ইবনে মাজাহ হজ্জ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৮৮২ – ২৯৬০

১৯/১. অধ্যায়ঃ

হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া

২৮৮২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَأَبُو مُصْعَبٍ الزُّهْرِيُّ وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنَ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ فَإِذَا قَضَى أَحَدُكُمْ نَهْمَتَهُ مِنْ سَفَرِهِ فَلْيُعَجِّلِ الرُّجُوعَ إِلَى أَهْلِهِ ‏”‏ ‏.‏

 

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সফর শাস্তিরই একটি টুকরা। তা তোমাদের যে কোন ব্যক্তির ঘুম ও পানাহারকে বাধাগ্রস্ত করে। তোমাদের যে কেউ সফরে নিজ প্রয়োজন পূরণ হওয়ার সাথে সাথে যেন অবিলম্বে বাড়ি ফিরে আসে।

 

[উপরোক্ত হাদীসে মোট ৪টি সানাদের ৩টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলো:]

 

২/২৮৮২ (১) . আবূ হুরায়রা (রাঃ) , নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। [২৮৮২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮২] সহীহুল বুখারী ১৮০৪, মুসলিম ১৯২৭, আহমাদ ৭১৮৪, ৯৪৪৭, ১০০৬৮, মুওয়াত্তা’ মালিক ১৮৩৫, দারিমী ২৬৭০। রাওদুন নাদীর ৭৭৪। উক্ত হাদীসের রাবী ১. ইয়া’কূব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা’ফার উকায়লী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২.৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী ব্লেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. সুহায়ল বিন আবূ সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উইয়ায়নাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তার বর্ণিত হাদীস সহীহ নয়। ইমাম নাসায়ী বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবূল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্র বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদীসটির ১৩৮টি শাওয়াহিদ রয়েছে। তন্মধ্যে ১টি জাল, ১১টি খুবই দুর্বল, ৪৮টি দুর্বল, ৬৩টি হাসান, ১৫টি সহীহ হাদীস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ বুখারী ১৮০৪, ৩০০১, ৫৪২৯, মুসলিম ৭১৫, দারিমী ২৬৭০, মুওয়াত্তা’ মালিক ১৮৩৫, আহমাদ ৭১৮৪, ৯৪৪৭, ১০০৬৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ২৭০৮, আল-ফাওয়াইদ ১১৩৫, ১১৩৬. শারহুস সুন্নাহ ২৬৮৭, ২৬৮৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৮৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ، – أَوْ أَحَدِهِمَا عَنِ الآخَرِ، – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ فَإِنَّهُ قَدْ يَمْرَضُ الْمَرِيضُ وَتَضِلُّ الضَّالَّةُ وَتَعْرِضُ الْحَاجَةُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনুল আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জের সংকল্প করে সে যেন অবিলম্বে তা আদায় করে। কারণ মানুষ কখনও আসুস্থ হয়ে যায়, কখনও প্রয়োজনীয় জিনিস বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কখনও অপরিহার্য প্রয়োজন সামনে এসে যায়। [২৮৮৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৩] আবূ দাউদ ১৭৩২ আহমাদ ১৮৩৬, ১৯৭৪, ২৯৬৬, ৩৩৩০, দারেমী ১৭৮৪, মিশকাত ৯৯০, ইরওয়া ৯৯০, সহিহ আবু দাউদ ১৫২২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২. অধ্যায়ঃ

হজ্জ ফারদ হওয়ার বিবরণ

২৮৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ وَرْدَانَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏{‏وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً‏}‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ عَامٍ فَسَكَتَ ثُمَّ قَالُوا أَفِي كُلِّ عَامٍ فَقَالَ ‏”‏ لاَ وَلَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ ‏”‏ ‏.‏ فَنَزَلَتْ ‏{‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ ‏}‏‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন এ আয়াত নাযিল হলো (অনুবাদ) : “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য” (সূরা আল ইমরান : ৯৭) , তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! প্রতি বছরই কি হজ্জ ফারদ? তিনি নিরুত্তর থাকলেন। পুনরায় তারা বলেন, প্রতি বছরই কি? তিনি বলেন, না। কিন্তু আমি যদি বলতাম, হাঁ, তবে তদ্রুপই ওয়াজিব হতো। অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করো না যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে…” (সুরা মাইদাহ: ১০১)। [২৮৮৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৪] তিরমিযী ৮১৪, ইরওয়া ৪/১৫০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন আবদুল আ’লা সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম বুখারী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৯৯, ২০/৪৯৬ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল আ’লা সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবদুর রহমান বিন মাহদী তাকে বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৮৪, ১৯/১৫৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৮৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ عَامٍ قَالَ ‏ “‏ لَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَوْ وَجَبَتْ لَمْ تَقُومُوا بِهَا وَلَوْ لَمْ تَقُومُوا بِهَا عُذِّبْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, হে আলাহর রাসূল! প্রতি বছরই কি হজ্জ ফারদ? তিনি বলেনঃ আমি যদি বলি হাঁ, তবে তা অবশ্যই ওয়াজিব (ফারদ) হতো। আর যদি তা ওয়াজিব হতো তবে তোমরা তা আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়তে। আর তোমরা যদি তা আদায় করতে না পারতে তবে তোমাদের শাস্তি দেয়া হতো। [২৮৮৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৪/১৫১, মিশকাত ২৫২০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৮৬

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَوْ مَرَّةً وَاحِدَةً قَالَ ‏ “‏ بَلْ مَرَّةً وَاحِدَةً فَمَنِ اسْتَطَاعَ فَتَطَوُّعٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল-আকরা’ বিন হাসিব (রাঃ) মহানবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কি প্রতি বছর, না মাত্র একবার? তিনি বলেনঃ বরং একবার মাত্র। অতঃপর এর অধিক করার কারো সামর্থ্য থাকলে তা নফল। [২৮৮৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৬] নাসায়ী ২৬২০, আবূ দাউদ ১৭২১, আহমাদ ২৩০৪, ২৬৩৭, ৩৫০০ ৩৪১০, দারেমী ১৭৮৮, ইরওয়া ১৪৯-১৫০, সহীহ আবু দাউদ ১৫১৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৩. অধ্যায়ঃ

হজ্জ ও ‘উমরার ফযিলত

২৮৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّ الْمُتَابَعَةَ بَيْنَهُمَا تَنْفِي الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ ‏”‏ ‏.‏

 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ ‏.‏

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মহানবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা ধারাবাহিকভাবে হজ্জ ও উমরাহ আদায় করো। কেননা এ দু’টি ধারাবাহিকভাবে আদায় করলে তা দারিদ্র ও গুনাহ দূরীভুত করে, যেমন হাপর লোহার মরিচা দূর করে।

[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]

২/২৮৮৭ (১) . উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) , মহানবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [২৮৮৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৭] আহমাদ ১৬৮, মিশকাত ২৫২৪, ২৫২১৫, সহীহাহ ১২০০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় এবং তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করাও যাবে না দলীল হিসেবেও গ্রহন করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৪, ১৩/৫০০ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আসিম বিন উবায়দুল্লাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। উক্ত হাদিসটির ৮৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২৪ টি খুবই দুর্বল, ২৩ টি দুর্বল, ১৭ টি হাসান, ২৪ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৮১০, আহমাদ ১৬৮, ৩৬৬০, ১৫২৬৭, ১৫২৭০, ১৫২৭১, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮৭৯৬, মুজামুল আওসাত ৩৮১৪, ৪৯৭৭, ৪৯৯৭, ৫৫২৯, শারহুস সুন্নাহ ১৮৪৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৮৮

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ سُمَىٍّ، – مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةُ مَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এক উমরাহ থেকে অপর উমরাহ মাঝখানের সময়ের জন্য কাফ্‌ফারাস্বরূপ এবং জান্নাতই হলো মাবরূর (ত্রুটিমুক্ত) হজ্জের প্রতিদান। [২৮৮৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৮] সহীহুল বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯, তিরমিযী ৯৩৩, নাসায়ী ২৬২২, ২৬২৩, ২৬২৯, আহমাদ ৭৩০৭, ৯৬২৪, ৯৬৩২, মুয়াত্তা মালেক ৭৭৬, দারেমী ১৭৯৫, সহীহাহ ৩/১৯৭, ১৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، وَسُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ حَجَّ هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই ঘরের হজ্জ করেছে এবং তাতে অশালীন কথাবার্তা বা আচরণ করেনি, সে এমন অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে যেমন তার মা তাকে (নিষ্পাপ) প্রসব করেছে। [২৮৮৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮৯] সহীহুল বুখারী ১৫২১, মুসলিম ১৩৫০, তিরমিযী ৮১১, নাসায়ী ২৬২৭, আহমাদ ৭০৯৬, ৭৩৩৪, ৯০৫৬, ৯৯০৪, ১০০৩৭, দারেমী ১৭৯৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৪. অধ্যায়ঃ

যানবাহনে চড়ে হজ্জ আদায় করা

২৮৯০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ حَجَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ وَقَطِيفَةٍ تُسَاوِي أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ أَوْ لاَ تُسَاوِي ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ حِجَّةٌ لاَ رِيَاءَ فِيهَا وَلاَ سُمْعَةَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (উটের পিঠে) একটি পুরাতন জিন ও পালানে উপবিষ্ট অবস্থায় হজ্জ করেন। তাঁর পরিধানে ছিল একটি চাদর যার মূল্য চার দিরহাম বা তারও কম। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! এ এমন হজ্জ, যাতে কোন প্রদর্শনেচ্ছা বা প্রচারেচ্ছা নেই। [২৮৯০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯০] সহীহুল বুখারী ১৫১৭, আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৫, সহীহাহ ২৬১৭, মুখতাসারুশ শামাইল ২৮৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী রাবী’ বিন সাবীহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি ব্যাক্তি হিসেবে সালিহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তা মাঝে কোন সমস্যা নেই তিনি একজন সালিহ ব্যাক্তি। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। আমর বিন আলী আল-ফাল্লাস বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ২. ইয়াযীদ বিন আবান সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। আবু বাকর আল-বুরকানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৮, ৩২/৬৪ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু রাবী’ বিন সাবীহ ও তার উসতায ইয়াযীদ বিন আবান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১৭ টি দুর্বল, ১১ টি হাসান, ৩ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মু’জামুল আওসাত ১৩৭৮, মুসান্নাফ ইবনু আবু শায়বাহ ১৬০৩৭, সহিহ ইবনু খুযাইমাহ ২৬৬২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَمَرَرْنَا بِوَادٍ فَقَالَ ‏”‏ أَىُّ وَادٍ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَادِي الأَزْرَقِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى مُوسَى ـ صلى الله عليه وسلم ـ – فَذَكَرَ مِنْ طُولِ شَعَرِهِ شَيْئًا لاَ يَحْفَظُهُ دَاوُدُ – وَاضِعًا إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ لَهُ جُؤَارٌ إِلَى اللَّهِ بِالتَّلْبِيَةِ مَارًّا بِهَذَا الْوَادِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ سِرْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى ثَنِيَّةٍ فَقَالَ ‏”‏ أَىُّ ثَنِيَّةٍ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ثَنِيَّةُ هَرْشَى أَوْ لَفْتٍ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى يُونُسَ عَلَى نَاقَةٍ حَمْرَاءَ عَلَيْهِ جُبَّةُ صُوفٍ وَخِطَامُ نَاقَتِهِ خُلْبَةٌ مَارًّا بِهَذَا الْوَادِي مُلَبِّيًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মক্কা ও মদীনার মাঝপথে ছিলাম। আমরা একটি উপত্যকা অতিক্রম করাকালে তিনি বলেনঃ এটা কোন্‌ উপত্যকা? সাহাবীগণ বলেন, আল-আযরাক উপত্যকা। তিনি বলেনঃ আমি মূসা (আঃ) -কে দেখতে পাচ্ছি। অতঃপর তিনি নিজের দু’ আংগুল কর্ণদ্বয়ে স্থাপন করে তাঁর দীর্ঘ কেশের কিছুটা বর্ণনা দেন, যা রাবী দাউদ পূর্ণ মনে রাখতে পারেননি। তিনি উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে করতে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় এ উপত্যকা অতিক্রম করেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমরা পথ অতিক্রম করে একটি টিলার উপর আসলাম। তিনি বলেন, এটা কোন টিলা? সাহাবীগণ বলেন, এটা হারশা অথবা লিফাত (লাফ্‌ত) নামীয় টিলা। তিনি বলেন, আমি যেন ইউনুস (আঃ) -কে একটি লাল বর্ণের উষ্ট্রীর উপর পশমী জুব্বা পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি, যার নাসারন্ধ্রের রমি ছিল খেজুর পাতার তৈরী এবং তিনি তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় এ উপত্যকা অতিক্রম করেন। [২৮৯১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯১] সহীহুল বুখারী ১৫৫৫, মুসলিম ১৬৬, আহমাদ ১৮৫৭, ২৪৯৭, আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৫. অধ্যায়ঃ

হাজ্জীগনের দুআ’র ফযিলত

২৮৯২

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، – مَوْلَى بَنِي عَامِرٍ – حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ الْحُجَّاجُ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللَّهِ إِنْ دَعَوْهُ أَجَابَهُمْ وَإِنِ اسْتَغْفَرُوهُ غَفَرَ لَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হজ্জযাত্রীগণ ও উমরার যাত্রীগণ আল্লাহর প্রতিনিধিদল। তারা তাঁর নিকট দুআ’ করলে তিনি তাদের দুআ’ কবুল করেন এবং তাঁর নিকট মাফ চাইলে তিনি তাদের ক্ষমা করেন। [২৮৯২]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯২] নাসায়ী ২৬২৫, ৩০৭০, আত-তালীকুর রাগীব ২/১০৮, ১০৯, মিশকাত ৩৫৩৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী সালিহ বিন আবদুল্লাহ বিন সালিহ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮২২, ১৩/৬৪ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াকুব বিন ইয়াহইয়া বিন আব্বাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি হুজ্জাহ নয়। যুবায়র বিন বাক্কার বলেন, তিনি ফাদল এর দ্বারা পরিচিত ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১০৭, ৩২/৩৭৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ وَفْدُ اللَّهِ دَعَاهُمْ فَأَجَابُوهُ وَسَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর পথের সৈনিক, হজ্জযাত্রী ও উমরা যাত্রীগণ আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর নিকট দুআ’ করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। [২৮৯৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯৩]হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীকুর রাগীব ২/১০৮, সহীহাহ ১৮২০। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইমরান বিন উইয়ায়নাহ সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসে সন্দেহ ও ভুল রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-মিসরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ২. আতা ইবনুস সায়িব সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন করেছেন। আয়্যুব বিন আবু তামিমাহ আস-সাখতিয়ানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৩৪, ২০/৮৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৯৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْعُمْرَةِ فَأَذِنَ لَهُ وَقَالَ ‏ “‏ يَا أُخَىَّ أَشْرِكْنَا فِي شَىْءٍ مِنْ دُعَائِكَ وَلاَ تَنْسَنَا ‏”‏ ‏.‏

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উমরা আদায় করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দেন এবং বলেনঃ “হে আমার ছোট ভাই! তোমার দুআ’র মধ্যে আমাদেরকেও শরীক করবে, আমাদের ভুলে যেও না”। [২৮৯৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৮৯৪] তিরমিযী ৩৫৬২, আবূ দাউদ ১৪৯৮, যইফ আবু দাউদ ২৬৪, মিশকাত ২২৪৮। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় এবং তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা যাবে না। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বকর আল বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করাও যাবে না দলীল হিসেবেও গ্রহন করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়া’কুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৪, ১৩/৫০০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৯৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، قَالَ وَكَانَتْ تَحْتَهُ ابْنَةُ أَبِي الدَّرْدَاءِ فَأَتَاهَا فَوَجَدَ أُمَّ الدَّرْدَاءِ وَلَمْ يَجِدْ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَقَالَتْ لَهُ تُرِيدُ الْحَجَّ الْعَامَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَتْ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا بِخَيْرٍ فَإِنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ ‏ “‏ دَعْوَةُ الْمَرْءِ مُسْتَجَابَةٌ لأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ عِنْدَ رَأْسِهِ مَلَكٌ يُؤَمِّنُ عَلَى دُعَائِهِ كُلَّمَا دَعَا لَهُ بِخَيْرٍ قَالَ آمِينَ وَلَكَ بِمِثْلِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ خَرَجْتُ إِلَى السُّوقِ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِ ذَلِكَ ‏.‏

আবূ দারদা’ ও উম্মু দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ দারদা’ (রাঃ) এর কন্যা তার বিবাহ বন্ধনে ছিল। তিনি তার নিকট এলেন এবং সেখানে উম্ম দারদা (রাঃ) কেও উপস্থিত পেলেন কিন্তু আবূ দারদা’ (রাঃ) কে পাননি। উম্মু দারদা’ (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ বছর হজ্জ করতে চাও? সফওয়ান (রাঃ) বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, তাহলে তুমি আমাদের কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর নিকট দুআ’ করো। কেননা নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন : কোন ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দুআ’ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকট একজন ফেরেশতা তার দুআ’র সময় আমীন বলতে থাকেন। যখনই সে তার কল্যাণ কামনা করে দুআ’ করে, তখন ফেরেশতা বলেন, আমীন, তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ। রাবী বলেন, অতঃপর আমি বাজারের দিকে গেলাম এবং আবূ দারদা’ (রাঃ) -র সাক্ষাত পেলাম। তিনিও নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুরূপ হাদীস আমার নিকট বর্ণনা করেন। [২৮৯৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১৩৩৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৬. অধ্যায়ঃ

কিসে হজ্জ ফারদ হয়

২৮৯৬

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ الْمَكِّيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ ‏”‏ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا الْحَاجُّ قَالَ ‏”‏ الشَّعِثُ التَّفِلُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَامَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْحَجُّ قَالَ ‏”‏ الْعَجُّ وَالثَّجُّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي بِالْعَجِّ الْعَجِيجَ بِالتَّلْبِيَةِ وَالثَّجُّ نَحْرُ الْبُدْنِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! কিসে হজ্জ ফরদ হয়? তিনি বলেনঃ পাথেয় ও বাহন থাকলে। সে (পুনরায়) বললো, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জী কে? তিনি বলেনঃ যার (ইহরামের কারনে) এলোমেলো কেশ এবং দুর্গন্ধ শরীর। অপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কী? তিনি বলেন, উচ্চৈস্বরে তালবিয়া পাঠ ও রক্ত প্রবাহিত (কোরবানী) করা। ওয়াকী’ (রাঃ) -এর মতে “আল-‘আজ্জ” অর্থ “তালবিয়া পাঠ” এবং “আস-সাজ্জু” অর্থ “পশু কোরবানী করা”। [২৮৯৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৮৯৬] তিরমিযী ৮১৩, ইরওয়া ৯৮৮, সহীহাহ ১৫০০, আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৯। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ আল-মাক্কী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার বর্ণিত হাদিস দারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবদুল্লাহ বিন সুলায়মান ইবনুল আশআস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সহজ-সরল অর্থাৎ তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল আমি তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ আল-মাখরামী তার হাদিস বর্জন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনুল বুরাকী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬৭, ২/২৪২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

২৮৯৭

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِيهِ أَيْضًا، عَنِ ابْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي قَوْلَهُ ‏{‏ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏}‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পাথেয় ও বাহন অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার বাণী : “যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে” (সূরা আল ইমরান : ৯৭) (-এর তাৎপর্য এটাই)। [২৮৯৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৮৯৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৯৮৮। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হিশাম বিন সুলায়মান আল-কুরাশী সম্পর্কে বলেন, তিনি ইবনু জুরায়জ ছাড়া অন্যদের হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৭৯, ৩০/২১১ নং পৃষ্ঠা) ২. ইবনু আতা সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৭৪৭, ৩৪/৪৬২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৯/৭. অধ্যায়ঃ

যে মহিলা সাথে অভিভাবক ব্যতীত হজ্জ করে

২৮৯৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ سَفَرَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ مَعَ أَبِيهَا أَوْ أَخِيهَا أَوِ ابْنِهَا أَوْ زَوْجِهَا أَوْ ذِي مَحْرَمٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলা যেন তিন দিন বা তার অধিক দূরত্বের পথ সাথে তার পিতা, ভাই, ছেলে, স্বামী অথবা কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত তিন দিন বা তার অধিক দূরত্বের পথ সফর না করে। [২৮৯৮]

 

তাহকীকঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯৮] মুসলিম ৮২৭, ১৩৪০, তিরমিযী ১১৬৯, আ১৭২৬, আহমাদ ২৭৬৩৭, ২৭৬৪২, ১১১২৩, ১১১৯৮, ২৭৯৫০, ১১২৩২, ১১২৮৪, ২৭৯৪৮, দারেমী ২৬৭৮, রাওদুন নাদীর ৬৬৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৯৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَاحِدٍ لَيْسَ لَهَا ذُو حُرْمَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে মহিলা আল্লাহ ও আখেরাতের দিনের উপর ঈমান রাখে তার সাথে কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত তার জন্য এক দিনের পরিমাণ দূরত্বের পথ সফর করা বৈধ নয়। [২৮৯৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৯৯] সহীহুল বুখারী ১০৮৮, মুসলিম ১৩৩৯, তিরমিযী ১১৭০, আবূ দাউদ ১৭২৩, আহমাদ ৭১৮১, ৭৩৬৬, ৭২৮৪, ৯১৮৫, ৯৩৪৭, ৯৪৪৮, ১০০২৯, ১০১৯৭, মুয়াত্তা মালেক ১৮৩৩, সহীহ আবু দাউদ ১৫১৬, ১৫১৭, ইরওয়া ৫৬৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِنِّي اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَامْرَأَتِي حَاجَّةٌ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ فَارْجِعْ مَعَهَا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বেদুঈন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, অমুক অমুক যুদ্ধে যোগদানের জন্য আমার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং আমার স্ত্রী হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করেছে। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে তার সাথে হজ্জে যাও। [২৯০০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৯০০] সহীহুল বুখারী ১৮৬২, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৫, ৩২২১, ইরওয়া ৯৮১, মিশকাত ২৫৩৪, রাওদুন নাদীর ১০১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮. অধ্যায়ঃ

মহিলাদের জিহাদ হলো হজ্জ

২৯০১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى النِّسَاءِ جِهَادٌ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ لاَ قِتَالَ فِيهِ الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলাদের জন্য কি জিহাদ বাধ্যতামূলক? তিনি বলেনঃ হাঁ, তাদের উপরও জিহাদ ফারদ, তবে তাতে অস্ত্রবাজি নাই। তা হচ্ছে হজ্জ ও উমরা। [২৯০১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৯০১] সহীহুল বুখারী ১৫২০, ২৮৭৫, নাসায়ী ২৬২৮, মিশকাত ২৫৩৪, ইরওয়া ৯৮১, রাওদুন নাদীর ১০১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْحَجُّ جِهَادُ كُلِّ ضَعِيفٍ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন দুর্বল ব্যক্তির জিহাদ হলো হজ্জ। [২৯০২]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০২] আহমাদ ২৬০৪৫, ২৬১৩৪, আত-তালীকুর রাগীব ২/১০৭, যইফাহ ৩৫১৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯. অধ্যায়ঃ

মৃতের পক্ষ থেকে হজ্জ করা

২৯০৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَنْ شُبْرُمَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَرِيبٌ لِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ حَجَجْتَ قَطُّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاجْعَلْ هَذِهِ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ احْجُجْ عَنْ شُبْرُمَةَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন : “শুবরুমার পক্ষ থেকে আমি তোমার দরবারে হাযির হয়েছি”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করেন : শুবরুমা কে? সে বললো, আমার এক নিকটাত্মীয়। তিনি বলেনঃ তুমি কি কখনও হজ্জ করেছো? সে বললো, না। তিনি বলেনঃ তাহলে এই হজ্জ তোমার নিজের পক্ষ থেকে করো, অতঃপর শুবরুমার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। [২৯০৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০৩] আবূ দাউদ ১৮১১, ইরওয়া ৯৯৪, মিশকাত ২৫২৯, রাওদুন নাদীর ৪১৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫৮৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ أَحُجُّ عَنْ أَبِي قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ فَإِنْ لَمْ تَزِدْهُ خَيْرًا لَمْ تَزِدْهُ شَرًّا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আমি কি আমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারি? তিনি বলেনঃ হাঁ, তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। তুমি যদি তার জন্য কল্যাণ ও নেকী বৃদ্ধি করতে না পারো, তবে অন্তত তার জন্য অকল্যাণ ও পাপ বৃদ্ধি করো না। [২৯০৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০৫

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْغَوْثِ بْنِ حُصَيْنٍ، – رَجُلٌ مِنَ الْفُرْعِ – أَنَّهُ اسْتَفْتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ حِجَّةٍ كَانَتْ عَلَى أَبِيهِ مَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ وَكَذَلِكَ الصِّيَامُ فِي النَّذْرِ يُقْضَى عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবুল গাওস বিন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট তার পিতার উপর ফরজ হওয়া হজ্জ সম্পর্কে ফতওয়া জিজ্ঞেস করেন, যিনি মারা গেছেন কিন্তু হজ্জ করতে পারেননি। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করো। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেনঃ মানতের সিয়ামও অনুরূপ অর্থাৎ তার পক্ষ থেকে তা আদায় করা যাবে। [২৯০৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৯০৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উসমান বিন আতা সম্পর্কে আবু বাকরা আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি দুর্বল, তার ব্যাপারে হাদিস বানিয়ে বর্ণনার অভিযোগ রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম বি হিব্বান বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল পেশ করা সঠিক নয়। আবু নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তিনি তার পিতা থেকে মুনকাররূপে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৪৬, ১৯/৪৪১ নং পৃষ্ঠা) ২. আতা বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু বাকরা আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। শুবাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদিস ভুলে যেতেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৪১, ২০/১০৬ নং পৃষ্ঠা)

 

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু উসমান বিন আতা ও আতা বিন মুসলিম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৮৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৪২ টি খুবই দুর্বল, ১৪৫ টি দুর্বল, ১৮৭ টি হাসান, ৩১১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৫১৩, ১৮৫২, ১৮৫৪, ১৮৫৫, ২৭৬১, ৪৩৯৯, ৬২২৮, ৬৬৯৮, ৬৬৯৯, ৬৯৫৯, ৭৩১৫, মুসলিম ১১৪৯, ১১৫০, ১১৫১, ১৩৩৬, ১৬৩৯, তিরমিযি ৯২৮, ৯২৯, ৯৩০, ১৫৪৬, আবু দাউদ ১৮০৯, ১৮১০, দারিমী ১৮৩১, ১৮৩২, ১৮৩৩, ১৮৩৫, ১৮৩৬, ১৮৩৭, ২৩৩২, আহমাদ ১৮৯৩, ১৮৯৬, ২০০৬, ২১৪১, ২১৯০, ২৩৩২।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০. অধ্যায়ঃ

জীবিত ব্যক্তি হজ্জ করতে অপারগ হলে তার পক্ষ থেকে হজ্জ করা

২৯০৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلاَ الْعُمْرَةَ وَلاَ الظَّعَنَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ অথবা উমরা করতে বা বাহনে উপবিষ্ট থাকতে অক্ষম। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ ও উমরা আদায় করো। [২৯০৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০৬]তিরমিযী ৯৩০, নাসায়ী ২৬৩৭, আবূ দাউদ ১৮১০, আহমাদ ১৫৭৫১, ১৫৭৫৭, ১৫৭৬৬, সহীহ আবু দাউদ ১৫৮৮, মিশকাত ২৫২৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০৭

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ خَثْعَمٍ جَاءَتِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ قَدْ أَفْنَدَ وَأَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَدَاءَهَا فَهَلْ يُجْزِئُ عَنْهُ أَنْ أُؤَدِّيَهَا عَنْهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

খাসআম গোত্রের এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ এবং অচল হয়ে পড়েছেন। বান্দাদের উপর আল্লাহর ফরযকৃত হজ্জ তার উপর ও ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি তা আদায় করতে সক্ষম নন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করি, তবে তা কি তার জন্য যথেষ্ট হবে? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাঁ। [২৯০৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০৭] সহীহুল বুখারী ১৫১৩, ১৮৫৪, ১৮৫৫, ৪৩৯৯, ৬২২৮, মুসলিম ১৩৩৪, ১৩৩৫, তিরমিযী ২৯৮, নাসায়ী ২৬৩৪, ২৬৩৫, ২৬৪১, ২৬৪২, আহমাদ ১৮১৫, ১৮২৫, ১৮৯৩, ২২৬৬, ৩০৩৩, ৩২২৮, ৩৩৬৫, মুয়াত্তা মালেক ৮০৬, দারেমী ১৮৩১, ১৮৩২, ১৮৩৩, ১৮৩৫. তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

 

উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল আযিয আদ-দারাওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বোন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব হতে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহীহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস বিন আয়্যাশ বিন আবু রাবীআহ আয-যুকারী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন, অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي حُصَيْنُ بْنُ عَوْفٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي أَدْرَكَهُ الْحَجُّ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَحُجَّ إِلاَّ مُعْتَرِضًا ‏.‏ فَصَمَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাকে হুসায়ন বিন আওফ (রাঃ) , অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি হজ্জ করতে সক্ষম নন-যদি না তাকে হাওদার সাথে বেঁধে দেয়া হয়। তিনি মুহুর্তকাল নীরব থাকার পর বলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। [২৯০৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০৮] নাসায়ী ৫৩৯৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন কুরায়ব সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার দুর্বলতা সহকারে তার হাদিস লিখা যায়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী, ইবনু হাজার আল-আসকালানী, ইমাম দারাকুতনী ও ইমাম যাহাবী তারা সকলে তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ বিন নুমায়র বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৭২, ২৬/৩৩৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯০৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَخِيهِ الْفَضْلِ، أَنَّهُ كَانَ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَدَاةَ النَّحْرِ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمٍ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَرْكَبَ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ عَلَى أَبِيكِ دَيْنٌ قَضَيْتِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আল ফাদাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কুরবানীর দিন ভোরবেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সওয়ারীতে তাঁর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন খাষআম গোত্রের এক মহিলা তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল!বান্দাদের উপর আল্লাহর ধার্যকৃত হজ্জ আমার পিতার উপরও তার বৃদ্ধ বয়সে ফারদ হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনে চড়তে সক্ষম নন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করবো? তিনি বলেনঃ হাঁ। কেননা তোমার পিতার কোন ঋণ থাকলে তাও তোমাকেই পরিশোধ করতে হতো। [২৯০৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯০৯] সহীহুল বুখারী ১৫১৩, ১৮৫৪, ১৮৫৫, ৪৩৯৯, ৬২২৮, মুসলিম ১৩৩৪, ১৩৩৫, তিরমিযী ২৯৮, নাসায়ী ২৬৩৪, ২৬৩৫, ২৬৪১, ২৬৪২, আহমাদ ১৮১৫, ১৮২৫, ১৮৯৩, ২২৬৬, ৩০৩৩, ৩২২৮, ৩৩৬৫, মুওয়াত্তা মালিক ৮০৬, দারিমী ১৮৩১, ১৮৩২, ১৮৩৩, ১৮৩৫| ইরওয়া ৩৩২, সহীহ আবূ দাঊদ ১৫৮৭|

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১১. অধ্যায়ঃ

শিশুদের হজ্জ

২৯১০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سُوقَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَفَعَتِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا لَهَا إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হজ্জের সময় এক মহিলা তার শিশু সন্তানকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে উঁচিয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! এই শিশুর জন্যও কি হজ্জ? তিনি বলেনঃ হাঁ, তবে সওয়াব হবে তোমার। [২৯১০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১০] তিরমিযী ২৯৪, হুজ্জাতুন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৯৪, ইরওয়া ৯৮৫, সহীহ আবু দাউদ ১৫২৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১২. অধ্যায়ঃ

হায়েয ও নিফাসগ্রস্ত মহিলারা হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধলে

২৯১১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِالشَّجَرَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَأْمُرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُهِلَّ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

শাজারা (যুল-হুলায়ফা) নামক স্থানে উমায়স কন্যা আসমা (রাঃ) এর নিফাস হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকর (রাঃ) -কে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি যেন তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেন। [২৯১১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১১] মুসলিম ১২১৯, আবূ দাউদ ১৭৪৩, দারেমী ১৮০৪, সহীহ আবু দাউদ ১৫৩০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ خَرَجَ حَاجًّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَعَهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ فَوَلَدَتْ بِالشَّجَرَةِ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَتَى أَبُو بَكْرٍ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخْبَرَهُ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَأْمُرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ ثُمَّ تُهِلَّ بِالْحَجِّ وَتَصْنَعَ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ إِلاَّ أَنَّهَا لاَ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ ‏.‏

আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তাঁর সাথে (তাঁর স্ত্রী) উমায়স-কন্যা আসমা’ (রাঃ) -ও ছিলেন। তিনি শাজারা নামক স্থানে মুহাম্মাদ বিন আবূ বাকর-কে প্রসব করলেন। আবূ বাকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন তাকে গোসল করার পর হজ্জের ইহরাম বাঁধার এবং লোকেদের অনুরূপ অনুষ্ঠানাদি পালনের নির্দেশ দেন, কিন্তু সে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে না। [২৯১২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১২] নাসায়ী ২৬৬৪, সহীহ আবু দাউদ ১৫৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী খালিদ বিন মাখলাদ আল-কাতওয়ানী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল জুরজানী বলেন, ইনশাআল্লাহ্ আমার আমার নিকট তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৫২, ৮/১৬৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯১৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتَسْتَثْفِرَ بِثَوْبٍ وَتُهِلَّ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) (মুহাম্মাদ বিন আবূ বাকরকে প্রসব করলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করার জন্য লোক পাঠালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন গোসল করে একটি কাপড় জড়িয়ে নেন ও ইহরাম বাঁধেন। [২৯১৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৩] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, হুজ্জাতুন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১৩. অধ্যায়ঃ

বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীদের মীকাত

২৯১৪

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَأَهْلُ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ وَأَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَمَّا هَذِهِ الثَّلاَثَةُ فَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মদীনাবাসীগন যুল-হুলায়ফা থেকে, সিরিয়ার অধিবাসীগন আল-জুহ্ফা থেকে, নাজ্‌দবাসীগণ ‘কারন’ নামক স্থান থেকে ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এই তিনটি মীকাতের বর্ণনা আমি সরাসরি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছি। আমি আরোও জানতে পেরেছি যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগন ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে। [২৯১৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৪]সহীহুল বুখারী ১৩৩. ১৫২২, ১৫২৫, ১৫২৮, ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২, তিরমিযী ৮৩১, নাসায়ী ২৬৫১, ২৬৫২, ২৬৫৫, আবূ দাউদ ১৭৩৭, আহমাদ ৪৪৪১, ৪৫৫১, ৪৫৭০, ৫০৫০, ৫০৬৮, ৫১৫০, ৫৩০১, ৫৫১৭, ৬১০৫, ৬৩৫৪, মুয়াত্তা মালেক ৭৩২, ৭৩৪, দারেমী ১৭৯০, সহীহ আবু দাউদ ১৫২৬, ইরওয়া ৪/১৭৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯১৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏”‏ مُهَلُّ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَمُهَلُّ أَهْلِ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ وَمُهَلُّ أَهْلِ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْمَشْرِقِ مِنْ ذَاتِ عِرْقٍ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَ بِوَجْهِهِ لِلأُفُقِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَقْبِلْ بِقُلُوبِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বলেনঃ মদীনাবাসীগণের মীকাত যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের মীকাত আল-জুহ্ফা, ইয়ামানবাসীদের মীকাত ইয়ালামলাম, নাজদবাসীদের মীকাত ‘কারন’, প্রাচ্যের মীকাত যাতু ইরক অতঃপর তিনি দিগন্তের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলেনঃ হে আল্লাহ! তাদের অন্তরসমূহ ঈমানের দিকে ধাবিত করুন। [২৯১৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৫] মুসলিম ১১৮৩, ইরওয়া ৪/১৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার বর্ণিত হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবদুল্লাহ বিন সুলায়মান ইবনুল আশআস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সহজ সরল অর্থাৎ তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল আমি তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ আল-মাখরামী তার হাদিস বর্জন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনুল বুরাকী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬৭, ২/২৪২ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৬০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৮ টি জাল, ৪২ টি খুবই দুর্বল, ১২৮ টি দুর্বল, ১৩০ টি হাসান, ১৫২ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৩৩, ১৫২২, ১৫২৪, ১৫২৫, ১৫২৬, ১৫২৮, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৫৩১, ১৮৪৫, ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২, ১১৮৪, তিরমিযি ৮৩১, ৮৩২, আবু দাউদ ১৭৩৭, ১৭৩৯, ১৭৪০, ১৭৪২, দারিমী ১৭৯০, ১৭৯২, আহমাদ ২২৪০, ২২৭২, ৩০৫৬, ৩১৩৮, ৪৪৪১, ১৪২০৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১৪. অধ্যায়ঃ

ইহরাম বাঁধা

২৯১৬

حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَدْخَلَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ وَاسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ أَهَلَّ مِنْ عِنْدِ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন স্বীয় পদদ্বয় বাহনের পাদানিতে রাখেন এবং তাঁর জন্তুযান তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় তখন তিনি যুল-হুলায়ফার মসজিদের নিকট ইহরাম্ বাঁধেন| [২৯১৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৬] সহীহুল বুখারী ১৬৬, ৪৯২, ১৫১৪, ১৫৩২, ১৫৩৩, ১৫৩৬, ১৫৫৩, ১৫৫৪, ২৩৩২, ২৩৩৬, ২৭৬৫, মুসলিম ১১৮৬, ১১৮৭, ১১৮৮, ১২২৭, ১২৫৭, ১৩৪৬, তিরমিযী ৮১৮, নাসায়ী ১১৮, ২৬৫৯, ২৬৬০, ২৬৬১, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৭৫৯, ২৭৬০, আবূ দাউদ ১৬৭১, ১৬৭২, ২০৪৪, আহমাদ ৪৪৪১, ৪৮০৪, ৪৮২৭, ৪৯২৭, ৫৩১৫, ৫৫৬৯, ৫৮৫৮, ৫৮৮৬, ৫৯৬৮, ৬১৭০, ৬১৯৬, ৬২২১, মুওয়াত্তা মালিক ৭৪০, ৭৪১, ৯২৩, দারিমী ১৯২৯| ইরওয়া ৪/২১৬, রাওদুন নাদীর ৯৫|

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي عِنْدَ ثَفِنَاتِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ قَائِمَةً قَالَ ‏ “‏ لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا ‏”‏ ‏.‏ وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আশ-শাজারা (যুল-হুলায়ফা) নামক স্থানে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উষ্ট্রীর পায়ের নিকটে ছিলাম। উষ্ট্রী যখন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, তখন তিনি বলেনঃ “লাব্বায়কাবি-উমরাতিন ওয়া হাজ্জাতিম-মাআন” (আমি তোমার দরবারে একসাথে হজ্জ ও উমরার সংকল্প নিয়ে হাযির হচ্ছি)। এটা বিদায় হজ্জের ঘটনা। [২৯১৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১৫. অধ্যায়ঃ

তালবিয়া

২৯১৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَأَبُو أُسَامَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ تَلَقَّفْتُ التَّلْبِيَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَقُولُ ‏ “‏ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَزِيدُ فِيهَا لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট তালবিয়া শিখেছি। তিনি বলেনঃ “লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়কা লাব্বায়কা, লা শারীকা লাকা লাব্বায়কা। ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়’মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা শারীকা লাকা (“হে আল্লাহ!আমি তোমার নিকট উপস্থিত আছি, তোমার নিকট উপস্থিত আছি, তোমার দরবারে হাযির হয়েছি। তোমার কোন শরীক নেই, আমি তোমার নিকট হাযির হয়েছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব ও কর্তৃত্ব তোমার। তোমার কোন শরীক নাই”) রাবী (রহঃ) বলেন, বিন উমার (রাঃ) এর সাথে যোগ করতেনঃ “লাব্বায়াকা লাব্বায়াকা লাব্বায়াকা ওয়া সা’দায়কা ওয়াল-খায়রু ফী ইয়াদায়কা, লাব্বায়কা ওয়ার-রাগবাউ ইলায়কা ওয়াল-আমালু” (“তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি (রাঃ) তোমার নিকট হাযির হয়েছি, তোমার নিকট হাযির আছি, তোমার খেদমতে সৌভাগ্য লাভ করেছি। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে, আমি তোমার সমীপে উপস্থিত হয়েছি। সমস্ত আকর্ষন তোমার প্রতি এবং সকল কাজ তোমারই নির্দেশে”)। [২৯১৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৮] সহীহুল বুখারী ১৫৪০, ১৫৪৯, ৫৯১৫, মুসলিম ১১৮৪, তিরমিযী ৮২৫, ৮২৬, নাসায়ী ২৭৪৭, ২৭৪৯, ২৭৫০, আবূ দাউদ ১৮১২, আহমাদ ৪৪৪৩, ৪৮০৬, ৪৮৭৭, ৪৯৭৭, ৪৯৯৯, ৫০৫১, ৫০৬৭, ৫১৩২, ৫৪৫১, ৫৪৮৪, ৫৯৮৫, ৬১১১, মুওয়াত্তা মালিক ৭৩৮, দারিমী ১৮০৪| রাওদুন নাদীর ৫৪০, সহীহ আবূ দাউদ ১৫৯০|

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯১৯

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَتْ تَلْبِيَةُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তালবিয়া ছিল নিম্নরূপঃ “লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়কা, লাব্বায়কা লা শারীকা লাকা লাব্বায়কা ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়’মাতা লাকা ওয়াল-মুলকা লা শারীকা লাকা”। [২৯১৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯১৯] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭; মুসলিম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯; তিরমিযী ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬;

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯২০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي تَلْبِيَتِهِ ‏ “‏ لَبَّيْكَ إِلَهَ الْحَقِّ لَبَّيْكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর তালবিয়ায় বলেনঃ “লাব্বায়কা ইলাহাল্-হাক্ক লাব্বায়কা। [২৯২০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২০] নাসায়ী ২৭৫২, রাওদুন নাদীর ৫৪০, সহীহাহ ২১৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯২১

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ مُلَبٍّ يُلَبِّي إِلاَّ لَبَّى مَا عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ مِنْ حَجَرٍ أَوْ شَجَرٍ أَوْ مَدَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الأَرْضُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা’দ আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তিই তালবিয়া পাঠ করে, সাথে সাথে তার ডান ও বাম দিকের পাথর, গাছপালা অথবা মাটি, এমনকি দুনিয়ার সর্বশেষ প্রান্ত উভয় দিকের সবকিছু তালবিয়া পাঠ করে। [২৯২১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২১] তিরমিযী ৮২৮, মিশকাত ২৫৫০, রাওদুন নাদীর ২/১১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১৬. অধ্যায়ঃ

উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা

২৯২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، حَدَّثَهُ عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِي أَنْ آمُرَ أَصْحَابِي أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالإِهْلاَلِ ‏”‏ ‏.‏

সাইব বিন খাল্লাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসে আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন আমার সাহাবীগণকে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠের আদেশ দেই। [২৯২২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২২] তিরমিযী ৮২৯, নাসায়ী ২৭৫৩, আবূ দাউদ ১৮১৪, আহমাদ ১৬১২২, ১৬১৩১, মুয়াত্তা মালেক ৮৪৪, দারেমী ১৮০৯, মিশকাত ২৫৪৯, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯২৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ جَاءَنِي جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ مُرْ أَصْحَابَكَ فَلْيَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ فَإِنَّهَا مِنْ شِعَارِ الْحَجِّ ‏”‏ ‏.‏

যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসে বলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি আপনার সাহাবীদের নির্দেশ দিন, তারা যেন উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করে। কারন তা হজ্জের অন্যতম নিদর্শন। [২৯২৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৩] আহমাদ ২১১৭০, সহীহাহ ৮৩০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আল-মুত্তালিব বিন আবদুল্লাহ বিন হানতাব সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, আমভাবে তার হাদিস মুরসাল। তিনি সাহল বিন সা’দ, আনাস বিন ,মালিক ও সালামাহ ইবনুল আকওয়া ব্যাতিত অন্য সাহাবীদের সাক্ষাৎ পাননি। তিনি কাছাকাছি সমযুগের ছিলেন, তিনি তার মারাসীল গ্রন্থে বলেন, তিনি ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস থেকে হাদিস শ্রবন করেছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক তাদলীস ও ইরসাল করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে সিকাহ বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয় তার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ইরসাল সুত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০০৬, ২৮/৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯২৪

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُئِلَ أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ ‏ “‏ الْعَجُّ وَالثَّجُّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ কাজটি সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং কোরবানীর দিন কোরবানী করা। [২৯২৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৪] তিরমিযী ৮২৭, দারেমী ১৭৯৭, সহীহাহ ১৫০০, তাখরীজুল মুখতার ৬১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. দাহহাক বিন উসমান আল-কুরাশী সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তিনি সত্যবাদী। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইবনু আবদুল বার আল-আনাদালাসী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯২২, ১৩/২৭২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১৭. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী ব্যক্তির অনবরত তালবিয়া পাঠের ফযিলত

২৯২৫

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا مِنْ مُحْرِمٍ يَضْحَى لِلَّهِ يَوْمَهُ يُلَبِّي حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ إِلاَّ غَابَتْ بِذُنُوبِهِ فَعَادَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন ইহরামধারী ব্যক্তি কোরবানীর দিন আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানী করে এবং মধ্যাহ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনবরত তালবিয়া পাঠ করতে থাকে, সূর্য তার গুনাহরাশিসহ অস্ত যায়। তখন সে তার জন্মদিনের মত নিষ্পাপ হয়ে যায়। [২৯২৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৯, যইফাহ ৫০১৮, যইফ আল-জামি’ ৫২১৫। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুলায়হ সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী ও ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নয়, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ২. 2925 আসিম বিন উমার সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তিনি সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৭, ১৩/৫১৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. আসিম বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় এবং তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করাও যাবে না দলীল হিসেবেও গ্রহন করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৪, ১৩/৫০০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১৮. অধ্যায়ঃ

ইহরাম বস্ত্র পরিধানের সময় সুগন্ধি ব্যবহার

২৯২৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لإِحْرَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يُفِيضَ – قَالَ سُفْيَانُ – بِيَدَىَّ هَاتَيْنِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে সুগন্ধি লাগিয়ে দেই এবং ইহরাম খোলার সময় তাওয়াফে ইফাযা করার পূর্বেও আমি তাঁকে সুগন্ধি লাগিয়ে দেই। সুফিয়ানের বর্ণনায় “আমার এই দু’হাত দিয়ে” কথাটুকুও উল্লেখ আছে। [২৯২৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৬] সহীহুল বুখারী ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিযী ৯১৭, নাসায়ী ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭, ২৬৮৮, ২৬৮৯, ২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবূ দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুয়াত্তা মালেক ৭২৭, দারেমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩, ইরওয়া ১০৪৭, রাওদুন নাদীর ৭৬৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫৩২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯২৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفَارِقِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يُلَبِّي ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সিঁথিতে সুগন্ধির উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি, তখন তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করছিলেন। [২৯২৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৭] সহীহুল বুখারী ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিযী ৯১৭, নাসায়ী ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭, ২৬৮৮, ২৬৮৯, ২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবূ দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুয়াত্তা মালেক ৭২৭, দারেমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩, আস-সহীহ ১৫৩৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯২৮

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَأَنِّي أَرَى وَبِيصَ الطِّيبِ فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَعْدَ ثَلاَثَةٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সিঁথিতে তিনদিন পরেও সুগন্ধির উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি, অথচ তিনি ছিলেন ইহরাম অবস্থায়। [২৯২৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৮] সহীহুল বুখারী ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিযী ৯১৭, নাসায়ী ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭,২৬৮৮,২৬৮৯, ,২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবু দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুওয়াত্তা মালিক ৭২৭, দারিমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩।

 

উক্ত হাদীসের রাবী ইসমাঈল বিন মূসা সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল- আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, তার ব্যাপারে শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা )

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

১৯/১৯. অধ্যায়ঃ

ইহরাম বাধা অবস্থায় যেরূপ কাপড় পরিধান করবে

২৯২৯

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَنْ لاَ يَجِدَ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا مِنَ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ أَوِ الْوَرْسُ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলো , ইহরামধারী ব্যক্তি কিরূপ কাপড় পরিধান করবে? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে জামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, পাজামা পরবে না, টুপি পরবে না এবং মোজা পরবে না। কিন্তু তার জুতা না থাকলে, সে মোজা পরতে পারবে, তবে পায়ের গোছা বরাবর মোজার উপরিভাগ কেটে ফেলবে। সে জাফরান অথবা সুগন্ধি ঘাস দ্বারা রঞ্জিত কাপড় ও পরিধান করবে না। [২৯২৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯২৯] সহীহুল বুখারী ১৩৪, ৩৬৬, ১৫৪২, ১৮৩৮, ১৮৪২, ৫৭৯৪, ৫৮০৩, ৫৮০৫, ৫৮০৬, ৫৮৪৭, ৫৮৫২, ১১৭৭, তিরমিযী ১১৩৩, নাসায়ী ২৬৬৬,২৬৭৭, ২৬৬৯, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৪, ২৬৭৫, ২৬৭৬, ২৬৭৭, ২৬৭৮, ২৬৮০, ২৬৮১, আবূ দাউদ ১৮২৩, আহমাদ ৪৪৬৮, ৪৫২৬, ৪৮২০, ৪৮৫৩, ৪৮৮১, ৫০৫৫, ৫০৮৭, ৫২৮৬, ৫৩০৩, ৫৩১৪, ৫৪০৪, ৫৪০৮, ৫৪৪৯, ৫৫০৩, ৫৮৭১, ৫৯৬৭, ৬২০৮, মুয়াত্তা মালেক ৭১৬, ৭১৭, দারেমী ১৭৯৮, ১৮০০, ইরওয়া ১০১২, সহীহ আবু দাউদ ১৬০০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৩০

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَلْبَسَ الْمُحْرِمُ ثَوْبًا مَصْبُوغًا بِوَرْسٍ أَوْ زَعْفَرَانٍ ‏.‏

. আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামধারী ব্যক্তিকে কুমকুম অথবা ওয়ারস ঘাস দ্বারা রঞ্জিত কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। [২৯৩০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩০] সহীহুল বুখারী ১৩৪, ৩৬৬, ১৫৪২, ১৮৩৮, ১৮৪২, ৫৭৯৪, ৫৮০৩, ৫৮০৫, ৫৮০৬, ৫৮৪৭, ৫৮৫২, ১১৭৭, তিরমিযী ১১৩৩, নাসায়ী ২৬৬৬,২৬৭৭, ২৬৬৯, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৪, ২৬৭৫, ২৬৭৬, ২৬৭৭, ২৬৭৮, ২৬৮০, ২৬৮১, আবূ দাউদ ১৮২৩, আহমাদ ৪৪৬৮, ৪৫২৬, ৪৮২০, ৪৮৫৩, ৪৮৮১, ৫০৫৫, ৫০৮৭, ৫২৮৬, ৫৩০৩, ৫৩১৪, ৫৪০৪, ৫৪০৮, ৫৪৪৯, ৫৫০৩, ৫৮৭১, ৫৯৬৭, ৬২০৮, মুয়াত্তা মালেক ৭১৬, ৭১৭, দারেমী ১৭৯৮, ১৮০০, ইরওয়া ১০১২, সহীহ আবু দাউদ ১৬০০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২০. অধ্যায়ঃ

কাপড় ও জুতা না থাকলে মুহরিম ব্যক্তি পাজামা ও মোজা পরিধান করবে

২৯৩১

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْطُبُ – قَالَ هِشَامٌ عَلَى الْمِنْبَرِ – فَقَالَ ‏”‏ مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ إِلاَّ أَنْ يَفْقِدَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দানকালে বলতে শুনেছিঃ যে (মুহরিম ) ব্যক্তি কাপড় সংগ্রহ করতে পারেনি সে মোজা পরতে পারে। হিশামের বর্ণনায় আছেঃ কাপড়’ না পেলে সে পাজামা পরিধান করবে’। [২৯৩১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩১] আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দানকালে বলতে শুনেছিঃ যে (মুহরিম ) ব্যক্তি কাপড় সংগ্রহ করতে পারেনি সে মোজা পরতে পারে। হিশামের বর্ণনায় আছেঃ কাপড়’ না পেলে সে পাজামা পরিধান করবে’।

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৩২

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি জুতা সংগ্রহ করতে না পারলে মোজা পরিধান করবে। সে যেন গোছার উপরিভাগ কেটে নেয়। [২৯৩২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩২] সহীহুল বুখারী ১৩৪, ৩৬৬, ১৫৪২, ১৮৩৮, ১৮৪২, ৫৭৯৪, ৫৮০৩, ৫৮০৫, ৫৮০৬, ৫৮৪৭, ৫৮৫২, ১১৭৭, তিরমিযী ১১৩৩, নাসায়ী ২৬৬৬,২৬৭৭, ২৬৬৯, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৪, ২৬৭৫, ২৬৭৬, ২৬৭৭, ২৬৭৮, ২৬৮০, ২৬৮১, আবূ দাউদ ১৮২৩, আহমাদ ৪৪৬৮, ৪৫২৬, ৪৮২০, ৪৮৫৩, ৪৮৮১, ৫০৫৫, ৫০৮৭, ৫২৮৬, ৫৩০৩, ৫৩১৪, ৫৪০৪, ৫৪০৮, ৫৪৪৯, ৫৫০৩, ৫৮৭১, ৫৯৬৭, ৬২০৮, মুয়াত্তা মালেক ৭১৬, ৭১৭, দারেমী ১৭৯৮, ১৮০০, ইরওয়া ১০১২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২১. অধ্যায়ঃ

ইহরাম অবস্থায় যেসব আচরন থেকে বিরত থাকা উচিত

২৯৩৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ نَزَلْنَا فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَعَائِشَةُ إِلَى جَنْبِهِ وَأَنَا إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَتْ زِمَالَتُنَا وَزِمَالَةُ أَبِي بَكْرٍ وَاحِدَةً مَعَ غُلاَمِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ فَطَلَعَ الْغُلاَمُ وَلَيْسَ مَعَهُ بَعِيرُهُ فَقَالَ لَهُ أَيْنَ بَعِيرُكَ قَالَ أَضْلَلْتُهُ الْبَارِحَةَ ‏.‏ قَالَ مَعَكَ بَعِيرٌ وَاحِدٌ تُضِلُّهُ قَالَ فَطَفِقَ يَضْرِبُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ انْظُرُوا إِلَى هَذَا الْمُحْرِمِ مَا يَصْنَعُ ‏”‏ ‏.‏

আবু বাকর (রাঃ) এর কন্যা আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওনা হলাম। আল-আরজ নামক স্থানে পৌঁছে আমরা যাত্রাবিরতি করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আয়িশাহ (রাঃ) তাঁর পাশে বসলেন এবং আমি আবু বাকর (রাঃ) -র পাশে বসলাম। ইত্যবসরে গোলাম আসলো কিন্তু তার সাথে উট ছিল না। আবু বাকর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার উট কোথায়? সে বলল , গত রাতে তা হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, তোমার সাথে একটি মাত্র উট ছিল, তাও তুমি হারিয়ে ফেললে? রাবী বলেন, তিনি তাকে মারতে শুরু করলেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দেখো ! এই ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় কি করছে? [২৯৩৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩৩] আবূ দাউদ ১৮১৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯৫। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২২. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী ব্যক্তি মাথা ধৌত করতে পারে

২৯৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، اخْتَلَفَا بِالأَبْوَاءِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ ‏.‏ وَقَالَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ لاَ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ ‏.‏ فَأَرْسَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ أَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يَسْتَتِرُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذَا قُلْتُ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُنَيْنٍ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ فَوَضَعَ أَبُو أَيُّوبَ يَدَهُ عَلَى الثَّوْبِ فَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ ثُمَّ قَالَ لإِنْسَانٍ يَصُبُّ عَلَيْهِ اصْبُبْ ‏.‏ فَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ حَرَّكَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُهُ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْعَلُ ‏.‏

আবু আয়্যুব (খালিদ বিন যায়দ) আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) এবং আল-মিসওয়ার বিন মাখরামাহ (রাঃ) আল-আবওয়া নামক স্থানে একটি বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হলেন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি নিজ মাথা ধৌত করতে পারবে। আর আল-মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, সে নিজ মাথা ধৌত করতে পারবে না। অতএব বিন আব্বাস (রাঃ) আমাকে আবু আয়্যুব আল-আনসারী (রাঃ) – র নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠান। আমি গন্তব্যে পৌঁছে দেখি যে, তিনি দুটি খুঁটির মাঝখানে কাপড় দ্বারা পর্দা টেনে গোসল করছেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে? আমি বললাম, আমি আবদুল্লাহ বিন হুনায়ন। বিন আব্বাস (রাঃ) আমাকে আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে পাঠিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করতেন? রাবী বলেন, আবু আইউব (রাঃ) তার হস্তদ্বয় পর্দার কাপড়ের উপর রেখে তা মাথা পযন্ত উত্তোলন করলেন এবং আমি তার মাথা দেখতে পেলাম। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বললেন, পানি ঢালো। লোকটি তার গোসলে সাহায্য করছিলো। সে তার মাথায় পানি ঢেলে দিলো। তিনি স্বহস্তে তার গোটা মাথা মর্দন করলেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এভাবে মাথা ধৌত করতে দেখেছি। [২৯৩৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩৪] সহীহুল বুখারী ১৮৪০, মুসলিম ১২০৫, নাসায়ী ২৬৬৫, আবূ দাউদ ১৮৪০, আহমাদ ২৩০১৮, ২৩০৩২, ২৩০৬৬, মুয়াত্তা মালেক ৭১২, দারেমী ১৮৯৩, ইরওয়া ১০১৯, সহীহ আবু দাউদ ১৬১৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৩. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী স্ত্রী লোকের মুখমণ্ডলে কাপড় ঝুলানো

২৯৩৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَإِذَا لَقِيَنَا الرَّاكِبُ أَسْدَلْنَا ثِيَابَنَا مِنْ فَوْقِ رُءُوسِنَا فَإِذَا جَاوَزَنَا رَفَعْنَاهَا ‏.‏

 

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِنَحْوِهِ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম। কোন কাফেলা আমাদের নিকটবর্তী হলে আমরা নিজেদের মাথার সামনে দিয়ে (মুখমণ্ডলে) কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। তারা আমাদের অতিক্রম করে যাওয়ার পর আবার তা মুখমণ্ডল থেকে তুলে ফেলতাম। [২৯৩৫]

 

[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের একটি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলঃ]

 

২/২৯৩৫ (১) . {আলী বিন মুহাম্মদ ><আব্দুল্লাহ বিন ইদরীস><ইয়াযীদ বিন আবু যীয়াদ (দঈফ বা দুর্বল) ><মুজাহিদ>< আয়িশাহ (রাঃ) } [২৯৩৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩৫] সহীহুল বুখারী ১৮৩৩, আহমাদ ২৩৫০১, ইরওয়া ১০২৬৩, মিশকাত ২৬৯০, যইফ আবু দাউদ ৩১৭। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী বলেন, তিনি কুফার শীয়াদের একজন। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল না। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, আমি আহলে ইলমদের বলতে শুনেছি, তারা তাকে দুর্বল বলতেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল বাকী ইবনুল কানি বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৪. অধ্যায়ঃ

হজ্জে শর্ত আরোপ করা

২৯৩৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ جَدَّتِهِ، – قَالَ لاَ أَدْرِي أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَوْ سُعْدَى بِنْتِ عَوْفٍ ‏.‏ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ عَلَى ضُبَاعَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ ‏”‏ مَا يَمْنَعُكِ يَا عَمَّتَاهُ مِنَ الْحَجِّ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أَنَا امْرَأَةٌ سَقِيمَةٌ وَأَنَا أَخَافُ الْحَبْسَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَحْرِمِي وَاشْتَرِطِي أَنَّ مَحِلَّكِ حَيْثُ حُبِسْتِ ‏”‏ ‏.‏

সু’দায় বিনতু আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্দুল মুত্তালিব কন্যা দুবাআ (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে ফুফুজান ! কোন জিনিস আপনাকে হজ্জ থেকে বিরত রাখছে।? তিনি বলেন, আমি একজন অসুস্থ মহিলা। আমার আশঙ্কা হয় যে, আমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পূর্ণ করতে পারব না। তিনি বলেনঃ আপনি ইহরাম বাঁধুন এবং এই শর্ত আরোপ করুন, “ যেখানে আমি বাধাগ্রস্ত হবো, সেখানেই ইহরাম মুক্ত হবো। [২৯৩৬]

 

তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩৬] আহমাদ ২৬৪১৩, ইরওয়া ৪/১৮৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৩৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ضُبَاعَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا شَاكِيَةٌ فَقَالَ ‏”‏ أَمَا تُرِيدِينَ الْحَجَّ الْعَامَ ‏”‏ قُلْتُ إِنِّي لَعَلِيلَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ حُجِّي وَقُولِي مَحِلِّي حَيْثُ تَحْبِسُنِي ‏”‏ ‏.‏

দুবাআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট উপস্থিত হলেন, আমি তখন রোগগ্রস্থ ছিলাম। তিনি বলেন, আপনি কি এ বছর হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করেছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল , আমি তো অসুস্থ। তিনি বলেন, আপনি হজ্জের নিয়ত করুন এবং বলুন, “আপনি যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন সেখানে ইহরাম খুলে ফেলব”। [২৯৩৭]

 

তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩৭] আহমাদ ২৬৪৯০, ২৬৮১২, ইরওয়া ৪/১৮৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৩৮

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَاوُسًا، وَعِكْرِمَةَ، يُحَدِّثَانِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَتْ ضُبَاعَةُ بِنْتُ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ ثَقِيلَةٌ وَإِنِّي أُرِيدُ الْحَجَّ فَكَيْفَ أُهِلُّ قَالَ ‏ “‏ أَهِلِّي وَاشْتَرِطِي أَنَّ مَحِلِّي حَيْثُ حَبَسْتَنِي ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুবায়র বিন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা দুবাআ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি রোগগ্রস্থ এবং আমি হজ্জে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি। অতএব আমি কিভাবে ইহরাম বাধব? তিনি বলেনঃ আপনি ইহরাম বাধুন এবং শর্ত রাখুন, “আপনি (আল্লাহ) যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন, সেটাই হবে আমার ইহরাম খোলার স্থান”। [২৯৩৮]

 

তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৩৮] মুসলিম ১২০৮, তিরমিযী ৯৪১, নাসায়ী ২৭৬৫, ২৭৬৬, ২৭৬৭, আবূ দাউদ ১৭৭৬, আহমাদ ৩১০৭, ৩২৯২, দারেমী ১৮১১, ইরওয়া ৪/১৮৭, সহীহ আবু দাউদ ১৫৫৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৫. অধ্যায়ঃ

হারাম এলাকায় প্রবেশ

২৯৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ صَبِيحٍ حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ حَسَّانَ أَبُو عَبْدِ اللهِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَتْ الْأَنْبِيَاءُ تَدْخُلُ الْحَرَمَ مُشَاةً حُفَاةً وَيَطُوفُونَ بِالْبَيْتِ وَيَقْضُونَ الْمَنَاسِكَ حُفَاةً مُشَاةً

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আম্বিয়া-ই কিরাম (রাঃ) হেরেমর এলাকায় পদব্রজে ও নগ্নপদে প্রবেশ করতেন এবং বায়তুল্লাহ তাওয়াফহসহ হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান নগ্নপদে ও পদব্রজে সমাপন করতেন। [২৯৩৯]

 

তাহকী্ক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৯৩৯]হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুবারাক বিন হাসসান আবু আবদুল্লাহ সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য, তার মিথ্যা বলার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও আহমাদ বিন আবু খায়সামাহ বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম বুখারী তার তারিখুল কাবীর এর মাঝে তার নাম উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৬২, ২৭/১৭৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৬. অধ্যায়ঃ ম

মক্কায় প্রবেশ।

২৯৪০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَدْخُلُ مَكَّةَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا وَإِذَا خَرَجَ خَرَجَ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উচ্চ ভূমি দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং যখন বের হতেন তখন নিম্ন ভূমি দিয়ে বের হতেন। [২৯৪০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪০] সহীহুল বুখারী ১৫৭৫, ১৫৭৬, মুসলিম ১২৫৭, নাসায়ী ২৮৬৫, আবূ দাউদ ১৮৬৬, আহমাদ ৪৬১১, ৪৭১১, ৪৮২৮, ৫৬০৮, ৬২৪৮, ৬৪২৬, দারেমী ১৯২৮, সহীহ আবু দাউদ ১৬২৯, ১৬৩০, ১৬৩৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৪১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْعُمَرِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ مَكَّةَ نَهَارًا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিনের বেলায় মক্কায় প্রবেশ করেন। [২৯৪১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪১]সহীহুল বুখারী ১৫৩৩, ১৫৭৪, ১৬৯৯, মুসলিম ১২৫৯, তিরমিযী ৮৫৪, নাসায়ী ২৮৬২, আবূ দাউদ ১৮৬৫, আহমাদ ৪৬৪২, ৫২০৮, দারেমী ১৯২৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا وَذَلِكَ فِي حَجَّتِهِ قَالَ ‏”‏ وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مَنْزِلاً ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ – يَعْنِي الْمُحَصَّبَ – حَيْثُ قَاسَمَتْ قُرَيْشٌ عَلَى الْكُفْرِ ‏”‏ ‏.‏ وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي كِنَانَةَ حَالَفَتْ قُرَيْشًا عَلَى بَنِي هَاشِمٍ أَنْ لاَ يُنَاكِحُوهُمْ وَلاَ يُبَايِعُوهُمْ ‏.‏ قَالَ مَعْمَرٌ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَالْخَيْفُ الْوَادِي ‏.‏

উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, ইয়া রাসূ্লাল্লাহ ! আমরা আগামীকাল কোথায় অবতরণ করবো? এটা তাঁর (বিদায়) হজ্জের সময়কার কথা। তিনি বলেন,আকীল কি আমাদের জন্য একটি বাড়িও অবশিষ্ট রেখেছে? তিনি পুনরায় বলেনঃ আমরা আগামীকাল বনূ কিনানার ঘাঁটিতে (অর্থাৎ মুহাসসাবে) অবতরণ করবো যেখানে কুরায়াশগণ কুফরীর উপর অবিচল থাকার শপথ করেছিলো। অর্থাৎ বনূ কিনানাহ কুরায়াশদের নিকট থেকে বনু হাশিমের বিরুদ্ধে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি আদায় করে যে, তারা শেষোক্ত গোত্রের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না এবং ব্যবসায়িক লেনদেনও করবে না। মা’মার (রাঃ) বলেন, যুহরী (রাঃ) বলেছেন,আল- খায়ফ অর্থ উপত্যকা। [২৯৪২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪২] সহীহুল বুখারী ১৫৮৮, ৩০৫৮, ৪২৮৩, মুসলিম ১৩৫১, আবূ দাউদ ২০১০, ২৯১০। সহীহ আবু দাউদ ১৭৫৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৭. অধ্যায়ঃ

হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা।

২৯৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ رَأَيْتُ الأُصَيْلِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আল-উসায়লিহ্ অর্থাৎ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে দেখলাম যে, তিনি হাজরে আসওয়াদে চুমা দিচ্ছেন আর বলছেন, আমি অবশ্যই তোমাকে চুম্বন করছি। আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র, তুমি ক্ষতিও করতে পারো না এবং উপকারও করতে পার না। আমি যদি রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তোমায় চুমা দিতে না দেখতাম , তাহলে আমিও তোমায় চুমা দিতাম না। [২৯৪৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৩] সহীহুল বুখারী ১৫৯৭, ১৬০৫, ১৬১০, মুসলিম ১২৭০, ১২৭১, তিরমিযী ৮৬০, নাসায়ী ১৫৫৮, ২৯৩৬, ২৯৩৭, ২৯৩৮, আবূ দাউদ ১৮৭৩, আহমাদ ১০০, ১৩২, ১৭৭, ২২৭, ২৫৫, ২৭৬, ৩২৭, ৩৬৩, ৩৮২, ৩৮৩, মুয়াত্তা মালেক ১৮৬৪, ১৮৬৫, রাওদুন নাদীর ৭২৩, সহীহ আবু দাউদ ১৬৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৪৪

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ الرَّازِيُّ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَيَأْتِيَنَّ هَذَا الْحَجَرُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَهُ عَيْنَانِ يُبْصِرُ بِهِمَا وَلِسَانٌ يَنْطِقُ بِهِ يَشْهَدُ عَلَى مَنْ يَسْتَلِمُهُ بِحَقٍّ ‏”‏ ‏.‏

সাঈদ বিন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়া্মতের দিন এই পাথরকে উপস্থিত করা হবে। তার দুটি চোখ থাকবে, তা দিয়ে সে দেখবে, যবান থাকবে তা দিয়ে সে কথা বলবে এবং সে এমন লোকের অনুকূলে সাক্ষ্য দিবে যে তাকে সত্যতার সাথে চুমা দিয়েছে। [২৯৪৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৪]তিরমিযী ৯৬১, আহমাদ ২২১৬, ২৩৯৪, ২৬৩৮, ২৭৯৩, ৩৫০১, দারেমী ১৮৩৯, মিশকাত ২৫৭৮, আত-তালীক আলা ইবনু খুযাইমাহ ২৭৩৫, ২৭৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৪৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اسْتَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْحَجَرَ ثُمَّ وَضَعَ شَفَتَيْهِ عَلَيْهِ يَبْكِي طَوِيلاً ثُمَّ الْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَبْكِي فَقَالَ ‏ “‏ يَا عُمَرُ هَاهُنَا تُسْكَبُ الْعَبَرَاتُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথরের দিকে মুখ করলেন, অতঃপর তার উপর নিজের দুই ঠোঁট স্থাপন করে দীর্ঘক্ষণ কাঁদলেন। অতঃপর তিনি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখলেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ও কাঁদলেন। তিনি বলেন,হে উমার ! এটাই অশ্রু প্রবাহিত করার উপযুক্ত স্থান। [২৯৪৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ১১১১, যইফ আল-জামি’ ৬০৯০। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আওন সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি যা বর্ণনা করেন তা আমভাবে তার অনুসরণ করা যাবে না। আবুল ফাতহ আল-আযদী ও আবু বিশর আদ দাওলাবী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার হাদিস পরিতাজ্য। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫২৮, ২৬/২৪০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

২৯৪৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسْتَلِمُ مِنْ أَرْكَانِ الْبَيْتِ إِلاَّ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ وَالَّذِي يَلِيهِ مِنْ نَحْوِ دُورِ الْجُمَحِيِّينَ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহর কোন রুকনে চুমা খেতেন না, কেবলমাত্র রুকনুল আসওয়াদ (কালো পাথর) এবং এর নিকটের জুমাহ গোত্রের দিককার কোণে (রুকনে ইয়ামানিতে) চুমা খেতেন। [২৯৪৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৬] সহীহুল বুখারী ৩৯৬, ১২০৩, মুসলিম ১২২৭, ১২৬১, ১২৬৭, ১২৬৮, নাসায়ী ২৭৩২, ২৯৪২, ২৯৪৬, ২৯৪৮, ২৯৫১, আবূ দাউদ ১৮০৫, ১৮৭৬, ১৮৯১, আহমাদ ৪৯৬৩, ৫২১৬, ৫৭২৬, ৫৯০৭, ৬০১১, ৬৩৯৭, ৬৪২৭, ৮১৭, দারেমী ১৮৪২, সহীহ আবু দাউদ ১৬৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৮. অধ্যায়ঃ

লাঠির সাহায্যে রুকন (হাজরে আসওয়াদ) কে চুমা দেওয়া

২৯৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ لَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَامَ الْفَتْحِ طَافَ عَلَى بَعِيرِهِ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ بِيَدِهِ ثُمَّ دَخَلَ الْكَعْبَةَ فَوَجَدَ فِيهَا حَمَامَةَ عَيْدَانٍ فَكَسَرَهَا ثُمَّ قَامَ عَلَى بَابِ الْكَعْبَةِ فَرَمَى بِهَا وَأَنَا أَنْظُرُهُ ‏.‏

শায়বাহ’র কন্যা সাফিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর যখন নিশ্চিত (নিরাপদ) হলেন তখন তিনি স্বীয় উটে আরোহণ করে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করেন এবং নিজের হাতের লাঠির সাহাস্যে রুকন (হাজরে আসওয়াদ) কে চুম্বন করেন। অতঃপর তিনি কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং তথায় কাঠের তৈরী একটি কবুতর দেখতে পান। তিনি তা ভেঙ্গে ফেলেন এবং অতঃপর তা কাবার দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে নিক্ষেপ করেন। আমি তা দেখেছিলাম। [২৯৪৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৭] আবূ দাউদ ১৮৭৮, সহীহ আবু দাউদ ১৬৪৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বকর বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৪৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَافَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى بَعِيرٍ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে একটি উটে আরোহণ করে তাওয়াফ করেন এবং একটি লাঠির সাহায্যে (ইশারায়) রুকনকে চুম্বন করেন। [২৯৪৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৮] সহীহুল বুখারী ১৬০৮, ১৬১৩, ১৬৩২, ৫২৯৩, মুসলিম ১২৭২, তিরমিযী ৮৩৫, নাসায়ী ৭১৩, ২৯৫৪, আবূ দাউদ ১৮৭৭, ১৮৮১, আহমাদ ১৮৪৪, ২১১৯, ২২২৮, ২৭৬৮, দারেমী ১৮৪৫, আস-সহীহ ১৬৪০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৪৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا هَدِيَّةُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مَعْرُوفُ بْنُ خَرَّبُوذَ الْمَكِّيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، عَامِرَ بْنَ وَاثِلَةَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عَلَى رَاحِلَتِهِ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنِهِ وَيُقَبِّلُ الْمِحْجَنَ ‏.‏

আবূ তোফায়েল আমর বিন ওয়াসেলাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি তিনি তাঁর সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন, নিজ লাঠির সাহায্যে রুকন স্পর্শ করেন এবং লাঠিতে চুমা দেন। [২৯৪৯]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৪৯] মুসলিম ১২৭৫, আবু দাউদ ১৮৭৯, আহমাদ ১৩২৮৬, ইরওয়া ১১১৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬৪২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মা’রুফ বিন খাররাবুয আল-মাক্কী সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সন্দেহের সাথে হাদিস বর্ণনা করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৮৬, ২৮/২৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. হাদিয়্যাহ বিন আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইবনু আবু আসিম বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৫৪, ৩০/১৫৮ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/২৯. অধ্যায়ঃ

বায়তুল্লাহর চারপাশে তাওয়াফের সময় রমল করা

২৯৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ الطَّوَافَ الأَوَّلَ رَمَلَ ثَلاَثَةً وَمَشَى أَرْبَعَةً مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ শুরু করতেন তখন প্রথম তিন চক্করে (তাওয়াফে) রামল করতেন (বাহু দুলিয়ে বীরদর্পে প্রদক্ষিণ করতেন) এবং চার চক্করে সাধারণভাবে হেঁটে তাওয়াফ করতেন- হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ (প্রদক্ষিণ) শুরু করে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত। ইবনু উমার (রাঃ) ও তাই করতেন। [২৯৫০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫০] সহীহুল বুখারী ১৬৬, ৩৯৬, ৪৯২, ১৫৪১, ১৫৭৩, ১৫৭৪, ১৬০৩, ১৬০৪, ১৬১৬, ১৬১৭, ১৬২৪, ১৬৪৪, ১৬৪৬, ১৬৪৭, ১৬৯২, ১৭৯৪, ২৭০২, মুসলিম ১১৮৬, ১১৮৭, ১২২৭, ১২২৮, ১২৩৪, ১২৫৯, ১২৬০, ১২৬১, ১২৬৮, ১২৫৭, তিরমিযী ৮১৮, ৮২৪, ৮৬১, ৮৬৪, নাসায়ী ২৭৩২, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৯৩০, ২৯৪০, ২৯৪১, ২৯৪২, ২৯৪৩, ২৯৪৬, ২৯৬০, ২৯৬৬, ২৯৭৬, আবূ দাউদ ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭০৫, ১৮৬৫, ১৮৯১, ১৮৯৩, ১৯০৪, ৪০৬৪, ৪২১০, আহমাদ ৪৪৪৮, ৪৫৭১, ৪৬০৪, ৪৬১৪, ৪৮২৯, ৪৮৭২, ৪৯৬৩, ৫১৭৯, ৫২১৬, ৫৩৭৮, ৫৪২১, ৫৭০৩, ৫৭২৬, ৫৮৬০, ৫৯০৭, ৬০১১, ৬২০২, ৬৩৯৭, ৬৪২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭১৪, ৭৪০, ৭৪২, ৮১৭, ৯২৩, দারেমী ১৮৩৮, ১৮৪২, ১৯২৭, ১৯৩১, সহীহ আবু দাউদ ১৬৫২, ১৬৫৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

উক্ত হাদিসের রাবী আহমাদ বিন বাশীর সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। উসমান বিন সা’দ আদ-দারিমী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪/১/২৭৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ الْعُكْلِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَلَ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত তিনবার রামল করতেন এবং চারবার সাধারণ গতিতে তাওয়াফ করতেন। [২৯৫১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫১] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, রাওদুন নাদীর ২১২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ فِيمَ الرَّمَلاَنُ الآنَ وَقَدْ أَطَّأَ اللَّهُ الإِسْلاَمَ وَنَفَى الْكُفْرَ وَأَهْلَهُ وَايْمُ اللَّهِ مَا نَدَعُ شَيْئًا كُنَّا نَفْعَلُهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এখন এই দু’ রামলের মধ্যে কী ফায়দা আছে? এখন তো আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন এবং কুফর ও তার অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করেছেন। আল্লাহর শপথ! আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে যেসব আমল করেছি তার কিছুই ত্যাগ করব না। [২৯৫২]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৯৫২] আবূ দাউদ ১৮৮৭, আহমাদ ৩১৯, সহীহ আবু দাউদ ১৬৪৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হিশাম বিন সা’দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তার শিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। (তাহযীবুল কামাল রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৯৫৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لأَصْحَابِهِ حِينَ أَرَادُوا دُخُولَ مَكَّةَ فِي عُمْرَتِهِ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ ‏ “‏ إِنَّ قَوْمَكُمْ غَدًا سَيَرَوْنَكُمْ فَلَيَرَوُنَّكُمْ جُلْدًا ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ اسْتَلَمُوا الرُّكْنَ وَرَمَلُوا وَالنَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَعَهُمْ حَتَّى إِذَا بَلَغُوا الرُّكْنَ الْيَمَانِيَّ مَشَوْا إِلَى الرُّكْنِ الأَسْوَدِ ثُمَّ رَمَلُوا حَتَّى بَلَغُوا الرُّكْنَ الْيَمَانِيَّ ثُمَّ مَشَوْا إِلَى الرُّكْنِ الأَسْوَدِ فَفَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ مَشَى الأَرْبَعَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার ঘটনার পরবর্তী বছরে উমরা পালনকালে মক্কায় প্রবেশের প্রাক্কালে তাঁর সাহাবীগণকে বলেনঃ অচিরেই তোমাদের সম্প্রদায় আগামীকাল তোমাদের দেখতে পাবে। অতএব তারা যেন তোমাদের সতেজ ও চালাক চতুর দেখতে পায়। তারা মসজিদে প্রবেশ করে রুকন (পাথর) চুম্বন করেন এবং রামল করেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে ছিলেন। তারা রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে অগ্রসর হন। তারা পুনরায় রামল করে রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছান; অতঃপর রুকনুল আসওয়াদ পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে চলেন। তারা তিনবার রামল করেন ও চারবার স্বাভাবিক গতিতে হাঁটেন। [২৯৫৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৩] সহীহুল বুখারী ১৬০২, ১৬৪৯, ৪২৫৬, ৪২৫৭, মুসলিম ১২৬৪, ১২৬৫, ১২৬৬, তিরমিযী ৮৬৩, নাসায়ী ২৯৭৯, আবূ দাউদ ১৮৮৯, ১৮৯০, আহমাদ ২৬৮১, ২৬৮৩, ২৭৮৩, সহীহ আবু দাউদ ১৬৪৮, ১৬৫০, ১৬৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৩০. অধ্যায়ঃ

ইদতিবা’ (বিশেষ পদ্ধতিতে চাদর পরিধান)

২৯৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، وَقَبِيصَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، يَعْلَى أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَافَ مُضْطَبِعًا ‏.‏ قَالَ قَبِيصَةُ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ ‏.‏

ইয়া’লা বিন উমায়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান কাঁধ খোলা রেখে এবং বাম কাঁধের উপর চাদরের উভয় কোণ একত্রে লটকিয়ে তাওয়াফ করেন। কাবীসা (রাঃ) বলেন, তাঁর পরিধানে ছিল একটি চাদর। [২৯৫৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৪] তিরমিযী ৮৫৯, আবূ দাউদ ১৮৮৩, আহমাদ ১৭৪৯২, ১৭৪৯৫, ১৭৫০৪, দারেমী ১৮৪৩, সহীহ আবু দাউদ ১৬৪৫। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী কাবীসাহ বিন উকবাহ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবদুর রহমান বিন ইউসুফ বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৪৩, ২৩/৪৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৩১. অধ্যায়ঃ

হাতীমও তাওয়াফের অন্তর্ভূক্ত।

২৯৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْحِجْرِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ هُوَ مِنَ الْبَيْتِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مَا مَنَعَهُمْ أَنْ يُدْخِلُوهُ فِيهِ قَالَ ‏”‏ عَجَزَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا لاَ يُصْعَدُ إِلَيْهِ إِلاَّ بِسُلَّمٍ قَالَ ‏”‏ ذَلِكَ فِعْلُ قَوْمِكِ لِيُدْخِلُوهُ مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوهُ مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُ عَهْدٍ بِكُفْرٍ مَخَافَةَ أَنْ تَنْفِرَ قُلُوبُهُمْ لَنَظَرْتُ هَلْ أُغَيِّرُهُ فَأُدْخِلَ فِيهِ مَا انْتَقَصَ مِنْهُ وَجَعَلْتُ بَابَهُ بِالأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হিজর (হাতীম) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেনঃ তা বাইতুল্লার অন্তর্ভূক্ত। আমি বললাম, তাকে কা’বার অন্তর্ভূক্ত করতে কোন জিনিস তাদের বাধা দিলো? তিনি বলেনঃ অর্থাভাব তাদের অপারগ করে দিয়েছিল। আমি বললাম, তার দরজা এতো উঁচুতে স্থাপিত হওয়ার কারণ কী যে, তাতে সিঁড়ি ব্যতীত উঠা যায় না? তিনি বলেনঃ তা তোমার সম্প্রদায়ের কান্ড। তাদের মর্জি হলে কেউ তাতে প্রবেশ করতে পারতো, আর যাদেরকে ইচ্ছা তাতে প্রবেশে বাধা দিতো। তোমার সম্প্রদায়ের কুফরী ত্যাগের যুগ যদি অতি নিকট না হতো এবং (কাবা ঘর ভাঙার কারণে) তাদের মধ্যে বিতৃষ্ণার উদ্রেক হওয়ার আশঙ্কা না থাকতো, তাহলে তুমি দেখতে পেতে আমি কিভাবে তা পরিবর্তন করতাম! তা থেকে যা বাদ দেওয়া হয়েছিল আমি পুনরায় তা এর অন্তর্ভূক্ত করতাম আবং তার দরজা ভূমি বরাবর স্থাপন করতাম। [২৯৫৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৫] সহীহুল বুখারী ১২৬, ১৫৮৩, ১৫৮৫, ১৫৮৬, ৩৩৬৮, ৪৪৮৪, ৭২৪৩; মুসলিম ১৩৩৩; তিরমীযী ৮৭৫, ৮৭৬; নাসায়ী ২৯০০, ২৯০১, ২৯০২, ২৯০৩, ২৯১০, ২৯১২; আবূ দাউদ ২০২৮; আহমাদ ৩৭৭৬, ২৪১৮৮, ২৪৩০৬, ২৪৯১০, ২৪৯৩৫, ২৪৪৯৮, ২৫৫৬৯, ২৫৬২০, ২৫৭২৪; মুওয়াত্তা’ মালিক ৮১৩, দারীমী ১৮৬৮, ১৮৬৯; ইরওয়া ১১০৬; সহীহাহ ৪৩।তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৩২. অধ্যায়ঃ

তাওয়াফের ফযীলত।

২৯৫৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলো এবং দু’ রাকাআত নামায পড়লো, তা একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য। [২৯৫৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৬] তিরমিযী ৯৫৯, সহীহাহ ২৭৫২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي سَوِيَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ هِشَامٍ، يَسْأَلُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ الرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ، وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ وُكِلَ بِهِ سَبْعُونَ مَلَكًا فَمَنْ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – قَالُوا آمِينَ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا بَلَغَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ قَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ مَا بَلَغَكَ فِي هَذَا الرُّكْنِ الأَسْوَدِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ مَنْ فَاوَضَهُ فَإِنَّمَا يُفَاوِضُ يَدَ الرَّحْمَنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لَهُ ابْنُ هِشَامٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ فَالطَّوَافُ قَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَلاَ يَتَكَلَّمُ إِلاَّ بِسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَقُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مُحِيَتْ عَنْهُ عَشْرُ سِيِّئَاتٍ وَكُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ بِهَا عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَمَنْ طَافَ فَتَكَلَّمَ وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَالِ خَاضَ فِي الرَّحْمَةِ بِرِجْلَيْهِ كَخَائِضِ الْمَاءِ بِرِجْلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবনে হিশামকে রকনে ইয়ামানী সম্পর্কে আ’তা বিন আবূ রাবাহ (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছি। তিনি তখন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (রুকনে ইয়ামানীতে) সত্তরজন ফেরেশতা মোতায়েন আছেন। অতএব যে ব্যক্তি বলে, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকাল আফওয়া, ওয়াল-আফিয়াতা ফিদ-দুনয়া ওয়াল-আখিরাতে রব্বানা আতিনা ফিদ-দুনয়া হাসানাতান ওয়াফিল-আখিরাতে হাসানাতান ওয়াকিনা আযাবান-নার,” তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন। (“হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি দুনিয়া ও আখিরাতের। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেরও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন”)।

আতা’ বিন আবূ রাবাহ (রাঃ) রুকনুল-আসওয়াদ (হাজরে আসওয়াদ) পৌঁছালে ইবনু হিশাম (রাঃ) বলেন, হে আবূ মুহাম্মদ! এই রুকনল আসওয়াদ সম্পর্কে আপনি কী জানতে পেরেছেন? আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ “যে কেউ তার সামনা-সামনি হলো, সে যেন দয়াময় আল্লাহর হাতের সামনাসামনি হলো। ইবনু হিশাম পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আবূ মুহাম্মদ! তাওয়াফ সম্পর্কে কী এসেছে? আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ “যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’, তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে, তার জন্য দশটি নেকি লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফরত অবস্থায় কথা বলে, সে তার পদদ্বয় কেবল রহমাতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে, যেমন কারো পদদ্বয় পানিতে ডুবে থাকে।” [২৯৫৭]

তাহকীক আলবানীঃ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ২৫৯০, আত-তালীকুর রাগীব ২/১২১, যইফ আল-জামি’ ৫৬৮৩। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. হুমায়দ বিন আবু সাবিয়্যাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী ও আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি অপরিচিত। ইমাম যাহাবী তাকে মুনকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫২৯, ৭/৩৭৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৩৩. অধ্যায়ঃ

তাওয়াফ শেষে দু’ রাক’আত নামায পড়া।

২৯৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ السَّهْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا فَرَغَ مِنْ سَبْعِهِ جَاءَ حَتَّى يُحَاذِيَ بِالرُّكْنِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فى حَاشِيَةِ الْمَطَافِ وَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطُّوَّافِ أَحَدٌ ‏.‏ قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا بِمَكَّةَ خَاصَّةً ‏.‏

আল-মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি যে, তিনি সাত চক্কর তাওয়াফ শেষ করে হাজরে আসওয়াদ বরাবর এলেন এবং মাতাফের প্রান্তে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তাঁর ও তাওয়াফের মাঝে আর কেউ ছিল না। ইবনু মাজাহ (রহঃ) বলেন, এটা (সুতরাবিহীন অবস্থায় সলাত আদায় করা) কেবল মক্কার জন্য নির্দিষ্ট। [২৯৫৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৮] নাসায়ী ৭৫৮, ২৯৫৯, আবূ দাউদ ২০১৬, আহমাদ ২৬৬৯৯, যইফাহ ৯২৮, হুজ্জাতুন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ১২১। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। মুসনাদে আহমাদ ২৭২৪১ নং হাদিসে উক্ত হাদিসটিকে দুর্বল ও ইদতিরাব বলেছেন। উক্ত হাদিসের সানাদের মাঝে ইনকিতা রয়েছে, তাহলোঃ কাসীর তার পিতা থেকে হাদিসটি শ্রবন করেননি। তাছাড়া তার পিতাকে ইবনু হিব্বান ব্যাতিত কেউ তাওসীক করেননি। (সুনান ইবনু মাজাহ আল-আরনাওয়াত ৪/১৮৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৫৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدِمَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ – قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي عِنْدَ الْمَقَامِ – ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মক্কায়) পৌঁছে সাতবার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন, অতঃপর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেন। (ওয়াকী’ বলেন, অর্থাৎ মাকামে ইবরাহীমের নিকটে) , অতঃপর সাফা পর্বতের দিকে রওয়ানা হন। [২৯৫৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯৫৯]

বুখারী ১৬৬, ৩৯৬, ৪৯২, ১৫৪১, ১৫৭৩, ১৫৭৪, ১৬০৩, ১৬০৪, ১৬১৬, ১৬১৭, ১৬২৪, ১৬২৭, ১৬৪৪, ১৬৪৬, ১৬৪৭, ১৬৯২, ১৭৯৪, ২৭০২, মুসলিম ২০৩৩, ২০৩৭, ২১৫৯, ২১৬০, ২১৭২, ২২০৬, ২২০৭, ২২০৯, ২২১০, ২২১২, ২২২৫, ২৩৯৭, তিরমিযি ৮১৮, ৮২৪, ৮৬১, ৮৬৪, নাসাঈ ২৭৩২, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৯৩০, ২৯৪০, ২৯৪১, ২৯৪২, ২৯৪৩, ২৯৪৬, ২৯৬০, ২৯৬৬, ২৯৭৬, আবু দাউদ ১৭৭১, ১৭৭২, ১৮০৫, ১৮৬৫, ১৮৯১, ১৮৯৩, ১৯০৪, ৪০৬৪, ৪২১০, আহমাদ ৪৪৪৮, ৪৫৭১, ৪৬০৪, ৪৬১৪, ৪৮২৯, ৪৮৭২, ৪৯৬৩, ৫১৭৯, ৫২১৬, ৫৩৭৮, ৫৪২১, ৫৭০৩, ৫৭২৬, ৫৮৬০, ৫৯০৭, ৬০১১, ৬২০২, ৬৩৯৭, ৬৪২৭, মালিক ৭১৪, ৭৪০, ৭৪২, ৮১৭, ৯২৩, দারিমী ১৮৩৮, ১৮৪১, ১৮৪২, ১৯২৭, ১৯৩১, রাওদুন নাদীর ৫২৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

 

উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন সাবিত আল-আবদী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমভাবে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫১০৪, ২৪/৫৫৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৬০

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ طَوَافِ الْبَيْتِ أَتَى مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا مَقَامُ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ الَّذِي قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ ‏{وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى}‏ ‏.‏ قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِمَالِكٍ هَكَذَا قَرَأَهَا ‏{وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى}‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীমে এলেন। তখন উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এট আমাদের পিতা (পূর্ব পুরুষ) ইবরাহীম (আঃ) এর স্থান, যে সম্পর্কে মহামহিম আল্লাহ বলেনঃ “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ করো।” (সুরা বাকারাঃ ১২৫)। ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমি ইমাম মালিক (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এভাবে পাঠ করেছেনঃ “ওয়াত্তাখিযু মিম-মাকামি ইবরাহীমা মুসাল্লা”? তিনি বলেন, হাঁ। [২৯৬০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৯৬০] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

উক্ত হাদিসের রাবী আল-আব্বাদ বিন উসমান আদ-দিমাশকী সম্পর্কে আবুল হাসান বিন সুমায় বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৩২, ১৪/২৩৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস