ইবনে মাজাহ সালাত আদায় করা ও তার নিয়ম কানুন অধ্যায় ৬ষ্ঠ ভাগ হাদিস নং ১৩২৯ – ১৪৩২

৫/১৭৪. অধ্যায়ঃ

রাতে ইবাদাতে দণ্ডায়মান হওয়া (কিয়ামুল লাইল)

১৩২৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَعْقِدُ الشَّيْطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأْسِ أَحَدِكُمْ بِاللَّيْلِ بِحَبْلٍ فِيهِ ثَلاَثُ عُقَدٍ فَإِنِ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللَّهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَإِذَا قَامَ فَتَوَضَّأَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَإِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّهَا فَيُصْبِحُ نَشِيطًا طَيِّبَ النَّفْسِ قَدْ أَصَابَ خَيْرًا وَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ أَصْبَحَ كَسِلاً خَبِيثَ النَّفْسِ لَمْ يُصِبْ خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের বেলা শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের মাথায় একটি দড়ি দিয়ে তিনটি গিরা দেয়। সে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করলে একটি গিরা খুলে যায়। সে উঠে উযু করলে আরেকটি গিরা খুলে যায়। অতঃপর সে যখন সলাতে দাঁড়ায় তখন সমস্ত গিরা খুলে যায়। ফলে সে প্রসস্ত মনে হৃষ্টচিত্তে ভোরে উপনীত হয় এবং কল্যাণপ্রাপ্ত হয়। আর সে যদি এরূপ না করে, তবে তার ভোর হয় অলসতা এবং অপবিত্র মন নিয়ে। ফলে সে কল্যাণ লাভ করতে পারে না। [১৩২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩২৯] বুখারী ১১৪২, ৩২৬৯; মুসলিম ৭৭৬, নাসায়ী ১৬০৭, আবূ দাঊদ ১৩০৬, আহমাদ ৭২৬৬, ৭৩৯২, ১০০৭৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬০৯, সহীহ আবী দাউদ ১১৭৯

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ قَالَ ‏ “‏ ذَلِكَ الشَّيْطَانُ بَالَ فِي أُذُنَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (বিন মাসউদ বিন গাফিল বিন হাবীব) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা হল যে, সে এক ঘুমে রাত কাটিয়ে ভোরে উপনীত হয়। তিনি বলেন, এ ব্যক্তির দু’কানে শয়তান পেশাব করে দিয়েছে। [১৩৩০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩০] বুখারী ১১৪৪, ৩২৭০; মুসলিম ৭৭৪, নাসায়ী ১৬০৮-৯, আহমাদ ৩৫৪৭, ৪০৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬৪০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلاَنٍ كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.

আবদুল্লাহ্‌ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তুমি অমুক ব্যক্তির মত হয়ো না, যে রাতে উঠতো (নফল ইবাদত করতো), পরে তা ছেড়ে দিয়েছে। [১৩৩১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩১] বুখারী ১১৫২, মুসলিম ১১৫৯, নাসায়ী ১৭৬৩-৬৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الْحَدَثَانِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُنَيْدُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ لِسُلَيْمَانَ يَا بُنَىَّ لاَ تُكْثِرِ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَإِنَّ كَثْرَةَ النَّوْمِ بِاللَّيْلِ تَتْرُكُ الرَّجُلَ فَقِيرًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সুলায়মান (আঃ)-এর মা তাঁকে বললেন, হে বৎস! তুমি রাতে অধিক ঘুমিও না। কেননা রাতের অধিক ঘুম মানুষকে কিয়ামাতের দিন নিঃস্ব অবস্থায় ত্যাগ করে। [১৩৩২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩২] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: রওযুল নামীর ২২২, তালীকুর রগীব ২২৭। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর আল-হামদানী সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি অপরিচিত। ২. সুনায়দ বিন দাউদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু দুর্বল। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন। ৩. শারীক সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যখন তার হাদিস সিকাহ রাবীর বিপরীত হয় তখন তিনি তার মত পরিবর্তন করে নেন। এটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তাকে হাদিস সংমিশ্রণ করতে দেখেছি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩৩

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّلْحِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ مُوسَى أَبُو يَزِيدَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ كَثُرَتْ صَلاَتُهُ بِاللَّيْلِ حَسُنَ وَجْهُهُ بِالنَّهَارِ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে অধিক পরিমাণ সালাত পড়ে, দিনে তার চেহারা উজ্জ্বল হয়। [১৩৩৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৩] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৮১ যঈফ, যঈফা ৪৫৪৪ মাওযূ, যঈফাহ ৪৬৪৪।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَدِينَةَ انْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ ‏.‏ وَقِيلَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَجِئْتُ فِي النَّاسِ لأَنْظُرَ إِلَيْهِ فَلَمَّا اسْتَبَنْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ ‏ “‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلاَمَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ বিন সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদিনায় পদার্পণ করলে লোকেরা তাঁকে দেখার জন্যে ভীড় জমায় এবং বলাবলি হয় যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসেছেন। আমিও লোকেদের সাথে তাঁকে দেখতে গেলাম। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম যে, এ চেহারা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। তখন তিনি সর্বপ্রথম যে কথা বললেন তা হলো : হে লোকসকল! তোমারা পরস্পর সালাম বিনিময় করো, অভুক্তকে আহার করাও এবং রাতের বেলা মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত পড়ো। তাহলে তোমারা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। [১৩৩৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৪] তিরমিযী ২৪৮৫, দারিমী ১৪৬০, ইবনু মাজাহ ৩২৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৩৯, সহীহ তারগীব ৬১২, সহীহাহ ৫৬৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৭৫. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি রাতে নিজের পরিজনকে (ইবাদাতের জন্যে) ঘুম থেকে জাগায়।

১৩৩৫

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا اسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ مِنَ اللَّيْلِ وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّيَا رَكْعَتَيْنِ كُتِبَا مِنَ الذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ ‏”‏ ‏.

আবু সাঈদ ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগ্রত করে উভয়ে দু’ রাকআত (নফল) সালাত পড়ে, তাদের উভয়কে আল্লাহ্‌র পর্যাপ্ত যিক্‌রকারী পুরুষ ও পর্যাপ্ত যিক্‌রকারী স্ত্রীলোকদের তালিকাভুক্ত করা হয়। [১৩৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৫] আবূ দাঊদ ১৩০৯, ১৪৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২৩৮, সহীহ আবী দাউদ ১১৮২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ رَحِمَ اللَّهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ فَإِنْ أَبَتْ رَشَّ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ رَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى فَإِنْ أَبَى رَشَّتْ فِي وَجْهِهِ الْمَاءَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অনুগ্রহ ধন্য করুন, যে রাতে উঠে সালাত পড়ে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায়, তারপর সেও সালাত পড়ে। আর যদি সে (স্ত্রী) জাগতে অস্বীকার করে, তাহলে স্বামী তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ সেই মহিলাকে অনুগ্রহ ধন্য করুন, যে রাতে উঠে সালাত পড়ে এবং তার স্বামীকেও জাগায়, আর সেও সালাত পড়ে। স্বামী জাগতে অস্বীকার করলে, সে তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দেয়। [১৩৩৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৬] নাসায়ী ১৬১০, আবূ দাঊদ ১৩০৮, ১৪৫০; আহমাদ ৭৩২২, ৭৩৬২, ৯৩৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২৩০, সহীহ আবী দাউদ ১১৮১।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫/১৭৬. অধ্যায়ঃ

সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করা।

১৩৩৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَشِيرِ بْنِ ذَكْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو رَافِعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَقَدْ كُفَّ بَصَرُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ أَنْتَ فَأَخْبَرْتُهُ ‏.‏ فَقَالَ مَرْحَبًا بِابْنِ أَخِي بَلَغَنِي أَنَّكَ حَسَنُ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ نَزَلَ بِحُزْنٍ فَإِذَا قَرَأْتُمُوهُ فَابْكُوا فَإِنْ لَمْ تَبْكُوا فَتَبَاكَوْا وَتَغَنَّوْا بِهِ فَمَنْ لَمْ يَتَغَنَّ بِهِ فَلَيْسَ مِنَّا ‏”‏ ‏.

আবদুর রহমান ইবনুস সায়িব (মাকবূল) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সা‘দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) আমাদের নিকট এলেন। তখন তার দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছিল। আমি তাকে সালাম দিলে তিনি বলেন, তুমি কে? আমি তাকে আমার পরিচয় দিলে তিনি বলেন, মারহাবা, হে ভাতিজা! আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি সুকন্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করো। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : নিশ্চয় এই কুরআন দুশ্চিন্তার সাথে নাযিল হয়েছে। অতএব তোমরা যখন কুরআন তিলাওয়াত করো, তখন কাঁদো। যদি তোমরা কাঁদতে না পারো, তাহলে কান্নার ভাব জাগ্রত করো এবং সুমধুর স্বরে কুরআন তিলাওয়াত করো। যে ব্যক্তি সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করে না, সে আমাদের নয়। [১৩৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৭] আবূ দাঊদ ১৪৬৯, আহমাদ ১৪৭৯, ১৫১৫, ১৫৫২। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ২১৫, কিন্তু সুমধুর কন্ঠে পাঠ করা থেকে সহীহ, সিফাতুস, সলাহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু রাফি’ (ইসমাইল বিন রাফি’) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩৮

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَابِطٍ الْجُمَحِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ أَبْطَأْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَيْلَةً بَعْدَ الْعِشَاءِ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ ‏”‏ أَيْنَ كُنْتِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ كُنْتُ أَسْتَمِعُ قِرَاءَةَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِكَ لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَ قِرَاءَتِهِ وَصَوْتِهِ مِنْ أَحَدٍ ‏.‏ قَالَتْ فَقَامَ وَقُمْتُ مَعَهُ حَتَّى اسْتَمَعَ لَهُ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ فَقَالَ ‏”‏ هَذَا سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي أُمَّتِي مِثْلَ هَذَا ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে এক রাতে আমি ইশার পর খানিকটা বিলম্বে ঘরে আসি। তিনি বলেন, তুমি কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমি আপনার সহাবীদের একজনের কুরআন তিলাওয়াত শুনছিলাম। আমি কখনো তার মত সুকন্ঠ কারো তিলাওয়াত শুনিনি। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি কুরআন তিলাওয়াত শুনতেই উঠে গেলেন এবং আমিও তাঁর সাথে উঠে গেলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, এতো আবূ হুযাইফাহর মুক্তদাস সালিম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমার উম্মাতের মধ্যে এরূপ ব্যক্তি সৃষ্টি করেছেন। [১৩৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৮] আহমাদ ২৪৭৯২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৩৯

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ صَوْتًا بِالْقُرْآنِ الَّذِي إِذَا سَمِعْتُمُوهُ يَقْرَأُ حَسِبْتُمُوهُ يَخْشَى اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মানুষের মধ্যে সুকন্ঠে কুরআন তিলাওয়াতকারী সেই ব্যক্তি যার তিলাওয়াত শুনে তোমাদের ধারণা হয় যে, সে আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। [১৩৩৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৩৯] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর গীবত ২১৫। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন জা’ফার আল মাদানী সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ২. ইবরাহীম বিন ইসমাইল বিন মুজাম্মি সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪০

حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ مَيْسَرَةَ، مَوْلَى فَضَالَةَ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَلَّهُ أَشَدُّ أَذَنًا إِلَى الرَّجُلِ الْحَسَنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ مِنْ صَاحِبِ الْقَيْنَةِ إِلَى قَيْنَتِهِ ‏”‏ ‏.‏

ফাযালাহ্‌ বিন উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন গায়িকা তার গানের প্রতি যতটা একাগ্র থাকে, আল্লাহ তা’আলা সুকন্ঠে ও সশব্দে কুরআন তিলাওয়াতকারীর তিলাওয়াত তার চেয়ে অধিক কান লাগিয়ে শোনেন। [১৩৪০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪০] আহমাদ ২৩৪২৯, ২৭৭২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৬৩০ যঈফ, যঈফা ২৯৩১ যঈফ, তালীকুর রগীব ২১৫।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَسْجِدَ فَسَمِعَ قِرَاءَةَ رَجُلٍ فَقَالَ ‏”‏ مَنْ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ لَقَدْ أُوتِيَ هَذَا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে প্রবেশ করে এক ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত শোনেন। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ কে এই ব্যক্তি? বলা হলো, আবদুল্লাহ বিন কায়স। তিনি বলেন, তাকে দাঊদ (আঃ) এর সুমধুর কন্ঠস্বর দান করা হয়েছে। [১৩৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪১] নাসায়ী ১০১৯, আহমাদ ৮৬০২, ৯৫১৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ الْيَامِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْسَجَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يُحَدِّثُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আল-বারাআ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের সুকন্ঠী আওয়াজ দ্বারা কুরআনকে সুসজ্জিত করো। [১৩৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪২] নাসায়ী ১০১৫-১৬, আবূ দাঊদ ১৪৬৮, আহমাদ ১৮০২৪, ১৮১৪২, ১৮২৩৪, ২৭৬৫২; দারিমী ৩৫০০-১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৭৭২, সহীহ আবী দাউদ ১৩২০, মিশকাত ২১৯৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৭৭. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি রাতে তার নিয়মিত তিলাওয়াত না করে ঘুমিয়ে যায়।

১৩৪৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ نَامَ عَنْ جُزْئِهِ أَوْ عَنْ شَىْءٍ مِنْهُ فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَصَلاَةِ الظُّهْرِ – كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার রাতের নিয়মিত তিলাওয়াত বা তার অংশবিশেষের তিলাওয়াত বাদ রেখে ঘুমিয়ে পড়লো, অতঃপর তা ফাজর থেকে যোহরের সলাতের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে নিলো, সে যেন তা রাতেই পড়েছে বলে (তার আমালনামায়) লিপিবদ্ধ হয়। [১৩৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৩] মুসলিম ৭৪৭, তিরমিযী ৫৮১, নাসায়ী ১৭৯০-৯২, আবূ দাঊদ ১৩১৩, আহমাদ ৩৭৯, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৭০, দারিমী ১৪৭৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৮৬

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪৪

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَمَّالُ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَتَى فِرَاشَهُ وَهُوَ يَنْوِي أَنْ يَقُومَ فَيُصَلِّيَ مِنَ اللَّيْلِ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ حَتَّى يُصْبِحَ – كُتِبَ لَهُ مَا نَوَى وَكَانَ نَوْمُهُ صَدَقَةً عَلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূদ-দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি (ঘুমাতে) তার বিছানায় এসে রাতে উঠে সলাত পড়ার নিয়ত করলো, কিন্তু ঘুমের আধিক্যের কারণে তার ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো, তাকে তার নিয়ত অনুযায়ী নেকী দেয়া হবে। তার এ ঘুম তার প্রভুর পক্ষ থেকে তার জন্য দান-খয়রাত হিসাবে গণ্য। [১৩৪৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৪] নাসায়ী ১৭৮৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৫৪, সহীহ তারগীব ১৯,৬০০ তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১১৭১-১১৭৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৭৮. অধ্যায়ঃ

কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।

১২৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى الطَّائِفِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ جَدِّهِ، أَوْسِ بْنِ حُذَيْفَةَ قَالَ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ فَنَزَّلُوا الأَحْلاَفَ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ فَكَانَ يَأْتِينَا كُلَّ لَيْلَةٍ بَعْدَ الْعِشَاءِ فَيُحَدِّثُنَا قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ وَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ وَيَقُولُ ‏”‏ وَلاَ سَوَاءَ كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَلَيْنَا اللَّيْلَةَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّهُ طَرَأَ عَلَىَّ حِزْبِي مِنَ الْقُرْآنِ فَكَرِهْتُ أَنْ أَخْرُجَ حَتَّى أُتِمَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَوْسٌ فَسَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَيْفَ تُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ قَالُوا ثَلاَثٌ وَخَمْسٌ وَسَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَثَلاَثَ عَشْرَةَ وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ ‏.‏

আওস বিন হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা ছাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তারা তাদের মিত্র বনু মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ)-এর মেহমান হলেন। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ মালেকের তাবুতে অবস্থান করেন। তিনি প্রতি রাতে ইশা সলাতের পর আমাদের নিকট আসতেন এবং তাঁর দু’ পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতেন। তিনি কখনো এক পায়ের উপর ভর করে আবার কখনো উভয় পায়ের উপর ভর করে কথাবার্তা বলতেন। তিনি অধিকাংশই আমাদের কাছে তাঁর নিজ গোত্র কুরায়শদের নির্মম আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করতেন এবং বলতেনঃ এ কথা বলতে কোন দোষ নেই যে, আমরা ছিলাম দুর্বল ও লাঞ্ছিত। আমরা যখন মাদীনাহ্‌র দিকে বেরিয়ে এলাম, তখন আমাদের ও তাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। কখনো আমরা তাদের উপর বিজয়ী হতাম, আবার কখনো তারা আমাদের উপর জয়লাভ করতো। একরাতে তিনি তাঁর পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে আমাদের নিকট এলেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ! আজ রাতে আপনি আমাদের নিকট বিলম্বে এসেছেন! তিনি বলেন, আমার কুরআনের কিছু তিলাওয়াত বাকী থাকায়, তা তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত বের হওয়া অপছন্দ করলাম।

 

আওস (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীদের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কিভাবে কুরআনের অংশ নির্দিষ্ট করে তিলাওয়াত করেন? তারা বলেন, প্রথম দিন তিন সূরা, দ্বিতীয় দিন পাঁচ সূরা, তৃতীয় দিন সাত সূরা, চতুর্থ দিন নয় সূরা, পঞ্চম দিন এগারো সূরা, ষষ্ঠ দিন তের সূরা এবং সপ্তম দিন হিযবুল মুফাসসাল হতে শেষ অংশ। [১৩৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৫] আবূ দাঊদ ১৩৯৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ আবী দাউদ ২৪৬। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল-আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَكِيمِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ جَمَعْتُ الْقُرْآنَ فَقَرَأْتُهُ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَطُولَ عَلَيْكَ الزَّمَانُ وَأَنْ تَمَلَّ فَاقْرَأْهُ فِي شَهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي عَشْرَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ دَعْنِي أَسْتَمْتِعْ مِنْ قُوَّتِي وَشَبَابِي ‏.‏ فَأَبَى ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র (ইবনুল আস) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি কুরআন মুখস্থ করেছি এবং তা প্রতি রাতে সম্পূর্ণ তিলাওয়াত করি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার আশংকা যে, তুমি দীর্ঘজীবী হবে এবং বার্ধক্যে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই তুমি এক মাস অন্তর কুরআন খতম করো। আমি বললাম, আমাকে আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা উপকৃত হতে দিন। তিনি বলেন, তাহলে তুমি সাতদিন অন্তর খতম করো। আমি বললাম, আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা আমাকে উপকৃত হতে দিন। তখন তিনি তা অস্বীকার করে। [১৩৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৬] বুখারী ১৯৭৮, ৫০৫২-৫৪; মুসলিম ১১৫১-২, তিরমিযী ২৯৪৯, নাসায়ী ২৩৯০, ২৪০০; নাসায়ী ১৩৮৮-৯১, ১৩৯৪; আহমাদ ৬৪৪১, ৬৪৭০, ৬৪৮০, ৬৪৯১, ৬৫০৯, ৬৭২৫, ৬৭৩৬, ৬৭৭১, ৬৮০২, ৬৮৩৪, ৬৮৩৭, ৬৯৮৪; দারিমী ১৪৯৩, ৩৪৮৬, ৩৪৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لَمْ يَفْقَهْ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তিন দিনের কম সময়ে যে ব্যক্তি কুরআন খতম করে, সে কুরআনের কিছুই বুঝতে পারে না। [১৩৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৭] তিরমিযী ২৯৪৯, আবূ দাঊদ ১৩৯৪, আহমাদ ৬৪৯১, ৬৫০৯, ৬৭৩৬, ৬৭৭১, ৬৮০২; দারিমী ১৪৯৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৪৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لاَ أَعْلَمُ نَبِيَّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ حَتَّى الصَّبَاحِ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাতে কুরআন খতম করেছেন বলে আমার জানা নেই। [১৩৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৮] মুসলিম ৭৪৬, নাসায়ী ১৬০১, ১৬৪১, ২১৮২, ২৩৪৮; আহমাদ ২৪১১৫, দারিমী ১৪৭৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৭৯. অধ্যায়ঃ

রাতের সলাতের কিরাআত।

১৩৪৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ جَعْدَةَ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَتْ كُنْتُ أَسْمَعُ قِرَاءَةَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِاللَّيْلِ وَأَنَا عَلَى عَرِيشِي ‏.‏

উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার ঘরের ছাদে শোয়া অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাতের কিরাআত শুনতে পেলাম। [১৩৪৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৪৯] নাসায়ী ১০১৩, আহমাদ ২৬৩৬৬, ২৬৮৩৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুখতাসার শাথায়িল ২৭২।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৩৫০

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دَجَاجَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يَقُولُ قَامَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِآيَةٍ حَتَّى أَصْبَحَ يُرَدِّدُهَا وَالآيَةُ ‏{إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ}‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে দাঁড়িয়ে ভোর হওয়া পর্যন্ত একটি আয়াত বারবার তিলাওয়াত করতে থাকেন : “আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর আপনি যদি তাদের ক্ষমা করেন তবে আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”- (সূরাহ মায়িদা : ১১৮)। [১৩৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫০] নাসায়ী ১০১০, আহমাদ ২০৯৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى فَكَانَ إِذَا مَرَّ بِآيَةِ رَحْمَةٍ سَأَلَ وَإِذَا مَرَّ بِآيَةِ عَذَابٍ اسْتَجَارَ وَإِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَنْزِيهٌ لِلَّهِ سَبَّحَ ‏.‏

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে (সলাতে) কুরআন পড়ে রহমতের আয়াতে পৌছে রহমত কামনা করতেন এবং আযাবের আয়াতে পৌছে আযাব থেকে আশ্রয় চাইতেন এবং আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষনাকারী আয়াতে পৌছে তাঁর তাসবীহ পাঠ করতেন। [১৩৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫১] মুসলিম ৭৭২, তিরমিযী ২৬২, নাসায়ী ১০০৮-৯, ১১৩৩, ১৬৬৪; আবূ দাঊদ ৮৭১, আহমাদ ২২৭৫০, ২২৮৫৮, ২২৮৯০; দারিমী ১৩০৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮১৫, মুখতাসার শামাইল ২৩২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي لَيْلَى، قَالَ صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا فَمَرَّ بِآيَةِ عَذَابٍ فَقَالَ ‏ “‏ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ وَوَيْلٌ لأَهْلِ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ লাইলা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে নফল সালাত পড়েন, আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সাথে নফল সালাত পড়লাম। তিনি আযাবের আয়াত তিলাওয়াত করে বলেন, আমি জাহান্নামের আগুন থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি আর জাহান্নামের অধিবাসীদের জন্য ধ্বংস। [১৩৫২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫২] আবূ দাঊদ ৮৮১ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিসম্পন্ন ব্যাক্তি আর কাউকে দেখি নি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قِرَاءَةِ النَّبِيِّ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ كَانَ يَمُدُّ صَوْتَهُ مَدًّا ‏.‏

কাতাদাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস বিন মালিক (রাঃ) এর নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কিরাআত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন, তিনি সশব্দে কিরাআত পড়তেন। [১৩৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৩] বুখারী ৫০৪৫-৪৬, নাসায়ী ১০১৪, আবূ দাঊদ ১৪৬৫, আহমাদ ১১৮৭৪, ১২৬৩৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুখতাসার শামায়িল ২৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৩১৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ بُرْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ غُضَيْفِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ أَتَيْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ أَوْ يُخَافِتُ بِهِ قَالَتْ رُبَّمَا جَهَرَ وَرُبَّمَا خَافَتَ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي هَذَا الأَمْرِ سَعَةً ‏.

গুদইফ ইবনুল হারিস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সশব্দে কুরআন পড়তেন, না অস্পষ্ট শব্দে? তিনি বলেন, কখনো তিনি সশব্দে আবার কখনো অস্পষ্ট শব্দে কিরাআত পড়তেন। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র, যিনি এ বিষয়ে (উভয়টির) অবকাশ রেখেছেন। [১৩৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৪] তিরমিযী ৪৪৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩৬৩, সহীহ আবী দাউদ ২২২, মুখতাসার শামায়িল ২৭১

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫/১৮০. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে উঠে যে দুআ’ পড়বে।

১৩৫৫

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا تَهَجَّدَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَالِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ حَقٌّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِكَ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ الأَحْوَلُ، خَالُ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ سَمِعَ طَاوُسًا، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ لِلتَّهَجُّدِ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে উঠে বলতেন : “হে আল্লাহ্‌! সমস্ত প্রশংসা তোমার, তুমি আসমান-যমীন ও এগুলোর মধ্যস্থ সকল কিছুর জ্যোতি। সমস্ত প্রশংসা তোমার, তুমিই আসমান-যমীন এবং এগুলোর মধ্যস্থ সকল কিছুর ধারক। সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমি আসমান-যমীন এবং এগুলোর মধ্যস্থ সবকিছুর অধিপতি। সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমি সত্য, তোমার অঙ্গীকার সত্য, তোমার সাক্ষাত লাভ সত্য, তোমার বাণী সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামাত সত্য, আম্বিয়া কিরাম সত্য এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য। হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পন করেছি, তোমার উপর ইমান এনেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি, তোমার দিকে ফিরে এসেছি, তোমার জন্য বিতর্ক করি এবং তোমার কাছেই বিচারপ্রার্থী। অতএব তুমি আমার পূর্বাপর পাপরাশি ক্ষমা করে দাও, যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি। তুমিই আদি, তুমিই অন্ত, তুমিই একমাত্র ইলাহ এবং তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তোমার শক্তি ব্যতীত ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ লাভ করার কোন শক্তি নেই”।

 

১/১৩৫৫ (১). ইবনু আব্বাস (রাঃ), তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে উঠে বলতেন…….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [১৩৫৫]

 

তাহকীক আলবানী : সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৫] বুখারী ১১২০, ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; মুসলিম ৭৬৯, তিরমিযী ৩৪১৮, নাসায়ী ১৬১৯, আবূ দাঊদ ৭৭১, আহমাদ ২৭০৫, ২৭৪৩, ২৮০৮, ৩৩৫৮, ৩৪৫৮; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৫০০, দারিমী ১৪৮৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৪৫-৭৪৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ مَاذَا كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْتَتِحُ بِهِ قِيَامَ اللَّيْلِ قَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ يُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ عَشْرًا وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا وَيَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي ‏”‏ ‏.‏ وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمُقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏.‏

আসিম বিন হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে সালাত আদায় করতে উঠে প্রথমে কি পড়তেন? তিনি বলেন, তুমি আমার নিকট যে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছো, তোমার আগে সে সম্পর্কে আমাকে আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। তিনি দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদু লিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ ও দশবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং বলতেন : “হে আল্লাহ্‌! আমাকে ক্ষমা করো, আমাকে হিদায়াত দান করো, আমাকে রিযিক দাও এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করো”। তিনি কিয়ামাত দিবসের ভয়াবহ অবস্থা থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। [১৩৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৬] নাসায়ী ১৬১৭, আবূ দাঊদ ৭৬৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৪২। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৩৫৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ يَسْتَفْتِحُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَئِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ احْفَظُوهُ جِبْرَئِيلُ مَهْمُوزَةً فَإِنَّهُ كَذَا عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

আবু সালামাহ বিন আবদুর রহমান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে জাগ্রত হয়ে তাঁর (তাহাজ্জুদ) সলাতের শুরুতে কী বলতেন? আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি বলতেন : “হে আল্লাহ জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল (আঃ)-এর প্রভু, আসমান ও জমীনের সৃষ্টিকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! আপনার বান্দারা যে বিষয় নিয়ে মতভেদ করে, আপনি তার মীমাংসাকারী। যে বিষয়ে মতভেদ করা হয়ে থাকে, আপনি মেহেরবাণী করে সে বিষয়ে আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আপনিই সরল সঠিক পথে হিদয়াত দান করেন। আবদুর রহমান বিন উমার (রাঃ) বলেন, তোমরা জিবরাঈল শব্দটি হামযা অক্ষরযোগে পাঠ করো। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এরূপই বর্ণিত আছে। [১৩৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৭] মুসলিম ৭৭০, তিরমিযী ৩৪৩০, নাসায়ী ১৬২৫, আবূ দাঊদ ৭৬৭, আহমাদ ২৪৬৯৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮১. অধ্যায়ঃ

রাতে কত রাকআত সালাত আদায় করবে?

১৩৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – وَهَذَا حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ – قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي مَا بَيْنَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى الْفَجْرِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُسَلِّمُ فِي كُلِّ اثْنَتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ وَيَسْجُدُ فِيهِنَّ سَجْدَةً بِقَدْرِ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ مِنَ الأَذَانِ الأَوَّلِ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাতের পর থেকে ফজরের সলাতের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এগারো রাকআত সালাত আদায় করতেন। তিনি প্রতি দু’ রাকআত পর সালাম ফিরাতেন এবং এক রাকআত বিত্‌র পড়তেন। তিনি এ সলাতে এতো দীর্ঘ সাজদাহ করতেন যে, তাঁর মাথা উঠানোর পূর্বে তোমাদের যে কেউ পঞ্চাশ আয়াত পরিমান তিলাওয়াত করতে পারতো। মুআয্‌যিন যখন ফজরের সলাতের প্রথম আযান শেষ করে নীরব হতো, তখন তিনি উঠে দাঁড়িয়ে হালকাভাবে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১৩৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৮] বুখারী ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৩৯, ১১৬৪-৬৫, ৬৩১০; মুসলিম ৭২৪, ৭৩১-২, ৭৩১-২, ৭৩৮; তিরমিযী ৪৪০, ৪৪৩, ৪৪৯; নাসায়ী ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবূ দাঊদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-৩৬, ১৩৩৮-৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৭৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৬, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪৮, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৩৯৯৬, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৩৭২, ২৫৩৯৮, ২৫৪৫২, ২৫৪৫৬, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭, ২৫৬৩৬, ২৫৮৩৫, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪-৬৬, ২৬৮; দারিমী ১৪৩৯, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৫, ১৫৮১, ১৫৮৫; ইবনু মাজাহ ১৩৫৯-৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২০৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে তেরো রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১৩৫৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৫৯] বুখারী ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৩৯, ১১৬৪-৬৫, ৬৩১০; মুসলিম ৭২৪, ৭৩১-২, ৭৩১-২, ৭৩৮; তিরমিযী ৪৪০, ৪৪৩, ৪৪৯; নাসায়ী ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবূ দাঊদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-৩৬, ১৩৩৮-৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৭৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৬, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪৮, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৩৯৯৬, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৩৭২, ২৫৩৯৮, ২৫৪৫২, ২৫৪৫৬, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭, ২৫৬৩৬, ২৫৮৩৫, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪-৬৬, ২৬৮; দারিমী ১৪৩৯, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৫, ১৫৮১, ১৫৮৫; ইবনু মাজাহ ১৩৫৮, ১৩৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২০৫, ১২০৯, ১২১০, ১২১২, ১২২০।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

১৩৬০

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে নয় রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১৩৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬০] বুখারী ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৩৯, ১১৬৪-৬৫, ৬৩১০; মুসলিম ৭২৪, ৭৩১-২, ৭৩১-২, ৭৩৮; তিরমিযী ৪৪০, ৪৪৩, ৪৪৯; নাসায়ী ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবূ দাঊদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-৩৬, ১৩৩৮-৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৭৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৬, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪৮, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৩৯৯৬, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৩৭২, ২৫৩৯৮, ২৫৪৫২, ২৫৪৫৬, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭, ২৫৬৩৬, ২৫৮৩৫, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪-৬৬, ২৬৮; দারিমী ১৪৩৯, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৫, ১৫৮১, ১৫৮৫; ইবনু মাজাহ ১৩৫৮-৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুখতাসার শামায়িল ২৩১, সহীহ আবূ দাউদ ১১২১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ أَبُو عُبَيْدٍ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِاللَّيْلِ فَقَالاَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنْهَا ثَمَانٍ وَيُوتِرُ بِثَلاَثٍ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْفَجْرِ ‏.‏

আমির আশ্‌-শাবী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা বলেন, তেরো রাকআত, এর মধ্যে আট রাকআত তাহাজ্জুদ, তিন রাকআত বিত্‌র এবং ফজরের ওয়াক্ত হলে পর দু’ রাকআত (সুন্নাত)। [১৩৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬১] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১৩৩৮, ১৩৬৫ সহীহ; জামি সগীর ৪৯৬৯ সহীহ; মিশকাত ১১৯১। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন উবায়দ বিন মায়মুন আল মাদানী আবু উবায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তার সিকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করলেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ২. উবায়দ বিন মায়মুন সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعِ بْنِ ثَابِتٍ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قُلْتُ لأَرْمُقَنَّ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اللَّيْلَةَ ‏.‏ قَالَ فَتَوَسَّدْتُ عَتَبَتَهُ أَوْ فُسْطَاطَهُ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ فَتِلْكَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ‏.‏

যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি (মনে মনে) বললাম, আমি অবশ্যি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আজকের রাত এর সালাত দেখবো। তিনি বলেন, আমি তাঁর ঘরের বা তাঁর তাবুর দরজার কাঠের সাথে ঠেস দিয়ে বসে থাকলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে হালকাভাবে দু’ রাকআত সালাত পড়েন, অতঃপর দীর্ঘ দু’ রাকআত পড়েন, তারপর আরো দু’ রাকআত পড়েন, যা পূর্ববর্তী দু’ রাকআত এর চেয়ে কম দীর্ঘ, তারপর দু’ রাকআত পড়েন, যা ছিল তাঁর পূর্ববর্তী দু’ রাকআত অপেক্ষা কম দীর্ঘ, তারপর আরো দু’ রাকআত পড়েন, যা ছিল তার পূর্ববর্তী দু’ রাকআত অপেক্ষা স্বল্প দীর্ঘ, এরপর আরো দু’ রাকআত পড়েন, তারপর বিত্‌র পড়েন। এভাবে মোট তেরো রাকআত হলো। [১৩৬২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬২] মুসলিম ৭৬৫, আবূ দাঊদ ১৩৬৬, আহমাদ ২১১৭২, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৩৬, মুখতাসর শামায়িল ২২৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، نَامَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – وَهِيَ خَالَتُهُ – قَالَ فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا فَنَامَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَعَلَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي وَأَخَذَ أُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ‏.‏ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি তার খালা এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মায়মূনা (রাঃ)-এর ঘরে ঘুমালেন। তিনি বলেন, আমি বালিশে আড়াআড়িভাবে শুয়ে পড়লাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রী লম্বালম্বি শুয়ে পড়েন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমিয়ে পড়েন। অর্ধরাত বা তার চেয়ে কম কিছু অথবা বেশি অতিবাহিত হলে তিনি জেগে তার দু’ হাত দিয়ে ঘুমের রেশ তাঁর চেহারা থেকে দূর করেন, অতঃপর সূরাহ আল-ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করেন, তারপর উঠে দাঁড়িয়ে ঝুলন্ত পানির মশকের কাছে গিয়ে তা থেকে পানি নিয়ে উত্তমরূপে উযু করেন, তারপর সলাতে দাঁড়িয়ে যান। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমিও উঠে গেলাম এবং তিনি যা করলেন আমিও তদ্রূপ করলাম, তারপর তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং আমার ডান কান ধরে মললেন। তারপর তিনি দু’ রাকআত সালাত পড়েন, তারপর দু’ রাকআত, তারপর দু’ রাকআত, তারপর দু’ রাকআত, তারপর দু’ রাকআত, তারপর দু’ রাকআত, তারপর বিত্‌র সালাত পড়েন। তারপর তিনি আরাম করেন, যাবত না তাঁর নিকট মুআযযিন আসে। অতঃপর তিনি হালকাভাবে দু’ রাকআত (ফজরের সুন্নাত) সালাত পড়েন, অতঃপর (ফজরের ফরয) সালাত আদায় করতে বেরিয়ে যান। [১৩৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৩] বুখারী ১১৭, ১৩৮, ৬৯৭-৯৯, ৭২৬, ৭২৮, ৮৫৯, ৫৯১৯, ৬৩১৬; মুসলিম ৭৬১-৯, তিরমিযী ২৩২, নাসায়ী ৮০৬, আবূ দাঊদ ৬১০, আহমাদ ৩১৫৯, দারিমী ১২৫৫, ইবনু মাজাহ ৯৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৩৭, ইরওয়াহ ২৯৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮২. অধ্যায়ঃ

রাতের কোন্ সময় অধিক উত্তম?

১৩৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَسْلَمَ مَعَكَ قَالَ ‏”‏ حُرٌّ وَعَبْدٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ هَلْ مِنْ سَاعَةٍ أَقْرَبُ إِلَى اللَّهِ مِنْ أُخْرَى قَالَ ‏”‏ نَعَمْ جَوْفُ اللَّيْلِ الأَوْسَطُ ‏”‏ ‏.‏

আম্‌র বিন আবাসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার সাথে কে কে ইসলাম গ্রহণ করেছেন? তিনি বলেন, স্বাধীন ও ক্রীতদাস। আমি বললাম, এমন কোন সময় আছে কি যা অপর সময়ের তুলনায় আল্লাহ্‌র নিকটতর (নৈকট্য লাভের উত্তম সময়)? তিনি বলেন, হাঁ। রাতের মধ্যভাগ। [১৩৬৪]

 

তাহকীক আলবানী : শায, মাহযূয ইশার রাকআত।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৪] মুসলিম ৮৩২, তিরমিযী ৩৫৭৯, নাসায়ী ৫৭২, ৫৮৪; আহমাদ ১৬৫৬৬, ১৬৫৭১, ১৮৯৪০; ইবনু মাজাহ ১২৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: শায, মাহযূয এশার রাকআত। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১৩৩৪, ১৩৩৮, ১৩৩৯, ১৩৪০, ১৩৬০, ১৩৬৫ সহীহ, ১৩৫০ হাসান সহীহ, ১৩৬৩ যঈফ; জামি সগীর ৪৯৬৯ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াযীদ বিন তালক সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. আব্দুর রহমান ইবনুল বায়লামানী সম্পর্কে সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। আল আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

১৩৬৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَيُحْيِي آخِرَهُ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের প্রথমভাগে ঘুমাতেন এবং শেষভাগে জাগ্রত থাকতেন। [১৩৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৫] বুখারী ১১৪৬, মুসলিম ৭৩৯, নাসায়ী ১৬৪০, ১৬৮০; আহমাদ ২৩৮১৯, ২৪১৮৫, ২৪২৫৪, ২৫৬২৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৬

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ كُلَّ لَيْلَةٍ فَيَقُولُ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ ‏”‏ ‏.‏ فَلِذَلِكَ كَانُوا يَسْتَحِبُّونَ صَلاَةَ آخِرِ اللَّيْلِ عَلَى أَوَّلِهِ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের মহান প্রতিপালক (পৃথিবীর নিকটতম আকাশে) অবতরণ করেন এবং ফাজর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বলতে থাকেন : আমার কাছে যে চাইবে আমি তাকে দান করবো, আমার নিকট যে দুআ’ করবে আমি তাঁর দুআ’ কবুল করবো, যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো। এ কারনেই সাহাবীগণ রাতের প্রথমাংশ অপেক্ষা শেষাংশে সালাত পড়া পছন্দ করতেন। [১৩৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৬] বুখারী ১১৪৫, ৬৩২১, ৭৪৯৪; মুসলিম ৭৫১-৫, তিরমিযী ৪৪৬, ৩৪৯৮; আবূ দাঊদ ১৩১৫, ৪৭৩৩; আহমাদ ৭৪৫৭, ৭৫৩৮, ৭৫৬৭, ৭৭৩৩, ৯৩০৮, ৯৯৪০, ১০১৬৬, ১০২৪০, ১০৩৭৭, ২৭৬২০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৯৬, দারিমী ১৪৭৮-৭৯, ১৪৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৫০, সহীহ আবী দাউদ ১১৮৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يُمْهِلُ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ مِنَ اللَّيْلِ نِصْفُهُ أَوْ ثُلُثَاهُ قَالَ لاَ يَسْأَلَنَّ عِبَادِي غَيْرِي مَنْ يَدْعُنِي أَسْتَجِبْ لَهُ مَنْ يَسْأَلْنِي أُعْطِهِ مَنْ يَسْتَغْفِرْنِي أَغْفِرْ لَهُ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ ‏”‏ ‏.‏

রিফাআহ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের অর্ধেক বা দু’ তৃতীয়াংশ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা (বান্দাকে) অবকাশ দেন। ফাজর উদিত হওয়ার পূ্র্ব পর্যন্ত তিনি বলতে থাকেন : আমার বান্দা আমাকে ছাড়া আর কারো কাছে চাইবে না। যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিবো, যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তাকে দান করবো, যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। [১৩৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৭] আহমাদ ১৫৭৮২, দারিমী ১৪৮১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৯৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮৩. অধ্যায়ঃ

কোন্ জিনিস রাতের ইবাদাতের পরিপূরক হতে পারে।

১৩৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، وَأَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ مَنْ قَرَأَهُمَا فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَفْصٌ فِي حَدِيثِهِ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَلَقِيتُ أَبَا مَسْعُودٍ وَهُوَ يَطُوفُ فَحَدَّثَنِي بِهِ ‏.‏

আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যাক্তি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’ আয়াত তিলাওয়াত করলে তা তার জন্য যথেষ্ট। হাফস (রাঃ) তার হাদীসে উল্লেখ করেন যে, আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আমি আবূ মাসউদ (রাঃ)-এর সাথে তার তাওয়াফরত অবস্থায় সাক্ষাত করি। তখন তিনি আমার নিকট এ হাদীস বর্ণনা করেন। [১৩৬৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৮] বুখারী ৪০০৮, ৫০১০, ৫০৪০, ৫০৫১; মুসলিম ৮০৭-৮, তিরমিযী ২৮৮১, আবূ দাঊদ ১৩৯৭, আহমাদ ১৬৬২০, ১৬৬৪২, ১৬৬৫১; দারিমী ১৪৮৭, ৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ ১৩৬৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৬৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ قَرَأَ الآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যাক্তি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’ আয়াত তিলাওয়াত করে, তা তার জন্য যথেষ্ট। [১৩৬৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৬৯] বুখারী ৪০০৮, ৫০১০, ৫০৪০, ৫০৫১; মুসলিম ৮০৭-৮, তিরমিযী ২৮৮১, আবূ দাঊদ ১৩৯৭, আহমাদ ১৬৬২০, ১৬৬৪২, ১৬৬৫১; দারিমী ১৪৮৭, ৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ ১৩৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮৪. অধ্যায়ঃ

সালাতরত ব্যাক্তি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে।

১৩৭০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبُّ نَفْسَهُ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সালাতরত অবস্থায় তোমাদের কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে যেন শুয়ে যায়, যাবত না তার ঘুম দূরীভূত হয়। কেননা তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় সালাত পড়লে, কী বলা হচ্ছে, তা সে জানে না। হয়তো সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে নিজেকে গালি দিয়ে বসবে। [১৩৭০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭০] বুখারী ২১২, মুসলিম ৭৮৬, তিরমিযী ৩৫৫, নাসায়ী ১৬২, আবূ দাঊদ ১৩১০, আহমাদ ২৩৭৬৬, ২৫১৩৩, ২৫১৭১, ২৫৬৯৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৫৯, দারিমী ১৩৮৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬৩৭, সহীহ আবী দাউদ ১১৮৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭১

حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَرَأَى حَبْلاً مَمْدُودًا بَيْنَ سَارِيَتَيْنِ فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا الْحَبْلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لِزَيْنَبَ تُصَلِّي فِيهِ فَإِذَا فَتَرَتْ تَعَلَّقَتْ بِهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ حُلُّوهُ حُلُّوهُ لِيُصَلِّ أَحَدُكُمْ نَشَاطَهُ فَإِذَا فَتَرَ فَلْيَقْعُدْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে প্রবেশ করে দুটি খুঁটির মাঝখানে একটি রশি বাধাঁ দেখলেন। তিনি বলেন, এ রশি কিসের? তারা বলেন যয়নবের জন্য। তিনি সালাত আদায় করতে করতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে এই রশিতে ঝুলে পড়েন। তিনি বলেন, এটি খুলে ফেলো, এটি খুলে ফেলো। তোমাদের কারো সামর্থ্য থাকা পর্যন্ত সালাত পড়বে। যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন যেন শুয়ে পড়ে। [১৩৭১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭১] বুখারী ১১৫০, মুসলিম ৭৮৪, নাসায়ী ১৬৪৩, আবূ দাঊদ ১৩১২, আহমাদ ১১৫৭৫, ১২৫০৪, ১২৭০৮, ১৩২৭৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৮৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭২

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ النَّضْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَاسْتَعْجَمَ الْقُرْآنُ عَلَى لِسَانِهِ فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ اضْطَجَعَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ যখন রাতে সলাতে দাঁড়ায় এবং কিরাআত পাঠে তার জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে আসে (তন্দ্রার কারনে), সে কী বলে তা বুঝে না, তখন সে শুয়ে পড়বে। [১৩৭২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭২] মুসলিম ৭৮৭, আবূ দাঊদ ১৩১১, আহমাদ ২৭৪৫০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬৩৯, সহীহ আবী দাউদ ১১৮৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮৫. অধ্যায়ঃ

মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ের সালাত।

১৩৭৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ الْوَلِيدِ الْمَدِينِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ عِشْرِينَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে বিশ রাকআত সালাত পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। [১৩৭৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৩] তিরমিযী ৪৩৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: মাওযু। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৬৬২ মাওযূ, যঈফা ৪৬৭ মাওযূ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ সম্পর্কে মাসলামাহ বিন কাসিম তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. উমার বিন আবু খাসআম আল ইয়ামামী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহও না আবার দুর্বলও না আবার নির্ভরযোগ্যও না।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو عُمَرَ حَفْصُ بْنُ عُمَرَ قَالاَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ الْيَمَامِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ بَعْدَ الْمَغْرِبِ لَمْ يَتَكَلَّمْ بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلَتْ لَهُ عِبَادَةَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের সলাতের পর ছয় রাকআত সালাত পড়লো এবং এ সলাতের মাঝখানে কোন অশিষ্ট কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদাতের নেকী দেওয়া হয়। [১৩৭৪]

 

তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৪] তিরমিযী ৪৩৫, ইবনু মাজাহ ১১৬৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৬৬১ যঈফ জিদ্দান, ইবনু মাজাহ ১১৬৭ যঈফ জিদ্দান, তিরমিযী ৪৩৫ যঈফ জিদ্দান, মিশকাত ১১৭৩ লাম, যঈফ তারগীব ৩৩১ যঈফ জিদ্দান, যঈফা ৪৬৯ যঈফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ২. ওয়ালীদ বিন উকবাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ৩. উমার বিন আবু খাসআম আল ইয়ামামী সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৫/১৮৬. অধ্যায়ঃ

বাড়িতে নফল সালাত পড়া।

১৩৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ طَارِقٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ خَرَجَ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ إِلَى عُمَرَ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِ قَالَ لَهُمْ مِمَّنْ أَنْتُمْ قَالُوا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ ‏.‏ قَالَ فَبِإِذْنٍ جِئْتُمْ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ “‏ أَمَّا صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ فَنُورٌ فَنَوِّرُوا بُيُوتَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ ‏.‏

আসিম বিন আমর (তিনি সত্যবাদী কিন্তু শীয়া মতাবলম্বী) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইরাকের একটি প্রতিনিধি দল উমার (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাতের জন্য রওয়ানা হলেন। তারা তার নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাদের বলেন, তোমরা কারা? তারা বললো, তারা ইরাকীদের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, তোমরা অনুমতি নিয়ে এসেছো কী? তারা বললো, হাঁ। রাবী বলেন, তারা তাকে কোন ব্যক্তি তার ঘরে (নফল) সালাত পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। উমার (রাঃ) বলেন, আমি রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির ঘরে সালাত পড়া হলো নূর (আলো)। অতএব তোমরা তোমাদের ঘরকে আলোকিত করো।

 

১/১৩৭৫ (১). উমার (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [১৩৭৫]

 

তাহকীক আলবানী : দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৫] আহমাদ ৮৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ১৫৯।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَضَى أَحَدُكُمْ صَلاَتَهُ فَلْيَجْعَلْ لِبَيْتِهِ مِنْهَا نَصِيبًا فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ فِي بَيْتِهِ مِنْ صَلاَتِهِ خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ সালাত পড়লে তার কিছু অংশ সে যেন তার ঘরে পড়ে। কারন তার সলাতের উসীলায় আল্লাহ তার ঘরে প্রাচুর্য দান করেন। [১৩৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৬] আহমাদ ১০৭২৮, ১১১৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৯২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৭

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تَتَّخِذُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরগুলো কবরে পরিণত করো না (ঘরেও কিছু সুন্নাত বা নফল সালাত পড়ো)। [১৩৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৭] বুখারী ৪৩২, ১১৮৭; মুসলিম ৭৭১-২, তিরমিযী ৪৫১, নাসায়ী ১৫৯৮, আবূ দাঊদ ১৪৪৮, আহমাদ ৪৪৯৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৪৩৫, সহীহ আবী দাউদ, ৯৫৮, সহীহাহ ২৪১৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَرَامِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَيُّمَا أَفْضَلُ الصَّلاَةُ فِي بَيْتِي أَوِ الصَّلاَةُ فِي الْمَسْجِدِ قَالَ ‏ “‏ أَلاَ تَرَى إِلَى بَيْتِي مَا أَقْرَبَهُ مِنَ الْمَسْجِدِ فَلأَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أُصَلِّيَ فِي الْمَسْجِدِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَلاَةً مَكْتُوبَةً ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোনটি উত্তম- আমার ঘরের সালাত অথবা মাসজিদের সালাত? তিনি বলেন, তুমি কি আমার ঘর দেখো না, তা মাসজিদের কত নিকটে? তা সত্ত্বেও আমার মাসজিদে সালাত পড়া অপেক্ষা আমার ঘরে সালাত পড়া আমার নিকট অধিক প্রিয়। কিন্তু ফরয সালাত হলে (তাe মাসজিদে পড়বে)। [১৩৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৮] আহমাদ ১৮৫২৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৯০, সহীহ তারগীব ৪৩৯, সহীহ আবী দাউদ ২০৫, মুখতামার শামায়িল ২৫১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮৭. অধ্যায়ঃ

চাশতের সালাত।

১৩৭৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ سَأَلْتُ فِي زَمَنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَالنَّاسُ مُتَوَافِرُونَ – أَوْ مُتَوَافُونَ – عَنْ صَلاَةِ الضُّحَى، فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يُخْبِرُنِي أَنَّهُ صَلاَّهَا – يَعْنِي النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – غَيْرَ أُمِّ هَانِئٍ فَأَخْبَرَتْنِي أَنَّهُ صَلاَّهَا ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস থেকে বর্ণিতঃ

উসমান বিন আফ্‌ফান (রাঃ)-এর আমলে বহু লোকের উপস্থিতিতে আমি চাশতের সালাত (সলাতুদ দুহা) সম্পর্কে জিজ্ঞস করলাম। কিন্তু মায়মূনা (রাঃ) ব্যতীত আর কেউ বলতে পারেননি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সালাত আদায় করেছেন কি না। তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই সালাত আট রাকআত পড়েছেন। [১৩৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৭৯] বুখারী ২৮০, ৩৫৭, ১১০৪, ১১৭৬, ৩১৭১, ৪২৯২, ৬১৫৮; মুসলিম ৩৩১-৫, তিরমিযী ৪৭৪, ২৭৩৪; নাসায়ী ২২৫, ৪১৫; আবূ দাঊদ ১২৯০-৯১, আহমাদ ২৬৩৪৮, ২৬৩৫৬, ২৬৩৬৪, ২৬৮৩৩, ২৬৮৪০, ২৬৮৪২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৫৮-৫৯, দারিমী ১৪৫২-৫৩, ইবনু মাজাহ ৪৬৫, ৬১৪, ১৩২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৬৪, মুখতাযার শামায়িল ২৪৬, সহীহ আবী দাউদ ১১৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الضُّحَى ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ قَصْرًا مِنْ ذَهَبٍ فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি বার রাকআত চাশতের সালাত পড়লো, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি স্বর্ণের ইমারত নির্মাণ করেন। [১৩৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮০] তিরমিযী ৪৭৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৬৫৮, তিরমিযী ৪৭৩, মিশকাত ১৩১৬, যঈফ তারগীব ৪০৩, ৪০৫ সকল বর্ণনায়, রওয়ুন লাসীর ১১১, মিশকাত ১৩১৬। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। ২. মুসা বিন (ফুলান বিন) আনাস সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، قَالَتْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ أَكَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي الضُّحَى قَالَتْ نَعَمْ أَرْبَعًا وَيَزِيدُ مَا شَاءَ اللَّهُ ‏.‏

মুআযাহ আল-আদাবীয়্যাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ), কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি চাশতের সালাত আদায় করতো? তিনি বলেন, হাঁ, চার রাকআত, আবার আল্লাহর মর্জি হলে তার বেশিও পড়তেন। [১৩৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮১] মুসলিম ৭১১-২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৬২, মুখতাসার শাময়িল ২৪৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ النَّهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ، عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ حَافَظَ عَلَى شُفْعَةِ الضُّحَى غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি চাশতের দু’ রাকআত সলাতের হেফাজত করলো, তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হলো, তা সমুদ্রের ফেনারাশির ন্যায় অধিক হলেও। [১৩৮২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮২] তিরমিযী ৪৭৬, আহমাদ ৯৪২৩, ১০০৭০, ১০১০২। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৪৪৯ যঈফ, মিশকাত ১৩১৮, যঈফা ৪০২ যঈফ, মিশকাত ১৩১৮, তালীকুর রগীব ২৩৫। উক্ত হাদিসের রাবী নাহহাস বিন কাহম সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি আতা এর নিকট থেকে মুনকারভাবে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮৮. অধ্যায়ঃ

ইস্তিখারার সালাত

১৩৮৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُعَلِّمُنَا الاِسْتِخَارَةَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ هَذَا الأَمْرَ – فَيُسَمِّيهِ مَا كَانَ مِنْ شَىْءٍ – خَيْرًا لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي – أَوْ خَيْرًا لِي فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ – فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي وَبَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ – يَقُولُ مِثْلَ مَا قَالَ فِي الْمَرَّةِ الأُولَى – وَإِنْ كَانَ شَرًّا لِي فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كَانَ ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইসতিখারার নিয়ম শিক্ষা দিতেন, যেমন (গুরুত্ব সহকারে) তিনি আমাদের কুরআনের সূরাহ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন : তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেন দু’ রাকআত নফল সালাত পড়ে, অতঃপর বলে, “হে আল্লাহ! আমি তোমার ইল্‌ম অনুযায়ী তোমার নিকট কল্যাণের দিকে পরিচালিত করার প্রার্থনা করি এবং তোমার শক্তি থেকে শক্তি চাই, আমি তোমার মহান অনুগ্রহ প্রত্যাশা করি। কেননা তুমি ক্ষমতা রাখো এবং আমি ক্ষমতা রাখি না। তুমিই জানো, আমি জানি না, তুমি অদৃশ্য বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি তুমি জানো, আমার এ কাজ (উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে) আমার দীন-দুনিয়া এবং পরিণাম হিসেবে কল্যাণকর (অথবা বর্তমান ও ভবিষ্যতে আমার জন্য মংগলময়) মনে করো তবে আমাকে সে কাজের ক্ষমতা দাও এবং তা আমার জন্য সহজ করো এবং এতে আমায় বরকত দান করো। আর তুমি যদি মনে করো যে, (প্রথম বারের মত বলবে) আমার ধর্ম, আমার জীবন ও পরিণাম হিসেবে এটা অকল্যাণকর, তবে আমার থেকে তা দূরে রাখো এবং তা থেকে আমাকেও দূরে রাখো, আর আমার জন্য যা কল্যাণকর, সে কাজে আমাকে সন্তুষ্ট রাখো”। [১৩৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৩] বুখারী ১১৬৬, ৬৩৮২, ৭৩৯০; তিরমিযী ৪৮০, নাসায়ী ৩২৫৩, আবূ দাঊদ ১৫৩৮, আহমাদ ১৪২৯৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬৮২, সহীহ আবী দাউদ, ১৩৭৬-১৩৭৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৮৯. অধ্যায়ঃ

সলাতুল হাজাত (প্রয়োজন পূরণের সালাত)।

১৩৮৪

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الْعَبَّادَانِيُّ، عَنْ فَائِدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى الأَسْلَمِيِّ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ إِلَى اللَّهِ أَوْ إِلَى أَحَدٍ مِنْ خَلْقِهِ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ أَسْأَلُكَ أَلاَّ تَدَعَ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا لِي ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ مَا شَاءَ فَإِنَّهُ يُقَدَّرُ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন, আল্লাহ্‌র নিকট অথবা তাঁর কোন মাখলুকের নিকট কারো কোন প্রয়োজন থাকলে, সে যেন উযু করে দু’ রাকআত সালাত পড়ে, অতঃপর বলে :

“পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতীব পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ্‌র জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অবধারিত রহমাত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভান্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।”

অতঃপর সে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য যা চাওয়ার আছে তা প্রার্থনা করবে। কারণ তা আল্লাহ্‌ই নির্ধারিত করেন। [১৩৮৪]

 

তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৪] তিরমিযী ৪৭৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩২৭, তালীকুর রগীব ২৪২-২৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আসিম আল আব্বাদানী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তাকে চিনি না। ২. ফাইদ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। বরং তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিসে মিথ্যা রয়েছে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৩৮৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورِ بْنِ سَيَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَدَنِيِّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، أَنَّ رَجُلاً، ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ لِي أَنْ يُعَافِيَنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنْ شِئْتَ أَخَّرْتُ لَكَ وَهُوَ خَيْرٌ وَإِنْ شِئْتَ دَعَوْتُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ ادْعُهْ ‏.‏ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ فَيُحْسِنَ وُضُوءَهُ وَيُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ وَيَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ ‏”‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِمُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي قَدْ تَوَجَّهْتُ بِكَ إِلَى رَبِّي فِي حَاجَتِي هَذِهِ لِتُقْضَى اللَّهُمَّ فَشَفِّعْهُ فِيَّ ‏”‏ ‏.‏

 

قَالَ أَبُو إِسْحَقَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ

উসমান বিন হুনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক অন্ধ লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, আপনি আল্লাহ্‌র কাছে আমার জন্য দুআ’ করুন। তিনি যেন আমাকে রোগমুক্তি দান করেন। তিনি বলেন, তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য দুআ’ করতে বিলম্ব করবো, আর তা হবে কল্যাণকর। আর তুমি চাইলে আমি দুআ’ করবো। সে বললো, তাঁর নিকট দুআ’ করুন। তিনি তাকে উত্তমরূপে উযু করার পর দু’ রাকআত সালাত পড়ে এ দুআ’ করতে বলেন, “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, রহমতের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উসীলা দিয়ে, আমি তোমার প্রতি নিবিষ্ট হলাম। হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার চাহিদা পুরণের জন্য আমি আপনার উসীলা দিয়ে আমার রবের প্রতি মনোযোগী হলাম, যাতে আমার প্রয়োজন মিটে। হে আল্লাহ! আমার জন্য তাঁর সুপারিশ কবূল করো”। [১৩৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৫] তিরমিযী ৩৫৭৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীক ইবনু খুযাইসাহ ১২০৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯০. অধ্যায়ঃ

সলাতুত তাসবীহ

১৩৮৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو عِيسَى الْمَسْرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِلْعَبَّاسِ ‏”‏ يَا عَمِّ أَلاَ أَحْبُوكَ أَلاَ أَنْفَعُكَ أَلاَ أَصِلُكَ ‏”‏ قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تُصَلِّي أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ فَإِذَا انْقَضَتِ الْقِرَاءَةُ فَقُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً قَبْلَ أَنْ تَرْكَعَ ثُمَّ ارْكَعْ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ اسْجُدْ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ اسْجُدْ فَقُلْهَا عَشْرًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ فَقُلْهَا عَشْرًا قَبْلَ أَنْ تَقُومَ فَتِلْكَ خَمْسٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَهِيَ ثَلاَثُمِائَةٍ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ فَلَوْ كَانَتْ ذُنُوبُكَ مِثْلَ رَمْلِ عَالِجٍ غَفَرَهَا اللَّهُ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ يَقُولُهَا فِي يَوْمٍ قَالَ ‏”‏ قُلْهَا فِي جُمُعَةٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُلْهَا فِي شَهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى قَالَ ‏”‏ فَقُلْهَا فِي سَنَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্বাস (রাঃ)-কে বললেনঃ হে চাচাজান! আমি কি আপনার অবাধ্য হতে বিরত থাকব না, আমি কি আপনার উপকার করবো না, আমি কি আপনার সাথে আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবো না? তিনি বলেন, হাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বলেন, তাহলে আপনি চার রাকআত সালাত পড়ুন। আপনি প্রতি রাকআতে সূরাহ ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরাও পড়ুন। আপনি কিরাআত পাঠ শেষ করে রুকূ‘ করার আগে পনের বার বলুন : “আল্লাহ পুতঃ পবিত্র, সকল প্রসংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান”। আতঃপর রুকূ‘তে গিয়ে ঐ দুআ’ দশবার পড়ুন, অতঃপর রুকূ‘ থেকে আপনার মাথা তুলে ঐ দুআ’ দশবার পড়ুন, অতঃপর সাজদাহয় গিয়ে ঐ দুআ’ দশবার পড়ুন, অতঃপর আপনার মাথা তুলে দশবার ঐ দুআ’ পড়ুন, পুনরায় সাজদাহয় গিয়ে তা দশবার পড়ুন, পুনরায় সাজদাহ থেকে আপনার মাথা তুলে উঠে দাঁড়ানোর আগে তা দশবার পড়ুন। এভাবে প্রতি রাকআতে তা পঁচাত্তর বার এবং চার রাকআতে তিনশত বার হবে। আপনার পাপরাশি বালুর স্তুপের সমপরিমান হলেও আল্লাহ তা মাফ করবেন। আব্বাস (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! প্রতিদিন এ সালাত পড়ার সামর্থ কার আছে? তিনি বলেন, তাহলে প্রতি জুমুআর দিন তা পড়ুন। তাতেও সমর্থ না হলে প্রতি মাসে একবার পড়ুন। অবশেষে তিনি বলেন, তাহলে অন্তত বছরে একবার তা পড়ুন। [১৩৮৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৬] তিরমিযী ৪৮২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২২৮, ১৩২৯, সহীহ তারগীব ৬৭৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْحَكَمِ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ‏ “‏ يَا عَبَّاسُ يَا عَمَّاهُ أَلاَ أُعْطِيكَ أَلاَ أَمْنَحُكَ أَلاَ أَحْبُوكَ أَلاَ أَفْعَلُ لَكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَقَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ وَخَطَأَهُ وَعَمْدَهُ وَصَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ وَسِرَّهُ وَعَلاَنِيَتَهُ عَشْرُ خِصَالٍ أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ قُلْتَ وَأَنْتَ قَائِمٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُ وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ تَفْعَلُ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)-কে বললেনঃ হে আব্বাস! হে প্রিয় চাচাজান! আমি কি আপনাকে কিছু দান করবো না, আমি কি আপনার সাথে আত্নীয় সম্পর্ক বজায় রাখবো না, আমি কি আপনার অবাধ্য হতে বিরত থাকবো না, আমি কি আপনাকে এমন কলেমা বলে দিব না, যা পড়লে আল্লাহ আপনার আগের-পরের, নতুন-পুরান, ভুলক্রমে, স্বেচ্ছায়, ছোট-বড়, গোপন-প্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ মাফ করে দিবেন? সেই দশটি কলেমা হলো : আপনি চার রাকআত সালাত পড়ুন এবং প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরাহ পড়ুন। প্রথম রাকআতের কিরাআত পাঠ শেষ হলে দাঁড়ানো অবস্থায় আপনি পনের বার বলুন : “আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান”। অতঃপর আপনি রুকূ‘ করুন এবং রুকূ‘ অবস্থায় তা দশবার বলুন, অতঃপর রুকূ‘ থেকে আপনার মাথা তুলে তা দশবার বলুন। অতঃপর আপনি সাজদাহয় যান এবং সাজদাহবনত অবস্থায় তা দশবার বলুন, অতঃপর সাজদাহ থেকে আপনার মাথা তুলে তা দশবার বলুন, অতঃপর সাজদাহয় গিয়ে আবার তা দশবার বলুন, অতঃপর সাজদাহ থেকে আপনার মাথা তুলে তা দশবার বলুন। এভাবে তা প্রতি রাকআতে পঁচাত্তর বার হল। এ নিয়মে আপনি চার রাকআত সালাত পড়ুন। আপনি প্রতিদিন একবার এ সালাত আদায় করতে সক্ষম হলে তাই করুন। আপনি তাতে সক্ষম না হলে প্রতি সপ্তাহে তা একবার পড়ুন। আপনি তাতেও সক্ষম না হলে প্রতি মাসে তা একবার পড়ুন। আপনি তাতেও সক্ষম না হলে অন্তত জীবনে তা একবার পড়ুন। [১৩৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৭] আবূ দাঊদ ১২৯৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত, ১৩২৮, তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১২১৬, সহীহ আবী দাউদ ১১৭৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ২. সুওয়ায়াদ বিন আবু সাঈদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯১. অধ্যায়ঃ

শা‘বান মাসের ১৫ তারিখের রাত সম্পর্কে

১৩৮৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا ‏.‏ فَإِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ أَلاَ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ أَلاَ مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ أَلاَ مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ أَلاَ كَذَا أَلاَ كَذَا حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ ‏”‏ ‏.‏

আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে সালাত পড় এবং এর দিনে সওম রাখ। কেননা এ দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো আমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করবো। কে আছো রিযিকপ্রার্থী আমি তাকে রিযিক দান করবো। কে আছো রোগমুক্তি প্রার্থনাকারী, আমি তাকে নিরাময় দান করবো। কে আছ এই প্রার্থনাকারী। ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত (তিনি এভাবে আহবান করেন)। [১৩৮৮]

 

তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান অথবা মাওযু।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৮] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান অথবা মাওযু। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩০৮ মাওযূ, যঈফ তারগীব ৬৩২ মাওযূ, যাঈফা ২১৩২ মাওযূ, মিশকাত ১৩০৮, যঈফাহ ২১৩২। উক্ত হাদিসের রাবী (আবু বকর বিন আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ) বিন আবু সাবরাহ সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি দুর্বল। ২. ইবরাহীম বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَبُو بَكْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَخَرَجْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا هُوَ بِالْبَقِيعِ رَافِعٌ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قَدْ قُلْتُ وَمَا بِي ذَلِكَ وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لأَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ شَعَرِ غَنَمِ كَلْبٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি বলেন, হে আয়িশা! তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়িশা (রাঃ) বলেন, তা নয়, বরং আমি ভাবলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন স্ত্রীর কাছে গেছেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন। [১৩৮৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৮৯] মুসলিম ৯৭৩-৭৪, তিরমিযী ৭৩৯, নাসায়ী ২০৩৭, আহমাদ ২৫৪৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২৯৯। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু নির্ভরযোগ্য নয়। তিনি আমর থেকে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু দুর্বলদের থেকে তাদলীস করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, আমি তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করেছি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯০

حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَرْزَبٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ النَّضْرُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।

 

৩/১৩৯০ (১). আবূ মূসা আশআরী (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [১৩৯০]

 

তাহকীক আলবানী : হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯০] হাসান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ১৮১৯ হাসান, মিশকাত ১৩০৬ যঈফ, সহীহা ১৫৬৩ সহীহ, মিশকাত ১৩০৬, ১৬০৭, ফিলাল ৫১০, সহীহ আবী দাউদ ১১৪৪, ১৫৬৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। ২. দাহহাক বিন আয়মান সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি কে? তা অজ্ঞাত। ৩. যুবায়র বিন সুলায়ম সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ৪. আব্দুর রহমান সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯২. অধ্যায়ঃ

কৃতজ্ঞতাসূচক সালাত ও সাজদাহ

১৩৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَتْنِي شَعْثَاءُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى يَوْمَ بُشِّرَ بِرَأْسِ أَبِي جَهْلٍ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ জাহলের শিরচ্ছেদের সুসংবাদ প্রাপ্তি দিবসে দু’ রাকআত শোকরানা সালাত পড়েন। [১৩৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯১] দারিমী ১৪৬২ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইবনু খুযাইমাহ ৯৯৯ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সালামাহ বিন রাজা’ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করেছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু আদী বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বর্ণনা করেছেন যেগুলোর অনুসরণ করা যাবে না। ২. শা’সা সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তার পরিচয় অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا أَبِي، أَنْبَأَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدَةَ السَّهْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بُشِّرَ بِحَاجَةٍ فَخَرَّ سَاجِدًا ‏.

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন প্রয়োজন বা কাজ পূর্ণ হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হলে তিনি (কৃতজ্ঞতার) সাজদাহয় লুটিয়ে পড়েন। [১৩৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯২] হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২২৭-২২৮।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَرَّ سَاجِدًا ‏.‏

কা’ব বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ যখন তার তাওবা কবুল করেন তখন, তিনি (কৃতজ্ঞতার) সাজদাহয় লুটিয়ে পড়েন। [১৩৯৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৩] আহমাদ ১৫৩৫৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৭৭, সহীহ আবী দাউদ ২৪৭৯।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৪

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ بَكَّارِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَتَاهُ أَمْرٌ يَسُرُّهُ أَوْ يُسَرُّ بِهِ خَرَّ سَاجِدًا شُكْرًا لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ‏.‏

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কোন খুশির খবর আসলে তিনি মহামহিম আল্লাহর সমীপে কৃতজ্ঞতার সাজদাহ্‌য় লুটিয়ে পড়তেন। [১৩৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৪] তিরমিযী ১৫৭৮, আবূ দাঊদ ২৭৭৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৭৪, সহীহ আবী দাউদ ২৪৭৯।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৩. অধ্যায়ঃ

সালাত গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।

১৩৯৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، وَسُفْيَانُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ الْوَالِبِيِّ، عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كُنْتُ إِذَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدِيثًا يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِمَا شَاءَ مِنْهُ وَإِذَا حَدَّثَنِي عَنْهُ غَيْرُهُ اسْتَحْلَفْتُهُ فَإِذَا حَلَفَ صَدَّقْتُهُ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ حَدَّثَنِي وَصَدَقَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا فَيَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ – وَقَالَ مِسْعَرٌ ثُمَّ يُصَلِّي – وَيَسْتَغْفِرُ اللَّهَ إِلاَّ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাদীস শুনতাম, তখন আল্লাহ তার দ্বারা আমার যতটুকু উপকার করতে চাইতেন করতেন। আর অন্য কেউ তাঁর থেকে আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করলে আমি তাকে শপথ করাতাম। সে শপথ করার পর আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আবূ বকর (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করতেন এবং তিনি সত্য বলতেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি গুনাহ করার পর উত্তমরূপে উযু করে দু’ রাকআত সালাত পড়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। মিসআর (রাঃ)-এর বর্ণনায় শুধু সালাত উল্লেখ আছে (রাকআত সংখ্যা উল্লেখ নেই)। [১৩৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৫] তিরমিযী ৪০৬, ৩০০৬; আবূ দাঊদ ১৫২১, আহমাদ ২, ৪৮, ৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩২৪, সহীহ আবী দাউদ ১৩৬১।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، – أَظُنُّهُ – عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ، أَنَّهُمْ غَزَوْا غَزْوَةَ السَّلاَسِلِ فَفَاتَهُمُ الْغَزْوُ فَرَابَطُوا ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ أَبُو أَيُّوبَ وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ فَقَالَ عَاصِمٌ يَا أَبَا أَيُّوبَ فَاتَنَا الْغَزْوُ الْعَامَ وَقَدْ أُخْبِرْنَا أَنَّهُ مَنْ صَلَّى فِي الْمَسَاجِدِ الأَرْبَعَةِ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ ‏.‏ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي أَدُلُّكَ عَلَى أَيْسَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ تَوَضَّأَ كَمَا أُمِرَ وَصَلَّى كَمَا أُمِرَ غُفِرَ لَهُ مَا قَدَّمَ مِنْ عَمَلٍ ‏”‏ ‏.‏ أَكَذَلِكَ يَا عُقْبَةُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

আবূ আয়্যুব ও উকবাহ বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আসিম) বলেন, তারা সালাসিল যুদ্ধ আভিযানে অংশগ্রহন করতে রওয়ানা হন। এরপর তারা সীমান্ত এলাকায় সারিবদ্ধভাবে ঘোড়া বিন্যস্ত করেন। পরে তারা মুআবিয়াহ (রাঃ)-এর নিকট ফিরে আসেন। তখন তার নিকট উপস্থিত ছিলেন আবূ আয়্যুব ও উকবাহ বিন আমির (রাঃ)। আসিম (রাঃ) বলেন, হে আবূ আয়্যুব! এ বছরের যুদ্ধাভিযানে আমরা অংশগ্রহন করতে পারিনি। আমরা অবহিত হয়েছি যে, যে ব্যক্তি চারটি মাসজিদে সালাত পড়বে, তার গুনাহ মাফ করা হবে। আবূ আয়্যুব (রাঃ) বলেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি তোমাকে এর চেয়েও সহজ পথ বলে দিচ্ছি। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : কোন ব্যক্তি যথাবিধি উযু করে যথাবিধি সালাত পড়লে, তার পূর্বেকার গুনাহ ক্ষমা করা হয়। হে উক্‌বা! হাদীসটি কি এরূপ? তিনি বলেন, হাঁ। [১৩৯৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৬] নাসায়ী ১৪৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: তালাক রগীব ৯৮,৯৯, সহীহ তারগীব ১৯১।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، أَنَّ عَامِرَ بْنَ سَعْدٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ قَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ بِفِنَاءِ أَحَدِكُمْ نَهْرٌ يَجْرِي يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ مَا كَانَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ ‏”‏ قَالَ لاَ شَىْءَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ الصَّلاَةَ تُذْهِبُ الذُّنُوبَ كَمَا يُذْهِبُ الْمَاءُ الدَّرَنَ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আফ্‌ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তুমি কি মনে করো, কারো বাড়ির আঙ্গিনায় যদি প্রবাহমান নদী থাকে, আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তবে তার শারীরে কি কোন ময়লা থাকে? তিনি বলেন, কিছুই থাকে না। তিনি বলেন, পানি যেভাবে ময়লা দূর করে দেয়, তদ্রূপ সালাত ও গুনাহ দূর করে দেয়। [১৩৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৭] আহমাদ ৫২০ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৭-৪৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৮

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَصَابَ مِنِ امْرَأَةٍ يَعْنِي مَا دُونَ الْفَاحِشَةِ فَلاَ أَدْرِي مَا بَلَغَ غَيْرَ أَنَّهُ دُونَ الزِّنَا فَأَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ ‏{أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ}‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِي هَذِهِ قَالَ ‏ “‏ لِمَنْ أَخَذَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি এক নারীর সাথে অপকর্ম করে, তবে যেনা নয়। আমি জানি না, আসলে কি ঘটেছিল। সম্ভবত যিনা ব্যতীত অন্য কিছু। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে ব্যাপারটি তাঁর কাছে বর্ণনা করে। তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) “সালাত আদায় করো দিনের দু’প্রান্তভাগে ও রাতের প্রথমাংশে, সৎকর্ম অবশ্যই অসৎ কর্ম মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে এতো তাদের জন্য উপদেশ” (সূরাহ হূদ : ১১৪) সেই ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! এ আয়াত কি আমার জন্যই? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এর উপর আমাল করবে (তার জন্যও)। [১৩৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৮] বুখারী ৫২৬, ৪৬৮৭; মুসলিম ২৭৬১-২, তিরমিযী ৩১১২, আবূ দাঊদ ৪৪৬৮, আহমাদ ৩৬৪৫, ৪০৮৩; ইবনু মাজাহ ৪২৫৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৩-২৪। উক্ত হাদিসের রাবী সুফইয়ান বিন ওয়াকী সম্পর্কে সম্পর্কে ইমাম বুখারী মন্তব্য করেছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৪. অধ্যায়ঃ

পাঁচ ওয়াক্‌তের ফরয সালাত ও তার হিফাযাত করা।

১৩৯৯

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ فَرَضَ اللَّهُ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلاَةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ ‏.‏ حَتَّى آتِيَ عَلَى مُوسَى فَقَالَ مُوسَى مَاذَا افْتَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ عَلَىَّ خَمْسِينَ صَلاَةً ‏.‏ قَالَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏.‏ فَرَاجَعْتُ رَبِّي فَوَضَعَ عَنِّي شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏.‏ فَرَاجَعْتُ رَبِّي فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ ‏.‏ فَقُلْتُ قَدِ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছিলেন। আমি তা নিয়ে ফেরার পথে মূসা (আঃ)-এর নিকট আসলাম। তখন মূসা (আঃ) বলেন, আপনার প্রভু আপনার উম্মাতের জন্য কি ফরয করেছেন? আমি বললামঃ তিনি আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি বলেন, আপনি আপনার প্রভুর নিকট ফিরে যান। কেননা আপনার উম্মাত তা পড়তে সক্ষম হবে না। অতএব আমি আমার প্রভুর নিকট ফিরে গেলে তিনি তার অর্ধেক কমিয়ে দেন। অতঃপর আমি মূসা (আঃ) এর নিকট ফিরে এসে তাঁকে তা অবহিত করলাম। তিনি বলেন, আপনি আপনার প্রভুর কাছে ফিরে যান। কেননা আপনার উম্মাত তা পড়তে সক্ষম হবে না। আমি আমার প্রভুর নিকট ফিরে গেলাম। তিনি বললেনঃ তা পাঁচ ওয়াক্ত, পঞ্চাশের সমান। আর আমার কথা কখনো পরিবর্তন হয় না। তারপর আমি মূসা (আঃ) এর নিকট ফিরে আসলে তিনি আবার বলেন, আপনি আপনার প্রভুর নিকট ফিরে যান। আমি বললাম, আমি আমার প্রভুর নিকট পুনরায় ফিরে যেতে লজ্জাবোধ করছি। [১৩৯৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩৯৯] তিরমিযী ২১৩, নাসায়ী ৪৪৯-৫০, আহমাদ ১২২৩০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُصْمٍ أَبِي عُلْوَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُمِرَ نَبِيُّكُمْ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِخَمْسِينَ صَلاَةً فَنَازَلَ رَبَّكُمْ أَنْ يَجْعَلَهَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সলাতের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এরপর তোমাদের রব তা পাঁচ ওয়াক্‌তে পরিণত করেন। [১৪০০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০০] আহমাদ ২৮৮৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন উসম আবু উলওয়ান সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

১৪০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنِ الْمُخْدِجِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ فَمَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يَنْتَقِصْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَهْدًا أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ جَاءَ بِهِنَّ قَدِ انْتَقَصَ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ لَمْ يَكُنْ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

উবাদাহ ইবনুস-সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি সলাতের কোন হক নষ্ট না করে তা যথাযতভাবে আদায় করবে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌র নিকট কিয়ামাতের দিন তার জন্য এই প্রতিশ্রুতি আছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি সলাতের হক নষ্ট করবে এবং যথাযতভাবে সালাত পড়বে না, তার জন্য আল্লাহ্‌র কাছে কোন অঙ্গীকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন, অন্যথায় মাফ করবেন। [১৪০১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০১] নাসায়ী ৪৬১, আবূ দাঊদ ৪২৫, ১৪২০; আহমাদ ২২১৮৫, ২২১৯৬, ২২২৪৬, ২৭৭৪০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৭০, দারিমী ১৫৭৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৪৫১, ১২৭৬, মিশকাত ৫৭০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০২

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ فِي الْمَسْجِدِ دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى رَحْلٍ فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ ‏.‏ قَالَ فَقَالُوا هَذَا الرَّجُلُ الأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ قَدْ أَجَبْتُكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي سَائِلُكَ وَمُشَدِّدٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلاَ تَجِدَنَّ عَلَىَّ فِي نَفْسِكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ سَلْ مَا بَدَا لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لَهُ الرَّجُلُ نَشَدْتُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اللَّهُمَّ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اللَّهُمَّ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اللَّهُمَّ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اللَّهُمَّ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي ‏.‏ وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমরা মাসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি উঠের পিঠে আরোহিত অবস্থায় এসে তার উটটিকে মাসজিদের নিকট বসিয়ে সেটিকে বাঁধলো, অতঃপর জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সামনেই হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। রাবী বলেন, তারা বললেন, হেলান দিয়ে বসা এই সুন্দর ব্যক্তি। লোকটি তাঁকে বললো, হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন, আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। লোকটি তাঁকে বললো, হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং আমার প্রশ্নগুলো আপনার জন্য হবে কঠোর। এতে আপনি কিছু মনে করবেন না। তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছামত প্রশ্ন করো। লোকটি তাঁকে বললো, আমি আপনাকে আপনার প্রভুর এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর শপথ দিচ্ছি, আল্লাহ কি আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট প্রেরণ করেছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে দিন-রাত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে বছরের এই মাসে সওম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে আমাদের ধনাঢ্যদের নিকট থেকে যাকাত আদায় করে তা আমাদের গরীবদের মধ্যে বিত্‌রণের নির্দেশ দিয়েছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। লোকটি বললো, আপনি যা নিয়ে এসেছেন আমি তার উপর ঈমান আনলাম। আর আমার সম্প্রদায়ের যেসব লোক আমার পেছনে রয়েছে, আমি তাদের প্রতিনিধি এবং আমি হলাম সা‘দ বিন বাক্‌র গোত্রের সদস্য দিমাম বিন সা’লাবাহ। [১৪০২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০২] বুখারী ৬৩, মুসলিম ১২, তিরমিযী ৬১৯, নাসায়ী ২০৯১-৯৩, আবূ দাঊদ ৪৮৬, আহমাদ ১২৩০৮, দারিমী ৬৫০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৫০৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا ضُبَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّلِيلِ، أَخْبَرَنِي دُوَيْدُ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ إِنَّ أَبَا قَتَادَةَ بْنَ رِبْعِيٍّ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضْتُ عَلَى أُمَّتِكَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ وَعَهِدْتُ عِنْدِي عَهْدًا أَنَّهُ مَنْ حَافَظَ عَلَيْهِنَّ لِوَقْتِهِنَّ أَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهِنَّ فَلاَ عَهْدَ لَهُ عِنْدِي ‏”‏ ‏.‏

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব থেকে বর্ণিতঃ

কাতাদাহ বিন রিবঈ (রাঃ) তাকে অবহিত করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মহামহিম আল্লাহ বলেছেন, আমি আপনার উম্মাতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি এবং আমি আমার নিকট এ অঙ্গীকার করছি যে, যে ব্যক্তি যথাযতভাবে ওয়াক্তমত এসব সলাতের হেফাজত করবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। আর যে ব্যক্তি তা যথাযতভাবে হেফাজত করবে না, তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোন অঙ্গীকার নাই। [১৪০৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০৩] আবূ দাঊদ ৪৩০ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪০৪৫ যঈফ, সহীহা ৪০৩৩ সহীহ, সহীহ আবী দাউদ ৪৫৫। উক্ত হাদিসের রাবী ১. বাকিয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন, তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গণ্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারানা শব্দদ্বয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন, তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গণ্য হবেন। ২. দুররাহ বিন আবদুল্লাহ বিন আবুস সুলায়ক সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৫. অধ্যায়ঃ

মাসজিদুল হারাম আর মাসজিদে নাববীতে সালাত পড়ার ফাযীলাত।

১৪০৪

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدِينِيُّ، أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ رَبَاحٍ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মাসজিদুল হারাম ব্যতীত, অন্যান্য মাসজিদে পড়া সলাতের তুলনায় আমার এ মাসজিদে পড়া সালাত হাজার গুন শ্রেষ্ঠ।

 

১/১৪০৪ (১). আবূ হুরায়রা (রাঃ)। [১৪০৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০৪] বুখারী ১১৯০, মুসলিম ১৩৯১-৪, তিরমিযী ৩২৫, নাসায়ী ৬৯৪, ২৮৯৯; আহমাদ ৭২১২, ৭৩৬৭, ৭৪৩২, ৭৬৭৬, ৭৬৮১, ৭৮৮৫, ৯৬৮০, ৯৭০১, ৯৭৬২, ৯৯০৫, ৯৯২৬, ১০০৯৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৬১, দারিমী ১৪১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৯৭১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৫

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অন্যান্য মাসজিদে পড়া সালাত অপেক্ষা আমার এ মাসজিদে পড়া সালাত হাজার গুন উত্তম (ফাযীলাতপূর্ণ) মাসজিদুল হারাম ব্যতীত। [১৪০৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০৫] মুসলিম ১৩৯৫, নাসায়ী ২৮৯৭, আহমাদ ৪৬৩২, ৪৮২৩, ৫১৩১, ৫৩৩৫, ৬৪০০; দারিমী ১৪১৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৪৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৬

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَفْضَلُ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অপরাপর মাসজিদের সালাত অপেক্ষা আমার মাসজিদের সালাত হাজার গুন শ্রেষ্ঠ (ফাদীলাতপূর্ণ)। অন্যান্য মাসজিদের সলাতের তুলনায় মাসজিদুল হারামের সালাত এক লক্ষ গুণ উত্তম (ফাদীলাতপূর্ণ)। [১৪০৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০৬] আহমাদ ১৪২৮৪, ১৪৮৪৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ১৪৬, ১১২৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৬. অধ্যায়ঃ

বাইতুল মাকদিস মাসজিদে সালাত পড়ার ফাযীলাত।

১৪০৭

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي سَوْدَةَ، عَنْ أَخِيهِ، عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سَوْدَةَ عَنْ مَيْمُونَةَ، مَوْلاَةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفْتِنَا فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَرْضُ الْمَحْشَرِ وَالْمَنْشَرِ ائْتُوهُ فَصَلُّوا فِيهِ فَإِنَّ صَلاَةً فِيهِ كَأَلْفِ صَلاَةٍ فِي غَيْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَتَحَمَّلَ إِلَيْهِ قَالَ ‏”‏ فَتُهْدِي لَهُ زَيْتًا يُسْرَجُ فِيهِ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَهُوَ كَمَنْ أَتَاهُ ‏”‏ ‏.‏

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্তদাসী মায়মূনাহ (বিনতু সা‘দ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! বাইতুল মাকদিস সম্পর্কে আমাকে ফাতওয়া দিন। তিনি বলেন, এটা হাশরের মাঠ এবং সকলের একত্র হওয়ার ময়দান। তোমরা তাতে সালাত পড়ো। কেননা সেখানে এক ওয়াক্ত সালাত পড়া অন্যান্য স্থানের তুলনায় এক হাজার গুণ উত্তম। আমি বললাম, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি সেখানে যেতে সমর্থ না হই? তিনি বলেন, তুমি তাতে বাতি জ্বালানোর জন্য যায়তুন তৈল হাদিয়া পাঠাও। যে ব্যক্তি তা করলো, সে যেন সেখানে উপস্থিত হলো। [১৪০৭]

 

তাহকীক আলবানী : মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ দাঊদ ৪৫৭, আহমাদ ২৭০৭৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: মুনকার। তাখরীজ আলবানী: যঈফ আবী দাউদ ৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী উসমান বিন আবু সাওদাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

১৪০৮

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَهْمِ الأَنْمَاطِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ السَّيْبَانِيِّ، يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ لَمَّا فَرَغَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ مِنْ بِنَاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ ثَلاَثًا حُكْمًا يُصَادِفُ حُكْمَهُ وَمُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ وَأَلاَّ يَأْتِيَ هَذَا الْمَسْجِدَ أَحَدٌ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ فِيهِ إِلاَّ خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ أَمَّا اثْنَتَانِ فَقَدْ أُعْطِيَهُمَا وَأَرْجُو أَنْ يَكُونَ قَدْ أُعْطِيَ الثَّالِثَةَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সুলায়মান বিন দাঊদ (আঃ) বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেন, আল্লাহ্‌র হুকুমমত সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মাকদিসে কেবলমাত্র সালাত পড়ার জন্য আসবে, তার গুনাহ যেন তার থেকে বের হয়ে যায় তার মা তাকে প্রসব করার দিনের মত। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রথম দু’টি তাঁকে দান করা হয়েছে, এবং আমি আশা করি তৃতীয়টিও তাঁকে দান করা হবে। [১৪০৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০৮] নাসায়ী ৬৯৩, আহমাদ ২৭৭৬২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ১৩৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِي هَذَا وَالْمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, (আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে) তিনটি মাসজিদ ব্যতীত আর কোথাও সফর করা যাবে না : মাসজিদুল হারাম, আমার এই মাসজিদ এবং মাসজিদুল আক্‌সা। [১৪০৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪০৯] বুখারী ১১৮৯, মুসলিম ১৩৯১-২, নাসায়ী ৭০০, আবূ দাঊদ ২০৩৩, আহমাদ ৭১৫১, ৭২০৮, ৭৬৭৮, ১০১২৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৩, দারিমী ১৪২১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭৭৩, ৯৭০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى وَإِلَى مَسْجِدِي هَذَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ ও আবদুল্লাহ বিন আম্‌র ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তিনটি মাসজিদ ব্যতীত আর কোথাও (আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়) সফর করা যাবে না। মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুল আক্‌সা এবং আমার এই মাসজিদের দিকে। [১৪১০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১০] বুখারী ১১৯৭, তিরমিযী ৩২৬, আহমাদ ১১০১৭, ১১০৯১, ১১২১৫, ১১৩২৯, ১১৪৭৩, ২৭৯২২, ২৭৯২৫, ২৭৯৪৭, ২৭৯৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৩১-২৩৫, ১৪৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৭. অধ্যায়ঃ

কুবা মাসজিদে সালাত পড়ার ফাযীলাত।

১৪১১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَبْرَدِ، مَوْلَى بَنِي خَطْمَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أُسَيْدَ بْنَ ظُهَيْرٍ الأَنْصَارِيَّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِ قُبَاءٍ كَعُمْرَةٍ ‏”‏ ‏.‏

উসাইদ বিন যুহায়র আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বলেন, কুবা মাসজিদে এক ওয়াক্ত সালাত পড়া একটি উমরার সমতুল্য। [১৪১১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১১] তিরমিযী ৩২৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ১৩৮, ১৩৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْكِرْمَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ بْنَ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، يَقُولُ قَالَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ أَتَى مَسْجِدَ قُبَاءٍ فَصَلَّى فِيهِ صَلاَةً كَانَ لَهُ كَأَجْرِ عُمْرَةٍ ‏”‏ ‏.

সাহ্‌ল বিন হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘরে পবিত্রতা অর্জন করলো, অতঃপর কুবা মাসজিদে এসে এক ওয়াক্ত সালাত পড়লো, তার জন্য একটি উমরাহ্‌র সমান সাওয়াব রয়েছে। [১৪১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১২] নাসায়ী ৬৯৯, আহমাদ ১৫৫৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। ‏.

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৮. অধ্যায়ঃ

জামে মাসজিদে সালাত পড়ার ফাদীলাত।

১৪১৩

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا رُزَيْقٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الأَلْهَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ بِصَلاَةٍ وَصَلاَتُهُ فِي مَسْجِدِ الْقَبَائِلِ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلاَةً وَصَلاَتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُجَمَّعُ فِيهِ بِخَمْسِمِائَةِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الأَقْصَى بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ بِمِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তির নিজ ঘরে এক ওয়াক্ত সালাত পড়ার নেকী এক ওয়াক্ত সলাতেরই সমান, তার পাড়ার বা গোত্রের মাসজিদে তার এক সালাত পঁচিশ সলাতের সমতুল্য, জুমুআহ মাসজিদে তার এক সালাত পাঁচ শত সলাতের সমান। মাসজিদুল আকসায় তার এক সালাত পঞ্চাশ হাজার সলাতের সমতুল্য, আমার মাসজিদে তার এক সালাত পঞ্চাশ হাজার সলাতের সমতুল্য এবং মাসজিদুল হারামে তার এক সালাত এক লাখ সলাতের সমতুল্য। [১৪১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭৫২, তালীকুর রগীব ১৩৬। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল খাত্তাব খাত্তাব (হাম্মাদ) আদ-দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি প্রসিদ্ধ নয়। ২. রুকায়য আবু আবদুল্লাহ আল হানী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫/১৯৯. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিম্বারের সূচনা।

১৪১৪

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي إِلَى جِذْعٍ إِذْ كَانَ الْمَسْجِدُ عَرِيشًا وَكَانَ يَخْطُبُ إِلَى ذَلِكَ الْجِذْعِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ هَلْ لَكَ أَنْ نَجْعَلَ لَكَ شَيْئًا تَقُومُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَرَاكَ النَّاسُ وَتُسْمِعَهُمْ خُطْبَتَكَ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ فَصَنَعَ لَهُ ثَلاَثَ دَرَجَاتٍ فَهِيَ الَّتِي عَلَى الْمِنْبَرِ فَلَمَّا وُضِعَ الْمِنْبَرُ وَضَعُوهُ فِي مَوْضِعِهِ الَّذِي هُوَ فِيهِ فَلَمَّا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَقُومَ إِلَى الْمِنْبَرِ مَرَّ إِلَى الْجِذْعِ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَيْهِ فَلَمَّا جَاوَزَ الْجِذْعَ خَارَ حَتَّى تَصَدَّعَ وَانْشَقَّ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمَّا سَمِعَ صَوْتَ الْجِذْعِ فَمَسَحَهُ بِيَدِهِ حَتَّى سَكَنَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلَّى إِلَيْهِ فَلَمَّا هُدِمَ الْمَسْجِدُ وَغُيِّرَ أَخَذَ ذَلِكَ الْجِذْعَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَكَانَ عِنْدَهُ فِي بَيْتِهِ حَتَّى بَلِيَ فَأَكَلَتْهُ الأَرَضَةُ وَعَادَ رُفَاتًا ‏.

উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাপড়ার মাসজিদে থাকা অবস্থায় একটি খেজুর গাছের খুঁটির পাশে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি ঐ খেজুর গাছের খুঁটি ঘেঁষে খুতবাহ দিতেন। তাঁর সহাবীদের একজন বলেন, আমরা কি আপনার জন্য এমন একটি জিনিসের ব্যবস্থা করবো, যার উপর আপনি জুমুআর দিন দাঁড়াবেন। যাতে লোকেরা আপনাকে দেখতে পায় এবং আপনার খুতবাহ তাদের শুনাতে পারেন। তিনি বলেন, হাঁ। তখন ঐ ব্যক্তি তাঁর জন্য তিন ধাপবিশিষ্ট একটি মিম্বার তৈরি করেন। এটি ছিল সবচাইতে উঁচু মিম্বার। মিম্বারটি বানানো হলে তারা তা যথাস্থানে স্থাপন করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে উঠে খুতবাহ দেয়ার ইচ্ছা করলেন। তিনি ঐ খুঁটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তা চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠে। ফলে তা ফেটে যায়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুকনো খেজুর গাছের কান্নার শব্দ শুনে নেমে আসেন এবং তাতে নিজ হাত বুলিয়ে দেন। ফলে তা শান্ত হয়ে যায়। তারপর তিনি মিম্বারে ফিরে যান। এরপর যখন তিনি সালাত আদায় করতেন তখন ঐ খুঁটির দিকে রোখ করে সালাত আদায় করতেন। অতঃপর মাসজিদ যখন (সংস্কারের জন্য) ভাঙ্গা হলো, তখন উবাই বিন কা’ব (রাঃ) খুঁটিটি নিয়ে তার ঘরে রাখেন। অবশেষে উইপোকা তা খেয়ে ফেলে এবং ফলে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। [১৪১৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১৪] আহমাদ ২০৭৬১, ২০৭৪৫; দারিমী ৩৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏.‏ وَعَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ فَلَمَّا اتَّخَذَ الْمِنْبَرَ ذَهَبَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَحَنَّ الْجِذْعُ فَأَتَاهُ فَاحْتَضَنَهُ فَسَكَنَ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ لَوْ لَمْ أَحْتَضِنْهُ لَحَنَّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেজুর গাছের একটি শুকনো খুঁটি ঘেঁষে খুতবাহ দিতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের ব্যবস্থা করলে, তিনি (খুতবাহ দেয়ার জন্য) মিম্বারে গিয়ে উঠলে খেজুর গাছের খুঁটিটি কেঁদে উঠে। তিনি তার কাছে এসে তার গায়ে হাত বুলিয়ে দেন এবং তা শান্ত হয়। অতঃপর তিনি বলেন, আমি তার গায়ে হাত না বুলালে তা কিয়ামত পর্যন্ত রোনাজারি করতো। [১৪১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১৫]তিরমিযী ৩৬২৭, আহমাদ ২৩৯৬, ১২৯৫০; দারিমী ৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২১৭৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ أَىِّ شَىْءٍ هُوَ فَأَتَوْا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ فَسَأَلُوهُ فَقَالَ مَا بَقِيَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ أَعْلَمَ بِهِ مِنِّي هُوَ مِنْ أَثْلِ الْغَابَةِ عَمِلَهُ فُلاَنٌ مَوْلَى فُلاَنَةَ نَجَّارٌ فَجَاءَ بِهِ فَقَامَ عَلَيْهِ حِينَ وُضِعَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَقَامَ النَّاسُ خَلْفَهُ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَرَجَعَ الْقَهْقَرَى حَتَّى سَجَدَ بِالأَرْضِ ثُمَّ عَادَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ فَقَامَ ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى حَتَّى سَجَدَ بِالأَرْضِ ‏.

আবূ হাযিম থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিম্বার কিসের দ্বারা নির্মিত ছিল সে বিষয়ে লোকেরা মতভেদ করে। তারা সাহল বিন সা‘দ (রাঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত আর কেউ বেঁচে নেই। এটি ছিল আল-গাবা বনভূমির আছল নামীয় গাছের তৈরি। অমুক মহিলার মুক্তদাস কাঠমিস্ত্রী তা তৈরি করেছিল। সেটি এনে স্থাপন করা হলে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উপর দাঁড়ান। অতঃপর তিনি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ালে লোকেরাও তাঁর পিছনে দাঁড়ায়, অতঃপর তিনি কিরাআত পড়েন, তারপর রুকূ‘ করেন, অতঃপর মাথা উঠান, অতঃপর কিবলামুখী অবস্থায় পেছনে সরে এসে যমীনে সাজদাহ করেন, অতঃপর আবার মিম্বারের দিকে এগিয়ে গিয়ে কিরাআত পড়েন, তারপর রুকূ‘ করে দাঁড়িয়ে যান, অতঃপর আগের মত পেছনে সরে এসে মাটিতে সাজদাহ করেন। [১৪১৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১৬] বুখারী ৩৭৭, ৪৪৮, ২০৯৪, ২৫৬৯; মুসলিম ৫৪৪, নাসায়ী ৭৩৯, আবূ দাঊদ ১০৮০, আহমাদ ২২৩৬৪, দারিমী ১২৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৪৫, আবী দাউদ ৯৯২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৭

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُومُ فِي أَصْلِ شَجَرَةٍ – أَوْ قَالَ إِلَى جِذْعٍ – ثُمَّ اتَّخَذَ مِنْبَرًا ‏.‏ قَالَ فَحَنَّ الْجِذْعُ – قَالَ جَابِرٌ – حَتَّى سَمِعَهُ أَهْلُ الْمَسْجِدِ حَتَّى أَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَسَحَهُ فَسَكَنَ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ لَمْ يَأْتِهِ لَحَنَّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏.

জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি গাছের মূলে অথবা খেজুর গাছের কাণ্ডে ঠেস দিয়ে দাড়াতেন। অতঃপর তিনি একটি মিম্বার গ্রহণ করেন। রাবী বলেন, খেজুর কাণ্ডটি কেঁদে দিলো। জাবির (রাঃ) বলেন, এমনকি মাসজিদের লোকেরা এর কান্না শুনতে পায়। অবশেষে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গাছের নিকট এসে তাতে হাত বুলান, ফলে তা শান্ত হয়। তাদের কতক বললেন, তিনি এর কাছে না এলে এটা কিয়ামাত পর্যন্ত কাঁদতো। [১৪১৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১৭] বুখারী ৯১৮, ২০৯৫, ৩৫৮৪-৮৫; আহমাদ ১৩৭০৫, ১৩৭২৯, ১৩৭৯৪, ১৩৮৭০, ১৪০৫৯; দারিমী ১৫৬২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২১৭৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২০০.অধ্যায়ঃ

(নফল) সালাতসমূহে দীর্ঘ কিয়াম করা।

১৪১৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّيْتُ ذَاتَ لَيْلَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سَوْءٍ ‏.‏ قُلْتُ وَمَا ذَاكَ الأَمْرُ قَالَ هَمَمْتُ أَنْ أَجْلِسَ وَأَتْرُكَهُ ‏.

আবদুল্লাহ্‌ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক রাতে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাত আদায় করলাম। তিনি এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ান যে, শেষে আমি একটি অসমীচীন কাজের ইচ্ছা করলাম। আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, সেটি কী? তিনি বলেন, আমি তাঁকে একাকী সালাতরত অবস্থায় ত্যাগ করে বসে পড়ার ইচ্ছা করেছিলাম। [১৪১৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১৮] বুখারী ১১৩৫, মুসলিম ৭৭৩, আহমাদ ৩৬৩৮, ৩৭৫৭, ৩৯২৭, ৪১৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুখতাসার শামায়িল ২২৪

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৯

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، سَمِعَ الْمُغِيرَةَ، يَقُولُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَتَّى تَوَرَّمَتْ قَدَمَاهُ ‏.‏ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا ‏”‏ ‏.

মুগীরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত পড়েন যে, তাঁর পদদ্বয় ফুলে যায়। বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্ তো আপনার পূর্বাপার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দা হব না? [১৪১৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪১৯]বুখারী ১১৩০, ৪৮৩৬, ৬৪৭১; মুসলিম ২৮১১-২, তিরমিযী ৪১২, নাসায়ী ১৬৪৪, আহমাদ ১৭৭৩৩, ১৭৭৭৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২০

حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي حَتَّى تَوَرَّمَتْ قَدَمَاهُ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (দীর্ঘক্ষণ ধরে) সালাত আদায় করতে থাকতেন, এমনকি তাঁর পদদ্বয় ফুলে যেতো। তাঁকে বলা হলো, আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? [১৪২০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২০]সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু হিশাম আর-রিফাঈ মুহাম্মাদ বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আমি তার ব্যাপারে খারাফ কিছু দেখি না। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস ভুল ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, আমি দেখেছি মুহাদ্দিসগণ তার ব্যাপারে একমত ছিলেন যে, তিনি দুর্বল। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. ইয়াহইয়া বিন ইয়ামান সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সাওরীর হাদিসে অধিক ভুল করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২১

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَىُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ قَالَ ‏ “‏ طُولُ الْقُنُوتِ ‏”‏ ‏.

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ সালাত উত্তম? তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়া সালাত। [১৪২১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২১] মুসলিম ৭৫৬, তিরমিযী ৩৮৭, আহমাদ ১৩৮২১, ১৪৭৮৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৫৮, সহীহ আবী দাউদ ১১৯৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২০১. অধ্যায়ঃ

অধিক সাজদাহ সম্পর্কে।

১৪২২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ أَبَا فَاطِمَةَ، حَدَّثَهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ، أَسْتَقِيمُ عَلَيْهِ وَأَعْمَلُهُ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ بِهَا عَنْكَ خَطِيئَةً ‏”‏ ‏.

আবূ ফাতিমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে এমন একটি আমাল বলে দিন, যা আমি অবিচলভাবে অনবরত করতে পারি। তিনি বলেন, তুমি সাজদাহ করো। কেননা তুমি যখনই আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ করবে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ সমুন্নত করবেন এবং তোমার একটি গুণাহ মাফ করবেন। [১৪২২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২২]আহমাদ ১৫১০০ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২১০।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৪২৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، حَدَّثَهُ مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ فَقُلْتُ لَهُ حَدِّثْنِي حَدِيثًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ ثُمَّ عُدْتُ فَقُلْتُ مِثْلَهَا فَسَكَتَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ لِي عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ لِلَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏”‏ ‏.‏

قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.

মা‘দান বিন আবূ তালহাহ আল-ইয়া‘মারী থেকে বর্ণিতঃ

আমি সাওবান (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করে তাকে বললাম, আপনি আমার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করুন, আশা করি তার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। রাবী বলেন, তিনি নীরব থাকলেন। আমি বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করলাম, এবারও তিনি নীরব থাকলেন। এভাবে তিনবার নীরব থাকলেন। অবশেষে তিনি আমাকে বলেন, তুমি অবশ্যই আল্লাহ্‌র জন্য সাজদাহ করো। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : যে কোন বান্দা আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ করলেই আল্লাহ এর বিনিময়ে তার একধাপ মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। মা‘দান (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি আবূদ-দারদা’ (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও একই কথা বলেন। [১৪২৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২৩] মুসলিম ৪৮৮, তিরমিযী ৩৮৮, ১১৩৯; আহমাদ ২১৮৬৫, ১১৯০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৫৭

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৪

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ الْمُرِّيِّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا حَسَنَةً وَمَحَا عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَرَفَعَ لَهُ بِهَا دَرَجَةً فَاسْتَكْثِرُوا مِنَ السُّجُودِ ‏”‏ ‏.‏

উবাদাহ ইবনুস-সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন : যখন কোন বান্দা আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে একটি নেকী দান করেন, তার একটি গুনাহ মাফ করেন এবং তার মর্যাদা এক ধাপ উন্নত করেন। অতএব তোমরা অধিক সংখ্যায় সাজদাহ করো। [১৪২৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহিহ (Sahih)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২০২. অধ্যায়ঃ

সর্বপ্রথম বান্দার সলাতের হিসাব নেয়া হবে।

১৪২৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ حَكِيمٍ الضَّبِّيِّ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو هُرَيْرَةَ إِذَا أَتَيْتَ أَهْلَ مِصْرِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الصَّلاَةُ الْمَكْتُوبَةُ فَإِنْ أَتَمَّهَا وَإِلاَّ قِيلَ انْظُرُوا هَلْ لَهُ مِنْ تَطَوُّعٍ فَإِنْ كَانَ لَهُ تَطَوُّعٌ أُكْمِلَتِ الْفَرِيضَةُ مِنْ تَطَوُّعِهِ ثُمَّ يُفْعَلُ بِسَائِرِ الأَعْمَالِ الْمَفْرُوضَةِ مِثْلُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন হাকীম আদ-দব্বী (মাসতূর বা অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি তোমার শহরে পৌছে তার বাসিন্দাদের অবহিত করবে যে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : কিয়ামাতের দিন মুসলিম বান্দার নিকট থেকে সর্বপ্রথম ফরয সলাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি সে তা পূর্ণরূপে আদায় করে থাকে (তবে তো ভালো), অন্যথায় বলা হবে : দেখো তো তার কোন নফল সালাত আছে কি না? যদি তার নফল সালাত থেকে থাকে, তবে তা দিয়ে তার ফরয সালাত পূর্ণ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য সব ফরয আমালের ব্যাপারেও অনুরূপ ব্যবস্থা করা হবে। [১৪২৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২৫] তিরমিযী ৪১৩, নাসায়ী ৪৬৫-৬৭, আবূ দাঊদ ৮৬৪, আহমাদ ৭৮৪২, ৯২১০, ১৬৫০১; ইবনু মাজাহ ১৪২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮১০, মিশকাত ১৩৩০-১৩৩১। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন যায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজলী বলেন, কোন সমস্যা নেই। ২. আনাস বিন হাকীম আদ-দাব্বী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার বিষয়টি অজ্ঞাত। ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَدَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ أَوَّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَلاَتُهُ فَإِنْ أَكْمَلَهَا كُتِبَتْ لَهُ نَافِلَةً فَإِنْ لَمْ يَكُنْ أَكْمَلَهَا قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ لِمَلاَئِكَتِهِ انْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَأَكْمِلُوا بِهَا مَا ضَيَّعَ مِنْ فَرِيضَتِهِ ‏.‏ ثُمَّ تُؤْخَذُ الأَعْمَالُ عَلَى حَسَبِ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.

তামীম আদ-দারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাতের দিন বান্দার নিকট থেকে সর্বপ্রথম তার সলাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি সে তা যথাযথভাবে পড়ে থাকে, তখন তার নফল সালাত তার জন্য অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য করা হবে। সে তা পূর্ণরূপে না পড়ে থাকলে মহান আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদের বলবেন : দেখো তো আমার বান্দার জন্য নফল কিছু পাও কিনা। সে তার ফরযে যা ঘাটতি করেছে, তোমরা তা নফল দ্বারা পূরণ করো। তারপর অপরাপর আমালের হিসাবও অনুরূপভাবে নেয়া হবে। [১৪২৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২৬] তিরমিযী ৪১৩, নাসায়ী ৪৬৫-৬৭, আবূ দাঊদ ৮৬৪, আহমাদ ৭৮৪২, ৯২১০, ১৬৫০১; ইবনু মাজাহ ১৪২৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮১২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২০৩. অধ্যায়ঃ

ফরয সলাতের স্থানে দাঁড়িয়ে নফল সালাত পড়া সম্পর্কে।

১৪২৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ إِذَا صَلَّى أَنْ يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ أَوْ عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ‏”‏ يَعْنِي السُّبْحَةَ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ (ফরয) সালাত পড়ার পর একটু সামনে এগিয়ে বা পিছনে সরে অথবা তার ডানে বা বাঁমে সরে (নফল) সালাত আদায় করতে কি অপরাগ হবে? [১৪২৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২৭] আবূ দাঊদ ১০০৬, আহমাদ ৯২১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬২৯, আবী দাউদ ৬২৯, ৯২২। উক্ত হাদিসের রাবী ১. লায়স সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু হাতিম এবং আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. হাজ্জাজ বিন উবায়দ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত। ৩. ইবরাহীম বিন ইসমাইল সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، ‏.‏ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ يُصَلِّي الإِمَامُ فِي مُقَامِهِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ الْمَكْتُوبَةَ حَتَّى يَتَنَحَّى عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ ‏.

মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইমাম যে স্থানে দাঁড়িয়ে ফরয সালাত পড়ে, সেই স্থান থেকে না সরে সে যেন (নফল) সালাত না পড়ে।

 

২/১৪২৮ (১). মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [১৪২৮]

 

তাহকীক আলবানী : সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২৮] আবূ দাঊদ ৬১৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ, ৬২৯, মিশকাত ৯৫৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উসমান বিন আতা সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আমর ইবনুল আফাল্লাস বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়। আল জাওযুজানী বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি নির্ভরযোগ্য। ইবনুল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ২. বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। ৩. আবু আব্দুর রহমান তামিমী সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২০৪. অধ্যায়ঃ

মাসজিদে সালাত পড়ার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়া।

১৪২৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ مَحْمُودٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ ثَلاَثٍ عَنْ نَقْرَةِ الْغُرَابِ وَعَنْ فِرْشَةِ السَّبُعِ وَأَنْ يُوطِنَ الرَّجُلُ الْمَكَانَ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ كَمَا يُوطِنُ الْبَعِيرُ ‏.‏

আবদুর রহমান বিন শিব্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন : সলাতের সাজদাহয় কাকের মত ঠোকর মারতে, হিংস্র জন্তুর ন্যায় বাহুদ্বয় যমীনের উপর বিছিয়ে দিতে এবং (মাসজিদে) কোন লোকের সালাত পড়ার স্থান নির্দিষ্ট করে নিতে, যেমন উট আস্তাবলে স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়। [১৪২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪২৯] নাসায়ী ১১১২, আবূ দাঊদ ৮৬২, আহমাদ ১৫১০৪, ১৫২৪০; দারিমী ১৩২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১১৬৮, মিশকাত ৯২, সহীহ আবী দাউদ ৮০৮। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামীদ বিন জা’ফার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ২. তামীম বিন মাহমুদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। আদ-দাওলাবী তাকে দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩০

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، أَنَّهُ كَانَ يَأْتِي إِلَى سُبْحَةِ الضُّحَى فَيَعْمِدُ إِلَى الأُسْطُوَانَةِ دُونَ الْمُصْحَفِ فَيُصَلِّي قَرِيبًا مِنْهَا فَأَقُولُ لَهُ أَلاَ تُصَلِّي هَا هُنَا وَأُشِيرُ إِلَى بَعْضِ نَوَاحِي الْمَسْجِدِ فَيَقُولُ إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَحَرَّى هَذَا الْمُقَامَ ‏.

সালামাহ ইবনুল আক্ওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একটি খুঁটির নিকটে দাঁড়িয়ে দুপুরের সালাত আদায় করতেন, তবে সারিতে নয়। আমি(ইয়াযীদ) তাকে মাসজিদের কোন স্থানের দিকে ইশারা করে বললাম, আপনি এখানে সালাত পড়েন না কেন? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ স্থানে সালাত আদায় করার চেষ্টা করতে দেখলাম। [১৪৩০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪৩০] বুখারী ৫০২, মুসলিম ৫০৯, আহমাদ ১৬০৮১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫/২০৫. অধ্যায়ঃ

তুমি সালাত পড়ার সময় জুতা খুললে তা কোথায় রাখবে?

১৪৩১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى يَوْمَ الْفَتْحِ فَجَعَلَ نَعْلَيْهِ عَنْ يَسَارِهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাক্কাহ বিজয়ের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাত আদায় করতে দেখলাম। তিনি তাঁর জুতাজোড়া তাঁর বাম পাশে রাখলেন। [১৪৩১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪৩১] নাসায়ী ৭৭৬, আবূ দাঊদ ৬৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৫৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَلْزِمْ نَعْلَيْكَ قَدَمَيْكَ فَإِنْ خَلَعْتَهُمَا فَاجْعَلْهُمَا بَيْنَ رِجْلَيْكَ وَلاَ تَجْعَلْهُمَا عَنْ يَمِينِكَ وَلاَ عَنْ يَمِينِ صَاحِبِكَ وَلاَ وَرَاءَكَ فَتُؤْذِيَ مَنْ خَلْفَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তুমি তোমার পদদ্বয়ে জুতা পরে থাকবে। তুমি তা খুলে ফেললে তোমার দু’ পায়ের মাঝখানে তা রাখো, তা তোমার ডান পাশেও রেখো না এবং তোমার সাথীর ডানে বা তোমার পেছনেও রেখো না। অন্যথায় তাতে তোমার পেছনের লোক কষ্ট পাবে। [১৪৩২]

 

তাহকীক আলবানী : নিতান্ত দঈফ, দু’প্রান্তের অংশ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪৩২] আবূ দাঊদ ৬৫৪-৫৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: নিতান্ত যঈফ, দুপ্রান্তের অংশ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যঈফা ৯৮৮ যঈফ জিদ্দান, সহীহ আবী দাউদ ৬৬১, রওফুল। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন সাঈদ বিন আবু সাঈদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদিতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। আমর ইবনুল ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য