তিরমিজি তাফসীরুল কুরআন অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৯৫০ – ৩০১৪

অনুচ্ছেদ-১

কুরআন মাজীদের ব্যক্তিগত রায় ভিত্তিক তাফসীর (তাফসীর বির-রায়) প্রসঙ্গে

২৯৫০

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِغَيْرِ عِلْمٍ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সঠিক ইলম ব্যতীত কুরআন প্রসঙ্গে কোন কথা বলে, সে যেন জাহান্নামকে নিজের জন্য বাসস্থান বানিয়ে নিল।

যঈফ, মিশকাত (২৩৪) নাকদুত তাজ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫১

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اتَّقُوا الْحَدِيثَ عَنِّي إِلاَّ مَا عَلِمْتُمْ فَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চিতভাবে যা তোমাদের জানা আছে তা ব্যতীত আমার নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করা থেকে তোমরা নিবৃত্ত থাকবে। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে সে যেন জাহান্নামকে নিজের আবাস বানিয়ে নিল। আর যে ব্যক্তি নিজের খেয়াল মর্জিমত কুরআন প্রসঙ্গে কথা বলে সেও যেন জাহান্নামকে নিজের গৃহ বানিয়ে নিল।

যঈফ, মিশকাত (২৩৫), নাকদুত তাজ, যঈফা (১৭৮৩), সিফাতুস সালাত

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫২

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَزْمٍ أَخُو حَزْمٍ الْقُطَعِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَأَصَابَ فَقَدْ أَخْطَأَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي سُهَيْلِ بْنِ أَبِي حَزْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ شَدَّدُوا فِي هَذَا فِي أَنْ يُفَسَّرَ الْقُرْآنُ بِغَيْرِ عِلْمٍ ‏.‏ وَأَمَّا الَّذِي رُوِيَ عَنْ مُجَاهِدٍ وَقَتَادَةَ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ فَسَّرُوا الْقُرْآنَ فَلَيْسَ الظَّنُّ بِهِمْ أَنَّهُمْ قَالُوا فِي الْقُرْآنِ أَوْ فَسَّرُوهُ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ مِنْ قِبَلِ أَنْفُسِهِمْ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُمْ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا أَنَّهُمْ لَمْ يَقُولُوا مِنْ قِبَلِ أَنْفُسِهِمْ بِغَيْرِ عِلْمٍ ‏.‏

জুনদুব ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের মত অনুযায়ী কুরআন প্রসঙ্গে কথা বলে, সে সঠিক বললেও অপরাধ করলো (এবং সঠিক ব্যাখ্যা করলো-সেও ভুল করলো)।

যঈফ : মিশকাত (২৩৫), নাক্বদুত্ তাজ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীস বিশারদ এ হাদীসের রাবী সুহাইল ইবনু আবু হাযমের সমালোচনা করেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কিছু বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্যদের সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা (উক্ত বিষয়ের) জ্ঞান ব্যতীত কুরআনের তাফসীর করার ব্যাপারে খুবই কঠোর মত ব্যক্ত করেছেন। মুজাহিদ, ক্বাতাদাহ (রহঃ) প্রমুখ বিশেষজ্ঞ আলিম প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তারাও কুরআনের তাফসীর করেছেন। তাদের প্রসঙ্গে অবশ্য এ ধারণা করার সুযোগ নেই যে, তারা কুরআন প্রসঙ্গে মনগড়া কিছু বলেছেন বা জ্ঞান ছাড়া কুরআনের তাফসীর করেছেন অথবা নিজেদের থেকে কুরআন ব্যাখ্যায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাদের প্রসঙ্গে আমরা যে মন্তব্য করেছি যে, তারা জ্ঞান ছাড়া কুরআন প্রসঙ্গে কিছু বলেননি, তাদের বক্তব্য হতেও তার সমর্থন পাওয়া যায়। হুসাইন ইবনু মাহদী আল-বাসরী, ‘আবদুর রাযযাক্ব হতে, তিনি মা’মার হতে, তিনি ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, কাতাদাহ (রহঃ) বলেন, কুরআনের এমন কোন আয়াত নেই যার (ব্যাখ্যা) প্রসঙ্গে আমি কিছু শুনিনি। সানাদ সহীহ : মাক্বতূ’।

ইবনু আবী ‘উমার-সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ্ হতে, তিনি আ’মাশ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, আমি যদি ইবনু মাস’উদ (রাঃ)-এর ক্বিরাআতের অনুসরণ করতাম, তাহলে কুরআনের এমন অনেক বিষয় যে প্রসঙ্গে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেছি সেগুলো প্রসঙ্গে আমি তাকে প্রশ্ন করার প্রয়োজনবোধ করতাম না। সানাদ সহীহ : মাক্বতূ’।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২

সূরা আল-ফাতিহা

২৯৫৩

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করলো, অথচ তাতে উন্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পাঠ করলো না, তা (নামায) ক্ৰটিযুক্ত, তা ক্ৰটিযুক্ত, তা অসম্পূর্ণ। বর্ণনাকারী (‘আবদুর রাহমান) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরায়রা্! আমি তো অনেক সময় ইমামের পিছনে নামায আদায় করি। তিনি বললেন, হে পারস্য সন্তান! তুমি তা নীরবে পাঠ করবে। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে নামাযকে আধাআধি ভাগ করে নিয়েছি। নামাযের অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। আর বান্দা আমার নিকট যা চায় তা-ই তাকে দেয়া হয়। বান্দা যখন (নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে) বলে, আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল ‘আলামীন (সমস্ত প্রশংসা সারা পৃথিবীর প্রভু আল্লাহ তা’আলার জন্য), তখন কল্যাণের আধার আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বান্দা বলে, আর-রাহমানির রাহীম (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। যখন বান্দা বলে, মালিকি ইয়াওমিদ্দীন (প্রতিফল দিবসের মালিক), তখন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। এটা হচ্ছে আমার জন্য। আর আমার ও আমার বান্দার জন্য যোগসূত্র হচ্ছেঃ ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা’ঈন (আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য চাই), সূরার শেষ পর্যন্ত আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই যা সে প্রার্থনা করে। বান্দা বলে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আন’আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযুবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্‌ য-ল্‌লীন” আমাদেরকে সরল ও মযবুত পথ দেখাও। ঐ মানুষদের পথ যাদের তুমি নিয়ামাত দান করেছ। যারা অভিশপ্ত হয়নি, যারা পথহারা হয়নি।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৮৩৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। শু’বাহ, ইসমাঈল ইবনু জা’ফার প্রমুখ ‘আলা ইবনু ‘আবদুর রাহমান হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। ইবনু জুরাইজ ও মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) ‘আলা ইবনু ‘আবদুর রাহমান হতে, তিনি হিশাম ইবনু আবূ যাহরার মুক্তদাস আবুস সায়িব হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবূ উয়াইস-তার বাবা হতে, তিনি ‘আলা ইবনু ‘আবদুর রাহমান হতে, তিনি তার পিতা ও আবুস সাইব হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করেছে অথচ তাতে ‘উন্মুল কুরআন’ (সূরা আল-ফাতিহা) তিলাওয়াত করেনি, তার নামায ত্রুটিযুক্ত অপূর্ণাঙ্গ।

সহীহ দেখুন পূর্বের হাদীস।

ইসমাঈল ইবনু আবূ উয়াইসের হাদীসে এর বেশি কিছু নেই। আমি এ হাদীস বিষয়ে আবূ যুর’আকে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, দু’টি হাদীসই সহীহ। তিনি ইবনু আবী উয়াইস কর্তৃক তার বাবা হতে, তিনি ‘আলা (রহঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।

‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তখন তিনি মাসজিদে বসা ছিলেন। লোকেরা বলল, এই তো ‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) । আর আমি কোনরূপ নিরাপত্তা লাভ বা লিখিত চুক্তিপত্র করা ছাড়াই এসেছিলাম। আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সমীপে হাযির করা হলে তিনি আমার হাত ধরলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতিপূর্বে বলেছিলেন, আমি অবশ্যই আশা করি আল্লাহ তা’আলা আমার হাতে তার হাত স্থাপন করবেন। ‘আদী (রাঃ) বলেন, তিনি আমাকে সাথে নিয়ে উঠে চললেন। রাস্তায় এক মহিলা একটি বালকসহ তাঁর সাথে দেখা করে। তারা উভয়ে বলে, আপনার নিকট আমাদের একটি প্রয়োজন ছিল। তাদের প্রয়োজন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে দঁাড়িয়ে থাকলেন। তারপর তিনি আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে তাঁর ঘরে এলেন। একটি বালিকা তাকে একটি গদি পেতে দিল । তিনি তাতে বসলেন। আমি তার সামনাসামনি বসলাম। তিনি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও তার গুনগান করলেন, তারপর বললেনঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই)-এর স্বীকৃতি দান হতে তোমাকে কিসে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য করেছে? এক আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আরো কোন প্রভু আছে বলে কি তোমার জানা আছে? আমি বললাম, না। ‘আদী (রাঃ) বলেন, আরো কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলা হতে পালাচ্ছ। আল্লাহ তা’আলার চাইতে শ্রেষ্ঠতর কিছু আছে বলে তোমার জানা আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ ইয়াহুদীরা অভিশপ্ত এবং নাসারাগণ পথভ্রষ্ট। আমি বললাম, আমি যে একজন একনিষ্ঠ মুসলিম (আত্মমর্পণকারী) হয়েই আগমন করেছি। আমি দেখলাম, তার চেহারা আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। তারপর তার নির্দেশক্রমে এক আনসার সাহাবীর বাড়িতে আমাকে মেহমান হিসেবে রাখা হয়। আমি দিনের দুই প্রান্তে তার নিকট হাযিরা দিতাম, একদা বিকেলে আমি তার নিকট হাযির ছিলাম। তখন তার নিকট মেহমান হিসেবে রাখা হয়। আমি দিনের দুই প্রান্তে তার নিকট হাযিরা দিতাম, একদা বিকেলে আমি তার নিকট হাযির ছিলাম। তখন তার নিকট একদল লোক আসলো। তারা সাদা-কালো ডোরাযুক্ত পশমী কাপড় পরিহিত ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাদের নিয়ে) নামায আদায় করলেন। তিনি নামায শেষে দাঁড়িয়ে এদেরকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে লোকদের উদ্বুদ্ধ করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা এক সা, অর্ধ সা, এক মুঠো, এক মুঠোর অংশবিশেষ, একটি খেজুর বা খেজুরের অংশবিশেষ দান করে হলেও জাহান্নামের তাপ (আগুন) হতে আত্মরক্ষা কর। কারণ আল্লাহ তা’আলার সাথে তোমাদের সকলেরই সাক্ষাৎ হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে তাই বলবেন যা আমি (এখন) তোমাদের বলছি। তিনি বলবেনঃ আমি কি তোমাকে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করিনি? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ বলবেনঃ আমি কি তোমাকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দান করিনি? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ বলবেনঃ তুমি নিজের জন্য কি অগ্রিম পাঠিয়েছিলে? তখন সে তার সামনে, পেছনে, ডানে ও বামে তাকাবে, কিন্তু সে জাহান্নামের তাপ হতে বাঁচানোর মত কিছুই পাবে না। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকে যেন নিজেকে একটি খেজুরের অংশবিশেষ দান করে হলেও জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করে। কোন ব্যক্তির যদি এই সামর্থ্যও না থাকে, তবে সে যেন অন্তত ভালো কথা বলে (তা হতে আত্মরক্ষা করে)। আমি তোমাদের ব্যাপারে দুর্ভিক্ষের আশংকা করি না। কারণ আল্লাহ তা’আলা তোমাদের সাহায্যকারী ও দানকারী। এমনকি উষ্ট্রারোহিণী কোন মহিলা ইয়াসরিব (মাদীনা) হতে হীরা বা ততোধিক দূরত্বের সফর করবে এবং তার জন্তুযানের কিছু চুরি যাওয়ার ভয় থাকবে না। আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) বলেন, আমি মনে মনে বললাম, তাহলে তাঈ কবীলার চোরগুলো কোথায় যাবে?

হাসান।

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারিব। আমরা সিমাক ইবনু হারব ব্যতীত আর কারো নিকট হতে এটা অবহিত নই। হাদীসটি দীর্ঘভাবে শু’বাহ-সিমাক ইবনু হারব হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু হুবাইশ হতে, তিনি ‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَبُنْدَارٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْيَهُودُ مَغْضُوبٌ عَلَيْهِمْ وَالنَّصَارَى ضُلاَّلٌ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ‏.‏

আদি ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহুদীরা অভিশপ্ত এবং নাসারাগণ পথভ্রষ্ট….তারপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন।

সহীহ : তাখরীজু শারহিল আক্বীদাতিত তাহাবীয়া (৫৩১), সহীহাহ্ (৩২৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩

সূরা আল-বাক্বারাহ

২৯৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ الأَعْرَابِيِّ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الأَرْضِ فَجَاءَ مِنْهُمُ الأَحْمَرُ وَالأَبْيَضُ وَالأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীর সর্বত্র হতে এক মুঠো মাটি নিয়ে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছেন। তাই আদম-সন্তানরা মাটির বৈশিষ্ট্য প্রাপ্ত হয়েছে। যেমন তাদের কেউ লাল, কেউ সাদা, কেউ কালো বর্ণের আবার কেউ বা এসবের মাঝামাঝি, কেউ বা নরম ও কোমল প্রকৃতির। আবার কেউ কঠোর প্রকৃতির, কেউ মন্দ স্বভাবের, আবার কেউ বা ভালো চরিত্রের।

সহীহ : মিশকাত (১০০), সহীহাহ (১৬৩০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا ‏)‏ قَالَ ‏”‏ دَخَلُوا مُتَزَحِّفِينَ عَلَى أَوْرَاكِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলার বাণী “তোমরা সিজদাবনত শিরে প্রবেশ করো”- (সূরা বাকারাহ ৫৮)-এর ব্যাখ্যায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তারা (বানী ইসরাঈল) তাদের নিতম্বে ভর করে দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিল। একই সনদে “কিন্তু যারা অন্যায় করেছিল, তারা তাদের যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল’- (সূরা আল-বাক্বারাহ ৫৯) এ আয়াত প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তারা (হিত্তাতুন-এর পরিবর্তে) বলেছিল, “হাব্বাতুন ফী শা’রাতিন” যবের মধ্যকার শস্যদানা”।

সহীহ : বুখারী (৪৪৭৯), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرِهِ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ فَلَمْ نَدْرِ أَيْنَ الْقِبْلَةُ فَصَلَّى كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا عَلَى حِيَالِهِ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ السَّمَّانِ أَبِي الرَّبِيعِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَأَشْعَثُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমির ইবনু রাবী’আহ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক অন্ধকার রাতে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফরে ছিলাম। আমরা ধারণা করতে পারছিলাম না ক্বিবলাহ কোন দিকে হবে। কাজেই আমাদের সকলেই নিজ নিজ ধারণা মোতাবিক ক্বিবলার দিক নির্ধারণ করে নামায আদায় করে। আমরা বিষয়টি সকাল বেলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উত্থাপন করলাম। তখন নাযিল হয়ঃ “তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ তা’আলার চেহারা” – (সূরা বাক্বারাহঃ ১১৫)।

হাসান : ইবনু মা-জাহ (১০২০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা আশ’আস – আসসাম্মান-আবুর রাবী’ বর্ণনাকারী কর্তৃক আসিম ইবনু ‘উবাইদুল্লাহার হাদীস ব্যতীত আর কারো নিকট হতে এটিকে অবহিত নই। আর আশ’আসকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে অভিহিত করা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ تَطَوُّعًا حَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ وَهُوَ جَاءٍ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عُمَرَ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَفِي هَذَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা হতে মাদীনায় ফেরার পথে তাঁর সাওয়ারী তাঁকে নিয়ে যে অভিমুখে অগ্রসর হত তিনি সেদিকে ফিরেই নফল নামায আদায় করতেন। তারপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) এই আয়াত পাঠ করেনঃ ‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ তা’আলারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ তা’আলার চেহারা” – (সূরা আল – বাক্বারাহ ১১৫)। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়।

সহীহ : সিফাতুস সালাত, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন যে, এর নির্দেশ রহিত (মানসূখ) হয়ে গেছে। রহিতকারী (নাসিখ) আয়াতটি হল : “অতএব তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও” – (সূরা আল – বাক্বারাহ ১৪৪) । ‘শাতরাল মাসজিদিল হারাম” অর্থাৎ “কা’বার দিকে”। তার এই মত নিম্নোক্ত সূত্রে বর্ণিত হয়েছে : মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল মালিক ইবনু আবুশ শাওয়ারিব-ইয়াযীদ ইবনু যুরাইহ হতে, তিনি সা’ঈদ হতে, তিনি ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে। মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি “ফাছাম্মা ওয়াজহুল্লাহ” অর্থ করেছেন, “ফাসাম্মা ক্বিবলাতুল্লাহ” (সেদিকেই আল্লাহ তা’আলার ক্বিবলাহ রয়েছে)। তার এই মত নিম্নোক্ত সূত্রে বর্ণিতঃ আবূ কুরাইব মুহাম্মদ ইবনুল ‘আলা-ওয়াকী হতে, তিনি নাযর ইবনু ‘আরাবী হতে, তিনি মুজাহিদ (রহঃ) হতে।

সানাদ সহীহ, মাকতূ’ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ صَلَّيْنَا خَلْفَ الْمَقَامِ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যদি মাক্বামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায় করতাম (তাহলে ভালো হত)। এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয় : “তোমরা মাক্বামে ইবরাহীমকে (ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে) নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ কর”- (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ১২৫)

সহীহ : বুখারী (৪৪৮৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوِ اتَّخَذْتَ مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মাক্বামে ইবরাহীমকে যদি নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ করতেন! এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয়ঃ “ওয়াত্তাখিযূ মিম মাক্বামি ইবরাহীমা মুসাল্লা”। তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের জায়গা বানিয়ে নাও।

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏كََذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا ‏)‏ قَالَ ‏”‏ عَدْلاً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার বাণী “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি” (সূরা বাক্বারাহঃ ১৪৩) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ ওয়াসাতান অর্থ আদলান (ন্যায়নিষ্ঠ)।

সহীহ : বুখারী (৪৪৮৭), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাত দিবসে) নূহ (আঃ)-কে ডেকে বলা হবে, তুমি কি (তোমার সম্প্রদায়কে আল্লাহ তা’আলার বাণী) পৌঁছে দিয়েছিলে? তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ। তারপর তাঁর সম্প্রদায়কে ডেকে প্রশ্ন করা হবে : তিনি কি তোমাদের নিকট (আল্লাহ তা’আলার বাণী) পৌছিয়েছিলেন? তিনি কি তোমাদের নিকট (আল্লাহ তা’আলার বাণী) পৌছিয়েছিলেন? তারা বলবে, আমাদের নিকট কোন সতর্ককারী আসেনি। আমাদের নিকট কেউই আসেনি। তখন তাঁকে বলা হবে, আপনার সাক্ষী কারা? তিনি বলবেন : মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর উম্মাতগণ। তারপর তোমাদেরকে ডেকে আনা হবে। তোমরা সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয়ই তিনি (দা’ওয়াত) পৌছে দিয়েছিলেন। তার প্রামাণ হচ্ছে বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলার বাণী : “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের সাক্ষীস্বরূপ হবে” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ১৪৩) ।

সহীহ : বুখারী (৪৪৮৭) ।

মুহাম্মদ ইবনু বাশশার-জা’ফার ইবনু ‘আওন হতে, তিনি আ’মাশ (রহঃ) হতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬২

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ‏:‏ ‏(‏ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ‏)‏ فَوَجَّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ وَكَانَ يُحِبُّ ذَلِكَ فَصَلَّى رَجُلٌ مَعَهُ الْعَصْرَ قَالَ ثُمَّ مَرَّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَقَالَ هُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّهُ قَدْ وُجِّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ قَالَ فَانْحَرَفُوا وَهُمْ رُكُوعٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏

আল –বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় পদার্পণ করে ষোল বা সতের মাস পর্যন্ত বাইতুল মাকদিসের দিকে (ফিরে) নামায আদায় করেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার দিকে (মুখ করে) নামায আদায় করার আগ্রহ পোষণ করতেন। এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন : “আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য করেছি। কাজেই আমি তোমাকে অবশ্যই এমন ক্বিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ কর। অতএব তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও” – (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ১৪৫)। ফলে কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হলো। আর তিনি এটাই পছন্দ করতেন। এক লোক তাঁর সাথে ‘আসরের নামায আদায় করে একদল আনসারীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা তখন বাইতুল মাকদিসের দিকে (মুখ করে) আসরের নামাযের রুকূতে ছিল। তিনি বললেন, এই লোকটি সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে নামায আদায় করে এসেছে। আর প্রকৃত অবস্থা এই যে, (নামাযে) কা’বার দিকে মুখ ফিরানো হয়েছে। তারাও তৎক্ষণাৎ রুকূ’ অবস্থায়ই (কা’বার দিকে) ঘুরে যান।

সহীহ : সিফাতুস সালাত, বুখারী (৪৪৯২), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফইয়ান সাওরীও এটি আবূ ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৩

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانُوا رُكُوعًا فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ وَابْنِ عُمَرَ وَعُمَارَةَ بْنِ أَوْسٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, তারা (কুবা মাসজিদে) ফজরের নামাযে রুকূ অবস্থায় ছিলেন।

সহীহঃ প্রাগুক্ত, ইরওয়াহ (২৯০), বুখারী (৪৪৮৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ‘আমর ইবনু ‘আওফ আল –মুযানী, ইবনু ‘উমার, ‘উমারাহ ইবনু আওস ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘‘ঈসা বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৪

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَأَبُو عَمَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا وُجِّهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْكَعْبَةِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ مَاتُوا وَهُمْ يُصَلُّونَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ‏:‏ ‏(‏وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কা’বার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হলে সাহাবীগণ তাঁকে প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের যেসব ভাই বাইতুল মাকদিসের দিকে (ফিরে) নামায আদায় করা অবস্থায় মারা গেছেন তাদের কি হবে? আল্লাহ তা’আলা তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) : “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করেন না”- (সূরা আল –বাক্বারাহ : ১৪৩)

সহীহ লিগাইরিহী : তা’লীকাতু হাসসান (১৭১৪), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৫

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطَّوَّفَ بَيْنَهُمَا ‏.‏ فَقَالَتْ بِئْسَمَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ‏)‏ وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ وَقَالَ إِنَّ هَذَا لَعِلْمٌ وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطَّوَّفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললাম, যে ব্যক্তি সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ (সাঈ) করেনি আমি তাতে সমস্যা মনে করি না। আমি নিজেও এ দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ না করতে কোন পরোয়া করি না। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আমার বোন পুত্র! তুমি যা বললে তা খুবই অন্যায় কথা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে এই দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ করেছেন, মুসলিমরাও এর তাওয়াফ করেছেন। তবে ‘মুশাল্লাল’ নামক স্থানে স্থাপিত মানাত নামক প্রতিমার নামে যেসব কাফির ইহরাম বাঁধতো তারা সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ করত না। অতঃপর বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে লোক বাইতুল্লাহর হাজ্জ করে বা উমরা করে এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে তাওয়াফ করায় তার কোন সমস্যা নেই”- (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ১৫৮)। তোমাদের কথাই যদি সঠিক হত, তাহলে এভাবে বলা হতঃ “ফালা জুনাহা ‘আলাইহি আল –লা ইয়াত্তাওয়াফা বিহিমা” (এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে তাওয়াফ না করাতে কোন সমস্যা নেই)। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বাকর ইবনু ‘আবদুর রাহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশামের নিকট এটি বর্ণনা করলে তিনি খুবই আনন্দিত হন এবং বলেন, এটা তো হল ইল্মের (জ্ঞানের) কথা! আমি বহু আলিমকে বলতে শুনেছি, যেসব আরববাসী সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ করে না তারা বলে, এ দু’টি পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ করা জাহিলী যুগের প্রথা। অপর দিকে কিছু সংখ্যক আনসারী বলত, আমাদেরকে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করার আদেশ করা হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফের আদেশ দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেনঃ “নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভূক্ত” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ১৫৮)। আবূ বাকর ইবনু ‘আব্দুর রাহমান বলেন, আমার মতে উপরোক্ত উভয় দলের প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (২৯৮৬), বুখারী (৪৪৯৫), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الصَّفَا، وَالْمَرْوَةِ، فَقَالَ كَانَا مِنْ شَعَائِرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ أَمْسَكْنَا عَنْهُمَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ‏)‏ قَالَ هُمَا تَطَوُّعٌ ‏(‏فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আসিম আল –আওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে সাফা ও মারওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, এ দু’টি (পাহাড়) ছিল জাহিলিয়াতের নিদর্শন। ইসলামের আবির্ভাব হলে আমরা এতদুভয়ের মাঝে সাঈ করা হতে বিরত থাকলাম। তখন বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভূক্ত। অতএব বাইতুল্লাহর হাজ্জকারী বা উমরাকারী ব্যক্তির জন্য এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করাতে কোন সমস্যা নেই”- (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ১৫৮)। আনাস (রাঃ) বলেন, এটা হল নফল ইবাদাত। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ তা’আলা তো গুণগ্রাহী ও সর্বজ্ঞ”- (সূরা আল –বাক্বারাহ : ১৫৮)।

সহীহ : বুখারী (৪৪৯৬), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৭

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا فَقَرَأَ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ فَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَتَى الْحَجَرَ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَرَأَ ‏:‏ ‏(‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় এলেন, তখন সাতবার বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। তখন আমি তাঁকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনলাম (অনুবাদ) : “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর”- (সূরা আল –বাক্বারাহ : ১২৫)। তারপর তিনি মাক্বামে ইবরাহীমের পিছনে নামায আদায় করলেন, তারপর হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তাতে চুমু দিলেন, তারপর বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রথমে যা উল্লেখ করেছেন আমরা তা হতে শুরু করব। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন : “সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভূক্ত”- (সূরা আল –বাক্বারাহ : ১৫৮)।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (২৯৬০), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَائِمًا فَحَضَرَ الإِفْطَارُ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَ لَمْ يَأْكُلْ لَيْلَتَهُ وَلاَ يَوْمَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنَّ قَيْسَ بْنَ صِرْمَةَ الأَنْصَارِيَّ كَانَ صَائِمًا فَلَمَّا حَضَرَهُ الإِفْطَارُ أَتَى امْرَأَتَهُ فَقَالَ هَلْ عِنْدَكِ طَعَامٌ قَالَتْ لاَ وَلَكِنْ أَنْطَلِقُ فَأَطْلُبُ لَكَ ‏.‏ وَكَانَ يَوْمَهُ يَعْمَلُ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ وَجَاءَتْهُ امْرَأَتُهُ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ خَيْبَةً لَكَ ‏.‏ فَلَمَّا انْتَصَفَ النَّهَارُ غُشِيَ عَلَيْهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ‏)‏ فَفَرِحُوا بِهَا فَرَحًا شَدِيدًا ‏:‏ ‏(‏فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আল –বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণের এ নিয়ম ছিল যে, কোন রোযাদার ইফতারের পূর্বে ঘুমিয়ে পড়লে তিনি সেই রাত ও পরবর্তী দিনে কিছু খেতেন না, এভাবে পরবর্তী সন্ধ্যা পর্যন্ত অভুক্ত থাকতেন। একবার ক্বাইস ইবনু সিরমাহ আল –আনসারী (রাঃ) রোযা অবস্থায় ছিলেন। ইফতারের সময় উপস্থিত হলে তিনি তার স্ত্রীর নিকট এসে বললেন, কোন খাবার আছে কি? তাঁর স্ত্রী বললেন, না। তবে আমি আপনার জন্য কিছু খুঁজে আনতে যাচ্ছি। কাইস (রাঃ) ঐ দিন কায়িক পরিশ্রম করেছিলেন। তাই তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। তার স্ত্রী এসে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বললেন, আপনার জন্য আফসোস! পরবর্তী দিন দুপুর হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ ঘটনা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বর্ণনা করা হলে তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “রোযার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হল” (সূরাঃ আল –বাক্বারাহঃ ১৮৭)। এতে তারা অত্যন্ত আনন্দিত হলেন। আয়াতের শেষাংশ নিম্নরূপ (অনুবাদ) : “রাতের কালো রেখা হতে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর” – (সূরা আল –বাক্বারাহ : ১৮৭)

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (২০৩৪), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ‏)‏ قَالَ ‏”‏ الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَرَأَ ‏:‏‏(‏ وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ دَاخِرِينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার বাণী “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সারা দিব”- (সূরা মু’মিন ৬০) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ দু’আও একটি ‘ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করলেন : “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারবশে আমার ‘ইবাদাতে বিমুখ, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে” (সূরা মু’মিনঃ ৬০)।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৩৮২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَخْبَرَنَا عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ‏)‏ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّمَا ذَاكَ بَيَاضُ النَّهَارِ مِنْ سَوَادِ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘হাত্তা ইয়াতাবাইয়্যানা লাকুমুল খাইতুল-আবইয়াযু মিনাল-খাইতিল আসওয়াদি মিনাল-ফাজরি” – (সূরা বাক্বারাহঃ ১৮৭) আয়াত অবতীর্ণ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ এখানে খাইতুল আবইয়াযি মিনাল খাইতিল আসওয়াদি বলতে “রাতের অন্ধকার ও দিনের আলো” বুঝানো হয়েছে।

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (২০৩৪), বুখারী (৪৫১০), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আহমাদ ইবনু মানী-হুশাইম হতে, তিনি মুজালিদ হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি ‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭১

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّوْمِ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏ حَتََّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ ‏)‏ قَالَ فَأَخَذْتُ عِقَالَيْنِ أَحَدُهُمَا أَبْيَضُ وَالآخَرُ أَسْوَدُ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِمَا فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا لَمْ يَحْفَظْهُ سُفْيَانُ قَالَ ‏”‏ إِنَّمَا هُوَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রোযা বিষয়ে (সাহরীর সময়সীমা প্রসঙ্গে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ ‘কালো সুতা হতে সাদা সুতা যে পর্যন্ত না স্পষ্ট প্রতিভাত হয়”- (সূরা আল –বাক্বারাহ ১৮৭)। ‘আদী (রাঃ) বলেন, আমি সাদা ও কালো দুটি রশি নিলাম, (শেষ রাতে) আমি উভয়টি দেখতে লাগলাম (এবং সাদা-কালোর পার্থক্য নিরূপণের চেষ্টা করলাম)। (এ ঘটনা শুনে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কিছু বলেন। কি বলেছিলেন তা বর্ণনাকারী সুফইয়ান মনে রাখতে পারেননি। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর অর্থ হল রাত ও দিন।

সহীহ : প্রাগুক্ত, বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭২

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَسْلَمَ أَبِي عِمْرَانَ التُّجِيبِيِّ، قَالَ كُنَّا بِمَدِينَةِ الرُّومِ فَأَخْرَجُوا إِلَيْنَا صَفًّا عَظِيمًا مِنَ الرُّومِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِثْلُهُمْ أَوْ أَكْثَرُ وَعَلَى أَهْلِ مِصْرَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ وَعَلَى الْجَمَاعَةِ فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى صَفِّ الرُّومِ حَتَّى دَخَلَ فِيهِمْ فَصَاحَ النَّاسُ وَقَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ يُلْقِي بِيَدَيْهِ إِلَى التَّهْلُكَةِ فَقَامَ أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَتَأَوَّلُونَ هَذِهِ الآيَةَ هَذَا التَّأْوِيلَ وَإِنَّمَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ لَمَّا أَعَزَّ اللَّهُ الإِسْلاَمَ وَكَثُرَ نَاصِرُوهُ فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ سِرًّا دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَمْوَالَنَا قَدْ ضَاعَتْ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعَزَّ الإِسْلاَمَ وَكَثُرَ نَاصِرُوهُ فَلَوْ أَقَمْنَا فِي أَمْوَالِنَا فَأَصْلَحْنَا مَا ضَاعَ مِنْهَا ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم يَرُدُّ عَلَيْنَا مَا قُلْنَا‏:‏ ‏(‏وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلاَ تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ‏)‏ فَكَانَتِ التَّهْلُكَةُ الإِقَامَةَ عَلَى الأَمْوَالِ وَإِصْلاَحَهَا وَتَرَكْنَا الْغَزْوَ فَمَا زَالَ أَبُو أَيُّوبَ شَاخِصًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى دُفِنَ بِأَرْضِ الرُّومِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আসলাম আবূ ‘ইমরান আত –তুজীবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রোম সাম্রাজ্যের কোন এক শহরে অবস্থানরত ছিলাম। তখন আমাদেরকে মুকাবিলা করার উদ্দেশে রোমের এক বিশাল বাহিনী যাত্রা শুরু করল। মুসলিমদের পক্ষ হতেও একই রকম বা আরো বিশাল একটি বাহিনী যাত্রা শুরু করল। তখন মিসরবাসীর শাসক ছিলেন ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) এবং বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন ফাযালাহ ইবনু ‘উবাইদ (রাঃ)। একজন মুসলিম সেনা রোমীয়দের উপর প্রচন্ড আক্রমণ করেন। এমনকি বুহ্য ভেদ করে তিনি তাদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তখন মুসলিমগণ সশব্দে চিৎকার করেন এবং বলেন, সুবহানাল্লাহ! লোকটি নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। তখন আবূ আইয়ূব আল –আনসারী (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে জনমন্ডলী! তোমরা এ আয়াতের এরূপ ব্যাখ্যা করছ? অথচ এ আয়াতটি আমাদের তথা আনসারদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা যখন ইসলামকে বিজয় দান করলেন এবং ইসলামের বিপুল সংখ্যক সাহায্যকারী হয়ে গেল, তখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে না শুনিয়ে চুপে চুপে বলল, আমাদের মাল-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলা ইসলামকে এখন শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীর সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি আমরা আমাদের মাল-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অবস্থান করতে এবং বিনষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পদের পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করতাম (তাহলে ভাল হতো)। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা আমাদের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন : “তোমরা আল্লাহ তা’আলার পথে ব্যয় কর এবং নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না” (সূরা আল –বাক্বারাহ ১৯৫)। কাজেই মাল-সম্পদের তত্ত্বাবধান ও তার পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করা এবং জিহাদ ত্যাগ করাই হচ্ছে ধ্বংস। অতএব আবূ আইয়ূব আল –আনসারী (রাঃ) বাড়িঘর ছেড়ে সব সময় আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় জিহাদে ব্যাপৃত থাকতেন। অবশেষে তিনি রোমে (তৎকালীন এশিয়া মাইনর, বর্তমানে তুরস্ক) ইন্তিকাল করেন এবং সেখানেই তাঁকে দাফর করা হয়।

সহীহ : সহীহাহ (১৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবী ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَ كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَفِيَّ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَإِيَّاىَ عَنَى بِهَا ‏:‏ ‏(‏فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ ‏)‏ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْحُدَيْبِيَةِ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ وَقَدْ حَصَرَنَا الْمُشْرِكُونَ وَكَانَتْ لِي وَفْرَةٌ فَجَعَلَتِ الْهَوَامُّ تَسَاقَطُ عَلَى وَجْهِي فَمَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ كَأَنَّ هَوَامَّ رَأْسِكَ تُؤْذِيكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاحْلِقْ ‏”‏ ‏.‏ وَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏.‏ قَالَ مُجَاهِدٌ الصِّيَامُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ وَالطَّعَامُ سِتَّةُ مَسَاكِينَ وَالنُّسُكُ شَاةٌ فَصَاعِدًا ‏.‏

কা’ব ইবনু উজরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ নিবদ্ধ তাঁর শপথ! আমার সম্পর্কেই নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাতে আমার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে : “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয়, বা মাথায় ক্লেশ থাকে, তবে রোযা অথবা দান-খাইরাত অথবা কুরবানীর দ্বারা তারা ফিদিয়া দিবে” (সূরা আল –বাক্বারাহ ১৯৬)। কা’ব ইবনু উজরাহ (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হুদাইবিয়াতে ইহ্‌রাম অবস্থায় ছিলাম। মুশরিকরা আমাদেরকে (হাজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় যেতে) বাধা দিল। আমার মাথায় বাবরী চুল ছিল। উকুন আমার মুখমন্ডলে পতিত হচ্ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমার মাথার কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার মাথার চুল মুন্ডন করে ফেল। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, এক্ষেত্রে তিনটি রোযা রাখতে হবে অথবা খাদ্য দান করতে হবে ছয়জন মিসকীনকে অথবা এক বা একাধিক ছাগল যবেহ করতে হবে।

সহীহ : বুখারী (৪৫১৭), মুসলিম, অনুরূপ হাদীস পূর্বে (৯৫৩) নং উল্লেখ হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

‘আলী ইবনু হুজর-হুশাইম হতে, তিনি আশ’আস ইবনু সাওওয়ার হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মা’কিল হতে, তিনি কা’ব ইবনু উজরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আবদুর রহমান ইবনুল আসবাহানী (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফালের সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ أَتَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُوقِدُ تَحْتَ قِدْرٍ وَالْقَمْلُ تَتَنَاثَرُ عَلَى جَبْهَتِي أَوْ قَالَ حَاجِبِي فَقَالَ ‏”‏ أَتُؤْذِيكَ هَوَامُّ رَأْسِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاحْلِقْ رَأْسَكَ وَانْسُكْ نَسِيكَةً أَوْ صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطَعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَيُّوبُ لاَ أَدْرِي بِأَيَّتِهِنَّ بَدَأَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

কা’ব ইবনু উজরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আসলেন। আমি তখন ডেকচির নিচে আগুন জ্বালাচ্ছিলাম। তখন আমার কপালের উপর অথবা বলেছেন আমার চোখের ভ্রুর উপর দিয়ে উকুন ঝরে পড়ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মাথা কামিয়ে ফেল এবং তার পরিবর্তে একটি পশু যবেহ কর অথবা তিন দিন রোযা রাখ অথবা ছয়জন মিসকীনকে আহার করাও। বর্ণনাকারী আইয়ূব বলেন, তিনি কোন বিষয়টি প্রথমে বলেছেন তা আমি অবগত নই।

সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৫

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ الْحَجُّ عَرَفَاتٌ الْحَجُّ عَرَفَاتٌ الْحَجُّ عَرَفَاتٌ أَيَّامُ مِنًى ثَلاَثٌ ‏:‏ ‏(‏فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ ‏)‏ وَمَنْ أَدْرَكَ عَرَفَةَ قَبْلَ أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَهَذَا أَجْوَدُ حَدِيثٍ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ ‏.

আবদুর রাহমান ইবনু ইয়া’মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান, হাজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান, হাজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান। মিনার জন্য নির্ধারিত আছে তিন দিন। “কোন ব্যক্তি যদি দুই দিন থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসে তবে তার কোন গুনাহ হবে না। আর যদি কোন ব্যক্তি বিলম্ব করে, তারও কোন গুনাহ হবে না” –(সূরা আল –বাক্বারাহ ২০৩)। ফজর উদয়ের পূর্বেই যে ব্যক্তি ‘আরাফাতে পৌছে যায়, সে হাজ্জ পেয়ে গেল।

সহীহ : (৮৮৯) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আবী ‘উমার বলেন, সুফইয়ান ইবনু উয়াইনা বলেছেন : সুফইয়ান সাওরীর বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। আবূ ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি শু’বাহ (রহঃ) বুকাইর ইবনু আতা হতে বর্ণনা করেছেন। বুকাইর ইবনু আতার সূত্র ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَبْغَضُ الرِّجَالِ إِلَى اللَّهِ الأَلَدُّ الْخَصِمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ভীষণ কলহপ্রিয় লোক আল্লাহ তা’আলার নিকট সবচাইতে ঘৃণ্য।

সহীহ : বুখারী (৪৫২৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَتِ الْيَهُودُ إِذَا حَاضَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُمْ لَمْ يُوَاكِلُوهَا وَلَمْ يُشَارِبُوهَا وَلَمْ يُجَامِعُوهَا فِي الْبُيُوتِ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى ‏)‏ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُوَاكِلُوهُنَّ وَيُشَارِبُوهُنَّ وَأَنْ يَكُونُوا مَعَهُنَّ فِي الْبُيُوتِ وَأَنْ يَفْعَلُوا كُلَّ شَيْءٍ مَا خَلاَ النِّكَاحَ فَقَالَتِ الْيَهُودُ مَا يُرِيدُ أَنْ يَدَعَ شَيْئًا مِنْ أَمْرِنَا إِلاَّ خَالَفَنَا فِيهِ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ عَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَاهُ بِذَلِكَ وَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نَنْكِحُهُنَّ فِي الْمَحِيضِ فَتَمَعَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ قَدْ غَضِبَ عَلَيْهِمَا فَقَامَا فَاسْتَقْبَلَتْهُمَا هَدِيَّةٌ مِنْ لَبَنٍ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي آثَارِهِمَا فَسَقَاهُمَا فَعَلِمْنَا أَنَّهُ لَمْ يَغْضَبْ عَلَيْهِمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের এই নিয়ম ছিল যে, তাদের কোন নারীর মাসিক ঋতুস্রাব হলে তারা তার সাথে একত্রে পানাহারও করত না এবং একই ঘরে একত্রে বসবাসও করত না। এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলে আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন : “লোকেরা আপনাকে হায়িয প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে। বলুন, তা অশুচি” –(সূরা আল –বাক্বারাহ ২২২)। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে যথারীতি একত্রে পানাহারের ও ঘরে একসাথে বসবাসের নির্দেশ দেন, শুধু সহবাস প্রসঙ্গ ব্যতীত। এতে ইয়াহূদীরা বলল, এ লোকটি আমাদের কোন একটি বিষয়েরও বিরোধিতা না করে ছাড়ছে না। বর্ণনাকারী বলেন, আব্বাদ ইবনু বিশর ও উসাইদ ইবনু হুযাইর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসেন এবং বিষয়টি তাঁকে জানান। তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি ঋতুস্রাব চলাকালে স্ত্রী-সহবাস করব না? এতে রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চেহারা রক্তিম বর্ণ হয়ে গেল। আমরা অনুমান করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উভয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা দুজনে উঠে রাওনা করলেন। তাদের সামনে দিয়েই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্যে দুধ হাদিয়া এলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে দুধ পান করান। এতে তারা বুঝতে পারল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হননি।

সহীহ : আদাবুয, যিফাফ (৪৪), সহীহ আবূ দাঊদ (২৫০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুল ‘আলা-‘আবদুর রাহমান ইবনু মাহদী হতে, তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামা হতে, তিনি সাবিত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৮

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ كَانَتِ الْيَهُودُ تَقُولُ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي قُبُلِهَا مِنْ دُبُرِهَا كَانَ الْوَلَدُ أَحْوَلَ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনুল মুনকাদির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ ইয়াহূদীরা বলত, কোন ব্যক্তি স্ত্রীর পেছন দিক হতে তার জননেন্দ্রিয়ে সহবাস করলে সন্তন হয় টেরা চোখবিশিষ্ট। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র। কাজেই তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পার” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ২২৩)।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (১৯২৫), বুখারী (৪৫২৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنِ ابْنِ سَابِطٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ ‏)‏ يَعْنِي صِمَامًا وَاحِدًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَابْنُ خُثَيْمٍ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ وَابْنُ سَابِطٍ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَابِطٍ الْجُمَحِيُّ الْمَكِّيُّ وَحَفْصَةُ هِيَ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَيُرْوَى فِي سِمَامٍ وَاحِدٍ ‏.‏

উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র স্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পার”- (সূরা আল –বাক্বারাহ ২২৩), এ আয়াত প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অর্থাৎ একই রাস্তায় (জননেন্দ্রিয়ে) সহবাস করবে।

সহীহ : আদাবুয যিফাফ (২৭-২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু খুসাইম হচ্ছেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উসমান ইবনু খুসাইম। ইবনু সাবিত হচ্ছেন ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাবিত আল –জুমাহী আল –মাক্কী। আর হাফসা (রাঃ) হচ্ছেন, ‘আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বাকর আস –সিদ্দীক-এর কন্যা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮০

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَشْعَرِيُّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ عُمَرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْتُ قَالَ ‏”‏ وَمَا أَهْلَكَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَوَّلْتُ رَحْلِي اللَّيْلَةَ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ ‏)‏ أَقْبِلْ وَأَدْبِرْ وَاتَّقِ الدُّبُرَ وَالْحِيضَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَيَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَشْعَرِيُّ هُوَ يَعْقُوبُ الْقُمِّيُّ ‏.‏

ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করল? ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ রাতে আমার বাহনটি উল্টা করে ব্যবহার করেছি (পেছনের দিক হতে সহবাস করেছি)। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হল : “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পার”- (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ২২৩)। সামনের দিক হতেও বা পেছনের দিক হতেও (জননেন্দ্রিয়ে) সঙ্গত হতে পারে, তবে মলদ্বারে অথবা হায়িয অবস্থায় (সহবাস হতে) বিরত থাক।

হাসান : আদাবুয যিফাফ (২৮-২৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ইয়াকূব ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-আশ’’আরী হচ্ছেন ইয়াকুব আল –কুম্মী।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮১

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الْمُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ زَوَّجَ أُخْتَهُ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَتْ عِنْدَهُ مَا كَانَتْ ثُمَّ طَلَّقَهَا تَطْلِيقَةً لَمْ يُرَاجِعْهَا حَتَّى انْقَضَتِ الْعِدَّةُ فَهَوِيَهَا وَهَوِيَتْهُ ثُمَّ خَطَبَهَا مَعَ الْخُطَّابِ فَقَالَ لَهُ يَا لُكَعُ أَكْرَمْتُكَ بِهَا وَزَوَّجْتُكَهَا فَطَلَّقْتَهَا وَاللَّهِ لاَ تَرْجِعُ إِلَيْكَ أَبَدًا آخِرُ مَا عَلَيْكَ قَالَ فَعَلِمَ اللَّهُ حَاجَتَهُ إِلَيْهَا وَحَاجَتَهَا إِلَى بَعْلِهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏ وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏‏(‏ وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ ‏)‏ فَلَمَّا سَمِعَهَا مَعْقِلٌ قَالَ سَمْعًا لِرَبِّي وَطَاعَةً ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ أُزَوِّجُكَ وَأُكْرِمُكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْحَسَنِ ‏.‏ وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلاَلَةٌ عَلَى أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ النِّكَاحُ بِغَيْرِ وَلِيٍّ لأَنَّ أُخْتَ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ كَانَتْ ثَيِّبًا فَلَوْ كَانَ الأَمْرُ إِلَيْهَا دُونَ وَلِيِّهَا لَزَوَّجَتْ نَفْسَهَا وَلَمْ تَحْتَجْ إِلَى وَلِيِّهَا مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَإِنَّمَا خَاطَبَ اللَّهُ فِي الآيَةِ الأَوْلِيَاءَ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏ولَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ‏)‏ فَفِي هَذِهِ الآيَةِ دَلاَلَةٌ عَلَى أَنَّ الأَمْرَ إِلَى الأَوْلِيَاءِ فِي التَّزْوِيجِ مَعَ رِضَاهُنَّ ‏.‏

মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যামানায় তার বোনকে এক মুসলিমের নিকট বিবাহ দেন। এ মহিলা তার নিকট যত দিন জীবন অতিবাহিত করার করলো। তারপর তার স্বামী তাকে এক তালাক দেয়। ‘ইদ্দাত শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বে সে তাকে আবার স্ত্রীত্বে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেনি। এমতাবস্থায় ‘ইদ্দাত শেষ হয়ে যাওয়ার পর লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি এবং স্ত্রী স্বামীর প্রতি আকৃষ্ট হল। তাই সেও এক প্রস্তাবকের মাধ্যমে তাকে পুনর্বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু তার ভাই (মা’ক্বিল) বলেন, হে ইতর প্রাণী! আমি তোমার সাথে আমার বোনের বিবাহ দিয়ে তোমাকে সম্মানিত করেছিলাম, কিন্তু তুমি তাকে তালাক দিয়েছ। আল্লাহর কসম! সে আর কখনো তোমার নিকট ফিরে যাবে না। এই তোমার সাথে শেষ কথা। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ তা’আলা জানতেন ঐ নারীর প্রতি লোকটির আকর্ষণ এবং লোকটির প্রতি নারীর আকর্ষণের কথা। তখন বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা তাদের ‘ইদ্দাত কাল পূর্ণ করে, তখন তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে স্ত্রীরা নিজেদের স্বামীদের বিবাহ করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিও না। তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ তা’আলা ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে এর দ্বারা উপদেশ দেয়া হচ্ছে। এটা তোমাদের জন্য শুদ্ধতম ও পবিত্রতম। আল্লাহ তা’আলা জানেন, তোমরা জান না”- (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৩২)। বর্ণনাকারী বলেন, মা’ক্বিল (রাঃ) এ আয়াত শোনার পর বললেন, আমার প্রভুর আদেশ সর্বোপরি শিরোধার্য। আমি শুনলাম এবং আনুগত্যের শির অবনত করলাম। তিনি ঐ লোককে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, (চলো) তোমার সাথে তাকে বিবাহ দিয়ে দিচ্ছি এবং তোমার খাতির সম্মান বহাল করছি।

সহীহ : ইরওয়াহ (১৮৪৩), সহীহ আবূ দাঊদ (১৮২০), বুখারী (৪৫২৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাসান (রহঃ) হতে এটি অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। হাসান (রহঃ) সূত্রে হাদীসটি গারীব। এ হাদীস হতে জানা গেল যে, ওয়ালী অর্থাৎ অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ বৈধ হয় না। কারণ মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)-এর বোন প্রাপ্তবয়স্কা তালাক্বপ্রাপ্তা ছিলেন। ওয়ালী ব্যতীত নিজের বিবাহ করার এখতিয়ার থাকলে তিনি নিজেই বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়ে যেতে পারতেন এবং তার ওয়ালী মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) এর প্রয়োজন বোধ করতেন না। আল্লাহ তা’আলাও এ আয়াতে ওয়ালী অর্থাৎ অভিভাবকদেরই সম্বোধন করেছেন। যেমন তিনি বলেছেনঃ “তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদের বিবাহ করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিও না”। এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বিবাহের ব্যাপারটি নারীদের সম্মতি সাপেক্ষে ওয়ালীর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، مَوْلَى عَائِشَةَ قَالَ أَمَرَتْنِي عَائِشَةُ رضى الله عنها أَنْ أَكْتُبَ لَهَا مُصْحَفًا فَقَالَتْ إِذَا بَلَغْتَ هَذِهِ الآيَةَ فَآذِنِّي ‏:‏ ‏(‏حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى ‏)‏ فَلَمَّا بَلَغْتُهَا آذَنْتُهَا فَأَمْلَتْ عَلَىَّ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَصَلاَةِ الْعَصْرِ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ وَقَالَتْ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ حَفْصَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) এর মুক্ত দাস আবূ ইউনুস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) আমাকে তার জন্য কুরআনের একটি কপি লিখে দেয়ার আদেশ দিয়ে বলেনঃ “তোমরা নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি” (সূরা বাক্বারাহ ২৩৮) আয়াতে পৌছে আমাকে জানাবে। আবূ ইউনুস (রহঃ) বলেন, আমি উক্ত আয়াতে পৌছে ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে জানালাম। তিনি আমাকে এভাবে লেখার আদেশ দিলেনঃ “তোমরা নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের তথা আসর নামাযের প্রতি এবং আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশে বিনীতভাবে দাঁড়াবে”। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছি।

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (৪৩৭), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে হাফসাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৩

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الْوُسْطَى صَلاَةُ الْعَصْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতুল উসতা (মধ্যবর্তী নামায) হল ‘আসরের নামায।

সহীহ : মিশকাত (৬৩৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৪

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ، أَنَّ عَلِيًّا، حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ الأَحْزَابِ ‏ “‏ اللَّهُمَّ امْلأْ قُبُورَهُمْ وَبُيُوتَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُونَا عَنْ صَلاَةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبُو حَسَّانَ الأَعْرَجُ اسْمُهُ مُسْلِمٌ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আহযাবে যুদ্ধের দিন (এই) দু’আ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি এদের (কাফিরদের) ক্ববরসমূহ ও ঘরসমূহকে আগুন দিয়ে ভর্তি করে দাও, যেমন তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী নামায হতে বিরত রেখেছে, এমনকি সূর্য ডুবে গেছে।

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (৪৩৬), বুখারী (৪৫৩৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আলী (রাঃ) হতে এটি অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। আবূ হাসসান আল –আ’রাজের নাম মুসলিম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، وَأَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صَلاَةُ الْوُسْطَى صَلاَةُ الْعَصْرِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতুল উসতা (মধ্যবর্তী নামায) হল আসরের নামায।

সহীহ : মিশকাত (৬৩৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

যাইদ ইবনু সাবিত, আবু হাশিম ইবনু ‘উতবাহ ও আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ‏)‏ فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ ‏.‏

যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যামানায় আমরা নামাযের মধ্যে কথাবার্তা বলতাম। এ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়ঃ “তোমরা আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশে অনুগত সেবকের মত দাঁড়াও” – (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ২৩৮)। এতদ্বারা আমাদেরকে (নামাযে) চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হল।

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (৮৭৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আহমাদ ইবনু মানী-হুশাইম হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদ (রহঃ) হতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে আরও আছে : ‘ওয়া নুহীনা আনিল কালাম’ (আমাদেরকে কথা বলতে নিষেধ করে দেয়া হয়)।

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (৮৭৫), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ আমর আশ-শাইবানীর নাম সা’দ ইবনু ইয়াস।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنِ الْبَرَاءِ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تَيَمَّمُوا الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنْفِقُونَ ‏)‏ قَالَ نَزَلَتْ فِينَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ كُنَّا أَصْحَابَ نَخْلٍ فَكَانَ الرَّجُلُ يَأْتِي مِنْ نَخْلِهِ عَلَى قَدْرِ كَثْرَتِهِ وَقِلَّتِهِ وَكَانَ الرَّجُلُ يَأْتِي بِالْقِنْوِ وَالْقِنْوَيْنِ فَيُعَلِّقُهُ فِي الْمَسْجِدِ وَكَانَ أَهْلُ الصُّفَّةِ لَيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ فَكَانَ أَحَدُهُمْ إِذَا جَاعَ أَتَى الْقِنْوَ فَضَرَبَهُ بِعَصَاهُ فَيَسْقُطُ مِنَ الْبُسْرِ وَالتَّمْرِ فَيَأْكُلُ وَكَانَ نَاسٌ مِمَّنْ لاَ يَرْغَبُ فِي الْخَيْرِ يَأْتِي الرَّجُلُ بِالْقِنْوِ فِيهِ الشِّيصُ وَالْحَشَفُ وَبِالْقِنْوِ قَدِ انْكَسَرَ فَيُعَلِّقُهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الأَرْضِ وَلاَ تَيَمَّمُوا الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنْفِقُونَ وَلَسْتُمْ بِآخِذِيهِ إِلاَّ أَنْ تُغْمِضُوا فِيهِ ‏)‏ قَالُوا لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أُهْدِيَ إِلَيْهِ مِثْلُ مَا أَعْطَى لَمْ يَأْخُذْهُ إِلاَّ عَلَى إِغْمَاضٍ وَحَيَاءٍ قَالَ فَكُنَّا بَعْدَ ذَلِكَ يَأْتِي أَحَدُنَا بِصَالِحِ مَا عِنْدَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ وَأَبُو مَالِكٍ هُوَ الْغِفَارِيُّ وَيُقَالُ اسْمُهُ غَزْوَانُ وَقَدْ رَوَى سُفْيَانُ عَنِ السُّدِّيِّ شَيْئًا مِنْ هَذَا ‏.‏

আল –বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “তোমরা নিকৃষ্ট বস্তু দান করার ইচ্ছা করবে না” – (সূরা আল –বাক্বারা ২৬৭) আয়াতটি আমাদের আানসারদের প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ছিলাম খেজুর বাগানের মালিক। লোকেরা তাদের খেজুর বাগান হতে বেশী বা স্বল্প পরিমাণ অনুসারে খেজুর নিয়ে আসতো। কেউ বা এক দুই ছড়া খেজুর এনে মাসজিদে ঝুলিয়ে রাখতো। সুফফাবাসী সাহাবীগণের খাদ্য সংস্থানের বিশেষ কোন নির্দিষ্ট উৎস ছিল না। তাদের কারো ক্ষুধা পেলে তিনি উক্ত খেজুরের ছড়ার নিকট এসে তাতে লাঠি দ্বারা আঘাত করতেন। ফলে কাঁচা-পাকা খেজুর ঝরে পড়ত এবং তিনি তা খেতেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোকের কল্যাণকর কাজের প্রতি খুব একটা আগ্রহ ছিল না। তাদের কেউ নিকৃষ্ট ও পচা খেজুরের ছড়াও নিয়ে আসতো, আবার কেউ ভেঙ্গে পড়া ছড়াও নিয়ে আসতো এবং তা (মাসজিদে) ঝুলিয়ে রাখতো। কল্যাণময় আল্লাহ তা’আলা এ প্রসঙ্গে আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা জমিন হতে তোমাদের জন্য উৎপাদন করি, তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর এবং তা হতে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প করো না, অথচ তোমরা তা গ্রহণ করবে যা, যদি না তোমরা চক্ষু বন্ধ করে থাক” (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ২৬৭)। তিনি বলেন, অর্থাৎ দাতা যেরূপ দান করেছে, অনুরূপই যদি তাকে উপহারস্বরূপ দেয়া হয়, তাহলে সে কখনো তা গ্রহণ করবে না, চক্ষুর লজ্জায় পড়া বা দৃষ্টি এড়িয়ে রাখা ব্যতীত। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হতে আমাদের কেউ কিছু আনলে তার নিকট যা আছে তার মধ্যকার সর্বোৎকৃষ্টগুলো নিয়ে আসতো।

সহীহ : ইবনু মাজাহ (১৮২২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। আবূ মালিক হচ্ছেন আবূ মালিক আল-গিফারী। তার নাম গাযওয়ান বলেও কথিত আছে। সাওরী (রহঃ) সুদ্দীর সূত্রে উক্ত হাদীসের অংশবিশেষ রিওয়ায়াত করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ لِلشَّيْطَانِ لَمَّةً بِابْنِ آدَمَ وَلِلْمَلَكِ لَمَّةً فَأَمَّا لَمَّةُ الشَّيْطَانِ فَإِيعَادٌ بِالشَّرِّ وَتَكْذِيبٌ بِالْحَقِّ وَأَمَّا لَمَّةُ الْمَلَكِ فَإِيعَادٌ بِالْخَيْرِ وَتَصْدِيقٌ بِالْحَقِّ فَمَنْ وَجَدَ ذَلِكَ فَلْيَعْلَمْ أَنَّهُ مِنَ اللَّهِ فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ وَمَنْ وَجَدَ الأُخْرَى فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ثُمَّ قَرَأ ‏:‏ ‏(‏الشََّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ ‏)‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَهُوَ حَدِيثُ أَبِي الأَحْوَصِ لاَ نَعْلَمُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আদম সন্তানের প্রতি শাইতানের এক স্পর্শ রয়েছে এবং ফেরেশতারও এক স্পর্শ রয়েছে। শাইতানের স্পর্শ হচ্ছে মন্দ কাজের প্ররোচনাদান ও সত্যকে অস্বীকার করার। ফেরেশতার স্পর্শ হচ্ছে কল্যাণের কাজে উৎসাহিত করা এবং সত্যকে স্বীকার করা। কাজেই যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে এরূপ নেকীর স্পর্শ অনুভব করে সে যেন জ্ঞাত হয় যে, এটা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে এবং এজন্য সে যেন আল্লাহ তা’আলার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে। আর কেউ নিজের মধ্যে এর বিপরীত স্পর্শ উপলব্ধি করলে সে যেন তখন শাইতান হতে আল্লাহ তা’আলার নিকট আশ্রয় চায়। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “শাইতান তোমাদেরকে দারিদ্র্যের ভয় দেখায় এবং অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহ তা’আলা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৬৮)।

সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (৭৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এটি হচ্ছে আবুল আহওয়াসের রিওয়ায়াত। আমরা আবুল আহওয়াসের সূত্র ব্যতীত এটিকে অন্য কোন সূত্রে মারফূ’ হিসেবে জানতে পারিনি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ وَلاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا وَإِنَّ اللَّهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ ‏)‏ وَقَالَ أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ ‏)‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَهُ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ وَأَبُو حَازِمٍ هُوَ الأَشْجَعِيُّ اسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে লোক সকল ! আল্লাহ তা’আলা পবিত্র। তিনি পবিত্র জিনিস ব্যতীত কিছু ক্ববূল করেন না। আল্লাহ তাঁর রাসূলদেরকে যেসব বিষয়ের হুকুম দিয়েছেন, মু’মিনদেরকেও সেসব বিষয়ের হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ “হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর এবং সৎকাজ কর। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত” – (সূরা আল-মু’মিনূন ৫১)। তিনি আরো বলেনঃ “হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে আমি যে রিযিক্ব দিয়েছি তা হতে পবিত্র বস্তু আহার কর” – (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে যার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত এবং সারা শরীর ধূলি মলিন। সে আসমানের দিকে হাত দরায করে বলে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন জীবিকাও হারাম। এমতাবস্থায় তার দু’আ কিভাবে ক্ববূল হতে পারে।

হাসান : গাইয়াতুল মারাম (২৭), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটিকে ফুযাইল ইবনু মারযূক্বের হাদীস হিসেবে জানি। আবূ হাযিম হচ্ছেন আবূ হাযিম আল –আশজা’ঈ। তার নাম সালমান, ‘আজ্জা আল –আশজা’ইয়্যার মুক্তদাস।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯০

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ عَلِيًّا، يَقُولُ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏إِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ ‏)‏ الآيَةَ أَحْزَنَتْنَا قَالَ قُلْنَا يُحَدِّثُ أَحَدُنَا نَفْسَهُ فَيُحَاسَبُ بِهِ لاَ نَدْرِي مَا يُغْفَرُ مِنْهُ وَلاَ مَا لاَ يُغْفَرُ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا ‏(‏ لاَ يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ‏)‏‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলী (রাঃ) বলেন, নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলে আমরা সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়লামঃ “তোমাদের মনে যা আছে তা ব্যক্ত কর বা লুকিয়ে রাখ, আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের নিকট হতে তার হিসাব গ্রহণ করবেন। তারপর তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করবেন এবং যাকে ইচ্ছা সাজা দিবেন। আল্লাহ্ তা’আলা সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান” (সূরাঃ আল-বাকারা- ২৮৪)। আমরা বললাম, আমাদের কেউ মনে মনে যা কিছু বলে তারও হিসাব গ্রহণ করা হবে। জানি না, তার মধ্যে কতটুকু ক্ষমা করা হবে আর কতটুকু ক্ষমা করা হবে না। তখন পূর্বোক্ত আয়াতের হুকুম বাতিল (মানসূখ) করে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “আল্লাহ্ তা’আলা কারো উপর তার সাধ্যাতীত কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না। সে ভালো যা কামাই করে তা তারই এবং মন্দ যা কামাই করে তাও তারই” (সূরাঃ আল-বাকারা- ২৮৬)।

সনদ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯১

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، وَرَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أُمَيَّةَ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏إِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ‏)‏ وَعَنْ قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ ‏)‏ فَقَالَتْ مَا سَأَلَنِي عَنْهَا أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ هَذِهِ مُعَاتَبَةُ اللَّهِ الْعَبْدَ فِيمَا يُصِيبُهُ مِنَ الْحُمَّى وَالنَّكْبَةِ حَتَّى الْبِضَاعَةُ يَضَعُهَا فِي كُمِّ قَمِيصِهِ فَيَفْقِدُهَا فَيَفْزَعُ لَهَا حَتَّى إِنَّ الْعَبْدَ لَيَخْرُجُ مِنْ ذُنُوبِهِ كَمَا يَخْرُجُ التِّبْرُ الأَحْمَرُ مِنَ الْكِيرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ ‏.‏

উমাইয়্যা নাম্নী রাবী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আইশা (রাঃ)-কে বারকাতময় আল্লাহ্ তা’আলার বাণী “তোমাদের মনে যা আছে তা প্রকাশ কর বা গোপন রাখ, আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের নিকট হতে তার হিসাব গ্রহণ করবেন” (সূরাঃ আল-বাকারা- ২৮৪) এবং “কেউ খারাপ কাজ করলে তার প্রতিদান সে পাবে” (সূরাঃ আন-নিসা- ১২৩) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। আইশা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করার পর হতে এ পর্যন্ত আর কেউ আমার নিকট এ প্রসঙ্গে জানতে চায়নি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ্ তা’আলা জ্বর ও বিভিন্ন বালা মুসিবত দ্বারা বান্দাকে যে সাজা দেন এটা হল তাই। এমনকি যে সামান্য জিনিসপত্র সে তার জামার হাতার মধ্যে রাখে তা হারিয়ে গেলে সে যে অস্থির হয় তাও (তাতেও তার গুনাহ মাফ হয়)। অবশেষে লাল সোনা যেমন হাঁপড় হতে (অগ্নিদগ্ধ হয়ে) নির্মল হয়ে বেরিয়ে আসে তেমনি বান্দাও তার গুনাহসমূহ হতে (পরিচ্ছন্ন হয়ে) মুক্তা হয়ে যায়।

সনদ দুর্বল। আবূ ঈসা বলেনঃ আইশা (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটিকে হাম্মাদ ইবনু সালামার সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে জানি না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُْ ‏:‏ ‏(‏إِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ ‏)‏ قَالَ دَخَلَ قُلُوبَهُمْ مِنْهُ شَيْءٌ لَمْ يَدْخُلْ مِنْ شَيْءٍ فَقَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ قُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ‏”‏ ‏.‏ فَأَلْقَى اللَّهُ الإِيمَانَ فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ‏)‏ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ‏)‏ قَالَ ‏”‏ قَدْ فَعَلْتُ ‏”‏ ‏(‏رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ‏)‏ قَالَ ‏”‏ قَدْ فَعَلْتُ ‏”‏ ‏.‏ ‏(‏رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ‏)‏ الآيَةَ قَالَ ‏”‏ قَدْ فَعَلْتُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَآدَمُ بْنُ سُلَيْمَانَ هُوَ وَالِدُ يَحْيَى بْنِ آدَمَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন “তোমাদের মনে যা আছে তা প্রকাশ কর অথবা গোপন রাখ আল্লাহ তা’আলা তোমাদের নিকট হতে তার হিসাব গ্রহণ করবেন”- (সূরা বাক্বারাহ ২৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন মানুষদের অন্তরে এরূপ একটা জিনিস (আশংকা ও খটকা) সৃষ্টি হয় যা অন্য কিছুতে সৃষ্টি হয়নি। তাই তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ ব্যাপারে জানালেন। তিনি বললেনঃ তোমরা বল “আমরা শুনলাম ও অনুগত্য করলাম”। এতে আল্লাহ তা’আালা তাদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন। তারপর কল্যাণময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন : “রাসূল ঈমান এনেছে তার প্রতি তার প্রভুর পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুমিনগণও…..” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৮৫)। “আল্লাহ তা’আলা কারো উপর তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব্ চাপান না। সে ভালো যা করে তা তারই এবং মন্দ যা করে তাও তারই। হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা অন্যায় করে ফেলি, তবে তুমি আমাদের (অপরাধীরূপে) পাকড়াও করো না” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৮৬)। আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি তা করলাম। “হে আমাদের প্রভু! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না”। আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি ক্ববূল করলাম। “হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন ভার অর্পণ করো না, যা বহনের শক্তি আমাদের নেই। আমাদের গুনাহ মোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের জয়যুক্ত কর” –(সূরা আল –বাক্বারাহঃ ২৮৬)। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমি ক্ববূল করলাম।

সহীহ : মুসলিম (১/৮১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ) হতে অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আদম ইবনু সুলাইমান প্রসঙ্গে কথিত আছে যে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আদমের বাবা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪

সূরা আ –লি ‘ইমরান

২৯৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَهُوَ الْخَزَّازُ وَيَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ يَزِيدُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو عَامِرٍ الْقَاسِمَ قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْعٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ‏)‏ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا رَأَيْتِيهِمْ فَاعْرِفِيهِمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ يَزِيدُ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَاعْرِفُوهُمْ ‏.‏ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে “যাদের অন্তরে সত্য-লঙ্ঘনের প্রবণতা রয়েছে শুধু তারাই ফিতনা সৃষ্টি ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে মুতাশাবিহাত-এর অনুসরণ করে” – (সূরা আলি ইমরান ৭) আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি তাদের দেখলে চিনে রাখবে। অধঃস্তন বর্ণনাকারী ইয়াযীদের বর্ণনায় আছে : তোমরা তাদের দেখলে চিনে রাখবে। তিনি দুই অথবা তিনবার এ কথা বলেছেন।

সহীহ : বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ هَذِهِ الآيَةِ ‏:‏ ‏(‏ هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّاهُمُ اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ عَنْ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَإِنَّمَا ذَكَرَ يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ سَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ أَيْضًا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ আয়াত বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলঃ “তিনিই তোমাদের উপর এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কিছু আয়াত মুহকাম, এগুলো কিতাবের মূল এবং অন্যগুলো মুতাশাবিহাত। যাদের মনে কুটিলতা আছে, তারাই ফিতনা সৃষ্টি এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে মুতাশাবিহাতের অনুসরণ করে …. শুধু বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরাই শিক্ষা গ্রহণ করে” – (সূরা আলি ইমরান ৭)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতসমূহের অনুসারীদের দেখলে অনুধাবন করে নিবে যে, আল্লাহ তা’আলা এদেরই নামোল্লেখ করেছেন। কাজেই তোমরা তাদের পরিহার করবে।

সহীহ : বুখারী (৪৫৭৪), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আইয়ূব (রহঃ) এর বরাতে ইবনু আবূ মুলাইকাহ সূত্রেও আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একই রকম বর্ণনা করেছেন। তারা তাতে “আল –কাসিম ইবনু মুহাম্মদ হতে’ এ কথাটি উল্লেখ করেননি । ইয়াযীদ ইবনু ইবরাহীমই এ হাদীসে “আল –কাসিম ইবনু মুহাম্মদ”-এর নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু আবী মুলাইকাহ হলেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ ইবনু আবী মুলাইকাহ। তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট হতেও হাদীস শুনেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ وُلاَةً مِنَ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ وَلِيِّيَ أَبِي وَخَلِيلُ رَبِّي ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏:‏ ‏(‏إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ ‏)‏‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নাবীগণের মধ্য হতে প্রত্যেক নাবীরই কিছু সংখ্যক বন্ধু থাকেন। আমার বন্ধু হচ্ছেন আমার বাবা ও আমার প্রতিপালকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু [ইবরাহীম (‘আঃ)]। তারপর তিনি পাঠ করলেন : “মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহীমের ঘনিষ্ঠতর যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী ও যারা ঈমান এনেছে তারা। আর আল্লাহ তা’আলা মু’মিনদের অভিভাবক” – (সূরা আল –ইমরান ৬৮)।

সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (৫৭৬৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

মাহমূদ-আবূ নু’আইম হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূয যুহা হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে মাসরূক্বের উল্লেখ নেই। আবূ ‘ঈসা বলেন, এটি আবুয যুহা-মাসরূক্ব সূত্রে বর্ণিত হাদীসের চাইতে অনেক বেশি সহীহ। আবুয যুহার নাম মুসলিম ইবনু সুবাইহ। আবূ কূরাইব-ওয়াকী হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবুয যুহা হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে আবূ নু’আইমের হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রেও মাসরূক্বের উল্লেখ নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৬

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فِيَّ وَاللَّهِ كَانَ ذَلِكَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ أَرْضٌ فَجَحَدَنِي فَقَدَّمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلَكَ بَيِّنَةٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لاَ ‏.‏ فَقَالَ لِلْيَهُودِيِّ ‏”‏ احْلِفْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذًا يَحْلِفَ فَيَذْهَبَ بِمَالِي فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى‏:‏ ‏(‏ إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের মাল-সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা শপথ করবে, সে আল্লাহ তা’আলার সাথে এরূপ অবস্থায় মিলিত হবে যে, তিনি তার প্রতি অসন্তুষ্ট। আশ’আস ইবনু কাইস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! এ হাদীস আমার সাথে সংশ্লিষ্ট। আমার ও এক ইয়াহূদীর এক খন্ড শরীকানা জমি ছিল। সে আমার মালিকানা অস্বীকার করে বসে। আমি তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হাযির করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তোমার কি কোন সাক্ষী প্রমাণ আছে? আমি বললাম, না। তিনি ইয়াহূদীকে বললেনঃ তুমি শপথ কর। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে এভাবে (মিথ্যা) শপথ করে তো আমার মাল নিয়ে যাবে। তখন বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) : “যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে আখিরাতে তাদের জন্যে কোন অংশ নেই। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা না তাদের সাথে কথা বলবেন, না তাদের প্রতি তাকাবেন এবং না তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন। তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি” – (সূরা আ-লি ইমরান ৭৭)।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (২৩২৩), বুখারী (৪৫৫০), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু আবী আওফা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ‏)‏ أَوْ ‏:‏ ‏(‏مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ‏)‏ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ وَكَانَ لَهُ حِائِطٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَائِطِي لِلَّهِ وَلَوِ اسْتَطَعْتُ أَنْ أُسِرَّهُ لَمْ أُعْلِنْهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اجْعَلْهُ فِي قَرَابَتِكَ أَوْ أَقْرَبِيكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “তোমরা যা ভালোবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্যলাভ করবে না” – (সূরা আ-লি ইমরান ৯২) অথবা “কে সে ব্যক্তি যে আল্লাহ তা’আলাকে উত্তম ঋণ প্রদান করবে? তিনি তার জন্য তা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন” – (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৪৫) আয়াত অবতীর্ণ হলে আবূ তালহা (রাঃ), যার একটি ফলের বাগান ছিল, বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার বাগানটি আল্লাহ তা’আলার পথে দান করে দিলাম। আমি গোপনে এটি দান করতে পারলে এর প্রকাশ্য ঘোষণা দিতাম না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তা বন্টন করে দাও।

সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (১৪৮২), বুখারী (৪৫৫৪), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) ইসহাক্ব ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবী তালহা হতে, তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيَّ، يُحَدِّثُ عَنِ ابَنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنِ الْحَاجُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الشَّعِثُ التَّفِلُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ ‏”‏ الْعَجُّ وَالثَّجُّ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ مَا السَّبِيلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ الْخُوزِيِّ الْمَكِّيِّ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! (উত্তম) হাজ্জী কে? তিনি বলেনঃ যার মাথার চুল অগোছাল ও জামা কাপড় ধুলি-মলিন হয়েছে। অপর ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! উত্তম হাজ্জ কি? তিনি বললেনঃ উচ্চস্বরে (তালবিয়া) পাঠ ও রক্ত প্রবাহিত (কুরবানী) করা। অপর ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ‘সাবীল’ (রাস্তা) বলতে কি বুঝায়? তিনি বললেনঃ পাথেয় ও যানবাহন।

অত্যন্ত দুর্বল, “আল-আজ্জু ওয়াস্‌সাজ্জু” “উচ্চ স্বরে তালবিয়া পাঠ ও রক্ত প্রবাহিত করা” এই অংশটুকু সহীহ। ইবনু মাজাহ (২৮৯৬),

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি আমরা শুধু ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ আল-খূযী আল-মক্কীর সূত্রে ইবনু উমার হতে জেনেছি। বিশেষজ্ঞ আলিমগণের কেউ কেউ ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদের স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২৯৯৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، هُوَ مَدَنِيٌّ ثِقَةٌ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏ نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ ‏)‏ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏

সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্বক্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “আসো, আমরা ডাকি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে, আমাদেরর নিজেদেরকে ও তোমাদের নিজেদেরকে ….” – (সূরা আ-লি ইমরান ৬১) আয়াত অবতীর্ণ হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা ও হাসান-হুসাইন (রাঃ) কে ডাকলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিজন।

সনদ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، وَحَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، قَالَ رَأَى أَبُو أُمَامَةَ رُءُوسًا مَنْصُوبَةً عَلَى دَرَجِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَقَالَ أَبُو أُمَامَةَ ‏”‏ كِلاَبُ النَّارِ شَرُّ قَتْلَى تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ خَيْرُ قَتْلَى مَنْ قَتَلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏:‏ ‏(‏ يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ قُلْتُ لأَبِي أُمَامَةَ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا أَوْ أَرْبَعًا حَتَّى عَدَّ سَبْعًا مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو غَالِبٍ يُقَالُ اسْمُهُ حَزَوَّرُ وَأَبُو أُمَامَةَ الْبَاهِلِيُّ اسْمُهُ صُدَىُّ بْنُ عَجْلاَنَ وَهُوَ سَيِّدُ بَاهِلَةَ ‏.‏

আবূ গালিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ উমামা (রাঃ) দামিশকের সিঁড়ির উপর (খারিজীদের) কতগুলো মুন্ড পড়ে থাকতে দেখলেন। আবূ উমামা (রাঃ) বললেন, এগুলো জাহান্নামের কুকুর এবং আসমানের চামড়ার (ছাদের) নিচে নিকৃষ্টতম নিহত এরা। আর এরা যাদেরকে হত্যা করেছে তারা উত্তম লোক। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন (অনুবাদ) : “সেদিন কিছু মুখ উজ্জল হবে এবং কিছু মুখ কালো হবে। যাদের মুখ কালো হবে তাদের বলা হবে, তোমরা ঈমান আনার পরও কি কুফরী করেছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১০৬)। আবূ গালিব (রহঃ) বলেন, আমি আবূ উমামাহ (রাঃ) কে বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এটা শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি যদি এটা এক, দুই, তিন, চার, এমনকি সাতবার পর্যন্ত না শুনতাম, তাহলে তোমাদের নিকট তা বর্ণনা করতাম না।

হাসান সহীহ : ইবনু মাজাহ (১৭৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবূ গালিবের নাম হাযাওওয়ার এবং আবূ উমামা আল- বাহিলী (রাঃ) এর নাম সুদাই ইবনু আজলান, তিনি বাহিলা গোত্রের নেতা।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০০১

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ‏)‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ تُتِمُّونَ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ خَيْرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ نَحْوَ هَذَا وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ ‏(‏ كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ‏)‏ ‏.‏

বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মাত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে” – (সূরা আল- ইমরান ১১০) আয়াত প্রসঙ্গে বলতে শুনেছেন : অবশ্যই তোমরাই দুনিয়াতে সত্তর (৭০) সংখ্যা পূর্ণকারী দল। তোমরাই আল্লাহ তা’আলার নিকট সর্বোত্তম ও মর্যাদা সম্পন্ন।

হাসান : ইবনু মাজাহ (৪২৮৭)।

আবূ ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি একাধিক বর্ণনাকারী বাহ্‌য ইবনু হাকীম (রহঃ) হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মাত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে” আয়াতের উল্লেখ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ وَجْهُهُ شَجَّةً فِي جَبْهَتِهِ حَتَّى سَالَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِهِ فَقَالَ ‏”‏ كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ ‏)‏ إِلَى آخِرِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উহূদের যুদ্ধের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনের মাড়ির দাঁত ভেঙ্গে যায়। তাঁর চেহারা যখম হয়, এমনকি কপালে যখম হওয়ার কারণে মুখমন্ডলে রক্ত ঝড়ে পড়ে। তখন তিনি বললেনঃ কিভাবে ঐ জাতি সফলকাম হবে, যারা তাদের নাবীর সাথে এহেন আচরণ করেছে, অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার পথে আহবান করেছেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই। কারণ তারা যালিম” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১২৮)।

সহীহ : মুসলিম (৫/১৭৯), বুখারী মু’আল্লাকরূপে (৭/৩৬৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شُجَّ فِي وَجْهِهِ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ وَرُمِيَ رَمْيَةً عَلَى كَتِفِهِ فَجَعَلَ الدَّمُ يَسِيلُ عَلَى وَجْهِهِ وَهُوَ يَمْسَحُهُ وَيَقُولُ ‏”‏ كَيْفَ تُفْلِحُ أُمَّةٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ ‏)‏ ‏.‏ سَمِعْتُ عَبْدَ بْنَ حُمَيْدٍ يَقُولُ غَلِطَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ فِي هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(উহূদের দিন) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখমন্ডল আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তাঁর সামনের মাড়ির দাঁত ভেঙ্গে যায়। তাঁর কাঁধের উপর একটি তীর নিক্ষিপ্ত হয়। ফলে তাঁর মুখমন্ডল বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকলে তিনি তা মুছে ফেলছিলেন এবং বলছিলেন : সেই জাতি কিভাবে নাজাত পেতে পারে, যারা তাদের নাবীর সাথে এহেন নির্মম আচরণ করে, অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার দিকে আহবান করছেন। তখনি বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) : “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই। কারণ তারা যালিম” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১২৮)।

সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আমি ‘আবদ ইবনু হুমাইদকে বলতে শুনেছি, এই হাদীস বর্ণনায় ইয়াযীদ ইবনু হারূন ভুলের শিকার হয়েছেন। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৪

حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ بْنِ سَلْمٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ ‏”‏ اللَّهُمَّ الْعَنْ أَبَا سُفْيَانَ اللَّهُمَّ الْعَنِ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ الْعَنْ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ ‏)‏ فَتَابَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَأَسْلَمُوا فَحَسُنَ إِسْلاَمُهُمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ لَمْ يَعْرِفْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ وَعَرَفَهُ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উহূদের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “হে আল্লাহ! আবূ সুফইয়ানের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ! আল –হারিস ইবনু হিশামের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ! সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যার প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন”। বর্ণনাকারী বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই….” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১২৮)। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদের তাওবাহ ক্ববূল করেন এবং তারা ইসলাম গ্রহণ করে উত্তম মুসলিম হন।

সহীহ : বুখারী (৪০৬৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ‘উমার ইবনু হামযা কর্তৃক সালিম (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটিকে গারীব গণ্য করা হয়। যুহরী ও সালিম হতে, তার পিতার সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল (আল -বুখারী) এটি উমার ইবনু হামযাহ কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হিসেবে অবহিত নন। তিনি এটি যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হিসেবে অবহিত আছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو عَلَى أَرْبَعَةِ نَفَرٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ ‏)‏ فَهَدَاهُمُ اللَّهُ لِلإِسْلاَمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ يُسْتَغْرَبُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَرَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, চারজন ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদদু’আ করছিলেন। এ সম্পর্কেই বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন : “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই। কারণ তারা যালিম” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১২৮)। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক্ব দান করেছিলেন।

হাসান সহীহ : বুখারী (৪০৬৯, ৪০৭০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। এটিকে নাফি’ (রহঃ) কর্তৃক ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে ‘গারীব’ গণ্য করা হয়। এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ূবও ইবনু আজলানের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০০৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ إِنِّي كُنْتُ رَجُلاً إِذَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا نَفَعَنِي اللَّهُ مِنْهُ بِمَا شَاءَ أَنْ يَنْفَعَنِي وَإِذَا حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ اسْتَحْلَفْتُهُ فَإِذَا حَلَفَ لِي صَدَّقْتُهُ وَإِنَّهُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ وَصَدَقَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَقُومُ فَيَتَطَهَّرُ ثُمَّ يُصَلِّي ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ إِلاَّ غَفَرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَرَفَعُوهُ وَرَوَاهُ مِسْعَرٌ وَسُفْيَانُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَلَمْ يَرْفَعَاهُ وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مِسْعَرٍ فَأَوْقَفَهُ وَرَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَأَوْقَفَهُ وَلاَ نَعْرِفُ لأَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ حَدِيثًا إِلاَّ هَذَا ‏.

আসমা ইবনুল হাকাম আল ফাযারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি : আমি এমন লোক ছিলাম যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট কোন হাদীস শুনলে আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় আমি তার দ্বারা প্রভূত উপকৃত হতাম। আর আমার নিকট তাঁর কোন সাহাবী হাদীস বর্ণনা করলে আমি তাকে শপথ করতে বলতাম। আমার কথায় তিনি শপথ করলে, আমি তার সত্যতা স্বীকার করতাম। অতএব আবূ বাকর (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। বলা বাহুল্য, আবূ বাকর (রাঃ) সত্য কথাই বলেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : কোন লোক যদি গুনাহ করার পর পবিত্রতা অর্জন করে নামায আদায় করে, তারপর আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করে তবে তাকে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই ক্ষমা করে দেন। তারপর তিনি এ আয়াত পড়েন (অনুবাদ) : “যাদের অবস্থা এমন যে, তারা কখনো অশ্লীল কর্ম করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে পরে আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করে (তাদেরকে ক্ষমা করা হয়)। আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কে গুনাহ মাফ করতে পারে? আর তারা যা করে ফেলেছে জ্ঞাতসারে তার পুনরাবৃত্তি করে না”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৩৫)।

হাসান : ইবনু মাজাহ (১৩৯৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি ‘উসমান ইবনুল মুগীরাহ (রহঃ) এর সূত্রে শু’বাহ প্রমুখ বর্ণনাকারীগণ মারফূ’রূপে বর্ণনা করেছেন। মিস’আর ও সুফইয়ানও ‘উসমান ইবনুল মুগীরার সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেছেন, তবে মারফূ হিসেবে নয়। কিছু বর্ণনাকারী এই হাদীসটি মিস’আর হতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, আর কিছু বর্ণনাকারী মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান সাওরী তা ‘উসমান ইবনুল মুগীরাহ হতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উক্ত হাদীস ব্যতীত আসমা ইবনুল হাকাম কর্তৃক বর্ণিত আর কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ رَفَعْتُ رَأْسِي يَوْمَ أُحُدٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ وَمَا مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ إِلاَّ يَمِيدُ تَحْتَ حَجَفَتِهِ مِنَ النُّعَاسِ فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلََّّ ‏:‏ ‏(‏فَأَنْزَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِ الْغَمِّ أَمَنَةً نُعَاسًا ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) হতে আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উহুদের দিন আমি মাথা তুলে তাকিয়ে দেখলাম, সকলে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নিজ নিজ ঢালের নিচে ঢলে পড়েছেন। আল্লাহ তা’আলার নিম্নোক্ত বাণীর তাৎপর্য তাই : “দুঃখ-কষ্টের পর আবার আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তন্দ্রারূপে প্রশান্তি দান করলেন”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৫৪)।

সনদ সহীহ।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদ ইবনু হুমাইদ-রাওহ ইবনু ‘উবাদাহ হতে, তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে, তিনি হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবুয যুবাইর (রহঃ) হতেও উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৮

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ، قَالَ غُشِينَا وَنَحْنُ فِي مَصَافِّنَا يَوْمَ أُحُدٍ حَدَّثَ أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ غَشِيَهُ النُّعَاسُ يَوْمَئِذٍ قَالَ فَجَعَلَ سَيْفِي يَسْقُطُ مِنْ يَدِي وَآخُذُهُ وَيَسْقُطُ مِنْ يَدِي وَآخُذُهُ وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى الْمُنَافِقُونَ لَيْسَ لَهُمْ هَمٌّ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ أَجْبَنُ قَوْمٍ وَأَرْعَبُهُ وَأَخْذَلُهُ لِلْحَقِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তালহা (রাঃ) বলেন, উহূদের যুদ্ধের দিন যুদ্ধের কাতারে আমরা তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তিনি বলেন, আমিও সেদিন তন্দ্রাচ্ছন্ন লোকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম। ফলে বারবার আমার তরবারি আমার হাত হতে পড়ে যাচ্ছিল আর আমি তা তুলে নিচ্ছিলাম। আবার পড়ে যাচ্ছিল আবার তুলে নিচ্ছিলাম। অপর দলটি ছিল মুনাফিক্বদের। তাদের নিজ জানের চিন্তা ব্যতীত আর কোন চিন্তাই ছিল না। এরা ছিল সবচেয়ে কাপুরুষ ও ভীরু এবং সত্যের সাহায্য ত্যাগকারী।

সহীহ : বুখারী (৪০৮৬, ৪৫৬২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، حَدَّثَنَا مِقْسَمٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ‏)‏ فِي قَطِيفَةٍ حَمْرَاءَ افْتُقِدَتْ يَوْمَ بَدْرٍ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَعَلَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رَوَى عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ خُصَيْفٍ نَحْوَ هَذَا وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خُصَيْفٍ عَنْ مِقْسَمٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“অন্যায়ভাবে কোন বস্তু আত্মসাৎ করা কোন নাবীর কাজ হতে পারে না”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৬১) আয়াত বাদর যুদ্ধকালে হারিয়ে যাওয়া একটি লাল চাদর প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। কেউ কেউ বলল যে, হয়ত তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গেই বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন “খিয়ানাত (আত্মসাৎ) করা কোন নাবীর কাজ হতে পারে না। আর যে ব্যক্তি খিয়ানাত করবে, কিয়ামাতের দিন সে তার খিয়ানাতসহ হাযির হবে। তারপর প্রত্যেক ব্যক্তিই তার কৃতকর্মের পুরাপুরি প্রতিফল লাভ করবে। কারো প্রতি যুলুম করা হবে না”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৬১)।

সহীহ : সহীহাহ (২৭৮৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ‘আবদুস সালাম ইবনু হারব (রহঃ) খুসাইফির সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ খুসাইফ হতে, তিনি মিক্বসাম হতে এই সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তাতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)- এর উল্লেখ করেননি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ‏”‏ يَا جَابِرُ مَا لِي أَرَاكَ مُنْكَسِرًا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتُشْهِدَ أَبِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ عِيَالاً وَدَيْنًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَلاَ أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِيَ اللَّهُ بِهِ أَبَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَأَحْيَا أَبَاكَ فَكَلَّمَهُ كِفَاحًا فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ ‏.‏ قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلَ فِيكَ ثَانِيةً ‏.‏ قَالَ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّهُ قَدْ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يُرْجَعُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ هَكَذَا عَنْ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ جَابِرٍ شَيْئًا مِنْ هَذَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির ! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহূদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেননি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তাকে তিনি বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব। সে বলল, হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবনদান করুন, যাতে আমি আবার আপনার রাহে নিহত হতে পারি। বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় : “যারা আল্লাহ তা’আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৬৯)।

হাসান : ইবনু মা-জাহ (১৯০, ২৮০০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপরোক্ত সনদসূত্রে হাসান গারীব। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আক্বীল (রহঃ) জাবির (রাঃ) এর সূত্রে এ হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন। এটিকে আমরা মূসা ইবনু ইবরাহীমের সূত্রে জেনেছি। ‘আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল মাদীনী সহ অপরাপর হাদীসবিদগণ মূসা ইবনু ইবরাহীমের সূত্রে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১১

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ ‏)‏ فَقَالَ أَمَا إِنَّا قَدْ سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرْنَا أَنَّ أَرْوَاحَهُمْ فِي طَيْرٍ خُضْرٍ تَسْرَحُ فِي الْجَنَّةِ حَيْثُ شَاءَتْ وَتَأْوِي إِلَى قَنَادِيلَ مُعَلَّقَةٍ بِالْعَرْشِ فَاطَّلَعَ إِلَيْهِمْ رَبُّكَ اطِّلاَعَةً فَقَالَ هَلْ تَسْتَزِيدُونَ شَيْئًا فَأَزِيدُكُمْ قَالُوا رَبَّنَا وَمَا نَسْتَزِيدُ وَنَحْنُ فِي الْجَنَّةِ نَسْرَحُ حَيْثُ شِئْنَا ثُمَّ اطَّلَعَ إِلَيْهِمُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ هَلْ تَسْتَزِيدُونَ شَيْئًا فَأَزِيدُكُمْ فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّهُمْ لَمْ يُتْرَكُوا قَالُوا تُعِيدُ أَرْوَاحَنَا فِي أَجْسَادِنَا حَتَّى نَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا فَنُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ مَرَّةً أُخْرَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নিম্নোক্ত আয়াত বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হল (অনুবাদ) : “যারা আল্লাহ তা’আলার পথে নিহত হয়েছে তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে রিযিকপ্রাপ্ত”- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৬৯)। তিনি বললেন, আমরাও অবশ্যি এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলাম। আমাদেরকে অবহিত করা হয় যে, জান্নাতের মধ্যে তাদের রূহগুলো সবুজ পাখির আকারে যথা ইচ্ছা ঘুরে বেড়ায়, আরশের সাথে ঝুলানো ঝারবাতিসমূহে (বসে) আরাম করে। একবার তোমার প্রভু তাদের প্রতি উকি দিয়ে প্রশ্ন করেন : তোমরা আরো কিছু চাও কি? তাহলে আমি তোমাদের আরো বাড়িয়ে দিব। তারা বলল, হে আমাদের প্রভু! আমরা এর চাইতে বেশি আর কি চাইব। আমরা জান্নাতের মধ্যে যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াচ্ছি। আল্লাহ তা’আলা আবার উঁকি দিয়ে বলেনঃ তোমাদের আরো কিছু চাওয়ার আছে কি, তাহলে আমি আরো বাড়িয়ে দিব। যখন তারা দেখলো যে, কিছু চাওয়া ব্যতীত তাদের রেহাই নেই তখন তারা বলল, আপনি আমাদের দেহে প্রাণ সঞ্চার করে দিন যাতে আমরা আবার দুনিয়ায় ফিরে যেতে পারি এবং আবার আপনার পথে পুনরায় শহীদ হতে পারি।

সহীহ : ইবনু মাজাহ (২৮০১), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي رَاشِدٍ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَعْيَنَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَا مِنْ رَجُلٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاةَ مَالِهِ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي عُنُقِهِ شُجَاعًا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏:‏ ‏(‏وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ وَقَالَ مَرَّةً قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ ‏:‏ ‏(‏سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏)‏ ‏”‏ وَمَنِ اقْتَطَعَ مَالَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ بِيَمِينٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ ‏:‏ ‏(‏إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَعْنِي حَيَّةً ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে লোক তার সম্পদে যাকাত প্রদান করে না, আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামাতের দিন তার (মালকে তার) ঘাড়ে বিষধর অজগর সাপরূপে স্থাপন করবেন। তারপর তিনি এই কথার সত্যতা প্রমাণে আল্লাহ তা’আলার কিতাবের এ আয়াত আমাদেরকে শুনান (অনুবাদ) : “তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা নিজ অনু্গ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তারা যেন মনে না করে যে, এটা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। না, এটা তাদের পক্ষে অকল্যাণকর। যাতে তারা কৃপণতা করে ক্বিয়ামাতের দিন তাই তাদের গলার বেড়ি হবে। আসমান ও যমীনের স্বত্বাধিকার একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য। তোমরা যা কর আল্লাহ তা’আলা তা বিশেষভাবে অবহিত” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৮০)। বর্ণনাকারী কখনো বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সমর্থনে এ আয়াতাংশ পাঠ করেন (অনুবাদ) : “যাতে তারা কৃপণতা করে ক্বিয়ামাতের দিন তা তাদের গলায় বেড়ী হবে”। তিনি আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে তার মুসলিম ভাইয়ের মাল আত্মসাৎ করে, সে আল্লাহ তা’আলার সাথে এরূপ অবস্থায় মিলিত হবে যে, আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট। এর সত্যতার সমর্থনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার কিতাবের এ আয়াত পাঠ করেন (অনুবাদ) : “যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথসমূহকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রয় করে, পরকালে তাদের জন্য কোন অংশ নেই। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা না তাদের সাথে কথা বলবেন, না তাদের প্রতি তাকাবেন, আর না তাদেরকে পবিত্র করবেন। তাদের জন্য রয়েছে উৎপীড়ক শাস্তি” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৭৭)।

সহীহ : মুশকিলাতুল ফাকর (৬০), তালীকুর রাগীব (১/৬৮) হাদীসের ২য় অংশ বুখারী (৭৪৪৫), মুসলিম (১/৮৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। “শুজা’আন আকরাআ” অর্থ সাপ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ مَوْضِعَ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ لَخَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏:‏ ‏(‏فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الْغُرُورِ ‏)‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি চাবুক রাখার সমপরিমাণ জান্নাতের জায়গা সমগ্র পৃথিবী ও তার মধ্যকার সব কিছুর চাইতে উত্তম। তোমরা চাইলে এ আয়াত পাঠ করতে পারো (অনুবাদ) : “(কিয়ামাতের দিন) যাকে আগুন হতে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে দাখিল করানো হবে সেই সফলকাম। বস্তুত পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৮৫)

হাসান : সহীহাহ (১৯৮৭), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৪

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ قَالَ اذْهَبْ يَا رَافِعُ لِبَوَّابِهِ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْ لَهُ لَئِنْ كَانَ كُلُّ امْرِئٍ فَرِحَ بِمَا أُوتِيَ وَأَحَبَّ أَنْ يُحْمَدَ بِمَا لَمْ يَفْعَلْ مُعَذَّبًا لَنُعَذَّبَنَّ أَجْمَعُونَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَا لَكُمْ وَلِهَذِهِ الآيَةِ إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ فِي أَهْلِ الْكِتَابِ ثُمَّ تَلاَ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏:‏ ‏(‏ وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلاَ تَكْتُمُونَهُ ‏)‏ وَتَلاَ ‏:‏ ‏(‏لَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَفْرَحُونَ بِمَا أَتَوْا وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا ‏)‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَأَلَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَيْءٍ فَكَتَمُوهُ وَأَخْبَرُوهُ بِغَيْرِهِ فَخَرَجُوا وَقَدْ أَرَوْهُ أَنْ قَدْ أَخْبَرُوهُ بِمَا قَدْ سَأَلَهُمْ عَنْهُ وَاسْتُحْمِدُوا بِذَلِكَ إِلَيْهِ وَفَرِحُوا بِمَا أُوتُوا مِنْ كِتْمَانِهِمْ وَمَا سَأَلَهُمْ عَنْهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.

হুমাইদ ইবনু ‘আবদুর রাহমান ‘ইবনু ‘আওফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মারওয়ান ইবনুল হাকাম তার দ্বাররক্ষীকে বললেন, হে আবূ রাফি’! ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকট যাও এবং তাকে বল, যে লোক তার প্রাপ্তীর জন্য খুশী হয় এবং কোন কাজ না করেও তার জন্য প্রশংসা কুড়াতে চায় সে শাস্তিযোগ্য হলে তো আমরা সকলেই শাস্তিযোগ্য হব। ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এ আয়াতের সাথে তোমাদের কি সম্পর্ক, এ আয়াত তো কিতাবধারীদের প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ) তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ), “যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল আল্লাহ তা’আলা তাদের নিকট হতে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন : তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না। এরপরও তারা তা অগ্রাহ্য করে এবং তুচ্ছ মূল্যে তা বিক্রয় করে। সুতরাং তারা যা ক্রয় করে তা কত নিকৃষ্ট” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৮৭)। তিনি আরো তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “তুমি কখনো এরূপ ধারণা করো না যে, যেসব লোক স্বয়ং যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং স্বয়ং যা করেনি এমন কাজের জন্য প্রশংসিত হতে ভালোবাসে তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে, বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি” – (সূরা আ-লি ‘ইমরান ১৮৮)। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের (আহলে কিতাব) নিকট কোন বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তা গোপন করে তার বিপরীত তথ্য তাঁকে অবহিত করে চলে যায়। তারা তাকে এ ধারণা দেয় যে, তিনি যে বিষয়ে তাদের নিকট জানতে চেয়েছেন তারা তাই তাঁকে জানিয়েছেন। বিনিময়ে তারা তাঁর নিকট হতে প্রশংসা কামনা করে এবং তাদের কিতাব হতে তথ্য প্রদানের বিষয়টি ও তাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জানতে চাওয়ার বিষয়টিতে সত্য গোপন করে তারা আনন্দ বোধ করে।

সহীহ : বুখারী (৪৫৬৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস