আবু দাউদ সালাত (নামাজ) অধ্যায় ৮ম ভাগ হাদিস নং ১০৯৬ – ১১৬০

অনুচ্ছেদ-২২৯

ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুত্ববাহ দেয়া

১০৯৬

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ، حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ رُزَيْقٍ الطَّائِفِيُّ، قَالَ جَلَسْتُ إِلَى رَجُلٍ لَهُ صُحْبَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ الْحَكَمُ بْنُ حَزْنٍ الْكُلَفِيُّ فَأَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا قَالَ وَفَدْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَابِعَ سَبْعَةٍ أَوْ تَاسِعَ تِسْعَةٍ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ زُرْنَاكَ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا بِخَيْرٍ فَأَمَرَ بِنَا أَوْ أَمَرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ التَّمْرِ وَالشَّأْنُ إِذْ ذَاكَ دُونٌ فَأَقَمْنَا بِهَا أَيَّامًا شَهِدْنَا فِيهَا الْجُمُعَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا أَوْ قَوْسٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ كَلِمَاتٍ خَفِيفَاتٍ طَيِّبَاتٍ مُبَارَكَاتٍ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ لَنْ تُطِيقُوا أَوْ لَنْ تَفْعَلُوا كُلَّ مَا أُمِرْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ سَدِّدُوا وَأَبْشِرُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عَلِيٍّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ قَالَ ثَبَّتَنِي فِي شَىْءٍ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِنَا وَقَدْ كَانَ انْقَطَعَ مِنَ الْقِرْطَاسِ ‏.‏

শু’আইব ইবনু রুযাইক্ব আত-ত্বায়িফী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সহাবীর নিকট বসা ছিলাম, যার নাম আল-হাকাম ইবনু হাযন আল-কুলাফী। তিনি আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি সাত আট সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সপ্তম বা অষ্টমজন হিসেবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যাই এবং তাঁর সামনে উপস্থিত হয়ে বলি, হে আল্লাহর রসূল ! আমরা আপনার সাক্ষাত পেয়েছি। আপনি মহান আল্লাহর নিকট আমাদের কল্যাণের জন্য দু‘আ করুন। তখন তিনি কিছু খেজুর দ্বারা আমাদের মেহমানদারী করতে আদেশ করলেন। সে সময় (মুসলিমদের) অবস্থা ছিল অত্যান্ত করুণ। আমরা বেশ কয়েকদিন (মাদীনাহ্‌তে) অবস্থান করলাম। এ সময় আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে জুমু’আহর সালাতও আদায় করেছি। জুমু’আহর খুত্ববাহ্য় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে পবিত্র বারকাতপূর্ণ কথার দ্বারা আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং তাঁর কতক হালকা, উত্তম ও পবিত্র গুণাবলো বর্ণনা করেন। অতঃপর বলেনঃ হে জনগণ ! তোমাদেরকে যা কিছুর আদেশ দেয়া হয়েছে সে সবের প্রতিটি নির্দেশই তোমরা অক্ষরে অক্ষরে পালম করতে সক্ষম হবে না। কাজেই তোমরা নিজেদের ‘আমলের উপর অটল থাকো এবং সুসংবাদ প্রদান করো। [১০৯৬]

 

হাসান।

আবু ‘আলী (রহঃ) বলেন, আমি ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমার কতিপয় বন্ধু এ হাদীসের অংশ বিশেষ আমাকে স্মরণ করিয়ে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ أَبِي عِيَاضٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا تَشَهَّدَ قَالَ ‏ “‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلاَ هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَرْسَلَهُ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَإِنَّهُ لاَ يَضُرُّ إِلاَّ نَفْسَهُ وَلاَ يَضُرُّ اللَّهَ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্ববাহ দেয়ার সময় বলতেন, “আলহামদু লিল্লা-হি নাস্‌তাঈনুহু, ওয়া নাসতাগফিরুহু ওয়া না’উযু বিল্লা-হি মিন শুরুরি আনফুসিনা মাঁই ইয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লা লাহু ওয়া মাই ইউদ্‌লিল ফালা হা-দিয়া লাহু। ওয়া আশ্‌হাদু আল-লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রসূলুহ। আরসালাহু বিলহাক্বক্বি বাশিরাও অয়া নাযীরা বাইনা ইয়াদাইস্‌ সা’আহ। মাঁই ইউত্বি’ইল্লা-হা ওয়া রসূলুহু ফাক্বাদ রাশাদা ওয়া মাঁই ইয়া’সিহিমা ফাইন্নাহু লা ইয়াদুররু ইল্লা নাফসাহু ওয়ালা ইয়াদুররুল্লা-হা শাইয়া”। (সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা তাঁর কাছে সাহায্য ও ক্ষমা চাই। আমারা আমাদের নিজেদের নাফ্‌সের ক্ষতি হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে হিদায়াদ দেন কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ হিদায়াত করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রসূল। মহান আল্লাহ তাঁকে ক্বিয়ামাতের পূর্বে সত্য দ্বীনসহ সুসংবাদ দাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে পাঠিয়েছেন। যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলুলের অনুগত্য করে সে সঠিক পথে রয়েছে। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহ তাঁর রসূলের অবাধ্য হয় সে তো নিজেরই ক্ষতি সাধন করে, সে আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না)। [১০৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ تَشَهُّدِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ ‏ “‏ وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَقَدْ غَوَى ‏”‏ ‏.‏ وَنَسْأَلُ اللَّهَ رَبَّنَا أَنْ يَجْعَلَنَا مِمَّنْ يُطِيعُهُ وَيُطِيعُ رَسُولَهُ وَيَتَّبِعُ رِضْوَانَهُ وَيَجْتَنِبُ سَخَطَهُ فَإِنَّمَا نَحْنُ بِهِ وَلَهُ ‏.‏

ইউনুস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু শিহাব (র)-কে জুমু’আহর দিনে রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খুত্ববাহ প্রদান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি অতিরিক্ত ভাবে বর্ণনা করেনঃ “ওয়া মাঁই ইয়া’সিহিমা ফাক্বাদ গাওয়া ওয়া নাসআলুল্লা-হা রব্বানা ইয়াজতানিবু সাখাতাহু ফাইন্নামা নাহ্‌নু বিহি ওয়া লাহু”। (অর্থঃ এবং যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অবাধ্য হয়ে সে পথভ্রষ্ট। আর আমরা আমাদের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, তাঁর সন্তুষ্টি অন্বেষন করে এবং অসন্তুষ্টির পথ পরিহার করে। কারণ আমরা তারই সাথে এবং তারই জন্য (বা আমরা তাঁরই জন্য সৃষ্টি হয়েছি এবং তাঁরই এখতিয়ারভুক্ত)। [১০৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০৯৮]- এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৯৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ خَطِيبًا، خَطَبَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَقَالَ ‏ “‏ قُمْ – أَوِ اذْهَبْ – بِئْسَ الْخَطِيبُ أَنْتَ ‏”‏ ‏.

‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক বক্তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বললোঃ মাঁই ইউতিয়িল্লাহা ওয়া রসূলুহু ফাক্বাদ রশাদা ওয়া মাঁই ইয়া’সিহিমা”। “যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করলো সে সঠিক পথ পেলো। আর যে তাঁদের নাফরমানী করলো”। একথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি চলে যাও। তুমি অতিশয় নিকৃষ্ট বক্তা।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১০০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَعْنٍ، عَنْ بِنْتِ الْحَارِثِ بْنِ النُّعْمَانِ، قَالَتْ مَا حَفِظْتُ ق إِلاَّ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْطُبُ بِهَا كُلَّ جُمُعَةٍ قَالَتْ وَكَانَ تَنُّورُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَنُّورُنَا وَاحِدًا قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ بِنْتِ حَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أُمِّ هِشَامٍ بِنْتِ حَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ ‏.‏

হারিস ইবনুন নু’মান (রাঃ) এর মেয়ের থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখ হতে শুনে সূরাহ ‘ক্বাফ’ মুখস্ত করেছি। সূরাটি তিনি প্রতি জুমু’আহর খুত্ববাহতে পাঠ করতেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চুলা এবং আমাদের চুলা এক জায়গাতে ছিলো।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১০১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سِمَاكٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَصْدًا وَخُطْبَتُهُ قَصْدًا يَقْرَأُ آيَاتٍ مِنَ الْقُرْآنِ وَيُذَكِّرُ النَّاسَ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত ছিলো নাতিদীর্ঘ এবং তাঁর খুত্ববাহও ছিলো নাতিদীর্ঘ। তিনি খুত্ববাহর মধ্যে কুরআনের কিছু আয়াত পাঠ করতেন এবং লোকদের উপদেশ দিতেন। [১১০১]

 

হাসানঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১১০২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ أُخْتِهَا، قَالَتْ مَا أَخَذْتُ ق إِلاَّ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَؤُهَا فِي كُلِّ جُمُعَةٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَابْنُ أَبِي الرِّجَالِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ أُمِّ هِشَامٍ بِنْتِ حَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ ‏.‏

‘আমরাহ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) হতে তার বোনের থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ থেকে শুনে শুনে সূরাহ ‘ক্বাফ’ মুখস্ত করেছি। তিনি প্রত্যেক জুমু’আহর খুত্ববাহয় সূরাহ ক্বাফ তিলায়াত করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১০৩

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ أُخْتٍ، لِعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَتْ أَكْبَرَ مِنْهَا بِمَعْنَاهُ ‏.‏

‘আমরাহ্ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) তার এক বোন যিনি তার বযোজ্যেষ্ঠ ছিলেন- সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩০

মিম্বারের উপর অবস্থানকালে দু’হাত উপরে উঠানো

১১০৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ رَأَى عُمَارَةُ بْنُ رُؤَيْبَةَ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ وَهُوَ يَدْعُو فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فَقَالَ عُمَارَةُ قَبَّحَ اللَّهُ هَاتَيْنِ الْيَدَيْنِ ‏.‏ قَالَ زَائِدَةُ قَالَ حُصَيْنٌ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا يَزِيدُ عَلَى هَذِهِ يَعْنِي السَّبَّابَةَ الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ ‏.

হুসাইন ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ (রাঃ) দেখেন যে, বিশর ইবনু মারওয়ান (জুমু’আহর দিন খুত্ববাহকালে) দু‘আ করছেন। তখন ‘উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তোমার এ হাত দু’টিকে কুৎসিত করুন। যায়িদাহ বলেন, হুসাইন ইবনু ‘আবদুর রহমান বলেছেন, ‘উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বরের উপর এর চাইতে অধিক কিছু করতে দেখিনি অর্থাৎ তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলির পাশের শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করা ব্যাতীত অন্য কিছুই করতেন না।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১০৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَاهِرًا يَدَيْهِ قَطُّ يَدْعُو عَلَى مِنْبَرِهِ وَلاَ عَلَى غَيْرِهِ وَلَكِنْ رَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ وَعَقَدَ الْوُسْطَى بِالإِبْهَامِ ‏.‏

সাহুল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বরে অবস্থানকালে অথবা অন্যত্র কখনো হাত উঠাতে দেখিনি। তবে আমি দেখেছি যে, তিনি মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি মিলিয়ে শাহাদাত অঙ্গুলি দিয়ে ইশারা (করে দু‘আ) করতেন। [১১০৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩১

খুত্ববাহ সংক্ষেপ করা

১১০৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِإِقْصَارِ الْخُطَبِ ‏.‏

‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে খুত্ববাহ সংক্ষিপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১০৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، أَخْبَرَنِي شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ السُّوَائِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُطِيلُ الْمَوْعِظَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِنَّمَا هُنَّ كَلِمَاتٌ يَسِيرَاتٌ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিনে উপদেশ (ওয়াজ) দীর্ঘ করতেন না, বরং তা কয়েকটি সংক্ষিপ্ত বাক্য হতো মাত্র।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩২

খুত্ববাহর সময় ইমামের কাছাকাছি বসা

১১০৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِ أَبِي بِخَطِّ يَدِهِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ قَالَ قَتَادَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَالِكٍ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ احْضُرُوا الذِّكْرَ وَادْنُوا مِنَ الإِمَامِ فَإِنَّ الرَّجُلَ لاَ يَزَالُ يَتَبَاعَدُ حَتَّى يُؤَخَّرَ فِي الْجَنَّةِ وَإِنْ دَخَلَهَا ‏”‏ ‏.

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নসীহতের সময় উপস্থিত থাকবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে। কারণ যে ব্যাক্তি সর্বদা (উপদেশ হতে) দূরে থাকে সে জান্নাতবাসী হলে জান্নাতেও বিলম্বে যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৩

বিশেষ কারণে ইমামের খুত্ববাহয় বিরতি দান

১১০৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ حُبَابٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ – رضى الله عنهما – عَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ يَعْثُرَانِ وَيَقُومَانِ فَنَزَلَ فَأَخَذَهُمَا فَصَعِدَ بِهِمَا الْمِنْبَرَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ صَدَقَ اللَّهُ ‏{‏ إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلاَدُكُمْ فِتْنَةٌ ‏}‏ رَأَيْتُ هَذَيْنِ فَلَمْ أَصْبِرْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَخَذَ فِي الْخُطْبَةِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে খুত্ববাহ দিচ্ছিলেন। এমন সময় শিশু হাসান ও হুসাইন লাল রংয়ের জামা পরিহিত অবস্থায় আছাড় খেতে খেতে এগিয়ে এলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্ববাহ বন্ধ করে মিম্বার হতে নেমে তাদেরকে নিয়ে এসে মিম্বারে উঠে বললেনঃ আল্লাহ সত্যই বলেছেন, “তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদী ফিতনাহ স্বরূপ” (সূরাহ তাগাবুনঃ আয়াত ১৫)। আমি এ দু’জনকে দেখে ধৈয্য ধারণ করতে পারিনি। অতঃপর তিনি খুত্ববাহ দিতে লাগলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৪

ইমামের খুত্ববাহ দেয়ার সময় কাপড় জড়িয়ে বসা সম্পর্কে

১১১০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْحُبْوَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ ‏.

সাহল ইবনু মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিন ইমামের খুত্ববাহ চলাকালে কাউকে হাঁটু উপরে উঠিয়ে কাপড় জড়িয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১১১১

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ حَيَّانَ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزِّبْرِقَانِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ مُعَاوِيَةَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَجَمَّعَ بِنَا فَنَظَرْتُ فَإِذَا جُلُّ مَنْ فِي الْمَسْجِدِ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُهُمْ مُحْتَبِينَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَحْتَبِي وَالإِمَامُ يَخْطُبُ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَشُرَيْحٌ وَصَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَمَكْحُولٌ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ وَنُعَيْمُ بْنُ سَلاَمَةَ قَالَ لاَ بَأْسَ بِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ أَحَدًا كَرِهَهَا إِلاَّ عُبَادَةُ بْنُ نُسَىٍّ ‏.‏

ইয়া’লা ইবনু শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ (রাঃ) এর সাথে বাইতুল মুকাদ্দাসে উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাদের সাথে জুমু’আহর সালাত আদায় করলেন। আমি দেখলাম, মাসজিদে উপস্থিত অধিকাংশ লোকই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী এবং ইমামের খুত্ববাহ চলাবস্থায় তারা সকলেই হাঁটু উপরে উঠিয়ে কাপড় জড়িয়ে বসে আছেন। [১১১১]

 

দূর্বল।

 

ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমামের খুত্ববাহ প্রদানের সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারও (রাঃ) জড়িয়ে বসতেন। আনাস ইবনু মালিক, শুরাইহ্‌, সা’সাআ ইবনু সূহান, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব, ইবরাহীম নাখয়ী, মাকহূল, ইসমাঈল ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সা’দ এবং সু’আইম ইবনু সুলামাহ প্রমুখের মতে, ইমামের খুত্ববাহ চলাবস্থায় গুটিসুটি মেরে বসাতে কোন দোষ নেই।

 

এগুলো তাদের সূত্রে মুত্তাসিল কে করলো তা আমি পাইনি।

 

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘উবাদাহ ইবনু নুসাই ব্যাতীত অন্য কেউ এরূপ বসা অপছন্দনীয় বলতেন বলে আমার জানা নাই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৫

খুত্ববাহর সময় (মুসাল্লীদের) কথা বলা সম্পর্কে

১১১২

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قُلْتَ أَنْصِتْ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَقَدْ لَغَوْتَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমামের খুত্ববাহ চলাকালে যদি তুমি কাউকে বলো চুপ করো, তবে তুমি অনর্থক কাজ করলে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১১৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ، عَنْ حَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ يَحْضُرُ الْجُمُعَةَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ رَجُلٌ حَضَرَهَا يَلْغُو وَهُوَ حَظُّهُ مِنْهَا وَرَجُلٌ حَضَرَهَا يَدْعُو فَهُوَ رَجُلٌ دَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنْ شَاءَ أَعْطَاهُ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُ وَرَجُلٌ حَضَرَهَا بِإِنْصَاتٍ وَسُكُوتٍ وَلَمْ يَتَخَطَّ رَقَبَةَ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُؤْذِ أَحَدًا فَهِيَ كَفَّارَةٌ إِلَى الْجُمُعَةِ الَّتِي تَلِيهَا وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ وَذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ ‏{‏ مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাসজিদে জুমু’আহর সালাতে তিন ধরনের লোক এসে থাকে। এক শ্রেণীর লোক জুমু’আহয় উপস্থিত হয়ে অনর্থক কথা ও কাজে লিপ্ত হয়। সে তার ‘আমল অনুসারেই তার অংশ পাবে। আরেক শ্রেণীর লোক জুমু’আহুয় এসে দু‘আ করে, মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করে। তিনি ইচ্ছে করলে তাদের দু‘আ কবুল করতে পারেন অথবা নাও করতে পারেন। আরেক শ্রেণীর লোক জুমু’আহয় উপস্থিত হয়ে চুপচাপ থাকে, কোন মুসলিমের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে যায় না এবং কাউকে কষ্ট দেয় না। এই কাজ গুলো ঐ ব্যাক্তির জন্য ঐ জুমু’আহ হতে পরবর্তী জুমু’আহ পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরো তিনদিন পর্যন্ত গুনাএর কাফফারা হবে কেননা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন, “যে ব্যাক্তি একটি নেকীর কাজ করবে বিনিময়ে তাকে তার দশ গুন সওয়াব দেয়া হবে” (সূরাহ আল-আনআমঃ ১৬০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৬

উযু নষ্ট হলে ইমামের অনুমতি নেয়া

১১১৪

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا أَحْدَثَ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَأْخُذْ بِأَنْفِهِ ثُمَّ لْيَنْصَرِفْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا دَخَلَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَذْكُرَا عَائِشَةَ رضى الله عنها ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো উযু নষ্ট হলে সে যেন তার নাক চেপ ধরে বেরিয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৭

ইমামের খুত্ববাহ দেয়ার সময় কেউ মাসজিদে এলে

১১১৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرٍو، – وَهُوَ ابْنُ دِينَارٍ – عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّيْتَ يَا فُلاَنُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ قُمْ فَارْكَعْ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক জুমু’আহয় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খুত্ববাহ চলাকালে এক ব্যাক্তি মাসজিদে প্রবেশ করলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে অমুক! তূমি কি (তাহিয়্যাতুল মাসজিদের দু’ রাক‘আত নফল) সালাত আদায় করেছো? সে বললো, না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উঠো, সালাত আদায় করে নাও।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১১৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالاَ جَاءَ سُلَيْكٌ الْغَطَفَانِيُّ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ لَهُ ‏”‏ أَصَلَّيْتَ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صَلِّ رَكْعَتَيْنِ تَجَوَّزْ فِيهِمَا ‏”‏ ‏.

জাবির ও আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর খুত্ববাহ দিচ্ছিলেন, এমন সময় সুলাইক আল-গাতাফানী (রাঃ) মাসজিদে এলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কিছু সালাত আদায় করেছো কি? তিনি বললেন, না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সংক্ষেপে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করে নাও।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১১৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ أَنَّ سُلَيْكًا، جَاءَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ قَالَ ‏ “‏ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ يَتَجَوَّزُ فِيهِمَا ‏”‏ ‏.‏

ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, সুলাইক আল-গাতাফানী (রাঃ) মাসজিদে এলেন। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের দিকে ঘুরে বললেনঃ তোমাদের কেউ ইমামমের খুত্ববাহ চলাবস্থায় এলে সে যেন সংক্ষেপে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৮

জুমু’আহর দিন লোকজনের ঘাড় টপকিয়ে সামনে যাওয়া

১১১৮

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، قَالَ كُنَّا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَجَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ جَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اجْلِسْ فَقَدْ آذَيْتَ ‏”‏ ‏.‏

আবুয্ যাহিরিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা জুমু’আহর দিনে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে লোকদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছিল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) বললেন, একদা জুমু’আহর দিন এক ব্যক্তি লোকদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন খুত্ববাহ দিচ্ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতুমি বসো, তুমি লোকদের কষ্ট দিয়েছো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩৯

ইমামের খুত্ববাহ দানকালে কারো তন্দ্রা আসলে

১১১৯

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَلْيَتَحَوَّلْ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : মাসজিদের মধ্যে তোমাদের কারো তন্দ্রা এলে সে যেন তার স্থান পরির্বতন করে অন্যত্র বসে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪০

খুত্ববাহ শেষে মিম্বার থেকে নেমে ইমামের কথা বলা

১১২০

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ جَرِيرٍ، – هُوَ ابْنُ حَازِمٍ لاَ أَدْرِي كَيْفَ قَالَهُ مُسْلِمٌ أَوْ لاَ – عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْزِلُ مِنَ الْمِنْبَرِ فَيَعْرِضُ لَهُ الرَّجُلُ فِي الْحَاجَةِ فَيَقُومُ مَعَهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْحَدِيثُ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ عَنْ ثَابِتٍ هُوَ مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখেছি যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্ববাহ শেষে মিম্বার হতে অবতরণ করার পর এক ব্যক্তি নিজ প্রয়োজনে তাঁর সামনে এসে হাজির হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকটির প্রয়োজন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তার সাথেই দাঁড়িয়ে থাকলেন অতঃপর সালাতে দাঁড়ালেন।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সাবিত সূত্রে হাদীসটি পরিচিত নয়। এটি জরীর ইবনু হাযিমের একক বর্ণনা।

 

দুর্বল: সহীহ হচ্ছে হাদীস নং ২০১।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪১

কেউ এক রাক‘আত জুমু’আহর সালাত পেলে

১১২১

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلاَةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি (জাম’আতে এক রাক‘আত সালাত পেলো সে যেন পুরো সালাতই পেয়ে গেলো।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪২

জুমু’আহর সালাত কোন সূরাহ পাঠ করবে ?

১১২২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَيَوْمِ الْجُمُعَةِ بِـ ‏{‏ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏}‏ وَ ‏{‏ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ ‏}‏ قَالَ وَرُبَّمَا اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَقَرَأَ بِهِمَا ‏.‏

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই ঈদের সালাত এবং জুমু’আহর সালাত ‘সাব্বিহিস্মা রব্বিকাল আ’লা’ ও ‘হাল আতা-কা হাদীসুল গা-শিয়াহ” সূরাহদ্বয় তিলাওয়াত করতেন। নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, ঈদ ও জুমু’আহ একই দিনে হলে তখনও তিনি এ দু’টি সূরাহ পাঠ করতেন।

 

সহীহ: মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১২৩

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ الْمَازِنِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، سَأَلَ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ مَاذَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى إِثْرِ سُورَةِ الْجُمُعَةِ فَقَالَ كَانَ يَقْرَأُ ‏{‏ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ ‏}‏ ‏.

দাহ্হাক ইবনু ক্বায়িস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ)–কে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিন সূরাহ ‘জুমু’আহ’ তিলাওয়াতের পর কোন সূরাহ পাঠ করতেন? তিনি বলেন, তিনি সূরাহ “হাল আতা-কা-হাদীসুল গা-শিয়াহ” তিলাওয়াত করতেন।

 

সহীহ: মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১২৪

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا أَبُو هُرَيْرَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَرَأَ بِسُورَةِ الْجُمُعَةِ وَفِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ ‏{‏ إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ ‏}‏ قَالَ فَأَدْرَكْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ حِينَ انْصَرَفَ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّكَ قَرَأْتَ بِسُورَتَيْنِ كَانَ عَلِيٌّ – رضى الله عنه – يَقْرَأُ بِهِمَا بِالْكُوفَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهِمَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ ‏.

ইবনু আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমাদের সাথে জুমু’আহর সালাত আদায় করলেন। তিনি (প্রথম রাক‘আতে) সূরাহ জুমু’আহ পড়লেন এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরাহ ‘ইযা জা-আকাল মুনা-ফিকূর” তিলাওয়াত করলেন। ইবনু আবূ রাফি’ (রাঃ) বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) সালাত শেষে প্রত্যাবর্তন কালে আমি তাকে গিয়ে বললাম, আপনি এমন দু’টি সূরাহ পাঠ করেছেন যা ‘আলী (রাঃ) কুফাতে পাঠ করতেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জুমু’আহর দিন (জুমু’আহর সালাত) এ দু’টি সূরাহ তিলাওয়াত করতে শুনেছি।

 

সহীহ: মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১২৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْجُمُعَةِ ‏{‏ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏}‏ وَ ‏{‏ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ ‏}‏ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর সালাত ‘সাব্বিহিসমি রব্বিকাল আ’লা’ এবং ‘হাল আতা-কা হাদীসুল গা-শিয়াহ” সূরাহদ্বয় পাঠ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৩

ইমাম ও মুক্তাদীর মাঝে প্রাচীর থাকাবস্থায় ইক্বতিদা করা

১১২৬

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حُجْرَتِهِ وَالنَّاسُ يَأْتَمُّونَ بِهِ مِنْ وَرَاءِ الْحُجْرَةِ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হুজ্রাতে সালাত আদায় করছিলেন আর লোকজন হুজরার বাইরে পেছনের দিক থেকে তাঁর ইকতিদা করছিলো।

 

সহীহ: বুখারী, এর চেয়ে পরিপূর্ণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৪

জুমু’আহর ফরয সালাতের পর সুন্নত সালাত

১১২৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي مَقَامِهِ فَدَفَعَهُ وَقَالَ أَتُصَلِّي الْجُمُعَةَ أَرْبَعًا وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي يَوْمَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ وَيَقُولُ هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক ব্যক্তিকে জুমু’আহর দিন (জুমু’আহর সালাত শেষে) একই জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতে দেখে তাকে বাঁধা দিয়ে বললেন, তুমি জুমু’আহর সালাত চার রাক‘আত আদায় করবে নাকি? ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার রা. জুমু’আহর দিন বাড়িতে ফিরে দু’ রাক‘আত সুন্নাত সালাত আদায় করতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন।

 

সহীহ: বুখারী ও মুসলিম, তার থেকে মারফুভাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১২৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يُطِيلُ الصَّلاَةَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ وَيُصَلِّي بَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.‏

নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) জুমু’আহর সালাতের পূর্বে দীর্ঘক্ষণ সালাত আদায় করতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন।

 

সহীহ: বুখারী ও মুসলিম, তার থেকে মারফুভাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১২৯

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ أَبِي الْخُوَارِ، أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ ابْنِ أُخْتِ نَمِرٍ يَسْأَلُهُ عَنْ شَىْءٍ، رَأَى مِنْهُ مُعَاوِيَةُ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ صَلَّيْتُ مَعَهُ الْجُمُعَةَ فِي الْمَقْصُورَةِ فَلَمَّا سَلَّمْتُ قُمْتُ فِي مَقَامِي فَصَلَّيْتُ فَلَمَّا دَخَلَ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَقَالَ لاَ تَعُدْ لِمَا صَنَعْتَ إِذَا صَلَّيْتَ الْجُمُعَةَ فَلاَ تَصِلْهَا بِصَلاَةٍ حَتَّى تَكَلَّمَ أَوْ تَخْرُجَ فَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِذَلِكَ أَنْ لاَ تُوصَلَ صَلاَةٌ بِصَلاَةٍ حَتَّى يَتَكَلَّمَ أَوْ يَخْرُجَ ‏.

‘উমার ইবনু ‘আত্বা ইবনু আবুল খুওয়াব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’ ইবনু জুবায়ির (রাঃ) তাকে ‘উমার (রাঃ) এর ভাগ্নে আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদের নিকট এটা জানার জন্য পাঠালেন যে, আমীর ম’আবীয়াহ সালাত আপনাকে কী করতে দেখেছিলেন। আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, একদা আমি মু’আবীয়াহ (রাঃ) এর সাখে মিহরাবের মধ্যে জুমু’আহর সালাত আদায় করলাম। সালাম ফিরিয়ে আমি একই স্থানে দাঁড়িয়ে (সু্ন্নত) সালাত আদায় করলাম। ঘরে পৌঁছে তিনি লোক মারফত আমাকে বললেন, তুমি (আজ) যা করেছো এরূপ আর কখনো করবে না। জুমু’আহর সালাত আদায়ের পর কোন কথা না বলে কিংবা মসজিদ হতে বের না হয়ে সেখানে পুনরায় সালাত আদায় করবে না। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেছেন যে, কথা না বলে কিংবা মসজিদ হতে বের না হওয়া পর্যন্ত এক সালাতের সাথে আরেক সালাত মিলানো যাবে না।

 

সহীহ: মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ الْمَرْوَزِيُّ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ إِذَا كَانَ بِمَكَّةَ فَصَلَّى الْجُمُعَةَ تَقَدَّمَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَصَلَّى أَرْبَعًا وَإِذَا كَانَ بِالْمَدِينَةِ صَلَّى الْجُمُعَةَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ فِي الْمَسْجِدِ فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.

‘আত্বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু উমার (রাঃ) সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি মাক্কাহ্য় অবস্থানকালে জুমু’আহর (ফরয) সালাত আদায়ের পর সামনে এগিয়ে (স্থান পরির্বতন করে) দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। অতঃপর আবার সামনে এগিয়ে (স্থান পরির্বতন করে) চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। কিন্তু তিনি মদিনায় অবস্থানকালে জুমু’আহর (ফরয) সালাতের পর মাসজিদে সালাত আদায় না করে বাড়িতে এসে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ ابْنُ الصَّبَّاحِ قَالَ – ‏”‏ مَنْ كَانَ مُصَلِّيًا بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَلْيُصَلِّ أَرْبَعًا ‏”‏ ‏.‏ وَتَمَّ حَدِيثُهُ وَقَالَ ابْنُ يُونُسَ ‏”‏ إِذَا صَلَّيْتُمُ الْجُمُعَةَ فَصَلُّوا بَعْدَهَا أَرْبَعًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ لِي أَبِي يَا بُنَىَّ فَإِنْ صَلَّيْتَ فِي الْمَسْجِدِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَتَيْتَ الْمَنْزِلَ أَوِ الْبَيْتَ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেউ জুমু’আহর (ফরয) সালাতের পর সালাত আদায় করতে চাইলে সে যেন চার রাক‘আত আদায় করে। ইবনু ইউনুসের বর্ণনায় রয়েছে, জুমু’আহর সালাত আদায়ের পরে তোমরা চার রাক‘আত সালাত আদায় করবে। তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, হে বৎস! তুমি মাসজিদে দু’রাক‘আত (সুন্নাত) আদায়ের পর গন্তব্যে পৌছলে অথবা বাড়িতে এলে সেখানেও দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করবে।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩২

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর (ফরয) সালাত আদায়ের পর ঘরে ফিরে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম। বুখারী অর্থগতভাবে। এটি গত হয়েছে হাদীস ১১২৭ নং।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩৩

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ رَأَى ابْنَ عُمَرَ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَيَنْمَازُ عَنْ مُصَلاَّهُ الَّذِي، صَلَّى فِيهِ الْجُمُعَةَ قَلِيلاً غَيْرَ كَثِيرٍ قَالَ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَالَ ثُمَّ يَمْشِي أَنْفَسَ مِنْ ذَلِكَ فَيَرْكَعُ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ رَأَيْتَ ابْنَ عُمَرَ يَصْنَعُ ذَلِكَ قَالَ مِرَارًا قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَلَمْ يُتِمَّهُ ‏.‏

‘আত্বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জুমু’আহর সালাতের পর সালাত আদায় করতে দেখেছেন। তিনি (ইবনু ‘উমার) জুমু’আহর (ফরয) সালাত আদায়ের স্থান থেকে বেশী নয় বরং একটু সরে গিয়ে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। বর্ণনাকারী ‘আত্বা বলেন, অতঃপর সেখান থেকে একটু সরে গিয়ে চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। হাদীসের বর্ণনাকারী ইবনু জুরায়িজ বলেন, আমি ‘আত্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে কতবার এরূপ করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, কয়েকবার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৫

দুই ঈদের সালাত

১১৩৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্তে এসে দেখেন মাদীনাহ্বাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধূলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ দু’টি দিন কিসের? সকলেই বললো, জাহিলী যুগে আমরা এ দু’ দিন খেলাধূলা করতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দু’ দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্বরের দিন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৬

ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে যাওয়ার সময়

১১৩৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خُمَيْرٍ الرَّحْبِيُّ، قَالَ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ النَّاسِ فِي يَوْمِ عِيدِ فِطْرٍ أَوْ أَضْحَى فَأَنْكَرَ إِبْطَاءَ الإِمَامِ فَقَالَ إِنَّا كُنَّا قَدْ فَرَغْنَا سَاعَتَنَا هَذِهِ وَذَلِكَ حِينَ التَّسْبِيحِ ‏.‏

ইয়াযীদ ইবনু খুমাইর আর-রাহবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) লোকদের সাথে ঈদুল ফিত্বর কিংবা ঈদুল আযহার সরাত আদায় করতে যান। (সালাত আরম্ভ করতে) ইমাম দেরী করায় তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বললেন, (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম))-এর যুগে এ (ইশারাকের) সময় আমরা ঈদের সালাত আদায় শেষ করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৭

ঈদের সালাত নারীদের অংশগ্রহণ

১১৩৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ، وَحَبِيبٍ، وَيَحْيَى بْنِ عَتِيقٍ، وَهِشَامٍ، – فِي آخَرِينَ – عَنْ مُحَمَّدٍ، أَنَّ أُمَّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُخْرِجَ ذَوَاتِ الْخُدُورِ يَوْمَ الْعِيدِ ‏.‏ قِيلَ فَالْحُيَّضُ قَالَ ‏”‏ لِيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَتِ امْرَأَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ لإِحْدَاهُنَّ ثَوْبٌ كَيْفَ تَصْنَعُ قَالَ ‏”‏ تُلْبِسُهَا صَاحِبَتُهَا طَائِفَةً مِنْ ثَوْبِهَا ‏”‏ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার জন্য গৃহিণীদের নির্দেশ দেন। বলা হলো, ঋতুবর্তী মেয়েরা কি করবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কল্যাণমুলক কাজ ও মুসলিমদের দু’আয় তাদের শরীক হওয়া উচিত। এক মহিলা বললো, হে আল্লাহর রসূল ! কারো (শরীর ঢাকার মত) কাপড় না থাকলে সে কি করবে? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তার বান্ধবীর (সঙ্গীর) কাপড়ের কিছু অংশে জড়িয়ে যাবে।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ ‏ “‏ وَيَعْتَزِلُ الْحُيَّضُ مُصَلَّى الْمُسْلِمِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الثَّوْبَ ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَ عَنْ حَفْصَةَ عَنِ امْرَأَةٍ تُحَدِّثُهُ عَنِ امْرَأَةٍ أُخْرَى قَالَتْ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ مُوسَى فِي الثَّوْبِ ‏.‏

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। (এতে রয়েছে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ঋতুবর্তী নারীরা মুসলিমদের সালাতের স্থান হতে পৃথক থাকবে। এ হাদীসে কাপড়ের বিষয় উল্লেখ নাই। বর্ণনাকারী হাফসাহ ও আরেক মহিলা হতে জনৈক মহিলা সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল!…অতঃপর মূসা বর্ণিত হাদীসের কাপড় বিষয়টি বর্ণনা করেন।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩৮

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ كُنَّا نُؤْمَرُ بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَتْ وَالْحُيَّضُ يَكُنَّ خَلْفَ النَّاسِ فَيُكَبِّرْنَ مَعَ النَّاسِ ‏.‏

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এ (উপরোক্ত) হাদীস মোতাবেক আমল করতে আদিষ্ট হতাম। বর্ণনাকারী বলেন, ঋতুবর্তী নারীরা সকলের পিছনে অবস্থান করতো এবং লোকদের সাথে তাকবীর পাঠ করতো।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، – يَعْنِي الطَّيَالِسِيَّ – وَمُسْلِمٌ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ عَطِيَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ جَمَعَ نِسَاءَ الأَنْصَارِ فِي بَيْتٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَامَ عَلَى الْبَابِ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا فَرَدَدْنَا عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ قَالَ أَنَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْكُنَّ ‏.‏ وَأَمَرَنَا بِالْعِيدَيْنِ أَنْ نُخْرِجَ فِيهِمَا الْحُيَّضَ وَالْعُتَّقَ وَلاَ جُمُعَةَ عَلَيْنَا وَنَهَانَا عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ ‏.‏

ইসমাঈল ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আত্বিয়্যাহ (রহঃ) হতে তার দাদী উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসমাঈল ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আত্বিয়্যাহ (রহঃ) হতে তার দাদী উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহয় আগমন করে আনসার মহিলাদেরকে একটি ঘরে সমবেত করে ‘উমার ইবনুল খাত্তাবকে আমাদের নিকট প্রেরন করলেন। ‘উমার(রাঃ) এসে দরজায় দাঁড়িয়ে আমাদেরকে সালাম জানালে আমরা তার সালামের উত্তর দেই। ‘উমার বলেন, আমি আপনাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সংবাদবাহক হিসেবে এসেছি। অতঃপর তিনি আমাদের ঋতুবর্তী ও কুমারী মেয়েদের দুই ঈদের সালাত অংশগ্রহনের আদেশ দেন, মহিলাদের জন্য জুমু’আহ বাধ্যতামূলক নয় বলে জানান এবং আমাদেরকে জানাযার সালাত অংশগ্রহনে নিষেধ করেন। [১১৩৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৮

ঈদের সালাতের খুত্ববাহ

১১৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَنْ هَذَا قَالُوا فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ ‏.‏ فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ঈদের দিন মারওয়ান ঈদের মাঠে মিম্বার স্থাপন করে সালাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান ! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে মিম্বার এনেছো এবং সালাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো। অথচ ইতিপূর্বে (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও খুলাফায়ি রাশিদ্বীনের যুগে) কখনো এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে? লোকজন বললো, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন, সে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছে। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন গর্হিত (শারী’আত বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। এরূপ করতে অক্ষম হলে তা কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে ঘৃণা করবে (বা তা দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ يَوْمَ الْفِطْرِ فَصَلَّى فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ فَأَتَى النِّسَاءَ فَذَكَّرَهُنَّ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى يَدِ بِلاَلٍ وَبِلاَلٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ تُلْقِي فِيهِ النِّسَاءُ الصَّدَقَةَ قَالَ تُلْقِي الْمَرْأَةُ فَتَخَهَا وَيُلْقِينَ وَيُلْقِينَ وَقَالَ ابْنُ بَكْرٍ فَتَخَتَهَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ঈদুল ফিত্বরের দিন দাঁড়িয়ে খুত্ববাহর পূর্বেই সালাত আদায় করলেন।তারপর লোকদের উদ্দেশ্যে খুত্ববাহ দিলেন এবং খুত্ববাহ শেষে মহিলাদের নিকট গিয়ে তাদেরকে নসীহত করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)তখন বিলালের হাতের উপর ভর করেছিলেন এবং বিলাল (রাঃ) তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মহিলারা তাতে দানের বস্তু নিক্ষেপ করছিলেন। কোন কোন মহিলা তাতে নিজেদের গহনা তাতে ছুঁড়ে দিচ্ছিলো এবং অন্যরা আরো অনেক কিছু নিক্ষেপ করছিলো।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪২

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ أَشْهَدُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ وَشَهِدَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمَ فِطْرٍ فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ ‏.‏ قَالَ ابْنُ كَثِيرٍ أَكْبَرُ عِلْمِ شُعْبَةَ فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ ‏.‏

‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি আর ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে সাক্ষ্য দেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ঈদুল ফিত্বরের দিন রওয়ানা হয়ে সালাত আদায়ের পর খুত্ববাহ দিলেন। অতঃপর নারীদের নিকট গেলেন। তাঁর সাথে বিলাল (রাঃ) ছিলেন। ইবনু কাসীর বলেন, হাদীস বর্ণনাকারী শু’বাহর দৃঢ় ধারণা, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীদেরকে সদাক্বাহ করতে আদেশ করলে তারা নিজেদের অলংকারাদী ছুঁড়ে দিতে লাগলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، بِمَعْنَاهُ قَالَ فَظَنَّ أَنَّهُ لَمْ يُسْمِعِ النِّسَاءَ فَمَشَى إِلَيْهِنَّ وَبِلاَلٌ مَعَهُ فَوَعَظَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تُلْقِي الْقُرْطَ وَالْخَاتَمَ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পুর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুমান করলেন যে, (দূরে অবস্থানের কারণে) মহিলারা তাঁর কথা শুনতে পাননি। কাজেই তিনি বিলালকে সাথে নিয়ে মহিলাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে নসীহত প্রদান করেন এবং সদাক্বাহ করতে আদেশ করেন। মহিলারা তাদের কানের রিং ও হাতের আংটি খুলে বিলালের কাপড়ের মধ্যে নিক্ষেপ করতে লাগলেন।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تُعْطِي الْقُرْطَ وَالْخَاتَمَ وَجَعَلَ بِلاَلٌ يَجْعَلُهُ فِي كِسَائِهِ قَالَ فَقَسَمَهُ عَلَى فُقَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পুর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তিনি আরো বলেন, মহিলারা তাদের কানের রিং এবং হাতের আংটি খুলে দিতে লাগলেন এবং বিলাল (রাঃ) স্বীয় চাদরে সেগুলো তুলে রাখলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেগুলো অভাবী মুসলিমদের মাঝে বিতরণ করে দিলেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪৯

ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুত্ববাহ প্রদান

১১৪৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْبَرَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نُوِّلَ يَوْمَ الْعِيدِ قَوْسًا فَخَطَبَ عَلَيْهِ ‏.‏

ইয়াযীদ ইবনুল বারাআ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ঈদের দিন একটি ধনুক দেয়া হলে তিনি তাতে ভর করে খুত্ববাহ দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫০

ঈদের সালাত আযান নেই

১১৪৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ ابْنَ عَبَّاسٍ أَشَهِدْتَ الْعِيدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ وَلَوْلاَ مَنْزِلَتِي مِنْهُ مَا شَهِدْتُهُ مِنَ الصِّغَرِ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَلَمَ الَّذِي عِنْدَ دَارِ كَثِيرِ بْنِ الصَّلْتِ فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ وَلَمْ يَذْكُرْ أَذَانًا وَلاَ إِقَامَةً قَالَ ثُمَّ أَمَرَ بِالصَّدَقَةِ – قَالَ – فَجَعَلَ النِّسَاءُ يُشِرْنَ إِلَى آذَانِهِنَّ وَحُلُوقِهِنَّ قَالَ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَتَاهُنَّ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে কোন ঈদের সালাত আদায় করেছেন কি? তিনি বললেন, হাঁ। তাঁর সাথে আমার ঘনিষ্টতা না থাকলে শিশু হওয়ার কারণে আমি হয়ত তাঁর সাথে সালাত শরীক হতে পারতাম না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন কাসীর ইবনুল সলত এর বাড়ির পাশে স্থাপিত ঝান্ডার নিকটে এসে সালাত আদায় করার পর খুত্ববাহ দেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আযান ও ইক্বমাতের কথা উল্লেখ করেননি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সদাক্বাহ করতে আদেশ করলে মহিলারা তাদের কান ও গলার দিকে ইশারা করেন, ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলালকে তাদের নিকট পাঠান। বিলাল (রাঃ) তাদের কাছে গিয়ে (সদাক্বাহ সংগ্রহ করে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে ফিরে আসেন।

 

সহীহঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْعِيدَ بِلاَ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ أَوْ عُثْمَانَ شَكَّ يَحْيَى ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকর এবং উমার অথবা উসমান (রাঃ) আজান ও ইক্বামাত ছাড়াই ঈদের সালাত আদায় করেতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৪৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادٌ، – وَهَذَا لَفْظُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، – يَعْنِي ابْنَ حَرْبٍ – عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ الْعِيدَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর সাথে দুই ঈদের সালাত আজান ও ইক্বামাত ছাড়া এক দুইবার নয়, বরং অনেকবার আদায় করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫১

দুই ঈদের তাকবীর

১১৪৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى فِي الأُولَى سَبْعَ تَكْبِيرَاتٍ وَفِي الثَّانِيَةِ خَمْسًا ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহার সালাতে প্রথম রাক‘আতে সাতবার এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচবার তাকবীর বলতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৫০

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ سِوَى تَكْبِيرَتَىِ الرُّكُوعِ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদিসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস একই সানাদে বর্ণিত হয়েছে। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, রুকূর দুই তাকবীর ব্যতীত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৫১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ التَّكْبِيرُ فِي الْفِطْرِ سَبْعٌ فِي الأُولَى وَخَمْسٌ فِي الآخِرَةِ وَالْقِرَاءَةُ بَعْدَهُمَا كِلْتَيْهِمَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঈদুল ফিত্বরের সালাতের তাকবীর হচ্ছে প্রথম রাকআতে সাতটি এবং দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচটি এবং উভয় রাকআতেই তাকবীরের পর ক্বিরাআত পড়তে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১১৫২

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ حَيَّانَ – عَنْ أَبِي يَعْلَى الطَّائِفِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْفِطْرِ فِي الأُولَى سَبْعًا ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يَرْكَعُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ وَكِيعٌ وَابْنُ الْمُبَارَكِ قَالاَ سَبْعًا وَخَمْسًا ‏.‏

আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিত্বরের সালাতের প্রথম রাকআতে সাতবার তাকবীর বলতেন, অতঃপর ক্বিরায়াত পাঠ করতেন, ক্বিরাআত শেষে তাকবীর বলার পর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দন্ডায়মান হয়ে চারবার তাকবীর বলে ক্বিরায়াত আরম্ভ করতেন, অতঃপর রুকূ করতেন। [১১৫২]

 

হাসান সহীহ, তবে (চার তাকবীর) কথাটি বাদে। সঠিক হচ্ছে (পাঁচ তাকবীর)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১১৫৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَابْنُ أَبِي زِيَادٍ، – الْمَعْنَى قَرِيبٌ – قَالاَ حَدَّثَنَا زَيْدٌ، – يَعْنِي ابْنَ حُبَابٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عَائِشَةَ، جَلِيسٌ لأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، سَأَلَ أَبَا مُوسَى الأَشْعَرِيَّ وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُ فِي الأَضْحَى وَالْفِطْرِ فَقَالَ أَبُو مُوسَى كَانَ يُكَبِّرُ أَرْبَعًا تَكْبِيرَهُ عَلَى الْجَنَائِزِ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ صَدَقَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو مُوسَى كَذَلِكَ كُنْتُ أُكَبِّرُ فِي الْبَصْرَةِ حَيْثُ كُنْتُ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو عَائِشَةَ وَأَنَا حَاضِرٌ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ ‏.

আবূ মূসা আল-আশ’আরী ও হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ মূসা আল-আশ’আরী ও হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ)- কে সাঈদ ইবনুল আস (রহঃ) জিজ্ঞেস করেন, ঈদুল ফিত্বর এবং ঈদুল আযহার সালাত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে তাকবীর বলতেন? আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) বলেন, তিনি জানাযার সালাতের ন্যায় চারটি তাকবীর বলতেন। হুযাইফাহ (রাঃ) বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) সত্যি বলেছেন। আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, আমি বাসরাহতে গভর্নর থাকাকালে (ঈদের সালাত) এভাবেই তাকবীর দিয়েছি। আবূ আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, সাঈদ ইবনুল আসের প্রশ্ন করার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫২

ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহার সালাতের ক্বিরাআত

১১৫৪

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ الْمَازِنِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَاذَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَضْحَى وَالْفِطْرِ قَالَ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا ‏{‏ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ ‏}‏ وَ ‏{‏ اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ ‏}‏ ‏.‏

উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আবূ ওয়াক্বিদ আল-লাইসী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রসুল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহার সালাতে কোন সূরাহ পাঠ করতেন? তিনি বলেন, তিনি সূরাহ কাফ অয়াল-কুরাআনিল মাজীদ এবং সূরাহ ইকতারাবাতিস সা’আতু ওয়ান-শাককাল কামারু তিলাওয়াত করতেন।

 

সহীহঃ মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫৩

খুত্ববাহ শুনার জন্য বসা

১১৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى السِّيْنَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِيدَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ ‏ “‏ إِنَّا نَخْطُبُ فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَجْلِسَ لِلْخُطْبَةِ فَلْيَجْلِسْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَذْهَبَ فَلْيَذْهَبْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مُرْسَلٌ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে ঈদের সালাত আদায় করি। সালাত শেষে তিনি বলেনঃ আমি এখন খুত্ববাহ দিবো। যে খুত্ববাহ শুনার জন্য বসতে চায় সে বসবে, আর কেউ চলে যেতে চাইলে চলে যাবে।

 

সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদিসটি মুরসাল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫৪

ঈদগাহে এক পথ দিয়ে যাওয়া এবং অন্য পথে ফেরা

১১৫৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ – عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ يَوْمَ الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ ثُمَّ رَجَعَ فِي طَرِيقٍ آخَرَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসতেন।

 

সহীহঃ বুখারী। জাবির হতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫৫

কোন কারণে ইমাম ঈদের দিন সালাত পড়াতে না পারলে পরের দিন পড়াবেন

১১৫৭

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ، عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عُمُومَةٍ، لَهُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَكْبًا جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشْهَدُونَ أَنَّهُمْ رَأَوُا الْهِلاَلَ بِالأَمْسِ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُفْطِرُوا وَإِذَا أَصْبَحُوا أَنْ يَغْدُوا إِلَى مُصَلاَّهُمْ ‏.

আবূ ‘উমাইর ইবনু আনাস (রহঃ) হতে তার চাচা -যিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী ছিলেন- থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে একদল আরোহী এসে সাক্ষ্য দিলো যে, গতকাল তারা (ঈদের) চাঁদ দেখেছে। তিনি লোকদেরকে সওম ভঙ্গ করার এবং পরদিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১৫৮

حَدَّثَنَا حَمْزَةُ بْنُ نُصَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُوَيْدٍ، أَخْبَرَنِي أُنَيْسُ بْنُ أَبِي يَحْيَى، أَخْبَرَنِي إِسْحَاقُ بْنُ سَالِمٍ، مَوْلَى نَوْفَلِ بْنِ عَدِيٍّ أَخْبَرَنِي بَكْرُ بْنُ مُبَشِّرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ كُنْتُ أَغْدُو مَعَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمُصَلَّى يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى فَنَسْلُكُ بَطْنَ بَطْحَانَ حَتَّى نَأْتِيَ الْمُصَلَّى فَنُصَلِّيَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَرْجِعُ مِنْ بَطْنِ بَطْحَانَ إِلَى بُيُوتِنَا ‏.

বাকর ইবনু মুবাশশির আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহার দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীদের সাথে ঈদগাহে যেতাম। আমরা বাতনে বুতহান নামক প্রান্তর অতিক্রম করে ঈদগাহে গিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাত আদায় করতাম। অতঃপর বাতনে বুতহানের পথ ধরেই আমাদের ঘরে ফিরতাম। [১১৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১১৫৮]- এর সানাদ দুর্বল। কারণ, সানাদে রয়েছেঃ

১। হামযাহ ইবনু নুসাইরঃ মাক্ববূল

২। ইবনু আবূ মারইয়াম, তার সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ দুর্বল

৩। ইসহাক্ব ইবনু সালিম মাওলা নাওফিল ইবনু ‘আদী, হাফিয বলেনঃ তিনি মাজহুলুল হাল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫৬

ঈদের সালাতের পর অন্য নফল সালাত

১১৫৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فِطْرٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهُمَا وَلاَ بَعْدَهُمَا ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تُلْقِي خُرْصَهَا وَسِخَابَهَا ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঈদুল ফিত্বরের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদগাহে নিয়ে (ঈদের) দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করেন। ঈদের সালাতের পূর্বে বা পরে তিনি কোন সালাত আদায় করেননি। অতঃপর তিনি বিলালকে সাথে নিয়ে মহিলাদের নিকট গিয়ে তাদেরকে দান-খয়রাত করতে নসীহত করেন। মহিলারা নিজেদের কানের দুল ও হার (চাদরে) নিক্ষেপ করতে থাকলো।

 

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫৭

বৃষ্টির দিনে লোকদের নিয়ে ঈদের সালাত মাসজিদে আদায় করা

১১৬০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، ح وَحَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنَ الْفَرْوِيِّينَ – وَسَمَّاهُ الرَّبِيعُ فِي حَدِيثِهِ عِيسَى بْنَ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ أَبِي فَرْوَةَ – سَمِعَ أَبَا يَحْيَى عُبَيْدَ اللَّهِ التَّيْمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ أَصَابَهُمْ مَطَرٌ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَصَلَّى بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْعِيدِ فِي الْمَسْجِدِ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ঈদের দিন বৃষ্টি হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহাবীদেরকে নিয়ে ঈদের সালাত মাসজিদে আদায় করেন। [১১৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১১৬০]- ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ বৃষ্টি হলে মাসজিদে ঈদের সালাত আদায় করা, হাঃ ১৩১৩) ঈসা ইবনু ‘আবদুল আ’রা হতে। এর সানাদ দুর্বল। সানাদে ঈসা ইবনু ‘আবদুল আ’লা ইবনু আবূ ফারওয়াতাহ সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুল। অনুরূপ তার শায়খ ‘উবাইদুল্লাহ আত- তায়মীও মাজহুল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস