অনুচ্ছেদ -১
হাজ্জ ফার্য হওয়ার বর্ণনা
১৭২১
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَوْ مَرَّةً وَاحِدَةً قَالَ “ بَلْ مَرَّةً وَاحِدَةً فَمَنْ زَادَ فَهُوَ تَطَوُّعٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ أَبُو سِنَانٍ الدُّؤَلِيُّ كَذَا قَالَ عَبْدُ الْجَلِيلِ بْنُ حُمَيْدٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ عُقَيْلٌ عَنْ سِنَانٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আকরা‘ ইবনু হাবিস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্ব প্রতি বছরই ফরয, নাকি মাত্র একবার? তিনি বললেন, জীবনে বরং একবারই, তবে কেউ অধিক করলে সেটা তার জন্য নাফল। [১৭২১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২২
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنٍ لأَبِي، وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لأَزْوَاجِهِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ “ هَذِهِ ثُمَّ ظُهُورُ الْحُصْرِ ” .
আবূ ওয়াক্বিদ আল-লাইসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিদায় হাজ্জের দিন তাঁর স্ত্রীদেরকে বলতে শুনেছি : তোমাদের জন্য হাজ্জ এই একবারই। এরপর হাজ্জের জন্য আর বের হতে হবে না। [১৭২২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২
মাহরাম ছাড়া নারীদের হাজ্জ
১৭২৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَالنُّفَيْلِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، – قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ عَنْ أَبِيهِ، ثُمَّ اتَّفَقُوا – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ يَوْمًا وَلَيْلَةً ” . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرِ الْقَعْنَبِيُّ وَالنُّفَيْلِيُّ عَنْ أَبِيهِ رَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ عَنْ مَالِكٍ كَمَا قَالَ الْقَعْنَبِيُّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে নারী আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে তার জন্য একদিন ও এক রাতের পথ সফর করা বৈধ নয় … অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বের হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেন। [১৭২৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৫
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ “ بَرِيدًا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন… অতঃপর বর্ণনাকারী (পূর্ব বর্ণিত) হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে (বর্ণনাকারী সুহাইল) বলেছেন, ‘এক বারীদ’। [১৭২৫]
[১৭২৫] ইবনু খুযাইমাহ, হাকিম।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
১৭২৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادٌ، أَنَّ أَبَا مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعًا، حَدَّثَاهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে নারী আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার জন্য তিন দিন কিংবা এর অধিক সময়ের পথ (একাকী) ভ্রমণ করা বৈধ নয়, যদি না তার সঙ্গে তার পিতা, ভাই, স্বামী, ছেলে অথবা কোন মাহরাম লোক থাকে। [১৭২৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ ثَلاَثًا إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন নারী স্বীয় মাহ্রাম সাথে না নিয়ে তিন দিনের সফর করবে না। [১৭২৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يُرْدِفُ مَوْلاَةً لَهُ يُقَالُ لَهَا صَفِيَّةُ تُسَافِرُ مَعَهُ إِلَى مَكَّةَ .
নাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার দাসী সাফিয়্যাহ নাম্মীকে তার পেছনে সওয়ারীর উপর বসিয়ে নিয়ে মাক্কাহ পর্যন্ত সফর করেন। [১৭২৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩
ইসলামে বৈরাগ্য নেই
১৭২৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، – يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ الأَحْمَرَ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ صَرُورَةَ فِي الإِسْلاَمِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে সন্নাসবাদীতা নেই। [১৭২৯]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬২৬৯), মিশকাত (২৫২২)।
[১৭২৯] আহমাদ, হাকিম,বা য়হাক্বী। ইমাম হাকিম ও যাহাবী বলেন : সানাদ সহিহ। আল্লামা হায়সামী মাজমাউয যাওয়ায়িদ গ্রন্থে বলেন : এর রিজাল সিক্বাত। আহমাদ শাকির বলেন : এর সানাদ সহীহ। শায়খ আলবানী সিলসিলাহ যঈফাহ গ্রন্থে (হা/৬৮৫) এর বিরোধীতা করে বলেন : সানাদের উমার ইবনু ‘আত্বা সকলের ঐকয়মতে যঈফ। ইমাম যাহাবী স্বয়ং আল –মীযান গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করে বলেন। তাকে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন ও নাসায়ী যঈফ বলেছেন। আর ইমাম আহমাদ বলেছেন : তিনি শক্তিশালী নন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৪
হাজ্জের সফরে পাথেয় সাথে নেয়া
১৭৩০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْفُرَاتِ، – يَعْنِي أَبَا مَسْعُودٍ الرَّازِيَّ – وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيُّ – وَهَذَا لَفْظُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنْ وَرْقَاءَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانُوا يَحُجُّونَ وَلاَ يَتَزَوَّدُونَ – قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ كَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ أَوْ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يَحُجُّونَ وَلاَ يَتَزَوَّدُونَ – وَيَقُولُونَ نَحْنُ الْمُتَوَكِّلُونَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ { وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى } الآيَةَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকজন হাজ্জ করতো কিন্তু সাথে পাথেয় নিয়ে আসতো না। আবূ মাসঊদ বলেন, ইয়ামানের কতিপয় লোক হাজ্জে যেতো কিন্তু সাথে পাথেয় আনতো না এবং তারা বলতো যে, আমরা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেছি। অথচ মক্কায় পৌঁছার পর তারা ভিক্ষা করতো। ফলে মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করলেন, “তোমরা হাজ্জের সফরে সাথে পাথেয় নিয়ে যাবে, আর জেনে রেখো তাকওয়াই হলো উত্তম পাথেয়। (২ : ১৯৭) [১৭৩০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫
হাজ্জে গিয়ে ব্যবসা করা
১৭৩১
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ { لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلاً مِنْ رَبِّكُمْ } قَالَ كَانُوا لاَ يَتَّجِرُونَ بِمِنًى فَأُمِرُوا بِالتِّجَارَةِ إِذَا أَفَاضُوا مِنْ عَرَفَاتٍ .
মুজাহিদ (রাঃ) হতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতটি পাঠ করলেন : ‘হাজ্জের সময়ে (ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে) তোমরা তোমাদের প্রভুর অনুগ্রহ তালাশ করলে দোষের কিছু নেই। (২ : ১৯৮)। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, (অন্যায় মনে করে) মিনায় কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতো না। তাদেরকে আরাফাত হতে ফেরার পর মিনায় ব্যবসা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [১৭৩১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৬
–
১৭৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِهْرَانَ أَبِي صَفْوَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ হাজ্জের ইচ্ছা করলে যেন তাড়াতাড়ি সম্পাদন করে। [১৭৩২]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৭
পশু ভাড়ায় খাটানো
১৭৩৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُمَامَةَ التَّيْمِيُّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً أُكْرِي فِي هَذَا الْوَجْهِ وَكَانَ نَاسٌ يَقُولُونَ لِي إِنَّهُ لَيْسَ لَكَ حَجٌّ فَلَقِيتُ ابْنَ عُمَرَ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي رَجُلٌ أُكْرِي فِي هَذَا الْوَجْهِ وَإِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ لِي إِنَّهُ لَيْسَ لَكَ حَجٌّ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ أَلَيْسَ تُحْرِمُ وَتُلَبِّي وَتَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَتُفِيضُ مِنْ عَرَفَاتٍ وَتَرْمِي الْجِمَارَ قَالَ قُلْتُ بَلَى . قَالَ فَإِنَّ لَكَ حَجًّا جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ مِثْلِ مَا سَأَلْتَنِي عَنْهُ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ { لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلاً مِنْ رَبِّكُمْ } فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَرَأَ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةَ وَقَالَ ” لَكَ حَجٌّ ” .
আবূ উমামাহ আত-তাইমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এমন লোক যে, হাজ্জের সময় আমার পশু ভাড়ায় খাটাতাম। তাই কতিপয় লোক বললো, তোমার হাজ্জ হয়নি। তাই আমি ইবনু ‘উমারের (রাঃ) সাথে সাক্ষাত করে বললাম, হে আবূ ‘আবদূর রহমান! আমি এমন ব্যক্তি যে, হাজ্জের সফরে পশু ভাড়ায় খাটাই। কতিপয় লোক বলে, তোমার হাজ্জ হয় না। তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেলেন, তুমি কি ইহরাম বেঁধেছো, তালবিয়া পাঠ করেছো, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেছো, আরাফাত থেকে ঘুরে এসেছো, কংকর নিক্ষেপ করেছো? আমি বললাম, হা! তিনি বললেন, তোমার হাজ্জ হয়ে গেছে। একদা এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁকে প্রশ্ন করলো যেরূপ তুমি আমাকে প্রশ্ন করলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন বক্তব্য না দিয়ে কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। অবশেষে এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “এ ব্যপারে তোমাদের কোন দোষ নেই যদি (হাজ্জের মওসুমে) তোমরা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে তোমাদের রবের অনুগ্রহ তালাশ করো।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত ব্যক্তিকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে এ আয়াত পড়ে শুনালেন এবং বললেন, তোমার হাজ্জ হয়েছে। [১৭৩৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّاسَ، فِي أَوَّلِ الْحَجِّ كَانُوا يَتَبَايَعُونَ بِمِنًى وَعَرَفَةَ وَسُوقِ ذِي الْمَجَازِ وَمَوَاسِمِ الْحَجِّ فَخَافُوا الْبَيْعَ وَهُمْ حُرُمٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ { لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلاً مِنْ رَبِّكُمْ } فِي مَوَاسِمِ الْحَجِّ . قَالَ فَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُهَا فِي الْمُصْحَفِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
প্রাথমিক কালে লোকেরা হাজ্জের মওসুমে মিনা, আরাফাত, যুল-মাজাযির বাজারে এবং হাজ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে ব্যবসা করতো, কিন্তু ইহরাম অবস্থায় এসব স্থানে ব্যবসা করা (জায়িয কিনা) তাদের সংশয় হলো। তখন মহিয়ান আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন : “তোমাদের কোনো অপরাধ নেই যদি (হাজ্জের সময়) তোমরা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে তোমাদের রবের অনুগ্রহ তালাশ করো, বিশেষ করে হাজ্জের অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে।” ইবনু আবূ যিব বলেন, ‘উবাইদ ইবনু উমাইর আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) (আরবী) এ বাক্যটি মূল কুরআনের মধ্যেই পাঠ করতেন। [১৭৩৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، – قَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ كَلاَمًا مَعْنَاهُ أَنَّهُ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّاسَ، فِي أَوَّلِ مَا كَانَ الْحَجُّ كَانُوا يَبِيعُونَ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ إِلَى قَوْلِهِ مَوَاسِمِ الْحَجِّ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
প্রথম দিকে লোকেরা হাজ্জের মওসুমে কেনা –বেচা করতো। অতঃপর বর্ণনাকারী (আরবী) পর্যন্ত পূর্ব বর্ণীত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। [১৭৩৫]
সহীহ, পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮
শিশুদের হাজ্জ
১৭৩৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالرَّوْحَاءِ فَلَقِيَ رَكْبًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ ” مَنِ الْقَوْمُ ” . فَقَالُوا الْمُسْلِمُونَ . فَقَالُوا فَمَنْ أَنْتُمْ قَالُوا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَفَزِعَتِ امْرَأَةٌ فَأَخَذَتْ بِعَضُدِ صَبِيٍّ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ مِحَفَّتِهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ لِهَذَا حَجٌّ قَالَ ” نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আর-রাওহা’ নামক স্থানে কাফেলার সাথে সাক্ষাত হলে তাদেরকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন : তোমরা কোন কাফেলা? তারা বললো, আমরা মুসলিম। তারা জিজ্ঞেস করলো, তোমরা কারা? লোকেরা বললো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। এ কথা শুনে এক মহিলা অস্থির হয়ে উঠলো এবং ‘হাওদা’ থেকে একটি শিশুর বাহু ধরে বের করে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এ শিশুর হাজ্জ আছে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে সওয়াব তুমি পাবে। [১৭৩৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৯
ইহরাম বাঁধার মীক্বাত সমূহ
১৭৩৭
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ وَلأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا وَبَلَغَنِي أَنَّهُ وَقَّتَ لأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্বাসীদের জন্য ‘উলহুলাইফা’, শামবাসীদের জন্য ‘আল-জুহফা’ এবং নজদবাসীদের জন্য ‘কারণ’ মীক্বাত হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, এবং আমার কাছে এটাও পৌঁছেছে যে, তিনি ইয়ামানবাসীদের জন্য ‘ইয়ালামলাম’ পর্বতকে মীক্বাত নির্দিষ্ট করেছেন। [১৭৩৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৮
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالاَ وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ أَحَدُهُمَا وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ . وَقَالَ أَحَدُهُمَا أَلَمْلَمَ قَالَ “ فَهُنَّ لَهُمْ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ مِمَّنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ . – قَالَ ابْنُ طَاوُسٍ – مِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ قَالَ وَكَذَلِكَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ত্বাউস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মীক্বাত নির্দিষ্ট করেন। এরপর বর্ণনাকারী পূর্বে বর্ণিত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেন। তাদের দু’জনের একজন বলেন, ইয়ামানবাসীদের জন্য ‘ইয়ালামলাম’, একজন বলেছেন ‘আলামলাম’। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এ স্থানগুলো সেখানকার অধিবাসীদের জন্য এবং যারা হাজ্জ ও ‘উমরাহ্র উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করবে তাদের জন্যও এ স্থানগুলো মীক্বাত গন্য হবে, তারা এখানকার অধিবাসী না হলে। আর যারা মীক্বাতের অভ্যন্তরের অধিবাসী, ইবনু তাঊস বলেন, তারা যেখানে আছে সেখান থেকেই আরম্ভ করবেন। তিনি বলেন, অনুরূপভাবে মাক্কাহবাসীগণ মাক্কাহ থেকেই ইহরাম বাঁধবে। [১৭৩৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ بَهْرَامَ الْمَدَائِنِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعَافَى بْنُ عِمْرَانَ، عَنْ أَفْلَحَ، – يَعْنِي ابْنَ حُمَيْدٍ – عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأَهْلِ الْعِرَاقِ ذَاتَ عِرْقٍ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরাকবাসীদের জন্য ‘যাতু ইরক’-কে মীক্বাত নির্দিষ্ট করেছেন। [১৭৩৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِ الْمَشْرِقِ الْعَقِيقَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাচ্যবাসীদের জন্য ‘আল-আক্বীক্ব’-কে মীক্বাত নির্দিষ্ট করেছেন। [১৭৪০]
দুর্বল : মিশকাত (৯২৫৩০), যঈফ সুনান তিরমিযী (৮৪০/১৪০)।
[১৭৪০] তিরমিযী, আহমাদ, বায়হাক্বী। আহমাদ শাকির বলেন : এর সানাদ সহীহ। কিন্তু শায়খ আলবানী দুটি দোষের কারণে এটিকে দুর্বল বলেছেন। একঃ সানাদের ইয়াযীদ ইবনু আবূ যিয়াদ সম্পর্কে হাফিয বলেন, যঈফ। দুইঃ মুহাম্মদ ইবনু ‘আলী ইবনে ‘আবদুল্লাহ তার দাদার কাছ থেকে হাদীসটি শুনেননি, যেমন আত-তাহযীব গ্রন্থে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৪১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يُحَنَّسَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الأَخْنَسِيِّ، عَنْ جَدَّتِهِ، حُكَيْمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ أَوْ عُمْرَةٍ مِنَ الْمَسْجِدِ الأَقْصَى إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ” . أَوْ ” وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ” . شَكَّ عَبْدُ اللَّهِ أَيَّتَهُمَا قَالَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَرْحَمُ اللَّهُ وَكِيعًا أَحْرَمَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ يَعْنِي إِلَى مَكَّةَ .
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ্র জন্য বায়তুল মাকদিস হতে মাসজিদুল হারাম পর্যন্ত গমনের ইহরাম বাঁধে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে অথবা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমানের সন্দেহ বর্ণনাকারী কোন শব্দটি বলেছেন। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আল্লাহ ওয়াকী (রহঃ)-কে ক্ষমা করুন। তিনি বায়তুল মাকদিস হতে ইহরাম বেঁধে মক্কায় পৌঁছেন। [১৭৪১]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৪৮৩), সিলসিলাতুল আহাদীসিয যঈফাহ (২১১), মিশকাত (২৫৩২), যঈফ ইবনু মাজাহ (৬৪৬)।
[১৭৪১] ইবনু মাজাহ, দারাকুতনী বায়হাক্বী সানাদের হুকাইমাহ্ মাশহুর নয় এবং ইবনু হিব্বান ছাড়া কেউ তাকে সিক্বাহ বলেননি। আর আত-ত্বাকবীর গ্রন্থে রয়েছে : মাক্ববূল অর্থাৎ মুতাবাআতের ক্ষেত্রে। কিন্তু এখানে তার কোন মুতাবাআত নেই। সুতরাং তার হাদীসটি যঈফ ও গাইরে মাক্ববূল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৪২
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنِي زُرَارَةُ بْنُ كُرَيْمٍ، أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ عَمْرٍو السَّهْمِيَّ، حَدَّثَهُ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِمِنًى أَوْ بِعَرَفَاتٍ وَقَدْ أَطَافَ بِهِ النَّاسُ قَالَ فَتَجِيءُ الأَعْرَابُ فَإِذَا رَأَوْا وَجْهَهُ قَالُوا هَذَا وَجْهٌ مُبَارَكٌ . قَالَ وَوَقَّتَ ذَاتَ عِرْقٍ لأَهْلِ الْعِرَاقِ .
হারিস ইবনু ‘আমর আস-সাহমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম, তখন তিনি মিনা অথবা আরাফাতে ছিলেন। এ সময় কিছু লোক তাঁকে ঘিরে রেখেছিলো। বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় কতিপয় বেদুঈন এসে তাঁর চেহারা মোবারক দেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলো, সত্যই এটা বরকতময় চেহারা। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এ সময় ইরাকবাসীর জন্য ‘যাতু ইরক’ কে মীক্বাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। [১৭৪২
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১০
হায়িয অবস্থায় হাজ্জের ইহ্রাম বাঁধা
১৭৪৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِالشَّجَرَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ أَنْ تَغْتَسِلَ فَتُهِلَّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আসমা’ বিনতু উমাইস (রাঃ) যুল-হুলায়ফায় আবূ বকর (রাঃ) এর ছেলে মুহাম্মাদকে প্রসব করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-কে আদেশ দিলেন তিনি যেন গোসল করে ইহরাম বাঁধে। [১৭৪৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو مَعْمَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ شُجَاعٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَمُجَاهِدٍ، وَعَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” الْحَائِضُ وَالنُّفَسَاءُ إِذَا أَتَتَا عَلَى الْوَقْتِ تَغْتَسِلاَنِ وَتُحْرِمَانِ وَتَقْضِيَانِ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ ” . قَالَ أَبُو مَعْمَرٍ فِي حَدِيثِهِ حَتَّى تَطْهُرَ وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ عِيسَى عِكْرِمَةَ وَمُجَاهِدًا قَالَ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَلَمْ يَقُلِ ابْنُ عِيسَى ” كُلَّهَا ” . قَالَ ” الْمَنَاسِكَ إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হায়িয ও নিফাসগ্রস্ত নারীরা মীক্বাত পৌঁছার পর গোসল করবে, ইহরাম বাঁধবে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ছাড়া অন্যান্য সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবে। আবূ মা‘মার তার হাদীসে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত বাক্যটি বলেছেন। ইবনু ঈসা বলেন, বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ছাড়া হাজ্জ ও ‘উমরাহ্র অন্যান্য কাজ করবে। তিনি ‘কুল্লাহা’ শব্দটি বলেননি। [১৭৪৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১১
ইহরাম বাঁধার সময় সুগন্ধি মাখা
১৭৪৫
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لإِحْرَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَلإِحْلاَلِهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম ইহরাম বাঁধার সময়, ইহরাম বাঁধার পূর্বে এবং ইহরাম খোলার সময় বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফের পূর্বে। [১৭৪৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الْمِسْكِ فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْرِمٌ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইহরাম অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন, তাঁর সিঁথির চাকচিক্য যেন আমি এখনও দেখছি। [১৭৪৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১২
(মাথার) চুল জট পাকানো
১৭৪৭
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُهِلُّ مُلَبِّدًا .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর চুল জট পাকানো অবস্থায় ইহরাম বাঁধতে অথবা ‘তালবিয়া’ পড়তে শুনেছি। [১৭৪৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَبَّدَ رَأْسَهُ بِالْعَسَلِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মধু দিয়ে তাঁর মাথার চুল জট পাকিয়েছেন। [১৭৪৮]
দুর্বল : মিশকাত (২৫৪৮)।
[১৭৪৮] বায়হাক্বী। সানাদের মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আ্ন শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১৩
হাজ্জীদের কুরবানীর পশুর বর্ণনা
১৭৪৯
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، – الْمَعْنَى – قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ – يَعْنِي ابْنَ أَبِي نَجِيحٍ – حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْدَى عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي هَدَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَمَلاً كَانَ لأَبِي جَهْلٍ فِي رَأْسِهِ بُرَةُ فِضَّةٍ . قَالَ ابْنُ مِنْهَالٍ بُرَةٌ مِنْ ذَهَبٍ زَادَ النُّفَيْلِيُّ يَغِيظُ بِذَلِكَ الْمُشْرِكِينَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার বছর কুরবানীর জন্য যেসব পশু পাঠান তাতে আবূ জাহলের উটটিও ছিলো যার নাকে রৌপ্য নোলক লাগানো ছিলো। ইবনু মিনহাল বলেন, স্বর্ণ নোলক ছিলো। নুফাইলী বর্ধিত করেছেন যে, এর দ্বারা মুশরিকদের প্রতি রাগ প্রকাশ উদ্দেশ্য। [১৭৪৯]
হাসান “রৌপ্য” শব্দে। মিশকাত (২৬৪০)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১৪
গরু কুরবানী প্রসঙ্গে
১৭৫০
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحَرَ عَنْ آلِ مُحَمَّدٍ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بَقَرَةً وَاحِدَةً .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি গাভী কুরবানী করেছেন। [১৭৫০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَبَحَ عَمَّنِ اعْتَمَرَ مِنْ نِسَائِهِ بَقَرَةً بَيْنَهُنَّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার স্বীয় স্ত্রীদের পক্ষ হতে একটি গরু করবানী করেন, যারা ‘উমরাহ করেছেন। [১৭৫১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১৫
ইশ‘আর বা উটের কুঁজের পার্শ্বদেশ চিড়ে ফেলা
১৭৫২
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، – قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ – قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ دَعَا بِبَدَنَةٍ فَأَشْعَرَهَا مِنْ صَفْحَةِ سَنَامِهَا الأَيْمَنِ ثُمَّ سَلَتَ عَنْهَا الدَّمَ وَقَلَّدَهَا بِنَعْلَيْنِ ثُمَّ أُتِيَ بِرَاحِلَتِهِ فَلَمَّا قَعَدَ عَلَيْهَا وَاسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ থেকে (হাজ্জের উদ্দেশ্যে) মক্কায় যাওয়ার সময় যুল-হুলাইফাতে যুহরের সলাত আদায় করেন। অতঃপর তিনি কুরবানীর উট আনালেন এবং তার কুঁজের ডান পাশে জখম করে রক্ত প্রবাহিত করলেন, তারপর একজোড়া জুতা তার গলায় বেঁধে দিলেন। পরে তাঁর সওয়ারী আনা হলে তিনি তার পিঠে উপবিষ্ট হলেন এবং তা আল-বায়দায় তাকে নিয়ে দাঁড়ালে তিনি হাজ্জের ‘তালবিয়া’ পাঠ করলেন। [১৭৫২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَى أَبِي الْوَلِيدِ قَالَ ثُمَّ سَلَتَ الدَّمَ بِيَدِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هَمَّامٌ قَالَ سَلَتَ الدَّمَ عَنْهَا بِإِصْبَعِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مِنْ سُنَنِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ الَّذِي تَفَرَّدُوا بِهِ .
শু‘বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত হাদীসটি আবুল ওয়ালীদের বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে রক্ত প্রবাহিত করলেন। আবূ দাঊদ বলেন, হাম্মাম বর্ণনা করেছেন, নিজের আঙ্গুল দ্বারা রক্ত প্রবাহিত করেছেন। আবু দাঊদ বলেন, হাদীসটি কেবল বাসরাহর বর্ণনাকারীরা বর্ণনা করেছেন
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ، أَنَّهُمَا قَالاَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْىَ وَأَشْعَرَهُ وَأَحْرَمَ .
আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ ইবনুল হাকাম (রাঃ) ও মারওয়ান থেকে বর্ণিতঃ
তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার বছর রওয়ানা হয়ে যখন ‘যুল-হুলাইফায়’ পৌঁছেন তখন কুরবানীর পশুর গলায় মালা বেঁধে তাকে ইশ‘আর করে ইহরাম বাঁধলেন। [১৭৫৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৫
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْدَى غَنَمًا مُقَلَّدَةً .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি মেষের গলায় মালা পরিয়ে তা কুরবানীর জন্য (মাক্কাহয়) পাঠিয়ে দেন। [১৭৫৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১৬
কুরবানীর পশু পরিবর্তন
১৭৫৬
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عَبْدِ الرَّحِيمِ خَالِدُ بْنُ أَبِي يَزِيدَ خَالُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ رَوَى عَنْهُ، حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ – عَنْ جَهْمِ بْنِ الْجَارُودِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَهْدَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ نَجِيبًا فَأُعْطِيَ بِهَا ثَلاَثَمِائَةِ دِينَارٍ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَهْدَيْتُ نَجِيبًا فَأُعْطِيتُ بِهَا ثَلاَثَمِائَةِ دِينَارٍ أَفَأَبِيعُهَا وَأَشْتَرِي بِثَمَنِهَا بُدْنًا قَالَ “ لاَ انْحَرْهَا إِيَّاهَا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا لأَنَّهُ كَانَ أَشْعَرَهَا .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একটি ‘বুখতী উট’ কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলেন। অতঃপর তিনশো দীনারে তা কেনার প্রস্তাব এলে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি বুখতী উট কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করেছি। এখন আমাকে এর বিনিময়ে তিনশ দীনার প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আমি কি তা বিক্রি করে সেই মূল্যে অন্য কোনো উট কিনতে পারি? তিনি বললেনঃ না, বরং সেটাই যাবাহ করো। আবূ দাঊদ বলেন, কেননা তিনি ওটাকে ইশ‘আর করেছিলেন। [১৭৫৬]
[১৭৫৬] আহমাদ, বায়হাক্বী, ইবনু খুযাইমাহ। সানাদের খালিদ ইবনু আবূ ইয়াযীদ সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীর গ্রন্থে বলেন : মাক্ববূল। আর আত-তাহযীব গ্রন্থে রয়েছেঃ ইমাম বুখারী বলে, সালিম থেকেতার শ্রবণের বিষয়টি জানা যায়নি। ইমাম যাহাবী বলেন : তার মধ্যে জাহালাত রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭
কুরবানীর পশু (মাক্কাহ্য়) পাঠিয়ে আবাসে অবস্থান করা
১৭৫৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَتَلْتُ قَلاَئِدَ بُدْنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ ثُمَّ أَشْعَرَهَا وَقَلَّدَهَا ثُمَّ بَعَثَ بِهَا إِلَى الْبَيْتِ وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ فَمَا حَرُمَ عَلَيْهِ شَىْءٌ كَانَ لَهُ حِلاًّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর পশুর গলায় বাঁধার মালা পাকিয়ে দিয়েছি। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে তাকে ইশ‘আর করে তার গলায় ঐ মালা বেঁধে দিয়েছেন, পরে তা খানায়ে কা‘বাতে পাঠিয়ে দেন। তিনি মদিনায় অবস্থান করেছেন। কিন্তু এতে স্বাভাবিক অবস্থায় তাঁর জন্য যা কিছু হালাল ছিলো সেসবের কিছুই তাঁর জন্য হারাম হয়নি। [১৭৫৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৮
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ الْهَمْدَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ اللَّيْثَ بْنَ سَعْدٍ، حَدَّثَهُمْ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهْدِي مِنَ الْمَدِينَةِ فَأَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْيِهِ ثُمَّ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ .
উরওয়াহ ও ‘আমরাহ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ হতে (মাক্কাহতে) কুরবানীর পশু পাঠাতেন, আর আমি সেটির গলায় বাঁধার জন্য মালা তৈরি করে দিতাম। কিন্তু এগুলো প্রেরণ করার পর হাজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরামধারী ব্যক্তিকে যা কিছু পরিহার করতে হয় তিনি তার কিছুই পরিহার করতেন না। [১৭৫৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ، – زَعَمَ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْهُمَا، جَمِيعًا وَلَمْ يَحْفَظْ حَدِيثَ هَذَا مِنْ حَدِيثِ هَذَا وَلاَ حَدِيثَ هَذَا مِنْ حَدِيثِ هَذَا – قَالاَ قَالَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْهَدْىِ فَأَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَهَا بِيَدِي مِنْ عِهْنٍ كَانَ عِنْدَنَا ثُمَّ أَصْبَحَ فِينَا حَلاَلاً يَأْتِي مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِهِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর পশু পাঠিয়ে দিতেন। আমি নিজ হাতে আমাদের ঘরের তুলা দিয়ে সেটির গলায় বাঁধার জন্য মালা পাকিয়ে দিয়েছি। অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে (ইহরামহীন) হালাল অবস্থায় থাকলেন এবং কেউ স্বীয় স্ত্রীর সাথে যা করে থাকে তিনিও তা করতেন। [১৭৫৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১৮
কুরবানীর পশুর পিঠে আরোহণ করা সম্পর্কে
১৭৬০
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً . فَقَالَ ” ارْكَبْهَا ” . قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ . فَقَالَ ” ارْكَبْهَا وَيْلَكَ ” . فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে কুরবানীর উট নিয়ে যেতে দেখে বললেনঃ এটির পিঠে চড়ে যাও। লোকটি বললো, এটা কুরবানীর পশু। তিনি বললেনঃ তুমি এর পিঠে চড়ো। তিনি দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার বললেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তুমি এর পিঠে চড়ো। [১৭৬০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ رُكُوبِ الْهَدْىِ، فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ ارْكَبْهَا بِالْمَعْرُوفِ إِذَا أُلْجِئْتَ إِلَيْهَا حَتَّى تَجِدَ ظَهْرًا ” .
আবুয যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে কুরবানীর পশুর পিঠে চড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তুমি নিরূপায় হলে অন্য সওয়ারী না পাওয়া পর্যন্ত সদয়ভাবে তার উপর চড়তে পারো। [১৭৬১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৯
কুরবানীর পশু গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অচল হয়ে গেলে
১৭৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ نَاجِيَةَ الأَسْلَمِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مَعَهُ بِهَدْىٍ فَقَالَ “ إِنْ عَطِبَ مِنْهَا شَىْءٌ فَانْحَرْهُ ثُمَّ اصْبَغْ نَعْلَهُ فِي دَمِهِ ثُمَّ خَلِّ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ ” .
নাজিয়াতুল আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে তাঁর কুরবানীর পশুর সাথে (মাক্কাহতে) প্রেরণের সময় বলেছেনঃ এগুলোর কোনটি অচল হয়ে পড়লে তা যাবাহ করে সেটির গলায় বাঁধানো জুতা রক্তের মধ্যে ফেলে দিবে এবং মুসাফিরদের আহারের জন্য রেখে দিবে। [১৭৬২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬৩
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، – وَهَذَا حَدِيثُ مُسَدَّدٍ – عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فُلاَنًا الأَسْلَمِيَّ وَبَعَثَ مَعَهُ بِثَمَانَ عَشْرَةَ بَدَنَةً فَقَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ أُزْحِفَ عَلَىَّ مِنْهَا شَىْءٌ قَالَ ” تَنْحَرُهَا ثُمَّ تَصْبُغُ نَعْلَهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ اضْرِبْهَا عَلَى صَفْحَتِهَا وَلاَ تَأْكُلْ مِنْهَا أَنْتَ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِكَ ” . أَوْ قَالَ ” مِنْ أَهْلِ رُفْقَتِكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ قَوْلُهُ ” وَلاَ تَأْكُلْ مِنْهَا أَنْتَ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ رُفْقَتِكَ ” . وَقَالَ فِي حَدِيثِ عَبْدِ الْوَارِثِ ” ثُمَّ اجْعَلْهُ عَلَى صَفْحَتِهَا ” . مَكَانَ ” اضْرِبْهَا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ يَقُولُ إِذَا أَقَمْتَ الإِسْنَادَ وَالْمَعْنَى كَفَاكَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ আসলামের জনৈক ব্যক্তিকে আঠারটি কুরবানীর পশু সহ (মক্কায়) প্রেরণ করলেন। লোকটি বললো, (পথে) কোন জন্তু অচল হয়ে পড়লে তখন আমি কি করবো? তিনি বললেনঃ তা যাবাহ করবে এবং তার গলায় বাঁধা জুতা রক্তে মেখে তার ঘাড়ে রেখে দিবে। কিন্তু তুমি নিজে এবং তোমার কোনো সাথী এর গোশত খাবে না। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল ওয়ারিসের হাদীসে (আরবী) এর স্থলে (আরবী) শব্দ রয়েছে। [১৭৬৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–২০
নিজ হাতে কুরবানী করা এবং অন্যের সহযোগিতা নেয়া
১৭৬৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، وَيَعْلَى، ابْنَا عُبَيْدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ لَمَّا نَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُدْنَهُ فَنَحَرَ ثَلاَثِينَ بِيَدِهِ وَأَمَرَنِي فَنَحَرْتُ سَائِرَهَا .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিজ হাতে ত্রিশটি কুরবানীর পশু (উট) যাবাহ করেছেন। পরে তার নির্দেশ মোতাবেক অবশিষ্ট পশুগুলো আমি যাবাহ করেছি। [১৭৬৪]
[১৭৬৪] আহমাদ। সানাদে ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন। ডক্টর সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ সাইয়্যিদ বলেন : তবে তার মুতাবাআত করেছেন অন্যরা।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
১৭৬৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، – وَهَذَا لَفْظُ إِبْرَاهِيمَ – عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُحَىٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ أَعْظَمَ الأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ ” . قَالَ عِيسَى قَالَ ثَوْرٌ وَهُوَ الْيَوْمُ الثَّانِي . قَالَ وَقُرِّبَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَدَنَاتٌ خَمْسٌ أَوْ سِتٌّ فَطَفِقْنَ يَزْدَلِفْنَ إِلَيْهِ بِأَيَّتِهِنَّ يَبْدَأُ فَلَمَّا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا – قَالَ فَتَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ خَفِيَّةٍ لَمْ أَفْهَمْهَا فَقُلْتُ مَا قَالَ – قَالَ ” مَنْ شَاءَ اقْتَطَعَ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু কুরত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রাচুর্য্যময় মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন দিন হলো কুরবানীর দিন, তারপর মেহমানদারীর দিন, সেটি হলো দ্বিতীয় দিন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর পাঁচটি বা ছয়টি কুরবানীর পশু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আনা হলো। যে পশুকে তাঁর কাছে আনা হলো তিনি প্রথমে সেটিই যাবাহ’ করলেন। এভাবে যাবাহ শেষ হলো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি হালকা একটা কথা বলেছেন, যা আমি বুঝতে পারিনি। পরে আমি আমার (কাছের ব্যক্তিকে) জিজ্ঞেস করলে সে বললো, তিনি বলেছেনঃ ‘কারো ইচ্ছে হলে এখান থেকে গোশত কেটে নিতে পারবে’। [১৭৬৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ الأَزْدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ غَرَفَةَ بْنَ الْحَارِثِ الْكِنْدِيَّ، قَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَأُتِيَ بِالْبُدْنِ فَقَالَ ” ادْعُوا لِي أَبَا حَسَنٍ ” . فَدُعِيَ لَهُ عَلِيٌّ – رضى الله عنه – فَقَالَ لَهُ ” خُذْ بِأَسْفَلِ الْحَرْبَةِ ” . وَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَعْلاَهَا ثُمَّ طَعَنَ بِهَا فِي الْبُدْنِ فَلَمَّا فَرَغَ رَكِبَ بَغْلَتَهُ وَأَرْدَفَ عَلِيًّا رضى الله عنه .
গারাফা ইবনুল হারিস আল-কিনদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বিদায় হাজ্জের দিন রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে ছিলাম। তাঁর কাছে কুরবানীর উট আনা হলে তিনি বললেনঃ হাসানের পিতাকে ডাকো। সুতরাং ‘আলী (রাঃ)-কে ডাকা হলো। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি অস্ত্রের নিম্নভাগে ধরো, আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে উপরিভাগ ধরলেন। তারপর তাঁরা উভয়ে ধারালো অস্ত্রে পশুটি যাবাহ করলেন। অতঃপর যাবাহ শেষে তাঁর খচ্চরে আরোহন করে ‘আলীকে তাঁর পেছনে বসিয়ে চলে গেলেন। [১৭৬৬]
[১৭৬৬] বায়হাকী। সানাদে আব্দুল্লাহ বিন হারিস আযাদী সম্পর্কে হাফিয বলেন : মাকবুল অর্থাৎ মুতাবাআতের ক্ষেত্রে। কিন্তু তার কোন মুতাবাআত নেই। সুতারাং তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২১
উট কিভাবে যাবাহ করতে হয়
১৭৬৭
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَابِطٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ كَانُوا يَنْحَرُونَ الْبَدَنَةَ مَعْقُولَةَ الْيُسْرَى قَائِمَةً عَلَى مَا بَقِيَ مِنْ قَوَائِمِهَا .
জাবির ও ‘আবদুর রহমান ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ উটের বাম পা বেঁধে, অবশিষ্ট (তিন) পায়ের উপর খাড়া অবস্থায় তা যাবাহ করতেন। [১৭৬৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ بِمِنًى فَمَرَّ بِرَجُلٍ وَهُوَ يَنْحَرُ بَدَنَتَهُ وَهِيَ بَارِكَةٌ فَقَالَ ابْعَثْهَا قِيَامًا مُقَيَّدَةً سُنَّةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم .
যিয়াদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু ‘উমারের (রাঃ) সাথে মিনাতে ছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যে তার উটকে বসানো অবস্থায় যাবাহ করতে প্রস্তুত হচ্ছিল। তিনি বললেন, এটিকে ছেড়ে দাও এবং বেঁধে দাঁড় করিয়ে যাবাহ করো। এটাই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬৯
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، – يَعْنِي ابْنَ عُيَيْنَةَ – عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَقْسِمَ جُلُودَهَا وَجِلاَلَهَا وَأَمَرَنِي أَنْ لاَ أُعْطِيَ الْجَزَّارَ مِنْهَا شَيْئًا وَقَالَ “ نَحْنُ نُعْطِيهِ مِنْ عِنْدِنَا ” .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর কুরবানীর পশুর দেখাশোনা, চামড়া বিতরণ ও তার আচ্ছাদন সদাক্বাহ করতে নির্দেশ দেন এবং কসাইকে তা থেকে কিছু না দেয়ার নির্দেশ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, তবে কসাইকে আমরা নিজেদের পক্ষ হতে আলাদাভাবে পারিশ্রমিক দিতাম। [১৭৬৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২২
ইহরাম বাঁধার সময়
১৭৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ يَا أَبَا الْعَبَّاسِ عَجِبْتُ لاِخْتِلاَفِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي إِهْلاَلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَوْجَبَ . فَقَالَ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ إِنَّهَا إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَحَفِظْتُهُ عَنْهُ ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالاً فَسَمِعُوهُ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلاَّهُ وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ وَأَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ . قَالَ سَعِيدٌ فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلاَّهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ .
সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললাম, হে আবুল ‘আব্বাস! রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম বাঁধার মুহূর্ত বিষয়ে যে মতভেদ করছেন তাতে আমি স্তম্ভিত। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি এ বিষয়ে অন্যদের চেয়ে অধিক অবগত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধু একবারই হাজ্জ করেছেন, আর এটাই তাদের মতভেদের মূল উৎস। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তিনি যুল-হুলাইফাতে তাঁর মাসজিদে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন এবং ঐ বসাবস্থায় দু’ রাক‘আত শেষ করেই নিজের জন্য হাজ্জ ওয়াজিব করে নিয়ে ‘তালবিয়া’ পাঠ করলেন। সুতরাং এখানে কিছু লোক তাঁকে ‘তালবিয়া’ পড়তে শুনে তারা তাই স্মরণ রেখেছে। অতঃপর তিনি আরোহণ করলেন এবং উষ্ট্রী তাঁকে পিঠে তুলে নিয়ে দাঁড়ানোর সময়ও তিনি ‘তালবিয়া’ পড়লেন। সুতরাং আরো কিছু লোক এখানে তাঁকে ‘তালবিয়া’ পড়তে শুনলো। বস্তুত লোকজন পৃথক পৃথকভাবে দলে দলে আসছিলো। আর তারা তখন তাঁকে তালবিয়া পাঠ করতে শুনলো যখন তিনি উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় তালবিয়া পড়লেন। ফলে তারা একথাই বললো যে, উষ্ট্রী তাঁকে তার পিঠে তোলার সময় তিনি তালবিয়া পড়েছেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্মুখে অগ্রসর হলেন। এবার তিনি ‘আল-বায়দার’ উচ্চভূমিতে চড়লেন এবং এখানেও ‘তালবিয়া’ পড়লেন। কিছু লোক তাঁকে এখানে ‘তালবিয়া’ পড়তে শুনে তারা বললো, তিনি তখনই ইহরাম বেঁধে তালবিয়া পড়েছেন এবং পরে উষ্ট্রীর পিঠে ও আল-বায়দার উচ্চভূমিতে, সর্বত্র সর্বাবস্থায় তালবিয়া পড়েছিলেন। অতঃপর সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইবনু ‘আব্বাসের বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু’ রাক‘আত সালাত শেষে স্বীয় মুসাল্লাতেই ইহরাম বাঁধে। [১৭৭০]
দুর্বল : যঈফ সুনান তিরমিযী (৮২৫/১৩৫) সংক্ষিপ্তভাবে এ শব্দে ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক সলাতের পর তালবিয়া পড়তেন।’ অনুরূপ যঈফ সুনান নাসায়ী (২৭৫৪/১৭৫)।
[১৭৭০] আহমাদ। সানাদের খুসাইফ ইবনু আবদুর রহমান সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন : স্মরণশক্তি ভাল নয়, তিনি শেষ বয়সে হাদীসের সংমিশ্রণ করতেন এবং তার ব্যাপারে মুরজিয়া হওয়ার আরোপ রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৭১
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, এই হচ্ছে তোমাদের ‘বায়দা’ যেখানে তোমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে অনুমানে কথা বলছো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুলহুলাইফার মাসজিদ থেকেই ইহরাম বেধেছেন। [১৭৭১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَأَيْتُكَ تَصْنَعُ أَرْبَعًا لَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِكَ يَصْنَعُهَا . قَالَ مَا هُنَّ يَا ابْنَ جُرَيْجٍ قَالَ رَأَيْتُكَ لاَ تَمَسُّ مِنَ الأَرْكَانِ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ وَرَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ وَرَأَيْتُكَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ وَرَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْهِلاَلَ وَلَمْ تُهِلَّ أَنْتَ حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَمَّا الأَرْكَانُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمَسُّ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ وَأَمَّا النِّعَالُ السِّبْتِيَّةُ فِإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُ النِّعَالَ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا شَعْرٌ وَيَتَوَضَّأُ فِيهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَلْبَسَهَا وَأَمَّا الصُّفْرَةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْبُغُ بِهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَصْبُغَ بِهَا وَأَمَّا الإِهْلاَلُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ .
‘উবাইদ ইবনু জুরাইজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি আপনাকে এমন চারটি আমল করেতে দেখি, যা আপনার অন্য কোনো সাথীকে করতে দেখি না। তিনি বললেন, হে ইবনু জুরাইজ! সেগুলো কি? তিনি বললেন, আপনি দুই রুকনে ইয়ামানী ছাড়া অন্য কোন রুকন স্পর্শ করেন না। আপনি সিবতী চামড়ার জুতা পড়েন। আপনি হলুদ রঙ ব্যবহার করেন এবং আপনি মাক্কাহতে থাকাবস্থায় লোকজন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ দেখে ইহরাম বাঁধে, কিন্তু আপনি ‘তারবিয়ার দিন’ না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাঁধেন না। অতঃপর এর জবাবে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুই রুকনে ইয়ামানী ছাড়া অন্য কোন রুকন স্পর্শ করতে দেখিনি। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পশমহীন জুতা পরতে দেখেছি, তিনি সেটা পরা অবস্থার উযুও করতেন। সুতরাং আমি তা পরতে পছন্দ করি। হলুদ রং- আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হলদে রং ব্যবহার করতে দেখেছি। কাজেই আমি তা পছন্দ করি। আর ইহরাম বাঁধা- আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর সওয়ারী সফরের উদ্দেশ্যে না দাঁড়ানো পর্যন্ত ইহরাম বাঁধতে দেখিনি। [১৭৭২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদিনায় যুহরের চার রাক‘আত সলাত আদায় করেন এবং যুলহুলাইফায় পৌঁছে ‘আসরের সলাত আদায় করেন দুই রাক‘আত। তিনি সেখানেই রাত যাপন করেন এবং সকালে সওয়ারীতে চড়ে সফর শুরু করার সময় ‘তালবিয়া’ পাঠ করেন। [১৭৭৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا عَلاَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাদীনাহয়) যুহরের সলাত আদায় করে সওয়ারীতে চড়েন। অতঃপর তিনি আল-বায়দার উচ্চভূমিতে আরোহণের সময় ‘তালবিয়া’ পাঠ করেন। [১৭৭৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ – قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَتْ قَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَخَذَ طَرِيقَ الْفُرْعِ أَهَلَّ إِذَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ وَإِذَا أَخَذَ طَرِيقَ أُحُدٍ أَهَلَّ إِذَا أَشْرَفَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ .
সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আল-ফুর‘আ নামক স্থানের দিকে যেতেন তখন সওয়ারীর পিঠে চড়া মাত্রই তালবিয়া পড়তেন। তিনি যখন উহুদের পথে রওয়ানা হতেন, তখন আল-বায়দা পর্বতে উঠার সময় তালবিয়া পড়তেন। [১৭৭৫]
[১৭৭৫] বায়হাক্বী। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের হাদীস শ্রবণ সুস্পষ্ট নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৩
হাজ্জের মধ্যে শর্ত যোগ করা প্রসঙ্গে
১৭৭৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ ضُبَاعَةَ بِنْتَ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ الْحَجَّ أَأَشْتَرِطُ قَالَ ” نَعَمْ ” . قَالَتْ فَكَيْفَ أَقُولُ قَالَ ” قُولِي لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ وَمَحِلِّي مِنَ الأَرْضِ حَيْثُ حَبَسْتَنِي ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা যুবাইর ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিবের মেয়ে- দবা‘আহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হাজ্জের ইচ্ছা করেছি। এতে কোন শর্ত করতে পারব কি? তিনি বললেনঃ হাঁ। দবা‘আহ বলেন, তা কিভাবে? তিনি বলেনঃ তুমি বলো : ‘আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত, পথে যেখানেই তুমি আমাকে আটক করবে সেটাই আমার ইহরাম ভঙ্গের স্থান। [১৭৭৬]
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৪
হাজ্জে ইফরাদ
১৭৭৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জে ইফরাদ করেছেন। [১৭৭৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৮
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُوَافِينَ هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَالَ ” مَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِحَجٍّ فَلْيُهِلَّ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهِلَّ بِعُمْرَةٍ ” . قَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ ” فَإِنِّي لَوْلاَ أَنِّي أَهْدَيْتُ لأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ ” . وَقَالَ فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ ” وَأَمَّا أَنَا فَأُهِلُّ بِالْحَجِّ فَإِنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ ” . ثُمَّ اتَّفَقُوا فَكُنْتُ فِيمَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ ” مَا يُبْكِيكِ ” . قُلْتُ وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ خَرَجْتُ الْعَامَ . قَالَ ” ارْفُضِي عُمْرَتَكِ وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي ” . قَالَ مُوسَى ” وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ ” . وَقَالَ سُلَيْمَانُ ” وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْمُسْلِمُونَ فِي حَجِّهِمْ ” . فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الصَّدَرِ أَمَرَ – يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ . زَادَ مُوسَى فَأَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ مَكَانَ عُمْرَتِهَا وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ فَقَضَى اللَّهُ عُمْرَتَهَا وَحَجَّهَا . قَالَ هِشَامٌ وَلَمْ يَكُنْ فِي شَىْءٍ مِنْ ذَلِكَ هَدْىٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ مُوسَى فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ طَهُرَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যিলহাজ্জ মাসের নতুন চাঁদ উদয়ের কিছু আগে আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে হাজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। তিনি যুল-হুলাইফায় পৌঁছে বললেনঃ কেউ হাজ্জের ইহরাম বাঁধতে চাইলে বাঁধুক। আর কেউ ‘উমরাহ্র ইহরাম বাঁধতে চাইলে সে যেন ‘উমরাহ্র ইহরাম বাঁধে। উহাইব হতে মূসা বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেছেনঃ যদি আমার সাথে কুরবানীর পশু না আনতাম তাহলে ‘উমরাহ্র জন্য ইহরাম বাঁধতাম। হাম্মাদ ইবনু সালামাহ্র হাদীসে রয়েছে, আমি হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছি, কারণ আমার সাথে কুরবানীর পশু আছে। তারপর উভয় বর্ণনাকারী একইরূপ বর্ণনা করেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, যারা শুধু ‘উমরাহ্র ইহরাম বেঁধেছিলো, আমি তাদের দলভুক্ত ছিলাম। পথিমধ্যে আমার হায়েয আরম্ভ হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে আসলেন, এ সময় আমি কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তুমি কাঁদছো কেন? আমি বললাম, কতই না ভালো হতো যদি আমি এ বছর (ঘর থেকে) বের না হতাম। তিনি বললেনঃ তুমি ‘উমরাহ্ ত্যাগ করো, মাথার খোপা খুলে ফেলো, চুল আঁছড়িয়ে নাও। মূসা বর্ণনায় রয়েছে : এবং হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধো। সুলাইমান বলেন, মুসলিমরা হাজ্জে যেসব অনুষ্ঠান পালন করে তুমিও তা করো। অতঃপর (মাক্কাহ থেকে) ফেরার রাত এলো ‘আবদুর রহমানকে নির্দেশ করলে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে ‘তানঈমে’ নিয়ে যান। মূসার বর্ণনায় আরো রয়েছে : তিনি পূর্বের ‘উমরাহ্র স্থানে ‘উমরাহ্র ইহরাম বাঁধলেন, বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন। ফলে আল্লাহ তাঁর ‘উমরাহ্ ও হাজ্জ উভয়টিই পূর্ণ করলেন। হিশামের বর্ণনায় রয়েছে : কিন্তু এরূপ করার কারণে তাঁকে কাফফারাহ হিসেবে কুরবানী দিতে হয়নি। আবূ দাঊদ বলেন, হাম্মাদ ইবনু সালামাহ্র হাদীসে মূসা বর্ধিত করেছেন যে, অতঃপর ‘বাতহা’ উপত্যকায় প্রবেশের রাতে ‘আয়িশাহ (রাঃ) পবিত্র হন। [১৭৭৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৯
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحِلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা বিদায় হাজ্জের বছরে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে হাজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যকার কেউ ‘উমরাহ্র ইহরাম বেঁধেছিলো, কেউ হাজ্জ ও ‘উমরাহ দুটির ইহরাম বেঁধেছিলো এবং কেউ শুধুমাত্র হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধু হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন। যারা শুধু হাজ্জ কিংবা হাজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা কুরবানীর দিন পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারেননি। [১৭৭৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮০
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ زَادَ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَأَحَلَّ .
আবুল আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
পূর্ব বর্ণিত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত। তবে এতে আরো আছে : যারা কেবল ‘উমরাহর ইহরাম বাঁধেন তারা ‘উমরাহ্ সমাপন করে ইহরামমুক্ত হন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮১
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لاَ يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا ” . فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلاَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ وَدَعِي الْعُمْرَةَ ” . قَالَتْ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا قَضَيْنَا الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ ” هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ ” . قَالَتْ فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوا ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى لِحَجِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَانُوا جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ وَمَعْمَرٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرُوا طَوَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِعُمْرَةٍ وَطَوَافَ الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমরা ‘উমরাহ্র ইহরাম বাঁধলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা যেন ‘উমরাহ্র সাথে হাজ্জের ইহরাম বাঁধে এবং উভয়টির যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি শেষ না করা পর্যন্ত ইহরাম না খুলে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি হায়িয অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হলাম। সুতরাং আমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়াতে সাঈ করলাম না। আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবহিত করলে তিনি বললেনঃ চুলের খোপা খুলে ফেলো, মাথায় চিরুনি করো, ‘উমরাহ্র নিয়্যাত বর্জন করে কেবল হাজ্জের ইহরাম বাঁধো। তিনি বলেন, সুতরাং আমি তাই করলাম। অতঃপর আমাদের হাজ্জ সমাপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরের সাথে ‘তানঈম’-এ প্রেরণ করলেন এবং আমি সেখান থেকে ‘উমরাহ করলাম। তিনি বললেনঃ এটা তোমার পূর্বের ‘উমরাহ্র পরিপূরক। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, যারা ‘উমরাহ্র ইহরাম বেঁধেছিলো তারা মক্কায় পৌঁছে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেলে। তার পর মিনা থেকে ফিরে এসে হাজ্জের জন্য আরেকবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে। আর যারা হাজ্জ ও ‘উমরাহ একত্রে আদায় করেছে তারা শুধুমাত্র একবার তাওয়াফ করেছে। [১৭৮১]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবরাহীম ইবনু সা’দ এবং মা‘মার (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে এতে “যারা শুধু ‘উমরাহ্র ইহরাম বেঁধেছিল এবং যারা হাজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়টির ইহরাম বেঁধেছে তাদের তাওয়াফের কথা” বর্ণিত হয়নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮২
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ ” مَا يُبْكِيكِ يَا عَائِشَةُ ” . فَقُلْتُ حِضْتُ لَيْتَنِي لَمْ أَكُنْ حَجَجْتُ . فَقَالَ ” سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ ” . فَقَالَ ” انْسُكِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ ” . فَلَمَّا دَخَلْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ ” . قَالَتْ وَذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ يَوْمَ النَّحْرِ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ وَطَهُرَتْ عَائِشَةُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَرْجِعُ صَوَاحِبِي بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِالْحَجِّ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَلَبَّتْ بِالْعُمْرَةِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধলাম কিন্তু ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছালে আমার হায়িয আরম্ভ হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে আসলেন, তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি বললেনঃ হে আয়িশা! তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, গত রাতে আমি ঋতুবতী হয়েছি, আমি তো হাজ্জ করতে পারলাম না। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এতো সেই বস্তু যা মহান আল্লাহ আদমের কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। সুতরাং তুমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত হাজ্জের অন্যান্য সব কাজ সম্পন্ন করো। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা মক্কায় প্রবেশ করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে ছাড়া যে কেউ তার ইহরাম ‘উমরাহ্তে পরিণত করতে পারে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় স্ত্রীদের পক্ষ হতে একটি গরু কুরবানী করেন। অতঃপর ‘বাতহা’র রাতে ‘আয়িশাহ (রাঃ) হায়িয থেকে পবিত্র হলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সাথীরা হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ সম্পন্ন করে ফিরে যাবে, আর আমি কি শুধু হাজ্জ করেই ফিরবো? অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরকে নির্দেশ দিলে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে ‘তানঈম’ নামক স্থানে নিয়ে যান এবং তিনি সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে ‘উমরাহ্ করেন। [১৭৮২]
সহীহ, তবে এ কথাটি বাদে : “… من شاء أن يجعلها عمرة”। সঠিক হলো : “اجعلوها عمرة ” : মুসলিম। [যা সামনে আসছে এ গ্রন্থের হা/১৭৮৮।]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَرَى إِلاَّ أَنَّهُ الْحَجُّ فَلَمَّا قَدِمْنَا تَطَوَّفْنَا بِالْبَيْتِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ أَنْ يُحِلَّ فَأَحَلَّ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে রওয়ানা হলাম। তাতে হাজ্জ ছাড়া আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিলো না। আমরা মক্কায় পৌঁছে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ইহরাম মুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেন যারা কুরবানীর পশু সাথে আনেনি। সুতরাং যারা কুরবানীর পশু সাথে আনেনি তারা ইহরাম মুক্ত হলো। [১৭৮৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمَا سُقْتُ الْهَدْىَ ” . قَالَ مُحَمَّدٌ أَحْسِبُهُ قَالَ ” وَلَحَلَلْتُ مَعَ الَّذِينَ أَحَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ ” . قَالَ أَرَادَ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ النَّاسِ وَاحِدًا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যা পরে জানতে পেরেছি তা যদি আগে জানতে পারতাম তাহলে আমি কুরবানীর পশু সাথে আনতাম না। বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া বলেন, আমার ধারণা, আমার শায়খ (‘উসমান ইবনু ‘উমার) বলেছেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, যারা ‘উমরাহ সমাপ্ত করে ইহরাম খুলেছে আমিও তাদের দলভুক্ত ছিলাম। মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, সকলের কার্যক্রম যেন একইরূপ হয়। [১৭৮৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ مُفْرَدًا وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ مُهِلَّةً بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ قَالَ فَقُلْنَا حِلُّ مَاذَا فَقَالَ ” الْحِلُّ كُلُّهُ ” . فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ أَرْبَعُ لَيَالٍ ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ ” مَا شَأْنُكِ ” . قَالَتْ شَأْنِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الآنَ . فَقَالَ ” إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ ” . فَفَعَلَتْ . وَوَقَفَتِ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ ” قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا ” . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حِينَ حَجَجْتُ . قَالَ ” فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ ” . وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলূল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে হাজ্জে ইফরাদের ইহরাম বেঁধে রওয়ানা হই। আর ‘আয়িশাহ (রাঃ) এলেন ‘উমরাহ্র ইহরাম বেঁধে। তিনি ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছে ঋতুবতী হলেন। আমরা (মক্কায় ) পৌঁছে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সাঈ সমাপ্ত করি। আমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর পশু নেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, হালাল হওয়ার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ সবকিছুর জন্য হালাল হওয়া। ফলে আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম এবং গায়ে সুগন্ধি মেখে স্বাভাবিক পোশাক পরলাম। অথচ আমাদের ও ‘আরাফাহ দিবসের মাঝে মাত্র চার দিনের ব্যবধান আছে। অতঃপর আমরা যিলহাজ্জ মাসের অষ্টম তারিখে হাজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর কাছে গিয়ে দেখলেন তিনি কাঁদছেন। জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি হয়েছে? তিনি বলেলেন, আমি ঋতুবতী হয়েছি। অথচ সকল লোক (‘উমরাহ্ সম্পন্ন করে) ইহরাম খুলে ফেলেছে, আর আমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারিনি। আর লোকজন এখনই হাজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ তো এটা আদমের সকল কন্যাদের উপর নির্ধারিত করে দিয়েছেন। তুমি গোসল করো এবং হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধো। সুতরাং তিনি তাই করলেন এবং যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন, পরে যখন পবিত্র হলেন তখন বায়তুল্লাহ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন। এরপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার হাজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়টি হতে হালাল হয়েছো। তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মনে (খটকা) হচ্ছে, আমি হাজ্জের সময় বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিনি। সুতরাং তিনি বললেনঃ হে ‘আবদুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তাকে ‘তানঈম’ থেকে এর ‘উমরাহ করাও। এটা ছিল মুহাসসাব উপত্যকার রাতের ঘটনা (অর্থাৎ যিলহাজ্জ মাসের চৌদ্দ তারিখ)। [১৭৮৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ بِبَعْضِ هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ ” وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ ” . ” ثُمَّ حُجِّي وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ وَلاَ تُصَلِّي ” .
আবুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির (রাঃ) হতে এ ঘটনার অংশবিশেষ শুনেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা : এবং তুমি হাজ্জের ইহরাম বাঁধো অতঃপর হাজ্জ করো এবং অন্যান্য হাজীগণ যা করে তুমিও তাই করো’, কিন্তু বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে না এবং সলাত আদায় করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৭
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ خَالِصًا لاَ يُخَالِطُهُ شَىْءٌ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَطُفْنَا وَسَعَيْنَا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَحِلَّ وَقَالَ ” لَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ ” . ثُمَّ قَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مُتْعَتَنَا هَذِهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِلأَبَدِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” بَلْ هِيَ لِلأَبَدِ ” . قَالَ الأَوْزَاعِيُّ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ يُحَدِّثُ بِهَذَا فَلَمْ أَحْفَظْهُ حَتَّى لَقِيتُ ابْنَ جُرَيْجٍ فَأَثْبَتَهُ لِي .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে শুধুমাত্র হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধি, এতে অন্য কিছু ছিল না। যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখে আমরা মক্কায় উপস্থিত হয়ে (বায়তুল্লাহ) তাওয়াফ এবং (সাফা-মারওয়া) সাঈ করি। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইহরাম খুলে হালাল হবার নির্দেশ দিয়ে বললেনঃ আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম। তখন সুরাক্বাহ ইবনু মালিক (রাঃ) উঠে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের এই ‘হাজ্জে তামাত্তু’ কি এ বছরের জন্য, নাকি সর্বকালের জন্য? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, বরং এটা সর্বকালের জন্য। ইমাম আওযাঈ বলেন, আমি এ হাদীস ‘আত্বা ইবনু আবূ রাবাহকে বলতে শুনেছি, কিন্তু স্মরণ রাখতে পারিনি। অবশেষে ইবনু জুরাইজের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাকে তা যথাযথভাবে স্মরণ করিয়ে দেন। [১৭৮৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اجْعَلُوهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ ” . فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ قَدِمُوا فَطَافُوا بِالْبَيْتِ وَلَمْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাথীরা যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখে (মক্কায়) আসেন। তাঁরা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ সম্পন্ন করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে ব্যতীত তোমরা সকলেই এ কাজগুলোকে ‘উমরাহ্ গণ্য করো। অতঃপর (অষ্টম তারিখ) তারবিয়ার দিন এলে তারা হাজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। অতঃপর (কুরবানীর দিন) দশ তারিখে তারা (মক্কায়) এসে শুধু বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন, সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ (সাঈ) করলেন না। [১৭৮৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ، – يَعْنِي الْمُعَلِّمَ – عَنْ عَطَاءٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ وَلَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ هَدْىٌ إِلاَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَطَلْحَةَ وَكَانَ عَلِيٌّ – رضى الله عنه – قَدِمَ مِنَ الْيَمَنِ وَمَعَهُ الْهَدْىُ فَقَالَ أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً يَطُوفُوا ثُمَّ يُقَصِّرُوا وَيَحِلُّوا إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ فَقَالُوا أَنَنْطَلِقُ إِلَى مِنًى وَذُكُورُنَا تَقْطُرُ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ لَوْ أَنِّي اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ وَلَوْلاَ أَنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ لأَحْلَلْتُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর ‘সাথীরা ইহরাম বেঁধে হাজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ত্বালহা (রাঃ) ব্যতীত কারো সাথেই কুরবানীর পশু ছিলো না। ‘আলী (রাঃ) ইয়ামান দেশ থেকে আসলেন, তখন তাঁর সাথে কুরবানীর পশু ছিলো। ‘আলী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও ঐ উদ্দেশ্যেই ইহরাম বেঁধেছি। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিলো না তাদের হাজ্জকে ‘উমরাহ্য় রূপান্তরিত করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দেন এবং মাথা মুন্ডন করে হালাল হতে বললেন। কিন্তু যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল তারা ব্যতীত। তারা বললেন, আমরা কিভাবে মিনার দিকে রওয়ানা হবো অথচ আমাদের কেউ কেউ স্ত্রী সহবাস করেছে। এসব কথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কানে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ আমার ব্যাপারে আমি যা পরে জেনেছি তা যদি আগে জানতাম, তাহলে আমি কুরবানীর পশু সাথে করে আনতাম না। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম। [১৭৮৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَا بِهَا فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ هَدْىٌ فَلْيَحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ وَقَدْ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مُنْكَرٌ إِنَّمَا هُوَ قَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এ সেই ‘উমরাহ্ যার থেকে আমরা উপকৃত হয়েছি। কাজেই যার সাথে কুরবানীর পশু নেই সে সব কিছু থেকে সম্পূর্ণ হালাল হয়ে যাবে। আর ‘উমরাহ্ ক্বিয়ামাত পর্যন্ত হাজ্জের মধ্যে প্রবেশ করলো। ইমাম আবূ দাউদ বলেন, এ হাদীসটি মুনকার এবং এগুলো ইবনু ‘আব্বাসের (রাঃ) বক্তব্য। [১৭৯০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا النَّهَّاسُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَهَلَّ الرَّجُلُ بِالْحَجِّ ثُمَّ قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ حَلَّ وَهِيَ عُمْرَةٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ رَجُلٍ عَنْ عَطَاءٍ دَخَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ خَالِصًا فَجَعَلَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمْرَةً .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি হাজ্জের ইহরাম বেঁধে মক্কায় উপস্থিত হয়ে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সাঈ করলে সে অবশ্যই হালাল হয়ে গেল। আর এটাই হচ্ছে ‘উমরাহ্। আবূ দাউদ বলেন, ইবনু জুরাইজ এক ব্যক্তি হতে ‘আত্বা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণ শুধুমাত্র হাজ্জের ইহরাম বেঁধে (মক্কায়) প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা ‘উমরাহ্য় রূপান্তরিত করেন। [১৭৯১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ شَوْكَرٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، – قَالَ ابْنُ مَنِيعٍ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْمَعْنَى، – عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَهَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَلَمَّا قَدِمَ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ – وَقَالَ ابْنُ شَوْكَرٍ وَلَمْ يُقَصِّرْ ثُمَّ اتَّفَقَا – وَلَمْ يَحِلَّ مِنْ أَجْلِ الْهَدْىِ وَأَمَرَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ أَنْ يَطُوفَ وَأَنْ يَسْعَى وَيُقَصِّرَ ثُمَّ يَحِلَّ . زَادَ ابْنُ مَنِيعٍ فِي حَدِيثِهِ أَوْ يَحْلِقَ ثُمَّ يَحِلَّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে (মক্কায়) পৌঁছে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ করলেন। ইবনু শাওকার বলেন, কুরবানীর পশু সাথে থাকার কারণে তিনি চুল খাট করেননি এবং ইহরাম থেকেও মুক্ত হননি। তবে যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনেননি তাদেরকে তাওয়াফ ও সাঈ করার পর চুল ছেঁটে ইহরাম মুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেন। ইবনু মানী‘ বর্ধিত করেছেন যে : অথবা মাথা মুন্ডন করে যে হালাল হয়। [১৭৯২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو عِيسَى الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – فَشَهِدَ عِنْدَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ يَنْهَى عَنِ الْعُمْرَةِ قَبْلَ الْحَجِّ .
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এক সাহাবী ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) কাছে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর মৃত্যুশয্যায় হাজ্জের পূর্বে ‘উমরাহ্ করতে নিষেধ করতে শুনেছেন। [১৭৯৩]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬০৫১)।
[১৭৯৩] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে আবূ ঈসা আল-খুরাসানী মাজহুল (অজ্ঞাত)। আর আবদুল্লাহ বিন কাসিম মাক্ববূল। যেমন আত-তাক্ববীর গ্রন্থে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৯৪
حَدَّثَنَا مُوسَى أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ، خَيْوَانَ بْنِ خَلْدَةَ مِمَّنْ قَرَأَ عَلَى أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ لأَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كَذَا وَكَذَا وَعَنْ رُكُوبِ جُلُودِ النُّمُورِ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَقَالُوا أَمَّا هَذَا فَلاَ . فَقَالَ أَمَا إِنَّهَا مَعَهُنَّ وَلَكِنَّكُمْ نَسِيتُمْ .
মু‘আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুক অমুক কাজ করতে এবং চিতা বাঘের চামড়ার উপর আরোহণ করতে নিষেধ করেছেন? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। মু‘আবিয়াহ বললেন, আপনারা কি জানেন যে, তিনি হাজ্জ ও ‘উমরাহ্কে একত্র করতে নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, এটা আমাদের জানা নেই। অতঃপর তিনি বললেন, এটাকেও ঐসব নিষিদ্ধ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু আপনারা ভুলে গেছেন।
সহীহ : তবে হাজ্জ ও ‘উমরাহ একত্র করা নিষেধ কথাটি শায। যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬০২৩)।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ –২৫
হাজ্জে কিরান
১৭৯৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُمْ سَمِعُوهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا يَقُولُ “ لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হাজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়টির জন্যে একত্রে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আমি ‘উমরাহ ও হাজ্জের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত। [১৭৯৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯৬
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَاتَ بِهَا – يَعْنِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ – حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ حَمِدَ اللَّهَ وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ ثُمَّ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهِمَا فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَ النَّاسَ فَحَلُّوا حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ وَنَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَ بَدَنَاتٍ بِيَدِهِ قِيَامًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ – يَعْنِي أَنَسًا – مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ بَدَأَ بِالْحَمْدِ وَالتَّسْبِيحِ وَالتَّكْبِيرِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল-হুলাইফাতে রাত যাপন করেন। অতঃপর সকালে সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়দা নামক স্থানে পৌঁছে আল্লাহর প্রশংসা ও তাসবীহ পাঠ করলেন এবং তাকবীর দিলেন। তারপর তিনি হাজ্জ ও ‘উমরাহ্র ‘তালবিয়া’ পাঠ করলে লোকেরা ও হাজ্জ ও ‘উমরাহ্র জন্য তালবিয়া পড়ে। পরে আমরা মক্কায় পৌঁছলে তাঁর নির্দেশ মোতাবেক লোকেরা তাদের ইহরাম খুলে ফেলে। অতঃপর (অষ্টম তারিখ) ‘তারবিয়ার’ দিনে সবাই হাজ্জের জন্য তালবিয়া পড়লো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন সাতটি উট দাঁড়ানো অবস্থায় নিজ হাতে কুরবানী করেছেন। আবূ দাউদ বলেন, হাদীসটি আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তার ভাষা হলো : “তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর প্রশংসা, গুনগান ও তাকবীর পাঠের পর হাজ্জের ইহ্রাম বেঁধেছেন। [১৭৯৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ حِينَ أَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْيَمَنِ قَالَ فَأَصَبْتُ مَعَهُ أَوَاقِيَ فَلَمَّا قَدِمَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ فَاطِمَةَ – رضى الله عنها – قَدْ لَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَقَدْ نَضَحَتِ الْبَيْتَ بِنَضُوحٍ فَقَالَتْ مَا لَكَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَمَرَ أَصْحَابَهُ فَأَحَلُّوا قَالَ قُلْتُ لَهَا إِنِّي أَهْلَلْتُ بِإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ” كَيْفَ صَنَعْتَ ” . فَقَالَ قُلْتُ أَهْلَلْتُ بِإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ” فَإِنِّي قَدْ سُقْتُ الْهَدْىَ وَقَرَنْتُ ” . قَالَ فَقَالَ لِي ” انْحَرْ مِنَ الْبُدْنِ سَبْعًا وَسِتِّينَ أَوْ سِتًّا وَسِتِّينَ وَأَمْسِكْ لِنَفْسِكَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ أَوْ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ وَأَمْسِكْ لِي مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ مِنْهَا بَضْعَةً ” .
আল বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ‘আলী (রাঃ)-কে ইয়ামান দেশে শাসক করে প্রেরণ করেন তখন আমিও তার সাথে ছিলাম। তিনি বলেন, আমি তার সাথে কয়েক ‘আওকিয়া সোনার’ অধিকারী হয়েছিলাম। তিনি বলেন, যখন ‘আলী (রাঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে আসলেন তখন ‘আলী বলেন, আমি ফাত্বিমাহ (রাঃ)-কে দেখি রঙ্গিন কাপড় পরে আছে এবং ঘরকে সুগন্ধময় করে রেখেছে। সে আমাকে বললো, আপনার কি হয়েছে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন, সেজন্য সবাই ইহরাম খুলে ফেলেছেন। ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইহরামের মতই ইহরাম বেঁধেছি, এ বলে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এলে তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জন্য ইহরাম বেঁধেছো? আমি বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধেছেন আমিও ঐ উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধেছি। তখন তিনি বললেনঃ আমি কুরবানীর পশু সাথে এনেছি এবং ‘কিরান’ হাজ্জের নিয়্যাত করেছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমার জন্য সাতষট্টিটি উট কুরবানী করবে এবং তোমার নিজের জন্য তেত্রিশ বা চৌত্রিশটি রেখে দেবে আর প্রত্যেকটি উট থেকে আমার জন্য এক টুকরা করে গোশত রেখে দিবে। [১৭৯৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ الصُّبَىُّ بْنُ مَعْبَدٍ أَهْلَلْتُ بِهِمَا مَعًا . فَقَالَ عُمَرُ هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صلى الله عليه وسلم .
আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আস সুবাই ইবনু মা‘বাদ (রহঃ) বলেন, আমি হাজ্জ ও ‘উমরাহ্র জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধায় ‘উমার (রাঃ) বললেন, তুমি তোমার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত অনুসরণ করেছো। [১৭৯৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ بْنِ أَعْيَنَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ الصُّبَىُّ بْنُ مَعْبَدٍ كُنْتُ رَجُلاً أَعْرَابِيًّا نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمْتُ فَأَتَيْتُ رَجُلاً مِنْ عَشِيرَتِي يُقَالُ لَهُ هُذَيْمُ بْنُ ثُرْمُلَةَ فَقُلْتُ لَهُ يَا هَنَاهُ إِنِّي حَرِيصٌ عَلَى الْجِهَادِ وَإِنِّي وَجَدْتُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ مَكْتُوبَيْنِ عَلَىَّ فَكَيْفَ لِي بِأَنْ أَجْمَعَهُمَا قَالَ اجْمَعْهُمَا وَاذْبَحْ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْىِ . فَأَهْلَلْتُ بِهِمَا مَعًا فَلَمَّا أَتَيْتُ الْعُذَيْبَ لَقِيَنِي سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَأَنَا أُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِلآخَرِ مَا هَذَا بِأَفْقَهَ مِنْ بَعِيرِهِ . قَالَ فَكَأَنَّمَا أُلْقِيَ عَلَىَّ جَبَلٌ حَتَّى أَتَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنِّي كُنْتُ رَجُلاً أَعْرَابِيًّا نَصْرَانِيًّا وَإِنِّي أَسْلَمْتُ وَأَنَا حَرِيصٌ عَلَى الْجِهَادِ وَإِنِّي وَجَدْتُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ مَكْتُوبَيْنِ عَلَىَّ فَأَتَيْتُ رَجُلاً مِنْ قَوْمِي فَقَالَ لِي اجْمَعْهُمَا وَاذْبَحْ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْىِ وَإِنِّي أَهْلَلْتُ بِهِمَا مَعًا . فَقَالَ لِي عُمَرُ رضى الله عنه هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صلى الله عليه وسلم .
আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আস্-সুবাই ইবনু মা‘বাদ (রহঃ) বলেছেন, আমি খৃষ্টান বেদুঈন ছিলাম। ইসলাম কবুলের পর আমি আমার গোত্রের হুযাইম ইবনু সুরমুলা নামক এক ব্যক্তির কাছে এসে তাকে বললাম, হে অমুক! আমি জিহাদে যোগদান করতে চাই। আমি দেখছি, আমার উপর হাজ্জ ও ‘উমরাহ ফারয হয়ে গেছে। কাজেই এ দু’টাকে আমি কিভাবে একত্র করবো? সে বললো, তুমি উভয়টি একত্রে আদায় করো এবং তোমার জন্য সহজলভ্য কুরবানী করো। সুতরাং আমি উভয়টির জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধি। আমি যখন আল-উযাইব নামক স্থানে পৌঁছি তখন সালমান ইবনু রবী‘আহ এবং যায়িদাহ ইবনু সূহার (রাঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। আর আমি উভয়টির একত্রে ইহরাম বেঁধেছি। তাদের একজন আরেকজনকে বললেন, এ ব্যক্তি তার উটের চেয়ে অধিক জ্ঞানী নয়। বর্ণনাকারী বলেন, এই মন্তব্যে যেন আমার উপর পাহাড় পতিত হলো। শেষে আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) কাছে গিয়ে বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমি ছিলাম খৃষ্টান বেদুঈন। আমি ইসলাম কবুল করেছি। আমি জিহাদে অংশ গ্রহনে আগ্রহী। আমি আমার উপর হাজ্জ ও ‘উমরাহ ফরয দেখতে পাচ্ছি। কাজেই আমি আমার গোত্রের এক লোকের কাছে গেলে সে আমাকে বললো, তুমি একত্রে উভয়টির ইহরাম বাঁধো এবং তোমার জন্য সহজলভ্য কুরবানী করো। ফলে আমি একত্রে উভয়টির ইহরাম বেঁধেছি। ‘উমার (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি তোমার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাতের হিদায়াত পেয়েছো। [১৭৯৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮০০
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ عِنْدِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ ” . قَالَ وَهُوَ بِالْعَقِيقِ ” وَقَالَ صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقَالَ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ ” وَقُلْ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ ” وَقُلْ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন : রাতে আমার মহান পরাক্রমশালী প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক আগমনকারী এসে আমাকে বললেন, এ কল্যাণময় উপত্যকায় সলাত আদায় করুন এবং বলেছেন, ‘উমরাহ্কে হাজ্জের অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
সহীহ : বুখারী। ‘উমরাহ হাজ্জের অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা অগ্রগণ্য।
বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন আল-‘আক্বীক্ব উপত্যকায় অবস্থানরত ছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম আওযাঈ হতে বর্ণনা করেছেন এবং বলুন, ‘উমরাহ হাজ্জের সংযুক্ত হলো’। ইমাম আবূ দাউদ বলেন, অনুরূপভাবে এ হাদীসে ‘আলী ইবনুল মুবারক বর্ণনা করেন, ‘বলুন, হাজ্জের মধ্যে ‘উমরাহ অন্তর্ভুক্ত হলো। [১৮০০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮০১
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ بِعُسْفَانَ قَالَ لَهُ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ الْمُدْلِجِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْضِ لَنَا قَضَاءَ قَوْمٍ كَأَنَّمَا وُلِدُوا الْيَوْمَ . فَقَالَ “ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَدْ أَدْخَلَ عَلَيْكُمْ فِي حَجِّكُمْ هَذَا عُمْرَةً فَإِذَا قَدِمْتُمْ فَمَنْ تَطَوَّفَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ حَلَّ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ ” .
আর-রাবী‘ ইবনু সাবরাহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে রওয়ানা হলাম। যখন ‘উসফান’ নামক স্থানে উপনীত হলাম তখন সুরাকাহ ইবনু মালিক আল-মুদলিজী (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে হাজ্জের নিয়ম নীতি এমনভাবে (উত্তমরূপে) বুঝিয়ে দিন যেভাবে কোন নবীন দলকে বুঝানো হয়। তিনি বললেনঃ মহাশক্তিশালী আল্লাহ তোমাদের হাজ্জের মধ্যে ‘উমরাহকে প্রবেশ করিয়েছেন। সুতরাং তোমরা (মক্কায়) পৌঁছে যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করবে সে হালাল হয়ে যাবে, কিন্তু যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে ব্যতীত। [১৮০১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮০২
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – الْمَعْنَى – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، أَخْبَرَهُ قَالَ قَصَّرْتُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِشْقَصٍ عَلَى الْمَرْوَةِ . أَوْ رَأَيْتُهُ يُقَصَّرُ عَنْهُ عَلَى الْمَرْوَةِ بِمِشْقَصٍ . قَالَ ابْنُ خَلاَّدٍ إِنَّ مُعَاوِيَةَ لَمْ يَذْكُرْ أَخْبَرَهُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু‘আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মারওয়ার পাশে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চুল কাঁচি দিয়ে ছোট করে দিয়েছিলাম অথবা তিনি বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মারওয়াতে কাঁচি দ্বারা তাঁর চুল ছাঁটতে দেখেছি। [১৮০২]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম। তবে বুখারীতে তার এ কথাটি নেই : (আরবি)। এটাই অধিক বিশুদ্ধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮০৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، – الْمَعْنَى – قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ، قَالَ لَهُ أَمَا عَلِمْتَ أَنِّي قَصَّرْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِشْقَصِ أَعْرَابِيٍّ عَلَى الْمَرْوَةِ – زَادَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ – لِحَجَّتِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু‘আবিয়াহ (রাঃ) তাকে বলেছেন, আপনি কি জানেন, মারওয়ার উপর এক বেদুঈনের কাঁচি দ্বারা আমি রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের সময় তাঁর চুল ছোট করেছিলাম। [১৮০৩]
সহীহ : তার একথাটি বাদে : “তাঁর হাজ্জের সময়।” কেননা তা শায।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৮০৪
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، أَخْبَرَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُسْلِمٍ الْقُرِّيِّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَهَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ أَصْحَابُهُ بِحَجٍّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমরাহ্র জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন এবং তাঁর সাথীরা হাজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। [১৮০৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮০৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، { عَنْ جَدِّي، } عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَأَهْدَى وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْىَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْىَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ “ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ لَهُ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ ثُمَّ لْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا فَلْيَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ ” . وَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَىْءٍ ثُمَّ خَبَّ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَطْوَافٍ ثُمَّ رَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ ثُمَّ لَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ وَفَعَلَ النَّاسُ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْىَ مِنَ النَّاسِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জে হাজ্জ ও ‘উমরাহ একত্রে সম্পন্ন করে তামাত্তু‘ হাজ্জ করেছেন। তিনি যুল-হুলাইফাহ থেকে কুরবানীর পশু সাথে নিয়ে যান। সকলকে তামাত্তু‘ করার নির্দেশ দেয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে ‘উমরাহ্র জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হাজ্জের জন্য তালবিয়া পড়েন (ইহরাম বাঁধেন)। তাঁর সাথে লোকজনও হাজ্জের সাথে ‘উমরাহ্র নিয়্যাত করে তামাত্তু‘ করলো। কেউ কেউ সাথে কুরবানীর পশু এনেছিলো আবার কেউ কেউ আনেনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় পৌঁছে লোকদেরকে বললেনঃ যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছো, তাদের জন্য হাজ্জ আদায় না করা পর্যন্ত (ইহরাম অবস্থায়) নিষিদ্ধকৃত কাজ বৈধ নয়। আর তোমাদের যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনোনি, তারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সাঈ করে, চুল খাট করে, ইহরাম খুলে ফেলবে এবং হাজ্জের জন্য (নতুন করে) ইহরাম বাঁধবে, অতঃপর কুরবানী করবে। কিন্তু যারা কুরবানী দিতে অক্ষম তারা হাজ্জের মওসুমে তিনটি সওম এবং বাড়িতে ফিরে সাতটি সওম (মোট দশটি সওম) পালন করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় পৌঁছে প্রথমে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন, তারপর ‘হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বন করলেন। তিনি তাওয়াফের সাত চক্করের প্রথম তিন চক্কর দ্রুত পায়ে চললেন এবং অবশিষ্ট চার চক্করে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটলেন। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ শেষ করে তিনি মাকামে ইবরাহীমের পাশে দুই রাক‘আত সলাত আদায় করলেন, সলাতের সালাম ফিরিয়ে উঠে সাফা পাহাড়ে গিয়ে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করলেন। অতঃপর হাজ্জ সমাপণ করে কুরবানীর দিন (দশম তারিখে) কুরবানী করা পর্যন্ত তিনি ইহরাম অবস্থায় থাকলেন। অতঃপর ফিরে এসে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং ইহরাম খুলে যেসব জিনিস এ সময় নিষিদ্ধ ছিলো তা হালাল করলেন। আর যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছিলো তারা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করলো। [১৮০৫]
সহীহ : কিন্তু তার এ কথাটি শায : “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে ‘উমরাহ্র জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হাজ্জের জন্য তালবিয়া পড়েন।”
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৮০৬
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا شَأْنُ النَّاسِ قَدْ حَلُّوا وَلَمْ تَحْلِلْ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ فَقَالَ “ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ الْهَدْىَ ” .
হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কি হলো, লোকজন ইহরাম খুলে ফেলেছে, অথচ আপনি এখনো ‘উমরাহ্র ইহরাম খুলেননি? তিনি বললেনঃ আমি আমার মাথার চুল জট পাকিয়েছি এবং আমার কুরবানীর পশুর গলায় মালা পরিয়েছি। সুতরাং কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হালাল হতে পারবো না। [১৮০৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৬
হাজ্জের ইহরাম বাঁধার পর তা ‘উমরাহ্য় পরিবর্তিত করা
১৮০৭
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ السَّرِيِّ – عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ سَلِيمِ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ أَبَا ذَرٍّ، كَانَ يَقُولُ فِيمَنْ حَجَّ ثُمَّ فَسَخَهَا بِعُمْرَةٍ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ إِلاَّ لِلرَّكْبِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
সুলাইম ইবনুল আসওয়াদ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
আবূ যার (রাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি হাজ্জের ইহরাম বাঁধার পর তা ‘উমরাহ্তে পরিবর্তন করে এরূপ করা ঠিক নয়। এরূপ করা কেবল তাঁদের জন্যই জায়িয ছিলো, যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে (বিদায় হাজ্জে) ছিলেন। [১৮০৭]
[১৮০৭] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মওকুফ শায
- সরাসরি
১৮০৮
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – أَخْبَرَنِي رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَسْخُ الْحَجِّ لَنَا خَاصَّةً أَوْ لِمَنْ بَعْدَنَا قَالَ “ بَلْ لَكُمْ خَاصَّةً ” .
আল-হারিস ইবনু বিলাল ইবনুল হারিস (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জের ইহরাম ভেঙ্গে তা ‘উমরাহ্য় পরিবর্তন করা কি কেবল আমাদের জন্যই নির্ধারিত না আমাদের পরবর্তীদের জন্যও? তিনি বললেনঃ না, শুধু তোমাদের জন্যই নির্ধারিত। [১৮০৮]
দুর্বল : যঈফ ইবনু মাজাহ (৬৪৪), যঈফ সুনান নাসায়ী (২৮০৮/১৭৭)।
[১৮০৮] নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ, দারিমী। সানাদে আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে হাফিয বলেন : তিনি অন্যের কিতাব থেকে হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে ভুল করেছেন। আর হারিস ইবনু বিলাল সম্পর্কে বলেন : তিনি মাক্ববুল। যেমন আত-তাক্বরীব গ্রন্থে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–২৭
কারো পক্ষ হতে হাজ্জ করা
১৮০৯
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ تَسْتَفْتِيهِ فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَثْبُتَ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ “ نَعَمْ ” . وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাদল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে তাঁর সওয়ারীতে বসা ছিলেন। এমতবস্থায় খাস্আম গোত্রীয় এক মহিলা এসে তাঁর কাছে বিধান জানতে চাইলেন। ফাদল মহিলাটির দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাদলের মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে থাকলেন। মহিলা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মহান শক্তিশালী আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর হাজ্জ ফরয করেছেন। কিন্তু আমার পিতা খুব বৃদ্ধ, তিনি সওয়ারীর উপর স্থির থাকতে পারেন না। কাজেই আমি কি তার পক্ষ হতে হাজ্জ করবো? তিনি বললেনঃ হাঁ। এটা বিদায় হাজ্জের সময়ের ঘটনা। [১৮০৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১০
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – بِمَعْنَاهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، – قَالَ حَفْصٌ فِي حَدِيثِهِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَامِرٍ – أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلاَ الْعُمْرَةَ وَلاَ الظَّعْنَ . قَالَ “ احْجُجْ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ ” .
আবূ রাযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আমির গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতি বৃদ্ধ, হাজ্জ এবং ‘উমরাহ আদায় করতে তিনি অক্ষম এবং সওয়ারীতে সফর করতেও অসমর্থ। তিনি বললেনঃ তোমার পিতার পক্ষ হতে তুমি হাজ্জ ও ‘উমরাহ আদায় করো। [১৮১০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الطَّالْقَانِيُّ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ – قَالَ إِسْحَاقُ – حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ . قَالَ ” مَنْ شُبْرُمَةَ ” . قَالَ أَخٌ لِي أَوْ قَرِيبٌ لِي . قَالَ ” حَجَجْتَ عَنْ نَفْسِكَ ” . قَالَ لاَ . قَالَ ” حُجَّ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ حُجَّ عَنْ شُبْرُمَةَ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন : ‘লাব্বাইকা আন শুবরুমা’। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : শুবরুমা কে? লোকটি বললো, আমার ভাই কিংবা আমার বন্ধু। তিনি বললেনঃ তুমি কি নিজের হাজ্জ করেছো? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ প্রথমে তোমার নিজের হাজ্জ আদায় করে নাও, তারপর শুবরুমার পক্ষ হতে হাজ্জ করো। [১৮১১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৮
তালবিয়া কিরূপ?
১৮১২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ” . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَزِيدُ فِي تَلْبِيَتِهِ ” لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তালবিয়া ছিলো : “লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নি‘মাতা লাকা ওয়াল-মুলকা লা শারীকা লাকা।” নাফি‘ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার তালবিয়ার মধ্যে বর্ধিত করতেন : হে রব! আমি উপস্থিত (তিনবার) এবং সৌভাগ্য ও করুণা আপনার হাতেই এবং আকর্ষণ আপনাতেই। আমাদের কাজের প্রতিদানও আপনার অনুগ্রহের উপর নির্ভরশীল। [১৮১২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ التَّلْبِيَةَ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ وَالنَّاسُ يَزِيدُونَ “ ذَا الْمَعَارِجِ ” . وَنَحْوَهُ مِنَ الْكَلاَمِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْمَعُ فَلاَ يَقُولُ لَهُمْ شَيْئًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম বাঁধলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী ইবনু ‘উমার বর্ণিত হাদীসের তালবিয়ার উল্লেখ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা তালবিয়াতে ‘যাল-মা‘আরিজ’ ইত্যাদি বাক্য বলতো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা শুনতেন, অথচ তিনি তাদেরকে কিছুই বলতেন না। [১৮১৩]
সহীহ। সামনে এর দীর্ঘ হাদীস আসছে (১৯০৫)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১৪
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَتَانِي جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَنِي أَنْ آمُرَ أَصْحَابِي وَمَنْ مَعِي أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالإِهْلاَلِ – أَوْ قَالَ – بِالتَّلْبِيَةِ ” . يُرِيدُ أَحَدَهُمَا .
খাল্লাদ ইবনুস সায়িব আল-আনসারী (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার কাছে জিবরাঈল (আঃ) এসে নির্দেশ দিলেন, আমি যেন আমার সাহাবী এবং যারা আমার সাথে রয়েছে তাদেরকে আদেশ করি, তারা যেন তাদের ‘ইহলাল’ বা ‘তালবিয়া’ যে কোনো একটি উঁচু আওয়াযে পাঠ করে। [১৮১৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৯
তালবিয়া পাঠ কখন বন্ধ করবে?
১৮১৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَبَّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ .
আল-ফাদল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার পূর্ব পর্যন্ত তালবিয়া পড়েছেন। [১৮১৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَدَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَاتٍ مِنَّا الْمُلَبِّي وَمِنَّا الْمُكَبِّرُ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সকালে মিনা থেকে আরাফাহর দিকে রওয়ানা হই। তখন আমাদের মধ্যে কেউ তালবিয়া পাঠ করেছেন এবং কেউ তাকবীর পাঠ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩০
উমরাহ্কারী কখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে?
১৮১৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ يُلَبِّي الْمُعْتَمِرُ حَتَّى يَسْتَلِمَ الْحَجَرَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَهَمَّامٌ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَوْقُوفًا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘উমরাহ আদায়কারী ‘হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বন করা পর্যন্ত ‘তালবিয়া’ পড়তে থাকবে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল মালিক ইবনু সুলাইমান এবং হাম্মাম (রহঃ) ‘আত্বা (রহঃ) হতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে এটি ‘মাওকুফ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। [১৮১৭]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬৪৪৩), মিশকাত (২৬১৫), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১৫৮/৯২৮)।
[১৮১৭] তিরমিযী। হাদীসের সানাদে মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান বিন আবূ ইয়ালা সমালোচিত। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন : তার স্মরণশক্তি খুবই মন্দ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩১
আদব শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে মুহরিম কর্তৃক নিজ চাকরকে শাস্তি প্রদান
১৮১৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُجَّاجًا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَزَلْنَا فَجَلَسَتْ عَائِشَةُ – رضى الله عنها – إِلَى جَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَلَسْتُ إِلَى جَنْبِ أَبِي وَكَانَتْ زِمَالَةُ أَبِي بَكْرٍ وَزِمَالَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاحِدَةً مَعَ غُلاَمٍ لأَبِي بَكْرٍ فَجَلَسَ أَبُو بَكْرٍ يَنْتَظِرُ أَنْ يَطْلُعَ عَلَيْهِ فَطَلَعَ وَلَيْسَ مَعَهُ بَعِيرُهُ قَالَ أَيْنَ بَعِيرُكَ قَالَ أَضْلَلْتُهُ الْبَارِحَةَ . قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بَعِيرٌ وَاحِدٌ تُضِلُّهُ قَالَ فَطَفِقَ يَضْرِبُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَبَسَّمُ وَيَقُولُ ” انْظُرُوا إِلَى هَذَا الْمُحْرِمِ مَا يَصْنَعُ ” . قَالَ ابْنُ أَبِي رِزْمَةَ فَمَا يَزِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَنْ يَقُولَ ” انْظُرُوا إِلَى هَذَا الْمُحْرِمِ مَا يَصْنَعُ ” . وَيَتَبَسَّمُ .
আসমা বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে রওয়ান হলাম। আমরা আল-আরজ নামক স্থানে পৌঁছলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাত্রাবিরতি করেন এবং আমরা ও যাত্রাবিরতি করি। ‘আয়িশাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাশে বসলেন আর আমি আমার পিতা আবূ বকর (রাঃ)-এর পাশে বসি। আবূ বকর (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মালপত্র একত্রে একটি উটের পিঠে আবূ বকর (রাঃ) এর এক ক্রীতদাসের নিকট ছিলো। আবূ বকর (রাঃ) তার আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন। এমন সময় সে হাযির হলো, কিন্তু তার সাথে উট ছিল না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার উট কোথায়? সে বললো, গত রাতে তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, একটিমাত্র উট, সেটাও হারিয়ে ফেললে? এই বলে তিনি তাকে মারধর করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হেসে বললেনঃ তোমরা এই ইহরামধারী লোকটির দিকে দেখো, সে কি করছে? ইবনু আবূ রিযমা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হেসে শুধু বললেন, তোমরা এ মুহরিম লোকটির দিকে দেখো, সে কি করছে”। [১৮১৮]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২
কেউ পরনের কাপড়ে ইহরাম বাঁধলে
১৮১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِالْجِعْرَانَةِ وَعَلَيْهِ أَثَرُ خَلُوقٍ – أَوْ قَالَ صُفْرَةٍ – وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَأْمُرُنِي أَنْ أَصْنَعَ فِي عُمْرَتِي فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْوَحْىَ فَلَمَّا سُرِّيَ عَنْهُ قَالَ ” أَيْنَ السَّائِلُ عَنِ الْعُمْرَةِ ” . قَالَ ” اغْسِلْ عَنْكَ أَثَرَ الْخَلُوقِ – أَوْ قَالَ أَثَرَ الصُّفْرَةِ – وَاخْلَعِ الْجُبَّةَ عَنْكَ وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ مَا صَنَعْتَ فِي حَجَّتِكَ ” .
সাফওয়ান ইবনু ইয়া‘লা ইবনু উমাইয়্যাহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আল-জি‘ইররানা নামক স্থানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খিদমতে উপস্থিত হলো। ঐ ব্যক্তির শরীরে খালূক কিংবা হলুদ রংয়ের কিছুটা চিহ্ন ছিলো এবং পরণে ছিলো জুব্বা। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমায় ‘উমরাহ কিভাবে করতে বলেন? এ সময় মহান আল্লাহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ করেন। তাঁর থেকে ওয়াহী অবতীর্ণ হবার অবস্থা দূরীভূত হলে তিনি বললেনঃ যে লোকটি ‘উমরাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলো সে কোথায়? তোমার শরীর থেকে খালূক অথবা হলুদ রংয়ের চিহ্ন ধুয়ে ফেলো, তোমার পরিহিত জুব্বাটি খুলে ফেলো এবং হাজ্জের মধ্যে যা কিছু করেছো ‘উমরাতেও তাই করো। [১৮১৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، وَهُشَيْمٌ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فِيهِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ اخْلَعْ جُبَّتَكَ ” . فَخَلَعَهَا مِنْ رَأْسِهِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
সাফওয়ান ইবনু ইয়া‘লা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ ঘটনা বর্ণিত। তাতে আরো রয়েছে : অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তোমার জুব্বাটি খুলে ফেলো। ফলে সে তার মাথার দিক থেকে জুব্বাটি খুলে ফেললো। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
সহীহ, তবে তার এ কথাটি বাদে ‘তার মাথার দিক থেকে”। কেননা এ অংশটুকু মুনকার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২১
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ الرَّمْلِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ يَعْلَى ابْنِ مُنْيَةَ، عَنْ أَبِيهِ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فِيهِ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَنْزِعَهَا نَزْعًا وَيَغْتَسِلَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
সাফওয়ান ইবনু ইয়া‘লা ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জুব্বাটি খুলে ফেলার নির্দেশ দেন এবং সুগন্ধির স্থান দুই বা তিনবার ধুয়ে ফেলতে বললেন। অতঃপর বর্ননাকারী পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। [১৮২১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২২
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِالْجِعْرَانَةِ وَقَدْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ وَهُوَ مُصَفِّرٌ لِحْيَتَهُ وَرَأْسَهُ وَسَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ .
সাফওয়ান ইবনু ইয়া‘লা ইবনু উমাইয়্যাহ (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আল-জি‘ইররানা নামক স্থানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলো। সে ‘উমরাহ্র জন্য এমন অবস্থায় ইহরাম বেঁধেছে যে, তার গায়ে জুব্বা ছিলো এবং তার চুল ও দাঁড়ি ছিলো হলুদ রংয়ে রঞ্জিত। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেন। [১৮২২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৩
মুহরিম ব্যক্তি কেমন পোশাক পরিধান করবে?
১৮২৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَتْرُكُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ فَقَالَ “ لاَ يَلْبَسُ الْقَمِيصَ وَلاَ الْبُرْنُسَ وَلاَ السَّرَاوِيلَ وَلاَ الْعِمَامَةَ وَلاَ ثَوْبًا مَسَّهُ وَرْسٌ وَلاَ زَعْفَرَانٌ وَلاَ الْخُفَّيْنِ إِلاَّ لِمَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَمَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا حَتَّى يَكُونَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ ” .
সালিম (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলো, মুহরিম ব্যক্তি কি ধরনের কাপড় পরিহার করবে? তিনি বললেনঃ মুহরিম ব্যক্তি জামা, টুপি, পায়জামা, পাগড়ী, জাফরান অথবা ওয়ারাস মাখা কোন কাপড় ও মোজা পরবে না। তবে যার জুতা নেই সে মোজা পরতে পারবে। কিন্তু মোজা দু’টি সে এমনভাবে কেটে নিবে যাতে তা গোছাদ্বয়ের নীচে থাকে। [১৮২৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . زَادَ ” وَلاَ تَنْتَقِبُ الْمَرْأَةُ الْحَرَامُ وَلاَ تَلْبَسُ الْقُفَّازَيْنِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَلَى مَا قَالَ اللَّيْثُ وَرَوَاهُ مُوسَى بْنُ طَارِقٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ مَوْقُوفًا عَلَى ابْنِ عُمَرَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَمَالِكٌ وَأَيُّوبُ مَوْقُوفًا وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَدِينِيُّ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ” الْمُحْرِمَةُ لاَ تَنْتَقِبُ وَلاَ تَلْبَسُ الْقُفَّازَيْنِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَدِينِيُّ شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَيْسَ لَهُ كَبِيرُ حَدِيثٍ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। তাতে অতিরিক্ত রয়েছে : ‘মুহরিম নারী মুখাবরণ পরিধান করতে পারবে না, হাতমোজাও পরতে পারবে না।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাতিম ইবনু ইসমাঈল…বিভিন্ন সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে মাওকূফভাবে বর্ণিত আছে এবং মারফূভাবেও। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মুহরিম নারী মুখাবরণ এবং হাতমোজা পরবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَدِينِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْمُحْرِمَةُ لاَ تَنْتَقِبُ وَلاَ تَلْبَسُ الْقُفَّازَيْنِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মুহরিমা মুখাবরণ ও হাতমোজা পরবে না। [১৮২৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ فَإِنَّ نَافِعًا مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ حَدَّثَنِي عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى النِّسَاءَ فِي إِحْرَامِهِنَّ عَنِ الْقُفَّازَيْنِ وَالنِّقَابِ وَمَا مَسَّ الْوَرْسُ وَالزَّعْفَرَانُ مِنَ الثِّيَابِ وَلْتَلْبَسْ بَعْدَ ذَلِكَ مَا أَحَبَّتْ مِنْ أَلْوَانِ الثِّيَابِ مُعَصْفَرًا أَوْ خَزًّا أَوْ حُلِيًّا أَوْ سَرَاوِيلَ أَوْ قَمِيصًا أَوْ خُفًّا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنْ نَافِعٍ عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ إِلَى قَوْلِهِ وَمَا مَسَّ الْوَرْسُ وَالزَّعْفَرَانُ مِنَ الثِّيَابِ . وَلَمْ يَذْكُرَا مَا بَعْدَهُ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ইহরাম অবস্হায় নারীদের হাতমোজা ও মুখমন্ডলে নিকাব ঝুলাতে এবং ‘ওয়ারস’ ঘাস ও জাফরান মিশ্রিত কাপড় পরতে নিষেধ করতে শুনেছেন। তবে এগুলো বাদে অন্য কাপড় পরতে পারবে, যদিও তা রেশমী, কারুকার্য খচিত পায়জামা বা জামা কিংবা মোজা হয়। [১৮২৭]
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৮২৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ وَجَدَ الْقُرَّ فَقَالَ أَلْقِ عَلَىَّ ثَوْبًا يَا نَافِعُ . فَأَلْقَيْتُ عَلَيْهِ بُرْنُسًا فَقَالَ تُلْقِي عَلَىَّ هَذَا وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَلْبَسَهُ الْمُحْرِمُ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি খুব শীত অনুভব করায় নাফি‘কে বললেনঃ আমাকে একখানা কাপড় দিয়ে ঢেকে দাও। আমি বোরকা সদৃশ একটি জুব্বা তাঁর উপর বিছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, তুমি এটা আমার উপর বিছালে? অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহরিম ব্যক্তিকে এটা পরতে নিষেধ করেছেন। [১৮২৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৯
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ السَّرَاوِيلُ لِمَنْ لاَ يَجِدُ الإِزَارَ وَالْخُفُّ لِمَنْ لاَ يَجِدُ النَّعْلَيْنِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثُ أَهْلِ مَكَّةَ وَمَرْجِعُهُ إِلَى الْبَصْرَةِ إِلَى جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَالَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ مِنْهُ ذِكْرُ السَّرَاوِيلِ وَلَمْ يَذْكُرِ الْقَطْعَ فِي الْخُفِّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : মুহরিম ব্যক্তির লুঙ্গি না থাকলে সে পায়জামা পরবে, জুতা না থাকলে সে মোজা পরবে। [১৮২৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩০
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْجُنَيْدِ الدَّامَغَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ سُوَيْدٍ الثَّقَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، – رضى الله عنها – حَدَّثَتْهَا قَالَتْ كُنَّا نَخْرُجُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَكَّةَ فَنُضَمِّدُ جِبَاهَنَا بِالسُّكِّ الْمُطَيَّبِ عِنْدَ الإِحْرَامِ فَإِذَا عَرِقَتْ إِحْدَانَا سَالَ عَلَى وَجْهِهَا فَيَرَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ يَنْهَاهَا .
আয়িশাহ বিনতু ত্বালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মুল মুমিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাকে বলেছেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে (মাদীনাহ থেকে) মক্কায় সফর করেছি এবং ইহরামের সময় আমরা আমাদের পরিধেয় বস্ত্রে উত্তম সুগন্ধি মেখেছি। আমাদের কেউ ঘর্মাক্ত হলে তা মুখমন্ডল বেয়ে পড়তো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখতেন কিন্তু তা ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন না। [১৮৩০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ ذَكَرْتُ لاِبْنِ شِهَابٍ فَقَالَ حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ – كَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ – يَعْنِي يَقْطَعُ الْخُفَّيْنِ لِلْمَرْأَةِ الْمُحْرِمَةِ – ثُمَّ حَدَّثَتْهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ أَبِي عُبَيْدٍ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ كَانَ رَخَّصَ لِلنِّسَاءِ فِي الْخُفَّيْنِ فَتَرَكَ ذَلِكَ .
সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) মুহরিম নারীর জন্য মোজার উপরের অংশ কেটে ব্যবহারের অনুমতি দিতেন। পরে সাফিয়্যাহ বিনতু আবূ ‘উবাইদ (রহঃ) তাকে বর্ণনা করেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীদেরকে মোজা পরার অনুমতি দিয়েছেন। এরপর তিনি তা কর্তন করা বাদ দেন। [১৮৩১]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩৪
মুহরিম ব্যক্তির অস্ত্র বহন প্রসঙ্গে
১৮৩২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ لَمَّا صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ الْحُدَيْبِيَةِ صَالَحَهُمْ عَلَى أَنْ لاَ يَدْخُلُوهَا إِلاَّ بِجُلْبَانِ السِّلاَحِ فَسَأَلْتُهُ مَا جُلْبَانُ السِّلاَحِ قَالَ الْقِرَابُ بِمَا فِيهِ .
আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল-বারাআ‘ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়াবাসীর সাথে সন্ধি করার সময় তাদের সাথে এই সন্ধি করলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীরা কেবল কোষবদ্ধ তলোয়ার নিয়ে (মক্কায়) প্রবেশ করতে পারবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘জুলবানুসসলাহ’ কি? তিনি বললেন, কোষবদ্ধ তলোয়ার। [১৮৩২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩৫
ইহরাম অবস্হায় মহিলাদের মুখমন্ডল ঢেকে রাখা
১৮৩৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, অনেক কাফেলা আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলো। তখন আমরা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে ইহরাম অবস্হায় ছিলাম। তারা আমাদের সামনা-সামনি আসলে আমাদের নারীরা নিজ মুখাবরণ মাথা থেকে নামিয়ে নিজ মূখমন্ডল ঢেকে ফেলতেন। অতঃপর তারা অতিক্রম করে চলে গেলে আমরা মুখ খুলতাম। [১৮৩৩]
দুর্বল : মিশকাত (২৬৯০), ইরওয়া (১০২৪), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৬৩৭)।
[১৮৩৩] ইবনু মাজাহ, আহমাদ। সানাদের ইয়াষীদ ইবনু আবূ যিয়াদ সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রম্হে বলেন: যঈফ, বৃদ্ধ বয়সে তার স্মৃতি লোপ পেয়েছিল। ফলে তিনি তালকীন করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩৬
মুহরিম ব্যক্তিকে ছায়া প্রদান
১৮৩৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أُمِّ الْحُصَيْنِ، حَدَّثَتْهُ قَالَتْ، حَجَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَجَّةَ الْوَدَاعِ فَرَأَيْتُ أُسَامَةَ وَبِلاَلاً وَأَحَدُهُمَا آخِذٌ بِخِطَامِ نَاقَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالآخَرُ رَافِعٌ ثَوْبَهُ لِيَسْتُرَهُ مِنَ الْحَرِّ حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ .
উম্মুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জে উপস্হিত ছিলাম। আমি উসামাহ ও বিলাল (রাঃ)-কে দেখলাম, তাদের একজন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উষ্ট্রীর লাগাম ধরে আছেন এবং অপরজন ‘জামরাতুল আকাবায়’ কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তার কাপড় উঠিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রোদের তাপ থেকে ছায়া প্রদান করেছেন। [১৮৩৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩৭
মুহরিম ব্যক্তির শিংগা লাগানো
১৮৩৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَطَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহরিম অবস্হায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। [১৮৩৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فِي رَأْسِهِ مِنْ دَاءٍ كَانَ بِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোনো রোগের কারণে মুহরিম অবস্হায় তাঁর মাথায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। [১৮৩৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ عَلَى ظَهْرِ الْقَدَمِ مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ قَالَ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ أَرْسَلَهُ يَعْنِي عَنْ قَتَادَةَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যাথার কারণে ইহরাম অবস্হায় তাঁর পায়ের উপরিভাগে রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। ইবনু আবূ আরুবাহ (রহঃ) ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে এটি মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন। [১৮৩৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩৮
মুহরিম ব্যক্তির সুরমা লাগানো
১৮৩৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ اشْتَكَى عُمَرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ عَيْنَيْهِ فَأَرْسَلَ إِلَى أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ – قَالَ سُفْيَانُ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَوْسِمِ – مَا يَصْنَعُ بِهِمَا قَالَ اضْمِدْهُمَا بِالصَّبِرِ فَإِنِّي سَمِعْتُ عُثْمَانَ – رضى الله عنه – يُحَدِّثُ ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
নুবাইহ্ ইবনু ওয়াহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মা‘মারের চোখের অসুখ হলো। তিনি আবান ইবনু ‘উসমানের (রাঃ) কাছে জানতে চেয়ে পাঠালেন, এখন কি করণীয়? সুফিয়ান বলেন, তিনি (আবান) ছিলেন আমীরুল হাজ্জ। তিনি বললেন, ‘সাবার’ নামক তিতা গাছের রস চোখে লাগাও। কেননা আমি ‘উসমান (রাঃ)-কে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। [১৮৩৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নুবাইহ্ ইবনু ওয়াহাব (রহঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [১৮৩৯]
আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।
[১৮৩৯] আহমাদ। আহমাদ শাকির বলেন: এর সানাদ সহীহ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৩৯
মুহরিম ব্যক্তির গোসল করা
১৮৪০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، اخْتَلَفَا بِالأَبْوَاءِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ وَقَالَ الْمِسْوَرُ لاَ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ فَأَرْسَلَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ فَوَجَدَهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يُسْتَرُ بِثَوْبٍ قَالَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذَا قُلْتُ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُنَيْنٍ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ فَوَضَعَ أَبُو أَيُّوبَ يَدَهُ عَلَى الثَّوْبِ فَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ ثُمَّ قَالَ لإِنْسَانٍ يَصُبُّ عَلَيْهِ اصْبُبْ . قَالَ فَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ حَرَّكَ أَبُو أَيُّوبَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُهُ يَفْعَلُ صلى الله عليه وسلم .
ইবরাহীম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু হুনাইন (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস ও আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)-এর মধ্যে আল-আবওয়া নামক স্হানে মতবিরোধ দেখা দিলে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধুতে পারবে। আর মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধুতে পারবে না। সুতরাং এ বিষয়ে জানার জন্য ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু হুনাইনকে আবূ আইয়ূব আল-আনসারী (রাঃ)-এর কাছে প্রেরণ করেন। তিনি গিয়ে তাকে দুই খুঁটির মাঝখানে একখানা কাপড়ের আড়ালে গোসল করতে দেখলেন। তিনি বলেন, আমি তাকে সালাম দিলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? আমি বললাম, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু হুনাইন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে আপনার কাছে জানতে পাঠিয়েছেন যে, মুহরিম অবস্হায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথা কিভাবে ধুতেন? ইবনু হুনাইন বলেন, আবূ আইয়ূব (রাঃ) তার হাত কাপড়ের উপর রেখে তা নিচু করলেন, এমনকি আমি তার মাথা দেখতে পেলাম। এরপর তিনি এক ব্যক্তিকে তার মাথায় পানি ঢালতে বললে সে পানি ঢালতে থাকলো। তখন তিনি মাথার চুলে দুই হাত দিয়ে একবার সামনে আনলেন, আবার পিছনে নিলেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে দেখেছি। [১৮৪০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস