আবু দাউদ সাওম (রোজা) অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৪০২ – ২৪৭৬

অনুচ্ছেদ-৪২

সফর অবস্থায় সওম পালন

২৪০২

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ أَسْرُدُ الصَّوْمَ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ قَالَ ‏ “‏ صُمْ إِنْ شِئْتَ وَأَفْطِرْ إِنْ شِئْتَ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা হামযাহ আল-আসলামী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এমন ব্যক্তি যে, অনবরত সওম পালন করি, আমি কি সফরের অবস্থায়ও সওম রাখবো? তিনি বললেনঃ ইচ্ছা হলে সওম রাখো আর ইচ্ছা হলে রেখো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْمَدَنِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ حَمْزَةَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، يَذْكُرُ أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي صَاحِبُ ظَهْرٍ أُعَالِجُهُ أُسَافِرُ عَلَيْهِ وَأَكْرِيهِ وَإِنَّهُ رُبَّمَا صَادَفَنِي هَذَا الشَّهْرُ – يَعْنِي رَمَضَانَ – وَأَنَا أَجِدُ الْقُوَّةَ وَأَنَا شَابٌّ وَأَجِدُ بِأَنْ أَصُومَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْوَنَ عَلَىَّ مِنْ أَنْ أُؤَخِّرَهُ فَيَكُونَ دَيْنًا أَفَأَصُومُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْظَمُ لأَجْرِي أَوْ أُفْطِرُ قَالَ ‏ “‏ أَىُّ ذَلِكَ شِئْتَ يَا حَمْزَةُ ‏”‏ ‏.‏

হামযাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু হামযাহ আল-আসলামী (রহঃ) হতে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উটের মালিক, আমি এগুলোকে কাজে লাগাই। আমি এগুলোর উপর চড়ে সফর করি এবং ভাড়ায়ও খাটাই। আমার (সফর থাকা অবস্থায়) এই রমাযান মাস এসে যায়। আমি তো একজন স্বাস্থ্যবান যুবক। হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি (সফরে) সওম পালন করবো? সওম তো আমার উপর ঋণ, কাজেই তা পরে রাখার (ক্বাযা করার) চেয়ে এখন রেখে দেয়াই আমার পক্ষে সহজ। হে আল্লাহর রাসূল! অধিক নেকীর আশায় আমি কি সওম রাখবো নাকি ভঙ্গ করবো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে হামযাহ! তোমার যা ইচ্ছা করতে পারো। [২৪০৩]

 

দুর্বলঃ ইরওয়া (৯২৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪০৩ হাকিম, বায়হাক্বী। সানাদে মুহাম্মাদ বিন হামযাহ রয়েছে। ইবনু হাযম তাকে যঈফ বলেছেন। ইবনু কাওান বলেনঃ তিনি মাজহুল। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুলুল হাল। এছাড়া সানাদের মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল মজিদ সম্পর্কে ইবনু কাওান বলেনঃ তাকে চেনা যায়নি। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ মাক্ববুল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فَرَفَعَهُ إِلَى فِيهِ لِيُرِيَهُ النَّاسَ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ ‏.‏ فَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ قَدْ صَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্ থেকে মক্কাহর উদ্দেশে বের হলেন। তিনি ‘উসফান’ নামক জায়গায় পৌঁছে একপাত্র পানি চাইলেন এবং লোকদেরকে দেখানোর উদ্দেশে তা উঁচু করে মুখের কাছে ধরলেন। এটি রমাযান মাসের ঘটনা। এজন্যই ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে কখনো সওম রেখেছেন, আবার কখনো সওম রাখেননি। কাজেই কারো ইচ্ছা হলে সওম রাখতেও পারে, আবার নাও রাখতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَصَامَ بَعْضُنَا وَأَفْطَرَ بَعْضُنَا فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রমাযান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফর করেছি। এ সময় আমাদের কেউ সওম রেখেছেন এবং কেউ সওম রাখেননি। কিন্তু এ সময় সওম পালনকারী রোযাহীনকে এবং রোযাহীন সওম পালনকারীকে দোষারোপ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ يُفْتِي النَّاسَ وَهُمْ مُكِبُّونَ عَلَيْهِ فَانْتَظَرْتُ خَلْوَتَهُ فَلَمَّا خَلاَ سَأَلْتُهُ عَنْ صِيَامِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ عَامَ الْفَتْحِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ وَنَصُومُ حَتَّى بَلَغَ مَنْزِلاً مِنَ الْمَنَازِلِ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَصْبَحْنَا مِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ – قَالَ – ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ تُصَبِّحُونَ عَدُوَّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَتْ عَزِيمَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ ثُمَّ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَصُومُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ ذَلِكَ وَبَعْدَ ذَلِكَ ‏.‏

ক্বাযা‘আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাইদ আল-খুদরী (রাঃ) এর নিকট আসি। তখন তিনি লোকদের প্রশ্নের উওর দিচ্ছিলেন এবং লোকেরা শান্তভাবে তাঁর কথা শুনছিলো। আমি তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রইলাম। তিনি একাকী হলে আমি তাকে সফরের অবস্থায় রমাযানের সওম রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বললেন, আমরা মক্কাহ বিজয়ের সময় রমাযান মাসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওয়ানা হই। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম রেখেছিলেন এবং আমরাও সওম রেখেছিলাম। তিনি কোন এক মানযিলে নামলে তিনি পুনরায় বললেনঃ নিশ্চয় তোমরা শত্রুর কাছাকাছি এসে গেছো। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হবে তোমাদের শক্তিবর্ধক হবে। আমাদের কেউ কেউ সওম রাখলাম এবং কেউ কেউ সওমহীন অবস্থায় ভোর করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা পুনরায় সফর শুরু করলাম এবং এক মানযিলে নামলে তিনি পুনরায় বললেনঃ তোমরা শত্রুর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হবে। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হবে তোমাদের শক্তিবর্ধক হবে। কাজেই তোমরা সওম ভঙ্গ কর। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দৃঢ় সংকল্পের উপর স্থির রইলেন। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফরে এই ঘটনার পূর্বেও সওম পালন করেছি এবং এর পরেও সওম পালন করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৩

কষ্টের আশঙ্কা হলে সফরে সওম না রাখা ভাল

২৪০৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَسَنٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُظَلَّلُ عَلَيْهِ وَالزِّحَامُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন যে, এক ব্যক্তি কে ছায়া দেওয়া হচ্ছে এবং তার চারপাশে লোকেরা ভীড় করেছে। তখন তিনি বললেনঃ সফরে সওম পালন সওয়াবের কাজ নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৮

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو هِلاَلٍ الرَّاسِبِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ سَوَادَةَ الْقُشَيْرِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، – رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ إِخْوَةِ بَنِي قُشَيْرٍ – قَالَ أَغَارَتْ عَلَيْنَا خَيْلٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْتَهَيْتُ – أَوْ قَالَ فَانْطَلَقْتُ – إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَأْكُلُ فَقَالَ ‏”‏ اجْلِسْ فَأَصِبْ مِنْ طَعَامِنَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اجْلِسْ أُحَدِّثْكَ عَنِ الصَّلاَةِ وَعَنِ الصِّيَامِ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى وَضَعَ شَطْرَ الصَّلاَةِ أَوْ نِصْفَ الصَّلاَةِ وَالصَّوْمَ عَنِ الْمُسَافِرِ وَعَنِ الْمُرْضِعِ أَوِ الْحُبْلَى ‏”‏ ‏.‏ وَاللَّهِ لَقَدْ قَالَهُمَا جَمِيعًا أَوْ أَحَدَهُمَا قَالَ فَتَلَهَّفَتْ نَفْسِي أَنْ لاَ أَكُونَ أَكَلْتُ مِنْ طَعَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

বনী ‘আবদুল্লাহ ইবনু কা‘বের কুশাইর উপগোত্রীয় সদস্য আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের উপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অশ্বারোহী বাহিনী অতর্কিত হামলা করলে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পৌঁছি বা আসি। এ সময় তিনি আহার করছিলেন। তিনি বললেনঃ বসো এবং আমাদের সাথে খাও। আমি বললাম, আমি সওম অবস্থায় আছি। তিনি বললেনঃ বসো আমি তোমাকে সলাত ও সওম সম্পর্কে কিছু বলবো। নিশ্চয় আল্লাহ মুসাফির, দুগ্ধদানকারিনী ও গর্ভবতী থেকে অর্ধেক সলাত ও সওম কমিয়ে দিয়েছেন। (বর্ণনাকারী বলেন), আল্লাহর শপথ! তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই সাথে এ শব্দ (দুগ্ধদানকারিনী ও গর্ভবতী) অথবা এর একটি শব্দ বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আমি এজন্য অনুতপ্ত হলাম যে, আমি কেন রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে আহারে অংশগ্রহন করলাম না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৪

যে ব্যক্তি (সফর অবস্থায়) সওম পালনকে প্রাধান্য দেন

২৪০৯

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ غَزَوَاتِهِ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ حَتَّى إِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ أَوْ كَفَّهُ عَلَى رَأْسِهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ مَا فِينَا صَائِمٌ إِلاَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ ‏.‏

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমের দিনে আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে কোন এক যুদ্ধাভিযানে বের হই। তখন (গরমের কারণে) আমাদের কেউ হাত মাথার উপর রাখেন। শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহ (রাঃ) ছাড়া আমাদের কেউ সওম রাখেনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১০

حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ح وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ سِنَانَ بْنَ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ الْهُذَلِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ حَمُولَةٌ تَأْوِي إِلَى شِبَعٍ فَلْيَصُمْ رَمَضَانَ حَيْثُ أَدْرَكَهُ ‏”‏ ‏.‏

সিনান ইবনু সালামাহ ইবনুল মুহাব্বাক আল-হুযালী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির কাছে এমন বাহন আছে যা তাকে পর্যাপ্ত আহারের স্থানে পৌঁছে দিবে, তার উচিত রমযানে সওম পালন করা যেখানেই সে (রমাযান মাস) পাবে। [২৪১০]

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৮১০), মিশকাত (২০২৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪১০ আহমদ। সানাদের ‘আবদুস সামাদ সম্পর্কে উক্বাইলী বলেনঃ তাকে এ হাদীস ছাড়া চেনা যায় না। ইমাম বুখারী তাকে যু‘আফা গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেনঃ হাদীস বর্ণনায় শিথিল (লাইইয়্যিন)। ইমাম আহমদ তাকে যঈফ বলেছেন। এছাড়া সানাদে হাবীব বিন ‘আবদুল্লাহ রয়েছে। তার সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার আত-তাক্বরীব গ্রন্থে এবং ইমাম যাহাবী আল-মীজান গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুল (অজ্ঞাত)।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১১

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سِنَانِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَدْرَكَهُ رَمَضَانُ فِي السَّفَرِ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.‏

সালামাহ ইবনুল মুহাব্বাক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় রমাযান মাস পাবে… অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণিত। [২৪১১]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪১১ আহমদ। এর সানাদে ‘আবদুস সামাদ রয়েছে। পূর্বেরটিতে তার সম্পর্কে আলোচনা গত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৫

সফরে রওয়ানা হয়ে মুসাফির কখন সওম ভঙ্গ করবে?

২৪১২

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، ح وَحَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى، – الْمَعْنَى – حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، وَزَادَ، جَعْفَرٌ وَاللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ كُلَيْبَ بْنَ ذُهْلٍ الْحَضْرَمِيَّ، أَخْبَرَهُ عَنْ عُبَيْدٍ، – قَالَ جَعْفَرٌ ابْنُ جَبْرٍ – قَالَ كُنْتُ مَعَ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفِينَةٍ مِنَ الْفُسْطَاطِ فِي رَمَضَانَ فَرُفِعَ ثُمَّ قُرِّبَ غَدَاهُ – قَالَ جَعْفَرٌ فِي حَدِيثِهِ – فَلَمْ يُجَاوِزِ الْبُيُوتَ حَتَّى دَعَا بِالسُّفْرَةِ قَالَ اقْتَرِبْ ‏.‏ قُلْتُ أَلَسْتَ تَرَى الْبُيُوتَ قَالَ أَبُو بَصْرَةَ أَتَرْغَبُ عَنْ سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ جَعْفَرٌ فِي حَدِيثِهِ فَأَكَلَ ‏.‏

জা‘ফার ইবনু খাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবী আবূ বাসরাহ আল-গিফারীর (রাঃ) সাথে রমাযান মাসে মিসরের আল-ফুসতাত থেকে ‘আমর ইবনুল ‘আসের (রাঃ) জাহাজে সওয়ার ছিলাম। নৌযানের নোঙ্গর উঠানোর পরে তার সম্মুখে সকালের নাস্তা আনা হলো। জা‘ফার তার বর্ণনায় বলেন, তিনি স্বীয় ঘর-বাড়ি থেকে দূরে যাওয়ার আগেই খাবারের দস্তরখান চাইলেন এবং আমাকে (খাদ্য গ্রহণের জন্য) কাছে ডাকলেন। আমি বললাম, আপনি কি ঘর-বাড়ি দেখছেন না? আবূ বাসরাহ (রাঃ) বললেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নাত ছাড়তে চাও? জা‘ফার বলেন, এরপর তিনি খেলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৬

কতদূর সফর করলে মুসাফির সওম ভঙ্গ করতে পারে?

২৪১৩

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ مَنْصُورٍ الْكَلْبِيِّ، أَنَّ دِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ، خَرَجَ مِنْ قَرْيَةٍ مِنْ دِمَشْقَ مَرَّةً إِلَى قَدْرِ قَرْيَةِ عُقْبَةَ مِنَ الْفُسْطَاطِ وَذَلِكَ ثَلاَثَةُ أَمْيَالٍ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ إِنَّهُ أَفْطَرَ وَأَفْطَرَ مَعَهُ نَاسٌ وَكَرِهَ آخَرُونَ أَنْ يُفْطِرُوا فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى قَرْيَتِهِ قَالَ وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ الْيَوْمَ أَمْرًا مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنِّي أَرَاهُ إِنَّ قَوْمًا رَغِبُوا عَنْ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ ‏.‏ يَقُولُ ذَلِكَ لِلَّذِينَ صَامُوا ثُمَّ قَالَ عِنْدَ ذَلِكَ اللَّهُمَّ اقْبِضْنِي إِلَيْكَ ‏.‏

মানসুল আল-কালবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রমাযান মাসে দিহ্‌য়া ইবনু খালীফাহ (রাঃ) দামিশকের এক অঞ্চল হতে ‘আক্বাবাহ ও ফুসতাতের মধ্যবর্তী দূরত্বের সম-পরিমাণ অর্থাৎ তিন মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সফর করেন। তখন তিনি সওম ভঙ্গ করলেন এবং তাঁর সাথের কিছু লোকও সওম ভঙ্গ করলেন। এ সময় কিছু লোক সওম ভঙ্গ করা অপছন্দ করলো। পরে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে এসে বললেন, আল্লাহর শপথ! আজ আমি এমন বিষয় দেখেছি, যা কখনো দেখার ধারণাও করিনি। কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীদের সুন্নাত থেকে বিমুখ হয়েছে। তিনি ঐ লোকদের নিন্দা করলেন যারা (সফরে) সওম রেখেছিলো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌! আমাকে তোমার হিফাযাতে নাও। [২৪১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪১৩ আহমাদ। সানাদে মানসূর ইবনু সাঈদ রয়েছে। ইবনুল মাদীনী বলেনঃ মাজহুল (অজ্ঞাত), তাকে আমি চিনি না। ইবনু খুজাইমাহ বলেনঃ আমি তাকে চিনি না। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ মাসতূর (লুপ্ত)।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَخْرُجُ إِلَى الْغَابَةِ فَلاَ يُفْطِرُ وَلاَ يَقْصُرُ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আল-গাবা বনভূমিতে যেতেন। তখন তিনি সওম ভঙ্গ করতেন না এবং সলাত ক্বসর করতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৭

যিনি বলেন, আমি পুরো রমাযানের সওম রেখেছি

২৪১৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ إِنِّي صُمْتُ رَمَضَانَ كُلَّهُ وَ قُمْتُهُ كُلَّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَلاَ أَدْرِي أَكَرِهَ التَّزْكِيَةَ أَوْ قَالَ لاَ بُدَّ مِنْ نَوْمَةٍ أَوْ رَقْدَةٍ ‏.‏

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন না বলে, আমি পুরো রমাযান মাস সওম রেখে এবং এর পূর্ণ রাত (সলাতে) দাঁড়িয়ে কাটিয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ আত্মপবিত্রতা প্রকাশ অপছন্দ করেছেন নাকি কিছু সময় নিদ্রা ও বিশ্রামের প্রয়োজন বলেছেন তা আমার জানা নেই। [২৪১৫]

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি‘‘উস সাগীর (৬৩৬৭), যঈফ সুনান নাসায়ী (১২০/২১০৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪১৫ নাসায়ী, আহমাদ, ইবনু খুজাইমাহ। এর সানাদ মুরসাল। হাসান হাদীসটি আবূ আবূ বাকরাহ থেকে শুনেননি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৮

দুই ঈদের দিন সওম পালন

২৪১৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ أَمَّا يَوْمُ الأَضْحَى فَتَأْكُلُونَ مِنْ لَحْمِ نُسُكِكُمْ وَأَمَّا يَوْمُ الْفِطْرِ فَفِطْرُكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ ‏.‏

আবূ ‘উবাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘উমার (রাঃ) এর সাথে আমি এক ঈদের সলাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুত্ববাহ্‌র পূর্বে সলাত পড়লেন। অতঃপর বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’’দিন সওম রাখতে নিষেধ করেছেন। কেননা কুরবানীর দিন তোমরা তোমাদের কুরবানীর পশুর গোশত খেয়ে থাকো। আর ঈদুল ফিতরের দিন হল তোমাদের সওমের সমাপ্তি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صِيَامِ يَوْمَيْنِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الأَضْحَى وَعَنْ لِبْسَتَيْنِ الصَّمَّاءِ وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ وَعَنِ الصَّلاَةِ فِي سَاعَتَيْنِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেনঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা- এ দু’’দিন সওম পালন করতে এবং দুই ধরনের পোশাক পরতে, (সাম্মা) এক কাপড়ে সমগ্র শরীর পেঁচিয়ে নিয়ে শরীরকে এভাবে ঢাকা যে, হাঁটু উঁচু করে বসলে নীচ থেকে লজ্জাস্তান খোলা থাকে এবং দুই সময়ে সালাত আদায় করতে- ফাজরের পর এবং ‘আসরের পর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৯

তাশরীকের দিনসমূহে সওম পালন

২৪১৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَلَى أَبِيهِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَقَرَّبَ إِلَيْهِمَا طَعَامًا فَقَالَ كُلْ ‏.‏ فَقَالَ إِنِّي صَائِمٌ ‏.‏ فَقَالَ عَمْرٌو كُلْ فَهَذِهِ الأَيَّامُ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا بِإِفْطَارِهَا وَيَنْهَانَا عَنْ صِيَامِهَا ‏.‏ قَالَ مَالِكٌ وَهِيَ أَيَّامُ التَّشْرِيقِ ‏.‏

উম্মু হানী (রাঃ)-এর মুক্তদাস আবু মুররাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমরের সাথে তার পিতা ‘আমর ইবনুল ‘আসের (রাঃ) এর নিকট যান। তিনি তাদের উভয়ের সামনে খাবার এনে তা খেতে বললেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমি সওমরত আছি। ‘আমর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দিনগুলোতে আমাদেরকে সওম ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সওম রাখতে নিষেধ করেছেন। মালিক (রহঃ) বলেন, তা হল তাশরীকের দিনগুলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৯

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُلَىٍّ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، – وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ وَهْبٍ – قَالَ سَمِعْتُ أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَوْمُ عَرَفَةَ وَيَوْمُ النَّحْرِ وَأَيَّامُ التَّشْرِيقِ عِيدُنَا أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَهِيَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ ‏”‏ ‏.‏

‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরাফাহর দিন, কুরবানীর দিন এবং তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে আমাদের মুসলিমদের ঈদের দিন, এগুলো পানাহারের দিন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫০

শুধু জুমু’‘আহর দিনকে সওম পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা নিষেধ

২৪২০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَصُمْ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ أَنْ يَصُومَ قَبْلَهُ بِيَوْمٍ أَوْ بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কেবল জুমু’‘আহর দিন সওম না রাখে। (রাখতে চাইলে) জুমু’‘আহর আগে অথবা পরের দিনও যেন সওম রাখে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫১

কেবল শনিবারকে সওম পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা নিষেধ

২৪২১

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ قُبَيْسٍ، – مِنْ أَهْلِ جَبَلَةَ – حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، جَمِيعًا عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ السُّلَمِيِّ، عَنْ أُخْتِهِ، – وَقَالَ يَزِيدُ الصَّمَّاءِ – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَصُومُوا يَوْمَ السَّبْتِ إِلاَّ فِيمَا افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ وَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدُكُمْ إِلاَّ لِحَاءَ عِنَبَةٍ أَوْ عُودَ شَجَرَةٍ فَلْيَمْضُغْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثٌ مَنْسُوخٌ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর আস-সুলামী (রহঃ) হতে তার বোন আস-সাম্মা’’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা শুধু শনিবারে সওম রেখো না। তবে ঐ দিন তোমাদের উপর ফারয কৃত সওম রাখতে পারো। তোমাদের কেউ যদি সওম ভঙ্গের জন্য আঙ্গুর গাছের ছাল বা অন্য গাছের ডালা ছাড়া কিছু না পায়, তাহলে তা চিবিয়ে সওম ভঙ্গ করবে। ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মানসূখ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫২

এ ব্যাপারে অনুমতি প্রসঙ্গে

২৪২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وَحَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، – قَالَ حَفْصٌ الْعَتَكِيُّ – عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهِيَ صَائِمَةٌ فَقَالَ ‏”‏ أَصُمْتِ أَمْسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تُرِيدِينَ أَنْ تَصُومِي غَدًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَفْطِرِي ‏”‏ ‏.‏

জুয়াইরিয়াহ বিনতুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’‘আহর দিন তাঁর কাছে আসলেন তখন তিনি সওম পালন অবস্তায় ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি গতকাল সওম রেখেছিলে? তিনি বললেন, না। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি আগামীকাল সওম পালনের ইচ্ছা আছে? তিনি বললেন, না। তিনি বললেনঃ তাহলে সওম ভঙ্গ করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ اللَّيْثَ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا ذُكِرَ لَهُ أَنَّهُ نُهِيَ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ السَّبْتِ يَقُولُ ابْنُ شِهَابٍ هَذَا حَدِيثٌ حِمْصِيٌّ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তার নিকট শুধু শনিবার সওম রাখা নিষেধ সম্পর্কিত হাদীস আলোচনা করা হলে তিনি বলেন, এটাতো হিমসী বর্ণিত হাদীস। [২৪২৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪২৩] বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ মাকতু মারফুজ

  •  সরাসরি

২৪২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ مَا زِلْتُ لَهُ كَاتِمًا حَتَّى رَأَيْتُهُ انْتَشَرَ ‏.‏ يَعْنِي حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ هَذَا فِي صَوْمِ يَوْمِ السَّبْتِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَالِكٌ هَذَا كَذِبٌ ‏.‏

আল-আওযাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, শনিবারের সওম সম্পর্কিত ইবনু বূসর বর্ণিত হাদীসটি আমি গোপন রেখেছিলাম। কিন্ত আমি দেখলাম যে, তা ব্যপকভাবে প্রসার পেয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক (রহঃ) বলেছেন, এ হাদীসটি মিথ্যা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৩

সারা বছর সওম পালন

২৪২৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَصُومُ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قَوْلِهِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عُمَرُ قَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَمِنْ غَضَبِ رَسُولِهِ ‏.‏ فَلَمْ يَزَلْ عُمَرُ يُرَدِّدُهَا حَتَّى سَكَنَ غَضَبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ الدَّهْرَ كُلَّهُ قَالَ ‏”‏ لاَ صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُسَدَّدٌ ‏”‏ لَمْ يَصُمْ وَلَمْ يُفْطِرْ أَوْ مَا صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ ‏”‏ ‏.‏ شَكَّ غَيْلاَنُ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمَيْنِ وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ ‏”‏ أَوَيُطِيقُ ذَلِكَ أَحَدٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ ‏”‏ ذَلِكَ صَوْمُ دَاوُدَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ قَالَ ‏”‏ وَدِدْتُ أَنِّي طُوِّقْتُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ثَلاَثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ وَصِيَامُ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصَوْمُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কিভাবে সওম রাখেন? এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তুষ্ট হলেন। ‘উমার (রাঃ) তা দেখেতে পেয়ে বললেন, আমরা আল্লাহকে আমাদের রব, ইসলামকে আমাদের দ্বীন এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমাদের নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই। ‘উমার (রাঃ) উক্ত বাক্যটি বারবার বলতে লাগলেন, এক পর্যায়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অসন্তুষ্টির ভাব দূরীভূত হল। এরপর ‘উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ বাক্তি কেমন যে সারা বছর সওম রাখে? তিনি বললেনঃ এমনও কি কেউ সামর্থ্য রাখে? তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ বাক্তি কেমন যে দুই দিন সওম পালন করে এবং একদিন রোযাহীন থাকে? তিনি বললেন, কেউ কি এরূপ করতে সহ্মম? তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যক্তি কেমন যে একদিন সওম পালন করে এবং একদিন রযাহীন থাকে? তিনি বললেন, তা দাঊদ (আঃ) এর সাওমের মতই। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ ব্যক্তির সওম কেমন যে একদিন সওম রেখে দু’দিন রোযাহীন থাকে? তিনি বললেনঃ আমি এটাই কামনা করি, যেন আমাকে এরূপ শক্তি দেয়া হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ প্রতি মাসে তিনটি সওম এবং এক রমাযান থেকে পরবর্তী রমাযান পর্যন্ত প্রতি বছরের রমাযানের সওম, এটাই হচ্ছে সর্বদা সওম পালনের সমতুল্য। আরাফাহ্ দিনের সওম আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, এর দ্বারা তিনি পূর্বের বছর এবং পরের বছরের গুনাহ ক্ষমা করবেন। আর আশূরার সওম, আমি আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি (এর বিনিময়ে) আগামী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ، حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ زَادَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ صَوْمَ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمِ الْخَمِيسِ قَالَ ‏ “‏ فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ الْقُرْآنُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণিত। তাতে অতিরিক্ত রয়েছেঃ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালনের ব্যাপারে আপনার কি অভিমত? তিনি বললেনঃ ঐ দিন আমি জন্মগ্রহন করেছি এবং ঐ দিনই আমার উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৭

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَلَمْ أُحَدَّثْ أَنَّكَ تَقُولُ لأَقُومَنَّ اللَّيْلَ وَلأَصُومَنَّ النَّهَارَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ – أَحْسِبُهُ قَالَ – نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ قُلْتُ ذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ قُمْ وَنَمْ وَصُمْ وَأَفْطِرْ وَصُمْ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَذَاكَ مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا وَهُوَ أَعْدَلُ الصِّيَامِ وَهُوَ صِيَامُ دَاوُدَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমার ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে সাক্ষাত করে বললেনঃ আমাকে কি জানানো হয়নি যে, তুমি বলেছো, আল্লাহর শপথ! আমি সারা দিন সওম রাখবো এবং সারা রাত দাঁড়িয়ে সলাত পড়বো? তিনি বললেন হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এরূপ বলেছি। তিনি বললেনঃ সলাত আদায় করবে এবং নিদ্রায়ও যাবে। সওম পালন করবে এবং কোন দিন সওম থেকে বিরত থাকবে। তুমি প্রতি মাসে (১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখ) তিনটি সওম রাখো, এটাই সারা বছর সওম পালনের সমতুল্য। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এর চেয়ে অধিক শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একদিন সওম রাখো এবং একদিন সওম থেকে বিরত থেকো। এটিই সর্বোত্তম সওম এবং এটিই হচ্ছে দাঊদ (আঃ)-এর সওম। আমি বললাম, আমি এর চাইতেও অধিক শক্তি রাখি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর চেয়ে উত্তম সওম নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৪

হারাম (সম্মানিত) মাসসমূহে সওম পালন সম্পর্কে

২৪২৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْ مُجِيبَةَ الْبَاهِلِيَّةِ، عَنْ أَبِيهَا، أَوْ عَمِّهَا أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ انْطَلَقَ فَأَتَاهُ بَعْدَ سَنَةٍ وَقَدْ تَغَيَّرَتْ حَالَتُهُ وَهَيْئَتُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَا تَعْرِفُنِي قَالَ ‏”‏ وَمَنْ أَنْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَا الْبَاهِلِيُّ الَّذِي جِئْتُكَ عَامَ الأَوَّلِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمَا غَيَّرَكَ وَقَدْ كُنْتَ حَسَنَ الْهَيْئَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَا أَكَلْتُ طَعَامًا إِلاَّ بِلَيْلٍ مُنْذُ فَارَقْتُكَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لِمَ عَذَّبْتَ نَفْسَكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَيَوْمًا مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زِدْنِي فَإِنَّ بِي قُوَّةً ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زِدْنِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زِدْنِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ مِنَ الْحُرُمِ وَاتْرُكْ صُمْ مِنَ الْحُرُمِ وَاتْرُكْ صُمْ مِنَ الْحُرُمِ وَاتْرُكْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ الثَّلاَثَةِ فَضَمَّهَا ثُمَّ أَرْسَلَهَا ‏.‏

বাহিলিয়্যাহ গোত্রীয় ‘মুজীবা’ নাম্নী নামক জনৈক মহিলা হতে তার পিতা অথবা চাচা থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি (পিতা অথবা চাচা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে দেখা করে চলে যান। অতঃপর এক বছর পরে তিনি আসেন। তখন তার মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি ঘটেছিলো। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমাকে চিনতে পারেননি? তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কে? তিনি বললেন, আমি ঐ বাহিলী, আমি গত বছর এসেছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কি কারণে তোমার এরূপ পরিবর্তন ঘটলো, অথচ তুমি তো সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলে? আমি বললাম, আমি আপনার নিকট থেকে বিদায় নেয়ার পর থেকে রাত ছাড়া আহার করিনি ( দিনে অনবরত সওম রেখেছি)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার নাফসকে কেন এরূপ কষ্ট দিয়েছো? অতঃপর তিনি বলেনঃ ধৈর্যের মাস (রমাযান) এবং প্রতি মাসে একটি করে সওম রাখো। তিনি বললেন, আমাকে আরো বাড়িয়ে দিন, কেননা আমার সামর্থ্য আছে। তিনি বললেনঃ দু’’দিন সওম রাখো। লোকটি বললেন, আরো বাড়িয়ে দিন। তিনি বললেনঃ ( প্রতি মাসে) তিন দিন সওম রাখো। লোকটি বললেন, আরো বাড়িয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি হারাম মাসগুলোতে সওম রাখো এবং সওম বর্জনও করো। তুমি হারাম মাসগুলোতে সওম রাখো এবং সওম বর্জনও করো। তুমি হারাম মাসগুলোতে সওম রাখো এবং সওম বর্জনও করো। একথা বলে তিনি তিনটি আঙ্গুল একত্র করার পর ফাঁক করে দিলেন। [২৪২৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৫

মুহাররম মাসের সওম

২৪২৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَإِنَّ أَفْضَلَ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْمَفْرُوضَةِ صَلاَةٌ مِنَ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ ‏”‏ شَهْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ رَمَضَانَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমাযান মাসের পর আল্লাহর মাস মুহররম-এর সওম হচ্ছে সর্বোত্তম এবং ফরয সালাতের পর রাতের সলাতই সর্বোত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৬

রজব মাসের সওম

২৪৩০

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ حَكِيمٍ – قَالَ سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ عَنْ صِيَامِ رَجَبَ، فَقَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يَصُومُ ‏.‏

উসমান ইবনু হাকীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ)-কে রজব মাসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনবরত সওম পালন করতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি এ মাসে সওম বর্জন করবেন না। আবার তিনি অনবরত সওম বর্জন করতেন, এমনকি আমরা বলতাম তিনি (হয়তো) আর সওম রাখবেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৭

শা‘বান মাসের সওম

২৪৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ كَانَ أَحَبَّ الشُّهُورِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَصُومَهُ شَعْبَانُ ثُمَّ يَصِلُهُ بِرَمَضَانَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট সকল মাসের মধ্যে শা‘বান মাসে অধিক সওম রাখা অধিক পছন্দনীয় ছিলো? তিনি এ মাসে সওম অব্যাহত রেখে তা রমযানের সাথে যুক্ত করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৮

শাওয়াল মাসের সওম

২৪৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ مُوسَى – عَنْ هَارُونَ بْنِ سَلْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ – أَوْ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم – عَنْ صِيَامِ الدَّهْرِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ لأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَقًّا صُمْ رَمَضَانَ وَالَّذِي يَلِيهِ وَكُلَّ أَرْبِعَاءَ وَخَمِيسٍ فَإِذَا أَنْتَ قَدْ صُمْتَ الدَّهْرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَافَقَهُ زَيْدٌ الْعُكْلِيُّ وَخَالَفَهُ أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ مُسْلِمُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মুসলিম আল-ক্বারাশী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করেছি (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অথবা তাঁকে সারা বছর সওম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বলেনঃ তোমার স্ত্রীর প্রতি তোমার কর্তব্য রয়েছে। সুতরাং তুমি রমাযান মাস এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট মাসে আর প্রতি বুধবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালন করো। তুমি এরূপ করলে সারা বছরই সওম রাখলে।

 

দুর্বলঃ যইফ আল-জামি‘উস সাগীর (১৯১৪), মিশকাত (২০৬১), যইফ সুনান আত-তিরমিযী (১২২/৭৫২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪৩২ তিরমিযী, নাসায়ী। সানাদে ‘উবাইদুল্লাহ বিন মুসলিম মাজহুল (অজ্ঞাত) ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গরীব।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৯

শাওয়াল মাসের ছয় দিন সওম পালন

২৪৩৩

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، وَسَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ فَكَأَنَّمَا صَامَ الدَّهْرَ ‏”‏ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবী আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমাযান মাসের সওম রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি সওম রাখলো, সে যেন সারা বছর সওম রাখলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬০

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে সওম পালন করতেন

২৪৩৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يَصُومُ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ قَطُّ إِلاَّ رَمَضَانَ وَمَا رَأَيْتُهُ فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাধারে সওম রাখতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি সওম বর্জন করবেন না। আবার তিনি সওম বর্জন করতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি হয়তো আর সওম রাখবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রমাযান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে পূর্ণ মাস সওম পালন করতে দেখিনি। আর আমি তাঁকে শা‘বান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে অধিক (নফল) সওম রাখতে দাখিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏ زَادَ كَانَ يَصُومُهُ إِلاَّ قَلِيلاً بَلْ كَانَ يَصُومُهُ كُلَّهُ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থের অনুরূপ বর্ণিত। তাতে রয়েছেঃ তিনি (শা‘বান মাসে) সামান্য ক’দিন ছাড়া গোটা মাসই সওম পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬১

সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালন

২৪৩৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ مَوْلَى، قُدَامَةَ بْنِ مَظْعُونٍ عَنْ مَوْلَى، أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ انْطَلَقَ مَعَ أُسَامَةَ إِلَى وَادِي الْقُرَى فِي طَلَبِ مَالٍ لَهُ فَكَانَ يَصُومُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَقَالَ لَهُ مَوْلاَهُ لِمَ تَصُومُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ وَأَنْتَ شَيْخٌ كَبِيرٌ فَقَالَ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ وَسُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ أَعْمَالَ الْعِبَادِ تُعْرَضُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي الْحَكَمِ ‏.‏

উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম থেকে বর্ণিতঃ

তিনি উাসমাহ (রাঃ) এর সাথে তার কোন মালের সন্ধানে ওয়াদিয়ুল কুরায় যান। উসামাহ (রাঃ) প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালন করতেন। তার মুক্তদাস তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার কেন সওম রাখেন অথচ আপনি একজন বৃদ্ধ মানুষ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম রাখতেন। তাঁকে এর কারন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর নিকট বান্দার আমলসমূহ পেশ করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬২

(যিলহাজ্জের) দশ দিন সওম পালন

২৪৩৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْحُرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ هُنَيْدَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ امْرَأَتِهِ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ تِسْعَ ذِي الْحِجَّةِ وَيَوْمَ عَاشُورَاءَ وَثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ وَالْخَمِيسَ ‏.‏

হুনাইদাহ ইবনু খালিদ (রহঃ) তার স্ত্রী হতে এবং তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক স্ত্রী সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলহাজ্জ মাসের নয় তারিখ পর্যন্ত, আশূরার দিন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন, মাসের প্রথম সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম রাখতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَمُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الأَيَّامِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي أَيَّامَ الْعَشْرِ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَىْءٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহর নিকট যে কোন দিনের সৎ আমলের চাইতে যিলহাজ্জ মাসের দশ প্রথম দিনের আমলের অধিক প্রিয়। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? তিনি বললেনঃ না, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে জিহাদে বের হয় এবং এর কোন একটি নিয়েও ফিরে না আসে তার কথা স্বতন্ত্র।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৩

যিলহাজ্জের দশ দিন সওম না রাখার বর্ণনা

২৪৩৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَائِمًا الْعَشْرَ قَطُّ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কখনো (যিলহাজ্জ মাসে) দশ দিন সওম পালন করতে দেখিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৪

আরাফাহর দিন আরাফাহর ময়দানে সওম পালন প্রসঙ্গ

২৪৪০

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَوْشَبُ بْنُ عَقِيلٍ، عَنْ مَهْدِيٍّ الْهَجَرِيِّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي بَيْتِهِ فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَةَ ‏.‏

ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর কাছে তারঘরে অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাহর দিন আরাফাহর ময়দানে সওম রাখতে নিষেধ করেছেন। [২৪৪০]

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬০৬৯), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৩৭৮/১৭৩২), সিলসিলাতুল আহাদীসিয যঈফাহ (৪০৪), মিশকাত(২০৬৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৪০] ইবনু মাজাহ, আহমাদ, বায়হাক্বী। সানাদে মাহদী হাজারী অজ্ঞাত (মাজহুল)। যেমন বলেছেন ইবনু হাযম মুহাল্লা গ্রন্থে। ইমাম যাহাবী একে সর্মথন করেছেন আল-মীযান গ্রন্থে এবং ইবনু হাতিম সূত্রেও অনুরূপ উল্লেখ হয়েছে। আত-তাহযীব গ্রন্থে ইবনু মাঈন থেকেও অনুরূপ উক্তি রয়েছে। ইবনু হাযম ও ইবনুল কাইয়্যিম হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪১

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ نَاسًا، تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صَوْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَعْضُهُمْ هُوَ صَائِمٌ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ بِصَائِمٍ ‏.‏ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ بِقَدَحِ لَبَنٍ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَ ‏.‏

আল-হারিস কন্যা উম্মুল ফাদল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আরাফাহর দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পালন করেছেন কিনা এ নিয়ে কতিপয় লোক তার নিকট বিতর্ক করেন। তাদের কেউ বললেন, তিনি সওম রেখেছেন, আবার কতিপয় বললেন, তিনি সওম রাখেননি। সুতরাং আমি তাঁর কাছে এক পেয়ালা দুধ পাঠালাম, তখন তিনি তাঁর উষ্ট্রীর পিঠের উপর আরাফাহতে অবস্থান করছিলেন। তিনি দুধটুকু পান করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৫

আশূরার দিন সওম পালন

২৪৪২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ يَوْمًا تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ فَلَمَّا فُرِضَ رَمَضَانُ كَانَ هُوَ الْفَرِيضَةَ وَتُرِكَ عَاشُورَاءُ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাহিলিয়াতের যুগে কুরাইশরা আশূরার সওম পালন করতো। জাহিলী যুগে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -ও এ দিন সওম রাখতেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় এসে এ দিন সওম রেখেছেন এবং লোকদেরকেও সওম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। অত:পর রমযানের সওম ফরয হলে সেটিই ফরয হিসেবে বহাল হলো এবং আশূরার দিন সওম রাখার আবশ্যকতা পরিত্যক্ত হলো। ফলে যার ইচ্ছা সওম রাখতো এবং যার ইচ্ছা ত্যাগ করতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ عَاشُورَاءُ يَوْمًا نَصُومُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هَذَا يَوْمٌ مِنْ أَيَّامِ اللَّهِ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আশূরা এমন দিন ছিলো যে, জাহিলী যুগে আমরা এ দিন সওম পালন করতাম। অতঃপর রমাযান মাসের সওম ফারয করা হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটি আল্লাহর দিনসমূহের একটি দিন। কাজেই যার ইচ্ছা সওম রাখুক, আর যার ইচ্ছা তা ত্যাগ করুক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৪

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَجَدَ الْيَهُودَ يَصُومُونَ عَاشُورَاءَ فَسُئِلُوا عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي أَظْهَرَ اللَّهُ فِيهِ مُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ وَنَحْنُ نَصُومُهُ تَعْظِيمًا لَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَحْنُ أَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহয় এসে ইয়াহুদীদের আশূরার দিন সওম পালনরত পেলেন। তাদেরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বললো, এটি একটি মহান দিন, যেদিন মহান আল্লাহ মূসা (আঃ)-কে ফেরাউনের উপর বিজয়ী করেছেন। সুতরাং এ মহান দিনের সম্মানার্থে আমরা সওম পালন করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের চাইতে আমরা মূসা (আঃ) -এর বেশি হকদার। অতঃপর তিনি ঐদিন সওম পালনের নির্দেশ দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৬

বর্ণিত আছে যে, মুহাররমের নয় তারিখ আশূরার দিন

২৪৪৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ أُمَيَّةَ الْقُرَشِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا غَطَفَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ حِينَ صَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَنَا بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ صُمْنَا يَوْمَ التَّاسِعِ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নিজে আশূরার দিন সওম রাখলেন এবং আমাদেরকেও এ সওম পালনের নির্দেশ দেন, তখন লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা এ দিনটিকে সম্মান করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আগামী বছর এলে আমরা নবম দিনও সওম পালন করবো। কিন্ত আগামী বছর না আসতেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ غَلاَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنِي حَاجِبُ بْنُ عُمَرَ، – جَمِيعًا الْمَعْنَى – عَنِ الْحَكَمِ بْنِ الأَعْرَجِ، قَالَ أَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ رِدَاءَهُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ فَقَالَ إِذَا رَأَيْتَ هِلاَلَ الْمُحَرَّمِ فَاعْدُدْ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ التَّاسِعِ فَأَصْبِحْ صَائِمًا ‏.‏ فَقُلْتُ كَذَا كَانَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ فَقَالَ كَذَلِكَ كَانَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ ‏.‏

আল-হাকাম ইবনু আ‘রাজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকট এলাম। এ সময় তিনি মাসজিদুল হারামে তার চাঁদরে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। আমি তাকে আশূরার সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যখন তুমি মুহাররমের নতুন চাঁদ দেখবে, তখন থেকে গণনা করতে থাকবে। এভাবে যখন নবম দিন আসবে তখন সওম অবস্থায় ভোর করবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি এভাবে সওম রাখতেন? তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবেই সওম রাখতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৭

আশূরার সওম পালনের ফাযীলত

২৪৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْلَمَةَ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ أَسْلَمَ، أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ صُمْتُمْ يَوْمَكُمْ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَتِمُّوا بَقِيَّةَ يَوْمِكُمْ وَاقْضُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي يَوْمَ عَاشُورَاءَ ‏.‏

‘আব্দুর রহমান ইবনু মাসলামাহ (রহঃ) হতে তার চাচা থেকে বর্ণিতঃ

একদা আসলাম গোত্রের লোকেরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আগমন করলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি তোমাদের এই দিনে সওম রেখেছো? তারা বললো, না। তিনি বললেনঃ দিনের বাকী অংশটুকু (পানাহার না করে) পূর্ণ করো এবং এদিনের সওম ক্বাযা করে নাও। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ আশূরার দিন। [২৪৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪৪৭ বায়হাক্বী। সানাদের ‘আব্দুর রহমান বিন মাসলামাহ মাক্ববূল। ইমাম বায়হাক্বী বলেনঃ তিনি অজ্ঞাত (মাজহুল)। তার পিতার নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ‘আব্দুল হাক্ব বলেনঃ সওম ক্বাযা করার এই হাদীস সহীহ নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৮

একদিন সওম রাখা ও একদিন বিরতি দেয়া

২৪৪৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَمُسَدَّدٌ، – وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ أَحْمَدَ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرًا قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ سَمِعَهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى صِيَامُ دَاوُدَ وَأَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى اللَّهِ صَلاَةُ دَاوُدَ كَانَ يَنَامُ نِصْفَهُ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَكَانَ يُفْطِرُ يَوْمًا وَيَصُومُ يَوْمًا ‏”‏ ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ  আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সওম হলো দাঊদ (আঃ) -এর সওম এবং আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় সলাত হলো দাঊদ (আঃ) -এর সলাত। তিনি রাতের অর্ধেক অংশ ঘুমাতেন এবং এক-তৃতীয়াংশ ক্বিয়াম করতেন। আবার এক ষষ্ঠমাংশ ঘুমাতেন। আর তিনি একদিন সওম ত্যাগ করতেন এবং একদিন সওম রাখতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৯

প্রতি মাসে তিনদিন সওম পালন

২৪৪৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَخِي مُحَمَّدٍ عَنِ ابْنِ مِلْحَانَ الْقَيْسِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا أَنْ نَصُومَ الْبِيضَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ ‏ “‏ هُنَّ كَهَيْئَةِ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু মিলহান আল-ক্বায়সী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আইয়ামে বীয অর্থৎ চাদেঁর ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সওম পালনে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এগুলো সারা বছর সওম রাখার সমতুল্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫০

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ – يَعْنِي مِنْ غُرَّةِ كُلِّ شَهْرٍ – ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি মাসের প্রথম দিকে তিনদিন সওম পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭০

যিনি বলেন, (ঐ তিনটির দু’টি হলো) সোম ও বৃহস্পতিবার

২৪৫১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ سَوَاءٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنَ الشَّهْرِ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ وَالاِثْنَيْنِ مِنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى ‏.‏

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি মাসে তিন দিন সওম রাখতেনঃ (প্রথম সপ্তাহে) সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে সোমবার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ هُنَيْدَةَ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلْتُهَا عَنِ الصِّيَامِ فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنِي أَنْ أَصُومَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ أَوَّلُهَا الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ ‏.‏

হুনাইদাহ আল-খুযাঈ (রহঃ) হতে তার মা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর কাছে গিয়ে সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে প্রতি মাসে তিন দিন সওম পালনের নির্দেশ দিতেন। মাসের প্রথম সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) বৃহস্পতিবার। [২৪৫২]

 

মুনকারঃ মিশকাত (২০৬০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪৫২ নাসায়ী, আহমাদ। সানাদে হুনাইদার মায়ের পরিচয় জানা যায়নি।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭১

যিনি বলেন, মাসের যে কোন দিন সওম পালন করা যায়

২৪৫৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ قُلْتُ مِنْ أَىِّ شَهْرٍ كَانَ يَصُومُ قَالَتْ مَا كَانَ يُبَالِي مِنْ أَىِّ أَيَّامِ الشَّهْرِ كَانَ يَصُومُ ‏.‏

মু‘আযাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি জিজ্ঞেস করি , মাসের কোন্ কোন্ দিনে সওম রাখতেন? তিনি বললেন, তিনি নির্দিধায় যে কোন তিন দিন সওম রাখতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭২

সওম পালনের নিয়্যাত সম্পর্কে

২৪৫৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَفْصَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ اللَّيْثُ وَإِسْحَاقُ بْنُ حَازِمٍ أَيْضًا جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ مِثْلَهُ وَوَقَفَهُ عَلَى حَفْصَةَ مَعْمَرٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَيُونُسُ الأَيْلِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফাজরের পূর্বে সওমের নিয়্যাত করেনি তার সওম হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৩

এ ব্যাপারে অনুমতি প্রসঙ্গে

২৪৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، جَمِيعًا عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ عَلَىَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ عِنْدَكُمْ طَعَامٌ ‏”‏ ‏.‏ فَإِذَا قُلْنَا لاَ قَالَ ‏”‏ إِنِّي صَائِمٌ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ وَكِيعٌ فَدَخَلَ عَلَيْنَا يَوْمًا آخَرَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أُهْدِيَ لَنَا حَيْسٌ فَحَبَسْنَاهُ لَكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَدْنِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ طَلْحَةُ فَأَصْبَحَ صَائِمًا وَأَفْطَرَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে এসে বলতেনঃ তোমাদের কাছে কোন খাবার আছে কি? আমরা না বললে তিনি বলতেনঃ আমি সওম রাখলাম। একদিন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আগমন করলে আমরা বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেকে কিছু ‘হাইস’’ হাদিয়া দেয়া হয়েছে। আমরা তা আপনার জন্য রেখে দিয়েছি। তিনি বললেনঃ তা আমার কাছে নিয়ে এসো। অথচ তিনি সওম অবস্থায় ভোর করেছেন, পরে তা খেয়ে ইফতার করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৪৫৬

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، قَالَتْ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَجَلَسَتْ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ قَالَتْ فَجَاءَتِ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً ‏.‏ فَقَالَ لَهَا ‏”‏ أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلاَ يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا ‏”‏ ‏.‏

উম্মু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহ বিজয়ের দিন ফাত্বিমাহ (রাঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাম পাশে বসলেন আর উম্মু হানী (রাঃ) বসলেন তাঁর ডান পাশে। বর্ণনাকারী বলেন, এক দাসী এক পাত্র পানীয় এনে তাঁকে দিলে তিনি তা থেকে কিছু পান করার পর উম্মু হানীর দিকে পাত্রটি এগিয়ে দিলেন এবং তিনি তা থেকে পান করলেন। উম্মু হানী (রাঃ) বললেন হে আল্লাহর রাসূল! আমি যে এখন ইফতার করলাম, আমি তো সওম রেখেছিলাম! তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি এগুলো ক্বাযা করতে চাও? তিনি বললেন, না। তিনি বললেনঃ যদি তা নফল (সওম) হয় তাহলে কোন ক্ষতি নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৪

যিনি বলেন, নফল সওম ভঙ্গ করলে এর ক্বাযা করতে হবে

২৪৫৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ زُمَيْلٍ، مَوْلَى عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أُهْدِيَ لِي وَلِحَفْصَةَ طَعَامٌ وَكُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَأَفْطَرْنَا ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ فَاشْتَهَيْنَاهَا فَأَفْطَرْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ عَلَيْكُمَا صُومَا مَكَانَهُ يَوْمًا آخَرَ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমাকে ও হাফসাহ (রাঃ) -কে কিছু খাবার উপঢৌকন দেয়া হয়। তখন আমরা দু’জনেই সওম অবস্থায় ছিলাম। আমরা সওম ভাঙ্গলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এলে আমরা তাঁকে বললাম হে, আল্লাহর রসূল! আমাদেরকে হাদিয়া দেয়া হয়েছিল। আমাদের তা খেতে ইচ্ছে হওয়ায় আমরা তা খেয়ে সওম ভেঙ্গে ফেলি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন অসুবিধা নেই, তবে এর পরিবর্তে অন্য দিন সওম রেখে নিবে। [২৪৫৭]

 

দুর্বলঃ যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১১৮/৭৩৮) পরবর্তী দিন শব্দে, যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬৩০৩), মিশকাত (২০৮০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪৫৭ তিরমিযী, আহমাদ। আবু দাঊদের সানাদে যুমাইল রয়েছ। হাফিয বলেনঃ তিনি অজ্ঞাত (মাজহুল)। আর তিরমিযীতে যুহরীর হাদীস সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেনঃ আমি এ বিষয়ে ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ সূত্রে ‘উরওয়াহ হতে যুহরীর হাদীসটি সহীহ নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৫

স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর নফল সওম রাখা

২৪৫৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَصُومُ الْمَرْأَةُ وَبَعْلُهَا شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ غَيْرَ رَمَضَانَ وَلاَ تَأْذَنُ فِي بَيْتِهِ وَهُوَ شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামীর উপস্থিতিতে তার সম্মতি ছাড়া স্ত্রী রমাযান মাসের সওম ব্যতীত নফল সওম রাখবে না এবং তার উপস্থিতিতে তার সম্মতি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তিকে তার ঘরে আসার অনুমতি দিবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ زَوْجِي صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ وَيُفَطِّرُنِي إِذَا صُمْتُ وَلاَ يُصَلِّي صَلاَةَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏.‏ قَالَ وَصَفْوَانُ عِنْدَهُ ‏.‏ قَالَ فَسَأَلَهُ عَمَّا قَالَتْ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَّا قَوْلُهَا يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ فَإِنَّهَا تَقْرَأُ بِسُورَتَيْنِ وَقَدْ نَهَيْتُهَا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏”‏ لَوْ كَانَتْ سُورَةً وَاحِدَةً لَكَفَتِ النَّاسَ ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَّا قَوْلُهَا يُفَطِّرُنِي فَإِنَّهَا تَنْطَلِقُ فَتَصُومُ وَأَنَا رَجُلٌ شَابٌّ فَلاَ أَصْبِرُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ ‏”‏ لاَ تَصُومُ امْرَأَةٌ إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَّا قَوْلُهَا إِنِّي لاَ أُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ قَدْ عُرِفَ لَنَا ذَاكَ لاَ نَكَادُ نَسْتَيْقِظُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا اسْتَيْقَظْتَ فَصَلِّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَمَّادٌ – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنْ حُمَيْدٍ أَوْ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তার কাছে এক মহিলা এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার স্বামী সাফওয়ান ইবনু মু‘আত্তাল যখন আমি সলাত আদায় করি তখন আমাকে প্রহার করে। আমি সওম রাখলে সে আমাকে সওম ভঙ্গ করায় এবং সূর্য উঠার পূর্বে সে ফাজরের সলাত আদায় করে না। বর্ণনাকারী বলেন, সেখানে সাফওয়ানও উপস্থিত ছিলেন। তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে সে সম্পর্কে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তার অভিযোগ হলো, ‘আমি যখন সলাত আদায় করি সে আমাকে প্রহার করে’, কারণ হচ্ছে, সে এমন দু’টি দীর্ঘ সূরাহ দিয়ে সলাত আদায় করে যা পাঠ করতে আমি তাকে নিষেধ করি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেনঃ (ফাতিহার পর) সংক্ষিপ্ত একটি সূরাহই লোকদের জন্য যথেষ্ঠ। তার অভিযোগ, ‘আমাকে সওম ভাঙ্গতে বাধ্য করে’, ব্যাপার এই যে, সে প্রায়ই সওম রাখে। আমি একজন যুবক, ধৈর্যধারণ করতে পারিনা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দিনই বললেনঃ কোন নারী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া (নাফল) সওম রাখবে না। এবং তার অভিযোগ, ‘সূর্য উঠার পূর্বে আমি (ফাজরের) সলাত আদায় করি না’, কারণ হলো, আমার পরিবারের লোকেরা সর্বদা কাজে (পানি সরবরাহে) ব্যস্ত থাকে। ফলে সূর্য উঠার আগে আমরা ঘুম থেকে জাগতে পারি না। তার কথা শুনে তিনি বললেনঃ যখনই তুমি জাগ্রত হবে তখনই সলাত আদায় করে নিবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৬

সওম পালনকারীকে বিবাহভোজের দাওয়াত দিলে

২৪৬০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيُجِبْ فَإِنْ كَانَ مُفْطِرًا فَلْيَطْعَمْ وَإِنْ كَانَ صَائِمًا فَلْيُصَلِّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ وَالصَّلاَةُ الدُّعَاءُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ أَيْضًا عَنْ هِشَامٍ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কাউকে খাওয়ার দাওয়াত দেয়া হলে সে যেন তাতে যোগদান করে। সে রোযাহীন হলে যেন খাবার খায়, আর সওম রেখে থাকলে যেন দাওয়াতকারীর জন্য দু‘আ করে। হিশাম (রহঃ) বলেন, এখানে ‘সলাত’ অর্থ দু‘আ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৭

খাবার খেতে ডাকলে সওম পালনকারী যা বলবে

২৪৬১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন (সওম পালনকারী) ব্যক্তিকে খাবার দাওয়াত দেয়া হলে সে যেন বলে, নিশ্চয়ই আমি রোযাদার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৮

ই‘তিকাফ

২৪৬২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ ثُمَّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন যতদিন না আল্লাহ তাঁকে মৃত্যুদান করেন। এরপর তাঁর স্ত্রীগণও (ই‘তিকাফ করেন)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৩

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ عَامًا فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ لَيْلَةً ‏.‏

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। এক বছর তিনি ই‘তিকাফ করতে না পারায় পরবর্তী বছর বিশ দিন ই‘তিকাফ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَيَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ صَلَّى الْفَجْرَ ثُمَّ دَخَلَ مُعْتَكَفَهُ ‏.‏ قَالَتْ وَإِنَّهُ أَرَادَ مَرَّةً أَنْ يَعْتَكِفَ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏.‏ قَالَتْ فَأَمَرَ بِبِنَائِهِ فَضُرِبَ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ أَمَرْتُ بِبِنَائِي فَضُرِبَ ‏.‏ قَالَتْ وَأَمَرَ غَيْرِي مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِبِنَائِهِ فَضُرِبَ فَلَمَّا صَلَّى الْفَجْرَ نَظَرَ إِلَى الأَبْنِيَةِ فَقَالَ ‏ “‏ مَا هَذِهِ آلْبِرَّ تُرِدْنَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَمَرَ بِبِنَائِهِ فَقُوِّضَ وَأَمَرَ أَزْوَاجُهُ بِأَبْنِيَتِهِنَّ فَقُوِّضَتْ ثُمَّ أَخَّرَ الاِعْتِكَافَ إِلَى الْعَشْرِ الأُوَلِ يَعْنِي مِنْ شَوَّالٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ نَحْوَهُ وَرَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ مِنْ شَوَّالٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফের ইচ্ছা করলে ফজরের সলাত আদায়ের পর তাঁর ই‘তিকাফের স্থানে প্রবেশ করতেন। তিনি বলেন, একবার তিনি রমাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফের ইচ্ছা করলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি একটি তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলে তা খাটানো হয়। এরপর তা দেখে আমিও আমার জন্য একটি তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলে তা খাটানো হয়। তিনি বলেন, আমি ছাড়া নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্যান্য স্ত্রীরাও অনুরূপ তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলে তাদের জন্যও তা খাটানো হয়। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজর সলাতের পর তাবুঁগুলোর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ এগুলো কি? এটা এমন কি ভালো কাজ যা তোমরা করতে চাইছো? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি নির্দেশ দিলে তাঁর তাঁবু ভেঙ্গে ফেলা হলো। স্ত্রীগণও নির্দেশ দিলে তাঁদের তাঁবুগুলোও ভেঙ্গে ফেলা হলো। অতঃপর তিনি শাওয়াল মাসের প্রথম দশক পর্যন্ত ই‘তিকাফ পিছিয়ে দেন।

 

ইমামা আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস ইবনু ইসহাক্ব ও আল-আওযাঈ (রহঃ) ইয়াহিয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইমাম মালিক (রহঃ) ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শাওয়াল মাসে বিশ দিন ই‘তিকাফ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৯

ই‘তিকাফ কোথায় করবে?

২৪৬৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، أَنَّ نَافِعًا، أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ ‏.‏ قَالَ نَافِعٌ وَقَدْ أَرَانِي عَبْدُ اللَّهِ الْمَكَانَ الَّذِي يَعْتَكِفُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَسْجِدِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। নাফি‘ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদের যে স্থানে ই‘তিকাফ করতেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ঐ স্থানটি আমাকে দেখিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৬

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ كُلَّ رَمَضَانَ عَشَرَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রমাযানে দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে বছর বিশ দিন ই‘তিকাফ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮০

ই‘তিকাফকারী প্রয়োজনে (মাসজিদ থেকে বেরিয়ে) ঘরে প্রবেশ করতে পারে

২৪৬৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اعْتَكَفَ يُدْنِي إِلَىَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةِ الإِنْسَانِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফরত অবস্থায় স্বীয় মাথা আমার নিকটবর্তী করতেন। আর আমি তাঁর মাথা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يُتَابِعْ أَحَدٌ مَالِكًا عَلَى عُرْوَةَ عَنْ عَمْرَةَ وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ وَزِيَادُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইউনুস (রহঃ) যুহরী হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে ‘উরওয়াহ ও ‘আমরাহর বর্ণনার উপর কেউই ইমাম মালিকের অনুসরণ করেননি এবং মা‘মার, যিয়াদ ইবনু সা‘দ প্রমুখ যুহরীর মাধ্যমে ‘উরওয়াহ হতে ‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। [২৪৬৮]

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৬৮] এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

২৪৬৯

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَكُونُ مُعْتَكِفًا فِي الْمَسْجِدِ فَيُنَاوِلُنِي رَأْسَهُ مِنْ خَلَلِ الْحُجْرَةِ فَأَغْسِلُ رَأْسَهُ ‏.‏ وَقَالَ مُسَدَّدٌ فَأُرَجِّلُهُ وَأَنَا حَائِضٌ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে ই‘তিকাফরত অবস্থায় তাঁর ঘরের ফাঁক দিয়ে তাঁর মাথা আমার দিকে এগিয়ে দিতেন। আমি হায়িয অবস্থায় তাঁর মাথা ধুয়ে দিতাম এবং চিরুনী করে দিতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّويَةَ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي – وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ – فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ‏”‏ ‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ شَرًّا ‏”‏ ‏.‏

সাফিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফরত ছিলেন। এক রাতে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। তাঁর সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর আমি ঘরে প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে তিনিও আমাকে এগিয়ে দিতে উঠলেন। তার (সাফিয়্যাহর) বাসস্থান ছিলো উসামাহ ইবনু যায়িদের ঘরের সাথে। দু’জন আনসারী ব্যক্তি ঐ পথ অতিক্রমকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখতে পেয়ে দ্রুত চলে যেতে লাগলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা স্বাভাবিক গতিতে হাঁটো। এ মহিলাটি হচ্ছেন হুয়াইর কন্যা সাফিয়্যাহ। তারা উভয়ে বললেন, সুবহানাল্লাহ, হে আল্লাহ রসূল। তিনি বললেনঃ শয়তান রক্তপ্রবাহের ন্যায় মানুষের শিরায়-উপশিরায় প্রবেশ করে। আমার আশঙ্কা হলো, সে তোমাদের মনে কুধারণা বা খারাপ কিছুর উদ্রেক করতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا قَالَتْ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ بَابِ الْمَسْجِدِ الَّذِي عِنْدَ بَابِ أُمِّ سَلَمَةَ مَرَّ بِهِمَا رَجُلاَنِ ‏.‏ وَسَاقَ مَعْنَاهُ ‏.‏

আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। সাফিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, তিনি যখন উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর দরজার নিকটস্থ মাসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌছলেন তখন তাঁদের পাশ দিয়ে দু’জন লোক অতিক্রম করলো। অতঃপর বর্ণনাকারী উপরোক্ত হাদীসটির অর্থে বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮১

ই‘তিকাফকারীর রোগী দেখতে যাওয়া

২৪৭২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – قَالَ النُّفَيْلِيُّ – قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمُرُّ بِالْمَرِيضِ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فَيَمُرُّ كَمَا هُوَ وَلاَ يُعَرِّجُ يَسْأَلُ عَنْهُ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عِيسَى قَالَتْ إِنْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُ الْمَرِيضَ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফরত অবস্থায় রোগীর কাছে যেতেন এবং তাকে দেখেই চলে যেতেন, সেখানে (অবস্থান করে) তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতেন না। ইবনু ঈসার (রহঃ) বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফ অবস্থায় রোগী দেখতে যেতেন। [২৪৭২]

 

দুর্বলঃ মিশকাত (২১০৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৪৭২ বায়হাক্বি। সানাদে লাইস বিন আবু সুলাইম রয়েছে। তিনি শেষ বয়সে হাদীস সংমিশ্রণ করতেন। তার হাদীসগুলো পৃথক করা যায়নি। সুতরাং তাকে বর্জন করা হয়েছে। আল্লামা মুনযিরী বলেনঃ তিনি সমালোচিত। হাফিয আত-তালখীস গ্রন্থে বলেনঃ তিনি যঈফ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৩

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ غَيْرُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ لاَ يَقُولُ فِيهِ قَالَتِ السُّنَّةُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ جَعَلَهُ قَوْلَ عَائِشَةَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ই‘তিকাফকারীর জন্য সুন্নাত হলোঃ সে কোন রোগী দেখতে যাবে না, জানাযায় অংশগ্রহণ করবে না, স্ত্রীকে স্পর্শ করবে না, তার সাথে সহবাস করবে না এবং অধিক প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবে না, সওম না রেখে ই‘তিকাফ করবে না এবং জামে মাসজিদে ই‘তিকাফ করবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উল্লিখিত বিষয়গুলোকে ‘আয়িশাহ (রাঃ) সুন্নাত বলেছেন’ এ কথাটি ‘আবদুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব ব্যতীত অন্য কেউ বলেননি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, তিনি একে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর উক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৪৭৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، – رضى الله عنه – جَعَلَ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَكِفَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لَيْلَةً أَوْ يَوْمًا عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَسَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ اعْتَكِفْ وَصُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার (রাঃ) জাহিলী যুগে মানত করেছিলেন যে, তিনি এক রাত বা এক দিন কা‘বা ঘরের চত্বরে ই‘তিকাফ করবেন। তিনি এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ ই‘তিকাফ করো এবং সওম পালন করো।

 

সহীহঃ তবে “অথবা একদিন” এবং “সওম পালন করো” – এ কথাটুকু বাদে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ الْقُرَشِيِّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي الْعَنْقَزِيَّ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُدَيْلٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ قَالَ فَبَيْنَمَا هُوَ مُعْتَكِفٌ إِذْ كَبَّرَ النَّاسُ فَقَالَ مَا هَذَا يَا عَبْدَ اللَّهِ قَالَ سَبْىُ هَوَازِنَ أَعْتَقَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَتِلْكَ الْجَارِيَةُ ‏.‏ فَأَرْسَلَهَا مَعَهُمْ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুদাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। একদা ‘উমার (রাঃ) ই‘তিকাফরত অবস্থায় মাসজিদের বাইরে লোকদের তাকবীর ধ্বনি শুনে জিজ্ঞেস করলেন, হে ‘আব্দুল্লাহ! এটা কিসের শব্দ? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাওয়াযিন গোত্রের বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছেন। তিনি বললেন, তুমি এ দাসীটিকেও (মুক্ত করে) তাদের সাথে পাঠিয়ে দাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮২

মুস্তাহাযা মহিলার ই‘তিকাফ

২৪৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتِ اعْتَكَفَتْ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مِنْ أَزْوَاجِهِ فَكَانَتْ تَرَى الصُّفْرَةَ وَالْحُمْرَةَ فَرُبَّمَا وَضَعْنَا الطَّسْتَ تَحْتَهَا وَهِيَ تُصَلِّي ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তাঁর কোন এক স্ত্রী ই‘তিকাফ করেছিলেন। তাঁর স্রাবের রক্তের রং হলুদ ও লাল দেখা যেতো। আর আমরা কখনো তার (দু’ পায়ের মাঝে) একটি পাত্র রেখে দিতাম। এ অবস্থায় তিনি সলাত আদায় করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস