তিরমিজি শিষ্টাচার অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৭৩৬ – ২৮১০

অনুচ্ছেদ-১

হাঁচিদাতার জবাব দেয়া

২৭৩৬

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ بِالْمَعْرُوفِ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَتْبَعُ جَنَازَتَهُ إِذَا مَاتَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أَيُّوبَ وَالْبَرَاءِ وَأَبِي مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُهُمْ فِي الْحَارِثِ الأَعْوَرِ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক মুসলমানের সাথে অন্য মুসলমানের ছয়টি সদ্ব্যবহারের বিষয় আছেঃ (১) তার সাথে দেখা হলে তাকে সালাম করবে, (২) সে কোন ব্যাপারে আহ্বান করলে তাতে সাড়া দিবে, (৩) সে হাঁচি দিলে উত্তর দিবে (তার আলহামদুলিল্লাহ্‌র উত্তরে বলবে ইয়ারহামুকাল্লাহ), (৪) সে রোগাক্রান্ত হলে তাকে দেখতে যাবে, (৫) সে ইন্তেকাল করলে তার জানাযায় শারীক হবে এবং (৬) নিজের জন্য যা ভালোবাসবে পরের জন্যও তাই ভালোবাসবে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৪৩৩), এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা, আবূ আইয়ূব, বরাআ ও আবূ মাসঊদ (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। অন্য সূত্রেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদিস বর্ণিত আছে। কেউ কেউ আল-হারিস আল-আওয়াবের সমালোচনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৩৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ ثِقَةٌ رَوَى عَنْهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ وَابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক মু’মিনের জন্য আরেক মু’মিনের উপর ছয়টি দায়িত্ব রয়েছেঃ (১) সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাবে , (২) মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত হবে , (৩) ডাকলে তাতে সাড়া দিবে ,(৪) তার সাথে দেখা হলে তাকে সালাম করবে (৫) সে হাঁচি দিলে তার জবাব দিবে এবং (৬) তার অনুপস্হিতিতে কিংবা উপস্থিতি সকল অবস্হায় তার শুভ কামনা করবে।

সহীহঃ সহীহাহ (৮৩২) , মুসলিম অনুরুপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ । মুহাম্মাদ ইবনু মুসা আল-মাখযুমী আল-মাদানী নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী । ‘আবদুল আযীয ইবনু মুহাম্মাদ ও ইবনু আবী-ফুদাইক তার সুত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২

হাঁচি দিলে হাঁচিদাতা যা বলবে

২৭৩৮

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَضْرَمِيٌّ، مَوْلَى آلِ الْجَارُودِ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ رَجُلاً، عَطَسَ إِلَى جَنْبِ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَأَنَا أَقُولُ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ وَلَيْسَ هَكَذَا عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَنَا أَنْ نَقُولَ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زِيَادِ بْنِ الرَّبِيعِ ‏.‏

নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক ব্যক্তি ইবনু ‘উমর (রাঃ)এর পাশে হাঁচি দিয়ে বলল, “আলহামদু লিল্লাহি ওয়াসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ”। ইবনু ‘উমর (রাঃ) বললেন, আমিও তো বলি, “আলহামদু লিল্লাহ ওয়াসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ” (সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য নিবেদিত এবং তাঁর রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। কিন্তু রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাদেরকে এ রকম বলতে শিখাননি , বরং তিনি আমাদেরকে “ আলহামদু লিল্লাহ আলা কুল্লি হাল “ (সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা) বলতে শিখিয়েছেন।

হাসানঃ মিশকাত (৪৭৪৪) ইরওয়াহ (৩/২৪৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব । আমরা এ হাদিসটি শুধুমাত্র যিয়াদ ইবনুর রাবী’র সুত্রেই জেনেছি ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩

হাঁচিদাতার জবাবে যা বলতে হবে

২৭৩৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ دَيْلَمَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كَانَ الْيَهُودُ يَتَعَاطَسُونَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْجُونَ أَنْ يَقُولَ لَهُمْ يَرْحَمُكُمُ اللَّهُ ‏.‏ فَيَقُولُ ‏ “‏ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي أَيُّوبَ وَسَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহুদীগন রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে হাঁচি দিত এবং আশা করত যে, তিনি তাদের জন্য হাঁচির জবাবে বলবেনঃ ইয়ারহামুকুল্লাহ “। কিন্তু তিনি বলতেনঃ” ইয়াহদীকুমুলাহ ওয়াইউসলিহু বা-লাকুম (আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে হিদায়াত করুন এবং তোমাদের অবস্থার সংশোধন করুন)।

সহীহঃ মিশকাত (৪৭৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

‘আলী আবূ আইয়ূব , সালিম ইবনু ‘উবায়দ , ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত রয়েছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৪০

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ الْقَوْمِ فِي سَفَرٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ‏.‏ فَقَالَ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ فَكَأَنَّ الرَّجُلَ وَجِدَ فِي نَفْسِهِ فَقَالَ أَمَا إِنِّي لَمْ أَقُلْ إِلاَّ مَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَطَسَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ يَرُدُّ عَلَيْهِ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَقُلْ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ اخْتَلَفُوا فِي رِوَايَتِهِ عَنْ مَنْصُورٍ وَقَدْ أَدْخَلُوا بَيْنَ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ وَسَالِمٍ رَجُلاً ‏.‏

সালিম ইবনু উবাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদল লোকের সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলেন। তাদের একজন হাঁচি দিয়ে বলল, আসসালামু আলাইকুম। একথা শুনে সালিম বললেন, আলাইকা ওয়া আলা উম্মিকা (তোমার উপর ও তোমার মায়ের উপর শান্তি বৰ্ষিত হোক)। এ উত্তরে মনে হল যেন সে অসন্তুষ্ট হয়েছে। সুতরাং তিনি বললেন, এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন, আমি তো তাই বললাম জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে হাঁচি দিয়ে বলেছিল, আসসালামু আলাইকুম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেনঃ আলাইকা ওয়া আলা উষ্মিকা। কাজেই তোমাদের কেউ যেন হাঁচি দিয়ে বলে, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। আর যে ব্যক্তি তার জবাব দিবে সে যেন বলে, ইয়ারহামুকাল্লাহ (আল্লাহ তা’আলা আপনাকে রহম করুন)। হাঁচিদাতা আবার বলবে, ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম (আল্লাহ আমাদেরকে ও আপনাদেরকে মাফ করুন)।

যঈফ, ইরওয়া (৩/২৪৬, ২৪৭), মিশকাত তাহকীক ছানী (৪৭৪১), আবূ ঈসা বলেন, মানসূর হতে এ হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে রাবীগণ মতের অমিল করেছেন। তারা হিলাল ইবনু ইসাফ ও সালিম (রহঃ)-এর মাঝখানে আরো এক ব্যক্তির উল্লেখ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৪১

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلْيَقُلِ الَّذِي يَرُدُّ عَلَيْهِ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَقُلْ هُوَ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবু আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কেউ যখন হাঁচি দিবে তখন সে যেন বলে, আল-হামদু লিল্লাহ আলা কুল্লি হাল। উত্তরদাতা বলবে , ইয়ারহামুকাল্লাহ। হাঁচিদাতা আবার বলবে , ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়াইউসলিহু বা-লাকুম।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না –মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি শু’বাহ হতে , তিনি আবু লাইলা (রহঃ) হতে এই সনদসুত্রে উপরের হাদীসের একি রকম হাদীস বর্ণিত হয়েছে। শু’বাহও এ হাদিসটি ইবনু আবূ লাইলার সুত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ ইবনু আবী লাইলা এই হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে ইযতিরাব করেছেন । কখনো বলেছেনঃ আবূ আইয়ূব নাবী (সাল্লালাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্রে বর্ণিত । কখনো বলেছেনঃ আবু আইয়ূব নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হতে, আবার কখনো বলেছেন, ‘আলী (রাঃ)–রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুত্রে বর্ণিত । মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া আস-সাকাফী আল-মারওয়াযী তারা উভয়ে ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ আল-কাত্তান হতে, তিনি ইবনু আবী লাইলা হতে, তিনি তার ভাই ‘ঈসা হতে , তিনি ‘আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা হতে, তিনি ‘আলী (রাঃ) হতে, তিনি রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সুত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪

হাঁচিদাতা আল-হামদু লিল্লাহ বললে তার জবাব দেয়া কর্তব্য

২৭৪২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، عَطَسَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَلَمْ يُشَمِّتِ الآخَرَ فَقَالَ الَّذِي لَمْ يُشَمِّتْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ شَمَّتَّ هَذَا وَلَمْ تُشَمِّتْنِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَإِنَّكَ لَمْ تَحْمَدِ اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দু’জন লোক হাঁচি দিলো। তিনি তাদের একজনের হাঁচির জবাবে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বললেন, কিন্তু অন্যজনের জবাব দিলেন না। তিনি যার হাঁচির জবাব দেননি সে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি তার হাঁচির জবাব দিলেন কিন্তু আমার হাঁচির জবাব দেননি। রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে তো (আল-হামদু লিল্লাহ বলে) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছে, কিন্তু তুমি তো “আল-হামদু লিল্লাহ “ বলনি।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। হাদিসটি সহীহ। হাদিসটি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) এর সুত্রেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫

হাঁচিদাতার জবাব কতবার দিতে হবে

২৭৪৩

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَطَسَ رَجُلٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا شَاهِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ عَطَسَ الثَّانِيَةَ وَالثَّالِثَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَذَا رَجُلٌ مَزْكُومٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইয়াস ইবনু সালামাহ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে হাঁচি দিল। আমিও তখন উপস্থিত ছিলাম। রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “ইয়ারহামুকাল্লাহ”। সে আরেকবার হাঁচি দিলে রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ লোকটি সর্দিতে আক্রান্ত।

সহীহ ; ইবনু মা-জাহ (৩৭১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। রাসুলাল্লাহ (সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ হতে, তিনি ইকরিমাহ ইবনু আম্মার হতে, তিনি ইয়াস ইবনু সালামাহ হতে তার বাবার বর্ণনা করেছেন। তবে বর্ণনায় তৃতীয়বার হাঁচি দেয়ার পর তিনি বলেছেনঃ তুমি সর্দিতে আক্রান্ত। ইবনুল মুবারাকের হাদীসের চাইতে এ হাদিসটি অনেক বেশি সহীহ। শু’বাহ (রহঃ) ইকরিমাহ ইবনু আম্মারের সুত্রে ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদের হাদীসের একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। আহমাদ ইবনুল হাকাম আল-বাস্রী-মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি শু’বাহ হতে, তিনি ইকরিমাহ ইবনু ‘আম্মার (রহঃ) হতে এই সুত্রেও উক্ত হাদীস অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুর রাহমান ইবনু মাহদী ইকরিমা ইবনু ‘আম্মার হতে ইবনু মুবারাকের বর্ণনায় মতই বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে যে, তৃতীয়বারে রাসুলাল্লাহ (সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি সর্দিতে আক্রান্ত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৪৪

حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ السَّلُولِيُّ الْكُوفِيُّ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبِي خَالِدٍ الدَّالاَنِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَبِيهَا، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُشَمَّتُ الْعَاطِسُ ثَلاَثًا فَإِنْ زَادَ فَإِنْ شِئْتَ فَشَمِّتْهُ وَإِنْ شِئْتَ فَلاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَإِسْنَادُهُ مَجْهُولٌ ‏.‏

উমার ইবনু ইসহাক ইবনু আবূ তালহা (রহঃ)এর নানা থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনবার পর্যন্ত হাঁচির উত্তর দাও। এরপরও সে যদি হাঁচি দেয় তবে তুমি চাইলে তার উত্তর দিতেও পার নাও দিতে পার।

যঈফ, যঈফা (৪৮৩০), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব এবং এর সনদসূত্র অপরিচিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬

হাঁচির সময় মুখ ঢেকে রাখবে এবং আওয়াজ যথাসম্ভব নিচু করবে

২৭৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا عَطَسَ غَطَّى وَجْهَهُ بِيَدِهِ أَوْ بِثَوْبِهِ وَغَضَّ بِهَا صَوْتَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন হাঁচি দিতেন, তখন তাঁর হাত কিংবা কাপড় দ্বারা মুখ ঢেকে রাখতেন এবং এর মাধ্যমে তাঁর আওয়াজ নীচুঁ করতেন।

হাসান সহীহঃ রাওযুন নাযীর (১১০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭

আল্লাহ তা’আলা হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন।

২৭৪৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْعُطَاسُ مِنَ اللَّهِ وَالتَّثَاؤُبُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَضَعْ يَدَهُ عَلَى فِيهِ وَإِذَا قَالَ آهْ آهْ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَضْحَكُ مِنْ جَوْفِهِ وَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَإِذَا قَالَ الرَّجُلُ آهْ آهْ إِذَا تَثَاءَبَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَضْحَكُ فِي جَوْفِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাঁচি আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে আর হাই শাইতানের পক্ষ থেকে। সুতরাং তোমাদের মাঝে কেউ হাই তুললে সে যেন মুখের উপর হাত রাখে। আর সে যখন আহ আহ বলে, তখন শাইতান তার ভিতর হতে হাসতে থাকে। আল্লাহ –তা’আলা হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্ধ করেন। কাজেই কেউ যখন আহ আহ শব্দে হাই তোলে , তখন শাইতান তার ভিতর হতে হাসতে থাকে।

হাসান সহীহঃ তা’লীক আলা ইবনে খুযাইমাহ (৯২১ ,৯২২) , ইরওয়াহ (৭৭৯) , বুখারী অনুরুপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৭৪৭

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَإِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ فَحَقٌّ عَلَى كُلِّ مَنْ سَمِعَهُ أَنْ يَقُولَ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ وَلاَ يَقُولَنَّ هَاهْ هَاهْ فَإِنَّمَا ذَلِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ يَضْحَكُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَجْلاَنَ ‏.‏ وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ أَحْفَظُ لِحَدِيثِ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ وَأَثْبَتُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ الْعَطَّارَ الْبَصْرِيَّ يَذْكُرُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ أَحَادِيثُ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ رَوَى بَعْضَهَا سَعِيدٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَرَوَى بَعْضَهَا سَعِيدٌ عَنْ رَجُلٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَاخْتَلَطَتْ عَلَىَّ فَجَعَلْتُهَا عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন। সুতরাং তোমাদের মাঝে কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলার সময় সকল শ্রোতার জন্য ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা খুবই জরুরী হয়ে যায়। আর তোমাদের মাঝে কারও হাই উঠার সময় যথাসম্ভব সে যেন তা ফিরিয়ে রাখে এবং আহ্‌ আহ্‌ না বলে। কেননা এটা শাইতানের পক্ষ হতে এবং সে তাতে হাসতে থাকে।

সহীহঃ ইরওয়াহ্‌ (৭৭৬), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। ইবনু ‘আজলানের সূত্রে বর্ণিত হাদীসের চাইতে এ হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ। সা’ঈদ আল-মাক্ববুরী হতে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে ইবনু আবূ যিব (রহঃ) ইবনু ‘আজলানের চাইতে অনেক হিফাযাতকারী ও নির্ভরযোগ্য। আমি তিরমিযী আবূ বাক্‌র আল-আত্তার আল-বাসরীকে ‘আলী ইবনুল মাদীনীর সূত্রে আলোচনা করতে শুনেছি, তিনি ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সা‘ঈদকে বলতে শুনেছেন, মুহাম্মাদ ইবনু ‘আজলান বলেন, সা‘ঈদ আল-মাক্ববুরী তার রিওয়ায়াতসমূহের কতগুলো আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতে সরাসরি বর্ণনা করেছেন এবং কতগুলো জনৈক ব্যক্তির সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তাই আমার নিকট এগুলো একটি অন্যটির সাথে মিলে যাবার কারণে আমি সবগুলো রিওয়ায়াত সা’ঈদ-আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮

নামাযে হাঁচি আসে শাইতানের পক্ষ থেকে

২৭৪৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، رَفَعَهُ قَالَ ‏ “‏ الْعُطَاسُ وَالنُّعَاسُ وَالتَّثَاؤُبُ فِي الصَّلاَةِ وَالْحَيْضُ وَالْقَىْءُ وَالرُّعَافُ مِنَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قُلْتُ لَهُ مَا اسْمُ جَدِّ عَدِيٍّ قَالَ لاَ أَدْرِي ‏.‏ وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ قَالَ اسْمُهُ دِينَارٌ ‏.‏

আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে পালাক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে পালাক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে মারফূ হিসেবে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নামাযের মধ্যে হাঁচি, তন্দ্রা ও হাই তোলা এবং হায়িয, বমি ও নাক দিয়ে রক্ত পড়া শাইতানের পক্ষ হতে।

যঈফ, মিশকাত (৯৯৯), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র শারীক হতে ইয়াকযান সূত্রে এ হাদিস জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী)-কে ‘আদী ইবনু সাবিত-তার পিতা-তার দাদা’ এই সনদসূত্র প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। আমি বললাম, আদীর দাদার নাম কি? তিনি বললেন, আমি জানি না। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মাঈন প্রসঙ্গে উল্লেখ আছে যে, তিনি আদীর দাদার নাম দীনার বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯

কাউকে তার আসন থেকে তুলে সেই আসনে বসা মাকরুহ

২৭৪৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُقِمْ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যেন তার কোন ভাইকে তার আসন থেকে তুলে দিয়ে সেই আসনে না বসে।

সহীহঃ বুখারী (৬২৬৯), মুসলিম (৭/৯-১০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৫০

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يُقِمْ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ يَقُومُ لاِبْنِ عُمَرَ فَلاَ يَجْلِسُ فِيهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইকে তার আসন থেকে তুলে দিয়ে সে সেখানে না বসে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা ইবনু ‘উমারের জন্য জায়গা ছেড়ে দিত কিন্তু তিনি তাতে বসতেন না।

সহীহঃ বুখারী (৬২৭০), মুসলিম (৭/১০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১০

প্রয়োজনবশতঃ কেউ আসন ছেড়ে উঠে গিয়ে আবার ফিরে এলে সে ব্যক্তিই সে আসনের বেশি হক্বদার

২৭৫১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ حُذَيْفَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الرَّجُلُ أَحَقُّ بِمَجْلِسِهِ وَإِنْ خَرَجَ لِحَاجَتِهِ ثُمَّ عَادَ فَهُوَ أَحَقُّ بِمَجْلِسِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

ওয়াহ্‌হাব ইবনু হুযাইফাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ আসনের বেশি হক্বদার। সে ব্যক্তি কোন প্রয়োজনে বেরিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসলে এ জায়গার জন্য সেই বেশি হক্বদার।

সহীহঃ ইরওয়াহ্‌ (২/২৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ বাক্‌রাহ্‌, আবূ সা‘ঈদ ও আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১১

বিনা অনুমতিতে দু’জনের মাঝখানে বসা মাকরূহ

২৭৫২

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ إِلاَّ بِإِذْنِهِمَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ عَامِرٌ الأَحْوَلُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ أَيْضًا ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ অনুমতি ব্যতীত দু’জন লোককে ফাঁক করে বসা কারো জন্য বৈধ নয়।

হাসান সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (৭৪০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ‘আম্‌র ইবনু শু‘আইব (রহঃ) হতে আমির আল-আহ্‌ওয়ালও বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১২

বৈঠকের মাঝখানে বসা নিষেধ

২৭৫৩

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَعَدَ وَسْطَ حَلْقَةٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَلْعُونٌ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ أَوْ لَعَنَ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم – مَنْ قَعَدَ وَسْطَ الْحَلْقَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو مِجْلَزٍ اسْمُهُ لاَحِقُ بْنُ حُمَيْدٍ ‏.‏

আবূ মিজলায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক লোক বৈঠকের মাঝখানে বসে পড়লে হুযাইফা (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বৈঠকের মাঝখানে বসে, সে মুহাম্মাদের ভাষায় লানত প্রাপ্ত অথবা আল্লাহ মুহাম্মাদের জবানীতে তাকে অভিশাপ দিয়েছেন।

যঈফ, যঈফা (৬৩৮), মিশকাত (৪৭২২), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ মিজলাযের নাম লাহিক ইবনু হুমাইদ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩

কারো সম্মানার্থে দাঁড়ানো অপছন্দনীয়

২৭৫৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهِيَتِهِ لِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাহাবীদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর চাইতে বেশি প্রিয় ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। অথচ তারা তাঁকে দেখে দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, তিনি এটা পছন্দ করেন না।

সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (২৮৯), যঈফা ৩৪৬ নং হাদীসের অধীনে, মিশকাত (৪৬৯৮), নাকদুল কাত্তানী পৃষ্ঠা (৫১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, এই সূত্রে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৫৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ صَفْوَانَ حِينَ رَأَوْهُ ‏.‏ فَقَالَ اجْلِسَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَتَمَثَّلَ لَهُ الرِّجَالُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আবূ মিজলায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মু‘আবিয়াহ্‌ (রাঃ) বাইরে বের হলে তাকে দেখে ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর ও ইবনু সাফ্‌ওয়ান দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি বললেন, তোমরা দু’জনেই বস। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ এতে যে লোক আনন্দিত হয় যে, মানুষ তার জন্য মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকুক, সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নেয়।

সহীহঃ মিশকাত (৪৬৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ উমামাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। হান্নাদ-আবূ উসামাহ্‌ হতে, তিনি হাবীব ইবনুশ্‌ শাহীদ হতে, তিনি আবূ মিজলায হতে, তিনি মু‘আবিয়াহ্‌ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৪

নখ কাটা

২৭৫৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ الاِسْتِحْدَادُ وَالْخِتَانُ وَقَصُّ الشَّارِبِ وَنَتْفُ الإِبْطِ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার কাজ ফিতরাতের (স্বভাব ধর্মের) অন্তর্গত। (১) নাভীর নীচের লোম কেটে ফেলা, (২) খাৎনাহ্‌ করা, (৩) গোঁফ কাটা, (৪) বগলের চুল উপড়িয়ে ফেলা এবং (৫) নখ কাটা।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৯২), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৫৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ قَصُّ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَالسِّوَاكُ وَالاِسْتِنْشَاقُ وَقَصُّ الأَظْفَارِ وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ وَنَتْفُ الإِبْطِ وَحَلْقُ الْعَانَةِ وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زَكَرِيَّا قَالَ مُصْعَبٌ وَنَسِيتُ الْعَاشِرَةَ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ الْمَضْمَضَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ انْتِقَاصُ الْمَاءِ الاِسْتِنْجَاءُ بِالْمَاءِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ দশ প্রকার কাজ ফিত্‌রাতের (স্বভাব ধর্মের) অন্তর্গতঃ (১) গোঁফ কাটা, (২) দাড়ি লম্বা করা, (৩) মিসওয়াক করা, (৪) নাকে পানি দেয়া, (৫) নখ কাটা, (৬) আঙ্গুলের গ্রন্থিগুলো ধোয়া, (৭) বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা, (৮) নাভীর নিম্নাংশের চুল কামানো এবং (৯) পানি দ্বারা শৌচ করা। যাকারিয়াহ্‌ (রহঃ) বলেন, মুস‘আব (রহঃ) বলেছেন, আমি দশম কাজটি ভুলে গেছি। তবে সম্ভবতঃ সেটা হবে কুলি করা।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৯৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘ইন্তিকাসুল মা’ অর্থ পানি দিয়ে শৌচ করা। আম্মার ইবনু ইয়াসির, ইবনু ‘উমার ও আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৫

গোঁফ ও নখ কাটার সময়সীমা

২৭৫৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ مُوسَى أَبُو مُحَمَّدٍ، صَاحِبُ الدَّقِيقِ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ وَقَّتَ لَهُمْ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً تَقْلِيمَ الأَظْفَارِ وَأَخْذَ الشَّارِبِ وَحَلْقَ الْعَانَةِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবীদের জন্য চল্লিশ দিন অন্তর একবার নখ কাটা, গোঁফ খাটো করা এবং নাভীর নিম্নাংশের লোম কামানোর জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৯৫), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৫৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ وَقَّتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَصِّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ وَنَتْفِ الإِبْطِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ‏.‏ قَالَ هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ الأَوَّلِ ‏.‏ وَصَدَقَةُ بْنُ مُوسَى لَيْسَ عِنْدَهُمْ بِالْحَافِظِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের জন্য গোঁফ ছাটা, নখ কাটা, নাভীর নিম্নাংশের লোম কামানো এবং বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এমনভাবে যে, তা যেন চল্লিশ দিনের বেশি রেখে না দেয়া হয়।

সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, প্রথমোক্ত হাদীসের চাইতে এই হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ। হাদীসবিশারদদের মতে সাদাক্বাহ্‌ ইবনু মূসা প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী নন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৬

গোঁফ কাটা

২৭৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُصُّ أَوْ يَأْخُذُ مِنْ شَارِبِهِ وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ خَلِيلُ الرَّحْمَنِ يَفْعَلُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর গোঁফ ছেটে খাটো করতেন এবং বলতেনঃ দয়াময়ের প্রিয় বন্ধু ইবরাহীম (আঃ) এরকম করতেন।

সনদ দূর্বল আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৬১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَارِبِهِ فَلَيْسَ مِنَّا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গোঁফ খাটো করে না, সে আমাদের (সুন্নাতের) অনুসারী নয়।

সহীহঃ রাওযুন নাযীর (৩১৩), মিশকাত (৪৪৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

মুগীরাহ্‌ ইবনু শু‘বাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্‌শার-ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সা‘ঈদ হতে, তিনি ইউসুফ ইবনু সুহাইব (রহঃ) হতে এই সনদে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৭

দাড়ি ছাঁটা প্রসঙ্গে

২৭৬২

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ لِحْيَتِهِ مِنْ عَرْضِهَا وَطُولِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ هَارُونَ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ لاَ أَعْرِفُ لَهُ حَدِيثًا لَيْسَ إِسْنَادُهُ أَصْلاً أَوْ قَالَ يَنْفَرِدُ بِهِ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْ لِحْيَتِهِ مِنْ عَرْضِهَا وَطُولِهَا ‏.‏ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ هَارُونَ وَرَأَيْتُهُ حَسَنَ الرَّأْىِ فِي عُمَرَ بْنِ هَارُونَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ قُتَيْبَةَ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ هَارُونَ كَانَ صَاحِبَ حَدِيثٍ وَكَانَ يَقُولُ الإِيمَانُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ ‏.‏

আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দৈঘ্যে-প্রস্থে দু’ দিকে তাঁর দাড়ি ছাঁটতেন।

মাওযূ, যঈফা (২৮৮), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (আল-বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, উমার ইবনু হারূনের বর্ণিত হাদিস গ্রহণ যোগ্য বলা যায়। “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ উভয় দিকে ছাঁটতেন” এই হাদিস ছাড়া তার অন্য কোন রিওয়ায়াত সম্পর্কে আমার জানা নাই, যার কোন বুনিয়াদ নাই বা যা তিনি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা শুধুমাত্র ইবনু হারূনের রিওয়ায়াত হিসেবে উপরোক্ত হাদিস জেনেছি। আমি ইমাম বুখারীকে উমার ইবনু হারূন সম্পর্কে উত্তম অভিমত মনে ধারণ করতে দেখেছি। আবূ ঈসা বলেন, আমি কুতাইবাকে বলতে শুনেছি, উমার ইবনু হারূন ছিলেন হাদিসের ধারক। তিনি বলতেন, “কথা ও কাজের সমষ্টি হল ঈমান” (আল-ঈমান কাওল ওয়া আমাল)। কুতাইবা বলেন, ওয়াকী ইবনু জাররাহ আমাদেরকে জানিয়েছেন এক ব্যক্তির সূত্রে, তিনি সাওর ইবনু ইয়াযীদের সূত্রেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাইফবাসীদের বিপক্ষে মিনজানীক (পাথর নিক্ষেপক যন্ত্র) স্থাপন করেছেন। কুতাইবা বলেন, আমি ওয়াকীকে প্রশ্ন করলাম, ইনি কে? তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গী উমার ইবনু হারূন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৮

দাড়ি লম্বা হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া

২৭৬৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ খাটো কর এবং দাড়ি লম্বা কর।

সহীহঃ আদাবুয্‌ যিফাফ নতুন সংস্করণ (২০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৬৪

حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنَا بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ هُوَ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ ثِقَةٌ وَعُمَرُ بْنُ نَافِعٍ ثِقَةٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ يُضَعَّفُ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে গোঁফ খাটো করতে এবং দাড়ি লম্বা করতে আদেশ করেছেন।

সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস, বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ বাক্‌র ইবনু নাফি‘ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মুক্তদাস। ‘উমার ইবনু নাফি‘ একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। কিন্তু তার অপর মুক্তদাস ‘আবদুল্লাহ ইবনু নাফি‘ হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯

চিৎ হয়ে শুয়ে এক পায়ের উপর অন্য পা রাখা

২৭৬৫

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عن عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعَمُّ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ الْمَازِنِيُّ ‏.‏

আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) হতে তাঁর চাচার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মাসজিদের মধ্যে রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এক পায়ের উপর অন্য পা (ভাঁজ করে হাঁটু দাঁড় করিয়ে) রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আব্বাদ ইবনু তামীমের চাচার নাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু ‘আসিম আল-মাযিনী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০

এক পায়ের উপর অন্য পা রেখে চিৎ হয়ে শোয়া মাকরূহ

২৭৬৬

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ خِدَاشٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا اسْتَلْقَى أَحَدُكُمْ عَلَى ظَهْرِهِ فَلاَ يَضَعْ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ ‏.‏ وَلاَ يُعْرَفُ خِدَاشٌ هَذَا مَنْ هُوَ وَقَدْ رَوَى لَهُ سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ غَيْرَ حَدِيثٍ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের মাঝে কেউ যখন পিঠের উপর চিৎ হয়ে শয়ণ করে তখন যেন সে এক পা অপর পায়ের উপর না রাখে।

সহীহঃ সহীহাহ্‌ (৩/২৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি একাধিক বর্ণনাকারী সুলাইমান আত্‌-তাইমীর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সানাদে বর্ণিত খিদাশ অপরিচিত। সুলাইমান আত্‌-তাইমী তার বরাতে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৬৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ وَالاِحْتِبَاءِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَأَنْ يَرْفَعَ الرَّجُلُ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى وَهُوَ مُسْتَلْقٍ عَلَى ظَهْرِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) )ইশতিমালুস সাম্মা (বাম কাঁধ অনাবৃত রেখে চাদরের দুই প্রান্ত দান কাঁধে জড়ো করে পরতে) , ইহতিবা (নিতম্বে ভর করে হাঁটুদ্বয় উঁচু করে পেটের সাথে চাদর পেচিয়ে বসতে) এবং এক পায়ের উপড় অপর পা (হাঁটু ভাঁজ করে) উঠিয়ে পিঠের উপর চিত হয়ে শুতে বারণ করেছেন।

সহীহঃ সহীহাহ (১২৫৫) মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন , এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১

উপুড় হয়ে শোয়া মাকরূহ

২৭৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مُضْطَجِعًا عَلَى بَطْنِهِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ هَذِهِ ضَجْعَةٌ لاَ يُحِبُّهَا اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ طِهْفَةَ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ يَعِيشَ بْنِ طِهْفَةَ عَنْ أَبِيهِ وَيُقَالُ طِخْفَةُ وَالصَّحِيحُ طِهْفَةُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ الْحُفَّاظِ الصَّحِيحُ طِخْفَةُ وَيُقَالُ طِغْفَةُ ‏.‏ يَعِيشُ هُوَ مِنَ الصَّحَابَةِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জনৈক ব্যক্তিকে পেটের উপর হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা এ রকম শোয়া পছন্দ করেন না।

হাসান সহীহঃ মিশকাত (৪৭১৮, ৪৭১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

তিহফা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ঈসা বলেন , ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর উক্ত হাদীস আবূ সালাম হতে , তিনি ইয়াঈশ ইবনু তিহফা হতে , তিনি তার বাবার সুত্রে বর্ণনা করেছেন । তিহফার স্থলে তিখফা উচ্চারণও আছে । তবে তিহফা- ই সঠিক । আবার তিগবা উচ্চারণও আছে। কিছু সংখ্যক হাদীসের হাফিয বলেন যে , তিখফা উচ্চারণই যথার্থ । ইয়াঈশ সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২

লজ্জাস্থানের হিফাযাত করা

২৭৬৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَوْرَاتُنَا مَا نَأْتِي مِنْهَا وَمَا نَذَرُ قَالَ ‏”‏ احْفَظْ عَوْرَتَكَ إِلاَّ مِنْ زَوْجَتِكَ أَوْ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ يَكُونُ مَعَ الرَّجُلِ قَالَ ‏”‏ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ لاَ يَرَاهَا أَحَدٌ فَافْعَلْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالرَّجُلُ يَكُونُ خَالِيًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَجَدُّ بَهْزٍ اسْمُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ حَيْدَةَ الْقُشَيْرِيُّ وَقَدْ رَوَى الْجُرَيْرِيُّ عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ وَالِدُ بَهْزٍ ‏.‏

বাহ্‌য ইবনু হাকীম (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর বাবা ও তাঁর দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম , হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের লজ্জাস্থান কতটুকু ঢেকে রাখব এবং কতটুকু খোলা রাখতে পারব? তিনি বললেনঃ তোমার স্ত্রী ও দাসী ছাড়া সকলের দৃষ্টি হতে তোমার লজ্জাস্থান হিফাযাত করবে। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, পুরুষেরা একত্রে অবস্থানরত থাকলে? তিনি বললেনঃ যতদূর সম্ভব কেউ যেন আভরণীয় স্থান দেখতে না পারে তুমি তাই কর। আমি আবার প্রশ্ন করলাম , মানুষ তো কখনো নির্জন অবস্থায়ও থাকে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তো লজ্জার ক্ষেত্রে বেশি হাক্বদার।

হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (১৯২০)

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। বাহ্‌যের দাদার নাম মুআবিয়াহ ইবনু হাইদাহ্‌ আল-কুশাইরী। আল-জুরাইরী হাকীম ইবনু মুআবিয়ার সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি হলেন বাহ্‌যের বাবা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩

বালিশে হেলান দিয়ে শোয়া

২৭৭০

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْكُوفِيُّ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ عَلَى يَسَارِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ عَلَى يَسَارِهِ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তাঁর বাম পার্শ্বদেশে বালিশে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছি।

সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (১০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। একাধিক বর্ণনাকারী ইসরাইল হতে, তিনি সিমাক হতে তিনি জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) হতে যে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তাতে বাম “ পার্শ্বদেশ” কথাটুকু নেই ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৭১

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বালিশে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছি।

সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদিস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ `ঈসা বলেন, হাদিসটি সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪

(কারো প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামতি করা)

২৭৭২

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির প্রভাবাধীন এলাকায় কেউ ইমামতি করবে না এবং তার বাড়ীতে তার নির্দিষ্ট আসনে তার অনুমতি ব্যতীত বসবে না।

সহীহ : ইরওয়াহ্ (৪৯৪), সহীহ আবূ দাঊদ (৫৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

মালিক তার জন্তুযানের সামনের আসনে বসার বেশি হকদার

২৭৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي بُرَيْدَةَ، يَقُولُ بَيْنَمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ وَمَعَهُ حِمَارٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ارْكَبْ ‏.‏ وَتَأَخَّرَ الرَّجُلُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لأَنْتَ أَحَقُّ بِصَدْرِ دَابَّتِكَ إِلاَّ أَنْ تَجْعَلَهُ لِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَدْ جَعَلْتُهُ لَكَ ‏.‏ قَالَ فَرَكِبَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ ‏.‏

বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কোথাও) হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন জনৈক ব্যাক্তি একটি গাধা সাথে নিয়ে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি আরোহন করুন, এবং সে পিছনে সরে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, তুমি পিছনে যেও না, তুমি তোমার বাহনের সামনে বসার অধিকারী, তবে আমার জন্য স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলে ভিন্ন কথা। লোকটি বলল, আমি তা আপনাকে দিয়ে দিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি সাওয়ার হলেন।

সহীহ : মিশকাত (৩৯১৮), ইরওয়াহ্ (২/২৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এই সূত্রে গারীব। ক্বাইস ইবনু সা’দ ইবনু উবাদা (রাঃ)হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৬

নরম চাদর ব্যবহারের অনুমতি প্রসঙ্গে

২৭৭৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَلْ لَكُمْ أَنْمَاطٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ وَأَنَّى تَكُونُ لَنَا أَنْمَاطٌ قَالَ ‏”‏ أَمَا إِنَّهَا سَتَكُونُ لَكُمْ أَنْمَاطٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنَا أَقُولُ لاِمْرَأَتِي أَخِّرِي عَنِّي أَنْمَاطَكِ فَتَقُولُ أَلَمْ يَقُلِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّهَا سَتَكُونُ لَكُمْ أَنْمَاطٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَدَعُهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেন : তোমাদের চাদর আছে কি? আমি বললাম, আমরা চাদর কোথায় পাব? তিনি বললেনঃ খুব শীঘ্রই তা তোমাদের নিকট থাকবে। জাবির (রাঃ)বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, আমার নিকট হতে তোমার চাদরটি সরিয়ে নাও। সে বলল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননি যে, অচিরেই তোমাদের নিকট চাদর থাকবে? তিনি (জাবির) বলেন, এরপর আমি তাকে এ কথা বলা হতে বিরত হলাম।

সহীহ : বুখারি ও মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

একটি জন্তুযানে তিনজনের আরোহণ

২৭৭৫

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، هُوَ الْجُرَشِيُّ الْيَمَامِيُّ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَقَدْ قُدْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ عَلَى بَغْلَتِهِ الشَّهْبَاءِ حَتَّى أَدْخَلْتُهُ حُجْرَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا قُدَّامُهُ وَهَذَا خَلْفُهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

ইয়াস ইবনু সালামাহ্ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন একদিন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আশ্-শাহ্ববাহ্ নামক খচ্চরটি টেনে নিয়ে যাচ্ছিলাম। হাসান ও হুসাইন (রাঃ)তাঁর সামনে-পিছনে বসা ছিলেন। আমি সেটা টেনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হুজরার নিকটে নিয়ে গেলাম।

হাসান : মুসলিম (৭/১৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু ‘আব্বাস ও আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রাঃ)হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এই সূত্রে গারীব।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৮

হঠাৎ দৃষ্টি পড়া প্রসঙ্গে

২৭৭৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ فَأَمَرَنِي أَنْ أَصْرِفَ بَصَرِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرٍو اسْمُهُ هَرِمٌ ‏.‏

জারীর ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে(কারো প্রতি) হঠাৎ দৃষ্টি পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি আমাকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে আদেশ করলেন।

সহীহ: হিজাবুল মারয়াহ্ (৩৫),সহীহ আবূ দাঊদ (১৮৬৪),মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ যূর’আর নাম হারিম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৭৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، رَفَعَهُ قَالَ ‏ “‏ يَا عَلِيُّ لاَ تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ ‏.‏

বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বুরাইদাহ্ (রাঃ)হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আলী! বারবার (অননুমোদিত জিনিসের প্রতি) তাকাবে না। তোমার প্রথম দৃষ্টি জায়িয ( ও ক্ষমাযোগ্য) হলেও পরের দৃষ্টি (ক্ষমাযোগ্য) নয়।

হাসান : হিজাবুল মারয়াহ্ (৩৪), সহীহ আবূ দাঊদ (১৮৬৫)।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটি শুধু শারীকের রিওয়ায়াত হিসেবে জেনেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

স্ত্রীলোকগণ পুরুষদের থেকে পর্দা করবে

২৭৭৮

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ نَبْهَانَ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا، كَانَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَيْمُونَةُ قَالَتْ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ أَقْبَلَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ بَعْدَ مَا أُمِرْنَا بِالْحِجَابِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ احْتَجِبَا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ هُوَ أَعْمَى لاَ يُبْصِرُنَا وَلاَ يَعْرِفُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ও মাইমূনা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশে হাযির ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা দু’জন তাঁর নিকটে অবস্থানরত থাকতেই ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। এটা পর্দার নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পরের ঘটনা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা উভয়ে তার থেকে পর্দা কর। আমি (উম্মু সালামা) বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তিনি কি অন্ধ নন? তিনি তো আমাদেরকে দেখতেও পারছেন না চিনতেও পারছেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরাও কি অন্ধ, তোমরাও কি তাকে দেখতে পাচ্ছ না।

যঈফ, মিশকাত (৩১১৬), ইরওয়া (১৮০৬), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩০

স্বামীদের অনুমতি ব্যতীত তাদের স্ত্রীদের নিকট যাওয়া নিষেধ

২৭৭৯

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ مَوْلَى، عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِي، أَرْسَلَهُ إِلَى عَلِيٍّ يَسْتَأْذِنُهُ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ فَأَذِنَ لَهُ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ سَأَلَ الْمَوْلَى عَمْرَو بْنَ الْعَاصِي عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا أَنْ نَدْخُلَ عَلَى النِّسَاءِ بِغَيْرِ إِذْنِ أَزْوَاجِهِنَّ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আমর ইবনুল আস (রাঃ)এর মুক্তদাস( আবূ কাইস ‘আবদুর রাহমান ইবনু সাবিত) থেকে বর্ণিতঃ

কোন একদিন ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ)আসমা বিনতু উমাইসের নিকট যাবার অনুমতি প্রার্থনার জন্য তাকে ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট পাঠান। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। তিনি (‘আমর) যখন প্রয়োজনীয় আলাপ শেষ করলেন, তখন উক্ত গোলাম এ প্রসঙ্গে ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিল্লাহু আনহু-কে প্রশ্ন করল। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বামীদের অনুমতি ব্যতীত তাদের স্ত্রীদের নিকট যেতে আমাদের নিষেধ করেছেন।

সহীহ : আদাবুয্ যিফাক নতুন সংস্করন (২৮২-২৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

উকবা ইবনু আমির, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও জাবির (রাঃ)হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩১

স্ত্রীলোকের ফিতনাকে ভয় করা

২৭৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِي النَّاسِ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الثِّقَاتِ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا قَالَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ غَيْرَ الْمُعْتَمِرِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

উসামাহ্ ইবনু যাইদ ও সা’ঈদ ইবনু ‘আমর ইবনু নুফাইল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরে ( মানুষের মাঝে) পুরুষের জন্য স্ত্রীলোকের ফিতনার চাইতে মারাত্নক ক্ষতিকর ফিতনা রেখে যাচ্ছি না।

সহীহ : সহীহাহ্ ( ২৭০১), বুখারি ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। উক্ত হাদীস সুলাইমান আত-তাইমী হতে, তিনি আবূ ‘উসমান হতে, তিনি উসামা ইবনু যাইদ( রা:) হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একাধিক নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। তারা এই সনদসূত্রে সা’ঈদ ইবনু ‘আমর ইবনু নুফাইলের উল্লেখ করেননি। আল-মু’তামির ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারী উপরোক্ত সনদে উসামা ইবনু যাইদ ও সা’ঈদ ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবূ সা’ঈদ ( রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আবী ‘উমার সুফইয়ান হতে, তিনি সুলাইমান আত-তাইমী হতে, তিনি আবূ ‘উসমান হতে, তিনি উসামা ইবনু যাইদ হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

অপরের চুল ব্যবহার মাকরূহ

২৭৮১

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ، بِالْمَدِينَةِ يَخْطُبُ يَقُولُ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ هَذِهِ الْقُصَّةِ وَيَقُولُ ‏ “‏ إِنَّمَا هَلَكَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ حِينَ اتَّخَذَهَا نِسَاؤُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ ‏.‏

হুমাইদ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-কে মাদীনার এক ভাষণে বলতে শুনেছেন : হে মাদীনাবাসীগণ! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি তো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এসব ’কুসসা’ (অন্যের চুল) ব্যবহার করতে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি আরো বলতন : বানী ইসরাঈলগণ তখনি ধ্বংস হয়েছে, যখন তাদের রমনীগণ কুসসা( অপরের চুল) ব্যবহার শুরু করে।

সহীহ : গাইয়াতুল মারাম (১০০), বুখারি ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। মু’আবিয়াহ্ (রা:) হতে বিভিন্ন সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৩

পরচুলা প্রস্তুতকারিনী ও ব্যবহারকারিনী এবং উলকি উৎকীর্ণকারিনী ও যে উৎকীর্ণ করায়

২৭৮২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ مُبْتَغِيَاتٍ لِلْحُسْنِ مُغَيِّرَاتٍ خَلْقَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ عَنْ مَنْصُورٍ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সব নারীর উপর লানত করেছেন, যারা অঙ্গে উলকি আঁকে ও অন্যকে দিয়ে উল্কি আঁকায় এবং সৌন্দর্যের জন্য ভ্রুর চুল উপড়িয়ে আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে।

সহীহ : আদাবুয্ যিফাক (২০২-২০৪) নতুন সংস্করণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। শু’বাহ ও অন্যান্য হাদীস বিশারদগণ এ হাদীসটি মানসূর হতে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৮৩

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَافِعٌ الْوَشْمُ فِي اللِّثَةِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে পরচুলা বানায় এবং যে তা ব্যবহার করে, যে উলকি আঁকে এবং অন্যকে দিয়ে আঁকায়, আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে লা’নাত করেছেন। নাফি’ ( রাহ:) বলেন, উলকি আঁকা হয় সাধারণত : নীচের মাড়িতে।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (১৯৮৭), বুখারি ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। ‘আয়িশাহ্, মা’কিল ইবনু ইয়াসার, আসমা বিনতু আবূ বাকর ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার- ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ হতে, তিনি ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার হতে, তিনি নাফি’ হতে, তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রে বর্ণনাকারীগণ নাফি’ ( রাহ:) -এর বক্তব্যটুকু উল্লেখ করেননি। আবূ ‘ঈসা বলেন, এই হাদীসটিও হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৪

পুরুষদের বেশধারিণী নারীগণ

২৭৮৪

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَهَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهَاتِ بِالرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ وَالْمُتَشَبِّهِينَ بِالنِّسَاءِ مِنَ الرِّجَالِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যেসব নারী পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং যেসব পুরুষ নারীদের বেশ ধারণ করে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (১৯০৪),বুখারি।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৮৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، وَأَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারী নারীদেরকে লা’নাত করেছেন।

সহীহ :দেখুন পূর্বের হাদীস ,বুখারি ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৫

নারীদের সুগন্ধি মেখে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ

২৭৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عِمَارَةَ الْحَنَفِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ وَالْمَرْأَةُ إِذَا اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি চোখই যেনাকারী। কোন নারী সুগন্ধি মেখে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে গেলে সে এমন এমন অর্থাৎ যেনাকারিণী।

হাসান : তাখরীজুল ইমান লি আবী ‘উবাইদা(৯৬/১১০), তাখরীজুল মিশকাত (৬৫), হিজাবুল মারয়াহ্ (৬৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৬

নারী-পুরুষের সুগন্ধি ব্যবহার প্রসঙ্গে

২৭৮৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ طِيبُ الرِّجَالِ مَا ظَهَرَ رِيحُهُ وَخَفِيَ لَوْنُهُ وَطِيبُ النِّسَاءِ مَا ظَهَرَ لَوْنُهُ وَخَفِيَ رِيحُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষের সুগন্ধি এমন হবে যার সুগন্ধ প্রকাশ পায় কিন্তু রং গোপন থাকে এবং নারীর সুগন্ধ এমন হবে যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু সুগন্ধ গোপন থাকে।

সহীহ : মিশকাত (৪৪৪৩), মুখতাসার শামা-য়িল (১৮৮), আর-রাদ্দু আলাল কিত্তানী পৃঃ (১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

‘আলী ইবনু হুজর-ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি আল-জুরাইরী হতে, তিনি আবূ নায্ রাহ্ হতে, তিনি আত-তুফাবী হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, এই সূত্রে উক্ত মর্মে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এই হাদীসের মাধ্যমে আমরা আত-তুফাবীর সাথে পরিচিত কিন্তু তার নাম আমাদের নিকট অজ্ঞাত। ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীমের হাদীসটি অনেক বেশি পরিপূর্ণ ও দীর্ঘ। ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৮৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ خَيْرَ طِيبِ الرَّجُلِ مَا ظَهَرَ رِيحُهُ وَخَفِيَ لَوْنُهُ وَخَيْرَ طِيبِ النِّسَاءِ مَا ظَهَرَ لَوْنُهُ وَخَفِيَ رِيحُهُ ‏”‏ ‏.‏ وَنَهَى عَنْ مِيثَرَةِ الأُرْجُوَانِ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ যে সুগন্ধির গন্ধ আছে কিন্তু রং নেই সেটিই পুরুষের জন্য উত্তম সুগন্ধি এবং যে সুগন্ধির রং আছে কিন্তু গন্ধ নেই সেটিই নারীর জন্য উত্তম সুগন্ধি। আর তিনি লাল রেশমের তৈরি আসনে বসতে বারণ করেছেন।

সহীহ : প্রাগুক্ত

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৭

সুগন্ধি দ্রব্যের উপহার প্রত্যাখ্যান করা মাকরূহ

২৭৮৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ أَنَسٌ لاَ يَرُدُّ الطِّيبَ ‏.‏ وَقَالَ أَنَسٌ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَرُدُّ الطِّيبَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

সুমামাহ্ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) কখনো সুগন্ধি ফিরিয়ে দিতেন না। আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও সুগন্ধি ফিরিয়ে দিতেন না।

সহীহ : মুখতাসার শামা-য়িল (১৮৬), বুখারি।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৯০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ثَلاَثٌ لاَ تُرَدُّ الْوَسَائِدُ وَالدُّهْنُ وَاللَّبَنُ ‏”‏ ‏.‏ الدُّهْنُ يَعْنِي بِهِ الطِّيبَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَعَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ مُسْلِمِ بْنِ جُنْدَبٍ وَهُوَ مَدَنِيٌّ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তিনটি বস্তু প্রত্যাখ্যান করা যায় না : (১) বালিশ, (২) সুগন্ধি, (৩) দুধ।

হাসান : প্রাগুক্ত (১৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিমের দাদার নাম জুনদুব এবং তিনি মাদানী।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৯১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلِيفَةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، – بَصْرِيٌّ – وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ حَنَانٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أُعْطِيَ أَحَدُكُمُ الرَّيْحَانَ فَلاَ يَرُدَّهُ فَإِنَّهُ خَرَجَ مِنَ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ حَنَانًا إِلاَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَقَدْ أَدْرَكَ زَمَنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَرَهُ وَلَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ ‏.‏

আবূ উসমান আন-নাহদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কাউকে সুগন্ধি (হাদিয়া) দেয়া হলে সে যেন তা ফিরিয়ে না দেয়। কেননা এটা জান্নাত হতে নিঃসৃত।

যঈফ, মুখতাসার শামায়িল (১৮৯) যঈফা (৭৬৪), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। উক্ত হাদিস ছাড়া হানানের সূত্রে আর কোন হাদিস বর্ণিত আছে কি-না তা আমাদের জানা নেই। আবূ উসমান আন-নাহদীর নাম আবদুর রাহমান ইবনু মুল্ল। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়কাল পেলেও তাঁকে দেখেননি এবং তাঁর নিকট সরাসরি হাদিসও শুনেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৮

পুরুষে পুরুষে এবং নারীতে নারীতে উলঙ্গ অবস্থায় গায়ে গা লাগানো মাকরূহ

২৭৯২

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُبَاشِرُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ حَتَّى تَصِفَهَا لِزَوْجِهَا كَأَنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন নারী অন্য নারীর সাথে (বস্ত্রহীন অবস্থায়) শরীর মিলিয়ে শোবে না। কেননা সে তার স্বামীর নিকট অপর নারীর শরীরের বর্ণনা দিবে এবং মনে হবে সে যেন তাকে চাক্ষুস দেখছে।

সহীহ : সহীহ আবী দাঊদ (১৮৬৬), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৯৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلاَ تَنْظُرُ الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلاَ يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ وَلاَ تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক পুরুষ অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে এবং এক নারী অন্য নারীর গুপ্তাঙ্গের দিকে তাকাবে না। এক পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এবং এক নারী অন্য নারীর সাথে এক কাপড়ের ভেতর শোবে না।

সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৬৬১),মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৯

আভরণীয় অঙ্গের হিফাযাত করা

২৭৯৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ عَوْرَاتُنَا مَا نَأْتِي مِنْهَا وَمَا نَذَرُ قَالَ ‏”‏ احْفَظْ عَوْرَتَكَ إِلاَّ مِنْ زَوْجَتِكَ أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا كَانَ الْقَوْمُ بَعْضُهُمْ فِي بَعْضٍ قَالَ ‏”‏ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ لاَ يَرَاهَا أَحَدٌ فَلاَ يَرَيَنَّهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِذَا كَانَ أَحَدُنَا خَالِيًا قَالَ ‏”‏ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ يَسْتَحْيِيَ مِنْهُ النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) হতে পপর্যায়ক্রমে তাঁর বাবা ও দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নাবী! আমাদের আভরণীয় অঙ্গের কতটুকু অংশ ঢেকে রাখব এবং কতটুকু অংশ খোলা রাখতে পারব? তিনি বললেনঃ তোমার স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত ( সবার দৃষ্টি হতে) তোমার আভরণীয় অঙ্গের হিফাযাত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবার প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! দলের লোকেরা কখনো একত্রিত হলে? তিনি বললেনঃ তোমার দ্বারা যতটুকু সম্ভব তা ঢেকে রাখবে, কেউ যেন তা দেখতে না পায়। তিনি বলেন, আমি আবারো বললাম, হে আল্লাহর নাবী! আমাদের মাঝে কেউ নির্জন স্থানে থাকলে? তিনি বললেনঃমানুষের চাইতে আল্লাহ তা’আলাকে বেশি লজ্জা করা দরকার।

হাসান : (২৭৬৯) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

উরুদেশ আভরণীয় অঙ্গের অন্তর্ভুক্ত

২৭৯৫

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ زُرْعَةَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ جَرْهَدٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ جَدِّهِ، جَرْهَدٍ قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِجَرْهَدٍ فِي الْمَسْجِدِ وَقَدِ انْكَشَفَ فَخِذُهُ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْفَخِذَ عَوْرَةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ مَا أَرَى إِسْنَادَهُ بِمُتَّصِلٍ ‏.‏

জারহাদ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদের মধ্যে জারহাদের পাশ দিয়ে গেলেন। সে সময় তার ঊরুদেশ উলঙ্গ অবস্থায় ছিল। তিনি বললেনঃ ঊরুদেশও আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ : ইরওয়াহ্ (১/২৯৭-২৯৮), মিশকাত (৩১১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান । আমার মতে এর সনদসূত্র মুত্তাসিল (পরস্পর সংযুক্ত) নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৯৬

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْفَخِذُ عَوْرَةٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঊরুও একটি আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৯৭

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَرْهَدٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْفَخِذُ عَوْرَةٌ ‏”‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ وَلِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ صُحْبَةٌ وَلاِبْنِهِ مُحَمَّدٍ صُحْبَةٌ ‏.‏

জারহাদ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উরুও আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। ‘আলী ও মুহাম্মাদ ইবনু ‘আব্দুল্লাহ ইবনু জাহ্শ (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু জাহ্শ ও তার ছেলে মুহাম্মাদ (রা:) (উভয়েই) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহচর্য লাভ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭৯৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جَرْهَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِ وَهُوَ كَاشِفٌ عَنْ فَخِذِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ غَطِّ فَخِذَكَ فَإِنَّهَا مِنَ الْعَوْرَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

জারহাদ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আর তখন তার উরু খোলা অবস্থায় ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তোমরা উরু ঢেকে রাখ, কেননা এটাও আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪১

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে

২৭৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ إِلْيَاسَ، وَيُقَالُ ابْنُ إِيَاسٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي حَسَّانَ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ يُحِبُّ الطَّيِّبَ نَظِيفٌ يُحِبُّ النَّظَافَةَ كَرِيمٌ يُحِبُّ الْكَرَمَ جَوَادٌ يُحِبُّ الْجُودَ فَنَظِّفُوا أُرَاهُ قَالَ أَفْنِيَتَكُمْ وَلاَ تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ ‏.‏ قَالَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِمُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ فَقَالَ حَدَّثَنِيهِ عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ نَظِّفُوا أَفْنِيَتَكُمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَخَالِدُ بْنُ إِلْيَاسَ يُضَعَّفُ

সালিহ ইবনু আবূ হাসসান(রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

আমি সাঈদ ইবনুল মুসাঈয়্যাব(রহ:)-কে বলতে শুনেছি, অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা পবিত্র এবং পবিত্রতা ভালোবাসেন। তিনি পরিচ্ছন্ন এবং পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। তিনি মহান ও দয়ালু, মহত্ব ও দয়া ভালোবাসেন। তিনি দানশীল, দানশীলতাকে ভালোবাসেন। সুতরাং তোমরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেক। আমার মনে হয় তিনি বলেছেনঃ তোমাদের আশেপাশের পরিবেশকেও পরিচ্ছন্ন রাখ এবং ইয়াহুদীদের অনুকরণ করো না। সালিহ বলেন, আমি এ প্রসঙ্গে মুহাজির ইবনু মিসমারের নিকটে বর্ণনা করলাম। তিনি বলেন, আমির ইবনু সা’দ তার পিতার সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম হাদীস আমার কাছে বলেছেন, তোমাদের আশেপাশের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখ।

যঈফঃ গা-ইয়াতুল মারাম (১১৩), তবে “আল্লাহ দানশীল…” এই অংশটুকু সহীহ, সহীহাহ্(২৩৬-১৬২৭), হিজাবুল মারয়াহ্ (১০১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। খালিদ ইবনু ইল্য়াস মতান্তরে ইয়াসকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪২

সহবাসের সময় শারীর ঢেকে রাখা

২৮০০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ نِيْزَكَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُحَيَّاةَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِيَّاكُمْ وَالتَّعَرِّي فَإِنَّ مَعَكُمْ مَنْ لاَ يُفَارِقُكُمْ إِلاَّ عِنْدَ الْغَائِطِ وَحِينَ يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَحْيُوهُمْ وَأَكْرِمُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو مُحَيَّاةَ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ يَعْلَى ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা নগ্নতা হতে বেঁচে থাক। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন (কিরামান-কাতিবীন) যারা পেশাব- পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় তোমাদের হতে আলাদা হন না। সুতরাং তাদের লজ্জা কর এবং সম্মান কর।

যঈফ, ইরওয়া (৬৪), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩১১৫),আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদিস জানতে পেরেছি। আবূ মুহাইয়্যার নাম ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়া’লা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪৩

গোসলখানায় প্রবেশ করা

২৮০১

حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يَدْخُلِ الْحَمَّامَ بِغَيْرِ إِزَارٍ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُدْخِلْ حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يَجْلِسْ عَلَى مَائِدَةٍ يُدَارُ عَلَيْهَا بِالْخَمْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ طَاوُسٍ عَنْ جَابِرٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ صَدُوقٌ وَرُبَّمَا يَهِمُ فِي الشَّىْءِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لَيْثٌ لاَ يُفْرَحُ بِحَدِيثِهِ كَانَ لَيْثٌ يَرْفَعُ أَشْيَاءَ لاَ يَرْفَعُهَا غَيْرُهُ فَلِذَلِكَ ضَعَّفُوهُ ‏.‏

জাবির (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ও পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন ইযার(লুঙ্গি) পরিহিত অবস্থা ছাড়া গোসলখানায় প্রবেশ না করে। আল্লাহ তা’আল ও পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে গোসলখানায় প্রবেশ না করায়। আল্লাহ তা’আলা ও পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন এমন দস্তরখানে(খাদ্যের মাজলিসে) না বসে যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়।

হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (১/৮৮-৮৯), ইরওয়াহ্(১৯৪৯), গাইয়াতুল মারাম (১৯০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই তাউস হতে জাবির (রা:)-এর বর্ণনা হিসেবে জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল(বুখারী)(রহ:) বলেন, লাইস ইবনু আবূ সুলাইম বর্ণনাকারী হিসেবে সত্যবাদী, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সন্দেহের শিকার হন। তিনি আরো বলেন, আহ্মাদ ইবনু হাম্বল(রহ:) বলেছেন যে, লাইসের বর্ণনায় উৎফুল্ল হওয়া যায় না। কেননা লাইস এমন কিছু বিষয় মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেন যা অন্যরা মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেন না। এই জন্যই তাকে যঈফ বলা হয়।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৮০২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي عُذْرَةَ، وَكَانَ، قَدْ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى الرِّجَالَ وَالنِّسَاءَ عَنِ الْحَمَّامَاتِ ثُمَّ رَخَّصَ لِلرِّجَالِ فِي الْمَيَازِرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَإِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَائِمِ ‏.

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারী-পুরুষ উভয়কে গোসলখানায় যেতে বারণ করেছিলেন। পরে অবশ্য পুরুষের লুঙ্গি পরে সেখানে যাবার সম্মতি দিয়েছেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৭৪৯), আবূ ঈসা বলেন, আমরা শুধুমাত্র হাম্মাদ ইবনু সালামার রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদিস জেনেছি। এ হাদিসের সনদসূত্র খুব দৃঢ় নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮০৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ أَبِي الْجَعْدِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ الْهُذَلِيِّ، أَنَّ نِسَاءً، مِنْ أَهْلِ حِمْصَ أَوْ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ دَخَلْنَ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ أَنْتُنَّ اللاَّتِي يَدْخُلْنَ نِسَاؤُكُنَّ الْحَمَّامَاتِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنِ امْرَأَةٍ تَضَعُ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلاَّ هَتَكَتِ السِّتْرَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ رَبِّهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আবুল মালী আল-হুযালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক সময় হিম্‌স অথবা সিরিয়ার বসবাসকারী কয়েকজন মহিলা ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট আসল। তিনি বললেন, তোমরা তো সেই এলাকার অধিবাসী, যার মহিলারা গোসলখানায় প্রবেশ করে। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী তার স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোথাও তার কাপড় খোলে, সে তার ও আল্লাহ তা’আলার মধ্যকার পর্দা ছিড়ে ফেলে।

সহীহ। ইবনু-মাজাহ (৩৭৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৪

যে ঘরে ছবি কিংবা কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।

২৮০৪

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، وَاللَّفْظُ، لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةُ تَمَاثِيلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ তালহা (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ কুকুর অথবা ভাস্কর্যের ছবি থাকে এমন ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।

সহীহঃ ইবনু ম-জাহ (৩৬৪৯), বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮০৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ رَافِعَ بْنَ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَهُ قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ نَعُودُهُ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ تَمَاثِيلُ أَوْ صُورَةٌ ‏.‏ شَكَّ إِسْحَاقُ لاَ يَدْرِي أَيُّهُمَا قَالَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

রাফি’ ইবনু ইসহাক(রহ:) থেকে বর্ণিতঃ

রোগাক্রান্ত আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-কে আমি ও আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ তালহা(রহ:) দেখতে গেলাম। আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অবহিত করেছেনঃ যে ঘরে (জীবজন্তুর) প্রতিকৃতি অথবা ছবি থাকে, সে ঘরে(রাহমাতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। ইসহাক সন্দেহে নিপতিত হয়েছেন, ছবির কথা না প্রতিকৃতির কথা বলেছেন।

সহীহঃ গাইয়াতুল মারাম (১১৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮০৬

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ إِنِّي كُنْتُ أَتَيْتُكَ الْبَارِحَةَ فَلَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَكُونَ دَخَلْتُ عَلَيْكَ الْبَيْتَ الَّذِي كُنْتَ فِيهِ إِلاَّ أَنَّهُ كَانَ فِي بَابِ الْبَيْتِ تِمْثَالُ الرِّجَالِ وَكَانَ فِي الْبَيْتِ قِرَامُ سِتْرٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ وَكَانَ فِي الْبَيْتِ كَلْبٌ فَمُرْ بِرَأْسِ التِّمْثَالِ الَّذِي بِالْبَابِ فَلْيُقْطَعْ فَيَصِيرَ كَهَيْئَةِ الشَّجَرَةِ وَمُرْ بِالسِّتْرِ فَلْيُقْطَعْ وَيُجْعَلْ مِنْهُ وِسَادَتَيْنِ مُنْتَبَذَتَيْنِ يُوَطَآنِ وَمُرْ بِالْكَلْبِ فَيُخْرَجْ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ ذَلِكَ الْكَلْبُ جَرْوًا لِلْحَسَنِ أَوِ الْحُسَيْنِ تَحْتَ نَضَدٍ لَهُ فَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَبِي طَلْحَةَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেঃ জিবরীল(আ)আমার নিকট এসে বললেন, গতরাতে আমি আপনার নিকট এসেছিলাম, কিন্তু আপনার অবস্থানরত ঘরের দরজায় একটি পুরুষের প্রতিকৃতি, ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি সূক্ষ্ম কাপড়ের পর্দা এবং একটি কুকুর আমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেছে। সুতরাং আপনি দরজার পাশে রাখা প্রতিকৃতিটির মাথা কেটে ফেলার আদেশ করুন, তাহলে সেটা গাছের আকৃতি হয়ে যাবে। আর পর্দাটিও কেটে ফেলতে বলুন আর তা দিয়ে সাধারণতঃ ব্যবহারের জন্য দু’টি গদি বানানো যাবে এবং কুকুরটিকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরীলের পরামর্শ মুতাবিক কাজ করলেন। আর কুকুর ছানাটি হাসান কিংবা হুসাইনের চৌকির নীচে বসা ছিল। যা হোক তিনি আদেশ করলেন এবং সে মুতাবিক এটাকেও বের করে দেয়া হল।

সহীহঃ আদবুয যিফাফ নতুন সংস্করণ (১৯০-১৯৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আয়িশাহ্ ও আবূ তাল্হা (রা:) হতে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৫

পুরুষের জন্য হলুদ রঙের কাপড় এবং রেশমী কাপড় পরা নিষেধ

২৮০৭

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ وَعَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَحْمَرَانِ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَرُدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ السَّلاَمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ كَرِهُوا لُبْسَ الْمُعَصْفَرِ وَرَأَوْا أَنَّ مَا صُبِغَ بِالْحُمْرَةِ بِالْمَدَرِ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ فَلاَ بَأْسَ بِهِ إِذَا لَمْ يَكُنْ مُعَصْفَرًا ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ দু’টি লাল কাপড় পরা কোন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের উত্তর দেননি।

সনদ দূর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। আলিমের মতে এ হাদিসের অর্থ হল, তারা কুসুম রংয়ের জামা-কাপড় অপছন্দ করেছেন। তাদের মতে কুসুম রং ছাড়া লাল, মেটে ইত্যাদি রং দিয়ে যদি কাপড় লাল করা হয়, তবে কোন দোষ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮০৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هُبَيْرَةَ بْنِ يَرِيمَ، قَالَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ خَاتِمِ الذَّهَبِ وَعَنِ الْقَسِّيِّ وَعَنِ الْمِيثَرَةِ وَعَنِ الْجَعَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو الأَحْوَصِ وَهُوَ شَرَابٌ يُتَّخَذُ بِمِصْرَ مِنَ الشَّعِيرِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.

আলী ইবনু আবূ তালিব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোনার আংটি, কাসসী(রেশমী) কাপড়, রেশমী জীনপোষ (গদি) এবং যবের তৈরী বদ নিষিদ্ধ করেছেন। আবুল আহওয়াস(রহ:) বলেন, জি’আহ্ হল মিসরে যব হতে তৈরী করা এক প্রকার মদ।

হাদীসের বক্তব্য সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮০৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا بِاتِّبَاعِ الْجَنَازَةِ وَعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِي وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ وَرَدِّ السَّلاَمِ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ عَنْ خَاتِمِ الذَّهَبِ أَوْ حَلْقَةِ الذَّهَبِ وَآنِيَةِ الْفِضَّةِ وَلُبْسِ الْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَالإِسْتَبْرَقِ وَالْقَسِّيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَشْعَثُ بْنُ سُلَيْمٍ هُوَ أَشْعَثُ بْنُ أَبِي الشَّعْثَاءِ وَأَبُو الشَّعْثَاءِ اسْمُهُ سُلَيْمُ بْنُ الأَسْوَدِ ‏.‏

বারাআ ইবনু ‘আযিব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সাতটি কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে জানাযার অনুসরণ করতে, রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, হাঁচিদাতার জবাব দিতে, দাওয়াতকারীর দাওয়াত গ্রহণ করতে, মযলিমের সাহায্য করতে, প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে এবং সালামের উত্তর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তিনি সাতটি কাজ হতে আমাদের বারণ করেছেঃ সোনার আংটি বা শাখা, রুপার পাত্র ব্যবহার করতে, রশমী বস্ত্র, মিহী রেশমী কাপড়, মোটা রেশমী কাপড়, কাসসী কাপড় পরিধান করতে।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আশ’আস ইবনু সুলাইম হলেন আশ’আস ইবনু আবীশ শা’সা। আবুশ্ শা’মার নাম সুলাইম ইবনুল আসওয়াদ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৬

সাদা পোশাক পরিধান

২৮১০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْبَسُوا الْبَيَاضَ فَإِنَّهَا أَطْهَرُ وَأَطْيَبُ وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏

সামুরাহ্ ইবনু জুনদাব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাদা পোশাক পরিধান কর। কেননা এটা সবচেয়ে পবিত্র ও উত্তম। আর তোমাদের মৃতদেরকেও এ কাপড়ে কাফন দিও।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৪৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু আব্বাস ও ইবনু উমার (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস