ইবনে মাজাহ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৪১০০ – ৪১৮৫

৩১/১. অধ্যায়ঃ

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি

৪১০০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَيْسَ الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا بِتَحْرِيمِ الْحَلاَلِ وَلاَ فِي إِضَاعَةِ الْمَالِ وَلَكِنِ الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا أَنْ لاَ تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ مِنْكَ بِمَا فِي يَدِ اللَّهِ وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ مِنْكَ فِيهَا لَوْ أَنَّهَا أُبْقِيَتْ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ كَانَ أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ يَقُولُ مِثْلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي الأَحَادِيثِ كَمِثْلِ الإِبْرِيزِ فِي الذَّهَبِ ‏.‏

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হালাল বস্তুকে হারাম করে নেয়া এবং ধনসম্পদ ধ্বংস করা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি (যুহ্দ) নয়, বরং দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি হলোঃ আল্লাহর নিকট যা আছে তার চেয়ে তোমার নিকট যা আছে তার উপর অধিক নির্ভরশীল না হওয়া এবং তুমি কোন বিপদে পতিত হলে তার বিনিময়ে সওয়াবের আশার তুলনায় বিপদে পতিত না হওয়াটা তোমার নিকট অধিকতর কাঙ্ক্ষিত না হওয়া। হিশাম (রাঃ) বলেন, আবূ ইদরীস আল-খাওলানী (রাঃ) বলেছেন, হাদীস ভান্ডারে এ হাদীসটি যেন স্বর্ণ খনির খাঁটি সোনা। [৩৪৩২]

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩২] তিরমিযী ২৩৪০, মিশকাত ৫৩০১। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী আমর বিন ওয়াকীদ আল-কুরাশী সম্পর্কে আবু বাকর আল-বুরকানী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু মুসহির আল-গাসসানী বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলেন না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪৬৮, ২২/২৮৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৪১০১

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ أَبِي خَلاَّدٍ، – وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ قَدْ أُعْطِيَ زُهْدًا فِي الدُّنْيَا وَقِلَّةَ مَنْطِقٍ فَاقْتَرِبُوا مِنْهُ فَإِنَّهُ يُلَقَّى الْحِكْمَةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ খাল্লাদ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা এমন লোক দেখতে পাবে যাকে দুনিয়াতে যুহদ দান করা হয়েছে এবং স্বল্পভাষী করা হয়েছে, তখন তোমরা তার নৈকট্য ও সাহচর্য অবলম্বন করবে। কারণ তাকে প্রজ্ঞা দান করা হয়েছে। [৩৪৩৩]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৩] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ১৯২৩, দঈফ আল-জামি’ ৫০৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১০২

حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَمْرٍو الْقُرَشِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا أَنَا عَمِلْتُهُ أَحَبَّنِيَ اللَّهُ وَأَحَبَّنِيَ النَّاسُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ ازْهَدْ فِي الدُّنْيَا يُحِبَّكَ اللَّهُ وَازْهَدْ فِيمَا فِي أَيْدِي النَّاسِ يُحِبُّوكَ ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা’দ আস-সাঈদী (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলে দিন যা আমি করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালোবাসবেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি অবলম্বন করো। তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। মানুসের নিকট যা আছে, তুমি তার প্রতি অনাসক্ত হয়ে যাও, তাহলে তারাও তোমাকে ভালোবাসবে। [৩৪৩৪]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৪] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ১৯২৩, দঈফ আল-জামি’ ৫০৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১০৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ سَهْمٍ، – رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ – قَالَ نَزَلْتُ عَلَى أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ وَهُوَ طَعِينٌ فَأَتَاهُ مُعَاوِيَةُ يَعُودُهُ فَبَكَى أَبُو هَاشِمٍ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ مَا يُبْكِيكَ أَىْ خَالِ أَوَجَعٌ يُشْئِزُكَ أَمْ عَلَى الدُّنْيَا فَقَدْ ذَهَبَ صَفْوُهَا قَالَ عَلَى كُلٍّ لاَ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ تَبِعْتُهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّكَ لَعَلَّكَ تُدْرِكُ أَمْوَالاً تُقْسَمُ بَيْنَ أَقْوَامٍ وَإِنَّمَا يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَدْرَكْتُ فَجَمَعْتُ ‏.‏

সামুরাহ বিন সাহ্‌ম (মাজহুল বা অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবূ হাশিম বিন উতবাহ (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি বর্শার আঘাতে আহত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। মুআবিয়া (রাঃ) ও তাকে দেখতে এলেন। আবূ হাশেম (রাঃ) কেঁদে দিলে তিনি বলেন, হে মামা! কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে। আঘাতের যন্ত্রনা, নাকি পার্থিব কিছু? পার্থিব কিছু হলে তার উৎকৃষ্ট অংশ তো অতিবাহিত হয়েছে। তিনি বলেন, এর কোনটিই নয়। তবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন। হায়! আমি যদি তা অনুসরন করতাম। তিনি বলেছিলেন, “হয়তো তুমি পর্যাপ্ত সম্পদের অধিকারী হবে যা তুমি জনগনের মধ্যে বিতরন করবে। তখন তোমার জন্য একটি খাদেম এবং আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য একটি সওআরীই যথেষ্ঠ”। আমি সেই প্রাচুর্য লাভ করেছি কিন্তু তা (বিতরন না করে) পুঞ্জীভূত করে রেখেছি। [৩৪৩৫]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৫] তিরমিযী ২৩২৭। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১২৩।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১০৪

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ اشْتَكَى سَلْمَانُ فَعَادَهُ سَعْدٌ فَرَآهُ يَبْكِي فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ مَا يُبْكِيكَ يَا أَخِي أَلَيْسَ قَدْ صَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَلَيْسَ أَلَيْسَ قَالَ سَلْمَانُ مَا أَبْكِي وَاحِدَةً مِنَ اثْنَتَيْنِ مَا أَبْكِي صَبًّا لِلدُّنْيَا وَلاَ كَرَاهِيَةً لِلآخِرَةِ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا فَمَا أُرَانِي إِلاَّ قَدْ تَعَدَّيْتُ ‏.‏ قَالَ وَمَا عَهِدَ إِلَيْكَ قَالَ عَهِدَ إِلَىَّ أَنَّهُ يَكْفِي أَحَدَكُمْ مِثْلُ زَادِ الرَّاكِبِ وَلاَ أُرَانِي إِلاَّ قَدْ تَعَدَّيْتُ وَأَمَّا أَنْتَ يَا سَعْدُ فَاتَّقِ اللَّهَ عِنْدَ حُكْمِكَ إِذَا حَكَمْتَ وَعِنْدَ قَسْمِكَ إِذَا قَسَمْتَ وَعِنْدَ هَمِّكَ إِذَا هَمَمْتَ ‏.‏ قَالَ ثَابِتٌ فَبَلَغَنِي أَنَّهُ مَا تَرَكَ إِلاَّ بِضْعَةً وَعِشْرِينَ دِرْهَمًا مِنْ نَفَقَةٍ كَانَتْ عِنْدَهُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সালমান (রাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়লে সা’দ (রাঃ) তাকে দেখতে যান। তিনি তাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করেন, হে ভাই! আপনি কাঁদছেন কেন? আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহচর্য লাভ করেননি? আপনি কি এই এই (ভালো কাজ) করেননি। সালমান (রাঃ) বলেন, আমি এই দু’টির কোনটির জন্যই কাঁদছি না। আমি দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার আক্ষেপে বা আখেরাতের পরিণতির আশংকায় কাঁদছি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু মনে হয় আমি তাতে সীমালংঘন করেছি। সা’দ (রাঃ) বলেন, তিনি আপনার থেকে কী প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন? সালমান (রাঃ) বলেন, তিনি এই প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন যে, “তোমাদের যে কোন ব্যক্তির একজন পর্যটকের সমপরিমাণ পাথেয় যথেষ্ট”। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি যে, আমি সীমালংঘন করে ফেলেছি। হে ভাই সা’দ! যখন তুমি বিচার মীমাংসা করবে, ভাগ-বাঁটোয়ারা করবে এবং কোন কাজের উদ্যোগ গ্রহন করবে তখন আল্লাহকে ভয় করবে। সাবিত (রাঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, (মৃত্যুর সময়) সালমান (রাঃ) তার ভরণপোষণের জন্য সঞ্চিত মাত্র বিশাধিক দিরহাম রেখে যান। [৩৪৩৬]

তাহকীক আলবানীঃ সালমান ও সাবিত এর কাওলটি সহীহ; সালমান (রাঃ) এর কাওল সহীহাহ ৪/২৯৪, সাবিত এর কওল আত তা’লীকুর রাগীব ৪/৯৯।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৬] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

উক্ত হাদীসের রাবী জা’ফার বিন সুলায়মান সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। আবূ বাকর আল-বাযযার বলেন, তার দোষত্রুটি সম্পর্কে কাউকে কিছু বলতে শুনিনি। আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৪৩, ৫/৪৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/২. অধ্যায়ঃ

পার্থিব চিন্তা

৪১০৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ بِنِصْفِ النَّهَارِ فَقُلْتُ مَا بَعَثَ إِلَيْهِ هَذِهِ السَّاعَةَ إِلاَّ لِشَىْءٍ سَأَلَ عَنْهُ ‏.‏ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سَأَلَنَا عَنْ أَشْيَاءَ سَمِعْنَاهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا هَمَّهُ فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَمْرَهُ وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ مَا كُتِبَ لَهُ وَمَنْ كَانَتِ الآخِرَةُ نِيَّتَهُ جَمَعَ اللَّهُ لَهُ أَمْرَهُ وَجَعَلَ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ ‏”‏ ‏.‏

আবান বিন উসমান, থেকে বর্ণিতঃ

যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) দুপুরের সময় মারওয়ানের নিকট থেকে বের হয়ে এলে আমি ভাবলাম, নিশ্চয় কোন গুরত্বপূর্ণ বিষয় জানার জন্য এ সময় তিনি তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আমাদের শ্রুত কতক হাদীস শোনার জন্য মারওআন আমাদের ডেকেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ পার্থিব চিন্তা যাকে মোহগ্রস্ত করবে, আল্লাহ তার কাজকর্মে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, দরিদ্রতা তার নিত্যসংগী হবে এবং পার্থিব স্বার্থ ততটুকুই লাভ করতে পারবে, যতটুকু তার তকদীরে লিপিবদ্ধ আছে। আর যার উদ্দেশ্য হবে আখেরাত, আল্লাহ তার সবকিছু সুষ্ঠু করে দিবেন, তার অন্তরকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করবেন এবং দুনিয়া স্বয়ং তার সামনে এসে হাযির হবে। [৩৪৩৭]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৭] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৯৫০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১০৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ النَّصْرِيِّ، عَنْ نَهْشَلٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ جَعَلَ الْهُمُومَ هَمًّا وَاحِدًا هَمَّ الْمَعَادِ كَفَاهُ اللَّهُ هَمَّ دُنْيَاهُ وَمَنْ تَشَعَّبَتْ بِهِ الْهُمُومُ فِي أَحْوَالِ الدُّنْيَا لَمْ يُبَالِ اللَّهُ فِي أَىِّ أَوْدِيَتِهِ هَلَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

আমি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যার চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু হবে আখিরাত, তার পার্থিব চিন্তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার চিন্তায় মোহগ্রস্ত থাকে তার যে কোন উপত্যকায় বা প্রান্তরে ধ্বংস হয়ে যাওয়াতে আল্লাহর কোন পরোয়া নাই। [৩৪৩৮]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৮] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/৮৩, মিশকাত ২৬৩।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১০৭

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْوَالِبِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ – وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَدْ رَفَعَهُ – قَالَ ‏ “‏ يَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ يَا ابْنَ آدَمَ تَفَرَّغْ لِعِبَادَتِي أَمْلأْ صَدْرَكَ غِنًى وَأَسُدَّ فَقْرَكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ مَلأْتُ صَدْرَكَ شُغْلاً وَلَمْ أَسُدَّ فَقْرَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ মহাপবিত্র আল্লাহ বলেনঃ হে আদম সন্তান!আমার ইবাদতে মগ্ন হও। আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করবো এবং তোমার দারিদ্র দূর করবো। তুমি যদি তা না করো, তাহলে আমি তোমার অন্তর পেরেশানী দিয়ে পূর্ণ করবো এবং তোমার দারিদ্রতা দূর করবো না। [৩৪৩৯]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৩৯] তিরমিযী২৪৬৬। সহীহাহ ১৩৫৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/৩. অধ্যায়ঃ

দুনিয়ার উদাহরন

৪১০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُسْتَوْرِدَ، أَخَا بَنِي فِهْرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَا مَثَلُ الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ مَثَلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ إِصْبَعَهُ فِي الْيَمِّ فَلْيَنْظُرْ بِمَ يَرْجِعُ ‏”‏ ‏.‏

বনূ ফিহরের সদস্য মুসতাওরিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়া হলো এতটুকু, যেমন তোমাদের কেউ তার একটি আংগুল সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে তা তুলে আনলো। সে লক্ষ্য করুক তার আংগুন কতটুকু পানি নিয়ে ফিরেছে। [৩৪৪০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪০] মুসলিম২৮৫৮, তিরমিযী ২৩২৩, আহমাদ ১৭৫৪৭, ১৭৫৪৮। রাওদুন নাদীর ৮৫২, আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১০২।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪১০৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اضْطَجَعَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى حَصِيرٍ فَأَثَّرَ فِي جِلْدِهِ فَقُلْتُ بِأَبِي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ كُنْتَ آذَنْتَنَا فَفَرَشْنَا لَكَ عَلَيْهِ شَيْئًا يَقِيكَ مِنْهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِنَّمَا أَنَا وَالدُّنْيَا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি খেজুর পাতার মাদুরে শুয়েছিলেন। তাঁর দেহের চামড়ায় (মাদুরের) দাগ বসে গেলো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। আপনি আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য মাদুরের উপর কিছু বিছিয়ে দিতাম। তাহলে তা আপনাকে দাগ লাগা থেকে বাঁচিয়ে রাখতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক কী? আমি দুনিয়াতে এমন এক মুসাফির বৈ তো কিছু নই, যে একটি গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিলো, অতঃপর তা ত্যাগ করে গন্তব্যের পানে চলে গেলো। [৩৪৪১]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪১] তিরমিযী ২৩৭৭। সহীহাহ ৪৩৯,৪৪০, তাখরীজু ফিকহুস সায়রাহ ৪৭৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى، زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَإِذَا هُوَ بِشَاةٍ مَيِّتَةٍ شَائِلَةٍ بِرِجْلِهَا فَقَالَ ‏ “‏ أَتُرَوْنَ هَذِهِ هَيِّنَةً عَلَى صَاحِبِهَا فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ عَلَى صَاحِبِهَا وَلَوْ كَانَتِ الدُّنْيَا تَزِنُ عِنْدَ اللَّهِ جَنَاحَ بَعُوضَةٍ مَا سَقَى كَافِرًا مِنْهَا قَطْرَةً أَبَدًا ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা’দ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে থাকাকালে একটি মৃত বকরী চিৎ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেলো। তিনি বলেনঃ তোমাদের কী ধারণা, এই বকরিটা তার মালিকের কাছে তুচ্ছ নয় কি? সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ!এই মৃত বকরিটা তার মালিকের নিকট যতোটা তুচ্ছ, অবশ্যই এই দুনিয়া আল্লাহর নিকট তার চেয়েও অধিক তুচ্ছ। এ দুনিয়ার মুল্য যদি মশার একটি পাখার সমানও হতো, তাহলে তিনি কোন কাফেরকে এখানকার পানির এক ঢোকও পান করাতেন না। [৩৪৪২]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪২] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৬৮৬, ২৪৮২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ الْهَمْدَانِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا الْمُسْتَوْرِدُ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ إِنِّي لَفِي الرَّكْبِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذْ أَتَى عَلَى سَخْلَةٍ مَنْبُوذَةٍ قَالَ فَقَالَ ‏”‏ أَتُرَوْنَ هَذِهِ هَانَتْ عَلَى أَهْلِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مِنْ هَوَانِهَا أَلْقَوْهَا ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ قَالَ ‏”‏ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ عَلَى أَهْلِهَا ‏”‏ ‏.‏

মুসতাওরিদ বিন শাদ্দাদ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাফেলার সাথে ছিলাম। তিনি রাস্তার পাশে ফেলে রাখা একটি বকরীর মৃত ছানার নিকট এসে দাঁড়ালেন। তিনি বলেনঃ তোমরা কি জানো, এই বকরির মৃত বাচ্চাটি তার মালিকের নিকট কতো তুচ্ছ? বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! মূল্যহীন হওয়ার দরুনই তারা এটাকে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ!এটা তার মালিকের নিকট যতোটা মূল্যহীন, দুনিয়াটা আল্লাহর কাছে তার চেয়েও অধিক মূল্যহীন ও তুচ্ছ। [৩৪৪৩]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪৩] তিরমিযী ২৩২১। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১০১, সহীহাহ ২৪৮২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ، عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ الدِّمَشْقِيُّ عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ضَمْرَةَ السَّلُولِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَقُولُ ‏ “‏ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلاَّ ذِكْرَ اللَّهِ وَمَا وَالاَهُ أَوْ عَالِمًا أَوْ مُتَعَلِّمًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবই অভিশপ্ত, কিন্তু আল্লাহর যিকির এবং তার সাথে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য আমল অথবা আলেম ওএলেম অন্বেষণকারী ব্যতীত। [৩৪৪৪]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪৪] তিরমিযী ২৩২২। মিশকাত ৫১৭৬, আত তা’লীকুর রাগীব ১/৫৬।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১৩

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জেলখানা এবং কাফেরের বেহেশতখানা। [৩৪৪৫]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪৫] মুসলিম ২৯৫৬, তিরমিযী ২৩২৪, আহমাদ ৮০৯০, ৯৯১৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِبَعْضِ جَسَدِي فَقَالَ ‏ “‏ يَا عَبْدَ اللَّهِ كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ كَأَنَّكَ عَابِرُ سَبِيلٍ وَعُدَّ نَفْسَكَ مِنْ أَهْلِ الْقُبُورِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দেহ স্পর্শ করে বলেনঃ হে আবদুল্লাহ! দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস করো যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভুক্ত মনে করো। [৩৪৪৬]

তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) বাক্যটি ব্যতীত সহীহ। রাওদুন নাদীর ৫৭৪।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৩১/৪. অধ্যায়ঃ

লোকে যাকে গুরুত্ব দেয় না

৪১১৫

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ أَلاَ أُخْبِرُكَ عَنْ مُلُوكِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ رَجُلٌ ضَعِيفٌ مُسْتَضْعَفٌ ذُو طِمْرَيْنِ لاَ يُؤْبَهُ لَهُ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন জাবাল (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের বাদশাহ্দের সম্পর্কে অবহিত করবো না। আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ দু’টি ছিন্নবস্ত্র পরিহিত দুর্বল ও অনাহারী ব্যক্তি যাকে ধর্তব্যে আনা হয় না। কিন্তু সে কোন বিষয়ে আল্লাহর নামে শপথ করলে তিনি তা অবশ্যই পূর্ণ করেন (সে হবে জান্নাতের বাদশাহ্)। [৩৪৪৭]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪৭] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/৯২।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ سَمِعْتُ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَهْلِ الْجَنَّةِ كُلُّ ضَعِيفٍ مُتَضَعِّفٍ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَهْلِ النَّارِ كُلُّ عُتُلٍّ جَوَّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ ‏”‏ ‏.‏

হারিসাহ বিন ওয়াহব (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না যে, কারা জান্নাতী হবে? যারা দুর্বল এবং যাদেরকে দুর্বল মনে করা হয়। আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না যে, কারা জাহান্নামী হবে? প্রত্যেক অবাধ্য, আহাম্মক ও দাম্ভিক ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে। [৩৪৪৮]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৪৮] মুসলিম ২৮৫৩, তিরমিযী ২৬০৫, আহমাদ ১৮২৫৩। তাখরীজু মুশকিলাতুল ফিকর ১২৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ أَغْبَطَ النَّاسِ عِنْدِي مُؤْمِنٌ خَفِيفُ الْحَاذِ ذُو حَظٍّ مِنْ صَلاَةٍ غَامِضٌ فِي النَّاسِ لاَ يُؤْبَهُ لَهُ كَانَ رِزْقُهُ كَفَافًا وَصَبَرَ عَلَيْهِ عَجِلَتْ مَنِيَّتُهُ وَقَلَّ تُرَاثُهُ وَقَلَّتْ بَوَاكِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ উমামাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ লোকেদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ঈর্ষণীয় হলো সেই মুমিন ব্যক্তি যার অবস্থা খুবই হালকা (স্বল্প সম্পদ ও ক্ষুদ্র পরিবার) এবং যে নামাযে মনোযোগী, মানুষের মাঝে অখ্যাত, তার কোন গুরুত্ব দেয়া হয় না,আর নূন্যতম প্রয়োজন মাফিক তার রিযিক এবং তাতেই ধৈর্য ধারণকারী। অচিরেই তার মৃত্যু হয়, তার পরিত্যক্ত সম্পদও কম এবং তার জন্য বিলাপকারীর সংখ্যাও কম। [৩৪৪৯]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৪৪৯. তিরমিযী ২৩৪৭, আহমাদ ২১৬৬৩, ২১৬৯৩। মিশকাত ৫১৮৯।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১৮

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَامَةَ الْحَارِثِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْبَذَاذَةُ مِنَ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الْبَذَاذَةُ الْقَشَافَةُ يَعْنِي التَّقَشُّفَ ‏.‏

আবূ উমামাহ আল-হারিসী (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অনাড়ম্বর জীবন যাপনই ঈমান। রাবী বলেন, ‘বাযাযাহ’-এর অর্থ কাশাফাহ অর্থাৎ বিলাস-বাসনা ত্যাগ করা, সা‘দামাটা জীবন নির্বাহ করা। [৩৪৫০]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫০] আবূ দাউদ ৪১৬১ । সহীহাহ ৩৪১, তাখরাজুল ঈমান লি ইবনুস সালাম ২৫ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১১৯

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخِيَارِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ خِيَارُكُمُ الَّذِينَ إِذَا رُءُوا ذُكِرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

আসমা’ বিনতূ ইয়াযীদ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমি কি তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের কথা জানিয়ে দিবো না? তারা বলেন, হাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে তারাই শ্রেষ্ঠ যাদের দেখলে মহান আল্লাহর স্মরণ হয়। [৩৪৫১]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৪৫১. হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫০২৩।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/৫. অধ্যায়:

গরীবদের ফাদীলাত

৪১২০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ مَرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا تَقُولُونَ فِي هَذَا الرَّجُلِ قَالُوا رَأْيَكَ فِي ‏.‏ هَذَا نَقُولُ هَذَا مِنْ أَشْرَافِ النَّاسِ هَذَا حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ يُخَطَّبَ وَإِنْ شَفَعَ أَنْ يُشَفَّعَ وَإِنْ قَالَ أَنْ يُسْمَعَ لِقَوْلِهِ ‏.‏ فَسَكَتَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَرَّ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا تَقُولُونَ فِي هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَقُولُ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا مِنْ فُقَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ هَذَا حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ لَمْ يُنْكَحْ وَإِنْ شَفَعَ لاَ يُشَفَّعْ وَإِنْ قَالَ لاَ يُسْمَعْ لِقَوْلِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ لَهَذَا خَيْرٌ مِنْ مِلْءِ الأَرْضِ مِثْلَ هَذَا ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা‘দ আল-সাইদী (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। নবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা এ লোকটি সম্পর্কে কী বলো? সাহাবীগণ বলেন, তার সম্পর্কে আপনার অভিমত হবে যথার্থ। আমরা বলি, সে সুপারিশ করলে তা মঞ্জুর করা হয়। সে কথা বললে তা শোনা হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ থাকলেন। ইত্যবসরে আরেক ব্যক্তি সেখান দিয়ে অতিক্রম করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা কী বলো? সাহাবীগণ বলেন, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা বলি যে, এ ব্যক্তি তো দীনহীন মুসলমানদের অন্তভূক্ত। সে এতই যোগ্য যে, সে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়, সুপারিশ করলে তা মঞ্জুর করা হয় না এবং কথা বললে তার কথায় কেউ কর্ণপাত করে না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রথমোক্ত শ্রেণীর লোকের দ্বারা পৃথিবী ভরে গেলেও শেষোক্ত ব্যক্তি তাদের চেয়ে উত্তম। [৩৪৫২]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫২] সহীহুল বুখারী ৫০৯১ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১২১

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْجُبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، أَخْبَرَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مِهْرَانَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ عَبْدَهُ الْمُؤْمِنَ الْفَقِيرَ الْمُتَعَفِّفَ أَبَا الْعِيَالِ ‏”‏ ‏.‏

ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর যে মুমিন বান্দা দরিদ্র ও অধিক সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও যাচঞা করা থেকে বিরত থাকে, তিনি তাকে ভালোবাসেন। [৩৪৫৩]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৪৫৩. হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫২৬৫, দঈফাহ ৫১।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/৬. অধ্যায়:

দরিদ্রদের মর্যাদা

৪১২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَدْخُلُ فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ الْجَنَّةَ قَبْلَ الأَغْنِيَاءِ بِنِصْفِ يَوْمٍ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হূরায়রাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দরিদ্র মুমিনগণ ধনীদের তুলনায় অর্ধদিন আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর অর্ধ দিনের পরিমাণ হবে পাঁচশত বছর। [৩৪৫৪]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫৪] তিরমিয়ী ২৩৫৩। তাখরাজুল মিশকাত ৫২৪৩, তালীকুর রাগীব ৪/৮৮, তাহকীকু আসতার ১০৬।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪১২৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ فُقَرَاءَ الْمُهَاجِرِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِمِقْدَارِ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দরিদ্র মুহাজিরগণ তাদের বিত্তবানদের তুলনায় পাঁচ শত বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [৩৪৫৫]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫৫] তিরমিযী ২৩৫১। তাহকীকু আসতার ১০৬, মিশকাত ২১৯৮ ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১২৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو غَسَّانَ، بُهْلُولٌ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ اشْتَكَى فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْهِمْ أَغْنِيَاءَهُمْ فَقَالَ ‏”‏ يَا مَعْشَرَ الْفُقَرَاءِ أَلاَ أُبَشِّرُكُمْ أَنَّ فُقَرَاءَ الْمُؤْمِنِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِنِصْفِ يَوْمٍ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ ‏”‏ ‏.

ثُمَّ تَلاَ مُوسَى هَذِهِ الآيَةَ ‏{وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ }‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ তাআলা দরিদ্র মুহাজিরদের উপর তাদের ধনীদের যে মর্যাদা (সম্পদের প্রাচুর্য) দান করেছেন, তারা সে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেনঃ হে অভাবী সমাজ! আমি কি তোমাদেরকে এ সুসংবাদ দিবো না যে, দরিদ্র মুমিনগণ তাদের ধনীদের তুলনায় অর্ধ দিন অর্থাৎ পাঁচ শত বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে? অতঃপর মূসা বিন উবায়দা (রাঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) “তোমার প্রতিপালকের একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান” (সূরা হাজঃ ৪৭)। [৩৪৫৬]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫৬] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৪/৮৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/৭. অধ্যায় :

দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা

৪১২৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ أَبُو يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ أَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يُحِبُّ الْمَسَاكِينَ وَيَجْلِسُ إِلَيْهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ وَيُحَدِّثُونَهُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَكْنِيهِ أَبَا الْمَسَاكِينِ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাফর বিন আবূ তালিব (রাঃ) ফকীর-মিসকীনদের মহব্বত করতেন, তাদের সাথে ওঠাবসা করতেন এবং তাদের সাথে আলাপ করতেন। আর তারাও তার সাথে আলাপ-আলোচনা করতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আবুল মাসাকীন (দরিদ্রদের পিতা) উপাধি দেন। [৩৪৫৭]

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫৭] সহীহুল বুখারী ৫৪৩২, তিরমিয়ী ৩৭৬৬ ।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৪১২৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَحِبُّوا الْمَسَاكِينَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

তোমরা মিসকীনদের মহব্বত করবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তার দুআ’য় বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মিসকীনরূপে জীবিত রাখো, মিসকীনরূপে মৃত্যুদান করো এবং মিসকীনদের দলভুক্ত করে হাশরের ময়দানে উত্থিত করো ”। [৩৪৫৮]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫৮] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৩০৮, ইরওয়া ৮৬১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১২৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَنْقَزِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ الأَزْدِيِّ، وَكَانَ، قَارِئَ الأَزْدِ عَنْ أَبِي الْكَنُودِ، عَنْ خَبَّابٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ‏{وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ}‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏{فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ}‏ قَالَ جَاءَ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ وَعُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَعَ صُهَيْبٍ وَبِلاَلٍ وَعَمَّارٍ وَخَبَّابٍ قَاعِدًا فِي نَاسٍ مِنَ الضُّعَفَاءِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَمَّا رَأَوْهُمْ حَوْلَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَقَرُوهُمْ فَأَتَوْهُ فَخَلَوْا بِهِ وَقَالُوا إِنَّا نُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَ لَنَا مِنْكَ مَجْلِسًا تَعْرِفُ لَنَا بِهِ الْعَرَبُ فَضْلَنَا فَإِنَّ وُفُودَ الْعَرَبِ تَأْتِيكَ فَنَسْتَحْيِي أَنْ تَرَانَا الْعَرَبُ مَعَ هَذِهِ الأَعْبُدِ فَإِذَا نَحْنُ جِئْنَاكَ فَأَقِمْهُمْ عَنْكَ فَإِذَا نَحْنُ فَرَغْنَا فَاقْعُدْ مَعَهُمْ إِنْ شِئْتَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَاكْتُبْ لَنَا عَلَيْكَ كِتَابًا ‏.‏ قَالَ فَدَعَا بِصَحِيفَةٍ وَدَعَا عَلِيًّا لِيَكْتُبَ وَنَحْنُ قُعُودٌ فِي نَاحِيَةٍ فَنَزَلَ جِبْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ ‏{وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِنْ شَىْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِنْ شَىْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ}‏ ثُمَّ ذَكَرَ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ فَقَالَ ‏{وَكَذَلِكَ فَتَنَّا بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لِيَقُولُوا أَهَؤُلاَءِ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنْ بَيْنِنَا أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِالشَّاكِرِينَ}‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏{وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ }‏ ‏.‏ قَالَ فَدَنَوْنَا مِنْهُ حَتَّى وَضَعْنَا رُكَبَنَا عَلَى رُكْبَتِهِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَجْلِسُ مَعَنَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومُ قَامَ وَتَرَكَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏{وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلاَ تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ}‏ وَلاَ تُجَالِسِ الأَشْرَافَ ‏{تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلاَ تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا}‏ – يَعْنِي عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعَ – ‏{وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا }‏ – قَالَ هَلاَكًا – قَالَ أَمْرُ عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعِ ‏.‏ ثُمَّ ضَرَبَ لَهُمْ مَثَلَ الرَّجُلَيْنِ وَمَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ‏.‏ قَالَ خَبَّابٌ فَكُنَّا نَقْعُدُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَإِذَا بَلَغْنَا السَّاعَةَ الَّتِي يَقُومُ فِيهَا قُمْنَا وَتَرَكْنَاهُ حَتَّى يَقُومَ ‏.‏

খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মহান আল্লাহর বাণী (অনুবাদ) “যারা তাদের প্রতিপালককে সকালে ও সন্ধ্যায় তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ডাকে তাদেরকে তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে, করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভূক্ত হবে” (সূরা আনআমঃ ৫২)। তিনি উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেন, আকরা বিন হাবিস আত-তামীমী ও উইয়ায়নাহ বিন হিসন আল-ফাযারী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলো। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সুহায়ব, বিলাল, আম্মার ও খাব্বাব ( প্রমুখ দরিদ্র অসহায় মুমিনদের সাথে বসা দেখলো। তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চারপাশে তাদের উপবিষ্ট দেখে তাদেরকে হেয় জ্ঞান করলো। তারা তাঁর সান্নিধ্যে এসে একান্তে তাকে বললো, আমরা চাই যে, আপনি আপনার সাথে আমাদের বিশেষ বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন, যাতে আরবরা আমাদের মর্যাদা উপলব্ধি করতে পারে। কেননা আপনার নিকট আরবের প্রতিনিধিদলসমূহ আসে। এই দাসদের সাথে আরবরা আমাদেরকে উপবিষ্ট দেখলে তাতে আমরা লজ্জাবোধ করি। অতএব আমরা যখন আপনার নিকট আসবো তখন আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে উঠিয়ে দিবেন। আমরা আপনার নিকট থেকে বিদায় নেয়ার পর আপনি ইচ্ছা করলে তাদের সাথে বসুন। তিনি বলেনঃ আচ্ছা! দেখা যাক। তারা বললো, আপনি আমাদের জন্য একটি চুক্তিপত্র লিখিয়ে দিন। রাবী বলেন, তিনি কাগজ আনালেন এবং আলী (রাঃ) কে লেখার জন্য ডাকলেন। আমরা এক পাশে বসা ছিলাম। ইত্যবসরে জিবরীল (আ.) এই আয়াত নিয়ে অবতরণ করলেন (অনুবাদ) “যারা তাদের রবকে সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে। করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে “(সূরা আনআমঃ ৫২)। অতঃপর আল্লাহ তাআলা আকরা বিন হাবেস ও উয়াইনা বিন হিসন-এর সম্পর্কে নাযিল করেন (অনুবাদ) “এভাবেই আমি তাদের এক দলকে অন্য দল দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বলে, আমাদের মধ্যে কি এদের প্রতিই আল্লাহ অনুগ্রহ করলেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকেদের সম্পর্কে বিশেষ অবহিত নন?” (সূরা আনআমঃ ৫৩)

অতঃপর আল্লাহ বলেন, “যারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে তারা যখন তোমার নিকট আসে, তখন তুমি তাদের বলোঃ তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। তোমাদের প্রতিপালক দয়া করা তার কর্তব্য বলে স্থির করেছেন” (সূরা আনআমঃ ৫৪)। রাবী বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর আমরা তাঁর এতো নিকটবতী হলাম যে, আমাদের হাঁটু তাঁর হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে বসতেন এবং যখন উঠে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখন আমাদের ছেড়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) “তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখবে তাদের সংসর্গে যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর সন্তোষ লাভের আশায় এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না” (সূরা কাহ্‌ফঃ ২৮) আর তুমি অভিজাতদের সাথে বসো না এবং যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি তার অনুসরণ করো না। যে নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং কাজেকর্মে সীমা অতিক্রম করে (অর্থাৎ উয়াইনা ও আকরা) তার কৃতকর্ম বরবাদ হয়েছে। অতঃপর তিনি তাদের সামনে দু ব্যক্তির দৃষ্টান্ত ও পার্থিব জীবনের উপমা পেশ করেন (সূরা কাহফের ৩২ নং ও ৪৫ নং আয়াত দ্রঃ) খাব্বাব (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বসতাম। যখন তাঁর উঠার সময় হতো তখন আমরা তাঁর আগে উঠে যেতাম, অতঃপর তিনি উঠতেন। [৩৪৫৯]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৫৯] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১২৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا سِتَّةٍ فِيَّ وَفِي ابْنِ مَسْعُودٍ وَصُهَيْبٍ وَعَمَّارٍ وَالْمِقْدَادِ وَبِلاَلٍ ‏.‏ قَالَ قَالَتْ قُرَيْشٌ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنَّا لاَ نَرْضَى أَنْ نَكُونَ أَتْبَاعًا لَهُمْ فَاطْرُدْهُمْ عَنْكَ ‏.‏ قَالَ فَدَخَلَ قَلْبَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْخُلَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ}‏ الآيَةَ ‏.‏

সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ আয়াত আমাদের ছ’জন সম্পর্কে নাজিল হয়েছেঃ আমি, বিন মাসঊদ, সুহাইব, আম্মার, মিকদাদ ও বিলাল (রাঃ)। কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললো, আমরা এসব লোকের সাথে বসতে সম্মত নই। আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে তাড়িয়ে দিন। রাবী বলেন, এ কথা শোনার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অন্তরে আল্লাহর মর্জি একটা ধারণার উদয় হলো। তখন মহান আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “যারা তাদের রবকে সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে, করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে” (সূরা আনআমঃ ৫২)। [৩৪৬০]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৪৬০. মুসলিম ২৪১৩ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/৮. অধ্যায়:

সম্পদশালীদের সম্পর্কে

৪১২৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ وَيْلٌ لِلْمُكْثِرِينَ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ أَرْبَعٌ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَمِنْ قُدَّامِهِ وَمِنْ وَرَائِهِ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রাচুর্যের মালিকদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য, তবে যারা ডানে, বায়ে, সামনে পেছনে (আল্লাহর পথে) নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে তারা ব্যতীত। [৩৪৬১]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬১] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৩০

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي أَبُو زُمَيْلٍ، – هُوَ سِمَاكٌ – عَنْ مَالِكِ بْنِ مَرْثَدٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الأَكْثَرُونَ هُمُ الأَسْفَلُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَكَسَبَهُ مِنْ طَيِّبٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সম্পদশালীরা কিয়ামতের দিন সর্বনিম্ন স্তরে উপনীত হবে। কিন্তু যারা নিজেদের মাল এদিক সেদিক (আল্লাহর পথে) খরচ করে এবং পবিত্র পন্থায় তা উপার্জন করে তারা এর ব্যতিক্রম। [৩৪৬২]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬২] সহীহুল বুখারী ৬৪৪৩, আহমাদ ২০৮৯০ । সহীহাহ ১৭৬৬ ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪১৩১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الأَكْثَرُونَ هُمُ الأَسْفَلُونَ إِلاَّ مَنْ قَالَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিপুল প্রাচুর্যের মালিকরা হলো নীচু স্তরের লোক। তবে যারা বলেছে, এই দিকে ও এই দিকে বিলিয়ে দাও তারা ব্যতীত। তিনি কথাটি তিনবার বলেছেন। [৩৪৬৩]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৩] আহমাদ ৮২৭৭ ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪১৩২

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَا أُحِبُّ أَنَّ أُحُدًا عِنْدِي ذَهَبًا فَتَأْتِي عَلَىَّ ثَالِثَةٌ وَعِنْدِي مِنْهُ شَىْءٌ إِلاَّ شَىْءٌ أُرْصِدُهُ فِي قَضَاءِ دَيْنٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি পচ্ছন্দ করি না যে, উহুদ পর্বত পরিমাণ স্বর্ণ আমার অধিকারে থাক এবং তৃতীয় দিনেও তার কিছু আমার নিকট অবশিষ্ট থাক, তবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছাড়া। [৩৪৬৪]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৪] সহীহুল বুখারী ২৩৮৯ মুসলিম ৯৯১ আহমাদ ৯৬৯৪ । সহীহাহ ২২১১ ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪১৩৩

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ، مُسْلِمِ بْنِ مِشْكَمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ غَيْلاَنَ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ اللَّهُمَّ مَنْ آمَنَ بِي وَصَدَّقَنِي وَعَلِمَ أَنَّ مَا جِئْتُ بِهِ هُوَ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِكَ – فَأَقْلِلْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَحَبِّبْ إِلَيْهِ لِقَاءَكَ وَعَجِّلْ لَهُ الْقَضَاءَ وَمَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِي وَلَمْ يُصَدِّقْنِي وَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ مَا جِئْتُ بِهِ هُوَ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِكَ فَأَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَأَطِلْ عُمْرَهُ ‏”‏ ‏.‏

আমর বিন গায়লান আস-সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান এনেছে, আমার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তা আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্য বলে জ্ঞান করেছে, আপনি তার ধনবল ও জনবল হাস করে দিন, আপনার সাক্ষাত তার জন্য প্রিয় বানিয়ে দিন এবং তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করুন। আর যে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান আনেনি, আমাকে সত্য বলে মেনে নেয়নি এবং আমি যা নিয়ে এসেছি আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্য বলে জ্ঞান করেনি আপনি তার ধনবল ও জনবল বৃদ্ধি করুন এবং তার আয়ুক্ষল বৰ্দ্ধিত করুন। [৩৪৬৫]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৫] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফ আল-জামি‘ ১২১৫ ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا غَسَّانُ بْنُ بُرْزِينَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا غَسَّانُ بْنُ بُرْزِينَ، حَدَّثَنَا سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ السَّلِيطِيِّ، عَنْ نُقَادَةَ الأَسَدِيِّ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى رَجُلٍ يَسْتَمْنِحُهُ نَاقَةً فَرَدَّهُ ثُمَّ بَعَثَنِي إِلَى رَجُلٍ آخَرَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ بِنَاقَةٍ فَلَمَّا أَبْصَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهَا وَفِيمَنْ بَعَثَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نُقَادَةُ فَقُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَفِيمَنْ جَاءَ بِهَا قَالَ ‏”‏ وَفِيمَنْ جَاءَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَحُلِبَتْ فَدَرَّتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَ فُلاَنٍ ‏”‏ ‏.‏ لِلْمَانِعِ الأَوَّلِ ‏”‏ وَاجْعَلْ رِزْقَ فُلاَنٍ يَوْمًا بِيَوْمٍ ‏”‏ ‏.‏ لِلَّذِي بَعَثَ بِالنَّاقَةِ ‏.‏

নুকাদাহ আল-আসাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি উষ্ট্রী ধার আনার জন্য পাঠান। কিন্তু সে তাকে ধাঁর দিলো না। অতঃপর তিনি আমাকে আরেক ব্যক্তির নিকট পাঠান। সে তার জন্য একটি উষ্ট্রী পাঠিয়ে দিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উষ্ট্রীটি দেখে বলেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি এতে বরকত দাও এবং যে ব্যক্তি এটা পাঠিয়েছে তাকেও”। নুকাদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললাম, যে ব্যক্তি এ উষ্ট্রী নিয়ে এসেছে তার জন্যও (দুআ’ করুন)। তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি এটা নিয়ে এসেছে তাকেও (বরকত দান করুন)”। অতঃপর তিনি নির্দেশ দিলে উষ্ট্রীর দুধ দোহন করা হলো এবং তা পরিমাণে পর্যাপ্ত হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আল্লাহ! অমুক ব্যক্তির ধন বৃদ্ধি করুন, যে প্রথম নিষেধকারী। আর যে ব্যক্তি উস্ট্রীটি পাঠিয়েছে তাকে দৈনিক হারে রিযিক দিন”। [৩৪৬৬]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৬] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ৪৮৬৮ ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৩৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَارِ وَعَبْدُ الدِّرْهَمِ وَعَبْدُ الْقَطِيفَةِ وَعَبْدُ الْخَمِيصَةِ إِنْ أُعْطِيَ رَضِيَ وَإِنْ لَمْ يُعْطَ لَمْ يَفِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দীনার ও দিরহামের দাসেরা ধ্বংস হোক, সুদৃশ্য চাদর ও কারুকার্যময় চাদরের দাসেরাও ধ্বংস হোক। তাকে দান করা হলে খুশী হয় এবং না দেয়া হলে (কৃত অঙ্গীকার) পূর্ণ করে না। [৩৪৬৭]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৭] সহীহুল বুখারী ২৮৮৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৩৬

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَارِ وَعَبْدُ الدِّرْهَمِ وَعَبْدُ الْخَمِيصَةِ تَعِسَ وَانْتَكَسَ وَإِذَا شِيكَ فَلاَ انْتَقَشَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দীনার ও দিরহাম ও মূল্যবান চাদরের গোলামেরা ধ্বংস হোক। আল্লাহ এদেরকে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নামের কাঁটার খোঁচা খেয়েও সে বের হতে পারবে না। [৩৪৬৮]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৮] মাজাহ ৪১৩৫, সহীহুল বুখারী ২৮৮৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/৯. অধ্যায়ঃ

অল্পে তুষ্টি

৪১৩৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلَكِنَّ الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পার্থিব সম্পদের প্রাচুর্য থাকলেই ঐশ্বর্যশালী হওয়া যায় না। মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত ঐশ্বর্য।[৩৪৬৯]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৬৯] সহীহুল বুখারী ৬৪৪৬, মুসলিম ১০৫১, তিরমিযী ২৩৭৩, আহমাদ ৭২৭৪, ৭৫০২, ৯৩৬৪, ৯৪২৫, ১০৫৭৫, ১০৫৮২। সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব ৮১৮, তাখরীজুল মুশকিলাহ ১৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৩৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، وَحُمَيْدِ بْنِ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيِّ، أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ، يُخْبِرُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ قَدْ أَفْلَحَ مَنْ هُدِيَ إِلَى الإِسْلاَمِ وَرُزِقَ الْكَفَافَ وَقَنِعَ بِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি ইসলামের দিকে হেদায়েতপ্রাপ্ত হয়েছে, যাকে প্রয়োজন মাফিক রিযিক দান করা হয়েছে এবং যে তাতেই পরিতুষ্ট থাকে, সে-ই সফলকাম হয়েছে।[৩৪৭০]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭০] মুসলিম ১০৫৪, তিরমিযী ২৩৪৮। সহীহাহ ১২৯, তাখরীজুল মুশকিলাহ ১৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৩৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি মুহাম্মাদের পরিবারের জন্য কেবল জীবন ধারণোপযোগী (পরিমাণ) রিযিকের ব্যবস্থা করুন।[৩৪৭১]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭১] সহীহুল বুখারী ৬৪৬০, মুসলিম ১০৫৫, তিরমিযী ২৩৬১। সহীহাহ ১৩০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَيَعْلَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ نُفَيْعٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا مِنْ غَنِيٍّ وَلاَ فَقِيرٍ إِلاَّ وَدَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنَّهُ أُتِيَ مِنَ الدُّنْيَا قُوتًا ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন ধনী-গরীব প্রত্যেকেই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করবে যে, তাদেরকে যদি পৃথিবীতে জীবন ধারনোপযোগী রিযিক দান করা হতো।[৩৪৭২]

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭২] আহমাদ ১১৭৫৩, ১২২৯৯। দঈফাহ ৪৪৭৪, ৪৮৬৯।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৪১৪১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي شُمَيْلَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِحْصَنٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَصْبَحَ مِنْكُمْ مُعَافًى فِي جَسَدِهِ آمِنًا فِي سِرْبِهِ عِنْدَهُ قُوتُ يَوْمِهِ فَكَأَنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا ‏”‏ ‏.‏

উবায়দুল্লাহ বিন মিহসান আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সুস্থদেহে দিনাতিপাত করে, পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয় এবং তার নিকট যদি সারা দিনের খোরাকী থাকে, তাহলে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াই একত্র করা হলো।[৩৪৭৩]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৩] তিরমিযী ২৩৪৬। সহীহাহ ২৩১৮, আত তা’লীকুর রাগীব ২/১২।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ انْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَلاَ تَنْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ فَإِنَّهُ أَجْدَرُ أَنْ لاَ تَزْدَرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ ‏”‏ عَلَيْكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পার্থিব ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে কম সমৃদ্ধশালী লোকেদের প্রতি দৃষ্টি দাও এবং তোমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধশালী লোকদের প্রতি তাকিও না। তাহলে তোমাদেরকে দেয়া আল্লাহর নিয়ামত তোমাদের নিকট তুচ্ছ মনে হবে না।[৩৪৭৪]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৪] মুসলিম ২৯৬৩, তিরমিযী ২৫১৩। রাওদুন নাদীর ৬০৪, দঈফাহ ৬৩৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ إِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَى أَعْمَالِكُمْ وَقُلُوبِكُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক চেহারা ও বিত্ত-বৈভবের প্রতি লক্ষ্য করেন না, বরং তিনি তোমাদের কার্যকলাপ ও অন্তরের দিকে লক্ষ্য রাখেন।[৩৪৭৫]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৫] মুসলিম ২৫৬৪। গায়তুল মারাম ৪১৫, সহীহাহ ২৬৫৬, তাহকীক রিয়াদুস সালিহীন (ভূমিকা) ১৪ নং পৃষ্ঠা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১০. অধ্যায়ঃ

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পরিজনবর্গের জীবন-জীবিকা

৪১৪৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كُنَّا آلَ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَنَمْكُثُ شَهْرًا مَا نُوقِدُ فِيهِ بِنَارٍ مَا هُوَ إِلاَّ التَّمْرُ وَالْمَاءُ ‏.‏ إِلاَّ أَنَّ ابْنَ نُمَيْرٍ قَالَ نَلْبَثُ شَهْرًا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর পরিবারবর্গ এক এক মাস এমনভাবে আতিবাহিত করতাম যে, আমাদের চুলায় আগুন জালাতে পারতাম না। খেজুর ও পানিই হতো আমাদের জীবন ধারণের উপকরণ। বিন নুমাইরের বর্ণনায় “নালবাছু” শব্দ এসেছে “নামকুসু”–এর পরিবর্তে (অর্থ একই)।[৩৪৭৬]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৬] সহীহুল বুখারী ২৫৬৭, ৬৪৫৮, মুসলিম ২৯৭২, তিরমিযী ২৪৭১, আহমাদ ২৩৭১২, ২৩৮৯৯, ২৪০৪০, ২৪২৪৭, ২৪৯৬৩, ২৫৪৭৩। মুখতাসরুশ শামাইল ১১১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ كَانَ يَأْتِي عَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الشَّهْرُ مَا يُرَى فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِهِ الدُّخَانُ ‏.‏ قُلْتُ فَمَا كَانَ طَعَامُهُمْ قَالَتِ الأَسْوَدَانِ التَّمْرُ وَالْمَاءُ غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ لَنَا جِيرَانٌ مِنَ الأَنْصَارِ جِيرَانُ صِدْقٍ وَكَانَتْ لَهُمْ رَبَائِبُ فَكَانُوا يَبْعَثُونَ إِلَيْهِ أَلْبَانَهَا ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَكَانُوا تِسْعَةَ أَبْيَاتٍ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরিজনবর্গের কোন কোন মাস এমনভাবে অতিবাহিত হত যে, তাদের কারো ঘরের চুলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যেত না। আমি (আবূ সালামাহ) জিজ্ঞেস করলাম, তাদের আহার্য কি ছিল? তিনি বলেন, তিনি বলেন, দু’টি কালো জিনিসঃ খেজুর ও পানি। তবে আমাদের আনসারী প্রতিবেশীরা ছিলেন অত্যন্ত সত্যপ্রিয়। তারা বকরী পালতেন এবং বকরীর দুধ উপঢৌকন স্বরূপ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য পাঠাতেন। রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর (রাঃ) বলেন, তাঁর পরিবারবর্গ নয় ঘরে বিভক্ত ছিলো।[৩৪৭৭]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৭] সাহীহুল বুখারী ২৫৬৭, ৬৪৫৮, মুসলিম ২৯৭২, তিরমিযী ২৪৭১, আহমাদ ২৩৭১২, ২৩৮৯৯, ২৪০৪০, ২৪২৪৭, ২৪৯৬৩, ২৫৪৭৩।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪১৪৬

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَلْتَوِي فِي الْيَوْمِ مِنَ الْجُوعِ مَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ مَا يَمْلأُ بِهِ بَطْنَهُ ‏.‏

নু’মান বিন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিনের বেলা ক্ষুধার তাড়নায় পার্শ্ব পরিবর্তন করতে দেখেছি। তিনি তাঁর উদর পূর্তির জন্য এমনকি রদ্দি খেজুরও পেতেন না।[৩৪৭৮]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৮] মুসলিম ২৯৭৮, তিরমিযী ২৩৭২, আহমাদ ১৬০। মুখতাসরুশ শামাইল ১১০, সহীহাহ ২১০৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ مِرَارًا ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَصْبَحَ عِنْدَ آلِ مُحَمَّدٍ صَاعُ حَبٍّ وَلاَ صَاعُ تَمْرٍ ‏”‏ ‏.‏ وَإِنَّ لَهُ يَوْمَئِذٍ تِسْعَ نِسْوَةٍ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজন এমন অবস্থায় ভোরে উপনীত হতো যে, তাদের নিকট এক সা’ খাদ্যশস্য বা এক সা’ খেজুরও থাকতো না। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন।[৩৪৭৯]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৭৯] সাহীহুল বুখারী ২০৬৯, তিরমিযী ১২১৫, আহমাদ ১১৯৫২। সহীহাহ ২৪০৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا أَصْبَحَ فِي آلِ مُحَمَّدٍ إِلاَّ مُدٌّ مِنْ طَعَامٍ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ مَا أَصْبَحَ فِي آلِ مُحَمَّدٍ مُدٌّ مِنْ طَعَامٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুহাম্মাদের পরিবারবর্গ এমন অবস্থায় সকালে উপনীত হতো যে, তাদের নিকট এক মুদ্দ পরিমাণ খাদ্যশস্যও থাকতো না।[৩৪৮০]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৪৯

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الأَكْرَمِ، – رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَكَثْنَا ثَلاَثَ لَيَالٍ لاَ نَقْدِرُ – أَوْ لاَ يَقْدِرُ – عَلَى طَعَامٍ ‏.‏

সুলায়মান বিন সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এলেন এবং তিন রাত আমাদের সঙ্গে অবস্থান করলেন। তখন আমরা তিন দিন যাবত খাদ্যের সংস্থান করতে পারিনি।[৩৪৮১]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫০

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمًا بِطَعَامٍ سُخْنٍ فَأَكَلَ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ ‏ “‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ مَا دَخَلَ بَطْنِي طَعَامٌ سُخْنٌ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সামনে গরম টাটকা খাবার পেশ করা হলো। তিনি আহার করলেন এবং আহার শেষে বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। এতো দিন পর্যন্ত আমার উদরে কখন এরুপ টাটকা উপাদেয় খাদ্য প্রবেশ করেনি।[৩৪৮২]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮২] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ৫৫৫৫, আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১০৯।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১১. অধ্যায়ঃ

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পরিবারবর্গের বিছানা

৪১৫১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو خَالِدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ ضِجَاعُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَدَمًا حَشْوُهُ لِيفٌ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিছানা ছিল চামড়ার তৈরী। তার ভেতরে খেজুর গাছের ছাল ভর্তি ছিলো।[৩৪৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৩] সহীহুল বুখারী ৬৪৫৬, মুসলিম ২০৮২, তিরমিযী ১৭৬১,২৪৬৯, আবু দাউদ ৪১৪৬, ৪১৪৭, আহমাদ ২৩৬৮৯, ২৩৭৭২, ২৩৯৩০, ২৪২৪৭, ২৫২০১, ২৫২৪৫। মুখতাসরুশ শামাইল ২৮২, ২৮৩, সহীহাহ ২১০৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫২

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَتَى عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَهُمَا فِي خَمِيلٍ لَهُمَا – وَالْخَمِيلُ الْقَطِيفَةُ الْبَيْضَاءُ مِنَ الصُّوفِ – قَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَهَّزَهُمَا بِهَا وَوِسَادَةٍ مَحْشُوَّةٍ إِذْخِرًا وَقِرْبَةٍ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী ও ফাতিমা (রাঃ) -এর নিকট এলেন। তখন তারা তাদের একটি সাদা পশমী চাদরে আবৃত ছিলেন। তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বিবাহের উপঢৌকন স্বরূপ দিয়েছিলেন। তিনি আরও দিয়েছিলেন ইযখির ঘাস ভর্তি একটি বালিশ এবং পানির একটি মশক।[৩৪৮৪]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৪] নাসায়ী ৩৩৮৪। তাখরীজুল মুখতার ৪৪২-৪৪৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَبَّاسِ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى حَصِيرٍ قَالَ فَجَلَسْتُ فَإِذَا عَلَيْهِ إِزَارٌ وَلَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُهُ وَإِذَا الْحَصِيرُ قَدْ أَثَّرَ فِي جَنْبِهِ وَإِذَا أَنَا بِقَبْضَةٍ مِنْ شَعِيرٍ نَحْوَ الصَّاعِ وَقَرَظٍ فِي نَاحِيةٍ فِي الْغُرْفَةِ وَإِذَا إِهَابٌ مُعَلَّقٌ فَابْتَدَرَتْ عَيْنَاىَ فَقَالَ ‏”‏ مَا يُبْكِيكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَمَا لِيَ لاَ أَبْكِي وَهَذَا الْحَصِيرُ قَدْ أَثَّرَ فِي جَنْبِكَ وَهَذِهِ خِزَانَتُكَ لاَ أَرَى فِيهَا إِلاَّ مَا أَرَى وَذَلِكَ كِسْرَى وَقَيْصَرُ فِي الثِّمَارِ وَالأَنْهَارِ وَأَنْتَ نَبِيُّ اللَّهِ وَصَفْوَتُهُ وَهَذِهِ خِزَانَتُكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ أَلاَ تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَنَا الآخِرَةُ وَلَهُمُ الدُّنْيَا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি তখন খেজুর পাতার চাটাইয়ের উপর শোয়া ছিলেন। আমি বসে পড়লাম। তাঁর পরিধানে ছিলো একটি লুঙ্গি। এছাড়া আর কোন বস্ত্র তাঁর পরিধানে ছিলো না। তাঁর পাঁজরে চাটাইয়ের দাগ বসে গিয়েছিলো। আমি দেখলাম যে তাঁর ঘরের এক কোনে ছিলো প্রায় একসা গম, বাবলা গাছের কিছু পাতা এবং ঝুলন্ত একটি পানির মশক। এ অবস্থা দেখে আমার দু’চোখে অশ্রু প্রবাহিত হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! তুমি কাঁদছো কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি কেন কাদবোনা! এই চাটাই আপনার পাঁজরে দাগ কেটে দিয়েছে, আর এই হচ্ছে আপনার ধনভাণ্ডার, এতে যা আছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। এই কিসরা (পারস্যরাজ) ও কায়সার (রোম সম্রাট) বিরাট বিরাট উদ্যান ও ঝর্ণা সমৃদ্ধ অট্টালিকায় বিলাস-ব্যসনে জীবন-যাপন করছে। আর আপনি হলেন আল্লাহর নবী এবং তাঁর মনোনীত প্রিয় বান্দা। আর আপনার ধনভাণ্ডারের অবস্থা এই। তিনি বলেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমাদের জন্য রয়েছে আখেরাতের স্থায়ী সুখ-শান্তি এবং ওদের জন্য রয়েছে পার্থিব ভোগবিলাস? আমি বললাম, হাঁ।[৩৪৮৫]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১১৪।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ أُهْدِيَتِ ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَىَّ فَمَا كَانَ فِرَاشُنَا لَيْلَةَ أُهْدِيَتْ إِلاَّ مَسْكَ كَبْشٍ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যাকে যেদিন আমার ঘরে তুলে আনা হলো সেদিন রাতে আমাদের বিছানা ছিলো ছাগলের চামড়া।[৩৪৮৬]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১২. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাহাবীগণের জীবন-জীবিকা।

৪১৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْمُرُ بِالصَّدَقَةِ فَيَنْطَلِقُ أَحَدُنَا يَتَحَامَلُ حَتَّى يَجِيءَ بِالْمُدِّ وَإِنَّ لأَحَدِهِمُ الْيَوْمَ مِائَةَ أَلْفٍ ‏.‏ قَالَ شَقِيقٌ كَأَنَّهُ يُعَرِّضُ بِنَفْسِهِ ‏.‏

আবূ মাসঊদ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দান-খয়রাত করার নির্দেশ দিতেন। তাই আমাদের কেউ শ্রমিকের কাজ করতে যেতেন এবং এক মুদ্দ উপার্জন করে নিয়ে আসতেন (অতঃপর তা থেকে দান-খয়রাত করতেন)। আর আজকের দিনে তাদের কেউ কেউ লাখো দিরহামের মালিক। শাকীক (রাঃ) বলেন, তিনি উক্ত কথা দ্বারা নিজের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।[৩৪৮৭]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৭] সাহীহুল বুখারী ২২৭৩, ৪৬৬৮, ৪৬৬৯, মুসলিম ১০১৮, নাসায়ী ২৫২৯, ২৫৩০, আহমাদ ২১৮৪১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ، سَمِعَهُ مِنْ، خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا لَنَا طَعَامٌ نَأْكُلُهُ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا ‏.‏

খালিদ বিন উমায়র (মাকবূল) থেকে বর্ণিতঃ

উতবাহ বিন গায্‌ওয়ান (রাঃ) মিম্বারে দাঁড়িয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সাতজনের মধ্যে সপ্তমজন ছিলাম। গাছের পাতা ছাড়া আমাদের আহারের জন্য আমাদের সাথে আর কিছু ছিলো না। শেষে আমাদের মাড়ির ছাল উঠে গিয়েছিলো।[৩৪৮৮]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৮] মুসলিম ২৯৬৭, আহমাদ ১৭১২৪, ২০০৮৬। মুখতাসরুশ শামাইল ১১৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُرَيْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُمْ أَصَابَهُمْ جُوعٌ وَهُمْ سَبْعَةٌ قَالَ فَأَعْطَانِي النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَبْعَ تَمَرَاتٍ لِكُلِّ إِنْسَانٍ تَمْرَةٌ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা সাতজন চরম অনাহারের শিকার হলেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি করে খেজুর দেয়ার জন্য আমাকে মোট সাতটি খেজুর দিলেন।[৩৪৮৯]

তাহকীক আলবানীঃ (আরবী) বাক্যটি ব্যতীত সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৮৯] সহীহুল বুখারী ৫৪১১, আহমাদ ৮১০২, ৮৪১৯, ৯১০৯। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১২১, ১২২।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৪১৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏{ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ}‏ قَالَ الزُّبَيْرُ وَأَىُّ نَعِيمٍ نُسْأَلُ عَنْهُ وَإِنَّمَا هُوَ الأَسْوَدَانِ التَّمْرُ وَالْمَاءُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَمَا إِنَّهُ سَيَكُونُ ‏”‏

যুবায়র ইবনুল আওওয়াম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন “এরপর অবশ্যই সেদিন তোমাদেরকে নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে” (সূরা তাকাসুরঃ ৮) শীর্ষক আয়াত নাযিল হলো, তখন যুবাইর (রাঃ) বলেন, আমাদের নিকট এমন কী নিআমাত আছে যে সম্পর্কে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? আমাদের নিকট দু’টি কালো জিনিস অর্থাৎ খেজুর ও পানি আছে। তিনি বলেনঃ তা অচিরেই (তোমাদের হস্তগত) হবে।[৩৪৯০]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৪৯০] তিরমিযী ৩৩৫৬।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৫৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ ثَلاَثُمِائَةٍ نَحْمِلُ أَزْوَادَنَا عَلَى رِقَابِنَا فَفَنِيَ أَزْوَادُنَا حَتَّى كَانَ يَكُونُ لِلرَّجُلِ مِنَّا تَمْرَةٌ ‏.‏ فَقِيلَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَأَيْنَ تَقَعُ التَّمْرَةُ مِنَ الرَّجُلِ فَقَالَ لَقَدْ وَجَدْنَا فَقْدَهَا حِينَ فَقَدْنَاهَا وَأَتَيْنَا الْبَحْرَ فَإِذَا نَحْنُ بِحُوتٍ قَدْ قَذَفَهُ الْبَحْرُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের তিনশত লোককে (এক সামরিক অভিযানে) পাঠান। আমরা আমাদের রসদপত্র নিজ নিজ কাঁধে বহন করেছিলাম। আমাদের খাদ্য প্রায় ফুরিয়ে এলো। আমাদের মাথাপিছু একটি করে খেজুর থাকলো। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আবূ আবদুল্লাহ! একটি মাত্র খেজুরে একজন লোকের কি হতো? তিনি বলেন, যখন মাথাপিছু একটি করে খেজুরও শেষ হয়ে গেলো, তখন আমরা এর কদর বুঝতে পারলাম। আমরা সমুদ্র তীরে উপনীত হয়ে তথায় একটি বিরাটাকায় মাছ দেখতে পেলাম, যেটিকে সমুদ্র তরঙ্গ তীরে নিক্ষেপ করেছিল। আমরা আঠারো দিন ধরে সেই মাছটি আহার করলাম।[৩৪৯১]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯১] সহীহুল বুখারী ২৪৮৩, মুসলিম ১৯৩৫, তিরমিযী ২৪৭৫, নাসারী ৪৩৫১, ৪৩৫২, ৪৩৫৩, ৪৩৫৪, আহমদ ১৩৮৭৪, ১৩৯০৩, ১৩৯২৬, মুওআত্তা মালিক ১৭৩০, দারিমী ২০১২। গায়াতুল মারাম ২৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১৩. অধ্যায়ঃ

ইমারত নির্মাণ ও ধ্বংস

৪১৬০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي السَّفَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ مَرَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ نُعَالِجُ خُصًّا لَنَا فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ خُصٌّ لَنَا وَهَى نَحْنُ نُصْلِحُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا أُرَى الأَمْرَ إِلاَّ أَعْجَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমরা আমাদের একটি কুঁড়েঘর মেরামত করছিলাম। তিনি বলেনঃ এটা কী? আমি বললাম, আমাদের কুঁড়েঘর। সেটি আমরা মেরামত করছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তো দেখছি মৃত্যু তার চেয়েও দ্রুত এসে যাচ্ছে।[৩৪৯২]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯২] তিরমিযী ২৩৩৫, আবূ দাউদ ৫২৩৫। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/১৩২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬১

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِقُبَّةٍ عَلَى بَابِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا قُبَّةٌ بَنَاهَا فُلاَنٌ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ كُلُّ مَالٍ يَكُونُ هَكَذَا فَهُوَ وَبَالٌ عَلَى صَاحِبِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَبَلَغَ الأَنْصَارِيَّ ذَلِكَ فَوَضَعَهَا فَمَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَعْدُ فَلَمْ يَرَهَا فَسَأَلَ عَنْهَا فَأُخْبِرَ أَنَّهُ وَضَعَهَا لِمَا بَلَغَهُ عَنْكَ فَقَالَ ‏”‏ يَرْحَمُهُ اللَّهُ يَرْحَمُهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসারীর গোলাকার ঘরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কী? তারা বলেন, এটা অমুকের তৈরি একটি গোলাকার ঘর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এরূপ যেকোনো সম্পদ কিয়ামতের দিন তার মালিকের জন্য বিপদের কারণ হবে। এ কথা আনসারীর নিকট পৌঁছলে তিনি ঘরখানি ভেঙ্গে ফেলেন। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই পথে যেতে ঘরটি না দেখতে পেয়ে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তাঁকে জানানো হলো, আপনার কথা তার কানে পৌঁছার পর সে তা ভেঙ্গে ফেলেছে। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন।[৩৪৯৩]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯৩] আবূ দাউদ ৫২৩৭। আত তালীকুর রাগীব ৩/৫৬, দাঈফাহ ১৭৬।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، عَنْ أَبِيهِ، سَعِيدٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَنَيْتُ بَيْتًا يُكِنُّنِي مِنَ الْمَطَرِ وَيُكِنُّنِي مِنَ الشَّمْسِ مَا أَعَانَنِي عَلَيْهِ خَلْقُ اللَّهِ تَعَالَى ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নিজেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে (স্বপ্নে) দেখতে পেলাম যে, আমি রোদ-বৃষ্টি থেকে আশ্রয়ের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করছি। কিন্তু মহান আল্লাহর সৃষ্টির কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি।[৩৪৯৪]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯৪] সহীহুল বুখারী ৬৩০২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬৩

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، قَالَ أَتَيْنَا خَبَّابًا نَعُودُهُ فَقَالَ لَقَدْ طَالَ سُقْمِي وَلَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ لاَ تَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ ‏”‏ ‏.‏ لَتَمَنَّيْتُهُ وَقَالَ ‏”‏ إِنَّ الْعَبْدَ لَيُؤْجَرُ فِي نَفَقَتِهِ كُلِّهَا إِلاَّ فِي التُّرَابِ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ فِي الْبِنَاءِ ‏”‏ ‏.‏

খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা অসুস্থ খাব্বাব (রাঃ) কে দেখতে এলাম। তখন তিনি বলেন, আমার অসুস্থাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যদি আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে না শুনতামঃ “তোমরা মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করো না”, তাহলে অবশ্যই আমি মৃত্যু কামনা করতাম। তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয় বান্দা তার প্রতিটি ব্যয়ের জন্য প্রতিদান পাবে, মাটিতে ব্যয় করার বা ইমারত নির্মাণ ব্যয় ব্যতীত।[৩৪৯৫]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৪৯৫] তিরমিযী ৯৭০, আহমাদ ২০৫৫০। মিশকাত ৫৬৮২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১৪. অধ্যায়ঃ

তাওয়াক্কুল (আল্লাহ ভরসা) ও ইয়াকীন (দৃঢ় প্রত্যয়)

৪১৬৪

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لَوْ أَنَّكُمْ تَوَكَّلْتُمْ عَلَى اللَّهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا ‏”‏ ‏.‏

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যদি তোমারা যথার্থই আল্লাহর উপর ভরসা করতে, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমাদেরকে পাখির মত রিযিক দান করতেন। ভোরবেলা পাখিরা খালিপেটে (বাসা থেকে) বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যাবেলা উদর পূর্তি করে (বাসায়) ফিরে আসে।[৩৪৯৬]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯৬] তিরমিযী ২৩৪৪,আহমাদ ৩৭২। তাখরীজুল মুখতার ২১৭,২১৮। সহীহাহ ৩১০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَلاَّمِ بْنِ شُرَحْبِيلَ أَبِي شُرَحْبِيلَ، عَنْ حَبَّةَ، وَسَوَاءٍ، ابْنَىْ خَالِدٍ قَالاَ دَخَلْنَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يُعَالِجُ شَيْئًا فَأَعَنَّاهُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ تَيْأَسَا مِنَ الرِّزْقِ مَا تَهَزَّزَتْ رُءُوسُكُمَا فَإِنَّ الإِنْسَانَ تَلِدُهُ أُمُّهُ أَحْمَرَ لَيْسَ عَلَيْهِ قِشْرٌ ثُمَّ يَرْزُقُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

খালিদের পুত্রদ্বয় হাব্বাহ ও সাওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট প্রবেশ করলাম। তখন তিনি কিছু মেরামত করছিলেন। আমরা তাঁকে তাতে সহায়তা করলাম। তিনি বলেনঃ যতক্ষন তোমাদের মাথা সুস্থ থাকবে (তোমরা জীবিত থাকবে) , তোমরা রিযিকের ব্যাপারে নিরাশ হয়ো না। মানুষকে তো তার মা রক্তাপ্লুত ও ক্ষীণ চামড়াযুক্ত অবস্থায় প্রসব করে, সেই অবস্থায়ও মহান আল্লাহ তাকে রিযিক দান করেন।[৩৪৯৭]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯৭] আহমাদ ১৫৪২৮।দঈফাহ ৪৭৯৮, দঈফ আল-জামি’ ৬২৮১।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو شُعَيْبٍ، صَالِحُ بْنُ رُزَيْقٍ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُمَحِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مِنْ قَلْبِ ابْنِ آدَمَ بِكُلِّ وَادٍ شُعْبَةً فَمَنِ اتَّبَعَ قَلْبُهُ الشُّعَبَ كُلَّهَا لَمْ يُبَالِ اللَّهُ بِأَىِّ وَادٍ أَهْلَكَهُ وَمَنْ تَوَكَّلَ عَلَى اللَّهِ كَفَاهُ التَّشَعُّبَ ‏”‏ ‏.‏

আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আদম সন্তানের অন্তরের প্রতিটি ময়দানে অনেক পথ রয়েছে। যে ব্যক্তি তার অন্তরের প্রতিটি ময়দানের সকল পথ অনুসরণ করে, আল্লাহ তাকে যে কোন ময়দানে ধ্বংস করতে পরোয়া করেন না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, সে সর্বপ্রকার পথ থেকে মুক্তি পায়।[৩৪৯৮]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫৩০৯।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَمُوتَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلاَّ وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন অবশ্যই আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা ব্যতিরেকে মারা না যায়।[৩৪৯৯]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪৯৯] মুসলিম ২৮৭৭, আবূ দাউদ ৩১১৩, আহমাদ ১৩৭১১,১৩৯৭৭,১৪০৭২,১৪১২৩,১৪১৭০,১৪৭৭৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَلاَ تَعْجِزْ فَإِنْ غَلَبَكَ أَمْرٌ فَقُلْ قَدَّرَ اللَّهُ وَمَا شَاءَ فَعَلَ وَإِيَّاكَ وَاللَّوْ فَإِنَّ اللَّوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শক্তিমান মুমিন ব্যক্তি দুর্বল মুমিন ব্যক্তির তুলনায় উত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যে কল্যাণ আছে। তোমাদের জন্য উপকারী প্রতিটি উত্তম কাজের প্রতি আগ্রহী হও এবং অলস বা গাফিল হয়ো না। কোন কাজ তোমাকে পরাভূত করলে তুমি বলো, আল্লাহ নির্দ্ধারণ করেছেন এবং নিজ মর্জি মাফিক করে রেখেছেন। “যদি” শব্দ সম্পর্কে সাবধান থাকো। কেননা “যদি” শয়তানের কর্মের পথ উম্মুক্ত করে।[৩৫০০]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০০] মুসলিম ২৬৬৪,আহমাদ ৮৫৭৩,৮৬১১।যিলাযুল জান্নাহ ৩৫৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১৫. অধ্যায়ঃ

হিকমত ( প্রজ্ঞা)

৪১৬৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْكَلِمَةُ الْحِكْمَةُ ضَالَّةُ الْمُؤْمِنِ حَيْثُمَا وَجَدَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা মু‘মিনের হারানো ধন। সুতরাং সে যেখানেই তা পাবে, সে-ই হবে তার অধিকারী।[৩৫০১]

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০১] তিরমিযী ২৬৮৬। মিশকাত ২১৬।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৪১৭০

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এমন দু’টি নিয়ামত আছে যে ব্যাপারে অধিকাংশ লোক ধোঁকায় পতিতঃ সুস্বাস্থ্য ও সুসময় বা অবসর।[৩৫০২]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০২] সহীহুল বুখারী ৬৪১২, তিরমিযী ২৩০৪, আহমাদ ২৩৩৬, ৩১৯৭, দারিমী ২৭০৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ جُبَيْرٍ، – مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ – عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي وَأَوْجِزْ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِذَا قُمْتَ فِي صَلاَتِكَ فَصَلِّ صَلاَةَ مُوَدِّعٍ وَلاَ تَكَلَّمْ بِكَلاَمٍ تَعْتَذِرُ مِنْهُ وَأَجْمِعِ الْيَأْسَ عَمَّا فِي أَيْدِي النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ আয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সংক্ষেপে শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ যখন তুমি তোমার নামাযে দাঁড়াবে, তখন এমনভাবে নামায পড়ো, যেন এটাই তোমার শেষ নামায। তুমি এমন কথা বলো না, যার জন্য তোমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে। আর মানুষের হাতে যা আছে তা থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতজ্ঞ হও।[৩৫০৩]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০৩] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৪০০।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَثَلُ الَّذِي يَجْلِسُ يَسْمَعُ الْحِكْمَةَ ثُمَّ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ صَاحِبِهِ إِلاَّ بِشَرِّ مَا يَسْمَعُ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى رَاعِيًا فَقَالَ يَا رَاعِي أَجْزِرْنِي شَاةً مِنْ غَنَمِكَ ‏.‏ قَالَ اذْهَبْ فَخُذْ بِأُذُنِ خَيْرِهَا ‏.‏ فَذَهَبَ فَأَخَذَ بِأُذُنِ كَلْبِ الْغَنَمِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মজলিসে বসে প্রজ্ঞাপূর্ণ কথাগুলো গোপন রাখলো, সে এমন এক ব্যক্তির সাথে তুলনীয় যে কোন রাখালের নিকট গিয়ে বললো, হে রাখাল! তোমার পাল থেকে আমাকে একটি বকরী দাও। রাখাল বললো, তুমি যাও এবং তোমার পছন্দমত পালের মধ্যকার উত্তম বকরীটি নাও। কিন্তু সে গিয়ে বকরীর পালের (পাহারারত) কুকুরের কান ধরে নিয়ে এল।[৩৫০৪]

[উপরক্ত হাদীসের মোট দুটি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সনদ টি হলোঃ]

৫/৪১৭২ (১) আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , সূত্রে সামান্য শাব্দিক পার্থক্যসহ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[৩৫০৪]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০৪] আহমাদ ৮৪২৫,৯০০৭,১০২২৮। দঈফাহ ১৭৬১, দঈফ আল-জামি’ ৫২৪৯।

উক্ত হাদীস এর রাবী ১, আলী বিন যায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তার হাদীস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বাল ও ইয়াহইয়া বিন মঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়া’কুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০,২০/৪৩৪নং পৃষ্ঠা) । ২, আওস বিন খালিদ সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি কুফরী নয় এমন কাওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১৬. অধ্যায়ঃ

অহমিকা বর্জন এবং বিনয়-নম্রতা অবলম্বন

৪১৭৩

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ كِبْرٍ وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও (সামান্যতম) অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।[৩৫০৫]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০৫] মুসলিম ১৩১, তিরমিযী ১৯৯৮, আবূ দাউদ ৪০৯১, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩,৩৯৩৭, ৪২৯৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭৪

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ الْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي وَالْعَظَمَةُ إِزَارِي مَنْ نَازَعَنِي وَاحِدًا مِنْهُمَا أَلْقَيْتُهُ فِي جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার আমার চাদর, মহানত্ব আমার লুঙ্গি। কেউ এ দু’টির কোন একটি নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করলে, আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।[৩৫০৬]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৫০৬] মুসলিম ২৬২০, আবূ দাউদ ৪০৯০, আহমাদ ৭৩৩৫,৮৬৭৭,৯০৯৫,৯২২৪,৯৪১০। রাওদুন নাদীর ৬৭৭, সহীহাহ ৫৪১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَهَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ الْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي وَالْعَظَمَةُ إِزَارِي فَمَنْ نَازَعَنِي وَاحِدًا مِنْهُمَا أَلْقَيْتُهُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার আমার চাদর, মহানত্ব আমার লুঙ্গি। কেউ এ দু’টির কোন একটি নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করলে , আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।[৩৫০৭]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০৭] হাদীস টি ইমাম ইবনু মাজাহ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭৬

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ دَرَّاجًا، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ يَتَوَاضَعْ لِلَّهِ سُبْحَانَهُ دَرَجَةً يَرْفَعْهُ اللَّهُ بِهِ دَرَجَةً وَمَنْ يَتَكَبَّرْ عَلَى اللَّهِ دَرَجَةً يَضَعْهُ اللَّهُ بِهِ دَرَجَةً حَتَّى يَجْعَلَهُ فِي أَسْفَلِ السَّافِلِينَ ‏”‏ ‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এক স্তর বিনয়ী হবে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর উঁচু করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরূদ্ধে এক স্তর অহংকার করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর নীচু করে দিবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তাকে হীনতাগ্রস্তদের মধ্যে হীনতমে পরিণত করবেন।[৩৫০৮]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩৫০৮] আহমাদ ২৭৩২৪। দঈফ আল-জামি ৫৮৮৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭৭

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، وَسَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ إِنْ كَانَتِ الأَمَةُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَتَأْخُذُ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَا يَنْزِعُ يَدَهُ مِنْ يَدِهَا حَتَّى تَذْهَبَ بِهِ حَيْثُ شَاءَتْ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي حَاجَتِهَا ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মদীনার কোন দাসী নিজ প্রয়োজনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাত ধরে তাঁকে নিজ ইচ্ছামতো মদিনার কোন স্থানে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিতেন না (তার সাথে যেতেন)।[৩৫০৯]

তাহকিক আলবানিঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫০৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মুখতাসরুশ শামাইল ২৮৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُسْلِمٍ الأَعْوَرِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَعُودُ الْمَرِيضَ وَيُشَيِّعُ الْجِنَازَةَ وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ وَكَانَ يَوْمَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ عَلَى حِمَارٍ وَيَوْمَ خَيْبَرَ عَلَى حِمَارٍ مَخْطُومٍ بِرَسَنٍ مِنْ لِيفٍ وَتَحْتَهُ إِكَافٌ مِنْ لِيفٍ ‏”‏ ‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুগ্নকে দেখতে যেতেন, জানাযায় শরীক হতেন, ক্রীতদাসের দাওয়াত কবুল করতেন এবং গাধার পিঠে সওয়ার হতেন। তিনি বনূ কুরায়যা ও বনূ নাযীরে যুদ্ধের দিন একটি গাধার পিঠে আরোহিত ছিলেন। খায়বারের যুদ্ধের দিনও তিনি নাসারন্ধ্রে খেজুর গাছের বাকলের তৈরী লাগাম বাঁধা গাধায় সওয়ার ছিলেন। তার নিচে ছিল খেজুর গাছের বাকলের আঁশ দ্বারা তৈরী গদি।[৩৫১০]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১০] তিরমিযী ১০১৭। মুখতাসরুশ শামাইল ২৮৬।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৭৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ خَطَبَهُمْ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَوْحَى إِلَىَّ أَنْ تَوَاضَعُوا حَتَّى لاَ يَفْخَرَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াদ বিন হিমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং বললেনঃ মহামহিম আল্লাহ আমার নিকট ওহী প্রেরন করেন যে, তোমরা বিনয়ী হও, নম্রতা অবলম্বন করো, এমনকি একজন যেন অপরজনের উপর অহংকার প্রকাশ না করে।[৩৫১১]

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১১] মুসলিম ২৮৬৫ , আবূ দাউদ ৪৮৯৫। সহীহাহ ৫৭০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১/১৭. অধ্যায়ঃ

লজ্জাশীলতা

৪১৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عُتْبَةَ، – مَوْلًى لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ – عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَشَدَّ حَيَاءً مِنْ عَذْرَاءَ فِي خِدْرِهَا وَكَانَ إِذَا كَرِهَ شَيْئًا رُئِيَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্দানশীল কুমারীর চেয়েও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। তিনি কোন জিনিস অপছন্দ করলে তা তাঁর চেহারায় প্রতিভাত হতো বা তাঁর চেহারা দেখেই বোঝা যেতো।[৩৫১২]

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১২] সহীহূল বুখারী ৩৫৬২, মুসলিম ২৩২০, আহমাদ ১১৩৩৯, ১১৪২৩, ১১৪৫২, ১১৪৬৪। মুখতাসরুশ শামাইল ৩০৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৮১

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ لِكُلِّ دِينٍ خُلُقًا وَخُلُقُ الإِسْلاَمِ الْحَيَاءُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি ধর্মেরই একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। আর ইসলামের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো ‘লজ্জাশীলতা’।[৩৫১৩]

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১৩] হাদীস টি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৯৪০, রাওদুন নাদীর ৪১ ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৮২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَرَّاقُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ لِكُلِّ دِينٍ خُلُقًا وَإِنَّ خُلُقَ الإِسْلاَمِ الْحَيَاءُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয় প্রতিটি ধর্মের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। ইসলামের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো ‘লজ্জাশীলতা’।[৩৫১৪]

তাহকিক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১৪] হাদীস টি ইমাম ইবনু মাজাহ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৮৩

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مِمَّا أَدْرَكَ النَّاسُ مِنْ كَلاَمِ النُّبُوَّةِ الأُولَى إِذَا لَمْ تَسْتَحِي فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ ‏”‏ ‏

আবূ মাসঊদ উকবাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষ পূর্ববর্তী নবীগণের বাণী থেকে যা পেয়েছে তার মধ্যে আছে, “তোমার লজ্জা-শরম না থাকলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারো”।[৩৫১৫]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১৫] সহীহূল বুখারী ৩৪৮৩, ৩৪৮৪, ৬১২০, আবূ দাঊদ ৪৭৯৭, আহমাদ ১৬৬৪১, ১৬৬৫৮, ২১৮৪০। ইরওইয়া’ ২৬৭৩, সহী হাহ ৬৮৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৮৪

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْحَيَاءُ مِنَ الإِيمَانِ وَالإِيمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَالْبَذَاءُ مِنَ الْجَفَاءِ وَالْجَفَاءُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ। আর ঈমানের অবস্থান হল জান্নাতে। আর অশ্লীলতা হল অত্যাচার (জুলুম) , আর অত্যাচার থাকবে জাহান্নামে।[৩৫১৬]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১৬] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রাওদুন নদীর ৭৪৪, সহীহাহ ৪৯৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১৮৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَىْءٍ قَطُّ إِلاَّ شَانَهُ وَلاَ كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَىْءٍ قَطُّ إِلاَّ زَانَهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা কোন বস্তুর কেবল কদর্যতাই বৃদ্ধি করে এবং লজ্জা-শরম কোন জিনিসের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে।[৩৫১৭]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫১৭] তিরমিযী ১৯৭৪। আত তা’লীকুর রাগীব ৩/২৫৫, মিশকাত ৪৮৫৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস