মুসলিম হজ্জ অধ্যায় ৫ম ভাগ হাদিস নং ৩০৯৯ – ৩১৯৮

৬৫. অধ্যায়ঃ

প্রয়োজনবোধে কুরবানীর পশুর উপর আরোহণ করা জায়িয

৩০৯৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ ‏”‏ ‏.‏ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে একটি উট টেনে নিয়ে যেতে দেখলেন। তিনি বললেনঃ এর পিঠে সওয়ার হও। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, এটা কুরবানীর উট। তিনি দ্বিতীয় অথবা তৃতীয়বারে বললেনঃ তোমার জন্য আফসোস! এর পিঠে আরোহণ কর। (ই.ফা. ৩০৭৪, ই.সে. ৩০৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০০

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَسُوقُ بَدَنَةً مُقَلَّدَةً ‏.

আবূ যিনাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে পুর্বোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, একদা এক ব্যক্তি গলায় মালা পরিহিত একটি কুরবানী উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। (ই.ফা. ৩০৭৫, ই.সে. ৩০৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَسُوقُ بَدَنَةً مُقَلَّدَةً قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَيْلَكَ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ بَدَنَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَيْلَكَ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর থেকে এ হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। এরপর তিনি কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে একটি এই যে, তিনি বলেন, একদা আক ব্যক্তি কুরবানীর একটি উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এর গলায় মালা পরিহিত ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার জন্য আফসোস! এর পিঠে আরোহণ কর। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, এটা কুরবানীর পশু। তিনি বললেন, তোমার জন্য আফসোস, এর পিঠে আরোহণ কর, তোমার জন্য আফসোস! এর পিঠে চড়ে যাও। (ই.ফা. ৩০৭৬, ই.সে. ৩০৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০২

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَسُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ وَأَظُنُّنِي قَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ، أَنَسٍ ح. وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে একটি উট টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বললেন, এর পিঠে চড়ে যাও। সে বলল, এটা কুরবানীর উট। তিনি দু’তিনবার বললেন, এর পিঠে চড়ে যাও। (ই.ফা. ৩০৭৭, ই.সে. ৩০৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ مُرَّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِبَدَنَةٍ أَوْ هَدِيَّةٍ فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ أَوْ هَدِيَّةٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ وَإِنْ ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে কুরবানীর উট অথবা কুরবানীর পশু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি বললেন, পিঠে চড়ে যাও। সে বলল, এটা কুরবানীর উট, কুরবানীর পশু। তিনি বললেন, তাহলেও। (ই.ফা. ৩০৭৮, ই.সে. ৩০৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৪

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ الأَخْنَسِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ مُرَّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِبَدَنَةٍ ‏.‏ فَذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়া একটি কুরবানীর ঊট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল…এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩০৭৯, ই.সে. ৩০৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৫

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، سُئِلَ عَنْ رُكُوبِ الْهَدْىِ، فَقَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ ارْكَبْهَا بِالْمَعْرُوفِ إِذَا أُلْجِئْتَ إِلَيْهَا حَتَّى تَجِدَ ظَهْرًا ‏”‏ ‏.

আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট কুরবানীর পশুর পিঠে আরোহণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রয়োজনবোধে এর পিঠে আরোহণ করতে পার, একে কষ্ট না দিয়ে- যতক্ষণ না অন্য সাওয়ারী পাও। (ই.ফা. ৩০৮০, ই.সে. ৩০৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৬

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ رُكُوبِ الْهَدْىِ، فَقَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ ارْكَبْهَا بِالْمَعْرُوفِ حَتَّى تَجِدَ ظَهْرًا ‏”‏ ‏.

আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি জাবির (রাঃ)-এর নিকট কুরবানীর পশুর পিঠে আরোহণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ সহানুভূতির সাথে এর পিঠে আরোহণ কর- যদি অন্য কোন সওয়ারী না পাও। (ই.ফা. ৩০৮১, ই.সে. ৩০৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর পশু পথিমধ্যে অচল হয়ে পড়লে কী করতে হবে?

৩১০৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ الضُّبَعِيِّ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ سَلَمَةَ الْهُذَلِيُّ، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَسِنَانُ بْنُ سَلَمَةَ، مُعْتَمِرَيْنِ قَالَ وَانْطَلَقَ سِنَانٌ مَعَهُ بِبَدَنَةٍ يَسُوقُهَا فَأَزْحَفَتْ عَلَيْهِ بِالطَّرِيقِ فَعَيِيَ بِشَأْنِهَا إِنْ هِيَ أُبْدِعَتْ كَيْفَ يَأْتِي بِهَا ‏.‏ فَقَالَ لَئِنْ قَدِمْتُ الْبَلَدَ لأَسْتَحْفِيَنَّ عَنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ فَأَضْحَيْتُ فَلَمَّا نَزَلْنَا الْبَطْحَاءَ قَالَ انْطَلِقْ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ نَتَحَدَّثْ إِلَيْهِ ‏.‏ قَالَ فَذَكَرَ لَهُ شَأْنَ بَدَنَتِهِ ‏.‏ فَقَالَ عَلَى الْخَبِيرِ سَقَطْتَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسِتَّ عَشْرَةَ بَدَنَةً مَعَ رَجُلٍ وَأَمَّرَهُ فِيهَا – قَالَ – فَمَضَى ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَصْنَعُ بِمَا أُبْدِعَ عَلَىَّ مِنْهَا قَالَ ‏ “‏ انْحَرْهَا ثُمَّ اصْبُغْ نَعْلَيْهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ اجْعَلْهُ عَلَى صَفْحَتِهَا وَلاَ تَأْكُلْ مِنْهَا أَنْتَ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ رُفْقَتِكَ ‏”‏ ‏.

মূসা ইবনু সালামাহ্ আল হুযালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি সিনান ইবনু সালামাহ্ ‘উমরাহ্ পালনের জন্য রওনা হলাম। সিনানের একটি কুরবানীর উট ছিল। সে পশুটি হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পশুটি অচল হয়ে পড়লে এ ব্যাপারে সে অসহায় ও চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ল এবং (মনে মনে বলল) এ যদি সামনে অগ্রসর হতে না পারে, তবে এটাকে কি করে গন্তব্যস্থলে নেয়া যাবে? সে বলল, যদি মাক্কাহ্ পর্যন্ত পৌছাতে পারতাম তবে এ সম্পর্কে ভালরূপে মাসাআলাহ্ জেনে নিতাম। রাবী বলেন, আমরা দিনের প্রথমভাগে আবার চলতে শুরু করলাম এবং ‘বাত্বহা’ নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করলাম। সিনান বলল, চল আমরা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে (বিষয়টি) আলোচনা করি। ‘রাবী বলেন, সিনান তার নিকটে নিজের উটের কথা বর্ণনা করল। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, তুমি উত্তমরূপে অবহিত ব্যক্তির নিকটই বিষটি বর্ণনা করেছ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির মাধ্যমে ষোলটি উট (মাক্কার হারামে) পাঠালেন এবং তাকে এগুলোর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করলেন। রাবী বলেন, সে রওনা হয়ে গেল এবং পুনরায় ফিরে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি এর মধ্যকার কোন পশু চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়ে, তবে কি করব? তিনি বললেনঃ তা যাবাহ কর এবং এর (গলায় বাঁধা) জুতা জোড়া রক্তে রঞ্জিত করে এর কুঁজের উপর রেখে দাও। এর গোশত তুমি খাবে না, তোমার সঙ্গীদের কেউও খাবে না। (ই.ফা. ৩০৮২, ই.সে. ৩০৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৮

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بِثَمَانَ عَشْرَةَ بَدَنَةً مَعَ رَجُلٍ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَوَّلَ الْحَدِيثِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে আঠারটি উট (কুরবানীর জন্য মাক্কার হারামে) পাঠেলেন। …. অবশিষ্ট ‘আবদুল ওয়ারিশের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ সানাদে হাদীসের প্রথমাংশের (সিনানের সাথে সংশ্লিষ্ট) ঘটনা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩০৮৩, ই.সে. ৩০৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৯

حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سِنَانِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ ذُؤَيْبًا أَبَا قَبِيصَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبْعَثُ مَعَهُ بِالْبُدْنِ ثُمَّ يَقُولُ ‏ “‏ إِنْ عَطِبَ مِنْهَا شَىْءٌ فَخَشِيتَ عَلَيْهِ مَوْتًا فَانْحَرْهَا ثُمَّ اغْمِسْ نَعْلَهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ اضْرِبْ بِهِ صَفْحَتَهَا وَلاَ تَطْعَمْهَا أَنْتَ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ رُفْقَتِكَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার নিকট যুআয়ব আবূ ক্ববীসাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কুরবানীর উটসহ (মাক্কায়) পাঠাতেন এবং বলে দিতেনঃ “এগুলোর মধ্যকার কোন উট দুর্বল হয়ে চলতে অক্ষম হয়ে পড়লে এবং তুমি এর মৃত্যুর আশংকা করলে তা যাবাহ করে দিও। অতঃপর এর (গলায় বাঁধা) জুতা জোড়া রক্ত রঞ্জিত করে এর কুঁজে ছাপ মেরে দিও। তুমি এবং তোমার সঙ্গীদের কেইউ গোশ্ত খাবে না।” (ই.ফা. ৩০৮৪, ই.সে. ৩০৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭. অধ্যায়ঃ

বিদায়ী ত্বওয়াফ বাধ্যতামূলক কিন্তু ঋতুবতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য

৩১১০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّاسُ يَنْصَرِفُونَ فِي كُلِّ وَجْهٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زُهَيْرٌ يَنْصَرِفُونَ كُلَّ وَجْهٍ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ فِي ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা বিভিন্ন পথ দিয়ে প্রত্যাবর্তন করছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “কেউই যেন শেষবারের মতো বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ না করা পর্যন্ত প্রত্যাবর্তন না করে।”

যুহায়ের বর্ণনায় আরবি (মাঝে) ফী অব্যয়টি উল্লেখিত হয়নি। (ই.ফা.৩০৮৫, ই.সে.৩০৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১১

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ – وَاللَّفْظُ لِسَعِيدٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُونَ، آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ إِلاَّ أَنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

লোকদেরকে (প্রত্যাবর্তনকালে) শেষবারের মত বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঋতুবতী মহিলাদেরকে তা থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে।(ই.ফা. ৩০৮৬, ই.সে. ৩০৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১২

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ، بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ إِذْ قَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ تُفْتِي أَنْ تَصْدُرَ الْحَائِضُ، قَبْلَ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهَا بِالْبَيْتِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِمَّا لاَ فَسَلْ فُلاَنَةَ الأَنْصَارِيَّةَ هَلْ أَمَرَهَا بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَرَجَعَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَضْحَكُ وَهُوَ يَقُولُ مَا أَرَاكَ إِلاَّ قَدْ صَدَقْتَ ‏.

ত্বাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, আপনি কি এ ফাতওয়া দিচ্ছেন যে, হায়যগ্রস্ত মহিলা বিদায়ী ত্বওয়াফ না করেই প্রস্থান করতে পারবে? ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাকে বললেন, যদি আপনি আশ্বস্ত না হতে পারেন, তবে অমুক আনসারী মহিলাকে জিজ্ঞেস করুন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাকে এরূপ নির্দেশ দিয়েছিলেন? ত্বাওস বলেন, যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হাসতে হাসতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট ফিরে এসে বললেন, আমি মনে করি আপনি সত্য কথাই বলেছেন। (ই.ফা. ৩০৮৭, ই.সে. ৩০৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَعُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ حَاضَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ بَعْدَ مَا أَفَاضَتْ – قَالَتْ عَائِشَةُ – فَذَكَرْتُ حِيضَتَهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَحَابِسَتُنَا هِيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ كَانَتْ أَفَاضَتْ وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ ثُمَّ حَاضَتْ بَعْدَ الإِفَاضَةِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَلْتَنْفِرْ‏”‏ ‏.

আবূ সালামাহ্ ও ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, উম্মুল মু’মিনীন সফিয়্যাহ্ বিনতু হুয়াই (রাঃ) ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ করার পর হায়যগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। ‘আয়িশা (রাঃ) আরও বলেন, আমি তার হায়িযের কথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উল্লেখ করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে কি আমাদেরকে আটকিয়ে রাখবে? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সে ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ করার পর হায়যগ্রস্ত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে সে রওনা হতে পারে। [২৮] (ই.ফা. ৩০৮৮, ই.সে. ৩০৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮] এসব বর্ণনা থেকে জানা গেল যে, ত্বওয়াফে বিদা হায়য মহিলাদের জন্য মাফ । তবে তাদেরকে ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ অবশ্যই করতে হবে । কেননা, এটা হল রুকন । আর ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ না করে ঋতুবতী মহিলা দেশে রওনা হতে পারবে না । এ ত্বওয়াফ না করেই যদি দেশে চলে যায় তবে হাজ্জের ফাযীলাত থেকে বঞ্চিত থাকবে । আর উল্লেখ্য যে, ত্বওয়াফে ইফাযাকে ত্বওয়াফে যিয়ারাত বলা হয় ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৪

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، الآخَرَانِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَتْ طَمِثَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بَعْدَ مَا أَفَاضَتْ طَاهِرًا بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ ‏.

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী সফিয়্যাহ্ বিনতু হুয়াই বিদায় হাজ্জকালে পবিত্র অবস্থায় ত্বওয়াফে ইফযাহ্ করার পর হায়যগ্রস্ত হন।…অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত লায়সের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০৮৯, ই.সে. ৩০৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৫

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، كُلُّهُمْ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ صَفِيَّةَ قَدْ حَاضَتْ ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উল্লেখ করলেন যে, সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর হায়য হয়েছে। অবশিষ্ট যুহরীর হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০৯০, ই.সে. ৩০৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৬

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نَتَخَوَّفُ أَنْ تَحِيضَ، صَفِيَّةُ قَبْلَ أَنْ تُفِيضَ – قَالَتْ – فَجَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَحَابِسَتُنَا صَفِيَّةُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا قَدْ أَفَاضَتْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلاَ إِذًا ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আশংকা করছিলাম যে, সফিয়্যাহ্ (রাঃ) ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ করার পূর্বেই হায়যগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এলেন এবং বললেনঃ “সফিয়্যাহ্ আমাদের আটকে রাখবে হয়ত।” আমরা বললাম, তিনি ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ করেছেন। তিনি বললেনঃ “তাহলে আটকে পড়ার কোন কারণ নেই।” (ই.ফা. ৩০৯১, ই.সে. ৩০৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ قَدْ حَاضَتْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَعَلَّهَا تَحْبِسُنَا أَلَمْ تَكُنْ قَدْ طَافَتْ مَعَكُنَّ بِالْبَيْتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاخْرُجْنَ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সফিয়্যাহ্ বিনতু হুইয়াই হায়যগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হয়ত সে আমাদের আটকে রাখবে। সে কি তোমাদের সঙ্গে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করেনি? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তবে তোমরা চল। (ই.ফা. ৩০৯২, ই.সে. ৩০৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৮

حَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، – لَعَلَّهُ قَالَ – عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ مِنْ صَفِيَّةَ بَعْضَ مَا يُرِيدُ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِهِ ‏.‏ فَقَالُوا إِنَّهَا حَائِضٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَإِنَّهَا لَحَابِسَتُنَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ زَارَتْ يَوْمَ النَّحْرِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلْتَنْفِرْ مَعَكُمْ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন পুরুষ স্ত্রীর সাথে সাধারণত যা করার ইচ্ছা করে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর সাথে তাই করার ইচ্ছা করলেন। তারা বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তিনি হায়যগ্রস্তা। তিনি বললেন, তাহলে সে তো আমাদের এখানে অবস্থান করতে বাধ্য করবে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি কুরবানীর দিন (বায়তুল্লাহ-এর) যিয়ারাত করেছেন। তিনি বললেন, তাহলে সে তোমাদের সঙ্গে যাত্রা করুক। (ই.ফা. ৩০৯৩, ই.সে. ৩০৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَنْفِرَ إِذَا صَفِيَّةُ عَلَى بَابِ خِبَائِهَا كَئِيبَةً حَزِينَةً ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ عَقْرَى حَلْقَى إِنَّكِ لَحَابِسَتُنَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لَهَا ‏”‏ أَكُنْتِ أَفَضْتِ يَوْمَ النَّحْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَانْفِرِي ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রওনা হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন সফিয়্যাকে তাঁর তাঁবুর দরজায় চিন্তিতা ও অবসাদগ্রস্তা দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ বন্ধ্যা নারী! তুমি আমাদের (এখানে) আটকে রাখবে? তিনি পুনরায় তাকে বললেনঃ তুমি কি কুরবানীর দিন (বায়তুল্লাহ) যিয়ারত করেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে রওনা হও। (ই.ফা. ৩০৯৪, ই.সে. ৩০৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২০

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، جَمِيعًا عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ الْحَكَمِ غَيْرَ أَنَّهُمَا لاَ يَذْكُرَانِ كَئِيبَةً حَزِينَةً ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাকামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে ‘চিন্তিতা’ ও ‘অবসাদগ্রস্তা’ শব্দদ্বয়ের উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩০৯৫, ই.সে. ৩০৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৮. অধ্যায়ঃ

হাজ্জ পালনকারী ও অন্যান্যের জন্য কা’বাহ্ ঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং সলাত আদায় করা, এর সকল পাশে দু’আ করা মুস্তাহাব

৩১২১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْكَعْبَةَ هُوَ وَأُسَامَةُ وَبِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْحَجَبِيُّ فَأَغْلَقَهَا عَلَيْهِ ثُمَّ مَكَثَ فِيهَا ‏.‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَسَأَلْتُ بِلاَلاً حِينَ خَرَجَ مَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ جَعَلَ عَمُودَيْنِ عَنْ يَسَارِهِ وَعَمُودًا عَنْ يَمِينِهِ وَثَلاَثَةَ أَعْمِدَةٍ وَرَاءَهُ – وَكَانَ الْبَيْتُ يَوْمَئِذٍ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ – ثُمَّ صَلَّى ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে এবং উসামাহ্, বিলাল ও ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ আল হাজাবী (রাঃ) কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। অতঃপর তিনি ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন এবং কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করলেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, বের হয়ে আসলে আমি বিলালকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী করেছেন? তিনি বললেন, তিনি দু’টি থাম নিজের বাঁ দিকে, একটি থাম ডান পাশে এবং তিনটি থাম পিছনে রেখে সলাত আদায় করলেন। তৎকালে বায়তুল্লাহ ছয়টি থামের উপর দন্ডায়মান ছিল। (ই.ফা. ৩০৯৬, ই.সে. ৩০৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২২

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ كُلُّهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، – قَالَ أَبُو كَامِلٍ – حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ فَنَزَلَ بِفِنَاءِ الْكَعْبَةِ وَأَرْسَلَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ فَجَاءَ بِالْمِفْتَحِ فَفَتَحَ الْبَابَ – قَالَ – ثُمَّ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَبِلاَلٌ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ وَأَمَرَ بِالْبَابِ فَأُغْلِقَ فَلَبِثُوا فِيهِ مَلِيًّا ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَبَادَرْتُ النَّاسَ فَتَلَقَّيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَارِجًا وَبِلاَلٌ عَلَى إِثْرِهِ فَقُلْتُ لِبِلاَلٍ هَلْ صَلَّى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قُلْتُ أَيْنَ قَالَ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ ‏.‏ قَالَ وَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাক্কায়) এলেন এবং কা’বার চত্বরে অবতরণ করলেন। অতঃপর ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ)-কে ডেকে পাঠালেন। তিনি চাবি নিয়ে এলেন এবং (কা’বার) দরজা খুললেন। রাবী বলেন অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল উসামাহ্ ইবনু যায়দ ও ‘উসমান ইবনু ত্বলহাহ্ (রাঃ) ভিতরে প্রবেশ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দরজা (ভিতর থেকে) বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন, অতএব তা বন্ধ করে দেয়া হলো। তারা কিছু সময় ভিতরে অবস্থান করলেন। অতঃপর দরজা খোলা হল। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি বাইরে সকলের আগে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে মিলিত হলাম এবং বিলাল তাঁর পিছনে ছিলেন। আমি বিলালকে বললাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কা’বার অভ্যন্তরে সলাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কোন্ জায়গায়? বিলাল (রাঃ) বললেন, তাঁর সামনের দু’টি থামের মাঝখানে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, তিনি কত রাক’আত সলাত আদায় করেছেন, বিলালের নিকট তা জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি। (ই.ফা. ৩০৯৭, ই.সে. ৩০৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৩

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ قَالَ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ عَلَى نَاقَةٍ لأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ حَتَّى أَنَاخَ بِفِنَاءِ الْكَعْبَةِ ثُمَّ دَعَا عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ فَقَالَ ‏ “‏ ائْتِنِي بِالْمِفْتَاحِ ‏”‏ ‏.‏ فَذَهَبَ إِلَى أُمِّهِ فَأَبَتْ أَنْ تُعْطِيَهُ فَقَالَ وَاللَّهِ لَتُعْطِينِيهِ أَوْ لَيَخْرُجَنَّ هَذَا السَّيْفُ مِنْ صُلْبِي – قَالَ – فَأَعْطَتْهُ إِيَّاهُ ‏.‏ فَجَاءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَفَعَهُ إِلَيْهِ فَفَتَحَ الْبَابَ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহ্ বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর উষ্ট্রীতে আরোহণ করে (মাক্কায়) আগমন করেন। উসামাহ্ (রাঃ) উষ্ট্রীকে কা’বার চত্বরে বসান। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ)-কে ডাকলেন এবং বললেন, আমার নিকট (কা’বার) চাবি নিয়ে এসো। তিনি তার মায়ের নিকট উপস্থিত হয়ে চাবি চাইলেন কিন্তু তিনি তাকে চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানান। ‘উসমান (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! তাঁকে চাবি দিন, অন্যথায় এ তরবারি আমার পিঠ ভেদ করে চলে যাবে। অতঃপর তিনি তাকে চাবি দিলেন। তিনি চাবি নিয়ে নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁর নিকট হস্তান্তর করেন। তিনি কা’বার দরজা খুললেন। …হাদীসে অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাম্মাদ ইবনু যায়দের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০৯৮, ই.সে. ৩০৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৪

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ وَمَعَهُ أُسَامَةُ وَبِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَأَجَافُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ طَوِيلاً ثُمَّ فُتِحَ فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ فَلَقِيتُ بِلاَلاً فَقُلْتُ أَيْنَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ الْمُقَدَّمَيْنِ ‏.‏ فَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন উসামাহ্, বিলাল ও ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ)। লোকেরা অনেকক্ষণ দরজা বন্ধ করে রাখল। অতঃপর তা খোলা হ’ল। আমিই সর্বপ্রথম (অগ্রসর হয়ে ভিতরে) প্রবেশ করে বিলালকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন্ স্থানে সলাত আদায় করেছেন? বিলাল বললেন, সামনের দু’থামের মাঝখানে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কত রাক’আত সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ৩০৯৯, ই.সে . ৩০৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৫

وَحَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، بْنُ عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الْكَعْبَةِ وَقَدْ دَخَلَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَبِلاَلٌ وَأُسَامَةُ وَأَجَافَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْبَابَ قَالَ فَمَكَثُوا فِيهِ مَلِيًّا ثُمَّ فُتِحَ الْبَابُ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَرَقِيتُ الدَّرَجَةَ فَدَخَلْتُ الْبَيْتَ فَقُلْتُ أَيْنَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا هَا هُنَا ‏.‏ قَالَ وَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُمْ كَمْ صَلَّى

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি কা’বার নিকটে পৌছলেন। ইতোমধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), বিলাল ও উসামাহ্ (রাঃ) কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ) দরজা বন্ধ করে দিলেন। তারা কিছু সময় কা’বার অভ্যন্তরে অবস্থান করলেন। অতঃপর দরজা খোলা হ’ল এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেরিয়ে এলেন। আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম এবং বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথায় সলাত আদায় করেছেন? তারা বললেন, এখানে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, তিনি কত রাক’আত সালাত আদায় করেছেন তা আমি তাদের নিকট জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি। (ই.ফা. ৩১০০, ই.সে. ৩০৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৬

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ هُوَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَبِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَأَغْلَقُوا عَلَيْهِمْ فَلَمَّا فَتَحُوا كُنْتُ فِي أَوَّلِ مَنْ وَلَجَ فَلَقِيتُ بِلاَلاً فَسَأَلْتُهُ هَلْ صَلَّى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ صَلَّى بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ.

সালিম (রহঃ) থেকে তার পিতা সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (পিতা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসামাহ্ ইবনু যায়দ, বিলাল ও ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ) বায়তুল্লাহ্য় প্রবেশ করলেন। অতঃপর তারা দরজা বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর যখন তারা দরজা খুললেন, তখন প্রথমেই আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং বিলালের সাথে মিলিত হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি ভিতরে সলাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি দু’ইয়ামানী থামের মাঝখানে সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ৩১০১, ই.সে. ৩০৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৭

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْكَعْبَةَ هُوَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَبِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ وَلَمْ يَدْخُلْهَا مَعَهُمْ أَحَدٌ ثُمَّ أُغْلِقَتْ عَلَيْهِمْ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَأَخْبَرَنِي بِلاَلٌ أَوْ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (‘আবদুল্লাহ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), উসামাহ্ ইবনু যায়দ, বিলাল ও ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ)-কে কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখলাম। তাদের সঙ্গে আর কেউ প্রবেশ করেনি। অতঃপর দরজা বন্ধ করে দেয়া হ’ল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, বিলাল অথবা ‘উসমান ইবনু ত্বল্হাহ্ (রাঃ) আমাকে অবহিত করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার কেন্দ্রস্থলে ইয়ামানী দু’স্তম্ভের [২৯] মাঝখানে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলেন। (ই.ফা. ৩১০২, ই.সে. ৩০৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯] যে দু’টি থাম ইয়ামানী রুকনের দিকে অবস্থিত ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ بَكْرٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَسَمِعْتَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ إِنَّمَا أُمِرْتُمْ بِالطَّوَافِ وَلَمْ تُؤْمَرُوا بِدُخُولِهِ ‏.‏ قَالَ لَمْ يَكُنْ يَنْهَى عَنْ دُخُولِهِ وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَخَلَ الْبَيْتَ دَعَا فِي نَوَاحِيهِ كُلِّهَا وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ حَتَّى خَرَجَ فَلَمَّا خَرَجَ رَكَعَ فِي قُبُلِ الْبَيْتِ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ وَقَالَ ‏ “‏ هَذِهِ الْقِبْلَةُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ مَا نَوَاحِيهَا أَفِي زَوَايَاهَا قَالَ بَلْ فِي كُلِّ قِبْلَةٍ مِنَ الْبَيْتِ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘আত্বা (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদেরকে কেবল ত্বওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়নি?” ‘আত্বা বললেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তো কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ নিষেধ করেননি, বরং আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এর সকল পাশে দু’আ করেছেন কিন্তু বের হওয়া পর্যন্ত কোন সলাত আদায় করেননি। তিনি বের হয়ে এসে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে দু’রাক’আত সলাত আদায় করেছেন এবং বলেছেন, এ হ’ল ক্বিবলাহ্। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এর পার্শ্ব বলতে কী বুঝায়? তা দিয়ে কি কোণ বুঝানো হয়েছে? তিনি (‘আত্বা) আরও বললেন, এর সমস্ত পার্শ্ব ও কোণই ক্বিবলাহ্। [৩০] (ই.ফা. ৩১০৩, ই.সে. ৩১০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০] “এটাই ক্বিবলাহ্” অর্থাৎ ক্বিয়ামাত পর্যন্ত এর দিকে মুখ করে সলাত আদায় করা হবে । এটা আর রহিত হবে যেরূপভা্বে পূর্বে বায়তুল মুকাদ্দাস ক্বিবলাহ্ ছিল পরে তা রহিত করা হয় । অথবা উদ্দেশ্য এটাও হতে পারে যে, কা’বাহ্ ঘরে ইমাম কোথায় দাঁড়াবে এটা শিখানো । ইমাম যেন এ ঘরের অন্যান্য কোণ বা কিনারায় না দাঁড়ায় । প্রত্যেক দিকেই দাঁড়ায়ে সলাত আদায় বৈধ হলেও এ কা’বাই ক্বিবলাহ্; এর আশেপাশে নির্মিত অন্য কোন মাসজিদ নয় ।

উপর্যুক্ত বর্ণনাসমূহের মধ্যে মুহাদ্দিসগণ বিলাল (রাঃ)-এর বর্ণনা গ্রহণ করেছেন, যে বর্ণনাতে কা’বার অভ্যন্তরে সলাত আদায়ের কথা বর্ণিত হয়েছে । উসামাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনা গ্রহণ করেননি । কেননা বিলাল (রাঃ)-এর বর্ণনায় একটি অতিরিক্ত বিষয় প্রমাণিত হয় । আর ঐ ধরনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বর্ণনা নেতিবাচক বর্ণনা্র উপর অগ্রাধিকার পায় । আর এখানে যে সলাতে রুকূ’-সাজদাহ্ বিদ্যমান তাই উদ্দেশ্য । এজন্যই ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, তথায় কয় রাক’আত সলাত আদায় করা হয়েছিল তা জিজ্ঞেস করতে আমি ভুলে গেছি । আর উসামাহ্ (রাঃ) সলাত আদায় করতে না দেখার কারণ হতে পারে যে, তিনি দু’আ যিকিরে মত্ত ছিলেন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে দূরে অবস্থান করছিলেন । অন্যদিকে বিলাল (রাঃ)-এর বিপরীত, কেননা স্বয়ং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে ছিলেন, কা’বার দরজা বন্ধ করায় সেখানে আঁধার নেমেছিল এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সে সলাত খুব হালকা ছিল । কা’বাহ্ অভ্যন্তরে সলাত আদায় বিষয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতবিরোধ আছে । ইমাম শাফি, সাওরী ও জমহুরের মতে এতে ফারয, নাফ্ল, বিত্র সকল সলাতই আদায় জায়িয আর এটাই শক্তিশালী কথা ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১২৯

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْكَعْبَةَ وَفِيهَا سِتُّ سَوَارٍ فَقَامَ عِنْدَ سَارِيَةٍ فَدَعَا وَلَمْ يُصَلِّ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। আর তাতে ছিল ছয়টি স্তম্ভ। একটি থামের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি দু’আ করেছেন কিন্তু সলাত আদায় করেননি। (ই.ফা. ৩১০৪, ই.সে. ৩১০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩০

وَحَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَدَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ فِي عُمْرَتِهِ قَالَ لاَ ‏.

ইসমা’ঈল ইবনু আবূ খালিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী আবূ আওফা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমরাহ্ আদায়কালে বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন কি? তিনি বললেন, না। [৩১] (ই.ফা. ৩১০৫, ই.সে ৩১০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১] এ থেকে উদ্দেশ্য হল মাক্কাহ্ বিজয়ের পূর্বে হিজরতের ৭ম বর্ষে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাযা ‘উমরাহ্ পালন । কা’বার ঘরের ভিতরে প্রবেশ না করার কারণ হল মাক্কার মুশরিকরা কা’বার অভ্যন্তরে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি রাখতো এবং সেগুলো সরাতে দিত না । অতঃপর মাক্কাহ্ বিজয়ের সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মূর্তিসমূহ অপসারণ করার পর তথায় সলাত আদায় করেছিলেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯. অধ্যায়ঃ

কা’বাহ্ ঘর ভেঙ্গে পুনর্নির্মাণ

৩১৩১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْلاَ حَدَاثَةُ عَهْدِ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَنَقَضْتُ الْكَعْبَةَ وَلَجَعَلْتُهَا عَلَى أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ فَإِنَّ قُرَيْشًا حِينَ بَنَتِ الْبَيْتَ اسْتَقْصَرَتْ وَلَجَعَلْتُ لَهَا خَلْفًا ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তোমার জাতির লোকদের কুফরি পরিত্যাগের যুগটি নিকটবর্তী না হলে আমি কা’বাহ্ ঘর ভেঙ্গে তা ইব্রাহীম (আঃ)-এর ভিত্তির উপর পুনর্নির্মাণ করতাম। কারণ কুরায়শগণ কা’বাহ্ ঘর নির্মাণের সময় এর আয়তন ছোট করে দিয়েছে। আর তার পেছনে একটি দরজা স্থাপণ করতাম। (ই.ফা. ৩১০৬, ই.সে. ৩১০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩২

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে বর্ণিত। (ই.ফা. ৩১০৭, ই.সে. ৩১০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَخْبَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ قَوْمَكِ حِينَ بَنَوُا الْكَعْبَةَ اقْتَصَرُوا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَوْلاَ حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَفَعَلْتُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَئِنْ كَانَتْ عَائِشَةُ سَمِعَتْ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ اسْتِلاَمَ الرُّكْنَيْنِ اللَّذَيْنِ يَلِيَانِ الْحِجْرَ إِلاَّ أَنَّ الْبَيْتَ لَمْ يُتَمَّمْ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ ‏.

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি কি দেখনি যে, তোমার গোত্রের লোকেরা কা’বাহ্ ঘর নির্মাণের সময় তা ইব্রাহীম (‘আঃ)-এর ভিত্গুলোর চেয়ে ছোট করে দেয়? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি কি তা ইব্রাহীম (‘আঃ)-এর ভিতের উপর পুনর্নির্মাণ করতে চান? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কওমের কুফরী পরিত্যাগের যুগটি যদি নিকটতর না হতো। (তবে তাই করতাম)।

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, যদিও বা ‘আয়িশা (রাঃ) তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখে শুনে থাকবেন। কিন্তু হাজারের নিকটবর্তী উভয় রুকনের স্পর্শ ত্যাগ করতে দেখিনি। তবে বায়তুল্লাহ ইব্রাহীম (‘আঃ)–এর গোটা ভিতের উপর পুনর্নির্মিত হয়নি। (ই.ফা. ৩১০৮, ই.সে.৩১০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৪

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ، بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ، يُحَدِّثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ – أَوْ قَالَ بِكُفْرٍ – لأَنْفَقْتُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَجَعَلْتُ بَابَهَا بِالأَرْضِ وَلأَدْخَلْتُ فِيهَا مِنَ الْحِجْرِ ‏”‏ ‏.

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি জাহিলী যুগের কাছাকাছি না হতো অথবা নিকট অতীতে কুফরি ত্যাগ না করত, তবে আমি অবশ্যই কা’বায় পুঞ্জীভূত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতাম, এর দরজা ভূমির সমতলে স্থাপন করতাম এবং হাতীমকে কা’বার অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম। (ই.ফা. ৩১০৯, ই.সে. ৩১০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৫

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدٍ، – يَعْنِي ابْنَ مِينَاءَ – قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، يَقُولُ حَدَّثَتْنِي خَالَتِي، – يَعْنِي عَائِشَةَ – قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَائِشَةُ لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِشِرْكٍ لَهَدَمْتُ الْكَعْبَةَ فَأَلْزَقْتُهَا بِالأَرْضِ وَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ بَابًا شَرْقِيًّا وَبَابًا غَرْبِيًّا وَزِدْتُ فِيهَا سِتَّةَ أَذْرُعٍ مِنَ الْحِجْرِ فَإِنَّ قُرَيْشًا اقْتَصَرَتْهَا حَيْثُ بَنَتِ الْكَعْبَةَ ‏”‏ ‏.

সা’ঈদ ইবনু মীনা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার খালা ‘আয়িশা (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা নিকট অতীতে শির্ক পরিত্যাগ না করলে আমি কা’বাহ্ ঘর ভেঙ্গে এর ভিত ভূমির সমতলে স্থাপন করতাম। এর দু’টি দরজা করতাম-একটি পূর্বদিকে, অপরটি পশ্চিমদিকে এবং আল হাজার (হাতীম)-এর ছয় গজ স্থান কা’বার অন্তর্ভুক্ত করতাম। কেননা কুরায়শরা কা’বাহ্ ঘর নির্মাণকালে এর ভিত ছোট করে দেয়। (ই.ফা. ৩১১০, ই.সে ৩১০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৬

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ لَمَّا احْتَرَقَ الْبَيْتُ زَمَنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ حِينَ غَزَاهَا أَهْلُ الشَّامِ فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ تَرَكَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ حَتَّى قَدِمَ النَّاسُ الْمَوْسِمَ يُرِيدُ أَنْ يُجَرِّئَهُمْ – أَوْ يُحَرِّبَهُمْ – عَلَى أَهْلِ الشَّامِ فَلَمَّا صَدَرَ النَّاسُ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَشِيرُوا عَلَىَّ فِي الْكَعْبَةِ أَنْقُضُهَا ثُمَّ أَبْنِي بِنَاءَهَا أَوْ أُصْلِحُ مَا وَهَى مِنْهَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَإِنِّي قَدْ فُرِقَ لِي رَأْىٌ فِيهَا أَرَى أَنْ تُصْلِحَ مَا وَهَى مِنْهَا وَتَدَعَ بَيْتًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَأَحْجَارًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهَا وَبُعِثَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَوْ كَانَ أَحَدُكُمُ احْتَرَقَ بَيْتُهُ مَا رَضِيَ حَتَّى يُجِدَّهُ فَكَيْفَ بَيْتُ رَبِّكُمْ إِنِّي مُسْتَخِيرٌ رَبِّي ثَلاَثًا ثُمَّ عَازِمٌ عَلَى أَمْرِي فَلَمَّا مَضَى الثَّلاَثُ أَجْمَعَ رَأْيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُضَهَا فَتَحَامَاهُ النَّاسُ أَنْ يَنْزِلَ بِأَوَّلِ النَّاسِ يَصْعَدُ فِيهِ أَمْرٌ مِنَ السَّمَاءِ حَتَّى صَعِدَهُ رَجُلٌ فَأَلْقَى مِنْهُ حِجَارَةً فَلَمَّا لَمْ يَرَهُ النَّاسُ أَصَابَهُ شَىْءٌ تَتَابَعُوا فَنَقَضُوهُ حَتَّى بَلَغُوا بِهِ الأَرْضَ فَجَعَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَعْمِدَةً فَسَتَّرَ عَلَيْهَا السُّتُورَ حَتَّى ارْتَفَعَ بِنَاؤُهُ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِنِّي سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَوْلاَ أَنَّ النَّاسَ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ وَلَيْسَ عِنْدِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يُقَوِّي عَلَى بِنَائِهِ لَكُنْتُ أَدْخَلْتُ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ خَمْسَ أَذْرُعٍ وَلَجَعَلْتُ لَهَا بَابًا يَدْخُلُ النَّاسُ مِنْهُ وَبَابًا يَخْرُجُونَ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنَا الْيَوْمَ أَجِدُ مَا أُنْفِقُ وَلَسْتُ أَخَافُ النَّاسَ – قَالَ – فَزَادَ فِيهِ خَمْسَ أَذْرُعٍ مِنَ الْحِجْرِ حَتَّى أَبْدَى أُسًّا نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَبَنَى عَلَيْهِ الْبِنَاءَ وَكَانَ طُولُ الْكَعْبَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ ذِرَاعًا فَلَمَّا زَادَ فِيهِ اسْتَقْصَرَهُ فَزَادَ فِي طُولِهِ عَشَرَ أَذْرُعٍ وَجَعَلَ لَهُ بَابَيْنِ أَحَدُهُمَا يُدْخَلُ مِنْهُ وَالآخَرُ يُخْرَجُ مِنْهُ ‏.‏ فَلَمَّا قُتِلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ كَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يُخْبِرُهُ بِذَلِكَ وَيُخْبِرُهُ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ قَدْ وَضَعَ الْبِنَاءَ عَلَى أُسٍّ نَظَرَ إِلَيْهِ الْعُدُولُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ ‏.‏ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ إِنَّا لَسْنَا مِنْ تَلْطِيخِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي شَىْءٍ أَمَّا مَا زَادَ فِي طُولِهِ فَأَقِرَّهُ وَأَمَّا مَا زَادَ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ فَرُدَّهُ إِلَى بِنَائِهِ وَسُدَّ الْبَابَ الَّذِي فَتَحَهُ ‏.‏ فَنَقَضَهُ وَأَعَادَهُ إِلَى بِنَائِهِ ‏.

‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়ার সময় কা’বাহ্ ঘর দগ্ধীভূত হয়েছিল- যখন সিরীয় বাহিনী মাক্কায় যুদ্ধে লিপ্ত ছিল (৬৩ হিজরী) এবং কা’বার যা হবার তাই হ’ল। হাজ্জের মৌসুমে লোকদের আগমনের সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) কা’বাকে এ অবস্থায় রেখে দিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল লোকদেরকে উদ্দীপ্ত করা অথবা তাদের মধ্যে সিরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার মনোবল সৃষ্টি করা। লোকেরা সমবেত হলে তিনি বললেন, হে জনগণ! আমাকে কা’বাহ্ ঘর সম্পর্কে পরামর্শ দিন। আমি কি তা ভেঙ্গে ফেলে সম্পূর্ণ নতুনভাবে গড়ে তুলব, নাকি শুধু এর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করব?

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমার মনে একটি মতের উদয় হয়েছে, আমি মনে করি যে, শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তুমি মেরামত করবে এবং লোকদের ইসলাম গ্রহণ ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নুবূওয়াত লাভকালীন সময়ে কা’বাহ্ ঘর ও পাথরসমূহ যে অবস্থায় ছিল, তা সে অবস্থায় রেখে দিবে। ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, আপনাদের কারো ঘর অগ্নিদগ্ধ হলে তা সংস্কার না করা পর্যন্ত তিনি স্বস্তি লাভ করতে পারেন না। অতএব আপনাদের প্রতিপালকের ঘর কী করে এরূপ জীর্ণ অবস্থায় রাখা যেতে পারে? আমি আমার রব-এর কাছে তিনদিন ইস্তিখারা করব (অভিপ্রায় অবগত হবার জন্য) অতঃপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তিনদিন পর তিনি কা’বাহ্ ঘর ভেঙ্গে পুনর্নির্মাণের দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনিত হলেন।

লোকেরা আশংকা করল যে, সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি কা’বার ছাদে উঠবে, সে হয়ত কোন আসমানী গযবে নিপতিত হবে। শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তি (ছাদ ভাঙ্গার জন্য) কা’বার ছাদে উঠল এবং তার একটি পাথর নীচে ফেলল। লোকেরা যখন দেখল সে কোন বিপদে পড়েনি, তখন তারাও তাকে অনুসরণ করল এবং কা’বাহ্ ঘর ভেঙ্গে জমিনের সাথে মিশিয়ে দিল। অতঃপর ইবনু যুবায়র (রাঃ) কতগুলো থাম স্থাপন করে এগুলোর সাথে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। অবশেষে কা’বার দেয়ালের গাঁথুনি উচ্চ হল।

ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, অবশ্যই আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “লোকেরা যদি নিকট অতীতে কুফরি ত্যাগ না করত এবং আমার নিকটও কা’বাকে পুনর্নির্মাণ করার মত অর্থ-সামর্থ্যও নেই- তাহলে আমি অবশ্যই আল-হাজার (হাতীম)-এর পাঁচ গজ স্থান কা’বাহ্ ঘরের অন্তর্ভুক্ত করতাম এবং লোকদের প্রবেশের জন্য ও বের হবার জন্য এর দু’টি দরজা বানাতাম।” ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, বর্তমানে আমার হাতে তা নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে এবং লোকদের তরফ থেকেও কোন প্রতিবাদের আশংকা নেই। রাবী বলেন, এরপর তিনি হাতীমের পাঁচ গজ এলাকা কা’বার অন্তর্ভুক্ত করলেন। ফলে তা (পুরাতন) ভিতের উপর গড়ে উঠল। [যার উপর ইব্রাহীম (‘আঃ) তা গড়েছিলেন]। এবং লোকেরা তা অবলোকন করল। এ ভিতের উপর দেয়াল গড়ে তোলা হল। কা’বার দৈর্ঘ্য ছিল আঠার গজ। তা যখন (প্রস্থে) বাড়ানো হল, তখন (স্বাভাবিকভাবেই দৈর্ঘ্য) তা ছোট হওয়ায় দৈর্ঘ্যে তা আরও দশ গজ বৃদ্ধি করা হল এবং এর দু’টি দরজা নির্মাণ করা হল, একটি প্রবেশের জন্য এবং অপরটি প্রস্থানের জন্য।

ইবনু যুবায়র (রাঃ) শহীদ হলে হাজ্জাজ (ইবনু ইউসুফ) ‘আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ানকে তা লিখে জানাল। সে আরও জানাল যে, ইবনু যুবায়র (কা’বাহ্ ঘর) সে ভিতের উপর নির্মাণ করেছে। [যা ছিল ইব্রাহীম (‘আঃ)-এর ভিত] এবং মাক্কার বিশ্বস্ত লোকেরা তা যাচাই করে দেখেছে। ‘আবদুল মালিক তাকে লিখে পাঠালেন যে, কোন বিষয়ে ইবনু যুবায়রকে অভিযুক্ত করার প্রয়োজন আমাদের নেই। সে দৈর্ঘ্যে যতটুকু বর্ধিত করেছে, তা বহাল রাখ এবং হাতীমের দিকে যতটুকু বর্ধিত করেছে, তা ভেঙ্গে পূর্বাবস্থায় নিয়ে আসো। আর সে যে (নতুন) দরজা খুলেছে তা বন্ধ করে দাও। এরপর হাজ্জাজ তা ভেঙ্গে পূর্বের ভিতের উপর পুনর্নির্মাণ করে। [৩২] (ই.ফা ৩১১১, ই.সে.৩১০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩২] ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়ার রাজত্বকালে (৬১-৬৩ হি/-৬৮০-৮৩ খ্রি) ইসলামের ইতিহাসে তিনটি জঘন্যতম ও বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে। (১) ৬১ হিজরীর মুহার্রম মাসে কারবালা প্রান্তরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসায়ন (রাঃ) উমাইয়্যাহ্ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহীদ হন । এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ গোটা মুসলিম জাহানে, বিশেষত মাক্কাহ্ ও মাদীনায় পবিত্র নগরীদ্বয়ে গণঅসন্তোষ দেখা দেয় এবং তা বিদ্রোহের রূপ নেয় । তা দমনের জন্য উমাইয়াহ্ সেনাপতি মুসলিম ইবনু ‘উক্ববার নেতৃত্বে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রেরণ করা হয়। (২) ৬৮৩ খ্রীস্টাব্দের ২৬ আগষ্ট হার্রা নামক স্থানে এ বাহিনীর সাথে মাদীনাবাসীদের ভীষণ যুদ্ধ হয় এবং মাদীনাবাসীগণ পরাজিত হয় । এ যুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বহু মুহাজির ও আনসার সহাবী শাহীদ হন এবং বিজয়োল্লাসে উন্মত্ত সিরীয় বাহিনী তিন দিন ধরে মাদীনার পবিত্র নগরী লুন্ঠন করে। অতঃপর তারা মাক্কাহ্ অভিমুখে রওনা হয় । এখানে আবূ বাক্র সিদ্দীক্ব (রাঃ)-এর দৌহিত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) ইতোমধ্যে নিজেকে খলীফা হিসেবে ঘোষণা করেন । পথিমধ্যে সেনাপতি মুসলিমের মৃত্যু হলে হুসায়ন ইবনু নুমায়র সিরীয় বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করে । (৩) তারা ৬৮৩ খ্রীস্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর মাক্কাহ্ নগরী অবরোধ করে এবং পাহাড়ের উপর থেকে পাথর নিক্ষেপক যন্ত্রের সাহায্যে আল্লাহর ঘর কা’বার উপর পাথর বর্ষণ করে অগ্নি সংযোগ করে এবং মারাত্নক ক্ষতি সাধন করে । তারা হাজারে আসওয়াদ ভেঙ্গে তিন টুকরা করে ফেলে । এ বছরের নভেম্বর মাসে ইয়াযীদের মৃত্যু হলে সিরীয় বাহিনী অবরোধ তুলে দামেশ্কে প্রত্যাবর্তন করে । অতঃপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) ইব্রাহীম (‘আঃ)-এর ভিত-এর উপর কা’বাহ্ ঘর পুনর্নির্মাণ করেন । ৬৯২ খ্রীস্টাব্দে ‘আরাফাহ্ যুদ্ধে হাজ্জাজ বাহিনীর হাতে ইবনু যুবায়র (রাঃ) শাহীদ হলে উমাইয়্যাহ রাজ ‘আবদুল মালিক পুনরায় কা’বাহ্ ঘর সংস্কারের নির্দেশ দেন । হাদীসে সে ঘটনাটি উল্লেখিত হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৭

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ وَالْوَلِيدَ بْنَ عَطَاءٍ يُحَدِّثَانِ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدٍ وَفَدَ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فِي خِلاَفَتِهِ فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ مَا أَظُنُّ أَبَا خُبَيْبٍ – يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ – سَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ مَا كَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْهَا ‏.‏ قَالَ الْحَارِثُ بَلَى أَنَا سَمِعْتُهُ مِنْهَا ‏.‏ قَالَ سَمِعْتَهَا تَقُولُ مَاذَا قَالَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ قَوْمَكِ اسْتَقْصَرُوا مِنْ بُنْيَانِ الْبَيْتِ وَلَوْلاَ حَدَاثَةُ عَهْدِهِمْ بِالشِّرْكِ أَعَدْتُ مَا تَرَكُوا مِنْهُ فَإِنْ بَدَا لِقَوْمِكِ مِنْ بَعْدِي أَنْ يَبْنُوهُ فَهَلُمِّي لأُرِيَكِ مَا تَرَكُوا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ فَأَرَاهَا قَرِيبًا مِنْ سَبْعَةِ أَذْرُعٍ ‏.‏ هَذَا حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ وَزَادَ عَلَيْهِ الْوَلِيدُ بْنُ عَطَاءٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَلَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ مَوْضُوعَيْنِ فِي الأَرْضِ شَرْقِيًّا وَغَرْبِيًّا وَهَلْ تَدْرِينَ لِمَ كَانَ قَوْمُكِ رَفَعُوا بَابَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَعَزُّزًا أَنْ لاَ يَدْخُلَهَا إِلاَّ مَنْ أَرَادُوا فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا هُوَ أَرَادَ أَنْ يَدْخُلَهَا يَدْعُونَهُ يَرْتَقِي حَتَّى إِذَا كَادَ أَنْ يَدْخُلَ دَفَعُوهُ فَسَقَطَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِلْحَارِثِ أَنْتَ سَمِعْتَهَا تَقُولُ هَذَا قَالَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ فَنَكَتَ سَاعَةً بِعَصَاهُ ثُمَّ قَالَ وَدِدْتُ أَنِّي تَرَكْتُهُ وَمَا تَحَمَّلَ.

হারিস ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ রবী’আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উবায়দ বলেন, হারিস ইবনু ‘আবদুল্লাহ প্রতিনিধি হিসেবে ‘আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ানের রাজত্বকালে তার নিকট গিয়েছিলেন। ‘আবদুল মালিক বললেন, আমি মনে করি না যে, আবূ যুবায়র অর্থাৎ ইবনু যুবায়র (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট এমন কিছু শুনেছেন যার দাবি তিনি করে থাকেন। [অর্থাৎ ইব্রাহীম (‘আঃ)-এর ভিতের উপর কা’বাহ ঘরের পুণর্নিমাণের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অভিপ্রায় সম্পর্কিত কোন হাদীস তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট শুনেননি]। হারিস বলেন, হ্যাঁ, আমি নিজেই তার নিকট এ হাদীস শুনেছি। ‘আবদুল মালিক বললেন, আপনি তাকে কী বলতে শুনেছেন? হারিস বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমার ক্বওমের লোকেরা কা’বাহ্ ঘরের ভিত (আয়তনে) ছোট করে ফেলেছে। অতীতে তারা শির্ক পরিত্যাগ না করলে আমি তাদের পরিত্যক্ত অংশটুকু কা’বার অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম। তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি আমার পরে তা পুণর্নিমাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে এসো, আমি তোমাকে তাদের পরিত্যক্ত অংশটুকু দেখিয়ে দিই”- অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ-কে (হাতীম সংলগ্ন) প্রায় সাত গজ স্থান দেখিয়ে দিলেন। এ হাদীস ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উবায়দ কর্তৃক বর্ণিত। ওয়ালীদ ইবনু ‘আত্বা ও বর্ণনার উপর আরো বৃদ্ধি করেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আমি জমিনের সমতলে দু’টি দরজাও নির্মাণ করতাম- একটি পূর্বদিকে এবং অপরটি পশ্চিম দিকে। তুমি কি জান তোমার গোত্রের লোকেরা কা’বার দরজা (ভূমি থেকে) উঁচুতে স্থাপন করেছে কেন?” ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “গর্ব ও অহংকারের বশবর্তী হয়ে (তারা এটা করেছে) যাকে কেবল সে ব্যক্তিই কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে- যাকে তারা অনুমতি দিবে। যখন কোন ব্যক্তি কা’বার অভ্যন্তরে প্রবেশের ইচ্ছা করত, তারা তাকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে দিত। এমনকি সে যখন তাতে প্রবেশ করত, তখন তারা তাকে টেনে নিচে ফেলে দিত”।

‘আবদুল মালিক হারিসকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাবী বলেন, কিছুক্ষণ তিনি হাতের ছড়ি দিয়ে মাটি খুঁড়তে লাগলেন, এরপর বললেনঃ আমি তার (ইবনু যুবায়র) কাজ স্ব অবস্থায় বহাল রাখার আকাঙক্ষা করছি। (ই.ফা. ৩১১২, ই.সে. ৩১০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৮

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ بَكْرٍ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে ইবনু বাকর-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১১৩, ই.সে. ৩১১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৩৯

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي، صَغِيرَةَ عَنْ أَبِي قَزَعَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، بَيْنَمَا هُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ قَالَ قَاتَلَ اللَّهُ ابْنَ الزُّبَيْرِ حَيْثُ يَكْذِبُ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ يَقُولُ سَمِعْتُهَا تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَائِشَةُ لَوْلاَ حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَنَقَضْتُ الْبَيْتَ حَتَّى أَزِيدَ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ فَإِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرُوا فِي الْبِنَاءِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ لاَ تَقُلْ هَذَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَأَنَا سَمِعْتُ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ تُحَدِّثُ هَذَا ‏.‏ قَالَ لَوْ كُنْتُ سَمِعْتُهُ قَبْلَ أَنْ أَهْدِمَهُ لَتَرَكْتُهُ عَلَى مَا بَنَى ابْنُ الزُّبَيْرِ ‏.

আবূ ক্বাযা’আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফকালে বলে উঠলেন, আল্লাহ ইবনু যুবায়রকে ধ্বংস করুন- যেহেতু সে উম্মুল মু’মিনীন [‘আয়িশা (রাঃ)]-এর উপর মিথ্যারোপ করেছেন যে, সে তাকে নাকি বলতে শুনেছে, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! তোমার সম্প্রদায় যদি অতীতে কুফরি পরিত্যাগকারী না হতো তবে আমি কা’বাহ্ ঘর বেঙ্গে তাতে হাতীমের অংশ যুক্ত করে দিতাম। কারণ তোমার সম্প্রদায় কা’বার আয়তন ছোট করে দিয়েছে”। (আবদুল মালিকের এ কথার উপর) হারিস ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ রবী’আহ্ বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ কথা আর বলবেন না। কারণ আমি নিজে উম্মুল মু’মিনীন [‘আয়িশা (রাঃ)]-কে এ কথা বলতে শুনেছি।

অতঃপর ‘আবদুল মালিক বললেন, কা’বাহ্ ঘর ভাঙ্গার পূর্বে যদি আমি তা শুনতে পেতাম, তাহলে ইবনু যুবায়রের ভিতের উপরই তা অটুট রাখতাম। (ই.ফা. ৩১১৪, ই.সে. ৩১১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০. অধ্যায়ঃ

কা’বার দেয়াল ও দরজার অবস্থান

৩১৪০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْجَدْرِ أَمِنَ الْبَيْتِ هُوَ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَلِمَ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي الْبَيْتِ قَالَ ‏”‏ إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا قَالَ ‏”‏ فَعَلَ ذَلِكِ قَوْمُكِ لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَخَافَ أَنْ تُنْكِرَ قُلُوبُهُمْ لَنَظَرْتُ أَنْ أُدْخِلَ الْجَدْرَ فِي الْبَيْتِ وَأَنْ أُلْزِقَ بَابَهُ بِالأَرْضِ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, হাতীমের দেয়াল কি বায়তুল্লাহ্র অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তবে তার কেন এটাকে বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করেনি? তিনি বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের নিকট পর্যপ্ত অর্থ ছিল না। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এর দরজা উঁচুতে স্থাপিত হবার কারণ কী? তিনি বললেন, তাও তোমার সম্প্রদায়ের কাণ্ড- যাতে তাদের কাঙ্খিত ব্যক্তি তাতে প্রবেশাধিকার পায় এবং অবাঞ্ছিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। তোমার ক্বওমের জাহিলিয়্যাত পরিত্যাগের যুগ নিকটতম না হলে এবং আমার যদি এ আশংকা না হতো যে, তাদের অন্তর পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে- তা হলে আমি অবশ্যই (হাতীমের) দেয়াল বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম এবং কা’বার দরজা জমিনের সমতলে স্থাপন করার বিষয়ে বিবেচনা করতাম। (ই.ফা. ৩১১৫, ই.সে. ৩১১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৪১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ مُوسَى – حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحِجْرِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ وَقَالَ فِيهِ فَقُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا لاَ يُصْعَدُ إِلَيْهِ إِلاَّ بِسُلَّمٍ وَقَالَ ‏ “‏ مَخَافَةَ أَنْ تَنْفِرَ قُلُوبُهُمْ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্ হাজার (হাতীম) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম। এরপর পূর্বোক্ত আবুল আহ্ওয়াস-এর হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় আছে [‘আয়িশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন], “এর দরজা উঁচুতে স্থাপিত হবার কারণ কী যে, সিঁড়ি ব্যতীত তাতে উঠা যায় না?” এতে আরো আছেঃ “তাদের অন্তর পরিবর্তিত হয়ে যাবার আশংকায়”। (ই.ফা. ৩১১৬, ই.সে. ৩১১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১. অধ্যায়ঃ

বিকলাঙ্গ, বার্ধক্য ইত্যাদির কারণে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষ হতে অথবা মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হাজ্জ সম্পাদন

৩১৪২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ تَسْتَفْتِيهِ فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ ‏.‏ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَثْبُتَ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সওয়ারীতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। এমতাবস্থায় খাস’আম গোত্রের এক মহিলা তাঁর নিকট মাসআলাহ্ জিজ্ঞেস করতে আসলো। ফায্লও তার দিকে তাকাচ্ছিল এবং মহিলাটিও ফায্লের দিকে তাকাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফায্ল-এর মুখমণ্ডল অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। মহিলাটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর যে হাজ্জ ফরয করেছেন- তা আমার বৃদ্দ পিতার উপরও ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি বাহনের উপর অবস্থান করতে অক্ষম। আমি কি তার পক্ষ থেকে হাজ্জ করতে পারি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এটা বিদায় হাজ্জের সময়কার ঘটনা। [৩৩] (ই.ফা. ৩১১৭, ই.সে. ৩১১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৩] এ হাদীস হতে কয়েকটি মাসআলা প্রমাণিত হয়- (১) এ সওয়ারীর উপর দু’জন মানুষের আরোহণ করা জায়িয, (২) প্রয়োজন হলে অপরিচিত মহিলার কণ্ঠ শ্রবণ করা বৈধ, (৩) অপরিচিত মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত করা হারাম, (৪) হাতের দ্বারা সৎ কাজের আদেশ কর, যেমন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে ফায্ল (রাঃ)-এর চেহারা ফিরিয়ে দিলেন, (৫) অক্ষম ব্যক্তির পক্ষ হতে হাজ্জ আদায় বৈধ, ঐ রকমই মৃতের পক্ষ হতে আদায় করাও বৈধ, (৬) পুরুষের পক্ষ হতে মহিলার হাজ্জ করা বৈধ, পিতা-মাতার খিদমাত করা তাদের পক্ষ হতে হাজ্জ আদায় এবং তাদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যক, (৭) যে ব্যক্তির উপর হাজ্জ ফারয হয়েছে কিন্তু সফর করার ক্ষমতা নেই সে অন্যকে দিয়ে হাজ্জ করিয়ে নিতে পারে, এটা ইমাম শাফি’ঈ এবং অধিকাংশ উলামার অভিমত ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৪৩

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ خَثْعَمَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ عَلَيْهِ فَرِيضَةُ اللَّهِ فِي الْحَجِّ وَهُوَ لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى ظَهْرِ بَعِيرِهِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فَحُجِّي عَنْهُ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে তার ভাই ফায্লের সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

খাস’আম গোত্রের এক মহিলা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন এবং তার উপর আল্লাহর ধার্যকৃত হাজ্জ ফারয হয়েছে। কিন্তু তিনি উটের পিঠে বসে থাকতে সক্ষম নন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তার পক্ষ থেকে হাজ্জ কর। (ই.ফা. ৩১১৮, ই.সে. ৩১১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২. অধ্যায়ঃ

নাবালকের হাজ্জ করা জায়িয এবং যে ব্যক্তি তাকে হাজ্জ করতে সহায়তা করে, সে সাওয়াবের অধিকারী হবে

৩১৪৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ، عُيَيْنَةَ – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَ رَكْبًا بِالرَّوْحَاءِ فَقَالَ ‏”‏ مَنِ الْقَوْمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا الْمُسْلِمُونَ ‏.‏ فَقَالُوا مَنْ أَنْتَ قَالَ ‏”‏ رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ فَرَفَعَتْ إِلَيْهِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا فَقَالَتْ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাওহা নামক স্থানে একদল আরোহীর সাক্ষাৎ পেলেন এবং তিনি বললেন, তোমরা কোন্ সম্প্রদায়ের লোক? তারা বলল, আমরা মুসলিম। তারা আরও জিজ্ঞেস করল, আপনি কে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল। এরপর এক মহিলা তাঁর সামনে একটি শিশুকে তুলে ধরে জিজ্ঞেস করল, এর জন্য হাজ্জ আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং তোমার জন্য সাওয়াব রয়েছে। [৩৪] (ই.ফা. ৩১১৯, ই.সে. ৩১১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪] এ হাদীস হতে কয়েকটি মাসআলাহ্ অবগত হওয়া যায়- (১) আমাদের জন্য মুসলিম উপাধি আখ্যা দেয়াই আসল, সহীহ এবং সুন্নাতী তরীকা, এটা ব্যতীত যেসব উপাধি প্রচলিত আছে যেমন হানাফী, শাফি’ঈ, হাম্বালী, মালিকী, চিশতী, নকশাবন্দী, কাদিরী ইত্যাদি নিখাত বিদ’আত এবং নবাবিষ্কৃত বিষয় । অতএব মু’মিন বান্দার নবাবিষ্কৃত উপাধি পরিহার করে সুন্নাতী উপাধি ধারণ করা কর্তব্য । (২) ছোট্ট বালকের হাজ্জ পালন সহীহ ও শারী’আত সম্মত এতে সাওয়াবের অধিকারী হবে । ইমাম শাফি’ঈ, আহমাদ, মালিক (রহঃ) এবং অধিকাংশ উলামার অভিমত এটাই, তবে এ হাজ্জটি নাফ্ল হিসেবে গণ্য হবে । এ হাদীসটিও তাদের দলীল । অন্যদিকে ইমাম হানিফা (রহঃ)-এর মত এর ব্যতিক্রম । তার মতে ছোট বাচ্চার হাজ্জ সহীহ নয়- এ মতটি হাদীসের বিপরীত হওয়ার কারণে বাতিল, প্রত্যাখ্যাত ও পরিত্যাজ্য । শুধু তার কথা কেন যার কথাই বা মত হাদীসের বিপরীত হবে তা বাতিল বলে গণ্য হয় । ক্বাযী আয়ায বলেছেন যে, একদল বিদ’আতী ব্যতীত বালকের হাজ্জ জায়িয হওয়ার বিষয়ে কারও মতবিরোধ নেই, ছোট্ট শিশুর ‘ইবাদাতের সাওয়াব তার পিতা-মাতার উপর বর্তাবে । এজন্য সে যদি হাজ্জ করে, অতঃপর বালেগ হওয়ার হাজ্জ করার সামর্থ্য লাভ করে তবে তার উপর আবার হাজ্জ করা ফারয্ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَفَعَتِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা তার শিশু পুত্রকে তুলে ধরে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! এর জন্য হাজ্জ হবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ এবং তোমার জন্য রয়েছে সাওয়াব। (ই.ফা. ৩১২০, ই.সে. ৩১১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৪৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ امْرَأَةً، رَفَعَتْ صَبِيًّا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ‏”‏ ‏.

কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা তার শিশুকে তুলে ধরে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এর হাজ্জ হবে কি? হ্যাঁ এবং তোমার জন্য সাওয়াব হবে। (ই.ফা. ৩১২১, ই.সে. ৩১১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৪৭

وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، بِمِثْلِهِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১২২, ই.সে. ৩১১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩. অধ্যায়ঃ

জীবনে একবার হাজ্জ পালন ফারয

৩১৪৮

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ مُسْلِمٍ الْقُرَشِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ الْحَجَّ فَحُجُّوا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَكُلَّ عَامٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَسَكَتَ حَتَّى قَالَهَا ثَلاَثًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَمَا اسْتَطَعْتُمْ – ثُمَّ قَالَ – ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَىْءٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَىْءٍ فَدَعُوهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এবং বললেনঃ হে জনগণ! তোমাদের উপর হাজ্জ ফারয করা হয়েছে। অতএব তোমরা হাজ্জ কর। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! তা কি প্রতি বছর? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব থাকলেন এবং সে তিনবার কথাটি বলল। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি হ্যাঁ বললে তা ওয়াজিব হয়ে যাবে (প্রতি বছরের জন্য) অথচ তোমরা তা পালন করতে সক্ষম হবে না। তিনি পুনরায় বললেন, তোমরা আমাকে ততটুকু কথার উপর থাকতে দাও যতটুকু আমি তোমাদের জন্য বলি। কারণ তোমাদের পূর্বেকার লোকেরা তাদের অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাদের নবীদের বিরোধিতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব আমি তোমাদের যখন কোন কিছু করার নির্দেশ দেই-তোমরা তা যথাসাধ্য পালন কর এবং যখন তোমাদের কোন কিছু করতে নিষেধ করি তখন তা পরিত্যাগ কর। (ই.ফা. ৩১২৩, ই.সে. ৩১২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪. অধ্যায়ঃ

মহিলাদের মাহরামের সঙ্গে হাজ্জ অথবা কোন প্রয়োজনীয় সফর করা

৩১৪৯

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ ثَلاَثًا إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলা যেন সাথে মাহ্রাম ব্যক্তি ছাড়া একাকী তিন দিনের (দূরত্বে) সফর না করে। (ই.ফা. ৩১২৪, ই.সে. ৩১২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ أَبِيهِ، ‏ “‏ ثَلاَثَةً إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাকর (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে ‘তিন দিনের অতিরিক্ত’ আর ইবনু নুমায়র (রহঃ)-এর পিতার সূত্রে বর্ণনায় রয়েছে- সালাসাহ্ (তিনরাত)। (ই.ফা. ৩১২৫, ই.সে. ৩১২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমান এনেছে- তার জন্য সাথে কোন মাহ্রাম ব্যক্তি ছাড়া তিন দিনের দূরত্বে পথের সফর করা বৈধ নয়। (ই.ফা. ৩১২৬, ই.সে. ৩১২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، – قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، – وَهُوَ ابْنُ عُمَيْرٍ – عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْهُ، حَدِيثًا فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ لَهُ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ أَسْمَعْ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَشُدُّوا الرِّحَالَ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِي هَذَا وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏”‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏”‏ لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ مِنَ الدَّهْرِ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا أَوْ زَوْجُهَا ‏”‏ ‏.

ক্বাযা’আহ্ (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-এর নিকট থেকে একটি হাদীস শুনে আশ্চর্যান্বিত হলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম-আপনি কি তা সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনিনি তা কেন তাঁর নামে বলব। ক্বাযা’আহ্ (রহঃ) বলেন, আমি আবূ সা’ঈদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমরা কেবল তিনটি মাসজিদের দিকেই (সাওয়াবের উদ্দেশে) সফর কর: “আমার এ মাসজিদ, মাসজিদুল হারাম এবং মাসজিদুল আক্বসা।” আমি তাঁকে আরও বলতে শুনেছি: “কোন মহিলা যেন দু’দিনের পথেও সফর না করে- তার সাথে তার কোন মাহরাম পুরুষ অথবা তার স্বামী ব্যতীত”। (ই.ফা. ৩১২৭, ই.সে. ৩১২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ، عُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ قَزَعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعًا فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي نَهَى أَنْ تُسَافِرَ الْمَرْأَةُ مَسِيرَةَ يَوْمَيْنِ إِلاَّ وَمَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ ‏.‏ وَاقْتَصَّ بَاقِيَ الْحَدِيثِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট চারটি কথা শুনেছি এবং তা আমার পছন্দ হয়েছে ও আমার কাছে ভাল লেগেছে। সাথে স্বামী অথবা কোন মাহরাম ব্যক্তি ব্যতীত কোন মহিলাকে দু’দিনের পথও সফর করতে তিনি নিষেধ করেছেন। অতঃপর তিনি অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩১২৮, ই.সে. ৩১২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৪

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَهْمِ بْنِ، مِنْجَابٍ عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ ثَلاَثًا إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন স্ত্রীলোক যেন সাথে কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত তিন দিনের দূরত্বের পথ সফর না করে। (ই.ফা. ৩১২৯, ই.সে. ৩১২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৫

وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، جَمِيعًا عَنْ مُعَاذِ بْنِ هِشَامٍ، – قَالَ أَبُو غَسَّانَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تُسَافِرِ امْرَأَةٌ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন স্ত্রীলোক যেন তিন দিনের দূরত্বের পথ একাকী সফর না করেন- তার সাথে একজন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত। (ই.ফা. ৩১৩০, ই.সে. ৩১২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৬

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ “‏ أَكْثَرَ مِنْ ثَلاَثٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রে উপরোক্ত হাদীদের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এ বর্ণনায় আছেঃ “তিন দিনের অতিরিক্ত দূরত্ব সাথে মাহরাম পুরুষ ব্যতীত”। (ই.ফা. ৩১৩১, ই.সে. ৩১২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম মহিলার জন্য তার সাথে কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত এক রাতের পথও সফর করা বৈধ নয়। (ই.ফা. ৩১৩২, ই.সে. ৩১২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৮

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ، بْنُ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ يَوْمٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে কোন মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমান রাখে- তার জন্য সাথে কোন মাহ্রাম পুরূষ ব্যতীত এক দিনের দূরত্বের পথ সফর করা হালাল নয়। [৩৫] (ই.ফা. ৩১৩৩, ই.সে. ৩১৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫] বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন দূরত্বের কথা উল্লেখ আছে । কেননা রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন যেভাবে যে দূরত্বের জন্য জিজ্ঞাসিত হয়েছেন সেভাবে তিনি জবাব দিয়েছেন । ফলে একেক সহাবা একেকভাবে শ্রবণ করে সেভাবে বর্ণনা করেছেন । মূলত সকল হাদীসের উদ্দেশ্যই একই । তা হল যতটুকু দূরত্বের ভ্রমণকে সফর বলা যায় ততটুকু দূরত্বই উদ্দেশ্য । আর এতে স্বামী বা মাহরাম তথা যার সাথে বিবাহ চিরস্থায়ীভাবে হারাম এমন পুরুষের সঙ্গ ব্যতীত সফর বৈধ নয় । পুরুষের উপর যেমন হাজ্জ ফারয তেমন সামর্থ্য হলে মহিলার উপরও ফরয । হ্যাঁ মহিলার হাজ্জের জন্য মাহরাম শর্ত কিনা এ বিষয়ে মতপার্থক্য আছে । তবে সহীহ হাদীসের আলোকে সঠিক কথা হলো যে, স্বামী বা মাহরাম ছাড়া কোন মহিলার হাজ্জে গমন করা জায়িয । আর এটাই অধিকাংশ ‘উলামার অভিমত ইমাম আবূ হানিফা যে, তিন মানযিল কম দূরত্বের সফরে মাহরাম ব্যতীত হাজ্জে যাওয়া তা সঠিক নয়, বরং ভ্রান্ত ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৫৯

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ عَلَيْهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে কোন মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে- তার জন্য সঙ্গে কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত একাকী এক দিন ও এক রাতের দূরত্বের পথও সফর করা হালাল নয়। (ই.ফা. ৩১৩৪, ই.সে. ৩১৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬০

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ – حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ، أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ أَنْ تُسَافِرَ ثَلاَثًا إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন স্ত্রীলোকের জন্য তার সাথে কোন মাহরাম ব্যক্তি ব্যতীত তিন দিনের দূরত্বের পথ সফর করা বৈধ নয়। (ই.ফা. ৩১৩৫, ই.সে. ৩১৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا – عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا يَكُونُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে কোন মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমান রাখে- তার পিতা অথবা তার ছেলে অথবা তার স্বামী অথবা তার ভাই অথবা তার অপর কোন মাহরাম আত্মীয় তার সফর সঙ্গী না হলে তার জন্য তিনদিন বা তার অতিরিক্ত সময়ের পথ সফর করা হালাল নয়। (ই.ফা. ৩১৩৬, ই.সে. ৩১৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৩৭, ই.সে. ৩১৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ يَقُولُ ‏”‏ لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ وَلاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ امْرَأَتِي خَرَجَتْ حَاجَّةً وَإِنِّي اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ انْطَلِقْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভাষণ দিতে শুনেছিঃ সাথে মাহরাম পুরুষ না থাকা অবস্থায় কোন পুরুষ লোক যেন কোন মহিলার সাথে একান্তে সাক্ষাৎ না করে। কোন স্ত্রীলোক যেন সাথে কোন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকী সফর না করে। এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার স্ত্রী হাজ্জের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে এবং আমাকে অমুক সৈন্য বাহিনীতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে- যা অমুক স্থানে যুদ্ধে যাবে। তিনি বললেন, তুমি চলে যাও এবং তোমার স্ত্রীর সাথে হাজ্জ কর। (ই.ফা. ৩১৩৮, ই.সে. ৩১৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬৪

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرٍو، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৩৯, ই.সে. ৩১৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬৫

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ – الْمَخْزُومِيُّ عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিম্নোক্ত কথার উল্লেখ নেই: “কোন পুরুষ লোক যেন কোন মহিলার সাথে একান্তে সাক্ষাৎ না করে, কিন্তু তার সাথে কোন মাহরাম পুরুষ থাকলে স্বতন্ত্র কথা”। (ই.ফা. ৩১৪০, ই.সে. ৩১৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫. অধ্যায়ঃ

হাজ্জের সফরে বা অন্য কোন সফরের উদ্দেশে যানবাহনে আরোহণকালীন দু’আ পড়া মুস্তাহাব এবং এর উক্ত দু’আর বর্ণনা

৩১৬৬

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَلِيًّا الأَزْدِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ عَلَّمَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى بَعِيرِهِ خَارِجًا إِلَى سَفَرٍ كَبَّرَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ ‏”‏ ‏.‏ وَإِذَا رَجَعَ قَالَهُنَّ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِنَّ ‏”‏ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথাও সফরের উদ্দেশে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার “আল্ল-হু আকবার” (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলতেন, এরপর যে দু’আ পাঠ করতেন তার অর্থ এই :

“পবিত্র মহান সে সত্তা- যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! আমাদের এ সফরে আমরা তোমার নিকট কল্যাণ, তাক্বওয়া এবং তোমার সন্তুষ্টি বিধানকারী কাজের তাওফীক চাই। হে আল্লাহ! আমাদের এ সফর আমাদের জন্য সহজ করে দাও এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক দৃশ্য এবং ফিরে এসে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষতিকর পরিবর্তন থেকে”।

এরপর তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন তখনও উপরোক্ত দু’আ পড়তেন এবং এর সাথে যোগ করতেন: (অর্থ) “আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহ্কারী, আমাদের প্রতিপালকের ‘ইবাদাতকারী ও প্রশংসাকারী”। (ই.ফা. ৩১৪১, ই.সে. ৩১৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬৭

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সফর করতেন তখন আশ্রয় প্রার্থনা করতেন সফরের কষ্ট থেকে, দুঃখজনক প্রত্যাবর্তন থেকে, সুখময় অবস্থার পর দুঃখময় অবস্থায় পতিত হওয়া থেকে, মাযলূমের বদদু’আ থেকে এবং সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ক্ষতিকর দৃশ্য অবলোকন থেকে। (ই.ফা. ৩১৪২, ই.সে. ৩১৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৬৮

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، كِلاَهُمَا عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ عَبْدِ الْوَاحِدِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ مُحَمَّدِ بْنِ خَازِمٍ قَالَ يَبْدَأُ بِالأَهْلِ إِذَا رَجَعَ ‏.‏ وَفِي رِوَايَتِهِمَا جَمِيعًا ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ ‏”‏ ‏.

‘আসিম আল- আহওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য ‘আবদুল ওয়াহিদের বর্ণনায় ‘ফীল মাল ওয়াল আহ্ল’ এবং মুহাম্মাদ ইবনু হাযম-এর বর্ণনায় প্রত্যাবর্তনকালে প্রথমে ‘আহ্ল’ শব্দ রয়েছে। উভয়ের বর্ণনায় রয়েছেঃ “আয় আল্লাহ! আমি সফরের কষ্ট ক্লান্তি হতে তোমার কাছে পানাহ চাই।“ (ই.ফা. ৩১৪৩, ই.সে. ৩১৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬. অধ্যায়ঃ

হাজ্জের সফর ইত্যাদি থেকে প্রত্যাবর্তন করে যে দু’আ পড়তে হয়

৩১৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح . وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَفَلَ مِنَ الْجُيُوشِ أَوِ السَّرَايَا أَوِ الْحَجِّ أَوِ الْعُمْرَةِ إِذَا أَوْفَى عَلَى ثَنِيَّةٍ أَوْ فَدْفَدٍ كَبَّرَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিহাদ, অভিযান, হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ্ করে ফিরে আসার সময় যখন কোন উঁচু টিলা বা কংকরময় উচ্চভূমিতে আরোহণ করতেন তখন তিনবার “আল্ল-হু আকবার” (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) ধ্বনি দিতেন, এরপর এ দু’আ পড়তেন।

(অর্থ) “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শারীক নেই। তাঁরই রাজত্ব (বা সার্বভৌমত্ব), তাঁর জন্য সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (আমরা) প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহ্কারী, ‘ইবাদাতকারী, আমাদের প্রতিপালককে সাজদাহ্কারী ও প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর ওয়া’দা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেছেন”। (ই.ফা. ৩১৪৪, ই.সে. ৩১৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭০

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ إِلاَّ حَدِيثَ أَيُّوبَ فَإِنَّ فِيهِ التَّكْبِيرَ مَرَّتَيْنِ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। শুধুমাত্র আইয়ূবের বর্ণনায় দু’বার তাকবীরের কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ৩১৪৫, ই.সে. ৩১৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭১

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَقْبَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَأَبُو طَلْحَةَ ‏.‏ وَصَفِيَّةُ رَدِيفَتُهُ عَلَى نَاقَتِهِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِظَهْرِ الْمَدِينَةِ قَالَ ‏ “‏ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمْ يَزَلْ يَقُولُ ذَلِكَ حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও আবূ ত্বল্হাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং সফিয়্যাহ্ (রাঃ) তাঁর উষ্ট্রীর পিঠে পেছনে সওয়ার ছিলেন। আমরা যখন মাদীনাহ্ শহরতলীতে পৌঁছলাম তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’আ পড়লেন : (অর্থ) “আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহ্কারী, আমাদের প্রভুর ‘ইবাদাতকারী, প্রশংসাকারী”। আমরা মাদীনায় প্রবেশ করা পর্যন্ত তিনি অবিরত এ দু’আ পড়তে থাকতেন। (ই.ফা. ৩১৪৬, ই.সে. ৩১৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭২

وَحَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৪৭, ই.সে. ৩১৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭. অধ্যায়ঃ

হাজ্জ, ‘উমরাহ্ ইত্যাদি সমাপনান্তে প্রত্যাবর্তনের পথে যুল হুলায়ফার বাত্বহা নামক স্থানে অবতরণ ও সলাত আদায় করা মুস্তাহাব

৩১৭৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَصَلَّى بِهَا ‏.‏ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল হুলায়ফার কংকরময় ভূমি (বাত্বহা)-তে তাঁর উট বসালেন এবং সেখানে সলাত আদায় করলেন। নাফি’ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ও তাই করতেন। (ই.ফা. ৩১৪৮, ই.সে. ৩১৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يُنِيخُ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنِيخُ بِهَا وَيُصَلِّي بِهَا ‏.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যুল হুলায়ফার বাত্বহা প্রান্তরে তাঁর উট বসাতেন যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উট বসাতেন এবং সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৩১৪৯, ই.সে. ৩১৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسٌ، – يَعْنِي أَبَا ضَمْرَةَ – عَنْ مُوسَى، بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا صَدَرَ مِنَ الْحَجِّ أَوِ الْعُمْرَةِ أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ الَّتِي كَانَ يُنِيخُ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব আল মুসাইয়্যাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ সমাপনান্তে ফেরার পথে যুল হুলায়ফার কংকরময় ভূমিতে নিজের উট বসাতেন যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উট বসাতেন। (ই.ফা. ৩১৫০, ই.সে. ৩১৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ – عَنْ مُوسَى، – وَهُوَ ابْنُ عُقْبَةَ – عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ فِي مُعَرَّسِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّكَ بِبَطْحَاءَ مُبَارَكَةٍ ‏.

সালিম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

যুল হুলায়ফায় রাতের শেষ ভাগে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট (কোন আগন্তুক মালাক) আবির্ভূত হয়। তাঁকে বলা হল, আপনি বারাকাতপূর্ণ পাথরময় স্থানে (অবস্থান করছেন)। (ই.ফা. ৩১৫১, ই.সে. ৩১৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৭৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، وَسُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، – وَاللَّفْظُ لِسُرَيْجٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ وَهُوَ فِي مُعَرَّسِهِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ فِي بَطْنِ الْوَادِي فَقِيلَ إِنَّكَ بِبَطْحَاءَ مُبَارَكَةٍ ‏.‏ قَالَ مُوسَى وَقَدْ أَنَاخَ بِنَا سَالِمٌ بِالْمُنَاخِ مِنَ الْمَسْجِدِ الَّذِي كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُنِيخُ بِهِ يَتَحَرَّى مُعَرَّسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَسْفَلُ مِنَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِبَطْنِ الْوَادِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ وَسَطًا مِنْ ذَلِكَ ‏.

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল হুলায়ফার উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থানকালে রাতের বিশেষ প্রহরে তাঁর নিকট (কোন মালাক) আবির্ভূত হয় এবং বলা হয়ঃ আপনি বারাকাতপূর্ণ কংকরময় স্থানে (অবস্থান করছেন)।

মূসা ‘উক্ববাহ্ (রহঃ) বলেন, সালিম (রহঃ) আমাদের সাথে সফরকালে মাসজিদের নিকট তাঁর উট বসাতেন যেখানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) নিজের উট বসাতেন এবং এ স্থানকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অবতরণ (অবস্থান) স্থল মনে করতেন। স্থানটি উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে নির্মিত মাসজিদের নিম্নদেশের সমতলে মাসজিদ ও ক্বিব্লার মাঝখানে অবস্থিত। (ই.ফা. ৩১৫২, ই..সে. ৩১৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮. অধ্যায়ঃ

মুশরিকরা বায়তুল্লাহর হাজ্জ করবে না, উলঙ্গ অবস্থায় আল্লাহর ঘর ত্বওয়াফ করবে না এবং হাজ্জের বড় দিনের বর্ণনা

৩১৭৮

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح . وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَنِي أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي أَمَّرَهُ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي رَهْطٍ يُؤَذِّنُونَ فِي النَّاسِ يَوْمَ النَّحْرِ لاَ يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلاَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانَ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ يَوْمُ النَّحْرِ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ ‏.‏ مِنْ أَجْلِ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের পূর্ববর্তী (বছরের) যে হাজ্জে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর সিদ্দীক্ব (রাঃ)-কে আমীর নিয়োগ করেছিলেন, সে হাজ্জের সময় তিনি (আবূ বকর) আমাকে সহ একদল লোকদের কুরবানীর দিন জনগণের মধ্যে নিম্নোক্ত ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠালেনঃ “এ বছরের পর মুশরিকরা আর হাজ্জ করতে পারবে না এবং উলঙ্গ অবস্থায় আল্লাহর ঘর ত্বওয়াফ করবে না”।

ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর এ হাদীস অনুযায়ী হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান বলতেন- “মহান হাজ্জের দিন হচ্ছে এ কুরবানীর দিন”। [৩৬] (ই.ফা. ৩১৫৩, ই.সে. ৩১৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৬] কুরআন হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, কুরবানীর দিনই হল (আরবী) (ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার) সাধারণ লোকের মধ্যে প্রসিদ্ধ যে, ‘আরাফার দিন জুমু’আহ হল সেটাই হাজ্জ আকবার, এটা শয়তান তাদেরকে বাতলে দিয়েছে। এর পক্ষে কুরআন-হাদীসের কোন দলীল নেই। এ ব্যাপারে ইমামদের মাঝে মতভেদ আছে, ইমাম মালিক, শাফি’ঈ ও জমহুর (অধিকাংশ) ‘আলিমের মতে এটা কুরবানীর দিনে। আর কতকের মতে হাজ্জে আসগার হল ‘উমরাহ্ এবং হাজ্জে আকবার হল হাজ্জ করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯. অধ্যায়ঃ

হাজ্জ, ‘উমরাহ্ ও ‘আরাফাহ্ দিবসের ফাযীলাত

৩১৭৯

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ يُوسُفَ، يَقُولُ عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهُ لَيَدْنُو ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلاَئِكَةَ فَيَقُولُ مَا أَرَادَ هَؤُلاَءِ ‏”‏‏.

সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ‘আরাফাহ্ দিবসের তুলনায় এমন কোন দিন নেই- যেদিন আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক লোককে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আল্লাহ তা’আলা নিকটবর্তী হন, অতঃপর বান্দাদের সম্পর্কে মালায়িকার সামনে গৌরব করেন এবং বলেনঃ তারা কী উদ্দেশে সমবেত হয়েছে (বা তারা কী চায়)? (ই.ফা. ৩১৫৪, ই.সে. ৩১৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ একটি ‘উমরাহ্ পরবর্তী ‘উমরাহ্ পর্যন্ত মাঝখানের গুনাহসমূহের কাফ্ফারাহ্ স্বরূপ এবং ত্রুটিমুক্ত (অথবা আল্লাহর নিকট গৃহীত) হাজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া এর কিছু নয়। (ই.ফা. ৩১৫৫, ই.সে. ৩১৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮১

وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ، الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ عَنْ سُهَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৫৬, ই.সে. ৩১৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ، زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَتَى هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এ (কা’বাহ্) ঘরে (হাজ্জের উদ্দেশে) আসে, অতঃপর অশ্লীল আচরণও করে না এবং দুষ্কর্মও করে না সে এমন (নিষ্পাপ) ভাবে প্রত্যাবর্তন করে যে তার জননী তাকে (নিষ্পাপ অবস্থায়) প্রসব করেছেন। (ই.ফা. ৩১৫৭, ই.সে. ৩১৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮৩

وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، وَأَبِي الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ، بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، وَسُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِمْ جَمِيعًا ‏ “‏ مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ ‏”‏ ‏.

মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদের পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে হাদীসটি এভাবে শুরু হয়েছে “যে ব্যক্তি হাজ্জ করে এবং (এ সময়) কোনরূপ অশ্লীল আচরণও করে না, দুষ্কর্মও করে না”। (ই.ফা. ৩১৫৮, ই.সে. ৩১৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮৪

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৫৯, ই.সে. ৩১৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০. অধ্যায়ঃ

হাজীদের মাক্কায় যাত্রাবিরতি দেয়া এবং এখানকার বাড়ী-ঘরের উত্তরাধিকারিত্ব

৩১৮৫

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، بْنُ يَزِيدَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَخْبَرَهُ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنْزِلُ فِي دَارِكَ بِمَكَّةَ فَقَالَ ‏ “‏ وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مِنْ رِبَاعٍ أَوْ دُورٍ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ عَقِيلٌ وَرِثَ أَبَا طَالِبٍ هُوَ وَطَالِبٌ وَلَمْ يَرِثْهُ جَعْفَرٌ وَلاَ عَلِيٌّ شَيْئًا لأَنَّهُمَا كَانَا مُسْلِمَيْنِ وَكَانَ عَقِيلٌ وَطَالِبٌ كَافِرَيْنِ ‏.

উসামাহ্ ইবনু যায়দ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি মাক্কায় আপনার বাড়িতে অবতরণ করবেন? তিনি বললেন, “আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন চার দেয়াল বা ঘর অবশিষ্ট রেখেছে?”

আবূ ত্বালিবের (মৃত্যুর পর তার পুত্র) ‘আক্বীল ও ত্বালিব তার ওয়ারিস হয়, কিন্তু জা’ফার ও ‘আলী তার কোন কিছুর ওয়ারিস হতে পারেনি। কেননা তারা উভয়ে (আবূ ত্বালিবের মৃত্যুর সময়) ছিলেন মুসলিম এবং ‘আক্বীল ও ত্বালিব ছিল কাফির। (ই.ফা. ৩১৬০, ই.সে. ৩১৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ، الرَّزَّاقِ – قَالَ ابْنُ مِهْرَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا وَذَلِكَ فِي حَجَّتِهِ حِينَ دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مَنْزِلاً ‏”‏ ‏.

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আগামীকাল কোথায় অবতরণ করবেন? এটা ছিল তাঁর বিদায় হাজ্জকালীন ঘটনা, যখন আমরা মাক্কার নিকটবর্তী হয়েছিলাম। তিনি উত্তরে বললেন, ‘আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন বাসস্থান অবশিষ্ট রেখেছে? (ই.ফা. ৩১৬১, ই.সে. ৩১৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮৭

وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، وَزَمْعَةُ، بْنُ صَالِحٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَذَلِكَ زَمَنَ الْفَتْحِ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مِنْ مَنْزِلٍ ‏”‏ ‏.

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর মর্জি আপনি আগামীকাল কোথায় অবতরণ করবেন? এটা মাক্কাহ্ বিজয়কালের বক্তব্য। তিনি বললেন, ‘আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন বাসস্থান অবশিষ্ট রেখেছে? (ই.ফা. ৩১৬২, ই.সে. ৩১৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১. অধ্যায়ঃ

হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ সমাপনান্তে মুহাজিরগণের মাক্কায় অনধিক তিনদিন অবস্থান জায়িয

৩১৮৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، يَسْأَلُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ يَقُولُ هَلْ سَمِعْتَ فِي الإِقَامَةِ، بِمَكَّةَ شَيْئًا فَقَالَ السَّائِبُ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لِلْمُهَاجِرِ إِقَامَةُ ثَلاَثٍ بَعْدَ الصَّدَرِ بِمَكَّةَ ‏”‏ ‏.‏ كَأَنَّهُ يَقُولُ لاَ يَزِيدُ عَلَيْهَا ‏.

‘আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, হাজ্জ সমাপনান্তে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে মুহাজিরগণ তিনদিন মাক্কায় অবস্থান করবে। তিনি যেন এ বাক্যের দ্বারা তিন দিনের অধিক না হবার কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৩১৬৩, ই.সে. ৩১৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৮৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، يَقُولُ لِجُلَسَائِهِ مَا سَمِعْتُمْ فِي، سُكْنَى مَكَّةَ فَقَالَ السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ، – أَوْ قَالَ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ – قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُقِيمُ الْمُهَاجِرُ بِمَكَّةَ بَعْدَ قَضَاءِ نُسُكِهِ ثَلاَثًا ‏”‏ ‏.

‘আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুহাজিরগণ হাজ্জ সমাপনান্তে মাক্কায় তিনদিন অবস্থান করতে পারবে। (ই.ফা. ৩১৬৪, ই.সে. ৩১৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯০

وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، يَسْأَلُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ فَقَالَ السَّائِبُ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ ثَلاَثُ لَيَالٍ يَمْكُثُهُنَّ الْمُهَاجِرُ بِمَكَّةَ بَعْدَ الصَّدَرِ ‏”‏ ‏.

‘আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : হাজ্জ সমাপনান্তে মুহাজিরগণ তিন রাত মাক্কায় অবস্থান করবে। (ই.ফা. ৩১৬৫, ই.সে. ৩১৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯১

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، وَأَمْلاَهُ، عَلَيْنَا إِمْلاَءً أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ أَخْبَرَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَكْثُ الْمُهَاجِرِ بِمَكَّةَ بَعْدَ قَضَاءِ نُسُكِهِ ثَلاَثٌ ‏”‏ ‏.

‘আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ করার পর মুহাজিরগণ মাক্কায় তিনদিন অবস্থান করতে পারবে। (ই.ফা. ৩১৬৬, ই.সে. ৩১৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯২

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৬৭, ই.সে. ৩১৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২. অধ্যায়ঃ

মাক্কার হারামে হওয়া, হারামের অভ্যন্তরে ও উপকণ্ঠে শিকার কার্য চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ, এখানকার গাছপালা উপড়ানো ও ঘাস কাটা নিষেধ

৩১৯৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ ‏”‏ لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ ‏”‏ إِنَّ هَذَا الْبَلَدَ حَرَّمَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَإِنَّهُ لَمْ يَحِلَّ الْقِتَالُ فِيهِ لأَحَدٍ قَبْلِي وَلَمْ يَحِلَّ لِي إِلاَّ سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ يُعْضَدُ شَوْكُهُ وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهُ وَلاَ يَلْتَقِطُ إِلاَّ مَنْ عَرَّفَهَا وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ لِقَيْنِهِمْ وَلِبُيُوتِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِلاَّ الإِذْخِرَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন বলেছেনঃ হিজরাতের আর প্রয়োজন নেই, কিন্তু জিহাদ ও নিয়্যাত অব্যাহত থাকবে। তোমাদেরকে যখন জিহাদের আহ্বান জানানো হয় তখন জিহাদে যোগদান কর। মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তা’আলা এ শহরকে সম্মানিত করেছেন- যেদিন তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকে। অতএব ক্বিয়ামাত পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা এ শহরের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবেন। তিনি এ শহরে আমার পূর্বে আর কারও জন্য যুদ্ধ বৈধ করেননি। আমার জন্য মাত্র এক দিনের কিছু সময় তিনি এখানে যুদ্ধ বৈধ করেছিলেন। অতএব তথায় যুদ্ধ বিগ্রহ করা হারাম। আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক ক্বিয়ামাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার কারণে এখানকার কোন কাঁটাযুক্ত গাছ উপড়ানো যাবে না, এখানকার শিকারের পশ্চাদ্ধাবণ করা যাবে না, এখানকার পতিত জিনিস তোলা যাবে না। তখন ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কিন্তু ইয্খির (লম্বা ঘাস) সম্পর্কে (অনুমতি দিন)। কারণ তা স্বর্ণকার ও তাদের ঘরের কাজে লাগে। তিনি বললেন, কিন্তু ইযখির (তোলার অনুমতি দেয়া হল)। (ই.ফা. ৩১৬৮, ই.সে. ৩১৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏”‏ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ بَدَلَ الْقِتَالِ ‏”‏ الْقَتْلَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ لاَ يَلْتَقِطُ لُقَطَتَهُ إِلاَّ مَنْ عَرَّفَهَا ‏”‏ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মানসূর (রহঃ) থেকে এ সূত্রে সামান্য শাব্দিক পার্থক্য সহকারে উপরোক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে তিনি “যেদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন” কথাটুকুর উল্লেখ করেননি এবং ‘ক্বিতাল’ শব্দের পরিবর্তে ‘ক্বতল’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। (ই.ফা. ৩১৬৯, ই.সে. ৩১৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَاىَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ فَلاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا وَلاَ يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقُولُوا لَهُ إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهَا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرٌو قَالَ أَنَا أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ ‏.

আবূ শুরায়হ আল ‘আদাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আম্‌র ইবনু সা’ঈদ (ইবনুল ‘আস ইবনু উমাইয়্যাহ্) যখন মাক্কাহ অভিযানের উদ্দেশে সৈন্য বাহিনীসহ রওনা করেন তখন আবূ শুরায়হ (রাঃ) তাকে বলেন, হে আমীর! আমাকে অনুমতি দিন একটি কথা বলতে যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের দিন সকাল বেলা দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- যা আমার দু’কান শুনেছে, আমার অন্তর সংরক্ষণ করেছে এবং উভয় চোখ সে দৃশ্য দেখেছে। যখন তিনি তা বলেছিলেন, প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করলেন। অতঃপর বললেন, নিশ্চয়ই মাক্কাকে আল্লাহ তা’আলা হারামে পরিণত করেছেন- কোন মানুষ তাকে হারামের মর্যাদায় উন্নীত করেনি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের উপর ঈমান রাখে- তার পক্ষে সেখানে রক্ত প্রবাহিত করা বা সেখানকার কোন গাছ উপড়ানো হালাল নয়। যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর রসূলের উদাহরণ পেশ করে এখানে রক্তপাত বৈধ করতে চায় তবে তোমরা তাকে বলে দিও, আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এজন্য অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তোমাদের জন্য কখনও অনুমতি দেননি। আর আমার জন্য তিনি তাও এক দিনের সামান্য সময় সেখানে যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছিলেন। আজকে তার সে হুরমাত (মর্যাদা) গতকালের মতো পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত লোকেরা যেন (এ কথা) অনুপস্থিতদের নিকট পৌঁছে দেয়। আবূ শুরায়হ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল- ‘আম্‌র আপনাকে কী জবাব দিল? তিনি বললেন, হে আবূ শুরায়হ্! এ সম্পর্কে আমি আপনারে চেয়ে অধিক জ্ঞাত আছি। নিশ্চয়ই হারাম (কা’বাহ্) কোন পাপীকে, কোন হত্যাকারীকে এবং কোন অনিষ্টকারীকে আশ্রয় দেয় না। (ই.ফা. ৩১৭০, ই.সে. ৩১৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯৬

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنِ الْوَلِيدِ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، – حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، – هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَامَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ وَإِنَّهَا لَنْ تَحِلَّ لأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي وَإِنَّهَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ وَإِنَّهَا لَنْ تَحِلَّ لأَحَدٍ بَعْدِي فَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا وَلاَ تَحِلُّ سَاقِطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُفْدَى وَإِمَّا أَنْ يُقْتَلَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الْعَبَّاسُ إِلاَّ الإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّا نَجْعَلُهُ فِي قُبُورِنَا وَبُيُوتِنَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِلاَّ الإِذْخِرَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ أَبُو شَاهٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ مَا قَوْلُهُ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ هَذِهِ الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা যখন তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাক্কাহ্ বিজয় দান করলেন- তখন তিনি লোকদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করলেন। অতঃপর বললেন, নিশ্চিত আল্লাহ তা’আলা হস্তী বাহিনীর মাক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করেছেন এবং তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মু’মিনদেরকে মাক্কাহ্ অভিযানে বিজয়ী করেছেন। আমার পূর্বে কারও জন্য এখানে রক্তপাত বৈধ ছিল না। আর আমার জন্যও একদিনের কিছু সময় এখানে যুদ্ধ করা হালাল করা হয়েছিল। আমার পরে আর কারও জন্য তা কখনও হালাল করা হবে না। অতএব এখানকার শিকারের পশ্চাদ্ধাবণ করা যাবে না, এখানকার কাঁটাদার গাছও উপড়ানো যাবে না এবং এখানকার পতিত জিনিস তোলা যাবে না। তবে ঘোষণা প্রদানকারী (তা তুলে নিতে পারবে)। কারও কোন আত্মীয় নিহত হয়ে তার জন্য দু’টি অবস্থার যে কোন একটি গ্রহণের অধিকার রয়েছে : হয় ফিদ্য়া (রক্তপণ) গ্রহণ করতে হবে নতুবা হত্যাকারীকে ক্বিসাস স্বরূপ হত্যা করতে হবে। ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসুল! কিন্তু ইযখির ঘাস যা আমরা ক্ববরে দিয়ে থাকি এবং আমাদের ঘরের চালায় ব্যবহার করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কিন্তু ইযখির ঘাস (এর কাটার অনুমতি দেয়া হল)। ইয়ামানের অধিবাসী আবূ শাহ্ (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসুল! আমাকে (এ কথাগুলো) লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা আবূ শাহকে লিখে দাও।

ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমি আওযা‘ঈ (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম : “হে আল্লাহর রসূল! আমকে লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করুন”- তাঁর এ কথার অর্থ কী? তিনি বললেন, যে ভাষণ তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিতে শুনলেন তা। (ই.ফা. ৩১৭১, ই.সে. ৩১৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১৯৭

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ إِنَّ خُزَاعَةَ قَتَلُوا رَجُلاً مِنْ بَنِي لَيْثٍ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ بِقَتِيلٍ مِنْهُمْ قَتَلُوهُ فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَخَطَبَ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ أَلاَ وَإِنَّهَا لَمْ تَحِلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي وَلَنْ تَحِلَّ لأَحَدٍ بَعْدِي أَلاَ وَإِنَّهَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ أَلاَ وَإِنَّهَا سَاعَتِي هَذِهِ حَرَامٌ لاَ يُخْبَطُ شَوْكُهَا وَلاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا وَلاَ يَلْتَقِطُ سَاقِطَتَهَا إِلاَّ مُنْشِدٌ وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُعْطَى – يَعْنِي الدِّيَةَ – وَإِمَّا أَنْ يُقَادَ أَهْلُ الْقَتِيلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ أَبُو شَاهٍ فَقَالَ اكْتُبْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّا نَجْعَلُهُ فِي بُيُوتِنَا وَقُبُورِنَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِلاَّ الإِذْخِرَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বানূ লায়স কর্তৃক বানূ খুযা’আর এক ব্যক্তি হত্যার প্রতিশোধ স্বরূপ শেষোক্ত গোত্রের লোকেরা মাক্কাহ্ বিজয়ের সময়ে প্রথমোক্ত গোত্রের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ খবর পৌঁছলে তিনি নিজ সওয়ারীতে আরোহণ পূর্বক ভাষণ দেন এবং বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা হস্তী বাহিনীর মাক্কায় প্রবেশ প্রতিরোধ করেন এবং তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মু’মিনদেরকে এর উপর বিজয়ী করেন। সাবধান! আমার পূর্বে কারও জন্য এখানে রক্তপাত হালাল ছিল না এবং আমার পরেও কখনও কারও জন্য তা হালাল নয়। সাবধান! আমার জন্যও এক দিনের সামান্য সময় এখানে (রক্তপাত) বৈধ করা হয়েছিল। সাবধান! এ মুহূর্তে আবার তা (আমার জন্যও) হারাম হয়ে গেল। অতএব এখানকার কাঁটাযুক্ত বৃক্ষও উপড়ানো যাবে না, গাছপালাও কাটা যাবে না এবং পথে পড়ে থাকা বস্তুও তোলা যাবে না। তবে ঘোষণা প্রদানকারী ব্যক্তি (তা তুলতে পারবে)। যার কোন আত্মীয় নিহত হয়েছে তার দু’টি ব্যবস্থার যে কোন একটি গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। হয় ফিদ্য়া (রক্তপণ) গ্রহণ করতে হবে, নতুবা ক্বিসাস স্বরূপ হত্যাকারীকে হত্যা করতে হবে। রাবী বলেন, আবূ শাহ্ (রাঃ) নামক ইয়ামানের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আামকে লিখে দিন। তিনি বললেন, তোমরা আবূ শাহ্কে লিখে দাও। কুরায়শ বংশের এক ব্যক্তি বললেন, কিন্তু ইযখির ঘাস- আমরা তো তা আমাদের ঘর তৈরির কাজে এবং ক্ববরে ব্যবহার করে থাকি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইযখির ঘাস ব্যতীত। (ই.ফা. ৩১৭২, ই.সে. ৩১৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩. অধ্যায়ঃ

নিষ্প্রয়োজনে মাক্কায় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ

৩১৯৮

حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لأَحَدِكُمْ أَنْ يَحْمِلَ بِمَكَّةَ السِّلاَحَ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তোমাদের কারো জন্য মাক্কায় অস্ত্র বহন করা হালাল নয়। (ই.ফা. ৩১৭৩, ই.সে. ৩১৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস