৩২. অনুচ্ছেদঃ
আহ্লে বাইত-এর মর্যাদা
৩৭৮৬
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحَسَنِ، هُوَ الأَنْمَاطِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّتِهِ يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ يَخْطُبُ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ “ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا كِتَابَ اللَّهِ وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَزَيْدُ بْنُ الْحَسَنِ قَدْ رَوَى عَنْهُ سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ .
জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি তাঁর বিদায় হাজ্জে আরাফার দিন তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্থায় বক্তৃতা দিতে দেখেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছিঃ হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিষ রেখে গেলাম, তোমরা তা ধারণ বা অনুসরণ করলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে নাঃ আল্লাহ্ তা‘আলার কিতাব (আল-কুরআন) এবং আমার ইতরাত অর্থাৎ আমার আহ্লে বাইত।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৪৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবূ যার, আবূ সা‘ঈদ, যাইদ ইবনু আরক্বাম ও হুযাইফাহ্ ইবনু উসাইদ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। যাইদ ইবনুল হাসান হতে সা’ঈদ ইবনু সুলাইমান ও একাধিক বিশেষজ্ঞ ‘আলিম হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَصْبَهَانِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، رَبِيبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَّ : ( إنمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا ) فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَجَلَّلَهُمْ بِكِسَاءٍ وَعَلِيٌّ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَجَلَّلَهُ بِكِسَاءٍ ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ بَيْتِي فَأَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا ” . قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ ” أَنْتِ عَلَى مَكَانِكِ وَأَنْتِ إِلَى خَيْرٍ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَأَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পোষ্য ‘উমার ইবনু আবী সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর ঘরে এ আয়াত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “হে নাবীর পরিবার! আল্লাহ্ তা’আলা তো চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পবিত্র করতে”- (সূরা আহ্যাব ৩৩)। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমাহ্, হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে ডাকেন এবং তাদেরকে একখানা চাদরে আবৃত করেন। তাঁর পেছনে ‘আলী (রাঃ) ছিলেন। তিনি তাঁকেও চাদরে ঢেকে নেন, তারপর বললেনঃ “হে আল্লাহ্! এরা আমার আহলে বাইত। অতএব তুমি তাদের হতে অপবিত্রতা অপসারণ করে দাও এবং তাদেরকে উত্তমভাবে পবিত্র কর”। সে সময় উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত কি? তিনি বললেনঃ তুমি স্বস্থানে আছ এবং তুমি কল্যাণের মাঝেই আছ।
সহীহঃ ৩২০৫ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ অনুছেদে উম্মু সালামাহ্, মা’কিল ইবনু ইয়াসার, আবুল হামরা ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، – كُوفِيٌّ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنَ الآخَرِ كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَىَّ الْحَوْضَ فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তরুপে ধারণ (অনুসরণ) করলে আমার পরে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার একটি অন্যটির তুলনায় বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণঃ আল্লাহ্ তা’আলার কিতাব যা আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত দীর্ঘ এক রশি এবং আমার পরিবার অর্থাৎ আমার আহ্লে বাইত। এ দু’টি কখনও আলাদা হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সঙ্গে একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষ্য কর আমার পরে দু’জনের সঙ্গে তোমরা কিভাবে আচরণ কর।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৪৪), রাওযুন্ নাযীর (৯৭৭, ৯৭৮), সহীহাহ্ (৪/৩৫৬-৩৫৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ النَّوْفَلِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَحِبُّوا اللَّهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِهِ وَأَحِبُّونِي بِحُبِّ اللَّهِ وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলাকে মহব্বত কর। কেননা তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিয়ামাতরাজি খাবার খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহ্ তা‘আলার মহব্বতে তোমরা আমাকেও মহব্বত এবং আমার মহব্বতে আমার আহ্লে বাইতকেও মহব্বত কর।
যঈফ, তাখরীজু ফিকহিস্ সারাহ্ (২৩),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৩. অনুচ্ছেদঃ
মু’আয ইবনু জাবাল, যাইদ ইবনু সাবিত, উবাই ইবনু কা’ব ও আবু ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৯০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ دَاوُدَ الْعَطَّارِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَرْحَمُ أُمَّتِي بِأُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ وَأَشَدُّهُمْ فِي أَمْرِ اللَّهِ عُمَرُ وَأَصْدَقُهُمْ حَيَاءً عُثْمَانُ وَأَعْلَمُهُمْ بِالْحَلاَلِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَأَفْرَضُهُمْ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَقْرَؤُهُمْ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ وَأَمِينُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَالْمَشْهُورُ حَدِيثُ أَبِي قِلاَبَةَ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মাঝে আবূ বাক্র আমার উম্মাতের প্রতি সবচাইতে বেশী দয়ালু। আল্লাহ্ তা’আলার বিধান প্রয়োগে ‘উমার তাদের মাঝে সবচাইতে বেশী কঠোর। তাদের মাঝে ‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান সবচাইতে বেশী লাজুক। তাদের মাঝে হালাল ও হারাম প্রসঙ্গে মু’আয ইবনু জাবাল সবচাইতে বেশী ওয়াকিফহাল। তাদের মাঝে ফারায়িয (উওরাধিকার সম্পর্কিত বিধান) সম্বন্ধে যাইদ ইবনু সাবিত সবচাইতে বেশী অভিজ্ঞ। তাদের মধ্যে অধিক উত্তমরুপে কুরআন মাজীদ পাঠকারী উবাই ইবনু কা’ব। আর প্রত্যেক উম্মাতের একজন সবচাইতে বেশী বিশ্বস্ত লোক থাকে। এ উম্মাতের সর্বাধিক বিশ্বস্ত লোক আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল জার্রাহ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদেই ক্বাতাদাহ্র বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে জেনেছি। এ হাদীস আবু ক্বিলাবাহ্ আনাস (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ক্বিলাবার হাদীসই বেশী প্রসিদ্ধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَرْحَمُ أُمَّتِي بِأُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ وَأَشَدُّهُمْ فِي أَمْرِ اللَّهِ عُمَرُ وَأَصْدَقُهُمْ حَيَاءً عُثْمَانُ وَأَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَأَفْرَضُهُمْ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَعْلَمُهُمْ بِالْحَلاَلِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينًا وَإِنَّ أَمِينَ هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মাঝে আবূ বাক্র (রাঃ) হলেন আমার উম্মাতের প্রতি সর্বাধিক দয়ালু, তাদের মধ্যে আল্লাহ্র বিধান প্রয়োগে সর্বাধিক কঠোর হলেন ‘উমার, তাদের মাঝে সর্বাধিক লজ্জাশীল হলেন ‘উসমান, তাদের মাঝে সর্বাধিক উত্তম কুরআন পাঠকারী হলেন উবাই ইবনু কা’ব, তাদের মাঝে ফারাইয সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত হলেন যাইদ ইবনু সাবিত এবং তাদের মাঝে হালাল-হারাম সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত হলেন মু’আয ইবনু জাবাল, সাবধান প্রত্যেক উম্মাতের মাঝে একজন সর্বাধিক বিশ্বস্ত লোক আছে। আমার উম্মাতের মাঝে সর্বাধিক বিশ্বস্ত লোক হলেন আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জার্রাহ্।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৫৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ : ( لمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا ) ” . قَالَ وَسَمَّانِي قَالَ ” نَعَمْ ” . فَبَكَى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে হুকুম দিয়েছেন আমি তোমাকে যেন “লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারু” সূরাটি পাঠ করে শুনাই। উবাই (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, তিনি কি আমার নামোল্লেখ করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। এতে উবাই (রাঃ) কেঁদে ফেলেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৯০৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ …… অতপর অনুরুপ উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ ” . فَقَرَأَ عَلَيْهِ: ( لمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ ) فَقَرَأَ فِيهَا ” إِنَّ ذَاتَ الدِّينِ عِنْدَ اللَّهِ الْحَنِيفِيَّةُ الْمُسْلِمَةُ لاَ الْيَهُودِيَّةُ وَلاَ النَّصْرَانِيَّةُ مَنْ يَعْمَلْ خَيْرًا فَلَنْ يُكْفَرَهُ ” . وَقَرَأَ عَلَيْهِ ” وَلَوْ أَنَّ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيًا مِنْ مَالٍ لاَبْتَغَى إِلَيْهِ ثَانِيًا وَلَوْ كَانَ لَهُ ثَانِيًا لاَبْتَغَى إِلَيْهِ ثَالِثًا وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ . رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ” . وَقَدْ رَوَى قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأُبَىٍّ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ” .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে আপনার নিকট কুরআন পাঠ করতে আদেশ করেছেন, অতঃপর তিনি পাঠ করলেন, “আহলে কিতাবদের মাঝে কাফির নয়”, আর তাতে পাঠ করলেন, “আল্লাহ্র নিকট দ্বীনদার লোক হলেন একনিষ্ঠ মুসলিম ব্যক্তি। ইয়াহুদীরাও নয় নাস্রানীরাও নয়। যে ব্যক্তি ভাল ‘আমাল করবেন তিনি তা অস্বীকার করবেন না। তিনি আরও পাঠ করলেন, ইবনু আদামের নিকট যদি এক উপত্যকা সম্পদ থাকে তাহলে সে দ্বিতীয় উপত্যকা কামনা করবে, আর যদি দ্বিতীয় উপত্যকা থাকে, তাহলে সে তৃতীয় উপত্যকা কামনা করে। মাটি ব্যতীত আর কিছুতেই ইবনু আদামের পেট ভরবে না। যে তাওবাহ্ করবে আল্লাহ তার তাওবাহ্ ক্ববূল করবেন।
সহীহঃ বুখারী মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। এটি অন্য সূত্রেও বর্ণিত আছে।
এটি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আব্যা তার পিতা হতে, তিনি উবাই ইবনু কা’ব হতে বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই ইবনু কা’বকে বললেন, আল্লাহ্ আমাকে আদেশ করেছেন যেন আপনার নিকট কুরআন পাঠ করি। ক্বাতাদাহ্ আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই (রাঃ)-কে বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে আপনার নিকট কুরআন পাঠ করতে আদেশ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَمَعَ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَةٌ كُلُّهُمْ مِنَ الأَنْصَارِ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَبُو زَيْدٍ . قُلْتُ لأَنَسٍ مَنْ أَبُو زَيْدٍ قَالَ أَحَدُ عُمُومَتِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যমানায় চারজন ব্যক্তি কুরআন সংকলন করেন, তাঁরা সকলেই আনসারদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেনঃ উবাই ইবনু কা’ব, মু’আয ইবনু জাবাল, যাইদ ইবনু সাবিত ও আবূ যাইদ (রাঃ)। আমি (ক্বাতাদাহ্) আনাস (রাঃ)-কে বললাম, আবূ যাইদ কে? তিনি বললেন, আমার একজন চাচা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو بَكْرٍ نِعْمَ الرَّجُلُ عُمَرُ نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ نِعْمَ الرَّجُلُ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ نِعْمَ الرَّجُلُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ نِعْمَ الرَّجُلُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ نِعْمَ الرَّجُلُ مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবূ বাক্র কতই না ভাল, ‘উমার কতই না ভাল, আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ্ কতই না ভাল, উসাইদ ইবনু হুযাইর কতই না ভাল, সাবিত ইবনু ক্বাইস ইবনু শাম্মাস কতই না ভাল, মু’আয ইবনু জাবাল কতই না ভাল এবং মু’আয ইবনু ‘আম্র ইবনুল জামূহ কতই না ভাল।
সহীহঃ হাদীসের প্রথমাংশ (৩৫১২) নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। আমরা শুধুমাত্র সুহাইলের হাদীস হিসেবে এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ جَاءَ الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالاَ ابْعَثْ مَعَنَا أَمِينًا . فَقَالَ ” فَإِنِّي سَأَبْعَثُ مَعَكُمْ أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ ” . فَأَشْرَفَ لَهَا النَّاسُ فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ رضى الله عنه . قَالَ وَكَانَ أَبُو إِسْحَاقَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ صِلَةَ قَالَ سَمِعْتُهُ مُنْذُ سِتِّينَ سَنَةً . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ وَأَنَسٍ رضى الله عنهما عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ وَأَمِينُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ ” .
হুযাইফাহ্ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাজরানবাসীদের নেতা ও তার নায়েব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলে, আমাদের সঙ্গে আপনার বিশ্বস্ত লোককে প্রেরণ করেন। তিনি বললেনঃ আমি শীঘ্রই তোমাদের সঙ্গে একজন বিশ্বস্ত লোককে প্রেরণ করব যিনি প্রকৃতই বিশ্বস্ত। লোকেরা এই সেবা আঞ্জাম দেয়ার আশা করতে থাকে। তিনি আবূ ‘উবাইদাহ্ (রাঃ)-কে প্রেরণ করেন। অধঃস্তন বর্ণনাকারী আবূ ইসহাক্ব যখনই সিলাহ্ হতে উক্ত হাদীস রিওয়ায়াত করতেন সে সময় বলতেন, আমি এ হাদীস ‘সিলাহ্’ হতে প্রায় ষাট বছর আগে শুনেছি।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১২৩), বুখারী ও মুসলিম, দেখুন সহীহাহ্ (১৯৬৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস ‘উমার ও আনাস (রাঃ) হতে, তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদেও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেনঃ “প্রত্যেক উম্মাতেরই একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি থাকে। এ উম্মাতের বিশ্বস্ত লোক হল ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ”।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার সাল্ম ইবনু কুতাইবাইহ্ ও আবূ দাঊদ হতে, তারা শু’বাহ্ হতে, তিনি আবূ ইসহাক্ব হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, হুযাইফাহ্ (রাঃ) বলেছেন, সিলাহ্ ইবনু যুফারের হ্নদয় স্বর্ণের মত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪. অনুচ্ছেদঃ
সালমান ফারসী (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৯৭
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ الإِيَادِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ الْجَنَّةَ لَتَشْتَاقُ إِلَى ثَلاَثَةٍ عَلِيٍّ وَعَمَّارٍ وَسَلْمَانَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাত তিনজন লোকের জন্য খুবই আগ্রহীঃ আলী, আম্মার ও সালমান (রাঃ)।
যঈফ, যঈফা (২৩২৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু হাসান ইবনু সালিহ্-এর সূত্রেই জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫. অনুচ্ছেদঃ
‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ جَاءَ عَمَّارٌ يَسْتَأْذِنُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ ائْذَنُوا لَهُ مَرْحَبًا بِالطَّيِّبِ الْمُطَيَّبِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে দেখার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে আসার অনুমতি দাও। স্বাগতম পবিত্র সত্তা ও পবিত্র স্বভাবের ব্যক্তিকে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৯৯
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ، كُوفِيٌّ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا خُيِّرَ عَمَّارٌ بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ أَرْشَدَهُمَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ . وَهُوَ شَيْخٌ كُوفِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ النَّاسُ لَهُ ابْنٌ يُقَالُ لَهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَوَى عَنْهُ يَحْيَى بْنُ آدَمَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখনই আম্মারকে দু’টি বিষয়ের মাঝে একটি গ্রহণের এখতিয়ার দেয়া হয়েছে সে সময় সে প্রত্যেকটির মাঝে সর্বোত্তমটিকে (অপেক্ষাকৃত মজবুতটিকে) এখতিয়ার করেছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কেননা ‘আবদুল ‘আযীয ইবনু সিয়াহ্-এর রিওয়ায়াত ছাড়া আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে অবহিত নই। তিনি হলেন কুফার শাইখ। লোকেরা তার নিকট হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছে। তার এক পুত্র ছিল, যিনি ইয়াযীদ ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয নামে পরিচিত এবং যিনি সিক্বাহ্ বর্ণনাকারী ছিলেন। ইয়াহ্ইয়া ইবনু আদাম তার সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
হুযাইফাহ্ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমরা বসা ছিলাম। তিনি বললেনঃ আমার জানা নেই, আর কত দিন আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকব। সুতরাং তোমরা আমার পরের দু’জন লোকের অনুসরণ কর এবং তিনি আবূ বাক্র ও ‘উমার (রাঃ)-এর দিকে ইশারা করেন। আর তোমরা ‘আম্মারের অনুসৃত পন্থা অনুসরণ কর এবং যে হাদীস ইবনু মাস’ঊদ তোমাদের কাছে রিওয়ায়াত করে তা বিশ্বাস কর।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস ইবরাহীম ইবনু সা’দ সুফ্ইয়ান সাওরী হতে, তিনি ‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমাইর হতে, তিনি রিব’ঈর মুক্তদাস হিলাল হতে, তিনি রিব’ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। সালিম আল-মুরাদী আল-কূফী এ হাদীস ‘আম্র ইবনু হারিম হতে, তিনি রিব’ঈ ইবনু হিরাশ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮০০
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَبْشِرْ عَمَّارُ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي الْيَسَرِ وَحُذَيْفَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আম্মার! সুখবর গ্রহণ কর বিদ্রোহী দলটি তোমাকে হত্যা করবে।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৭১০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে উম্মু সালামাহ্, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আম্র, আবুল ইয়াসার ও হুযাইফাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান, সহীহ এবং আ’লা ইবনু ‘আব্দুর রহমানের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬. অনুচ্ছেদঃ
আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮০১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُمَيْرٍ، هُوَ أَبُو الْيَقْظَانِ عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ وَلاَ أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ أَصْدَقَ مِنْ أَبِي ذَرٍّ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَبِي ذَرٍّ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আবূ যার হতে বেশি সত্যবাদী কাউকে আকাশ ছায়া দান করেনি এবং মাটি ও তার বুকে বহন করেনি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবুদ্ দারদা ও আবূ যার (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮০২
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، هُوَ سِمَاكُ بْنُ الْوَلِيدِ الْحَنَفِيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ وَلاَ أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ مِنْ ذِي لَهْجَةٍ أَصْدَقَ وَلاَ أَوْفَى مِنْ أَبِي ذَرٍّ شِبْهِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ” . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كَالْحَاسِدِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَنَعْرِفُ ذَلِكَ لَهُ قَالَ ” نَعَمْ فَاعْرِفُوهُ لَهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ ” أَبُو ذَرٍّ يَمْشِي فِي الأَرْضِ بِزُهْدِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ বাচনিক সত্যবাদিতায় ও সত্য প্রকাশে আবূ যারের তুলনায় উত্তম কাউকে আকাশ ছায়াদান করেনি এবং দুনিয়া তার বুকে আরোহন করেনি। সে ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম অনুরুপ। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হিংসুটে লোকের মত বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা কি এটা তাকে জানাবোনা? (তাকে জানানো হবে?) তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমরা তাকে জানিয়ে দাও।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬২৩০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। কিছু রাবী এ হাদীস এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ “বৈরাগ্য সাধনায় পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী আবূ যার হলেন ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম অনুরুপ”।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮০৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُحَيَّاةَ، يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَخِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ لَمَّا أُرِيدَ قَتْلُ عُثْمَانَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَا جَاءَ بِكَ قَالَ جِئْتُ فِي نَصْرِكَ . قَالَ اخْرُجْ إِلَى النَّاسِ فَاطْرُدْهُمْ عَنِّي فَإِنَّكَ خَارِجًا خَيْرٌ لِي مِنْكَ دَاخِلاً . فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَى النَّاسِ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ كَانَ اسْمِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فُلاَنٌ فَسَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللَّهِ وَنَزَلَتْ فِيَّ آيَاتٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَنَزَلَتْ فِيَّ : ( وشهد شَاهِدٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى مِثْلِهِ فَآمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ ) وَنَزَلَتْ فِيَّ : ( قلْ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِنْدَهُ عِلْمُ الْكِتَابِ ) إِنَّ لِلَّهِ سَيْفًا مَغْمُودًا عَنْكُمْ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ قَدْ جَاوَرَتْكُمْ فِي بَلَدِكُمْ هَذَا الَّذِي نَزَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاللَّهَ اللَّهَ فِي هَذَا الرَّجُلِ أَنْ تَقْتُلُوهُ فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُوهُ لَتَطْرُدُنَّ جِيرَانَكُمُ الْمَلاَئِكَةَ وَلَتَسُلُّنَّ سَيْفَ اللَّهِ الْمَغْمُودَ عَنْكُمْ فَلاَ يُغْمَدُ عَنْكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ . قَالُوا اقْتُلُوا الْيَهُودِيَّ وَاقْتُلُوا عُثْمَانَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ . وَقَدْ رَوَى شُعَيْبُ بْنُ صَفْوَانَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ فَقَالَ عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর ভাতিজা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উসমান (রাঃ)-কে যখন মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয় তখন আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) তাঁর নিকট তার নিরাপত্তার জন্য আসেন। উসমান (রাঃ) তাকে বলেন, আপনি কেন এসেছেন? তিনি বললেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে এসেছি। উসমান (রাঃ) বললেন, তাহলে আপনি বাইরে বিদ্রোহীদের নিকট যান এবং তাদেরকে আমার নিকট হতে সরিয়ে দিন। আপনার বাড়ির ভেতরে থাকার চাইতে বাইরে থাকাই আমার জন্য উপকারী। অতএব আবদুল্লাহ (রাঃ) বাইরে লোকদের নিকট গিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে লোকেরা! জাহিলী যুগে আমার অমুক নাম ছিল। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নাম রাখেন আবদুল্লাহ। আমার সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলার কিতাবে কয়েকটি আয়াতও অবতীর্ণ হয়। আমার সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়ঃ “এবং বানী ইসরাঈলের একজন এর মতই কিতাব প্রসঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং এতে ঈমান এনেছে, অথচ তোমরা অহংকার করছ। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না” (সূরাঃ আল-আহ্কাফ-১০)। আরও অবতীর্ণ হয়ঃ “আপনি বলুন, আমার ও তোমাদের মাঝে আল্লাহ্ তা’আলার সাক্ষ্য এবং যার নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে তার সাক্ষ্যই যথেষ্ট” (সূরাঃ রাদ-৪৩)। তোমাদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার একখানা কোষবদ্ধ তলোয়ার আছে। আর তোমাদের এই যে শহরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হিজরাত করে) আসেন, এখানের ফেরেশতারা তোমাদের প্রতিবেশী। অতএব তোমরা এই ব্যক্তিকে হত্যা করার ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় কর। আল্লাহ্র কসম! যদি তোমরা তাকে মেরে ফেল, তাহলে অবশ্যই তোমাদের প্রতিবেশী ফেরেশতারা তোমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে এবং আল্লাহ্ তা’আলার যে তলোয়ার তোমাদের হতে কোষবদ্ধ আছে তা কোষমুক্ত হলে কিয়ামাত পর্যন্ত আর কোষবদ্ধ হবে না। বিদ্রোহীরা বলল, তোমরা এই ইয়াহূদীকেও হত্যা কর এবং উসমানকেও হত্যা কর।
সনদ দুর্বল। ৩০৯৮ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। কেননা আমরা শুধু আবদুল মালিক ইবনু উমাইরের রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। শুআইব ইবনু সাফওয়ান এ হাদীস আবদুল মালিক ইবনু উমাইর হতে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছনঃ উমার ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু সালাম-তার দাদা আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) হতে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮০৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمِيرَةَ، قَالَ لَمَّا حَضَرَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ الْمَوْتُ قِيلَ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَوْصِنَا . قَالَ أَجْلِسُونِي . فَقَالَ إِنَّ الْعِلْمَ وَالإِيمَانَ مَكَانَهُمَا مَنِ ابْتَغَاهُمَا وَجَدَهُمَا يَقُولُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَالْتَمِسُوا الْعِلْمَ عِنْدَ أَرْبَعَةِ رَهْطٍ عِنْدَ عُوَيْمِرٍ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَعِنْدَ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ وَعِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَعِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ الَّذِي كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّهُ عَاشِرُ عَشَرَةٍ فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইয়াযীদ ইবনু ‘উমাইরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর মৃত্যু উপস্থিত হলে তাকে বলা হল, হে ‘আব্দুর রহমানের বাবা! আমাদেরকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, তোমরা আমাকে বসাও। তিনি বললেন, ‘ইল্ম ও ঈমান নিজস্ব জায়গায়ই বিদ্যামান আছে, যে তা অন্বেষণ করবে সে তা লাভ করবে। তিনি তিনবার এ কথা বললেন। তোমরা চার লোকের নিকট ‘ইল্ম অনুসন্ধান করঃ ‘উয়াইমির আবুদ্ দারদা (রাঃ)-এর নিকট, সালমান ফারসী (রাঃ)-এর নিকট, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর নিকট। শেষোক্তজন প্রথমে ইয়াহূদী ধর্মাবলম্বী ছিলেন, পরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তার প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম জান্নাতের দশজনের মাঝে দশম লোক।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৩১)।
এ অনুচ্ছেদে সা’দ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮০৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي الزَّعْرَاءِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي مِنْ أَصْحَابِي أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَاهْتَدُوا بِهَدْىِ عَمَّارٍ وَتَمَسَّكُوا بِعَهْدِ ابْنِ مَسْعُودٍ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ . وَيَحْيَى بْنُ سَلَمَةَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ وَأَبُو الزَّعْرَاءِ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَانِئٍ وَأَبُو الزَّعْرَاءِ الَّذِي رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ ابْنُ أَخِي أَبِي الأَحْوَصِ صَاحِبِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরে তোমরা আমার সাহাবীদের মাঝে আবূ বাক্র ও ‘উমারের অনুসরণ কর এবং ‘আম্মারের অনুসৃত পথ অবলম্বন কর আর ইবনু মাস’ঊদের ওয়াসীয়াত শক্তভাবে ধারণ কর।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে ইবনু মাস’ঊদের হাদীস হিসাবে এটি হাসান গারীব। কেননা এ হাদীস আমার শুধু ইয়াহ্ইয়া ইবনু সালামাহ্ ইবনু কুহাইলের রিওয়ায়াত হিসেবে জানতে পেরেছি। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সালামাহ্ হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। আবুয্ যা’রা নামে দুই লোক রয়েছেন। তাদের একজনের নাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানী এবং অন্যজন যার হতে শু’বাহ্ ও সাওরী হাদীস রিওয়াত করেন। ইবনু ‘উয়াইনাহ্র নাম ‘আম্র ইবনু ‘আম্র। তিনি ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর শীষ্য আবুল আহওয়াসের ভাইয়ের ছেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮০৬
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ لَقَدْ قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي، مِنَ الْيَمَنِ وَمَا نُرَى حِينًا إِلاَّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِمَا نَرَى مِنْ دُخُولِهِ وَدُخُولِ أُمِّهِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ .
আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ও আমার সহোদর ইয়ামান হতে (মাদীনায়) আসা মাত্র আমরা ধারনা করতাম যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের একজন সদস্য। কেননা আমরা তাকে ও তার মাতাকে প্রায়ই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসা-যাওয়া করতে দেখতাম।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি এই সনদ সূত্রে হাসান সহীহ গারীব। সুফ্ইয়ান সাওরীও হাদীসটি আবূ ইসহাক্বের সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ أَتَيْنَا عَلَى حُذَيْفَةَ فَقُلْنَا حَدِّثْنَا مَنْ، أَقْرَبُ النَّاسِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَدْيًا وَدَلاًّ فَنَأْخُذَ عَنْهُ وَنَسْمَعَ مِنْهُ قَالَ كَانَ أَقْرَبَ النَّاسِ هَدْيًا وَدَلاًّ وَسَمْتًا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى يَتَوَارَى مِنَّا فِي بَيْتِهِ وَلَقَدْ عَلِمَ الْمَحْفُوظُونَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ أَنَّ ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ هُوَ مِنْ أَقْرَبِهِمْ إِلَى اللَّهِ زُلْفَى . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হুযাইফা (রাঃ) এর কাছে এসে বললাম, আপনি আমাদেরকে এরুপ এক ব্যাক্তির সন্ধান দিন, যিনি আচার-আচরনে অপরদের চাইতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশি কাছের, যাতে আমরা তাঁর নিকট দ্বীন শিখতে পারি ও হাদীস শুনতে পারি। হুযাইফা (রাঃ) বলেন, আচার-আচরন ও চাল-চলনে ব্যাক্তিদের মাঝে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনেক নিকটবর্তী হলেন ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)। তিনি আমাদের মাঝ হতে অন্তরাল হয়ে তাঁর ঘরে অবস্থান করতেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশ্বস্ত সাহাবীগন ভালভাবে অবগত আছেন যে, ইবনু উম্মু আব্দ (‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ) তাদের প্রত্যেকের তুলনায় আল্লাহ্ তা’আলার বেশি নৈকট্যলাভকারী।
সহীহঃ তা’লীকাত আল-হাস্সান (৭০২৩), বুখারী সংক্ষিপ্তাকারে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮০৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا صَاعِدٌ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْ كُنْتُ مُؤَمِّرًا أَحَدًا مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ مِنْهُمْ لأَمَّرْتُ عَلَيْهِمُ ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যদি তাদের কাউকে পরামর্শ ছাড়া দলনেতা নিযুক্ত করতাম, তাহলে ইবনু উম্মি আব্দকে দলনেতা নিযুক্ত করতাম।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৩৭),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু হারিস হতে আলী (রাঃ) সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮০৯
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْ كُنْتُ مُؤَمِّرًا أَحَدًا مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ لأَمَّرْتُ ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি পরামর্শ ছাড়া কাউকে নেতার পদ দিলে ইবনু উম্মি আব্দকেই নেতার পদ দিতাম।
যঈফ, দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮১০
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خُذُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চার লোকের কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা করঃ ইবনু মাস’ঊদ, উবাই ইবনু কা’ব, মু’আয ইবনু জাবাল ও হুযাইফাহ্র মুক্ত দাস সালিম হতে।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৮২৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮১১
حَدَّثَنَا الْجَرَّاحُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خَيْثَمَةَ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، قَالَ أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَسَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَيَسَّرَ لِي أَبَا هُرَيْرَةَ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَوُفِّقْتَ لِي . فَقَالَ لِي مِنْ أَيْنَ أَنْتَ قُلْتُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ جِئْتُ أَلْتَمِسُ الْخَيْرَ وَأَطْلُبُهُ . قَالَ أَلَيْسَ فِيكُمْ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ مُجَابُ الدَّعْوَةِ وَابْنُ مَسْعُودٍ صَاحِبُ طَهُورِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَعْلَيْهِ وَحُذَيْفَةُ صَاحِبُ سِرِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَمَّارٌ الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ وَسَلْمَانُ صَاحِبُ الْكِتَابَيْنِ . قَالَ قَتَادَةُ وَالْكِتَابَانِ الإِنْجِيلُ وَالْفُرْقَانُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَخَيْثَمَةُ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ إِنَّمَا نُسِبَ إِلَى جَدِّهِ
খাইসামাহ্ ইবনু আবূ সাবরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মাদীনায় এসে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করলাম যে, তিনি যেন আমাকে একজন সৎকর্মপরায়ণ সঙ্গী জুটিয়ে দেন। অতএব তিনি আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ)-কে আমার ভাগ্যে জুটিয়ে দিলেন। তার পাশে বসে আমি তাকে বললাম, আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমাকে একজন সৎকর্মপরায়ন সঙ্গী মিলিয়ে দেন। অতএব আপনি আমার জন্য সহজলভ্য হয়েছেন। তিনি (আমাকে) প্রশ্ন করেন, তুমি এসেছ কোথা হতে? আমি বললাম, আমি কূফার অধিবাসী। আমি মঙ্গলের সন্ধানে এসেছি এবং তাই খোঁজ করছি। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কি সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ), যার দু’আ ক্ববুল হয়, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উযুর পানি ও জুতা বহনকারী ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ), রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোপন তথ্যের খাজাঞ্চী হূ্যাইফাহ্ (রাঃ), ‘আম্মার (রাঃ) যাকে আল্লাহ তাঁর নাবীর ভাষায় শাইতানের আক্রমণ হতে নিরাপত্তা দান করেছেন এবং দুই কিতাবধারী সালমান (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগন বিদ্যমান নেই? ক্বাতদাহ (রাঃ) বলেন, দুই কিতাব হল ইনজীল ও কুরআন।
সহীহঃ বুখারী (৩৭৪২,৩৭৪৩) হুযাইফাহ্ হতে, এ হাদিসদ্বয়ে সালমানের উল্লেখ নেই।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। খাইসামাহ্ হলেন ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবী সাবরার পুত্র। তাকে তার দাদার সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯. অনুচ্ছেদঃ
হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮১২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اسْتَخْلَفْتَ . قَالَ “ إِنِ اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْكُمْ فَعَصَيْتُمُوهُ عُذِّبْتُمْ وَلَكِنْ مَا حَدَّثَكُمْ حُذَيْفَةُ فَصَدِّقُوهُ وَمَا أَقْرَأَكُمْ عَبْدُ اللَّهِ فَاقْرَءُوهُ ” . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَقُلْتُ لإِسْحَاقَ بْنِ عِيسَى يَقُولُونَ هَذَا عَنْ أَبِي وَائِلٍ . قَالَ لاَ عَنْ زَاذَانَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ حَدِيثُ شَرِيكٍ .
হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! যদি আপনি কাউকে খালীফা (স্থলাভিসিক্ত) নিযুক্ত করে যেতেন। তিনি বললেনঃ আমি কাউকে তোমাদের খালীফা নিযুক্ত করে গেলে এবং তোমরা তার অবাধ্যাচারী হলে তোমাদেরকে সাজা দেয়া হবে। সুতরাং হুযাইফা (রাঃ) তোমাদের নিকট যা বর্ণনা করে তাকে সত্য বলে গ্রহণ কর এবং ইবনু মাসঊদ (রাঃ) তোমাদেরকে যা কিছু পাঠ করায় তা পাঠ করে নাও।
যঈফ, মিশকাত (৬২৩২), আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান বলেন, আমি ইসহাক ইবনু ঈসাকে বললাম, লোকেরা বলেন, এ হাদীস আবূ ওয়াইল হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, না, বরং তা ইনশা আল্লাহ যাযান থেকে।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান। এটি শারীকের বর্ণিত হাদীস।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০. অনুচ্ছেদঃ
যাইদ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮১৩
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ فَرَضَ لأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فِي ثَلاَثَةِ آلاَفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ وَفَرَضَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي ثَلاَثَةِ آلاَفٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لأَبِيهِ لِمَ فَضَّلْتَ أُسَامَةَ عَلَىَّ فَوَاللَّهِ مَا سَبَقَنِي إِلَى مَشْهَدٍ . قَالَ لأَنَّ زَيْدًا كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَبِيكَ وَكَانَ أُسَامَةُ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ مِنْكَ فَآثَرْتُ حُبَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى حُبِّي . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উসামা (রাঃ)-এর মাহিনা নির্ধারণ করলেন তিন হাজার পাঁচ শত দিরহাম এবং আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর মাহিনা নির্ধারণ করলেন তিন হাজার। সুতরাং আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তার পিতাকে বললেন, আপনি উসামাকে কেন আমার উপর স্থান দিলেন? আল্লাহ্র কসম! সে কোন যুদ্ধে আমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। উমার (রাঃ) বললেন, তোমার পিতার চাইতে (তার পিতা) যাইদ (রাঃ) ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) বেশি প্রিয়পাত্র। আর তোমার চাইতে উসামা ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) বেশি পছন্দনীয় ব্যক্তি। তাই আমি আমার পছন্দনীয় ব্যক্তির উপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) পছন্দনীয় ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮১৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا كُنَّا نَدْعُو زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ إِلاَّ زَيْدَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَتَّى نَزَلَتْ : ( ادعُوهُمْ لآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ ) . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে তাঁর বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যাইদ (রাঃ)-কে যাইদ ইবনু হারিসাহ্ না বলে বরং যাইদ ইবনু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে সম্বোধন করতাম। অবশেষে এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদে): “তোমরা তাদের কে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাকো, এটাই আল্লাহ তা’আলার দৃষ্টিতে বেশি ন্যায়সঙ্গত”-(সূরা আহ্যাব ৫)।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটি ৩২০৯ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮১৫
حَدَّثَنَا الْجَرَّاحُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَصْرِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الرُّومِيِّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي جَبَلَةُ بْنُ حَارِثَةَ، أَخُو زَيْدٍ قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْعَثْ مَعِي أَخِي زَيْدًا . قَالَ ” هُوَ ذَا ” . قَالَ ” فَإِنِ انْطَلَقَ مَعَكَ لَمْ أَمْنَعْهُ ” . قَالَ زَيْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ لاَ أَخْتَارُ عَلَيْكَ أَحَدًا . قَالَ فَرَأَيْتُ رَأْىَ أَخِي أَفْضَلَ مِنْ رَأْيِي . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ الرُّومِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ .
যাইদ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)-এর সহোদর জাবালাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাজির হয়ে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসুল! আমার সহোদর যাইদকে আমার সাথে পাঠিয়ে দিন। তিনি বললেন, এইতো সে হাজির। সে যদি তোমার সঙ্গে চলে যেতে চায়, তাকে আমি বাধা দিবো না। যাইদ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! আল্লাহ্র ক্বসম! আমি আপনাকে ছেড়ে অন্য কাউকে গ্রহণ করবো না। বর্ণনাকারী (জাবালাহ্) বলেন, আমি দেখলাম আমার সিদ্ধান্তের তুলনায় আমার ভাইয়ের সিদ্ধান্তই বেশি উত্তম।
হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৬৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র ইবনুর রূমী হতে ‘আলী ইবনূ মুসহির-এর সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৮১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَطَعَنَ النَّاسُ فِي إِمَارَتِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنْ تَطْعَنُوا فِي إِمَارَتِهِ فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي إِمْرَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلإِمَارَةِ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَىَّ وَإِنَّ هَذَا مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَىَّ بَعْدَهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন এক যুদ্ধাভিযানে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সামরিক বাহিনী পাঠান এবং উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ)-কে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। কিছু লোক উসামাহ্র নেতৃত্বের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করে। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ যদি আজ তোমরা উসামাহ্র নেতৃত্বের ব্যাপারে বিরূপ সমালোচনা করে থাকো, তবে ইতোপূর্বে তোমরা তার বাবার নেতৃত্বের প্রসঙ্গেও বিরুপ সমালোচনা করেছিলে। আল্লাহ্র ক্বসম! নিশ্চয়ই সে নেতৃত্বের ব্যাপারে বেশি যোগ্য ছিল এবং সমস্ত লোকের মাঝে আমার সবচাইতে বেশি পছন্দনীয় ছিল। আর তার পরে তার ছেলেও আমার কাছে সবার তুলনায় বেশি প্রিয়।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আলী ইবনু হুজর-ইসমাঈল উবনু জা’ফার হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪১. অনুচ্ছেদঃ
উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮১৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَبَطْتُ وَهَبَطَ النَّاسُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أُصْمِتَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ يَدَيْهِ عَلَىَّ وَيَرْفَعُهُمَا فَأَعْرِفُ أَنَّهُ يَدْعُو لِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
মুহাম্মাদ ইবনু উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে তাঁর বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি ও আরো কিছু লোক মাদীনায় গেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমি প্রবেশ করলাম। তিনি নীরব ছিলেন এবং কোন কথা বলেননি। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দু’খানা আমার শরীরের উপর রাখতেন এবং তা উত্তোলন করতেন। তাতে আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি আমার জন্য দু’আ করছেন।
হাসানঃ মিশকাত (৬১৬৬)।
আবূ ‘’ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৮১৮
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنَحِّيَ مُخَاطَ أُسَامَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ دَعْنِي دَعْنِي حَتَّى أَكُونَ أَنَا الَّذِي أَفْعَلُ . قَالَ “ يَا عَائِشَةُ أَحِبِّيهِ فَإِنِّي أُحِبُّهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসামাহ্র নাকের শ্লেষ্মা মুছে দেওয়ার ইচ্ছা করলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমাকে অনুমতি দিন আমিই তা মুছে দেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! তুমি তাকে মুহাব্বাত করবে, কেননা আমি তাকে মুহাব্বাত করি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৬৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮১৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَ عَلِيٌّ وَالْعَبَّاسُ يَسْتَأْذِنَانِ فَقَالاَ يَا أُسَامَةُ اسْتَأْذِنْ لَنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِيٌّ وَالْعَبَّاسُ يَسْتَأْذِنَانِ . فَقَالَ ” أَتَدْرِي مَا جَاءَ بِهِمَا ” . قُلْتُ لاَ أَدْرِيَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” لَكِنِّي أَدْرِي ” . فَأَذِنَ لَهُمَا فَدَخَلاَ فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْنَاكَ نَسْأَلُكَ أَىُّ أَهْلِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ ” فَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ ” . فَقَالاَ مَا جِئْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ أَهْلِكَ . قَالَ ” أَحَبُّ أَهْلِي إِلَىَّ مَنْ قَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتُ عَلَيْهِ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ ” . قَالاَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ” ثُمَّ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ” . قَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَعَلْتَ عَمَّكَ آخِرَهُمْ قَالَ ” لأَنَّ عَلِيًّا قَدْ سَبَقَكَ بِالْهِجْرَةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَكَانَ شُعْبَةُ يُضَعِّفُ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ .
উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসে থাকাকালীন সময়ে আলী ও আব্বাস (রাঃ) হাযির হয়ে সম্মতি চেয়ে বলেন, হে উসামা! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে আমাদের ঢোকার অনুমতি চাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আলী ও আব্বাস (রাঃ) প্রবেশের অনুমতিপ্রার্থী। তিনি বললেন: তুমি কি জান তারা কেন এসেছে? আমি বললাম, না, আমি জানি না। তিনি বললেন, কিন্তু আমি জানি। তাদেরকে সম্মতি দিলেন। তারা দুজনে ভেতরে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার নিকট এ কথা জানতে এসেছি যে, আপনার পরিজনদের মধ্যে কে আপনার বেশি আদরের? তিনি বললেনঃ ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ। তারা বললেন, আমরা আপনার পরিজন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে আসিনি। তিনি বললেন, আমার পরিজনদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আমার বেশি আদরের যার প্রতি আল্লাহ তা’আলাও দয়া করেছেন এবং আমিও দয়া করেছি অর্থাৎ উসামা ইবনু যাইদ। তারা আবার প্রশ্ন করেন, তারপর কে? তিনি বললেনঃ তারপর আলী ইবনু আবূ তালিব। আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আপনার চাচাকে সবার শেষ ভাগে রাখলেন? তিনি বললেন: হিজরাতের কারণে আলী আপনাকে ছেড়ে গেছে।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪২. অনুচ্ছেদঃ
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلاَّ ضَحِكَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কখনো তাঁর নিকট প্রবেশে বাধা প্রদান করেননি এবং আমাকে যখনই দেখেছেন তখনই হেসে দিয়েছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮২১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلاَّ تَبَسَّمَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর ঘরে প্রবেশ করতে কখনো বাধা দেননি এবং তিনি যখনই আমাকে দেখেছেন তখনই মুচকি হেসেছেন।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস। অত্র হাদীসে বর্ণিত শব্দাবলী অধিক প্রণিধানযোগ্য।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ مَرَّتَيْنِ وَدَعَا لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . وَلاَ نَعْرِفُ لأَبِي جَهْضَمٍ سَمَاعًا مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَأَبُو جَهْضَمٍ اسْمُهُ مُوسَى بْنُ سَالِمٍ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে দু’বার দেখেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য দু’বার দু’আ করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন: এ হাদীসটি মুরসাল। আবূ জাহযাম (রাহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর দেখা পাননি। তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনু আব্বাসের সূত্রে ইবনু আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন এবং তার নাম মূসা ইবনু সালিম।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُكْتِبُ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ دَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُؤْتِيَنِي اللَّهُ الْحِكْمَةَ مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءٍ . وَقَدْ رَوَاهُ عِكْرِمَةُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার নিকট দু’বার দু’আ করেছেন।
সহীহঃ রাওযুন্ নাযীর (৩৯৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং ‘আতার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সনদে গারীব। হাদীসটি ইকরিমাহ্ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ضَمَّنِي إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ “ اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْحِكْمَةَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর বুকে চেপে ধরে বললেনঃ হে আল্লাহ! তাকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করুন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّمَا فِي يَدِي قِطْعَةُ إِسْتَبْرَقٍ وَلاَ أُشِيرُ بِهَا إِلَى مَوْضِعٍ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ طَارَتْ بِي إِلَيْهِ فَقَصَصْتُهَا عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” إِنَّ أَخَاكِ رَجُلٌ صَالِحٌ ” . أَوْ ” إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَجُلٌ صَالِحٌ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি স্বপ্নে দেখি যে, আমার হাতে একখণ্ড রেশমী কাপড়। আমি জান্নাতের যে দিকেই ইশারা করি সেটি আমাকে সেদিকেই উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমি ঘ্টনাটি হাফসা (রাঃ)-এর কাছে বর্ণনা করি। হাফসাহ্ (রাঃ) তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানান। তিনি বলেনঃ তোমার ভাই নিশ্চয়ই একজন সৎলোক অথবা বলেছেন, নিশ্চয়ই ‘আবদুল্লাহ একজন সৎলোক।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِي بَيْتِ الزُّبَيْرِ مِصْبَاحًا فَقَالَ “ يَا عَائِشَةُ مَا أُرَى أَسْمَاءَ إِلاَّ قَدْ نَفِسَتْ فَلاَ تُسَمُّوهُ حَتَّى أُسَمِّيَهُ ” . فَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ وَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ بِيَدِهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইর (রাঃ)-এর ঘরে প্রদীপ জ্বলতে দেখে বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! আমার মনে হয় আসমা সন্তান প্রসব করেছে। তোমরা তার নাম রেখ না, আমিই তার নাম রাখব। অতএব তিনি তার নাম রাখলেন ‘আবদুল্লাহ এবং একটি খেজুর চর্বন করে তা নিজ হাতে তাঁর মুখে দেন।
হাসানঃ বুখারী (৩৯০৯, ৩৯১০)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪৬. অনুচ্ছেদঃ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮২৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ صَوْتَهُ فَقَالَتْ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ أُنَيْسٌ . قَالَ فَدَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ دَعَوَاتٍ قَدْ رَأَيْتُ مِنْهُنَّ اثْنَيْنِ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَرْجُو الثَّالِثَةَ فِي الآخِرَةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাদের এখান দিয়ে) যাচ্ছিলেন এবং আমার মা উম্মু সুলাইম (রাঃ) তাঁর আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, এই যে (আমার পুত্র) উনাইস। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর আমার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি দু’আ করেন। অবশ্য এর মাঝে দু’টি আমি দুনিয়াতেই লাভ করেছি এবং তৃতীয়টি আখিরাতে পাওয়ার আশা রাখি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উপর্যুক্ত সনদে গারীব। অবশ্য এ হাদীস আনাস (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সনদে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮২৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رُبَّمَا قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ يَا ذَا الأُذُنَيْنِ ” . قَالَ أَبُو أُسَامَةَ يَعْنِي يُمَازِحُهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায়ই আমাকে বলতেনঃ হে দুই কানের অধিকারী। আবূ উসামাহ্ বলেন, অর্থাৎ তাঁর সাথে তিনি (এ কথা বলে) রসিকতা করতেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ، أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسٌ خَادِمُكَ ادْعُ اللَّهَ لَهُ . قَالَ “ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উম্মু সুলাইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আনাস ইবনু মালিক আপনার সেবক, আল্লাহ তা’আলার নিকট তাঁর জন্য দু’আ করুন। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! আনাসের ধন-মাল ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দাও এবং তুমি তাকে যা কিছু দিয়েছ তাতে বারাকাত দান কর।
সহিহঃ সহীহাহ্ (২২৪৬), তাখরীজ মুশকিলাতুল ফাক্র (১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৩০
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي نَصْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه قَالَ كَنَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَقْلَةٍ كُنْتُ أَجْتَنِيهَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ عَنْ أَبِي نَصْرٍ . وَأَبُو نَصْرٍ هُوَ خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ رَوَى عَنْ أَنَسٍ أَحَادِيثَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সবজির নামানুসারে আমার নামের উপনাম রাখেন, সে সবজি তুলে আনতাম।
আবূ ঈসা বলেন: এ হাদীসটি গারীব। শুধু জাবির আল-জুফী হতে আবূ নাসর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসেবে আমরা হাদীস জেনেছি। আবূ নাসর হলেন খাইসামা ইবনু আবূ খাইসামা আল-বাসরী, তিনি আনাস (রাঃ) হতে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৮৩১
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا مَيْمُونٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، قَالَ قَالَ لِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ يَا ثَابِتُ خُذْ عَنِّي فَإِنَّكَ لَمْ تَأْخُذْ عَنْ أَحَدٍ أَوْثَقَ مِنِّي إِنِّي أَخَذْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ جِبْرِيلَ وَأَخَذَهُ جِبْرِيلُ عَنِ اللَّهِ تَعَالَى . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ .
সাবিত আল-বুনানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আমাকে বললেন, হে সাবিত! আমার হতে (হাদীস) সংগ্রহ কর। যেহেতু আমার তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য কারো নিকট হতে কিছু (হাদীস) সঞ্চয়ন করতে পারবে না। কারণ আমি তা সঞ্চয়ন করেছি সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা সংগ্রহ করেছেন জিবরাইল আলাইহিস সালাম হতে এবং জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তা সঞ্চয়ন করেছেন আল্লাহ্ তা’আলার নিকট হতে।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু যাইদ ইবনুল হুবাবের সূত্রেই এই হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৩২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَعْقُوبَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ وَأَخَذَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ جِبْرِيلَ .
আবূ কুরাইব-যাইদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মাইমূন আবূ আবদুল্লাহ হতে, তিনি সাবিত হতে, তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে ইবরাহীম ইবনু ইয়াকূব বর্ণিত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে এ সূত্রে এ কথার উল্লেখ নেই ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরাঈল আলাইহিস সালাম হতে তা গ্রহণ করেছেন’।
দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৮৩৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَبِي خَلْدَةَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي الْعَالِيَةِ سَمِعَ أَنَسٌ، مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَدَمَهُ عَشْرَ سِنِينَ وَدَعَا لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ لَهُ بُسْتَانٌ يَحْمِلُ فِي السَّنَةِ الْفَاكِهَةَ مَرَّتَيْنِ وَكَانَ فِيهَا رَيْحَانٌ يَجِدُ مِنْهُ رِيحَ الْمِسْكِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَأَبُو خَلْدَةَ اسْمُهُ خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَقَدْ أَدْرَكَ أَبُو خَلْدَةَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَرَوَى عَنْهُ .
আবূ খাল্দাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুল ‘আলিয়াহ্ (রহঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আনাস (রাঃ) কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস শুনেছেন? আবুল ‘আলিয়াহ্ (অবাক হয়ে) বলেন, তিনি তো একাধারে দশ বছর তাঁর সেবা করেছেন এবং তাঁর জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করেছেন। তাঁর একটি বাগান ছিল যাতে বছরে দু’বার ফল ধরত। ঐ বাগানে একটি ফুলগাছ ছিল যা হতে কস্তুরির ঘ্রাণ আসত।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২২৪১)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবূ খালদার নাম খালিদ ইবনু দীনার এবং তিনি হাদীস বিশারদদের মতে নির্ভরযোগ্য। তিনি আনাস ইবনু মালিক(রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং তাঁর নিকট হতে হাদীসও রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭. অনুচ্ছেদেঃ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَسَطْتُ ثَوْبِي عِنْدَهُ ثُمَّ أَخَذَهُ فَجَمَعَهُ عَلَى قَلْبِي فَمَا نَسِيتُ بَعْدَهُ حَدِيثًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁর সম্মুখে আমার কাপড় (চাদরখানা) বিছিয়ে দিলাম। তারপর কাপড়খানা তুলে জড়ো করে তিনি আমার বুকের উপড় রাখলেন। এরপর হতে আমি আর কোন কিছুই ভুলিনি।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৮৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْمَعُ مِنْكَ أَشْيَاءَ فَلاَ أَحْفَظُهَا . قَالَ “ ابْسُطْ رِدَاءَكَ ” . فَبَسَطْتُ فَحَدَّثَ حَدِيثًا كَثِيرًا فَمَا نَسِيتُ شَيْئًا حَدَّثَنِي بِهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার কাছ হতে আমি যা কিছু শ্রবণ করি তা মনে রাখতে পারি না। তিনি বললেন, তোমার চাদরখানা বিছাও। অতএব আমি তা বিছালাম। তারপর তিনি বহু হাদীস রিওয়ায়াত করলেন যা আমি কখনো ভুলিনি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৩৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لأَبِي هُرَيْرَةَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْتَ كُنْتَ أَلْزَمَنَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَحْفَظَنَا لِحَدِيثِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে তিনি বললেন, হে আবূ হুরায়রা্! আপনি আমাদের চেয়ে বেশি সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছাকাছি কাটিয়েছেন এবং আমাদের তুলনায় তাঁর বেশি হাদীস মুখস্থ করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৩৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ أَرَأَيْتَ هَذَا الْيَمَانِيَ يَعْنِي أَبَا هُرَيْرَةَ هُوَ أَعْلَمُ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْكُمْ نَسْمَعُ مِنْهُ مَا لاَ نَسْمَعُ مِنْكُمْ أَوْ يَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ يَقُلْ . قَالَ أَمَّا أَنْ يَكُونَ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ نَسْمَعْ فَلاَ أَشُكُّ إِلاَّ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ نَسْمَعْ وَذَاكَ أَنَّهُ كَانَ مِسْكِينًا لاَ شَىْءَ لَهُ ضَيْفًا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدُهُ مَعَ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكُنَّا نَحْنُ أَهْلَ بُيُوتَاتٍ وَغِنًى وَكُنَّا نَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَفَىِ النَّهَارِ فَلاَ نَشُكُّ إِلاَّ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ نَسْمَعْ وَلاَ نَجِدُ أَحَدًا فِيهِ خَيْرٌ يَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ يَقُلْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ . وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ وَغَيْرُهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .
মালিক ইবনু আবূ আমির (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আবূ মুহাম্মাদ! ঐ ইয়ামানী লোকটি অর্থাৎ আবূ হুরাইরা (রাঃ) প্রসঙ্গে আপনার কি বক্তব্য? তিনি কি আপনাদের চাইতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস অনেক বেশি জানেন? তার নিকট আমরা এমন কিছু হাদীস শুনি যা আপনাদের নিকট শুনতে পাই না। অথবা তিনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বরাতে এমন কথা বলেন যা প্রকৃতপক্ষে তিনি বলেননি? তালহা (রাঃ) বললেন, বস্তুত তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস শুনেছেন যা আমরা শুনতে পারিনি। তার কারণ এই যে, তিনি ছিলেন একজন গরীব লোক, তার কিছুই ছিল না। তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অতিথি। তার হাত থাকত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতের সাথে (অর্থাত সব সময় তাঁর সঙ্গে থাকতেন)। আর আমরা ছিলাম বাড়ি-ঘর ও পরিবার-পরিজনসহ ধনবান। তাই আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমাতে হাযির হওয়ার সুযোগ পেতাম দিনের দুই ভাগে (সকাল ও সন্ধ্যায়)। তাই নিঃসন্দেহে তিনি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী শুনেছেন, যা আমরা শুনিনি। আর তুমি এমন একজন সৎ লোকও খুঁজে পাবে না যিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বরাতে এমন কথা বলবেন, যা সত্যিকার অর্থে তিনি বলেননি।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। অবশ্য ইউসুফ ইবনু বুকাইর প্রমুখগণ এ হাদীস মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৩৮
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ ابْنُ بِنْتِ أَزْهَرَ السَّمَّانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبُو خَلْدَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” مِمَّنْ أَنْتَ ” . قَالَ قُلْتُ مِنْ دَوْسٍ . قَالَ ” مَا كُنْتُ أُرَى أَنَّ فِي دَوْسٍ أَحَدًا فِيهِ خَيْرٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو خَلْدَةَ اسْمُهُ خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ وَأَبُو الْعَالِيَةِ اسْمُهُ رُفَيْعٌ .
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করেনঃ তুমি কোন গোত্রের লোক? আমি বললাম, দাওস গোত্রীয়। তিনি বললেনঃ আমি জ্ঞাত ছিলাম না যে, দাওস গোত্রে কোন উত্তম ব্যাক্তি আছে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (২৯৩৬)। তাইসীরুল ইনতিফা’ মুহাজির ইবনু মাখলাদ হতে।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ খাল্দাহ্র নাম খালিদ ইবনু দীনার এবং আবূ ‘আলিয়্যার নাম রুফাই’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৩৯
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْمُهَاجِرُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الرِّيَاحِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِتَمَرَاتٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ فِيهِنَّ بِالْبَرَكَةِ . فَضَمَّهُنَّ ثُمَّ دَعَا لِي فِيهِنَّ بِالْبَرَكَةِ فَقَالَ لِي “ خُذْهُنَّ وَاجْعَلْهُنَّ فِي مِزْوَدِكَ هَذَا أَوْ فِي هَذَا الْمِزْوَدِ كُلَّمَا أَرَدْتَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا فَأَدْخِلْ فِيهِ يَدَكَ فَخُذْهُ وَلاَ تَنْثُرْهُ نَثْرًا ” . فَقَدْ حَمَلْتُ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ كَذَا وَكَذَا مِنْ وَسْقٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَكُنَّا نَأْكُلُ مِنْهُ وَنُطْعِمُ وَكَانَ لاَ يُفَارِقُ حَقْوِي حَتَّى كَانَ يَوْمُ قَتْلِ عُثْمَانَ فَإِنَّهُ انْقَطَعَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কয়েকটি খেজুরসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এ খেজুরগুলোতে বারাকাত হওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকট দু’আ করুন। তিনি খেজুরগুলো জড়ো করলেন, তারপর আমার জন্য খেজুরগুলোয় বারাকাত হওয়ার দু’আ করলেন, তারপর আমাকে বললেনঃ এগুলো নাও এবং তোমার এই থলেতে রাখ। আর যখনই তা হতে তুমি কিছু খেজুর নিতে চাও, সে সময় থলের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে বের করে নিবে এবং কখনও থলেটি ঝেড়ে ফেল না। এরপর আমি উক্ত থলে হতে এত এত ওয়াসাক খেজুর আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় দান করেছি। আর এ হতে আমরা নিজেরাও খেতাম এবং অন্যকেও খাওয়াতাম। থলেটি আমার কোমড় হতে কখনো আলাদা হয়নি। অবশেষে ‘উসমান (রাঃ) যেদিন শাহাদাত বরণ করেন সেদিন আমার (কোমড়) হতে থলেটি পড়ে যায়।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। হাদীসটি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে অন্য সনদেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৮৪০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْمُرَابِطِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي هُرَيْرَةَ لِمَ كُنِّيتَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ أَمَا تَفْرَقُ مِنِّي قُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ إِنِّي لأَهَابُكَ . قَالَ كُنْتُ أَرْعَى غَنَمَ أَهْلِي فَكَانَتْ لِي هُرَيْرَةٌ صَغِيرَةٌ فَكُنْتُ أَضَعُهَا بِاللَّيْلِ فِي شَجَرَةٍ فَإِذَا كَانَ النَّهَارُ ذَهَبْتُ بِهَا مَعِي فَلَعِبْتُ بِهَا فَكَنَّوْنِي أَبَا هُرَيْرَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
আবদুল্লাহ ইবনে রাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আবূ হুরায়রা্ (বিড়ালের বাপ) আপনার ডাকনাম হলো কেন? তিনি বললেন, তুমি আমাকে কি ভয় পাও? আমি বললাম, হ্যাঁ আল্লাহ্র শপথ, অবশ্যই আপনাকে আমি ভয় করি। তিনি বললেন, আমি আমার পরিবারের মেষপাল চড়াতাম এবং আমার একটি ছোট বিড়াল ছিল। রাতের বেলা আমি এটিকে একটি গাছে বসিয়ে রাখতাম। আর দিন হলে আমি এটাকে আমার সঙ্গে নিয়ে যেতাম এবং এর সাথে খেলা করতাম। তাই লোকেরা আমাকে আবূ হুরায়রা্ ডাকনাম দেয়।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৮৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ لَيْسَ أَحَدٌ أَكْثَرَ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنِّي إِلاَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو فَإِنَّهُ كَانَ يَكْتُبُ وَكُنْتُ لاَ أَكْتُبُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) ছাড়া আর কেউ আমার চেয়ে অধিক রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস রেওয়ায়েত করেনি। কেননা তিনি (হাদীস) লিখে রাখতেন কিন্তু আমি লিখতাম না।
সহীহঃ বুখারী (২৬৬৮) নং হাদীস পুর্বে উল্ল্যেখ হয়েছে।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮. অনুচ্ছেদঃ
মু’আবিয়াহ্ ইবনু আবী সুফ্ইয়ান (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمِيرَةَ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ “ اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا وَاهْدِ بِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবদুর রহমান ইবনু আবী ‘উমাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী ছিলেন; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’আবিয়া (রাঃ)-এর জন্য দু’আ করেনঃ “হে আল্লাহ্! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৩) সহীহাহ্ (১৯৬৯)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ لَمَّا عَزَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عُمَيْرَ بْنَ سَعِيدٍ عَنْ حِمْصَ، وَلَّى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ النَّاسُ عَزَلَ عُمَيْرًا وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ . فَقَالَ عُمَيْرٌ لاَ تَذْكُرُوا مُعَاوِيَةَ إِلاَّ بِخَيْرٍ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ اهْدِ بِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَعَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ يُضَعَّفُ .
আবূ ইদরিস আল-খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) যখন ‘উমাইর ইবনু সা’দ (রাঃ)-কে পদচ্যুত করে সে পদে মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-কে হিমসের গভর্নর নিযুক্ত করলেন তখন লোকেরা বলল, তিনি ‘উমাইরকে পদচ্যুত করে সে পদে ম’আবিয়াহ্কে শাসক নিযুক্ত করেছেন। ‘উমাইর (রাঃ) বলেন, তোমরা মু’আবিয়াহ্কে ভালভাবে স্মরণ কর। কেননা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! তুমি তার মাধ্যমে (লোকদের) পথ দেখাও।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব। ‘আমর ইবনু ওয়াক্বীদকে দুর্বল মনে করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯. অনুচ্ছেদঃ
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৪৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَسْلَمَ النَّاسُ وَآمَنَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
উক্কবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা ইসলাম কবূল করেছে আর ‘আমর ইবনুল ‘আস বিশ্বাস স্থাপন করেছে।
হাসানঃ সহীহাহ্ (১১৫), মিশকাত (৬২৩৬)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধুমাত্র ইবনু লাহী’আহ্র বরাতে মিশরাহ্ হতে জানতে পেরেছি। এর সনদসূত্র খুব একটা মাযবুত নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৮৪৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ الْجُمَحِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ قَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِي مِنْ صَالِحِي قُرَيْشٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ الْجُمَحِيِّ . وَنَافِعٌ ثِقَةٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ لَمْ يُدْرِكْ طَلْحَةَ
তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আমর ইবনু আস কুরাইশদের অধিক ভালো ব্যক্তিদের দলভুক্ত।
আবূ ঈসা বলেনঃ আমরা এ হাদিস শুধু নাফি ইবনু উমার আল- জুমাহীর বর্ণনা হতেই জেনেছি। নাফি একজন নির্ভরযোগ্য রাবী। কিন্তু হাদীসটির সনদসূত্র মুত্তাসিল (সংষুক্ত) নয়। ইবনু আবূ মুলাইকা (রাহঃ) তালহা (রাঃ)-এর দেখা পাননি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০. অনুচ্ছেদঃ
খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)- এর মর্যাদা।
৩৮৪৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَزَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْزِلاً فَجَعَلَ النَّاسُ يَمُرُّونَ فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ هَذَا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ” . فَأَقُولُ فُلاَنٌ . فَيَقُولُ ” نِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ هَذَا ” . وَيَقُولُ ” مَنْ هَذَا ” . فَأَقُولُ فُلاَنٌ . فَيَقُولُ ” بِئْسَ عَبْدُ اللَّهِ هَذَا ” . حَتَّى مَرَّ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ ” مَنْ هَذَا ” . فَقُلْتُ هَذَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ . فَقَالَ ” نِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُ لِزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ سَمَاعًا مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَهُوَ عِنْدِي حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমরা এক মানযিলে যাত্রা বিরতি করলাম। আমাদের সম্মুখ দিয়ে লোকেরা চলাফেরা করতে লাগল। আর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করতে থাকলেনঃ হে আবূ হুরায়রা্! ইনি কে? আমি বলতাম, অমুক। তখন তিনি বলতেন, আল্লাহ্ তা’আলার এ বান্দা খুব ভাল লোক। আবার এক ব্যাক্তি গেলে তিনি প্রশ্ন করতেনঃ ইনি কে? আমি বলতাম, অমুক। তখন তিনি বলতেন, আল্লাহ্ তা’লার এ বান্দা খুব মন্দ ব্যাক্তি। অবশেষে সেখান দিয়ে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ অতিক্রম করলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এ লোকটি কে? আমি বললাম, ইনি খালিদ ইবনু ওয়ালীদ। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার এ বান্দা খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ খুব ভাল ব্যাক্তি। ইনি আল্লাহ্ তা’আলার তরবারিগুলোর মাঝের একখানা তরবারি।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬২৫৩), সহীহাহ্ (১২৩৭, ১৮২৬) আহকামুল জানায়িয (১৬৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে যাইদ ইবনু আসলাম হাদীস শুনেছে বলে আমাদের জানা নেই। আমার মতে এটি মুরসাল হাদীস। এ অনুচ্ছেদে আবূ বাক্র আস্-সিদ্দীক্ব (রাঃ) কতৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১. অনুচ্ছেদঃ
সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৪৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَوْبٌ حَرِيرٌ فَجَعَلُوا يَعْجَبُونَ مِنْ لِينِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِنْ هَذَا ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একখানা রেশমী কাপড় উপহার দেয়া হয়। সাহাবীগণ তার কোমলতায় বিস্মিত হন। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এটা দেখে অবাক হচ্ছ। অথচ জান্নাতে সা’দ ইবনু মু’আযির রুমাল-এর তুলনায় আরো অনেক উন্নত মানের হবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৪৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَجَنَازَةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ “ اهْتَزَّ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَرُمَيْثَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি সা’দ ইবনু মু’আযের লাশ সম্মুখে রেখে বলতে শুনেছিঃ দয়াময় আল্লাহ্র আরশ তার জন্য নড়ে উঠেছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৮) বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে উসাইদ ইবনু হুযাইর, আবূ সা’ঈদ ও রুমাইসাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৪৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا حُمِلَتْ جَنَازَةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ قَالَ الْمُنَافِقُونَ مَا أَخَفَّ جَنَازَتَهُ . وَذَلِكَ لِحُكْمِهِ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ كَانَتْ تَحْمِلُهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন সা’দ ইবনু মু’আযের জানাযা (লাশ) বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সে সময় মুনাফিক্বরা বলে, কতই না হালকা তার মৃতদেহটি। তাদের এমন মন্তব্যের কারণ ছিল বানূ কুরাইযা প্রসঙ্গে তার ফাইসালা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ খবর পৌঁছলে তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই ফেরেশতারা তার জানাযা (লাশ) বহন করতেছিলেন (তাই হালকা মনে হচ্ছিলো)।
সহীহঃ মিশকাত (৬২২৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২. অনুচ্ছেদঃ
ক্বাইস ইবনু সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَنْزِلَةِ صَاحِبِ الشُّرَطِ مِنَ الأَمِيرِ . قَالَ الأَنْصَارِيُّ يَعْنِي مِمَّا يَلِي مِنْ أُمُورِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الأَنْصَارِيِّ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ক্বাইস ইবনু সা’দ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য শাসকের দেহরক্ষীর মত ছিলেন। (অধঃস্তন বর্ণনাকারী) মুহাম্মাদ ইবনু আবী ‘আবদিল্লাহ আল-আনসারী বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনেক কাজ সমাধা করতেন।
সহীহঃ বুখারী (৭১৫৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধু আনসারীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া-মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদিল্লাহ্ আল-আনসারীর সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। তবে এই সনদে আনসারীর বক্তব্য উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩. অনুচ্ছেদঃ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بِرَاكِبِ بَغْلٍ وَلاَ بِرْذَوْنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে এসেছেন খচ্চরে কিংবা তুর্কী ঘোড়ায় চড়ে নয় (বরং পায়ে হেঁটে)।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (২৯১), বুখারী অনুরূপ অর্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫২
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اسْتَغْفَرَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْبَعِيرِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ مَرَّةً . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ لَيْلَةَ الْبَعِيرِ مَا رُوِيَ عَنْ جَابِرٍ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَاعَ بَعِيرَهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَرَطَ ظَهْرَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ يَقُولُ جَابِرٌ لَيْلَةَ بِعْتُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْبَعِيرَ اسْتَغْفَرَ لِي خَمْسًا وَعِشْرِينَ مَرَّةً وَكَانَ جَابِرٌ قَدْ قُتِلَ أَبُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ بَنَاتٍ فَكَانَ جَابِرٌ يَعُولُهُنَّ وَيُنْفِقُ عَلَيْهِنَّ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَبَرُّ جَابِرًا وَيَرْحَمُهُ لِسَبَبِ ذَلِكَ هَكَذَا رُوِيَ فِي حَدِيثٍ عَنْ جَابِرٍ نَحْوُ هَذَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটের রাতে আমার জন্য পঁচিশবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
যইফ, মিশকাত (৬২৩৮)।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারিব। উটের রাত প্রসঙ্গে জাবির (রাঃ) হতে কয়েকটি সনদে হাদীস বর্ণিত আছে যে, এক ভ্রমনে তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর সাথে ছিলেন। তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর নিকট এই শর্তে তার উটটি বিক্রয় করেন যে, তিনি এতে আরোহণ করে মদীনায় পৌঁছবেন। জাবির (রাঃ) প্রায়ই বলতেন, যে রাতে আমি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর নিকট উটটি বিক্রয় করি, সে রাতে তিনি আমার জন্য পঁচিশবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
জাবির (রাঃ)-এর পিতা আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু হারাম (রাঃ) উহুদের দিন শহীদ হন এবং ক’জন ছোট ছোট কন্যা সন্তান রেখে যান। জাবির তাদের লালন-পালন করতেন এবং তাদের জন্য খরচ করতেন। এ কারণে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে ভাল আচরণ করতেন এবং তার প্রতি দয়া দেখাতেন। জাবির (রাঃ)- এর সূত্রে বর্ণিত এক হাদীসে এরকমই বিবৃতি ব্যক্ত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৪. অনুচ্ছেদঃ
মুস’আব ইবনু ‘উমাইর (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ خَبَّابٍ، قَالَ هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ فَوَقَعَ أَجْرُنَا عَلَى اللَّهِ فَمِنَّا مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدُبُهَا وَإِنَّ مُصْعَبَ بْنَ عُمَيْرٍ مَاتَ وَلَمْ يَتْرُكْ إِلاَّ ثَوْبًا كَانُوا إِذَا غَطَّوْا بِهِ رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلاَهُ وَإِذَا غُطِّيَ بِهَا رِجْلاَهُ خَرَجَ رَأْسُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ غَطُّوا رَأْسَهُ وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلَيْهِ الإِذْخِرَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হিজরত করি। সুতরাং এর পুরস্কার আল্লাহ্ তা’আলার কাছেই আমাদের প্রাপ্য। আমাদের মাঝে কেউ এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন যে, তিনি তার পুরস্কার কিছুই (পৃথিবীতে) ভোগ করতে পারেননি। আবার আমাদের মাঝে কারো ফল পেকেছে এবং তিনি তা (পৃথিবীতে) ভোগ করেছেন। আর মুস’আব ইবনু ‘উমাইর (রাঃ) মাত্র একখানা কাপড় ছাড়া আর কোন সম্পদই রেখে যাননি। (তার মৃত্যুর পর) লোকেরা ঐ কাপড়খানা দিয়ে তার মাথা ঢাকলে তার পা দু’টি বের হয়ে যেত, আবার তা দিয়ে তার পা দু’টি ঢেকে দিলে তার মাথাটি অনাবৃত হয়ে যেত। সে সময় রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কাপড়টি দিয়ে তার মাথা ঢেকে দাও এবং তার পায়ের উপর ইয্খির ঘাস বিছিয়ে দাও।
সহীহঃ আহকামুল জানায়িয (৫৭, ৫৮) বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হান্নাদ-ইবনু ইদরীস হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি আবূ ওয়ায়িল শ্বাক্বীক্ব ইবনু সালামাহ্ হতে, তিনি খাব্বাব ইবনুল আরাত্তি (রাঃ) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৫. অনুচ্ছেদঃ
আল-বারাআ ইবনু মালিক (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ كَمْ مِنْ أَشْعَثَ أَغْبَرَ ذِي طِمْرَيْنِ لاَ يُؤْبَهُ لَهُ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ مِنْهُمُ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাথায় উস্কুখুস্কু চুল ও দেহে ধূলিমলিন দু’খানা পুরাতন কাপড় পরিহিত এরূপ অনেক ব্যাক্তি রয়েছে যার প্রতি লোকেরা দৃষ্টিপাত করেনা। অথচ সে আল্লাহ্র নামে শপথ করে ওয়া’দা করলে তিনি তা সত্যে পরিণত করেন। আল-বারাআ ইবনু মালিক তাদের দলভুক্ত।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৩৯) তাখরীজুল মুশকিলাহ (১২৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি এ সনদে হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬. অনুচ্ছেদঃ
আবূ মুসা আল-আশ’আরী (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৮৫৫
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ يَا أَبَا مُوسَى لَقَدْ أُعْطِيتَ مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ .
আবূ মুসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ মুসা! তোমাকে দাঊদ (‘আঃ)-এর পরিবারের সুমধুর কণ্ঠস্বরসমূহের মাঝের একটি সুর দান করা হয়েছে।
সহীহঃ বুখারী (৫০৮৪), মুসলিম (২/১৯৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ অনুচ্ছেদে বুরাইদাহ্ ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَحْفِرُ الْخَنْدَقَ وَنَحْنُ نَنْقُلُ التُّرَابَ فَيَمُرُّ بِنَا فَقَالَ “ اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَةِ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَأَبُو حَازِمٍ اسْمُهُ سَلَمَةُ بْنُ دِينَارٍ الأَعْرَجُ الزَّاهِدُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .
সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশে ছিলাম। তিনি পরিখা খনন করছিলেন, আর আমরা মাটি সরাচ্ছিলাম। আমাদের পাশ দিয়ে তিনি চলাচল করতেন আর বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! পরকালের ভোগবিলাসই আসল (স্থায়ী)। অতএব তুমি আনসার ও মুহাজিরদের ক্ষমা করে দাও”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ হাযিমের নাম সালামাহ্ ইবনু দীনার আল-আ’রাজ আয্-যাহিদ। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَةِ فَأَكْرِمِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَةَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পরিখা খননকালে ছন্দাকারে) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! পরকালের সুখ শান্তিই হচ্ছে প্রকৃত সুখ-শাস্তি। সুতরাং তুমি আনসার ও মুহাজিরদেরকে মর্যাদা দান কর”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আনাস (রাঃ) হতে অন্যভাবেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭. অনুচ্ছেদঃ
যে লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন এবং তাঁর সাহচর্য লাভ করেছেন তার মর্যাদা
৩৮৫৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَمَسُّ النَّارُ مُسْلِمًا رَآنِي أَوْ رَأَى مَنْ رَآنِي ” . قَالَ طَلْحَةُ فَقَدْ رَأَيْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ . وَقَالَ مُوسَى وَقَدْ رَأَيْتُ طَلْحَةَ . قَالَ يَحْيَى وَقَالَ لِي مُوسَى وَقَدْ رَأَيْتَنِي وَنَحْنُ نَرْجُو اللَّهَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ الأَنْصَارِيِّ . وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْحَدِيثِ عَنْ مُوسَى هَذَا الْحَدِيثَ .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ জাহান্নামের আগুন এমন মুসলিম লোককে ছুঁবে না যে আমাকে দেখেছে অথবা আমার দর্শনলাভকারীকে দেখেছে। তালহা ইবনু খিরাশ বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দেখেছি। মূসা ইবনু ইবরাহীম বলেন, তালহা ইবনু খিরাশকে কে দেখেছি। ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব বলেন, মূসা ইবনু ইবরাহীম আমাকে বলেছেন, ‘তুমি অবশ্যই আমাকে দেখেছ (আমার সান্নিধ্য লাভ করেছ)। সুতরাং আমরা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নাজাতের আশা রাখি।
যইফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬০০৪),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব। আমরা শুধু মূসা ইবনু ইবরাহীম আল-আনসারীর সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। আলী ইবনু মাদীনী প্রমুখ হাদীসবেত্তাগন মূসা ইবনু ইবরাহীমের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৯
حَدَّثَنِي هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، هُوَ السَّلْمَانِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ تَسْبِقُ أَيْمَانُهُمْ شَهَادَاتِهِمْ أَوْ شَهَادَاتُهُمْ أَيْمَانَهُمْ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَبُرَيْدَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার যুগের ব্যক্তিরাই উত্তম। তারপর তাদের পরবর্তীগণ, তারপর তার পরবর্তীগণ। তারপর এরূপ ব্যক্তিদের আগমন ঘটবে, যারা সাক্ষী দেবার আগে শপথ করবে অথবা শপথের আগে সাক্ষ্য দিবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৬২), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘উমার, ইমরান ইবনু হুসাইন ও বুরাইদাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮. অনুচ্ছেদঃ
যারা গাছের নীচে বাই’আত গ্রহণ করেছেন তাদের মর্যাদা
৩৮৬০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَدْخُلُ النَّارَ أَحَدٌ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যেসব ব্যক্তি (হুদাইবিয়ার প্রান্তরে) গাছের নীচে শপথ গ্রহণ করেছে তাদের কেউই জাহান্নামে যাবে না।
সহীহঃ যিলালুল জান্নাত (৮৬০), সহীহাহ্ (২১৬০), মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের গালি দেয়
৩৮৬১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ ذَكْوَانَ أَبَا صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ ” نَصِيفَهُ ” يَعْنِي نِصْفَ الْمُدِّ .
আবু সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীদের তোমরা গালি দিও না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ সেই সত্তার শপথ! তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও দান-খাইরাত করে তবে তা তাদের কারো এক মুদ্দ বা অর্ধ মুদ্দ দান-খাইরাতের সমান মর্যাদা সম্পন্ন হবে না।
সহীহঃ আয্-যিলাল (৯৮৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘নাসীফাহু’ শব্দের অর্থ অর্ধ মুদ্দ। আল-হাসান ইবনু ‘আলী আল-খাল্লাল- তিনি হাদীস শাস্ত্রে হাফিয ছিলেন- আবু মু’আবিয়াহ্ হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি আবু সালিহ হতে, তিনি আবু সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ أَبِي رَائِطَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اللَّهَ اللَّهَ فِي أَصْحَابِي اللَّهَ اللَّهَ فِي أَصْحَابِي لاَ تَتَّخِذُوهُمْ غَرَضًا بَعْدِي فَمَنْ أَحَبَّهُمْ فَبِحُبِّي أَحَبَّهُمْ وَمَنْ أَبْغَضَهُمْ فَبِبُغْضِي أَبْغَضَهُمْ وَمَنْ آذَاهُمْ فَقَدْ آذَانِي وَمَنْ آذَانِي فَقَدْ آذَى اللَّهَ وَمَنْ آذَى اللَّهَ فَيُوشِكُ أَنْ يَأْخُذَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! আমার সাহাবীদের বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় কর। আমার পরে তোমরা তাদেরকে (গালি ও বিদ্রূপের) লক্ষ্যবস্তু বানিও না। যেহেতু যে ব্যক্তি তাদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করল, সে আমার প্রতি ভালবাসার খাতিরেই তাদেরকে ভালবাসল। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি শত্রুতা ও হিংসা পোষণ করল, সে আমার প্রতি শত্রুতা ও হিংসাবশেই তাদের প্রতি শত্রুতা ও হিংসা পোষণ করল। যে ব্যক্তি তাদেরকে কষ্ট দিল, সে আমাকেই কষ্ট দিল। যে আমাকে কষ্ট দিল, সে আল্লাহ্ তা’আলাকেই কষ্ট দিল। আর যে আল্লাহ্ তাআলাকে কষ্ট দিল, শীঘ্রই আল্লাহ্ তা’আলা তাকে পাকড়াও করবেন।
যইফ, তাখরীজুত্ তাহা বিয়া(৪৭১), যইফা (২৯০১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ خِدَاشٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ مَنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ إِلاَّ صَاحِبَ الْجَمَلِ الأَحْمَرِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে লোক (হুদাইবিয়ায়) বৃক্ষের নীচে বাইয়াত (রিদওয়ান) করেছে, সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে, লাল বর্ণের উটের মালিক ছাড়া।
যইফ, সহীহা (২১৬০) নং হাদীসের অধীন
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ عَبْدًا، لِحَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْكُو حَاطِبًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ كَذَبْتَ لاَ يَدْخُلُهَا فَإِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাতিব ইবনু আবী বালতা’আহ্ (রাঃ)-এর এক ক্রীতদাস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে তার বিরুদ্ধে নালিশ করে বলে, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় সে জাহান্নামে যাবে। তিনি বললেনঃ তুমি মিথ্যা বলেছ, সে কখনও জাহান্নামে যাবে না। কেননা সে বাদ্রের যুদ্ধে এবং হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৬৯)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ نَاجِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ أَبِي طَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِي يَمُوتُ بِأَرْضٍ إِلاَّ بُعِثَ قَائِدًا وَنُورًا لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ أَبِي طَيْبَةَ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ وَهُوَ أَصَحُّ .
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বুরাইদা (রাহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীদের মধ্যে কেউ যে অঞ্চলেই মারা যাবে কিয়ামতের দিন সেখানকার মানুষের নেতা ও নূর (জ্যোতি) হয়ে উঠবে।
যইফ, যইফা (৪৪৬৮),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারিব। এ হাদীস আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিম-আবূ তাইবা-ইবনু বুরাইদা হতে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে মুরসাল হিসেবেও বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬০. অনুচ্ছেদঃ
যারা সাহাবীদের গালি দেয়
৩৮৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَسُبُّونَ أَصْحَابِي فَقُولُوا لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى شَرِّكُمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالنَّضْرُ مَجْهُولٌ وَسَيْفٌ مَجْهُولٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা আমার সাহাবীদের গালি দেয় তাদের দেখলে তোমরা বলবে, তোদের দুষ্কর্মের উপর আল্লাহ্ তা’আআলার অভিসম্পাত।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬০০৮),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার। আমরা এটি উবাইদুল্লাহ ইবনু উমারের হাদিস হিসাবে এই রিওয়ায়াত ব্যতীত অন্য কোনভাবে জানতে পারিনি। নাযর ইবনু হাম্মাদ এবং সাইফ ইবনু উমার এই রাবীদ্বয় অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৬১. অনুচ্ছেদঃ
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৬৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ “ إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي فِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّهَا بَضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ نَحْوَ هَذَا .
আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারের উপর বলতে শুনেছিঃ হিশাম ইবনুল মুগীরাহ্ গোত্রের লোকেরা ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিবের নিকট তাদের মেয়ে বিবাহ দেয়ার প্রসঙ্গে আমার নিকট সম্মতি চেয়েছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিব না, অনুমতি দিব না, অনুমতি দিব না। তবে ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব ইচ্ছা করলে আমার কন্যাকে ত্বালাক দিয়ে তাদের মেয়ে বিবাহ করতে পারে। ফাতিমাহ্ হচ্ছে আমার শরীরের অংশ। তার কাছে যা খারাপ লাগে আমার নিকটও তা খারাপ লাগে, যা তার জন্য কষ্টদায়ক, তা আমার জন্যও কষ্টদায়ক।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৯৯৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। লাইসের হাদীসের অনুরূপ হাদীস ‘আম্র ইবনু দীনার, ইবনু আবী মুলাইকাহ্ হতে, তিনি মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ جَعْفَرٍ الأَحْمَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ أَحَبَّ النِّسَاءِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةُ وَمِنَ الرِّجَالِ عَلِيٌّ . قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ يَعْنِي مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
বুরাইদা (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নারীদের মধ্যে ফাতিমা (রাঃ) আর পুরুষদের মধ্যে আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট সবচাইতে প্রিয়। ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ তাঁর পরিবারস্থ লোকদের মধ্যে।
মুনকার, নাকদুল কাত্তানী (২৯),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৩৮৬৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَلِيًّا، ذَكَرَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ إِنَّمَا فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي يُؤْذِينِي مَا آذَاهَا وَيُنْصِبُنِي مَا أَنْصَبَهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . هَكَذَا قَالَ أَيُّوبُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ رَوَى عَنْهُمَا جَمِيعًا .
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী (রাঃ) আবূ জাহলের কন্যাকে বিয়ে করার আলোচনা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা শুনে বললেনঃ প্রকৃতপক্ষে ফাতিমাহ্ আমার শরীরের একটি অংশ। যা তাকে কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়, যা তাকে ক্লান্ত করে তা আমাকেও ক্লান্ত করে।
সহীহঃ ইরওয়া (৮/২৯৪) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ রকমই বলেছেন আইউব-ইবনু আবী মুলাইকাহ্ হতে, তিনি ইবনুয্ যুবাইর (রাঃ) হতে। একাধিক বর্ণনাকারী ইবনু আবী মুলাইকাহ্ হতে, তিনি মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত ইবনু আবী মুলাইকাহ্ তাদের উভয়ের (ইবনুয যুবাইর ও মিসওয়ার) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭০
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ صُبَيْحٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ وَالْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ “ أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبْتُمْ وَسَلْمٌ لِمَنْ سَالَمْتُمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَصُبَيْحٌ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ .
যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ তোমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আমিও তাদের বিপক্ষে লড়াই করব এবং তোমরা যাদের সাথে শান্তি স্থাপন করবে আমিও তাদের সাথে শান্তি স্থাপন করবো।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৪৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আলোচ্য সূত্রেই জেনেছি। উম্মু সালামা (রাঃ)-এর মুক্তদাস সুবাইহ তেমন সুপরিচিত লোক নন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَلَّلَ عَلَى الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ كِسَاءً ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ بَيْتِي وَخَاصَّتِي أَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا ” . فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” إِنَّكِ إِلَى خَيْرٍ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَعَائِشَةَ .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান, হুসাইন, ‘আলী ও ফাতিমাহ্ (রাঃ)-কে একখানা চাদরে ঢেকে বললেনঃ “হে আল্লাহ! এরা আমার পরিবার-পরিজন এবং আমার একান্ত আপনজন। সুতরাং তাদের হতে তুমি অপবিত্রতা দূরে সরিয়ে দাও এবং তাদেরকে উত্তমরূপে পবিত্র কর”। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমিও কি তাদের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি মঙ্গলের কাছে আছ।
সহীহঃ পূর্বে বর্ণিত (৩২০৫) নং হাদীসের সহায়তায়।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব হাদীসের মাঝে এটাই সবচেয়ে ভাল। এ অনুচ্ছেদে ‘উমার ইবনু আবী সালামাহ্, আনাস ইবনু মালিক, আবুল হামরা, মা’কিল ইবনু ইয়াসার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ سَمْتًا وَدَلاًّ وَهَدْيًا بِرَسُولِ اللَّهِ فِي قِيَامِهَا وَقُعُودِهَا مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ وَكَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَامَ إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ مِنْ مَجْلِسِهَا فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا فَلَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَتْ فَاطِمَةُ فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ فَقَبَّلَتْهُ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَبَكَتْ ثُمَّ أَكَبَّتْ عَلَيْهِ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَضَحِكَتْ فَقُلْتُ إِنْ كُنْتُ لأَظُنُّ أَنَّ هَذِهِ مِنْ أَعْقَلِ نِسَائِنَا فَإِذَا هِيَ مِنَ النِّسَاءِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لَهَا أَرَأَيْتِ حِيْنَ أَكْبَبْتِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَبَكَيْتِ ثُمَّ أَكْبَبْتِ عَلَيْهِ فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَضَحِكْتِ مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ قَالَتْ إِنِّي إِذًا لَبَذِرَةٌ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ فَذَاكَ حِينَ ضَحِكْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ .
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উঠা-বসা, আচার-অভ্যাস ও চালচলনের সাথে তাঁর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাঃ)-এর অপেক্ষা বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) আরও বলেন, ফাতিমাহ্ (রাঃ) যখনই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসতেন তিনি তখনই তার নিকট উঠে যেতেন, তাকে চুমু দিতেন এবং নিজের স্থানে বসাতেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ঘরে গেলে তিনিও নিজের জায়গা হতে উঠে তাঁকে (পিতাকে) চুমা দিতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মৃত্যুশয্যায়) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর নিকট এসে ফাতিমাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন এবং তাঁকে চুমু দেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদেন। আবার তিনি তাঁর মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন, তারপর মাথা তুলে হাসেন। আমি (‘আয়িশাহ্) বললাম, আমি অবশ্যই জানি যে, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের নারীদের মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমতী, কিন্তু (তার হাসি দেখে ভাবলাম) অন্যান্য নারীর মত সে একজন নারীই। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করলে তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, কি ব্যাপার! আপনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদলেন, আবার ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে হাসলেন। আপনি কি কারণে এরূপ করলেন? ফাতিমাহ্ (রাঃ) বললেন, তাঁর জীবদ্দশায় আমি কথাটি গোপন রেখেছি (কারণ তিনি গোপন কথা প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করতেন না)। আমাকে তিনি জানান যে, এই অসুখেই তিনি ইন্তিকাল করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, তাঁর পরিবারস্থ লোকদের মাঝে সবার পূর্বে আমিই তাঁর সঙ্গে একত্রিত হব। তাই আমি হেসেছি।
সহীহঃ নাক্বদুল কিত্তানী (৪৪-৪৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উক্ত সনদে গারীব। হাদীসটি একাধিক সূত্রে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ . قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ مَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমাকে ডেকে তার সাথে চুপিসারে কিছু কথা বলেন। এতে ফাতিমা কেঁদে ফেলেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে ফাতিমা হাসেন। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের পরে আমি ফাতিমাকে তার হাসি-কান্নার কারণ প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে অবহিত করেন যে, অচিরেই তিনি মৃত্যুবরণ করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, মারইয়াম বিনতু ইমরান ব্যতীত আমি জান্নাতের নারীদের নেত্রী হব, তাই আমি হেসেছি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৪), সহীহাহ্ (২/৪৩৯) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৪
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ عَمَّتِي عَلَى عَائِشَةَ فَسُئِلَتْ أَىُّ النَّاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَاطِمَةُ . فَقِيلَ مِنَ الرِّجَالِ قَالَتْ زَوْجُهَا إِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَأَبُو الْجَحَّافِ اسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ وَكَانَ مَرْضِيًّا .
জুমায়্যি ইবনু উমাইর আত-তাইমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার ফুফুর সাথে আইশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তাকে প্রশ্ন করা হল, কোন লোকটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বলেন, ফাতিমা (রাঃ)। আবার প্রশ্ন করা হল, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর স্বামী এবং তিনি ছিলেন বেশি পরিমাণে রোযা পালনকারী এবং বেশি পরিমাণে (রাতে) নামায আদায়কারী।
মুনকার, নাকদুল কাত্তানী (২০ পৃ:)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূল জাহ্হাফের নাম দাউদ ইবনু আবী আউফ। সুফিয়ান সাওরী আবূল জাহ্হাফের নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি সন্তষজনক ব্যক্তি ছিলেন।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৬২. অনুচ্ছেদঃ
খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ وَمَا بِي أَنْ أَكُونَ أَدْرَكْتُهَا وَمَا ذَاكَ إِلاَّ لِكَثْرَةِ ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَهَا وَإِنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاةَ فَيَتَتَبَّعُ بِهَا صَدَائِقَ خَدِيجَةَ فَيُهْدِيهَا لَهُنَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর প্রতি আমার যতটা ঈর্ষা হত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্য কোন সহধর্মিণীর প্রতি আমি ততটা ঈর্ষা পোষণ করতাম না। অথচ আমি তার দেখাও পাইনি। তা এজন্য যে, প্রায়ই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কথা মনে করতেন। আর তিনি বকরী যবাহ করলে খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর বান্ধবীদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের জন্য গোশত উপহার পাঠাতেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৯৯৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৬
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا حَسَدْتُ أَحَدًا مَا حَسَدْتُ خَدِيجَةَ وَمَا تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ بَعْدَ مَا مَاتَتْ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَشَّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ لاَ صَخَبَ فِيهِ وَلاَ نَصَبَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . مِنْ قَصَبٍ قَالَ إِنَّمَا يَعْنِي بِهِ قَصَبَ اللُّؤْلُؤِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর প্রতি আমি যতটা ঈর্ষা পোষণ করতাম অপর কোন নারীর প্রতি আমি ততটা ঈর্ষা পোষণ করিনি। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদীজার মৃত্যুবরণের পরই আমাকে বিয়ে করেছেন। আর ঈর্ষার কারণ এই ছিল যে, তিনি তার (খাদীজার) জন্য জান্নাতে এমন একটা মনি-মুক্তা খচিত সুরম্য প্রাসাদের সুখবর দিয়েছেন যাতে না আছে কোন হৈ-হুল্লোড় আর না আছে কোন কষ্টক্লেশ।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মিন কাসাবিন অর্থ-মুক্তার ইট পাথর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৭
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ خَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ وَخَيْرُ نِسَائِهَا مَرْيَمُ ابْنَةُ عِمْرَانَ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ খাদীজাহ্ বিনতু খুয়াইলিদ হলেন এই উম্মাতের নারীদের মাঝে শ্রেষ্ঠা। আর মারইয়াম বিনতু ‘ইমরান ছিলেন (তৎকালীন উম্মাতের) নারীদের মাঝে শ্রেষ্ঠা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আনাস, ইবনু ‘আব্বাস ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ زَنْجُويَهْ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ حَسْبُكَ مِنْ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ مَرْيَمُ ابْنَةُ عِمْرَانَ وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সারা বিশ্বের নারীদের মধ্যে মারিয়াম বিনতু ‘ইমরান, খাদীজাহ্ বিনতু খুয়াইলিদ, ফাতিমাহ্ বিনতু মুহাম্মাদ এবং ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়াহ্ তোমার জন্য যথেষ্ট।
সহীহ মিশকাত (৬১৮১) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩. অনুচ্ছেদঃ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৭৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ، – بَصْرِيٌّ – حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ قَالَتْ فَاجْتَمَعَ صَوَاحِبَاتِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْنَ يَا أُمَّ سَلَمَةَ إِنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ وَإِنَّا نُرِيدُ الْخَيْرَ كَمَا تُرِيدُ عَائِشَةُ فَقُولِي لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ إِلَيْهِ أَيْنَمَا كَانَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ فَأَعْرَضَ عَنْهَا ثُمَّ عَادَ إِلَيْهَا فَأَعَادَتِ الْكَلاَمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ صَوَاحِبَاتِي قَدْ ذَكَرْنَ أَنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ فَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ أَيْنَمَا كُنْتَ . فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ قَالَتْ ذَلِكَ قَالَ “ يَا أُمَّ سَلَمَةَ لاَ تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ فَإِنَّهُ مَا أُنْزِلَ عَلَىَّ الْوَحْىُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ غَيْرَهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَوْفِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ رُمَيْثَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ شَيْئًا مِنْ هَذَا . وَهَذَا حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَلَى رِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ . وَقَدْ رَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা তাদের উপটৌকন প্রদানের জন্য ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর পালার দিনের অপেক্ষায় থাকত (যে দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট থাকেন)। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমার সতীনেরা উন্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কাছে মিলিত হয়ে বলেন, হে উম্মু সালামাহ্! লোকেরা তাদের উপটৌকন ‘আয়িশাহ্র পালার দিনে পেশ করার অপেক্ষায় থাকে। অথচ আমাদেরও কল্যাণ লাভের আকাংখা আছে, যেমন ‘আয়িশাহ্র আছে। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আপনি বলুন, তিনি যেন লোকদের বলেন যে, তিনি যেখানেই থাকুন তারা যেন তাদের উপটৌকন সেখানে পাঠিয়ে দেয়। উন্মু সালামাহ্ (রাঃ) বিষয়টি জানালে তিনি কোন ভ্রুক্ষেপ করলেন না। তিনি পুনরায় আগমন করার পর উম্মু সালামাহ্ বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার সতীনেরা আলোচনা করেছে যে, লোকেরা তাদের উপটৌকন ‘আয়িশাহ্র জন্য নির্দিষ্ট দিনে আপনার নিকট পাঠিয়ে থাকে। সুতরাং আপনি তাদেরকে হুকুম করুন যে, আপনি যেখানেই থাকুন তারা যেন তাদের উপটৌকন পাঠাতে থাকে। তিনি প্রসঙ্গটি তৃতীয়বার বললে তিনি বললেনঃ হে উম্মু সালামাহ্! তুমি ‘আয়িশাহ্র বিষয়ে আমাকে ব্যথিত করো না। কেননা ‘আয়িশাহ্ ছাড়া তোমাদের মাঝে অপর কারো লেপের নীচে থাকা অবস্থায় আমার নিকট ওয়াহী আসেনি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস কেউ কেউ হাম্মাদ ইবনু যাইদ হতে, তিনি হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ হতে, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন।
এ হাদীস হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ হতে, তিনি ‘আওফ ইবনু হারিস হতে তিনি রুমাইসাহ্ হতে, তিনি উন্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে এই সনদে আংশিক বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ হতে বর্ণিত হয়েছে এবং তাতে বিভিন্নরূপ মতপার্থক্য আছে। সুলাইমান ইবনু বিলাল (রহঃ) হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে, এই সূত্রে হাম্মাদ ইবনু যাইদের হাদীসের একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮০
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ الْمَكِّيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ جِبْرِيلَ، جَاءَ بِصُورَتِهَا فِي خِرْقَةِ حَرِيرٍ خَضْرَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ إِنَّ هَذِهِ زَوْجَتُكَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ وَقَدْ رَوَى أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জিবরীল (‘আঃ) একখানা সবুজ রংয়ের রেশমী কাপড়ে তার (‘আয়িশাহ্র) প্রতিচ্ছবি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে এসে বলেন, ইনি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনার স্ত্রী।
সহীহঃ বুখারী (৫১২৫, ৭০১১, ৭০১২), মুসলিম (৭/১৩৪), অনুরূপ আখিরাত শব্দ ব্যতীত।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র ইবনু ‘আলক্বামা’র রিওয়ায়াত ছাড়া অপর কোনভাবে আমরা হাদীসটি প্রসঙ্গে জানি না। ‘আবদুর রহমান ইবনু মাহ্দী এ হাদীস ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র ইবনু আলক্বামাহ্ হতে উক্ত সনদে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। আবু উসামাহ্-হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে উক্ত হাদীসের আংশিক রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮১
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا عَائِشَةُ هَذَا جِبْرِيلُ وَهُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ” . قَالَتْ قُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ تَرَى مَا لاَ نَرَى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! এই যে জিবরীল (‘আঃ), তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি বললাম, তার প্রতিও সালাম, আল্লাহ তা’আলার রাহমাত ও কল্যাণ বর্ষিত হোক। যা আপনি দেখেন আমরা তা দেখতে পাই না।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৫৪৩৩) নং হাদীসের অধীনে, বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮২
حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ جِبْرِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ” . فَقُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ জিবরীল (‘আঃ) তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি বললাম, তার উপরও শান্তি ও আল্লাহ তা’আলার রহমাত বর্ষিত হোক ।
সহীহঃ ২৬৯৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৩
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ مَا أَشْكَلَ عَلَيْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثٌ قَطُّ فَسَأَلْنَا عَائِشَةَ إِلاَّ وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের- নিকট কোন হাদীসের অর্থ বুঝা কষ্টসাধ্য হলে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করে তার নিকট এর সঠিক জ্ঞাত লাভ করেছি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৫)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৪
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْصَحَ مِنْ عَائِشَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
মূসা ইবনু ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর তুলনায় বেশি বিশুদ্ধভাষী আমি আর কাউকে দেখিনি।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৬)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَاللَّفْظُ، لاِبْنِ يَعْقُوبَ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ . قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ ” عَائِشَةُ ” . قُلْتُ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ ” أَبُوهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আম্র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন। ‘আম্র (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার নিকট কোন লোক সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, “আয়িশাহ্। আমি বললাম, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার বাবা।
সহীহঃ আত-তা’লীক ‘আলা আল-ইহসান (৪৫২৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৬
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ قَالَ ” عَائِشَةُ ” . قَالَ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ ” أَبُوهَا ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ .
আম্র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আপনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় কোন ব্যক্তি? তিনি বললেনঃ ‘আয়িশাহ্। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার পিতা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসন এবং ইসমাঈল-ক্বাইস হতে এই সনদে বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَبِي مُوسَى . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ هُوَ أَبُو طُوَالَةَ الأَنْصَارِيُّ الْمَدَنِيُّ ثِقَةٌ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাবতীয় খাদ্যের উপর যেরূপ সারীদের (শোরবাতে ভেজানো রুটি) মর্যাদা, সকল স্ত্রীলোকের উপর তেমন ‘আয়িশাহ্র মর্যাদা।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩২৮১), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্ ও আবু মূসা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু মা’মার হলেন আবু তুওয়ালা আল-আনসারী, মাদীনার অধিবাসী এবং নির্ভরশীল বর্ণনকারী। মালিক ইবনু আনাস তার নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ غَالِبٍ، أَنَّ رَجُلاً، نَالَ مِنْ عَائِشَةَ عِنْدَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ فَقَالَ اغْرُبْ مَقْبُوحًا مَنْبُوحًا أَتُؤْذِي حَبِيبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আমর ইবনু গালিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-এর নিকটে বসে আইশা (রাঃ) প্রসঙ্গে কিছু বিরূপ মন্তব্য করলে আম্মার (রাঃ) বলেনঃ দূর হও পাপিষ্ঠ এখান থেকে! তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয়তমাকে কষ্ট দিচ্ছ!
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ الأَسَدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، يَقُولُ هِيَ زَوْجَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ . يَعْنِي عَائِشَةَ رضى الله عنها . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ .
আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (‘আয়িশাহ্) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী দুনিয়াতে এবং আখিরাতেও।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ, দেখুন হাদীস নং (৩৮৮০)
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আলী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ قَالَ ” عَائِشَةُ ” . قِيلَ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ ” أَبُوهَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বলা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল! লোকের মাঝে কে আপনার সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘আয়িশাহ্। পুনরায় প্রশ্ন করা হল, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার পিতা।
সহীহঃ তা’লীক ‘আলা আল-ইহসান।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সনদে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস