মুসলিম মসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহ অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ১৩৫৮ – ১৪৫৪

৪২. অধ্যায়ঃ

জামা‘আতে সলাত আদায়ের ফযীলত এবং তা পরিত্যাগকারীর প্রতি কঠোরতা

১৩৫৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা‘আতে সলাত আদায় করা তোমাদের কারো একাকী সলাত আদায় করার চাইতে পঁচিশ গুণ বেশী উত্তম। (ই.ফা.১৩৪৫, ই.সে.১৩৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ تَفْضُلُ صَلاَةٌ فِي الْجَمِيعِ عَلَى صَلاَةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَتَجْتَمِعُ مَلاَئِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏{‏ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا‏}

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা‘আতের সাথে সলাত আদায় করা একাকী সলাত আদায় করার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশী উত্তম। তিনি আরো বলেছেনঃ রাতের কর্তব্যরত মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) এবং দিনের কর্তব্যরত মালায়িকাহ্ ফাজ্বরের সলাতের সময় একত্র হয় | এ কথা বলে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, এক্ষেত্রে তোমরা ইচ্ছা করলে কুরআনের আয়াতটি পাঠ করো – (আরবী) অর্থাৎ- “ফাজরের ওয়াক্তের কুরআন পাঠে উপস্থিত থাকে”- (সূরাহ্ ইসরা ১৭:৭৮)। (ই.ফা.১৩৪৬, ই.সে.১৩৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬০

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি ……। তবে আবূ বাকর ইবনু ইসহাক্ব তার বর্ণিত হাদীসে (আরবী) এর পরিবর্তে (আরবী) কথাটি উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.১৩৪৬, ই.সে.১৩৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬১

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ سَلْمَانَ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَعْدِلُ خَمْسًا وَعِشْرِينَ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক ওয়াক্ত সলাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা পঁচিশ ওয়াক্ত একাকী সলাত আদায় করার সমান। (ই.ফা.১৩৪৮, ই.সে.১৩৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬২

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ أَبِي الْخُوَارِ، أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ جَالِسٌ مَعَ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ إِذْ مَرَّ بِهِمْ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ خَتَنُ زَيْدِ بْنِ زَبَّانٍ مَوْلَى الْجُهَنِيِّينَ فَدَعَاهُ نَافِعٌ فَقَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صَلاَةٌ مَعَ الإِمَامِ أَفْضَلُ مِنْ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلاَةً يُصَلِّيهَا وَحْدَهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমামের সাথে এক ওয়াক্ত সলাত আদায় করা একাকী পঁচিশ ওয়াক্ত সলাত আদায় করার চেয়েও উত্তম। (ই.ফা.১৩৪৯, ই.সে.১৩৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা‘আতের সাথে সলাত আদায় করা সলাত একাকী আদায় করা সলাত থেকে সাতাশ গুণ অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। (ই.ফা.১৩৫০, ই.সে.১৩৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৪

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ وَحْدَهُ سَبْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির জামা‘আতে সলাত আদায় করা তার একাকী আদায় করা সলাত থেকে সাতাশ গুণ অধিক (মর্যাদাসম্পন্ন)। (ই.ফা.১৩৫১, ই.সে.১৩৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، ‏”‏ بِضْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَتِهِ ‏”‏ سَبْعًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

ইবনু নুমায়র (রহঃ) তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

যে হাদীস বর্ণনা করেছেন তাতে “বিশগুণের কিছু বেশী” মর্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন। আর আবূ বাকর (রহঃ) -এর বর্ণনায় “সাতাশগুণ” মর্যাদার কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা.১৩৫২, ই.সে.১৩৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৬

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ رَافِعٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ بِضْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিশগুণের চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন। [১] (ই.ফা.১৩৫৩, ই.সে.১৩৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] মর্যাদা বেশী কম হওয়া বিষয়ে নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণ হ’ল সলাত আদায়কারী ব্যক্তির বিনয়, নম্রতা ও সুন্দরভাবে পূর্ণরূপে সলাত আদায় করার অবস্থানুপাতে সাওয়াব লাভ করার মর্যাদার পার্থক্য হবে | (শারহে মুসলিম-১ম খন্ড ২৩১ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৭

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَدَ نَاسًا فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فَقَالَ ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنْهَا فَآمُرَ بِهِمْ فَيُحَرِّقُوا عَلَيْهِمْ بِحُزَمِ الْحَطَبِ بُيُوتَهُمْ وَلَوْ عَلِمَ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا لَشَهِدَهَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي صَلاَةَ الْعِشَاءِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক ওয়াক্ত সলাত জামা‘আতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু সংখ্যক লোককে না পেয়ে বললেনঃ আমি ইচ্ছা করেছি যে, কোন জনৈক ব্যক্তিকে আমি সলাতে ইমামাত করার আদেশ করি এবং যারা সলাতে জামা‘আতে আসে না তাদের কাছে যাই এবং কাঠ-খড় দ্বারা আগুন জ্বালিয়ে তাদের বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দিতে আদেশ করি। তাদের কেউ যদি জানত যে তারা একখন্ড গোশত হাড্ডি পাবে তাহলে তারা তাতে অবশ্যই উপস্থিত হত। অর্থাৎ- ‘ইশার সলাতে (উপস্থিত হত)। (ই.ফা.১৩৫৪, ই.সে.১৩৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৮

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ أَثْقَلَ صَلاَةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلاَةُ الْعِشَاءِ وَصَلاَةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘ইশা ও ফাজরের সলাত আদায় করা মুনাফিক্বদের সর্বাপেক্ষা কঠিন। তারা যদি জানত যে, এ দু’টি সলাতের পুরষ্কার বা সাওয়াব কত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে বুক হেঁচড়ে হলেও তারা এ দু’ওয়াক্ত জামাআতে উপস্থিত হত | আমি ইচ্ছা করেছি সলাত আদায় করার আদেশ দিয়ে কাউকে ইমামতি করতে বলি। আর আমি কিছু লোককে নিয়ে জ্বালানী কাঠের বোঝাসহ যারা সলাতের জামা‘আতে আসে না তাদের কাছে যাই এবং আগুন দিয়ে তাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দেই। (ই.ফা.১৩৫৫, ই.সে.১৩৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৬৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَانِي أَنْ يَسْتَعِدُّوا لِي بِحُزَمٍ مِنْ حَطَبٍ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ تُحَرَّقُ بُيُوتٌ عَلَى مَنْ فِيهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কিছু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে একটি হাদীস হলো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি মনস্থ করেছি যে, লোকজনকে জ্বালানী কাঠের স্তূপ করতে বলি। তারপর একজনকে সলাতে ইমামাত করতে আদেশ করি এবং লোকজনসহ গিয়ে তাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দেই, যারা জামা‘আতে উপস্থিত হয় না। (ই.ফা.১৩৫৬, ই.সে.১৩৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭০

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.১৩৫৭, ই.সে.১৩৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭১

وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، سَمِعَهُ مِنْهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِقَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُحَرِّقَ عَلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ بُيُوتَهُمْ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জুমু’আর সলাত আদায় করতে আসে না এমন এক দল লোক সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার ইচ্ছা হয় যে, জনৈক ব্যক্তিকে সলাতে ইমামত করার নির্দেশ দেই আর আমি গিয়ে যারা জুমু’আর সলাত আদায় করতে আসে না, আগুন লাগিয়ে তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেই। (ই.ফা.১৩৫৮, ই.সে.১৩৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি আযান শুনে তার জন্য মাসজিদে আসা ওয়াজিব

১৩৭২

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، – قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا الْفَزَارِيُّ، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَصَمِّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ أَعْمَى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ لِي قَائِدٌ يَقُودُنِي إِلَى الْمَسْجِدِ ‏.‏ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرَخِّصَ لَهُ فَيُصَلِّيَ فِي بَيْتِهِ فَرَخَّصَ لَهُ فَلَمَّا وَلَّى دَعَاهُ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَجِبْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক অন্ধ লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এসে বলল ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে ধরে মাসজিদে নিয়ে আসার মতো কেউ নেই’। অতঃপর তাকে বাড়ীতে সলাত আদায় করার অনুমতি প্রদান করার জন্য সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – এর কাছে আবেদন জানাল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বাড়ীতে সলাত আদায় করার অনুমতি দিলেন। কিন্তু যে সময় লোকটি ফিরে যেতে উদ্যত হলো তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন? তুমি কি সলাতের আযান শুনতে পাও? সে বলল, হ্যাঁ (আমি আযান শুনতে পাই)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তাহলে তুমি মাসজিদে আসবে। (ই.ফা.১৩৫৯, ই.সে.১৩৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪. অধ্যায়ঃ

জামা’আতের সাথে সলাত আদায় করা হিদায়াতের শামিল

১৩৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلاَةِ إِلاَّ مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ أَوْ مَرِيضٌ إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلاَةَ – وَقَالَ – إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَنَا سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى الصَّلاَةَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাদের ধারণা হলো মুনাফিক্ব যার নিফাক্ব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং রুগ্ন ব্যক্তি ছাড়া কেউই সলাতের জামা’আত পরিত্যাগ করেনা। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – এর সময় রুগ্ন ব্যক্তিও দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে সলাতের জামা’আতে উপস্থিত হত। তিনি আরো বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের হিদায়াতের কথা শিখিয়েছেন। আর হিদায়াতের কথা ও পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো সে মসজিদে গিয়ে সলাত আদায় করা যে মাসজিদে আযান দেয়া হয়েছে। (ই.ফা.১৩৬০, ই.সে.১৩৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللَّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগামীকাল ক্বিয়ামাতের দিন মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ পেতে আনন্দবোধ করে, সে যেন ঐ সলাতের রক্ষণাবেক্ষণ করে, যেসব সলাতের জন্য আযান দেয়া হয়। কেননা, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের নাবীর জন্য হিদায়াতের পন্থা পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করেছেন। আর এসব সলাতও হিদায়াতের পন্থা পদ্ধতি, যেমন জনৈক ব্যক্তি সলাতের জামা’আতে উপস্থিত না হয়ে বাড়ীতে সলাত আদায় করে থাকে, অনুরূপ তোমরাও যদি তোমাদের বাড়ীতে সলাত আদায় করো তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত বা পন্থা-পদ্ধতি পরিত্যাগ করলে। আর তোমরা যদি এভাবে তোমাদের নাবীর সুন্নাত বা পদ্ধতি পরিত্যাগ করো তাহলে অবশ্যই পথ হারিয়ে ফেলবে। কেউ যদি অতি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সলাত আদায় করার জন্য) কোন একটি মাসজিদে উপস্থিত হয় তাহলে মাসজিদে যেতে সে যতবার পদক্ষেপ ফেলবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং একটি করে পাপ দূর করে দেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমরা মনে করি যার মুনাফিক্বী সর্বজনবিদিত এমন মুনাফিক্ব ছাড়া কেউ-ই জামা’আতে সলাত আদায় করা ছেড়ে দেয় না। অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর যামানায় এমন ব্যক্তি জামা’আতে উপস্থিত হত যাকে দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে এসে সলাতের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত। (ই.ফা.১৩৬১, ই.সে.১৩৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫. অধ্যায়ঃ

জামা’আতের সাথে ‘ইশা ও ফাজরের সলাত আদায় করার ফযীলত

১৩৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، قَالَ كُنَّا قُعُودًا فِي الْمَسْجِدِ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْمَسْجِدِ يَمْشِي فَأَتْبَعَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ بَصَرَهُ حَتَّى خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবুশ্ শা’সা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) – এর সাথে মাসজিদে বসেছিলাম। ইতোমধ্যে মুয়াযযিন (সলাতের জন্য) আযান দিলো। এ সময়ে জনৈক ব্যক্তি মসজিদ থেকে উঠে চলে যেতে থাকল। আর আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তার প্রতি তাকিয়ে দেখতে থাকলেন। লোকটি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেল। এ দেখে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেনঃ এ ব্যক্তি তো আবুল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – এর নীতি ও পদ্ধতির নাফরমানী করল। (ই.ফা.১৩৬২, ই.সে.১৩৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৬

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – هُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ – عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ الْمُحَارِبِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَرَأَى، رَجُلاً يَجْتَازُ الْمَسْجِدَ خَارِجًا بَعْدَ الأَذَانِ فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবুশ্ শা’সা আল মুহারিবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আযানের পর জনৈক ব্যক্তিকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে দেখে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, এ লোকটি তো আবুল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আদেশ লঙ্ঘন করল। (ই.ফা.১৩৬৩, ই.সে.১৩৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬. অধ্যায়ঃ

মুয়ায্‌যিন আযান দিলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিষেধ

১৩৭৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ – حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، قَالَ دَخَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ الْمَسْجِدَ بَعْدَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ فَقَعَدَ وَحْدَهُ فَقَعَدْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুর রহ্‌মান ইবনু আবূ ‘আম্‌রাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন মাগরিবের সলাতের পর ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান মাসজিদে এসে একাকী এক জায়গায় বসলেন। তখন আমি তার কাছে গিয়ে বসলাম। তিনি আমাকে বললেন – ভাতিজা, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জামা’আতের সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করল সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত সলাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফাজ্‌রের সলাত জামা’আতের সাথে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে সলাত আদায় করল। (ই.ফা. ১৩৬৪, ই.সে. ১৩৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৮

وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَسَدِيُّ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.

আবূ সাহ্‌ল ‘উসমান ইবনু হাকীম থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৬৫, ই.সে. ১৩৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৭৯

وَحَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ – عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ اللَّهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ فَيُدْرِكَهُ فَيَكُبَّهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.

জুনদুব ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফাজ্‌রের সলাত আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো। আর আল্লাহ তোমাদের কারো কাছে তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তাদানের বিনিময়ে কোন অধিকার দাবী করেন না। যদি করেন তাহলে তাকে এমনভাবে পাকড়াও করবেন যে, উল্টিয়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। (ই.ফা. ১৩৬৬, ই.সে. ১৩৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮০

وَحَدَّثَنِيهِ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا الْقَسْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةَ الصُّبْحِ فَهْوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ اللَّهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ فَإِنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ يُدْرِكْهُ ثُمَّ يَكُبَّهُ عَلَى وَجْهِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জুনদুব (ইবনু ‘আবদুল্লাহ) আল ক্বাসরীকে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফাজ্‌রের সলাত আদায় করল সে আল্লাহর নিরাপত্তা লাভ করল। আর আল্লাহ তা’আলা যদি তাঁর নিরাপত্তা প্রদানের হাক্ব কারো থেকে দাবী করে বসেন তাহলে সে আর রক্ষা পাবে না। তাই তাকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। (ই.ফা. ১৩৬৭, ই.সে. ১৩৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ هَارُونَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جُنْدَبِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ فَيَكُبَّهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.

জুনদুব ইবনু সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে তিনি “তাকে উল্টিয়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন” কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৩৬৮, ই.সে. ১৩৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অধ্যায়ঃ

কোন ওযরবশতঃ জামা’আতে শারীক না হওয়া

১৩৮২

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ وَهُوَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ أَنْكَرْتُ بَصَرِي وَأَنَا أُصَلِّي لِقَوْمِي وَإِذَا كَانَتِ الأَمْطَارُ سَالَ الْوَادِي الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ وَلَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ آتِيَ مَسْجِدَهُمْ فَأُصَلِّيَ لَهُمْ وَدِدْتُ أَنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَأْتِي فَتُصَلِّي فِي مُصَلًّى ‏.‏ فَأَتَّخِذَهُ مُصَلًّى ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ سَأَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِتْبَانُ فَغَدَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ حِينَ ارْتَفَعَ النَّهَارُ فَاسْتَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَذِنْتُ لَهُ فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَشَرْتُ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ الْبَيْتِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرَ فَقُمْنَا وَرَاءَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ – قَالَ – وَحَبَسْنَاهُ عَلَى خَزِيرٍ صَنَعْنَاهُ لَهُ – قَالَ – فَثَابَ رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ الدَّارِ حَوْلَنَا حَتَّى اجْتَمَعَ فِي الْبَيْتِ رِجَالٌ ذَوُو عَدَدٍ فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ ذَلِكَ مُنَافِقٌ لاَ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَقُلْ لَهُ ذَلِكَ أَلاَ تَرَاهُ قَدْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ يُرِيدُ بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّمَا نَرَى وَجْهَهُ وَنَصِيحَتَهُ لِلْمُنَافِقِينَ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ ثُمَّ سَأَلْتُ الْحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيَّ – وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ وَهُوَ مِنْ سَرَاتِهِمْ – عَنْ حَدِيثِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ فَصَدَّقَهُ بِذَلِكَ ‏.

মাহ্‌মূদ ইবনুর রাবী’ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আনসারী সহাবী ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। অথচ আমি আমার ক্বওমের লোকদের ইমামাত করি। কিন্তু বৃষ্টি হলে তাদের ও আমার এলাকার মধ্যবর্তী উপত্যকা প্লাবিত হয়ে যায়। তাই আমি মাসজিদে গিয়ে সলাত আদায় করাতে পারি না। (এভাবে আমিও জামা’আতে সলাত আদায় করা থেকে বঞ্চিত হই) হে আল্লাহর রসূল! তাই আমার আকাঙ্ক্ষা হলো, আপনি আমার বাড়ীতে গিয়ে একটি জায়গায় সলাত আদায় করবেন। সে স্থানটিকে আমি আমার সলাতের স্থান হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিব। হাদীস বর্ণনাকারী মাহমূদ ইবনুর রাবী’ আল আনসারী বলেন, এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগীর আমি তা করব। ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আল আনসারী বলেন: পরদিন সকালে কিছুটা বেলা হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) আসলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমার বাড়ীতে প্রবেশের) অনুমতি চাইলেন। আমি তাকে অনুমতি দিলে তিনি বাড়ীর ভিতরে গিয়ে না বসেই সোজা ঘরে প্রবেশ করলেন এবং আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। ঘরের কোন্‌ স্থানে সলাত আদায় করলে তোমার ভাল হয়? আমি তখন তাকে ঘরের এক কোণের দিকে ইশারা করে দেখিয়ে দিলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে সলাত আদায় করতে দাঁড়ালেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমা বললে আমরাও তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি দু’ রাক’আত সলাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আল আনসারী বলেন – আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর জন্য ছোট ছোট টুকরা করে যে গোশ্‌ত পাক করেছিলাম তা খাওয়ার জন্য তাঁকে তৎক্ষণাৎ চলে যেতে বাধা দিলাম। ইতোমধ্যে (খবর ছড়িয়ে পড়াতে) আমাদের আশে-পাশের বাড়ীর লোকজন ছুটে আসল। শেষ পর্যন্ত ঘরে বেশ কিছু সংখ্যক লোক জমে গেল। তাদের মধ্যে একজন বলল, মালিক ইবনুদ্‌ দুখশুন কোথায়? (তাকে তো দেখছি না!) অন্য একজন বলে উঠল, আরে, সে তো মুনাফিক্ব। সে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলকে মোটেই পছন্দ করে না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার সম্পর্কে এভাবে বলো না। তুমি কি মনে করো না যে, সে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” বলেছে। অর্থাৎ- “আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই” বলে বিশ্বাস করেছে। ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আল আনসারী বলেন, এ কথা শুনে উপস্থিত সবাই বলল, আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই এ ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। একজন বলল, আমরা দেখি, সে মুনাফিক্বদের সাথে হাসিমুখে আলাপ করে এবং তাদের (উপদেশ দানের মাধ্যমে) কল্যাণ কামনা করে বা তাদের সাথে সলাপরামর্শ করে। (এ কথা শুনে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই বলে ঘোষণা করেছে, আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করেছেন। বর্ণনাকারী ইবনু শিহাব বলেন- পরে আমি বানী সালিম গোত্রের নেতৃস্থানীয় হুসায়ন ইবনু মুহাম্মাদ আনসারীকে মাহমূদ ইবনুর রাবী’ বর্ণিত হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি হাদীসটির সত্যতা স্বীকার করলেন। (ই.ফা. ১৩৬৯, ই.সে. ১৩৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَحْمُودُ بْنُ رَبِيعٍ، عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ أَوِ الدُّخَيْشِنِ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ مَحْمُودٌ فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ نَفَرًا فِيهِمْ أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا أَظُنُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا قُلْتَ – قَالَ – فَحَلَفْتُ إِنْ رَجَعْتُ إِلَى عِتْبَانَ أَنْ أَسْأَلَهُ – قَالَ – فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَوَجَدْتُهُ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ وَهُوَ إِمَامُ قَوْمِهِ فَجَلَسْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِيهِ كَمَا حَدَّثَنِيهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ ثُمَّ نَزَلَتْ بَعْدَ ذَلِكَ فَرَائِضُ وَأُمُورٌ نُرَى أَنَّ الأَمْرَ انْتَهَى إِلَيْهَا فَمَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لاَ يَغْتَرَّ فَلاَ يَغْتَرَّ ‏.

‘ইত্‌বান ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে গেলাম। তবে এ হাদীসে তিনি এতটুকু অধিক বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি বলে উঠল, মালিক ইবনুদ্‌ দুখশুন অথবা বলল (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) মালিক ইবনুদ্‌ দুখায়শিন কোথায়? তিনি হাদীসটিতে এতটুকু কথা অধিক বলেছেন যে, মাহমূদ ইবনুর রাবী’ বলেছেন, আমি এ হাদীসটি একদল লোকের কাছে বর্ণনা করলাম। তাদের মধ্যে (সহাবা) আবূ আইয়ূব আল আনসারীও ছিলেন। তিনি বললেন, তুমি যা বললে আমার মনে হয় না রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা বলেছেন। মাহমূদ ইবনুর রাবী’ বলেন, এ কথা শুনে আমি এ মর্মে শপথ করলাম যে ‘ইত্‌বান ইবনু মালিককে আবার জিজ্ঞেস করার জন্য তার কাছে ফিরে যাব। তিনি বলেছেনঃ অতঃপর আমি তার কাছে গেলাম। তখন তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তিও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন তার ক্বওমের ইমাম। আমি গিয়ে পাশে বসে এ হাদীসটি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি আমাকে প্রথমবারের মতো করে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনালেন। হাদীসটির বর্ণনাকারী যুহরী বলেছেন, এ ঘটনার পরেও আরো অনেক ফারয ও অন্যান্য বিষয়ে হুকুম আহ্‌কাম অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা মনে করি যে, (হুকুম-আহ্‌কামের) বিষয়টি এর পরেই শেষ হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি ধোঁকায় পড়তে না চায়, সে যেন এর দ্বারা ধোঁকায় না পড়ে। (ই.ফা. ১৩৭০, ই.সে. ১৩৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৪

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، قَالَ إِنِّي لأَعْقِلُ مَجَّةً مَجَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ دَلْوٍ فِي دَارِنَا ‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ فَحَدَّثَنِي عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَصَرِي قَدْ سَاءَ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ إِلَى قَوْلِهِ فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ وَحَبَسْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَشِيشَةٍ صَنَعْنَاهَا لَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ مِنْ زِيَادَةِ يُونُسَ وَمَعْمَرٍ ‏.

মাহমূদ ইবনুর রাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাড়ীতে একটি বালতি থেকে পানি নিয়ে যে কুল্লি করেছিলেন তা এখনো আমার মনে আছে। মাহমূদ ইবনুর রাবী বলেন, ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এভাবে হাদীসটি বর্ণনা করে, “তিনি আমাদের সাথে নিয়ে দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন। আর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য পাকানো জাশীশাহ্‌ নামক খাবার খেতে তাকে ঠেকিয়ে রাখলাম পর্যন্ত” উল্লেখ করলেন। তবে এরপর ইউনুস ও মা’মার বর্ণিত অতিরিক্ত কথাটুকু তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৩৭১, ই.সে. ১৩৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অধ্যায়ঃ

জামা’আতে নাফ্‌ল সলাত এবং চাটাই, মুসল্লা ও কাপড় ইত্যাদি পবিত্র বস্তুর উপর সলাত আদায় জায়িয

১৩৮৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَدَّتَهُ، مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَتْهُ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ قُومُوا فَأُصَلِّيَ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قَدِ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ فَنَضَحْتُهُ بِمَاءٍ فَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَفَفْتُ أَنَا وَالْيَتِيمُ وَرَاءَهُ وَالْعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا فَصَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তাঁর দাদী মুলায়কাহ্‌ তার নিজের হাতে প্রস্তুত একটি খাবার খেতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে দা’ওয়াত দিলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা খেলেন। খাওয়া শেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা সবাই উঠে দাঁড়াও, আমি তোমাদের (বারাকাত বা শিক্ষাদানের) জন্য সলাত আদায় করব। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমি উঠে গিয়ে আমাদের একটি চাটাইয়ের উপর দাঁড়ালাম যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে কালো বর্ণ ধারণ করেছিল। আমি সেটির উপর কিছু পানি ছিটিয়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ চাটাইয়ের উপর দাঁড়ালেন। আর বৃদ্ধা মহিলারা দাঁড়ালেন পিছনে। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সাথে নিয়ে দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন এবং তারপর চলে গেলেন। (ই.ফা. ১৩৭২, ই.সে. ১৩৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৬

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ شَيْبَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا فَرُبَّمَا تَحْضُرُ الصَّلاَةُ وَهْوَ فِي بَيْتِنَا فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ ثُمَّ يُنْضَحُ ثُمَّ يَؤُمُّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا وَكَانَ بِسَاطُهُمْ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আখলাক্ব বা নৈতিক চরিত্রের বিচারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন সর্বোত্তম মানুষ। অনেক সময় এমন হয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ঘরে থাকতেই সলাতের সময় হয়ে গেছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বিছানার উপর থাকতেন সেটিই ঝেড়ে ফেলে পানি ছিটিয়ে দিতে বলতেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের ইমামাত করতেন। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াতাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করতেন।

বর্ণনাকারী (আবূ তাইয়্যাহ্‌) বলেনঃ তাঁর (আনাস ইবনু মালিক-এর) বাড়ীর বিছানা খেজুর পাতায় তৈরি ছিল। (ই.ফা. ১৩৭৩, ই.সে. ১৩৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৭

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْنَا وَمَا هُوَ إِلاَّ أَنَا وَأُمِّي وَأُمُّ حَرَامٍ خَالَتِي فَقَالَ ‏”‏ قُومُوا فَلأُصَلِّيَ بِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلاَةٍ فَصَلَّى بِنَا ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ لِثَابِتٍ أَيْنَ جَعَلَ أَنَسًا مِنْهُ قَالَ جَعَلَهُ عَلَى يَمِينِهِ ‏.‏ ثُمَّ دَعَا لَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ بِكُلِّ خَيْرٍ مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ فَقَالَتْ أُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ خُوَيْدِمُكَ ادْعُ اللَّهَ لَهُ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا لِي بِكُلِّ خَيْرٍ وَكَانَ فِي آخِرِ مَا دَعَا لِي بِهِ أَنْ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيهِ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাড়ীতে আসলেন। তখন সেখানে শুধু আমি, আমার মা এবং আমার খালা উম্মু হারাম ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) [আমাদের লক্ষ্য করে বললেন,] উঠো, আমি তোমাদের নিয়ে সলাত আদায় করব। তখন কোন ফরয সলাতের ওয়াক্ত ছিল না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন। জনৈক ব্যক্তি (হাদীস বর্ণনাকারী) সাবিতকে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনাসকে তাঁর কোন্‌ পাশে দাঁড় করিয়েছিলেন? তিনি (সাবিত) বললেনঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডান পাশে দাঁড় করিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পরিবারের সবার জন্য দুন্‌ইয়া ও আখিরাতের সব রকম কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন। আমার মাতা তখন বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার এ ক্ষুদ্র খাদিমের (আনাসের) জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার জন্য সব রকমের কল্যাণের দু’আ করলেন। দু’আর শেষভাগে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বললেন তা হলো : হে আল্লাহ! তার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দাও এবং এতে তাকে বারাকাত দান করো। (ই.ফা. ১৩৭৪, ই.সে. ১৩৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৮

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُخْتَارِ، سَمِعَ مُوسَى بْنَ أَنَسٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِ وَبِأُمِّهِ أَوْ خَالَتِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ وَأَقَامَ الْمَرْأَةَ خَلْفَنَا ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এবং তার মা অথবা খালাকে সাথে করে সলাত আদায় করলেন। তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর ডানে দাঁড় করালেন এবং মেয়েদের পিছনে দাঁড় করালেন। (ই.ফা. ১৩৭৫, ই.সে. ১৩৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৮৯

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

শু’বাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৭৫, ই.সে. ১৩৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا حِذَاءَهُ وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ وَكَانَ يُصَلِّي عَلَى خُمْرَةٍ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর স্ত্রী মায়মূনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশেই থাকতাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন তখন কোন কোন সময় তাঁর কাপড় আমার শরীর স্পর্শ করত। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৩৭৬, ই.সে. ১৩৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯১

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَهُ يُصَلِّي عَلَى حَصِيرٍ يَسْجُدُ عَلَيْهِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (একদিন) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করছেন এবং চাটাইয়ের উপরই সাজদাহ্ করছেন। (ই.ফা. ১৩৭৭, ই.সে. ১৩৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অধ্যায়ঃ

ফারয সলাত জামা’আতে আদায়ের ফাযীলত এবং সলাতের জন্য অপেক্ষা করা

১৩৯২

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ، كُلُّهُمْ عَنِ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّهُمْ لَمْ يَقُولُوا خَلْفَ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাসজিদে জামা’আতের সাথে সলাত আদায় করলে তা তার বাড়ীতে বা বাজারে সলাত আদায় করার চেয়ে বিশগুণেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। কারণ কোন লোক যখন সলাতের জন্য ওযূ করে এবং ভালভাবে ওযূ করে মাসজিদে আসে তাকে সলাত ছাড়া আর কিছুই মাসজিদে আনে না; আর সে সলাত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যও পোষণ করে না। সুতরাং এ উদ্দেশে সে যখনই পদক্ষেপ করে তখন থেকে মাসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত তার প্রতিটি নেকীর বদলে ঐ ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি করে পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর মাসজিদে প্রবেশ করার পর যতক্ষণ সে সলাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ততক্ষণ যেন সে সলাতরত থাকে। আর তোমাদের কেউ যখন সলাত আদায় করার পর সলাতের স্থানেই বসে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়িকাহ্‌ (ফেরেশ্‌তাগণ) তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তুমি তার তাওবাহ্‌ ক্ববূল করো। এরূপ দু’আ ততক্ষণ পর্যন্ত করতে থাকে যতক্ষণ না সে কাউকে কষ্ট দেয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত ওযূ নষ্ট না করে। [১] (ই.ফা. ১৩৭৮, ই.সে. ১৩৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১]হে আল্লাহ! তার প্রতি অনুগ্রহ কর এবং তাকে ক্ষমা কর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৩

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ مَعْنَاهُ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৭৯, ই.সে. ১৩৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৪

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ تَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ وَأَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত সলাতের পর উক্ত স্থানে বসে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়িকাহ্‌ এ বলে তার জন্য দু’আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি তাকে রহ্‌মাত দান করো। আর তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি ততক্ষণ সলাতরত বলেই গণ্য হবে যতক্ষণ সে সলাতের জন্য অপেক্ষামান থাকে। [ই.ফা. ১৩৮০, ই.সে. ১৩৯২ (ক) ]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৫

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ الْعَبْدُ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَ فِي مُصَلاَّهُ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ وَتَقُولُ الْمَلاَئِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ‏.‏ حَتَّى يَنْصَرِفَ أَوْ يُحْدِثَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مَا يُحْدِثُ قَالَ يَفْسُو أَوْ يَضْرِطُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত সলাতের জন্য বসে সলাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সলাতরত থাকে আর মালায়িকাহ্‌ও ততক্ষণ পর্যন্ত তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি তাকে রহম করো। (আর মালায়িকাহ্‌) ততক্ষণ পর্যন্ত এরূপ দু’আ করতে থাকে যতক্ষণ সে সেখান থেকে উঠে চলে না যায় কিংবা যতক্ষণ ওযূ নষ্ট না করে। হাদীস বর্ণনাকারী রাফি’ বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ‘হাদাস বা ওযূ নষ্ট করা কাকে বলে? তিনি বললেনঃ নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু নিঃসরণ করা। (ই.ফা. ১৩৮১, ই.সে. ১৩৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا دَامَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ لاَ يَمْنَعُهُ أَنْ يَنْقَلِبَ إِلَى أَهْلِهِ إِلاَّ الصَّلاَةُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যতক্ষণ পর্যন্ত সলাতের জন্য কোন ব্যক্তি অপেক্ষা করে এবং শুধু সলাতের কারণেই সে ঘরে (পরিবার-পরিজনের কাছে) ফিরে যায় না ততক্ষণ পর্যন্ত সে যেন সলাতরত অবস্থায়ই থাকে (অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত সে সলাতের জন্য অপেক্ষা করল ততক্ষণ সে সলাত আদায় করল বলেই ধরে নেয়া হবে)। (ই.ফা. ১৩৮২, ই.সে. ১৩৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৭

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ هُرْمُزَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَحَدُكُمْ مَا قَعَدَ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ فِي صَلاَةٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ تَدْعُو لَهُ الْمَلاَئِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাতের জন্য অপেক্ষা করে তখন ওযূ ভঙ্গ না করা পর্যন্ত সে যেন সলাতরত থাকল। এ সময়ে মালাকগণ এ বলে তার জন্য দু’আ করতে থাকো যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি রহম করো। (ই.ফা. ১৩৮৩, ই.সে. ১৩৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩৯৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৪, ই.সে. ১৩৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০.অধ্যায়ঃ

মাসজিদের দিকে অধিক পদচারণা ও যাতায়াতের ফাযীলত

১৩৯৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلاَةِ أَبْعَدُهُمْ إِلَيْهَا مَمْشًى فَأَبْعَدُهُمْ وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنَ الَّذِي يُصَلِّيهَا ثُمَّ يَنَامُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ ‏”‏ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ فِي جَمَاعَةٍ ‏”‏ ‏.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার হাঁটার পথ (অর্থাৎ-ঘর) মসজিদ থেকে বেশী দূরে সে সলাতের অধিক সাওয়াব লাভের হাক্বদ্বার আর যে ব্যক্তি সলাতের জন্য অপেক্ষা করে ইমামের সাথে (জামা’আতে) সলাত আদায় করে সে ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশী সাওয়াবের হাক্বদ্বার যে একাকী সলাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে।

আবূ কুরায়ব-এর বর্ণনাতে “জামা‘আতে ইমামের সাথে সলাত আদায় করে” কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। (ই.ফা. ১৩৮৫, ই.সে. ১৩৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ لاَ أَعْلَمُ رَجُلاً أَبْعَدَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْهُ وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ صَلاَةٌ – قَالَ – فَقِيلَ لَهُ أَوْ قُلْتُ لَهُ لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الظَّلْمَاءِ وَفِي الرَّمْضَاءِ ‏.‏ قَالَ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ يُكْتَبَ لِي مَمْشَاىَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَدْ جَمَعَ اللَّهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ ‏”‏ ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জৈনিক লোক সম্পর্কে জানি যার বাড়ী অপেক্ষা কারো বাড়ী মসজিদ থেকে অধিক দূরে ছিল বলে আমার জানা নেই। জামা’আতের সাথে কোন ওয়াক্তের সলাত আদায় করা তিনি ছাড়তেন না। উবাই ইবনু কা’ব বলেনঃ তাকে বলা হলো অথবা (বর্ণনাকারী আবূ ‘উসমান নাহদীর সন্দেহ) আমি বললামঃ যদি তুমি একটি গাধা কিনে নাও এবং তার পিঠে আরোহণ করে রাতের অন্ধকারে এবং রোদের মধ্যে সলাত আদায় করতে আসো তাহলে তো বেশ ভালই হয়। একথা শুনে সে বললঃ আমার বাড়ী মাসজিদের পাশে হোক তা আমি পছন্দ করি না। আমি চাই মাসজিদে হেঁটে আসা এবং মাসজিদে থেকে ঘরে আমার পরিবার-পরিজনের কাছে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ আমার জন্য (‘আমালনামায়) লিপিবদ্ধ হোক। তার এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ তা’আলা তোমার জন্য অনুরূপ সাওয়াবই একত্রিত করে রেখেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৬, ই.সে. ১৩৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ بِنَحْوِهِ ‏.

আত্‌ তায়মী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৭, ই.সে. ১৩৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ بَيْتُهُ أَقْصَى بَيْتٍ فِي الْمَدِينَةِ فَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ الصَّلاَةُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَتَوَجَّعْنَا لَهُ فَقُلْتُ لَهُ يَا فُلاَنُ لَوْ أَنَّكَ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا يَقِيكَ مِنَ الرَّمْضَاءِ وَيَقِيكَ مِنْ هَوَامِّ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ أَمَا وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ بَيْتِي مُطَنَّبٌ بِبَيْتِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحَمَلْتُ بِهِ حِمْلاً حَتَّى أَتَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ – قَالَ – فَدَعَاهُ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ وَذَكَرَ لَهُ أَنَّهُ يَرْجُو فِي أَثَرِهِ الأَجْرَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ لَكَ مَا احْتَسَبْتَ ‏”‏ ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক আনসারী ছিল যার বাড়ী মাদীনার অন্য লোকদের বাড়ীর তুলনায় (মাসজিদে নাবাবী থেকে) দূরে অবস্থিত ছিল। কিন্ত সে জামা’আতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে এক ওয়াক্ত সলাতও ছাড়ত না। উবাই ইবনু কা’ব বলেন, আমরা তার জন্য সমবেদনা অনুভব করলাম। তাই তাকে বললাম, হে অমুক! আপনি যদি একটি গাধা খরিদ করে নিতেন তাহলে সূর্যের খরতাপ থেকে রক্ষা পেতেন এবং বিষাক্ত পোকা-মাকড় থেকেও নিরাপত্তা লাভ করতে পারতেন। সে বলল, আল্লাহ্‌র শপথ!মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরের সাথেই আমার ঘর হোক তা আমি পছন্দ করি না। তার এ কথা আমার কাছে খুবই দুর্বিষহ মনে হলো। তাই আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গিয়ে বিষয়টি তাঁকে জানালাম। তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন- সে পুনরায় অনুরূপ কথা বলল। সে এ কথাও বলল যে, এভাবে সে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে সাওয়াব বা পুরস্কার আশা করে। এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি যা আশা করেছ তা তুমি অবশ্যই লাভ করবে। (ই.ফা. ১৩৮৮, ই.সে. ১৪০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৩

وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَزْهَرَ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৯, ই.সে. ১৪০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৪

وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَتْ دِيَارُنَا نَائِيَةً عَنِ الْمَسْجِدِ، فَأَرَدْنَا أَنْ نَبِيعَ، بُيُوتَنَا فَنَقْتَرِبَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَنَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ لَكُمْ بِكُلِّ خُطْوَةٍ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের বাড়ী মসজিদ থেকে দূরে অবস্থিত ছিল। আমরা মাসজিদের আশে-পাশে বাড়ী নির্মাণের জন্য ঐ ঘর-বাড়ী বেঁচে ফেলতে মনস্থ করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা করতে নিষেধ করেন। তিনি (আমাদের সম্বোধন করে) বললেনঃ (সলাতের জন্য মাসজিদের আসার) প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তোমাদের মর্যাদা ও সাওয়াব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। (ই.ফা. ১৩৯০, ই.সে. ১৪০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنِي الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَلَتِ الْبِقَاعُ حَوْلَ الْمَسْجِدِ فَأَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَنْتَقِلُوا إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ ‏”‏ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْتَقِلُوا قُرْبَ الْمَسْجِدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَرَدْنَا ذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাসজিদে নাবাবীর পাশে কিছু জায়গা খালি হলে বানূ সাল্যমাহ্‌ গোত্র সেখানে এসে বসতি স্থাপন করতে মনস্থ করল। বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের (বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকদের) উদ্দেশে বললেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, তোমরা মাসজিদের কাছে চলে আসতে চাও। তারা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমরা তাই মনস্থ করেছি। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকেরা! তোমরা তোমাদের ঐ বাড়ীতেই থাকো। কারণ তোমাদের সলাতের জন্য মাসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা হয়। (ই.ফা. ১৩৯১, ই.সে. ১৪০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৬

حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ كَهْمَسًا، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَتَحَوَّلُوا، إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ ‏.‏ – قَالَ – وَالْبِقَاعُ خَالِيَةٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا مَا كَانَ يَسُرُّنَا أَنَّا كُنَّا تَحَوَّلْنَا ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকজন মাসজিদে নাবাবীর কাছে এসে উক্ত খালি স্থানে বসতি স্থাপন করতে মনস্থ করল| মাসজিদের নাবাবীর পাশে কিছু খালি জায়গা ছিল। বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবগত হলে তিনি তাদেরকে সম্বোধন করে বললেনঃ হে বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকজন ! তোমরা তোমাদের বর্তমান ঘর-বাড়ীতেই থাকো | সলাতের জন্য মাসজিদে আসতে তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ (পদক্ষেপের বিনিময়ে সাওয়াব) লিখিত হয় | নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কথা শুনে তারা বললঃ আমরা এতে (এ কথায় এতো খুশী হলাম যে) আমাদের বাড়ী-ঘর স্থানান্তরিত করে মাসজিদের কাছে আসলেও তত খুশী হতাম না। (ই.ফা. ১৩৯২, ই.সে. ১৪০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অধ্যায়ঃ

সলাতের জন্য পদচারণা করা যদ্বারা পাপ মোচন ও মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।

১৪০৭

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ مَشَى إِلَى بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ لِيَقْضِيَ فَرِيضَةً مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ كَانَتْ خَطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيئَةً وَالأُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বাড়ী থেকে পাক-পবিত্র হয়ে (ওযূ করে) তারপর কোন ফারয সলাত আদায় করার জন্য হেঁটে আল্লাহর কোন ঘরে (মাসজিদে) যায় তার প্রতিটি পদক্ষেপের একটি পাপ ঝরে পড়ে এবং অপরটিতে মর্যাদা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। (ই.ফা. ১৩৯৩, ই.সে. ১৪০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৮

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তবে বকরের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার সামনেই যদি একটি নদী থাকে আর সে ঐ নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? এ ব্যাপারে তোমরা কি বলো? সবাই বললঃ না, তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকবে না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের দৃষ্টান্ত | এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন। (ই.ফা. ১৩৯৪, ই.সে. ১৪০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪০৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ كَمَثَلِ نَهَرٍ جَارٍ غَمْرٍ عَلَى بَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ الْحَسَنُ وَمَا يُبْقِي ذَلِكَ مِنَ الدَّرَنِ

জাবির থেকে বর্ণিত, যিনি ‘আবদুল্লাহর পুত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সলাতকে তোমাদের কারোর বাড়ীর দরজার পাশ দিয়ে দু’কূল ছাপিয়ে উঠা প্রবহমান নদীর সাথে উপমা দেয়া যেতে পারে। আর ঐ নদীতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে। বর্ণনাকারী বলেন, হাসান বলেছেনঃ এভাবে (গোসল করলে) কোন ময়লা অবশিস্ট থাকবে না। (ই.ফা. ১৩৯৫, ই.সে. ১৪০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে এবং সন্ধ্যায় সলাত আদায় করতে মাসজিদে যায় এবং যতবার যায় আল্লাহ তা’আলা ততবারই তার জন্য জান্নাতের মধ্যে মেহমানদারীর উপকরণ প্রস্তত করেন। (ই.ফা. ১৩৯৬, ই.সে. ১৪০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অধ্যায়ঃ

ফাজরের সলাতের পর বসে থাকার এবং মসজিদসমূহের ফাযীলত

১৪১১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ قُلْتُ لِجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ أَكُنْتَ تُجَالِسُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ كَثِيرًا كَانَ لاَ يَقُومُ مِنْ مُصَلاَّهُ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ الصُّبْحَ أَوِ الْغَدَاةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِذَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ قَامَ وَكَانُوا يَتَحَدَّثُونَ فَيَأْخُذُونَ فِي أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَيَضْحَكُونَ وَيَتَبَسَّمُ ‏.

সিমাক ইবনু হার্‌ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আমি জাবির ইবনু সামুরাহ্‌-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি (ফাজ্‌রের সলাতের পর) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে বসতেন? জবাবে তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, অনেক দিন বসেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদের যে জায়গায় ফাজ্‌রের সলাত (অথবা বলেছেন ভোরের সলাত) আদায় করতেন সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে থেকে উঠতেন না। সূর্য উদিত হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে উঠতেন। লোকজন তখন জাহিলী যুগের ঘটনাবলী সম্পর্কে আলোচনা করত। এসব ঘটনা আলোচনা করতে গিয়ে লোকজন হাসত আর তা দেখে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসতেন। (ই.ফা. ১৩৯৭, ই.সে. ১৪০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، كِلاَهُمَا عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ جَلَسَ فِي مُصَلاَّهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسَنًا ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(তিনি বলেছেনঃ ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্‌রের সলাত আদায়ের পর সূর্য স্পষ্টভাবে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সলাতের জায়গায় বসে থাকতেন। (ই.ফা. ১৩৯৮, ই.সে. ১৪১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৩

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ سِمَاكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَلَمْ يَقُولاَ حَسَنًا ‏.

সিমাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে বর্ণিত। কিন্ত তাতে ‘ভালভাবে’ শব্দটির উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ১৩৯৯, ই.সে. ১৪১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৪

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، – حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذُبَابٍ، فِي رِوَايَةِ هَارُونَ – وَفِي حَدِيثِ الأَنْصَارِيِّ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِهْرَانَ مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَحَبُّ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ مَسَاجِدُهَا وَأَبْغَضُ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ أَسْوَاقُهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার কাছে সব চাইতে প্রিয় জায়গা হলো মসজিদসমূহ আর সব চাইতে খারাপ জায়গা হলো বাজারসমূহ। (ই.ফা. ১৪০০, ই.সে. ১৪১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অধ্যায়ঃ

ইমামতির জন্য বেশী যোগ্য কে ?

১৪১৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كَانُوا ثَلاَثَةً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَحَدُهُمْ وَأَحَقُّهُمْ بِالإِمَامَةِ أَقْرَؤُهُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনজন লোক একত্রিত হলে তাদের একজনকে তাদের ইমাম বা নেতা হতে হবে। আর তাদের মধ্যে ইমামত বা নেতৃত্বের সবচাইতে বেশী হাক্বদ্বার সেই ব্যক্তি যে সবচেয়ে বেশী কুরআন মাজীদ অধ্যয়ন করেছে। (ই.ফা. ১৪০১, ই.সে. ১৪১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

ক্বাতাদাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪০২, ই.সে. ১৪১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، جَمِيعًا عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা, ১৪০৩, ই.সে. ১৪১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي خَالِدٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا وَلاَ يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الأَشَجُّ فِي رِوَايَتِهِ مَكَانَ سِلْمًا سِنًّا ‏.

আবূ মাস’ঊদ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন আমাদেরকে বললেনঃ যে স‍‌র্বাপেক্ষা বেশী কুরাআনের পাঠক ও কুরআনী জ্ঞানের অধিকারী সে-ই ক্বওমের (লোকজনের) ইমামাত করবে। সবাই যদি কুরানের জ্ঞানের সমপর্যায়ের হয় সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সুন্নাত সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত হবে সে-ই ইমামাত করবে। সুন্নাহর জ্ঞানেরও সবাই সমান হলে হিজরাতে যে অগ্রগামী সে ইমামাত করবে। কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির নিজস্ব প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামাত করবে না কিংবা তার অনুমতি ছাড়া তার বাড়ীতে তার বিছানায় বসবে না। বর্ণনাকারী আশাজ্জ তার বর্ণনায় (ইসলাম) শব্দের স্হানে (বয়স) শব্দ উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১৪০৪, ই.সে. ১৪১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪১৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

আবূ কুরায়ব, ইসহাক্ব, আশাজ্জ, ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) … তারা সকলে আ’মাশ (রাঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনূরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা, ১৪০৫, ই.সে. ১৪১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২০

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ ضَمْعَجٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ وَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً فَإِنْ كَانَتْ قِرَاءَتُهُمْ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ تَؤُمَّنَّ الرَّجُلَ فِي أَهْلِهِ وَلاَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ تَجْلِسْ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ أَنْ يَأْذَنَ لَكَ أَوْ بِإِذْنِهِ ‏”‏ ‏.

আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বললেনঃ আল্লাহর কিতাব কুরআন মাজীদের জ্ঞান যে সবচেয়ে বেশী এবং যে কুরআন তিলাওয়াতও সুন্দরভাবে করতে পারে সে-ই সলাতের জামা’আতে ইমামাত করবে। সুন্দর ক্বিরাআতের ব্যাপারে সবাই যদি সমকক্ষ হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরাতে অগ্রগামী সে ইমামাত করবে। হিজরাতের ব্যাপারেও সবাই যদি সমকক্ষ হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে প্রবীণ সেই ইমামাত করবে। কোন ব্যক্তি যেন কারো নিজের বাড়ীতে (বাড়ীর কর্তাকে বাদ দিয়ে) কিংবা কারো ক্ষমতাসীন এলাকায় নিজে ইমামাত না করে। আর কেউ যেন কারো বাড়ীতে গিয়ে অনুমতি ছাড়া তার বিছানায় না বসে। (ই.ফা. ১৪০৬, ই.সে. ১৪১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২১

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَحِيمًا رَقِيقًا فَظَنَّ أَنَّا قَدِ اشْتَقْنَا أَهْلَنَا فَسَأَلَنَا عَنْ مَنْ تَرَكْنَا مِنْ أَهْلِنَا فَأَخْبَرْنَاهُ فَقَالَ ‏ “‏ ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَأَقِيمُوا فِيهِمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ ‏”‏ ‏.

মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা প্রায় এ বয়সের কিছু যুবক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এসে বিশরাত (অর্থাৎ-বিশদিন) অবস্হান করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু ও নম্র হৃদয়। তিনি বুঝতে পারলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারের লোকজনের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছি। তাই নিজ পরিবারে আমরা কাকে কাকে রেখে গিয়েছি এ বিষয়ে তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলে আমরা তাঁকে সে বিষয়ে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেনঃ ঠিক আছে, তোমরা নিজ পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মধ্যে অবস্হান করে তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষাদান করো। আর এ বিষয়ে তাদেরকে বিভিন্ন কাজ করতে আদেশ করো। আর সলাতের সময় হলে তোমাদের কেউ আযান দিবে। তবে বয়সে যে সবার বড় সে ইমামাত করবে। [১] (ই.ফা. ১৪০৭, ই.সে. ১৪১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১]এক্ষেত্রে বয়সে বড় হওয়াকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কারণ তাদের হিজরাত, ইসলাম গ্রহণ, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহিওয়াসাল্লাম) –এর সাহচর্য এবং বিশদিন অবস্হান – এ সকল বৈশিষ্ঠ্যে তারা সমান ছিল একমাত্র বয়স ব্যতীত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২২

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে বর্ণিত। (ই.ফা. ১৪০৮, ই.সে. ১৪২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৩

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو قِلاَبَةَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ أَبُو سُلَيْمَانَ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَاسٍ وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ ‏.‏ وَاقْتَصَّا جَمِيعًا الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ ‏.‏

মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস আবূ সুলাইমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার সমবয়সী একদল যুবকের সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে আসলাম। এতটুকু বর্ণনা করার পর তারা সবাই ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ বর্ণিত হাদীসের অনূরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (ই.ফা. ১৪০৮, ই.সে. ১৪২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৪

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَصَاحِبٌ لِي فَلَمَّا أَرَدْنَا الإِقْفَالَ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ لَنَا ‏ “‏ إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا ‏”‏ ‏.

মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার এক বন্ধু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গেলাম। যখন আমরা তাঁর নিকট থেকে ফিরতে চাইলাম তখন তিনি আমাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃসলাতের সময় হলে আযান দিবে এবং তারপর ইক্বামত দিবে (অর্থাৎ-সলাত আদায় করবে)। তবে তোমাদের মধ্যে যে বয়সে বড় হবে সেই যেন ইমামাত করে। (ই.ফা. ১৪০৯, ই.সে. ১৪২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৫

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ قَالَ الْحَذَّاءُ وَكَانَا مُتَقَارِبَيْنِ فِي الْقِرَاءَةِ ‏.

খালিদ আল হায্‍যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে হাফ্‌সা ইবনু গিয়াস এতটুকু কথা অতিরিক্ত বলেছেন যে, হায্‍যা (রহঃ) বলেছেন, তারা উভয়ে (মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস এবং তার বন্ধু) ক্বিরাআতের ব্যাপারে সমকক্ষ ছিলেন | (ই.ফা. ১৪১০, ই.সে. ১৪২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অধ্যায়ঃ

যখন মুসলিমদের ওপর কোন বিপদ আপতিত হয়, তখন সকল সলাতে ‘কুনূ্তে নাযিলাহ্’ পাঠ মুস্তাহাব

১৪২৬

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ حِينَ يَفْرُغُ مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ مِنَ الْقِرَاءَةِ وَيُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ ‏”‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ كَسِنِي يُوسُفَ اللَّهُمَّ الْعَنْ لِحْيَانَ وَرِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ بَلَغَنَا أَنَّهُ تَرَكَ ذَلِكَ لَمَّا أُنْزِلَ ‏{‏ لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ‏}‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্‌রের সলাতে ক্বিরাআত শেষ তাকবীর দিয়ে রুকূ‘তে গিয়ে রুকূ‘ থেকে যখন মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ “সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা-ওয়ালাকাল হাম্‌দ” – (অর্থাৎ – যে আল্লাহর প্রশংসা করে আল্লাহ তাঁর প্রশংসা শুনেন। হে আমাদের প্রভু ! সকল প্রশংসা তোমারই জন্য নির্দিষ্ট।)। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে বলতেনঃ হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদ, সালামাহ্‌ ইবনু হিশাম ও ‘আইয়্যাশ ইবনু রবী‘আহ্‌ এবং দুর্বল ও নিপীড়িত মু‘মিনদের নাযাত দান করো। হে আল্লাহ ! তুমি মুযার গোত্রকে কঠোরহস্তে পাকড়াও করো। আর ইউসুফ (আঃ) -এর সময়ের দুর্ভিক্ষের মতো দুর্ভিক্ষ দিয়ে তাদের শায়েস্তা করো। হে আল্লাহ ! তুমি লিহ্‌ইয়ান, রি‘লান, যাক্‌ওয়ান ও ‘উসাইয়্যাহ্‌ গোত্রের ওপর অভিসম্পাত বর্ষণ করো। কেননা তারা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের অবাধ্য হয়েছে। অতঃপর আমরা জানতে পারলাম যে, আয়াত- “হে নবী ! এর ব্যাপারে তোমার কোন করণীয় নেই। আল্লাহ তাদের তাওবাহ্‌ কবূল করুন আর তাদেরকে শাস্তি দান করুন এ ব্যাপারে তিনি পূর্ণ ইখতিয়ারের অধিকারী। কেননা তারা তো যালিম” – (সূরাহ্‌ আ-লি ‘ইমরান ৩: ১২৮)। অবতীর্ণ হওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে কুনূত পড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। (ই.ফা.১৪১১, ই.সে.১৪২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৭

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْلِهِ ‏ “‏ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ كَسِنِي يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এতে ইউসুফের সময়ে দুর্ভিক্ষের মত দুর্ভিক্ষের মুখোমুখী করা পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন। পরের অংশটুকু উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৪১২, ই.সে. ১৪২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ بَعْدَ الرَّكْعَةِ فِي صَلاَةٍ شَهْرًا إِذَا قَالَ ‏”‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ يَقُولُ فِي قُنُوتِهِ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ اللَّهُمَّ نَجِّ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ نَجِّ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ اللَّهُمَّ نَجِّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ الدُّعَاءَ بَعْدُ فَقُلْتُ أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ تَرَكَ الدُّعَاءَ لَهُمْ – قَالَ – فَقِيلَ وَمَا تَرَاهُمْ قَدْ قَدِمُوا

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সময় একমাস যাবৎ ফাজরের সলাতে দ্বিতীয় রাক‘আতে রুকূ থেকে ওঠার পরে কুনূত পড়েছেন। এতে তিনি যখন রুকূ‘ থেকে উঠে “সামিআল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলতেন তখন কুনূত পড়তে গিয়ে বলতেনঃ হে আল্লাহ, ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে মুক্ত করে দাও। হে আল্লাহ ! সালামাহ্‌ ইবনু হিশামকে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ ! ‘আয়িশাহ্‌ ইবনু আবূ রাবী‘আহ্‌কে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ ! দুর্বল অসহায় মু‘মিনদেরকেও মুক্তি দাও। হে আল্লাহ ! তুমি মুযার গোত্রকে তোমার কঠোরতা দ্বারা পিষে মারো। হে আল্লাহ ! তুমি তাদের ওপর ইউসুফ (আঃ) -এর সময়ের দুর্ভিক্ষের মতো দুর্ভিক্ষ দান করো। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেছেন, পরে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে এ দু‘আ পরিত্যাগ করতে দেখেছি। এতে আমি বিস্মিত হয়ে বললামঃ আমি দেখছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখন তাদের জন্য দু‘আ করা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ আমাকে তখন বলা হলো তুমি কি দেখছনা যে, তারা সবাই মুক্ত হয়ে চলে এসেছেন? (ই.ফা. ১৪১৩, ই.সে. ১৪২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪২৯

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ يُصَلِّي الْعِشَاءَ إِذْ قَالَ ‏”‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ ‏”‏ اللَّهُمَّ نَجِّ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ الأَوْزَاعِيِّ إِلَى قَوْلِهِ ‏”‏ كَسِنِي يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সলাত আদায় করেছিলেন। সাজদাহ্ করার পূর্বে রুকূ’ থেকে উঠে যখন তিনি “সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বললেন তখন এ বলে দু‘আ করলেনঃ “হে আল্লাহ! ‘আইয়্যাশ ইবনু রাবী‘আকে মুক্তিদান করো” এতটুকু বর্ণনা করার পর আবূ হুরায়রাহ্ আওযা‘ঈ বর্ণিত হাদীসের বা সিনী ইউসুফ [অর্থাৎ- ইউসুফ (আঃ) ]-এর যুগের দুর্ভিক্ষের ন্যায় দুর্ভিক্ষ দিয়ে শাস্তিদান করো পর্যন্ত উল্লেখ করলেন। এতে তিনি আওযা‘ঈ বর্ণিত হাদীসের পরের অংশটুকু উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৪১৪, ই.সে. ১৪২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ وَاللَّهِ لأُقَرِّبَنَّ بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقْنُتُ فِي الظُّهْرِ وَالْعِشَاءِ الآخِرَةِ وَصَلاَةِ الصُّبْحِ وَيَدْعُو لِلْمُؤْمِنِينَ وَيَلْعَنُ الْكُفَّارَ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ আমি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর মতো করে (প্রায় অনুরূপ) সলাত আদায় করে দেখাব। এরপর আবূ হুরায়রাহ্ যুহর, ‘ইশা ও ফাজরের সলাতে কুনূত পড়তেন। এতে তিনি মু‘মিনদের জন্য দু‘আ করতেন এবং কাফিরদেরকে অভিসম্পাত করতেন। (ই.ফা. ১৪১৫, ই.সে. ১৪২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الَّذِينَ قَتَلُوا أَصْحَابَ بِئْرِ مَعُونَةَ ثَلاَثِينَ صَبَاحًا يَدْعُو عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَلِحْيَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي الَّذِينَ قُتِلُوا بِبِئْرِ مَعُونَةَ قُرْآنًا قَرَأْنَاهُ حَتَّى نُسِخَ بَعْدُ أَنْ بَلِّغُوا قَوْمَنَا أَنْ قَدْ لَقِينَا رَبَّنَا فَرَضِيَ عَنَّا وَرَضِينَا عَنْهُ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “বি‘রি মা‘উনাহ্‌” নামক স্থানে যে মু‘মিনদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের হত্যাকারীদের জন্য ত্রিশদিন পর্যন্ত ফাজরের সলাতে বদ দু‘আ করেছিলেন। আনাস বর্ণনা করেছেন, “বি‘রি মা‘উনাহ্‌” নামক স্থানে নিহতদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আয়াত অবতীর্ণ করে ছিলেন যা আমরা পাঠ করতাম। অবশেষে তা মানসুখ বা রহিত করে দেয়া হয়েছিল। আয়াতটি ছিল-

অর্থাৎ“আমাদের ক্বওমকে এ সংবাদ পৌছিয়ে দাও যে, আমরা আমাদের প্রভুর সাক্ষাৎ লাভ করেছি। তিনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর আমরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছি।” (ই.ফা. ১৪১৬, ই.সে. ১৪২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩২

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ هَلْ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ قَالَ نَعَمْ بَعْدَ الرُّكُوعِ يَسِيرًا ‏.

মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি ফাজ্‌রের সলাতে কুনূত পড়তেন? জবাবে তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, রুকূ‘র পরে সংক্ষিপ্তভাবে পড়তেন। (ই.ফা. ১৪১৭, ই.সে.১৪২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৩

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ – حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ يَدْعُو عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَيَقُولُ ‏ “‏ عُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মাস যাবৎ ফাজ্‌রের সলাতে রুকূ’ করার পর কুনূত পড়েছেন। এতে তিনি রি‘ল ও যাক্‌ওয়ান গোত্রদ্বয়ের জন্য বদ-দু‘আ করতেন। আর ‘উসাইয়্যাহ্‌ গোত্র সম্পর্কে বলতেন যে, ‘উসায়ইয়্যাহ্‌ আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হয়েছে। (ই.ফা. ১৪১৮, ই.সে. ১৪২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ يَدْعُو عَلَى بَنِي عُصَيَّةَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মাস যাবৎ ফাজ্‌রের সলাতে রুকূ‘ থেকে উঠার পর কুনূতে বানূ ‘উসাইয়্যাহ্‌ গোত্রের জন্য বদ-দু‘আ করেছেন। (ই.ফা. ১৪১৯, ই.সে. ১৪২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَأَلْتُهُ عَنِ الْقُنُوتِ، قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَ الرُّكُوعِ فَقَالَ قَبْلَ الرُّكُوعِ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَإِنَّ نَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَهْرًا يَدْعُو عَلَى أُنَاسٍ قَتَلُوا أُنَاسًا مِنْ أَصْحَابِهِ يُقَالُ لَهُمُ الْقُرَّاءُ ‏.

‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) – কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, কুনূত রুকূ’ করার পূর্বে পড়তে হবে না পরে? জবাবে তিনি বললেনঃ রুকূ’ করার পূর্বে পড়তে হবে। তিনি বলেন, এ কথা শুনে আমি আবার বললাম যে, কোন কোন লোক বলে থাকে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ’ করার পর কুনূত পড়তেন। আনাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রুকূর পরে) একমাস কুনূত পাঠ করেছেন। তখন তিনি ঐ সব লোকদের জন্য বদ-দু‘আ করতেন যারা তাঁর (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) সহাবীকে হত্যা করেছিল যাদেরকে ‘ক্বারী’ বলে সম্বোধন করা হত। (ই.ফা. ১৪২০, ই.সে. ১৪৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ عَلَى سَرِيَّةٍ مَا وَجَدَ عَلَى السَّبْعِينَ الَّذِينَ أُصِيبُوا يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ كَانُوا يُدْعَوْنَ الْقُرَّاءَ فَمَكَثَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى قَتَلَتِهِمْ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বি‘রি মা‘উনাহ্‌-এর ঘটনায় ‘ক্বারী’ বলে পরিচিত সত্তর জন সহাবীকে হত্যার কারণে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যতখানি বেদনাহত হয়ে ছিলেন এমনটি আর কোন সেনাদলের ক্ষেত্রে হতে দেখিনি। এ ঘটনার পর তিনি একমাস পর্যন্ত (ঐসব সাহাবার) হত্যাকারীদের জন্য বদ-দু‘আ করেছিলেন। (ই.ফা. ১৪২১, ই.সে ১৪৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، وَابْنُ، فُضَيْلٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ يَزِيدُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে উভয়েই কিছুটা অতিরিক্ত শাব্দিক তারতম্যসহ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪২২, ই.সে.১৪৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৮

وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ شَهْرًا يَلْعَنُ رِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক সময়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রি‘ল, যাক্‌ওয়ান ও ‘উসাইয়্যাহ্‌ গোত্রসমূহকে লা’নত করে একমাস পর্যন্ত সলাতে কূনূত পড়েছেন। এরা সবাই আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে নাফরমানী করেছিল। (ই.ফা. ১৪৩২, ই.সে. ১৪৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৩৯

وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ (অর্থবোধক) হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪২৪, ই.সে. ১৪৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ ثُمَّ تَرَكَهُ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরবে কিছু গোত্রের জন্য এক সময়ে একমাস যাবৎ বদ-দু‘আ করেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি তা পরিত্যাগ করেন। (ই.ফা. ১৪২৫, ই.সে.১৪৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْنُتُ فِي الصُّبْحِ وَالْمَغْرِبِ ‏.

বারা ইবনু ‘আযিয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্‌র এবং মাগরিবের সলাতে কুনূত পড়তেন। (ই.ফা. ১৪২৬, ই.সে. ১৪৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪২

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفَجْرِ وَالْمَغْرِبِ ‏.

বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্‌র ও মাগরিবের সলাতে কুনূত পড়তেন। (ই.ফা. ১৪২৭, ই.সে. ১৪৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪৩

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ الْمِصْرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ خُفَافِ بْنِ إِيمَاءٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةٍ ‏ “‏ اللَّهُمَّ الْعَنْ بَنِي لِحْيَانَ وَرِعْلاً وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ‏”‏ ‏.

খুফাফ ইবনু ঈমা আল গিফারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সলাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ বলে বদ- দু‘আ করলেনঃ হে আল্লাহ ! তুমি বানী লিহ্‌ইয়ান, রি‘ল যাক্‌ওয়ান ও ‘উসাইয়্যাহ্‌ গোত্রসমূহের ওপর লা‘নাত বর্ষণ করো। তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করেছে। আর গিফার গোত্রকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করুন এবং আসলাম গোত্রকে নিরাপদ রাখুন। (ই.ফা. ১৪২৮, ই.সে. ১৪৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪৪

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، – وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو – عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ خُفَافٍ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ خُفَافُ بْنُ إِيمَاءٍ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏ “‏ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَعُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ اللَّهُمَّ الْعَنْ بَنِي لِحْيَانَ وَالْعَنْ رِعْلاً وَذَكْوَانَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ وَقَعَ سَاجِدًا ‏.‏ قَالَ خُفَافٌ فَجُعِلَتْ لَعْنَةُ الْكَفَرَةِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ ‏.

হারিস ইবনু খুফাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খুফাফ ইবনু ঈমা বর্ণনা করেছেন। তিনি (খুফাফ ইবনু ঈমা) বলেন, একদিন সলাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ’ করলেন এবং তারপর রুকূ’ থেকে মাথা তুলে বললেনঃ গিফার গোত্রকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করুন। আসলাম গোত্রকে আল্লাহ নিরাপদে রাখুন। আর ‘উসাইয়্যাহ্‌ গোত্র তো আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করেছে। এরপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ ! তুমি বানী লিহ্‌ইয়ান গোত্রের ওপর লা‘নাত বর্ষণ করো, রি‘ল ও যাকওয়ান গোত্রদ্বয়ের ওপর লা‘নাত বর্ষণ করো। এরপর তিনি সাজদায় চলে গেলেন। খুফাফ ইবনু ঈমা বলেছেনঃ এ কারণেই কুনূতে কাফিরদের লা‘নাত করা হয়ে থাকে। (ই.ফা. ১৪২৯, ই.সে. ১৪৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ وَأَخْبَرَنِيهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَرْمَلَةَ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الأَسْقَعِ، عَنْ خُفَافِ بْنِ إِيمَاءٍ، ‏.‏ بِمِثْلِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فَجُعِلَتْ لَعْنَةُ الْكَفَرَةِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ ‏.

খুফাফ ইবনু ঈমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে “এ কারণেই কুনূতে কাফিরদের লা‘নাত করা হয়ে থাকে” কথাটি বলেননি। (ই.ফা. ১৪৩০, ই.সে. নেই)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অধ্যায়ঃ

যে সলাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব

১৪৪৬

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ سَارَ لَيْلَهُ حَتَّى إِذَا أَدْرَكَهُ الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلاَلٍ ‏”‏ اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ ‏”‏ ‏.‏ فَصَلَّى بِلاَلٌ مَا قُدِّرَ لَهُ وَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ فَلَمَّا تَقَارَبَ الْفَجْرُ اسْتَنَدَ بِلاَلٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ مُوَاجِهَ الْفَجْرِ فَغَلَبَتْ بِلاَلاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ بِلاَلٌ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَىْ بِلاَلُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ بِلاَلٌ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ – بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ – بِنَفْسِكَ قَالَ ‏”‏ اقْتَادُوا ‏”‏ ‏.‏ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الصَّلاَةَ فَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ ‏”‏ مَنْ نَسِيَ الصَّلاَةَ فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ ‏{‏ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يُونُسُ وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَؤُهَا لِلذِّكْرَى ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার যুদ্ধ শেষে ফিরে আসার সময় রাতে সফররত ছিলেন। এক সময় রাতের শেষভাগে তাঁকে তন্দ্রায় পেয়ে বসলে তিনি সেখানেই অবতরণ করলেন। আর বিলালকে বললেনঃ ‘তুমি আজ রাতে আমাদের পাহারার কাজ করো। সুতরাং বিলাল যতটা পারলেন রাতের বেলায় সলাত আদায় করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ ঘুমিয়ে পড়লেন। কিন্তু ফাজরের সময় ঘনিয়ে আসলে বিলাল পূর্ব দিকে মুখ করে তার উটের সাথে হেলান দিলেন। এ সময় ঘুমে বিলালের দু‘চোখ বন্ধ হয়ে আসলো। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) , বিলাল কিংবা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগণের কারোরই নিদ্রা ভঙ্গ হলো না।এ অবস্থায় তাদের গায়ে সূর্যের আলো এসে পড়ল।প্রথমে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। তিনি জেগে উঠে বিলালকে ডাকলেন, হে বিলাল ! বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি যে কারণে জাগতে পারেন নি আমিও ঐ একই কারণে জাগতে পারিনি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুকুম দিলেন তাড়াতাড়ি যাত্রা করো। সুতরাং সবাই উটগুলো হাঁকিয়ে কিছু দূরে নিয়ে গেলে এবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূ করলেন এবং বিলালকে সলাতের জন্য আদেশ করলেন। বিলাল সলাতের জন্য ইক্বামত দিলে তিনি তাদের সবাইকে সাথে ফাজরের সলাত আদায় করলেন। সলাত শেষে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন- “ আমার স্মরণের জন্য সলাত আদায় করো” – (সূরাত্ব-হা-২০:১৪)।

ইউনুস বলেছেনঃ ইবনু শিহাব (আরবি) (লিযিক্‌রী) -এর স্থানে (আরবি) (লিয্‌যিক্‌রা-) আদায় করলেন। (ই.ফা. ১৪৩১, ই.সে. ১৪৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪৭

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى، – قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، – حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ عَرَّسْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ بِرَأْسِ رَاحِلَتِهِ فَإِنَّ هَذَا مَنْزِلٌ حَضَرَنَا فِيهِ الشَّيْطَانُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَفَعَلْنَا ثُمَّ دَعَا بِالْمَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ – وَقَالَ يَعْقُوبُ ثُمَّ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ – ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى الْغَدَاةَ ‏.

আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , আমরা একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে শেষ রাতে বিশ্রামের জন্য ঘুমালাম। কিন্তু সূর্যোদয়ের পূর্বে আমরা জাগিনি (নিদ্রা থেকে জেগে  উঠে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ প্রত্যেকে নিজের উটের লাগাম টেনে নিয়ে যাও। কারন এই স্তানে আমাদের মাঝে শাইত্বন এসে হাজির হয়েছে। বর্ণনাকারী আবু হুরায়রাহ্ বলেছেন আমরা তাই করলাম। অতঃপর তিনি পানি চেয়ে নিয়ে ওযু করলেন এবং দু‘টি সাজদাহ্ করলেন (অর্থাৎ দু‘ রাকআত সলাত আদায় করলেন) ইয়াকুব বলেছেনঃ অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ফাজরের দুই রাকআত) সুন্নাত আদায় করলেন। অতঃপর সলাতের ইকামত দেওয়া হলে তিনি ফজরের (ফারয) সলাত আদায় করলেন। (ই. ফা. ১৪৩২ , ই. সে. ১৪৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪৮

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ تَسِيرُونَ عَشِيَّتَكُمْ وَلَيْلَتَكُمْ وَتَأْتُونَ الْمَاءَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غَدًا ‏”‏ ‏.‏ فَانْطَلَقَ النَّاسُ لاَ يَلْوِي أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ – قَالَ أَبُو قَتَادَةَ – فَبَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسِيرُ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ – قَالَ – فَنَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَالَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَأَتَيْتُهُ فَدَعَمْتُهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ أُوقِظَهُ حَتَّى اعْتَدَلَ عَلَى رَاحِلَتِهِ – قَالَ – ثُمَّ سَارَ حَتَّى تَهَوَّرَ اللَّيْلُ مَالَ عَنْ رَاحِلَتِهِ – قَالَ – فَدَعَمْتُهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ أُوقِظَهُ حَتَّى اعْتَدَلَ عَلَى رَاحِلَتِهِ – قَالَ – ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ مَالَ مَيْلَةً هِيَ أَشَدُّ مِنَ الْمَيْلَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ حَتَّى كَادَ يَنْجَفِلُ فَأَتَيْتُهُ فَدَعَمْتُهُ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏”‏ مَنْ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَبُو قَتَادَةَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَتَى كَانَ هَذَا مَسِيرَكَ مِنِّي ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مَا زَالَ هَذَا مَسِيرِي مُنْذُ اللَّيْلَةِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ حَفِظَكَ اللَّهُ بِمَا حَفِظْتَ بِهِ نَبِيَّهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَرَانَا نَخْفَى عَلَى النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَرَى مِنْ أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ ‏.‏ ثُمَّ قُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ آخَرُ ‏.‏ حَتَّى اجْتَمَعْنَا فَكُنَّا سَبْعَةَ رَكْبٍ – قَالَ – فَمَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الطَّرِيقِ فَوَضَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلاَتَنَا ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالشَّمْسُ فِي ظَهْرِهِ – قَالَ – فَقُمْنَا فَزِعِينَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ ارْكَبُوا ‏”‏ ‏.‏ فَرَكِبْنَا فَسِرْنَا حَتَّى إِذَا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ نَزَلَ ثُمَّ دَعَا بِمِيضَأَةٍ كَانَتْ مَعِي فِيهَا شَىْءٌ مِنْ مَاءٍ – قَالَ – فَتَوَضَّأَ مِنْهَا وُضُوءًا دُونَ وُضُوءٍ – قَالَ – وَبَقِيَ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ مَاءٍ ثُمَّ قَالَ لأَبِي قَتَادَةَ ‏”‏ احْفَظْ عَلَيْنَا مِيضَأَتَكَ فَسَيَكُونُ لَهَا نَبَأٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَذَّنَ بِلاَلٌ بِالصَّلاَةِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى الْغَدَاةَ فَصَنَعَ كَمَا كَانَ يَصْنَعُ كُلَّ يَوْمٍ – قَالَ – وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكِبْنَا مَعَهُ – قَالَ – فَجَعَلَ بَعْضُنَا يَهْمِسُ إِلَى بَعْضٍ مَا كَفَّارَةُ مَا صَنَعْنَا بِتَفْرِيطِنَا فِي صَلاَتِنَا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَمَا لَكُمْ فِيَّ أُسْوَةٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ عَلَى مَنْ لَمْ يُصَلِّ الصَّلاَةَ حَتَّى يَجِيءَ وَقْتُ الصَّلاَةِ الأُخْرَى فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَنْتَبِهُ لَهَا فَإِذَا كَانَ الْغَدُ فَلْيُصَلِّهَا عِنْدَ وَقْتِهَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَا تَرَوْنَ النَّاسَ صَنَعُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَصْبَحَ النَّاسُ فَقَدُوا نَبِيَّهُمْ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَكُمْ لَمْ يَكُنْ لِيُخَلِّفَكُمْ ‏.‏ وَقَالَ النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فَإِنْ يُطِيعُوا أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ يَرْشُدُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَانْتَهَيْنَا إِلَى النَّاسِ حِينَ امْتَدَّ النَّهَارُ وَحَمِيَ كُلُّ شَىْءٍ وَهُمْ يَقُولُونَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْنَا عَطِشْنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ لاَ هُلْكَ عَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَطْلِقُوا لِي غُمَرِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَدَعَا بِالْمِيضَأَةِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُبُّ وَأَبُو قَتَادَةَ يَسْقِيهِمْ فَلَمْ يَعْدُ أَنْ رَأَى النَّاسُ مَاءً فِي الْمِيضَأَةِ تَكَابُّوا عَلَيْهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَحْسِنُوا الْمَلأَ كُلُّكُمْ سَيَرْوَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَفَعَلُوا فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُبُّ وَأَسْقِيهِمْ حَتَّى مَا بَقِيَ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – ثُمَّ صَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ‏”‏ اشْرَبْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لاَ أَشْرَبُ حَتَّى تَشْرَبَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ إِنَّ سَاقِيَ الْقَوْمِ آخِرُهُمْ شُرْبًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَشَرِبْتُ وَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَأَتَى النَّاسُ الْمَاءَ جَامِّينَ رِوَاءً ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ إِنِّي لأُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي مَسْجِدِ الْجَامِعِ إِذْ قَالَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ انْظُرْ أَيُّهَا الْفَتَى كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي أَحَدُ الرَّكْبِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِالْحَدِيثِ ‏.‏ فَقَالَ مِمَّنْ أَنْتَ قُلْتُ مِنَ الأَنْصَارِ ‏.‏ قَالَ حَدِّثْ فَأَنْتُمْ أَعْلَمُ بِحَدِيثِكُمْ ‏.‏ قَالَ فَحَدَّثْتُ الْقَوْمَ فَقَالَ عِمْرَانُ لَقَدْ شَهِدْتُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَمَا شَعَرْتُ أَنَّ أَحَدًا حَفِظَهُ كَمَا حَفِظْتُهُ ‏.‏

আবু ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন (যুদ্ধ থেকে ফেরার সময়) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে  বক্তৃতা করলেন। তিনি বললেনঃ আজকের বিকাল থেকে তোমাদের সারারাত পথ চলতে  হবে এবং ইনশাআল্লাহ আগামীকাল সকালে পানির কাছে উপস্থিত হবে। সুতরাং লোকজন সেখান থেকে এভাবে যাত্রা করল যে, কেউ কারো দিকে   ফিরেও তাকাচ্ছিল না। আবু কাতাদাহ্ বলেন- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -ও পথ চলছিলেন। এক সময় রাত্রি দ্বিপ্রহর হয়ে গেল। আমি তাঁর পাশে পাশেই চলছিলাম। এ সময় রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তন্দ্রায় ঝিমুচ্ছিলেন। ঘুমের প্রভাবে এক সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারির উপর একদিকে ঝূকে পড়লেন। ঠিক সে সময় আমি তাঁর পাশে গিয়ে তাঁকে ঠেলে ধরলাম (অথাৎ-ঠেকনা দিলাম)। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারীর উপর সোজা হয়ে বসলেন , কিন্তু তাঁকে জাগালাম না। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলতে থাকলেন এবং এ অবস্তায় রাতের অধিকাংশ সময় অতিক্রান্ত হলে সওয়ারির উপর থেকে আবার একদিকে ঝূকে পড়লেন। তখন আমি আবার তাঁকে সওয়ারির উপর তাঁকে না জাগিয়ে ঠেলে ধরলাম | এভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারীর উপর সোজা হয়ে বসলেন। আবু ক্বাতাদাহ্ বলেন- এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার চলতে থাকলেন। রাত ভোর হয়ে আসলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবার প্রথম দু’বারের চেয়ে বেশি করে একদিকে ঝুকে পড়লেন এমনকি  পড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। তখন আমি পুনরায় ঠেস লাগিয়ে ধরলাম। এবার তিনি মাথা উঠিয়ে জিজ্ঞেস করেন – কে? আমি বললাম – আবু ক্বাতাদাহ্। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এভাবে আমার পাশে পাশে কতক্ষন চলছ? আমি বললাম , আমি রাতের প্রথ্ম থেকেই এভাবে  আপনার সাথে চলছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে হেফাজত করুন। কারন তুমি তাঁর নবী কে দেখাশুনা করেছ। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি কাউকে দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম  হাঁ এই তো একজন আরোহী | তারপর বললাম, এই তো আরও একজন আরোহী উপস্থিত হল।  এভাবে আমরা সাত জন একত্র হলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাস্তা থেকে কিছু সরে গিয়ে মাটিতে মাথা রাখলেন (অর্থাৎ- শুয়ে পড়লেন)। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ সলাতের খেয়াল রেখো। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই ছিলেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন আর তখন সূর্যের আলো তাঁর পিঠের উপর এসে পড়েছিল। আবু ক্বাতাদাহ্ বলেন-এরপর আমারা সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উটে পড়লাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা সবাই যার যার সওয়ারীতে সওয়ার হও। তাই আমরা সওয়ারীতে চেপে যাত্রা করলাম। সূর্য বেশ কিছু উপরে উঠলে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারী থেকে অবতরন করে  আমার কাছে অল্প পানিসহ যে ওযুর পাত্র ছিল তা চেয়ে নিয়ে অন্য সময়ের চেয়ে সংক্ষিপ্ত করে ওযু করলেন। আবু ক্বাতাদাহ্ বললেন- এরপরও ঐ পাত্রে  কিছু পানি অবশিষ্ট থাকল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু ক্বাতাদাহ্-কে বললেনঃ পাত্রটি রেখে দাও , দেখবে পরে বিস্ময়কর কাণ্ড ঘটবে। তখন বিলাল সলাতের আযান দিলে  রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে দু’রাক’আত (সুন্নাত) সলাত আদায় করলেন এবং প্রতিদিনের মত করে ফাজরের ফারজ সলাত আদায় করলেন। আবু ক্বাতাদাহ্ বলেন – অতঃপর সওয়ারীতে আরোহণ  করলে আমারাও সওয়ারিতে আরোহণ করে তাঁর সাথে রওয়ানা হলাম। এ সময়ে আমারা পরস্পর চুপিসারে বলাবলি করছিলাম যে, আমারা সলাতের ব্যাপারে যে অবহেলা প্রদর্শন করছিলাম তার কাফফারাহ্ বা ক্ষতিপুরন কীভাবে হবে? রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার জীবন ও কাজ-কর্ম কি তোমাদের জন্য অনুসরণীও আদর্শ নয়? এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার বললেনঃ ঘুমানোতে কোন দোষ বা অবহেলা নেই। অবহেলা তখনই বলা  হবে যদি কোন ব্যাক্তি সলাত না আদায় করে দেরি করে এবং অন্য সলাতের ওয়াক্ত হয়ে যায়। কোন সময় কারো যদি এরুপ হয়ে যায় সে যখন জাগ্রত হবে তখনই যেন সলাত আদায় করে নেয়। পরদিন সকালে যেন সে সময়মত সলাত আদায় করে। পরে তিনি বললেনঃ অন্য সবাই কী করছে তা কি জান? সকালে লোকজন যখন তাদের নবী কে দেখতে পেল না তখন আবু বাকর ও উমার তাদের বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের পিছনে আছেন। তিনি তোমাদের পিছনে ফেলে যেতে পারেন না। কিন্তু লোকজন বললঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের সামনে আছেন। (নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন) এ ব্যাপারে তারা যদি আবু বাকর ও ‘উমার-এর কথা মানতো তাহলে সঠিক কাজ করত।

আবু ক্বাতাদাহ্ বলেনঃ যখন বেলা বেড়ে দুপুর হল এবং সবকিছু সূর্যতাপে উপ্তপ্ত হয়ে উঠল তখন আমারা  লোকজনের কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। তখন তারা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বলছিলঃ হে আল্লাহ্‌র রাসুল ! আমারা পিপাসায় মরে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না , তোমরা মরবে না। এরপর  তিনি বললেনঃ আমার ছোট পেয়ালাটা আনো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযুর পাত্রটাও চেয়ে নিলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেয়ালাতে পানি ঢালতে থাকলেন আর আবু ক্বাতাদাহ্ পান করাতে থাকলেন। লোকজন  যখন দেখল যে , পানি মাত্র একপাত্র আর এতগুলো লোক তখন তারা (পানি থেকে বঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে) ভিড় জমিয়ে তুলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা ধীরে সুস্থে পানি পান করতে থাকো। সবাইকে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করানো যাবে। সতরাং লোকজন তাই করল। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি  ঢালছিলেন আর আমি (আবু ক্বাতাদাহ্) পান করাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি এবং রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাড়া পানি পান করেত  আর কেউ অবশিষ্ট রইল না। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেয়ালার পানি ঢেলে আমাকে বললেনঃ পান করো  | আমি বললাম- হে আল্লাহ্‌র রাসুল ! আপনি পান না করা পর্যন্ত আমি পান করব না। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যিনি পান করান তিনি সবার শেষে পান করেন। আবু ক্বাতাদাহ্ বলেনঃ আমি তখন পানি পান করলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করলেন। পরে অবশ্য লোকজন পানি পান করার ফলে শান্ত মনে তৃপ্তি সহকারে যেতে থাকল।

হাদিসের বর্ণনাকারী সাবিত বলেছেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাবাহ ও এ কথা শুনে বললেনঃ তাহলে তো আপনি এ হাদীসটি সম্পর্কে ভাল জানেন। তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কোন কওমের লোক? আমি বললাম, আমি আনসারদের একজন। তিনি বললেন, তাহলে বর্ণনা কর। কেননা, তুমি তোমার হাদিস সম্পর্কে নিশ্চয়ই ভালভাবে অবহিত আছ। ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাবাহ বলেন- আমি ঐ রাতে কাফিলায় শারীক ছিলাম। তবে আমি জানতাম না যে , অন্য কেউও আমার মত হাদীসটি স্মরণ রেখেছেন।   (ই. ফা. ১৪৩৩ ই. সে. ১৪৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৪৯

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ الْعُطَارِدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرٍ لَهُ فَأَدْلَجْنَا لَيْلَتَنَا حَتَّى إِذَا كَانَ فِي وَجْهِ الصُّبْحِ عَرَّسْنَا فَغَلَبَتْنَا أَعْيُنُنَا حَتَّى بَزَغَتِ الشَّمْسُ – قَالَ – فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ مِنَّا أَبُو بَكْرٍ وَكُنَّا لاَ نُوقِظُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَنَامِهِ إِذَا نَامَ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ عُمَرُ فَقَامَ عِنْدَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ وَرَأَى الشَّمْسَ قَدْ بَزَغَتْ قَالَ ‏”‏ ارْتَحِلُوا ‏”‏ ‏.‏ فَسَارَ بِنَا حَتَّى إِذَا ابْيَضَّتِ الشَّمْسُ نَزَلَ فَصَلَّى بِنَا الْغَدَاةَ فَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا فُلاَنُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ ‏.‏ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَيَمَّمَ بِالصَّعِيدِ فَصَلَّى ثُمَّ عَجَّلَنِي فِي رَكْبٍ بَيْنَ يَدَيْهِ نَطْلُبُ الْمَاءَ وَقَدْ عَطِشْنَا عَطَشًا شَدِيدًا ‏.‏ فَبَيْنَمَا نَحْنُ نَسِيرُ إِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ سَادِلَةٍ رِجْلَيْهَا بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ فَقُلْنَا لَهَا أَيْنَ الْمَاءُ قَالَتْ أَيْهَاهْ أَيْهَاهْ لاَ مَاءَ لَكُمْ ‏.‏ قُلْنَا فَكَمْ بَيْنَ أَهْلِكِ وَبَيْنَ الْمَاءِ ‏.‏ قَالَتْ مَسِيرَةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ‏.‏ قُلْنَا انْطَلِقِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ وَمَا رَسُولُ اللَّهِ فَلَمْ نُمَلِّكْهَا مِنْ أَمْرِهَا شَيْئًا حَتَّى انْطَلَقْنَا بِهَا فَاسْتَقْبَلْنَا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ مِثْلَ الَّذِي أَخْبَرَتْنَا وَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا مُوتِمَةٌ لَهَا صِبْيَانٌ أَيْتَامٌ فَأَمَرَ بِرَاوِيَتِهَا فَأُنِيخَتْ فَمَجَّ فِي الْعَزْلاَوَيْنِ الْعُلْيَاوَيْنِ ثُمَّ بَعَثَ بِرَاوِيَتِهَا فَشَرِبْنَا وَنَحْنُ أَرْبَعُونَ رَجُلاً عِطَاشٌ حَتَّى رَوِينَا وَمَلأْنَا كُلَّ قِرْبَةٍ مَعَنَا وَإِدَاوَةٍ وَغَسَّلْنَا صَاحِبَنَا غَيْرَ أَنَّا لَمْ نَسْقِ بَعِيرًا وَهِيَ تَكَادُ تَنْضَرِجُ مِنَ الْمَاءِ – يَعْنِي الْمَزَادَتَيْنِ – ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَاتُوا مَا كَانَ عِنْدَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَجَمَعْنَا لَهَا مِنْ كِسَرٍ وَتَمْرٍ وَصَرَّ لَهَا صُرَّةً فَقَالَ لَهَا ‏”‏ اذْهَبِي فَأَطْعِمِي هَذَا عِيَالَكِ وَاعْلَمِي أَنَّا لَمْ نَرْزَأْ مِنْ مَائِكِ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا أَتَتْ أَهْلَهَا قَالَتْ لَقَدْ لَقِيتُ أَسْحَرَ الْبَشَرِ أَوْ إِنَّهُ لَنَبِيٌّ كَمَا زَعَمَ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ ذَيْتَ وَذَيْتَ ‏.‏ فَهَدَى اللَّهُ ذَاكَ الصِّرْمَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ فَأَسْلَمَتْ وَأَسْلَمُوا ‏.

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কোন এক সফরে তাঁর সাথে ছিলাম। এক রাতে আমরা রাতের বেলায়ই পথ চলছিলাম | রাতের শেষ দিকে বিশ্রামের জন্য আমরা একস্থানে অবতরন করলে ঘুমের প্রভাবে আমাদের চোখ বন্ধ হয়ে আসলো। এ অবস্তায় সূর্য উদিত হলো। ‘ইমরান ইবনু হুসাইন বলেন, আমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি ঘুম থেকে জেগে উটলেন তিনি আবু বাকর। আমাদের নীতি ছিল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমানোর পর নিজে নিজেই যতক্ষণ না জাগতেন ততক্ষন আমারা কেউ তাঁকে নিদ্রা থেকে জাগাতাম না। আবু বকরের পর যিনি প্রথম ঘুম থেকে জাগলেন তিনি ‘উমার। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে  উচ্চ শব্দে তাকবীর  বলতে শুরু করলেন। এতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জেগে উঠলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা উটিয়ে দেখতে পেলেন সূর্য আগেই উদিত হয়েছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবাইকে বললেনঃ  তোমরা এখান থেকে যাত্রা শুরু করো। এরপর তিনিও আমাদের সাথে যাত্রা করলেন। অতঃপর সূর্যের কিরণ আরো পরিস্কারভাবে  চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তিনি সওয়ারী থামিয়ে অবতরন করলেন এবং আমাদেরকে সাথে করে ফাজরের সলাত আদায় করলেন। কিন্তু জৈনিক ব্যক্তি সবার থেকে দূরে থাকল এবং আমাদের সাথে সলাত আদায় করলেন না। সলাত শেষ করে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি কারনে আমাদের সাথে সলাত আদায় করলে না? সে বলল , হে আল্লাহ্‌র নবী , আমার জন্য গোসল ফারয হয়েছে (তাই সলাত আদায় করতে পারলাম না) তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করতে বললেন। অতঃপর সে তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করল। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  আমাকে একদল লোকের সাথে সম্মুখের দিকে আগে আগে পাঠিয়ে দিলেন যাতে আমরা পানি খুঁজে বের করি। আমরা ইতিমধ্যে যার পর নাই তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা পথ চলতে চলতে এক স্ত্রী লোককে দেখতে পেলাম। সে তার সওয়ারীর উপর দু’টি চামড়ার মশকের উপর দু’দিকে পা ঝুলিয়ে বসেছিল। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম , এখানে পানি কোথায় পাওয়া যাবে? সে বলে উঠল হায় ! হায় ! এখানে পানি তোমরা কোথায় পাবে? আমরা তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম , তোমার গোত্রের বসতি এলাকা থেকে পানি কত দূরে? সে বললঃ একদিন ও একরাতের পথের ব্যবধান। আমরা তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে চলো। সে বললঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার কি? এরপর আমরা আর তাকে নিজের ইচ্ছামত কোন কিছুই করতে দিলাম না। বরং তাকে ধরে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে নিয়ে আসলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন , সে আমাদেরকে যা বলেছিল তাঁকেও তাই বলল। সে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আরও জানালেন যে , সে ইয়াতিম শিশুর অভিভাবিকা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটকে বসাতে আদেশ করলে সেটাকে বসানো হল এবং  তিনি চামড়ার মশকের উপর দিকের মুখ দু’টিতে কুল্লি করে দিলেন। এরপর উটটিকে দাড় করানো হলো। আমরা তৃষ্ণার্ত চল্লিশ জনে সবাই এবার তৃষ্ণা দূর করে পানি পান করলাম। আমরা আমাদের মশক ও পানির পাত্রগুলি ভর্তি করে নিলাম এবং আমাদের সঙ্গী লোকটিকেও গোসল করালাম। তবে কোন উটকে পানি পান করালাম না। অথচ মশক তখনও পানির চাপে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের যার কাছে যা আছে নিয়ে এসো। সুতরাং আমরা ঐ মহিলার জন্য খেজুর ও খেজুরের টুকরা এনে জমা করলে সেগুলো দিয়ে তার জন্য একটি পুটলি বাঁধা হলো। (এগুলো দিয়ে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ এবার তুমি গিয়ে তোমার বাচ্চাদের খওয়াও। আর মনে রেখ যে, তোমার পানি আমরা আদৌ নেই নি। সে তার লোকদের নিকট ফিরে গিয়ে বললঃ আমি সবচেয়ে বড় জাদুকরের সাক্ষাৎ পেয়েছি। অথবা সে সম্ববত বলেছিল , একজন নবী র সাক্ষাৎ পেয়েছি। এমন-এমন বিস্ময়কর দেখলাম তার ব্যাপারটা আল্লাহ তাআলা ঐ মহিলার দ্বারা উক্ত জনপদকে হেদায়েত দান করলেন। সুতরাং সেও ইসলাম গ্রহণ করল এবং উক্ত জনপদের লোকেরাও ইসলাম গ্রহণ করল। (ই. ফা. ১৪৩৪ , ই. সে. ১৪৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৫০

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ الأَعْرَابِيُّ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَسَرَيْنَا لَيْلَةً حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ قُبَيْلَ الصُّبْحِ وَقَعْنَا تِلْكَ الْوَقْعَةَ الَّتِي لاَ وَقْعَةَ عِنْدَ الْمُسَافِرِ أَحْلَى مِنْهَا فَمَا أَيْقَظَنَا إِلاَّ حَرُّ الشَّمْسِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سَلْمِ بْنِ زَرِيرٍ وَزَادَ وَنَقَصَ ‏.‏ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ وَكَانَ أَجْوَفَ جَلِيدًا فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِشِدَّةِ صَوْتِهِ بِالتَّكْبِيرِ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَكَوْا إِلَيْهِ الَّذِي أَصَابَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ ضَيْرَ ارْتَحِلُوا ‏”‏ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ ‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , কোন এক সফরে আমরা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম। আমরা রাতের বেলা পথ চললাম। রাতের শেষভাগে ভোর অল্প কিছু পূর্বে আমরা এমনভাবে পড়লাম (অর্থাৎ ক্লান্তিতে শরীর এলিয়ে দিলাম) যার চেয়ে অন্য কোন পড়াই কোন মুসাফিরের কাছে অধিক পছন্দনীয় বা সুখকর নয়। একমাত্র সূর্যতাপে আমরা জেগে উটলাম। …… এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি হাদীসটি সালাম ইবনু যারীর বর্ণিত  হাদিসের অনুরূপ করে বর্ণনা করলেন। এ বর্ণনাতে তিনি হ্রাস-বৃদ্ধিও করলেন। হাদীসটিতে তিনি উল্লেখ করেছেন-‘উমার ইবনু খাত্তাব জেগে উটে যখন লোকদের অবস্থা দেখলেন তখন উচ্চঃস্বরে তাকবীর শুরু করলেন। ‘উমার ছিলেন উচু কন্ঠস্বরের লোক। তাঁর গুরুগম্ভীর শব্দে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জেগে উঠলেন। তিনি জেগে উটলে লোকজন তাঁর কাছে তাদের অবস্তা জানিয়ে অভিযোগ করলে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন- এ ঘুমে কোন ক্ষতি নেই। তোমরা এখান থেকে যাত্রা করো। এরপর তিনি হাদীসটি বর্ণনা করলেন। (ই. ফা. ১৪৩৫,  ই. সে. ১৪৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৫১

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي سَفَرٍ فَعَرَّسَ بِلَيْلٍ اضْطَجَعَ عَلَى يَمِينِهِ وَإِذَا عَرَّسَ قُبَيْلَ الصُّبْحِ نَصَبَ ذِرَاعَهُ وَوَضَعَ رَأْسَهُ عَلَى كَفِّهِ ‏.

আবু ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফররত অবস্তায় রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে তিনি ডান কাতে শুয়ে থাকতেন। আর ভোরের কাছাকাছি সময়ে জাগ্রত হলে তাঁর বাহু দাঁড় করিয়ে হাতের তালুতে ভর করে শুয়ে থাকতেন। (ই. ফা. নেই, ই. সে. ১৪৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৫২

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ কোন সলাত করতে ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে তখনই যেন তা আদায় করে নেয়। এ ব্যবস্তা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন কাফফারাহ্ তাকে দিতে হবে না।

হাদিসের বর্ণনাকারী ক্বাতাদাহ্ তার বর্ণনায় “আমার স্মরণের জন্য সলাত আদায় করো’” – (সূরা ত্ব-হা ২০ : ১৪)  এ আয়াতটি উল্লেখ করেছেন। (ই. ফা. ১৪৩৬ , ই. সে. ১৪৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৫৩

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.

আবু আওয়ানাহ্ , ক্বাতাদাহ্ , আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এর বর্ণনাতে “এর কাফফারাহ্ এ (স্মরণ হলেই আদায় করে নেয়া) ছাড়া আর কিছুই নয়”- কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। (ই. ফা. ১৪৩৭ , ই. সে. ১৪৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪৫৪

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ نَسِيَ صَلاَةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন , কেউ কোন সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে পড়লে তার কাফফারাহ্ হলো যখনই স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে।   (ই. ফা. ১৪৩৮ , ই. সে. ১৪৪৮)

 

—————–

 

১৪৫৫. নাস্‌র ইবনু ‘আলী আল জাহ্‌যামী (রহঃ) ….. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন , রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ ঘুম থেকে জাগতে না পারার কারনে সলাত আদায় করতে না পারলে অথবা সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই স্মরণ হবে তখনই সলাত আদায় করবে। কেননা, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ ” আমার স্মরণের জন্য সলাত আদায় করো ”- (সূরা ত্ব-হা ২০ : ১৪) (ই. ফা. ১৪৩৯ ,ই.সে. ১৪৪৯)

 

[বিঃদ্রঃ হাদিস নং ১৪৫৫ দুইবার এসেছে, তাই প্রথমটি হাদিস নং ১৪৫৪ এর সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হল।]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস