ইবনে মাজাহ সালাত আদায় করা ও তার নিয়ম কানুন অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৯১১ – ১০২০

৫/২৭. অধ্যায়ঃ

তাশাহ্‌হুদের মধ্যে (আঙ্গুলে) ইশারা করা।

৯১১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِصَامِ بْنِ قُدَامَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ نُمَيْرٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَاضِعًا يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى فِي الصَّلاَةِ وَيُشِيرُ بَإِصْبَعِهِ ‏.‏

নুমায়র আল-খুবাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সলাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত তাঁর ডান উরুর উপর রাখতে এবং তাঁর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে দেখেছি। [৯১০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১০] নাসায়ী ১২৭১, আবূ দাঊদ ৯৯১, আহমাদ ১৫৪৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ حَلَّقَ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَرَفَعَ الَّتِي تَلِيهِمَا يَدْعُو بِهَا فِي التَّشَهُّدِ ‏.‏

ওয়ায়িল বিন হুজুর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাশাহুদে) বৃদ্ধা ও মধ্যমা আঙ্গুল দ্বারা বৃত্তাকার করতে এবং তর্জনী উঁচু করতে দেখেছি। তিনি তা দিয়ে তাশাহুদের মধ্যে দুআ’ করতেন।[৯১১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১১] নাসায়ী ১১৫৯, আবূ দাঊদ ৯৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭১৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلاَةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ الْيُمْنَى الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ فَيَدْعُو بِهَا وَالْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ بَاسِطَهَا عَلَيْهَا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের (তাশাহুদের) বৈঠকে বসে তাঁর দু’ হাত তাঁর হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখতেন এবং ডান হাতের তর্জনী উঁচু করতেন ও তার দ্বারা দুআ’ করতেন। বাম হাত তাঁর হাঁটুর উপর বিছানো থাকতো। [৯১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১২] মুসলিম ৮৫০/১-৩, তিরমিযী ২৯৪, নাসায়ী ১১৬০, ১২৬৬-৬৭, ১২৬৯; আহমাদ ৫০২৩, ৫৩০৯, ৫৩৯৮, ৫৯৬৪, ৬১১৮, ৬৩১২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৯৯, দারিমী ১৩৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৬৬, সহীহ আবূ দাউদ ৯০৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২৮. অধ্যায়ঃ

সালাম ফিরানো।

৯১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ خَدِّهِ ‏ “‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডানে ও বামে সালাম ফিরাতেন, এমনকি তাঁর দু’ গালের শুভ্রতা দেখা যেতো। (তিনি বলতেন) : “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” (আপনাদের উপর শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ষিত হোক)।[৯১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১৩] তিরমিযী ২৯৫, আবূ দাঊদ ৯৯৬, আহমাদ ৩৬৯১, ৩৭২৮, ৩৮৩৯, ৩৮৬৯, ৩৮৭৭, ৩৯২৩, ৩৯৬২, ৪০৪৫, ৪১৬১, ৪২২৭, ৪২৬৮, ১৩৪৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩২৬, সহীহ আবূ দাউদ ৭১৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ ‏.‏

সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ডান দিকে ও বাম দিকে সালাম ফিরাতেন।[৯১৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১৪] মুসলিম ৫৮২, নাসায়ী ১৩১৬-১৭, আহমাদ ১৪৮৭, ১৫৬৭; দারিমী ১৩৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী মুসআব বিন সাবিত বিন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তাকে দুর্বল হিসেবেই জানি। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন তবে সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি গায়র সিকাহ। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ خَدِّهِ ‏ “‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ডানে ও বামে এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যে, তার দু’ গালের শুভ্রতা দেখা যেত। (তিনি বলতেন) : “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া ,রহমাতুল্লাহ”। [৯১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী আবু বাকার বিন আয়্যাশ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সংমিশ্রণ করেন। আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

৯১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ صَلَّى بِنَا عَلِيٌّ يَوْمَ الْجَمَلِ صَلاَةً ذَكَّرَنَا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَسِينَاهَا وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ تَرَكْنَاهَا فَسَلَّمَ عَلَى يَمِينِهِ وَعَلَى شِمَالِهِ ‏.

আবূ মূসা (আশআরী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী (রাঃ) উটের যুদ্ধের দিন আমাদের সহ সলাত পড়েন। তার সলাত আমাদেরকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। জানি না, আমরা কি সেই পদ্ধতি ভুলে গিয়েছি, না আমরা তা ত্যাগ করেছি। তিনি তার ডানে ও বামে সালাম ফিরালেন। [৯১৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ মুনকার। কিন্তু পূর্বোক্ত হাদীসে বর্ণিত, ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর কথা সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহক্বীক্ব আলবানী: মুনকার কিন্তু পূর্বোক্ত হাদিসে বর্ণিত ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর কথা সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৫/২৯. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি একবার সালাম উচ্চারণ করে।

৯১৮

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدِينِيُّ، أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمُهَيْمِنِ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَلَّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً تِلْقَاءَ وَجْهِهِ ‏.‏

সাহল বিন সা‘দ আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-তাঁর সামনের দিকে একবার সালাম ফিরান।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল মুহায়মিন বিন আব্বাস সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনুল জুনায়দ বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আস-সাজী বলেন, তার নিকট তার পিতা ও দাদার সুত্রে একটি নুসখা রয়েছে, যাতে একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইবনুল বুরাকী তাকে দুর্বল বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১৯

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً تِلْقَاءَ وَجْهِهِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- তাঁর সামনের দিকে একবার সালাম ফিরাতেন। [৯১৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯১৮] তিরমিযী ২৯৬, আহমাদ ২৫৪৫৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল মালিক বিন মুহাম্মাদ আস-সানআনী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি এককভাবে বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯২০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى فَسَلَّمَ مَرَّةً وَاحِدَةً ‏.‏

সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সা.) কে সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি একবার সালাম বলেছেন। [৯১৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন রাশিদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন এবং সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসটির ১ টি (আত-তাহকীকু ফী মাসায়িলি খিলাফ গ্রন্থের ৬২৪ পৃষ্ঠায়) শাহিদ হাদিস রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩০. অধ্যায়:

ইমামের সালামের জবাব দেয়া

৯২১

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا سَلَّمَ الإِمَامُ فَرُدُّوا عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সা.) বলেন, ইমাম যখন সালাম ফিরান, তোমরা তখন তার জবাব দিও। [৯২০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২০] আবূ দাঊদ ১০০১ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৪৮ যঈফ, যঈফা ২৫৬৪, ইরওয়াহ, যঈফ আবূ দাউদ ১৭৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. আবু বকর আল হুযালী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯২২

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْقَاسِمِ، أَنْبَأَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نُسَلِّمَ عَلَى أَئِمَّتِنَا وَأَنْ يُسَلِّمَ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ

সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের ইমামগণকে এবং আমাদের একে অপরকে সালাম দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। [৯২১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২১] আবূ দাঊদ ১০০১ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৮৮। উক্ত হাদিসের রাবী হাম্মাম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ ও সত্যবাদী। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সংমিশ্রণ করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩১. অধ্যায়:

ইমাম যেন শুধু নিজের জন্য দুআ’ না করে।

৯২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي حَىٍّ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَؤُمُّ عَبْدٌ فَيَخُصَّ نَفْسَهُ بِدَعْوَةٍ دُونَهُمْ فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন বান্দা ইমামতি করলে সে যেন অন্যদের বাদ দিয়ে কেবল নিজের জন্য দুআ’ না করে। সে যদি তাই করে, তবে সে মুকতাদীদের সাথে প্রতারণা করলো। [৯২২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২২] তিরমিযী ৩৫৭, আবূ দাঊদ ৯০। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৩৩৪ যঈফ, তিরমিযী ৩৫৭ যঈফ, আদাবুল মুফরাদ ১০৯৩ সহীহ, যঈফ আবূ দাউদ ১১-১২। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩২. অধ্যায়ঃ

সালাম ফিরানোর পর যা বলতে হয়।

৯২৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدْ إِلاَّ مِقْدَارَ مَا يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরানোর পর নিম্মোক্ত দুআ‘ পড়ার অতিরিক্ত সময় বসতেন নাঃ “হে আল্লাহ্! আপনিই শান্তি বিধাতা এবং আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি আসে। হে মহিমান্বিত ও গৌরবময় সত্তা! আপনি প্রাচুর্যময়”। [৯২৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৩] মুসলিম ৫৯২, তিরমিযী ২৯৮, নাসায়ী ১৩৩৮, আবূ দাঊদ ১৫১২, আহমাদ ২৩৮১৭, দারিমী ১৩৪৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১৩৫৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯২৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ مَوْلًى، لأُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ يُسَلِّمُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সা.) ফজরের সলাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলতেন: [আরবী] (আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান নাফিআওয়া রিযকান তয়্যিবা, ওয়া আমালান মুতাকব্বিলা) “হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক ও এবং কবূল হওয়ার যোগ্য কর্মতৎপরতা প্রার্থনা করি”। [৯২৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৪] আহমাদ ২৫৯৮২, ২৬০৬২, ২৬১৬০, ২৬১৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯২৬

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَأَبُو يَحْيَى التَّيْمِيُّ وَابْنُ الأَجْلَحِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ خَصْلَتَانِ لاَ يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُهُ عَشْرًا ‏”‏ ‏.‏ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ ‏”‏ فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَإِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ سَبَّحَ وَحَمِدَ وَكَبَّرَ مِائَةً فَتِلْكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سَيِّئَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَكَيْفَ لاَ يُحْصِيهِمَا قَالَ ‏”‏ يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَقُولُ اذْكُرْ كَذَا وَكَذَا حَتَّى يَنْفَكَّ الْعَبْدُ لاَ يَعْقِلُ وَيَأْتِيهِ وَهُوَ فِي مَضْجَعِهِ فَلاَ يَزَالُ يُنَوِّمُهُ حَتَّى يَنَامَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তি দুটি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেই দুটি অভ্যাস আয়ত্ত করাও সহজ, কিন্তু এ দুটি অভ্যাস অনুশীলনকারীর সংখ্যা কম। প্রতি ওয়াক্ত সলাতের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার আলহামদু লিল্লাহ বলা। আমি রসূলুল্লাহ কে এগুলো তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে গণনা করতে দেখেছি। তিনি বলেন, তা মুখে পড়লে হয় একশত পঞ্চাশ এবং মীযানে হয় এক হাজার পাঁচ শত। সে শয্যা গ্রহণকালে সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার একশতবার পড়লে তা তার মুখে হয় একশত এবং মীযানে হয় এক হাজার। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে প্রতিদিন দু হাজার পাঁচ শত গুনাহ করবে? তারা বলেন, কেউ এ দুটি অভ্যাস কেন অনুশীলন করবে না। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ কেন সলাতে দাড়ায় তখন শয়তান তার নিকট এসে বলে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, এমনকি বান্দা (সলাত থেকে) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে না (যে, সে কত রাকআত পড়ছে)। অনুরূপভাবে সে তার বিছানায় অবস্থানকালেও শয়তান সেখানে আসে এবং তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে, অবশেষে সে ঘুমিয়ে যায়। [৯২৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৫] তিরমিযী ৩৪১০-১১ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪০ সহীহ আবী দাউদ ১৩৪৫। উক্ত হাদিসের রাবী আতা ইবনুস সায়িব সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। ইমাম নাসাই বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস সিকাহ কিন্তু পরে হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন আসে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯২৭

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قِيلَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ قُلْتُ – يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الأَمْوَالِ وَالدُّثُورِ بِالأَجْرِ يَقُولُونَ كَمَا نَقُولُ وَيُنْفِقُونَ وَلاَ نُنْفِقُ ‏.‏ قَالَ لِي ‏ “‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَمْرٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ أَدْرَكْتُمْ مَنْ قَبْلَكُمْ وَفُتُّمْ مَنْ بَعْدَكُمْ تَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ وَتُسَبِّحُونَهُ وَتُكَبِّرُونَهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَأَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ لاَ أَدْرِي أَيَّتُهُنَّ أَرْبَعٌ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সা.)-কে বলা হলো (সুফিয়ানের বর্ণনায় আছে, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! বিত্তবান লোকেরা পুরস্কার লাভে আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। আমরা যা বলি, তারাও তা বলে এবং তারা সম্পদ ব্যয় করে, কিন্তু আমরা তা পারি না। তিনি আমাকে বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় বলে দিবো না, যা করলে তোমরা তোমাদের অগ্রবতীদের ধরতে পারবে এবং তোমরা যাদের অগ্রবর্তী হতে পারবে, তারা তোমাদের অতিক্রম করতে পারবে না? তোমরা প্রতি ওয়াক্ত সলাতের পর আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার ৩৩ বার, ৩৩বার এবং ৩৪ বার পাঠ করবে। সুফ্‌ইয়ান (রাঃ)বলেন, আমার মনে নেই যে, কোন কলেমাটি ৩৪ বার পাঠ করতে হবে। [৯২৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৬] আহমাদ ৭২০২, দারিমী ১৩৫৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১১২৫।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৯২৮

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحَبِيُّ، حَدَّثَنِي ثَوْبَانُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏”‏ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সা.) সলাত সমাপনান্তে তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন অতঃপর বলতেন: {আরবী} (আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবরাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম) হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিদাতা এবং আপনার পক্ষ থেকে শান্তি পাওয়া যায়। হে মহত্ব ও মর্যাদার অধিকারী! আপনি বরকতময় প্রাচুর্যময়। [৯২৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৭] মুসলিম ৫৯১, তিরমিযী ৩০০, আবূ দাঊদ ১৫১২, আহমাদ ২১৯০২, দারিমী ১৩৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১৩৫৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৩. অধ্যায়ঃ

সলাত শেষে ফিরে বসা।

৯২৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَّنَا النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَكَانَ يَنْصَرِفُ عَنْ جَانِبَيْهِ جَمِيعًا ‏.‏

হুলব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সা.) আমাদের ইমামতি করতেন এবং (সালাম ফিরিয়ে) তার উভয় দিকে সম্পূর্ণরূপে তার চেহারা ঘুরাতেন। [৯২৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৮] তিরমিযী ৩০১, আবূ দাঊদ ১০৪১, আহমাদ ২১৪৬০, ২১৪৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৯৫৬।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৯৩০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ يَجْعَلَنَّ أَحَدُكُمْ لِلشَّيْطَانِ فِي نَفْسِهِ جُزْءًا يَرَى أَنَّ حَقًّا لِلَّهِ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَنْصَرِفَ إِلاَّ عَنْ يَمِينِهِ قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَكْثَرُ انْصِرَافِهِ عَنْ يَسَارِهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তোমাদের কেউ যেন নিজের মধ্যে শায়তানের জন্য অংশ নির্ধারিত না করে। সে মনে করে যে, তার প্রতি আল্লাহর অধিকার হলো, কেবল তার ডান দিকে মোড় ঘোরা। অথচ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রায়ই তার বাম দিকে ঘুরে বসতে দেখেছি। [৯২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯২৯] বুখারী ৮৫২, মুসলিম ৭০৭, নাসায়ী ১৩৬০, আবূ দাঊদ ১০৪২, দারিমী ১৩৫০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৯৫৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩১

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَنْفَتِلُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সা.) কে সলাত শেষে তার ডান দিকে ও বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতে দেখেছি। [৯৩০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩০] আহমাদ ৬৭৪৪, ৬৯৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৯৩২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ هِنْدٍ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا سَلَّمَ قَامَ النِّسَاءُ حِينَ يَقْضِي تَسْلِيمَهُ ثُمَّ يَلْبَثُ فِي مَكَانِهِ يَسِيرًا قَبْلَ أَنْ يَقُومَ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সলাত শেষে সালাম ফিরানোর পর মহিলারা উঠে চলে যেতেন। অতঃপর তিনি উঠে যাওয়ার আগে নিজ জায়গায় কিছুক্ষন অপেক্ষা করতেন। [৯৩১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩১] বুখারী ৮৩৭, ৮৫০, ৮৬৬, ৮৭৫; নাসায়ী ১৩৩৩, আবূ দাঊদ ১০৪০, আহমাদ ২৬১৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৯৫৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৪. অধ্যায়:

সলাতের সময় রাতের আহার পরিবেশন করা হলে।

৯৩৩

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- বলেন, (একই সময়) সলাতের ইকামাত ও আহার দেয়া হলে, তোমরা আগে আহার করো। [৯৩২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩২] বুখারী ৬৭২, ৫৪৬৪; মুসলিম ৫৫৭, তিরমিযী ৩৫৩, নাসায়ী ৮৫৩, আহমাদ ১১৫৬০, ১১৬৬৬, ১২২৩৪, ১২৯৯৯, ১৩০৭৯, ১৩১৮৮; দারিমী ১২৮১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩৪

حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَتَعَشَّى ابْنُ عُمَرَ لَيْلَةً وَهُوَ يَسْمَعُ الإِقَامَةَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রাতের খাবার উপস্থিত করা হলে এবং (একই সময়ে) সলাতের ইকামাত দেয়া হলে তোমরা প্রথমে আহার করো। রাবী বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) একরাতে ইকমাত শ্রবণরত অবস্থায় আহার করেন। [৯৩৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৩] বুখারী ৬৭৪, মুসলিম ৫৫৯, তিরমিযী ৩৫৪, আবূ দাঊদ ৩৭৫৭, আহমাদ ৫৭৭২, ৬৩২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩৫

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا حَضَرَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- বলেন, রাতের খাবার উপস্থিত হলে এবং সলাতের ইকামাতও দেয়া হলে তোমরা আগে আহার করে। [৯৩৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৪] বুখারী ৬৭১, ৫৪৬৫; মুসলিম ৫৫৮, আহমাদ ২৩৬০০, ২৩৭২৫, ২৫০৯৩; দারিমী ১২৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৫. অধ্যায়:

বৃষ্টিমুখর রাতে সলাতের জামাআত।

৯৩৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، قَالَ خَرَجْتُ فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ فَلَمَّا رَجَعْتُ اسْتَفْتَحْتُ فَقَالَ أَبِي مَنْ هَذَا قَالَ أَبُو الْمَلِيحِ ‏.‏ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَأَصَابَتْنَا سَمَاءٌ لَمْ تَبُلَّ أَسَافِلَ نِعَالِنَا فَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

উসামা বিন উমায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবুল মালীহ) বলেন, আমি এক বৃষ্টিমুখর রাতে বের হলাম। আমি ফিরে এসে ঘরের দরজা খুলতে বললাম। আমার পিতা (উসামা বিন উমায়র (রাঃ) বলেন, কে? আমি বললাম, আবূ মালীহ। তিনি বলেন, আমরা হুদায়বিয়ার দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। আমাদেরকে বৃষ্টিতে পেলো, যাতে আমাদের জুতার তলাও সিক্ত হয়নি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষক ডেকে বলেন, তোমাদের শিবিকায় সলাত পড়ে নাও। [৯৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৫] নাসায়ী ৮৫৪, আবূ দাঊদ ১০৫৭, আহমাদ ১৯৭৬৯, ২০১৮৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৪১, ৩৪২, সহীহ আবী দাউদ ৯৬৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُنَادِي مُنَادِيهِ فِي اللَّيْلَةِ الْمَطِيرَةِ أَوِ اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ ذَاتِ الرِّيحِ ‏ “‏ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের রাতে অথবা শীতের রাতে বায়ু প্রবাহ হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঘোষক ডেকে বলতেন, তোমরা তোমাদের আবাসস্থলে সালাত পড়ো। [৯৩৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৬] বুখারী ৬৩২, ৬৬৬; মুসলিম ৬৯১-২, নাসায়ী ৬৫৪, আবূ দাঊদ ১০৬০-৬৩, আহমাদ ৪৪৬৪, ৪৫৬৬, ৫১২৯, ৫২৮০, ৫৭৬৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫৯, দারিমী ১২৭৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৫৩, সহীহ আবূ দাউদ ১৭০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ مَطِيرَةٍ ‏ “‏ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টিমুখর জুমুআহ্‌র দিনে বলেনঃ তোমরা তোমাদের নিজ নিজ আবাসে সালাত পড়ো।[৯৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৭] বুখারী ৬১৬, ৬৬৮, ৯০১; মুসলিম ৬৯৯, আবূ দাঊদ ১০৬৬, মাজাহ ৯৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী আব্বাদ বিন মানসুর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে একাধিক হাদিস মুনকার ভাবে বর্ণিত হয়েছে, তিনি কাদারিয়া মতাবলম্বী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি কাদারিয়া মতাবলম্বী। আবু হাতিম আর-রাযী ও আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

৯৩৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَمَرَ الْمُؤَذِّنَ أَنْ يُؤَذِّنَ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَذَلِكَ يَوْمٌ مَطِيرٌ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ نَادِ فِي النَّاسِ فَلْيُصَلُّوا فِي بُيُوتِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّاسُ مَا هَذَا الَّذِي صَنَعْتَ قَالَ قَدْ فَعَلَ هَذَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي تَأْمُرُنِي أَنْ أُخْرِجَ النَّاسَ مِنْ بُيُوتِهِمْ فَيَأْتُونِي يَدُوسُونَ الطِّينَ إِلَى رُكَبِهِمْ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জুমুআহ্‌র দিন মুয়ায্‌যিনকে আযান দেয়ার নির্দেশ দেন। দিনটি ছিল বৃষ্টিমুখর। মুয়াযযিন বলেন, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ। অতঃপর তিনি বলেন, লোকদের মাঝে ঘোষণা দাও যে, তারা যেন তাদের আবাসে সালাত পড়ে। লোকেরা তাকে বললো, আপনি একি করলেন? তিনি বলেন, আমার চেয়ে মহান ব্যক্তি এটাই করেছেন। তোমরা কি আমাকে নির্দেশ দাও যে, আমি লোকদেরকে তাদের ঘর থেকে বের করি, আর তারা হাঁটু পর্যন্ত কাদা মেখে আমার নিকট উপস্থিত হোক? [৯৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৮] বুখারী ৬১৬, ৬৬৮, ৯০১; মুসলিম ৬৯৯, আবূ দাঊদ ১০৬৬, মাজাহ ৯৩৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৫৪, সহীহ আবূ দাউদ ৯৭৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৬. অধ্যায়ঃ

সলাতী যা দিয়ে সুতরা বানাবে।

৯৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا نُصَلِّي وَالدَّوَابُّ تَمُرُّ بَيْنَ أَيْدِينَا فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ “‏ مِثْلُ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ تَكُونُ بَيْنَ يَدَىْ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَضُرُّهُ مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

তা্লহাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা সালাত পড়তাম, আর চতুষ্পদ জন্তু আমাদের সামনে দিয়ে অতিক্রম করতো। বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উত্থাপন করা হলে তিনি বলেনঃ তোমাদের কারো সামনে শিবিকার খুঁটির ন্যায় কিছু থাকলে তার সামনে দিয়ে যে কেউ অতিক্রম করলে তা তার কোন ক্ষতি করবে না। [৯৩৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৩৯] মুসলিম ৪৯৯, তিরমিযী ৩৩৫, আবূ দাঊদ ৬৮৫, আহমাদ ১৩৯১, ১৩৯৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৮৬।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৯৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ تُخْرَجُ لَهُ حَرْبَةٌ فِي السَّفَرِ فَيَنْصِبُهَا فَيُصَلِّي إِلَيْهَا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সফরকালে তাঁর জন্য একটি বর্শা সাথে নেয়া হতো। তিনি তা মাটিতে গেড়ে তার দিকে ফিরে সালাত আদায় করতেন। [৯৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪১] বুখারী ৪৯৪, ৪৯৮, ৯৭২-৭৩; মুসলিম ৫০১-২, নাসায়ী ৭৪৭, ১৫৬৫; আবূ দাঊদ ৬৮৭, আহমাদ ৫৭০০, ৬২৫০, ৬২৮৩, ৬৩৫২; দারিমী ১৪১০, মাজাহ ১৩০৪, ১৩০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَصِيرٌ يُبْسَطُ بِالنَّهَارِ وَيَحْتَجِرُهُ بِاللَّيْلِ يُصَلِّي إِلَيْهِ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর একটি চাটাই ছিল, যা দিনের বেলা বিছানো হতো এবং রাতে তিনি তা দিয়ে ঘের তৈরি করে সেদিকে মুখ করে সালাত আদায় করতেন।[৯৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪২] বুখারী ৫৮৬২, মুসলিম ৭৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪৩

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ جَدِّهِ، حُرَيْثِ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ شَيْئًا فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيَنْصِبْ عَصًا فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيَخُطَّ خَطًّا ثُمَّ لاَ يَضُرُّهُ مَا مَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ যখন নামায পড়বে তখন তার সামনে কোন একটি কিছু দিয়ে দিবে। যদি কোন কিছু না পাও তবে একটি লাঠি দাঁড় করাবে। তাও যদি না পাও তবে দাগ দিয়ে দিবে। এরপর তার সামনে দিয়ে কোন কিছু অতিক্রম করলেও (নামাযের) কোন ক্ষতি হবে না। [৯৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪৩] আবূ দাঊদ ৬৮৯, আহমাদ ৭৩৪৫, ৭৪১১, ৭৫৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৬৮৯ যঈফ, জামি সগীর ৫৬৯ যঈফ, মিশকাত ৭৮১ যঈফ, সহীহ তারগীব ৫৬০, সহীহ আবূ দাউদ ৬৯৮। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবি বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৭. অধ্যায়ঃ

সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা।

৯৪৪

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ أَرْسَلُونِي إِلَى زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ أَسْأَلُهُ عَنِ الْمُرُورِ، بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي فَأَخْبَرَنِي عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لأَنْ يَقُومَ أَرْبَعِينَ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ فَلاَ أَدْرِي أَرْبَعِينَ سَنَةً أَوْ شَهْرًا أَوْ صَبَاحًا أَوْ سَاعَةً ‏.‏

যায়দ বিন খালিদ (রাঃ) (বুশর বিন সাঈদ) থেকে বর্ণিতঃ

সলাতীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য সাহাবীগন আমাকে যায়দ বিন খালিদ (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন। তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সলাতীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চাইতে “চল্লিশ” পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম। সুফ্‌ইয়ান (রাঃ) বলেন, চল্লিশ দ্বারা তিনি চল্লিশ বছর না মাস না দিন, না ঘন্টা বুঝিয়েছেন তা আমি অবগত নই। [৯৪৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪৪] বুখারী ৫১০, মুসলিম ৫০৭, তিরমিযী ৩৩৬, নাসায়ী ৭৫৬, আবূ দাঊদ ৭০১, আহমাদ ১৬৬০৩, ১৭০৮৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৫, দারিমী ১৪১৬-১৭, মাজাহ ৯৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

৯৪৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ، أَرْسَلَ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ الأَنْصَارِيِّ يَسْأَلُهُ مَا سَمِعْتَ مِنَ النَّبِيِّ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الرَّجُلِ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَىِ الرَّجُلِ وَهُوَ يُصَلِّي فَقَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُكُمْ مَالَهُ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَىْ أَخِيهِ وَهُوَ يُصَلِّي كَانَ لأَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ – قَالَ لاَ أَدْرِي أَرْبَعِينَ عَامًا أَوْ أَرْبَعِينَ شَهْرًا أَوْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا – خَيْرٌ لَهُ مِنْ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

যায়দ বিন খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যায়দ বিন খালিদ (রাঃ) আবূ জুহাইম আল-আনসারী (রাঃ) -এর নিকট জিজ্ঞেস করতে পাঠানঃ সালাতরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী সম্পর্কে আপনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কী শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের যে কেউ তার সালাতরত ভাইয়ের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার পরিণতি সম্পর্কে যদি জানতো, তাহলে অবশ্যি সে ‘চল্লিশ’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম ভাবতো। রাবী বলেন, তিনি কি চল্লিশ বছর অথবা চল্লিশ মাস বা চল্লিশ দিন বলেছেন তা আমি অবগত নই।[৯৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪৫] বুখারী ৫১০, মুসলিম ৫০৭, তিরমিযী ৩৩৬, নাসায়ী ৭৫৬, আবূ দাঊদ ৭০১, আহমাদ ১৬৬০৩, ১৭০৮৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৫, দারিমী ১৪১৬-১৭, মাজাহ ৯৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীর ৫৬০, সহীহ আবূ দাউদ ৬৯৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ عَمِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُكُمْ مَا لَهُ فِي أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَىْ أَخِيهِ مُعْتَرِضًا فِي الصَّلاَةِ كَانَ لأَنْ يُقِيمَ مِائَةَ عَامٍ خَيْرٌ لَهُ مِنَ الْخَطْوَةِ الَّتِي خَطَاهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের যে কেউ যদি জানতো যে, তার সালাতরত ভাইয়ের সামনে দিয়ে তার অতিক্রম করার পরিণতি কী, তাহলে সে এ ধরনের পদক্ষেপ ফেলার চাইতে এক শত বছর দাঁড়িয়ে থাকাকে অবশ্যি অধিক উত্তম মনে করতো। [৯৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

আহমাদ ৮৬২০ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৮৫৯ যঈফ, মিশকাত ৭৮৭ যঈফ, যঈফ তারগীব ২৯৯, সহীহ আবূ দাউদ ৬৯৮। উক্ত হাদিসের রাবী উবায়দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান ইবনু মাওহিব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল আজালী সিকাহ বলেছেন। সুফইয়ান বিন উয়ায়নাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. উবায়দুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন মাওহিব সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম শাফিঈ বলেন, আমি তাকে চিনি না। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি অপরিচিত। ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৮. অধ্যায়ঃ

যা সালাত নষ্ট করে।

৯৪৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي بِعَرَفَةَ فَجِئْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ عَلَى أَتَانٍ فَمَرَرْنَا عَلَى بَعْضِ الصَّفِّ فَنَزَلْنَا عَنْهَا وَتَرَكْنَاهَا ثُمَّ دَخَلْنَا فِي الصَّفِّ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতের ময়দানে সালাত পড়ছিলেন। আমি ও ফাদল গাধায় চড়ে সলাতের একটি কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলাম। আমরা গাধার পিঠ থেকে নেমে সেটিকে ছেড়ে দিয়ে সলাতের কাতারে শামিল হলাম। [৯৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪৭] বুখারী ৭৬, ৪৯৩, ৮৬১, ১৮৫৭, ৪৪১২; মুসলিম ৫০১-২, তিরমিযী ৩৩৭, নাসায়ী ৭৫২, ৭৫৪; আবূ দাঊদ ৭১৫-১৬, আহমাদ ১৮৯৪, ২৩৭২, ৩১৭৪, ৩৪৪৪; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৬৯, দারিমী ১৪১৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭০৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، – هُوَ قَاصُّ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي فِي حُجْرَةِ أُمِّ سَلَمَةَ فَمَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ أَوْ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ فَقَالَ بِيَدِهِ فَرَجَعَ فَمَرَّتْ زَيْنَبُ بِنْتُ أُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا فَمَضَتْ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ هُنَّ أَغْلَبُ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সালামাহ (রাঃ) -এর ঘরে সালাত পড়ছিলেন। আবদুল্লাহ অথবা উমার বিন আবূ সালামাহ তাঁর সামনে দিয়ে যেতে উদ্যত হলে তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করলে তিনি ফিরে যান। তারপর যয়নব বিনতে উম্মু সালামাহ (রাঃ) যেতে চাইলে তাকেও তিনি হাতের ইশারায় নিষেধ করেন, কিন্তু তিনি অতিক্রম করে চলে যান। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত শেষে বলেন, নারীরা (পুরুষের উপর) বিজয়ী। [৯৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪৮] আহমাদ ২৫৯৮৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উসামাহ বিন যায়াদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ২. কায়স সম্পর্কে ইমামগন বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْكَلْبُ الأَسْوَدُ وَالْمَرْأَةُ الْحَائِضُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কালো বর্ণের কুকুর ও ঋতুবর্তী নারী সালাত নষ্ট করে। [৯৪৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৪৯] নাসায়ী ৭৫১, আবূ দাঊদ ৭০৩-৪, আহমাদ ৩২৩১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৭০০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫০

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ أَبُو طَالِبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْمَرْأَةُ وَالْكَلْبُ وَالْحِمَارُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নারী, কুকুর ও গাধা সালাত নষ্ট করে। [৯৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫০] মুসলিম ৫১১, আহমাদ ৯২০৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫১

حَدَّثَنَا جَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْمَرْأَةُ وَالْكَلْبُ وَالْحِمَارُ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নারী, কুকুর ও গাধা সালাত নষ্ট করে। [৯৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫১] আহমাদ ১৬৩৫৫, ২০০৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ إِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ يَدَىِ الرَّجُلِ مِثْلُ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ الْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ وَالْكَلْبُ الأَسْوَدُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا بَالُ الأَسْوَدِ مِنَ الأَحْمَرِ فَقَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَمَا سَأَلْتَنِي فَقَالَ ‏”‏ الْكَلْبُ الأَسْوَدُ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সলাতীর সামনে শিবিকার খুঁটির ন্যায় কোন জিনিস না থাকলে নারী, গাধা ও কালো বর্ণের কুকুর তার সালাত নষ্ট করে। অধস্তন রাবী বলেন, আমি বললাম, লাল বর্ণের কুকুর থেকে কালো বর্ণের কুকুরের পার্থক্য কি? তিনি বলেন, তুমি আমাকে যেরূপ জিজ্ঞেস করলে আমিও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তদ্রূপ জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেন, কালো কুকুর হলো শয়তান। [৯৫২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫২] মুসলিম ৫১০, তিরমিযী ৩৩৮, নাসায়ী ৭৫০, আবূ দাঊদ ৭০২, আহমাদ ২০৮১৬, ২০৮৩৫, ২০৮৭০, ২০৯১৪, ২০৯২০; দারিমী ১৪১৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৯৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৩৯. অধ্যায়ঃ

সলাতীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে যথাসাধ্য বাধা দাও।

৯৫৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى أَبُو الْمُعَلَّى، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ فَذَكَرُوا الْكَلْبَ وَالْحِمَارَ وَالْمَرْأَةَ فَقَالَ مَا تَقُولُونَ فِي الْجَدْىِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي يَوْمًا فَذَهَبَ جَدْىٌ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَبَادَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْقِبْلَةَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আল-হাসান আল-উরানী) বলেন, কিসে সালাত নষ্ট করে তা ইবনু আব্বাস (রাঃ) -এর উপস্থিতিতে আলোচিত হলো। লোকেরা কুকুর, গাধা ও স্ত্রীলোকের কথা উল্লেখ করলো। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, ছয়-সাত মাসের বকরীর বাচ্চা সম্পর্কে আপনারা কী বলেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সালাত পড়ছিলেন। তাঁর সামনে দিয়ে ছয়-সাত মাসের একটি বকরীর বাচ্চা অতিক্রম করে যাচ্ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটিকে কিবলার দিক থেকে হটিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। [৯৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৩] আবূ দাঊদ ৭০৯, আহমাদ ২২২৩, ২৮০১, ৩১৫৭, ৩১৮৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৭০২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيُصَلِّ إِلَى سُتْرَةٍ وَلْيَدْنُ مِنْهَا وَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِنْ جَاءَ أَحَدٌ يَمُرَّ فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের যে কেউ সালাত আদায় করতে চাইলে যেন সুতরা সামনে রেখে সালাত পড়ে এবং তার নিকটবর্তী হয়। সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়। অতএব যদি কেউ সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ সে একটা শয়তান। [৯৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৪] বুখারী ৫০৯, ৩২৭৫; মুসলিম ৫০৫, নাসায়ী ৭৫৭, ৪৮৬২; আবূ দাঊদ ৬৯৭, ৬৯৯, ৭০০; আহমাদ ১০৯০৬, ১১০০১, ১১০৬৭, ১১১৪৬, ১১২১৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৬৪, দারিমী ১৪১১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৬৯৪, ৬৯৫।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৯৫৫

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَمَّالُ، وَالْحَسَنُ بْنُ دَاوُدَ الْمُنْكَدِرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّ مَعَهُ الْقَرِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ الْمُنْكَدِرِيُّ فَإِنَّ مَعَهُ الْعُزَّى ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ যখন সালাত পড়ে, তখন সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়। যদি সে অস্বীকার করে তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা তার সাথে তার সহযোগী (শয়তান) রয়েছে। আল-হাসান বিন দাঊদ আল-মুনকাদিরী (রহঃ) বলেন, নিশ্চয় তার সাথে উয্‌যা (প্রতিমা) রয়েছে। [৯৫৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৫] মুসলিম ৫০৬, আহমাদ ৫৫৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ১/৫৬২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪০. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তি তার ও কিবলার মাঝখানে কিছু থাকা অবস্থায় সালাত পড়লে।

৯৫৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ وَأَنَا مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ كَاعْتِرَاضِ الْجِنَازَةِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে সালাত আদায় করতো এবং আমি তখন তাঁর ও কিবলার মাঝখানে জানাযাহর লাশের ন্যায় আড়াআড়িভাবে শোয়া থাকতাম। [৯৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৬] বুখারী ৫১৪-১৫, ৫১৯, ৯৯৭, ১২০৯, ৬২৭৬, নাসায়ী ১৬৬-৬৭, ১৬৮; আবূ দাঊদ ৪১০-১৪, আহমাদ ২৩৬৪৯, ২৩৭৫৩, ২৪৬২৪, ২৫৩৫৬, ২৫৬৪৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৫৮, দারিমী ১৪১৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭০৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫৭

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّهَا، قَالَتْ كَانَ فِرَاشُهَا بِحِيَالِ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, তার বিছানা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সিজদার স্থানের দিকে ছিল। [৯৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৭] আবূ দাঊদ ৪১৪৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي وَأَنَا بِحِذَائِهِ وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ ‏.‏

মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করতো এবং আমি তাঁর সামনে থাকতাম। তিনি সিজদায় গেলে কখনো কখনো তাঁর পরিধেয় বস্ত্র (কাপড়) আমারা শরীরে লাগতো। [৯৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৮] বুখারী ৩৩৩, ৩৭৯, ৩৮১, ৫১৭-১৮; মুসলিম ৫১১-২, নাসায়ী ৭৩৮, আবূ দাঊদ ৬৫৬, আহমাদ ২৬২৬৫, ২৬২৬৮; দারিমী ১৩৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي أَبُو الْمِقْدَامِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُصَلَّى خَلْفَ الْمُتَحَدِّثِ وَالنَّائِمِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাক্যালাপে রত ব্যক্তি ও ঘুমন্ত ব্যাক্তির পেছনে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। [৯৫৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৫৯] আবূ দাঊদ ৬৯৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৭৫, সহীহ আবী দাউদ ৬৯২। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ২. আবুল মিকদাম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি গায়ির সিকাহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪১. অধ্যায়ঃ

ইমামের আগে রুকু’ ও সিজদায় যাওয়া নিষিদ্ধ।

৯৬০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُعَلِّمُنَا أَنْ لاَ نُبَادِرَ الإِمَامَ بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে শিক্ষা দিতেন যে, আমরা যেন ইমামের আগে রুকূ’ ও সিজদায় না যাই। তিনি আরো বলেন, ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলো এবং তিনি যখন সিজদা করেন, তোমরাও তখন সিজদা করো। [৯৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬০] বুখারী ৭২২, ৭৩৪; মুসলিম ৪১৪-১৭, নাসায়ী ৯২১-২২, আবূ দাঊদ ৬০৩, আহমাদ ৭১০৪, ৮২৯৭, ৮৬৭২, ৯০৭৪, ৯১৫১, ২৭২০৯, ২৭২১৫, ২৭২৭৩, ২৭৩৮৩; দারিমী ১৩১১, মাজাহ ৮৪৬, ১২৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৩১-৬৩৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬১

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَلاَ يَخْشَى الَّذِي يَرْفَعُ رَأْسَهُ قَبْلَ الإِمَامِ أَنْ يُحَوِّلَ اللَّهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইমামের আগে (রুকূ’-সিজদা থেকে) মাথা তোলে সে কি ভয় করে না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথায় পরিবর্তিত করে দিবেন? [৯৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬১ ] বুখারী ৬৯১, মুসলিম ৪২১-২, তিরমিযী ৫৮২, নাসায়ী ৮২৮, আবূ দাঊদ ৬২৩, আহমাদ ৭৪৮১, ৭৬১২, ৯২১১, ৯৫৭৪, ৯৭৫৪, ১০১৬৮; দারিমী ১৩১৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫১০, সহীহ আবী দাউদ ৬৩৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ زِيَادِ بْنِ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ دَارِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنِّي قَدْ بَدَّنْتُ فَإِذَا رَكَعْتُ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعْتُ فَارْفَعُوا وَإِذَا سَجَدْتُ فَاسْجُدُوا وَلاَ أُلْفِيَنَّ رَجُلاً يَسْبِقُنِي إِلَى الرُّكُوعِ وَلاَ إِلَى السُّجُودِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি এখন ভারী হয়ে গেছি। অতএব আমি যখন রুকূ’ করি, তোমরাও তখন রুকূ’ করো এবং আমি যখন মাথা উঠাই, তোমরাও তখন মাথা উঠাও। আমি যখন সাজদাহ্ করি, তোমরাও তখন সাজদাহ্ করো। আমি যেন কোন ব্যাক্তিকে আমার আগে রুকূ’ ও সিজদায় যেতে না দেখি।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৭২৫। উক্ত হাদিসের রাবী দারিম সম্পর্কে ইমামগন বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬৩

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تُبَادِرُونِي بِالرُّكُوعِ وَلاَ بِالسُّجُودِ فَمَهْمَا أَسْبِقْكُمْ بِهِ إِذَا رَكَعْتُ تُدْرِكُونِي بِهِ إِذَا رَفَعْتُ وَمَهْمَا أَسْبِقْكُمْ بِهِ إِذَا سَجَدْتُ تُدْرِكُونِي بِهِ إِذَا رَفَعْتُ إِنِّي قَدْ بَدَّنْتُ ‏”‏ ‏.‏

মুআবিয়াহ বিন আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আমার আগে রুকূ’-সিজদায় যাবে না। যখনই আমি তোমাদের আগে রুকূ’তে যাই, তোমরা আমাকে মাথা তোলার পূর্বেই পেয়ে যাও। আবার যখনই আমি তোমাদের আগে সিজদায় যাই, তোমরা আমাকে মাথা তোলার পূর্বেই পেয়ে যাও। নিশ্চয় এখন আমি (বয়সের কারনে) ভারী হয়ে গেছি। [৯৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৩] আবূ দাঊদ ৬১৯, আহমাদ ১৬৩৯৬, ১৬৪৪৯; দারিমী ১৩১৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৮৯-২৯০, সহীহ আবূ দাউদ ৬৩০।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫/৪২. অধ্যায়ঃ

সলাতের মাকরূহসমুহ।

৯৬৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهُدَيْرِ التَّيْمِيُّ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ مِنَ الْجَفَاءِ أَنْ يُكْثِرَ الرَّجُلُ مَسْحَ جَبْهَتِهِ قَبْلَ الْفَرَاغِ مِنْ صَلاَتِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যাক্তির তাঁর সালাত থেকে অবসর না হয়েই অধিক বার তাঁর কপাল মোছা রূঢ় আচরনের অন্তর্ভুক্ত। [৯৬৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৪] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ৩৮২ যঈফ, জামি সগীর ৫৭৫ যঈফ ১৯৯৩ যঈফ, যঈফাহ ৮৭৭। উক্ত হাদিসের রাবী হারুন বিন আবদুল্লাহ ইবনুল হুদায়র আত-তায়মী সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، وَإِسْرَائِيلُ بْنُ يُونُسَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ تُفَقِّعْ أَصَابِعَكَ وَأَنْتَ فِي الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি সালাতরত অবস্থায় তোমার আঙ্গুলগুলো মটকাবে না। [৯৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৫] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬২৫১ যঈফ, যঈফা ৪৭৮৭, ইরওয়াহ ৩৭৮। উক্ত হাদিসের রাবী হারিস (বিন আবদুল্লাহ) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬৬

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، سُفْيَانُ بْنُ زِيَادٍ الْمُؤَدِّبُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ فِي الصَّلاَةِ ‏.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে কোন ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় তার মুখমণ্ডল ঢাকতে নিষেধ করেছেন। [৯৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৬] আবূ দাঊদ ৬৪৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭৬৪, সহীহ আবূ দাউদ ৬৫০।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬৭

حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ عَمْرٍو الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى رَجُلاً قَدْ شَبَّكَ أَصَابِعَهُ فِي الصَّلاَةِ فَفَرَّجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَيْنَ أَصَابِعِهِ ‏.‏

কা’ব বিন ‘উজরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে সালাতরত অবস্থায় তার এক হাতের আঙ্গুলসমূহ অপর হাতের আঙ্গুলসমূহের মধ্যে প্রবেশ করাতে দেখলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার আঙ্গুলসমূহ ফাঁকা (পৃথক) করে দিলেন। [৯৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৭] তিরমিযী ৩৮৬, আবূ দাঊদ ৫৬২, আহমাদ ১৭৬৩৭, ১৭৬৪৬, ১৭৬৬৪; দারিমী ১৪০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ৩৭৯ যঈফ, ইরওয়াহ ৩৭৯, মিশকাত ৯৯৪।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَضَعْ يَدَهُ عَلَى فِيهِ وَلاَ يَعْوِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَضْحَكُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তার হাত মুখের উপর রাখে এবং সজোরে শব্দ না কোরে। কেননা তাতে শয়তান হাসে। [৯৬৮]

 

তাহকীক আলবানী : সজোরে শব্দ না করে এ অতিরিক্তসহ মাওযূ বা জাল তাছাড়া সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৮]বুখারী ৩২৮৯, তিরমিযী ২৭৪৬-৪৭, আহমাদবুখারী ৫০২৮, আহমাদ ৭২৫২, ৭৫৪৫, ৯২৪৬, ১০৩১৭, ১০৩২৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সজোরে শব্দ না করে এ অতিরিক্তসহ মাউযূ বা জাল তাছাড়া সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৯৯৩, যঈফাহ ২৪২০। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন সাঈদ বিন আবু সাঈদ আল মাকবুরী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মাজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদীতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। আমর ইবনুল ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৯৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ الْبُزَاقُ وَالْمُخَاطُ وَالْحَيْضُ وَالنُّعَاسُ فِي الصَّلاَةِ مِنَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

উবায়দুল্লাহ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সালাতরত অবস্থায় থুথু, নাকের শ্লেষ্মা, হায়িয বা তন্দ্রা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। [৯৬৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৬৯] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ২৩৭৩, যঈফা ৩৩৭৮। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল ইয়াকযান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইবনু মাহদী তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. সাবিত সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪৩. অধ্যায়ঃ

লোকজন অপছন্দ করা সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি তাদের ইমামতি করে।

৯৭০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنِ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ عَبْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ ثَلاَثَةٌ لاَ تُقْبَلُ لَهُمْ صَلاَةٌ الرَّجُلُ يَؤُمُّ الْقَوْمَ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَالرَّجُلُ لاَ يَأْتِي الصَّلاَةَ إِلاَّ دِبَارًا – يَعْنِي بَعْدَ مَا يَفُوتُهُ الْوَقْتُ – وَمَنِ اعْتَبَدَ مُحَرَّرًا ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যাক্তির সালাত কবূল হয় না : যে ব্যাক্তি লোকেদের ইমামতি করে তাকে তারা অপচ্ছন্দ করা সত্ত্বেও, যে ব্যাক্তি সলাতের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর সালাত পরে এবং যে ব্যাক্তি কোন স্বাধীন ব্যাক্তিকে দাস বানায়। [৯৭০]

 

তাহকীক আলবানী : প্রথম ব্যক্তির বর্ণনা পর্যন্ত সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭০] আবূ দাঊদ ৫৯৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: প্রথম ব্যাক্তির বর্ণনা পর্যন্ত সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৬০৭, সহীহ তারগীব ৪৮৩-৪৮৬ বাকী দু ব্যাক্তির বর্ণনা যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ ৯২। উক্ত হাদিসের রাবী (আব্দুর রহমান বিন যিয়াদ ইবনু আনউম) আল-ইফরিকী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার থেকে হাদিস বর্জনীয়। ইবনু মাহদী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার থেকে হাদিস লিপিবদ্ধ করিনি। ২. ইমরান সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান ও আল আজালী সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনুল কাত্তান বলেন, তার পরিচয় অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৯৭১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ هَيَّاجٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَرْحَبِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدَةُ بْنُ الأَسْوَدِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ ثَلاَثَةٌ لاَ تَرْتَفِعُ صَلاَتُهُمْ فَوْقَ رُءُوسِهِمْ شِبْرًا رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَأَخَوَانِ مُتَصَارِمَانِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তিন ব্যাক্তির সালাত তাদের মাথার এক বিঘত উপরেও উঠে না : যে ব্যাক্তি জনগণের অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও তাদের ইমামতি করে, যে নারী তাঁর স্বামীর অসন্তুষ্টিসহ রাত যাপন করে এবং পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী দু’ ভাই। [৯৭১]

 

তাহকীক আলবানী : এ শব্দে বর্ণনা মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭১] এ শব্দে বর্ণনা মুনকার। তাখরীজ আলবানী: যঈফ তারগীব ২৫৭, গীয়াতুল মারাম ২৪৮, মিশকাত ১১২৮। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন আব্দুর রহমান আল আরহাবী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

৫/৪৪. অধ্যায়ঃ

দু’ ব্যক্তির জামাআত।

৯৭২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَمْرِو بْنِ جَرَادٍ عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ اثْنَانِ فَمَا فَوْقَهُمَا جَمَاعَةٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দু’ বা ততোধিক ব্যাক্তি সমন্বয়ে একটি জামাআত হতে পারে। [৯৭২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭২] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ১৩৭ যঈফ, মিশকাত ১০৮১, ইরওয়াহ ৪৮৯। উক্ত হাদিসের রাবী রাবী’ বিন বাদর সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২. আমর বিন জাররাদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَقَامَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَ بِيَدِي فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মূনা (রাঃ) -এর এখানে রাত কাটালাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে সালাত পড়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। আমি তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালে তিনি আমার হাত ধরে আমাকে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করান। [৯৭৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৩] বুখারী ১১৭, ১৩৮, ৬৯৭-৯৯, ৭২৬, ৭২৮, ৮৫৯, ৫৯১৯, ৬৩১৬; মুসলিম ৭৬১-৯, তিরমিযী ২৩২, নাসায়ী ৮০৬, আবূ দাঊদ ৬১০, আহমাদ ৩১৫৯, দারিমী ১২৫৫, মাজাহ ১৩৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৪০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭৪

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَحْبِيلُ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي الْمَغْرِبَ فَجِئْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের সালাত পড়ছিলেন। আমি এসে তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালে তিনি আমাকে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করান।[৯৭৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৪] মুসলিম ৭৬৬, আবূ দাঊদ ৬৩৪, আহমাদ ১৪৩৭৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৩৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭৫

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِامْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ وَبِي فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ وَصَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَلْفَنَا ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রী ও আমাকে নিয়ে সালাত পড়েন। তিনি আমাকে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করান এবং মহিলাটি আমাদের পেছনে দাঁড়িয়ে সালাত পড়েন।[৯৭৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৫] নাসায়ী ৮০৫, আবূ দাঊদ ৬০৮, আহমাদ ১২২১৫, ১২৭০৫, ১৩০৯৬, ১৩১৩৪, ১৩১৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৪২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪৫. অধ্যায়ঃ

যে ব্যাক্তি ইমামের কাছাকাছি দাঁড়াতে পছন্দ করে।

৯৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِي الصَّلاَةِ وَيَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ لِيَلِيَنِي مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلاَمِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ মাসউদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের মধ্যে আমাদের কাঁধে হাত বুলিয়ে বলতেন : তোমরা (কাতারে আঁকাবাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে) বিশৃংখল হয়ো না, অন্যথায় তোমাদের অন্তরসমূহ বিশৃংখল হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান তারা (কাতারে) আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে, অতঃপর (যোগ্যতায়) তাদের নিকটতর লোকেরা, অতঃপর তাদের নিকটতর লোকেরা দাঁড়াবে। [৯৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৬] মুসলিম ৪৩২, নাসায়ী ৮০৭, ৮১২; আবূ দাঊদ ৬৭৪, আহমাদ ১৬৬৫৩, দারিমী ১২৬৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৫১২১, সহীহ আবূ দাউদ ৬৭৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭৭

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ يُحِبُّ أَنْ يَلِيَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ لِيَأْخُذُوا عَنْهُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহাজির ও আনসারদের (সলাতে) তাঁর কাছে দাঁড়ানো পছন্দ করতেন, যাতে তারা তাঁর নিকট থেকে শিখে নিতে পারেন। [৯৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৭] আহমাদ ১১৫৫২, ১২৬৫১, ১২৭২২, ১৩৩৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৪০৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْهَبِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى فِي أَصْحَابِهِ تَأَخُّرًا فَقَالَ ‏ “‏ تَقَدَّمُوا فَأْتَمُّوا بِي وَلْيَأْتَمَّ بِكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ لاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের পেছনে হটতে দেখে বললেন, তোমরা সামনের কাতারে এগিয়ে আসো এবং আমার অনুসরন করো, যাতে তোমাদের পরবর্তী লোকেরা তোমাদের অনুসরন করতে পারে। লোকেরা যখন পেছনেই হটতে থাকে, তখন আল্লাহও তাদের পেছনেই হটিয়ে দেন। [৯৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৮] মুসলিম ৪৩৮, নাসায়ী ৭৯৫, আবূ দাঊদ ৬৮০, আহমাদ ১০৮৯৯, ১১১১৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৫০৯, সহীহ আবী দাউদ ৬৮৩

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪৬. অধ্যায়ঃ

যোগ্যতর ব্যক্তি ইমাম হবে।

৯৭৯

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي فَلَمَّا أَرَدْنَا الاِنْصِرَافَ قَالَ لَنَا ‏ “‏ إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا ‏”‏ ‏.‏

মালিক ইবনুল হুওয়ায়রিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও আমার এক সংগী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। যখন আমরা ফিরে যেতে মনস্থ করলাম, তখন তিনি আমাদের বললেন, সলাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে তোমরা আযান দিবে, অতঃপর ইকামাত দিবে এবং তোমাদের দুজনের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ জন তোমাদের ইমামতি করবে। [৯৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৭৯] বুখারী ৬২৮, ৬৩০-৩১, ৬৫৮, ৬৮৫, ৮১৯, ২৮৪৮, ৬০০৮, ৭২৪৬; মুসলিম ৬৭১-২, তিরমিযী ২০৫, নাসায়ী ৬৩৪-৩৫, ৬৬৯, ৭৮১; আবূ দাঊদ ৫৮৯, আহমাদ ১৫১৭১, ২০০০৭; দারিমী ১২৫৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ, ৬০৪, ইরওয়াহ ২১৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ ضَمْعَجٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانَتْ قِرَاءَتُهُمْ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانَتِ الْهِجْرَةُ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ يُؤَمَّ الرَّجُلُ فِي أَهْلِهِ وَلاَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسْ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإِذْنٍ أَوْ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন অধিক জানে সে লোকদের ইমামতি করবে। তারা যদি কুরআনে সমকক্ষ হয়, তবে তাদের মধ্যে হিজরতে অগ্রগামী ব্যক্তি তাদের ইমামতি করবে। যদি হিজরাতেও তারা সমান হয়, তবে তাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ্ ব্যক্তি তাদের ইমামতি করবে। কোন ব্যক্তি যেন অপর ব্যক্তির বাড়িতে বা তার প্রভাবাধীন এলাকায় তার সম্মতি ছাড়া ইমামতি না করে এবং তার বাড়িতে তার জন্য নির্দিষ্ট আসনে তার সম্মতি ছাড়া না বসে। [৯৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮০] মুসলিম ৬৭১-২, তিরমিযী ২৩৫, নাসায়ী ৭৮০, ৭৮৩; আবূ দাঊদ ৫৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৯৪, সহীহ আবূ দাউদ ৫৯৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪৭. অধ্যায়ঃ

ইমামের যা কর্তব্য।

৯৮১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ، أَخُو فُلَيْحٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، قَالَ كَانَ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ السَّاعِدِيُّ يُقَدِّمُ فِتْيَانَ قَوْمِهِ يُصَلُّونَ بِهِمْ فَقِيلَ لَهُ تَفْعَلُ وَلَكَ مِنَ الْقِدَمِ مَا لَكَ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ الإِمَامُ ضَامِنٌ فَإِنْ أَحْسَنَ فَلَهُ وَلَهُمْ وَإِنْ أَسَاءَ – يَعْنِي – فَعَلَيْهِ وَلاَ عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা’দ আস-সাঈদি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার গোত্রের যুবকদেরকে (ইমামতির জন্য) এগিয়ে দিতেন। তারা তাদের ইমামতিতে সালাত আদায় করতো। তাকে বলা হল, আপনি এরুপ করছেন, অথচ আপনি (ইসলাম গ্রহনে) প্রবীন। আপনার তা করার কারন কি? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ ইমাম হলেন, যিম্মাদার। তিনি উত্তম করলে (সুচারুরুপে সালাত আদায় করলে) তার জন্য উত্তম, মুক্তাদীদের জন্যও উত্তম (পুরুষ্কার)। তিনি খারাপ করলে তার দায় তার উপর বর্তাবে, মোক্তাদীদের উপর নয়। [৯৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮১] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৭৬৭। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামিদ বিন সুলায়মান সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী, সালিহ জাযারাহ ও ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি গায়ির সিকাহ। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُمِّ غُرَابٍ، عَنِ امْرَأَةٍ، يُقَالُ لَهَا عَقِيلَةُ عَنْ سَلاَمَةَ بِنْتِ الْحُرِّ، أُخْتِ خَرَشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَقُومُونَ سَاعَةً لاَ يَجِدُونَ إِمَامًا يُصَلِّي بِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

খারাশাহ (রাঃ) এর বোন সালামাহ বিনতুল হুর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ লোকের উপর এমন এক সময় আসবে, যখন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের (সলাতে) ইমামতি করার যোগ্য লোক খুজে পাবে না। [৯৮২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮২] আবূ দাঊদ ৫৮১, আহমাদ ২৬৫৯৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৪০৯ যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ ৯০। উক্ত হাদিসের রাবী উম্মু গুরাব (তালহাহ) সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ২. আকীলাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তার সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮৩

حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْهَمْدَانِيِّ، أَنَّهُ خَرَجَ فِي سَفِينَةٍ فِيهَا عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ الْجُهَنِيُّ فَحَانَتْ صَلاَةٌ مِنَ الصَّلَوَاتِ فَأَمَرْنَاهُ أَنْ يَؤُمَّنَا وَقُلْنَا لَهُ إِنَّكَ أَحَقُّنَا بِذَلِكَ أَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَبَى فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ أَمَّ النَّاسَ فَأَصَابَ فَالصَّلاَةُ لَهُ وَلَهُمْ وَمَنِ انْتَقَصَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعَلَيْهِ وَلاَ عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.‏

উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবু আলী) , নৌ ভ্রমনে বের হন, তাতে উকবাহ বিন আমির আল জুহানীও ছিলেন। কোন এক সলাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে আমরা তাকে আমাদের ইমামতি করতে অনুরোধ করলাম এবং তাকে বললাম, নিশ্চয় আমাদের মধ্যে আপনিই এর যোগ্য। আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবী। কিন্তু তিনি (ইমামতি করতে) অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করলো এবং সঠিকভাবে সালাত পড়লো, তাতে তার ও মোক্তাদীদের সালাত হয়ে গেল। কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে কোন ত্রুটি করলো, তার দায় তার উপর বর্তাবে, তাদের উপর নয়। [৯৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৩] আবূ দাঊদ ৫৮০, আহমাদ ১৬৮৫৪, ১৬৮৭২, ১৬৯৪৮, ১৭৩৪০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৫৯৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪৮. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করে সে যেন (সালাত) সহজ (সংক্ষিপ্ত) করে।

৯৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لأَتَأَخَّرُ فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ لِمَا يُطِيلُ بِنَا فِيهَا ‏.‏ قَالَ فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَطُّ فِي مَوْعِظَةٍ أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ يَوْمَئِذٍ ‏ “‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ فَأَيُّكُمْ مَا صَلَّى بِالنَّاسِ فَلْيُجَوِّزْ فَإِنَّ فِيهِمُ الضَّعِيفَ وَالْكَبِيرَ وَذَا الْحَاجَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আল্লহর রসূল! আমি ফজরের সলাতের জামাআতে অমুকের কারনে দেরীতে উপস্থিত হই। কারন তিনি আমাদের সলাতে দীর্ঘ কিরাআত পড়েন। রাবী বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সে দিনের চাইতে আর কোন দিন অধিক রাগান্বিত হয়ে খুতবাহ দিতে দেখিনি “হে লোক সকল! তোমাদের মধ্যে লোকদের ঘৃনা উদ্রেককারী ব্যক্তিও আছে। অতএব তোমাদের কেউ যখন লোকদের নিয়ে সালাত পড়ে তখন সে যেন সংক্ষিপ্ত কিরাআত পড়ে। কেননা তাদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও কর্মব্যস্ত লোকও রয়েছে।” [৯৮৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৪] বুখারী ৯০, ৭০২, ৭০৪, ৬১১০, ৭১৫৯; মুসলিম ৪৬৬, আহমাদ ১৬৬১৭, ১৬৬২৯; দারিমী ১২৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৭০৯

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوجِزُ وَيُتِمُّ الصَّلاَةَ ‏.

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংক্ষেপে অথচ পূর্ণরূপে সালাত আদায় করতেন। [৯৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৫] বুখারী ৭০৬, ৭০৮-১০; মুসলিম ৪৬৯১-৩, ৪৭০, ৪৭৩; তিরমিযী ২৭৩, ৩৭৬; নাসায়ী ৮২৪, আবূ দাঊদ ৮৫৩, আহমাদ ১১৫৭৯, ১১৬৫৬, ১২২৪২, ১২৩২৩, ১২৩৬২, ১২৪৩১, ১২৪৬৬, ১২৭১৩, ১২৭৩৮, ১৩০০১, ১৩০৩৬, ১৩৩৪৭, ১৩৫১৫, ১৩৫৩৩, ১৩৫৫৩, ১৩৫৯৭; দারিমী ১২৬০, মাজাহ ৯৮৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ صَلَّى مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ الأَنْصَارِيُّ بِأَصْحَابِهِ صَلاَةَ الْعِشَاءِ فَطَوَّلَ عَلَيْهِمْ فَانْصَرَفَ رَجُلٌ مِنَّا فَصَلَّى فَأُخْبِرَ مُعَاذٌ عَنْهُ فَقَالَ إِنَّهُ مُنَافِقٌ ‏.‏ فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الرَّجُلَ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخْبَرَهُ مَا قَالَ لَهُ مُعَاذٌ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَتُرِيدُ أَنْ تَكُونَ فَتَّانًا يَا مُعَاذُ إِذَا صَلَّيْتَ بِالنَّاسِ فَاقْرَأْ بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى وَاقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুআয বিন জাবাল আল আনসারী (রাঃ) তার সাথীদের নিয়ে ইশার সালাত পড়লেন। তিনি তাদের সালাত দীর্ঘ করলেন। ফলে আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি (সালাত থেকে) পৃথক হয়ে একাকী সালাত পড়ে। মুআয (রাঃ) কে তার সম্পর্কে অবহীত করা হলে তিনি বলেন, নিশ্চয় সে মুনাফিক। লোকটি তা জানতে পেরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তার সম্পর্কে মুআয (রাঃ) এর মন্তব্য তাঁকে অবহিত করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে মুআয! তুমি কি বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হতে চাও? তুমি যখন লোকদের নিয়ে সালাত পড়বে, তখন সুরাহ আস-শামসি অয়া যুহাহা, সুরাহ আল-আলা, সুরাহ ওয়াল-লাইল ও সুরাহ ইকরা বিসমি রব্বিকা পাঠ করবে। [৯৮৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৬] বুখারী ৭০১, ৭০৫, ৬১০৬; মুসলিম ৪৩১-২, নাসায়ী ৮৩১, ৮৩৫, ৯৮৪, ৯৯৭-৯৮; আবূ দাঊদ ৭৯০, আহমাদ ১৩৭৭৮, ১৩৮৯৫, ১৪৫৪৩; দারিমী ১২৯৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ ইবনু মুয়াঈমাছ ১৬৩৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، يَقُولُ كَانَ آخِرَ مَا عَهِدَ إِلَىَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حِينَ أَمَّرَنِي عَلَى الطَّائِفِ قَالَ لِي ‏ “‏ يَا عُثْمَانُ تَجَاوَزْ فِي الصَّلاَةِ وَاقْدِرِ النَّاسَ بِأَضْعَفِهِمْ فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَالصَّغِيرَ وَالسَّقِيمَ وَالْبَعِيدَ وَذَا الْحَاجَةِ ‏”‏ ‏.‏

মুতাররিফ বিন আব্দুল্লাহ ইবনুস শিখখীর থেকে বর্ণিতঃ

আমি উসমান বিন আবূল আস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তায়েফের আমীর নিয়োগ করাকালে আমার থেকে সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি গ্রহন করে বলেন, হে উসমান! তুমি সালাত সংক্ষেপ করবে এবং লোকদের মধ্যকার দুর্বলদের সামর্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। কেননা তাদের মধ্যে বৃদ্ধ, নাবালেগ, রোগাক্রান্ত ব্যাক্তি, দূরের পথের পথিক এবং কর্মব্যস্ত লোক আছে। [৯৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৭] মুসলিম ৪৬৮, নাসায়ী ৬৭২, আবূ দাঊদ ৫৩১, আহমাদ ১৫৮৩৬, ১৭৪৪২, ১৭৪৪৮, ১৭৪৫৫; মাজাহ ৯৮৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৯৮৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ حَدَّثَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، أَنَّ آخِرَ، مَا قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا أَمَمْتَ قَوْمًا فَأَخِفَّ بِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আবূল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বশেষ আমাকে যা বলেছেন তা হলোঃ যখন তুমি লোকদের ইমামতি করবে, তখন তাদের সালাত সংক্ষেপ করবে। [৯৮৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৮] মুসলিম ৪৬৮, নাসায়ী ৬৭২, আবূ দাঊদ ৫৩১, আহমাদ ১৫৮৩৬, ১৭৪৪২, ১৭৪৪৮, ১৭৪৫৫; মাজাহ ৯৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৪৯. অধ্যায়ঃ

উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ইমামের সালাত সংক্ষিপ্ত করা।

৯৮৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنِّي لأَدْخُلُ فِي الصَّلاَةِ وَأَنَا أُرِيدُ إِطَالَتَهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ فِي صَلاَتِي مِمَّا أَعْلَمُ لِوَجْدِ أُمِّهِ بِبُكَائِهِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি সালাত শুরু করে তা দীর্ঘায়িত করার সংকল্প করি। কিন্তু আমি শিশুদের কান্না শুনতে পাই এবং তাতে তার মায়ের বিচলিত হওয়ার কথা চিন্তা করে আমার সালাত সংক্ষিপ্ত করি। [৯৮৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৮৯] বুখারী ৭০৬, ৭০৮-১০; মুসলিম ৪৬৯১-৩, ৪৭০, ৪৭৩; তিরমিযী ২৭৩, ৩৭৬; নাসায়ী ৮২৪, আবূ দাঊদ ৮৫৩, আহমাদ ১১৫৭৯, ১১৬৫৬, ১২২৪২, ১২৩২৩, ১২৩৬২, ১২৪৩১, ১২৪৬৬, ১২৭১৩, ১২৭৩৮, ১৩০০১, ১৩০৩৬, ১৩৩৪৭, ১৩৫১৫, ১৩৫৩৩, ১৩৫৫৩, ১৩৫৯৭; দারিমী ১২৬০, মাজাহ ৯৮৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯০

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي كَرِيمَةَ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُلاَثَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنِّي لأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ فِي الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আবুল আস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আমি শিশুর কান্না শুনতে পাই এবং আমার সালাত সংক্ষিপ্ত করি।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন উলাসাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও মুহাম্মাদ বিন সা’দ সিকাহ বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে দুর্বলতা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীলযোগ্য হবে না। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

৯৯১

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنِّي لأَقُومُ فِي الصَّلاَةِ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُطَوِّلَ فِيهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ كَرَاهِيَةَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمِّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আমি সলাতে দাঁড়িয়ে তা দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা করি। কিন্তু আমি শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে সালাত সংক্ষিপ্ত করি, তার মায়ের কষ্ট হওয়ার আশংকায়। [৯৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯১] বুখারী ৭০৭, ৮৬৮; নাসায়ী ৮২৫, আবূ দাঊদ ৭৮৯, আহমাদ ২২০৯৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৫৫

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫০. অধ্যায়ঃ

সলাতের কাতার ঠিকঠাক করা।

৯৯২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ السُّوَائِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا قَالَ ‏”‏ يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন সামুরা আস-সুওয়ায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাবধান! তোমরা এমনভাবে কাতারবন্দী হও যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের প্রভুর নিকট কাতারবন্দী হন। রাবী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ফেরেশতারা তাদের প্রভুর সামনে কিভাবে কাতারবন্দী হন? তিনি বলেন, তারা প্রথম সারিগুলো আগে পূর্ণ করেন এবং সারিতে গায়ে গায়ে লেগে দাঁড়ান। [৯৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯২] মুসলিম ৪৩০, নাসায়ী ৭৩৮, ৮১৬; আবূ দাঊদ ৬৬১, আহমাদ ২০৪৫০, ২০৫১৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৪৯৬, সহীহ আবূ দাউদ ৬৬৭

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبِي وَبِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ مِنْ تَمَامِ الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করো। কারণ কাতার সোজা করা সালাত পূর্ণ করার অন্তর্ভুক্ত। [৯৯৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯৩] বুখারী ৭১৮, ৭২৩; মুসলিম ৪৩৩, নাসায়ী ৮১৪-১৫, ৮৪৫; আবূ দাঊদ ৬৬৭-৬৯, ৬৭১; আহমাদ ১১৬০০, ১২৪০১, ১২৪২৯, ১২৪৭৩, ১৩২৫২, ১৩৩৬৬, ১৩৪৮৩, ১৩৫৫৭, ১৩৬৮২; দারিমী ১২৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৭৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُسَوِّي الصَّفَّ حَتَّى يَجْعَلَهُ مِثْلَ الرُّمْحِ أَوِ الْقِدْحِ ‏.‏ قَالَ فَرَأَى صَدْرَ رَجُلٍ نَاتِئًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ “‏ سَوُّوا صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বর্শা অথবা তীরের মত স্বলাতের কাতার সোজা করতেন। রাবী বলেন, তিনি এক ব্যক্তির বুক একটু বাইরে অগ্রসর দেখতে পান। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করো, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখমন্ডলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন। [৯৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯৪] বুখারী ৭১৭, মুসলিম ৪৩১-২, তিরমিযী ২২৭, নাসায়ী ৮১০, আবূ দাঊদ ৬৬২-৬৫, আহমাদ ১৭৯১৮, ১৭৯৩৩, ১৭৯৫৯, ১৭৯৭২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৬৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯৫

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُونَ الصُّفُوفَ وَمَنْ سَدَّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যারা কাতারগুলো মিলিয়ে রাখে তাদের প্রতি আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগন রহমত বর্ষণ করেন। যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁক বন্ধ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। [৯৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯৫] আহমাদ ২৪০৬৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৮৯২, ২৫৩২; যঈফাহ ১০৪। ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫১. অধ্যায়ঃ

সামনের কাতারের ফযীলত।

৯৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِي مَرَّةً ‏.‏

ইরবাদ বিন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম কাতারের লোকের জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকের জন্য একবার। [৯৯৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯৬] নাসায়ী ৮১৭, আহমাদ ১৬৬৯১, ১৬৬৯৮, ১৬৭০৬; দারিমী ১২৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ مُصَرِّفٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْسَجَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصُّفُوفِ الأُوَلِ ‏”‏ ‏.‏

বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের লোকের উপর রহমত বর্ষণ করেন। [৯৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯৭] নাসায়ী ৮১১, আবূ দাঊদ ৬৬৪, আহমাদ ১৮০৪৫, ১৮১৪২, ১৮১৪৭, ১৮১৬৬, ১৮১৭২; দারিমী ১২৬৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৭০, মিশকাত ১১০১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو ثَوْرٍ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلاَسٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الصَّفِّ الأَوَّلِ لَكَانَتْ قُرْعَةٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লোকেরা যদি জানতো যে, প্রথম কাতারে কী (মর্যাদা) আছে, তাহলে (প্রথম কাতারে দাঁড়াতে) লটারীর ব্যবস্থা করতে হতো। [৯৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯৯৮।] বুখারী ৬১৫, ৬৫৪, ৭২১, ২৬৮৯; মুসলিম ৪৩৭, ৪৩৯; তিরমিযী ২২৫, নাসায়ী ৪৫০, ৬৭১; আহমাদ ৭১৮৫, ৭৬৮০, ৭৯৬২, ৮৬৫৫, ২৭৩৩০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫১, ২৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৪৮৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুর রহমান বিন আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের লোকদের উপর রহমত নাযিল করেন।[৯৯৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ২. মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ইমাম নাসাঈ তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫/৫২. অধ্যায়ঃ

মহিলাদের কাতার।

১০০০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ خَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মহিলাদের কাতারগুলোর মধ্যে (নেকীর দিক থেকে) উত্তম হলো শেষ কাতার এবং তাদের জন্য মন্দ কাতার (কম নেকীর) হলো তাদের প্রথম কাতার। পুরুষদের কাতারগুলোর মধ্যে উত্তম হলো প্রথম কাতার এবং তাদের জন্য মন্দ হলো তাদের শেষ কাতার। [১০০০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০০] মুসলিম ৪৪০, তিরমিযী ২২৪, নাসায়ী ৮২০, আবূ দাঊদ ৬৭৮, আহমাদ ৭৩১৫, ৮২২৩, ৮২৮১, ৮৪৩০, ৮৫৮০, ৯৯১৭; দারিমী ১২৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৪৮৮, সহীহ আবী দাউদ ৬৮১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ مُقَدَّمُهَا وَشَرُّهَا مُؤَخَّرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ مُؤَخَّرُهَا وَشَرُّهَا مُقَدَّمُهَا ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পুরুষদের কাতারগুলোর মধ্যে উত্তম হলো তাদের সামনের (প্রথম) কাতার এবং মন্দ হলো তাদের পেছনের (শেষ) কাতার। মহিলাদের কাতারগুলোর মধ্যে উত্তম হলো তাদের পেছনের (সর্বশেষ) কাতার এবং মন্দ হলো তাদের সামনের কাতার। [১০০১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০১] আহমাদ ১৩৭০৯, ১৪১৪১, ১৪৭৪১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আকীল সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল মুনকার বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫/৫৩. অধ্যায়ঃ

দু’ খুঁটি বা খামের মাঝখানের কাতারে সালাত পড়া।

১০০২

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ أَبُو طَالِبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَأَبُو قُتَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا نُنْهَى أَنْ نَصُفَّ، بَيْنَ السَّوَارِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنُطْرَدُ عَنْهَا طَرْدًا ‏.‏

মুআবিয়াহ বিন কুররাহ থেকে বর্ণিতঃ

তার পিতা (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যমানায় আমাদেরকে দু’ খুঁটির মাঝখানে কাতারবন্দী হতে নিষেধ করা হতো এবং আমাদেরকে কঠোরভাবে বিরত রাখা হতো।[১০০২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০২] হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ-৬৭৭, সহীহাহ ৩৩৫। উক্ত হাদিসের রাবী হারুন বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫/৫৪. অধ্যায়ঃ

কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে সালাত পড়া।

১০০৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَدْرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ – وَكَانَ مِنَ الْوَفْدِ – قَالَ خَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَبَايَعْنَاهُ وَصَلَّيْنَا خَلْفَهُ ثُمَّ صَلَّيْنَا وَرَاءَهُ صَلاَةً أُخْرَى فَقَضَى الصَّلاَةَ فَرَأَى رَجُلاً فَرْدًا يُصَلِّي خَلْفَ الصَّفِّ ‏.‏ قَالَ فَوَقَفَ عَلَيْهِ نَبِيُّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حِينَ انْصَرَفَ قَالَ ‏ “‏ اسْتَقْبِلْ صَلاَتَكَ لاَ صَلاَةَ لِلَّذِي خَلْفَ الصَّفِّ ‏”‏ ‏.‏

আলী বিন শায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক প্রতিনিধি দল রওয়ানা হয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দরবারে উপস্থিত হলাম। আমরা তাঁর নিকট বাইআত (ইসলাম) গ্রহণ করলাম এবং তাঁর পিছনে সালাত পড়লাম, অতঃপর তাঁর পিছনে আরো এক ওয়াক্তের সালাত পড়লাম। তিনি সালাত শেষে এক ব্যক্তিকে কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে দেখলেন। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট থামলেন এবং সে সালাত শেষ করলে তিনি তাকে বলেন তুমি পুনরায় সালাত পড়ো। কারণ যে ব্যক্তি কাতারের পেছনে এককী দাঁড়ায় তার সালাত হয় না। [১০০৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৩] আহমাদ ১৫৮৬২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩২৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ أَخَذَ بِيَدِي زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ فَأَوْقَفَنِي عَلَى شَيْخٍ بِالرَّقَّةِ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ فَقَالَ صَلَّى رَجُلٌ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُعِيدَ ‏.‏

ওয়াবিসাহ বিন মা‘বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিলাল বলেন, যিয়াদ বিন আবূল জা‘দ আমার হাত ধরে আর-রাক্কা নামক স্থানে ওয়াবিসাহ বিন মা‘বাদ (রাঃ) নামক প্রবীণ ব্যক্তির নিকট নিয়ে যান। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি কাতারের পিছনে এককী সালাত পড়লে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে তা পুনর্বার পড়ার নিদের্শ দেন। [১০০৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৪] তিরমিযী ২৩০-৩১, আবূ দাঊদ ৬৮২, আহমাদ ১৭৫৩৯, ১৭৫৪১; দারিমী ১২৮৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৪১, মিশকাত ১১০৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫৫. অধ্যায়ঃ

কাতারের ডান দিকে দাঁড়ানোর ফযীলত।

১০০৫

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى مَيَامِنِ الصُّفُوفِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাকগণ কাতারসমূহের ডান দিকের (মুসল্লিদের) উপর রহমত বর্ষণ করেন।[১০০৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৫] আবূ দাঊদ ৬৭৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৬৭৬ হাসান, জামি সগীর ১৬৬৮ যঈফ, মিশকাত ১০৯৬ হাসান, যঈফ তারগহীব ২৫৯ যঈফ, রিয়াদুস সালিহীনর ১১০১ শায, যঈফ আবূ দাউদ ১০৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুআবিয়াহ বিন হিশাম সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০০৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ ابْنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – قَالَ مِسْعَرٌ – مِمَّا نُحِبُّ أَوْ مِمَّا أُحِبُّ أَنْ نَقُومَ عَنْ يَمِينِهِ ‏.‏

আল-বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পেছনে সালাত পড়তাম তখন কাতারের ডান দিকে দাঁড়াতে পছন্দ করতাম।[১০০৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৬] মুসলিম ৭০৯, নাসায়ী ৮২২, আবূ দাঊদ ৬১৫, আহমাদ ১৮০৮২, ১৮৩৩৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৫০০, সহীহ আবী দাউদ ৬২৮

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০০৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ أَبُو جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْكِلاَبِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قِيلَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنَّ مَيْسَرَةَ الْمَسْجِدِ تَعَطَّلَتْ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ عَمَّرَ مَيْسَرَةَ الْمَسْجِدِ كُتِبَ لَهُ كِفْلاَنِ مِنَ الأَجْرِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলা হলো, মাসজিদের বাম দিক খালি হয়ে গেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি মাসজিদের বাম দিকের খালি জায়গা পূর্ণ করবে, তার জন্য দ্বিগুণ পুরস্কার লিপিবদ্ধ করা হয়।[১০০৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৭] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ তারগীব ২৬৪ যঈফ, তালীকুর রগীব ১৭৫। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আমর বিন উসমান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইবনু আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল উকায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। আল-আযদী বলেন, তার হাদিস দুর্বল। ২. লায়স বিন আবু সালিম সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫৬. অধ্যায়ঃ

কিবলার বর্ণনা।

১০০৮

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ طَوَافِ الْبَيْتِ أَتَى مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا مَقَامُ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ الَّذِي قَالَ اللَّهُ ‏{وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى }‏ ‏.‏ قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِمَالِكٍ أَهَكَذَا قَرَأَ ‏{وَاتَّخِذُوا}‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ (কা‘বা ঘর) তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীমে আসেন। তখন উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! এটা তো আমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) -এর মাকাম, যে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন (অনুবাদ) : “তোমারা মাকামে ইবরাহীমকে সলাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো” (সূরা বাকারাঃ ১২৫)। ওলীদ বিন মুসলিম (রাঃ) বলেন, আমি ইমাম মালিক (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এভাবে “ওয়াত্তাখিযু” পড়েছেন? তিনি বলেন, হাঁ।[১০০৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৮] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭; মুসলিম ১২১৩, ১২১৫, ১২১১-৫, ১২১১-৩, ১২৬১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯; তিরমিযী ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬; নাসায়ী ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯; আবূ দাঊদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯; আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০; দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯; মাজাহ ২৯১৩, ২৯১৯, ২৯৫১, ২৯৬০, ২৯৬৬, ২৯৭২-৭৩, ২৯৮০, ৩০২৩, ৩০৭৪, ৩০৭৬, ৩১৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: । তাখরীজ আলবানী: ইবনু মাজাহ ২৯৬০ সহীহ, মিশকাত ২৫৫৫ সহীহ।

 

উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্বাস বিন উসমান দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল মুনকার

  •  সরাসরি

১০০৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اتَّخَذْتَ مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى فَنَزَلَتْ ‏{وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى}‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক থেকে বর্ণিতঃ

উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনি মাকামে ইবরাহীমকে সলাতের স্থানরূপে গ্রহণ করতেন! তখন নাযিল হলোঃ “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়ানোর স্থানকে সলাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো” (সূরা বাকারাঃ ১২৫)।[১০০৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০০৯] বুখারী ৪০২, ৪৪৮৩; মুসলিম ২৩৯৯, তিরমিযী ২৯৫৯-৬০, আহমাদ ১৫৮, দারিমী ১৮৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১০

حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ عَمْرٍو الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَصُرِفَتِ الْقِبْلَةُ إِلَى الْكَعْبَةِ بَعْدَ دُخُولِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ بِشَهْرَيْنِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَكْثَرَ تَقَلُّبَ وَجْهِهِ فِي السَّمَاءِ وَعَلِمَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِ نَبِيِّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ يَهْوَى الْكَعْبَةَ فَصَعِدَ جِبْرِيلُ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ وَهُوَ يَصْعَدُ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ يَنْظُرُ مَا يَأْتِيهِ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏{قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ}‏ الآيَةَ فَأَتَانَا آتٍ فَقَالَ إِنَّ الْقِبْلَةَ قَدْ صُرِفَتْ إِلَى الْكَعْبَةِ وَقَدْ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَنَحْنُ رُكُوعٌ فَتَحَوَّلْنَا فَبَنَيْنَا عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلاَتِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ يَا جِبْرِيلُ كَيْفَ حَالُنَا فِي صَلاَتِنَا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ}‏ ‏.‏

আল-বারা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আঠার মাস যাবত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে বাইতুল মাকদিসের দিকে মুখ করে সালাত পড়ি। তাঁর হিজরত করে মদীনাহ্য় আসার দু’মাস পর কাবা শরীফের দিকে কিবলা পরিবর্তিত করা হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বাইতুল মাকদিসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতেন, তখন অধিকাংশ সময় তিনি তাঁর মুখমণ্ডল আকাশের দিকে ফিরাতেন। আল্লাহ তাঁর নবীর মনের আকাঙ্খা জানতেন যে, তিনি কাবাকে পছন্দ করেন। জিবরাঈল (আঃ) আরোহণ করেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দৃষ্টি তাঁর অনুসরণ করে। তিনি আসমান ও যমীনের মাঝখান দিয়ে অগ্রসর হন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লক্ষ্য করেন, তিনি কী হুকুম নিয়ে আসেন তাঁর জন্য। তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “আকাশের দিকে তোমর বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি ….” (সূরা বাকারাঃ ১৪৪)। এরপর আমাদের কাছে একজন আগন্তুক এসে বলেন, নিশ্চয় কিবলা তো কাবার দিকে পরিবর্তিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বায়তুল মাকদিসকে কিবলা করে আমাদের দু’রাকআত সালাত পড়া হয়েছে। আমরা রুকূ‘তে থাকা অবস্থায় (নতুন) কিবলার দিকে ঘুরে গেলাম এবং আমাদের অবশিষ্ট সালাত বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে পড়লাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে জিবরাঈল! আমাদের বাইতুল মাকদিসের সলাতের অবস্থা কী? তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমদের ঈমান নষ্ট করবেন” (সূরা বাকারাঃ ১৪৩)। [১০১০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১০] বুখারী ৪১, ৩৯৯, ৪৪৮৬, ৪৪৯২, ৭২৫২; মুসলিম ৫২১-২, তিরমিযী ৩৪০, নাসায়ী ৪৮৮-৮৯, ৭৪২; আহমাদ ১৮০২৬, ১৮০৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী আলকামাহ বিন আমর আদ-দারিমী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

১০১১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قِبْلَةٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানে কিবলা অবস্থিত। [১০১১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১১] তিরমিযী ৩৪২, ৩৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭১৫, ইরওয়াহ ২৯২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫৭. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করলো, সে সালাত না পড়া পর্যন্ত বসবে না।

১০১২

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى يَرْكَعَ رَكْعَتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ মাসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন দু’ রাকআত সালাত না পড়া পর্যন্ত না বসে।[১০১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ সম্পর্কে মাসলামাহ বিন কাসিম তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. কাসীর বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু আম্মার সিকাহ বললেও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার মাঝে দুর্বলতা আছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার মাঝে খারাফ কিছু দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে খারাফ কিছু নেই। ৩. মুত্তালিব বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইরসাল করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় কারণ তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ইরসাল করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

১০১৩

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ ‏”‏ ‏.‏

হারিস বিন রিবঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার আগে দু’ রাকআত সালাত পড়ে।[১০১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৩] বুখারী ৪৪৪, ১১৬৭; মুসলিম ৭১৪, তিরমিযী ৩১৬, নাসায়ী ৭৩০, আবূ দাঊদ ৪৬৭, আহমাদ ২২০১৭, ২২০২৩, ২২০৭২, ২২০৮৮, ২২১৪৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৮৮, দারিমী ১৩৯৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৬৭, সহীহ আবূ দাউদ ৪৮৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫৮. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি রসুন খেয়েছে সে যেন মাসজিদে প্রবেশ না করে।

১০১৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيِّ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَطِيبًا – أَوْ خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ – فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أُرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الثُّومُ وَهَذَا الْبَصَلُ وَلَقَدْ كُنْتُ أَرَى الرَّجُلَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوجَدُ رِيحُهُ مِنْهُ فَيُؤْخَذُ بِيَدِهِ حَتَّى يُخْرَجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ كَانَ آكِلَهَا لاَ بُدَّ فَلْيُمِتْهَا طَبْخًا ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জুমুআহর খুতবাহ দিতে দাঁড়ান অথবা তিনি জুমুআহর দিন খুতবাহ দেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেন, হে লোকসকল! তোমরা দু’টি গাছ খেয়ে থাকো, আমার দৃষ্টিতে তা নিকৃষ্টঃ এই রসুন ও এই পিয়াজ। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে দেখতাম, যার মুখ থেকে এর দুর্গন্ধ পাওয়া যেতো, তার হাত ধরে তাকে আল-বাকী নামক স্থানের দিকে বের করে দেয়া হতো। অতএব যে ব্যক্তি তা খেতেই চায়, সে যেন তা রান্না করে খায়। [১০১৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৪] মুসলিম ৫৬৭, নাসায়ী ৭০৮, আহমাদ ৯০, ৪৪৩; মাজাহ ৩৩৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৫

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الثُّومِ فَلاَ يُؤْذِينَا بِهَا فِي مَسْجِدِنَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَكَانَ أَبِي يَزِيدُ فِيهِ الْكُرَّاثَ وَالْبَصَلَ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ يَعْنِي أَنَّهُ يَزِيدُ عَلَى حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي الثُّومِ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই গাছ অর্থাৎ রসুন খায়, সে যেন তার দ্বারা আমাদের এই মাসজিদে (এসে) আমাদের কষ্ট না দেয়। ইবরাহীম বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, আমার পিতা এর সাথে দুর্গন্ধযুক্ত তরকারী ও পিঁয়াজকে শামিল করতেন। অর্থাৎ তিনি রসুন সম্পর্কিত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের সাথে ঐগুলোকেও যোগ করতেন।[১০১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৫] মুসলিম ৫৬৩, আহমাদ ৭৫২৯, ৭৫৫৫, ৯২৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ২০৬ পৃষ্ঠা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ شَيْئًا فَلاَ يَأْتِيَنَّ الْمَسْجِدَ ‏”‏ ‏.

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই গাছের কিছু খায়, সে যেন মাসজিদে না আসে। [১০১৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৬] বুখারী ৮৫৩, ৪২১৫; মুসলিম ৫৬১-২, আবূ দাঊদ ৩৮২৫, দারিমী ২০৫৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৫৯. অধ্যায়ঃ

সালাতরত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া হলে সে কিভাবে উত্তর দিবে।

১০১৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَسْجِدَ قُبَاءٍ يُصَلِّي فِيهِ فَجَاءَتْ رِجَالٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ فَسَأَلْتُ صُهَيْبًا وَكَانَ مَعَهُ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ قَالَ كَانَ يُشِيرُ بِيَدِهِ ‏.

আবদুল্লাহ ইন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়ার জন্য কুবা মাসজিদে আসেন। তখন একদল আনসারী তাঁকে সালাম দিতে আসেন। আমি তাঁর সঙ্গী সুহাইব (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে তাদের সালামের জবাব দিতেন? তিনি বলেন, তিনি তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করতেন।[১০১৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৭] নাসায়ী ১১৮৬-৮৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮৬০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ بَعَثَنِي النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِحَاجَةٍ ثُمَّ أَدْرَكْتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَأَشَارَ إِلَىَّ فَلَمَّا فَرَغَ دَعَانِي فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّكَ سَلَّمْتَ عَلَىَّ آنِفًا وَأَنَا أُصَلِّي ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বিশেষ কাজে আমাকে পাঠান। আমি ফিরে এসে তাঁকে সালাতরত অবস্থায় পেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলে তিনি আমার দিকে ইশারা করেন। তিনি সালাত শেষ করে আমাকে ডেকে বলেন, তুমি এইমাত্র আমাকে সালাম দিয়েছো এবং আমি তখন সালাত পড়ছিলাম? [১০১৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৮] মুসলিম ৫৪০/১-২, নাসায়ী ১১৮৯-৯০, আবূ দাঊদ ৯২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮৫৯

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০১৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ فَقِيلَ لَنَا إِنَّ فِي الصَّلاَةِ لَشُغْلاً ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা সালাতরত অবস্থায় সালাম দিতাম। আমাদের বলা হলোঃ সলাতের মধ্যে অবশ্যই একটা ব্যস্ততা আছে।[১০১৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০১৯] বুখারী ১১৯৯, ১২১৬, ৩৮৭৫; মুসলিম ৫৩৮, নাসায়ী ১২২০-২১, আবূ দাঊদ ৯২৩-২৪, আহমাদ ৩৫৫৩, ৩৮৭৪, ৩৯৩৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮৫৬

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/৬০. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশত কিবলার ভিন্ন দিকে সালাত পড়ে।

১০২০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو الرَّبِيعِ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَتَغَيَّمَتِ السَّمَاءُ وَأَشْكَلَتْ عَلَيْنَا الْقِبْلَةُ فَصَلَّيْنَا وَأَعْلَمْنَا فَلَمَّا طَلَعَتِ الشَّمْسُ إِذَا نَحْنُ قَدْ صَلَّيْنَا لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏{فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ}‏ ‏.‏

রবীআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক সফরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম) -এর সাথে ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় কিবলা নির্ণয় করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়লো। আমরা সালাত পড়লাম এবং একটি চিহ্ন রাখলাম। এরপর সূর্য উদ্ভাসিত হলে আমরা বুঝতে পারলাম যে, আমরা কিবলা ছাড়া অন্যদিকে সালাত আদায় করেছি। আমরা বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উত্থাপন করলাম। তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ্‌র দিক” (সূরা বাকারাঃ ১১৫)। [১০২০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০২০] তিরমিযী ৩৪৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৯১। উক্ত হাদিসের রাবী আশআস বিন সাঈদ আবু রাবী আস সাম্মান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল মুদতারাব বলেছেন। ইবনু মাহদী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। আমর বিন ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২. আসিম বিন উবায়দুল্লাহ বিন আমির বিন রাবীআহ সম্পর্কে ইবনু মাহদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক মুনকার। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার মাধ্যমে দলীল গ্রহন করা যাবে না।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস