নাসায়ী যাকাত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৫৩১ – ২৬১৮

পরিচ্ছেদ

উপরের হাত (দাতা হাত)

২৫৩১

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، وَعُرْوَةُ، سَمِعَا حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ، يَقُولُ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، فَمَنْ أَخَذَهُ بِطِيبِ نَفْسٍ، بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ، لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ، وَالْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى»

হাকীম ইব্‌ন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে (একবার সাহায্য) চাইলে তিনি আমাকে দান করলেন। আবার (সাহায্য) চাইলে আবারও তিনি আমাকে দান করলেন। পুনরায় (সাহায্য) চাইলে তিনি আমাকে দান করলেন এবং বললেন যে, এ সমস্ত ধন-সম্পদ খুবই সুদৃশ্য ও সুস্বাদু (মনোমুগ্ধকর এবং চিত্তাকর্ষক)। তাই যে ব্যক্তি সেগুলো মনের প্রশান্তির সঙ্গে (নির্লোভ হয়ে) গ্রহণ করবে সেগুলোতে তাঁর জন্য বরকত দেয়া হবে, আর যে ব্যক্তি সেগুলো লোভাতুর অন্তরে গ্রহণ করবে তার জন্য সেগুলোতে বরকত দেয়া হবে না। আর সে ব্যক্তি তার মত হবে যে আহার করে কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারে না। আর উপরের (দাতা) হাত নীচের (গ্রহীতার) হাত থেকে উত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

উপরের হাত কোনটি?

২৫৩২

أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ طَارِقٍ الْمُحَارِبِيِّ، قَالَ: قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ عَلَى الْمِنْبَرِ يَخْطُبُ النَّاسَ وَهُوَ يَقُولُ: ” يَدُ الْمُعْطِي الْعُلْيَا، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ: أُمَّكَ، وَأَبَاكَ، وَأُخْتَكَ، وَأَخَاكَ، ثُمَّ أَدْنَاكَ، أَدْنَاكَ ” مُخْتَصَرٌ

তারিক আল-মুহারিবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা (একবার) মদীনা শরীফে আসলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে উপস্থিত লোকদের সামনে খুতবা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেনঃ দাতার হাত হল উপরের হাত। আর (দান করা) শুরু করবে তোমার পোষ্যদের থেকে– তোমার আম্মা, আব্বা, ভাই-বোন, তারপর ক্রমান্বয়ে তোমার নিকটাত্মীয়, নিকটাত্মীয়। (সংক্ষিপ্ত)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নিম্নের হাত (গ্রহীতার হাত)

২৫৩৩

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ، وَالتَّعَفُّفَ عَنِ الْمَسْأَلَةِ: «الْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَالْيَدُ الْعُلْيَا الْمُنْفِقَةُ، وَالْيَدُ السُّفْلَى السَّائِلَةُ»

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাদাকা এবং (কারো কাছে কিছু না) চাওয়া থেকে আত্মরক্ষার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বললেনঃ উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম। উপরের হাত হল (দাতার) ব্যয়কারীর হাত আর নিচের হাত হল প্রার্থীর (গ্রহীতার) হাত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সচ্ছলতা হতে (নিজের প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত জিনিস) দান করা

২৫৩৪

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” خَيْرُ الصَّدَقَةِ: مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى، وَالْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ “

[حكم الألباني] حسن صحيح

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উত্তম দান হল নিজ সচ্ছলতা অক্ষুণ্ণ রেখে (প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস) সাদাকা করা। আর উপরের হাত নীচের হাত থেকে উত্তম এবং তোমার পোষ্য থেকে দান করা শুরু করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৫৩৫

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَصَدَّقُوا» فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدِي دِينَارٌ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى نَفْسِكَ» قَالَ: عِنْدِي آخَرُ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى زَوْجَتِكَ» قَالَ: عِنْدِي آخَرُ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى وَلَدِكَ» قَالَ: عِنْدِي آخَرُ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى خَادِمِكَ» قَالَ: عِنْدِي آخَرُ، قَالَ: «أَنْتَ أَبْصَرُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা সাদাকা করতে থাকো। এক ব্যক্তি বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার কাছে (যদি) শুধু একটি দিনার থাকে? তিনি বললেন, তুমি তা নিজের জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার কাছে যদি আর একটি দিনার থাকে? তিনি বললেন, তুমি তা তোমার স্ত্রীর জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার কাছে যদি আর একটি দিনার থাকে? তিনি বললেন, তুমি তা তোমার সন্তানের জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার কাছে যদি আর একটি দিনার থাকে? তিনি বললেন, তুমি তা তোমার খাদেমের জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার কাছে যদি আর একটি দিনার থাকে? তিনি বললেন, সে ব্যাপারে তুমিই অধিক বিবেচনাকারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কেউ অভাবগ্রস্ত অবস্থায় দান করলে তা কি তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে?

২৫৩৬

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلَانَ، عَنْ عِيَاضٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَجُلًا دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فَقَالَ: «صَلِّ رَكْعَتَيْنِ» ثُمَّ جَاءَ الْجُمُعَةَ الثَّانِيَةَ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، فَقَالَ: «صَلِّ رَكْعَتَيْنِ» ثُمَّ جَاءَ الْجُمُعَةَ الثَّالِثَةَ، فَقَالَ: «صَلِّ رَكْعَتَيْنِ» ثُمَّ قَالَ: «تَصَدَّقُوا» فَتَصَدَّقُوا، فَأَعْطَاهُ ثَوْبَيْنِ ثُمَّ قَالَ: «تَصَدَّقُوا» فَطَرَحَ أَحَدَ ثَوْبَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَلَمْ تَرَوْا إِلَى هَذَا، أَنَّهُ دَخَلَ الْمَسْجِدَ بِهَيْئَةٍ بَذَّةٍ فَرَجَوْتُ أَنْ تَفْطِنُوا لَهُ، فَتَتَصَدَّقُوا عَلَيْهِ، فَلَمْ تَفْعَلُوا، فَقُلْتُ: تَصَدَّقُوا، فَتَصَدَّقْتُمْ فَأَعْطَيْتُهُ ثَوْبَيْنِ، ثُمَّ قُلْتُ: تَصَدَّقُوا، فَطَرَحَ أَحَدَ ثَوْبَيْهِ، خُذْ ثَوْبَكَ، وَانْتَهَرَهُ “

[حكم الألباني] حسن الإسناد

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি জুমুআর দিনে মসজিদে প্রবেশ করল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, তুমি দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নাও। তারপর সে দ্বিতীয় জুমুআতেও আসল। তখনও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, তুমি দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নাও। তৃতীয় জুমুআতেও সে আসল। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, তুমি দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নাও। এরপর বললেন, তোমরা সাদাকা কর! তোমরা সাদাকা কর এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দু’টি কাপড় দান করলেন। আবার বললেন, তোমরা সাদাকা কর! তখন সে তার কাপড়ের দু’টির একটি দিয়ে (সাদাকা করে) দিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি এ ব্যক্তিকে দেখেছো? সে ছিন্ন বস্ত্রে মসজিদে প্রবেশ করেছিল, তখন আমি আশা করেছিলাম যে, তোমরা তার অবস্থার প্রতি লক্ষ করে তাকে কিছু সাদাকা করবে। কিন্তু তোমরা তা করলে না। তখন আমি বললাম, তোমরা সাদাকা কর। তখন তোমরা সাদাকা করলে এবং আমি তাকে দু’টি কাপড় দিলাম। এরপর আমি বললাম, তোমরা সাদাকা কর। তখন সে তার দু’টি কাপড়ের একটি দিয়ে (সাদাকা করে) দিল। (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ ব্যক্তিকে বললেন,) তুমি তোমার কাপড় নিয়ে নাও তাকে (মৃদু) ধমক দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

গোলামের সাদাকা করা প্রসঙ্গে

২৫৩৭

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَيْرًا مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ، قَالَ: أَمَرَنِي مَوْلَايَ أَنْ أُقَدِّدَ لَحْمًا، فَجَاءَ مِسْكِينٌ، فَأَطْعَمْتُهُ مِنْهُ، فَعَلِمَ بِذَلِكَ مَوْلَايَ فَضَرَبَنِي، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَاهُ، فَقَالَ: «لِمَ ضَرَبْتَهُ» فَقَالَ: يُطْعِمُ طَعَامِي بِغَيْرِ أَنْ آمُرَهُ – وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: بِغَيْرِ أَمْرِي – قَالَ: «الْأَجْرُ بَيْنَكُمَا»

উমায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আমার মুনিব গোশত টুকরা করতে বললেন। তখন একজন মিসকীন আসলে আমি তাকে সেখান থেকে কিছু (খাওয়ার জন্য) দিলাম। আমার মুনিব তা জানতে পেরে আমাকে প্রহার করলেন। আমি তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম (এবং অভিযোগ (করলাম) তিনি তাকে ডাকালেন এবং বললেন যে, তুমি তাকে কেন প্রহার করেছ? তিনি বললেন, যেহেতু সে আমার খাদ্য সামগ্রী আমার অনুমতি ছাড়া খাওয়ার জন্য (দান করে) দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সওয়াব তো তোমরা দু’জনেই পাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৮

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ» قِيلَ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَجِدْهَا؟ قَالَ: «يَعْتَمِلُ بِيَدِهِ، فَيَنْفَعُ نَفْسَهُ، وَيَتَصَدَّقُ» قِيلَ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «يُعِينُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ» قِيلَ: فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «يَأْمُرُ بِالْخَيْرِ» قِيلَ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «يُمْسِكُ عَنِ الشَّرِّ، فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ»

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সাদাকা করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। প্রশ্ন করা হল যে, যদি সাদাকা করার সামর্থ্য না থাকে (তার সম্পর্কে আপনি কি বলেন)? তিনি বললেন, সে নিজের হাতে কাজ করবে এবং তার দ্বারা সে নিজেকে উপকার পৌঁছাবে এবং কিছু সাদাকা করবে। প্রশ্ন করা হল যদি কেউ তা না করে (তার সম্পর্কে আপনি কি বলেন)? তিনি বললেন, তাহলে সে নিরুপায় অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করবে। জিজ্ঞাসা করা হল, যদি তাও না করে? তিনি বললেন, তাহলে সে সৎ কাজের আদেশ দেবে। প্রশ্ন করা হল যে, যদি তা-ও না করে? (তার সম্পর্কে আপনি কি বলেন?) তিনি বললেন, তাহলে সে অনিষ্ট সাধন থেকে বিরত থাকবে। সেটাই (তার জন্য) সাদাকা স্বরূপ হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

স্বামীর ঘরের সম্পদ থেকে স্ত্রীর সাদাকা করা

২৫৩৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا تَصَدَّقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا، كَانَ لَهَا أَجْرٌ، وَلِلزَّوْجِ مِثْلُ ذَلِكَ، وَلِلْخَازِنِ مِثْلُ ذَلِكَ، وَلَا يَنْقُصُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ أَجْرِ صَاحِبِهِ شَيْئًا، لِلزَّوْجِ بِمَا كَسَبَ، وَلَهَا بِمَا أَنْفَقَتْ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ স্ত্রী স্বামীর ঘরের (সম্পদ) থেকে সাদাকা করলে তার (স্ত্রীর) জন্যও সওয়াব হবে এবং স্বামীর জন্যও অনুরূপ (সওয়াব) হবে এবং খাঞ্জাঞ্চি (রক্ষণাবেক্ষণকারীও) অনুরূপ (সওয়াব) পাবে। এদের মধ্যে কেউ কারো সওয়াব হ্রাস করবে না। স্বামীর (সওয়াব) হবে সম্পদ উপার্জন করার কারনে এবং তার (স্ত্রীর) (সওয়াব) হবে ব্যয় (সাদাকা) করার কারনে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর দান করা

২৫৪০

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَامَ خَطِيبًا فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «لَا يَجُوزُ لِامْرَأَةٍ عَطِيَّةٌ، إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا» مُخْتَصَرٌ

[حكم الألباني] حسن صحيح

আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের পর খুতবা দিতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর খুতবায় তিনি বললেনঃ স্ত্রীর জন্য স্বামীর বিনা অনুমতিতে দান করা বৈধ নয়। [১] (সংক্ষিপ্ত)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] দান করার ব্যাপারে স্বামীর অসন্তুষ্টির আশংকা থাকলে স্পষ্ট অনুমতির প্রয়োজন হবে। বেশী দানের জন্যও অনুমতির প্রয়োজন হবে। পূর্ব অনুমতি থাকলে, স্বামী দানশীল হলে বারবার অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাদাকা করার ফযীলত

২৫৪১

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْتَمَعْنَ عِنْدَهُ فَقُلْنَ: أَيَّتُنَا بِكَ أَسْرَعُ لُحُوقَا، فَقَالَ: «أَطْوَلُكُنَّ يَدًا» فَأَخَذْنَ قَصَبَةً، فَجَعَلْنَ يَذْرَعْنَهَا، فَكَانَتْ سَوْدَةُ أَسْرَعَهُنَّ بِهِ لُحُوقًا، فَكَانَتْ أَطْوَلَهُنَّ يَدًا، فَكَانَ ذَلِكَ مِنْ كَثْرَةِ الصَّدَقَةِ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর স্ত্রীগণ (একবার) তাঁর কাছে একত্রিত হয়ে বললেনঃ আমাদের মধ্যে কে সর্বাগ্রে আপনার সাথে মিলিত হবে? (মৃত্যুবরণ করবে?) তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যার হাত দীর্ঘ। তখন তাঁরা একটি কঞ্চি নিয়ে সবার হাত মাপতে লাগলেন (আমরা ধারনা করলাম) সাওদা (রাঃ) সর্বাগ্রে তাঁর সাথে মিলিত হবেন। যেহেতু তাঁর হাত সর্বাধিক দীর্ঘ ছিল। “অথচ যার হাত দীর্ঘ” এর অর্থ ছিল যে অত্যাধিক সাদাকা করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সর্বোত্তম সাদাকা কোনটি ?

২৫৪২

أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «أَنْ تَصَدَّقَ، وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ، تَأْمُلُ الْعَيْشَ، وَتَخْشَى الْفَقْرَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে) বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্। সর্বোত্তম সাদাকা কোনটি? তিনি বললেনঃ তুমি যখন সুস্থ থাক, মালের প্রতি তোমার লোভ থাকে, অনেক দিন বেঁচে থাকার আশা কর এবং দারিদ্র্যকে ভয় কর তখন তোমার সাদাকা করা (সর্বোত্তম সাদাকা)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৩

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ، أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ، حَدَّثَهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ، مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى، وَالْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ»

হাকীম ইব্‌ন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বোত্তম সাদাকা হল, যা স্বচ্ছল অবস্থায় (সাদাকা) করা হয়। আর উপরের হাত নিম্নের হাত থেকে শ্রেয়। তুমি নিজের পোষ্যদের থেকে (দান-সাদাকা) শুরু করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৪

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘সর্বোত্তম সাদাকা হল; যা স্বচ্ছল অবস্থায় (সাদাকা) করা হয়। আর তুমি নিজের পোষ্যদের থেকে (সাদাকা) শুরু করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أَنْفَقَ الرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ يَحْتَسِبُهَا، كَانَتْ لَهُ صَدَقَةً»

আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি স্বীয় পরিবার-পরিজনের জন্য সওয়াবের নিয়্যতে খরচ করলে তা তার জন্য সাদাকারূপে গণ্য হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৬

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: أَعْتَقَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عُذْرَةَ عَبْدًا لَهُ عَنْ دُبُرٍ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَلَكَ مَالٌ غَيْرُهُ» قَالَ: لَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي»، فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَدَوِيُّ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ، فَجَاءَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: ” ابْدَأْ بِنَفْسِكَ، فَتَصَدَّقْ عَلَيْهَا، فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ فَلِأَهْلِكَ، فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ عَنْ أَهْلِكَ، فَلِذِي قَرَابَتِكَ، فَإِنْ فَضَلَ عَنْ ذِي قَرَابَتِكَ شَيْءٌ، فَهَكَذَا، وَهَكَذَا يَقُولُ: بَيْنَ يَدَيْكَ، وَعَنْ يَمِينِكَ، وَعَنْ شِمَالِكَ “

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, উযরা গোত্রের এক ব্যক্তি তার এক গোলামকে তার মৃত্যুর পর মুক্ত (আযাদ) হওয়ার ঘোষণা দিল। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌছলে তিনি তাকে বললেন, তোমার কি এ (গোলাম) ছাড়া অন্য কোন সম্পত্তি আছে? সে বলল, না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ গোলামকে আমার কাছ থেকে কে খরিদ করবে? তখন নুআয়ম ইব্‌ন আবদুল্লাহ আদাবী (রাঃ) তাকে আটশত দিরহাম দিয়ে খরিদ করে নিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত দিরহাম নিয়ে এসে ঐ লোকটিকে দিয়ে দিলেন এবং বললেন, তুমি নিজের থেকে (ব্যয়) শুরু কর (অর্থাৎ) নিজের জন্য সাদাকা কর। কিছু উদ্বৃত্ত থাকলে তা তোমার পরিবার-পরিজনের জন্য (খরচ কর)। তারপর কিছু উদ্বৃত্ত থাকলে তা তোমার আত্মীয়-স্বজনের জন্য (খরচ কর।) তারপরও কিছু উদ্বৃত্ত থাকলে তা এরকম এরকমভাবে (খরচ করবে) অর্থাৎ ইশারা করলেন যে, তোমার সামনে, তোমার ডানে ও তোমার বামে (ব্যয় করবে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কৃপণের সাদাকা করা

২৫৪৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَاهُ أَبُو الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مَثَلَ الْمُنْفِقِ الْمُتَصَدِّقِ، وَالْبَخِيلِ كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا جُبَّتَانِ – أَوْ جُنَّتَانِ – مِنْ حَدِيدٍ، مِنْ لَدُنْ ثُدِيِّهِمَا إِلَى تَرَاقِيهِمَا، فَإِذَا أَرَادَ الْمُنْفِقُ أَنْ يُنْفِقَ اتَّسَعَتْ عَلَيْهِ الدِّرْعُ أَوْ مَرَّتْ حَتَّى تُجِنَّ بَنَانَهُ، وَتَعْفُوَ أَثَرَهُ، وَإِذَا أَرَادَ الْبَخِيلُ أَنْ يُنْفِقَ قَلَصَتْ وَلَزِمَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ مَوْضِعَهَا، حَتَّى إِذَا أَخَذَتْهُ بِتَرْقُوَتِهِ – أَوْ بِرَقَبَتِهِ -»، يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَشْهَدُ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوَسِّعُهَا، فَلَا تَتَّسِعُ، قَالَ طَاوُسٌ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُشِيرُ بِيَدِهِ وَهُوَ يُوَسِّعُهَا وَلَا تَتَوَسَّعُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূ্লুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দানশীল ব্যয়কারী এবং কৃপণের উদাহরণ ঐ দুই ব্যক্তির ন্যায় যাদের বুক থেকে গলার হাঁসুলী পর্যন্ত (লম্বা) দুটি লোহার বর্ম বা জুব্বা রয়েছে (পরিধান করেছে)। (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুব্বা বলেছেন না লোহার বর্ম বলেছেন রাবী তা নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারেন নি) দানশীল ব্যক্তি দান করার ইচ্ছা করলে বর্ম সম্প্রসারিত হয়ে যায় অথবা প্রলম্বিত হয়ে যায়। (এখানেও রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্প্রসারিত হয়ে যায় বলেছেন, না প্রলম্বিত হয়ে যায় বলেছেন রাবী সেটা নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারেন নাই।) সম্প্রসারিত হয়ে তার আঙ্গুল ঢেকে ফেলে এবং তার পদচিহ্ন মুছে দেয়। আর কৃপণ যখন ব্যয় করতে ইচ্ছা করে তখন বর্মটি আরো সংকুচিত হয়ে যায় এবং প্রত্যেকটি কড়া নিজ নিজ স্থানে আঁটসাঁট হয়ে লেগে থাকে এবং তাকে তার হাঁসুলী অথবা ঘাড়ের সাথে আটকিয়ে দেয়। [১] আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি তা সম্প্রসারিত করতে দেখেছি। কিন্তু তা সম্প্রসারিত হচ্ছিল না। তাউস (রহঃ) বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর ব্যাপারে শুনেছি যে, তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইশারা করে দেখিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা সম্প্রসারিত করতে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তা সম্প্রসারিত হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি উদাহরণ দ্বারা বুঝিয়েছেন যে, দানশীল ব্যক্তি যখন দান করে তখন তার মন বড় হয়ে যায়, সে সন্তুষ্টচিত্তে দান করে। কৃপণ ব্যক্তির মনে যদি কখনও দান করার ধারনা আসেও তখন তার মন সঙ্কুচিত হয়ে যায়, দানের প্রবৃত্তি জন্মে না। হাত যেন ছোট হয়ে যায়, দানের স্পৃহা হয় না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৮

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَثَلُ الْبَخِيلِ، وَالْمُتَصَدِّقِ، مَثَلُ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا جُنَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ، قَدِ اضْطَرَّتْ أَيْدِيَهُمَا إِلَى تَرَاقِيهِمَا، فَكُلَّمَا هَمَّ الْمُتَصَدِّقُ بِصَدَقَةٍ، اتَّسَعَتْ عَلَيْهِ، حَتَّى تُعَفِّيَ أَثَرَهُ، وَكُلَّمَا هَمَّ الْبَخِيلُ بِصَدَقَةٍ، تَقَبَّضَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ إِلَى صَاحِبَتِهَا، وَتَقَلَّصَتْ عَلَيْهِ»، وَانْضَمَّتْ يَدَاهُ إِلَى تَرَاقِيهِ، وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «فَيَجْتَهِدُ أَنْ يُوَسِّعَهَا فَلَا تَتَّسِعُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, কৃপণ এবং দানশীল ব্যক্তির দৃষ্টান্ত এমন দু’জন ব্যক্তির ন্যায় যাদের গায়ে দু’টি লোহার বর্ম রয়েছে। (যার দরুন) তাদের হাত গলার হাঁসুলীর (কণ্ঠনালীর) সাথে লেগে রয়েছে। যখন দানশীল ব্যক্তি কোন কিছু দান করতে চায় তখন তা সম্প্রসারিত হয়ে যায় এবং এমন কি (তা এত লম্বা হয়) যে, তার পদচিহ্নকে মুছে ফেলে। আর কৃপণ যখন কোন কিছু দান করতে ইচ্ছা করে তখন প্রতিটি কড়া (আংটী) তার পার্শ্ববর্তীটির সংগে সংকুচিত হয়ে যায় এবং আঁটসাঁট হয়ে যায় এবং তার দুই হাত তার কণ্ঠনালীর সংগে সংযুক্ত হয়ে যায়। আর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছি যে, সে তা সম্প্রসারিত করতে চায় কিন্তু সম্প্রসারিত হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

হিসাব করে সাদাকা করা প্রসঙ্গে

২৫৪৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ ابْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ هِنْدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ: كُنَّا يَوْمًا فِي الْمَسْجِدِ جُلُوسًا، وَنَفَرٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ فَأَرْسَلْنَا رَجُلًا إِلَى عَائِشَةَ لِيَسْتَأْذِنَ، فَدَخَلْنَا عَلَيْهَا، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ سَائِلٌ مَرَّةً، وَعِنْدِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرْتُ لَهُ بِشَيْءٍ، ثُمَّ دَعَوْتُ بِهِ، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَا تُرِيدِينَ أَنْ لَا يَدْخُلَ بَيْتَكِ شَيْءٌ، وَلَا يَخْرُجَ، إِلَّا بِعِلْمِكِ» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «مَهْلًا يَا عَائِشَةُ، لَا تُحْصِي، فَيُحْصِيَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكِ»

আবূ উসামা ইব্‌ন সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, একদিন আমরা কিছু সংখ্যক মুজাহির ও আনসারসহ মসজিদে বসা ছিলাম। আমরা আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে একজন লোককে অনুমতি নেওয়ার জন্য পাঠালাম। এরপর আমরা তাঁর খিদমতে উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন যে, একবার আমার কাছে একজন ভিক্ষুক আসল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে ছিলেন। আমি তাকে কিছু দেওয়ার জন্য (খাদিমকে) আদেশ করলাম। এরপর তাঁকে ডেকে তা দেখলাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি চাও যে, তোমার ঘরে তোমার অবগতি ব্যতীত কোন কিছু প্রবেশ না করুক এবং কিছু বেরও না হোক? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে আয়েশা, তুমি কখনও এরূপ করো না; তুমি কখনও হিসাব (কষাকষি) করে খরচ করবে না; নয়তো মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলাও তোমাকে হিসাব করে করে দেবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: «لَا تُحْصِي، فَيُحْصِيَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكِ»

আসমা বিন্‌ত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেছেনঃ তুমি হিসাব করে খরচ (দান) করবে না নতুবা আল্লাহ্‌ তা’আলাও তোমাকে হিসাব করে দিবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫১

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ حَجَّاجٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا جَاءَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ لَيْسَ لِي شَيْءٌ إِلَّا مَا أَدْخَلَ عَلَيَّ الزُّبَيْرُ، فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ فِي أَنْ أَرْضَخَ مِمَّا يُدْخِلُ عَلَيَّ؟ فَقَالَ: «ارْضَخِي مَا اسْتَطَعْتِ، وَلَا تُوكِي فَيُوكِيَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْكِ»

আসমা বিন্‌ত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (একবার) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার কাছে তো (আমার স্বামী) যুবায়র (রাঃ)-এর দেয়া কিছু (সম্পদ) ছাড়া অন্য কিছু নেই। অতএব তার দেয়া সম্পদ থেকে আমি কি কিছু দান করলে দোষ হবে কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি অল্প-স্বল্প দান করবে এবং আটকে রাখবে (কৃপণতা করবে) না; নয়তো আল্লাহ্‌ তা’আলাও তোমাকে (প্রদান করা) আটকে দেবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সামান্য দান করা

২৫৫২

أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْمُحِلِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اتَّقُوا النَّارَ، وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ»

আদী ইব্‌ন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ (নিজেদের রক্ষা কর) যদিও তা খেজুরের টুকরা দ্বারাও হয়। (সামান্য বস্তু সাদাকা করতে পারলেও তা কর।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৩

أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ مُرَّةَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّارَ فَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ وَتَعَوَّذَ مِنْهَا – ذَكَرَ شُعْبَةُ أَنَّهُ فَعَلَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ – ثُمَّ قَالَ: «اتَّقُوا النَّارَ، وَلَوْ بِشِقِّ التَّمْرَةِ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا، فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ»

আদী ইব্‌ন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, একদা- রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (জাহান্নামের) আগুনের আলোচনা করলেন ও তিনি তাঁর চেহারা মুবারক ফিরিয়ে নিলেন (এভাবে ফিরালেন যেন তিনি জাহান্নামকে সামনে দেখছিলেন।) এরপর তা (জাহান্নামের আগুন) থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। শু’বা (রহঃ) উল্লেখ করেছেন যে, তিনবার তিনি এরূপ করেছিলেন। তারপর বললেন, তোমরা (জাহান্নামের) আগুন থেকে বাঁচো, যদিও তা খেজুরের টুকরা দ্বারাও হয়। তাও যদি না পাও তাহলে অন্তত উত্তম কথা দ্বারা (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাদাকা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা

২৫৫৪

أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ جَمِيلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: وَذَكَرَ عَوْنَ بْنَ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ: سَمِعْتُ الْمُنْذِرَ بْنَ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي صَدْرِ النَّهَارِ، فَجَاءَ قَوْمٌ عُرَاةً حُفَاةً مُتَقَلِّدِي السُّيُوفِ، عَامَّتُهُمْ مِنْ مُضَرَ، بَلْ كُلُّهُمْ مِنْ مُضَرَ، فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا رَأَى بِهِمْ مِنَ الْفَاقَةِ، فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ، فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ، فَأَقَامَ الصَّلَاةَ، فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ، فَقَالَ: ” يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ، وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا، وَبَثَّ مِنْهُمَا، رِجَالًا كَثِيرًا، وَنِسَاءً، وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ، وَالْأَرْحَامَ، إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا، وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَا قَدَّمَتْ لِغَدٍ، تَصَدَّقَ رَجُلٌ مِنْ دِينَارِهِ مِنْ دِرْهَمِهِ مِنْ ثَوْبِهِ، مِنْ صَاعِ بُرِّهِ مِنْ صَاعِ تَمْرِهِ، حَتَّى قَالَ: وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ “، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ بِصُرَّةٍ كَادَتْ كَفُّهُ تَعْجِزُ عَنْهَا، بَلْ قَدْ عَجَزَتْ، ثُمَّ تَتَابَعَ النَّاسُ حَتَّى رَأَيْتُ كَوْمَيْنِ مِنْ طَعَامٍ، وَثِيَابٍ، حَتَّى رَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَهَلَّلُ كَأَنَّهُ مُذْهَبَةٌ، فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً، فَلَهُ أَجْرُهَا، وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا، وَمَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً سَيِّئَةً، فَعَلَيْهِ وِزْرُهَا، وَوِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا»

জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা একবার দুপুর বেলা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বসা ছিলাম এমতাবস্থায় কিছু নগ্নদেহী এবং নগ্নপদী লোক তলোয়ার (কাঁধে) লটকানো অবস্থায় (আমাদের কাছে) আসল। তাদের অধিকাংশ বরং সবাই মুদার গোত্রের ছিল। তাদের অনাহারে থাকার অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ রূপ ধারণ করল। তিনি (বাড়ির) ভিতরে গেলেন এবং বের হয়ে এসে বিলাল (রাঃ)-কে আযান দিতে নির্দেশ দিলেন। তিনি আযান এবং সালাতের ইকামাত দিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (জামাআতে) সালাত আদায় করে খুতবা (ভাষণ) দিলেন এবং বললেনঃ

অর্থঃ হে মানব। তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (সত্ত্বা) হতেই সৃষ্টি করেছেন এবং তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন এবং দু’জন হতে বহু নর-নারী (সৃষ্টি করে) ছড়িয়ে দিয়েছেন; এবং আল্লাহ্‌কে ভয় কর যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাঞ্চা কর এবং (সতর্ক থাক) জ্ঞাতিবন্ধন সম্পর্কে। আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর, প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক, আগামীকালের জন্য সে কী অগ্রীম পাঠিয়েছে (সূরাঃ ৪ নিসাঃ ৪)।

প্রত্যেকে নিজ নিজ দীনার, দিরহাম, কাপড়, এক সা’ গম হতে এবং এক সা’ খেজুর হতেও দান কর বলতে বলতে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ পর্যন্ত বললেন যে, এক টুকরা খেজুর হলেও (দান কর)। তখন একজন আনসারী (সাহাবী) একটি থলি নিয়ে আসলেন যেন তাঁর হাত তা বহন করতে অপারগ হয়ে পড়ছিল বরং অপারগ হয়েই গিয়েছিল। এরপর অন্যান্য লোকজনও তার অনুসরণ করল। আমি সেখানে কাপড় এবং খাদ্যের দু’টো স্তূপ দেখতে পেলাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা মুবারক উজ্জ্বল (ও তাঁকে প্রফুল্ল দেখতে পেলাম)। যেন তা সোনালী প্রলেপযুক্ত। তখন তিনি বললেন: যে ব্যক্তি ইসলামে কোন উত্তম প্রথা প্রবর্তন করবে সে তার সওয়াব তো পাবেই, উপরন্তু সে অনুসারে আমলকারীদের সমপরিমান সওয়াবও পাবে। অথচ আমলকারীদের সওয়াব এর পরিমাণ কিছুমাত্র হ্রাস করা হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন খারাপ প্রথার প্রচলন করবে, তার জন্য তার গুনাহ তো রয়েছেই, উপরন্তু সে (খারাপ প্রথার) অনুসারে আমলকারীদের সমপরিমাণ গুনাহ্ও তার জন্য (রয়েছে)। অবশ্য তাদের গুনাহ্ বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না (সূরাঃ ৫৯ হাশরঃ ২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَارِثَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَصَدَّقُوا، فَإِنَّهُ سَيَأْتِي عَلَيْكُمْ زَمَانٌ يَمْشِي الرَّجُلُ بِصَدَقَتِهِ، فَيَقُولُ الَّذِي يُعْطَاهَا لَوْ جِئْتَ بِهَا بِالْأَمْسِ قَبِلْتُهَا، فَأَمَّا الْيَوْمَ فَلَا»

হারিসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা সাদাকা কর। কেননা তোমাদের সামনে এমন এক সময় আসবে যখন কেউ সাদাকা নিয়ে তা দেওয়ার জন্য ঘুরতে থাকবে এবং যাকে দিতে চাইবে সে বলবে, তুমি যদি এগুলো গতকাল আনতে তাহলে আমি গ্রহন করতাম। আজ তো আমার (এগুলোর কোন প্রয়োজন নেই)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাদাকা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা

২৫৫৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اشْفَعُوا، تُشَفَّعُوا، وَيَقْضِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ مَا شَاءَ»

আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সুপারিশ কর, তোমাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (তোমরা সুপারিশ করার জন্য সওয়াবের অধিকারী হবে।) মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তাঁর নবীর কথার মাধ্যমে যা ইচ্ছা তা পূর্ণ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৭

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ ابْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ لَيَسْأَلُنِي الشَّيْءَ فَأَمْنَعُهُ حَتَّى تَشْفَعُوا فِيهِ، فَتُؤْجَرُوا، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اشْفَعُوا، تُؤْجَرُوا»

মুআবিয়া ইব্‌ন্ আবূ সুফিয়ান(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেউ আমার কাছে কিছু চাইলে আমি তাকে নিষেধ করে দেই যাতে তোমরা তার ব্যাপারে সুপারিশ কর এবং তোমরা সওয়াব পাও। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেছেন, তোমরা সুপারিশ কর তাহলে তোমরাও সওয়াব পাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাদাকায় বাহাদুরী প্রকাশ করা প্রসঙ্গে

২৫৫৮

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ، عَنْ ابْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ مِنَ الْغَيْرَةِ: مَا يُحِبُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمِنْهَا مَا يَبْغُضُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمِنَ الْخُيَلَاءِ: مَا يُحِبُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمِنْهَا مَا يَبْغُضُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَمَّا الْغَيْرَةُ الَّتِي يُحِبُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: فَالْغَيْرَةُ فِي الرِّيبَةِ، وَأَمَّا الْغَيْرَةُ الَّتِي يَبْغُضُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: فَالْغَيْرَةُ فِي غَيْرِ رِيبَةٍ، وَالِاخْتِيَالُ الَّذِي يُحِبُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: اخْتِيَالُ الرَّجُلِ بِنَفْسِهِ، عِنْدَ الْقِتَالِ، وَعِنْدَ الصَّدَقَةِ، وَالِاخْتِيَالُ الَّذِي يَبْغُضُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: الْخُيَلَاءُ فِي الْبَاطِلِ “

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এমন কিছু আত্মসম্মানবোধ আছে যা মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা পছন্দ করেন, আবার তা (আত্মসম্মানবোধ) এমনও কিছু আছে যা মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা অপছন্দ করেন। অনুরূপ এমন কিছু অহং (বাহাদুরী) আছে যা মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা পছন্দ করেন, এবং তা (বীরত্ব) এমনও কিছু আছে যা মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা অপছন্দ করেন। মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলার পছন্দনীয় আত্মসম্মানবোধ হল সন্দেহ ও বদনামের ক্ষেত্রে (আত্মসম্মানবোধ)। আর মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলার অপছন্দনীয় আত্মসম্মানবোধ হল সন্দেহ ও বদনামের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যস্থানের (সম্মানবোধ)। মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলার পছন্দনীয় অহং হল জিহাদের সময় ও দান করার সময় বাহাদুরী করা। আর মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলার অপছন্দনীয় বাহাদুরী হল অন্যায় ক্ষেত্রে (বীরত্ব করা) [১]।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] হাদিসটির মর্ম হলঃ ইসলামী শরীআত বিরোধী কাজে ঘৃণাবোধ করাকে আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন। পক্ষান্তরে শরীআত অনুমোদিত কার্যাবলীতে ঘৃণাবোধ করাকে আল্লাহ্‌ অপছন্দ করেন। অনুরূপভাবে জিহাদের ময়দানে বাহাদুরী প্রকাশ করা এবং সাদাকা দেওয়ার সময় ধন সম্পদকে তুচ্ছ মনে করে হিম্মত ও বাহাদুরীর সংগে দান করা আল্লাহ্‌র নিকট পছন্দনীয়। পক্ষান্তরে অন্যায় কাজে বীরত্ব প্রকাশ করা আল্লাহ্‌র নিকট অপছন্দনীয়।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৯

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُوا، وَتَصَدَّقُوا، وَالْبَسُوا فِي غَيْرِ إِسْرَافٍ، وَلَا مَخِيلَةٍ»

আমর ইবন্‌ শু’আয়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা অপব্যয় ও আত্মম্ভরিতা না করে খাও, দান কর এবং পরিধান কর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মালিকের অনুমতিতে দান করলে খাজাঞ্চির সওয়াব প্রসঙ্গে

২৫৬০

أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْهَيْثَمِ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا»

وَقَالَ: “الْخَازِنُ الْأَمِينُ: الَّذِي يُعْطِي مَا أُمِرَ بِهِ طَيِّبًا بِهَا نَفْسُهُ أَحَدُ الْمُتَصَدِّقَيْنِ “

আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, এক মু’মিন অন্য মু’মিনের জন্য ঐ দেয়াল সমতুল্য, যার এক অংশ অন্য অংশকে মজবুত করে। তিনি আরও বলেছেনঃ বিশ্বস্ত খাজাঞ্চির (রক্ষণাবেক্ষণকারী) যে আদেশ প্রাপ্ত হয়ে সন্তুষ্টচিত্তে দান করে সেও দু’জন দানকারীর একজন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

গোপনে দানকারী

২৫৬১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْجَاهِرُ بِالْقُرْآنِ كَالْجَاهِرِ بِالصَّدَقَةِ، وَالْمُسِرُّ بِالْقُرْآنِ كَالْمُسِرِّ بِالصَّدَقَةِ»

উকবা ইব্‌ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সশব্দে কুরআন পাঠকারী প্রকাশ্যে দানকারীর ন্যায় আর নিঃশব্দে কুরআন পাঠকারী গোপনে দানকারীর ন্যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

দানকৃত বস্তু দ্বারা খোঁটা (গঞ্জনা) দেয়া

২৫৬২

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” ثَلَاثَةٌ لَا يَنْظُرُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ، وَالْمَرْأَةُ الْمُتَرَجِّلَةُ، وَالدَّيُّوثُ، وَثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ: الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ، وَالْمُدْمِنُ عَلَى الْخَمْرِ، وَالْمَنَّانُ بِمَا أَعْطَى “

[حكم الألباني] حسن صحيح

সালিম এর পিতা আব্দুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির প্রতি মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামতের দিন দৃষ্টি দিবেন না (রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন না) পিতা মাতার অবাধ্য (সন্তান), পুরুষের বেশধারী নারী এবং দায়ূছ (নিজ স্ত্রী কন্যার পাপাচারে যে ঘৃণাবোধ করেনা।) আর তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা – পিতা মাতার অবাধ্য (সন্তান), মাদকাসক্ত ব্যক্তি (যে মদ্যপ তাওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে) এবং দানকৃত বস্তুর খোঁটা দানকারী ব্যক্তি (দান করার পর যে দানের উল্লেখ করে গঞ্জনা দেয়।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৫৬৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُدْرِكِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ، وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ، فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا، خَابُوا وَخَسِرُوا – قَالَ: الْمُسْبِلُ إِزَارَهُ، وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ، وَالْمَنَّانُ عَطَاءَهُ “

আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির সংগে কথা বলবেন না। তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদের সাথে কোন কথাও বলবেন না, তাদের পরিশুদ্ধতা প্রত্যায়ন করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। এরপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত (সংশ্লিষ্ট আয়াত) পাঠ করলেন। তখন আবূ যর (রাঃ) বললেন, তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে, তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে, (তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, (তারা হল) যারা পায়ের গিরার নিচে (পায়ের উঁচু হাড়) কাপড় পরিধান করে, মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য চালিয়ে দেয় (বিক্রয় করে), এবং দানকৃত বস্তুর খোঁটা দেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৪

أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ وَهُوَ الْأَعْمَشُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ، وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ: الْمَنَّانُ بِمَا أَعْطَى، وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ، وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ “

আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির সাথে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না এবং তাদের দিকে তাকাবেন না আর তাদের পবিত্রতা প্রত্যায়ন করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (তারা হল) দানকৃত বস্তুর খোঁটাদানকারী, পায়ের গিরার নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রয়কারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেয়া

২৫৬৫

أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَأَنْبَأَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ ابْنِ بُجَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ جَدِّتِهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رُدُّوا السَّائِلَ وَلَوْ بِظِلْفٍ – فِي حَدِيثِ هَارُونَ – مُحْرَقٍ»

ইব্‌ন বুজায়দ আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা ভিক্ষুককে কিছু দিয়ে দাও যদিও তা খুরই (তুচ্ছ) হোক না কেন। আর হারূন (রহঃ)-এর হাদীসে রয়েছে পোড়া খুর। (অর্থাৎ ভিক্ষুককে খালি হাতে না ফিরায়ে যৎকিঞ্চিত হলেও দাও।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সওয়াল করা সত্ত্বেও না দেওয়া

২৫৬৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَأْتِي رَجُلٌ مَوْلَاهُ يَسْأَلُهُ مِنْ فَضْلٍ عِنْدَهُ، فَيَمْنَعُهُ إِيَّاهُ، إِلَّا دُعِيَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعٌ أَقْرَعُ يَتَلَمَّظُ فَضْلَهُ الَّذِي مَنَعَ»

বাহ্‌য্‌ ইব্‌ন হাকীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি স্বীয় মুনীবের কাছে এসে তার কাছে বিদ্যমান (উদ্বৃত্ত) বস্তু চায় অথচ তাকে তা দেয়া না হয়, কিয়ামতের দিন তার জন্য একটি বিরাট সাপ ডাকা হবে যা তার না দেয়া উদ্বৃত্ত বস্তু (জিহবা দ্বারা) চাটতে থাকবে। (উদ্বৃত্ত সম্পদ সাপের রূপ ধারন করে চাটতে থাকবে।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে ব্যক্তি মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র নামে কিছু চায়

২৫৬৭

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اسْتَعَاذَ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ، وَمَنْ سَأَلَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعْطُوهُ، وَمَنِ اسْتَجَارَ بِاللَّهِ فَأَجِيرُوهُ، وَمَنْ آتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ حَتَّى تَعْلَمُوا أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে প্রার্থনা করে তাকে আশ্রয় দাও, যে ব্যক্তি তোমাদের কাছে আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে (কিছু) চায় তাকে দিয়ে দাও, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র নামে আত্মরক্ষা প্রার্থনা করে তাকে সুরক্ষা দাও আর যে ব্যক্তি তোমাদের উপর ইহসান করে (দান-সদাচরণ) তার প্রতিদান দিয়ে দাও। অগত্যা যদি দিতে নাই পার তাহলে তার জন্য দু’আ কর যে পর্যন্ত না তোমরা মনে কর যে, তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে ব্যক্তি মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র নামে চায়

২৫৬৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَتَيْتُكَ حَتَّى حَلَفْتُ أَكْثَرَ مِنْ عَدَدِهِنَّ لِأَصَابِعِ يَدَيْهِ، أَلَّا آتِيَكَ، وَلَا آتِيَ دِينَكَ، وَإِنِّي كُنْتُ امْرَأً لَا أَعْقِلُ شَيْئًا، إِلَّا مَا عَلَّمَنِي اللَّهُ وَرَسُولُهُ، وَإِنِّي أَسْأَلُكَ بِوَجْهِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا بَعَثَكَ رَبُّكَ إِلَيْنَا؟ قَالَ: «بِالْإِسْلَامِ» قَالَ: قُلْتُ وَمَا آيَاتُ الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: ” أَنْ تَقُولَ: أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَتَخَلَّيْتُ، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، كُلُّ مُسْلِمٍ عَلَى مُسْلِمٍ مُحَرَّمٌ أَخَوَانِ نَصِيرَانِ لَا يَقْبَلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ مُشْرِكٍ بَعْدَمَا أَسْلَمَ عَمَلًا، أَوْ يُفَارِقَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ “

বাহ্‌য্‌ ইব্‌ন হাকীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, ইয়া নবীয়াল্লাহ্‌! আমি আপনার কাছে আসার পূর্বে এই সংখ্যার (আমার দুই হাতের অঙ্গুলিসমূহের সংখ্যার) চেয়েও অধিক সংখ্যক শপথ করেছিলাম যে, আমি আপনার কাছে আসব না এবং আপনার ধর্মও গ্রহণ করব না। এখন আমি এমন এক ব্যক্তি, যে আল্লাহ্‌ তা’আলা এবং তার রাসূলের শিখানো শিক্ষা ছাড়া আর কিছুই আমি বুঝিনা। আমি মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে (আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য) আপনার কাছে জানতে চাই আপনার পালনকর্তা আপনাকে কি সহ আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন? তিনি বলেন, (আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাকে) ইসলামসহ (পাঠিয়েছেন,) আমি বললাম, ইসলামের পরিচয় কি? তিনি বললেন, তুমি বলবে যে, আমি আমার চেহারা মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলার দিকে ফিরিয়ে দিলাম এবং (মুক্ত হলাম) (শির্‌ক পরিত্যাগ করলাম)। এবং তুমি সালাত আদায় করবে, যাকাত আদায় করবে। প্রত্যেক মুসলমান অন্য মুসলমানের জন্য সম্মানের পাত্র; তারা দুই ভাইয়ের (ন্যায়) একে অন্যের সাহায্যকারী। মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা মুশরিকদের ইসলাম গ্রহনের পরও তাদের কোন আমল কবুল করবেন না যতক্ষন না তারা মুশরিকদের পরিত্যাগ করে মুসলমানদের কাছে এসে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আল্লাহ্‌ তা’আলার নামে যাঞ্চা করার পরও যে না দেয়

২৫৬৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ الْقَارِظِيِّ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ مَنْزِلًا؟» قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «رَجُلٌ آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى يَمُوتَ، أَوْ يُقْتَلَ، وَأُخْبِرُكُمْ بِالَّذِي يَلِيهِ؟» قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي شِعْبٍ يُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَيُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَيَعْتَزِلُ شُرُورَ النَّاسِ، وَأُخْبِرُكُمْ بِشَرِّ النَّاسِ؟» قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «الَّذِي يُسْأَلُ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَا يُعْطِي بِهِ»

ইব্‌ন আব্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করব না? আমরা বললাম কেন নয়? (নিশ্চয়ই) ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! তিনি বললেনঃ সে ঐ ব্যক্তি, যে মহান আল্লাহ্‌র রাস্তায় তাঁর ঘোড়ার লাগাম ধরে বের হয়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে বা শহীদ হয়ে যায়। তার পরবর্তী পর্যায়ের লোকের সংবাদও তোমাদেরকে দেব কি? আমরা বললাম হ্যাঁ; ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! তিনি বললেন, সে হল ঐ ব্যক্তি যে নির্জনে কোন গুহায় থাকে, সেখানে সে সালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং লোকদের অনিষ্ঠ থেকে দূরে সরে থাকে। তোমাদেরকে কি সর্বনিকৃষ্ট লোক সম্পর্কে অবহিত করব? আমরা বললাম, হ্যাঁ; ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! (অবহিত করুন)। তিনি বললেন, সে হল ঐ ব্যক্তি যার কাছে কেও আল্লাহ্‌ তা’আলার নামে (সাহায্য) চায় কিন্তু সে তাকে দান করে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

দাতার সওয়াব প্রসঙ্গে

২৫৭০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رِبْعِيًّا، يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ ظَبْيَانَ، رَفَعَهُ إِلَى أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثَةٌ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَثَلَاثَةٌ يَبْغُضُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، أَمَّا الَّذِينَ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: فَرَجُلٌ أَتَى قَوْمًا فَسَأَلَهُمْ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَمْ يَسْأَلْهُمْ بِقَرَابَةٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ، فَمَنَعُوهُ، فَتَخَلَّفَهُ رَجُلٌ بِأَعْقَابِهِمْ فَأَعْطَاهُ سِرًّا لَا يَعْلَمُ بِعَطِيَّتِهِ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَالَّذِي أَعْطَاهُ، وَقَوْمٌ سَارُوا لَيْلَتَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ النَّوْمُ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِمَّا يُعْدَلُ بِهِ، نَزَلُوا فَوَضَعُوا رُءُوسَهُمْ، فَقَامَ يَتَمَلَّقُنِي، وَيَتْلُو آيَاتِي، وَرَجُلٌ كَانَ فِي سَرِيَّةٍ فَلَقُوا الْعَدُوَّ فَهُزِمُوا، فَأَقْبَلَ بِصَدْرِهِ حَتَّى يُقْتَلَ أَوْ يَفْتَحَ اللَّهُ لَهُ، وَالثَّلَاثَةُ: الَّذِينَ يَبْغُضُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: الشَّيْخُ الزَّانِي، وَالْفَقِيرُ الْمُخْتَالُ، وَالْغَنِيُّ الظَّلُومُ “

আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন তিন ব্যক্তিকে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা পছন্দ করেন এবং তিন ব্যক্তিকে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ অপছন্দ করেন। যাদেরকে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন তারা হলঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কাছে এসে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলার নামে কিছু সাহায্য চায়। সে তার ও তাদের মধ্যকার আত্মীয়তার সম্পর্কের দোহাই দিয়ে সাহায্য চায় না। তারা তাকে কিছু না দিয়েই ফিরিয়ে দেয়। (তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার) পরে তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তার পিছু পিছু যায় এবং তাকে এমনভাবে গোপনে সাহায্য করে যে, তার সাহায্য সম্পর্কে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা এবং সাহায্য গ্রহীতা ছাড়া আর কেউই জানতে পারেনা। আর একদল লোক যারা রাতে সফর করছিল, যখন নিদ্রা তাদের কাছে তার সাথে তুলনায় সমুদয় বস্তু অপেক্ষা প্রিয় হয়ে গেল তখন তারা অবতরন করল এবং তাদের মাথা (বালিশে) রেখে দিল। তখন এক ব্যক্তি জেগে গেল এবং আমার কাছে (আল্লাহ্‌র কাছে) অনুনয়-বিনয় (করে কান্নাকাটি করে দু’আ) করতে লাগল। আর আমার আয়াতসমূহ (কুরআন) তিলাওয়াত করতে লাগল। আর এক ব্যক্তি জিহাদে কোন বাহিনীর সাথে ছিল, তারা শত্রুর মুখোমুখি হয়ে পরাজয় বরণ করল। কিন্তু সে বুক পেতে দিয়ে (সাহসের সাথে) সামনে অগ্রসর হয়ে শহীদ হয়ে গেল অথবা আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে বিজয় দান করলেন। আর যে তিন ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা অপছন্দ করেন তারা হল, বৃদ্ধ ব্যভিচারী, অহংকারী ফকীর এবং অত্যাচারী ধনী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

‘মিসকীন’ এর ব্যাখ্যা

২৫৭১

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْماَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ، وَالتَّمْرَتَانِ، وَاللُّقْمَةُ، وَاللُّقْمَتَانِ، إِنَّ الْمِسْكِينَ الْمُتَعَفِّفُ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ {لَا يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا} [البقرة: 273] “

[حكم الألباني] شاذ بزيادة اقرؤوا

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, একটা দু’টো খেজুর এবং এক দু’ লোকমা খাদ্য যাকে ফিরিয়ে দেয় সে মিসকীন নয় বরং মিসকীন হল যে নিজকে (সওয়াল ভিক্ষা থেকে) বিরত রাখে। যদি তোমাদের ইচ্ছা হয় তাহলে পাঠ কর (এ আয়াত) (আরবি)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২৫৭২

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِهَذَا الطَّوَّافِ الَّذِي يَطُوفُ عَلَى النَّاسِ تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ» قَالُوا: فَمَا الْمِسْكِينُ؟ قَالُوا: «الَّذِي لَا يَجِدُ غِنًى يُغْنِيهِ وَلَا يُفْطَنُ لَهُ، فَيُتَصَدَّقَ عَلَيْهِ وَلَا يَقُومُ فَيَسْأَلَ النَّاسَ»

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এমন ঘুরা-ফিরাকারী ব্যক্তি মিসকীন নয়, যে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরাঘুরি করে এবং এক দু’লোকমা খাদ্য এবং একটা দু’টা (খেজুর তাকে ফিরিয়ে দেয়। (এবং এক দুই খেজুর ও লোকমার জন্য এক দুয়ার থেকে অন্য দুয়ারে ঘুরে বেড়ায়।) তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেন, তাহলে মিসকিন কে? তিনি বললেন, যার এমন সচ্ছলতা নেই যা তাকে পরমুখাপেক্ষী হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এবং তাকে (তার দারিদ্র্য) আঁচ করা যায় না। ফলে তাকে সাদাকাও দেয়া হয় না আর সে এমন অবস্থায় দাঁড়ায় না যাতে লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৩

أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ الْأُكْلَةُ وَالْأُكْلَتَانِ، وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ» قَالُوا: فَمَا الْمِسْكِينُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الَّذِي لَا يَجِدُ غِنًى، وَلَا يَعْلَمُ النَّاسُ حَاجَتَهُ، فَيُتَصَدَّقَ عَلَيْهِ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মিসকীন সে ব্যক্তি নয় যে, এক লোকমা বা দু’ লোকমা এবং একটা-দু’টা খেজুর তাকে ফিরিয়ে দেয়। তাঁরা (সাহাবীরা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! তাহলে মিসকীন কে? তিনি বললেন, যার কোন সহায়-সম্বলও নেই আর লোকেরাও তার অভাবের বিষয়ে জানে না, যাতে তাকে দান-সাদাকা করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৪

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بُجَيْدٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ بُجَيْدٍ – وَكَانَتْ مِمَّنْ بَايَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمِسْكِينَ لَيَقُومُ عَلَى بَابِي فَمَا أَجِدُ لَهُ شَيْئًا أُعْطِيهِ إِيَّاهُ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ لَمْ تَجِدِي شَيْئًا تُعْطِينَهُ إِيَّاهُ، إِلَّا ظِلْفًا مُحْرَقًا، فَادْفَعِيهِ إِلَيْهِ»

আবদুর রহমান ইব্‌ন বুজায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বায়আত গ্রহণকারী (নারী)-দের অন্যতমা ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বললেন যে, কখনো কোন মিসকীন আমার দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়, কিন্তু আমার কাছে তাকে দেয়ার মত তখন কিছুই থাকে না। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন যে, তুমি যদি তাঁকে দেয়ার মত একটি ঝলসানো খুর ব্যতীত আর কিছুই না পাও তবে তাকে তাই দাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

অহংকারী ফকীর

২৫৭৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: الشَّيْخُ الزَّانِي، وَالْعَائِلُ الْمَزْهُوُّ، وَالْإِمَامُ الْكَذَّابُ “

[حكم الألباني] حسن صحيح

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না। বৃদ্ধ ব্যভিচারী, অহংকারী ফকীর এবং মিথ্যাবাদী নেতা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৫৭৬

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَارِمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أَرْبَعَةٌ يَبْغُضُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: الْبَيَّاعُ الْحَلَّافُ، وَالْفَقِيرُ الْمُخْتَالُ، وَالشَّيْخُ الزَّانِي، وَالْإِمَامُ الْجَائِرُ “

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, চার ব্যক্তিকে মহান মহিয়ান আল্লাহ তা‘আলা অপছন্দ করেন ….. অধিকহারে শপথকারী বিক্রেতা, অহংকারী ফকীর, বৃদ্ধ ব্যভিচারী এবং অত্যাচারী শাসক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বিধবার জন্য সাধনাকারীর ফযীলত

২৫৭৭

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيْلِيِّ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «السَّاعِي عَلَى الْأَرْمَلَةِ، وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বিধবা এবং মিসকীনদের জন্য চেষ্টা সাধনাকারী ব্যক্তি আল্লাহ্‌র রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মনোরঞ্জন করার জন্য দান করা

২৫৭৮

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: بَعَثَ عَلِيٌّ وَهُوَ بِالْيَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ بِتُرْبَتِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ: الْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ، وَعُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ، وَعَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ الْعَامِرِيِّ، ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلَابٍ، وَزَيْدٍ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ – وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: صَنَادِيدُ قُرَيْشٍ – فَقَالُوا: تُعْطِي صَنَادِيدَ نَجْدٍ، وَتَدَعُنَا قَالَ: «إِنَّمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ لِأَتَأَلَّفَهُمْ» فَجَاءَ رَجُلٌ كَثُّ اللِّحْيَةِ، مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ، غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ، نَاتِئُ الْجَبِينِ، مَحْلُوقُ الرَّأْسِ، فَقَالَ: اتَّقِ اللَّهَ يَا مُحَمَّدُ، قَالَ: «فَمَنْ يُطِيعُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنْ عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ وَلَا تَأْمَنُونِي»، ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَاسْتَأْذَنَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ، فِي قَتْلِهِ يَرَوْنَ أَنَّهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَقْتُلُونَ أَهْلَ الْإِسْلَامِ، وَيَدَعُونَ أَهْلَ الْأَوْثَانِ، يَمْرُقُونَ مِنَ الْإِسْلَامِ، كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لَأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ»

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আলী (রাঃ) (শাসকরূপে) ইয়ামানে অবস্থানকালে মাটি মিশ্রিত কিছু স্বর্ণ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেগুলো চারজন ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করে দিলেনঃ আকরা’ ইব্‌ন হাবিস হানযালী, উওয়ায়না উবন বদর ফাযারী, আলকামা ইব্‌ন উলাহা ‘আমিরী পরবর্তীতে কিলাবী, এবং যায়দ ত্বায়ী (রাঃ) পরবর্তীতে নাবহানী। তখন কুরায়শ বংশের লোকজন রাগান্বিত হয়ে গেলেন। (রাবী) অন্যত্র বলেছেন …. কুরায়শের সর্দারগণ (রাগান্বিত হলেন)। তারা বললেন যে, আপনি নাজ্‌দের সর্দারদেরকে দিচ্ছেন আর আমাদেরকে বাদ দিচ্ছেন? তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন যে, আমি এরকম করেছি তাদের মনোরঞ্জনের জন্য। এমন সময় ঘন শ্মশ্রু, উত্থিত চোয়াল, কোটরাগত চোখ, উচুঁ ললাট এবং মুন্ডিত মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বলল যে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করুন। তিনি বললেন যে, যদি আমিই মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা‘আলার অবাধ্য হই তাহলে আর কে আল্লাহ্ তা‘আলার বাধ্য হবে? তিনি (আল্লাহ্ তা‘আলা) তো আমাকে পৃথিবীর বাসিন্দাদের ব্যাপারে বিশ্বস্ত সাব্যস্ত করে পাঠিয়েছেন আর তোমরা আমাকে বিশ্বস্ত মনে করছ না? এর পর যে ব্যক্তি চলে গেল এবং উপস্থিত লোকদের একজন তাকে হত্যা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। লোকের ধারণা যে, অনুমতি প্রার্থনাকারী ছিলেন খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রাঃ)। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, এই ব্যক্তির ঔরসে এমন কিছু লোক জন্মগ্রহণ করবে যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে, কিন্ত কুরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা মুসলমানদেরকে হত্যা করবে এবং প্রতিমা পূজারীদেরকে ছেড়ে দেবে। তারা ইসলাম থেকে এরকমভাবে দূরে সরে যাবে, যে রকম তীর (তীর) নিক্ষিপ্ত পশু থেকে পার হয়ে যায়। আমি যদি তাদেরকে পেতাম তাহলে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করতাম, যে রকমভাবে ‘আদ গোত্রের লোকদেরকে হত্যা (ধ্বংস) করা হয়েছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

(পাওনা আদায়ের) যামিনদার ব্যক্তিকে দান করা

২৫৭৯

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ، ح وَأَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ هَارُونَ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ، قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ فِيهَا فَقَالَ: «إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ، إِلَّا لِثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ بِحَمَالَةٍ بَيْنَ قَوْمٍ فَسَأَلَ فِيهَا حَتَّى يُؤَدِّيَهَا، ثُمَّ يُمْسِكَ»

কাবীসা ইব্‌ন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি একজনের পাওনা আদায় করে দেয়ার যামিন হয়েছিলাম। তখন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে আসলাম এবং এব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম। তিনি বললেন, তিন ব্যক্তি ব্যতীত সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। এক ব্যক্তি হলে, যে সমাজের কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার যামিন হয়েছে এবং এব্যাপারে অন্য কারো সাহায্য চায় এবং যাতে (সাহায্য দ্বারা) তা আদায় করে নিতে পারে। এরপর সে (সাহায্য চাওয়া থেকে) বিরত থাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ مُسَاوِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ، قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ: «أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ، فَنَأْمُرَ لَكَ» قَالَ: ثُمَّ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ: رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً، فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ، أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ، وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ، فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ، فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ، وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَشْهَدَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ، أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ، فَمَا سِوَى هَذَا مِنَ الْمَسْأَلَةِ يَا قَبِيصَةُ؟ سُحْتٌ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا “

কাবীসা ইব্‌ন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একজনের পাওনা আদায় করে দেয়ার যামিন হয়েছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর যাহায্য চাইলাম। তিনি বললেন যে, হে কাবীসা! তুমি আমার কাছে সাদাকার কোন মাল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর; তবে (আসলেই) আমি তোমাকে দিয়ে দেয়ার আদেশ দেব। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে কাবীসা! সাদাকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়; যে কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার যামিন হয়, তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে সে জীবন ধারণের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে। যার উপর কোন বিপদ নিপতিত হয় এবং তার ধন-সম্পত্তি সমূলে শেষ করে দেয় তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যাতে তার বিপদ দূর হয়ে যায়। এরপর সে (সাহায্য চাওয়া থেকে) বিরত হয়ে যায় এমন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, সে অভাবগ্রস্ত, তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ, যাতে সে নিজের জীবন ধারণের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে। হে কাবীসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া সুদ (তুল্য হারাম)। যার আহরণকারী তা সুদ (হারাম) রূপে ভক্ষণ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ইয়াতীমকে দান-সাদাকা করা

২৫৮১

أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي هِلَالٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ فَقَالَ: «إِنَّمَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِي، مَا يُفْتَحُ لَكُمْ مِنْ زَهْرَةٍ، وَذَكَرَ الدُّنْيَا، وَزِينَتَهَا» فَقَالَ رَجُلٌ: أَوَ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ؟ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقِيلَ لَهُ: مَا شَأْنُكَ؟ تُكَلِّمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا يُكَلِّمُكَ قَالَ: وَرَأَيْنَا أَنَّهُ يُنْزَلُ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ يَمْسَحُ الرُّحَضَاءَ وَقَالَ: «أَشَاهِدٌ السَّائِلُ إِنَّهُ لَا يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ وَإِنَّ مِمَّا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ، أَوْ يُلِمُّ إِلَّا آكِلَةُ الْخَضِرِ، فَإِنَّهَا أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا امْتَدَّتْ خَاصِرَتَاهَا، اسْتَقْبَلْتَ عَيْنَ الشَّمْسِ فَثَلَطَتْ ثُمَّ بَالَتْ ثُمَّ رَتَعَتْ، وَإِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، وَنِعْمَ صَاحِبُ الْمُسْلِمِ، هُوَ إِنْ أَعْطَى مِنْهُ الْيَتِيمَ، وَالْمِسْكِينَ، وَابْنَ السَّبِيلِ، وَإِنَّ الَّذِي يَأْخُذُهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ، كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ، وَيَكُونُ عَلَيْهِ شَهِيدًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের উপর বসলেন। আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম। তিনি বললেন, আমার পরবর্তীকালে তোমাদের বিজিত পার্থিব ধন-দৌলতের আধিক্যে আমি আশংকিত। (এ প্রসংগে) তিনি দুনিয়া ও তার চাকচিক্যের কথা আলোচনা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, ভাল কি মন্দ (পরিনতি) নিয়ে আসে? তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তাকে (প্রশ্নকারীকে) বলা হল যে, তোমার কি হল, তুমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে কথা বলছ অথচ তিনি তোমার সাথে কথা বলছেন না?(রাবী বলেন) আমরা দেখলাম যে, তখন তাঁর উপর ওহী অবতীর্ণ হচ্ছে। যখন চেতনা ফিরে গেলেন (ওহী অবতীর্ণ হয়ে গেল) তিনি ঘাম মুছতে মুছতে বললেন, প্রশ্নকারী কি উপস্থিত আছে? নিশ্চয়ই ভাল মন্দ নিয়ে আসবে না। তবে দেখ, বসস্ত ঋতু যা জন্মায় তা মেরে ফেলে অথবা মেরে ফেলার উপক্রম করে (অথচ সবুজ ঘাসপাতা একটি উত্তম বস্তু কিন্তু কোন চতুষ্পদ জন্তু যখন তা তা অপরিমিত ভক্ষণ করে তখন বদহজমীর দরুন মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার উপক্রম হয় বা মরেই যায়।) কিন্তু কোন তৃণভোজি জন্তু যখন তা ভক্ষণ করে তখন তার পেট ভরে যায় আর সে সূর্যের আলোর মুখোমুখী হয়ে পায়খানা করে ও পেশাব করে। এরপর চড়ে বেড়ায়। অনুরূপভাবে এ সমস্ত মাল মুসলমানদের জন্য কত উৎকৃষ্ট ও সুস্বাদু এবং উপকারী সাথী, যদি তার থেকে ইয়াতীম মিসকীন এবং মুসাফিরকে দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে ধন-সম্পদ সঞ্চয় করে সে যেন আহার করল কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারল না আর এ ধন-সম্পদ কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আত্নীয়-স্বজনকে দান করা

২৫৮২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعَلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ الرَّائِحِ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الصَّدَقَةَ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ، وَعَلَى ذِي الرَّحِمِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ»

সালমান ইব্‌ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিসকীনকে দান করার মধ্যে শুধু সাদাকা (র সওয়াব রয়েছে) আর আত্নীয়-স্বজনকে দান করা দুটি (সওয়াব রয়েছে) দান করা (র সওয়াব) এবং আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা (র সওয়াব)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৩

أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ زَيْنَبَ، امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنِّسَاءِ: «تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ» قَالَتْ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ خَفِيفَ ذَاتِ الْيَدِ، فَقَالَتْ لَهُ: أَيَسَعُنِي أَنْ أَضَعَ صَدَقَتِي فِيكَ وَفِي بَنِي أَخٍ لِي يَتَامَى، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: سَلِي عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا عَلَى بَابِهِ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهَا: زَيْنَبُ تَسْأَلُ عَمَّا أَسْأَلُ عَنْهُ، فَخَرَجَ إِلَيْنَا بِلَالٌ، فَقُلْنَا لَهُ: انْطَلِقْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلْهُ عَنْ ذَلِكَ، وَلَا تُخْبِرْهُ مَنْ نَحْنُ، فَانْطَلَقَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَنْ هُمَا؟» قَالَ: زَيْنَبُ قَالَ: «أَيُّ الزَّيَانِبِ؟» قَالَ: زَيْنَبُ امْرَأَةُ عَبْدِ اللَّهِ وَزَيْنَبُ الْأَنْصَارِيَّةُ قَالَ: ” نَعَمْ، لَهُمَا أَجْرَانِ: أَجْرُ الْقَرَابَةِ، وَأَجْرُ الصَّدَقَةِ “

যয়নাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ তোমরা সাদাকা কর যদিও তা তোমাদের অলংকারই হোক না কেন। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ্ দরিদ্র ছিলেন, আমি তাঁকে বললাম, আমার সাদাকা আপনাকে এবং আমার ইয়াতীম ভ্রাতুষ্পুত্রদেরকে দেওয়ার অবকাশ আমার আছে কি? আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেন: তুমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা কর। তিনি (যয়নাব রাঃ) বলেন, তখন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে আসলাম, এসে দেখলাম তাঁর দরজার সামনে যয়নাব নামের (আর) একজন আনসারী মহিলা দাঁড়িয়ে আছে এবং আমি যে ব্যাপারে প্রশ্ন করতে এসেছি তিনিও সে ব্যাপারেই প্রশ্ন করছেন। আমাদের কাছে বিলাল (রাঃ) আসলেন, আমরা তাঁকে বললাম যে, আপনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। আর আমরা কারা তা তাঁকে বলবেন না। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তারা কারা? বিলাল (রাঃ) বললেন, যয়নাব। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন্‌ যয়নাব? তিনি বললেন, আবদুল্লাহ্ (রাঃ)–এর স্ত্রী যয়নাব এবং আনসারী যয়নাব। তিনি বললেন, হ্যাঁ; তাদের জন্য দু‘টি (দুই গুণ) সওয়াব রয়েছে, আত্মীয়তার (সম্পর্ক বজায় রাখার) সওয়াব এবং দান করার সওয়াব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ভিক্ষা করা

২৫৮৪

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ يَحْتَزِمَ أَحَدُكُمْ حُزْمَةَ حَطَبٍ عَلَى ظَهْرِهِ فَيَبِيعَهَا خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ رَجُلًا فَيُعْطِيَهُ، أَوْ يَمْنَعَهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তোমাদের কারো এক বোঝা কাঠ সংগ্রহ করে তা নিজ পিঠে বহন করে আনা এবং বিক্রি করা ভিক্ষা করার চেয়ে উত্তম। যে সে কারো কাছে ভিক্ষা চাইবে এবং সে হয়তো তাকে দিবে অথবা দিবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ حَمْزَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَسْأَلُ حَتَّى يَأْتِيَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَيْسَ فِي وَجْهِهِ مُزْعَةٌ مِنْ لَحْمٍ»

হামযা ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সর্বদা ভিক্ষা করে বেড়ায় কিয়ামাতের দিন সে এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার চেহারায় গোশতের কোন টুকরাই থাকবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بِسْطَامَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ تَعْلَمُونَ مَا فِي الْمَسْأَلَةِ، مَا مَشَى أَحَدٌ إِلَى أَحَدٍ يَسْأَلُهُ شَيْئًا»

আইয ইব্‌ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে এসে ভিক্ষা চাইলে তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) তাকে ভিক্ষা দিলেন। যখন সে দরজার চৌকাঠে পা রেখে প্রস্থান করছিল তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি তোমরা ভিক্ষা (র অপকারিতা) সম্পর্কে জানতে তাহলে তোমাদের কেউ কারো কাছে কখনো কোন কিছু ভিক্ষা চাওয়ার জন্য যেতো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নেক্‌কার লোকদের কাছে ভিক্ষা চাওয়া

২৫৮৭

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ مَخْشِيٍّ، عَنْ ابْنِ الْفِرَاسِيِّ، أَنَّ الْفِرَاسِيَّ، قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَسْأَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «لَا وَإِنْ كُنْتَ سَائِلًا، لَا بُدَّ فَاسْأَلِ الصَّالِحِينَ»

ইব্‌ন ফিরাসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ফিরাসী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি কি ভিক্ষা চাইব? তিনি বললেন, না। অগত্যা যদি চাইতেই হয় তবে নেক্‌কার লোকদের কাছে চাইবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ভিক্ষা থেকে আত্মরক্ষা করা

২৫৮৮

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَاسًا مِنَ الْأَنْصَارِ، سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَعْطَاهُمْ، ثُمَّ سَأَلُوهُ، فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى إِذَا نَفِدَ مَا عِنْدَهُ، قَالَ: «مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ، فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ، وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنْ يَصْبِرْ، يُصَبِّرْهُ اللَّهُ، وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً هُوَ خَيْرٌ، وَأَوْسَعُ مِنَ الصَّبْرِ»

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কিছ সংখ্যক আনসারী রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তাদেরকে দিলেন। এরপর তারা আবার চাইলে আবারও দিলেন। এমনিভাবে তাঁর কাছে যা ছিল সব শেষ হয়ে গেলে তিনি বললেন, আমার কাছে কোন সম্পদ থাকলে তা কখনো তোমাদের থেকে সঞ্চয় করে রাখব না। (এখন আমার কাছে আর দেওয়ার মত কিছুই নেই।) যে ব্যক্তি ভিক্ষা থেকে আত্মরক্ষা করতে চায় আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে সুরক্ষিত রাখেন আরে যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করে আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে ধৈর্যধারণ করার তাওফীক দেন। কাউকে ধৈর্য থেকে উত্তম কোন জিনিস দান করা হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৯

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْنٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ حَبْلَهُ فَيَحْتَطِبَ عَلَى ظَهْرِهِ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْتِيَ رَجُلًا أَعْطَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ فَضْلِهِ، فَيَسْأَلَهُ أَعْطَاهُ، أَوْ مَنَعَهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন, তোমাদের কেউ তার রশি নিয়ে এবং কাঠ সংগ্রহ করে তা পিঠে বহন করে আনা তার জন্য এর চেয়ে উত্তম, যে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র দেওয়া ধন-সম্পত্তির অধিকারী কোন ব্যক্তির কাছে এসে তার কাছে ভিক্ষা চাইবে, সে হয়তো ভিক্ষা দিবে নয়তো দেবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে ব্যক্তি মানুষের কাছে কিছুই চায় না তার ফযীলত

২৫৯০

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَضْمَنْ لِي وَاحِدَةً وَلَهُ الْجَنَّةُ» قَالَ يَحْيَى: هَاهُنَا كَلِمَةٌ مَعْنَاهَا أَنْ لَا يَسْأَلَ النَّاسَ شَيْئًا

ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে একটি কথার (প্রতিশ্রুতি দেবে) এ (বিনিময়ের) শর্তে যে, তার জন্য জান্নাত (ওয়াজিব হযে যাবে,) ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেন, এখানে এমন এক বাক্য রয়েছে যার অর্থ এই যে, মানুষের কাছে কোন কিছু চাইবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯১

أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى وَهُوَ ابْنُ حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” لَا تَصْلُحُ الْمَسْأَلَةُ إِلَّا لِثَلَاثَةٍ رَجُلٍ: أَصَابَتْ مَالَهُ جَائِحَةٌ، فَيَسْأَلُ حَتَّى يُصِيبَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ، ثُمَّ يُمْسِكُ، وَرَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً، فَيَسْأَلُ حَتَّى يُؤَدِّيَ إِلَيْهِمْ حَمَالَتَهُمْ، ثُمَّ يُمْسِكُ عَنِ الْمَسْأَلَةِ، وَرَجُلٍ يَحْلِفُ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ ذَوِي الْحِجَا بِاللَّهِ، لَقَدْ حَلَّتِ الْمَسْأَلَةُ لِفُلَانٍ، فَيَسْأَلُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ مَعِيشَةٍ، ثُمَّ يُمْسِكُ عَنِ الْمَسْأَلَةِ، فَمَا سِوَى ذَلِكَ سُحْتٌ “

কাবীসা ইব্‌ন মুখারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছিঃ তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া যথার্থ (বৈধ) নয়। যার সম্পদ বিনাশের শিকার হয়েছে। সে সাহায্য চেয়ে জীবন ধারণের প্রয়োজন মিটাতে পারবে, এরপর (সাহায্য চাওয়া থেকে) বিরত থাকবে। যে কারো পাওনার যামিন হয়েছে। সে সাহায্য চেয়ে সে (পাওনা আদায় করে দেবে, পাওনা আদায় করে দেওয়ার) এরপর (আর সাহায্য চাওয়া থেকে) বিরত থাকবে। আর ঐ ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার সমাজের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি আল্লাহ্‌র নামে কসম করে বলে যে, অমুকের জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ হয়েছে, তাহলে সে সাহায্য চেয়ে জীবন ধারণের প্রয়োজন মিটাবে। এরপর সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবে। এরা ছাড়া (অন্য কেউ যদি সাহায্য চায় তাহলে তা তার জন্য) হারাম হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

স্বচ্ছলতার পরিসীমা

২৫৯২

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَأَلَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ، جَاءَتْ خُمُوشًا، أَوْ كُدُوحًا فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: وَمَاذَا يُغْنِيهِ، أَوْ مَاذَا أَغْنَاهُ؟ قَالَ: «خَمْسُونَ دِرْهَمًا، أَوْ حِسَابُهَا مِنَ الذَّهَبِ» قَالَ يَحْيَى: قَالَ سُفْيَانُ: وَسَمِعْتُ زُبَيْدًا، يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ

আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সাহায্য চায় অথচ তার কাছে এই পরিমাণ মাল আছে যাতে তার প্রয়োজন মিটে যায়, তাহলে তা কিয়ামতের দিন তার মুখে ক্ষত কিংবা আঘাত অবস্থায় উত্থিত হবে। প্রশ্ন করা হল যে, কতটুকু মাল দ্বারা প্রয়োজন মিটে যায়? (‘সচ্ছলতা’ সাব্যস্ত হয়?) তিনি বললেন, পঞ্চাশ দিরহাম বা তার সমপরিমাণ স্বর্ণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

পীড়াপীড়ি করে সাহায্য চাওয়া

২৫৯৩

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُلْحِفُوا فِي الْمَسْأَلَةِ، وَلَا يَسْأَلْنِي أَحَدٌ مِنْكُمْ شَيْئًا، وَأَنَا لَهُ كَارِهٌ، فَيُبَارَكَ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتُهُ»

মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাহায্য চাইতে পীড়াপীড়ি করবে না আর তোমাদের কেউ আমার কাছে এমন জিনিস চাইবে না যা আমি অপছন্দনীয় মনে করি, তাহলে আমি তাকে যা দেব আল্লাহ্ তা‘আলা তাতে বরকত দেবেন এমন হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কাকে পীড়াপীড়িকারী বলা হবে?

২৫৯৪

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ شَابُورَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَأَلَ وَلَهُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا، فَهُوَ الْمُلْحِفُ»

[حكم الألباني] حسن صحيح

আমর ইব্‌ন শু‘আয়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি সাহায্য চায় অথচ তার চল্লিশটি দিরহাম রয়েছে সেই পীড়াপীড়িকারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৫৯৫

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَرَّحَتْنِي أُمِّي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَيْتُهُ وَقَعَدْتُ، فَاسْتَقْبَلَنِي، وَقَالَ: ” مَنِ اسْتَغْنَى: أَغْنَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنِ اسْتَعَفَّ: أَعَفَّهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنِ اسْتَكْفَى: كَفَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنْ سَأَلَ وَلَهُ قِيمَةُ أُوقِيَّةٍ: فَقَدْ أَلْحَفَ، فَقُلْتُ: نَاقَتِي الْيَاقُوتَةُ، خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ فَرَجَعْتُ، وَلَمْ أَسْأَلْهُ “

[حكم الألباني] حسن صحيح

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমার আম্মা আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে পাঠালে আমি তাঁর কাছে আসলাম এবং বসে গেলাম। তিনি আমার দিকে মুখ করে বললেন যে, যে ব্যক্তি (হাত না পেতে) স্বচ্ছলতা প্রকাশ করতে চায় মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে স্বচ্ছলতা দান করেন। আর যে ব্যক্তি কারো কাছে কিছু চাওয়া হতে বাঁচতে চায়, মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে তা হতে বাঁচিয়ে রাখেন (অভাবমুক্ত রাখেন।) আর যে ব্যক্তি যা আছে তা যথেষ্ট মনে করে (অল্পে তুষ্ট থাকতে চায়) মহান মহিয়ান আল্লাহ তা‘আলা তাকে সমাধা করে দেন। (অল্পে তুষ্ট রাখেন)। আর যে ব্যক্তি সাহায্য চায় অথচ তার কাছে এক উকিয়া (চল্লিশটি দিরহাম) আছে তাহলে সে পীড়াপীড়ি করল। আমি মনে মনে বললাম যে, আমার ইয়াকুতা নামক উষ্ট্রীর মূল্য তো চল্লিশ দিরহাম থেকেও বেশি হবে, তাই আমি ফিরে আসলাম এবং তাঁর কাছে কিছুই চাইলাম না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যার নিকট দিরহাম নেই কিন্তু তার সমপরিমাণ (মূল্যের মাল) আছে সে ব্যক্তি প্রসঙ্গে

২৫৯৬

قَالَ الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ: قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ قَالَ: نَزَلْتُ أَنَا وَأَهْلِي، بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَقَالَتْ لِي أَهْلِي: اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلُهُ، فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلًا يَسْأَلُهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ» فَوَلَّى الرَّجُلُ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ، وَهُوَ يَقُولُ: لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُعْطِي مَنْ شِئْتَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَيَغْضَبُ عَلَيَّ أَنْ لَا أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ، مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَلَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عِدْلُهَا، فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا» قَالَ الْأَسَدِيُّ: فَقُلْتُ لَلَقْحَةٌ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّة، وَالْأُوقِيَّةُ: أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا، فَرَجَعْتُ، وَلَمْ أَسْأَلْهُ، فَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ، شَعِيرٌ، وَزَبِيبٌ، فَقَسَّمَ لَنَا مِنْهُ حَتَّى أَغْنَانَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ

আতা ইব্‌ন ইয়সার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি এবং আমার স্ত্রী বকীউল গারকাদ নামক স্থানে আসলাম। আমার স্ত্রী আমাকে বলল যে, তুমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যাও এবং তাঁর কাছে থেকে কিছু নিয়ে আস, আমরা খাব। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম, তখন তাঁর সামনে এমন একজন লোক পেলাম, যে তাঁর কাছে কিছু সাহায্য চাচ্ছিল আর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলছিলেন, আমার কাছে তোমাকে দেওয়ার মত কিছুই নেই। তখন সে ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিল এবং বলছিল যে, আমার জীবনের কসম! আপনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দেবেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার কাছে তাকে দেওয়ার মত কিছুই না থাকার কারণে সে আমার উপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে। তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি সাহায্য চায় অথচ তার কাছে চলএক উকিয়া (দিরহাম) বা তার সমপরিমাণ মূল্যের কোন বস্তু থাকে তবে সে যেন পীড়াপীড়ি করে সাহায্য প্রার্থনা করল। আসাদী ব্যক্তি মনে মনে বলল যে, আমার উষ্ট্রীর মূল্য এক উকিয়া (দিরহাম) থেকেও বেশী হবে। এক উকিয়া হল চল্লিশ দিরহাম। তাই আমি ফিরে আসলাম এবং কোন সাহায্য চাইলাম না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু যব এবং শুষ্ক আঙ্গুর (কিশমিশ) আসলে তিনি তা থেকে আমাদের জন্যও কিছু বণ্টন করে দিলেন। এমনিভাবে মহান মহিয়ান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে অভাবমুক্ত করে (পরমুখাপেক্ষীতা হতে বাঁচিয়ে) দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৭

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ، وَلَا لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ»

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, স্বচ্ছল ব্যক্তির জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ নয় এবং সক্ষম ও সবল ব্যক্তির জন্যও নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

উপার্জনে সক্ষম ও সবল ব্যক্তির সাহায্য চাওয়া প্রসঙ্গে

২৫৯৮

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، أَنَّ رَجُلَيْنِ حَدَّثَاهُ أَنَّهُمَا: أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلَانِهِ مِنَ الصَّدَقَةِ؟ فَقَلَّبَ فِيهِمَا الْبَصَرَ، – وَقَالَ مُحَمَّدٌ: بَصَرَهُ – فَرَآهُمَا جَلْدَيْنِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ شِئْتُمَا، وَلَا حَظَّ فِيهَا لِغَنِيٍّ، وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ»

উবায়দুল্লাহ ইব্‌ন আদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

দু’জন লোক তাঁকে বলেছেন, তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁর কাছে সাদাকা (যাকাত) হতে কিছু সাহায্য চাইলেন। তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, তারা উভয়েই সক্ষম ব্যক্তি। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি তোমরা চাও তবে তোমাদেরকে দেব, কিন্তু স্বচ্ছল ও উপার্জনে সক্ষম ব্যক্তির জন্য এতে কোন অংশ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

শাসনকর্তার নিকট সাহায্য চাওয়া

২৫৯৯

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَسَائِلَ كُدُوحٌ، يَكْدَحُ بِهَا الرَّجُلُ وَجْهَهُ، فَمَنْ شَاءَ كَدَحَ وَجْهَهُ، وَمَنْ شَاءَ تَرَكَ، إِلَّا أَنْ يَسْأَلَ الرَّجُلُ ذَا سُلْطَانٍ، أَوْ شَيْئًا لَا يَجِدُ مِنْهُ بُدًّا»

সামুরা ইব্‌ন জুন্দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাহায্য চাওয়া এমন একটি ক্ষত যদ্বারা মানুষ স্বীয় চেহারাকে বিকৃত করে দেয়। তাই যার ইচ্ছা হয় সে চেহারাকে ক্ষতযুক্ত করুক, আর যার ইচ্ছা হয় সে না করুক। তবে হ্যাঁ; কোন মানুষ শাসনকর্তার নিকট সাহায্য চাইতে পারে অথবা এমন কোন জিনিস সাহায্য চাইতে পারে যা তার একান্ত দরকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

অত্যাবশ্যকীয় জিনিস চাওয়া প্রসঙ্গে

২৬০০

أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَسْأَلَةُ كَدٌّ يَكُدُّ بِهَا الرَّجُلُ وَجْهَهُ، إِلَّا أَنْ يَسْأَلَ الرَّجُلُ سُلْطَانًا، أَوْ فِي أَمْرٍ لَا بُدَّ مِنْهُ»

সামুরা ইব্‌ন জুন্দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাহায্য চাওয়া একটি ক্ষত যা দ্বারা মানুষ স্বীয় চেহারাকে বিকৃত করে দেয়। তবে হ্যাঁ, কোন মানুষ শাসনকর্তার নিকট সাহায্য চাইতে পারে অথবা অত্যাবশ্যকীয় বস্তু চাইতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০১

خْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ، فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ، فَأَعْطَانِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، فَمَنْ أَخَذَهُ بِطِيبِ نَفْسٍ، بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ، لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ، وَلَا يَشْبَعُ، وَالْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى»

হাকীম ইব্‌ন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু সাহায্য চাইলে তিনি আমাকে সাহায্য করলেন। অতঃপর তাঁর কাছে আবারও সাহায্য চাইলে তিনি আবার আমাকে সাহায্য করলেন। এরপর আমি তাঁর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি আমাকে পুনরায় সাহায্য করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরপর বললেন, হে হাকীম! এ সমস্ত ধন-সম্পদ মনোমুগ্ধকর বটে তবে যে ব্যক্তি এগুলো সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হয়, আর যে ব্যক্তি লোভাতুর অন্তরে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে কোন বরকত দেওয়া হয় না, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আহার করে কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না। আর উপরের হাত নীচের হাত(দাতা গ্রহীতার চেয়ে) থেকে উত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০২

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مِسْكِينُ بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ، فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ، فَأَعْطَانِي، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، مَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ، بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ النَّفْسِ، لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ، وَلَا يَشْبَعُ، وَالْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى»

হাকীম ইব্‌ন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু সাহায্য চাইলে তিনি আমাকে সাহায্য করলেন। তাঁর কাছে আবারও কিছু সাহায্য চাইলে তিনি আমাকে কিছু সাহায্য করলেন। পুনরায় সাহায্য চাইলে আমাকে সাহায্য করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে হাকীম! এ সমস্ত ধন-সম্পদ উত্তম এবং উৎকৃষ্ট। যে ব্যক্তি সেগুলো সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হয় আর যে ব্যক্তি তা লোভাতুর অন্তরে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে কোন বরকত দেওয়া হয় না। সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আহার করে কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারে না। আর উপরের হাত(দাতা হাত গ্রহীতা হাত) নীচের হাত থেকে উত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৩

خْبَرَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ، فَأَعْطَانِي، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ حُلْوَةٌ، فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ، بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ، لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ، وَلَا يَشْبَعُ، وَالْيَدُ الْعُلْيَا، خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى» قَالَ حَكِيمٌ: فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا بِشَيْءٍ

হাকীম ইব্‌ন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু সাহায্য চাইলাম। তিনি আমাকে সাহায্য করলেন। আমি তাঁর কাছে আবার কিছু সাহায্য চাইলে তিনি আমাকে আবারও সাহায্য করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে হাকীম! এ সমস্ত ধন-সম্পদ হলো সুস্বাদু (মনোমুগ্ধকর)। যে ব্যক্তি এগুলো সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হয়, আর যে ব্যক্তি এগুলো লোভাতুর অন্তরে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে কোন বরকত দেওয়া হয় না। সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আহার করল কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারল না। আর উপরের হাত নীচের হাত থেকে উত্তম। হাকীম (রাঃ) বলেন, ‘আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহ পাঠিয়েছেন, আপনার (কাছে চাওয়ার) পরে আমি আমার দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত (জীবিত থাকাকালীন) কাউকে ঝামেলা করবনা। (কারো কাছে কিছুই চাইব না।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

চাওয়া ব্যতীত আল্লাহ্ তাআলা যাকে কোন ধন-সম্পদ দান করেন তার প্রসঙ্গে

২৬০৪

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ ابْنِ السَّاعِدِيِّ الْمَالِكِيِّ، قَالَ: اسْتَعْمَلَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْهَا فَأَدَّيْتُهَا إِلَيْهِ، أَمَرَ لِي بِعُمَالَةٍ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّمَا عَمِلْتُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَجْرِي عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: خُذْ مَا أَعْطَيْتُكَ، فَإِنِّي قَدْ عَمِلْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ لَهُ: مِثْلَ قَوْلِكَ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أُعْطِيتَ شَيْئًا مِنْ غَيْرِ أَنْ تَسْأَلَ، فَكُلْ، وَتَصَدَّقْ»

ইব্‌ন সাঈদী মালিকী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রাঃ) আমাকে সাদাকা আদায়কারী রূপে নিযুক্ত করলেন। যখন আমি সাদাকা আদায় করে নিলাম এবং সেগুলো উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রাঃ)-কে দিয়ে দিলাম, তখন তিনি আমাকে কাজের বিনিময় নিতে আদেশ দিলেন। আমি তাঁকে বললাম যে, আমি এ কাজ আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে করেছি আর এর প্রতিদান আমি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে নেব। তিনি বললেন, আমি তোমাকে যা দিচ্ছি তা তুমি নিয়ে নাও। যেহেতু আমিও রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে সাদাকা উসূল করতাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমার মতই বলতাম। কিন্তু তিনি আমাকে বলতেন যে, চাওয়া ব্যতীত আমি তোমাকে কিছু দিলে সেটা নিয়ে নেবে এবং খাবে ও (দান-সাদাকা) করে দেবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৫

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو عُبَيْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ حُوَيْطِبِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّعْدِيِّ، أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مِنَ الشَّامِ فَقَالَ: أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَعْمَلُ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ الْمُسْلِمِينَ، فَتُعْطَى عَلَيْهِ عُمَالَةً، فَلَا تَقْبَلُهَا، قَالَ: أَجَلْ إِنَّ لِي أَفْرَاسًا، وَأَعْبُدًا، وَأَنَا بِخَيْرٍ، وَأُرِيدُ أَنْ يَكُونَ عَمَلِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: إِنِّي أَرَدْتُ الَّذِي أَرَدْتَ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِينِي الْمَالَ، فَأَقُولُ أَعْطِهِ، مَنْ هُوَ أَفْقَرُ إِلَيْهِ مِنِّي، وَإِنَّهُ أَعْطَانِي مَرَّةً مَالًا، فَقُلْتُ لَهُ، أَعْطِهِ، مَنْ هُوَ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنِّي، فَقَالَ: «مَا آتَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ هَذَا الْمَالِ مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ، وَلَا إِشْرَافٍ، فَخُذْهُ، فَتَمَوَّلْهُ، أَوْ تَصَدَّقْ بِهِ، وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ»

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার সিরিয়া থেকে উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে আসলে তিনি তাঁকে বললেন যে, আমি শুনেছি যে, তুমি মুসলমানদের কোন কাজ (যাকাত আদায়) করলে তোমাকে তার পারিশ্রমিক দেওয়া হলে তা তুমি নাকি গ্রহণ কর না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমার কিছু ঘোড়া এবং দাস-দাসী রয়েছে এবং আমি স্বচ্ছল অবস্থায় আছি। তাই আমার ইচ্ছা আমার কাজ মুসলমানদের জন্য সাদাকা স্বরূপ হোক। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি যা মনস্থ করেছ আমিও তাই মনস্থ করেছিলাম, কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সম্পদ (বিনিময়) দিতেন, আমি তাঁকে বলতামঃ যে ব্যক্তি আমার থেকেও বেশী মুখাপেক্ষী আপনি এই মাল তাকেই দিন। তিনি আমাকে একবার কিছু (মাল) দিলে আমি তাঁকে বললাম, এই (মাল) যে আমার থেকে বেশী অভাবী আপনি তাকেই দিন। তিনি বললেন, তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত যে মাল মহান মহিয়ান আল্লাহ তোমাকে দেন তা গ্রহণ করে নেবে এবং ইচ্ছা করলে তা তোমার কাছে রেখে দেবে নয়তো সাদাকা করে দেবে। আর যা তেমন (লোভ বিহীন) নয় তার প্রতি তোমার মনকে ধাবিত করবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৬

أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي خِلَافَتِهِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَلَمْ أُحَدَّثْ أَنَّكَ تَلِي مِنْ أَعْمَالِ النَّاسِ أَعْمَالًا، فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعُمَالَةَ رَدَدْتَهَا فَقُلْتُ بَلَى، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فَمَا تُرِيدُ إِلَى ذَلِكَ، فَقُلْتُ: لِي أَفْرَاسٌ وَأَعْبُدٌ وَأَنَا بِخَيْرٍ، وَأُرِيدُ أَنْ يَكُونَ عَمَلِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: فَلَا تَفْعَلْ فَإِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ مِثْلَ الَّذِي أَرَدْتَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِينِي الْعَطَاءَ، فَأَقُولُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ، أَوْ تَصَدَّقْ بِهِ مَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ، وَلَا سَائِلٍ فَخُذْهُ، وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ»

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার উমর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে তাঁর কাছে গেলেন। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন যে, আমি শুনতে পেলাম তুমি নাকি মুসলমানদের কোন কাজে নিয়োজিত রয়েছো এবং তোমাকে তোমার কাজের পারিশ্রমিক দেওয়া হলে তা তুমি গ্রহণ কর না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন উমর (রাঃ) বললেন, এতে তোমার উদ্দেশ্য কি? আমি বললাম যে, আমার কিছু ঘোড়া এবং দাস-দাসী রয়েছে আর আমি স্বচ্ছল অবস্থায় আছি। তাই আমি চাচ্ছিলাম যে আমার কাজগুলো মুসলমানদের জন্য সাদাকা স্বরূপ হোক। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন যে, তুমি এরূপ করবে না। কেননা তুমি যে রকম চাচ্ছ আমিও সে রকম চাইতাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দান (পারিশ্রমিক) দিলে আমি বলতাম যে, আপনি ইহা আমার থেকে বেশী অভাবীকে দিয়ে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন যে, তুমি এগুলো নিয়ে নাও। ইচ্ছা করলে নিজের কাজে লাগাও নতুবা সাদাকা করে দাও। তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত যে মাল তোমার হস্তগত হয় তা তুমি নিয়ে যাও। (কোন মাল) এভাবে (তোমার হস্তগত) না হলে তার প্রতি আকৃষ্ট হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৭

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، وَإِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ الْحَكَمِ بْنِ نَافِعٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي خِلَافَتِهِ فَقَالَ عُمَرُ: أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَلِي مِنْ أَعْمَالِ النَّاسِ أَعْمَالًا، فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعُمَالَةَ كَرِهْتَهَا، قَالَ: فَقُلْتُ: بَلَى، قَالَ: فَمَا تُرِيدُ إِلَى ذَلِكَ، فَقُلْتُ: إِنَّ لِي أَفْرَاسًا وَأَعْبُدًا، وَأَنَا بِخَيْرٍ وَأُرِيدُ أَنْ يَكُونَ عَمَلِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ عُمَرُ: فَلَا تَفْعَلْ فَإِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ الَّذِي أَرَدْتَ، فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِينِي الْعَطَاءَ، فَأَقُولُ: أَعْطِهِ، أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، حَتَّى أَعْطَانِي مَرَّةً مَالًا، فَقُلْتُ: أَعْطِهِ، أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذْهُ، فَتَمَوَّلْهُ، وَتَصَدَّقْ بِهِ، فَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ، وَلَا سَائِلٍ فَخُذْهُ، وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ»

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার উমর ইব্‌ন খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতকালে তাঁর কাছে আসলেন। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন , আমি শুনতে পেলাম যে, তুমি নাকি মানুষের কাজে নিয়োজিত থাক এবং তার বিনিময় দেওয়া হলে তুমি তা অপছন্দ কর? তিনি বলেন, আমি বললামঃ হ্যাঁ। উমর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এর দ্বারা তোমার উদ্দেশ্য কি?’ আমি বললাম, আমার কিছু ঘোড়া এবং দাস-দাসী রয়েছে আর আমি স্বচ্ছল অবস্থায় রয়েছি। তাই আমি চাচ্ছিলাম যে, আমার কাজগুলো মুসলমানদের জন্য সাদাকা স্বরূপ হোক। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন যে, তুমি এরূপ করবে না। তুমি যে রকম ইচ্ছা করছ আমিও সে রকমই ইচ্ছা করতাম। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিনিময় দিতেন আর আমি বলতাম যে, আপনি এটা আমার চেয়েও বেশী অভাবীদেরকে দিয়ে দিন। তিনি আমাকে একবার কিছু মাল দিলে আমি তাঁকে বললাম যে, আপনি ইহা আমার চেয়েও বেশী অভাবীকে দিয়ে দিন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি এটা নিয়ে নাও; ইচ্ছা করলে নিজের কাজে লাগাও নতুবা সাদাকা করে দাও। আর যে মাল তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত হস্তগত হয়, তুমি তা নিয়ে নেবে অন্যথায় তার পেছনে পড়বে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৮

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِينِي الْعَطَاءَ، فَأَقُولُ: أَعْطِهِ، أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، حَتَّى أَعْطَانِي مَرَّةً مَالًا، فَقُلْتُ لَهُ: أَعْطِهِ، أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، فَقَالَ: «خُذْهُ، فَتَمَوَّلْهُ، وَتَصَدَّقْ بِهِ، وَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ، وَلَا سَائِلٍ، فَخُذْهُ، وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ»

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দান (বিনিময়) দিতেন আর আমি বলতাম, আপনি ইহা আমার চেয়েও বেশী অভাবীদেরকে দিয়ে দিন। এরপর তিনি আমাকে কিছু বিনিময় দিলে আমি তাঁকে বললামঃ আপনি এটা আমার চেয়েও কোন অভাবী ব্যক্তিকে দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তুমি এটা নাও, ইচ্ছা করলে নিজের কাজে ব্যয় কর নতুবা সাদাকা করে দাও। আর তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত কোন মাল যদি তোমার হস্তগত হয় তাহলে তুমি তা নিয়ে নেবে, অন্যথায় তুমি নিজেকে তার মালের পেছনে ধাবিত করবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বংশধরগণকে সাদাকা উসূল করার কাজে নিযুক্ত করা প্রসঙ্গে

২৬০৯

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيِّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ قَالَ: لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، وَالْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُولَا لَهُ: اسْتَعْمِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الصَّدَقَاتِ، فَأَتَى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَنَحْنُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ، فَقَالَ لَهُمَا: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا يَسْتَعْمِلُ مِنْكُمْ أَحَدًا عَلَى الصَّدَقَةِ، قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ، حَتَّى أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَنَا: «إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَةَ، إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ، وَإِنَّهَا لَا تَحِلُّ، لِمُحَمَّدٍ وَلَا لِآلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

আবদুল মুত্তালিব ইব্‌ন রবীআ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা রবীআ ইব্‌ন হারিছ (রাঃ) তাঁকে এবং ফযল ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন যে, আপনারা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যান এবং তাঁকে বলুন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদেরকে সাদাকা উসূল করার জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করুন। আমরা এই অবস্থায় থাকাকালীন হযরত আলী (রাঃ) আসলেন এবং তাদের (আমাদেরকে) বললেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের কাউকেও সাদাকা উসূল করার জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করবেন না। আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন, তখন আমি এবং ফযল (রাঃ) চলে আসলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছালে (এবং নিবেদন করলে) তিনি আমাদেরকে বললেন যে, সাদাকা লোকজনের ধন-সম্পত্তির ময়লা। তাই ইহা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর বংশধরদের জন্য হালাল নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ভাগিনেয় নিজ নিজ পরিবারের সদস্য হিসেবেই পরিগণিত

২৬১০

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي إِيَاسٍ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، أَسَمِعْتَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ» قَالَ: نَعَمْ

শু’বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ ইয়াস (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম- আপনি কি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ভাগিনেয় নিজ নিজ পরিবারের সদস্য হিসাবে পরিগণিত? তখন আবূ ইয়াস (রহঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, (আমি শুনেছি)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১১

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ»

আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, ভাগিনেয় নিজ নিজ পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আযাদকৃত গোলাম নিজ নিজ পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিগণিত

২৬১২

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، عَنْ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اسْتَعْمَلَ رَجُلًا مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَأَرَادَ أَبُو رَافِعٍ أَنْ يَتْبَعَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَحِلُّ لَنَا، وَإِنَّ مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْهُمْ»

আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার মাখযূম গোত্রের এক ব্যক্তিকে সাদাকা উসূল করার জন্য নিযুক্ত করলেন। তখন আবূ রাফি (রাঃ) তাঁর অনুসরণ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, সাদাকা আমাদের জন্য বৈধ নয়। আর কারো আযাদকৃত গোলাম তার পরিবারের সদস্য হিসেবেই পরিগণিত।[১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] আবূ রাফি’ (রাঃ) নবী পরিবারের আযাদকৃত গোলাম ছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাদাকা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য বৈধ নয়

২৬১৩

أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ وَاصِلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا أُتِيَ بِشَيْءٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ؟ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ، لَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ، هَدِيَّةٌ بَسَطَ يَدَهُ»

[حكم الألباني] حسن صحيح

হাযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন হাদিয়া পেশ করা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন যে, এটা হাদিয়া না সাদাকা? সাদাকা বলা হলে তিনি তা খেতেন না আর হাদিয়া বলা হলে তিনি হস্ত প্রসারিত করতেন (খেতেন)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৬১৪

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ فَتُعْتِقَهَا، وَإِنَّهُمُ اشْتَرَطُوا وَلَاءَهَا، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «اشْتَرِيهَا، وَأَعْتِقِيهَا، فَإِنَّ الْوَلَاءَ لِمَنْ أَعْتَقَ» وَخُيِّرَتْ حِينَ أُعْتِقَتْ، وَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَحْمٍ، فَقِيلَ: هَذَا مِمَّا تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَقَالَ: «هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ»، وَكَانَ زَوْجُهَا حُرًّا

حكم الألباني] صحيح دون قوله حر المحفوظ عبد

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বারীরা (রাঃ)-কে খরিদ করে মুক্ত করে দেওয়ার ইচ্ছা করলেন। তাঁর মালিকেরা তাঁর মীরাছ প্রাপ্তির শর্ত আরোপ করলে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একথা জানালেন। তখন তিনি বললেন, তুমি তাকে কিনে মুক্ত করে দাও। কেননা, মুক্তিদাতাই মীরাছের হকদার। আর মুক্তি দেয়া হলে তাকে (পূর্ববর্তী বিয়ে অক্ষুণ্ণ রাখা না রাখার) এখতিয়ার দেওয়া হল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু গোশত আনা হলে তাঁকে বলা হল যে, ইহা বারীরা (রাঃ)-এর সাদাকা হিসাবে প্রাপ্ত গোশত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, “ইহা তার জন্য সাদাকা আর আমার জন্য হাদিয়া।” তার স্বামীও স্বাধীন ব্যক্তি ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাদাকা হস্তান্তরিত হলে ( তার বিধান )

পরিচ্ছেদ

সাদাকা ক্রয় করা প্রসংগে

২৬১৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ: حَمَلْتُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَضَاعَهُ الَّذِي كَانَ عِنْدَهُ، وَأَرَدْتُ أَنْ أَبْتَاعَهُ مِنْهُ، وَظَنَنْتُ أَنَّهُ بَائِعُهُ بِرُخْصٍ، فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «لَا تَشْتَرِهِ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ، فَإِنَّ الْعَائِدَ فِي صَدَقَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ»

আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি একবার আল্লাহ্‌র রাস্তায় বাহনরুপে একটি ঘোড়া দান করলাম। যার কাছে ঘোড়াটি ছিল সে ওটাকে (যত্ন না নিয়ে) নষ্ট (করে দেওয়ার উপক্রম) করলে আমি তার কাছ থেকে ওটা কিনে নিতে মনস্থ করলাম। আমার মনে হল যে, সে তা সস্তা দামেই বিক্রি করে দেবে। এ ব্যাপারে আমি রাসূ্লুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তুমি সেটা খরিদ কর না, যদিও সে তোমাকে তা এক দিরহামেও দিয়ে দেয়। যেহেতু সাদাকা ফিরিয়ে নেয়া ব্যক্তি নিজের বমি পুনরায় আহারকারী কুকুরের সমতুল্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৬

أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ حَمَلَ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَرَآهَا تُبَاعُ، فَأَرَادَ شِرَاءَهَا، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَعْرِضْ فِي صَدَقَتِكَ»

উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার একটি ঘোড়া বাহনরুপে আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান করে দিলেন। এরপর তিনি বিক্রয় হতে দেখে তা ক্রয় করতে চাইলেন (এবং এ ব্যাপারে রাসূ্লুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরামর্শ চাইলে) তিনি (নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন, তুমি তোমার সাদাকায় হস্তক্ষেপ কর না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حُجَيْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ عُمَرَ، تَصَدَّقَ بِفَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَوَجَدَهَا تُبَاعُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَأَرَادَ أَنْ يَشْتَرِيَهُ، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاسْتَأْمَرَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ»

আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমর (রাঃ) (একবার) একটি ঘোড়া মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র রাস্তায় সাদাকা করে দিলেন। তারপর তা বিক্রয় হতে দেখে তা ক্রয় করতে চাইলেন, এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে এসে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যে, তুমি তোমার সাদাকা ঘোড়া ফিরিয়ে নিও না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৮

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرٌ، وَيَزِيدُ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَقَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَمَرَ عَتَّابَ بْنَ أَسِيدٍ أَنْ يَخْرُصَ الْعِنَبَ، فَتُؤَدَّى زَكَاتُهُ زَبِيبًا، كَمَا تُؤَدَّى زَكَاةُ النَّخْلِ تَمْرًا»

[حكم الألباني] حسن الإسناد مرسل

সাঈদ ইব্‌ন মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(একদা) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আত্তাব ইব্‌ন উসায়দ (রাঃ)-কে আঙ্গুরের পরিমাপ করে শুকনা আঙ্গুর (কিশমিশ) দ্বারা তার যাকাত আদায় করতে বললেন, যেরূপ খেজুরের যাকাত শুকনা খেজুর দ্বারা আদায় করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য