করে রাখি না। কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি। (১৬৪৪)

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، ح حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ أَبُو مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – عَنْ بَشِيرِ بْنِ سَلْمَانَ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ طَارِقٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَأَنْزَلَهَا بِالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ وَمَنْ أَنْزَلَهَا بِاللَّهِ أَوْشَكَ اللَّهُ لَهُ بِالْغِنَى إِمَّا بِمَوْتٍ عَاجِلٍ أَوْ غِنًى عَاجِلٍ ‏”‏ ‏.

ইবনু মাসউদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুর্ভিক্ষে পড়ে মানুষের দুয়ারে দুয়াতে চেয়ে বেড়ায়, তার ক্ষুধা কখনো বন্ধ হবে না। আর যে আল্লাহর স্মরণাপন্ন হয়েছে শীঘ্রই মহান আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করবেন, হয়ত দ্রুত মৃত্যুর দ্বারা অথবা সম্পদশালী বানিয়ে। [১৬৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৫] তিরমিযী (অধ্যায় : যুহদ, হা: ২৩২৬), তিনি বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ও গরীব। আহমাদ। আহমাদ শাকির বলেন, এর সানাদ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ مَخْشِيٍّ، عَنِ ابْنِ الْفِرَاسِيِّ، أَنَّ الْفِرَاسِيَّ، قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْأَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ وَإِنْ كُنْتَ سَائِلاً لاَ بُدَّ فَاسْأَلِ الصَّالِحِينَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনুল ফিরাসী (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমি কি লোকদের কাছে কিছু চাইতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না। যদি তোমাকে চাইতেই হয় তাহলে নেককার লোকদের কাছে চাও। [১৬৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

(১৬৪৬) নাসায়ী (অধ্যায় : যাকাত, হা: ২৫৮৬), আহমাদ। সানাদের মুসলিম ইবনু শাখশীকে হাফিয বলেন, মাক্ববুল। আর ইবনুল ফিরাশী সম্পর্কে হাফিয বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে তাকে চেনা যায়নি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ السَّاعِدِيِّ، قَالَ اسْتَعْمَلَنِي عُمَرُ – رضى الله عنه – عَلَى الصَّدَقَةِ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْهَا وَأَدَّيْتُهَا إِلَيْهِ أَمَرَ لِي بِعُمَالَةٍ فَقُلْتُ إِنَّمَا عَمِلْتُ لِلَّهِ وَأَجْرِي عَلَى اللَّهِ ‏.‏ قَالَ خُذْ مَا أُعْطِيتَ فَإِنِّي قَدْ عَمِلْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَمَّلَنِي فَقُلْتُ مِثْلَ قَوْلِكَ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أُعْطِيتَ شَيْئًا مِنْ غَيْرِ أَنْ تَسْأَلَهُ فَكُلْ وَتَصَدَّقْ ‏”‏ ‏.

ইবনুস সাঈদী (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) আমাকে যাকাত আদায়ের জন্য নিযুক্ত করেন। আমি তা আদায়ের পর তার নিকট পৌঁছিয়ে দিলে তিনি আমার কাজের পারিশ্রমিক প্রদানের নির্দেশ দেন। আমি বললাম, আমি এ কাজ আল্লাহর ওয়াস্তে করেছি, তাই এর বিনিময় আল্লাহর কাছেই চাই। তিনি বললেন, তোমাকে যা দেয়া হয় গ্রহণ করো। কেননা আমি রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সময় এ কাজ করেছিলাম। তিনি আমাকে পারিশ্রমিক দিলে আমিও তোমার মত বলেছিলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ চাওয়া ছাড়াই তোমাকে যা কিছু দেয়া হয় তা খাও এবং সদাক্বাহ করো।

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ مِنْهَا وَالْمَسْأَلَةَ ‏”‏ الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى وَالْيَدُ الْعُلْيَا الْمُنْفِقَةُ وَالسُّفْلَى السَّائِلَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ اخْتُلِفَ عَلَى أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ عَبْدُ الْوَارِثِ ‏”‏ الْيَدُ الْعُلْيَا الْمُتَعَفِّفَةُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَكْثَرُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ ‏”‏ الْيَدُ الْعُلْيَا الْمُنْفِقَةُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ وَاحِدٌ عَنْ حَمَّادٍ ‏”‏ الْمُتَعَفِّفَةُ ‏”‏ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে দাঁড়িয়ে যাকাত গ্রহণ, তা থেকে বিরত থাকা এবং ভিক্ষা সম্পর্কে উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম বলেছেন। উপরের হাত হলো দাতার হাত এবং ভিক্ষার হাত হলো নীচের হাত।

ইমাম আবূ দাউদ (রহ:) বলেন, নাফি’ হতে আইয়ূব সূত্রে বর্ণিত হাদীসে মতভেদ আছে। ‘আবদুল ওয়ারিস বলেন, এমন হাতই উপরের হাত যা ভিক্ষা হতে বিরত থাকে এবং অনেকেই হাম্মাদ ইবনু যায়িদ হতে আইয়ূব সূত্রে বলেছেন, দানকারীর হাতই উপরের হাত। আরেক বর্ণনাকারী বলেন, (তা হচ্ছে) ভিক্ষা হতে বিরত হাত।

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম। এছাড়া তার “ভিক্ষা হতে বিরত হাত।” কথাটি শায।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو الزَّعْرَاءِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، مَالِكِ بْنِ نَضْلَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الأَيْدِي ثَلاَثَةٌ فَيَدُ اللَّهِ الْعُلْيَا وَيَدُ الْمُعْطِي الَّتِي تَلِيهَا وَيَدُ السَّائِلِ السُّفْلَى فَأَعْطِ الْفَضْلَ وَلاَ تَعْجِزْ عَنْ نَفْسِكَ ‏”‏ ‏.‏

মালিক ইবনু নাদলাহ (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (দানের) হাত তিন প্রকার। (১) আল্লাহর হাত সবার উপরে (২) অতঃপর দানকারীর হাত (৩) এবং ভিক্ষার হাত সবার নীচে। কাজেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দান করো এবং প্রবৃত্তির কাছে অক্ষম হয়ো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩০

বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান

১৬৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً عَلَى الصَّدَقَةِ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَقَالَ لأَبِي رَافِعٍ اصْحَبْنِي فَإِنَّكَ تُصِيبُ مِنْهَا ‏.‏ قَالَ حَتَّى آتِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْأَلَهُ فَأَتَاهُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ ‏ “‏ مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَإِنَّا لاَ تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ রাফি’ (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাখযূম গোত্রের এক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের উদ্দেশে প্রেরণ করলে তিনি আবূ রাফি’ (রাঃ)-কে বলেন, তুমি আমার সাথে গেলে তুমিও তা থেকে কিছু পাবে। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে নিবো। অতঃপর তিনি এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন সম্প্রদায়ের মুক্তদাস তাদেরই একজন। আর আমাদের জন্য যাকাত হালাল নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمُرُّ بِالتَّمْرَةِ الْعَائِرَةِ فَمَا يَمْنَعُهُ مِنْ أَخْذِهَا إِلاَّ مَخَافَةُ أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً ‏.‏

আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাস্তায় পড়ে থাকা একটি খেজুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি শুধু এ কারণেই তুলে নেননি যে, হয়ত ওটা যাকাতের (খেজুর)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫২

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ خَالِدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ تَمْرَةً فَقَالَ ‏ “‏ لَوْلاَ أَنِّي أَخَافُ أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً لأَكَلْتُهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ هَكَذَا ‏.‏

আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পথে একটি খেজুর পেয়ে বলেনঃ আমি এটি যাকাতের খেজুর হওয়ার আশংকা না করলে এটি খেতাম।

 

সহীহ: মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَنِي أَبِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي إِبِلٍ أَعْطَاهَا إِيَّاهُ مِنَ الصَّدَقَةِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট একটি উটের জন্য প্রেরণ করেন- যা তিনি তাকে যাকাতের মাল হতে দান করেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – هُوَ ابْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ – عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، نَحْوَهُ زَادَ أَبِي يُبْدِلُهَا لَهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রা:) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত। তাতে এ কথাটি অতিরিক্ত আছে : আমার পিতা তা পরিবর্তন করে নিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩১

ফকীর যাকাত থেকে ধনীকে উপঢৌকন দিলে

১৬৫৫

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِلَحْمٍ قَالَ ‏”‏ مَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا شَىْءٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَقَالَ ‏”‏ هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ وَلَنَا هَدِيَّةٌ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খিদমাতে গোশত পেশ করা হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন : এটা কি ধরনের গোশত? লোকেরা বললো, এটা বারীরাহকে সদাক্বাহ দেয়া হয়েছিলো। তিনি বললেনঃ এটা তার জন্য সদাক্বাহ, কিন্ত আমাদের জন্য উপঢৌকন।

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

কেউ স্বীয় সদাক্বাহ কৃত বস্তুর ওয়ারিস হলে

১৬৫৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، بُرَيْدَةَ أَنَّ امْرَأَةً، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كُنْتُ تَصَدَّقْتُ عَلَى أُمِّي بِوَلِيدَةٍ وَإِنَّهَا مَاتَتْ وَتَرَكَتْ تِلْكَ الْوَلِيدَةَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ قَدْ وَجَبَ أَجْرُكِ وَرَجَعَتْ إِلَيْكِ فِي الْمِيرَاثِ ‏”‏ ‏.‏

বুরাইদাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট এসে বললো, আমি আমার মাকে একটি দাসী দান করেছিলাম। তিনি ঐ দাসীটি রেখে মারা গেছেন। তিনি বললেনঃ তুমি দানের সওয়াব পেয়েছো এবং সে উত্তরাধিকার সূত্রে তোমার কাছে ফিরে এসেছে।

 

সহীহ : মুসলিম। (আরবী) অতিরিক্ত যোগে। যেমন সামনে আসছে হাদীস (২৮৭৭ নং)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৩

মালের হাক্ব সমূহ

১৬৫৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَعُدُّ الْمَاعُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَارِيَةَ الدَّلْوِ وَالْقِدْرِ ‏.

আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে ‘মাউন’ গন্য করতাম বালতি, হাঁড়ি-পাতিল ইত্যাদি ছোট-খাটো বস্তু ধারে আদান-প্রদান করাকে। [১৬৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ صَاحِبِ كَنْزٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهُ إِلاَّ جَعَلَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جَبْهَتُهُ وَجَنْبُهُ وَظَهْرُهُ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ تَعَالَى بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ وَمَا مِنْ صَاحِبِ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ فَيُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلاَ جَلْحَاءُ كُلَّمَا مَضَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ وَمَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ فَيُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا كُلَّمَا مَضَتْ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ تَعَالَى بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ধনী ব্যক্তি তার হাক্ব (যাকাত) আদায় না করলে ক্বিয়ামাতের দিন সোনা ও রুপা জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তার ললাটে, তার পার্শ্বদেশে ও তার পৃষ্ঠদেশে সেঁক দেয়া হবে। এমন শাস্তি অব্যাহত থাকবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে ফায়সালা করার দিন পর্যন্ত, যে দিন হবে তোমাদের গণনা অনুসারে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। এরপর সে নিজের গন্তব্যস্থান চাক্ষুস দেখবে, জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আর যে মেষপালের মালিক তার যাকাত দেয় না ক্বিয়ামাতের দিন সেগুলো পূর্বের চেয়েও সংখ্যায় অধিক ও মোটা-তাজা অবস্থায় উপস্থিত হবে এবং তাকে শিং দিয়ে গুতা মারবে ও খুর দিয়ে দলিত করবে। ওসবের কোনোটিই বাঁকা শিং বিশিস্ট বা শিংবিহীন হবে না। যখন সর্বশেষ জানোয়ারটি তাকে দলিত করে চলে যাবে, তখন প্রথমটিকে আবার তার কাছে আনা হবে। এরূপ চলতে থাকবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার দিন পর্যন্ত, যে দিনটি হবে তোমাদের হিসাব মতে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। এরপর সে তার গন্তব্যস্থান প্রত্যক্ষ করবে, জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আর যে উটের মালিক উটের যাকাত প্রদান করে না ক্বিয়ামাতের দিন ঐ উট পূর্বের চাইতেও সংখ্যায় অধিক ও মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। তাকে এক বিশাল সমভূমিতে উপুড় করে শোয়ানো হবে এবং পশুগুলো তাকে খুর দিয়ে দলন করতে থাকবে। সর্বশেষ পশুটি তাকে অতিক্রম করার পর প্রথমটিকে পুনরায় তার কাছে ফিরে আনা হবে। এরূপ চলতে থাকবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মাঝে ফয়সালা করার দিন পর্যন্ত, যেদিন হবে তোমাদের গণনা অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর সে তার গন্তব্যস্থল প্রত্যক্ষ করবে, হয়তো জান্নাত অথবা জাহান্নাম।

সহীহ : মুসলিম। বুখারী সংক্ষেপে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৯

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ فِي قِصَّةِ الإِبِلِ بَعْدَ قَوْلِهِ ‏”‏ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَمِنْ حَقِّهَا حَلْبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তাতে উটের ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে: যে ব্যক্তি তার হাক্ব আদায় করে না। এর হাক্ব হচ্ছে, পানি পান করার দিন তার দুধ দোহন করা।

 

সহীহ : মুসলিম। বুখারী সংক্ষেপে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬০

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي عُمَرَ الْغُدَانِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ فَقَالَ لَهُ – يَعْنِي لأَبِي هُرَيْرَةَ – فَمَا حَقُّ الإِبِلِ قَالَ تُعْطِي الْكَرِيمَةَ وَتَمْنَحُ الْغَزِيرَةَ وَتُفْقِرُ الظَّهْرَ وَتُطْرِقُ الْفَحْلَ وَتَسْقِي اللَّبَنَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এরূপই বলতে শুনেছি। বর্ণনাকারী আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, উটের হাক্ব কি? তিনি বললেন, উত্তমটি দান করা, অধিক দুগ্ধবতী দান করা, তার পৃষ্ঠে আরোহণ করতে দেয়া, পুরুষ উট দ্বারা প্রজনন করতে দেয়া এবং দুধ (অভাবীদের) পান করতে দেয়া। [১৬৬০]

 

হাসান, পরবর্তী হাদীসের কারণে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الإِبِلِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ ‏ “‏ وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا ‏”‏ ‏.

উবাইদ ইবনু ‘উমাইর (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রসূল! উটের হাক্ব কি? অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে অতিরিক্ত রয়েছে : তার দুধ ধার দেয়া।

 

সহীহ : মুসলিম। জাবির হতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ مِنْ كُلِّ جَادِّ عَشَرَةِ أَوْسُقٍ مِنَ التَّمْرِ بِقِنْوٍ يُعَلَّقُ فِي الْمَسْجِدِ لِلْمَسَاكِينِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন ‘দশ ওয়াসাক্ব খেজুর কাটলে এক কাঁদি খেজুর মিসকীনদের জন্য মাসজিদে ঝুলিয়ে রাখবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ فَجَعَلَ يَصْرِفُهَا يَمِينًا وَشِمَالاً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهْرَ لَهُ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي الْفَضْلِ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তার উটে আরোহণ করে সেটিকে ডানে-বামে হাঁকাতে লাগলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার অতিরিক্ত সওয়ারী আছে সে যেন তা যার কোনো সওয়ারী নেই তাকে দান করে এবং যার অতিরিক্ত পাথেয় আছে, সে যেন তা এমন ব্যক্তিকে দান করে যার পাথেয় নেই। বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের ধারণা হলো যে, আমাদের অতিরিক্ত সম্পদ রাখার কোন অধিকার নেই।

সহীহ : মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ‏}‏ قَالَ كَبُرَ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ عُمَرُ – رضى الله عنه أَنَا أُفَرِّجُ عَنْكُمْ ‏.‏ فَانْطَلَقَ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّهُ كَبُرَ عَلَى أَصْحَابِكَ هَذِهِ الآيَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ الزَّكَاةَ إِلاَّ لِيُطَيِّبَ مَا بَقِيَ مِنْ أَمْوَالِكُمْ وَإِنَّمَا فَرَضَ الْمَوَارِيثَ لِتَكُونَ لِمَنْ بَعْدَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَكَبَّرَ عُمَرُ ثُمَّ قَالَ لَهُ ‏”‏ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِخَيْرِ مَا يَكْنِزُ الْمَرْءُ الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ إِذَا نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ وَإِذَا أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ وَإِذَا غَابَ عَنْهَا حَفِظَتْهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো : “যারা সোনা-রুপা সঞ্চিত করে রাখে …..” (সূরাহ আত-তাওবাহ : ৩৪), মুসলমানদের উপর তা ভারী মনে হলো। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমিই তোমাদের পক্ষ হতে এর সুষ্ঠু সমাধান নিয়ে আসবো। অতঃপর তিনি গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর নবী ! এ আয়াতটি আপনার সঙ্গীদের উপর কষ্টকর অনুভূত হচ্ছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয় মহান আল্লাহ তোমাদের অতিরিক্ত মাল পবিত্র করার জন্যই যাকাত ফারয করেছেন। আর তিনি উত্তরাধিকারীর ব্যবস্থা ফারয করেছেন এজন্যই যেন তা তোমাদের পরবর্তীদের জন্য থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ‘উমার (রাঃ) আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ সম্পর্কে অবহিত করবো না? তা হলো, নেককার স্ত্রী। সে তার দিকে তাকালে সে তাকে আনন্দ দেয় এবং তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা মেনে নেয় এবং সে যখন তার থেকে অনুপস্থিত থাকে, তখন সে তার সতীত্ব ও তার সম্পদের হিফাযাত করে। [১৬৬৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৪] হাকিম, বায়হাক্বী। ইমাম হাকিম বলেন, সানাদ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। সানাদের হাবীব ইবনু সালিম ও তার পরের জনকে শু’বাহ দুর্বল বলেছেন (আত-তাক্বরীব ১/১২৯)।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৪

যাঞ্ঝাকারীর অধিকার সম্পর্কে

১৬৬৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، حَدَّثَنِي يَعْلَى بْنُ أَبِي يَحْيَى، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ حُسَيْنٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لِلسَّائِلِ حَقٌّ وَإِنْ جَاءَ عَلَى فَرَسٍ ‏”‏ ‏.

হুসাইন ইবনু ‘আলী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (তোমাদের সম্পদে) যাঞ্ঝাকারীর অধিকার রয়েছে, যদিও সে ঘোড়ায় চড়ে আসে। [১৬৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৫] আহমাদ, বায়হাক্বী। সানাদ দুর্বল। এর সানাদের ই’য়ালা ইবনু আবূ ইয়াহইয়াকে আবূ হাতিম মাজহুল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ شَيْخٍ، قَالَ رَأَيْتُ سُفْيَانَ عِنْدَهُ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهَا، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.

‘আলী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। [১৬৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৬] বায়হাক্বী। সানাদ দুর্বল। সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بُجَيْدٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ بُجَيْدٍ، وَكَانَتْ، مِمَّنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْكَ إِنَّ الْمِسْكِينَ لَيَقُومُ عَلَى بَابِي فَمَا أَجِدُ لَهُ شَيْئًا أُعْطِيهِ إِيَّاهُ ‏.‏ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنْ لَمْ تَجِدِي لَهُ شَيْئًا تُعْطِينَهُ إِيَّاهُ إِلاَّ ظِلْفًا مُحْرَقًا فَادْفَعِيهِ إِلَيْهِ فِي يَدِهِ ‏”‏ ‏.

উম্মু বুজাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ছিলেন রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে বাই‘আত প্রহণকারিণীদের একজন। তিনি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ আপনার প্রতি অনুগ্রহ করুন। মিসকীন আমার দরজায় এসে দাড়ায়, কিন্তু তাকে দেয়ার মতো কিছুই আমি পাই না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তাকে দেয়ার মতো কিছু না পেলে অন্তত রান্না করা পশুর একখান পায়া হলেও তার হাতে তুলে দাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৫

অমুসলিম নাগরিকদেরকে সদাক্বাহ দেয়া

১৬৬৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ قَدِمَتْ عَلَىَّ أُمِّي رَاغِبَةً فِي عَهْدِ قُرَيْشٍ وَهِيَ رَاغِمَةٌ مُشْرِكَةٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي قَدِمَتْ عَلَىَّ وَهِيَ رَاغِمَةٌ مُشْرِكَةٌ أَفَأَصِلُهَا قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ فَصِلِي أُمَّكِ ‏”‏ ‏.

আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়) আমার মা-যিনি ইসলাম বিদ্বেষী ও কুরাইশদের ধর্মাবলম্বী ছিলেন, তিনি সদ্ব্যবহার পাবার আশায় আমার নিকট আসলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার মা আমার কাছে এসেছেন, অথচ তিনি ইসলাম বিদ্বেষী মুশরিকা। আমি কি তার সাথে সদাচরণ করবো? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মায়ের সাথে অবশ্যই সদাচরণ করবে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৬

যে বস্তু চাইলে বাধা দেয়া নিষেধ

১৬৬৯

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ مَنْظُورٍ، – رَجُلٍ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ – عَنْ أَبِيهِ، عَنِ امْرَأَةٍ، يُقَالُ لَهَا بُهَيْسَةُ عَنْ أَبِيهَا، قَالَتِ اسْتَأْذَنَ أَبِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قَمِيصِهِ فَجَعَلَ يُقَبِّلُ وَيَلْتَزِمُ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الشَّىْءُ الَّذِي لاَ يَحِلُّ مَنْعُهُ قَالَ ‏”‏ الْمَاءُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا الشَّىْءُ الَّذِي لاَ يَحِلُّ مَنْعُهُ قَالَ ‏”‏ الْمِلْحُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الشَّىْءُ الَّذِي لاَ يَحِلُّ مَنْعُهُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَفْعَلَ الْخَيْرَ خَيْرٌ لَكَ ‏”‏ ‏.‏

বুহায়সাহ (রঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

আমার পিতা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর (শরীরে চুমু দেয়ার) অনুমতি চাইলেন। অতঃপর তিনি তাঁর জামার ভেতরে প্রবেশ করে চুমা দিতে লাগলেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! কোন বস্তু চাইলে নিষেধ করা হালাল নয়? তিনি বললেনঃ পানি। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, কোন বস্তু চাইলে নিষেধ করা হালাল নয়? তিনি বললেনঃ লবণ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন বস্তু চাইলে নিষেধ করা হালাল নয়? তিনি বললেনঃ তোমার কোন ভালো কাজ করাটাই তোমার জন্য কল্যাণকর।

  •  
  •  
  •  
  •  

১৬৬৯. আহমাদ, বায়হাক্বী। সানাদে সাইয়ার এবং তার পিতা দু’জনেই মাক্ববুল। এছাড়া বুহায়সাহ ও তার পিতা- এর দু’জন অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৭

মাসজিদে যাঞ্চা করা

১৬৭০

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هَلْ مِنْكُمْ أَحَدٌ أَطْعَمَ الْيَوْمَ مِسْكِينًا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه – دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أَنَا بِسَائِلٍ يَسْأَلُ فَوَجَدْتُ كِسْرَةَ خُبْزٍ فِي يَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأَخَذْتُهَا مِنْهُ فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِ ‏.‏

আবদুর রহমান ইবনু আবূ বক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে আজ মিসকীনকে আহার করিয়েছে? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি মাসজিদে ঢুকেই এক ভিক্ষুকের সাক্ষাত পেলাম। আমি ‘আবদুর রহমানের হাতে এক টুকরা রুটি পেয়ে তার থেকে সেটা নিয়ে ভিক্ষুককে দান করলাম।

 

দূর্বলঃ তবে ভিক্ষুকের ঘটনা বাদে সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

১৬৭০. হাকিম, বায়হাক্বী, ত্বাবারানী। ইমাম হাকিম বলেন, মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। শায়খ আরবানী ‘সিলসিলাতুল আহাদীসিয যঈফাহ’ গ্রন্থে বলেন, এটা তাঁদের উভয়ের পক্ষ থেকে আশ্চর্যকর ব্যাপার! কেননা ইমাম যাহাবী নিজেই সানাদের মুবারক ইবনু ফাযালাহকে ‘যু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আহমাদ ও নাসায়ী তাকে দুর্বল বলেছেন। তাছাড়া তিনি তাদলীস করতেন এবং তিনি এ হাদীসটি আন আন শব্দে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৮

আল্লাহর দোহাই দিয়ে কিছু চাওয়া অপছন্দনীয়।

১৬৭১

حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْقِلَّوْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُعَاذٍ التَّيْمِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يُسْأَلُ بِوَجْهِ اللَّهِ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর নামের দোহাই দিয়ে জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু চাওয়া উচিৎ নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

১৬৭১. ইবনু ‘আদী ‘কামিল’ (৩/২৫৭)। এর সানাদ দুর্বল। সানাদের সুলায়মান ইবনু মু‘আযের স্মরণশক্তি দুর্বল হওয়ার তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৯

কেউ আল্লাহর দোহাই দিয়ে কিছু চাইলে তাকে দান করা

১৬৭২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنِ اسْتَعَاذَ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ وَمَنْ سَأَلَ بِاللَّهِ فَأَعْطُوهُ وَمَنْ دَعَاكُمْ فَأَجِيبُوهُ وَمَنْ صَنَعَ إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا مَا تُكَافِئُونَهُ فَادْعُوا لَهُ حَتَّى تَرَوْا أَنَّكُمْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে নিরাপত্তা চায়, তাকে নিরাপত্তা দাও। যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে ভিক্ষা চায়, তাকে দাও। যে ব্যক্তি তোমাদেরকে দাওয়াত করে তার ডাকে সাড়া দাও। যে ব্যক্তি তোমাদের সাথে সদ্ব্যবহার করে তোমরা তার উত্তম প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেয়ার মতো কিছু না পেলে তার জন্য দু‘আ করতে থাকো, যতক্ষণ না তোমরা অনুধাবন করতে পারো যে, তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

যে ব্যক্তি তার সমস্ত সম্পদ দান করতে চায়

১৬৭৩

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَ رَجُلٌ بِمِثْلِ بَيْضَةٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَبْتُ هَذِهِ مِنْ مَعْدِنٍ فَخُذْهَا فَهِيَ صَدَقَةٌ مَا أَمْلِكُ غَيْرَهَا ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَتَاهُ مِنْ قِبَلِ رُكْنِهِ الأَيْمَنِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ أَتَاهُ مِنْ قِبَلِ رُكْنِهِ الأَيْسَرِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَتَاهُ مِنْ خَلْفِهِ فَأَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَذَفَهُ بِهَا فَلَوْ أَصَابَتْهُ لأَوْجَعَتْهُ أَوْ لَعَقَرَتْهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَأْتِي أَحَدُكُمْ بِمَا يَمْلِكُ فَيَقُولُ هَذِهِ صَدَقَةٌ ثُمَّ يَقْعُدُ يَسْتَكِفُّ النَّاسَ خَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট অবস্থানকালে এক ব্যক্তি একটি ডিম পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমি এ স্বর্ণ খনি থেকে পেয়েছি, এটি দান হিসেবে গ্রহণ করুন। এছাড়া আমার আর কিছুই নেই। রসূলুল্লাহ তার মুখ ফিরিয়ে নিলে লোকটি তাঁর ডান পাশ এসে আগের মতই বললো। এরপর সে তাঁর বাম পাশে এসেও তাই বললো। আর তিনিও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। অবশেষে সে তাঁর পিছনে এসে অনুরূপ বললে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা নিয়ে এমন জোরে তার দিকে ছুড়ে মারলেন যে, তার শরীরে লাগলে সে অবশ্যই যখম বা আহত হতো। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কেউ তার সমস্ত মাল আমার কাছে নিয়ে এসে বলে, এটা সদাক্বাহ। পরে সে (সম্বলহীন হয়ে) লোকের কাছে ভিক্ষা করে বেড়ায়। বস্তুত সর্বোত্তম সদাক্বাহ সেটাই যা অভাবমুক্ত থেকে দান করা হয়।

 

দুর্বলঃ তবে হাদীসের এ বাক্যটি সহীহঃ “সর্বোত্তম সদাক্বাহ সেটাই যা অভাবমুক্ত থেকে দান করা হয়।”

  •  
  •  
  •  
  •  

১৬৭৩. দারিমী (হাঃ ১৬৫৯), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ২৪৪১), হাকিম, বায়হাক্বী। হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন। কিন্তু এর সানাদ দুর্বল। সানাদে ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন আন শব্দে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ ‏ “‏ خُذْ عَنَّا مَالَكَ لاَ حَاجَةَ لَنَا بِهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ইসহাক্ব (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সানাদে অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত। তাতে আরো রয়েছেঃ ‘তুমি তোমার মাল নিয়ে যাও, আমাদের এর কোনই প্রয়োজন নেই’।[১৬৭৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৪]ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ২৪৪১)। এর সানাদও পূর্বেরটির ন্যায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৫

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ أَنْ يَطْرَحُوا ثِيَابًا فَطَرَحُوا فَأَمَرَ لَهُ مِنْهَا بِثَوْبَيْنِ ثُمَّ حَثَّ عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَ فَطَرَحَ أَحَدَ الثَّوْبَيْنِ فَصَاحَ بِهِ وَقَالَ ‏ “‏ خُذْ ثَوْبَكَ ‏”‏ ‏.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে বস্ত্র দানের আদেন করেন। তখন লোকেরা বস্ত্র দান করলো। তিনি ঐ ব্যক্তিকে তা থেকে দু’টি কাপড় দেয়ার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি আবারো দান করতে উৎসাহিত করলে ঐ ব্যক্তি তার দু’টি কাপড়ের একটি কাপড় দান করায় তিনি তাকে ধমক দিলে বললেনঃ তোমার কাপড় নিয়ে যাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৬

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ خَيْرَ الصَّدَقَةِ مَا تَرَكَ غِنًى أَوْ تُصُدِّقَ بِهِ عَنْ ظَهْرِ غِنًى وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সচ্ছলতা বজায় রেখে যে দান করা হয় সেটাই সর্বোত্তম দান। দান আরম্ভ করবে তোমার পোষ্যদের থেকে।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪১

সমস্ত সম্পদ দানের অনুমুতি সম্পর্কে

১৬৭৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ جَعْدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ قَالَ ‏ “‏ جَهْدُ الْمُقِلِّ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল ! কোন ধরণের দান অতি উত্তম? তিনি বললেনঃ সামান্য সম্পদের মালিক নিজ সামর্থ্যানুযায়ী যা দান করে এবং নিজের পোষ্যদের থেকে আরম্ভ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، – رضى الله عنه – يَقُولُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا أَنْ نَتَصَدَّقَ فَوَافَقَ ذَلِكَ مَالاً عِنْدِي فَقُلْتُ الْيَوْمَ أَسْبِقُ أَبَا بَكْرٍ إِنْ سَبَقْتُهُ يَوْمًا فَجِئْتُ بِنِصْفِ مَالِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ وَأَتَى أَبُو بَكْرٍ – رضى الله عنه – بِكُلِّ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبْقَيْتُ لَهُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏.‏ قُلْتُ لاَ أُسَابِقُكَ إِلَى شَىْءٍ أَبَدًا ‏.‏

‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সদাক্বাহ করার নির্দেশ দেন। ঘটনাক্রমে সেদিন আমার কাছে মালও ছিল। আমি (মনে মনে) বললাম, আজ আমি আবূ বাকর (রাঃ) এর অগ্রগামী হবো, যদিও আমি কোনো দিন দানে তার অগ্রগামী হতে পারিনি। কাজেই আমি আমার অর্ধেক মাল নিয়ে উপস্থিত হলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ পরিবারের জন্য কি অবশিষ্ট রেখে এসেছো? আমি বললাম, এর সম-পরিমাণ। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আর আবূ বাকর (রাঃ) তার সমস্ত মাল নিয়ে উপস্থিত হলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ পরিবারের জন্য কী অবশিষ্ট রেখে এসেছো? তিনি বললেন, আল্লাহ আর তাঁর রসূলকে রেখে এসেছি। তখন আমি (‘উমার) বললাম, আমি কখনো কোনো বিষয়েই আপনাকে অতিক্রম করতে পারবো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪২

পানি পান করানোর ফযীলত

১৬৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، أَنَّ سَعْدًا، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَىُّ الصَّدَقَةِ أَعْجَبُ إِلَيْكَ قَالَ ‏ “‏ الْمَاءُ ‏”‏ ‏.‏

সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

একদা সা’দ ইবনু ‘উবাধ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট এসে বললেন, আপনার কাছে কোন সাক্বাহ অধিক পছন্দনীয়? তিনি বললেনঃ পানি (পান করানো)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَالْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [১৬৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮০] নাসায়ী (অধ্যায়ঃ যাকাত হাদিস নং ৩৬৬৮), আহমদ

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

১৬৮১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمَّ سَعْدٍ مَاتَتْ فَأَىُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ قَالَ ‏ “‏ الْمَاءُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَحَفَرَ بِئْرًا وَقَالَ هَذِهِ لأُمِّ سَعْدٍ ‏.‏

সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! উম্মু সা’দ মৃত্যুবরণ করেছেন (তার পক্ষ হতে) কোন সদাক্বাহ সর্বোত্তম হবে? তিনি বললেনঃ পানি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সা’দ) একটি কূপ খনন করে বললেন, এটা উম্মু সা’দের (কল্যাণের) জন্য ওয়াক্‌ফ। [১৬৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِشْكَابَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، – الَّذِي كَانَ يَنْزِلُ فِي بَنِي دَالاَنَ – عَنْ نُبَيْحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَيُّمَا مُسْلِمٍ كَسَا مُسْلِمًا ثَوْبًا عَلَى عُرْىٍ كَسَاهُ اللَّهُ مِنْ خُضْرِ الْجَنَّةِ وَأَيُّمَا مُسْلِمٍ أَطْعَمَ مُسْلِمًا عَلَى جُوعٍ أَطْعَمَهُ اللَّهُ مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ وَأَيُّمَا مُسْلِمٍ سَقَى مُسْلِمًا عَلَى ظَمَإٍ سَقَاهُ اللَّهُ مِنَ الرَّحِيقِ الْمَخْتُومِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মুসলিম কোন বস্ত্রহীন মুসলিমকে কাপড় পরাবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরাবেন। যে মুসলিম কোন অভূক্ত মুসলমানকে আহার করাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল- ফলাদি খাওয়াবেন। আর যে মুসলিম কোন পিপাসু মুসলিমকে পানি পান করাবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সীলমোহরকৃত বিশুদ্ধ পানীয় পান করাবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৩

দুগ্ধবতী পশু ধার দেয়া সম্পর্কে

১৬৮৩

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى، – وَهَذَا حَدِيثُ مُسَدَّدٍ وَهُوَ أَتَمُّ – عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَرْبَعُونَ خَصْلَةً أَعْلاَهُنَّ مَنِيحَةُ الْعَنْزِ مَا يَعْمَلُ رَجُلٌ بِخَصْلَةٍ مِنْهَا رَجَاءَ ثَوَابِهَا وَتَصْدِيقَ مَوْعُودِهَا إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهَا الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِ مُسَدَّدٍ قَالَ حَسَّانُ فَعَدَدْنَا مَا دُونَ مَنِيحَةِ الْعَنْزِ مِنْ رَدِّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَإِمَاطَةِ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَنَحْوِهِ فَمَا اسْتَطَعْنَا أَنْ نَبْلُغَ خَمْسَ عَشْرَةَ خَصْلَةً ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চল্লিশটি বৈশিষ্টপূর্ণ কাজের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে (দুধ পানের জন্য) কাউকে দুগ্ধবতী বকরী দান করা। যে ব্যক্তি নেকীর আশায় এবং অঙ্গীকারের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে এ চল্লিশটি কাজের যেকোনো একটি করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

ইমাম আবূ দাউদ (রহ:) বলেন, হাসসান (রাঃ) বলেন, দুগ্ধবতী বকরী ছাড়া (অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে)- সালামের জবাব দেওয়া, হাঁচির জবাব দেওয়া এবং রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত আমরা পনেরটি কাজ পর্যন্তও পৌঁছাতে পারিনি।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৪

কোষাধ্যক্ষের সওয়াব সম্পর্কে

১৬৮৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْخَازِنَ الأَمِينَ – الَّذِي يُعْطِي مَا أُمِرَ بِهِ كَامِلاً مُوَفَّرًا طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى يَدْفَعَهُ إِلَى الَّذِي أُمِرَ لَهُ بِهِ – أَحَدُ الْمُتَصَدِّقَيْنِ ‏”‏ ‏.

আবু মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিশ্বস্ত কোষাধ্যক্ষ্য সেই ব্যক্তি যে নির্দেশ মতো সন্তুষ্টচিত্তে পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করে, এমনকি যাকে যা দান করতে বলা হয় তাকে তাই দান করে, সে দুই দানকারীর একজন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৫

স্ত্রী স্বীয় স্বামীর ঘর হতে দান করা সম্পর্কে

১৬৮৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أَنْفَقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا غَيْرَ مُفْسِدَةٍ كَانَ لَهَا أَجْرُ مَا أَنْفَقَتْ وَلِزَوْجِهَا أَجْرُ مَا اكْتَسَبَ وَلِخَازِنِهِ مِثْلُ ذَلِكَ لاَ يَنْقُصُ بَعْضُهُمْ أَجْرَ بَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কোনো স্ত্রী স্বামীর ঘর থেকে নষ্টের উদ্দেশ্যে না রেখে কিছু দান করে, তবে সে দানের কারণে সওয়াব পাবে এবং তার স্বামীও অনুরূপ সওয়াব পাবে উপার্জন করার কারণে। রক্ষণাবেক্ষণকারীও অনুরূপ সওয়াব পাবে। কিন্তু এতে কারোর সওয়াবে অন্যের কারণে ঘাটতি হবে না।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَّارٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ لَمَّا بَايَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النِّسَاءَ قَامَتِ امْرَأَةٌ جَلِيلَةٌ كَأَنَّهَا مِنْ نِسَاءِ مُضَرَ فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّا كَلٌّ عَلَى آبَائِنَا وَأَبْنَائِنَا – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأُرَى فِيهِ وَأَزْوَاجِنَا – فَمَا يَحِلُّ لَنَا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَقَالَ ‏ “‏ الرَّطْبُ تَأْكُلْنَهُ وَتُهْدِينَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الرَّطْبُ الْخُبْزُ وَالْبَقْلُ وَالرُّطَبُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ يُونُسَ ‏.‏

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন মহিলারা রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট বাই’ইয়াত হন তখন তাদের মধ্যে এক স্থূলদেহী মহিলাও ছিল, সম্ভবত মহিলাটি মুদার গোত্রীয়। তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমরা আমাদের পিতা, পুত্রের উপর নির্ভরশীল। ইমাম আবূ দাঊদ (রাঃ) বলেন, আমার ধারণা হাদীসে এটাও আছেঃ এবং আমাদের স্বামীদের উপর নির্ভরশী। এমতাবস্থায় তাদের ধন-সম্পদে আমাদের কী পরিমাণ অধিকার আছে? তিনি বললেনঃ তোমরা যা (রাতাব হিসেবে) খাও এবং দান কর। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ:) বলেন, ‘আর-রাতাব’ হচ্ছে রুটি, তরি-তরকারি ও তাজা খেজুর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৭

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أَنْفَقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ كَسْبِ زَوْجِهَا مِنْ غَيْرِ أَمْرِهِ فَلَهَا نِصْفُ أَجْرِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্ত্রী বিনা অনুমতিতে তার স্বামীর উপার্জিত সম্পদ হতে দান করলে অর্ধেক সওয়াব পাবে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَّارٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي الْمَرْأَةِ تَصَدَّقُ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا قَالَ لاَ إِلاَّ مِنْ قُوتِهَا وَالأَجْرُ بَيْنَهُمَا وَلاَ يَحِلُّ لَهَا أَنْ تَصَدَّقَ مِنْ مَالِ زَوْجِهَا إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا يُضَعِّفُ حَدِيثَ هَمَّامٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে এমন নারী সম্পর্কে বর্ণিত, যিনি তার স্বামীর ঘর থেকে দান করে থাকেন। তিনি বলেছেন, (দান করা) বৈধ নয়, তবে স্বামী তাকে যা খোরাকী দিয়েছে, তা থেকে দান করতে পারবে, আর এতে উভয়ই সওয়াব পাবে। স্বামীর বিনা অনুমতিতে তার সম্পদ থেকে স্ত্রীর দান-খয়রাত করা বৈধ নয়।

 

সহীহ মাওকুফ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহ:) বলেন, এ হাদীস হাম্মাদের হাদীসকে দুর্বল করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৬

নিকটাত্মীয়দের সাথে সদাচরণ করা

১৬৮৯

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏{‏ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ‏}‏ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَى رَبَّنَا يَسْأَلُنَا مِنْ أَمْوَالِنَا فَإِنِّي أُشْهِدُكَ أَنِّي قَدْ جَعَلْتُ أَرْضِي بِأَرِيحَاءَ لَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اجْعَلْهَا فِي قَرَابَتِكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَسَمَهَا بَيْنَ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ بَلَغَنِي عَنِ الأَنْصَارِيِّ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ زَيْدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ الأَسْوَدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ وَحَسَّانُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ حَرَامٍ يَجْتَمِعَانِ إِلَى حَرَامٍ وَهُوَ الأَبُ الثَّالِثُ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَتِيكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ فَعَمْرٌو يَجْمَعُ حَسَّانَ وَأَبَا طَلْحَةَ وَأُبَيًّا ‏.‏ قَالَ الأَنْصَارِيُّ بَيْنَ أُبَىٍّ وَأَبِي طَلْحَةَ سِتَّةُ آبَاءٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ “তোমরা তোমাদের ভালবাসার বস্তু ব্যয় না করা পর্যন্ত কখনো পুণ্য লাভ করবে না” (সূরাহ আলে ‘ইমরানঃ ৯২), তখন আবূ ত্বালহাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমার মনে হচ্ছে, আমাদের রব্ব আমাদের সম্পদের অংশ চান। আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে আরীহাতে অবস্থিত আমার ভূমিটি আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি তা তোমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের দাও। অতঃপর তিনি তা হাসসান ইবনু সাবিত (রাঃ) এবং ইবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) এর মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।

 

সহীহঃ মুসলিম, অনুরূপ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯০

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَتْ لِي جَارِيَةٌ فَأَعْتَقْتُهَا فَدَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ‏ “‏ آجَرَكِ اللَّهُ أَمَا إِنَّكِ لَوْ كُنْتِ أَعْطَيْتِهَا أَخْوَالَكِ كَانَ أَعْظَمَ لأَجْرِكِ ‏”‏ ‏.‏

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার একটি দাসী ছিল, তাকে আমি মুক্ত করে দেই। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে এলে আমি তাঁকে বিষয়টি জানাই। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে এর সওয়াব দিন। কিন্তু তুমি যদি তা তোমার মাতুল গোষ্ঠীকে দান করতে তাহলে সর্বশ্রেষ্ঠ সওয়াব পেতে।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالصَّدَقَةِ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدِي دِينَارٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى نَفْسِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِنْدِي آخَرُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى وَلَدِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِنْدِي آخَرُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى زَوْجَتِكَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ زَوْجِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِنْدِي آخَرُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى خَادِمِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِنْدِي آخَرُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْتَ أَبْصَرُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সদাকাহ প্রদান কর। জনৈক ব্যক্তি বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার নিকট একটি দিনার (স্বর্ণ মুদ্রা) আছে। তিনি বললেন- তুমি ওঁটা নিজেকেই দান কর (রেখে দাও)। লোকটা বললঃ আমার নিকট আরও একটি আছে। তিনি উত্তরে বললেনঃ এটা তোমার ছেলেদের (সন্তানদের) জন্য খরচ কর। লোকটা বললো আমার নিকট আরও একটি আছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওঁটা তোমার স্ত্রীর জন্য খরচ কর। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেনঃ তোমার খাদিমের জন্য সদাক্বাহ কর। লোকটা বললো আমার নিকট আরও একটি আছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমিই ভাল জানো (এটা কোথায় খরচ করবে)। আবূ দাউদ, নাসায়ী, আর ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহিহ বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ جَابِرٍ الْخَيْوَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ পাপী হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার উপর নির্ভরশীলদের রিযিক্ব নষ্ট করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ كَعْبٍ، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বীয় রিযিক্ব বৃদ্ধি ও দীর্ঘজীবী হতে চায় সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ أَنَا الرَّحْمَنُ وَهِيَ الرَّحِمُ شَقَقْتُ لَهَا اسْمًا مِنَ اسْمِي مَنْ وَصَلَهَا وَصَلْتُهُ وَمَنْ قَطَعَهَا بَتَتُّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ বলেছেন, আমিই রহমান (দয়ালু), আত্মীয়তার বন্ধন হচ্ছে রহিম, যা আমি আমার নাম থেকে নির্গত করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি আত্মীয়দেরকে সংযুক্ত রাখে আমিও তাকে সংযুক্ত রাখব এবং তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করবে আমিও তার থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ الرَّدَّادَ اللَّيْثِيَّ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.

আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন… পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [১৬৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৫] আহমাদ হা/১৬৮০, হাকিম, বায়হাক্কী। আহমাদ শাকির বলেন, এর সানাদ সহীহ

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

১৬৯৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ ‏”‏ ‏.

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৭

حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَالْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، وَفِطْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، – قَالَ سُفْيَانُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ سُلَيْمَانُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَفَعَهُ فِطْرٌ وَالْحَسَنُ – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيْسَ الْوَاصِلُ بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِلَ هُوَ الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষাকারী ঐ ব্যক্তি নয়, যে বরাবর ব্যবহার করে। বরং প্রকৃত আত্মীয়তা রক্ষাকারী ঐ ব্যক্তি যার আত্মীয় সর্ম্পক ছিন্ন করলেও সে তা পুনঃস্থাপন করে।

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৭

কৃপণতা সর্ম্পকে

১৬৯৮

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ إِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِالشُّحِّ أَمَرَهُمْ بِالْبُخْلِ فَبَخَلُوا وَأَمَرَهُمْ بِالْقَطِيعَةِ فَقَطَعُوا وَأَمَرَهُمْ بِالْفُجُورِ فَفَجَرُوا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্বর্তীরা কৃপণতার কারনে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদেরকে কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে, তাদেরকে আত্মীয়তা ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে, যখন তারা তাই করেছে এবং তাদেরকে পাপাচারে প্ররোচিত করেছে, তখন তারা তাতে লিপ্ত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، حَدَّثَتْنِي أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لِي شَىْءٌ إِلاَّ مَا أَدْخَلَ عَلَىَّ الزُّبَيْرُ بَيْتَهُ أَفَأُعْطِي مِنْهُ قَالَ ‏ “‏ أَعْطِي وَلاَ تُوكِي فَيُوكِيَ عَلَيْكِ ‏”‏ ‏.‏

আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমার স্বামী) যুবাইর (রাঃ) ঘরে যা উপার্জন করে নিয়ে আসেন তা ছাড়া অন্য কোন মাল আমার নেই। সুতরাং আমি কি তা থেকে সাদক্বাহ করতে পারি? তিনি বললেনঃ সাদক্বাহ করো , ধরে রেখো না, তাহলে তোমার (রিযিক) ধরে রাখা হবে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭০০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتْ عِدَّةً مِنْ مَسَاكِينَ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ غَيْرُهُ أَوْ عِدَّةً مِنْ صَدَقَةٍ – فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَعْطِي وَلاَ تُحْصِي فَيُحْصِيَ عَلَيْكِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি কতিপয় মিসকিন সর্ম্পকে আলোচনা করলেন। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আরেকজনের বর্ননায় আছে অথবা কতিপয় মিসকিনকে সাদক্বাহ করা সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, দান খয়রাত করো এবং তা গুনে রেখো না। তাহলে তোমাকেও না দিয়ে রেখে দেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস