মুসলিম হজ্জ অধ্যায় ৬ষ্ঠ ভাগ হাদিস নং ৩১৯৯ – ৩২৮৮

৮৪. অধ্যায়ঃ

মাক্কায় ইহরামবিহীন অবস্থায় প্রবেশ জায়িয

৩১৯৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَمَّا الْقَعْنَبِيُّ فَقَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَأَمَّا قُتَيْبَةُ فَقَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ وَقَالَ يَحْيَى – وَاللَّفْظُ لَهُ – قُلْتُ لِمَالِكٍ أَحَدَّثَكَ ابْنُ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ مِغْفَرٌ فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ اقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ مَالِكٌ نَعَمْ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের সময়ে লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় মাক্কায় প্রবেশ করেন। তিনি যখন তা মাথা থেকে নামিয়ে রাখলেন তখন এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, ইবনু খাত্বালা-কে কা’বার গেলাফের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। তিনি বললেন, তোমরা তাকে হত্যা কর। [ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইমাম মালিককে জিজ্ঞেস করেন যে, ইমাম যুহরী (রহঃ) আনাস (রাঃ)-এর সুত্রে তাঁকে এ হাদীস বলেছেন, কিনা] তিনি বলেন, হাঁ। [৩৭] (ই.ফা. ৩১৭৪, ই.সে. ৩১৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৭] যার হাজ্জ বা ‘উমরাহ্ করার উদ্দেশ্য না হবে তার অথবা বিভিন্ন প্রয়োজন সর্বদাই যাতায়াত করে তাদের জন্য হারামের অভ্যন্তরে ইহরাম ছাড়া প্রবেশ করা বৈধ। ইমাম শাফি’ঈ থেকে এটাই বিশুদ্ধ উক্তি। আর দ্বিতীয় উক্তি হল যারা বরাবর যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না তার পক্ষে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ বৈধ নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمَّارٍ الدُّهْنِيُّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ – وَقَالَ قُتَيْبَةُ دَخَلَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ – وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ قُتَيْبَةَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় প্রবেশ করলেন। কুতায়বাহ (রহঃ) বলেন, “তিনি মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন ইহরামবিহীন অবস্থায় কালো পাগড়ী পরিধান করে মাক্কায় প্রবেশ করেন। কুতায়বাহ্ (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কালো পাগড়ী পরিধান করে মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন প্রবেশ করেন। (ই.ফা. ৩১৭৫, ই.সে. ৩১৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ الأَوْدِيُّ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মাক্কায় প্রবেশ করেন। (ই.ফা. ৩১৭৬, ই.সে. ৩১৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُسَاوِرٍ، الْوَرَّاقِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ ‏.

জা’ফার ইবনু আমর ইবনু হুরায়স (রাঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথায় কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় লোকদের উদ্দেশ্যে (মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন) ভাষণ দেন। (ই.ফা. ৩১৭৭, ই.সে. ৩১৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَالْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُسَاوِرٍ الْوَرَّاقِ، قَالَ حَدَّثَنِي وَفِي، رِوَايَةِ الْحُلْوَانِيِّ قَالَ سَمِعْتُ جَعْفَرَ بْنَ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ قَدْ أَرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ ‏.

জা’ফার ইবনু ‘আমর ইবনু হুরায়স (রাঃ)-এর পিতার সূ্ত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মিম্বারের উপর (উপবিস্ট) দেখতে পাচ্ছি এবং তিনি পাগড়ীর দু’প্রান্ত কাঁধের মাঝ বরাবর ঝুলিয়ে রেখেছেন। আবূ বকর (রহঃ)-এর বর্ণনায় ‘মিম্বারের উপর’ কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩১৭৮, ই.সে. ৩১৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৫. অধ্যায়ঃ

মাদীনার ফাযীলাত, এ শহরে বারাকাত দানের জন্য নবী (স.)-এর দু’আ, মাদীনাহ্ ও হারামের মর্যাদা এবং এখানে শিকার ও এখানকার গাছপালা কর্তন নিষিদ্ধ ও মাদীনার হারামের সীমা

৩২০৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَدَعَا لأَهْلِهَا وَإِنِّي حَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ كَمَا حَرَّمَ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ وَإِنِّي دَعَوْتُ فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا بِمِثْلَىْ مَا دَعَا بِهِ إِبْرَاهِيمُ لأَهْلِ مَكَّةَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু ‘আসিম থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কাকে হারাম বানিয়েছেন এবং এখানকার বাসিন্দাদের জন্য দু’আ করেছেন। আর আমি নিশ্চয়ই মাদীনাকে হারামে পরিণত করলাম ঠিক যেভাবে ইবরাহীম (‘আঃ) মাক্কাকে হারামে পরিণত করেছেন। আমি এখানকার মুদ্দ ও সা’ (ওজন পরিমাপের দু’টি একক) এর জন্য দু’আ করলাম যেরূপ ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কার অধিবাসীদের জন্য দু’আ করেছেন। (ই.ফা. ৩১৭৯, ই.সে. ৩১৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০৫

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي ابْنَ الْمُخْتَارِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، كُلُّهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، – هُوَ الْمَازِنِيُّ – بِهَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا حَدِيثُ وُهَيْبٍ فَكَرِوَايَةِ الدَّرَاوَرْدِيِّ ‏”‏ بِمِثْلَىْ مَا دَعَا بِهِ إِبْرَاهِيمُ ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَّا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ فَفِي رِوَايَتِهِمَا ‏”‏ مِثْلَ مَا دَعَا بِهِ إِبْرَاهِيمُ ‏”‏‏.

‘আমর ইবনু ইয়াহ্ইয়া আল মাযিনী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৮০, ই.সে. ৩১৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০৬

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي، بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ يُرِيدُ الْمَدِينَةَ ‏.

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কাকে হারামে পরিণত করেছেন, আর আমি দু’টি কৃষ্ণ প্রস্তরময় ভূমির মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম ঘোষণা করছি। তিনি মাদীনাকে বুঝিয়েছেন। (ই.ফা. ৩১৮১, ই.সে. ৩১৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০৭

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، خَطَبَ النَّاسَ فَذَكَرَ مَكَّةَ وَأَهْلَهَا وَحُرْمَتَهَا وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَدِينَةَ وَأَهْلَهَا وَحُرْمَتَهَا فَنَادَاهُ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ فَقَالَ مَا لِي أَسْمَعُكَ ذَكَرْتَ مَكَّةَ وَأَهْلَهَا وَحُرْمَتَهَا وَلَمْ تَذْكُرِ الْمَدِينَةَ وَأَهْلَهَا وَحُرْمَتَهَا وَقَدْ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا وَذَلِكَ عِنْدَنَا فِي أَدِيمٍ خَوْلاَنِيٍّ إِنْ شِئْتَ أَقْرَأْتُكَهُ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ مَرْوَانُ ثُمَّ قَالَ قَدْ سَمِعْتُ بَعْضَ ذَلِكَ ‏.

নাফি’ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মারওয়ান ইবনু হাকাম লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি মাক্কাহ্ ও তার বাসিন্দা এবং এর হারামের মর্যাদা সম্পর্কে উল্লেখ করলেন। তখন রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) তাকে ডাক দিয়ে বললেন, কী ব্যাপার! আমি আপনাকে মাক্কাহ্, তার অধিবাসী এবং তার হারামের মর্যাদা সম্পর্কে উল্লেখ করতে শুনছি, অথচ মাদীনাহ্, তার অধিবাসী এবং তার হারামের মর্যাদা সম্পর্কে আপনি কিছুই বলেননি; অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনার দু’প্রান্তের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এ হাদীস আমাদের নিকট একটি খাওলানী চামড়ায় লিপিবদ্ধ আছে। আপনি চাইলে আমি তা আপনার সামনে পড়ে শোনাতে পারি। রাবী বলেন, মারওয়ান চুপ হয়ে গেলেন, অতঃপর বললেন, অবশ্য আমিও এ রকম কিছু শুনেছি। (ই.ফা. ৩১৮২, ই.সে. ৩১৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي أَحْمَدَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَسْدِيُّ، – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَإِنِّي حَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا لاَ يُقْطَعُ عِضَاهُهَا وَلاَ يُصَادُ صَيْدُهَا ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয় ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কার হারাম নির্ধারণ করেছেন, আর আমি মাদীনাকে হারাম বলে ঘোষণা করছি- এর দু’প্রান্তের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশকে। অতএবং এখানকার কোন কাঁটাযুক্ত গাছও কাটা যাবে না এবং এখানকার জীবজন্তুও শিকার করা যাবে না। (ই.ফা. ৩১৮৩, ই.সে. ৩১৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২০৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَىِ الْمَدِينَةِ أَنْ يُقْطَعَ عِضَاهُهَا أَوْ يُقْتَلَ صَيْدُهَا – وَقَالَ – الْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ لاَ يَدَعُهَا أَحَدٌ رَغْبَةً عَنْهَا إِلاَّ أَبْدَلَ اللَّهُ فِيهَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ وَلاَ يَثْبُتُ أَحَدٌ عَلَى لأْوَائِهَا وَجَهْدِهَا إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَفِيعًا أَوْ شَهِيدًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

‘আমির ইবনু সা’ঈদ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি মাদীনার দু’ পার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশকে হারাম বলে ঘোষণা দিচ্ছি। এখানকার কাঁটাযুক্ত গাছও কাটা যাবে না এবং এখানকার জীবজন্তুও শিকার করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, মাদীনাহ্ তার অধিবাসীদের জন্য কল্যাণকর স্থান, যদি তারা বুঝে। যে ব্যক্তি অনাগ্রহবশতঃ মাদীনাহ্ ত্যাগ করে, আল্লাহ তার চাইতে উত্তম ব্যক্তিকে তার স্থলবর্তী করেন। আর যে ব্যক্তি এখানে ক্ষুধা ও কষ্টের সময় ধৈর্যধারণ করে, আমি তার জন্য ক্বিয়ামাতের দিন শাফা’আতকারী অথবা বলেছেন, সাক্ষী হব। (ই.ফা. ৩১৮৪, ই.সে. ৩১৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১০

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ الأَنْصَارِيُّ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ ‏ “‏ وَلاَ يُرِيدُ أَحَدٌ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِسُوءٍ إِلاَّ أَذَابَهُ اللَّهُ فِي النَّارِ ذَوْبَ الرَّصَاصِ أَوْ ذَوْبَ الْمِلْحِ فِي الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তৎপরবর্তী অংশ উপরোক্ত ইবনু নুমায়রের অনুরূপ। তবে এ হাদীসে অতিরিক্ত আছে যে, [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন] যে ব্যক্তিই মাদীনাবাসীদের ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করবে আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নামের আগুনে এমনভাবে বিগলিত করবেন, যেভাবে আগুনের তাপে সীসা গলে যায় অথবা লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়। (ই.ফা. ৩১৮৫, ই.সে. ৩১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১১

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنِ الْعَقَدِيِّ، – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ، سَعْدٍ أَنَّ سَعْدًا، رَكِبَ إِلَى قَصْرِهِ بِالْعَقِيقِ فَوَجَدَ عَبْدًا يَقْطَعُ شَجَرًا أَوْ يَخْبِطُهُ فَسَلَبَهُ فَلَمَّا رَجَعَ سَعْدٌ جَاءَهُ أَهْلُ الْعَبْدِ فَكَلَّمُوهُ أَنْ يَرُدَّ عَلَى غُلاَمِهِمْ أَوْ عَلَيْهِمْ مَا أَخَذَ مِنْ غُلاَمِهِمْ فَقَالَ مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ أَرُدَّ شَيْئًا نَفَّلَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَأَبَى أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهِمْ ‏.

‘আমির ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সা’দ (রাঃ) আল-‘আক্বীক্বে তার আবাসে রওনা হলেন। পথিমধ্যে তিনি একটি ক্রীতদাসকে একটি গাছ কাটতে অথবা (লাঠি দিয়ে) এর পাতা ঝরাতে দেখলেন। অতএব তিনি তার অস্ত্র কেড়ে নিলেন। তিনি ফিরে এলে ঐ গোলামের মনিব এসে তার সাথে আলাপ করলেন এবং তাদের গোলামের নিকট থেকে তিনি যা কেড়ে নিয়েছেন তা তাদের কাছে অথবা তাদের গোলামের কাছে ফেরত দিতে অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন, যে জিনিস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে উপহার স্বরূপ দিয়েছেন তা ফেরত দেয়ার ব্যাপারে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। অতএবং তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করলেন। (ই.ফা. ৩১৮৬, ই.সে. ৩১৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ، – قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، – أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو، مَوْلَى الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَبِي طَلْحَةَ ‏”‏ الْتَمِسْ لِي غُلاَمًا مِنْ غِلْمَانِكُمْ يَخْدُمُنِي ‏”‏ ‏.‏ فَخَرَجَ بِي أَبُو طَلْحَةَ يُرْدِفُنِي وَرَاءَهُ فَكُنْتُ أَخْدُمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُلَّمَا نَزَلَ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا بَدَا لَهُ أُحُدٌ قَالَ ‏”‏ هَذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ جَبَلَيْهَا مِثْلَ مَا حَرَّمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ ‏”‏ ‏.

‘আম্‌র ইবনু আবূ ‘আম্‌র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ ত্বল্হাহ্ (রাঃ) কে বললেনঃ তোমাদের বালকদের মধ্য থেকে একজন বালক আমার খিদমাতের জন্য খুজে আন। অতএব আবূ ত্বল্হাহ্ (রাঃ) আমাকে বাহনে তাঁর পিছনে বসিয়ে রওনা হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই (বাহন থেকে) নামতেন, আমি তাঁর প্রয়োজনীয় সেবা করতাম। এ হাদীসে তিনি আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অগ্রসর হতে থাকলেন এবং উহুদ পাহাড় তাঁর দৃষ্টিগোচর হল- তিনি বললেনঃ “এ পাহাড় আমাদের ভালোবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি”। তিনি যখন মাদীনার নিকটবর্তী হলেন তখন বললেনঃ “হে আল্লাহ! তাদের (মাদীনার অধিবাসীদের) মুদ্দ ও সা’-এ বারাকাত দান করুন”। (ই.ফা. ৩১৮৭, ই.সে. ৩১৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৩

وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيُّ – عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূ্ত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে অতিরিক্ত এই যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আমি মাদীনার দু’ প্রান্তের কংকরময় মাঠের মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম করছি।” (ই.ফা. ৩১৮৮, ই.সে. ৩১৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৪

وَحَدَّثَنَاهُ حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَحَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ قَالَ نَعَمْ مَا بَيْنَ كَذَا إِلَى كَذَا فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا – قَالَ – ثُمَّ قَالَ لِي هَذِهِ شَدِيدَةٌ ‏ “‏ مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ابْنُ أَنَسٍ أَوْ آوَى مُحْدِثًا ‏.

‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি মাদীনাকে হারাম করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এখান থেকে ওখানের মধ্যবর্তী স্থান। অতএব যে ব্যক্তি এখানে কোন পাপ করে, তিনি পুণরায় আমাকে বললেন, তা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার যে, এখানে কোন পাপ করে তার উপর আল্লাহ, তাঁর মালাক্ব এবং সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাঁর ফরয অথবা নফল কোন ‘ইবাদাতই কবুল করবেন না। [৩৮] রাবী বলেন, আনাস (রাঃ)-এর পুত্র বললেন, “অথবা যে কোন পাপীকে আশ্রয় দিল”। (ই.ফা. ৩১৮৯, ই.সে. ৩১৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৮] অন্য ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তাওবাহ্ এবং ফিদ্য়্যাহ গ্রহণ করা হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৫

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسًا أَحَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ قَالَ نَعَمْ هِيَ حَرَامٌ لاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ ‏.

‘আসিম আল আহওয়ার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি মাদীনাকে হারাম করেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, তা হারাম। অতএব এখানকার উদ্ভিদ উপড়ানো যাবে না। যে বক্তি তা করবে তার উপর আল্লাহ, তাঁর মালাক্ব এবং সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। (ই.ফা. ৩১৯০, ই.সে. ৩১৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مِكْيَالِهِمْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِي صَاعِهِمْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: হে আল্লাহ! তাদের বারাকাত দান করুন দাঁড়িপাল্লায়, তাদের সা’-এ এবং তাদের মুদ্দ-এ। (ই.ফা. ৩১৯১, ই.সে. ৩১৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৭

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ السَّامِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يُونُسَ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْ بِالْمَدِينَةِ ضِعْفَىْ مَا بِمَكَّةَ مِنَ الْبَرَكَةِ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করলেন : “হে আল্লাহ! আপনি মাক্কাতে বারাকাত দান করেছেন, মাদীনায় তার দ্বিগুণ বারাকাত দান করুন”। (ই.ফা. ৩১৯২, ই.সে. ৩১৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، – قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَطَبَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ عِنْدَنَا، شَيْئًا نَقْرَأُهُ إِلاَّ كِتَابَ اللَّهِ وَهَذِهِ الصَّحِيفَةَ – قَالَ وَصِحِيفَةٌ مُعَلَّقَةٌ فِي قِرَابِ سَيْفِهِ – فَقَدْ كَذَبَ فِيهَا أَسْنَانُ الإِبِلِ وَأَشْيَاءُ مِنَ الْجِرَاحَاتِ وَفِيهَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله تعالى عليه وسلم ‏”‏ الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ‏”‏ ‏.‏ وَانْتَهَى حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ وَزُهَيْرٍ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏”‏ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرَا مَا بَعْدَهُ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا مُعَلَّقَةٌ فِي قِرَابِ سَيْفِهِ ‏.

ইব্রাহীম আত্ তায়মী (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, আমাদের (আহলে বায়ত) কাছে আল্লাহ্‌র কিতাব ছাড়া যা আমরা পাঠ করি এবং এ সহীফাহ্ রাবী বলেন, অর্থাৎ ঐ সহীফাহ্ যা তাঁর তরবারির খাপে ঝুলন্ত ছিল তা ছাড়া কিছু আছে, সে মিথ্যা বলে। এ সহীফায় উটের বয়স [৩৯] এবং কিছু যখমের বর্ণনা ছিল। এর মধ্যে আরও ছিল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মাদীনার ‘আয়র ও সাওর এর মধ্যবর্তী স্থান হারাম। এখানে যে ব্যক্তি কোন বিদ’আতী কর্মে লিপ্ত হয় অথবা কোন বিদ্’আতীতে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর মালায়িকার ও সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তার কোন ফারয ও নফল ‘ইবাদাত কবূল করবেন না। মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানে সকলে সমান। তাদের নিম্নস্তরের একজনের প্রদত্ত নিরাপত্তাও কার্যকর। যে অন্য পিতার সাথে নিজ বংশ দাবী করে অথবা নিজ মুনীবের পরিবর্তে অন্য মুনীবের সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করে তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাদের ও সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামাতরে দিন তার ফরয বা নফল কোন ‘ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না।

রাবী বলেন, আবূ বকর ও যুহায়রের হাদীস শেষ হয়ে গেছে “তাদের নিন্মস্তরের একজনের প্রদত্ত নিরাপত্তাও কার্যকরী” এ কথা পর্যন্ত। তারা এর পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। তাদের উভয়ের বর্ণনায় “তাঁর তরবারির খাপে ঝুলন্ত” কথাটুকু উল্লেখিত হয়নি। (ই.ফা. ৩১৯৩, ই.সে. ৩১৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৯] যাকাত, ক্বিসাস ও দিয়াত সম্পর্কে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২১৯

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي كُرَيْبٍ عَنْ أَبِي، مُعَاوِيَةَ إِلَى آخِرِهِ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ ‏”‏ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا ‏”‏ مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي رِوَايَةِ وَكِيعٍ ذِكْرُ يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে উল্লেখ আছে “যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের সাথে (নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর) বিশ্বাসঘাতকতা করে তার উপর আল্লাহ, তাঁর মালায়িকার ও সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার ফারয বা নাফল কোন ‘ইবাদাতই কবূল করা হবে না। তাদের (‘আলী ও ওয়াকী’) উভয়ের বর্ণনায় “যে ব্যক্তি নিজ পিতৃ পরিচয়ের পরিবর্তে অন্য পিতৃ পরিচয়ের দাবী করে” কথাটুকুর উল্লেখ এবং ওয়াকী’র বর্ণনায় “ক্বিয়ামাতের দিন” কথাটুকুর উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩১৯৪, ই.সে. ৩১৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২০

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ وَوَكِيعٍ إِلاَّ قَوْلَهُ ‏ “‏ مَنْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ ‏”‏ وَذِكْرَ اللَّعْنَةِ لَهُ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূ্ত্রে ইবনু মুসহির ও ওয়াকী’র হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এদের বর্ণনায় “গোলাম নিজের মুনীবের পরিবর্তে অন্যকে নিজের মুনীব বলে পরিচয় দেয়” কথাটুকু নেই। আর তার প্রতি লা’নাতের কথা উল্লেখিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩১৯৫, ই.সে. ৩১৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمَدِينَةُ حَرَمٌ فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মাদীনাহ্ হারাম। অতএব, যে এখানে কোন পাপে লিপ্ত হয় অথবা কোন পাপীকে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর মালায়িকাহ্ এবং সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার ফারয বা নফল (কিছুই) কবূল করা হবে না। (ই.ফা. ৩১৯৬, ই.সে. ৩১৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، الأَشْجَعِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ وَزَادَ ‏”‏ وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ ‏”‏ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি ‘ক্বিয়ামাতের দিন’ কথাটুকু বলেননি। তিনি বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন, “মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানে সকলে সমান। তাদের নিম্নস্তরের একজনের প্রদত্ত নিরাপত্তা ও কার্যকর। কেউ যদি মুসলিম প্রদত্ত নিরাপত্তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে তবে তার উপর আল্লাহ, তাঁর মালায়িকাহ্ এবং সমগ্র মানব জাতির লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার ফারয বা নফল কিছুই কবূল হবে না। (ই.ফা. ৩১৯৭, ই.সে. ৩১৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَوْ رَأَيْتُ الظِّبَاءَ تَرْتَعُ بِالْمَدِينَةِ مَا ذَعَرْتُهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا حَرَامٌ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যদি মাদীনায় হরিণ বিচরণ করতে দেখি তবে তাকে ভয় দেখাব না। (কেননা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার দু’ পার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশ হারাম। (ই.ফা. ৩১৯৮, ই.সে. ৩১৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২৪

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ لاَبَتَىِ الْمَدِينَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَلَوْ وَجَدْتُ الظِّبَاءَ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا مَا ذَعَرْتُهَا ‏.‏ وَجَعَلَ اثْنَىْ عَشَرَ مِيلاً حَوْلَ الْمَدِينَةِ حِمًى ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনার দু’পার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশ হারাম ঘোষণা করেছেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি যদি মাদীনার দু’পার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশে হরিণ বিচরণ করতে দেখি, তবে আমি তাকে উত্যক্ত করব না এবং তিনি মাদীনার চারপাশের বারো মাইল পর্যন্ত চরণভূমি ঘোষণা করেছেন। (ই.ফা. ৩১৯৯, ই.সে. ৩১৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، – فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ – عَنْ سُهَيْلِ بْنِ، أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّاسُ إِذَا رَأَوْا أَوَّلَ الثَّمَرِ جَاءُوا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا أَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَبْدُكَ وَخَلِيلُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنِّي عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنَّهُ دَعَاكَ لِمَكَّةَ وَإِنِّي أَدْعُوكَ لِلْمَدِينَةِ بِمِثْلِ مَا دَعَاكَ لِمَكَّةَ وَمِثْلِهِ مَعَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ يَدْعُو أَصْغَرَ وَلِيدٍ لَهُ فَيُعْطِيهِ ذَلِكَ الثَّمَرَ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা যখন প্রথম (পাকা) ফল দেখতে পেত, তা নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসত এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তা গ্রহণ করতেন তখন তিনি নিম্নোক্ত দু’আ পড়তেন : “হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ফলে (বা উৎপন্ন ফসলে) বারাকাত দান করুন, আমাদের মাদীনায় বারাকাত দান করুন, আমাদের সা’-এ বারাকাত দান করুন এবং আমাদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন। হে আল্লাহ! নিশ্চয় ইব্রাহীম (‘আঃ) আপনার বান্দা, প্রিয় বন্ধু ও নবী। আর আমিও আপনার বান্দা ও নবী। তিনি মাক্কার জন্য আপনার নিকট দু’আ করেছেন। আমিও আপনার নিকট মাদীনার জন্য দু’আ করছি- যেমন তিনি মাক্কার জন্য আপনার নিকট দু’আ করেছিলেন এবং তার সাথে অনুরূপ আরও কিছু”। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি কোন শিশুকে ডাকতেন এবং তাকে এ ফল দিয়ে দিতেন। (ই.ফা. ৩২০০, ই.সে. ৩১৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِأَوَّلِ الثَّمَرِ فَيَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَفِي ثِمَارِنَا وَفِي مُدِّنَا وَفِي صَاعِنَا بَرَكَةً مَعَ بَرَكَةٍ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يُعْطِيهِ أَصْغَرَ مَنْ يَحْضُرُهُ مِنَ الْوِلْدَانِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মৌসুমের প্রথম ফল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেয়া হত। তিনি তখন বলতেন : “হে আল্লাহ! আমাদের মাদীনায়, আমাদের ফলে (বা উৎপন্ন ফসলে), আমাদের মুদ্দ-এ ও আমাদের সা’-এ বারাকাত দান করুন, বারাকাতের উপর বারাকাত দান করুন”। অতঃপর তিনি ফলটি তাঁর নিকট উপস্থিত সবচেয়ে শিশুকে দিয়ে দিতেন। (ই.ফা. ৩২০১, ই.সে. ৩১৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬. অধ্যায়ঃ

মাদীনাতে বসবাস করার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও এর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা

৩২২৭

حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، إِسْحَاقَ أَنَّهُ حَدَّثَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ أَنَّهُ أَصَابَهُمْ بِالْمَدِينَةِ جَهْدٌ وَشِدَّةٌ وَأَنَّهُ أَتَى أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَقَالَ لَهُ إِنِّي كَثِيرُ الْعِيَالِ وَقَدْ أَصَابَتْنَا شِدَّةٌ فَأَرَدْتُ أَنْ أَنْقُلَ عِيَالِي إِلَى بَعْضِ الرِّيفِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ لاَ تَفْعَلِ الْزَمِ الْمَدِينَةَ فَإِنَّا خَرَجْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – أَظُنُّ أَنَّهُ قَالَ – حَتَّى قَدِمْنَا عُسْفَانَ فَأَقَامَ بِهَا لَيَالِيَ فَقَالَ النَّاسُ وَاللَّهِ مَا نَحْنُ هَا هُنَا فِي شَىْءٍ وَإِنَّ عِيَالَنَا لَخُلُوفٌ مَا نَأْمَنُ عَلَيْهِمْ ‏.‏ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ مَا هَذَا الَّذِي بَلَغَنِي مِنْ حَدِيثِكُمْ – مَا أَدْرِي كَيْفَ قَالَ – وَالَّذِي أَحْلِفُ بِهِ أَوْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَوْ إِنْ شِئْتُمْ – لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَ – لآمُرَنَّ بِنَاقَتِي تُرْحَلُ ثُمَّ لاَ أَحُلُّ لَهَا عُقْدَةً حَتَّى أَقْدَمَ الْمَدِينَةَ – وَقَالَ – اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ فَجَعَلَهَا حَرَمًا وَإِنِّي حَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ حَرَامًا مَا بَيْنَ مَأْزِمَيْهَا أَنْ لاَ يُهَرَاقَ فِيهَا دَمٌ وَلاَ يُحْمَلَ فِيهَا سِلاَحٌ لِقِتَالٍ وَلاَ يُخْبَطَ فِيهَا شَجَرَةٌ إِلاَّ لِعَلْفٍ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَعَ الْبَرَكَةِ بَرَكَتَيْنِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنَ الْمَدِينَةِ شِعْبٌ وَلاَ نَقْبٌ إِلاَّ عَلَيْهِ مَلَكَانِ يَحْرُسَانِهَا حَتَّى تَقْدَمُوا إِلَيْهَا – ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ – ارْتَحِلُوا ‏”‏ ‏.‏ فَارْتَحَلْنَا فَأَقْبَلْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ فَوَالَّذِي نَحْلِفُ بِهِ أَوْ يُحْلَفُ بِهِ – الشَّكُّ مِنْ حَمَّادٍ – مَا وَضَعْنَا رِحَالَنَا حِينَ دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ حَتَّى أَغَارَ عَلَيْنَا بَنُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَطَفَانَ وَمَا يَهِيجُهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ شَىْءٌ ‏.

আবূ সা’ঈদ মাওলা আল মাহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা মাদীনায় কষ্ট ও দুঃখে পতিত হন। তিনি আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক এবং আমরা দুঃখ দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছি। তাই আমি আমার পরিবারকে কোন শস্য শ্যামল এলাকায় স্থানান্তরের মনস্থ করেছি। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বললেন, তা করো না বরং মাদীনাকে আঁকড়ে থাক। কারণ, একদা আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হলাম, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেন যে, এবং ‘উস্ফান পর্যন্ত পৌঁছলেন। এখানে তিনি কয়েক রাত অবস্থান করলেন। লোকেরা বলল, আল্লাহর কসম! আমরা এখানে অযথা সময় নষ্ট করছি। অথচ আমাদের পরিবার পরিজন আমাদের পশ্চাতে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে এবং আমরা তাদের (নিরাপত্তার) ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না।

এ কথা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেনঃ কী ব্যাপার, তোমাদের এ কথা আমার নিকটে পৌঁছেছে। রাবী বলেন, আবূ সা’ঈদ (রাঃ) কথাটা কিভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন তা আমার হুবহু মনে নেই। সে সত্তার নামে শপথ অথবা সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! অবশ্য আমি মনস্থ করেছি, অথবা যদি তোমরা চাও- রাবী বলেন, আবূ সা’ঈদ (রাঃ) কোন্টি বলেছেন তা আমার সঠিক মনে নেই। তবে আমি নিশ্চত আমার উষ্ট্রীকে অগ্রসর হবার নির্দেশ দিব এবং মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত তার একটি গিটও খুলব না। (যাত্রা বিরতি করব না)। অতঃপর তিনি বললেন, “হে আল্লাহ! নিশ্চয় ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং তা পবিত্র ও সম্মানিত হয়েছে। আর আমি মাদীনাকে হারাম ঘোষনা করলাম- যা দু’পাহাড়ের (‘আয়র ও উহুদ) মধ্যস্থলে অবস্থিত। অতএবং এখানে রক্তপাত করা যাবে না, এখানে যুদ্ধের উদ্দেশে অস্ত্রবহন করা যাবে না এবং পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যতীত গাছপালার পাতাও পাড়া যাবে না। হে আল্লাহ! আমাদের এ শহরে বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! আমাদের সা’-এ বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! আমাদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! বারাকাতের সাথে আমাদের আরো দু’টি বারাকাত দান করুন।

সে সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! মাদীনার এমন কোন প্রবেশ পথ বা গিরি পথ, বা পাহাড়ের পথ নেই যেখানে তোমাদের মাদীনায় ফিরে আসা পর্যন্ত দু’জন করে মালাক পাহারায় নিযুক্ত নেই। পুনরায় তিনি লোকদের উদ্দেশে বললেন, “তোমরা রওনা হও”। অতএব আমরা রওনা হলাম এবং মাদীনাহ্ এসে পৌঁছলাম। সে সত্তার শপথ যাঁর নামে আমরা শপথ করি অথবা যাঁর নামে শপথ করা হয়- হাম্মাদ তাঁর ঊর্দ্ধতন রাবী কোন্টি বলেছেন সে সম্বন্ধে সন্দেহে পড়েছেন। আমরা মাদীনাহ্ প্রবেশ করে বাহনের পিঠের হাওদা তখনও খুলিনি- ইত্যবসরে ‘আবদুল্লাহ ইবনু গাত্বফান গোত্রের লোকেরা আমাদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে, অথচ ইতোপূর্বে এরূপ কিছু করার দুঃসাহস তাদের হয়নি। (ই.ফা. ৩২০২, ই.সে. ৩১৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২৮

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَمُدِّنَا وَاجْعَلْ مَعَ الْبَرَكَةِ بَرَكَتَيْنِ‏”‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের মুদ্দ ও সা’-এ বারাকাত দিন এবং বারাকাতের সাথে আরও দু’টি বারাকাত দান করুন। (ই.ফা. ৩২০৩, ই.সে. ৩২০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২২৯

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا شَيْبَانُ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَرْبٌ، – يَعْنِي ابْنَ شَدَّادٍ – كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূ্ত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২০৪, ই.সে. ৩২০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩০

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ أَنَّهُ جَاءَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ لَيَالِيَ الْحَرَّةِ فَاسْتَشَارَهُ فِي الْجَلاَءِ مِنَ الْمَدِينَةِ وَشَكَا إِلَيْهِ أَسْعَارَهَا وَكَثْرَةَ عِيَالِهِ وَأَخْبَرَهُ أَنْ لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَى جَهْدِ الْمَدِينَةِ وَلأْوَائِهَا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ وَيْحَكَ لاَ آمُرُكَ بِذَلِكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَصْبِرُ أَحَدٌ عَلَى لأْوَائِهَا فَيَمُوتَ إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَفِيعًا أَوْ شَهِيدًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِذَا كَانَ مُسْلِمًا ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ মাওলা আল মাহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আল হাররার রাতগুলোতে আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-এর নিকট এলেন এবং মাদীনাহ্ থেকে (কোথাও) চলে যাওয়ার পরামর্শ করলেন। তিনি তাঁর কাছে এখানকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও নিজের বৃহৎ পরিবারের অভিযোগ করলেন। তিনি তাঁকে আরও জানালেন যে, তিনি এখানকার ক্লেশ ও রুক্ষ আবহাওয়া বরদাশ্ত করতে পারছেন না। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) তাঁকে বললেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমি তোমাকে মাদীনাহ্ ত্যাগের পরামর্শ দিতে পারি না। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এখানকার কষ্ট সহ্য করে মৃত্যুবরণ করবে, ক্বিয়ামাতের দিন অবশ্যই আমি তার জন্য শাফা’আত করব অথবা সাক্ষী হব, যদি সে মুসলিম হয়ে থাকে। (ই.ফা. ৩২০৫, ই.সে. ৩২০১-৩২০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ أَبِي، سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنِّي حَرَّمْتُ مَا بَيْنَ لاَبَتَىِ الْمَدِينَةِ كَمَا حَرَّمَ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ كَانَ أَبُو سَعِيدٍ يَأْخُذُ – وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَجِدُ – أَحَدَنَا فِي يَدِهِ الطَّيْرُ فَيَفُكُّهُ مِنْ يَدِهِ ثُمَّ يُرْسِلُهُ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন : মাদীনার দু’প্রান্তের প্রস্তরময় ভূমির মধ্যবর্তী স্থানকে আমি হারাম ঘোষণা করছি, যেমন ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন। (অধঃস্তন রাবী) ‘আবদুর রহমান বলেন, অতঃপর আবূ সা’ঈদ (রাঃ) যদি আমাদের কারও হাতে পাখি দেখতে পেতেন তবে তিনি তার হাত থেকে পাখিকে মুক্ত করে ছেড়ে দিতেন। (ই.ফা. ৩২০৬, ই.সে. ৩২০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يُسَيْرِ، بْنِ عَمْرٍو عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ أَهْوَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّهَا حَرَمٌ آمِنٌ ‏”‏ ‏.

সাহ্‌ল ইবনু হুনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দিয়ে মাদীনার দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ ঐ স্থান হারাম ও নিরাপদ। (ই.ফা. ৩২০৭, ই.সে. ৩২০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَهْىَ وَبِيئَةٌ فَاشْتَكَى أَبُو بَكْرٍ وَاشْتَكَى بِلاَلٌ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَكْوَى أَصْحَابِهِ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَمَا حَبَّبْتَ مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَحَوِّلْ حُمَّاهَا إِلَى الْجُحْفَةِ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মাদীনায় এলাম এবং তা ছিল অস্বাস্থ্যকর স্থান। আবূ বকর (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণের অসুস্থতা লক্ষ্য করে দু’আ করলেন : “হে আল্লাহ! মাদীনাকে আমাদের জন্য প্রিয় স্থান করুন যেমন মাক্কাকে প্রিয় স্থান করেছেন অথবা আরও অধিক, তাকে স্বাস্থ্যকর স্থানে পরিণত করুন, আমাদের জন্য এখানকার সা’ ও মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন এবং জ্বর জুহফায় সরিয়ে দিন”। (ই.ফা. ৩২০৮, ই.সে. ৩২০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏نَحْوَهُ ‏.

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২০৯, ই.সে. ৩২০৬).

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৫

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَبَرَ عَلَى لأْوَائِهَا كُنْتُ لَهُ شَفِيعًا أَوْ شَهِيدًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি এখানকার দুঃখ কষ্ট সহ্য করে আমি ক্বিয়ামাতের দিন অবশ্যই তার জন্য শাফা’আত করব অথবা তার পক্ষে সাক্ষী হব। (ই.ফা. ৩২১০, ই.সে. ৩২০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ قَطَنِ بْنِ وَهْبِ بْنِ عُوَيْمِرِ بْنِ، الأَجْدَعِ عَنْ يُحَنِّسَ، مَوْلَى الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، كَانَ جَالِسًا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي الْفِتْنَةِ فَأَتَتْهُ مَوْلاَةٌ لَهُ تُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَقَالَتْ إِنِّي أَرَدْتُ الْخُرُوجَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ اشْتَدَّ عَلَيْنَا الزَّمَانُ ‏.‏ فَقَالَ لَهَا عَبْدُ اللَّهِ اقْعُدِي لَكَاعِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَصْبِرُ عَلَى لأْوَائِهَا وَشِدَّتِهَا أَحَدٌ إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

যুবায়রের আযাদকৃত গোলাম ইউহান্নিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ফিৎনার সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলেন। তার নিকট তার এক আযাদকৃত বাঁদী সালাম দিয়ে বলল, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি (মাদীনাহ্ থেকে) বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করছি। আমাদের উপর দিয়ে কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বললেন, বোকা মেয়ে, থেকে যাও। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : “যে ব্যক্তি মাদীনার দুঃখ কষ্ট ও বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করবে আমি ক্বিয়ামাতের দিন তার পক্ষে সাক্ষী হব অথবা তার শাফা’আতকারী হব। (ই.ফা. ৩২১১, ই.সে. ৩২০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৭

وَحَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ قَطَنٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ يُحَنِّسَ، مَوْلَى مُصْعَبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَبَرَ عَلَى لأْوَائِهَا وَشِدَّتِهَا كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْمَدِينَةَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি এখানকার দুঃখকষ্ঠ ও বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করে আমি ক্বিয়ামাতের দিন তার পক্ষে সাক্ষী হব অথবা তার শাফা’আতকারী হব। ‘এখানকার’ বলতে মাদীনাকে বুঝানো হয়েছে। (ই.ফা. ৩২১২, ই.সে. ৩২০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৮

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَصْبِرُ عَلَى لأْوَاءِ الْمَدِينَةِ وَشِدَّتِهَا أَحَدٌ مِنْ أُمَّتِي إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَوْ شَهِيدًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার উম্মতের যে ব্যক্তি মাদীনার দুঃখকষ্ট ও বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করবে, তার জন্যই আমি ক্বিয়ামাতের দিন শাফা’আতকারী হব অথবা তার পক্ষে সাক্ষী হব। (ই.ফা. ৩২১৩, ই.সে. ৩২১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৩৯

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَارُونَ، مُوسَى بْنِ أَبِي عِيسَى أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْقَرَّاظَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২১৪, ই.সে. ৩২১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪০

وَحَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَصْبِرُ أَحَدٌ عَلَى لأْوَاءِ الْمَدِينَةِ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাদীনার দুঃখকষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করবে …। অবশিষ্টাংশ আগের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩২১৫, ই.সে. ৩২১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭. অধ্যায়ঃ

মহামারী ও দাজ্জালের প্রবেশ থেকে মাদীনাহ্ সুরক্ষিত

৩২৪১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার প্রবেশ পথে মালায়িকাহ্ প্রহরারত। তথায় মহামারী ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। (ই.ফা. ৩২১৬, ই.সে. ৩২১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪২

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَأْتِي الْمَسِيحُ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ هِمَّتُهُ الْمَدِينَةُ حَتَّى يَنْزِلَ دُبُرَ أُحُدٍ ثُمَّ تَصْرِفُ الْمَلاَئِكَةُ وَجْهَهُ قِبَلَ الشَّامِ وَهُنَالِكَ يَهْلِكُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাসীহ্ (দাজ্জাল) মাদীনাহ্ আক্রমণের উদ্দেশে এসে উহুদ পাহাড়ের পশ্চাতে অবতরণ করবে এবং মালায়িকাহ্ তার মুখ (গতি) সিরিয়ার দিকে ফিরিয়ে দিবে আর তথায় সে ধ্বংস হবে।[৪০] (ই.ফা. ৩২১৭, ই.সে. ৩২১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪০] মাসীহ্ শব্দটি ‘ঈসা (‘আঃ) এবং দাজ্জাল সম্পর্কে ব্যবহৃত হয়েছে। এর দু‘টি অর্থ বিদ্যমান। (ক) স্পর্শকারী- এ অর্থ গ্রহণ করার কারণ হল ‘ঈসা (‘আঃ) কোন রোগীকে স্পর্শ করতেন সে ভাল হয়ে যেতো। (খ) মামসূহ- তথা মিলানো বা লেপটানা- এটা দাজ্জাল সম্পর্কে ব্যবহার করা হয়েছে কেননা তার একচোখ টেরা। এজন্য তাকে মাসীহ্ বলা হয়। অথবা সে নিজেকে মাসীহ্ দাবী করবে ফলে লোকে তার ধোঁকায় পড়ে ধ্বংস হবে। কিন্তু তারা নয় যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৮. অধ্যায়ঃ

মাদীনাহ্ নিজের মধ্য থেকে নিকৃষ্ট জিনিস বের করে দিবে

৩২৪৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَدْعُو الرَّجُلُ ابْنَ عَمِّهِ وَقَرِيبَهُ هَلُمَّ إِلَى الرَّخَاءِ هَلُمَّ إِلَى الرَّخَاءِ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَخْرُجُ مِنْهُمْ أَحَدٌ رَغْبَةً عَنْهَا إِلاَّ أَخْلَفَ اللَّهُ فِيهَا خَيْرًا مِنْهُ أَلاَ إِنَّ الْمَدِينَةَ كَالْكِيرِ تُخْرِجُ الْخَبِيثَ ‏.‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَنْفِيَ الْمَدِينَةُ شِرَارَهَا كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মাদীনার) লোকদের উপর এমন এক সময় আসবে যখন কোন ব্যক্তি তার চাচাত ভাইকে এবং নিকটাত্মীয়কে ডেকে বলবে, ‘আসো, কোন উর্বর এলাকায় গিয়ে বসতি স্থাপন করি, আসো, কোন শস্য-শ্যামল এলাকায় গিয়ে বাস করি। কিন্তু মাদীনাই তাদের জন্য উত্তম যদি তারা জানত! সে সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কোন ব্যক্তি মাদীনার উপর বিরক্ত হয়ে চলে যায় তবে আল্লাহ্ তা’আলা তার চাইতে উত্তম ব্যক্তি তার স্থলবর্তী করবেন। সাবধান! মাদীনাহ্ হচ্ছে হাপর তুল্য, যা নিজের মধ্য হতে নিকৃষ্ট জিনিস (ময়লা) বের করে দেয়। ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষন মাদীনাহ্ তার বুক থেকে নিকৃষ্ট লোকদের বের করে না দিবে যেমন হাপর লোহার ময়লা দূর করে দেয়। (ই.ফা. ৩২১৮, ই.সে. ৩২১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪৪

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، – فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ – عَنْ يَحْيَى بْنِ، سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْحُبَابِ، سَعِيدَ بْنَ يَسَارٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أُمِرْتُ بِقَرْيَةٍ تَأْكُلُ الْقُرَى يَقُولُونَ يَثْرِبَ وَهْىَ الْمَدِينَةُ تَنْفِي النَّاسَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি এমন একটি জনপদে (হিজরাতের) জন্য আদিষ্ট যা সমস্ত জনপদ খেয়ে ফেলবে (আধিপত্য বিস্তার করবে)। লোকেরা তাকে ইয়াস্রিব নামে অভিহিত করেছে। অথচ তা হল মাদীনাহ্। তা লোকদের এমনভাবে বের করবে যেমনিভাবে হাপর লোহার ময়লা বের করে। (ই.ফা. ৩২১৯, ই.সে. ৩২১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪৫

وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ ‏ “‏ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ الْخَبَثَ “‏ ‏.‏ لَمْ يَذْكُرَا الْحَدِيدَ

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এরা দু’জন বলেছেন: “যেমন হাপর ময়লা দূর করে” এবং “লোহা” শব্দের উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩২২০, ই.সে. ৩২১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ أَعْرَابِيًّا، بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَصَابَ الأَعْرَابِيَّ وَعَكٌ بِالْمَدِينَةِ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَقِلْنِي بَيْعَتِي ‏.‏ فَأَبَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي ‏.‏ فَأَبَى ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي ‏.‏ فَأَبَى فَخَرَجَ الأَعْرَابِيُّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا الْمَدِينَةُ كَالْكِيرِ تَنْفِي خَبَثَهَا وَيَنْصَعُ طَيِّبُهَا ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বেদুঈন (গ্রাম্য লোক) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট (ইসলামে দীক্ষিত হবার) বায়’আত হল। অতঃপর বেদুঈন মাদীনায় প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হল। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমার বায়’আত প্রত্যাহার করুন। তিনি তার কথা প্রত্যাখান করলেন। সে পুনরায় তাঁর নিকট এসে বলল, আমার বায়’আত ফিরিয়ে নিন। তিনি তা অস্বীকার করলেন। সে পুনরায় এসে বলল, ইয়া মুহাম্মাদ! আমার বায়’আত প্রত্যাহার করুন। তিনি এবারও অস্বীকার করলেন। সে পুনরায় এসে বলল, ইয়া মুহাম্মাদ! আমার বায়’য়াত প্রত্যাহার করুন। তিনি এবারও অস্বীকার করলেন। অতঃপর বেদুঈন (মাদীনাহ্ থেকে) চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “মাদীনাহ্ হচ্ছে হাপর স্বরুপ, সে নিজের বুক থেকে ময়লা বহিস্কার করে দেয় এবং পবিত্র জিনিস ধুয়ে মুছে সাফ করে”। (ই.ফা. ৩২২১, ই.সে. ৩২১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪৭

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، – وَهُوَ الْعَنْبَرِيُّ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، – وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ – سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّهَا طَيْبَةُ – يَعْنِي الْمَدِينَةَ – وَإِنَّهَا تَنْفِي الْخَبَثَ كَمَا تَنْفِي النَّارُ خَبَثَ الْفِضَّةِ‏”‏ ‏.

যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ হল ত্বয়বাহ্ (পবিত্র) অর্থাৎ মাদীনাহ্, তা ময়লা দূর করে দেয় যেমন আগুন রুপার ময়লা দূর করে দেয়। (ই.ফা. ৩২২২, ই.সে. ৩২১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৪৮

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَمَّى الْمَدِينَةَ طَابَةَ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ তা’আলা মাদীনার নাম রেখেছেন ‘ত্বাবাহ্’।(ই.ফা. ৩২২৩, ই.সে. ৩২২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৯. অধ্যায়ঃ

মাদীনাবাসীদের যে ক্ষতি করতে চায় আল্লাহ্ তাকে গলিয়ে দিবেন

৩২৪৯

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ يُحَنِّسَ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْقَرَّاظِ، أَنَّهُ قَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَرَادَ أَهْلَ هَذِهِ الْبَلْدَةِ بِسُوءٍ – يَعْنِي الْمَدِينَةَ – أَذَابَهُ اللَّهُ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবুল ক্বাসিম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শহরের অর্থাৎ মাদীনার অধিবাসীদের ক্ষতি করতে চাইবে আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমন লবণ পানিতে গলে যায়। (ই.ফা. ৩২২৪, ই.সে. ৩২২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ الْقَرَّاظَ، – وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ – يَزْعُمُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَرَادَ أَهْلَهَا بِسُوءٍ – يُرِيدُ الْمَدِينَةَ – أَذَابَهُ اللَّهُ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ فِي حَدِيثِ ابْنِ يُحَنِّسَ بَدَلَ قَوْلِهِ بِسُوءٍ شَرًّا‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এখানকার (মাদীনার) অধিবাসীদের ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করবে, আল্লাহ্ তাকে গলিয়ে ফেলবেন যেমন লবণ পানিতে গলে যায়। (ই.ফা. ৩২২৫, ই.সে. ৩২২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫১

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَارُونَ، مُوسَى بْنِ أَبِي عِيسَى ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، جَمِيعًا سَمِعَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، الْقَرَّاظَ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)–এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২২৬, ই.সে. ৩২২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – عَنْ عُمَرَ بْنِ نُبَيْهٍ، أَخْبَرَنِي دِينَارٌ الْقَرَّاظُ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَرَادَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِسُوءٍ أَذَابَهُ اللَّهُ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ‏”‏ ‏.

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাদীনাবাসীদের ক্ষতি করতে চাইবে, আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমন লবণ পানিতে গলে যায়। (ই.ফা. ৩২২৭, ই.সে. ৩২২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫৩

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنْ عُمَرَ بْنِ نُبَيْهٍ، الْكَعْبِيِّ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْقَرَّاظِ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ بِدَهْمٍ أَوْ بِسُوءٍ ‏”‏ ‏.

সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ …. উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সূত্রে আকস্মিক ‘আক্রমণ’ অথবা ‘ক্ষতিসাধন’ এর কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ৩২২৮, ই.সে. ৩২২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْقَرَّاظِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَسَعْدًا، يَقُولاَنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ فِي مُدِّهِمْ ‏”‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ ‏”‏ مَنْ أَرَادَ أَهْلَهَا بِسُوءٍ أَذَابَهُ اللَّهُ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ‏”‏ ‏.

আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) ও সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ্! মাদীনাবাসীদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন” … অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববৎ। তবে এতে আরো আছে : “যে ব্যক্তি এখানকার অধিবাসীদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করবে, আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমন পানিতে লবণ গলে যায়”। (ই.ফা. ৩২২৯, ই.সে. ৩২২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯০. অধ্যায়ঃ

শহর ও জনপদের বিজয় সত্ত্বেও মাদীনায় বসবাসে উৎসাহিত করা

৩২৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُفْتَحُ الشَّامُ فَيَخْرُجُ مِنَ الْمَدِينَةِ قَوْمٌ بِأَهْلِيهِمْ يَبُسُّونَ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ثُمَّ يُفْتَحُ الْيَمَنُ فَيَخْرُجُ مِنَ الْمَدِينَةِ قَوْمٌ بِأَهْلِيهِمْ يَبُسُّونَ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ثُمَّ يُفْتَحُ الْعِرَاقُ فَيَخْرُجُ مِنَ الْمَدِينَةِ قَوْمٌ بِأَهْلِيهِمْ يَبُسُّونَ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ‏”‏ ‏.

সুফ্ইয়ান ইবনু যুহায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শাম (সিরিয়া) বিজিত হবে। ফলে একদল লোক সপরিবারে মাদীনাহ্ থেকে চলে যাবে উট হাঁকাতে হাঁকাতে। অথচ মাদীনাহ্ তাদের জন্য কল্যাণকর ছিল যদি তারা বুঝতে পারত। এরপর ইয়ামান বিজিত হবে। ফলে একদল লোক উট হাঁকিয়ে সপরিবারে চলে যাবে (মাদীনাহ্ থেকে)। অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর যদি তারা তা বুঝতে পারত। এরপর ইরাক বিজিত হবে। ফলে একদল লোক উট হাঁকিয়ে সপরিবারে মাদীনাহ্ থেকে বের হয়ে যাবে অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা বুঝতে পারত।। (ই.ফা. ৩২৩০, ই.সে. ৩২২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ، بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ يُفْتَحُ الْيَمَنُ فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبُسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ثُمَّ يُفْتَحُ الشَّامُ فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبُسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ثُمَّ يُفْتَحُ الْعِرَاقُ فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبُسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ‏”‏ ‏.

সুফ্ইয়ান ইবনু যুহায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ইয়ামান বিজিত হবে। ফলে একদল লোক নিজেদের পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের নিয়ে উট হাঁকিয়ে তথায় চলে যাবে। অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা বুঝতে পারত। অতঃপর শাম (সিরিয়া) বিজিত হবে। ফলে একদল লোক নিজেদের পরিবার-পরিজন ও অনুসারীদের নিয়ে উট হাঁকিয়ে তথায় চলে যাবে। অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর যদি তারা বুঝতে পারত। অতঃপর ইরাক বিজিত হবে। ফলে একদল লোক নিজেদের পরিবার ও অনুসারীদের নিয়ে উট হাঁকিয়ে তথায় চলে যাবে। অথচ মাদীনাই ছিল কল্যাণকর, যদি তারা বুঝতে পারত। [৪১] (ই.ফা. ৩২৩১, ই.সে. ৩২২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪১] এ সকল হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতক মু’জিযাপুর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ পায় যা তাঁর ওফাতের ১৪ বছরের মধ্যে বাস্তবে রূপ লাভ করে। প্রথম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিরিয়া, ইরাক ও ইয়ামান বিজয়ের খবর দেন। আর এটা খুলাফায়ি রাশিদার হাতে বাস্তবায়িত হয়। দ্বিতীয়তঃ লোকেরা ঐ সকল স্থানে বসতি স্থাপন করবে এবং তথায় তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে যাবে এটাও বাস্তবায়িত হয়। তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে ক্রমানুসারে বর্ণনা করেছেন সে ক্রমানুসারেই একটির পর আরেকটির বিজয় সংঘটিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯১. অধ্যায়ঃ

মাদীনাবাসীরা যখন তা (মাদীনাহ্) ত্যাগ করবে

৩২৫৭

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، بْنُ يَحْيَى – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ، الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْمَدِينَةِ ‏ “‏ لَيَتْرُكَنَّهَا أَهْلُهَا عَلَى خَيْرِ مَا كَانَتْ مُذَلَّلَةً لِلْعَوَافِي ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي السِّبَاعَ وَالطَّيْرَ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ أَبُو صَفْوَانَ هَذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَتِيمُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَشْرَ سِنِينَ كَانَ فِي حَجْرِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্ সম্পর্কে বলেছেনঃ “এখানকার লোকেরা মাদীনাহ্ ত্যাগ করবে, সে স্থান তাদের জন্য কল্যাণকর হওয়া সত্ত্বেও। আর তা এমনভাবে জনশূন্য হয়ে যাবে যে, তা হিংস্র জন্তু ও পাখির আবাসে পরিণত হবে।” ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, আবূ সফ্ওয়ান- ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল মালিক ছিলেন ইয়াতীম। তিনি ইবনু জুরায়জের তত্ত্বাবধানে দশ বছর প্রতিপালিত হন। (ই.ফা. ৩২৩২, ই.সে. ৩২২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৫৮

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ يَتْرُكُونَ الْمَدِينَةَ عَلَى خَيْرِ مَا كَانَتْ لاَ يَغْشَاهَا إِلاَّ الْعَوَافِي – يُرِيدُ عَوَافِيَ السِّبَاعِ وَالطَّيْرِ – ثُمَّ يَخْرُجُ رَاعِيَانِ مِنْ مُزَيْنَةَ يُرِيدَانِ الْمَدِينَةَ يَنْعِقَانِ بِغَنَمِهِمَا فَيَجِدَانِهَا وَحْشًا حَتَّى إِذَا بَلَغَا ثَنِيَّةَ الْوَدَاعِ خَرَّا عَلَى وُجُوهِهِمَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ লোকেরা মাদীনাহ্ ত্যাগ করবে তাদের জন্য তা (মাদীনায় বসবাস) কল্যাণকর হওয়া সত্ত্বেও এবং কেবল হিংস্র জন্তু ও পাখিরাই সেখানে বসবাস করবে। অতঃপর মুযায়নাহ্ গোত্রের দু’টি রাখাল মাদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হবে উচ্চস্বরে নিজেদের মেষপাল হাঁকিয়ে। তারা সে স্থান হিংস্র প্রাণীতে ভর্তি দেখতে পাবে। তারা সানিয়্যাতুল বিদা’ উপত্যকা পর্যন্ত পৌছে উপুড় হয়ে পড়ে যাবে। (ই.ফা. ৩২৩৩, ই.সে. ৩২৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯২. অধ্যায়ঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ক্ববর ও তাঁর মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের একটি বাগান

৩২৫৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي، بَكْرٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الْمَازِنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ আল মাযিনী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানসমূহের একটি।” (ই.ফা. ৩২৩৪, ই.সে. ৩২৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬০

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا بَيْنَ مِنْبَرِي وَبَيْتِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানসমূহের অন্তর্ভুক্ত। (ই.ফা. ৩২৩৫, ই.সে. ৩২৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬১

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ، بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান। আর আমার মিম্বার (কাওসার নামক) হাওযের উপরে অবস্থিত। (ই.ফা. ৩২৩৬, ই.সে. ৩২৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৩. অধ্যায়ঃ

উহুদ পাহাড় আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও তাকে ভালবাসী

৩২৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ ثُمَّ أَقْبَلْنَا حَتَّى قَدِمْنَا وَادِيَ الْقُرَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنِّي مُسْرِعٌ فَمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فَلْيُسْرِعْ مَعِي وَمَنْ شَاءَ فَلْيَمْكُثْ ‏”‏ ‏.‏ فَخَرَجْنَا حَتَّى أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ ‏”‏ هَذِهِ طَابَةُ وَهَذَا أُحُدٌ وَهُوَ جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তাবূক যুদ্ধে রওনা হলাম। অতঃপর আবূ হুমায়দ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে তিনি বললেন, (যুদ্ধ শেষে) আমরা পুনরায় অগ্রসর হলাম এবং ওয়াদিল কুরায় [৪২] পৌছলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “আমি দ্রুত অগ্রসর হই। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে চলতে চায় সে আমার সঙ্গে দ্রুত চলুক। আর যার ইচ্ছা সে থেমে আসুক। তখন আমরা রওনা হলাম এবং অবশেষে মাদীনাহ্ আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ (মাদীনাহ্) হচ্ছে ত্বাবাহ্ এবং এ হচ্ছে উহুদ আর উহুদ এমন একটি পাহাড় যা আমাদের ভালোবাসে এবং আমরাও তাকে ভালোবাসী। (ই.ফা. ৩২৩৭, ই.সে. ৩২৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪২] কুরা হচ্ছে সিরিয়া ও মাদীনার মধ্যভাগে অবস্থিত একটি উপত্যকা। এ স্থানটি খুবই প্রসিদ্ধ ছিল একটি বৃহৎ পানির উৎস থাকায় ৭ম হিজরীর মুহার্রম মাসে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ এলাকা দখল করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ، بْنُ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ أُحُدًا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উহুদ এমন একটি পাহাড় যা আমাদের ভালোবাসে এবং আমরাও তাকে ভালোবাসি। (ই.ফা. ৩২৩৮, ই.সে. ৩২৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬৪

وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنِي حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أُحُدٍ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ أُحُدًا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদ পাহাড়ের দিকে তাকালেন এবং বললেন, উহুদ এমন একটি পাহাড় যে আমাদের ভালোবাসে এবং আমরাও তাকে ভালোবাসি। (ই.ফা. ৩২৩৯, ই.সে. ৩২৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৪. অধ্যায়ঃ

মাক্কাহ্ ও মাদীনার মাসজিদদ্বয়ে সলাত আদায়ের ফাযীলাত

৩২৬৫

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার এ মাসজিদে (মাসজিদে নাবাবীতে) এক (রাক’আত) সলাত মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য কোন মাসজিদে এক হাজার (রাক’আত) সলাতের চেয়েও উত্তম। (ই.ফা. ৩২৪০, ই.সে. ৩২৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬৬

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِي غَيْرِهِ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার এ মাসজিদে এক (রাক’আত) সলাত মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য সকল মাসজিদে আদায়কৃত এক হাজার (রাক’আত সলাতের তুলনায় অধিক ফাযীলাতপূর্ণ)। (ই.ফা. ৩২৪১, ই.সে. ৩২৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬৭

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، حَرْبٍ حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، مَوْلَى الْجُهَنِيِّينَ – وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ – أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آخِرُ الأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ مَسْجِدَهُ آخِرُ الْمَسَاجِدِ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ لَمْ نَشُكَّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ عَنْ حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَنَعَنَا ذَلِكَ أَنْ نَسْتَثْبِتَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ ذَلِكَ الْحَدِيثِ حَتَّى إِذَا تُوُفِّيَ أَبُو هُرَيْرَةَ تَذَاكَرْنَا ذَلِكَ وَتَلاَوَمْنَا أَنْ لاَ نَكُونَ كَلَّمْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فِي ذَلِكَ حَتَّى يُسْنِدَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَ سَمِعَهُ مِنْهُ فَبَيْنَا نَحْنُ عَلَى ذَلِكَ جَالَسَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ قَارِظٍ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ الْحَدِيثَ وَالَّذِي فَرَّطْنَا فِيهِ مِنْ نَصِّ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْهُ فَقَالَ لَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فَإِنِّي آخِرُ الأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ مَسْجِدِي آخِرُ الْمَسَاجِدِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর শাগরিদ আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান ও আবূ ‘আবদুল্লাহ আগার (জুহায়নাহ্ গোত্রের মুক্তদাস) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়ে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাসজিদে এক (রাক’আত) সলাত আদায় মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যে কোন মাসজিদে হাজার (রাক’আত) সলাতের তুলনায় অধিক ফাযীলাতপূর্ণ। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবীগণের সমাপ্তি (সর্বশেষ নবী) এবং তাঁর মাসজিদ (নবী-রসূলগণ কর্তৃক নির্মিত মাসজিদসমূহের মধ্যে) সর্বশেষ মাসজিদ।

আবূ সালামাহ্ ও আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, নিঃসন্দেহে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) যে সব কথা বলেছেন, তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস থেকেই বলেছেন। এজন্য আমরা তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত তাঁর নিকট থেকে এ হাদীস সত্যায়িত করে নেয়ার প্রয়োজনবোধ করিনি। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর ইন্তিকালের পর তাঁর নিকট থেকে এ হাদীসের সত্যায়ন সম্পর্কে আমরা পরস্পর আলোচনা করি এবং একে অপরকে দোষারোপ করি যে, কেন আমরা এ হাদীস সম্পর্কে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করিনি যে, তিনি তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট থেকে শুনে বর্ণনা করেছেন কিনা। এ অবস্থায় একদা আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইব্রাহীম ইবনু ক্বারিয-এর কাছে বসলাম এবং এ হাদীস ও তা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট থেকে বর্ণিত হওয়া সম্পর্কে আলোচনা উত্থাপন করলাম। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইব্রাহীম ইবনু ক্বারিয (রহঃ) আমাদের বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চিত আমি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “অতএব অবশ্যই আমি নবীগণের সমাপ্তি এবং আমার মাসজিদ সর্বশেষ মাসজিদ।” (ই.ফা. ৩২৪২, ই.সে. ৩২৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ الثَّقَفِيِّ، – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أَبَا صَالِحٍ هَلْ سَمِعْتَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَذْكُرُ فَضْلَ الصَّلاَةِ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ وَلَكِنْ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ قَارِظٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ – أَوْ كَأَلْفِ صَلاَةٍ – فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ইব্রাহীম ইবনু ক্বারিয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার এ মাসজিদে এক (রাক’আত) সলাত অন্য সকল মাসজিদে এক হাজার (রাক’আত) সলাতের চেয়ে উত্তম অথবা এ মাসজিদ ছাড়া অ্ন্য যে কোন মাসজিদে এক হাজার (রাক’আত) সলাতের সমতুল্য কিন্তু মাসজিদুল হারামের কথা স্বতন্ত্র। (ই.ফা. ৩২৪৩, ই.সে. ৩২৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৬৯

وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى، الْقَطَّانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২৪৪, ই.সে. ৩২৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭০

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার এ মাসজিদে এক (রাক’আত) সলাত মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যে কোন মাসজিদে এক হাজার (রাক’আত) সলাতের চেয়ে অধিক ফাযীলাতপূর্ণ। (ই.ফা. ৩২৪৫, ই.সে. ৩২৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ্ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২৪৬, ই.সে. ৩২৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭২

وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُوسَى الْجُهَنِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِمِثْلِهِ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি………… উক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩২৪৭, ই.সে. ৩২৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭৩

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২৪৮, ই.সে. ৩২৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭৪

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، جَمِيعًا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، – قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، – عَنْ نَافِعٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ امْرَأَةً اشْتَكَتْ شَكْوَى فَقَالَتْ إِنْ شَفَانِي اللَّهُ لأَخْرُجَنَّ فَلأُصَلِّيَنَّ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ ‏.‏ فَبَرَأَتْ ثُمَّ تَجَهَّزَتْ تُرِيدُ الْخُرُوجَ فَجَاءَتْ مَيْمُونَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تُسَلِّمُ عَلَيْهَا فَأَخْبَرَتْهَا ذَلِكَ فَقَالَتِ اجْلِسِي فَكُلِي مَا صَنَعْتِ وَصَلِّي فِي مَسْجِدِ الرَّسُولِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ صَلاَةٌ فِيهِ أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ مَسْجِدَ الْكَعْبَةِ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক স্ত্রীলোক রোগাক্রান্ত হওয়ার পর বলল, আল্লাহ আমাকে রোগমুক্তি দান করলে আমি গিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে অবশ্যই সলাত আদায় করব। অতঃপর সে আরোগ্য লাভ করল এবং (বায়তুল মুকাদ্দাস) যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল এবং সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী মায়মুনাহ্ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে সালাম দিয়ে এ সম্পর্কে অবহিত করল। তিনি বললেন, তুমি এখানে থাক, যা কিছু পাথেয় নিয়েছো তা খাও এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাসজিদে সলাত আদায় কর, কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ “এ মাসজিদে এক (রাক’আত) সলাত আদায় মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যেকোন মাসজিদে এক হাজার (রাক’আত) সলাত আদায়ের চেয়েও বেশী ফাযীলাতপূর্ণ। (ই.ফা. ৩২৪৯, ই.সে. ৩২৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৫. অধ্যায়ঃ

তিন মাসজিদ ব্যতীত সফরের প্রস্তুতি নেয়া যায় না

৩২৭৫

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِي هَذَا وَمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, উটের পিঠে হাওদা আটাঁ যাবে না (সফর করা যাবে না) তিনটি মাসজিদ ব্যতীতঃ এ মাসজিদ, মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল আক্বসা। (ই.ফা. ৩২৫০, ই.সে. ৩২৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭৬

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ ‏”‏ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা এভাবে শুরু হয়েছেঃ “তিনটি মাসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে।” (ই.ফা. ৩২৫১, ই.সে. ৩২৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭৭

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ أَبِي أَنَسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ سَلْمَانَ الأَغَرَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا يُسَافَرُ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْكَعْبَةِ وَمَسْجِدِي وَمَسْجِدِ إِيلِيَاءَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেবলমাত্র তিনটি মাসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবেঃ কা’বাহ মাসজিদ, আমার এ মাসজিদ এবং ঈলিয়ার মাসজিদ (বায়তুল মুকাদ্দাস) (ই.ফা. ৩২৫২, ই.সে. ৩২৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৬. অধ্যায়ঃ

যে মসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত তার বর্ননা এবং তা হল মদীনায় মাসজিদে নাবাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

৩২৭৮

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الْخَرَّاطِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ مَرَّ بِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قُلْتُ لَهُ كَيْفَ سَمِعْتَ أَبَاكَ يَذْكُرُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى قَالَ قَالَ أَبِي دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ بَعْضِ نِسَائِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْمَسْجِدَيْنِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى قَالَ فَأَخَذَ كَفًّا مِنْ حَصْبَاءَ فَضَرَبَ بِهِ الأَرْضَ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ هُوَ مَسْجِدُكُمْ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ – لِمَسْجِدِ الْمَدِينَةِ – قَالَ فَقُلْتُ أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ أَبَاكَ هَكَذَا يَذْكُرُهُ ‏.

আবু সালামাহ্ ইবনু ‘আব্দুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবু সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর পুত্র ‘আব্দুর রহমান (রহঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ‘যে মাসজিদের ভিত্তি তাক্বওয়ার উপর স্থাপিত হয়েছে” সে মাসজিদ সম্পর্কে আপনার পিতাকে আপনি কিরূপ বলতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, তার কোন এক স্ত্রীর ঘরে আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি বললাম হে আল্লাহর রসুল! সে মাসজিদ কোনটি যার ভিত্তি তাক্বওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? রাবী (আবু সাঈদ) বলেন, তিনি একমুষ্টি কাঁকর তুলে তা জমিনের বুকে নিক্ষেপ করলেন, অতঃপর বললেন, “তা তোমাদের এ মাসজিদ মদীনার মাসজিদ।” রাবী (আবু সালামাহ্) বলেন, এখন আমি বললাম, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চিত আমিও আপনার পিতাকে এভাবেই ঐ মাসজিদের উল্লেখ করতে শুনেছি। (ই.ফা. ৩২৫৩, ই.সে. ৩২৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৭৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، قَالَ سَعِيدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي سَعِيدٍ فِي الإِسْنَادِ ‏.

আবু সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবু সা’ঈদ (রাঃ) থেকে এ সানাদে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্নীত হয়েছে। কিন্তু এ সানাদের মধ্যে ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবু সা’ঈদের নাম উল্লেখিত হয়নি। (ই.ফা. ৩২৫৪, ই.সে. ৩২৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭. অধ্যায়ঃ

কুবা মাসজিদের ফাযীলাত এবং তাতে সলাত আদায় ও তা যিয়ারাতের ফাযীলাত

৩২৮০

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَزُورُ قُبَاءً رَاكِبًا وَمَاشِيًا‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদব্রজে অথবা বাহনে চড়ে মাসজিদে যিয়ারাতের জন্য যেতেন। (ই.ফা. ৩২৫৫, ই.সে. ৩২৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْتِي مَسْجِدَ قُبَاءٍ رَاكِبًا وَمَاشِيًا فَيُصَلِّي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فَيُصَلِّي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদব্রজে অথবা বাহনে চড়ে কুবা মাসজিদে আসতেন। অতঃপর তিনি সেখানে দু’ রাকা’আত সলাত আদায় করতেন। [৪৩]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু বাকর (রাঃ) বলেছেন, ইবনু নুমায়র (রাঃ) বলেন, অতঃপর তিনি সেখানে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৩২৫৬, ই.সে. ৩২৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৩] রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ থেকে হিজরত করে মাদিনায় প্রবেশের পুর্বে নুবুওয়াতের চতুর্দশ বছরের ৮ রবিউল আউওয়াল অর্থাৎ ১লা হিজরী মোতাবেক ২৩ সেপ্টেম্বর ৬২২ইং সালের সোমবার কুবা পল্লীতে অবতরণ করে। এটা মাদীনার উপকন্ঠে অবস্থিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনায় এখানে একটি মাসজিদ নির্মিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে তা মাসজিদে কুবাহ নামে পরিচিত। রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো বাহনে চড়ে প্রায়ই এখানে এসে বিশ্রাম নিতেন এবং দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। এতে বুঝা যায় মাসজিদের যিয়ারাত হল তথায় দু’ রাক’আত সলাত আদায় করা। মাসজিদের কারুকার্য দেখা বা দরজা জানালা ইত্যাদি গণনা করার নাম মাসজিদ যিয়ারাত করা নয়। বরং এটা তামাশা যা নবীদের অনুসারীগণের কাজ নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِي قُبَاءً رَاكِبًا وَمَاشِيًا ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদব্রজে বা বাহনে চড়ে কুবায় আসতেন। (ই.ফা. ৩২৫৭, ই.সে. ৩২৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮৩

وَحَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، زَيْدُ بْنُ يَزِيدَ الثَّقَفِيُّ – بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ – حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى الْقَطَّانِ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩২৫৮, ই.সে. ৩২৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮৪

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِي قُبَاءً رَاكِبًا وَمَاشِيًا ‏.

‘আব্দুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাহনে চড়ে এবং পদব্রজে কুবায় আসতেন। [৪৪] (ই.ফা. ৩২৫৯, ই.সে. ৩২৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪] ক্বাযী আয়ায (রহঃ) বলেন, উসামাহ্ বলেন যে, “আপনি কি আপনার ঘরে অবতরণ করবেন? এ উদ্দেশ্য হল, যেখানে আপনি বসবাস করতেন। কেননা সে ঘর আবূ ত্বালিব এর ছিল এবং তিনি রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর লালন-পালনের দায়িত্বে ছিলেন। ধারণা করা হয় যে, উকায়ল সব ঘর বিক্রি করে মালিকানা ত্যাগ করেছিলেন, যেমন আবূ সুফ্ইয়ান ও অন্যান্য কাফিররা মুহাজিরদের সব ঘরবাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিল আর এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, মুসলিম কাফিরের সম্পদের ওয়ারিস হতে পারে না এ মত সকল ‘আলিমের।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮৫

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ، جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْتِي قُبَاءً رَاكِبًا وَمَاشِيًا ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাহনে চড়ে ও পদব্রজে কুবায় আসতেন। (ই.ফা. ৩২৬০, ই.সে. ৩২৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮৬

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّ ابْنَ، عُمَرَ كَانَ يَأْتِي قُبَاءً كُلَّ سَبْتٍ وَكَانَ يَقُولُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَأْتِيهِ كُلَّ سَبْتٍ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) প্রতি শনিবার কুবায় আসতেন। তিনি বলতেন, আমি রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রতি শনিবার এখানে আসতে দেখেছি। (ই.ফা. ৩২৬১, ই.সে. ৩২৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮৭

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِي قُبَاءً يَعْنِي كُلَّ سَبْتٍ كَانَ يَأْتِيهِ رَاكِبًا وَمَاشِيًا ‏.‏ قَالَ ابْنُ دِينَارٍ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি শনিবার কুবায় আসতেন। তিনি বাহনে চড়ে এবং পায়ে হেঁটে সেখানে আসতেন। ইবনু দীনার (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ)ও অনুরূপ ‘আমাল করতেন। (ই.ফা. ৩২৬২, ই.সে. ৩২৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২৮৮

وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ كُلَّ سَبْتٍ ‏.

ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এ সূত্রে “প্রতি শনিবার” কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩২৬৩, ই.সে. ৩২৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস