দারেমী যুদ্ধাভিযান অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৫৩১ – ২৫৬৮
দারেমী যুদ্ধাভিযান অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৫৩১ – ২৫৬৮
২৫৩১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫২. কোনো কর্মচারী তার কর্মের সময়ে যদি কোনো কিছু লাভ করে
২৫৩১. আবী হুমায়দ সা’ঈদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করেন। যখন সে কর্মচারী তার কাজ (যাকাত আদায়) শেষ করে ফিরে আসলো, তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! এগুলো আপনাদের জন্য এবং এগুলো আমাকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয়েছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তুমি তোমার পিতা- মাতার গৃহে বসে থেকে দেখতে যে, তোমাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কি-না? “অত:পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের সালাত শেষে মিম্বারের উপর দাঁড়ালেন এবং শাহাদতের বাক্য উচ্চারণ করে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা ও গুণগান আদায়ের পর বললেনঃ “অত:পর, আমি যাকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করে পাঠাই, তার কী হলো যে, সে ফিরে এসে বলে, ’এই মাল তোমাদের এবং এইগুলি আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে?!’
সে তার পিতা-মাতার গৃহে বসে থেকে দেখলো না কেন যে, তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? যাঁর হাতে মুহাম্মদের জীবন, সেই মহান সত্তার কসম! তোমাদের কেউ (যাকাতের সম্পদ হতে) কোনো জিনিস আত্মসাৎ করলে অবশ্যই কিয়ামতের দিন সে তা তার কাঁধে বহন করে নিয়ে উপস্থিত হবে। যদি তা উট হয়, তবে সে উট গরগর করে আওয়ায করতে থাকবে। যদি গাভী হয়, তবে সেটি হাম্বা-হাম্বা ডাক দিতে দিতে আসবে। আর যদি বকরী হয়, তবে সেটিও ডাকতে থাকবে। আমি কি (তোমার হুকুম) পৌছে দিয়েছি ?” আবূ হুমাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এরপর তিনি তাঁর দু’হাত এত উপরে উঠালেন যে, এমনকি আমরা তাঁর উভয় বাহুমুলের লোমগুচ্ছ দেখতে পেলাম। আবূ হুমাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও আমার সাথে এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছেন। ফলে তোমরা তাঁকে সেটি জিজ্ঞেস করে দেখ।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: এটি ১৭১১ (অনুবাদে ১৭০৬) নং এ গত হয়েছে। ((বুখারী, জুমু’আহ ৯২৫, হিয়াল (কুটকৌশল) ৬৯৭৯; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৩২; আবূ দাউদ, ইমারাহ ২৯৪৬; আহমাদ ৫/২২৭-, ২৮৫, ৪২৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫১৫; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৬৩ তে।- অনুবাদ ১৭০৬ নং এর টীকা হতে। -অনুবাদক))
بَاب فِي الْعَامِلِ إِذَا أَصَابَ مِنْ عَمَلِهِ شَيْئًا
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ عَامِلًا عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَهُ الْعَامِلُ حِينَ فَرَغَ مِنْ عَمَلِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الَّذِي لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَلَّا قَعَدْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأَمِّكَ فَنَظَرْتَ أَيُهْدَى لَكَ أَمْ لَا ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةً بَعْدَ الصَّلَاةِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ الْعَامِلِ نَسْتَعْمِلُهُ فَيَأْتِينَا فَيَقُولُ هَذَا مِنْ عَمَلِكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَهَلَّا قَعَدَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ فَيَنْظُرَ أَيُهْدَى لَهُ أَمْ لَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا يَغُلُّ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنْهَا شَيْئًا إِلَّا جَاءَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى عُنُقِهِ إِنْ كَانَ بَعِيرًا جَاءَ بِهِ لَهُ رُغَاءٌ وَإِنْ كَانَتْ بَقَرَةً جَاءَ بِهَا لَهَا خُوَارٌ وَإِنْ كَانَتْ شَاةً جَاءَ بِهَا تَيْعِرُ فَقَدْ بَلَّغْتُ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ ثُمَّ رَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ حَتَّى إِنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى عُفْرَةِ إِبِطَيْهِ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ وَقَدْ سَمِعَ ذَلِكَ مَعِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَسَلُوهُ
أخبرنا الحكم بن نافع حدثنا شعيب عن الزهري أخبرني عروة بن الزبير عن أبي حميد الساعدي أنه أخبره أن النبي صلى الله عليه وسلم استعمل عاملا على الصدقة فجاءه العامل حين فرغ من عمله فقال يا رسول الله هذا الذي لكم وهذا أهدي لي فقال النبي صلى الله عليه وسلم فهلا قعدت في بيت أبيك وأمك فنظرت أيهدى لك أم لا ثم قام النبي صلى الله عليه وسلم عشية بعد الصلاة على المنبر فتشهد فحمد الله وأثنى عليه بما هو أهله ثم قال أما بعد فما بال العامل نستعمله فيأتينا فيقول هذا من عملكم وهذا أهدي لي فهلا قعد في بيت أبيه وأمه فينظر أيهدى له أم لا والذي نفس محمد بيده لا يغل أحد منكم منها شيئا إلا جاء به يوم القيامة يحمله على عنقه إن كان بعيرا جاء به له رغاء وإن كانت بقرة جاء بها لها خوار وإن كانت شاة جاء بها تيعر فقد بلغت قال أبو حميد ثم رفع النبي صلى الله عليه وسلم يديه حتى إنا لننظر إلى عفرة إبطيه قال أبو حميد وقد سمع ذلك معي من رسول الله صلى الله عليه وسلم زيد بن ثابت فسلوه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুমায়দ সা‘ঈদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. মুশরিকদের প্রদত্ত হাদিয়া গ্রহণ করা প্রসঙ্গে
২৫৩২. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, যুইয়াযান-এর শাসক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একটি পোশাক হাদীয়া দিয়েছিলেন যা তিনি ত্রেত্রিশটি উট কিংবা তেত্রিশটি উটনীর বিনিময়ে ক্রয় করেছিলেন। অত:পর তিনি সেটি গ্রহণ করেছিলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪১৮ তে। এছাড়াও, তাহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার নং ৪৩৪৪, ৪৩৪৫। ((আবু দাউদ, লিবাস, ৪০৩৪; আহমাদ ৩/২২১।– ফাতহুল মান্নান হা/২৬৫৩ এর টীকা হতে।- অনুবাদক)
بَاب فِي قَبُولِ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ مَلِكَ ذِي يَزَنٍ أَهْدَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُلَّةً أَخَذَهَا بِثَلَاثَةٍ وَثَلَاثِينَ بَعِيرًا أَوْ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ نَاقَةً فَقَبِلَهَا
أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا عمارة بن زاذان عن ثابت عن أنس بن مالك أن ملك ذي يزن أهدى إلى النبي صلى الله عليه وسلم حلة أخذها بثلاثة وثلاثين بعيرا أو ثلاث وثلاثين ناقة فقبلها
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. মুশরিকদের প্রদত্ত হাদিয়া গ্রহণ করা প্রসঙ্গে
২৫৩৩. আবূ হুমাইদ সা’ঈদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়লা নগরীর শাসনকর্তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটি চিঠি পাঠান এবং তাঁকে একটি সাদা খচ্চর ও চাদর হাদিয়া দেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (সেখানকার শাসনকর্তারূপে বহাল থাকার) লিখিত নির্দেশ দেন এবং তাকে একটি চাদর হাদিয়া দেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১৩৯২; বাইহাকী, কাসামুল ফাই ওয়াল গনীমাহ ৬/৩৭২; বুখারী, ফাযাইলূল মদীনাহ ১৮৭২, মানাকিবুল আনসার ৩৭৯১, মাগাযী ৪৪২২, যাকাত ১৪৮১; আবূ নুয়াইম, দালাইলুল নবুওয়াত ৫/২৬৬ অতি সংক্ষেপে; আহমাদ ৫/৪২৪-৪২৫; ইবনু আবী শাইবা ১৪/৫৩৯-৫৪০ নং ১৮৮৫২।
بَاب فِي قَبُولِ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ بَعَثَ صَاحِبُ أَيْلَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ وَأَهْدَى لَهُ بَغْلَةً بَيْضَاءَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْدَى لَهُ بُرْدًا
أخبرنا عبد الله بن مسلمة حدثنا سليمان بن بلال عن عمرو بن يحيى عن عباس بن سهل الساعدي عن أبي حميد الساعدي قال بعث صاحب أيلة إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بكتاب وأهدى له بغلة بيضاء فكتب إليه رسول الله صلى الله عليه وسلم وأهدى له بردا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুমায়দ সা‘ঈদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. নাবী (ﷺ) এর বণীঃ আমরা মুশরিকদের সাহায্য গ্রহণ করি না – সম্পর্কে
২৫৩৪. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমরা কোন মুশরিকের সাহায্য গ্রহণ করব না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, জিহাদ ১৮১৭;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭২৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৬২১ তে।
এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১২/৩৯৫ নং ১৫০০৯।
بَاب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّا لَا نَسْتَعِينُ بِالْمُشْرِكِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّا لَا نَسْتَعِينُ بِمُشْرِكٍ
أخبرنا إسحق بن إبراهيم حدثنا وكيع عن مالك بن أنس عن عبد الله بن نيار عن عروة عن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إنا لا نستعين بمشرك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. নাবী (ﷺ) এর বণীঃ আমরা মুশরিকদের সাহায্য গ্রহণ করি না – সম্পর্কে
২৫৩৫. (অপর সনদে) আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে এর চেয়েও দীর্ঘ আকারে বর্ণিত আছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পূনরাবৃত্তি।
بَاب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّا لَا نَسْتَعِينُ بِالْمُشْرِكِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ عَنْ رَوْحٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ فُضَيْلٍ هُوَ ابْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَطْوَلُ مِنْهُ
أخبرنا إسحق عن روح عن مالك عن فضيل هو ابن أبي عبد الله عن عبد الله بن نيار عن عروة عن عائشة أطول منه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. আরব উপদ্বীপ হতে মুশরিকদেরকে বহিষ্কার করা
২৫৩৬. আবী উবাইদ ইবনু জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বশেষ যে বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলেছেন, (তা হলো), তিনি বলেছেন: “ইয়াহুদীদেরকে হিজায হতে এবং নাজরাণের অধিবাসী (খৃস্টান)-দেরকে আরব উপদ্বীপ হতে বের করে দাও।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৮৭২; মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২০৯১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৬৩ তে। এছাড়াও, তাহাবী,
মুশকিলিল আছার নং ২৭৬০; বাইহাকী, জিযিয়া, ৯/২০৮; ইবনু আবী শাইবা ১২/৩৪৪-৩৪৫ নং ১৩০৩৭।
بَاب إِخْرَاجِ الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ
أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْمُونٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ عَنْ أَبِيهِ سَمُرَةَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ كَانَ فِي آخِرِ مَا تَكَلَّمَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَخْرِجُوا يَهُودَ الْحِجَازِ وَأَهْلَ نَجْرَانَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ
أخبرنا عفان حدثنا يحيى بن سعيد القطان حدثنا إبراهيم بن ميمون رجل من أهل الكوفة حدثني سعد بن سمرة بن جندب عن أبيه سمرة عن أبي عبيدة بن الجراح قال كان في آخر ما تكلم به رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أخرجوا يهود الحجاز وأهل نجران من جزيرة العرب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৬. মুশরিকদের পাত্রে পান করা প্রসঙ্গে
২৫৩৭. আবূ সা’লাবা আল খুশানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস করি। আমরা তাদের পাত্রে খায়। উত্তরে তিনি বললেনঃ “তুমি যে এলাকার কথা উল্লেখ করলে, যদি তুমি সেই এলাকায় বসবাস কর, সেক্ষেত্রে তুমি নিরুপায় না হলে তাদের পাত্রে খাবে না। আর যদি নিরুপায় হয়ে পড়, তাহলে তাদের পাত্রগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে আহার কর।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, যাবাইহ ওয়াস সইদ ৫৪৭৮; মুসলিম, সইদ ওয়াস যাবাইহ ১৯৩০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৭৯ তে।
بَاب فِي الشُّرْبِ فِي آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ حَدَّثَنِي أَبُو ثَعْلَبَةَ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا بِأَرْضِ أَهْلِ الْكِتَابِ فَنَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كُنْتَ بِأَرْضٍ كَمَا ذَكَرْتَ فَلَا تَأْكُلُوا فِي آنِيَتِهِمْ إِلَّا أَنْ لَا تَجِدُوا مِنْهَا بُدًّا فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا مِنْهَا بُدًّا فَاغْسِلُوهَا ثُمَّ كُلُوا فِيهَا
أخبرنا أبو عاصم عن حيوة بن شريح حدثني ربيعة بن يزيد حدثني أبو إدريس حدثني أبو ثعلبة قال أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله إنا بأرض أهل الكتاب فنأكل في آنيتهم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن كنت بأرض كما ذكرت فلا تأكلوا في آنيتهم إلا أن لا تجدوا منها بدا فإن لم تجدوا منها بدا فاغسلوها ثم كلوا فيها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘লাবাহ্ আল খুশানী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৭. গণীমাতের মাল বন্টনের পূর্বে তা থেকে কিছু খাবার খাওয়া
২৫৩৮. আবদুল্লাহ্ ইবন মুগাফফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বের যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তি (দুর্গ অবরোধকালে দুর্গ হতে) চর্বিভর্তি একটা থলে নিচে ফেলে দিল। আমি সেটির নিকট এসে তা সংরক্ষণ করি এবং বলিঃ আজ এ হতে আমি কাউকে কিছু দেব না। রাবী বলেনঃ হঠাৎ দেখি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে চেয়ে মুচকি হাসছেন। (এতে আমি লজ্জিত হয়ে পড়লাম।)[1] আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আশা করি যে, হুমাইদ আব্দুল্লাহ হতে শুনেছেন।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু দাউদ, জিহাদ ২৭০২; বাইহাকী, দালাইলুল নবুওয়াত ৪/২৪১; মুসলিম, জিহাদ ওয়াস সিয়ার ১৭৭২; বুখারী, ফারযুল খুমুস ৩১৫৩, , যাবাইহ ওয়াস সইদ ৫৫০৮; আহমাদ ৪/৮৬ ও ৫/৫৬; নাসাঈ, যহায়া ৭/২৩৬; ইবনু আদী, আল কামিল ২/৬৯২।
بَاب فِي أَكْلِ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ تُقْسَمَ الْغَنِيمَةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ دُلِّيَ جِرَابٌ مِنْ شَحْمٍ يَوْمَ خَيْبَرَ قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَالْتَزَمْتُهُ قَالَ ثُمَّ قُلْتُ لَا أُعْطِي مِنْ هَذَا أَحَدًا الْيَوْمَ شَيْئًا فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْتَسِمُ إِلَيَّ قَالَ عَبْد اللَّهِ أَرْجُو أَنْ يَكُونَ حُمَيْدٌ سَمِعَ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ
حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا سليمان هو ابن المغيرة عن حميد عن عبد الله بن مغفل قال دلي جراب من شحم يوم خيبر قال فأتيته فالتزمته قال ثم قلت لا أعطي من هذا أحدا اليوم شيئا فالتفت فإذا رسول الله صلى الله عليه وسلم يبتسم إلي قال عبد الله أرجو أن يكون حميد سمع من عبد الله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৩৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. ‘মাজুসী’ বা অগ্নিপুজকদের নিকট থেকে জিযিয়া গ্রহণ করা সম্পর্কে
২৫৩৯. বাজালাহ হতে আমর বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি যে, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান ইবন আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’হাজার’ নামক স্থানের অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেছিলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, জিযিয়া, ৩১৫৬;
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৮৬০, ৮৬১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৪ তে।
بَاب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنْ الْمَجُوسِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ بَجَالَةَ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ لَمْ يَكُنْ عُمَرُ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنْ الْمَجُوسِ حَتَّى شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ هَجَرَ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن عمرو عن بجالة قال سمعته يقول لم يكن عمر أخذ الجزية من المجوس حتى شهد عبد الرحمن بن عوف أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أخذها من مجوس هجر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৯. একজন নগন্য মুসলিমও মুসলিমদের থেকে কাউকে আশ্রয় দিতে পারে
২৫৪০. উম্মু হানী বিনতে আবূ তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। অত:পর বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমার সহোদর ভাই (’আলী) হুবাইরার অমুক পুত্রকে হত্যা করার সংকল্প করেছে, যাকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উম্মু হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছো, আমরাও তাকে আশ্রয় দিয়েছি।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: এটি ১৪৯৪ (অনুবাদে ১৪৮৯, ১৪৯০) নং এ গত হয়েছে। ((বুখারী ১১৭৮; মুসলিম ৭২১-অনুবাদক))
بَاب يُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَدْنَاهُمْ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تُحَدِّثُ أَنَّهَا ذَهَبَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانُ بْنُ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ
أخبرنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا مالك عن أبي النضر أن أبا مرة مولى عقيل بن أبي طالب أخبره أنه سمع أم هانئ بنت أبي طالب تحدث أنها ذهبت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفتح فقالت يا رسول الله زعم ابن أمي أنه قاتل رجلا أجرته فلان بن هبيرة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قد أجرنا من أجرت يا أم هانئ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬০. সংবাদবাহক (দূত) কে হত্যা করা নিষিদ্ধ
২৫৪১. ইবনু মুয়াইয আস সা’দী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার একটি ঘোড়াকে গাছ-পালা থেকে (পাতা) খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে বের হলাম। এরপর বনী হানীফদের একটি মসজিদ অতিক্রম করছিলাম। তখন আমি তাদের বলতে শুনলাম, তারা সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, মুসালামাহ আল্লাহ্র রাসূল। তখন আমি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ফিরে এসে বিষয়টি তাকে জানালাম। তখন তিনি পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে তাদেরকে তার নিকট ধরে আনলেন। এরপর লোকেরা তাওবা করল এবং তাদের পুর্বের বক্তব্য হতে প্রত্যাবর্তন করল। ফলে তিনি তাদেরকে ছেড়ে দিলেন।
এরপর আব্দুল্লাহ ইবনু নুওয়াহাহ নামক তাদের এক লোকের নিকট এসে তিনি তাকে হত্যা করলেন। তখন তারা তাকে বললো, আপনি তো ঐ লোকগুলিকে ছেড়ে দিলেন কিন্তু একে মেরে ফেললেন যে? তখন তিনি বলেন আমি একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে ছিলাম। তখন হঠাৎ এ ব্যক্তি ও মুসায়লামার দু’জন দূত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিটক প্রবেশ করলো। তখন দু’জন দূতকে এ মর্মে জিজ্ঞাসা করেনঃ “তোমরা কি এ সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসূল?”
তখন তারা দু’জন জবাবে বলল, আমরা তো সাক্ষ্য দিই যে, মুসায়লামাহ আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বললেন, “আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। যদি আমি দূতদেরকে হত্যা করতাম, তবে অবশ্যই আমি তোমাদেরদু’জনের শিরশ্ছেদ করতাম।” (রাবী বলেন) এজন্যই আমি একে হত্যা করলাম। আর তিনি নির্দেশ দিলে তাদের মসজিদসমূহ ধ্বংস করে দেওয়া হলো।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৫০৯৭, ৫২২১, ৫২৪৭, ৫২৬০, সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮৭৮, ৪৮৭৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৬২৯ তে। ((আবূ দাউদ, জিহাদ ২৭৬১; আহমাদ ৩/৪৮৭-৪৮৮ সহীহ সনদে।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৫০৩ এর টীকা।–অনুবাদক))
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ الرُّسُلِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ ابْنِ مُعَيْزٍ السَّعْدِيِّ قَالَ خَرَجْتُ أُسْفِرُ فَرَسًا لِي مِنْ السَّحَرِ فَمَرَرْتُ عَلَى مَسْجِدٍ مِنْ مَسَاجِدِ بَنِي حَنِيفَةَ فَسَمِعْتُهُمْ يَشْهَدُونَ أَنَّ مُسَيْلَمَةَ رَسُولُ اللَّهِ فَرَجَعْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَأَخْبَرْتُهُ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ الشُّرَطَ فَأَخَذُوهُمْ فَجِيءَ بِهِمْ إِلَيْهِ فَتَابَ الْقَوْمُ وَرَجَعُوا عَنْ قَوْلِهِمْ فَخَلَّى سَبِيلَهُمْ وَقَدَّمَ رَجُلًا مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُوَاحَةَ فَضَرَبَ عُنُقَهُ فَقَالُوا لَهُ تَرَكْتَ الْقَوْمَ وَقَتَلْتَ هَذَا فَقَالَ إِنِّي كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا إِذْ دَخَلَ هَذَا وَرَجُلٌ وَافِدَيْنِ مِنْ عِنْدِ مُسَيْلَمَةَ فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَشْهَدَانِ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَا لَهُ تَشْهَدُ أَنْتَ أَنَّ مُسَيْلَمَةَ رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ لَوْ كُنْتُ قَاتِلًا وَفْدًا لَقَتَلْتُكُمَا فَلِذَلِكَ قَتَلْتُهُ وَأَمَرَ بِمَسْجِدِهِمْ فَهُدِمَ
أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا أبو بكر بن عياش عن عاصم عن أبي وائل عن ابن معيز السعدي قال خرجت أسفر فرسا لي من السحر فمررت على مسجد من مساجد بني حنيفة فسمعتهم يشهدون أن مسيلمة رسول الله فرجعت إلى عبد الله بن مسعود فأخبرته فبعث إليهم الشرط فأخذوهم فجيء بهم إليه فتاب القوم ورجعوا عن قولهم فخلى سبيلهم وقدم رجلا منهم يقال له عبد الله بن نواحة فضرب عنقه فقالوا له تركت القوم وقتلت هذا فقال إني كنت عند رسول الله صلى الله عليه وسلم جالسا إذ دخل هذا ورجل وافدين من عند مسيلمة فقال لهما رسول الله صلى الله عليه وسلم أتشهدان أني رسول الله فقالا له تشهد أنت أن مسيلمة رسول الله فقال آمنت بالله ورسله لو كنت قاتلا وفدا لقتلتكما فلذلك قتلته وأمر بمسجدهم فهدم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬১. চুক্তিবদ্ধ (কাফির) কে হত্যা করা নিষিদ্ধ
২৫৪২. আবী বাকরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি অসময়ে (তার চুক্তির মেয়াদের মধ্যে কিংবা যে সময়সীমার মধ্যে তাকে হত্যা করা জায়িয ছিল তা ব্যতীত) কোনো যিম্মি বা চুক্তিবদ্ধ (কাফির) ব্যক্তিকে হত্যা করবে, আল্লাহ তার উপর জান্নাতকে হারাম করে দেবেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮৮১, ৪৮৮২, ৭৩৮২, ৭৩৮৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৩০, ১৫৩১, ১৫৩২ তে। ((আবূ দাউদ, জিহাদ ২৭৬০; আহমাদ ৫/৩৬, ৩৮, ৪৬, ৫০, ৫১; তায়ালিসী ৮৭৯; নাসাঈ, কাসামাহ ৮/২৪-২৫; হাকিম ২/১৪২; হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা বজায় রেখেছেন।–আল ইহসান, শাইখ আরনাউত্বের টীকা হা/৪৮৮১ হতে।–অনুবাদক))
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ الْمُعَاهَدِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عُيَيْنَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جَوْشَنٍ الْغَطَفَانِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا فِي غَيْرِ كُنْهِهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ
أخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا عيينة بن عبد الرحمن بن جوشن الغطفاني عن أبيه عن أبي بكرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من قتل معاهدا في غير كنهه حرم الله عليه الجنة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬২. যখন শত্রুদের কোনো ব্যক্তি মুসলিমের সম্পদ লাভ করে
২৫৪৩. ইমরান ইবন হুসায়ন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আযবা উটনীটি ছিল বনূ ’আকীলের’ জনৈক ব্যক্তির। একবার সে ব্যক্তিকে বন্দী করা হলো এবং আযবাকে পাকড়াও করা হলো। অত:পর পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে আসলেন। সে ছিলো বন্দী অবস্থায়।
তখন সে বলেঃ হে মুহাম্মদ! তুমি আমাকে এবং হাজীদের কাফিলার আগে গমনকারী (এ উট)-কে কেন পাকড়াও করলে? অথচ আমি তো ইসলাম গ্রহণ করেছি।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “যখন তোমার ব্যাপারটি তোমার অধিকারে ছিলো, তখন যদি তুমি এ কথাটি বলতে, তাহলে তুমি পূর্ণ কামিয়াব ও সফলকাম হতে।”
অত:পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আমি তোমাকে তোমাদের মিত্র (গোত্র ছাকীফ)-এর অপরাধের কারণে গ্রেফতার করেছি।”
(এর কয়েকদিন পূর্বে) সাকীফ গোত্রের লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু’জন সাহাবীকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল। আর এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গাধার পিঠে চড়ে আসলেন এবং তাঁর গায়ে একটি চাদর জড়ানো ছিলো। এমন সময় সে (লোকটি) বলে উঠলো, হে মুহাম্মদ! আমি ক্ষুধার্ত। আমাকে খাবার দিন! আমি পিপাসার্ত, আমাকে পান করতে দিন!
(জবাবে) তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “এটাই হলো তোমার প্রয়োজন ও চাহিদা!”
পরে এক সময় (যে দু’জন মুসলিম বনী সাকীফের হাতে বন্দী হয়েছিল সেই) দু’জন লোকের বিনিময়ে এ ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযবাকে বাহন হিসেবে রেখে দেন।
অত:পর একবার মুশরিকরা মদীনার উপকণ্ঠে হামলা চালিয়ে আযবা উটনীকে (চুরি করে) নিয়ে যায়। তারা ফিরে যাওয়ার সময় একজন মুসলিম নারীকে বন্দী করে নিয়ে যায়।
যখন তারা (কোথাও) অবতরণ করতো, তখন তাদের উটগুলিকে (রাতের বেলায়) তাদের আশপাশে – আবূ মুহাম্মদ বলেন, এরপর তিনি (বর্ণনাকারী) একটি বাক্য উচ্চারণ করল’[1]- (অর্থাৎ বিশ্রামের জন্য ছেড়ে রাখত)। এরপর তারা এক রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় সে মহিলা উঠে দাঁড়ায় (যাতে পালিয়ে যেতে পারে)। কিন্তু সে কোন উটের (কাছে গিয়ে) গায়ে হাত রাখলেই সে শোরগোল বাধিয়ে দিতে লাগলো। অবশেষে সে মহিলা আযবা উটনীর কাছে আসলো। (প্রকৃতপক্ষে) সে মহিলা একটি অনুগত এবং প্রশিক্ষিত (অভিজ্ঞ) উটের নিকটেই আসলো। তখন সে তার উপর সওয়ার হয়ে মদীনা অভিমুখে যাত্রা করলো এবং এরূপ মানত করলো যে, যদি আল্লাহ্ তাকে নাজাত দেন, তবে সে এটি (আযবা উটনী)-কে কুরবানী করবে।তিনি (রাবী) বলেন, অতঃপর সে মহিলা যখন মদীনায় পৌছলো, তখন সে উটনীটিকে চেনা গেলো; ফলে লোকেরা বলতে লাগলো যে, ’(এটি তো) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উটনী। তখন তারা সেটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে এলো। এবং মহিলাটি তার মানত সম্পর্কে তাঁকে জানালো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “উটনীটিকে তুমি কতই না মন্দ প্রতিদান দিতে চেয়েছ! – কিংবা তুমি একে কতই না অসম্মান করলে! আল্লাহ্ তা’আলা কি এজন্য একে নাজাত দিয়েছেন যে, তুমি এটিকে কুরবানী করবে? জেনে রাখ, আল্লাহর নাফরমানীমুলক বিষয়ে এবং বনূ আদম যার মালিক নয়, এমন বিষয়েও যে মানত করা হয়, তা পূরণ করার প্রয়োজন নেই।”[2]
[1] (মুসলিমে রয়েছে-‘বিশ্রাম দিত’। এটি হলো সেই বাক্য’যা আবু মুহাম্মদ শুনতে পাননি।–মুহাক্বিক্বের টীকা)
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, নুযূর ১৬৪১। আর এর তাখরীজ গত হয়েছে ২৩৮২ (অনুবাদে ২৩৭৩) নং এ।
بَاب إِذَا أَحْرَزَ الْعَدُوُّ مِنْ مَالِ الْمُسْلِمِينَ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ كَانَتْ الْعَضْبَاءُ لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي عُقَيْلٍ فَأُسِرَ وَأُخِذَتْ الْعَضْبَاءُ فَمَرَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي وَثَاقٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ عَلَى مَا تَأْخُذُونِي وَتَأْخُذُونَ سَابِقَةَ الْحَاجِّ وَقَدْ أَسْلَمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ قُلْتَهَا وَأَنْتَ تَمْلِكُ أَمْرَكَ أَفْلَحْتَ كُلَّ الْفَلَاحِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَأْخُذُكَ بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ وَكَانَتْ ثَقِيفٌ قَدْ أَسَرُوا رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي جَائِعٌ فَأَطْعِمْنِي وَظَمْآنُ فَاسْقِنِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ حَاجَتُكَ ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَ فُدِيَ بِرَجُلَيْنِ فَحَبَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَضْبَاءَ لِرَحْلِهِ وَكَانَتْ مِنْ سَوَابِقِ الْحَاجِّ ثُمَّ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ أَغَارُوا عَلَى سَرْحِ الْمَدِينَةِ فَذَهَبُوا بِهِ فِيهَا الْعَضْبَاءُ وَأَسَرُوا امْرَأَةً مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَكَانُوا إِذَا نَزَلُوا قَالَ أَبُو مُحَمَّد ثُمَّ ذَكَرَ كَلِمَةً إِبِلُهُمْ فِي أَفْنِيَتِهِمْ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ قَامَتْ الْمَرْأَةُ وَقَدْ نُوِّمُوا فَجَعَلَتْ لَا تَضَعُ يَدَيْهَا عَلَى بَعِيرٍ إِلَّا رَغَا حَتَّى أَتَتْ الْعَضْبَاءَ فَأَتَتْ عَلَى نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلُولٍ مُجَرَّسَةٍ فَرَكِبَتْهَا ثُمَّ تَوَجَّهَتْ قِبَلَ الْمَدِينَةِ وَنَذَرَتْ لَئِنْ اللَّهُ نَجَّاهَا لَتَنْحَرَنَّهَا قَالَ فَلَمَّا قَدِمَتْ عُرِفَتْ النَّاقَةُ فَقِيلَ نَاقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَوْا بِهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْبَرَتْ الْمَرْأَةُ بِنَذْرِهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِئْسَمَا جَزَيْتِهَا أَوْ بِئْسَمَا جَزَتْهَا إِنْ اللَّهُ نَجَّاهَا لَتَنْحَرَنَّهَا لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلَا فِيمَا لَا يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن أبي قلابة عن أبي المهلب عن عمران بن حصين قال كانت العضباء لرجل من بني عقيل فأسر وأخذت العضباء فمر عليه رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في وثاق فقال يا محمد على ما تأخذوني وتأخذون سابقة الحاج وقد أسلمت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو قلتها وأنت تملك أمرك أفلحت كل الفلاح فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نأخذك بجريرة حلفائك وكانت ثقيف قد أسروا رجلين من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم وجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم على حمار عليه قطيفة فقال يا محمد إني جائع فأطعمني وظمآن فاسقني فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هذه حاجتك ثم إن الرجل فدي برجلين فحبس رسول الله صلى الله عليه وسلم العضباء لرحله وكانت من سوابق الحاج ثم إن المشركين أغاروا على سرح المدينة فذهبوا به فيها العضباء وأسروا امرأة من المسلمين وكانوا إذا نزلوا قال أبو محمد ثم ذكر كلمة إبلهم في أفنيتهم فلما كان ذات ليلة قامت المرأة وقد نوموا فجعلت لا تضع يديها على بعير إلا رغا حتى أتت العضباء فأتت على ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم ذلول مجرسة فركبتها ثم توجهت قبل المدينة ونذرت لئن الله نجاها لتنحرنها قال فلما قدمت عرفت الناقة فقيل ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم فأتوا بها النبي صلى الله عليه وسلم وأخبرت المرأة بنذرها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بئسما جزيتها أو بئسما جزتها إن الله نجاها لتنحرنها لا وفاء لنذر في معصية الله ولا فيما لا يملك ابن آدم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. মুশরিকদের সাথে কৃত অঙ্গীকার বা চুক্তি রক্ষা করা সম্পর্কে
২৫৪৪. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু–কে প্রেরণ করেন তখন আমি ’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে ছিলাম। আর (কুরবানীর দিন মিনায়) তিনি চারটি বিষয়ের ঘোষণা দিতে থাকেন, এমনকি তাঁর কণ্ঠস্বর ভেঙ্গে যায়- (তা এই) যে, তোমরা জেনে রাখো, মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর এ বছরের পর থেকে আর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না এবং কোন উলঙ্গ ব্যক্তিও (আল্লাহর) ঘরের তাওয়াফ করতে পারবে না। আর যার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চুক্তি (বা অঙ্গীকার) রয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত অবকাশ রয়েছে চার মাস পর্যন্ত। আর যখন চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ মুশরিকদের থেকে দায়মুক্ত হয়ে যাবেন এবং তাঁর রাসূলও।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ উত্তম।
তাখরীজ: বুখারী ৩৬৯; মুসলিম ১৩৪৭। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮২০ তে। এটি গত হয়েছে ১৪৭০ ও ১৯৬০ তে। এছাড়াও, তাহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার নং ৩৫৯৩।
بَاب فِي الْوَفَاءِ لِلْمُشْرِكِينَ بِالْعَهْدِ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ ثَابِتٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْمُغِيرَةِ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مُحَرَّرِ بْنِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ لَمَّا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَادَى بِأَرْبَعٍ حَتَّى صَهَلَ صَوْتُهُ أَلَا لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ وَلَا يَحُجَّنَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ فَإِنَّ أَجَلَهُ إِلَى أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ فَإِنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ
أخبرنا بشر بن ثابت حدثنا شعبة عن المغيرة عن الشعبي عن محرر بن أبي هريرة عن أبيه قال كنت مع علي بن أبي طالب لما بعثه رسول الله صلى الله عليه وسلم فنادى بأربع حتى صهل صوته ألا لا يدخل الجنة إلا نفس مسلمة ولا يحجن بعد العام مشرك ولا يطوف بالبيت عريان ومن كان بينه وبين رسول الله صلى الله عليه وسلم عهد فإن أجله إلى أربعة أشهر فإذا مضت الأربعة فإن الله بريء من المشركين ورسوله
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. হুদাইবিয়ার দিন নাবী (ﷺ) এর সন্ধি সম্পর্কে
২৫৪৫. বারা ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিলকাদ মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরাহ’র উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু মক্কাবাসীরা তাঁকে মক্কা প্রবেশের জন্য ছেড়ে দিতে অস্বীকার করল। অবশেষে এই শর্তে তাদের সঙ্গে ফয়সালা করলেন যে, তিনদিন সেখানে অবস্থান করবেন। সন্ধিপত্র লিখতে গিয়ে তারা (মুসলিমরা) লিখলেন, এ সন্ধিপত্র সম্পাদন করেছেন, ’আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ তারা (মুশরিকরা) বলল, ’আমরা তো এটি (তাঁর রিসালাত) স্বীকার করি না। আমরা যদি জানতাম যে, আপনি আল্লাহর রাসূল তাহলে তো আপনাকে আমরা বাধা-ই দিতাম না। তবে আপনি হলেন, ’আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ।’ তিনি বললেন, ’আমি আল্লাহর রাসূল এবং ’আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ।’
অতঃপর তিনি আলীকে বললেন, ’আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ’ শব্দটি মুছে দাও। তিনি বললেন, ’না। আল্লাহর কসম, আমি তাঁকে কখনোই মুছব না।’ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন চুক্তিপত্রটি নিলেন এবং তিনি সুন্দর করে লিখলেন না। তিনি ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের’ স্থলে লিখলেন, ’এ সন্ধিপত্র মুহাম্মদ ইবনু ’আবদুল্লাহ্ সম্পন্ন করেন: খাপবদ্ধ তরবারী ব্যতীত আর কোনো অস্ত্র নিয়ে তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন না। মক্কাবাসীদের কেউ তাঁর অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে তিনি তাকে বের করে নিবেন না। আর তাঁর সঙ্গীদের কেউ মক্কায় থাকতে চাইলে তাঁকে বাধা দিবেন না।’ তিনি যখন মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেল, তখন তারা এসে আলীকে বলল, ’তোমার সঙ্গীকে আমাদের এখান হতে বের হয়ে যেতে বল। কেননা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, জাযাইস সাইদ, ১৮৪৪, ২৬৯৯; মুসলিম, জিহাদ ওয়াস সিয়ার ১৭৮৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ১৭০৩, ১৭১৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮৬৯, ৪৮৭৩ তে।
باب في صلح النبي صلى الله عليه وسلم يوم الحديبية
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ إِسْرَائِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ فَأَبَى أَهْلُ مَكَّةَ أَنْ يَدَعُوهُ أَنْ يَدْخُلَ مَكَّةَ حَتَّى قَاضَاهُمْ عَلَى أَنْ يُقِيمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا كَتَبُوا هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا لَا نُقِرُّ بِهَذَا لَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ مَا مَنَعْنَاكَ شَيْئًا وَلَكِنْ أَنْتَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ أَنَا رَسُولُ اللَّهِ وَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ لِعَلِيٍّ امْحُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ لَا وَاللَّهِ لَا أَمْحُوهُ أَبَدًا فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكِتَابَ وَلَيْسَ يُحْسِنُ يَكْتُبُ فَكَتَبَ مَكَانَ رَسُولِ اللَّهِ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنْ لَا يَدْخُلَ مَكَّةَ بِسِلَاحٍ إِلَّا السَّيْفَ فِي الْقِرَابِ وَأَنْ لَا يُخْرِجَ مِنْ أَهْلِهَا أَحَدًا أَرَادَ أَنْ يَتْبَعَهُ وَلَا يَمْنَعَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِهِ أَرَادَ أَنْ يُقِيمَ بِهَا فَلَمَّا دَخَلَهَا وَمَضَى الْأَجَلُ أَتَوْا عَلِيًّا فَقَالُوا قُلْ لِصَاحِبِكَ فَلْيَخْرُجْ عَنَّا فَقَدْ مَضَى الْأَجَلُ
حدثنا محمد بن يوسف عن إسرائيل حدثنا أبو إسحق عن البراء بن عازب قال اعتمر رسول الله صلى الله عليه وسلم في ذي القعدة فأبى أهل مكة أن يدعوه أن يدخل مكة حتى قاضاهم على أن يقيم ثلاثة أيام فلما كتبوا هذا ما قاضى عليه محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا لا نقر بهذا لو نعلم أنك رسول الله ما منعناك شيئا ولكن أنت محمد بن عبد الله فقال أنا رسول الله وأنا محمد بن عبد الله فقال لعلي امح محمد رسول الله فقال لا والله لا أمحوه أبدا فأخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم الكتاب وليس يحسن يكتب فكتب مكان رسول الله هذا ما قاضى عليه محمد بن عبد الله أن لا يدخل مكة بسلاح إلا السيف في القراب وأن لا يخرج من أهلها أحدا أراد أن يتبعه ولا يمنع أحدا من أصحابه أراد أن يقيم بها فلما دخلها ومضى الأجل أتوا عليا فقالوا قل لصاحبك فليخرج عنا فقد مضى الأجل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৫. মুশরিকদের দাস যারা মুসলিমদের নিকট পালিয়ে যাবে, তাদের সম্পর্কে
২৫৪৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তায়িফ হতে দু’জন দাস চলে আসলে তিনি তাদের উভয়কে মুক্তি দেন, আর তাদের একজনকে মুক্ত করেন আবী বাকরাহ।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ হাজ্জাজ ইবনু আরতাহ’র কারণে।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ২৫৬৪ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭৩৫৯, ৭৩৬০, ৭৩৬৩, ৭৩৬৪ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১২/৫১১ নং ১৫৪৪৪, ১৪/৫০৯ নং ১৮৮০১; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২৮০৭; বাইহাকী, জিযইয়া ৯/২৩০।
باب فِي عَبِيدِ الْمُشْرِكِينَ يَفِرُّونَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ عَنْ الْحَجَّاجِ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ خَرَجَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَانِ مِنْ الطَّائِفِ فَأَعْتَقَهُمَا أَحَدُهُمَا أَبُو بَكْرَةَ
أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا أبو خالد عن الحجاج عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس قال خرج إلى النبي صلى الله عليه وسلم عبدان من الطائف فأعتقهما أحدهما أبو بكرة
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. সা’দ ইবনু মুয়ায (রাঃ) এর ফায়সালার উপর বনী কুরায়যা’র লোকদের (দুর্গ হতে) অবরতণ
২৫৪৭. জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহযাবের যুদ্ধের দিন সা’দ ইবনু মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু তীরের আঘাতে আহত হয়েছিলেন। এতে তাঁর বাহুর প্রধান রগটি কেটে গিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগুনের সেক দিয়ে (তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধ করে) দেন। পরে তার হাত ফুলে যায়। পরে পুনরায় রক্তক্ষরণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন। আবার তিনি তাকে সেঁক দিয়ে (তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করে) দেন। এরপর পুনরায় তার হাত ফুলে যায়। সা’দ যখন এ অবস্থা দেখলেন, তখন দু’আ করলেন, হে আল্লাহ ! (ইয়াহুদী গোত্র) বনী কুরাইযার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল না করে তুমি আমার প্রাণ হরণ করো না। সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। একটি ফোটাও আর তার রক্ত পড়েনি।
অবশেষে বনী কুরাইযা তার ফায়সালানুসারে (দুর্গ হতে) অবতরণ করে। এই বিষয়েই তার কাছে ফায়সালার জন্য লোক প্রেরণ করা হয়েছিল। তখন তিনি ফায়সালা দেন যে, এদের পুরুষদের হত্যা করা হবে এবং মেয়েদের ও সন্তানদের জীবিত রাখা হবে। তাদের মাধ্যমে মুসলিমরা কাজ নিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এদের বিষয়ে তুমি মহান আল্লাহর (ইচ্ছামাফিক) ফায়সালায় উপনীত হয়ে পেরেছ।তাদের (বনী কুরাইযার পুরুষদের) সংখ্যা ছিল চারশ’। এদের হত্যা করা শেষ হলে তার (সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর) আঘাতপ্রাপ্ত রগটি পুনরায় ফেটে যায় এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি মুসলিমে সংক্ষিপ্ত আকারে রয়েছে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭৮৪ তে। এছাড়াও, তাহাবী, মুশকিলিল আছার নং ৩৫৭৯; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৩/২/৮; বাইহাকী, দালাইলুল নবুওয়াত ৪/২৮; ইবনু কাছীর, বিদা’আ ৪/১২২। ((আহমাদ ৩/৩৫০; তিরমিযী, সিয়ার ১৫৮২; নাসাঈ, কুবরা৫/২০৬-২০৭ নং ৮৬৭৯; মুসলিম, সালাম নং ২২০৮।– ফাতহুল মান্নান হা/২৬৬৮।–অনুবাদক))
باب فِي نُزُولِ أَهْلِ قُرَيْظَةَ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ رُمِيَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَطَعُوا أَبْجَلَهُ فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّارِ فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَنَزَفَهُ فَحَسَمَهُ أُخْرَى فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ اللَّهُمَّ لَا تُخْرِجْ نَفْسِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ فَاسْتَمْسَكَ عِرْقُهُ فَمَا قَطَرَ قَطْرَةً حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَحَكَمَ أَنْ تُقْتَلَ رِجَالُهُمْ وَتُسْتَحْيَى نِسَاؤُهُمْ وَذَرَارِيُّهُمْ يَسْتَعِينُ بِهِمْ الْمُسْلِمُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَبْتَ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ وَكَانُوا أَرْبَعَ مِائَةٍ فَلَمَّا فُرِغَ مِنْ قَتْلِهِمْ انْفَتَقَ عِرْقُهُ فَمَاتَ
حدثنا أحمد بن عبد الله حدثنا ليث بن سعد عن أبي الزبير عن جابر بن عبد الله أنه قال رمي يوم الأحزاب سعد بن معاذ فقطعوا أبجله فحسمه رسول الله صلى الله عليه وسلم بالنار فانتفخت يده فنزفه فحسمه أخرى فانتفخت يده فلما رأى ذلك قال اللهم لا تخرج نفسي حتى تقر عيني من بني قريظة فاستمسك عرقه فما قطر قطرة حتى نزلوا على حكم سعد فأرسل إليه فحكم أن تقتل رجالهم وتستحيى نساؤهم وذراريهم يستعين بهم المسلمون فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أصبت حكم الله فيهم وكانوا أربع مائة فلما فرغ من قتلهم انفتق عرقه فمات
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৭. নাবী (ﷺ)-কে মক্কা হতে বের হতে বের করে দেওয়া
২৫৪৮. আব্দুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু হামরা আয যুহুরী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সাওয়ারীর উপর ’হাযওয়ারাহ’ নামক স্থানে (মদীনার একটি বাজার) দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখেছি। আর তিনি বলছিলেন: “আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর যমীনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম এবং আল্লাহর নিকট আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ভূমি। আর যদি আমাকে তোমার থেকে বের করে না দেওয়া হতো, তবে আমি কখনোই (তোমার থেকে) বের হতাম না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭০৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০২৫ তে। ((তিরমিযী, মানাকিব ৩৯২৫; নাসাঈ, কুবরা৪২৫২, ৪২৫৩; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ৩১০৮; হাকিম ২/১৩৭…।–ফাতহুল মান্নান হা/২৬৬৯ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা হতে আমরা যর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৫৯৫৪ তে।
باب فِي إِخْرَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ حَمْرَاءَ الزُّهْرِيَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَاقِفًا بِالْحَزْوَرَةِ يَقُولُ وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ اللَّهِ إِلَى اللَّهِ وَلَوْلَا أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ
أخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني عقيل عن ابن شهاب أخبرني أبو سلمة بن عبد الرحمن أن عبد الله بن عدي بن حمراء الزهري قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو على راحلته واقفا بالحزورة يقول والله إنك لخير أرض الله وأحب أرض الله إلى الله ولولا أني أخرجت منك ما خرجت
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৪৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মৃত ব্যক্তিদেরকে গালি দেওয়া নিষিদ্ধ
২৫৪৯. ’আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা মৃতদের গালি দিও না। কারণ, তারা তো আপন কর্মফলের দিকে এগিয়ে গেছে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, জানাইয ১৩৯৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০২১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৮৫ তে।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ سَبِّ الْأَمْوَاتِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُوا
حدثنا سعيد بن الربيع أخبرنا شعبة عن سليمان عن مجاهد قال قالت عائشة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسبوا الأموات فإنهم قد أفضوا إلى ما قدموا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. মক্কা বিজয়ের পর আর হিজরাত নেই
২৫৫০. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ (মক্কা) বিজয়ের পরে আর হিজরত নেই, রয়েছে কেবল জিহাদ এবং নিয়ত। সুতরাং যখন তোমাদেরকে জিহাদের জন্য ডাকা হবে, এ ডাকে তোমরা সাড়া দিবে।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, সাইদ ওয়ায যাবাইহ ১৮৩৪; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৫৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫৯২, ৪৮৬৫ তে। এছাড়াও, বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২৬৩৬।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বুখারী মুসলিমের সম্মিলিতভাবে বর্ণিত; আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৯৫২ তে।
باب لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ
أخبرنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن منصور عن مجاهد عن طاوس عن ابن عباس قال لما كان يوم فتح مكة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا هجرة بعد الفتح ولكن جهاد ونية
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭০. হিজরাত শেষ হবে না
২৫৫১. আবী হিন্দ আল বাজালী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আর তিনি ছিলেন পূর্বসূরীদের (সালফে সলেহীনদের) একজন। তিনি বলেন, তারা মু’আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সামনে জিহাদ সম্পর্কে পরস্পর আলোচনা করছিলেন, আর তখন তিনি ছিলেন বিছানাগত। তখন তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “তাওবার দরজা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজরত বন্ধ হবে না”– একথা তিনবার (বললেন)। “আর সূর্য যে পর্যন্ত পশ্চিম আকাশে উদিত না হয় সে পর্যন্ত তাওবার দরজা বন্ধ হবে না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ হাদীসগুলি উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৭১ তে। এছাড়াও, নাসাঈ, কুবরা নং ৮৭১১; তাহাবী, মুশিকিলিল আছার নং ২৬৩৪; তাাবারাণী, কাবীর ১৯/৩৮৭ নং ৯০৭; বাইহাকী, সিয়ার ৯/১৭। ((আহমাদ ৪/৯৯; আবু দাউদ, জিহাদ২৪৭৯।–ফাতহুল মান্নান নং ২৬৭২।–অনুবাদক))
এর সহীহ শাহিদ হাদীস রয়েছে ওয়াক্বদান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮৬৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৭৯ তে।
باب إِنَّ الْهِجْرَةَ لَا تَنْقَطِعُ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ حَرِيزِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ ابْنِ أَبِي عَوْفٍ وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هِنْدٍ الْبَجَلِيِّ وَكَانَ مِنْ السَّلَفِ قَالَ تَذَاكَرُوا الْهِجْرَةَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ عَلَى سَرِيرِهِ فَقَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا تَنْقَطِعُ الْهِجْرَةُ حَتَّى تَنْقَطِعَ التَّوْبَةُ ثَلَاثًا وَلَا تَنْقَطِعُ التَّوْبَةُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا
حدثنا الحكم بن نافع عن حريز بن عثمان عن ابن أبي عوف وهو عبد الرحمن عن أبي هند البجلي وكان من السلف قال تذاكروا الهجرة عند معاوية وهو على سريره فقال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول لا تنقطع الهجرة حتى تنقطع التوبة ثلاثا ولا تنقطع التوبة حتى تطلع الشمس من مغربها
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭১. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ যদি হিজরাত না হত, তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম
২৫৫২. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যদি হিজরত না থাকত, তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে হদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিবুল আনসার ৩৭৭৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩১৮, সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭২৬৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২৯২ তে।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنْ الْأَنْصَارِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنْ الْأَنْصَارِ
أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لولا الهجرة لكنت امرأ من الأنصار
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭২. আমির বা শাসক হওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী
২৫৫৩. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দশজন ব্যক্তির উপর নিযুক্ত আমির বা শাসককেও কিয়ামত দিবসে এমন অবস্থায় নিয়ে আসা হবে যখন তার হাত তার কাঁধের সাথে শৃংখলিত থাকবে। সত্য বা ন্যায়পরায়নতা তাকে মুক্তি দিবে অথবা, তাকে বন্দী করে রাখবে।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে হদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৭০, ৬৬১৪, ৬৬২৯ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭০৭৯ তে।
باب فِي التَّشْدِيدِ فِي الْإِمَارَةِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ أَمِيرِ عَشَرَةٍ إِلَّا يُؤْتَى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَغْلُولَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ أَطْلَقَهُ الْحَقُّ أَوْ أَوْبَقَهُ
أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن يحيى بن سعيد عن سعيد بن يسار عن أبي هريرة أن نبي الله صلى الله عليه وسلم قال ما من أمير عشرة إلا يؤتى به يوم القيامة مغلولة يداه إلى عنقه أطلقه الحق أو أوبقه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. যুলুমের নিষিদ্ধতা
২৫৫৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাক। কেননা, জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকারে রূপ নেবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫১৭৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৮০ তে।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ الظُّلْمِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِيَّاكُمْ وَالظُّلْمَ فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
أخبرنا أبو الوليد حدثنا شعبة أخبرني عمرو قال سمعت عبد الله بن الحارث يحدث عن أبي كثير قال سمعت عبد الله بن عمرو يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إياكم والظلم فإن الظلم ظلمات يوم القيامة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ
২৫৫৫. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তা’আলা এই দ্বীনকে পাপাচারী লোকের দ্বারা সাহায্য করবেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ৩০৬; মুসলিম, ঈমান ১১১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫১৯ তে। এছাড়াও, আবূ আওয়ানা ১/৪৬; তাবারাণী, সগীর ১/১২১; বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওয়াত ৪/২৫৩।
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ
أخبرنا الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري أخبرني سعيد بن المسيب أن أبا هريرة قال إن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن الله يؤيد هذا الدين بالرجل الفاجر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৫. এ উম্মাতের মাঝে বিভক্তি সম্পর্কে
২৫৫৬. মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলেনঃ “জেনে রাখ! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে-কিতাব (ইয়াহুদী ও নাসারা)-গণ বাহাত্তর ফিরকায় বিভক্ত হয়েছে, আর এ মিল্লাতের লোকগণ অদূর ভবিষ্যতে তিহাত্তর ফিরকায় বিভক্ত হবে। বাহাত্তর ফিরকা হবে জাহান্নামী, আর এক ফিরকা হবে জান্নাতী; আর তারা ঐ জামাআতভূক্ত, যারা আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী হবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১০২; আবূ দাউদ, সুন্নাহ ৪৫৯৭; তাবারাণী, মুসনাদুশ শামিয়্যিন নং ১০০৫, ১০০৬; কাবীর ১৯/৩৭৬ নং ৮৮৪; হাকিম ১/১২৮।
باب فِي افْتِرَاقِ هَذِهِ الْأُمَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَرَازِيُّ عَنْ أَبِي عَامِرٍ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ لُحَيٍّ الْهَوْزَنِيِّ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلَا إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ اثْنَتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ قَالَ عَبْد اللَّهِ الْحَرَازُ قَبِيلَةٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ
أخبرنا أبو المغيرة حدثنا صفوان حدثني أزهر بن عبد الله الحرازي عن أبي عامر هو عبد الله بن لحي الهوزني عن معاوية بن أبي سفيان أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قام فينا فقال ألا إن من كان قبلكم من أهل الكتاب افترقوا على ثنتين وسبعين ملة وإن هذه الأمة ستفترق على ثلاث وسبعين اثنتان وسبعون في النار وواحدة في الجنة قال عبد الله الحراز قبيلة من أهل اليمن
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৬. আনুগত্য ও জামাআত আঁকড়ে থাকার অপরিহার্যতা
২৫৫৭. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি স্বীয় আমীরের নিকট থেকে অপছন্দনীয় কিছু দেখবে সে যেন এতে ধৈর্যধারণ করে। কেননা, যে ব্যক্তি জামাআত থেকে এক বিঘত পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু বরণ করবে, নিশ্চয়ই তার মৃত্যু হবে জাহিলি মৃত্যুর ন্যায়।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ফিতান ৭০৫৩; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৪৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৪৭ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ১২/১৬১ নং ১২৭৫৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৭৪৯৭; কিতালু আহলুল বাগী ৮/১৫৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ১৯/৪৭; আারও দেখুন, ইবনু আবী আসিম, আস সুন্নাহ নং ১১০১ ও ইরওয়াউল গালীল নং ২৪৫৩ ও সুনানি ওয়াল আসার নং ১৬৫২৪।
باب فِي لُزُومِ الطَّاعَةِ وَالْجَمَاعَةِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَرْوِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ فَإِنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ يُفَارِقُ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَيَمُوتُ إِلَّا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً
حدثنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن زيد عن الجعد أبي عثمان حدثنا أبو رجاء العطاردي قال سمعت ابن عباس يرويه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من رأى من أميره شيئا يكرهه فليصبر فإنه ليس من أحد يفارق الجماعة شبرا فيموت إلا مات ميتة جاهلية
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৭. যে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উত্তোলন বা ধারণ করবে সে আমাদের দলভূক্ত নয়
২৫৫৮. আবূ মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাদের উপর অস্ত্র উত্তোলন করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবূ আওয়ানা ১/৫৮; তাবারাণী, কাবীর ৭/১৬ নং ৬২৪২, ৬২৫১; আহমাদ ৪/৪৬, ৫৪; ইবনু আবী শাইবা ১০/১২১ নং ৮৯৭৯; মুসলিম, ঈমান, ৯৯;
বুখারী, কাবীর ৪/১৪৯; আরও দেখুন, নাসবুর রায়াহ ৪/৩৪৮ ও ফাতহুল বারী ১৩/২৪।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার হতে যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন; আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮২৭ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবূ মুসা হতে যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন; আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৬১, ৭২৯২ তে।
باب مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ سَلَّ عَلَيْنَا السِّلَاحَ فَلَيْسَ مِنَّا
أخبرنا أبو الوليد حدثنا عكرمة بن عمار حدثنا إياس بن سلمة عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من سل علينا السلاح فليس منا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৫৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৮. শাসন ক্ষমতা থাকবে কুরাইশদের মধ্যে
২৫৫৯. মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা তাঁর নিকট কুরাইশ প্রতিনিধিগনের উপস্থিতিতে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, (খিলাফত ও) শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের হাতেই থাকবে, যত দিন তারা দ্বীন কায়েমে লেগে থাকবে। এ বিষয়ে যে-ই তাদের সাথে শত্রুতা করবে আল্লাহ্ তাকে অধোঃমুখে নিক্ষেপ করবেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব ৩৫০০, আহকাম ৭১৩৯; বাইহাকী, কাসামাহ ৮/১৪১, দালাইলুন নুবুওয়াত ৫/৫২১; আহমাদ ৪/৯৪; তাবারাণী, কাবীর ৯/৩৩৮ নং ৭৮০; আহমাদ ৪/৪৬, ৫৪।
আরও দেখুন, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস নং ৫৫৮৯, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস ৩৬৪৪, ৪০৩২, আবী বারযাহ’র হাদীস নং ৩৬৪৫ ও ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস ৫০২৪ আমরা যা একত্র করেছি এবং পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী তে।
باب الْإِمَارَةُ فِي قُرَيْشٍ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَالَ وَهُوَ عِنْدَهُ فِي وَفْدٍ مِنْ قُرَيْشٍ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ فِي قُرَيْشٍ لَا يُعَادِيهِمْ أَحَدٌ إِلَّا كَبَّهُ اللَّهُ عَلَى وَجْهِهِ مَا أَقَامُوا الدِّينَ
أخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن أبي حمزة عن الزهري قال كان محمد بن جبير بن مطعم يحدث عن معاوية أنه قال وهو عنده في وفد من قريش إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن هذا الأمر في قريش لا يعاديهم أحد إلا كبه الله على وجهه ما أقاموا الدين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৯. কুরাইশগণের ফযীলত সম্পর্কে
২৫৬০. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরাইশ, আনসার, মুযায়নাহ, জুহায়নাহ, আসলাম, গিফার এবং আশজা’ গোত্রগুলোর জন্য আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ছাড়া অন্য কোন আপন জন নেই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ। আর হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব ৩৫০৪, ৩৫১২,; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩৮৫৩; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৫২০; ইবনু আবী শাইবা ১২/১৬২,১৯৭ নং ১২৪২০, ১২৫২৭; আহমাদ ২/২৯১, ৩৮৮, ৪৬৭; দাওলাবী, আল কুন্নী ২/১৭০; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১৪/২৭৭।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুর রহমান ইবনু আউফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, চাইলে টীকাসহ দেখুন মুসনাদুল মাউসিলী নং ৮৬৭ তে।
باب فِي فَضْلِ قُرَيْشٍ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُرَيْشٌ وَالْأَنْصَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَغِفَارٌ وَأَشْجَعُ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُونَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ
أخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن سعد بن إبراهيم عن عبد الرحمن بن هرمز الأعرج عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قريش والأنصار ومزينة وجهينة وأسلم وغفار وأشجع ليس لهم مولى دون الله ورسوله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৯. কুরাইশগণের ফযীলত সম্পর্কে
২৫৬১. আব্দুর রহমান ইবনু আবু বাকরাহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের কি মত, যদি আসলাম, গিফার, দু’টি গোত্র আসাদ ও গাতফানের চেয়ে উত্তম হয়, তাহলে তোমাদের ধারণা মতে তারা (আসাদ ও গাতফান) ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলো? তারা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, নিশ্চিতই এরা (আসলাম-গিফার) তাদের (আসাদ- গাতফান) চাইতে অনেক উত্তম।” তিনি বললেন: “মুযাইনা এবং জুহাইনা গোত্রদ্বয় তামীম, আমের ইবনু সা’সা’আ গোত্রের চেয়ে উত্তম হয়, তাহলে তোমাদের ধারণা মতে তারা (মুযাইনা এবং জুহাইনা) ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলো? তারা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, নিশ্চিতই এরা (মুযাইনা এবং জুহাইনা) তাদের (তামীম, আমের ইবনু সা’সা’আর) চাইতে অনেক উত্তম।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব ৩৫১৫, ৩৫১৬,; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৫২২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭২৯০ তে।
এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১২/১৯৬ নং ১২৫২৫ সহীহ সনদে।
باب فِي فَضْلِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ أَسْلَمُ وَغِفَارٌ خَيْرًا مِنْ الْحَلِيفَيْنِ أَسَدٍ وَغَطَفَانَ أَتُرَوْنَهُمْ خَسِرُوا قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَإِنَّهُمْ خَيْرٌ مِنْهُمْ قَالَ أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَتْ مُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ خَيْرًا مِنْ تَمِيمٍ وَعَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهُ أَتُرَوْنَهُمْ خَسِرُوا قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَإِنَّهُمْ خَيْرٌ مِنْهُمْ
حدثنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن عبد الرحمن بن أبي بكرة عن أبيه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال أرأيتم إن كان أسلم وغفار خيرا من الحليفين أسد وغطفان أترونهم خسروا قالوا نعم قال فإنهم خير منهم قال أفرأيتم إن كانت مزينة وجهينة خيرا من تميم وعامر بن صعصعة ومد بها صوته أترونهم خسروا قالوا نعم قال فإنهم خير منهم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮০. আসলাম ও গিফার গোত্রের ফযীলত
২৫৬২. আবী যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “গিফার গোত্রকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন, আসলাম গোত্রকে নিরাপত্তা দান করেছেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/১৪৭-১৪৮; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৫১৪; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারু আসবাহান ২/২২৪; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/৪২৬।
আমরা এর বিস্তারিত তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭১৩৩ তে।
باب فِي فَضْلِ أَسْلَمَ وَغِفَارٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غِفَارٌ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ
حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا سليمان هو ابن المغيرة عن حميد بن هلال عن عبد الله بن الصامت عن أبي ذر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم غفار غفر الله لها وأسلم سالمها الله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮০. আসলাম ও গিফার গোত্রের ফযীলত
২৫৬৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “গিফার গোত্রকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন, আসলাম গোত্রকে নিরাপত্তা দান করেছেন। আর উসায়্যাহ গোত্র আল্লাহ ও তার রাসুলের নাফরমানী করেছে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ। আর হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব ৩৫১৩; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৫১৫।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭২৮৯ তে। এছাড়াও, বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩৮৫১, ৩৮৫২; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৬/১৯৭।
باب فِي فَضْلِ أَسْلَمَ وَغِفَارٍ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ غِفَارٌ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَعُصَيَّةُ عَصَتْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا عبد العزيز عن موسى بن عقبة عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال غفار غفر الله لها وأسلم سالمها الله وعصية عصت الله ورسوله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮১. ইসলামে কোনো প্রতিজ্ঞা বা চুক্তি নেই
২৫৬৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ইসলামে (অবৈধ) চুক্তি বা প্রতিজ্ঞার কোন স্থান নেই। আর জাহিলী যুগের শপথের মাঝে ভাল উদ্দেশ্যে যে ওয়াদা ও চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, ইসলাম তাকে আরো শক্তিশালী ও উজ্জীবিত করে দিয়েছে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৩৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৭০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২০৬১ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৯০২ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে জুবাইর ইবনু মুতঈম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৭১, ৪৩৭২ ও নাসিখুল কুরআন ওয়াল মানসূখাহ পৃ: ৭২ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে কাইস ইবনু আসিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৬৯ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২/৩৩০ তে।
باب لَا حِلْفَ فِي الْإِسْلَامِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قِيلَ لِشَرِيكٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ لَا حِلْفَ فِي الْإِسْلَامِ وَفِي الْجَاهِلِيَّةِ لَمْ يَزِدْهُ الْإِسْلَامُ إِلَّا شِدَّةً وَجِدَّةً
أخبرنا أبو نعيم حدثنا شريك عن سماك عن عكرمة عن ابن عباس قيل لشريك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال نعم لا حلف في الإسلام وفي الجاهلية لم يزده الإسلام إلا شدة وجدة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ
২৫৬৫. শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমি মু’আবিয়া ইবনু কুররাহ (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কি বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নু’মান ইবনু মুকার্রিন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলেন, “কোন কাওমের বোনের পুত্র সে কাওমেরই অন্তর্ভুক্ত”? তিনি বলেন, হাঁ।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ফারযিল খুমুস ৩১৪৬; মুসলিম, যাকাত ১০৫৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০০২, ৩২০৭, ৩২২৯, ৩২৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫০১ তে।
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ قُلْتُ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ أَكَانَ أَنَسٌ يَذْكُرُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلنُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ قَالَ نَعَمْ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا شعبة قال قلت لمعاوية بن قرة أكان أنس يذكر أن النبي صلى الله عليه وسلم قال للنعمان بن مقرن ابن أخت القوم منهم قال نعم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ শু’বা (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮২. কোনো কওমের দাস ও তাদের বোনের ছেলে (ভাগ্নে) তাদেরই অন্তর্ভূক্ত
২৫৬৬. কাছীর ইবনু আব্দুল্লাহ তার পিতা হতে, তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কোন কাওমের গোলাম সে কওমেরই অন্তুর্ভূক্ত; আবার কোনো কওমের (মৈত্রিচুক্তিতে আবদ্ধ) মিত্র সেই কওমেরই অন্তুর্ভূক্ত; আবার কওমের বোনের পুত্র সে কওমেরই অন্তর্ভুক্ত।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ কাসীর ইবনু আব্দূল্লাহবিন আমর ইবনু আওফ এর দুর্বলতার কারণে। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: তাবারানী, কাবীর ১৭/১২ নং ২। দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ ৯৫৭, ৯৫৮, ৯৬১, ৯৬২ হাদীসগুলি।
আরও দেখুন, নাসবুর রায়াহ ৪/১৪৮-১৪৯ ও তালখীসুল হাবীর ৪/২১৪।
باب فِي مَوْلَى الْقَوْمِ وَابْنُ أُخْتِهِمْ مِنْهُمْ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْهُمْ وَحَلِيفُ الْقَوْمِ مِنْهُمْ وَابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ
حدثنا سعيد بن المغيرة حدثنا عيسى بن يونس عن كثير بن عبد الله عن أبيه عن جده قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مولى القوم منهم وحليف القوم منهم وابن أخت القوم منهم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৩. যে দাস তার নিজের মনিব ছাড়া অন্যকে নিজের মনিব হিসেবে পরিচয় দেয়
২৫৬৭. ’আমর ইবনে খারিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (আরোহী) উটের নিচে অবস্থান করছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি তার পিতাকে বাদ দিয়ে অন্যকে তার পিতা বলে দাবী করে (পরিচয় দেয়) অথবা নিজের মনিবকে বাদ দিয়ে অপরকে মনিব বলে পরিচয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল এবং সকল মানুষের অভিশাপ। তার নফল বা ফরয কোন কিছুই কবুল করা হবে না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫০৮ তে। ((তিরমিযী ২১২১; ইবনু মাজাহ, ওয়াসা’ইয়া ২৭১২; নাসায়ী ৩৬৪১, ৩৬৪২, ৩৬৪৩; আহমাদ ১৭২১০, ১৭৬১৫, ১৭৬২১। – অনুবাদক))
সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩২-৩৩ নং ৬০; ইবনু মাজাহ, ওয়াসায়া ২৭১২; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ৭২৪; দারুকুতনী ৪/১৫২-১৫৩; বাইহাকী, ওয়াসায়া ৬/২৬৪; ইবনু আবী আসিম, আহাদ ওয়াল মাছানী নং ৭৮৬, ২৪৮১; সাঈদ ইবনু মানসুর নং ৪২৮; ইবনু আবী শাইবা ১১/১৪৯ নং ১০৭৬৬; আব্দুর রাযযাক, নং ১৬৩০৬। আমি এটি তাখরীজ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭১৯৮ তে।
((এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, জিযইয়া নং ২১৭২ তে। -অনুবাদক))
باب فِي الَّذِي يَنْتَمِي إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ قَالَ كُنْتُ تَحْتَ نَاقَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوْ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ رَغْبَةً عَنْهُمْ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ
حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا هشام الدستوائي حدثنا قتادة عن شهر بن حوشب عن عبد الرحمن بن غنم عن عمرو بن خارجة قال كنت تحت ناقة النبي صلى الله عليه وسلم فسمعته يقول من ادعى إلى غير أبيه أو انتمى إلى غير مواليه رغبة عنهم فعليه لعنة الله والملائكة والناس أجمعين لا يقبل منه صرف ولا عدل
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আমর ইবন খারিজা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৫৬৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৩. যে দাস তার নিজের মনিব ছাড়া অন্যকে নিজের মনিব হিসেবে পরিচয় দেয়
২৫৬৮. সা’দ এবং আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তাঁরা দু’জন বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জেনে শুনে অন্যকে নিজের পিতা বলে দাবী করে, জান্নাত তার জন্য হারাম।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী ৪৩২৬, ৪৩২৬; মুসলিম, ঈমান ৬৩। এটি সামনে ২৯০২ তে আসছে, সেখানে তাখরীজ দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৫, ৪১৬ তে।
باب فِي الَّذِي يَنْتَمِي إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ سَعْدٍ وَأَبِي بَكْرَةَ أَنَّهُمَا حَدَّثَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ
أخبرنا سعيد بن عامر عن شعبة عن عاصم عن أبي عثمان عن سعد وأبي بكرة أنهما حدثا أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ادعى إلى غير أبيه وهو يعلم أنه غير أبيه فالجنة عليه حرام
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)