২৫. অধ্যায়ঃ
যাদের উপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন, তিরস্কার করেছেন অথবা বদদু‘আ করেছেন; অথচ তারা এর যোগ্য নয় তাদের জন্য তা হবে পবিত্রতা, পুরস্কার ও রহ্মাত স্বরূপ
৬৫০৮
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاَنِ فَكَلَّمَاهُ بِشَىْءٍ لاَ أَدْرِي مَا هُوَ فَأَغْضَبَاهُ فَلَعَنَهُمَا وَسَبَّهُمَا فَلَمَّا خَرَجَا قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَصَابَ مِنَ الْخَيْرِ شَيْئًا مَا أَصَابَهُ هَذَانِ قَالَ ” وَمَا ذَاكِ ” . قَالَتْ قُلْتُ لَعَنْتَهُمَا وَسَبَبْتَهُمَا قَالَ ” أَوَمَا عَلِمْتِ مَا شَارَطْتُ عَلَيْهِ رَبِّي قُلْتُ اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَىُّ الْمُسْلِمِينَ لَعَنْتُهُ أَوْ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْهُ لَهُ زَكَاةً وَأَجْرًا ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা দু’জন লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে আসলো। তারা তাঁর সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা করল। তা কী ছিল, আমি জানি না। অতঃপর তারা তাঁকে রাগান্বিত করেছিল। তিনি তাদের উভয়কে অভিসম্পাত করলেন এবং তিরস্কার করলেন। যখন তারা বের হয়ে গেল আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। যারা (আপনার কাছ থেকে) কল্যাণ লাভ করে। এরা দু’জনে তার কিছুই পাবে না। তিনি বললেন, সে কী ব্যাপার! তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] বললেন, আপনি তো তাদের উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন এবং ধিক্কার দিয়েছেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি জান আমার প্রতিপালকের সাথে এ বিষয়ে আমি কী শর্তারোপ করেছি? আমি বলেছিলাম, “হে আল্লাহ্! আমি একজন মানুষ। আমি কোন মুসলিমকে লা’নত করলে কিংবা তিরস্কার করলে তা তুমি তার জন্য পবিত্রতা ও পুরস্কার বানিয়ে দিও।” (ই.ফা. ৬৩৭৭, ই.সে. ৬৪২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫০৯
حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، جَمِيعًا عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَقَالَ فِي حَدِيثِ عِيسَى فَخَلَوَا بِهِ فَسَبَّهُمَا وَلَعَنَهُمَا وَأَخْرَجَهُمَا .
আ’মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আ’মাশ (রাঃ) থেকে এ সানাদে জারীর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি ঈসা (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে বলেন, এরপর তারা তাঁর সঙ্গে একান্তে মিলিত হলেন, তখন তিনি তাদের উভয়কে তিরস্কার করলেন এবং তাদেরকে লা’নাত দিয়ে বের করে দিলেন। (ই.ফা. ৬৩৭৮, ই.সে. ৬৪২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ سَبَبْتُهُ أَوْ لَعَنْتُهُ أَوْ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ زَكَاةً وَرَحْمَةً ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ্! আমি তো একজন মানুষ। সুতরাং আমি কোন মুসলিমকে গাল-মন্দ করলে কিংবা তাকে অভিশাপ করলে অথবা আঘাত করলে তখন তুমি তার জন্য তা পবিত্রতা ও রহ্মাত অর্জনের উপায় বানিয়ে দিও।” (ই.ফা. ৬৩৭৯, ই.সে. ৬৪৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১১
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّ فِيهِ “ زَكَاةً وَأَجْرًا ” .
জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তার হাদীসে (আরবী) (করুণা)-এর স্থলে (আরবী) (সাওয়াব) উল্লেখিত হয়েছে। (ই.ফা. ৬৩৮০, ই.সে. ৬৪৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ . مِثْلَ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ عِيسَى جَعَلَ ” وَأَجْرًا ” . فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَعَلَ ” وَرَحْمَةً ” . فِي حَدِيثِ جَابِرٍ .
আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে ‘ঈসা (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে (আরবী) (বানিয়ে দাও) উল্লেখ আছে। আর আবূ হুরায়রা্-এর হাদীসে (আরবী) (পুরস্কার) কথাটি উল্লেখ রয়েছে এবং জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে (আরবী) (বানিয়ে দাও রহ্মাত) কথাটির উল্লেখ আছে।
(ই.ফা. ৬৩৮১, ই.সে. ৬৪৩১ [ক])
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَّخِذُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَىُّ الْمُؤْمِنِينَ آذَيْتُهُ شَتَمْتُهُ لَعَنْتُهُ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ صَلاَةً وَزَكَاةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট থেকে যে বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি, তুমি কখনো তার বিপরীত করো না। আমি তো একজন মানুষ মাত্র। সুতরাং আমি কোন মু’মিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিলে, গাল-মন্দ করলে, অভিসম্পাত করলে, তাকে কোড়া লাগালে তা তার জন্য রহ্মাত, পবিত্রতা ও নৈকট্যের কারণ বানিয়ে দাও, যার দ্বারা সে কিয়ামাত দিবসে তোমার নৈকট্য লাভ করতে পারে। (ই.ফা. ৬৩৮২, ই.সে. ৬৪৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৪
حَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ” أَوْ جَلَدُّهُ ” . قَالَ أَبُو الزِّنَادِ وَهِيَ لُغَةُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَإِنَّمَا هِيَ ” جَلَدْتُهُ ” .
আবূ যিনাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ যিনাদ (রহঃ) এ সানাদে তার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। পার্থক্য এতটুকু যে, তিনি বলেছেন, (আরবী) (কিংবা আমি দোর্রা মেরেছি)।
আবূ যিনাদ (রহঃ) বলেন, এ শব্দটি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর পরিভাষা মাত্র। আসলে এর অর্থ (আরবী) (অর্থাৎ-আমি তাকে শাস্তি দিয়েছি)। (ই.ফা. ৬৩৮৩, ই.সে. ৬৪৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৫
حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ مَعْبَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৩৮৪, ই.সে. ৬৪৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ سَالِمٍ، مَوْلَى النَّصْرِيِّينَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ إِنَّمَا مُحَمَّدٌ بَشَرٌ يَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُ الْبَشَرُ وَإِنِّي قَدِ اتَّخَذْتُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ آذَيْتُهُ أَوْ سَبَبْتُهُ أَوْ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ كَفَّارَةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
নাসরিয়্যিন-এর আযাদকৃত গোলাম সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ তো একজন মানুষ। তিনি রাগান্বিত হন যেভাবে একজন মানুষ রাগান্বিত হয়। আর আমি আপনার কাছ থেকে যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছি আপনি কখনো তার উল্টো করবেন না। অতএব কোন মু’মিনকে আমি দুঃখ দিলে কিংবা তাকে তিরস্কার করলে অথবা তাকে কোড়া লাগালে তা আপনি তার জন্য কাফ্ফারাহ্ ও নৈকট্য লাভের সোপান বানিয়ে দিন; যার দ্বারা কিয়ামাত দিবসে সে আপনার নৈকট্য অর্জন করতে পারে।” (ই.ফা. ৬৩৮৫, ই.সে. ৬৪৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৭
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا عَبْدٍ مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, “হে আল্লাহ্! আমি কোন ঈমানদার বান্দাকে মন্দ কথা বললে তুমি তা তার জন্য কিয়ামাত দিবসে তোমার সান্নিধ্য লাভের ওয়াসীলা বানিয়ে দিও।” (ই.ফা. ৬৩৮৬, ই.সে. ৬৪৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৮
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ إِنِّي اتَّخَذْتُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ أَوْ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ كَفَّارَةً لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, “হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট থেকে যে বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, আপনি কখনো তার বিপরীত করবেন না। কাজেই আমি কোন মু’মিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিলে কিংবা গালি বা শাস্তি বিধান কায়িম করলে আপনি তার জন্য কিয়ামাত দিবসে কাফ্ফারাহ্ বানিয়ে দিন।” (ই.ফা. ৬৩৮৭, ই.সে. ৬৪৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১৯
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنِّي اشْتَرَطْتُ عَلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَىُّ عَبْدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ سَبَبْتُهُ أَوْ شَتَمْتُهُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ لَهُ زَكَاةً وَأَجْرًا ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি তো একজন মানুষ। অতএব আমি আমার পালনকর্তার সাথে এ শর্ত করে নিয়েছি যে, মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত কোন বান্দাকে আমি ভৎর্সনা করলে কিংবা তিরস্কার করলে তা যেন তার জন্য পবিত্রতা ও পুরস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। (ই.ফা. ৬৩৮৮, ই.সে. ৬৪৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২০
حَدَّثَنِيهِ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অত্র সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৩৮৮, ই.সে. ৬৪৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২১
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عُمَرُ، بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كَانَتْ عِنْدَ أُمِّ سُلَيْمٍ يَتِيمَةٌ وَهِيَ أُمُّ أَنَسٍ فَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيَتِيمَةَ فَقَالَ ” آنْتِ هِيَهْ لَقَدْ كَبِرْتِ لاَ كَبِرَ سِنُّكِ ” . فَرَجَعَتِ الْيَتِيمَةُ إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تَبْكِي فَقَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ مَا لَكِ يَا بُنَيَّةُ قَالَتِ الْجَارِيَةُ دَعَا عَلَىَّ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ يَكْبَرَ سِنِّي فَالآنَ لاَ يَكْبَرُ سِنِّي أَبَدًا – أَوْ قَالَتْ قَرْنِي – فَخَرَجَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ مُسْتَعْجِلَةً تَلُوثُ خِمَارَهَا حَتَّى لَقِيَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا لَكِ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ ” . فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَدَعَوْتَ عَلَى يَتِيمَتِي قَالَ ” وَمَا ذَاكِ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ ” . قَالَتْ زَعَمَتْ أَنَّكَ دَعَوْتَ أَنْ لاَ يَكْبَرَ سِنُّهَا وَلاَ يَكْبَرَ قَرْنُهَا – قَالَ – فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ” يَا أُمَّ سُلَيْمٍ أَمَا تَعْلَمِينَ أَنَّ شَرْطِي عَلَى رَبِّي أَنِّي اشْتَرَطْتُ عَلَى رَبِّي فَقُلْتُ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَرْضَى كَمَا يَرْضَى الْبَشَرُ وَأَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُ الْبَشَرُ فَأَيُّمَا أَحَدٍ دَعَوْتُ عَلَيْهِ مِنْ أُمَّتِي بِدَعْوَةٍ لَيْسَ لَهَا بِأَهْلٍ أَنْ تَجْعَلَهَا لَهُ طَهُورًا وَزَكَاةً وَقُرْبَةً يُقَرِّبُهُ بِهَا مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . وَقَالَ أَبُو مَعْنٍ يُتَيِّمَةٌ . بِالتَّصْغِيرِ فِي الْمَوَاضِعِ الثَّلاَثَةِ مِنَ الْحَدِيثِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস (রাঃ)-এর মা উম্মু সুলায়মা-এর নিকট এক ইয়াতীম মেয়ে ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখে বললেন, এ তুমি সে মেয়ে? তুমি তো অনেক বড় হয়েছ; কিন্তু তুমি দীর্ঘায়ু হবে না। তখন ইয়াতীম মেয়েটি উম্মু সুলায়মের নিকট এসে কাঁদতে লাগল। তখন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, তোমার কী হয়েছে? হে আমার স্নেহের মেয়ে! মেয়েটি বলল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বদ্দু’আ করেছেন।তিনি বলেছেন, আমি দীর্ঘায়ু হব না। সুতরাং এখন থেকে আমি বয়সে আর বড় হব না। অথবা সে (আরবী) এর স্থলে (আরবী) (আমার সমবয়সী) বলেছিল। এ কথা শুনে উম্মু সুলায়ম (রাঃ) তাড়াতাড়ি গায়ে চাদর দিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দেখা করেন। তখন তাঁর উদ্দেশে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কী ব্যাপার, হে উম্মু সুলায়ম! তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি কি আমার ইয়াতীম মেয়েটিকে বদ্দু’আ করেছেন? তিনি বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! এটা কেমন কথা! বদ্দু’আ করব কেন? উম্মু সুলায়ম বললেন, সে তো মনে করেছে যে, আপনি তাকে বদ্দু’আ করেছেন যেন তার বয়স না বাড়ে কিংবা তার সমবয়সীর বয়স বৃদ্ধি না পায়। রাবী বলেন , তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হেসে বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! তুমি বোধহয় জান না যে, আমার রবের সাথে এ মর্মে আমি শর্ত করেছি এবং আমি বলেছি যে, আমি একজন মানুষ মাত্র। মানুষ যাতে সন্তুষ্ট থাকে আমিও তাতে সন্তুষ্ট হই। আমিও রাগান্বিত হই যেভাবে মানুষ রাগান্বিত হয়ে থাকে। সুতরাং আমি আমার উম্মতের কোন লোকের বিরুদ্ধে বদ্দু’আ করলে সে যদি তার যোগ্য না হয় তাহলে তা তার জন্য পবিত্রতা, আত্মশুদ্ধি ও নৈকট্যর সোপান বানিয়ে দাও, যার দ্বারা কিয়ামাতের দিনে সে তোমার নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
আবূ মা’ন (রহঃ) উল্লেখিত এক হাদীসে তিন জায়গায় (আরবী)-এর স্থলে (আরবী) শব্দ বর্ণনা করেছেন, যার অর্থ ছোট ইয়াতীম মেয়ে। (ই.ফা. ৬৩৮৯, ই.সে. ৬৪৪০ )
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الْقَصَّابِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنْتُ أَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَوَارَيْتُ خَلْفَ بَابٍ – قَالَ – فَجَاءَ فَحَطَأَنِي حَطْأَةً وَقَالَ ” اذْهَبْ وَادْعُ لِي مُعَاوِيَةَ ” . قَالَ فَجِئْتُ فَقُلْتُ هُوَ يَأْكُلُ – قَالَ – ثُمَّ قَالَ لِيَ ” اذْهَبْ وَادْعُ لِي مُعَاوِيَةَ ” . قَالَ فَجِئْتُ فَقُلْتُ هُوَ يَأْكُلُ فَقَالَ ” لاَ أَشْبَعَ اللَّهُ بَطْنَهُ ” . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى قُلْتُ لأُمَيَّةَ مَا حَطَأَنِي قَالَ قَفَدَنِي قَفْدَةً .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন একদিন আমি বালকদের সাথে খেলায় লিপ্ত ছিলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে আসলেন। তখন আমি একটি দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকলাম। তিনি বলেন, তিনি আমাকে তাঁর হাতে (আদর করে) চড় দিলেন এবং বললেন, যাও, মু’আবিয়াকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আসো। তিনি বলেন, তখন আমি তার নিকট গেলাম এবং বললাম, তিনি খাচ্ছিলেন। (আমি ফিরে আসলাম) তিনি বলেন, তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, যাও , মু’আবিয়াকে আমার নিকট ডেকে নিয়ে আসো। তিনি বলেন, তখন আমি তার নিকট গেলাম এবং (ফিরে এসে) বললাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্ যেন তার পেটভর্তি না করেন।
ইবনুল মুসান্না (রহঃ) বলেন, আমি উমাইয়্যাকে বললাম, (আরবী) ‘আমাকে চড় মেরেছেন’-এর অর্থ কি? তিনি বললেন, (আরবী) অর্থাৎ-তিনি আমাকে আদর করেছেন। (ই.ফা. ৬৩৯০, ই.সে. ৬৪৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২৩
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ كُنْتُ أَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَبَأْتُ مِنْهُ . فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ .
আবূ হামযাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি কিছু ছেলের সাথে খেলায় লিপ্ত ছিলাম। অকস্মাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তথায় আসলেন আমি তাত্থেকে লুকিয়ে থাকলাম।… তারপর তিনি তার হুবহু হাদীস উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৬৩৯১, ই.সে. ৬৪৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬. অধ্যায়ঃ
দ্বি-মুখী লোকের নিন্দা ও তার এ কাজে হারামকরণ প্রসঙ্গে
৬৫২৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ مِنْ شَرِّ النَّاسِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ্, (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মানুষের মধ্যে দু’ রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এ দলের নিকট আসে একরূপ নিয়ে এবং অন্য দলের নিকট আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে। (ই.ফা. ৬৩৯২, ই.সে. ৬৪৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ شَرَّ النَّاسِ ذُو الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয়ই তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ দু’ রুপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যে ব্যক্তি এ দলের নিকটে আসে একরূপ নিয়ে ও অন্যদলের কাছে আসে একরূপ নিয়ে। (ই.ফা. ৬৩৯৩, ই.সে. ৬৪৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২৬
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَجِدُونَ مِنْ شَرِّ النَّاسِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে দু’ রূপধারী মানুষকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট পাবে। এক দলের নিকট আসে একরূপ নিয়ে অন্য দলের কাছে আসে আর একরূপ নিয়ে। (ই.ফা. ৬৩৯৪, ই.সে. ৬৪৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭. অধ্যায়ঃ
মিথ্যা হারামকরণ ও তা মুবাহ হওয়ার বিবরণ
৬৫২৭
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ أُمَّهُ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَكَانَتْ، مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ اللاَّتِي بَايَعْنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ “ لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خَيْرًا وَيَنْمِي خَيْرًا ” . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلَمْ أَسْمَعْ يُرَخَّصُ فِي شَىْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ الْحَرْبُ وَالإِصْلاَحُ بَيْنَ النَّاسِ وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا .
হিজরতকারিণীদের মধ্যে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাতে প্রথম বাই’আত গ্রহণকারিণীদের অন্যতমা সহাবীয়া উম্মু কুলসূম বিনতু ‘উকবাহ ইবনু আবূ মু’আয়ত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, সে ব্যক্তি মিথ্যুক নয়, যে লোকের মধ্যে আপোষে সমাধা করে দেয়। সে কল্যাণের জন্যই মিথ্যা বলে এবং কল্যাণের জন্যেই চোগলখোরী করে।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তিনটি স্থান ছাড়া আর কোন বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। যুদ্ধ কৌশলের ক্ষেত্রে, মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংশা করার জন্য, সহধর্মিণীর সাথে স্বামীর কথা ও স্বামীর সাথে সহধর্মিণীর কথা বলার ক্ষেত্রে। (ই.ফা. ৬৩৯৫, ই.সে. ৬৪৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২৮
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّفِي حَدِيثِ صَالِحٍ وَقَالَتْ وَلَمْ أَسْمَعْهُ يُرَخِّصُ فِي شَىْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ . بِمِثْلِ مَا جَعَلَهُ يُونُسُ مِنْ قَوْلِ ابْنِ شِهَابٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে হুবহু বর্ণনা করেছেন। এছাড়া সালিহ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে। রাবী বলেন, আর লোকেরা যা বলে তাতে শুধু এ তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার অনুমতি দানের কথা আমি শুনিনি, যা ইবনু শিহাব (রহঃ)-এর কথা ইউনুস (রহঃ) বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৩৯৬, ই.সে. ৬৪৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২৯
وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ “ وَنَمَى خَيْرًا ” . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে তাঁর কথা (আরবী) (ভালোর জন্যই চোগলখোরী করে) পর্যন্ত বর্ণিত আছে। পরবর্তি অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৩৯৭, ই.সে. ৬৪৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮. অধ্যায়ঃ
চোগলখোরী হারামকরণ
৬৫৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ إِنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ مَا الْعَضْهُ هِيَ النَّمِيمَةُ الْقَالَةُ بَيْنَ النَّاسِ ” . وَإِنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ الرَّجُلَ يَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ صِدِّيقًا وَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ كَذَّابًا ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কি তোমাদের হুশিয়ার করবনা, চোগলখোরী কী? তা হচ্ছে কুৎসা রটনা করা, যা মানুষের মধ্যে বৈরিতার সৃষ্টি করে। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেছেন, নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি সত্য কথা বলায় সত্যবাদী লিপিবদ্ধ হয়; আবার কেউ মিথ্যা কথা বলায় মিথ্যাবাদী লিপিবদ্ধ হয়। (ই.ফা. ৬৩৯৮, ই.সে. ৬৪৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯. অধ্যায়ঃ
মিথ্যার নিন্দা এবং সত্যের সৌন্দর্যতা ও তার উপকারিতা
৬৫৩১
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ صِدِّيقًا وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ كَذَّابًا ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সততা সৎকর্মের দিকে পথপ্রদর্শন করে আর সৎকর্ম জান্নাতের পথপ্রদর্শন করে। নিশ্চয়ই কোন মানুষ সত্য কথা বলায় সত্যবাদী হিসাবে (তার নাম) লিপিবদ্ধ হয়। আর অসত্য পাপের পথপ্রদর্শন করে এবং পাপ জাহান্নামের দিকে পথপ্রদর্শন করে। নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি নিথ্যায় রত থাকলে পরিশেষে মিথ্যাবাদী হিসেবেই (তার নাম) লিপিবদ্ধ করা হয়। (ই.ফা. ৬৩৯৯, ই.সে. ৬৪৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ الصِّدْقَ بِرٌّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَإِنَّ الْكَذِبَ فُجُورٌ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ كَذَّابًا ” . قَالَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي رِوَايَتِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সত্যতা তো পুণ্যের কাজ; আর পুণ্যময় কাজ জান্নাতের পথ দেখিয়ে দেয়। কোন বান্দা সৎ বলার ইচ্ছা করলে অবশেষে আল্লাহর নিকট তার নাম সত্যবাদী বলে লিপিবদ্ধ হয়। আর মিথ্যা তো অপরাধ, এ অপরাধ জাহান্নামের পথপ্রদর্শন করে। আর কোন বান্দা মিথ্যা বলার চিন্তা করার কারণে অবশেষে সে মিথ্যাবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) তাঁর অপর বর্ণিত হাদীসটি ‘আন্ ‘আন্ সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৪০০, ই.সে. ৬৪৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَكْذِبُ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا ” .
‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সত্যকে ধারণ করা তোমাদের একান্ত কর্তব্য। কেননা সততা নেক কর্মের দিকে পথপ্রদর্শন করে আর নেককর্ম জান্নাতের পথপ্রদর্শন করে। কোন ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বললে ও সত্য বলার চেষ্টায় রত থাকলে, অবশেষে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। আর তোমরা মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকো! কেননা মিথ্যা পাপের দিকে পথপ্রদর্শন করে। আর পাপ নিশ্চিত জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করে। কোন ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা কথা বললে এবং মিথ্যার উপর অবিচল থাকার চেষ্টা করলে, অবশেষে সে আল্লাহর নিকট মিথ্যাবাদীরূপে লিপিবদ্ধ হয়। (ই.ফা. ৬৪০১, ই.সে. ৬৪৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩৪
حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ، إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِ عِيسَى ” وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ ” . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ ” حَتَّى يَكْتُبَهُ اللَّهُ ” .
মিনজাব ইবনুল হারিস আত্ তামীমী (রহঃ), ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম আল হানযালী (রহঃ) উভয়ে আ’মাশ থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘ঈসা (রহঃ)-এর হাদীসে “সত্য বলার চেষ্টা করে এবং মিথ্যা বলার চেষ্টা করে এবং মিথ্যা বলার চেষ্টা করে” কথাটি উল্লেখ করেননি। আর ইবনু মুসহির (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে “অবশেষে আল্লাহ তা লিখবেন” কথাটি উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ৬৪০২, ই.সে. ৬৪৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০. অধ্যায়ঃ
রাগের মুহুর্তে যে নিজেকে বশ করে তার মর্যাদা এবং কিসের সাহায্যে রাগ দূরীভূত হয়
৬৫৩৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا تَعُدُّونَ الرَّقُوبَ فِيكُمْ ” . قَالَ قُلْنَا الَّذِي لاَ يُولَدُ لَهُ . قَالَ ” لَيْسَ ذَاكَ بِالرَّقُوبِ وَلَكِنَّهُ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ يُقَدِّمْ مِنْ وَلَدِهِ شَيْئًا ” . قَالَ ” فَمَا تَعُدُّونَ الصُّرَعَةَ فِيكُمْ ” . قَالَ قُلْنَا الَّذِي لاَ يَصْرَعُهُ الرِّجَالُ . قَالَ ” لَيْسَ بِذَلِكَ وَلَكِنَّهُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তোমাদের মাঝে কাউকে নিঃসন্তান বলে মনে করো? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, যার সন্তান জন্মায় না তাকেই নিঃসন্তান মনে করি। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি মূলতঃ নিঃসন্তান নয়। বরং সে লোকই নিঃসন্তান, যে তার কোন সন্তানকে আগে পাঠায়নি (অর্থাৎ-যার জীবিতাবস্থায় তার সন্তান মৃত্যুবরণ করেনি)। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের মাঝে কাকে বীর বিক্রম বলে গণ্য করো? আমরা বললাম, যাকে মানুষেরা কুস্তিতে ঠকাতে পারে না। তিনি বললেন, মূলতঃ সে বীর বিক্রম নয়; বরং (প্রকৃত বীর সে-ই) যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।১ (ই.ফা. ৬৪০৩, ই.সে. ৬৪৫৪)
১(আরবী)-এর মৌলিক অর্থ আরব বিশ্বের কাছে “যার সন্তান নেই”। হাদীসের মর্মার্থ হচ্ছে তোমরা নিশ্চয়ই বিশ্বাস কর কারো মৃত্যুতে বিপদগ্রস্ত, শোকাহত, দুঃখিত ব্যক্তি নিঃসন্তান নয়। বরং জীবিতাবস্হায় যার কোন সন্তান মারা যায়নি, ফলে সাওয়াবের আশায় ধৈর্যের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়নি, সেই প্রকৃতপক্ষে নিঃসন্তান। নিশ্চয়ই ধৈর্যের ও মুসীবাতের সাওয়াব লিখা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ مَعْنَاهُ .
আ‘মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আ‘মাশ (রাঃ) হতে এ সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৪০৪, ই.সে. ৬৪৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالاَ كِلاَهُمَا قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সে লোক প্রকৃত বীর বিক্রম নয়, যে কুস্তিতে জয়ী হয় বরং প্রকৃত বীর বিক্রম সে-ই; যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (ই.ফা.৬৪০৫, ই.সে.৬৪৫৬)(আরবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩৮
حَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ ” . قَالُوا فَالشَّدِيدُ أَيُّمَ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, সে লোক প্রকৃত বীর বিক্রম নয়, যে কুস্তিতে সফল হয়। লোকেরা জানতে চাইল, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে প্রকৃত বীর কে? তিনি বললেন, প্রকৃত সাহসী বীর সে-ই, যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। (ই.ফা.৬৪০৬, ই.সে.৬৪৫৬ [ক])
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩৯
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.৬৪০৭, ই.সে.৬৪৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، قَالَ اسْتَبَّ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ أَحَدُهُمَا تَحْمَرُّ عَيْنَاهُ وَتَنْتَفِخُ أَوْدَاجُهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي لأَعْرِفُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا لَذَهَبَ عَنْهُ الَّذِي يَجِدُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ” . فَقَالَ الرَّجُلُ وَهَلْ تَرَى بِي مِنْ جُنُونٍ قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ فَقَالَ وَهَلْ تَرَى . وَلَمْ يَذْكُرِ الرَّجُلَ
সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে দু’ব্যক্তি কথা কাটাকাটিতে প্রবৃত্ত হলো এবং তাদের একজনের দু’ চোখ (রাগে) লাল হয়ে গেল এবং তার রগরেশা খাড়া হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি এমন একটা কালিমাহ্ জানি, যা যে কেউ পাঠ করলে তার রাগ দূর হয়ে যায়। আর তা হচ্ছে (আরবী) (আমি বিতাড়িত শাইতানের থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই)। (এ কথা শুনে) সে ব্যক্তি বলল, আপনি কি আমাকে পাগল মনে করেছেন?
ইবনুল ‘আলা (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেন, তারপর তিনি বললেন, তুমি কি মনে করেছ? (আরবী) শব্দটি তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.৬৪০৮, ই.সে.৬৪৫৮) (আরবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪১
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، سَمِعْتُ الأَعْمَشَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ ثَابِتٍ، يَقُولُ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ، قَالَ اسْتَبَّ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ أَحَدُهُمَا يَغْضَبُ وَيَحْمَرُّ وَجْهُهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” إِنِّي لأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا لَذَهَبَ ذَا عَنْهُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ” . فَقَامَ إِلَى الرَّجُلِ رَجُلٌ مِمَّنْ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَتَدْرِي مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آنِفًا قَالَ ” إِنِّي لأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا لَذَهَبَ ذَا عَنْهُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ” . فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ أَمَجْنُونًا تَرَانِي
সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সামনে দু‘ব্যক্তি কথা কাটাকাটি করতে উদ্যত হলো। তাদের একজন কঠিন রাগান্বিত হলো এবং তার মুখমন্ডল রাগে লাল হয়ে গেল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রতি তাকিয়ে বললেন, আমি এমন একটা কালিমাহ্ জানি, সে তা পাঠ করে তার থেকে এ রাগ চলে যাবে। (আর তা হলো) আ‘ঊযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্ব-নির রজীম-… “আমি বিতাড়িত শাইতানের থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই”। সে সময় যারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী শুনেছেন, তাদের মধ্য হতে একজন সে লোকটির নিকট গিয়ে বললেন, তুমি কি জান, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটু আগে কি বলেছেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অবশ্যই আমি এমন একটি কালিমাহ্ জানি, তা যদি সে পাঠ করত তাহলে তার হতে তা (রাগ) চলে যেত। (আর তা হলো) এ- (আরবী) তারপর সে ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি কি আমাকে পাগল মনে করেছ? (ই.ফা.৬৪০৯, ই.সে.৬৪৫৯)(আরবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.৬৪১০, ই.সে.৬৪৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১. অধ্যায়:
সৃষ্টিগত ভাবে মানুষ নিজেকে আয়ত্তে রাখতে ক্ষমতা রাখে না
৬৫৪৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَمَّا صَوَّرَ اللَّهُ آدَمَ فِي الْجَنَّةِ تَرَكَهُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَتْرُكَهُ فَجَعَلَ إِبْلِيسُ يُطِيفُ بِهِ يَنْظُرُ مَا هُوَ فَلَمَّا رَآهُ أَجْوَفَ عَرَفَ أَنَّهُ خُلِقَ خَلْقًا لاَ يَتَمَالَكُ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদাম (‘আঃ)-এর আকৃতি সৃষ্টি করেন তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে নিজের ইচ্ছামত ফেলে রাখলেন। আর ইব্লীস তার চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করতো এবং দেখতে থাকতো যে, পদার্থটি কি? সে যখন দেখতে পেল তা খালী পাত্র তখন সে বুঝল যে, তাকে এমন এক স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, যে নিজকে আয়ত্তে রাখতে পারে না। (ই.ফা.৬৪১১, ই.সে.৬৪৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাম্মাদ (রহঃ) এ সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.৬৪১২, ই.সে.৬৪৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২. অধ্যায়:
চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্বকরণ
৬৫৪৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنِ أَبِي، الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيَجْتَنِبِ الْوَجْهَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের মাঝে কোন ভাই তার ভাই-এর সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে তখন সে যেন তার মুখের উপর আঘাত করা থেকে বিরত থাকে। (ই.ফা.৬৪১৩, ই.সে.৬৪৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪৬
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ “ إِذَا ضَرَبَ أَحَدُكُمْ ” .
আবূ যিনাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ যিনাদ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি বলেছেন, তোমাদের কোন ভাই যখন অন্য ভাইকে মারে….। (ই.ফা.৬৪১৪, ই.সে.৬৪৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪৭
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيَتَّقِ الْوَجْهَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কোন ভাই যখন কোন ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে তখন সে যেন মুখমন্ডলকে পরহেয করে (মুখমন্ডলে প্রহার না করে)। (ই.ফা.৬৪১৫, ই.সে.৬৪৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعَ أَبَا، أَيُّوبَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلاَ يَلْطِمَنَّ الْوَجْهَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যদি তার ভাইয়ের সাথে মারামারি করে তখন সে যেন তার চেহারায় চপেটাঘাত না করে। (ই.ফা.৬৪১৬, ই.সে.৬৪৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৪৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ، حَاتِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ ابْنِ حَاتِمٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيَجْتَنِبِ الْوَجْهَ فَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আর ইবনু হাহিম-এর বর্ণনায় আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ তার অন্য ভাইকে আঘাত করে সে যেন তার ভাইয়ের মুখমন্ডলে আঘাত করা হতে বিরত থাকে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা আদাম (‘আঃ)-কে তার নিজ রূপে সৃষ্টি করেছেন। (ই.ফা.৬৪১৭, ই.সে.৬৪৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ مَالِكٍ الْمَرَاغِيِّ – وَهُوَ أَبُو أَيُّوبَ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيَجْتَنِبِ الْوَجْهَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে কোন ভাই যদি তার অন্য ভাইকে আঘাত করে, সে যেন তার মুখমন্ডলে আঘাত করা হতে বিরত থাকে। (ই.ফা.৬৪১৮, ই.সে.৬৪৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩. অধ্যায়:
নির্দোষীকে শাস্তিদাতার প্রতি কঠিন ধমকি
৬৫৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ مَرَّ بِالشَّامِ عَلَى أُنَاسٍ وَقَدْ أُقِيمُوا فِي الشَّمْسِ وَصُبَّ عَلَى رُءُوسِهِمُ الزَّيْتُ فَقَالَ مَا هَذَا قِيلَ يُعَذَّبُونَ فِي الْخَرَاجِ . فَقَالَ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ فِي الدُّنْيَا ” .
হিশাম ইবনু হাকীম ইবনু হিযাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, তিনি একবার সিরিয়ায় কয়েকজন মানুষের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাদেরকে উত্তপ্ত সূর্যতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং তাদের মাথার উপর গরম তেল ঢালা হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এটা কী? তাকে বলা হলো যে, তাদেরকে খাযনার জন্য সাজা দেয়া হচ্ছে। তখন তিনি বললেন, হুশিয়ার! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সেসব লোকদের সাজা দিবেন, যারা এ জগতে মানুষকে (অন্যায়) সাজা দেয়। (ই.ফা.৬৪১৯, ই.সে.৬৪৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرَّ هِشَامُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ عَلَى أُنَاسٍ مِنَ الأَنْبَاطِ بِالشَّامِ قَدْ أُقِيمُوا فِي الشَّمْسِ فَقَالَ مَا شَأْنُهُمْ قَالُوا حُبِسُوا فِي الْجِزْيَةِ . فَقَالَ هِشَامٌ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا ” .
হিশাম (রাঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার হিশাম ইবনু হাকিম ইবনু হিযাম সিরিয়ার কৃষকদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এদের কঠিন রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি বললেন, এদের কী হয়েছে? তারা বলল, জিয্য়ার জন্যে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতঃপর হিশাম বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের সাজা দিবেন যারা পৃথিবীতে (অন্যায়ভাবে) মানুষকে সাজা দেয়। (ই.ফা.৬৪২০, ই.সে.৬৪৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ قَالَ وَأَمِيرُهُمْ يَوْمَئِذٍ عُمَيْرُ بْنُ سَعْدٍ عَلَى فِلَسْطِينَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَحَدَّثَهُ فَأَمَرَ بِهِمْ فَخُلُّوا .
হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হিশাম (রাঃ) থেকে এ সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি জারীর বর্ণিত হাদীসে এটুকু বর্ধিত উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, সে যুগে ফিলিস্তীনে তাদের শাসক (গভর্নর) ছিলেন ‘উমায়র ইবনু সা‘দ। তিনি তাঁর নিকট যান এবং তার সঙ্গে কথা-বার্তা বলেন। তিনি তাদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে তারপর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। (ই.ফা.৬৪২১, ই.সে.৬৪৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫৪
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ، وَجَدَ رَجُلاً وَهُوَ عَلَى حِمْصَ يُشَمِّسُ نَاسًا مِنَ النَّبَطِ فِي أَدَاءِ الْجِزْيَةِ فَقَالَ مَا هَذَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا ” .
হিশাম ইবনু হাকীম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হিমস্ এলাকার একব্যক্তি (আমীর)-কে দেখতে পান যে, তিনি জিয্য়াহ্ আদায়ের জন্য কৃষকদের সূর্যের তাপে সাজা দিচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, এ কী ব্যাপার? আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সেসব মানুষকে সাজা দিবেন, যারা ইহজগতে মানুষকে (অন্যায়ভাবে) সাজা দেয়। (ই.ফা.৬৪২২, ই.সে.৬৪৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪. অধ্যায়:
যে ব্যক্তি মাসজিদে, মার্কেটে বা অন্য কোন লোক সভায় অস্ত্র সহ প্রবেশ করে, তার প্রতি তীরের ধারালো অংশ আটকানোর নির্দেশ
৬৫৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا – سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ مَرَّ رَجُلٌ فِي الْمَسْجِدِ بِسِهَامٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَمْسِكْ بِنِصَالِهَا ” .
‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি তীরসহ মাসজিদে আগমন করল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, এর ফলার দিকটা আকঁড়ে ধরে রেখো। (ই.ফা.৬৪২৪, ই.সে.৬৪৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ، قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مَرَّ بِأَسْهُمٍ فِي الْمَسْجِدِ قَدْ أَبْدَى نُصُولَهَا فَأُمِرَ أَنْ يَأْخُذَ بِنُصُولِهَا كَىْ لاَ يَخْدِشَ مُسْلِمًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি খোলা তীরসহ মাসজিদে প্রবেশ করেছিল। সে তীরগুলোর ফলার দিক বের করে রেখেছিল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফলার দিক আটকে রাখার নির্দেশ দিলেন, যাতে কোন মুসলিমের গায়ে আঘাত না লাগে। (ই.ফা.৬৪২৩, ই.সে.৬৪৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَمَرَ رَجُلاً كَانَ يَتَصَدَّقُ بِالنَّبْلِ فِي الْمَسْجِدِ أَنْ لاَ يَمُرَّ بِهَا إِلاَّ وَهُوَ آخِذٌ بِنُصُولِهَا . وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ كَانَ يَصَّدَّقُ بِالنَّبْلِ .
জাবির (রাঃ) এর সানাদে রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মাসজিদে তীর সদাকাহ্ করতেছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এর ফলার দিকটা ধরে রাখার নির্দেশ দেন। ইবনে রুমহ্ (রহঃ) বলেন, সে তীর (বর্শা) দান করতেছিল। (ই.ফা.৬৪২৫, ই.সে.৬৪৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫৮
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي، مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا مَرَّ أَحَدُكُمْ فِي مَجْلِسٍ أَوْ سُوقٍ وَبِيَدِهِ نَبْلٌ فَلْيَأْخُذْ بِنِصَالِهَا ثُمَّ لْيَأْخُذْ بِنِصَالِهَا ثُمَّ لْيَأْخُذْ بِنِصَالِهَا ” . قَالَ فَقَالَ أَبُو مُوسَى وَاللَّهِ مَا مُتْنَا حَتَّى سَدَّدْنَاهَا بَعْضُنَا فِي وُجُوهِ بَعْضٍ .
আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ভাই যদি তার হাতে তীর নিয়ে কোন সভায় কিংবা বাজারে গমন করে তাহলে সে যেন এর ফলাটা ধরে (আটকে) রাখে। বর্ননা কারী বলেন, এরপর আবু মুসা (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ! আমরা একে অন্যের উপর বর্শা হামলা না করা পর্যন্ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করব না।’ (ই.ফা. ৬৪২৬, ই.সে. ৬৪৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৫৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، – وَاللَّفْظُ لِعَبْدِ اللَّهِ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا مَرَّ أَحَدُكُمْ فِي مَسْجِدِنَا أَوْ فِي سُوقِنَا وَمَعَهُ نَبْلٌ فَلْيُمْسِكْ عَلَى نِصَالِهَا بِكَفِّهِ أَنْ يُصِيبَ أَحَدًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْهَا بِشَىْءٍ ” . أَوْ قَالَ ” لِيَقْبِضْ عَلَى نِصَالِهَا ” .
আবু মুসা (রহঃ) এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের কোন ভাই যখন হাতে বর্শা নিয়ে আমাদের মাসজিদে গমন করে কিংবা আমাদের বাজারে গমন করে সে যেন এর ফলাটা নিজের হাতের মুঠ দিয়ে ধরে রাখে। নতুবা তা দ্বারা কোন মুসলিমের (শরীরে) খোঁচা লাগতে পারে। অথবা তিনি বলেছেন, সে যেন তার বর্শার ফলাটি আটকে রাখে। (ই.ফা. ৬৪২৭, ই.সে. ৬৪৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫. অধ্যায়ঃ
কোন মুসলিমের প্রতি অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করা নিষিদ্ধকরণ
৬৫৬০
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَشَارَ إِلَى أَخِيهِ بِحَدِيدَةٍ فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَلْعَنُهُ حَتَّى وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ لأَبِيهِ وَأُمِّهِ ” .
ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা্ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রতি (লৌহ নির্মিত) মরণাস্ত্র দ্বারা ইঙ্গিত করে সে তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত ফেরেশ্তাগণ তাকে অভিসম্পাত করতে থাকে যদিও সে তার আপন ভাই হয়। (ই.ফা. ৬৪২৮, ই.সে. ৬৪৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরুপ একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৪২৯, ই.সে.৬৪৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يُشِيرُ أَحَدُكُمْ إِلَى أَخِيهِ بِالسِّلاَحِ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي أَحَدُكُمْ لَعَلَّ الشَّيْطَانَ يَنْزِعُ فِي يَدِهِ فَيَقَعُ فِي حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ ” .
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট অনেকগুলো হাদীস আলোচনা করেন। তন্মধ্যে একটি হাদীস হচ্ছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন ভাই যেন তরবারি দিয়ে তার ভাই-এর প্রতি ইঙ্গিত না করে। কেননা তোমরা জান না, শাইতান তার মধ্যে হাত রেখে টানতে থাকে তারপর সে জাহান্নামের গর্তে পরে যায়। (ই.ফা. ৬৪৩০, ই.সে.৬৪৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬. অধ্যায়ঃ
চলাচলের পথ হতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করার ফাযীলাত
৬৫৬৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ وَجَدَ غُصْنَ شَوْكٍ عَلَى الطَّرِيقِ فَأَخَّرَهُ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদা এক ব্যক্তি চলাচলের পথ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। তখন সে রাস্তার উপর একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখতে পেলো তারপর তা সরিয়ে দিল। আল্লাহ তার এ ভাল কর্মটি প্রছন্দ করেছেন এবং তাকে (তার পাপ) মাফ করে দিলেন। (ই.ফা. ৬৪৩১, ই.সে. ৬৪৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬৪
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَرَّ رَجُلٌ بِغُصْنِ شَجَرَةٍ عَلَى ظَهْرِ طَرِيقٍ فَقَالَ وَاللَّهِ لأُنَحِّيَنَّ هَذَا عَنِ الْمُسْلِمِينَ لاَ يُؤْذِيهِمْ . فَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখে বলে, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই মুসলিমদের চলাচলের রাস্তা হতে এটা অপসারণ করবো, যাতে তাদেরকে কোন কষ্ট না দেয়। ফলে তাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করানো হয়। (ই.ফা. ৬৪৩২, ই.সে. ৬৪৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬৫
حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَقَدْ رَأَيْتُ رَجُلاً يَتَقَلَّبُ فِي الْجَنَّةِ فِي شَجَرَةٍ قَطَعَهَا مِنْ ظَهْرِ الطَّرِيقِ كَانَتْ تُؤْذِي النَّاسَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক লোককে একটি গাছের কারনে জান্নাতে আনন্দ ফূর্তি করতে দেখেছি। এ গাছটি সে রাস্তার উপর হতে দূর করেছিল, যেটি মানুষকে কষ্ট দিত। (ই.ফা. ৬৪৩৩, ই.সে. ৬৪৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬৬
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ شَجَرَةً كَانَتْ تُؤْذِي الْمُسْلِمِينَ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَطَعَهَا فَدَخَلَ الْجَنَّةَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি গাছ মুসলিমদের (পথ গমন করার সময়) কষ্ট দিত। এক ব্যক্তি এসে সে গাছটি কেটে ফেললো, এরপর সে জান্নাতে প্রবেশ করলো। (ই.ফা. ৬৪৩৪, ই.সে. ৬৪৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬৭
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَمْعَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الْوَازِعِ حَدَّثَنِي أَبُو بَرْزَةَ، قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَنْتَفِعُ بِهِ قَالَ “ اعْزِلِ الأَذَى عَنْ طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ ” .
আবূ বারযাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি আমাকে এমন একটি বিষয় অবহিত করুন, যার সাহায্যে উপকৃত হতে পারি। তিনি বললেন, মুসলিমদের চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিবে। (ই.ফা. ৬৪৩৫, ই.সে. ৬৪৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৬৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَبِي الْوَازِعِ، الرَّاسِبِيِّ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، أَنَّ أَبَا بَرْزَةَ، قَالَ قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَسَى أَنْ تَمْضِيَ وَأَبْقَى بَعْدَكَ فَزَوِّدْنِي شَيْئًا يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ افْعَلْ كَذَا افْعَلْ كَذَا – أَبُو بَكْرٍ نَسِيَهُ – وَأَمِرَّ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ ” .
আবূ বারযাহ্ আল আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সমীপে আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি জানি না, হয়ত একদিন আপনি দুনিয়া ত্যাগ করবেন (ইন্তিকাল করবেন) আর আপনার পর এ অবস্থায় হয়তো আমি বেঁচে থাকব। সুতরাং আমাকে এমন কিছু বানী শিখিয়ে দিন যা দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটি করবে, এটি করবে। বর্ণনাকারী আবূ বাকর (রহঃ) তা ভুলে গেছেন। তিনি নির্দেশ করেছেন যে, চলাচলের পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করবে। (ই.ফা. ৬৪৩৬, ই.সে. ৬৪৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭. অধ্যায়ঃ
বিড়াল ও যে প্রাণী (মানুষকে) কষ্ট দেয় না, তাদেরকে সাজা দেয়া নিষিদ্ধ
৬৫৬৯
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ بْنِ عُبَيْدٍ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ أَسْمَاءَ – عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا إِذْ هِيَ حَبَسَتْهَا وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ ” .
‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি বিড়ালকে সাজা দেওয়ার অপরাধে একটি মহিলাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ বিড়ালটি সে আটকে রেখেছিল। অবশেষে সেটি মারা গেল। এরপর সে কারণে মহিলাটি জাহান্নামে গমন করলো। সে ঐ বিড়ালটিকে আটকাবস্থায় খাবারও দেয়নি, পানিও পান করায়নি, ভূ-পৃষ্ঠের কীট-পতঙ্গ খেয়ে সেটাকে জীবন ধারণ করার সুযোগও দেয়নি। (ই.ফা. ৬৪৩৭, ই.সে. ৬৪৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৭০
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، جَمِيعًا عَنْ مَعْنِ بْنِ عِيسَى، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ جُوَيْرِيَةَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হারূন ইবনু ‘আব্দুল্লাহ ও ‘আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফার ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইবনু খালিদ (রহঃ) ….. ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে জুওয়াইরিয়াহ্ বর্ণিত হাদীসের অর্থের হুবুহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৪৩৮, ই.সে. ৬৪৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৭১
وَحَدَّثَنِيهِ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ أَوْثَقَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَسْقِهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেয়া হয়। সে (মহিলা) এটিকে বেঁধে রাখে, খাবারও দেয়নি এবং পানিও পান করায়নি; এমনকি ভূ-পৃষ্ঠের কীট-পতঙ্গ খেতে (বেঁচে থাকার জন্যে) তাকে বন্ধন ছেড়ে দেয়নি। (ই.ফা. ৬৪৩৮, ই.সে. ৬৪৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৭২
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাস্র ইবনু ‘আলী আল জাহযামী (রহঃ) ….. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুবুহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৪৩৯, ই.সে. ৬৪৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ دَخَلَتِ امْرَأَةٌ النَّارَ مِنْ جَرَّاءِ هِرَّةٍ لَهَا – أَوْ هِرٍّ – رَبَطَتْهَا فَلاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ أَرْسَلَتْهَا تُرَمِّمُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ هَزْلاً ” .
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট অনেকগুলো হাদীস উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে একটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গমন করে। সে এটিকে মজবুত করে আটকে রাখলো। সে মহিলা এটিকে খানা দেয়নি, পানীয় দেয়নি এবং তাকে বন্ধন ছেড়ে দেয়নি যে, জমিনের পোকা-মাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। পরিশেষে বিড়ালটি পানাহারে কাতর হয়ে মারা যায়। (ই.ফা. ৬৪৪০, ই.সে. ৬৪৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮. অধ্যায়ঃ
অহংকার হারামকরণ
৬৫৭৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الأَغَرِّ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْعِزُّ إِزَارُهُ وَالْكِبْرِيَاءُ رِدَاؤُهُ فَمَنْ يُنَازِعُنِي عَذَّبْتُهُ ” .
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয্যত ও সম্মান আল্লাহর ভূষণ এবং গর্ব ও অহংকার তাঁর চাদর। যে লোক এ ক্ষেত্রে আমার সাথে টানা-হেঁচড়া করবে আমি তাকে অবশ্যই সাজা দিব। (ই.ফা. ৬৪৪১, ই.সে. ৬৪৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯. অধ্যায়ঃ
মানুষকে আল্লাহর দয়া হতে নৈরাশ করার নিষিদ্ধকরণ
৬৫৭৫
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ جُنْدَبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَ “ أَنَّ رَجُلاً قَالَ وَاللَّهِ لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لِفُلاَنٍ وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ مَنْ ذَا الَّذِي يَتَأَلَّى عَلَىَّ أَنْ لاَ أَغْفِرَ لِفُلاَنٍ فَإِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِفُلاَنٍ وَأَحْبَطْتُ عَمَلَكَ ” . أَوْ كَمَا قَالَ .
জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক লোক বলল, আল্লাহর শপথ! আল্লাহ অমুক লোককে মাফ করবেন না। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, সে লোক কে? যে শপথ খেয়ে বলে যে, আমি অমুককে মাফ করব না? আমি তাকে মাফ করে দিলাম এবং তোমার ‘আমাল (শপথ)-কে নষ্ট করে দিলাম, কিংবা সে যেমন বলেছেন। (ই.ফা. ৬৪৪২, ই.সে.৬৪৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০. অধ্যায়ঃ
অসহায় ও অজ্ঞাত লোকের মর্যাদা
৬৫৭৬
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رُبَّ أَشْعَثَ مَدْفُوعٍ بِالأَبْوَابِ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এলোমেলো চুল বিশিষ্ট বহু লোক রয়েছে যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে কোন ব্যাপারে শপথ করলে আল্লাহ তা‘আলা তা সত্যে পরিণত করে দেন। (ই.ফা. ৬৪৪৩, ই.সে. ৬৪৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪১. অধ্যায়ঃ
‘মানুষ বরবাদ হয়ে গেছে’ উক্তি নিষিদ্ধকরণ
৬৫৭৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَالَ الرَّجُلُ هَلَكَ النَّاسُ . فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ ” . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ لاَ أَدْرِي أَهْلَكَهُمْ بِالنَّصْبِ أَوْ أَهْلَكُهُمْ بِالرَّفْعِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কোন লোক বলে ‘মানুষ বরবাদ হয়ে গেছে’ তাহলে সে সব লোকের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
আবূ ইসহাক (রাঃ) বলেন, আমি জানি না যে, তিনি ‘সে তাদের বরবাদ করেছে”- বলেছেন, ‘না তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশী ধ্বংসপ্রাপ্ত বলেছেন’? (ই.ফা, ৬৪৪৪, ই.সে. ৬৪৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৭৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ رَوْحِ بْنِ الْقَاسِمِ، ح وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، جَمِيعًا عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
সুহায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুহায়ল (রাঃ) হতে এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা, ৬৪৪৫, ই.সে ৬৪৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪২. অধ্যায়ঃ
প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও তাকে সদোপদেশ দেয়া
৬৫৭৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي الثَّقَفِيَّ – سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرٍ، – وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ – أَنَّ عَمْرَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ عَائِشَةَ، تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ لَيُوَرِّثَنَّهُ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, জিব্ররীল (আঃ) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এতো উপদেশ প্রদান করেন যে, আমি মনে করছিলাম তিনি সম্ভবত তাকে ওয়ারিস বানিয়ে দিবেন। (ই.ফা, ৬৪৪৬, ই.সে ৬৪৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮০
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর সানদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই-ফা, ৬৪৪৭, ইসে.৬৪৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮১
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ” .
ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জিবরীল (আঃ) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এমনভাবে উপদেশ প্রদান করতে থাকেন যাতে আমি ভেবেছিলাম যে, তিনি হয়তো তাকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবেন। (ইফা, ৬৪৪৮, ই.সে. ৬৪৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮২
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ – قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ، الْجَوْنِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا طَبَخْتَ مَرَقَةً فَأَكْثِرْ مَاءَهَا وَتَعَاهَدْ جِيرَانَكَ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ যারা, যখন তুমি তরকারি রান্না করবে তখন তাতে পানি (শুরুয়া বা ঝোল) বেশি দিও এবং তোমার প্রতিবেশীকে কিছু প্রদান করো। (ই.ফা, ৬৪৪৯, ই.সে. ৬৫০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم أَوْصَانِي “ إِذَا طَبَخْتَ مَرَقًا فَأَكْثِرْ مَاءَهُ ثُمَّ انْظُرْ أَهْلَ بَيْتٍ مِنْ جِيرَانِكَ فَأَصِبْهُمْ مِنْهَا بِمَعْرُوفٍ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার বন্ধু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জোর নির্দেশ করেছেন, যখন তুমি তরকারি রান্না করবে তখন তাতে পানি বেশি করে দিবে। তারপর তুমি তোমার প্রতিবেশীর পরিজনের প্রতি খেয়াল রাখবে। অতঃপর তা হতে তাদেরকে কিছু সৌজন্য স্বরূপ পৌছিয়ে দিবে। (ই.ফা. ৬৪৫০, ই.সে ৬৫০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩. অধ্যায়:
সাক্ষাতের সময় হাস্যোজ্জ্বল থাকা মুস্তাহাব
৬৫৮৪
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، – يَعْنِي الْخَزَّازَ – عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ ভালো কোন কিছু দান করাকে হীন মনে করে না, এমনকি হোক সেটা ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ দেয়া। (ই .ফা. ৬৪৫১, ই.সে ৬৫০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪. অধ্যায়:
হারাম নয় এমন বিষয়ে সুপারিশ করা মুস্তাহাব
৬৫৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ بُرَيْدِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاهُ طَالِبُ حَاجَةٍ أَقْبَلَ عَلَى جُلَسَائِهِ فَقَالَ “ اشْفَعُوا فَلْتُؤْجَرُوا وَلْيَقْضِ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ مَا أَحَبَّ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সমীপে কোন লোক প্রয়োজনের তাকিদ নিয়ে আসলে তিনি তার সাথীদের বলতেন, তোমরা এর জন্যে সুপারিশ করো, তাহলে তোমাদেরকেও সাওয়াব দেয়া হবে। আর আল্লাহ তা’আলা তার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখ থেকে এমন ফায়সালা দেবেন যা তিনি পছন্দ করেন। (ই.ফা. ৬৪৫২, ই.সে ৬৫০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫. অধ্যায়:
ভালো মানুষের সাহচর্য পছন্দ করা এবং খারাপ মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা
৬৫৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّمَا مَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ وَالْجَلِيسِ السَّوْءِ كَحَامِلِ الْمِسْكِ وَنَافِخِ الْكِيرِ فَحَامِلُ الْمِسْكِ إِمَّا أَنْ يُحْذِيَكَ وَإِمَّا أَنْ تَبْتَاعَ مِنْهُ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحًا طَيِّبَةً وَنَافِخُ الْكِيرِ إِمَّا أَنْ يُحْرِقَ ثِيَابَكَ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ رِيحًا خَبِيثَةً ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সৎসঙ্গ ও অসৎসঙ্গের উদাহরণ মিশুক বিক্রেতা ও অগ্নিকুণ্ডে ফুৎকারকারীর (কামারের) ন্যায়। মিশক বিক্রেতা হয়ত তোমাকে কিছু দিবে। (সুগন্ধি নেয়ার জন্যে হাতে কিছুটা লাগিয়ে দিবে) অথবা তুমি তার কাছ হতে সামান্য ক্রয় করতে পারবে কিংবা তুমি তার থেকে সুমাণ লাভ করবে। আর অগ্নিচুলায় ফুৎকারকারী হয়ত তোমার কাপড়কে পুড়াবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধপ্রাপ্ত হবে। (ই.ফা. ৬৪৫৩, ই.সে. ৬৫০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৬. অধ্যায়:
মেয়ে সন্তানের প্রতি সদাচরণের মর্যাদা
৬৫৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، ح
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ جَاءَتْنِي امْرَأَةٌ وَمَعَهَا ابْنَتَانِ لَهَا فَسَأَلَتْنِي فَلَمْ تَجِدْ عِنْدِي شَيْئًا غَيْرَ تَمْرَةٍ وَاحِدَةٍ فَأَعْطَيْتُهَا إِيَّاهَا فَأَخَذَتْهَا فَقَسَمَتْهَا بَيْنَ ابْنَتَيْهَا وَلَمْ تَأْكُلْ مِنْهَا شَيْئًا ثُمَّ قَامَتْ فَخَرَجَتْ وَابْنَتَاهَا فَدَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثْتُهُ حَدِيثَهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ ابْتُلِيَ مِنَ الْبَنَاتِ بِشَىْءٍ فَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ كُنَّ لَهُ سِتْرًا مِنَ النَّارِ ” .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় আমার নিকট এক মহিলা আসলো। সে সময় তার সাথে তার দুটি কন্যাও ছিল। সে আমার সমীপে কিছু চাইল। সে মাত্র একটি খেজুর ছাড়া আমার নিকট কিছু পেল না। আমি সে খেজুরটিই তার হাতে দিলাম। সে খেজুরটি নিয়েই তা তার দু’কন্যার মাঝে বন্টন করে দিল। নিজে তা হতে কিছুই খেলো না। তারপর সে এবং তার দু কন্যা উঠে চলে গেল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আসলে তার সমীপে আমি ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে লোক মেয়ে সন্তান প্রতিপালনের পরীক্ষায় আপতিত হয় আর তাদের সাথে সে সদাচরণ করে, তাহলে তার জন্যে এরা জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে। (ই.ফা. ৬৪৫৪,ই. সে, ৬৫০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – عَنِ ابْنِ الْهَادِ، أَنَّ زِيَادَ، بْنَ أَبِي زِيَادٍ مَوْلَى ابْنِ عَيَّاشٍ حَدَّثَهُ عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ، عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْنِي مِسْكِينَةٌ تَحْمِلُ ابْنَتَيْنِ لَهَا فَأَطْعَمْتُهَا ثَلاَثَ تَمَرَاتٍ فَأَعْطَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا تَمْرَةً وَرَفَعَتْ إِلَى فِيهَا تَمْرَةً لِتَأْكُلَهَا فَاسْتَطْعَمَتْهَا ابْنَتَاهَا فَشَقَّتِ التَّمْرَةَ الَّتِي كَانَتْ تُرِيدُ أَنْ تَأْكُلَهَا بَيْنَهُمَا فَأَعْجَبَنِي شَأْنُهَا فَذَكَرْتُ الَّذِي صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَوْجَبَ لَهَا بِهَا الْجَنَّةَ أَوْ أَعْتَقَهَا بِهَا مِنَ النَّارِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার এক অসহায় স্ত্রী তার দুটি মেয়ে সন্তানসহ আমার নিকট আসলো। আমি তাদেরকে তিনটি খেজুর খেতে দিলাম। সে দু মেয়ের প্রত্যেককে একটি করে খেজুর দিল এবং একটি নিজে খাবার জন্যে তার মুখে তুলল। সে মুহুর্তে মেয়ে দুটি এ খেজুরটিও খেতে চাইল। সে তখন নিজে খাবার জন্যে যে খেজুরটি মুখে তুলেছিল সেটি তাদের উভয়ের মাঝে বন্টন করে দিল। তার এ আচরণ আমাকে আশ্চর্য করে দিল। পরে আমি সে যা করেছে তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সমীপে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা এ কারণে তার জন্যে জান্নাত আবশ্যক করে দিয়েছেন অথবা তিনি তাকে এ কারণে জাহান্নাম হতে মুক্তি দিয়েছেন। (ই. ফা.৬৪৫৫, ই.সে.৬৫০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮৯
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ حَتَّى تَبْلُغَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنَا وَهُوَ ” . وَضَمَّ أَصَابِعَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুটি মেয়ে সন্তানকে সাবালক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে, কিয়ামাতের দিনে সে ও আমি এমন পাশাপাশি অবস্থায় থাকব, এ বলে তিনি তার হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে দিলেন। (ই-ফা, ৬৪৫৬, ইসে. ৬৫০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭. অধ্যায়:
সন্তানের মৃত্যুতে যে লোক সাওয়াবের আশা করে তার মর্যাদা
৬৫৯০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَمُوتُ لأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ فَتَمَسَّهُ النَّارُ إِلاَّ تَحِلَّةَ الْقَسَمِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন মুসলিমের তিনটি সন্তান মৃত্যুবরণ করলে তাকে জাহান্নামের আগুন ছুইবে না, শপথ কার্যকরের জন্যে যা দরকার তা ব্যতীত। (ই.ফা, ৬৪৫৭, ই.সে ৬৫০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَابْنُ، رَافِعٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، . بِإِسْنَادِ مَالِكٍ وَبِمَعْنَى حَدِيثِهِ إِلاَّ أَنَّ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ “ فَيَلِجَ النَّارَ إِلاَّ تَحِلَّةَ الْقَسَمِ ” .
যুহরী মালিক-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
যুহরী মালিক-এর সূত্রে তার হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া সুফইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে আরো আছে- সে জাহান্নামে গমন করবে না, শপথ কার্যকরী ব্যতীত। (ই.ফা, ৬৪৫৮, ই.সে. ৬৫০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِنِسْوَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ ” لاَ يَمُوتُ لإِحْدَاكُنَّ ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ فَتَحْتَسِبَهُ إِلاَّ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ ” . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ أَوِ اثْنَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” أَوِ اثْنَيْنِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু আনসারী নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো তিনটি সন্তান মৃত্যুবরণ করার পরও সে আল্লাহর প্রতিদানের আশা করে ধৈর্য ধারণ করলে সে জান্নাতে গমন করবে। অতঃপর এক স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’জন সন্তান মৃত্যুবরণ করলে? তিনি বললেন, দু’জনেও তাই। (ই.ফা. ৬৪৫৯, ই.সে.৬৫১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ذَكْوَانَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ الرِّجَالُ بِحَدِيثِكَ فَاجْعَلْ لَنَا مِنْ نَفْسِكَ يَوْمًا نَأْتِيكَ فِيهِ تُعَلِّمُنَا مِمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ . قَالَ ” اجْتَمِعْنَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا ” . فَاجْتَمَعْنَ فَأَتَاهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَّمَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَهُ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ ” مَا مِنْكُنَّ مِنِ امْرَأَةٍ تُقَدِّمُ بَيْنَ يَدَيْهَا مِنْ وَلَدِهَا ثَلاَثَةً إِلاَّ كَانُوا لَهَا حِجَابًا مِنَ النَّارِ ” . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ ” .
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক নারী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ লোকজন আপনার হাদীস শুনতে পায়। কাজেই আপনি আপনার নিকট হতে আমাদের (নারী সমাজের) জন্যে একটি দিন ঠিক করে দিন (যেদিন আমরা আপনার নিকট একত্র হই)। আর আল্লাহ আপনাকে যা শিক্ষা দান করেন তা হতে আমাদেরকে শিক্ষা দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বেশ ভালো তো, অমুক অমুক দিন তোমরা সমবেত হবে। তারা (নির্দিষ্ট দিনে) একত্র হলো। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সমীপে আসলেন এবং আল্লাহ তাকে যা শিখিয়েছেন তা হতে তাদেরকে শিখালেন। অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে যে কোন মহিলা তার জীবিত থাকতে সন্তান থেকে তিনটি সন্তান পাঠালেন (অর্থাৎ- তিনটি সন্তান মারা গেল)। সে সন্তানরা বিচার দিবসে তার জন্যে আড়াল হবে। তখন এক স্ত্রী বলল, দু’জন, দু’জন, দু’জন হলে (কি বিধান)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যা, দু’জন, দু’জন, দু’জনেও এ বিধান। (ই.ফা. ৬৪৬০, ই.সে.৬৫১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِمِثْلِ مَعْنَاهُ وَزَادَا جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ “ ثَلاَثَةً لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ ” .
আবদুর রহমান ইবনুল আসবাহানী (রাঃ) এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
আবদুর রহমান ইবনুল আসবাহানী (রাঃ) এ সূত্রে তার সমার্থ হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তারা সকলে আবদুর রহমান ইবনু আসবাহানী (রাঃ) হতে এটুকু বেশি বর্ণনা করেছেন যে, “তিনি বলেন, আমি আবূ হযিমকে আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বলতে শুনেছি”। তিনি বলেন, এমন তিনটি সন্তান যারা সাবালক হয়নি। (ই.ফা, ৬৪৬১, ই.সে ৬৫১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯৫
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، – وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ – قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنَّهُ قَدْ مَاتَ لِيَ ابْنَانِ فَمَا أَنْتَ مُحَدِّثِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ تُطَيِّبُ بِهِ أَنْفُسَنَا عَنْ مَوْتَانَا قَالَ قَالَ نَعَمْ “ صِغَارُهُمْ دَعَامِيصُ الْجَنَّةِ يَتَلَقَّى أَحَدُهُمْ أَبَاهُ – أَوْ قَالَ أَبَوَيْهِ – فَيَأْخُذُ بِثَوْبِهِ – أَوْ قَالَ بِيَدِهِ – كَمَا آخُذُ أَنَا بِصَنِفَةِ ثَوْبِكَ هَذَا فَلاَ يَتَنَاهَى – أَوْ قَالَ فَلاَ يَنْتَهِي – حَتَّى يُدْخِلَهُ اللَّهُ وَأَبَاهُ الْجَنَّةَ ” . وَفِي رِوَايَةِ سُوَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو السَّلِيلِ وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنِ التَّيْمِيِّ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَهَلْ سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا تُطَيِّبُ بِهِ أَنْفُسَنَا عَنْ مَوْتَانَا قَالَ نَعَمْ .
আবূ হাসসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে বললাম, আমার দুটি ছেলে সন্তান মৃত্যুবরণ করেছে। আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে একটি হাদীস উল্লেখ করবেন, যাতে আমাদের মৃতদের ক্ষেত্রে আপনি আমাদের মনে শান্তি দিতে পারেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তিনি বললেন, হ্যা, তাদের জন্যে তার ছোটশিশুরা জান্নাতের প্রজাপতি তুল্য। তাদের মাঝে কেউ তার পিতার সাথে মিলিত হবে, অথবা তিনি বলেছেন বাবা-মা দুজনের সাথে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তার পরিধানের কাপড় কিংবা বলেছেন, হাত ধরবে, যেমনটি আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরছি। এরপর আর তারা তাদের ছাড়বে না, কিংবা রাবী বলেছেন, ধরে থাকা শেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ তার বাবা-মাকে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সুওয়াইদ (রাঃ)-এর বর্ণনায় আরো রয়েছে, আবূ সালীল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই ফা.৬৪৬২,ই-সে,৬৫১৩)
উবাইদুল্লাহ ইবনু সা’ঈদ (রাঃ) … আত তাইমী (রাঃ) হতে এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এমন কিছু শুনেছেন, যা আমাদের মৃতদের সম্পর্কে আমাদের হৃদয়কে খুশি করে দেয়? তিনি বললেন, হ্যা। (ই.ফা. ৬৪৬২, ই.সে,৬৫১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنُونَ ابْنَ غِيَاثٍ ح وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ، بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ جَدِّهِ، طَلْقِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِصَبِيٍّ لَهَا فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ لَهُ فَلَقَدْ دَفَنْتُ ثَلاَثَةً قَالَ ” دَفَنْتِ ثَلاَثَةً ” . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ ” لَقَدِ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ شَدِيدٍ مِنَ النَّارِ ” . قَالَ عُمَرُ مِنْ بَيْنِهِمْ عَنْ جَدِّهِ . وَقَالَ الْبَاقُونَ عَنْ طَلْقٍ . وَلَمْ يَذْكُرُوا الْجَدَّ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক মহিলা একটি ছেলে সন্তান নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আপনি তার জন্যে আল্লাহর নিকট দুআ করুন। আমি তিনটি সন্তান কবরস্থ করেছি। তিনি বললেন, তুমি তিনটি সন্তান দাফন করেছ? মহিলা বলল, হ্যা। তিনি বললেন, তুমি তো অবশ্যই জাহান্নাম হতে একটি শক্ত প্রাচীর তৈরি করেছ। তাদের মাঝ থেকে উমার তার দাদার সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, অবশিষ্টরা তালুক (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন। তারা , দাদার শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা, ৬৪৬৩, ই.সে, ৬৫১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ طَلْقِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، النَّخَعِيِّ أَبِي غِيَاثٍ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِابْنٍ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَشْتَكِي وَإِنِّي أَخَافُ عَلَيْهِ قَدْ دَفَنْتُ ثَلاَثَةً . قَالَ “ لَقَدِ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ شَدِيدٍ مِنَ النَّارِ ” قَالَ زُهَيْرٌ عَنْ طَلْقٍ . وَلَمْ يَذْكُرِ الْكُنْيَةَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা তার একটি ছেলে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সমীপে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! নিশ্চয়ই সে অসুস্থ এবং তার ব্যাপারে আমি ভয় করছি। আর আমি তিনটি সন্তান কবরস্থ করেছি। তিনি বললেন, তুমি জাহান্নাম হতে বাঁচার জন্যে একটি শক্ত দেয়াল তৈরি করেছ।
যুহায়র (রহঃ) তাল্ক হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি কুন্ইয়াত (উপনাম) উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৬৪, ই.সে. ৬৫১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন বান্দাকে মুহাব্বাত করেন তখন তাকে তার সকল বান্দাদের কাছেও প্রিয় করিয়ে দেন
৬৫৯৮
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبَّهُ – قَالَ – فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِي فِي السَّمَاءِ فَيَقُولُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبُّوهُ . فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ – قَالَ – ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ فِي الأَرْضِ . وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَيَقُولُ إِنِّي أُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضْهُ – قَالَ – فَيُبْغِضُهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِي فِي أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضُوهُ – قَالَ – فَيُبْغِضُونَهُ ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ الْبَغْضَاءُ فِي الأَرْضِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যদি কোন বান্দাকে পছন্দ করেন তখন জিব্রীল (‘আঃ)-কে ডাক দেন এবং বলেন, নিশ্চয়ই আমি অমুক লোককে পছন্দ করি, তুমিও তাকে পছন্দ কর। তিনি বলেন, তখন জিব্রীল (‘আঃ) তাকে পছন্দ করেন। অতঃপর তিনি আকাশমণ্ডলীতে ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুক লোককে পছন্দ করেন, সুতরাং আপনারাও তাকে পছন্দ করুন। তখন আকাশবাসীরা তাকে পছন্দ করে। তিনি বলেন, এরপর দুনিয়াতে তাকে নন্দিত, সমাদৃত করা হয়। আর আল্লাহ যদি কোন লোকের উপর রাগ করেন তখন জিব্রীল (‘আঃ)-কে ডাক দেন এবং বলেন, আমি অমুক বান্দার উপর রাগ করেছি, তুমিও তার প্রতি নারাজ হও। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তখন জিব্রীল (‘আঃ) তার উপর রাগান্বিত হন। তারপর তিনি আকাশবাসীদেরকে ডাক দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা অমুকের উপর রাগান্বিত। কাজেই আপনারাও তার উপর ক্রোধান্বিত হোন। তিনি বলেন, তখন লোকেরা তার উপর দুশমনি পোষণ করে। তারপর তার জন্য পৃথিবীতে শত্রু বানিয়ে দেয়া হয়। (ই.ফা. ৬৪৬০৫, ই.সে. ৬৫১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، – وَهُوَ ابْنُ أَنَسٍ – كُلُّهُمْ عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ، الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْبُغْضِ .
সুহায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুহায়ল (রাঃ) এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণিত। তাছাড়া ‘আলা ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-এর হাদীসে (আরবি) (শত্রুতা) শব্দটির উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৬৪৬৬, ই.সে. ৬৫১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০০
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ كُنَّا بِعَرَفَةَ فَمَرَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ عَلَى الْمَوْسِمِ فَقَامَ النَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لأَبِي يَا أَبَتِ إِنِّي أَرَى اللَّهَ يُحِبُّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ . قَالَ وَمَا ذَاكَ قُلْتُ لِمَا لَهُ مِنَ الْحُبِّ فِي قُلُوبِ النَّاسِ . فَقَالَ بِأَبِيكَ أَنْتَ سَمِعْتَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ عَنْ سُهَيْلٍ .
আবূ সালিহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করছিলাম। তখন ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) গমন করলেন। সে সময় হাজ্জের মৌসুম, লোকেরা তাঁকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমার মনে হয়, আল্লাহ তা‘আলা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-কে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, সে কি? অর্থাৎ- তুমি কিভাবে বুঝলে? আমি বললাম, এ কারণে যে, মানুষের হৃদয়ে তার ভালবাসা বদ্ধমূল হয়ে আছে। তিনি বললেন, তোমার পিতার শপথ! তুমি শুনেছ আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস বর্ণনা করতে। তারপর তিনি সুহায়ল (রাঃ) হতে জারীর বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬৪৬৭, ই.সে. ৬৫১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯. অধ্যায়ঃ
রূহসমূহ সমাজবদ্ধ
৬৬০১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الأَرْوَاحُ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: রূহসমূহ সমাজবদ্ধ২। সুতরাং যারা পরস্পরে পরিচিতি লাভ করছে তারা দুনিয়াতে পরস্পরে প্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আর যারা সেখানে অপরিচিত তারা এখানেও ভিন্ন থাকে। (ই.ফা. ৬৪৬৮, ই.সে. ৬৫২০)
২ (আরবি) এর মর্ম : রূহ পৃথিবীতে আসার পূর্বে সমাজবদ্ধ বিভিন্ন শ্রেনীর ছিল। বর্ণিত আছে যে, মানুষকে সৃষ্টি করে সমাজবদ্ধভবে করা হয়েছে। তারপর তা বিভিন্ন দেহে পৃথকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। সুতরাং যার স্বভাব জগতের যার সাথে মিল আছে তাকে সে ভালবাসবে। আর স্বভাবের সাথে যার মিল নেই, তার থেকে সে ভিন্ন থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০২
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِحَدِيثٍ يَرْفَعُهُ قَالَ “ النَّاسُ مَعَادِنُ كَمَعَادِنِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الإِسْلاَمِ إِذَا فَقُهُوا وَالأَرْوَاحُ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মানুষ স্বর্ণ ও রৌপ্যের খনি স্বরূপ। জাহিলিয়্যাতের সময় যারা সর্বোৎকৃষ্ট তারা ইসলামের সময়ও সর্বোৎকৃষ্ট, যখন তারা সূক্ষ্ম জ্ঞান অর্জন করেন (দ্বীনের বুঝদার হয়ে থাকেন)। আর আত্মাসমূহ স্বভাবজাত সমাজবদ্ধ। সেখানে যেসব রূহ পরস্পরে পরিচিতি লাভ করেছিল দুনিয়াতে সেগুলো সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে আর সেখানে যেগুলো অপরিচিত ছিল, এখানেও তারা অপরিচিত। (ই.ফা. ৬৪৬৯, ই.সে. ৬৫২০[ক])
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০. অধ্যায়ঃ
যাকে যে মানুষ ভালবাসে সে তার সাথেই থাকবে
৬৬০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَتَى السَّاعَةُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا أَعْدَدْتَ لَهَا ” . قَالَ حُبَّ اللَّهِ وَرَسُولِهِ . قَالَ ” أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক যাযাবর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করল, কিয়ামাত কবে হবে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তুমি কিয়ামাতের জন্যে কি পাথেয় প্রস্তুত করেছ? সে বলল, আমি বেশি কিছু প্রস্তুত করতে পারিনি। তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের মুহাব্বত। তিনি বললেন, তুমি তারই সাথী হবে যাকে তুমি মুহাব্বাত কর। (ই.ফা. ৬৪৭০, ই.সে. ৬৫২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ ” وَمَا أَعْدَدْتَ لَهَا ” . فَلَمْ يَذْكُرْ كَبِيرًا . قَالَ وَلَكِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . قَالَ ” فَأَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কিয়ামাত কবে সংঘটিত হবে? তিনি বললেন, তুমি তার জন্যে কি সংগ্রহ করেছ? তখন সে বেশি কিছু উল্লেখ করতে পারেনি। তিনি বলেন, কিন্তু আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মুহাব্বত করি। তিনি বললেন, তুমি তার সাথেই থাকবে যাকে তুমি মুহাব্বাত কর। (ই.ফা. ৬৪৭১, ই.সে. ৬৫২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০৫
حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَعْرَابِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا مِنْ كَثِيرٍ أَحْمَدُ عَلَيْهِ نَفْسِي .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক বেদুঈন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো। তারপর তার মতো হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া এ বর্ণনায় রয়েছে, তিনি বলেন, বেদুঈন লোকটি বলল, আমি কিয়ামাতের জন্যে এমন কোন বেশি সম্বল তৈরি করিনি, যার জন্য আমি নিজেকে সাধুবাদ দিতে পারি। (ই.ফা. ৬৪৭১, ই.সে. ৬৫২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০৬
حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ ” وَمَا أَعْدَدْتَ لِلسَّاعَةِ ” . قَالَ حُبَّ اللَّهِ وَرَسُولِهِ قَالَ ” فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” . قَالَ أَنَسٌ فَمَا فَرِحْنَا بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحًا أَشَدَّ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ” فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” . قَالَ أَنَسٌ فَأَنَا أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ مَعَهُمْ وَإِنْ لَمْ أَعْمَلْ بِأَعْمَالِهِمْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলো, অতঃপর বললো, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কিয়ামাত কবে সংঘটিত হবে? তিনি বললেন, তুমি সেদিনের জন্যে কি পাথেয় সংগ্রহ করেছ? সে বললো, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের মুহাব্বাত। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তুমি তার সাথে থাকবে যাকে তুমি মুহাব্বাত কর। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূল, আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ)-কে পছন্দ করি। সুতরাং আমি আশা রাখি যে, কিয়ামাতের দিনে আমি তাদের সাথে থাকব, যদিও আমি তাঁদের সমান ‘আমাল করতে পারিনি। (ই.ফা. ৬৪৭২, ই.সে. ৬৫২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০৭
حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ أَنَسٍ فَأَنَا أُحِبُّ . وَمَا بَعْدَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তবে জা‘ফার ইবনু সুলাইমান (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে আনাস-এর উক্তি “আমি ভালবাসি এবং এর পরবর্তী অংশ” উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৭৩, ই.সে. ৬৫২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ بَيْنَمَا أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم خَارِجَيْنِ مِنَ الْمَسْجِدِ فَلَقِينَا رَجُلاً عِنْدَ سُدَّةِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا أَعْدَدْتَ لَهَا ” . قَالَ فَكَأَنَّ الرَّجُلَ اسْتَكَانَ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا كَبِيرَ صَلاَةٍ وَلاَ صِيَامٍ وَلاَ صَدَقَةٍ وَلَكِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . قَالَ ” فَأَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়ে মাসজিদে নাবাবী হতে বের হচ্ছিলাম। এমন সময় মাসজিদের দরজায় এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলো। সে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কিয়ামাত কবে সংঘটিত হবে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কিয়ামাতের জন্যে কি সম্বল সংগ্রহ করেছ? তিনি বলেন, তখন লোকটি নীরব থাকলো। তারপর সে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি তো সেজন্যে বেশি পরিমাণ সলাত, সিয়াম ও সদাকাহ্-খয়রাত সংগ্রহ করিনি। তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মুহাব্বাত করি। তিনি বললেন, তুমি তার সাথেই থাকবে যাকে তুমি মুহাব্বাত কর। (ই.ফা. ৬৪৭৪, ই.সে. ৬৫২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬০৯
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْيَشْكُرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ، جَبَلَةَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ .
আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৬৪৭৫, ই.সে. ৬৫২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬১০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، ح
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعْتُ أَنَسًا، ح
وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – يَعْنِي ابْنَ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস (রাঃ)-এর সানাদে হুবহু এ হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৬৪৭৬, ই.সে. ৬৫২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬১১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো। অতঃপর সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললো, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সে লোকটি সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন, যে একটি সম্প্রদায়কে মুহাব্বাত করে অথচ সে তাদের সাথে মিলিত হয়নি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে যাকে মুহাব্বাত করে সে তার সঙ্গেই থাকবে। (ই.ফা. ৬৪৭৭, ই.সে. ৬৫২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ بِشْرُ، بْنُ خَالِدٍ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوَّابِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ، جَمِيعًا عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
‘‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে তার হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৪৭৮, ই.সে. ৬৫৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬১৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ عَنِ الأَعْمَشِ .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো। অতঃপর তিনি আ‘মাশ (রহঃ)-এর সানাদে জারীর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের হুবহু উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৬৪৭৯, ই.সে. ৬৫৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১. অধ্যায়ঃ
যদি সৎলোকের গুণ বর্ণনা করা হয় তবে তা সুসংবাদ তার জন্যে ক্ষতি নয়
৬৬১৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ يَعْمَلُ الْعَمَلَ مِنَ الْخَيْرِ وَيَحْمَدُهُ النَّاسُ عَلَيْهِ قَالَ “ تِلْكَ عَاجِلُ بُشْرَى الْمُؤْمِنِ ” .
আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সমীপে আবেদন করা হলো, ঐ লোক সম্পর্কে আপনার কি মতামত, যে সৎ ‘আমাল করে এবং মানুষেরা তার গুণ বর্ণনা করে? তিনি বললেন, এটা মু’মিনের জন্যে দ্রুত সুবার্তা। [৩] (ই.ফা. ৬৪৮০, ই.সে. ৬৫৩২)
[৩] উলামারা বলেন, তার জন্যে এটা নগদ সুসংবাদ। আর সেটাই পরকালের প্রতি পরবর্তী সুসংবাদের দলীল। যেমন আল্লাহ বলেন, “আজ তোমার সৌজন্যে জান্নাতের সুসংবাদ। তাৎক্ষণিক সুসংবাদটি আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্টি ও তার প্রতি মুহাব্বাতের উপর প্রমাণ স্বরূপ। যা তাকে সকলের নিকট প্রিয় বানিয়ে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬১৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ وَكِيعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، بِإِسْنَادِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِهِمْ عَنْ شُعْبَةَ غَيْرَ عَبْدِ الصَّمَدِ وَيُحِبُّهُ النَّاسُ عَلَيْهِ . وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ وَيَحْمَدُهُ النَّاسُ . كَمَا قَالَ حَمَّادٌ .
হাম্মাদ ইবনু যায়দ থেকে বর্ণিতঃ
হাম্মাদ ইবনু যায়দ-এর সূত্রে আবূ ‘ইমরান আল জাওনী (রহঃ) হতে তার হুবহু হাদীস বর্ণিত। তাছাড়া ‘আবদুস্ সামাদ (রহঃ) ব্যতীত শু‘বার সানাদে অন্যান্যদের হাদীসে আছে, ‘এবং লোকেরা তাকে এজন্য মুহাব্বাত করে’ উল্লেখ আছে। আর আবদুস্ সামাদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে হাম্মাদ যেভাবে বলেছেন তেমনি ‘মানুষেরা তার শুকরিয়া করে’ উল্লেখ রয়েছে। (ই.ফা. ৬৪৮১, ই .সে. ৬৫৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস