১. অধ্যায়ঃ
নাপাকী হতে উযু ও গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ
২৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ .
সাফীনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মুদ্দ পানি দিয়ে উযু করতেন এবং এক সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন। [২৬৫]
[২৬৫] মুসলিম ৩২৬, তিরমিযী ৫৬, আহমাদ ২১৪২৩, দারিমী ৬৮৮, সহীহ আবূ দাউদ ৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মুদ্দ পানি দিয়ে উযু করতেন এবং এক সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন। [২৬৬]
[২৬৬] আবূ দাঊদ ৯২, আহমাদ ২৪৪৯৪, ২৫৪৪৩, ২৫৫৮৯, ২৫৮৬১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ بَدْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মুদ্দ পানি দিয়ে উযু করতেন এবং এক সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন। [২৬৭]
[২৬৭] বুখারী ২৫২, নাসায়ী ২৩০, আবূ দাঊদ ৯৩, আহমাদ ১৩৮৩৮, ১৪৫৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৮৩। উক্ত হাদিসের রাবী রাবী’ বিন বাদর সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে দুর্বল বলেছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। হাদিসটির শতাধিক শাহিদ সনদ রয়েছে, তন্মধ্যে সহিহ বুখারীতে ৩ টি সহিহ মুসলিমে ৪ টি তিরমিযি ১ টি আবু দাউদ ৩ টি ইবনু মাজাহ ৪ টি মুসনাদে আহমাদ ২১ টি ও বাকিগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُؤَمَّلِ بْنِ الصَّبَّاحِ، وَعَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ يَحْيَى بْنِ زَبَّانَ، حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ يُجْزِئُ مِنَ الْوُضُوءِ مُدٌّ وَمِنَ الْغُسْلِ صَاعٌ ” . فَقَالَ رَجُلٌ لاَ يُجْزِئُنَا . فَقَالَ قَدْ كَانَ يُجْزِئُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ وَأَكْثَرُ شَعَرًا . يَعْنِي النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আকীল বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, উযুতে এক মুদ্দ এবং গোসলে এক সা’ পানি যথেষ্ট। এক ব্যক্তি বললো, আমাদের জন্য (এ পরিমাণ পানি) যথেষ্ট নয়। তিনি বললেন, এ পরিমাণ পানি তো তোমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তির জন্যও যথেষ্ট ছিল, যাঁর মাথার চুলও বেশী অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। [২৬৮]
[২৬৮] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৯১৯১, ২৪৪৭। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হিব্বান আলী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন আল মাঈন আল আজালী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ২. ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহন করা গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। হাদিসটির শতাধিক শাহিদ রয়েছে, তন্মধ্যে সহিহ বুখারীতে ৩ টি সহিহ মুসলিমে ৪ টি তিরমিযি ১ টি আবু দাউদ ৩ টি ইবনু মাজাহ ৪ টি মুসনাদ আহমাদ ২২ টি বাকিগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ পবিত্রতা ব্যতীত সলাত কবূল করেন না
২৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، خَتَنُ الْمُقْرِئِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ الْهُذَلِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةً إِلاَّ بِطُهُورٍ وَلاَ يَقْبَلُ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ ” .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَشَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، عَنْ شُعْبَةَ، نَحْوَهُ .
উসামাহ বিন উমায়র আল-হুযালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ পবিত্রতা ব্যতীত সলাত কবূল করেন না এবং হারাম পন্থায় উপার্জিত মালের দান-খয়রাত কবূল করেন না। [২৬৯]
[২৬৯] নাসায়ী ১৩৯, আবূ দাঊদ ৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةً إِلاَّ بِطُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবূল করেন না এবং হারাম পন্থায় উপার্জিত মালের দান-খয়রাত কবূল করেন না। [২৭০]
[২৭০] মুসলিম ২২৪, তিরমিযী ১, আহমাদ ৪৬৮৬, ৪৯৪৯, ৫১০২, ৫১৮৩, ৫৩৯৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১২০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو زُهَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةً بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ يَقْبَلُ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ ” .
আনাস মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবূল করেন না এবং হারাম পন্থায় অর্জিত মালের দান-খয়রাতও কবূল করেন না।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا الْخَلِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةً بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ ” .
আবূ বাক্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবূল করেন না এবং হারাম পন্থায় উপার্জিত মালের দান-খয়রাত কবূল করেন না।
সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী খালীল বিন যাকারিয়্যা সম্পর্কে সালিহ জাযারাহ বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। আল আযাদী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আস সাজী বলেন, তিনি কিছু হাদিসে বিরোধিতা করেছেন। ইবনু আদী বলেন, মুনকারুল হাদিস। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩. অধ্যায়ঃ
পবিত্রতা সলাতের চাবি
২৭৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পবিত্রতা হলো সলাতের চাবি, তার তাকবীর হলো হারামকারী এবং তার সালাম হলো হালালকারী। [২৭৩]
[২৭৩] তিরমিযী ৩, আবূ দাঊদ ৬১, ৬১৮; আহমাদ ১০০৯, ১০৭৫; দারিমী ৬৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩১২, ইরওয়াহ ৩০১।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৭৬
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، طَرِيفٍ السَّعْدِيِّ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ السَّعْدِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পবিত্রতা হলো সলাতের চাবি, তাকবীর হলো তার হারামকারী এবং সালাম হলো তার হালালকারী। [২৭৪]
[২৭৪] তিরমিযী ২৩৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু সুফইয়ান তরীফ আস-সা’দী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪. অধ্যায়ঃ
উযুর সংরক্ষণ
২৭৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةُ وَلاَ يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلاَّ مُؤْمِنٌ ” .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা (দ্বীনের উপর) অবিচল থাকো, যদিও তোমরা আয়ত্তে রাখতে পারবে না। জেনে রাখো, তোমাদের আমালসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সলাত। কেবল মু’মিন ব্যক্তিই যত্ন সহকারে উযু করে। [২৭৫]
[২৭৫] আহমাদ ২১৮৮৩, ২১৯২৭; দারিমী ৬৫৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৯২, ইরওয়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةَ وَلاَ يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلاَّ مُؤْمِنٌ ” .
আবদুল্লাহ্ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা (দ্বীনের উপর) স্থির থাকো, যদিও তোমরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। জেনে রাখো! তোমাদের সর্বোত্তম আমাল হলো সলাত। কেবল মু’মিন ব্যক্তিই যত্ন সহকারে উযু করে। [২৭৬]
[২৭৬] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২/১৩৭। উক্ত হাদিসের রাবী লায়স সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ أَسِيدٍ، عَنْ أَبِي حَفْصٍ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ قَالَ “ اسْتَقِيمُوا وَنِعِمَّا أَنْ تَسْتَقِيمُوا وَخَيْرُ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةُ وَلاَ يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلاَّ مُؤْمِنٌ ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা দ্বীনের উপর স্থির থাকো। তোমরা দ্বীনের উপর অবিচল থাকলে তা কল্যাণকর। তোমাদের কার্যাবলীর মধ্যে সর্বোত্তম কাজ হলো সলাত আদায় করা। মু’মিন ব্যক্তিই যত্ন সহকারে উযু করে। [২৭৭]
[২৭৭] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৯৫৩ সহীহ, ইরওয়াউল গালীল ২/১৩৭। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসহাক বিন আসীদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও তিনি অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি প্রসিদ্ধ নন। আবু আহমাদ আল হাকিম বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইবনু আবদুল বার বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইমাম যাহাবী বলেন, তার সম্পর্কে জানা যায় নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫. অধ্যায়ঃ
ঈমানের অর্ধেক উযু
২৮০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ أَخِيهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ جَدِّهِ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ شَطْرُ الإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلأُ الْمِيزَانَ وَالتَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ مِلْءُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَالصَّلاَةُ نُورٌ وَالزَّكَاةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا ” .
আবূ মালিক আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সুষ্ঠুভাবে উযু করা ঈমানের অর্ধেক। আল-হামদুলিল্লাহ (নেকীর) পাল্লা ভারী করে। সুবহানাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলী ভরে দেয়। সলাত হলো নূর, যাকাত হলো দলীল, ধৈর্য হলো আলোকমালা এবং কুরআন হলো তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষের প্রমাণ। প্রত্যেক মানুষ ভোরে উপনীত হয়ে নিজেকে বিক্রয় করে, এতে সে হয় তাকে মুক্ত করে অথবা ধ্বংস করে। [২৭৮]
[২৭৮] মুসলিম ২২৩, তিরমিযী ৩৫১৭, আহমাদ ২২৩৯৫, ২২৪০১; দারিমী ৬৫৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬. অধ্যায়ঃ
পবিত্রতা অর্জনের প্রতিফল
২৮১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে কেবল সলাত আদায়ের জন্যে মাসজিদে রওনা হলে তার মাসজিদে পৌঁছা পর্যন্ত তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার একধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি গুনাহ্ মাফ করেন। [২৭৯]
[২৭৯] আহমাদ ৭৩৮২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮২
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ تَوَضَّأَ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ فَمِهِ وَأَنْفِهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ يَدَيْهِ فَإِذَا مَسَحَ رَأْسَهُ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ وَكَانَتْ صَلاَتُهُ وَمَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ نَافِلَةً ” .
আবদুল্লাহ্ আস-সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি উযু করে কুলি করলো এবং নাকে পানি পৌঁছালো, তার গুনাহ্সমূহ তার মুখ ও নাক থেকে বের হয়ে যায়। সে তার মুখমণ্ডল ধৌত করলে তার গুনাহ্সমূহ তার মুখমণ্ডল থেকে বের হয়ে যায়, এমনকি তার দু’ চোখের ভ্রুর নিম্নাংশ থেকেও গুনাহ্সমূহ বেরিয়ে যায়। সে তার উভয় হাত ধৌত করলে তার দু’ হাত থেকে গুনাহ্সমূহ বেরিয়ে যায়। সে তার মাথা মাসহ করলে তার মাথা থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার দু’ কান থেকেও গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়। সে তার উভয় পা ধৌত করলে পদদ্বয় থেকেও গুনাহসমূহ ঝরে যায়, এমনকি তার পদদ্বয়ের নখের নিম্নভাগ থেকেও গুনাহ্ বের হয়ে যায়। এরপর তার সলাত ও তার মসজিদে যাতায়াতের সাওয়াব (উল্লিখিত বিষয়ের) অতিরিক্ত। [২৮০]
[২৮০] নাসায়ী ১০৩, আহমাদ ১৮৫৮৫, ১৮৮৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৬২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ১/৭৬/১৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَوَضَّأَ فَغَسَلَ يَدَيْهِ خَرَّتْ خَطَايَاهُ مِنْ يَدَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَّتْ خَطَايَاهُ مِنْ وَجْهِهِ فَإِذَا غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ خَرَّتْ خَطَايَاهُ مِنْ ذِرَاعَيْهِ وَرَأْسِهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَّتْ خَطَايَاهُ مِنْ رِجْلَيْهِ ” .
আম্র বিন আবাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বান্দা যখন উযু করে এবং তার উভয় হাত ধৌত করে, তখন তার দু’ হাত থেকে গুনাহসমূহ নির্গত হয়ে যায়। যখন সে তার মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন তার মুখমণ্ডল থেকে তার গুনাহসমূহ নির্গত হয়ে যায়। যখন সে তার উভয় হাত ধৌত করে এবং তার মাথা মাসহ করে, তখন তার দু’ হাত ও মাথা থেকে তার গুনাহসমূহ নির্গত হয়ে যায়। এরপর যখন সে তার পদদ্বয় ধৌত করে, তখন তার পদদ্বয় থেকে তার গুনাহসমূহ নির্গত হয়ে যায়। [২৮১]
[২৮১] মুসলিম ৮৩২, নাসায়ী ১৪৭, আহমাদ ১৬৫৭১, ১৬৫৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াযীদ বিন তলক সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. আব্দুর রহামান ইবনুল বায়লামানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আল আযাদী বলেন মুনকারুল হাদিস। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ تَرَ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ “ غُرٌّ مُحَجَّلُونَ بُلْقٌ مِنْ آثَارِ الطُّهُورِ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি আপনার উম্মাতের যেসব লোককে দেখেননি তাদের কিভাবে চিনবেন? তিনি বলেন, উযুর কারণে তাদের মুখমণ্ডল ও তাদের উযুর অন্যান্য অঙ্গ থেকে বিচ্ছুরিত আলোর সাহায্যে। [২৮২]
[২৮২] আহমাদ ৩৮১০, ৪৩১৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৮৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي حُمْرَانُ، مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَاعِدًا فِي الْمَقَاعِدِ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي مَقْعَدِي هَذَا تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ ” مَنْ تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ” . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” وَلاَ تَغْتَرُّوا ” .
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي حُمْرَانُ، عَنْ عُثْمَانَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
উসমান বিন আফ্ফান (রাঃ)-এর মুক্তদাস হুমরান থেকে বর্ণিতঃ
আমি উসমান বিন আফ্ফান (রাঃ)-কে এক স্থানে উপবিষ্ট দেখলাম। তিনি উযুর পানি নিয়ে ডাকলেন এবং উযু করলেন, অতঃপর বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার এ স্থানে বসে আমার ন্যায় উযু করতে দেখেছি। অতঃপর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার উযুর ন্যায় উযু করবে, তার পূর্বেকার সমস্ত গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হবে। রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেন, কিন্তু তোমরা তাতে আত্নতুষ্টির ধোঁকায় পড়ো না।
৫/২৮৫(১). উসমান (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [২৮৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৮৩] বুখারী ১৬০, ১৬৪; মুসলিম ২২৬/১-২, ২২৯; নাসায়ী ৮৪, ৮৫, ১১৬; আবূ দাঊদ ১০৬, ১০৮, ১১০; আহমাদ ৪২০, ৪৬১, ৪৭৪, ৪৯১; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৬১, দারিমী ৬৯৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭. অধ্যায়ঃ
মিসওয়াকের বর্ণনা
২৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَأَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَحُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَتَهَجَّدُ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ .
হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে তাহাজ্জুদের সলাত আদায় করতে উঠতেন, তখন তিনি মিসওয়াক দিয়ে তার মুখ পরিষ্কার করতেন। [২৮৪]
[২৮৪] বুখারী ২৪৬, ৮৮৯, ১১৩৬; মুসলিম ২৫৫/১-২, নাসায়ী ২, ১৬২১, ১৬২২, ১৬২৩; আবূ দাঊদ ৫৫, আহমাদ ২২৭৩১, ২২৮০২, ২২৮৫৭, ২২৯০৬, ২২৯৪৮; দারিমী ৬৮৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭১
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি যদি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে প্রতি ওয়াক্ত সলাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। [২৮৫]
[২৮৫] বুখারী ৮৮৭, ৭২৪০; মুসলিম ২৫২, তিরমিযী ২২, নাসায়ী ৭, আবূ দাঊদ ৪৬, আহমাদ ৭২৯৪, ৭৩৬৪, ৭৪৫৭, ৭৭৯৪, ৮৯২৮, ৮৯৪১, ৯২৬৪, ৯৩০৮, ৯৬১২, ১০২৪০, ১০৩১৮, ১০৪৮৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৪৭, ১৪৮; দারিমী ৬৮৩, ১৪৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَيَسْتَاكُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে দু’ দু’ রাকআত করে (নফল) সলাত আদায় করতেন এবং (সলাত থেকে) অবসর হয়ে মিসওয়াক করতেন। [২৮৬]
[২৮৬] মুসলিম ২৫৬, আবূ দাঊদ ৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সুফইয়ান বিন ওয়াকী সম্পর্কে ইমাম বুখারী মন্তব্য করেছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ تَسَوَّكُوا فَإِنَّ السِّوَاكَ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ وَمَا جَاءَنِي جِبْرِيلُ إِلاَّ أَوْصَانِي بِالسِّوَاكِ حَتَّى لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَىَّ وَعَلَى أُمَّتِي وَلَوْلاَ أَنِّي أَخَافُ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَفَرَضْتُهُ لَهُمْ وَإِنِّي لأَسْتَاكُ حَتَّى لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ أُحْفِيَ مَقَادِمَ فَمِي ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা মিসওয়াক করো। কেননা মিসওয়াক মুখ পবিত্র ও পরিস্কার করে এবং মহান প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের উপায়। আমার কাছে যখনই জিবরাঈল (আঃ) এসেছেন তখনই আমাকে মিসওয়াক করার উপদেশ দিয়েছেন। শেষে আমার আশঙ্কা হয় যে, তা আমার ও আমার উম্মাতের জন্য ফার্দ করা হবে। আমি যদি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হওয়ার আশঙ্কা না করতাম, তাহলে তাদের জন্য তা ফার্দ করে দিতাম। আমি এত বেশি মিসওয়াক করি যে, আমার মাড়িতে ঘা হওয়ার আশঙ্কা হয়। [২৮৭]
[২৮৭] আহমাদ ২১৭৬৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ তারগীব ১৪৪, তালীকুর রগীব ১/১০১, ১০২। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ قُلْتُ أَخْبِرِينِي بِأَىِّ، شَىْءٍ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْدَأُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ قَالَتْ كَانَ إِذَا دَخَلَ يَبْدَأُ بِالسِّوَاكِ .
শুরায়হ্ বিন হানী থেকে বর্ণিতঃ
আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার নিকট এসে প্রথমে কোন কাজটি করতেন তা আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেন, তিনি প্রবেশ করেই প্রথমে মিসওয়াক করতেন। [২৮৮]
[২৮৮] মুসলিম ২৫৩/১-২, নাসায়ী ৮, আবূ দাঊদ ৫১, আহমাদ ২৭৬০১, ২৪২৭৪, ২৪৯৫৮, ২৫২০, ২৫৬৪, ২৫৪৬৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ كَنِيزٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ سَاجٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ إِنَّ أَفْوَاهَكُمْ طُرُقٌ لِلْقُرْآنِ فَطَيِّبُوهَا بِالسِّوَاكِ .
আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের মুখ হলো কুরআনের রাস্তা। অতএব তোমরা দাঁতন করে তা পবিত্র ও সুগন্ধযুক্ত করো। [২৮৯]
[২৮৯] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১২১৩। উক্ত হাদিসের রাবী বাহর বিন কানীয সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন তার থেকে হাদিস গ্রহন করেন নি। ইমাম যুহরী বলেন তিনি নির্ভরযোগ্যদের মধ্যে নন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন এবং তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ২. উসমান বিন সাজ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আল-আযদী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আল উকায়লি বলেন তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অধ্যায়ঃ
ফিতরাত বা স্বভাবজাত কার্য
২৯২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ الْفِطْرَةُ خَمْسٌ – أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ – الْخِتَانُ وَالاِسْتِحْدَادُ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الإِبِطِ وَقَصُّ الشَّارِبِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ফিতরাত পাঁচটি অথবা পাঁচটি জিনিস স্বভাবজাতঃ খতনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখসমূহ কাটা, বগলের পশম তুলে ফেলা এবং মোচ কাটা। [২৯০]
[২৯০] বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; মুসলিম ২৫৭/১-২, তিরমিযী ২৭৫৬, নাসায়ী ৯১০১১, ৫২২৫; আবূ দাঊদ ৪১৯৮, আহমাদ ৭০৯২, ৭২২০, ৭৭৫৪, ৯০৬৬, ৯৯৬৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৭০৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ قَصُّ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَالسِّوَاكُ وَالاِسْتِنْشَاقُ بِالْمَاءِ وَقَصُّ الأَظْفَارِ وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ وَنَتْفُ الإِبِطِ وَحَلْقُ الْعَانَةِ وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ ” . يَعْنِي الاِسْتِنْجَاءَ . قَالَ زَكَرِيَّا قَالَ مُصْعَبٌ وَنَسِيتُ الْعَاشِرَةَ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ الْمَضْمَضَةَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দশটি জিনিস ফিতরাত বা স্বভাবজাত। মোচ কাটা, দাড়ি বাড়ানো, মিসওয়াক করা, নাকের ছিদ্র পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, নখ কাটা, আঙ্গুলের সংযোগ স্থলের ময়লা ধুয়ে ফেলা, বগলের লোম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা ও পানি দিয়ে শৌচ করা। যাকারিয়্যা (রহঃ) বলেন মুসআব (রহঃ) বলেছেন, আমি দশম জিনিসের কথা ভুলে গেছি, সেটি হয়তো কুলি করা। [২৯১]
[২৯১] তিরমিযী ২৭৫৭, নাসায়ী ৫০৪০, আবূ দাঊদ ৫৩, আহমাদ ২৪৫৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুসআব বিন শায়বাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইমাম যাহবী সিকাহ বলেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম নাসাঈ বলেন, মুনকারুক হাদিস। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৯৪
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مِنَ الْفِطْرَةِ الْمَضْمَضَةُ وَالاِسْتِنْشَاقُ وَالسِّوَاكُ وَقَصُّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الإِبِطِ وَالاِسْتِحْدَادُ وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ وَالاِنْتِضَاحُ وَالاِخْتِتَانُ ” .
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، مِثْلَهُ .
আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কুলি করা, নাকের ছিদ্রপথে পানি পৌঁছানো, মিসওয়াক করা, মোচ কাটা, নখ কাটা, বগলের লোম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, আঙ্গুলের সংযোগ স্থলগুলো ধৌত করা, শৌচ করা, খতনা করা ইত্যাদি মানব স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত।
৩/২৯৪.(ক) আলী ইবনে যায়দ থেকে উপর্যুক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [২৯২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
[২৯২] আবূ দাঊদ ৫৩, আহমাদ ১৭৮৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। ২. সালামাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আম্মার বিন ইয়াসার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৯৫
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ وَنَتْفِ الإِبْطِ وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মোচ কাটা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, বগলের লোম উপড়ে ফেলা ও নখ কাটার ব্যাপারে আমাদের চল্লিশ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। আমরা যেন তা বেশি সময় ছেড়ে না দেই। [২৯৩]
[২৯৩] মুসলিম ২৫৮, তিরমিযী ২৭৫৮, ২৭৫৯; নাসায়ী ১৪, আবূ দাঊদ ৪২০০, আহমাদ ১১৮২৩, ১২৬৯৮, ১৩২৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯. অধ্যায়ঃ
পায়খানায় প্রবেশকালে যা লোকের বলা কর্তব্য
২৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ” .
حَدَّثَنَا جَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَوْفٍ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ
যায়দ বিন আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (পায়খানায়) এসব শয়তান উপস্থিত হয়। অতএব তোমাদের কেউ (পায়খানায়) প্রবেশকালে যেন বলেঃ “হে আল্লাহ্ ! আমি আপনার নিকট অপবিত্রতা ও শয়তানের চক্রান্ত থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।” [২৯৪]
[২৯৪] আবূ দাঊদ ৬, আহমাদ ১৮৮০০, ১৮৮৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১০৭০, মিশকাত ৩৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ بَشِيرِ بْنِ سَلْمَانَ، حَدَّثَنَا خَلاَّدٌ الصَّفَّارُ، عَنِ الْحَكَمِ النَّصْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ سِتْرُ مَا بَيْنَ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ إِذَا دَخَلَ الْكَنِيفَ أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জিন ও মানুষের গোপন অঙ্গের মাঝখানের পর্দা হলো পায়খানায় প্রবেশকালে তার ‘বিসমিল্লাহ’ বলা। [২৯৫]
[২৯৫] তিরমিযী ৬০৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৫৮, ইরওয়াহ ৫০। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার হাদিসে অধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনু খিরাশ তাকে মিথ্যুক বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ قَالَ “ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন, তখন বলতেনঃ “আমি আল্লাহ্র নিকট অপবিত্রতা ও শয়তানের অশুভ চক্রান্ত থেকে পানাহ চাই।” [২৯৬]
[২৯৬] বুখারী ১৪২, ৬৩২২; মুসলিম ৩৭৫, তিরমিযী ৫, ৬; নাসায়ী ১৯, আহমাদ ৪, আহমাদ ১১৫৩৬, ১১৫৭২, ১৩৫৮৭; দারিমী ৬৬৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ لاَ يَعْجِزْ أَحَدُكُمْ إِذَا دَخَلَ مِرْفَقَهُ أَنْ يَقُولَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الرِّجْسِ النَّجَسِ الْخَبِيثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَقُلْ فِي حَدِيثِهِ مِنَ الرِّجْسِ النَّجَسِ إِنَّمَا قَالَ مِنَ الْخَبِيثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশকালে যেন এ কথা বলতে অপারগ না হয়ঃ “হে আল্লাহ্! আমি কদর্যতা, অপবিত্রতা, কদাকার ও ক্ষতিকর বিতারিত শয়তান থেকে আপনার আশ্রয় চাই”।
৪/২৯৯(১). আবূ উমামাহ (রাঃ), তবে এ বর্ণনায় (আরবি) (কদর্যতা অপবিত্রতা থেকে) কথাটির উল্লেখ নাই, বরং এ বর্ণনায় (আরবি) (কদর্য কুৎসিত বিতাড়িত শয়তানের কবল থেকে) কথাটি উল্লেখ আছে। [২৯৭]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
[২৯৭] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ২১৮৯। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ বলেন তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় যা বলবে
৩০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ أَبِي بُرْدَةَ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَسَمِعْتُهَا تَقُولُ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ قَالَ “ غُفْرَانَكَ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ وَأَخْبَرَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ النَّهْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، نَحْوَهُ .
আবূ বুরদাহ থেকে বর্ণিতঃ
আমি আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট প্রবেশ করে তাকে বলতে শুনলাম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় বলতেন, (গুফরানাকা) অর্থাৎ “আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি”। [২৯৮]
[২৯৮] তিরমিযী ৭, আবূ দাঊদ ৩০, দারিমী ৬৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫২, মিশকাত ৩৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلاَءِ قَالَ “ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الأَذَى وَعَافَانِي ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় বলতেনঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য যিনি আমার থেকে কষ্ট দূর করেছেন এবং স্বস্তি দান করেছেন”। [২৯৯]
[২৯৯] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়ায়িল গালীল ৫৩, জামি সগীর ৪৭১, ৪৩৭৮, ৪৩৮৮; মিশকাত ৩৭৪, ইরওয়াহ ৫৩ যঈফাহ্ ৫৬৫৮। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন মুসলিম সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইবনু মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়। আমর ইবনুল ফাল্লাস বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি দুর্বল তাছাড়া তিনি হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
পায়খানায় অবস্থানকালে মহান আল্লাহ্র যিক্র করা এবং আংটি খোলা
৩০২
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র যিক্র করতেন। [৩০০]
[৩০০] মুসলিম ৩৭৩, তিরমিযী ৩৩৮৪, আবূ দাঊদ ১৮, আহমাদ ২৩৮৮৯, ২৪৬৭৪, ২৫৮৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৪০৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ وَضَعَ خَاتَمَهُ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানায় প্রবেশের আগে তার আংটি খুলে রাখতেন। [৩০১]
[৩০১] তিরমিযী ১৭৪৬, নাসায়ী ৫২১৩, আবূ দাঊদ ১৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১৯ মুনকার, জামি সগীর ৪৩৯০ যঈফ, নাসায়ী ৫২১৩ যঈফ, তিরমিযী ১৭৪৬ যঈফ, মিশকাত ৩৪৩ যঈফ, মিশকাত ৩৪৩, যঈফ আবী দাউদ ৪, মুতখাসার শামায়িল মুহাম্মাদিয়া ৭৫।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
গোসলখানায় পেশাব করা মাকরূহ
৩০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ ” .
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيَّ يَقُولُ إِنَّمَا هَذَا فِي الْحَفِيرَةِ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَلاَ . فَمُغْتَسَلاَتُهُمُ الْجَصُّ وَالصَّارُوجُ وَالْقِيرُ فَإِذَا بَالَ فَأَرْسَلَ عَلَيْهِ الْمَاءَ لاَ بَأْسَ بِهِ .
আবদুল্লাহ্ বিন মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন তার গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা তা থেকেই যাবতীয় সন্দেহের উদ্রেক হয়।
১/৩০৪(১). আবদুল্লাহ্ ইবনু মাজাহ (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন ইয়াযীদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি আলী বিন মুহাম্মাদ আত-তানাফিসী (রহঃ) কে বলতে শুনেছেন, এ নির্দেশ সেই সময়ের যখন গোসলখানা কাঁচা ছিল। যেহেতু বর্তমানকালে গোসলখানা ইট ও চুনা দ্বারা নির্মিত হয়। তাই যদি কেউ পেশাব করার পর সে সেখানে পানি ঢেলে দেয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই। এটা পূর্ণটিই দঈফ এর প্রথম অংশ সহীহ। [৩০২]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ কিন্তু পূর্বশর্ত হিসেবে সহীহ।
[৩০২] বুখারী ৪৮৪২, তিরমিযী ২১, নাসায়ী ৩৬, আবূ দাঊদ ২৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ কিন্তু পূর্বশর্ত হিসেবে সহীহ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ২৭ যঈফ, জামি সগীর ৭৫৯৭ সহীহ, নাসায়ী ৩৬ সহীহ, মিশকাত ৩৫৩ যঈফ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
দাঁড়িয়ে পেশাব করা প্রসঙ্গ
৩০৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، وَهُشَيْمٌ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَتَى سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ عَلَيْهَا قَائِمًا .
হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক গোত্রের ময়লা-আবর্জনার নিকট পৌঁছে সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করেন। [৩০৩]
[৩০৩] বুখারী ২২৪, ২২৫, ২২৬, ২৪৭১; মুসলিম ২৭৩/১-২, তিরমিযী ১৩, নাসায়ী ১৮, ২৬, ২৭, ২৮; আবূ দাঊদ ২৩, আহমাদ ২২৭৩০, ২২৮৩৪, ২২৯০৫; দারিমী ৬৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৭, সহীহাহ ২০১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَتَى سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ قَائِمًا .
قَالَ شُعْبَةُ قَالَ عَاصِمٌ يَوْمَئِذٍ وَهَذَا الأَعْمَشُ يَرْوِيهِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ وَمَا حَفِظَهُ . فَسَأَلْتُ عَنْهُ مَنْصُورًا فَحَدَّثَنِيهِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَتَى سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ قَائِمًا .
মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক গোত্রের ময়লা-আবর্জনার ইকত পৌঁছে তথায় দাঁড়িয়ে পেশাব করেন।
২/৩০৬ (১). সে সময় এ হাদীস মুগীরাহ (রাঃ)>- এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু আসিম তা ভুলে যান। এরপর আমি <মানসূর (রঃ)>-কে জিজ্ঞেস করলে তিনিও সেটি <আবূ ওয়ায়িল (রাঃ)><এর সূত্রে হুজাইফাহ (রাঃ)> থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকেদের ময়লা-আবর্জনার স্তূপের নিকট পৌঁছে দাঁড়িয়ে পেশাব করেন। [৩০৪]
[৩০৪] আহমাদ ১৭৬৮৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
বসে পেশাব করা
৩০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى السُّدِّيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَالَ قَائِمًا فَلاَ تُصَدِّقْهُ أَنَا رَأَيْتُهُ يَبُولُ قَاعِدًا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন, তার কথা তুমি বিশ্বাস করবে না। আমি তাঁকে বসে পেশাব করতে দেখেছি। [৩০৫]
[৩০৫] তিরমিযী ১২, নাসায়ী ২৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২০১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا أَبُولُ قَائِمًا فَقَالَ “ يَا عُمَرُ لاَ تَبُلْ قَائِمًا ” . فَمَا بُلْتُ قَائِمًا بَعْدُ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখে বলেন, হে উমার! তুমি দাঁড়িয়ে পেশাব করো না। এরপর থেকে আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি। [৩০৬]
[৩০৬] তিরমিযী ১২ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তিরমিযী ১২ সহীহ, মিশকাত ৩৬৩ যঈফ, যঈফাহ ৯৩৪। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল করীম বিন আবু উমায়্যাহ সম্পর্কে আয়্যুব আস-সাখতিয়ানী বলেন, তিনি সিকাহ নন। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম নাসাঈ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেন হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। .
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩০৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَبُولَ قَائِمًا .
سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ يَزِيدَ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيَّ يَقُولُ قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ – فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ أَنَا رَأَيْتُهُ يَبُولُ قَاعِدًا – قَالَ الرَّجُلُ أَعْلَمُ بِهَذَا مِنْهَا .
قَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَ مِنْ شَأْنِ الْعَرَبِ الْبَوْلُ قَائِمًا أَلاَ تَرَاهُ فِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ حَسَنَةَ يَقُولُ قَعَدَ يَبُولُ كَمَا تَبُولُ الْمَرْأَةُ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।
৩/৩০৯(১). আয়িশাহ (রাঃ) – এর এ হাদীস “আমি তাঁকে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে পেশাব করতে দেখেছি” বর্ণনা করলে এক ব্যক্তি বললো, একজন পুরুষ এ ব্যাপারে তার তুলনায় অধিক জ্ঞাত। আহমাদ বিন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পেশাব করা ছিল আরবদের অভ্যাস। তুমি কি আবদুর রহমান বিন হাসান (রহঃ) – এর বর্ণিত হাদীসে দেখোনি, যাতে তিনি বলেছেন, “তিনি মহিলাদের মত বসেই পেশাব করেন”? এটা সহীহ হাদীসের অন্তর্ভূক্ত। [৩০৭]
[৩০৭] খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৬৩৮। উক্ত হাদিসের রাবী আলী ইবনুল ফাদল সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করেন নি। ইমাম নাসাঈ বলেন তিনি সিকাহ নন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
ডান হাতে লজ্জাস্থান স্পর্শ করা ও শৌচ করা মাকরূহ্
৩১০
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي الْعِشْرِينَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ وَلاَ يَسْتَنْجِ بِيَمِينِهِ ” .
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ .
আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছেন : তোমাদের কেউ যেন পেশাব করাকালে তার ডান হাত দিয়ে তার লিঙ্গ স্পর্শ না করে এবং তার ডান হাত দিয়ে শৌচ না করে। [৩০৮]
[৩০৮] বুখারী ১৫৩, ১৫৪, ২৬৩০; মুসলিম ২৬৭/১-২, তিরমিযী ১৫, নাসায়ী ২৪, ২৫, ৪৭; আবূ দাঊদ ৩১, আহমাদ ২২০১৬, ২২০২৮, ২২০৫৯, ২২১২৮, ২২১৪১, ২২১৪৯; দারিমী ৬৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামীদ বিন হামীব বিন আবুল ঈশরীন সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী ও আবু হাতিম আর-রাযী সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ صُهْبَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَقُولُ مَا تَغَنَّيْتُ وَلاَ تَمَنَّيْتُ وَلاَ مَسِسْتُ ذَكَرِي بِيَمِينِي مُنْذُ بَايَعْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
উসমান বিন আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি কখনো গান গাইনি, মিথ্যা কথাও বলিনি এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বায়আত হওয়ার পর থেকে ডান হাতে আমার লিঙ্গও স্পর্শ করিনি। [৩০৯]
নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: অত্যন্ত দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী সালত বিন দীনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য ও মানুষেরাও তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩১২
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا اسْتَطَابَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ لِيَسْتَنْجِ بِشِمَالِهِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন তার ডান হাতে শৌচ না করে, বরং সে যেন তার বাম হাতে শৌচ করে। [৩১০]
[৩১০] বুখারী ১৫৫, ৩৮৬০; নাসায়ী ৪০, আবূ দাঊদ ৮, আহমাদ ৭৩২১, ৭৩৬১; দারিমী ৬৭৩, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩১৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
পাথর বা ঢিলা দিয়ে শৌচ করা এবং শুকনা ও কাঁচা গোবর দিয়ে শৌচ না করা
৩১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ مِثْلُ الْوَالِدِ لِوَلَدِهِ أُعَلِّمُكُمْ إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا ” . وَأَمَرَ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ وَنَهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ وَنَهَى أَنْ يَسْتَطِيبَ الرَّجُلُ بِيَمِينِهِ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য সন্তানের পিতার সমতুল্য। আমি তোমাদের শিক্ষা দিচ্ছি যে, তোমরা পায়খানায় এসে কিবলাহ্কে সামনে রেখেও বসবে না এবং পেছনেও রাখবে না। তিনি তিনটি পাথর বা ঢিলা (শৌচকার্যে) ব্যবহারের নির্দেশ দেন এবং তিনি শুকনা ও কাঁচা গোবর (শৌচকার্যে) ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। উপরন্তু তিনি মানুষকে তার ডান হাত দিয়ে শৌচ করতে নিষেধ করেন। [৩১১]
[৩১১] বুখারী ১৫৫, ৩৮৬০; নাসায়ী ৪০, আবূ দাঊদ ৮, আহমাদ ৭৩২১, ৭৩৬১; দারিমী ৬৭৩, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪১।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩১৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، – قَالَ لَيْسَ أَبُو عُبَيْدَةَ ذَكَرَهُ وَلَكِنْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ – عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَتَى الْخَلاَءَ فَقَالَ ” ائْتِنِي بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ ” . فَأَتَيْتُهُ بِحَجَرَيْنِ وَرَوْثَةٍ فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثَةَ وَقَالَ ” هِيَ رِجْسٌ ” .
আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানায় যেতে (আমাকে) বলেন, আমার জন্য তিনটি পাথর (ঢিলা) নিয়ে এসো। আমি তাঁর জন্য দু’টি পাথর ও একটি শুকনা গোবরের টুকরা নিয়ে এলাম। তিনি পাথর দু’টি গ্রহণ করেন এবং গোবরের টুকরাটি ফেলে দিয়ে বলেন, এটি অপবিত্র। [৩১২]
[৩১২] বুখারী ১৫৬, তিরমিযী ১৭, নাসায়ী ৪২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِي خُزَيْمَةَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ، عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ فِي الاِسْتِنْجَاءِ ثَلاَثَةُ أَحْجَارٍ لَيْسَ فِيهَا رَجِيعٌ ” .
খুযায়মাহ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শৌচ করা সম্পর্কে বলেছেন, তিনটি টুকরা হতে হবে, যার সাথে কোন নাপাক জিনিস নেই। [৩১৩]
[৩১৩] আবূ দাঊদ ৪১, আহমাদ ২১৩৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ لَهُ بَعْضُ الْمُشْرِكِينَ وَهُمْ يَسْتَهْزِئُونَ بِهِ إِنِّي أَرَى صَاحِبَكُمْ يُعَلِّمُكُمْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةِ . قَالَ أَجَلْ أَمَرَنَا أَنْ لاَ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ وَأَنْ لاَ نَسْتَنْجِيَ بِأَيْمَانِنَا وَلاَ نَكْتَفِيَ بِدُونِ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ لَيْسَ فِيهَا رَجِيعٌ وَلاَ عَظْمٌ .
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কতিপয় মুশরিক তাকে উপহাস করে বললো, আমি তোমাদের এই সাথীকে (মুহাম্মাদ) দেখতে পাচ্ছি যে, তিনি তোমাদের সব বিষয়ে শিক্ষা দেন, এমনকি পায়খানা-পেশাব সম্পর্কেও। তিনি বলেন, হাঁ। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন কিবলাহ্মুখী হয়ে পায়খানা-পেশাব না করি, ডান হাতে যেন শৌচ না করি এবং (শৌচে) তিনটি পাথরের কম যেন ব্যবহার না করি, যার সাথে পশুর গোবর ও হাড় যেন না থাকে। [৩১৪]
[৩১৪] মুসলিম ২৬২/১-২, তিরমিযী ১৬, নাসায়ী ৪১, আবূ দাঊদ ৭, আহমাদ ২৩১৯১, ২৩২০১, ২৩২০৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
পেশাব-পায়খানায় কিবলামুখী হয়ে বসা নিষেধ
৩১৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيَّ، يَقُولُ أَنَا أَوَّلُ، مَنْ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ ” . وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ حَدَّثَ النَّاسَ بِذَلِكَ .
আবদুল্লাহ্ ইবনুল হারিস বিন জায্য়িয-যুবায়দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছে : “তোমাদের কেউ যেন কিবলাহ্মুখী হয়ে পেশাব না করে’ এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি যে লোকেদের নিকট এ হাদীস বর্ণনা করেছে। [৩১৫]
[৩১৫] আহমাদ ১৭২৪৭, ১৭২৫৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৮
حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الَّذِي يَذْهَبُ إِلَى الْغَائِطِ الْقِبْلَةَ وَقَالَ “ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا ” .
আবূ আয়্যূব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পায়খানায় যায় তাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিবলামুখী হয়ে বসতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, তোমরা পূর্ব অথবা পশ্চিমমুখী হয়ে বসো। [৩১৬]
[৩১৬] বুখারী ১৪৪, ৩৯৪; মুসলিম ২৬৪, তিরমিযী ৮, নাসায়ী ২০, ২১, ২২; আবূ দাঊদ ৯; আহমাদ ২৩০০৩, ২৩০০৮, ২৩০১৩, ২৩০২৫, ২৩০৪৭, ২৩০৬৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৫৩, দারিমী ৬৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ ৭, ইরওয়াহ ২৯৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ يَحْيَى الْمَازِنِيُّ، عَنْ أَبِي زَيْدٍ، مَوْلَى الثَّعْلَبِيِّينَ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ أَبِي مَعْقِلٍ الأَسَدِيِّ، وَقَدْ صَحِبَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَتَيْنِ بِغَائِطٍ أَوْ بِبَوْلٍ .
মা’কিল বিন আবূ মা’কিল আল-আসাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাহচর্য লাভ করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে দু’কিবলাহ্র দিকে মুখ করে পায়খানা অথবা পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৭]
[৩১৭] আবূ দাঊদ ১০, আহমাদ ১৭৩৮৩, ২৬৭৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ আবূ দাউদ ২। উক্ত হাদিসের রাবী আবু যায়দ সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি পরিচিত নন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২০
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، أَنَّهُ شَهِدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ نَهَى أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بِبَوْلٍ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি আমাদেরকে কিবলাহ্র দিকে মুখ করে পায়খানা ও পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮]
[৩১৮] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২১
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو سَعْدٍ، عُمَيْرُ بْنُ مِرْدَاسٍ الدَّوْنَقِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو يَحْيَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَانِي أَنْ أَشْرَبَ قَائِمًا وَأَنْ أَبُولَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)–কে বলতে শুনেছেন : রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দাঁড়িয়ে পানীয় পান করতে এবং কিবলামুখী হয়ে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৯]
[৩১৯] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
ঘরের মধ্যে কিবলামুখী হয়ে পায়খানা-পেশাব করার অনুমতি আছে এবং তা মুবাহ, কিন্তু খোলা স্থানে নয়
৩২২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمَّهُ وَاسِعَ بْنَ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ يَقُولُ أُنَاسٌ إِذَا قَعَدْتَ لِلْغَائِطِ فَلاَ تَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلَقَدْ ظَهَرْتُ ذَاتَ يَوْمٍ مِنَ الأَيَّامِ عَلَى ظَهْرِ بَيْتِنَا فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَاعِدًا عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ . هَذَا حَدِيثُ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ .
আবদুল্লাহ্ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা বলে, তুমি পায়খানায় কিবলাহমুখী হয়ে বসো না। কিন্তু একদিন আমি আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে দু’টি ইটের উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। তাঁর মুখমন্ডল বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ছিল। এটা হচ্ছে ইয়াযীদ বিন হারূনের বর্ণিত হাদীস। [৩২০]
[৩২০] বুখারী ১৪৫, ১৪৮, ১৪৯, ৩১০২; মুসলিম ২৬৬/১-২, তিরমিযী ১১, নাসায়ী ২৩, আবূ দাঊদ ১২, আহমাদ ৪৫৯২, ৪৬০৩, ৪৯৭১, ৪৭০৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৫৫, দারিমী ৬৬৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى الْحَنَّاطِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي كَنِيفِهِ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ .
قَالَ عِيسَى فَقُلْتُ ذَلِكَ لِلشَّعْبِيِّ فَقَالَ صَدَقَ ابْنُ عُمَرَ وَصَدَقَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَمَّا قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ فِي الصَّحْرَاءِ لاَ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ يَسْتَدْبِرْهَا وَأَمَّا قَوْلُ ابْنِ عُمَرَ فَإِنَّ الْكَنِيفَ لَيْسَ فِيهِ قِبْلَةٌ اسْتَقْبِلْ فِيهِ حَيْثُ شِئْتَ .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর পায়খানায় কিবলাহমুখী হয়ে বসতে দেখেছি। রাবী ‘ঈসা বলেন, আমি বিষয়টি শা’বী (রহঃ)– কে বললে তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) ও আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) সত্য বলেছেন। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)–এর উক্তি উন্মুক্ত ময়দানের বেলায় প্রযোজ্য : “(পায়খানা-পেশাবে) কেউ কিবলাহ্র দিকে মুখ করবে না এবং কিবলাহ্কে পিছনেও রাখবে না।” আর ইবনু উমার (রাঃ) – এর উক্তি প্রাচীর ঘেরা পায়খানা গৃহের বেলায় প্রযোজ্য : “সেখানে কোন কিবলাহ নাই। সেখানে তুমি যে দিকে ইচ্ছা মুখ ফিরিয়ে (পায়খানা পেশাব) করতে পারো”।
২/৩২৩(১). ইবনু উমার (রাঃ)। [৩২১]
[৩২১] আহমাদ ৫৬৮২, ৫৭০৭, ৫৯০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: অত্যন্ত দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ঈসা আল হান্নাত সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই তবে তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য ও তিনি খুবই দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩২৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَوْمٌ يَكْرَهُونَ أَنْ يَسْتَقْبِلُوا بِفُرُوجِهِمُ الْقِبْلَةَ فَقَالَ “ أُرَاهُمْ قَدْ فَعَلُوهَا اسْتَقْبِلُوا بِمَقْعَدَتِي الْقِبْلَةَ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ، مِثْلَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট একদল লোক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যারা তাদের লজ্জাস্থানকে কিবলাহ্মুখী করতে অপছন্দ করে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় তারা এরূপ করতে শুরু করে দিয়েছে। তোমরা আমার পায়খানা কিবলাহ্র দিকে ঘুরিয়ে দাও। [৩২২]
[৩২২] আহমাদ ২৫৩৭১ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফা ২/৯৪৭ মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী খালিদ বিন আবুস সালত সম্পর্কে ইমাম যাহাবী সিকাহ বললেও ইবনু হাজার তাকে অপরিচিত বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, ভাল না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِبَوْلٍ فَرَأَيْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ بِعَامٍ يَسْتَقْبِلُهَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কিবলাহ্মুখী হয়ে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমি তাঁকে তাঁর ইনতিকালের এক বছর আগে কিবলাহমুখী (পায়খানা-পেশাবে) হতে দেখেছি। [৩২৩]
[৩২৩] তিরমিযী ৯, আবূ দাঊদ ১৩, আহমাদ ১৪৪৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১০।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯. অধ্যায়ঃ
পেশাব করার পর পবিত্রতা অর্জন করা
৩২৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
ইয়াযদাদ আল-ইয়ামানী (মাজহূল বা অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ পেশাব করার পর যেন তার লজ্জাস্থান তিনবার ঝাড়ে। [৩২৪]
[৩২৪] আহমাদ ১৮৫৭৪, ১৮৫৭৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদসের রাবী যামআহ বিন সালিহ সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সহিহ হাদিসের বিপরীত বর্ণনা করেন। ২. ঈসা বিন ইয়াযদাদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। ৩. ইয়াযদাদ আল ইয়ামানী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইবনু আবদুল বার বলেন, তিনি পরিচিত নন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি পেশাব করার পর ‘উযু করেনি
৩২৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَحْيَى التَّوْأَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ انْطَلَقَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبُولُ فَاتَّبَعَهُ عُمَرُ بِمَاءٍ فَقَالَ ” مَا هَذَا يَا عُمَرُ ” . قَالَ مَاءٌ . قَالَ ” مَا أُمِرْتُ كُلَّمَا بُلْتُ أَنْ أَتَوَضَّأَ وَلَوْ فَعَلْتُ لَكَانَتْ سُنَّةً ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করতে গেলেন এবং উমার (রাঃ) পানি নিয়ে তাঁর পিছে পিছে গেলেন। তিনি বলেন, হে উমার! এটা কী? উমার বলেন, পানি। তিনি বলেন, যখনই আমি পেশাব করব তখনই আমাকে উযু করার নির্দেশ দেওয়া হয় নি। আমি তাই করলে তা সুন্নাত (বাধ্যতামূলক) হয়ে যেত। [৩২৫]
[৩২৫] আবূ দাঊদ ৪২, আহমাদ ২৪১২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৬৮, যঈফ আবূ দাউদ ৯। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন ইয়াহইয়া আত-তাওওয়াম সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন, ইমাম নাসাঈ ও আল উকায়লী তাকে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২১. অধ্যায়ঃ
যাতায়াতের রাস্তায় পেশাব-পায়খানা করা নিষেধ
৩২৮
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْحِمْيَرِيَّ، حَدَّثَهُ قَالَ كَانَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ يَتَحَدَّثُ بِمَا لَمْ يَسْمَعْ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَيَسْكُتُ عَمَّا سَمِعُوا فَبَلَغَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو مَا يَتَحَدَّثُ بِهِ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ هَذَا وَأَوْشَكَ مُعَاذٌ أَنْ يَفْتِنَكُمْ فِي الْخَلاَءِ . فَبَلَغَ ذَلِكَ مُعَاذًا فَلَقِيَهُ فَقَالَ مُعَاذٌ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو إِنَّ التَّكْذِيبَ بِحَدِيثٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نِفَاقٌ وَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ قَالَهُ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ اتَّقُوا الْمَلاَعِنَ الثَّلاَثَ الْبَرَازَ فِي الْمَوَارِدِ وَالظِّلِّ وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ ” .
মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এমন হাদীস বর্ণনা করতেন, যা রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অপর সাহাবীগণ শুনেননি এবং তারা যে হাদীস শুনেছেন তা তিনি বর্ণনা করতেন না। আবদুল্লাহ্ বিন আম্র (রাঃ) তার বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে অবহিত হয়ে বলেন, আল্লাহ্র শপথ! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ হাদীস বলতে শুনিনি। মুআয (রাঃ) যেন পায়খানা-পেশাবের ব্যাপারে তোমাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না ফেলে। মুআয (রাঃ) উক্ত মন্তব্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে আবদুল্লাহ্ বিন আম্র (রাঃ) এর সাথে দেখা করেন এবং বলেন, হে আবদুল্লাহ্ বিন আম্র! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি মিথ্যা হাদীস আরোপ করা মুনাফিকী এবং তার গুনাহ্ মিথ্যা আরোপকারীর উপর বর্তায়। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : তোমরা তিনটি অভিশপ্ত জিনিস থেকে দূরে থাকো : ব্যবহার্য পানি বা পানির উৎসে, ছায়াদার বৃক্ষতলে ও লোক চলাচলের পথে পেশাব-পায়খানা করা। [৩২৬]
[৩২৬] আবূ দাঊদ ২৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৫৫, ইরওয়াহ ৬২। উক্ত হাদিসের রাবী আবু সাঈদ আল হিমায়রী সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি কে? তা কিছু জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ قَالَ سَالِمٌ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِيَّاكُمْ وَالتَّعْرِيسَ عَلَى جَوَادِّ الطَّرِيقِ وَالصَّلاَةَ عَلَيْهَا فَإِنَّهَا مَأْوَى الْحَيَّاتِ وَالسِّبَاعِ وَقَضَاءَ الْحَاجَةِ عَلَيْهَا فَإِنَّهَا مِنَ الْمَلاَعِنِ ” .
জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা রাস্তার উপর রাত যাপন করা ও সলাত আদায় করা থেকে বিরত থাকো। কেননা, তা (রাতে) সাপ ও হিংস্র জন্তুর যাতায়াত পথ। তোমরা রাস্তায় পেশাব-পায়খানা করা থেকেও বিরত থাকো। কারণ তা অভিশপ্ত আচরণের অন্তর্ভুক্ত। [৩২৭]
তাহকীক আলবানী : সলাত আদায়ের কথাটি ছাড়া হাসান।
[৩২৭] আহমাদ ১৩৮৬৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: সালাত আদায়ের কথাটি ছাড়া হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১/১০১, সহীহাহ ২৪৩৩। উক্ত হাদিসের রাবী সালিম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার মাঝে কোন সমস্যা দেখি না। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ قُرَّةَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى أَنْ يُصَلَّى عَلَى قَارِعَةِ الطَّرِيقِ أَوْ يُضْرَبَ الْخَلاَءُ عَلَيْهَا أَوْ يُبَالَ فِيهَا .
আবদুল্লাহ্ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলাচলের পথের উপর সলাত আদায় করতে এবং পায়খানা-পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। [৩২৮]
[৩২৮] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১/১০১, ১০২ ও ৩১৯। উক্ত হাদিসের রাবী কুররাহ সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তার চেয়ে অন্য কাউকে মুনকার হাদিস বর্ণনা করতে দেখি নি। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি অধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২২. অধ্যায়ঃ
পায়খানা-পেশাব করতে দূরে যাওয়া
৩৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا ذَهَبَ الْمَذْهَبَ أَبْعَدَ .
মুগীরাহ বিন শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরে যেতেন। [৩২৯]
[৩২৯] তিরমিযী ২০, নাসায়ী ১৭, আবূ দাঊদ ১, দারিমী ৬৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১১৫৯। সহীহ, আবূ দাউদ ১২।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَتَنَحَّى لِحَاجَتِهِ ثُمَّ جَاءَ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরে যান। অতঃপর ফিরে এসে তিনি উযুর পানি নিয়ে ডাকেন এবং উযু করেন। [৩৩০]
[৩৩০] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৩৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৩
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا ذَهَبَ إِلَى الْغَائِطِ أَبْعَدَ .
ইয়া‘লা বিন মুর্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরবর্তী স্থানে যেতেন। [৩৩১]
[৩৩১] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১১৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ، – قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَاسْمُهُ عُمَيْرُ بْنُ يَزِيدَ – عَنْ عُمَارَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَالْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي قُرَادٍ، قَالَ حَجَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذَهَبَ لِحَاجَتِهِ فَأَبْعَدَ .
আবদুর রহমান বিন আবূ কুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে হাজ্জ করেছি। তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরবর্তী স্থানে চলে যেতেন। [৩৩২]
[৩৩২] নাসায়ী ১৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لاَ يَأْتِي الْبَرَازَ حَتَّى يَتَغَيَّبَ فَلاَ يُرَى .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সফরে বের হলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে এতটা দূরে যেতেন যে, তাঁকে দেখা যেত না। [৩৩৩]
[৩৩৩] আবূ দাঊদ ২, দারিমী ১৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৬
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَثِيرِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُزَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ أَبْعَدَ .
বিলাল ইবনুল হারিস আল মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরে চলে যেতেন। [৩৩৪]
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী কাসীর বিন আবদুল্লাহ আল মুযানী সম্পর্কে ইমাম সাফেঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
পেশাব-পায়খানার সময় পর্দা করা
৩৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ حُصَيْنٍ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ الْخَيْرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ وَمَنْ تَخَلَّلَ فَلْيَلْفِظْ وَمَنْ لاَكَ فَلْيَبْتَلِعْ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ وَمَنْ أَتَى الْخَلاَءَ فَلْيَسْتَتِرْ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ إِلاَّ كَثِيبًا مِنْ رَمْلٍ فَلْيَمْدُدْهُ عَلَيْهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَلْعَبُ بِمَقَاعِدِ ابْنِ آدَمَ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি ঢিলা দ্বারা শৌচ করতে চায়, সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করে। যে ব্যক্তি তাই করলো, সে উত্তম কাজ করলো এবং যে তা (বেজোড়) করলো না তার কোন দোষ নেই। কেউ খিলাল করলে সে যেন দাঁতের ফাঁক থেকে নির্গত জিনিস বাইরে ফেলে দেয়। যার মুখ থেকে লালা বের হয়, সে যেন তা ফেলে দেয়। যে ব্যক্তি এরূপ করলো, সে উত্তম কাজ করলো এবং যে তা করলো না, তার কোন দোষ নেই। যে ব্যক্তি পায়খানায় যায় সে যেন আড়াল করে। এজন্য কিছু না পেলে সে যেন বালু স্তুপ করে তার দ্বারা আড়াল করে। কেননা শয়তান আদম সন্তানের পশ্চাদদ্বার নিয়ে খেলা করে। যে ব্যক্তি এরূপ করলো, সে উত্তম কাজ করলো এবং যে তা করলো না, তার কোন দোষ নেই। [৩৩৫]
[৩৩৫] যঈফ, কিন্তু বিজোড় সংখ্যক ঢিলা নেয়ার কথা সহীহ্। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৩৫ যঈফ, জামি সগীর ৪৫৬৮ যঈফ, মিশকাত ৩৫২ যঈফ, যঈফা ৩/১০২৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হুসায়ন আল হিমায়রী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ২. আবু সাঈদ আল খায়র সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, আমি তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানি না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ “ وَمَنِ اكْتَحَلَ فَلْيُوتِرْ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لاَ فَلاَ حَرَجَ وَمَنْ لاَكَ فَلْيَبْتَلِعْ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে এই সানাদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এই বর্ণনায় আরো আছে : যে ব্যক্তি সুরমা লাগায়, সে যেন বেজোড় সংখ্যকবার লাগায়। যে ব্যক্তি এরূপ করলো, সে উত্তম কাজ করলো এবং যে তা করেনি, তার কোন দোষ নেই। কারো মুখ থেকে কিছু বের হলে সে যেন তা উদগীরণ করে ফেলে দেয়। [৩৩৬]
তাহকীক আলবানী : যে ব্যক্তি সুরমা লাগায় সে যেন বিজোড় লাগায় এ কথা ব্যতীত দঈফ।
[৩৩৬] বুখারী ১৬১, ১৬২ মুসলিম ২৩৭/১-২,৩; নাসায়ী ৮৬, ৮৮; আবূ দাঊদ ৩৫, ১৪০ আ, ৭১৮০,৭৪০৩, ৭৬৭৩, ৭৬৮৮, ৮০১৬, ২৭৩৮২, ৮৩৯৯, ৮৪৬২, ৮৫০৮, ৮৬২১, ৮৭৯৬, ৮৯৫৭, ৯৬৫৩, ২৭২৮২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩, ৩৪; দারিমী ৬৬২,৭০৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: যে ব্যাক্তি সুরমা লাগায় সে যেন বিজোড় লাগায়- এ কথা ব্যতীত যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হুসায়ন আল হিমায়রী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু সাঈদ আল খায়র সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, আমি তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানি না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَأَرَادَ أَنْ يَقْضِيَ حَاجَتَهُ فَقَالَ لِي ” ائْتِ تِلْكَ الأَشَاءَتَيْنِ ” . – قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي النَّخْلَ الصِّغَارَ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ الْقِصَارَ – ” فَقُلْ لَهُمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْمُرُكُمَا أَنْ تَجْتَمِعَا ” . فَاجْتَمَعَتَا فَاسْتَتَرَ بِهِمَا فَقَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ قَالَ لِي ” ائْتِهِمَا فَقُلْ لَهُمَا لِتَرْجِعْ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا إِلَى مَكَانِهَا ” . فَقُلْتُ لَهُمَا فَرَجَعَتَا .
মুর্রাহ বিন ওয়াহব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সফরে ছিলাম। তিনি পায়খানা করার ইচ্ছা করলে আমাকে বলেন, এই গাছ দু’টিকে ডেকে আনো। ওয়াকী’ (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছে, তা ছিল দু’টি ছোট খেজুর গাছ। তুমি গাছ দু’টিকে বলো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের উভয়কে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। অতএব, গাছ দু’টি একত্র হলে তিনি তাদের দ্বারা আড়াল করলেন এবং তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারলেন। অতঃপর তিনি আমাকে বলেন, তুমি ওদের কাছে গিয়ে বলো, তারা যেন স্বস্থানে ফিরে যায়। অতএব আমি (গাছ দু’টির নিকট) গিয়ে তাই বললাম এবং তারা স্বস্থানে ফিরে গেল। [৩৩৭]
[৩৩৭] আহমাদ ১৭০৯৭, ১৭১০৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ كَانَ أَحَبَّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِحَاجَتِهِ هَدَفٌ أَوْ حَائِشُ نَخْلٍ .
আবদুল্লাহ্ বিন জা‘ফার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা করার সময় উঁচু টিলা অথবা ঘন খেজুর বিথীর আড়ালে বসতে পছন্দ করতেন। [৩৩৮]
[৩৩৮] মুসলিম ৩৪২ আবূ দাঊদ ২৫৪৯, আহমাদ ১৭৪৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ১৫৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَقِيلِ بْنِ خُوَيْلِدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ عَدَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى الشِّعْبِ فَبَالَ حَتَّى أَنِّي آوِي لَهُ مِنْ فَكِّ وَرِكَيْهِ حِينَ بَالَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করতে গিরিপথে চলে যেতেন। তিনি যখন পেশাব করতেন, তখন আমি তাঁর পিছন দিকে আড় হয়ে থাকতাম। [৩৩৯]
যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন যাকওয়ান সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও অধিক ভুল করেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন তার হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আস-সাজী বলেন তার নিকট একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও যুআফাহ গ্রন্থে বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৪. অধ্যায়ঃ
একত্রে বসে পায়খানা করা এবং পরস্পর কথা বলা নিষেধ
৩৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، أَنْبَأَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ لاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ عَلَى غَائِطِهِمَا يَنْظُرُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَى عَوْرَةِ صَاحِبِهِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَمْقُتُ عَلَى ذَلِكَ ” .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْوَرَّاقُ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ هِلاَلٍ، . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى هُوَ الصَّوَابُ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، نَحْوَهُ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
দু’ব্যক্তি যেন এমনভাবে পায়খানায় না বসে যে, একে অপরের আবরণীয় অঙ্গ দেখতে পায় এবং এ অবস্থায় পরস্পর বাক্যালাপ না করে। কারণ তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। [৩৪০]
[৩৪০] আবূ দাঊদ ১৫, আহমাদ ১০৯১৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী সালম বিন ইবরাহীম সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে মিথ্যুক বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৫. অধ্যায়ঃ
বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ
৩৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ نَهَى عَنْ أَنْ يُبَالَ فِي الْمَاءِ الرَّاكِدِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদ্ধ পানিতে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। [৩৪১]
[৩৪১] মুসলিম ২৮১, নাসায়ী ৩৫, আহমাদ ১৪২৫, ১৪৩৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৫২২৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الرَّاكِدِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে। [৩৪২]
[৩৪২] বুখারী ২৩৯, মুসলিম ২৮২/১,২; তিরমিযী ৬৮, নাসায়ী ৫৭, ৫৮, ২২১, ৩৯৭, ৩৯৮, ৩৯৯, ৪০০; আবূ দাঊদ ৬৯, ৭০; আ, ৭৪৭৩, ৭৫৪৮,৭৮০৮, ২৭৪০৩, ৮৩৫৩, ৮৫২৩, ৮৮৭১, ৯৩১৩, ২৭০৮৩২, ১০১২, ১০৪৬০, ১০৫১১; দারিমী ৭৩০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ ৬২-৬৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ النَّاقِعِ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন পরিষ্কার পানিতে পেশাব না করে। [৩৪৩]
তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) শব্দ দ্বারা সহীহ।
[৩৪৩] فِي الْمَاءِ الداءم শব্দ দ্বারা সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ যঈফাহ ৪৮১৪। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবু ফারওয়াহ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমার মতে তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা বৈধ নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তিনি সিকাহ নন বরং তিনি মিথ্যুক। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম বুখারী বলেন, তাকে সকলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
২৬. অধ্যায়ঃ
পেশাবের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা
৩৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ حَسَنَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَفِي يَدِهِ الدَّرَقَةُ فَوَضَعَهَا ثُمَّ جَلَسَ فَبَالَ إِلَيْهَا فَقَالَ بَعْضُهُمُ انْظُرُوا إِلَيْهِ يَبُولُ كَمَا تَبُولُ الْمَرْأَةُ . فَسَمِعَهُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ “ وَيْحَكَ أَمَا عَلِمْتَ مَا أَصَابَ صَاحِبَ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَوْلُ قَرَضُوهُ بِالْمَقَارِيضِ فَنَهَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ فَعُذِّبَ فِي قَبْرِهِ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا الأَعْمَشُ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
আবদুর রহমান বিন হাসানাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বেরিয়ে এলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি ঢাল। তিনি সেটিকে (সামনে) রেখে বসেন এবং সে দিকে ফিরে পেশাব করেন। তাদের কোন এক ব্যক্তি বললো, তাঁকে দেখ ! তিনি মহিলাদের মত পেশাব করছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কথা শুনে ফেলেন এবং বলেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়। তোমার কি জানা নেই যে, বানী ইসরাঈলের সেই ব্যক্তির কী দশা হয়েছিল? তাদের শরীরের কোন অংশে পেশাব লাগলে তারা তা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলতো। সে তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করে। ফলে তাকে তার কবরে শাস্তি দেয়া হয়। [৩৪৪]
[৩৪৪] নাসায়ী ৩০, আহমাদ ১৭৩০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৭১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِقَبْرَيْنِ جَدِيدَيْنِ فَقَالَ “ إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَنْزِهُ مِنْ بَوْلِهِ وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি নতুন কবর অতিক্রম করাকালীন বলেন, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এদেরকে কোন কঠিন অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছেনা। এদের একজন পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতো না এবং অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াতো। [৩৪৫]
[৩৪৫] বুখারী ৩১৬, ৩১৮, ১৩৬১, ১৩৭৮, ৬০৫২, ৬০৫৫; মুসলিম ২৯২, তিরমিযী ৭০, নাসায়ী ৩১, ২০৬৮; আবূ দাঊদ ২০, আহমাদ ১৯৮১, দারিমী ৭৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ১৭৮, ২৮৩, সহীহ আবূ দাউদ ১৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ أَكْثَرُ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنَ الْبَوْلِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বেশির ভাগ কবরে আযাব পেশাব থেকে অসতর্কতার কারণেই হয়ে থাকে। [৩৪৬]
[৩৪৬] আহমাদ ৮১৩১, ৮৮০০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، حَدَّثَنِي بَحْرُ بْنُ مَرَّارٍ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ “ إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَيُعَذَّبُ فِي الْبَوْلِ وَأَمَّا الآخَرُ فَيُعَذَّبُ فِي الْغِيبَةِ ” .
আবূ বাক্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি ক্ববর অতিক্রম অতিক্রম করার সময় বলেন, নিশ্চয়ই এই দু’ক্ববরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে কোন কঠিন অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছেনা। এদের একজনকে পেশাবের (অসতর্কতার) কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং অপরজনকে গীবত করার কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। [৩৪৭]
[৩৪৭] আহমাদ ১৯৮৬০ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৭. অধ্যায়ঃ
পেশাবরত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া প্রসঙ্গে
৩৫০
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّلْحِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُضَيْنِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ وَعْلَةَ أَبِي سَاسَانَ الرَّقَاشِيِّ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذِ بْنِ عُمَيْرِ بْنِ جُدْعَانَ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ وُضُوئِهِ قَالَ “ إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي مِنْ أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ ” .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
আম্র বিন জুদ’আন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তিনি উযু করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি তাঁর উযু সমাপনান্তে বলেন, আমি এজন্য তোমার সালামের উত্তর দেইনি যে, আমি তখন উযুবিহীন ছিলাম। [৩৪৮]
[৩৪৮] নাসায়ী ৩৮, আবূ দাঊদ ১৭, আহমাদ ১৮৫৫৫, ২০২৩৬; দারিমী ২৬৩১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عُلَىٍّ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَلَمَّا فَرَغَ ضَرَبَ بِكَفَّيْهِ الأَرْضَ فَتَيَمَّمَ ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। তখন তিনি পেশাবরত ছিলেন। সে তাঁকে সালাম করলে তিনি তার সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি পেশাব শেষ করে তাঁর দু’হাতের তালু মাটিতে মারেন এবং তায়াম্মুম করেন, অতঃপর তার সালামের উত্তর দেন। [৩৪৯]
তাহকীক আলবানীঃ الأرض এর স্থানে الجدار শব্দ দ্বারা সহীহ।
[৩৪৯] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী:الأَرْضَ এর স্থলে الجدار শব্দ দ্বারা সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ্ আবূ, দাউদ ২৫৬। উক্ত হাদিসের রাবী মাসলামাহ বিন আলী সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ নন আবার দোষত্রুটি থেকে মুক্তও নন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৫২
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ الْبَرِيدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا رَأَيْتَنِي عَلَى مِثْلِ هَذِهِ الْحَالَةِ فَلاَ تُسَلِّمْ عَلَىَّ فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ ذَلِكَ لَمْ أَرُدَّ عَلَيْكَ ” .
জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তখন পেশাবরত ছিলেন। সে তাঁকে সালাম করলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন, তুমি আমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেলে আমাকে সালাম করবে না। কারণ তুমি তা করলে আমি তোমার সালামের উত্তর দিতে পারবো না। [৩৫০]
[৩৫০] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৯৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي السَّرِيِّ الْعَسْقَلاَنِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলো। তখন তিনি পেশাবরত ছিলেন। সে তাঁকে সালাম করলে তিনি তার সালামের উত্তর দেননি। [৩৫১]
[৩৫১] তিরমিযী ৯০, ২৭২০। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১২, ১৩, ইরওয়াহ ৫৪। উক্ত হাদিসের রাবী হুসায়ন বিন আবু সারিয়্যী আল আসকালানী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৮. অধ্যায়ঃ
পানি দিয়ে শৌচ করা
৩৫৪
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَرَجَ مِنْ غَائِطٍ قَطُّ إِلاَّ مَسَّ مَاءً .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো পানি ব্যবহার না করে পায়খানা থেকে বের হননি। [৩৫২]
[৩৫২] তিরমিযী ১৯, নাসায়ী ৪৬, আহমাদ ২৪১১৮, ২৪৩১৫, ২৪৩৬৯, ২৪৪৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُتْبَةُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ هَذِهِ الآيَةَ، نَزَلَتْ {فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ} قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَثْنَى عَلَيْكُمْ فِي الطُّهُورِ فَمَا طُهُورُكُمْ ” . قَالُوا نَتَوَضَّأُ لِلصَّلاَةِ وَنَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ وَنَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ . قَالَ ” هُوَ ذَلِكَ فَعَلَيْكُمُوهُ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিম্নোক্ত আয়াত নাজিল হলে (অনুবাদ): “সেখানে এমন লোকও আছে যারা পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন”- (সূরাহ আত্-তাওবাহঃ ১০৮)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে আনসার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের পবিত্রতা অর্জনের ব্যাপারে প্রশংসা করেছেন। তোমরা কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করো? তারা বলেন, আমরা সলাতের জন্য উযু করি, জানাবাতের (শারীরিক অপবিত্রতা দূরীকরণের) জন্য গোসল করি এবং পানি দিয়ে শৌচ করি। তিনি বলেন, এটাই (প্রশংসার) কারণ। অতএব তোমরা এটাকে অপরিহার্যরূপে ধারণ করো। [৩৫৩]
[৩৫৩] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৩৪, মিশকাত ৩৬৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَغْسِلُ مَقْعَدَتَهُ ثَلاَثًا . قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَعَلْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ دَوَاءً وَطُهُورًا .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، نَحْوَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা করে তাঁর পশ্চাদদ্বার তিনবার ধৌত করতেন। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমরাও তাই করেছি এবং এটাকে নিরাময় ও পবিত্রতার উপায় হিসেবে পেয়েছি। [৩৫৪]
যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী জাবির বিন ইয়াযিদ সম্পর্কে ওয়াকী ইবনুল জাররাহ তাকে সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আল জাওযুজানী বলেন, তিনি মিথ্যুক। ২. যায়দ আল আম্মী সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী সালিহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” نَزَلَتْ فِي أَهْلِ قُبَاءٍ {فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ} قَالَ كَانُوا يَسْتَنْجُونَ بِالْمَاءِ فَنَزَلَتْ فِيهِمْ هَذِهِ الآيَةُ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিম্নোক্ত আয়াত কুবাবাসী সম্পর্কে নাজিল হয়েছে (অনুবাদ): “সেখানে এমন লোকও আছে যারা পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন”- (সূরাহ আত্-তাওবাহঃ ১০৮)। রাবী বলেন, তারা পানি দিয়ে শৌচ করতো। তাই তাদের প্রশংসায় এ আয়াত নাযিল হয়। [৩৫৫]
[৩৫৫] তিরমিযী ৩১০০ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৩৪। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুআবিয়াহ বিন হিশসাম সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ২. ইউনুস ইবনুল হারিস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। অন্যত্র তিনি বলেন, আমরা তাকে দুর্বল পেয়েছি। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। তার হাদিস গ্রহন করা যায়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ৩. ইবরাহীম বিন আবু মায়মুনাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি ইসতিনজা’ করার পর মাটিতে হাত ঘষলো
৩৫৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ اسْتَنْجَى مِنْ تَوْرٍ ثُمَّ دَلَكَ يَدَهُ بِالأَرْضِ .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ شَرِيكٍ، نَحْوَهُ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা করার পর বদনার পানি দিয়ে শৌচ করতেন। অতঃপর তাঁর হাত মাটিতে ঘষতেন। [৩৫৬]
[৩৫৬] নাসায়ী ৫০, আবূ দাঊদ ৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৬০, সহীহ আবূ দাউদ ৩৫।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ الْغَيْضَةَ فَقَضَى حَاجَتَهُ فَأَتَاهُ جَرِيرٌ بِإِدَاوَةٍ مِنْ مَاءٍ فَاسْتَنْجَى مِنْهَا وَمَسَحَ يَدَهُ بِالتُّرَابِ .
জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঝোপের মাঝে প্রবেশ করেন এবং তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করেন। জারীর (রাঃ) তাঁর নিকট এক পাত্র পানি নিয়ে আসেন। তা দিয়ে তিনি শৌচ করেন এবং তাঁর হাত মাটিতে ঘষেন। [৩৫৭]
[৩৫৭] নাসায়ী ৫১ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান লিগাইরিহী।
হাদিসের মানঃ হাসান লিগাইরিহি
- সরাসরি
৩০. অধ্যায়ঃ
পানপাত্র ঢেকে রাখা
৩৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نُوكِيَ أَسْقِيَتَنَا وَنُغَطِّيَ آنِيَتَنَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে পানির মশকের মুখ বন্ধ করতে এবং পানপাত্রসমূহ ঢেকে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। [৩৫৮]
[৩৫৮] মুসলিম ২০১২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬১
حَدَّثَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، وَيَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، حَدَّثَنَا حَرِيشُ بْنُ الْخِرِّيتِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَضَعُ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثَلاَثَةَ آنِيَةٍ مِنَ اللَّيْلِ مُخَمَّرَةً إِنَاءً لِطَهُورِهِ وَإِنَاءً لِسِوَاكِهِ وَإِنَاءً لِشَرَابِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাতের বেলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য তিনটি পানির পাত্র মুখ বন্ধ করে রেখে দিতাম, একটি তাঁর উযুর জন্য, একটি তাঁর মিসওয়াকের জন্য এবং একটি তাঁর পান করার জন্য। [৩৫৯]
[৩৫৯] আবূ দাঊদ ৫৬, ১৩৪৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হারামী বিন উমারাহ বিন আবু হাফস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অমনোযোগী। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছে। আল উকায়লী তার দুর্বলতার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে সিকাহ বলেছেন। ২. হারীশ ইবনুল খিররীত সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন, আমি আশা করি তিনি ভাল তিনি অন্যত্র বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬২
حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُطَهَّرُ بْنُ الْهَيْثَمِ، حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ أَبِيهِ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لاَ يَكِلُ طُهُورَهُ إِلَى أَحَدٍ وَلاَ صَدَقَتَهُ الَّتِي يَتَصَدَّقُ بِهَا يَكُونُ هُوَ الَّذِي يَتَوَلاَّهَا بِنَفْسِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উযুর পানি ও তাঁর দান-খয়রাত করার মাল কারো নিকট গচ্ছিত রাখতেন না এবং সেই মালও সোপর্দ করতেন না, যা তিনি সদাক্বাহ করতেন। তিনি নিজের তত্ত্বাবধানেই তা সংরক্ষণ করতেন। [৩৬০]
[৩৬০] অত্যন্ত দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৫০৪ যঈফ জিদ্দান, যঈফাহ ৪২৫০। উক্ত হাদিসের রাবী মুতাহহার বিন হায়সাম সম্পর্কে ইবনু ইয়ুনুস বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল উকায়লী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ২. আলকামাহ বিন জামারাহ আদ-দুবাঈ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩১. অধ্যায়ঃ
কুকুরের মুখ দেয়া পাত্র ধোয়া সম্পর্কে
৩৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَضْرِبُ جَبْهَتَهُ بِيَدِهِ وَيَقُولُ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ أَنْتُمْ تَزْعُمُونَ أَنِّي أَكْذِبُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِيَكُونَ لَكُمُ الْمَهْنَأُ وَعَلَىَّ الإِثْمُ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ ” .
আবূ রাযীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) কে দেখেছি যে, তিনি তার কপালে হাত মেরে বলেছেন, হে ইরাকবাসী! তোমরা মনে করো যে, আমি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি মিথ্যারোপ করছি, যাতে তোমরা সাওয়াবের অধিকারী হও এবং আমি গুনাহ্র ভাগী হই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, অবশ্যই আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে সে যেন তা সাতবার ধৌত করে। [৩৬১]
[৩৬১] বুখারী ১৭২, মুসলিম ২৭৯/১-৪, তিরমিযী ৯১, নাসায়ী ৬৩, ৬৪, ৬৬, ৩৩৫, ৩৩৮, ৩৩৯; আবূ দাঊদ ৭৩, আহমাদ ৭৩০০, ৭৩৯৮, ৭৫৪৯, ৭৬১৬, ২৭৩৬৫, ৮৫০৮, ২৭৫৬৯, ২৭৯২৮, ৯২২৭, ৯৬১৩, ২৭৯৩৩, ২৭২৮২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৬৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১/৬১, ১৭৭ সহীহ আবূ, দাউদ ৬৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِذَا شَرِبَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা সাতবার ধৌত কর। [৩৬২]
[৩৬২] বুখারী ১৭২, মুসলিম ২৭৯/১-৪, তিরমিযী ৯১, নাসায়ী ৬৩, ৬৪, ৬৬, ৩৩৫, ৩৩৮, ৩৩৯; আবূ দাঊদ ৭৩, আহমাদ ৭৩০০, ৭৩৯৮, ৭৫৪৯, ৭৬১৬, ২৭৩৬৫, ৮৫০৮, ২৭৫৬৯, ২৭৯২৮, ৯২২৭, ৯৬১৩, ২৭৯৩৩, ২৭২৮২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৪, ১৬৭ সহীহ আবূ দাউদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ مُطَرِّفًا، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغَفَّلِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي الإِنَاءِ فَاغْسِلُوهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ وَعَفِّرُوهُ الثَّامِنَةَ بِالتُّرَابِ ” .
আবদুল্লাহ্ বিন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তোমরা তা সাতবার ধৌত করো এবং অষ্টমবারে তা মাটি দিয়ে মাজো। [৩৬৩]
[৩৬৩] মুসলিম ২৮০, নাসায়ী ৬৭, ৩৩৬, ৩৩৭; আবূ দাঊদ ৭৪, আহমাদ ১৬৩৫০, ২০০৩৯; দারিমী ৭৩৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১/৬২, ৬৭, সহীহ আবূ দাউদ-৬৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে সে যেন তা সাতবার ধৌত করে। [৩৬৪]
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস