আবু দাউদ পবিত্রতা অর্জন অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১০১ – ২০৩

অনুচ্ছেদ-৪৮

উযুর শুরুতে বিস্‌মিল্লাহ বলা

১০১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لاَ وُضُوءَ لَهُ وَلاَ وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির সলাত হয় না যে (সঠিকভাবে) উযু করে না এবং ঐ ব্যক্তির উযু হয় না যে তাতে আল্লাহর নাম নেয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। পবিত্রতা ছাড়া সলাত শুদ্ধ হবে না। এ ব্যাপারে ইজমা (ঐকমত্য) হয়েছে।

২। উযুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، قَالَ وَذَكَرَ رَبِيعَةُ أَنَّ تَفْسِيرَ، حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ أَنَّهُ الَّذِي يَتَوَضَّأُ وَيَغْتَسِلُ وَلاَ يَنْوِي وُضُوءًا لِلصَّلاَةِ وَلاَ غُسْلاً لِلْجَنَابَةِ ‏.‏

দারাওয়ার্দী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীসঃ “যে লোক উযুর সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে না তার উযু হয় না”।-এর ব্যাখ্যায় রবী’আহ উল্লেখ করেন, যে লোক উযু ও গোসল করে, অথচ সে উযু দ্বারা সলাতের ও গোসল দ্বারা অপবিত্রতার গোসলের নিয়্যাত না করে, তার উযু ও গোসল (সঠিক) হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৯

যে ব্যক্তি হাত ধোয়ার পূর্বে তা (পানির) পাত্রে প্রবেশ করায়

১০৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، وَأَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَلاَ يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ রাত্রে জাগ্রত হলে সে যেন নিজের হাত তিনবার না ধুয়ে (পানির) পাত্রে হাত ডুবিয়ে না দেয়। কারণ তার জানা নেই (ঘুমের অবস্থায়) তার হাত কোথায় রাত কাটিয়েছে।

 

সহীহঃ মুসলিম, বুখারী, তিনবার কথাটি বাদে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ – قَالَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا رَزِينٍ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে তাতে দুই অথবা তিনবার করে হাত ধোয়ার কথা উল্লেখ আছে এবং এর সানাদে আবূ রযীন নামক পূর্ববর্তী একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ নেই।

 

সহীহঃ তিনবার হাত ধোয়াই হচ্ছে অধিকাংশের মত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلاَ يُدْخِلْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَ يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ أَوْ أَيْنَ كَانَتْ تَطُوفُ يَدُهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে, তখন তিনবার হাত না ধুয়ে যেন পানির পাত্রে তা না ডুবায়। কারণ, তার জানা নেই তার হাত কোথায় ছিল অথবা কোথায় ঘুরাফেরা করছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫০

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উযুর বিবরণ

১০৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ حُمْرَانَ بْنِ أَبَانَ، مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ تَوَضَّأَ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ ثَلاَثًا فَغَسَلَهُمَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا وَغَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلاَثًا ثُمَّ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثُمَّ غَسَلَ قَدَمَهُ الْيُمْنَى ثَلاَثًا ثُمَّ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ مَنْ تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)-এর মুক্ত দাস হুমরান ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)-কে উযু করে দেখেছি। তিনি প্রথমে উভয় হাতে তিনবার করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেন। এরপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন। তারপর ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন, বাম হাতও অনুরূপ করলেন। এরপর মাথা মাসাহ্‌ করলেন। এরপর তিনবার ডান পা ধুলেন, বাম পাও অনুরূপ করলেন। সর্বশেষে বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি আমার এ উযুর ন্যায় উযু করতে দেখেছি। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার এ উযুর মত উযু করে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করবে, যাতে তার মনে কোনরূপ পার্থিব খেয়াল ও খটকা আসবে না, আল্লাহ তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ وَرْدَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي حُمْرَانُ، قَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ تَوَضَّأَ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَضْمَضَةَ وَالاِسْتِنْشَاقَ وَقَالَ فِيهِ وَمَسَحَ رَأْسَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ هَكَذَا وَقَالَ ‏ “‏ مَنْ تَوَضَّأَ دُونَ هَذَا كَفَاهُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الصَّلاَةِ ‏.‏

হুমরান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)-কে উযু করতে দেখেছি। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেন। কিন্তু তাতে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়ার কথা উল্লেখ নেই। তিনি তাতে বলেনঃ এবং তিনি তিনবার মাথা মাসাহ্‌ করেছেন, এরপর তিনবার দু’পা ধুয়েছেন। অবশেষে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি এভাবে উযু করতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেনঃ এর চেয়ে কম করলে (অর্থাৎ দুই অথবা একবার করে ধুলেও) যথেষ্ট হবে। এ হাদীসে সলাতের কথা উল্লেখ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ زِيَادٍ الْمُؤَذِّنُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْوُضُوءِ، فَقَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ سُئِلَ عَنِ الْوُضُوءِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأُتِيَ بِمِيضَأَةٍ فَأَصْغَى عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ أَدْخَلَهَا فِي الْمَاءِ فَتَمَضْمَضَ ثَلاَثًا وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى ثَلاَثًا وَغَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى ثَلاَثًا ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فَأَخَذَ مَاءً فَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَأُذُنَيْهِ فَغَسَلَ بُطُونَهُمَا وَظُهُورَهُمَا مَرَّةً وَاحِدَةً ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ السَّائِلُونَ عَنِ الْوُضُوءِ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَحَادِيثُ عُثْمَانَ – رضى الله عنه – الصِّحَاحُ كُلُّهَا تَدُلُّ عَلَى مَسْحِ الرَّأْسِ أَنَّهُ مَرَّةٌ فَإِنَّهُمْ ذَكَرُوا الْوُضُوءَ ثَلاَثًا وَقَالُوا فِيهَا وَمَسَحَ رَأْسَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرُوا عَدَدًا كَمَا ذَكَرُوا فِي غَيْرِهِ ‏.‏

‘উসমান ইবনু ‘আবদুর রহমান আত-তাইমী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু আবূ মুলায়কাহ্‌কে উযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)-এ উযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে দেখেছি। তিনি (‘উসমান) পানি চাইলেন। একটি পাত্রে পানি আনা হলে তিনি প্রথমে উক্ত পাত্র স্বীয় ডান হাতের উপর কাত করলেন (অর্থাৎ ডান হাত ধৌত করলেন)। এরপর পাত্রে ডান হাত ডুবিয়ে পানি নিয়ে তিনবার কুলি করলেন, তিনবার নাকে পানি দিলেন, তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন, তিনবার ডান হাত ধুলেন, তিনবার বাম হাত ধুলেন, অতঃপর হাত ডুবিয়ে পানি নিয়ে মাথা ও কান মাসাহ্‌ করলেন- উভয় কানের ভিতর ও বহিরাংশ একবার করে মাসাহ্‌ করলেন। তারপর উভয় পা ধৌত করে বললেনঃ উযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসাকারীরা কোথায়? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপই উযু করতে দেখেছি’।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘উসমান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত উযু সম্পর্কিত সহীহ হাদীসসমূহের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মাথা মাসাহ্‌ কেবল একবারই করতে হয়। কেননা প্রত্যেক বর্ণনাকারী উযুর অঙ্গগুলো তিনবার করে ধোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তারা প্রত্যেক বর্ণনায় বলেছেন, এবং মাথা মাসাহ্‌ করেছেন। কিন্তু মাথা মাসাহ্‌র কোন সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি; যেরূপ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي زِيَادٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، أَنَّ عُثْمَانَ، دَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ فَأَفْرَغَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى ثُمَّ غَسَلَهُمَا إِلَى الْكُوعَيْنِ – قَالَ – ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلاَثًا وَذَكَرَ الْوُضُوءَ ثَلاَثًا – قَالَ – وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ وَقَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ مِثْلَ مَا رَأَيْتُمُونِي تَوَضَّأْتُ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ نَحْوَ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَأَتَمَّ ‏.‏

আবূ আলক্বামাহ্‌ থেকে বর্ণিতঃ

‘উসমান (রাঃ) উযুর পানি চাইলেন। পানি আনা হলে তিনি ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি নিয়ে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুলেন। এরপর তিনবার কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। অন্যান্য অঙ্গ তিনবার করে ধুলেন ও মাথা মাসাহ্‌ করলেন। অবশেষে উভয় পা ধুয়ে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এভাবেই উযু করতে দেখেছি, যেরূপ তোমরা আমাকে উযু করতে দেখলে।

অতঃপর বর্ণনাকারী যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ পূর্ণাংগ হাদীস বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১১০

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَامِرِ بْنِ شَقِيقِ بْنِ جَمْرَةَ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، قَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا وَمَسَحَ رَأْسَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ وَكِيعٌ عَنْ إِسْرَائِيلَ قَالَ تَوَضَّأَ ثَلاَثًا فَقَطْ ‏.

শাক্বীক ইবনু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)–কে (উযুর সময়) উভয় হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার তিনবার করে ধুতে এবং তিনবার মাথা মাসাহ্‌ করতে দেখেছি। এরপর তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে দেখেছি।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ওয়াকী’ সূত্রে ইসরাঈলের বর্ণনায় রয়েছে, তিনি উযুর অঙ্গসমূহ মাত্র তিনবার করে ধুলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১১১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، قَالَ أَتَانَا عَلِيٌّ – رضى الله عنه – وَقَدْ صَلَّى فَدَعَا بِطَهُورٍ فَقُلْنَا مَا يَصْنَعُ بِالطَّهُورِ وَقَدْ صَلَّى مَا يُرِيدُ إِلاَّ أَنْ يُعَلِّمَنَا فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ وَطَسْتٍ فَأَفْرَغَ مِنَ الإِنَاءِ عَلَى يَمِينِهِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا فَمَضْمَضَ وَنَثَرَ مِنَ الْكَفِّ الَّذِي يَأْخُذُ فِيهِ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى ثَلاَثًا وَغَسَلَ يَدَهُ الشِّمَالَ ثَلاَثًا ثُمَّ جَعَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَسَحَ بِرَأْسِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى ثَلاَثًا وَرِجْلَهُ الشِّمَالَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَعْلَمَ وُضُوءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَهُوَ هَذَا ‏.‏

‘আবদু খাইর থেকে বর্ণিতঃ

‘আলী (রাঃ) সলাত আদায়ের পর আমাদের নিকট এসে পানি চাইলেন। আমরা বললাম, সলাত আদায় শেষে তিনি পানি দিয়ে কী করবেন? মূলত তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আমাদেরকে (উযু) শিক্ষা দেয়া। কাজেই এক পাত্র পানি ও একটি তশ্‌তরী আনা হলো। তিনি পাত্র থেকে পানি নিয়ে ডান হাতে পানি ঢেলে উভয় হাত তিনবার ধুলেন, তারপর তিনবার কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। তিনি এক অঞ্জলি পানি দিয়েই কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। এরপর তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন এবং তিনবার ডান হাত ও তিনবার বাম হাত ধুলেন। তারপর পাত্রে হাত ডুবিয়ে একবার মাথা মাসাহ্‌ করলেন। তারপর তিনবার করে ডান পা ও বাম পা ধুলেন। অতঃপর বললেন, যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিয়ম জানতে আগ্রহী, (সে জেনে রাখুক) তা এরূপই ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১২

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَلْقَمَةَ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، قَالَ صَلَّى عَلِيُّ رضى الله عنه الْغَدَاةَ ثُمَّ دَخَلَ الرَّحْبَةَ فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتَاهُ الْغُلاَمُ بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ وَطَسْتٍ – قَالَ – فَأَخَذَ الإِنَاءَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى فَأَفْرَغَ عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى وَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فِي الإِنَاءِ فَتَمَضْمَضَ ثَلاَثًا وَاسْتَنْشَقَ ثَلاَثًا ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ قَرِيبًا مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ قَالَ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ مُقَدَّمَهُ وَمُؤَخَّرَهُ مَرَّةً ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ نَحْوَهُ ‏.‏

‘আবদু খাইর থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) ফাজ্‌রের সলাত আদায় শেষে রাহবায় (কুফার একটি স্থান) গেলেন। সেখানে তিনি পানি চাইলেন। একটি বালক তাঁর জন্য এক পাত্র পানি ও তশ্‌তরী নিয়ে এলো। তিনি পানির পাত্রটি ডান হাতে নিয়ে বাম হাতে পানি ঢাললেন এবং উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। অতঃপর পাত্রে ডান হাত ডুবিয়ে তিনবার করে কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। এরপর তিনি প্রায় পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তারপর মাথার সামনে ও পেছনে একবার মাসাহ্‌ করলেন। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ عُرْفُطَةَ، سَمِعْتُ عَبْدَ خَيْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – أُتِيَ بِكُرْسِيٍّ فَقَعَدَ عَلَيْهِ ثُمَّ أُتِيَ بِكُوزٍ مِنْ مَاءٍ فَغَسَلَ يَدَيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ تَمَضْمَضَ مَعَ الاِسْتِنْشَاقِ بِمَاءٍ وَاحِدٍ ‏.‏ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.

‘আবদু খাইর থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ)-এর জন্য একটি চেয়ার আনা হলে তিনি তার উপর বসলেন। তারপর একটি পাত্রে পানি আনা হলে তিনি তিনবার তাঁর হাত ধুলেন, এরপর একই পানি দিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। … অতঃপর (পূর্বোক্ত হাদীসের) শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ الْكِنَانِيُّ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيًّا، رضى الله عنه وَسُئِلَ عَنْ وُضُوءِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَقَالَ وَمَسَحَ عَلَى رَأْسِهِ حَتَّى لَمَّا يَقْطُرْ وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ هَكَذَا كَانَ وُضُوءُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

যির্‌ ইবনু হুবাইশ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আলী (রাঃ) হতে শুনেছেন, তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন, তিনি এমনভাবে মাথা মাসাহ্‌ করলেন যে, পানি ঝরে পড়েনি। তিনি তিনবার করে উভয় পা ধুলেন। তারপর বললেন, এরূপই ছিল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযু।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৫

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا فِطْرٌ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا وَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلاَثًا وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَاحِدَةً ثُمَّ قَالَ هَكَذَا تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লায়লা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে উযু করতে দেখেছি এভাবেঃ তিনি তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন, উভয় হাত ধুলেন তিনবার এবং মাথা মাসাহ্‌ করলেন একবার। অতঃপর বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবেই উযু করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو تَوْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي حَيَّةَ، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – تَوَضَّأَ فَذَكَرَ وُضُوءَهُ كُلَّهُ ثَلاَثًا ثَلاَثًا – قَالَ – ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا أَحْبَبْتُ أَنْ أُرِيَكُمْ طُهُورَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হাইয়্যাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে উযু করতে দেখেছি। তিনি প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার করে ধুয়েছেন, তারপর মাথা মাসাহ্‌ করেছেন এবং উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধুয়েছেন। অতঃপর বলেছেনঃ আমার আগ্রহ ছিল, তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযু (করার পদ্ধতি) দেখানো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ دَخَلَ عَلَىَّ عَلِيٌّ – يَعْنِي ابْنَ أَبِي طَالِبٍ – وَقَدْ أَهْرَاقَ الْمَاءَ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَأَتَيْنَاهُ بِتَوْرٍ فِيهِ مَاءٌ حَتَّى وَضَعْنَاهُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ أَلاَ أُرِيكَ كَيْفَ كَانَ يَتَوَضَّأُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ فَأَصْغَى الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ فَغَسَلَهَا ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فَأَفْرَغَ بِهَا عَلَى الأُخْرَى ثُمَّ غَسَلَ كَفَّيْهِ ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَيْهِ فِي الإِنَاءِ جَمِيعًا فَأَخَذَ بِهِمَا حَفْنَةً مِنْ مَاءٍ فَضَرَبَ بِهَا عَلَى وَجْهِهِ ثُمَّ أَلْقَمَ إِبْهَامَيْهِ مَا أَقْبَلَ مِنْ أُذُنَيْهِ ثُمَّ الثَّانِيَةَ ثُمَّ الثَّالِثَةَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ أَخَذَ بِكَفِّهِ الْيُمْنَى قَبْضَةً مِنْ مَاءٍ فَصَبَّهَا عَلَى نَاصِيَتِهِ فَتَرَكَهَا تَسْتَنُّ عَلَى وَجْهِهِ ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ وَظُهُورَ أُذُنَيْهِ ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَيْهِ جَمِيعًا فَأَخَذَ حَفْنَةً مِنْ مَاءٍ فَضَرَبَ بِهَا عَلَى رِجْلِهِ وَفِيهَا النَّعْلُ فَفَتَلَهَا بِهَا ثُمَّ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَفِي النَّعْلَيْنِ قَالَ وَفِي النَّعْلَيْنِ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَفِي النَّعْلَيْنِ قَالَ وَفِي النَّعْلَيْنِ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ وَفِي النَّعْلَيْنِ قَالَ وَفِي النَّعْلَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ شَيْبَةَ يُشْبِهُ حَدِيثَ عَلِيٍّ لأَنَّهُ قَالَ فِيهِ حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ مَرَّةً وَاحِدَةً ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ فِيهِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ ثَلاَثًا ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমার কাছে ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) এলেন। তিনি ইস্তিন্জার কাজ সম্পন্ন করে উযুর পানি চাইলেন। আমরা একটি পাত্রে পানি এনে তাঁর সামনে রাখলাম। তিনি বললেন, হে ইবনু ‘আব্বাস! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে উযু করতেন তা কি তোমাকে দেখাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। ‘আলী (রাঃ) পাত্রটি কাত করে হাতে পানি ঢেলে হাত ধুলেন। এরপর ডান হাত কজ্বি পর্যন্ত ধুলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন। এরপর উভয় হাত একত্রে পাত্রে ডুবিয়ে অঞ্জলি ভরে পানি নিয়ে মুখমন্ডলে নিক্ষেপ করলেন (ধুলেন)। তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি উভয় কানের সম্মুখভাগে (ভিতরে) ঘোরালেন, দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বারও এরূপই করলেন। এরপর ডান হাতে এক অঞ্জলি পানি নিয়ে কপালে ঢেলে দিলেন, তা তাঁর মুখমন্ডল গড়িয়ে পড়ছিল। এরপর তিনবার করে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন, মাথা মাসাহ্ করলেন ও উভয় কানের পিঠ মাসাহ্ করলেন। এরপর উভয় হাত একত্রে পাত্রে ডুবিয়ে পানি তুলে পায়ের উপর ঢাললেন, তখন তাঁর পায়ে ছিল জুতা। এরপর তিনি হাত দিয়ে পা ঘষলেন। অপর পায়েও অনুরূপ করলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, জুতা পরিহিত অবস্থায় এরূপ করা হয়েছিল কি? তিনি বললেন, জুতা পরিহিত অবস্থায়ই। আমি বললাম, জুতা পরিহিত অবস্থায়? তিনি বললেন, জুতা পরিহিত অবস্থায়ই। আমি বললাম, জুতা পরিহিত অবস্থায়? তিনি বললেন, হ্যাঁ জুতা পরিহিত অবস্থায়ই।

 

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, শায়বাহ হতে ইবনু জুরাইজ সূত্রে বর্ণিত হাদীস ‘আলী (রাঃ) এর হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ হাদীসটির বক্তব্য হলোঃ তিনি একবার মাথা মাসাহ্ করেছেন। ইবনু ওয়াহ্ব হতে ইবনু জুরাইজ সূত্রে বর্ণিত হাদীস রয়েছেঃ তিনি মাথা মাসাহ্ করেছেন তিনবার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। উযুতে কোন অঙ্গ তিনবার এবং কোন অঙ্গ দু’বার ধোয়া জায়িয আছে।

২। এক অঞ্জলি পানি দ্বারা কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া জায়িয।

৩। দু’ পা তিনবারের অধিক ধোয়া জায়েয আছে, যদি তাতে ময়লা আবর্জনা লেগে থাকে এবং তিনবার পানি ব্যবহারের দ্বারা তা দূরীভূত না হয়।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১১৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ – وَهُوَ جَدُّ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ نَعَمْ ‏.‏ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ ثُمَّ ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ‏.‏

আমর ইবনু ইয়াহইয়া আল-মাযিনী হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদকে জিজ্ঞাসা করলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে উযু করতেন তুমি কি আমাকে তা দেখাতে পার? ‘আব্দুল্লাহ ইবনু যায়িদ বললেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি উযুর পানি আনালেন। উভয় হাতে পানি ঢেলে ধৌত করলেন। এরপর তিনবার করে কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। এরপর তিনবার মুখ ধুলেন। এরপর দু’বার করে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন। এরপর উভয় হাত দ্বারা মাথার সম্মুখ ভাগ থেকে পেছন দিক এবং পেছনের দিক থেকে সামনের দিক মাসাহ্ করলেন। তিনি উভয় হাত মাথার সম্মুখভাগের ঐ স্থানে ফিরিয়ে আনলেন যেখান থেকে মাসাহ্ শুরু করেছিলেন। অবশেষে উভয় পা ধুলেন।

 

সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفٍّ وَاحِدَةٍ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثًا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ ইবনু ‘আসিম থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (এরপর) তিনি একই অঞ্জলি থেকে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। তিনবার এরূপ করলেন। হাদীসের বাকি অংশ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

 

সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ حَبَّانَ بْنَ وَاسِعٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ الْمَازِنِيَّ، يَذْكُرُ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ وُضُوءَهُ وَقَالَ وَمَسَحَ رَأْسَهُ بِمَاءٍ غَيْرِ فَضْلِ يَدَيْهِ وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ حَتَّى أَنْقَاهُمَا ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ ইবনু ‘আসিম আল-মাযিনী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উযু দেখেছেন ব্যক্ত করে বর্ণনা করেনঃ তিনি হাতের অবশিষ্ট পানি দিয়ে নয় (বরং নতুন পানি দিয়ে) মাথা মাসাহ্ করেছেন এবং উভয় পা পরিষ্কার করে ধুয়েছেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حَرِيزٌ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَيْسَرَةَ الْحَضْرَمِيُّ، سَمِعْتُ الْمِقْدَامَ بْنَ مَعْدِيكَرِبَ الْكِنْدِيَّ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلاَثًا وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ وَأُذُنَيْهِ ظَاهِرِهِمَا وَبَاطِنِهِمَا ‏.

মিক্বদাম ইবনু মা’দিকারিব আল-কিনদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উযুর পানি আনা হলে তিনি উযু করলেন। তিনি তিনবার উভয় হাত কজ্বি পর্যন্ত ধুলেন। এরপর তিনবার করে কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন। তারপর তিনবার করে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন। অতঃপর মাথা এবং উভয় কানের বাহির ও ভিতরভাগ মাসাহ্ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ كَعْبٍ الأَنْطَاكِيُّ، – لَفْظُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ حَرِيزِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ فَلَمَّا بَلَغَ مَسْحَ رَأْسِهِ وَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى مُقَدَّمِ رَأْسِهِ فَأَمَرَّهُمَا حَتَّى بَلَغَ الْقَفَا ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ ‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ قَالَ أَخْبَرَنِي حَرِيزٌ ‏.‏

মিক্বদাম ইবনু মা’দিকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উযু করতে দেখেছি। উযু করতে করতে যখন তিনি মাথা মাসাহ্ পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন তার উভয় হাতের তালু মাথার সামনের অংশে রেখে পেছনের দিকে নিয়ে গেলেন। এমনকি তার উভয় হাত ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছে গেল। অতঃপর তিনি উভয় হাত ঐ স্থানে ফিরিয়ে আনলেন, যেখান থেকে মাসাহ শুরু করেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، وَهِشَامُ بْنُ خَالِدٍ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ وَمَسَحَ بِأُذُنَيْهِ ظَاهِرِهِمَا وَبَاطِنِهِمَا ‏.‏ زَادَ هِشَامٌ وَأَدْخَلَ أَصَابِعَهُ فِي صِمَاخِ أُذُنَيْهِ ‏.‏

মাহমূদ ইবনু খালিদ ও হিশাম ইবনু খালিদ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত আছে। একই সানাদে ওয়ালীদও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি উভয় কানের বাহির ও ভিতরের অংশ মাসাহ্ করেছেন। হিশাম তার বর্ণনায় আরো বলেছেন, তিনি দু’কানের ছিদ্রে স্বীয় আঙুল ঢুকিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৪

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَزْهَرِ الْمُغِيرَةُ بْنُ فَرْوَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي مَالِكٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ، تَوَضَّأَ لِلنَّاسِ كَمَا رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَلَمَّا بَلَغَ رَأْسَهُ غَرَفَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَتَلَقَّاهَا بِشِمَالِهِ حَتَّى وَضَعَهَا عَلَى وَسَطِ رَأْسِهِ حَتَّى قَطَرَ الْمَاءُ أَوْ كَادَ يَقْطُرُ ثُمَّ مَسَحَ مِنْ مُقَدَّمِهِ إِلَى مُؤَخَّرِهِ وَمِنْ مُؤَخَّرِهِ إِلَى مُقَدَّمِهِ ‏.‏

আবুল আযহার মুগীরাহ ইবনু ফারওয়াহ ও ইয়াযীদ ইবনু আবূ মালিক (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

একদা মু’আবিয়াহ (রাঃ) লোকদের দেখাবার উদ্দেশে ঐভাবে উযু করলেন, যেভাবে তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উযু করতে দেখেছিলেন। তিনি (উযু করতে করতে) যখন মাথা মাসাহ্ পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন বাম হাতে এক অঞ্জলি পানি নিয়ে তা মাথার তালুতে দিলেন। ফলে সেখান থেকে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগল অথবা পড়ার উপক্রম হলো। অতঃপর তিনি (মাথার) সামনে থেকে পিছনের দিকে ও পিছন থেকে সামনের দিকে মাসাহ্ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ فَتَوَضَّأَ ثَلاَثًا ثَلاَثًا وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ بِغَيْرِ عَدَدٍ ‏.‏

মাহমূদ ইবনু খালিদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ওয়ালীদ অনুরূপ সানাদে বর্ণনা করে বলেছেনঃ তিনি (মু’আবিয়াহ) উযুর অঙ্গসমূহ তিনবার করে ধৌত করেন এবং উভয় পা ধৌত করেন কয়েকবার (গণনা ব্যতীত)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ ابْنِ عَفْرَاءَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْتِينَا فَحَدَّثَتْنَا أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ اسْكُبِي لِي وَضُوءًا ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَتْ وُضُوءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فِيهِ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا وَوَضَّأَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا وَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مَرَّةً وَوَضَّأَ يَدَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ مَرَّتَيْنِ يَبْدَأُ بِمُؤَخَّرِ رَأْسِهِ ثُمَّ بِمُقَدَّمِهِ وَبِأُذُنَيْهِ كِلْتَيْهِمَا ظُهُورِهِمَا وَبُطُونِهِمَا وَوَضَّأَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا مَعْنَى حَدِيثِ مُسَدَّدٍ ‏.‏

রুবাই’ বিনতু মু’আব্বিয ইবনু ‘আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আসতেন। বর্ণনাকারী বলেন, একদা তিনি বললেনঃ আমার জন্য উযুর পানি ঢেলে দাও। বর্ণনাকারী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উযুর বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, তিনি তিনবার উভয় হাত কজ্বি পর্যন্ত ধুলেন। তিনবার মুখ ধুলেন। একবার কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। তিনবার করে উভয় হাত (কনুই পর্যন্ত) ধুলে। মাথা মাসাহ্ করলেন দু’বার। (মাথা মাসাহ) প্রথমে পিছন দিক থেকে শুরু করলেন, এরপর সামনের দিক থেকে। তিনি উভয় কানের বাহির ও ভিতরের অংশও মাসাহ্ করলেন এবং তিনবার করে উভয় পা ধুলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১২৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يُغَيِّرُ بَعْضَ مَعَانِي بِشْرٍ قَالَ فِيهِ وَتَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا ‏.‏

ইবনু ‘আক্বীল থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীস কিছু অর্থগত পার্থক্যসহ বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি বলেছেনঃ তিনি তিনবার কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। [১২৬]

 

রুবাই‘ বিনতু মু‘আব্বিয সূত্রে শায।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১২৬] পূর্বের হাদীসে গত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

১২৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ ابْنِ عَفْرَاءَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ عِنْدَهَا فَمَسَحَ الرَّأْسَ كُلَّهُ مِنْ قَرْنِ الشَّعْرِ كُلَّ نَاحِيَةٍ لِمُنْصَبِّ الشَّعْرِ لاَ يُحَرِّكُ الشَّعْرَ عَنْ هَيْئَتِهِ ‏.

রুবাই’ বিনতু মু‘আব্বিয ইবনু ‘আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তাঁর সম্মুখে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করলেন। তিনি (উযুতে) চুলের উপরিভাগ থেকে শুরু করে প্রত্যেক পাশে নীচের দিকে চুলের ভাঁজ অনুযায়ী এবং চুলকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় রেখে পুরো মাথা মাসাহ্ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، أَنَّ رُبَيِّعَ بِنْتَ مُعَوِّذِ ابْنِ عَفْرَاءَ، أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ – قَالَتْ – فَمَسَحَ رَأْسَهُ وَمَسَحَ مَا أَقْبَلَ مِنْهُ وَمَا أَدْبَرَ وَصُدْغَيْهِ وَأُذُنَيْهِ مَرَّةً وَاحِدَةً ‏.‏

রুবাই’ বিনতু মু‘আব্বিয ইবনু ‘আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উযু করতে দেখেছি। তিনি মাথা মাসাহ্ করার সময় মাথার সামনের দিক, পিছন দিক, চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান এবং উভয় কান একবার মাসাহ্ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الرُّبَيِّعِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ بِرَأْسِهِ مِنْ فَضْلِ مَاءٍ كَانَ فِي يَدِهِ ‏.‏

রুবাই’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাতে যে পানি অতিরিক্ত ছিল তা দিয়ে মাথা মাসাহ্ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ ابْنِ عَفْرَاءَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي جُحْرَىْ أُذُنَيْهِ ‏.‏

রুবাই’ বিনতু মু‘আব্বিয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করলেন এবং উভয় কানের ছিদ্রে তাঁর হাতের দু’ আঙ্গুল প্রবেশ করালেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ رَأْسَهُ مَرَّةً وَاحِدَةً حَتَّى بَلَغَ الْقَذَالَ – وَهُوَ أَوَّلُ الْقَفَا – وَقَالَ مُسَدَّدٌ وَمَسَحَ رَأْسَهُ مِنْ مُقَدَّمِهِ إِلَى مُؤَخَّرِهِ حَتَّى أَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنْ تَحْتِ أُذُنَيْهِ ‏.‏ قَالَ مُسَدَّدٌ فَحَدَّثْتُ بِهِ يَحْيَى فَأَنْكَرَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ ابْنُ عُيَيْنَةَ زَعَمُوا كَانَ يُنْكِرُهُ وَيَقُولُ أَيْشِ هَذَا طَلْحَةُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ

ত্বালহা ইবনু মুসাররিফ হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর মাথা একবার মাসাহ্ করতে দেখেছি। এ সময় তিনি ‘ক্বাজাল” তথা মাথার পিছনের দিকে ঘাড়ের সংযোগস্থান পর্যন্ত পৌঁছান। মুসাদ্দাদ বলেন, তিনি সামনের দিক থেকে পিছন দিক মাসাহ্ করেন। এমনকি তিনি স্বীয় হাত দু’টি দু’ কানের নিম্নভাগ থেকে বের করেন। [১৩১]

 

[১৩১] দুর্বল।

 

মুসাদ্দাদ বলেন, আমি হাদীসটি ইহাহ্ইয়ার নিকট বর্ণনা করলে তিনি এটিকে মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) বলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, লোকদের ধারণা, ইবনু ‘উয়াহনা এটিকে ‘মুনকার’ সাব্যস্ত করে বলেছেন, এর সানাদ কি এরূপঃ ত্বালহা তার পিতা হতে তার দাদা সূত্রে?

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩১] আহমাদ [৩/৪৮১] ‘আবদুল ওয়ারিস সূত্রে লাইস হতে। ‘আত তাহযীব’ গ্রন্থে আছে: ইবনু হাজার বলেছেন, হাদীসে উল্লেখ আছে, বর্ণনাকারী বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উযু করতে দেখেছি। যদি তিনি ত্বালহা ইবনু মুসাররিফের দাদা হন তাহলে এক দলের মতে তিনি হলেন কা‘ব ইবনু ‘আমর। ইবনু কাওন দৃঢ়তার সাথে বলেন, তিনি হলেন ‘আমর ইবনু কা‘ব। যদি উক্ত ত্বালহা ইবনু মুসাররিফের ছেলে না হন তাহলে তিনি এবং তার পিতা দু’জনেই অজ্ঞাত এবং তার দাদা সাহাবী হওয়াটা অপ্রমাণিত। কেননা তাকে এ হাদীস ছাড়া চেনা যায় না-[তাহযীবুত দাহযীব -৮/৩৯৮]। ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, ‘উসমান ইবনু সাঈদ দারিমী বলেছেন, আমি ‘আলী ইবনুল মাদীনীকে বলতে শুনেছি, আমি সুফয়ানকে জিজ্ঞেস করলাম, লাইস হাদীস বর্ণনা করেছেন ত্বালহা ইবনু মুসাদ্দাদ বলেন, আমি হাদীসটি ইয়াহ্ইয়ার নিকট বর্ণনা করলে তিনি এটিকে মুনকার [প্রত্যাখ্যাত] বলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, লোকদের ধারনা, ইবনু ‘উয়াইনাহ এটিকে ‘মুনকার’ সাব্যস্ত করে বলেছেন, এর সানাদ কি এরূপ: তালহা তার পিতা হতে তার দাদা সূত্রে? মুসাররিফ হতে তার পিতা থেকে দাদার সূত্রে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখেছেন- হাদীস।একথা শুনে সুফয়ান এটিকে অস্বীকার করলেন এবং ত্বালহার দাদা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাক্ষাৎ পেয়েছেন এ কথা শুনে আশ্চর্য হলেন।

‘আওনাল মা’বুদে রয়েছে: সানাদের লাইস ইবনু আবূ সুলাইম সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেন: মুযতারিবুল হাদীস। হাফিয বলেন: ইবনু হিব্বান বলেছেন, তিনি সানাদসমূহ পরিবর্তন করে ফেলেন এবং মুরসাল বর্ণনাগুলো মারফূ বানিয়ে দেন। তিনি নির্ভরযোগ্যদের সূত্র দিয়ে এমন কিছু নিয়ে আসেন যা তাদের হাদীসের অংশ নয়। ইয়াহইয়া ইবনু কাত্তান, ইবনু মাহদী, ইবনু মাঈন ও আহমাদ ইবনু হাম্বাল তাকে বর্জন করেছেন আর ইমাম নাববী ‘তাহযীবুল আসমা’ গ্রন্থে বলেন: তার দুর্বলতার ব্যাপারে ‘আলিমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ كُلَّهُ ثَلاَثًا ثَلاَثًا قَالَ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَأُذُنَيْهِ مَسْحَةً وَاحِدَةً ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উযু করতে দেখেছেন। বর্ণনাকারী পুরো হাদীস বর্ণনা করে বলেন, তিনি তিনবার করে (উযুর) প্রতিটি অঙ্গ ধৌত করেন এবং মাথা ও দু’ কান মাসাহ্ করেন একবার। [১৩২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩২] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এর সানাদের ‘আববাদ ইবনু মানসূর সম্পর্কে হাফিয ‘আত-তাকরীব’ গ্রন্থে বলেন: সত্যবাদী, তবে তাকে কাদরীয়া পন্থী বলা হয়, তিনি তাদলীস করতেন এবং শেষ বয়সে তার স্মৃতি বিকৃত হয়ে যায়।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৩৪

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَقُتَيْبَةُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، وَذَكَرَ، وُضُوءَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ الْمَأْقَيْنِ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ ‏ “‏ الأُذُنَانِ مِنَ الرَّأْسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ يَقُولُهَا أَبُو أُمَامَةَ ‏.‏ قَالَ قُتَيْبَةُ قَالَ حَمَّادٌ لاَ أَدْرِي هُوَ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ مِنْ أَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ يَعْنِي قِصَّةَ الأُذُنَيْنِ ‏.‏ قَالَ قُتَيْبَةُ عَنْ سِنَانٍ أَبِي رَبِيعَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ ابْنُ رَبِيعَةَ كُنْيَتُهُ أَبُو رَبِيعَةَ ‏.‏

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযুর বর্ণনা দিয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকের সন্নিকটে অবস্থিত চোখের স্থানটুকুও মাসাহ্ করতেন। [১৩৩]

 

দুর্বলঃ মিশকাত ৪১৬।

 

বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, উভয় কান মাথার অংশ বিশেষ।* সুলাইমান ইবনু হার্ব বলেন, আবূ উমামাহ্ এটি বলতেন। কুতাইবাহ বলেন, হাম্মাদ বলেছেন, আমি অবহিত নই যেঃ ‘উভয় কান মাথার অংশ বিশেষ’ –এ কথাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর না আবূ উমামাহ্।

 

সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩] তিরমিযী [অধ্যায়: পবিত্রতা, অনু: কর্ণদ্বয় মাথার অংশ বিশেষ, হা:৩৭], ইবনু মাজাহ [অধ্যায়: পবিত্রতা, অনু: দু’ কান মাথার অন্তর্ভুক্ত, হা: ৩৪৪], আহমাদ [৫/২৫৮, ২৬৪] হাম্মাদ ইবনু যায়িদ সূত্রে। এর সানাদ দুর্বল। সানাদে সিনান এবং শাহর দু’জনেই দুর্বল।

 

* মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন: হাদীসটি সহীহ। অর্থ্যাৎ ‘উভয় কান মাথার অংশ বিশেষ’ কথাটি সহীহ। চাই এখানে কথাটি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হোক বা আবূ উমামাহর হোক। কেননা এ অংশটুকু একদল সাহাবী [রাযিআল্লাহু আনহুম] হতে মারফূভাবে বর্ণিত হয়েছে। যাদের মধ্যে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) রয়েছেন। এর সানাদ সহীহ। এর বহু সূত্র রয়েছে।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫১

উযুর অঙ্গগুলো তিনবার করে ধোয়া

১৩৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ الطُّهُورُ فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّاحَتَيْنِ فِي أُذُنَيْهِ وَمَسَحَ بِإِبْهَامَيْهِ عَلَى ظَاهِرِ أُذُنَيْهِ وَبِالسَّبَّاحَتَيْنِ بَاطِنَ أُذُنَيْهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَكَذَا الْوُضُوءُ فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا أَوْ نَقَصَ فَقَدْ أَسَاءَ وَظَلَمَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ ظَلَمَ وَأَسَاءَ ‏”‏ ‏.‏

‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) সূত্রে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! পবিত্রতা অর্জন (উযু) কিভাবে করতে হয়? তিনি এক পাত্র পানি আনলেন। তারপর উভয় হাত কজ্বি পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। এরপর তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন। এরপর তিনবার উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন। এরপর মাথা মাসাহ্ করলেন এবং উভয় শাহাদাত আঙ্গুলি কানে প্রবেশ করালেন। বৃদ্বাঙ্গুলি দিয়ে কানের বহিরাংশ মাসাহ্ করলেন আর শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে কানের ভেতরের অংশ মাসাহ্ করলেন। সবশেষে উভয় পা তিনবার করে ধুলেন। অতঃপর বললেনঃ এভাবেই উযু করতে হয়। যে ব্যক্তি এর চেয়ে বেশি বা কম করবে সে তো মন্দ ও জুলুম করল। (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অথবা (তিনি বলেছেন) সে তো জুলুম ও মন্দ কাজ করল। (অর্থ্যাৎ মন্দ ও জুলুম শব্দদ্বয় হয়ত আগে পরে করেছেন)।

 

হাসান সহীহঃ তবে তার (আরবী) কথাটি বাদে। কেননা তা শায। মিশকাত ৪১৭ সমার্থক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫২

উযুর অঙ্গসমূহ দু’বার করে ধোয়ার বর্ণনা

১৩৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا زَيْدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحُبَابِ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَوْبَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْفَضْلِ الْهَاشِمِيُّ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযুর অঙ্গসমূহ দু’বার করে ধুয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা: ইমাম নাববী (রহঃ) বলেন, মুসলিমগণ একমত যে, উযুর অঙ্গগুলো একবার একবার করে ধৌত করা ওয়াজিব, আর তিনবার করে ধৌত করা সুন্নাত।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৩৭

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا زَيْدٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ لَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ أَتُحِبُّونَ أَنْ أُرِيَكُمْ، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَدَعَا بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ فَاغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ الْيُمْنَى فَتَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثُمَّ أَخَذَ أُخْرَى فَجَمَعَ بِهَا يَدَيْهِ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثُمَّ أَخَذَ أُخْرَى فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى ثُمَّ أَخَذَ أُخْرَى فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى ثُمَّ قَبَضَ قَبْضَةً مِنَ الْمَاءِ ثُمَّ نَفَضَ يَدَهُ ثُمَّ مَسَحَ بِهَا رَأْسَهُ وَأُذُنَيْهِ ثُمَّ قَبَضَ قَبْضَةً أُخْرَى مِنَ الْمَاءِ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى وَفِيهَا النَّعْلُ ثُمَّ مَسَحَهَا بِيَدَيْهِ يَدٍ فَوْقَ الْقَدَمِ وَيَدٍ تَحْتَ النَّعْلِ ثُمَّ صَنَعَ بِالْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

‘আত্বা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাদের বললেন, তোমরা কি এটা পছন্দ করো যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেভাবে উযু করতেন তা তোমাদেরকে আমি দেখিয়ে দেই? অতঃপর তিনি এক পাত্র পানি চাইলেন। সেখান থেকে ডান হাতে এক অঞ্জলি পানি নিয়ে কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। তারপর এক অঞ্জলি নিয়ে উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল ধুলেন। তারপর আরেক অঞ্জলি পানি নিয়ে ডান হাত এবং অপর অঞ্জলি নিয়ে বাম হাত ধুলেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে তা ফেলে দিলেন এবং মাথা ও উভয় কান মাসাহ্ করলেন। তারপর আরেক অঞ্জলি পানি নিয়ে ডান পায়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন, তখন তাঁর পায়ে ছিল জুতা। তিনি তার এক হাতে পায়ের উপরিভাগ এবং অপর হাতে জুতার নিম্নভাগ মাসাহ্ করলেন। এরপর অনুরূপভাবে বাম পাও মাসাহ্ করলেন।

 

হাসান, কিন্তু পা মাসাহ্ করার কথাটি শায। বুখারী, দু’ পা ও কান ধোয়ার কথা বাদে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৫৩

উযুর অঙ্গসমূহ একবার করে ধোয়া

১৩৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِوُضُوءِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَوَضَّأَ مَرَّةً مَرَّةً ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর উযু সম্পর্কে অবহিত করব না? অতঃপর তিনি উযুর (প্রত্যেক অঙ্গ) একবার করে ধুলেন।

 

সহীহঃ বুখারী

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৫৪

কুলি করা ও নাকে পানি দেয়ার মধ্যে পার্থক্য করা

১৩৯

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ لَيْثًا، يَذْكُرُ عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ دَخَلْتُ – يَعْنِي – عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَتَوَضَّأُ وَالْمَاءُ يَسِيلُ مِنْ وَجْهِهِ وَلِحْيَتِهِ عَلَى صَدْرِهِ فَرَأَيْتُهُ يَفْصِلُ بَيْنَ الْمَضْمَضَةِ وَالاِسْتِنْشَاقِ ‏.‏

ত্বালহা (রহঃ) তাঁর পিতা হতে তাঁর দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এমন সময় গেলাম যখন তিনি উযু করছিলেন, উযুর পানি তাঁর মুখ ও দাড়ি গড়িয়ে তাঁর বুকের উপর পড়ছিল। আমি দেখলাম, তিনি পৃথকভাবে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। [১৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮] ১৩২ নং হাদীসের টিকায় এ সানাদ সম্পর্কে আলোচনা গত হয়েছে। ‘আওনুল মা’বুদে রয়েছে এর সনদ দুর্বল, এর দ্বারা দলীল প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৫৫

নাক পরিষ্কার করা

১৪০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ فِي أَنْفِهِ مَاءً ثُمَّ لْيَنْثُرْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ উযু করে, তখন সে যেন স্বীয় নাকে পানি দিয়ে (পরিষ্কার করে) তা ঝেড়ে ফেলে দেয়।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ قَارِظٍ، عَنْ أَبِي غَطَفَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اسْتَنْثِرُوا مَرَّتَيْنِ بَالِغَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’বার অথবা তিনবার ভাল করে নাক পরিষ্কার করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، – فِي آخَرِينَ – قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ – أَوْ فِي وَفْدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ – إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نُصَادِفْهُ فِي مَنْزِلِهِ وَصَادَفْنَا عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ فَأَمَرَتْ لَنَا بِخَزِيرَةٍ فَصُنِعَتْ لَنَا قَالَ وَأُتِينَا بِقِنَاعٍ – وَلَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ الْقِنَاعَ وَالْقِنَاعُ الطَّبَقُ فِيهِ تَمْرٌ – ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا أَوْ أُمِرَ لَكُمْ بِشَىْءٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ فَبَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسٌ إِذْ دَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ ‏”‏ مَا وَلَّدْتَ يَا فُلاَنُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بَهْمَةً ‏.‏ قَالَ فَاذْبَحْ لَنَا مَكَانَهَا شَاةً ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لاَ تَحْسِبَنَّ – وَلَمْ يَقُلْ لاَ تَحْسَبَنَّ – أَنَّا مِنْ أَجْلِكَ ذَبَحْنَاهَا لَنَا غَنَمٌ مِائَةٌ لاَ نُرِيدُ أَنْ تَزِيدَ فَإِذَا وَلَّدَ الرَّاعِي بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي امْرَأَةً وَإِنَّ فِي لِسَانِهَا شَيْئًا يَعْنِي الْبَذَاءَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَطَلِّقْهَا إِذًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَهَا صُحْبَةً وَلِي مِنْهَا وَلَدٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمُرْهَا – يَقُولُ عِظْهَا – فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَفْعَلُ وَلاَ تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ كَضَرْبِكَ أُمَيَّتَكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا ‏”‏ ‏.‏

লাক্বীত্ব ইবনু সাব্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আগত বনু মুসতাফিক্ব গোত্রের প্রতিনিধি দলটির নেতা ছিলাম আমি অথবা বলেছেন, আমি তাঁদের মধ্যেই ছিলাম। আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে পৌছলাম তখন তাঁকে তাঁর ঘরে উপস্থিত পেলাম না, অবশ্য উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে পেলাম। তিনি আমাদের জন্য ‘খাযিরাহ’ (এক প্রকার খাদ্য) তৈরীর আদেশ দিলেন। অতঃপর আমাদের জন্য তা তৈরী করা হলো এবং আমাদের সম্মুখে ক্বিনা’ (অর্থাৎ খেজুর ভর্তি একটি পাত্র) পেশ করা হলো। বর্ণনাকারী কুতাইবাহ “খেজুর ভর্তি পাত্র” কথাটি উল্লেখ করেননি। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে বললেনঃ তোমরা কিছু খেয়েছো কি? অথবা তিনি বললেন, তোমাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! লাক্বীত্ব বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় এক রাখাল তাঁর মেষপাল খোঁয়াড়ে নিয়ে এলেন। আর সাথে একটি ছাগলের বাচ্চা ছিল, সেটি চিৎকার করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে উমুক! কি বাচ্চা জন্ম হয়েছে? সে বলল, মাদী। তিনি বলেন, সেটির পরিবর্তে আমাদের জন্য একটি বকরী যাবাহ্ করি। অতঃপর (প্রতিনিধি দলের নেতাকে উদ্দেশ্য করে) বললেনঃ এমনটি মনে করো না যে, বকরীটি তোমার জন্য যাবাহ্ করছি। বরং আমাদের কাছে একশ’টি বকরী আছে। তাই আমরা এর সংখ্যা আর বাড়াতে চাই না। সেজন্যই কোন বাচ্চা জন্ম হলে আমরা সেটির পরিবর্তে একটি বকরী যাবাহ্ করি। লাকীত্ব বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার একজন স্ত্রী আছে। সে অশ্লীলভাষী। তিনি বললেনঃ তাহলে তাকে ত্বালাক দাও। লাক্বীত্ব বলেন, আমার সাহচর্যে সে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করেছে এবং তার গর্ভজাত আমার একটি সন্তানও রয়েছে। তিনি বললেনঃ তবে তাকে উপদেশ দাও। তার মাঝে কল্যাণ থাকলে সে উপদেশ গ্রহন করবে। জেনে রাখ, নিজের জীবন সঙ্গিণীকে ক্রীতদাসীদের মত প্রহার করবে না। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে উযু সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ পরিপূর্ণরূপে উযু করবে, অঙ্গুলিসমূহ খিলাল করবে এবং নাকে উত্তমরূপে পানি পৌছাবে, তবে সিয়াম রত অবস্থায় নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। উযুতে দু’হাত ও দু’পায়ের অঙ্গুলিগুলো খিলাল করা ওয়াজিব।

২। রোযাদারের জন্য উযুতে নাকের (খুব) ভেতরে পানি পৌছানো অপছন্দনীয়। কেননা এতে পানি কন্ঠনালীর ভেতরে ঢুকে রোযা ভঙ্গ হওয়ার ভয় আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، وَافِدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ، أَنَّهُ أَتَى عَائِشَةَ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ يَنْشَبْ أَنْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَقَلَّعُ يَتَكَفَّأُ ‏.‏ وَقَالَ عَصِيدَةٍ ‏.‏ مَكَانَ خَزِيرَةٍ ‏.

‘আসিম ইবনু লাক্বীত্ব ইবনু সাব্‌রাহ হতে তার পিতার সূত্রে, , যিনি বনু মুনতাফিক্ব গোত্রের সর্দার ছিলেন থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট আসলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী পুর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, (আমরা) কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে মন্থর গতিতে আসলেন। উক্ত বর্ণনায় ‘খাযিরাহ’ শব্দের স্থলে ‘আসীদাহ’ শব্দ উল্লেখ রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فِيهِ ‏ “‏ إِذَا تَوَضَّأْتَ فَمَضْمِضْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ‘আসিম থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু জুরাইজও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি উযু করার সময় কুলি করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৬

দাড়ি খিলাল করা

১৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، – يَعْنِي الرَّبِيعَ بْنَ نَافِعٍ – حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ زَوْرَانَ، عَنْ أَنَسٍ يَعْنِي ابْنَ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا تَوَضَّأَ أَخَذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَأَدْخَلَهُ تَحْتَ حَنَكِهِ فَخَلَّلَ بِهِ لِحْيَتَهُ وَقَالَ ‏ “‏ هَكَذَا أَمَرَنِي رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ابْنُ زَوْرَانَ رَوَى عَنْهُ حَجَّاجُ بْنُ حَجَّاجٍ وَأَبُو الْمَلِيحِ الرَّقِّيُّ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করার সময় হাতে এক অঞ্জলি পানি নিতেন। তারপর ঐ পানি চোয়ালের নিম্নদেশে (থুতনির নীচে) লাগিয়ে দাড়ি খিলাল করতেন এবং বলতেনঃ আমার মহান প্রতিপালক আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৭

পাগড়ীর উপর মাসাহ্ করা

১৪৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً فَأَصَابَهُمُ الْبَرْدُ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُمْ أَنْ يَمْسَحُوا عَلَى الْعَصَائِبِ وَالتَّسَاخِينِ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ছোট সেনাদল প্রেরণ করলেন। তারা (যাত্রা পথে) ঠান্ডায় আক্রান্ত হন। অতঃপর তারা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ফিরে আসলেন তখন তিনি তাদেরকে পাগড়ী ও মোজার উপর মাসাহ্ করার নির্দেশ দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ أَبِي مَعْقِلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ قِطْرِيَّةٌ فَأَدْخَلَ يَدَهُ مِنْ تَحْتِ الْعِمَامَةِ فَمَسَحَ مُقَدَّمَ رَأْسِهِ وَلَمْ يَنْقُضِ الْعِمَامَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উযু করতে দেখেছি। তখন তাঁর মাথায় কিত্‌রী পাগড়ী ছিল। তিনি পাগড়ীর বাঁধন না ভেঙ্গে তাঁর হাত পাগড়ীর নীচে ঢুকিয়ে মাথার সম্মুখ ভাগ মাসাহ্‌ করলেন। [১৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪৬] ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পাগড়ির উপর মাসাহ্‌ করা, হাঃ ৫৬৪)। এর দোষ হচ্ছে সানাদের ‘আবদুল ‘আযিয ইবনু মুসলিম। তার সম্পর্কে হাফিয ‘আত-ত্বাকরীব’ গ্রন্থে বলেন, মাক্ববূল। আর আনাস সূত্রে বর্ণনাকারী আবূ মা’ক্বাল অজ্ঞাত। যা ইবনু হাজার ‘আত-ত্বাকরীব’ গ্রন্থে বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৮

দু’ পা ধোয়া

১৪৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا تَوَضَّأَ يَدْلُكُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ بِخِنْصَرِهِ ‏.‏

মুসতাওরিদ ইবনু শাদাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উযুর সময় তাঁর কনিষ্ঠ আঙ্গুল দ্বারা পায়ের আঙ্গুলসমূহ খিলাল করতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৯

মোজার উপর মাসাহ্‌ করা

১৪৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَبَّادُ بْنُ زِيَادٍ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَاهُ الْمُغِيرَةَ، يَقُولُ عَدَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَعَدَلْتُ مَعَهُ فَأَنَاخَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَتَبَرَّزَ ثُمَّ جَاءَ فَسَكَبْتُ عَلَى يَدِهِ مِنَ الإِدَاوَةِ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثُمَّ حَسَرَ عَنْ ذِرَاعَيْهِ فَضَاقَ كُمَّا جُبَّتِهِ فَأَدْخَلَ يَدَيْهِ فَأَخْرَجَهُمَا مِنْ تَحْتِ الْجُبَّةِ فَغَسَلَهُمَا إِلَى الْمِرْفَقِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ ثُمَّ تَوَضَّأَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ رَكِبَ فَأَقْبَلْنَا نَسِيرُ حَتَّى نَجِدَ النَّاسَ فِي الصَّلاَةِ قَدْ قَدَّمُوا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ فَصَلَّى بِهِمْ حِينَ كَانَ وَقْتُ الصَّلاَةِ وَوَجَدْنَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ وَقَدْ رَكَعَ بِهِمْ رَكْعَةً مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَفَّ مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَصَلَّى وَرَاءَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الرَّكْعَةَ الثَّانِيَةَ ثُمَّ سَلَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَتِهِ ‏.‏ فَفَزِعَ الْمُسْلِمُونَ فَأَكْثَرُوا التَّسْبِيحَ لأَنَّهُمْ سَبَقُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِالصَّلاَةِ فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُمْ ‏”‏ قَدْ أَصَبْتُمْ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ قَدْ أَحْسَنْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

আব্বাদ ইবনু যিয়াদ থেকে বর্ণিতঃ

উরওয়াহ ইবনুল মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ তাঁকে অবহিত করেন যে, তিনি তাঁর পিতা মুগীরাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবুক যুদ্ধের সময় একদিন ফাজ্‌রের পূর্বে রাস্তা ছেড়ে একদিকে রওনা করলেন। আমিও তার সাথে চললাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উট বসালেন এবং মলমূত্র ত্যাগ করলেন। অতঃপর প্রয়োজন সেরে এলে আমি তাঁর হাতে পাত্র থেকে পানি ঢেলে দিলাম। তিনি উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুলেন। তারপর মুখমণ্ডল ধুলেন। তারপর তিনি তাঁর জুব্বার আস্তিন থেকে দু’হাত বের করতে চাইলেন, কিন্তু আস্তিন সংকীর্ণ থাকায় জুব্বার নীচ থেকে হাত বের করে এনে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন এবং মাথা মাসাহ্‌ করলেন। তারপর মোজার উপর মাসাহ্‌ করলেন। অতঃপর উটের উপর সওয়ার হলেন। আমরাও সামনে অগ্রসর হলাম। আমরা এসে দেখলাম, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-কে ইমাম নিযুক্ত করে লোকেরা সলাত আদায় করছে। তিনি ওয়াক্ত মোতাবেকই সলাত শুরু করেছেন। আমরা এসে ‘আবদুর রহমানকে এমন অবস্থায় পেলাম যে, তিনি ফাজ্‌রের এক রাক‘আত আদায় করে ফেলেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলমানদের সাথে একই কাতারে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-এর পিছনে সলাতের দ্বিতীয় রাক‘আত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন। ‘আবদুর রহমান সালাম ফিরালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশিষ্ট এক রাক‘আত সলাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগেই সলাত আদায় করে ফেলায় মুসলমানরা ভীত হয়ে পড়ল এবং অধিক পরিমাণে তাস্‌বীহ পাঠ করতে লাগল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরিয়ে তাঁদের উদ্দেশে বললেনঃ তোমরা (ওয়াক্ত মোতাবেক সলাত আদায় করে) ঠিকই করেছো অথবা তোমরা ভালই করেছো।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ، ح حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنِ التَّيْمِيِّ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ وَمَسَحَ نَاصِيَتَهُ ‏.‏ وَذَكَرَ فَوْقَ الْعِمَامَةِ – قَالَ عَنِ الْمُعْتَمِرِ – سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْحَسَنِ عَنِ ابْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَعَلَى نَاصِيَتِهِ وَعَلَى عِمَامَتِهِ ‏.‏ قَالَ بَكْرٌ وَقَدْ سَمِعْتُهُ مِنَ ابْنِ الْمُغِيرَةِ ‏.‏

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযুর সময় তাঁর কপাল মাসাহ্‌ করলেন। তিনি উল্লেখ করেন, এ মাসাহ্‌ ছিল পাগড়ীর উপর। মুগীরাহ সূত্রে অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজা, কপাল এবং পাগড়ীর উপর মাসাহ্‌ করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، يَذْكُرُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَكْبِهِ وَمَعِي إِدَاوَةٌ فَخَرَجَ لِحَاجَتِهِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَتَلَقَّيْتُهُ بِالإِدَاوَةِ فَأَفْرَغْتُ عَلَيْهِ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ وَوَجْهَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ ذِرَاعَيْهِ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ مِنْ صُوفٍ مِنْ جِبَابِ الرُّومِ ضَيِّقَةُ الْكُمَّيْنِ فَضَاقَتْ فَادَّرَعَهُمَا ادِّرَاعًا ثُمَّ أَهْوَيْتُ إِلَى الْخُفَّيْنِ لأَنْزِعَهُمَا فَقَالَ لِي ‏ “‏ دَعِ الْخُفَّيْنِ فَإِنِّي أَدْخَلْتُ الْقَدَمَيْنِ الْخُفَّيْنِ وَهُمَا طَاهِرَتَانِ ‏”‏ ‏.‏ فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا ‏.‏ قَالَ أَبِي قَالَ الشَّعْبِيُّ شَهِدَ لِي عُرْوَةُ عَلَى أَبِيهِ وَشَهِدَ أَبُوهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

উরওয়াহ ইবনুল মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ থেকে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সফররত ছিলাম। সে সময় আমার সাথে একটি (পানির) মশক ছিল। তিনি তাঁর প্রয়োজনে (মলমূত্র ত্যাগের জন্য) বেরুলেন। অতঃপর ফিরে এলেন। আমি পানির মশক নিয়ে এগিয়ে গেলাম এবং তাঁকে পানি ঢেলে দিলাম। তিনি উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত এবং মুখমণ্ডল ধুলেন। তারপর তিনি হাত দু’টি বের করার ইচ্ছা করলেন। তখন তাঁর গায়ে রোম দেশীয় সরু আস্তিন বিশিষ্ট পশমী জুব্বা ছিল। আস্তিন বেশি সংকীর্ণ হওয়ায় জুব্বা থেকে হাত বের করা সম্ভব হলো না। তাই তিনি তা খুলে নিচে রাখলেন। অতঃপর আমি তাঁর পা থেকে মোজাদ্বয় খোলার জন্য নিচে ঝুঁকলাম। তিনি বললেন, থাক, মোজা খুলো না। আমি পবিত্র অবস্থায়ই দু’পায়ে মোজাদ্বয় পরেছি। তারপর তিনি মোজার উপর মাসাহ্‌ করলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫২

حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، وَعَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، قَالَ تَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْنَا النَّاسَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يُصَلِّي بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ أَنْ يَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنْ يَمْضِيَ – قَالَ – فَصَلَّيْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ رَكْعَةً فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الرَّكْعَةَ الَّتِي سُبِقَ بِهَا وَلَمْ يَزِدْ عَلَيْهَا شَيْئًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ وَابْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ عُمَرَ يَقُولُونَ مَنْ أَدْرَكَ الْفَرْدَ مِنَ الصَّلاَةِ عَلَيْهِ سَجْدَتَا السَّهْوِ ‏.‏

যুরারাহ ইবনু ‘আওফা থেকে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কাফেলার) পিছনে রয়ে গেলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী পুরো ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, আমরা এসে দেখলাম, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) লোকদের ফাজ্‌রের সলাতে ইমামতি করছেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখতে পেয়ে পিছনে সরে আসতে চাইলেন। তিনি ইশারায় তাকে সলাত আদায় চালিয়ে যেতে বললেন। মুগীরাহ (রাঃ) বলেন, আমি এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমানের পিছনে এক রাক‘আত আদায় করলাম। ‘আবদুর রহমান সালাম ফিরালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে ছুটে যাওয়া অবশিষ্ট এক রাক‘আত সলাত আদায় করলেন এবং এর অধিক কিছু করেননি।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ), ইবনু যুবাইর ও ইবনু ‘উমারের মতে, কেউ ইমামের সঙ্গে বিজোড় রাক‘আত (আংশিক) সলাত পেলে তাকে দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ করতে হবে।

 

দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

মোজা পরিধানের পূর্বেই পবিত্রতা অর্জন করা জরুরী। যাতে মোজার উপর মাসাহ্‌ করা সহীহ হয়।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১৫৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، – يَعْنِي ابْنَ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ – سَمِعَ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، أَنَّهُ شَهِدَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ يَسْأَلُ بِلاَلاً عَنْ وُضُوءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ يَخْرُجُ يَقْضِي حَاجَتَهُ فَآتِيهِ بِالْمَاءِ فَيَتَوَضَّأُ وَيَمْسَحُ عَلَى عِمَامَتِهِ وَمُوقَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى بَنِي تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ ‏.‏

আবু ‘আব্দুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ যখন বিলাল (রাঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তখন তিনি তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন। বিলাল (রাঃ) বললেনঃ তিনি পেশাব-পায়খানার জন্য বের হতেন। তখন আমি তাঁর জন্য পানি নিয়ে আসতাম। তিনি উযু করতেন এবং পাগড়ী ও মোজার উপর মাসহ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الدِّرْهَمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ دَاوُدَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، أَنَّ جَرِيرًا، بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ فَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَقَالَ مَا يَمْنَعُنِي أَنْ أَمْسَحَ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ قَالُوا إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏ قَالَ مَا أَسْلَمْتُ إِلاَّ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏

আবূ যুর‘আহ ইবনু জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা জারীর (রাঃ) পেশাব করলেন। অতঃপর উযু করার সময় তিনি মোজার উপর মাসাহ্‌ করলেন এবং বললেন, কিসে আমাকে মোজার উপর মাসাহ্‌ করা থেকে বিরত রাখবে? অথচ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাসাহ্‌ করতে দেখেছি। লোকেরা বলল, এটা তো সূরাহ মায়িদাহ্‌ অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা। জারীর (রাঃ) বললেন, আমি সূরাহ মায়িদাহ্‌ অবতীর্ণ হওয়ার পরই ইসলাম গ্রহণ করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا دَلْهَمُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ حُجَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّجَاشِيَّ، أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُفَّيْنِ أَسْوَدَيْنِ سَاذَجَيْنِ فَلَبِسَهُمَا ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَيْهِمَا ‏.‏ قَالَ مُسَدَّدٌ عَنْ دَلْهَمِ بْنِ صَالِحٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْبَصْرَةِ ‏.‏

ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

একদা (আবিসিনিয়ার বাদশাহ) নাজ্জাশী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একজোড়া কালো মোজা উপহার পাঠান। তিনি মোজাদ্বয় পরিধান করেন এবং উযুর সময় ওগুলোর উপর মাসাহ্‌ করেন।

 

হাসান।

 

মুসাদ্দাদ (রহঃ) এটি দালহাম ইবনু সালিহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি কেবলমাত্র বাসরাহ্‌’র বর্ণনাকারীগণই বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ حَىٍّ، – هُوَ الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ – عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَامِرٍ الْبَجَلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسِيتَ قَالَ ‏ “‏ بَلْ أَنْتَ نَسِيتَ بِهَذَا أَمَرَنِي رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজার উপর মাসাহ্‌ করলেন। ফলে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি ভুলে গেছেন? তিনি বললেনঃ বরং তুমিই ভুলে গেছ। আমার মহান প্রতিপালক আমাকে এরূপ করার আদেশ করেছেন।

 

দুর্বলঃ মিশকাত ৫২৪।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৬০

মোজার উপর মাসাহ্‌ করার সময়সীমা

১৫৭

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، وَحَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ، عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ وَلِلْمُقِيمِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ بِإِسْنَادِهِ قَالَ فِيهِ وَلَوِ اسْتَزَدْنَاهُ لَزَادَنَا ‏.‏

খুযাইমাহ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মোজার উপর মাসাহ্‌ করার নির্দ্দিষ্ট সময় সীমা হচ্ছে মুসাফিরের জন্য তিন দিন আর মুক্বীমের জন্য একদিন একরাত। অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ আমরা তাঁর নিকট অতিরিক্ত সময় সীমা চাইলে তিনি অধিক সময় সীমাই অনুমোদন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ طَارِقٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَزِينٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ قَطَنٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ عِمَارَةَ، – قَالَ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَكَانَ قَدْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْقِبْلَتَيْنِ – أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَوْمًا قَالَ ‏”‏ يَوْمًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَيَوْمَيْنِ قَالَ ‏”‏ وَيَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَثَلاَثَةً قَالَ ‏”‏ نَعَمْ وَمَا شِئْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ الْمِصْرِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَزِينٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ عَنْ أُبَىِّ بْنِ عِمَارَةَ قَالَ فِيهِ حَتَّى بَلَغَ سَبْعًا ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ نَعَمْ وَمَا بَدَا لَكَ ‏”‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي إِسْنَادِهِ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ وَيَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السِّيْلَحِينِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي إِسْنَادِهِ ‏.‏

উবাই ইবনু ‘ইমারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে উভয় ক্বিবলাহ্‌র দিকেই সলাত আদায় করেছিলেন- তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি মোজার উপর মাসাহ্‌ করব? তিনি বলেন, হ্যাঁ। উবাই (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, একদিন? তিনি বলেন, হ্যাঁ একদিন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, দু’ দিন? তিনি বলেন, হ্যাঁ দু’ দিনও। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তিনদিন? তিনি বলেন, হ্যাঁ তিনদিন এবং তোমার যতদিন ইচ্ছা হয়। (অন্য বর্ণনায় রয়েছে) উবাই ইবনু ‘ইমারাহ তাতে সাত দিন পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করেছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উত্তরেও বলেছিলেন, হ্যাঁ, তোমার যতদিন ইচ্ছা হয়।

 

দুর্বল।

 

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটির সানাদে মতভেদ আছে। এটি শক্তিশালী হাদীস নয়। ইবনু আবূ মারিয়াম, ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইসহাক্ব, আস-সিলাহীনী এবং ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আইউব (রহঃ) প্রমুখ বর্ণনাকারী এটি বর্ণনা করেছেন এবং এর সানাদ নিয়ে মতানৈক্য করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৬১

জাওরাবাইনের উপর মাসাহ্‌ করা

১৫৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ الأَوْدِيِّ، – هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَرْوَانَ – عَنْ هُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَالنَّعْلَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ لاَ يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ لأَنَّ الْمَعْرُوفَ عَنِ الْمُغِيرَةِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ هَذَا أَيْضًا عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ مَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ ‏.‏ وَلَيْسَ بِالْمُتَّصِلِ وَلاَ بِالْقَوِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَابْنُ مَسْعُودٍ وَالْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَأَبُو أُمَامَةَ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَعَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ وَرُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযুর সময় জাওরাবাইন এবং উভয় জুতার উপর মাসাহ্‌ করেছেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি (মুনকার হওয়ায়) ‘আবদুর রহমান বনু মাহ্‌দী এটি বর্ণনা করতেন না। কেননা মুগীরাহ (রাঃ) সূত্রে প্রসিদ্ধ বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ্‌ করেছেন। আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) সূত্রেও বর্ণিত আছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয় জাওরাবের উপর মাসাহ্‌ করেছেন। কিন্তু এর সানাদ মুত্তাসিল নয় এবং মজবুতও নয়।

 

হাসান।

 

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, অবশ্য ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব, ইবনু মাসউদ, আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব, আনাস ইবনু মালিক, আবু উমামাহ, সাহল ইবনু সা’দ ও আমর ইবনু হুরাইস (রাঃ) প্রমূখ সাহাবীগণ তাঁদের উভয় জাওরাবের উপর মাসাহ করেছেন। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এবং ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রেও তা বর্ণিত আছে।

 

সহীহঃ ইবনু মাসউদ, বারা’আ, আনাস, ও হাসান হতেঃ আবু উমামাহ সূত্রে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৬২

১৬০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَعَبَّادُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، – قَالَ عَبَّادٌ – قَالَ أَخْبَرَنِي أَوْسُ بْنُ أَبِي أَوْسٍ الثَّقَفِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى نَعْلَيْهِ وَقَدَمَيْهِ ‏.‏ وَقَالَ عَبَّادٌ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى كِظَامَةَ قَوْمٍ – يَعْنِي الْمِيضَأَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ مُسَدَّدٌ الْمِيضَأَةَ وَالْكِظَامَةَ ثُمَّ اتَّفَقَا – فَتَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى نَعْلَيْهِ وَقَدَمَيْهِ ‏.‏

আওস ইবনু আবু আওস আস-সাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযুর সময় তার জুতাজোড়া ও দু’ পায়ের উপর মাসাহ্‌ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৬৩

(মোজার উপর) মাসাহ্‌ করার নিয়ম

১৬১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، قَالَ ذَكَرَهُ أَبِي عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏.‏ وَقَالَ غَيْرُ مُحَمَّدٍ عَلَى ظَهْرِ الْخُفَّيْنِ ‏.‏

মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ্‌ করতেন। বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ব্যতীত অন্যদের বর্ণনায় ‘মোজাদ্বয়ের উপরিভাগ’ মাসাহ করতেন কথাটি রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْىِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْخُفِّ أَوْلَى بِالْمَسْحِ مِنْ أَعْلاَهُ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرِ خُفَّيْهِ ‏.

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ধর্মের মাপকাঠি যদি রায়ের (মানুষের মনগড়া অভিমত ও বিবেক-বিবেচনার) উপর নির্ভরশীল হত, তাহলে মোজার উপরিভাগের চেয়ে নীচের (তলার) দিক মাসাহ্‌ করাই উত্তম হত। অথচ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর (পায়ের) মোজাদ্বয়ের উপরিভাগ মাসাহ্‌ করতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ مَا كُنْتُ أُرَى بَاطِنَ الْقَدَمَيْنِ إِلاَّ أَحَقَّ بِالْغَسْلِ حَتَّى رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَهْرِ خُفَّيْهِ ‏.‏

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাতে রয়েছে (‘আলী (রাঃ) বলেন) : আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর মোজার উপরিভাগ মাসাহ্‌ করতে দেখার আগে পায়ের তলার দিক ধৌত করাকে অধিক যুক্তি সঙ্গত মনে করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْىِ لَكَانَ بَاطِنُ الْقَدَمَيْنِ أَحَقَّ بِالْمَسْحِ مِنْ ظَاهِرِهِمَا وَقَدْ مَسَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى ظَهْرِ خُفَّيْهِ وَرَوَاهُ وَكِيعٌ عَنِ الأَعْمَشِ بِإِسْنَادِهِ قَالَ كُنْتُ أُرَى أَنَّ بَاطِنَ الْقَدَمَيْنِ أَحَقُّ بِالْمَسْحِ مِنْ ظَاهِرِهِمَا حَتَّى رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرِهِمَا ‏.‏ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي الْخُفَّيْنِ ‏.‏ وَرَوَاهُ عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنِ الأَعْمَشِ كَمَا رَوَاهُ وَكِيعٌ وَرَوَاهُ أَبُو السَّوْدَاءِ عَنِ ابْنِ عَبْدِ خَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا تَوَضَّأَ فَغَسَلَ ظَاهِرَ قَدَمَيْهِ وَقَالَ لَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাতে রয়েছে (‘আলী (রাঃ) বলেন) : ধর্মের মাপকাঠি যদি রায়ের (মানুষের মনগড়া অভিমত ও বিবেক-বিবেচনার) উপর নির্ভরশীল হত, তাহলে মোজার উপরিভাগের চেয়ে তলার দিক মাসাহ্‌ করাই অধিক যুক্তি সঙ্গত হত। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর (পায়ের) মোজাদ্বয়ের উপরিভাগই মাসাহ্‌ করেছেন।

 

সহীহ।

 

হাদীসটি ওয়াকী‘ (রহঃ) আ‘মাশ হতে তাঁর (উপরোক্ত) সানাদে বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছে (‘আলী (রাঃ) বলেন) : আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর মোজার উপরিভাগ মাসাহ্‌ করতে দেখার পূর্বে পায়ের তলার দিক ধৌত করাকে অধিক যুক্তিসঙ্গত মনে করতাম। ওয়াকী‘ বলেনঃ এখানে ‘উপরিভাগ’ দ্বারা বুঝানো হয়েছে (পায়ের) মোজাদ্বয়ের উপর। হাদীসটি আ‘মাশ থেকে ঈসা ইবনু ইউনুসও ওয়াকী‘র অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবুস্‌ সাওদা হাদীসটি ইবনু ‘আবদি খাইর হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন এভাবে : আমি ‘আলী (রাঃ)-কে উযু করার সময় তাঁর দু’ পায়ের উপরিভাগ ধৌত করতে দেখেছি। তিনি বলেছেন, যদি আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে না দেখতাম’….। অতঃপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।

 

সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ، وَمَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، – قَالَ مَحْمُودٌ – أَخْبَرَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ، عَنْ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ وَضَّأْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَمَسَحَ أَعْلَى الْخُفَّيْنِ وَأَسْفَلَهُمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَبَلَغَنِي أَنَّهُ لَمْ يَسْمَعْ ثَوْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ رَجَاءٍ ‏.

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের সময় আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উযু করিয়েছি। তিনি মোজাদ্বয়ের উপরিভাগ ও নিম্নভাগ মাসাহ্‌ করেছেন।

 

দুর্বলঃ মিশকাত ৫২১।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি, সাওর হাদীসটি রাজা থেকে শোনেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৬৪

লজ্জাস্থানে পানি ছিটানো

১৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – هُوَ الثَّوْرِيُّ – عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ الْحَكَمِ الثَّقَفِيِّ، أَوِ الْحَكَمِ بْنِ سُفْيَانَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَالَ يَتَوَضَّأُ وَيَنْتَضِحُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَافَقَ سُفْيَانَ جَمَاعَةٌ عَلَى هَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ بَعْضُهُمُ الْحَكَمُ أَوِ ابْنُ الْحَكَمِ ‏.

সুফিয়ান ইবনু হাকাম আস-সাক্বাফী অথবা হাকাম ইবনু সুফিয়ান আস-সাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পেশাব করতেন, তখন উযু করে (লজ্জাস্থানে) পানি ছিটাতেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ সানাদের ব্যাপারে সুফিয়ানের সাথে একদল বর্ণনাকারী ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, কারো মতে, এখানে হবে- হাকাম অথবা ইবনু হাকাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭

সাক্বীফ গোত্রের এক ব্যক্তি হতে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পেশাব করে আপন লজ্জাস্থানে পানির ছিটা দিতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ ‏.‏

হাকাম অথবা ইবনু হাকাম হতে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করলেন। অতঃপর উযু করে আপন লজ্জাস্থানে পানির ছিটা দিলেন।¬

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৫

উযুর পর যে দু’আ পড়তে হয়

১৬৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ، – يَعْنِي ابْنَ صَالِحٍ – يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُدَّامَ أَنْفُسِنَا نَتَنَاوَبُ الرِّعَايَةَ رِعَايَةَ إِبِلِنَا فَكَانَتْ عَلَىَّ رِعَايَةُ الإِبِلِ فَرَوَّحْتُهَا بِالْعَشِيِّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُومُ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ يُقْبِلُ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ قَدْ أَوْجَبَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بَخْ بَخْ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ الَّتِي قَبْلَهَا يَا عُقْبَةُ أَجْوَدُ مِنْهَا ‏.‏ فَنَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ مَا هِيَ يَا أَبَا حَفْصٍ قَالَ إِنَّهُ قَالَ آنِفًا قَبْلَ أَنْ تَجِيءَ ‏”‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَفْرُغُ مِنْ وُضُوئِهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُعَاوِيَةُ وَحَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ ‏.‏

উক্ববাহ ইবনু ‘আমির থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নিজেদের যাবতীয় কাজকর্ম করতাম এমনকি আমাদের উট চরানোর কাজও আমরা পালাক্রমে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতাম। একদা আমার উপর উট চরাবার পালা এলো সন্ধ্যায় উটগুলো নিয়ে আমি উটশালায় ফিরে এসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভাষণরত অবস্থায় পেলাম। আমি শুনলাম, তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলছেনঃ “তোমাদের মধ্যকার যে কেউ উত্তমরূপে উযু করে, অতঃপর দাঁড়িয়ে বিনয় ও একাগ্রতার সাথে দু’রাকআত সলাত আদায় করলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” একথা শুনে আমি বললামঃ বাহ্‌ বাহ্‌, এটা তো অতি উত্তম কথা! তখন (আগে থেকেই উপস্থিত) আমার সামনে বসা এক ব্যক্তি বললেন, হে উক্ববাহ্‌! এর আগে তিনি যা বলেছেন, সেটা আরও উত্তম। আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি হলেন ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবূ হাফ্‌স! সেটা কী? ‘উমার (রাঃ) বললেন, আপনি এখানে আসার একটু আগেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যকার যে কেউ উত্তমরূপে উযু করার পর এরূপ বলেঃ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক এবং তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয় মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দাহ ও রসূল”- তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হয়। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

 

সহীহঃ মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭০

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ، – وَهُوَ ابْنُ شُرَيْحٍ – عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، عَنِ ابْنِ عَمِّهِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الرِّعَايَةِ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏ “‏ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ رَفَعَ بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ ‏.‏ فَقَالَ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ ‏.

উক্ববাহ ইবনু ‘আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ববাহ ইবনু ‘আমির আল-জুহানী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে ‘উটশালায়’ কথাটি উল্লেখ করেননি। তিনি তাঁর বর্ণনায় ‘উত্তমরূপে উযু করার পর ‘আকাশের দিকে তাকিয়ে’ (দু’আ পড়ার কথা) বলেছেন। তারপর বাকি অংশ মু’আবিয়াহ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯] দারিমী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৭১৬), আহমাদ (৪/১৫০) আবূ ‘আক্বীল সূত্রে, নাসায়ী ‘আমামুল ইয়াত্তমি ওয়াল লায়লাহ’ (হাঃ ৮৪) তিনি বলেন, আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন, সুওয়ায়িদ ইবনু নাসর ইবনু সুওয়ায়িদ। এর সানাদে একজন অজ্ঞাত লোক আছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৬

যে ব্যক্তি একই উযুতে কয়েক ওয়াক্তের সলাত আদায় করে তার বর্ণনা

১৭১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الْبَجَلِيِّ، – قَالَ مُحَمَّدٌ هُوَ أَبُو أَسَدِ بْنِ عَمْرٍو – قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الْوُضُوءِ، فَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَكُنَّا نُصَلِّي الصَّلَوَاتِ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ ‏.‏

আমর ইবনু ‘আমির আল-বাজালী থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেন, তিনি হলেন আবূ আসাদ ইবনু ‘আমর। তিনি বলেন, একদা আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে উযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক সলাতের জন্যই (নতুনভাবে) উযু করতেন। আর আমরা এক উযুতেই একাধিকবার সলাত আদায় করতাম।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ إِنِّي رَأَيْتُكَ صَنَعْتَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ عَمْدًا صَنَعْتُهُ ‏”‏ ‏.

সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের দিন এক উযুতেই পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করেছেন এবং আপন মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ্‌ করেছেন। (এ দৃশ্য দেখে) ‘উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি আপনাকে এমন একটি কাজ করতে দেখেছি, যা আপনি ইতোপূর্বে কখনো করেননি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই এরূপ করেছি।

 

সহীহঃ মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৭

উযুর মধ্যে কোন অঙ্গের কোন অংশ শুকনা থাকলে

১৭৩

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ قَتَادَةَ بْنَ دِعَامَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَوَضَّأَ وَتَرَكَ عَلَى قَدَمَيْهِ مِثْلَ مَوْضِعِ الظُّفْرِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ارْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا الْحَدِيثُ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ وَلَمْ يَرْوِهِ إِلاَّ ابْنُ وَهْبٍ وَحْدَهُ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْجَزَرِيِّ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ ‏”‏ ارْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি উযু করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হল। কিন্ত (উযুতে) তার পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুকনা ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, ‘ফিরে যাও এবং উত্তমরূপে আবার উযু করে এসো।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেছেন, এ হাদীসটি প্রসিদ্ধ নয়। এটি কেবল ইবনু ওয়াহ্‌হাব বর্ণনা করেছেন। আর মা’ক্বিল ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ আল-জাযাবী আবূ যুবাইর হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি ‘উমার (রাঃ) হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ তিনি বলেছেন, ‘ফিরে যাও এবং উত্তমরূপে উযু করে এসো।’

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১. উযূর অঙ্গগুলি পূর্ণরূপে ধৌত করা ওয়াজিব। উযূতে যেসব অঙ্গ ধৌত করা ওয়াজিব সেসবের কোনটি ধৌত করা কেউ ছেড়ে দিলে, চাই তা অজ্ঞতা বা ভুল বশতঃ হোক না কেন তার পবিত্রতা অর্জন শুদ্ধ হবে না।এ ব্যাপারে সকলে একমত।

২. হাদীসটি আরো প্রমাণ করে, অজ্ঞ লোককে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণের সাথে তা’লীম দিতে হবে।

 

৩. জ্ঞানী ব্যক্তি কোন ভুল ও অন্যায় দেখলে তাতে নীরব থাকবেন না বরং তা সংশোধন ও দূর করবেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، وَحُمَيْدٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى قَتَادَةَ ‏.‏

হাসান বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাসান বাসরী (রহঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে ক্বাতাদাহর অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭৩] পূর্বেরটির ন্যায় এটিও সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

১৭৫

حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، – هُوَ ابْنُ سَعْدٍ – عَنْ خَالِدٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي وَفِي ظَهْرِ قَدَمِهِ لُمْعَةٌ قَدْرُ الدِّرْهَمِ لَمْ يُصِبْهَا الْمَاءُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الْوُضُوءَ وَالصَّلاَةَ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জনৈক সহাবী থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন, এক ব্যক্তি সলাত আদায় করছে, অথচ তার পায়ের উপরিভাগে এক দিরহাম পরিমাণ স্থান শুকনো, (উযুর সময়) তাতে পানি পৌছেনি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে পুনরায় উযু করে সলাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৮

উযু নষ্টের সন্দেহ হলে

১৭৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلاَةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا ‏”‏ ‏.‏

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার উযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সালাত ছাড়বে না।

 

 

সহিহঃ বুখারি ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَوَجَدَ حَرَكَةً فِي دُبُرِهِ أَحْدَثَ أَوْ لَمْ يُحْدِثْ فَأَشْكَلَ عَلَيْهِ فَلاَ يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি সলাত আদায়রত অবস্থায় পশ্চাৎ-দ্বারে (মলদ্বারে) স্পন্দন অনুভব করে, অথবা বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে তার সন্দেহ সৃষ্টি হয়, তাহলে শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সে সলাত পরিত্যাগ করবে না।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ – ৬৯

চুম্বন দিলে উযু করা প্রসঙ্গে

১৭৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي رَوْقٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَهَا وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا رَوَاهُ الْفِرْيَابِيُّ وَغَيْرُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ مُرْسَلٌ إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ وَلَمْ يَبْلُغْ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَكَانَ يُكْنَى أَبَا أَسْمَاءَ ‏.‏

‘আয়িশাহ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে চুম্বন দিয়েছেন, কিন্তু এ জন্য উযু করেননি।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ফিরয়াবী এবং অন্যরাও হাদীসটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, এটি মুরসাল হাদীস। কারণ ইব্রাহীম আত-তাইমী ‘আয়িশাহ থেকে কিছুই শোনেননি। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আর বলেন, ইবরাহীম আত-তাইমী চল্লিশ বছরে পদার্পণের আগেই মৃত্যু বরণ করেন। তার কুনিয়াত ছিল আবূ আসমা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ স্বামী স্ত্রীকে চুমু দিলে উযু ভঙ্গ হয় না ( যদি মযী বা বীর্য নির্গত না হয় )।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ فَقُلْتُ لَهَا مَنْ هِيَ إِلاَّ أَنْتِ فَضَحِكَتْ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رَوَاهُ زَائِدَةُ وَعَبْدُ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ ‏.

আয়িশাহ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রীকে চুম্বন করলেন, অতঃপর সলাত আদায়ের জন্য বের হলেন, কিন্তু উযু করলেন না। ‘উরওয়াহ বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে বললাম, ‘সেই স্ত্রী আপনি নন কি? ফলে তিনি হেসে দিলেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সুলাইমান আল-আ’মাশ সূত্রে যায়িদাহ এবং ‘আবদুল হামীদ আল-হিম্মানী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮০

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ – حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ – يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ – قَالَ يَحْيَى احْكِ عَنِّي أَنَّهُمَا شِبْهُ لاَ شَىْءَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ عَنِ الثَّوْرِيِّ قَالَ مَا حَدَّثَنَا حَبِيبٌ إِلاَّ عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ يَعْنِي لَمْ يُحَدِّثْهُمْ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ بِشَىْءٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدْ رَوَى حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ عَنْ حَبِيبٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ حَدِيثًا صَحِيحًا ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যাক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ’মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিণী” সম্পর্কে বর্ণিত তাঁর ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই উযু করবে।’ ইয়াহ্ইয়াহ্ ঐ ব্যাক্তিকে আরো বলেন, তুমি আমার সূত্রে বর্ণনা কর যে, (আ’মাশের সূত্রে বর্ণিত) উপরোক্ত হাদীসদ্বয় দুর্বল। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সাওরী বলেছেন, হাবীব আমাদের কাছে কেবল ‘উরওয়াহ আল-মুযানীর সুত্রেই হাদীস বর্ণনা করেননি। আবূ দাউদ আরো বলেন, অবশ্য হামযাহ আয-যাইয়্যাত, হাবীব এবং ‘উরওয়াহ ইবনু যুবাইরের থেকে ‘আয়িশাহ সূত্রে একটি সহীহ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭০

পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করা প্রসঙ্গে

১৮১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، يَقُولُ دَخَلْتُ عَلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذَكَرْنَا مَا يَكُونُ مِنْهُ الْوُضُوءُ ‏.‏ فَقَالَ مَرْوَانُ وَمِنْ مَسِّ الذَّكَرِ ‏.‏ فَقَالَ عُرْوَةُ مَا عَلِمْتُ ذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ مَرْوَانُ أَخْبَرَتْنِي بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি মারওয়ান ইবনু হাকামের নিকট গিয়ে উযু নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। মারওয়ান বললেন, পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলেও (উযু করতে হবে)। ‘উরওয়াহ বললেন আমি এই বিষয়ে অবহিত নই। মারওয়ান বললেন, ‘বুসরাহ বিনতু সাফওয়ান (রাঃ) আমাকে জানালেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছেনঃ কেউ নিজের পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে যেন উযু করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭১

পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে ওযু নষ্ট না হওয়া প্রসঙ্গে

১৮২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ كَأَنَّهُ بَدَوِيٌّ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا تَرَى فِي مَسِّ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ بَعْدَ مَا يَتَوَضَّأُ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ هُوَ إِلاَّ مُضْغَةٌ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ – ‏”‏ بَضْعَةٌ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَشُعْبَةُ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَجَرِيرٌ الرَّازِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَابِرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ ‏.‏

ক্বায়িস ইবনু ত্বালক্ব থেকে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন সম্ভবতঃ এক বেদুইন ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রসূল! কোন ব্যাক্তি উযু করার পর নিজ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে তাঁর ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, ওটা তো তাঁর শরীরের গোশতের একটি টুকরা মাত্র।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ক্বায়িস ইবনু ত্বালক্ব হতে মুহাম্মদ ইবনু জাবির সূত্রে হিশাম ইবনু হাসসান, সুফিয়ান সাওরী, শু’বাহ, ইবনু ‘উয়াইনাহ এবং জারীর আর-রাযী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏

ক্বায়িস ইবনু ত্বাল্ক্ব থেকে বর্ণিতঃ

ক্বায়িস ইবনু ত্বাল্ক্ব হতে একই সানাদে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত আছে। তাতেঃ সলাতরত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে –কথাটি রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৭২

উটের গোশত খেলে উযু করা প্রসঙ্গে

১৮৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوُضُوءِ مِنْ لُحُومِ الإِبِلِ فَقَالَ ‏”‏ تَوَضَّئُوا مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَسُئِلَ عَنْ لُحُومِ الْغَنَمِ فَقَالَ ‏”‏ لاَ تَتَوَضَّئُوا مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَسُئِلَ عَنِ الصَّلاَةِ فِي مَبَارِكِ الإِبِلِ فَقَالَ ‏”‏ لاَ تُصَلُّوا فِي مَبَارِكِ الإِبِلِ فَإِنَّهَا مِنَ الشَّيَاطِينِ ‏”‏ ‏.‏ وَسُئِلَ عَنِ الصَّلاَةِ فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ فَقَالَ ‏”‏ صَلُّوا فِيهَا فَإِنَّهَا بَرَكَةٌ ‏”‏ ‏.‏

আল-বারা’আ ইবনু ‘আযিব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উটের গোশত খেলে উযু করতে হবে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ তা খেলে তোমরা উযু করবে। আর তাঁকে বকরীর গোশত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ তার জন্য উযু করতে হবে না। তাঁকে প্রশ্ন করা হল, উটশালায় সলাত আদায় করা যাবে কিনা? তিনি বলেনঃ তোমরা উটশালায় সলাত আদায় করো না। কারণ, সেখানে শাইত্বান বসবাস করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বকরীর আবাসস্থলে সলাত আদায় করা যাবে কি না তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, সেখানে সলাত আদায় কর। কারণ, ওটা হচ্ছে বারকাতময় প্রাণী (বা বারকাতময় স্থান)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৭৩

কাঁচা গোশত স্পর্শ করলে উযু করতে ও হাত ধুতে হবে কিনা

১৮৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَأَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ، وَعَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالُوا حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، أَخْبَرَنَا هِلاَلُ بْنُ مَيْمُونٍ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، – قَالَ هِلاَلٌ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ وَقَالَ أَيُّوبُ وَعَمْرٌو أُرَاهُ – عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِغُلاَمٍ وَهُوَ يَسْلُخُ شَاةً فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَنَحَّ حَتَّى أُرِيَكَ فَأَدْخَلَ يَدَهُ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ فَدَحَسَ بِهَا حَتَّى تَوَارَتْ إِلَى الإِبْطِ ثُمَّ مَضَى فَصَلَّى لِلنَّاسِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ عَمْرٌو فِي حَدِيثِهِ – يَعْنِي – لَمْ يَمَسَّ مَاءً ‏.‏ وَقَالَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ مَيْمُونٍ الرَّمْلِيِّ وَرَوَاهُ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِلاَلٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً لَمْ يَذْكُرَا أَبَا سَعِيدٍ ‏.‏

আবূ সাঈদ থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বালকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তখন একটি বকরীর চামড়া ছাড়াচ্ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি একটু সরে যাও, আমি তোমাকে শিখিয়ে দিচ্ছি। এ বলে তিনি বকরীর চামড়া ও গোশতের মাঝখানে হাত ঢুকিয়ে দিলেন। এমনকি তাঁর হাত বগল পর্যন্ত ঢুকে গেল। অতঃপর সেখান থেকে উঠে গিয়ে উযু না করেই তিনি লোকদের সলাত আদায় করালেন। ‘আমর তাঁর বর্ণিত হাদীসে আরো উল্লেখ করেন যে, ‘তিনি পানিও স্পর্শ করেননি’।

 

সহীহ।

 

তিনি বলেন, এছাড়া হিলাল ‘আত্বা থেকে সাঈদের নাম উল্লেখ না করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে হাদীসটি মুওরসালভাবে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। কাঁচা গোশত স্পর্শ করলে উযু করতে হয় না।

২। অন্যের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহযোগীতা ও বদান্যতা।

তিনি বলেন, এছাড়া হিলাল হতে ‘আত্বা থেকে আবূ সাঈদের নাম উল্লেখ না করে রসলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে হাদীসটি মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৭৪

মৃত প্রাণী স্পর্শ করলে উযু না করা

১৮৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِالسُّوقِ دَاخِلاً مِنْ بَعْضِ الْعَالِيَةِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَيْهِ فَمَرَّ بِجَدْىٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هَذَا لَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏

জাবির থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনার আশে পাশের উচ্চভূমিতে অবস্থিত একটি বাজারের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তাঁর দু’পাশে অন্যান্য লোকও ছিল। পথ অতিক্রমকালে তিনি রাস্তার পাশে ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট একটি মৃত বকরীর বাচ্চা দেখতে পেয়ে সেটির কান ধরে উপরে উঠিয়ে বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এটা নিতে পছন্দ করবে? তারপর সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৭৫

আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু না করা

১৮৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكَلَ كَتِفَ شَاةٍ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বকরীর সামনের রানের গোশত খেলেন। অতঃপর উযু না করেই সলাত আদায় করলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। মৃত প্রাণী স্পর্শ করা জায়িয এবং তা স্পরশের পর হাত ধোয়া জরুরী নয়।

২। দুনিয়ার জীবন তুচ্ছ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي صَخْرَةَ، جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ ضِفْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَأَمَرَ بِجَنْبٍ فَشُوِيَ وَأَخَذَ الشَّفْرَةَ فَجَعَلَ يَحُزُّ لِي بِهَا مِنْهُ – قَالَ – فَجَاءَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ – قَالَ – فَأَلْقَى الشَّفْرَةَ وَقَالَ ‏ “‏ مَا لَهُ تَرِبَتْ يَدَاهُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَامَ يُصَلِّي ‏.‏ زَادَ الأَنْبَارِيُّ وَكَانَ شَارِبِي وَفَى فَقَصَّهُ لِي عَلَى سِوَاكٍ ‏.‏ أَوْ قَالَ أَقُصُّهُ لَكَ عَلَى سِوَاكٍ ‏.

মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মেহমান হলাম। তিনি আমার জন্য একটি বকরীর রান আনার নির্দেশ দিলান। রান ভাজি করা হলে তিনি ছুড়ি নিয়ে আমার জন্য গোশত কাটতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এমতাবস্থায় বিলাল (রাঃ) এসে তাকে সলাতের কথা অবহিত করেন। ফলে তিনি ছুড়ি ফেলে দিয়ে বললেনঃ তাঁর কী হয়েছে! তাঁর হাত ধূলায় ধূসরিত হোক! অতঃপর সলাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন।

বর্ণনাকারী আনবারীর বর্ণনায় আরো আছেঃ আমার (মুগীরাহর) গোঁফ কিছুটা বড় হয়ে গিয়েছিল বিধায় তিনি আমার গোঁফের নীচে মিসওয়াক রেখে তা ছেঁটে ছোট করে দিলেন। অথবা বললেনঃ আমি তোমার গোঁফ মিসওয়াকের উপর রেখে তা ছোট করে কেটে দিব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَتِفًا ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِمِسْحٍ كَانَ تَحْتَهُ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى ‏.

ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনের রানের গোশত খেলেন। অতঃপর তাঁর নিচে বিছানো রুমাল বা চাদরে হাত মুছে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتَهَشَ مِنْ كَتِفٍ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনের রানের কিছু গোশত খাওয়ার পর উযু না করেই সলাত আদায় করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْخَثْعَمِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَرَّبْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خُبْزًا وَلَحْمًا فَأَكَلَ ثُمَّ دَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ بِهِ ثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ دَعَا بِفَضْلِ طَعَامِهِ فَأَكَلَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদির থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)- কে বলতে শুনেছিঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সামনে রুটি ও গোশত পেশ করলাম। তিনি তা খেয়ে উযুর পানি আনিয়ে উযু করে যুহরের সলাত আদায় করলেন। এরপর অবশিষ্ট খাবার চেয়ে নিয়ে তা খেলেন। অতঃপর পুনরায় উযু না করে সলাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ سَهْلٍ أَبُو عِمْرَانَ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ آخِرُ الأَمْرَيْنِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرْكَ الْوُضُوءِ مِمَّا غَيَّرَتِ النَّارُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا اخْتِصَارٌ مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ ‏.

জাবির থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর দু’টি কাজের (অর্থাৎ আগুনে পাকানো খাবার খেয়ে উযু করা বা না করার) মধ্যকার সর্বশেষ কাজ ছিল আগুনে পাকানো খাদ্য খাওয়ার পর উযু না করা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي كَرِيمَةَ، – قَالَ ابْنُ السَّرْحِ ابْنُ أَبِي كَرِيمَةَ مِنْ خِيَارِ الْمُسْلِمِينَ – قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ ثُمَامَةَ الْمُرَادِيُّ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا مِصْرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ فِي مَسْجِدِ مِصْرَ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ أَوْ سَادِسَ سِتَّةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي دَارِ رَجُلٍ فَمَرَّ بِلاَلٌ فَنَادَاهُ بِالصَّلاَةِ فَخَرَجْنَا فَمَرَرْنَا بِرَجُلٍ وَبُرْمَتُهُ عَلَى النَّارِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَطَابَتْ بُرْمَتُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي ‏.‏ فَتَنَاوَلَ مِنْهَا بَضْعَةً فَلَمْ يَزَلْ يَعْلِكُهَا حَتَّى أَحْرَمَ بِالصَّلاَةِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهِ ‏.‏

উবাইদ ইবনু সুমামাহ আল-মুরাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু হারিস ইবনু হারিস ইবনু জাযই (রাঃ) নামক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জনৈক সহাবী মিসরে আমাদের কাছে আগমন করলেন। আমি তাকে মিসরের একটি মাসজিদে হাদীস বর্ণনা করতে শুনলাম। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তির ঘরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আমি সহ সাতজন অথবা ছয়জন উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সলাতের জন্য ডাকলেন। তখন আমরা সবাই বেরিয়ে গেলাম। পথিমধ্যে আমরা এমন এক ব্যাক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম যার পাতিল ছিল আগুনের উপর। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার পাতিলের (গোশত) রান্না হয়েছে কি? সে বললঃ হ্যাঁ, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। এরপর তিনি সেখান থেকে এক টুকরা (গোশত) তুলে নিয়ে চিবাতে লাগলেন। এমনকি সলাতের তাকবীরে তাহরীমা বাঁধা পর্যন্ত তিনি তা চিবাচ্ছিলেন। আর আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম। [১৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

১৯২ যুবাইদী ‘আল ইত্তিহাফ’ (২/৩০৮)। এর সানাদে উবাইদ ইবনু সুমামাহ রয়েছে। হাফিয বলেন, মাকবূল। আর ইমাম যাহাবী বলেন, তাকে চেনা যায়নি। কিন্তু হাদীসটির শাহিদ বর্ণনা আছে ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ খাওা-দাওয়া, অনুঃ মাসজিদে খাওয়া, হাঃ ৩৩০০), ইবনু হিব্বান (১/৩৫৮, হাঃ ২২৩)। যাওয়ায়িদ গ্রন্থে রয়েছে এর সানাদ, রিজাল নির্ভরযোগ্য, আর ইয়াকূব সমালোচিত। ইবনু ওহাব সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জাওয়িয যুবাইদী বলেন, “রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আমরা মাসজিদে রুটি ও গোশত খেয়েছি”। আলবানী একে সহীহ বলেছেন।

 

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। গোশত খেলে উযু ভঙ্গ হয় না। কেননা তিনি গোশত খেয়ে উযু না করেই সলাতে দাঁড়িয়েছেন।

২। ইমামকে সলাতের সময় উপস্থিত হওয়ার সংবাদ জানানো শারী’আত সম্মত।

৩। খাওয়ার পর কুলি না করে সলাত আদায় জায়িয। খাওয়ার পর হাত ধোয়া ওয়াজিব নয়।

৪। এক ব্যাক্তির জন্য অপর ব্যাক্তির খাদ্য হতে খাওয়া জায়িয আছে, যখন তিনি জানবেন যে, তাঁর সেই ভাই সন্তুষ্ট, নারাজ নন।

৫। গোঁফ বড় করা অপছন্দনীয়। কিছুটা বড় হলেই তা ছেঁটে ফেলা উচিত।

৬। একজন আরেকজনের গোফ,চুল ছেঁটে দেয়া জায়িয।

৭। খাবার উপস্থিত হলে তা না খেয়ে সলাত আদায় করা পছন্দীয়। অন্য হাদীসে এর প্রমাণ রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৬

আগুনে পাকানো জিনিষ খেলে উযু করার ব্যাপারে কঠোরতা

১৯৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، عَنِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْوُضُوءُ مِمَّا أَنْضَجَتِ النَّارُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আগুনে পাকানো জিনিস খেলে ওযু করতে হবে।

 

সহিহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৫

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي كَثِيرٍ – عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ فَسَقَتْهُ قَدَحًا مِنْ سَوِيقٍ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَمَضْمَضَ فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي أَلاَ تَوَضَّأُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَوَضَّئُوا مِمَّا غَيَّرَتِ النَّارُ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ يَا ابْنَ أَخِي ‏.

আবূ সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ সুফিয়ান ইবনু সাঈদ ইবনুল মুগীরাহ তাঁর কাছে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) এর ঘরে গেলে তিনি তাকে এক পেয়ালা ছাতু পান করান। ফলে আবূ সুফিয়ান পানি চেয়ে কুলি করেন। উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) বলেন, হে আমার বোনের ছেলে! তুমি তো উযু করলে না? অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আগুনে রান্না বা স্পর্শ করা খাদ্য খাওয়ার পর তোমরা উযু করো”। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, যুহরীর হাদীসে ‘হে আমার ভাইয়ের ছেলে’- কথাটি রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৭

দুধ পান করলে উযু (কুলি) করা প্রসঙ্গে

১৯৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عَقِيلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ لَبَنًا فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَمَضْمَضَ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ لَهُ دَسَمًا ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধ পান করার পর পানি চেয়ে কুলি করলেন। অতঃপর বললেনঃ দুধের মধ্যে চর্বি আছে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ দুধ পান করলে এবং চর্বি জাতীয় যে কোন খাদ্য খেলে কুলি করা মুস্তাহাব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ৭৮

দুধ পানের পর উযু (কুলি) না করা প্রসঙ্গে

১৯৭

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنْ مُطِيعِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ لَبَنًا فَلَمْ يُمَضْمِضْ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَصَلَّى ‏.‏ قَالَ زَيْدٌ دَلَّنِي شُعْبَةُ عَلَى هَذَا الشَّيْخِ ‏.

তাওবাহ আল-‘আনবারী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধ পান করার পর কুলি এবং উযু না করেই সালাত আদায় করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা: দুধ পান করে উযু ও কুলি না করা জায়িয। দুধ পান করলে এবং চর্বি জাতীয় যে কোনো খাদ্য খেলে কুলি করা মুস্তাহাব।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৯

রক্ত বের হলে উযু করা

১৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي فِي غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ – فَأَصَابَ رَجُلٌ امْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَحَلَفَ أَنْ لاَ أَنْتَهِي حَتَّى أُهَرِيقَ دَمًا فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ فَخَرَجَ يَتْبَعُ أَثَرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْزِلاً فَقَالَ مَنْ رَجُلٌ يَكْلَؤُنَا فَانْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ ‏ “‏ كُونَا بِفَمِ الشِّعْبِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا خَرَجَ الرَّجُلاَنِ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ اضْطَجَعَ الْمُهَاجِرِيُّ وَقَامَ الأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي وَأَتَى الرَّجُلُ فَلَمَّا رَأَى شَخْصَهُ عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيئَةٌ لِلْقَوْمِ فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ حَتَّى رَمَاهُ بِثَلاَثَةِ أَسْهُمٍ ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ ثُمَّ انْتَبَهَ صَاحِبُهُ فَلَمَّا عَرَفَ أَنَّهُمْ قَدْ نَذِرُوا بِهِ هَرَبَ وَلَمَّا رَأَى الْمُهَاجِرِيُّ مَا بِالأَنْصَارِيِّ مِنَ الدَّمِ قَالَ سَبْحَانَ اللَّهِ أَلاَ أَنْبَهْتَنِي أَوَّلَ مَا رَمَى قَالَ كُنْتُ فِي سُورَةٍ أَقْرَأُهَا فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا ‏.

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে যাতুর-রিক্বা’ যুদ্ধাভিযানে বের হলাম। তখন এক ব্যক্তি মুশরিকদের এক লোকের স্ত্রীকে হত্যা করে। ফলে ঐ মুশরিক এ মর্মে শপথ করে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সাথীর রক্তপাত না করব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হব না। অতএব সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক জায়গায় অবতরন করে বললেনঃ এমন কে আছো, যে আমাদের পাহারা দিবে? তখন মুহাজিরদের থেকে একজন এবং আনসারদের থেকে একজন তৈরি হয়ে গেলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা দু’জনে গিরিপথের চূড়ায় মোতায়েন থাক। উভয়ে গিরিমুখে পৌছলে মুহাজির লোকটি ঘুমিয়ে পড়েন। আর আনসারী লোকটি দাঁড়িয়ে সালাত আদায়ে মশগুল হন। এমন সময় ঐ লোকটি এসে আনসারী লোকটিকে দেখেই চিনে ফেলল, সে বুঝতে পারল তিনি (প্রতিপক্ষের) নিরাপত্তা প্রহরী। অতএব সে তাঁর প্রতি একটি তীর নিক্ষেপ করল, যা তার দেহে বিঁধে গেল। তিনি তা বের করে নিলেন। সে একে একে তিনটি তীর নিক্ষেপ করল। তিনি রুকু’ সাজদাহ করে (যথারীতি সালাত শেষ করে) সাথীকে জাগালেন। সাহাবীগণ সতর্ক হয়ে গিয়েছেন, এটা টের পেয়ে মুশরিক লোকটি পালিয়ে গেল। মুহাজির সাহাবী আনসার সাহাবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বললেন, সুবহানাল্লাহ! প্রথম তীর নিক্ষেপের পরই আমাকে সতর্ক করেননি কেন? তিনি বললেন, আমি (সালাতে) এমন একটি সূরাহ তিলাওয়াত করছিলাম যা ভঙ্গ করতে আমি পছন্দ করিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা:

প্রসাব-পায়খানা রাস্তা ব্যতীত দেহের অন্য কোন স্থান হতে রক্ত প্রবাহিত হলে উযু ভঙ্গ হবে কিনা এ নিয়ে ফুক্বাহাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, এতে উযু ভঙ্গ হবে।আর কেউ বলেছেন, ভঙ্গ হবেনা। তারা প্রত্যেকে স্বপক্ষে দলীল পেশ করে থাকেন। কিন্তু সবচেয়ে মজবুত কথা হচ্ছে, দেহ থেকে রক্ত বের হলে উযু ভঙ্গ হবেনা। এ ব্যপারে সামনে আলোচনা আসছে। তবে প্রসাব-পায়খানা দিয়ে রক্ত বের হলে উযু ভঙ্গ হবে। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফিঈ ও ইমাম আহমাদ (রহঃ) প্রমুখের মতও তাই।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮০

ঘুমালে উযু নষ্ট হয় কিনা

১৯৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شُغِلَ عَنْهَا لَيْلَةً فَأَخَّرَهَا حَتَّى رَقَدْنَا فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا ثُمَّ رَقَدْنَا ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا ثُمَّ رَقَدْنَا ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ ‏ “‏ لَيْسَ أَحَدٌ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ غَيْرَكُمْ ‏”‏ ‏.

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন ‘ইশার সালাতে আসতে বিলম্ব করেন। এমনকি আমরা মাসজিদে ঘুমিয়ে পড়লাম, তারপর জাগলাম। আবার ঘুমিয়ে পড়লাম, তারপর জাগলাম। অতঃপর আবার আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর তিনি আমাদের নিকট এলেন এবং বললেনঃ তোমরা ব্যতীত অন্য কেউই সালাতের জন্য অপেক্ষা করছেনা।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০

حَدَّثَنَا شَاذُّ بْنُ فَيَّاضٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْتَظِرُونَ الْعِشَاءَ الآخِرَةَ حَتَّى تَخْفِقَ رُءُوسُهُمْ ثُمَّ يُصَلُّونَ وَلاَ يَتَوَضَّئُونَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ فِيهِ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ كُنَّا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ بِلَفْظٍ آخَرَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগন ‘ইশার সালাতের জন্য এতক্ষন অপেক্ষা করতেন যে (তন্দ্রায়) তাঁদের মাথা ঢলে পড়ত। অতঃপর তাঁরা সালাত আদায় করতেন অথচ (এজন্য পুনরায়) উযু করতেন না।

 

সহীহঃ মুসলিম।

 

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, শু’বাহ তাতে কাত্বাদাহ সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে কথাটি বৃদ্ধি করেছেন। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) আরও বলেন, ইবনু আবু ‘আরুবাহ ক্বাতাদাহ হতে এটি অন্য শব্দে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَدَاوُدُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ أُقِيمَتْ صَلاَةُ الْعِشَاءِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي حَاجَةً ‏.‏ فَقَامَ يُنَاجِيهِ حَتَّى نَعَسَ الْقَوْمُ أَوْ بَعْضُ الْقَوْمِ ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرْ وُضُوءًا ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা ‘ইশার সালাতের তাকবীর দেয়া হলো। এমন সময় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসুল! আমার কিছু প্রয়োজনীয় কথা আছে। এ বলে সে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে লাগলো। এদিকে সকলে বা কিছু সংখ্যক লোক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। (বর্ণনাকারী) উযুর কথা উল্লেখ করেননি।

 

সহিহঃ মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ، – وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ يَحْيَى – عَنْ أَبِي خَالِدٍ الدَّالاَنِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْجُدُ وَيَنَامُ وَيَنْفُخُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي وَلاَ يَتَوَضَّأُ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ صَلَّيْتَ وَلَمْ تَتَوَضَّأْ وَقَدْ نِمْتَ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا الْوُضُوءُ عَلَى مَنْ نَامَ مُضْطَجِعًا ‏”‏ ‏.‏ زَادَ عُثْمَانُ وَهَنَّادٌ ‏”‏ فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَوْلُهُ ‏”‏ الْوُضُوءُ عَلَى مَنْ نَامَ مُضْطَجِعًا ‏”‏ ‏.‏ هُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لَمْ يَرْوِهِ إِلاَّ يَزِيدُ أَبُو خَالِدٍ الدَّالاَنِيُّ عَنْ قَتَادَةَ وَرَوَى أَوَّلَهُ جَمَاعَةٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا شَيْئًا مِنْ هَذَا وَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَحْفُوظًا وَقَالَتْ عَائِشَةُ – رضى الله عنها – قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَنَامُ عَيْنَاىَ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ شُعْبَةُ إِنَّمَا سَمِعَ قَتَادَةُ مِنْ أَبِي الْعَالِيَةِ أَرْبَعَةَ أَحَادِيثَ حَدِيثَ يُونُسَ بْنِ مَتَّى وَحَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ فِي الصَّلاَةِ وَحَدِيثَ الْقُضَاةُ ثَلاَثَةٌ وَحَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي رِجَالٌ مَرْضِيُّونَ مِنْهُمْ عُمَرُ وَأَرْضَاهُمْ عِنْدِي عُمَرُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَذَكَرْتُ حَدِيثَ يَزِيدَ الدَّالاَنِيِّ لأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ فَانْتَهَرَنِي اسْتِعْظَامًا لَهُ وَقَالَ مَا لِيَزِيدَ الدَّالاَنِيِّ يُدْخِلُ عَلَى أَصْحَابِ قَتَادَةَ وَلَمْ يَعْبَأْ بِالْحَدِيثِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদাহয় গিয়ে (কখনো) ঘুমিয়ে যেতেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকার আওয়াজ শোনা যেত। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন, কিন্তু উযু করতেন না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, আপনি ঘুমানোর পরও উযু না করেই সালাত আদায় করলেন। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি শুয়ে ঘুমায়, উযু করা তারই কর্তব্য। ‘উসমান ও হাম্মাদ আরও বলেন, এর কারণ হল, শুয়ে ঘুমালে শরীরের বাঁধন ঢিলা হয়ে যায়। [২০১]

 

দুর্বলঃ মিশকাত ৩১৮।

 

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি শুয়ে ঘুমায়, উযু করা তারই কর্তব্য-এ হাদীসটি মুনকার। এটি কেবল মাত্র ইয়াযিদ আল-দালানী ক্বাতাদাহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। একদল বর্ণনাকারী ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে হাদীসের প্রথমাংশ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁরা উপরোক্ত কথার কিছুই উল্লেখ করেননি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (অসতর্কতা) থেকে মাহফুয ছিলেন।

আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার চক্ষুদ্বয় ঘুমায়, কিন্তু অন্তর ঘুমায় না।

 

সহিহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০১] তিরমিযীঃ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঘুমালে উযু ভঙ্গ হয়, হাঃ ৭৭, ইমাম তিরমিযী এ ব্যপারে নীরব থেকেছেন), আহমাদ (১/২৫৬, হাঃ ২৩১৫), ‘আবদ ইবনু হুমাইদ ‘মুসনাদ’ (৬৫৯), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/১২১)। ইমাম বায়হাক্বী বলেন, এ সূত্রে হাদীস বর্ণনায় ইয়াযিদ ইবনু ‘আবদুর রহমান আবু খালিদ আদ-দালানী এক হয়ে গেছেন। ইমাম তিরমিযী ‘আল-ইলাল’ গ্রন্থে বলেন, আমি এ হাদীস সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাইল বুখারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা কিছুই না। আল্লামা মুনযিরী ‘মুখতাসার সুনান’ (১/১৪৫) গ্রন্থে বলেন ইমাম দারাকুতনী বলেন, ক্বাতাদাহ সূত্রে এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াযিদ অর্থাৎ আদ-দালানী এক হয়ে গেছেন এবং এটি সহীহ নয়। অতএব হাদিসটি দুর্বল। হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন, আহমাদ ইবনু হাম্বল, ইমাম বুখারী, তিরমিযী, আল্লামা মুনযিরী ও অন্যান্যরা। মিশকাতের তাহক্বিক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, সানাদে আদ-দালানী দুর্বল এবং তিনি হাদীসের মাতানেও ভুল করেছেন।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২০৩

حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحِمْصِيُّ، – فِي آخَرِينَ – قَالُوا حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ الْوَضِينِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ مَحْفُوظِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِذٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وِكَاءُ السَّهِ الْعَيْنَانِ فَمَنْ نَامَ فَلْيَتَوَضَّأْ ‏”‏ ‏.

আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চক্ষুদ্বয় হচ্ছে পশ্চাৎদারের সংরক্ষণকারী। কাজেই যে ব্যক্তি (চোখ বন্ধ করে) ঘুমায়, সে যেন উযু করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। হালকা ঘুমে উযু নষ্ট হয়না।

২। রাতের এক তৃতীয়াংশের পরও ‘ইশার সালাত বিলম্বে আদায় করা জায়িয। বিশেষ করে এ সময়ে নিতান্ত প্রয়োজন থাকলে।

৩। অনেক লোকের উপস্তিতিতে দু’ ব্যক্তির পরস্পরে চুপি চুপি কানে কানে কথা বলা জায়িয। আর নিষেধ হচ্ছে কেবল তিনজন থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দু’জনে চুপিসারে কথা বলা।

৪। ইক্বামাত ও সালাতের মাঝে দীর্ঘ সময় ব্যবধান হলে পুনরায় ইক্বামাত দেয়ার প্রয়োজন নেই।

৫। দাঁড়িয়ে বা বসে ঘুমালে উযু নষ্ট হয় না।

৬। যমীনের সাথে ঠেস লাগিয়ে ঘুমানো উযু ভঙ্গের কারণ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস