আবু দাউদ সালাত (নামাজ) অধ্যায় ৭ম ভাগ হাদিস নং ১০০১ – ১০৯৫

অনুচ্ছেদ-১৯০

ইমামের সালামের জবাব দেয়া প্রসঙ্গে

১০০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو الْجَمَاهِرِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَرُدَّ عَلَى الإِمَامِ وَأَنْ نَتَحَابَّ وَأَنْ يُسَلِّمَ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ ‏.‏

সামুরাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আদেশ করেছেন ইমামের সালামের জবাব দিতে, পরস্পরকে ভালবাসতে এবং একে অন্যকে সালাম দিতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯১

সালাতের পরে তাকবীর বলা প্রসঙ্গে

১০০২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ يُعْلَمُ انْقِضَاءُ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالتَّكْبِيرِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের সমাপ্তি জানা যেতো তাকবীর দ্বারা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّ أَبَا مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَفْعَ الصَّوْتِ لِلذِّكْرِ حِينَ يَنْصَرِفُ النَّاسُ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ كَانَ ذَلِكَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ كُنْتُ أَعْلَمُ إِذَا انْصَرَفُوا بِذَلِكَ وَأَسْمَعُهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে লোকেরা ফারয সালাত শেষে উচ্চস্বরে তাকবীর বলতো। ইবনু ‘আব্বাস বলেন, এভাবে উচ্চস্বরে তাকবীর বলা শুনে আমি বুঝতে পারতাম যে, লোকদের সালাত সমাপ্ত হয়েছে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯২

সালাম সংক্ষিপ্ত করা

১০০৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ حَذْفُ السَّلاَمِ سُنَّةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِيسَى نَهَانِي ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ رَفْعِ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَبَا عُمَيْرٍ عِيسَى بْنَ يُونُسَ الْفَاخُورِيَّ الرَّمْلِيَّ قَالَ لَمَّا رَجَعَ الْفِرْيَابِيُّ مِنْ مَكَّةَ تَرَكَ رَفْعَ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ نَهَاهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ رَفْعِهِ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম সংক্ষিপ্ত করাকে সুন্নাত বলেছেন। ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনুল মুবারক (রহঃ) আমাকে এ হাদীস নবী এর বাণীরূপে বর্ণনা করতে নিষেধ করেছেন। [১০০৪]

 

দুর্বল।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আবূ উমাইর ঈসা ইবনু ইউনুস ইল-ফাখূরী আর-রামলী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আল ফিরয়াবী মাক্কাহ হতে প্রত্যাবর্তনের পর এটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বক্তব্য হিসাবে বর্ণনা করা ত্যাগ করেছেন এবং বলেছেন, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) তাকে এ হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী হিসাবে বর্ণনা করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৩

সালাতরত অবস্থায় বায়ু নির্গত হলে পুনরায় উযু করে সালাত আদায় করা

১০০৫

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عِيسَى بْنِ حِطَّانَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ سَلاَّمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا فَسَا أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُعِدْ صَلاَتَهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আলী ইবনু ত্বালক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতরত অবস্থায় তোমাদের কেউ বায়ু নিঃসরণ করলে সে যেন উঠে গিয়ে উযু করে পুনরায় সালাত আদায় করে। [১০০৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৪

ফারয সালাত আদায়ের স্থানে নাফল সালাত আদায় প্রসঙ্গে

১০০৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَعَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ ‏”‏ أَنْ يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ أَوْ عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ فِي حَدِيثِ حَمَّادٍ ‏”‏ فِي الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي فِي السُّبْحَةِ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কি ফারয সালাত আদায়ের পর সামনে এগিয়ে বা পিছনে সরে অথবা ডানে বা বাম সরে নাফল সালাত আদায় করতে অপারগ? হাম্মাদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে, ফারয সালাত আদায়ের পর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ شُعْبَةَ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنِ الأَزْرَقِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا إِمَامٌ لَنَا يُكْنَى أَبَا رِمْثَةَ فَقَالَ صَلَّيْتُ هَذِهِ الصَّلاَةَ – أَوْ مِثْلَ هَذِهِ الصَّلاَةِ – مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يَقُومَانِ فِي الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ عَنْ يَمِينِهِ وَكَانَ رَجُلٌ قَدْ شَهِدَ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى مِنَ الصَّلاَةِ فَصَلَّى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ حَتَّى رَأَيْنَا بَيَاضَ خَدَّيْهِ ثُمَّ انْفَتَلَ كَانْفِتَالِ أَبِي رِمْثَةَ – يَعْنِي نَفْسَهُ – فَقَامَ الرَّجُلُ الَّذِي أَدْرَكَ مَعَهُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى مِنَ الصَّلاَةِ يَشْفَعُ فَوَثَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ فَأَخَذَ بِمَنْكِبِهِ فَهَزَّهُ ثُمَّ قَالَ اجْلِسْ فَإِنَّهُ لَمْ يَهْلِكْ أَهْلُ الْكِتَابِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ بَيْنَ صَلَوَاتِهِمْ فَصْلٌ ‏.‏ فَرَفَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَصَرَهُ فَقَالَ ‏ “‏ أَصَابَ اللَّهُ بِكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدْ قِيلَ أَبُو أُمَيَّةَ مَكَانَ أَبِي رِمْثَةَ ‏.‏

আল-আযরাক্ব ইবনু ক্বায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমাদের ইমাম আবূ রিমসা (রাঃ) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি বললেন, এ সালাত বা এরূপ সালাত আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আদায় করেছি। তিনি আরো বললেন, আবূ বাক্‌র ও উমার (রাঃ) সামনের কাতারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ডান পাশে দাঁড়াতেন। উক্ত সালাত এমন এক ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলো যিনি প্রথম তাকবীরেই সালাত শামিল হতে পেরেছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করে তাঁর ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরালেন। আমরা তাঁর গলার শুভ্রতা দেখতে পেলাম। তারপর তিনি উঠে দাঁড়ালেন। যেমন আবূ রিমসা উঠে দাঁড়ালেন। অর্থাৎ তিনি নিজের কথাই বললেন। এ সময় প্রথম তাকবীরসহ সালাত পাওয়া ব্যক্তি দু’রাকাত নফল সালাত আদায়ের জন্য উঠে দাঁড়ালে উমার তার দিকে ছুটে গিয়ে তার দুই কাঁধ ধরে সজোরে ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন, বসো। কেননা আহলে কিতাবগণ এ কারণে ধ্বংস হয়েছে যে, তারা ফরয ও নফল সালাতের মাঝে কোন ব্যবধান করতো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেদিকে তাকিয়ে বললেন, হে খাত্তাবের পুত্র ! আল্লাহ্‌ তোমাকে দিয়ে সঠিক কাজ করিয়েছেন। [১০০৭]

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, কোন বর্ণনায় আবূ রিমসা (রাঃ) এর স্থলে আবূ উমাইয়াহ্‌র (রাঃ) কথা রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৫

দুই সাহু সাজদাহ্‌ সম্পর্কে

১০০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى صَلاَتَىِ الْعَشِيِّ – الظُّهْرَ أَوِ الْعَصْرَ قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ إِلَى خَشَبَةٍ فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَيْهَا إِحْدَاهُمَا عَلَى الأُخْرَى يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ ثُمَّ خَرَجَ سَرَعَانُ النَّاسِ وَهُمْ يَقُولُونَ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ وَفِي النَّاسِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَهَابَاهُ أَنْ يُكَلِّمَاهُ فَقَامَ رَجُلٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَمِّيهِ ذَا الْيَدَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ قَالَ ‏”‏ لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تَقْصُرِ الصَّلاَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بَلْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ ‏”‏ أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَوْمَئُوا أَىْ نَعَمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَقَامِهِ فَصَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ الْبَاقِيَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَكَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَكَبَّرَ ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لِمُحَمَّدٍ سَلَّمَ فِي السَّهْوِ فَقَالَ لَمْ أَحْفَظْهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে যুহর বা ‘আসর সালাত আদায় করেন। বর্ণনাকারী (আবূ হুরায়রাহ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে দু’ রাক্‌আত সালাত আদায় করেই সালাম ফিরিয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি মাসজিদের সম্মুখ দিকে রাখা কাষ্ঠখণ্ডের দিকে অগ্রসর হয়ে তার উপরে এক হাতকে অপর হাতের উপর রাখলেন। এ সময় তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টির ছাপ ছিল। লোকজন মাসজিদ থেকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে যেতে বলছিল, সালাত সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে, সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আবূ বাক্‌র এবং উমার (রাঃ) ও ছিলেন। তারা উভয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে এ নিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাকে যুল-ইয়া-ইয়াদাইন (দু’ হাতবিশিষ্ট) বলে ডাকতে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আপনি কি ভুল করেছেন, না সালাত সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি ভুলও করি নাই এবং সালাতও হ্রাস করা হয় নাই। যুল-ইয়াদাইন বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আপনি ভুল করেছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকজনের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন –যুল-ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? জবাবে সকলেই ইশারায় হ্যাঁ বললেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জায়গায় এগিয়ে গেলেন এবং অবশিষ্ট দু’রাক্‌আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন, এরপর তাকবীর বলে স্বাভাবিক সাজদাহ্‌র মত সাজদাহ্‌ করলেন অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সাজদাহ্‌ করলেন। এরপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন, তারপর আবার তাকবীর বলে স্বাভাবিক সাজদাহ্‌র মত অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সাজদাহ্‌ করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন।

বর্ণনাকারী আইয়ূব বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু সীরীনকে সাহু সাজদাহ্‌ এবং সালাম ফিরানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রাহ্‌র কাছে এ বিষয়ে শুনেছি কিনা স্মরণ নেই। তবে আমাকে জানানো হয়েছে যে, ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহু সাজদাহ্‌র পরও সালাম ফিরিয়ে ছিলেন।

 

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، بِإِسْنَادِهِ – وَحَدِيثُ حَمَّادٍ أَتَمُّ – قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ بِنَا ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ فَأَوْمَئُوا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ النَّاسُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ رَفَعَ – وَلَمْ يَقُلْ وَكَبَّرَ – ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَتَمَّ حَدِيثُهُ لَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فَأَوْمَئُوا ‏.‏ إِلاَّ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكُلُّ مَنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ لَمْ يَقُلْ فَكَبَّرَ ‏.‏ وَلاَ ذَكَرَ رَجَعَ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মালিক, তিনি আইয়ুব হতে, তিনি মুহাম্মাদ হতে পূর্বোক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে বর্ণনাকারী হাম্মাদের সানাদে বর্ণিত হাদীসটিই পূর্ণাঙ্গ। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করলেন। এ বর্ণনায় ‘আমাদের নিয়ে’ এবং ‘লোকদের ইশারা’ শব্দদ্বয় উল্লেখ নেই। বর্ণনাকারী বলেন, জবাবে লোকেরা শুধু হ্যাঁ বলেছিলো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা উঠালেন। এতে ‘এরপর তাকবীর বলেন… অতঃপর মাথা উঠালেন’ এ কথাগুলো উল্লেখ নেই। এভাবেই হাদীস শেষ হয়েছে। হাম্মাদ ইবনু যায়িদ ব্যতীত অন্য কেউ ‘ফা আওমায়ূ’ (লোকদের ইশারা) শব্দটি উল্লেখ করেননি।

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, যারা এ হাদীস বর্ণনা করেছেন তাদের কেউই ‘ফাক্বাবারা’ (তিনি তাকবীর দিলেন) এবং রাজায়া (প্রত্যাবর্তন করলেন) শব্দদ্বয় উল্লেখ করেননি।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ – حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عَلْقَمَةَ – عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَمَّادٍ كُلِّهِ إِلَى آخِرِ قَوْلِهِ نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالتَّشَهُّدُ قَالَ لَمْ أَسْمَعْ فِي التَّشَهُّدِ وَأَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يَتَشَهَّدَ وَلَمْ يَذْكُرْ كَانَ يُسَمِّيهِ ذَا الْيَدَيْنِ ‏.‏ وَلاَ ذَكَرَ فَأَوْمَئُوا ‏.‏ وَلاَ ذَكَرَ الْغَضَبَ وَحَدِيثُ حَمَّادٍ عَنْ أَيُّوبَ أَتَمُّ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর হাম্মাদের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস ‘নুববি’তু আন্না ইমরানাব্‌ হুসাইন ক্বালা সুম্মা সাল্লামা’ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন। বর্ণনাকারী সালামাহ বলেন, আমি তাকে (মুহাম্মাদ ইবনু সীরীরকে) জিজ্ঞেস করলাম, তাশাহহুদের বিষয়? তিনি বললেন, তাশাহহুদ পড়া সম্পর্কে আমি তার নিকট থেকে কিছু শুনিনি। অথচ তাশাহহুদ পাঠ করা আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। তিনি ‘কানা ইউসাম্মীহি যাল্‌-ইয়াদাইন’, ‘ফাআওমায়ু’, এবং গাদাবা’ এগুলো উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে হাম্মাদ বর্ণিত হাদীসটিই পূর্ণাঙ্গ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، وَيَحْيَى بْنِ عَتِيقٍ، وَابْنِ، عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قِصَّةِ ذِي الْيَدَيْنِ أَنَّهُ كَبَّرَ وَسَجَدَ ‏.‏ وَقَالَ هِشَامٌ يَعْنِي ابْنَ حَسَّانَ كَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا حَبِيبُ بْنُ الشَّهِيدِ وَحُمَيْدٌ وَيُونُسُ وَعَاصِمٌ الأَحْوَلُ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ لَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ مَا ذَكَرَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامٍ أَنَّهُ كَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامٍ لَمْ يَذْكُرَا عَنْهُ هَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّهُ كَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে যুল-ইয়াদাইন সম্পর্কিত হাদীসে রয়েছেঃ তিনি তাকবীর বলে সাজদাহ্ করলেন। আর হিশাম ইবনু হাস্সান বলেছেন, তিনি তাকবীর বললেন, অতঃপর আবারো তাকবীর বললেন এবং সাজদাহ্ করলেন। [১০১১]

 

শায।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাবীব ইবনুল শাহীদ, হুমাইদ, ইঊনুস, এবং আসিম আল-আহ্ওয়াল-মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাদের কেউই হাম্মাদ ইবনু যায়িদ হতে হিশাম সূত্রে বর্ণিত হাদীসের এ কথাগুলো উল্লেখ করেননি। (অর্থাৎ) ‘তিনি তাকবীর বললেন, অতঃপর আবারো তাকবীর বললেন এবং সাজদাহ্ করলেন’। হাম্মাদ ইবনু সালামাহ ও আবূ বাক্র ইবনু আইয়্যাশ এ হাদীস হিশাম হতে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা দুজন হিশাম হতে ‘পরপর দুইবার তাকবীর’ দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি, যা হাম্মাদ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১১]- যঈফ আবু দাউদ (৯৯)।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

১০১২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَلَمْ يَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ حَتَّى يَقَّنَهُ اللَّهُ ذَلِكَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ্ তাঁকে (দু’রাক্আত সালাত ভুলবশতঃ ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি) নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুটি সাহু সাজদাহ্ করেননি। [১০১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১২]- পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৩

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ وَلَمْ يَسْجُدِ السَّجْدَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تُسْجَدَانِ إِذَا شَكَّ حَتَّى لَقَّاهُ النَّاسُ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي بِهَذَا الْخَبَرِ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ وَعِمْرَانُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَنَّهُ سَجَدَ السَّجْدَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ الزُّبَيْدِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِيهِ وَلَمْ يَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাকে আবূ বাক্‌র ইবনু সুলায়মান ইবনু আবূ হাসমাহ্‌ অবহিত করেছেন যে, তার নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, সালাত সন্দেহ হলে যে দুটি সাজদাহ দিতে হয় সে বিষয়ে লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা করেননি। ইবনু শিহাব বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন আবূ হুরায়রা হতে। তিনি আরো বলেন, আবূ সালামাহ ইবনু আব্দুর রহমান, আবূ বাক্‌র ইবনু হারিস ইবনু হিশাম এবং উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ও আমার কাছে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। [১০১৩]

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ ঘটনাটি ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর এবং ইমরান ইবনু আবূ আনাস (রাঃ) আবূ সালামাহ ইবনু আব্দুর রহমান হতে আবূ হুরায়রা সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতে দুটি সাজদাএর কথা উল্লেখ নেই। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, যুবাইদী-যুহরী- আবূ বাক্‌র ইবনু সুলায়মান ইবনু আবূ হাস্মাহ হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাতে রয়েছে, তিনি দুটি সাহু সাজদাহ্‌ আদায় করেননি।

 

শায।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৩]- নাসাঈ (অধ্যায়ঃ সাহু, হাঃ ১২৩০-১২৩১), দারিমী (অধ্যায়ঃ আযান, হাঃ ১৪৯৭), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১০৪২) সকলে যুহরী হতে।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

১০১৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعَ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ فَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَقِيلَ لَهُ نَقَصَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সালাত (ভুলবশতঃ) দু’ রাক‘আত আদায় করেই সালাম ফিরালেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, সালাত কি সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে? এ কথা শুনে তিনি আরো দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করে দুটি সাজদাহ্‌ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৫

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، أَخْبَرَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ مِنْ صَلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمْ نَسِيتَ قَالَ ‏ “‏ كُلَّ ذَلِكَ لَمْ أَفْعَلْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ فَعَلْتَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ وَلَمْ يَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ التَّسْلِيمِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (চার রাক্আত বিশিষ্ট) ফরয সালাত (ভুলবশত:) দু’ রাক‘আত আদায় করেন। সালাত শেষে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল ! সালাত কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, না আপনি ভুল করেছেন? জবাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি এর কোনটাই করি নাই। লোকজন বললো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তা করেছেন। তখন তিনি আরো দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন।

 

শায।

 

দাউদ ইবনুল হুসাইন আহমাদের মুক্তদাস আবূ সুফিয়ানের মাধ্যমে আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, অতঃপর সালাম ফিরিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা অবস্থায়ই দুটি সাহু সজাদাহ্ করেন। [১০১৫]

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৫]- ইতিপূর্বে সুফয়ান ও অন্যদের সূত্রে সহীহভাবে গত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১০১৬

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ ضَمْضَمِ بْنِ جَوْسٍ الْهِفَّانِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ ‏.‏

দামদাম ইবনু জাওস আল-হাফ্‌ফানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) এ হাদীসটি অনুরূপভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরানোর পর দুটি সাহু সাজদাহ্‌ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১০১৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে (চার রাক‘আত বিশিষ্ট ফরয) সালাত আদায় করতে গিয়ে (ভুল বশতঃ) দু’ রাক‘আত আদায় করেই সালাম ফিরালেন। আতঃপর আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) সূত্রে ইবনু সীরীন বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। এতে রয়েছেঃ অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালেন এবং দুটি সাহু সাজদাহ্‌ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، حَدَّثَنَا أَبُو قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ مِنَ الْعَصْرِ ثُمَّ دَخَلَ – قَالَ عَنْ مَسْلَمَةَ – الْحُجَرَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ كَانَ طَوِيلَ الْيَدَيْنِ فَقَالَ لَهُ أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَخَرَجَ مُغْضَبًا يَجُرُّ رِدَاءَهُ فَقَالَ ‏ “‏ أَصَدَقَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ فَصَلَّى تِلْكَ الرَّكْعَةَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْهَا ثُمَّ سَلَّمَ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আসরের তিন রাক‘আত সালাত আদায় করেই সালাম ফিরালেন এবং হুজরায় প্রবেশ করলেন। তখন লম্বা হাতওয়ালা খিরবাক্ব নামক এক ব্যাক্তি উঠে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! সালাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে? এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত অবস্থায় চাদর টানতে টানতে বেরিয়ে এসে লোকদের জিজ্ঞেস করলেন, সে কি সত্যি বলেছে? লোকজন বললো, হাঁ, তখন তিনি অবশিষ্ট এক রাক‘আত সালাত আদায় করে (ডান দিকে) সালাম ফিরালেন। অতঃপর দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ দিয়ে পরে (বাম দিকে) সালাম ফিরালেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৬

(ভুলবশত চার রাক‘আতের স্থলে) পাঁচ রাক‘আত আদায় করলে

১০১৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – الْمَعْنَى – قَالَ حَفْصٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ خَمْسًا ‏.‏ فَقِيلَ لَهُ أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ قَالَ ‏ “‏ وَمَا ذَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ صَلَّيْتَ خَمْسًا ‏.‏ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সালাত পাঁচ রাক‘আত আদায় করেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, সালাত কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ তা আবার কিভাবে ! সকলেই বললো, আপনি তো পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ করলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২০

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَلاَ أَدْرِي زَادَ أَمْ نَقَصَ – فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَمَا ذَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَثَنَى رِجْلَهُ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَسَجَدَ بِهِمْ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَلَمَّا انْفَتَلَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ أَنْبَأْتُكُمْ بِهِ وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيُسَلِّمْ ثُمَّ لْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করলেন। ইবরাহীম বলেন, এ সালাত তিনি বেশী করেছিলেন না কম করেছিলেন তা আমি অবহিত নই। তিনি সালাম ফিরালে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! সালাত নতুন কিছু হয়েছে কি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা আবার কেমন করে? তারা বললো, আপনি তো সালাত এরূপ এরূপ করেছেন (কম অথবা বেশী সালাত আদায় করেছেন)। এ কথা শুনে তিনি পা ঘুরিয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে দু’টি সাহু সিজদাহ্ করে সালাম ফিরালেন। সালাত শেষে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে ঘুরে বললেন, সালাতের ব্যাপারে নতুন কিছু ঘটে থাকলে আমি তোমাদেরকে অবহিত করতাম। কিন্তু আমি তো তোমাদের মতই মানুষ। তোমাদের মত আমিও ভুল করে থাকি। কাজেই আমি ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্বরণ করিয়ে দিবে। তিনি আরো বললেনঃ তোমাদের কেউ সালাত সন্দিহান হলে সে যেন সঠিক দিক বের করতে চিন্তা ভাবনা করে, অতঃপর তার ভিত্তিতে সালাত সম্পন্ন করে এবং সালাম ফিরায় অতঃপর দু’টি সাহু সাজদাহ্ আদায় করে।

 

সহীহঃ বুখারী মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بِهَذَا قَالَ ‏ “‏ فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ تَحَوَّلَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حُصَيْنٌ نَحْوَ حَدِيثِ الأَعْمَشِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (সালাতের মধ্যে) তোমাদের কেউ (কিছু) ভুলে গেলে যেন দু’টি সাহু সাজদাহ্ আদায় করে নেয়। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুরে দু’টি সাহু সাজদাহ্ আদায় করেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হুসাইন বর্ণিত হাদীসটি আ’মাশের হাদীসের অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২২

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – وَهَذَا حَدِيثُ يُوسُفَ – عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسًا فَلَمَّا انْفَتَلَ تَوَشْوَشَ الْقَوْمُ بَيْنَهُمْ فَقَالَ ‏”‏ مَا شَأْنُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ زِيدَ فِي الصَّلاَةِ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَإِنَّكَ صَلَّيْتَ خَمْسًا ‏.‏ فَانْفَتَلَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে লোকেরা এ নিয়ে চুপি চুপি আলাপ করতে থাকলো। তা দেখে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কি হয়েছে? তারা বললো, হে আল্লাহর রসূল ! সালাত কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেন, না। তারা বললো, আপনি তো পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুরে গিয়ে দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ আদায় করে সালাম ফিরলেন, অতপর বললেনঃ আমি তো একজন মানুষ। তোমাদে মত আমিও ভুল করে থাকি।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ قَيْسٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى يَوْمًا فَسَلَّمَ وَقَدْ بَقِيَتْ مِنَ الصَّلاَةِ رَكْعَةٌ فَأَدْرَكَهُ رَجُلٌ فَقَالَ نَسِيتَ مِنَ الصَّلاَةِ رَكْعَةً فَرَجَعَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الصَّلاَةَ فَصَلَّى لِلنَّاسِ رَكْعَةً فَأَخْبَرْتُ بِذَلِكَ النَّاسَ ‏.‏ فَقَالُوا لِي أَتَعْرِفُ الرَّجُلَ قُلْتُ لاَ إِلاَّ أَنْ أَرَاهُ فَمَرَّ بِي فَقُلْتُ هَذَا هُوَ ‏.‏ فَقَالُوا هَذَا طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏

মু’আবিয়াহ ইবনু খাদীজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায়কালে সালাতের এক রাক‘আত বাকি থাকতেই সালাম ফিরালেন। এক ব্যাক্তি তাঁর নিকট গিয়ে বললো, আপনি এক রাক‘আত সালাত আদায় করতে ভুলে গেছেন। কাজেই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসে মাসজিদে প্রবেশ করে বিলাল (রাঃ)-কে ইক্বামাত দিতে বলেন। বিলাল (রাঃ) ইক্বামাত দিলে তিনি লোকদেরকে নিয়ে এক রাক‘আত সালাত আদায় করলেন।

মু’আবিয়াহ ইবনু খাদীজ বলেন, আমি এ ঘটনা লোকজনের নিকট বর্ণনা করলে তারা আমাকে বললো, আপনি কি লোকটিকে চিনেন? আমি বললাম, না, তবে দেখলে চিনতে পারবো। পরে সেই লোকটি আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি বললাম, ইনিই সেই লোক। সকলেই তাকে দেখে বললো, ইনি হচ্ছেন তাল্‌হা ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৭

দুই কিংবা তিন রাক‘আতে সন্দেহ হলে করণীয় কেউ বলেন, সন্দেহ পরিহার করবে

১০২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيُلْقِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى الْيَقِينِ فَإِذَا اسْتَيْقَنَ التَّمَامَ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ فَإِنْ كَانَتْ صَلاَتُهُ تَامَّةً كَانَتِ الرَّكْعَةُ نَافِلَةً وَالسَّجْدَتَانِ وَإِنْ كَانَتْ نَاقِصَةً كَانَتِ الرَّكْعَةُ تَمَامًا لِصَلاَتِهِ وَكَانَتِ السَّجْدَتَانِ مُرْغِمَتَىِ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ عَنْ زَيْدٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثُ أَبِي خَالِدٍ أَشْبَعُ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সালাত সন্দিহান হলে সে যেন সন্দেহ পরিহার করে নিশ্চিত প্রত্যয়ের উপর ভিত্তি করে স্বীয় সালাত পূর্ণ করে এবং দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ আদায় করে। তার সালাত পূর্ণ হয়ে থাকলে অতিরিক্ত এক রাক‘আত ও দু’টি সাজদাহ্‌ নফল হিসেবে গণ্য হবে। আর সালাত কম হয়ে থাকলে উক্ত এক রাক‘আত সহ তা পূর্ণ হবে এবং দু’টি সাজদাহ্‌ শাইত্বানের জন্য অপমানকর হবে।

 

হাসান সহীহ: অনুরুপ মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১০২৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمَّى سَجْدَتَىِ السَّهْوِ الْمُرْغِمَتَيْنِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভুলের দু’টি সাজদাহ্‌র নাম করণ করেছেন “আল্‌-মুরাগগিমাতাইন” (শাইত্বানের জন্য লাঞ্ছনাকর দু’টি সাজদাহ্‌)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৬

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَوْ أَرْبَعًا فَلْيُصَلِّ رَكْعَةً وَيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ التَّسْلِيمِ فَإِنْ كَانَتِ الرَّكْعَةُ الَّتِي صَلَّى خَامِسَةً شَفَعَهَا بِهَاتَيْنِ وَإِنْ كَانَتْ رَابِعَةً فَالسَّجْدَتَانِ تَرْغِيمٌ لِلشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

‘আত্বা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতের মধ্যে তোমাদের কেউ যদি সালাত এরূপ সন্দেহে পতিত হয় যে, সে তিন রাক‘আত না চার রাক‘আত সালাত আদায় করেছে তা স্মরণ করতে পারছে না তাহলে সে যেন আরো এক রাক‘আত সালাত আদায় করে নেয় এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে বসা অবস্থায় দু’টি সাজদাহ্‌ আদায় করে। আদায়কৃত অতিরিক্ত এক রাক‘আত যদি পঞ্চম রাক‘আত হয়ে থাকে তবে এ দু’টি সাজদাহ্‌ মিলে তা দু’রাক‘আত নফল সালাত পরিনত হবে। আর তা যদি চতুর্থ রাক‘আত হয়ে থাকে তবে এ সাজদাহ্‌ দু’টি শাইত্বানের জন্য লাঞ্ছনাকর হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، بِإِسْنَادِ مَالِكٍ قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَإِنِ اسْتَيْقَنَ أَنْ قَدْ صَلَّى ثَلاَثًا فَلْيَقُمْ فَلْيُتِمَّ رَكْعَةً بِسُجُودِهَا ثُمَّ يَجْلِسْ فَيَتَشَهَّدْ فَإِذَا فَرَغَ فَلَمْ يَبْقَ إِلاَّ أَنْ يُسَلِّمَ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ثُمَّ لْيُسَلِّمْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَى مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ عَنْ مَالِكٍ وَحَفْصِ بْنِ مَيْسَرَةَ وَدَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ وَهِشَامِ بْنِ سَعْدٍ إِلاَّ أَنَّ هِشَامًا بَلَغَ بِهِ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ ‏.‏

যায়িদ ইবনু আসলাম (রহঃ) ইমাম মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত সন্দিহান হয় এবং তার দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, সে তিন রাক‘আত আদায় করেছে, তখন সে যেন (চতুর্থ রাক‘আতের জন্য) দাঁড়িয়ে সাজদাহ্‌ সহ আরো এক রাক‘আত পূর্ণ করে। সে তাশাহ্‌হুদে বসে তাশাহ্‌হুদ পাঠ শেষে দু’টি সাজদাহ্‌ করবে, অতঃপর সালাম ফিরাবে। এ পর্যন্ত বর্ণনা করার পর তিনি ইমাম মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীস হুবহু বর্ণনা করেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক, হাফ্‌স ইবনু মাইসারাহ, দাউদ ইবনু ক্বায়িস ও হিশাম ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে ইবনু ওয়াহাব উপরোক্ত হাদীস হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হিশাম (রহঃ) হাদীসের সানাদকে আবূ সাঈদ আল-খুদরীর (রাঃ) সাথে যুক্ত করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৮

যিনি বলেন, (সন্দেহ হলে) প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সালাত পূর্ন করবে

১০২৮

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كُنْتَ فِي صَلاَةٍ فَشَكَكْتَ فِي ثَلاَثٍ أَوْ أَرْبَعٍ وَأَكْبَرُ ظَنِّكَ عَلَى أَرْبَعٍ تَشَهَّدْتَ ثُمَّ سَجَدْتَ سَجْدَتَيْنِ وَأَنْتَ جَالِسٌ قَبْلَ أَنْ تُسَلِّمَ ثُمَّ تَشَهَّدْتَ أَيْضًا ثُمَّ تُسَلِّمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عَبْدُ الْوَاحِدِ عَنْ خُصَيْفٍ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَوَافَقَ عَبْدَ الْوَاحِدِ أَيْضًا سُفْيَانُ وَشَرِيكٌ وَإِسْرَائِيلُ وَاخْتَلَفُوا فِي الْكَلاَمِ فِي مَتْنِ الْحَدِيثِ وَلَمْ يُسْنِدُوهُ ‏.‏

আবূ ‘উবায়দাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাত আদায়কালে তুমি তিন রাক‘আত আদায় করেছো নাকি চার রাক‘আত- এরূপ সন্দেহ হলে তোমার দৃঢ় ধারণা যদি চার রাক‘আতে হয়, তাহলে তুমি তাশাহ্‌হুদ পাঠ করে বসা অবস্থায় সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ করবে, তারপর আবার তাশাহুত পাঠ করবে, অতঃপর সালাম ফিরাবে। [১০২৮]

 

দূর্বল।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ওয়াহিদ এ হাদীস খুসাইফ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু মরফূ’ভাবে নয়। ‘আবদুল ওয়াহিদ সূত্রে বর্ণনাকারীরাও একে মরফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেননি, যদিও তারা হাদীসের মাতানে মতভেদ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০২৮]- আহমাদ (১/৪২৯/হাঃ ৪০৭৫)। শায়খ আহমাদ শাকির বলেনঃ সানাদে ইঙ্কিতা (বিচ্ছিন্ন) হওয়ার কারনে এর সানাদ দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا عِيَاضٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ زَادَ أَمْ نَقَصَ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ قَاعِدٌ فَإِذَا أَتَاهُ الشَّيْطَانُ فَقَالَ إِنَّكَ قَدْ أَحْدَثْتَ فَلْيَقُلْ كَذَبْتَ إِلاَّ مَا وَجَدَ رِيحًا بِأَنْفِهِ أَوْ صَوْتًا بِأُذُنِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ أَبَانَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ مَعْمَرٌ وَعَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عِيَاضُ بْنُ هِلاَلٍ وَقَالَ الأَوْزَاعِيُّ عِيَاضُ بْنُ أَبِي زُهَيْرٍ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সালাতেরত অবস্থায় সালাত বেশী আদায় করেছে নাকি কম- এ নিয়ে সন্দিহান হলে সে বসা অবস্থায় দুটি সাজদাহ্‌ করবে। অতঃপর যদি তার নিকট শাইত্বান এসে বলে, (হে মুসল্লী) তোমার তো উযু নষ্ট হয়ে গেছে, তখন সে বলে তুই মিথ্যা বলেছিস। অবশ্য নাকে (বাযু নির্গমনের) দুর্গদ্ধ পেলে অথবা কানে শব্দ শুনতে পেলে তা স্বতন্ত্র কথা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩০

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ يُصَلِّي جَاءَهُ الشَّيْطَانُ فَلَبَسَ عَلَيْهِ حَتَّى لاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلِكَ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ وَمَعْمَرٌ وَاللَّيْثُ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত দাঁড়ায় তখন শাইত্বান তার কাছে এসে তাকে ধোঁকা দিতে থাকে। এমনকি সে কয় রাক‘আত সালাত আদায় করেছে তা স্মরন করতে পারে না। কাজেই তোমাদের কারো এরূপ অবস্থা হলে সে যেন বসা অবস্থায় দু’টি সাজদাহ্‌ আদায় করে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩১

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِإِسْنَادِهِ زَادَ ‏ “‏ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ التَّسْلِيمِ ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) তার সানাদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে এও রয়েছেঃ সে সালাম ফিরানোর পূর্বে বসা অবস্থায় (দু’টি সাহু সাজদাহ) করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১০৩২

حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيُّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ ‏ “‏ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ثُمَّ لْيُسَلِّمْ ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সানাদ ও অর্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সে যেন সালাম ফিরানোর আগে দু’টি সাজদাহ্ আদায় করে, অতঃপর সালাম ফিরায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯৯

যিনি বলেন, সালাম ফিরানোর পর সাহু সাজদাহ্‌ দিবে

১০৩৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُسَافِعٍ، أَنَّ مُصْعَبَ بْنَ شَيْبَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ شَكَّ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতরত অবস্থায় কারো সন্দেহ হলে সে যেন সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাজদাহ্‌ করে নেয়। [১০৩৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০০

কেউ দু’ রাক’আতের পর তাশাহ্‌হুদ না পড়েই দাঁড়িয়ে গেলে

১০৩৪

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، أَنَّهُ قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَلَمْ يَجْلِسْ فَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ وَانْتَظَرْنَا التَّسْلِيمَ كَبَّرَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ التَّسْلِيمِ ثُمَّ سَلَّمَ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুহাইনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি দু’রাক‘আত আদায় করে (তাশাহ্‌হুদের জন্য) না বসেই দাঁড়িয়ে গেলেন। লোকেরা তাঁর সাথে দাড়িঁয়ে গেল। সালাত শেষে আমরা যখন সালামের অপেক্ষায় ছিলাম তখন তিনি তাকবীর বলে সালামের পূর্বে বসা অবস্থায় দু’টি সাজদাহ্‌ করলেন, তারপর সালাম ফিরালেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩৫

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي وَبَقِيَّةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِمَعْنَى إِسْنَادِهِ وَحَدِيثِهِ زَادَ وَكَانَ مِنَّا الْمُتَشَهِّدُ فِي قِيَامِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ سَجَدَهُمَا ابْنُ الزُّبَيْرِ قَامَ مِنْ ثِنْتَيْنِ قَبْلَ التَّسْلِيمِ وَهُوَ قَوْلُ الزُّهْرِيِّ ‏.

আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয-যুহরী (রহঃ) তার সানাদে হাদীসটি হুবহু বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী শু’আয়িব এটাও বর্ণনা করেন যে, আমাদের মধ্যকার কেউ কেউ (ভুল বশতঃ) দাঁড়ানো অবস্থায় তাশাহুদ পাঠ করেছে। ইমাম আবূ দাঊদ বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ)-ও দু’ রাক‘আত আদায় করে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন এবং অনুরূপভাবে সালামের পূর্বে দু’টি সাজদাহ্ করেছিলেন আর এটাই আয-যুহরীর অভিমত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০১

প্রথম বৈঠকে তাশাহ্‌হুদ পড়তে ভুলে গেলে

১০৩৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، – يَعْنِي الْجُعْفِيَّ – قَالَ حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُبَيْلٍ الأَحْمَسِيُّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قَامَ الإِمَامُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَإِنْ ذَكَرَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوِيَ قَائِمًا فَلْيَجْلِسْ فَإِنِ اسْتَوَى قَائِمًا فَلاَ يَجْلِسْ وَيَسْجُدُ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَيْسَ فِي كِتَابِي عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثُ ‏.

মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’রাক‘আতের পরে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে এবং সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পূর্বেই তার স্মরণ হলে তিনি বসে যাবেন; কিন্তু সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি বসবেন না, বরং সাহু সাজদাহ্‌ আদায় করবেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমার কিতাবে জাবির আল-জ’ফা সূত্রে বর্ণিত এ হাদীস ছাড়া অন্য কোন হাদীস নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩৭

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَنَهَضَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قُلْنَا سُبْحَانَ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَمَضَى فَلَمَّا أَتَمَّ صَلاَتَهُ وَسَلَّمَ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ كَمَا صَنَعْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَرَفَعَهُ وَرَوَاهُ أَبُو عُمَيْسٍ عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ صَلَّى بِنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ مِثْلَ حَدِيثِ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عُمَيْسٍ أَخُو الْمَسْعُودِيِّ وَفَعَلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْمُغِيرَةُ وَعِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَالضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَابْنُ عَبَّاسٍ أَفْتَى بِذَلِكَ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا فِيمَنْ قَامَ مِنْ ثِنْتَيْنِ ثُمَّ سَجَدُوا بَعْدَ مَا سَلَّمُوا ‏.

যিয়াদ ইবনু ‘ইলাক্বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি দ্বিতীয় রাক‘আতের পর দাঁড়িয়ে গেলে আমরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বললাম, তখন তিনিও ‘সুবহানাল্লাহ’ বললেন এবং ঐভাবেই সালাত শেষ করে সালাম ফিরানোর পর ভূলের জন্য দু’টি সাজদাহ্‌ করলেন। সালাত শেষে তিনি আমাদের দিকে ঘুরে বললেন, আমি আমার মত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কেও করতে দেখেছি।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেছেন, ইবনু আবু লায়লাহ শা’বীর হতে মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) সূত্রে মরফূ হিসেবে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর আবূ ‘উমাইস (‘উতবাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ) সাবিত ইবনু ‘আবদুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন……. যিয়াদ ইবনু ‘ইলাক্বাহর হাদীসের অনুরূপ ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, আবূ ‘উমাইস (‘উতবাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ) হলেন আল-মাসঊদীর ভাই। মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ যেরূপ করেছেন সা’দ ইবনু আবূ সুফয়ান ‘ইমরান ইবনু হুসাইন, দাহ্‌হাক ইবনু ক্বায়ীস এবং মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফয়ান (রাঃ) ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এবং ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) এ ফাতাওয়াহ দিয়েছেন। ইমাম আবূ দাঊদ বলেন, যারা সালাত দু’রাক‘আতের পর না বসে (ভূল বশতঃ) দাঁড়িয়ে যায় এবং সালাম ফিরানোর পর সাজদাহ্‌ আদায় করে এটা তাদের জন্য।

 

সা’দ এর খবরঃ সহীহ। ‘ইমরান ইবনু হুসাইনের খবরঃ বিশ্বস্থ রিজাল। দাহহাক এর খবরঃ আমি পাইনি। মু’আবিয়ার খবরঃ দূর্বল। ইবনু ‘আব্বাসের ফাতাওয়াহঃ হাসান। আর ‘উমারের ফাতাওয়াহঃ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، وَالرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَشُجَاعُ بْنُ مَخْلَدٍ، – بِمَعْنَى الإِسْنَادِ – أَنَّ ابْنَ عَيَّاشٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ الْكَلاَعِيِّ، عَنْ زُهَيْرٍ، – يَعْنِي ابْنَ سَالِمٍ الْعَنْسِيِّ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، قَالَ عَمْرٌو وَحْدَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لِكُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَذْكُرْ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ غَيْرُ عَمْرٍو ‏.

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতের যেকোন ভুলের জন্য সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাজদাহ্‌ করতে হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০২

দুটি সাহু সাজদাহ্‌র পর তাশাহ্‌হুদ পাঠ ও সালাম ফিরানো

১০৩৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي أَشْعَثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ خَالِدٍ، – يَعْنِي الْحَذَّاءَ – عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ فَسَهَا فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ ثُمَّ سَلَّمَ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায়কালে ভুল করেন। ফলে তিনি দু’টি সাহু সাজদাহ্‌ করেন। অতঃপর তাশাহ্‌হুদ পড়ে সালাম ফিরান। [১০৩৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৩

সালাত শেষে পুরুষদের পূর্বে মহিলাদের প্রস্থান করা

১০৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ هِنْدَ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَلَّمَ مَكَثَ قَلِيلاً وَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ ذَلِكَ كَيْمَا يَنْفُذَ النِّسَاءُ قَبْلَ الرِّجَالِ ‏.

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের সালাম ফিরানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেন। লোকদের ধারণা, মহিলারা যেন পুরুষদের আগে চলে যেতে পারে সেজন্য তিনি এরূপ করতেন।

 

সহীহঃ বুখারী, কিন্তু তার বক্তব্যঃ “লোকদের ধারণা…..” এটি মুদরাজ, যুহুরীর উক্তি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৪

সালাত শেষে প্রস্থানের নিয়ম

১০৪১

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، – رَجُلٍ مِنْ طَيِّئٍ – عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يَنْصَرِفُ عَنْ شِقَّيْهِ ‏.

ক্বাবীসাহ ইবনু হুলব (রহঃ) নামক তাঈ গোত্রের এক ব্যাক্তি হতে তার পিতা হুলব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (হুলব) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাত আদায় করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত শেষে যে কোন পাশ দিয়ে ঘুরে বসতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১০৪২

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لاَ يَجْعَلْ أَحَدُكُمْ نَصِيبًا لِلشَّيْطَانِ مِنْ صَلاَتِهِ أَنْ لاَ يَنْصَرِفَ إِلاَّ عَنْ يَمِينِهِ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ مَا يَنْصَرِفُ عَنْ شِمَالِهِ ‏.‏ قَالَ عُمَارَةُ أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ بَعْدُ فَرَأَيْتُ مَنَازِلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ يَسَارِهِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যেন তার সালাতের কোন অংশ শাইত্বানের জন্য না রেখে দেয়। অর্থাৎ সালাত শেষে শুধু ডান দিক থেকে ঘুরে না বসে (বা প্রস্থান না করে)। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অদিকাংশ সময় বাম পাশ থেকে ঘুরতে দেখেছি। ‘উমরাহ (রহঃ) বলেন, আমি পরবর্তীতে মদিনায় গিয়ে দেখেছি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অধিকাংশ ঘর বাম দিকে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। তবে ‘উমারাহর হে কথা বাদেঃ আমি পরবর্তীতে মাদীনাহতে আসি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৫

নফল সালাত বাড়ীতে আদায় করা

১০৪৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اجْعَلُوا فِي بُيُوتِكُمْ مِنْ صَلاَتِكُمْ وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের সালাতের কিছু সালাত বাড়ীতে আদায় করো এবং বাড়ীগুলোকে ক্ববরস্থানে পরিনণত করো না।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَتِهِ فِي مَسْجِدِي هَذَا إِلاَّ الْمَكْتُوبَةَ ‏”‏ ‏.

যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তির ফরয সালাত ছাড়া অন্যান্য সালাত আমার এ মাসজিদে আদায়ের চাইতে তার নিজ ঘরে আদায় করা অধিক উত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৬

কেউ ক্বিবলাহ ছাড়া অন্যত্র মুখ করে সালাত আদায়ের পর তা অবহিত হলে

১০৪৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ كَانُوا يُصَلُّونَ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ‏}‏ فَمَرَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ فَنَادَاهُمْ وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَلاَ إِنَّ الْقِبْلَةَ قَدْ حُوِّلَتْ إِلَى الْكَعْبَةِ مَرَّتَيْنِ فَمَالُوا كَمَا هُمْ رُكُوعٌ إِلَى الْكَعْبَةِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছিলেন। যখন এ আয়াতটি অবতির্ণ হলোঃ “তুমি যেখানেই অবস্থান করো না কেন তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ঘুরিয়ে নাও। আর তোমরা যেখানেই থাকো তোমাদের মুখমন্ডলকে মাসজিদুল হারামের দিকে ঘুরিয়ে নাও” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৪৪), এমন সময় এক ব্যাক্তি বনী সালামাহ গোত্রের এলাকা দিয়ে অতিক্রমকালে দেখতে পেলো যে, তাঁরা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ফাজ্‌রের সালাতে রুকু’ অবস্থায় আছেন। তখন লোকটা বলে উঠলো, জেনে রাখ, ক্বিবলাকে এখন কা’বার দিকে ফিরানো হয়েছে। একথা সে দু’বার বললো। বর্ণনাকারী বলেন, এ ঘোষণা শুনে তাঁরা রুকূ’ অবস্থায়ই কা’বার দিকে মুখ ফিরান।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৭

জুমু’আহর দিন ও জুমু’আহর রাতের ফযীলত সম্পর্কে

১০৪৬

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلاَّ وَهِيَ مُسِيخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينَ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلاَّ الْجِنَّ وَالإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ حَاجَةً إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ ‏.‏ قَالَ فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ صَدَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبٍ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ قَدْ عَلِمْتُ أَيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ لَهُ فَأَخْبِرْنِي بِهَا ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقُلْتُ كَيْفَ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي ‏”‏ ‏.‏ وَتِلْكَ السَّاعَةُ لاَ يُصَلَّى فِيهَا ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ فَهُوَ فِي صَلاَةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ هُوَ ذَاكَ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমু’আহর দিনই হচ্ছে সর্বোত্তম। আদম (আ)-কে এদিনেই সৃষ্টি করা হয়েছিলো। এদিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিলো। এদিনই তাঁর তাওবা কবুল হয়েছিলো। এদিনই তিনি ইন্তিকাল করেছিলেন এবং এদিনই ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে। জিন ও মানুষ ছাড়া প্রতিটি প্রাণী শুক্রবার দিন ভোর হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত ক্বিয়ামাতের ভয়ে ভীত থাকে। এদিন এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, সালাতরত অবস্থায় কোন মুসলিম বান্দা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কোন অভাব পূরণের জন্য দু‘আ করলে মহান আল্লাহ তাকে তা দান করেন। কা‘ব বলেন, এসময়টি প্রতি একবছরে একটি জুমু’আহর দিনে থাকে। আমি (আবূ হুরায়রা) বললাম, না, বরং প্রতি জুমু’আহর দিনে থাকে। অতঃপর কা‘ব (এর প্রমাণে) তাওরাত পাঠ করে বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যই বলেছেন।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, অতঃপর আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করি। সেখানে কা‘ব (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, আমি দু‘আ কবুলের বিশেষ সময়টি সম্পর্কে জানি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমাকে তা অবহিত করুন। তিনি বলেন, সেটি হল জুমু’আহর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি (আবূ হুরায়রা) বললাম, জুমু’আহর দিনের সর্বশেষ সময় কেনম করে হবে? অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যেকোন মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় ঐ সময়টি পাবে…..।” কিন্তু আপনার বর্ণনাকৃত সময়ে তো সালাত আদায় করা যায় না। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননি, যে ব্যাক্তি সালাতের জন্য বসে অপেক্ষা করবে সে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত সালাতরত বলে গন্য হবে। আবূ হুরায়রা বলেন, আমি বললাম, হাঁ। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, তা এরূপই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪৭

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيهِ النَّفْخَةُ وَفِيهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوا عَلَىَّ مِنَ الصَّلاَةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَىَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ يَقُولُونَ بَلِيتَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আওস ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হল জুমু’আহর দিন। এদিন আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিলো, এদিনই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিলো, এদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং এদিনই বিকট শব্দ করা হবে। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশী দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকেরা বুঝতে চাচ্ছিল আপনার শরীর তো জরাজীর্ণ হয়ে মিশে যাবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাটির জন্য নাবী-রসূলগনের দেহকে হারাম করে দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৮

জুমু’আহর দিনে কোন সময় দু‘আ কবুল হয়

১০৪৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – أَنَّ الْجُلاَحَ، مَوْلَى عَبْدِ الْعَزِيزِ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – حَدَّثَهُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ يَوْمُ الْجُمُعَةِ ثِنْتَا عَشْرَةَ ‏”‏ ‏.‏ يُرِيدُ سَاعَةً ‏”‏ لاَ يُوجَدُ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জুমু’আহর দিনের বার ঘন্টার মধ্যে এমন একটি মুহুর্ত রয়েছে যদি কোন মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহুর্তটি তোমরা ‘আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ بُكَيْرٍ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَسَمِعْتَ أَبَاكَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَأْنِ الْجُمُعَةِ يَعْنِي السَّاعَةَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي عَلَى الْمِنْبَرِ ‏.‏

আবূ বুরদা ইবনু আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বর্ণনা করেন, একদা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি আপনার পিতার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে জুমু’আহর দিনের (দু‘আ কবুলের) সেই বিশেষ মুহুর্তটি সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি বললাম, হাঁ, তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ঐ বিশেষ মুহুর্তটি হলো ইমামের মিম্বরের উপর বসার সময় থেকে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০৯

জুমু’আহর সলাতের ফাযীলাত

১০৫০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ وَمَنْ مَسَّ الْحَصَى فَقَدْ لَغَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি জুমু’আহর সালাত আদায়ের জন্য উত্তমরূপে উযু করে (মাসজিদে) উপস্থিত হয়, অতঃপর চুপ করে মনোযোগ দিয়ে খুত্ববাহ শুনে, তার (ঐ) জুমু’আহ হতে (পরবর্তী) জুমু’আহ পর্যন্ত বরং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যে ব্যাক্তি পাথর কুচি অপসারণ বা নাড়াচাড়া করলো সে অনর্থক কাজ করলো।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ مَوْلَى، امْرَأَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، – رضى الله عنه – عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ غَدَتِ الشَّيَاطِينُ بِرَايَاتِهَا إِلَى الأَسْوَاقِ فَيَرْمُونَ النَّاسَ بِالتَّرَابِيثِ أَوِ الرَّبَائِثِ وَيُثَبِّطُونَهُمْ عَنِ الْجُمُعَةِ وَتَغْدُو الْمَلاَئِكَةُ فَيَجْلِسُونَ عَلَى أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ فَيَكْتُبُونَ الرَّجُلَ مِنْ سَاعَةٍ وَالرَّجُلَ مِنْ سَاعَتَيْنِ حَتَّى يَخْرُجَ الإِمَامُ فَإِذَا جَلَسَ الرَّجُلُ مَجْلِسًا يَسْتَمْكِنُ فِيهِ مِنَ الاِسْتِمَاعِ وَالنَّظَرِ فَأَنْصَتَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ كِفْلاَنِ مِنْ أَجْرٍ فَإِنْ نَأَى وَجَلَسَ حَيْثُ لاَ يَسْمَعُ فَأَنْصَتَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنْ أَجْرٍ وَإِنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَسْتَمْكِنُ فِيهِ مِنَ الاِسْتِمَاعِ وَالنَّظَرِ فَلَغَا وَلَمْ يُنْصِتْ كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنْ وِزْرٍ وَمَنْ قَالَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِصَاحِبِهِ صَهْ ‏.‏ فَقَدْ لَغَا وَمَنْ لَغَا فَلَيْسَ لَهُ فِي جُمُعَتِهِ تِلْكَ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ فِي آخِرِ ذَلِكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنِ ابْنِ جَابِرٍ قَالَ بِالرَّبَائِثِ وَقَالَ مَوْلَى امْرَأَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ ‏.

‘আত্বা আল-খুরাসানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর স্ত্রী উম্মু ‘উসমানের মুক্তদাস হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, একদা আমি ‘আলী (রাঃ) কে কুফার মাসজিদের মুম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি- জুমু’আহর দিন এসে সকালবেলা শাইত্বানেরা তাদের ঢাল নিয়ে বাজারে ঘুরে বেড়ায় এবং মানুষকে অনর্থক কাজে আটকে রেখে জুমু’আহয় যেতে বিলম্ব করায়। আর ফেরেশতারাও সকালবেলা মাসজিদের দরজায় এসে বসে থাকেন এবং ইমামার খুত্ববাহ আরম্ভ না করা পর্যন্ত লিখতে থাকে। অমুক ব্যাক্তি প্রথম ঘন্টায় এসেছে, অমুক ব্যাক্তি দ্বিতীয় ঘন্টায় এসেছে। কেউ যদি এমন স্থানে বসে যেখান থেকে খুত্ববাহ শুনতে পায় এবং ইমামকেও দেখতে পায়, এমতাবস্থায় সে কোন অনর্থক কাজ না করে চুপ থেকে (খুত্ববাহ শুনলে) সে দ্বিগুন সওয়াব পাবে। আর যদি সে দূরে অবস্থান করে এবং এমন জায়গায় বসে যেখান থেকে খুত্ববাহ শুনতে পায় না, কিন্তু নীরব থাকে ও অনর্থক কিছু না করে, তাহলে সে এক গুন সওয়াব লাভ করবে। আর যদি সে এমন স্থানে বসে যেখান থেকে খুত্ববা শুনতে পায় এবং ইমামকেও দেখতে পায় কিন্তু সে চুপ থাকে না এবং অনর্থক কাজ করে তাহা তার গুনাহ হবে। আর যে ব্যাক্তি অনর্থক জুমু’আহর দিন তার সাথীকে বলে, চুপ কর, সেও অনর্থক কাজ করলো। যে ব্যাক্তি অনর্থক কাজে লিপ্ত হয়, সে জুমু’আহর কোন সওয়াব পায় না। অতঃপর সবশেষে ‘আলী (রাঃ) বলেন, একথাগুলো আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। [১০৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০৫১]- আহমাদ (১/৯৩, হাঃ ৯৩), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৩/২২০) সকলে ‘আত্বা আল-খুরাসানী হতে। শায়খ আহমাদ শাকির বলেনঃ এর সানাদ দূর্বল। সানাদে ‘আত্বা আল-খুরাসানীর স্ত্রীর মুক্ত দাস অজ্ঞাত। হায়সামী হেকে বর্ণনা করেছেন মাজমাউয যাওয়ায়িদ গ্রন্থে এবং বলেছেনঃ আবু দাউদ এর অংশ বিশেষ বর্ণনা করেছেন এবং আহমাদও, এর সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যাক্তি রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১০

জুমু’আহর সালাত পরিহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

১০৫২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ أَبِي الْجَعْدِ الضَّمْرِيِّ، – وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ تَرَكَ ثَلاَثَ جُمَعٍ تَهَاوُنًا بِهَا طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবুল জা’দ আদ-দামরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যিনি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহাবী ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি (বিনা কারনে) অলসতা করে পরপর তিনটি জুমু’আহ ত্যাগ করে মহান আল্লাহ তার অন্তরে সীলমহর মেরে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১১

জুমু’আহর সলাত ত্যাগের কাফফারা

১০৫৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ وَبَرَةَ الْعُجَيْفِيِّ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِينَارٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَبِنِصْفِ دِينَارٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا رَوَاهُ خَالِدُ بْنُ قَيْسٍ وَخَالَفَهُ فِي الإِسْنَادِ وَوَافَقَهُ فِي الْمَتْنِ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোনরূপ ওজর ছাড়াই জুমু’আহর সালাত বর্জন করে সে যেন এক দীনার সদাক্বাহ করে। এতে সক্ষম না হলে যেন অর্ধ দীনার সদাক্বাহ করে। [১০৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَيُّوبَ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ وَبَرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ فَاتَتْهُ الْجُمُعَةُ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِرْهَمٍ أَوْ نِصْفِ دِرْهَمٍ أَوْ صَاعِ حِنْطَةٍ أَوْ نِصْفِ صَاعٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ عَنْ قَتَادَةَ هَكَذَا إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مُدًّا أَوْ نِصْفَ مُدٍّ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَنْ سَمُرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُسْأَلُ عَنِ اخْتِلاَفِ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هَمَّامٌ عِنْدِي أَحْفَظُ مِنْ أَيُّوبَ يَعْنِي أَبَا الْعَلاَءِ ‏.‏

কুদামাহ ইবনু ওয়াবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তির বিনা কারণে জুমু’আহ কাযা হলে সে যেন এক দিরহাম অথবা অর্ধ দিরহাম অথয়া এক সা’ অথবা সা’ গম সদাক্বাহ করে। [১০৫৪]

 

দূর্বল।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সাঈদ ইবনু বাশীর হতেও এরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং তাতে ‘এক মুদ্দ বা অর্ধ মুদ্দ’ উল্লেখ রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১২

জুমু’আহর সালাত যাদের উপর ফরয

১০৫৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يَنْتَابُونَ الْجُمُعَةَ مِنْ مَنَازِلِهِمْ وَمِنَ الْعَوَالِي ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকজন জুমু’আহর সালাতের জন্য নিজ নিজ বাড়ী থেকে এবং মাদীনাহ্‌র আওয়ালী (শহরতলী) থেকে দলে দলে আসতো।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ، – يَعْنِي الطَّائِفِيَّ – عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْهٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْجُمُعَةُ عَلَى كُلِّ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ عَنْ سُفْيَانَ مَقْصُورًا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو لَمْ يَرْفَعُوهُ وَإِنَّمَا أَسْنَدَهُ قَبِيصَةُ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা জুমু’আহর আযান শুনতে পাবে তাদের উপর জুমু’আহর সালাত আদায় করা ফরয। [১০৫৬]

 

দুর্বল।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, একদল বর্ণনাকারী হে হাদীস সুফয়ান (রহঃ) সূত্রে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) এর হাদীস হিসেবে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী হিসেবে নয়। শুধু ক্বাবীসাহ (রহঃ) এটিকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৩

বৃষ্টির দিনে জুমু’আর সালাত আদায় সম্পর্কে

১০৫৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ يَوْمَ، حُنَيْنٍ كَانَ يَوْمَ مَطَرٍ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُنَادِيَهُ أَنِ الصَّلاَةُ فِي الرِّحَالِ ‏.

আবূ মালীহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

হুনাইনের যুদ্ধের দিনটি ছিলো বৃষ্টির দিন। ঐদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘোষণাকারীকে এ মর্মে ঘোষণা করতে আদেশ দেন যে, প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ বাহনে বা শিবিরে সালাত আদায় করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ صَاحِبٍ، لَهُ عَنْ أَبِي مَلِيحٍ، أَنَّ ذَلِكَ، كَانَ يَوْمَ جُمُعَةٍ ‏.‏

আবূ মালীহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সেই (হুনাইনের) দিনটি ছিলো জুমু’আহর দিন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ خَبَّرَنَا عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ شَهِدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ وَأَصَابَهُمْ مَطَرٌ لَمْ تَبْتَلَّ أَسْفَلُ نِعَالِهِمْ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُصَلُّوا فِي رِحَالِهِمْ ‏.‏

আবূ মালীহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হুদায়বিয়ার সময় জুমু’আহর দিনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসেন। সেদিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছিলো যাতে জুতার তলাও ভিজে নাই। এ অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে নিজ নিজ অবস্থানে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৪

শীতের রাতে জামা‘আতে উপস্থিত না হওয়া

১০৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، نَزَلَ بِضَجْنَانَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ فَأَمَرَ الْمُنَادِيَ فَنَادَى أَنِ الصَّلاَةُ فِي الرِّحَالِ ‏.‏ قَالَ أَيُّوبُ وَحَدَّثَنَا نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ أَوْ مَطِيرَةٌ أَمَرَ الْمُنَادِيَ فَنَادَى الصَّلاَةُ فِي الرِّحَالِ ‏.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা (শীতের রাতে) ইবনু ‘উমার দাজনান নামক স্থানে অবস্থানকালে এক ঘোষণাকারীকে ঘোষণা করতে আদেশ করেন যে, প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ অবস্থানে সালাত আদায় করে নেয়।

 

সহীহ।

 

আইয়ূব (রহঃ) বলেন, নাফি’ হতে ইবনু ‘উমার সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টি অথবা শীতের রাতে নিজ নিজ অবস্থানে সালাত আদায়ের জন্য ঘোষককে ঘোষণা করতে নির্দেশ দিতেন।

 

এটি কে মারফু করলো তা আমি পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১০৬১

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ نَادَى ابْنُ عُمَرَ بِالصَّلاَةِ بِضَجْنَانَ ثُمَّ نَادَى أَنْ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ قَالَ فِيهِ ثُمَّ حَدَّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُ الْمُنَادِيَ فَيُنَادِي بِالصَّلاَةِ ثُمَّ يُنَادِي ‏ “‏ أَنْ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فِي اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ وَفِي اللَّيْلَةِ الْمَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ وَعُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ فِيهِ فِي السَّفَرِ فِي اللَّيْلَةِ الْقَرَّةِ أَوِ الْمَطِيرَةِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) দানজান নামক জায়গায় সালাতের জন্য আযান দিলেন, অতঃপর ঘোষণা করলেন, সকলেই নিজ নিজ জায়গাতে সালাত আদায় করে নাও। নাফি’ (রহঃ) বলেন, অতঃপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস বর্ণনা করেন যে, সফরে, বৃষ্টি কিংবা শীতের রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণাকারীকে সালাতের জন্য ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর সে ঘোষণা করতোঃ তোমরা নিজ নিজ জায়গায় সালাত আদায় করে নাও।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ (রহঃ) আইযুব ও ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তাতে বলেছেন, সফরে প্রচন্ড শীত বা বৃষ্টির রাতে।

 

এটি কে মারফূ করলো তা আমি পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১০৬২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ نَادَى بِالصَّلاَةِ بِضَجْنَانَ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ فَقَالَ فِي آخِرِ نِدَائِهِ أَلاَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ أَوْ ذَاتُ مَطَرٍ فِي سَفَرٍ يَقُولُ أَلاَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ইবনু ‘উমার (রাঃ) প্রচন্ড শীত ও ঝড়ো হাওয়ার রাতে দানজান নামক স্থানে সালাতের জন্য আযান দেন এবং আযান শেষে ঘোষণা করেন, সকলেই নিজ নিজ জায়গাতে সালাত আদায় করে নাও, সকলেই নিজ নিজ জায়গায় সালাত আদায় করে নাও। অতঃপর বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরকালীন প্রচন্ড শীত কিংবা বৃষ্টির রাতে মুয়াযযীনকে ঘোষণা করতে আদেশ দিতেনঃ তোমরা সকলেই নিজ নিজ স্থানে সালাত আদায় করে নাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬৩

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، – يَعْنِي أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ – فَقَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ أَوْ ذَاتُ مَطَرٍ يَقُولُ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক ঝড়ো হাওয়া ও শীতের রাতে সালাতের জন্য আযান দিলেন এবং বললেন, সকলেই নিজ নিজ স্থানে সালাত আদায় কর। অতঃপর বললেন, শীত কিংবা বৃষ্টির রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয়াযযিনকে ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিতেনঃ তোমরা নিজ নিজ জায়গাতে সালাত আদায় করে নাও।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فِي الْمَدِينَةِ فِي اللَّيْلَةِ الْمَطِيرَةِ وَالْغَدَاةِ الْقَرَّةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى هَذَا الْخَبَرَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِيهِ فِي السَّفَرِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা মাদীনাহ্তে বৃষ্টির রাতে ও শীতের ভোরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুয়াযযিন এরূপ ঘোষণা করেন। [১০৬৪]

 

মুনকার।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ আল-আনসারী এ হাদীসটি ক্বাসিম হতে ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে মারফুভাবে বর্ণনা করেছেন। তাতে সফরের কথা উল্লেখ আছে।

 

সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০৬৪]- এর সমার্থক বর্ণনা পূর্বের হাদিসগুলোতে গত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১০৬৫

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَمُطِرْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لِيُصَلِّ مَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فِي رَحْلِهِ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। ঐ সময় বৃষ্টি হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কারোর ইচ্ছা হলে নিজ অবস্থানে সালাত আদায় করতে পারে।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، صَاحِبُ الزِّيَادِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ ابْنُ عَمِّ، مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ لِمُؤَذِّنِهِ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ إِذَا قُلْتَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ فَلاَ تَقُلْ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ ‏.‏ قُلْ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ ‏.‏ فَكَأَنَّ النَّاسَ اسْتَنْكَرُوا ذَلِكَ فَقَالَ قَدْ فَعَلَ ذَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي إِنَّ الْجُمُعَةَ عَزْمَةٌ وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أُحْرِجَكُمْ فَتَمْشُونَ فِي الطِّينِ وَالْمَطَرِ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু সীরীনের চাচাতো ভাই ‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা বৃষ্টির দিনে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তার মুয়াযযিনকে বললেন, আযানের মধ্যে তুমি যখন “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ” বলবে তখন এরপর “হাইয়্যা ‘আলাস-সালাহ” বলবে না। বরং বলবেঃ ‘সল্লু ফী বুয়ুতিকূম’ (তোমরা নিজ নিজ ঘরে সালাত আদায় করো)। লোকেরা এটাকে অপছন্দ করলে ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমার চাইতে উত্তম যিনি তিনিও এরূপ করেছেন। নিঃসন্দেহে জুমু’আহর সালাত ওয়াজিব। কিন্তু এরূপ কাদা ও বৃষ্টির মধ্যে তোমাদের হেঁটে আসতে (ঘর হতে বের করতে) আমি পছন্দ করি নাই।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৫

কৃতদাস ও নারীদের জুমু’আহর সালাত আদায় প্রসঙ্গে

১০৬৭

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُرَيْمٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِي جَمَاعَةٍ إِلاَّ أَرْبَعَةً عَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَوِ امْرَأَةٌ أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَرِيضٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ طَارِقُ بْنُ شِهَابٍ قَدْ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ شَيْئًا ‏.‏

ত্বারিক্ব ইবনু শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জুমু’আহর সালাত সত্য- যা প্রত্যেক মুসলিমের উপর জামা‘আতের সাথে আদায় করা ফরয। তবে চার শ্রেণীর লোকের জন্য ফরয নয়ঃ ক্রীতদাস, নারী, শিশু ও রোগী।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ত্বারিক্ব ইবনু শিহাব (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন, কিন্তু তাঁর থেকে কিছু শুনেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৬

গ্রামাঞ্চলে জুমু’আর সালাত আদায়

১০৬৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيُّ، – لَفْظُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ أَوَّلَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ فِي الإِسْلاَمِ بَعْدَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ لَجُمُعَةٌ جُمِّعَتْ بِجُوَاثَاءَ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى الْبَحْرَيْنِ ‏.‏ قَالَ عُثْمَانُ قَرْيَةٌ مِنْ قُرَى عَبْدِ الْقَيْسِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাসজিদে জুমু’আহর সালাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ইসলামে সর্বপ্রথম জামা‘আতের সাথে জুমু’আহর সালাত আদায় করা হয়েছে হাবরাইনের ‘জুয়াসা’ নামক একটি গ্রামে। উসমান (রহঃ) বলেন, সেটি ছিল ‘আবদুল ক্বায়িস গোত্রের বসতি এলাকা।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، – وَكَانَ قَائِدَ أَبِيهِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ بَصَرُهُ عَنْ أَبِيهِ، كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ كَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ تَرَحَّمَ لأَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ إِذَا سَمِعْتَ النِّدَاءَ، تَرَحَّمْتَ لأَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ قَالَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ جَمَّعَ بِنَا فِي هَزْمِ النَّبِيتِ مِنْ حَرَّةِ بَنِي بَيَاضَةَ فِي نَقِيعٍ يُقَالُ لَهُ نَقِيعُ الْخَضِمَاتِ ‏.‏ قُلْتُ كَمْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ قَالَ أَرْبَعُونَ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু কা‘ব হতে তার পিতা কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি অন্ধ হওয়ার পর ‘আবদুর রহমান হয়েছিলেন তার পরিচালক। তিনি (কা‘ব ইবনু মালিক) যখনই জুমু’আহর দিন জুমু’আহর সালাতের আযান শুনতেন তখন আস’আদ ইবনু যুরারাহ (রাঃ) এর জন্য দু‘আ করতেন। ‘আবদুর রহমান ইবনু কা‘ব বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি (জুমু’আহর) আযান শুনলেই আস’আদ ইবনু যারারাহর জন্য রহমাতের দু‘আ করেন কেন? তিনি বললেন, কারণ তিনি সর্বপ্রথম ‘নাকীউল খাদামাত’ এর বনূ বায়াদার মালিকানাধীন হারবার ‘হাযম আন-নাবীত’ নামক স্থানে আমাদেরকে নিয়ে জুমু’আহর সালাত আদায় করেছেন। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, তখন আপনারা সংখ্যায় কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, চল্লিশজন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৭

ঈদ ও জুমু’আ একই দিনে একত্র হলে

১০৭০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ أَبِي رَمْلَةَ الشَّامِيِّ، قَالَ شَهِدْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَهُوَ يَسْأَلُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ قَالَ أَشَهِدْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِيدَيْنِ اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَكَيْفَ صَنَعَ قَالَ صَلَّى الْعِيدَ ثُمَّ رَخَّصَ فِي الْجُمُعَةِ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ شَاءَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيُصَلِّ ‏”‏ ‏.

ইয়াস ইবনু আবু রামলাহ আশ্‌-শামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফয়ান (রাঃ) যখন যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেছিলেন আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। মু’আবিয়াহ বললেন, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে একই দিনে দুই ‘ঈদ (অর্থাৎ জুমু’আহ ও ‘ঈদ) উদযাপন করেছেন? তিনি (যায়িদ) বললেন, হাঁ। মু’আবিয়াহ (রাঃ) বললেন, তিনি তা কিভাবে আদায় করেছেন? যায়িদ ইবনু আরক্বাম বললেন, তিনি ‘ঈদের সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর জুমু’আহর সালাত আদায়ের ব্যাপার অবকাশ দিয়ে বলেছেনঃ কেউ জুমু’আহর সালাত আদায় করতে চাইলে আদায় করে নিবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي يَوْمِ عِيدٍ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ أَوَّلَ النَّهَارِ ثُمَّ رُحْنَا إِلَى الْجُمُعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْنَا فَصَلَّيْنَا وُحْدَانًا وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِالطَّائِفِ فَلَمَّا قَدِمَ ذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ أَصَابَ السُّنَّةَ ‏.‏

‘আত্বা ইবনু আবূ রাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নুয যুবায়ির (রাঃ) জুমু’আহর দিনে আমাদেরকে নিয়ে ঈদের সালাত আদায় করেন। অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে একটু হেলে যাওয়ার পর আমরা জুমু’আহর সালাতের জন্য গেলাম, কিন্তু তিনি না আসায় আমরা একা একা (যুহুরের) সালাত আদায় করে নিলাম। এ সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তায়েফে ছিলেন। তিনি তায়েফ হতে ফিরে এলে আমরা তার কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়ির সুন্নাত অনুযায়ী কাজ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ عَطَاءٌ اجْتَمَعَ يَوْمُ جُمُعَةٍ وَيَوْمُ فِطْرٍ عَلَى عَهْدِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَ عِيدَانِ اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَجَمَعَهُمَا جَمِيعًا فَصَلاَّهُمَا رَكْعَتَيْنِ بُكْرَةً لَمْ يَزِدْ عَلَيْهِمَا حَتَّى صَلَّى الْعَصْرَ ‏.‏

‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যাবায়ির (রাঃ) এর যুগে জুমু’আহর ও ঈদুল ফিত্বর একই দিনে হওয়ায় তিনি বলেন, একই দিনে দুই ঈদ একত্র হয়েছে। তিনি দুই সালাত (জুমু’আহ ও ‘ঈদের সালাত) একত্র করেন এবং প্রত্যুষে মাত্র দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করেন, এর অধিক করলেন না। অতঃপর তিনি ‘আসরের সালাত আদায় করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، وَعُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الْوَصَّابِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ الضَّبِّيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ قَدِ اجْتَمَعَ فِي يَوْمِكُمْ هَذَا عِيدَانِ فَمَنْ شَاءَ أَجْزَأَهُ مِنَ الْجُمُعَةِ وَإِنَّا مُجَمِّعُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ عَنْ شُعْبَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আজ তোমাদের এ দিনে দু’টি ‘ঈদের সমাগম হয়েছে। তোমাদের কারোর ইচ্ছা হলে (জুমু’আহ ত্যাগ করবে), তার জন্য ‘ঈদের সালাতই যথেষ্ট। তবে আমরা দুটিই (‘ঈদ ও জুমু’আহর সালাত উভয়টি) আদায় করবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৮

জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে যে সূরা পড়বে

১০৭৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُخَوَّلِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ تَنْزِيلَ السَّجْدَةِ وَ ‏{‏ هَلْ أَتَى عَلَى الإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ ‏}‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিন ফাজ্‌রের সালাত সূরাহ তান্‌যীলুস সাজ্‌দাহ ও ‘হাল আতা ‘আলাল ইনসানি হীনুম্‌-মিনাদ্‌দাহরী’ পাঠ করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُخَوَّلٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَزَادَ فِي صَلاَةِ الْجُمُعَةِ بِسُورَةِ الْجُمُعَةِ وَ ‏{‏ إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ ‏}‏ ‏.‏

মুখাব্বিল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসটি একই সানাদে ও অর্থে বর্ণিত হয়েছে। তাতে এও রয়েছেঃ জুমু’আর সালাতের ক্বিরাআতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহ ও সূরাহ “ইযা জাআকাল মুনাফিকুল” পাঠ করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১৯

জুমু’আহর সালাতের পোশাক সম্পর্কে

১০৭৬

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ – يَعْنِي تُبَاعُ عِنْدَ بَابِ الْمَسْجِدِ – فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اشْتَرَيْتَ هَذِهِ فَلَبِسْتَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلِلْوَفْدِ إِذَا قَدِمُوا عَلَيْكَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِي الآخِرَةِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا حُلَلٌ فَأَعْطَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مِنْهَا حُلَّةً فَقَالَ عُمَرُ كَسَوْتَنِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَدْ قُلْتَ فِي حُلَّةِ عُطَارِدَ مَا قُلْتَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنِّي لَمْ أَكْسُكَهَا لِتَلْبَسَهَا ‏”‏ ‏.‏ فَكَسَاهَا عُمَرُ أَخًا لَهُ مُشْرِكًا بِمَكَّةَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) মাসজিদে নববীর দরজার সামনে রেশমী পোশাক বিক্রি হতে দেখে বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আপনি এ পোশাক খরিদ করলে এটি জুমু’আহর দিনে এবং আপনার কাছে প্রতিনিধি দলের আগমনকালে পরিধান করতে পারতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা তো তারাই পরবে আখিরাতে যাদের জন্য কিছুই থাকবে না। পরবর্তীতে ঐ ধরনের কাপড় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলে তার একখানা কাপড় তিনি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে প্রদান করেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে পরার জন্য এ কাপড় দিলেন। অথচ ইতিপূর্বে আপনি উত্বারিদ (নামক ব্যাক্তির) কাপড় সম্পর্কে যা বলার বলেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন আমি এ কাপড় তোমাকে পরার জন্য দেইনি। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) কাপড়টি মক্কার অধিবাসী তার এক মুশরিক ভাইকে দিয়ে দেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ وَجَدَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ حُلَّةَ إِسْتَبْرَقٍ تُبَاعُ بِالسُّوقِ فَأَخَذَهَا فَأَتَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ابْتَعْ هَذِهِ تَجَمَّلْ بِهَا لِلْعِيدِ وَلِلْوَفْدِ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ وَالأَوَّلُ أَتَمُّ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বাজারে একখানা রেশমী কাপড় বিক্রি হতে দেখে তা নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পেশ করে বলেন, আপনি এ কাপড়টি কিনে নিন, এটা ঈদ ও প্রতিনিধি দলের আগমন উপলক্ষে পরতে পারবেন। অতঃপর বর্ণনাকারী উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য পূর্বের হাদীসটি পূর্নাঙ্গ।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَعَمْرٌو، أَنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَا عَلَى أَحَدِكُمْ إِنْ وَجَدَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ مَا عَلَى أَحَدِكُمْ إِنْ وَجَدْتُمْ أَنْ يَتَّخِذَ ثَوْبَيْنِ لِيَوْمِ الْجُمُعَةِ سِوَى ثَوْبَىْ مَهْنَتِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَمْرٌو وَأَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ مُوسَى بْنِ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ حَبَّانَ عَنِ ابْنِ سَلاَمٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ عَلَى الْمِنْبَرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ مُوسَى بْنِ سَعْدٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু হাব্বান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ বা তোমরা যদি সচারচর পরিহিত কাপড় ছাড়া জুমু’আহর দিনে পরার জন্য পৃথক একজোড়া কাপড় সংগ্রহ করতে পারো তবে তাই করো।

‘আমর (রহঃ) বলেন, আমাকে ইবনু আবূ হাবীব, মুসা ইবনু সা’দ হতে তিনি ইয়াহইয়া ইবনু হাব্বান হতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা গুলো মিম্বরে বসে বলতে শূনেছেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ওয়াহাব ইবনু জারীর তার পিতা হতে , তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব হতে তিনি ইয়াযীদ ইবনু আবূ হাবীব হতে তিনি মূসা ইবনু সা’দ হতে তিনি ইউসুফ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২০

জুমু’আহর দিন সালাতের পূর্বে গোলাকার হয়ে বসা

১০৭৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الشِّرَاءِ وَالْبَيْعِ فِي الْمَسْجِدِ وَأَنْ تُنْشَدَ فِيهِ ضَالَّةٌ وَأَنْ يُنْشَدَ فِيهِ شِعْرٌ وَنَهَى عَنِ التَّحَلُّقِ قَبْلَ الصَّلاَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ‏.‏

‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে বেচা-কেনা করতে, হারানো বস্তু তালাশ করতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে নিষেধ করেছেন। আরো নিষেধ করেছেন জুমু’আহর দিন সালাতের পূর্বে মাসজিদে গোল হয়ে বসতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২১

মাসজিদে মিম্বার স্থাপন সম্পর্কে

১০৮০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيُّ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمِ بْنُ دِينَارٍ، أَنَّ رِجَالاً، أَتَوْا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ وَقَدِ امْتَرَوْا فِي الْمِنْبَرِ مِمَّ عُودُهُ فَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْرِفُ مِمَّا هُوَ وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ أَوَّلَ يَوْمٍ وُضِعَ وَأَوَّلَ يَوْمٍ جَلَسَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى فُلاَنَةَ امْرَأَةٍ قَدْ سَمَّاهَا سَهْلٌ ‏”‏ أَنْ مُرِي غُلاَمَكِ النَّجَّارَ أَنْ يَعْمَلَ لِي أَعْوَادًا أَجْلِسُ عَلَيْهِنَّ إِذَا كَلَّمْتُ النَّاسَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَمَرَتْهُ فَعَمِلَهَا مِنْ طَرْفَاءِ الْغَابَةِ ثُمَّ جَاءَ بِهَا فَأَرْسَلَتْهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِهَا فَوُضِعَتْ هَا هُنَا فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَيْهَا وَكَبَّرَ عَلَيْهَا ثُمَّ رَكَعَ وَهُوَ عَلَيْهَا ثُمَّ نَزَلَ الْقَهْقَرَى فَسَجَدَ فِي أَصْلِ الْمِنْبَرِ ثُمَّ عَادَ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ ‏”‏ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا صَنَعْتُ هَذَا لِتَأْتَمُّوا بِي وَلِتَعَلَّمُوا صَلاَتِي ‏”‏ ‏.

আবূ হাযিম ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কতিপয় লোক মাসজিদের মিম্বার কোন কাঠের তৈরী ছিলো এ বিষয়ে সন্দিহান হলে তারা সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাঃ) এর নিকট এসে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! তা কোন কাঠের তৈরী ছিলো তা আমি জানি। প্রথম যেদিন স্থাপন করা হয়েছিল তাও আমি অবগত আছি। আবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম যেদিন তার উপর বসেছিলেন আমি সেদিনও তা দেখেছি। একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক মহিলার (যার নাম সাহ্‌ল (রাঃ) উল্লেখ করেছিলেন) এর নিকট কাউকে এ সংবাদসহ পাঠালেন যে, লোকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য বা খুত্ববাহর সময় আমার বসার জন্য তোমার কাঠমিস্ত্রি কৃতদাসকে আমার জন্য কিছু কাঠ প্রস্তুত করতে (মিম্বার বানাতে) বলো। মহিলা তাকে তাই করতে আদেশ করলো। ক্রীতদাসটি আল-গাবা নামক স্থানের ঝাঊগাছের কাঠ দিয়ে তা তৈরী করে আনলে ঐ মহিলা তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাঠিয়ে দেন। অতঃপর তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশে সেটি এ স্থানে রাখা হলো। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এর উপর সালাত পড়তে, তাকবীর বলতে, রুকু’ করতে দেখেছি। অতঃপর তিনি পিছন দিকে সরে গিয়ে মিম্বারের গোড়ায় সাজদাহ্‌ করেন। এরপর তিনি পুনরায় মিম্বরে উঠেন। অতঃপর সালাত শেষে তিনি লোকদের দিকে ঘুরে বলেনঃ হে লোকেরা ! আমি এজন্যই এরূপ করেছি যাতে তোমরা আমাকে সঠিকভাবে অনুসরন করতে পারো এবং আমার সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারো।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৮১

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا بَدُنَ قَالَ لَهُ تَمِيمٌ الدَّارِيُّ أَلاَ أَتَّخِذُ لَكَ مِنْبَرًا يَا رَسُولَ اللَّهِ يَجْمَعُ – أَوْ يَحْمِلُ – عِظَامَكَ قَالَ ‏ “‏ بَلَى ‏”‏ ‏.‏ فَاتَّخَذَ لَهُ مِنْبَرًا مِرْقَاتَيْنِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(বয়োঃবৃদ্ধির কারণে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শরীর ভারী হয়ে গেলে তামীম আদ-দারী (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রসুল ! আমি কি আপনার জন্য একটা মিম্বার তৈরী করে দিবো না, যার উপর আপনার শরীরের ভার রাখবেন? তিনি বললেন, হাঁ। কাজেই তিনি তাঁর জন্য দুই ধাপবিষ্ট একটি মিম্বার তৈরী করে দেয়া হয়।

 

সহীহঃ বুখারী মু‘আল্লাক্ব ভাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২২

মিম্বার রাখার স্থান

১০৮২

حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ كَانَ بَيْنَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْحَائِطِ كَقَدْرِ مَمَرِّ الشَّاةِ ‏.‏

সালামাহ ইবনুল আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিম্বার এবং মাসজিদের) দেওয়ালের মাঝখানে একটি বকরী চলাচল করার পরিমাণ ফাঁকা ছিল।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২৩

জুমু’আহর দিন সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে যাওয়ার পূর্বে সালাত আদায় করা

১০৮৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَرِهَ الصَّلاَةَ نِصْفَ النَّهَارِ إِلاَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ جَهَنَّمَ تُسْجَرُ إِلاَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ مُرْسَلٌ مُجَاهِدٌ أَكْبَرُ مِنْ أَبِي الْخَلِيلِ وَأَبُو الْخَلِيلِ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي قَتَادَةَ ‏.

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিন ছাড়া (অন্য দিন) ঠিক দুপুরে সালাত আদায় করা অপছন্দ করতেন। তিনি বলেছেনঃ জুমু’আহর দিন ছাড়া (অন্যান্য দিনে) জাহান্নামের আগুনকে উত্তপ্ত করা হয়। [১০৮৩]

 

দূর্বল।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এটি মুরসাল হাদীস। মুজাহিদ (রহঃ) আবুল খালীলের চেয়ে বয়সে বড়। আর আবদুল খালীল (রহঃ) আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে হাদীস শুনেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০৮৩]- আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে তিনি দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২৪

জুমু’আহর সালাতের ওয়াক্ত

১০৮৪

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيُّ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْجُمُعَةَ إِذَا مَالَتِ الشَّمْسُ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর সালাত আদায় করতেন।

 

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৮৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ الْحَارِثِ، سَمِعْتُ إِيَاسَ بْنَ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْجُمُعَةَ ثُمَّ نَنْصَرِفُ وَلَيْسَ لِلْحِيطَانِ فَىْءٌ ‏.‏

ইয়াস ইবনু সালামাহ ইবনুল আকওয়া’ (রাঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে জুমু’আহর সালাত আদায় করে ফিরে আসার পরও প্রাচীরসমূহে ছায়া দেখা যেতো না।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كُنَّا نَقِيلُ وَنَتَغَدَّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা জুমু’আহর সালাতের পর দুপুরের বিশ্রাম গ্রহণ ও খাবার খেতাম।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২৫

জুমু’আহর সালাতের আযান

১০৮৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ الأَذَانَ، كَانَ أَوَّلُهُ حِينَ يَجْلِسُ الإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ – رضى الله عنهما – فَلَمَّا كَانَ خِلاَفَةُ عُثْمَانَ وَكَثُرَ النَّاسُ أَمَرَ عُثْمَانُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ بِالأَذَانِ الثَّالِثِ فَأُذِّنَ بِهِ عَلَى الزَّوْرَاءِ فَثَبَتَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ‏.

আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাক্‌র এবং ‘উমার (রাঃ) এর যুগে জুমু’আহর প্রথম আযান দেয়া হত ইমাম মিম্বরে বসলে। কিন্তু ‘উসমান (রাঃ) এর খিলাফাতের সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি জুমু’আহর সালাতের জন্য তৃতীয় আযানের নির্দেশ দেন। এ আযান সর্বপ্রথম (মাদীনাহ্‌র) আয-যাওয়া নামক স্থানে দেয়া হয়। এরপর থেকেই এ নিয়ম বহাল হয়ে যায়।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৮৮

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ كَانَ يُؤَذَّنُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ نَحْوَ حَدِيثِ يُونُسَ ‏.‏

আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিন যখন মিম্বারের উপর বসতেন তখন তাঁর সামনে মাসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে আযান দেয়া হতো। আবূ বাক্‌র ও ‘উমার (রাঃ) এর সামনেও অনুরূপ করা হতো। অতঃপর হাদীসের পরবর্তী অংশ ইউনূস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। [১০৮৮]

 

মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০৮৮]- ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ জুমু‘আহর দিনে আযান, হাঃ ১১৩৫), আহমাদ (৩/৪৪৯), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ১৮৩৭) সকলে মুহম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব হতে।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

১০৮৯

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ السَّائِبِ، قَالَ لَمْ يَكُنْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مُؤَذِّنٌ وَاحِدٌ بِلاَلٌ ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.‏

আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাত্র একজন মুয়াযযিন ছিলেন। তিনি হলেন বিলাল (রাঃ)। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ ابْنَ أُخْتِ، نَمِرٍ أَخْبَرَهُ قَالَ وَلَمْ يَكُنْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ مُؤَذِّنٍ وَاحِدٍ ‏.‏ وَسَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ وَلَيْسَ بِتَمَامِهِ ‏.‏

আস-সায়িব ইবনু ইয়াযিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একমাত্র মুয়াযযিন (বিলাল) ব্যাতিত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্য কোন মুয়াযযিন ছিল না। অতঃপর বর্ণনাকারী উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন, তবে পুরো অংশ নয়।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২৬

খুত্ববাহ দেয়ার সময় কারো সাথে ইমামের কথা বলা

১০৯১

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ كَعْبٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَمَّا اسْتَوَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَالَ ‏”‏ اجْلِسُوا ‏”‏ ‏.‏ فَسَمِعَ ذَلِكَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَجَلَسَ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ تَعَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا يُعْرَفُ مُرْسَلاً إِنَّمَا رَوَاهُ النَّاسُ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَخْلَدٌ هُوَ شَيْخٌ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক জুমু’আহর দিনে খুত্বনাহ দেয়ার উদ্দেশ্য মিম্বারে উঠে বললেন, সবাই বসে পড়ো। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) একথা শুনে তাৎক্ষণিক মাসজিদের দরজাতেই বসে পড়েন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখে বললেনঃ ওহে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ তুমি এগিয়ে এসো।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি মুরসাল হাদীস হিসাবে পরিচিত। বর্ণনাকারীরা এটি ‘আত্বা (রহঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর বর্ণনাকারী মাখলাদ একজন শায়খ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২৭

মিম্বারে উঠে ইমাম বসবেন

১০৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي ابْنَ عَطَاءٍ – عَنِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ خُطْبَتَيْنِ كَانَ يَجْلِسُ إِذَا صَعِدَ الْمِنْبَرَ حَتَّى يَفْرُغَ – أُرَاهُ قَالَ الْمُؤَذِّنُ – ثُمَّ يَقُومُ فَيَخْطُبُ ثُمَّ يَجْلِسُ فَلاَ يَتَكَلَّمُ ثُمَّ يَقُومُ فَيَخْطُبُ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহতে দু’টি খুত্ববাহ প্রদান করতেন। প্রথমে তিনি মিম্বরে উঠে মুয়াযযিন আযান শেষ না করা পর্যন্ত বসে থাকতেন, অতঃপর ঊঠে দাঁড়িয়ে (প্রথম) খুত্ববাহ দিতেন, তারপর বসতেন এবং কোন কথা না বলে আবার দাঁড়াতেন এবং (দ্বিতীয়) খুত্ববাহ দিতেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম সংক্ষেপে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২৮

দাঁড়িয়ে খুত্ববাহ দেয়া

১০৯৩

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْطُبُ قَائِمًا ثُمَّ يَجْلِسُ ثُمَّ يَقُومُ فَيَخْطُبُ قَائِمًا فَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ كَانَ يَخْطُبُ جَالِسًا فَقَدْ كَذَبَ فَقَالَ فَقَدْ وَاللَّهِ صَلَّيْتُ مَعَهُ أَكْثَرَ مِنْ أَلْفَىْ صَلاَةٍ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে (প্রথম) খুত্ববাহ দিতেন, অতঃপর বসতেন এবং আবার উঠে দাঁড়িয়ে (দ্বিতীয়) খুত্ববাহ দিতেন। কেউ যদি তোমাকে বলে তিনি বসে খুত্ববাহ দিতেন, সে মিথ্যা বলেছে। জাবির বলেন, আল্লাহর শপথ ! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দুই হাজারের অধিক সংখ্যক ওয়াক্তের সালাত আদায় করেছি। [১০৯৩]

 

হাসানঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯৪

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – الْمَعْنَى – عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُطْبَتَانِ كَانَ يَجْلِسُ بَيْنَهُمَا يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيُذَكِّرُ النَّاسَ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর সালাতে দু’টি খুত্ববাহ দিতেন এবং দু’ খুত্ববাহর মাঝখানে বসতেন। তিনি খুত্ববাহয় কুরআন পড়তেন এবং লোকদের উপদেশ দিতেন। [১০৯৪]

 

হাসানঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯৫

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ قَائِمًا ثُمَّ يَقْعُدُ قَعْدَةً لاَ يَتَكَلَّمُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাঁড়িয়ে খুত্ববাহ দিতে দেখেছি। তিন (দু’ খুত্ববাহর মাঝে) কিছুক্ষণ বসতেন কিন্তু কোন কথা বলতেন না। অতঃপর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস