তিরমিজি জানাজা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১০২১ – ১০৭৯

৩৬. অনুচ্ছেদঃ

বিপদের মাঝে সাওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরার ফাযীলাত

১০২১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، قَالَ دَفَنْتُ ابْنِي سِنَانًا وَأَبُو طَلْحَةَ الْخَوْلاَنِيُّ جَالِسٌ عَلَى شَفِيرِ الْقَبْرِ فَلَمَّا أَرَدْتُ الْخُرُوجَ أَخَذَ بِيَدِي فَقَالَ أَلاَ أُبَشِّرُكَ يَا أَبَا سِنَانٍ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ فَقَالَ حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَرْزَبٍ عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا مَاتَ وَلَدُ الْعَبْدِ قَالَ اللَّهُ لِمَلاَئِكَتِهِ قَبَضْتُمْ وَلَدَ عَبْدِي ‏.‏ فَيَقُولُونَ نَعَمْ ‏.‏ فَيَقُولُ قَبَضْتُمْ ثَمَرَةَ فُؤَادِهِ ‏.‏ فَيَقُولُونَ نَعَمْ ‏.‏ فَيَقُولُ مَاذَا قَالَ عَبْدِي فَيَقُولُونَ حَمِدَكَ وَاسْتَرْجَعَ ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ ابْنُوا لِعَبْدِي بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَسَمُّوهُ بَيْتَ الْحَمْدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ সিনান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার ছেলে সিনানকে আমি দাফন করলাম। কবরের কিনারায় আবূ তালহা আল-খাওলানী (রহঃ) বসা অবস্থায় ছিলেন। কবর হতে আমি যখন উঠে আসতে চাইলাম তখন আমার হাত ধরে তিনি বললেন, হে আবূ সিনান! তোমাকে কি আমি সুসংবাদ দিব না? আমি বললাম, অবশ্যই দিন। তিনি বললেন, আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) হতে যাহ্হাক ইবনু আবদুর রাহমান ইবনু আর্যাব (রহঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন বান্দার কোন সন্তান মারা গেলে তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে কি ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় আল্লাহ তা’আলা প্রশ্ন করেন, তোমরা তার হৃদয়ের টুকরাকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় তিনি প্রশ্ন করেন, তখন আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে, সে আপনার প্রতি প্রশংসা করেছে এবং ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করেছে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম রাখ “বাইতুল হাম্দ” বা প্রশংসালয়।

 

-হাসান, সহীহাহ (১৪০৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭. অনুচ্ছেদঃ

জানাযার নামাযের তাকবীর

১০২২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَى النَّجَاشِيِّ فَكَبَّرَ أَرْبَعًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ أَبِي أَوْفَى وَجَابِرٍ وَيَزِيدَ بْنِ ثَابِتٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَيَزِيدُ بْنُ ثَابِتٍ هُوَ أَخُو زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ شَهِدَ بَدْرًا وَزَيْدٌ لَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يَرَوْنَ التَّكْبِيرَ عَلَى الْجَنَازَةِ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজাশীর জন্য চার তাকবীরের মাধ্যমে (গায়বী) জানাযার নামায আদায় করেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৩৪), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আব্বাস, ইবনু আবী আওফা, জাবির, আনাস ও ইয়াযীদ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইয়াযীদ ইবনু সাবিত (রাঃ) যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর বড় ভাই। বদরের যুদ্ধে তিনি অংশ গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু যাইদ (রাঃ) অংশ গ্রহণ করেননি। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশিরভাগ সাহাবী ও অপরাপর আলিমের মতে চার তাকবীরে জানায়ার নামায আদায় করতে হবে। এই মত ইমাম সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবনু আনাস, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ كَانَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ يُكَبِّرُ عَلَى جَنَائِزِنَا أَرْبَعًا وَإِنَّهُ كَبَّرَ عَلَى جَنَازَةٍ خَمْسًا فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رَأَوُا التَّكْبِيرَ عَلَى الْجَنَازَةِ خَمْسًا ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا كَبَّرَ الإِمَامُ عَلَى الْجَنَازَةِ خَمْسًا فَإِنَّهُ يُتَّبَعُ الإِمَامُ ‏.‏

আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের জানাযাগুলোতে যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) চারবার তাকবীর দিতেন। কিন্তু এক জানাযায় তিনি পাঁচবার তাকবীর দিলেন। তাকে এই বিষয়ে আমরা প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ তাকবীরও দিতেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫০৫), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই মত গ্রহণ করেছেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কিছু সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ। তাদের মতে জানাযা নামাযে পাঁচবার তাকবীর পাঠ করতে হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেন, জানাযার নামাযে যদি ইমাম সাহেব পাঁচবার তাকবীর পাঠ করেন তবে মুক্তাদীদেরকে তার অনুসরণ করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অনুচ্ছেদঃ

জানাযার নামাযের দু’আ

১০২৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا هِقْلُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو إِبْرَاهِيمَ الأَشْهَلِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى عَلَى الْجَنَازَةِ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا ‏”‏ ‏.‏

قَالَ يَحْيَى وَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ وَزَادَ فِيهِ ‏”‏ اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعَائِشَةَ وَأَبِي قَتَادَةَ وَعَوْفِ بْنِ مَالِكٍ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ وَالِدِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَى هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ وَعَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏ وَرَوَى عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَحَدِيثُ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَعِكْرِمَةُ رُبَّمَا يَهِمُ فِي حَدِيثِ يَحْيَى ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ أَصَحُّ الرِّوَايَاتِ فِي هَذَا حَدِيثُ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي إِبْرَاهِيمَ الأَشْهَلِيِّ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنِ اسْمِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ فَلَمْ يَعْرِفْهُ ‏.‏

আবূ ইবরাহীম আল-আশহালী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাযার নামায পড়তেন তখন এই দু’আ পাঠ করতেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যকার জীবিত, মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট, বড় এবং পুরুষ ও মহিলা সবাইকেই মাফ করুন”। ইয়াহইয়া বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাকে আবূ সালামা ইবনু আবদুর রাহমান একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এই বর্ণনাতে আরো আছেঃ “হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে যে ব্যক্তিকে আপনি বাঁচিয়ে রাখেন তাকে ইসলামের উপর বাঁচিয়ে রাখুন এবং যে ব্যক্তিকে মৃত্যু দেন তাকে ঈমানের সহিত মৃত্যু দান করুন”।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৪৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবদুর রাহমান ইবনু আওফ, আবূ কাতাদা, জাবির ও আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ইবরাহীমের পিতা হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীসটিকে মুরসাল হিসেবে ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর-আবূ সালামা ইবনু আবদুর রাহমানের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হিশাম আদ-দাস্তাওয়াঈ ও আলী ইবনুল মুবারাক মুর্সাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইকরিমা ইবনু আম্মার এটিকে ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর-আবূ সালামা হতে আইশা (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। ইকরিমা ইবনু আম্মারের রিওয়ায়াত সংরক্ষিত নয়। ইয়াহইয়ার সূত্রে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে অনেক সময় তিনি বিভ্রান্তিতে পতিত হন। ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর হতে আব্দুল্লাহ ইবনু আবী কাতাদার বরাতে তার পিতার সূত্রে ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীসটি বর্ণিত আছে।

আবূ ঈসা বলেন, মুহাম্মদ আল-বুখারী বলেছেন, ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর-আবূ ইবরাহীম আল-আশহালী হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি এই অনুচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি সহীহ্। আমি তাকে আবূ ইবরাহীম আল-আশহালীর নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি তা বলতে পারেননি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى مَيِّتٍ فَفَهِمْتُ مِنْ صَلاَتِهِ عَلَيْهِ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَاغْسِلْهُ بِالْبَرَدِ وَاغْسِلْهُ كَمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ هَذَا الْحَدِيثُ ‏.‏

আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায আদায় কালে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যে দু’আ পাঠ করতে শুনেছি আমি তার বাক্যগুলি মনে রেখেছিঃ “হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন এবং তাকে এমনভাবে (আপনার দয়ার) শিশির বিন্দু দিয়ে ধৌত করুন যেভাবে কাপড় ধোয়া হয়”।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫০০) মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারী (রহঃ) এটাকেই এই অনুচ্ছেদের সবচেয়ে বেশি সহীহ্ হাদীস বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অনুচ্ছেদঃ

জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ

১০২৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ عَلَى الْجَنَازَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ ‏.‏ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ هُوَ أَبُو شَيْبَةَ الْوَاسِطِيُّ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ مِنَ السُّنَّةِ الْقِرَاءَةُ عَلَى الْجَنَازَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জানাযার নামাযে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৪৯৫), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

উম্মু শারীক (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের সনদ খুব একটা মজবুত নয়। বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবনু উসমান হচ্ছেন আবূ শাইবা আল-ওয়াসিতী। তিনি প্রত্যাখ্যাত বর্ণনাকারী অর্থাৎ তার বর্ণিত হাদীস প্রত্যাখ্যাত। ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর বক্তব্য হিসাবে বর্ণিত রিওয়ায়াতটিই সহীহ্। তিনি বলেন, জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নাত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ إِنَّهُ مِنَ السُّنَّةِ أَوْ مِنْ تَمَامِ السُّنَّةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يَخْتَارُونَ أَنْ يُقْرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ بَعْدَ التَّكْبِيرَةِ الأُولَى ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يُقْرَأُ فِي الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ إِنَّمَا هُوَ ثَنَاءٌ عَلَى اللَّهِ وَالصَّلاَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالدُّعَاءُ لِلْمَيِّتِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَطَلْحَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ هُوَ ابْنُ أَخِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ رَوَى عَنْهُ الزُّهْرِيُّ ‏.‏

তালহা ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) এক মৃত ব্যক্তির জানাযা আদায় করলেন এবং তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। তাকে এ প্রসঙ্গে আমি প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, এটা সুন্নাত অথবা সুন্নাতের পূর্ণতা দানকারী।

 

-সহীহ্, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদিসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন। জানাযার নামাযে প্রথম তাকবীর পাঠ করার পর সূরা ফাতিহা পাঠকে তারা পছন্দ করেছেন। এই মত ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরও। অপর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না। কেননা, এটা হচ্ছে আল্লাহ্‌র প্রশংসা, নাবীর প্রতি দরূদ পাঠ এবং মৃতের জন্য দু’য়া করা। এই মত সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমদের। রাবী তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ ইবনু আউফ হলেন আব্দুল রাহমান ইবনু আউফের ভ্রাতুষ্পুত্র। তার নিকট হতে যুহরী হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অনুচ্ছেদঃ

জানাযার নামাযের ধরণ ও মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ

১০২৮

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، وَيُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيِّ، قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ إِذَا صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَتَقَالَّ النَّاسَ عَلَيْهَا جَزَّأَهُمْ ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى عَلَيْهِ ثَلاَثَةُ صُفُوفٍ فَقَدْ أَوْجَبَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ حَبِيبَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَمَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ مَالِكِ بْنِ هُبَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ هَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ ‏.‏ وَرَوَى إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ وَأَدْخَلَ بَيْنَ مَرْثَدٍ وَمَالِكِ بْنِ هُبَيْرَةَ رَجُلاً ‏.‏ وَرِوَايَةُ هَؤُلاَءِ أَصَحُّ عِنْدَنَا ‏.‏

মারসাদ ইবনু আবদুল্লাহ আল-ইয়াযানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন মালিক ইবনু হুবাইরা (রাঃ) জানাযার নামায আদায় করতেন তখন লোকজনের উপস্থিতি অল্প হলে তাদেরকে তিনি তিন সারিতে ভাগ করতেন। তারপর তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির জানাযার নামায তিন কাতার লোক আদায় করেছে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত হয়েছে।

 

-হাসান, আহকামুল জানায়িয (১২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আইশা, উম্মু হাবীবা, আবূ হুরাইরা ও মাইমূনা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মালিক ইবনু হুবাইরা হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। অনেক বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনু ইসহাকের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইব্রাহীম ইবনু সা’দ ও মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি মারসাদ ও মালিক ইবনু হুরাইরার মাঝে আরও একজন বর্ণনাকারী উল্লেখ করেছেন। পূর্বোক্ত বর্ণনাই আমার মতে বেশী সহীহ্।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১০২৯

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، ‏.‏ وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، رَضِيعٌ كَانَ لِعَائِشَةَ – عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَمُوتُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَتُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ أَنْ يَكُونُوا مِائَةً فَيَشْفَعُوا لَهُ إِلاَّ شُفِّعُوا فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ مِائَةً فَمَا فَوْقَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ أَوْقَفَهُ بَعْضُهُمْ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কোন মুসলমান মারা যাওয়ার পর একশত জনের একদল মুসলমান তার জানাযার নামায আদায় করে এবং তারা তার জন্য সুপারিশ করে, তবে তার জন্য তাদের সুপারিশকে ক্ববূল করা হবে। আলী (ইবনু হুজর) তার বর্ণিত হাদীসে (একশতের স্থলে) একশত বা ততোধিক’ বাক্য উল্লেখ করেছেন।

 

-সহীহ্, আল আহকাম (৯৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীসটিকে কিছু বর্ণনাকারী মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, মারফূ হিসেবে নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১. অনুচ্ছেদঃ

সূর্য উদয় এবং অস্ত যাওয়ার সময় জানাযার নামায আদায় করা মাকরূহ

১০৩০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يَكْرَهُونَ الصَّلاَةَ عَلَى الْجَنَازَةِ فِي هَذِهِ السَّاعَاتِ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا ‏.‏ يَعْنِي الصَّلاَةَ عَلَى الْجَنَازَةِ ‏.‏ وَكَرِهَ الصَّلاَةَ عَلَى الْجَنَازَةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَعِنْدَ غُرُوبِهَا وَإِذَا انْتَصَفَ النَّهَارُ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ بِالصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ فِي السَّاعَاتِ الَّتِي تُكْرَهُ فِيهِنَّ الصَّلاَةُ ‏.‏

উকবা ইবনু আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এমন তিনটি সময় আছে যে সময়ে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায আদায় করতে অথবা আমাদের মৃত ব্যক্তিদের দাফন সম্পন্ন করতে বারণ করতেনঃ চক্ মক্ করে সূর্য উঠার সময় হতে তা সম্পূর্ণভাবে না উঠা পর্যন্ত; দুপুরের সময় সূর্য ঠিক (মাথার উপর) সোজা হয়ে যাওয়া হতে যতক্ষণ পর্যন্ত তা ঢলে না পড়ে এবং যে সময় সূর্য ডুবার সময় হয়, সম্পূর্ণভাবে তা ডুবে না যাওয়া পর্যন্ত।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫১৯), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল সাহাবী ও একদল আলিম আমল করেছেন। জানাযার নামায উল্লেখিত ওয়াক্তসমূহে আদায় করাকে তারা মাকরূহ বলেছেন। ইবনুল মুবারাক বলেছেন, ‘মৃতকে দাফন না করার’ কথা বলে এ হাদীসে জানাযার নামায না আদায় করা বুঝানো হয়েছে। সূর্য উদয়ের সময়, ঠিক দুপুরে এবং সূর্য ডুবার সময় তিনি জানাযার নামায আদায় করাকে মাকরূহ্ বলেছেন। এই মত গ্রহণ করেছেন ইমাম, আহমাদ ও ইসহাক। ইমাম শাফিঈ বলেছেন, যেসব ওয়াক্তে নামায আদায় করা মাকরূহ্ সেসব ওয়াক্তে জানাযার নামায আদায় করাতে কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪২. অনুচ্ছেদঃ

শিশুদের জন্য জানাযার নামায আদায় করা

১০৩১

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ ابْنُ بِنْتِ أَزْهَرَ السَّمَّانِ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ حَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الرَّاكِبُ خَلْفَ الْجَنَازَةِ وَالْمَاشِي حَيْثُ شَاءَ مِنْهَا وَالطِّفْلُ يُصَلَّى عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ قَالُوا يُصَلَّى عَلَى الطِّفْلِ وَإِنْ لَمْ يَسْتَهِلَّ بَعْدَ أَنْ يُعْلَمَ أَنَّهُ خُلِقَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরোহী ব্যক্তি লাশের পিছে পিছে যাবে, আর পায়ে হাঁটা ব্যক্তি যেদিক দিয়ে ইচ্ছা সেদিক দিয়ে যেতে পারবে এবং শিশুর (লাশের) জানাযাও আদায় করতে হবে।

 

-সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৫০৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। ইসরাঈল এবং আরও অনেকে হাদীসটিকে সাঈদ ইবনু উবাইদুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিম আমল করেছেন। পূর্ণাঙ্গ দেহ বিশিষ্ট বাচ্চা জন্মানোর পর চিৎকার না করলেও তার জানাযা নামায আদায় করতে হবে। এই কথা বলেছেন ইমাম আহমাদ ও ইসহাক।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩. অনুচ্ছেদঃ

ভূমিষ্ঠ হয়ে চিৎকার না করলে সেই শিশুর জানাযা আদায় না করা

১০৩২

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الطِّفْلُ لاَ يُصَلَّى عَلَيْهِ وَلاَ يَرِثُ وَلاَ يُورَثُ حَتَّى يَسْتَهِلَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدِ اضْطَرَبَ النَّاسُ فِيهِ فَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرْفُوعًا ‏.‏ وَرَوَى أَشْعَثُ بْنُ سَوَّارٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ مَوْقُوفًا ‏.‏ وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ جَابِرٍ مَوْقُوفًا ‏.‏ وَكَأَنَّ هَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا قَالُوا لاَ يُصَلَّى عَلَى الطِّفْلِ حَتَّى يَسْتَهِلَّ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন শিশু যদি জন্মগ্রহণ করার পরে চিৎকার না করে তবে তার জানাযার নামায আদায় করতে হবে না, সে কোন ব্যক্তির ওয়ারিস হবে না এবং তারও কেউ ওয়ারিস হবে না।

 

-সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৫০৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের বর্ণনায় রাবীগণের গরমিল আছে। এটাকে একদল মারফূ হাদীস রূপে জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, আশআস ইবনু সাওওয়ার এবং আরও অনেকে এটাকে জাবির হতে মাওকূফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক আতা ইবনু আবূ বারাহ-এর বরাতে জাবির হতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মারফূ বর্ণনা হতে মাওকূফ বর্ণনাটিই বেশী সহীহ্। এ হাদীস অনুযায়ী একদল বিশেষজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। শিশু জন্মগ্রহণ করার পর চিৎকার না করলে তাদের মত অনুযায়ী তার জানাযা আদায় করবে না। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈ (রহঃ)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪. অনুচ্ছেদঃ

জানাযার নামায মাসজিদে আদায় করা

১০৩৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سُهَيْلِ ابْنِ بَيْضَاءَ فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ قَالَ مَالِكٌ لاَ يُصَلَّى عَلَى الْمَيِّتِ فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يُصَلَّى عَلَى الْمَيِّتِ فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ وَاحْتَجَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সুহাইল ইবনু বাইযা (রাঃ)-এর জানাযা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের অভ্যন্তর ভাগে আদায় করেছেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫১৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম আমল করেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক (রহঃ) বলেছেন, জানাযার নামায মসজিদের অভ্যন্তরভাগে আদায় করা যাবে না। শাফিঈ (রহঃ) বলেন, মসজিদে জানাযার নামায আদায় করা যায়। এ হাদীস নিজের অনুকূলে তিনি দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫. অনুচ্ছেদঃ

ইমাম সাহেব পুরুষ ও স্ত্রীলোকের জানাযার নামায আদায়ে কোথায় দাঁড়াবে?

১০৩৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَلَى جَنَازَةِ رَجُلٍ فَقَامَ حِيَالَ رَأْسِهِ ثُمَّ جَاءُوا بِجَنَازَةِ امْرَأَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَقَالُوا يَا أَبَا حَمْزَةَ صَلِّ عَلَيْهَا ‏.‏ فَقَامَ حِيَالَ وَسَطِ السَّرِيرِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الْعَلاَءُ بْنُ زِيَادٍ هَكَذَا رَأَيْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَى الْجَنَازَةِ مُقَامَكَ مِنْهَا وَمِنَ الرَّجُلِ مُقَامَكَ مِنْهُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ احْفَظُوا ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَمُرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هَمَّامٍ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ وَرَوَى وَكِيعٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هَمَّامٍ فَوَهِمَ فِيهِ فَقَالَ عَنْ غَالِبٍ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ عَنْ أَبِي غَالِبٍ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي غَالِبٍ مِثْلَ رِوَايَةِ هَمَّامٍ ‏.‏ وَاخْتَلَفُوا فِي اسْمِ أَبِي غَالِبٍ هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ يُقَالُ اسْمُهُ نَافِعٌ وَيُقَالُ رَافِعٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

আবূ গালিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনাস (রাঃ)-এর সাথে আমি এক লোকের জানাযার নামায আদায় করলাম। তিনি লাশের মাথা বরাবর দাঁড়ালেন। তারপর লোকেরা কুরাইশ বংশের এক মহিলার লাশ নিয়ে আসলো। তার বলল, হে হামযার পিতা! এর জানাযা আদায় করুন। তিনি তার খাটিয়ার মাঝ বরাবর দাঁড়ালেন। তাকে আলা ইবনু যিয়াদ (রহঃ) বললেন, স্ত্রীলোকটির খাটিয়ার মাঝ বরাবর এবং পুরুষ লোকটির মাথা বরাবর আপনি যেভাবে দাঁড়ালেন, এভাবে কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাঁড়াতে দেখেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নামায শেষে তিনি বললেন, তোমরা এই নিয়ম ভালোভাবে স্মরণ রাখ।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৪৯৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

সামুরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। হাম্মামের সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস হাম্মামের সূত্রে ওয়াকী (রহঃ) বর্ণনা করেছন, কিন্তু তিনি সনদে গড়মিল করেছেন। তিনি বলেছেন গালিব আনাস হতে, সঠিক হল আবূ গালিব। আব্দুল ওযারিস এবং আরও অনেকে হাম্মামের মতই আবূ গালিব হতে বর্ণনা করেছেন। আবূ গালিবের নাম নিয়ে মত পার্থক্য আছে। কেউ বলেছেন, তার নাম নাফি, কেউ বলেছেন রাফি। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আমিল আমল করেছেন। এই মত আহমাদ ও ইসহাকেরও।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، وَالْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَى امْرَأَةٍ فَقَامَ وَسَطَهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ ‏.‏

সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মহিলার জানাযা আদায় করলেন, তিনি তার কোমর বরাবর দাঁড়ালেন।

 

-সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৪৯৩), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। হুসাইন আল-মুআল্লিমের সূত্রে শুবা (রহঃ) এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬. অনুচ্ছেদঃ

শহীদ ব্যক্তির জানাযা আদায় না করা

১০৩৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ أَيُّهُمَا أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏ فَإِذَا أُشِيرَ لَهُ إِلَى أَحَدِهِمَا قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ وَقَالَ ‏”‏ أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلاَءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَرَ بِدَفْنِهِمْ فِي دِمَائِهِمْ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يُغَسَّلُوا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي صُعَيْرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَمِنْهُمْ مَنْ ذَكَرَهُ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الصَّلاَةِ عَلَى الشَّهِيدِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يُصَلَّى عَلَى الشَّهِيدِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُصَلَّى عَلَى الشَّهِيدِ ‏.‏ وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى عَلَى حَمْزَةَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ ‏.‏

আব্দুর রাহমান ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির (রাঃ) তাকে জানিয়েছেন যে, উহুদের যুদ্ধের দুই দুইজন শহীদকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই কাপড়ে একসাথে কাফন সম্পন্ন করেছেন। তিনি প্রশ্ন করতেনঃ এদের দুজনের মধ্যে কোন ব্যক্তির বেশী কুরআন মুখস্ত আছে ? তাদের কোন একজনের দিকে ইশারা করা হলে তিনি প্রথমে তাকে (কিবলার দিকে) কবরে রাখতেন। তারপর তিনি বলতেনঃ এদের জন্য আমি কিয়ামতের দিন সাক্ষী হব। (বর্ণনাকারী বলেন) তিনি রক্তমাখা দেহেই তাদেরকে দাফন করার হুকুম দিয়েছেন এবং তাদের জানাযা আদায় করেন নি, এমন কি তাদের গোসলও করানো হয়নি।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫১৪), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। যুহরী তার সনদের ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত হাদীসটি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। যুহরী হতে আব্দুল্লাহ ইবনু সা’লাবা ইবনু আবূ সুয়াইবের বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতেও হাদীসটি বর্ণিত আছে। কোন কোন রাবী হাদীসটি জাবির হতেও বর্ণনা করেছেন। বিশেষজ্ঞ আলিমদের মধ্যে শহীদ ব্যক্তির জানাযা আদায়ের ব্যাপারে মতের অমিল আছে। একদল আলিম তাদের জানাযা আদায় না করার কথা বলেছেন। মদীনার আমিলগণ এই মত দিয়েছেন। একইরকম কথা বলেছেন ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদও। অপর একদল আলিম বলেন, শহীদ ব্যক্তিদের জানাযা আদায় করতে হবে। “হামযা (রাঃ)-এর জানাযা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদায় করেছেন” তারা দলীল হিসেবে এই হাদীস নিজেদের পক্ষে উপস্থাপন করেছেন। এই মত সুফিয়ান সাওরী এবং কূফাবাসী আলিমদের। একইরকম মত দিয়েছেন ইমাম ইসহাকও।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অনুচ্ছেদঃ

কবরের উপর জানাযা আদায় করা

১০৩৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا الشَّيْبَانِيُّ، حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ، أَخْبَرَنِي مَنْ، رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَرَأَى قَبْرًا مُنْتَبِذًا فَصَفَّ أَصْحَابَهُ خَلْفَهُ فَصَلَّى عَلَيْهِ فَقِيلَ لَهُ مَنْ أَخْبَرَكَهُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَبُرَيْدَةَ وَيَزِيدَ بْنِ ثَابِتٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ وَأَبِي قَتَادَةَ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يُصَلَّى عَلَى الْقَبْرِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ إِذَا دُفِنَ الْمَيِّتُ وَلَمْ يُصَلَّ عَلَيْهِ صُلِّيَ عَلَى الْقَبْرِ ‏.‏ وَرَأَى ابْنُ الْمُبَارَكِ الصَّلاَةَ عَلَى الْقَبْرِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يُصَلَّى عَلَى الْقَبْرِ إِلَى شَهْرٍ ‏.‏ وَقَالاَ أَكْثَرُ مَا سَمِعْنَا عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَى قَبْرِ أُمِّ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ بَعْدَ شَهْرٍ ‏.‏

শাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এমন এক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বিচ্ছিন্ন কবর দেখলেন। অতঃপর তিনি তার সাহাবীদেরকে তাঁর পিছনে কাতারবন্দী করে দাঁড় করালেন এবং তার উপর (কবরের উপর) জানাযার নামায আদায় করলেন। বর্ণনাকারীকে প্রশ্ন করা হল, কে আপনাকে জানিয়েছেন? তিনি বললেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৩০), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আনাস, বুরাইদা, ইয়াযীদ ইবনু সাবিত, আবূ হুরাইরা, আমির ইবনু রাবীআ, আবূ কাতাদা ও সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিম আমল করেছেন। এই মত দিয়েছেন ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। অপর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, জানাযার নামায কবরের উপর আদায় করাযাবে না। মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-এর এই মত। ইবনুল মুবারাক বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে যদি জানাযার নামায আদায় না করে দাফন করে তাহলে কবরের উপর জানাযা আদায় করা যাবে। অর্থাৎ কবরের উপর জানাযা আদায় করা ইবনুল মুবারাকের মতে জায়িয। আহমাদ ও ইসহাক বলেছেনঃ একমাস পর্যন্ত কবরের উপরে জানাযার নামায পড়া যাবে। তারা উভয়ে বলেছেন, ইবনুল মুসায়িবের নিকট আমরা যা শুনেছি তা হলঃ সা’দ ইবনু উবাদা (রাঃ)-এর মায়ের কবরের উপর এক মাস পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাযার নামায আদায় করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৩৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أُمَّ سَعْدٍ، مَاتَتْ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَائِبٌ فَلَمَّا قَدِمَ صَلَّى عَلَيْهَا وَقَدْ مَضَى لِذَلِكَ شَهْرٌ ‏.‏

সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সা’দ (রাঃ)-এর আম্মা ইন্তিকাল করেন। এ সময় নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাযির ছিলেন না। তিনি (সফর হতে) প্রত্যাবর্তন করে তার জানাযার নামায আদায় করেন। ইতিমধ্যে (মৃত্যুর পর) একমাস চলে গিয়েছিল।

 

যঈফ, ইরওয়া (৩/১৮৩, ১৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অনুচ্ছেদঃ

নাজাশীর জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জানাযার নামায

১০৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ أَخَاكُمُ النَّجَاشِيَّ قَدْ مَاتَ فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُمْنَا فَصَفَفْنَا كَمَا يُصَفُّ عَلَى الْمَيِّتِ وَصَلَّيْنَا عَلَيْهِ كَمَا يُصَلَّى عَلَى الْمَيِّتِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي سَعِيدٍ وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو قِلاَبَةَ عَنْ عَمِّهِ أَبِي الْمُهَلَّبِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ وَأَبُو الْمُهَلَّبِ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو وَيُقَالُ مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو ‏.‏

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের ভাই নাজাশী মারা গেছেন। তোমরা তার জন্য দাঁড়িয়ে নামায আদায় কর। বর্ণনাকারী বলেন, মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাযের ন্যায় আমরা দাঁড়িয়ে কাতার বাঁধলাম এবং তার জন্য জানাযার নামায আদায় করলাম।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৩৫), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আবূ সাঈদ, হুযাইফা ইবনু উসাইদ ও জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন। হাদীসটি আবূ কিলাবা তার চাচা আবূল মুহাল্লাবের বরাতে ইমরান ইবনু হুসাইন হতে বর্ণনা করেছেন। আবুল মুহাল্লাবের নাম আবদুর রাহমান, পিতার নাম আমর। অপর মতে তার নাম মুআবিয়া।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অনুচ্ছেদঃ

জানাযার নামাযের ফাযীলাত

১০৪০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَلَهُ قِيرَاطٌ وَمَنْ تَبِعَهَا حَتَّى يُقْضَى دَفْنُهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ أَحَدُهُمَا أَوْ أَصْغَرُهُمَا مِثْلُ أُحُدٍ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لاِبْنِ عُمَرَ فَأَرْسَلَ إِلَى عَائِشَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ صَدَقَ أَبُو هُرَيْرَةَ ‏.‏ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لَقَدْ فَرَّطْنَا فِي قَرَارِيطَ كَثِيرَةٍ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْبَرَاءِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَابْنِ عُمَرَ وَثَوْبَانَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক জানাযার নামায আদায় করল সে লোকের জন্য এক কীরাত সাওয়াব। আর জানাযার সাথে সাথে যে লোক যায় এবং দাফন সমাপ্ত পর্যন্ত থাকে তার জন্য দুই কীরাত সাওয়াব। এর একটি অথবা অপেক্ষাকৃত ছোটটি উহুদ পাহাড়ের সমান। (বর্ণনাকারী বলেন) একথা ইবনু উমারের নিকট আমি বর্ণনা করলে তিনি আইশা (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে এ প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বললেন, আবূ হুরাইরা সত্য কথা বলেছেন। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমরা তো তাহলে অনেক কীরাত হতে বঞ্চিত হয়েছি।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৩৯), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

বারাআ, আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, আবূ সাঈদ, উবাই ইবনু কা’ব, ইবনু উমার ও সাওবান (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখিত হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০. অনুচ্ছেদঃ

(জানাযা বহন করা প্রসঙ্গে)

১০৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْمُهَزَّمِ، قَالَ صَحِبْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَشْرَ سِنِينَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ تَبِعَ جَنَازَةً وَحَمَلَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ مِنْ حَقِّهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَأَبُو الْمُهَزَّمِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ سُفْيَانَ وَضَعَّفَهُ شُعْبَةُ ‏.‏

আব্বাস ইবনু মানসূর (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি আবূল মুহায্যিমকে বলতে শুনেছিঃ আমি দশ বছর ধরে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সান্নিধ্যে ছিলাম। আমি তাকে বলতে শুনেছি, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি লাশের পিছে পিছে গেল এবং তা তিনবার বহন করল সে মৃত ব্যক্তির প্রতি তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করল।

 

যঈফ, মিশকাত (১৬৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। কিছু রাবী এ হাদীসটি উল্লেখিত সনদ সূত্রে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেননি। আবূল মুহায্যিমের নাম ইয়াযীদ, পিতার নাম সুফিয়ান। শুবা (রাহঃ) তাকে যঈফ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অনুচ্ছেদঃ

মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেখে দাঁড়ানো

১০৪২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا لَهَا حَتَّى تُخَلِّفَكُمْ أَوْ تُوضَعَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَجَابِرٍ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ وَقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আমির ইবনু রাবীআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেখলে তোমরা দাঁড়িয়ে যাবে। তোমরা দাঁড়িয়ে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তা তোমাদেরকে ছাড়িয়ে যায় অথবা তা মাটিতে না রাখা হয়।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৪২), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ সাঈদ, জাবির, সাহল ইবনু হুনাইফ, কাইস ইবনু সা’দ ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আমির ইবনু রাবীআর হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪৩

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا لَهَا فَمَنْ تَبِعَهَا فَلاَ يَقْعُدَنَّ حَتَّى تُوضَعَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالاَ مَنْ تَبِعَ جَنَازَةً فَلاَ يَقْعُدَنَّ حَتَّى تُوضَعَ عَنْ أَعْنَاقِ الرِّجَالِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يَتَقَدَّمُونَ الْجَنَازَةَ فَيَقْعُدُونَ قَبْلَ أَنْ تَنْتَهِيَ إِلَيْهِمُ الْجَنَازَةُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

আবূ সাঈদ-আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেখলে তোমরা দাঁড়িয়ে যাবে। লাশের পিছু পিছু যে লোক যাবে সে লোক যেন না বসে যতক্ষণ পর্যন্ত তা নিচে নামিয়ে না রাখা হয়।

 

-সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ সাঈদ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেছেন, কাঁধ হতে মৃত ব্যক্তিকে নিচে নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত লাশের অনুসরণকারী বসবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিম প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, লাশ ছাড়িয়ে তারা আগে চলে যেতেন এবং বসে থাকতেন যতক্ষণ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির লাশ না পৌঁছাত। ইমাম শাফিঈর মতও তাই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অনুচ্ছেদঃ

মৃত ব্যক্তিকে দেখে না দাঁড়ানোর অনুমতি প্রসঙ্গে

১০৪৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ وَاقِدٍ، وَهُوَ ابْنُ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ ذُكِرَ الْقِيَامُ فِي الْجَنَائِزِ حَتَّى تُوضَعَ فَقَالَ عَلِيٌّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَعَدَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِيهِ رِوَايَةُ أَرْبَعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ بَعْضُهُمْ عَنْ بَعْضٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ وَهَذَا أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ نَاسِخٌ لِلْحَدِيثِ الأَوَّلِ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ إِنْ شَاءَ قَامَ وَإِنْ شَاءَ لَمْ يَقُمْ ‏.‏ وَاحْتَجَّ بِأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَامَ ثُمَّ قَعَدَ ‏.‏ وَهَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى مَعْنَى قَوْلِ عَلِيٍّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْجَنَازَةِ ثُمَّ قَعَدَ ‏.‏ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى الْجَنَازَةَ قَامَ ثُمَّ تَرَكَ ذَلِكَ بَعْدُ فَكَانَ لاَ يَقُومُ إِذَا رَأَى الْجَنَازَةَ ‏.‏

আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“মৃত ব্যক্তিকে নিচে না রাখা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা” প্রসঙ্গে তার সামনে আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগে দাঁড়াতেন কিন্তু পরবর্তীতে বসে থেকেছেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৪৪), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান ইবনু আলী ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা সহীহ্ বলেছেন। উল্লেখিত হাদীসের সনদে চারজন রাবী হলেন তাবিঈ। তাদের মাঝে একজন অন্য জনের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী একদল বিশেষজ্ঞ আলিম আমল করেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি এ অনুচ্ছেদে অধিকতর সহীহ। পূর্ববর্তী দাড়ানো প্রসঙ্গে হাদীসের নির্দেশকে এই হাদীস মানসূখ (রহিত) করে দিয়েছে। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, ইচ্ছা করলে কোন লোক দাঁড়াতেও পারে আবার নাও দাঁড়াতে পারে। “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগে দাঁড়াতেন কিন্তু পরবর্তীতে বসে থেকেছেন” তিনি দলীল হিসাবে এই হাদীসটিকে পেশ করেছেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীমও একইরকম কথা বলেছেন। আবূ ঈসা বলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগে দাঁড়াতেন কিন্তু পরবর্তীতে বসে থেকেছেন” আলী (রাঃ)-এর এই কথার তাৎপর্য এই যে, মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেখলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়াতেন এবং এ অভ্যাস পরবর্তী কালে ছেড়ে দিয়েছেন। তারপর তিনি আর লাশ নিয়ে যেতে দেখলে দাঁড়াতেন না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ আমাদের জন্য লাহ্‌দ কবর এবং অন্যদের জন্য শাক কবর

১০৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَنَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، وَيُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَكَّامُ بْنُ سَلْمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اللَّحْدُ لَنَا وَالشَّقُّ لِغَيْرِنَا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাদের জন্য লাহ্দ এবং অন্যদের জন্য শাক।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৫৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

জারীর ইবনু আবদুল্লাহ, আইশা, ইবনু উমার ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাসের হাদীসটিকে উল্লেখিত সনদ সূত্রে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অনুচ্ছেদঃ

মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখার সময় যে দু’আ পাঠ করতে হয়

১০৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أُدْخِلَ الْمَيِّتُ الْقَبْرَ – وَقَالَ أَبُو خَالِدٍ مَرَّةً إِذَا وُضِعَ الْمَيِّتُ فِي لَحْدِهِ قَالَ مَرَّةً ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ مَرَّةً ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ وَعَلَى سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَاهُ أَبُو الصِّدِّيقِ النَّاجِيُّ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَوْقُوفًا أَيْضًا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মৃত ব্যক্তিকে যখন কবরে রাখা হত; আবূ খালিদের বর্ণনায় আছে, মৃত ব্যক্তিকে যখন তার কবরে নামানো হত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বলতেনঃ “বিসমিল্লাহি ওয়া বিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ”, অপর বর্ণনায় আছেঃ ‘বিসমিল্লাহি ওয়া বিল্লাহি ওয়া ‘আলা সুন্নাতি রাসূলিল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)”।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৫০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপরোক্ত সূত্রে হাসান গারীব। এ হাদীসটি ইবনু উমার (রাঃ) হতে অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। আবূ সিদ্দীক আন-নাজী হাদীসটিকে ইবনু উমারের বরাতে নাৰী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। আবূ সিদ্দীক আন-নাজীর সূত্রে এটা মাওকূফ হিসাবেও আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অনুচ্ছেদঃ

কবরে লাশের নিচে একটি কাপড় বিছিয়ে দেওয়া

১০৪৭

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ فَرْقَدٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَعْفَرَ بْنَ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ الَّذِي أَلْحَدَ قَبْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبُو طَلْحَةَ وَالَّذِي أَلْقَى الْقَطِيفَةَ تَحْتَهُ شُقْرَانُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ جَعْفَرٌ وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ قَالَ سَمِعْتُ شُقْرَانَ يَقُولُ أَنَا وَاللَّهِ طَرَحْتُ الْقَطِيفَةَ تَحْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَبْرِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ شُقْرَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ فَرْقَدٍ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

জাফর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য যে ব্যক্তি লাহ্দ (সিন্দুকী) কবর খুঁড়েছিলেন সে ব্যক্তি হচ্ছেন আবূ তালহা (রাঃ)। আর তাঁর (কবরে লাশের) নিচে যে ব্যক্তি পশমী চাদর বিছিয়ে ছিলেন সে ব্যক্তি হচ্ছেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্তদাস শুকরান (রাঃ)।

  •  
  •  
  •  
  •  

জাফর (রহঃ) বলেন, আবূ রাফির ছেলে উবাইদুল্লাহ আমাকে জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, শুকরানকে আমি বলতে শুনেছিঃ আল্লাহুর শপথ। কবরের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিচে আমিই পশমী চাদর বিছিয়েছি।

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। শুকরানের হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। উসমান ইবনু ফারকাদের সূত্রে আলী ইবনুল মাদীনীও উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جُعِلَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَطِيفَةٌ حَمْرَاءُ ‏.‏

قَالَ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَيَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الْقَصَّابِ، وَاسْمُهُ، عِمْرَانُ بْنُ أَبِي عَطَاءٍ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، وَاسْمُهُ، نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ وَكِلاَهُمَا مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُلْقَى، تَحْتَ الْمَيِّتِ فِي الْقَبْرِ شَيْءٌ ‏.‏ وَإِلَى هَذَا ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একটি লাল পশমী চাদর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কবরে ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।

 

-সহীহ, মুসলিম (৩/৬১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

অন্য জায়গায় মুহাম্মাদ ইবনু ৰাশশার এই হাদীসের সনদে ইয়াহইয়ার পূর্বে মুহাম্মাদ ইবনু জাফরের নাম উল্লেখ করেছেন। আর এই সনদটি বেশি সহীহ্। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। শুবা হাদীসটিকে আবূ হাম্যা আল-কাসসাব হতে বর্ণনা করেছেন, তার নাম ইমরান ইবনু আবূ আতা। আবূ হামযা আয-যুবাঈ হতেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, তার নাম নাসর ইবনু ইমরান। তারা উভয়েই ইবনু আব্বাসের ছাত্র। বর্ণিত আছে যে, কবরে লাশের নিচে কিছু দেয়া ইবনু আব্বাস (রাঃ) মাকরূহ্ মনে করতেন। এই হাদীস অনুযায়ী কোন কোন আলিম এই অভিমত গ্রহণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অনুচ্ছেদঃ

কবরকে সমান করা

১০৪৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، أَنَّ عَلِيًّا، قَالَ لأَبِي الْهَيَّاجِ الأَسَدِيِّ أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَنْ لاَ تَدَعَ قَبْرًا مُشْرِفًا إِلاَّ سَوَّيْتَهُ وَلاَ تِمْثَالاً إِلاَّ طَمَسْتَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَكْرَهُونَ أَنْ يُرْفَعَ الْقَبْرُ فَوْقَ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ أَكْرَهُ أَنْ يُرْفَعَ الْقَبْرُ إِلاَّ بِقَدْرِ مَا يُعْرَفُ أَنَّهُ قَبْرٌ لِكَيْلاَ يُوطَأَ وَلاَ يُجْلَسَ عَلَيْهِ ‏.‏

আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূল হাইয়ায আলা-আসাদীকে আলী (রাঃ) বললেন, আমি এমন এক কাজের দায়িত্ব দিয়ে তোমাকে পাঠাব যে কাজ করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে পাঠিয়ে ছিলেন। কোন ধরণের উঁচু কবরকে সমান না করে ছাড়বে না এবং কোন প্রতিকৃতি না ভেঙ্গে রাখবে না।

 

-সহীহ্, আল আহকাম (২০৭), ইরওয়া (৭৫৯), তাহযীরুস্ সাজিদ (১৩০), মুসলিম৷

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম আমল করেন। ভূমি হতে কবর অধিক উঁচু করাকে তার মাকরূহ্ মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, কবর উঁচু করাকে আমি মাকরূহ বলে মনে করি। তবে এটুকু উঁচু তো অবশ্য করতে হবে যাতে করে লোকেরা বুঝে এটা কবর। এর ফলে কবরের উপর দিয়ে তারা চলাফিরা করবে না এবং এর উপর বসবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অনুচ্ছেদঃ

কবরের উপর দিয়ে চলাফিরা করা এবং এর উপর বসা, উহার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা মাকরূহ্

১০৫০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، عَنْ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَجْلِسُوا عَلَى الْقُبُورِ وَلاَ تُصَلُّوا إِلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَبَشِيرِ ابْنِ الْخَصَاصِيَةِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ মারসাদ আল-গানাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবরের উপর তোমরা বসবে না এবং কবরকে সামনে রেখে নামায আদায় করবে না।

 

-সহীহ, আল আহকাম (২০৯, ২১০), তাহযীরুস সাজিদ (৩৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা, আমর ইবনু হাযম ও বাশীর ইবনুল খাসাসিয়া (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উপরের হাদীসের মত আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতেও একটি সনদ সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَأَبُو عَمَّارٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، عَنْ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ وَهَذَا الصَّحِيحُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ مُحَمَّدٌ وَحَدِيثُ ابْنِ الْمُبَارَكِ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَزَادَ فِيهِ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ وَإِنَّمَا هُوَ بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ وَبُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ قَدْ سَمِعَ مِنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ ‏.‏

ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম থেকে বর্ণিতঃ

আলী ইবনু হুজর এবং আবূ আম্মার উভয়েই ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম হতে, তিনি আব্দুর রাহমান ইবনু ইয়ামীদ হতে, তিনি বুসর ইবনু উবাইদুল্লাহ হতে, তিনি ওয়াসিলা ইবনুল আসকা হতে, তিনি মারসাদ আল-গানাবী হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরের হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন।

 

-সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই সূত্রে আবূ ইদরীসের নাম উল্লেখ নেই এবং এটাই সহীহ বর্ণনা। আবূ ঈসা বলেন, ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, ইবনুল মুবারাক সনদের মধ্যে আবূ ইদরীস আল-খাওলানীর নাম ভুল বশত যোগ করেছেন। এ ভাবেই অনেক বর্ণনাকারী হাদীসটি আবূ ইদরীসের উল্লেখ না করেই বর্ণনা করেছেন। ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রাঃ) হতে বুসর ইবনু উবাইদুল্লাহ সরাসরি হাদীস শুনেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অনুচ্ছেদঃ

কবর পাকা করা, এতে ফলক লাগানো নিষেধ

১০৫২

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُجَصَّصَ الْقُبُورُ وَأَنْ يُكْتَبَ عَلَيْهَا وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهَا وَأَنْ تُوطَأَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ فِي تَطْيِينِ الْقُبُورِ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ أَنْ يُطَيَّنَ الْقَبْرُ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কবর পাকা করতে, তার উপর কোন কিছু লিখতে বা কিছু নির্মাণ করতে এবং তা পদদলিত করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।

 

-সহীহ, আহকামুল জানা-য়িয (২০৪), তাহযীরস সাজিদ (৪০), ইরওয়া (৭৫৭), লিখতে নিষেধ করেছেন ব্যতীত, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। জাবির (রাঃ) হতে আরো একাধিক সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। কবরকে কাদা দিয়ে লেপার পক্ষে হাসান বাসরীসহ একদল আলিম অনুমতি প্রদান করেছেন। ইমাম শাফিঈ বলেছেন কাদা দিয়ে কবর লেপাতে কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অনুচ্ছেদঃ

কবরস্থানে প্রবেশ করে যা বলতে হবে

১০৫৩

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، عَنْ أَبِي كُدَيْنَةَ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقُبُورِ الْمَدِينَةِ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِمْ بِوَجْهِهِ فَقَالَ ‏ “‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالأَثَرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو كُدَيْنَةَ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ الْمُهَلَّبِ وَأَبُو ظَبْيَانَ اسْمُهُ حُصَيْنُ بْنُ جُنْدُبٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনার গোরস্তানের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি কবরবাসীদের দিকে মুখ করে বললেনঃ “আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহ্লাল কুবূর, ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহ্নু বিল আসার।”

 

যঈফ, মিশকাত (১৭৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে বুরাইদা ও আইশা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ ইবনু আব্বাস বর্ণিত এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ কুদাইনার নাম ইয়াহ্ইয়া, পিতার নাম মুহাল্লাব। আর আবূ যাব্ইয়ানের নাম হুসাইন, পিতার নাম জুনদুব।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬০. অনুচ্ছেদঃ

কবর যিয়ারাত করার অনুমতি

১০৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَدْ كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَقَدْ أُذِنَ لِمُحَمَّدٍ فِي زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الآخِرَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ بِزِيَارَةِ الْقُبُورِ بَأْسًا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারাত করতে নিষেধ করেছিলাম। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর মায়ের কবর যিয়ারাত করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কবর যিয়ারাত কর। কেননা, তা আখিরাতের কথাকে মনে করিয়ে দেয়।

 

-সহীহ্, আল আহকাম (১৭৮, ১৮৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ সাঈদ, ইবনু মাসউদ, আনাস, আবূ হুরাইরা ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বুরাইদার হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহী্হ্ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেন। কবর যিয়ারাত করতে তাদের মতে কোন দোষ নেই। এই মত দিয়েছেন ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১. অনুচ্ছেদঃ

(মৃত ব্যক্তিকে মৃত্যু স্থলে কবর দেয়া প্রসঙ্গে)

১০৫৫

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ تُوُفِّيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ بِحُبْشِيٍّ ‏.‏ قَالَ فَحُمِلَ إِلَى مَكَّةَ فَدُفِنَ فِيهَا فَلَمَّا قَدِمَتْ عَائِشَةُ أَتَتْ قَبْرَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَتْ وَكُنَّا كَنَدْمَانَىْ جَذِيمَةَ حِقْبَةً مِنَ الدَّهْرِ حَتَّى قِيلَ لَنْ يَتَصَدَّعَا فَلَمَّا تَفَرَّقْنَا كَأَنِّي وَمَالِكًا لِطُولِ اجْتِمَاعٍ لَمْ نَبِتْ لَيْلَةً مَعَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ لَوْ حَضَرْتُكَ مَا دُفِنْتَ إِلاَّ حَيْثُ مُتَّ وَلَوْ شَهِدْتُكَ مَا زُرْتُكَ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মুলাইকা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) হুবশী নামক স্থানে মারা গেলেন। পরে তাকে মক্কায় এনে এখানে কবর দেয়া হল। আইশা (রাঃ) মক্কায় এসে (ভাই) আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাক্রের কবর যিয়ারাতে গেলেন। তিনি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেনঃ

“আমরা দু’জন জাযীমার দুই সহচর দীর্ঘকাল কাটিয়েছি একসাথে এমনকি বলা হত আমরা কখনো বিচ্ছিন্ন হব না কিন্তু যখন পৃথক হলাম আমি মালিকের থেকে মনে হচ্ছে এক রাতও কাটাইনি একসাথে।”

তারপর তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলার কসম! আমি যদি হাযির থাকতাম তবে আপনার মউতের জায়গাতেই আপনাকে দাফন করা হত। আমি যদি আপনার দাফনের সময় হাযির থাকতাম, তবে আমি আপনার কবর যিয়ারাতে আসতাম না।

 

যঈফ, মিশকাত (১৭১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬২. অনুচ্ছেদঃ

কবর যিয়ারাত করা মহিলাদের জন্য মাকরূহ্

১০৫৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ زَوَّارَاتِ الْقُبُورِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ هَذَا كَانَ قَبْلَ أَنْ يُرَخِّصَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَلَمَّا رَخَّصَ دَخَلَ فِي رُخْصَتِهِ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّمَا كُرِهَ زِيَارَةُ الْقُبُورِ لِلنِّسَاءِ لِقِلَّةِ صَبْرِهِنَّ وَكَثْرَةِ جَزَعِهِنَّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কবর যিয়ারাতকারী মহিলাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন।

 

-হাসান, ইবনু মাজাহ (১৫৭৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আব্বাস ও হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহী্হ্ বলেছেন। একদল বিশেষজ্ঞ আলিম মনে করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর যিয়ারাতের অনুমতি দেওয়ার পূর্বেকার হাদীস এটি। তিনি কবর যিয়ারাতের অনুমতি দেওয়ার পর এই অনুমতির মধ্যে নারী-পুরুষ সকলেই অন্তর্ভুক্ত। কোন কোন আলিম মনে করেন, স্ত্রীলোকদের মাঝে অল্প ধৈর্য এবং বেশি অস্থিরতা থাকার জন্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কবর যিয়ারাত অপছন্দ করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩. অনুচ্ছেদঃ

মৃত ব্যক্তির প্রশংসা বর্ণনা করা

১০৫৭

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو السَّوَّاقُ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ قَبْرًا لَيْلاً فَأُسْرِجَ لَهُ سِرَاجٌ فَأَخَذَهُ مِنْ قِبَلِ الْقِبْلَةِ وَقَالَ ‏ “‏ رَحِمَكَ اللَّهُ إِنْ كُنْتَ لأَوَّاهًا تَلاَّءً لِلْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏ وَكَبَّرَ عَلَيْهِ أَرْبَعًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَيَزِيدَ بْنِ ثَابِتٍ وَهُوَ أَخُو زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَكْبَرُ مِنْهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَقَالُوا يُدْخَلُ الْمَيِّتُ الْقَبْرَ مِنْ قِبَلِ الْقِبْلَةِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُسَلُّ سَلاًّ ‏.‏ وَرَخَّصَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الدَّفْنِ بِاللَّيْلِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা কবরে প্রবেশ করলেন। তাঁর জন্য একটি আলো জ্বালানো হল। তিনি কিবলার দিক হতে মৃতদেহ ধরলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমায় রহম করুন! তুমি ছিলে বেশী নরমদিলের এবং বেশী কুরআন তিলাওয়াতকারী। তিনি তার (নামাযে) চারবার ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন।

 

যঈফ, মিশকাত (১৭০৬)তিনি রাত্রে কবরে প্রবেশ করলেন এ অংশটুকু হাসান, আহকামুল জানায়িয।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে জাবির ও ইয়াযীদ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইয়াযীদ (রাঃ) যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর অগ্রজ। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। একদল ‘আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তারা বলেন, মৃতকে কিবলার দিক হতে কবরে নামাবে। আর একদল ‘আলিমের মতে পায়ের দিক হতে নামাতে হবে। বেশীরভাগ বিশেষজ্ঞ ‘আলিম রাতে মৃতদেহ দাফন করা জায়িয মনে করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجَنَازَةٍ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَجَبَتْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একটি মৃত ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লোকজন তার প্রশংসা করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার জন্য (জান্নাত) নির্ধারিত হয়ে গেল। এরপর তিনি বললেনঃ পৃথিবীতে তোমরা (মু’মিনরা) আল্লাহ্ তা’আলার সাক্ষী।

 

-সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৪৯১), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার, কা’ব ইবনু উজরা ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৫৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَجَلَسْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَمَرُّوا بِجَنَازَةٍ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا فَقَالَ عُمَرُ وَجَبَتْ ‏.‏ فَقُلْتُ لِعُمَرَ وَمَا وَجَبَتْ قَالَ أَقُولُ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ لَهُ ثَلاَثَةٌ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا وَاثْنَانِ قَالَ ‏”‏ وَاثْنَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ نَسْأَلْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوَاحِدِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو الأَسْوَدِ الدِّيلِيُّ اسْمُهُ ظَالِمُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ ‏.‏

আবুল আসওয়াদ আদ-দীলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাদীনাতে এসে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে বসলাম। (আমাদের সামনে দিয়ে) লোকেরা একটি লাশ নিয়ে যাচ্ছিল। তারা তার ভালো গুণাবলীর প্রশংসা করছিল। উমার (রাঃ) বললেন, নির্ধারিত হয়ে গেল। তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, কি নির্ধারিত হলো? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন আমি শুধু তাই বলেছি। তিনি বলেছেনঃ তিনজন লোকও যদি কোন মুসলমানের পক্ষে উত্তম সাক্ষী দেয় তাহলে তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত হয়ে যায়। উমার (রাঃ) বলেন, আমরা প্রশ্ন করলাম, দু’জন লোক যদি এমন সাক্ষী দেয়? তিনি বললেনঃ দু’জন লোক (সাক্ষী) দিলেও। উমার (রাঃ) বলেন, তারপর একজনের সাক্ষ্যের কথা আমরা প্রশ্ন করিনি।

 

-সহীহ, আল আহকাম (৪৫), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূল আসওয়াদের নাম যা-লিম, পিতা আমর এবং দাদা সুফিয়ান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তির শিশু সন্তান মারা যায় সে ব্যক্তির সাওয়াব

১০৬০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَمُوتُ لأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ فَتَمَسَّهُ النَّارُ إِلاَّ تَحِلَّةَ الْقَسَمِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَمُعَاذٍ وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَعُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ وَأُمِّ سُلَيْمٍ وَجَابِرٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي ثَعْلَبَةَ الأَشْجَعِيِّ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَقُرَّةَ بْنِ إِيَاسٍ الْمُزَنِيِّ ‏.‏ قَالَ وَأَبُو ثَعْلَبَةَ الأَشْجَعِيُّ لَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدِيثٌ وَاحِدٌ هُوَ هَذَا الْحَدِيثُ وَلَيْسَ هُوَ الْخُشَنِيَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলমান ব্যক্তির তিনটি শিশু সন্তান মারা গেলে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না; তবে শপথ ভঙ্গ করে থাকলে (স্পর্শ করবে)।

 

-সহীহ ইবনু মাজাহ (১৬০৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার, মুআয, কা’ব ইবনু মালিক, উতবা ইবনু আবদ, উম্মু সুলাইম, জাবির, আনাস, আবূ যার, ইবনু মাসউদ, আবূ সা’লাবা আল-আশজাঈ, ইবনু আব্বাস, উকবা ইবনু আমির, আবূ সাঈদ এবং কুররা ইবনু ইয়াস আল-মুযানী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই একটি মাত্র হাদীসই আবূ সা’লাবা হতে বর্ণিত আছে। ইনি আবূ সালাবা আল-খুশানী নন। আবূ হুরাইরার হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬১

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ قَدَّمَ ثَلاَثَةً لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ كَانُوا لَهُ حِصْنًا حَصِينًا مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو ذَرٍّ قَدَّمْتُ اثْنَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَاثْنَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ سَيِّدُ الْقُرَّاءِ قَدَّمْتُ وَاحِدًا قَالَ ‏”‏ وَوَاحِدًا وَلَكِنْ إِنَّمَا ذَاكَ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأُولَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو عُبَيْدَةَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিনটি অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান (আল্লাহ্ তা’আলার কাছে) পাঠিয়েছে, তারা তার জন্য (জাহান্নামের বিরুদ্ধে) সুরক্ষিত কেল্লা হবে। আবূ যার (রাঃ) বললেন, আমি দু’টি সন্তান আগে পাঠিয়েছি। তিনি বললেনঃ দু’টি পাঠালেও। কুরআন বিশেষজ্ঞদের নেতা উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বললেন, আমি একটি আগে পাঠিয়েছি? তিনি বললেনঃ একটি পাঠালেও। কিন্তু এটা শুধু তার জন্য যে প্রথম চোটেই সহিষ্ণুতা অবলম্বন করেছে।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৬০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবূ উবাইদা (রাহঃ) তার পিতার কাছে হাদীস শুনেননি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬২

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ بَارِقٍ الْحَنَفِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ جَدِّي أَبَا أُمِّي، سِمَاكَ بْنَ الْوَلِيدِ الْحَنَفِيَّ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ مَنْ كَانَ لَهُ فَرَطَانِ مِنْ أُمَّتِي أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِمَا الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ فَمَنْ كَانَ لَهُ فَرَطٌ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ ‏”‏ وَمَنْ كَانَ لَهُ فَرَطٌ يَا مُوَفَّقَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ فَرَطٌ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ ‏”‏ فَأَنَا فَرَطُ أُمَّتِي لَنْ يُصَابُوا بِمِثْلِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ بَارِقٍ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْمُرَابِطِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ بَارِقٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏ وَسِمَاكُ بْنُ الْوَلِيدِ هُوَ أَبُو زُمَيْلٍ الْحَنَفِيُّ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে যার দু’টি মৃত সন্তান থাকবে, তাদের প্রতিদানে আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আইশা (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, আপনার উম্মাতের মধ্যে যার একটি মৃত সন্তান থাকবে? তিনি বললেনঃ হে কল্যাণময়ী! যার এমন একটি সন্তান থাকবে তাকেও। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, আপনার উম্মাতের মধ্যে যার কোন অগ্রগামী সন্তান নেই? তিনি বললেনঃ আমিই আমার উম্মাতের জন্য অগ্রগামী। কেননা আমার ইন্তেকালে তারা যে কষ্ট পাবে তেমন আর কারো ইন্তেকালে পাবে না।

 

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (৩/৯৩), মিশকাত (১৭৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কেননা আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আবদু রব্বিহি ইবনু বারিকের সূত্রেই জেনেছি। একাধিক মুহাদ্দিস তার নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আহ্মাদ ইবনু সাঈদ-হাব্বান ইবনু হিলাল হতে তিনি আবদে রব্বিহির সূত্রে উপরের হাদীসের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। সিমাক ইবনুল ওয়ালীদ, তিনি হলেন আবূ যুমাইল হানাফী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫. অনুচ্ছেদঃ

শহীদগণের বর্ণনা

১০৬৩

حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الشُّهَدَاءُ خَمْسٌ الْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْغَرِقُ وَصَاحِبُ الْهَدْمِ وَالشَّهِيدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَصَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ وَجَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ وَخَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ وَسُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ وَأَبِي مُوسَى وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শহীদ পাঁচ প্রকারেরঃ মহামারির কারণে যে লোক মারা যায়, যে পেটের অসুখের কারণে মারা যায়, পানিতে ডুবে যে লোক মারা যায়, চাপা পড়ে যে লোক মারা যায় এবং যে লোক আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় (যুদ্ধক্ষেত্রে) শহীদ হয়।

 

-সহীহ, আল আহকাম (৩৮) বুখারী, মুসলিম৷

  •  
  •  
  •  
  •  

আনাস, সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যা, জাবির ইবনু আতীক, খালিদ ইবনু উরফুতা, সুলাইমান ইবনু সুরাদ, আবূ মূসা ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو سِنَانٍ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، قَالَ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ لِخَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ أَوْ خَالِدٌ لِسُلَيْمَانَ أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ قَتَلَهُ بَطْنُهُ لَمْ يُعَذَّبْ فِي قَبْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ فِي هَذَا الْبَابِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ ইসহাক আস-সাবীঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খালিদ ইবনু উরফুতা (রাঃ)-কে সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) অথবা সুলাইমান (রাঃ)-কে খালিদ (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একথা বলতে শুনেছেনঃ “যে লোককে পেটের পীড়া মৃত্যু দিয়েছে কবরে সে লোককে কোন রকম শাস্তি দেয়া হবে না”? তাদের একজন অন্যজনকে বললেন, হ্যাঁ।

 

-সহীহ, আল আহকাম (৩৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। অন্য সূত্রেও এটি বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬. অনুচ্ছেদঃ

মহামারীতে আক্রান্ত এলাকা হতে পালানো নিষেধ

১০৬৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ الطَّاعُونَ فَقَالَ ‏ “‏ بَقِيَّةُ رِجْزٍ – أَوْ عَذَابٍ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَلَسْتُمْ بِهَا فَلاَ تَهْبِطُوا عَلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মহামারী প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলোচনা করলেন এবং বললেনঃ যে গযব বা শাস্তি বানী ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর উপর এসেছিলো, তার বাকী অংশই হচ্ছে মহামারী। অতএব, কোথাও মহামারীর দেখাদিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা হতে চলে এসো না। অপরদিকে কোন এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে জায়গাতে যেও না।

 

-সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

সা’দ, খুযাইমা ইবনু সাবিত, আবদুর রাহমান ইবনু আওফ, জাবির ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উসামা ইবনু যাইদের হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭. অনুচ্ছেদঃ

আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাত লাভকে যে লোক পছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাক্ষাত লাভকে পছন্দ করেন

১০৬৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مِقْدَامٍ أَبُو الأَشْعَثِ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ্ তা’আলার সাক্ষাত লাভ করা পছন্দ করে, তার সাথে সাক্ষাত করতে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন। আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাত করতে যে লোক পছন্দ করে না, তার সাথে সাক্ষাত করতে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন না।

 

-সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ মূসা, আবূ হুরাইরা ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা ইবনুস সা-মিত (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৬৭

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُلُّنَا نَكْرَهُ الْمَوْتَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لَيْسَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا بُشِّرَ بِرَحْمَةِ اللَّهِ وَرِضْوَانِهِ وَجَنَّتِهِ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ وَأَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا بُشِّرَ بِعَذَابِ اللَّهِ وَسَخَطِهِ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ وَكَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাত করতে যে লোক পছন্দ করে তার সাথে সাক্ষাত করতে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন। আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাত করতে যে লোক পছন্দ করে না, তার সাথে সাক্ষাত করাকে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন না। আইশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মৃত্যুকে তো আমরা সবাই অপছন্দ করি। তিনি বললেনঃ এর অর্থ তা নয়, বরং যখন আল্লাহ্ তা’আলার রাহমাত, তাঁর সন্তোষ ও তাঁর জান্নাতের সুসংবাদ কোন মু’মিন লোককে দেয়া হয় তখন সে লোক আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাত করতে ইচ্ছা করে এবং তার সাথে সাক্ষাত করাকে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন। অপরপক্ষে যখন কাফির লোককে আল্লাহ্‌র নির্ধারিত আযাব ও তাঁর গযবের দুঃসংবাদ দেয়া হয় তখন আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাত করাকে সে লোক পছন্দ করে না এবং তার সাথে সাক্ষাত করাকে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন না।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪২৬৪), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৮. অনুচ্ছেদঃ

আত্মহত্যাকারীর (জানাযার নামায) প্রসঙ্গে

১০৬৮

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، وَشَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَتَلَ نَفْسَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ يُصَلَّى عَلَى كُلِّ مَنْ صَلَّى إِلَى الْقِبْلَةِ وَعَلَى قَاتِلِ النَّفْسِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ يُصَلِّي الإِمَامُ عَلَى قَاتِلِ النَّفْسِ وَيُصَلِّي عَلَيْهِ غَيْرُ الإِمَامِ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক লোক আত্মহত্যা করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযা আদায় করেননি।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫২৬), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। আলিমদের মাঝে আত্মহত্যাকারীর জানাযা আদায়ের ব্যাপারে মতের অমিল আছে। একদল আলিম বলেন, কিবলার দিকে ফিরে যেসব লোক নামায আদায় করে তাদের ও আত্মহত্যাকারীর জানাযা আদায় করা হবে। এই মতের প্রবক্তা হচ্ছেন সুফিয়ান সাওরী ও ইসহাক (রহঃ)। ইমাম আহমাদ বলেন, আত্মহত্যাকারীর জানাষার নামায ইমাম সাহেব আদায় করবেন না, তবে অন্যান্য লোকেরা তা আদায় করবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯. অনুচ্ছেদঃ

ঋণগ্রস্ত লোকের জানাযা

১০৬৯

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِرَجُلٍ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ فَإِنَّ عَلَيْهِ دَيْنًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو قَتَادَةَ هُوَ عَلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ بِالْوَفَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بِالْوَفَاءِ ‏.‏ فَصَلَّى عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক মৃত ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জানাযার উদ্দেশ্যে আনা হল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা আদায় কর; কেননা, তার ঋণ (অপরিশোধিত অবস্থায়) আছে। আবূ কাতাদা (রাঃ) বললেন, তার দেনা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তা পরিশোধ করে দেবে তো? তিনি বললেন, অবশ্যই পরিশোধ করব। তারপর তিনি সে ব্যক্তির জানাযার নামায আদায় করলেন।

 

-সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২৪০৭), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির, সালামা ইবনুল আকওয়া ও আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহী্হ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭০

حَدَّثَنَا أَبُو الْفَضْلِ، مَكْتُومُ بْنُ الْعَبَّاسِ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ الْمُتَوَفَّى عَلَيْهِ الدَّيْنُ فَيَقُولُ ‏”‏ هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ مِنْ قَضَاءٍ ‏”‏ ‏.‏ فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهُ تَرَكَ وَفَاءً صَلَّى عَلَيْهِ وَإِلاَّ قَالَ لِلْمُسْلِمِينَ ‏”‏ صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْفُتُوحَ قَامَ فَقَالَ ‏”‏ أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَمَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَتَرَكَ دَيْنًا عَلَىَّ قَضَاؤُهُ وَمَنْ تَرَكَ مَالاً فَهُوَ لِوَرَثَتِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসা হলে তিনি প্রশ্ন করতেন, তার ঋণ পরিশোধ করার মত কোন কিছু রেখে গেছে কি এ ব্যক্তি? সে লোক ঋণ পরিশোধ করার মত সম্পদ রেখে গেছে বলা হলে তবে তিনি তার জানাযার নামায আদায় করতেন। অন্যথায় তিনি মুসলমানদের বলতেনঃ তোমাদের ভাইয়ের জানাযার নামায তোমরা আদায় কর। তারপর তাঁকে আল্লাহ তা’আলা অসংখ্য বিজয় দিলে তিনি দাঁড়িয়ে বললেনঃ মু’মিনদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতেও আমি বেশি কল্যাণকামী। অতএব, মুমিনদের মাঝে কোন লোক যদি ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা যায় তবে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর ধন-সম্পদ রেখে যে ব্যক্তি মারা যায় তা তার ওয়ারিসদের প্রাপ্য।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৪১৫), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। উপরোক্ত হাদীসের মতই লাইস ইবনু সা’দের সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০. অনুচ্ছেদঃ

কবরের শাস্তি প্রসঙ্গে

১০৭১

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قُبِرَ الْمَيِّتُ – أَوْ قَالَ أَحَدُكُمْ أَتَاهُ مَلَكَانِ أَسْوَدَانِ أَزْرَقَانِ يُقَالُ لأَحَدِهِمَا الْمُنْكَرُ وَالآخَرُ النَّكِيرُ فَيَقُولاَنِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ مَا كَانَ يَقُولُ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏.‏ فَيَقُولاَنِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ هَذَا ‏.‏ ثُمَّ يُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ سَبْعُونَ ذِرَاعًا فِي سَبْعِينَ ثُمَّ يُنَوَّرُ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ نَمْ ‏.‏ فَيَقُولُ أَرْجِعُ إِلَى أَهْلِي فَأُخْبِرُهُمْ فَيَقُولاَنِ نَمْ كَنَوْمَةِ الْعَرُوسِ الَّذِي لاَ يُوقِظُهُ إِلاَّ أَحَبُّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ ‏.‏ حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ ‏.‏ وَإِنْ كَانَ مُنَافِقًا قَالَ سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ فَقُلْتُ مِثْلَهُ لاَ أَدْرِي ‏.‏ فَيَقُولاَنِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ ذَلِكَ ‏.‏ فَيُقَالُ لِلأَرْضِ الْتَئِمِي عَلَيْهِ ‏.‏ فَتَلْتَئِمُ عَلَيْهِ ‏.‏ فَتَخْتَلِفُ فِيهَا أَضْلاَعُهُ فَلاَ يَزَالُ فِيهَا مُعَذَّبًا حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَالْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ كُلُّهُمْ رَوَوْا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي عَذَابِ الْقَبْرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত লোককে বা তোমাদের কাউকে যখন কবরের মধ্যে রাখা হয় তখন কালো বর্ণের এবং নীল চোখ বিশিষ্ট দু’জন ফেরেশতা আসেন তার নিকট। তাদের মধ্যে একজনকে মুনকার এবং অন্যজনকে নাকীর বলা হয়। তারা উভয়ে (মৃত ব্যক্তিকে) প্রশ্ন করেনঃ তুমি এ ব্যক্তির (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর) প্রসঙ্গে কি বলতে? মৃত ব্যক্তিটি (যদি মু’মিন হয় তাহলে) পূর্বে যা বলত তাই বলবেঃ তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। তারা উভয়ে তখন বলবেন, আমরা তো জানতাম তুমি একথাই বলবে। তারপর সে ব্যক্তির কবর দৈর্ঘ্য-প্রস্থে সত্তর গজ করে প্রশস্ত করা হবে এবং তার জন্য এখানে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। তারপর সে লোককে বলা হবে, তুমি ঘুমিয়ে থাক। তখন সে বলবে, আমার পরিবার-পরিজনকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য আমি তাদের নিকট ফিরে যেতে চাই। তারা উভয়ে বলবেন, বাসর ঘরের বরের মত তুমি এখানে এমন গভীর ঘুম দাও, যাকে তার পরিবারের সবচাইতে প্রিয়জন ব্যতীত আর কোন ব্যক্তি জাগিয়ে তুলতে পারে না। অবশেষে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামাতের দিন তাকে তার বিছানা হতে জাগিয়ে তুলবেন। মৃত লোকটি যদি মুনাফিক হয় তাহলে (প্রশ্নের উত্তরে) বলবে, তার প্রসঙ্গে লোকেরা একটা কথা বলত আমিও তাই বলতাম। এর বেশি কিছুই আমি জানি না। ফেরেশতা দু’জন তখন বলবেন, আমরা জানতাম, এ কথাই তুমি বলবে। তারপর যমীনকে বলা হবে, একে চাপ দাও। সে লোককে এমন শক্ত করে যমীন চাপা দেবে যে, তার পাঁজরের হাড়গুলো পরস্পরের মাঝে ঢুকে পরবে। (কিয়ামাতের দিন) আল্লাহ তাকে তার এ বিছানা হতে উঠানো পর্যন্ত সে লোক এভাবেই আযাব পেতে থাকবে।

 

-হাসান, মিশকাত (১৩০), সহীহাহ্ (১৩৯১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আলী, যাইদ ইবনু সাবিত, ইবনু আব্বাস, বারাআ ইবনু আযিব, আবূ আইয়ূব, আনাস, জাবির, আইশা ও আবূ সাঈদ (রাঃ) সকলেই এ অনুচ্ছেদে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কবরের শাস্তি সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭২

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا مَاتَ الْمَيِّتُ عُرِضَ عَلَيْهِ مَقْعَدُهُ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ فَإِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَمِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَمِنْ أَهْلِ النَّارِ ثُمَّ يُقَالُ هَذَا مَقْعَدُكَ حَتَّى يَبْعَثَكَ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক মারা গেলে তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার (আখিরাতের) বাসস্থান তুলে ধরা হয়। সে লোক জান্নাতে বসবাসকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলে তাকে জান্নাতের জায়গা দেখানো হয়। আর যদি সে লোক জাহান্নাম বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে তাকে জাহান্নামীদের জায়গা দেখানো হয়। তারপর বলা হয়, তোমার থাকার জায়গা এটাই। তোমাকে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা এখানে পাঠাবেন।

 

-সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১. অনুচ্ছেদঃ

বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দেয়ার সাওয়াব

১০৭৩

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وَاللَّهِ، مُحَمَّدُ بْنُ سُوقَةَ عَنْ إِبَرْاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ عَزَّى مُصَابًا فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ مَوْقُوفًا وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَيُقَالُ أَكْثَرُ مَا ابْتُلِيَ بِهِ عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ بِهَذَا الْحَدِيثِ نَقَمُوا عَلَيْهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে, তাকেও দুর্দশাগ্রস্তের সমান বদলা দেয়া হয়।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৬০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধু আলী ইবনু আসিমের সূত্রেই আমরা হাদীসটি মারফূ হিসেবে জেনেছি। কিছু রাবী মুহাম্মাদ ইবনু সূকার সূত্রে এটা মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, মারফূ হিসেবে নয়। কথিত আছে যে, আলী ইবনু আসিম এই হাদীসের জন্যে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। মুহাদ্দিসগণ তাকে দোষারোপ করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭২. অনুচ্ছেদঃ

জুমু’আর দিন যে লোক মৃত্যু বরণ করে

১০৭৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ ‏.‏ رَبِيعَةُ بْنُ سَيْفٍ إِنَّمَا يَرْوِي عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَلاَ نَعْرِفُ لِرَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ سَمَاعًا مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জুমু‘আর দিনে অথবা জুমু‘আর রাতে কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে কবরের শাস্তি হতে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন।

 

-হাসান, মিশকাত (১৩৬৭), আল আহকাম (৩৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এর সনদ পরস্পর সংযুক্ত নয়। কেননা আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-এর নিকট হতে রাবীআ ইবনু সাইফ সরাসরি আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে কোন হাদীস শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মূলতঃ তিনি আবদুর রহমান আল-হুবুল্লীর সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে হাদীস বর্ণনা করেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩. অনুচ্ছেদঃ

তাড়াতাড়ি জানাযার ব্যবস্থা করা

১০৭৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏ “‏ يَا عَلِيُّ ثَلاَثٌ لاَ تُؤَخِّرْهَا الصَّلاَةُ إِذَا آنَتْ وَالْجَنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ وَالأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفْؤًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَمَا أَرَى إِسْنَادَهُ بِمُتَّصِلٍ ‏.‏

আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে আলী! তিনটি কাজে দেরি করবে না। নামায- যখন ওয়াক্ত হয়ে যায়; জানাযা- যখন উপস্থিত হয় এবং বিধবা- যখন তার যোগ্য পাত্র পাওয়া যায়।

 

যঈফ, মিশকাত (১৪৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এর সনদ পরস্পর সংযুক্ত আছে বলে মনে করি না।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪. অনুচ্ছেদঃ

বিপদগ্রস্তের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের ফাযীলাত

১০৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَتْنَا أُمُّ الأَسْوَدِ، عَنْ مُنْيَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي بَرْزَةَ، عَنْ جَدِّهَا أَبِي بَرْزَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ عَزَّى ثَكْلَى كُسِيَ بُرْدًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ ‏.‏

আবূ বারযা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সন্তানহারা মহিলাকে সমবেদনা জানায় তাকে জান্নাতে একটি কারুকার্য খচিত চাদর পরিয়ে দেয়া হবে।

 

যঈফ, মিশকাত (১৭৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব এবং এর সনদ মজবুত নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫. অনুচ্ছেদঃ

জানাযা আদায়ে দুই হাত উঠানো (রাফউল ইয়াদাইন)

১০৭৭

حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ الْوَرَّاقُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْلَى الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ زَيْدٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهُ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ عَلَى جَنَازَةٍ فَرَفَعَ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةٍ وَوَضَعَ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا فَرَأَى أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنْ يَرْفَعَ الرَّجُلُ يَدَيْهِ فِي كُلِّ تَكْبِيرَةٍ عَلَى الْجَنَازَةِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلاَّ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَذُكِرَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ فِي الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ لاَ يَقْبِضُ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ ‏.‏ وَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يَقْبِضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ كَمَا يَفْعَلُ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى يَقْبِضُ أَحَبُّ إِلَىَّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক জানাযা আদায়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন এবং প্রথম তাকবীরেই শুধু হাত দুটোকে উঠালেন (রাফউল ইয়াদাইন করলেন)। ডান হাতকে তিনি বাম হাতের উপর রাখলেন।

 

-হাসান, আল আহকাম (১১৫, ১১৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন। হাদীসটি শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রেই আমরা জেনেছি। আলিমগণের মাঝে জানাযায় কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো প্রসঙ্গে মতের অমিল রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশিরভাগ সাহাবী ও অপরাপর আলিমের মতে, জানাযায় প্রতি তাকবীরেই হাত দুটোকে উঠাতে হবে। এরকম মত ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরও। অপর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম তা শুধুমাত্র প্রথম তাকবীরের সময়ই করতে হবে বলেছেন। এই মত সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী আলিমগণের। ইবনুল মুবারাক বলেন, জানাযায় ডান হাত দিয়ে বাম হাতকে ধরবে না (দুই হাতই ঝুলিয়ে রাখবে)। অপর একদল আলিম বলেছেন, অন্যসব নামাযের অনুরূপ জানাযাতেও ডান হাত দিয়ে বাম হাতকে ধরবে। আবূ ঈসা ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরাকেই উত্তম মনে করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ মু’মিন ব্যক্তির রূহ্ দেনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত দেনার সাথে বন্ধক অবস্থায় থাকে

১০৭৮

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهِ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির রূহ্ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তার ঋণের সাথে বন্ধক অবস্থায় থাকে।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৪১৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهِ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ أَصَحُّ مِنَ الأَوَّلِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির রূ্হ্ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তার ঋণের সাথে বন্ধক থাকে।

 

-সহীহ, পূর্বের হাদীসের কারণে।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। পূর্বোক্ত হাদীসের তুলনায় এটা বেশি সহী্হ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস