ইবনে মাজাহ বিবাহ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১৮৪৫ – ১৯২৫

৯/১. অধ্যায়ঃ

বিবাহ করার ফযীলাত

১৮৪৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ قَيْسٍ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ بِمِنًى فَخَلَا بِهِ عُثْمَانُ فَجَلَسْتُ قَرِيبًا مِنْهُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ هَلْ لَكَ أَنْ أُزَوِّجَكَ جَارِيَةً بِكْرًا تُذَكِّرُكَ مِنْ نَفْسِكَ بَعْضَ مَا قَدْ مَضَى فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللهِ أَنَّهُ لَيْسَ لَهُ حَاجَةٌ سِوَى هَذِهِ أَشَارَ إِلَيَّ بِيَدِهِ فَجِئْتُ وَهُوَ يَقُولُ لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ لَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ

আলকামাহ বিন কায়স থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) -এর সাথে মিনায় উপস্থিত ছিলাম। উসমান (রাঃ) এসে তাঁর সাথে একান্তে কথা বলেন। আমিও তাঁর নিকটেই বসলাম। উসমান (রাঃ) তাঁকে বলেন, আমি কি তোমার সাথে এক কুমারী মেয়ের বিবাহ দিবো, যে তোমার অতীত যৌবনের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে? আবদুল্লাহ (রাঃ) যখন দেখলেন যে, তার উদ্দেশ্য কেবল বিবাহ করার উৎসাহ প্রদান করা, তখন তিনি আমাকে হাতের ইশারায় ডাকলেন। আমি তার নিকটে গেলাম এবং তিনি তখন বলছিলেন, তুমি যদি এ কথায় রাযী হয়ে যেতে। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার বিবাহ করার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিবাহ করে। কেননা তা দৃষ্টিশক্তিকে সংযতকারী এবং লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী। আর যার এ সামর্থ্য নেই, সে যেন সিয়াম রাখে। কেননা এটি তার জন্য জৈবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী। [১৮৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৪৫] সহীহুল বুখারী ১৯০৫, ৫০৬৫, ৫০৬৬, মুসলিম ১৪০০, তিরমিযী ১০৮১, নাসায়ী ২২৩৯, ২২৪০, ২২৪১, ২২৪২, ২২৪৩, ৩২০৬, ৩২০৭, ৩২০৮, ৩২০৯, ৩২১১, আবূ দাউদ ২০৪৬, আহমাদ ৩৫৮১, ৪১০১, দারেমী ২১৬৫, ২১৬৬, ইরওয়াহ ১৭৮১, সহীহ আবী দাউদ ১৭৮৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৪৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْأَزْهَرِ حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم النِّكَاحُ مِنْ سُنَّتِي فَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي وَتَزَوَّجُوا فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمْ الْأُمَمَ وَمَنْ كَانَ ذَا طَوْلٍ فَلْيَنْكِحْ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَعَلَيْهِ بِالصِّيَامِ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বিবাহ করা আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত মুতাবিক কাজ করলো না সে আমার নয়। তোমরা বিবাহ কর, কেননা আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের সামনে গর্ব করবো। অতএব যার সামর্থ্য আছে সে যেন বিবাহ করে এবং যার সামর্থ্য নেই সে যেন সিয়াম রাখে। কারন সাওম তার জন্য জৈবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী। [১৮৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৪৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ২৩৮৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ঈসা বিন মায়মুন সম্পর্কে আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি মুনকার। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬৬৭, ২৩/৪৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ نَرَ لِلْمُتَحَابَّيْنِ مِثْلَ النِّكَاحِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দু’জনের পারস্পরিক ভালবাসা স্থাপনের জন্য বিবাহের বিকল্প নেই। [১৮৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৪৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৬২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সালিহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি প্রত্যেক অবস্থায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে মুখস্ত হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬০৪, ২৬/৪১২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২. অধ্যায়ঃ

স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ নিষিদ্ধ।

১৮৪৮

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدٍ قَالَ لَقَدْ رَدَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ التَّبَتُّلَ وَلَوْ أَذِنَ لَهُ لَاخْتَصَيْنَا

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসমান বিন মাযঊন (রাঃ) -এর স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে আমরা অবশ্যই নপুংসক হয়ে যেতাম। [১৮৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৪৮] সহীহুল বুখারী ৫০৭৪, মুসলিম ৪০০২, তিরমিযী ১০৮৩, নাসায়ী ৩২১২, আহমাদ ১৫১৭, ১৫২৮, ১৫৯১, দারেমী ২১৬৭, ২১৬৯, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমানী সম্পর্কেআবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৪৯

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ وَزَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ قَالَا حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ التَّبَتُّلِ زَادَ زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ وَقَرَأَ قَتَادَةُ {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً}

সামুরাহ (বিন জুনদুব) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন। যায়দ বিন আখযামের বর্ণনায় আরো আছেঃ কাতাদাহ (রাঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “আর আমি তোমার আগে রসূল পাঠিয়েছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম” (সূরা রাদঃ ৩৮)। [১৮৪৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৪৯] তিরমিযী ১০৮২, নাসায়ী ৩২১৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী ১. বিশর বিন আদাম সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৭৭, ৪/৯০ নং পৃষ্ঠা) ২. মু’আয বিন হিশাম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার একটি মজলিসে ১৭ টি হাদিস ব্যাতিত তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করিনি। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৩৮, ২৮/১৩৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/৩. অধ্যায়ঃ

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার।

১৮৫০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي قَزْعَةَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَا حَقُّ الْمَرْأَةِ عَلَى الزَّوْجِ قَالَ أَنْ يُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمَ وَأَنْ يَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَى وَلَا يَضْرِبْ الْوَجْهَ وَلَا يُقَبِّحْ وَلَا يَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ

মুআবিয়াহ (বিন হায়দার) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, স্বামীর উপর স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে? তিনি বলেন, সে আহার করলে তাকেও (একই মানের) আহার করাবে, সে পরিধান করলে তাকেও একই মানের পোষাক পরিধান করাবে (অথবা তোমাদের ভরণপোষণের সাথে তাদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে এবং তোমাদের পোষাক-পরিচ্ছদের ব্যবস্থা করার সাথে তাদের পোষাক-পরিচ্ছদের ও ব্যবস্থা করবে)। কখন ও তার মুখমণ্ডলে আঘাত করবে না, অশ্লীল গালমন্দ করবে না এবং নিজ বাড়ী ছাড়া অন্যত্র তাকে একাকী ত্যাগ করবে না। [১৮৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫০] আবূ দাউদ ২১৪২, ইরওয়াহ ২০৩, মিশকাত ৩২২৯, সহীহ আবী দাউদ ১৮৫৮-১৮৬১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৫১

– حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ الْبَارِقِيِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَحْوَصِ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ ثُمَّ قَالَ اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّهُنَّ عِنْدَكُمْ عَوَانٍ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئًا غَيْرَ ذَلِكَ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ فَإِنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ لَكُمْ مِنْ نِسَائِكُمْ حَقًّا وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقًّا فَأَمَّا حَقُّكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ فَلَا يُوَطِّئَنَّ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ وَلَا يَأْذَنَّ فِي بُيُوتِكُمْ لِمَنْ تَكْرَهُونَ أَلَا وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ

আমর ইবনুল আহওয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে উপস্থিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর প্রশংসা ও গুনগান করেন এবং ওয়াজ-নসীহত করেন। এরপর তিনি বলেন, তোমরা নারীদের সাথে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ শুনে নাও। কেননা তারা তোমাদের নিকট আবদ্ধ আছে। এর অধিক তাদের উপর তোমাদের কর্তৃত্ব নাই যে, তারা যদি প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়, সত্যিই যদি তারা তাই করে, তবে তোমরা তাদেরকে পৃথক বিছানায় রাখবে এবং আহত হয় না এরূপ হালকা মারধর করবে। অতঃপর তারা তোমাদের অনুগত হয়ে গেলে তাদের উপর আর বাড়াবাড়ি করো না। স্ত্রীদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, তোমাদের উপর ও তাদের অধিকার আছে। তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার এই যে, তারা তোমাদের শয্যা তোমাদের অপছন্দনীয় লোকেদের দ্বারা মাড়াবে না এবং তোমাদের অপছন্দনীয় লোকেদেরকে তোমাদের ঘরে প্রবেশানুমতি দিবে না। সাবধান! তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদের ভরণপোষণ, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সজ্জার ব্যাপারে তোমরা তাদের প্রতি শোভনীয় আচরণ করবে। [১৮৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫১] তিরমিযী ১১৬৩, ৩০৮৭, ইরওয়াহ ১৯৯৭-২০২০। আদাবুয যিফাফ ১৫৬ তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৯/৪. অধ্যায়ঃ

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার।

১৮৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ أَمَرْتُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَمَرَ امْرَأَتَهُ أَنْ تَنْقُلَ مِنْ جَبَلٍ أَحْمَرَ إِلَى جَبَلٍ أَسْوَدَ وَمِنْ جَبَلٍ أَسْوَدَ إِلَى جَبَلٍ أَحْمَرَ لَكَانَ نَوْلُهَا أَنْ تَفْعَلَ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অপর কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে। কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে লাল পাহাড় থেকে কালো পাহাড়ে অথবা কালো পাহাড় থেকে লাল পাহাড়ে পাথর স্থানান্তরের নির্দেশ দিলে তা পালন করা তার জন্য অপরিহার্য হতো। [১৮৫২]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ, কিন্তু প্রথম অংশ তাকে স্বামীর জন্য সাজদার নির্দেশের সম্ভাবনার কথা সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫২] আহমাদ ২৩৯৫০, ইরওয়াহ ৭/৫৮, সহীহ আবী দাউদ ১৮৫৭, তাহকীক আলবানীঃ যঈফ, কিন্তু প্রথম অংশ তাকে স্বামীর জন্য সাজদার নির্দেশের সম্ভাবনার কথা সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০, ২০/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা) হাদিসটির ২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, প্রথমটি তলক বিন আলী হতে তিরমিযি ও নাসাঈতে ও অপরটি উম্মু সালামাহ থেকে তিরমিযিতে।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১৮৫৩

حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ الْقَاسِمِ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ لَمَّا قَدِمَ مُعَاذٌ مِنْ الشَّامِ سَجَدَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا هَذَا يَا مُعَاذُ قَالَ أَتَيْتُ الشَّامَ فَوَافَقْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِأَسَاقِفَتِهِمْ وَبَطَارِقَتِهِمْ فَوَدِدْتُ فِي نَفْسِي أَنْ نَفْعَلَ ذَلِكَ بِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَا تَفْعَلُوا فَإِنِّي لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا تُؤَدِّي الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِيَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ

আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুআয (রাঃ) সিরিয়া থেকে ফিরে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সিজদা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে মুআয! এ কী? তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে দেখতে পাই যে, তথাকার লোকেরা তাদের ধর্মীয় নেতা ও শাসকদেরকে সিজদা করে। তাই আমি মনে মনে আশা পোষণ করলাম যে, আমি আপনার সামনে তাই করবো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা তা করো না। কেননা আমি যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে। সেই স্বত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! স্ত্রী তার স্বামীর প্রাপ্য অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত তার প্রভুর প্রাপ্য অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে না। স্ত্রী শিবিকার মধ্যে থাকা অবস্থায় স্বামী তার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে চাইলে স্ত্রীর তা প্রত্যাখ্যান করা অনুচিত। [১৮৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৭/৫৫-৫৬, আদাবুয যিফাফ ১৭৮, সহিহাহ ১২০৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী কাসিম আশ-শায়বানী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। ইমাম যাহাবী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮০৫, ২৩/৩৯৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৮৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ أَبِي نَصْرٍ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُسَاوِرٍ الْحِمْيَرِيِّ عَنْ أُمِّهِ قَالَتْ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتْ الْجَنَّةَ

মুসাবির আল-হিমাইয়ারী (মাজহুল বা অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ

তার মাতা (ইসমু মুবহাব বা নাম অজ্ঞাত) , বলেন, আমি উম্মু সালামাহকে (রাঃ) , বলতে শুনেছি, স্বামী খুশি থাকা অবস্থায় কোন স্ত্রীলোক মারা গেলে সে জান্নাতি। [১৮৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৪] তিরমিযী ১১৬১, আত-তালীকুর রাগীব ৩/৭৩, যাইফাহ ১৪২৬, যইফ আল-জামি’ ২২২৭। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মুসা বিন আল-হিমইয়ারী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী অন্যত্র বলেন, তার সংবাদটি মুনকার। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৮৮৮, ২৭/৪২৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯/৫. অধ্যায়ঃ

সর্বোত্তম মহিলা।

১৮৫৫

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّمَا الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَلَيْسَ مِنْ مَتَاعِ الدُّنْيَا شَيْءٌ أَفْضَلَ مِنْ الْمَرْأَةِ الصَّالِحَةِ

আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ। আর দুনিয়ার মধ্যে পুণ্যবতী স্ত্রীলোকের চেয়ে অধিক উত্তম কোন সম্পদ নাই। [১৮৫৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৫] মুসলিম ১৪৬৭, নাসায়ী ৩২৩২, আহমাদ ৬৫৩১, যঈফাহ ৫১৭৭, মুসলিম অনুরূপ। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন যিয়াদ বিন আনউম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমগনের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল কাসিম বিন বিশকাওাল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি একজন সালিহ ব্যাক্তি তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮১৭, ১৭/১০২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৫৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ لَمَّا نَزَلَ فِي الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ مَا نَزَلَ قَالُوا فَأَيَّ الْمَالِ نَتَّخِذُ قَالَ عُمَرُ فَأَنَا أَعْلَمُ لَكُمْ ذَلِكَ فَأَوْضَعَ عَلَى بَعِيرِهِ فَأَدْرَكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا فِي أَثَرِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَيَّ الْمَالِ نَتَّخِذُ فَقَالَ لِيَتَّخِذْ أَحَدُكُمْ قَلْبًا شَاكِرًا وَلِسَانًا ذَاكِرًا وَزَوْجَةً مُؤْمِنَةً تُعِينُ أَحَدَكُمْ عَلَى أَمْرِ الْآخِرَةِ

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সোনা-রূপা (মূল্যবান সম্পদ) পুঞ্জীভূত করে রাখার সমালোচনায় কুরআনের আয়াত নাযিল হলে সাহাবায়ে কিরাম বলেন, তাহলে আমরা কোন সম্পদ ধরে রাখবো? উমার (রাঃ) বলেন, আমি তা জেনে তোমাদের বলে দিবো। অতঃপর তিনি তাঁর উটকে দ্রুত হাঁকিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাক্ষাত পেয়ে গেলেন। আমিও তার পিছনে পিছনে গেলাম। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কোন সম্পদ সঞ্চয় করবো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন অর্জন করে কৃতজ্ঞ অন্তর, যিকিরকারী জিহবা এবং আখরাতের কাজে তাকে সহায়তাকারী ঈমানদার স্ত্রী। [১৮৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৬] তিরমিযী ৩০৯৪, রওযা ১৭৯, যঈফাহ ২১৭৬, তা’লীকুর রগীব ৩/৬৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন আমর বিন মুররাহ সম্পর্কে আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন দোষ নেই, তিনি তার পিতা থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৫৬, ১৫/৩৭০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৫৭

– حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ” কোন মু’মিন ব্যক্তি আল্লাহভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পূণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ও প্রফুল্লতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্হিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। ” [১৮৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৭] মিশকাত দ্বিতীয় তাহকীক ৩০৯৫, আত-তা-লীকুর রাগীব ৩/৬৭, যঈফাহ ৪৪২১। আর-রাদ্দু আলা বালীক ১০৬, যইফ আল জামি’ ৪৯৯৯ তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল হাকিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবুল ফাতহ আল আযদী ও আবু বকর আল-বুরকানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৫৪, ২১/১৭৮ নং পৃষ্ঠা) তবে তার শাহিদ একটি হাদিস রয়েছে, যা আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯/৬. অধ্যায়ঃ

ধর্মপরায়ণা নারীকে বিবাহ করা।

১৮৫৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تُنْكَحُ النِّسَاءُ لِأَرْبَعٍ لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “চারটি বিষয় বিবেচনায় রেখে মহিলার বিবাহ করা হয়। তার সম্পদ, তার বংশ-মর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য্য এবং তার ধর্ম-পরায়ণতা। অতএব তুমি ধর্ম-পরায়ণা নারীর সন্ধান করো। অন্যথায় তোমার দু’হাত ধূলি ধুসরিত হোক। ” [১৮৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৮] সহীহুল বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাউদ ২০৪৭, আহমাদ ৯২৩৭ দারেমী ২১৭০, ইরওয়াহ ১৭৮৩, গায়াতুল মারাম ২২, সহীহ আবী দাউদ ১৮৮৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبيُّ وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ الْإِفْرِيقِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تَزَوَّجُوا النِّسَاءَ لِحُسْنِهِنَّ فَعَسَى حُسْنُهُنَّ أَنْ يُرْدِيَهُنَّ وَلَا تَزَوَّجُوهُنَّ لِأَمْوَالِهِنَّ فَعَسَى أَمْوَالُهُنَّ أَنْ تُطْغِيَهُنَّ وَلَكِنْ تَزَوَّجُوهُنَّ عَلَى الدِّينِ وَلَأَمَةٌ خَرْمَاءُ سَوْدَاءُ ذَاتُ دِينٍ أَفْضَلُ

আব্দুল্লাহ্‌ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমরা শুধু রুপ-সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে মহিলাদের বিবাহ করো না। এ রুপ-সৌন্দর্য্য হয়তো তাদের ধ্বংসের কারণও হতে পারে। হয়তো এই সম্পদই তাদের অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণ হতে পারে। অতএব ধর্মপরায়ণতা বিবেচনায় তোমরা তাদের বিবাহ করো। চেপ্টা নাকবিশিষ্ট কুৎসিৎ দাসীও অধিক উত্তম যদি সে হয় ধর্ম-পরায়ণা। ” [১৮৫৯]

 

তাহক্বীক আলবানীঃ অত্যন্ত দঈফ। তবে ইবনু হিব্বান তার সহীহায় হাদীসটি ভিন্ন একটি সানাদে সহীহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীকুর রাগীব ৩/৭০, যঈফাহ ১০৬০। যইফ আল জামি’ ৬২১৬। তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত যঈফ। তবে ইবনু হিব্বান তার সহিহায় হাদিসটি ভিন্ন একটি সানাদে সহিহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন যিয়াদ বিন আনউম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমগনের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল কাসিম বিন বিশাকাওয়াল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি একজন সালিহ ব্যাক্তি তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮১৭, ১৭/১০২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৯/৭. অধ্যায়ঃ

কুমারী মহিলা বিবাহ করা।

১৮৬০

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَقِيتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَتَزَوَّجْتَ يَا جَابِرُ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ أَبِكْرًا أَوْ ثَيِّبًا قُلْتُ ثَيِّبًا قَالَ فَهَلَّا بِكْرًا تُلَاعِبُهَا قُلْتُ كُنَّ لِي أَخَوَاتٌ فَخَشِيتُ أَنْ تَدْخُلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُنَّ قَالَ فَذَاكَ إِذَنْ

জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে এক মহিলাকে বিবাহ করলাম। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেনঃ “হে জাবির! তুমি কি বিবাহ করেছো?” আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’। তিনি বললেন, “কুমারী না বিধবা?” আমি বললাম, ‘বিধবা’। তিনি বলেন, “কেন তুমি কুমারী মেয়ে বিবাহ করলে না, তাহলে তার সাথে তুমি রসিকতা ও কৌতুক করতে পারতে?” আমি বললাম, আমার কয়েকটি বোন আছে। তাই আমি আমার ও আমার বোনদের মধ্যে একটি কুমারী মেয়ের প্রবেশ করাকে সংকটজনক বোধ করলাম। তিনি বলেনঃ “তাতো ভালো কথা”। [১৮৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬০] সহীহুল বুখারী ২০৯৭, ২৩০৯, ২৯৬৭, ৪০৫২, ৫০৭৯, ৫০৮০, ৫২৪৫, ৫২৪৭, ৫৩৬৭, ৬৩৮৭, মুসলিম ৭১৫, তিরমিযী ১১০০, নাসায়ী ৩২১৯, ৩২২০, ৩২২৬, আবূ দাউদ ২০৪৮,আহমাদ ১৩৮২২,১৩৮৯৪, ১৩৯৬৭, ১৪৪৪৭, ১৪৪৮০, ১৪৫৪৪, ১৪৭৭১, দারেমী ২২১৬, সহীহ আবী দাউদ ১৭৮, ইরওয়াহ ১৭৮৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬১

– حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ التَّيْمِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَالِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ عُوَيْمِ بْنِ سَاعِدَةَ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْكُمْ بِالْأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ

উতবাহ বিন উওয়ায়ম আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমাদের কুমারী মেয়ে বিবাহ করা উচিত। কেননা তারা মিষ্টমুখী, নির্মল জরায়ুধারী এবং অল্পতেই তুষ্ট হয়। ” [১৮৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৬২৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন তালহাহ আত তায়মী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৩১২, ২৫/৪১৪ নং পৃষ্ঠা) ২. আব্দুর রহমান বিন সালিম বিন উতবাহ বিন উওয়ায়ম বিন সাইদাহ আল-আনসারী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮২৩, ১৭/১২৭ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন তালহাহ আত তায়মী ও আব্দুর রহমান বিন সালিম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৯ টি অধিক দুর্বল, ১৩ টি দুর্বল, ১০ টি হাসান, ১২ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১০৩৪১, ১০৩৪২, মু’জামুল আওসাত ৪৫৫, ৭৬৭৭, শারহুস সুন্নাহ ২২৪৬ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৯/৮. অধ্যায়ঃ

স্বাধীন ও অধিক সন্তানদানে সক্ষম নারী বিবাহ করা।

১৮৬২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ سَوَّارٍ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَلْقَى اللهَ طَاهِرًا مُطَهَّرًا فَلْيَتَزَوَّجْ الْحَرَائِرَ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি পাক-পবিত্র অবস্হায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করতে চায় সে যেন স্বাধীন নারী বিবাহ করে। ” [১৮৬২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬২] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ১৪১৭। যইফ আল-জামি’ ৫৩৮৮। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী সাল্লাম বিন সাওওয়ার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল জুরজানী বলেন, আমার নিকট তিনি মুনকার অর্থাৎ কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী ফিসক এর সাথে জড়িত। আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী তাকে সিকাহ বললেও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬৫৬, ১২/২৮৬ নং পৃষ্ঠা) ২. কাসীর বিন সুলায়ম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল আযদী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯৪৪, ২৪/১২১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬৩

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ عَنْ طَلْحَةَ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْكِحُوا فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمْ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমরা বিবাহ করো, আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে গৌরব করবো। ” [১৮৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহ আবী দাউদ ১৭৮৯, আদবুয যিফাফ ১৬, ৫৩, ইরওয়াহ ১৭৮৪, যঈফাহ ২৯৬০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. তালহাহ (বিন আমর বিন উসমান) সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকার আল বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল ও আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত ও দুর্বল। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আলী ইবনুল জুনায়দ আর রাযী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৭৮, ১৩/৪২৭ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইয়াকুব বিন হুমায়দ ও তালহাহ বিন আমর এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯৯ টি শাহিদ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ২০৫০, আহমাদ ১২২০২, ১৩১৫৭, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১০৩৪৩, ১০৩৪৪, মু’জামুল আওসাত ৫০৯৯,৫৭৪৬ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/৯. অধ্যায়ঃ

বিবাহের পূর্বে পাত্রী দেখা।

১৮৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ عَمِّهِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً فَجَعَلْتُ أَتَخَبَّأُ لَهَا حَتَّى نَظَرْتُ إِلَيْهَا فِي نَخْلٍ لَهَا فَقِيلَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا أَلْقَى اللهُ فِي قَلْبِ امْرِئٍ خِطْبَةَ امْرَأَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا

মুহাম্মাদ বিন সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক মহিলাকে বিবাহের পয়গাম পাঠালাম। আমি তাকে দেখার জন্যে চুপিসারে তার বাগানে যাতায়াত করতাম এবং সেখানে তাকে দেখে ফেললাম। তাকে বলা হলো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবী হয়ে তুমি এই কাজ করলে? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ “যখন আল্লাহ কারো অন্তরে কোন মহিলাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দানের আগ্রহ পয়দা করেন, তখন তাকে দেখে নেয়াতে দোষের কিছু নেই। ” [১৮৬৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৪] আহমাদ ১৫৫৯৮, সহীহাহ ৯৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমদের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلَّالُ وَزُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ ثابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ امْرَأَةً فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا فَفَعَلَ فَتَزَوَّجَهَا فَذَكَرَ مِنْ مُوَافَقَتِهَا

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) এক মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছা করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন, “তুমি গিয়ে তাকে দেখে নাও। কেননা তা তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। “

অতঃপর তিনি তাই করলেন এবং তাকে বিবাহ করলেন। পরে তাঁর নিকট তাদের দাম্পত্য সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করা হয়। [১৮৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৫] তিরমিযী ১০৮৭, নাসায়ী ৩২৩৫, দারেমী ২১৭২, সহীহাহ ১/১৫১-১৫২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيِّ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ لَهُ امْرَأَةً أَخْطُبُهَا فَقَالَ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَجْدَرُ أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا فَأَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ الْأَنْصَارِ فَخَطَبْتُهَا إِلَى أَبَوَيْهَا وَأَخْبَرْتُهُمَا بِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَأَنَّهُمَا كَرِهَا ذَلِكَ قَالَ فَسَمِعَتْ ذَلِكَ الْمَرْأَةُ وَهِيَ فِي خِدْرِهَا فَقَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَكَ أَنْ تَنْظُرَ فَانْظُرْ وَإِلَّا فَأَنْشُدُكَ كَأَنَّهَا أَعْظَمَتْ ذَلِكَ قَالَ فَنَظَرْتُ إِلَيْهَا فَتَزَوَّجْتُهَا فَذَكَرَ مِنْ مُوَافَقَتِهَا

মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে এক মহিলাকে বিবাহ করার ব্যাপারে তাঁর সাথে আলাপ করলাম। তিনি বলেনঃ ” তুমি যাও এবং তাকে দেখে নাও। হয়তো তাতে উভয়ের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হবে। ” অতএব আমি এক আনসার মহিলার নিকটে এসে তার পিতা-মাতার নিকট তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলাম এবং সাথে সাথে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাদীসও তাদের অবহিত করলাম। কিন্তু মনে হলো তার পিতা-মাতা এটা অপছন্দ করলো। রাবী বলেন, মেয়েটি পর্দার আড়াল থেকে উক্ত হাদীস শুনে বললোঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে পাত্রী দেখার আদেশ দিয়ে থাকলে আপনি দেখে নিন। অন্যথায় আমি আপনাকে শপথ দিচ্ছি (না দেখার জন্যে)। সে যেন ব্যাপারটিকে অভিনব মনে করলো। রাবী বলেন, আমি তাকে দেখে নিলাম এবং তাকে বিবাহ করলাম। পরে মুগীরাহ (রাঃ) তার সাথে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। [১৮৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৬] তিরমিযী ১০৮৭, নাসায়ী ৩২৩৫, দারেমী ২১৭২, মিশকাত ৩১০৭, সহীহাহ ৯৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১০. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়।

১৮৬৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ وَسَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَخْطُبْ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। ” [১৮৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৭] সহীহুল বুখারী ২১৪০, ২৭২৩, ৫১৪৪, মুসলিম ১৪১৩, তিরমিযী ১১৩৪, নাসায়ী ৩২৩৯, ৩২৪০, ৩২৪১, ৩২৪২, ৪৫০২, আবূ দাউদ ২০৮০, আহমাদ ৭৬৪৩, ৮০৩৯, ২৭৪৪৭, ৮৮৭৬, ২৭৪৯৩, ৯২৩৪, ৯৫৮৫, ৯৬৩৫, ৯৯৭৩, ১০২২৭, ১০৩১১, ১০৪৬৩, মুয়াত্তা মালেক ১১১১, দারেমী ২১৭৫, সহীহাহ ১০৩০, সহীহ আবী দাউদ ১৮১৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَخْطُبْ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। ” [১৮৬৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৮] সহীহুল বুখারী ৫১৪২, মুসলিম ১৪১২, তিরমিযী ১২৯২, নাসায়ী ৩২৩৮, ৩২৪৩, আবূ দাউদ ২০৮১, আহমাদ ৪৭০৮, ৪৯৯০, ৪৯৯৮, ৬০২৪, ৬০৫২, ৬১০০, ৬২৪০, ৬৩৭৫, মুয়াত্তা মালেক ১১১২, দারেমী ২১৭৬, সহীহ আবী দাউদ ১৮১৫, সহিহাহ ১০৩০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ بْنِ صُخَيْرٍ الْعَدَوِيِّ قَالَ سَمِعْتُ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ تَقُولُ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا حَلَلْتِ فَآذِنِينِي فَآذَنَتْهُ فَخَطَبَهَا مُعَاوِيَةُ وَأَبُو الْجَهْمِ بْنُ صُخَيْرٍ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ تَرِبٌ لَا مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو الْجَهْمِ فَرَجُلٌ ضَرَّابٌ لِلنِّسَاءِ وَلَكِنْ أُسَامَةُ فَقَالَتْ بِيَدِهَا هَكَذَا أُسَامَةُ أُسَامَةُ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَاعَةُ اللهِ وَطَاعَةُ رَسُولِهِ خَيْرٌ لَكِ قَالَتْ فَتَزَوَّجْتُهُ فَاغْتَبَطْتُ بِهِ

ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেন, “তোমার ইদ্দত পূর্ণ হলে আমাকে জানাবে। ” ইদ্দত শেষ হলে আমি তাঁকে অবহিত করলাম। এরপর মুআবিয়া, আবুল জাহম বিন সুখায়র ও উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাকে) বলেনঃ ” মুআবিয়া গরীব লোক, তার কোন সম্পদ নেই। আর আবুল জাহম স্ত্রীদের অধিক মারধর করে। তবে উসামাহ। ফাতিমাহ (রাঃ) দু’বার হাত দিয়ে এভাবে ইশারা করে বলেন, উসামাহ, উসামাহ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ “আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যই তোমার জন্যে কল্যাণকর। “ফাতিমাহ (রাঃ) বলেন, আমি তাকে বিবাহ করলাম এবং তার নেক আমল আমার জন্যে ঈর্ষণীয় ছিলে। ” [১৮৬৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬৯] মুসলিম ১৪৮০, তিরমিযী ১১৩৫, নাসায়ী ৩২২২, ৩২৩৭, ৩২৪৪, ৩২৪৫, ৩৫৪৫, ৩৫৫২, আবূ দাউদ ২২৮৪, ২২৯০, আহমাদ ২৬৫৬০, ২৬৭৭৫, ২৬৭৮৭, ২৬৭৯১, ২৬৭৯৭, মুয়াত্তা মালেক ১২৩৪, দারেমী ২১৭৭, বায়হাকী ৭/১১১, মুসতাদরাক ৪/১৭৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১১. অধ্যায়ঃ

কুমারী ও বিধবা মেয়ের মত গ্রহণ প্রসঙ্গে।

১৮৭০

حَدَّثَنِي إِسْمَعِيلُ بْنُ مُوسَى السُّدِّيُّ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنسٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ الْهَاشِمِيِّ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْأَيِّمُ أَوْلَى بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ الْبِكْرَ تَسْتَحْيِي أَنْ تَتَكَلَّمَ قَالَ إِذْنُهَا سُكُوتُهَا

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “বিধবা নারী নিজের ব্যাপারে তার অভিভাবক অপেক্ষা অধিক কর্তৃত্বশীল এবং কুমারী মেয়ের বিবাহের ব্যাপারে তার সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। ” বলা হলো, ইয়া রসূলুল্লাহ! কুমারী তো বিবাহের ব্যাপারে কথা বলতে লজ্জাবোধ করে। তিনি বলেন, “তার নীরবতাই তার সম্মতি। ” [১৮৭০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭০] মুসলিম ১৪২১, তিরমিযী ১১০৮, নাসায়ী ৩২৬০, ৩২৬১, ৩২৬২, ৩২৬৩, ৩২৬৪, আবূ দাউদ ২০৯৮, ২১০০, আহমাদ ১৮৯১, ২১৬৪, ২৩৬১, ২৪৭৭, ৩০৭৭, ৩২১২, ৩৩৩৩, ৩৪১১, মুয়াত্তা মালেক ১১১৪, দারেমী ২১৮৮, ২১৮৯, ২১৯০, ইরওয়াহ ১৮৩৩, সহীহাহ ১২১৬, সহীহ আবী দাউদ ১৮২৮-১৮৩০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও তার রাফিদী মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৭১

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تُنْكَحُ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلَا الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَإِذْنُهَا الصُّمُوتُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “বিধবাকে তার নির্দেশ গ্রহণ ব্যতীত বিবাহ দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকেও তার সম্মতি গ্রহণ ব্যতীত বিবাহ দেয়া যাবে না। নীরবতাই তার সম্মতির লক্ষণ। ” [১৮৭১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭১] সহীহুল বুখারী ৫১৩৬, ৬৯৬৮, ৬৯৭০, মুসলিম ১৪১৯, তিরমিযী ১১০৭, নাসায়ী ৩২৬৫, ৩২৬৭, ৩২৭০, আবূ দাউদ ২০৯২, ২০৯৩, আহমাদ ৭৩৫৬, ৭৪৬৫, ৭৭০১, ৯২০৭, ৯৩২২, ২৭২৭২, দারেমী ২১৮৬, ইরওয়াহ ১৮২৮, সহীহ আবী দাউদ ১৯২৪৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৭২

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ الْكِنْدِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الثَّيِّبُ تُعْرِبُ عَنْ نَفْسِهَا وَالْبِكْرُ رِضَاهَا صَمْتُهَا

আদী বিন উমায়রাহ আল কিন্দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ” বিধবা মহিলা তার ব্যাপারে সুস্পষ্ট মত প্রকাশ করবে। আর কুমারী মেয়ের নীরবতা তার সম্মতির লক্ষণ। ” [১৮৭২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭২] আহমাদ ১৭২৬৯, বায়হাকী ৭/১১০, ইরওয়াহ ১৮৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১২. অধ্যায়ঃ

কেউ নিজের মেয়েকে তার অমতে বিবাহ দিলে।

১৮৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ وَمُجَمِّعَ بْنَ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيَّيْنِ أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ يُدْعَى خِذَامًا أَنْكَحَ ابْنَةً لَهُ فَكَرِهَتْ نِكَاحَ أَبِيهَا فَأَتَتْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ لَهُ فَرَدَّ عَلَيْهَا نِكَاحَ أَبِيهَا فَنَكَحَتْ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ وَذَكَرَ يَحْيَى أَنَّهَا كَانَتْ ثَيِّبًا.

আবদুর রহমান বিন ইয়াযীদ ও মুজাম্মি’ বিন ইয়াযীদ আল-আনসারী (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সংবাদ দেন যে, খিযাম নামক এক ব্যক্তি তার মেয়েকে বিবাহ দেন। সে তার পিতার এই বিবাহ অপছন্দ করে। মেয়েটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্হিত হয়ে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পিতার দেয়া এই বিবাহ রদ করে দেন। পরে সেই মেয়ে আবূ লুবাবা বিন আব্দুল মুনযির (রাঃ)-কে বিবাহ করে। ইয়াহহিয়া (রঃ) বলেন, সে ছিল সায়্যিবা (বিধবা)। [১৮৭৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৩] সহীহুল বুখারী ৫১৩৯, ৬৯৪৫, ৬৯৬৯, নাসায়ী ৩২৬৮, আবূ দাউদ ২১০১, আহমাদ ২৬২৪৬, ২৬২৫১, মুয়াত্তা মালেক ১১৩৫, দারেমী ২১৯১ ২১৯২, বায়হাকী ৭/২০০, ইরওয়াহ ১৩৮০, রওদুন নাদীর ৪২৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৭৪

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ جَاءَتْ فَتَاةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ أَبِي زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ قَالَ فَجَعَلَ الْأَمْرَ إِلَيْهَا فَقَالَتْ قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنْ الْأَمْرِ شَيْءٌ

বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক যুবতী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্হিত হয়ে বললো, আমার পিতা তার ভ্রাতুষ্পুত্রকে তার দুর্দশাগ্রস্ত অবস্হা থেকে উদ্ধারের জন্য আমাকে তার সাথে বিবাহ দিয়েছেন। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষয়টি মেয়েটির এখতিয়ারে ছেড়ে দেন। মেয়েটি বললো, আমার পিতা যা করেছেন তা আমি বহাল রাখলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিলো, মেয়েরা জেনে নিক যে, বিবাহের ব্যাপারে পিতাদের কোন এখতিয়ার নেই। [১৮৭৪]

 

তাহক্বীক আলবানীঃ দঈফ শায।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/২০০। গায়াতুল মারাম ২১৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ শায।

হাদিসের মানঃ দুর্বল শায

  •  সরাসরি

১৮৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو السَّقْرِ يَحْيَى بْنُ يَزْدَادَ الْعَسْكَرِيُّ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَرُوذِيُّ حَدَّثَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ جَارِيَةً بِكْرًا أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ لَهُ أَنَّ أَبَاهَا زَوَّجَهَا وَهِيَ كَارِهَةٌ فَخَيَّرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم

 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ أَنْبَأَنَا مُعَمَّرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّقِّيُّ عَنْ زَيْدِ بْنِ حِبَّانَ عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একটি কুমারী মেয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে তাঁকে জানায় যে, তার পিতা তার অমতে তাকে বিবাহ দিয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (বিবাহ রদের) এখতিয়ার দিলেন। [১৮৭৫]

 

৩/১৮৭৫ (১). <মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ><মুআম্মার বিন সুলায়মান আর-রাক্কী><যায়দ বিন হিব্বান (তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদীস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন) ><আয়্যূব সাখতিয়ানী><ইকরিমাহ><ইবনু আব্বাস (রাঃ) > [১৮৭৫]

 

তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৫] আবূ দাউদ ২০৯৬, আহমাদ ২৪৬৫, বায়হাকী ৭/২০০। রাওদুন নাদীর ৪২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ বিন হিব্বান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমি তার বর্ণনায় কোন সমস্যা দেখি না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন তিনি তাদের একজন এমনকি তিনি এককভাবে হাদিস বর্ণনা করলে তা দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা থেকে বের হয়ে যায়। আবু নু’আয়ম আল-ফাদল তার হাদিস বর্জন করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমরা সকলে তার হাদিস বর্জন করেছি। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৬, ১০/৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৩. অধ্যায়ঃ

নাবালেগ মেয়েকে তার পিতা বিবাহ দিলে।

১৮৭৬

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَنَزَلْنَا فِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَوُعِكْتُ فَتَمَرَّقَ شَعَرِي حَتَّى وَفَى لَهُ جُمَيْمَةٌ فَأَتَتْنِي أُمِّي أُمُّ رُومَانَ وَإِنِّي لَفِي أُرْجُوحَةٍ وَمَعِي صَوَاحِبَاتٌ لِي فَصَرَخَتْ بِي فَأَتَيْتُهَا وَمَا أَدْرِي مَا تُرِيدُ فَأَخَذَتْ بِيَدِي فَأَوْقَفَتْنِي عَلَى بَابِ الدَّارِ وَإِنِّي لَأَنْهَجُ حَتَّى سَكَنَ بَعْضُ نَفَسِي ثُمَّ أَخَذَتْ شَيْئًا مِنْ مَاءٍ فَمَسَحَتْ بِهِ عَلَى وَجْهِي وَرَأْسِي ثُمَّ أَدْخَلَتْنِي الدَّارَ فَإِذَا نِسْوَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ فِي بَيْتٍ فَقُلْنَ عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ وَعَلَى خَيْرِ طَائِرٍ فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِنَّ فَأَصْلَحْنَ مِنْ شَأْنِي فَلَمْ يَرُعْنِي إِلَّا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ضُحًى فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ছয় বছর বয়সে আমাকে বিবাহ করেন। অতঃপর আমরা (হিজরত করে) মাদীনায় চলে এলাম এবং হারিস ইবনুল খাযরাজ গোত্রে আশ্রয় নিলাম। এখানে আমি জ্বরে আক্রান্ত হলে আমার মাথার চুল উঠে যায় এবং অল্প কিছু চুল অবশিষ্ট থাকে। আমি আমার বান্ধবীদের সাথে দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম, তখন আমার মা উম্মু রুমান এসে আমাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকলেন। আমি তার নিকট আসলাম, কিন্তু আমি তার উদ্দেশ্য বুঝতে পারলাম না। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে ঘরের দরজায় দাঁড় করিয়ে দেন। আমি তখন সজোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম। তিনি পানি নিয়ে তা দ্বারা আমার মুখ ও মাথা মুছে দিলেন, অতঃপর আমাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে যান, তখন ঘরের মধ্যে কিছু সংখ্যক আনসারী মহিলা ছিলেন। তারা বললেন, কল্যাণ ও বরকত হোক, ভাগ্য প্রসন্ন হোক। তিনি আমাকে তাদের নিকট সোপর্দ করলেন। তারা আমাকে সুসজ্জিত করেন। দুপুর বেলা হঠাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপস্হিতি আমাকে সচকিত করে। আমার মা আমাকে তাঁর নিকট অর্পণ করেন। তখন আমার বয়স ছিল নয় বছর। ” [১৮৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৬] সহীহুল বুখারী ৩৮৯৪, ৩৮৯৬, ৫১৩৩, ৫১৩৪, ৫১৫৬, ৫১৫৮, ৫১৬০, মুসলিম ৪০২২, নাসায়ী ৩২৫৫, ৩২৫৬, ৩২৫৭, ৩২৫৮, ৩৩৭৮, ৩৩৭৯, আবূ দাউদ ২১২১, ৪৯৩৩, ৪৯৩৫, আহমাদ ২৫২৪১, ২৫৮৬৫, দারেমী ২২৬১, ইরওয়াহ ১৮৩১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৭৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَائِشَةَ وَهِيَ بِنْتُ سَبْعٍ وَبَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعٍ وَتُوُفِّيَ عَنْهَا وَهِيَ بِنْتُ ثَمَانِي عَشْرَةَ سَنَةً

আবদুল্লাহ (বিন মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়িশাহ (রাঃ) কে তার সাত বছর বয়সে বিবাহ করেন এবং তার সাথে তার নয় বছর বয়সে বাসর যাপন করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের সময় তার বয়স ছিল আঠার বছর।”

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৭] নাসায়ী ৩২৫৫, ইরওয়াহ ৬/২৩০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৪. অধ্যায়ঃ

পিতা ব্যতীত অপর কেউ নাবালেগ মেয়েকে বিবাহ দিলে।

১৮৭৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ حِينَ هَلَكَ عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ تَرَكَ ابْنَةً لَهُ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَزَوَّجَنِيهَا خَالِي قُدَامَةُ وَهُوَ عَمُّهَا وَلَمْ يُشَاوِرْهَا وَذَلِكَ بَعْدَ مَا هَلَكَ أَبُوهَا فَكَرِهَتْ نِكَاحَهُ وَأَحَبَّتْ الْجَارِيَةُ أَنْ يُزَوِّجَهَا الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ فَزَوَّجَهَا إِيَّاهُ.

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উনসান বিন মাযউন (রাঃ) ইন্তিকালের সময় তার একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমার মামা এবং ঐ মেয়ের চাচা কুদামাহ মেয়েটির পিতার মৃত্যুর পর মেয়েটির সাথে পরামর্শ না করেই তাকে আমার সাথে বিবাহ দেন। সে তার দেয়া এ বিবাহ অপছন্দ করে এবং মুগীরাহ বিন শুবাহর সাথে বিবাহিত হতে পছন্দ করে। অতএব কুদামাহ মুগীরার সাথে তার বিবাহ দেন।” [১৮৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৮] আহমাদ ৬১০১, ইরওয়াহ ১৮৩৫। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৫. অধ্যায়ঃ

অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না।

১৮৭৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّمَا امْرَأَةٍ لَمْ يُنْكِحْهَا الْوَلِيُّ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَإِنْ أَصَابَهَا فَلَهَا مَهْرُهَا بِمَا أَصَابَ مِنْهَا فَإِنْ اشْتَجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে নারীকে তার অভিভাবক বিবাহ দেয়নি তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। স্বামী তার সাথে সহবাস করলে তাতে সে মাহরের অধিকারী হবে। তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে সে ক্ষেত্রে যার অভিভাবক নাই, শাসক তার অভিভাবক। [১৮৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭৯] তিরমিযী ১১০২, আবূ দাউদ ২০৮৩, আহমাদ ২৩৮৫১, ২৪৭৯৮, দারেমী ২১৮৪, ইরওয়াহ ১৮৪০, মিশকাত ১৩৩১, সহীহ আবী দাউদ ১৮১৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি আমার নিকট সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকিহ। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি ফকিহদের একজন তবে হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আল-মিযযী বলেন, তিনি তার যুগে শামের একজন ফকিহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم و عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ وَفِي حَدِيثِ عَائِشَةَ وَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ

আয়িশাহ (রাঃ) ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না। আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে আরও আছেঃ যার অভিভাবক নাই, শাসক তার অভিভাবক”। [১৮৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮০] তিরমিযী ১১০২, ১১০৩, আবূ দাউদ ২০৮৩, আহমাদ ২২৬০, ২৩৬৮৫, ২৩৮৫১, ২৪৭৯৮, ২৫৭০৩, দারেমী ২১৮৪, ইরওয়াহ ৬/২৩৮, ২৪৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮১

– حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না। [১৮৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮১] তিরমিযী ১১০১, আবূ দাউদ ২০৮৫, আহমাদ ১৯০২৪, ১৯২১১, ১৯২৪৭, দারেমী ২১৮২, ২১৮৩, ইরওয়াহ ১৮৩৯, মিশকাত ১৩৩০, আর-রাদ্দু আলা বালীক ১১০, সহীহ আবী দাউদ ১৮১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮২

حَدَّثَنَا جَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ الْعُقَيْلِيُّ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلَا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَإِنَّ الزَّانِيَةَ هِيَ الَّتِي تُزَوِّجُ نَفْسَهَا

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকে বিবাহ দিবে না এবং কোন মহিলা নিজেকেও বিবাহ দিবে না। কেননা যে নারী স্বউদ্যোগে বিবাহ করে সে যেনাকারিণী। [১৮৮২]

 

তাহকীক আলবানীঃ যিনার বাক্য ব্যতীত সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮২] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ১৮৪১। যইফ আল জামি’ ৬২১৪, তাহকীক আলবানীঃ যেনার বাক্য ব্যতীত সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. জামীল ইবনুল হাসান আল-আতাকী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল জুরজানী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, আমরা তার সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম কিন্তু তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করিনি। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মাসলামাহ ইবনু কাসিম বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৬৮, ৫/১২৮ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন মারওয়ান আল-উকায়লী সম্পর্কে আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৯৫, ২৬/৩৮৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৬ অধ্যায়ঃ

শিগার বিবাহ নিষিদ্ধ

১৮৮৩

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الشِّغَارِ وَالشِّغَارُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ زَوِّجْنِي ابْنَتَكَ أَوْ أُخْتَكَ عَلَى أَنْ أُزَوِّجَكَ ابْنَتِي أَوْ أُخْتِي وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا صَدَاقٌ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিগার বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন। রাবী বলেন, শিগার বিবাহ এই যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে প্রস্তাব দিলো, তুমি আমার সাথে তোমার মেয়েকে অথবা বোনকে বিবাহ দাও এবং তার পরিবর্তে আমি আমার মেয়েকে অথবা বোনকে তোমার সাথে বিবাহ দিবো, আর এতে কোন মাহর থাকে না। [১৮৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৩] সহীহুল বুখারী ৫১১২, ৬৯২০, মুসলিম ১৪১৫, তিরমিযী ১১২৪, নাসায়ী ৩৩৩৪, ৩৩৩৭, ৩৩৩৮, আবূ দাউদ ২০৭৪, আহমাদ ৪৫১২, ৪৬৭৮, ৫২৬৭, মুয়াত্তা মালেক ১১৩৪, দারেমী ২১৮০, ইরওয়াহ ১৮৯৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الشِّغَارِ

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিগার বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন। [১৮৮৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৪] মুসলিম ১৪১৬, নাসায়ী ৩৩৩৮, আহমাদ ৭৭৮৪, ৯৩৭৫, ১০০৬২, ইরওয়াহ ৬/৩০, রওদুন নাদীর ১১৬৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮৫

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا شِغَارَ فِي الْإِسْلَامِ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে শিগার বিবাহের কোন সুযোগ নাই। [১৮৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৫] আহমাদ ১২২৪৭, ১২২৭৫, ১২৬২০, বায়হাকী ৩/২০৯। ইরওয়া ৬/৩৬০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৭. অধ্যায়ঃ

মহিলাদের মাহর (মোহরানা)

১৮৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَمْ كَانَ صَدَاقُ نِسَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ صَدَاقُهُ فِي أَزْوَاجِهِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا هَلْ تَدْرِي مَا النَّشُّ هُوَ نِصْفُ أُوقِيَّةٍ وَذَلِكَ خَمْسُ مِائَةِ دِرْهَمٍ

আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের মাহর কতো ছিলো? তিনি বলেন, তার স্ত্রীদের মাহরের পরিমাণ ছিলো বার উকিয়া ও এক নাশ। তুমি কি জানো, নাশ কী? তাহলো অর্ধ উকিয়া। আর তাহলো পাঁচশত দিরহামের সমান। [১৮৮৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৬] মুসলিম ১৪২৬, নাসায়ী ৩৩৪৭, আবূ দাউদ ২১০৫, দারেমী ২১৯৯, বায়হাকী ৭/২৮৯, মুসতাদরাক ৪/৫৩৭, সহীহ আবী দাউদ, ১৮৩৩, সহিহাহ ১৮৩৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ ح و حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَا تُغَالُوا صَدَاقَ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوًى عِنْدَ اللهِ كَانَ أَوْلَاكُمْ وَأَحَقَّكُمْ بِهَا مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم مَا أَصْدَقَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُثَقِّلُ صَدَقَةَ امْرَأَتِهِ حَتَّى يَكُونَ لَهَا عَدَاوَةٌ فِي نَفْسِهِ وَيَقُولُ قَدْ كَلِفْتُ إِلَيْكِ عَلَقَ الْقِرْبَةِ أَوْ عَرَقَ الْقِرْبَةِ وَكُنْتُ رَجُلًا عَرَبِيًّا مَوْلِدًا مَا أَدْرِي مَا عَلَقُ الْقِرْبَةِ أَوْ عَرَقُ الْقِرْبَةِ

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, মহিলাদের মাহরের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। কেননা তা যদি পার্থিব জীবনে সম্মান অথবা আল্লাহর কাছে তাকওয়ার প্রতীক হতো, তাহলে তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে অধিক যোগ্য ও অগ্রগণ্য ছিলেন। তিনি তার স্ত্রী ও কন্যাদের মাহর বারো উকিয়ার বেশি ধার্য করেননি। কখনও অধিক মাহর স্বামীর উপর বোঝা হয়ে দাড়ায়। ফলে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মনে শক্রতা সৃষ্টি হয়, এমনকি সে বলতে থাকে, আমি তোমার জন্য পানির মশক বহনে বাধ্য হয়েছি অথবা তোমার জন্য ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছি। (রাবী বলেন), আমি একজন বেদুইন অতএব আমি “আলাকাল কিরবা” বা “আলাকাল কিরবা”-এর অর্থ কি তা জানি না।”[১৮৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৭] তিরমিযী ১১১৪, নাসায়ী ৩৩৪৯, আবূ দাউদ ২১০৬, ২৮৭, দারেমী ২২০০, মিশকাত ৩২০৪, সহীহ আবী দাউদ ১৮৩৪, ইরওয়াহ ১৯২৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৮৮৮

حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي فَزَارَةَ تَزَوَّجَ عَلَى نَعْلَيْنِ فَأَجَازَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِكَاحَهُ».

আমির বিন রাবীআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ফাযারাহ গোত্রের এক ব্যাক্তি এক জোড়া পাদুকার বিনিময়ে বিবাহ করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বিবাহ অনুমোদন করেন। [১৮৮৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৮] তিরমিযী ১১১৩, আহমাদ ১৫২৪৯, ১৫২৬৪, ইরওয়াহ ১৯২৬। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় এবং তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা যাবে না। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বকর আল বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করাও যাবে না দলীল হিসেবেও গ্রহন করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়া’কুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৪, ১৩/৫০০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ يَتَزَوَّجُهَا فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْطِهَا وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَقَالَ لَيْسَ مَعِي قَالَ قَدْ زَوَّجْتُكَهَا عَلَى مَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ

সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেনঃ কে তাকে বিবাহ করবে? এক ব্যক্তি বললো, আমি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তাকে একটি লোহার আংটি হলেও তা (মাহরস্বরূপ) দাও। সে বললো, আমার কাছে কিছুই নাই। তিনি বলেনঃ তোমার কাছে কুরআনের যে আছে, তার বিনিময়ে আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ দিলাম।” [১৮৮৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮৯] সহীহুল বুখারী ২৩১১, ৫০২৯, ৫০৩০, ৫০৮৭, ৫১২১, ৫১২৬, ৫১৩২, ৫১৩৫, ৫১৪১, ৫১৪৯, ৫৮৭১, মুসলিম ১৪১৫, নাসায়ী ৩২০০, ৩২৮০, ৩৩৫৯, আবূ দাউদ ২১১১, আহমাদ ২২২৯২, ২২৩২০, ২২৩৪৩, মুয়াত্তা মালেক ১১১৮, দারেমী ২২০১, ইরওয়াহ ১৮২৩, ১৯২৫, সহীহ আবী দাউদ ১৯৩৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯০

حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ حَدَّثَنَا الْأَغَرُّ الرَّقَاشِيُّ عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ عَائِشَةَ عَلَى مَتَاعِ بَيْتٍ قِيمَتُهُ خَمْسُونَ دِرْهَمًا

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়িশাহ (রাঃ)-কে একটি ঘরের আসবাবপত্রের বিনিময়ে বিবাহ করেন, যার মূল্য ছিল পঞ্চাশ দিরহাম। [১৮৯০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/২৮৯। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু হাশিম আর-রিফঈ মুহাম্মাদ বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বুরকানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭২, ২৭/২৪ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াহইয়া বিন ইয়ামান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হুজ্জাহ ছিলেন না, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৩, ৩২৫৫ নং পৃষ্ঠা) ৩. আল-আগাররু আর-রাক্কাশী সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ৪. আতিইয়্যাহ আল-আওফী সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম যাহাবী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৫৬, ২০/১৪৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৮. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তি বিবাহ করার পর মাহর ধার্য করার পূর্বে মারা গেলে।

১৮৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ فِرَاسٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً فَمَاتَ عَنْهَا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ لَهَا الصَّدَاقُ وَلَهَا الْمِيرَاثُ وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ فَقَالَ مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ شَهِدْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى فِي بِرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ بِمِثْلِ ذَلِكَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ مِثْلَهُ.

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) ও মাকিল বিন সিনান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবদুল্লাহ্‌) তাকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সে এক মহিলাকে বিবাহ করার পর তার সাথে সহবাস ও মাহর ধার্য কার পূর্বে মারা গেছে। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) বললেন, সেই মহিলা মাহর পাবে, মীরাসও পাবে এবং তাকে ইদ্দাতও পালন করতে হবে। মাকিল বিন সিনান আল-আশজাঈ (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি বিরওয়া‘ বিনতু ওয়াশিকের ক্ষেত্রেও এরূপ ফয়সালা দিয়েছেন। [১৮৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯১] নাসায়ী ৩৩৫৪, ৩৩৫৫, ৩৩৫৬, ৩৩৫৮, ৩৫২৪, আবূ দাউদ ২১১৪, দারেমী ২২৪৬, ইরওয়াহ ১৯৩৯, সহীহ, আবী দাউদ ১৮৩৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ফিরাস সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭১২, ২৩/১৫২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/১৯. অধ্যায়ঃ

বিবাহের খুতবাহ (ভাষণ)

১৮৯২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ أُوتِيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم جَوَامِعَ الْخَيْرِ وَخَوَاتِمَهُ أَوْ قَالَ فَوَاتِحَ الْخَيْرِ فَعَلَّمَنَا خُطْبَةَ الصَّلَاةِ وَخُطْبَةَ الْحَاجَةِ خُطْبَةُ الصَّلَاةِ التَّحِيَّاتُ لِلهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَخُطْبَةُ الْحَاجَةِ أَنْ الْحَمْدُ لِلهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ تَصِلُ خُطْبَتَكَ بِثَلَاثِ آيَاتٍ مِنْ كِتَابِ اللهِ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ} {وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا} {اتَّقُوا اللهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعْ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا}

আবদুল্লাহ্‌ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কল্যাণসমূহের উৎস, তার সমষ্টি এবং তার সমাপ্তি দান করা হয়েছে। তিনি আমাদের সলাতের খুত্‌বা এবং প্রয়োজনের (বিবাহের) খুত্‌বা শিক্ষা দিয়েছেন। সলাতের খুতবা (তাশাহহুদ) হলোঃ সমস্ত সম্মান, ইবাদাত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর রাহমাত ও বারাকাতও। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাহদের উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দাহ ও তার রসূল। আর বিবাহের খুত্‌বা হলোঃ

 

“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট ও আমাদের কাজের নিকৃষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি এক এবং তার কোন শরীক নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বান্দা ও রসূল”।

এরপর তোমরা তোমাদের খুতবার সাথে কুরআনের এ তিনটি আয়াত যোগ করবেঃ

“হে ঈমানদারগণ। আল্লাহকে যেরূপ ভয় করা উচিত তোমরা তাকে তদ্রুপ ভয় করো এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না” (সূরা আল ইমরানঃ ১০২)।

“হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রভুকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিণীকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দুজন থেকে অসংখ্য পুরুষ ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করো যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞা করে থাকো এবং জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক” (সূরা নিসাঃ ১)।

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। তিনি তোমাদের কার্যাবলি সংশোধন করে দিবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তার রসূলের আনুগত্য করে সে অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে” (সূরা আহ্‌যাবঃ ৭০-৭১)। [১৮৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯২] তিরমিযী ১১০৫, ১৪০৪, আবূ দাউদ ২১১৮, আহমাদ ৪১০৪, দারেমী ২২০২, মিশকাত ৩১৪৯, সহিহাহ ১৪৮৩, খুতবাতুল হাজাহ ১৯-২৯, আল-কালিমুত তাইয়্যিব ২০৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইউনুস সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি তার রেওয়াতে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কিছু সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭০, ৩২/৪৮৮ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯৩

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحَمْدُ لِلهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَمَّا بَعْدُ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নোক্ত খুতবাহ পড়েছেনঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তার প্রশংসা করি এবং তার কাছে সাহায্য চাই। আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের অনিষ্ট হতে এবং আমাদের কার্যকলাপের নিকৃষ্টতা হতে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তার কোন শরীক নাই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও তাঁর রসূল। অতঃপর…” [১৮৯৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৩] মুসলিম ৮৬৮, নাসায়ী ৩২৭৮, আহমাদ ২৭৪৪, ৩২৬৫, খুতবাতুল হাজাহ ৩১ নং পৃষ্ঠা। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى وَمُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلَانِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ قُرَّةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيهِ بِالْحَمْدِ أَقْطَعُ

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি কাজ গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর প্রশংসা ছাড়া শুরু করা হলে, তা হয় বরকতশূন্য। [১৮৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৪] আবূ দাউদ ৪৮৪০, ইরওয়াহ ২, মিশকাত ৩১৫১। যইফ আল জামি’ ৪২১৬। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী কুররাহ সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৭১, ২৩/৫৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২০. অধ্যায়ঃ

বিবাহের ঘোষণা।

১৮৯৫

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ وَالْخَلِيلُ بْنُ عَمْرٍو قَالَا حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ خَالِدِ بْنِ إِلْيَاسَ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ بِالْغِرْبَالِ

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা এই বিবাহের ঘোষণা দাও এবং তাতে ঢোল (দফ) বাজাও। [১৮৯৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ প্রথম অংশ, হাসান, দ্বিতীয় অংশ, মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ১৯৯৩, যঈফাহ ৯৮২। তাহকীক আলবানীঃ প্রথম অংশ, হাসান, দ্বিতীয় অংশ, মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী খালিদ ইবনুল ইয়াস সম্পর্কে আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি আহলে ইলমদের নিকট দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। ইমাম যাহাবী ও মুহাম্মাদ বিন আম্মার তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫৯৬, ৮/২৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১৮৯৬

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بَلْجٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصْلُ مَا بَيْنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ الدُّفُّ وَالصَّوْتُ فِي النِّكَاحِ

মুহাম্মাদ বিন হাতিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হালাল ও হারাম বিবাহের মধ্যে পার্থক্য হলো- ঢোল (দফ) বাজানো এবং শব্দ করা বা ঘোষণা প্রচার। [১৮৯৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৬] তিরমিযী ১০৮৮, ইরওয়াহ ১৯৯৪, মিশকাত ৩১৫৩। আল-আদাব ৯৬-৯৭, তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবু বালজ (ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম) সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৯, ৩৩/১৬২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২১. অধ্যায়ঃ

গান গাওয়া এবং ঢোল বাজানো।

১৮৯৭

– حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ اسْمُهُ خَالِدٌ الْمَدَنِيُّ قَالَ كُنَّا بِالْمَدِينَةِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَالْجَوَارِي يَضْرِبْنَ بِالدُّفِّ وَيَتَغَنَّيْنَ فَدَخَلْنَا عَلَى الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهَا فَقَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَبِيحَةَ عُرْسِي وَعِنْدِي جَارِيَتَانِ يَتَغَنَّيَتَانِ وَتَنْدُبَانِ آبَائِي الَّذِينَ قُتِلُوا يَوْمَ بَدْرٍ وَتَقُولَانِ فِيمَا تَقُولَانِ وَفِينَا نَبِيٌّ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَلَا تَقُولُوهُ مَا يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ إِلَّا اللهُ

রাবী‘ বিনতু মুআব্বিয বিন আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(খালিদ) বলেন, আমরা এক আশূরার দিন মদিনায় ছিলাম। বালিকারা দফ বাজাচ্ছিল এবং গান গাচ্ছিল। এরপর আমরা রুবায়‘ বিনতু মুআব্বিয (রাঃ)-এর নিকট উপস্তিত হলাম এবং ঘটনাটি তাকে জানালাম। তিনি বলেন, আমার বিবাহ বেলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- আমার নিকট আসেন। তখন আমার নিকট দু’টি বালিকা গান গাচ্ছিল। এবং বদর যুদ্ধে নিহত আমার পিতৃপুরুষদের কীর্তিগাঁথা গাইছিল। তারা এও বলছিল, আমাদের মধ্যে এমন একজন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আছেন, যিনি আগামী কালের খবরও জানেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা একথা বলো না। আগামীকালের খবর আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।” [১৮৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৭] সহীহুল বুখারী ৪০০১, ৫১৪৭, তিরমিযী ১০৯০, আবূ দাউদ ৪৯২২, আহমাদ ২৬৪৮১, ২৬৪৮৭, রওদুন নাদীর ৮৩০, আল-আদাব ৯৩-৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ أَبُو بَكْرٍ وَعِنْدِي جَارِيَتَانِ مِنْ جَوَارِي الْأَنْصَارِ تُغَنِّيَانِ بِمَا تَقَاوَلَتْ بِهِ الْأَنْصَارُ فِي يَوْمِ بُعَاثٍ قَالَتْ وَلَيْسَتَا بِمُغَنِّيَتَيْنِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَبِمَزْمُورِ الشَّيْطَانِ فِي بَيْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَذَلِكَ فِي يَوْمِ عِيدِ الْفِطْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا بَكْرٍ «إِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا وَهَذَا عِيدُنَا».

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবু বাকর (রাঃ) আমার নিকট আসেন। তখন আমার নিকট দু’টি আনসার বালিকা উপস্থিত ছিল। তারা বুআস যুদ্ধে আনসারদের মুখে উচ্চারিত কবিতাগুলো গানের সুরে আবৃত্তি করছিল। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তারা পেশাদার গায়িকা ছিল না। আবু বাকর (রাঃ) বললেন, শায়তানের বাঁশী (বাদ্যযন্ত্র) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘরে? এ ঘটনাটি ছিল ঈদুল ফিতরের দিনের। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আবূ বাক্‌র! প্রত্যেক জাতিরই ঈদ (আনন্দ উৎসব) রয়েছে। আর এটাই হচ্ছে আমাদের ঈদ। [১৮৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৮] সহীহুল বুখারী ৯৫০, ৯৫২, ৯৮৮, ২৯০৮, ৩৫৩০, ৩৯৩১, ৫১৯০, মুসলিম ৮৯২, নাসায়ী ১৫৯৭, বায়হাকী ৭/২৫৮, মুকাদ্দামাতুল আয়াতুল বায়্যিনাত ৪৫-৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯৯

– حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَوْفٌ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِبَعْضِ الْمَدِينَةِ فَإِذَا هُوَ بِجَوَارٍ يَضْرِبْنَ بِدُفِّهِنَّ وَيَتَغَنَّيْنَ وَيَقُلْنَ

نَحْـــنُ جَـــوَارٍ مِـــنْ بَنِـــي النَّجَّـــارِ * يَـــا حَـــبَّذَا مُحَـــمَّدٌ مِـــنْ جَـــارِ

فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْلَمُ اللهُ إِنِّي لَأُحِبُّكُنَّ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাহ্‌র গলিপথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কয়েকটি বালিকা দফ বাজিয়ে গান গেয়ে বলছিল, “আমরা বনু নাজ্জারের বালিকার দল। কত খোশনসীব! মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মহৎ প্রতিবেশী”। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ্ অবগত আছেন, আমি তো তোমাদের ভালোবাসি। [১৮৯৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ১৯৯৪, মিশকাত ৩১৫৩, দিফাউন আনিল হাদিস ২৪ পৃষ্ঠা। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০০

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَنْبَأَنَا الْأَجْلَحُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَنْكَحَتْ عَائِشَةُ ذَاتَ قَرَابَةٍ لَهَا مِنْ الْأَنْصَارِ فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَهْدَيْتُمْ الْفَتَاةَ قَالُوا نَعَمْ قَالَ أَرْسَلْتُمْ مَعَهَا مَنْ يُغَنِّي قَالَتْ لَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الْأَنْصَارَ قَوْمٌ فِيهِمْ غَزَلٌ فَلَوْ بَعَثْتُمْ مَعَهَا مَنْ يَقُولُ

أَتَيْنَــــــــاكُمْ أَتَيْنَــــــــاكُمْ * فَحَيَّانَـــــــــا وَحَيَّــــــــاكُمْ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আয়িশাহ্‌ (রাঃ) তার এক আত্মীয়ের এক আনসার মেয়ের সাথে বিবাহ দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে বলেনঃ তোমরা কি মেয়েটিকে স্বামীর বাড়ি) পাঠিয়ে দিয়েছ? তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা কি তার সাথে এমন কাউকে পাঠিয়েছ, যে গান গাইতে পারে? আয়িশাহ্‌ (রাঃ)বলেন, না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আনসার সম্প্রদায় গানের ভক্ত। অতএব তোমরা যদি তার সাথে কাউকে পাঠাতে, যে গিয়ে এরূপ বলতোঃ “আমরা এসেছি তোমাদের কাছে, আমরা এসেছি তোমাদের কাছে, আল্লাহ আমাদের দীর্ঘজীবী করুন এবং দীর্ঘজীবী করুন তোমাদের। [১৯০০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ১৯৯৫, যঈফাহ ২৯৮১। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আল-আজালাহ সম্পর্কে আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী বলেন, তার জাল (বানিয়ে) হাদিস বর্ণনার অভিযোগ রয়েছে। আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি শা’বী থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮২, ২/২৭৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ التَّمِيمِيِّ عَنْ لَيْثٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَسَمِعَ صَوْتَ طَبْلٍ فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ ثُمَّ تَنَحَّى حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم

মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। হঠাৎ তিনি তবলার আওয়াজ শুনতে পান। তিনি তার উভয় কানে তার দু’ আঙ্গুল ঢুকিয়ে সরে পড়েন। তিনি তিনবার এরূপ করলেন। অতঃপর তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন। [১৯০১]

 

তাহকীক আলবানীঃ তবলার কথা মুনকার তবে রাখালের যামারাহ বাশীর শব্দে সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রওদুন নাদীর ৫৬৮। তাহকীক আলবানীঃ তবলার কথা মুনকার তবে রাখালের যামারাহ বাশীর শব্দে সহীহ, রওয ৫৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী লায়স সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০১৭, ২৪/২৭৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৯/২২. অধ্যায়ঃ

নপুংসকদের প্রসঙ্গে।

১৯০২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا فَسَمِعَ مُخَنَّثًا وَهُوَ يَقُولُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ إِنْ يَفْتَحْ اللهُ الطَّائِفَ غَدًا دَلَلْتُكَ عَلَى امْرَأَةٍ تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْرِجُوهُ مِنْ بُيُوتِكُمْ

যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উম্মু সালামাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে প্রবেশ করে এক নুপুংসককে আবদুল্লাহ বিন আবু উমাইয়্যাকে লক্ষ্য করে বলতে শুনলেনঃ আগামীকাল যদি আল্লাহ তায়িফ বিজয় দান করেন, তাহলে আমি তোমাকে এমন এক নারীর সন্ধান দিবো, যে চার ভাঁজে আগমন করে এবং আট ভাঁজে প্রস্থান করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ একে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও।” [১৯০২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০২] সহীহুল বুখারী ৪৩২৪, ৫৮৮৭, মুসলিম ২১৮০, আবূ দাউদ ৪৯২৯, আহমাদ ২৫৯৫১, ২৬১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১৪৯৮, ইরওয়াহ ১৭৯৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০৩

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْمَرْأَةَ تَتَشَبَّهُ بِالرِّجَالِ وَالرَّجُلَ يَتَشَبَّهُ بِالنِّسَاءِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষের বেশধারিণী নারীকে এবং নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে অভিসম্পাত করেছেন। [১৯০৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আদাবুয যিফাফ ১২২১, তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহিহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৯০৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ الْبَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْمُتَشَبِّهِينَ مِنْ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ وَلَعَنَ الْمُتَشَبِّهَاتِ مِنْ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারিণী নারীদেরকে”। [১৯০৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৪] সহীহুল বুখারী ৫৮৮৫, ৫৮৮৬, ৬৮৩৪, তিরমিযী ২৭৮৪, ২৭৮৫,আবূ দাউদ ৪০৯৭, ৪৯৩০, আহমাদ ১৯৮৩, ২০০৮, ২১২৪, ৩৪৪৮, দারেমী ২৬৪৯, রওয ৪৪৭, আল-আদাব ৪৪৭, হিজাবুল মারআহ ৬৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৩. অধ্যায়ঃ

নব দম্পতিকে মুবারকবাদ জানানো।

১৯০৫

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَفَّأَ قَالَ بَارَكَ اللهُ لَكُمْ وَبَارَكَ عَلَيْكُمْ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিবাহ উপলক্ষে কাউকে মুবারকবাদ জানিয়ে বলতেনঃ (আরবী) “আল্লাহ তোমাদের বরকত দান করুন, তোমাদের উপর বরকত নাযিল করুন এবং কল্যাণের সাথে তোমাদের একত্র করুন। [১৯০৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৫] তিরমিযী ১০৯১, আবূ দাউদ ২১৩০, আহমাদ ৮৭৩৩, দারেমী ২১৭৪, বায়হাকী ৭/২৬০, আদাবুয যিফাফ ৮৯, তাখরিজু কালিমুত তায়্যিব ২০৬ সহীহ আবূ দাউদ ১৮৫০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) ২. সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহিহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০৬

– حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا أَشْعَثُ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ تَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي جُشَمَ فَقَالُوا بِالرَّفَاءِ وَالْبَنِينَ فَقَالَ لَا تَقُولُوا هَكَذَا وَلَكِنْ قُولُوا كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ وَبَارِكْ عَلَيْهِمْ

আকীল বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বনু জুশম গোত্রের এক মহিলাকে বিবাহ করলে লোকেরা (মুবারকবাদ দিয়ে) বললো, সুখী হও এবং অধিক সন্তান হোক। তিনি বলেন, তোমরা এরূপ বলো না, বরং যেরূপ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তদ্রুপ বলোঃ

 

اللهُمَّ بارك لَهُمْ وَبَارك عليهم

 

“হে আল্লাহ! তাদেরকে বরকত দান করুন এবং তাদের উপর বরকত নাযিল করুন।” [১৯০৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৬] নাসায়ী ৩৩৭১, আহমাদ ১৭৪০, ১৫৩১৩, দারেমী ২১৭৩, আল-আদাব ৯০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৪. অধ্যায়ঃ

ওলীমা (বিবাহ ভোজ) প্রসঙ্গে।

১৯০৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَثَرَ صُفْرَةٍ فَقَالَ مَا هَذَا أَوْ مَهْ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ «بَارَكَ اللهُ لَكَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ».

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রহমান বিন আওফ (রাঃ) -এর চেহারায় হলুদের রং দেখে তাকে বলেনঃ একী? আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি এক মহিলাকে সামান্য সোনার বিনিময়ে বিবাহ করেছি। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্‌ তোমাকে বরকত দান করুন। একটি বকরী দিয়ে হলেও বিবাহ ভোজের আয়োজন করো। [১৯০৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৭] সহীহুল বুখারী ২০৪৯, ৩৭৮১, ৩৯৩৭, ৫০৭২, ৫১৪৮, ৫১৫৩, ৫১৫৫, ৫১৬৭, ৬০৮২, ৬৩৮৬, মুসলিম ১৪২৭, তিরমিযী ১০৯৪, ১৯৩৩, নাসায়ী ৩৩৫১, ৩৩৫২, ৩৩৭২, ৩৩৭৩, ৩৩৭৪, ৩৩৮৮, আবূ দাউদ ২১০৯, আহমাদ ১২২৭৪, ১২৫৬৪, ১২৭১০, ১২৯৫৭, ১৩৪৫১, ১৩৪৯১, ১৩৫৫০, মুয়াত্তা মালেক ১১৫৭, দারেমী ০৬৪, ২২০৪, ইরওয়াহ ১৯২৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০৮

– حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوْلَمَ عَلَى شَيْءٍ مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ فَإِنَّهُ ذَبَحَ شَاةً

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর কোন স্ত্রীর বেলায় এমন বিবাহ ভোজের আয়োজন করতে দেখিনি, যেরূপ তিনি যায়নব (রাঃ) -এর বিবাহ ভোজের আয়োজন করেন। তিনি তাতে একটি বকরী যবহ করেছিলেন। [১৯০৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৮] সহীহুল বুখারী ৫১৬৮, ৫১৭১, মুসলিম ১৪২৮, আবূ দাউদ ৩৭৪৩, ইরওয়াহ ১৯৪৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯০৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ وَغِيَاثُ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّحَبِيُّ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا وَائِلُ بْنُ دَاوُدَ عَنْ ابْنِهِ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْلَمَ عَلَى صَفِيَّةَ بِسَوِيقٍ وَتَمْرٍ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ) -এর বিবাহে ছাতু ও খোরমা দিয়ে বিবাহ ভোজের আয়োজন করেন। [১৯০৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০৯] সহীহুল বুখারী ৩৭১, ৫০৮৫, ৫১৫৯, ৫১৬৯, ৫৩৮৭, তিরমিযী ১০৯৫, নাসায়ী ৩৩৮০, ৩৩৮২, আবূ দাউদ ৩৭৪৪, আহমাদ ১২২০৫, ১৩১৬৩, আল-আদাব ৬৯-৭১, মুখতাসারুস শামাইল ১৫০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১০

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ شَهِدْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلِيمَةً مَا فِيهَا لَحْمٌ وَلَا خُبْزٌ قَالَ ابْن مَاجَةَ لَمْ يُحَدِّثْ بِهِ إِلَّا ابْنُ عُيَيْنَةَ.

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এক বিবাহ ভোজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এতে না গোশত ছিল, না রুটি। [১৯১০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১০] সহীহুল বুখারী ৫১৫৯, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়াবুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজলী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০, ২০/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ جَابِرٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ قَالَتَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُجَهِّزَ فَاطِمَةَ حَتَّى نُدْخِلَهَا عَلَى عَلِيٍّ فَعَمَدْنَا إِلَى الْبَيْتِ فَفَرَشْنَاهُ تُرَابًا لَيِّنًا مِنْ أَعْرَاضِ الْبَطْحَاءِ ثُمَّ حَشَوْنَا مِرْفَقَتَيْنِ لِيفًا فَنَفَشْنَاهُ بِأَيْدِينَا ثُمَّ أَطْعَمْنَا تَمْرًا وَزَبِيبًا وَسَقَيْنَا مَاءً عَذْبًا وَعَمَدْنَا إِلَى عُودٍ فَعَرَضْنَاهُ فِي جَانِبِ الْبَيْتِ لِيُلْقَى عَلَيْهِ الثَّوْبُ وَيُعَلَّقَ عَلَيْهِ السِّقَاءُ فَمَا رَأَيْنَا عُرْسًا أَحْسَنَ مِنْ عُرْسِ فَاطِمَةَ

আয়িশা ও উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ফাতিমাহকে আলীর নিকট পৌছানোর জন্য তাকে সাজসজ্জা করিয়ে তৈরি করার নির্দেশ দেন। আমরা (আলীর) ঘরে বাতহা উপত্যকার নরম মাটি বিছিয়ে দিলাম, অতঃপর দু’টি বালিশে খেজুর গাছের ছাল ভরে তা পরিষ্কার করে রেখে দিলাম। এরপর আমরা খোরমা, কিশমিশ ও মিঠা পানির দ্বারা পানাহারের ব্যবস্থা করলাম, কাপড় ও পানির মশক ঝুলিয়ে রাখার জন্য একটি কাঠের খুঁটি ঘরের কোণে দাঁড় করিয়ে দিলাম। আমরা ফাতিমাহর বিবাহের চেয়ে অধিক পরিপাটি ব্যবস্থা আর দেখিনি। [১৯১১]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ, তা’লীক ইবনু মাজাহ্।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/১৯৩। তা’লীক ইবনু মাজাহ্। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুফাদ্দাল বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুনকার। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৪৮, ২৮/৪১০ নং পৃষ্ঠা) ২. জাবির (বিন ইয়াযীদ) সম্পর্কে শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সত্যবাদী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৭৯, ৪/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ دَعَا أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عُرْسِهِ فَكَانَتْ خَادِمَهُمْ الْعَرُوسُ قَالَتْ تَدْرِي مَا سَقَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَنْقَعْتُ تَمَرَاتٍ مِنْ اللَّيْلِ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ صَفَّيْتُهُنَّ فَأَسْقَيْتُهُنَّ إِيَّاهُ

সাহল বিন সা’দ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ উসাইদ আস-সাইদী (রাঃ) তার বিবাহ ভোজে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাওয়াত করেন। কনেই তাঁদের আহার পরিবেশন করেন। তিনি (কনে) বলেন, তুমি কি জানো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কী পান করিয়েছিলাম? তিনি বলেন, আমি রাতে কিছু শুকনো খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম, সকালবেলা এগুলো নিংড়িয়ে তাঁকে শরবত পান করিয়েছিলাম। [১৯১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১২] সহীহুল বুখারী ৫১৭৬, মুসলিম ২০০৬, আহমাদ ১৫৬৩২, আদাবুয যিফাফ ৯২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৫. অধ্যায়ঃ

দাওয়াতকারীর দাওয়াত কবুল করা।

১৯১৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُدْعَى لَهَا الْأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْفُقَرَاءُ وَمَنْ لَمْ يُجِبْ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُولَهُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে বিবাহ ভোজে ধনীদের দাওয়াত দেয়া হয় এবং গরীবদের উপেক্ষা করা হয় তা হলো সর্বাধিক নিকৃষ্ট ভোজ। যে ব্যক্তি দাওয়াত গ্রহণ করে না, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অবাধ্যাচারণ করলো। [১৯১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৩] সহীহুল বুখারী ৫১৭৭, মুসলিম ১৪৩২, আবূ দাউদ ৩৭৪২, আহমাদ ৭২৩৭, ৭৫৬৯, ৯০০৮, ১০০৪০, মুয়াত্তা মালেক ১১৬০, দারেমী ২০৬৬, ইরওয়াহ ১৯৪৭, বুখারী, মাওকুফরূপে এবং মুসলিম মারফূ’রূপে। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১৪

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى وَلِيمَةِ عُرْسٍ فَلْيُجِبْ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কাউকে বিবাহ ভোজের দাওয়াত দেয়া হলে সে যেন তা কবুল করে। [১৯১৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৪] সহীহুল বুখারী ৫১৭৩, ৫১৭৯, মুসলিম ১৪২৯, তিরমিযী ১০৯৮, আবূ দাউদ ৩৭৩৬, ৩৭৩৮, ৩৭৪১, আহমাদ ৪৬৯৮, ৪৭১৬, ৪৯৩০, ৫৭৩২, ৬০৭১, ৬৩০১, মুয়াত্তা মালেক ১১৫৯, দারেমী ২০৮২, ২২০৫, আল-আদাব ৭২, ইরওয়াহ ১৯৪৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حُسَيْنٍ أَبُو مَالِكٍ النَّخَعِيُّ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْوَلِيمَةُ أَوَّلَ يَوْمٍ حَقٌّ وَالثَّانِيَ مَعْرُوفٌ وَالثَّالِثَ رِيَاءٌ وَسُمْعَةٌ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, প্রথম দিনের ওলীমা (বিবাহ ভোজ) আয়োজন করা কর্তব্য, দ্বিতীয় দিনের ওলীমাও ভালো এবং তৃতীয় দিনের ওলীমা হলো প্রদর্শনী এবং যশের জন্য। [১৯১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ১৯৫৯। যইফ আল জামি’ ৬১৬৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল মালিক বিন হুসায়ন আবু মালিক আন-নাখঈ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়, তার হাদিস গ্রহন করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। আমর বিন আলী আল-ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৫৯৯, ৩৪/২৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৬. অধ্যায়ঃ

তরুণী স্ত্রী এবং বয়স্কা স্ত্রীর নিকট অবস্থানের পালা।

১৯১৬

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلثَّيِّبِ ثَلَاثًا وَلِلْبِكْرِ سَبْعًا

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বয়স্কা স্ত্রীর পালা হচ্ছে তিন দিন এবং তরুণী স্ত্রীর পালা সাত দিন। [১৯১৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৬] সহীহুল বুখারী ৫২১৩, ৫২১৪, মুসলিম ১৪৬১, তিরমিযী ১১৩৯, আবূ দাউদ ২১২৪, মুয়াত্তা মালেক ১১২৪, দারেমী ২২০৯, ইরওয়াহ ৭/৮৮-৮৯, সহীহাহ ১১৭১, তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয় তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ أَقَامَ عِنْدَهَا ثَلَاثًا وَقَالَ لَيْسَ بِكِ عَلَى أَهْلِكِ هَوَانٌ إِنْ شِئْتِ سَبَّعْتُ لَكِ وَإِنْ سَبَّعْتُ لَكِ سَبَّعْتُ لِنِسَائِي

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বিবাহ করার পর তার নিকট তিন দিন অবস্থান করেন এবং বলেন, তোমার ব্যাপারে তোমার স্বামীর কোন অনীহা নেই। তুমি যদি চাও, তবে আমি তোমার সঙ্গে সাত দিন অবস্থান করবো। যদি আমি তোমার নিকট সাত দিন কাটাই তবে আমার অন্য স্ত্রীদের নিকটও সাত দিন করে কাটাবো। [১৯১৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৭] মুসলিম ১৪৬০, আবূ দাউদ ২১২২, আহমাদ ২৫৯৬৫, ২৫৯৯০, ২৬০৭৯, ২৬১৮১, ২৬১৮২, মুয়াত্তা মালেক ১১২৩, দারেমী ২২১০, ইরওয়াহ ২০১৯ সহীহাহ ১২৭১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৭. অধ্যায়ঃ

স্ত্রী স্বামীর নিকট এলে স্বামী যে দুয়া পড়বে।

১৯১৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى وَصَالِحُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الْقَطَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَفَادَ أَحَدُكُمْ امْرَأَةً أَوْ خَادِمًا أَوْ دَابَّةً فَلْيَأْخُذْ بِنَاصِيَتِهَا وَلْيَقُلْ اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ

আবদুল্লাহ্ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমাদের কেউ স্ত্রী, খাদেম অথবা আরোহণের পশু লাভ করে তখন সে যেন তার কপালে হাত রেখে বলেঃ “হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ প্রার্থনা করি এবং যে কল্যাণ এর মধ্যে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। আমি তোমার নিকট এর অনিষ্ট হতে এবং যে অনিষ্টসহ একে সৃষ্টি করা হয়েছে তা হতে আশ্রয় চাই”। [১৯১৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৮] আবূ দাউদ ২১৬০, আদাবুয যিফাফ ২০, তাখরীজ কালিমুত তাইয়্যিব ২০৭, তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১৯

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ كُرَيْبٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى امْرَأَتَهُ قَالَ اللّٰهُمَّ جَنِّبْنِي الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنِي ثُمَّ كَانَ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ لَمْ يُسَلِّطْ اللهُ عَلَيْهِ الشَّيْطَانَ أَوْ لَمْ يَضُرَّهُ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর কাছে আসে, তখন সে যেন বলেঃ (আরবি) (আল্লাহুম্মা জান্নিবনীশ শায়তান, ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রযাকতানী) “হে আল্লাহ্ ! আমাকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যে সন্তান আমাদের দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো”। অতঃপর স্বামী-স্ত্রীর সেই মিলনে যদি কোন সন্তান হয়, তবে আল্লাহ্ তার উপর শয়তানকে কোন প্রভাব বিস্তার করতে দিবেন না অথবা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [১৯১৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১৯] সহীহুল বুখারী ১৪১, ৩২৭১, ৩২৮৩, ৫১৬৫, ৬৩৮৮, ৭৩৯৬, মুসলিম ১৪৩৪, তিরমিযী ১০৯২, আবূ দাউদ ২১৬১, আহমাদ ১৮৭০, ১৯১১, ২১৭৯, ২৫৫১, ২৫৯২, দারেমী ২২১২, ইরওয়াহ ২০১২, সহীহ আবী দাউদ ১৮৭৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৮. অধ্যায়ঃ

সহবাসের সময় পর্দা করা।

১৯২০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَأَبُو أُسَامَةَ قَالَا حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ عَوْرَاتُنَا مَا نَأْتِي مِنْهَا وَمَا نَذَرُ قَالَ احْفَظْ عَوْرَتَكَ إِلَّا مِنْ زَوْجَتِكَ أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ الْقَوْمُ بَعْضُهُمْ فِي بَعْضٍ قَالَ فَإِنْ اسْتَطَعْتَ أَنْ لَا تُرِيَهَا أَحَدًا فَلَا تُرِيَنَّهَا قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ فَإِنْ كَانَ أَحَدُنَا خَالِيًا قَالَ فَاللهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ مِنْ النَّاسِ

মুআবিয়াহ আল-কুশায়রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আমাদের লজ্জাস্থানের কতখানি ঢেকে রাখবো, আর কতখানি খুলে রাখবো? তিনি বলেনঃ তোমার লজ্জাস্থান আপন স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যদের থেকে হেফাজত করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার অভিমত কী যে, লোকেরা যদি একত্রে বসবাস করে? তিনি বলেনঃ যদি তুমি কাউকে না দেখিয়ে পারো, তবে অবশ্যই তা দেখাবে না। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের কেউ যদি নির্জনে থাকে? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ অধিক অগ্রগণ্য যে, মানুষের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশি লজ্জাশীল হতে হবে। [১৯২০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২০] তিরমিযী ২৭৬৯, ২৭৯৪, আবূ দাউদ ৪০১৭, মিশকাত ৩১১৭। আদাবুয যিফাফ ৩৬ নং পৃষ্ঠা। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯২১

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ وَهْبٍ الْوَاسِطِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ الْقَاسِمِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا الْأَحْوَصُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ وَرَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ وَعَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَدِيٍّ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ السُّلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ فَلْيَسْتَتِرْ وَلَا يَتَجَرَّدْ تَجَرُّدَ الْعَيْرَيْنِ

উতবাহ বিন আবদ আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর নিকট এসে যেন (নির্জনে মিলনে) পর্দা (গোপনীয়তা) রক্ষা করে এবং গর্দভের ন্যায় বিবস্ত্র না হয়। [১৯২১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/১৬৬। ইরওয়া ২০০৯, আদবুয যিফাফ ৩৩-৩৪। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আহওয়াস বিন হাকিম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি হিফযে দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন আওফ আল-হিমসী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮৭, ২/২৮৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ مَوْلًى لِعَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا نَظَرْتُ أَوْ مَا رَأَيْتُ فَرْجَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَطُّ قَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ مَوْلَاةٍ لِعَائِشَةَ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কখনও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর লজ্জাস্থানের দিকে তাকাইনি বা তা দেখিনি। [১৯২২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২২] আহমাদ ২৩৮২৩, বায়হাকী ৪/৬৩, ইরওয়া ১৮১২, মিশকাত ৩১২৩, আদাবুয যিফাফ ৩৪ নং পৃষ্ঠা। রওদুন নাদীর ৮০৯, মুখতাসার শামাইল ৩০৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯/২৯. অধ্যায়ঃ

স্ত্রীর মলদ্বারে সংগম করা নিষেধ।

১৯২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ مُخَلَّدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করে, আল্লাহ্‌ তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকান না। [১৯২৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২৩] আবূ দাউদ ২১৬২, আহমাদ ৭৬২৭, ৮৩২৭, ৯৪৪০, ৯৮৫০, দারেমী ১১৪০, বায়হাকী ৭/৭৩৪। আদাবুয যিফাফ ৩০, সহীহ আবী দাউদ ১৮৭৮, মিশকাত ৩১৯৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহীহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা) ২. হারিস বিন মুখাল্লিদ সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। আবু বাকর আল বাযযার বলেন, তিনি প্রসিদ্ধ নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০৪২, ৫/২৭৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু সুহায়ল ও হারিস বিন মুখাল্লিদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৭৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ১৯ টি অধিক দুর্বল, ৯৪ টি দুর্বল, ৮০ টি হাসান, ২৮১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৩৫, ১১৬৪, ১১৬৬, ২৯৭৯, ২৯৮০, আবু দাউদ ২০৫, ১০০৫, ২১৬২, ২১৬৪, দারিমী ১১১৯, ১১৪০, ১১৪১, ১১৪৪, ২২১৩, আহমাদ ৬৫৭, ২৪১০, ২৬৯৮, ৬৬৬৭, ৬৯২৮, ৬৯২৯, ৭৬২৭, ৮৩২৭, ৯০৩৫, ৯৪৪০, ২১৩৪৬, ২১৩৫০, দারাকুতনী ৫৫৪, ৩৭০৮ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯২৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ هَرَمِيٍّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ

খুযায়মাহ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ সত্য বলতে লজ্জাবোধ করেন না। কথাটি তিনি তিনবার বলেন। (অতঃপর বলেন) তোমরা মহিলাদের মলদ্বারে সঙ্গম করো না। [১৯২৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২৪] আহমাদ ২১৩৪৩, ২১৩৬৭, দারেমী ১১৪৪, ইরওয়াহ ২০০৫, আদাবুয যিফাফ ২৯, মিশকাত ৩১৯২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯২৫

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ وَجَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ كَانَتْ يَهُودُ تَقُولُ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي قُبُلِهَا مِنْ دُبُرِهَا كَانَ الْوَلَدُ أَحْوَلَ فَأَنْزَلَ اللهُ سُبْحَانَهُ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ}.

জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইহূদীরা বলতো, কোন ব্যক্তি পশ্চাৎদিক থেকে স্ত্রী অঙ্গে সঙ্গম করলে তাতে সন্তান টেরা চোখবিশিষ্ট হয়। এরপর আল্লাহ্‌ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত। অতএব তোমরা তোমাদের শষ্যক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা আসো”। (২:২২৩)। [১৯২৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২৫] সহীহুল বুখারী ৪৫২৮, মুসলিম ১৪৩৫, আবূ দাউদ ২১৬৩, দারেমী ১১৩২, ২২১৪, ইরওয়াহ ৭/৬২, সহীহ আবী দাউদ ১৮৭৯, ১৮৮০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী জামাল ইবনুল হাসান আল-আতাকী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল-জুরযানী বলেন, আনি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, আমরা তার সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম কিন্তু তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করিনি। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মাসলামহ ইবনু কাসিম বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৬৮, ৫/১২৮ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস