আবু দাউদ পবিত্রতা অর্জন অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১ – ১০০

অনুচ্ছেদ-১

পেশাব-পায়খানার জন্য নির্জন স্থানে যাওয়া

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا ذَهَبَ الْمَذْهَبَ أَبْعَدَ ‏.‏

মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানার উদ্দেশ্যে দূরে চলে যেতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ الْبَرَازَ انْطَلَقَ حَتَّى لاَ يَرَاهُ أَحَدٌ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানার উদ্দেশে দূরে চলে যেতেন, যেন তাঁকে কেউ দেখতে না পায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২

পেশাবের জন্য কোন ব্যক্তির জায়গা তালাশ করা

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، حَدَّثَنِي شَيْخٌ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ الْبَصْرَةَ فَكَانَ يُحَدَّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى، فَكَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَى أَبِي مُوسَى يَسْأَلُهُ عَنْ أَشْيَاءَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو مُوسَى إِنِّي كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَأَرَادَ أَنْ يَبُولَ فَأَتَى دَمِثًا فِي أَصْلِ جِدَارٍ فَبَالَ ثُمَّ قَالَ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يَبُولَ فَلْيَرْتَدْ لِبَوْلِهِ مَوْضِعًا ‏”‏ ‏.‏

আবুত্ তাইয়্যাহ্ থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক শায়খ আমাকে বলেছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) যখন বাসরাহ্‌য় পদার্পণ করলেন, তখন তাঁর নিকট আবূ মূসা (রাঃ)- এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করা হয়। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়ে আবূ মূসার (রাঃ) নিকট চিঠি লিখলেন। উত্তরে আবূ মুসা (রাঃ) তাঁকে লিখলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি পেশাব করার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি একটি দেয়ালের গোড়ার নরম মাটিতে গিয়ে পেশাব করলেন। এরপর তিনি বললেন, তোমাদের কেউ পেশাব করতে চাইলে যেন নীচু নরম জায়গা অনুসন্ধান করে নেয়। [৩]

 

[৩] দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৩১৯, মিশকাত ৩৪৫।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩] আহমাদ ‘মুসনাদ’ (৪/৩৯৬,৪৪৪), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পেশাবের জায়গা খোঁজ করা, ১/৯৩, ৯৪) আবুত তাইয়্যাহ সূত্রে জনৈক ব্যক্তি হতে। এ সনদটি আবুত্ তাইয়্যাহর শায়খের জাহালাতের কারণে দুর্বল। মিশকাতের তাহক্বীক্বে রয়েছেঃ এর সানাদ দুর্বল। সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক শায়খ আছেন। একদল মুহাদ্দিস এটিকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩

কেউ পায়খানায় প্রবেশকালে যা বলবে

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، وَعَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ – قَالَ عَنْ حَمَّادٍ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ – قَالَ ‏”‏ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ‏”‏ ‏.‏

قَالَ أَبُو دَاوُد رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ وَقَالَ مَرَّةً أَعُوذُ بِاللَّهِ و قَالَ وُهَيْبٌ فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন, হাম্মাদের বর্ণনা মতে, তখন তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” আর ‘আবদুল ওয়ারিসের বর্ণনা মতে, তিনি বলতেনঃ “আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাইছি শয়তানদের থেকে ও যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে।”

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، – يَعْنِي السَّدُوسِيَّ – حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، – هُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ – عَنْ أَنَسٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ شُعْبَةُ وَقَالَ مَرَّةً ‏”‏ أَعُوذُ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল ‘আযীয ইবনু সুহাইব থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’ কথাটি রয়েছে। শু’বাহ ‘আবদুল ‘আযীয সূত্রে বলেন, তিনি একবার ‘আউযুবিল্লাহ’ বলেছেন। আর ‘আবদুল ‘আযীয সূত্রে উহাইব বর্ণনা করেছেন যে, তাতে ‘সে যেন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে’ কথাটি রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْخَلاَءَ فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ‏”‏ ‏.‏

যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাধারণতঃ পায়খানার স্থানে শয়তান এসে থাকে। সুতরাং তোমাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশকালে যেন বলেঃ আমি আল্লাহ্‌র কাছে শাইত্বন ও যাবতীয় অপবিত্রতা হতে আশ্রয় চাইছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪

ক্বিবলাহমুখী হয়ে পেশাব পায়খানা করা মাকরূহ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قِيلَ لَهُ لَقَدْ عَلَّمَكُمْ نَبِيُّكُمْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةَ ‏.‏ قَالَ أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا صلى الله عليه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ وَأَنْ لاَ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ وَأَنْ لاَ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ أَوْ يَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ عَظْمٍ ‏.‏

সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণনাকারী ‘আবদুর রহমান বলেন, সালমান (রাঃ) কে বলা হলো, তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদেরকে সবকিছুই শিক্ষা দিয়েছেন, এমন কি পায়খানা করার নিয়মও। সালমান (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিষেধ করেছেন ক্বিবলাহমুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করতে, ডান হাতে শৌচ করতে, শৌচকার্যে আমাদের কারো তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার করতে এবং গোবর অথবা হাড় দ্বারা শৌচ করতে।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ক্বিবলাহমুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করা জায়িয নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ أُعَلِّمُكُمْ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلاَ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ يَسْتَدْبِرْهَا وَلاَ يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ يَأْمُرُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ وَيَنْهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদের জন্য পিতৃতুল্য, তোমাদেরকে আমি দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকি। তোমাদের কেউ পায়খানায় গেলে ক্বিবলাহমুখী হয়ে বসবে না এবং ক্বিবলাহর দিকে পিঠ দিয়েও বসবে না, আর ডান হাতে শৌচ করবে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড় দ্বারা শৌচ করতে নিষেধ করতেন।

 

হাসানঃ এর অংশ বিশেষ মুসলিমে আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، رِوَايَةً قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بَوْلٍ وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا ‏”‏ ‏.‏ فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَكُنَّا نَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ ‏.‏

আবূ আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা পায়খানায় গিয়ে ক্বিবলাহমুখী হয়ে পায়খানা-পেশাব করবে না, বরং পূর্ব অথবা পশ্চিমমুখী হয়ে বসবে। আবূ আইউব (রাঃ) বলেন, আমরা সিরিয়ায় গিয়ে দেখতে পেলাম, সেখানকার শৌচাগারগুলো ক্বিবলাহমুখী করে বানানো। সেজন্য উক্ত স্থানে আমরা একটু বেঁকে বসতাম এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতাম।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي زَيْدٍ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ أَبِي مَعْقِلٍ الأَسَدِيِّ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَتَيْنِ بِبَوْلٍ أَوْ غَائِطٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَبُو زَيْدٍ هُوَ مَوْلَى بَنِي ثَعْلَبَةَ ‏.‏

মা’ক্বিল ইবনু আবূ মা’ক্বিল আল-আসাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ ক্বিবলাহর (কা’বা ও বাইতুল মুক্বাদ্দিসের) দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন। [১০]

 

মুনকারঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৬০০১।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০] আহমাদ (৪/২১০), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পেশাব-পায়খানার সময় ক্বিবলাহমুখী হওয়া নিষেধ, হাঃ৩১৯), এবং বলা হয়েছে যে, সানাদের আবূ যায়িদ এর অবস্থা অজ্ঞাত (মাজহুলুল হাল)। অতএব হাদীসটি তার কারণে দুর্বল। ইবনু হাজার ‘আত-তাহযীব’ গ্রন্থে তার জীবনীতে বলেছেনঃ বলা হয়, তার নাম ওয়ালিদ। তিনি মা‘ক্বাল ইবনু আবূ মা‘ক্বাল আল আসাদী সূত্রে দু’ক্বিবলাহর দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা নিষেধ হওয়া সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন, এবং তার সূত্রে ‘আমর ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু ‘উমরাহ। ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি পরিচিত নন।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

১১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ مَرْوَانَ الأَصْفَرِ، قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ أَنَاخَ رَاحِلَتَهُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ ثُمَّ جَلَسَ يَبُولُ إِلَيْهَا فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَلَيْسَ قَدْ نُهِيَ عَنْ هَذَا قَالَ بَلَى إِنَّمَا نُهِيَ عَنْ ذَلِكَ فِي الْفَضَاءِ فَإِذَا كَانَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ شَىْءٌ يَسْتُرُكَ فَلاَ بَأْسَ ‏.‏

মারওয়ান আল-আস্‌ফার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখলাম, ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার উটকে ক্বিবলাহর দিকে বসালেন। অতঃপর ঐ উটের দিকে মুখ করে বসে পেশাব করলেন। আমি বললাম, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! এ থেকে ( অর্থাৎ ক্বিবলাহমুখী হয়ে পেশাব করতে) নিষেধ করা হয়নি কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে এ নিষেধ উন্মুক্ত ময়দানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তোমরা এবং ক্বিবলাহর মাঝখানে কোন কিছুর আড়াল থাকলে তা দূষনীয় নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫

এ সম্পর্কে অনুমতি প্রসঙ্গে

১২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَقَدِ ارْتَقَيْتُ عَلَى ظَهْرِ الْبَيْتِ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ لِحَاجَتِهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ঘরের ছাদে উঠে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দু’টি ইটের উপর বসে বাইতুল মাক্বদিসের দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা করতে দেখেছি।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ প্রাচীর ঘেরা স্থানে ক্বিবলাহকে পেছনে রেখে পেশাব-পায়খানা করা জায়িয।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِبَوْلٍ فَرَأَيْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ بِعَامٍ يَسْتَقْبِلُهَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলাহমুখী হয়ে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর ইন্তিকালের এক বছর পূর্বে ক্বিবলাহমুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬

পায়খানার সময় কিভাবে সতর খুলবে

১৪

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ حَاجَةً لاَ يَرْفَعُ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَهُوَ ضَعِيفٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى الرَّمْلِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بِهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পেশাব-পায়খানার ইচ্ছা করতেন, তিনি যমীনের নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত কাপড় উঠাতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭

পেশাব-পায়খানার সময় কথা বলা মাকরূহ

১৫

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عِيَاضٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَخْرُجُ الرَّجُلاَنِ يَضْرِبَانِ الْغَائِطَ كَاشِفَيْنِ عَنْ عَوْرَتِهِمَا يَتَحَدَّثَانِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَمْقُتُ عَلَى ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا لَمْ يُسْنِدْهُ إِلاَّ عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ দু’ ব্যক্তি একই সঙ্গে পেশাব-পায়খানার জন্য বের হবে না এবং আপন লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে কথাবার্তা বলবে না। কারণ এরূপ কাজে মহাসম্মানিত আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা ওয়াজিব।

২। পেশাব-পায়খানার সময় পরস্পর কথোপকথনে আল্লাহর ক্রোধান্বিত হওয়া প্রমাণিত করে যে, এ সময় কথাবার্তা বলা হারাম।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮

পেশাবরত অবস্থায় সালামের জবাব দেয়া

১৬

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَغَيْرِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَيَمَّمَ ثُمَّ رَدَّ عَلَى الرَّجُلِ السَّلاَمَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রমকারী এক ব্যক্তি তাঁকে সালাম দিল। তিনি তাঁর জবাব দিলেন না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার ও অন্যান্য সূত্রে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তায়াম্মুম করলেন, তারপর লোকটির সালামের জবাব দিলেন।

 

হাসানঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُضَيْنِ بْنِ الْمُنْذِرِ أَبِي سَاسَانَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى تَوَضَّأَ ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ عَلَى طَهَارَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আল-মুহাজির ইবনু কুনফু (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়ে তাঁকে সালাম দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করছিলেন। সেজন্য অযূ না করা পর্যন্ত তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর (পেশাব শেষে অযূ করে) তিনি তার নিকট ওযর পেশ করে বললেন, পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহর নাম স্মরণ করা আমি অপছন্দ করি।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। হাদীসটি প্রমাণ করে পেশাব পায়খানার সময়ে আল্লাহর যিকর করা অপছন্দনীয়।

২। উচিত হলো, কেউ পেশাব-পায়খানার সময় সালাম দিলে উযূ বা তায়াম্মুম করার পর তার উত্তর দেয়া।

৩। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুকীম অবস্থায় অসুস্থতা ও ওজর ব্যতিরেকেই তায়াম্মুম করেছেন। আর ইমাম আওযায়ীর অভিমতও এটাই যে, জুনুবী ব্যক্তি যদি এ আশঙ্কা করেন যে, গোসল করতে গেলে সূর্যোদয় হয়ে যাবে তখন তিনি ওয়াক্ত ছুটে যাওয়ার পূর্বেই তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করে নিবেন। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) সহ বহু মনীষী এ অভিমত পোষণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯

যে ব্যক্তি অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকির করে

১৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، – يَعْنِي الْفَأْفَاءَ – عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

হাদীসটি প্রমান করে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্র, উযুবিহীন, জুনুবী, বসে দাড়িয়ে,হেলান দিয়ে , হাটা ও আরোহী সকল অবস্থায়ই আল্লাহর যিকর করতেন। এখানে যিকর কথাটি ব্যাপক অর্থবোধক (‘আম-, যা তাসবীহ, তাহলীল, তাকবীর, তাহমীদ, ইস্তিগফার, দরূদ সকল প্রকার যিকর শামিল করে। মুসলিমগণের ঐক্যমতে এরূপ করা শারী‘আত সম্মত। তবে পেশাব-পায়খানায় এবং সহবাসের অবস্থায় বাদে। কেননা এ দু‘অবস্থায় যিকর করা অপছন্দনীয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০

আল্লাহর নাম খচিত আংটি নিয়ে পায়খানায় প্রবেশ করা।

১৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْحَنَفِيِّ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ وَضَعَ خَاتَمَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ وَإِنَّمَا يُعْرَفُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ ثُمَّ أَلْقَاهُ ‏.‏ وَالْوَهَمُ فِيهِ مِنْ هَمَّامٍ وَلَمْ يَرْوِهِ إِلاَّ هَمَّامٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানায় যাওয়ার সময় আংটি খুলে রাখতেন।

 

মুনকারঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৪৩৯০, মিশকাত ৩৪৩

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার। হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ইবনু জুরাইজ হতে, তিনি যিয়াদ ইবনু সা‘দ হতে, তিনি যুহরী হতে আনাস সুত্রে মারফুভাবে এভাবেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি রুপার আংটি বানান, অতঃপর তা ফেলে দেন। হাদীসটি বর্ণনায় হাম্মামের সন্দেহ রয়েছে। আর হাম্মাম ছাড়া কেউ এটি বর্ণনা করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১

পেশাব থেকে সতর্ক থাকা

২০

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يُحَدِّثُ عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَبْرَيْنِ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُمَا يُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا هَذَا فَكَانَ لاَ يَسْتَنْزِهُ مِنَ الْبَوْلِ وَأَمَّا هَذَا فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ دَعَا بِعَسِيبٍ رَطْبٍ فَشَقَّهُ بِاثْنَيْنِ ثُمَّ غَرَسَ عَلَى هَذَا وَاحِدًا وَعَلَى هَذَا وَاحِدًا وَقَالَ ‏”‏ لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَنَّادٌ ‏”‏ يَسْتَتِرُ ‏”‏ ‏.‏ مَكَانَ ‏”‏ يَسْتَنْزِهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুটি ক্ববরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে বললেন, এ দুজনকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্ত কোন বড় গুনাহের কারণে শাস্তি দেয়া হচেছ না। তিনি (একটি ক্ববরের দিকে ইশারা করে) বললেন, এ ব্যক্তি পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না। আর (অপর ক্ববরের দিকে ইশারা) করে বললেন, এ ব্যক্তি চোগলখোরী করে বেড়াত। অতঃপর তিনি খেজুরের একটি তাজা ডাল আনিয়ে সেটি দু’ টুকরা করে একটি এ ক্ববরে এবং অপরটি ঐ ক্ববরে গাড়লেন এবং বললেনঃ আশা করা যায়, ডাল দুটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের শাস্তি কিছুটা হাল্কা করা হবে। হান্নাদ “ইয়াস্‌তান্‌যিহু” শব্দের স্থলে “ইয়াস্‌তাতিরু” শব্দ উল্লেখ করেছেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। ক্ববরের আযাব সত্য। এর উপর ঈমান আনা ওয়াজিব।

২। চোগলখুরী হারাম এবং তা ক্ববরের আযাব হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।

৩। প্রস্রাব অপবিত্র।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏”‏ كَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ ‏”‏ يَسْتَنْزِهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “সে তার পেশাব হতে আত্মগোপন করত না।” আর আবূ মু‘আবিয়াহ বলেছেন, “পেশাব থেকে সতর্ক থাকত না।”

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম, এর পূর্বের হাদীস দেখুন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ حَسَنَةَ، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ وَمَعَهُ دَرَقَةٌ ثُمَّ اسْتَتَرَ بِهَا ثُمَّ بَالَ فَقُلْنَا انْظُرُوا إِلَيْهِ يَبُولُ كَمَا تَبُولُ الْمَرْأَةُ ‏.‏ فَسَمِعَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏”‏ أَلَمْ تَعْلَمُوا مَا لَقِيَ صَاحِبُ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَوْلُ قَطَعُوا مَا أَصَابَهُ الْبَوْلُ مِنْهُمْ فَنَهَاهُمْ فَعُذِّبَ فِي قَبْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَنْصُورٌ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ أَبِي مُوسَى فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ‏”‏ جِلْدَ أَحَدِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَاصِمٌ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ جَسَدَ أَحَدِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু হাসানাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও ‘আমর ইবনুল ‘আস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গেলাম। তিনি সাথে একটি ঢাল নিয়ে বের হলেন এবং সেটিকে আড়াল বানিয়ে পেশাব করলেন। আমরা বললামঃ দেখ, তিনি মহিলাদের ন্যায় (লুকিয়ে লুকিয়ে) পেশাব করছেন। তিনি একথা শুনে বললেন, তোমরা কি জান না বানী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির কী অবস্থা হয়েছিল? তাদের কারো যদি (কোথাও) পেশাব লেগে যেত, তাহলে তারা ঐ স্থানকে কেটে ফেলত। অতঃপর ঐ ব্যক্তি তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করেছিল বিধায় তাকে ক্ববরের শাস্তি দেয়া হয়।

 

সহীহ মাওকুফঃ বুখারী ও মুসলিম এটি মুত্তাসিল সানাদে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ শব্দেঃ —–

 

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, মানসুর আবূ ওয়াইল থেকে আবূ মুসা সুত্রে এ হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেনঃ (যদি পেশাব লাগত) তাহলে নিজের চামড়া কেটে ফেলত।

 

সহীহ।

 

আর ‘আসিম আবূ ওয়াইল, আবূ মূসা (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ ‘নিজের শরীর কেটে ফেলত’।

 

মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২

দাঁড়িয়ে পেশাব করা

২৩

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، – وَهَذَا لَفْظُ حَفْصٍ – عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ قَائِمًا ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مُسَدَّدٌ قَالَ فَذَهَبْتُ أَتَبَاعَدُ فَدَعَانِي حَتَّى كُنْتُ عِنْدَ عَقِبِهِ ‏.

হুযায়ফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সম্প্রদায়ের ময়লার স্তুপের নিকট গিয়ে দাঁড়িয়ে পেশাব করলেন। অতঃপর পানি আনালেন এবং মোজা মাসাহ্ করলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুসাদ্দাদ আরো বর্ণনা করেছেনঃ হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বলেন, [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করবেন বুঝতে পেরে] আমি পেছনের দিকে সরে যেতে থাকলাম। তিনি আমাকে ডাকলেন। এমনকি আমি তাঁর পায়ের গোড়ালির নিকট ছিলাম বা তার পিছনে এসে দাঁড়ালাম।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। কারণ বশতঃ দাড়িয়ে পেশাব করা জায়িয।

২। মুকীম অবস্থায় মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ্ করা শারী‘আত সম্মত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩

কোন ব্যক্তি রাতে পাত্রে পেশাব করে তা নিকটে রেখে দেয়া

২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ حُكَيْمَةَ بِنْتِ أُمَيْمَةَ بِنْتِ رُقَيْقَةَ، عَنْ أُمِّهَا، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَدَحٌ مِنْ عَيْدَانٍ تَحْتَ سَرِيرِهِ يَبُولُ فِيهِ بِاللَّيْلِ ‏.‏

হুকাইমাহ বিনতু উমাইমাহ বিনতু রুক্বাইক্বাহ তাঁর মা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি কাঠের পাত্র ছিল। সেটি তাঁর খাটের নিচে থাকত। রাতের বেলায় তিনি তাতে পেশাব করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। রাতে পেশাব করার উদ্দেশে ঘরে পেশাবের পাত্র রাখা জায়িয।

২। প্রয়োজনে নিজ পরিবারের সদস্যের (উপস্থিতিতে ) তার নিকটবর্তী স্থানে বসে পেশাব করা বৈধ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৪

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেসব জায়গায় পেশাব করতে নিষেধ করেছেন

২৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ اتَّقُوا اللاَّعِنَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا اللاَّعِنَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الَّذِي يَتَخَلَّى فِي طَرِيقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ ‏”‏ ‏.

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা দুটি অভিশপ্ত কাজ থেকে দূরে থাকবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, অভিশপ্ত কাজ দু’টি কী হে আল্লাহর রাসূল? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানুষের যাতায়াতের পথে অথবা (বিশ্রাম নেয়ার) ছায়া বিশিষ্ট জায়গায় পেশাব পায়খানা করা।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

যেসব স্থানে পেশাব-পায়খানা করলে মানুষের কষ্ট হয় সেসব স্থানে পেশাব পায়খানা করা নিষেধ। তম্মধ্যে হাদীসে লোক চলাচলের পথ ও মানুষের বিশ্রামের ছায়াদার স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এতে মানুষের কষ্ট ও পরিবেশের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয় এবং অন্যের গায়ে বা কাপড়ে অপবিত্রতা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبُو حَفْصٍ، وَحَدِيثُهُ، أَتَمُّ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْحَكَمِ، حَدَّثَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْحِمْيَرِيَّ، حَدَّثَهُ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اتَّقُوا الْمَلاَعِنَ الثَّلاَثَ الْبَرَازَ فِي الْمَوَارِدِ وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ وَالظِّلِّ ‏”‏ ‏.

মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তিনটি অভিশপ্ত কাজ থেকে বিরত থাকবে। সেগুলো হচেছঃ মানুষের অবতরণ স্থল, চলাচলের পথ ও ছায়াবিশিষ্ট জায়গায় পায়খানা করা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৫

গোসলখানায় পেশাব করা

২৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، أَخْبَرَنِي أَشْعَثُ، وَقَالَ الْحَسَنُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ ‏”‏ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ فِيهِ فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। অথচ সেখানেই সে গোসল করে থাকে।

 

সহীহ।

 

আহমাদের বর্ণনায় রয়েছে, অথচ সেখানেই সে উযু করে থাকে। কারণ মনের অধিকাংশ খটকা এ থেকেই সৃষ্টি হয়।

 

দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حُمَيْدٍ الْحِمْيَرِيِّ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – قَالَ لَقِيتُ رَجُلاً صَحِبَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَمَا صَحِبَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَمْتَشِطَ أَحَدُنَا كُلَّ يَوْمٍ أَوْ يَبُولَ فِي مُغْتَسَلِهِ ‏.‏

হুমাইদ ইবনু ‘আবদুর রহমান আল-হিম্‌য়ারী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমার সাথে এমন এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়, যিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর মতই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহচর্যে ছিলেন। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিদিন চুল আঁচড়াতে অথবা গোসলখানায় পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। পবিত্রতা অর্জনের স্থানে পেশাব করা নিষেধ। কারো মতে, এ নিষেধাজ্ঞা মাকরূহ পর্যায়ের, হারাম নয়।

২। হাদীসে গর্ব ও অহংকারের উদ্দেশ্যে প্রত্যহ চুল আঁচড়াতে নিষেধ করা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৬

গর্তে পেশাব করা নিষেধ

২৯

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُبَالَ فِي الْجُحْرِ ‏.‏ قَالَ قَالُوا لِقَتَادَةَ مَا يُكْرَهُ مِنَ الْبَوْلِ فِي الْجُحْرِ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّهَا مَسَاكِنُ الْجِنِّ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গর্তে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। লোকজন ক্বাতাদাহকে জিজ্ঞেস করল, গর্তে পেশাব করা কেন অপছন্দনীয়? তিনি বললেনঃ বলা হয়, এতে জিনেরা বসবাস করে। [২৯]

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৬৩২৪, ৬০০৩, ইরওয়াউল গালীল ৫৫।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯] নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গর্তে পেশাব করা অপছন্দনীয়, হাঃ ৩৪), আহমাদ (৫/৮২), হাকিম (১/১৮৬), বায়হাক্বী (১/৯৯)। হাদীসটির সানাদ দুর্বল। ইরওয়াউল গালীল গ্রন্থে রয়েছেঃ সানাদে ক্বাতাদাহ একজন মুদাল্লিস, তিনি তাদলীসকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ। হাদীসটি তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস হতে শুনেননি। স্বয়ং ইমাম হাকিম ‘আল-মারিফাতু ‘উলূমিল হাদীস’ গ্রন্থে বলেনঃ ক্বাতাদাহ হাদীসটি আনাস ব্যতীত অন্য কোন সহাবী হতে শুনেননি। অতএব সানাদটি মুনকাতি।

 

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। গর্তে পেশাব করা নিষেধ। গর্তে সাপ, বিচ্ছু, বিষাক্ত প্রাণী থাকলে তা পেশাবকারীর ক্ষতি করতে পারে।

২। গর্তে পেশাব করলে কোন দুর্বল প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৩। জ্বীনদের বসবাসের জায়গায় পেশাব করা নিষেধ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৭

কোন ব্যক্তি পায়খানা থেকে বের হয়ে যা বলবে

৩০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ قَالَ ‏ “‏ غُفْرَانَكَ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পায়খানা থেকে বের হতেন, তখন বলতেনঃ ‘গুফরানাকা’ (অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৮

ইস্তিন্‌জা করার সময় ডান হাতে পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা মাকরূহ

৩১

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ وَإِذَا أَتَى الْخَلاَءَ فَلاَ يَتَمَسَّحْ بِيَمِينِهِ وَإِذَا شَرِبَ فَلاَ يَشْرَبْ نَفَسًا وَاحِدًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন পেশাব করার সময় ডান হাতে তার পুরুষাঙ্গ স্পর্শ না করে। যখন পায়খানায় যাবে, ডান হাতে যেন (ঢিলা ব্যবহার) শৌচ না করে। আর পানি পান করার সময় যেন এক নিঃশ্বাসে পান না করে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، – يَعْنِي الإِفْرِيقِيَّ – عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، وَمَعْبَدٍ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ الْخُزَاعِيِّ، قَالَ حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَجْعَلُ يَمِينَهُ لِطَعَامِهِ وَشَرَابِهِ وَثِيَابِهِ وَيَجْعَلُ شِمَالَهُ لِمَا سِوَى ذَلِكَ ‏.‏

হারিসাহ ইবনু ওয়াহ্‌ব আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

`তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) আমাকে বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদ্য গ্রহণ, পানীয় পান ও পোশাক পরিধানের কাজ ডান হাতে করতেন। এছাড়া অন্যান্য কাজ বাম হাতে করতেন।`

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيُمْنَى لِطُهُورِهِ وَطَعَامِهِ وَكَانَتْ يَدُهُ الْيُسْرَى لِخَلاَئِهِ وَمَا كَانَ مِنْ أَذًى ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ডান হাত ছিল পবিত্রতা অর্জন ও খাদ্য গ্রহণের জন্য। আর তাঁর বাম হাত ছিল শৌচ ও অন্যান্য নিকৃষ্ট বা কষ্টদায়ক কাজের জন্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পুর্বোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

 

১। এক নিঃশ্বাসে পানি পান করা ও পানির পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা নিষেধ। এ নিষেধাজ্ঞা আদবমূলক। কেননা এভাবে পানি পানে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। যেমনঃ দম আটকিয়ে যাওয়া, পাকস্থলি ভারী হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

২। ডান হাতে লজ্জাস্থানসহ পেশাব-পায়খানার মত ঘৃনার বস্তু স্পর্শ করা অপছন্দনীয়। এসব কাজ বাম হাতে করাই উত্তম।

৩। যাবতীয় ভাল কাজ ডান হাতে করা উত্তম। যেমনঃ পানাহার, বস্ত্র পরিধান ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯

পেশাব-পায়খানার সময় পর্দা করা

৩৫

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنِ الْحُصَيْنِ الْحُبْرَانِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ اكْتَحَلَ فَلْيُوتِرْ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ وَمَنْ أَكَلَ فَمَا تَخَلَّلَ فَلْيَلْفِظْ وَمَا لاَكَ بِلِسَانِهِ فَلْيَبْتَلِعْ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ وَمَنْ أَتَى الْغَائِطَ فَلْيَسْتَتِرْ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ إِلاَّ أَنْ يَجْمَعَ كَثِيبًا مِنْ رَمْلٍ فَلْيَسْتَدْبِرْهُ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَلْعَبُ بِمَقَاعِدِ بَنِي آدَمَ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَوْرٍ قَالَ حُصَيْنٌ الْحِمْيَرِيُّ وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ عَنْ ثَوْرٍ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخَيْرُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو سَعِيدٍ الْخَيْرُ هُوَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কেউ সুরমা লাগালে বেজোড় সংখ্যায় লাগাবে। এরূপ করলে ভাল, না করলে কোন ক্ষতি নেই। ঢিলা ব্যবহার করলে বেজোড় সংখ্যায় করবে। এরূপ করলে ভাল, না করলে কোন সমস্যা নেই। খাওয়ার পর খিলাল করলে যদি কিছু বের হয় তা ফেলে দিবে, আর জিহবার সাথে কিছু লেগে থাকলে তা গিলে ফেলবে। এরূপ করলে ভাল, না করলে কোন অসুবিধা নেই। পায়খানায় গেলে আড়ালে চলে যাবে। এরূপ জায়গা না পাওয়া গেলে অন্তত বালুর স্তুপ তৈরী করে তার আড়ালে বসবে। কারণ শয়তান মানুষের লজ্জাস্থান নিয়ে খেলা করে। এরূপ করলে ভাল, না করলে কোন গুনাহ নেই।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ সাঈদ আল খায়র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অন্যতম সহাবী।

 

দূর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৫৪৬৮, মিশকাত ৩৫২।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০

যে সমস্ত জিনিস দ্বারা ইস্তিনজা করা নিষেধ

৩৬

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، – يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ الْمِصْرِيَّ – عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيِّ، أَنَّ شُيَيْمَ بْنَ بَيْتَانَ، أَخْبَرَهُ عَنْ شَيْبَانَ الْقِتْبَانِيِّ، قَالَ إِنَّ مَسْلَمَةَ بْنَ مُخَلَّدٍ اسْتَعْمَلَ رُوَيْفِعَ بْنَ ثَابِتٍ، عَلَى أَسْفَلِ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ شَيْبَانُ فَسِرْنَا مَعَهُ مِنْ كُومِ شَرِيكٍ إِلَى عَلْقَمَاءَ أَوْ مِنْ عَلْقَمَاءَ إِلَى كُومِ شَرِيكٍ – يُرِيدُ عَلْقَامَ – فَقَالَ رُوَيْفِعٌ إِنْ كَانَ أَحَدُنَا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَأْخُذُ نِضْوَ أَخِيهِ عَلَى أَنَّ لَهُ النِّصْفَ مِمَّا يَغْنَمُ وَلَنَا النِّصْفُ وَإِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَطِيرُ لَهُ النَّصْلُ وَالرِّيشُ وَلِلآخَرِ الْقَدَحُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا رُوَيْفِعُ لَعَلَّ الْحَيَاةَ سَتَطُولُ بِكَ بَعْدِي فَأَخْبِرِ النَّاسَ أَنَّهُ مَنْ عَقَدَ لِحْيَتَهُ أَوْ تَقَلَّدَ وَتَرًا أَوِ اسْتَنْجَى بِرَجِيعِ دَابَّةٍ أَوْ عَظْمٍ فَإِنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم مِنْهُ بَرِيءٌ ‏”‏ ‏.

শায়বান আল-ক্বিতবানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাসলামাহ্ ইবনু মুখাল্লাদ রুওয়াইফি’ ইবনু সাবিতকে নিম্নভূমিতে কর্মচারী করেছিলেন। শায়বান বলেন, আমরা তাঁর সাথে ‘কুমি শারীক’ থেকে ‘আলক্বামা’ পর্যন্ত অথবা ‘আলক্বামা’ থেকে ‘কুমি শারীক’ (মিসরের কয়েকটি স্থান) পর্যন্ত সফর করেছি। ‘আলক্বামা’ ছিল তাঁর গন্তব্যস্থল। রুওয়াইফি’ বলেন, রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আমাদের মধ্যকার একজন অপরজনের নিকট হতে এই শর্তে উট গ্রহণ করত যে, জিহাদে যা গনিমত লাভ হবে তার অর্ধেক তোমার, আর অর্ধেক আমার। এতে করে একজনের ভাগে যদি তরবারীর খাপ ও তীরের পালক পড়ত, তখন আরেকজনের ভাগে পড়ত পালকবিহীন তীর। রুওয়াইফি’ বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ হে রুওয়াইফি’! সম্ভবতঃ আমার পরেও তুমি দীর্ঘদিন জীবিত থাকবে। তুমি লোকদের জানিয়ে দিওঃ যে ব্যক্তি দাড়িতে গিরা দিবে, ঘোড়ার গলায় মালা পরাবে অথবা প্রাণীর বিষ্ঠা বা হাড় দিয়ে ইস্তিনজা করবে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، عَنْ عَيَّاشٍ، أَنَّ شُيَيْمَ بْنَ بَيْتَانَ، أَخْبَرَهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ، أَيْضًا عَنْ أَبِي سَالِمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، يَذْكُرُ ذَلِكَ وَهُوَ مَعَهُ مُرَابِطٌ بِحِصْنِ بَابِ أَلْيُونَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حِصْنُ أَلْيُونَ عَلَى جَبَلٍ بِالْفُسْطَاطِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ شَيْبَانُ بْنُ أُمَيَّةَ يُكْنَى أَبَا حُذَيْفَةَ ‏.‏

‘আইয়াশ (রহঃ) শুয়াইম ইবনু বাইতামের মাধ্যমে আবূ সালিম আল-জায়শানী সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি (সালিম) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ)- কে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন, যখন তিনি ‘আলইউন’ দুর্গ অবরোধ করেছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আলইউন’ দুর্গ (মিসরের) ফুসত্বাত্বে একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَتَمَسَّحَ بِعَظْمٍ أَوْ بَعْرٍ ‏.‏

আবুয যুবাইর থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে হাড্ডি অথবা (প্রাণীর) বিষ্ঠা দ্বারা ইস্তিন্জা করতে নিষেধ করেছেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯

حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَدِمَ وَفْدُ الْجِنِّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا مُحَمَّدُ انْهَ أُمَّتَكَ أَنْ يَسْتَنْجُوا بِعَظْمٍ أَوْ رَوْثَةٍ أَوْ حُمَمَةٍ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى جَعَلَ لَنَا فِيهَا رِزْقًا ‏.‏ قَالَ فَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জিনদের একটি প্রতিনিধি দল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আপনার উম্মাতকে হাড়, গোবর অথবা কয়লা দ্বারা ইস্তিন্‌জা করতে নিষেধ করে দিন। কারণ মহান আল্লাহ ওগুলোর মধ্যে আমাদের রিযিক নিহিত রেখেছেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওগুলো দিয়ে ইস্তিন্‌জা করতে নিষেধ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১

পাথর দ্বারা ইস্তিন্‌জা করা

৪০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ قُرْطٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ يَسْتَطِيبُ بِهِنَّ فَإِنَّهَا تُجْزِئُ عَنْهُ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ পায়খানায় গেলে যেন তিনটি পাথর সাথে নিয়ে যায় এবং ওগুলো দ্বারা ইস্তিন্‌জা করে। কারণ তার জন্য তাই যথেষ্ঠ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ خُزَيْمَةَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ، عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الاِسْتِطَابَةِ فَقَالَ ‏ “‏ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ لَيْسَ فِيهَا رَجِيعٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا رَوَاهُ أَبُو أُسَامَةَ وَابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ يَعْنِي ابْنَ عُرْوَةَ ‏.‏

খুযায়মাহ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে ইস্তিন্‌জা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তিনটি পাথর দ্বারা ইস্তিন্‌জা করবে, যাতে গোবর থাকবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২

পেশাব- পায়খানার পর উযু করা

৪২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْمُقْرِئُ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى التَّوْأَمُ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْقُوبَ التَّوْأَمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ عُمَرُ خَلْفَهُ بِكُوزٍ مِنْ مَاءٍ فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا يَا عُمَرُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ هَذَا مَاءٌ تَتَوَضَّأُ بِهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا أُمِرْتُ كُلَّمَا بُلْتُ أَنْ أَتَوَضَّأَ وَلَوْ فَعَلْتُ لَكَانَتْ سُنَّةً ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পেশাব করলেন। সে সময় ‘উমার (রাঃ) পানি ভর্তি একটি লোটা নিয়ে তাঁর পিছনে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, হে ‘উমার! এ লোটা কেন? ‘উমার (রাঃ) বলেন, আপনার উযুর পানি। তিনি বললেন, পেশাব করলেই উযু করতে হবে, আমাকে এরূপ নির্দেশ দেয়া হয়নি। আমি এরূপ করলে তা অবশ্যই (অবশ্য পালনীয়) সুন্নাত হয়ে যাবে। [৪২]

 

দুর্বলঃ মিশকাত ৩৬৮।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪২] ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পেশাব করার পর উযু না করা, হাঃ৩২৭), আহমাদ (৬/৯৫) আল্লামা হাইসামী এটিকে ‘মাজমাউয যাওয়ায়িদ’ (১/২৪১) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেনঃ “হাদীসটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন। যা ইবনু আবূ মুলায়কাহ কর্তৃক তার মাতার সূত্রের বর্ণনা; আমি তার জীবনী বর্ণনা করতে কাউকে দেখিনি।” এছাড়া হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন ইবনু আবূ মুলায়কাহ হতে তার পিতা থেকে ‘আয়িশাহ সূত্রে। এর সানাদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াহইয়া আত-তাওয়ামকে হাফিয ‘আত- তাকরীব’ গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। তাছাড়া আইয়ূব সাখতায়ানী এর বিপরীত সানাদ বর্ণনা করেছেন। তার সানাদটি বুখারীর শর্তে সহীহ। আর সেটিও আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩

পানি দিয়ে ইস্তিন্‌জা করা

৪৩

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، – يَعْنِي الْوَاسِطِيَّ – عَنْ خَالِدٍ، – يَعْنِي الْحَذَّاءَ – عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ حَائِطًا وَمَعَهُ غُلاَمٌ مَعَهُ مِيضَأَةٌ وَهُوَ أَصْغَرُنَا فَوَضَعَهَا عِنْدَ السِّدْرَةِ فَقَضَى حَاجَتَهُ فَخَرَجَ عَلَيْنَا وَقَدِ اسْتَنْجَى بِالْمَاءِ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি বাগিচায় প্রবেশ করলেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছিল একটি বালক। বালকটির নিকট পানির বদনা ছিল এবং সেই ছিল আমাদের মধ্যকার সবচেয়ে কম বয়সী। সে বদনাটি গাছের নিকট রাখল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় প্রয়োজন পূরণার্থে ঐ পানি দ্বারা ইস্তিন্‌জা করে আমাদের নিকট ফিরে আসলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي أَهْلِ قُبَاءَ ‏{‏ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا ‏}‏ قَالَ كَانُوا يَسْتَنْجُونَ بِالْمَاءِ فَنَزَلَتْ فِيهِمْ هَذِهِ الآيَةُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, এ আয়াত কুবাবাসীদের শানে নুযূল হয়েছিলঃ “সেখানে এমন সব লোক রয়েছে যারা পাক-পবিত্র থাকতে ভালবাসে”- (সূরাহ তাওবাহ্‌ ১০৮)। কুবাবাসীরা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করত। তাই তাদের শানে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪

যে ব্যক্তি ইস্তিন্‌জার পর মাটিতে হাত ঘষে

৪৫

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، وَهَذَا، لَفْظُهُ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – يَعْنِي الْمُخَرِّمِيَّ – حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ أَتَيْتُهُ بِمَاءٍ فِي تَوْرٍ أَوْ رَكْوَةٍ فَاسْتَنْجَى ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِ وَكِيعٍ ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ عَلَى الأَرْضِ ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِإِنَاءٍ آخَرَ فَتَوَضَّأَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ الأَسْوَدِ بْنِ عَامِرٍ أَتَمُّ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন পায়খানায় যেতেন আমি তখন লোটা কিংবা মশকে করে পানি নিয়ে আসতাম। তিনি ইস্তিন্‌জার পর মাটিতে হাত ঘষতেন। অতঃপর আমি অন্য একটি পাত্রে পানি নিয়ে আসতাম, যদ্‌দ্বারা তিনি উযু করতেন।

 

হাসান।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আসওয়াদ ইবনু ‘আমরের হাদীসটি অধিকতর পূর্ণাঙ্গ।

  •  
  •  
  •  
  •  

নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা,হাঃ৫০/৫১), আহমাদ (২/৩১১)।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

মিসওয়াক করা

৪৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ قَالَ ‏ “‏ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ، عَلَى الْمُؤْمِنِينَ لأَمَرْتُهُمْ بِتَأْخِيرِ الْعِشَاءِ وَبِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যদি না আমি মু’মিনদের জন্য কষ্টকর মনে করতাম, তবে তাদের অবশ্যই ‘ইশার সলাত বিলম্বে আদায় করার এবং প্রত্যেক সলাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।

 

সহীহঃ ‘ইশার বাক্যটি বাদে বুখারী ও মুসলিম’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ فَرَأَيْتُ زَيْدًا يَجْلِسُ فِي الْمَسْجِدِ وَإِنَّ السِّوَاكَ مِنْ أُذُنِهِ مَوْضِعُ الْقَلَمِ مِنْ أُذُنِ الْكَاتِبِ فَكُلَّمَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ اسْتَاكَ ‏.‏

যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর না হলে অবশ্যই আমি তাদেরকে প্রত্যেক সলাতের প্রাক্কালে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। আবূ সালামাহ (রাঃ) বলেন, আমি যায়িদ (রাঃ)- কে দেখেছি, তিনি মাসজিদে বসে থাকতেন, আর মিসওয়াক তার কানের ঐ স্থানে লেগে থাকত, যেখানে লিখকের কলম থাকে। অতঃপর যখনই তিনি সলাতের জন্য যেতেন, মিসওয়াক করে নিতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ تَوَضُّؤَ ابْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلاَةٍ طَاهِرًا وَغَيْرَ طَاهِرٍ عَمَّ ذَاكَ فَقَالَ حَدَّثَتْنِيهِ أَسْمَاءُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ حَدَّثَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُمِرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلاَةٍ طَاهِرًا وَغَيْرَ طَاهِرٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ أُمِرَ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلاَةٍ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً فَكَانَ لاَ يَدَعُ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ رَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু হাব্বান তার নিকট জিজ্ঞেস করেছিলেন, উযু থাকুক বা না থাকুক প্রত্যেক সলাতের পূর্বেই যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) উযু করে থাকেন তার কারণ কী? জবাবে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, যায়িদ ইবনুল খাত্তাবের কন্যা আসমা এ মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ তাঁকে বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে প্রত্যেক সলাতের পূর্বে উযু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল– তাঁর উযু থাকুক বা না থাকুক। তাঁর জন্য যখন এটা কষ্টকর হয়ে পড়ল, তখন তাঁকে সলাতের পূর্বে কেবল মিসওয়াক করতে নির্দেশ দেয়া হয়। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) নিজের সক্ষমতা অনুভব করে কোন সলাতের জন্যই উযু ত্যাগ করতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। প্রত্যেক সলাতের জন্য নতুনভাবে উযু করা মুস্তাহাব।

২। মিসওয়াক করার প্রতি গুরুত্বদান।বিশেষ করে সলাতের প্রাক্কালে।

৩। আল্লাহ স্বীয় ইচ্ছা মোতাবেক যেকোন হুকুম রহিত করেন এবং যেকোন হুকুম প্রতিষ্ঠা করেন

৪। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় উম্মাতের প্রতি দয়াশীল।

৫। ‘ইশার সলাত বিলম্বে আদায় করা মুস্তাহাব।

৬। কলমের ন্যায় কানের নীচে মিসওয়াক রাখা যাবে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৬

মিসওয়াক করার নিয়ম

৪৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مُسَدَّدٌ قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَرَأَيْتُهُ يَسْتَاكُ عَلَى لِسَانِهِ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ سُلَيْمَانُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَسْتَاكُ وَقَدْ وَضَعَ السِّوَاكَ عَلَى طَرَفِ لِسَانِهِ – وَهُوَ يَقُولُ ‏ “‏ إِهْ إِهْ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي يَتَهَوَّعُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مُسَدَّدٌ فَكَانَ حَدِيثًا طَوِيلاً اخْتَصَرْتُهُ ‏.‏

আবূ বুরদাহ হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

মুসাদ্দাদ বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট (যুদ্ধের) বাহন চাইতে গেলাম। তখন তাঁকে দেখলাম, তিনি জিহ্বার উপর মিসওয়াক করছেন। আর সুলাইমান বর্ণনা করেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট গেলাম। তিনি তখন মিসওয়াক করছিলেন। তিনি তাঁর জিহ্বার এক পাশে মিসওয়াক রেখে উহ! উহ! বলেছিলেন, অর্থাৎ বমির ভাব করেছিলেন।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুসাদ্দাদ বলেন, হাদীসটি দীর্ঘ, আমি তা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছি।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

একজনের মিসওয়াক অন্যজনে ব্যবহার করা

৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَنُّ وَعِنْدَهُ رَجُلاَنِ أَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الآخَرِ فَأُوحِيَ إِلَيْهِ فِي فَضْلِ السِّوَاكِ ‏ “‏ أَنْ كَبِّرْ ‏”‏ ‏.‏ أَعْطِ السِّوَاكَ أَكْبَرَهُمَا ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ – هُوَ ابْنُ حَزْمٍ – قَالَ لَنَا أَبُو سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ الأَعْرَابِيِّ هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিসওয়াক করছিলেন। তখন তাঁর নিকট এমন দু’ ব্যাক্তি ছিল যাদের একজন অপরজনের অপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ। এমন সময় তাঁর নিকট মিসওয়াক করার ফাযীলাত সম্পর্কে ওয়াহী নাযিল হলোঃ দু’জনের মধ্যে যে বড় তাকে মিসওয়াক দিন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ অন্যের মিসওয়াক ব্যবহার করা জায়িয। তবে এক্ষেত্রে আদব হচ্ছে উপস্থিত লোকদের মধ্যকার যিনি বয়সে বেশি বড় তিনি সর্বপ্রথম তা ব্যবহারের হাক্বদার। তারপর পর্যায়ক্রমে তার চেয়ে বয়সে ছোট ব্যক্তির ব্যবহার করবেন। সালাম, পবিত্রতা অর্জন, সুগন্ধি ব্যবহার এবং অনুরূপ অন্যান্য কাজের এটাই সুন্নাতী পদ্ধতি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَبْدَأُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ قَالَتْ بِالسِّوَاكِ ‏.‏

মিক্বদাম ইবনু শুরাইহ (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে এসে সর্বপ্রথম কোন কাজ করতেন? তিনি বললেনঃ তিনি সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ২৮

মিসওয়াক ধৌত করা

৫২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ الْحَاسِبُ، حَدَّثَنِي كَثِيرٌ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَاكُ فَيُعْطِينِي السِّوَاكَ لأَغْسِلَهُ فَأَبْدَأُ بِهِ فَأَسْتَاكُ ثُمَّ أَغْسِلُهُ وَأَدْفَعُهُ إِلَيْهِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিসওয়াক করে তা ধোয়ার জন্য আমাকে দিতেন। আমি নিজে প্রথমে তা দিয়ে মিসওয়াক করতাম, অতঃপর সেটা ধুয়ে তাঁকে দিতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

মিসওয়াক করা স্বভাবসুলভ কাজ (ফিত্বরাত)

৫৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ قَصُّ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَالسِّوَاكُ وَالاِسْتِنْشَاقُ بِالْمَاءِ وَقَصُّ الأَظْفَارِ وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ وَنَتْفُ الإِبِطِ وَحَلْقُ الْعَانَةِ وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ ‏.‏ قَالَ زَكَرِيَّا قَالَ مُصْعَبٌ وَنَسِيتُ الْعَاشِرَةَ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ الْمَضْمَضَةَ ‏.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দশটি কাজ মানুষের ফিত্বরাত বা স্বভাবসুলভঃ (১) গোঁফ কাটা, (২) দাড়ি ছেড়ে দেয়া, (৩) মিসওয়াক করা, (৪) পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা, (৫) নখ কাটা, (৬) আঙ্গুলের জোড়াসমূহ ধোয়া, (৭) বগলের পশম তুলে ফেলা, (৮) নাভির নিচের পশম চেঁছে ফেলা, (৯) পানি দিয়ে ইস্তিনজা করা। মুস‘আব বলেন, দশম কাজটি আমি ভুলে গেছি। সম্ভবতঃ সেটি হলো-কুলি করা। [৫৩]

 

হাসানঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَدَاوُدُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ مُوسَى عَنْ أَبِيهِ، – وَقَالَ دَاوُدُ عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ مِنَ الْفِطْرَةِ الْمَضْمَضَةَ وَالاِسْتِنْشَاقَ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ إِعْفَاءَ اللِّحْيَةِ وَزَادَ ‏”‏ وَالْخِتَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالاِنْتِضَاحَ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ ‏”‏ انْتِقَاصَ الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الاِسْتِنْجَاءَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ نَحْوُهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَقَالَ خَمْسٌ كُلُّهَا فِي الرَّأْسِ وَذَكَرَ فِيهَا الْفَرْقَ وَلَمْ يَذْكُرْ إِعْفَاءَ اللِّحْيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ نَحْوُ حَدِيثِ حَمَّادٍ عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ وَمُجَاهِدٍ وَعَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ قَوْلُهُمْ وَلَمْ يَذْكُرُوا إِعْفَاءَ اللِّحْيَةِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيهِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ نَحْوُهُ وَذَكَرَ إِعْفَاءَ اللِّحْيَةِ وَالْخِتَانَ ‏.

‘আম্মার ইবনু ইয়াসীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া (মানুষের) ফিত্বরাতের অন্তর্গত। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে ‘দাড়ি ছেড়ে দেয়া’ –কথাটি উল্লেখ করেননি, উল্লেখ করেছেন ‘খাতনা করা’– এর কথা। ‘ইস্তিনজার পর লিঙ্গে অল্প পরিমাণ পানি ছিটানোর’ কথাও উল্লেখ করেছেন, তবে ইস্তিনজার উল্লেখ করেননি।

 

হাসান।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ আছে। তিনি পাঁচটি ফিত্বরাতের কথা বলেছেন, তার সবগুলোই মাথার মধ্যে। তিনি সিঁথি কাটার কথাও বলেছেন। তবে দাড়ি রাখা কথাটি উল্লেখ নেই।

 

সহীহ মাওকুফ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ত্বালক্ব ইবনু হাবীব, মুজাহিদ ও বাক্র ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-মুযানী সূত্রে হাম্মাদের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। তারা দাড়ি ছেড়ে দেয়ার বিষয় উল্লেখ করেননি।

 

সহীহঃ ত্বালক্ব সূত্রে মাওকুফভাবে।

 

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বর্ণিত আরেকটি হাদীসে ‘দাড়ি ছেড়ে দেয়ার’ কথা উল্লেখ আছে।

 

সহীহ।

 

ইবরাহীম নাখঈ হতেও অনুরূপ বর্ণনা আছে। তাতে ‘দাড়ি ছেড়ে দেয়া’ এবং ‘খাতনা করার’ কথা রয়েছে।

 

সহীহ মাওকুফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৩০

রাত্রি জাগরণকারীর মিসওয়াক করা

৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَحُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ ‏.

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে জাগতেন, তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوضَعُ لَهُ وَضُوءُهُ وَسِوَاكُهُ فَإِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ تَخَلَّى ثُمَّ اسْتَاكَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য উযুর পানি ও মিসওয়াক রেখে দেয়া হতো। তিনি রাতে ঘুম থেকে প্রথমে ইস্তিনজা করতেন, এরপর মিসওয়াক করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أُمِّ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَرْقُدُ مِنْ لَيْلٍ وَلاَ نَهَارٍ فَيَسْتَيْقِظُ إِلاَّ تَسَوَّكَ قَبْلَ أَنْ يَتَوَضَّأَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে জাগতেন, উযুর পূর্বে মিসওয়াক করতেন। [৫৭]

 

হাসান, (আরবী) “দিনে” কথাটি বাদে।

 

[৫৭] আহমাদ (৬/১৬০), বাগাভী ‘শারহুস সুন্নাহ’ (১/২৯৬), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/৩৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ لَيْلَةً عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ مِنْ مَنَامِهِ أَتَى طَهُورَهُ فَأَخَذَ سِوَاكَهُ فَاسْتَاكَ ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَاتِ ‏{‏ إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لأُولِي الأَلْبَابِ ‏}‏ حَتَّى قَارَبَ أَنْ يَخْتِمَ السُّورَةَ أَوْ خَتَمَهَا ثُمَّ تَوَضَّأَ فَأَتَى مُصَلاَّهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى فِرَاشِهِ فَنَامَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى فِرَاشِهِ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى فِرَاشِهِ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ كُلُّ ذَلِكَ يَسْتَاكُ وَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ حُصَيْنٍ قَالَ فَتَسَوَّكَ وَتَوَضَّأَ وَهُوَ يَقُولُ ‏{‏ إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ‏}‏ حَتَّى خَتَمَ السُّورَةَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট কোন এক রাত কাটালাম। (তখন দেখলাম) তিনি ঘুম থেকে জেগে উযুর পানি নিয়ে মিসওয়াক করলেন। অতঃপর তিনি নিন্মোক্ত আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেনঃ “নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে।” – (সূরাহ আল ‘ইমরান, আয়াত ১৯০)। তিনি সূরাটি প্রায় শেষ পর্যন্ত পড়লেন অথবা শেষ করলেন। এরপর তিনি উযু করে জায়নামাযে গিয়ে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করে বিছানায় গেলেন এবং আল্লাহ যতক্ষণ চাইলেন ততক্ষণ ঘুমিয়ে পুনরায় জাগলেন। এরপর পূর্বের ন্যায় ঐ কাজগুলো করে আবারো বিছানায় গিয়ে ঘুমালেন। অতঃপর জেগে উঠে আবার আগের মত করলেন। তারপর বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে আবার জাগলেন ও আগের মত করলেন। প্রত্যেকবারই তিনি (ঘুম থেকে জেগে) মিসওয়াক ও দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর (সর্বশেষে) বিতর সলাত পড়লেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হুসাইন ইবনু ‘আব্দুর রহমান থেকে ইবনু ফুদাইল উপরের হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এভাবেঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিসওয়াক এবং উযু করার সময় এ আয়াতটি পাঠ করতে থাকেনঃ (আরবী) – এভাবে তিনি সূরাহটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন।

 

সহীহ : মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৩১

উযু করা ফরয

৫৯

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ وَلاَ صَلاَةً بِغَيْرِ طُهُورٍ ‏”‏ ‏.‏

আবুল মালীহ (রহঃ) হতে তার পিতা সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আত্মসাৎকৃত মালের দান এবং উযু বিহীন সলাত আল্লাহ ক্ববূল করেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা :

১। অবৈধ উপায়ে উপার্জিত সম্পদ দান কলে তা ক্ববূল হয় না এবং তাতে নেকীও পাওয়া যায় না।

২। পবিত্রতা ছাড়া সলাত হয় না। এতে প্রমাণিত হয়, জানাযার সলাত, দু’ ঈদের সলাতসহ সমস্ত নাফল সলাত এর অন্তর্ভুক্ত। এতে আরো প্রমাণিত হয়, পবিত্রতা ছাড়া তাওয়াফও যথেষ্ট হবে না। কেননা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একেও সলাত বলেছেন।

 

উযু সম্পর্কে যা জানা জরুরী :

(ক) উযুর সংজ্ঞাঃ উযুর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে স্বচ্ছতা। পরিভাষায় আল্লাহর নামে পাক পানি দিয়ে শারঈ পদ্ধতিতে হাত, মুখ, পা ধৌত করা ও মাথা মাসাহ করাকে উযু বলে। উযুর ফারয চারটি। যথাঃ সম্পূর্ণ মুখ ধোয়া, কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়া, মাথা মাসাহ করা ও টাখনু পর্যন্ত দু’ পা ধোয়া। এগুলো বাদে উযুর অবশিষ্ট সবই সুন্নাত। যেমন, কব্জি পর্যন্ত হাত ধোয়া, কুলি করা, নাকে পানি দেয়া, কান মাসাহ করা।

(খ) উযু ভঙ্গের কারন : (১) পেশাব পায়খানার রাস্তা দিয়ে দেহ থেকে কোন কিছু নির্গত হলে (যেমন পেশাব, পায়খানা, কৃমি, বায়ু, মযী, ইত্যাদি), বিভিন্ন সহীহ হাদীসের আলোকে জানা যায় যে, এটাই হচ্ছে উযু ভঙ্গের প্রধান কারন। (২) যেসব কাজ করলে গোসল ফারয হয় তা ঘটলে (৩) হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে (৪) পর্দাহীন অবস্থায় লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে (৫) উটের গোশত খেলে (৬) ইস্তিহাযার রক্ত বের হলে। শায়খ আলবানী বলেন, ইস্তিহাযা ব্যতিত কম হৌক বা বেশী হৌক অন্য কোন রক্ত প্রবাহের কারনে উযু ভঙ্গ হওয়ার কোন সহীহ দলীল নেই। (৭) পেটের গণ্ডগোল, ঘুম, যৌন উত্তেজনা ইত্যাদির কারণের প্রেক্ষিতে কেউ উযু ভঙ্গ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহে পতিত হলে পুনরায় উযু করবে। কিন্তু যদি কোন শব্দ, গন্ধ বা নিদর্শন না পান এবং নিজের উযুর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন তাহলে পুনরায় উযু করার দরকার নেই। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানু আরবা’আ, আহমাদ, দারিমী, মুয়াত্তা মালিক, তাহক্বীক্ব মিশকাত-আলবানী ও অন্যান্য)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ ‏”‏ ‏.

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো উযু নষ্ট হলে পুনরায় উযু না করা পর্যন্ত মহান আল্লাহ তার সলাত কবূল করেন না।

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ ‏”‏ ‏.

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতের চাবি হচ্ছে পবিত্রতা। ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সলাত শুরু করার দ্বারা পার্থিব সকল কাজ হারাম হয়ে যায়। আর সলাতের সালাম ফিরানোর দ্বারা পার্থিব সকল কাজ হালাল হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা :

 

১। তাকবীরে তাহরীমাহ সলাতের অংশসমূহেরই একটি অংশ (জুয)।

২। তাকবীরে তাহরীমাহ ছাড়া সলাত আরম্ভ করা জায়িয নয়।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

কোন ব্যক্তির উযু থাকাবস্থায় নতুনভাবে উযু করা

৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَنَا لِحَدِيثِ ابْنِ يَحْيَى، أَتْقَنُ – عَنْ غُطَيْفٍ، – وَقَالَ مُحَمَّدٌ عَنْ أَبِي غُطَيْفٍ الْهُذَلِيِّ، – قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَلَمَّا نُودِيَ بِالظُّهْرِ تَوَضَّأَ فَصَلَّى فَلَمَّا نُودِيَ بِالْعَصْرِ تَوَضَّأَ فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ تَوَضَّأَ عَلَى طُهْرٍ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثُ مُسَدَّدٍ وَهُوَ أَتَمُّ ‏.‏

আবূ গুত্বায়িফ আল-হুযালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)- এর নিকট ছিলাম। যোহরের আযান দেয়া হলে তিনি উযু করে সলাত আদায় করলেন। আবার ‘আসরের আযান দেয়া হলে তিনি পুনরায় উযু করলেন। আমি তাকে নতুন করে উযু করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ যে ব্যক্তি উযু থাকাবস্থায় উযু করে, তার জন্য দশটি নেকি লিপিবদ্ধ করা হয়। [৬২]

 

দূর্বল : যইফ আল-জামি’উস সাগীর ৫৫৩৬, মিশকাত ২৯৩।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬২] – তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ প্রত্যেক সলাতের জন্য উযু করা, হাঃ ৬৯, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ সানাদটি দুর্বল), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : পবিত্রতা, অনুঃ উযু থাকতে উযু করা, হাঃ ৫১২), ‘আবদ ইবনু হুমাইদ (৮৫৯) সকলেই ‘আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ সূত্রে আবূ গুতাইফ হতে, তিনি ইবনু ‘উমার হতে। ‘আয-যাওয়ায়িদ’ গ্রন্থে রয়েছে : হাদীসের মূল বিষয় বর্তায় ‘আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ ইফরীক্বীর উপর। তিনি দুর্বল। এছাড়াও বায়হাক্বীর ‘সুনানুল কুবরা’ (১/৬২, তিনি বলেন ‘আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ ইফরীক্বী শক্তিশালী নন। আর আপনারা তো লক্ষ্য করেছেন যে, হাদীসের মূল বিষয় তার উপরেই বর্তাচ্ছে। হাফিয ‘আত তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি স্মরণশক্তিতে দুর্বল। মিশকাতের তাহক্বীক্বে আবূ গুতাইফকে অজ্ঞাত বলা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৩৩

যে জিনিস পানিকে অপবিত্র করে

৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُهُمْ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمَاءِ وَمَا يَنُوبُهُ مِنَ الدَّوَابِّ وَالسِّبَاعِ فَقَالَ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كَانَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ لَمْ يَحْمِلِ الْخَبَثَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ الْعَلاَءِ وَقَالَ عُثْمَانُ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ الصَّوَابُ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঐ পানি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যাতে পানি পান করার জন্য বন্য প্রাণী ও হিংস্র জন্তু আসা-যাওয়া করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ পানির পরিমাণ দু’ মটকা হলে তা অপবিত্রতা বহন করে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، – قَالَ أَبُو كَامِلٍ ابْنُ الزُّبَيْرِ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ الْمَاءِ يَكُونُ فِي الْفَلاَةِ ‏.‏ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উন্মুক্ত ময়দানে অবস্থিত পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৬৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ فَإِنَّهُ لاَ يَنْجُسُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَقَفَهُ عَنْ عَاصِمٍ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা আমার নিকট বর্ননা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পানি দু’ কুল্লাহ (মটকা) পরিমাণ হলে তা অপবিত্র হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৩৪

বুদা’আহ নামক কূপ প্রসঙ্গে

৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُطْرَحُ فِيهَا الْحِيَضُ وَلَحْمُ الْكِلاَبِ وَالنَّتْنُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَاءُ طَهُورٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَافِعٍ ‏.

আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আমরা কি (মদীনাহর) ‘বুদাআহ’ নামক কূপের পানি দিয়ে উযু করতে পারি? কূপটির মধ্যে মেয়েলোকের হায়িযের নেকড়া, কুকুরের গোশত ও যাবতীয় দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস নিক্ষেপ করা হত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ পানি পবিত্র, কোন কিছু একে অপবিত্র করতে পারে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা : অপবিত্র পড়ার কারণে পানির কোন একটি বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে গেলে তা পবিত্রতা থেকে বের হয়ে যায়। আলোচ্য হাদীসের ‘উমূম (ব্যাপকতা) অন্য হাদীসাবলী দ্বারা খাস করা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَلِيطِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ الأَنْصَارِيِّ، ثُمَّ الْعَدَوِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُقَالُ لَهُ إِنَّهُ يُسْتَقَى لَكَ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُلْقَى فِيهَا لُحُومُ الْكِلاَبِ وَالْمَحَايِضُ وَعَذِرُ النَّاسِ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ قَالَ سَأَلْتُ قَيِّمَ بِئْرِ بُضَاعَةَ عَنْ عُمْقِهَا قَالَ أَكْثَرُ مَا يَكُونُ فِيهَا الْمَاءُ إِلَى الْعَانَةِ ‏.‏ قُلْتُ فَإِذَا نَقَصَ قَالَ دُونَ الْعَوْرَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدَّرْتُ أَنَا بِئْرَ بُضَاعَةَ بِرِدَائِي مَدَدْتُهُ عَلَيْهَا ثُمَّ ذَرَعْتُهُ فَإِذَا عَرْضُهَا سِتَّةُ أَذْرُعٍ وَسَأَلْتُ الَّذِي فَتَحَ لِي بَابَ الْبُسْتَانِ فَأَدْخَلَنِي إِلَيْهِ هَلْ غُيِّرَ بِنَاؤُهَا عَمَّا كَانَتْ عَلَيْهِ قَالَ لاَ ‏.‏ وَرَأَيْتُ فِيهَا مَاءً مُتَغَيِّرَ اللَّوْنِ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ একদা তাঁকে বলা হয়, আপনার জন্য বুদা’আহ কূপ থেকে পানি আনা হয়। অথচ তাতে কুকুরের গোশত, হায়িযের নেকড়া ও মানুষের ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নিশ্চয় পানি পবিত্র, তাকে কোন কিছু অপবিত্র করতে পারে না।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি কুতাইবা ইব্‌নে সাঈদকে বলতে শুনেছিঃ আমি বুদা’আহ কূপের নিকট অবস্থানকারীকে সেটির গভীরতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। জবাবে তিনি বললেন, যখন এ কূপের পানি বেশী হয়, তখন এতে পানি থাকে নাভির নিম্ন পরিমাণ ফলে আমি (ক্বাতাদাহকে) জিজ্ঞেস করলাম, পানি কম হলে (এর পরিমাণ কতটুকু হয়)? তিনি বললেন, হাটু পর্যন্ত।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি এর পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য আমার চাদর এর উপর বিছিয়ে দিয়ে পরিমাপ করি যে, এর প্রস্থ হচ্ছে ছয় হাত।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, যে বাগানে বুদ’আহ কূপটি অবস্থিত, তার প্রবেশ দ্বার যিনি খুলে দিয়েছিলেন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, কূপটির আগের আকৃতির কোন পরিবর্তন হয়েছে কি না? জবাবে তিনি বললেন, না আর আমি কূপের পানির রং (দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্তায় থাকার কারণে) পরিবর্তিত দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৫

পানি অপবিত্র হয় না

৬৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي جَفْنَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَتَوَضَّأَ مِنْهَا – أَوْ يَغْتَسِلَ – فَقَالَتْ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْمَاءَ لاَ يَجْنُبُ ‏”‏ ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কোন এক স্ত্রী বড় একটি পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করে। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশিষ্ট পানি দ্বারা উযু অথবা গোসল করতে আসলেন। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি তো অপবিত্র ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, পানি অপবিত্র হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৬

বদ্ধ পানিতে পেশাব করা।

৬৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، فِي حَدِيثِ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে অতঃপর। সেই তো আবার সেখানে গোসল করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ وَلاَ يَغْتَسِلْ فِيهِ مِنَ الْجَنَابَةِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে এবং জানাবাতের গোসল না করে। [৭০]

 

হাসান সহীহ।

 

[৭০] ইব্‌নে মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রটা, অনুঃ বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ, হাঃ ৩৪৪) আহমাদ (২/৪৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৭

কুকুরের লেহনকৃত পাত্র ধোয়া।

৭১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، – فِي حَدِيثِ هِشَامٍ – عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ طُهُورُ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ إِذَا وَلَغَ فِيهِ الْكَلْبُ أَنْ يُغْسَلَ سَبْعَ مِرَارٍ أُولاَهُنَّ بِتُرَابٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ قَالَ أَيُّوبُ وَحَبِيبُ بْنُ الشَّهِيدِ عَنْ مُحَمَّدٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ ঢুকিয়ে দিলে তা সাতবার ধুয়ে পবিত্র করতে হবে। তন্মধ্যে প্রথমবার মাটি দ্বারা (ঘষতে হবে)।

 

সহীহ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَرْفَعَاهُ زَادَ ‏ “‏ وَإِذَا وَلَغَ الْهِرُّ غُسِلَ مَرَّةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক বর্ণনাও আছে। তবে সেটি মারফু বর্ণনা নয়। তাতে এও রয়েছেঃ ‘বিড়াল লেহন করলে তা একবার ধুতে হয়।

 

সহীহ মাওকুফ, মারফুভাবেও এটি সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ

  •  সরাসরি

৭৩

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي الإِنَاءِ فَاغْسِلُوهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ السَّابِعَةُ بِالتُّرَابِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَمَّا أَبُو صَالِحٍ وَأَبُو رَزِينٍ وَالأَعْرَجُ وَثَابِتٌ الأَحْنَفُ وَهَمَّامُ بْنُ مُنَبِّهٍ وَأَبُو السُّدِّيِّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ رَوَوْهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا التُّرَابَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কুকুর কোন পাত্রে লেহন করলে তা সাতবার ধুয়ে নিবে। সপ্তমবার মাটি দ্বারা ঘষবে।

 

সহীহঃ কিন্তু ‘সপ্তমবারে মাটি দ্বারা’ কথাটি শেষ। ‘প্রথমবারে মাটি দ্বারা’ কথাটিই প্রধান্যযোগ্য।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ সালিহ, আবূ রাযীন প্রমুখ বর্ণনাকারীগণ হাদীসটি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা মাটির কথা উল্লেখ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ ابْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَا لَهُمْ وَلَهَا ‏”‏ ‏.‏ فَرَخَّصَ فِي كَلْبِ الصَّيْدِ وَفِي كَلْبِ الْغَنَمِ وَقَالَ ‏”‏ إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي الإِنَاءِ فَاغْسِلُوهُ سَبْعَ مِرَارٍ وَالثَّامِنَةُ عَفِّرُوهُ بِالتُّرَابِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا قَالَ ابْنُ مُغَفَّلٍ ‏.‏

ইবনু মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যার নির্দেশ দিলেন, অতঃপর বললেনঃ মানুষ এবং কুকুরের কী হল? এরপর তিনি শিকারী কুকুর, বকরী ও শস্য পাহারার কুকুর পালনের অনুমতি দিলেন এবং বললেনঃ কুকুর কোন পাত্রে মুখ দিলে তা সাতবার ধুয়ে নিবে। আর অষ্টম বার মাটি দ্বারা ঘষবে।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

 

১। প্রয়োজনে কুকুর প্রতিপালন জায়িয। যেমন শিকার, গবাদি পশু ও ক্ষেত পাহারার জন্য কুকুর পালন।

২। পাত্র সাতবার ধোয়া যায়িয। অতঃপর অষ্টমবার সেটিকে মাটি দ্বারা ঘষা বৈধ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৮

বিড়ালের উচ্ছিষ্ট।

৭৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ حُمَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، – وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ – أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، دَخَلَ فَسَكَبَتْ لَهُ وَضُوءًا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ فَشَرِبَتْ مِنْهُ فَأَصْغَى لَهَا الإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ أَتَعْجَبِينَ يَا ابْنَةَ أَخِي فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ وَالطَّوَّافَاتِ ‏”‏ ‏.

কাবশাহ বিন্‌তে কা’ব ইব্‌নে মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ)-এর পুত্রবধূ। তিনি বলেন, একদা আবূ ক্বাতাদাহ (বাহির থেকে) আসলে আমি তার জন্য উযুর পানি দিলাম। এমন সময় একটি বিড়াল এসে তা থেকে পানি পান করতে লাগল। আবূ ক্বাতাদাহ বিড়ালের জন্যে পাত্রটি কাত করে ধরলেন। ফলে বিড়ালটি তৃপ্তি সহকারে পান করল। কাবশাহ বলেন, আবূ ক্বাতাদাহ দেখলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি বললেন, হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিড়াল অপবিত্র নয়। এরা সর্বদা তোমাদের কাছে ঘুরাফেরাকারী প্রাণী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। ঘরের চারপাশে ঘোরাফেরাকারী। বিড়াল পাক।

২। প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়া।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ صَالِحِ بْنِ دِينَارٍ التَّمَّارِ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّ مَوْلاَتَهَا، أَرْسَلَتْهَا بِهَرِيسَةٍ إِلَى عَائِشَةَ رضى الله عنها فَوَجَدْتُهَا تُصَلِّي فَأَشَارَتْ إِلَىَّ أَنْ ضَعِيهَا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ فَأَكَلَتْ مِنْهَا فَلَمَّا انْصَرَفَتْ أَكَلَتْ مِنْ حَيْثُ أَكَلَتِ الْهِرَّةُ فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّمَا هِيَ مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ بِفَضْلِهَا ‏.‏

দাউদ ইব্‌নে সালিহ ইব্‌নু দীনার আত-তাম্মার (রহঃ) থেকে তাঁর মায়ের সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

একদা তাঁর আযাদকারী মুনিব তাকে ‘হারিসাহ্‌ (এক ধরনের খাদ্য) সহ ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। তিনি গিয়ে দেখলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) সালাত আদায় করছেন। তিনি আমাকে ইশারা বললেন রেখে দাও। এমন সময় একটি বিড়াল এসে তা হতে কিছু খেয়ে ফেলল। ‘আয়িশাহ (রাঃ) সালাত শেষে বিড়াল যেখান থেকে খেয়েছিল, সেখান থেকেই খেলেন। আর বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিড়াল অপবিত্র (প্রাণী) নয়, বিড়াল তো সর্বদা তোমাদের আশেপাশেই আনাগোনা করে থাকে। আর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা উযু করতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৩৯

স্ত্রী লোকের ব্যবহারের অবশিষ্ট পানি দিয়ে (পুরুষের) উযু করা

৭৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَنَحْنُ جُنُبَانِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়ে জুনুবী অবস্থায় একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। জুনুবী ব্যক্তি (প্রকৃতপক্ষে) অপবিত্র নন।

২। নারীর ব্যবহৃত পানির অতিরিক্তয়াংশ পুরুষের ব্যবহৃত পানির অতিরিক্তাংশের মতই।

৩। এক পাত্র থেকে দু’ব্যক্তির গসল করা জায়িয। ]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ خَرَّبُوذَ، عَنْ أُمِّ صُبَيَّةَ الْجُهَنِيَّةِ، قَالَتِ اخْتَلَفَتْ يَدِي وَيَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْوُضُوءِ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ ‏.

উম্মু সুবাইয়্যাহ আল-জুহানিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একই পাত্রে উযু করার সময় আমার ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাত একত্রে উঠানামা করত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ يَتَوَضَّئُونَ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ مُسَدَّدٌ – مِنَ الإِنَاءِ الْوَاحِدِ جَمِيعًا ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে পুরুষ ও নারীরা উযু করতেন। বর্ণনাকারী মুসাদ্দাস বলেন, তারা একই পাত্রের পানি দিয়ে একত্রে উযু করত।

সহীহঃ বুখারী ‘একই পাত্রের’ কথাটি বাদে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا نَتَوَضَّأُ نَحْنُ وَالنِّسَاءُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ نُدْلِي فِيهِ أَيْدِيَنَا ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আমরা ও নারীরা একই পাত্রে হাত দিয়ে পানি নিয়ে উযু করতাম।

সহীহঃ বুখারী, পূর্বেরটি দেখুন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা

৮১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حُمَيْدٍ الْحِمْيَرِيِّ، قَالَ لَقِيتُ رَجُلاً صَحِبَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ سِنِينَ كَمَا صَحِبَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَغْتَسِلَ الْمَرْأَةُ بِفَضْلِ الرَّجُلِ أَوْ يَغْتَسِلَ الرَّجُلُ بِفَضْلِ الْمَرْأَةِ – زَادَ مُسَدَّدٌ – وَلْيَغْتَرِفَا جَمِيعًا ‏.

হুমাইদ আল-হিময়ারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর এমন এক সাহাবীর সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছিল যিনি চার বছর তাঁর সাহচর্যে ছিলেন, যেমন তাঁর সাহচর্যে ছিলেন আবূ হুরায়রা (রাঃ)। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষের ব্যবহারের অবশিষ্ট পানি দ্বারা নারীকে এবং নারীর ব্যবহারের অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষকে গোসল করতে নিষেধ করেছেন। বর্ণনাকারী মুসাদ্দাস এর সঙ্গে বৃদ্ধি করে বলেন, নারী-পুরুষের একই পাত্র থেকে পানি তুলা নিষেধ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ প্রত্যেক নারী ও পুরুষ, একে অপরের পবিত্রতা অর্জনে ব্যবহৃত অতিরিক্তাংশ পানি দ্বারা পবিত্র অর্জন অপছন্দনীয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২

حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، – يَعْنِي الطَّيَالِسِيَّ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي حَاجِبٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَمْرٍو، وَهُوَ الأَقْرَعُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَتَوَضَّأَ الرَّجُلُ بِفَضْلِ طَهُورِ الْمَرْأَةِ ‏.‏

আল-হাকাম ইবনু ‘আমর আল-আক্বরা’ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রীলোকের (উযু বা গোসলের) অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষকে উযু করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪১

সমুদ্রের পানি দ্বারা উযু করা

৮৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَلَمَةَ، – مِنْ آلِ ابْنِ الأَزْرَقِ – أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ أَبِي بُرْدَةَ، – وَهُوَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ – أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَرْكَبُ الْبَحْرَ وَنَحْمِلُ مَعَنَا الْقَلِيلَ مِنَ الْمَاءِ فَإِنْ تَوَضَّأْنَا بِهِ عَطِشْنَا أَفَنَتَوَضَّأُ بِمَاءِ الْبَحْرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! আমরা সমুদ্রে যাত্রা করি এবং পান করার জন্য সামান্য (মিঠা) পানি বহন করি। আমরা যদি তা দিয়ে উযু করি তাহলে পিপাসায় থাকতে হয়। সুতরাং এরূপ অবস্থায় আমরা সমুদ্রের পানি দিয়ে উযু করব কি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রানী (খাওয়া) হালাল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। সমুদ্রের পানি পাক।

২। সমুদ্রের প্রানী, যা কেবল সমুদ্রেই বসবাস করে (স্থলে নয়) তা হালাল।

৩। কোন মুফতু কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি যদি বুঝতে পারেন যে, প্রশ্নকারীকে উক্ত মাসআলাহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দিকও অবহিত করার প্রয়োজন আছে, তবে তাঁর জন্য মুস্তাহাব হচ্ছে প্রশ্নকারীকে তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদিও জানিয়ে দেয়া। কেননা প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত তথ্য সংযোজনে পরিপূর্ণ উপকার পাওয়া যায়। যেমন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণীঃ ‘‘এবং সমুদ্রের মৃত হালাল।’’ এ অতিরিক্ত সংযোজন শিকারীদের জন্য উপকারী। আর প্রশ্নকর্তাও তাদের একজন ছিলেন। এটা ফাতাইয়াহর উপকারী দিক।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪২

নাবীয (খেজুরের শরবত) দিয়ে উযু করা

৮৪

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي فَزَارَةَ، عَنْ أَبِي زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ لَيْلَةَ الْجِنِّ ‏”‏ مَا فِي إِدَاوَتِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَبِيذٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَمْرَةٌ طَيِّبَةٌ وَمَاءٌ طَهُورٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَنْ أَبِي زَيْدٍ أَوْ زَيْدٍ كَذَا قَالَ شَرِيكٌ وَلَمْ يَذْكُرْ هَنَّادٌ لَيْلَةَ الْجِنِّ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জ্বীন আগমনের রাতে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার পাত্রে কি আছে? আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, নাবীয। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, খেজুর পবিত্র আর পানি পবিত্রকারী। [৮৪]

 

শারীফ (র) বলেন, হান্নান ‘‘জ্বীন আগমনের রাত’’ কথাটি উল্লেখ করেননি।

 

দুর্বলঃ মিশকাত ৪৮০।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৪] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা , অনুঃ নাবীয দিয়ে উযু করা, হাঃ ৮৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা , অনুঃ নাবীয দিয়ে উযু করা , হাঃ ৩৮৪), আহমাদ (১/৪০২) ‘আয-যাওযায়িদ’ গ্রন্থে রয়েছেঃ হাদিসটির মূল বিষয় বর্তায় আবূ যায়িদ-এর উপর। তিনি হাদীস বিশারদ ইমামগণের নিকট অজ্ঞাত। যেমনটি তিরিমিযী ও অন্যান্যরা উল্লেখ করেছেন। আহমাদ শাকিরও এর সানাদকে দুর্বল বলেন। এর দোষ হচ্ছে আবূ যায়িদ। তিনি অজ্ঞাত লোক। ইবনু ‘আবদুল বার ‘আল ইসতিয়াব’ গ্রন্থে বলেন, মুহাদ্দিসগণের নিকট আবূ যায়িদ অজ্ঞাত। আবূ ফাযারার বর্ণনা ছাড়া তাকে চেনা যায় না। ইবনু মাসউদ সূত্রে নাবীয দ্বারা উযু করা সম্পর্কে বর্ণিত তাঁর হাদীসটি মুনকার, ভিত্তিহীন ও প্রমাণহীন। ইমাম বাগাভী ‘শারহু সুন্নাহ’ গ্রন্থে বলেন, তাঁর হাদীস প্রমানিত নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ فَقَالَ مَا كَانَ مَعَهُ مِنَّا أَحَدٌ ‏.‏

আলক্বামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জ্বীন আগমনের রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সঙ্গে আপনাদের মধ্যকার কে ছিলেন? তিনি বললেন, তাঁর সাথে আমাদের কেউ ছিল না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ হাদীসটি প্রমাণ করে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জ্বীনদেরও নাবী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، أَنَّهُ كَرِهَ الْوُضُوءَ بِاللَّبَنِ وَالنَّبِيذِ وَقَالَ إِنَّ التَّيَمُّمَ أَعْجَبُ إِلَىَّ مِنْهُ ‏.‏

আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি দুধ ও ‘নাবীয’ দ্বারা উযু করা অপছন্দ করতেন এবং বলতেন, আমার মতে এর চেয়ে তায়াম্মুম করা বেশি শ্রেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ দুধ ও নাবীয দ্বারা উযু শুদ্ধ হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا أَبُو خَلْدَةَ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا الْعَالِيَةِ عَنْ رَجُلٍ، أَصَابَتْهُ جَنَابَةٌ وَلَيْسَ عِنْدَهُ مَاءٌ وَعِنْدَهُ نَبِيذٌ أَيَغْتَسِلُ بِهِ قَالَ لاَ ‏.‏

আবু খালদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবুল ‘আলিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এক ব্যাক্তির গোসল ফরয হয়েছে, কিন্তু তার কাছে পানি নেই, বরং নাবীয আছে। সে কি নাবীয দিয়ে গোসল করবে? তিনি বললেন, না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৩

কোন ব্যক্তি পায়খানা-পেশাবের বেগ চেপে রেখে সলাত আদায় করবে কি?

৮৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ، أَنَّهُ خَرَجَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا وَمَعَهُ النَّاسُ وَهُوَ يَؤُمُّهُمْ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَقَامَ الصَّلاَةَ صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ قَالَ لِيَتَقَدَّمْ أَحَدُكُمْ ‏.‏ وَذَهَبَ إِلَى الْخَلاَءِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يَذْهَبَ الْخَلاَءَ وَقَامَتِ الصَّلاَةُ فَلْيَبْدَأْ بِالْخَلاَءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ وَشُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ وَأَبُو ضَمْرَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَرْقَمَ وَالأَكْثَرُ الَّذِينَ رَوَوْهُ عَنْ هِشَامٍ قَالُوا كَمَا قَالَ زُهَيْرٌ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু আরক্বাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হাজ্জ বা ‘উমরার উদ্দেশ্যে বের হলেন। তার সঙ্গে ছিল আরো একজন যিনি তাদের ইমামতি করতেন। একদিন ফাজরের সলাত আরম্ভ হতে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় তিনি বললেন, তোমাদের কেউ ইমামতি করুক। এই বলে তিনি পায়খানায় চলে গেলেন। তিনি আরো বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ সলাত শুরুর সময়ে তোমাদের কারো পায়খানার বেগ হলে প্রথমে সে যেন পায়খানা সেরে নেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। একাগ্রতার সাথে সলাত আদায় করা এবং একাগ্রতায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী যেকোনো কিছু হতে দূরে থাকা।

২। সলাতের পূর্বে পেশাব-পায়খানার বেগ হলে সলাতে না দাঁড়িয়ে প্রথমে পেশাব-পায়খানা সম্পন্ন করা।

৩। পেশাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে সলাত আদায়কারীর ব্যাপারে ‘আলিমগণ মতভেদ করেছেন। কেউ বলেছেন, তাকে পুনরায় সলাত আদায় করতে হবে, যেমন মালিকিদের মত। আর কেউ বলেছেন, পেশাব-পায়খানার বেগ তাকে ব্যাস্ততায় ফেলে দিলে এবং তাড়াহুড়া করে সলাত শেষ করার দিকে মশগুল করে দিলে তিনি সলাত ছেড়ে দিবেন। কেউ বলেছেন, হালকা বেগ হলে সলাত ছাড়তে হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، – الْمَعْنَى – قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي حَزْرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، – قَالَ ابْنُ عِيسَى فِي حَدِيثِهِ ابْنُ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ اتَّفَقُوا أَخُو الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ – قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةَ فَجِيءَ بِطَعَامِهَا فَقَامَ الْقَاسِمُ يُصَلِّي فَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يُصَلَّى بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلاَ وَهُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ ‏”‏ ‏.‏

ক্বাসিম ইবনু মুহাম্মাদের ভাই ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ সুত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আয়িশাহ (রহঃ)-এর নিকট ছিলাম। এমন সময় তাঁর খাবার আনা হলো। তখনই ক্বাসিম সলাত আদায়ের জন্যে দাঁড়িয়ে গেলে ‘আয়িশাহ (রহঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ খাবার এসে গেলে (তা না খেয়ে) এবং পায়খানা-পেশাবের বেগ হলে তা চেপে রেখে কেউ যেন সলাত আদায় না করে।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي حَىٍّ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ثَلاَثٌ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَهُنَّ لاَ يَؤُمُّ رَجُلٌ قَوْمًا فَيَخُصُّ نَفْسَهُ بِالدُّعَاءِ دُونَهُمْ فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ وَلاَ يَنْظُرُ فِي قَعْرِ بَيْتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَأْذِنَ فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ دَخَلَ وَلاَ يُصَلِّي وَهُوَ حَقِنٌ حَتَّى يَتَخَفَّفَ ‏”‏ ‏.

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ তিনটি কাজ করা কারো জন্য হালাল নয়। (এক) কোন ব্যাক্তি ইমাম হয়ে অন্যের জন্য দু’আ না করে শুধুমাত্র নিজের জন্য দু’আ করা। এরূপ করলে সে তো তাদের সাথে প্রতারণা করল। (দুই) অনুমতি গ্রহণের পূর্বে কেউ কারো ঘরের অভ্যন্তরে উঁকি মেরে দেখবে না। কেননা এরূপ করাটা তার ঘরে প্রবেশেরই নামান্তর। (তিন) পায়খানা-পেশাবের বেগ চেপে রেখে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ সলাত আদায় করবে না। [৯০]

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ২৫৬৫, মিশকাত ১০৭০।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯০] অনুরূপ তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদিসটি হাসান। শায়খ আলবানী (রহঃ) মিশকাতের তাহক্বীক্বে বলেনঃ এর সানাদে ইযতিরাব (উলটপালট) ও জাহালাত (অজ্ঞাত ব্যাক্তি) আছে। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)-ও এটিকে দুর্বল বলেছেন। বরং ইবনু খুযাইমাহ হাদীসের প্রথমাংশকে বানোয়াট বলেছেন। এছাড়া হাদীসের অবশিষ্ট অংশের শাওয়াহিদ বর্ণনা রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯১

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ثَوْرٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي حَىٍّ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يُصَلِّيَ وَهُوَ حَقِنٌ حَتَّى يَتَخَفَّفَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ نَحْوَهُ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ قَالَ ‏”‏ وَلاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَؤُمَّ قَوْمًا إِلاَّ بِإِذْنِهِمْ وَلاَ يَخْتَصَّ نَفْسَهُ بِدَعْوَةٍ دُونَهُمْ فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مِنْ سُنَنِ أَهْلِ الشَّامِ لَمْ يَشْرَكْهُمْ فِيهَا أَحَدٌ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন ব্যাক্তির জন্য পায়খানা-পেশাবের বেগ হতে মুক্ত না হয়ে সলাত আদায় করা বৈধ নয়। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত শব্দযোগে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেনঃ আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন ব্যাক্তির জন্য কোন সম্প্রদায়ের অনুমতি ছাড়া তাদের ইমামতি করা এবং অন্যদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নিজের জন্য দু’আ করা বৈধ নয়। যদি এরূপ করে, তবে সে তো তাদের প্রতারিত করল। [৯১]

 

সহীহঃ তবে ‘দু’আ করা’ কথাটি বাদে।

 

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি কেবল সিরিয়ার বর্ণনাকারীগণ বর্ণনা করেছেন, এতে তাদের সাথে অন্য কেউ অংশগ্রহণ করেননি।

 

[৯১] এটি আবু দাউদের একক বর্ণনা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। কোন ব্যাক্তির জন্যই জায়িয নয় কোন সম্প্রদায় বা লোকের অনুমতি ছাড়া তাদের ইমামতি করা। যেহেতু তারাই ইমামতের অধিক হাক্বদার।

২। সলাতের যেসন স্থানে দু’আর সুযোগ রয়েছে, কেউ ইমামতিকালে সেসব স্থানে কেবল নিজের জন্য দু’আ না করে সকলের জন্যই দু’আ করবেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৪

উযুর জন্য যতটুকু পানি যথেষ্ট

৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبَانُ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ‘সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক ‘মুদ্’ পানি দিয়ে উযু করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ ‏.‏

জাবীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ‘সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন আর এক মুদ্ পানি দিয়ে উযু করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبَّادَ بْنَ تَمِيمٍ، عَنْ جَدَّتِهِ، وَهِيَ أُمُّ عُمَارَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ قَدْرُ ثُلُثَىِ الْمُدِّ ‏.

উম্মু ‘উমারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করার ইচ্ছা করলে তাঁর জন্য একটি পাত্রে পানি আনা হয়। তিনি তা দিয়ে উযু করলেন। তাতে পানির পরিমাণ ছিল এক মুদের দু’-তৃতীয়াংশ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ بِإِنَاءٍ يَسَعُ رَطْلَيْنِ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ شَرِيكٍ قَالَ عَنِ ابْنِ جَبْرِ بْنِ عَتِيكٍ ‏.‏ قَالَ وَرَوَاهُ سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى حَدَّثَنِي جَبْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ سَمِعْتُ أَنَسًا إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ يَتَوَضَّأُ بِمَكُّوكٍ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ رَطْلَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ الصَّاعُ خَمْسَةُ أَرْطَالٍ وَهُوَ صَاعُ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ وَهُوَ صَاعُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি পাত্রের পানি দিয়ে উযু করতেন, তাতে পানি ধরত দু’ রত্বল পরিমাণ। আর তিনি গোসল করতেন এক ‘সা’ পানি দিয়ে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু জাবর (রহঃ) বর্ণনা করেনঃ আমি আনাস (রাঃ)-সুত্রে শুনেছি, তিনি বলেছেন, তিনি এক ‘মাক্কুক’ (বা এক মগ) পানি দিয়ে উযু করতেন, দু’ রত্বলের কথা উল্লেখ নেই।

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বালকে বলতে শুনেছি, পাঁচ রত্বলে এক ‘সা’ হয়। আবু দাউদ বলেন, এটা হচ্ছে ইবনু আবূ যি’ব-এর ‘সা’। আর এটাই হচ্ছে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ‘সা’। [৯৫]

 

[৯৫] দুর্বলঃ তবে তার বক্তব্য “তিনি এক মাক্কুক পানি দিয়ে উযু করতেন” এটি সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫] বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ পানি দ্বারা উযু করা, হাঃ ২০১), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের জন্য যে পরিমাণ পানি ব্যাবহার মুস্তাহাব) ইবনু জার্ব হতে আনাস সুত্রে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৫

উযুতে প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা

৯৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُغَفَّلٍ، سَمِعَ ابْنَهُ، يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْقَصْرَ الأَبْيَضَ عَنْ يَمِينِ الْجَنَّةِ، إِذَا دَخَلْتُهَا ‏.‏ فَقَالَ أَىْ بُنَىَّ سَلِ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَتَعَوَّذْ بِهِ مِنَ النَّارِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ قَوْمٌ يَعْتَدُونَ فِي الطُّهُورِ وَالدُّعَاءِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর পুত্রকে দু’আ করতে শুনলেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি, আমি যখন জান্নাতে প্রবেশ করব তখন জান্নাতের ডান দিকে যেন সাদা অট্টালিকা থাকে। (একথা শুনে) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, হে বৎস! আল্লাহ্‌র নিকট জান্নাত প্রার্থনা কর এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাও। কারণ আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ শীঘ্রই এ উম্মাতের মধ্যে এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা পবিত্রতা অর্জন ও দু’আর ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৬

পূর্ণাঙ্গরূপে উযু করা

৯৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى قَوْمًا وَأَعْقَابُهُمْ تَلُوحُ فَقَالَ ‏ “‏ وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ أَسْبِغُوا الْوُضُوءَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল লোকের (উযু করার পরও) পায়ের গোড়ালি শুকনা দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ দুভার্গ্য ঐ লোকদের জন্য যারা গোড়ালির কারণে জাহান্নামে যাবে। তোমরা পরিপূর্ণভাবে উযু কর।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। তবে বুখারীতে পরিপূর্ণভাবে উযু করার নির্দেশের কথা নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৭

তামার পাত্রে উযু করা

৯৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنِي صَاحِبٌ، لِي عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم فِي تَوْرٍ مِنْ شَبَهٍ ‏.

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাম্র নির্মিত পাত্রের (পানি দিয়ে ) গোসল করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ مَنْصُورٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

১০০

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، وَسَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ جَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْرَجْنَا لَهُ مَاءً فِي تَوْرٍ مِنْ صُفْرٍ فَتَوَضَّأَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তাঁর জন্য তামার একটি পাত্রে পানি দিলাম। তিনি তা দ্বারা উযু করলেন।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস