মুসলিম কিতাবুস সিয়াম (রোজা) অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৪৮৫ – ২৬০০

১৪. অধ্যায়ঃ

রমাযানের দিনে সওমরত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম, কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফ্‌ফারাহ্‌ ওয়াজিব- সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন, তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফ্‌ফারাহ আদায় করতে হবে

২৪৮৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلَكْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَمَا أَهْلَكَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَجِدُ مَا تُعْتِقُ رَقَبَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تَجِدُ مَا تُطْعِمُ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ – قَالَ – ثُمَّ جَلَسَ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَفْقَرَ مِنَّا فَمَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنَّا ‏.‏ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اذْهَبْ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছি। তিনি বলরেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করেছে? সে বলল, আমি রমাযানে সওমরত অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেন, তোমার কোন ক্রীতদাস আছে কি যাকে তুমি আযাদ করে দিতে পার? সে বলল, না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি ক্রমাগত দু’মাস সওম পালন করতে পারবে? সে বলল, না। পুনরায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে কি? সে বলল, না। তারপর সে বসে গেল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক টুকরি খেজুর আনা হ’ল। তিনি লোকটিকে বললেন, এগুলো সদাক্বাহ করে দাও। তখন সে বলল, আমার চেয়েও অভাবী লোককে সদাক্বাহ করে দিব? (মাদীনার) দু’টি কংকরময় ভূমির মধ্যস্থিত স্থানে আমার পরিবারের চেয়ে অভাবী আর একটিও নেই। এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর সামনের দাঁতগুলো প্রকাশ হয়ে পড়ল। তখন তিনি বললেন, তাহলে যাও এবং তোমার পরিবারকে খেতে দাও। (ই.ফা. ২৪৬২, ই.সে. ২৪৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَ رِوَايَةِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ – وَهُوَ الزِّنْبِيلُ – وَلَمْ يَذْكُرْ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম আয্ যুহরী (রাঃ)-এর সানাদে ইবনু ‘উয়ায়নাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে (আরবী) এরপর (আরবী) শব্দটি উল্লেখ রয়েছে এবং এতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাসির কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৪৬৩, ই.সে. ২৪৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَجُلاً، وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي رَمَضَانَ فَاسْتَفْتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ تَجِدُ رَقَبَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَهَلْ تَسْتَطِيعُ صِيَامَ شَهْرَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। এক ব্যক্তি রমাযান মাসে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এবং এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রশ্ন করল। তখন তিনি বললেন, তোমার কোন ক্রীতদাস আছে কি? সে বলল, না। তিনি আবার বললেন, তুমি দু’মাস সওম পালন করতে পারবে কি? সে বলল, না। তখন তিনি বললেন, তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। (ই.ফা. ২৪৬৪, ই.সে. ২৪৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَجُلاً، أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُكَفِّرَ بِعِتْقِ رَقَبَةٍ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি রমাযানের সওম ভেঙ্গে ফেলার কারণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এর কাফ্ফারাহ হিসেবে একটি গোলাম আযাদ করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি ইবনু ‘উয়ায়নার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ২৪৬৫, ই.সে. ২৪৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮৯

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ رَجُلاً أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ أَنْ يُعْتِقَ رَقَبَةً أَوْ يَصُومَ شَهْرَيْنِ أَوْ يُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রমাযানের সওম ভেঙ্গে ফেলার কারণে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দিলেন, হয় তো সে একটি গোলাম আযাদ করবে অথবা দু’মাস সওম পালন করবে অথবা ষাটজন মিসকীনকে খানা খাওয়াবে। (ই.ফা. ২৪৬৬, ই.সে. ২৪৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯০

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে ইবনু ‘উয়ায়নার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪৬৭, ই.সে. ২৪৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ احْتَرَقْتُ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لِمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَطِئْتُ امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ نَهَارًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ تَصَدَّقْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَا عِنْدِي شَىْءٌ ‏.‏ فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِسَ فَجَاءَهُ عَرَقَانِ فِيهِمَا طَعَامٌ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتَصَدَّقَ بِهِ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, আমি জ্বলে গিয়েছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন? সে বলল, রমাযানের দিনে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেন, তাহলে সদাক্বাহ দাও, সদাক্বাহ দাও। সে বলল, আমার নিকট কিছুই নেই। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বসার জন্য নির্দেশ দিলেন। এমতাবস্থায় দু’ টুকরি ভর্তি খাদ্য আসল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এগুলো সদাক্বাহ করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। (ই.ফা. ২৪৬৮, ই.সে. ২৪৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – تَقُولُ أَتَى رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَلَيْسَ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ ‏ “‏ تَصَدَّقْ تَصَدَّقْ ‏”‏ ‏.‏ وَلاَ قَوْلُهُ نَهَارًا ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী হাদীসটি বর্ণনা করলেন। তবে এ হাদীসের প্রথমে “সদাক্বাহ করো, সদাক্বাহ করে” শব্দ দু’টো উল্লেখ নেই এবং এতে “দিনের বেলায়” কথাটিও উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৪৬৯, ই.সে. ২৪৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯৩

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، بْنَ الْقَاسِمِ حَدَّثَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ أَتَى رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ احْتَرَقْتُ احْتَرَقْتُ ‏.‏ فَسَأَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا شَأْنُهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَصَبْتُ أَهْلِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا لِي شَىْءٌ وَمَا أَقْدِرُ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اجْلِسْ ‏”‏ ‏.‏ فَجَلَسَ فَبَيْنَا هُوَ عَلَى ذَلِكَ أَقْبَلَ رَجُلٌ يَسُوقُ حِمَارًا عَلَيْهِ طَعَامٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ آنِفًا ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغَيْرَنَا فَوَاللَّهِ إِنَّا لَجِيَاعٌ مَا لَنَا شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَكُلُوهُ ‏”‏ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রমাযানের মাসে মসজিদের মধ্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো জ্বলে গিয়েছি, আমি তো জ্বলে গিয়েছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার, কী হয়েছে তার? সে বলল, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেন, তাহলে সদাক্বাহ কর। সে বলল, আল্লাহর শপথ! হে আল্লাহর নাবী! আমার কিছুই নেই এবং এ ব্যাপারে আমি সক্ষম নই। তিনি বললেন, বসো। সে বসল, লোকটি বসা থাকতেই এক ব্যক্তি গাধা হাঁকিয়ে আসল। এর উপর ছিল খাদ্য। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ঐ অগ্নিদদ্ধ লোকটি কোথায়, যে কিছুক্ষণ পূর্বে এসেছিল? লোকটি দাঁড়াল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এগুলো সদাক্বাহ্‌ করে দাও। সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের ছাড়া অন্য লোকদের সদাক্বাহ করে দিব? আল্লাহর শপথ আমরা অত্যন্ত ক্ষুধার্ত, আমাদের কিছুই নেই। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে ওগুলো তোমরা খেয়ে ফেল। (ই.ফা. ২৪৭০, ই.সে. ২৪৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফত্বার করা উভয়ই জায়িয যদি দু’ বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম

২৪৯৪

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ ثُمَّ أَفْطَرَ وَكَانَ صَحَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَّبِعُونَ الأَحْدَثَ فَالأَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

১১১৩) ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া, মুহাম্মাদ ইবনু রুম্‌হ ও কুতায়বাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) … ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (মাক্কাহ) বিজয়ের বছর রমাযান মাসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমরত অবস্থায় সফরে বের হলেন। অতঃপর কাদীদ নামক স্থানে পৌঁছাবার পর তিনি সওম ভেঙ্গে ফেললেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যখনই কোন নতুন বিষয় প্রকাশ পেত, তাঁর সাহাবীগণ তা অনুসরণ করতেন। [৬] (ই.ফা. ২৪৭১, ই.সে. ২৪৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬] রমাযান মাসে সফর তথা ভ্রমণ করা অবস্থায় সওম পালন করা বিষয়ে বিভিন্নভাবে রিওয়ায়াতে আছে এবং ইমামদের মাঝেও মতবিরোধ আছে। তবে সঠিক কথা হলো- কোন অসুবিধার আশংকা না থাকলে সওম পালন উত্তম এবং সমস্যা হলে সওম না রাখাই উত্তম। কেননা সওম পালনের দ্বারা বান্দার উপর যে দায়িত্বের বোঝা চেপেছিল তা দূর হয়ে যায়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى قَالَ سُفْيَانُ لاَ أَدْرِي مِنْ قَوْلِ مَنْ هُوَ يَعْنِي وَكَانَ يُؤْخَذُ بِالآخِرِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইয়াহ্ইয়া বলেন, সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেছেন যে, আমি জানি না এ কার কথা অর্থাৎ তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শেষোক্ত কথাটি গ্রহণ করতেন। (ই.ফা. ২৪৭২, ই.সে. ২৪৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯৬

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَانَ الْفِطْرُ آخِرَ الأَمْرَيْنِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالآخِرِ فَالآخِرِ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَصَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ لِثَلاَثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদের সাথে বর্ণনা করেছেন। যুহরী (রহঃ) বলেন, সওম পালন না করা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সর্বশেষ কাজ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শেষোক্ত কাজকেই গ্রহণ করা হতো। তিনি বলেন, রমাযানের তের দিন অতিবাহিত হবার পর ভোরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ প্রবেশ করেন। (ই.ফা. ২৪৭৩, ই.সে. ২৪৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯৭

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانُوا يَتَّبِعُونَ الأَحْدَثَ فَالأَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ وَيَرَوْنَهُ النَّاسِخَ الْمُحْكَمَ ‏.

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে লায়স-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, সাহাবীগণ প্রত্যেক নতুন বিষয়ের অনুসরণ করতেন। যে বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে পেতেন সাহাবীগণ একে রহিতকারী ও অধিকতর বলিষ্ঠ মনে করতেন। (ই.ফা. ২৪৭৪, ই.সে. ২৪৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯৮

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَشَرِبَهُ نَهَارًا لِيَرَاهُ النَّاسُ ثُمَّ أَفْطَرَ حَتَّى دَخَلَ مَكَّةَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – فَصَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সময় রমাযান মাসে সওমরত অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে বের হলেন। যখন তিনি ‘উসফান নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন তিনি পানি ভর্তি পাত্র আনার জন্য বললেন এবং লোকদেরকে দেখাবার জন্য দিনেই তা পান করে সওম ভেঙ্গে ফেললেন এবং এ অবস্থায় তিনি মক্কা প্রবেশ করলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, যেহেতু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সফরে কখনো) সওম পালন করেছেন আবার কখনো ইফত্বার করেছেন, তাই কেউ ইচ্ছা করলে সওম পালন করতে পারে আবার কেউ ইচ্ছা করলে সওম ছেড়ে দিতে পারে। (ই.ফা. ২৪৭৫, ই.সে. ২৪৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – قَالَ لاَ تَعِبْ عَلَى مَنْ صَامَ وَلاَ عَلَى مَنْ أَفْطَرَ قَدْ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ وَأَفْطَرَ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সওম পালন করে তার প্রতি দোষারোপ করো না এবং তার প্রতিও না যে সওম ছেড়ে দেয়। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরের অবস্থায় (কখনো) সিয়াম পালন করেছেন (আবার কখনও) সওম ছেড়ে দিয়েছেন। (ই.ফা. ২৪৭৬, ই.সে. ২৪৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০০

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْمَجِيدِ – حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، – رضى الله عنهما – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ إِلَى مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ كُرَاعَ الْغَمِيمِ فَصَامَ النَّاسُ ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ فَرَفَعَهُ حَتَّى نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ ثُمَّ شَرِبَ فَقِيلَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِنَّ بَعْضَ النَّاسِ قَدْ صَامَ فَقَالَ ‏ “‏ أُولَئِكَ الْعُصَاةُ أُولَئِكَ الْعُصَاةُ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। মাক্কাহ বিজয়ের বছর রমাযান মাসে সওমরত অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কার উদ্দেশে বের হলেন। এরপর যখন তিনি “কুরা’উল গামীম” নামক স্থান পৌঁছলেন, তখন লোকেরাও সওমরত ছিল। এরপর তিনি একটি পানির পাত্র চাইলেন। এমনকি লোকেরা তাঁর দিকে তাকাতে লাগল। এরপর তিনি পানি পান করলেন। তখন তাঁকে বলা হ’ল, কতিপয় লোক সওমরত রয়েছে। তিনি বললেন, তারা অবাধ্য, তারা অবাধ্য। (ই.ফা. ২৪৭৭, ই.সে. ২৪৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০১

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ جَعْفَرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَقَّ عَلَيْهِمُ الصِّيَامُ وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ فِيمَا فَعَلْتَ ‏.‏ فَدَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ بَعْدَ الْعَصْرِ ‏.

জা’ফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, অতঃপর তাঁকে বলা হ’ল, মানুষের সওম পালন করা কষ্টাতীত হয়ে পড়েছে। আপনি কী করেন, তারা সেদিকে তাকিয়ে আছে। এ কথা শুনে তিনি ‘আসরের পর এক পাত্র পানি চাইলেন। (ই.ফা. ২৪৭৮, ই.সে. ২৪৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ جَعْفَرٍ – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، – عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، – رضى الله عنهما – قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَرَأَى رَجُلاً قَدِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَقَدْ ظُلِّلَ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ مَا لَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا رَجُلٌ صَائِمٌ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ أَنْ تَصُومُوا فِي السَّفَرِ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সফরে ছিলেন। এ সময় তিনি এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন, লোকেরা তার কাছে জটলা করে আছে এবং তাকে ছায়া করে আছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তার কী হয়েছে? তারা বললেন, লোকটি সিয়াম পালনকারী। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সফরে তোমাদের সওম পালন করা কোন নেকীর কাজ নয়। (ই.ফা. ২৪৭৯, ই.সে. ২৪৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً بِمِثْلِهِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে দেখলেন। এরপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪৮০, ই.সে. ২৪৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৪

وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ وَزَادَ قَالَ شُعْبَةُ وَكَانَ يَبْلُغُنِي عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّهُ كَانَ يَزِيدُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَفِي هَذَا الإِسْنَادِ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ عَلَيْكُمْ بِرُخْصَةِ اللَّهِ الَّذِي رَخَّصَ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا سَأَلْتُهُ لَمْ يَحْفَظْهُ ‏.

শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শু’বাহ্ বলেন, এ সানাদে ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীরের মাধ্যমে অতিরিক্ত এ কথাও আমার নিকট পৌঁছেছে যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে যে সুবিধা দিয়েছেন তা গ্রহণ করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তখন সে মুখস্থ বলতে পারেনি। (ই.ফা. ২৪৮১, ই.সে. ২৪৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৫

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِسِتَّ عَشْرَةَ مَضَتْ مِنْ رَمَضَانَ فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযানের ষোল দিন অতিবাহিত হবার পর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ সময় আমাদের কেউ সিয়াম পালন করছিলেন, আবার কেউ তা ছেড়ে দিচ্ছিলন। কিন্তু এতে সওম পালনকারী সওম ভঙ্গকারীকে কোন দোষারোপ করেনি এবং সওম ভঙ্গকারীও সওম পালনকারীকে কোন প্রকার দোষারোপ করেনি। (ই.ফা. ২৪৮২, ই.সে. ২৪৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ يَعْنِي ابْنَ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ هَمَّامٍ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ التَّيْمِيِّ وَعُمَرَ بْنِ عَامِرٍ وَهِشَامٍ لِثَمَانَ عَشْرَةَ خَلَتْ وَفِي حَدِيثِ سَعِيدٍ فِي ثِنْتَىْ عَشْرَةَ ‏.‏ وَشُعْبَةَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ أَوْ تِسْعَ عَشْرَةَ ‏.

ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাম্মামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

তবে আত্ তায়মী, ‘উমার উবনু ‘আমির ও হিশামের বর্ণনায় রমাযানের আঠার দিন অতিবাহিত হয়েছে কথাটি বর্ণিত আছে। সা’ঈদের বর্ণনায় বারোই রমাযান এবং শু’বার বর্ণনায় সতের অথবা ঊনিশ রমাযানের কথা উল্লেখ রয়েছে। (ই.ফা. ২৪৮৩, ই.সে. ২৪৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৭

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ – عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، – رضى الله عنه – قَالَ كُنَّا نُسَافِرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَمَا يُعَابُ عَلَى الصَّائِمِ صَوْمُهُ وَلاَ عَلَى الْمُفْطِرِ إِفْطَارُهُ ‏.

আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রমাযান মাসে সফর করতাম কিন্ত সওম পালনকারীকে তার সওমের কারণে দোষারোপ করা হতো না এবং সওম ভঙ্গকারীকেও তার সওম ভঙ্গের কারণে দোষারোপ করা হতো না। ( ই. ফা. ২৪৮৪, ই.সে. ২৪৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৮

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ فَلاَ يَجِدُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ يَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ قُوَّةً فَصَامَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ وَيَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ ضَعْفًا فَأَفْطَرَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ ‏.

আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহন করতাম। এ সময় আমাদের কেউ সওম পালন করেছেন, আবার কেউ সওম ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্ত সওম পালনকারী সওম ভঙ্গকারীকে খারাপ মনে করতেন না এবং সওম ভঙ্গকারীও সওম পালনকারীকে খারাপ মনে করতেন না। তারা মনে করতেন যার সামর্থ্য আছে সে-ই সওম পালন করছে, এটা তার জন্য উত্তম। আর যে দুর্বল সে সওম ছেড়ে দিয়েছে, এটা তার জন্য উত্তম। (ই. ফা.২৪৮৫, ই.সে. ২৪৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫০৯

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَسَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَحُسَيْنُ، بْنُ حُرَيْثٍ كُلُّهُمْ عَنْ مَرْوَانَ، – قَالَ سَعِيدٌ أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، – عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نَضْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، – رضى الله عنهم – قَالاَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَصُومُ الصَّائِمُ وَيُفْطِرُ الْمُفْطِرُ فَلاَ يَعِيبُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) ও জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়ই বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফর করেছি। এমতাবস্থায় সওম পালনকারী সওম পালন করেছেন এবং সওম যারা ছাড়তে চেয়েছেন, তারা ছেড়ে দিয়েছেন কিন্ত এতে কেউ একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করেননি। (ই.ফা.২৪৮৬, ই.সে. ২৪৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ – رضى الله عنه – عَنْ صَوْمِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ ‏.

হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসে সফরকালে সওমের বিধান কী? এ সম্বন্ধে আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন, রমাযান মাসে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফর করেছি। এ সময় সওম পালনকারী ব্যক্তি সওম ভঙ্গকারী ব্যক্তির কোন নিন্দা করেনি এবং সওম ভঙ্গকারী ব্যক্তিও সওম পালনকারীর কোন নিন্দা করেনি। (ই. ফা.২৪৮৭, ই.সে. ২৪৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ خَرَجْتُ فَصُمْتُ فَقَالُوا لِي أَعِدْ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ إِنَّ أَنَسًا أَخْبَرَنِي أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يُسَافِرُونَ فَلاَ يَعِيبُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ ‏.‏ فَلَقِيتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – بِمِثْلِهِ ‏.

হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সফরের উদ্দেশে বের হলাম এবং সিয়াম পালন করলাম। লোকেরা আমাকে বলল, তুমি পুনরায় সওম পালন কর। তখন আমি বললাম, আনাস (রাঃ) আমাকে বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগন সফরকালে সওম পালনকারী সওম ভঙ্গকারীকে কোন দোষারোপ করেনি। অনুরূপভাবে সওম ভঙ্গকারীও সওম পালনকারীকে কোন প্রকার দোষারোপ করেনি। অতঃপর আমি ইবনু আবূ মুলায়কাহ্ (রহঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তিনি আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে আমাকে অনুরূপ হাদীস শুনালেন। (ই. ফা.২৪৮৮, ই.সে. ২৪৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

সফরের কোন কাজের দায়িত্ব পেলে সিয়াম ভঙ্গকারীর প্রতিদান প্রসঙ্গে

২৫১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَنَسٍ، – رضى الله عنه – قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ – قَالَ – فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فِي يَوْمٍ حَارٍّ أَكْثَرُنَا ظِلاًّ صَاحِبُ الْكِسَاءِ وَمِنَّا مَنْ يَتَّقِي الشَّمْسَ بِيَدِهِ – قَالَ – فَسَقَطَ الصُّوَّامُ وَقَامَ الْمُفْطِرُونَ فَضَرَبُوا الأَبْنِيَةَ وَسَقَوُا الرِّكَابَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ذَهَبَ الْمُفْطِرُونَ الْيَوْمَ بِالأَجْرِ ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আমরা সফরে ছিলাম। আমাদের কেউ সওম পালন করেছেন, আবার কেউ ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর প্রচন্ড গরমের সময় আমরা এক প্রান্তরে অবতরণ করলাম। চাদর বিশিষ্ট লোকেরাই আমাদের মধ্যে সর্বাধিক ছায়া লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের কেউ কেউ নিজ হাত দ্বারা সূর্যের কিরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করছিলেন। অবশেষে সওম পালনকারীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ল এবং সওম ত্যাগকারীরা সুস্থ থাকল। এবপর তারা তাঁবু খাটালো এবং উটকে পানি পান করালো তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আজ সওম পরিত্যাগকারীরা সওয়াব অর্জন করে নিল। (ই. ফা.২৪৮৯, ই.সে. ২৪৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَنَسٍ، – رضى الله عنه – قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَصَامَ بَعْضٌ وَأَفْطَرَ بَعْضٌ فَتَحَزَّمَ الْمُفْطِرُونَ وَعَمِلُوا وَضَعُفَ الصُّوَّامُ عَنْ بَعْضِ الْعَمَلِ – قَالَ – فَقَالَ فِي ذَلِكَ ‏ “‏ ذَهَبَ الْمُفْطِرُونَ الْيَوْمَ بِالأَجْرِ ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সফরে ছিলেন। তখন কেউ কেউ সওম পালন করলেন, আবার কেউ কেউ সওম ছেড়ে দিলেন। এরপর যারা সওম ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা শক্তিমত্তার সাথে কাজ করলেন এবং সওম পালনকারী ব্যক্তিগন কাজে দুর্বল হয়ে পড়লেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আজ সওম পরিত্যাগকারীরা নেকী অর্জন করে নিল। (ই. ফা.২৪৯০, ই.সে. ২৪৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১৪

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَزَعَةُ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ – رضى الله عنه – وَهُوَ مَكْثُورٌ عَلَيْهِ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ قُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْأَلُكَ عَمَّا يَسْأَلُكَ هَؤُلاَءِ عَنْهُ ‏.‏ سَأَلْتُهُ عَنِ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَكَّةَ وَنَحْنُ صِيَامٌ قَالَ فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَتْ رُخْصَةً فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ ثُمَّ نَزَلْنَا مَنْزِلاً آخَرَ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ مُصَبِّحُو عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَتْ عَزْمَةً فَأَفْطَرْنَا ثُمَّ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا نَصُومُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ ‏.

কাযা’আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তাঁর নিকট মানুষের খুব ভীড় ছিল। যখন লোকজন পৃথক হয়ে এদিক ওদিক চলে গেল, তখন আমি বললাম, আমি আপনার নিকট ঐসব কথা জিজ্ঞেস করব না যা লোকেরা জিজ্ঞেস করেছে। আমি তাঁকে সফরের অবস্থায় সওম পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সওমরত অবস্থায় মক্কার দিকে রওনা করলাম। এরপর একস্থানে আমরা অবতরণ করলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন এখন তোমরা শত্রুদের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছ। এখন সওম ভঙ্গ করাই তোমাদের জন্য শক্তিশালী থাকার উপায় এবং এটা তোমাদের জন্য বিশেষ এক অবকাশ। তখন আমাদের কতক লোক সওম পালন করল, আবার কতক লোক ইফত্বার কলল। এরপর আমরা অন্য এক স্থানে অবতরণ করলাম। তখন তিনি বললেন, ভোরেই তোমরা শত্রুর মুকাবিলা করব। সুতরাং ইফত্বারই তোমাদের জন্য শক্তি বর্ধক। তাই তোমরা ইফত্বার কর। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ নির্দেশ অবশ্য পালনীয় ছিল। তাই আমরা সকলেই সওম ভঙ্গ করলাম। এরপর আমরা দেখেছি, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফরের অবস্থায় সওম পালন করতাম। (ই. ফা.২৪৯১, ই.সে. ২৪৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

ভ্রমণকালে সিয়াম রাখা ও না রাখার ইখতিয়ার প্রসঙ্গে

২৫১৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّهَا قَالَتْ سَأَلَ حَمْزَةُ بْنُ عَمْرٍو الأَسْلَمِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصِّيَامِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنْ شِئْتَ فَصُمْ وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ ‏”‏ ‏.

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হামযাহ্ ইবনু আমর আল আসলামী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সফরের অবস্থায় সওম পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সওম পালন কর, আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সওম ছেড়ে দাও। (ই. ফা.২৪৯২, ই.সে. ২৪৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَمْرٍو الأَسْلَمِيَّ، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ أَسْرُدُ الصَّوْمَ ‏.‏ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ قَالَ ‏ “‏ صُمْ إِنْ شِئْتَ وَأَفْطِرْ إِنْ شِئْتَ ‏”‏ ‏.

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হামযাহ্ ইবনু আম্‌র আল আসলামী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি তো অনবরত সওম পালন করি। সফরের অবস্থায়ও সওম পলন করব কি? তিনি বললেন, যদি তোমার ইচ্ছা হয়, তবে সওম পালন কর, আর যদি ইচ্ছা হয়, তবে সওম ছেড়ে দাও। (ই. ফা. ২৪৯৩, ই.সে. ২৪৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১৭

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ إِنِّي رَجُلٌ أَسْرُدُ الصَّوْمَ ‏.

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাম্মাদ ইবনু যায়দের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, (তিনি বলেন) আমি সর্বদা সওম পালন করি। (ই.ফা. ২৪৯৪, ই.সে. ২৪৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ حَمْزَةَ، قَالَ إِنِّي رَجُلٌ أَصُومُ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ.

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। হামযাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি সর্বদা সওম পালন করি। সুতরাং সফরে আমি কি সওম পালন করব? (ই. ফা. ২৪৯৫, ই.সে. ২৪৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১৯

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، – قَالَ هَارُونُ حَدَّثَنَا وَقَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي مُرَاوِحٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الأَسْلَمِيِّ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَجِدُ بِي قُوَّةً عَلَى الصِّيَامِ فِي السَّفَرِ فَهَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هِيَ رُخْصَةٌ مِنَ اللَّهِ فَمَنْ أَخَذَ بِهَا فَحَسَنٌ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصُومَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَارُونُ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ هِيَ رُخْصَةٌ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مِنَ اللَّهِ ‏.

হামযাহ্ ইবনু আমর আল আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! সফরের অবস্থায় সিয়াম পালনের ক্ষমতা আমার রয়েছে। এ সময় সিয়াম পালন করলে আমার কোন গুনাহ হবে কি? তিনি বললেন, এটা আল্লাহর পক্ষ হতে এক বিশেষ অবকাশ, যে তা গ্রহন করবে, তা তার জন্য উত্তম। আর যদি কেউ সিয়াম পালন করতে চায়, তবে তার কোন গুনাহ হবে না। হারূন তার হাদীসের মধ্যে (আরবি) (এটা ছাড়) কথাটি উল্লেখ করেছেন। কিন্ত (আরবি) (আল্লাহর পক্ষ থেকে) কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই. ফা.২৪৯৬, ই.সে. ২৪৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২০

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، – رضى الله عنه – قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَضَعُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلاَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ ‏.

আবূ দারদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক প্রচন্ড গরমের দিনে রমাযান মাসে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফরে বের হলাম। গরম এত প্রচন্ড ছিল যে, আমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ হাত মাথার উপর তুলে ধরেছিল। আর মাত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আব্দুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ (রাঃ) ব্যতীত আমাদের মাঝে কেউই সওম পালনকারী ছিল না। (ই. ফা. ২৪৯৭, ই.সে. ২৪৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَيَّانَ، الدِّمَشْقِيِّ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ لَيَضَعُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ وَمَا مِنَّا أَحَدٌ صَائِمٌ إِلاَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ ‏.

উম্মু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ দারদা (রাঃ) বলেছেন যে প্রচন্ড গরমের দিনে কোন এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। গরম এতো প্রচন্ড ছিল যে, লোকেরা নিজ নিজ হাত মাথার উপরে রেখে দিয়েছিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আব্দুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ (রাঃ) ব্যতীত আমাদের মাঝে কেউই সওম পালনকারী ছিল না। (ই. ফা.২৪৯৮, ই.সে. ২৪৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অধ্যায়ঃ

হাজীদের জন্য ‘আরাফার দিন ‘আরাফার ময়দানে সিয়াম পালন না করা মুস্তাহাব

২৫২২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ نَاسًا، تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَعْضُهُمْ هُوَ صَائِمٌ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ بِصَائِمٍ ‏.‏ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِقَدَحِ لَبَنٍ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَهُ ‏.

উম্মুল ফায্‌ল বিনতু হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

লোকেরা ‘আরাফার দিন তার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সিয়াম পালন (করা না করা) সম্পর্কে আলোচনা করছিল। তাদের কেউ কেউ বলল তিনি সওমরত নন। এরপর আমি তাঁর নিকট এক পেয়ালা দুধ পাঠালাম, তিনি আরাফাতে উটের উপর বসা অবস্থায় ছিলেন। দুধটুকু তিনি তখনি পান করে নিলেন। (ই.ফা. ২৪৯৯, ই.সে. ২৪৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ ‏.‏ وَقَالَ عَنْ عُمَيْرٍ مَوْلَى أُمِّ الْفَضْلِ ‏.

আবূ নাযর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি (আরবী) (অর্থাৎ তিনি উটের উড়রে বসা অবস্থায় ছিলেন) বাক্যটি উল্লেখ করেননি। অধিকন্ত এতে তিনি উম্মুল ফায্লের আযাদকৃত গোলাম ‘উমায়র থেকে বর্ণিত বলে উল্লেখ করেন। (ই.ফা.২৫০০, ই.সে. ২৪৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২৪

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي، النَّضْرِ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى أُمِّ الْفَضْلِ ‏.

সালিম আবূ আন্ নাযর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে ইবনু ‘উয়ায়নার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন এখানেও উম্মুল ফাযলের আযাদকৃত গোলাম ‘উমায়র থেকে বর্ণিত। (ই.ফা. ২৫০১, ই.সে. ২৫০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২৫

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عُمَيْرًا مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ الْفَضْلِ، – رضى الله عنها – تَقُولُ شَكَّ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صِيَامِ يَوْمِ عَرَفَةَ وَنَحْنُ بِهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِقَعْبٍ فِيهِ لَبَنٌ وَهُوَ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَهُ ‏.

উম্মুল ফায্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কতিপয় সাহাবী ‘আরাফার দিন তাঁর সিয়াম পালনের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলেন। উম্মুল ফায্‌ল (রাঃ) বলেন আমরাও সেখানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। এ সময়ে আমি তাঁর নিকট এক পেয়ালা দুধ পাঠিয়ে দিলাম। তখন তিনি আরাফার ময়দানে ছিলেন। এরপর তিনি তা পান করে নিলেন। (ই.ফা. ২৫০২, ই.সে. ২৫০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২৬

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ، الأَشَجِّ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – عَنْ مَيْمُونَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ النَّاسَ شَكُّوا فِي صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَرَفَةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ مَيْمُونَةُ بِحِلاَبِ اللَّبَنِ وَهُوَ وَاقِفٌ فِي الْمَوْقِفِ فَشَرِبَ مِنْهُ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী মায়মূনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা আরাফার দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সওম পালন করার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলেন। এরপর মায়মূনাহ্ (রাঃ) তাঁর নিকট এক পেয়ালা দুধ পাঠিয়ে দিলেন, এ সময় তিনি ‘মাওকাফ’ এর মধ্যে অবস্থান করছিলেন। তখন তিনি তা পান করে নিলেন। আর লোকেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে রইল। (ই.ফা. ২৫০৩, ই.সে. ২৫০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অধ্যায়ঃ

‘আশুরা দিবসে সিয়াম পালন করা

২৫২৭

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصُومُ عَاشُورَاءَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ فَلَمَّا هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ فَلَمَّا فُرِضَ شَهْرُ رَمَضَانَ قَالَ ‏ “‏ مَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরায়শরা জাহিলী যুগে ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও এ দিন সওম পালন করতেন। এরপর যখন তিনি মাদীনায় হিজরত করলেন, তখনও তিনি ‘আশূরার সওম পালন করেছেন এবং লোকদেরকেও তা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর যখন রমাযানের সিয়ামকে ফরয করা হলো, তখন যার ইচ্ছা, সে ‘আশূরা সওম পালন করত আর যার ইচ্ছা, সে তা ছেড়ে দিত। (ই.ফা. ২৫০৪, ই.সে. ২৫০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ ‏.‏ وَقَالَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ وَتَرَكَ عَاشُورَاءَ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَرِوَايَةِ جَرِيرٍ ‏.

হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে প্রথমাংশে “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও এ সওম পালন করতেন” এ কথাটির উল্লেখ করেন। অবশ্য এ হাদীসে শেষাংশে রয়েছেঃ “এরপর ‘আশূরার দিন সওম পালন করা ছেড়ে দেয়া হ’ল” সুতরাং যার ইচ্ছা সে এ দিন সওম পালন করত এবং যার ইচ্ছা সে তা ছেড়ে দিত এবং বর্ণনাকারী জারীরের বর্ণনামতে এ কথাটিকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীর অন্তর্ভুক্ত করেননি। (ই.ফা. ২৫০৫, ই.সে. ২৫০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২৯

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّ يَوْمَ، عَاشُورَاءَ كَانَ يُصَامُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ مَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাহিলী যুগে ‘আশূরার দিন সওম পালন করা হত। এরপর যখন ইসলামের আবির্ভাব হ’ল, তখন যার ইচ্ছা সে এদিন সওম পালন করত, আর যার ইচ্ছা সে তা ছেড়ে দিত। (ই.ফা. ২৫০৬, ই.সে. ২৫০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩০

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ بِصِيَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُفْرَضَ رَمَضَانُ فَلَمَّا فُرِضَ رَمَضَانُ كَانَ مَنْ شَاءَ صَامَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্বে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আশূরার দিনে সিয়াম পালন করার নির্দেশ দিতেন। যখন রমাযানের সিয়াম ফরয করা হল তখন যার ইচ্ছা সে ‘আশূরার দিনে সওম পালন করত, আর যার ইচ্ছা সে তা ছেড়ে দিত। (ই.ফা. ২৫০৭, ই.সে. ২৫০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، جَمِيعًا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، – قَالَ ابْنُ رُمْحٍ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، – عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ عِرَاكًا، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ قُرَيْشًا كَانَتْ تَصُومُ عَاشُورَاءَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِصِيَامِهِ حَتَّى فُرِضَ رَمَضَانُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ شَاءَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ شَاءَ فَلْيُفْطِرْهُ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরায়শরা জাহিলী যুগে, ‘আশূরার দিন সওম পালন করত। রমাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্বে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার ইচ্ছা সে এদিন সওম পালন করবে, আর যার ইচ্ছা, সে তা ছেড়ে দিবে। (ই.ফা. ২৫০৮, ই.সে. ২৫০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّ أَهْلَ، الْجَاهِلِيَّةِ كَانُوا يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَامَهُ وَالْمُسْلِمُونَ قَبْلَ أَنْ يُفْتَرَضَ رَمَضَانُ فَلَمَّا افْتُرِضَ رَمَضَانُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ عَاشُورَاءَ يَوْمٌ مِنْ أَيَّامِ اللَّهِ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাহিলী যুগে লোকেরা ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করত। রমাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্বে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও এদিন সিয়াম পালন করেছেন এবং মুসলিমগণও। যখন রমাযানের সিয়াম ফরয হ’ল তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘আশূরার দিন আল্লাহর দিনসমূহের একটি দিন। সুতরাং যার ইচ্ছা সে এ দিন সিয়াম পালন করবে, আর যার ইচ্ছা সে তা ছেড়ে দিবে। (ই.ফা. ২৫০৯, ই.সে. ২৫০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৩

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ‏.‏ بِمِثْلِهِ فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৫১০, ই.সে. ২৫০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৪

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَانَ يَوْمًا يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَرِهَ فَلْيَدَعْهُ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আশূরার দিন সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, এ দিনে জাহিলী যুগে লোকেরা সিয়াম পালন করত। তোমাদের মধ্যে যে এ দিনে সিয়াম পালন করতে আগ্রহী, সে এ দিনে সিয়াম পালন করতে পারে। আর যে অপছন্দ করে, সে ছেড়ে দিতে পারে। (ই.ফা. ২৫১১, ই.সে. ২৫১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৫

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ، – يَعْنِي ابْنَ كَثِيرٍ – حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ ‏ “‏ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ كَانَ يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَتْرُكَهُ فَلْيَتْرُكْهُ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ – رضى الله عنه – لاَ يَصُومُهُ إِلاَّ أَنْ يُوَافِقَ صِيَامَهُ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আশূরার দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, জাহিলী যুগে এ দিনে লোকেরা সিয়াম সাধনা করত। যদি কেউ এদিনে সওম পালন করতে চায়, সে এদিনে সিয়াম পালন করবে। আর কেউ যদি এদিনে সওম পালন করতে না চায়, সে সওম পালন করবে না। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁর অভ্যস্ত দিনে না হলে ‘আশূরার সওম পালন করতেন না। (ই.ফা. ২৫১২, ই.সে. ২৫১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الأَخْنَسِ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَوْمُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ ‏.‏ فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ سَوَاءً ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ‘আশূরার দিনের সিয়াম সম্পর্কে কথা তোলা হ’ল। তারপর তিনি লায়স ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর অনুরূপই বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৫১৩, ই.সে. ২৫১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৭

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ، زَيْدٍ الْعَسْقَلاَنِيُّ حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَقَالَ ‏ “‏ ذَاكَ يَوْمٌ كَانَ يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ‘আশূরার দিবস সম্পর্কে কথা তোলা হলে তিনি বললেন, এ দিনে জাহিলী যুগে লোকেরা সিয়াম পালন করত। যার ইচ্ছা সে এ দিনে সওম পালন করবে, আর যার ইচ্ছা সে এ দিনে সওম পালন করবে না। (ই.ফা. ২৫১৪, ই.সে. ২৫১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ دَخَلَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ وَهُوَ يَتَغَدَّى فَقَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ ادْنُ إِلَى الْغَدَاءِ ‏.‏ فَقَالَ أَوَلَيْسَ الْيَوْمُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ قَالَ وَهَلْ تَدْرِي مَا يَوْمُ عَاشُورَاءَ قَالَ وَمَا هُوَ قَالَ إِنَّمَا هُوَ يَوْمٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فَلَمَّا نَزَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ تُرِكَ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو كُرَيْبٍ تَرَكَهُ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আশ’আস ইবনু ক্বায়স (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! তুমি খাওয়ার জন্য কাছে এসো। তিনি বললেন, আজ কি ‘আশূরার দিন নয়? তিনি বললেন, তুমি কি জান ‘আশূরা দিন কী? আশ’আস (রাঃ) বললেন, সে আবার কী? তিনি বললেন, রমাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্বে এ দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিয়াম পালন করতেন। যখন রমাযানের সিয়াম ফরয হ’ল তখন তা ছেড়ে দেয়া হ’ল। রাবী আবূ কুরায়ব (রাঃ) (আরবী) এর স্থলে (আরবী) বলেছেন। (ই.ফা. ২৫১৫, ই.সে. ২৫১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩৯

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ تَرَكَهُ ‏.

আ’মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা বলেছেন, (আরবী) “যখন রমাযানের বিধান নাযিল হ’ল তখন তা ছেড়ে দেয়া হয়।” (ই.ফা. ২৫১৬, ই.সে. ২৫১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي زُبَيْدٌ الْيَامِيُّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَكَنٍ، أَنَّ الأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ، دَخَلَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَهُوَ يَأْكُلُ فَقَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ ادْنُ فَكُلْ ‏.‏ قَالَ إِنِّي صَائِمٌ ‏.‏ قَالَ كُنَّا نَصُومُهُ ثُمَّ تُرِكَ ‏.

ক্বায়স ইবনু সাকান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আশূরার দিন আশ’আস ইবনু ক্বায়স (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কাছে এলেন। এ সময় তিনি আহার করছিলেন। তিনি আশ’আসকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! নিকটে এসো্, খানা খাও। তিনি বললেন, আমি তো সওম পালন করছি। এ কথা শুনে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমরা এ সওম পালন করতাম। পরে তা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ২৫১৭,ই.সে. ২৫১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ دَخَلَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ عَلَى ابْنِ مَسْعُودٍ وَهُوَ يَأْكُلُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ ‏.‏ فَقَالَ قَدْ كَانَ يُصَامُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ رَمَضَانُ فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ تُرِكَ فَإِنْ كُنْتَ مُفْطِرًا فَاطْعَمْ ‏.

‘আলক্বামাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আশ’আস ইবনু ক্বায়স (রহঃ) ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। সেটা ‘আশূরার দিন ছিল। তখন তিনি খানা খাচ্ছিলেন। এ দেখে আশ’আস (রহঃ) বললেন, হে ‘আবদুর রহমানের পিতা! আজ তো ‘আশূরার দিন। তিনি বললেন, রমাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্বে এ দিনে সিয়াম পালন করা হতো। কিন্ত রমাযানের সিয়াম ফরয হলে এ দিনের সিয়াম পালন ছেড়ে দেয়া হয়। এখন তুমি যদি সওম না রেখে থাক তবে খাও। (ই.ফা. ২৫১৮,ই.সে. ২৫১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا شَيْبَانُ، عَنْ أَشْعَثَ، بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا بِصِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ وَيَحُثُّنَا عَلَيْهِ وَيَتَعَاهَدُنَا عِنْدَهُ فَلَمَّا فُرِضَ رَمَضَانُ لَمْ يَأْمُرْنَا وَلَمْ يَنْهَنَا وَلَمْ يَتَعَاهَدْنَا عِنْدَهُ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আশূরার দিন আমাদেরকে সিয়াম পালনের নির্দেশ দিতেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করতেন এবং এ বিষয়ে তিনি আমাদের খোঁজ-খবর নিতেন। কিন্ত যখন রমাযানের সিয়াম ফরয হ’ল তখন তিনি আমাদেরকে আদেশও করেননি, বাধ্যও করেননি এবং কোন খোঁজ-খবর আর নেননি। (ই.ফা. ২৫১৯, ই.সে. ২৫১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৩

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، خَطِيبًا بِالْمَدِينَةِ – يَعْنِي فِي قَدْمَةٍ قَدِمَهَا – خَطَبَهُمْ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِهَذَا الْيَوْمِ ‏ “‏ هَذَا يَوْمُ عَاشُورَاءَ وَلَمْ يَكْتُبِ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَأَنَا صَائِمٌ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَصُومَ فَلْيَصُمْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُفْطِرَ فَلْيُفْطِرْ ‏”‏ ‏.

হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদিন মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু আবূ সুফ্‌ইয়ান (রাঃ)-কে মাদীনায় খুত্‌বায় বলতে শুনলেন অর্থাৎ যখন তিনি মাদীনায় এসেছিলেন, তখন ‘আশূরার দিবসে তিনি তাদের উদ্দেশে খুতবাহ্‌ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, হে মাদীনাবাসী! তোমাদের ‘আলিমগণ কোথায়? আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ দিন সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, এ হ’ল ‘আশূরা দিবস। আল্লাহ তোমাদের উপর এ দিনের সওম ফরয করেননি। তবে আমি সওম পালন করছি। তাই তোমাদের মধ্যে যে সওম পালন করতে পছন্দ করে, সে পালন করবে আর যে পছন্দ করেনি, সে করবে না। (ই.ফা. ২৫২০, ই.সে. ২৫১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৪

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৫২১, ই.সে.২৫২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৫

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي مِثْلِ هَذَا الْيَوْمِ ‏ “‏ إِنِّي صَائِمٌ فَمَنْ شَاءَ أَنْ يَصُومَ فَلْيَصُمْ “‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ بَاقِيَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَيُونُسَ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ দিন সম্পর্কে বলতে শুনেছেন যে, আমি সওম পালনকারী। যে সওম পালনের ইচ্ছা করে, সে যেন সওম পালন করে, অতঃপর তিনি মালিক এবং ইউনুস বর্ণিত হাদীসের অবশিষ্ট অংশ উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৫২২, ই.সে.২৫২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَسُئِلُوا عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي أَظْهَرَ اللَّهُ فِيهِ مُوسَى وَبَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى فِرْعَوْنَ فَنَحْنُ نَصُومُهُ تَعْظِيمًا لَهُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَحْنُ أَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَمَرَ بِصَوْمِهِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হিজরত করে) মাদীনায় এলেন এবং তিনি ইয়াহূদীদেরকে ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করতে দেখতে পেলেন। এরপর তাদেরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর তারা বলল, এ সে দিন যে দিন আল্লাহ মূসা (‘আঃ) ও বাণী ইসরাঈলকে ফির‘আওনের উপর বিজয়ী করেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা সওম পালন করে থাকি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমরা তোমাদের চেয়েও মূসা (‘আঃ)-এর অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিনে সওম পালন করার নির্দেশ দিলেন। (ই.ফা. ২৫২৩, ই.সে. ২৫২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৭

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَسَأَلَهُمْ عَنْ ذَلِكَ، ‏.

আবূ বিশর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীসে (আরবী) (তারা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করল) এ স্থলে (আরবী) (তিনি তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন) বাক্যটি বর্ণিত আছে। (ই. ফা. ২৫২৪, ই. সে. ২৫২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৮

وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي تَصُومُونَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ أَنْجَى اللَّهُ فِيهِ مُوسَى وَقَوْمَهُ وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا فَنَحْنُ نَصُومُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَصَامَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় হিজরত করে ইয়াহূদীদেরকে ‘আশূরার দিন সওম পালনরত দেখতে পেলেন। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমারা কোন দিনের সওম পালন করছ, তারা বলল, মহান দিনে আল্লাহ তা’আলা মূসা (‘আঃ) ও তাঁর সম্প্রদায়কে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফির‘আওন ও তার কওমকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এরপর মূসা (আঃ) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার লক্ষ্যে এ দিনে সওম পালন করেছেন। তাই আমরাও এ দিনে সওম পালন করছি। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমরা তো তোমাদের থেকে মূসা (আঃ)- এর অধিক নিকটবর্তী এবং হাক্বদার। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পালন করলেন এবং সওম পালন করার জন্য সকলকে নির্দেশ দিলেন। (ই. ফা. ২৫২৫, ই. সে. ২৫২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪৯

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ عَنِ ابْنِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، لَمْ يُسَمِّهِ ‏.

আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদের সাথে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ইবনু সা’ঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) এ হাদীস সরাসরি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেননি। (ই. ফা. ২৫২৬, ই. সে. ২৫২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي عُمَيْسٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، – رضى الله عنه – قَالَ كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ يَوْمًا تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَتَتَّخِذُهُ عِيدًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صُومُوهُ أَنْتُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহূদী সম্প্রদায় ‘আশূরা দিবসের সম্মান প্রদর্শন করত এবং তারা এ দিনকে ঈদ বলে গন্য করত। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরাও এ দিনে সওম পালন কর। (ই. ফা. ২৫২৭, ই. সে. ২৫২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫১

وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ، أَخْبَرَنِي قَيْسٌ، فَذَكَرَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَزَادَ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ فَحَدَّثَنِي صَدَقَةُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي مُوسَى – رضى الله عنه – قَالَ كَانَ أَهْلُ خَيْبَرَ يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ يَتَّخِذُونَهُ عِيدًا وَيُلْبِسُونَ نِسَاءَهُمْ فِيهِ حُلِيَّهُمْ وَشَارَتَهُمْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فَصُومُوهُ أَنْتُمْ ‏”‏ ‏.

ক্বায়স (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বারের ইয়াহূদীরা ‘আশূরার দিন সওম পালন করত, তারা এ দিনকে ঈদরূপে বরণ করত এবং তারা তাদের মহিলাদেরকে অলংকার ও উত্তম পোশাকে সুসজ্জিত করত। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরাও এ দিনে সওম পালন কর। (ই. ফা. ২৫২৮ ই. সে. ২৫২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – وَسُئِلَ عَنْ صِيَامِ، يَوْمِ عَاشُورَاءَ ‏.‏ فَقَالَ مَا عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَامَ يَوْمًا يَطْلُبُ فَضْلَهُ عَلَى الأَيَّامِ إِلاَّ هَذَا الْيَوْمَ وَلاَ شَهْرًا إِلاَّ هَذَا الشَّهْرَ يَعْنِي رَمَضَانَ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ ইবনু আবূ ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে ‘আশূরার দিনে সিয়াম পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন, এ দিন ব্যতীত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন মাসকে অন্য মাসের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করে সিয়াম পালন করেছেন করেও আমার জানা নেই। (ই. ফা. ২৫২৯, ই. সে. ২৫২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৩

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ، اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ ইবনু আবূ ইয়াযীদ (রহঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ২৫৩০, ই. সে. ২৫২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অধ্যায়ঃ

‘আশুরা উপলক্ষে কোন দিন সিয়াম রাখা হবে

২৫৫৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ حَاجِبِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ الأَعْرَجِ، قَالَ انْتَهَيْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ رِدَاءَهُ فِي زَمْزَمَ فَقُلْتُ لَهُ أَخْبِرْنِي عَنْ صَوْمِ عَاشُورَاءَ ‏.‏ فَقَالَ إِذَا رَأَيْتَ هِلاَلَ الْمُحَرَّمِ فَاعْدُدْ وَأَصْبِحْ يَوْمَ التَّاسِعِ صَائِمًا ‏.‏ قُلْتُ هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ قَالَ نَعَمْ ‏.

হাকাম ইবনু আ‘রাজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)- এর কাছে পৌছলাম। এ সময় তিনি যমযমের কাছে চাদর বিছানো অবস্থায় বসা ছিলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, আমাকে ‘আশূরা দিবসের সিয়াম পালন সম্পর্কে সংবাদ দিন। উত্তরে তিনি বললেন, মুহাররম মাসের চাঁদ দেখার পর তুমি এর তারিখগুলো গুণে রাখবে। এরপর নবম তারিখে সওম অবস্থায় তোমার যেন ভোর হয়। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সেদিন সিয়াম পালন করেছেন? তিনি বললেন, হ্যা, করেছেন। (ই.ফা. ২৫৩১, ই.সে. ২৫৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৫

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ الأَعْرَجِ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ رِدَاءَهُ عِنْدَ زَمْزَمَ عَنْ صَوْمِ عَاشُورَاءَ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ حَاجِبِ بْنِ عُمَرَ ‏.

হাকাম ইবনু আ‘রাজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যমযমের কাছে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) চাদর বিছিয়ে বসে থাকা অবস্থায় আমি তাঁকে ‘আশূরার দিবসে সওম পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। এরপর তিনি হাজিব ইবনু ‘উমার (রহঃ)-এর হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই ফা ২৫৩২, ই সে ২৫৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৬

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا غَطَفَانَ بْنَ طَرِيفٍ الْمُرِّيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، بْنَ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – يَقُولُ حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ – إِنْ شَاءَ اللَّهُ – صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করেন এবং লোকদের সিয়াম পালনের নির্দেশ দেন, তখন সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়াহুদ এবং নাসারা এই দিনের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে থাকে। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও সিয়াম পালন করব। বর্ণনাকারী বললেন, এখনো আগামী বছর আসেনি, এমতাবস্হায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। (ই. ফা. ২৫৩৩ ই. সে. ২৫৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَيْرٍ، – لَعَلَّهُ قَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَئِنْ بَقِيتُ إِلَى قَابِلٍ لأَصُومَنَّ التَّاسِعَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ يَعْنِي يَوْمَ عَاشُورَاءَ ‏.

‘আবদল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তবে মুহাররমের নবম তারিখেও সিয়াম পালন করব। আবূ বাক্‍র (রহঃ) বলেন, নবম তারিখই হচ্ছে ‘আশূরার দিন। (ই. ফা. ২৫৩৪ ই. সে. ২৫৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১ অধ্যায়ঃ

যে ‘আশুরার দিন কিছু খেয়ে ফেলল সে যেন দিনের বাকী অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকে

২৫৫৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي، عُبَيْدٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مِنْ أَسْلَمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُؤَذِّنَ فِي النَّاسِ ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَمْ يَصُمْ فَلْيَصُمْ وَمَنْ كَانَ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ صِيَامَهُ إِلَى اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.

সালামাহ্ ইবনু আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আশুরার দিন আসলাম গোত্রের এক ব্যাক্তিকে নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন, সে যেন লোকদের মধ্যে এ কথা ঘোষণা করে যে, যে সিয়াম পালন করেনি, সে যেন সিয়াম পালন করে এবং যে আহার করেছে, সে যেন রাত পর্যন্ত তার সওম পূর্ণ করে। (ই. ফা. ২৫৩৫ ই. সে. ২৫৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫৯

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ بْنِ لاَحِقٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ، بْنُ ذَكْوَانَ عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ، قَالَتْ أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَدَاةَ عَاشُورَاءَ إِلَى قُرَى الأَنْصَارِ الَّتِي حَوْلَ الْمَدِينَةِ ‏ “‏ مَنْ كَانَ أَصْبَحَ صَائِمًا فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ وَمَنْ كَانَ أَصْبَحَ مُفْطِرًا فَلْيُتِمَّ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَكُنَّا بَعْدَ ذَلِكَ نَصُومُهُ وَنُصَوِّمُ صِبْيَانَنَا الصِّغَارَ مِنْهُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَنَذْهَبُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَنَجْعَلُ لَهُمُ اللُّعْبَةَ مِنَ الْعِهْنِ فَإِذَا بَكَى أَحَدُهُمْ عَلَى الطَّعَامِ أَعْطَيْنَاهَا إِيَّاهُ عِنْدَ الإِفْطَارِ ‏.

রুবায়’ই বিনতু মু’আব্‌বিয ইবনু ‘আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আশুরার দিন ভোরে এক ব্যাক্তিকে মাদীনার পার্শ্ববর্তী আনসারী সাহাবীগণের জনপদে এ নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন, সে যেন করে ঘোষনা করে দেয় যে, সিয়ামরত অবস্হায় যার ভোর হয়েছে, সে যেন তার সওমকে পূর্ণ করে। আর যার ইফত্বার অবস্হায় ভোর হয়েছে, সে যেন তার দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার থেকে বিরত অবস্হায় পূর্ণ করে। এরপর আমরা এ দিন সাওম পালন করতাম এবং আমাদের ছোট ছোট সন্তানদেরকেও আল্লাহ চাহে তো সওম পালনে অভ্যস্ত করে তুলতাম। আমরা তাদেরকে মাসজিদে নিয়ে যেতাম এবং তাদের জন্য পশমের খেলনা বানিয়ে দিতাম। যখন তারা খাওয়ার জন্য কাঁদত, তখন আমরা তাদেরকে সে খেলনা প্রদান করতাম। এমনি করে ইফত্বারের সময় হয়ে যেত। (ই. ফা. ২৫৩৬ ই. সে. ২৫৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬০

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ الْعَطَّارُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ ذَكْوَانَ، قَالَ سَأَلْتُ الرُّبَيِّعَ بِنْتَ مُعَوِّذٍ عَنْ صَوْمِ، عَاشُورَاءَ قَالَتْ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رُسُلَهُ فِي قُرَى الأَنْصَارِ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ بِشْرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَنَصْنَعُ لَهُمُ اللُّعْبَةَ مِنَ الْعِهْنِ فَنَذْهَبُ بِهِ مَعَنَا فَإِذَا سَأَلُونَا الطَّعَامَ أَعْطَيْنَاهُمُ اللُّعْبَةَ تُلْهِيهِمْ حَتَّى يُتِمُّوا صَوْمَهُمْ ‏.

খালিদ ইবনু যাক্ওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি রুবায়’ই বিনতু মু’আব্‍‍বিয (রাঃ)-কে ‘আশুরার দিন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বার্তাবাহককে আনসারদের গ্রামে পাঠালেন …. হাদিসের বাকী অংশ বিশ্‍র বর্ণিত হাদিসের অনুরুপ। শুধু এতটুকু ব্যতিক্রম রয়েছে, আমরা এদের জন্য পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করতাম, এবং এগুলো আমাদের সাথেই নিয়ে যেতাম। এরা আমাদের কাছে খাবার চাইলে আমরা এ খেলনা এদের হাতে দিতাম। এটা তাদেরকে সিয়াম পূর্ণ করা পর্যন্ত ভুলিয়ে রাখত। (ই. ফা. ২৫৩৭ ই. সে. ২৫৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২ অধ্যায়ঃ

‘ঈদুল ফিতর ও ‘ঈদুল আযহার দিনে সিয়াম পালন করা হারাম

২৫৬১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ أَنَّهُ قَالَ: شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَجَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ هَذَيْنِ يَوْمَانِ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا يَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ وَالْآخَرُ يَوْمٌ تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ نُسُكِكُمْ

ইবনু আযহারের মুক্ত গোলাম আবূ ‘উবায়দ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ঈদের দিন ‘উমার ইবনু খাত্ত্বাব (রাঃ)–এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি সালাত আদায় সমাপ্ত করে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। এতে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’দিন সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন। ‘ঈদুল ফিতরের দিন, আর দ্বিতীয় হলো যেদিল তোমরা কুরবানীর গোশ্‍ত খেয়ে থাক। [৭] (ই. ফা. ২৫৩৮ ই. সে. ২৫৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭] ঈদুল ফিত্‍র এবং ঈদুল আযহার দিন সওম পালন করা হারাম। চাই তা মানসা করা বা নযর মানার সওম বা নাফ্‍ল সওমই হোক অথবা কাফ্‍ফারার সওম বা অন্যান্য সওম হোক। আর যদি বিশেষ করে ইচ্ছাকৃতভাবে ঐ দিনসমূহে মানসা করে তবে ইমাম শাফি’ঈ এবং অধিকাংশ ‘উলামার মতে তার ঐ মানসা সাব্যাস্তই হবে না। সওম পালন করা না করা পরের কথা, ফলে তার উপর কাযা করাও আবশ্যক নয়। অন্য পক্ষে ইমাম আবূ হানীফার মতে মানসা কার্যকর হবে এবং তার কাযা আদায় ওয়াজিব। ফলে অন্য কোন দিন সওম পালনে তা পূর্ণ হবে। কিন্তু এ কথা সকল ইমামের ব্যতিক্রম, ইমাম নাবাবীও এমনই বলেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬২

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمَيْنِ يَوْمِ الأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’দিন সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন – কুরবানীর ঈদের দিন আর ‘ঈদুল ফিত্‍রের দিন। (ই. ফা. ২৫৩৯ ই. সে. ২৫৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، – وَهُوَ ابْنُ عُمَيْرٍ – عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ مِنْهُ، حَدِيثًا فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ لَهُ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ أَسْمَعْ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَصْلُحُ الصِّيَامُ فِي يَوْمَيْنِ يَوْمِ الأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏”‏ ‏.

ক্বাযা’আহ্ থেকে আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, আমি তাঁর (আবূ সা’ঈদ) কাছে একটি হাদীস শুনলাম যা আমার অত্যন্ত পছন্দ হলো। আমি তাঁকে বললাম, আপনি এ হাদীস রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে শুনেছেন। তিনি বললেন, আমি যা শুনিনি এমন কথা তাঁর নামে চালিয়ে দিতে পারি? এবার তিনি বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ দু’দিন সিয়াম পালন করা সমীচীন নয়। কুরবানীর ঈদের দিন আর রমযানের ‘ঈদুল ফিতরের দিন। (ই. ফা. ২৫৪০ ই. সে. ২৫৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمَيْنِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ النَّحْرِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি দিন সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেনঃ ‘ঈদুল ফিত্‍রের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন। (ই. ফা. ২৫৪১ ই. সে. ২৫৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عُمَرَ – رضى الله عنهما – فَقَالَ إِنِّي نَذَرْتُ أَنْ أَصُومَ يَوْمًا فَوَافَقَ يَوْمَ أَضْحَى أَوْ فِطْرٍ ‏.‏ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رضى الله عنهما أَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى بِوَفَاءِ النَّذْرِ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ هَذَا الْيَوْمِ ‏.

যিয়াদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আমি একদিন সিয়াম পালন করব বলে মানৎ করেছি। ঘটনাক্রমে ঐ দিনই ‘ঈদুল আযহা বা ‘ঈদুল ফিত্‍রের দিন পড়েছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’আলা মানৎ পূর্ণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দিন সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন। (ই. ফা. ২৫৪২ ই. সে. ২৫৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৬

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمَيْنِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الأَضْحَى ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি দিন সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন। ‘ঈদুল ফিত্‍রের দিন এবং ‘ঈদুল আযহার দিন। (ই. ফা. ২৫৪৩ ই. সে. ২৫৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩. অধ্যায়ঃ

আইয়্যামে তাশরীক্বে সিয়াম পালন করা হারাম

২৫৬৭

وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ نُبَيْشَةَ، الْهُذَلِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ ‏”‏ ‏.

নুবায়শাহ্ আল হুযালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আইয়্যামে তাশরীক্ব হচ্ছে পানাহার করার দিন। (ই.ফা. ২৫৪৪, ই.সে. ২৫৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ نُبَيْشَةَ، قَالَ خَالِدٌ فَلَقِيتُ أَبَا الْمَلِيحِ فَسَأَلْتُهُ فَحَدَّثَنِي بِهِ، فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ هُشَيْمٍ وَزَادَ فِيهِ ‏ “‏ وَذِكْرٍ لِلَّهِ ‏”‏ ‏.

নুবায়শাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খালিদ বলেছেন, আমি আবুল মালীহি এর সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি, তিনি আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুশায়মের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে অতিরিক্ত রয়েছে যে, “এ দিন আল্লাহ্কে স্মরণ করার দিন।” (ই.ফা. ২৫৪৫, ই.সে. ২৫৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَهُ وَأَوْسَ بْنَ الْحَدَثَانِ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فَنَادَى ‏ “‏ أَنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ ‏.‏ وَأَيَّامُ مِنًى أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ ‏”‏ ‏.

ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এবং আওস ইবনু হাদাসান (রাঃ) –কে আইয়্যানে তাশরীক্বে একটি ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠালেন। অতঃপর তারা রসূলের বাণী ঘোষনা করে শুনিয়ে দিলেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করবে না, আর মিনায় অবস্থানের দিনগুলো হচ্ছে পানাহার করার দিন।” (ই.ফা. ২৫৪৬, ই.সে. ২৫৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭০

وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، بْنُ طَهْمَانَ بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَنَادَيَا ‏.‏

ইব্রাহীম ইবনু ত্বহমান (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে উল্লেখ আছে তারা উভয়ে ঘোষণা করলেন। (ই.ফা. ২৫৪৭, ই.সে. ২৫৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪. অধ্যায়ঃ

কেবলমাত্র জুমু’আর দিন সিয়াম পালন করা মাকরূহ

২৫৭১

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ – رضى الله عنهما – وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ أَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَقَالَ نَعَمْ وَرَبِّ هَذَا الْبَيْتِ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু ‘আব্বাস ইবনু জা’ফার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) যখন কা’বাহ্ ঘর প্রদক্ষিণ করছিলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি জুমু’আর দিন সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন? তিনি বললেন, কা’বাহ্ ঘরের প্রভুর শপথ! হ্যাঁ, তিনি নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ২৫৪৮, ই.সে. ২৫৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَنَّهُ سَأَلَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ – رضى الله عنهما – بِمِثْلِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

জাবির (রাঃ) থেকেও এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একই হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৫৪৯, ই.সে. ২৫৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَصُمْ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ أَنْ يَصُومَ قَبْلَهُ أَوْ يَصُومَ بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “জুমু’আর দিন কেউ যেন সিয়াম পালন না করে। কিন্তু যদি কেউ জুমু’আর দিনের আগে বা পরে একদিন সিয়াম পালন করে তাহলে সে জুমু’আর দিন সিয়াম পালন করতে পারে।” (ই.ফা, ২৫৫০, ই.সে. ২৫৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৪

وَحَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، – يَعْنِي الْجُعْفِيَّ – عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَخْتَصُّوا لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ بِقِيَامٍ مِنْ بَيْنِ اللَّيَالِي وَلاَ تَخُصُّوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ بِصِيَامٍ مِنْ بَيْنِ الأَيَّامِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ فِي صَوْمٍ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা রাতগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র জুমু’আর রাতকে জাগরণের (নৈশ ‘ইবাদাতের) জন্য নির্দিষ্ট করে নিও না, আর দিনগুলোর মধ্যে শুধু জুমু’আর দিনকে সিয়ামের জন্য নির্দিষ্ট করে নিও না। তবে যদি তোমাদের কেউ সর্বদা (নাফ্‌ল) সিয়াম পালন করে আর এ সিয়ামের (ধারাবাহিকতার) মধ্যে জুমু’আর দিন এসে যায় তাহলে ভিন্ন কথা। অর্থাৎ সে ঐদিন (নাফ্‌ল) সিয়াম পালন করতে পারে।” (ই.ফা. ২৫৫১, ই.সে. ২৫৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫. অধ্যায়ঃ

আল্লাহর বাণী –“আর যারা সিয়াম পালন করতে সক্ষম তারা ফিদ্‌ইয়াহ্ হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” – এ হুকুম মানসূখ হয়ে গেছে

২৫৭৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، – رضى الله عنه – قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ‏}‏ كَانَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُفْطِرَ وَيَفْتَدِيَ ‏.‏ حَتَّى نَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا ‏.

সালমাহ্ ইবনু আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “যারা সিয়াম পালন করতে সক্ষম (অথচ সিয়াম পালন করতে চায় না) তারা ফিদইয়াহ্ হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে” যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল, কেউ যদি রামাদানে সিয়াম পালন করতে না চাইতো সে সিয়াম ভাঙ্গত এবং তার পরিবর্তে ফিদইয়াহ্ আদায় করে দিত। অতঃপর এর পরবর্তি আয়াত অবতীর্ণ হলো এবং তা পূর্ববর্তী আয়াতের হুকুমকে মানসূখ (রহিত) করে দিল।” (ই.ফা. ২৫৫২, ই.সে. ২৫৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৬

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ، الْحَارِثِ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ قَالَ كُنَّا فِي رَمَضَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ فَافْتَدَى بِطَعَامِ مِسْكِينٍ حَتَّى أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ‏}

সালমাহ্ ইবনু আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে রমাযান মাসে আমাদের মধ্যে যার ইচ্ছা হত সিয়াম পালন করত আর যে চাইত ভঙ্গ করত এবং এর বিনিময়ে ফিদইয়াহ্ হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল, “কাজেই আজ হতে যে ব্যক্তিই এ মাসের সম্মুখিন হবে তার জন্য এ পূর্ণ মাসের সিয়াম পালন করা একান্ত কর্তব্য।” (ই.ফা. ২৫৫৩, ই.সে. ২৫৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬. অধ্যায়ঃ

শা’বান মাসে রামাদানের সিয়ামের ক্বাযা

২৫৭৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي، سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – تَقُولُ كَانَ يَكُونُ عَلَىَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَهُ إِلاَّ فِي شَعْبَانَ الشُّغُلُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)–কে বলতে শুনেছি, “আমার রামাযান মাসের সিয়াম অবশিষ্ট থেকে যেত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর খিদমতে ব্যস্ত থাকার কারণে আমি শা’বান মাস ছাড়া অন্য কোন সময়ে তা আদায় করার সুযোগ পেতাম না।” (ই.ফা. ২৫৫৪, ই.সে. ২৫৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৮

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَذَلِكَ لِمَكَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় পার্থক্য এতটুকু যে, তিনি বলেছেন, আর রামাযানের সিয়ামের ক্বাযা আদায়ের ব্যাপারে শা’বান পর্যন্ত বিলম্ব করার কারণ হল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খিদমতে নিযুক্ত থাকা। (ই.ফা. ২৫৫৫, ই.সে. ২৫৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭৯

وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، بْنُ سَعِيدٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَظَنَنْتُ أَنَّ ذَلِكَ لِمَكَانِهَا مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ يَحْيَى يَقُولُهُ ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদেও উপরের হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে তিনি আরো বলেছেন, আমার এরুপ দেরি করার কারণ ছিল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর খিদমতে ব্যস্ত থাকা। (ই.ফা. ২৫৫৬, ই.সে. ২৫৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮০

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرَا فِي الْحَدِيثِ الشُّغْلُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এ বর্ণনায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে তার ব্যস্ত থাকার কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৫৫৭, ই.সে. ২৫৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّهَا قَالَتْ إِنْ كَانَتْ إِحْدَانَا لَتُفْطِرُ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا تَقْدِرُ عَلَى أَنْ تَقْضِيَهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَأْتِيَ شَعْبَانُ ‏.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের (রসূলের স্ত্রীগণের) মধ্যে কেউ যদি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে সিয়াম ভঙ্গ করত তাহলে সে শা’বান মাস আসার পূর্বে কোন সময়ই রোযা করার সুযোগ পেত না। (ই.ফা. ২৫৫৮, ই.সে. ২৫৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭. অধ্যায়ঃ

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করার বর্ণনা

২৫৮২

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “কোন মৃত ব্যক্তির উপর ক্বাযা সিয়াম থাকলে তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে সিয়াম পূর্ণ করবে। (ই.ফা. ২৫৫৯, ই.সে. ২৫৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৩

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، الْبَطِينِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّ امْرَأَةً، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ أُمِّي مَاتَتْ وَعَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَيْهَا دَيْنٌ أَكُنْتِ تَقْضِينَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَدَيْنُ اللَّهِ أَحَقُّ بِالْقَضَاءِ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, আমার মা মারা গেছেন। তার এক মাসের সিয়াম বাকি আছে। তিনি বলেন, মনে কর তার (তোমার মায়ের) উপর যদি কোন ঋণ থাকত তাহলে কি তুমি তা পরিশোধ করতে? সে বলল, হ্যাঁ। এবার তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহর ঋণ (বা পাওনা) পরিশোধিত হবার সবচেয়ে বেশি হক্ব রয়েছে। (ই.ফা. ২৫৬০, ই.সে. ২৫৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৪

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ الْوَكِيعِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي مَاتَتْ وَعَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ أَفَأَقْضِيهِ عَنْهَا فَقَالَ ‏”‏ لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّكَ دَيْنٌ أَكُنْتَ قَاضِيَهُ عَنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَدَيْنُ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ يُقْضَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ فَقَالَ الْحَكَمُ وَسَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ جَمِيعًا وَنَحْنُ جُلُوسٌ حِينَ حَدَّثَ مُسْلِمٌ بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالاَ سَمِعْنَا مُجَاهِدًا يَذْكُرُ هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা মারা গেছেন এবং তাঁর এক মাসের সিয়াম বাকি আছে। আমি কি তার পক্ষ থেকে এটা আদায় করে দিব? তখন তিনি বললেন, যদি তোমার মায়ের উপর ঋণ থাকত তাহলে তুমি কি তা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করে দিতে? সে বলল, হ্যাঁ। এবার তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহর ঋণ তো পরিশোধিত হবার সবচেয়ে বেশি দাবীদার।

সুলায়মান বলেন, হাকাম ও সালামাহ্‌ ইবনু কুহায়ল উভয়ই বলেছেন, যখন মুসলিম আল্‌ বাতীন এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তখন আমরা উভয়ই সেখানে বসা ছিলাম। অতঃপর তারা উভয়ই বলেন, আমরা মুজাহিদকে এ হাদীসটি ইবনু ‘আব্বাসের সুত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি। (ই.ফা. ২৫৬১, ই.সে. ২৫৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَلَمَةَ، بْنِ كُهَيْلٍ وَالْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ وَمُسْلِمٍ الْبَطِينِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَعَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে এ সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একই হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৫৬২, ই.সে. ২৫৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৬

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ زَكَرِيَّاءَ، بْنِ عَدِيٍّ – قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، – أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ، بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي مَاتَتْ وَعَلَيْهَا صَوْمُ نَذْرٍ أَفَأَصُومُ عَنْهَا قَالَ ‏”‏ أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّكِ دَيْنٌ فَقَضَيْتِيهِ أَكَانَ يُؤَدِّي ذَلِكِ عَنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَصُومِي عَنْ أُمِّكِ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার মা তার মানতের সওম বাকি রেখেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে এটা পূর্ণ করবো?। তিনি বললেন, মনে কর তোমার মায়ের পক্ষ থেকে ঋণ বাকি ছিল। তুমি তা পরিশোধ করে দিলে। এতে কি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধ হয়ে যেত? সে (মহিলা) বলল, হ্যাঁ। এবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে সওম রেখে দাও। (ই.ফা. ২৫৬৩, ই.সে. ২৫৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৭

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ أَبُو الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، – رضى الله عنه – قَالَ بَيْنَا أَنَا جَالِسٌ، عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ إِنِّي تَصَدَّقْتُ عَلَى أُمِّي بِجَارِيَةٍ وَإِنَّهَا مَاتَتْ – قَالَ – فَقَالَ ‏”‏ وَجَبَ أَجْرُكِ وَرَدَّهَا عَلَيْكِ الْمِيرَاثُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ كَانَ عَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ أَفَأَصُومُ عَنْهَا قَالَ ‏”‏ صُومِي عَنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ إِنَّهَا لَمْ تَحُجَّ قَطُّ أَفَأَحُجُّ عَنْهَا قَالَ ‏”‏ حُجِّي عَنْهَا ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বসা ছিলাম। এমন সময় এক মহিলা তাঁর কাছে এসে বলল, আমার মাকে একটি দাসী দান করেছিলাম, আমার মা মারা গেছেন। তখন তিনি বললেন, তুমি তোমার সাওয়াবের অধিকারী হয়ে গেছ এবং ঐ দাসী উত্তরাধিকার সূত্রে পুনরায় তোমার মালিকানাধীনে ফিরে আসবে। সে (মহিলা) আবার বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাঁর এক মাসের সিয়াম বাকি আছে। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে এ সিয়াম পালন করতে পারি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাঁর পক্ষ থেকে তুমি সিয়াম পালন কর। আবার সে বলল, তিনি কখনো হাজ্জ করেননি। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে হাজ্জ করব? তিনি বললেন, তার পক্ষ থেকে হাজ্জও কর। (ই.ফা. ২৫৬৪, ই.সে. ২৫৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৮

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، – رضى الله عنه – قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ صَوْمُ شَهْرَيْنِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে বসা ছিলাম। …ইবনু মুসহিরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সূত্রে দু’ মাসের সওমের কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ২৫৬৫, ই.সে. ২৫৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮৯

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، – رضى الله عنه – قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ وَقَالَ صَوْمُ شَهْرٍ ‏.

ইবনু বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একজন স্ত্রীলোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে আসল। … উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সূত্রে এক মাসের সিয়ামের কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ২৫৬৬, ই.সে. ২৫৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯০

وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ سُفْيَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ صَوْمُ شَهْرَيْنِ ‏.

সুফ্ইয়ান থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে দু’মাসের সিয়ামের কথা উল্লেখ রয়েছে। (ই.ফা. ২৫৬৭, ই.সে. ২৫৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯১

وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، – رضى الله عنه – قَالَ أَتَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ وَقَالَ صَوْمُ شَهْرٍ ‏.

সুলায়মান ইবনু বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (বুরায়দাহ্) বলেন, এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে আসল। … পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সূত্রে এক মাসের সিয়ামের কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ২৫৬৮, ই.সে. ২৫৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮. অধ্যায়ঃ

সিয়াম অবস্থায় আমন্ত্রণ গ্রহণ করার বর্ণনা

২৫৯২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ رِوَايَةً وَقَالَ عَمْرٌو يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ زُهَيْرٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ ‏”‏‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ সিয়াম অবস্থায় আহার করার জন্য আমন্ত্রিত হয়, তখন সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী। (ই.ফা. ২৫৬৯, ই.সে. ২৫৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯. অধ্যায়ঃ

সিয়াম পালনকারীর জিহ্বার হিফাযাত

২৫৯৩

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – رِوَايَةً قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَصْبَحَ أَحَدُكُمْ يَوْمًا صَائِمًا فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَجْهَلْ فَإِنِ امْرُؤٌ شَاتَمَهُ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ إِنِّي صَائِمٌ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন তোমাদের কেউ কোনদিন সিয়াম অবস্থায় ভোরে উপনীত হয়, সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা ও জাহিলী আচরণ না করে। যদি কেউ তাকে গালাগালি করে বা তার সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতে উদ্যত হয় তখন সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী, আমি সিয়াম পালনকারী। (ই.ফা. ২৫৭০, ই.সে. ২৫৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০. অধ্যায়ঃ

সিয়ামের ফাযীলাত

২৫৯৪

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَامَ هُوَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخِلْفَةُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ “মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেন, মানব সন্তানের যাবতীয় কাজ তার নিজের জন্য। কিন্ত সিয়াম, এটা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব।” সে মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতের মুঠায় মুহাম্মাদের জীবন! নিশ্চয়ই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র কাছে কস্তুরীর সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। (ই.ফা. ২৫৭১, ই.সে. ২৫৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – وَهُوَ الْحِزَامِيُّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الصِّيَامُ جُنَّةٌ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। (ই.ফা. ২৫৭২, ই.সে. ২৫৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الزَّيَّاتِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَسْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ ‏.‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَلِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ بِفِطْرِهِ وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “মানব সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের সওয়াব দশ গুন থেকে সাতশ’ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়।” মহান আল্লাহ্‌ বলেন, “আদম সন্তানের যাবতীয় ‘আমাল তার নিজের জন্য কিন্ত সিয়াম বিশেষ করে আমার জন্যই রাখা হয়। আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব।” সুতরাং যখন তোমাদের কারো সওমের দিন আসে সে যেন ঐ দিন অশ্লীল কথাবার্তা না বলে এবং অনর্থক শোরগোল না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে বিবাদ করতে চায়, সে যেন বলে, “আমি একজন সিয়াম পালনকারী”। সে মহান আল্লাহ্‌র শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! সিয়াম পালনকারীদের মুখের দুর্গন্ধ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌র কাছে কস্তুরীর সুগন্ধির চেয়েও উত্তম হবে। আর সিয়াম পালনকারীদের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। এর মাধ্যমে সে অনাবিল আনন্দ লাভ করে। একটি হল যখন সে ইফত্বার করে তখন ইফত্বারীর মাধ্যমে আনন্দ পায় আর দ্বিতীয়টি হলো যখন সে তার প্রভুর সাথে মিলিত হবে তখন সে তার সিয়ামের জন্য আনন্দিত হবে।” (ই.ফা. ২৫৭৩, ই.সে. ২৫৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ ‏.‏ وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “মানব সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের সাওয়াব দশ গুন থেকে সাতশ’ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ্‌ বলেন, “কিন্তু সিয়াম আমারই জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিফল দান করব। বান্দা আমারই জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।” সিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দ আছে। একটি তার ইফত্বারের সময় এবং অপরটি তার প্রতিপালক আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাতের সময়। সিয়াম পালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়। (ই.ফা. ২৫৭৪, ই.সে. ২৫৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ – رضى الله عنهما – قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ إِنَّ الصَّوْمَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ إِنَّ لِلصَّائِمِ فَرْحَتَيْنِ إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ وَإِذَا لَقِيَ اللَّهَ فَرِحَ ‏.‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ ও আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, “সিয়াম আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিফল দান করব।” সিয়াম পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। একটি হলো যখন সে ইফত্বার করে আনন্দিত হয়, অপরটি হলো যখন সে মহান আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সে আনন্দিত হবে। সে মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! নিশ্চয়ই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ্ তা’আলার কাছে মিশ্কের সুগন্ধের চেয়েও তীব্র। [৮] (ই.ফা. ২৫৭৫, ই.সে. ২৫৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮] ইফত্বারের সময় খুশির কারণ হলো, মহান আল্লাহ্ তা’আলার অপার অনুগ্রহ সাহায্য এবং তাওফীকের কারণে এ রকম একটি ফাযীলত ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে পেরেছে, আর এ সময় দুনিয়ার যাবতীয় হালাল বস্তু আহার করা তার জন্য হালাল এবং এ সওম পূর্ণ হওয়ার কারণে সে পরকালীন সুখ-শান্তির আশাবাদী হলো।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯৯

وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلِيطٍ الْهُذَلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – حَدَّثَنَا ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ، – وَهُوَ أَبُو سِنَانٍ – بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ وَقَالَ ‏ “‏ إِذَا لَقِيَ اللَّهَ فَجَزَاهُ فَرِحَ ‏”‏ ‏.

যিরার ইবনু মুর্‌রাহ্‌ (রহঃ) অর্থাৎ আবূ সিমান থেকে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীস অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে আরো আছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন সিয়াম পালনকারী আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাৎ করবে এবং তিনি তাকে প্রতিদান দিবেন তখন সে আনন্দিত হবে। [৯] (ই.ফা. ২৫৭৬, ই.সে. ২৫৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯] আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাতের সময় খুশি এজন্য যে, আল্লাহ্ তার অপার রহমত ও দয়ায় ‘ইবাদাত কবূল করেছেন এবং যে সাওয়াব ও প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি করেছিলেন তা পূর্ণ হয়ে গেল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، – وَهُوَ الْقَطَوَانِيُّ – عَنْ سُلَيْمَانَ، بْنِ بِلاَلٍ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ يَدْخُلُ مَعَهُمْ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَدْخُلُونَ مِنْهُ فَإِذَا دَخَلَ آخِرُهُمْ أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ ‏”‏ ‏.

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে ‘রাইয়্যান’ নামক একটি দরজা আছে। ক্বিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে সিয়াম পালনকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর সিয়াম পালনকারীগণ ছাড়া অন্য কেউ তাদের সাথে এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ক্বিয়ামতের দিন সিয়াম পালনকারীদের ডেকে বলা হবে, সিয়াম পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অতঃপর সিয়াম পালনকারীদের শেষ লোকটি প্রবেশ করার সাথে সাথে তা বন্ধ করে দেয়া হবে। অতঃপর সে দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (ই.ফা. ২৫৭৭, ই.সে. ২৫৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস