বুখারী আকীকা অধ্যায় হাদিস নং ৫৪৬৭ – ৫৪৭৪

৭১/১. অধ্যায়ঃ ‎

যে সন্তানের আকিকা দেয়া হবে না, জন্ম লাভের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্নীক করা (কিছু ‎চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)।

৫৪৬৭

إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ قَالَ حَدَّثَنِي بُرَيْدٌ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسٰى قَالَ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاه“ إِبْرَاهِيمَ فَحَنَّكَه“ بِتَمْرَةٍ وَدَعَا لَه“ بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَه“ إِلَيَّ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى.

আবূ মূসা (রাঃ)‎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মালে আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে ‎গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বারাকাতের ‎দু’আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসার সবচেয়ে বড় ছেলে। ‎(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪৬৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِصَبِيٍّ يُحَنِّكُهُ، فَبَالَ عَلَيْهِ، فَأَتْبَعَهُ الْمَاءَ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) ‎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে তাহ্নীক করার জন্য এক শিশুকে আনা হল, শিশুটি ‎তার কোলে পেশাব করে দিল, তিনি তখন এতে পানি ঢেলে দিলেন। ‎ (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪৬৯

إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَالَتْ فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَنَزَلْتُ قُبَاءً فَوَلَدْتُ بِقُبَاءٍ ثُمَّ أَتَيْتُ بِه„ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعْتُه“ فِي حَجْرِه„ ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَه“ رِيقُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ حَنَّكَه“ بِالتَّمْرَةِ ثُمَّ دَعَا لَه“ فَبَرَّكَ عَلَيْهِ وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الإِسْلاَمِ فَفَرِحُوا بِه„ فَرَحًا شَدِيدًا لِأَنَّهُمْ قِيلَ لَهُمْ إِنَّ الْيَهُودَ قَدْ سَحَرَتْكُمْ فَلاَ يُولَدُ لَكُمْ.

আসমা বিন্‌ত আবূ বক্‌র (রাঃ)‎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু যুবায়রকে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেন, গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্থায় আমি বেরিয়ে ‎মদীনায় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম। কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি। তারপর তাকে নিয়ে রসূলুল্লাহ্‌ ‎‎(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাকে তাঁর কোলে রাখলাম। তিনি একটি খেজুর আনতে ‎বললেন। তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই লালাই সর্বপ্রথম ‎তার পেটে প্রবেশ করেছিল। তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহ্নীক করলেন এবং তার জন্য বরকতের দু’আ ‎করলেন। (হিজরতের পরে) ইসলামে জন্মলাভকারী সেই ছিল প্রথম সন্তান। তাই তার জন্যে মুসলিমরা মহা আনন্দে ‎আনন্দিত হয়েছিলেন। কারণ, তাদের বলা হত ইয়াহূদীরা তোমাদের যাদু করেছে, তাই তোমাদের সন্তান হয় না।(আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪৭০

حَدَّثَنَا‎ ‎مَطَرُ‎ ‎بْنُ‎ ‎الْفَضْلِ،‎ ‎حَدَّثَنَا‎ ‎يَزِيدُ‎ ‎بْنُ‎ ‎هَارُونَ،‎ ‎أَخْبَرَنَا‎ ‎عَبْدُ‎ ‎اللَّهِ‎ ‎بْنُ‎ ‎عَوْنٍ،‎ ‎عَنْ‎ ‎أَنَسِ‎ ‎بْنِ‎ ‎سِيرِينَ،‎ ‎عَنْ‎ ‎أَنَسِ‎ ‎بْنِ‎ ‎مَالِكٍ‎ ‎ـ‎ ‎رضى‎ ‎الله‎ ‎عنه‎ ‎ـ‎ ‎قَالَ‎ ‎كَانَ‎ ‎ابْنٌ‎ ‎لأَبِي‎ ‎طَلْحَةَ‎ ‎يَشْتَكِي،‎ ‎فَخَرَجَ‎ ‎أَبُو‎ ‎طَلْحَةَ،‎ ‎فَقُبِضَ‎ ‎الصَّبِيُّ‎ ‎فَلَمَّا‎ ‎رَجَعَ‎ ‎أَبُو‎ ‎طَلْحَةَ‎ ‎قَالَ‎ ‎مَا‎ ‎فَعَلَ‎ ‎ابْنِي‎ ‎قَالَتْ‎ ‎أُمُّ‎ ‎سُلَيْمٍ‎ ‎هُوَ‎ ‎أَسْكَنُ‎ ‎مَا‎ ‎كَانَ‏‎.‎‏‎ ‎فَقَرَّبَتْ‎ ‎إِلَيْهِ‎ ‎الْعَشَاءَ‎ ‎فَتَعَشَّى،‎ ‎ثُمَّ‎ ‎أَصَابَ‎ ‎مِنْهَا،‎ ‎فَلَمَّا‎ ‎فَرَغَ‎ ‎قَالَتْ‎ ‎وَارِ‎ ‎الصَّبِيَّ‏‎.‎‏‎ ‎فَلَمَّا‎ ‎أَصْبَحَ‎ ‎أَبُو‎ ‎طَلْحَةَ‎ ‎أَتَى‎ ‎رَسُولَ‎ ‎اللَّهِ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎فَأَخْبَرَهُ‎ ‎فَقَالَ‎ ‎‏‎”‎‏‎ ‎أَعْرَسْتُمُ‎ ‎اللَّيْلَةَ‎ ‎‏‎”‎‏‏‎.‎‏‎ ‎قَالَ‎ ‎نَعَمْ‏‎.‎‏‎ ‎قَالَ‎ ‎‏‎”‎‏‎ ‎اللَّهُمَّ‎ ‎بَارِكْ‎ ‎لَهُمَا‎ ‎‏‎”‎‏‏‎.‎‏‎ ‎فَوَلَدَتْ‎ ‎غُلاَمًا‎ ‎قَالَ‎ ‎لِي‎ ‎أَبُو‎ ‎طَلْحَةَ‎ ‎احْفَظْهُ‎ ‎حَتَّى‎ ‎تَأْتِيَ‎ ‎بِهِ‎ ‎النَّبِيَّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎فَأَتَى‎ ‎بِهِ‎ ‎النَّبِيَّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎وَأَرْسَلَتْ‎ ‎مَعَهُ‎ ‎بِتَمَرَاتٍ،‎ ‎فَأَخَذَهُ‎ ‎النَّبِيُّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎فَقَالَ‎ ‎‏‎”‎‏‎ ‎أَمَعَهُ‎ ‎شَىْءٌ‎ ‎‏‎”‎‏‏‎.‎‏‎ ‎قَالُوا‎ ‎نَعَمْ‎ ‎تَمَرَاتٌ‏‎.‎‏‎ ‎فَأَخَذَهَا‎ ‎النَّبِيُّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎فَمَضَغَهَا،‎ ‎ثُمَّ‎ ‎أَخَذَ‎ ‎مِنْ‎ ‎فِيهِ‎ ‎فَجَعَلَهَا‎ ‎فِي‎ ‎فِي‎ ‎الصَّبِيِّ،‎ ‎وَحَنَّكَهُ‎ ‎بِهِ،‎ ‎وَسَمَّاهُ‎ ‎عَبْدَ‎ ‎اللَّهِ‏‎.‎‏

 

حَدَّثَنَا‎ ‎مُحَمَّدُ‎ ‎بْنُ‎ ‎الْمُثَنَّى،‎ ‎حَدَّثَنَا‎ ‎ابْنُ‎ ‎أَبِي‎ ‎عَدِيٍّ،‎ ‎عَنِ‎ ‎ابْنِ‎ ‎عَوْنٍ،‎ ‎عَنْ‎ ‎مُحَمَّدٍ،‎ ‎عَنْ‎ ‎أَنَسٍ،‎ ‎وَسَاقَ‎ ‎الْحَدِيثَ،‏‎.‎‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) ‎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তালহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ল। আবূ তালহা (রাঃ) বাইরে গেলেন, তখন ছেলেটি মারা ‎গেল। আবূ তালহা (রাঃ) ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ ছেলেটি কী করছে? উম্মু সুলাইম বললেনঃ সে আগের চেয়ে ‎শান্ত। তারপর তাঁকে খাবার দিলেন। তিনি আহার করলেন। তারপর উম্মু সুলাইমের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলেন। ‎যৌন সঙ্গম ক্রিয়া শেষে উম্মু সুলাইম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আস। সকাল হলে আবূ তালহা (রাঃ) ‎রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁকে এ ঘটনা বললেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ গত ‎রাতে তুমি কি স্ত্রীর সাথে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! ‎তাদের জন্য তুমি বরকত দান কর। কিছুদিন পর উম্মু সুলাইম একটি সন্তান প্রসব করল। (রাবী বলেনঃ ) আবূ ‎তালহা (রাঃ) আমাকে বললেনঃ তাকে তুমি দেখাশোনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া ‎সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে যাই। অতঃপর তিনি তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে ‎গেলেন। উম্মু সুলাইম সঙ্গে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (কোলে) ‎নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তার সঙ্গে কিছু আছে কি? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, আছে। তিনি তা নিয়ে চিবালেন এবং ‎তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন। তিনি এর দ্বারাই তার তাহ্নীক করলেন এবং তার নাম ‎রাখলেন ‘আবদুল্লাহ্‌। ‎

 

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি উক্ত হাদীসটিই বর্ণনা করেন। ‎ (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১/২. অধ্যায়ঃ ‎

‎ ‘আকিকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা।

৫৪৭১

وَقَالَ‎ ‎غَيْرُ‎ ‎وَاحِدٍ‎ ‎عَنْ‎ ‎عَاصِمٍ،‎ ‎وَهِشَامٍ،‎ ‎عَنْ‎ ‎حَفْصَةَ‎ ‎بِنْتِ‎ ‎سِيرِينَ،‎ ‎عَنِ‎ ‎الرَّبَابِ،‎ ‎عَنْ‎ ‎سَلْمَانَ،‎ ‎عَنِ‎ ‎النَّبِيِّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‏‎.‎‏‎ ‎وَرَوَاهُ‎ ‎يَزِيدُ‎ ‎بْنُ‎ ‎إِبْرَاهِيمَ‎ ‎عَنِ‎ ‎ابْنِ‎ ‎سِيرِينَ‎ ‎عَنْ‎ ‎سَلْمَانَ‎ ‎قَوْلَهُ‏‎.‎‏‎ ‎وَقَالَ‎ ‎أَصْبَغُ‎ ‎أَخْبَرَنِي‎ ‎ابْنُ‎ ‎وَهْبٍ‎ ‎عَنْ‎ ‎جَرِيرِ‎ ‎بْنِ‎ ‎حَازِمٍ‎ ‎عَنْ‎ ‎أَيُّوبَ‎ ‎السَّخْتِيَانِيِّ‎ ‎عَنْ‎ ‎مُحَمَّدِ‎ ‎بْنِ‎ ‎سِيرِينَ‎ ‎حَدَّثَنَا‎ ‎سَلْمَانُ‎ ‎بْنُ‎ ‎عَامِرٍ‎ ‎الضَّبِّيُّ‎ ‎قَالَ‎ ‎سَمِعْتُ‎ ‎رَسُولَ‎ ‎اللَّهِ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎يَقُولُ‎ ‎‏‎ “‎‏‎ ‎مَعَ‎ ‎الْغُلاَمِ‎ ‎عَقِيقَةٌ،‎ ‎فَأَهْرِيقُوا‎ ‎عَنْهُ‎ ‎دَمًا‎ ‎وَأَمِيطُوا‎ ‎عَنْهُ‎ ‎الأَذَى‎ ‎‏‎”‎‏‏‎.‎‏

‎সালমান ইবনু ‘আমির (রাঃ) ‎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‎বলতে শুনেছি যে, সন্তানের সঙ্গে ‘আকিকা সম্পর্কিত। ‎তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ ‘আকিকার জন্তু যবেহ্‌) ‎কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও। ‎(আ.প্র. ৫০৬৬, ই.ফা. ৪৯৬৩)‎

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪৭২

حَدَّثَنَا‎ ‎أَبُو‎ ‎النُّعْمَانِ،‎ ‎حَدَّثَنَا‎ ‎حَمَّادُ‎ ‎بْنُ‎ ‎زَيْدٍ،‎ ‎عَنْ‎ ‎أَيُّوبَ،‎ ‎عَنْ‎ ‎مُحَمَّدٍ،‎ ‎عَنْ‎ ‎سَلْمَانَ‎ ‎بْنِ‎ ‎عَامِرٍ،‎ ‎قَالَ‎ ‎مَعَ‎ ‎الْغُلاَمِ‎ ‎عَقِيقَةٌ‏‎.‎‏‎ ‎وَقَالَ‎ ‎حَجَّاجٌ‎ ‎حَدَّثَنَا‎ ‎حَمَّادٌ‎ ‎أَخْبَرَنَا‎ ‎أَيُّوبُ‎ ‎وَقَتَادَةُ‎ ‎وَهِشَامٌ‎ ‎وَحَبِيبٌ‎ ‎عَنِ‎ ‎ابْنِ‎ ‎سِيرِينَ‎ ‎عَنْ‎ ‎سَلْمَانَ‎ ‎عَنِ‎ ‎النَّبِيِّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‏‎.‎‏

হাবীব ইবনু শাহীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু সিরীন আমাকে নির্দেশ করলেন, আমি যেন ‎হাসানকে জিজ্ঞেস করি তিনি ‘আকিকার হাদীসটি কার কাছ থেকে শুনেছেন? আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ‎বললেনঃ সামূরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে। [৫৪৭১] (আ.প্র. ৫০৬৭, ই.ফা. ৪৯৬৪)‎

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১/৩. অধ্যায়ঃ ‎

ফারা সম্পর্কে।

৫৪৭৩

حَدَّثَنَا‎ ‎عَبْدَانُ،‎ ‎حَدَّثَنَا‎ ‎عَبْدُ‎ ‎اللَّهِ،‎ ‎أَخْبَرَنَا‎ ‎مَعْمَرٌ،‎ ‎أَخْبَرَنَا‎ ‎الزُّهْرِيُّ،‎ ‎عَنِ‎ ‎ابْنِ‎ ‎الْمُسَيَّبِ،‎ ‎عَنْ‎ ‎أَبِي‎ ‎هُرَيْرَةَ‎ ‎ـ‎ ‎رضى‎ ‎الله‎ ‎عنه‎ ‎ـ‎ ‎عَنِ‎ ‎النَّبِيِّ‎ ‎صلى‎ ‎الله‎ ‎عليه‎ ‎وسلم‎ ‎قَالَ‎ ‎‏‎ “‎‏‎ ‎لاَ‎ ‎فَرَعَ‎ ‎وَلاَ‎ ‎عَتِيرَةَ‎ ‎‏‎”‎‏‏‎.‎‏‎ ‎وَالْفَرَعُ‎ ‎أَوَّلُ‎ ‎النِّتَاجِ،‎ ‎كَانُوا‎ ‎يَذْبَحُونَهُ‎ ‎لَطِوَاغِيتِهِمْ،‎ ‎وَالْعَتِيرَةُ‎ ‎فِي‎ ‎رَجَبٍ‏‎.‎‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ)‎ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (ইসলামে) ফারা বা আতীরা নেই। ফারা হল ঊটের সে প্রথম ‎বাচ্চা, যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবেহ করত। আর আতীরা হল রজবে যে জন্তু যবেহ করত। ‎

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১/৪. অধ্যায়ঃ ‎

আতীরাহ

৫৪৭৪

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ فَرَعَ وَلاَ عَتِيرَةَ قَالَ وَالْفَرَعُ أَوَّلُ نِتَاجٍ كَانَ يُنْتَجُ لَهُمْ كَانُوا يَذْبَحُونَه“ لِطَوَاغِيَتِهِمْ وَالْعَتِيرَةُ فِي رَجَبٍ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ)‎ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ইসলামে) ফারা ও আতীরা নেই। ফারা হল উটের প্রথম বাচ্চা যা ‎তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবেহ্ দিত। আর আতীরা যা রজবে যবেহ করত। ‎(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস