নাসায়ী হজ্জের বিধিবিধান সমূহ অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ২৯৭১ – ৩০৮৪

পরিচ্ছেদ

সাফায় দাঁড়াবার স্থান

২৯৭১

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا جَابِرٌ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَقِيَ عَلَى الصَّفَا، حَتَّى إِذَا نَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ كَبَّرَ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফায় আরোহণ করে যখন তিনি বায়তুল্লাহ্‌ দেখতে পান তখন তাকবীর বলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাফা পাহাড়ে তাকবীর বলা

২৯৭২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إِذَا وَقَفَ عَلَى الصَّفَا يُكَبِّرُ ثَلَاثًا، وَيَقُولُ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ» يَصْنَعُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَيَدْعُو، وَيَصْنَعُ، عَلَى الْمَرْوَةِ مِثْلَ ذَلِكَ “

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফায় (পাহাড়ে) আরোহণ করে তিনবার তাকবীর (আল্লাহু আকবর) বলেন। এরপর তিনি বলেন : (আরবী)১। তিনি এইরূপ তিনবার বলেন, পরে দু’আ করেন। মারওয়া পাহাড়েও তিনি এইরূপ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, এবং তিনি সব কিছুতে ক্ষমতাবান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাফা পাহাড়ে ‘তাহ্‌লীল’ করা

২৯৭৩

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ، يُحَدِّثُ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «ثُمَّ وَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الصَّفَا يُهَلِّلُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَيَدْعُو بَيْنَ ذَلِكَ»

জাফর ইব্‌ন মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির (রাঃ) কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হজ্জ সম্বন্ধে বলতে শুনেছেন : তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফায় আরোহণ করে (‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’ পড়েন) এবং এর মাঝে দু’আ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাফার উপর যিকির এবং দু’আ করা

২৯৭৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: ” طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا رَمَلَ مِنْهَا ثَلَاثًا، وَمَشَى أَرْبَعًا، ثُمَّ قَامَ عِنْدَ الْمَقَامِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، وَقَرَأَ: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125]، وَرَفَعَ صَوْتَهُ يُسْمِعُ النَّاسَ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَاسْتَلَمَ، ثُمَّ ذَهَبَ، فَقَالَ: ” نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ، فَبَدَأَ بِالصَّفَا، فَرَقِيَ عَلَيْهَا حَتَّى بَدَا لَهُ الْبَيْتُ وَقَالَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَكَبَّرَ اللَّهَ وَحَمِدَهُ، ثُمَّ دَعَا بِمَا قُدِّرَ لَهُ، ثُمَّ نَزَلَ مَاشِيًا حَتَّى تَصَوَّبَتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْمَسِيلِ، فَسَعَى حَتَّى صَعِدَتْ قَدَمَاهُ، ثُمَّ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ، فَصَعِدَ فِيهَا، ثُمَّ بَدَا لَهُ الْبَيْتُ، فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، قَالَ: ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ ذَكَرَ اللَّهَ وَسَبَّحَهُ وَحَمِدَهُ، ثُمَّ دَعَا عَلَيْهَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ فَعَلَ هَذَا حَتَّى فَرَغَ مِنَ الطَّوَافِ “

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতবার বায়তুল্লাহ্‌র তাওয়াফ করেন, এতে তিনবার রমল করেন এবং চারবার সাধারনভাবেই হাঁটেন। তারপর মাকামে ইবরাহীমের কাছে দাঁড়িয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন এবং পড়েন : (আরবি) এ সময় তিনি লোকদেরকে শোনাবার জন্য উচ্চকণ্ঠে পড়েন। এরপর সেখান থেকে এসে তিনি হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ ও চুম্বন করেন। তারপর সাফার দিকে গমন করেন এবং বলেন : আমরা তা হতে আরম্ভ করবো, আল্লাহ্‌ যা হতে আরম্ভ করেছেন। এরপর তিনি সাফা হতে আরম্ভ করেন এবং উপর আরোহণ করেন। সেখান থেকে বায়তুল্লাহ্‌ দেখতে পেলেন এবং তিনি তিনবার বলেন : (আরবি) এরপর তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ বলেন এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা করেন। এরপর তাঁর জন্য যা (তাকদীর) নির্ধারিত ছিল তিনি তা দিয়ে দু’আ করেন। পরে তিনি পায়ে হেঁটে নেমে আসেন এবং উপত্যকার নিম্নভূমিতে তাঁর দু’পা স্থির হতে থাকল। তিনি দ্রুত হেঁটে চলেন, যাতে তাঁর দুই পা ঊর্ধ্বগামী হয়। পরে তিনি মারওয়া পাহাড়ে আরোহণ করেন। এখানেও বায়তুল্লাহ্‌ তাঁর দৃষ্টিগোচর হয়। এখানেও তিনি তিনবার বলেন : (আরবি) এরপর তিনি আল্লাহ্‌কে স্মরণ করেন, (সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ বলেন)। এখানে তিনি আল্লাহ্‌র ইচ্ছানুযায়ী দু’আ করলেন। দু’আ করেন এবং এভাবে তিনি তাওয়াফ শেষ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

বাহনে আরোহণ করে সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ (সা’ঈ) করা

২৯৭৫

أَخْبَرَنِي عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: «طَافَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى رَاحِلَتِهِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِيَرَاهُ النَّاسُ، وَلِيُشْرِفَ، وَلِيَسْأَلُوهُ إِنَّ النَّاسَ غَشُوهُ»

আবূ যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন : নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে বাহনের উপর থেকে বায়তুল্লাহ্‌ তাওয়াফ করেন এবং সাফা ও মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করেন, যেন লোকে তাঁকে দেখতে পায় এবং তিনি উপর থেকে অবলোকন করেন। যেন প্রশ্নকারীগণ তাঁর কাছে প্রশ্ন করতে পারেন। কেননা লোকেরা তাঁকে পরিবেষ্টিত করে রেখেছিল (অনেক ভিড় ছিল)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাফা ও মারওয়ার মধ্যে হেঁটে চলা

২৯৭৬

أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ جُمْهَانَ، قَالَ: رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَمْشِي بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَالَ: «إِنْ أَمْشِي فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي، وَإِنْ أَسْعَى فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْعَى»

কাসীর ইব্‌ন জুমহান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইব্‌ন উমর (রাঃ) -কে দেখেছি তিনি সাফা ও মারওয়ার মধ্যস্থলে হাঁটছেন। তিনি বলেন : যদি আমি হেঁটে চলি, তা এজন্য যে, আমি রাসুলুলাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে হাঁটতে দেখেছি। আর যদি আমি দ্রুত ছুটে চলি (সা’ঈ করি), তা এজন্য যে, আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দ্রুত ছুটে চলতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৭৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ ذَكَرَ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: وَأَنَا شَيْخٌ كَبِيرٌ

সাঈদ ইব্‌ন জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে দেখেছি, এরপর তিনি পূর্ব হাদীসের মত উল্লেখ করেন। তবে তিনি (অতিরিক্ত) বলেন : আমি তখন ছিলাম বৃদ্ধ ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাফা ও মারওয়ার মধ্যস্থলে রমল করা

২৯৭৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: سَأَلُوا ابْنَ عُمَرَ هَلْ رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَلَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ؟ فَقَالَ: «كَانَ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَرَمَلُوا، فَلَا أُرَاهُمْ، رَمَلُوا إِلَّا بِرَمَلِهِ»

[حكم الألباني] ضعيف الإسناد

যূহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : লোকেরা ইব্‌ন উমর (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলেন : আপনি কি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সাফা ও মারওয়ার মধ্যস্থলে রমল করতে দেখেছেন? তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন একদল লোকের মধ্যে এবং তাঁরা সকলেই রমল করেন। আমি মনে করি, তাঁরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রমলের অনুকরণেই রমল করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’ঈ করা

২৯৭৯

أَخْبَرَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «إِنَّمَا سَعَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، لِيُرِيَ الْمُشْرِكِينَ قُوَّتَهُ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’ঈ করেন মুশরিকদেরকে তাঁর (ও সাহাবীদের) শক্তি প্রদর্শনের জন্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নিম্ন সমতলে সা’ঈ করা

২৯৮০

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنِ امْرَأَةٍ قَالَتْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَسْعَى فِي بَطْنِ الْمَسِيلِ، وَيَقُولُ: «لَا يُقْطَعُ الْوَادِي إِلَّا شَدًّا»

কুতায়বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক মহিলা থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উপত্যকার নিম্ন সমতলে১ সা’ঈ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের ঢালের মধ্যবর্তী নিম্ন সমতলকে ‘বাতনুল মাসীল’ করতে দেখেছি। তিনি বলছিলেন : এই উপত্যকা দ্রুতগতিতে অতিক্রম করতে হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের ঢালের মধ্যবর্তী নিম্ন সমতলকে ‘বাতনুল মাসীল’ (ঢলের পানি চলার নিম্নভুমি) বলা হয়েছে। সা’ঈ করার সময় এ স্থানটুকু দ্রুত অতিক্রম করতে হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

হেঁটে চলার স্থান

২৯৮১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إِذَا نَزَلَ مِنَ الصَّفَا، مَشَى حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي سَعَى حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ»

জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাফা থেকে অবতরন করতেন তখন (স্বাভাবিক) হাঁটতেন, এমনকি তাঁর পদদ্বয় উপত্যকার নিম্নভুমিতে অবতরিত হলে তিনি সা’ঈ করে তা পার হতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

রমলের স্থান

২৯৮২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «لَمَّا تَصَوَّبَتْ قَدَمَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَطْنِ الْوَادِي، رَمَلَ حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পদদ্বয় উপত্যকার নিম্নভাগে পৌছলে, তখন তিনি রমল (সা’ঈ) করতে করতে তা পার হয়ে যান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৩

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا جَابِرٌ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَزَلَ يَعْنِي عَنِ الصَّفَا حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي الْوَادِي، رَمَلَ حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবতরন করেন অর্থাৎ সাফা হতে। যখন তাঁর পদযুগল উপত্যকায় (নিম্নভুমিতে) অবতরণ করে, তখন তিনি রমল করেন। আর যখন তিনি উপরে (মারওয়া) আরোহণ করেন, তখন তিনি (স্বাভাবিকভাবে) হেঁটে চলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মারওয়ার উপর অবস্থানের স্থান

২৯৮৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ” أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَرْوَةَ، فَصَعِدَ فِيهَا، ثُمَّ بَدَا لَهُ الْبَيْتُ فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، قَالَ: ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ «ثُمَّ ذَكَرَ اللَّهَ وَسَبَّحَهُ، وَحَمِدَهُ، ثُمَّ دَعَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ فَعَلَ هَذَا حَتَّى فَرَغَ مِنَ الطَّوَافِ»

জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মারওয়ায় এসে তার উপর আরোহণ করেন। তারপর বায়তুল্লাহ্‌ তাঁর দৃষ্টিগোচর হলো। তখন তিনি তিনবার বলেন : (আরবি) এরপর তিনি আল্লাহ্‌কে স্মরণ (যিকির) করেন, সুবহানাল্লাহ ও আল-হামদুলিল্লাহ বলেন। তারপর তিনি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা অনুযায়ী দু’আ করেন এবং এভাবে তিনি তাওয়াফ সম্পন্ন করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মারওয়ার উপর তাকবীর বলা

২৯৮৫

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ ” أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ إِلَى الصَّفَا فَرَقِيَ عَلَيْهَا حَتَّى بَدَا لَهُ الْبَيْتُ، ثُمَّ وَحَّدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَبَّرَ، وَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ، عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، ثُمَّ مَشَى حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ، سَعَى حَتَّى إِذَا صَعِدَتْ قَدَمَاهُ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ فَفَعَلَ عَلَيْهَا كَمَا فَعَلَ عَلَى الصَّفَا حَتَّى قَضَى طَوَافَهُ “

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফার দিকে গেলেন এবং তাতে আরোহণ করলেন। এরপর বায়তুল্লাহ তাঁর দৃষ্টিগোচর হলো। এরপর তিনি মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র তাওহীদ বর্ণনা করলেন এবং তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা (তাকবীর পাঠ) করলেন। তিনি বললেন : (আরবি) এরপর তিনি চলতে লাগলেন যখন তাঁর পদদ্বয় (উপত্যকাতে সমতলে) নামলো তখন সাঈ করলেন। যখন উপত্যকা থেকে উপরে উঠে এলো, তখন তিনি হেঁটে মারওয়ায় পৌঁছলেন। তিনি এখানেও তাই করলেন, যা তিনি সাফায় করেছিলেন। এভাবে তিনি তাঁর তাওয়াফ সম্পন্ন করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কিরান ও তামাত্তু হজ্জকারী সাফা ও মারওয়ায় কয়টি সাঈ করবে?

২৯৮৬

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ: «لَمْ يَطُفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ إِلَّا طَوَافًا وَاحِدًا»

আবূ যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফা ও মারওয়ার মধ্যে একবারের বেশি তাওয়াফ (সাঈ) করেন নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] অর্থাৎ হজ্জ ও উমরার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সা’ঈ করেন নি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

উমরা আদায়কারী কোথায় চুল কাটবে?

২৯৮৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَّ طَاوُسًا، أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، «أَنَّهُ قَصَّرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصٍ فِي عُمْرَةٍ عَلَى الْمَرْوَةِ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একবারের উমরায় মারওয়া পাহাড়ের উপরে তাঁর চুল কাঁচি দিয়ে কেটেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: «قَصَّرْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَرْوَةِ بِمِشْقَصِ أَعْرَابِيٍّ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমি মারওয়ায় রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল কেটেছি এক বেদুইনের কাঁচি দিয়ে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কিরূপে চুল কাটবে?

২৯৮৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: «أَخَذْتُ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصٍ كَانَ مَعِي بَعْدَ مَا طَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ» قَالَ: قَيْسٌ وَالنَّاسُ يُنْكِرُونَ هَذَا عَلَى مُعَاوِيَةَ

[حكم الألباني] شاذ

মূআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুলের চারদিক থেকে কেটেছি, আমার কাছে বিদ্যমান একটি কাঁচি দিয়ে তাঁর বায়তুল্লাহ্‌র তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সাঈ-এর পর যিলহাজ্জ মাসের (প্রথম) দশকে। কায়স (রহঃ) বলেন, লোকেরা মুআবিয়া (রাঃ)-এর এ বিষয়টিতে আপত্তি প্রদান করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] কারণ বিদায় হজ্জে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনাতেই ইহ্‌রাম থেকে হালাল হয়েছিলেন। সম্ভবত অন্য কোন উমরার পর মুআবিয়া (রাঃ) এইরূপ করেছিলেন। সময়ের বর্ণনায় ভ্রান্তি রয়েছে। হাশিয়াতুল জাদীদা। -অনুবাদক। ৮ম হিজরীতে জি’ইররানা থেকে ইহ্‌রাম বেঁধে উমরায় মু’আবিয়া (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল কেটে ছিলেন – সম্পাদক।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে হজ্জের ইহ্‌রাম বেঁধেছে এবং ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) সাথে এনেছে, তার কী করনীয়

২৯৯০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، عَنْ يَحْيَى وَهُوَ ابْنُ آدَمَ عَنْ سُفْيَانَ وَهُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا نُرَى إِلَّا الْحَجَّ، قَالَتْ: فَلَمَّا أَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُقِمْ عَلَى إِحْرَامِهِ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ، فَلْيَحْلِلْ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমরা হজ্জের নিয়্যতেই রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হই। যখন তিনি বায়তুল্লাহ্‌র তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করেন, তখন বললেন : যার সাথে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) রয়েছে, সে তার ইহরামে স্থির থাকবে। আর যার সাথে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) নেই, সে হালাল হয়ে যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে ব্যক্তি উমরার ইহ্‌রাম বেঁধেছে এবং ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) সঙ্গে এনেছে সে কি করবে?

২৯৯১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَأَهْدَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَلَمْ يُهْدِ فَلْيَحْلِلْ، وَمَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَأَهْدَى فَلَا يَحِلَّ، وَمَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةِ فَلْيُتِمَّ حَجَّهُ» قَالَتْ عَائِشَةُ: وَكُنْتُ مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমরা বিদায় হজ্জে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হই। আমাদের মধ্যে কেউ তো হজ্জের ইহ্‌রাম করে, আর কেউ কেউ উমরার ইহ্‌রাম করে এবং ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) সঙ্গে নেয়। রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : যে উমরার ইহ্‌রাম করেছে, আর কুরবানীর পশু সাথে আনেনি, সে হালাল হয়ে যাবে। আর যে উমরার ইহ্‌রাম করেছে ও ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) সঙ্গে এনেছে, সে হালাল হবে না। আর যে হজ্জের ইহ্‌রাম করেছে সে তার হজ্জ পূর্ণ করবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন : আমি ঐ সকল লোকের মধ্যে ছিলাম, যারা উমরার ইহ্‌রাম করেছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯২

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ: قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ، فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَحْلِلْ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُقِمْ عَلَى إِحْرَامِهِ» قَالَتْ: ” وَكَانَ مَعَ الزُّبَيْرِ هَدْيٌ، فَأَقَامَ عَلَى إِحْرَامِهِ، وَلَمْ يَكُنْ مَعِي هَدْيٌ فَأَحْلَلْتُ، فَلَبِسْتُ ثِيَابِي وَتَطَيَّبْتُ مِنْ طِيبِي، ثُمَّ جَلَسْتُ إِلَى الزُّبَيْرِ فَقَالَ: اسْتَأْخِرِي عَنِّي، فَقُلْتُ: أَتَخْشَى أَنْ أَثِبَ عَلَيْكَ “

আসমা বিন্‌ত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমরা হজ্জের ইহ্‌রাম করে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা মক্কার নিকটবর্তী হলে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : যার সাথে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) নেই, সে যেন হালাল হয়ে যায়, আর যার সাথে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) রয়েছে, সে তার ইহ্‌রামের উপর স্থির থাকবে। আসমা (রাঃ) বলেন : যুবায়র (রাঃ)-এর সাথে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) থাকায় তিনি তাঁর ইহ্‌রামে স্থির থাকেন। আর আমার সাথে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) না থাকায় আমি হালাল হয়ে যাই। আমি আমার পোশাক পরিধান করি, সুগন্ধি ব্যবহার করি এবং যুবায়র (রাঃ)-এর কাছে বসি। তিনি বললেন : আমার থেকে দূরে থাক। আমি বলি : তুমি কি ভয় করছ যে, আমি তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বো?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ইয়াওমুত্‌ তারবিয়া১ – এর আগে খুতবা

২৯৯৩

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى أَبِي قُرَّةَ مُوسَى بْنِ طَارِقٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ رَجَعَ مِنْ عُمْرَةِ الْجِعِرَّانَةِ بَعَثَ أَبَا بَكْرٍ عَلَى الْحَجِّ فَأَقْبَلْنَا مَعَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْعَرْجِ ثَوَّبَ بِالصُّبْحِ، ثُمَّ اسْتَوَى لِيُكَبِّرَ فَسَمِعَ الرَّغْوَةَ خَلْفَ ظَهْرِهِ، فَوَقَفَ عَلَى التَّكْبِيرِ، فَقَالَ: هَذِهِ رَغْوَةُ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَدْعَاءِ، لَقَدْ بَدَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجِّ فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُصَلِّيَ مَعَهُ، فَإِذَا عَلِيٌّ عَلَيْهَا، فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: أَمِيرٌ أَمْ رَسُولٌ؟ قَالَ: لَا بَلْ رَسُولٌ، أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَرَاءَةَ أَقْرَؤُهَا عَلَى النَّاسِ فِي مَوَاقِفِ الْحَجِّ، فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمٍ، قَامَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا، ثُمَّ خَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ، حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا، ثُمَّ كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَأَفَضْنَا، فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو بَكْرٍ خَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ إِفَاضَتِهِمْ، وَعَنْ نَحْرِهِمْ، وَعَنْ مَنَاسِكِهِمْ، فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلُ، قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ كَيْفَ يَنْفِرُونَ، وَكَيْفَ يَرْمُونَ، فَعَلَّمَهُمْ مَنَاسِكَهُمْ، فَلَمَّا فَرَغَ، قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ بَرَاءَةٌ عَلَى النَّاسِ حَتَّى خَتَمَهَا ” قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: ” ابْنُ خُثَيْمٍ، لَيْسَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ، وَإِنَّمَا أَخْرَجْتُ هَذَا لِئَلَّا يُجْعَلَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ وَمَا كَتَبْنَاهُ إِلَّا عَنْ إِسْحَقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، لَمْ يَتْرُكْ حَدِيثَ ابْنِ خُثَيْمٍ، وَلَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِلَّا أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ، قَالَ: ابْنُ خُثَيْمٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ، وَكَأَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ خُلِقَ لِلْحَدِيثِ “

[حكم الألباني] ضعيف الإسناد

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরা করে জিইররানা নামক স্থানে ফিরে আসার পরে (হজ্জের সময়) আবূ বকর (রাঃ) -কে হজ্জের আমীর নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে আসলাম। যখন ‘আরজ’ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন সকাল হলে তিনি তাকবীর বলার জন্য প্রস্তুত হলেন। এমন সম্যে তাঁর পেছনে উটের ডাক শুনতে পেয়ে তিনি তাকবীর না দিয়ে বললেন : এতো রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উটনী জাদ’আর ডাক। হয়তো রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জের ব্যাপারে নতুন কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। হয়তো রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাশরীফ এনেছেন, আমরা তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করবো। হঠাৎ দেখা গেল এর আরোহী হলেন আলী (রাঃ)। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন : আপনি কি আমীর (হিসেবে এসেছেন), না ‘দূত’ (হিসেবে)। তিনি বললেন : আমি দূত (হিসেবে এসেছি)। রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সূরা (তাওবা বা) বারাআত সহ প্রেরণ করেছেন। আমি হজ্জের বিভিন্ন অবস্থান কেন্দ্রে লোকদের তা শুনাব। আমরা মক্কায় আগমন করলাম। যিলহাজ্জের ৮ তারিখের একদিন পূর্বে আবূ বকর (রাঃ) লোকের সামনে দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন এবং তাদেরকে হজ্জের আহ্‌কাম শুনালেন। তিনি তাঁর খুতবা শেষ করলে আলী (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং তিনি লোকের মধ্যে (সূরা) বারাআত পাঠ করে শুনালেন এবং তা শেষ করলেন। পরে আমরা তাঁর সঙ্গে বের হলাম। যখন আরাফার দিন উপস্থিত হলো, তখন আবূ বকর (রাঃ) লোকের মধ্যে দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন। তাদের কাছে হজ্জের আহ্‌কাম বর্ণনা করলেন। যখন তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন, তখন আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে লোকের মধ্যে (সূরা) বারাআত পাঠ করে শুনালেন। এরপর দশ তারিখ (কুরবানীর দিন) আসলে আমরা মুযদালিফা থেকে ইফাযা (প্রস্থান) করলাম। আবূ বকর (রাঃ) ফিরে এসে লোকের মধ্যে খুতবা দিলেন। তাতে তিনি ‘ইফাযা’ ও কুরবানীর আহ্‌কাম এবং হজ্জের আহ্‌কাম বর্ণনা করলেন। তিনি যখন খুতবা শেষ করলেন, তখন আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে লোকের মধ্যে বারাআতের ঘোষণা শুনালেন, এবং তা (সূরা বারাআত শুনানো) শেষ করলেন। প্রথম নফরের দিন১ আসলে আবূ বকর (রাঃ) লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন; কিরূপে নফর বা দেশের পথে যাত্রা করতে হবে এবং রমী (কংকর নিক্ষেপ) করতে হবে সে সমস্ত আহ্‌কাম তাদেরকে শিক্ষা দিলেন। তিনি খুতবা শেষ করলে আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে লোকের নিকট সূরা বারাআত পড়ে শুনালেন এবং তা শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন।

আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, ইব্‌ন খুশায়ম (রহঃ) হাদীস বর্ণনায় তেমন শক্তিশালী নন। আমি ইব্‌ন জুরায়জ (রহঃ) আবু যুবায়র (রহঃ) থেকে’ এ সনদে বর্ণনা না করে ইব্‌ন জুরায়জ (রহঃ) ইব্‌ন খুশায়ম (রহঃ) থেকে, তিনি আবূ যুবায়র (রাঃ)’ এ সনদে রেওয়ায়ত বর্ণনা করেছি। কেননা প্রথমোক্ত সনদে ইব্‌ন জুরায়জ (রহঃ) ও আবূ যুবায়র (রহঃ)-এর মধ্যের একজন রাবী বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাকে উসূলে হাদীসের ভাষায় মুনকাতি’ (আরবী) বলা হয়। আমি এ হাদিসটি ইসহাক ইব্‌ন রাহওয়াই ইব্‌ন ইবরাহীম (রহঃ) সুত্রে লিপিবদ্ধ করেছি। ইয়াহ্‌ইয়া ইব্‌ন সাঈদ আল-কাত্তান (রহঃ) ইব্‌ন খুশায়ম (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা বাদ দেননি। আর আবদুর রহমান থেকেও না। তবে আলী ইব্‌ন মাদীনী (রহঃ) ইব্‌ন খুশায়ম (রহঃ) -কে ‘মুনকারুল হাদীস’১ বলে মন্তব্য করেছেন। আর আলী ইব্‌ন মাদীনী (রহঃ) তাঁর সৃষ্টি হাদীস শাস্ত্রের জন্যেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] আইয়্যামে-ই-তাশরীকের দ্বিতীয় দিন

[১] মুনকার : কোন দুর্বল রাবীর বর্ণিত হাদীস অপর কোন মকবূল (গ্রহণযোগ্য) রাবীর বর্ণিত হাদীসের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হলে তাকে বলে ‘মুনকার’। এরূপ বর্ণনাকারী রাবীকে ‘মুনকারুল হাদীস’ বলা হয়। বুখারী শরীফ বাংলা অনুবাদ-এর ভুমিক, ই.ফা. বা থেকে প্রকাশিত। -অনুবাদক

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

তামাত্তু’ হজ্জকারী ব্যক্তি হজ্জের ইহ্‌রাম কখন করবে?

২৯৯৪

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحِلُّوا وَاجْعَلُوهَا عُمْرَةً» فَضَاقَتْ بِذَلِكَ صُدُورُنَا، وَكَبُرَ عَلَيْنَا، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَحِلُّوا، فَلَوْلَا الْهَدْيُ الَّذِي مَعِي لَفَعَلْتُ مِثْلَ الَّذِي تَفْعَلُونَ»، فَأَحْلَلْنَا حَتَّى وَطِئْنَا النِّسَاءَ، وَفَعَلْنَا مَا يَفْعَلُ الْحَلَالُ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ، وَجَعَلْنَا مَكَّةَ بِظَهْرٍ لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ “

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : যিলহাজ্জ মাসের চারদিন অতীত হওয়ার পর আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে (মক্কায়) আগমন করলাম। রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : তোমরা হালাল হয়ে যাও এবং একে ‘উমরা গণ্য কর। এতে আমাদের অন্তর সংকুচিত হলো এবং আমাদের কাছে তা ভারী মনে হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এ সংবাদ পৌছলে তিনি বললেন : হে লোকেরা! তোমরা হালাল হয়ে যাও, আমার নিকট যে ‘হাদী’ (কুরবানীর পশু) রয়েছে, যদি তা না থাকতো তাহলে তোমরা যা করছ আমিও তা করতাম (হালাল হয়ে যেতাম)। এরপর আমরা হালাল হয়ে গেলাম এবং স্ত্রী সহবাসও করলাম। হালাল ব্যক্তি যা যা করে আমরাও তাই করলাম। যখন ‘তারবিয়ার’ দিন [২] আসলো তখন আমরা মক্কাকে পেছনে রেখে (মিনার উদ্দেশ্যে রওনা করে) আমরা হজ্জের তাল্‌বিয়া পড়লাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২] যুলহিজ্জার ৮ম দিন -অনুবাদক

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মিনা সম্বন্ধে আলোচনা

২৯৯৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عِمْرَانَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: عَدَلَ إِلَيَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَأَنَا نَازِلٌ، تَحْتَ سَرْحَةٍ بِطَرِيقِ مَكَّةَ، فَقَالَ: مَا أَنْزَلَكَ تَحْتَ هَذِهِ الشَّجَرَةِ؟ فَقُلْتُ: أَنْزَلَنِي ظِلُّهَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِذَا كُنْتَ بَيْنَ الْأَخْشَبَيْنِ مِنْ مِنًى، وَنَفَخَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ، فَإِنَّ هُنَاكَ وَادِيًا يُقَالُ لَهُ السُّرَّبَةُ – وَفِي حَدِيثِ الْحَارِثِ، يُقَالُ لَهُ: السُّرَرُ – بِهِ سَرْحَةٌ سُرَّ تَحْتَهَا سَبْعُونَ نَبِيًّا “

ইমরান আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) আমার কাছে আসলেন, তখন আমি মক্কার পথে একটি গাছের নীচে অবস্থানরত ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন : আপনাকে এ গাছের নীচে কিসে অবতরণ করালো? আমি বললাম : এর ছায়া আমকে এখানে অবতরণ করতে আকৃষ্ট করেছে। তখন আবদুল্লাহ বললেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যখন তুমি মিনার দুটি পাহাড়ের মধ্যস্থলে থাকবে এবং তিনি তাঁর হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারা করলেন, তখন সেখানে একটি উপত্যকা দেখতে পাবে। যাকে ‘সুররাবাহ’ বলা হয় — হারিসের বর্ণনায় আছে একে ‘সুরার’ বলা হয়, তাতে একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষ রয়েছে, যার নীচে সত্তরজন নবীর নাভী কর্তন করা হয়েছে (জন্মগ্রহন করেছেন)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ نُعَيْمٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ ثِقَةٌ قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الْأَعْرَجُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَجُلٍ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُعَاذٍ، قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِنًى، فَفَتَحَ اللَّهُ أَسْمَاعَنَا حَتَّى إِنْ كُنَّا لَنَسْمَعُ مَا يَقُولُ وَنَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعَلِّمُهُمْ مَنَاسِكَهُمْ حَتَّى بَلَغَ الْجِمَارَ فَقَالَ: «بِحَصَى الْخَذْفِ» وَأَمَرَ الْمُهَاجِرِينَ أَنْ يَنْزِلُوا فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ، وَأَمَرَ الْأَنْصَارَ أَنْ يَنْزِلُوا فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ

মুহাম্মাদ ইব্‌ন হাতিম ইব্‌ন নু’আয়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইবরাহীম তায়মী তাদের মধ্য হতে একজন লোকের মাধ্যমে বর্ণনা করেন, যার নাম আবদুর রহমান ইব্‌ন মুআয (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। আল্লাহ আমাদের কান খুলে দিলেন এবং আমরা তিনি যা বলেছিলেন, তা শুনেছিলাম অথচ আমরা ছিলাম আমাদের মনযিলে (তাঁবুতে)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে হজ্জের আহ্‌কাম শিক্ষা দিচ্ছিলেন। যখন তিনি কংকর নিক্ষেপ করার (আলোচনা) পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন বললেন : ‘খাযাফ’ (অর্থাৎ দু’ আঙ্গুলের ফাঁকে রেখে নিক্ষেপ করা হয় এমন) ছোট কংকর (নিক্ষেপ করবে)। আর মুহাজিরদের মসজিদের সামনের অংশে অবস্থান নিতে আদেশ করলেন এবং আনসারদের মসজিদের শেষভাগে অবস্থানের আদেশ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

তারবিয়ার দিন ইমাম সালাত কোথায় আদায় করবে?

২৯৯৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ الْأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ عَقَلْتَهُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَيْنَ صَلَّى الظُّهْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ؟ قَالَ: «بِمِنًى» فَقُلْتُ: أَيْنَ صَلَّى الْعَصْرَ يَوْمَ النَّفْرِ؟ قَالَ: «بِالْأَبْطَحِ»

আবদুর রহমান ইব্‌ন মুহাম্মাদ ইব্‌ন সাল্লাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) -কে বললাম : আপনি রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যা কিছু বুঝেছেন (ও স্মরণ রেখেছেন) তা থেকে আমাকে বলুন, তিনি তারবিয়ার দিন জুহরের সালাত কোথায় আদায় করেন? তিনি বললেন : মিনায়। আমি বললাম : ‘নফর’ (মিনা হতে প্রত্যাবর্তনের) প্রস্থানের দিন আসর কোথায় আদায় করেন? তিনি বললেন : ‘আবতাহে’ (অর্থাৎ মুহাস্‌সাবে)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মিনা হতে ভোরে আরাফার দিকে গমন করা

২৯৯৮

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «غَدَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ، فَمِنَّا الْمُلَبِّي، وَمِنَّا الْمُكَبِّرُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ভোরে মিনা হতে আরাফার দিকে গমন করলাম, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ তালবিয়া পড়ছিল; আর কেউ কেউ তাকবীর (তাশরীফ) বলছিল১।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] অর্থাৎ যিলহাজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে পঠনীয় (আরবি) যাকে তাকবীরে তাশরীফ বলা হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৯

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «غَدَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَرَفَاتٍ، فَمِنَّا الْمُلَبِّي، وَمِنَّا الْمُكَبِّرُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমরা সকাল বেলা মিনা হতে আরাফার দিকে গমন করলাম। আমাদের কেউ কেউ ছিল তালবিয়া পাঠকারী, আর কেউ কেউ ছিল তাকবীর পাঠকারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফার দিকে যাওয়ার সময় তাকবীর পাঠ করা

৩০০০

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْمُلَائِيُّ يَعْنِي أَبَا نُعَيْمٍ الْفَضْلَ بْنَ دُكَيْنٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الثَّقَفِيُّ، قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ، وَنَحْنُ غَادِيَانِ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَاتٍ: مَا كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ فِي التَّلْبِيَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْيَوْمِ؟ قَالَ: «كَانَ الْمُلَبِّي يُلَبِّي، فَلَا يُنْكَرُ عَلَيْهِ، وَيُكَبِّرُ الْمُكَبِّرُ، فَلَا يُنْكَرُ عَلَيْهِ»

ইসহাক ইব্‌ন ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইব্‌ন আবূ বকর আস-সাকাফী (রহঃ) বলেন : আমরা আনাস (রাঃ)-এর সঙ্গে সকাল বেলা মিনার দিকে যাওয়ার সময় আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম : আপনারা এই দিন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তালবিয়ায় কি করতেন? তিনি বললেন : যে তালবিয়া পড়তো, সে তালবিয়া পড়তো; তাকে কেউ বাধা দিত না; আর যে তাকবীর বলতো; সে তাকবীর বলতো, তাকেও কেউ বাধা দিত না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সে (আরাফার) দিন তালবিয়া পাঠ করা

৩০০১

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ الثَّقَفِيُّ، قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ، غَدَاةَ عَرَفَةَ: مَا تَقُولُ فِي التَّلْبِيَةِ فِي هَذَا الْيَوْمِ؟ قَالَ: «سِرْتُ هَذَا الْمَسِيرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، وَكَانَ مِنْهُمُ الْمُهِلُّ، وَمِنْهُمُ الْمُكَبِّرُ، فَلَا يُنْكِرُ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَلَى صَاحِبِهِ»

মুহাম্মাদ ইব্‌ন আবূ বকর আস-সাকাফী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আরাফার (দিনের) ভোরে আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলাম : এই দিনে তালবিয়া সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? তিনি বললেন : এ সফরে আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে এবং তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে সফর করি, তাঁদের মধ্যে কেউ তালবিয়া পাঠ করতেন, আর কেউ তাকবীর বলতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ তার সাথীর (প্রতিপক্ষের) কাজে আপত্তি করত না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফার দিন সম্বন্ধে যা বলা হয়েছে

৩০০২

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ يَهُودِيٌّ لِعُمَرَ: لَوْ عَلَيْنَا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ لَاتَّخَذْنَاهُ عِيدًا {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] قَالَ عُمَرُ: ” قَدْ عَلِمْتُ الْيَوْمَ الَّذِي أُنْزِلَتْ فِيهِ، وَاللَّيْلَةَ الَّتِي أُنْزِلَتْ: لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَاتٍ “

তারিক ইব্‌ন শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ইয়াহূদী উমর (রাঃ) -কে বললেন : যদি (আরবী) (আজ তোমাদেরকে দীনকে পরিপূর্ণতা দান করলাম . . . .) আয়াতটি আমাদের উপর নাযিল হতো, তাহলে আমরা ঐ দিনকে ঈদের (জাতীয় উৎসবের) দিন হিসেবে পালন করতাম। উমর (রাঃ) বলেন : আমি জানি যেদিনটিতে ঐ আয়াতটি নাযিল হয়েছে, আর যে রাতে তা অবতীর্ণ হয়েছে। তা ছিল জুমুআর রাত, আর তখন আমরা ছিলাম রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আরাফাতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৩

أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ يُونُسَ، عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ عَبْدًا أَوْأَمَةً مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ، وَإِنَّهُ لَيَدْنُو، ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ، وَيَقُولُ: مَا أَرَادَ هَؤُلَاءِ ” قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «يُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ يُونُسَ بْنَ يُوسُفَ الَّذِي رَوَى عَنْهُ مَالِكٌ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন : এমন কোন দিন নেই, যে দিন আরাফার দিন হতে অধিক বান্দা অথবা বান্দীকে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। তিনি সেদিন (বান্দার) নিকটবর্তী হন এবং তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে তাদের (মর্যাদার) ব্যাপারে গর্ব করে বলেন : এরা কী কামনা করে? আবূ আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন : এই হাদীসের রাবী (ইউনুস) সম্ভবত : ইউনুস ইব্‌ন ইউসুফ, যার কাছ থেকে ইমাম মালিক (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফার দিন রোযা রাখার নিষেধাজ্ঞা

৩০০৪

أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ فَضَالَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ ابْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يُحَدِّثُ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ يَوْمَ عَرَفَةَ وَيَوْمَ النَّحْرِ وَأَيَّامَ التَّشْرِيقِ عِيدُنَا أَهْلَ الْإِسْلَامِ، وَهِيَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ»

উকবা ইব্‌ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : আরাফার দিন, কুরবানীর দিন, এবং আইয়্যামে তাশরীক মুসলিমদের ঈদের দিন; এগুলো খাওয়া ও পান করার দিন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফার দিনে অপরাহ্ণে দ্রুত (উকুফের উদ্দেশ্যে) বের হওয়া

৩০০৫

أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَشْهَبُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ يَأْمُرُهُ أَنْ لَا يُخَالِفَ ابْنَ عُمَرَ، فِي أَمْرِ الْحَجِّ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ، جَاءَهُ ابْنُ عُمَرَ، حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَأَنَا مَعَهُ، فَصَاحَ عِنْدَ سُرَادِقِهِ: «أَيْنَ هَذَا؟» فَخَرَجَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ وَعَلَيْهِ مِلْحَفَةٌ مُعَصْفَرَةٌ، فَقَالَ لَهُ: مَا لَكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: «الرَّوَاحَ إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ السُّنَّةَ»، فَقَالَ لَهُ: هَذِهِ السَّاعَةَ فَقَالَ لَهُ: «نَعَمْ»، فَقَالَ: أُفِيضُ عَلَيَّ مَاءً ثُمَّ أَخْرُجُ إِلَيْكَ، فَانْتَظَرَهُ حَتَّى خَرَجَ فَسَارَ بَيْنِي وَبَيْنَ أَبِي، فَقُلْتُ: ” إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تُصِيبَ السُّنَّةَ، فَأَقْصِرِ الْخُطْبَةَ، وَعَجِّلِ الْوُقُوفَ، فَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى ابْنِ عُمَرَ كَيْمَا يَسْمَعَ ذَلِكَ مِنْهُ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ، قَالَ: صَدَقَ “

সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান হাজ্জাজ ইবন ইউসুফকে লিখিত আদেশ পাঠালেন, তিনি যেন হজ্জের ব্যাপারে ইবন উমর (রাঃ)-এর বিরোধিতা না করেন। তারপর যখন আরাফার দিন আসলো, ইবন উমর (রাঃ) সূর্য ঢলে পড়ার পর তার কাছে আগমন করলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তাঁর তাঁবুর পর্দার নিকট এসে আওয়াজ করে বললেনঃ এ ব্যক্তি কোথায়? তখন হাজ্জাজ তাঁর কাছে বের হয়ে আসলেন। তখন তাঁর গায়ে কুসুম রংয়ের একটি চাদর ছিল। তিনি বললেনঃ হে আবু আবদুর রহমান! কী ব্যাপার? তিনি বললেনঃ যদি সুন্নত পালনের ইচ্ছা রাখেন, তা হলে এই অপরাহ্নেই বের হতে হয়। হাজ্জাজ বললেনঃ এ মুহূর্তেই? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। হাজ্জাজ বললেনঃ আমি গায়ে একটু পানি ঢেলেই আপনার নিকট আসছি। এরপর তিনি অপেক্ষা করলে হাজ্জাজ বের হলেন। তারপর আমার এবং আমার পিতার মাঝে চলতে লাগলেন। আমি বললামঃ আপনি যদি সুন্নত মত আমল করার ইচ্ছা রাখেন, তা হলে খুতবাকে সংক্ষেপ করবেন এবং আরাফার উকুফ (অবস্থান) তাড়াতাড়ি করবেন। তিনি আমার কথা শুনে ইবন উমর (রাঃ)-এর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন, যেন একথা তিনি তার থেকেও শুনতে পান। যখন ইবন উমর (রাঃ) তা দেখতে পেলেন তখন তিনি বললেনঃ সে (সালিম) ঠিকই বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফায় তালবিয়া পাঠ করা

৩০০৬

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ، بِعَرَفَاتٍ، فَقَالَ: «مَا لِي لَا أَسْمَعُ النَّاسَ يُلَبُّونَ؟» قُلْتُ: يَخَافُونَ مِنْ مُعَاوِيَةَ، فَخَرَجَ ابْنُ عَبَّاسٍ، مِنْ فُسْطَاطِهِ، فَقَالَ: «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ فَإِنَّهُمْ قَدْ تَرَكُوا السُّنَّةَ مِنْ بُغْضِ عَلِيٍّ»

আহমাদ ইবন উসমান ইবন হাকীম আউদী (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ

সাঈদ ইবন জুবায়র (রহঃ) বলেনঃ আমি ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর সঙ্গে আরাফায় ছিলাম। তিনি বললেনঃ কী হলো লোকদেরকে তো তালবিয়া পাঠ করতে শুনছি না? আমি বললামঃ মুআবিয়া (রাঃ)-এর ভয়ে। এরপর ইবন আব্বাস (রাঃ) তাঁর তাঁবু হতে বের হলেন এবং বললেনঃ (আরবি) তারা তো আলী (রাঃ)-এর প্রতি বিদ্বেষবশত সুন্নত ছেড়ে দিয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সালাতের পূর্বে আরাফায় খুতবা প্রদান

৩০০৭

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ بِعَرَفَةَ قَبْلَ الصَّلَاةِ»

সালামা ইবন নুবায়ত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আরাফায় সালাতের পূর্বে লাল বর্ণের উটের উপর থেকে খুতবা দিতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফার দিনে উটের উপর থেকে (পিঠে বসে) খুতবা দেয়া

৩০০৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَخْطُبُ يَوْمَ عَرَفَةَ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ»

সালামা ইবন নুবায়ত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আমি আরাফার দিন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে লাল বর্ণের উটের উপর বসে খুতবা দিতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফায় খুতবা সংক্ষেপ করা

৩০০৯

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، جَاءَ إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ يَوْمَ عَرَفَةَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَأَنَا مَعَهُ، فَقَالَ: «الرَّوَاحَ إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ السُّنَّةَ»، فَقَالَ: هَذِهِ السَّاعَةَ قَالَ: «نَعَمْ»، قَالَ سَالِمٌ: فَقُلْتُ لِلْحَجَّاجِ: ” إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تُصِيبَ الْيَوْمَ السُّنَّةَ فَأَقْصِرِ الْخُطْبَةَ، وَعَجِّلِ الصَّلَاةَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: صَدَقَ “

সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আরাফার দিন আবদুল্রাহ্ ইবন উমর (রাঃ) হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের নিকট আসলেন, তখন সূর্য ঢলে পড়েছিল, আর আমি তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি বললেনঃ যদি আপনি সুন্নত তরীকা মত আমল করতে চান, তা হলে এই অপরাহ্নে বেরিয়ে পড়ুন। তিনি বললেনঃ এখনই? আবদুল্রাহ্ বললেনঃ হ্যাঁ। সালিম বললেনঃ আমি হাজ্জাজকে বললামঃ যদি আপনি আজ সুন্নত মুতাবিক আমল করতে চান, তাহলে খুতবা সংক্ষেপ করুন এবং সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করুন। তখন আবদুল্রাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ সে ঠিকই বলেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফায় জুহর ও আসরের সালাত একত্রে আদায় করা

৩০১০

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُصَلِّي الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا إِلَّا بِجَمْعٍ وَعَرَفَاتٍ»

আবদুল্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল সালাতই যথা সময় আদায় করতেন, তবে আরাফায় ও মুযদালিফায় এর ব্যতিক্রম করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফার ময়দানে দু’আয় দুই হাত উত্তোলন করা

৩০১১

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هُشَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: قَالَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ: «كُنْتُ رَدِيفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَاتٍ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ يَدْعُو، فَمَالَتْ بِهِ نَاقَتُهُ، فَسَقَطَ خِطَامُهَا فَتَنَاوَلَ الْخِطَامَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ، وَهُوَ رَافِعٌ يَدَهُ الْأُخْرَى»

আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) বলেনঃ আমি আরাফায় রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একই বাহনে (সাওয়ার) ছিলাম। তিনি দু’আয় দুই হাত উত্তোলন করলেন। এমন সময় তাঁর উট তাঁকে নিয়ে একদিকে হেলে গেল, ফলে তার নাকের রশি পড়ে যেতে লাগলো, তিনি তাঁর এক হাতে তা ধরে ফেললেন, এ সময় তাঁর অন্য হাত উঠানোই ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১২

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: ” كَانَتْ قُرَيْشٌ تَقِفُ بِالْمُزْدَلِفَةِ، وَيُسَمَّوْنَ الْحُمْسَ، وَسَائِرُ الْعَرَبِ تَقِفُ بِعَرَفَةَ، فَأَمَرَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقِفَ بِعَرَفَةَ، ثُمَّ يَدْفَعُ مِنْهَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ} [البقرة: 199] “

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ (হজ্জে) কুরায়শরা মুযদালিফায় অবস্থান করতো (আরাফায় যেত না) এবং তাদেরকে বলা হতো ‘হুমছ’। আর আরবের অন্যান্য লোকেরা আরাফায় অবস্থান করতো। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া ত’আলা তাঁর নবীকে আরাফায় অবস্থান করতে এরপর সেখান হতে রওনা হতে আদেশ করলেন। এ প্রসঙ্গে মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ (আরবি) (অর্থ: তোমরা সেখান (আরাফা) থেকে প্রত্যাবর্তন করবে, যেখান থেকে লোকেরা ফিরে যায়।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৩

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ” أَضْلَلْتُ بَعِيرًا لِي، فَذَهَبْتُ أَطْلُبُهُ بِعَرَفَةَ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفًا، فَقُلْتُ: مَا شَأْنُ هَذَا إِنَّمَا هَذَا مِنَ الْحُمْسِ “

জুবায়র ইবন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আমার একটি উট হারিয়ে ফেলি। আমি আরাফার দিন আরাফায় তা তালাশ করতে বের হলাম এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখলাম, সেখানে দাঁড়ানো। আমি বললামঃ তাঁর অবস্থা কি? ইনিও তো কুরায়শদের একজন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৪

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ شَيْبَانَ، قَالَ: كُنَّا وُقُوفًا بِعَرَفَةَ مَكَانًا بَعِيدًا مِنَ الْمَوْقِفِ، فَأَتَانَا ابْنُ مِرْبَعٍ الْأَنْصَارِيُّ، فَقَالَ: إِنِّي رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْكُمْ، يَقُولُ: «كُونُوا عَلَى مَشَاعِرِكُمْ، فَإِنَّكُمْ عَلَى إِرْثٍ مِنْ إِرْثِ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ»

ইযায়ীদ ইবন শায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা আরাফায় (মূল) অবস্থান ক্ষেত্র হতে দূরে একস্থানে অবস্থানরত ছিলাম। এমন সময় ইবন মিরবা’ আনসারী (রাঃ) আমাদের কাছে এসে বললেনঃ আমি তোমাদের কাছে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রেরিত। তিনি বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মাশা’ইরে১ অবস্থান কর, কেননা তোমরা তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর উত্তরাধিকারের উপর রয়েছ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] মাশা’ইর-হজ্জের আহ্কাম ও ইবাদত আদায়ের স্থানসমূহ। -অনুবাদক

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৫

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَدَّثَنَا أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ»

জা’ফর ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমার পিতা বলেছেন, আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হজ্জ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাদের হাদীস শোনালেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরাফার সবটাই মাওফিক বা অবস্থানের স্থান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফায় অবস্থান করা ফরয

৩০১৬

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ: شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُ نَاسٌ، فَسَأَلُوهُ عَنِ الْحَجِّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَجُّ عَرَفَةُ، فَمَنْ أَدْرَكَ لَيْلَةَ عَرَفَةَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ مِنْ لَيْلَةِ جَمْعٍ، فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ»

আবদুর রহমান ইবন ইয়ামুর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে কয়েকজন লোক এসে তাঁকে হজ্জ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হজ্জ হলো আরাফা (য়ে অবস্থান) -ই। অতএব যে ব্যক্তি আরাফার পরবর্তী রাত পেয়েছে মুযদালিফার রাতের (দিনের) ফজর উদয়ের পূর্বে, তার হজ্জ পূর্ণ হয়েছে।১

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] অর্থাৎ তাঁকে হজ্জ কাযা করতে হবে না, তবে তার ফরয তাওয়াফ অবশিষ্ট রয়েছে। তা অবশ্যই আদায় করতে হবে। নাসাঈ শরীফের পাদটীকা। -অনুবাদক

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَرَفَاتٍ، وَرِدْفُهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَجَالَتْ بِهِ النَّاقَةُ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ لَا تُجَاوِزَانِ رَأْسَهُ، فَمَا زَالَ يَسِيرُ عَلَى هِينَتِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى جَمْعٍ»

ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) তাঁর পেছনে সওয়ার ছিলেন, তাঁকে নিয়ে উটনী পা তুলে চলতে লাগলো। তখন তিনি তাঁর দুইহাত এতটুকু উত্তোলন করেছিলেন যে, তা তাঁর মাথার উপরে উঠেনি। এ অবস্থায় তিনি শান্তভাবে চলতে থাকলেন মুযদালিফায় পৌঁছা পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৮

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَاسٍ، أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، قَالَ: أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَرَفَةَ وَأَنَا رَدِيفُهُ، فَجَعَلَ يَكْبَحُ رَاحِلَتَهُ حَتَّى أَنَّ ذِفْرَاهَا لَيَكَادُ يُصِيبُ قَادِمَةَ الرَّحْلِ وَهُوَ يَقُولُ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ وَالْوَقَارِ، فَإِنَّ الْبِرَّ لَيْسَ فِي إِيضَاعِ الْإِبِلِ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফা হতে প্রস্থান করলেন, তখন আমি তাঁর পেছনে সওয়ার ছিলাম। তিনি তাঁর সওয়ারীর লাগাম এমনভাবে টেনে ধরলেন যাতে তার দুই কান হাওদার সম্মুখভাগে লাগার উপক্রম হলো। আর তখন তিনি বলছিলেনঃ হে লোক সকল! শান্ত এবং ধীর গতিতে চলো। কেননা, উটকে দ্রুত চালনা করে (তাকে কষ্ট দেয়ার) মধ্যে কোন পুণ্য নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফা হতে স্থিরতা সহকারে প্রত্যাবর্তনের আদেশ

৩০১৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ الْوَضَّاحِ، عَنْ إِسْمَعِيلَ يَعْنِي ابْنَ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِي غَطَفَانَ بْنِ طَرِيفٍ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: لَمَّا دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَنَقَ نَاقَتَهُ حَتَّى أَنَّ رَأْسَهَا لَيَمَسُّ وَاسِطَةَ رَحْلِهِ، وَهُوَ يَقُولُ لِلنَّاسِ: «السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ»

ইসমাঈল ইবন উমাইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফা হতে মুযদালিফার দিকে চললেন, তিনি তাঁর উটের লাগাম টেনে ধরলেন, তাঁর মাথা হাওদার পালানের মধ্যবর্তী অংশকে ষ্পর্শ করছিল। আর তিনি আরাফার সন্ধ্যায় বলছিলেনঃ (তোমরা) স্থিরতা ও প্রশান্তিসহকারে চলবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২০

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَكَانَ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي عَشِيَّةِ عَرَفَةَ وَغَدَاةِ جَمْعٍ لِلنَّاسِ حِينَ دَفَعُوا: «عَلَيْكُمُ السَّكِينَةَ» وَهُوَ كَافٌّ نَاقَتَهُ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ مُحَسِّرًا، وَهُوَ مِنْ مِنًى، قَالَ: «عَلَيْكُمْ بِحَصَى الْخَذْفِ الَّذِي يُرْمَى بِهِ»، فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي، حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ

ইবন আব্বাস (রাঃ) সূত্রে ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যিনি (হজ্জের সময়) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে একই বাহনে সওয়ার ছিলেন, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফায় সন্ধ্যায় এবং মুযদালিফায় সকালে লোকদেরকে বললেনঃ যখন তারা (আরাফা ও মুযদালিফা হতে) প্রস্থান করে শান্তভাবে চলো। তিনি তাঁর উটনীর লাগাম টেনে রাখছিলেন। যখন তিনি মুহাস্সিরে -যা মিনার একটি অংশ প্রবেশ করলেন, তখন বললেনঃ তোমরা আংগুলে ছুঁড়ে মারার মত কংকর (পাথরের ছোট ছোট টুকরা) সংগ্রহ কর। আর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তালবিয়া পড়তে থাকলেন, জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা করা পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ السَّكِينَةُ، وَأَمَرَهُمْ بِالسَّكِينَةِ، وَأَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْمُوا الْجَمْرَةَ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফা পরিত্যাগের সময় ধীর শান্তভাবে চলছিলেন। তিনি লোকদেরকেও শান্তভাবে চলতে আদেশ করলেন। আর তিনি মুহাসসির১ উপত্যকা দ্রুত অতিক্রম করলেন, আর লোকদেরকে জামরায় আংগুলে ছুঁড়ে মারার মত (ছোট ছোট) কংকর মারার আদেশ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] মুহাসসির -এস্থানে হস্তিবাহিনীর হাতি থমকে গিয়েছিল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২২

أَخْبَرَنِي أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَاضَ مِنْ عَرَفَةَ، وَجَعَلَ يَقُولُ: «السَّكِينَةَ عِبَادَ اللَّهِ» يَقُولُ بِيَدِهِ هَكَذَا، وَأَشَارَ أَيُّوبُ، بِبَاطِنِ كَفِّهِ إِلَى السَّمَاءِ

[حكم الألباني] صحيح لغيره

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফা হতে রওনা হলেন, তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা শান্তভাবে চল। তিনি হাত দ্বারা এভাবে ইঙ্গিত করছিলেন। আর রাবী আইয়ুব তাঁর হাতের তালু দ্বারা আকাশের দিকে ইঙ্গিত করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফা হতে পথচলা কিরূপে হবে?

৩০২৩

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ مَسِيرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، قَالَ: «كَانَ يَسِيرُ الْعَنَقَ، فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ» وَالنَّصُّ: فَوْقَ الْعَنَقِ

উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পথচলা সম্বন্ধে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেনঃ তিনি ‘আনাক’ (মাধ্যম ধরনের চাল) অবলম্বন করতেন। যখন তিনি (পথের) উন্মুক্ততা দেখতে পেতেন, তখন তিনি ‘নস’ পদ্ধতিতে (দ্রুত) চলতেন। ‘নস’ বলা হয় ‘আনাক’-এর তুলানায় দ্রুত চলাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

আরাফা থেকে প্রস্থানের পর (পথিমধ্যে) অবতরণ করা

৩০২৪

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ أَفَاضَ مِنْ عَرَفَةَ مَالَ إِلَى الشِّعْبِ، قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: أَتُصَلِّي الْمَغْرِبَ؟ قَالَ: «الْمُصَلَّى أَمَامَكَ»

উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আরাফা হতে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন তিনি পাহাড়ের মোড়ের দিকে গেলেন। উসামা (রাঃ) বলেনঃ আমি তাঁকে বললামঃ আপনি কি মাগরিবের সালাত আদায় করবেন? তিনি বললেনঃ সালাত আদায় করার স্থান (ও সময়) তোমার সামনে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৫

أَخْبَرَنَا مُحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ الشِّعْبَ الَّذِي يَنْزِلُهُ الْأُمَرَاءُ فَبَالَ، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا خَفِيفًا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ؟ قَالَ: «الصَّلَاةُ أَمَامَكَ» فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمُزْدَلِفَةَ لَمْ يَحُلَّ آخِرُ النَّاسِ حَتَّى صَلَّى

উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে পাহাড়ের মোড়ে (ঢালু স্থানে) অবতরণ করেন, যে স্থানে (বনূ উমাইয়ার) আমীরগণ অবতরণ করেন। তিনি সেখানে পেশাব করে হালকাভাবে উযু করেন (একবার একবার অঙ্গ ধৌত করেন অথবা পানি স্বল্প ব্যয় করেন।) আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সালাত। তিনি বললেনঃ (এরাতে যে সময় সালাত আদায় করতে হয়, সে) সালাত (ও তার সময়) তোমাদের সামনে। যখন আমরা মুযদালিফায় আসলাম, তখন শেষ ব্যক্তিটিও তার উটের পিঠ হতে নামার পূর্বে তিনি সালাত আদায় করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুয্দালিফায় দুই সালাত একত্রে আদায় করা

৩০২৬

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ»

আবূ আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয্দালিফায় মাগরিব এবং ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৭

أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا، قَالَ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ»

ইবন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয্দালিফায় মাগরিব এবং ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৮

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ، لَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا، وَلَا عَلَى إِثْرِ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا»

সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয্দালিফায় মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন, একই ইকামতে, দু’য়ের মধ্যে কোন নফল আদায় করেন নি এবং উভয় সালাতের কোনটির পরেও (কোন নফল সালাত) আদায় করেন নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৯

أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ: «جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ، لَيْسَ بَيْنَهُمَا سَجْدَةٌ، صَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ، وَالْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، يَجْمَعُ كَذَلِكَ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ “

ইবন শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন এবং দুই সালাতের মধ্যে কোন নফল আদায় করেন নি। মাগরিব আদায় করেন তিন রাক’আত, ইশা আদায় করেন দুই রাক’আত। আবদুল্রাহ্ ইবন উমর (রাঃ) -ও এরূপ একত্রে আদায় করতেন, মহান মহিয়ান আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়া পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩০

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِجَمْعٍ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ»

[حكم الألباني] صحيح بزيادة لكل منهما

ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্রাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয্দালিফায় একই ইকামতে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৩০৩১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حِبَّانُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، أَنَّ كُرَيْبًا، قَالَ: سَأَلْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَكَانَ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ، فَقُلْتُ: كَيْفَ فَعَلْتُمْ؟ قَالَ: «أَقْبَلْنَا نَسِيرُ حَتَّى بَلَغْنَا الْمُزْدَلِفَةَ، فَأَنَاخَ، فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الْقَوْمِ، فَأَنَاخُوا فِي مَنَازِلِهِمْ، فَلَمْ يَحُلُّوا حَتَّى صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ، ثُمَّ حَلَّ النَّاسُ فَنَزَلُوا، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا انْطَلَقْتُ عَلَى رِجْلَيَّ فِي سُبَّاقِ قُرَيْشٍ، وَرَدِفَهُ الْفَضْلُ»

কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) -কে প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি আরাফার সন্ধ্যায় রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে সওয়ার ছিলেন। আমি বললামঃ আপনারা কিরূপ করছিলেন? তিনি বললেনঃ আমরা পথ চলতে চলতে মুয্দালিফায় পৌঁছলাম। সেখানে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উট বসিয়ে অবতরণ করলেন এবং মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। এরপর লোকদের কাছে লোক পাঠিয়ে সংবাদ দেয়া হলো। তাঁরাও তাদের (নিজ নিজ অবস্থানে) উট বসিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘শেষ’ ইশার সালাত আদায় করার পূর্বে তাঁরা আসবাবপত্র নামালেন না। তারপর তাঁরা আসবাবপত্র নামালেন এবং মনযিলে অবতরণ করলেন। ভোরে আমি পায়ে হেঁটে কুরায়শদের অগ্রবর্তী দলের সঙ্গে রওনা হলাম। তখন ফযল (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে একই বাহনে সওয়ার ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুযদালিফায় মহিলা এবং শিশুদেরকে আগে-ভাগে মনযিলে প্রেরণ করা

৩০৩২

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: «أَنَا مِمَّنْ قَدَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْمُزْدَلِفَةِ فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ»

উবায়দুল্লাহ ইবন আবূ ইযায়ীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, আমি সে সব লোকের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম যাদেরকে রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয্দালিফার রাতে বনূ হাশিমের দূর্বলগণের (মহিলা ও বালক) সঙ্গে প্রেরণ করেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «كُنْتُ فِيمَنْ قَدَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْمُزْدَلِفَةِ فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি সে সব লোকের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম, যাদেরকে রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয্দালিফার রাতে আগে ভাগে বনূ হাশিমের দূর্বলগণের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৪

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، وَعَفَّانُ، وَسُلَيْمَانُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُشَاشٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الْفَضْلِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَرَ ضَعَفَةَ بَنِي هَاشِمٍ أَنْ يَنْفِرُوا مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ»

[حكم الألباني] صحيح بزيادة لكل منهما

ফযল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ হাশিমের দূর্বলগণকে আদেশ করেন যে, তারা যেন মুয্দালিফা থেকে আগে ভাগে চলে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০৩৫

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ سَالِمِ بْنِ شَوَّالٍ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، أَخْبَرَتْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَرَهَا أَنْ تُغَلِّسَ مِنْ جَمْعٍ إِلَى مِنًى»

সালিম ইবন শাওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে ভোরের অন্ধকারে মুয্দালিফা হতে মিনার দিকে চলে যেতে আদেশ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৬

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَالِمِ بْنِ شَوَّالٍ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ: «كُنَّا نُغَلِّسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ إِلَى مِنًى»

উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে ভোরের অন্ধকারে মুয্দালিফা হতে মিনার দিকে গমন করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

ভোরের পূর্বেই মুয্দালিফা হতে নারীদের চলে যাওয়ার অনুমতি

৩০৩৭

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «إِنَّمَا أَذِنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَوْدَةَ فِي الْإِفَاضَةِ قَبْلَ الصُّبْحِ مِنْ جَمْعٍ لِأَنَّهَا كَانَتِ امْرَأَةً ثَبِطَةً»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাওদা (রাঃ) -কে ভোরের পূর্বেই মুয্দালিফা হতে চলে যাওয়ার অনুমতি দান করেন। কেননা তিনি ছিলেন একজন (মোটা ও) ধীর গতির মহিলা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুযদালিফায় ফজরের সালাতের সময়

৩০৩৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً قَطُّ إِلَّا لِمِيقَاتِهَا إِلَّا صَلَاةَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ، صَلَّاهُمَا بِجَمْعٍ، وَصَلَاةَ الْفَجْرِ يَوْمَئِذٍ قَبْلَ مِيقَاتِهَا»

আবদুল্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কখনও (অন্য দিন যে সময় সালাত আদায় করতেন, সে) নির্ধারিত সময় ব্যতীত সালাত আদায় করতে দেখিনি। মাগরিব ও ইশা ব্যতীত, যা তিনি আদায় করেছেন মুয্দালিফায়। আর সেদিন তিনি ফজরের সালাত আদায় করেন (পূর্ব) নির্ধারিত সময়ের পূর্বে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুয্দালিফায় যে ব্যক্তি ফজরের সালাত ইমামের সঙ্গে আদায় করতে পারেনি

৩০৩৯

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَعِيلَ، وَدَاوُدَ، وَزَكَرِيِّا، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفًا بِالْمُزْدَلِفَةِ، فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى مَعَنَا صَلَاتَنَا هَذِهِ هَا هُنَا، ثُمَّ أَقَامَ مَعَنَا وَقَدْ وَقَفَ قَبْلَ ذَلِكَ بِعَرَفَةَ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا، فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ»

উরওয়া ইবন মুদাররিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মুয্দালিফায় অবস্থানরত অবস্থায় দেখেছি। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি এখানে আমাদের সঙ্গে এই সালাত আদায় করেছে, আমাদের সঙ্গে এখানে অবস্থান করেছে এবং এর আগের দিনে অথবা রাতে আরাফায় অবস্থান করেছে তার হজ্জ পূর্ণ হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي جَرِيرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَدْرَكَ جَمْعًا مَعَ الْإِمَامِ وَالنَّاسِ حَتَّى يُفِيضَ مِنْهَا، فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ، وَمَنْ لَمْ يُدْرِكْ مَعَ النَّاسِ وَالْإِمَامِ، فَلَمْ يُدْرِكْ»

উরওয়া ইবন মুদাররিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমাম এবং অন্যান্য লোকের সঙ্গে মুয্দালিফায় অবস্থান করেছেন এবং পরে সেখান থেকে (মিনায়) প্রত্যাবর্তন করেছে, সে হজ্জ পেয়েছে। আর যে ব্যক্তি ইমাম এবং লোকের সঙ্গে মুয্দালিফায় অবস্থান করেনি, সে হজ্জ পায় নি।১

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ)-এর মতে এরূপ ব্যক্তির উপর একটি দম ওয়াজিব।-অনুবাদক

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪১

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَمْعٍ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَقْبَلْتُ مِنْ جَبَلَيْ طَيِّئٍ لَمْ أَدَعْ حَبْلًا إِلَّا وَقَفْتُ عَلَيْهِ، فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى هَذِهِ الصَّلَاةَ مَعَنَا، وَقَدْ وَقَفَ قَبْلَ ذَلِكَ بِعَرَفَةَ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا، فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ، وَقَضَى تَفَثَهُ»

উরওয়া ইবন মুদাররিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি মুযদালিফায় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তায় গোত্রের পাহাড়দ্বয় হতে আগমন করেছি, আর আমি কোন পাহাড়ে অবস্থান বাদ দেইনি; এমতাবস্থায় আমার কি হজ্জ আদায় হয়েছে? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই সালাত আদায় করেছে আর এর পূর্বে আরাফায় অবস্থান করেছে- দিনে (হোক) অথবা রাতে, তার হজ্জ পূর্ণ হয়েছে এবং সে তার ‘ময়লা’ বিদুরীত করেছে (ইহ্-রাম শেষ করেছে)। (এখন সে ইহরামে নিষিদ্ধ কার্যাদি চুল কাটা, নখ কাটা ইত্যাদি করতে পারবে।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪২

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ: حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ مُضَرِّسِ بْنِ أَوْسِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ لَأْمٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَمْعٍ، فَقُلْتُ: هَلْ لِي مِنْ حَجٍّ؟ فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى هَذِهِ الصَّلَاةَ مَعَنَا، وَوَقَفَ هَذَا الْمَوْقِفَ حَتَّى يُفِيضَ، وَأَفَاضَ قَبْلَ ذَلِكَ مِنْ عَرَفَاتٍ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا، فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ، وَقَضَى تَفَثَهُ»

উরওয়া ইবন মুদাররিস ইবন আউস ইবন হারিসা ইবন লাম (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

আমি মুয্দালিফায় রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমার কি হজ্জ আদায় হয়েছে? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই সালাত আদায় করেছে এবং এস্থানে অবস্থান করেছে, এর পূর্বে আরাফা হতে প্রত্যাবর্তন করেছে -রাতে অথবা দিনে, তার হজ্জ আদায় হয়েছে এবং সে তার ‘ময়লা’ বিদুরীত করেছে (ইহরামের দায়িত্ব পূর্ণ করেছে)। (এখন হালাল হওয়ার জন্য যা করণীয়, তা পূর্ণ করবে।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৩

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَامِرٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ مُضَرِّسٍ الطَّائِيُّ، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: أَتَيْتُكَ مِنْ جَبَلَيْ طَيِّئٍ، أَكْلَلْتُ مَطِيَّتِي، وَأَتْعَبْتُ نَفْسِي، مَا بَقِيَ مِنْ حَبْلٍ إِلَّا وَقَفْتُ عَلَيْهِ، فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ؟ فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى صَلَاةَ الْغَدَاةِ هَا هُنَا مَعَنَا، وَقَدْ أَتَى عَرَفَةَ قَبْلَ ذَلِكَ، فَقَدْ قَضَى تَفَثَهُ، وَتَمَّ حَجُّهُ»

উরওয়া ইবন মুদাররিস তায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলামঃ আমি তায়-এর পাহাড়দ্বয় হতে আপনার খিদমতে হাযির হয়েছি। আমার সওয়ারীকে খেয়ে ফেলেছি (ক্লান্ত করেছি) এবং নিজেও অনেক কষ্ট স্বীকার করেছি। এমন কোন পাহাড় নেই যার উপর আমি অবস্থান করিনি, আমার কি হজ্জ আদায় হয়েছে? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি এখানে আমাদের সঙ্গে ভোরের সালাত আদায় করেছে, আর এর পূর্বে আরাফায় আগমন করেছে -সে ‘ময়লা’ বিদুরীত করেছে (ইহ্-রামের কাজ সমাপ্ত করে চুল, গোঁফ, নখ ইত্যাদি কর্তন করার পর্যায়ে পৌঁছেছে) এবং সে তার হজ্জ পূর্ণ করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৪

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَعْمَرَ الدِّيلِيَّ، قَالَ: شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ وَأَتَاهُ نَاسٌ مِنْ نَجْدٍ، فَأَمَرُوا رَجُلًا، فَسَأَلَهُ عَنِ الْحَجِّ، فَقَالَ: «الْحَجُّ عَرَفَةُ، مَنْ جَاءَ لَيْلَةَ جَمْعٍ قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ فَقَدْ أَدْرَكَ حَجَّهُ، أَيَّامُ مِنًى ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، مَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ، وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ»، ثُمَّ أَرْدَفَ رَجُلًا فَجَعَلَ يُنَادِي بِهَا فِي النَّاسِ

বুকায়র ইবন আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবদুর রহমান ইবন ইয়া’মার দীলী (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি আরাফায় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখেছি, তাঁর কাছে নাজদ হতে কতিপয় লোক এসে তাদের একজনকে তারা প্রতিনিধি নিযুক্ত করে, সে তাঁকে হজ্জ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেনঃ হজ্জ হলো আরাফায় অবস্থান। যে ব্যক্তি মুযদালিফায় রাতে ভোরের সালাতের পূর্বে সেখানে আগমন করলো, সে তার হজ্জ পেল। মিনার দিন হচ্ছে (তিন দিন) যে ব্যক্তি দুই দিনের পর তাড়াতাড়ি চলে যায়, তার কেন পাপ নেই। আর যে ব্যক্তি দেরি করে তারও কোন পাপ নেই। তারপর তিনি একজন লোককে তাঁর পশ্চাতে আরোহণ করান, যিনি এ কথাগুলো লোকের মধ্যে প্রচার করছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৫

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُزْدَلِفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ»

জা’ফর ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, আমরা জাবির ইবন আবদুল্রাহ্ (রাঃ)-এর কাছে আগমন করলাম, তিনি আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করলেন, রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুযদালিফার সমস্ত স্থানই মওকিফ বা অবস্থানের স্থান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুযদালিফায় তালবিয়া পাঠ করা

৩০৪৬

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، فِي حَدِيثِهِ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ كَثِيرٍ وَهُوَ ابْنُ مُدْرِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَنَحْنُ بِجَمْعٍ: سَمِعْتُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ يَقُولُ فِي هَذَا الْمَكَانِ: «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ»

আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা মুযদালিফায় ছিলাম। যাঁর উপর সূরা বাকারা নাযিল হয়েছে, তাঁকে এ স্থানে (আরবি) (তালবিয়া) বলতে শুনেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুযদালিফা হতে প্রস্থানের সময়

৩০৪৭

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: شَهِدْتُ عُمَرَ، بِجَمْعٍ، فَقَالَ: إِنَّ أَهْلَ الْجَاهِلِيَّةِ كَانُوا لَا يُفِيضُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَيَقُولُونَ: أَشْرِقْ ثَبِيرُ «وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَالَفَهُمْ، ثُمَّ أَفَاضَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ»

আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আমর ইবন মায়মূন (রহঃ) -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি মুযদালিফায় উমর (রাঃ)-এর কাছে হাযির হলাম। তিনি বললেনঃ জাহিলী যুগে তারা সূর্যোদয়ের পূর্বে মুযদালিফা হতে প্রস্থান করতো না। তারা বলতোঃ “হে সাবির! উদয় (উজ্জ্বল) হও! (সাবির পাহাড়ে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর।) আর রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বিরোধিতা করে সূর্যোদয়ের পূর্বেই মুযদালিফা থেকে প্রস্থান করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

দূর্বলদের জন্য কুরবানীর দিন ফজরের সালাত মিনায় আদায় করার অনুমতি

৩০৪৮

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ أَشْهَبَ، أَنَّ دَاوُدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ عَمْرَو بْنَ دِينَارٍ، حَدَّثَهُ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: «أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ، فَصَلَّيْنَا الصُّبْحَ بِمِنًى، وَرَمَيْنَا الْجَمْرَةَ»

আতা ইবন আবূ রাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর পরিবারের দূর্বলদের সঙ্গে প্রেরণ করেন। আমরা ফজরের সালাত মিনায় আদায় করি, এবং জামরায় কংকর নিক্ষেপ করি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৯

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «وَدِدْتُ أَنِّي اسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا اسْتَأْذَنَتْهُ سَوْدَةُ، فَصَلَّيْتُ الْفَجْرَ بِمِنًى قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ النَّاسُ، وَكَانَتْ سَوْدَةُ امْرَأَةً ثَقِيلَةً ثَبِطَةً، فَاسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَذِنَ لَهَا، فَصَلَّتِ الْفَجْرَ بِمِنًى، وَرَمَتْ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ النَّاسُ»

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমার বাসনা হয় যে, সাওদা (রাঃ) যেরূপ রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে অনুমতি চেয়ে নিয়েছিলেন, আমিও যদি সেরূপ তাঁর কাছ থেকে অনুমতি চেয়ে নিতাম এবং ফজরের সালাত মিনায় লোকের আগমনের পূর্বে আদায় করতাম। সাওদা (রাঃ) ছিলেন মোটা মানুষ এবং ধীরগতি সম্পন্না। তিনি রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাঁকে অনুমতি দেন। তিনি ফজরের সালাত মিনায় আদায় করেন এবং লোকের আগমনের পূর্বেই কংকর মারেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫০

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ مَوْلًى لِأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ: جِئْتُ مَعَ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، مِنًى بِغَلَسٍ، فَقُلْتُ لَهَا: لَقَدْ جِئْنَا مِنًى بِغَلَسٍ، فَقَالَتْ: «قَدْ كُنَّا نَصْنَعُ هَذَا مَعَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ»

আতা ইবন আবূ রাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ)-এর এক আযাতকৃত গোলাম তাঁর কাছে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, আমি আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ)-এর সঙ্গে মিনায় (ভোর রাতের) অন্ধকারে গমন করলাম। আমি তাঁকে বললামঃ আমরা যে মিনায় অন্ধকারে এসে গেলাম। তিনি বললেনঃ আমরা এরূপ করতাম ঐ ব্যক্তির সঙ্গে, যিনি তোমার চাইতে উত্তম ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫১

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سُئِلَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَأَنَا جَالِسٌ مَعَهُ، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسِيرُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ حِينَ دَفَعَ؟ قَالَ: «كَانَ يُسَيِّرُ نَاقَتَهُ، فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ»

উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি উসামা ইবন যায়দের সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম, তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হলো যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে মুযদালিফা থেকে ফেরার সময় কিরূপে পথ চলতেন? তিনি বলেনঃ তিনি তাঁর উটনী স্বাভাবিকভাবে চালাতেন, যখন কোন উন্মুক্ত স্থানে উপনীত হন, তখন সওয়ারী দ্রুত চালাতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫২

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ حِينَ دَفَعُوا عَشِيَّةَ عَرَفَةَ وَغَدَاةَ جَمْعٍ: «عَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ» وَهُوَ كَافٌّ نَاقَتَهُ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ مِنًى فَهَبَطَ، حِينَ هَبَطَ مُحَسِّرًا، قَالَ: «عَلَيْكُمْ بِحَصَى الْخَذْفِ الَّذِي يُرْمَى بِهِ الْجَمْرَةُ» وَقَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ بِيَدِهِ كَمَا يَخْذِفُ الْإِنْسَانُ

ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, যখন তাঁরা সন্ধ্যায় আরাফা ত্যাগ করছিলেন আর মুযদালিফায় ভোরে, তোমরা ধীরস্থির ভাবে পথ অতিক্রম করবে আর তখন তিনি তাঁর উটনীর লাগাম ধরে রেখেছিলেন। তারপর যখন তিনি মিনায় প্রবেশ করলেন, অবতরণ করলেন। যখন তিনি মুহাসসার নামক স্থানে অবতরণ করলেন, তখন বললেনঃ তোমরা আংগুলে ছোঁড়ার কংকর সঙ্গে নাও, যা জামরায় মারতে হবে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতে ইঙ্গিত করে বললেনঃ যেরূপ কংকর মানুষ সাধারণত মেরে থাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মুহাস্সির নামক উপত্যকায় (বাহন) দ্রুত চালান

৩০৫৩

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাসসির উপত্যকায় দ্রুত উট চালনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

৩০৫৪

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَفَعَ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ الْعَبَّاسِ حَتَّى أَتَى مُحَسِّرًا حَرَّكَ قَلِيلًا، ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تُخْرِجُكَ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ، فَرَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا – حَصَى الْخَذْفِ – رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي»

জা’ফর ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি জাবির ইবন আবদুল্রাহ্ (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললামঃ রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হজ্জ সম্বন্ধে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্রাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বেই মুযদালিফা ত্যাগ করেন এবং ফযল ইবন আব্বাসকে তাঁর বাহনে তাঁর পেছনে বসিয়ে নেন, মুহাস্সিরে এসে তিনি তাঁর বাহনকে দ্রুতগতিতে পরিচালনা করেন। পরে তিনি সে পথ ধরে চলেন যা তোমাকে জামরায় কুবরায় (বড় শয়তান) পৌঁছে দেবে। এরপর তিনি বৃক্ষের নিকটের জামরায় উপনীত হন এবং সেখানে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন। তিনি এগুলোর প্রত্যেকটি নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলেন। তিনি (কংকর) নিক্ষেপ করেন উপত্যকার নিম্নভূমি থেকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

(মুযদালিফা থেকে মিনার দিকে) যাওয়ার সময় তালবিয়া পড়া

৩০৫৫

أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ وَهُوَ ابْنُ حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ جُرَيْجٍ، وَعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ «كَانَ رَدِيفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ»

ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে সওয়ার ছিলেন, তিনি (নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) জামরায় কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৬

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَبَّى حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরায় কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত (সর্বদা) তালবিয়া পাঠ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কংকর কুড়িয়ে নেয়া

৩০৫৭

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ الْعَقَبَةِ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ: «هَاتِ، الْقُطْ لِي» فَلَقَطْتُ لَهُ حَصَيَاتٍ هُنَّ حَصَى الْخَذْفِ، فَلَمَّا وَضَعْتُهُنَّ فِي يَدِهِ، قَالَ: «بِأَمْثَالِ هَؤُلَاءِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ فِي الدِّينِ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ الْغُلُوُّ فِي الدِّينِ»

আবুল আলিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকাবার সকালে (জামরায় ‘আকাবায় কংকর মারার সকালে- ১০ তারিখ) তার সওয়ারীতে উপবিষ্ট থেকে আমাকে বলেন : এসো, আমার জন্য (কংকর) কুড়িয়ে দাও। এরপর আমি তার জন্য কয়েকটি কংকর তুলে নেই, যেগুলো ছিল দুই আংগুলে মারার কংকরের মত। যখন আমি সেগুলো তাঁর হাতে দিলাম। তখন তিনি বললেন : এগুলোর মত (কংকর নিক্ষেপ করবে)। সাবধান, দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, কেননা তোমাদের পূর্বে যারা ছিল, ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি তাদের ধ্বংস করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কংকর কোথা থেকে কুড়াবে ?

৩০৫৮

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ حِينَ دَفَعُوا عَشِيَّةَ عَرَفَةَ وَغَدَاةَ جَمْعٍ: «عَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ» وَهُوَ كَافٌّ نَاقَتَهُ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ مِنًى فَهَبَطَ، حِينَ هَبَطَ مُحَسِّرًا قَالَ: «عَلَيْكُمْ بِحَصَى الْخَذْفِ الَّذِي تُرْمَى بِهِ الْجَمْرَةُ» قَالَ: وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ بِيَدِهِ كَمَا يَخْذِفُ الْإِنْسَانُ

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, যখন তারা সন্ধ্যায় আরাফা ও সকালে মুযদালিফা ত্যাগ করেন, তোমরা ধীর-স্থিরভাবে চল। তখন তিনি তার উটনীর লাগাম টেনে রাখেন। এরপর যখন তিনি মিনায় প্রবেশ করেন তখন তিনি অবতরণ করেন। ‘মুহাসসির’ নামক স্থানে তিনি বলেন : তোমরা ‘খায়ক’ (দুই আংগুলে মারার ছোট) কংকর সাথে নাও, যা জামরায় মারতে হবে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতে ইঙ্গিত করে বলেন : যেরূপ কংকর মানুষ সাধারণত মেরে থাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

নিক্ষেপের জন্য যে কংকর নিবে তার পরিমাণ

৩০৫৯

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ الْعَقَبَةِ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى رَاحِلَتِهِ: «هَاتِ، الْقُطْ لِي» فَلَقَطْتُ لَهُ حَصَيَاتٍ هُنَّ حَصَى الْخَذْفِ، فَوَضَعْتُهُنَّ فِي يَدِهِ، وَجَعَلَ يَقُولُ بِهِنَّ فِي يَدِهِ وَوَصَفَ يَحْيَى تَحْرِيكَهُنَّ فِي يَدِهِ بِأَمْثَالِ هَؤُلَاءِ

আবুল আলিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকাবার ভোরে তার সওয়ারীর উপর থেকে বললেন: এসো, আমার জন্য (কংকর) কুড়িয়ে নাও, তখন আমি তাঁর জন্য কয়েকটি কংকর কুড়িয়ে নেই। সেগুলো ছিল দুই আংগুলে ছুড়ে মারার কংকর। সেগুলো তার হাতে দিলাম। তিনি সেগুলো তাঁর হাতে নাড়াচাড়া করতে লাগলেন এবং বললেন : এগুলোর মত (কংকরই তোমরা নিক্ষেপ করবে)। ইয়াহইয়া (রহঃ) সেগুলোর মত কংকর তার হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করার অবস্থা বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

জামরার উদ্দেশ্যে সওয়ার হয়ে গমন করা এবং মুহরিমের ছায়া গ্রহণ

৩০৬০

أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ حُصَيْنٍ، قَالَتْ: «حَجَجْتُ فِي حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَأَيْتُ بِلَالًا يَقُودُ بِخِطَامِ رَاحِلَتِهِ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ رَافِعٌ عَلَيْهِ ثَوْبَهُ يُظِلُّهُ مِنَ الْحَرِّ وَهُوَ مُحْرِمٌ حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَذَكَرَ قَوْلًا كَثِيرًا»

ইয়াহইয়া ইবন হুসায়ন থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হজ্জের বছর আমিও হজ্জ করি। বিলাল (রাঃ) -কে দেখলাম, তার সওয়ারীর লাগাম ধরে টেনে চলছেন। আর উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) তার উপর কাপড় উঁচু করে ধরে তাঁকে ছায়া দিচ্ছেন রৌদ্র তাপ থেকে রক্ষার জন্য। তখন তিনি ছিলেন মুহরিম। এরপর তিনি জামরায়ে আকাবায় কংকর মারেন এবং লোকদের সম্মুখে খুতবা দেন। তিনি আল্লাহর শোকর আদায় করেন, তার প্রশংসা করেন এবং একটি দীর্ঘ খুতবা দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬১

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيْمَنُ بْنُ نَابِلٍ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَرْمِي جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ صَهْبَاءَ، لَا ضَرْبَ، وَلَا طَرْدَ، وَلَا إِلَيْكَ إِلَيْكَ»

কুদামা ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তার ‘সাহবা’ (সাদা ও লাল মিশ্রিত রংয়ের) উটনীর উপর থেকে কুরবানীর দিনে জামরাতুল আকাবায় কংকর মারতে দেখেছি। (বাহনকে বা পথচারীদের) পেটানো হচ্ছিল না, তাড়ানো হচ্ছিল না এবং ‘সর’ ‘সর’ ও বলা হচ্ছিল না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬২

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَرْمِي الْجَمْرَةَ وَهُوَ عَلَى بَعِيرِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، خُذُوا مَنَاسِكَكُمْ، فَإِنِّي لَا أَدْرِي لَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ عَامِي هَذَا»

আবু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর উটনীর উপর থেকে জামরায় কংকর মারতে দেখেছি। তিনি বলতেছিলেন : হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের হজ্জের মাসায়েল শিখে রাখ। আমি জানি না, হয়তো এ বছরের পর আমি আর হজ্জ করতে পারবো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কুরবানীর দিন জামরাতুল –‘আকাবায়’ কংকর নিক্ষেপের সময়

৩০৬৩

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الثَّقَفِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ، ضُحًى وَرَمَى بَعْدَ يَوْمِ النَّحْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন জামরায় কংকর মারেন প্রথম প্রহরে আর কুরবানীর দিনের পর তিনি কংকর মারেন সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সূর্যোদয়ের আগে জামরাতুল আকাবায় কংকর মারার প্রতি নিষেধাজ্ঞা

৩০৬৪

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُغَيْلِمَةَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى حُمُرَاتٍ يَلْطَحُ أَفْخَاذَنَا، وَيَقُولُ: «أُبَيْنِيَّ، لَا تَرْمُوا جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অর্থাৎ আবদুল মুত্তালিব গোত্রের কিশোরদের গাধায় সওয়ার করিয়ে প্রেরণ করেন। আর আমাদের উরুদেশে মৃদু আঘাত করতে করতে বলেন : হে আমার আদরের সন্তানরা! তোমরা সূর্যোদয়ের আগে জামরাতুল-আকাবায় কংকর মারবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৫

أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدَّمَ أَهْلَهُ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ لَا يَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পরিবার পরিজনকে আগেই পাঠিয়ে দিলেন, আর তাদের আদেশ দিলেন : তোমরা সূর্যোদয়ের আগে জামরাতুল-আকাবায় আগে কংকর মারবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

মহিলাদের জন্য এ বিষয়ে অনুমতি

৩০৬৬

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، عَنْ خَالَتِهَا عَائِشَةَ، أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ إِحْدَى نِسَائِهِ أَنْ تَنْفِرَ مِنْ جَمْعٍ لَيْلَةَ جَمْعٍ، فَتَأْتِيَ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَتَرْمِيَهَا، وَتُصْبِحَ فِي مَنْزِلِهَا» وَكَانَ عَطَاءٌ، يَفْعَلُهُ حَتَّى مَاتَ

আয়েশা বিনত তালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এক স্ত্রীকে আদেশ করেন যে, যেন সে মুযদালফার রাতে মুযদালফা ত্যাগ করে জামরাতুল-আকাবায় গিয়ে সেখানে কংকর মারে এবং ভোরে মানযিলে ফিরে আসে। আতা (রহঃ) মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এরূপ করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

সন্ধ্যার পর কংকর মারা

৩০৬৭

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْأَلُ أَيَّامَ مِنًى، فَيَقُولُ: «لَا حَرَجَ» فَسَأَلَهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ؟ قَالَ: «لَا حَرَجَ»، فَقَالَ رَجُلٌ: رَمَيْتُ بَعْدَ مَا أَمْسَيْتُ؟ قَالَ: «لَا حَرَجَ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মিনার দিনগুলোতে প্রশ্ন করা হতো, (সে দিনের হজ্জের কার্যাবলীর ব্যাপারে) তিনি বলতেন: কোন গুনাহ্ (অসুবিধা) নেই। এরপর এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন: আমি পশু কুরবানীর পূর্বে মাথা মুণ্ডন করেছি, তিনি বললেন : (এখন) যবাই কর। কোন পাপ নেই। পরে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন ; আমি সন্ধ্যার পর কংকর মেরেছি। তিনি বললেন : এতে কোন পাপ নেই।।[১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] ফিলহাজের দশ তারিখে হাজীদের চারটি কাজ করতে হয় এবং যেগুলো ক্রমানুসারে করতে হয়। অন্যথায় দম বা ফিদয়া দিতে হয়। সেই চারটি কাজ হলো যথাক্রমে : ১. জামারাতুল-আকাবাতে কংকর নিক্ষেপ, ২. কুরবানী করা, ৩. মাথা মুণ্ডান বা চুল কর্তন, ৪. ফরয তাওয়াফ। আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেন (আরবী) অর্থাৎ হাদয়ী তার স্থানে না পৌছা পর্যন্ত তোমরা মাথা মুণ্ডাবে না। ক্রমের ব্যতিক্রম করলে দম দিতে হবে বলে হযরত ইবন আব্বাসও ফাতাওয়া দিতেন। তবে ফিদয়া দিতে হলেও অজ্ঞতাবশত এইরূপ ব্যতিক্রমের কারণে কোন গুনাহ হবে না। হাদীসের মর্মও সেই দিকে ইঙ্গিত করছে। -অনুবাদক

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

রাখালদের কংকর মারা

৩০৬৮

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَخَّصَ لِلرُّعَاةِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمًا وَيَدَعُوا يَوْمًا»

আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাখালদের অনুমতি দিয়েছেন, তারা একদিন কংকর মারবে আর একদিন তা বাদ দেবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৯

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَخَّصَ لِلرُّعَاةِ فِي الْبَيْتُوتَةِ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّحْرِ، وَالْيَوْمَيْنِ اللَّذَيْنِ بَعْدَهُ يَجْمَعُونَهُمَا فِي أَحَدِهِمَا»

আবুল বাদ্দাহ ইবন আসিম ইবন আদী থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাখালদের রাত যাপনের ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন, তার কুরবানীর দিন কংকর মারবে এবং পরের দু’দিন একত্রে কোন একদিন মারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

যে স্থান থেকে জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা হয়

৩০৭০

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي مُحَيَّاةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ، قَالَ: قِيلَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ: إِنَّ نَاسًا يَرْمُونَ الْجَمْرَةَ مِنْ فَوْقِ الْعَقَبَةِ، قَالَ: «فَرَمَى عَبْدُ اللَّهِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي» ثُمَّ قَالَ: «مِنْ هَا هُنَا، وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ»

আবদুর রহমান অর্থাৎ ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) -কে বলা হলো, লোকেরা আকাবার উপর (পাহাড়ী ভূমির উঁচু অংশ) হতে জামরায় কংকর মেরে থাকে। রাবী বলেন : এরপর আবদুল্লাহ (রাঃ) বাতনে ওয়াদী (উপত্যকার নিম্ন অংশ) হতে কংকর মেরে বলেন : যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই তার শপথ করে বলছি। যাঁর উপর সূরা বাকারা নাযিল হয়েছে, তিনি এখান হতে কংকর মেরেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭১

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ الْخَلِيلِ، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ الْحَكَمِ، وَمَنْصُورٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: «رَمَى عَبْدُ اللَّهِ، الْجَمْرَةَ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، جَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ، وَعَرَفَةَ عَنْ يَمِينِهِ» وَقَالَ: «هَا هُنَا مَقَامِ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «مَا أَعْلَمُ أَحَدًا قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَنْصُورٌ غَيْرَ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ»

আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: আবদুল্লাহ (রাঃ) জামরায় সাতটি কংকর মারেন। তিনি বায়তুল্লাহকে তার বামদিকে রাখেন এবং আরাফাকে রাখেন তার ডান দিকে এবং তিনি বলেন : যার উপর সূরা বাকারা নাযিল হয়েছে, তিনি এ স্থানে দাড়িয়েই কংকর মেরেছেন। আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, ইবন আবু আদী ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসে মানসূর-এর নাম উল্লেখ করেছেন বলে আমার জানা নেই। আল্লাহ তা’আলাই অধিক জ্ঞাত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭২

أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: «رَأَيْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي»، ثُمَّ قَالَ: «هَا هُنَا، وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ»

আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবন মাসউদ (রাঃ) -কে বাতনে ওয়াদী (উপত্যকার নিম্নঅংশ) হতে জামরাতুল-আকাবায় কংকর মারতে দেখেছি। তারপর তিনি বললেন : যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তার শপথ! এই সে ব্যক্তির কংকর মারার স্থান, যার উপর সূরা বাকার নাযিল হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৩

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ – سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ يَقُولُ: لَا تَقُولُوا: سُورَةَ الْبَقَرَةِ، قُولُوا: السُّورَةَ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا الْبَقَرَةُ – فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِإِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّهُ ” كَانَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ، حِينَ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، فَاسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ، وَاسْتَعْرَضَهَا – يَعْنِي الْجَمْرَةَ – فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، وَكَبَّرَ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ، فَقُلْتُ: إِنَّ أُنَاسًا يَصْعَدُونَ الْجَبَلَ، فَقَالَ: «هَا هُنَا، وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ رَأَيْتُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ رَمَى»

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি হাজ্জাজকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা ‘সূরা বাকারা’ বলবে না। বরং তোমরা বলবে, এই সে সূরা যাতে বাকারা বা গাভীর উল্লেখ রয়েছে। আমি ইবরাহীমের নিকট একথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন : আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলেন, যখন তিনি জামরাতুল আকাবায় কংকর মারেন। তিনি বাতনে ওয়াদীতে (উপত্যকার নিচুতে) প্রবেশ করে তা অর্থাৎ জামরার বরাবর দাঁড়ান। এরপর সেখান থেকে সাতটি কংকর মারেন। আর তিনি প্রতিটি কংকর মারার সাথে তাকবীর বলেন। আমি বললাম : লোকেরা পাহাড়ে আরোহণ করে। তিনি বললেন : যে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই তার শপথ! যার উপর সূরা বাকারা নাযিল হয়েছে, আমি তাকে এখান থেকেই মারতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৪

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ – وَذَكَرَ آخَرُ -، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَمَى الْجَمْرَةَ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরায় কংকর মারেন, দু’আঙ্গুলে ছুড়ে মারার মত ক্ষুদ্র কংকর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৫

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَرْمِي الْجِمَارَ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আঙ্গুলে তুলে কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

জামরায় ছুঁড়ে মারা কংকরের সংখ্যা

৩০৭৬

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا – حَصَى الْخَذْفِ -، رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ»

হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম ; আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হজ্জ সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন : রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গাছের নিকটের জামরায় সাতটি কংকর মারেন। তিনি এর প্রত্যেক কংকরের সাথে তাকবীর বলেন। তিনি কংকর মারেন বাতনে-ওয়াদী হতে। এরপর তিনি যবেহ করার স্থানে গমন করে যবেহ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৭

أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، قَالَ: قَالَ مُجَاهِدٌ: قَالَ سَعْدٌ: ” رَجَعْنَا فِي الْحَجَّةِ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَعْضُنَا يَقُولُ: رَمَيْتُ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، وَبَعْضُنَا يَقُولُ: رَمَيْتُ بِسِتٍّ، فَلَمْ يَعِبْ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ “

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হজ্জ হতে প্রত্যাবর্তন করছিলাম। আমাদেরকে কেউ বললেন : আমি সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেছি। আর কেউ কেউ বললেন : আমি ছয়টি কংকর নিক্ষেপ করেছি। এ ব্যাপারে কেউ কারো প্রতি দোষারোপ করেন নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৮

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ، يَقُولُ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، عَنْ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجِمَارِ؟ فَقَالَ: «مَا أَدْرِي رَمَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسِتٍّ، أَوْ بِسَبْعٍ»

কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবু মিজলাজকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে জামরা সম্বন্ধে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছয়টি কংকর মেরেছেন অথবা সাতটি মেরেছেন, তা আমার জানা নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

প্রত্যেকটি কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলা

৩০৭৯

أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ الْهَمْدَانِيُّ الْكُوفِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَخِيهِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই বাহনে সওয়ার ছিলাম, তিনি তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন- জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত। তিনি সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন এবং প্রতিবার কংকর নিক্ষেপের সময় তিনি তাকবীর বলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

জামারাতুল আকাবায় কংকর মারার সময় মুহরিমের তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দেয়া

৩০৮০

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ: «كُنْتُ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا زِلْتُ أَسْمَعُهُ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، فَلَمَّا رَمَى قَطَعَ التَّلْبِيَةَ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই বাহনে সওয়ার ছিলাম, আমি সর্বদা তাকে তালবিয়া পাঠ করতে শুনি। জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত। যখন তিনি কংকর মারেন (আরম্ভ করেন) তখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮১

أَخْبَرَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا خُصَيْفٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، وَعَامِرٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ الْفَضْلَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ «كَانَ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে একই বাহনে সওয়ার ছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কংকর মারা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮২

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ خُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ، أَنَّهُ «كَانَ رَدِيفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ»

ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই বাহনে সওয়ার ছিলেন, তিনি সর্বদা তালবিয়া পাঠ করছিলেন। আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কংকর মারার পর দু’আ

৩০৮৩

أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: بَلَغَنَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي تَلِي الْمَنْحَرَ – مَنْحَرَ مِنًى – رَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ، ثُمَّ تَقَدَّمَ أَمَامَهَا، فَوَقَفَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ رَافِعًا يَدَيْهِ، يَدْعُو يُطِيلُ الْوُقُوفَ، ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الثَّانِيَةَ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ، ثُمَّ يَنْحَدِرُ ذَاتَ الشِّمَالِ، فَيَقِفُ مُسْتَقْبِلَ الْبَيْتِ، رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو، ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الْعَقَبَةِ، فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، وَلَا يَقِفُ عِنْدَهَا» قَالَ الزُّهْرِيُّ: سَمِعْتُ سَالِمًا، يُحَدِّثُ بِهَذَا، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ»

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : আমাদের নিকট (হাদীস) পৌছেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিনার যবাই করার স্থানের নিকটস্থ জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেন, তখন তাতে সাতটি কংকর মারেন। যখনই তিনি কংকর মারেন, তখনই তাকবীর বলেন। তারপর তিনি এর সামনে অগ্রসর হন এবং পশ্চিমমুখী হয়ে দাঁড়ান এবং তার দু’হাত উত্তোলন করে অনেকক্ষণ দু‘আয় রত থাকেন। তারপর তিনি দ্বিতীয় জামরায় এসে তাতেও সাতটি কংকর মারেন এবং প্রতিটি কংকর মারার সময় তাকবীর বলেন। এরপর তিনি বাম দিকে কিছুটা সরে যান এবং কেবলামুখী হয়ে দাড়িয়ে তার দু’হাত উত্তোলন করে দু‘আ করেন। এরপর তিনি আকাবার নিকটস্থ জামরায় আগমন করেন এবং এতেও তিনি সাতটি কংকর মারেন। কিন্তু এর নিকট তিনি দাঁড়ান নি। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমি সালিম (রহঃ) -কে এই হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি তার পিতার মাধ্যমে। আর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। আর ইবন উমর (রাঃ) এরূপ আমল করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদ

কংকর নিক্ষেপের পর মুহরিমের জন্য যা হালাল হয়

৩০৮৪

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: إِذَا رَمَى الْجَمْرَةَ فَقَدْ حَلَّ لَهُ كُلُّ شَيْءٍ، إِلَّا النِّسَاءَ، قِيلَ: وَالطِّيبُ؟ قَالَ: أَمَّا أَنَا، فَقَدْ «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَتَضَمَّخُ بِالْمِسْكِ، أَفَطِيبٌ هُوَ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যখন কেউ জামরায় কংকর মারল, তখন তার জন্য স্ত্রী ব্যতীত সকল কিছুই হালাল হয়ে যায়। কেউ জিজ্ঞাস করলোঃ সুগন্ধিও? তিনি বললেন ; আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কস্তুরীর সুগন্ধি মাখাতে দেখেছি। তা কি সুগন্ধী নয়?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস