১৩. অধ্যায়ঃ
মাহর-কুরআন শিক্ষা, লোহার আংটি ইত্যাদি বস্তু কম বা বেশি মাহর হতে পারে এবং যার জন্য কষ্টকর না হয় তার জন্য পাঁচশত দিরহাম মাহর দেয়া মুস্তাহব
৩৩৭৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، السَّاعِدِيِّ قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُ أَهَبُ لَكَ نَفْسِي . فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَعَّدَ النَّظَرَ فِيهَا وَصَوَّبَهُ ثُمَّ طَأْطَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ فَلَمَّا رَأَتِ الْمَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيهَا شَيْئًا جَلَسَتْ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا . فَقَالَ ” فَهَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَىْءٍ ” . فَقَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ ” اذْهَبْ إِلَى أَهْلِكَ فَانْظُرْ هَلْ تَجِدُ شَيْئًا ” . فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ لاَ وَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ شَيْئًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” انْظُرْ وَلَوْ خَاتِمًا مِنْ حَدِيدٍ ” . فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ . فَقَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ خَاتِمًا مِنْ حَدِيدٍ . وَلَكِنْ هَذَا إِزَارِي – قَالَ سَهْلٌ مَا لَهُ رِدَاءٌ – فَلَهَا نِصْفُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا تَصْنَعُ بِإِزَارِكَ إِنْ لَبِسْتَهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْهُ شَىْءٌ وَإِنْ لَبِسَتْهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ مِنْهُ شَىْءٌ ” . فَجَلَسَ الرَّجُلُ حَتَّى إِذَا طَالَ مَجْلِسُهُ قَامَ فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُوَلِّيًا فَأَمَرَ بِهِ فَدُعِيَ فَلَمَّا جَاءَ قَالَ ” مَاذَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ” . قَالَ مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا – عَدَّدَهَا . فَقَالَ ” تَقْرَؤُهُنَّ عَنْ ظَهْرِ قَلْبِكَ ” . قَالَ نَعَمْ . قَالَ ” اذْهَبْ فَقَدْ مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ” . هَذَا حَدِيثُ ابْنِ أَبِي حَازِمٍ وَحَدِيثُ يَعْقُوبَ يُقَارِبُهُ فِي اللَّفْظِ .
সাহ্ল ইবনু সা‘দ আস্ সা‘ইদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আমি নিজেকে আপনার জন্য হিবা করছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে লক্ষ্য করলেন এবং দৃষ্টি উপরের দিকে উঠিয়ে নিচে নামালেন। অতঃপর তিনি তাঁর শির মুবারক নত করলেন। মহিলা যখন বুঝতে পারল যে, তার সম্বন্ধে কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছেননি, তখন সে বসে পড়ল। অতঃপর জনৈক সাহাবী দাঁড়িয়ে আরয করল, হে আল্লাহ্র রসূল! যদি আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে তাকে আমার সাথে বিবাহ দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সাহাবী বললেন, না, আল্লাহর কসম হে আল্লাহ্র রসূল! তিনি বললেন, তুমি বাড়ী যাও দেখ, কোন কিছু পাও কিনা। সাহাবী বাড়ি গিয়ে আবার ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, আমি বাড়িতে কোন কিছুই পাইনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দেখ, লোহার আংটি হলেও (পাও কিনা)। সাহাবী আবার গেল এবং ফিরে এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আল্লাহ্র কসম, আমি লোহার আংটিও পাইনি। তবে আমার এ লুঙ্গিটি আছে। (বর্ণনাকারী) সাহ্ল (রাঃ) বলেন, চাদরও ছিল না- যাতে অর্ধেক মহিলাটির জন্য হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার লুঙ্গি দ্বারা কী করবে? তা যদি তুমি পর তাহলে স্ত্রীর জন্য সেটির কোন অংশ অবশিষ্ট থাকবে না। আর যদি সে তা পরিধান করে তাহলে (তোমার জন্য) সেটির কোন অংশ অবশিষ্ট থাকবে না। এরপর সে ব্যক্তি বসে রইল। অনেকক্ষণ বসার পর উঠে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ফিরে যেতে দেখে ডেকে পাঠালেন। যখন সে এল রসূল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কুরআনের কোন অংশ তোমার জানা আছে? উত্তরে সে বললঃ অমুক সূরাহ্, অমুক সূরাহ্ আমার জানা আছে। এভাবে সে সূরাগুলোর সংখ্যা বলে দিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি এগুলো মুখস্থ পাঠ করতে পার? সাহাবী বলল, হাঁ। তিনি বললেন, যাও, তোমাকে এসব সূরার কারণে এ মহিলাকে তোমার অধিকারে দিয়ে দিলাম।
এ হল ইবনু আবূ হাযিম-এর বর্ণনা। আর ইয়া‘কূব-এর বর্ণনা শব্দের দিকে দিয়ে এর কাছাকাছি। (ই.ফা. ৩৩৫২, ই.সে. ৩৩৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৭৯
وَحَدَّثَنَاهُ خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ، أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ زَائِدَةَ قَالَ “ انْطَلِقْ فَقَدْ زَوَّجْتُكَهَا فَعَلِّمْهَا مِنَ الْقُرْآنِ ” .
আবূ হাযিম (রহঃ)-এর সূত্রে সাহল ইবনু সা‘দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ হাদীস বর্ণনা করেন। অবশ্য কেউ কেউ একে অপর থেকে বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন। তবে যায়িদাহ্-এর হাদীসে রয়েছে, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি যাও, আমি তোমার সাথে একে বিবাহ দিলাম। তুমি তাকে কুরআন শিক্ষা দাও।” (ই.ফা. ৩৩৫৩, ই.সে. ৩৩৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا عَبْدُ، الْعَزِيزِ عَنْ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَمْ كَانَ صَدَاقُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ صَدَاقُهُ لأَزْوَاجِهِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا . قَالَتْ أَتَدْرِي مَا النَّشُّ قَالَ قُلْتُ لاَ . قَالَتْ نِصْفُ أُوقِيَّةٍ . فَتِلْكَ خَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ فَهَذَا صَدَاقُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَزْوَاجِهِ.
আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিবাহে মাহর কী পরিমাণ ছিল? তিনি বললেন, তাঁর বিবিগণের মাহরের পরিমাণ ছিল বারো উকিয়্যাহ্ ও এক নাশ্। তিনি বললেন, তুমি কি জান এক নাশ্ এর পরিমাণ কতটুকু? আমি বললাম, ‘না’। তিনি বললেন, এক নাশ্ এর পরিমাণ হল আধা উকিয়্যাহ্। সুতরাং মোট হল পাঁচশত দিরহাম। এ ছিল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণীগণের মাহর। (ই.ফা. ৩৩৫৪, ই.সে. ৩৩৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَثَرَ صُفْرَةٍ فَقَالَ ” مَا هَذَا ” . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ . قَالَ ” فَبَارَكَ اللَّهُ لَكَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ ”.
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-এর কাপড়ে হলদে রঙ দেখে বললেন, একি? তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি খেজুরের আঁটির সমপরিমাণ সোনার বিনিময়ে এক মহিলাকে বিবাহ করেছি। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দান করুন, তুমি ওয়ালীমাহ্ কর, যদিও একটি বকরী দ্বারা হয়। (ই.ফা. ৩৩৫৫, ই.সে. ৩৩৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، تَزَوَّجَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ ”.
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) খেজুরের আঁটি পরিমাণ সোনার বিনিময়ে (মুহরানা দিয়ে) বিবাহ করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ “তুমি ওয়ালীমাহ্ কর, যদি তা একটি বকরী দ্বারাও হয়।” (ই.ফা. ৩৩৫৬, ই.সে. ৩৩৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৩
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، تَزَوَّجَ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ “ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ ” .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) খেজুরের আঁটি পরিমাণ সোনার (মুহরানার) বিনিময়ে এক মহিলাকে বিবাহ করেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ “তুমি ওয়ালীমাহ্ কর, যদি একটি বকরী দিয়েও হয়।” (ই.ফা. ৩৩৫৭, ই.সে. ৩৩৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৪
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَهَارُونُ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خِرَاشٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ وَهْبٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً .
শু‘বাহ্ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
হুমায়দ থেকে উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন। তবে ওয়াহ্ব-এর হাদীসে রয়েছে, ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বললেনঃ আমি এক মহিলাকে বিবাহ করেছি। (ই.ফা. ৩৩৫৮, ই.সে. ৩৩৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৫
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَىَّ بَشَاشَةُ الْعُرْسِ فَقُلْتُ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ . فَقَالَ “ كَمْ أَصْدَقْتَهَا ” . فَقُلْتُ نَوَاةً . وَفِي حَدِيثِ إِسْحَاقَ مِنْ ذَهَبٍ .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার চেহারায় বাসর যাপনের প্রফুল্লতা দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি এক আনসার মহিলাকে বিবাহ করেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তাকে কী পরিমাণ মাহর দিয়েছো? আমি বললাম, এক নাওয়াত (এক খেজুর পরিমাণ স্বর্ণ)।
ইসহাক্ব (রহঃ)-এর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেনঃ ‘এক খেজুর পরিমাণ স্বর্ণের’। (ই.ফা. ৩৩৫৯, ই.সে. ৩৩৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، – قَالَ شُعْبَةُ وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ – عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، تَزَوَّجَ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুর রহমান (রাঃ) খেজুরের একটি আঁটি পরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে (মুহরানা দিয়ে) এক মহিলাকে বিবাহ করেন। (ই.ফা. ৩৩৬০, ই.সে. ৩৩৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৭
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ وَلَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ مِنْ ذَهَبٍ .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন। তবে এতে রয়েছে, তিনি বললেনঃ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ-এর কোন এক সন্তান স্বর্ণের শব্দও বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৩৬১, ই.সে. ৩৩৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
স্বীয় ক্রীতদাসীকে আযাদ করে বিবাহ করার ফাযীলাত প্রসঙ্গে
৩৩৮৮
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا خَيْبَرَ قَالَ فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا صَلاَةَ الْغَدَاةِ بِغَلَسٍ فَرَكِبَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ فَأَجْرَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَانْحَسَرَ الإِزَارُ عَنْ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي لأَرَى بَيَاضَ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ ” اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ” . قَالَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ وَقَدْ خَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَاللَّهِ . قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ . قَالَ وَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً وَجُمِعَ السَّبْىُ فَجَاءَهُ دِحْيَةُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ ” اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً ” . فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ سَيِّدِ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ مَا تَصْلُحُ إِلاَّ لَكَ . قَالَ ” ادْعُوهُ بِهَا ” . قَالَ فَجَاءَ بِهَا فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْىِ غَيْرَهَا ” . قَالَ وَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا . فَقَالَ لَهُ ثَابِتٌ يَا أَبَا حَمْزَةَ مَا أَصْدَقَهَا قَالَ نَفْسَهَا أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا حَتَّى إِذَا كَانَ بِالطَّرِيقِ جَهَّزَتْهَا لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ فَأَهْدَتْهَا لَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَرُوسًا فَقَالَ ” مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَىْءٌ فَلْيَجِئْ بِهِ ” قَالَ وَبَسَطَ نِطَعًا قَالَ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالأَقِطِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالتَّمْرِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالسَّمْنِ فَحَاسُوا حَيْسًا . فَكَانَتْ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধে যান। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা খায়বারের কাছে অন্ধকার থাকতেই ফাজ্রের সলাত আদায় করলাম। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং আবূ ত্বলহাহ্ (রাঃ) সওয়ার হলেন। আমি ছিলাম আবূ ত্বলহাহ (রাঃ)-এর রাদীফ (তাঁর বাহনে তার পশ্চাতে উপবিষ্ট) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের গলি দিয়ে রওনা দিলেন। এ সময় আমার হাঁটু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উরুদেশ স্পর্শ করছিল এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উরু থেকে লুঙ্গি সরে যাচ্ছিল। আর আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উরুর শুভ্রতা দেখছিলাম। যখন তিনি বস্তিতে প্রবেশ করলেন তখন বললেন, আল্লাহু আকবার, খায়বার ধ্বংস হোক। বস্তুত আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের আঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন সতর্ককৃতদের প্রভাত হবে কত মন্দ! এ কথা তিনি তিনবার বলেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঐ সময় লোকজন তাদের কাজে বের হচ্ছিল। তারা বলতে লাগলো, মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এসেছেন)।
বর্ণনাকারী ‘আবদুল ‘আযীয বলেন, আমাদের কোন কোন উস্তায বলেছেন, ‘পুরো বাহিনী সহ’।
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা খায়বার জয় করলাম এবং বন্দীদের একত্রিত করা হল। তখন দিহ্ইয়া (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! কয়েদীদের মধ্যে থেকে আমাকে একজন দাসী প্রদান করুন। তিনি বললেনঃযাও, একজন দাসী নিয়ে নাও। তিনি সফিয়্যাহ্ বিন্ত হুয়াইকে নিয়ে নিলেন। তখন এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর নাবী! আপনি বানূ কুরায়যাহ্ ও বানূ নাযীর-এর সর্দার হুয়াইয়ের কন্যা সফিয়্যাকে দিহ্ইয়াকে দিয়ে দিয়েছেন। ইনি একমাত্র আপনারই উপযুক্ত হতে পারে। তিনি বললেন তাকে সফিয়্যাহ্সহ ডাক। তারপর দিহ্ইয়া (রাঃ) সফিয়্যাহ্সহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন, তখন তিনি দিহ্ইয়া, (রাঃ)-কে বললেন, তুমি সফিয়্যাহ্ ব্যতীত কয়েদীদের মধ্য থেকে অন্য কোন দাসী নিয়ে নাও।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি সফিয়্যাকে আযাদ করলেন এবং তাঁকে বিবাহ করলেন। আনাসকে লক্ষ্য করে সাবিত (রাঃ) বললেন, হে আবূ হামযাহ্! তিনি তাঁকে কী মাহর দিলেন? তিনি বললেন, তিনি তাঁর সত্তাকে মুক্তি দান করেন এবং এর বিনিময়ে তাঁকে বিবাহ করেন। তারপর তিনি যখন (ফেরার) পথে ছিলেন তখন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-কে তাঁর জন্য প্রস্তুত করেন এবং রাতে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে বাসর উদযাপনের পর ভোর হলে তিনি ঘোষণা করলেন, যার নিকট যা কিছু আছে তা নিয়ে যেন উপস্থিত হয়। আর তিনি চামড়ার বড় দস্তরখান বিছালেন। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে কেউ পানীয়, কেউ খেজুর ও কেউ ঘি নিয়ে হাযির হল। তারপর এসব মিলিয়ে তারা হায়স তৈরী করেন। আর তাই ছিল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওয়ালীমাহ্। (ই.ফা. ৩৩৬২, ই.সে. ৩৩৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ ثَابِتٍ، وَعَبْدِ، الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ ثَابِتٍ، وَشُعَيْبِ، بْنِ حَبْحَابٍ عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسٍ، كُلُّهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا . وَفِي حَدِيثِ مُعَاذٍ عَنْ أَبِيهِ تَزَوَّجَ صَفِيَّةَ وَأَصْدَقَهَا عِتْقَهَا.
আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সফিয়্যাকে আযাদ করলেন এবং তাঁর আযাদ করাকে মাহর ধার্য করলেন।
অপর এক হাদীসে মু’আয তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফিয়্যাকে বিবাহ করেন এবং তাঁর আযাদ করাটাই ছিল মাহর।”(ই.ফা. ৩৩৬৩, ই.সে. ৩৩৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي يُعْتِقُ جَارِيَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا “ لَهُ أَجْرَانِ ” .
আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে তার দাসী আযাদ করে তাকে বিয়ে করে, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব। (ই.ফা. ৩৩৬৪, ই.সে. ৩৩৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ أَبِي طَلْحَةَ يَوْمَ خَيْبَرَ وَقَدَمِي تَمَسُّ قَدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَأَتَيْنَاهُمْ حِينَ بَزَغَتِ الشَّمْسُ وَقَدْ أَخْرَجُوا مَوَاشِيَهُمَ وَخَرَجُوا بِفُئُوسِهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ وَمُرُورِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ – قَالَ – وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ” . قَالَ وَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَوَقَعَتْ فِي سَهْمِ دَحْيَةَ جَارِيَةٌ جَمِيلَةٌ فَاشْتَرَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعَةِ أَرْؤُسٍ ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تُصَنِّعُهَا لَهُ وَتُهَيِّئُهَا – قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ – وَتَعْتَدُّ فِي بَيْتِهَا وَهِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ – قَالَ – وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِيمَتَهَا التَّمْرَ وَالأَقِطَ وَالسَّمْنَ فُحِصَتِ الأَرْضُ أَفَاحِيصَ وَجِيءَ بِالأَنْطَاعِ فَوُضِعَتْ فِيهَا وَجِيءَ بِالأَقِطِ وَالسَّمْنِ فَشَبِعَ النَّاسُ – قَالَ – وَقَالَ النَّاسُ لاَ نَدْرِي أَتَزَوَّجَهَا أَمِ اتَّخَذَهَا أُمَّ وَلَدٍ . قَالُوا إِنْ حَجَبَهَا فَهْىَ امْرَأَتُهُ وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا فَهْىَ أُمُّ وَلَدٍ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَبَ حَجَبَهَا فَقَعَدَتْ عَلَى عَجُزِ الْبَعِيرِ فَعَرَفُوا أَنَّهُ قَدْ تَزَوَّجَهَا . فَلَمَّا دَنَوْا مِنَ الْمَدِينَةِ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدَفَعْنَا – قَالَ – فَعَثَرَتِ النَّاقَةُ الْعَضْبَاءُ وَنَدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَدَرَتْ فَقَامَ فَسَتَرَهَا وَقَدْ أَشْرَفَتِ النِّسَاءُ فَقُلْنَ أَبْعَدَ اللَّهُ الْيَهُودِيَّةَ . قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ أَوَقَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِي وَاللَّهِ لَقَدْ وَقَعَ .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খায়বারের যুদ্ধে আমি আবূ ত্বল্হাহ্ (রাঃ)-এর পিছনে সওয়ার ছিলাম। আমার পা তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কদম মুবারক স্পর্শ করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সূর্যোদয়ের সময় খায়বারবাসীদের নিকট পৌছলাম। তারা তখন চতুষ্পদ জন্তু, কোদাল, বস্তু ও রশি নিয়ে বের হচ্ছিল। তারা বলতে লাগলো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পঞ্চবাহিনী (পূর্ণ বাহিনী) নিয়ে এসে গেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃখায়বার ধ্বংস হোক, আমরা যখন কোন শত্রু দলের আঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃত লোকদের প্রভাত হয় মন্দ। বর্ণনাকারী বলেন, (ঐ অভিযানে) আল্লাহ তাদের পরাজিত করেছেন। দিহ্ইয়া (রাঃ)-এর ভাগে পড়ে সুন্দরী দাসী। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতজন দাসের বিনিময়ে সে দাসীকে খরিদ করে নেন। অত:পর তিনি তাকে উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-এর হাওয়ালা করেন যাতে তিনি তাঁকে ঠিকঠাক করে প্রস্তুত করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় রাবী এ কথাও বলেছেন, সে যেন তাঁর ঘরে ‘ইদ্দাত পূর্ণ করে। তিনি ছিলেন হুয়াইর কন্যা সফিয়্যাহ্। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেজুর, পানীয় ও ঘি দিয়ে তার ওয়ালীমাহ্ করলেন। এ উদ্দেশে জমিনের কিছু অংশ গর্ত আকারের করে তাতে চামড়ার বড় দস্তরখান বিছিয়ে দেয়া হয়। এতেই পানীয় ও ঘি রাখা হয়। সকলেই তা তৃপ্তির সাথে আহার করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বলতে লাগল: আমরা জানি না, তিনি তাকে বিবাহ করলেন, না উম্মু ওয়ালাদ (দাসী) রূপে গ্রহণ করলেন। আবার কয়েকজন বলতে লাগল, যদি তিনি তাঁর পর্দার ব্যবস্থা না করেন তবে তিনি তাঁর উম্মু ওয়ালাদ। তিনি যখন বাহনে সওয়ার হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তাঁর জন্য পর্দার ব্যবস্থা করলেন। এরপর সফিয়্যাহ্ (রাঃ) উটের পিছনের দিকে বসলেন। তখন লোকেরা জানতে পারল যে, তিনি তাঁকে বিবাহ করেছেন। সাহাবীগণ যখন মাদীনার নিকটবর্তী হলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন দ্রুত অগ্রসর হতে থাকলেন এবং আমরাও দ্রুত চললাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আদবা’ নামক উষ্ট্রী হোঁচট খেলে তিনি উটের পিঠ থেকে জমিনে পড়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমিনে পড়ে যান এবং সফিয়্যাহ্ (রাঃ)ও পড়ে যান। তিনি দাঁড়িয়ে সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-কে পর্দার দ্বারা আবৃত করে দেন। এ দেখে কতিপয় মহিলা বলতে লাগল, ইয়াহুদী মহিলাকে আল্লাহ তাঁর রহমাত থেকে বঞ্চিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হামযাহ্! সত্যিই কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটনী থেকে জমিনে পড়ে গিয়েছিলেন? তিনি শপথ করে বললেন, হাঁ। (ই.ফা. ৩৩৬৫, ই.সে. ৩৩৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯২
قَالَ أَنَسٌ وَشَهِدْتُ وَلِيمَةَ زَيْنَبَ فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا وَكَانَ يَبْعَثُنِي فَأَدْعُو النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ وَتَبِعْتُهُ فَتَخَلَّفَ رَجُلاَنِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ لَمْ يَخْرُجَا فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى نِسَائِهِ فَيُسَلِّمُ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ ” سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَيْفَ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ ” . فَيَقُولُونَ بِخَيْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ فَيَقُولُ ” بِخَيْرٍ ” . فَلَمَّا فَرَغَ رَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ إِذَا هُوَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ فَلَمَّا رَأَيَاهُ قَدْ رَجَعَ قَامَا فَخَرَجَا فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَمْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ بِأَنَّهُمَا قَدْ خَرَجَا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ الْبَابِ أَرْخَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ { لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ} الآيَةَ .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নিজে যায়নাব (রাঃ)-এর ওয়ালীমাহ্ অনুষ্ঠানে ছিলাম। সে অনুষ্ঠানে র সূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে ছিলেন। সে ওয়ালীমার দা‘ওয়াত দেয়ার জন্য তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যখন ওয়ালীমার কাজ শেষ করে উঠলেন আমিও তাঁর পিছনে চললাম। তখনও দু’জন লোক ঘরে কথাবার্তায় ব্যস্ত রইল, তারা বের হল না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগনের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেককেই ‘আস্সালামু আলায়কুম’ বলে সালাম জানিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হে গৃহবাসী! তোমরা কেমন আছো? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, “আমরা ভাল আছি, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি আপনার নব পরিণীতাকে কেমন পেয়েছেন? বললেন, ভালই। তিনি যখন এ কাজ শেষ করে ফিরে এলেন আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন তিনি দরজার কাছে এলেন- দেখলেন যে, সে দু’জন আলোচনায় রত আছে। তারা তাঁকে ফিরে যেতে দেখে উঠে চলে গেল। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে নেই, ঘর থেকে ঐ দু’জন লোকের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমি তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না এ ব্যাপারে তাঁর উপর ওয়াহী নাযিল হয়েছিল। তিনি আবার ফিরে এলেন এবং আমিও তার সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন তিনি দরজার চৌকাঠে পা রাখলেন তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝে পর্দা টেনে দিলেন, আর আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করেন- “তোমরা নাবীর ঘরে তাঁর বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না।” (ই.ফা. ৩৩৬৫, ই.সে. ৩৩৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِثٍ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمِ بْنِ حَيَّانَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، قَالَ صَارَتْ صَفِيَّةُ لِدَحْيَةَ فِي مَقْسَمِهِ وَجَعَلُوا يَمْدَحُونَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – وَيَقُولُونَ مَا رَأَيْنَا فِي السَّبْىِ مِثْلَهَا – قَالَ – فَبَعَثَ إِلَى دِحْيَةَ فَأَعْطَاهُ بِهَا مَا أَرَادَ ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّي فَقَالَ ” أَصْلِحِيهَا ” . قَالَ ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا جَعَلَهَا فِي ظَهْرِهِ نَزَلَ ثُمَّ ضَرَبَ عَلَيْهَا الْقُبَّةَ فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ كَانَ عِنْدَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَأْتِنَا بِهِ ” . قَالَ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِفَضْلِ التَّمْرِ وَفَضْلِ السَّوِيقِ حَتَّى جَعَلُوا مِنْ ذَلِكَ سَوَادًا حَيْسًا فَجَعَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ ذَلِكَ الْحَيْسِ وَيَشْرَبُونَ مِنْ حِيَاضٍ إِلَى جَنْبِهِمْ مِنْ مَاءِ السَّمَاءِ – قَالَ – فَقَالَ أَنَسٌ فَكَانَتْ تِلْكَ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهَا – قَالَ – فَانْطَلَقْنَا حَتَّى إِذَا رَأَيْنَا جُدُرَ الْمَدِينَةِ هَشِشْنَا إِلَيْهَا فَرَفَعْنَا مَطِيَّنَا وَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَطِيَّتَهُ – قَالَ – وَصَفِيَّةُ خَلْفَهُ قَدْ أَرْدَفَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَعَثَرَتْ مَطِيَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصُرِعَ وَصُرِعَتْ قَالَ فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ يَنْظُرُ إِلَيْهِ وَلاَ إِلَيْهَا حَتَّى قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَتَرَهَا – قَالَ – فَأَتَيْنَاهُ فَقَالَ ” لَمْ نُضَرَّ ” . قَالَ فَدَخَلْنَا الْمَدِينَةَ فَخَرَجَ جَوَارِي نِسَائِهِ يَتَرَاءَيْنَهَا وَيَشْمَتْنَ بِصَرْعَتِهَا .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সফিয়্যাহ্ (রাঃ) দিহ্ইয়া (রাঃ)-এর ভাগে পড়েন। লোকেরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে তাঁর প্রশংসা করে বলতে লাগলো, আমরা কয়েদীদের মধ্যে তাঁর কোন জুড়ি দেখিনি। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন তিনি দিহ্ইয়াকে ডেকে পাঠালেন এবং সফিয়্যার বদলে তাকে যা তিনি চাইলেন তা দিয়ে দিলেন। অত:পর তিনি সফিয়্যাকে আমার মা (উম্মু সুলায়ম)-এর কাছে দিয়ে বললেন, তুমি তাকে (সাজিয়ে) ঠিকঠাক করে দাও। আনাস (রাঃ) বলেন, এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার থেকে বের হয়ে পড়লেন। যখন ছেড়ে আসলেন তখন অবতরণ করলেন। অত:পর সফিয়্যার উপর একটি তাঁবু খাটিয়ে দিলেন। ভোরে উঠে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার কাছে উদ্বৃত্ত খাদ্য আছে সে যেন তা আমার কাছে নিয়ে আসে। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন লোকজন তার উদ্বৃত্ত খেজুর এবং উদ্বৃত্ত ছাতু আনতে লাগল। এমনকি এগুলোর একটি স্তুপ পরিমাণ জমা করে হায়স তৈরী করল। অত:পর সকলে হায়স থেকে খেতে লাগল এবং বৃষ্টির পানির হাওয থেকে তারা পানি পান করতে লাগল। বর্ণনাকারী (সাবিত) বলেন, আনাস (রাঃ) বলেন, তাই ছিল সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর ওয়ালীমাহ্। তিনি বলেন, অত:পর আমরা রওনা দিলাম এবং যখন মাদীনার প্রাচীরগুলো দেখতে পেলাম তখন মাদীনার জন্য আমাদের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। আমরা আমাদের সওয়ারীগুলোকে দ্রুত চালনা করলাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সওয়ারীকে দ্রুত চালালেন। আনাস (রাঃ) বলেন, সফিয়্যাহ্ তাঁর পিছনে তাঁর সাথে সওয়ার করে গিয়েছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উটনী হোঁচট খায়। ফলে তিনি ও সফিয়্যাহ্ (রাঃ) পড়ে যান। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা কেউ তাঁর ও সফিয়্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেননি। ইতোমধ্যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে তাঁকে আবৃত করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা মাদীনায় প্রবেশ করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অপরাপর সহধর্মিণীগণ বের হয়ে সফিয়্যাকে একজন আর একজনকে দেখাতে লাগলেন এবং তাঁর মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে আফসোস করতে লাগলেন।(ই.ফা. ৩৩৬৬, ই.সে. ৩৩৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
যায়নাব বিনতু জাহ্শকে বিবাহ করা, পর্দার হুমুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওয়ালীমাহ্ সাবিত হওয়া
৩৩৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، وَهَذَا حَدِيثُ بَهْزٍ قَالَ لَمَّا انْقَضَتْ عِدَّةُ زَيْنَبَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِزَيْدٍ ” فَاذْكُرْهَا عَلَىَّ ” . قَالَ فَانْطَلَقَ زَيْدٌ حَتَّى أَتَاهَا وَهْىَ تُخَمِّرُ عَجِينَهَا قَالَ فَلَمَّا رَأَيْتُهَا عَظُمَتْ فِي صَدْرِي حَتَّى مَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَنْظُرَ إِلَيْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَهَا فَوَلَّيْتُهَا ظَهْرِي وَنَكَصْتُ عَلَى عَقِبِي فَقُلْتُ يَا زَيْنَبُ أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُكِ . قَالَتْ مَا أَنَا بِصَانِعَةٍ شَيْئًا حَتَّى أُوَامِرَ رَبِّي . فَقَامَتْ إِلَى مَسْجِدِهَا وَنَزَلَ الْقُرْآنُ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَيْهَا بِغَيْرِ إِذْنٍ قَالَ فَقَالَ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعَمَنَا الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ حِينَ امْتَدَّ النَّهَارُ فَخَرَجَ النَّاسُ وَبَقِيَ رِجَالٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي الْبَيْتِ بَعْدَ الطَّعَامِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاتَّبَعْتُهُ فَجَعَلَ يَتَتَبَّعُ حُجَرَ نِسَائِهِ يُسَلِّمُ عَلَيْهِنَّ وَيَقُلْنَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ قَالَ فَمَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَنَّ الْقَوْمَ خَرَجُوا أَوْ أَخْبَرَنِي – قَالَ – فَانْطَلَقَ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ مَعَهُ فَأَلْقَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَنَزَلَ الْحِجَابُ قَالَ وَوُعِظَ الْقَوْمُ بِمَا وُعِظُوا بِهِ . زَادَ ابْنُ رَافِعٍ فِي حَدِيثِهِ { لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ} إِلَى قَوْلِهِ { وَاللَّهُ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ}
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন যায়নাব (রাঃ)-এর ‘ইদ্দাত পূর্ণ হল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়দ (রাঃ)-কে বললেন, তুমি যায়নাবের নিকট আমার কথা উল্লেখ কর। আনাস (রাঃ) বলেন, যায়দ (রাঃ) রওনা হলেন এবং তাঁর নিকট গেলেন। তখন তিনি আটা খামির করছিলেন। যায়দ (রাঃ) বলেন, আমি যখন তাঁকে দেখলাম তাঁর মর্যাদা আমার অন্তরে এমনভাবে জাগ্রত হল যে, আমি তাঁর প্রতি তাকাতে পারলাম না। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে স্মরণ করেছেন। তাই আমি তাঁর দিকে পিঠ ফিরে দাঁড়ালাম এবং পিছনের দিকে সরে পড়লাম। এরপর বললাম, হে যায়নাব! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে স্মরণ করে আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি বললেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুই করব না যে পর্যন্ত না আমি আমার রবের কাছ থেকে নির্দেশ লাভ না করি। এরপর তিনি তার সলাতের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন। এদিকে কুরআন নাযিল হল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে যায়নাবের বিনা অনুমতিতেই তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা দেখেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (যায়নাবের সে বিবাহ উপলক্ষে) দুপুর বেলায় আমাদের রুটি গোশ্ত খাইয়েছেন। খাওয়া-দাওয়ার পর লোকেরা বের হয়ে গেল কিন্তু কয়েকজন লোক খাওয়ার পর আলাপে মশগুল থাকল। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে পড়লেন, আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি তাঁর বিবিগণের ঘরে ঘরে উপস্থিত হয়ে তাঁদের সালাম করতে লাগলেন। আর বিবিগণ তাঁকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার এ স্ত্রীকে কেমন পেয়েছেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমার মনে নেই, (আলাপরত) সে লোকদের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমিই তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না তিনিই আমাকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অত:পর তিনি চললেন এবং সে ঘরে প্রবেশ করলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলাম। তিনি আমার ও তাঁর মধ্যে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার বিধান নাযিল হল। আনাস (রাঃ) বলেন, লোকদের নাসীহাত দিলেন দেয়ার যা ছিল।
ইবনু রাফি’ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করতে গিয়ে এ আয়াত উল্লেখ করেন: (অর্থ) “তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নবী গৃহে প্রবেশ করবে না… কিন্তু আল্লাহ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না।”- (সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩:৫৩)।” (ই.ফা. ৩৩৬৭, ই.সে. ৩৩৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৫
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، – وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كَامِلٍ سَمِعْتُ أَنَسًا، – قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْلَمَ عَلَى امْرَأَةٍ – وَقَالَ أَبُو كَامِلٍ عَلَى شَىْءٍ – مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ فَإِنَّهُ ذَبَحَ شَاةً .
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন মহিলার জন্য- আবূ কামিল বলেন, তাঁর কোন স্ত্রীর জন্য- সেরূপ ওয়ালীমাহ করতে দেখিনি যেমন ওয়ালীমাহ করেছেন যায়নাবের জন্য। তার জন্য তিনি একটি বকরী যাবাহ করেছেন। (ই.ফা. ৩৩৬৮, ই.সে. ৩৩৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ مَا أَوْلَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ أَكْثَرَ أَوْ أَفْضَلَ مِمَّا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ . فَقَالَ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ بِمَا أَوْلَمَ قَالَ أَطْعَمَهُمْ خُبْزًا وَلَحْمًا حَتَّى تَرَكُوهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যায়নাব (রাঃ)-এর জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত অধিক পরিমাণ অথবা উত্তমভাবে ওয়ালীমাহ্ করেছিলেন, যা তিনি তাঁর সহধর্মিণীদের কারো জন্য করেননি। সাবিত বুনানী জিজ্ঞেস করেন, তিনি কী দিয়ে ওয়ালীমাহ্ করেছিলেন?
তিনি (আনাস রাযিঃ) বললেন, সবাইকে তিনি রুটি ও গোশ্ত খাওয়ালেন। এমনকি তারা উদ্বৃত্ত রেখে গেল। (ই.ফা. ৩৩৬৯, ই.সে. ৩৩৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، وَعَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، كُلُّهُمْ عَنْ مُعْتَمِرٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَبِيبٍ – حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ دَعَا الْقَوْمَ فَطَعِمُوا ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ – قَالَ – فَأَخَذَ كَأَنَّهُ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ فَلَمْ يَقُومُوا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ فَلَمَّا قَامَ قَامَ مَنْ قَامَ مِنَ الْقَوْمِ . زَادَ عَاصِمٌ وَابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى فِي حَدِيثِهِمَا قَالَ فَقَعَدَ ثَلاَثَةٌ وَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَاءَ لِيَدْخُلَ فَإِذَا الْقَوْمُ جُلُوسٌ ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا فَانْطَلَقُوا – قَالَ – فَجِئْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَدِ انْطَلَقُوا – قَالَ – فَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ فَأَلْقَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ – قَالَ – وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ} إِلَى قَوْلِهِ { إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا} .
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন যায়নাব বিনতু জাহ্শ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন তখন তিনি লোকদের দা’ওয়াত করেন। তারা খাওয়া-দাওয়া করে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেন দাঁড়াতে উদ্যত হলেন তবুও তারা উঠল না। এরূপ দেখে তিনি উঠে গেলেন। তারা উঠে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে যারা উঠবার তারা উঠে গেল।
‘আসিম ও ইবনু ‘আবদুল আ’লা (রহঃ)-এর বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে- আনাস (রাঃ) বলেন, কিন্তু তিনজন লোক ঘরে বসে রইল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘবে প্রবেশ করার জন্য এসে দেখতে পান যে, কয়েকজন লোক বসে আছে। এরপর তারাও উঠে চলে গেল। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি এসে তাদের চলে যাওয়ার সংবাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি এসে প্রবেশ করলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করতে অগ্রসর হলাম। এ সময় তিনি আমার ও তাঁর মাঝখানে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আর আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন: “তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে নাবীগৃহে প্রবেশ করবে না।… -আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর অপরাধ”। (ই.ফা. ৩৩৭০, ই.সে. ৩৩৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৮
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ إِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ، بِالْحِجَابِ لَقَدْ كَانَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ يَسْأَلُنِي عَنْهُ . قَالَ أَنَسٌ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَرُوسًا بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ – قَالَ – وَكَانَ تَزَوَّجَهَا بِالْمَدِينَةِ فَدَعَا النَّاسَ لِلطَّعَامِ بَعْدَ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَلَسَ مَعَهُ رِجَالٌ بَعْدَ مَا قَامَ الْقَوْمُ حَتَّى قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَشَى فَمَشَيْتُ مَعَهُ حَتَّى بَلَغَ بَابَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ قَدْ خَرَجُوا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ مَكَانَهُمْ فَرَجَعَ فَرَجَعْتُ الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ حُجْرَةَ عَائِشَةَ فَرَجَعَ فَرَجَعْتُ فَإِذَا هُمْ قَدْ قَامُوا فَضَرَبَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ بِالسِّتْرِ وَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ.
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি পর্দার হুকুম সংক্রান্ত ঘটনা সম্পর্কে সবার চাইতে বেশি অবগত। এ ব্যাপারে উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়নাব বিনতু জাহ্শের স্বামী হন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বিবাহ করেন মাদীনায়। এ উপলক্ষে তিনি দ্বিপ্রহরের সময় খাওয়ার জন্য লোকদের দা’ওয়াত দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসলেন এবং তারা তাঁর সঙ্গে বসল। লোকদের যারা উঠে যাওয়ার উঠে গেল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠলেন এবং রওনা হলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে চলতে থাকলাম। তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর হুজরায় পৌঁছলেন। যখন তিনি ধারণা করলেন যে, তারা (উপবিষ্ট লোকজন) বেরিয়ে গেছে তখন তিনি ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। দেখা গেল, তখন তারা তাদের জায়গায় বসা আছে। তখন তিনি ফিরে গেলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয়বার ফিরে গেলাম। তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর হুজরায় পৌঁছলেন। আবার তিনি যায়নাবের ঘরের দিকে ফিরলেন। দেখা গেল, লোকেরা চলে গেছে। তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝখানে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়। (ই.ফা. ৩৩৭১, ই.সে. ৩৩৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ – عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ بِأَهْلِهِ – قَالَ – فَصَنَعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا فَجَعَلَتْهُ فِي تَوْرٍ فَقَالَتْ يَا أَنَسُ اذْهَبْ بِهَذَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْ بَعَثَتْ بِهَذَا إِلَيْكَ أُمِّي وَهْىَ تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ – قَالَ – فَذَهَبْتُ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّي تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ ” ضَعْهُ – ثُمَّ قَالَ – اذْهَبْ فَادْعُ لِي فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا وَمَنْ لَقِيتَ ” . وَسَمَّى رِجَالاً – قَالَ – فَدَعَوْتُ مَنْ سَمَّى وَمَنْ لَقِيتُ . قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ عَدَدَ كَمْ كَانُوا قَالَ زُهَاءَ ثَلاَثِمِائَةٍ . وَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَا أَنَسُ هَاتِ التَّوْرَ ” . قَالَ فَدَخَلُوا حَتَّى امْتَلأَتِ الصُّفَّةُ وَالْحُجْرَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ وَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ ” . قَالَ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا – قَالَ – فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ حَتَّى أَكَلُوا كُلُّهُمْ . فَقَالَ لِي ” يَا أَنَسُ ارْفَعْ ” . قَالَ فَرَفَعْتُ فَمَا أَدْرِي حِينَ وَضَعْتُ كَانَ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ رَفَعْتُ – قَالَ – وَجَلَسَ طَوَائِفُ مِنْهُمْ يَتَحَدَّثُونَ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَزَوْجَتُهُ مُوَلِّيَةٌ وَجْهَهَا إِلَى الْحَائِطِ فَثَقُلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَى نِسَائِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَجَعَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ ثَقُلُوا عَلَيْهِ – قَالَ – فَابْتَدَرُوا الْبَابَ فَخَرَجُوا كُلُّهُمْ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم َتَّى أَرْخَى السِّتْرَ وَدَخَلَ وَأَنَا جَالِسٌ فِي الْحُجْرَةِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى خَرَجَ عَلَىَّ . وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلاَ مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ} إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ الْجَعْدُ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَا أَحْدَثُ النَّاسِ عَهْدًا بِهَذِهِ الآيَاتِ وَحُجِبْنَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (যায়নাব বিনতু জাহ্শকে) বিবাহ করেন এবং তার সহধর্মিণীর কাছে গেলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমার মা উম্মু সুলায়ম (রাঃ) হায়স (হালুয়া) তৈরী করেছিলেন এবং তা একখানি ছোট পাত্রে রেখে আমাকে বললেন, হে আনাস! এটা রসূলুল্লাহ এর কাছে নিয়ে যাও এবং তাঁকে বল, এটা আমার মা আপনার খিদমাতে পাঠিয়েছেন এবং আপনাকে সালাম পৌছিয়েছেন। (আরও বলো যে) তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এ সামান্য (হায়স) আপনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে (দেয়া হল)। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি হায়স নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম এবং বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার মা আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ এ সামান্য (হায়স) আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে দেয়া হল। তিনি বললেন, এটা রাখ। অত:পর বললেনঃতুমি যাও, অমুক অমুক অমুককে দা’ওয়াত দাও এবং সেসব লোককেও যাদের সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে। এ বলে, তিনি লোকদের নাম বললেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তখন বর্ণিত লোকদের দা’ওয়াত দিলাম এবং তাদেরও যাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হল।
সাবিত (র:) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, (আমন্ত্রিত লোকদের) সংখ্যা কত ছিল? তিনি বললেন, প্রায় তিনশত।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সের) পাত্রটি নিয়ে এসো। আনাস (রাঃ) বলেন, দা’ওয়াতপ্রাপ্ত লোকজন এসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরে ও তাঁর চতুষ্পার্শ্বে ভীড় করলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন- তোমরা দশ দশ জন করে একত্রিত হয়ে প্রত্যেকই পাত্র থেকে নিজের সামনের স্থান থেকে খাদ্য গ্রহণ কর। আনাস (রাঃ) বললেন, সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন। তিনি বলেন, একদল গেল আরেক দল প্রবেশ করল। এভাবে সকলে খাবার কাজ সেরে নিল। অত:পর তিনি আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সের পাত্র) উঠাও। তিনি বলেন, এরপর আমি পাত্রটি তুলে নিলাম। পাত্রটি রাখার সময় এতে খাদ্য বেশি ছিল কিনা সেটি উঠাবার সময় তা আমি বুঝতে পারিনি। আনাস (রাঃ) বলেন, তাদের কিছু লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সেখানে) বসা ছিলেন এবং তাঁর সহধর্মিণী (যায়নাব) দেয়ালমুখী হয়ে পিছনে ফিরে রইলেন। তাদের উপস্থিতি তাঁর কাছে কষ্টকর মনে হল। অত:পর তিনি তাঁর অন্যান্য বিবিদের কাছে বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন। তাঁরা যখন দেখল যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসেছেন, তারা বুঝতে পারল যে, তাদের এ কাজ (আলাপচারিতা) তাঁর (সাঃ-এর) জন্য কষ্টকর হয়েছে। আনাস (রাঃ) বললেন, তখন তারা তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেল এবং সবাই বেরিয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এলেন এবং পর্দা টেনে দিলেন এবং পর্দার ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে এসে এ আয়াতগুলো লোকদের কাছে পাঠ করে শোনালেন- (অর্থ) “হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য নাবীর গৃহে প্রবশ করবে না, তবে তোমাদের আহ্বান করলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং আহারের পর তোমরা চলে যাবে এবং কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না। কারণ তোমাদের এ আচরণ নাবীকে কষ্ট দেয়” … আয়াতের শেষ পর্যন্ত (সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩: ৫৩)
রাবী জা’দ (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, আমি লোকদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলাম, এ আয়াতের প্রতি অনুগত হওয়ার জন্যে। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিবিগণকে পর্দার আড়ালে নেয়া হল। (ই.ফা. ৩৩৭২, ই.সে. ৩৩৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ أَهْدَتْ لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ فَقَالَ أَنَسٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اذْهَبْ فَادْعُ لِي مَنْ لَقِيتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ” . فَدَعَوْتُ لَهُ مَنْ لَقِيتُ فَجَعَلُوا يَدْخُلُونَ عَلَيْهِ فَيَأْكُلُونَ وَيَخْرُجُونَ وَوَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى الطَّعَامِ فَدَعَا فِيهِ وَقَالَ فِيهِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ وَلَمْ أَدَعْ أَحَدًا لَقِيتُهُ إِلاَّ دَعَوْتُهُ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا وَخَرَجُوا وَبَقِيَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ فَأَطَالُوا عَلَيْهِ الْحَدِيثَ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَحْيِي مِنْهُمْ أَنْ يَقُولَ لَهُمْ شَيْئًا فَخَرَجَ وَتَرَكَهُمْ فِي الْبَيْتِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ} قَالَ قَتَادَةُ غَيْرَ مُتَحَيِّنِينَ طَعَامًا وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا حَتَّى بَلَغَ { ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ}
আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়নাবকে বিবাহ করলেন তখন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) পাথরের একটি পাত্রে তাঁর জন্য হায়স পাঠালেন। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতুমি যাও, মুসলিমদের মধ্যে যার সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ হয় তাকে আমার পক্ষ থেকে দা’ওয়াত দাও। অত:পর যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হল আমি তাকে দা’ওয়াত দিলাম। তারা তাঁর কাছে আসতে শুরু করল এবং খেয়ে চলে যেতে লাগল। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত খাদ্যের উপর রাখলেন এবং তাতে দু’আ পড়লেন। এতে আল্লাহ্র ইচ্ছায় তিনি যা পাঠ করার তা পড়লেন। যারই সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে তাকেই দা’ওয়াত দিতে বাদ দেইনি। সকলেই খেল এবং তৃপ্ত হল। তারা বেরিয়ে গেল কিন্তু তাদের একদল রয়ে গেল। তারা তাঁর সেখানে দীর্ঘালাপে লিপ্ত রইল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কিছু বলতে লজ্জাবোধ করছিলেন। তাই তিনি নিজেই বেরিয়ে গেলেন এবং তাদের ঘরে রেখে গেলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন- (অর্থ) “হে মু’মিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য তোমরা নবী গৃহে প্রবেশ করবে না।” ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) বলেন, তোমরা আহার্য প্রস্তুতির সময়ের যদি অপেক্ষা না কর তবে তোমাদের আহ্বান করলে তোমরা প্রবেশ করবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র”- (সূরাহ্ আল আহ্যাব ৩৩:৫৩)। (ই.ফা. ৩৩৭৩, ই.সে. ৩৩৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
দা‘ওয়াতে সাড়া দেয়ার নির্দেশ
৩৪০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْوَلِيمَةِ فَلْيَأْتِهَا ” .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কাউকে ওয়ালীমার দা’ওয়াত দেয়া হয়, সে যেন ঐ দা’ওয়াতে সাড়া দেয়। (ই.ফা. ৩৩৭৪, ই.সে. ৩৩৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْوَلِيمَةِ فَلْيُجِبْ ” . قَالَ خَالِدٌ فَإِذَا عُبَيْدُ اللَّهِ يُنَزِّلُهُ عَلَى الْعُرْسِ .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কাউকে ওয়ালীমার দা’ওয়াত দেয়া হয়, সে যেন তা কবুল করে। (রাবী) খালিদ (রহঃ) বলেন, ‘উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) একে বিবাহের ওয়ালীমাহ্ বলে গ্রহণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৩৭৫, ই.সে. ৩৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৩
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى وَلِيمَةِ عُرْسٍ فَلْيُجِبْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের কাউকে বিবাহের ওয়ালীমার দা’ওয়াত দেয়া হলে সে যেন তা কবূল করে।(ই.ফা. ৩৩৭৬, ই.সে. ৩৩৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৪
حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ائْتُوا الدَّعْوَةَ إِذَا دُعِيتُمْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কাউকে দা’ওয়াত দেয়া হলে তাতে সাড়া দিবে। (ই.ফা. ৩৩৭৭, ই.সে. ৩৩৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُجِبْ عُرْسًا كَانَ أَوْ نَحْوَهُ ” .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ তার ভাইকে দা’ওয়াত দেয় সে যেন তার দা’ওয়াতে সাড়া দেয়, বিবাহের অনুষ্ঠানই হোক বা সে রকম (অন্য কোন অনুষ্ঠান)। (ই.ফা. ৩৩৭৮, ই.সে. ৩৩৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ دُعِيَ إِلَى عُرْسٍ أَوْ نَحْوِهِ فَلْيُجِبْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যদি কাউকে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে অথবা এ ধরণের অন্য কোন অনুষ্ঠানে দা’ওয়াত দেয়া হয়, সে যেন সাড়া দেয়। (ই.ফা. ৩৩৭৯, ই.সে. ৩৩৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৭
حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ، أُمَيَّةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ائْتُوا الدَّعْوَةَ إِذَا دُعِيتُمْ ” .
আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন তোমাদেরকে দা’ওয়াত দেয়া হয় তখন তোমরা দা’ওয়াতে আসবে।” (ই.ফা. ৩৩৮০, ই.সে. ৩৩৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৮
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَجِيبُوا هَذِهِ الدَّعْوَةَ إِذَا دُعِيتُمْ لَهَا ” . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَأْتِي الدَّعْوَةَ فِي الْعُرْسِ وَغَيْرِ الْعُرْسِ وَيَأْتِيهَا وَهُوَ صَائِمٌ .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এ দা’ওয়াতে সাড়া দিবে যখন তোমাদেরকে তার জন্য দা’ওয়াত দেয়া হয়।
রাবী বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বিবাহের দা’ওয়াতে বা বিয়ে ছাড়া অন্য যে কোন দা’ওয়াতে আসতেন। এমনকি তিনি সায়িম অবস্থায়ও (দা’ওয়াতে আসতেন)। (ই.ফা. ৩৩৮১, ই.সে. ৩৩৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا دُعِيتُمْ إِلَى كُرَاعٍ فَأَجِيبُوا ” .
ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যখন তোমাদের বকরীর পায়া খাওয়ার দা’ওয়াত দেয়া হয় তখন তোমরা তাতে সাড়া দিও। (ই.ফা. ৩৩৮২, ই.সে. ৩৩৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ فَلْيُجِبْ فَإِنْ شَاءَ طَعِمَ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ ” . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ الْمُثَنَّى ” إِلَى طَعَامٍ ” .
জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কাউকে খাওয়ার জন্য দা’ওয়াত দেয়া হয়, তখন সে যেন দা’ওয়াতে সাড়া দেয়। অতঃপর ইচ্ছা করলে আহার করবে, না হয় না করবে।
ইবনুল মুসান্না (রহঃ) তার বর্ণনায় ‘পানাহারের দিকে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৩৮৩, ই.সে. ৩৩৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১১
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ
আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.৩৩৮৪, ই.সে.৩৩৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيُجِبْ فَإِنْ كَانَ صَائِمًا فَلْيُصَلِّ وَإِنْ كَانَ مُفْطِرًا فَلْيَطْعَمْ ”
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কাউকে দা’ওয়াত দেয়া হয় সে যেন তাতে সাড়া দেয়। যদি সে সায়িম হয় তাহলে সে (ওখানে গিয়ে) দু’আ- সলাত রত থাকবে। আর যদি সায়িম না হয় তাহলে সে আহার করবে। (ই.ফা. ৩৩৮৫, ই.সে. ৩৩৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ بِئْسَ الطَّعَامُ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُدْعَى إِلَيْهِ الأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْمَسَاكِينُ فَمَنْ لَمْ يَأْتِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেন, সে ওয়ালীমার খাদ্য কতই না মন্দ যা খাওয়ার জন্য কেবল ধনীদের দা’ওয়াত দেয়া হয়, আর গরীবদের তা থেকে বঞ্চিত করা হয় বলে তারা তাতে যোগ দিতে পারে না। যে ব্যক্তি দা’ওয়াত সাড়া দেয় না সে আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাফরমানী করল। (ই.ফা. ৩৩৮৬, ই.সে. ৩৩৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৪
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ قُلْتُ لِلزُّهْرِيِّ يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ هَذَا الْحَدِيثُ شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الأَغْنِيَاءِ فَضَحِكَ فَقَالَ لَيْسَ هُوَ شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الأَغْنِيَاءِ . قَالَ سُفْيَانُ وَكَانَ أَبِي غَنِيًّا فَأَفْزَعَنِي هَذَا الْحَدِيثُ حِينَ سَمِعْتُ بِهِ فَسَأَلْتُ عَنْهُ الزُّهْرِيَّ فَقَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ.
ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেছেন, আমি যুহরী (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম- হে আবূ বকর! “এই যে হাদীস- ‘সব চাইতে মন্দ খাদ্য ধনীদের খাদ্য’- এ সম্পর্কে আপনার কী মত? শুনে তিনি হাসলেন এবং বললেন, না, ধনীদের খাদ্য সব চাইতে মন্দ খাদ্য নয়।
সুফ্ইয়ান (রহঃ) বললেন, আমার পিতা যেহেতু ধনী লোক ছিলেন এজন্য হাদীসখানি আমাকে ঘাবড়িয়ে তুলেছিল, যখন আমি তা শুনতে পেলাম। তাই আমি এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম যুহরী (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করি। (ইমাম) যুহরী (রহঃ) উত্তর দিলেন, আমার নিকট ‘আবদুর রহমান আল আ’রাজ (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, ওয়ালীমার খাদ্য সবচাইতে নিকৃষ্ট খাদ্য। অতঃপর তিনি মালিক (রহঃ)-এর হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৩৮৭, ই.সে. ৩৩৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ . نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ.
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নিকৃষ্ট খাদ্য হলো ওয়ালীমার খাদ্য। মালিক এর হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩৩৮৮, ই.সে. ৩৩৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، نَحْوَ ذَلِكَ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ)-এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণিত। (ই.ফা. ৩৩৮৯, ই.সে. ৩৩৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৭
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا، الأَعْرَجَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُمْنَعُهَا مَنْ يَأْتِيهَا وَيُدْعَى إِلَيْهَا مَنْ يَأْبَاهَا وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিকৃষ্টতম খাদ্য হল ওয়ালীমার খাদ্য যেখানে আগমনকারীদের বাধা দেয়া হয়। আর অনিচ্ছুকদের দা’ওয়াত দেয়া হয়। যে ব্যক্তি দা’ওয়াতে সাড়া দেয় না সে আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাফরমানী করল। (ই.ফা. ৩৩৯০, ই.সে. ৩৩৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
ত্বলাকপ্রাপ্তা স্ত্রী হালাল হবে না ত্বলাকদাতার জন্য, যতক্ষণ না সে তাকে ছাড়া অন্য স্বামীকে বিবাহ করে এবং সে তার সাথে যৌন সঙ্গম করে এবং অতঃপর তাকে ত্বলাক্ব দেয় এবং তার ‘ইদ্দাত শেষ হয়
৩৪১৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةُ رِفَاعَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كُنْتُ عِنْدَ رِفَاعَةَ فَطَلَّقَنِي فَبَتَّ طَلاَقِي فَتَزَوَّجْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزَّبِيرِ وَإِنَّ مَا مَعَهُ مِثْلُ هُدْبَةِ الثَّوْبِ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ أَتُرِيدِينَ أَنْ تَرْجِعِي إِلَى رِفَاعَةَ لاَ حَتَّى تَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ وَيَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ ” . قَالَتْ وَأَبُو بَكْرٍ عِنْدَهُ وَخَالِدٌ بِالْبَابِ يَنْتَظِرُ أَنْ يُؤْذَنَ لَهُ فَنَادَى يَا أَبَا بَكْرٍ أَلاَ تَسْمَعُ هَذِهِ مَا تَجْهَرُ بِهِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রিফা’আহ্-এর স্ত্রী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বলল, আমি রিফা’আর নিকট ছিলাম। সে আমাকে ত্বলাক্ব দিয়েছে পূর্ণ ত্বলাক্ব। অতঃপর আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু যুবায়রকে বিবাহ করি। তার কাছে রয়েছে কাপড়ের ঝালরের মত। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসি হাসলেন এবং বললেন, তুমি কি রিফা’আর নিকট ফিরে যেতে চাও? না, (তা হয় না) যে পর্যন্ত না তুমি তার স্বাদ গ্রহন করবে এবং সে তোমার স্বাদ গ্রহন করবে।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন তার কাছে এবং খালিদ ইবনু সা’ঈদ (রাঃ) ছিলেন দরজায়। তিনি (প্রবেশের) অনুমতির অপেক্ষা করছিলেন। তিনি ডাক দিয়ে বললেন, হে আবূ বকর! আপনি কি শুনেন না এ মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উচ্চৈঃস্বরে কী কথা বলছে। (ই.ফা. ৩৩৯১, ই.সে. ৩৩৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৯
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ – قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ حَدَّثَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيَّ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فَبَتَّ طَلاَقَهَا فَتَزَوَّجَتْ بَعْدَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزَّبِيرِ فَجَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ رِفَاعَةَ فَطَلَّقَهَا آخِرَ ثَلاَثِ تَطْلِيقَاتٍ فَتَزَوَّجْتُ بَعْدَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزَّبِيرِ وَإِنَّهُ وَاللَّهِ مَا مَعَهُ إِلاَّ مِثْلُ الْهُدْبَةِ وَأَخَذَتْ بِهُدْبَةٍ مِنْ جِلْبَابِهَا . قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَاحِكًا فَقَالَ “ لَعَلَّكِ تُرِيدِينَ أَنْ تَرْجِعِي إِلَى رِفَاعَةَ لاَ حَتَّى يَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ وَتَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ ” . وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ جَالِسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ جَالِسٌ بِبَابِ الْحُجْرَةِ لَمْ يُؤْذَنْ لَهُ قَالَ فَطَفِقَ خَالِدٌ يُنَادِي أَبَا بَكْرٍ أَلاَ تَزْجُرُ هَذِهِ عَمَّا تَجْهَرُ بِهِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবাযর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রিফা’আহ্ আল কুয়াযী (রাঃ) তার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দেয় এবং সে তাকে পুরাপুরি ত্বলাক্ব দিয়ে দেয়। অতঃপর সে স্ত্রী লোকটি ‘আবদুর রহমান ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে বিবাহ করে। এরপর সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! সে ছিল রিফা’আর অধীনে। সে তাকে পুরোপুরি তিন দিন ত্বলাক্ব দেয়। অতঃপর সে ‘আবদুর রহমান ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে বিবাহ করে। আল্লাহ্র কসম, তার সাথে তো রয়েছে কাপড়ের ঝালরের মতো। এ বলে, মহিলা তার উড়নার আঁচল ধরে দেখাল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি সম্ভবত রিফা’আর নিকট ফিরে যেতে চাও? না তা হয় না, যতক্ষণ না সে তোমার স্বাদ করে এবং তুমি তার স্বাদ কর। আবূ বাক্র (রাঃ) তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বসা ছিলেন। আর খালিদ ইবনু সা’ঈদ ইবনু ‘আস (রাঃ) ছিলেন হুজরার দরজায় বসা। তাকে (ঘরে প্রবেশ করার) অনুমতি দেয়া হয়নি। রাবী বলেন, তখন খালিদ (রাঃ) আবূ বাক্র (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, আপনি কেন মহিলাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে তার এ সব কথা প্রকাশ করা থেকে বারণ করলেন না। (ই.ফা. ৩৩৯২, ই.সে. ৩৩৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২০
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيَّ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فَتَزَوَّجَهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الزَّبِيرِ فَجَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ رِفَاعَةَ طَلَّقَهَا آخِرَ ثَلاَثِ تَطْلِيقَاتٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ .
‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রিফা’আহ্ আল কুরাযী তার স্ত্রী ত্বলাক্ব দেয়। এরপর সে ‘আবদুর রহমান ইবনু যুবায়রকে বিয়ে করে। অতঃপর সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! রিফা’আহ্ তাকে পুরোপুরি তিন ত্বলাক্ব দিয়ে দেয়। এরপর ইউনুস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩৩৯৩, ই.সে. ৩৩৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ الْمَرْأَةِ يَتَزَوَّجُهَا الرَّجُلُ فَيُطَلِّقُهَا فَتَتَزَوَّجُ رَجُلاً فَيُطَلِّقُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا أَتَحِلُّ لِزَوْجِهَا الأَوَّلِ قَالَ “ لاَ حَتَّى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا ”.
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এক মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যাকে একজন বিবাহ করে, অতঃপর সে তাকে ত্বলাক্ব দেয়। এরপর সে মহিলা আরেকজনকে বিয়ে করে। কিন্তু সে তার সাথে সঙ্গমের আগেই ত্বলাক্ব দেয়। এমতাবস্থায় উক্ত মহিলা প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে কি? তিনি বললেনঃ না, যে পর্যন্ত না সে ঐ স্ত্রীর স্বাদ গ্রহন করে। (ই.ফা. ৩৩৯৪, ই.সে. ৩৩৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ ও আবূ কুরায়ব (রহিমাহুমাল্লাহ) ….. আবূ মু’আবিয়াহ্ সহ সকলেই হিশাম (রাঃ) থেকে উক্ত সানাদে হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৩৯৫, ই.সে. ৩৩৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَهَا رَجُلٌ ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا فَأَرَادَ زَوْجُهَا الأَوَّلُ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ “ لاَ حَتَّى يَذُوقَ الآخِرُ مِنْ عُسَيْلَتِهَا مَا ذَاقَ الأَوَّلُ ” .
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দেয়। অতঃপর অন্য একজন তাকে বিয়ে করে। এরপর সে তাকে সঙ্গমের আগেই ত্বলাক্ব দিয়ে দেয়। পরে প্রথম স্বামী তাকে বিয়ে করতে চায়- এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বললেনঃ না, তা হবে না যে পর্যন্ত না তারা একে অন্যের স্বাদ গ্রহন করবে, যেভাবে প্রথম স্বামী তার স্বাদ গ্রহন করেছিল। (ই.ফা. ৩৩৯৬, ই.সে. ৩৩৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৪
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – جَمِيعًا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَفِي حَدِيثِ يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ عَنْ عَائِشَةَ .
‘উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহিমাহুমাল্লাহ) ….. ইয়াহ্ইয়া অর্থাৎ ইবনু সা’ঈদ সহ সকলেই ‘উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) থেকে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। ‘উবায়দুল্লাহ্ সুত্রে ইয়াহ্ইয়া হাদীসে বলেন যে, কাসিম ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৩৯৭, ই.সে. ৩৩৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
মিলনের প্রাক্কালে যা পাঠ করা মুস্তাহাব
৩৪২৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالاَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ”.
ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে মিলতে চায় সে যেন বলে (অর্থ-) “বিসমিল্লাহ্ হে আল্লাহ্! আমাদের শায়ত্বান থেকে রক্ষা করুন, আর আমাদের যা তুমি দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখুন”। কেননা এ মিলনে তাদের ভাগ্যে যদি কোন সন্তান হয় তবে শায়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না। (ই.ফা. ৩৩৯৮, ই.সে. ৩৩৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنِ الثَّوْرِيِّ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، بِمَعْنَى حَدِيثِ جَرِيرٍ غَيْرَ أَنَّ شُعْبَةَ لَيْسَ فِي حَدِيثِهِ ذِكْرُ ” بِاسْمِ اللَّهِ ” . وَفِي رِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنِ الثَّوْرِيِّ ” بِاسْمِ اللَّهِ ” . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ نُمَيْرٍ قَالَ مَنْصُورٌ أُرَاهُ قَالَ ” بِاسْمِ اللَّهِ ” .
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না, ইবনু বাশ্শার, ইবনু নুমায়র ও ‘আবদ ইবনু হুমায়দ (রহিমাহুমুল্লাহ) ….. সকলেই সাওরী (রহঃ) থেকে, তারা (শু’বাহ্ ও ‘আবদুর রায্যাক) উভয়ে মানসূর থেকে বর্ণিতঃ
জারীরের হাদীসের মর্মানুযায়ী রিওয়ায়াত করেন। তবে শু’বাহ্ তার হাদীসে “বিসমিল্লাহ্” এর উল্লেখ করেননি এবং সাওরী সুত্রে ‘আবদুর রায্যাক এর রিওয়ায়াতে “বিসমিল্লাহ্” রয়েছে। আর ইবনু নুমায়র-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে যে, মানসূর বলেছেন, আমি মনে করি তিনি বলেছেন, “বিসমিল্লাহ্” (ই.ফা. ৩৩৯৯, ই.সে. ৩৩৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯ অধায়ঃ
মলদ্বার ব্যতীত স্ত্রীর সম্মুখ বা পেছন দিক থেকে সঙ্গম করা জায়িয
৩৪২৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابرًا يَقُولُ كَانَتِ الْيَهُودُ تَقُولُ إِذَا أَتَى الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ مِنْ دُبُرِهَا فِي قُبُلِهَا كَانَ الْوَلَدُ أَحْوَلَ فَنَزَلَتْ { نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ}
জাবির (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ইয়াহূদিরা বলতো, কোন লোক স্ত্রীর পেছন দিক থেকে তার যোনি দারে সঙ্গম করলে এতে সন্তান টেরা চক্ষু বিশিষ্ট হবে। এ প্রসঙ্গে নাযিল হয় অর্থাৎ “স্ত্রীগন তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব, তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার”-(সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২:২২৩)। (ই.ফা ৩৪০০, ই.সে ৩৩৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ يَهُودَ، كَانَتْ تَقُولُ إِذَا أُتِيَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ دُبُرِهَا فِي قُبُلِهَا ثُمَّ حَمَلَتْ كَانَ وَلَدُهَا أَحْوَلَ . قَالَ فَأُنْزِلَتْ { نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ}
ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহূদীরা বলত যে, স্ত্রীর পিছন দিক থেকে যোনী দ্বারে যদি সঙ্গম করা হয় এবং এতে সে যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তার সন্তান হবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট। রাবী বলেন, এ প্রসঙ্গে নাযিল হল- “স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র, অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার”- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২:২২৩)। (ই.ফা ৩৪০১, ই.সে ৩৪০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৯
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، بْنُ سَعِيدٍ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ رَاشِدٍ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ مَعْبَدٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – وَهُوَ ابْنُ الْمُخْتَارِ – عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ النُّعْمَانِ عَنِ الزُّهْرِيِّ إِنْ شَاءَ مُجَبِّيَةً وَإِنْ شَاءَ غَيْرَ مُجَبِّيَةٍ غَيْرَ أَنَّ ذَلِكَ فِي صِمَامٍ وَاحِدٍ .
জাবির (রাযিঃ) থেকে যুহরী সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
নু’মান অতিরিক্ত বলেছেন, স্বামী ইচ্ছে করলে উপুড় করে, ইচ্ছা করলে উপুড় না করে তবে একই দ্বারে হতে হবে। (ই.ফা ৩৪০২, ই.সে ৩৪০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
স্বামীর বিছানা পরিহার করা স্ত্রীর জন্য নিষিদ্ধ
৩৪৩০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا بَاتَتِ الْمَرْأَةُ هَاجِرَةً فِرَاشَ زَوْجِهَا لَعَنَتْهَا الْمَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ)-এর সুত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, স্বামীর বিছানা পরিহার করে কোন স্ত্রী রাত্রি যাপন করলে ফজর পর্যন্ত মালাকগণ তার প্রতি লা’নত করতে থাকে। (ই.ফা ৩৪০৩, ই.সে ৩৪০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩১
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ “ حَتَّى تَرْجِعَ ” .
শু’বাহ্ (রহঃ)-এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
এই সানাদের বর্ণনায় বলেছেন, ফিরে না আসা পর্যন্ত কথার উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ৩৪০৪, ই.সে. ৩৪০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩২
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، عَنْ يَزِيدَ، – يَعْنِي ابْنَ كَيْسَانَ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلاَّ كَانَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কসম সেই সত্তার যাঁর হাতে আমার জীবন। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যখন বিছানায় আহবান করে, কিন্তু সে তা অস্বীকার করে, নিঃসন্দেহে যে পর্যন্ত সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্টি না হয়, ততক্ষন আসমানবাসী তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে। (ই.ফা. ৩৪০৫, ই.সে. ৩৪০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَلَمْ تَأْتِهِ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا الْمَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামী যখন স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে এবং সে না আসে তার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সে স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতাগণ ভোর হওয়া পর্যন্ত লা’নাত করতে থাকে। (ই.ফা. ৩৪০৬, ই.সে. ৩৪০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১. অধায়ঃ
স্ত্রীর গোপনীয়তা প্রকাশ করা নিষিদ্ধ
৩৪৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ الْعُمَرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا ” .
আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সে ব্যাক্তি হবে আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম পর্যায়ের, যে তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সাথে মিলিত হয়, অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়। (ই.ফা. ৩৪০৭, ই.সে. ৩৪০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৫
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُمَرَ، بْنِ حَمْزَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الأَمَانَةِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا ” . وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ” إِنَّ أَعْظَمَ ” .
আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সে ব্যক্তি ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্র কাছে সর্বাপেক্ষা বড় আমানত খিয়ানতকারী যে তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সাথে মিলিত হয়। অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়। ইবনু নুমায়র বলেন, “ইন্না মিন ‘আযিম” স্হলে “ইন্না ‘আযিম” (সবচেয়ে অধিক) হবে। (ই.ফা. ৩৪০৮, ই.সে. ৩৪০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২. অধায়ঃ
আয্ল-এর হুকুম
৩৪৩৬
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي رَبِيعَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو صِرْمَةَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَسَأَلَهُ أَبُو صِرْمَةَ فَقَالَ يَا أَبَا سَعِيدٍ هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ الْعَزْلَ فَقَالَ نَعَمْ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ بَلْمُصْطَلِقِ فَسَبَيْنَا كَرَائِمَ الْعَرَبِ فَطَالَتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَرَغِبْنَا فِي الْفِدَاءِ فَأَرَدْنَا أَنْ نَسْتَمْتِعَ وَنَعْزِلَ فَقُلْنَا نَفْعَلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا لاَ نَسْأَلُهُ . فَسَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ خَلْقَ نَسَمَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ سَتَكُونُ ” .
ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আবূ সিরমাহ্ (রহঃ) আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আবূ সিরমাহ্ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ সা’ঈদ! আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আয্ল সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হাঁ আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বানূ মুস্তালিক-এর যুদ্ধ করেছি। সে যুদ্ধে আমরা আরবের সবচেয়ে সুন্দরী বাঁদীদের বন্দী করলাম। এদিকে আমরা দীর্ঘকাল স্ত্রী সাহচর্য থেকে বঞ্চিত ছিলাম। অন্যদিকে আমরা ছিলাম সম্পদের প্রতি অনুরাগী। এমতাবস্হায় আমরা বাঁদীদের দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল করার এবং ‘আয্ল করার ইচ্ছা করলাম। কিন্তু আমরা এ কথাও আলোচনা করলাম যে, আমরা কি এ কাজ করতে যাব, অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মধ্যে উপস্হিত রয়েছেন। তাঁর নিকট আমরা কি এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করব না! তাই আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ ঐ কাজ না করাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা, আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামাত পর্যন্ত যত মানুষ সৃষ্টি করার কথা লিখে রেখেছেন সে সব মানুষ সৃষ্টি হবেই। (ই.ফা. ৩৪০৯, ই.সে. ৩৪০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৭
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الزِّبْرِقَانِ، حَدَّثَنَا مُوسَى، بْنُ عُقْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي مَعْنَى حَدِيثِ رَبِيعَةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ “ فَإِنَّ اللَّهَ كَتَبَ مَنْ هُوَ خَالِقٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাব্বান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে রাবী‘আর হাদীসের মর্মানুযায়ী হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে সে হাদীসে উল্লেখ আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “কেননা আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামাতের দিন পর্যন্ত যত মাখলুক্ব সৃষ্টি করবেন তা লিখে দিয়েছেন।” (ই.ফা. ৩৪১০, ই.সে. ৩৪০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৮
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ قَالَ أَصَبْنَا سَبَايَا فَكُنَّا نَعْزِلُ ثُمَّ سَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ لَنَا “ وَإِنَّكُمْ لَتَفْعَلُونَ وَإِنَّكُمْ لَتَفْعَلُونَ وَإِنَّكُمْ لَتَفْعَلُونَ مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ هِيَ كَائِنَةٌ ” .
আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দিনী লাভ করেছিলাম। (তাদের সাথে) আমরা ‘আয্ল করছিলাম। এরপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাদের বললেন, অবশ্যই তোমরা এ কাজ করবে। অবশ্যই তোমরা এ কাজ করবে। অবশ্যই তোমরা এ কাজ করবে। (বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন) বস্তুত ক্বিয়ামাত পর্যন্ত যত প্রানী সৃষ্টি হওয়ার তা সৃষ্টি হবেই। (ই.ফা. ৩৪১১, ই.সে. ৩৪১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৯
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ سِيرِينَ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قُلْتُ لَهُ سَمِعْتَهُ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ نَعَمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا فَإِنَّمَا هُوَ الْقَدَرُ” .
আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, মা’বাদ ইবনু সীরীন (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে এ হাদীসটি শুনেছেন? তিনি [আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)] বললেন, হাঁ, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে। তিনি বলেন, এটা না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা, এটা হল তাক্বদীরের অন্তর্ভুক্ত।” (ই.ফা. ৩৪১২, ই.সে. ৩৪১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ حَبِيبٍ حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ مَهْدِيٍّ وَبَهْزٌ قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِهِمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْعَزْلِ “ لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا ذَاكُمْ فَإِنَّمَا هُوَ الْقَدَرُ ” . وَفِي رِوَايَةِ بَهْزٍ قَالَ شُعْبَةُ قُلْتُ لَهُ سَمِعْتَهُ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ نَعَمْ .
শু’বাহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাদের হাদীসে রয়েছে- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয্ল সম্পর্কে বলেছেনঃ এ কাজ না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা এটা তাক্বদীরের অন্তর্গত।
রাবী বাহ্য-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, শু’বাহ্ (রহঃ) বলেছেনঃ আমি তাকে (আনাস ইবনু সীরীন) জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে এ হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ। (ই.ফা. ৩৪১৩, ই.সে. ৩৪১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪১
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بِشْرِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَدَّهُ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْعَزْلِ فَقَالَ ” لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا ذَاكُمْ فَإِنَّمَا هُوَ الْقَدَرُ ” . قَالَ مُحَمَّدٌ وَقَوْلُهُ ” لاَ عَلَيْكُمْ ” . أَقْرَبُ إِلَى النَّهْىِ .
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আয্ল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ তা না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা, এ হল তাক্বদীরের অন্তভুক্ত।
মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্তি “লা ‘আলাইকুম” (তোমাদের কোন ক্ষতি নেই)-নিষেধাজ্ঞারই নিকটবর্তী। (ই.ফা. ৩৪১৪, ই.সে. ৩৪১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بِشْرٍ الأَنْصَارِيِّ، . قَالَ فَرَدَّ الْحَدِيثَ حَتَّى رَدَّهُ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ ذُكِرَ الْعَزْلُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” وَمَا ذَاكُمْ ” . قَالُوا الرَّجُلُ تَكُونُ لَهُ الْمَرْأَةُ تُرْضِعُ فَيُصِيبُ مِنْهَا وَيَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ مِنْهُ وَالرَّجُلُ تَكُونُ لَهُ الأَمَةُ فَيُصِيبُ مِنْهَا وَيَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ مِنْهُ . قَالَ ” فَلاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا ذَاكُمْ فَإِنَّمَا هُوَ الْقَدَرُ ” . قَالَ ابْنُ عَوْنٍ فَحَدَّثْتُ بِهِ الْحَسَنَ فَقَالَ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ هَذَا زَجْرٌ .
আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে ‘আয্ল সম্পর্কে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা তা কেন করতে চাও? তারা বলল, এমন লোক আছে যার স্ত্রী সন্তানকে দুধ পান করায় সে তার সঙ্গে সঙ্গত হয়। অথচ এতে সে গর্ভবতী হোক তা সে পছন্দ করে না। আবার কোন লোকের দাসী আছে, সে তার সঙ্গে সংগত হয় কিন্তু এতে সে গর্ভবতী হোক তা সে অপছন্দ করে। তিনি বললেন, ‘তা না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা, তা তাক্বদীরের উপর নির্ভরশীল’।
ইবনু ‘আওন (রহঃ) বলেন, আমি এ হাদীস হাসান (রহঃ)-এর কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম, এ হল সতর্কবানী স্বরূপ। (ই.ফা. ৩৪১৫, ই.সে. ৩৪১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৩
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ حَدَّثْتُ مُحَمَّدًا، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، بِحَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بِشْرٍ – يَعْنِي حَدِيثَ الْعَزْلِ – فَقَالَ إِيَّاىَ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، .
ইবনু ‘আওন (রহঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ সূত্রে ইব্রাহীমকে হাদীস বর্ণনা করেছি অর্থাৎ ‘আয্ল সম্পর্কে। তিনি বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু বিশ্র (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৪১৬, ই.সে. ৩৪১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ مَعْبَدِ، بْنِ سِيرِينَ قَالَ قُلْنَا لأَبِي سَعِيدٍ هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ فِي الْعَزْلِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ إِلَى قَوْلِهِ “ الْقَدَرُ ” .
মা’বাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম! আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আয্ল সম্পর্কে কোন আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ- এ বলে তিনি বর্ণিত ইবনু ‘আওনের হাদীসের ন্যায় (আরবী) পর্যন্ত বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৪১৭, ই.সে. ৩৪১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৫
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، عُبَيْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، الْخُدْرِيِّ قَالَ ذُكِرَ الْعَزْلُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ وَلِمَ يَفْعَلُ ذَلِكَ أَحَدُكُمْ – وَلَمْ يَقُلْ فَلاَ يَفْعَلْ ذَلِكَ أَحَدُكُمْ – فَإِنَّهُ لَيْسَتْ نَفْسٌ مَخْلُوقَةٌ إِلاَّ اللَّهُ خَالِقُهَا ” .
আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয্ল সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উল্লেখ করা হল। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কেন এ কাজ করে-তিনি এ ব্যাপারে একথা বলেন নি, “তোমাদের কেউ যেন এ কাজ না করে। কোন সৃষ্টি জীব নেই যাকে আল্লাহ সৃষ্টি করেননি।” (ই.ফা. ৩৪১৮, ই.সে. ৩৪১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৬
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ صَالِحٍ – عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، سَمِعَهُ يَقُولُ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْعَزْلِ فَقَالَ “ مَا مِنْ كُلِّ الْمَاءِ يَكُونُ الْوَلَدُ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ خَلْقَ شَىْءٍ لَمْ يَمْنَعْهُ شَىْءٌ ” .
আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আয্ল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেনঃ সব পানিতেই সন্তান পয়দা হয় না। মূলত আল্লাহ যখন কোন বস্তু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন তখন কোন কিছুই তাকে বাধা দিতে পারে না। (ই.ফা. ৩৪১৯, ই.সে. ৩৪১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৭
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْهَاشِمِيُّ، عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাযিঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৪২০, ই.সে. ৩৪১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ لِي جَارِيَةً هِيَ خَادِمُنَا وَسَانِيَتُنَا وَأَنَا أَطُوفُ عَلَيْهَا وَأَنَا أَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ . فَقَالَ ” اعْزِلْ عَنْهَا إِنْ شِئْتَ فَإِنَّهُ سَيَأْتِيهَا مَا قُدِّرَ لَهَا ” . فَلَبِثَ الرَّجُلُ ثُمَّ أَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ الْجَارِيَةَ قَدْ حَبِلَتْ . فَقَالَ ” قَدْ أَخْبَرْتُكَ أَنَّهُ سَيَأْتِيهَا مَا قُدِّرَ لَهَا ” .
জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, আমার একটি দাসী আছে যে আমাদের খিদ্মাত ও পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত। আমি তার নিকট আসা যাওয়া করে থাকি, কিন্তু সে গর্ভবতী হোক তা আমি পছন্দ করি না। তখন তিনি বললেন, তুমি ইচ্ছে করলে তার সাথে ‘আয্ল করতে পার। তবে তার তাক্বদীরে সন্তান থাকলে তা তার মাধ্যমে আসবেই। লোকটি কিছু দিন অতিবাহিত করল। অতঃপর সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, দাসীটি গর্ভবতী হয়েছে। তিনি বললেন, আমি তোমাকে এ মর্মে জানিয়ে ছিলাম যে, তার তাক্বদীরে যা আছে তা আসবেই। (ই.ফা. ৩৪২১, ই.সে. ৩৪২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৯
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي جَارِيَةً لِي وَأَنَا أَعْزِلُ عَنْهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ ذَلِكَ لَنْ يَمْنَعَ شَيْئًا أَرَادَهُ اللَّهُ ” . قَالَ فَجَاءَ الرَّجُلُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْجَارِيَةَ الَّتِي كُنْتُ ذَكَرْتُهَا لَكَ حَمَلَتْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, আমার একটি দাসী আছে। আমি তার সাথে ‘আয্ল করে থাকি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ কাজ আল্লাহর ইচ্ছাকে কিছুতেই প্রতিহত করতে পারে না। রাবী বলেন, এরপর সে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! যে দাসীটির কথা আপনার কাছে উল্লেখ করেছিলাম সে গর্ভবতী হয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “আমি আল্লাহর বান্দা ও আল্লাহর রাসুল।” (ই.ফা. ৩৪২২, ই.সে. ৩৪২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫০
وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ حَسَّانَ، قَاصُّ أَهْلِ مَكَّةَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ عِيَاضِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ النَّوْفَلِيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ سُفْيَانَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে এসে সুফ্ইয়ান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ মর্মে হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৪২৩, ই.সে. ৩৪২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا نَعْزِلُ وَالْقُرْآنُ يَنْزِلُ . زَادَ إِسْحَاقُ قَالَ سُفْيَانُ لَوْ كَانَ شَيْئًا يُنْهَى عَنْهُ لَنَهَانَا عَنْهُ الْقُرْآنُ
জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘আয্ল করতাম আর কুরআন নাযিল হত। এর উপর ইসহাক্ব আরো বাড়িয়ে বলেছেন যে, সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেন, এতে যদি নিষেধ করার মতো কিছু থাকত, তরে কুরআন তা নিষেধ করে দিত। (ই.ফা. ৩৪২৪, ই.সে. ৩৪২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫২
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ لَقَدْ كُنَّا نَعْزِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, “আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় ‘আয্ল করতাম।” (ই.ফা. ৩৪২৫, ই.সে. ৩৪২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫৩
وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – يَعْنِي ابْنَ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا نَعْزِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَلَغَ ذَلِكَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَنْهَنَا .
জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় ‘আয্ল করতাম। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌছলে এ থেকে তিনি নিষেধ করেননি। (ই.ফা. ৩৪২৬, ই.সে. ৩৪২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
গর্ভবতী যুদ্ধবন্দিনী দাসীর সাথে সঙ্গম করা হারাম
৩৪৫৪
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَتَى بِامْرَأَةٍ مُجِحٍّ عَلَى بَابِ فُسْطَاطٍ فَقَالَ ” لَعَلَّهُ يُرِيدُ أَنْ يُلِمَّ بِهَا ” . فَقَالُوا نَعَمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَلْعَنَهُ لَعْنًا يَدْخُلُ مَعَهُ قَبْرَهُ كَيْفَ يُوَرِّثُهُ وَهُوَ لاَ يَحِلُّ لَهُ كَيْفَ يَسْتَخْدِمُهُ وَهُوَ لاَ يَحِلُّ لَهُ ” .
আবূ দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আসন্ন প্রসবা জনৈকা গর্ভবতী দাসীকে তাঁবুর দরজায় আনা হয়। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সম্ভবত ঐ ব্যক্তি তার সাথে সঙ্গম করতে চায়। লোকেরা বলল, হাঁ। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি মনে করেছি, তাকে এমন লা’নাত দেই, যে লা’নাতসহ সে ক্ববরে প্রবেশ করে। কিভাবে সে তাকে (দাসীর গর্ভস্থ সন্তানকে) ওয়ারিস বানাবে অথচ তা তার জন্য বৈধ নয়? কেমন করে সে তাকে (সন্তানকে) খাদিম বানাবে অথচ সে তার জন্য বৈধ নয়। (ই.ফা. ৩৪২৭, ই.সে. ৩৪২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫৫
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ .
শু’বাহ্ (রহঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
এই সানাদে বর্ণিত। (ই.ফা. ৩৪২৮, ই.সে. ৩৪২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪. অধ্যায়ঃ
‘গীলাহ্’ অর্থাৎ স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের বৈধতা এবং ‘আয্ল মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে
৩৪৫৬
وَحَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ جُدَامَةَ بِنْتِ وَهْبٍ الأَسَدِيَّةِ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَنْهَى عَنِ الْغِيلَةِ حَتَّى ذَكَرْتُ أَنَّ الرُّومَ وَفَارِسَ يَصْنَعُونَ ذَلِكَ فَلاَ يَضُرُّ أَوْلاَدَهُمْ ” . قَالَ مُسْلِمٌ وَأَمَّا خَلَفٌ فَقَالَ عَنْ جُذَامَةَ الأَسَدِيَّةِ . وَالصَّحِيحُ مَا قَالَهُ يَحْيَى بِالدَّالِ .
জুদামাহ্ বিন্তু ওয়াহ্ব আসাদিয়্যাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, আমি স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ইচ্ছে করলাম। এরপর আমার নিকট আলোচনা করা হল যে, রোম ও পারস্যবাসী লোকেরাও তা করে থাকে, অথচ তাতে তাদের সন্তানদের কোন ক্ষতি হয় না।
ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, খালাফ তার সানাদ বর্ণনায় “জুদামাহ্ আল আসদিয়্যাহ্” উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইয়াহ্ইয়া বর্ণিত ‘জুযামাহ্’ শব্দটিই সঠিক ও নির্ভুল। (ই.ফা. ৩৪২৯, ই.সে. ৩৪২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫৭
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ، بْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنِي أَبُو الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ جُدَامَةَ بِنْتِ وَهْبٍ، أُخْتِ عُكَّاشَةَ قَالَتْ حَضَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُنَاسٍ وَهُوَ يَقُولُ ” لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَنْهَى عَنِ الْغِيلَةِ فَنَظَرْتُ فِي الرُّومِ وَفَارِسَ فَإِذَا هُمْ يُغِيلُونَ أَوْلاَدَهُمْ فَلاَ يَضُرُّ أَوْلاَدَهُمْ ذَلِكَ شَيْئًا ” . ثُمَّ سَأَلُوهُ عَنِ الْعَزْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” ذَلِكَ الْوَأْدُ الْخَفِيُّ ” . زَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ فِي حَدِيثِهِ عَنِ الْمُقْرِئِ وَهْىَ { وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ}
উকাশার ভগ্নি জুদামাহ্ বিনতু ওয়াহ্ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একদিন কিছু সংখ্যক লোকের সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে হাযির হলাম। তিনি তখন বলছিলেন, আমি স্তন্যদায়িনী মহিলার সাথে সঙ্গম করা নিষেধ করার ইচ্ছা করলাম, এমতাবস্হায় আমি রোম ও পারস্যবাসী লোকদের অবস্হার কথা বিবেচনা করে অবগত হলাম যে, তারা তাদের স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সংগম করে থাকে, কিন্তু তা তাদের সন্তান সন্ততির কোনরূপ ক্ষতি করে না। অতঃপর লোকেরা তাকে ‘আয্ল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হল গোপন হত্যা। রাবী ‘উবায়দুল্লাহ্ তাঁর বর্ণনায় আল মুক্রি সূত্রে আয়াতটুকুও উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ “যখন জীবন্ত সমাধিস্হ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে”- (সূরাহ্ আত্ তাকভীরঃ ৮১:৮-৯) (ই.ফা. ৩৪৩০, ই.সে. ৩৪২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫৮
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ جُدَامَةَ بِنْتِ وَهْبٍ، الأَسَدِيَّةِ أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ فِي الْعَزْلِ وَالْغِيلَةِ . غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ “ الْغِيَالِ ” .
জুদামাহ্ বিনতু ওয়াহ্ব আল আসাদিয়্যাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। (এরপর) সা’ঈদ ইবনু আবূ আয়য়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিত ‘আয্ল ও গীলাহ্ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে (গীলাহ্-এর পরিবর্তে) ‘গিয়াল’ উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৩৪৩১, ই.সে. ৩৪৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৫৯
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ نُمَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمَقْبُرِيُّ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَهُ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، أَخْبَرَ وَالِدَهُ، سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أَعْزِلُ عَنِ امْرَأَتِي . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لِمَ تَفْعَلُ ذَلِكَ ” . فَقَالَ الرَّجُلُ أُشْفِقُ عَلَى وَلَدِهَا أَوْ عَلَى أَوْلاَدِهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَوْ كَانَ ذَلِكَ ضَارًّا ضَرَّ فَارِسَ وَالرُّومَ ” . وَقَالَ زُهَيْرٌ فِي رِوَايَتِهِ ” إِنْ كَانَ لِذَلِكَ فَلاَ مَا ضَارَ ذَلِكَ فَارِسَ وَلاَ الرُّومَ ”.
সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, আমি আমার স্ত্রীর সাথে ‘আয্ল করে থাকি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তুমি এ কাজ কেন কর? লোকটি বলল, আমি তার সন্তানের ক্ষতির আশংকা করি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি এ কাজ ক্ষতিকর হত তাহলে তা পারস্য ও রোমবাসীদেরও ক্ষতিসাধন করত।
রাবী যুহায়র তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন, এ কাজ (‘আয্ল) যদি এ উদ্দেশ্যেই হয় তাহলে তা করা সঠিক নয়। কেননা তা পারস্য ও রোমবাসীদের কোন প্রকার ক্ষতি করে নি। (ই.ফা. ৩৪৩২, ই.সে. ৩৪৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস