আবু দাউদ জিহাদ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৫৯১ – ২৭০০

অনুচ্ছেদ-৭৬

রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পতাকা

২৫৯১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْقُوبَ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، – رَجُلٌ مِنْ ثَقِيفٍ مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْقَاسِمِ – قَالَ بَعَثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ إِلَى الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ يَسْأَلُهُ عَنْ رَايَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا كَانَتْ فَقَالَ كَانَتْ سَوْدَاءَ مُرَبَّعَةً مِنْ نَمِرَةٍ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনুল ক্বাসিমের মুক্তদাস ইউনুস ইবনু ‘উবাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পতাকা কিরূপ ছিল তা জিজ্ঞেস করার জন্য মুহাম্মাদ ইবনুল ক্বাসিম আমাকে আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) এর নিকট প্রেরণ করেন। তিনি (বারাআ) বললেন, তাঁর পতাকা ছিল কালো রঙের এবং বর্গাকৃতির যা চিতাবাগের (চামড়ার) ন্যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯২

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির (রাঃ) মারফু’ভাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, মাক্কাহ্য় প্রবেশের দিন তাঁর পতাকা ছিল সাদা রঙের।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৩

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ الشَّعِيرِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ قَوْمِهِ عَنْ آخَرَ، مِنْهُمْ قَالَ رَأَيْتُ رَايَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَفْرَاءَ ‏.‏

সিমাক (রহঃ) হতে তার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি হতে এবং তিনি আরেক ব্যক্তির সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পতাকা দেখেছি। তা ছিল হলুদ রঙের।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৭

অক্ষম ঘোড়া ও দুর্বল লোকের সাহায্য দান

২৫৯৪

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الدَّرْدَاءِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ ابْغُونِي الضُّعَفَاءَ فَإِنَّمَا تُرْزَقُونَ وَتُنْصَرُونَ بِضُعَفَائِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَيْدُ بْنُ أَرْطَاةَ أَخُو عَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ ‏.‏

জুবাইর ইবনু নুফাইর আল-হাদরামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ দারদা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা দুর্বল লোকদেরকে খোঁজ করে আমার কাছে নিয়ে এসো। কেননা তোমরা তোমাদের মধ্যকার দুর্বল লোকদের ওয়াসিলায় রিয্বিক এবং সাহায্য প্রাপ্ত হয়ে থাকো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৮

যুদ্ধে সাংকেতিক নামে ডাকা

২৫৯৫

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ كَانَ شِعَارُ الْمُهَاجِرِينَ عَبْدُ اللَّهِ وَشِعَارُ الأَنْصَارِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাজিরদের সাংকেতিক ডাক ছিল ‘আবদুল্লাহ’, আর আনসারদের সাংকেতিক ডাক ছিল ‘আবদুর রহমান’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৬

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ أَبِي بَكْرٍ – رضى الله عنه – زَمَنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ شِعَارُنَا أَمِتْ أَمِتْ ‏.‏

ইয়্যাস ইবনু সালামাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সালামাহ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে আবূ বকর (রাঃ) এর সেনাপতিত্বে যুদ্ধ করেছিলাম। সে সময় আমাদের সাংকেতিক ডাক ছিল ‘আমিত, আমিত’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৫৯৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنْ بُيِّتُّمْ فَلْيَكُنْ شِعَارُكُمْ حم لاَ يُنْصَرُونَ ‏”‏ ‏.‏

মুহাল্লাব ইবনু আবূ সুফরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি আমাকে জানালেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন: তোমরা রাতের অন্ধকারে শত্রুবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলে তোমাদের সাংকেতিক পরিচয় হবে, ‘হা-মীম লা ইউনসারূন’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৯

সফরে বের হলে যে দু’আ পড়তে হয়

২৫৯৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ اللَّهُمَّ اطْوِ لَنَا الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْنَا السَّفَرَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে যাওয়ার সময় এ দু’আ পাঠ করতেন, “হে আল্লাহ! আপনিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের অভিভাবক। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট হতে, বিপদাপদে পতিত হয়ে ফিরে আসা হতে এবং সন্তান-সন্ততি ও সম্পদের উপর কুদৃষ্টি পড়া হতে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য যমিনকে অনুকূল ও সফরকে সহজ ও আরামদায়ক করে দিন।”

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৫৯৯

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَلِيًّا الأَزْدِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ عَلَّمَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى بَعِيرِهِ خَارِجًا إِلَى سَفَرٍ كَبَّرَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ ‏{‏ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ‏}‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا اللَّهُمَّ اطْوِ لَنَا الْبُعْدَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ ‏”‏ ‏.‏ وَإِذَا رَجَعَ قَالَهُنَّ وَزَادَ فِيهِنَّ ‏”‏ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَجُيُوشُهُ إِذَا عَلَوُا الثَّنَايَا كَبَّرُوا وَإِذَا هَبَطُوا سَبَّحُوا فَوُضِعَتِ الصَّلاَةُ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏

আবুয যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আলী-আযদী (রহঃ) তাকে জানিয়েছেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে বের হওয়ার সময় উঠের পিঠে সোজা হয়ে বসে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে এ আয়াত পড়তেনঃ

(আরবী)

“মহান পবিত্র তিনি, যিনি একে আমাদের অনুগত বানিয়েছেন, তা না হলে একে বশ করতে আমরা সক্ষম ছিলাম না। নিশ্চয়ই আমাদেরকে আমাদের রব্বের নিকট ফিরে যেতে হবে” (সূরা আয-যুখরুকঃ আয়াত ১৩-১৪)। অতঃপর এ দু’আ পাঠ করতেনঃ

(আরবী)

তিনি যখন ফিরে আসতেন, এ দু’আই পাঠ করতেন, শুধু এটুকু বাড়িয়ে বলতেনঃ

(আরবী) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সেনাবাহিনী কোন উঁচু স্থানে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন এবং নীচে নামার সময় সুবহানাল্লাহ বলতেন। অতঃপর এভাবেই (শুকরিয়া) সলাতে নির্ধারণ হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮০

বিদায়ের সময় দু’আ

২৬০০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ هَلُمَّ أُوَدِّعْكَ كَمَا وَدَّعَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

ক্বাযা’আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমাকে বললেন, এসো তোমাকে ঐভাবে বিদায় জানাই, যেভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিদায় দিয়েছেনঃ “আমি আল্লাহর নিকট তোমার দীন, আমানাত ও সর্বশেষ আমলের হিফাযাতের জন্য দু’আ করছি।”

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০১

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّيْلَحِينِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْخَطْمِيِّ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْتَوْدِعَ الْجَيْشَ قَالَ ‏ “‏ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكُمْ وَأَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيمَ أَعْمَالِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ আল-খাত্বমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সেনাবাহিনীকে বিদায় দেয়ার সময় বলতেনঃ “আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের দীন, আমানাত ও সর্বশেষ আমলের হিফাযাতের জন্য দু’আ করছি”।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮১

বাহনে চড়ার সময় যে দু’আ পড়তে হয়

২৬০২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ شَهِدْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – وَأُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ثُمَّ قَالَ ‏{‏ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ‏}‏ ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ ‏.‏ ثُمَّ ضَحِكَ فَقِيلَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَىِّ شَىْءٍ ضَحِكْتَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ كَمَا فَعَلْتُ ثُمَّ ضَحِكَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مِنْ أَىِّ شَىْءٍ ضَحِكْتَ قَالَ ‏”‏ إِنَّ رَبَّكَ يَعْجَبُ مِنْ عَبْدِهِ إِذَا قَالَ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرِي ‏”‏ ‏.‏

‘আলী ইবনু রবী’আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখলাম, ‘আলী (রাঃ) এর কাছে আরোহণের একটি পশু আনা হলে তিনি এর পা-দানিতে পা রাখতেই বললেন, ‘বিসমিল্লাহ’ এবং এর পিঠে চড়ে সোজা হয়ে বসে বললেন, আল-হামদুলিল্লাহ”। অতঃপর তিনি এ আয়াত পড়লেনঃ “মহান পবিত্র তিনি, যিনি একে আমাদের অনুগত বানিয়েছেন, তা না হলে একে বশ করতে আমরা সক্ষম ছিলাম না। নিশ্চয়ই আমাদেরকে আমাদের রব্বের নিকট ফিরে যেতে হবে” (সূরাহ আয-যুখরুক : আয়াত ১৩-১৪)। পুনরায় তিনি তিনবার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ এবং তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন। অতঃপর বললেন, “(হে আল্লাহ!) আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমিই আমার উপর যুলুম করেছি, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আপনি ছাড়া কেউই গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না”। অতঃপর তিনি হেসে দিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি কেন হাসলেন? তিনি বললেন, আমি যেরূপ করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কেও এরুপ করতে দেখেছি। তিনি যখন হেসেছিলেন তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি হাসলেন কেন? তিনি বললেনঃনিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দার উপর সন্তুষ্ট হন যখন সে বলে: “(হে আমার রব্ব!) আপনি আমার গুনাহ ক্ষমা করুন”। আর বান্দা তো জানে যে, আমি (আল্লাহ) ছাড়া কেউই গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮২

কোন স্থানে অবতরণ করে যে দু’আ পড়তে হয়

২৬০৩

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي صَفْوَانُ، حَدَّثَنِي شُرَيْحُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ فَأَقْبَلَ اللَّيْلُ قَالَ ‏ “‏ يَا أَرْضُ رَبِّي وَرَبُّكِ اللَّهُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّكِ وَشَرِّ مَا فِيكِ وَشَرِّ مَا خُلِقَ فِيكِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَدِبُّ عَلَيْكِ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ أَسَدٍ وَأَسْوَدَ وَمِنَ الْحَيَّةِ وَالْعَقْرَبِ وَمِنْ سَاكِنِ الْبَلَدِ وَمِنْ وَالِدٍ وَمَا وَلَدَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর অবস্থায় রাত ঘনিয়ে এলে বলতেনঃ “হে যমীন! আমার ও তোমার রব্ব আল্লাহ। আমি আল্লাহর নিকট তোমার অনিষ্ট হতে, তোমার ভেতরের খারবী হতে, তোমার মধ্যে সৃষ্ট অনিষ্ট হতে এবং তোমার বুকে যেসব অনিষ্ট চলাফেরা করে তা হতে আশ্রয় চাইছি। আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই সিংহ, বিষধর কালো সাপ, বিচ্ছু, তোমার শহরে অনিষ্ট জন্মদানকারী অধিবাসী ও এদের বংশধরের অনিষ্ট হতে”।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৩

রাতের প্রথমভাগে সফর করা অনুচিৎ

২৬০৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُرْسِلُوا فَوَاشِيَكُمْ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ حَتَّى تَذْهَبَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ تَعِيثُ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ حَتَّى تَذْهَبَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْفَوَاشِي مَا يَفْشُو مِنْ كُلِّ شَىْءٍ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সূর্য ডুবে যাওয়ার পর রাতের প্রাথমিক অন্ধকার দূর না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের গৃহপালিত জন্তু ছাড়বে না। কারণ সূর্য ডোবার সাথে সাথে রাতের প্রাথমিক অন্ধকার দূর না হওয়া পর্যন্ত শয়তানেরা বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৪

কোন দিন সফর করা উত্তম

২৬০৫

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَلَّمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْرُجُ فِي سَفَرٍ إِلاَّ يَوْمَ الْخَمِيسِ ‏.‏

কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃহস্পতিবার ছাড়া অন্য দিন খুব কমই সফরে যেতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৫

ভোরবেলা সফরে বের হওয়া

২৬০৬

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ حَدِيدٍ، عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ ‏.‏ وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلاً تَاجِرًا وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ صَخْرُ بْنُ وَدَاعَةَ ‏.‏

সাখর আল-গামিদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মাতকে ভোরের বরকত দান করুন”। তিনি কোন ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রাঃ) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৬

একাকী সফর করা

২৬০৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الرَّاكِبُ شَيْطَانٌ وَالرَّاكِبَانِ شَيْطَانَانِ وَالثَّلاَثَةُ رَكْبٌ ‏”‏ ‏.‏

‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একাকী সফরকারী হচ্ছে একটি শয়তান, আর একত্রে দুইজন সফরকারী দু’টি শয়তান। তবে একত্রে তিনজন সফরকারীই হচ্ছে প্রকৃত কাফেলা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৭

সফরকারীদের মধ্য হতে একজনকে নেতা বানানো

২৬০৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرِ بْنِ بَرِّيٍّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا خَرَجَ ثَلاَثَةٌ فِي سَفَرٍ فَلْيُؤَمِّرُوا أَحَدَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তিন ব্যক্তি একত্রে সফর করলে তারা যেন নিজেদের মধ্য হতে একজনকে আমীর বানায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৬০৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ ثَلاَثَةٌ فِي سَفَرٍ فَلْيُؤَمِّرُوا أَحَدَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَافِعٌ فَقُلْنَا لأَبِي سَلَمَةَ فَأَنْتَ أَمِيرُنَا ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তিন ব্যক্তি একত্রে সফর করলে তারা যেন তাদের একজনকে আমীর নিযুক্ত করে। নাফি’ (রহঃ) আবূ সালামাহকে বললেন, তাহলে আপনি আমাদের নেতা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৮

কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু এলাকায় সফর করা

২৬১০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ ‏.‏ قَالَ مَالِكٌ أُرَاهُ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু এলাকায় সফর করতে নিষেধ করেছেন। (মধ্যকারী বর্ণনাকারী) মালিক বলেন, আমার ধারণা শত্রুর হাতে পড়ে কুরআন অবমাননার আশঙ্কায় তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮৯

সাজোয়া বাহিনী, ছোট সেনাদল ও সফরসঙ্গী কতজন হওয়া উত্তম

২৬১১

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَيْرُ الصَّحَابَةِ أَرْبَعَةٌ وَخَيْرُ السَّرَايَا أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَيْرُ الْجُيُوشِ أَرْبَعَةُ آلاَفٍ وَلَنْ يُغْلَبَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا مِنْ قِلَّةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مُرْسَلٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সফরে উত্তম হচ্ছে চারজন সঙ্গী হওয়া, ক্ষুদ্রবাহিনীতে চারশো এবং সেনাবাহিনীতে চার হাজার সৈন্য হওয়া উত্তম। আর বারো হাজার সৈন্য হলে সংখ্যা সল্পতার কারণে পরাজিত হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯০

মুশরিকদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান

২৬১২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْ جَيْشٍ أَوْصَاهُ بِتَقْوَى اللَّهِ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ وَبِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَقَالَ ‏ “‏ إِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ أَوْ خِلاَلٍ فَأَيَّتُهَا أَجَابُوكَ إِلَيْهَا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمُ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَعْلِمْهُمْ أَنَّهُمْ إِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ أَنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ فَإِنْ أَبَوْا وَاخْتَارُوا دَارَهُمْ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يُجْرَى عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللَّهِ الَّذِي يَجْرِي عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَكُونُ لَهُمْ فِي الْفَىْءِ وَالْغَنِيمَةِ نَصِيبٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَادْعُهُمْ إِلَى إِعْطَاءِ الْجِزْيَةِ فَإِنْ أَجَابُوا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ تَعَالَى وَقَاتِلْهُمْ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ تَعَالَى فَلاَ تُنْزِلْهُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ مَا يَحْكُمُ اللَّهُ فِيهِمْ وَلَكِنْ أَنْزِلُوهُمْ عَلَى حُكْمِكُمْ ثُمَّ اقْضُوا فِيهِمْ بَعْدُ مَا شِئْتُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ عَلْقَمَةُ فَذَكَرْتُ هَذَا الْحَدِيثَ لِمُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمٌ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ ابْنُ هَيْصَمٍ – عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ ‏.‏

সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (বুরাইদাহ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাউকে কোন সামরিক অভিযানের অধিনায়ক নিযুক্ত করে পাঠানোর সময় তাকে বিশেষভাবে আল্লাহকে ভয় করার এবং অধীনস্থ মুসলিম সৈন্যদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার উপদেশ দিতেন। তিনি আরো বলতেনঃ তুমি মুশরিক বাহিনীর সম্মুখীন হলে তাদেরকে তিনটি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহনের আহ্বান জানাবে। অতঃপর তারা যে কোন একটি গ্রহণ করলে তুমি তা মেনে নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হতে বিরত থাকবে। (এক) তুমি তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানাবে। যদি তারা এটা মেনে নেয় তাহলে তাদের ইসলাম গ্রহণ মেনে নিবে এবং যুদ্ধ হতে বিরত থাকবে। এরপর তাদেরকে নিজ শহর ছেড়ে মুহাজিরদের শহরে হিজরাত করার আহ্বান জানাবে এবং তাদেরকে জানাবে, তারা এরুপ করলে তারাও মুহাজিরদের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং মুহাজিরদের উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তাদের উপরও তা বর্তাবে। আর যদি তারা দেশ ত্যাগে রাজী না হয় এবং নিজেদের দেশেই থাকতে চায়, তাহলে তাদের জানিয়ে দিবে, তাদের মর্যাদা বেদুঈন মুসলিমদের মত। তাদের উপরও আল্লাহর সেসব হুকুম প্রয়োগ হবে যা মুমিনদের উপর হয়েছে। আর তারা মুসলিম বাহিনীর সাথে একত্রে জিহাদ না করলে তার ফাই ও গনিমাতের কোন অংশ লাভ করবে না। (দুই) তারা ইসলাম গ্রহনে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জিয্‌য়া প্রদানের আহ্বান জানাবে। তারা এটা মেনে নিলে তা অনুমোদন করবে এবং যুদ্ধ হতে বিরত থাকবে। (তিন) তারা জিয্‌য়া প্রদানে অস্বীকার করলে আল্লাহর সাহায্য চাইবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাবে। আর তুমি যদি কোন দুর্গবাসীদের অবরোধ করো এবং তারা যদি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী দুর্গ থেকে নামার জন্য তোমার নিকট আবেদন করে, তাহলে তুমি তাদের সেই আবেদন মানবে না। কারণ আল্লাহ তাদের বিষয়ে কি ফায়সালা দিবেন তা তোমরা অবহিত নও। বরং তোমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাদেরকে বাধ্য করবে এবং তোমরা তোমাদের সুবিধামত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। নু’মান ইবনু মুকাররিন (রাঃ)-ও এটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৩

حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ الأَنْطَاكِيُّ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اغْزُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا ‏”‏ ‏.‏

সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমারা আল্লাহর নাম নিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো। যারা আল্লাহর পথে কুফরী করেছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। তোমারা যুদ্ধ করে যাও কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করো না, ওয়াদা ভঙ্গ করো না, গনীমাতের মাল আত্মসাৎ করো না, লাশ বিকৃত করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ حَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْفِرْزِ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ انْطَلِقُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللَّهِ وَلاَ تَقْتُلُوا شَيْخًا فَانِيًا وَلاَ طِفْلاً وَلاَ صَغِيرًا وَلاَ امْرَأَةً وَلاَ تَغُلُّوا وَضُمُّوا غَنَائِمَكُمْ وَأَصْلِحُوا وَأَحْسِنُوا ‏{‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা যুদ্ধ করার সময় আল্লাহর নাম নিবে, আল্লাহর উপর ভরসা করবে এবং আল্লাহর রাসূলের মিল্লাতের উপর অটল থাকবে। অতি বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও নারীদের হত্যা করবে না এবং গনীমাতের মাল আত্মসাৎ করবে না। তোমাদের গনীমাত একত্রে জড়ো করবে, নিজেদের অবস্থার সংশোধন করবে এবং সৎ কাজ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।

 

দুর্বল: যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (১৩৪৬), মিশকাত (৩৯৫৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯১

শত্রুর জনপদে অগ্নিসংযোগ

২৬১৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا ‏}‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ইয়াহুদী গোএের বনী নাদীরের ‘বুওয়াইরাহ’ নামক খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন ও কেটে ফেলেন, তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন: “তোমরা যে খেজুরগাছ গুলো কেটেছো বা যেগুলো এর শিকড়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দিয়েছো, তা আল্লাহর নির্দেশেই ছিল। এটা ছিল পাপীদের লাঞ্ছিত করার জন্য” (সূরাহ আল-হাশরঃ আয়াত ৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৬

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الأَخْضَرِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ عُرْوَةُ فَحَدَّثَنِي أُسَامَةُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَهِدَ إِلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ أَغِرْ عَلَى أُبْنَى صَبَاحًا وَحَرِّقْ ‏”‏ ‏.‏

আয-যহূরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, আমাকে উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এক অভিযানের দায়িত্ব দিয়ে তার কাছ থেকে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি নিলেন যে, তিনি বললেনঃ তুমি খুব ভোরে উবনা নামক জনপদে আক্রমণ করবে এবং তা অগ্নিসংযোগ করবে।

 

দুর্বল: যঈফ ইবনু মাজাহ (২৮৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الْغَزِّيُّ، سَمِعْتُ أَبَا مُسْهِرٍ، قِيلَ لَهُ أُبْنَى ‏.‏ قَالَ نَحْنُ أَعْلَمُ هِيَ يُبْنَى فِلَسْطِينَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর আল-গাযযী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি শুনেছি আবূ মুসহিরকে উবনা নামক জনপদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, আমরা তো ফিলিস্তীনের ‘ইউবনা’ নামক স্থানকেই ‘উবনা’ বলে জানি।

 

তাহকিক আলবানী – হাদিসের মানঃ মাক্কতু

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯২

গুপ্তচর প্রেরণ

২৬১৮

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَعَثَ – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – بُسْبَسَةَ عَيْنًا يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ সুফিয়ানের কাফেলার গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘বুসাইসা’ নামক এক ব্যক্তিকে গুপ্তচর হিসেবে পাঠালেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৩

পথচারীদের জন্য (মালিকের অনুমতি ছাড়া) পথে পড়ে থাকা খেজুর ভক্ষন ও পশুর দুধ পান

২৬১৯

حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ الرَّقَّامُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ عَلَى مَاشِيَةٍ فَإِنْ كَانَ فِيهَا صَاحِبُهَا فَلْيَسْتَأْذِنْهُ فَإِنْ أَذِنَ لَهُ فَلْيَحْلِبْ وَلْيَشْرَبْ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهَا فَلْيُصَوِّتْ ثَلاَثًا فَإِنْ أَجَابَهُ فَلْيَسْتَأْذِنْهُ وَإِلاَّ فَلْيَحْتَلِبْ وَلْيَشْرَبْ وَلاَ يَحْمِلْ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ কোন পশুপালের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে যদি মালিককে উপস্থিত পায় তাহলে তার নিকট অনুমতি প্রার্থনা করবে। সে অনুমতি দিলে দুধ দোহন করে পান করবে। আর যদি সেখানে মালিক উপস্থিত না পায় তাহলে তিনবার ডাক দিবে। তাতে কেউ সাড়া দিলে অনুমতি চাইবে। আর কেউ সাড়া না দিলে দুধ দোহন করে পান করবে, কিন্তু সঙ্গে নিতে পারবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২০

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، قَالَ أَصَابَتْنِي سَنَةٌ فَدَخَلْتُ حَائِطًا مِنْ حِيطَانِ الْمَدِينَةِ فَفَرَكْتُ سُنْبُلاً فَأَكَلْتُ وَحَمَلْتُ فِي ثَوْبِي فَجَاءَ صَاحِبُهُ فَضَرَبَنِي وَأَخَذَ ثَوْبِي فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ ‏”‏ مَا عَلَّمْتَ إِذْ كَانَ جَاهِلاً وَلاَ أَطْعَمْتَ إِذْ كَانَ جَائِعًا ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ سَاغِبًا ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَرَهُ فَرَدَّ عَلَىَّ ثَوْبِي وَأَعْطَانِي وَسْقًا أَوْ نِصْفَ وَسْقٍ مِنْ طَعَامٍ ‏.

‘আব্বাস ইবনু শুরাহবীল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ক্ষুধায় কাতর হয়ে মাদীনাহর একটি বাগানে ঢুকে খেজুরের খোশা পরিষ্কার করে তা খেলাম এবং কিছু খেজুর কাপড়ে বেঁধে নিলাম। বাগানের মালিক এসে আমাকে মারধর করলো এবং আমার কাপড় ছিনিয়ে নিলো। আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এসে ঘটনাটি বললাম। তিনি বাগানের মালিককে (ডেকে এনে) বললেনঃ ছেলেটি অজ্ঞ ছিল তুমি তাঁকে জ্ঞান দাওনি। সে ক্ষুধার্ত ছিল তুমি খাওয়াওনি। তিনি তাকে আমার কাপড় ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলে বাগানের মালিক তা ফেরত দিলো এবং আমাকে এক কিংবা অর্ধ ওয়াসক খাদ্য দিলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبَّادَ بْنَ شُرَحْبِيلَ، – رَجُلاً مِنَّا مِنْ بَنِي غُبَرَ – بِمَعْنَاهُ ‏.‏

আবূ বিশর থেকে বর্ণিতঃ

এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৪

গাছতলায় পড়ে থাকা ফল খাওয়া

২৬২২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ – وَهَذَا لَفْظُ أَبِي بَكْرٍ – عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي حَكَمٍ الْغِفَارِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، عَنْ عَمِّ أَبِي رَافِعِ بْنِ عَمْرٍو الْغِفَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ غُلاَمًا أَرْمِي نَخْلَ الأَنْصَارِ فَأُتِيَ بِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ يَا غُلاَمُ لِمَ تَرْمِي النَّخْلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ آكُلُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلاَ تَرْمِ النَّخْلَ وَكُلْ مِمَّا يَسْقُطُ فِي أَسْفَلِهَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَشْبِعْ بَطْنَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ রাফি ‘ইবনু ‘আমর আল-গিফারীর (রহঃ) চাচা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (চাচা) বলেন, আমি বালক বয়সে আনসারদের খেজুর গাছে ঢিল ছুঁড়ে মারতাম। একদা আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ধরে নিয়ে আসা হলে তিনি বললেনঃ হে বালক! তুমি খেজুর গাছে ঢিল ছুঁড়ো কেন? সে বললো, খেজুর খাওয়ার জন্য। তিনি বললেনঃ ঢিল ছুঁড়ে খেজুর পেড়ো না, বরং গাছতলায় পড়ে থাকা খেজুর খাও। অতঃপর তিনি তার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ! এর পেট ভরে দিন, একে পরিতৃপ্ত করুন।

 

দুর্বলঃ যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (২২০/১৩১২) এর কাছাকাছি শব্দে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৫

যারা বলেন, দুধ দোহন করবে না

২৬২৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحْلُبَنَّ أَحَدٌ مَاشِيَةَ أَحَدٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ تُؤْتَى مَشْرَبَتُهُ فَتُكْسَرَ خِزَانَتُهُ فَيُنْتَثَلَ طَعَامُهُ فَإِنَّمَا تَخْزُنُ لَهُمْ ضُرُوعُ مَوَاشِيهِمْ أَطْعِمَتَهُمْ فَلاَ يَحْلُبَنَّ أَحَدٌ مَاشِيَةَ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কেউ যেন মালিকের অনুমতি ছাড়া মালিকের পশুর দুধ দোহন না করে। তোমাদের কেউ কি পছন্দ করবে যে, কেউ তার গুদাম ঘরে ঢুকে তা ভেঙ্গে তার খান্যদ্রব্য লুটপাট করুক? বস্তুর লোকদের পশুর স্তনসমূহে তাদের খাবার সঞ্চিত থাকে। কাজেই মালিকের অনুমতি ছাড়া তার পশুর দুধ দোহন করবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৬

নেতার আনুগত্য প্রসঙ্গে

২৬২৪

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأَمْرِ مِنْكُمْ ‏}‏ فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَدِيٍّ بَعَثَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ أَخْبَرَنِيهِ يَعْلَى عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

ইবনু জুরাইজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আল্লাহর বাণী) “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রসূলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের নেতৃবৃন্দের প্রতিও” (সূরাহ আন-নিসাঃ আয়াত ৫৯)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়িস ইবনু ‘আদী (রাঃ) কে একটি অভিযানে ক্ষুদ্র বাহিনীর সেনাপতি করে পাঠান। এ সময় ‘আবদুল্লাহকে উপলক্ষ করে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৫

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ جَيْشًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلاً وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْمَعُوا لَهُ وَيُطِيعُوا فَأَجَّجَ نَارًا وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَقْتَحِمُوا فِيهَا فَأَبَى قَوْمٌ أَنْ يَدْخُلُوهَا وَقَالُوا إِنَّمَا فَرَرْنَا مِنَ النَّارِ وَأَرَادَ قَوْمٌ أَنْ يَدْخُلُوهَا فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ لَوْ دَخَلُوهَا – أَوْ دَخَلُوا فِيهَا – لَمْ يَزَالُوا فِيهَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ لاَ طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ ‏”‏ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সেনাদল প্রেরণ করলেন এবং একজনকে এর সেনাপতি বানিয়ে তাদেরকে সেনাপতির কথা শোনার ও আনুগত্য করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর ঐ সেনাপতি আগুন জ্বালিয়ে তাদেরকে তাতে ঝাঁপ দেয়ার নির্দেশ দিলেন। একদল লোক তাতে ঝাঁপ দিতে অস্বীকার করে বললো, আমরা তো আগুন থেকেই পালিয়াছি (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্যই ইসলাম কবুল করেছি)। আবার কিছু লোক আগুনে ঝাঁপ দেয়ার মনস্থ করলো। বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কানে পৌঁছালে তিনি বললেনঃ তারা যদি আগুনে ঝাঁপ দিতো তাহলে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যেতো। তিনি আরো বললেনঃ আল্লাহর অবাধ্যতায় কারোর আনুগত্য নেই। আনুগত্য কেবল সৎ কাজে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নেতা পাপ কাজের নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তার নির্দেশ শোনা এবং আনুগত্য করা মুসলিম ব্যক্তির অবশ্য কর্তব্য, চাই তার মনঃপূত হোক বা না হোক। আর নেতা যখন পাপকাজের নির্দেশ দিবে তখন তার নির্দেশ শোনা ও আনুগত্য করা যাবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ بِشْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مَالِكٍ، مِنْ رَهْطِهِ قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً فَسَلَحْتُ رَجُلاً مِنْهُمْ سَيْفًا فَلَمَّا رَجَعَ قَالَ لَوْ رَأَيْتَ مَا لاَمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَعَجَزْتُمْ إِذْ بَعَثْتُ رَجُلاً مِنْكُمْ فَلَمْ يَمْضِ لأَمْرِي أَنْ تَجْعَلُوا مَكَانَهُ مَنْ يَمْضِي لأَمْرِي ‏”‏ ‏.‏

‘উক্ববাহ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ক্ষুদ্র সেনাদল অভিযানে পাঠালেন। আমি তাদের একজনকে একটি তরবারি দিলাম। লোকটি অভিযান থেকে ফিরে এসে আমাকে বললো, তুমি যদি দেখতে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের (অযোগ্যতার কারণে) কিভাবে তিরস্কার করেছেন! তিনি বলেছেনঃ আমি যখন তোমাদের একজনকে (অধিনায়ক করে) পাঠালাম, অথচ সে আমার নির্দেশ মোতাবেক চললো না, তখন আমার নির্দেশ কার্যকর করার জন্য অন্য কাউকে কেন তার স্থলাভিষিক্ত করলে না। তোমরা কি এতই অপারগ ছিলে?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৭

সৈন্যদের এক স্থানে সমবেত থাকার নির্দেশ

২৬২৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ قُبَيْسٍ، – مِنْ أَهْلِ جَبَلَةَ سَاحِلِ حِمْصٍ وَهَذَا لَفْظُ يَزِيدَ – قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَلاَءِ أَنَّهُ سَمِعَ مُسْلِمَ بْنَ مِشْكَمٍ أَبَا عُبَيْدِ اللَّهِ يَقُولُ حَدَّثَنَا أَبُو ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيُّ قَالَ كَانَ النَّاسُ إِذَا نَزَلُوا مَنْزِلاً – قَالَ عَمْرٌو كَانَ النَّاسُ إِذَا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْزِلاً – تَفَرَّقُوا فِي الشِّعَابِ وَالأَوْدِيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ تَفَرُّقَكُمْ فِي هَذِهِ الشِّعَابِ وَالأَوْدِيَةِ إِنَّمَا ذَلِكُمْ مِنَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمْ يَنْزِلْ بَعْدَ ذَلِكَ مَنْزِلاً إِلاَّ انْضَمَّ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ حَتَّى يُقَالُ لَوْ بُسِطَ عَلَيْهِمْ ثَوْبٌ لَعَمَّهُمْ ‏.‏

আবূ সা‘লাবাহ আল-খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সেনাবাহিনীর লোকজন যখন কোন স্থানে (বিশ্রামের জন্য) নামতেন তখন তারা বিভিন্ন গিরিপথে ও উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়তেন। সেজন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব গিরিপথে ও পাহাড়ী উপত্যকায় তোমাদের বিভক্ত হয়ে পড়াটা শয়তানের ষড়যন্ত্র। (বর্ণনাকারী বলেন) এরপর থেকে যে স্থানেই তিনি নামতেন, দলের লোকজন একত্রে অবস্থান করতো। এমনকি এরূপ বলা হতো যে, যদি একটি কাপড় তাদের উপর বিছিয়ে দেয়া হয় তাদের সবাইকে এর মধ্যে ঢেকে নেয়া সম্ভব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৯

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْخَثْعَمِيِّ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ مُجَاهِدٍ اللَّخْمِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْتُ مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ كَذَا وَكَذَا فَضَيَّقَ النَّاسُ الْمَنَازِلَ وَقَطَعُوا الطَّرِيقَ فَبَعَثَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنَادِيًا يُنَادِي فِي النَّاسِ أَنَّ مَنْ ضَيَّقَ مَنْزِلاً أَوْ قَطَعَ طَرِيقًا فَلاَ جِهَادَ لَهُ ‏.‏

সাহল ইবনু মু‘আয ইবনু আনাস আল-জুহানীর হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (মু‘আয) বলেন, আমি আল্লাহর নাবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে অমুক অমুক যুদ্ধে যোগদান করেছি। একদা সৈনিকেরা (বিক্ষিপ্তভাবে তাঁবু ফেলে) স্থান সংকীর্ণ ও পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সাহাবীকে লোকদের মাঝে ঘোষণা দেয়ার জন্য প্রেরণ করলেনঃ যে লোক স্থান সংকীর্ণ করেছে এবং যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়াছে, তার জিহাদ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ مُجَاهِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَاهُ ‏.‏

সাহল ইবনু মু‘আয (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর নাবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। এরপর বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৮

শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার আশা করা অনুচিত

২৬৩১

حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ – يَعْنِي ابْنَ مَعْمَرٍ وَكَانَ كَاتِبًا لَهُ – قَالَ كَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى حِينَ خَرَجَ إِلَى الْحَرُورِيَّةِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ الَّتِي لَقِيَ فِيهَا الْعَدُوَّ قَالَ ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ لاَ تَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ وَسَلُوا اللَّهَ تَعَالَى الْعَافِيَةَ فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ وَمُجْرِيَ السَّحَابِ وَهَازِمَ الأَحْزَابِ اهْزِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.‏

‘উমার ইবনু ‘উবাইদুল্লাহর মুক্ত দাস সালিম আবূন নাদর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘উমারের সচিব ছিলেন। তিনি বলেন, ‘উমার (রহঃ) হারূরার যুদ্ধে রওয়ানা হলে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ‘আওফা (রাঃ) তাকে পত্র লিখে জানালেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন কোন যুদ্ধে শত্রুর সম্মুখীন হয়েছেন, তিনি বলেছেনঃ “হে লোকসকল! তোমরা শত্রুবাহিনীর সাক্ষাৎ কামনা করো না, বরং আল্লাহর কাছে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। যখন তোমরা শত্রুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, ধৈর্য ধারণ করবে। আর জেনে রাখো, তরবারির ছায়ার নিচে জান্নাত”। অতঃপর তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি কিতাব অবতীর্ণকারী, মেঘমালা পরিচালনাকারী এবং শত্রুবাহিনীকে পর্যুদন্তকারী, আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।”

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯৯

শত্রুর মোকাবেলার সময় যে দু‘আ পড়তে হয়

২৬৩২

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا غَزَا قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي وَنَصِيرِي بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ وَبِكَ أُقَاتِلُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধ আরম্ভের সময় বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আপনিই আমার শক্তির উৎস ও সাহায্যকারী, আপনার সাহায্যেই আমি কৌশল অবলম্বন করি, আপনার সাহায্যেই বিজয়ী হই এবং আপনার সাহায্যেই যুদ্ধ করি”।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০০

মুশরিকদের প্রতি ইসলাম গ্রহণের আহবান

২৬৩৩

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى نَافِعٍ أَسْأَلُهُ عَنْ دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ، عِنْدَ الْقِتَالِ فَكَتَبَ إِلَىَّ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ وَقَدْ أَغَارَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى الْمَاءِ فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ وَسَبَى سَبْيَهُمْ وَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ حَدَّثَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ وَكَانَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ نَبِيلٌ رَوَاهُ ابْنُ عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ وَلَمْ يُشْرِكْهُ فِيهِ أَحَدٌ ‏.‏

ইবনু ‘আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যুদ্ধের সময় মুশরিকদের ইসলাম গ্রহণের দা‘ওয়াত দেয়া সম্পর্কে জানতে চেয়ে নাফি’ (রহঃ) এর নিকট পত্র লিখলাম। তিনি আমাকে লিখে জানালেন, এ নিয়ম ছিল ইসলামের প্রাথমিক যুগে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী মুসত্বালিকের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন। অথচ তারা মুসলিমদের এরূপ আক্রমণ সম্পর্কে কিছুই জানতো না। তাদের পশুগুলো তখন পানি পান করছিল। এমতাবস্থায় অতর্কিত আক্রমণ করে তিনি তাদের যুদ্ধে সক্ষম ব্যক্তিদের হত্যা করলেন এবং অবশিষ্টদের বন্দী করলেন। আর সেদিনই জুয়াইরিয়্যাহ বিনতুল হারিস তার হাতে বন্দী হন। এ ঘটনা আমার কাছে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি সেদিন ঐ সৈন্যবাহিনীতে শরীক ছিলেন। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি একটি উত্তম হাদীস। ইবনু ‘আওন (রহঃ) হাদীসটি নাফি’ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস বর্ণনায় তার সাথে কেউ অংশগ্রহণ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُغِيرُ عِنْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَكَانَ يَتَسَمَّعُ فَإِذَا سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজর সলাতের সময় আক্রমণ করতেন এবং আযান শোনার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। তিনি আযান শুনতে পেলে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতেন (জনপদে মুসলিম থাকার কারণে), অন্যথায় (আযান না শোনা গেলে) তিনি আক্রমণ চালাতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৫

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ مُسَاحِقٍ، عَنِ ابْنِ عِصَامٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَقَالَ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمْ مَسْجِدًا أَوْ سَمِعْتُمْ مُؤَذِّنًا فَلاَ تَقْتُلُوا أَحَدًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘ইসাম আল-মুযানী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনী প্রেরণের সময় বললেনঃ জনপদে কোন মাসজিদ দেখতে পেলে কিংবা মুয়াজ্জিনের আযান ধবনি শুনতে পেলে কাউকে হত্যা করবে না।

 

দুর্বলঃ মিশকাত (৩৯৩৫), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (২৬৭/১৬০৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০১

যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন করা

২৬৩৬

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحَرْبُ خُدْعَةٌ ‏”‏ ‏.‏

‘আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির (রাঃ) এর নিকট শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যুদ্ধ হচ্ছে ধোঁকা বা রণকৌশল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ غَزْوَةً وَرَّى غَيْرَهَا وَكَانَ يَقُولُ ‏”‏ الْحَرْبُ خُدْعَةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَجِئْ بِهِ إِلاَّ مَعْمَرٌ يُرِيدُ قَوْلَهُ ‏”‏ الْحَرْبُ خُدْعَةٌ ‏”‏ ‏.‏ بِهَذَا الإِسْنَادِ إِنَّمَا يُرْوَى مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرٍ وَمِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন দিকে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে তা অন্যদের থেকে গোপন রাখতেন। তিনি বলতেনঃ যুদ্ধ একটি ধোঁকা বা কৌশল মাত্র।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০২

গোপনে নৈশ আক্রমণ করা

২৬৩৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، وَأَبُو عَامِرٍ عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْنَا أَبَا بَكْرٍ – رضى الله عنه – فَغَزَوْنَا نَاسًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَبَيَّتْنَاهُمْ نَقْتُلُهُمْ وَكَانَ شِعَارُنَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ أَمِتْ أَمِتْ ‏.‏ قَالَ سَلَمَةُ فَقَتَلْتُ بِيَدِي تِلْكَ اللَّيْلَةَ سَبْعَةَ أَهْلِ أَبْيَاتٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ ‏.‏

ইয়্যাস ইবনু সালামাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সালামাহ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুদ্ধে আবূ বাকর (রাঃ) কে সেনাপতি নিয়োগ দিলেন। আমরা রাতের বেলা মুশরিকদের উপর আক্রমণ করে তাদেরকে হত্যা করলাম। ঐ রাতে আমাদের সাংকেতিক ডাক ছিল ‘আমিত, আমিত’। সালামাহ (রাঃ) বলেন, ঐ রাতে আমি নিজ হাতে সাতজন মুশরিক নেতাকে হত্যা করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৩

সেনাবাহিনীর পিছনে অবস্থান করা

২৬৩৯

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ شَوْكَرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُمْ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَخَلَّفُ فِي الْمَسِيرِ فَيُزْجِي الضَّعِيفَ وَيُرْدِفُ وَيَدْعُو لَهُمْ ‏.‏

আবূয যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদেরকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে কাফেলার পিছনে অবস্থান করতেন। তিনি দুর্বলদের নিজের বাহনে পিছনে উঠিয়ে নিতেন এবং তাদের জন্য দু‘আ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৪

মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ চলবে

২৬৪০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا مَنَعُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি লোকদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা এ সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই”। তারা এ কালেমা পাঠ করলে তাদের জীবন ও সম্পদ আমার থেকে নিরাপদ থাকবে। তবে এ কালেমার হকের (ইসলামের দণ্ডবিধির) কথা ভিন্ন। তাদের চূড়ান্ত হিসাব মহান আল্লাহর উপর ন্যস্ত।

 

সহীহ মুতাওয়াতির। হাদীসটি যাকাত অধ্যায়ের প্রথম দিকে গত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মুতওয়াতির

  •  সরাসরি

২৬৪১

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنْ يَسْتَقْبِلُوا قِبْلَتَنَا وَأَنْ يَأْكُلُوا ذَبِيحَتَنَا وَأَنْ يُصَلُّوا صَلاَتَنَا فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا لَهُمْ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُسْلِمِينَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি লোকদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা এ সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং আমাদের ক্বিবলাহ্‌কে নিজেদের ক্বিবলাহ না মানবে, আমাদের নিয়মে যবেহকৃত পশু না খাবে এবং আমাদের সলাত না পড়বে। তারা এগুলো করলে তাদের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করা আমাদের জন্য বৈধ নয়। তবে কোন অপরাধের কারণে ইসলামী বিধানে তাদের শাস্তি হলে তা ভিন্ন কথা। মুসলিমদের প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা তারাও ভোগ করবে এবং মুসলিমদের উপর অর্পিত দায়িত্ব তাদের উপরও বর্তাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪২

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ الْمُشْرِكِينَ ‏”‏ ‏.‏ بِمَعْنَاهُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি… বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।

 

সহীহ। এর পূর্বেরটি দেখুন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً إِلَى الْحُرَقَاتِ فَنَذِرُوا بِنَا فَهَرَبُوا فَأَدْرَكْنَا رَجُلاً فَلَمَّا غَشَيْنَاهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَضَرَبْنَاهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ فَذَكَرْتُهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَنْ لَكَ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا قَالَهَا مَخَافَةَ السِّلاَحِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَلاَ شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَالَهَا أَمْ لاَ مَنْ لَكَ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أُسْلِمْ إِلاَّ يَوْمَئِذٍ ‏.‏

উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আল-হুরূকাত (নামক স্থানে) অভিযানে প্রেরণ করলেন। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শত্রুরা পালিয়ে গেলো। আমরা তাদের এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলতে যখন ঘেরাও করলাম, তখন সে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” পাঠ করলো। এ সত্ত্বেও আমরা তাকে আঘাত করে হত্যা করলাম। পরে ঘটনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানালাম। তিনি বললেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ তোমার বিরুদ্ধে বাদী হলে কে তোমার জন্য সুপারিশ করবে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো তরবারির ভয়ে কালেমা পাঠ করেছে। তিনি বললেনঃ সে তরবারির ভয়েই কালেমা পাঠ করেছে, তা কি তুমি তার অন্তর ফেড়ে দেখেছো? ক্বিয়ামাতের দিন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-র সামনে কে তোমাকে নাজাত দিবে (বর্ণনাকারী বলেন,) তিনি বারবার একথা বলতে থাকলেন। এমনকি আমার মনে হচ্ছিল, আমি যদি এ দিনটির পূর্বে মুসলিম না হতাম!

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَقِيتُ رَجُلاً مِنَ الْكُفَّارِ فَقَاتَلَنِي فَضَرَبَ إِحْدَى يَدَىَّ بِالسَّيْفِ ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ فَقَالَ أَسْلَمْتُ لِلَّهِ ‏.‏ أَفَأَقْتُلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَعْدَ أَنْ قَالَهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَقْتُلْهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَطَعَ يَدِي ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَقْتُلْهُ فَإِنْ قَتَلْتَهُ فَإِنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أَنْ تَقْتُلَهُ وَأَنْتَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ ‏”‏ ‏.‏

আল-মিক্বদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি কোন কাফিরের মোকাবিলায় লড়তে গিয়ে তার তরবারির আঘাতে আমার একটি হাত কেটে যায়। তারপর সে আমার পাল্টা আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য কোন গাছে আড়ালে আশ্রয় নিয়ে বলে, ‘আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম হয়েছি’- একথা বলার পর হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তাকে হত্যা করবো? তিনি বললেনঃ না, তাকে হত্যা করো না। আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো আমার হাত কেটে ফেলেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে হত্যা করো না। কেননা তুমি তাকে হত্যা করলে এ হত্যার পূর্বে তুমি (ঈমান আনার কারণে) যে মর্যাদায় ছিলে, সে ঐ মর্যাদায় পৌছে যাবে। আর এ কালেমা পাঠের পূর্বে সে যে অবস্থায় ছিল, তুমি তার অবস্থায় চলে যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৫

কেউ দৃঢ়ভাবে সাজদাহ্‌য় পড়ে থাকলে তাকে হত্যা করা যাবে না

২৬৪৫

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً إِلَى خَثْعَمٍ فَاعْتَصَمَ نَاسٌ مِنْهُمْ بِالسُّجُودِ فَأَسْرَعَ فِيهِمُ الْقَتْلُ – قَالَ – فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ لَهُمْ بِنِصْفِ الْعَقْلِ وَقَالَ ‏”‏ أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ يُقِيمُ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُشْرِكِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ قَالَ ‏”‏ لاَ تَرَاءَى نَارَاهُمَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هُشَيْمٌ وَمُعْتَمِرٌ وَخَالِدٌ الْوَاسِطِيُّ وَجَمَاعَةٌ لَمْ يَذْكُرُوا جَرِيرًا ‏.‏

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাস’আম গোত্রের বিরুদ্ধে একটি ক্ষুদ্র বাহিনী প্রেরণ করলেন। সৈন্যদল সেখানে পৌছে দেখলো যে, ঐ গোত্রের কিছু লোক সাজদাহ্‌য় পড়ে আছে। কিন্তু এ সত্ত্বেও তাদেরকে তাড়াতাড়ি হত্যা করা হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এ সংবাদ পৌছলে তিনি তাদের ওয়ারিশদেরকে অর্ধেক দিয়াত (রক্তপন) প্রদানের নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেনঃ আমি ঐ মুসলিম থেকে দায়মুক্ত যারা মুশরিকদের মধ্যে বসবাস করে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! রক্তপণের অর্ধেক রহিত হওয়ার কারণ কি? তিনি বললেনঃ দুই অঞ্চলের আগুনকে এক দৃষ্টিতে দেখা যাবে না।

 

সহীহ। অর্ধেক দিয়াত সম্পর্কিত বাক্যটি বাদে। ইরওয়া (১২০৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৬

যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন করা সম্পর্কে

২৬৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ خِرِّيتٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَزَلَتْ ‏{‏ إِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ ‏}‏ فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ حِينَ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ أَنْ لاَ يَفِرَّ وَاحِدٌ مِنْ عَشَرَةٍ ثُمَّ إِنَّهُ جَاءَ تَخْفِيفٌ فَقَالَ ‏{‏ الآنَ خَفَّفَ اللَّهُ عَنْكُمْ ‏}‏ قَرَأَ أَبُو تَوْبَةَ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ ‏}‏ قَالَ فَلَمَّا خَفَّفَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمْ مِنَ الْعِدَّةِ نَقَصَ مِنَ الصَّبْرِ بِقَدْرِ مَا خَفَّفَ عَنْهُمْ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (মহান আল্লাহর বানী): “যদি তোমাদের বিশজন ধৈর্যশীল লোক থাকে, তবে তারা দুইশো (কাফির) ব্যক্তির উপর বিজয়ী হবে” (সূরাহ আল-আনফালঃ আয়াত ৬৫)। এ আয়াত অবতীর্ণ করে আল্লাহ মুসলিমদের উপর ধার্য করে দিলেন যে, একজন মুসলিম সৈন্যের বিরুদ্ধে দশজন কাফির থাকলে সে পালাতে পারবে না। বিষয়টি মুসলিমদের কাছে খবই কঠিন নির্দেশ বলে মনে হলো। অতঃপর তাদের জন্য সহজ হুকুম আসলো। মহান আল্লাহ বলেন, “এখন আল্লাহ তোমাদের প্রতি নির্দেশ হালকা করে দিয়েছেন। তিনি জেনেছেন, এখনো তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। সুতরাং তোমাদের একশো ধৈর্যশীল লোক তাদের দুইশো লোকের উপর বিজয়ী হবে” (সূরাহ আল-আনফালঃ আয়াত ৬৬)। বর্ণনাকারী আবূ তাওবাহ (রহঃ) ‘ইয়াগলিবূ মিআতাইন’ পর্যন্ত পড়লেন। ইবনু ‘আব্বাস বলেন,আল্লাহ যখন তাদের সংখ্যা কমিয়ে দিলেন, সেই পরিমাণে তাদের ধৈর্যও কমে গেলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، كَانَ فِي سَرِيَّةٍ مِنْ سَرَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحَاصَ النَّاسُ حَيْصَةً فَكُنْتُ فِيمَنْ حَاصَ – قَالَ – فَلَمَّا بَرَزْنَا قُلْنَا كَيْفَ نَصْنَعُ وَقَدْ فَرَرْنَا مِنَ الزَّحْفِ وَبُؤْنَا بِالْغَضَبِ فَقُلْنَا نَدْخُلُ الْمَدِينَةَ فَنَتَثَبَّتُ فِيهَا وَنَذْهَبُ وَلاَ يَرَانَا أَحَدٌ – قَالَ – فَدَخَلْنَا فَقُلْنَا لَوْ عَرَضْنَا أَنْفُسَنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنْ كَانَتْ لَنَا تَوْبَةٌ أَقَمْنَا وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ ذَهَبْنَا – قَالَ – فَجَلَسْنَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا خَرَجَ قُمْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا نَحْنُ الْفَرَّارُونَ فَأَقْبَلَ إِلَيْنَا فَقَالَ ‏”‏ لاَ بَلْ أَنْتُمُ الْعَكَّارُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَدَنَوْنَا فَقَبَّلْنَا يَدَهُ فَقَالَ ‏”‏ أَنَا فِئَةُ الْمُسْلِمِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক প্রেরিত কোন এক সামরিক অভিযানকারী দলের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, সৈন্যরা (কৌশলগত কারণে) পলায়ন করলে আমিও তাদের সাথে আত্মগোপন করি। অতঃপর বিপদমুক্ত হয়ে বাইরে এসে পরামর্শ করি, এখন কি করা যায়? আমরা তো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর কারণে আল্লাহর অসন্তুষ্টির পাত্র হয়েছি। আমরা বললাম, চলো আমরা মদিনাহ্‌য় গিয়ে আত্মগোপন করে থাকি যেন কেউ আমাদের দেখতে না পায়। দ্বিতীয়বার জিহাদের সুযোগ এলে আমরা তাতে যোগদান করবো। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা মদিনাহ্‌য় প্রবেশ করে পরস্পর বলাবলি করলাম, আমরা যদি নিজেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে পেশ করি এবং আমাদের জন্য যদি তাওবাহ্‌র সুযোগ থাকে তাহলে মদিনায় থেকে যাবো। এর বিপরীত কিছু হলে মাদীনাহ্‌ ছেড়ে চলে যাবো। তিনি (ইবনু ‘উমার) বলেন, আমরা ফাজ্‌রের সলাতের পূর্বেই (মাসজিদে) গিয়ে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপেক্ষায় বসে থাকলাম। অতঃপর তিনি বেরিয়ে এলে আমরা দাঁড়িয়ে বললাম, আমরা তো পলাতক সৈনিক। তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেনঃ না, বরং তোমরা পুনরায় যুদ্ধে যোগদানকারী। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর হাতে চুমা দিলাম। তিনি বললেনঃ আমি মুসলিমদের আশ্রয়স্থল।

 

দুর্বলঃ ইরওয়া (১২০৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ نَزَلَتْ فِي يَوْمِ بَدْرٍ ‏{‏ وَمَنْ يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ ‏}‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যে ব্যক্তি সেদিন পশ্চাঁদমুখী হয়ে পলায়ন করবে”।(সূরাহ আল-আনফালঃ ১৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৭

মুসলিম বন্দীকে কুফরী করতে বাধ্য করা হলে

২৬৪৯

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، وَخَالِدٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ خَبَّابٍ، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْدَةً فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا أَلاَ تَسْتَنْصِرْ لَنَا أَلاَ تَدْعُو اللَّهَ لَنَا فَجَلَسَ مُحْمَرًّا وَجْهُهُ فَقَالَ ‏ “‏ قَدْ كَانَ مَنْ قَبْلَكُمْ يُؤْخَذُ الرَّجُلُ فَيُحْفَرُ لَهُ فِي الأَرْضِ ثُمَّ يُؤْتَى بِالْمِنْشَارِ فَيُجْعَلُ عَلَى رَأْسِهِ فَيُجْعَلُ فِرْقَتَيْنِ مَا يَصْرِفُهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ وَيُمْشَطُ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ مَا دُونَ عَظْمِهِ مِنْ لَحْمٍ وَعَصَبٍ مَا يَصْرِفُهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ وَاللَّهِ لَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الأَمْرَ حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَحَضْرَمَوْتَ مَا يَخَافُ إِلاَّ اللَّهَ تَعَالَى وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ وَلَكِنَّكُمْ تَعْجَلُونَ ‏”‏ ‏.‏

খাব্বাব ইবনুল আরাত্তি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট আসলাম। তখন তিনি তাঁর চাঁদরকে বালিশ বানিয়ে তাতে ঠেস দিয়ে কা’বা ঘরের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা তাঁর নিকট অভিযোগ করে বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করবেনা না? অতঃপর তিনি উঠে বসলেন। তাঁর মুখমন্ডল রঙিন হয়ে গেলো। তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বে যারা ছিল, তাদের কাউকে ধরে নিয়ে এসে তাকে গর্ত করে তাতে পুঁতে ফেলা হতো। অতঃপর করাত এনে তার মাথার উপর রেখে তা দিয়ে তাকে দ্বিখন্ডিত করা হতো। এরূপ নির্মম অত্যাচারও তাকে তার দ্বীন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আল্লাহর শপথ! তিনি এই ইসলামকে পূর্ণতা দান করবেন। এমকি ভ্রমণকারী সান’আ হতে হাদারামাওত পর্যন্ত নিরাপদে যাতায়াত করবে। আল্লাহর ভয় এবং তার মেষপালের জন্য বাঘের ভয় ব্যতীত তার জন্য অন্য কোন ভয় থাকবে না। অথচ তোমরা তাড়াহুড়া করছো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৮

গুপ্তচর মুসলিম হলে তার বিধান

২৬৫০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، حَدَّثَهُ حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ، – وَكَانَ كَاتِبًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ – قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلاَمُ يَقُولُ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ فَقَالَ ‏”‏ انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا فَانْطَلَقْنَا تَتَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا حَتَّى أَتَيْنَا الرَّوْضَةَ فَإِذَا نَحْنُ بِالظَّعِينَةِ فَقُلْنَا هَلُمِّي الْكِتَابَ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا عِنْدِي مِنْ كِتَابٍ ‏.‏ فَقُلْتُ لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ ‏.‏ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا فَأَتَيْنَا بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا يَا حَاطِبُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ فَإِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ وَلَمْ أَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا وَإِنَّ قُرَيْشًا لَهُمْ بِهَا قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ بِمَكَّةَ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ أَنْ أَتَّخِذَ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ قَرَابَتِي بِهَا وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَ بِي مِنْ كُفْرٍ وَلاَ ارْتِدَادٍ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَدَقَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে, আয-যুবাইরকে এবং আল-মিক্বদাদ (রাঃ)-কে পাঠিয়ে দিয়ে বললেনঃ তোমরা ‘রওদা খাখ’ নামক বাগানের নিকট গিয়ে পৌঁছবে। সেখানে গিয়ে এক বৃদ্ধা মহিলাকে পাবে। তার নিকটে একটা চিঠি রয়েছে, তোমরা তা উদ্ধার করে আনবে। আমাদের ঘোড়াগুলো নিয়ে আমরা দ্রুত ছুটে চললাম এবং রওদায় পৌঁছে এক বৃদ্ধা মহিলাকে পেয়ে তাকে বললাম, চিঠিটি বের করো। সে বললো, আমার কাছে কোন চিঠি নেই। আমি বললাম, হয় চিঠি বের করে দাও, নতুবা তোমার পরনের কাপড় খুলে খোঁজ করবো। ‘আলী (রাঃ) বলেন, সে তার চুলের খোপার মধ্য থেকে চিঠিটি বের করে দিলো। আমরা তা নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। দেখা গেলো যে, তা হাত্বিব ইবনু আবূ বালতাআহ কর্তৃক লিখিত মক্কায় কতিপয় মুশরিকের নামে পাঠানো চিঠি। তাতে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামরিক তৎপরতার কিছু তথ্য উল্লিখিত ছিলো। তিনি হাত্বিবকে বললেনঃ এটা কি করলে? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ব্যাপারে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিবেন না। কুরাইশদের সাথে আমার সম্পর্কযুক্ত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আমি কুরাইশ বংশীয় নই। এখানকার বহু মুহাজিরদের মক্কার কুরাইশদের সাথে আত্মীয়তা রয়েছে। তারা তাদের মাধ্যমে মক্কায় অবস্থিত স্বীয় পরিবারের নিরাপত্তা বিধান করে থাকেন। কিন্তু আমার তাদের সাথে বংশগত আত্মীয়তা নেই। তাই আমি তাদের কিছু উপকার করে আমার পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করার মনস্থ করেছিলাম। হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি কুফরী বশতঃ কিছু করিনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে তোমাদেরকে সত্যই বলেছে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমাকে এই মুনাফিকের গর্দান কেটে ফেলার অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে তো বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। তুমি কি অবহিত নও যে, আল্লাহ নিজেই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ “তোমরা যা ইচ্ছে হয় করো, আমি তোমাদের অবশ্যই ক্ষমা করে দিয়েছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫১

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ انْطَلَقَ حَاطِبٌ فَكَتَبَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم قَدْ سَارَ إِلَيْكُمْ وَقَالَ فِيهِ قَالَتْ مَا مَعِي كِتَابٌ ‏.‏ فَانْتَحَيْنَاهَا فَمَا وَجَدْنَا مَعَهَا كِتَابًا فَقَالَ عَلِيٌّ وَالَّذِي يُحْلَفُ بِهِ لأَقْتُلَنَّكِ أَوْ لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি পূর্ববর্তী ঘটনাটি সম্পর্কে বলেন, হাত্বিব মক্কাবাসীদের প্রতি একটি পত্র লিখলো। তাতে লিখা ছিল, ‘মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন’। এ বর্ণনায় ‘আলী আরো বললেনঃ মহিলাটি বললো, ‘আমার কাছে কোন চিঠি নেই’। আমরা তার উট বসিয়ে খোঁজ করেও তার কাছে কোন চিঠি পেলাম না। ‘আলী বললেন, সেই সত্ত্বার শপথ! যাঁর নামে শপথ করা হয়! হয়ত তুমি চিঠি বের করে দিবে, নতুবা আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করবো। এরপর বর্ণনাকারী বাকী হাদীস বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০৯

যিম্মী গুপ্তচর সম্পর্কে

২৬৫২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُحَبَّبٍ أَبُو هَمَّامٍ الدَّلاَّلُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، عَنْ فُرَاتِ بْنِ حَيَّانَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِهِ وَكَانَ عَيْنًا لأَبِي سُفْيَانَ وَكَانَ حَلِيفًا لِرَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَمَرَّ بِحَلْقَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ إِنِّي مُسْلِمٌ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَقُولُ إِنِّي مُسْلِمٌ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ مِنْكُمْ رِجَالاً نَكِلُهُمْ إِلَى إِيمَانِهِمْ مِنْهُمْ فُرَاتُ بْنُ حَيَّانَ ‏”‏ ‏.‏

ফুরাত ইবনু হাইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন। সে আবূ সুফিয়ানের গুপ্তচর ও এক আনসার লোকের আশ্রিত ব্যক্তি ছিলো। একদা আনসারদের এক সমাবেশের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় সে বললো, আমি মুসলিম। জনৈক আনসার বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যাদেরকে আমি তাদের ঈমানের উপর ছেড়ে দেই। ফুরাত ইবনু হাইয়ান তাদেরই একজন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১০

নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম ব্যক্তির মুসলিমদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি

২৬৫৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنِ ابْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَيْنٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ – وَهُوَ فِي سَفَرٍ – فَجَلَسَ عِنْدَ أَصْحَابِهِ ثُمَّ انْسَلَّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اطْلُبُوهُ فَاقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَسَبَقْتُهُمْ إِلَيْهِ فَقَتَلْتُهُ وَأَخَذْتُ سَلَبَهُ فَنَفَّلَنِي إِيَّاهُ ‏.

ইয়াস ইবনু সালামাহ ইবনু আকওয়া’ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে ছিলেন। এমতবস্থায় মুশরিকদের এক গুপ্তচর তাঁর কাছে এলো এবং কিছু সময় তাঁর সাহাবীদের নিকট বসে থাকার পর গোপনে সরে পড়লো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে খুঁজে বের করো এবং তাকে হত্যা করো। সর্বপ্রথম আমিই তাকে পেলাম এবং তাকে হত্যা করে তার মাল-পত্র কেড়ে নিলাম। পরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকেই ঐ মাল-পত্রগুলো দিয়ে দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৪

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ هَاشِمَ بْنَ الْقَاسِمِ، وَهِشَامًا، حَدَّثَاهُمْ قَالاَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَوَازِنَ – قَالَ – فَبَيْنَمَا نَحْنُ نَتَضَحَّى وَعَامَّتُنَا مُشَاةٌ وَفِينَا ضَعَفَةٌ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ فَانْتَزَعَ طَلَقًا مِنْ حِقْوِ الْبَعِيرِ فَقَيَّدَ بِهِ جَمَلَهُ ثُمَّ جَاءَ يَتَغَدَّى مَعَ الْقَوْمِ فَلَمَّا رَأَى ضَعَفَتَهُمْ وَرِقَّةَ ظَهْرِهِمْ خَرَجَ يَعْدُو إِلَى جَمَلِهِ فَأَطْلَقَهُ ثُمَّ أَنَاخَهُ فَقَعَدَ عَلَيْهِ ثُمَّ خَرَجَ يَرْكُضُهُ وَاتَّبَعَهُ رَجُلٌ مِنْ أَسْلَمَ عَلَى نَاقَةٍ وَرْقَاءَ هِيَ أَمْثَلُ ظَهْرِ الْقَوْمِ – قَالَ – فَخَرَجْتُ أَعْدُو فَأَدْرَكْتُهُ وَرَأْسُ النَّاقَةِ عِنْدَ وَرِكِ الْجَمَلِ وَكُنْتُ عِنْدَ وَرِكِ النَّاقَةِ ثُمَّ تَقَدَّمْتُ حَتَّى كُنْتُ عِنْدَ وَرِكِ الْجَمَلِ ثُمَّ تَقَدَّمْتُ حَتَّى أَخَذْتُ بِخِطَامِ الْجَمَلِ فَأَنَخْتُهُ فَلَمَّا وَضَعَ رُكْبَتَهُ بِالأَرْضِ اخْتَرَطْتُ سَيْفِي فَأَضْرِبَ رَأْسَهُ فَنَدَرَ فَجِئْتُ بِرَاحِلَتِهِ وَمَا عَلَيْهَا أَقُودُهَا فَاسْتَقْبَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ مُقْبِلاً فَقَالَ ‏”‏ مَنْ قَتَلَ الرَّجُلَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا سَلَمَةُ بْنُ الأَكْوَعِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لَهُ سَلَبُهُ أَجْمَعُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَارُونُ هَذَا لَفْظُ هَاشِمٍ ‏.‏

ইয়াস ইবনু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা সালামাহ (রাঃ) আমাকে বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গী হয়ে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান করেছি। আমরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম। আর আমাদের অধিকাংশ লোক ছিল পদাতিক ও দুর্বল। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি লাল রঙের একটি উটে চড়ে আমাদের কাছে এলো। সে উটের কোমর থেকে রশি খুলে তার উটটিকে বেঁধে রেখে লোকদের সঙ্গে খেতে বসলো। সে তাদের শারীরিক দুর্বলতা ও বাহনের স্বল্পতা লক্ষ্য করে দৌড়ে তার উটের কাছে গিয়ে উটের রশি খুলে সেটাকে বসিয়ে তার পিঠে চড়লো। অতঃপর তার উট হাঁকিয়ে চলে গেলো। আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি ছাই রঙের একটি উষ্ট্রী নিয়ে তার পিছু করলো। দলের মধ্যে এটাই ছিল সেরা সওয়ারী। বর্ণনাকারী বলেন, আমি দৌড়ে তার পিছনে ছুটলাম। আমি যখন তার নিকট পৌঁছি তখন উষ্ট্রীর মাথা ছিল ঐ গুপ্তচরের উটের পাছার নিকটে। আমি সামনে এগিয়ে তার উটের পিছু ধরে ফেলি এবং আমি আরো এগিয়ে তার উটের লাগাম ধরে ফেলি এবং উটটিকে বসিয়ে দেই। উটটি হাঁটু গেড়ে বসলে আমি খাপ থেকে তরবারী বের করে লোকটির মাথায় আঘাত হানলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমি তার বাহন ও মালপত্র নিয়ে আসলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকলের মাঝখান দিয়ে আমার সামনে এসে বললেনঃ কে লোকটিকে হত্যা করেছে? লোকেরা বললো, সালামাহ ইবনুল আকওয়া’। তিনি বললেনঃ নিহতের সব মাল-পত্র তার প্রাপ্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১১

দুশমনের মুখোমুখি হওয়ার উত্তম সময় কোনটি?

২৬৫৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ النُّعْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ مُقَرِّنٍ – قَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ أَخَّرَ الْقِتَالَ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ وَتَهُبَّ الرِّيَاحُ وَيَنْزِلَ النَّصْرُ ‏.‏

মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নু’মান ইবনু মুক্বাররিন (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি দিনের প্রথমভাগে যুদ্ধে আরম্ভ না করলে তা বিলম্বিত করতেন যতক্ষণ না সূর্য ঢলে পড়তো, বাতাস শুরু হতো এবং সাহায্য অবতীর্ণ হতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১২

যুদ্ধের সময় নীরব থাকার নির্দেশ

২৬৫৬

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَكْرَهُونَ الصَّوْتَ عِنْدَ الْقِتَالِ ‏.‏

ক্বায়িস উমামাহ ইবনু ‘আব্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণ যুদ্ধের সময় উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ

  •  সরাসরি

২৬৫৭

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ هَمَّامٍ، حَدَّثَنِي مَطَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ ذَلِكَ ‏.‏

আবূ বুরদাহ (রাঃ) হতে তার পিতার থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পুর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৩

যুদ্ধের সময় বাহন থেকে অবতরণ

২৬৫৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ لَمَّا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَانْكَشَفُوا نَزَلَ عَنْ بَغْلَتِهِ فَتَرَجَّلَ ‏.‏

আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হুনাইনের যুদ্ধের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের মুখোমুখি হন এবং মুসলিমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তখন তিনি তাঁর খচ্চর থেক নেমে পায়ে হাঁটতে লাগলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৪

যুদ্ধের সময় ময়দানে অহংকার প্রদর্শন

২৬৫৯

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ‏”‏ مِنَ الْغَيْرَةِ مَا يُحِبُّ اللَّهُ وَمِنْهَا مَا يُبْغِضُ اللَّهُ فَأَمَّا الَّتِي يُحِبُّهَا اللَّهُ فَالْغَيْرَةُ فِي الرِّيبَةِ وَأَمَّا الْغَيْرَةُ الَّتِي يُبْغِضُهَا اللَّهُ فَالْغَيْرَةُ فِي غَيْرِ رِيبَةٍ وَإِنَّ مِنَ الْخُيَلاَءِ مَا يُبْغِضُ اللَّهُ وَمِنْهَا مَا يُحِبُّ اللَّهُ فَأَمَّا الْخُيَلاَءُ الَّتِي يُحِبُّ اللَّهُ فَاخْتِيَالُ الرَّجُلِ نَفْسَهُ عِنْدَ الْقِتَالِ وَاخْتِيَالُهُ عِنْدَ الصَّدَقَةِ وَأَمَّا الَّتِي يُبْغِضُ اللَّهُ فَاخْتِيَالُهُ فِي الْبَغْىِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُوسَى ‏”‏ وَالْفَخْرِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু আতীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ আল্লাহ এক প্রকার আত্মমর্যাদা পছন্দ করেন, এবং আরেক প্রকার আত্মমর্যাদা তিনি ঘৃণা করেন। মহান আল্লাহ যেটা পছন্দ করেন তা হলো, সন্দেহজনক বিষয় বর্জনের আত্মসম্মানবোধ। সন্দেহজনক বিষয় ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রে আত্মসম্মানবোধ প্রদর্শনকে আল্লাহ ঘৃণা করেন। অনুরূপভাবে, এক প্রকার অহংকার প্রদর্শনকে আল্লাহ অপছন্দ করেন, আর এক প্রকার অহংকারকে পছন্দ করেন। আল্লাহ যে অহংকার প্রদর্শন পছন্দ করেন তা হলো, যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মোকাবিলায় অহংকার প্রদর্শন করা (যেন দুশমন ভয় পায়) এবং সদাক্বাহ্‌ দেয়ার সময় নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করা। মহান আল্লাহ যেরূপ অহংকারকে ঘৃণা করেন তা হলো, যুলুম-অত্যাচার ও বিদ্রোহমূলক কাজে অহংকার প্রদর্শন করা। বর্ণনাকারী মূসা স্বীয় বর্ণনায় খুয়ালা শব্দের পর ফাখর (অহংকার) শব্দ উল্লেখ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৫

শত্রু দ্বারা ঘেরাও হলে

২৬৬০

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ، – حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشَرَةً عَيْنًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ فَنَفَرُوا لَهُمْ هُذَيْلٌ بِقَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ رَجُلٍ رَامٍ فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِمْ عَاصِمٌ لَجَئُوا إِلَى قَرْدَدٍ فَقَالُوا لَهُمُ انْزِلُوا فَأَعْطُوا بِأَيْدِيكُمْ وَلَكُمُ الْعَهْدُ وَالْمِيثَاقُ أَنْ لاَ نَقْتُلَ مِنْكُمْ أَحَدًا فَقَالَ عَاصِمٌ أَمَّا أَنَا فَلاَ أَنْزِلُ فِي ذِمَّةِ كَافِرٍ ‏.‏ فَرَمَوْهُمْ بِالنَّبْلِ فَقَتَلُوا عَاصِمًا فِي سَبْعَةِ نَفَرٍ وَنَزَلَ إِلَيْهِمْ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ عَلَى الْعَهْدِ وَالْمِيثَاقِ مِنْهُمْ خُبَيْبٌ وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ وَرَجُلٌ آخَرُ فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ أَطْلَقُوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ فَرَبَطُوهُمْ بِهَا فَقَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ هَذَا أَوَّلُ الْغَدْرِ وَاللَّهِ لاَ أَصْحَبُكُمْ إِنَّ لِي بِهَؤُلاَءِ لأُسْوَةً ‏.‏ فَجَرُّوهُ فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ فَقَتَلُوهُ فَلَبِثَ خُبَيْبٌ أَسِيرًا حَتَّى أَجْمَعُوا قَتْلَهُ فَاسْتَعَارَ مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَلَمَّا خَرَجُوا بِهِ لِيَقْتُلُوهُ قَالَ لَهُمْ خُبَيْبٌ دَعُونِي أَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنْ تَحْسِبُوا مَا بِي جَزَعًا لَزِدْتُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আসিম ইবনু সাবিতের নেতৃত্বে দশজনকে গুপ্তচর হিসেবে পাঠালেন। হুযাইল গোত্রের প্রায় একশো তীরন্দাজ তাদের মোকাবিলা করতে বের হলো। ‘আসিম (রাঃ) তাদের আগমন টের পেয়ে সাথীদের নিয়ে একটি টিলায় আত্মগোপন করলেন। শত্রুরা তাদেরকে বললো, তোমরা নেমে এসে আত্মসমর্পণ করো। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তোমাদের কাউকে হত্যা করবো না। ‘আসিম (রাঃ) বললেন, আমি কাফিরদের দেয়া নিরাপত্তা ওয়াদায় আমি টিলা থেকে নামবো না। তারা তীর ছুঁড়ে ‘আসিম (রাঃ)-সহ সাতজনকে শহীদ করলো। বাকী তিনজন কাফিরদের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে টিলা থেকে নেমে আসেন। এ তিনজন হলেন খুবাইব(রাঃ), যায়িদ ইবনু দাসিনাহ (রাঃ) এবং আরেকজন (‘আবদুল্লাহ ইবনু তারিক)। কাফিররা তাদেরকে কাবু করে ধনুকের রশি খুলে তা দিয়ে তাদেরকে শক্ত করে বাঁধলো। এ দেখে তৃতীয় জন বললেন, এটা তো প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো না। আমি আমার (নিহত) সাথীদের সাথে মিলিত হওয়াই পছন্দ করি। কাফিররা তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিতে চাইলে তিনি যেতে অস্বীকার করায় তারা তাকেও শহীদ করলো। খুবাইব (রাঃ) বন্দী অবস্থায় থাকলেন। কাফিররা তাকে হত্যার জন্য একত্র হলে খুবাইব (রাঃ) নাভীর নীচের চুল পরিষ্কার করার জন্য একটা ক্ষুর চেয়ে নিলেন। কাফিররা যখন তাকে হত্যা করার জন্য বের হলো, খুবাইব (রাঃ) তাদেরকে বললেন, আমাকে দুই রাক’আত সলাত আদায়ের সুযোগ দাও। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি যদি তোমাদের এরূপ ধারণা করার আশংকা না করতাম যে, আমি ভয় পেয়েছি, তাহলে আমি সলাত আরো দীর্ঘায়িত করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬১

حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ، – وَهُوَ حَلِيفٌ لِبَنِي زُهْرَةَ – وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏

আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে ‘আমর ইবনু আবূ সুফিয়ান ইবনু উসাইদ ইবনু জারিয়া আস-সাক্বাফী এ হাদীস জানিয়েছেন। তিনি আবূ হুরায়রার (রাঃ) সাথী ছিলেন। উল্লেখিত সানাদে তিনি উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৬

আক্রমণের উদ্দেশ্যে ওঁৎ পেতে থাকা

২৬৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يُحَدِّثُ قَالَ جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الرُّمَاةِ يَوْمَ أُحُدٍ – وَكَانُوا خَمْسِينَ رَجُلاً – عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جُبَيْرٍ وَقَالَ ‏ “‏ إِنْ رَأَيْتُمُونَا تَخَطَّفُنَا الطَّيْرُ فَلاَ تَبْرَحُوا مِنْ مَكَانِكُمْ هَذَا حَتَّى أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ وَإِنْ رَأَيْتُمُونَا هَزَمْنَا الْقَوْمَ وَأَوْطَأْنَاهُمْ فَلاَ تَبْرَحُوا حَتَّى أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ فَأَنَا وَاللَّهِ رَأَيْتُ النِّسَاءَ يَشْتَدِدْنَ عَلَى الْجَبَلِ فَقَالَ أَصْحَابُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُبَيْرٍ الْغَنِيمَةَ أَىْ قَوْمِ الْغَنِيمَةَ ظَهَرَ أَصْحَابُكُمْ فَمَا تَنْتَظِرُونَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُبَيْرٍ أَنَسِيتُمْ مَا قَالَ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا وَاللَّهِ لَنَأْتِيَنَّ النَّاسَ فَلَنُصِيبَنَّ مِنَ الْغَنِيمَةِ فَأَتَوْهُمْ فَصُرِفَتْ وُجُوهُهُمْ وَأَقْبَلُوا مُنْهَزِمِينَ ‏.‏

আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুলাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের যুদ্ধের দিন ‘আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইরের (রাঃ) পঞ্চাশজন তীরন্দাজের নেতা নিযুক্ত করলেন। তিনি তাদেরকে সতর্কতামূলক বললেনঃ যদি তোমরা দেখ পাখি আমাদের গোশত ছিঁড়ে খাচ্ছে, তবুও তোমাদের ডেকে না পাঠানো পর্যন্ত তোমরা এ স্থান ত্যাগ করবে না। আর যদি দেখো, আমরা শত্রুদের পরাজিত করেছি, তবুও ডেকে না পাঠানো পর্যন্ত তোমরা তোমাদের স্থান ত্যাগ করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ মুশরিকদের পর্যুদস্ত করলেন। আল্লাহর শপথ! আমি দেখলাম, শত্রুপক্ষের নারীরা (পালানোর জন্য) পাহাড়ে উঠছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইরের (রাঃ) সাথীরা বললো, হে লোকেরা! গণীমাতের মাল সংগ্রহ করো। তোমারদের সাথীরা যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। এখনও কিসের জন্য অপেক্ষা করছো? একথা শুনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ কি তোমরা ভুলে গেছো? তারা বললো, আল্লাহর শপথ! আমরা নিশ্চয়ই যাবো এবং গনীমাত সংগ্রহ করবো। তারা চলে গেলো। ফলে তাদের মুখের উপর মারা হলো এবং তারা পরাজিত হলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৭

যুদ্ধক্ষেত্রে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করা

২৬৬৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْغَسِيلِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اصْطَفَفْنَا يَوْمَ بَدْرٍ ‏ “‏ إِذَا أَكْثَبُوكُمْ – يَعْنِي إِذَا غَشُوكُمْ – فَارْمُوهُمْ بِالنَّبْلِ وَاسْتَبْقُوا نَبْلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

হামযাহ ইবনু আবূ উসাইদ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (পিতা) বলেন, আমরা বদর প্রান্তরে সারিবদ্ধ হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শত্রুসৈন্য তোমাদের নাগালে এসে গেলে তোমরা তীর ছুড়বে এবং কিছু তীর অবশিষ্ট রাখবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৮

শত্রু নিকটবর্তী হলে তরবারি চালানো

২৬৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَجِيحٍ، – وَلَيْسَ بِالْمَلْطِيِّ – عَنْ مَالِكِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ ‏ “‏ إِذَا أَكْثَبُوكُمْ فَارْمُوهُمْ بِالنَّبْلِ وَلاَ تَسُلُّوا السُّيُوفَ حَتَّى يَغْشَوْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

মালিক ইবনু হামযাহ ইবনু আবূ উসাইদ আস- সাইদী (রহঃ) হতে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (দাদা) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদরের যুদ্ধের দিন বললেনঃ শত্রুরা তীরের নাগালে এসে গেলে তোমাদের ধনুক থেকে তীর ছুড়বে এবং তোমাদের তরবারির কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত তরবারি চালাবে না।

 

দুর্বলঃ মিশকাত (৩৯৫৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১৯

মল্লযুদ্ধ সম্পর্কে

২৬৬৫

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ تَقَدَّمَ – يَعْنِي عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ – وَتَبِعَهُ ابْنُهُ وَأَخُوهُ فَنَادَى مَنْ يُبَارِزُ فَانْتَدَبَ لَهُ شَبَابٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ مَنْ أَنْتُمْ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ لاَ حَاجَةَ لَنَا فِيكُمْ إِنَّمَا أَرَدْنَا بَنِي عَمِّنَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قُمْ يَا حَمْزَةُ قُمْ يَا عَلِيُّ قُمْ يَا عُبَيْدَةُ بْنَ الْحَارِثِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَقْبَلَ حَمْزَةُ إِلَى عُتْبَةَ وَأَقْبَلْتُ إِلَى شَيْبَةَ وَاخْتُلِفَ بَيْنَ عُبَيْدَةَ وَالْوَلِيدِ ضَرْبَتَانِ فَأَثْخَنَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ ثُمَّ مِلْنَا عَلَى الْوَلِيدِ فَقَتَلْنَاهُ وَاحْتَمَلْنَا عُبَيْدَةَ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বদরের দিন যুদ্ধের ময়দানে ‘উতবাহ ইবনু রবী’আহ অগ্রসর হলো এবং তার পিছনে তার ছেলে ও তার ভাই আসলো। ‘উতবাহ ডেকে বললো, আমার মোকাবিলা করার মত কে আছো? কতিপয় আনসার যুবক তার জবাব দিলে ‘উতবাহ বললো, তোমরা কে? তারা তাকে জবাব দিয়ে জানালো। সে বললো, তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা আমাদের চাচাতো ভাইদের চাই। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উঠো হে আলী, হে হামযা, ওঠো হে ‘উবাইদাহ ইবনুল হারিস। হামযাহ (রাঃ) ‘উতবাহ্‌র দিকে এবং আমি (‘আলী) শইবাহ্‌র দিকে অগ্রসর হয়ে উভয়কে হত্যা করলাম। ‘উবাইদাহ (রাঃ) ও ওয়ালীদের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকলো। দু’জনেই দু’জনকে আহত করলো। অতঃপর আমরা ওয়ালীদের দিকে অগ্রসর হয়ে তাকে হত্যা করলাম এবং আহত ‘উবাইদাহ্‌কে তুলে আনলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২০

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন নিষেধ

২৬৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ، عَنْ شِبَاكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هُنَىِّ بْنِ نُوَيْرَةَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَعَفُّ النَّاسِ قِتْلَةً أَهْلُ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে নিস্কলুষ হত্যাকারী ঈমানদার বটে।

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৯৬৩), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৫৮৪/২৬৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الْهَيَّاجِ بْنِ عِمْرَانَ، أَنَّ عِمْرَانَ، أَبَقَ لَهُ غُلاَمٌ فَجَعَلَ لِلَّهِ عَلَيْهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيْهِ لَيَقْطَعَنَّ يَدَهُ فَأَرْسَلَنِي لأَسْأَلَ لَهُ فَأَتَيْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحُثُّنَا عَلَى الصَّدَقَةِ وَيَنْهَانَا عَنِ الْمُثْلَةِ فَأَتَيْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحُثُّنَا عَلَى الصَّدَقَةِ وَيَنْهَانَا عَنِ الْمُثْلَةِ ‏.‏

আল হাইয়্যজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘ইমরানের (রাঃ) একটি গোলাম পালিয়ে গেলো। তিনি আল্লাহর নামে মানত করলেন যে, তিনি তাকে কাবু করতে পারলে তার হাত কেটে দিবেন। তিনি আমাকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে সামুরাহ ইবনু জুনদুবের (রাঃ) নিকট পাঠান। আমি তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে দান-খয়রাতের প্রতি উৎসাহিত করতেন এবং মানুষের অঙ্গ–প্রতঙ্গ কেটে বিকৃত করতে নিষেধ করতেন। অতঃপর আমি ‘ইমরান ইবনু হুসাইনের (রাঃ) নিকট আসি এবং তাকেও একই বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। তিনিও বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে দান খয়রাত করতে উৎসাহিত করতেন আর মানুষের নাক-কান বিকৃত করা নিষেধ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২১

নারী হত্যা সম্পর্কে

২৬৬৮

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَقُتَيْبَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ امْرَأَةً، وُجِدَتْ، فِي بَعْضِ مَغَازِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقْتُولَةً فَأَنْكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَتْلَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْمُرَقِّعِ بْنِ صَيْفِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّهِ، رَبَاحِ بْنِ رَبِيعٍ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ فَرَأَى النَّاسَ مُجْتَمِعِينَ عَلَى شَىْءٍ فَبَعَثَ رَجُلاً فَقَالَ ‏”‏ انْظُرْ عَلاَمَ اجْتَمَعَ هَؤُلاَءِ ‏”‏ فَجَاءَ فَقَالَ عَلَى امْرَأَةٍ قَتِيلٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مَا كَانَتْ هَذِهِ لِتُقَاتِلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَعَلَى الْمُقَدِّمَةِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَبَعَثَ رَجُلاً فَقَالَ ‏”‏ قُلْ لِخَالِدٍ لاَ يَقْتُلَنَّ امْرَأَةً وَلاَ عَسِيفًا ‏”‏ ‏.‏

রাবাহ ইবনু রবী’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা কোন এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। তিনি লোকদেরকে একটি স্থানে ভিড় জমাতে দেখে এক লোককে পাঠিয়ে বললেনঃ দেখে আসো, ঐ লোকেরা কি জন্য ভিড় জমিয়েছে। লোকটি এসে বললো, তারা একটি নিহত মহিলার লাশের কাছে একত্র হয়েছে। তিনি বললেনঃ এ মহিলা তো যুদ্ধ করেনি। একে কেন হত্যা করা হলো! বর্ণনাকারী বলেন, খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) অগ্রবর্তী দলের নেতৃত্বে ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বললেনঃ খালিদকে বলো, নারী এবং শ্রমিককে হত্যা করবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৬৭০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اقْتُلُوا شُيُوخَ الْمُشْرِكِينَ وَاسْتَبْقُوا شَرْخَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (যোদ্ধাবাজ) মুশরিক বৃদ্ধদের হত্যা করবে এবং তাদের অল্প বয়স্কদের অবশিষ্ট রাখবে।

 

দুর্বল: যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (২৭২/১৬৪৮) এ শব্দে: মিশকাত (৩৯৫২), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (১০৬৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৭১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمْ يُقْتَلْ مِنْ نِسَائِهِمْ – تَعْنِي بَنِي قُرَيْظَةَ – إِلاَّ امْرَأَةً إِنَّهَا لَعِنْدِي تُحَدِّثُ تَضْحَكُ ظَهْرًا وَبَطْنًا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْتُلُ رِجَالَهُمْ بِالسُّيُوفِ إِذْ هَتَفَ هَاتِفٌ بِاسْمِهَا أَيْنَ فُلاَنَةُ قَالَتْ أَنَا ‏.‏ قُلْتُ وَمَا شَأْنُكِ قَالَتْ حَدَثٌ أَحْدَثْتُهُ ‏.‏ قَالَتْ فَانْطَلَقَ بِهَا فَضُرِبَتْ عُنُقُهَا فَمَا أَنْسَى عَجَبًا مِنْهَا أَنَّهَا تَضْحَكُ ظَهْرًا وَبَطْنًا وَقَدْ عَلِمَتْ أَنَّهَا تُقْتَلُ ‏.‏

‘আয়ীশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বনী কুরাইযার কোন মহিলাকে হত্যা করা হয়নি। তবে এক মহিলাকে হত্যা করা হয়। সে আমার পাশে বসে কথা বলছিল এবং অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাজারে তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি তার নাম ধরে ডেকে বললো, অমুক মহিলাটি কোথায়? সে বললো, আমি। আমি (‘আয়ীশাহ) বললাম, তোমার কি হলো? (ডাকছো কেন?) সে বললো, আমি যা ঘটিয়েছি সেজন্য (সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়েছিলো)। ‘আয়ীশাহ (রাঃ) বলেন, তাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হলো। আমি ঘটনাটি আজও ভুলতে পারিনি। আমি তার এ আচরণে অবাক হয়েছিলাম যে, তাকে হত্যা করা হবে একথা জেনেও সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৭২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّارِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُبَيَّتُونَ فَيُصَابُ مِنْ ذَرَارِيِّهِمْ وَنِسَائِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هُمْ مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ عَمْرٌو – يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ – يَقُولُ هُمْ مِنْ آبَائِهِمْ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ ‏.‏

আস-সা’ব ইবনু জাস্‌সামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, মুশরিকদের বাসস্থানে রাতে আক্রমন করলে তাদের নারী ও শিশুরাও নিহত হতে পারে, (এমতাবস্থায় এর হুকুম কি)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত। ‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) বললেন, তারা তাদের পিতাদের অন্তর্ভুক্ত। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারী ও শিশুদের হত্যা করা নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২২

শত্রুকে আগুনে পোড়ানো অপছন্দনীয়

২৬৭৩

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّرَهُ عَلَى سَرِيَّةٍ قَالَ فَخَرَجْتُ فِيهَا وَقَالَ ‏”‏ إِنْ وَجَدْتُمْ فُلاَنًا فَاحْرِقُوهُ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.‏ فَوَلَّيْتُ فَنَادَانِي فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ إِنْ وَجَدْتُمْ فُلاَنًا فَاقْتُلُوهُ وَلاَ تُحْرِقُوهُ فَإِنَّهُ لاَ يُعَذِّبُ بِالنَّارِ إِلاَّ رَبُّ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু হামযাহ আল-আসলামী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক অভিযানে তার পিতাকে সেনাপতি নিযুক্ত করেন। হামযাহ (রাঃ) বলেন, আমরা অভিযানে বের হওয়ার সময় তিনি বলে দিলেন যে, অমুক ব্যক্তিকে পেলে আগুন দিয়ে পোড়াবে। আমি পিঠ ফিরে চলে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে পুনরায় ডাকলেন। আমি তাঁর নিকট ফিরে এলে তিনি বললেনঃ তোমরা অমুক ব্যক্তিকে পেলে হত্যা করবে, আগুনে পোড়াবে না। কেননা কেবল আগুনের প্রভুই আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়ার অধিকারী, অন্য কেউ নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৭৪

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ، وَقُتَيْبَةُ، أَنَّ اللَّيْثَ بْنَ سَعْدٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْثٍ فَقَالَ ‏ “‏ إِنْ وَجَدْتُمْ فُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এক অভিযানে প্রেরণের সময় বললেনঃ তোমরা যদি অমুক অমুক ব্যক্তিকে পাও … অতঃপর বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরুপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سَعْدٍ، – قَالَ غَيْرُ أَبِي صَالِحٍ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حُمَّرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا فَجَاءَتِ الْحُمَّرَةُ فَجَعَلَتْ تَفْرُشُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا فَقَالَ ‏”‏ مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا نَحْنُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلاَّ رَبُّ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর সঙ্গী ছিলাম। তিনি তাঁর প্রয়োজনে অন্যত্র গেলেন। আমরা দু’টি বাচ্চাসহ একটি পাখি দেখতে পেয়ে বাচ্চা দুটোকে ধরে নিলাম। মা পাখিটা সাথে সাথে আসলো এবং পাখা ঝাঁপটিয়ে বাচ্চার জন্য অস্থিরতা প্রকাশ করতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসে বললেনঃ কে এর বাচ্চা নিয়ে এসে একে অস্থিরতায় ফেলেছে? বাচ্চাগুলো এদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দাও। তিনি আমাদের পুড়িয়ে দেয়া একটা পিঁপড়ার ঢিবি দেখতে পেয়ে বললেনঃকে এগুলো পুড়িয়েছে? আমরা বললাম, আমরা। তিনি বললেনঃআগুনের রব্ব ব্যতীত আগুন দিয়ে কিছুকে শাস্তি দেয়ার কারো অধিকার নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২৩

কেউ তার পশু গনীমতের অর্ধেক বা অংশবিশেষ দেয়ার শর্তে ভাড়া দিলে

২৬৭৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو زُرْعَةَ، يَحْيَى بْنُ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، قَالَ نَادَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَخَرَجْتُ إِلَى أَهْلِي فَأَقْبَلْتُ وَقَدْ خَرَجَ أَوَّلُ صَحَابَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَفِقْتُ فِي الْمَدِينَةِ أُنَادِي أَلاَ مَنْ يَحْمِلُ رَجُلاً لَهُ سَهْمُهُ فَنَادَى شَيْخٌ مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ لَنَا سَهْمُهُ عَلَى أَنْ نَحْمِلَهُ عَقَبَةً وَطَعَامُهُ مَعَنَا قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَسِرْ عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ تَعَالَى ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْتُ مَعَ خَيْرِ صَاحِبٍ حَتَّى أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْنَا فَأَصَابَنِي قَلاَئِصُ فَسُقْتُهُنَّ حَتَّى أَتَيْتُهُ فَخَرَجَ فَقَعَدَ عَلَى حَقِيبَةٍ مِنْ حَقَائِبِ إِبِلِهِ ثُمَّ قَالَ سُقْهُنَّ مُدْبِرَاتٍ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ سُقْهُنَّ مُقْبِلاَتٍ ‏.‏ فَقَالَ مَا أَرَى قَلاَئِصَكَ إِلاَّ كِرَامًا – قَالَ – إِنَّمَا هِيَ غَنِيمَتُكَ الَّتِي شَرَطْتُ لَكَ ‏.‏ قَالَ خُذْ قَلاَئِصَكَ يَا ابْنَ أَخِي فَغَيْرَ سَهْمِكَ أَرَدْنَا ‏.‏

ওয়াসিলাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূকের যুদ্ধে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দিলেন। ইতোমধ্যে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একত্রে ফিরে আসি। এরই মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের প্রথম দলটি রওয়ানা হয়ে গেছে। আমি মাদীনাহ্‌র অলিগলিতে ডেকে ডেকে বললাম, এমন কেউ আছে কি একজনকে বাহন দিবে, তার জন্য তার গনিমাতের অংশ থাকবে। এক প্রবীণ আনসারী ডেকে বললেন, তার অংশ আমি নিতে চাই। সে আমাদের বাহনের পিছনে চড়বে এবং আমাদের সাথেই খাওয়া-দাওয়া করবে। আমি বললাম, হাঁ, ঠিক আছে। প্রবীণ লোকটি বলেন, তাহলে এসো এবং মহান আল্লাহ্‌র আশু বরকতের উপর ভরসা করে যাত্রা করো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আমার উত্তম সাথীর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম। আল্লাহ আমাদেরকে গনিমাত দান করলেন। আমার ভাগে কিছু উট পড়লো। আমি এগুলো দ্রুত হাকিঁয়ে আমার সেই উত্তম বন্ধুর কাছে নিয়ে আসি। প্রবীণ ব্যক্তি বেরিয়ে এসে তার উটের পালানের উপর বসলেন, তারপর বললেন, এগুলোকে আমার দিকে পিঠ করে হাঁকাও। তিনি পুনরায় বললেন, এগুলো আমার দিকে মুখ উত্তম মনে হয়। তিনি বললেন, এগুলো আপনার সেই মাল যার চুক্তি আমি আপনার সাথে করেছি। তিনি বললেন, হে ভাতিজা! তুমি তোমার উটগুলোকে নিয়ে যাও। গনিমাতের অংশ নেয়ার ইচ্ছা আমার নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ—১২৪

কয়েদীকে শক্ত করে বেধেঁ রাখা

২৬৭৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَقَدْ عَجِبَ رَبُّنَا عَزَّ وَجَلَّ مِنْ قَوْمٍ يُقَادُونَ إِلَى الْجَنَّةِ فِي السَّلاَسِلِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: আমাদের রব্ব মহান আল্লাহ ঐ লোকদের দেখে বিস্মিত হবেন, যাদেরকে শৃঙ্খলিত অবস্হায় জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৭৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ مَكِيثٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللَّهِ بْنَ غَالِبٍ اللَّيْثِيَّ فِي سَرِيَّةٍ وَكُنْتُ فِيهِمْ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَشُنُّوا الْغَارَةَ عَلَى بَنِي الْمُلَوِّحِ بِالْكَدِيدِ فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْكَدِيدِ لَقِينَا الْحَارِثَ بْنَ الْبَرْصَاءِ اللَّيْثِيَّ فَأَخَذْنَاهُ فَقَالَ إِنَّمَا جِئْتُ أُرِيدُ الإِسْلاَمَ وَإِنَّمَا خَرَجْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا إِنْ تَكُنْ مُسْلِمًا لَمْ يَضُرَّكَ رِبَاطُنَا يَوْمًا وَلَيْلَةً وَإِنْ تَكُنْ غَيْرَ ذَلِكَ نَسْتَوْثِقْ مِنْكَ فَشَدَدْنَاهُ وِثَاقًا ‏.‏

জুনদুব ইবনু মাকীস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুল্লাহ ইবনু গালিব আল-লাইসীকে (রাঃ) একটি অভিযানে পাঠালেন। তাদের সাথে আমিও ছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে, কাদীদের বনূ মালু্হ গোত্রকে কয়েক দিক থেকে আক্রমন করবে। আমরা রওয়ানা হলাম এবং কাদীদ এলাকায় পৌছে সেখানে আল-আরিস ইবনুল বারসায়া আল–লাইসীর সাক্ষাৎ পেলাম। আমরা তাকে গ্রেফতার করলে সে বললো, আমি ইসলাম কবুলের জন্য রাসূললাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট যাওয়ার উদ্দেশ্য বেড়িয়েছি। আমরা বললাম, তুমি মুসলিম হলে তোমাকে একদিন ও এক রাত বেধেঁ রাখাতে তোমার কোনো ক্ষতি হবে না। আর যদি অন্য কিছু হও তাওলে আমরা তোমাকে শক্ত করে বাধঁবো। অতঃপর আমরা তাকে শক্ত করে বেধেঁ রাখলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৭৯

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، وَقُتَيْبَةُ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْلاً قِبَلَ نَجْدٍ فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ سَيِّدُ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَاذَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِنْدِي يَا مُحَمَّدُ خَيْرٌ إِنْ تَقْتُلْ تَقْتُلْ ذَا دَمٍ وَإِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْمَالَ فَسَلْ تُعْطَ مِنْهُ مَا شِئْتَ ‏.‏ فَتَرَكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ ثُمَّ قَالَ لَهُ ‏”‏ مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ ‏”‏ ‏.‏ فَأَعَادَ مِثْلَ هَذَا الْكَلاَمِ فَتَرَكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَانَ بَعْدَ الْغَدِ فَذَكَرَ مِثْلَ هَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ فِيهِ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏ قَالَ عِيسَى أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ وَقَالَ ذَا ذِمٍّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজদ এলাকায় অশ্বারোহী কাফেলা পাঠালেন। তারা বনী হানিফা্হ গোত্রের সুমামাহ ইবনু ইসাল নামক এক ব্যাক্তিকে ধরে নিয়ে এলো। সে ইয়ামামাবাসীদের নেতা ছিলো। লোকটিকে মাসজিদে নাববীর একটি খুটিঁতে বেধেঁ রাখা হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছে এসে বললেনঃহে সুমামাহ! তোমার নিকট কি আছে? সে বললো, হে মুহাম্মাদ! আমার কাছে কল্যান আছে। আপনি আমাকে হত্যা করলে এমন এক ব্যাক্তিকে হত্যা করলেন যার রক্তের প্রতিশোধ নেয়া হবে। আর আপনি যদি অনুগ্রহ করেন, তাহলে একজন সন্মানি লোককে অনুগ্রহ করলেন। আপনি সম্পদের আশা করলে যত ইচ্ছে চাইতে পারেন, দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলে গেলেন। পরবর্তী সকাল বেলায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন: এ সুমামাহ! তুমি তোমার সাথে কেমন আচরনের প্রত্যাশা করো? সে আগের মতই জবাব দিলো। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলে গেলেন। তৃতীয় দিনের সকাল বেলায় সে একই জবাব দিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সুমা্মাহকে ছেড়ে দাও। সে মাসজিদের নিকটস্হ খেজুর বাগানে ঢুকে (কুপের পানিতে) গোসল করে মাসজিদে এসে বললো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি ,আল্লাহ ছারা কনো ইলা্হ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল। বর্ণনাকারী ঈসা বলেন, লাইস (রাঃ) আমাদের জানিয়েছেন, সুমামা্হ বললো, আপনি আমাকে হত্যা করলে একজন অপরাধীকেই হত্যা করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، قَالَ قُدِمَ بِالأُسَارَى حِينَ قُدِمَ بِهِمْ وَسَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ عِنْدَ آلِ عَفْرَاءَ فِي مُنَاخِهِمْ عَلَى عَوْفٍ وَمُعَوِّذٍ ابْنَىْ عَفْرَاءَ قَالَ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْهِنَّ الْحِجَابُ قَالَ تَقُولُ سَوْدَةُ وَاللَّهِ إِنِّي لَعِنْدَهُمْ إِذْ أَتَيْتُ فَقِيلَ هَؤُلاَءِ الأُسَارَى قَدْ أُتِيَ بِهِمْ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى بَيْتِي وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ وَإِذَا أَبُو يَزِيدَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فِي نَاحِيَةِ الْحُجْرَةِ مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ بِحَبْلٍ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُمَا قَتَلاَ أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَكَانَا انْتَدَبَا لَهُ وَلَمْ يَعْرِفَاهُ وَقُتِلاَ يَوْمَ بَدْرٍ ‏.‏

ইয়াহইয়া ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু সা’দ ইবনু যুরারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (ইয়াহইয়া) বলেন, যখন বদরের যুদ্ধের সময় বন্দীদের আনা হয় তখন সাওদা্হ বিনতু যাম’আহ (রাঃ) ‘আফরা পরিবারের নিকট ‘আফরার ছেলে ‘আওফ ও মুআব্বিজের পাশে উটশালায় ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এটি পর্দার বিধানের পুর্বের ঘটনা। বর্ণনাকারী বলেন, সাওদা্হ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি তাদের কাছে ছিলাম। আমি ফিরে আসলে বলা হলো, এরা সবাই বন্দী। এদেরকে আনা হয়েছে। আমি নিজের ঘরে এলাম। তখন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরেই ছিলেন। আমাদের ঘরের এক কোনে আবূ ইয়াযীদ সুহাইল ইবনু ‘আমরকে দেখতে পেলাম। তার দুই হাত রশি দিয়ে ঘাড়ের সাথে বাধাঁ। অতঃপর বর্ণনাকারী অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আওফ ইবনু ‘আফরা্হ ও মুআব্বিজ ইবনু ‘আফরা্হ (রাঃ) বদর যুদ্ধে আবূ জাহল ইবনু হিশামকে হত্যা করেন। তারা তার বিরুদ্ধে লড়েছেন, আবূ জাহল কে তারা চিনতেন না। তারাও বদর যুদ্ধে নিহত হোন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২৫

বন্দীদেকে মারধর ও হুমকি দিয়ে তথ্য উদ্ধার করা

২৬৮১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَدَبَ أَصْحَابَهُ فَانْطَلَقُوا إِلَى بَدْرٍ فَإِذَا هُمْ بِرَوَايَا قُرَيْشٍ فِيهَا عَبْدٌ أَسْوَدُ لِبَنِي الْحَجَّاجِ فَأَخَذَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلُوا يَسْأَلُونَهُ أَيْنَ أَبُو سُفْيَانَ فَيَقُولُ وَاللَّهِ مَا لِي بِشَىْءٍ مِنْ أَمْرِهِ عِلْمٌ وَلَكِنْ هَذِهِ قُرَيْشٌ قَدْ جَاءَتْ فِيهِمْ أَبُو جَهْلٍ وَعُتْبَةُ وَشَيْبَةُ ابْنَا رَبِيعَةَ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ ‏.‏ فَإِذَا قَالَ لَهُمْ ذَلِكَ ضَرَبُوهُ فَيَقُولُ دَعُونِي دَعُونِي أُخْبِرْكُمْ ‏.‏ فَإِذَا تَرَكُوهُ قَالَ وَاللَّهِ مَا لِي بِأَبِي سُفْيَانَ مِنْ عِلْمٍ وَلَكِنْ هَذِهِ قُرَيْشٌ قَدْ أَقْبَلَتْ فِيهِمْ أَبُو جَهْلٍ وَعُتْبَةُ وَشَيْبَةُ ابْنَا رَبِيعَةَ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ قَدْ أَقْبَلُوا ‏.‏ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَهُوَ يَسْمَعُ ذَلِكَ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَتَضْرِبُونَهُ إِذَا صَدَقَكُمْ وَتَدَعُونَهُ إِذَا كَذَبَكُمْ هَذِهِ قُرَيْشٌ قَدْ أَقْبَلَتْ لِتَمْنَعَ أَبَا سُفْيَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَذَا مَصْرَعُ فُلاَنٍ غَدًا ‏”‏ ‏.‏ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى الأَرْضِ ‏”‏ وَهَذَا مَصْرَعُ فُلاَنٍ غَدًا ‏”‏ ‏.‏ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى الأَرْضِ ‏”‏ وَهَذَا مَصْرَعُ فُلاَنٍ غَدًا ‏”‏ ‏.‏ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى الأَرْضِ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا جَاوَزَ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَنْ مَوْضِعِ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُخِذَ بِأَرْجُلِهِمْ فَسُحِبُوا فَأُلْقُوا فِي قَلِيبِ بَدْرٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের যুদ্ধে অংশ গ্রহনের আ্হবান জানালেন। তারা বদর অভিমুখে রওয়ানা হলেন। তার হাজ্জাদ গোত্রের এক কালো কৃতদাস কে কুরাইশদের পানি বহনকারী উটের সংঙ্গে পেয়ে গেলেন। সাহাবায়ী কিরাম তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলেন। আবূ সুফিআন কোথায় বলো? সে বললো, আল্লাহর শপথ! তার সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে কুরাইশ বাহিনী আসছে, সঙ্গে আবূ জাহল, ’উতবাহ ও শাইবাহ ইবনু রবী’আ্হ এবং উমাইয়াহ ইবনু খালাফ রয়েছে। সে একথা জানালে সাহাবীগণ তাকে মারধর করতে লাগলেন। সে চিৎকার করে বললো, ছাড়ো ছাড়ো! আমি বলছি। তারা তাকে ছেরে দিলে সে বললো, আল্লাহর শপথ! আবূ সুফিয়ান সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। তবে এই কোরাইশ বাহিনী আসছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতরত ছিলেন। তিনি কথাগুলা শুনলেন। সলাত শেষ করে তিনি বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার প্রান। সে যখন তোমাদের সত্য কথা বলেছে, তোমরা তাকে প্রহার করেছো, আর যখন মিথ্যা বলেছে তখন ছেরে দিয়েছো। কোরাইশ বাহিনী আবূ সুফিয়ানের (কাফেলা) রক্ষা করতে এসেছে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএটা আগামীকাল অমুকের নিহত হওয়ার স্হান, এই বলে তিনি যমিনের উপর হাত রাখলেন। এটা আগামীকাল অমুকের নিহত হওয়ার স্হান, এই বলে তিনি নির্দিষ্ট স্হান এর উপর হাত রাখলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, সে সত্তর শপথ যার হাতে প্রান, কাফিরদের কেউই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত রাখার নির্দিষ্ট স্হান অতিক্রম করেনি (তারা ওই নির্দিষ্ট স্হানে নিহত হয়) অতঃপর রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ মোতাবেক ওদের লাশের পা ধরে টেনে –হেচড়েঁ নিয়ে গিয়ে বদরের একটি অন্ধকার কুপে নিঃক্ষেপ করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–১২৬

বন্দীকে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করা উচিত নয়

২৬৮২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – يَعْنِي السِّجِسْتَانِيَّ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَهَذَا، لَفْظُهُ ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَتِ الْمَرْأَةُ تَكُونُ مِقْلاَتًا فَتَجْعَلُ عَلَى نَفْسِهَا إِنْ عَاشَ لَهَا وَلَدٌ أَنْ تُهَوِّدَهُ فَلَمَّا أُجْلِيَتْ بَنُو النَّضِيرِ كَانَ فِيهِمْ مِنْ أَبْنَاءِ الأَنْصَارِ فَقَالُوا لاَ نَدَعُ أَبْنَاءَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ لاَ إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَىِّ ‏}‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْمِقْلاَتُ الَّتِي لاَ يَعِيشُ لَهَا وَلَدٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাহিলী যুগে যদি কোনো মহিলার সন্তান বেচেঁ না থাকতো তাহলে সে এ মর্মে মানত করতো যে, তার সন্তান বাচলেঁ তাকে ইয়াহুদী ধর্মে দীক্ষিত করাবে। অতঃপর যখন ইয়াহুদী গোত্র বনী নাযীরকে উচ্ছেদ করা হয়, তখন তাদের মধ্যে আনসারদের কতিপয় ঐরুপ সন্তান ছিলো। আনসারগন বললেন, আমরা আমাদের সন্তানদের (ইয়াহুদীদের সাথে) ছেড়ে দিতে পারবো না। তখন মহান আল্লাহর আয়াত অবতীর্ন করলেন, ”দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। হিদিয়াতের নির্ভূল পথকে ভ্রান্ত পথ হতে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করা হয়েছে।” (সুরা্হ আল-বাক্বারা্হ, আয়াত ২৫৬) আবূ দাউদ বলেন, যেসব মহিলাদের সন্তান বেচেঁ থাকে না তাদেরকে ‘মিক্বলাত’ বলা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–১২৭

ইসলামের দা’ওয়াত না দিয়ে যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা

২৬৮৩

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ زَعَمَ السُّدِّيُّ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ إِلاَّ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَامْرَأَتَيْنِ وَسَمَّاهُمْ وَابْنُ أَبِي سَرْحٍ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ وَأَمَّا ابْنُ أَبِي سَرْحٍ فَإِنَّهُ اخْتَبَأَ عِنْدَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ جَاءَ بِهِ حَتَّى أَوْقَفَهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ بَايِعْ عَبْدَ اللَّهِ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يَأْبَى فَبَايَعَهُ بَعْدَ ثَلاَثٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ ‏”‏ أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حَيْثُ رَآنِي كَفَفْتُ يَدِي عَنْ بَيْعَتِهِ فَيَقْتُلُهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا مَا نَدْرِي يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا فِي نَفْسِكَ أَلاَ أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا بِعَيْنِكَ قَالَ ‏”‏ إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ الأَعْيُنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ أَخَا عُثْمَانَ مِنَ الرَّضَاعَةِ وَكَانَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ أَخَا عُثْمَانَ لأُمِّهِ وَضَرَبَهُ عُثْمَانُ الْحَدَّ إِذْ شَرِبَ الْخَمْرَ ‏.‏

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের দিন চারজন পুরুষ ও দুজন মহিলা ছারা অন্য সবাইকে নিরাপত্তার (ক্ষমার) ঘোষনা দিলেন। তিনি তাদের নামও উল্লেখ করলেন। তন্মধ্যে ইবনু আবূ সারহও ছিলো। অতঃপর বর্ণনাকারী হাদীসের বাকি অংশ বর্ণনা করেন। সা’দ (রাঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ সারহ ‘উসমান ইবনু আ’ফফানের (রাঃ) নিকট আত্নগোপন করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জনসাধারনকে বায়’আত গ্রহনের জন্য আহবান জানালে ‘উসমান (রাঃ) তাকে নিয়ে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দাড়ঁ করিয়ে বললেন, হে আল্লাহর নাবী! ’আবদুল্লাহর বায়’আত নিন। তিনি মাথা তুলে তার দিকে পর পর তিনবার তাকালেন, এবং প্রতিবারই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। তিনবারের পর তিনি ‘আবদুল্লাহর বায়’আত গ্রহন করলেন, অতঃপর সাহাবীদের লক্ষ্য করে বলেন: তোমাদের মধ্যে কি কোন বুদ্ধিনাম লোক ছিলো না, যখন সে আমাকে দেখলো যে আমি বায়’আত নিচ্ছি না, তখন সে তাকে কেনো হত্যা করলো না? সাহাবীগণ বললেন, এ আল্লাহর রাসূল! আপনার মনের ইচ্ছা আমরা উপলব্ধি করতে পারনি। আপনি আমাদেরকে চোখ দিয়ে ইশারা করলেন না কেনো! তিনি বলেন: কোনো নাবীর জন্য চোখের খেয়ানাতকারী হওয়া শোভা পায় না।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ সারহ হলো ‘উসমানের (রাঃ) দুধভাই এবং ওয়ালীদ ইবনু ‘উক্ববাহ তার বৈপিত্রেয় ভাই। ’উসমানের (রাঃ) খিলাফাতের সময় ওয়ালীদ মদ পান করলে তিনি তাকে শাস্তি দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعٍ الْمَخْزُومِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي جَدِّي، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ ‏ “‏ أَرْبَعَةٌ لاَ أُؤْمِنُهُمْ فِي حِلٍّ وَلاَ حَرَمٍ ‏”‏ ‏.‏ فَسَمَّاهُمْ ‏.‏ قَالَ وَقَيْنَتَيْنِ كَانَتَا لِمِقْيَسٍ فَقُتِلَتْ إِحْدَاهُمَا وَأُفْلِتَتِ الأُخْرَى فَأَسْلَمَتْ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ أَفْهَمْ إِسْنَادَهُ مِنِ ابْنِ الْعَلاَءِ كَمَا أُحِبُّ ‏.‏

সাঈদ ইবনু ইয়ারবূ’ আল-মাখযূমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের দিন ঘোষনা করেনঃ চার ব্যাক্তির জন্য হারাম শরীফ অথবা এর বাইরে কোথাও নিরাপত্তার অঙ্গীকার নাই। তিনি তাদের নামও বলেন দিলেন। তিনি মাক্বীসের দুই গায়িকা ক্রীতদাসীর নামও উল্লেখ করেন। এদের একজনকে হত্যা দেয়া এবং অপরজন পলায়ন করে। পরবর্তীতে সে ইসলাম গ্রহন করে। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি ইবনুল ‘আলার থেকে এর সানাদ উত্তমরুপে বুঝতে পারিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৮৫

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ ‏ “‏ اقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ابْنُ خَطَلٍ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ وَكَانَ أَبُو بَرْزَةَ الأَسْلَمِيُّ قَتَلَهُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মাক্কাহ বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লৌহ শিরস্ত্রান পরিহিত অবস্হায় মাক্কাহতে প্রবেশ করেন। তিনি যখন শিরস্ত্রান খুলেন, তখন এক ব্যাক্তি এসে বললো, ইবনু খাতাল কা’বার পর্দার আড়ালে লুকিয়ে আছে। তিনি বলেন: তোমরা তাকে হত্যা করো। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু খাতালের নাম ‘আবদুল্লাহ। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) তাকে হত্যা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–১২৮

বন্দীকে হাত পা বেধেঁ হত্যা করা

২৬৮৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الرَّقِّيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَرَادَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ أَنْ يَسْتَعْمِلَ، مَسْرُوقًا فَقَالَ لَهُ عُمَارَةُ بْنُ عُقْبَةَ أَتَسْتَعْمِلُ رَجُلاً مِنْ بَقَايَا قَتَلَةِ عُثْمَانَ فَقَالَ لَهُ مَسْرُوقٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ – وَكَانَ فِي أَنْفُسِنَا مَوْثُوقَ الْحَدِيثِ – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَرَادَ قَتْلَ أَبِيكَ قَالَ مَنْ لِلصِّبْيَةِ قَالَ ‏ “‏ النَّارُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَدْ رَضِيتُ لَكَ مَا رَضِيَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দা্হহাক ইবনু ক্বায়িস উমামাহ (রাঃ) মাসরুক (রহঃ) কে কর্মকর্তা নিয়োগ করার ইচ্ছা করলেন। ‘উমারা্হ ইবনু ‘উক্ববাহ তাকে বললেন, আপনি কি ‘উসমান (রাঃ) এর হত্যাকারীদের মধ্যে বেচেঁ থাকা একজন কর্মচারী নিয়োগ করবেন? মাসরুক (রহঃ) আমাদের মধ্যে নির্ভরযোগ্য হাদীসবক্তা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তোমার পিতা (‘উক্ববা্হ) কে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ইচ্ছা করেন, তখন তোমার পিতা বললো, আমার বাচচাদের কি অবস্হা হবে? তিনি জবাবে বলেন: আগুন। মাসরুক বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার জন্য যা পছন্দ করেছেন, আমিও তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–১২৯

কয়েদীকে বেধেঁ তীর নিক্ষেপে হত্যা করা নিষেধ

২৬৮৭

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنِ ابْنِ تِعْلَى، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَأُتِيَ بِأَرْبَعَةِ أَعْلاَجٍ مِنَ الْعَدُوِّ فَأَمَرَ بِهِمْ فَقُتِلُوا صَبْرًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ لَنَا غَيْرُ سَعِيدٍ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ بِالنَّبْلِ صَبْرًا فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ قَتْلِ الصَّبْرِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَتْ دَجَاجَةٌ مَا صَبَرْتُهَا ‏.‏ فَبَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَأَعْتَقَ أَرْبَعَ رِقَابٍ ‏.‏

’উবাইদ ইবনু তাগলা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা খালিদ ইবনুল ওয়ালীদের (রাঃ) পুত্র ‘আবদুর রহমানের সাথে এক যুদ্ধে জোগদান করি। শত্রুদের চারজন হ্বষ্টপুস্ট লোককে ধরে আনা হলো। তিনি তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিলেন এবং সেই মোতাবেক তাদেরকে হাত পা বেধেঁ হত্যা করা হলো। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সাঈদ ছাড়া অন্য সব বর্ণনাকারী হাদীসটি ইবনু ওয়াহব হতে বর্ণনা করেছেন। “বেধেঁ তীর মেরে হত্যা করা হয়েছে।” এ সংবাদ আবূ আইয়ুব আল-আনসারী (রাঃ) নিকট পৌছালে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কাউকে হাত পা বেধেঁ হত্যা করা নিষেধ। সেই সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার প্রান। একটি মুরগীকেও আমি এভাবে বেধেঁ হত্যা করবো না। একথা ‘আবদুর রহমান ইবনু খালিদ ইবনুল ওয়ালীদের (রহঃ) কানে পৌছালে তিনি চারজন গোলামকে আযাদ করে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩০

মুক্তিপণ না নিয়ে বন্দীদের প্রতি অনুগ্রহ দেখানো

২৬৮৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ ثَمَانِينَ، رَجُلاً مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ هَبَطُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ مِنْ جِبَالِ التَّنْعِيمِ عِنْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ لِيَقْتُلُوهُمْ فَأَخَذَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَلَمًا فَأَعْتَقَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ ‏}‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীদের হত্যার জন্য মাক্কাহর আশি জন মুশরিক ফাজরের সলাতের সময় আত-তানঈ’ম পর্বত থেকে অবতরন করে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে আত্নসমর্পন করিয়ে ধরে ফেলেন। অতঃপর বিনিময় ছাড়াই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুক্ত করে দিলেন। মহান আল্লাহ আয়াত অবতীর্ন করলেন: তিনি তো মাক্কাহর উপত্যক্যয় তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে বিরত রেখেছিলেন—আয়াতের শেষ পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৮৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأُسَارَى بَدْرٍ ‏ “‏ لَوْ كَانَ مُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ حَيًّا ثُمَّ كَلَّمَنِي فِي هَؤُلاَءِ النَّتْنَى لأَطْلَقْتُهُمْ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

যুবাইর ইবনু মুত্বইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদরের যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে বলেনঃ মুত্বইম ইবনু ‘আদী জীবিত থাকলে এবং সে এসব নীচ কয়েদীদের মুক্তির জন্য সুপারিশ করলে আমি তার কারনে এদেরকে ছেড়ে দিতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–১৩১

মালের বিনিময়ে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া

২৬৯০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو نُوحٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ فَأَخَذَ – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – الْفِدَاءَ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الأَرْضِ ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ ‏}‏ مِنَ الْفِدَاءِ ثُمَّ أَحَلَّ لَهُمُ اللَّهُ الْغَنَائِمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُسْأَلُ عَنِ اسْمِ أَبِي نُوحٍ فَقَالَ أَيْشٍ تَصْنَعُ بِاسْمِهِ اسْمُهُ اسْمٌ شَنِيعٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ اسْمُ أَبِي نُوحٍ قُرَادٌ وَالصَّحِيحُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ ‏.

‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধর পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধবন্দীদের কাছ থেকে মুক্তিপন আদায় করেন।এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ আয়াত অবতীর্ন করেন: “কোনো নাবীর জন্য শোভনীয় নয়, তার কাছে যুদ্ধবন্দী থাকবে, যতক্ষন সে পৃথিবীর বুক থেকে শত্রু-বাহিনীকে পুরোপুরি নির্মূল না করবে —-তোমরা যা গ্রহন করেছো সেই জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি আসতো” (সুরা্ আল-আনফাল: ৬৭-৬৮) অতঃপর আল্লাহ তাদের মুসলিমদের জন্য গনীমতের মাল হালাল করে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৬৯১

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ الْعَيْشِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَعَلَ فِدَاءَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ أَرْبَعَمِائَةٍ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদরের মুশরিক যুদ্ধবন্দীদের জন্য মুক্তিপণ নির্ধারন করেন চারশো (দিরহাম)।

 

সহীহ: চারশো কথাটি বাদে। ইরওরা [১২১৮]।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৯২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا بَعَثَ أَهْلُ مَكَّةَ فِي فِدَاءِ أَسْرَاهُمْ بَعَثَتْ زَيْنَبُ فِي فِدَاءِ أَبِي الْعَاصِ بِمَالٍ وَبَعَثَتْ فِيهِ بِقِلاَدَةٍ لَهَا كَانَتْ عِنْدَ خَدِيجَةَ أَدْخَلَتْهَا بِهَا عَلَى أَبِي الْعَاصِ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَقَّ لَهَا رِقَّةً شَدِيدَةً وَقَالَ ‏”‏ إِنْ رَأَيْتُمْ أَنْ تُطْلِقُوا لَهَا أَسِيرَهَا وَتَرُدُّوا عَلَيْهَا الَّذِي لَهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا نَعَمْ ‏.‏ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ عَلَيْهِ أَوْ وَعَدَهُ أَنْ يُخَلِّيَ سَبِيلَ زَيْنَبَ إِلَيْهِ وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَرَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ ‏”‏ كُونَا بِبَطْنِ يَأْجِجَ حَتَّى تَمُرَّ بِكُمَا زَيْنَبُ فَتَصْحَبَاهَا حَتَّى تَأْتِيَا بِهَا ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহবাসীরা যখন তাদের বন্দীদের মুক্তিপনের অর্থ পাঠায় তখন যাইনাব (রাঃ) আবূল ‘আসের মুক্তিপন এবং সাথে তার গলার হার পাঠান। মা খাদীজাহ (রাঃ) আবূল ‘আসের সাথে বিয়েতে হারটি তাকে উপহার দিয়েছিলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হারটি দেখে খাদিজা্র কথা মনে পরে যায়। তিনি আবেগাপুত হয়ে সাহাবীদের বললেনঃযদি তোমরা ভালো মনে করো তাহলে যাইনাবের বন্দীকে ছেরে দাও এবং তার প্রেরিত মুক্তিপণও তাকে ফেরত দিয়ে দাও। সাহাবীরা বললেন, হ্যাঁ ঠিক আছে। আবূল ‘আসের কাছে থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে প্রতিশ্রুতি নিলেন যে, সে যাইনাবকে তার কাছে আসার পথ পরিস্কার করে দিবে। তাকে নিয়ে আসার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে যায়িদ ইবনু হারিসাহ (রাঃ) এবং একজন আনসারীকে পাঠান। তিনি তাদেরকে বললেনঃতোমরা ইয়াজিজ উপত্যক্যয় অবস্হান করবে। যাইনাব তোমাদের সাথে ঐ স্হানে একত্র হলে তোমরা তাকে নিয়ে চলে আসবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৯৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا عَمِّي، – يَعْنِي سَعِيدَ بْنَ الْحَكَمِ – قَالَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ وَذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَعِي مَنْ تَرَوْنَ وَأَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ فَاخْتَارُوا إِمَّا السَّبْىَ وَإِمَّا الْمَالَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا نَخْتَارُ سَبْيَنَا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلاَءِ جَاءُوا تَائِبِينَ وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ فَأَخْبَرُوهُمْ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا ‏.‏

মারওয়ান ও আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাওয়াযিন গোত্রের লোক ইসলাম গ্রহন করে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট এসে তারা তাদের সম্পদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তাঁর কাছে আবেদন জানালো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেনঃ আমার সাথে এদেরকে দেখছো? আমার নিকট সত্য কথা অধিক পছন্দনীয়। সুতরাং তোমরা বিবেচনা করো তোমরা কি তোমাদের বন্দীদের ফেরত নিবে, নাকি ধন সম্পদ ফিরত নিবে। তারা বললো, আমরা বন্দীদের ছাড়িয়ে নিতে চাই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে দাঁড়িয়ে আল্লাহর গুনগান করার পর বলেনঃ তোমাদের এই ভাইয়েরা তাওবা্হ করে তোমাদের নিকট এসেছে। আমি তাদের বন্দীদের ফেরত দেয়া সঠিক মনে করি। তোমাদের কেও খুশি মনে বন্দীদের ছাড়তে চাইলে সে যেনো বন্দীকে ছেড়ে দেয়। আর যে ব্যক্তি মুক্তিপন চায়, তাকে আল্লাহর পক্ষ্য থেকে গনীমতের পাওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে দিবো, সেও যেনো বন্দীদের ছেড়ে দেয়। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা খুশি মনে মুক্তিপণ ব্যতীতই বন্দীদের মুক্তি দিচ্ছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কে মুক্তিপনের ছাড়া আর কে মুক্তিপনের নিয়ে বন্দীদের মুক্তি দিতে ইচ্ছুক তা আমি আলাদা জানতে পারিনি। কাজেই তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের নেতৃবৃন্দের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করো। নেতৃবৃন্দেরা এসে তাকে জানালেন, প্রত্যেকেই বন্দীদের স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে সন্মতি দিয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৯৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ رُدُّوا عَلَيْهِمْ نِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ فَمَنْ مَسَكَ بِشَىْءٍ مِنْ هَذَا الْفَىْءِ فَإِنَّ لَهُ بِهِ عَلَيْنَا سِتَّ فَرَائِضَ مِنْ أَوَّلِ شَىْءٍ يُفِيئُهُ اللَّهُ عَلَيْنَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ دَنَا – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – مِنْ بَعِيرٍ فَأَخَذَ وَبَرَةً مِنْ سَنَامِهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَيْسَ لِي مِنَ الْفَىْءِ شَىْءٌ وَلاَ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَرَفَعَ أُصْبُعَيْهِ ‏”‏ إِلاَّ الْخُمُسَ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ عَلَيْكُمْ فَأَدُّوا الْخِيَاطَ وَالْمِخْيَطَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ فِي يَدِهِ كُبَّةٌ مِنْ شَعْرٍ فَقَالَ أَخَذْتُ هَذِهِ لأُصْلِحَ بِهَا بَرْذَعَةً لِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَمَّا إِذْ بَلَغَتْ مَا أَرَى فَلاَ أَرَبَ لِي فِيهَا ‏.‏ وَنَبَذَهَا ‏.‏

‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তার পিতা হতে তার দাদার সূত্রে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাদের নারী ও শিশুদের তাদের কাছে ফিরিয়ে দাও। যে ব্যাক্তি নিজ অংশ বিনিময় ছাড়া ফেরত দিতে রাজি নয়, আমরা বিনিময় হিসাবে তাকে ছয়টি উট দিবো। যখন গনিমতের মাল আল্লাহর পক্ষ্য থেকে আমাদের হাতে আসবে তখন তা হতে এটি পরিশোধ করা হবে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি উটের কাছে আসলেন। তিনি তার কুঁজ থেকে কিছু পশম নিয়ে বললেনঃ হে লোকেরা! এই “ফাই”—এ আমার কোনো অংশ নেই, এমনকি এই পশম পরিমাণও নয়। তিনি এ বলে পশমসহ আঙ্গুল উচুঁ করে দেখালেন। শুধুমাত্র এক-পঞ্চমাংশ ছাড়া। আবার তাও তোমাদের কল্যানের জন্যই ব্যয় করা হবে। সুতরাং তোমরা সুইঁ সূতাটা পর্যন্ত জমা করো। এক ব্যক্তি এক টুকরা পশমি সূতা হাতে নিয়ে দাড়িয়েঁ বললো, আমি এই সুঁতাটুকু গদির কম্বলের ছেড়াঁ অংশ মেরামত করার জন্য নিয়েছিলেম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার এবং ‘আবদুল মোত্তালিব গোত্রের অংশ আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম। লোকটি বললো, আমি দেখলাম এটুকুও গুনা্হর কারণ হচ্ছে, সেজন্য আমার আর কোনো প্রয়োজন নেই। এই বলে সে সূতাটুকু ছুড়ে ফেলে দেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–১৩২

যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পর দুশমনের এলাকায় নেতার অবস্হান নেয়া

২৬৯৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا غَلَبَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالْعَرْصَةِ ثَلاَثًا ‏.‏ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى إِذَا غَلَبَ قَوْمًا أَحَبَّ أَنْ يُقِيمَ بِعَرْصَتِهِمْ ثَلاَثًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ يَطْعَنُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ قَدِيمِ حَدِيثِ سَعِيدٍ لأَنَّهُ تَغَيَّرَ سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَلَمْ يُخْرِجْ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ بِأَخَرَةٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ يُقَالُ إِنَّ وَكِيعًا حَمَلَ عَنْهُ فِي تَغَيُّرِهِ ‏.‏

আবূ ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোনো জাতির বিরুদ্ধে বিজয়ী হতেন, তখন সেখানে তিন দিন অবস্হান করতেন। ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় রয়েছে, যখন তিনি কোনো জাতির বিরুদ্ধে বিজয়ী হতেন, তখন তাদের এলাকায় তিন দিন অবস্হান করা তিনি উত্তম মনে করতেন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান (রহঃ) এ হাদীসের দোষারোপ করতেন। কারন এই হাদীসটি সাঈদ ইবনু আরুবার প্রথম দিকের হাদীস নয়। ৪৫ হিজরীতে তার স্মরনশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। এই হাদীসটি তার শেষ বয়সেই বর্ণিত। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, তার স্মরনশক্তির এ পরিবর্তনের যুগেই ওয়াকী (রহঃ) তার কাছ থেকে হাদীসটি অর্জন করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ—১৩৩

বন্দীদের পরস্পর পৃথক করা

২৬৯৬

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ فَرَّقَ بَيْنَ جَارِيَةٍ وَوَلَدِهَا فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ وَرَدَّ الْبَيْعَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَمَيْمُونٌ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيًّا قُتِلَ بِالْجَمَاجِمِ وَالْجَمَاجِمُ سَنَةُ ثَلاَثٍ وَثَمَانِينَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَالْحَرَّةُ سَنَةُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ وَقُتِلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বাঁদী ও তার সন্তানদের পৃথক করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এভাবে (আলাদাভাবে) বিক্রয় করতে নিষেধ করে এ বিক্রয় বাতিল করেন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী মাইমূন (রহঃ) ‘আলীর (রাঃ) সাক্ষাৎ পাননি। মাইমূন (রাঃ) আল-জামাজিমের যুদ্ধে ৮৩ হিজরীতে নিহত হোন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন হাররার ঘটনা ঘটে ৬৩ হিজরী সনে এবং ইবনুয যুবাইর (রাঃ) ৭৬ হিজরীতে শহীদ হোন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩৪

প্রাপ্তবয়স্ক বন্দীদের পৃথক করা

২৬৯৭

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، خَرَجْنَا مَعَ أَبِي بَكْرٍ وَأَمَّرَهُ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَغَزَوْنَا فَزَارَةَ فَشَنَنَّا الْغَارَةَ ثُمَّ نَظَرْتُ إِلَى عُنُقٍ مِنَ النَّاسِ فِيهِ الذُّرِّيَّةُ وَالنِّسَاءُ فَرَمَيْتُ بِسَهْمٍ فَوَقَعَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْجَبَلِ فَقَامُوا فَجِئْتُ بِهِمْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فِيهِمُ امْرَأَةٌ مِنْ فَزَارَةَ وَعَلَيْهَا قِشْعٌ مِنْ أَدَمٍ مَعَهَا بِنْتٌ لَهَا مِنْ أَحْسَنِ الْعَرَبِ فَنَفَّلَنِي أَبُو بَكْرٍ ابْنَتَهَا فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ‏”‏ يَا سَلَمَةُ هَبْ لِيَ الْمَرْأَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لَقَدْ أَعْجَبَتْنِي وَمَا كَشَفْتُ لَهَا ثَوْبًا ‏.‏ فَسَكَتَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنَ الْغَدِ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السُّوقِ فَقَالَ ‏”‏ يَا سَلَمَةُ هَبْ لِيَ الْمَرْأَةَ لِلَّهِ أَبُوكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا كَشَفْتُ لَهَا ثَوْبًا وَهِيَ لَكَ ‏.‏ فَبَعَثَ بِهَا إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ وَفِي أَيْدِيهِمْ أَسْرَى فَفَادَاهُمْ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ ‏.‏

ইয়াস ইবনু সালামাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সালামাহ) বলেন, আমরা আবূ বাকর (রাঃ) এর সঙ্গে অভিযানে বের হওয়ার সময়, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আমাদের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। আমরা ফাযারাহ গোত্রের বিরুদ্ধে হামলা করে তাদেরকে তছনছ করে দেই। অতঃপর আমি কিছু লোক দেখতে পাই। যাদের সাথে শিশু ও নারী ছিলো। আমি একটি তীর ছুড়ঁলে সেটা তাদের এবং পাহাড়ের মাঝখানে যেয়ে পরে। এতে তারা দাঁড়িয়ে যায়। আমি তাদেরকে ধরে আবূ বাকর এর কাছে নিয়ে আসি। তাদের মধ্যে ফাযারাহ গোত্রের এক মহিলা ছিলো। সে শুকনা চামড়া পরা ছিলো। তার কন্যাও তার সাথে ছিলো। ঐ কন্যাটি আরবের অন্যতম সুন্দরী। তার কন্যাকে আবূ বাকর (রাঃ) আমাকে (গনীমাত হিসাবে) প্রদান করলেন। আমি মদীনা্হয় ফিরে গেলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে সালামাহ! কন্যাটি আমাকে উপহার হিসাবে দিয়ে দাও। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! তার সৌন্দর্য আমাকে হতবাক করেছে। আমি তার পোষাক খুলিনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিশ্চুপ থাকলেন। পরের দিন সকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাজারে আমার সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ হে সালামা্হ! তুমি আল্লাহর ওয়াস্তে কন্যাটি আমাকে দিয়ে দাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি তার পোশাক খুলিনি। সে আপনার জন্যই। কন্যাটি তিনি মাক্কাহবাসীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। মাক্কাহবাসীদের হাতে কিছু মুসলিম বন্দী ছিলো। তাদের মুক্তির জন্য তিনি মেয়েটিকে বিনিময় হিসাবে মাক্কাহয় ফেরত দিয়ে তাদেরকে মুক্ত করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩৫

যদি কোনো মুসলিমের সম্পদ শত্রুবাহিনীর হস্তগত হওয়ার পর পুনরায় মালিক তা গনীমাত হিসাবে ফিরে পায়

২৬৯৮

حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ سُهَيْلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي زَائِدَةَ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ غُلاَمًا، لاِبْنِ عُمَرَ أَبَقَ إِلَى الْعَدُوِّ فَظَهَرَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ فَرَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى ابْنِ عُمَرَ وَلَمْ يُقْسَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ غَيْرُهُ رَدَّهُ عَلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন ইবনু ‘উমারের একটি গোলাম পালিয়ে শত্রুবাহিনীতে চলে যায়। মুসলিম সেনাবাহিনী যুদ্ধে বিজয়ী হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইবনু ‘উমারের নিকট ফেরত দেন। তাকে গনিমাত হিসাবে বন্টন করেননি। আবূ দাউদ (রাঃ) বলেন, তিনি ছাড়া অন্য বর্ণনাকারী বলেছেন, খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) গোলামটি তাকে ফেরত দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ذَهَبَ فَرَسٌ لَهُ فَأَخَذَهَا الْعَدُوُّ فَظَهَرَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّ عَلَيْهِ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَأَبَقَ عَبْدٌ لَهُ فَلَحِقَ بِأَرْضِ الرُّومِ فَظَهَرَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তার একটি ঘোড়া ছুটে গেলে তা দুশমনরা ধরে নিয়ে যায়। অতঃপর মুসলিমরা বিজয়ী হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে তা পুনরায় তাকে ফেরত দেয়া হয়। (অপর বর্ণনায় রয়েছে) ইবনু ‘উমরের একটি গোলাম পালিয়ে রুম এলাকায় চলে যায়। মুসলিমরা রুমীদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পর খালিক ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) গোলামটি পুনরায় তাকে ফিরিয়ে দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩৬

যদি মুশরিকদের কৃতদাস পালিয়ে এসে মুসলিমদের সাথে মিলিত হয়ে ইসলাম কবুল করে

২৭০০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ خَرَجَ عِبْدَانٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ – قَبْلَ الصُّلْحِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ مَوَالِيهِمْ فَقَالُوا يَا مُحَمَّدُ وَاللَّهِ مَا خَرَجُوا إِلَيْكَ رَغْبَةً فِي دِينِكَ وَإِنَّمَا خَرَجُوا هَرَبًا مِنَ الرِّقِّ فَقَالَ نَاسٌ صَدَقُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ رُدَّهُمْ إِلَيْهِمْ ‏.‏ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏”‏ مَا أُرَاكُمْ تَنْتَهُونَ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ حَتَّى يَبْعَثَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مَنْ يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ عَلَى هَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَأَبَى أَنْ يَرُدَّهُمْ وَقَالَ ‏”‏ هُمْ عُتَقَاءُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.

‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার দিন সন্ধি করার পূর্বে মুশরিকদের কিছু গোলাম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে পালিয়ে এলে তাদের মনিবরা তাকে চিঠি লিখে বলল, হে মুহাম্মাদ, আল্লাহর শপথ! এরা তোমার ধর্মের প্রতি আকৃস্ট হয়ে তোমার নিকট আসেনি। তারা তাদের গোলামী থেকে পালিয়ে এসেছে। কতিপয় লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মনিবরা সত্যেই বলেছে, এদেরকে তাদের নিকট ফিরিয়ে দিন। এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুবই নারাজ হলেন এবং বললেনঃ হে কুরাইশরা! আমি দেখছি তোমরা অন্যায় হতে বিরত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদের বিরুদ্ধে এমন লোক না পাঠান যারা তোমাদের গর্দান উড়িয়ে দেয়। তিনি তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে বলেন; এরা মহান আল্লাহর অনুগ্রহে স্বাধীন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস