পরিচ্ছেদঃ
যে যে পাত্রে অনুমতি দেয়া হয়েছে
৫৬৫১
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، عَنْ الْأَحْوَصِ بْنِ جَوَّابٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ، فَتَزَوَّدُوا وَادَّخِرُوا، وَمَنْ أَرَادَ زِيَارَةَ الْقُبُورِ، فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الْآخِرَةَ، وَاشْرَبُوا وَاتَّقُوا كُلَّ مُسْكِرٍ»
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কুরবানীর গোশত জমা রাখতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা খাও এবং জমা করে রাখতে পার। আর যদি কেউ কবর যিয়ারত করতে মনস্থ করে, সে করতে পারে। কেননা, কবর যিয়ারত আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর যে কোন পাত্রে তোমরা পানীয় দ্রব্য গ্রহণ করতে পার, কিন্তু মাদকদ্রব্য হতে দূরে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫২
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ ابْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا، وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ، وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلَّا فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الْأَسْقِيَةِ كُلِّهَا، وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا»
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম; কিন্তু এখন তোমরা কবর যিয়ারত করতে পার। আর আমি তোমাদেরকে তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত রাখতে নিষেধ করেছিলাম; এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা গোশত রাখতে পার। আমি তোমাদেরকে মশক ব্যতীত অন্য পাত্রে নাবীয তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা সকল পাত্রেই নাবীয তৈরি করে পান করতে পার, কিন্তু মাদকদ্রব্য পান করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْدَانَ بْنِ عِيسَى بْنِ مَعْدَانَ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُبَيْدٌ، عَنْ مُحَارِبٍ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ ثَلَاثٍ: زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا، وَلْتَزِدْكُمْ زِيَارَتُهَا خَيْرًا، وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ بَعْدَ ثَلَاثٍ فَكُلُوا مِنْهَا مَا شِئْتُمْ، وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ الْأَشْرِبَةِ فِي الْأَوْعِيَةِ فَاشْرَبُوا فِي أَيِّ وِعَاءٍ شِئْتُمْ، وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا “
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে তিনটি বস্তু হতে নিষেধ করেছিলাম। একটি হল, কবর যিয়ারত, এখন তোমরা কবর যিয়ারত করতে পার। কেননা এতে তোমাদের জন্য উপকার রয়েছে। আর তোমাদেরকে তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত হতে নিষেধ করেছিলাম; এখন যতদিন ইচ্ছা তা খেতে পার। আমি কিছু পাত্র হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পাত্রে পান করতে পার, কিন্তু মাদকদ্রব্য পান করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫৪
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنِ الْأَوْعِيَةِ فَانْتَبِذُوا فِيمَا بَدَا لَكُمْ، وَإِيَّاكُمْ وَكُلَّ مُسْكِرٍ»
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কোন কোন পাত্র হতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পাত্রে নাবীয তৈরি কর, কিন্তু প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হতে দূরে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫৫
أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ مَرْوَزِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُبَيْدٍ الْكِنْدِيُّ خُرَاسَانِيٌّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَا هُوَ يَسِيرُ إِذْ حَلَّ بِقَوْمٍ فَسَمِعَ لَهُمْ لَغَطًا، فَقَالَ: «مَا هَذَا الصَّوْتُ؟» قَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ لَهُمْ شَرَابٌ يَشْرَبُونَهُ، فَبَعَثَ إِلَى الْقَوْمِ فَدَعَاهُمْ، فَقَالَ: «فِي أَيِّ شَيْءٍ تَنْتَبِذُونَ؟»، قَالُوا: نَنْتَبِذُ فِي النَّقِيرِ، وَالدُّبَّاءِ وَلَيْسَ لَنَا ظُرُوفٌ، فَقَالَ: «لَا تَشْرَبُوا إِلَّا فِيمَا أَوْكَيْتُمْ عَلَيْهِ»، قَالَ: فَلَبِثَ بِذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَلْبَثَ، ثُمَّ رَجَعَ عَلَيْهِمْ، فَإِذَا هُمْ قَدْ أَصَابَهُمْ وَبَاءٌ وَاصْفَرُّوا، قَالَ: «مَا لِي أَرَاكُمْ قَدْ هَلَكْتُمْ؟» قَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَرْضُنَا وَبِيئَةٌ، وَحَرَّمْتَ عَلَيْنَا إِلَّا مَا أَوْكَيْنَا عَلَيْهِ، قَالَ: «اشْرَبُوا، وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ»
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সফরে বের হন, তখন একদল লোককে হৈ-হল্লা করতে শুনে তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ এটা কিসের আওয়াজ? তারা বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাদের এক প্রকার পানীয় আছে, তারা তা পান করছে। তিনি তাদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা কোন পাত্রে নাবীয তৈরি করে থাক। তারা বললোঃ কাঠের পাত্র, কদুর খোল ছাড়া আমাদের নিকট অন্য কোন পাত্র নেই। তিনি বললেনঃ তোমরা শুধু এমন পাত্রে নাবীয তৈরি করবে যার মুখ বন্ধ করতে পারবে। এরপর যতদিন আল্লাহ্র ইচ্ছা ছিল, ততদিন তিনি সেই সফরে ছিলেন। পরে তিনি তাদের নিকট প্রত্যাবর্তনকালে দেখলেন, তারা এক মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে হলদে হয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ কী হলো, তোমাদেরকে এমন অবস্থায় দেখছি কেন? তারা বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবহাওয়ার দরুন আমাদের এখানে মহামারী লেগে থাকে। আর আপনি তো আমাদের জন্য মুখ বন্ধ করা যায় এমন পাত্র ছাড়া সব পাত্রের নাবীয হারাম করেছেন। তিনি বললেনঃ তোমরা পান কর। তবে জেনে রাখ, সব ধরনের মাদকদ্রব্য হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫৬
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، وَأَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَهَى عَنِ الظُّرُوفِ شَكَتِ الْأَنْصَارُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيْسَ لَنَا وِعَاءٌ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَلَا إِذًا»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পাত্র সম্বন্ধে নিষেধ করলেন, তখন আনসার লোক অভিযোগ করলো যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের এখানে তো অন্য কোন প্রকার পাত্র নেই। তিনি বললেনঃ তবে কোন অসুবিধা নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদের প্রকৃত অবস্থা
৫৬৫৭
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: ” أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا، فَأَخَذَ اللَّبَنَ، فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَاكَ لِلْفِطْرَةِ لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মি’রাজের রাত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট দুধ এবং শরাব উপস্থিত করা হলে, তিনি দুধকেই গ্রহণ করলেন। জিবরাঈল (আঃ) তাঁকে বললেনঃ আল্লাহ্র শোকর যে, তিনি আপনাকে ফিতরাতে বা স্বভাব ধর্মের প্রতি হিদায়াত দান করেছেন। যদি আপনি মদের পাত্র গ্রহণ করতেন, তবে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ خَالِدٍ وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ حَفْصٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ يُحَدِّثُ، عَنْ رَجُلٍ مَنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَشْرَبُ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا “
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সাহাবী নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদ পান করবে, কিন্তু তারা এর অন্য নাম দেবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদপান কি গুরুতর পাপ তার নির্দেশক হাদিসসমূহ
৫৬৫৯
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ شَارِبُهَا حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন সে মু’মিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। মদখোর যখন মদ পান করে, তখন সে মু’মিন অবস্থায় মদ পান করে না। চোর যখন চুরি করে, তখন সে মু’মিন অবস্থায় চুরি করে না। আর যখন কোন ডাকাত ডাকাতিতে লিপ্ত হয়, আর লোক চোখ তুলে দেখতে থাকে, তখন সেও মু’মিন অবস্থায় ডাকাতি করে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬০
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كُلُّهُمْ حَدَّثُونِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةً ذَاتَ شَرَفٍ يَرْفَعُ الْمُسْلِمُونَ إِلَيْهِ أَبْصَارَهُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন ব্যভিচারী ব্যভিচার করে, তখন সে মু’মিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। চোর যখন চুরি করে, তখন সে মু’মিন অবস্থায় চুরি করে না। আর কেউ যখন মদ পান করে তখন সে মু’মিন অবস্থায় মদ পান করে না এবং যখন কেউ কোন মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন করে আর মুসলিমগণ তার দিকে তাদের চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে, তখন সে মু’মিন অবস্থায় লুণ্ঠন করে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬১
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، وَنَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ شَرِبَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ شَرِبَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ شَرِبَ فَاقْتُلُوهُ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্ন উমর (রাঃ) সহ একদল সাহাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মদ পান করে, তাকে বেত্রাঘাত কর। পুনরায় পান করলে আবার বেত্রাঘাত কর; তারপর আবার পান করলে তাকে হত্যা করো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬২
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ» ثُمَّ قَالَ فِي الرَّابِعَةِ: «فَاضْرِبُوا عُنُقَهُ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মদ পান করে, তাকে কশাঘাত কর, পুনরায় মদ পান করলে তাকে আবার কশাঘাত কর, আবার মদপান করলে আবার কশাঘাত কর, চতুর্থবারে বললেনঃ তাকে হত্যা কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬৩
أَخْبَرَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ ابْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «مَا أُبَالِي شَرِبْتُ الْخَمْرَ، أَوْ عَبَدْتُ هَذِهِ السَّارِيَةَ مِنْ دُونِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেনঃ আমার নিকট মদ্যপান করা অথবা আল্লাহ ব্যতীত এই খুঁটিকে পূজা করা সমান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদ্যপায়ীর সালাতের অবস্থা নির্দেশক হাদিস
৫৬৬৪
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عُثْمَانُ بْنُ حِصْنِ بْنِ عَلَّاقٍ دِمَشْقِيٌّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ رُوَيْمٍ، أَنَّ ابْنَ الدَّيْلَمِيِّ رَكِبَ يَطْلُبُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: ابْنُ الدَّيْلَمِيِّ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَقُلْتُ: هَلْ سَمِعْتَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ شَأْنَ الْخَمْرِ بِشَيْءٍ، فَقَالَ: نَعَمْ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ رَجُلٌ مِنْ أُمَّتِي فَيَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ يَوْمًا»
উরওয়া ইব্ন রুওয়ায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা ইব্ন দায়লামী (রহঃ) আবদুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আস (রাঃ)-এর খোঁজে সওয়ার হলেন। তিনি বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবদুল্লাহ ইব্ন আমর! আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মদ সম্বন্ধে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মতের কেউ শরাব পান করলে আল্লাহ তা‘আলা তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল করবেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا خَلَفٌ يَعْنِي ابْنَ خَلِيفَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: «الْقَاضِي إِذَا أَكَلَ الْهَدِيَّةَ فَقَدْ أَكَلَ السُّحْتَ، وَإِذَا قَبِلَ الرِّشْوَةَ بَلَغَتْ بِهِ الْكُفْرَ»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد مقطوع
মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন বিচারক যখন কোন উপঢৌকন গ্রহণ করে, তখন সে যেন হারাম খায়, আর যখন সে ঘুষ গ্রহণ করে, তখন সে কুফরী পর্যন্ত পৌছায়। মাসরূক (রহঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি শরাব পান করে, সে কাফির হয়ে যায়। তার কুফরী এই যে, তার নামায কবূল হয় না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদ্যপান থেকে যে সকল পাপ জন্ম নেয়
৫৬৬৬
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: ” اجْتَنِبُوا الْخَمْرَ فَإِنَّهَا أُمُّ الْخَبَائِثِ، إِنَّهُ كَانَ رَجُلٌ مِمَّنْ خَلَا قَبْلَكُمْ تَعَبَّدَ، فَعَلِقَتْهُ امْرَأَةٌ غَوِيَّةٌ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ جَارِيَتَهَا، فَقَالَتْ لَهُ: إِنَّا نَدْعُوكَ لِلشَّهَادَةِ، فَانْطَلَقَ مَعَ جَارِيَتِهَا فَطَفِقَتْ كُلَّمَا دَخَلَ بَابًا أَغْلَقَتْهُ دُونَهُ، حَتَّى أَفْضَى إِلَى امْرَأَةٍ وَضِيئَةٍ عِنْدَهَا غُلَامٌ وَبَاطِيَةُ خَمْرٍ، فَقَالَتْ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا دَعَوْتُكَ لِلشَّهَادَةِ، وَلَكِنْ دَعَوْتُكَ لِتَقَعَ عَلَيَّ، أَوْ تَشْرَبَ مِنْ هَذِهِ الْخَمْرَةِ كَأْسًا، أَوْ تَقْتُلَ هَذَا الْغُلَامَ، قَالَ: فَاسْقِينِي مِنْ هَذَا الْخَمْرِ كَأْسًا، فَسَقَتْهُ كَأْسًا، قَالَ: زِيدُونِي فَلَمْ يَرِمْ حَتَّى وَقَعَ عَلَيْهَا، وَقَتَلَ النَّفْسَ، فَاجْتَنِبُوا الْخَمْرَ، فَإِنَّهَا وَاللَّهِ لَا يَجْتَمِعُ الْإِيمَانُ، وَإِدْمَانُ الْخَمْرِ إِلَّا لَيُوشِكُ أَنْ يُخْرِجَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ “
উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তোমরা মাদকদ্রব্য পরিত্যাগ কর, কেননা তা নানা প্রকার অপকর্মের প্রসূতী। তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে এক আবেদ ব্যক্তি ছিল। এক কুলটা রমণী তাকে নিজের ধোঁকাবাজির জালে আবদ্ধ করতে মনস্থ করে। এজন্য সে তার এক দাসীকে তার নিকট প্রেরণ করে তাকে সাক্ষ্যদানের জন্য ডেকে পাঠায়। তখন ঐ আবেদ ব্যক্তি ঐ দাসীর সাথে গমন করলো। সে যখনই কোন দরজা অতিক্রম করত, দাসী পিছন থেকে সেটি বন্ধ করে দিত। এভাবে সেই আবেদ ব্যক্তি এক অতি সুন্দরী নারীর সামনে উপস্থিত হলো আর তার সামনে ছিল একটি ছেলে এবং এক পেয়ালা মদ। সেই নারী আবেদকে বললোঃ আল্লাহ্র শপথ! আমি আপনাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাইনি বরং এজন্য ডেকে পাঠিয়েছি যে, আপনি আমার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হবেন, অথবা এই মদ পান করবেন, অথবা এই ছেলেকে হত্যা করবেন। সেই আবেদ বললোঃ আমাকে এই মদের একটি মাত্র পেয়ালা দাও। ঐ নারী তাকে এক পেয়ালা মদ পান করালো। তখন সে বললোঃ আরও দাও। মোটকথা ঐ আবেদ আর থামল না, যাবত না সে তার সাথে ব্যভিচার করলো এবং ঐ ছেলেকেও হত্যা করলো। অতএব তোমরা মদ পরিত্যাগ কর। কেননা, আল্লাহ্র শপথ! মদ ও ঈমান কখন সহবস্থান করে না। এর একটি অন্যটিকে বের করে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৬৭
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ يَقُولُ: ” اجْتَنِبُوا الْخَمْرَ، فَإِنَّهَا أُمُّ الْخَبَائِثِ، فَإِنَّهُ كَانَ رَجُلٌ مِمَّنْ خَلَا قَبْلَكُمْ يَتَعَبَّدُ وَيَعْتَزِلُ النَّاسَ – فَذَكَرَ مِثْلَهُ – قَالَ: «فَاجْتَنِبُوا الْخَمْرَ فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَا يَجْتَمِعُ وَالْإِيمَانُ أَبَدًا إِلَّا يُوشِكَ أَحَدُهُمَا أَنْ يُخْرِجَ صَاحِبَهُ»
উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তোমরা মদ পরিত্যাগ কর। কেননা, এটাই সকল অনিষ্টের মূল। তোমাদের পূর্ব যুগে এক ব্যক্তি ছিল। সে সর্বদা ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতো। এরপর পূর্বোক্ত ঘটনা বর্ণনা করে বললেনঃ তোমরা মদ পরিত্যাগ কর; কেননা, আল্লাহ্র শপথ! মদ এবং ঈমান কখনো সহবস্থান করে না; বরং একটি অপরটিকে বের করে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬৮
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ الْعَلَاءِ وَهُوَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ فُضَيْلٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَلَمْ يَنْتَشِ، لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ مَا دَامَ فِي جَوْفِهِ أَوْ عُرُوقِهِ مِنْهَا شَيْءٌ، وَإِنْ مَاتَ مَاتَ كَافِرًا، وَإِنْ انْتَشَى لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً، وَإِنْ مَاتَ فِيهَا مَاتَ كَافِرًا» خَالَفَهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ “
ইব্ন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করলো, অথচ নেশাগ্রস্থ হলো না, তার নামায কবূল হবে না, যতক্ষণ ঐ মদ তার পেটে অথবা শিরায় অবস্থান করবে। যদি ঐ ব্যক্তি সে অবস্থায় মারা যায়, তবে তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল হবে না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তবে সে কাফির অবস্থায় মারা যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬৯
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ يَزِيدَ، ح وَأَنْبَأَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ: عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَجَعَلَهَا فِي بَطْنِهِ لَمْ يَقْبَلِ اللَّهُ مِنْهُ صَلَاةً سَبْعًا، إِنْ مَاتَ فِيهَا – وَقَالَ ابْنُ آدَمَ: فِيهِنَّ – مَاتَ كَافِرًا، فَإِنْ أَذْهَبَتْ عَقْلَهُ عَنْ شَيْءٍ مِنَ الْفَرَائِضِ – وَقَالَ ابْنُ آدَمَ: الْقُرْآنِ – لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِينَ يَوْمًا إِنْ مَاتَ فِيهَا – وَقَالَ: ابْنُ آدَمَ فِيهِنَّ – مَاتَ كَافِرًا “
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আর মুহাম্মদ ইব্ন আদম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মদ পান করে আর তা তার পেটে পৌঁছে, আল্লাহ তা’আলা তার সাত দিনের নামায কবূল করেন না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তবে সে কাফির অবস্থায় মরবে। যদি সে জ্ঞান হারা হয়ে যায় আর তার কোন ফরয কাজ ছুটে যায়, তা হলে তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল হবে না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায়, তবে সে কাফির হয়ে মারা যাবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদ্যপায়ীর তাওবা
৫৬৭০
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، ح وأَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بَقِيَّةَ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو وَهُوَ الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَهُوَ فِي حَائِطٍ لَهُ بِالطَّائِفِ يُقَالُ لَهُ الْوَهْطُ، وَهُوَ مُخَاصِرٌ فَتًى مِنْ قُرَيْشٍ يُزَنُّ ذَلِكَ الْفَتَى بِشُرْبِ الْخَمْرِ، فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ شَرْبَةً لَمْ تُقْبَلْ لَهُ تَوْبَةٌ أَرْبَعِينَ صَبَاحًا، فَإِنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَإِنْ عَادَ لَمْ تُقْبَلْ تَوْبَتُهُ أَرْبَعِينَ صَبَاحًا، فَإِنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَإِنْ عَادَ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يَسْقِيَهُ مِنْ طِينَةِ الْخَبَالِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» اللَّفْظُ لِعَمْرٍو “
আবদুল্লাহ ইব্ন দায়লামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন তিনি তাঁর তায়েফস্থিত ওহাত নামক বাগানে ছিলেন। তিনি কুরায়শের এক যুবকের হাত ধরে চলছিলেন। লোকের ধারণা ছিল যে, ঐ যুবক মদ পান করতো। তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এক ঢোক শরাব পান করবে, আল্লাহ পাক চল্লিশ দিনের মধ্যে তার তাওবা কবূল করবেন না। অতঃপর যদি সে তাওবা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। যদি সে পুনরায় পান করে, তবে তার তাওবা চল্লিশ দিন পর্যন্ত কবূল করবেন না; পুনরায় তাওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। এরপরও যদি সে শরাব পান করে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা নিশ্চিতরূপে তাকে কিয়ামতের দিন দোযখীদের পুঁজ পান করাবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৭১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا حُرِمَهَا فِي الْآخِرَةِ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে মদ পান করে এবং পরে তাওবা না করে, আখিরাতে সে পবিত্র পানীয় হতে বঞ্চিত থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মাদকাসক্তদের পরিণাম
৫৬৭২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ نُبَيْطٍ، عَنْ جَابَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنَّانٌ، وَلَا عَاقٌّ، وَلَا مُدْمِنُ خَمْرٍ»
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উপকার করে খোঁটা দানকারী আর মাতাপিতার অবাধ্যতাকারী এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৭৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا، فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا، لَمْ يَتُبْ مِنْهَا، لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الْآخِرَةِ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে শরাব পান করে মারা যাবে এবং সে সর্বদা পান করতো এবং তা থেকে তাওবা করে নি, আখিরাতে সে পবিত্র পানীয় পান করতে পাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৭৪
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا، فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا، لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الْآخِرَةِ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে সদা-সর্বদা শরাব পান করে মারা যায়, সে আখিরাতে তা অর্থাৎ পবিত্র পান করতে পাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৭৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ الْحَسَنِ بْنِ يَحْيَى، عَنْ الضَّحَّاكِ قَالَ: «مَنْ مَاتَ مُدْمِنًا لِلْخَمْرِ نُضِحَ فِي وَجْهِهِ بِالْحَمِيمِ حِينَ يُفَارِقُ الدُّنْيَا»
…
[حكم الألباني] حسن الإسناد مقطوع
যাহ্হাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি সব সময় মদ পান করা অবস্থায় মারা যায়, দুনিয়া ত্যাগ কালে তার চেহারায় গরম পানির ছিঁটা দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃ হাসান মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদ্যপায়ীকে নির্বাসনে দেওয়া
৫৬৭৬
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ: غَرَّبَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَبِيعَةَ بْنَ أُمَيَّةَ فِي الْخَمْرِ إِلَى خَيْبَرَ، فَلَحِقَ بِهِرَقْلَ فَتَنَصَّرَ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «لَا أُغَرِّبُ بَعْدَهُ مُسْلِمًا»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
সাঈদ ইব্ন মুসায়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমর (রাঃ) রবীআ ইব্ন উমাইয়্যাকে শরাব পান করার দরুন খায়বরে নির্বাসনে দিয়েছিলেন। পরে সে রোমের বাদশাহ হিরকলের নিকট চলে যায় এবং খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করে। তখন উমর (রাঃ) বললেনঃ এরপর আমি আর কোন মুসলমানকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করবো না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাদের দলীল
৫৬৭৭
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْرَبُوا فِي الظُّرُوفِ، وَلَا تَسْكَرُوا» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ غَلِطَ فِيهِ أَبُو الْأَحْوَصِ سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمٍ، لَا نَعْلَمُ أَنَّ أَحَدًا تَابَعَهُ عَلَيْهِ مِنْ أَصْحَابِ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، وَسِمَاكٌ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ وَكَانَ يَقْبَلُ التَّلْقِينَ»، قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: «كَانَ أَبُو الْأَحْوَصِ يُخْطِئُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ» خَالَفَهُ شَرِيكٌ فِي إِسْنَادِهِ وَفِي لَفْظِهِ
আবূ বুরদা ইব্ন নিয়ার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা যে কোন পাত্রে পান করতে পার কিন্তু মাতাল হয়ো না। আবু আবদুর রহমান (ইমাম নাসাঈ) বলেন, এ হাদীস আপত্তিকর। আবুল আহওয়াস সাল্লাম ইবন সুলায়ম এতে ভুল করেছেন। সিমাকের অপর কোন ছাত্র তার মত বৰ্ণনা করেন নি, তদুপরি সিমাক শক্তিশালী রাবী নন। সিমাক থেকে শারীক আবুল আহওয়াসের বিপরীত বর্ণনা করেছেন। নিম্নের বর্ণনা দ্রষ্টব্য: –
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫৬৭৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ، وَالْحَنْتَمِ، وَالنَّقِيرِ، وَالْمُزَفَّتِ» خَالَفَهُ أَبُو عَوَانَةَ
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
শারীক সিমাক ইব্ন হারব থেকে, তিনি ইবন বুরায়দা থেকে, তিনি তার পিতা বুরায়দা (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কদুর খোল, সবুজ মাটির পাত্র, কাঠের তৈরি পাত্র এবং আলকাতরা মাখা পাত্র থেকে নিষেধ করেছেন। সিমাক থেকে আবু আওয়ানা শারীকের বিপরীত বর্ণনা করেছেন। নিচের বর্ণনা দ্রষ্টব্যঃ
(আরবি)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৬৭৯
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَجَّاجٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قِرْصَافَةَ، امْرَأَةٍ مِنْهُمْ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «اشْرَبُوا، وَلَا تَسْكَرُوا» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «وَهَذَا أَيْضًا غَيْرُ ثَابِتٍ وَقِرْصَافَةُ هَذِهِ لَا نَدْرِي مَنْ هِيَ، وَالْمَشْهُورُ عَنْ عَائِشَةَ خِلَافُ مَا رَوَتْ عَنْهَا قِرْصَافَةُ»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد موقوفا لكن صح مرفوعا
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা পান কর, কিন্তু মাতাল হয়ো না। আবূ আব্দুর রহমান বলেন এটাও সঠিক নয়। এই কারসাফা কে আমি জানি না। আয়িশা (রাঃ) থেকে প্রসিদ্ধ বর্ণনা এর বিপরীত। নিচের বর্ণনা দ্রষ্টব্য :-
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫৬৮০
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ قُدَامَةَ الْعَامِرِيِّ، أَنَّ جَسْرَةَ بِنْتَ دَجَاجَةَ الْعَامِرِيَّةَ، حَدَّثَتْهُ قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ، سَأَلَهَا أُنَاسٌ كُلُّهُمْ يَسْأَلُ عَنِ النَّبِيذِ، يَقُولُ: نَنْبِذُ التَّمْرَ غُدْوَةً، وَنَشْرَبُهُ عَشِيًّا، وَنَنْبِذُهُ عَشِيًّا وَنَشْرَبُهُ غُدْوَةً؟ قَالَتْ: «لَا أُحِلُّ مُسْكِرًا، وَإِنْ كَانَ خُبْزًا، وَإِنْ كَانَتْ مَاءً» قَالَتْهَا: ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
জাসরা বিনত দিজাজা থেকে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাঃ) এর নিকট কিছু লোক নাবীযের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ আমরা ভোরে খেজুর ভেজাই, সন্ধ্যায় পান করি আবার সন্ধ্যায় ভেজাই এবং ভোরে পান করি। তিনি বলেনঃ আমি কোন মাদকদ্রব্যকে হালাল বলছি না, যদিও তা রুটি হয় বা পানি হয়। একথা তিনি তিনবার বলেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَتْنَا كَرِيمَةُ بِنْتُ هَمَّامٍ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ تَقُولُ: «نُهِيتُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ، نُهِيتُمْ عَنِ الْحَنْتَمِ، نُهِيتُمْ عَنِ الْمُزَفَّتِ» ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَتْ: «إِيَّاكُنَّ وَالْجَرَّ الْأَخْضَرَ، وَإِنْ أَسْكَرَكُنَّ مَاءُ حُبِّكُنَّ فَلَا تَشْرَبْنَهُ»
কারীমা বিনত হাম্মাম থেকে বর্ণিতঃ
আমি উন্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদেরকে কদুর খোল, মাটির পাত্র এবং তৈলাক্ত পাত্র হতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপর তিনি নারীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেনঃ যদি সবুজ মাটির পাত্র হতেও মাদকতা আসতে দেখ, তবে তাতেও পান করবে না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮২
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ صَمْعَةَ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي وَالِدَتِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا سُئِلَتْ عَنِ الْأَشْرِبَةِ، فَقَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ» وَاعْتَلُّوا بِحَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ “
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট কোন ব্যক্তি শরাবের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল মাদকদ্রব্য থেকে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮৩
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ شُبْرُمَةَ يَذْكُرُهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حُرِّمَتِ الْخَمْرُ قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا، وَالسُّكْرُ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ» ابْنُ شُبْرُمَةَ لَمْ يَسْمَعْهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ “
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শরাব বা মদ অল্প হোক অথবা বেশী হোক তা হারাম করা হয়েছে। অন্যান্য পানীয় ততটুকু হারাম, যখন তাতে মাদকতা সৃষ্টি হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৮৪
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ ابْنِ شُبْرُمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الثِّقَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حُرِّمَتِ الْخَمْرُ بِعَيْنِهَا قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا، وَالسَّكْرُ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ» خَالَفَهُ أَبُو عَوْنٍ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তিনি বলেনঃ মদতো প্রকৃতপক্ষে হারাম বস্তু, তা কম হোক বা বেশী। অন্যান্য পানীয় তখন হারাম, যখন তাতে মাদকতা সৃষ্টি হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮৫
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، ح وَأَنْبَأَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حُرِّمَتِ الْخَمْرُ بِعَيْنِهَا قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا، وَالسُّكْرُ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ» لَمْ يَذْكُرْ ابْنُ الْحَكَمِ قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, মদ অল্প হোক বা অধিক তা হারাম। আর অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে যা মাদকতা সৃষ্টি করে তা-ও হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮৬
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ ذَرِيحٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حُرِّمَتِ الْخَمْرُ قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا، وَمَا أَسْكَرَ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: وَهَذَا أَوْلَى بِالصَّوَابِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ شُبْرُمَةَ، وَهُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ كَانَ يُدَلِّسُ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِ ذِكْرُ السَّمَاعِ مِنْ ابْنِ شُبْرُمَةَ، وَرِوَايَةُ أَبِي عَوْنٍ أَشْبَهُ بِمَا رَوَاهُ الثِّقَاتُ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদ হারাম বস্তু অল্প হোক বা অধিক। আর অন্যান্য পানীয় যাতে মাদকতা সৃষ্টি হয়, তা হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ الْجَرْمِيِّ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ، عَنِ الْبَاذَقِ، فَقَالَ: «سَبَقَ مُحَمَّدٌ الْبَاذَقَ، وَمَا أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ» قَالَ: أَنَا أَوَّلُ الْعَرَبِ سَأَلَهُ
আবূ জুওয়ায়রিয়া জারমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, তখন তিনি কা’বার দিকে পিঠ দিয়ে বসেছিলেন, আমি তাঁকে বাযাক [১] সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ বাযাক বের হওয়ার পুর্বেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করেছেন। জেনে রাখ! প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম? আরবদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছি
[১] বাযাক হচ্ছে আঙ্গুরের রস দিয়ে তৈরি মদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالُوا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الْحَكَمِ يُحَدِّثُ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُحَرِّمَ، إِنْ كَانَ مُحَرِّمًا مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ فَلْيُحَرِّمِ النَّبِيذَ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের হারাম করা বস্তু হারাম মনে করে, সে যেন নাবীয২ কে হারাম মনে করে।
[২] খেজুর বা কিশমিশের তৈরি পানীয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৮৯
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عُيَيْنَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنِّي امْرُؤٌ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ، وَإِنَّ أَرْضَنَا أَرْضٌ بَارِدَةٌ، وَإِنَّا نَتَّخِذُ شَرَابًا نَشْرَبُهُ مِنَ الزَّبِيبِ، وَالْعِنَبِ، وَغَيْرِهِ، وَقَدْ أُشْكِلَ عَلَيَّ، فَذَكَرَ لَهُ ضُرُوبًا مِنَ الْأَشْرِبَةِ، فَأَكْثَرَ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ لَمْ يَفْهَمْهُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: «إِنَّكَ قَدْ أَكْثَرْتَ عَلَيَّ، اجْتَنِبْ مَا أَسْكَرَ مِنْ تَمْرٍ أَوْ زَبِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
আব্দুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, এক ব্যক্তি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে বললোঃ আমি খুরাসানের বাসিন্দা। আমার এলাকা শীত প্রধান। আমরা শুষ্ক এবং ভেজা ফল দ্বারা এক প্রকার পানীয় প্রস্তুত করি, তা হালাল-হারাম হওয়ার ব্যপারে ফয়সালা করা আমাদের জন্য মুশকিল। এরপরসে কয়েক প্রকার পানীয় সম্মন্ধে উল্লেখ করলো। আমি মনে করলাম, হয়তো ইব্ন আব্বাস তা চিনতে পারবেন না। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ তুমি তো অনেক শরাবের কথাই বললে। মনে রেখ! মাদকদ্রব্য পরিত্যাগ করবে, তা খেজুর দ্বারা অথবা কিশমিশ দ্বারা অথবা অন্য কিছু দ্বারা তৈরি করা হোক না কেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৯০
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «نَبِيذُ الْبُسْرِ بَحْتٌ لَا يَحِلُّ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কেবল কাঁচা খেজুরের নাবীযও হালাল নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৯১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ: كُنْتُ أُتَرْجِمُ بَيْنَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَبَيْنَ النَّاسِ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ تَسْأَلُهُ عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ، «فَنَهَى عَنْهُ» قُلْتُ: يَا أَبَا عَبَّاسٍ إِنِّي أَنْتَبِذُ فِي جَرَّةٍ خَضْرَاءَ، نَبِيذًا حُلْوًا، فَأَشْرَبُ مِنْهُ فَيُقَرْقِرُ بَطْنِي، قَالَ: «لَا تَشْرَبْ مِنْهُ وَإِنْ كَانَ أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
আবূ জাম্রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ) এবং অন্যান্য লোকের মধ্যে দোভাষীর কাজ করতাম। একবার এক নারী তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে কলসে নাবীয প্রস্তুত করা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে তা থেকে নিষেধ করলেন। আমি বললামঃ হে ইব্ন আব্বাস! আমি সবুজ কলসে নাবীয প্রস্তুত করি, মিষ্টি নাবীয, আমি তা পান করলে আমার পেট ভুড়ভুড় করে। তিনি বললেনঃ তা মধু থেকে মিষ্টি হলে (হলেও?) পান করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৯২
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ وَهُوَ سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا قُرَّةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ نَصْرٌ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ جَدَّةً لِي تَنْبِذُ نَبِيذًا فِي جَرٍّ أَشْرَبُهُ حُلْوًا، إِنْ أَكْثَرْتُ مِنْهُ، فَجَالَسْتُ الْقَوْمَ خَشِيتُ أَنْ أَفْتَضِحَ، فَقَالَ: قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَرْحَبًا بِالْوَفْدِ، لَيْسَ بِالْخَزَايَا وَلَا النَّادِمِينَ»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ الْمُشْرِكِينَ، وَإِنَّا لَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي أَشْهُرِ الْحُرُمِ، فَحَدِّثْنَا بِأَمْرٍ إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الْجَنَّةَ، وَنَدْعُو بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا، قَالَ: ” آمُرُكُمْ بِثَلَاثٍ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، آمُرُكُمْ: بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ، وَهَلْ تَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللَّهِ؟ “، قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: ” شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَإِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ الْمَغَانِمِ الْخُمُسَ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ: عَمَّا يُنْبَذُ فِي الدُّبَّاءِ، وَالنَّقِيرِ، وَالْحَنْتَمِ، وَالْمُزَفَّتِ “
আবূ জামরা নসর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে বললামঃ আমার দাদী এক কলসিতে নাবীয প্রস্তুত করেন, যা আমি পান করে থাকি, তা মিষ্টি হয়। অধিকমাত্রায় তা পান করে লোকের মধ্যে যেতে আমার ভয় হয় পাছে লজ্জিত হয়ে পড়ি। তিনি বললেনঃ আবদে কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ যারা লজ্জিত ও অপদস্থ হয়নি তাদেরকে স্বাগত। তারা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের ও আপনার মধ্যে এক মুশরিক দল রয়েছে। তাই আমরা হারাম মাস ব্যতীত আপনার নিকট উপস্থিত হতে পারি না। অতএব আপনি আমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দিন, যা দ্বারা আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। আর আমরা অন্যান্য লোকদেরকেও তা শিক্ষা দিতে পারি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদেরকে তিনটি কাজ করার আদেশ দিচ্ছি, এবং চারটি কাজ থেকে নিষেধ করছি। আমি তোমাদেরকে এক আল্লাহ্র উপর ঈমান আনতে আদেশ করছি। তোমরা জানি কি, আল্লাহ্র উপর ঈমান কী বস্তু? তারা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেনঃ একথা সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, সালাত আদায় করা, যাকাত দেওয়া এবং যুদ্ধলব্ধ মালের এক পঞ্চমাংশ বায়তুল মালে দান করা। আর আমি চারটি বস্তু থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করছি। কদুর খোল, সবুজ মাটির পাত্র, কাঠের পাত্র এবং আলকাতরা মাখানো পাত্রে প্রস্তুত করা নাবীয পান করা হতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৯৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ وَهْبَانَ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قُلْتُ: إِنَّ لِي جُرَيْرَةً أَنْتَبِذُ فِيهَا، حَتَّى إِذَا غَلَى وَسَكَنَ شَرِبْتُهُ، قَالَ: «مُذْكَمْ هَذَا شَرَابُكَ؟»، قُلْتُ: مُذْ عِشْرُونَ سَنَةً، أَوْ قَالَ: مُذْ أَرْبَعُونَ سَنَةً، قَالَ: «طَالَمَا تَرَوَّتْ عُرُوقُكَ، مِنَ الْخَبَثِ» وَمِمَّا اعْتَلُّوا بِهِ ” حَدِيثُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ
কায়স ইব্ন ওহ্বান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমার একটি কলস আছে, আমি তাতে নাবীয প্রস্তুত করি। যখন গাঁজিয়ে উঠে, তারপর ঠান্ডা হয়ে যায়, তখন আমি তা পান করি। তিনি বললেনঃ আপনি কতদিন থেকে এভাবে নাবীয পান করছেন? আমি বললামঃ বিশ বছর যাবৎ অথবা চল্লিশ বছর যাবৎ। তিনি বললেনঃ আপনার শিরা বহুদিন থেকে অপবিত্র বস্তু দ্বারা সিঞ্চিত হচ্ছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদ বৈধ হওয়ার ব্যাপারে আবদুল মালিক ইব্ন নাফি‘ কর্তৃক আবদুল্লাহ ইব্ন উপর (রাঃ) বর্ণিত হাদিসের দ্বারা অজুহাত পেশ করা
৫৬৯৪
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْعَوَّامُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَافِعٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: رَأَيْتُ رَجُلًا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَدَحٍ فِيهِ نَبِيذٌ وَهُوَ عِنْدَ الرُّكْنِ، وَدَفَعَ إِلَيْهِ الْقَدَحَ فَرَفَعَهُ إِلَى فِيهِ، فَوَجَدَهُ شَدِيدًا فَرَدَّهُ عَلَى صَاحِبِهِ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَرَامٌ هُوَ؟ فَقَالَ: «عَلَيَّ بِالرَّجُلِ»، فَأُتِيَ بِهِ، فَأَخَذَ مِنْهُ الْقَدَحَ، ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَصَبَّهُ فِيهِ فَرَفَعَهُ إِلَى فِيهِ، فَقَطَّبَ ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ أَيْضًا، فَصَبَّهُ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: «إِذَا اغْتَلَمَتْ عَلَيْكُمْ هَذِهِ الْأَوْعِيَةُ، فَاكْسِرُوا مُتُونَهَا بِالْمَاءِ»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবদুল মালিক ইবন নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) বলেছেন : আমি এক ব্যক্তিকে নাবীযের পাত্র নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট হাযির হতে দেখেছি, তখন তিনি রুকনের নিকট দাঁড়ান অবস্থায় ছিলেন। ঐ ব্যক্তি ঐ পাত্র তাঁর সামনে পেশ করলে, তিনি তা নিজের মুখের নিকট নিতেই তা খুব ঝাঁঝালো মনে হলো। তখন তিনি ঐ ব্যক্তিকে তা ফিরিয়ে দিলেন। এই সময় অন্য এক ব্যক্তি বললো : ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! তা কি হারাম ? তিনি বললেন : যে ব্যক্তি ঐ পাত্ৰ এনেছিল তাকে ডাক। ঐ ব্যক্তি উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার হাত থেকে ঐ পাত্র নিয়ে নেন এবং পানি আনিয়ে তাতে মিশ্রিত করেন। পরে তিনি বলেনঃ যখন ঐ সকল পাত্রে নাবীয ঝাঁঝাল হয়ে যায়, তখন পানি দ্বারা তার তীব্ৰতা দূর করবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৬৯৫
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ، قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: ” عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ نَافِعٍ لَيْسَ بِالْمَشْهُورِ وَلَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ، وَالْمَشْهُورُ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ خِلَافُ حِكَايَتِهِ
আবদুল মালিক ইবন নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল মালিক ইবন নাফি’ (র) সূত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু আবদুর রহমান বলেন, আবদুল মালিক ইবন নাফি’ (র) প্রসিদ্ধ নন। তাঁর হাদীস দ্বারা প্রমাণ দেওয়া যায় না। ইবন উমর (রা) থেকে প্রসিদ্ধ বর্ণনা এর বিপরীত, যা নিম্নরূপ :
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫৬৯৬
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَنِ الْأَشْرِبَةِ، فَقَالَ: «اجْتَنِبْ كُلَّ شَيْءٍ يَنِشُّ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, তাঁকে কেউ পানীয় সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন : নেশা আনে এমন প্রতিটি বস্তু বর্জন করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৯৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ، عَنِ الْأَشْرِبَةِ، فَقَالَ: «اجْتَنِبْ كُلَّ شَيْءٍ يَنِشُّ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
যায়দ ইব্ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ)-কে পানীয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ প্রত্যেক নেশার বস্তু বর্জন করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৯৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «الْمُسْكِرُ قَلِيلُهُ وَكَثِيرُهُ حَرَامٌ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নি বলেন, প্রত্যেক নেশাযুক্ত দ্রব্য, অল্প হোক বা অধিক, হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৬৯৯
قَالَ: الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ، وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف وصح عنه مرفوعا
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্য মদ, আর প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্য হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭০০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ شَبِيبًا وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَقُولُ: حَدَّثَنِي مُقَاتِلُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حَرَّمَ اللَّهُ الْخَمْرَ، وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা মদ হারাম করেছেন। আর প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্য হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭০১
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ النَّيْسَابُورِيَّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ، وَكُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: وَهَؤُلَاءِ أَهْلُ الثَّبْتِ وَالْعَدَالَةِ، مَشْهُورُونَ بِصِحَّةِ النَّقْلِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ لَا يَقُومُ مَقَامَ وَاحِدٍ مِنْهُمْ، وَلَوْ عَاضَدَهُ مِنْ أَشْكَالِهِ جَمَاعَةٌ، وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যকে মাদকদ্রব্যই হারাম। আর প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্যই মদ।
আবূ আবদুর রহমান নাসাঈ (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসের রাবীগণ নির্ভরযোগ, বিশুদ্ধ বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ। আবদুল মালিক (রহঃ)- এর বর্ণিত হাদীস, তাদের বর্ণিত হাদীসের মুকাবিলায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, যদিও তার মত একদল রাবী তার সমর্থন করে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫৭০২
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ السَّعِيدِيِّ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي رُقَيَّةُ بِنْتُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، قَالَتْ: كُنْتُ فِي حَجْرِ ابْنِ عُمَرَ «فَكَانَ يُنْقَعُ لَهُ الزَّبِيبُ فَيَشْرَبُهُ مِنَ الْغَدِ، ثُمَّ يُجَفَّفُ الزَّبِيبُ، وَيُلْقَى عَلَيْهِ زَبِيبٌ آخَرُ، وَيُجْعَلُ فِيهِ مَاءٌ فَيَشْرَبُهُ مِنَ الْغَدِ حَتَّى إِذَا كَانَ بَعْدَ الْغَدِ طَرَحَهُ» وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ أَبِي مَسْعُودٍ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد موقوف
রুকাইয়া বিন্তে আমর ইব্ন সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইব্ন উমার (রাঃ)- এর নিকট প্রতিপালিত হই। তাঁর জন্য কিশমিশ ভেজানো হতো। তিনি তা পরবর্তী দিন পান করতেন। পরে কিশমিশ শুকিয়ে নেয়া হত এবং তার সাথে অন্য কিশমিশ মিশিয়ে তাতে পানি ঢালা হতো। পরের দিন তিনি তা পান করতেন। তারপরের দিন তা ফেলে দিতেন। তারা আবূ মাসঊদ উকবা ইব্ন আমর (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস দ্বারাও দলীল দিয়ে থাকেন, যা নিম্নরূপঃ
(আরবী)
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭০৩
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ: عَطِشَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَوْلَ الْكَعْبَةِ فَاسْتَسْقَى، فَأُتِيَ بِنَبِيذٍ مِنَ السِّقَايَةِ، فَشَمَّهُ فَقَطَّبَ، فَقَالَ: «عَلَيَّ بِذَنُوبٍ مِنْ زَمْزَمَ»، فَصَبَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ شَرِبَ، فَقَالَ رَجُلٌ: أَحَرَامٌ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «لَا» وَهَذَا خَبَرٌ ضَعِيفٌ لِأَنَّ يَحْيَى بْنَ يَمَانٍ انْفَرَدَ بِهِ دُونَ أَصْحَابِ سُفْيَانَ، وَيَحْيَى بْنُ يَمَانٍ لَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ لِسُوءِ حِفْظِهِ، وَكَثْرَةِ خَطَئِهِ
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবূ মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার কা‘বার নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিপাসার্ত হন। তিনি পানি চাইলে লোক মশক হতে নাবীয দিল। তিনি তার গন্ধ শুঁকে তা অপছন্দ করলেন এবং বললেনঃ আমার নিকট যমযমের পানির পাত্র আনা হোক। তিনি তাতে যমযমের পানি মিশিয়ে তা পান করলেন। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! তা কি হারাম? তিনি বললেনঃ না।
“এই বর্ণনাটি দুর্বল। ইয়াহ্ইয়া ইব্ন ইয়ামান রাবীর বর্ণনা গ্রহনযোগ্য নয়। তাঁর স্মরণশক্তি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। তিনি প্রায়ই ভুল করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৭০৪
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حِصْنٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ حُسَيْنٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ الَّتِي كَانَ يَصُومُهَا، فَتَحَيَّنْتُ فِطْرَهُ بِنَبِيذٍ صَنَعْتُهُ، فِي دُبَّاءٍ،، فَلَمَّا كَانَ الْمَسَاءُ، جِئْتُهُ أَحْمِلُهَا إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكَ تَصُومُ فِي هَذَا الْيَوْمِ، فَتَحَيَّنْتُ فِطْرَكَ بِهَذَا النَّبِيذِ، فَقَالَ: «أَدْنِهِ مِنِّي يَا أَبَا هُرَيْرَةَ»، فَرَفَعْتُهُ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ يَنِشُّ، فَقَالَ: «خُذْ هَذِهِ فَاضْرِبْ بِهَا الْحَائِطَ، فَإِنَّ هَذَا شَرَابُ مَنْ لَا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ»، وَمِمَّا احْتَجُّوا بِهِ فِعْلُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার জানা ছিল যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন কোন বিশেষ দিনে রোযা রাখতেন। একবার আমি তাঁর ইফ্তারের জন্য কদুর খোলে নাবীয তৈরি করলাম। সন্ধায় আমি ঐ নাবীয নিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি জানতাম, আপনি এ দিনে রোযা রাখেন। আমি এই নাবীয আপনার ইফ্তারের জন্য এনেছি। তিনি বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা! তুমি তা আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তা তাঁর নিকট নিয়ে গেলে দেখা গেল যে, তা গাঁজাচ্ছে। তিনি বললেনঃ এটা নিয়ে দেয়ালে নিক্ষেপ কর। কেননা এটা ঐ ব্যক্তির পানীয়, যে আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭০৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ السَّرِيِّ بْنِ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، إِمَامٌ لَنَا وَكَانَ مِنْ أَسْنَانِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «إِذَا خَشِيتُمْ مِنْ نَبِيذٍ شِدَّتَهُ، فَاكْسِرُوهُ بِالْمَاءِ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «مِنْ قَبْلِ أَنْ يَشْتَدَّ»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবু রাফে’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেনঃ যখন তোমরা নাবীয ঝাঁঝবিশিষ্ট হয়েছে বলে ভয় করবে, তখন তোমরা এর সাথে পানি মিশিয়ে ঠান্ডা করবে। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ঝাঁঝযুক্ত হওয়ার পূর্বেই এরূপ করতে হবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৭০৬
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ: تَلَقَّتْ ثَقِيفٌ عُمَرَ بِشَرَابٍ، فَدَعَا بِهِ، فَلَمَّا قَرَّبَهُ إِلَى فِيهِ كَرِهَهُ، فَدَعَا بِهِ، فَكَسَرَهُ بِالْمَاءِ، فَقَالَ: «هَكَذَا فَافْعَلُوا»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
সাঈদ ইব্ন মুসায়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাকীফ গোত্রের লোকজন উমর (রাঃ)-এর সঙ্গে এক প্রকারের পানীয় নিয়ে সাক্ষাত করল। তিনি তার কাছে নিতে বললেন। তারপর তিনি যখন তা মুখের কাছে নিলেন, তখন তাঁর কাছে তা খারাপ লাগল। তারপর তিনি পানি মিশিয়ে তার ঝাঁঝ কমিয়ে দিলেন। পরে তিনি বললেনঃ তোমরাও এরূপ করবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৭০৭
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ فَرْقَدٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيذُ الَّذِي يَشْرَبُهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَدْ خُلِّلَ» وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ هَذَا حَدِيثُ السَّائِبِ
উত্বা ইব্ন ফারকাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমর (রাঃ) যে নাবীয পান করতেন তা সির্কা বানিয়ে দেওয়া হত। সায়িবের বর্ণিত হাদিস দ্বারা এর বিশুদ্ধতা প্রমানিত হয়, যা নিম্নরুপঃ
(আরবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭০৮
قَالَ: الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: «إِنِّي وَجَدْتُ مِنْ فُلَانٍ رِيحَ شَرَابٍ، فَزَعَمَ أَنَّهُ شَرَابُ الطِّلَاءِ، وَأَنَا سَائِلٌ عَمَّا شَرِبَ، فَإِنْ كَانَ مُسْكِرًا جَلَدْتُهُ»، فَجَلَدَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ الْحَدَّ تَامًّا
সাইব ইব্ন ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) লোকদের নিকট বের হয়ে বললেনঃ আমি অমুক ব্যক্তির মুখে শরাবের গন্ধ পাচ্ছি। তিনি মনে করলেন, আঙুরের জ্বালানো রস। তবুও আমি তাকে জিজ্ঞাসা করবো, সে কি পান করেছে? যদি তা মাদকদ্রব্য হয়, তবে আমি তাকে (শরীআতের হদ লাগাব)। পরে উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) তাকে বেত্রাঘাত করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মদ্যপায়ীদের লাঞ্চনা ও কঠিন শাস্তি
৫৭০৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ جَيْشَانَ، وَجَيْشَانُ مِنَ الْيَمَنِ، قَدِمَ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَرَابٍ يَشْرَبُونَهُ بِأَرْضِهِمْ، مِنَ الذُّرَةِ يُقَالُ لَهُ الْمِزْرُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمُسْكِرٌ هُوَ؟»، قَالَ: نَعَمْ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ، إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَهِدَ لِمَنْ شَرِبَ الْمُسْكِرَ، أَنْ يَسْقِيَهُ مِنْ طِينَةِ الْخَبَالِ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا طِينَةُ الْخَبَالِ؟، قَالَ: «عَرَقُ أَهْلِ النَّارِ»، – أَوْ قَالَ: «عُصَارَةُ أَهْلِ النَّارِ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়ামানের জায়শান গোত্রের এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট মিযর নামক এক প্রকার পানীয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো, যা তারা তাদের দেশে পান করে থাকে। তা ভুট্টা হতে প্রস্তুত হয়। তিনি বললেনঃ তা কি মাদকতা সৃষ্টি করে? সে ব্যক্তি বললোঃ হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা নির্ধারিত করে রেখেছেনঃ যে ব্যক্তি মদ পান করে, তাকে ‘তীনাতুল খাবাল’ থেকে পান করাবেন। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! তীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেনঃ তা হলো দোযখীদের ঘাম অথবা পুঁজ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
সন্দেহযুক্ত বস্তু ত্যাগের প্রতি উৎসাহ দান
৫৭১০
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ يَزِيدَ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَإِنَّ بَيْنَ ذَلِكَ أُمُورًا مُشْتَبِهَاتٍ – وَرُبَّمَا قَالَ: وَإِنَّ بَيْنَ ذَلِكَ أُمُورًا مُشْتَبِهَةً – وَسَأَضْرِبُ فِي ذَلِكَ مَثَلًا: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَمَى حِمًى، وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَا حَرَّمَ، وَإِنَّهُ مَنْ يَرْعَ حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُخَالِطَ الْحِمَى – وَرُبَّمَا قَالَ: يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ – وَإِنَّ مَنْ خَالَطَ الرِّيبَةَ يُوشِكُ أَنْ يَجْسُرَ “
নু‘মান ইব্ন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট আর এ দুয়ের মধ্যে রয়েছে বহু সন্দেহযুক্ত বস্তু – আমি তা একটি উদাহরণ দ্বারা বুঝাচ্ছি। আল্লাহ তা‘আলা একটি নিষিদ্ধ স্থান প্রস্তুত করেছেন, আর আল্লাহ্র নিষিদ্ধ এলাকা হল তিনি যা হারাম করেছেন তাই। যে ব্যক্তি স্বীয় পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার আশে-পাশে চরায়, সে যে কোন সময় এতে ঢুকে পড়তে পারে। অনুরূপ যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত কাজে লিপ্ত হয়, সে হারামে লিপ্ত হওয়ারও দুঃসাহস করতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭১১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْديِّ، قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: مَا حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: حَفِظْتُ مِنْهُ: «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ»
আবুল হাওরা সা‘দী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাসান ইব্ন আলী (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন্ কথা স্মরণ রেখেছেন? তিনি বললেনঃ আমি তাঁর থেকে স্মরণ রেখেছিঃ যা তোমাকে সন্দেহে নিপতিত করে, তা পরিত্যাগ করবে। আর যাতে কোন সন্দেহ নেই তা-ই করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
শরাব প্রস্তুতকারীর নিকট কিশমিশ বিক্রি করা অনুচিত
৫৭১২
أَخْبَرَنَا الْجَارُودُ بْنُ مُعَاذٍ هُوَ بَاوَرْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سُفْيَانَ مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَبِيعَ الزَّبِيبَ لِمَنْ يَتَّخِذُهُ نَبِيذًا»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد مقطوع
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মদ প্রস্তুতকারীর নিকট কিশমিশ বিক্রি করাকে মাকরূহ মনে করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
আঙুরের রস বিক্রি করা মাকরুহ
৫৭১৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: كَانَ لِسَعْدٍ كُرُومٌ وَأَعْنَابٌ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ لَهُ فِيهَا أَمِينٌ، فَحَمَلَتْ عِنَبًا كَثِيرًا، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنِّي أَخَافُ عَلَى الْأَعْنَابِ الضَّيْعَةَ، فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ أَعْصُرَهُ عَصَرْتُهُ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ سَعْدٌ: «إِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا، فَاعْتَزِلْ ضَيْعَتِي، فَوَاللَّهِ لَا أَئْتَمِنُكَ عَلَى شَيْءٍ بَعْدَهُ أَبَدًا»، فَعَزَلَهُ عَنْ ضَيْعَتِهِ
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
মুসআব ইব্ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সা‘দের বাগানে বহু আঙুর হতো। তার পক্ষ হতে বাগানে এক প্রহরী ছিল। একবার যখন বহু আঙুর ধরলো তখন ঐ প্রহরী ব্যক্তি সা’দ (রাঃ) কে লিখলো, আঙুর বিনষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। আপনি অনুমতি দিলে আমি এর রস বের করতে পারি। সা‘দ (রাঃ) তাকে লিখলেনঃ আমার এই পত্র পাওয়ামাত্র তুমি আমার বাগান ত্যাগ কর। আল্লাহ্র কসম! এরপরে তোমার কোন কথা আমি বিশ্বাস করবো না। তিনি তাকে বাগানের দায়িত্ব হতে বরখাস্ত করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭১৪
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ هَارُونَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ: «بِعْهُ عَصِيرًا مِمَّنْ يَتَّخِذُهُ طِلَاءً وَلَا يَتَّخِذُهُ خَمْرًا»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد مقطوع
ইব্ন সীরীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ঐ ব্যক্তির নিকট রস বিক্রি কর, যে তা জ্বালিয়ে তিলা (জেলি) বানাবে; মদ বানাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
কোন্ প্রকার দ্রাক্ষারস পান করা জায়েয এবং কোন্ প্রকার তিলা পান করা নাজায়িয
৫৭১৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ مَنْصُورًا، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ نُبَاتَةَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ: «أَنْ ارْزُقِ الْمُسْلِمِينَ مِنَ الطِّلَاءِ مَا ذَهَبَ ثُلُثَاهُ، وَبَقِيَ ثُلُثُهُ»
…
[حكم الألباني] حسن صحيح موقوف
সুওয়ায়দ ইব্ন গাফালা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ) তাঁর কোন কর্মচারির নিকট লিখলেনঃ মুসলমানদেরকে এমন দ্রাক্ষারস পান করতে দিবে, যার দুই- তৃতীয়াংশ জ্বলে নিঃশেষ হয়ে গেছে, আর এক অংশ অবশিষ্ট রয়েছে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫৭১৬
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَالَ: قَرَأْتُ كِتَابَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِلَى أَبِي مُوسَى: «أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهَا قَدِمَتْ عَلَيَّ عِيرٌ مِنَ الشَّامِ تَحْمِلُ شَرَابًا غَلِيظًا أَسْوَدَ كَطِلَاءِ الْإِبِلِ، وَإِنِّي سَأَلْتُهُمْ عَلَى كَمْ يَطْبُخُونَهُ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّهُمْ يَطْبُخُونَهُ عَلَى الثُّلُثَيْنِ، ذَهَبَ ثُلُثَاهُ الْأَخْبَثَانِ، ثُلُثٌ بِبَغْيِهِ، وَثُلُثٌ بِرِيحِهِ، فَمُرْ مَنْ قِبَلَكَ يَشْرَبُونَهُ»
আমির ইব্ন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইব্ন খাত্তাব উমর (রাঃ) যে চিঠি আবূ মূসা আশআরীকে লিখেছিলেন, তা আমি পাঠ করেছি। তাতে ছিল, আমার নিকট শামদেশ হতে একদল লোক এসেছে, তাদের নিকট রয়েছে কাল এবং গাঢ় এক প্রকার পানীয়, যা উটের গায়ে লাগানো মালিশের মত। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ তোমরা এর কত অংশ জ্বালাও? তারা বললেনঃ দুই অংশ পর্যন্ত, যখন এর মন্দ দুই-তৃতীয়াংশ চলে যায়, এক তৃতীয়াংশ মন্দ-ক্ষতিকর হওয়ার কারণে আরেক তৃতীয়াংশ মন্দ গন্ধের কারণে। আপনি আপনার দেশে বসবাসকারীদের এরূপ রস পান করতে অনুমতি দিন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৫৭১৭
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْخَطْمِيَّ، قَالَ: كَتَبَ إِلَيْنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَمَّا بَعْدُ، فَاطْبُخُوا شَرَابَكُمْ حَتَّى يَذْهَبَ مِنْهُ نَصِيبُ الشَّيْطَانِ، فَإِنَّ لَهُ اثْنَيْنِ وَلَكُمْ وَاحِدٌ»
আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াজীদ খাতমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) আমাদের লিখলেন, প্রকাশ থাকে যে, তোমরা তোমাদের পানীয় ততক্ষণ জ্বালাবে যতক্ষণ না তা থেকে শয়তানের অংশ দূর হয়ে যায়। কেননা তার জন্য দুই ভাগ, আর তোমাদের জন্য এক ভাগ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭১৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَرْزُقُ النَّاسَ الطِّلَاءَ يَقَعُ فِيهِ الذُّبَابُ، وَلَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهُ “
শা‘বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী (রাঃ) লোকদেরকে দ্রাক্ষারস পান করাতেন, আর তার এতে গাড় হতো যে, যদি তাতে মাছি পতিত হতো, তবে সে বের হতে পারতো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭১৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ دَاوُدَ، قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدًا: مَا الشَّرَابُ الَّذِي أَحَلَّهُ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ؟، قَالَ: «الَّذِي يُطْبَخُ حَتَّى يَذْهَبَ ثُلُثَاهُ، وَيَبْقَى ثُلُثُهُ»
দাউদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বলেন, আমি সাঈদ (রহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলামঃ উমর (রাঃ) কোন্ প্রকার শরাব পান হালাল করেছেন? তিনি বললেনঃ যে শরাবের দুই অংশ জ্বালিয়ে নিঃশেষ করা হয় এবং এক অংশ অবশিষ্ট থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৫৭২০
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، «أَنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ، كَانَ يَشْرَبُ مَا ذَهَبَ ثُلُثَاهُ وَبَقِيَ ثُلُثُهُ»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুদ্দারদা (রাঃ) ঐ শরাব পান করতেন, যার দুই অংশ জ্বালানো হয়, আর এক অংশ অবশিষ্ট থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭২১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ هُشَيْمٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، «أَنَّهُ كَانَ يَشْرَبُ مِنَ الطِّلَاءِ مَا ذَهَبَ ثُلُثَاهُ، وَبَقِيَ ثُلُثُهُ»
আবূ মূসা আশ্আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এমন দ্রাক্ষারস পান করতেন, যার দুই অংশ জ্বালিয়ে ফেলা হতো, আর এক অংশ অবশিষ্ট থাকতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭২২
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، وَسَأَلَهُ أَعْرَابِيٌّ عَنْ شَرَابٍ يُطْبَخُ عَلَى النِّصْفِ، فَقَالَ: «لَا حَتَّى يَذْهَبَ ثُلُثَاهُ، وَيَبْقَى الثُّلُثُ»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে দ্রাক্ষারস জ্বালানোর পর এক- তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তা পান করাতে পাপ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭২৩
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مَعْنٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ: «إِذَا طُبِخَ الطِّلَاءُ عَلَى الثُّلُثِ فَلَا بَأْسَ بِهِ»
সাঈদ ইব্ন মুসায়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন দ্রাক্ষারসের এক- তৃতীয়াংশ জ্বালানো হয়, তা পানে কোন দোষ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭২৪
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ قَالَ: سَأَلْتُ الْحَسَنَ، عَنْ الطِّلَاءِ الْمُنَصَّفِ، فَقَالَ: «لَا تَشْرَبْهُ»
…
[حكم الألباني] سكت عنه الشيخ
আবূ রাজা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি হাসান (রাঃ)-এর নিকট ঐ দ্রাক্ষারস সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম, যা জ্বালার পর অর্ধেক অবশিষ্ট রয়েছে, তা পান করা সম্পর্কে তিনি বললেনঃ না, তা পান করো না।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫৭২৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، قَالَ: سَأَلْتُ الْحَسَنَ عَمَّا يُطْبَخُ مِنَ الْعَصِيرِ، قَالَ: «مَا تَطْبُخُهُ حَتَّى يَذْهَبَ الثُّلُثَانِ، وَيَبْقَى الثُّلُثُ»
…
[حكم الألباني] حسن الإسناد مقطوع
বশীর ইব্ন মুহাজির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হাসান (রাঃ)- এর নিকট যে দ্রাক্ষারস জ্বালানো হয় সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি জ্বালাতে থাকবে, যাবৎ না বরং দুই-তৃতীয়াংশ জ্বলে যায় এবং এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, তা পান করতে পারবে।
হাদিসের মানঃ হাসান মাকতু
- সরাসরি
৫৭২৬
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ أَوْسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: ” إِنَّ نُوحًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَازَعَهُ الشَّيْطَانُ فِي عُودِ الْكَرْمِ، فَقَالَ: هَذَا لِي، وَقَالَ: هَذَا لِي، فَاصْطَلَحَا عَلَى، أَنَّ لِنُوحٍ ثُلُثَهَا، وَلِلشَّيْطَانِ ثُلُثَيْهَا “
…
[حكم الألباني] حسن الإسناد موقوف وهو بالإسرائيليات أشبه
আনাস ইব্ন সিরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ শয়তান নূহ (আঃ)-এর সাথে একটি খেজুর গাছের ব্যাপারে ঝগড়া করল। সে বললোঃ এটা আমার আর নূহ (আঃ) বললেনঃ এটা আমার। তখন সাব্যস্ত হলো যে, এর দুই অংশ শয়তানের এবং এক অংশ নূহ (আঃ)- এর।
হাদিসের মানঃ হাসান মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭২৭
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ طُفَيْلٍ الْجَزَرِيِّ، قَالَ: كَتَبَ إِلَيْنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: «أَنْ لَا تَشْرَبُوا مِنَ الطِّلَاءِ حَتَّى يَذْهَبَ ثُلُثَاهُ، وَيَبْقَى ثُلُثُهُ، وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবদুল মালিক ইব্ন তুফায়ল জাযারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমর ইব্ন আবদুল আযীয (রহঃ) আমাদেরকে লিখলেনঃ দ্রাক্ষারস দুই অংশ জ্বলে গিয়ে এক অংশ অবশিষ্ট না থাকলে তা পান করো না। আর জেনে রাখ, প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৭২৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ بُرْدٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، قَالَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد مقطوع غير أن المتن صحيح موصولا
মাক্হুল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
কোন্ রস পান করা যায় এবং কোন্ রস পান করা যায় ন।
৫৭২৯
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ السُّلَمِيِّ، عَنْ أَبِي ثَابِتٍ الثَّعْلَبِيِّ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَجَاءَهُ رَجُلٌ، فَسَأَلَهُ عَنِ الْعَصِيرِ، فَقَالَ: «اشْرَبْهُ مَا كَانَ طَرِيًّا»، قَالَ: إِنِّي طَبَخْتُ شَرَابًا، وَفِي نَفْسِي مِنْهُ، قَالَ: «أَكُنْتَ شَارِبَهُ قَبْلَ أَنْ تَطْبُخَهُ؟»، قَالَ: لَا، قَالَ: «فَإِنَّ النَّارَ لَا تُحِلُّ شَيْئًا قَدْ حَرُمَ»
আবূ ছাবিত ছালাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)- এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে রস সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেনঃ যতক্ষণ তা তাজা থাকে, ততক্ষণ তা পান কর। সে বললোঃ আমি তা জ্বাল দিয়েছি। কিন্তু এখনও আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি জ্বাল দেয়ার আগে তা পান করতে পারতে? সে বললোঃ না। তিনি বললেনঃ আগুন হারাম বস্তুকে হালাল করতে পারে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭৩০
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قِرَاءَةً أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «وَاللَّهِ مَا تُحِلُّ النَّارُ شَيْئًا، وَلَا تُحَرِّمُهُ» قَالَ: ” ثُمَّ فَسَّرَ لِي قَوْلَهُ: لَا تُحِلُّ شَيْئًا لِقَوْلِهِمْ فِي الطِّلَاءِ، وَلَا تُحَرِّمُهُ “
আতা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্র শপথ! আগুন কোন বস্তুকে হালালও করতে পারে না, আর হারামও করতে পারে না। “হালাল করতে পারে না,” তিনি এর ব্যাখ্যায় আমাকে বললেনঃ লোকে বলেঃ দ্রাক্ষারস হালাল। অথচ তা জ্বালানোর পূর্বে হারাম ছিল। আর “হারাম করতে পারে না”- এর ব্যাখ্যায় তিনি বললেন, লোকে বলেঃ আগুন পাকান বস্তু খাওয়ার পর ওযু করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৩১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُقَيْلٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ: «اشْرَبِ الْعَصِيرَ مَا لَمْ يُزْبِدْ»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তুমি রস না গাঁজানো পর্যন্ত পান করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৩২
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَائِذٍ الْأَسَدِيِّ، قَالَ: سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْعَصِيرِ، قَالَ: «اشْرَبْهُ حَتَّى يَغْلِيَ، مَا لَمْ يَتَغَيَّرْ»
হিশাম ইব্ন আয়িয আল-আসাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্রাহীমকে দ্রাক্ষারস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তা উথলে না ওঠা এবং পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত পান করতে পার।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৩৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، فِي الْعَصِيرِ، قَالَ: «اشْرَبْهُ حَتَّى يَغْلِيَ»
আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আতা (রহঃ) রস সম্পর্কে বলেনঃ যতক্ষণ না গাঁজিয়ে ওঠে, ততক্ষণ তা পান করতে পার।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৩৪
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ: «اشْرَبْهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا أَنْ يَغْلِيَ»
শা‘বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রস তিন দিন (গত হওয়া) পর্যন্ত পান করতে পার, যতক্ষণ না তা উথলে ওঠে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
যে সব নাবীয পান করা জায়েয আর যেসব নাবীয পান করা নাজায়েয, সে সম্পর্কে
৫৭৩৫
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ فَيْرُوزَ قَالَ: قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا أَصْحَابُ كَرْمٍ، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ تَحْرِيمَ الْخَمْرِ، فَمَاذَا نَصْنَعُ؟، قَالَ: «تَتَّخِذُونَهُ زَبِيبًا؟»، قُلْتُ: فَنَصْنَعُ بِالزَّبِيبِ مَاذَا؟، قَالَ: «تُنْقِعُونَهُ عَلَى غَدَائِكُمْ، وَتَشْرَبُونَهُ عَلَى عَشَائِكُمْ، وَتُنْقِعُونَهُ عَلَى عَشَائِكُمْ، وَتَشْرَبُونَهُ عَلَى غَدَائِكُمْ» قُلْتُ: أَفَلَا نُؤَخِّرُهُ حَتَّى يَشْتَدَّ؟، قَالَ: «لَا تَجْعَلُوهُ فِي الْقُلَلِ، وَاجْعَلُوهُ فِي الشِّنَانِ، فَإِنَّهُ إِنْ تَأَخَّرَ صَارَ خَلًّا»
ফায়রুয দায়লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে জিজ্ঞাসা করলাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা আঙ্গুরওয়ালা। আর আল্লাহ্ তা‘আলা মদ হারাম করার ঘোষণা দিয়ে আয়াত নাযিল করেছেন। আমরা এখন কি করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা তা কিশমিশ বানিয়ে ফেলবে। আমি বললাম, কিশমিশ দিয়ে কি করব? তা ভোরে ভিজিয়ে বৈকালিক আহারের পর পান করবে। আর সন্ধ্যায় ভিজিয়ে সকালের খাবারের পর পান করবে। আমি বললামঃ তা উথলানো পর্যন্ত কি রেখে দেব না? তিনি বললেনঃ তা মাটির পাত্রে না রেখে মশকে রাখবে; আর যদি অনেকক্ষণ এভাবে থাকে, তবে তা সিরকা হয়ে যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৩৬
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو عُمَيْرِ بْنِ النَّحَّاسِ، عَنْ ضَمْرَةَ، عَنْ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لَنَا أَعْنَابًا فَمَاذَا نَصْنَعُ بِهَا؟، قَالَ: «زَبِّبُوهَا»، قُلْنَا: فَمَا نَصْنَعُ بِالزَّبِيبِ؟ قَالَ: «انْبِذُوهُ عَلَى غَدَائِكُمْ، وَاشْرَبُوهُ عَلَى عَشَائِكُمْ، وَانْبِذُوهُ عَلَى عَشَائِكُمْ، وَاشْرَبُوهُ عَلَى غَدَائِكُمْ، وَانْبِذُوهُ فِي الشِّنَانِ، وَلَا تَنْبِذُوهُ فِي الْقِلَالِ، فَإِنَّهُ إِنْ تَأَخَّرَ صَارَ خَلًّا»
…
[حكم الألباني] حسن صحيح الإسناد
ফায়রুয দায়লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের অনেক আঙুর আছে। আমরা তা কি করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা তা কিশমিশ বানিয়ে ফেলবে। আমি বললাম, কিশমিশ দিয়ে কি করব? তিনি বললেন, তোমরা তা দিয়ে নাবীয তৈরি করবে। তা ভোরে ভিজিয়ে বৈকালিক আহারের পর পান করবে এবং সন্ধ্যায় ভিজিয়ে সকালের খাবারের পর পান করবে, আর তা মাটির পাত্রে না রেখে মশকে রাখবে। বেশী দেরী হলে তা সিরকা হয়ে যাবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫৭৩৭
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُطِيعٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ يُنْبَذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَشْرَبُهُ مِنَ الْغَدِ، ومِنْ بَعْدِ الْغَدِ، فَإِذَا كَانَ مَسَاءُ الثَّالِثَةِ، فَإِنْ بَقِيَ فِي الْإِنَاءِ شَيْءٌ لَمْ يَشْرَبُوهُ أُهَرِيقَ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জন্য নাবীয তৈরি করা হতো। তিনি তা দ্বিতীয়, তৃতীয় দিনেও পান করতেন। আর যদি তৃতীয় দিনেও পাত্রে কিছু অবশিষ্ট থাকতো, তবে তিনি তা ফেলে দিতেন এবং পান করতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৩৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُنْقَعُ لَهُ الزَّبِيبُ فَيَشْرَبُهُ يَوْمَهُ، وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জন্য কিশমিশ ভিজিয়ে রাখা হতো আর তিনি তা সেই দিন, দ্বিতীয় দিন এবং তৃতীয় দিন পান করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৫৭৩৯
أَخْبَرَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ ابْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْبَذُ لَهُ نَبِيذُ الزَّبِيبِ مِنَ اللَّيْلِ، فَيَجْعَلُهُ فِي سِقَاءٍ، فَيَشْرَبُهُ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَالْغَدَ، وَبَعْدَ الْغَدِ، فَإِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ الثَّالِثَةِ سَقَاهُ أَوْ شَرِبَهُ، فَإِنْ أَصْبَحَ مِنْهُ شَيْءٌ أَهْرَاقَهُ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জন্য রাতে মুনাক্কা ভিজিয়ে রাখা হতো। পরে তিনি তা একটি মশকে ভরে রাখতেন এবং দ্বিতীয় দিন তা পান করতেন, পরে তৃতীয় দিনেও পান করতেন। তৃতীয় দিন শেষ সময়ে তিনি তা অন্যদেরকে পান করিয়ে দিতেন এবং নিজেও পান করতেন। যদি তারপরেও ভোর পযন্ত কিছু থাকতো, তবে তিনি তা ঢেলে ফেলে দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৪০
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يُنْبَذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ الزَّبِيبُ غُدْوَةً، فَيَشْرَبُهُ مِنَ اللَّيْلِ، وَيُنْبَذُ لَهُ عَشِيَّةً فَيَشْرَبُهُ غُدْوَةً، وَكَانَ يَغْسِلُ الْأَسْقِيَةَ، وَلَا يَجْعَلُ فِيهَا دُرْدِيًّا، وَلَا شَيْئًا» قَالَ نَافِعٌ: «فَكُنَّا نَشْرَبُهُ مِثْلَ الْعَسَلِ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার জন্য ভোরে মশকে আঙুর ভেজানো হতো, তিনি তা রাত্রে পান করতেন, যদি রাতে ভেজানো হতো, তিনি তা ভোরে পান করতেন। আর মশক ধুয়ে ফেলতেন এবং তা তীব্র করার জন্য তাতে তলানী বা অন্য কোন বস্তু মিশাতেন না। নাফে‘ (রহঃ) বলেন: আমরা তা মধুর পান করেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭৪১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ بَسَّامٍ، قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا جَعْفَرٍ عَنِ النَّبِيذِ، قَالَ: كَانَ عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «يُنْبَذُ لَهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَيَشْرَبُهُ غُدْوَةً، وَيُنْبَذُ لَهُ غُدْوَةً فَيَشْرَبُهُ مِنَ اللَّيْلِ»
বাসসাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ জাফর (রহঃ)-কে নাবীয সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ আলী ইব্ন হুসায়ন (রাঃ)-এর জন্য রাত্রে নাবীয ভেজানো হতো, তিনি তা ভোরে পান করতেন। আর ভোরে ভেজানো হতো, তিনি তা সন্ধ্যায় পান করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৪২
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ، سُئِلَ عَنِ النَّبِيذِ، قَالَ: «انْتَبِذْ عَشِيًّا، وَاشْرَبْهُ غُدْوَةً»
আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি শুনেছি, সুফয়ানের নিকট নাবীয সম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ তা সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে ভোরে পান করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৪৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، وَلَيْسَ بِالنَّهْدِيِّ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ أَرْسَلَتْ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ تَسْأَلُهُ عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ، فَحَدَّثَهَا عَنِ النَّضْرِ ابْنِهِ «أَنَّهُ كَانَ يَنْبِذُ فِي جَرٍّ يُنْبَذُ غَدْوَةً وَيَشْرَبُهُ عَشِيَّةً»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবু উছমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইনি আবু উসমান নাহদী নন, বলেন, উম্মুল ফযল আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে, মাটির কলসের নাবীয পান করা কেমন? তিনি তার পুত্র নাযর সম্পর্কে বর্ণনা করলেন যে, সে মাটির পাত্রে নাবীয বানাত। ভোরে নাবীয ভেজাত আর সন্ধায় পান করত (অর্থাৎ তা হালাল অন্যথায় এটা করা হত না)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৭৪৪
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، «أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَجْعَلَ نَطْلَ النَّبِيذِ فِي النَّبِيذِ لِيَشْتَدَّ بِالنَّطْلِ»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যিব (রহঃ) নাবীযকে শক্তিশালী করার জন্য (পুরনো) নাবীযের তলানী নতুন নাবীযে মেশানো মাকরূহ মনে করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৪৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ قَالَ فِي النَّبِيذِ: «خَمْرُهُ دُرْدِيُّهُ»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবীয সম্পর্কে বলেন, এর তলানী মদ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫৭৪৬
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «إِنَّمَا سُمِّيَتِ الْخَمْرُ لِأَنَّهَا تُرِكَتْ حَتَّى مَضَى صَفْوُهَا، وَبَقِيَ كَدَرُهَا»، وَكَانَ يَكْرَهُ كُلَّ شَيْءٍ يُنْبَذُ عَلَى عَكَرٍ
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খামর (মদ) কে খামর এজন্য বলা হয় যে, একে রেখে দেয়া হয়, ফলে এর স্বচ্ছতা দূর হয়ে যায় এবং এর ময়লা অবশিষ্ট থাকে। আর তিনি এরূপ নাবীযকে মকরূহ মনে করতেন যাতে তলানী মিশানো হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
নাবীযের ব্যাপারে ইবরাহীমের থেকে বর্ণনাকারীদের মতপার্থক্য
৫৭৪৭
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: «كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ مَنْ شَرِبَ شَرَابًا فَسَكِرَ مِنْهُ، لَمْ يَصْلُحْ لَهُ أَنْ يَعُودَ فِيهِ»
ফুযায়ল ইব্ন আমর ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকে মনে করত, যে ব্যক্তি কোনও প্রকার পানীয় পান করার ফলে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে, সে যেন আবার তা পান না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৪৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: «لَا بَأْسَ بِنَبِيذِ الْبُخْتُجِ»
আবু মা‘শার ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পাকানো নাবীযে কোন ক্ষতি নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৪৯
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي مِسْكِينٍ، قَالَ: سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ قُلْتُ: إِنَّا نَأْخُذُ دُرْدِيَّ الْخَمْرِ أَوِ الطِّلَاءِ فَنُنَظِّفُهُ، ثُمَّ نَنْقَعُ فِيهِ الزَّبِيبَ ثَلَاثًا، ثُمَّ نُصَفِّيهِ، ثُمَّ نَدَعُهُ حَتَّى يَبْلُغَ فَنَشْرَبُهُ، قَالَ: «يُكْرَهُ»
…
[حكم الألباني] حسن الإسناد مقطوع
আবূ মিসকীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমরা মদ অথবা দ্রাক্ষারসের তলানী পরিস্কার করি, তারপর তিনদিন পর্যন্ত তাতে মনাক্কা ভিজিয়ে রাখি। তিনদিন পর তা পরিষ্কার করে রেখে দেই, যেন তা তীব্র হয়ে যায়। ইবরাহীম (রহঃ) বলেনঃ এটা মাকরূহ।
হাদিসের মানঃ হাসান মাকতু
- সরাসরি
৫৭৫০
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ ابْنِ شُبْرُمَةَ، قَالَ: رَحِمَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ «شَدَّدَ النَّاسُ فِي النَّبِيذِ، وَرَخَّصَ فِيهِ»
ইব্ন শুবরুমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা ইবরাহীমের উপর রহম করুন। লোক নাবীযের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করতো অথচ তিনি তা সহজ করে দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৫১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ يَقُولُ: «مَا وَجَدْتُ الرُّخْصَةَ فِي الْمُسْكِرِ عَنْ أَحَدٍ صَحِيحًا إِلَّا عَنْ إِبْرَاهِيمَ»
আবূ উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইব্ন মুবারকা (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি ইবরাহীম (রহঃ) ব্যতীত অন্য কাউকে মাদকদ্রব্যের অনুমতি দিতে শুনিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৫২
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا أُسَامَةَ يَقُولُ: «مَا رَأَيْتُ رَجُلًا أَطْلَبَ لِلْعِلْمِ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ الشَّامَاتِ وَمِصْرَ وَالْيَمَنَ وَالْحِجَازَ»
উবায়দুল্লাহ ইব্ন সা‘দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ উসামা (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি আবদুল্লাহ ইব্ন মুবারক (রহঃ)-এর চাইতে জ্ঞান-পিপাসু আর কাউকে দেখিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
বৈধ পানীয় সম্পর্কে
৫৭৫৩
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ لِأُمِّ سُلَيْمٍ قَدَحٌ مِنْ عَيْدَانٍ، فَقَالَتْ: «سَقَيْتُ فِيهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّ الشَّرَابِ الْمَاءَ، وَالْعَسَلَ، وَاللَّبَنَ، وَالنَّبِيذَ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মে সুলায়ম (রাঃ)-এর নিকট একটি কাঠের পেয়ালা ছিল। তিনি বলতেনঃ আমি এই পাত্রে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পানীয় পান করাতাম, যা ছিল পানি, দুধ, মধু ও নাবীয।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৫৪
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ ذَرِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ عَنِ النَّبِيذِ، فَقَالَ: «اشْرَبِ الْمَاءَ، وَاشْرَبِ الْعَسَلَ، وَاشْرَبِ السَّوِيقَ، وَاشْرَبِ اللَّبَنَ الَّذِي نُجِعْتَ بِهِ» فَعَاوَدْتُهُ فَقَالَ: «الْخَمْرَ تُرِيدُ الْخَمْرَ تُرِيدُ»
আব্দুর রহমান ইব্ন আবযা (রহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উবাই ইব্ন কা‘ব (রাঃ)-কে নাবীযের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি বললেনঃ পানি পান কর, মধু, ছাতু এবং দুধ পান কর, যা পান করে তুমি ছোট থেকে বড় হয়েছ-আমি আবার জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেনঃ তুমি মদ পান করতে চাও? তুমি মদ পান করতে চাও?
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭৫৫
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سَعِيدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: ” أَحْدَثَ النَّاسُ أَشْرِبَةً مَا أَدْرِي مَا هِيَ، فَمَا لِي شَرَابٌ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً – أَوْ قَالَ: أَرْبَعِينَ سَنَةً – إِلَّا الْمَاءُ وَالسَّوِيقُ ” غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ النَّبِيذَ
ইব্ন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোক নানা প্রকার পানীয় আবিষ্কার করেছে, আমি জানিনা, তা কি? অথচ আমি বিশ অথবা চল্লিশ বছর যাবৎ পানি এবং ছাতু ব্যতীত আর কিছুই পান করিনি। উল্লেখ্য যে, তিনি নাবীযের কথা বলেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫৭৫৬
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، قَالَ: «أَحْدَثَ النَّاسُ أَشْرِبَةً مَا أَدْرِي مَا هِيَ، وَمَا لِي شَرَابٌ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً إِلَّا الْمَاءُ، وَاللَّبَنُ، وَالْعَسَلُ»
‘আবীদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোক নানা প্রকার পানীয় বানাচ্ছে। আমি জানি না, তা কি, অথচ বিশ বছর যাবত আমার পানীয় হলো পানি, দুধ এবং মধু।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৫৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ ابْنِ شُبْرُمَةَ، قَالَ: قَالَ طَلْحَةُ لِأَهْلِ الْكُوفَةِ: «فِي النَّبِيذِ فِتْنَةٌ يَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ، وَيَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ»، قَالَ: وَكَانَ إِذَا كَانَ فِيهِمْ عُرْسٌ كَانَ طَلْحَةُ وَزُبَيْدٌ يَسْقِيَانِ اللَّبَنَ وَالْعَسَلَ، فَقِيلَ لِطَلْحَةَ: أَلَا تَسْقِيهِمُ النَّبِيذَ؟ قَالَ: «إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَسْكَرَ مُسْلِمٍ فِي سَبَبِي»
ইব্ন শুবরুমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তালহা (রাঃ) কূফাবাসীদের সম্পর্কে বলেন যে, তারা নাবীযের ব্যাপারে এক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে। ছোট তাতে বড় হচ্ছে আর বৃদ্ধ তাতে আরও বার্ধক্যে উপনীত হচ্ছে। ইব্ন শুবরুমা (রহঃ) বলেনঃ যখন কোন বিবাহ হতো, তখন তালহা এবং যুবায়র (রাঃ) লোকদেরকে দুধ এবং মধু পান করাতেন। কেউ তালহা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলো, আপনি নাবীয পান করান না কেন? তিনি বললেনঃ আমি এটা পছন্দ করি না যে, আমার কারণে কোন মুসলমান নেশাগ্রস্থ হোক।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫৭৫৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، قَالَ: كَانَ ابْنُ شُبْرُمَةَ «لَا يَشْرَبُ إِلَّا الْمَاءَ وَاللَّبَنَ»
ইসহাক ইব্ন ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জারীর (রহঃ) আমাদের বলেছেনঃ ইব্ন শুবরুমা (রহঃ) শুধু পানি এবং দুধ পান করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু