নাসায়ী নিকাহ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৩২৯৫ – ৩৩৮৮

পরিচ্ছেদ

কোন নারী এবং তার খালাকে একত্রে বিবাহ করা হারাম

৩২৯৫

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلَا عَلَى خَالَتِهَا»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কোন নারীকে তার ফুফুর সাথে অথবা তার খালার সাথে (বা আগে পরে) বিবাহ করা যাবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৯৬

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا، وَالْعَمَّةُ عَلَى بِنْتِ أَخِيهَا»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন নারীকে তার ফুফুর সাথে অথবা ফুফুকে তার ভাই-এর কন্যার সাথে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৯৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَاصِمٌ، قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى الشَّعْبِيِّ، كِتَابًا فِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا، وَلَا عَلَى خَالَتِهَا» قَالَ: «سَمِعْتُ هَذَا مِنْ جَابِرٍ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কোন নারীকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে বিবাহ করা যাবে না। রাবী আসিম (রহঃ) বলেন, আমি এটা জাবির (রাঃ) থেকে শুনেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৯৮

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَخَالَتِهَا»

শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন নারীকে তার ফুফু এবং খালার সাথে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৯৯

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا، أَوْ عَلَى خَالَتِهَا»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন নারীকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

দুধ পান সম্পর্কের কারণে যারা হারাম

৩৩০০

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا حَرَّمَتْهُ الْوِلَادَةُ حَرَّمَهُ الرَّضَاعُ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, জন্ম সম্পর্ক যাকে হারাম করে, দুধ পানের সম্পর্কও তাকে হারাম করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০১

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَمَّهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ – يُسَمَّى أَفْلَحَ – اسْتَأْذَنَ عَلَيْهَا فَحَجَبَتْهُ، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا تَحْتَجِبِي مِنْهُ، فَإِنَّهُ يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ»

উরওয়া (রঃ) সূত্রে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাকে অবহিত করেছেন যে, তাঁর দুধ চাচা আফলাহ (রহঃ) তাঁর নিকট (আসতে) অনুমতি চাইলে তিনি তার সংগে পর্দা করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ সংবাদ দিলে তিনি বললেন, তার সংগে পর্দা করো না। কেননা, দুধ পান সম্পর্ক দ্বারা ঐ সকল লোক হারাম হয়, যারা বংশগত সম্পর্কে হারাম হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বংশগত সূত্রে যারা হারাম, দুধ পানের সম্পর্ক দ্বারা তারা হারাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ الْوِلَادَةِ»

আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)—কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জন্মসূত্রে যারা হারাম, দুধপান সম্পর্ক দ্বারাও তারা হারাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

দুধ ভাই-এর কন্যা হারাম হওয়া

৩৩০৪

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا لَكَ تَنَوَّقُ فِي قُرَيْشٍ وَتَدَعُنَا؟ قَالَ: «وَعِنْدَكَ أَحَدٌ؟» قُلْتُ: نَعَمْ، بِنْتُ حَمْزَةَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا لَا تَحِلُّ لِي، إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ»

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার কি হলো যে, আপনি কুরায়শদের প্রতিই (বিবাহ করার) আগ্রহ করেন, আর আমাদেরকে (অর্থাৎ বনী হাশিমকে) পরিত্যাগ করেন। তিনি বললেন, তোমার নিকট কি কেউ আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ, হামযা (রাঃ)-এর কন্যা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সে আমার জন্য হালাল হবে না। কেননা, সে তো আমার দুধ ভাই-এর কন্যা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০৫

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنْتُ حَمْزَةَ، فَقَالَ: «إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ» قَالَ شُعْبَةُ: هَذَا سَمِعَهُ قَتَادَةُ، مِنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হামযার (রাঃ) কন্যা (কে বিবাহ করা) সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সে তো আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। শু’বা (রহঃ) বলেন, কাতাদা (রহঃ) জাবির ইবন যায়দ (রহঃ) হতে এটা শুনেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০৬

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيدَ عَلَى بِنْتِ حَمْزَةَ، فَقَالَ: «إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ، وَإِنَّهُ يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ»

ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হামযা (রাঃ)-এর কন্যাকে বিবাহ করা সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলা হলে তিনি বললেনঃ সেতো আমার দুধ ভাই-এর কন্যা। আর বংশ সুত্রে যারা হারাম হয়, দুধ পান সম্পর্ক দ্বারা তারা হারাম হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কতটুকু দুধ পান করা (বিবাহ) হারাম করে

৩৩০৭

أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: ” كَانَ فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ – وَقَالَ الْحَارِثُ: فِيمَا أُنْزِلَ مِنَ الْقُرْآنِ -: عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ يُحَرِّمْنَ، ثُمَّ نُسِخْنَ بِخَمْسٍ مَعْلُومَاتٍ، فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ مِمَّا يُقْرَأُ مِنَ الْقُرْآنِ “

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা’আলা যা নাযিল করেছেন, তাতে রয়েছে; হারিস (রহঃ) (তার ভাষ্যে) বলেন, যে কুরআনে যা নাযিল করা হয়েছে তাতে রয়েছে, সুনির্দিষ্ট ‘দশবার দুধপান হারাম করে দেয়।’ এরপর তা (ঐ দশবার) পরিবর্তিত (মানসূথ) হয়ে গেল সুনির্দিষ্ট পাঁচবার দ্বারা। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ওফাত বরণ) করেন। তখনও তা (পাঁচবারের কথা,) কুরআনে তিলাওয়াত করা হত। [১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] পরে পাঁচ বারের কথাও রহিত হয়ে যায়। কিন্তু যারা এ খবর জানতো না, তারা নবী (সা)-এর ইনতিকালের পরও কিছু দিন এ আয়াত তিলাওয়াত করতো।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০৮

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَأَيُّوبُ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الرَّضَاعِ، فَقَالَ: «لَا تُحَرِّمُ الْإِمْلَاجَةُ وَلَا الْإِمْلَاجَتَانِ» وَقَالَ قَتَادَةُ: الْمَصَّةُ وَالْمَصَّتَانِ

উম্মু ফযল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুধপান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ একবার, দু’বার (শিশুকে) ঢেলে দেয়া (পান করা) হারাম করে না। কাতাদা (রহঃ) বলেন, একবার, দু’বার (স্তন) চোষণ করায় বিবাহ হারাম হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩০৯

أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَالْمَصَّتَانِ»

আবদুল্লাহ্ ইব্ন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার এবং দু’বার (স্তন) চোষণ করা হারাম করে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১০

أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ، وَالْمَصَّتَانِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একবার এবং দু’বার (স্তন) চোষণ করা হারাম করে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: كَتَبْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ النَّخَعِيِّ، نَسْأَلُهُ عَنِ الرَّضَاعِ، فَكَتَبَ أَنَّ شُرَيْحًا، حَدَّثَنَا أَنَّ عَلِيًّا، وَابْنَ مَسْعُودٍ، كَانَا يَقُولَانِ: «يُحَرِّمُ مِنَ الرَّضَاعِ قَلِيلُهُ وَكَثِيرُهُ» وَكَانَ فِي كِتَابِهِ، أَنَّ أَبَا الشَّعْثَاءِ الْمُحَارِبِيَّ، حَدَّثَنَا أَنَّ عَائِشَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: «لَا تُحَرِّمُ الْخَطْفَةُ وَالْخَطْفَتَانِ»

কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা ইবরাহীম ইব্ন ইয়াযীদ নখঈকে (রহঃ) দুধপান সম্বন্ধে প্রশ্ন করে লিখেছিলাম। (উত্তরে) তিনি লিখলেন, শুরায়হ (রহঃ) আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, আলী (রাঃ) এবং ইব্ন মাসঊদ (রাঃ) বলতেনঃ দুধপান অল্প হোক অথবা অধিক হোক, তা (বিবাহ) হারাম করে। তার কিতাবে আরো ছিল, আবূ শা’ছা মুহারিবী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন—আয়েশা (রাঃ) তাঁর কাছে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ একবার, দু’বার (অতর্কিতে) চুষে নিলে, তা হারাম করে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১২

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، فِي حَدِيثِهِ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدِي رَجُلٌ قَاعِدٌ، فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ، وَرَأَيْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَقَالَ: ” انْظُرْنَ مَا إِخْوَانُكُنَّ – وَمَرَّةً أُخْرَى: انْظُرْنَ مَنْ إِخْوَانُكُنَّ – مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَإِنَّ الرَّضَاعَةَ مِنَ الْمَجَاعَةِ “

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, (একদা) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আগমন করলেন, তখন আমার নিকট এক ব্যক্তি উপবিষ্ট ছিল। এটা তাঁর নিকট বেশ খারাপ লাগলো। আমি তাঁর চেহারায় ক্রোধের লক্ষণ দেখতে পেলাম। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! সে আমার দুধ-ভাই। তিনি বললেনঃ চিন্তা (গভীরভাবে সন্ধান) করে দেখ, তোমাদের কি (ধরনের) ভাই। অন্য সময় তিনি বলছেনঃ চিন্তা করে দেখ, কে তোমাদের দুধ-ভাই। এরপর তিনি বললেনঃ দুধপান ধর্তব্য হয় তা দ্বারা, ক্ষুধা নিবারনের জন্য যা পান করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে পুরুষের সুত্রে দুধ (মহিলার দুধ পান করানো দ্বারা পুরুষের সাথেও সম্পর্ক স্থাপিত হয়)

৩৩১৩

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا، وَأَنَّهَا سَمِعَتْ رَجُلًا يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُرَاهُ فُلَانًا لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنَ الرَّضَاعَةِ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: لَوْ كَانَ فُلَانٌ حَيًّا – لِعَمِّهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ – دَخَلَ عَلَيَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الرَّضَاعَةَ تُحَرِّمُ مَا يُحَرَّمُ مِنَ الْوِلَادَةِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(একদা) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট ছিলেন, এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন, এক ব্যক্তি হাফ্সা (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! এ ব্যক্তি আপনার (স্ত্রীর) ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার মনে হয় সে অমুক ব্যক্তি, যে হাফসা দুধ সম্পর্কের চাচা। আয়েশা (রাঃ) বললেন, আমি বললামঃ যদি অমুক ব্যক্তি জীবিত থাকতো, (অর্থাৎ) তার দুধ সম্পর্কের চাচা তবে, আমার কাছে আসতো? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জন্মগত সম্পর্কে যা হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কও তাকে হারাম করে দেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১৪

أَخْبَرَنِي إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: جَاءَ عَمِّي أَبُو الْجَعْدِ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَرَدَدْتُهُ – قَالَ: وَقَالَ هِشَامٌ: هُوَ أَبُو الْقُعَيْسِ – فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ائْذَنِي لَهُ»

উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, আমার দুধ সম্পর্কীয় চাচা আবূল জা’দ আগমন করলে আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। রাবী বলেন, হিশাম (রহঃ) বলেছেনঃ তিনি ছিলেন আবূল কু’আইস (রাঃ)। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করলে আমি তাকে অবহিত করলাম, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে অনুমতি দেবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১৫

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ اسْتَأْذَنَ عَلَى عَائِشَةَ بَعْدَ آيَةِ الْحِجَابِ فَأَبَتْ أَنْ تَأْذَنَ لَهُ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «ائْذَنِي لَهُ فَإِنَّهُ عَمُّكِ» فَقُلْتُ: إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ، فَقَالَ: «إِنَّهُ عَمُّكِ، فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবুল কু’আইস (রাঃ)-এর ভাই (আকলা) অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করলে তিনি বলেন, তুমি তাকে অনুমতি দিও, কেননা সে তোমার চাচা। আমি বললামঃ আমাকে তো মহিলা দুধ পান করিয়েছে, পুরুষ তো দুধপান করায় নি। তিনি বললেনঃ সে তোমার চাচা, অতএব সে তোমার নিকট প্রবেশ করতে পারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১৬

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ أَفْلَحُ أَخُو أَبِي الْقُعَيْسِ يَسْتَأْذِنُ عَلَيَّ، وَهُوَ عَمِّي مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ، حَتَّى جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: «ائْذَنِي لَهُ فَإِنَّهُ عَمُّكِ» قَالَتْ عَائِشَةُ: وَذَلِكَ بَعْدَ أَنْ نَزَلَ الْحِجَابُ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবূল কু’আইস (রাঃ)-এর ভাই আফ্লাহ্ (রাঃ) আমার নিকট আসতে অনুমতি চান; তিনি ছিলেন আমার দুধ সম্পর্কের চাচা। আমি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানালাম। ইত্যবসরে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করলে আমি তাঁকে তা জানালাম। তিনি বললেনঃ তাকে অনুমতি দিও, কেননা সে তোমার চাচা। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ এটা ছিল পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১৭

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، وَهِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: اسْتَأْذَنَ عَلَيَّ عَمِّي أَفْلَحُ بَعْدَمَا نَزَلَ الْحِجَابُ، فَلَمْ آذَنْ لَهُ، فَأَتَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: «ائْذَنِي لَهُ فَإِنَّهُ عَمُّكِ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ، قَالَ: «ائْذَنِي لَهُ، تَرِبَتْ يَمِينُكِ فَإِنَّهُ عَمُّكِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার চাচা আফলাহ্ পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পর আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দিলাম না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করলে আমি তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন তাকে অনুমতি দেবে। কেননা সে তোমার চাচা। আমি বললামঃ আমাকে তো নারী দুধ পার করিয়েছে, কোন পুরুষ তো দুধ পান করায় নি। তিনি বললেনঃ তোমার ডান হাত মাটিযুক্ত হোক (বুদ্ধির অপরিপক্কতা দূর হোক)। তাকে অনুমতি দেবে, কেননা সে তোমার চাচা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩১৮

أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ، وَإِسْحَقُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: جَاءَ أَفْلَحُ أَخُو أَبِي الْقُعَيْسِ يَسْتَأْذِنُ، فَقُلْتُ: لَا آذَنُ لَهُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ لَهُ: جَاءَ أَفْلَحُ أَخُو أَبِي الْقُعَيْسِ يَسْتَأْذِنُ، فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ، فَقَالَ: «ائْذَنِي لَهُ فَإِنَّهُ عَمُّكِ» قُلْتُ: إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي امْرَأَةُ أَبِي الْقُعَيْسِ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ، قَالَ: «ائْذَنِي لَهُ فَإِنَّهُ عَمُّكِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূল কু’আইস (রাঃ)-এর ভাই আফলাহ্ (রাঃ) অনুমতি চাইলে আমি বললামঃ আমি তাকে অনুমতি দেব না, যতক্ষণ না রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে অনুমতি পাই। পরে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করলে আমি তাঁকে বললামঃ আবূল কু’আইস (রাঃ)-এর ভাই আফলাহ্ (রাঃ) এসে অনুমতি চাচ্ছিল। আমি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে অনুমতি দেবে, কেননা সে তোমার চাচা। আমি বললামঃ আমাকে তো দুধ পান করিয়েছে আবূল কু’আইস (রাঃ)-এর স্ত্রী, কোন পুরুষ তো আমাকে দুধ পান করায় নি। তিনি বললেনঃ তাকে অনুমতি দেবে, কেননা সে তোমার চাচা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বয়স্ককে দুধ পান করানো সম্পর্কে

৩৩১৯

أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ حُمَيْدَ بْنَ نَافِعٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، تَقُولُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقُولُ: جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَأَرَى فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ مِنْ دُخُولِ سَالِمٍ عَلَيَّ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرْضِعِيهِ» قُلْتُ: إِنَّهُ لَذُو لِحْيَةٍ، فَقَالَ: «أَرْضِعِيهِ يَذْهَبْ مَا فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ» قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا عَرَفْتُهُ فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ بَعْدُ

মাখরামা ইব্ন বুকায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি হুমাইদ ইব্ন নাফি’কে বলতে শুনেছি যে, আমি যয়নব বিনত আবূ সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ সাহ্লা বিনত সুহায়ল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার নিকট সালিম-এর আগমনের কারণে আমি আবূ হুযায়ফা-এর চেহারায় (ক্রোধের) চিহ্ন দেখতেছি। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। আমি বললামঃ সে তো দাড়িওয়ালা (বয়স্ক লোক)। তিনি বললেনঃ তাকে তুমি দুধ পান করিয়ে দাও। আবূ হুযায়ফা-এর চেহেরায় যে (ক্রোধের) চিহ্ন দেখতেছো তা দূর হয়ে যাবে। সাহলা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! এরপর আবূ হুযায়ফা (রাঃ)-এর চেহারায় আমি আর (ক্রোধের) চিহ্ন দেখিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২০

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: سَمِعْنَاهُ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: إِنِّي أَرَى فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ مِنْ دُخُولِ سَالِمٍ عَلَيَّ، قَالَ: «فَأَرْضِعِيهِ» قَالَتْ: وَكَيْفَ أُرْضِعُهُ وَهُوَ رَجُلٌ كَبِيرٌ؟ فَقَالَ: «أَلَسْتُ أَعْلَمُ أَنَّهُ رَجُلٌ كَبِيرٌ»، ثُمَّ جَاءَتْ بَعْدُ فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ نَبِيًّا، مَا رَأَيْتُ فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ بَعْدُ شَيْئًا أَكْرَهُ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ (একদা) সাহলা বিনত সুহায়ল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর খিদমতে এসে বললেনঃ আমি আমার নিকট সালিম-এর আগমনের কারণে আবূ হুযায়ফা-এর চেহারায় (ক্রোধের) চিহ্ন দেখতেছি। তিনি বললেনঃ তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তিনি (সাহলা) বললেন, তাকে দুধ পান করাব কিভাবে, সে তো একজন বয়স্ক পুরুষ? তিনি বললেনঃ আমি কি জানি না যে সে একজন বয়স্ক পুরুষ? পরে তিনি (সাহলা) (তাকে দুধ পান করালেন এবং) এসে বললেন, যিনি আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন তাঁর কসম! এরপর আমি আবূ হুযায়ফা (রাঃ)-এর চেহারায় কোন ক্রোধ দেখিনি, যা আমার খারাপ লাগতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২১

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى أَبُو الْوَزِيرِ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ يَحْيَى، وَرَبِيعَةُ، عَنْ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةَ أَبِي حُذَيْفَةَ أَنْ تُرْضِعَ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، حَتَّى تَذْهَبَ غَيْرَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ»، فَأَرْضَعَتْهُ وَهُوَ رَجُلٌ قَالَ رَبِيعَةُ: «فَكَانَتْ رُخْصَةً لِسَالِمٍ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ হুযায়ফা-এর মাওলা সালিমকে দুধ পান করাবার জন্য আবূ হুযায়ফা-এর স্ত্রীকে আদেশ করেছেন। যাতে আবূ হুযায়ফা-এর (ক্ষোভ) প্রশমিত হয়ে যায়। অতএব, তিনি তাকে দুধ পান করালেন, অথচ তখন সে ছিল একজন বয়স্ক পুরুষ। রবী’আ বলেনঃ এটা ছিল সালিম-এর জন্য বিশেষ অনুমতি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২২

أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ وَهُوَ ابْنُ حَبِيبٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: جَاءَتْ سَهْلَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ سَالِمًا يَدْخُلُ عَلَيْنَا وَقَدْ عَقَلَ مَا يَعْقِلُ الرِّجَالُ، وَعَلِمَ مَا يَعْلَمُ الرِّجَالُ، قَالَ: «أَرْضِعِيهِ، تَحْرُمِي عَلَيْهِ بِذَلِكَ» فَمَكَثْتُ حَوْلًا لَا أُحَدِّثُ بِهِ، وَلَقِيتُ الْقَاسِمَ، فَقَالَ: حَدِّثْ بِهِ، وَلَا تَهَابُهُ “

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ সাহ্লা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে আগমন করে আরয করলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! সালিম আমাদের নিকট আগমন করে। পুরুষ যা বুঝে, সেও তা বুঝে, আর পুরুষ যা জানে, সেও তা জানে। তিনি বললেনঃ তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তাহলে তুমি তার জন্য এভাবে হারাম হয়ে যাবে। রাবী আবূ মুলায়কা (রহঃ) বলেনঃ এক বছর যাবত আমি অপেক্ষা করলাম, তা (এ হাদিছ) বর্ণনা করিনি। এরপর কাসেম (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেন, তা বর্ণনা কর, ভয় করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২৩

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَيُّوبُ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ كَانَ مَعَ أَبِي حُذَيْفَةَ وَأَهْلِهِ فِي بَيْتِهِمْ، فَأَتَتْ بِنْتُ سُهَيْلٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنَّ سَالِمًا قَدْ بَلَغَ مَا يَبْلُغُ الرِّجَالُ، وَعَقَلَ مَا عَقَلُوهُ، وَإِنَّهُ يَدْخُلُ عَلَيْنَا، وَإِنِّي أَظُنُّ فِي نَفْسِ أَبِي حُذَيْفَةَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرْضِعِيهِ تَحْرُمِي عَلَيْهِ» فَأَرْضَعْتُهُ، فَذَهَبَ الَّذِي فِي نَفْسِ أَبِي حُذَيْفَةَ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُهُ، فَذَهَبَ الَّذِي فِي نَفْسِ أَبِي حُذَيْفَةَ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুযায়ফা-এর পালকপুত্র সালিম আবূ হুযায়ফা এবং তার পরিবারের সাথে তাদের ঘরে ছিল। সুহায়ল কন্যা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর খিদমতে এসে বললেনঃ (পূর্ণ বয়স্ক) পুরুষরা যে পর্যায়ে উপনীত হয়, সালিমও সে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। তারা যা বুঝে, সেও তা বুঝে। সে আমাদের কাছে যাতায়াত করে। এজন্য আমি আবূ হুযায়ফা-এর মনে কিছু ক্ষোভের ভাব অনুভব করি। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে দুধ পান করাও, তা হলে তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। অতএব আমি তাকে দুধ পান করালাম। এতে আবূ হুযায়ফা-এর মনে যা ছিল, তা দূর হলো। পরে আমি তাঁর খিদমতে আরয করলাম, আমি তাকে দুধ পান করিয়েছি, তাতে আবূ হুযায়ফা-এর মনে যা ছিল, তা দূর হয়ে গেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২৪

أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَمَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: ” أَبَى سَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِنَّ بِتِلْكَ الرَّضْعَةِ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ يُرِيدُ رَضَاعَةَ الْكَبِيرِ، وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ: وَاللَّهِ مَا نُرَى الَّذِي أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْلَةَ بِنْتَ سُهَيْلٍ، إِلَّا رُخْصَةً فِي رَضَاعَةِ سَالِمٍ وَحْدَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَا يَدْخُلُ عَلَيْنَا أَحَدٌ بِهَذِهِ الرَّضْعَةِ وَلَا يَرَانَا “

উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রীগণ তাঁদের নিকট এ ধরনের দুধ সম্পর্কের কোন ব্যক্তির আগমনকে অপছন্দ করতেন (আয়েশা রাঃ ব্যতীত), অর্থাৎ বয়স্কদের দুধ সম্পর্ক। তাঁরা আয়েশা (রাঃ)- কে বলতেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! আমরা মনে করি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহলা বিনত সুহায়ল-কে যে আদেশ করেন, তা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর পক্ষ হতে শুধু সালিম-এর দুধ পানের ব্যাপারেই বিশেষ অনুমতি ছিল। আল্লাহ্‌র কসম! এ ধরনের দুধ সম্পর্ক নিয়ে কেউ আমাদের নিকট আগমন করবে না এবং আমাদেরকে দেখবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২৫

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، أَنَّ أُمَّهُ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ أُمَّهَا أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تَقُولُ: ” أَبَى سَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُدْخَلَ عَلَيْهِنَّ بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ، وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ: وَاللَّهِ مَا نُرَى هَذِهِ إِلَّا رُخْصَةً رَخَّصَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً لِسَالِمٍ، فَلَا يَدْخُلْ عَلَيْنَا أَحَدٌ بِهَذِهِ الرَّضَاعَةِ وَلَا يَرَانَا “

আবূ উবায়দা ইব্ন আবদুল্লাহ্ ইব্ন যাম’আ থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর মাতা যয়নাব বিনত আবূ সালমা তাকে (ইব্ন শিহাবকে) অবহিত করেছেন, তার মাতা রাসূলুল্লাহ্র স্ত্রী উম্মু সালামা বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সকল স্ত্রীই এ দুধ সম্পর্কে তাঁদের নিকট প্রবেশকে অপছন্দ করতেন। তাঁরা আয়েশা (রাঃ)-কে বলতেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা মনে করি, এটা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর বিশেষ অনুমতি, যা ছিল শুধু সালিম-এর জন্য। কেউ এ দুধ সম্পর্কের কারণে আমাদের নিকট আগমন করবে না এবং আমাদেরকে দেখবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

‘গীলা’ (স্তন্যদানকারিণী স্ত্রীর সাথে সহবাস) ও পরবর্তী গর্বধারন সম্পর্কে

৩৩২৬

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، وَإِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ جُدَامَةَ بِنْتَ وَهْبٍ، حَدَّثَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَنْهَى عَنِ الْغِيلَةِ حَتَّى ذَكَرْتُ أَنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ يَصْنَعُهُ – وَقَالَ إِسْحَقُ: يَصْنَعُونَهُ – فَلَا يَضُرُّ أَوْلَادَهُمْ “

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জুদামা বিনত ওয়াহব তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, ‘গীলা’ (অর্থাৎ স্তন্য – দানকারিণী স্ত্রীর সাথে সহবাস) করতে নিষেধ করবো। পরে আমার মনে হলো যে, পারস্য এবং রোমের অধিবাসীরা এমন করে থাকে। ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ তারা এমন করে, অথচ এতে তাদের সন্তানদের কোন ক্ষতি হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আযল১ করা

৩৩২৭

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بِشْرِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَرَدَّ الْحَدِيثَ حَتَّى رَدَّهُ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: ذُكِرَ ذَلِكَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَمَا ذَاكُمْ؟» قُلْنَا: الرَّجُلُ تَكُونُ لَهُ الْمَرْأَةُ فَيُصِيبُهَا وَيَكْرَهُ الْحَمْلَ، وَتَكُونُ لَهُ الْأَمَةُ فَيُصِيبُ مِنْهَا وَيَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ مِنْهُ، قَالَ: «لَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا، فَإِنَّمَا هُوَ الْقَدَرُ»

আবদুর রহমান ইব্‌ন বিশর ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হাদীসটি আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর দিকে সম্পর্কিত করেছেন, তিনি বলেছেন, (একদা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট এ আযল সম্বন্ধে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেনঃ এটা কি ? আমরা বললামঃ কোন ব্যক্তির স্ত্রী থাকে, আর সে তার সাথে সহবাস করার সময় গর্ভধারণ করাকে অপছন্দ করে; অথবা তার দাসী থাকে, তাঁর সাথে সহবাস করে এবং গরভধারন অপছন্দ করে। তিনি বললেনঃ না, এটা করলে তোমাদের ক্ষতি নাই। কেননা, যা নির্ধারিত (তাকীরে) আছে তা হবেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩২৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْفَيْضِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُرَّةَ الزُّرَقِيَّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الزُّرَقِيِّ: أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْعَزْلِ، فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي تُرْضِعُ وَأَنَا أَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مَا قَدْ قُدِّرَ فِي الرَّحِمِ سَيَكُونُ»

আবূ সাঈদ যুরাকী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে আযল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে যে, আমার স্ত্রী স্তন্যদান করে, আমি তার গর্ভধারন পছন্দ করি না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জরায়ুতে (গর্ভে) যা হওয়ার নির্ধারিত আছে তা হবেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

স্তন্যদানের অধিকার (হক) ও এর মর্যাদা

৩৩২৯

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ؟ قَالَ: «غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ»

ইয়াকুব ইব্‌ন ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি কি করে স্তন্যদানের হক আদায় করতে পারি ? তিনি বললেনঃ একজন দাস অথবা দাসী (দান করা) দ্বারা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

স্তন্যদান বিষয়ে সাক্ষ্য

৩৩৩০

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ – قَالَ: وَقَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ عُقْبَةَ، وَلَكِنِّي لِحَدِيثِ عُبَيْدٍ أَحْفَظُ -، قَالَ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً، فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ، فَقَالَتْ: إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرْتُهُ، فَقُلْتُ: إِنِّي تَزَوَّجْتُ فُلَانَةَ بِنْتَ فُلَانٍ، فَجَاءَتْنِي امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ، فَقَالَتْ: إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا، فَأَعْرَضَ عَنِّي، فَأَتَيْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ، فَقُلْتُ: إِنَّهَا كَاذِبَةٌ، قَالَ: «وَكَيْفَ بِهَا وَقَدْ زَعَمَتْ أَنَّهَا قَدْ أَرْضَعَتْكُمَا، دَعْهَا عَنْكَ»

উকবা ইব্‌ন হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি তা (এ হাদীস) উকবা হতেও শ্রবন করেছি, কিন্তু আমি উবায়দের হাদীস অধিক স্মরণ রাখি। তিনি বলেন, আমি এক নারীকে বিবাহ করলাম। আমাদের নিকট একজন কাল নারী এসে বললোঃ আমি তোমাদের উভয়কে স্তন্যদান করেছি। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁকে অবহিত করলাম আমি বললামঃ আমি অমুকের কন্যা অমুককে বিবাহ করেছি। তখন এক কাল (হাবশী) নারী এসে বললঃ আমি তোমাদের উভয়কে স্তন্যদান করেছি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি তাঁর সামনে গিয়ে বললামঃ সে মিথ্যাবাদী। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে তুমি কি করে (তার সাথে সহবাস করছো) ? অথচ এ মহিলা মনে করে যে, সে তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে ? অতএব তুমি তাঁকে (তোমার স্ত্রীকে) তোমার থেকে পৃথক করে দাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

পিতার বিবাহিতাকে বিবাহ করা

৩৩৩১

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ السُّدِّيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ الْبَرَاءِ، قَالَ: لَقِيتُ خَالِي وَمَعَهُ الرَّايَةُ، فَقُلْتُ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ: «أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةَ أَبِيهِ مِنْ بَعْدِهِ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ، أَوْ أَقْتُلَهُ»

বারা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আমার মামার সাথে সাক্ষাৎ করলাম, তখন তাঁর সাথে একখানা ঝাণ্ডা ছিল। আমি বললামঃ আপনি কোথায় যাচ্ছেন ? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এমন এক ব্যক্তির নিকট পাঠিয়েছেন, যে ব্যক্তি তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তার পিতার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে , তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য, অথবা (তিনি বলেছেন) তাকে হত্যা করার জন্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৩২

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْبَرَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَصَبْتُ عَمِّي وَمَعَهُ رَايَةٌ، فَقُلْتُ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ فَقَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَجُلٍ نَكَحَ امْرَأَةَ أَبِيهِ، فَأَمَرَنِي أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ وَآخُذَ مَالَهُ»

ইয়াযীদ ইব্‌ন বারা’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আমি আমার চাচা সাক্ষাৎ পেলাম, তার সাথে একটি পতাকা ছিল। আমি বললামঃ আপনি কোথায় যাচ্ছেন ? তিনি বললেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রেরন করেছেন , এমন ব্যক্তির নিকট, যে তার পিতার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে। তিনি আমাকে আদেশ করেছেন তার গর্দান উড়িয়ে দিতে, এবং তার মাল ছিনিয়ে নিতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৩৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: ” أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ جَيْشًا إِلَى أَوْطَاسٍ، فَلَقُوا عَدُوًّا فَقَاتَلُوهُمْ، وَظَهَرُوا عَلَيْهِمْ فَأَصَابُوا لَهُمْ سَبَايَا لَهُنَّ أَزْوَاجٌ فِي الْمُشْرِكِينَ، فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ تَحَرَّجُوا مِنْ غِشْيَانِهِنَّ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ} [النساء: 24] أَيْ هَذَا لَكُمْ حَلَالٌ إِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُهُنَّ “

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আওতাস’ নামক স্থানে একদল সৈন্য পাঠালেন। তারা শত্রু সৈন্যদের সাথে মুকাবিলা করে তাদের উপর বিজয় লাভ করলেন, তাদের মহিলাদের যুদ্ধ বন্দী করলেন, যাদের মুশরিক স্বামী ছিল। মুসলমানগণ তাদের সাথে সহবাস করা হতে বিরত রইলেন, তখন মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা’আলা (আয়াত-এ) নাযিল করলেনঃ

অর্থঃ “নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ”। (৪:২৪)। অর্থাৎ এরা তোমাদের জন্য হালাল, তবে তাদের ইদ্দতপূর্ণ হওয়ার পর।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] মোহরানা নির্ধারণ না করে একে অপরের বোন বা কন্যাকে বিয়ে করা এবং এ বিনিময়কেই ‘মোহর’ সাব্যস্ত করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

শিগার (পদ্ধতির বিবাহ )১

৩৩৩৪

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الشِّغَارِ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘শিগার’ করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৩৫

أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا جَلَبَ، وَلَا جَنَبَ، وَلَا شِغَارَ فِي الْإِسْلَامِ، وَمَنْ انْتَهَبَ نُهْبَةً فَلَيْسَ مِنَّا»

ইমরান ইব্‌ন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে জালাব [১] জানাব [২] এবং শিগার নেই। আর যে ব্যক্তি লুট করে কিছু আত্মসাৎ করে , সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] যাকাত আদায়কারী কর্তৃক যাকাত দাতাদের স্থানে না গিয়ে নির্ধারিত স্থানে মাল সম্পদ নিয়ে আসতে বাধ্য করাকে জালব বলা হয়।

[২] জনপদের শেষ প্রান্তে যাকাত আদায়কারী কর্তৃক চৌকী স্থাপন করা এবং সেখানে বসে যাকাতদাতাদের কাছে না গিয়ে যাকাত আদায় করা। অথবা যাকাতদাতা কর্তৃক তার মাল সম্পদ দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যাওয়া, যাতে যাকাত আদায়কারী অসুবিধায় পড়েন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৩৬

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ الْفَزَارِيِّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا جَلَبَ، وَلَا جَنَبَ، وَلَا شِغَارَ فِي الْإِسْلَامِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا خَطَأٌ فَاحِشٌ وَالصَّوَابُ حَدِيثُ بِشْرٍ»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইসলামে জালাব, জানাব এবং শিগার নেই। (আবূ আবদুর রহমান বলেন, এটা (এ সনদ) অত্যন্ত ভুল। সঠিক হলো বিশর –এর বর্ণনা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

‘শিগার’ এর ব্যাখ্যা

৩৩৩৭

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، ح وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ مَالِكٌ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَهَى عَنِ الشِّغَارِ» وَالشِّغَارُ أَنْ يُزَوِّجَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ ابْنَتَهُ عَلَى أَنْ يُزَوِّجَهُ ابْنَتَهُ، وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا صَدَاقٌ “

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিগার করতে নিষেধ করেছেন। শিগার হলো কোন ব্যক্তি তার কন্যাকে অন্য একজনের নিকট বিবাহ দেয় এই শর্তে যে, সে ব্যক্তি তার কন্যাকে এ ব্যক্তির নিকট বিবাহ দিবে। আর এ উভয়ের মধ্যে কোন মোহর ধার্য হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৩৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ الْأَزْرَقُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ الشِّغَارِ» قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: ” وَالشِّغَارُ: كَانَ الرَّجُلُ يُزَوِّجُ ابْنَتَهُ عَلَى أَنْ يُزَوِّجَهُ أُخْتَهُ “

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিগার করতে নিষেধ করেছেন। রাবী উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) বলেনঃ শিগার হলো কোন ব্যক্তি তার কন্যাকে এ শর্তে বিবাহ দেবে যে, ঐ ব্যক্তি তার বোনকে এ ব্যক্তির নিকট বিবাহ দেবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কুরআনের সূরা (শিখানো)-র শর্তে বিবাহ দেয়া

৩৩৩৯

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ: أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جِئْتُ لِأَهَبَ نَفْسِي لَكَ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَعَّدَ النَّظَرَ إِلَيْهَا وَصَوَّبَهُ، ثُمَّ طَأْطَأَ رَأْسَهُ، فَلَمَّا رَأَتِ الْمَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيهَا شَيْئًا، جَلَسَتْ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا، قَالَ: «هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ؟» فَقَالَ: لَا، وَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ شَيْئًا، فَقَالَ: «انْظُرْ، وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ» فَذَهَبَ، ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَا خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ، وَلَكِنْ هَذَا إِزَارِي – قَالَ سَهْلٌ: مَا لَهُ رِدَاءٌ – فَلَهَا نِصْفُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تَصْنَعُ بِإِزَارِكَ، إِنْ لَبِسْتَهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْهُ شَيْءٌ، وَإِنْ لَبِسَتْهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ مِنْهُ شَيْءٌ» فَجَلَسَ الرَّجُلُ حَتَّى طَالَ مَجْلِسُهُ، ثُمَّ قَامَ، فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوَلِّيًا، فَأَمَرَ بِهِ، فَدُعِيَ، فَلَمَّا جَاءَ قَالَ: «مَاذَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ؟» قَالَ: مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا، عَدَّدَهَا، فَقَالَ: «هَلْ تَقْرَؤُهُنَّ عَنْ ظَهْرِ قَلْبٍ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ»

সাহল ইব্‌ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি এসেছি নিজেকে আপনাকে দান করার জন্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রতি দৃষ্টি দিলেন, তাঁর দৃষ্টিকে তিনি উপরে উঠালেন, এরপর নিচু করলেন। তারপর তিনি তাঁর মস্তক নিচু করে রইলেন। মহিলাটি যখন দেখলো, তিনি তার ব্যাপারে কিছুই ফইসালা করছেন না, তখন সে বসে পড়লো। এসময় তাঁর সাহাবীদের এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন; ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! যদি এ মহিলার প্রতি আপনার প্রয়োজন না থাকে, তবে তাকে আমার নিকট বিবাহ দিন। তিনি বললেনঃ তোমার নিকট কিছু আছে কি ? সে বললেনঃ না। আল্লাহ্‌র কসম। আমি কিছুই পেলাম না। তিনি বললেনঃ দেখ যদি একটি লোহার আংটিও পাও। সে ব্যক্তি চলে গেল, এরপর এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! না, এক্তি লোহার আংটিও পেলাম না, কিন্তু এ তহবন্দটি আছে, তাকে এর অর্ধেক দিতে পারি। সাহল (রাঃ) বলেনঃ তার কোন চাদরও ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার এ তহবন্দ দিয়ে কি করবে ? যদি তুমি তা পরিধান কর, তাহলে তার গায়ে এর কিছুই থাকবে না। আর যদি সে পরিধান করে, তবে তোমার গায়ে কিছুই থাকবে না। তখন ঐ লোকটি অনেক্ষন বসে রইল। এরপর ঐ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে চলে যেতে দেখতে পেলেন। তারপর তাকে ডাকতে আদেশ করলে তাকে ডাকা হলো। সে আসলে তিনি বললেনঃ তোমার নিকট কুরআনের কিছু আছে কি ? সে বললেনঃ আমার নিকট অমুক সুরা রয়েছ, আর তা গুণে গুণে বললো। তিনি বললেনঃ তুমি কি তা মুখস্ত পড়তে পার ? সে বললেনঃ কুরআনের যে অংশ তোমার মুখস্ত আছে, তার বিনিময় আমি মহিলাকে তোমার অধিকারে (বিয়েতে) দিয়ে দিলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ইসলাম গ্রহনের শর্তে বিবাহ করা

৩৩৪০

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: ” تَزَوَّجَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ، فَكَانَ صِدَاقُ مَا بَيْنَهُمَا الْإِسْلَامَ، أَسْلَمَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ قَبْلَ أَبِي طَلْحَةَ، فَخَطَبَهَا، فَقَالَتْ: إِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ، فَإِنْ أَسْلَمْتَ نَكَحْتُكَ، فَأَسْلَمَ فَكَانَ صِدَاقَ مَا بَيْنَهُمَا “

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবূ তালহা (রাঃ) উম্মু সুলায়মকে বিবাহ করলেন। তাদের মধ্যকার মোহর ছিল ইসলাম। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) আবূ তালহা (রাঃ)-এর পূর্বেই ইসলাম গ্রহন করেন। আবূ তালহা (রাঃ) তাকে বিবাহের পয়গাম দিলে তিনি বললেনঃ আমি ইসলাম গ্রহন করেছি। যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ কর, তাহলে আমি তোমাকে বিবাহ করবো। সে ইসলাম গ্রহণ করলে এটাই তাদের মোহর ধার্য হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৪১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ مُسَاوِرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: ” خَطَبَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ، فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا مِثْلُكَ يَا أَبَا طَلْحَةَ يُرَدُّ، وَلَكِنَّكَ رَجُلٌ كَافِرٌ، وَأَنَا امْرَأَةٌ مُسْلِمَةٌ، وَلَا يَحِلُّ لِي أَنْ أَتَزَوَّجَكَ، فَإِنْ تُسْلِمْ فَذَاكَ مَهْرِي وَمَا أَسْأَلُكَ غَيْرَهُ، فَأَسْلَمَ فَكَانَ ذَلِكَ مَهْرَهَا ” قَالَ ثَابِتٌ: «فَمَا سَمِعْتُ بِامْرَأَةٍ قَطُّ كَانَتْ أَكْرَمَ مَهْرًا مِنْ أُمِّ سُلَيْمٍ الْإِسْلَامَ، فَدَخَلَ بِهَا فَوَلَدَتْ لَهُ»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবূ তালহা (রাঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-কে বিবাহের পয়গাম দিলে তিনি বললেনঃ হে আবূ তালহা ! আল্লাহ্‌র কসম ! তোমার মত ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দেয়া যায় না। কিন্তু তুমি একজন কাফির, আর আমি একজন মুসলিম মহিলা। তোমাকে বিবাহ করা আমার জন্য বৈধ নয়। যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ কর, তাহলে তা-ই আমার মোহর হবে। আমি তোমার কাছে এর অতিরিক্ত কিছুই চাই না। তখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করলে তা-ই তার মোহর ধার্য হলো। সাবিত (রহঃ) বলেনঃ আমি কখনো এমন কোন মহিলার কথা শুনি নাই, যে মোহরের ব্যাপারে উম্মু সুলায়ম (রাঃ) হতে উত্তম। পরে তিনি তার সাথে একান্ত নির্জনবাস করলে তিনি তাকে (স্বামীকে) সন্তান দান করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

দাসত্ব মুক্তির বিনিময় বিবাহ করা

৩৩৪২

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي ابْنَ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ح وَأَنْبَأَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، وَشُعَيْبٌ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَهُ صَدَاقَهَا»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফিয়্যা (রাঃ)-কে মুক্ত করে দিলেন, আর এটাকেই তিনি তাঁর মোহর ধার্য করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৪৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَأَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ ابْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسٍ، «أَعْتَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ، وَجَعَلَ عِتْقَهَا مَهْرَهَا» وَاللَّفْظُ لِمُحَمَّدٍ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফিয়্যা (রাঃ)-কে মুক্ত করে দিলেন, আর এই মুক্ত করাকে তাঁর মোহর ধার্য করলেন১ –এ শব্দ ভাষ্য মুহাম্মাদ (রহঃ)-এর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নিজের দাসীকে মুক্তি প্রদান করে বিবাহ করা

৩৩৪৪

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” ثَلَاثَةٌ يُؤْتَوْنَ أَجْرَهُمْ مَرَّتَيْنِ: رَجُلٌ كَانَتْ لَهُ أَمَةٌ فَأَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ أَدَبَهَا، وَعَلَّمَهَا فَأَحْسَنَ تَعْلِيمَهَا، ثُمَّ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، وَعَبْدٌ يُؤَدِّي حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ، وَمُؤْمِنُ أَهْلِ الْكِتَابِ “

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন ধরনের লোক রয়েছে, যাদের দুই গুন বিনিময় দেয়া হবে। এক ব্যক্তি যার দাসী ছিল, তাকে সে শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে এবং উত্তম ভাবে শিক্ষা দিয়েছে এবং তাকে ইলম- (দীন) শিক্ষা দিয়েছে এবং তা উত্তম ভাবে শিক্ষা দিয়েছে। এরপর সে তাকে মুক্ত করে বিবাহ (করে স্ত্রীর মর্যাদা প্রদান) করেছে। (দ্বিতীয়ত) ঐ দাস, যে আল্লাহ্‌র হক এবং তার মনিবের হক আদায় করে। এবং (তৃতীয়ত), আহলে কিতাবের মধ্যে যারা মু’মিন হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৪৫

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي زُبَيْدٍ عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْتَقَ جَارِيَتَهُ، ثُمَّ تَزَوَّجَهَا فَلَهُ أَجْرَانِ»

আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দাসীকে মুক্ত করে বিবাহ করে, তার জন্য দ্বিগুণ প্রতিদান রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মোহরের ব্যাপারে ইনসাফ করা

৩৩৪৬

أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ، عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ} [النساء: 3] قَالَتْ: «يَا ابْنَ أُخْتِي، هِيَ الْيَتِيمَةُ، تَكُونُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا، فَتُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ، فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا، فَيُرِيدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا، فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلَّا أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ، وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ، فَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ»، قَالَ عُرْوَةُ: قَالَتْ عَائِشَةُ: ” ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ فِيهِنَّ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ} [النساء: 127]- إِلَى قَوْلِهِ – {وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ} [النساء: 127] “، قَالَتْ عَائِشَةُ: ” وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى أَنَّهُ يُتْلَى فِي الْكِتَابِ الْآيَةُ الْأُولَى الَّتِي فِيهَا {وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ} [النساء: 3] “، قَالَتْ عَائِشَةُ: ” وَقَوْلُ اللَّهِ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى {وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ} [النساء: 127] رَغْبَةَ أَحَدِكُمْ عَنْ يَتِيمَتِهِ الَّتِي تَكُونُ فِي حَجْرِهِ حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلَّا بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ “

উরওয়া ইবৃন যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আয়েশা (রা:)-কে আল্লাহ্ এ বাণীঃ

—- অর্থ ; তোমরা যদি আশংকা কর যে, তোমরা ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ করবে নারীদের থেকে যাকে তোমাদের ভাল লাগে…..। (৪ঃ ৩) সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি বলেনঃ হে আমার ভাগ্লে। আয়াতে ঐ ইয়াতীম সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তার অভিভাবক ক্রোড়ে পালিত হচ্ছে, এবং সে তাকে তার মালে শরীক করে নেয়। এরপর তার মাল ও সৌন্দর্য তাকে আকৃষ্ট করে এবং অভিভাবক তাকে বিবাহ করতে ইচ্ছা করে। তার মাহরে ইনসাফ করা ব্যতীত এবং তাকে ঐ মাহ্রই দিতে চায় না, যা তাকে অন্যরা দিতে চায়। অতএব তাদের প্রতি ইনসাফ করা ব্যতীত এবং মোহরের সর্বোচ্চ হার তাদেরকে আদায় করা ব্যতীত, তাদেরকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর তাদের ব্যতীত অন্য যে মহিলা তাদের পছন্দ হয়, তাদেরকে বিবাহ করতে আদেশ করা হয়েছে। উরওয়া (রা:) বলেন, আয়েশা (রা:) বলেছেনঃ এরপর লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে তাদের ব্যাপারে সমাধান দিতে বললে, আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ

অর্থঃ লোকেরা আপনার নিকট নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায়। বলুনঃ আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা জানাচ্ছেন…অথচ তোমরা তাদের বিবাহ করতে চাও…..। (৪ঃ ১২৭) আয়েশা (রা:) বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যা উল্লেখ করেছেন তা তিলাওয়াত করা হয় আল্লাহর কিতাবে;

আয়েশা (রা:) বলেন, অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলার বাণী হলো : — তোমাদের কারও ক্রোড়ে যে ইয়াতীম রয়েছে যখন সে স্বল্প মাল ও স্বল্প সৌন্দর্যশীলা হয়, তাদের প্রতি তোমাদের মন আকৃষ্ট হয় না, তখন ইয়াতীমদের মালের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাদেরকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, ইনসাফ ব্যতীত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৪৭

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَتْ: «فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشٍّ» وَذَلِكَ خَمْسُ مِائَةِ دِرْهَمٍ

আবূ সালাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা:)-কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাড়ে বার আওকিয়ায় বিবাহ করেছেন, আর এর পরিমাণ পাচশ দিরহাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৪৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «كَانَ الصَّدَاقُ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَةَ أَوَاقٍ»

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখনকার মোহর ছিল দশ আওকিয়া।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৪৯

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ مُقَاتِلِ بْنِ مُشَمْرِخِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، وَابْنِ عَوْنٍ، وَسَلَمَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ – دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ -، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَلَمَةُ: عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، نُبِّئْتُ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ، وَقَالَ الْآخَرُونَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: أَلَا لَا تَغْلُوا صُدُقَ النِّسَاءِ، فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ مَكْرُمَةً وَفِي الدُّنْيَا، أَوْتَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، كَانَ أَوْلَاكُمْ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ، وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ، أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُغْلِي بِصَدُقَةِ امْرَأَتِهِ، حَتَّى يَكُونَ لَهَا عَدَاوَةٌ فِي نَفْسِهِ، وَحَتَّى يَقُولَ: كُلِّفْتُ لَكُمْ عِلْقَ الْقِرْبَةِ، وَكُنْتُ غُلَامًا عَرَبِيًّا مُوَلَّدًا فَلَمْ أَدْرِ مَا عِلْقُ الْقِرْبَةِ، قَالَ: وَأُخْرَى يَقُولُونَهَا: لِمَنْ قُتِلَ فِي مَغَازِيكُمْ، أَوْ مَاتَ، قُتِلَ فُلَانٌ شَهِيدًا، أَوْ مَاتَ فُلَانٌ شَهِيدًا، وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ قَدْ أَوْقَرَ عَجُزَ دَابَّتِهِ، أَوْ دَفَّ رَاحِلَتِهِ ذَهَبًا، أَوْ وَرِقًا، يَطْلُبُ التِّجَارَةَ، فَلَا تَقُولُوا ذَاكُمْ، وَلَكِنْ قُولُوا كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ مَاتَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ»

আবূল আজফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমর ইবন খাত্তাব (রা:) বলেছেন ; হুঁশিয়ার! তোমরা নারীর মোহরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, কেননা যদি তা দুনিয়ায় উত্তম কার্য হতো, তাহলে তোমাদের চেয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার অধিক উপযুক্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কোন স্ত্রীকে বা তার কন্যাদের কারও বার আওকিয়ার অধিক মোহর দেননি। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অধিক মোহর দান করে, শেষ পর্যন্ত ঐ স্ত্রীলোকের প্রতি ঐ ব্যক্তির অন্তরে বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়। এমন কি সে বলে, তোমার জন্য আমি কাঁধে মশক বহনে বাধ্য হয়েছি (অনেক কষ্ট সহ্য করেছি)। রাবী বলেন, আমি ছিলাম জন্ম সূত্রে আরবী, বংশ ধারায় অ-আরবী। তাই (আরবি) কথাটির মর্ম তা আমি বুঝতে পারলাম না। আর একটি বিষয় : তোমাদের যুদ্ধে যারা নিহত হয়, অথবা মারা যায়। লোকেরা বলে যে, সে শহীদ হিসাবে মারা গেছে, অথচ সম্ভবত সে তার বাহনের পিঠে অথবা হাওদা এক প্রান্তে স্বর্ণ ও চাদির বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। তাই তোমরা ঐ কথা (শহীদি মৃত্যু হয়েছে) না বলে এরূপ বল, যেরূপ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তা হলো এইঃ যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় অথবা মারা যায়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫০

أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَزَوَّجَهَا وَهِيَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، زَوَّجَهَا النَّجَاشِيُّ، وَأَمْهَرَهَا أَرْبَعَةَ آلَافٍ، وَجَهَّزَهَا مِنْ عِنْدِهِ، وَبَعَثَ بِهَا مَعَ شُرَحْبِيلَ ابْنِ حَسَنَةَ، وَلَمْ يَبْعَثْ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ، وَكَانَ مَهْرُ نِسَائِهِ أَرْبَعَ مِائَةِ دِرْهَمٍ»

উম্মু হাবীব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাঁকে বিবাহ করেন, তখন তিনি ছিলেন হাবশায়। (হাবশার বাদশাহ) নাজ্জাশী তাকে বিবাহ দেন এবং তার মোহর আদায় করেন চার হাজার দিরহাম এবং তার নিজের পক্ষ হতে বিবাহ উপটৌকন প্রদান করেন। আর তাকে ঐ সকল দিয়ে শুরাহবীল ইবন হাসান (রা:)-এর সাথে পাঠিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট কিছুই পাঠাননি। আর তার অন্যান্য স্ত্রীদের মোহর ছিল চারশত দিরহাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

(খেজুরের) দানা পরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে বিবাহ

৩৩৫১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لِمُحَمَّدٍ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِهِ أَثَرُ الصُّفْرَةِ، فَسَأَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَهُ، أَنَّهُ تَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمْ سُقْتَ إِلَيْهَا؟» قَالَ: زِنَةَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»

মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা:) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খেদমতে উপস্থিত হলেন, তখন তাঁর শরীরে বিবাহের সুগন্ধির চিহ্ন অবশিষ্ট ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি জানালেন যে, তিনি এক আনসারী রমণীকে বিবাহ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : তাকে কত মোহর দান করেছ। তিনি বললেন : একদানা পরিমাণ স্বর্ণ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) : বললেনঃ একটা ছাগল দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫২

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ: قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيَّ بَشَاشَةُ الْعُرْسِ، فَقُلْتُ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ، قَالَ: «كَمْ أَصْدَقْتَهَا؟» قَالَ: زِنَةَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ

আব্দুল আযীয ইবন সুহায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আনাস (রা:)-কে বলতে শুনেছি, আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা:) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আমাকে দেখলেন, তখন আমার মধ্যে ছিল বিবাহের খুশি। আমি বললাম ; আমি এক আনসারী রমণীকে বিবাহ করেছি। তিনি বললেনঃ তাকে কত মোহর দিয়েছ ? আমি বললাম : একদানা পরিমাণ স্বর্ণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫৩

أَخْبَرَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، ح وأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ تَمِيمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ حَجَّاجًا، يَقُولُ: قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ عَلَى صَدَاقٍ أَوْ حِبَاءٍ أَوْ عِدَةٍ قَبْلَ عِصْمَةِ النِّكَاحِ فَهُوَ لَهَا، وَمَا كَانَ بَعْدَ عِصْمَةِ النِّكَاحِ فَهُوَ لِمَنْ أُعْطَاهُ، وَأَحَقُّ مَا أُكْرِمَ عَلَيْهِ الرَّجُلُ ابْنَتُهُ أَوْ أُخْتُهُ» اللَّفْظُ لِعَبْدِ اللَّهِ

আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে রমণীকে বিবাহ দেয়া হয়েছে মোহরের বিনিময়ে অথবা দানে অথবা বিবাহের আকদের পূর্বে কোন প্রতিশ্রুতিতে তা তারই; আর যা আকদের পরে দেয়া হয়, তা যে দান করেছে তার এবং পুরুষকে যা দ্বারা সম্মানিত করা হয়, তার কন্যা বা বোন তার হকদার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মোহর ব্যতীত বিবাহ

৩৩৫৪

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَائِدَةَ بْنِ قُدَامَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ، قَالَا: أُتِيَ عَبْدُ اللَّهِ فِي رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا، فَتُوُفِّيَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: سَلُوا هَلْ تَجِدُونَ فِيهَا أَثَرًا؟ قَالُوا: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَا نَجِدُ فِيهَا – يَعْنِي أَثَرًا – قَالَ: أَقُولُ بِرَأْيِي فَإِنْ كَانَ صَوَابًا فَمِنَ اللَّهِ، «لَهَا كَمَهْرِ نِسَائِهَا، لَا وَكْسَ وَلَا شَطَطَ، وَلَهَا الْمِيرَاثُ، وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ»، فَقَامَ رَجُلٌ، مَنْ أَشْجَعَ، فَقَالَ: فِي مِثْلِ هَذَا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا، فِي امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا بَرْوَعُ بِنْتُ وَاشِقٍ تَزَوَّجَتْ رَجُلًا، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا، «فَقَضَى لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ صَدَاقِ نِسَائِهَا، وَلَهَا الْمِيرَاثُ، وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ» فَرَفَعَ عَبْدُ اللَّهِ يَدَيْهِ وَكَبَّرَ قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «لَا أَعْلَمُ أَحَدًا قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْأَسْوَدُ، غَيْرَ زَائِدَةَ»

আলকামা এবং আসওয়াদ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন : আবদুল্লাহ (রা:) -এর নিকট এ মর্মে একটা মামলা আনা হলো যে, এক ব্যক্তি জনৈক রমণীকে বিবাহ করেছে, অথচ সে তার কোন মোহর ধার্য করেনি। আর সে ব্যক্তি সহবাস করার পূবেই মারা গেছে। আবদুল্লাহ (রা:) বললেন, তোমরা (লোকদের) জিজ্ঞাসা কর এ বিষয় সম্পর্কে। তোমরা কি কোন উদ্ধিতি (হাদীস) পাচ্ছ? তারা বললোঃ হে আবূ আবদুর রহমান! আমরা এ বিষয়ে কোন হাদিস পাচ্ছি না। তিনি বললেনঃ আমি আমার জ্ঞান অনুযায়ী বলছি, যদি তা সঠিক হয়, তবে তা আল্লাহর পক্ষ হতে। আর তার মোহর হলো তার মত রমণীদের মোহরের অনুরূপ। তা হতে বেশীও হবে না এবং কমও হবে না। সে মীরাছ পাবে, এবং তার ইদ্দত পালন করতে হবে। তখন আশজা গোত্রের এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললো ; আমাদের এক মহিলার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনই ফয়সালা দেন যার নাম ছিল বিরওয়া’ বিনত ওয়াশিক। সে এক পুরুষকে বিবাহ করেছিল এবং সহবাসের পূর্বেই তার স্বামী ইনতিকাল করে। তার জন্যও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মত নারীদের অনুরূপ করেন। আর তার জন্য মীরাছ এবং ইদ্দত পালনও ধার্য করেন। একথা শুনে আবদুল্লাহ (রা:) হস্তদ্বয় উত্তোলন করে তাকবীর অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলেন। আবূ আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে যায়দ ব্যতীত আর কাউকেও আসওয়াদের নাম উল্লেখ করতে শুনিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫৫

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ أُتِيَ فِي امْرَأَةٍ تَزَوَّجَهَا رَجُلٌ، فَمَاتَ عَنْهَا وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا صَدَاقًا، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا، فَاخْتَلَفُوا إِلَيْهِ قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ لَا يُفْتِيهِمْ، ثُمَّ قَالَ: «أَرَى لَهَا صَدَاقَ نِسَائِهَا، لَا وَكْسَ وَلَا شَطَطَ، وَلَهَا الْمِيرَاثُ، وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ»، فَشَهِدَ مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي بَرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ بِمِثْلِ مَا قَضَيْتَ»

আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তার নিকট এক মহিলার বিষয়ে উপস্থাপন করা হলো, যাকে একজন পুরুষ বিবাহ করে ইনতিকাল করে। আর তার জন্য কোন মোহরও ধার্য করেনি এবং তার সাথে সহবাসও করেনি। লোকেরা তার নিকট প্রায় একমাস যাবত যাতায়াত করতে লাগলো। তিনি তাকে কোন সমাধান দিচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বললেন, আমার মতে তার জন্য তার মত রমণীর মোহর হবে; বেশীও না এবং কমও না। আর সে মীরাছ পাবে এবং তাকে ইন্দত পালন করতে হবে। তখন মা’কিল ইবন সিনান আশজ’ঈ (রা:) সাক্ষ্য দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) : বিরওয়া বিনত ওয়াশিক-এর ব্যাপারে আপনার মতই ফায়সালা দিয়েছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫৬

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، فِي رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً فَمَاتَ وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا قَالَ: «لَهَا الصَّدَاقُ، وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ، وَلَهَا الْمِيرَاثُ» فَقَالَ مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ: «فَقَدْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِهِ فِي بَرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ»

আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি কোন এক মহিলাকে বিবাহ করে মৃত্যুবরণ করে, সে তার জন্য কোন মোহরও ধার্য করেনি এবং তার সাথে সহবাসও করেনি। এ মহিলা সম্পর্কে তিনি বলেনঃ তাকে মোহর দিতে হবে এবং তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে এবং সে মীরাছও পাবে। মা’কিল ইবন সিনান (রা:) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিরওয়া বিনত ওয়াশিকের ব্যাপারে এরূপ ফয়সালা দিতে শুনেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৫৭

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مِثْلَهُ

আলকামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ (রা:) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৩৩৫৮

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ أَتَاهُ قَوْمٌ فَقَالُوا: إِنَّ رَجُلًا مِنَّا تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا صَدَاقًا، وَلَمْ يَجْمَعْهَا إِلَيْهِ حَتَّى مَاتَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَا سُئِلْتُ مُنْذُ فَارَقْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ عَلَيَّ مِنْ هَذِهِ، فَأْتُوا غَيْرِي، فَاخْتَلَفُوا إِلَيْهِ فِيهَا شَهْرًا، ثُمَّ قَالُوا لَهُ فِي آخِرِ ذَلِكَ: مَنْ نَسْأَلُ إِنْ لَمْ نَسْأَلْكَ، وَأَنْتَ مِنْ جِلَّةِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْبَلَدِ وَلَا نَجِدُ غَيْرَكَ؟ قَالَ: سَأَقُولُ فِيهَا بِجَهْدِ رَأْيِي، فَإِنْ كَانَ صَوَابًا فَمِنَ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَإِنْ كَانَ خَطَأً فَمِنِّي وَمِنَ الشَّيْطَانِ وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ مِنْهُ بُرَآءُ، أُرَى أَنْ أَجْعَلَ «لَهَا صَدَاقَ نِسَائِهَا، لَا وَكْسَ وَلَا شَطَطَ، وَلَهَا الْمِيرَاثُ، وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا»، قَالَ: وَذَلِكَ بِسَمْعِ أُنَاسٍ مَنْ أَشْجَعَ، فَقَامُوا فَقَالُوا: ” نَشْهَدُ أَنَّكَ قَضَيْتَ بِمَا قَضَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي امْرَأَةٍ مِنَّا يُقَالُ لَهَا: بَرْوَعُ بِنْتُ وَاشِقٍ ” قَالَ: «فَمَا رُئِيَ عَبْدُ اللَّهِ فَرِحَ، فَرْحَةً يَوْمَئِذٍ إِلَّا بِإِسْلَامِهِ»

আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তার নিকট একদল লোক এসে বললো ; আমাদের এক ব্যক্তি কোন মোহর ধার্য না করে এক রমণীকে বিবাহ করে মৃত্যুবরণ করলো এবং সে তার সাথে সহবাসও করেনি। আবদুল্লাহ (রা:) বললেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ইনতিকালের পরে এর চাইতে কোন কঠিন ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি। তোমরা আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কারও নিকট যাও। তারা একমাস যাবত এ ব্যাপারে তার নিকট যাতায়াত করতে রইলো। এরপর তারা তাঁকে বললোঃ আপনাকে জিজ্ঞাসা না করে আর কাকে জিজ্ঞাসা করবো? আপনি হলেন এ শহরে- মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নেতৃস্থানীয় সাহাবীদের অন্যতম। আপনাকে ব্যতীত আর কাউকেও আমরা পাচ্ছি না। তিনি বললেন, আচ্ছা এ ব্যাপারে আমার চিন্তায় যা আসে, তা আমি বলছি; যদি তা সঠিক হয় তবে তা এক আল্লাহর পক্ষ হতে, যিনি এক ও একক, যার কোন শরীক নেই, আর যদি ভুল হয়, তবে তা আমার পক্ষ হতে, আর শয়তানের পক্ষ হতে। আল্লাহ্ এবং তার রাসূল এ ব্যাপারে দায়মুক্ত। আমার মতে, তার জন্য তার সমপর্যায়ের নবীদের অনুরূপ মোহর (মাহরে মীছাল) হবে, কোন প্রকার কম ও বেশী ব্যতীত, সে মীরাছ পাবে এবং তাকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হবে। তিনি বললেন: এ ফয়সালা আশজা গোত্রের কয়েকজন লোক শুনলো এবং তারা দাড়িয়ে বললোঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি এমন ফয়সালা দিলেন, যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিরওয়া বিনত ওয়াশিক নামী এক মহিলার ব্যাপারে ফয়সালা দিয়েছিলেন। আবদুল্লাহ (রা:)-কে সেদিন যেমন আনন্দিত দেখা গিয়েছিল, তার ইসলাম গ্রহণের দিন ব্যতীত আর কোন দিন এত আনন্দিত দেখা যায়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মোহর ব্যতীত কোন মহিলার নিজকে কোন পুরুষকে দান করা

৩৩৫৯

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ، فَقَامَتْ قِيَامًا طَوِيلًا، فَقَامَ رَجُلٌ، فَقَالَ: زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ عِنْدَكَ شَيْءٌ؟» قَالَ: مَا أَجِدُ شَيْئًا، قَالَ: «الْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ» فَالْتَمَسَ، فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْءٌ؟» قَالَ: نَعَمْ، سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا، لِسُوَرٍ سَمَّاهَا، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ زَوَّجْتُكَهَا عَلَى مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ»

সাহল ইবন সা’দ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এক মহিলা এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহু! আমি আমাকে আপনার জন্য হিবা (দান) করলাম। এ কথা বলে সে, অনেক্ষণ দাড়িয়ে রইলো। তখন এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললোঃ যদি আপনার তার প্রয়োজন না থাকে, তবে তাকে আমার নিকট বিবাহ দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার নিকট কি কিছু আছে? সে বললো ; আমার নিকট কিছুই নেই। তিনি বললেনঃ তালাশ করে দেখ যদি একটা লোহার আংটিও পাও; সে ব্যক্তি তালাশ করে কিছুই পেল না, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তোমার কি কুরআনের কিছু অংশ জানা আছে? সে ব্যক্তি কয়েকটি সূরার নাম নিয়ে বললোঃ এ সূরা, এ সূরা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাকে তার সাথে বিবাহ দিলাম তোমার কুরআনের যা জানা আছে, তার উপর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

লজ্জাস্থান হালাল করা

৩৩৬০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لرَّجُلِ يَأْتِي جَارِيَةَ امْرَأَتِهِ، قَالَ: «إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَهُ جَلَدْتُهُ مِائَةً، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ أَحَلَّتْهَا لَهُ رَجَمْتُهُ»

নুমান ইবন বশীর (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে তার স্ত্রীর বাঁদীর সাথে সহবাস করেছিল। তিনি বললেন; যদি সে তাকে তার জন্য হালাল করে থাকে, তবে আমি তাকে একশত চাবুক লাগাব। আর যদি সে তা তার জন্য হালাল না করে থাকে, তবে আমি তাকে রজম করব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَبَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ: أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُنَيْنٍ وَيُنْبَزُ قُرْقُورًا، أَنَّهُ وَقَعَ بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ، فَرُفِعَ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، فَقَالَ: «لَأَقْضِيَنَّ فِيهَا بِقَضِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَكَ جَلَدْتُكَ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ أَحَلَّتْهَا لَكَ رَجَمْتُكَ بِالْحِجَارَةِ»، فَكَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَهُ، فَجُلِدَ مِائَةً قَالَ قَتَادَةُ: فَكَتَبْتُ إِلَى حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، فَكَتَبَ إِلَيَّ بِهَذَا

নু’মান ইবন বশীর (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান ইবন হুনায়ন- যার ব্যাঙ্গ নাম ছিল কুরকুর- তার স্ত্রীর বাদীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হলে নুমান ইবন বশীর (রা:)-এর নিকট তার বিচার আনা হলে-তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ফয়সাল অনুযায়ী তোমার ফয়সাল করবো। যদি সে তোমার জন্য তা বৈধ করে থাকে, তবে তোমাকে বেত্ৰাঘাত করবো, আর যদি সে তোমার জন্য তা বৈধ না করে থাকে, তবে তোমাকে প্রস্তরাঘাতে (রজম করে) মেরে ফেলবো। দেখা গেল, সে তা তার জন্য বৈধ করেছিল। সে জন্য তিনি একশত কোড়া লাগালেন। কাতাদা (রহঃ) বলেনঃ আমি এ ব্যাপারে হাবীব ইবন সালিম-এর নিকট লিখলে, তিনিও আমার নিকট এরূপই লিখেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬২

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَارِمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ: «إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَهُ، فَأَجْلِدْهُ مِائَةً، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ أَحَلَّتْهَا لَهُ، فَأَرْجُمْهُ»

নু’মান ইবন বশীর (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর বাদীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়, তার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম): বলেছেনঃ যদি সে (স্ত্রী) তাকে (বাঁদীকে) তার জন্য বৈধ করে থাকে, তবে তাকে একশত কোড়ার আঘাত কর, আর যদি সে তা তার জন্য বৈধ না করে থাকে, তবে তাকে রজম কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، قَالَ: «قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَجُلٍ وَطِئَ جَارِيَةَ امْرَأَتِهِ، إِنْ كَانَ اسْتَكْرَهَهَا فَهِيَ حُرَّةٌ وَعَلَيْهِ لِسَيِّدَتِهَا مِثْلُهَا، وَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْهُ فَهِيَ لَهُ وَعَلَيْهِ لِسَيِّدَتِهَا مِثْلُهَا»

সালামা ইবন মুহাব্বাক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে ফয়সালা দিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর বাঁদীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে, যদি সে ব্যক্তি তার প্রতি বল প্রয়োগ করে থাকে, তবে এ বাদী আযাদ হয়ে যাবে এবং ঐ ব্যক্তির উপর ঐ বৗ

 

বাদীর মালিককে এর মত আর একটি (বাদীর মূল্য) দিতে হবে। আর যদি ঐ বাদী, ঐ ব্যক্তির অনুগত হয়ে থাকে তা হলে ঐ বাদী ঐ ব্যক্তিরই হয়ে যাবে। সে ব্যক্তির উপর ঐ বাদীর মালিককে অনুরূপ একটা বাদী (মূল্য) দেয়া ওয়াজিব হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ: أَنَّ رَجُلًا غَشِيَ جَارِيَةً لِامْرَأَتِهِ، فَرُفِعَ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنْ كَانَ اسْتَكْرَهَهَا فَهِيَ حُرَّةٌ مِنْ مَالِهِ وَعَلَيْهِ الشَّرْوَى لِسَيِّدَتِهَا، وَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْهُ فَهِيَ لِسَيِّدَتِهَا وَمِثْلُهَا مِنْ مَالِهِ»

সালামা ইবন মুহাব্বাক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর বাদীর সাথে সহবাস করলো। এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উত্থাপন করা হলে তিনি বললেন : যদি ঐ ব্যক্তি তাকে বল প্রয়োগ করে থাকে, তবে ঐ বাদী ঐ ব্যক্তির মাল দ্বারা মুক্ত হয়ে যাবে, এবং তার উপর অনুরূপ (সমপরিমাণ) জরিমানা, আর যদি সে (বাদী) তার আনুগত্য করে (স্বেচ্ছায় করে) থাকে তবে সে তার মালিকের থাকবে এবং তার অনুরূপ এ (পুরুষের) সম্পর্ক থেকে দেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুত”আ [১] হারাম হওয়া সম্পর্কে

৩৩৬৫

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ الْحَسَنِ، وَعَبْدِ اللَّهِ، ابْنَيْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِمَا، أَنَّ عَلِيًّا، بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا لَا يَرَى بِالْمُتْعَةِ بَأْسًا، فَقَالَ: إِنَّكَ تَائِهٌ، إِنَّهُ «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهَا، وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ يَوْمَ خَيْبَرَ»

আমর ইবন আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাসান এবং আবদুল্লাহ নামক মুহাম্মদের দুইপুত্র তাদের পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন, আলী (রা:)-এর নিকট সংবাদ পৌঁছালো যে, এক ব্যক্তি মুতআয় (অস্থায়ী বিয়েতে) কোন প্রকার ক্ষতি (অবৈধতা) মনে করে না। তখন তিনি বললেন: তুমি একজন পথভ্রষ্ট লোক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বরের দিন আমাকে তা হতে নিষেধ করেছেন এবং গৃহপালিত গাধার গোশত হতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

১. কোন নারীকে কিছু মালের বিনিময়ে নির্ধারিত সময়ের জন্য ভোগের উদ্দেশ্যে (বিবাহ) করা। এরূপ বিবাহ হারাম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، وَالْحَسَنِ، ابْنَيْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْإِنْسِيَّةِ»

আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বরের দিন নারীদের সাথে মুত্’আ করা এবং পালিত গাধার গোশত নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬৭

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالُوا: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، وَالْحَسَنَ ابْنَيْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ أَبَاهُمَا مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُمَا، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ» قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى: يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَقَالَ: هَكَذَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، مِنْ كِتَابِهِ

মালিক ইবন আনাস অবহিত করেছেন থেকে বর্ণিতঃ

ইবন শিহাব (রহঃ) তাঁকে অবহিত করেছেন, মুহাম্মাদ ইবন আলীর দুই ছেলে আবদুল্লাহ এবং হাসান তাকে অবহিত করেছেন যে, তাদের পিতা মুহাম্মাদ ইবন আলী তাদের অবহিত করেছেনঃ আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বরের দিন মেয়েদের সাথে মুত্’আ করা হতে নিষেধ করেছেন। ইবন মুসান্না (রহঃ) বলেছেনঃ হুনায়নের দিন। তিনি বলেন, আবদুল ওয়াহহাব তার কিতাব থেকে আমাদের নিকট এমনই বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৬৮

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَذِنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُتْعَةِ، فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ إِلَى امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ فَعَرَضْنَا عَلَيْهَا أَنْفُسَنَا، فَقَالَتْ: مَا تُعْطِينِي؟ فَقُلْتُ: رِدَائِي، وَقَالَ صَاحِبِي: رِدَائِي، وَكَانَ رِدَاءُ صَاحِبِي أَجْوَدَ مِنْ رِدَائِي، وَكُنْتُ أَشَبَّ مِنْهُ، فَإِذَا نَظَرَتْ إِلَى رِدَاءِ صَاحِبِي أَعْجَبَهَا، وَإِذَا نَظَرَتْ إِلَيَّ أَعْجَبْتُهَا، ثُمَّ قَالَتْ: أَنْتَ وَرِدَاؤُكَ يَكْفِينِي، فَمَكَثْتُ مَعَهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْ هَذِهِ النِّسَاءِ اللَّاتِي يَتَمَتَّعُ، فَلْيُخَلِّ سَبِيلَهَا»

রবী ইবন সাবরা জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুত্’আর অনুমতি দিলে আমি এবং এক ব্যক্তি বনূ আমরের এক মহিলার কাছে গেলাম এবং তার নিকট নিজেদের উপস্থাপন করলাম। সে বললঃ আমাকে কি দিবে? আমি বললামঃ আমার চাদর। আমার সাথীও বললেনঃ আমার চাদর দিব। আর আমার সাথীর চাদরখানা ছিল আমার চাদর হতে উত্তম। আর আমি ছিলাম আমার সাথী হতে অধিক যুবক। যখন সে আমার সাথীর চাদরের প্রতি লক্ষ্য করলো, তখন ঐ চাদর তার নিকট ভালো লাগলো। আর যখন আমার দিকে লক্ষ্য করলো, তখন আমি তার চোখে ভালবোধ হলাম। এরপর সে বললেনঃ তুমি এবং তোমার চাদরই আমার জন্য যথেষ্ট। আমি তার সঙ্গে তিন রাত অবস্থান করলাম, পরবর্তী সময়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার নিকট এ মুতআর নারী আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয় (মুক্ত করে দেয়)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আওয়াজ করে এবং দফ বাজিয়ে বিবাহের প্রচার করা

৩৩৬৯

أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَصْلُ مَا بَيْنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ الدُّفُّ وَالصَّوْتُ فِي النِّكَاحِ»

মুহাম্মাদ ইবন হাতিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হালাল এবং হারাম-এর মধ্যে ব্যবধান হলো দফ বাজান এবং বিবাহের সংবাদ প্রচার করা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৭০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، قَالَ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ حَاطِبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فَصْلَ مَا بَيْنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ الصَّوْتُ»

মুহাম্মাদ ইবন হাতিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ হালাল এবং হারাম-এর মধ্যে ব্যবধান হলো আওয়ায— (বিবাহের প্রচার)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বিবাহের পড় বিবাহকারীকে কীরূপে দু’আ করবে

৩৩৭১

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَا: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ الْحَسَنِ، قَالَ: تَزَوَّجَ عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، امْرَأَةً مِنْ بَنِي جَثْمٍ، فَقِيلَ لَهُ: بِالرِّفَاءِ وَالْبَنِينَ، قَالَ: قُولُوا كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَارَكَ اللَّهُ فِيكُمْ، وَبَارَكَ لَكُمْ»

হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আকীল ইবন আবূ তালিব (রাঃ) জুছম গোত্রের এক নারীকে বিবাহ করলে মিল মহব্বত এবং সন্তানের জন্য তাঁকে দু’আ করা হলো। আকীল (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেমন বলেছেন, তোমরা তেমন বলঃ (আরবী লিখা) অর্থাৎ আল্লাহ্‌ তোমাদের মাঝে বরকত দান করুন এবং তোমাদের জন্য বরকত দান করুন (জীবন প্রাচুর্যময় করুন)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়নি তার দু’আ

৩৩৭২

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَثَرَ صُفْرَةٍ، فَقَالَ: «مَا هَذَا؟» قَالَ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَقَالَ: «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রহমান (রাঃ)-এর শরীরে হলুদাভা দেখতে পেয়ে বললেনঃ এটা কি? তিনি বললেনঃ আমি একদানা পরিমাণ স্বর্ণের উপর (মোহর দিয়ে) এক মহিলাকে বিবাহ করেছি। তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাঃ) বললেনঃ আল্লাহ্‌ তোমাকে বরকত দিন। একটা বকরী দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বিবাহে হলুদ জাতীয় রংয়ের অনুমতি

৩৩৭৩

أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ جَاءَ وَعَلَيْهِ رَدْعٌ مِنْ زَعْفَرَانٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَهْيَمْ؟» قَالَ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً، قَالَ: «وَمَا أَصْدَقْتَ؟» قَالَ: وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ، قَالَ: «أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) আগমন করলেন, তখন তাঁর গায়ে যাফরানের চিহ্ন ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কী খবর? তিনি বললেনঃ আমি এক নারীকে বিবাহ করেছি। তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাঃ) বললেনঃ মোহর কত দিয়েছ? তিনি বললেনঃ একদানা ওজনের স্বর্ণ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, একটি বকরী দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৭৪

أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الْوَزِيرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيَّ – كَأَنَّهُ يَعْنِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ – أَثَرَ صُفْرَةٍ، فَقَالَ: «مَهْيَمْ؟» قَالَ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ: «أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর দেহে হলুদ রংয়ের চিহ্ন দেখে বললেন, কী খবর? তিনি বললেনঃ আমি এক আনসারী নারীকে বিবাহ করেছি। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একটি বকরী দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নির্জনবাসের (বাসরের) উপঢৌকন

৩৩৭৫

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عَلِيًّا، قَالَ: تَزَوَّجْتُ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنِ بِي، قَالَ: «أَعْطِهَا شَيْئًا» قُلْتُ: مَا عِنْدِي مِنْ شَيْءٍ، قَالَ: «فَأَيْنَ دِرْعُكَ الْحُطَمِيَّةُ؟» قُلْتُ: هِيَ عِنْدِي، قَالَ: «فَأَعْطِهَا إِيَّاهُ»

[حكم الألباني] حسن صحيح

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি ফাতিমা (রাঃ) কে বিবাহ করার পর বললামঃ ইয়া রাসূলআল্লাহ্‌! তাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তাকে কিছু দাও। আমি বললামঃ আমার কাছে কিছু নেই। তিনি বললেনঃ তোমার ‘হতামী’ বর্মটি কোথায়? আমি বললামঃ তা আমার নিকট রয়েছে। তিনি বললেনঃ তাকে তাই দাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩৩৭৬

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا تَزَوَّجَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْطِهَا شَيْئًا» قَالَ: مَا عِنْدِي، قَالَ: «فَأَيْنَ دِرْعُكَ الْحُطَمِيَّةُ؟»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন আলী (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তাকে কিছু দাও। তিনি বললেনঃ আমার কাছে কিছু নেই। তিনি বললেনঃ তোমার ‘হতামী’ বর্মটি কোথায়?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

শাওয়াল মাসে (নববধূকে) তুলে নেয়া

৩৩৭৭

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ، وَأُدْخِلْتُ عَلَيْهِ فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي؟»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিবাহ করেন শাওয়াল মাসে, আর আমাকে তাঁর কাছে পাঠানো হয় শাওয়াল মাসেই। তাঁর কোন স্ত্রী আমার চেয়ে অধিক ভাগ্যবতী?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নয় বছরের কনের সংগে বাসর যাপন

৩৩৭৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا بِنْتُ سِتٍّ، وَدَخَلَ عَلَيَّ وَأَنَا بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ، وَكُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আমার ছয় বছর বয়সে বিবাহ করেন এবং আমার সংগে নির্জনবাস করেন আমার নয় বছর বয়সে, তখন আমি ‘পুতুল’ দিয়ে খেলা করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৭৯

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعْدِ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ، وَبَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعٍ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিবাহ করেন তাঁর ছয় বছর বয়সে। আর তিনি তাঁর সাথে বাসর করেন তাঁর নয় বছর বয়সে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সফরে বাসর যাপন

৩৩৮০

أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا خَيْبَرَ، فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا الْغَدَاةَ بِغَلَسٍ، فَرَكِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ، وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ، فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ، وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي لَأَرَى بَيَاضَ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ: «اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ» قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، قَالَ: وَخَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ. قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: فَقَالُوا: مُحَمَّدٌ – قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا – وَالْخَمِيسُ وَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً فَجَمَعَ السَّبْيَ، فَجَاءَ دِحْيَةُ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ، قَالَ: «اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً» فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ، مَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ، قَالَ: «ادْعُوهُ بِهَا» فَجَاءَ بِهَا، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ غَيْرَهَا»، قَالَ: وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، فَقَالَ لَهُ ثَابِتٌ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، مَا أَصْدَقَهَا، قَالَ: نَفْسَهَا أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، قَالَ: حَتَّى إِذَا كَانَ بِالطَّرِيقِ جَهَّزَتْهَا لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ، فَأَهْدَتْهَا إِلَيْهِ مِنَ اللَّيْلِ، فَأَصْبَحَ عَرُوسًا، قَالَ: «مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلْيَجِئْ بِهِ»، قَالَ: وَبَسَطَ نِطَعًا، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالْأَقِطِ، وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالتَّمْرِ، وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالسَّمْنِ، فَحَاسُوا حَيْسَةً، فَكَانَتْ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধাভিযান করলেন, আমরা তাঁর সাথে ফজরের নামায আদায় করলাম কিছু অন্ধকার থাকতে। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ার হলেন, এবং আবূ তালহাও আরোহণ করলেন। আমি ছিলাম আবূ তালহার পিছনে উপবিষ্ট। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বরের (সরুগলি) পথ ধরলেন। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে আমার দুই হাঁটু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুই উরু স্পর্শ করছিল। আর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উরুর শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করছিলাম। তিনি যখন সেখানকার জনপদে প্রবেশ করলেন, তখন “আল্লাহু আকবার” বললেন, এবং তিনবার বললেনঃ (আরবি লিখা)

অর্থঃ খায়বর ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের আঙ্গীনায় অবতরণ করি, তখন (সে) সতর্কীকৃতদের প্রভাত কতই না মন্দ হয়ে থাকে।

বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর যখন লোকেরা তাদের কাজে বের হল, আবদুল আযীয (রহঃ) (তার বর্ণনায়) বলেন, তখন তারা বললেনঃ ‘মুহাম্মাদ’। আবদুল আযীয (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কোন সাথী (তার বর্ণনায়) বলেছেনঃ আর সেনাবাহিনীও। যেহেতু আমরা যুদ্ধ করে খায়বর জয় করেছিলাম, তাই কয়েদীদের একত্রিত করা হলো। দাহিয়া (রাঃ) এসে বললেনঃ ইয়া নাবী আল্লাহ্‌! আমাকে একটি বাঁদী দান করুন। তিনি বললেনঃ যাও, একটা নিয়ে নাও। তিনি সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (রাঃ) কে নিয়ে নিলেন। এক ব্যক্তি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খিদমতে এসে বললঃ ইয়া নাবী আল্লাহ্‌ ! (বনী) নযীরও (বনী) কুরায়যার সরদার (শীর্ষস্থানীয়রা) সাফিয়্যা বিনত হুরায়কে দাহিয়া (রাঃ) কে দিলেন? সে তো আপনার জন্য ব্যতীত কারও জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি বললেনঃ তাকে (দাহইয়াকে) ডাক। ফলে তিনি তাকে নিয়ে আসলেন। যখন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাঃ) বললেনঃ তুমি একে ব্যতীত অন্য একটা বাঁদী কয়েদীদের মধ্য হতে বেছে নাও। রাবী বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মুক্ত করে দিয়ে বিবাহ করলেন। সাবিত (রহঃ) তাকে বললেনঃ হে আবূ হামযা! তাকে কি মোহর দেয়া হয়েছিল? তিনি বললেনঃ তার নিজেকেই। কেননা, তিনি তাকে আযাদ করেন এবং পড়ে তাকে বিবাহ করেন। তিনি বলেনঃ এমনকি, পথেই উম্মু সুলায়ম (রাঃ) তাকে নব বধূর সাজে সজ্জিত করে তাঁর (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাঃ)-এর) নিকট উপস্থিত করেন। তাঁরা বর কনে হিসেবে ভোরে বের হলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার নিকট কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে এবং তিনি একটি চামড়ার দস্তরখান বিছিয়ে দিলেন, তখন কেউ পনীর নিয়ে আসলো, কোন ব্যক্তি খুরমা নিয়ে আসলো, কেউ ঘি আনলো। এটা দ্বারা হায়স১ তৈরি করলেন। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ওয়ালীমা করা হল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] উল্লিখিত উপকরণসমূহ মিশ্রিত করে প্রস্তুতকৃত সুস্বাদু খাবার।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৮১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا، يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقَامَ عَلَى صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ بِطَرِيقِ خَيْبَرَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حِينَ عَرَّسَ بِهَا، ثُمَّ كَانَتْ فِيمَنْ ضُرِبَ عَلَيْهَا الْحِجَابُ»

হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বরের পথে হুরাই ইবন আখতাবের কন্যা সাফিয়্যা (রাঃ)-এর সাথে তিন দিন অতিবাহিত করেন। এরপর তিনি ঐ সকল লোকের মধ্যে পরিগণিত হন, যাদের ব্যাপারে পর্দা করা হতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৮২

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: ” أَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ خَيْبَرَ وَالْمَدِينَةِ ثَلَاثًا يَبْنِي بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ، فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَلِيمَتِهِ، فَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ خُبْزٍ وَلَا لَحْمٍ، أَمَرَ بِالْأَنْطَاعِ، وَأَلْقَى عَلَيْهَا مِنَ التَّمْرِ وَالْأَقِطِ وَالسَّمْنِ، فَكَانَتْ وَلِيمَتَهُ، فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ، فَقَالُوا: إِنْ حَجَبَهَا، فَهِيَ مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا، فَهِيَ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ، فَلَمَّا ارْتَحَلَ وَطَّأَ لَهَا خَلْفَهُ، وَمَدَّ الْحِجَابَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ النَّاسِ “

হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বর এবং মদীনার মধ্যস্থলে তিনদিন সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (রাঃ)-এর সংগে কাটান। আমি তাঁর ওয়ালীমার জন্য মুসলমানদের দাওয়াত দিলাম। তাতে গোশত ও রুটি কিছুই ছিল না। তিনি চামড়ার দস্তরখান বিছাতে আদেশ করলেন। লোকেরা তার উপর খেজুর, পনীর, ঘি রাখতে লাগলো। এটাই ছিল তাঁর ওয়ালীমা। মুসলমানগণ বলতে লাগলো, তিনি উম্মাহাতুল মু’মীনের একজন, না তাঁর দাসীদের একজন? তারা বললেনঃ যদি তাঁকে পর্দায় রাখা হয়, তবে তিনি উম্মাহাতুল মু’মিনীনের অন্তর্ভুক্ত। আর যদি পর্দা না করা হয়, তবে তিনি বাঁদীদের একজন। যখন প্রত্যাবর্তনের সময় হলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সওয়ারীর হাওদার পেছনে তাঁর বসার ব্যবস্থা করলেন এবং অন্যান্য লোক ও তাঁর মধ্যে পর্দার ব্যবস্থা করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বিবাহ অনুষ্ঠানে সংগীত ও আমোদ-ফুর্তি করা

৩৩৮৩

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى قُرَظَةَ بْنِ كَعْبٍ، وَأَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ، فِي عُرْسٍ، وَإِذَا جَوَارٍ يُغَنِّينَ، فَقُلْتُ: أَنْتُمَا صَاحِبَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، يُفْعَلُ هَذَا عِنْدَكُمْ؟ فَقَالَ: اجْلِسْ إِنْ شِئْتَ فَاسْمَعْ مَعَنَا، وَإِنْ شِئْتَ اذْهَبْ، قَدْ «رُخِّصَ لَنَا فِي اللَّهْوِ عِنْدَ الْعُرْسِ»

আমির ইবন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বিবাহ মজলিসে আমি কুরজা ইবন কা’ব এবং আবূ মাসউদ (রাঃ) আনসারীর নিকট গেলাম, হঠাৎ দেখা গেল ছোট ছোট বালিকারা গান গাচ্ছে। আমি বললামঃ আপনারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বদরী সাহাবী। অথচ আপনাদের সামনে এমন করা হচ্ছে। তাঁরা বললেনঃ যদি ইচ্ছা হয় আমাদের সঙ্গে বসে শোন, আর যদি চাও চলে যাও। আমাদেরকে বিবাহে আমোদ-ফুর্তি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কন্যাকে গৃহস্থালীর আসবাবপত্র (জাহীয) দেয়া

৩৩৮৪

أَخْبَرَنَا نَصِيرُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «جَهَّزَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ فِي خَمِيلٍ وَقِرْبَةٍ وَوِسَادَةٍ حَشْوُهَا إِذْخِرٌ»

[حكم الألباني] ضعيف الإسناد

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমা (রাঃ) কে ‘জাহীয’ (যৌতুক) দান করেছিলেন- একখানা চাদর, একটা পানির পাত্র (মশক) আর একটা বালিশ, যার ভিতরে ছিল ইযখির নামক তৃণ।১

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] কন্যার পিতা-অভিভাবক কন্যার গৃহস্থালী প্রয়োজনের জন্য যা কিছু প্রদান করে তা ‘জাহীয’; এটি বর্তমানে প্রচলিত (ও জামাইকে প্রদত্ত) যৌতুক নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বিছানাপত্র

৩৩৮৫

أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلَانِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ، يَقُولُ: عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فِرَاشٌ لِلرَّجُلِ، وَفِرَاشٌ لِأَهْلِهِ، وَالثَّالِثُ لِلضَّيْفِ، وَالرَّابِعُ لِلشَّيْطَانِ»

জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পুরুষের (নিজের) জন্য একখানা চাদর, তার স্ত্রীর জন্য একখানা চাদর এবং তৃতীয়টি অতিথির জন্য। আর চতুর্থটি শয়তানের জন্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

গালিচা

৩৩৮৬

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ تَزَوَّجْتَ؟» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «هَلِ اتَّخَذْتُمْ أَنْمَاطًا؟» قُلْتُ: وَأَنَّى لَنَا أَنْمَاطٌ؟ قَالَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন : তুমি কি বিবাহ করেছ ? আমি বললাম : হ্যাঁ। তিনি বলেন : তোমরা কি গালিচা বানিয়েছ ? আমি বললাম : আর আমাদের জন্য গালিচা কিভাবে হবে। তিনি বললেন : তা অচিরেই হয়ে যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বাসর ঘরে হাদিয়া

৩৩৮৭

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ وَهُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ بِأَهْلِهِ، قَالَ: وَصَنَعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا، قَالَ: فَذَهَبَتْ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنَّ أُمِّي تُقْرِئُكَ السَّلَامَ، وَتَقُولُ لَكَ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ، قَالَ: «ضَعْهُ»، ثُمَّ قَالَ: «اذْهَبْ فَادْعُ فُلَانًا وَفُلَانًا وَمَنْ لَقِيتَ» وَسَمَّى رِجَالًا، فَدَعَوْتُ مَنْ سَمَّى وَمَنْ لَقِيتُهُ، – قُلْتُ لِأَنَسٍ: عِدَّةُ كَمْ كَانُوا؟ قَالَ: يَعْنِي زُهَاءَ ثَلَاثَ مِائَةٍ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ، فَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ» فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا، فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ، قَالَ لِي: «يَا أَنَسُ، ارْفَعْ» فَرَفَعْتُ، فَمَا أَدْرِي حِينَ رَفَعْتُ كَانَ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ وَضَعْتُ

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার বিবাহ করে স্ত্রী নিকট গেলেন (বাসর যাপন করলেন)। আনাস (রাঃ) বলেন, আমার মা উম্মু সুলায়ম (রাঃ) হায়স তৈরি করলেন। তিনি বলেন, আমি তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যেয়ে বললামঃ আমার মা আপনাকে সালাম বলেছেন এবং বলেছেন, এ আপনার জন্য আমাদের পক্ষ হতে কিঞ্চিত হাদিয়া। তিনি বললেন, রাখ। এরপর তিনি কয়েকজন লোকের নাম নিয়ে বললেন, অমুক অমুক ব্যক্তিকে ডেকে আন, আর যার সাথে তোমার দেখা হয়, সকলকে ডেকে আন। তারপর তিনি যাদের নাম বলেন, এবং যাদের সাথে আমার দেখা হয়, তাদের আমি ডেকে আনি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাদের সংখ্যা কত ছিল ? তিনি বললেনঃ তিনশত লোকের মত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দশ দশ জন করে হালকা বেঁধে ( গোল হয়ে ) বস এবং প্রত্যেকে তার নিকটস্ত স্থান হতে খেতে থাক। তারা সকলে তৃপ্তি সহকারে আহার করলেন। একদল যাচ্ছিল আর একদল প্রবেশ করছিল। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বল্লেনঃ হে আনাস। উঠিয়ে নাও। আমি খাবার উঠিয়ে নিলাম আমি বুঝতে পারলাম না, যখন আমি তা উঠিয়ে নিলাম তখন অধিক ছিল, না যখন রেখেছিলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩৮৮

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الْوَزِيرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ: آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ، فَآخَى بَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: إِنَّ لِي مَالًا، فَهُوَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ شَطْرَانِ، وَلِي امْرَأَتَانِ، فَانْظُرْ أَيُّهُمَا أَحَبُّ إِلَيْكَ فَأَنَا أُطَلِّقُهَا، فَإِذَا حَلَّتْ فَتَزَوَّجْهَا، قَالَ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، دُلُّونِي – أَيْ عَلَى السُّوقِ -، فَلَمْ يَرْجِعْ حَتَّى رَجَعَ بِسَمْنٍ وَأَقِطٍ قَدْ أَفْضَلَهُ، قَالَ: وَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيَّ أَثَرَ صُفْرَةٍ، فَقَالَ: «مَهْيَمْ؟» فَقُلْتُ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ: «أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»

হুমায়দ তাবীল (লম্বা হুমায়দ) (রঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাকে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরায়শ (মুহাজির) এবং আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বধ্নন করে দিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সা’দ ইব্‌ন রাবী’ এবং আবদুর রহমান ইব্‌ন আউফ (রাঃ)- এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করলেন। তখন সা’দ (রাঃ)আবদুর রহমান (রাঃ)- কে বললেনঃ আমার অনেক ধন-সম্পদ রয়েছে, তা আপনার এবং আমার মধ্যে আধা-আধি হিসাবে ভাগ হবে। আর আমার দু’জন স্ত্রী রয়েছে। অতএব আপনি দেখুন, তাদের কোনজন অধিক পছন্দ হয় আমি তাকে তালাক দিয়ে দেব, তার ইদ্দত পূণ হলে তাকে আপনি বিবাহ করবেন। আবদুর রহমান (রাঃ)- বললেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা আপনার ধনে ও পরিবারে বরকত দান করুক। আমাকে রাস্তা বলে দিন অথাৎ বাজারের। তিনি যখন ফিরে আসলেন তখন কিছু ঘি এবং পনীর সহ ফিরে আসলেন, যা তাঁর ‘লাভ’ হয়েছিল। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হলুদ রং দেখে জিজ্ঞাসা করলেনঃ এ কি? আমি বললামঃ আমি এক আনসারী নারীকে বিবাহ করেছি। তিনি বললেনঃ একটা বকরী দ্বারা হলেও ওয়ালীমা কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস