নাসায়ী সাওম (রোজা) অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২০৯০ – ২২০৫

পরিচ্ছেদ

সাওম (রোযা) ফরয হওয়া

২০৯০

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَائِرَ الرَّأْسِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ؟ قَالَ: «الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ إِلَّا أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا»، قَالَ: أَخْبِرْنِي بِمَا افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الصِّيَامِ؟ قَالَ: «صِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ إِلَّا أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا»، قَالَ: أَخْبِرْنِي بِمَا افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الزَّكَاةِ؟ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَرَائِعِ الْإِسْلَامِ، فَقَالَ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ، لَا أَتَطَوَّعُ شَيْئًا لَا أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ شَيْئًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ أَوْ دَخَلَ الْجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ»

তালহা ইব্‌ন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এলোমেলো চুল বিশিষ্ট এক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ্‌! আল্লাহ তা’আলা আমার উপর যে সালাতসমূহ ফরয করেছেন সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে। তারপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তা]আলা আমার উপর যে সাওম (রোযা) ফরয করেছেন সে সমন্ধে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রমযান মাসের সাওম (রোযা)। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তা’আলা আমার উপর যে যাকাত ফরয করেছেন সে সমন্ধে অবহিত করুন। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইসলামী শরীয়ার আহকাম সম্পর্কে অবহিত করলেন। অতঃপর সে বললো, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন আমি অতিরিক্ত কোন নফল ও আদায় করবনা এবং আল্লাহ তা’আলা আমার উপর যা যা ফরয করেছেন তাতে কোন কম করব না। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে কৃতকার্য হয়ে যাবে অথবা তিনি বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: نُهِينَا فِي الْقُرْآنِ أَنْ نَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ، فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَجِيءَ الرَّجُلُ الْعَاقِلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَيَسْأَلَهُ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَتَانَا رَسُولُكَ فَأَخْبَرَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَرْسَلَكَ، قَالَ: «صَدَقَ»، قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ؟ قَالَ: «اللَّهُ»، قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ الْأَرْضَ؟ قَالَ: «اللَّهُ»، قَالَ: فَمَنْ نَصَبَ فِيهَا الْجِبَالَ؟ قَالَ: «اللَّهُ»، قَالَ: فَمَنْ جَعَلَ فِيهَا الْمَنَافِعَ؟ قَالَ: «اللَّهُ»، قَالَ: فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ، وَنَصَبَ فِيهَا الْجِبَالَ، وَجَعَلَ فِيهَا الْمَنَافِعَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: «نَعَمْ»، قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، قَالَ: «صَدَقَ»، قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: «نَعَمْ»، قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا زَكَاةَ أَمْوَالِنَا، قَالَ: «صَدَقَ»، قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: «نَعَمْ»، قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي كُلِّ سَنَةٍ، قَالَ: «صَدَقَ»، قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: «نَعَمْ»، قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا الْحَجَّ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا؟ قَالَ: «صَدَقَ»، قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: «نَعَمْ»، قَالَ: فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَزِيدَنَّ عَلَيْهِنَّ شَيْئًا وَلَا أَنْقُصُ، فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরআনে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে যেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া ‘সাল্লাম) এর কাছে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন না করি। তাই আমরা মনে মনে আশংকা করতাম যেন গ্রাম থেকে কোন জ্ঞানী ব্যাক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করে। ইতিমধ্যে একজন গ্রাম্য ব্যক্তি এসে বলল, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের কাছে আপনার দূত এসেছিলেন। তিনি আমাদের বললেন যে, আপনি নাকি দাবী করেন যে, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন যে, সে সত্যই বলেছে। অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ তবে আসমান কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা, অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীন-কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা। তারপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীনে পাহাড়সমূহ কে স্হাপন করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা। এরপর সে প্রশ্ন করলঃ তাতে উপকারী বৃক্ষসমূহ কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করেছেন আর তাতে পাহাড়সমুহ স্হাপন করেছেন এবং তাতে উপকারী বৃক্ষসমূহ সৃষ্টি করেছেন- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি-আপনাকে রাসুল রুপে প্রেরন করেছেন- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যা। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর স্বীয় ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললোঃ সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক বছর রমযানের রোযা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বলল, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের মধ্যে রাহা খরচ বহনের উপর সামর্থ্যবানদের উপর হজ্জ ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললো, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন- আমি-এগুলোর উপর কোন কিছু কখনো বৃদ্ধিও করবো না আর এর থেকে (কিছু) হ্রাসও করবো না। যখন সে ফিরে গেলো, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি সে তার কথায় সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯২

خْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ اللَّيْثِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ فِي الْمَسْجِدِ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ، ثُمَّ عَقَلَهُ، فَقَالَ لَهُمْ: أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ؟ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ، قُلْنَا لَهُ: هَذَا الرَّجُلُ الْأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ، فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَجَبْتُكَ»، فَقَالَ الرَّجُلُ: إِنِّي سَائِلُكَ يَا مُحَمَّدُ، فَمُشَدِّدٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ، فَلَا تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ، قَالَ: «سَلْ مَا بَدَا لَكَ»، فَقَالَ الرَّجُلُ: نَشَدْتُكَ بِرَبِّكَ، وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، فَقَالَ الرَّجُلُ: آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ، وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي، وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ، أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ، «خَالَفَهُ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ»

আনাস ইবন্‌ মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে উটের উপর আরোহণ করে এক ব্যক্তি আসলো এবং সেই উটকে মসজিদের (আঙ্গিনায়) বসালো ও বাঁধলো আর উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞাসা করলোঃ তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন উপস্থিতদের মধ্যে ঠেস দিয়ে বসা ছিলেন। আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সেই ব্যক্তি বললোঃ হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত! তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। তখন সেই ব্যাক্তি বললোঃ হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্নের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করব। আপনি কিছু মনে করবেন না। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন কর। তখন সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে শপথ দিয়ে বলছি আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন” নিশ্চয়ই। সে বললো, এখন আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে রাত-দিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন” নিশ্চয়ই। অতপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে বছরের এ (রমযান) মাসে সাওম (রোযা) পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়। “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই, “-হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন” তারপর সে ব্যাক্তি বললোঃ আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দূতরূপে এসেছি এবং আমার নাম হল দিমাম ইব্‌ন ছা’লাবা; আমি সা’দ ইব্‌ন বাক্‌র গোত্রের লোক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৩

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، مِنْ كِتَابِهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلَانَ، وَغَيْرُهُ مِنْ إِخْوَانِنَا، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسٌ فِي الْمَسْجِدِ، دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ، ثُمَّ عَقَلَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ؟ وَهُوَ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ، فَقُلْنَا لَهُ: هَذَا الرَّجُلُ الْأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ، فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَجَبْتُكَ»، قَالَ الرَّجُلُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشَدِّدٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ، قَالَ: «سَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ»، قَالَ: أَنْشُدُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ؟ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، فَقَالَ الرَّجُلُ: إِنِّي آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ، وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي، وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ، أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ، «خَالَفَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ»

আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে উটের উপর আরোহণ করে এক ব্যক্তি আসলো এবং সেই উটকে মসজিদের (আঙ্গিনায়) বসিয়ে বেঁধে ফেললো। অতঃপর বললোঃ তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে? তিনি তখন আমাদের মধ্যে ঠেস দিয়ে বসা ছিলেন। তখন আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি। তৎপর সে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললোঃ হে আলে মুত্তালিবের বংশজাত। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। অতঃপর সে বললো:হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশের ব্যাপারে আপনার সাথে কঠোরতা অবলম্বন করবো। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন করো। সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভূ এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভূর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে প্রত্যেক বছরের এ (রমযান) মাসে সাওম (রোযা) পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাবী বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আলাহ তা’আলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললো, আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দূত স্বরূপ এসেছি; আর আমার নাম হল দিমাম ইব্‌ন ছা’লাবা আমি সা’দ ইব্‌ন বাক্‌র গোত্রের লোক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৪

أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عُمَارَةَ حَمْزَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يَذْكُرُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: بَيْنَمَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَصْحَابِهِ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ قَالَ: أَيُّكُمُ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ قَالُوا: هَذَا الْأَمْغَرُ الْمُرْتَفِقُ – قَالَ حَمْزَةُ -: الْأَمْغَرُ الْأَبْيَضُ مُشْرَبٌ حُمْرَةً، فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشْتَدٌّ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ، قَالَ: «سَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ»، قَالَ: أَسْأَلُكَ بِرَبِّكَ، وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ، وَرَبِّ مَنْ بَعْدَكَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ بِهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تُصَلِّيَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ بِهِ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْ أَمْوَالِ أَغْنِيَائِنَا فَتَرُدَّهُ عَلَى فُقَرَائِنَا؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ بِهِ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَأَنْشُدُكَ بِهِ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ يَحُجَّ هَذَا الْبَيْتَ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ»، قَالَ: فَإِنِّي آمَنْتُ وَصَدَّقْتُ وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ সাহাবীদের সাথে ছিলেন, ইতিমধ্যে একজন গ্রাম্য ব্যক্তি তাদের কাছে এসে বললোঃ তোমাদের মধ্যে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত কে? সাহাবীগণ বললেনঃ এই হেলান দেওয়া লালবর্ন মিশ্রিত ফর্সা ব্যক্তি। হামযা (রহঃ) বলেনঃ (আরবি) শব্দের অর্থ হল লালবর্ন মিশ্রিত ফর্সা। অতঃপর সেই ব্যক্তি বললোঃ আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো। আর প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কঠোরতা অবলম্বন করবো। তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন কর। সে বললোঃ আমি আপনার প্রভৃ এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে আপনাকে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো”, তারপর সে বললোঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করবো। আল্লাহ তা-আলা কি আপনাকে রাতদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো”। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের ধন-সম্পদ থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে বার মাসের মধ্যে এ (রমযান) মাসে সাওম (রোযা) পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি- আল্লাহ তা’আলা কি আপনাকে আমাদের মধ্যে রাহা খরচ বহনের উপর সামর্থ্যবানদের জন্য কা’বা ঘরের হজ্জ করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। তারপর সে বললোঃ আপনার উপর আমি বিশ্বাস স্হাপন করলাম এবং আপনাকে সত্যবাদীরূপে মেনে নিলাম। আর আমার নাম হল দিমাম ইব্‌ন ছা’লাবা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৫

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ، وَكَانَ جِبْرِيلُ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ»

 

قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَجْوَدَ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ»

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্যান্য লোকদের তূলনায় অত্যধিক দানশীল ব্যাক্তি ছিলেন। রমযান মাসে যখন জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি অত্যধিক দানশীল হয়ে যেতেন। আর জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমযানের প্রত্যেক রাত্রে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যখন জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি প্রবাহমান বায়ু অপেক্ষাও অত্যধিক দানশীল হতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ الْبُخَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، وَالنُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ لَعْنَةٍ تُذْكَرُ، كَانَ إِذَا كَانَ قَرِيبَ عَهْدٍ بِجِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُدَارِسُهُ، كَانَ أَجْوَدَ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا خَطَأٌ وَالصَّوَابُ حَدِيثُ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، وَأَدْخَلَ هَذَا حَدِيثًا فِي حَدِيثٍ»

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উল্লেখযোগ্য কোন অভিশাপ দিতেন না। আর যখন জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অবতরণের সময় নিকটবর্তী হত যিনি তাঁকে কুরআন শিক্ষা দিতেন, তখন তিনি প্রবামান বায়ূ অপেক্ষাও অত্যধিক দানশীল হতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৭

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে বেঁধে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৮

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوْزَجَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে বেঁধে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯৯

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ، فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১০০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ، مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১০১

أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، فِي حَدِيثِهِ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابنِ شِهَابٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي أَنَسٍ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ»، رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَقَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানকে শূংখলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১০২

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ ابْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ، فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا يَعْنِي حَدِيثَ ابْنِ إِسْحَقَ خَطَأٌ، وَلَمْ يَسْمَعْهُ ابْنُ إِسْحَقَ مِنَ الزُّهْرِيِّ، وَالصَّوَابُ مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ»

[حكم الألباني] صحيح لغيره

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রমযান মাস আসে করে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২১০৩

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ، قَالَ: وَذَكَرَ مُحَمَّدَ بْنَ مُسْلِمٍ، عَنْ أُوَيْسِ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ، عَدِيدِ بَنِي تَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَذَا رَمَضَانُ قَدْ جَاءَكُمْ تُفَتَّحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَتُغَلَّقُ فِيهِ أَبْوَابُ النَّارِ، وَتُسَلْسَلُ فِيهِ الشَّيَاطِينُ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا الْحَدِيثُ خَطَأٌ»

[حكم الألباني] صحيح لغيره

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এই রমযান মাস যা তোমাদের কাছে আগমন করেছে। এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মা’মার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য

২১০৪

أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ عَزِيمَةٍ، وَقَالَ: «إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ، وَسُلْسِلَتْ فِيهِ الشَّيَاطِينُ» أَرْسَلَهُ ابْنُ الْمُبَارَكِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয ব্যতীত রমযানের তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করার জন্যও উৎসাহিত করতেন। তিনি বলতেন যে,যখন রমযান আগমন করে জান্নাতের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১০৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى خُرَاسَانِيٌّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ، فُتِحَتْ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ»

[حكم الألباني] صحيح لغيره

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন রমযান আগমন করে তখন রহমতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২১০৬

أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَاكُمْ رَمَضَانُ شَهْرٌ مُبَارَكٌ فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ، تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ، وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ، وَتُغَلُّ فِيهِ مَرَدَةُ الشَّيَاطِينِ، لِلَّهِ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ، مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমাদের নিকট রমযান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের উপরে আল্লাহ তা’আলা অত্র মাসের সওম ফরয করেছেন। এ মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ী পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১০৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ: عُدْنَا عُتْبَةَ بْنَ فَرْقَدٍ، فَتَذَاكَرْنَا شَهْرَ رَمَضَانَ، فَقَالَ: مَا تَذْكُرُونَ؟ قُلْنَا: شَهْرَ رَمَضَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ النَّارِ، وَتُغَلُّ فِيهِ الشَّيَاطِينُ، وَيُنَادِي مُنَادٍ كُلَّ لَيْلَةٍ: يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ هَلُمَّ، وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ ” قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا خَطَأٌ»

[حكم الألباني] صحيح لغيره

আরফাজা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা উতবা ইব্‌ন ফারকাদের অসুস্হতা দেখতে গিয়ে আমরা সেখানে রমযান মাস সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি ব্যাপারে আলোচনা করছ? আমরা বললাম, রমযান মাস সম্পর্কে। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, রমযান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের গলায় লোহার শিকল পরানো হয়। এবং প্রত্যেক রাতে একজন আহবানকারী ডাক দিয়ে বলে, হে কল্যাণকামীগণ তোমরা নেক কাজ কর, হে পাপিষ্ঠগণ তোমরা পাপকর্ম থেকে বিরত থাকো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২১০৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ: كُنْتُ فِي بَيْتٍ فِيهِ عُتْبَةُ بْنُ فَرْقَدٍ، فَأَرَدْتُ أَنْ أُحَدِّثَ بِحَدِيثٍ، وَكَانَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَأَنَّهُ أَوْلَى بِالْحَدِيثِ مِنِّي، فَحَدَّثَ الرَّجُلُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” فِي رَمَضَانَ، تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ السَّمَاءِ، وَتُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ النَّارِ، وَيُصَفَّدُ فِيهِ كُلُّ شَيْطَانٍ مَرِيدٍ، وَيُنَادِي مُنَادٍ كُلَّ لَيْلَةٍ: يَا طَالِبَ الْخَيْرِ هَلُمَّ، وَيَا طَالِبَ الشَّرِّ أَمْسِكْ “

আরফাজা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ‘আমি একটি ঘরে অবস্হান করছিলাম যেখানে উতবা ইব্‌ন ফারকাদ (রাঃ) ছিলেন। আমি একটি হাদীস বর্ণনা করতে চাইলাম, কিন্তু সেখানে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে একজন সাহাবীও উপস্থিত ছিলেন, যিনি হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে আমার চেয়ে অধিক অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযান মাসের ব্যাপারে বলেছেন, রমযান মাসে আসমানের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর প্রত্যেক দুষ্টু শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। প্রত্যেক রাতে একজন আহবানকারী আহবান করতে থাকে, ‘হে কল্যাণকামীগণ তোমরা নেক কাজ কর, হে পাপিষ্ঠগণ তোমরা পাপ হতে বিরত থাকো’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

রমযান মাসকে শুধু রমযান বলার অনুমতি

২১০৯

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْمُهَلَّبُ بْنُ أَبِي حَبِيبَةَ، ح وَأَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ صُمْتُ رَمَضَانَ، وَلَا قُمْتُهُ كُلَّهُ ـ وَلَا أَدْرِي كَرِهَ التَّزْكِيَةَ، أَوْ قَالَ ـ: لَا بُدَّ مِنْ غَفْلَةٍ وَرَقْدَةٍ «اللَّفْظُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ»

আবু বাক্‌রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ কখনও এরুপ বলবে না, আমি পূরা রমযানের সাওম (রোযা) পালন করেছি অথবা আমি পূরা রমযান মাসে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করেছি। রাবী বলেন, কেন তিনি এরুপ বলা অসমীচীন মনে করেছেন তা আমার জানা নেই। হয়তো বা এর মধ্যে নিজ প্রশংসা বা অসাবধানতা আছে বলেই তিনি এরুপ বলাকে সমীচীন মনে করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২১১০

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يُخْبِرُنَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِامْرَأَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ: «إِذَا كَانَ رَمَضَانُ فَاعْتَمِرِي فِيهِ، فَإِنَّ عُمْرَةً فِيهِ تَعْدِلُ حَجَّةً»

ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন আনসারী মহিলাকে বলেছিলেন, যখন রমযান এসে যাবে তখন তুমি একটি উমরাহ্‌ আদায় করবে। কেননা রমযানের একটি উমরাহ্‌ একটি হজ্জের সমপরিমাণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা

২১১১

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، قَالَ: فَقَدِمْتُ الشَّامَ، فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتَهَلَّ عَلَيَّ هِلَالُ رَمَضَانَ وَأَنَا بِالشَّامِ، فَرَأَيْتُ الْهِلَالَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ، فَسَأَلَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلَالَ، فَقَالَ: مَتَى رَأَيْتُمْ؟ فَقُلْتُ: رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، قَالَ: أَنْتَ رَأَيْتَهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، وَرَآهُ النَّاسُ فَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ، قَالَ: «لَكِنْ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ، فَلَا نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلَاثِينَ يَوْمًا أَوْ نَرَاهُ»، فَقُلْتُ: أَوَ لَا تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ، وَأَصْحَابِهِ؟ قَالَ: لَا هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রাঃ)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূ’আর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতঃপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখেছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমু’আর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললামঃ হ্যাঁ, অন্যান্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম (রোযা) পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম (রোযা) পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া অথবা তাঁর সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

রমযান মাসের চাঁদ দেখার ব্যাপারে একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা এবং এ ব্যাপারে সিমাক (রহঃ)-এর হাদীসে সুফিয়ান(রাঃ)-এর বর্ণনা পার্থক্য

২১১২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: رَأَيْتُ الْهِلَالَ، فَقَالَ: «أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، فَنَادَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْ صُومُوا»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এক বেদুঈন এসে বললো যে, আমি চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোযণা দিলেন যে, তোমরা সবাই সাওম (রোযা) পালন কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২১১৩

أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَبْصَرْتُ الْهِلَالَ اللَّيْلَةَ، قَالَ: «أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «يَا بِلَالُ، أَذِّنْ فِي النَّاسِ فَلْيَصُومُوا غَدًا»،

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে একজন বেদূঈন এসে বললেন যে, আমি রাত্রে চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দেও যে, আল্লাহ তা’আলা ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে বেলাল! তুমি লোকদের সামনে ঘোযণা করে দাও যে, তারা যেন সাওম (রোযা) পালন করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২১১৪

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلٌ،

ইকরিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুরসাল সুত্রে এই হাদীসটি বর্নিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২১১৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ نُعَيْمٍ مِصِّيصِيٌّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلٌ

ইকরিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুরসাল সুত্রে এই হাদীসটি বর্নিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২১১৬

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ شَبِيبٍ أَبُو عُثْمَانَ، وَكَانَ شَيْخًا صَالِحًا بِطَرَسُوسَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ الْحَارِثِ الْجَدَلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَطَبَ النَّاسَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ، فَقَالَ: أَلَا إِنِّي جَالَسْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَاءَلْتُهُمْ، وَإِنَّهُمْ حَدَّثُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَانْسُكُوا لَهَا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا ثَلَاثِينَ، فَإِنْ شَهِدَ شَاهِدَانِ فَصُومُوا، وَأَفْطِرُوا»

আব্দুর রহমান ইব্‌ন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রমযান বা শা’বান মাসের সন্দেহযূক্ত দিনে লোকদের উদ্দেশ্য করে বললেনঃ শুন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের সাথে বসা ছিলাম। আমি তাদের প্রশ্ন করলে তাঁরা আমার কাছে বর্ননা করলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) ভঙ্গ কর আর চাঁদ দেখেই কুরবানী কর। তবে হ্যাঁ, (শা’বান মাসের ২৯ তারিখে) যদি আকাশে মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে তোমরা মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে নেবে। তবে দু’জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলে তোমরা সাওম (রোযা) পালন করবে এবং ভঙ্গ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শা’বান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করা এবং আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনা পার্থক্য

২১১৭

أَخْبَرَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمُ الشَّهْرُ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন করবে এবং চাঁদ দেখেই সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১১৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا ثَلَاثِينَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন করবে এবং চাঁদ দেখেই সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১১৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ فَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَصُومُوا ثَلَاثِينَ يَوْمًا»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখ তখন সাওম (রোযা) পালন কর। আর যখন তোমরা (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখ তখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ কর। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন সাওম (রোযা) পালন করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১২০

أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ فَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ»

[حكم الألباني] سكت عنه الشيخ

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ যখন তোমারা চাঁদ দেখ তখন সাওম (রোযা) পালন করবে। যখন (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখ সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২১২১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ، فَقَالَ: «لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ، وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ»

ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযানের আলোচনা করছিলেন, তখন তিনি বললেনঃ যতক্ষন পর্যন্ত তোমরা চাঁদ দেখতে না পাও সাওম (রোযা) পালন করবে না। আবার যতক্ষন পর্যন্ত (সাওয়ালের) চাঁদ দেখতে না পাও তোমরা সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে না। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে তোমরা মাসের দিন গুণে নেবে (ত্রিশ দিন পূর্ন করবে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

উবায়দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন উমর থেকে এ হাদীসের সনদের পার্থক্য বর্ণনা

২১২২

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ، وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্নিত। তিনি বলেছেনঃ যতক্ষন পর্যন্ত (রমযানের) চাঁদ দেখতে না পাও তোমরা সাওম (রোযা) পালন করবে না। এবং যতক্ষন পর্যন্ত (শাওয়ালের) চাঁদ দেখতে না পাও তোমরা সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে না। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে তোমরা দিন গুণে নেবে (ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১২৩

أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، صَاحِبَ حِمْصَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْهِلَالَ، فَقَالَ: «إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাঁদের ব্যাপারে আলোচনা করে বললেনঃ যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে সাওম (রোযা) পালন করবে আর যখন তোমরা (সাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখবে তখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে তোমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আমর ইব্‌ন দীনার (রহঃ) কর্তৃক ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে উক্ত হাদীসের বর্ণনায় সনদের পার্থক্য

২১২৪

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو الْجَوْزَاءِ، وَهُوَ ثِقَةٌ بَصْرِيٌّ، أَخُو أَبِي الْعَالِيَةِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حِبَّانُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা (রমযান মাসের) চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন করবে এবং (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে (শা’বান মাসের দিন গণনা করে) ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১২৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: عَجِبْتُ مِمَّنْ يَتَقَدَّمُ الشَّهْرَ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ فَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আশ্চর্যবোধ করি ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে যে রমযান মাস আসার পূর্বেই সাওম (রোযা) পালন করে, অথচ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে তখন সাওম (রোযা) পালন করবে আর (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখবে সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে (শা’বান মাসের দিন গণনা করে) ত্রিশ দিন পৃর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মানসূর (রহঃ) কর্তৃক রিবয়ী ইব্‌ন হিরাশ (রহঃ) সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য

২১২৬

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقَدَّمُوا الشَّهْرَ حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ قَبْلَهُ أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ، ثُمَّ صُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ، أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ قَبْلَهُ»

হুযায়ফা ইব্‌ন ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, তোমরা রমযান মাসের চাঁদ না দেখার পূর্বে কিংবা শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে রমযানের সাওম পালন করবে না। এরপর তোমরা রমযানের সাওম (রোযা) পালন করতে থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে কিংবা তার পূর্বেই রমযানের মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১২৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقَدَّمُوا الشَّهْرَ حَتَّى تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ أَوْ تَرَوْا الْهِلَالَ، ثُمَّ صُومُوا وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ» أَرْسَلَهُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ

মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাশ্‌শার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা রমযান মাসের চাঁদ না দেখার পূর্বে কিংবা শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে রমযানের সাওম (রোযা) পালন করবে না। এরপর তোমরা রমযানের সাওম (রোযা) পালন করতে থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে কিংবা তার পূর্বেই রমযান মাস ত্রিশ দিন হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১২৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ فَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَتِمُّوا شَعْبَانَ ثَلَاثِينَ، إِلَّا أَنْ تَرَوْا الْهِلَالَ قَبْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ صُومُوا رَمَضَانَ ثَلَاثِينَ إِلَّا أَنْ تَرَوْا الْهِلَالَ قَبْلَ ذَلِكَ»

[حكم الألباني] صحيح لغيره

রিব’য়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, যখন তোমরা রমযান মাসের চাঁদ দেখবে তখন সাওম (রোযা) পালন করবে আর যখন (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখবে তখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ যদি আকাশে মেঘাছন্ন থাকে তাহলে শা’বান মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে। তবে এর পূর্বেই চাঁদ দেখলে রমযানের সাওম (রোযা) পালন করবে। এরপর রমাযানের সাওম (রোযা) পালন করতে থাকরে যতক্ষণ পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে বা তার পূর্বেই রমযান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২১২৯

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ حَالَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ سَحَابٌ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ، وَلَا تَسْتَقْبِلُوا الشَّهْرَ اسْتِقْبَالًا»

ইকরিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ননা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন করবে এবং (শাওয়ালের) চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ, তোমাদের এবং চাঁদের মাঝখানে যদি মেঘ আড়াল হয় তাহলে তোমরা (শা’বান) মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ন করবে। চাঁদ দেখার পুর্বেই সাওম (রোযা) পালন দ্বারা রমযান মাসকে সংবর্ধনা জানাবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩০

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَصُومُوا قَبْلَ رَمَضَانَ، صُومُوا لِلرُّؤْيَةِ، وَأَفْطِرُوا لِلرُّؤْيَةِ، فَإِنْ حَالَتْ دُونَهُ غَيَايَةٌ فَأَكْمِلُوا ثَلَاثِينَ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা রমযানের পূর্বে সাওম (রোযা) পালন করবে না। বরং তোমরা চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন করবে এবং চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) ভঙ্গও করবে। তবে হ্যাঁ, যদি চাঁদকে মেঘ আড়াল করে দেয় তবে তোমরা (শা’বান) মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যুহ্‌রী (রহঃ) কর্তৃক আয়েশা (রাঃ) থেকে উক্ত রেওয়াত বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা

২১৩১

أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أَقْسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يَدْخُلَ عَلَى نِسَائِهِ شَهْرًا، فَلَبِثَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ، فَقُلْتُ: أَلَيْسَ قَدْ كُنْتَ آلَيْتَ شَهْرًا؟ فَعَدَدْتُ الْأَيَّامَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ»

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শপথ করেছিলেন যে, তিনি এক মাস বিবিদের কাছে যাবেন না। অতঃপর তিনি উত্রিশ দিন হওয়ার পর (আমার ঘরে প্রবেশ করলে) আমি বললাম, আপনি কি এক মাসের শপথ করেছিলেন না? আমি তো মাসকে ঊনত্রিশ দিন গণনা করেছি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ মাসটি ছিল ঊনত্রিশ দিনের।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩২

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، حَدَّثَهُ ح وأَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمْ أَزَلْ حَرِيصًا أَنْ أَسْأَلَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، عَنِ الْمَرْأَتَيْنِ مِنْ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّتَيْنِ قَالَ اللَّهُ لَهُمَا: {إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا} [التحريم: 4] وَسَاقَ الْحَدِيثَ، وَقَالَ فِيهِ: فَاعْتَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ الْحَدِيثِ حِينَ أَفْشَتْهُ حَفْصَةُ إِلَى عَائِشَةَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، قَالَتْ عَائِشَةُ: وَكَانَ قَالَ: «مَا أَنَا بِدَاخِلٍ عَلَيْهِنَّ شَهْرًا مِنْ شِدَّةِ مَوْجِدَتِهِ عَلَيْهِنَّ» حِينَ حَدَّثَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَدِيثَهُنَّ، فَلَمَّا مَضَتْ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ لَيْلَةً دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَبَدَأَ بِهَا، فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: إِنَّكَ قَدْ كُنْتَ آلَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ لَا تَدْخُلَ عَلَيْنَا شَهْرًا، وَإِنَّا أَصْبَحْنَا مِنْ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً نَعُدُّهَا عَدَدًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ لَيْلَةً»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সর্বদা লালায়িত ছিলাম যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিবিদের মধ্য থেকে ঐ দুজন বিবি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব যাদের সস্পর্কে আল্লাহ পাক বলেছেনঃ (আরবী আছে) (যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন।) রাবী এ হাদীসকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। এবং এ ব্যাপারে উমর (রাঃ) বলেন যে, হাফসা (রাঃ) এ ঘটনা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে প্রকাশ করায় রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে, নিজ বিবিদের থেকে ঊনত্রিশ রাত বিচ্ছিন্ন রইলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যধিক ক্রোধবশত বলেছিলেন, যখন আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে তাদের ঘটনা ব্যক্ত করেছিলেন যে, আমি তাদের ঘরে এক মাস পর্যন্ত প্রবেশ করব না। যখন ঊনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত হয়ে গেল রাসুলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁকে দিয়েই পূনরায় বিবিদের ঘরে যাওয়া শুরু করলেন, তখন আয়িশা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ্‌। আপনি তো শপথ করেছিলেন যে, আপনি আমাদের ঘরে একমাস পর্যন্ত প্রবেশ করবেন না; আজকে তো আমরা ঊনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত করলাম, আমরা তো তা গননা করে রেখেছি। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, মাসটি ঊনত্রিশ রাত্রের ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

এ প্রসঙ্গে ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস-এর বর্ণনা

২১৩৩

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ هُوَ أَبُو بُرَيْدٍ الْجَرْمِيُّ بَصْرِيٌّ، عَنْ بَهْزٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ” أَتَانِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ يَوْمًا “

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার কাছে জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এসে বললো যে, মাসটি ঊনত্রিশ দিনের।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، وَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ سَلَمَةُ: سَمِعْتُ أَبَا الْحَكَمِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ يَوْمًا»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, মাসটি ঊনত্রিশ দিনের।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ইসমাইল (রহঃ) সূত্রে সা’দ ইব্‌ন মালিক থেকে হাদীস বরননায় পার্থক্য

২১৩৫

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى الْأُخْرَى، وَقَالَ: «الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا، وَهَكَذَا» وَنَقَصَ فِي الثَّالِثَةِ إِصْبَعًا

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্নিত যে, তিনি এক হাত অন্য হাতের উপর মেরে বললেন যে, মাস এত দিনের হয়, মাস এতদিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, তৃতীয় বারে তিনি একটি আঙ্গুল কমিয়ে দিলেন (ঊনত্রিশ দিনেরও হয়)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩৬

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْمَعِيلَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الشَّهْرُ هَكَذَا، وَهَكَذَا، وَهَكَذَا» يَعْنِي تِسْعَةً وَعِشْرِينَ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَغَيْرُهُ عَنْ إِسْمَعِيلَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- বলেছেন যে, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়। অর্থাৎ ঊনত্রিশ দিনের (২৯ দিনেরও হয়)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩৭

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّهْرُ هَكَذَا، وَهَكَذَا، وَهَكَذَا» وَصَفَّقَ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ بِيَدَيْهِ يَنْعَتُهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ قَبَضَ فِي الثَّالِثَةِ الْإِبْهَامَ فِي الْيُسْرَى قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: ” قُلْتُ لِإِسْمَعِيلَ عَنْ أَبِيهِ؟ قَالَ: لَا “

মুহাম্মাদ ইব্‌ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয় এবং মুহাম্মাদ ইব্‌ন -উবায়দ (রহঃ) তার রূপ বর্ননা করতে গিয়ে তিনবার নিজ হাতে তালি দিলেন, অতঃপর তৃতীয়বারে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল বন্ধ করে ফেললেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ইয়াহয়া ইব্‌ন আবী কাসীর (রহঃ) সুত্রে আবূ সালামা থেকে উক্ত হাদীদ বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা

২১৩৮

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هَارُونُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيٌّ هُوَ ابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّهْرُ يَكُونُ تِسْعَةً وَعِشْرِينَ وَيَكُونُ ثَلَاثِينَ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনের হয় আবার কখনো ত্রিশ দিনের হয়। যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে তখন সাওম (রোযা) পালন করবে, আর যখন (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখবে তখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ন করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩৯

أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ فَضَالَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، ح وأَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَاللَّفْظُ لَهُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ وَهُوَ ابْنُ عُمَرَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ»

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনের হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لَا نَكْتُبُ وَلَا نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا» ثَلَاثًا حَتَّى ذَكَرَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন যে, আমরা হলাম উম্মাতে উম্মিয়্যা। (মা এর শিশু সন্তানের মত) আমরা ভাল করে লিখা জানি না আর ভাল করে হিসাবও জানি না।১ মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়। এরকম তিনবার বলে তিনি ঊনত্রিশ দিনের উল্লেখ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

১. সৌর মাসের হিসাবন কঠিন বলে চান্দ্র মাস হিসাবে চাঁদ দেখে আমরা সাওম (রোযা) পালনে আদিষ্ট হয়েচ্ছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لَا نَحْسُبُ وَلَا نَكْتُبُ، وَالشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا – وَعَقَدَ الْإِبْهَامَ فِي الثَّالِثَةِ -، وَالشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا تَمَامَ الثَّلَاثِينَ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমরা হলাম (মা এর শিশু সন্তানের ন্যায়) অজ্ঞ উম্মাত, (ভাল করে) হিসাবও জানি না এবং (ভাল করে) লিখতেও জানি না। আর মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়। এবং তৃতীয় বারে বৃদ্ধ আঙুল বন্ধ করে ফেললেন। (২৯ দিন বুঝাবার জন্য)। আর মাস এরকম, এরকম এরকম, পূর্ণ ত্রিশ দিনেরও হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ سُحَيْمٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الشَّهْرُ هَكَذَا»، وَوَصَفَ شُعْبَةُ، عَنْ صِفَةِ جَبَلَةَ، عَنْ صِفَةِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ، فِيمَا حَكَى مِنْ صَنِيعِهِ مَرَّتَيْنِ بِأَصَابِعِ يَدَيْهِ، وَنَقَصَ فِي الثَّالِثَةِ إِصْبَعًا مِنْ أَصَابِعِ يَدَيْهِ

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, মাস এত দিনের হয়। ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে জাবালা (রহঃ) যে বর্ণনা করেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুবা (রহঃ) বলেছেন যে, ইব্‌ন উমর (রাঃ) দুবার তাঁর হস্ত প্রসারিত করে এবং তৃতীয়বারে হস্তদ্বয়ের অঙ্গুলিসমুহ থেকে একটি অঙ্গুলি নামিয়ে ফেলে বলতে চেয়েছেন যে, মাস ঊনত্রিশ দিনেরও হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُقْبَةَ يَعْنِي ابْنَ حُرَيْثٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাস (কখনো) ঊনত্রিশ দিনেরও হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً» وَقَفَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ

[حكم الألباني] حسن صحيح

আব্দুলাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা সাহারী (ভোর রাত্রের খাওয়া) খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২১৪৫

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «تَسَحَّرُوا» قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: «لَا أَدْرِي كَيْفَ لَفْظُهُ»

আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, তোমরা সাহারী খাও। উবায়দুল্লাহ তিনি বলেন যে, আমি পুরোপুরি জানি না যে, এ হাদীসের বাক্য কিরূপ ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

২১৪৬

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»

আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা সাহারী খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আব্দুল মালিক ইব্‌ন আবূ সুলাইমান (রহঃ) সুত্রে এ হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য

২১৪৭

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جَرِيرٍ نَسَائِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাহারী খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪৮

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً» رَفَعَهُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ তোমরা সাহারী খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৪৯

خْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً “

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমরা সাহারী খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫০

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা সাহারী খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫১

أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»، قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «حَدِيثُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ هَذَا إِسْنَادُهُ حَسَنٌ، وَهُوَ مُنْكَرٌ وَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ الْغَلَطُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা সাহারী খাও। কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাহারী বিলম্বে খাওয়া

২১৫২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ: قُلْنَا لِحُذَيْفَةَ: أَيَّ سَاعَةٍ تَسَحَّرْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: «هُوَ النَّهَارُ إِلَّا أَنَّ الشَّمْسَ لَمْ تَطْلُعْ»

[حكم الألباني] حسن الإسناد

যির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা হুযায়ফা (রাঃ)-এর কাছে বললামঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আপনি কখন সাহারী খেতেন? তিনি বললেনঃ খুব ভোরেই। তবে হ্যাঁ, তখনো সূর্য উদয় হত না (ভোর রাত্রের শেষের দিকে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، قَالَ: «تَسَحَّرْتُ مَعَ حُذَيْفَةَ، ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الصَّلَاةِ، فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمَسْجِدَ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ، وَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا إِلَّا هُنَيْهَةٌ»

যির ইব্‌ন হুবায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি হুযায়ফা (রাঃ)-এর সাথে সাহারী খেলাম। অতঃপর সালাত আদায় করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা মসজিদে পৌছে দু’রাকআত সালাত আদায় করলাম (ফজরের সুন্নাত)। তখনই (জামাআতের) ইকামাত বলা হল। উভয়ের মাঝখানে মাত্র অল্প কিছুক্ষণ সময়ের ব্যবধান ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫৪

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو يَعْفُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، قَالَ: «تَسَحَّرْتُ مَعَ حُذَيْفَةَ، ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الْمَسْجِدِ، فَصَلَّيْنَا رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّيْنَا»

সিলাহ ইব্‌ন যূফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি হুযায়ফা (রাঃ)-এর সাথে সাহারী খেলাম। অতঃপর মসজিদে গিয়ে দু’রাকাআত ফজরের সালাত (সুন্নাত) আদায় করলাম। তারপরই সালাতের (জামাআতের) ইকামাত দেয়া হল এবং আমরা সালাত (ফজরের ফরয) আদায় করলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাহারী এবং ফজরের সালাতের মধ্যকার ব্যবধান

২১৫৫

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: «تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلَاةِ»، قُلْتُ: كَمْ كَانَ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ: قَدْرُ مَا يَقْرَأُ الرَّجُلُ خَمْسِينَ آيَةً

যায়দ ইব্‌ন ছাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাহারী খেলাম। অতঃপর সালাত আদায়ের জন্য দাড়িয়ে গেলাম। রাবী বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, এতভয়ের মধ্যকার ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তিনি বললেনঃ কোন ব্যক্তির পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সম পরিমাণ সময়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

হিশাম ও সাঈদ (রহঃ) কর্তৃক কাতাদার বর্ণনায় পার্থক্য

২১৫৬

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: «تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلَاةِ»، قُلْتُ: – زُعِمَ أَنَّ أَنَسًا الْقَائِلُ – مَا كَانَ بَيْنَ ذَلِكَ؟ قَالَ: قَدْرُ مَا يَقْرَأُ الرَّجُلُ خَمْسِينَ آيَةً

যাহাদ ইবন ছাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাহারী খেলাম। অতঃপর (ফজরের) সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। রাবী বলেনঃ সম্ভবত আনাস (রাঃ) জিজ্ঞাসা করছিলেন, উভয়ের মাঝখানের ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তখন তিনি বলেছিলেন কোন ব্যাক্তির পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সমপরিমান সময় (এর ব্যবধান ছিল)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫৭

أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «تَسَحَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، ثُمَّ قَامَا فَدَخَلَا فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ»، فَقُلْنَا لِأَنَسٍ: كَمْ كَانَ بَيْنَ فَرَاغِهِمَا وَدُخُولِهِمَا فِي الصَّلَاةِ؟ قَالَ: قَدْرُ مَا يَقْرَأُ الْإِنْسَانُ خَمْسِينَ آيَةً

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং যায়দ ইব্‌ন ছাবিত (রাঃ) একত্রে সাহরী খেলেন। অতঃপর উভয়ে ফজরের সালাত শুরু করে দিলেন। রাবী বলেনঃ আমরা আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তাঁদের সাহারী শেষ করা এবং সালাত শুরু করার মধ্যকার ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তিনি বলেনঃ কোন ব্যক্তির পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সমপরিমাণ সময়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সুলায়মান ইব্‌ন মিহরান (রহঃ) কর্তৃক আয়েশা (রাঃ) থেকে সাহরী বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা

২১৫৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: فِينَا رَجُلَانِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ السُّحُورَ، وَالْآخَرُ يُؤَخِّرُ الْإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ السُّحُورَ، قَالَتْ: «أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ السُّحُورَ؟»، قُلْتُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَتْ: «هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ»

আবূ আতিয়্যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা (রাঃ)-কে বললামঃ আমাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এমন দু-জন সাহাবী আছেন, যাদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সাহারী বিলম্বে খান। আর দ্বিতীয়জন ইফতার বিলম্বে করেন এবং সাহারী তাড়াতাড়ি খান। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাঁদের মধ্যে কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সাহারী বিলম্বে খান? আমি বললাম আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)। তিনি [আয়িশা (রাঃ)] বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকমই করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: فِينَا رَجُلَانِ أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ السُّحُورَ، وَالْآخَرُ يُؤَخِّرُ الْفِطْرَ وَيُعَجِّلُ السُّحُورَ، قَالَتْ: «أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ السُّحُورَ؟» قُلْتُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَتْ: «هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ»

আবূ আতিয়্যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম যে, আমাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এমন দুজন সাহাবী আছেন যাদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, সাহারী বিলম্বে খান। অন্যজন ইফতার বিলম্বে করেন এবং সাহারী তাড়াতাড়ি খান। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সাহারী বিলম্বে খান? আমি বললামঃ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) তখন তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকমই করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬০

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ عَلَى عَائِشَةَ، فَقَالَ لَهَا مَسْرُوقٌ: رَجُلَانِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِلَاهُمَا لَا يَأْلُو عَنِ الْخَيْرِ، أَحَدُهُمَا يُؤَخِّرُ الصَّلَاةَ وَالْفِطْرَ، وَالْآخَرُ يُعَجِّلُ الصَّلَاةَ وَالْفِطْرَ، قَالَتْ عَائِشَةُ: «أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الصَّلَاةَ وَالْفِطْرَ؟» قَالَ مَسْرُوقٌ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: «هَكَذَا كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

আবূ আতিয়্যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, একদা আমি এবং মাসরুক (রহঃ) আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তখন মাসরুক (রহঃ) আয়িশা (রাঃ)-কে বললেন যে, আমাদের মাঝে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এমন দুজন সাহাবী আছে, তাঁরা উভয়েই সওয়াব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষী। তন্মধ্যে একজন মাগরিবের সালাত এবং ইফতার বিলম্বে করেন। আর অপরজন মাগরিবের সালাত এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন। তখন আয়িশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন যে, কে মাগবিবের সালাত এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, মাসরুক (রহঃ) বললেনঃ আব্দুলাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ রকমই করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬১

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ عَلَى عَائِشَةَ، فَقُلْنَا لَهَا: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، رَجُلَانِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلَاةَ، وَالْآخَرُ يُؤَخِّرُ الْإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ الصَّلَاةَ، فَقَالَتْ: «أَيُّهُمَا يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلَاةَ؟» قُلْنَا: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَتْ: «هَكَذَا كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»، وَالْآخَرُ أَبُو مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا

আবু আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি এবং মাসরুক (রহঃ) আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে গেলাম এবং বললামঃ হে মুমিনদের মাতা! আমাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এমন দু’জন সাহাবী আছেন যাঁদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, এবং মাগরিবের সালাতও তাড়াতাড়ি করেন। আর অন্যজন ইফতার বিলম্বে করেন এবং মাগরিবের সালাতও বিলম্বে আদায় করেন। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাঁদের মধ্যে কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং মাগরিবের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করেন? আমরা বললামঃ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)। তখন তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও এরকমই করতেন। (রাবী বলেনঃ ) দ্বিতীয় সাহাবী ছিলেন আবূ মুসা (রাঃ)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাহারীর ফযীলত

২১৬২

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، صَاحِبِ الزِّيَادِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَسَحَّرُ، فَقَالَ: «إِنَّهَا بَرَكَةٌ أَعْطَاكُمُ اللَّهُ إِيَّاهَا فَلَا تَدَعُوهُ»

ইসহাক ইব্‌ন মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম যখন তিনি সাহারী খাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন যে, এতে বরকত রয়েছে, আল্লাহ তা’আলা এ বরকত তোমাদেরকেই দান করেছেন। অতএব তোমরা একে ছাড়বে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাহারী খাওয়ার জন্য আহবান করা

২১৬৩

أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ بَصْرِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ الْحَارِثِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي رُهْمٍ، عَنْ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَدْعُو إِلَى السَّحُورِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، وَقَالَ: «هَلُمُّوا إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ»

ইরবায ইব্‌ন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রমযান মাসে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাহারী খাওয়ার জন্য আহবান করতে এবং বলতে শুনেছি যে, তোমরা সকালে পবিত্র আহারের দিকে এস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাহারীকে সকালের খাদ্য বলে নামকরণ

২১৬৪

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي بَحِيرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِ يكَرِبَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «عَلَيْكُمْ بِغَدَاءِ السُّحُورِ فَإِنَّهُ هُوَ الْغَدَاءُ الْمُبَارَكُ»

মিকদাম ইব্‌ন মা’দী কারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমরা ভোর রাত্রের খাদ্য অবশ্যই খাবে। কেননা সেটাই সকাল বেলার পবিত্র খাবার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬৫

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ: «هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ» – يَعْنِي السَّحُورَ –

খালিদ ইব্‌ন মা’দান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বলেছেনঃ তোমরা সকাল বেলার পবিত্র আহারের দিকে এসো অর্থাৎ সাহারীর দিকে এস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আমাদের সাওম (রোযা) এবং আহলে কিতাবের সাওমের মধ্যে পার্থক্য

২১৬৬

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فَصْلَ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السُّحُورِ»

আমর ইব্‌ন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, আমাদের সাওম (রোযা) এবং আহলে কিতাব-এর সাওমের মধ্যে পার্থক্য হল সাহারী খাওয়া। (আমরা সাহারী খাই কিন্তু ইয়াহুদ ও খ্রিস্টানরা তা খায় না)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ছাতু এবং খোরমা দ্বারা সাহারী খাওয়া

২১৬৭

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَلِكَ عِنْدَ السُّحُورِ: «يَا أَنَسُ إِنِّي أُرِيدُ الصِّيَامَ، أَطْعِمْنِي شَيْئًا»، فَأَتَيْتُهُ بِتَمْرٍ وَإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَا أَذَّنَ بِلَالٌ، فَقَالَ: «يَا أَنَسُ، انْظُرْ رَجُلًا يَأْكُلْ مَعِي»، فَدَعَوْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، فَجَاءَ، فَقَالَ: إِنِّي قَدْ شَرِبْتُ شَرْبَةَ سَوِيقٍ وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ»، فَتَسَحَّرَ مَعَهُ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (একদা) রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহারীর সময় বললেন যে, হে আনাস! আমি সাওম (রোযা) পালন করার ইচ্ছা করেছি, তুমি আমাকে কিছু খাবার দাও। তখন আমি তাঁর কাছে কিছু খোরমা এবং পানীয় একটি পাত্র আনলাম। এগুলো আমি বেলাল (রাঃ)-এর (সাহারী) আযান দেওয়ার পর এনেছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে আনাস! একজন লোক তালাশ করে আন সে আমার সাথে আহার করবে। তখন আমি যায়দ ইব্‌ন ছাবিত (রাঃ)-কে ডাকলাম, তিনি এসে বললেনঃ আমি কিছু ছাতূর পানি পান করেছি এবং সাওম (রোযা) পালন করার ইচ্ছা করেছি। রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমিও তো সাওম (রোযা) পালন করার ইচ্ছা করেছি। অতঃপর তাঁর সাথে সাহারী খেলেন এবং দাঁড়িয়ে গিয়ে দু’রাকাআত সালাত (ফজরের সূন্নাত) আদায় করে ফজরের ফরয সালাত আদায় করার জন্য বের হয়ে গেলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬৮

أَخْبَرَنِي هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ، عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ: ” أَنَّ أَحَدَهُمْ كَانَ إِذَا نَامَ قَبْلَ أَنْ يَتَعَشَّى لَمْ يَحِلَّ لَهُ أَنْ يَأْكُلَ شَيْئًا وَلَا يَشْرَبَ لَيْلَتَهُ وَيَوْمَهُ، مِنَ الْغَدِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: {وَكُلُوا وَاشْرَبُوا} [البقرة: 187] إِلَى {الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ} [البقرة: 187]، قَالَ: وَنَزَلَتْ فِي أَبِي قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو، أَتَى أَهْلَهُ وَهُوَ صَائِمٌ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، فَقَالَ: هَلْ مِنْ شَيْءٍ؟ فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ: مَا عِنْدَنَا شَيْءٌ وَلَكِنْ أَخْرُجُ أَلْتَمِسُ لَكَ عَشَاءً، فَخَرَجَتْ وَوَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ، فَرَجَعَتْ إِلَيْهِ فَوَجَدَتْهُ نَائِمًا وَأَيْقَظَتْهُ، فَلَمْ يَطْعَمْ شَيْئًا وَبَاتَ وَأَصْبَحَ صَائِمًا حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ فَغُشِيَ عَلَيْهِ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تَنْزِلَ هَذِهِ الْآيَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ “

বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ তাদের কেউ যদি রাত্রের আহার না করেই ঘুমিয়ে পড়ত তবে তার জন্য সেই রাত্রে এবং পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু খাওয়া ও পান করা বৈধ ছিল না। (আরবী আছে) এই আয়াত অবতীর্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত (এ নিয়ম ছিল)। রাবী বলেন, এই আয়াত আবূ কায়স ইবনু আমর (রাঃ) সম্পর্কেও অবতীর্ণ হয়েছিল। তিনি সাওম (রোযা) পালন করে মাগরিবের পর নিজ স্ত্রীর কাছে এসে বললেন যে, আহার করার মত কিছু আছে কি? তার স্ত্রী বললেন, আমার কাছে তো আহার করার মত কিছু নেই। তবে আমি আপনার জন্য রাত্রের আহারের সন্ধানে বের হচ্ছি। তারপর তাঁর স্ত্রী বের হয়ে গেলেন। ইতিমধ্যে তিনি মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী তাঁর কাছে ফিরে এসে তাকে নিদ্রিত অবস্থায় পেয়ে জাগিয়ে দিলেন কিন্তু তিনি কিছুই না খেয়েই রাত্র কাটিয়ে সকাল থেকে সাওম (রোযা) পালনরত থাকলেন। দুপুর হলে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললেন। এ ঘটনাটি এ আয়াত অবর্তীর্ন হওয়ার পূর্বেই সংঘটিত হয়েছিল। তার পরেই আল্লাহ তা’আলা এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াত অবর্তীর্ন করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬৯

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ} [البقرة: 187] مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: «هُوَ سَوَادُ اللَّيْلِ وَبَيَاضُ النَّهَارِ»

আদি ইব্‌ন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহর বানীঃ (আরবী আছে) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এ হল রাত্রের অন্ধকার এবং দিনের শুভ্রতা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ফজর কখন হবে?

২১৭০

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ” إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ لِيُنَبِّهَ نَائِمَكُمْ وَيُرْجِعَ قَائِمَكُمْ، وَلَيْسَ الْفَجْرُ أَنْ يَقُولَ: هَكَذَا – وَأَشَارَ بِكَفِّهِ -، وَلَكِنِ الْفَجْرُ أَنْ يَقُولَ: هَكَذَا – وَأَشَارَ بِالسَّبَابَتَيْنِ – “

ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্নিত। তিনি বলেছেন যে, তোমাদের মধ্যে যারা নিদ্রিত তাদের জাগ্রত করার জন্য এবং তোমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায়রত আছে তাদেরকে বিরত করার জন্য বিলাল (রাঃ) রাত্রে আযান দেয়। অতঃপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয় হাতের কব্জি দ্বারা ইঙ্গিত করে দেখালেন যে এরূপ চিহ্ন প্রকাশ পাওয়া ফজর হওয়ার লক্ষণ নয়। বরং ফজর হওয়ার লক্ষণ হল এরকম চিহ্ন প্রকাশ পাওয়া। এই বলে তিনি স্বীয় তর্জনী অঙ্গূলিদ্বয় দ্বারা ইঙ্গিত করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৭১

أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَنْبَأَنَا سَوَادَةُ بْنُ حَنْظَلَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ سَمُرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَغُرَّنَّكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ، وَلَا هَذَا الْبَيَاضُ حَتَّى يَنْفَجِرَ الْفَجْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا – يَعْنِي مُعْتَرِضًا -» قَالَ أَبُو دَاوُدَ: «وَبَسَطَ بِيَدَيْهِ يَمِينًا وَشِمَالًا مَادًّا يَدَيْهِ»

সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, বিলাল (রাঃ)-এর আযান এবং এই শুভ্রতা যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলে না দেয়, যতক্ষণ না এ রকম, এ রকমভাবে প্রভাতের আলোর রেখা প্রকাশ পায় অর্থাৎ দিগন্তে। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন যে, এরপর তিনি স্বীয় হম্ভদ্বয় লম্বালম্বি ভাবে ডানে বামে ছড়িয়ে দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

রমযান মাস আসার পুর্বেই সাওম (রোযা) পালন শুরু করে দেওয়া

২১৭২

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا تَقَدَّمُوا قَبْلَ الشَّهْرِ بِصِيَامٍ، إِلَّا رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صِيَامًا أَتَى ذَلِكَ الْيَوْمُ عَلَى صِيَامِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্নিত। তিনি বলেছেন যে, তোমরা রমযান মাস আগমন করার পূর্বেই সাওম (রোযা) পালন শুরু করে দেবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি শুরু করতে পারবে, যে সর্বদা নিয়মিত সাওম (রোযা) পালন করত এবং তার নিয়মিত সাওম (রোযা) পালনকালীন দিনটি রমযান মাস আগমনের পূর্বের দিন হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ইয়াহ্‌য়া ইব্‌ন আবূ কাসীর ও মুহাম্মাদ ইব্‌ন আমর (রহঃ) কর্তৃক আবূ সালামা (রহঃ) সূত্রে হাদীস বর্ণনায় পার্থক্যের উল্লেখ

২১৭৩

أَخْبَرَنِي عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَتَقَدَّمَنَّ أَحَدٌ الشَّهْرَ بِيَوْمٍ وَلَا يَوْمَيْنِ، إِلَّا أَحَدٌ كَانَ يَصُومُ صِيَامًا قَبْلَهُ فَلْيَصُمْهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কখনো রমযান মাস আগমনের একদিন বা দুই দিন পূর্বেই সাওম (রোযা) পালন শুরু করে দেবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি শুরু করতে পারবে, যে ইতিপূর্বেও ঐ সময় নিয়মিত সাওম (রোযা) পালন করত। সে তার সাওম (রোযা) পালন করতে পারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৭৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَتَقَدَّمُوا الشَّهْرَ بِصِيَامِ يَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ إِلَّا أَنْ يُوَافِقَ ذَلِكَ يَوْمًا كَانَ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ»، قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا خَطَأٌ»

[حكم الألباني] حسن صحيح

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমযান মাস আগমনের একদিন বা দুই দিন আগে সাওম (রোযা) পালন শুরু করে দেবে না। তবে হ্যাঁ, তোমাদের কেউ যদি পূর্ব থেকেই নিয়মিত সাওম (রোযা) পালন করত এবং তার সাথে এই সময়ের মিল হয়ে যায় তবে সেটা স্বতন্ত্র ব্যাপার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

এ প্রসঙ্গে আবূ সালামা (রহঃ) কর্তৃক হাদীস বর্ণনার উল্লেখ

২১৭৫

أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَاللَّفْظُ لَهُ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: «مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ إِلَّا أَنَّهُ كَانَ يَصِلُ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ»

উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কখনো একাধারে দুই মাস সাওম (রোযা) পালন করতে দেখিনি। তবে হ্যাঁ, তিনি শা’বান মাসকে রমযান মাসের সাথে মিলাতেন (সাওম (রোযা) পালনসহ) অর্থাৎ তিনি একাধারে শা’বান ও রমযান মাসের সাওম (রোযা) পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

এ প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইব্রাহীম (রহঃ) সূত্রে হাদীস বর্ণনায় পার্থক্য

২১৭৬

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا النَّضْرُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصِلُ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ»

উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান মাসকে রমযান মাসের সাথে মিলাতেন সাওম (রোযা) পালনসহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৭৭

أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ، عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لَا يُفْطِرُ، وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لَا يَصُومُ، وَكَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ أَوْ عَامَّةَ شَعْبَانَ»

[حكم الألباني] حسن صحيح

আবূ সালামা ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আয়িশা (রাঃ)-কে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাওম (রোযা) পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাওম (রোযা) পালন করা শুরু করতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি আর সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবেন না। আবার যখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ করা শুরু করতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি আর সাওম (রোযা) পালন করবেন না। তিনি শা’বান মাসের পূরা বা অধিকাংশ দিন সাওম (রোযা) পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২১৭৮

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعْدِ بْنِ الْحَكَمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ الْهَادِ، حَدَّثَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: لَقَدْ كَانَتْ إِحْدَانَا تُفْطِرُ فِي رَمَضَانَ فَمَا تَقْدِرُ عَلَى أَنْ تَقْضِيَ حَتَّى يَدْخُلَ شَعْبَانُ، «وَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ فِي شَهْرٍ مَا يَصُومُ فِي شَعْبَانَ، كَانَ يَصُومُهُ كُلَّهُ إِلَّا قَلِيلًا بَلْ كَانَ يَصُومُهُ كُلَّهُ»

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাদের কেউ (ঋতূ ইত্যাদির কারণে) রমযান মাসের সাওম (রোযা) পালন করতে পারত না এবং তার কাযা আদায় করার সূযোগ পাওয়ার পূর্বে, শা’বান মাস এসে যেত। আর রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান মাসের মত অন্য কোন মাসে এত অধিক সাওম (রোযা) পালন করতেন না। তিনি অল্প কয়েক দিন ব্যতীত পূরো শা’বান মাসই সাওম (রোযা) পালন করতেন; বরং (বলতে গেলে) পূরো শা’বান মাসই সাওম (রোযা) পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

এ বিষয়ে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনাকারীদের শব্দের পার্থক্য-এর উল্লেখ

২১৭৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ، فَقُلْتُ: أَخْبِرِينِي عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: «كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ صَامَ، وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَفْطَرَ، وَلَمْ يَكُنْ يَصُومُ شَهْرًا أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ إِلَّا قَلِيلًا، كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ»

আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম; আমি তাঁকে বললাম, আপনি আমাকে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাওম (রোযা) পালন সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাওম (রোযা) পালন করতে শুরু করতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি হয়ত সাওমই (রোযাই) পালন করতে থাকবেন। আবার যখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ করা শুরু করতেন তখন আমরা মনে মনে ধারণা করতাম যে, হয়ত সাওম (রোযা) ভঙ্গই করতে থাকবেন। আর তিনি শা’বান মাস অপেক্ষা অন্য কোন মাসে এত অধিক সাওম (রোযা) পালন করতেন না। উনি অল্প কিছু দিন ব্যতীত প্রায় পূরো শা’বান মাসই সাওম (রোযা) পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮০

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرٍ مِنَ السَّنَةِ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ، كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূরো বছরে শা’বান মাসের চেয়ে বেশি অন্য কোন মাসে এত অধিক (নফল) সাওম (রোযা) পালন করতেন না। তিনি পূরো শা’বান মাসই সাওম (রোযা) পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮১

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَعْبَانَ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান মাস সাওম (রোযা) পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮২

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «لَا أَعْلَمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ، وَلَا قَامَ لَيْلَةً حَتَّى الصَّبَاحِ، وَلَا صَامَ شَهْرًا كَامِلًا قَطُّ غَيْرَ رَمَضَانَ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি জানি না যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক রাত্রে পূর্ণ কুরআন খতম করেছিলেন কিনা বা পুর্ণ রাত্রে সকাল পর্যন্ত জাগ্রত থেকে ছিলেন কিনা বা কখনো রমযান মাস ব্যতীত পূর্ণ মাস সাওম (রোযা) পালন করেছিলেন কিনা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي يُوسُفَ الصَّيْدَلَانِيُّ حَرَّانِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ: سَأَلْتُهَا عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ صَامَ، وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَفْطَرَ، وَلَمْ يَصُمْ شَهْرًا تَامًّا مُنْذُ أَتَى الْمَدِينَةَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ رَمَضَانُ»

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন শফীক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আয়েশা (রাঃ)-কে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাওম (রোযা) সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাওম (রোযা) পালন করা শুরু করতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি হয়ত সাওমই (রোযা) পালন করতে থাকবেন, আর যখন সাওম (রোযা) ভঙ্গ করা শুরু করতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি হয়ত সাওম (রোযা) ভঙ্গই করতে থাকবেন। আর তিনি মদীনায় আসার পর থেকেই রমযান মাস ব্যতীত কখনো এক মাশ সাওম (রোযা) পালন করতেন না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮৪

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا خَالِدٌ وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ، عَنْ كَهْمَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الضُّحَى؟ قَالَتْ: «لَا، إِلَّا أَنْ يَجِيءَ مِنْ مَغِيبِهِ»، قُلْتُ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا كُلَّهُ؟ قَالَتْ: «لَا، مَا عَلِمْتُ صَامَ شَهْرًا كُلَّهُ إِلَّا رَمَضَانَ، وَلَا أَفْطَرَ حَتَّى يَصُومَ مِنْهُ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ»

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন শকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি চাশতের সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, না। তবে হ্যাঁ, সফর থেকে আগমন করলে আদায় করতেন। আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কখনো পূর্ণ এক মাস সাওম (রোযা) পালন করতেন? তিনি বললেনঃ না। আমি জানি না যে, তিনি কখনো রমযান মাস ব্যতীত পূর্ণ এক মাস সাওম (রোযা) পালন করেছেন আর কোন এক মাস ভঙ্গও করেন নাই বরং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মাসের কিছুদিন সাওম (রোযা) পালন করতেন (করতে অভ্যস্ত ছিলেন)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮৫

أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ، عَنْ يَزِيدَ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الضُّحَى؟ قَالَتْ: «لَا، إِلَّا أَنْ يَجِيءَ مِنْ مَغِيبِهِ»، قُلْتُ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ صَوْمٌ مَعْلُومٌ سِوَى رَمَضَانَ؟ قَالَتْ: «وَاللَّهِ إِنْ صَامَ شَهْرًا مَعْلُومًا سِوَى رَمَضَانَ حَتَّى مَضَى لِوَجْهِهِ وَلَا أَفْطَرَ حَتَّى يَصُومَ مِنْهُ»

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন শকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি চাশতের সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, না; তবে হ্যাঁ সফর থেকে আসলে তখন আদায় করতেন। আমি আবার প্রশ্ন করলাম যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য কি রমযান মাস ব্যতীত কোন নির্দিষ্ট সাওম (রোযা) ছিল? তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ, তিনি রমযান মাস ব্যতীত মৃত্যু অবধি কখনো পূর্ণ এক মাস সাওম (রোযা) পালন করতেন না আর পুর্ণ এক মাস সাওম (রোযা) ভঙ্গও করতেন না, বরং মাসের কিছুদিন সাওম (রোযা) করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

এ হাদীসে খালিদ ইব্‌ন মা’দান (রহঃ) থেকে বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ

২১৮৬

أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ بَقِيَّةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَحِيرٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَائِشَةَ، عَنِ الصِّيَامِ، فَقَالَتْ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ، وَيَتَحَرَّى صِيَامَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ»

[حكم الألباني] صحيح ق الشطر الأول فقط

জুবায়র ইব্‌ন নূফায়র থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি আয়েশা (রাঃ)-কে সাওম (রোযা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্ণ শা’বান মাস সাওম (রোযা) পালন করতেন আর সোমবার এবং বৃহস্পতিবারের সাওম (রোযা) উত্তম মনে করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২১৮৭

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ثَوْرٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَعْبَانَ وَرَمَضَانَ وَيَتَحَرَّى الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ»

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান এবং রমযান মাসে সাওম (রোযা) পালন করতেন আর সোমবার এবং বৃহষ্পতিবারের সাওমকে (রোযাকে) উত্তম মনে করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সন্দেহযুক্ত দিনে সাওম (রোযা) পালন করা

২১৮৮

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ صِلَةَ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ عَمَّارٍ فَأُتِيَ بِشَاةٍ مَصْلِيَّةٍ، فَقَالَ: كُلُوا، فَتَنَحَّى بَعْضُ الْقَوْمِ، قَالَ: إِنِّي صَائِمٌ، فَقَالَ عَمَّارٌ: «مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

সিলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা আম্মার (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। এমন সময়ে একটি ভুনা বকরী নিয়ে আসা হল। তিনি বললেন খাও। তখন উপস্থিত লোকদের একজন পাশে সরে গেলেন এবং বললেন যে, আমি সাওম (রোযা) পালন করছি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেনঃ যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত দিনে সাওম (রোযা) পালন করল সে আবূল কাসিম [রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)]-এর অবাধ্যতা করল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮৯

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عِكْرِمَةَ فِي يَوْمٍ قَدْ أُشْكِلَ مِنْ رَمَضَانَ هُوَ أَمْ مِنْ شَعْبَانَ، وَهُوَ يَأْكُلُ خُبْزًا وَبَقْلًا وَلَبَنًا، فَقَالَ لِي: هَلُمَّ، فَقُلْتُ: إِنِّي صَائِمٌ، قَالَ وَحَلَفَ بِاللَّهِ: لَتُفْطِرَنَّ، قُلْتُ: سُبْحَانَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ يَحْلِفُ لَا يَسْتَثْنِي تَقَدَّمْتُ قُلْتُ: هَاتِ الْآنَ مَا عِنْدَكَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ حَالَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ سَحَابَةٌ أَوْ ظُلْمَةٌ، فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ عِدَّةَ شَعْبَانَ، وَلَا تَسْتَقْبِلُوا الشَّهْرَ اسْتِقْبَالًا، وَلَا تَصِلُوا رَمَضَانَ بِيَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ»

সিমাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি ইকরামা (রাঃ)-এর কাছে এমন একদিন গেলাম যে দিনটি সষ্পর্কে সন্দেহ করা হচ্ছিল যে, তা কি রমযান না শা’বান। তিনি তখন রুটি ও সবজী খাচ্ছিলেন এবং দুধ পান করছিলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ আসো (এবং খাও) আমি বললাম, আমি তো সাওম (রোযা) পালন করছি। তিনি আল্লাহর নামে শপথ করে বললেন যে, তোমাকে অবশ্যই সাওম (রোযা) ভঙ্গ করতে হবে। আমি দুইবার বললামঃ সুবহানাল্লাহ্‌। যখন আমি তাঁকে দেখলাম যে, তিনি শপথ করছেন এবং আমাকে ছাড়বেন না-আমি নিজেই অগ্রসর হয়ে বললামঃ এখন আপনার কাছে কি আছে আনুন। তিনি বললেন, আমি ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমযান মাসের) চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) পালন করবে এবং (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখে সাওম (রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ, তোমাদের এবং চাঁদের মাঝখানে যদি মেঘ অথবা অন্ধকার আড়াল হয় তবে তোমরা শা’বান মাসের গননা পূর্ণ করে নেবে এবং রমযান মাস আগমন করার পুর্বে তোমরা সাওম (রোযা) পালন দ্বারা রমযান মাসকে সন্বর্ধনা জানাবে না, আর একদিনের সাওম (রোযা) পালন দ্বারা রমযান মাসকে শা’বান মাসের সাথে মিলিয়ে ফেলবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সন্দেহযুক্ত দিনে রোযা রাখা

২১৯০

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ: أَخْبَرَنِي شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، وَابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «أَلَا لَا تَقَدَّمُوا الشَّهْرَ بِيَوْمٍ أَوِ اثْنَيْنِ، إِلَّا رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صِيَامًا فَلْيَصُمْهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলতেনঃ খবরদার! তোমরা রমযান মাসকে এক অথবা দুই দিনের সাওম (রোযা) পালন দারা অগ্রে নিয়ে আসবে না। হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি যে নিয়মিত সাওম (রোযা) পালন করে, সে ঐদিনও সাওম (রোযা) পালন করতে পারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করে এবং সাওম (রোযা) পালন করে তার সওয়াব এ বিষয়ে যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে রেওয়ায়ত বর্ণনায় পার্থক্য

২১৯১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ اللَّيْثِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا خَالِدٌ، عَنْ ابْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

[حكم الألباني] صحيح لغيره

সাঈদ ইব্‌ন মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসে আল্লাহ তা’আলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করবে তার পূর্বাপর সমস্ত (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২১৯২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَبَلَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعَافَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى، عَنْ إِسْحَقَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُرَغِّبُ النَّاسَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةِ أَمْرٍ فِيهِ، فَيَقُولُ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

[حكم الألباني] حسن صحيح

উরওয়া ইব্‌ন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মীনী আয়েশা (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন: রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই লোকদেরকে তারাবীহ্‌র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন এবং বলতেন, যে ব্যাক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করবে তার পূর্বের সমস্ত (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২১৯৩

أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ يُونُسَ الْأَيْلِيِّ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ يُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ – وَسَاقَ الْحَدِيثَ، وَفِيهِ قَالَتْ – فَكَانَ يُرَغِّبُهُمْ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ، وَيَقُولُ: «مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» قَالَ: فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ

[حكم الألباني] صحيح الإسناد لكن قوله متوفى الخ مدرج إنما هو من قول الزهري

উরওয়া ইব্‌ন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একদা) গভীর রাত্রে বের হয়ে গেলেন এবং মসজিদে গিয়ে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এটা দীর্ঘ হাদীস; এতে উল্লেখ রয়েছে যে, আয়েশা (রাঃ) বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই তারাবীহ্‌র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন এবং বলতেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রিতে জাগরণ করে তার পূর্বাপর সমস্ত (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। রাবী বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল পর্যন্ত তাঁর আমল এরকমই ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২১৯৪

أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي رَمَضَانَ: «مَنْ قَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রমাযানের ব্যাপারে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৯৫

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ – وَسَاقَ الْحَدِيثَ، وَقَالَ فِيهِ – وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرَغِّبُهُمْ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةِ أَمْرٍ فِيهِ، فَيَقُولُ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

উরওয়া ইব্‌ন যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) তাঁকে খবর দিয়েছনঃ একদা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গভীর রাত্রে বের হয়ে গেলেন এবং মসজিদে সালাত আদায় করলেন। এটি দীর্ঘ হাদীস। রাবী তাতে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই তারাবীহ্‌র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযানে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৯৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لِرَمَضَانَ مَنْ قَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রমযানের ব্যাপারে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযানে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৯৭

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযানে তারাবীহ্‌র সালাত আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৯৮

أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ، قَالَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই তারাবীহ্‌র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারারীহ্‌র সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৯৯

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২০০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২০১

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ الزُّهْرِيُّ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২০২

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ صَامَ رَمَضَانَ – وَفِي حَدِيثِ قُتَيْبَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَامَ شَهْرَ رَمَضَانَ – إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ “

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসের সাওম (রোযা) পালন করে। আবূ কুতায়বা (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্‌র সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২০৩

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের সাওম (রোযা) পালন করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২০৪

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের সাওম (রোযা) পালন করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২০৫

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের সাওম (রোযা) পালন করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস