আবু দাউদ পবিত্রতা অর্জন অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ৩০১ – ৩৯০

অনুচ্ছেদ- ১১৫

যে বলে, মুস্তাহাযা এক যুহ্‌র থেকে পরবর্তী যুহ্‌র পর্যন্ত একবার গোসল করবে

৩০১

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ أَنَّ الْقَعْقَاعَ، وَزَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، أَرْسَلاَهُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ يَسْأَلُهُ كَيْفَ تَغْتَسِلُ الْمُسْتَحَاضَةُ فَقَالَ تَغْتَسِلُ مِنْ ظُهْرٍ إِلَى ظُهْرٍ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ فَإِنْ غَلَبَهَا الدَّمُ اسْتَثْفَرَتْ بِثَوْبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ تَغْتَسِلُ مِنْ ظُهْرٍ إِلَى ظُهْرٍ ‏.‏ وَكَذَلِكَ رَوَى دَاوُدُ وَعَاصِمٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ امْرَأَتِهِ عَنْ قَمِيرَ عَنْ عَائِشَةَ إِلاَّ أَنَّ دَاوُدَ قَالَ كُلَّ يَوْمٍ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عَاصِمٍ عِنْدَ الظُّهْرِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَالْحَسَنِ وَعَطَاءٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَالِكٌ إِنِّي لأَظُنُّ حَدِيثَ ابْنِ الْمُسَيَّبِ مِنْ طُهْرٍ إِلَى طُهْرٍ ‏.‏ فَقَلَبَهَا النَّاسُ مِنْ ظُهْرٍ إِلَى ظُهْرٍ وَلَكِنَّ الْوَهَمَ دَخَلَ فِيهِ وَرَوَاهُ الْمِسْوَرُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ قَالَ فِيهِ مِنْ طُهْرٍ إِلَى طُهْرٍ ‏.‏ فَقَلَبَهَا النَّاسُ مِنْ ظُهْرٍ إِلَى ظُهْرٍ ‏.‏

আবূ বাক্‌র (রাঃ) -এর মুক্ত দাস সুমাই থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কা‘কা‘আ এবং যায়িদ ইবনু আসলাম (রহঃ) সুমাইকে মুস্তাহাযার গোসলের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের নিকট প্রেরণ করলেন। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব বললেন, মুস্তাহাযা যুহর থেকে যুহর পর্যন্ত (প্রত্যেক যুহর সলাতের পূর্বে) গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের জন্য উযু করবে। আর অত্যধিক রক্তস্রাব হলে কাপড়ের পট্টি পরিধান করবে। [৩০০]

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রের বর্ণনায়, রয়েছেঃ এক যুহর থেকে পরবর্তী যুহর পর্যন্ত গোসল করবে।

 

সহীহ, আনাস সূত্রে।

 

দাউদ ও ‘আসিম শা‘বী হতে … ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু দাউদ তাতে বলেছেন, প্রতিদিন (গোসল করবে)।

 

সহীহ।

 

‘আসিম বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ যুহরের সময় গোসল করবে। সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ, হাসান ও ‘আত্বা (রহঃ) প্রমুখ এর অভিমতও তা-ই।

 

সহীহ, হাসান সূত্রে।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক বলেন, আমার ধারণা সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের হাদীস এরূপ হবেঃ সে এক তুহ্র (পবিত্রাবস্থা) হতে আরেক তুহ্রে। কিন্তু তাতে সন্দেহ প্রবেশ করেছে। একই হাদীস বর্ণনা করেছেন মিসওয়ার ইবনু ‘আবদুল মালিক ইবনু সাঈদ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়ারবু‘। তাতে রয়েছে তুহ্র হতে তুহ্র পর্যন্ত। কিন্তু লোকেরা তাতে পরিবর্তন করে বলেছেঃ যুহর থেকে যুহর পর্যন্ত।

 

দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৬

যে বলে, মুস্তাহাযা প্রতিদিন গোসল করবে, কিন্তু এ কথা বলেনি যে, যুহরের ওয়াক্তে গোসল করবে

৩০২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي إِسْمَاعِيلَ، – وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ – عَنْ مَعْقِلٍ الْخَثْعَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ الْمُسْتَحَاضَةُ إِذَا انْقَضَى حَيْضُهَا اغْتَسَلَتْ كُلَّ يَوْمٍ وَاتَّخَذَتْ صُوفَةً فِيهَا سَمْنٌ أَوْ زَيْتٌ ‏.

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার হায়িযকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রত্যেক দিন গোসল করবে এবং লজ্জাস্থানে ঘি অথবা তেলবিশিষ্ট নেকড়া ব্যবহার করবে। [৩০১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০১] এর সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু রাশিদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ সত্যবাদী, তবে সন্দেহ আছে। তার প্রতি ক্বাদরীয়াপন্থী বলে আরোপ রয়েছে। এবং সানাদের মা’কাল আল খাস‘আমী সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তিনি অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১১৭

ইস্তিহাযা রোগীনী কয়েকদিন পরপর গোসল করবে

৩০৩

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ، أَنَّهُ سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنِ الْمُسْتَحَاضَةِ، فَقَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ فَتُصَلِّي ثُمَّ تَغْتَسِلُ فِي الأَيَّامِ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ক্বাসিম ইবনু মুহাম্মাদকে ইস্তিহাযা রোগীণী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হায়িযের দিনগুলোতে সে সলাত ত্যাগ করবে, তারপর গোসল করে সলাত আদায় করবে। এরপর কয়েকদিন পরপর গোসল করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৮

ইস্তিহাযা রোগীণী প্রত্যেক ওয়াক্ত সলাতের জন্য উযু করবে

৩০৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ، أَنَّهَا كَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كَانَ دَمُ الْحَيْضِ فَإِنَّهُ دَمٌ أَسْوَدُ يُعْرَفُ فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلاَةِ فَإِذَا كَانَ الآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى وَحَدَّثَنَا بِهِ ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ حِفْظًا فَقَالَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَشُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ قَالَ الْعَلاَءُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَوْقَفَهُ شُعْبَةُ عَلَى أَبِي جَعْفَرٍ تَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏

ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) ছিল রক্ত প্রদরের রোগীণী। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হায়িযের রক্ত চেনার উপায় হলো, তা কালো রংয়ের হয়ে থাকে। এ ধরণের রক্ত বের হলে তুমি সলাত ছেড়ে দেবে। আর যখন অন্য রকম রক্ত নির্গত হবে তখন উযু করে সলাত আদায় করবে। [৩০৩]

হাসানঃ এটি পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ২৮৬ নং-এ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, শু‘বাহ (রহঃ) আবূ জা‘ফারের সাথে ঐকমত্য পোষণ করে বলেন, রক্ত প্রদরের রোগীণী প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য উযু করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৩] এটি গত হয়েছে (২৮৬)-এ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১১৯

কেবল উযু নষ্ট হলেই মুস্তাহাযাকে উযু করতে করতে হবে

৩০৫

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَنْتَظِرَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي فَإِنْ رَأَتْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ تَوَضَّأَتْ وَصَلَّتْ ‏.

ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহ্শের ইস্তিহাযা হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হায়িযের দিনসমূহে (সলাত ইত্যাদির জন্য) অপেক্ষা করার পর গোসল করে সলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর উযু করে এক ওয়াক্ত সলাত আদায়ের পর রক্ত দেখা গেলে পরের ওয়াক্তের জন্য পুনরায় উযু করে সলাত আদায় করতে বললেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ رَبِيعَةَ، أَنَّهُ كَانَ لاَ يَرَى عَلَى الْمُسْتَحَاضَةِ وُضُوءًا عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ إِلاَّ أَنْ يُصِيبَهَا حَدَثٌ غَيْرُ الدَّمِ فَتَوَضَّأُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا قَوْلُ مَالِكٍ يَعْنِي ابْنَ أَنَسٍ ‏.

রবী‘আহ থেকে বর্ণিতঃ

তার অভিমত হলো, মুস্তাহাযার প্রত্যেক সলাতের পূর্বে উযু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি তার উযু নষ্ট হয়ে যায়, অবশ্যই ইস্তিহাযা ছাড়া, তাহলে উযু করে নিবে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মালিক ইবনু আনাসের মত এটাই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২০

কোন মহিলা পবিত্র হওয়ার পর হলুদ ও মেটে রং এর রক্ত দেখলে

৩০৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أُمِّ الْهُذَيْلِ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، وَكَانَتْ، بَايَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كُنَّا لاَ نَعُدُّ الْكُدْرَةَ وَالصُّفْرَةَ بَعْدَ الطُّهْرِ شَيْئًا ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বাই‘আত করেছিলেন। তিনি বলেন, হায়িয থেকে পবিত্র হওয়ার পর মেটে ও হলুদ রংয়ের কিছু নির্গত হলে আমরা তা (হায়িয হিসাবে) গণনা করতাম না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، بِمِثْلِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أُمُّ الْهُذَيْلِ هِيَ حَفْصَةُ بِنْتُ سِيرِينَ كَانَ ابْنُهَا اسْمُهُ هُذَيْلٌ وَاسْمُ زَوْجِهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, উম্মুল হুযাইল হলেন হাফসাহ বিনতু সীরীন। তার ছেলের নাম হুযাইল এবং স্বামীর নাম ‘আবদুর রহমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২১

মুস্তাহাযা স্ত্রীর সাথে স্বামীর সহবাস করা

৩০৯

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ كَانَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ تُسْتَحَاضُ فَكَانَ زَوْجُهَا يَغْشَاهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ مُعَلَّى ثِقَةٌ ‏.‏ وَكَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ يَرْوِي عَنْهُ لأَنَّهُ كَانَ يَنْظُرُ فِي الرَّأْىِ ‏.‏

‘ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) -এর ইস্তিহাযার অবস্থায় তার স্বামী তাঁর সাথে সহবাস করতেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ ইবনু মাঈন (রহঃ) বর্ণনাকারী মুআল্লাকে সিকাহ বলেছেন। তবে আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করতেন না। কারণ তিনি নিজস্ব মতামতের উপর নির্ভরশীল ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَهْمِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ، أَنَّهَا كَانَتْ مُسْتَحَاضَةً وَكَانَ زَوْجُهَا يُجَامِعُهَا ‏.‏

হামনাহ বিনতু জাহ্শ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মুস্তাহাযা থাকা অবস্থায় তার স্বামী তার সাথে সহবাস করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২২

নিফাসের সময়সীমা সম্পর্কে

৩১১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَقْعُدُ بَعْدَ نِفَاسِهَا أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً وَكُنَّا نَطْلِي عَلَى وُجُوهِنَا الْوَرْسَ يَعْنِي مِنَ الْكَلَفِ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে নিফাসগ্রস্তা মহিলারা চল্লিশ দিন বা চল্লিশ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। আর আমরা আমাদের মুখমণ্ডলের দাগ দূর করার জন্য তাতে ওয়ার্স (এক প্রকার সুগন্ধিযুক্ত ঘাস) ঘষে দিতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩১২

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، – يَعْنِي حِبِّي – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زِيَادٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي الأَزْدِيَّةُ، – يَعْنِي مُسَّةَ – قَالَتْ حَجَجْتُ فَدَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ يَأْمُرُ النِّسَاءَ يَقْضِينَ صَلاَةَ الْمَحِيضِ ‏.‏ فَقَالَتْ لاَ يَقْضِينَ كَانَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقْعُدُ فِي النِّفَاسِ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً لاَ يَأْمُرُهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِقَضَاءِ صَلاَةِ النِّفَاسِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ حَاتِمٍ وَاسْمُهَا مُسَّةُ تُكْنَى أُمَّ بُسَّةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَثِيرُ بْنُ زِيَادٍ كُنْيَتُهُ أَبُو سَهْلٍ ‏.

কাসীর ইবনু যিয়াদ হতে আযদ গোত্রীয় মুস্‌সাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হাজ্জ পালন করতে গিয়ে উম্মু সালামাহ (রাঃ) -এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! সামুরাহ ইবনু জুনদুব্ (রাঃ) মহিলাদের হায়িযকালীন সলাত কাযা আদায়ের নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, না, ঐ সলাত কাযা করতে হবে না। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রীরা নিফাসের সময় চল্লিশ দিন পর্যন্ত বসে থাকতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে নিফাসকালীন সলাত কাযা করার নির্দেশ দিতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৩

হায়িয থেকে পবিত্র হওয়ার গোসলের নিয়ম

৩১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ – عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحَيْمٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ أَبِي الصَّلْتِ، عَنِ امْرَأَةٍ، مِنْ بَنِي غِفَارٍ قَدْ سَمَّاهَا لِي قَالَتْ أَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى حَقِيبَةِ رَحْلِهِ – قَالَتْ – فَوَاللَّهِ لَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصُّبْحِ فَأَنَاخَ وَنَزَلْتُ عَنْ حَقِيبَةِ رَحْلِهِ فَإِذَا بِهَا دَمٌ مِنِّي فَكَانَتْ أَوَّلَ حَيْضَةٍ حِضْتُهَا – قَالَتْ – فَتَقَبَّضْتُ إِلَى النَّاقَةِ وَاسْتَحْيَيْتُ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بِي وَرَأَى الدَّمَ قَالَ ‏”‏ مَا لَكِ لَعَلَّكِ نُفِسْتِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَصْلِحِي مِنْ نَفْسِكِ ثُمَّ خُذِي إِنَاءً مِنْ مَاءٍ فَاطْرَحِي فِيهِ مِلْحًا ثُمَّ اغْسِلِي مَا أَصَابَ الْحَقِيبَةَ مِنَ الدَّمِ ثُمَّ عُودِي لِمَرْكَبِكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ رَضَخَ لَنَا مِنَ الْفَىْءِ – قَالَتْ – وَكَانَتْ لاَ تَطَّهَّرُ مِنْ حَيْضَةٍ إِلاَّ جَعَلَتْ فِي طَهُورِهَا مِلْحًا وَأَوْصَتْ بِهِ أَنْ يُجْعَلَ فِي غُسْلِهَا حِينَ مَاتَتْ ‏.‏

উমাইয়্যাহ বিনতু আবূস সল্ত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি গিফার গোত্রের জনৈকা মহিলার সূত্রে বলেন, একদা (সফরকালে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর উটের পিছনের দিকে চড়ালেন। আল্লাহর শপথ! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরবেলা উটের পিঠ থেকে অবতরণ করলেন। তিনি নেমে যখন উটকে বসালেন, আমিও আসন থেকে নামলাম এবং তাতে রক্তের চিহ্ন দেখতে পেলাম। এটা ছিল আমার প্রথম হায়িয। এতে আমি লজ্জায় সঙ্কুচিত হয়ে উটের সাথে মিলে গেলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার এ অবস্থা ও রক্ত দেখতে পেয়ে বললেন, তোমার কী হলো? সম্ভবত তোমার হায়িয শুরু হয়েছে। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি নিজেকে সামলে নাও (অর্থাৎ লজ্জাস্থানে কিছু বেঁধে নাও, যেন বাইরে কিছুতে রক্ত না লাগে)। তারপর একটি পাত্র ভর্তি পানি নিয়ে তাতে কিছু লবণ মিশিয়ে হাওদায় যে রক্ত লেগেছে তা ধুয়ে ফেল। তারপর তোমার আসনে সমাসীন হও। উক্ত মহিলা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খায়বার জয় করলেন, তখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ থেকে আমাদেরকেও কিছু দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ঐ মহিলা যখনই হায়িয থেকে পবিত্র হতেন, তখনই পানিতে লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করতেন। মৃত্যুকালেও তিনি ওয়াসিয়্যাত করে যান তার গোসলের পানিতে যেন লবণ মেশানো হয়। [৩১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১২] আহমাদ (৬/৩৮০) মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব সূত্রে। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস। আহমাদের বর্ণনায় তার হাদীস শ্রবণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং তাদলীস হওয়ার সংশয় দূরীভূত হয়েছে। এছাড়া সানাদে উমাইয়্যাহ বিনতু আবূ সালতকে ইমাম যাহাবী ‘আল-মীযান’ (৪/৬০৪) গ্রন্থে অজ্ঞাত নারীদের অর্ন্তভূক্ত করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا سَلاَّمُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَتْ أَسْمَاءُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَغْتَسِلُ إِحْدَانَا إِذَا طَهُرَتْ مِنَ الْمَحِيضِ قَالَ ‏ “‏ تَأْخُذُ سِدْرَهَا وَمَاءَهَا فَتَوَضَّأُ ثُمَّ تَغْسِلُ رَأْسَهَا وَتَدْلُكُهُ حَتَّى يَبْلُغَ الْمَاءُ أُصُولَ شَعْرِهَا ثُمَّ تُفِيضُ عَلَى جَسَدِهَا ثُمَّ تَأْخُذُ فِرْصَتَهَا فَتَطَّهَّرُ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَتَطَهَّرُ بِهَا قَالَتْ عَائِشَةُ فَعَرَفْتُ الَّذِي يَكْنِي عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهَا تَتَّبِعِينَ بِهَا آثَارَ الدَّمِ ‏.

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আসমা (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ হায়িয থেকে পবিত্র হয়ে কিভাবে গোসল করবে? তিনি বললেনঃ প্রথমে বরই পাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে উযু করবে। তারপর মাথা ধৌত করবে ও তা রগড়াবে, যেন চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দিবে। অতঃপর কাপড়েরর টুকরা দিয়ে (রক্ত লেগে থাকার স্থান) পরিষ্কার করবে। আসমা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তা দিয়ে কিভাবে পরিষ্কার করবো। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশারা-ইঙ্গিতে যা বোঝাতে চেয়েছেন আমি তা বুঝতে পেরেছি। আমি তাকে বললাম, (লজ্জাস্থানের) যে জায়গায় রক্ত লেগে থাকে কাপড় দিয়ে রগড়ে তা পরিষ্কার করবে।

 

হাসান সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩১৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتْ نِسَاءَ الأَنْصَارِ فَأَثْنَتْ عَلَيْهِنَّ وَقَالَتْ لَهُنَّ مَعْرُوفًا وَقَالَتْ دَخَلَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَاهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فِرْصَةً مُمَسَّكَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُسَدَّدٌ كَانَ أَبُو عَوَانَةَ يَقُولُ فِرْصَةً وَكَانَ أَبُو الأَحْوَصِ يَقُولُ قَرْصَةً ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনসার মহিলাদের সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং তাদের উত্তম প্রশংসা করলেন। তাদের এক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসল ….. এরপর আবূ ‘আওয়ানাহর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তাতে ‘সুগন্ধি মিশ্রিত কাপড়’ কথাটি উল্লেখ রয়েছে। মুসাদ্দাদ বলেন, আবূ ‘আওয়ানাহ ‘কাপড়ের টুকরা’ উল্লেখ করেছেন। আর আবূল আহওয়াস ‘সামান্য কাপড়ের’ কথা উল্লেখ করেছেন।

 

হাসান সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩১৬

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، – يَعْنِي ابْنَ مُهَاجِرٍ – عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَسْمَاءَ، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏”‏ فِرْصَةً مُمَسَّكَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ كَيْفَ أَتَطَهَّرُ بِهَا قَالَ ‏”‏ سُبْحَانَ اللَّهِ تَطَهَّرِي بِهَا وَاسْتَتِرِي بِثَوْبٍ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ وَسَأَلَتْهُ عَنِ الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَقَالَ ‏”‏ تَأْخُذِينَ مَاءَكِ فَتَطَهَّرِينَ أَحْسَنَ الطُّهُورِ وَأَبْلَغَهُ ثُمَّ تَصُبِّينَ عَلَى رَأْسِكِ الْمَاءَ ثُمَّ تَدْلُكِينَهُ حَتَّى يَبْلُغَ شُئُونَ رَأْسِكِ ثُمَّ تُفِيضِينَ عَلَيْكِ الْمَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَقَالَتْ عَائِشَةُ نِعْمَ النِّسَاءُ نِسَاءُ الأَنْصَارِ لَمْ يَكُنْ يَمْنَعُهُنَّ الْحَيَاءُ أَنْ يَسْأَلْنَ عَنِ الدِّينِ وَيَتَفَقَّهْنَ فِيهِ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসমা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করেন ….. তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। বর্ণনাকারী শু‘বাহ বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুগন্ধি মিশ্রিত নেকড়ার কথা কললে আসমা বলেন, তা দিয়ে আমি কাভাবে পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি বলেনঃ সুবহানাল্লাহ! তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে। এই বলে তিনি (লজ্জায়) কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকলেন। বর্ণনাকারী শু‘বাহ আরো বলেন, আসমা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানাবাতের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি বলেন, তুমি পানি নিয়ে উত্তমরূপে পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে তা রগড়াবে, যেন পানি চুলের গোড়ায় পৌঁছায়। তারপর সমগ্র শরীরে পানি ঢালবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আনসারী মহিলারা খুবিই উত্তম। দ্বীন সম্পর্কে মাসআলাহ জিজ্ঞেস করতে এবং এ সম্পর্কে ব্যুৎপত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে তারা লজ্জাবোধ করেন না।

 

হাসানঃ বুখারী ও মুসলিম। কিন্তু ‘আয়িশার উক্তিঃ ‘আনসারী মহিলারা খুবই উত্তম…..’ এটি বুখারীতে মু‘আল্লাক্বভাবে বর্ণিত আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিনয় প্রদর্শন।

২। হায়িযের রক্তমিশ্রিত কাপড় ধোয়ার সময় ইচ্ছে হলে পানিতে লবন মেশানো যেতে পারে।

৩। জিজ্ঞাসিত ব্যক্তির উচিত, প্রশ্নকারীকে কৃত প্রশ্নের জবাব সুস্পষ্ট ও পরিপূর্ণভাবে দেয়া। যাতে বিষয়টি তার কাছে পরিস্কার হয়ে যায়।

৪। শারঈ বিধানের গোপনীয় বিষয়েও প্রশ্ন করা জায়িয, যদিও তা উল্লেখ করতে লজ্জাবোধ হয়।

৫। পরিশোধন ও পরিচ্ছন্নতার উদ্দেশে গোসলের পানিতে বড়ই পাতা মিশানো মুস্তাহাব।

৬। গোসলের শুরুতে উযু করা মুস্তাহাব।

৭। গোসলের সময় প্রথমে চুল ঘর্ষণ করবে, যেন চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে।

৮। মহিলাদের জন্য মুস্তাহাব হলো, গোসলের পর তুলা বা নেকড়া নিয়ে তাতে সুগন্ধি মিশিয়ে লজ্জাস্থানের রক্ত লেগে থাকা স্থানটুকু পরিস্কার করা।

৯। কোন ব্যাপারে আশ্চর্য হলে বা বিস্ময়কর কিছু ঘটতে তাতে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা জায়িয।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৪

তায়াম্মুমের বর্ণনা

৩১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ وَأُنَاسًا مَعَهُ فِي طَلَبِ قِلاَدَةٍ أَضَلَّتْهَا عَائِشَةُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّوْا بِغَيْرِ وُضُوءٍ فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَأُنْزِلَتْ آيَةُ التَّيَمُّمِ زَادَ ابْنُ نُفَيْلٍ فَقَالَ لَهَا أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ يَرْحَمُكِ اللَّهُ مَا نَزَلَ بِكِ أَمْرٌ تَكْرَهِينَهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ لِلْمُسْلِمِينَ وَلَكِ فِيهِ فَرَجًا ‏.

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশা (রাঃ) -এর হারানো হার অনুসন্ধানের জন্য উসাইদ ইবনু হুদাইর এবং তার সাথে আরো কয়েকজনকে পাঠালেন। পথিমধ্যে সলাতের ওয়াক্ত হলে লোকেরা বিনা উযুতেই সলাত আদায় করেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে তাঁরা বিষয়টি তাঁকে জানান। তখনই তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল হয়। নুফাইলের বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ উসাইদ ইবনু হুদাইর (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) -কে বললেন, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আপনার নিকট অপছন্দনীয় একটি বিষয়ের উপলক্ষেই আল্লাহ মুসলমানদের জন্য এবং আপনার জন্য সহজ একটি বিধান নাযিল করেছেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، حَدَّثَهُ عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّهُمْ تَمَسَّحُوا وَهُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالصَّعِيدِ لِصَلاَةِ الْفَجْرِ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ ثُمَّ مَسَحُوا وُجُوهَهُمْ مَسْحَةً وَاحِدَةً ثُمَّ عَادُوا فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ مَرَّةً أُخْرَى فَمَسَحُوا بِأَيْدِيهِمْ كُلِّهَا إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ مِنْ بُطُونِ أَيْدِيهِمْ ‏.

আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বর্ণনা করেন, তাঁরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ফার্য সলাতের জন্য পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করার সময় মাটির উপর হাত মেরে প্রথমে মুখমণ্ডল একবার মাসাহ্ করলেন। দ্বিতীয়বার মাটিতে হাত মেরে বগল পর্যন্ত পুরো হাত মাসাহ্ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ قَامَ الْمُسْلِمُونَ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ التُّرَابَ وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَنَاكِبَ وَالآبَاطَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ اللَّيْثِ إِلَى مَا فَوْقَ الْمِرْفَقَيْنِ ‏.‏

ইবনু ওয়াহ্হাব থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ওয়াহ্হাব থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ মুসলিমরা দাঁড়ানো অবস্থায় মাটিতে হাত মারলেন এবং হাতে মাটি নিলেন না। তারপর একই রকম বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি কাঁধ ও বগলের কথা উল্লেখ করেননি। ইবনু লাইস বলেন, সাহাবীগণ কনুইয়ের উপর পর্যন্ত মাসাহ্ করেছেন।

 

তাহকিকঃ গবেষণা অসম্পূর্ণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১৮] এটি গত হয়েছে (৩১৮নং)-এ।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৩২০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، – فِي آخَرِينَ – قَالُوا حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَرَّسَ بِأُولاَتِ الْجَيْشِ وَمَعَهُ عَائِشَةُ فَانْقَطَعَ عِقْدٌ لَهَا مِنْ جَزْعِ ظَفَارِ فَحَبَسَ النَّاسَ ابْتِغَاءُ عِقْدِهَا ذَلِكَ حَتَّى أَضَاءَ الْفَجْرُ وَلَيْسَ مَعَ النَّاسِ مَاءٌ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ حَبَسْتِ النَّاسَ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم رُخْصَةَ التَّطَهُّرِ بِالصَّعِيدِ الطَّيِّبِ فَقَامَ الْمُسْلِمُونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبُوا بِأَيْدِيهِمْ إِلَى الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعُوا أَيْدِيَهُمْ وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا فَمَسَحُوا بِهَا وُجُوهَهُمْ وَأَيْدِيَهُمْ إِلَى الْمَنَاكِبِ وَمِنْ بُطُونِ أَيْدِيهِمْ إِلَى الآبَاطِ ‏.‏ زَادَ ابْنُ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فِي حَدِيثِهِ وَلاَ يَعْتَبِرُ بِهَذَا النَّاسُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ قَالَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَذَكَرَ ضَرْبَتَيْنِ كَمَا ذَكَرَ يُونُسُ وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ ضَرْبَتَيْنِ وَقَالَ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَمَّارٍ وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو أُوَيْسٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَشَكَّ فِيهِ ابْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ مَرَّةً عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَمَرَّةً قَالَ عَنْ أَبِيهِ وَمَرَّةً قَالَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ اضْطَرَبَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِيهِ وَفِي سَمَاعِهِ مِنَ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الضَّرْبَتَيْنِ إِلاَّ مَنْ سَمَّيْتُ ‏.‏

আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (বনু মুস্তালিকের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনকালে মাক্কাহ ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত) উলাতুল জায়িশ নামক জায়গায় রাতের শেষ প্রহরে বিশ্রামের উদ্দেশে অবতরণ করেন। তখন তাঁর সাথে ছিলেন ‘আয়িশা (রাঃ)। এ স্থানে ‘আয়িশার যেফারী আকিকের হারটি হারিয়ে যায়। ফলে হারটি অনুসন্ধানের জন্য লোকজন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি সেখানে ভোর হয়ে যায়। তাদের সাথে তখন (উযু করার মত) পানিও ছিল না। আবূ বকর (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) -এর উপর অসন্তুষ্ট হলেন। বললেন, তুমিই লোকদের আটকে রেখেছো। অথচ তাদের সাথে পানি নেই। এ সময় মহাল আল্লাহ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর পবিত্র মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের বিধান সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সকল মুসলিম উঠে দাঁড়ালেন। সবাই তাদের হাত জমিনে মারলেন। তারপর হাত উঠিয়ে নিলেন। কোন মাটি তুললেন না। তাঁরা মুখমুণ্ডল ও দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত এবং হাতের নিচে বগল পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। ইবনু ইয়াহ্ইয়ার বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ ইবনু শিহাব বলেছেন, ‘আলিমগণের নিকট এ হাদীস গুরুত্বহীন ও অগ্রহণযোগ্য। [৩১৯]

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এরূপই বর্ণনা করেছেন ইবনু ইসহাক্ব। তাতে তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে মাটিতে দু’বার হাত মারার কথা উল্লেখ করেছেন। আর ইবনু ‘উয়াইনাহ এতে সন্দেহে পতিত হয়েছেন। তিনি একবার বলেছেন ‘উবাইদুল্লাহ হতে তার পিতার সূত্রে অথবা ‘উবাইদুল্লাহ হতে ইবনু ‘আব্বাস সূত্রে। তিনি একবার বলেছেন তার পিতা সূত্রে আরেকবার বলেছেন ইবনু ‘আব্বাস সূত্রে। সুতরাং ইবনু ‘উয়াইনাহ এর সানাদে ইযতিরাব (উলটপালট) করেছেন এবং যুহরী হতে তার শুনার বিষয়টিও ইযতিরায করেছেন। আর আমি যাদের নাম উল্লেখ করেছি, তাদের কেউ এ হাদীসে দু’বার হাত মারার কথা বলেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي مُوسَى فَقَالَ أَبُو مُوسَى يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا ‏.‏ أَمَا كَانَ يَتَيَمَّمُ فَقَالَ لاَ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا فَقَالَ أَبُو مُوسَى فَكَيْفَ تَصْنَعُونَ بِهَذِهِ الآيَةِ الَّتِي فِي سُورَةِ الْمَائِدَةِ ‏{‏ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا ‏}‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ رُخِّصَ لَهُمْ فِي هَذَا لأَوْشَكُوا إِذَا بَرَدَ عَلَيْهِمُ الْمَاءُ أَنْ يَتَيَمَّمُوا بِالصَّعِيدِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى وَإِنَّمَا كَرِهْتُمْ هَذَا لِهَذَا قَالَ نَعَمْ فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ عَمَّارٍ لِعُمَرَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ فَأَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ فَتَمَرَّغْتُ فِي الصَّعِيدِ كَمَا تَتَمَرَّغُ الدَّابَّةُ ثُمَّ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَصْنَعَ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى الأَرْضِ فَنَفَضَهَا ثُمَّ ضَرَبَ بِشِمَالِهِ عَلَى يَمِينِهِ وَبِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ عَلَى الْكَفَّيْنِ ثُمَّ مَسَحَ وَجْهَهُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ أَفَلَمْ تَرَ عُمَرَ لَمْ يَقْنَعْ بِقَوْلِ عَمَّارٍ

শাক্বীক থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ এবং আবূ মুসা (রাঃ) -এর সামনে বসা ছিলাম। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! যদি কারো উপর গোসল ফার্য হয় এবং এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়, তবে সে কি তায়াম্মুম করবে? ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, যদিও সে এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, তাহলে সূরাহ মায়িদার যে আয়াত রয়েছেঃ “তারপর তোমরা যদি পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো”- এ ব্যাপারে কী বলবেন? ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, লোকদের তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া হলে তারা (অত্যধিক শীতের সময়) ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার না করে তায়াম্মুম করা শুরু করে দিবে। আবূ মুসা (রাঃ) তাকে বললেন, এজন্যই তায়াম্মুম করা অপছন্দ করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আবূ মুসা (রাঃ) তাঁকে বললেন, আপনি কি ‘উমার (রাঃ) -কে উদ্দেশ্য করে বলা ‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) বর্ণিত হাদীস শুনেননি? ‘আম্মার (রাঃ) বলেছিলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কোন এক কাজে পাঠালেন। পথিমধ্যে আমি অপবিত্র হয়ে গেলাম, কিন্তু পানি পেলাম না। তাই আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম যেরূপ চতুষ্পদ প্রাণী মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে থাকে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এসে আমি তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি মাটিতে হাত মেরে তা ফুঁ দিয়ে ঝেড়ে ফেললেন। তারপর বাম হাত ডান হাতের উপর মারলেন। তারপর ডান হাত বাম হাতের উপর মারলেন- উভয় হাতের কব্জির উপর। তারপর মুখমণ্ডল মাসাহ্ করলেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বললেনঃ আপনার কি জানা নেই যে, ‘উমার (রাঃ) ‘আম্মারের এ কথা গ্রহণ করেননি?

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّا نَكُونُ بِالْمَكَانِ الشَّهْرَ وَالشَّهْرَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ أَمَّا أَنَا فَلَمْ أَكُنْ أُصَلِّي حَتَّى أَجِدَ الْمَاءَ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَمَّارٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمَا تَذْكُرُ إِذْ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ فِي الإِبِلِ فَأَصَابَتْنَا جَنَابَةٌ فَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَقُولَ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَضَرَبَ بِيَدَيْهِ إِلَى الأَرْضِ ثُمَّ نَفَخَهُمَا ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى نِصْفِ الذِّرَاعِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ يَا عَمَّارُ اتَّقِ اللَّهَ ‏.‏ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ شِئْتَ وَاللَّهِ لَمْ أَذْكُرْهُ أَبَدًا ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ كَلاَّ وَاللَّهِ لَنُوَلِّيَنَّكَ مِنْ ذَلِكَ مَا تَوَلَّيْتَ ‏.‏

আবদুর রহমান ইবনু আবযা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে বলল, আমরা কোন (পানিবিহীন) জায়গায় এক-দু’ মাস অবস্থান করে থাকি (সেখানে অপবিত্র হলে করণীয় কী?)। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি তো পানি না পাওয়া পর্যন্ত সলাত আদায় করব না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন ‘আম্মার (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার কি ঐ ঘটনার কথা মনে নেই, যখন আমি ও আপনি উটের পালে ছিলাম। আমরা অপবিত্র হয়ে গেলাম এবং আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বিষয়টি জানালে তিনি বলেলেনঃ তোমাদের জন্য শুধু এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি মাটিতে উভয় হাত মেরে হাতে ফুঁ দিলেন। তারপর হাত দিয়ে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের অর্ধেক পর্যন্ত মুছলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে ‘আম্মার! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহর শপথ! আপনি চাইলে আমি আর কখনো তা বর্ণনা করব না। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার উদ্দেশ্য এরূপ নয়, বরং তুমি চাইলে অবশ্যই তোমার বক্তব্যের স্বাধীনতা তোমাকে দিব।

 

সহীহঃ তবে তার ‘উভয় হাতের অর্ধেক পর্যন্ত’- কথাটি বাদে। কেননা তা শায।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبْزَى، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ ‏ “‏ يَا عَمَّارُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدَيْهِ الأَرْضَ ثُمَّ ضَرَبَ إِحْدَاهُمَا عَلَى الأُخْرَى ثُمَّ مَسَحَ وَجْهَهُ وَالذِّرَاعَيْنِ إِلَى نِصْفِ السَّاعِدَيْنِ وَلَمْ يَبْلُغِ الْمِرْفَقَيْنِ ضَرْبَةً وَاحِدَةً ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ وَكِيعٌ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى وَرَوَاهُ جَرِيرٌ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى يَعْنِي عَنْ أَبِيهِ ‏.‏

‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবযা (রহঃ) ‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হে ‘আম্মার! তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- এই বলে তিনি তাঁর উভয় হাত মাটিতে মারলেন, তারপর এক হাত অপর হাতের উপর মারলেন। তারপর নিজের চেহারা এবং হাতের অর্ধেক পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। তবে মাটিতে একবার হাত মারায় হাতের কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করা যায়নি।

 

সহীহঃ উভয় হাত ও কনুইদ্বয় উল্লেখ বাদে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ ‏”‏ ‏.‏ وَضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى الأَرْضِ ثُمَّ نَفَخَ فِيهَا وَمَسَحَ بِهَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ شَكَّ سَلَمَةُ وَقَالَ لاَ أَدْرِي فِيهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏.‏ يَعْنِي أَوْ إِلَى الْكَفَّيْنِ ‏.

আম্মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- এই বলে তিনি জমিনে হাত মেরে ফুঁ দিলেন। এরপর মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ্ করলেন। সালামাহ এতে সন্দেহ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি কনুই পর্যন্ত হাত মাসাহ্ করেছেন নাকি কব্জি পর্যন্ত তা আমার জানা নেই।

 

সহীহঃ সন্দেহ করার কথাটি বাদে। মাহফূয হচ্ছে (…..) শব্দে। যেমন সামনে আসছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، – يَعْنِي الأَعْوَرَ – حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ثُمَّ نَفَخَ فِيهَا وَمَسَحَ بِهَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ أَوْ إِلَى الذِّرَاعَيْنِ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ كَانَ سَلَمَةُ يَقُولُ الْكَفَّيْنِ وَالْوَجْهَ وَالذِّرَاعَيْنِ فَقَالَ لَهُ مَنْصُورٌ ذَاتَ يَوْمٍ انْظُرْ مَا تَقُولُ فَإِنَّهُ لاَ يَذْكُرُ الذِّرَاعَيْنِ غَيْرُكَ ‏.‏

শু‘বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাতে রয়েছে, ‘আম্মার (রাঃ) বলেন, তিনি তাতে ফুঁ দিলেন। তারপর মুখমণ্ডলের উপর এবং উভয় হাতের কব্জি হতে কনুই পর্যন্ত অথবা মধ্যাঙ্গুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। শু‘বাহ বলেন, সালামাহ বলতেন, উভয় হাতের কব্জি, মুখমণ্ডল এবং কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। একদা মানসূর তাকে বললেন, যা বলছেন, বুঝে শুনে বলুন। আপনি ব্যতীত কেউ কিন্তু ‘যিরাআইন’তখা মধ্যাঙ্গুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্তের কথা উল্লেখ করতেন না।

 

সহীহঃ উভয় হাত ও কনুইদ্বয় উল্লেখ বাদে। যেমন পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَقَالَ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَضْرِبَ بِيَدَيْكَ إِلَى الأَرْضِ فَتَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَكَ وَكَفَّيْكَ ‏”‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ أَبِي مَالِكٍ قَالَ سَمِعْتُ عَمَّارًا يَخْطُبُ بِمِثْلِهِ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ لَمْ يَنْفُخْ ‏.‏ وَذَكَرَ حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ضَرَبَ بِكَفَّيْهِ إِلَى الأَرْضِ وَنَفَخَ ‏.‏

আম্মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার জন্য শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে, জমিনে হাত মেরে তা দ্বারা মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ্ করবে। অতঃপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস শু‘বাহ, হুসাইন হতে আবূ মালিক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে ‘তিনি ফুঁ দেননি’ কথাটি উল্লেখ আছে। হুসাইন ইবনু মুহম্মাদ থেকে শু‘বাহ হতে হাকাম সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমিনে হাত মারার পর ফুঁ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ التَّيَمُّمِ فَأَمَرَنِي ضَرْبَةً وَاحِدَةً لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏

আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তায়াম্মুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের জন্য (মাটিতে) একবার হাত মারার নির্দেশ দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ سُئِلَ قَتَادَةُ عَنِ التَّيَمُّمِ، فِي السَّفَرِ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُحَدِّثٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

আবান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ক্বাতাদাহ (রাঃ) -কে সফররত অবস্থায় তায়াম্মুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, আমার কাছে একজন মুহাদ্দিস শা‘বী, ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা ও ‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কনুই পর্যন্ত (মাসাহ্ করতে) বলেছেন। [৩২৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩২৭] এর সানাদে অজ্ঞাত লোক রয়েছে। আল্লামা আইনী ইবনু হাযম সূত্রে উদ্ধৃত করে বলেন, এ খবরটি বর্জিত (সাক্বিত)।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৫

মুকীম অবস্থায় তায়াম্মুম করা

৩২৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ أَقْبَلْتُ أَنَا وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبِي الْجُهَيْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ الأَنْصَارِيِّ فَقَالَ أَبُو الْجُهَيْمِ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَحْوِ بِئْرِ جَمَلٍ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ السَّلاَمَ حَتَّى أَتَى عَلَى جِدَارٍ فَمَسَحَ بِوَجْهِهِ وَيَدَيْهِ ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর আযাদকৃত গোলাম ‘উমাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী মায়মূনাহ (রাঃ) -এর আযাদকৃত গোলাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াসার আবূল জুহায়িম ইবনুল হারিস ইবনুল সিম্মাহ আল-আনসারী (রাঃ) -এর নিকট গিয়ে পৌঁছলাম। আবূল জুহায়িম বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মদীনার নিকটবর্তী) জামাল নামক একটি কূপের দিক থেকে আসছিলেন। পথে তাঁর সাথে এক ব্যক্তির সাক্ষাত হলে লোকটি তাঁকে সালাম দিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের জবাব না দিয়ে একটি দেয়ালের নিকট গেলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ও উভয় হাত মাসাহ্ করলেন। অতঃপর তার সালামের জবাব দিলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। অবশ্য মুসলিম এটি তা‘লীক্বভাবে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَوْصِلِيُّ أَبُو عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ الْعَبْدِيُّ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، قَالَ انْطَلَقْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فِي حَاجَةٍ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَضَى ابْنُ عُمَرَ حَاجَتَهُ فَكَانَ مِنْ حَدِيثِهِ يَوْمَئِذٍ أَنْ قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِكَّةٍ مِنَ السِّكَكِ وَقَدْ خَرَجَ مِنْ غَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى إِذَا كَادَ الرَّجُلُ أَنْ يَتَوَارَى فِي السِّكَّةِ ضَرَبَ بِيَدَيْهِ عَلَى الْحَائِطِ وَمَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ ثُمَّ ضَرَبَ ضَرْبَةً أُخْرَى فَمَسَحَ ذِرَاعَيْهِ ثُمَّ رَدَّ عَلَى الرَّجُلِ السَّلاَمَ وَقَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ السَّلاَمَ إِلاَّ أَنِّي لَمْ أَكُنْ عَلَى طُهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ حَدِيثًا مُنْكَرًا فِي التَّيَمُّمِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ دَاسَةَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يُتَابَعْ مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ عَلَى ضَرْبَتَيْنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَوْهُ فِعْلَ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সাথে বিশেষ প্রয়োজনে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর কাছে গেলাম। ইবনু ‘উমার ইবনু ‘আব্বাসের কাছে গিয়ে স্বীয় প্রয়োজন সমাধা করলেন। ঐ দিন ইবনু ‘উমার (রাঃ) এ হাদীস বর্ণনা করেন যে, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা অথাবা পেশাব করে বের হচ্ছিলেন এমন সময় এক ব্যক্তি একটি গলির ভিতর দিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে অতিক্রমকালে সালাম দিল। তিনি তার জবাব দিলেন না। লোকটি (অন্য) গলিতে ঢুকে যাওয়ার নিকটবর্তী হলে তিনি তাঁর উভয় হাত দেয়ালে মেরে মুখ মাসাহ্ করেন।

অতঃপর হাত মেরে উভয় হাত মাসাহ্ করে সালামের জবাব দিলেন এবং বললেনঃ আমি তখন পবিত্র ছিলাম না বলেই তোমার সালামের জবাব দেইনি। [৩২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩২৯] দারাকুতনী (১/১৭৭) মুহাম্মাদ ইবনু সাবিত সূত্রে। মুহাম্মাদ ইবনু সাবিতকে ইমাম আবূ হাতিম ও ইমাম নাসায়ী শিথিল বলেছেন। ইবনু ‘আদী বলেছেন, তার কোন বর্ণনারই অনুসরণ করা যায় না। হাফিয ‘আত-তাক্বরীর’ গ্রন্থে বলেছেন, মাক্ববূল। ইমাম খাত্তাবী ‘মাআলিমুস সুনান’ গ্রন্থে বলেনঃ ইবনু ‘উমারের হাদীসটি সহীহ নয়। কেননা সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু সাবিত খুবই দুর্বল। তার হাদীস দলীলযোগ্য নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى الْبُرُلُّسِيُّ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، أَنَّ نَافِعًا، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْغَائِطِ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ عِنْدَ بِئْرِ جَمَلٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الْحَائِطِ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى الْحَائِطِ ثُمَّ مَسَحَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الرَّجُلِ السَّلاَمَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা থেকে ফেরার পথে জামাল নামক কূপের নিকট এক ব্যক্তির সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়। লোকটি তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জবাব দিলেন না। তিনি একটি দেয়াল পর্যন্ত এসে দেয়ালে হাত রাখলেন, তারপর মুখমণ্ডল ও হাত মাসাহ্ করে লোকটির সালামের জবাব দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। পবিত্র অবস্থায় সালামের জবাব দেয়া ও অনুরূপ সকল প্রকার যিকর আযকার করা মুস্তাহাব। যদিও তা তায়াম্মুম করে হয়।

২। দেয়ালে হাত মেরে তায়াম্মুম করা জায়িয।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৬

অপবিত্র ব্যক্তির তায়াম্মুম করা

৩৩২

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيَّ – عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ بُجْدَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ اجْتَمَعَتْ غُنَيْمَةٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ يَا أَبَا ذَرٍّ ابْدُ فِيهَا ‏”‏ ‏.‏ فَبَدَوْتُ إِلَى الرَّبَذَةِ فَكَانَتْ تُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ فَأَمْكُثُ الْخَمْسَ وَالسِّتَّ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَبُو ذَرٍّ ‏”‏ ‏.‏ فَسَكَتُّ فَقَالَ ‏”‏ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ أَبَا ذَرٍّ لأُمِّكَ الْوَيْلُ ‏”‏ ‏.‏ فَدَعَا لِي بِجَارِيَةٍ سَوْدَاءَ فَجَاءَتْ بِعُسٍّ فِيهِ مَاءٌ فَسَتَرَتْنِي بِثَوْبٍ وَاسْتَتَرْتُ بِالرَّاحِلَةِ وَاغْتَسَلْتُ فَكَأَنِّي أَلْقَيْتُ عَنِّي جَبَلاً فَقَالَ ‏”‏ الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ وَضُوءُ الْمُسْلِمِ وَلَوْ إِلَى عَشْرِ سِنِينَ فَإِذَا وَجَدْتَ الْمَاءَ فَأَمِسَّهُ جِلْدَكَ فَإِنَّ ذَلِكَ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ مُسَدَّدٌ غُنَيْمَةٌ مِنَ الصَّدَقَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ عَمْرٍو أَتَمُّ ‏.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট গণিমাতের সম্পদ (মেষপাল) জমা হলো। তিনি বলেলেনঃ হে আবূ যার! এগুলো মাঠে নিয়ে যাও। আমি বকরীগুলো নিয়ে রাবযাহ (মদীনার নিকটবর্তী একটি গ্রাম) -এর দিকে গেলাম। সেখানে আমি অপবিত্র হলাম। আমি পাঁচ-ছ’দিন এরূপ অবস্থায় (গোসল ছাড়া) কাটালাম। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ফিরে এসে (বিষয়টি জানালাম)। তিনি বললেনঃ আবূ যার! আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি বললেনঃ হে আবূ যার! তোমার মা তোমার জন্য কাঁদুক! তোমার মার দুঃখ হোক! এই বলে তিনি একটি ক্রীতদাসীকে ডেকে একটি বড় পাত্র ভর্তি পানি আনালেন। সে আমাকে একটি বড় কাপড় দিয়ে একদিক পর্দা করে দিল। আর অপরদিক আমি উট দিয়ে পর্দা করলাম। অতঃপর গোসল করলাম। এতে আমার মনে হলো, আমার উপর থেকে যেন একটি পাহাড় সম বোঝা সরে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, পবিত্র মাটিই মুসলমানদের জন্য পবিত্রতা অর্জনের বাহন (পানির সমতুল্য), যদিও দশ বছরের জন্য (পানি দুষ্প্রাপ্য) হয়। অতঃপর যখন পানি পেয়ে যাবে তখন পানি ব্যবহার করবে। কেননা পানি অধিকতর উত্তম।

 

সহীহ।

 

মুসাদ্দাদ বলেন, ঐগুলো ছিল যাকাতের বকরী। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আমরের হাদীস পরিপূর্ণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৩

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ قَالَ دَخَلْتُ فِي الإِسْلاَمِ فَأَهَمَّنِي دِينِي فَأَتَيْتُ أَبَا ذَرٍّ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ إِنِّي اجْتَوَيْتُ الْمَدِينَةَ فَأَمَرَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَوْدٍ وَبِغَنَمٍ فَقَالَ لِي ‏”‏ اشْرَبْ مِنْ أَلْبَانِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ وَأَشُكُّ فِي ‏”‏ أَبْوَالِهَا ‏”‏ ‏.‏ هَذَا قَوْلُ حَمَّادٍ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ فَكُنْتُ أَعْزُبُ عَنِ الْمَاءِ وَمَعِي أَهْلِي فَتُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ فَأُصَلِّي بِغَيْرِ طُهُورٍ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهُوَ فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ فِي ظِلِّ الْمَسْجِدِ فَقَالَ ‏”‏ أَبُو ذَرٍّ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ نَعَمْ هَلَكْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَمَا أَهْلَكَكَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ أَعْزُبُ عَنِ الْمَاءِ وَمَعِي أَهْلِي فَتُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ فَأُصَلِّي بِغَيْرِ طُهُورٍ فَأَمَرَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَاءٍ فَجَاءَتْ بِهِ جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ بِعُسٍّ يَتَخَضْخَضُ مَا هُوَ بِمَلآنَ فَتَسَتَّرْتُ إِلَى بَعِيرِي فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ طَهُورٌ وَإِنْ لَمْ تَجِدِ الْمَاءَ إِلَى عَشْرِ سِنِينَ فَإِذَا وَجَدْتَ الْمَاءَ فَأَمِسَّهُ جِلْدَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ لَمْ يَذْكُرْ ‏”‏ أَبْوَالَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا لَيْسَ بِصَحِيحٍ وَلَيْسَ فِي أَبْوَالِهَا إِلاَّ حَدِيثُ أَنَسٍ تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْبَصْرَةِ ‏.‏

আবূ ক্বিলাবাহ হতে বনু ‘আমির গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ

ব্যক্তিটি বলল, আমি ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর দ্বীন সম্পর্কে (জ্ঞানার্জনে) আমার খুব আগ্রহ জাগে। ফলে আমি আবূ যার (রাঃ) -এর নিকট আসলাম। আবূ যার (রাঃ) বললেন, মাদীনাহয় যাওয়ার পর আমি রোগে আক্রান্ত হই। তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে উট-বকরীর পাল চরাতে বললেন এবং এর দুধ পানের নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেনঃ এর পেশাব পানের জন্যও আদেশ দিলেন। আবূ যার (রাঃ) বললেন, আমি পানি থেকে দূরে অবস্থান করতাম। আমার সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। অতএব আমি অপবিত্র হতাম এবং অপবিত্র অবস্থায় সলাত আদায় করতাম। অতঃপর আমি দ্বিপ্রহরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলাম। তখন তিনি মাসজিদের ছায়ায় কিছু সংখ্যক সহাবীদের সাথে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আবূ যার নাকি! আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছি, তিনি বললেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো? আমি বললাম, আমি পানি থেকে দূরে অবস্থান করতাম। আমরা সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। আমি অপবিত্র হতাম এবং অপবিত্র অবস্থায় সলাত আদায় করতাম। তিনি আমার জন্য পানি আনার নির্দেশ দিলেন। কালো এক ক্রীতাদাসী একটি বড় পাত্রে পানি আনল। পানিতে পরিপূর্ণ না থাকায় সেটি দুলছিল। আমি একটি উটকে আড়াল করে গোসল করি। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে আবূ যার! পবিত্র মাটিই পবিত্রকারী, যদিও দশ বছর পর্যন্ত পানি না পাওয়া যায়। যখন পানি পাওয়া যাবে তখন শরীর ধৌত করবে।

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ ইবনু যায়িদ হাদীসটি আইউব সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনায় পেশাব পানের কথা উল্লেখ নেই। এটা সহীহ নয়। শুধু আনাস (রাঃ) -এর হাদীসেই পেশাব পানের কথা উল্লেখ আছে, যা কেবল বাস্রার অধিবাসীরা এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। পানির বর্তমানে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়।

২। তায়াম্মুমের ব্যাপারে ছোট অপবিত্রতা ও জুনুবী ব্যক্তির বিধান একই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৭

ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা হলে অপবিত্র ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারবে কি?

৩৩৪

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، أَخْبَرَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ الْمِصْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ احْتَلَمْتُ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ فَأَشْفَقْتُ إِنِ اغْتَسَلْتُ أَنْ أَهْلِكَ فَتَيَمَّمْتُ ثُمَّ صَلَّيْتُ بِأَصْحَابِي الصُّبْحَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ يَا عَمْرُو صَلَّيْتَ بِأَصْحَابِكَ وَأَنْتَ جُنُبٌ ‏”‏ ‏.‏ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي مَنَعَنِي مِنَ الاِغْتِسَالِ وَقُلْتُ إِنِّي سَمِعْتُ اللَّهَ يَقُولُ ‏{‏ وَلاَ تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا ‏}‏ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ مِصْرِيٌّ مَوْلَى خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ وَلَيْسَ هُوَ ابْنَ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ ‏.‏

আমর ইবনু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সময় খুব শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়। আমার ভয় হলো, আমি যদি গোসল করি তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তাই আমি তায়াম্মুম করে লোকদের সলাত আদায় করালাম। পরে তারা বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানালো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আমর! তুমি নাকি অপবিত্র অবস্থায় তোমার সাথীদের সঙ্গে সলাত আদায় করেছ! আমি গোসল না করার কারণ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলাম এবং বললাম, আমি আল্লাহর এ বাণীও শুনেছিঃ “তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি বড়ই দয়াবান”- (সূরাহ আন-নিসা, ২৯)। একথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন এবং কিছুই বললেন না।

 

সহীহঃ আর বুখারী একে তা‘লীক্বভাবে

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، وَعَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، كَانَ عَلَى سَرِيَّةٍ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ فَغَسَلَ مَغَابِنَهُ وَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرِ التَّيَمُّمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَتْ هَذِهِ الْقِصَّةُ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ قَالَ فِيهِ فَتَيَمَّمَ ‏.‏

আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম আবূ ক্বায়িস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) একটি বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ তারপর তিনি তার শরীরের ময়লা জমা হবার স্থান (রানের দু’ পার্শ্ব) ধুয়ে ফেলেন এবং সলাতের জন্য উযু করে সলাত আদায় করান। তারপর পূর্বানুরূপ বর্ণনা করেন, কিন্তু তাতে তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ নেই।

সহীহঃ

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ ঘটনা আওযাঈ (রহঃ) হতে হাস্সান ইবনু ‘আত্বিয়্যাহ সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। তাতে তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে ইজতিহাদ হয়েছে।

২। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নীরবতা সম্মতি বুঝায়। তাই তা হুকুমের ক্ষেত্রে দলীলযোগ্য।

৩। পানি ব্যবহারে অপারগ বা ক্ষতির আশংকা হলে তায়াম্মুম করা বৈধ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৮

আহত ব্যক্তির তায়াম্মুম করা

৩৩৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ خُرَيْقٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِي رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ هَلْ تَجِدُونَ لِي رُخْصَةً فِي التَّيَمُّمِ فَقَالُوا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُخْبِرَ بِذَلِكَ فَقَالَ ‏”‏ قَتَلُوهُ قَتَلَهُمُ اللَّهُ أَلاَّ سَأَلُوا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ يَعْصِبَ ‏”‏ ‏.‏ شَكَّ مُوسَى ‏”‏ عَلَى جُرْحِهِ خِرْقَةً ثُمَّ يَمْسَحَ عَلَيْهَا وَيَغْسِلَ سَائِرَ جَسَدِهِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা কোন এক সফরে বের হলে আমাদের মধ্যকার একজনের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে সে সাথীদের জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি আমার জন্য তায়াম্মুমের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি পাও? তারা বলল, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম, তাই তোমাকে তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া যায় না। অতএব সে গোসল করল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলো। তিনি বললেনঃ এরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন। তাদের যখন (সমাধান) জানা ছিল না, তারা কেন জিজ্ঞেস করে তা জেনে নিল না। কারণ অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। ঐ লোকটির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্টে ছিল। আর যখমের স্থানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসাহ্ করে শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হত।

 

হাসানঃ তবে তার এ কথাটি বাদেঃ ‘ঐ লোকটির জন্য যথেষ্ট ছিল ……।’ [৩৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ্ করা জায়িয (তবে তা পবিত্রাবস্থায় পরতে হবে)।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৭

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، أَخْبَرَنِي الأَوْزَاعِيُّ، أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ أَصَابَ رَجُلاً جُرْحٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ احْتَلَمَ فَأُمِرَ بِالاِغْتِسَالِ فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ قَتَلُوهُ قَتَلَهُمُ اللَّهُ أَلَمْ يَكُنْ شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالَ ‏”‏ ‏.‏

‘আত্বা ইবনু আবূ রাবাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে এক ব্যক্তি আহত হয়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হয়। অতঃপর সে গোসল করলে তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন: এরা লোকটিকে হত্যা করেছে। আল্লাহ যেন এদের ধ্বংস করেন! অজ্ঞতার প্রতিষেধক জিজ্ঞেস করা নয় কি?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১২৯

কোন ব্যক্তি তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করার পর ওয়াক্ত থাকতেই পানি পেয়ে গেলো

৩৩৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ رَجُلاَنِ فِي سَفَرٍ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ وَلَيْسَ مَعَهُمَا مَاءٌ فَتَيَمَّمَا صَعِيدًا طَيِّبًا فَصَلَّيَا ثُمَّ وَجَدَا الْمَاءَ فِي الْوَقْتِ فَأَعَادَ أَحَدُهُمَا الصَّلاَةَ وَالْوُضُوءَ وَلَمْ يُعِدِ الآخَرُ ثُمَّ أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لِلَّذِي لَمْ يُعِدْ ‏”‏ أَصَبْتَ السُّنَّةَ وَأَجْزَأَتْكَ صَلاَتُكَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ لِلَّذِي تَوَضَّأَ وَأَعَادَ ‏”‏ لَكَ الأَجْرُ مَرَّتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَغَيْرُ ابْنِ نَافِعٍ يَرْوِيهِ عَنِ اللَّيْثِ عَنْ عَمِيرَةَ بْنِ أَبِي نَاجِيَةَ عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَذِكْرُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لَيْسَ بِمَحْفُوظٍ وَهُوَ مُرْسَلٌ ‏.

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু’ব্যক্তি সফরে বের হলো। পথিমধ্যে সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেলো কিন্তু তাদের সাথে পানি না থাকায় তারা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করল। অতঃপর তারা সলাতের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকাবস্থায় পানি পেল। তখন একজন উযু করে পুনরায় সলাত আদায় করল। আর অপরজন পুনরায় সলাত আদায় করল না। অতঃপর উভয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বিষয়টি অবহিত করল। যে ব্যক্তি পুনরায় সলাত আদায় করেনি, তাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি সুন্নাতের উপর আমল করেছ এবং সেটাই (প্রথম সলাতই) তোমার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি উযু করে পুনরায় সলাত আদায় করেছে, তাকে বললেনঃ তুমি দ্বিগুণ সাওয়াব পেয়েছে।

 

সহিহ

  •  
  •  
  •  
  •  

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ‘আত্বা ইবনু ইয়াসার হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সু্ত্রে বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) আরো বলেন, এ হাদীসে আবূ সাঈদ (রাঃ) -এর নাম উল্লেখ করা সঠিক নয়। মূলত এটি মুরসাল হাদীস।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏

‘আত্বা ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সহাবীদের মধ্যে দু’জন (সফরে যান)… উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

 

তাহকিকঃ গবেষণা অসম্পূর্ণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৩৮] নাসায়ী (অধ্যায় : পবিত্রতা, অনুঃ সলাতের পর কেউ পানি না পেলে তায়াম্মুম করা, হাঃ ৪৩২) বাকর ইবনু সাওয়াদাহ সূ্রেত ‘আত্বা ইবনু ইয়ামার হতে। এ হাদীসটি মুরসাল।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩০

জুমু’আহ্‌র সলাতের জন্য গোসল করা

৩৪০

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَيْنَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَقَالَ عُمَرُ أَتَحْتَبِسُونَ عَنِ الصَّلاَةِ فَقَالَ الرَّجُلُ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ النِّدَاءَ فَتَوَضَّأْتُ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ وَالْوُضُوءَ أَيْضًا أَوَلَمْ تَسْمَعُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ ইবনু ‘আবদুর রহমান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাকে অবহিত করেন যে, একদা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জুমু’আহ্‌র খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করলে ‘উমার (রাঃ) তাকে বললেন, জুমু’আহ্‌র সলাতে (সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে) তোমাদের কিসে বাধা দিল? লোকটি বলল, না বিষয়টি তেমন নয়। বরং আযান শোনার পরই আমি উযু করে (এখানে এসেছি, কেবল এ সময়টুকুই বিলম্ব হয়েছে)। ‘উমার (রাঃ) বললেন, শুধু উযুই করেছ? তোমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শোনোনিঃ তোমাদের কেউ জুমু’আহ্‌র সলাতে গেলে যেন গোসল করে নেয়?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করা ওয়াজিব।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪২

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، أَخْبَرَنَا الْمُفَضَّلُ، – يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ – عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ رَوَاحُ الْجُمُعَةِ وَعَلَى كُلِّ مَنْ رَاحَ إِلَى الْجُمُعَةِ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا اغْتَسَلَ الرَّجُلُ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ أَجْزَأَهُ مِنْ غُسْلِ الْجُمُعَةِ وَإِنْ أَجْنَبَ ‏.‏

হাফসাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক লোকের জন্য জুমু’আহ্‌র সলাতে যাওয়া একান্ত কর্তব্য। আর যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র সলাতে যাবে তার জন্যে গোসল করা জরুরী।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি জুমু’আর দিন ফাজ্‌রের পর গোসল করলেও যথেষ্ট হবে, যদিও তা জানাবাতের গোসল হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৩

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ الْهَمْدَانِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهَذَا حَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَزِيدُ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ فِي حَدِيثِهِمَا عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَأَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ – عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلَبِسَ مِنْ أَحْسَنِ ثِيَابِهِ وَمَسَّ مِنْ طِيبٍ – إِنْ كَانَ عِنْدَهُ – ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَلَمْ يَتَخَطَّ أَعْنَاقَ النَّاسِ ثُمَّ صَلَّى مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ ثُمَّ أَنْصَتَ إِذَا خَرَجَ إِمَامُهُ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِهِ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ جُمُعَتِهِ الَّتِي قَبْلَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَيَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ ‏”‏ وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ‏”‏ ‏.‏ وَيَقُولُ ‏”‏ إِنَّ الْحَسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ أَتَمُّ وَلَمْ يَذْكُرْ حَمَّادٌ كَلاَمَ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) ও আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে, তার কাছে সুগন্ধি থাকলে ব্যবহার করবে, তারপর জুমু’আহ্‌র সলাত আদায়ের জন্য মাসজিদে যাবে, সেখানে (সামনে যাওয়ার জন্য) লোকদের ঘাড় টপকাবে না এবং মহান আল্লাহর নির্ধারিত সলাত আদায় করে ইমামদের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সলাত শেষ করা পর্যন্ত সময় নীরবতা অবলম্বন করবে- তাহলে এটা তার জন্য এ জুমুআহ্‌ ও তার পূর্ববর্তী জুমু’আর মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ্‌র কাফ্‌ফারা হয়ে যাবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আরো তিন দিনের গুনাহেরও কাফফারা হবে। কেননা নেক কাজের সাওয়াব (কমপক্ষে) দশ গুণ হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪২] আহমাদ (৩/৮১, ইবনু খুযাইমাহ্‌ (১৭৬২), মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব সূত্রে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ أَبِي هِلاَلٍ، وَبُكَيْرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ الْغُسْلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ وَالسِّوَاكُ وَيَمَسُّ مِنَ الطِّيبِ مَا قُدِّرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ أَنَّ بُكَيْرًا لَمْ يَذْكُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ وَقَالَ فِي الطِّيبِ ‏”‏ وَلَوْ مِنْ طِيبِ الْمَرْأَةِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করা, মিসওয়াক করা এবং সাধ্যানুযায়ী সুগন্ধি ব্যবহার করা কর্তব্য। কিন্তু বুকাইর সানাদে ‘আবদুর রহমানের নাম উল্লেখ করেননি এবং বর্ণনাকারী সুগন্ধি সম্পর্কে বলেছেন, যদিও তা মহিলাদের সুগন্ধি হয়।

 

সহীহঃ মুসলিম, অনুরূপ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْجَرْجَرَائِيُّ، حِبِّي حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَوْسُ بْنُ أَوْسٍ الثَّقَفِيُّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ ثُمَّ بَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الإِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا ‏”‏ ‏.

আওস ইবনু আওস আস-সাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করবে এবং (স্ত্রীকেও) গোসল করাবে, প্রত্যুষে ঘুম থেকে জাগবে এবং জাগাবে, জুমু’আহ্‌র জন্য বাহনে চড়ে নয় বরং পায়ে হেঁটে মাসজিদে যাবে এবং কোনরূপ অনর্থক কথা না বলে ইমামের নিকটে বসে খুতবা শুনবে, তার (মাসজিদে যাওয়ার) প্রতিটি পদক্ষেপ সুন্নাত হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে সে এক বছর যাবত সিয়াম পালন ও রাতভর সলাত আদায়ের (সমান) সাওয়াব পাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مَنْ غَسَلَ رَأْسَهُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ نَحْوَهُ ‏.

আওস আস-সাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র দিন মাথা ধৌত করে এবং গোসল করে… পূবোর্ক্ত হাদীসের অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৭

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمِصْرِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، – قَالَ ابْنُ أَبِي عَقِيلٍ – أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَمَسَّ مِنْ طِيبِ امْرَأَتِهِ – إِنْ كَانَ لَهَا – وَلَبِسَ مِنْ صَالِحِ ثِيَابِهِ ثُمَّ لَمْ يَتَخَطَّ رِقَابَ النَّاسِ وَلَمْ يَلْغُ عِنْدَ الْمَوْعِظَةِ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا بَيْنَهُمَا وَمَنْ لَغَا وَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ كَانَتْ لَهُ ظُهْرًا ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করবে, তার স্ত্রীর সুগন্ধি থাকলে তা থেকে ব্যবহার করবে এবং উৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করে (মাসজিদে এসে) লোকদের ঘাড় না টপকিয়ে খুতবাহ্‌র সময় কোন নিরর্থক কথাবার্তা না বলে চুপ থাকবে- তার দু’ জুমু’আহ্‌র মধ্যবর্তী সময়ের যাবতীয় গুনাহ্‌র জন্য তা কাফ্‌ফারা হবে। আর যে ব্যক্তি নিরর্থক কথা বলবে এবং লোকদের ঘাড় টপকাবে সে জুমু’আহ্‌র (সাওয়াব পাবে না), কেবল যুহরের সলাতের সম (সাওয়াব পাবে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ أَرْبَعٍ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيَوْمِ الْجُمُعَةِ وَمِنَ الْحِجَامَةِ وَمِنْ غُسْلِ الْمَيِّتِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রা) হতে ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (‘আয়িশাহ্‌) তাঁকে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারটি কারণে গোসল করতেনঃ (১) জানাবাতের দরুন, (২) জুমু’আহ্‌র জন্য, (৩) শিংগা লাগানোর পর এবং (৪) মৃতের গোসল দেয়ার পর। [৩৪৭]

 

দুর্বলঃ শীঘ্রই আসছে ক্রমিক নং ৬৯৩ ও ৩১৬০-এ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭] আহমাদ (৬/১৫২), ইবনু খুযাইমাহ (২৫৬), হাকিম (১/১৬৩), সকলেই যাকারিয়্যাহ ইবনু যায়িদাহ সূত্রে। ইমাম হাকিম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ, তবে তাঁরা এটি বর্ণনা করেননি। যাহাবী তার সাথে একমত। কিন্তু মুস’আব ইবনু শায়বাহ্‌ থেকে কেবল মুসলিম বর্ণনা করেছেন, যেমন ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে রয়েছে। আর তিনি হাদীস বর্ণনায় শিথিল। সানাদের যাকিয়্যাহ ইবনু আবূ যায়িদাহ একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্‌ আন্‌ শব্দে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪৯

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَوْشَبٍ، قَالَ سَأَلْتُ مَكْحُولاً عَنْ هَذَا الْقَوْلِ، ‏ “‏ غَسَّلَ وَاغْتَسَلَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ غَسَّلَ رَأْسَهُ وَغَسَلَ جَسَدَهُ ‏.‏

‘আলী ইবুন হাওশাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাকহূর (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলামঃ ‘যে ধৌত করল ও ধৌত করালো’- এর অর্থ কী? তিনি বললেনঃ মাথা ধৌত করালো ও সমগ্র শরীর ধৌত করল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৩৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فِي ‏ “‏ غَسَّلَ وَاغْتَسَلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ سَعِيدٌ غَسَّلَ رَأْسَهُ وَغَسَلَ جَسَدَهُ ‏.‏

সাঈদ ইবনু ‘আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাঈদ ইবনু ‘আবদুল আযীয (রহঃ) -ও উক্ত শব্দদ্বয়ের অর্থ বর্ণনা করেছেন, ‘মাথা ধোয়া এবং সমগ্র শরীর ধোয়া’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৩৫১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ كَبْشًا أَقْرَنَ وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الْخَامِسَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ حَضَرَتِ الْمَلاَئِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র দিন জানাবাতের গোসালের ন্যায় গোসল করে সর্বপ্রথম জুমু’আহ্‌র সলাতের জন্য মাসজিদে চলে আসবে, সে যেন একটি উট কুরবানীর সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি তার পরে আসবে, সে একটি গাভী কুরবানীর সাওয়াব পাবে। তারপর তৃতীয় নম্বরে যে আসবে সে একটি ছাগল কুরবানীর সাওয়াব পাবে। তারপর চতুর্থ নম্বরে যে আসবে সে একটি মুরগী কুরবানীর সাওয়াব পাবে। তারপর পঞ্চম নম্বরে যে আসবে সে আল্লাহর পথে একটি ডিম সদাক্বাহ করার সাওয়াব পাবে। অতঃপর ইমাম যখন খুতবাহ দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসেন, তখন মালায়িকাহ (ফেরেশতারা) খুতবাহ্‌ শোনার জন্য উপস্থিত হন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

১/ জুমু’আহ্‌র সলাতে উপস্থিত ব্যক্তির উপর গোসল করার প্রতি গুরুত্বদান।

২/ ইমামের উপচত, তার অধিনস্থদের (মুসল্লীদের) ব্যাপারে সচেতন থাকা। কেউ ভাল ও ফাযীলাতপূর্ণ কাজ পরিহার করলে তার কাছে এর কৈফিয়াত চাওয়া বা কারণ জানতে চাওয়া, যদিও সে বড় হয়।

৩/ প্রত্যেক বালেগ ব্যক্তিকে জুমু’আহর দিনে গোসলের প্রতি জোরদান, যদিও সলাতে উপস্থিত না হয়।

৪/ প্রত্যের প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জুমু’আহ্‌র সলাতে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব।

৫/ জুমু’আহ্‌র দিনে মুমিনদের উত্তম কাপড় পরার প্রতি উৎসাহ প্রদান।

৬/ জুমু’আহ্‌র দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব, যদি সুগন্ধি থাকে।

৭/ জুমু’আহ্‌র দিনে যথাশিঘ্র মাসজিদে উপস্থিত হওয়া মুস্তাহাব ও ফাযীলাতপূর্ণ কাজ।

৮/ জুমু’আহ্‌র দিনে অন্যের ঘাড় টপকিয়ে সামনে যাওয়া অপছন্দনীয়।

৯/ ইমাম মিম্বারে আসার পূর্ব পর্যন্ত মাসজিদে উপস্থিত ব্যক্তির নাফ্‌ল সলাত আদায় করা জায়িয।

১০/ ইমামের খুৎবাহ্‌ চলাকালে অহেতুক কিছু করা নিষেধ ও অপন্দনীয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩১

জুমু’আহ্‌র দিন গোসল না করার অনুমতি প্রসঙ্গে

৩৫২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ مُهَّانَ أَنْفُسِهِمْ فَيَرُوحُونَ إِلَى الْجُمُعَةِ بِهَيْئَتِهِمْ فَقِيلَ لَهُمْ لَوِ اغْتَسَلْتُمْ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা নিজেদের শ্রমে নিয়োজিত থাকত এবং ঐ (বস্ত্র পরিহিত) অবস্থায়ই জুমু’আহ্‌র সলাত আদায়ে চলে যেত। তখন তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে আসতে (তাহলে ভাল হত)!

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

জুমু’আহ্‌র দিনে গোসল করা উচিত। এর হিকমাত হচ্ছে, (শরীরের ঘাম ও ময়লাযুক্ত) দুর্গন্ধ দূর করা, যাতে লোকেরা একে অন্যের থেকে কষ্ট না পায় এং ফিরিশতারাও কষ্ট না পান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُنَاسًا، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ جَاءُوا فَقَالُوا يَا ابْنَ عَبَّاسٍ أَتَرَى الْغُسْلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاجِبًا قَالَ لاَ وَلَكِنَّهُ أَطْهَرُ وَخَيْرٌ لِمَنِ اغْتَسَلَ وَمَنْ لَمْ يَغْتَسِلْ فَلَيْسَ عَلَيْهِ بِوَاجِبٍ وَسَأُخْبِرُكُمْ كَيْفَ بَدْءُ الْغُسْلِ كَانَ النَّاسُ مَجْهُودِينَ يَلْبَسُونَ الصُّوفَ وَيَعْمَلُونَ عَلَى ظُهُورِهِمْ وَكَانَ مَسْجِدُهُمْ ضَيِّقًا مُقَارِبَ السَّقْفِ إِنَّمَا هُوَ عَرِيشٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ حَارٍّ وَعَرِقَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ الصُّوفِ حَتَّى ثَارَتْ مِنْهُمْ رِيَاحٌ آذَى بِذَلِكَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَلَمَّا وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِلْكَ الرِّيحَ قَالَ ‏ “‏ أَيُّهَا النَّاسُ إِذَا كَانَ هَذَا الْيَوْمُ فَاغْتَسِلُوا وَلْيَمَسَّ أَحَدُكُمْ أَفْضَلَ مَا يَجِدُ مِنْ دُهْنِهِ وَطِيبِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ جَاءَ اللَّهُ بِالْخَيْرِ وَلَبِسُوا غَيْرَ الصُّوفِ وَكُفُوا الْعَمَلَ وَوُسِّعَ مَسْجِدُهُمْ وَذَهَبَ بَعْضُ الَّذِي كَانَ يُؤْذِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا مِنَ الْعَرَقِ ‏.

‘ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইরাকের অধিবাসী কিছু লোক এসে বলল, হে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)! আপনি জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করা ওয়াজিব বলে মনে করেন কি? ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, না, তবে করাটা ভাল এবং তাতে গোসলকারীর অধিকতর পবিত্রতা হাসিল হয়। আর যে ব্যক্তি গোসল করে না তার জন্য এটা ওয়াজিব নয়। কিভাবে গোসলের সূচনা হয় আমি তোমাদেরকে তা জানাচ্ছি। তৎকালে লোকেরা কঠোর পরিশ্রম করত, পশমী পোষাক পরত এবং নিজেদের পিঠে করে বোঝা বহন করত। তাদের মাসজিদও ছিল সংকীর্ণ ও খেজুরের ডালের তৈরি নিচু ছাদ বিশিষ্ট। একদা গরমের দিনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন। লোকেদের কাপড় ঘামে ভিজে তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এতে একের দ্বারা অন্যেরা কষ্ট বোধ করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুর্গন্ধ পেয়ে বললেনঃ হে লোক সকল! যখন এদিন (জুমু’আহ্‌র দিন) আসে তখন তোমরা গোসল করে সাধ্যানুযায়ী তেল ও সুগন্ধী লাগাবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তাদের সম্পদশালী করেন। ফলে তারা পশমের পরিবর্তে অন্যান্য (উত্তম) কাপড় পরিধান করতে থাকেন, কাজ-কর্ম অন্যদের দ্বারাও করাতে থাকেন এবং মাসজিদও প্রশস্তহয়, তখন পরস্পর পরস্পরের ঘামের গন্ধে কষ্ট পাওয়াও দূরীভূত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَوَضَّأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَبِهَا وَنِعْمَتْ وَمَنِ اغْتَسَلَ فَهُوَ أَفْضَلُ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উযু করল, সে তো ভাল ও উত্তম কাজ করল। আর যে গোসল করল সে অধিকতর উত্তম কাজ করল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩২

কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া

৩৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الأَغَرُّ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ جَدِّهِ، قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُرِيدُ الإِسْلاَمَ فَأَمَرَنِي أَنْ أَغْتَسِلَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ ‏.‏

ক্বাসিম ইবনু ‘আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশ্যে এলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বরই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করার নির্দেশ দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

কাফির ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের সময় গোসল করবে। অবশ্য তার গোসল করাটা ওয়াজিব না মুস্তাহাব এ ব্যাপারে ‘আলিমগণ মতভেদ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫৬

حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أُخْبِرْتُ عَنْ عُثَيْمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قَدْ أَسْلَمْتُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ ‏”‏ ‏.‏ يَقُولُ احْلِقْ ‏.‏ قَالَ وَأَخْبَرَنِي آخَرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لآخَرَ مَعَهُ ‏”‏ أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ وَاخْتَتِنْ ‏”‏ ‏.

‘উসাইম ইবনু কুলাইব তার পিতা হতে তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গিয়ে বললেন, আমি ইসলাম ক্ববূল করেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কুফর অবস্থার চুল ফেলে দাও (মুণ্ডন করো)। ‘উসাইমের দাদা বলেন, আমাকে অন্য একজন বলেছেন, তার সাথে আরেকজন ছিল, তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কুফর অবস্থার চুল ফেলে দাও এবং খাত্‌না করে নাও। [৩৫৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫৫] আহমাদ (৩/৪১৫), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/১৭২), ‘আবদুর রাযযাক ‘মুসান্নাফ’ (হাঃ ৯৮৫৩), সকলেই ‘আবদুর রাযযাক সূ্ত্রে। হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, সানাদে ‘উসাইম ইবনু কুলাইব অজ্ঞাত। এছাড়া সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি আছে, যিনি ইবুন জুরাইজের শায়খ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩৩

মহিলাদের হায়িযকালীন সময়ের পরিধেয় কাপড় ধোয়া

৩৫৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَتْنِي أُمُّ الْحَسَنِ، – يَعْنِي جَدَّةَ أَبِي بَكْرٍ الْعَدَوِيِّ – عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – عَنِ الْحَائِضِ يُصِيبُ ثَوْبَهَا الدَّمُ ‏.‏ قَالَتْ تَغْسِلُهُ فَإِنْ لَمْ يَذْهَبْ أَثَرُهُ فَلْتُغَيِّرْهُ بِشَىْءٍ مِنَ صُفْرَةٍ ‏.‏ قَالَتْ وَلَقَدْ كُنْتُ أَحِيضُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ حِيَضٍ جَمِيعًا لاَ أَغْسِلُ لِي ثَوْبًا ‏.‏

মু’আযাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আয়িশাহ্‌ (রাঃ) -কে এমন ঋতুবতী মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যার কাপড়ে হায়িযের রক্ত লেগেছে। তিনি বললেন, ঐ কাপড় ধুয়ে ফেলবে। রক্তের চিহ্ন সম্পূর্ণ দূর না হলে কোন হলুদ জিনিস দ্বারা তার রং পরিবর্তন করে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট একাদিক্রমে তিন তিনবার হায়িযকাল অতিক্রম করি। অথচ আমি (কাপড়ে রক্ত না লাগার কারণে) আমার কাপড় ধৌত করিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – يَذْكُرُ عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا كَانَ لإِحْدَانَا إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيضُ فِيهِ فَإِنْ أَصَابَهُ شَىْءٌ مِنْ دَمٍ بَلَّتْهُ بِرِيقِهَا ثُمَّ قَصَعَتْهُ بِرِيقِهَا ‏.

মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমাদের কারও নিকট শুধু একটি কাপড় থাকত। ঋতুস্রাব অবস্থায় সেটাই তাঁর পরনে থাকত। কাপড়ে রক্ত লেগে গেলে তিনি মুখের লালা দ্বারা ভিজিয়ে তা ঘষে নিতেন।

 

সহীহঃ বুখারী

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫৯

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – حَدَّثَنَا بَكَّارُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَتْهَا امْرَأَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ عَنِ الصَّلاَةِ فِي ثَوْبِ الْحَائِضِ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ قَدْ كَانَ يُصِيبُنَا الْحَيْضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَلْبَثُ إِحْدَانَا أَيَّامَ حَيْضِهَا ثُمَّ تَطْهُرُ فَتَنْظُرُ الثَّوْبَ الَّذِي كَانَتْ تَقْلِبُ فِيهِ فَإِنْ أَصَابَهُ دَمٌ غَسَلْنَاهُ وَصَلَّيْنَا فِيهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ أَصَابَهُ شَىْءٌ تَرَكْنَاهُ وَلَمْ يَمْنَعْنَا ذَلِكَ مِنْ أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِ وَأَمَّا الْمُمْتَشِطَةُ فَكَانَتْ إِحْدَانَا تَكُونُ مُمْتَشِطَةً فَإِذَا اغْتَسَلَتْ لَمْ تَنْقُضْ ذَلِكَ وَلَكِنَّهَا تَحْفِنُ عَلَى رَأْسِهَا ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ فَإِذَا رَأَتِ الْبَلَلَ فِي أُصُولِ الشَّعْرِ دَلَكَتْهُ ثُمَّ أَفَاضَتْ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهَا ‏.

বাক্বার ইবনু ইয়াহ্‌ইয়াহ থেকে তার দাদীর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) -এর নিকট গেলাম। সে সময় এক কুরাইশ মহিলা তাকে হায়িযের কাপড়ে সলাত আদায় করা যায় কিনা জিজ্ঞাসা করেন। উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বললেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে আমাদের হায়িয হত। হায়িয চলাকালীন সময় পর্যন্ত আমাদের কেউ কেউ একই কাপড় পরিহিত থাকত। অতঃপর সে পাক হলে পরিহিত কাপড় উলটপালট করে দেখত। তাতে রক্ত লেগে থাকলে আমরা তা ধুয়ে ঐ কাপড়েই সলাত আদায় করতাম। আর কিছু না লেগে থাকলে (ধোয়া) ছেড়ে দিতাম। ঐ কাপড় পরে সলাত আদায়ে আমাদেরকে কোন কিছুই বিরত রাখত না। আমাদের মধ্যকার কারো চুল ঝুঁটি বাঁধা থাকলে গোসল করার সময় তা খুলত না, বরং তিন অঞ্জলি পানি হাতে নিয়ে মাথার উপর ঢেলে দিত। যখন চুলের গোরায় ভালভাবে পানি পৌঁছে যেত তখন তা ঘষে নিত। অতঃপর সমগ্র শরীরে পানি ঢেলে দিত। [৩৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫৮] ইবনু খুযাইমাহ্‌ (২৭৮)। এর সানাদে বাক্বার ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া এবং তার দাদা দু’জন্ অজ্ঞাত। যেমন ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ امْرَأَةً، تَسْأَلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ تَصْنَعُ إِحْدَانَا بِثَوْبِهَا إِذَا رَأَتِ الطُّهْرَ أَتُصَلِّي فِيهِ قَالَ ‏ “‏ تَنْظُرُ فَإِنْ رَأَتْ فِيهِ دَمًا فَلْتَقْرُصْهُ بِشَىْءٍ مِنْ مَاءٍ وَلْتَنْضَحْ مَا لَمْ تَرَ وَلْتُصَلِّ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আসমা বিনতু আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক মহিলাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, পবিত্র হওয়ার পর (হায়িযকালীন) কাপড় আমরা কি করব? তাতে কি সলাত আদায় করা যাবে? তিনি বললেনঃ তা দেখে নিবে। তাতে রক্ত লেগে থাকলে সামান্য পানি দিয়ে রক্ত খুঁটে ফেলে পানি ছিটিয়ে রক্তের স্থান ধুয়ে ফেলবে যেন রক্তের চিহ্ন না থাকে। অতঃপর সেটা পরে সলাত আদায় করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩৬১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِحْدَانَا إِذَا أَصَابَ ثَوْبَهَا الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ كَيْفَ تَصْنَعُ قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَصَابَ إِحْدَاكُنَّ الدَّمُ مِنَ الْحَيْضِ فَلْتَقْرِصْهُ ثُمَّ لْتَنْضَحْهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ لْتُصَلِّي ‏”‏ ‏.

আসমা বিনতু আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কারো কাপড়ে রক্ত লেগে গেলে করণীয় কি? তিনি বললেনঃ তোমাদের কারো কাপড়ে হায়িযের রক্ত লেগে গেলে তা হাত দিয়ে খুঁটে ফেলবে। অতঃপর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ঐ কাপড়ে সলাত আদায় করবে।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الْمَعْنَى قَالَ ‏ “‏ حُتِّيهِ ثُمَّ اقْرُصِيهِ بِالْمَاءِ ثُمَّ انْضَحِيهِ ‏”‏ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম (রহঃ) সূত্রে উক্ত হাদীসের সমার্থক বর্ণনা আছে। তাতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন জিনিস দিয়ে তা দূর করে পানি দ্বারা ঘষে নিবে। তারপর তাতে পানি ছিটিয়ে ধুয়ে ফেলবে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ – عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي ثَابِتٌ الْحَدَّادُ، حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ، تَقُولُ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يَكُونُ فِي الثَّوْبِ قَالَ ‏ “‏ حُكِّيهِ بِضِلْعٍ وَاغْسِلِيهِ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ ‏”‏ ‏.‏

‘আদী ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উম্মু ক্বায়িস বিনতু মিহসান (রাঃ) -কে আমি বলতে শুনেছি, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, কাপড়ে হায়িযের রক্ত লেগে গেলে কী করতে হবে? তিনি বললেনঃ কাঠের টুকরা দিয়ে তা (খুঁচে) দূর করে বরই পাতা মিশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬৪

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدْ كَانَ يَكُونُ لإِحْدَانَا الدِّرْعُ فِيهِ تَحِيضُ وَفِيهِ تُصِيبُهَا الْجَنَابَةُ ثُمَّ تَرَى فِيهِ قَطْرَةً مِنْ دَمٍ فَتَقْصَعُهُ بِرِيقِهَا ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের করো নিকট (কখনো) একটি জামা থাকত। হায়িয অবস্থায় তার পরনে ঐ জামা থাকত। তাতেই জানাবাতের গোসল ফরয হত। অতঃপর জামার কোথাও এক ফোঁটা রক্ত পরিলক্ষিত হলে তা থু থু দ্বারা রগড়ে নিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ خَوْلَةَ بِنْتَ يَسَارٍ، أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ لِي إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ وَأَنَا أَحِيضُ فِيهِ فَكَيْفَ أَصْنَعُ قَالَ ‏”‏ إِذَا طَهُرْتِ فَاغْسِلِيهِ ثُمَّ صَلِّي فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ فَإِنْ لَمْ يَخْرُجِ الدَّمُ قَالَ ‏”‏ يَكْفِيكِ غَسْلُ الدَّمِ وَلاَ يَضُرُّكِ أَثَرُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

খাওলা বিনতু ইয়াসার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার একটি মাত্র পরনের কাপড় আছে। তা পরিহিত অবস্থায় আমি হায়িযগ্রস্ত হই। অতএব এ অবস্থায় আমার করণীয় কী? তিনি বললেন, তুমি হাযিয়মুক্ত হলে পরিধেয় বস্ত্রটি ধুয়ে নিবে। অতঃপর সেটা পরে সলাত আদায় করবে। তিনি বলেন, যদি রক্তের চিহ্ন দূরীভূত না হয়? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ রক্ত ধুয়ে ফেলাই তোমার জন্য যথেষ্ট। রক্তের চিহ্ন তোমার কোন ক্ষতি করবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩৪

সহবাসকালীন সময়ের পরিধেয় কাপড়ে সলাত আদায় করা

৩৬৬

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ سَأَلَ أُخْتَهُ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي الثَّوْبِ الَّذِي يُجَامِعُهَا فِيهِ فَقَالَتْ نَعَمْ إِذَا لَمْ يَرَ فِيهِ أَذًى ‏.‏

মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তার বোন ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি স্ত্রী সহবাসকালে পরিহিত কাপড়ে সলাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ তাতে কোনরূপ অপবিত্রতা পরিদৃষ্ট না হলে আদায় করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষা :

কোন ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর সাথে সহবাসকালীন সময়ে পরিহিত কাপড়ে সলাত আদায় জায়িয আছে, যদি তাতে অপবিত্রতা দেখতে না পায়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩৫

মহিলাদের গায়ে জড়ানো কাপড়ে সলাত আদায় প্রসঙ্গে

৩৬৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَتْنِي أُمُّ الْحَسَنِ، – يَعْنِي جَدَّةَ أَبِي بَكْرٍ الْعَدَوِيِّ – عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – عَنِ الْحَائِضِ يُصِيبُ ثَوْبَهَا الدَّمُ ‏.‏ قَالَتْ تَغْسِلُهُ فَإِنْ لَمْ يَذْهَبْ أَثَرُهُ فَلْتُغَيِّرْهُ بِشَىْءٍ مِنَ صُفْرَةٍ ‏.‏ قَالَتْ وَلَقَدْ كُنْتُ أَحِيضُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ حِيَضٍ جَمِيعًا لاَ أَغْسِلُ لِي ثَوْبًا ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাপড়ে অথবা চাদরে সলাত আদায় করতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – يَذْكُرُ عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا كَانَ لإِحْدَانَا إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيضُ فِيهِ فَإِنْ أَصَابَهُ شَىْءٌ مِنْ دَمٍ بَلَّتْهُ بِرِيقِهَا ثُمَّ قَصَعَتْهُ بِرِيقِهَا ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের (গায়ে জড়ানো) চাদরে সলাত আদায় করতেন না।

 

সহীহ।

 

হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, আমি সাঈদ ইবনু আবূ সদাক্বাহ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, আমি মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রাঃ) -কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আমি কিছু কাল যাবত এ হাদীস শুনেছি কিন্তু আমার মনে নেই, কার কাছে তা শুনেছি। আমি তা বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীর নিকট শুনেছি কিনা তাও স্মরণ নেই। অতএব তোমরা এ সম্পর্কে অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩৬

মহিলাদের গায়ে জড়ানো কাপড়ে সলাত আদায় করার অনুমতি প্রসঙ্গে

৩৬৯

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – حَدَّثَنَا بَكَّارُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَتْهَا امْرَأَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ عَنِ الصَّلاَةِ فِي ثَوْبِ الْحَائِضِ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ قَدْ كَانَ يُصِيبُنَا الْحَيْضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَلْبَثُ إِحْدَانَا أَيَّامَ حَيْضِهَا ثُمَّ تَطْهُرُ فَتَنْظُرُ الثَّوْبَ الَّذِي كَانَتْ تَقْلِبُ فِيهِ فَإِنْ أَصَابَهُ دَمٌ غَسَلْنَاهُ وَصَلَّيْنَا فِيهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ أَصَابَهُ شَىْءٌ تَرَكْنَاهُ وَلَمْ يَمْنَعْنَا ذَلِكَ مِنْ أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِ وَأَمَّا الْمُمْتَشِطَةُ فَكَانَتْ إِحْدَانَا تَكُونُ مُمْتَشِطَةً فَإِذَا اغْتَسَلَتْ لَمْ تَنْقُضْ ذَلِكَ وَلَكِنَّهَا تَحْفِنُ عَلَى رَأْسِهَا ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ فَإِذَا رَأَتِ الْبَلَلَ فِي أُصُولِ الشَّعْرِ دَلَكَتْهُ ثُمَّ أَفَاضَتْ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهَا ‏.‏

মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি চাদর গায়ে দিয়ে সলাত আদায় করলেন। চাদরের একাংশ তাঁর এক ঋতুবতী স্ত্রীর গায়ে জড়ানো ছিল।

 

সহীহঃ অনুরূপ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭০

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِاللَّيْلِ وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ وَأَنَا حَائِضٌ وَعَلَىَّ مِرْطٌ لِي وَعَلَيْهِ بَعْضُهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাতে সলাত আদায় করছিলেন। আমি হায়িয অবস্থায় আমার একটি চাদর গায়ে জড়িয়ে তাঁর পাশেই ছিলাম। চাদরের কিছু অংশ ছিল আমার গায়ে আর কিছু অংশ ছিল তাঁর গায়ে। [

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩৭

কাপড়ে বীর্য লাগলে

৩৭১

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – فَاحْتَلَمَ فَأَبْصَرَتْهُ جَارِيَةٌ لِعَائِشَةَ وَهُوَ يَغْسِلُ أَثَرَ الْجَنَابَةِ مِنْ ثَوْبِهِ أَوْ يَغْسِلُ ثَوْبَهُ فَأَخْبَرَتْ عَائِشَةَ فَقَالَتْ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَأَنَا أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الأَعْمَشُ كَمَا رَوَاهُ الْحَكَمُ ‏.

হাম্মাম ইবনুল হারিস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আয়িশা (রাঃ) -এর মেহমান ছিলেন। তার স্বপ্নদোষ হলো। ‘আয়িশা (রাঃ) -এর এক বাঁদী তাকে কাপড় থেকে বীর্য ধুতে দেখে বিষয়টি ‘আয়িশাহ্‌কে অবহিত করেন। তখন তিনি বলেন, আমি নিজে দেখেছি এবং আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাপড় হতে বীর্য রগড়ে তুলে ফেলেছি।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ শুষ্ক বীর্য খুঁটে ফেললেই পাক হয়ে যায়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيُصَلِّي فِيهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَافَقَهُ مُغِيرَةُ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَوَاصِلٌ ‏.‏

আল-আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাপড় থেকে বীর্য রগড়ে তুলে ফেলতাম। অতঃপর তিনি ঐ কাপড়েই সলাত আদায় করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, মুগীরাহ ও আবূ মা’শার উপরোক্ত হাদীস বর্ণনায় ঐকমত্য পোষণ করেছেন এবং আ’মাশ হাকামের অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ حِسَابٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمٌ، – يَعْنِي ابْنَ أَخْضَرَ الْمَعْنَى وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ سُلَيْمٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّهَا كَانَتْ تَغْسِلُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ ثُمَّ أَرَى فِيهِ بُقْعَةً أَوْ بُقَعًا ‏.

সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাপড় থেকে বীর্য ধুয়ে ফেলতাম। তারপরও কাপড়ে একটি বা কয়েকটি ভিজা চিহ্ন দেখতে পেতাম। [৩৭২]

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ

বীর্য তরল অবস্থায় থাকলে তা ধুয়ে ফেললেই পাক হয়ে যায়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩৮

শিশুদের পেশাব কাপড়ে লাগলে

৩৭৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ، أَنَّهَا أَتَتْ بِابْنٍ لَهَا صَغِيرٍ لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجْلَسَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حِجْرِهِ فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَنَضَحَهُ وَلَمْ يَغْسِلْهُ ‏.‏

উম্মু কায়িস বিনতু মিহসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্রকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নিজের কোলে বসালে শিশুটি তাঁর পরিধেয় বস্ত্রে পেশাব করে দেয়। তিনি পানি আনিয়ে তাতে ছিটিয়ে দিলেন, কিন্তু ধৌত করলেন না।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، وَالرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَابُوسَ، عَنْ لُبَابَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، قَالَتْ كَانَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ – رضى الله عنه – فِي حِجْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَالَ عَلَيْهِ فَقُلْتُ الْبَسْ ثَوْبًا وَأَعْطِنِي إِزَارَكَ حَتَّى أَغْسِلَهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الأُنْثَى وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الذَّكَرِ ‏”‏ ‏.

লুবাবাহ্ বিনতুল হারিস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা হুসাইন ইবনু ‘আলী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কোলে থাকাবস্থায় পেশাব করে দিলেন। আমি বললাম, আপনি অন্য একটি কাপড় পরে নিন এবং আমার এ কাপড়টি আমাকে ধুতে দিন। তিনি বললেনঃ মেয়ে শিশু পেশাব করলে ধুতে হয়। আর ছেলে শিশু পেশাব করলে তাতে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট।

 

হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩৭৬

حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، وَعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنِي مُحِلُّ بْنُ خَلِيفَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو السَّمْحِ، قَالَ كُنْتُ أَخْدُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَغْتَسِلَ قَالَ ‏”‏ وَلِّنِي قَفَاكَ ‏”‏ ‏.‏ فَأُوَلِّيهِ قَفَاىَ فَأَسْتُرُهُ بِهِ فَأُتِيَ بِحَسَنٍ أَوْ حُسَيْنٍ – رضى الله عنهما – فَبَالَ عَلَى صَدْرِهِ فَجِئْتُ أَغْسِلُهُ فَقَالَ ‏”‏ يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْجَارِيَةِ وَيُرَشُّ مِنْ بَوْلِ الْغُلاَمِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبَّاسٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْوَلِيدِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ أَبُو الزَّعْرَاءِ ‏.‏ قَالَ هَارُونُ بْنُ تَمِيمٍ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ الأَبْوَالُ كُلُّهَا سَوَاءٌ ‏.‏

আবূস সাম্‌হ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমাত করতাম। তিনি গোসল করার ইচ্ছা করলে আমাকে বলতেনঃ তুমি পিঠ ঘুরিয়ে দাঁড়াও। তখন আমি পিঠ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে আড়াল করে রাখতাম। একবার হাসান অথবা হুসাইন (রাঃ) -কে আনা হলে তাঁদের একজন তাঁর বুকে পেশাব করে দিলেন। আমি তা ধৌত করতে এলে তিনি বললেনঃ মেয়ে শিশুর পেশাব ধোয়া আবশ্যক হয়। আর ছেলে শিশুর পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট।

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাসান বাসরীর মতে, সব পেশাবের হুকুমই (অপবিত্র হিসেবে) সমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْجَارِيَةِ وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الْغُلاَمِ مَا لَمْ يَطْعَمْ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মেয়েদের পেশাব ধুতে হবে এবং ছেলেদের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে- যতক্ষণ না তারা শক্ত খাদ্য গ্রহণ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ

  •  সরাসরি

৩৭৮

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ مَا لَمْ يَطْعَمْ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ قَالَ قَتَادَةُ هَذَا مَا لَمْ يَطْعَمَا الطَّعَامَ فَإِذَا طَعِمَا غُسِلاَ جَمِيعًا ‏.

‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় ‘সে শক্ত খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত’- এ কথাটুকু উল্লেখ নেই। তাতে এ কথা রয়েছে, ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেছেন, শিশু কন্যা ও পুত্রদের ব্যাপারে এ হুকুম খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রযোজ্য। (শক্ত) খাদ্য গ্রহণ করা শুরু করলে উভয়ের পেশাবই ধুতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّهَا أَبْصَرَتْ أُمَّ سَلَمَةَ تَصُبُّ الْمَاءَ عَلَى بَوْلِ الْغُلاَمِ مَا لَمْ يَطْعَمْ فَإِذَا طَعِمَ غَسَلَتْهُ وَكَانَتْ تَغْسِلُ بَوْلَ الْجَارِيَةِ ‏.‏

হাসান হতে তার মায়ের থেকে বর্ণিতঃ

তার মা বলেন, তিনি উম্মু সালামাহ (রাঃ) -কে দেখেছেন, শক্ত খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি (দুগ্ধপোষ্য) ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতেন। আর (শক্ত) খাদ্য গ্রহণ শুরু করলে (তাদের পেশাব করা কাপড়) ধুয়ে ফেলতেন। আর তিনি মেয়ে শিশুর পেশাবের কাপড়ও ধুয়ে ফেলতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৩৯

মাটিতে পেশাব লাগলে

৩৮০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَابْنُ، عَبْدَةَ – فِي آخَرِينَ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ عَبْدَةَ – أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَصَلَّى – قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ – رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ لَمْ يَلْبَثْ أَنْ بَالَ فِي نَاحِيةِ الْمَسْجِدِ فَأَسْرَعَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَنَهَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ صُبُّوا عَلَيْهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে বসা ছিলেন এমন সময় এক বেদুঈন মাসজিদে প্রবেশ করে দু’ রাকআত সলাত আদায় করল। অতঃপর দু’আ করল, হে আল্লাহ দয়া করো আমার প্রতি ও মুহাম্মাদের প্রতি এবং আমাদের সাথে অন্য কারো প্রতি দয়া করো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি ব্যাপককে সীমিত করে দিলে। কিছুক্ষণ পর ঐ লোকটি মাসজিদের এক কোণে পেশাব করে দিল। লোকেরা (তাকে শায়েস্তা করার জন্য) দ্রুত তার দিকে এগুচ্ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিষেধ করে বললেনঃ তোমাদের মানুষের প্রতি সহজ ও কোমল আচরণকারী হিসেবে পাঠানো হয়েছে, রুক্ষ ও কঠোর আচরণকারী হিসেবে নয়। তোমরা এর (পেশাবের) উপর এক বালতি বা এক ডোল পানি ঢেলে দাও।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ، – يَعْنِي ابْنَ عُمَيْرٍ – يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلِ بْنِ مُقَرِّنٍ، قَالَ صَلَّى أَعْرَابِيٌّ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فِيهِ وَقَالَ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خُذُوا مَا بَالَ عَلَيْهِ مِنَ التُّرَابِ فَأَلْقُوهُ وَأَهْرِيقُوا عَلَى مَكَانِهِ مَاءً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ مُرْسَلٌ ابْنُ مَعْقِلٍ لَمْ يُدْرِكِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মা’ক্বিল ইবনু মুক্বাররিন থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করল। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তাতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে মাটিতে সে পেশাব করেছে ঐ মাটি তুলে ফেলে দাও এবং ঐ জায়গায় পানি ঢালো।

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি মুরসাল হাদীস। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মা’ক্বিল (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগ পাননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৪০

মাটি শুকিয়ে গেলে পবিত্র হয়ে যায়।

৩৮২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ كُنْتُ أَبِيتُ فِي الْمَسْجِدِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكُنْتُ فَتًى شَابًّا عَزَبًا وَكَانَتِ الْكِلاَبُ تَبُولُ وَتُقْبِلُ وَتُدْبِرُ فِي الْمَسْجِدِ فَلَمْ يَكُونُوا يَرُشُّونَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে আমি রাতে মাসজিদে ঘুমাতাম। তখন আমি ছিলাম অবিবাহিত যুবক। সে সময় মাসজিদে প্রায়ই কুকুর যাতায়াত করত এবং তাতে পেশাব করে দিত। কিন্তু তাঁদের কেউ পেশাবের উপর পানি ঢালতেন না।

 

সহীহঃ বুখারী একে তা’লীক্বভাবে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৪১

কাপড়ের আঁচলে (শুষ্ক) অপবিত্রতা লাগলে

৩৮৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَارَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أُمِّ وَلَدٍ، لإِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهَا سَأَلَتْ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ أُطِيلُ ذَيْلِي وَأَمْشِي فِي الْمَكَانِ الْقَذِرِ ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবরাহীম ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফের উম্মু ওয়ালাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী উম্মু সালমাহ (রাঃ) -কে বলেন, আমার আঁচল ঝুলিয়ে রাখি এবং আমি আবর্জনার স্থানে চলাচল করে থাকি। উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এর পরবর্তী রাস্তা এ আঁচলকে পবিত্র করে দেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ পবিত্র যমীনের উপর দিয়ে অতিক্রমের দ্বারা ময়লাযুক্ত আঁচল পবিত্র হয়ে যায়। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, এ বিধান শুষ্ক ময়লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তরল অপবিত্রতা লাগলে তা ধুয়ে পবিত্র করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى، عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ امْرَأَةٍ، مِنْ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَنَا طَرِيقًا إِلَى الْمَسْجِدِ مُنْتِنَةً فَكَيْفَ نَفْعَلُ إِذَا مُطِرْنَا قَالَ ‏”‏ أَلَيْسَ بَعْدَهَا طَرِيقٌ هِيَ أَطْيَبُ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَذِهِ بِهَذِهِ ‏”‏ ‏.

বনু ‘আবদুল আশহালের জনৈকা মহিলা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের মাসজিদে যাওয়ার রাস্তাটি আবর্জনাপূর্ণ। সুতরাং বৃষ্টি হলে আমরা কী করব? তিনি বললেনঃ এর পরের রাস্তাটা কি এর চাইতে ভাল নয়? আমি বললাম, হ্যাঁ ভাল। তিনি বললেনঃ তাহলে এটা ওটার পরিপূরক। (অর্থাৎ এ রাস্তার ময়লা ঐ রাস্তা দূর করে দিবে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৪২

জুতায় অপবিত্রতা লাগলে

৩৮৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ح وَحَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْوَاحِدِ – عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، – الْمَعْنَى – قَالَ أُنْبِئْتُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيَّ، حَدَّثَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا وَطِئَ أَحَدُكُمْ بِنَعْلَيْهِ الأَذَى فَإِنَّ التُّرَابَ لَهُ طَهُورٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারোর জুতার তলায় আবর্জনা লেগে গেলে মাটিই তার আবর্জনা বা অপবিত্রতা দূর করার জন্য যথেষ্ট।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، – يَعْنِي الصَّنْعَانِيَّ – عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏ “‏ إِذَا وَطِئَ الأَذَى بِخُفَّيْهِ فَطَهُورُهُمَا التُّرَابُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাতে রয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কারো মোজায় অপবিত্রতা লেগে গেলে মাটিই তার পবিত্রকারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَائِذٍ – حَدَّثَنِي يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ حَمْزَةَ – عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ، أَخْبَرَنِي أَيْضًا، سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৪৩

অপবিত্র কাপড়ে আদায়কৃত সলাত পুনরায় আদায় করা

৩৮৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ يُونُسَ بِنْتُ شَدَّادٍ، قَالَتْ حَدَّثَتْنِي حَمَاتِي أُمُّ جَحْدَرٍ الْعَامِرِيَّةُ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَتْ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْنَا شِعَارُنَا وَقَدْ أَلْقَيْنَا فَوْقَهُ كِسَاءً فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ الْكِسَاءَ فَلَبِسَهُ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الْغَدَاةَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذِهِ لُمْعَةٌ مِنْ دَمٍ ‏.‏ فَقَبَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مَا يَلِيهَا فَبَعَثَ بِهَا إِلَىَّ مَصْرُورَةً فِي يَدِ الْغُلاَمِ فَقَالَ ‏ “‏ اغْسِلِي هَذِهِ وَأَجِفِّيهَا ثُمَّ أَرْسِلِي بِهَا إِلَىَّ ‏”‏ ‏.‏ فَدَعَوْتُ بِقَصْعَتِي فَغَسَلْتُهَا ثُمَّ أَجْفَفْتُهَا فَأَحَرْتُهَا إِلَيْهِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهِيَ عَلَيْهِ ‏.‏

উম্মু জাহ্‌দার আল-‘আমিরিয়্যাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আয়িশা (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলেন, হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে গেলে কী করতে হবে? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, এক রাতে আমি (হায়িয অবস্থায়) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে রাত যাপন করলাম। আমাদের গায়ে নিজ নিজ কাপড় ছিল। সেটির উপর আমরা একটি চাদরও জড়িয়ে নিলাম। ভোর হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ চাদরখানি পরিধান করে ফাজ্‌রের সলাত আদায়ে চলে গেলেন। তিনি সলাত আদায় করার পর বসলেন। তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! এতে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাগ ও তার আশেপাশের অংশ হাতের মুঠোয় ধরে ঐ অবস্থায়ই এক গোলামের দ্বারা চাদরটি আমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ এটা ধুয়ে ভাল করে চিপে নিয়ে আবার আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। আমি এক পাত্র পানি নিয়ে তা ধুয়ে ভাল করে পানি নিংড়িয়ে তাঁর নিকট পাঠিয়ে দিলাম। দুপুরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ চাদরটি গায়ে দিয়ে (ঘরে) ফিরলেন। [৩৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৮৭] আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এর সানাদে উম্মু ইউনূস এবং উম্মু জাহদার রয়েছে। উভয়ের অবস্থা জানা যায়নি। যেমন তা হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ- ১৪৪

কাপড়ে থু থু লাগলে

৩৮৯

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ بَزَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَوْبِهِ وَحَكَّ بَعْضَهُ بِبَعْضٍ ‏.‏

আবূ নাদ্‌রাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাপড়ে থুথু লাগলে তিনি কাপড়ের এক অংশ দিয়ে অপর অংশ রগড়ে দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯০

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস