ইবনে মাজাহ জিহাদ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৮২১ – ২৮৮১

১৮/২২. অধ্যায়:

যুদ্ধের ময়দানে পাগড়ি পরিধান

২৮২১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُسَاوِرٍ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ قَدْ أَرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ ‏.‏

আমর বিন হুরায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি যেন এখনো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি এবং তিনি তাঁর পাগড়ির উভয় প্রান্ত তাঁর দু’কাঁধের উপর ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। [২৮২১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২১] মুসলিম ১৩৫৯, ৫৩৪৩, ৫৩৪৬, আবূ দাউদ ৪০৭৭, আহমাদ ১৮২৫৯, মুখতাসারুশ শামাইল ৯৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন। [২৮২২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২২] মুসলিম ১৩৫৮, তিরমিযী ১৬৭৯, ১৭৩৫, নাসায়ী ২৮৭৯, ৫৩৪৪, ৫৩৪৫, আবূ দাউদ ৪০৬৭, আহমাদ ১৪৪৭৭, ১৪৭৩৭, দারেমী ১৯৩৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৩/১০৪, মুখতাসারুশ শামাইল ৯২, রাওদুন নাদীর ২০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/২৩ অধ্যায়ঃ

যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় করা

২৮২৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، حَدَّثَنَا سُنَيْدُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ حَيَّانَ الرَّقِّيِّ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ عُرْوَةَ الْبَارِقِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً سَأَلَ أَبِي عَنِ الرَّجُلِ، يَغْزُو فَيَشْتَرِي وَيَبِيعُ وَيَتَّجِرُ فِي غَزْوِهِ فَقَالَ لَهُ أَبِي كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَبُوكَ نَشْتَرِي وَنَبِيعُ وَهُوَ يَرَانَا وَلاَ يَنْهَانَا ‏.‏

যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি দেখলাম এক ব্যক্তি আমার পিতার নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছেন, যে যুদ্ধে যোগদান করে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় করছে। আমার পিতা তাকে বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তাবুকে অবস্থানকালে ক্রয়-বিক্রয় করতাম। তিনি আমাদের দেখতেন কিন্তু নিষেধ করতেন না। [২৮২৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ফিস সুনান ৭/৪০। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী সুনায়দ বিন দাউদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬০০, ১২/১৬১ নং পৃষ্ঠা) ২. খালিদ বিন হায়্যান আর-রাক্কী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় শিথিল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬০১, ৮/৪২ নং পৃষ্ঠা) ৩. আলী বিন উরওয়াহ আল-বারিকী সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইবনু আসিম বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১০৮, ২১/৬৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৮/২৪ অধ্যায়ঃ

মুজাহিদ বাহিনীকে এগিয়ে দেওয়া এবং তাদের বিদায় জানানো

২৮২৪

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لأَنْ أُشَيِّعَ مُجَاهِدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَكُفَّهُ عَلَى رَحْلِهِ غَدْوَةً أَوْ رَوْحَةً أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর পথের মুজাহিদকে বিদায় জানানো, অতঃপর তাকে সকালে বা সন্ধ্যায় তাঁর সওয়ারীতে তুলে দেয়া আমার নিকট দুনিয়া ও তার মধ্যকার সব কিছু থেকে অধিক পছন্দনীয়। [২৮২৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৪]

আহমাদ ১৫২১৬, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/১৫০, ইরওয়া ১১৮৯। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী জা’ফার বিন মুসাফির সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন। তিনি সালিহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৫৫, ৫/১০৮ নং পৃষ্ঠা) ২. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. যাব্বান বিন ফাইদ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৫৩, ৯/২৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮২৫

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ وَدَّعَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ الَّذِي لاَ تَضِيعُ وَدَائِعُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিদায় দিয়ে বলেন, আমি তোমাকে আল্লাহর আমানতে সোপর্দ করলাম, যাঁর নিকট সোপর্দকৃত জিনিস ধ্বংস হয় না। [২৮২৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৫] আহমাদ ৮৯৭৭, সহীহাহ ১৬, ২৫৪৭, তাখরীজুল কালিমুত তায়্যিব ১৬৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮২৬

حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مِحْصَنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَشْخَصَ السَّرَايَا يَقُولُ لِلشَّاخِصِ ‏ “‏ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সামরিক বাহিনীকে বিদায় দিয়ে বলতেনঃ আমি তোমার দীন, তোমার বিশ্বস্থতা ও তোমার সর্বশেষ আমল আল্লাহর নিকট সোপর্দ করলাম। [২৮২৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৬] তিরমিযী ৩৪৪২, আবূ দাউদ ২৬০০, আহমাদ ৪৫১০, ৪৭৫৬, ৪৯৩৭, ৬১৬৪, সহিহ ১৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/২৫ অধ্যায়ঃ

সারিয়্যা (ক্ষুদ্র যুদ্ধাভিযান)

২৮২৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْعَامِلِيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَكْثَمَ بْنِ الْجَوْنِ الْخُزَاعِيِّ ‏ “‏ يَا أَكْثَمُ اغْزُ مَعَ غَيْرِ قَوْمِكَ يَحْسُنْ خُلُقُكَ وَتَكْرُمْ عَلَى رُفَقَائِكَ يَا أَكْثَمُ خَيْرُ الرُّفَقَاءِ أَرْبَعَةٌ وَخَيْرُ السَّرَايَا أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَيْرُ الْجُيُوشِ أَرْبَعَةُ آلاَفٍ وَلَنْ يُغْلَبَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا مِنْ قِلَّةٍ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকসাম বিন জাওন আল-খুযাঈ (রাঃ) কে বলেনঃ হে আকসাম! তুমি তোমার সম্প্রদায় ব্যাতীত অন্য সম্প্রদায়ের সাথে একত্ত্রে জিহাদ করো, তাহলে তোমার চরিত্র সুন্দর হবে। তোমার সঙ্গীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করো (বা সঙ্গীদের সম্মান করো)। উত্তম সঙ্গী চারজন এবং উত্তম সারিয়্যা (ক্ষুদ্র যুদ্ধাভিযান) হলো চারটি, যার সৈন্যসংখ্যা চারশত। চার হাজার সৈন্য সম্বলিত সেনাদল হলো উত্তম। আর ১২ হাজার সদস্যবিশিষ্ঠ সেনাদল সংখ্যা স্বল্পতার দরুন কখনো পরাজিত হবে না। [২৮২৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাদীসের ২য় অংশ ব্যাতীত খুবই দুর্বল। কারণ (আরবি) অংশটি সহিহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৯৮৬, যইফ আল-জামি’ আস- সগীর ৬৩৭৯, সহীহ আল-জামি’ ৭৮৫০। তাহকীক আলবানীঃ হাদিসের ২য় অংশ ব্যাতিত খুবই দুর্বল। কারণ …… خَيْرُ الرُّفَقَاءِ অংশটি সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল মালিক মুহাম্মাদ বিন সানআনী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। সুলায়মান বিন আবদুর রহমান বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার থেকে হাদিস গ্রহন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৫৭, ১৮/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু উসামাহ আল-আমিলী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু মুসহিব আল-গাসসানী বলেন, তিনি মিথ্যুক। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৪১২, ৩৩/৩৭৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২৮২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ أَصْحَابَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يَوْمَ بَدْرٍ ثَلاَثَمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ عَلَى عِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوتَ مَنْ جَازَ مَعَهُ النَّهَرَ وَمَا جَازَ مَعَهُ إِلاَّ مُؤْمِنٌ ‏.‏

বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আলোচনা করতাম যে, বদরের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীর সংখ্যা ছিল তিন শত দশের কিছু বেশী। এই সংখ্যা ছিল তালূতের সাথে নদী অতিক্রমকারী সেনাদলের সমান। তালূতের সাথে মুমিন ব্যক্তিগনই নদী পার হয়েছিলেন। [২৮২৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৮] সহীহুল বুখারী ৩৯৫৬, তিরমিযী ১৬৯৮, আহমাদ ১৮০৮৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮২৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ لَهِيعَةَ بْنِ عُقْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْوَرْدِ، صَاحِبَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِيَّاكُمْ وَالسَّرِيَّةَ الَّتِي إِنْ لَقِيَتْ فَرَّتْ وَإِنْ غَنِمَتْ غَلَّتْ ‏.‏

আবুল ওয়ারদ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তোমরা সেই সেনাদল পরিহার করো যারা শত্রুর মোকাবিলায় অবতীর্ণ হলে পলায়ন করে এবং গনীমাত পেলে তাতে প্রতারণা করে। [২৮২৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সনদটি দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮২৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা) ২. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. লাহীআহ বিন উকবাহ সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০১৪, ২৪/২৫২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/২৬ অধ্যায়ঃ

মুশরিকদের পাত্রে আহার করা

২৮৩০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ طَعَامِ النَّصَارَى فَقَالَ ‏ “‏ لاَ يَخْتَلِجَنَّ فِي صَدْرِكَ طَعَامٌ ضَارَعْتَ فِيهِ نَصْرَانِيَّةً ‏”‏ ‏.‏

হুলব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নাসারাদের (খৃস্টানদের) খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তোমার অন্তরে যেন কোন খাদ্য সন্দেহ সৃষ্টি না করে, তাহলে তুমিও এ ক্ষেত্রে নাসারাদের অনুরূপ হয়ে যাবে। [২৮৩০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩০] তিরমিযী ১৫৬৫, আবূ দাউদ ৩৭৮৪, আহমাদ ২১৪৫৮, হিজাবুল মারআহ ৯২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস যারা শ্রবন করেছেন তা সহীহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৩১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ، رُوَيْمٍ اللَّخْمِيُّ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، – قَالَ وَلَقِيَهُ وَكَلَّمَهُ – قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُدُورُ الْمُشْرِكِينَ نَطْبُخُ فِيهَا قَالَ ‏”‏ لاَ تَطْبُخُوا فِيهَا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَإِنِ احْتَجْنَا إِلَيْهَا فَلَمْ نَجِدْ مِنْهَا بُدًّا قَالَ ‏”‏ فَارْحَضُوهَا رَحْضًا حَسَنًا ثُمَّ اطْبُخُوا وَكُلُوا ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’লাবাহ আল-খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! মুশরিকদের হাঁড়ি-পাতিলে কি আমরা রান্না করব? তিনি বলেনঃ তোমরা তাতে রান্না করো না। আমি বললাম, আমরা যদি এর মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ি এবং সেগুলো ছাড়া যদি আমরা পাত্র না পাই? তিনি বলেনঃ তাহলে তোমরা তা উত্তমরূপে ধুয়ে নাও, অতঃপর তাতে রান্না করো এবং আহার করো। [২৮৩১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩১]আবূ দাউদ ৩৮৩৯, আল-ইরওয়া ৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ফারওয়াহ ইয়াযীদ বিন সিনান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি হাদিস গ্রহনে শিথিল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০০১, ৩২/১৫৫ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবু ফারওয়াহ ইয়াযীদ বিন সিনান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৭৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৩২, তিরমিযি ১৫৬০, ১৭৯৬, আবু দাউদ ৩৮৩৯, দারিমী ২৪৯৯, আহমাদ ১৭২৭৭, ১৭২৯৮, দারাকুতনী ৪৭৫৬, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৫৮০৩, ১০১৫১, শারহুস সুন্নাহ ২৭৭১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/২৭ অধ্যায়ঃ

মুশরিকদের সাহায্য চাওয়া

২৮৩২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ نِيَارٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّا لاَ نَسْتَعِينُ بِمُشْرِكٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ فِي حَدِيثِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ أَوْ زَيْدٍ ‏.‏

আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয় আমরা কোন মুশরিকের সাহায্য চাইনা। ‘আলী (রাঃ) তার রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন যে, রাবীর নাম ‘আবদুল্লাহ বিন ইয়াযীদ অথবা যায়েদ। [২৮৩২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩২] মুসলিম ১৮১৭, তিরমিযী ১৫৫৮, আবূ দাউদ ২৭৩২, আহমাদ ২৩৮৬৫, ২৪৬৩২, দারেমী ২৪৯৬, সহীহ আবু দাউদ ২৪৪২, সহীহাহ ১১০১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/২৮ অধ্যায়ঃ

যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন

২৮৩৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحَرْبُ خُدْعَةٌ ‏”‏ ‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যুদ্ধ হলো কৌশল। [২৮৩৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রাওদুন নাদীর ৩৭০, সহীহ আবু দাউদ ২৩৭০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির। উক্ত হাদিসের রাবী ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বাকর বিন শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ মুতওয়াতির

  •  সরাসরি

২৮৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مَطَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحَرْبُ خُدْعَةٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যুদ্ধ হলো কৌশল। [২৮৩৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৪]হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বাকর বিন শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মাতার বিন মায়মুন সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯৮, ২৮/৫৮ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মাতার বিন মায়মুন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৩৬ টি খুবই দুর্বল, ৯৩ টি দুর্বল, ৬৮ টি হাসান, ৭১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩০২৯, ৩০৩০, মুসলিম ১৭৪২, তিরমিযি ১৬৭৫, আবু দাউদ ২৬৩৬, ২৬৩৭, আহমাদ ৬৯৮, ৬৯৯, ১০৩৭, ১০৯২, ১২৯২৯, ১৩৮৬৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/২৯ অধ্যায়ঃ

মল্লযুদ্ধ ও নিহত শত্রুর মাল

২৮৩৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، وَحَفْصُ بْنُ عَمْرٍو، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ الرُّمَّانِيِّ، – قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هُوَ يَحْيَى بْنُ الأَسْوَدِ – عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يُقْسِمُ لَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَاتُ فِي هَؤُلاَءِ الرَّهْطِ السِّتَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ ‏{‏هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ‏:‏ ‏{‏ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ‏}‏ فِي حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ اخْتَصَمُوا فِي الْحُجَجِ يَوْمَ بَدْرٍ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিবাদে লিপ্ত…’’ (সূরা হজ্জঃ১৯) শীর্ষক আয়াত নাযিল হয় বদর যুদ্ধের দিন ছয় ব্যক্তি সম্পর্কেঃ (মুসলমানদের) হামযা বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) , ‘আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) ও উবায়দা ইবনুল হারিছ( রাঃ) এবং (কাফেরদের) উতবা বিন রবীআ, শায়বা বিন রবীআ ও ওয়ালীদ বিন উতবা সম্পর্কে। বদরের দিন তারা পরস্পরের সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। [২৮৩৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৫] সহীহুল বুখারী ৩৯৬৬, ৩৯৬৮, ৩৯৬৯, ৪৭৪৩, মুসলিম ৩০৩৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৩৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ بَارَزْتُ رَجُلاً فَقَتَلْتُهُ فَنَفَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَلَبَهُ ‏.‏

সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি এক ব্যক্তির সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মালপত্র আমাকে দিলেন। [২৮৩৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৬] সহীহুল বুখারী ৩০৫১, মুসলিম ১৭৫৪, দারেমী ২৪৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَهُ سَلَبَ قَتِيلٍ قَتَلَهُ يَوْمَ حُنَيْنٍ ‏.‏

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হুনায়নের যুদ্ধের দিন তিনি যাকে হত্যা করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মালপত্র তাকে দিলেন। [২৮৩৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৭] সহীহুল বুখারী ৩১৪২, ৪৩২২, ৭১৭০মুসলিম ১৭৫১, তিরমিযী ১৫৬২, আবূ দাউদ ২৭১৭, আহমাদ ২২০১২, ২২০২১, ২২১০১, ২২১০৮, মুয়াত্তা মালেক ৯৯০, দারেমী ২৪৮৫, সহীহ আবু দাউদ ২৪৩০, ইরওয়া ১২২১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৩৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ ابْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَتَلَ فَلَهُ السَّلَبُ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (যুদ্ধের ময়দানে) যে যাকে হত্যা করে তার মালপত্র হত্যাকারীর প্রাপ্য। [২৮৩৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৮] আহমাদ ১৯৬৩১, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/৩০৬, ৩২৪, ৯/১১০, ইবনু হিব্বান ৪৭০৫, ৪৮৩৭, আস-সহীহ ২৪৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩০ অধ্যায়ঃ

রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণ এবং নারী ও শিশু নিধন প্রসঙ্গে

২৮৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَهْلِ الدَّارِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُبَيَّتُونَ فَيُصَابُ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ قَالَ ‏ “‏ هُمْ مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏

সা’ব বিন জাসসামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হলো যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তারাও (নারী ও শিশু) তাদের অন্তর্ভুক্ত। [২৮৩৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৩৯]সহীহুল বুখারী ৩০১৩, মুসলিম ১৭৪৫, তিরমিযী ১৫৭০, আবূ দাউদ ২৬৭২, ৩০৮৩, ৩০৮৪, আহমাদ ২৭৯০২, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ أَبِي بَكْرٍ هَوَازِنَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْنَا مَاءً لِبَنِي فَزَارَةَ فَعَرَّسْنَا حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ الصُّبْحُ شَنَنَّاهَا عَلَيْهِمْ غَارَةً فَأَتَيْنَا أَهْلَ مَاءٍ فَبَيَّتْنَاهُمْ فَقَتَلْنَاهُمْ تِسْعَةً أَوْ سَبْعَةَ أَبْيَاتٍ ‏.‏

সালামা ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আবূ বাকর (রাঃ) -এর সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। আমরা ফাযারা গোত্রের পানির উৎসে পৌঁছে সেখানে রাত কাটাই। ভোর হলে আমরা তাদেরকে অতর্কিত আক্রমণ করলাম। অতঃপর আমরা পানির মালিকদের নিকট এসে তাদেরকে আক্রমণ করে তাদের নয় অথবা সাত ঘর লোককে হত্যা করি। [২৮৪০]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪০] মুসলিম ১৭৫৫, আবূ দাউদ ২৬৯৭, আহমাদ ১৬০৬৭, ১৬০৭০, ১৬১০২, সহীহ আবু দাউদ ২৩৭১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইকরিমাহ বিন আম্মার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি কোন সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করলে তার হাদিস গ্রহণযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০০৮, ২০/২৫৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৪১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً مَقْتُولَةً فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ فَنَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক নারীকে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেন। অতঃপর তিনি নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করলেন। [২৮৪১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪১] সহীহুল বুখারী ৩০১৫, ৩০১৪, মুসলিম ১৭৪৪, তিরমিযী ১৫৬৯, আ২৬৬৮, আহমাদ ৪৭২৫, ৪৭৩২, ৫৪৩৫, ৫৬২৬, ৫৭১৯, ৫৯২৩, ৬০০১, ৬০১৯, মুয়াত্তা মালেক ৯৮১, দারেমী ২৪৬২, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/৭৭, ইবনু হিব্বান ১৩৫, ইরওয়া ১২১০, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৪২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْمُرَقَّعِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ حَنْظَلَةَ الْكَاتِبِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَرْنَا عَلَى امْرَأَةٍ مَقْتُولَةٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهَا النَّاسُ فَأَفْرَجُوا لَهُ فَقَالَ ‏(‏مَا كَانَتْ هَذِهِ تُقَاتِلُ فِيمَنْ يُقَاتِلُ‏)‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِرَجُلٍ ‏(‏انْطَلِقْ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَقُلْ لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ يَقُولُ لاَ تَقْتُلَنَّ ذُرِّيَّةً وَلاَ عَسِيفًا‏)‏‏.‏

 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْمُرَقَّعِ، عَنْ جَدِّهِ، رَبَاحِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ يُخْطِئُ الثَّوْرِيُّ فِيهِ ‏.‏

হানযালাহ আল-কাতিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে যুদ্ধ করলাম। আমরা নিহত নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যার নিকট লোকজন ভীড় জমিয়েছিল। লোকেরা তাঁর জন্যে পথ করে দিলো। তিনি বলেনঃ যারা যুদ্ধ করে, সে তো তাদের সাথে যুদ্ধ করতো না! অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলেনঃ তুমি খালিদ ইবনুল ওয়ালিদকে গিয়ে বলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের এই বলে নির্দেশ দিয়েছেনঃ তোমরা কখনো শিশু ও শ্রমিককে হত্যা করো না।

 

[উপ্রোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়ীছে, অপর সানাদটি হলোঃ]

 

————

 

৪/২৮৪২(১). রাবাহ ইবনুর রাবী‘ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। আবূ বাকর বিন আবূ শায়বাহ বলেন, সাওবী তার এই রিয়ায়াতে ভুল করেছেন। [২৮৪২]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪২] আবূ দাউদ ২৬৬৯, আহমাদ ১৭১৮৫, সহীহাহ ৭০১, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৮/৩১ অধ্যায়ঃ

শত্রুর জনপদ ভস্মীভূত করা

২৮৪৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الأَخْضَرِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا أُبْنَى فَقَالَ ‏ “‏ ائْتِ أُبْنَى صَبَاحًا ثُمَّ حَرِّقْ ‏”‏ ‏.‏

উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে উবনা’ নামে কথিত একটি জনপদে পাঠালেন এবং বললেনঃ তুমি ভোরবেলা উবনা পৌঁছে তাকে ভস্মীভূত করো। [২৮৪৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪৩] আবূ দাউদ ২৬১৬, যইফ আবু দাউদ ৪৫১। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী সালিহ বিন আবুল আখদার সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ ‏.‏ وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً }‏ الآيَةَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদি নাদীর গোত্রের বুওয়ায়রা নামক খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন এবং কেটে ফেলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেন (অনুবাদ) : “তোমরা যে খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলেছো এবং যেগুলো কাণ্ডের উপর স্থির রেখেছো …’’ (সূরা হাশরঃ ৫)। [২৮৪৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪৪] সহীহুল বুখারী ২৩২৬, ৩০২১, ৪০৩১, ৪০৩২, ৪৮৮৪, মুসলিম ১৭৪৬, তিরমিযী ১৫৫২, ৩৩০২, আবূ দাউদ ২৬১৫, আহমাদ ৪৫১৮, ৫১১৫, ৫৪৯৫, ৬০১৮, ৬২১৫, দারেমী ২৪৬০, সহীহ আবু দাউদ ২৩৫৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৪৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ ‏.‏ وَفِيهِ يَقُولُ شَاعِرُهُمْ فَهَانَ عَلَى سَرَاةِ بَنِي لُؤَىٍّ حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ

ইবনু উমার(রা) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ নাযীরের খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন এবং কেটে ফেলেন। এ বিষয়ে তাদের (মুসলিমদের) কবি (হাসসান বিন সাবিত রাঃ) বলেনঃ “লুআয়্যি (কুরায়শ) গোত্রের নেতৃবৃন্দের পক্ষে বুওয়ায়রা নামক বাগানটি ব্যাপকভাবে জ্বালিয়ে দেয়া সহজ”। [২৮৪৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪৫] সহীহুল বুখারী ২৩২৬, ৩০২১, ৪০৩১, ৪০৩২, ৪৮৮৪, মুসলিম ১৭৪৬, তিরমিযী ১৫৫২, ৩৩০২, আবূ দাউদ ২৬১৫, আহমাদ ৪৫১৮, ৫১১৫, ৫৪৯৫, ৬০১৮, ৬২১৫, দারেমী ২৪৬০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩২ অধ্যায়ঃ

বন্দীদের মুক্তিপণস্বরূপ দেয়া

২৮৪৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ أَبِي بَكْرٍ هَوَازِنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَفَّلَنِي جَارِيَةً مِنْ بَنِي فَزَارَةَ مِنْ أَجْمَلِ الْعَرَبِ عَلَيْهَا قِشْعٌ لَهَا فَمَا كَشَفْتُ لَهَا عَنْ ثَوْبٍ حَتَّى أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي السُّوقِ فَقَالَ ‏ “‏ لِلَّهِ أَبُوكَ هَبْهَا لِي ‏”‏ ‏.‏ فَوَهَبْتُهَا لَهُ فَبَعَثَ بِهَا فَفَادَى بِهَا أُسَارَى مِنْ أُسَارَى الْمُسْلِمِينَ كَانُوا بِمَكَّةَ ‏.‏

সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আবূ বকর (রাঃ) -র সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করি। তিনি ফাযারা গোত্রের একটি কন্যা গনীমতের অতিরিক্ত আমাকে দেন। সে ছিল আরবের সেরা সুন্দরী। তার পরনে ছিল চামড়ার পোশাক। আমি তার কাপড় উন্মোচন করিনি। এমতাবস্থায় আমি মদীনায় পৌঁছি। বাজারে আমার সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাক্ষাত হলে তিনি বলেনঃ তোমার পিতা ছিল উত্তম লোক (তোমার পিতা, আল্লাহর শপথ!) , ঐ মেয়েটিকে আমাকে দান করো। আমি মেয়েটিকে দান করলাম। অতঃপর তিনি সেই মেয়েটিকে মক্কায় বন্দী মুসলমানদের মুক্তিপণস্বরূপ তথায় পাঠিয়ে দেন। [২৮৪৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৮৪৬] মুসলিম ১৭৫৫, আবূ দাউদ ২৬৯৭, আহমাদ ১৬০৬২, ১৬০৭০, ১৬১০২, সহীহ আবু দাউদ ২৪১৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইকরিমাহ বিন আম্মার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি কোন সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করলে তার হাদিস গ্রহণযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০০৮, ২০/২৫৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩৩ অধ্যায়ঃ

শক্রপক্ষ কোন জিনিস দখলে নিয়ে যাবার পর পুনরায় তা মুসলমানদের দখলে আসলে

২৮৪৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ذَهَبَتْ فَرَسٌ لَهُ فَأَخَذَهَا الْعَدُوُّ فَظَهَرَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّ عَلَيْهِ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ وَأَبَقَ عَبْدٌ لَهُ فَلَحِقَ بِالرُّومِ فَظَهَرَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার একটি ঘোড়া ছুটে চলে গেলে শত্রুপক্ষ তা ধরে নিয়ে যায়। এরপর মুসলমানগণ তাদের উপর বিজয়ী হলে তার ঘোড়া তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময়কার। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, তার একটি গোলাম পলায়ন করে রূম এলাকায় চলে যায়। অতঃপর মুসলমানগণ তাদের উপর বিজয়ী হলে (এবং গোলামটিকে গ্রেপ্তার করে আনা হলে) খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রাঃ) তা তাকে ফেরত দেন। এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইন্তিকালের পরের ঘটনা। [২৮৪৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪৭] সহীহুল বুখারী ৩০৬৮, ৩০৬৯, আবূ দাউদ ২৬৯৮, ৩৬৯৯, সহীহ আবু দাউদ ২৪১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩৪ অধ্যায়ঃ

গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা

২৮৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ تُوُفِّيَ رَجُلٌ مِنْ أَشْجَعَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَنْكَرَ النَّاسُ ذَلِكَ وَتَغَيَّرَتْ لَهُ وُجُوهُهُمْ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ إِنَّ صَاحِبَكُمْ غَلَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زَيْدٌ فَالْتَمَسُوا فِي مَتَاعِهِ فَإِذَا خَرَزَاتٌ مِنْ خَرَزِ يَهُودَ مَا تُسَاوِي دِرْهَمَيْنِ ‏.‏

যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আশজাআ গোত্রের এক ব্যক্তি খায়বারে যুদ্ধের দিন মারা গেল। নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর নামায পড়ো। লোকদের কাছে বিষয়টি খুব খারাপ লাগলো এবং এর কারনে তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেলো। তিনি তা দেখে বলেনঃ তোমাদের সাথী আত্মসাৎ করেছে। যায়েদ (রাঃ) বলেন, তারা তার মালপত্র তালাশ করলে তার মধ্যে ইহূদীদের দু’দিরহাম মূল্যের আংটির পাথর বা মনি পাওয়া গেল।[২৮৪৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৪৮] নাসায়ী ১৯৫৯, আবূ দাউদ ২৭১০, আহমাদ ২১১৬৭, মুয়াত্তা মালেক ৯৯৫, আল-আহকাম ৭৯, ইরওয়া ৭২৬, আত-তালীকুর রাগীব ২/১৮৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আমরাহ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৫৪৩, ৩৪/১৪০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৪৯

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ عَلَى ثَقَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ كِرْكِرَةُ ‏.‏ فَمَاتَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هُوَ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ فَذَهَبُوا يَنْظُرُونَ فَوَجَدُوا عَلَيْهِ كِسَاءً أَوْ عَبَاءَةً قَدْ غَلَّهَا ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কিরকিরা নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মালপত্র পাহারা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। সে মারা গেলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে জাহান্নামী। সাহাবীগন অনুসন্ধান করে তার সঙ্গে একটি কম্বল অথবা একটি আবা পেলো যা সে আত্মসাৎ করেছিল। [২৮৪৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৪৯] সহীহুল বুখারী ৩০৭৪, আহমাদ ৬৪৫৭, বায়হাকী ফিস সুনান ৩/৩৮৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৫০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عِيسَى بْنِ سِنَانٍ عَنْ يَعْلَى بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ إِلَى جَنْبِ بَعِيرٍ مِنَ الْمَقَاسِمِ ثُمَّ تَنَاوَلَ شَيْئًا مِنَ الْبَعِيرِ فَأَخَذَ مِنْهُ قَرَدَةً – يَعْنِي وَبَرَةً – فَجَعَلَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ هَذَا مِنْ غَنَائِمِكُمْ أَدُّوا الْخَيْطَ وَالْمِخْيَطَ فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ فَمَا دُونَ ذَلِكَ فَإِنَّ الْغُلُولَ عَارٌ عَلَى أَهْلِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشَنَارٌ وَنَارٌ ‏”‏ ‏.

উবাদাহ ইবনুস সামিত(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হুনায়নের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে গনীমতের উটের পাশে নামায পরলেন। তারপর তিনি উটের দেহ থেকে একটি পশম নিয়ে তা তাঁর দু’আঙ্গুলের মাঝে রেখে বলেনঃ হে লোকসকল! অবশ্য এটা তোমাদের গনীমতের মাল। সুতা এবং সুঁই, আর যা পরিমানে তার চেয়ে বেশী এবং যা তার চেয়ে কম, সবই তোমরা গনীমতের মালের মধ্যে জমা দাও। কেননা গনীমতের মাল চুরি করার ফলে কিয়ামতের দিন তা চোরের জন্য অপমান ও গ্লানি এবং জাহান্নামের শাস্তির কারন হবে। [২৮৫০]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৫/৭৪-৭৫, সহীহাহ ৯৮৫। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু সিনান ঈসা বিন সিনান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আল-ফাররা বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল ও আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬২৬, ২২/৬০৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৮/৩৫. অধ্যায়ঃ

গণীমতের মাল থেকে পুরস্কারস্বরূপ কিছু দান করা

২৮৫১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جَارِيَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ الثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ ‏

হাবীব বিন মাসলামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক পঞ্চমাংশ নেয়ার পর অবশিষ্ট মালের এক তৃ্তীয়াংশ থেকে নফল (পুরস্কার) দিয়েছেন। [২৮৫১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫১] আবূ দাউদ ২৭৪৮, ২৭৪৯, ২৭৫০, আহমাদ ১৭০০৮, ১৭০১১, দারেমী ২৪৮৩, মাজাহ ২৮৫৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৮/১৫৫, রাওদুন নাদীর ২৮০, সহীহ আবু দাউদ ২৪৫৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৫২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ الزُّرَقِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَفِي الرَّجْعَةِ الثُّلُثَ ‏.‏

উবাদাহ ইউনুস সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের প্রথমভাগের গণীমতের মালের এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতি যুদ্ধে এক-তৃতীয়াংশ থেকে (পুরস্কারস্বরূপ) অতিরিক্ত দেন। [২৮৫২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানদটি দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫২]

তিরমিযি ১৫৬১, আহমাদ ২২২৫৬, দারেমী ২৪৮২, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/২০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুর রহমান ইবনুল হারিস আয-যুরাকী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা) ২. সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকীহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। ইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৫৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ أَنْبَأَنَا رَجَاءُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ لَا نَفَلَ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَرُدُّ الْمُسْلِمُونَ قَوِيُّهُمْ عَلَى ضَعِيفِهِمْ قَالَ رَجَاءٌ فَسَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ مُوسَى يَقُولُ لَهُ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَحِينَ قَفَلَ الثُّلُثَ فَقَالَ عَمْرٌو أُحَدِّثُكَ عَنْ أَبِي عَنْ جَدِّي وَتُحَدِّثُنِي عَنْ مَكْحُولٍ

আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এর পর আর কোন নফল (অতিরিক্ত) দেওয়া যাবে না। শক্তিশালী মুসলামানগণ দুর্বল মুসলমানকে গণীমতের মাল ফেরত দিবে। রাবী রাজা (রাঃ) বলেন, আমি সুলায়মান বিন মূসাকে বলতে শুনেছি, মাকহূল আমাকে হাবীব বিন মাসলামা্র সূ্ত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের প্রথমভাগের অর্জিত গণীমতের মালের এক-চতুর্থাংশ এবং শেষভাগে অর্জিত গনীমতের এক-তৃ্তীয়াংশ পুরস্কারস্বরূপ দিতেন। আমর (রাঃ) বলেন, আমি যেখানে তোমাকে আমার পিতা ও দাদার সূ্ত্রে হাদীস শুনাচ্ছি, সেখানে তুমি আমাকে মাকহূ্লের সূ্ত্রে হাদীস শুনাচ্ছো। [২৮৫৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ আমর থেকে মাওকূফ ব্যতীত সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫৩] আবূ দাউদ ২৭৪৮, ২৭৪৯, ২৭৫০, আহমাদ ১৭০০৮, ১৭০১১, দারেমী ২৪৮৩, মাজাহ ২৮৫১, সহীহ আবু দাউদ ২৪৫৫, ২৪৫৬, তাহকীক আলবানীঃ আমর থেকে মাওকুফ ব্যাতিত সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল হুসায়ন সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে সাওরীর হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১৮/৩৬. অধ্যায়ঃ

গণীমতের মাল বন্টন

২৮৫৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْهَمَ يَوْمَ خَيْبَرَ لِلْفَارِسِ ثَلاَثَةَ أَسْهُمٍ لِلْفَرَسِ سَهْمَانِ وَلِلرَّجُلِ سَهْمٌ ‏.‏

ইবনূ উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধের দিন গনীমতের মাল বন্টন করে অশ্বারোহীর জন্য তিনভাগঃ ঘোড়ার জন্য দু’ভাগ এবং পদাতিকের জন্য একভাগ। [২৮৫৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫৪] সহীহুল বুখারী ২৮২৩, ২৪২৮, ১৬৩২, তিরমিযী ১৫৫৪, আবূ দাউদ ২৭৩৩, আহমাদ ৫৩৮৯, ৫৪৯৪, দারেমী ২৪৭২, বায়হাকী ফিস সুনান ২/৩২৪, ৩২৫, ৯/৩৩১, ইবনু হিব্বান ৪৮১০, সহীহ আবু দাউদ ২৪৪৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩৭. অধ্যায়ঃ

গোলাম ও মহিলারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে শরীক হলে

২৮৫৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَيْرًا، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ – قَالَ وَكِيعٌ كَانَ لاَ يَأْكُلُ اللَّحْمَ – قَالَ غَزَوْتُ مَعَ مَوْلاَىَ يَوْمَ خَيْبَرَ وَأَنَا مَمْلُوكٌ فَلَمْ يَقْسِمْ لِي مِنَ الْغَنِيمَةِ وَأُعْطِيتُ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ سَيْفًا فَكُنْتُ أَجُرُّهُ إِذَا تَقَلَّدْتُهُ ‏.‏

ওয়াকী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবুল লাহম (রাঃ) গোশত খেতেন না। উমাইর (রাঃ) বলেন, আমি গোলাম অবস্থায় আমার মনিবের সাথে খায়বারের দিন যুদ্ধ করেছিলাম। গনীমতের মালে আমাকে ভাগ দেওয়া হয়নি। আমাকে ঘরের আসবাবপত্র থেকে একখানি তরবারি দেয়া হয়। আমি তা কোমরে বেঁধে মাটিতে হেঁচরিয়ে নিয়ে যেতাম। [২৮৫৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫৫] তিরমিযী ১৫৫৭, আবূ দাউদ ২৭৩০, আহমাদ ২৭৯১৪, দারেমী ২৪৭৫, ইবনু হিব্বান ৪৮৩১, দারাকুতনী ৪/১৪৭, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/৩১, ৫৩, ৮/১৪৭, ইরওয়া ১২৩৪, সহীহ আবু দাউদ ২৪৪০। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী হিশাম বিন সা’দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তার শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৫৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ، قَالَتْ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَ غَزَوَاتٍ أَخْلُفُهُمْ فِي رِحَالِهِمْ وَأَصْنَعُ لَهُمُ الطَّعَامَ وَأُدَاوِي الْجَرْحَى وَأَقُومُ عَلَى الْمَرْضَى ‏.‏

উম্মু আতিয়্যাহ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তাদের সওয়ারী ও মালপত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য পশ্চাতে থাকতাম, তাদের খাবার তৈ্রী করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং রোগীদের দেখাশোনা করতাম।

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহুল বুখারী ৩২৪, ৯৮০, ১৬৫২, মুসলিম ১৮১২, আহমাদ ২০২৬৫, ২৬৭৫৫, দারেমী ২৪২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩৮. অধ্যায়ঃ

ইমামের উপদেশ

২৮৫৭

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي عَطِيَّةُ بْنُ الْحَارِثِ أَبُو رَوْقٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو الْغَرِيفِ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ خَلِيفَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَقَالَ ‏ “‏ سِيرُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا ‏”‏ ‏.‏

সফওয়ান বিন আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে একটি ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান, তিনি বলেনঃ তোমারা আল্লাহর নামে আল্লাহর রাস্তায় রওয়ানা হয়ে যাও, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, লাশ (নাক-কান কেটে) বিকৃ্ত করো না, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, গণীমতের মাল আত্মসাৎ করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। [২৮৫৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫৭] আহমাদ ১৭৬২৮। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৮৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمَّرَ رَجُلاً عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا فَقَالَ ‏ “‏ اغْزُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا وَإِذَا أَنْتَ لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِلاَلٍ أَوْ خِصَالٍ فَأَيَّتُهُنَّ أَجَابُوكَ إِلَيْهَا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ هُمْ فَعَلُوا ذَلِكَ أَنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ وَإِنْ أَبَوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللَّهِ الَّذِي يَجْرِي عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَكُونُ لَهُمْ فِي الْفَىْءِ وَالْغَنِيمَةِ شَىْءٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا أَنْ يَدْخُلُوا فِي الإِسْلاَمِ فَسَلْهُمْ إِعْطَاءَ الْجِزْيَةِ فَإِنْ فَعَلُوا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ وَقَاتِلْهُمْ وَإِنْ حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّكَ فَلاَ تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلاَ ذِمَّةَ نَبِيِّكَ وَلَكِنِ اجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَّةَ أَبِيكَ وَذِمَّةَ أَصْحَابِكَ فَإِنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا ذِمَّتَكُمْ وَذِمَّةَ آبَائِكُمْ أَهْوَنُ عَلَيْكُمْ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِنْ حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلاَ تُنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَتُصِيبُ فِيهِمْ حُكْمَ اللَّهِ أَمْ لاَ ‏”‏ ‏.‏

قَالَ عَلْقَمَةُ فَحَدَّثْتُ بِهِ، مُقَاتِلَ بْنَ حَيَّانَ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ هَيْصَمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

বুরায়দাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র সেনা-অভিযানে অধিনায়ক করে পাঠানোর সময় বিশেষভাবে তার জন্য আল্লাহভীতি অবলম্বনের এবং তার সহ যোদ্ধাদের সাথে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ দিতেন। তিনি বলতেনঃ তোমারা আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো,যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। তোমরা জিহাদ করো, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, চুরি করো না, কারো অঙ্গহানি বা অঙ্গ বিকৃ্ত করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। যখন তুমি শত্রুপক্ষের মুশরিকদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে, তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের প্রতি আহবান জানাবে। তারা সেগুলোর যেকোন একটির প্রতি সাড়া দিলে তুমি তাদের থেকে তা কবুল করো এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো।

(১) তুমি তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দাও। তারা যদি তা কবুল করে তবে তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নাও এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো, অতঃপর তাদেরকে স্বদেশ ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে চলে আসার আহবান জানাও এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তারা যদি এ কাজ করে তবে যেসব সুযোগ সুবিধা মুহাজিরগণ পাবে তারাও তা পাবে এবং মুহাজিরদের উপর যেসম দায়দায়িত্ব বর্তাবে তা তাদের উপরও বর্তাবে। তারা যদি (স্বদেশ ত্যাগ করতে) অসম্মত হয় তবে তাদের জানিয়ে দাও যে, তারা বেদুইন মুসলমানদের সমান মর্যাদা পাবে, তাদের উপর আল্লাহর সেইসব হুকুম জারি হবে যা মুমিন মুসলমানদের উপর জারি হয় এবং তারা গণীমত ও ফাই-এর কিছুই পাবে না, তবে তারা মুসলমানদের সাথে মিলে জিহাদ করতে পারবে।

(২) তারা যদি ইসলামে দাখিল হতে অস্বীকার করে তবে তাদেরকে জিযয়া দিতে বলো। তারা যদি তা দেয় তবে তাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করো এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো।

(৩) তারা যদি জিযয়া দিতেও অস্বীকার করে, তবে তুমি তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থণা করো এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।

আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করলে পর তারা তোমার নিকট আল্লাহর যিম্মাদারি আর তোমার নবীর যিম্মাদারি লাভের আশা করলে তুমি তাদের জন্য আল্লাহর যিম্মাদারি এবং তোমার নবীর যিম্মাদারি দান করো। কারণ তোমাদের নিজেদের এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের যিম্মাদারি ভঙ্গ করা আল্লাহ ও তাঁর রাসূ্লের যিম্মাদারি ভঙ্গ করার চেয়ে তোমাদের জন্য অধিকতর সহজ। আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করলে পর তারা তোমার নিকট আল্লাহর হুকুমে দূ্র্গ থেকে বেরিয়ে আসার আবেদন করলে তুমি তাদেরকে আল্লাহর হুকুমে বেরিয়ে আসার অনুমতি দিও না, বরং তাদেরকে তোমার নিজের হুকুমে বেরিয়ে আশার অনুমতি দাও। কারণ তোমার জানা নেই যে, তাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহর হুকুম কার্যকর করতে পারবে কি না।

 

নু’মান বিন মুকাররিন (রাঃ) , সূ্ত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমার কাছে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।। [২৮৫৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫৮] মুসলিম ১৭৩১, তিরমিযী ১৩০৮, ১৬১৭, আবূ দাউদ ২৬১২, ২৬১৩, আহমাদ ২২৪৬৯, ২২৫২১, দারেমী ২৪৩৯, ২৪৪২, ইরওয়া ১২৪৭, ৭/২৯২, রাওদুন নাদীর ১৬৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৩৯. অধ্যায়ঃ

ইমামের আনুগত্য করা

২৮৫৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَمَنْ أَطَاعَ الإِمَامَ فَقَدْ أَطَاعَنِي وَمَنْ عَصَى الإِمَامَ فَقَدْ عَصَانِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য হলো সে আল্লাহরই অবাধ্য হলো। যে ব্যক্তি ইমামের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো। আর যে ব্যক্তি ইমামের অবাধ্য করলো সে আমারই অবাধ্য করলো। [২৮৫৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৫৯] সহীহুল বুখারী ২৯৫৭, মুসলিম ১৮৩৫, নাসায়ী ৫৫১০, ৪১৯৩, আহমাদ ৭৩৮৬, ৭৬০০, ২৭৩৫০, ৮৩০০, ৮৭৮৮, ৯১২১, ৯৭৩৯, ১০২৫৯, আয-যিলাল ১০৬৫, ১০৭৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَإِنِ اسْتُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ করো এবং আনুগত্য করো, এমনকি আংগুর ফল সদৃশ (ক্ষুদ্র) মস্তিষ্কবিশিষ্ট কাফ্রী ক্রীতদাসকেও যদি তোমাদের নে্তৃপদে নিয়োগ করা হয়। [২৮৬০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬০] সহীহুল বুখারী ৬৩৯, আহমাদ ১১৭১৬, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৮৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ الْحُصَيْنِ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ مُجَدَّعٌ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا مَا قَادَكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি; নাক কান কর্তিত কোন কাফ্রী ক্রীতদাসকেও যদি তোমাদের নেতৃপদে নিয়োগ করা হয় তবুও তোমরা তার নির্দেশ শোনো ও আনুগত্য করো, যতক্ষণ সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব (কুরআন) অনুযায়ী পরিচালনা করে। [২৮৬১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬১] মুসলিম ১২৯৮, ১৮৩৮, তিরমিযী ১৭০৬, নাসায়ী ৪১৯২, আহমাদ ১৬২১০, ২৬৭১৫, ২৬৭২৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/৩৩০, আয-যিলাল ১০৬২, ১০৬৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الرَّبَذَةِ وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَإِذَا عَبْدٌ يَؤُمُّهُمْ فَقِيلَ هَذَا أَبُو ذَرٍّ ‏.‏ فَذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ أَوْصَانِي خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি যখন (নির্বাসনে) রাবাযা নামক স্থানে পৌছালেন তখন নামাযের একামত হচ্ছিল। এক ক্রীতদাস লোকেদের নামাযে ইমামতি করছিল। (তাকে) বলা হলো, ইনি আবূ যার(রাঃ)। (এ কথায়) ক্রীতদাস পেছনে সরে আসতে উদ্যত হলে আবূ যার (রাঃ) তাকে বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ওসীয়াত করেছেনঃ আমি যেন (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ করি ও আনুগত্য করি, যদিও সে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তিত কাফ্রী ক্রীতদাস হয়। [২৮৬২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬২] আহমাদ ২০৯১৮, ২০৯৯০, মুসলিম ১৮৬৭, আয-যিলাল ১০৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪০. অধ্যায়ঃ

আল্লাহর নাফরমানীমূ্লক কাজে আনুগত্য নাই

২৮৬৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ عَلْقَمَةَ بْنَ مُجَزِّزٍ عَلَى بَعْثٍ وَأَنَا فِيهِمْ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَأْسِ غَزَاتِهِ أَوْ كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ اسْتَأْذَنَتْهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَيْشِ فَأَذِنَ لَهُمْ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ بْنِ قَيْسٍ السَّهْمِيَّ فَكُنْتُ فِيمَنْ غَزَا مَعَهُ فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ أَوْقَدَ الْقَوْمُ نَارًا لِيَصْطَلُوا أَوْ لِيَصْنَعُوا عَلَيْهَا صَنِيعًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ – وَكَانَتْ فِيهِ دُعَابَةٌ – أَلَيْسَ لِي عَلَيْكُمُ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ فَمَا أَنَا بِآمِرِكُمْ بِشَىْءٍ إِلاَّ صَنَعْتُمُوهُ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَيْكُمْ إِلاَّ تَوَاثَبْتُمْ فِي هَذِهِ النَّارِ ‏.‏ فَقَامَ نَاسٌ فَتَحَجَّزُوا فَلَمَّا ظَنَّ أَنَّهُمْ وَاثِبُونَ قَالَ أَمْسِكُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّمَا كُنْتُ أَمْزَحُ مَعَكُمْ ‏.‏ فَلَمَّا قَدِمْنَا ذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَمَرَكُمْ مِنْهُمْ بِمَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلاَ تُطِيعُوهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলকামা বিন মুজাযযিয (রাঃ) কে একটি সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করেন। আমিও তাতে শরীক ছিলাম। তিনি যখন গন্তব্যে পৌছেন অথবা পথিমধ্যে ছিলেন, তখন একদল সৈ্ন্য তার নিকট (কোন বিষয়ে) অনুমতি চাইলে তিনি তাদের অনুমতি দিলেন এবং আবদুল্লাহ বিন হুযাফা বিন কায়স আস-সাহমী (রাঃ) কে তাদের অধিনায়ক নিযুক্ত করেন। যেসব লোক আবদুল্লাহ(রাঃ) -এর সঙ্গী হয়ে জিহাদ করেছে, আমিও তাদের সাথে ছিলাম। লোকেরা পথিমধ্যে ছিলো। এ অবস্থায় একদল লোক উত্তাপ গ্রহণের জন্য অথবা অন্য কোন কাজে আগুন প্রজ্জ্বলিত করলো। আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদের বলেন (তিনি কিছুটা রসিক প্রকৃ্তির ছিলেন) , আমার নির্দেশ শোনা ও আনুগত্য করা কি তোমাদের জন্য বাধ্যতামূ্লক নয়? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যা করার নির্দেশই দিবো তোমরা কি তাই করবে? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে চুড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমরা এই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ো। কতক লোক (আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য) দাঁড়িয়ে গেলো এবং কোমর বাঁধলো। তিনি যখন দেখলেন, লোকেরা সত্যিই আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত হয়েছে, তখন বললেন, থামো। আমি তোমাদের সাথে ঠাট্টা করেছি। (রাবী বলেন) আমরা ফিরে এলে লোকেরা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ ঘটনা উল্লেখ করলো। রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কেউ তোমাদেরকে আল্লাহর নাফরমানী করার নির্দেশ দিলে তোমরা তার আনুগত্য করবে না। [২৮৬৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৩] আহমাদ ১১২৪৫, সহীহাহ ২৩২৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ইমাম নাসাঈ তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ الطَّاعَةُ فِيمَا أَحَبَّ أَوْ كَرِهَ إِلاَّ أَنْ يُؤْمَرَ بِمَعْصِيَةٍ فَمَنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পাপকাজ ব্যতীত যে কোন কাজে মুসলিম ব্যক্তির (নেতৃবৃন্দের) আনুগত্য করা অপরিহার্য, তা তার মনঃপূত হোক বা না হোক। অতএব পাপ কাজের নির্দেশ দেয়া হলে তা শোনাও যাবে না, আনুগত্য করাও যাবে না। [২৮৬৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানদটি সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৪] সহীহুল বুখারী ২৯৫৫, মুসলিম ১৮৩৯, তিরমিযী ১৭০৭, আবূ দাউদ ২৬২৬, আহমাদ ৪৬৪৫, ৬২৪২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬৫

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، ح وَحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ سَيَلِي أُمُورَكُمْ بَعْدِي رِجَالٌ يُطْفِئُونَ السُّنَّةَ وَيَعْمَلُونَ بِالْبِدْعَةِ وَيُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ مَوَاقِيتِهَا ‏”‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَدْرَكْتُهُمْ كَيْفَ أَفْعَلُ قَالَ ‏”‏ تَسْأَلُنِي يَا ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ كَيْفَ تَفْعَلُ لاَ طَاعَةَ لِمَنْ عَصَى اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অচিরেই আমার পরে এমন সব লোক তোমাদের নেতা হবে যারা সুন্নাতকে বিলুপ্ত করবে, বিদআতের অনুসরণ করবে এবং নামায নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে বিলম্বে পড়বে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূ্ল! আমি যদি তাদের (যুগ) পাই, তবে কি করবো? তিনি বলেন, হে উম্মু আবদ-এর পুত্র! তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছো যে, তুমি কি করবে? যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যচরণ করে, তার আনুগত্য করা যাবে না। [২৮৬৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৫] আহমাদ ৩৭৮০, সহীহাহ ২/১৩৯, সহীহ আবু দাউদ ৪৫৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৯, ৩৩/১৬২ নং পৃষ্ঠা) ২. কাসিম বিন আবদুর রহমান বিন আবদুল্লাহ বিন মাসউদ সম্পর্কে আবদুর রহমান বিন ইউসুফ বিন খিরাস বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৯৯, ২৩/ ৩৭৯ নং পৃষ্ঠা) ৩. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪১. অধ্যায়ঃ

বায়আত (আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ

২৮৬৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَابْنِ، عَجْلاَنَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَالأَثَرَةِ عَلَيْنَا وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ وَأَنْ نَقُولَ الْحَقَّ حَيْثُمَا كُنَّا لاَ نَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ ‏.‏

উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন দুঃসময় ও সুসময়, আনন্দ ও বিষাদে এবং নিজেদের উপরে অন্যদের অগ্রাধিকার প্রদানে (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট থেকে বায়আত (শপথ) গ্রহণ করেন। তিনি আমাদের থেকে এ বিষয়ে বায়আত নেন যে, (রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে) আমরা যেন যোগ্য ব্যক্তির সাথে (গদি নিয়ে) বিবাদে লিপ্ত না হই। আর যেখানেই থাকি আমরা যেন সত্য কথা বলি এবং আল্লাহর ব্যাপারে নিন্দুকের নিন্দার যেন পরোয়া না করি। [২৮৬৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৬] সহীহুল বুখারী ৭০৫৬, ৭১৯৯, নাসায়ী ৪১৪৯, ৪১৫১, ৪১৫২, ৪১৫৩, ৪১৫৪, ৪১৫৫, আহমাদ ২২১৭০, ২২১৯২, ২২২৯, ২২২১৮, ২২২২৯, ২২২৬৩, মুয়াত্তা মালেক ৯৭৭, আয-যিলাল ১০২৯, ১০৩৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَبِيبُ الأَمِينُ، – أَمَّا هُوَ إِلَىَّ فَحَبِيبٌ وَأَمَّا هُوَ عِنْدِي فَأَمِينٌ – عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَبْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ تِسْعَةً فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَعَلاَمَ نُبَايِعُكَ فَقَالَ ‏”‏ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُوا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَتَسْمَعُوا وَتُطِيعُوا – وَأَسَرَّ كَلِمَةً خُفْيَةً – وَلاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُهُ فَلاَ يَسْأَلُ أَحَدًا يُنَاوِلُهُ إِيَّاهُ ‏.‏

আওফ বিন মালিক আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা সাত, আট অথবা নয় ব্যক্তি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি বলেনঃ তোমরা কি আল্লাহর রাসূ্লের নিকট বায়আত হবে না? তৎক্ষণাৎ আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে দিলাম। এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমরা তো আপনার নিকট (ইতোপূর্বে) বায়আত হয়েছি, এখন (আবার) কিসের জন্য আপনার নিকট বায়আত হবো? তিনি বলেনঃ (তোমরা এ বিষয়ে বায়আত হবে যে) তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্তের নামায কায়েম করবে, (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ করবে ও আনুগত্য করবে। (একটি কথা তিনি গোপনে বললেন) : মানুষের কাছে কিছু প্রার্থনা করবে না। রাবী বলেন, অতঃপর আমি তাদের যে কোন ব্যক্তিকে দেখেছি যে, তার চাবুক নিচে পড়ে গেলেও তিনি কাউকে তা তুলে দিতে বলতেন না। [২৮৬৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৭] মুসলিম ১০৪৩, নাসায়ী ৪৬০, আবূ দাউদ ১৬৪২, আহমাদ ২৩৪৭৩, সহীহ আবু দাউদ ১৪৪৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَتَّابٍ، – مَوْلَى هُرْمُزَ – قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فَقَالَ ‏ “‏ فِيمَا اسْتَطَعْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য বায়আত হলাম। তিনি বলেন, “যতদূ্র তোমাদের সাধ্যে কুলায়”। [২৮৬৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৮] আহমাদ ১১৭৯৩, ১২৩৫২, ১২৫১০, ১২৭০৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৬৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ عَبْدٌ فَبَايَعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْهِجْرَةِ وَلَمْ يَشْعُرِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ عَبْدٌ فَجَاءَ سَيِّدُهُ يُرِيدُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بِعْنِيهِ ‏”‏ ‏.‏ فَاشْتَرَاهُ بِعَبْدَيْنِ أَسْوَدَيْنِ ثُمَّ لَمْ يُبَايِعْ أَحَدًا بَعْدَ ذَلِكَ حَتَّى يَسْأَلَهُ أَعَبْدٌ هُوَ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একজন ক্রীতদাস এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হিজরত করার শপথ নেয়। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতেন না যে, সে ক্রীতদাস। তার মনিব তাকে ফেরত নিতে এলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাকে আমার নিকট বিক্রয় করো। তিনি দু’টি কৃষ্ণকায় গোলামের বিনিময়ে তাকে খরিদ করেন। এরপর থেকে তিনি কাউকে বায়আত করার পূর্বেই জিজ্ঞেস করে নিতেন যে, সে ক্রীতদাস কি না? [২৮৬৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৬৯] মুসলিম ১৬০২, তিরমিযী ১২৩৯, ১৫৯৬, নাসায়ী ৪১৮৪, ৪৬২১, আবূ দাউদ ৩৩৫৮, আহমাদ ১৪৩৫৮, ইবনু হিব্বান ৪৫৫০, ৫০২৭, ৬৫১৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৮৬, ৩৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪২. অধ্যায়ঃ

বায়আত অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে

২৮৭০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ رَجُلٌ عَلَى فَضْلِ مَاءٍ بِالْفَلاَةِ يَمْنَعُهُ مِنِ ابْنِ السَّبِيلِ وَرَجُلٌ بَايَعَ رَجُلاً بِسِلْعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ فَحَلَفَ بِاللَّهِ لأَخَذَهَا بِكَذَا وَكَذَا فَصَدَّقَهُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ وَرَجُلٌ بَايَعَ إِمَامًا لاَ يُبَايِعُهُ إِلاَّ لِدُنْيَا فَإِنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا وَفَى لَهُ وَإِنْ لَمْ يُعْطِهِ مِنْهَا لَمْ يَفِ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন শ্রেনীর লোকের সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবে না, তদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে পীড়াদায়ক শাস্তি। (১) যে ব্যক্তি মাঠে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রাখে কিন্তু তা পথিকদের ব্যবহার করতে দেয় না; (২) যে ব্যক্তি আসরের নামাযের পর অপর কোন ব্যক্তির নিকট পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করে এবং আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, সে তা এত এত মূল্যে খরিদ করেছে এবং ক্রেতা তার কথা বিশ্বাস করে, অথচ তার কথা সত্য নয় এবং (৩) যে ব্যক্তি পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে নেতার কাছে আনুগত্যের শপথ নেয়, নেতা তাকে কিছু পার্থিব স্বার্থ দিলে সে তার শপথ পূর্ণ করে এবং না দিলে শপথ পূর্ণ করে না। [২৮৭০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭০] সহীহুল বুখারী ২৩৫৮, ২৩৬৯, ২৬৭২, ৭২১২, ৭৪৪৬, মুসলিম ১০৮, তিরমিযী ১৫৯৫, নাসায়ী ৪৪৬২, দারেমী ৩৪৭৪, আহমাদ ৭৪৯৩, ৯৮৬৬, বায়হাকী ফিস সুনান ১০/১৭৭, বায়হাকী ফিশ শুআব ৪৮৫০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৭১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حَسَنِ بْنِ فُرَاتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانَتْ تَسُوسُهُمْ أَنْبِيَاؤُهُمْ كُلَّمَا ذَهَبَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَأَنَّهُ لَيْسَ كَائِنٌ بَعْدِي نَبِيٌّ فِيكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَمَا يَكُونُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ تَكُونُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَكَيْفَ نَصْنَعُ قَالَ ‏”‏ أَوْفُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ أَدُّوا الَّذِي عَلَيْكُمْ فَسَيَسْأَلُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنِ الَّذِي عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের রাজনীতি পরিচালনা করতেন তাদের নবীগণ। যখনই একজন নবী চলে যেতেন (ইনতিকাল করতেন) তখনই আরেকজন নবী নেতৃত্ব গ্রহণ করতেন। কিন্তু আমার পরে তোমাদের মধ্যে আর কেউ নবী হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে কী অবস্থা হবে? তিনি বলেনঃ খলীফা হবে এবং তাদের সংখ্যা অনেক হবে। সাহাবীগণ বলেন, আমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি প্রথমে খলীফা হবে তোমরা তার আনূগত্যের শপথ করো, অতঃপর তার পরবর্তী খলীফার। তোমাদের উপর তাদের যে অধিকার রয়েছে তোমরা তা আদায় করো। আর তাদের উপর (তোমাদের) যে অধিকার প্রাপ্য আছে (তা আদায় না করলে) , মহান আল্লাহ তাদের নিকট থেকে তার হিসাব নিবেন। [২৮৭১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭১] সহীহুল বুখারী ৩৪৫৫, মুসলিম ১৮৪২, আহমাদ ৭৯০০, ইরওয়া ৮/১২৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হাসান বিন ফুরাত সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম যাহাবী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১২৬৫, ৬/৩০১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৭২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (বিন মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে এবং বলা হবে, এটা অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা। [২৮৭২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭২] সহীহুল বুখারী ৩১৮৭, মুসলিম ১৭৩৬, আহমাদ ৩৮৯০, ৬৯৪৯, দারেমী ২৫৪২, রাওদুন নাদীর ৫৫২, সহীহ আবু দাউদ ২৪৬১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।

হাদিসের মানঃ সহিহ মুতওয়াতির

  •  সরাসরি

২৮৭৩

حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَلاَ إِنَّهُ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَدْرِ غَدْرَتِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতকের জন্য তার প্রতারণার মাত্রা অনুযায়ী একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে। [২৮৭৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৩] মুসলিম ১৭৩৮, তিরমিযী ২১৯১, আহমাদ ১০৬৫১, ১০৭৫৯, ১০৯১০, ১০৯৫৮, ১১০৩৫, ১১১৯৩, ১১২২২, ১১২৬৯, ১১৩৮৪, বায়হাকী ফিস সুনান ৩/৩৬৯, ৫/২৫৯, ইবনু হিব্বান ৫৫৯১, রাওদুন নাদীর ৫৫২, সহীহ আবু দাউদ ২৪৬১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০, ২০/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা)

 

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আলী বিন যায়দ বিন জুদআন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৭১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১০ টি খুবই দুর্বল, ৪৮ টি দুর্বল, ৯৩ টি হাসান, ২২০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩১৮৭, ৩১৮৮, ৬১৭৭, ৬১৭৮, ৬৯৬৬, ৭১১১, মুসলিম ১৭৩৬-১৭৪১, তিরমিযি ১৫৮১, ২১৯১, আবু দাউদ ২৭৫৬, দারিমী ২৫৪২, আহমাদ ৩৮৯০, ৩৯৪৯, ৪১৮৯, ৪৬৩৪, ৪৮২৪, ৫০৬৯, ৫১৭০, ৫৩৫৫, ৫৭৭০, ৫৮৭৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪৩. অধ্যায়ঃ

মহিলাদের বায়আত গ্রহণ

২৮৭৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ أُمَيْمَةَ بِنْتَ رُقَيْقَةَ، تَقُولُ جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي نِسْوَةٍ نُبَايِعُهُ فَقَالَ لَنَا ‏ “‏ فِيمَا اسْتَطَعْتُنَّ وَأَطَقْتُنَّ إِنِّي لاَ أُصَافِحُ النِّسَاءَ ‏”‏ ‏.‏

উমায়মাহ বিনতু রুকায়কাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বায়আত হওয়ার উদ্দেশ্যে আমি কতক মহিলা সমভিব্যাহারে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাদের বললেন, যতদূর তোমাদের সামর্থ্যে ও শক্তিতে কুলায়। আমি মহিলাদের সাথে মুসাফাহাহ (করমর্দন) করি না। [২৮৭৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৪] তিরমিযী ১৫৯৭, নাসায়ী ৪১৮১, আহমাদ ২৬৪৬৬, মুয়াত্তা মালেক ১৮৪২, ইবনু হিব্বান ৫৬৫৩, আল-হুমায়দী ৩৪১, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৭১, সহীহাহ ৫২৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৭৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَتِ الْمُؤْمِنَاتُ إِذَا هَاجَرْنَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُمْتَحَنَّ بِقَوْلِ اللَّهِ ‏{يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ }‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَمَنْ أَقَرَّ بِهَا مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ فَقَدْ أَقَرَّ بِالْمِحْنَةِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَقْرَرْنَ بِذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِنَّ قَالَ لَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ انْطَلِقْنَ فَقَدْ بَايَعْتُكُنَّ ‏”‏ ‏.‏ لاَ وَاللَّهِ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ غَيْرَ أَنَّهُ يُبَايِعُهُنَّ بِالْكَلاَمِ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ وَاللَّهِ مَا أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى النِّسَاءِ إِلاَّ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ وَلاَ مَسَّتْ كَفُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَفَّ امْرَأَةٍ قَطُّ وَكَانَ يَقُولُ لَهُنَّ إِذَا أَخَذَ عَلَيْهِنَّ ‏”‏ قَدْ بَايَعْتُكُنَّ ‏”‏ ‏.‏ كَلاَمًا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ঈমানদার মহিলাগণ হিজরত করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি আল্লাহ তাআলার লিম্নোক্ত বাণীর নির্দেশ অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা করতেনঃ “হে নবী! ঈমানদার মহিলাগণ যখন তোমার নিকট এসে বায়আত করে…”(সূরা মুমতাহিনাহঃ ১২)। আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, যে কোন ঈমানদার মহিলা উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী স্বীকার করতো সে যেন কঠিন পরীক্ষাকে স্বীকার করে নিতো। মহিলাগন বাচনিক এসব কথা স্বীকার করে নিলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বলতেনঃ তোমরা চলে যাও, আমি তোমাদের বায়আত গ্রহণ করেছি। (রাবী বলেন,) না, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করতো না, তিনি শুধু কথার মাধ্যমে তাদের বায়আত করতেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের নিকট থেকে কেবলমাত্র সেইসব কথার স্বীকারোক্তি করাতেন যার নির্দেশ আল্লাহ তাআলা তাঁকে দান করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত কখনও কোন মহিলার হাত স্পর্শ করতো না। তিনি তাদের শপথবাক্য পাঠ করানোর পর বলতেনঃ আমি বাচনিক তোমাদের বায়আত করলাম। [২৮৭৫]

 

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৫] সহীহুল বুখারী ৪৮৫১, ৭২১৪, মুসলিম ১৮৬৬, তিরমিযী ৩৩০৬, আবূ দাউদ ২৪৩০৮, ২৪৬৪৯, ২৪৬৭২, ২৪৭৭২, ২৫৭৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪৪. অধ্যায়ঃ

ঘোড় দৌড়ের বর্ণনা

২৮৭৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَدْخَلَ فَرَسًا بَيْنَ فَرَسَيْنِ وَهُوَ لاَ يَأْمَنُ أَنْ يَسْبِقَ فَلَيْسَ بِقِمَارٍ وَمَنْ أَدْخَلَ فَرَسًا بَيْنَ فَرَسَيْنِ وَهُوَ يَأْمَنُ أَنْ يَسْبِقَ فَهُوَ قِمَارٌ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একটি ঘোড়া দু’টি ঘোড়ার সাথে (দৌড় প্রতিযোগিতায়) শরীক করলো, কিন্তু তার ঘোড়া জিতবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলে তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি একটি ঘোড়া দু’টি ঘোড়ার সাথে (দৌড় প্রতিযোগিতায়) শরীক করলো এবং তার ঘোড়া জিতবে বলে সে নিশ্চিত হলে তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত। [২৮৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৬] আবূ দাঊদ ২৫৭৯, আহমাদ ১০১৭৯। ইরওয়া ১৫০৯, আর-রাওদ ১১৩৯।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

২৮৭৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ضَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخَيْلَ فَكَانَ يُرْسِلُ الَّتِي ضُمِّرَتْ مِنَ الْحَفْيَاءِ إِلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ وَالَّتِي لَمْ تُضَمَّرْ مِنْ ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ إِلَى مَسْجِدِ بَنِي زُرَيْقٍ ‏.‏

ইবনু ঊমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়াকে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিলেন। বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়ার দ্বারা তিনি আল-হাফয়া’ নামক স্থান থেকে সানিয়্যাতুল বিদা’ পর্যন্ত ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করলেন। আর যেসব ঘোড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলো না সেগুলো দ্বারা সানিয়্যাতুল বিদা’ থেকে যুরায়ক মসজিদ পর্যন্ত (ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করেন)। [২৮৭৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৭] সহীহুল বুখারী ৪২১, ২৮৬৮, ২৮৬৯, ২৮৭০, ৭৩৩৬, মুসলিম ১৮৭০, তিরমিযী ১৬৯৯, নাসায়ী ৩৫৮৩, ৩৫৮৪, আবূ দাউদ ২৫৭৫, ২৫৭৬, ২৫৭৭, আহমাদ ৪৪৭৩, ৪৫৮০, মুয়াত্তা মালেক ১০১৭, দারেমী ২৪২৯, ইরওয়া ১৫০১, সহীহাহ ২১৩৩, সহীহ আবু দাউদ ২৩২০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْحَكَمِ، – مَوْلَى بَنِي لَيْثٍ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ سَبَقَ إِلاَّ فِي خُفٍّ أَوْ حَافِرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দৌড় প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হলে (মাল অথবা অর্থ গ্রহণ করা বৈধ নয়) , উট ও ঘোড়া ব্যতীত। [২৮৭৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৮] তিরমিযী ১৭০০, আবূ দাউদ ৫৭৪, আহমাদ ৭৪৩৩, ৮৪৭৮, ৯৭৮৮, রাওদুন নাদীর ১১৭৭, সহীহ আবু দাউদ ২৩১৯, ইরওয়া ১৫০৬, মিশকাত ৩৮০৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ইমাম নাসাঈ তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪৫. অধ্যায়ঃ

শত্রুরাষ্ট্রে কুরআন নিয়ে সফর করা নিষিদ্ধ

২৮৭৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَأَبُو عُمَرَ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন মাজীদ নিয়ে শত্রু এলাকায় সফরে যেতে নিষেধ করেছেন, এই আশংকায় যে, তা দুশমনদের হস্তগত হয়ে যেতে পারে। [২৮৭৯]

 

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৭৯] সহীহুল বুখারী ২৯৯০, মুসলিম ১৮৬৯, আবূ দাউদ ২৬১০, আহমাদ ৪৪৯৩, ৪৫১১, ৪৫৬২, ৫১৪৮, ৫২৭১, ৫৪৪২, ৬০৮৯, মুয়াত্তা মালেক ৯৭৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৬১, ইরওয়া ৫/১৩৮, ১৩৯, ২৫৫৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮৮০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَنْهَى أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন মাজীদ সাথে নিয়ে শত্রুর এলাকায় সফরে যেতে নিষেধ করতেন এই আশংকায় যে, তা দুশমনদের হস্তগত হয়ে যেতে পারে। [২৮৮০]

 

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮০] সহীহুল বুখারী ২৯৯০, মুসলিম ১৮৬৯, আবূ দাউদ ২৬১০, আহমাদ ৪৪৯৩, ৪৫১১, ৪৫৬২, ৫১৪৮, ৫২৭১, ৫৪৪২, ৬০৮৯, মুয়াত্তা মালেক ৯৭৯, ইরওয়া ১৩০০, ৮/১৮৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮/৪৬. অধ্যায়ঃ

যুদ্ধলব্ধ সম্পদ (গনীমত) বণ্টন

২৮৮১

حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، جَاءَ هُوَ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمَانِهِ فِيمَا قَسَمَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ قَسَمْتَ لإِخْوَانِنَا بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ وَقَرَابَتُنَا وَاحِدَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا أَرَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ شَيْئًا وَاحِدًا ‏”‏ ‏.‏

জুবায়র বিন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ও উসমান বিন আফফান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলেন খায়বারে প্রাপ্ত যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টনের বিষয়ে তাঁর সাথে আলাপ করার জন্য। তারা বললেন, আপনি আমাদের ভ্রাতৃগোষ্ঠী বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবের মধ্যে বন্টন করেছেন, অথচ আমাদের আত্মীয় সম্পর্ক তো একই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবকে একই মনে করি। [২৮৮১]

 

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮৮১] সহীহুল বুখারী ৩১৪০, ৩৫০৩, ৪২২৯, নাসায়ী ৪১৩৬, ৪১৩৭, আবূ দাউদ ২৯৭৮, ২৯৭৯, ২৯৮০, আহমাদ ১৬২৯৯, ১৬৩২৭, ১৬৩৪১, ইরওয়া ১২৪২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আয়্যুব বিন সুওয়ায়দ সম্পর্কে আবু বাকর আল-ইসমাঈলী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৬, ৩/৪৭৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস